BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover October 2019

English Part October 2019

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


এনআরসি নিয়ে ঢাকার উদ্বেগের কিছু নেই

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকে তিস্তাসহ সাতটি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের সমস্যা ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, দুই নেতার বৈঠক অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের বড় অংশজুড়ে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাকা সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। আসামের এনআরসি নিয়ে বৈঠকে কথা তোলেন শেখ হাসিনা। ড. মোমেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তাই এ ধরনের ইস্যু নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন ইস্যুর প্রসঙ্গও তোলেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনআরসি ও পানি বণ্টনের মতো ইস্যুগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি।
কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোদি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নির্ধারণে কাজ করবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। এ ব্যাপারে আগামী ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 সেপ্টেম্বর ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৬৯ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে।
জরিপে সেপ্টেম্বর ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৬৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেপ্টেম্বর ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৬৯ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩০ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৬ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২৮ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৫ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৯ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৮ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন, এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২২৮ জন, আত্মহত্যা ১৫ জন। সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৫৩ জন, যৌন নির্যাতন ১৪ জন, যৌতুক নির্যাতন ৪ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন, এসিড নিক্ষেপ ১ জন ।
 

 

   BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ‘ক’ অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ‘ক’ অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি ও বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সভাপতি আরেফ আহমেদ আরাফ, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আশিক, সহ-সভাপতি মোঃ আজিুজল আলম মজুমদার, যুগ্ম সম্পাদক কামাল পারভেজ পিন্টু, শ্যামপুর থানা শাখার সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, নির্বাহী সভাপতি সমীর ভৌমিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জুয়েল ইসলাম, যুগ্ম সম্পদাক ইমাম হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, ডেমরা থানা শাখার সভাপতি মোঃ কুদ্দুস মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউছুফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কবির আহম্মেদ ফরাজী, মহিলা সম্পাদিকা হালিমা আক্তার, বিলকিস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ খালেক, গেন্ডারিয়া থানা শাখার সভাপতি গোপাল দাস, নির্বাহী সভাপতি সুমন ভৌমিক, পল্টন থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক চান শরীফ, আইন সম্পাদক মোঃ গোলাম কবির, সদস্য মোঃ শেরেকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোঃ মাহবুব রহমান, মোঃ সোলায়মান খান, রওশন আরা বেগম, বংশাল থানা শাখার সভাপতি মোঃ হায়দার রিয়াজ খান, সহ-সভাপতি মোঃ জিহাদ খান, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নয়ন, মোঃ ফিরোজ, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিউলী সুলতানা, সদস্য তুষার হালদার, কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি মোঃ নূরুল আফসার, নির্বাহী সভাপতি মোঃ ইসমাইল খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল, সিনিয়র সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহরাব মোল্লা, প্রমুখ।
 

হজ-ওমরায় অবিশ্বাস্য ভিসা ফি কমালো সৌদি আরব !!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা ফি কমিয়েছে সৌদি সরকার। এর পাশাপাশি দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সৌদি মন্ত্রিসভার গৃহীত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের ভিসার ফি দুই হাজার সৌদি রিয়াল থেকে কমিয়ে মাত্র ৩০০ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একাধিকবার ওমরাহ পালনের জন্য ভিসা ফিও বাতিল করেছে সৌদি সরকার। মন্ত্রিপরিষদের নেয়া সিদ্ধান্তে ভিসার ধরন ও মেয়াদকাল নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।
এতে বলা হয়েছে, আগের আইনে দেশটিতে ওমরাহ পালনের জন্য যাত্রীদের ভিসা ফি বাবদ টানা তিন বছর ২ হাজার সৌদি রিয়াল দিতে হতো। নতুন এই আইনের ফলে সেটি আর থাকছে না। মন্ত্রিপরিষদের ভিসা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের বিষয়ে রাজকীয় ফরমান জারি করায় দেশটির হজ এবং ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন সৌদি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, হজ ও ওমরাহ পালনে মুসলমানদের আগমনকে আরো সহজ করতে সৌদির বিচক্ষণ নেতৃত্বের আগ্রহে রাজকীয় ডিক্রিটি জারি হয়েছে।
মোহাম্মদ বেনতেন বলেন, এই আইনের মাধ্যমে সৌদিতে ক্রমবর্ধমান হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের গ্রহণ সক্ষমতার প্রস্তুতির বিষয়টি উঠে এসেছে। পবিত্র স্থাপনাগুলোতে এবং মক্কা ও মদিনায় সেবা ব্যবস্থাপনা ও বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প উন্নয়নের মাধ্যমে এই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
 

   BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর সদর অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC মোহাম্মদপুর থানা শাখার সভাপতি মোঃ ওয়ালিউল্লাহ মাষ্টার এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC’র মহিলা বিষয়ক প্রতিনিধি জোøা আক্তার বেবী, দারুস সালাম থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল শরীফ, উত্তরা পূর্ব থানা শাখার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কাফরুল থানা শাখার সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক লতিফা ইয়াসমিন লাভলী, সহ-সভাপতি ডাঃ হাকীম মোঃ শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, মোঃ মাসুদ রানা, মিরপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব, ঢাকা মহানগর উত্তর সদর শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ফেরদৌসী বেগম, প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর সদর শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসিমা আক্তার উর্মি।
 

 

প্রতি বছর সে দেশে আকাশ থেকে ঝরে পড়ে লাখ লাখ মাছ

মানবাধিকার রিপোর্ট’

সে দেশে আকাশ থেকে লাখ লাখ মাছ ঝরে পডে বৃষ্টির মতো। রাস্তা-ঘাটে, বাড়ির সামনে, ছাদে পডে থাকে লাখ লাখ মাছ! জানা গেছে, প্রতি বছরই এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকেন মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাসের বাসিন্দারা।
প্রতি বছরের মে মাস থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এ ধরনের ‘মাছ বৃষ্টি’ হন্ডুরাসের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। স্থানীয়রা ওই ঘটনাকে বলেন ‘জুভিয়া দে পেতেস’। স্প্যানিশ এই শব্দের অর্থ হলো ‘মাছের বৃষ্টি’।
আকাশ থেকে ঝরে পড়তে থাকে মাছ, ব্যাঙসহ নানা জলজ প্রাণী। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সময় রীতিমতো লোক নামিয়ে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করাতে হয়।
ওই অঞ্চলের বহু মানুষের বিশ্বাস, এক দেবতার আশীর্বাদে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে খ্রিস্টান যাজক হোসে সুবিরানা হন্ডুরাসে যান। ওই সময় হন্ডুরাসের বেশিরভাগ মানুষ অত্যন্ত অনটন আর দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটাতেন। তাদের দুর্দশা দূর করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। হোসে সুবিরানার প্রার্থণার পর থেকেই দারিদ্রের কষ্ট দূর করতে সৃষ্টিকর্তা আকাশ থেকে ‘মাছের বৃষ্টি’ দেন বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন ওই অঞ্চলের মানুষজন।
১৯৭০ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল পাঠানো হয় হন্ডুরাসে। ওই দলের সদস্যরা ‘মাছের বৃষ্টি’র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের ওই সদস্যরা জানান, ওই অঞ্চলে আকাশ থেকে যে সব মাছের বৃষ্টি হয়, তা কোনো সমুদ্রিক মাছ নয়। সেগুলো মিষ্টি পানির মাছ।
আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া মাছগুলো কোনো নদী, পুকুর বা হ্রদের মতো মিষ্টি পানির জলাশয়ের মাছ। শুধু তাই নয় বেশির ভাগ মাছই প্রায় একই প্রজাতির। যদিও ১৯৭০ সালে হন্ডুরাসে ‘মাছের বৃষ্টি’র সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সদস্যদল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
যে এলাকায় প্রতি বছর একবার বা দুইবার মাছের বৃষ্টি হয়, আটলান্টিক মহাসাগর তার থেকে প্রায় দু’শ কিলোমিটার দূরে। অনেকে মনে করেন, টর্নেডো বা সামুদ্রিক ঝড় আটলান্টিক মহাসাগরের বিভিন্ন অংশের মাছ উড়িয়ে এনে এই অঞ্চলে ফেলে। কিন্তু এমন ঘটনা প্রতি বছর কীভাবে সম্ভব, সে ব্যাপারে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে।


BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদর অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদর অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, মুগদা থানা শাখার সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার প্রিন্স এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC’র রমনা থানা শাখার সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, হাজারীবাগ থান াশাখার সভাপতি সাবদার মাহমুদ খান অতুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ, সদস্য মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, আবুল খায়ের, রামপুরা থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাসান কবির সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন সরকার, জেমস রেজা, সিনিয়র সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আবুল হাসেম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মনির চৌধুরী, শাহবাগ থানা শাখার সভাপতি শাহীন আলম, নির্বাহী সভাপতি মোঃ আবু ইউসুফ, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শামীম শেখ, সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াজেদ আলী, মুগদা থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান, বিএম খায়রুল আলম, শাহজাহানপুর থানা শাখার সভাপতি আবু মোঃ সাফিউল আজম, সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, দারুস সালাম থানা শাখার মোঃ বাবুল, প্রমুখ।

 


 

ভারতে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে: মমতা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফের ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে। গতকাল আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে টুইটারে মমতা লিখেছেন, আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে আসুন আমরা সকলে আমাদের দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে অক্ষুণœ রাখার অঙ্গীকার নেই। এই সুপার ইমার্জেন্সির জমানায় মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যা যা করতে হবে আমরা তা অবশ্যই করবো। এনআরসি, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে তল্লাশি অভিযান, পুজো কমিটিকে আয়কর দপ্তরের নোটিশসহ কেন্দ্রের বিভিন্ন কাজের বিরোধিতা করেছেন মমতা। ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় হিন্দি দিবস উপলক্ষে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের জবাবে মমতা লিখেছেন, আঞ্চলিক ভাষাকে সম্মান দেয়া উচিত। মাতৃভাষাকে কখনওই ভোলা উচিত নয়। সেপ্টেম্বর ‘হিন্দি দিবস’ উপলক্ষে অমিত শাহ বলেছেন, কোনো ভাষা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে, তবে তা হলো হিন্দি। কারণ, ওই ভাষাতেই দেশের বহু মানুষ কথা বলেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী রাজনীতিবিদরা। বিরোধীরা জানিয়েছেন, জনগণনার সমীক্ষা থেকেই দেখা গেছে, ভারতের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনেরই মাতৃভাষা হিন্দি নয়। দেশের মাত্র ৪৩.৬৩ শতাংশ মানুষ হিন্দিতে কথা বলেন। এর পরেই রয়েছে বাংলা। মোট ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন। এর পরে রয়েছে অন্যান্য ভাষা।
 

 

BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর সদরের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উওর সদর শাখার সমন্বয় সভা ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর উওর সদর শাখার সভাপতি আওারুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC ঢাকা মহানগর উওর সদর শাখার নেতৃবৃন্দ যথাএমে জয়নাল আবেদীন,খন্দকার রোকসানা হায়দার, কে এম আলম, মোঃ নাজমুল হক,এ্যাড. ফেরদৌসী বেগম,নাসিমা আক্তার, সালমা বেগম, জাফরুল ইসলাম, মো: দিলওয়ার আবেগী, মাহাম্মদ সাহিন বকস, মাহবুবুল আলম,আলী রাজ প্রমুখ মানবাধিকার কর্মীগন।
BHRC'র সেএেটারী জেনারেল সারা বিশ্বের মানবাধাকার কর্মীদের একত্রিত হয়ে সকল প্রকার অন্যায় ও মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্দে ঐক্যবদ্দ হওয়ার আহবান জানান।
সমন্বয়সভায় তিনজন মানবাধিকার কর্মীকে তিনটি সাব-কমিটির আহবায়ক করে ঘোষনা দেয়া হয়,কমিটি গুলো হচ্ছে লিগ্যাল এইড/সালসী সাব-কমিটি, সাংগঠনিক সাব-কমিটি এবং তদন্ত সাব-কমিটি।
 

বাংলাদেশি তরুণী হলেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে নারীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যুক্ত হয়ে গৌরবময় অবদান রেখে চলেছেন। এবার মার্কিন সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগ দিয়েছেন এক বাংলাদেশের তরুণী আফিয়া জাহান পম্পি (২০)।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে পরিবারের সঙ্গে থাকেন আফিয়া। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার জমালপুর গ্রামে। আফিয়ার বাবা মিরসরাই অ্যাসোসিয়েশন এনএর সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ও মায়ের নাম নুরুচ্ছাবাহ পূর্ণিমা। আফিয়ার মা-বাবা সাংবাদিকদের জানান, তাদের সংসারে তিনকন্যা সন্তান রয়েছে। আফিয়া ছাড়া অপর দুই মেয়ের নাম সাদিয়া ও পৃথা। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানেই পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতিও চর্চা রয়েছে আফিয়ার। বর্তমানে ফার্মিং ডেল স্টেট কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী আফিয়া।
সৌদিতে কর্মরত প্রবাসীদের ইকামা নবায়নে জরিমানা নিয়ে নতুন ঘোষণা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীদের রেসিডেন্সি পারমিট অর্থাৎ ইকামা নবায়নে জরিমানার বিধান নিয়ে নতুন ঘোষনা দিয়েছেন দেশটির জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ পাসপোর্টস। নতুন ঘোষনা অনুযায়ী, ইকামা এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরেও তিনদিন সময় থাকবে নবায়ন করার। ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার তিনদিন পর থেকে জরিমানা বলবত হবে। এছাড়াও ঘোষনা এসেছে জরিমানার অংকেও। প্রথমবার ইকামা নবায়নের ক্ষেত্রে মেয়াদ পার হয়ে গেলে জরিমানা দিতে হবে ৫০০ রিয়াল। এরপরে পুনরায় আবারও অর্থাৎ দ্বীতিয়বারের মতো যদি ইকামা এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তবে জরিমানার অংক বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার রিয়াল।
তৃতীয়বারের মতো যদি ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তবে কোনভাবেই তা নবায়ন করা যাবে না, এবং সেক্ষেত্রে ইকামা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে প্রবাসীকে। ইকামা নবায়নের নতুন এই জরিমানার বিধান ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে, এবং এই মোতাবেক ব্যবস্থাও নেবে সৌদি আরব সরকার।


BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ‘ক’ অঞ্চলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ক অঞ্চলের সমন্বয় সভা ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর ক অঞ্চলের সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ক অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমেঃ নির্বাহী সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইয়াছিন আলী, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকী, আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ মাসুম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ বিপ্লব হোসেন খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সামসুল আরেফিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য এম.এ. নায়েম তালুকদার, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল সারা বিশ্বের মানবাধাকার কর্মীদের একত্রিত হয়ে সকল প্রকার অন্যায় ও মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সমন্বয় সভায় তিনজন মানবাধিকার কর্মীকে তিনটি সাব-কমিটির আহবায়ক করে ঘোষণা দেয়া হয়, কমিটি গুলোর আহ্বায়ক হচ্ছে যথাক্রমেঃ লিগ্যাল এইড/সালসী সাব-কমিটির আহ্বায়ক এড. সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সাব-কমিটির সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ এবং তদন্ত সাব-কমিটির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন সবুজ।

 

 
কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচিত মালালা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারত দখলীকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজাই (২২)। ভারতের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তিনি পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় নারীশিক্ষার একজন প্রচারকের দায়িত্ব পালন করছিলেন মালালা। এ জন্য ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তালেবান এক অস্ত্রধারী তাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে। জীবনমরণের সন্ধিক্ষণে থাকা মালালা শেষ পর্যন্ত জীবন ফিরে পান। তাকে ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে দেয়া হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
গত ৫ই আগস্ট ভারত সরকার একতরফাভাবে জম্মু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে। অব্যাহত কারফিউয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ নিয়ে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অব্যাহতভাবে অভিযোগ করে আসছে। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মালালা। কাশ্মীরের শিশুরা, ছেলেমেয়েরা যাতে নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারে সে জন্য তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রতি সাহায্য চান। এ নিয়ে তিনি টুইটে লিখেছেন, শিশু সহ প্রায় ৪০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার ও জেলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ৪০ দিনের বেশি স্কুলে যেতে পারছে না।
মেয়েরা ভয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না। এসব বিষয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই আমি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের নেতাদের প্রতি ও এর বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সবার প্রতি কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কাশ্মীরি মানুষের কথা শুনতে আহ্বান জানাচ্ছি। অনুরোধ করছি ছেলেমেয়েরা যেন নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারে।
 

 

 
BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ‘ক’ অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ‘ক’ অঞ্চল অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC সবুজবাগ থানা শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সবুজ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC’র হাতিরঝিল থানা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ শাহ, সহ-সভাপতি মোঃ ফজলুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাত কুমার চন্দ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেদ আলম, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, ভাটারা থানা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ হালিমা পারভীন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন (অনিক), নির্বাহী সদস্য মোছাঃ রুমানা, বিমানবন্দর থানা শাখার সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন, গুলশান থানা শাখার সহ-সভাপতি এস,এম জুনায়েদ, বনানী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত আকবর, বাড্ডা থানা শাখার সভাপতি নবী হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মোঃ মাসুম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু ভূইয়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ, উত্তরখান থানা শাখার সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিমানবন্দর থানা শাখার নূরুল করিম ভূইয়া।


লিবিয়ায় বন্দিদশা থেকে বাংলাদেশির আর্তনাদ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘আমাকে বাঁচান। আমি এই জীবনে কখনও বিদেশের নাম নেব না। আমাকে এই জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে।’ এভাবেই দেশে স্বজনদের কাছে বাঁচার আকুতি জানান বিদেশে দালাল চক্রের হাতে জিম্মিরা। প্রায় চার মাস যাবত জিম্মি তারা। রাখা হয়েছে টর্চার সেলে। এটি অন্ধকার ছোট একটি কক্ষ। সেখানে রাখা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনকে। রাত এলেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে দালালরা। একেক জন করে ডেকে নেয় আলাদা কক্ষে। তারপর কান্নায় ভারি হয়ে উঠে বাতাস। বিদেশে-বিভূঁইয়ের এই কান্না চার দেয়ালেই আটকে থাকে। তবে দালালরা মাঝে-মধ্যে কান্নার শব্দ শোনায় দেশে থাকা স্বজনদের। কান্নার শব্দ শুনিয়ে দাবি করে টাকা। দাবিকৃত টাকা না দিলে হত্যা করার হুমকি দেয়। এখানেই শেষ নয় অত্যাচারের। মারধর ছাড়াও খাবার বন্ধ করে দেয়া হয়। খাবার নেই, পানি নেই। দিনে একবার, কখনও কখনও এক দিন পরপর নাম মাত্র খাবার ও পানি দেয়া হয়। খেয়ে না খেয়ে শরীর শুকিয়ে হাড্ডিসার।
বিভিন্ন উন্নত দেশের কথা বলে তাদের লিবিয়ায় এনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দিনের পর দিন অত্যাচার করে বাড়িতে থাকা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এভাবেই লিবিয়ার টর্চার সেলে অন্যান্যদের সঙ্গে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার তারাশুলের মো. সামাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে মানবপাচার ট্রাইবুন্যালে মামলা করেছেন তার চাচা আব্দুল কদ্দুছ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতেন তিনি। গরীব কৃষক পরিবারের এই সন্তানকেই টার্গেট করে দালাল চক্র। একই এলাকার গণেশপুরের নুর আলী তাকে প্রলোভন দেখায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় লক্ষাধিক টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সেই প্রলোভনে পা দেন সামাজুল। কথানুসারেই এক মাসের মধ্যে নগদ তিন লাখ টাকাসহ ভিসার জন্য পাসপোর্ট, ছবি নুর আলীর নিকট দেন তিনি। অতঃপর গত ১৮ই মে নুর আলী তাকে জানান, সাউথ আফ্রিকার ভিসা হয়েছে। পরদিন ফ্লাইট। দ্রুত আরও দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। এবার তাড়াহুড়া করে নিজের শেষ সম্বল সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা তুলে দেন নুর আলীর হাতে।
১৯শে মে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে তুলে দেয়া হয় সামাজুলকে। জানানো হয়, দুবাইয়ের শারজাহ বিমানবন্দরে দালাল চক্রের লোকজন তাকে গ্রহণ করবে। সেখান থেকে স্থল পথে সাউথ আফ্রিকা পাঠানো হবে তাকে। স্বজনরাও তাকে বিদায় জানালেন। বিমানটি আকাশে উড়লো। সেই যে দেশ ছেড়ে গেলেন এরপর থেকে সামাজুলের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনরা। দীর্ঘদিন তার কোনো হদিস নেই। দালাল নুর আলী, এই চক্রের সদস্য রাসেল মিয়া, রাকিব হাসান, নাসির, সুজন, জামান কেউ কোনো সন্ধান দিতে পারে না। দুশ্চিন্তায় পড়ে যান স্বজনরা। এভাবে একে একে প্রায় তিন মাস কাটে। সামাজুল বেঁচে আছে কি-না, তাও জানেন না তারা। গত ১৫ই আগস্ট হঠাৎ করেই ফোনে সামাজুলের কল। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সামাজুল। তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার কথা বলে তাকে লিবিয়ায় আটকে রাখা হয়েছে। একটি ছোট অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছে সামাজুলসহ আরও ১০-১২ জনকে। লিবিয়ায় চক্রটির হয়ে কাজ করে অ্যারাবিয়ানরা। প্রতি রাতেই বেদম প্রহার করা হয় তাদের। চক্রের সদস্যদের দাবি একটাই, টাকা চাই। দেশ থেকে টাকা নিতে চাপ দিচ্ছে তারা।



 

  BHRC ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর-পশ্চিম মহিলা শাখার যৌথ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখা ও ঢাকা মহানগর-পশ্চিম মহিলা শাখার যৌথ সমন্বয় সভা ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC’র সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সভাপতি শাহিদা সেবা, সাধারণ সম্পাদক মেহবুবা জাহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার সভাপতি জেসমিন আরা কবির, ঢাকা জেলা মহিলা শাখার নির্বাহী সভাপতি দিলরুবা জাহান, সহ-সভাপতি সালমা আহমেদ হীরা, পিয়ারা বেগম, পপি আক্তার, রাবেয়া বাসরী, তাহমিনা আক্তার, হাছিনা পারভীন নূপুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মায়িশা বিনতে মাহফুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদা তাবাসসুম মারিয়া, অর্থ সম্পাদক ফাতেমা তানজিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার সহ-সভাপতি কাজী শামী আরা, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার, হাকিমা আক্তার, জেবা ফারিয়া কবীর প্রমুখ।
 

মিয়ানমারের ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা চায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিকভাবে সমন্বিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি)। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ, বিক্রি ও আদান-প্রদান এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে এসব আহ্বান জানানো হয়।
রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আনা প্রস্তাবটি ৫৪৬-১২ ভোটে পাশ হয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ৯৪ জন আইনপ্রণেতা।
ইপির সর্বশেষ প্রস্তাবে মিয়ানমারে স্বীকৃত ১৩৫ বৈধ নৃ-গোষ্ঠীর মতো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ববর্তী ও সাম্প্রতিক সব ঘটনার কঠোর নিন্দা জানানো হয়।
নতুন এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও এখনো প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমার নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করেনি।
 

 

BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (সদর)এর সমন্বয় সভা ও ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি গঠন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ক অঞ্চলের সমন্বয় সভা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে ঢাকার মালিবাগস্হ আল-কাদেরী রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিন (সদর) এর সভাপতি মানবতাবাদি ফিরুজ আলম সুমনের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন BHRC'র ডেপুটি গবর্নর এবং ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা: আনোয়ার ফরাজী ইমন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিন(সদর)এর নির্বাহী সভাপতি এম,এ,আকরাম মুকুল,সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক সহ নেতৃবৃন্দ যথাক্রমেঃ এম,এ, নায়েম তালুকদার, মো: সোহেল, মনিরুল ইসলাম,বশির আহাম্মেদ, সাম্মি আওার সীমা, আঞ্জুমান আরা মুন্নি, শারমিন আওার, ফাতেমা জান্নাত সিনথিয়া, তোফায়েল আহাম্মেদ ইকবাল, মোঃ তোফায়েল হোসসেন,সুজন খান,মো: জোবায়ের রহমান,এস,এম,রেজা হোসেন,রাসেদ আকন, শংকর কর্মকার, আবদুল্লাহ আল মুকীত সহ ৩৫ জন বক্তা সমন্বয়সভায় বওব্য রাখেন।
BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল মানবাধিকার কর্মীদের মাদক মুও সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহবান জানান। আড়াইহাজার শাখা ও প্রায় তিন লক্ষ মানবাধিকার কর্মীর এই প্রতিষ্ঠান সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে দেশে ও বহি:বিশ্বে এক যোগে কাজ করে আহবান জানান। সমন্বয়সভা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিন (সদর) এর ১০১ বিশিষ্ট নবগঠিত নির্বাহী কমিটির সভাপতি ফিরুজ আলম সুমন,নির্বাহী সভাপতি এম,এ,আকরাম মুকুল এবং সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আজমূল হকের নাম ঘোষনা দেয়া হয়।


 

 BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার অফিস উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার নিজস্ব অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং বিকেলে ঢাকার মালিবাগস্হ BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সভাপতি সাহিদা সেবার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি ফিরোজ আলম সুমন, BHRC সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সাধারন সম্পাদক মেহবুবা জাহান, প্রিন্সাপাল রাজিব, BHRC’র মহিলা নেতা মিনার নাহার রিপা, জেসমিন আরা কবির, দিলরুবা জাহান, মনিরুল ইসলাম মনির, সালমা আহাম্মেদ হীরা, পিয়ারা বেগম, পপি আক্তার, রাবেয়া বাসরী, তাসলিমা আক্তার, হাসিনা পারভীন নুপুর, বিনতে মাহফুজ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শুরুতে ঢাকা জেলা মহিলা শাখার অফিস ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল।
 



Top

 চোখ খুলুন, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচিকে দু’চোখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর ইয়াংহি লি। তিনি বলেছেন, ম্যাডাম স্টেট কাউন্সেল আপনার চোখ খুলুন। শুনুন। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন (রোহিঙ্গাদের কথা)। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগে আপনার নৈতিক কর্তৃত্বকে ব্যবহার করুন। মঙ্গলবার মানবাধিকার কাউন্সিলকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন ইয়াংহি লি। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক। প্রায় চার বছর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কাছে এমনটা প্রত্যাশা করেননি ইয়াংহি লি এবং অন্যরা।
ইয়াংহি লি বলেছেন, দশকের পর দশক মুক্ত ও গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের জন্য একটানা লড়াই করেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেল অং সান সুচি। তার কাছে জানতে চাই তার দেশে এখন যা ঘটছে, তিনি কি সত্যিকারভাবে আজকের এই অবস্থাকে দেখতে চেয়েছেন? ইয়াংহি লি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানোর পরও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নিষ্পেষণের যে ধারা তা ভেঙে দিতে কিছুই করেনি মিয়ানমার। এখনও রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন তারা সেই একই করুণ পরিণতির শিকার, যেমনটা ২০১৭ সালের আগস্টে তাদের সঙ্গে ঘটেছিল। তিনি আরো বলেন, তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। স্বীকৃতি নেই। নিয়মিত সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে। অবাধে চলাচল করতে পারে না। খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জীবিকা নির্বাহ ও চাকরির ক্ষেত্রে তাদের কোনো সুবিধা নেই বললেই চলে। ইয়াংহি লি বলেন, মিয়ানমার দাবি করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সব করেছে তারা এবং প্রত্যাবর্তনে বিলম্বের জন্য তারা বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে দায়ী করে। কিন্তু আমি যে তথ্য পেয়েছি তাতে আমাকে বিশ্বাস করতে হয় যে, আসল সত্য এর উল্টো।
তিনি বলতে চেয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সব করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এক্ষেত্রে বিলম্বের জন্য প্রকৃতপক্ষে দায়ী মিয়ানমার। ইয়াংহি লি বলেন, স্যাটেলাইটের ছবিতে ৩৪টি শিবির নির্মাণের দৃশ্য দেখা গেছে। এগুলো কি উদ্দেশে নির্মাণ করা হয়েছে বা হচ্ছে তা অস্পষ্ট। তিনি বলেন, দৃশ্যত মনে হচ্ছে মিয়ানমারে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা ও যারা ফিরে যাবেন তাদেরকে সেখানে আটক রাখা হবে। তিনি আরো বলেছেন, উত্তর রাখাইনে এমন নির্মাণকাজ দেখা গেছে স্যাটেলাইটের ছবিতে। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি সামরিক ঘাঁটি। এসব ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো ধ্বংস করে দিয়ে সেখানে।
রাখাইনে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ৩৯২টি গ্রাম। এর মধ্যে ৩২০টি গ্রাম পুনঃমেরামতের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। শতকরা ৪০ ভাগ গ্রামকে পুরোপুরি মিশিয়ে দেয়া হয়েছে মাটির সঙ্গে। ইয়াংহি লি বলেন, এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে ২০১৮ সালে কিছু এবং ২০১৯ সালে বাকিগুলোতে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে যে মিয়ানমার প্রস্তুত, এসব বিষয় তাদের এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে যায়। আমি আরো দেখেছি, মিয়ানমারের ভূমি আইনের অধীনে কোনো এলাকা পুড়ে গেলে সেই এলাকার মালিকানা চলে যায় সরকারের হাতে। এই অবস্থায় যদি রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি হন তাহলে তারা ফিরে গিয়ে কি পাবেন?
ইয়াংহি লি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস সার্বিকভাবে এজন্য জবাবদিহিতা প্রয়োজন। সফল প্রত্যাবাসনের জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমনটা হলে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যে সহিংসতা চালাচ্ছে তার ইতি ঘটবে। নিশ্চিত হবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসবাস। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান লড়াই নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর।
 

 

Top

BHRC গুলশান আঞ্চলিক শাখার ৮১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির অনুমোদন


বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC গুলশান আঞ্চলিক শাখার ৮১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং দুপুরে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাভ করে। BHRC গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শামীম বক্স, নির্বাহী সভাপতি মোঃ দিলওয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমেদ সবুজ নির্বাচিত হয়। নির্বাহী কমিটির সিনিয়র কর্মকর্তাগণ BHRC’র সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে অনুমোদিত কমিটি গ্রহণ করে এবং BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছ জানান। গুলশান আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তাগণ BHRC’র সেক্রেটারী জেনারেল এর সাথে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র চলনবিল অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ বেলাল হোসেন, আজীবন সদস্য মোঃ মশিউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক এস এম জুনায়েদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল তারিক তুহিন, মোঃ ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সানি রহমান, প্রচার সম্পাদক মোঃ মিরাজ ভূইয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা বেগম প্রমুখ।

 

রাখাইনে ‘গণহত্যার হুমকিতে’ আরও ৬ লাখ রোহিঙ্গা: ইউএন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাদের হাতে নিহত একদল রোহিঙ্গা। ছবি- সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরও ৬ লাখ রোহিঙ্গা ভয়াবহ ‘গণহত্যার হুমকি’তে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ (ইউএন)।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনও ‘অসম্ভব’ এক বাস্তবতার মুখে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখনও রাখাইনে ৬ লাখ রোহিঙ্গা ‘মানবেতর ও শোচনীয়’ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। মিয়ানমার তাদের ব্যাপারে এখনও গণহত্যার মানসিকতা পোষণ করে। এ অবস্থায় সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা ভয়াবহভাবে গণহত্যার হুমকির মুখে জীবন-যাপন করছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে রাখাইনে ‘গণহত্যা’, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিং অং হ্লেইংসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে সুপারিশ জানায় ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এরই সূত্র ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন ‘প্রমাণ ধ্বংস’ করছে। শুধু তাই নয়, তারা এসব অভিযোগের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত চালাতেও অস্বীকার করে। বরং রোহিঙ্গাদের বসতভিটা থেকে অপসারণ, ভূমি দখল ও সে সব জায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে ৪০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যেই ১০০ এরও বেশি নামের গোপন একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি জোরালো সুপারিশ জানানো হয়েছে।
 

আইন মেনে যথাসময়েই ব্রেক্সিট হবে : বরিস জনসন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সরকার আইন মেনে চলবে এবং যথাসময়েই ব্রেক্সিট হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বরিস অঙ্গীকারবদ্ধ। আর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমপিদের ক্ষোভ স্বাভাবিক ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী বরিস এখনো মনে করেন, ব্রিটেন চুক্তি করেই ইইউ ত্যাগ করবে। যদিও এমপিরা পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন যাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিটের সময় বাড়াতে ইইউর কাছে আবেদন করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস সেই আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না। সময় বাড়ানোর আবেদনকে তিনি ‘সারেন্ডার অ্যাক্ট’ বলে মনে করেন।
বরিস মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ইইউর বন্ধুদের মধ্যে এই ধারণা দিচ্ছে যে, পার্লামেন্ট ব্রেক্সিটের পথ বন্ধ করে দেবে কিংবা তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করতে প্রধানমন্ত্রী বরিসকে বাধ্য করবে। এভাবে সমঝোতা করতে গেলে তা সত্যিই কঠিন হবে। সূত্র : রয়টার্স।এদিকে, গত সপ্তাহে ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে (এ-ক্যাটাগরি ও বি-ক্যাটাগরি) আজ রোববার থেকে একজন মহিলা গৃহকর্মীর পাসপোর্টের সাথে একজন পুরুষ কর্মীর পাসপোর্ট জমা দেয়ার মৌখিক নির্দেশনা জারি করেছে। এতে ৬৩০টি মহিলা গৃহকর্মী পাঠানোর রিক্রুটিং এজেন্সি (এ-ক্যাটাগরি) বিপাকে পড়েছে। নতুন এ বিধিনিষেধ-এর জন্য এসব মহিলা গৃহকর্মীর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কোনো কোম্পানির পুরুষ কর্মীর ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারবে না। বি-ক্যাটাগরির রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোই শুধু কোম্পানির পুরুষ কর্মীর ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করতে পারবে। দূতাবাসের এ ধরনের বিধিনিষেধ কার্যকর হলে সৌদীর শ্রমবাজারে বিপর্যয় নেমে আসবে। ফিমেল ওয়ার্কার রিক্রুটিং এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফোরাব) সভাপতি টিপু সুলতান এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ফোরাব সভাপতি বলেন, গত দুই বছরে মহিলা গৃহকর্মী পাঠানোর সুবাদে এযাবৎ সৌদীতে প্রায় ১০ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান লাভ করেছে। তিনি সউদী দূতাবাসের মৌখিক নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে পূর্বের চলমান প্রক্রিয়া চালু রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বায়রা কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বায়রার সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব-১ ইনকিলাবকে বলেন, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এ-ক্যাটাগরি ও বি-ক্যাটাগরিতে বিভক্তীকরণের সৌদী দূতাবাসের কোনো এখতিয়ার নেই। এসব রিক্রুটিং এজেন্সি দীর্ঘ দিন ধরে সৌদী ও বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ বিধিমালা অনুসরণ করেই জনশক্তি রফতানি করে আসছে।

 

BHRC সহায়তায় ১৪ মাসের শিশু উদ্ধারা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভুলতা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সুমন মাস্টার এর নেতৃত্বাধীন ১৪ মাসের শিশু বাচ্চা নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশু মোঃ ইসরাফিল হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার রাজমা গ্রামের মোঃ ফয়সাল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইলে বসবাস করছে। মাতা শারমিন আক্তার এসে তার স্বামীর নামে অভিযোগে করেন। অভিযোগে লিখেছেন তার ১৪ মাসের বাচ্চা কে অপহরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুলতা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সুমন মাস্টার এর কাছে এসে খুব কান্না কাটি ও অভিযোগে করেন। তার কথাগুলো শুনে সুমন মাস্টার একটি অভিযোগে ফরম পূরণ করেন। অভিযোগে ফরম পূরণ করে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের উকিল এড. জাকারিয়া হাবিবের সাথে পরামর্শ করেন। এডভোকেট জাকারিয়া হাবিবের পরামর্শ এবং কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে ইসরাফিল হোসেনকে উদ্ধারে সক্ষম হয়। অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া ইসরাফিল হোসেনকে পেয়ে তার মা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভুলতা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ সুমন মাস্টার বলেন এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আজ ৩২ বছর যাবত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ কেউ করবে সেখানে মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত হবে। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমি দস্যুদের জায়গা হবেনা। এক এক করে সকল মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমি দস্যুদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে ।



নাসায় বাংলাদেশের মেয়ে মাহজাবীন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেটের মেয়ে মাহজাবীন হক যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে নাসায় কাজ করবেন তিনি। মাহজাবীন হকের বাবা সৈয়দ এনামুল হক পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তাদের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে। মাহজাবীন হক এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েন স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। পেইন্টিং ও ডিজাইনে পারদর্শী মাহজাবীন হক ২০০৯ সালে বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান। কর্মসূত্রে তার বাবা সৈয়দ এনামুল হক বর্তমানে সিলেটে অবস্থান করলেও তার সঙ্গে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ভাই সৈয়দ সামিউল হক। নাসা অ্যামাজনসহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে তিনি চাকরির অফার পেয়েছেন। এর মধ্যে নাসাকেই বেছে নেন তিনি। উল্লেখ্য, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই মাহজাবীন হক দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে ইন্টার্নশিপ করেন। প্রথমদিকে তিনি ডাটা অ্যানালিস্ট এবং পরে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন।
 

পাচারের শিকার দুই রোহিঙ্গার করুণ কাহিনী
 

মানবাধিকার রিপোর
মাত্র এক বছর আগেও ঘুম থেকে উঠলে শোনা যেত সাগরপথে মানবপাচারের সংবাদ। শোনা যেত সাগরে মৃত্যুর খবর। কানে বাজতো স্বজনদের আর্তনাদ ও আহাজারি। সময়ের ব্যবধানে পুরোপুরি না থামলেও কিছুটা স্তিমিত হয়েছে ভয়ানক সে মানবপাচার। উখিয়া সোনারপাড়ার রেজিয়া আকতার ওরফে রেবি ম্যাডাম, রুস্তম আলীদের কথা কার না জানা? রোহিঙ্গা-বাংলাদেশী মিলেমিশে চলছিল অপ্রতিরোধ্য মানবপাচার। টেকনাফের নাফ নদী ও উখিয়ার রেজুখালকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছিল অঘোষিত মানবপাচারের ঘাট। মানবপাচার আইনের সংশোধন ও প্রশাসনের কঠোরতায় সাগরপথে এখন আর মৃত্যুর কাহিনী শোনা যায় না। তবে, সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে উঠেন ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলো। নয়া দিগস্ত
মিয়ানমারের মংডু শহরের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। প্রায় ২০ বছর আগে বাড়িতে দুই মেয়ে রেখে তিনি মারা যান। ছোট মেয়ে আজিদা এখন ২০ বছরে পা দিয়েছে। আজিদার বয়স যখন মাত্র ৬ মাস তখন বাবা আব্দুল খালেক ওপারে চলে যান। মা তৈয়বা বেগম ও বড় বোন রোজিনা আক্তারের সাথে তার বসবাস। নানী গুলবাহার বেগম (৫০) তাদের সবাইকে দেখাশোনা করতেন।২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের মগ বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশে চলে আসেন। বসবাস করছেন উখিয়ার কুতুপালং ১৭ নং ক্যাম্পের বি-ব্লকে। বিয়ে হয়েছে বড় বোন রোজিনা আক্তারের। আজিদার প্রতিবেশী সলিমুল্লাহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়াতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যেতেন। সেখানে পদুয়ার ছেলে আরাফাতের সাথে পরিচয় হয় রোহিঙ্গা সলিমুল্লাহর। আরাফাত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসতেন সলিমুল্লাহর সাথে দেখা করতে। সেখানে আজিদার সাথে পরিচয় হয় আরাফাতের। দেখতে বেশ সুন্দর হওয়ায় আজিদার জন্য পাগল হয়ে ওঠেন আরাফাত। এভাবে দুইজনের মধ্যে মন দেয়ানেয়া চলতে থাকে বেশ কিছুদিন। একপর্যায়ে প্রেমে পড়ে যান তারা। তাদের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তাও হয়। ইত্যবসরে প্রেমের টানে ক্যাম্প থেকে আরাফাতের সাথে পালিয়ে যান আজিদা। পরিবারের অজান্তেই দুইজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই বসবাস করতে থাকেন আজিদা ও আরাফাত।
এভাবে এক মাস কেটে যাওয়ার পর আরাফাতের আচার-ব্যবহার, চালচলন সন্দেহ হতে থাকে আজিদার। তিনি টের পান তাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খবর দেন মাকে। সাইট ব্লক-৮১ এর মাঝি সৈয়দ হোসেন জাতীয় মানব কল্যাণ মিশনকে (জেএমকেএম) বিষয়টি অবহিত করেন। জেএমকেএম সাইট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সিআইসিকে অবহিত করে। যোগাযোগ হয় পদুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফির সাথে। অবশেষে লোহাগাড়া থানার ওসি সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে ভিকটিম আজিদাকে ক্যাম্প-১৭তে ফিরিয়ে আনা হয়।
শুধু আজিদার মা নন, খালা ও নানীও ছিলেন বিধবা। তাই আশা ছিল, আরাফাতের সাথে গেলে হয়তো পরিবারের অভাব ঘুচবে। বিধবা মাকে কিছুটা হলেও শান্তি দেয়া যাবে। কিন্তু ঘটে যায় এ বিপত্তি। অবশেষে স্থানীয় প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তির পথে ফিরে আসেন আজিদা।


 

 ঘরে বসেই থানায় জিডি করা যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ডিজিটাল কেইস ডায়েরি’র ওপর পর্যালোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (বাঁয়ে) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঘরে বসে অনলাইনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সুবিধা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ‘ডিজিটাল কেইস ডায়েরি’র ওপর পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে জিডি করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একজনকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ধরনের জিডি নেওয়ার সুবিধা সারা দেশে চালু করা হবে।’
‘শুরুতে অনলাইনে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ জিডি করা যাবে, আর প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও ময়মনসিংহে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।’
নিরাপদ নগরী (সেইফ সিটি) নিয়ে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে ঢাকা মহানগরকে, পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সিটিকে এ প্রজেক্টের আওতায় আনা হবে। ঢাকা মহানগরে প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। সেফ সিটির আওতায় সমস্ত রাস্তায় ক্যামেরা বসানো হবে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও এর মধ্যে নিয়ে আসা হবে।’
এছাড়া জরুরি সেবার ‘৯৯৯’ নম্বরের কার্যক্রমে আরও গতি আনতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

 

Top

বিচারকদের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অফিস চলাকালীন অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) উপস্থিতি কঠোরভাবে পরিহার করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিচারকদের সতর্ক করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এমন নির্দেশনা জারির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্দেশনায় বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর রিফর্মসের সুপারিশক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অনুসরণীয় নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে
নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী, কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো কিছু, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কিছু, লিঙ্গ বৈষম্যমূলক, জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কিছু, কোনো মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ, অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো তথ্য, মন্তব্য, স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তরণ।

মিশরে আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকার আইনজীবী গ্রেপ্তার

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাহিনৌর আল-মাসরি নামের ওই মানবাধিকার আইনজীবীকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিচার বিভাগীয় একটি তদন্তে অংশগ্রহণের দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসরির আইনজীবী তারেক আল-আওয়াদি এ তথ্য জানিয়েছেন।বিবিসি
আওয়াদি জানান,‘কায়রোতে অবস্থিত স্টেট সিকিউরিটি প্রসিকিউটরের সদরদপ্তর ত্যাগ করার পরপরই মাসরিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যেসব বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের আইনজীবী হিসেবে সেখানে তিনি এ তদন্ত কাজে অংশ নিয়েছিলেন।’
মাহিনৌর আল-মাসরি মিশরের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মী এবং আইনজীবী। এর আগেও একবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসির পদত্যাগের পর তাকে গ্রেপ্তার করে মিশরের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। এ অভিযোগে তাকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল খাটতে হয়। জেলে থাকা অবস্থায়ই তিনি লুডভিক ট্রেরিয়াক্স পুরষ্কারে ভূষিত হন।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আইনজীবীদের এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, মুরসির আমলে একটি বেঞ্চের সাথে যুক্ত থাকার দায়ে ২০১৫ সালেও এক বছরের কারাদন্ডের রায় হয় তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ও শনিবার কায়রোসহ দেশটির অন্যান্য শহরে প্রেসিডেন্ট সিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন জনগণ।’ইজিপশিয়ান সেন্ট্রি পর ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস’ এর দেয়া তথ্যমতে, সরকার বিরোধী ওই বিক্ষোভের কারণে এপর্যন্ত ৩৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসুন কোদালকে কোদাল বলি: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মাহাথির

 


জাতিসংঘ সদর দপ্তর (নিউইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র) থেকে: মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা গণহত্যা ও সেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হয়েছে মন্তব্য করেছেন মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন, কোদালকে কোদাল বলা শুরু করি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যা ঘটেছে সেটা গণহত্যা।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ স্থানীয় সময় বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ওআইসি সেক্রেটারিয়েট ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় এ কথা বলেন মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন প্রমুখ।
রাখাইনে মিয়ানমারের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে হাস্যকর মন্তব্য করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমার যখন তর্ক করছে যে, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ায় এটা (রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে) হয়েছিল। এটা হাস্যকর যে, লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে ভয়ে পালাচ্ছে তাদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থায়। সেখানে যা হয়েছে তা রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাস।
তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ অবর্ণনীয় নৃশংসতার শিকার হয়েছে। এমনকি সেখানে পুরো একটা প্রজন্ম নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে দেখা গেছে। কিছু সৌভাগ্যবান মিয়ানমার থেকে পালাতে পেরেছে। কিন্তু, এখন তারা আবার মাতৃভূমিতে ফিরতে পারছে না। মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণহত্যা, ধর্ষণসহ অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল মিয়ানমারে। এর ফলশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালায়, যাদের অধিকাংশ আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজারে। বাংলাদেশ ১ দশমিক ২ মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
মালয়েশিয়া এক লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে জানিয়ে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়ায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা আরও বেশি। তবে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে পরিস্থিতি মোটেও ভালো না। অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, রাখাইন রাজ্যে তাদের স্থান হয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে। বিশ্ব এসব কুখ্যাত বন্দিশিবির সম্পর্কে জানতে পারলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। তারা সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি।
 

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ

 রিভা গাঙ্গুলী দাশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। ভারতে বিদেশ থেকে যতসংখ্যক লোক যায়, এর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের সংখ্যা বেশি। গত বছর আমরা ১৫ লাখ ভিসা দিয়েছি। মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক তা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে রয়েছে। এক কথায় বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়।’ আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক যাতে আরও গভীর হয়, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’ গতকাল কাহারোল উপজেলার দীপ্ত জীবন হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিভা গাঙ্গুলী দাশ দীপ্ত জীবন হাসপাতালে পৌঁছলে তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে সংবর্ধনা জানান মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি। পরে দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশনের অধীন দীপ্ত জীবন হাসপাতালের সৌজন্যে ছয়টি হুইল চেয়ার ও ১৫টি সেলাই মেশিন প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেন রিভা গাঙ্গুলী। এ সময় দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী। মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি বলেন, পাঁচ বছর ধরে দীপ্ত জীবন বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করে আসছে। এই হাসপাতালের অধীনে দুটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ১২টায় ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ পরিদর্শন শেষে কান্তজীউ মন্দির পরিদর্শন করেন রিভা গাঙ্গুলী। পরে সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্মরণে তেভাগা চত্বর পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) নবনীতা চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়নুল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, সার্কেল এসপি সুশান্ত সরকার, দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু প্রমুখ।
 


দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে স্বাগত সেনাপ্রধানেরি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নেওয়া কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। সাভার সেনানিবাসের মিলিটারি ফার্মে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশের প্রথম ‘মিল্কিং পারলার’ উদ্বোধনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি চলমান ক্যাসিনো অভিযান নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা অত্যন্ত পজিটিভ। দুর্নীতি বা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর যে শক্তিশালী অবস্থান এর (অভিযান পরিচালনার) মাধ্যমেই তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তাই এটাকে আমি স্বাগত জানাই। এতে অনেক ক্রাইম কমে যাবে। সেনাপ্রধান আরও বলেন, এ ছাড়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের সৈনিক ক্লাব কিংবা এ ধরনের দু-একটার বিরুদ্ধে যে নোটিস হয়েছে আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাকে এগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেছি। অবশ্যই এগুলোর ব্যাপারে যা করণীয় তা আমরা করব। এ সময় সেনাপ্রধান আধুনিক মিল্কি পারলার সম্পর্কে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুধের গুণগতমান নিয়ে অনেক কথা হয়। এজন্য কোয়ালিটি মেইনটেইন করা অনেক জরুরি; যা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী, জীবাণুমুক্ত ও সময় বাঁচিয়ে অটো প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে দুধ দোহন পদ্ধতি চালু করেছেন তারা। এ পদ্ধতি পরবর্তীতে দেশের অন্য সেনানিবাসগুলোয়ও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, একসময় শুধু সাভারেই ডেইরি ফার্ম ছিল। এখন অনেক জায়গায় হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী নিজেদের দুগ্ধ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নৌ ও বিমান বাহিনীর কাছে সরবরাহ করছে। আমাদের প্রচুর পাউডার মিল্ক আমদানি করতে হয়। তাই চাহিদার কথা চিন্তা করে সাভার, ঈশ্বরদী ও অন্য জায়গায় নিজস্ব পাউডার মিল্ক কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে নিজেদের জোগান পূরণের পাশাপাশি তা বাজারেও সরবরাহ করা যাবে। ইতিমধ্যে যার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেনাপ্রধান সাভার মিলিটারি ফার্মের নতুন মিল্কি পারলারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার জেনারেল লে. জেনারেল সামছুল হক, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার এরিয়া) মেজর জেনারেল আকবর হোসেন, সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল আবু সাঈদ সিদ্দিক ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, একটি অত্যাধুনিক মিল্কিং পারলার জীবাণুমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একসঙ্গে ২০টি গাভীর দুধ দোহনে সক্ষম।


কাশ্মীরে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মোদীর বিরুদ্ধে মামলা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

৭৩ পাতার মামলায় খলিস্তানি রেফারেন্ডাম ফ্রন্টের দুই সদস্যের অভিযোগ, কাশ্মীরে অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফট্যনেন্ট জেনারেল কনওয়াল জিৎ সিং ধিলোঁ। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরই এই অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ মার্কিন-কাশ্মীরিদের।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট এক সপ্তাহ থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে মার্কিন সফরে মোট ৭৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
যুক্তরাষ্ট্রে এক মঞ্চে দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। হাইভোল্টেজ হাউডি মোদী সভা নিয়ে মুখিয়ে রয়েছে মার্কিন মুলুকের হিউস্টন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরেএনআরজি স্টেডিয়ামে ৬০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত দর্শক-শ্রোতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই এই মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।

সৌদির নতুন পর্যটন ভিসায় ১৯ বিধিনিষেধ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে বিদেশী পর্যটকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরব। তবে বিদেশী পর্যটকদের জন্য ১৯টি বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এসব বিধিনিষেধের মধ্যে পর্যটকদের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শিথিলতার কথা বলা হলেও জনসমক্ষে অশালীন ও আকর্ষণীয় পোশাক পরিধানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব বিশ্বের ৪৯টি দেশের জন্য ভিসার নতুন নিয়ম চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এতদিন সৌদি আরবে ভিসা দেয়া হতো প্রধানত হজযাত্রী, ব্যবসায়ী এবং বিদেশী শ্রমিকদের জন্য।
নতুন ভিসার ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মূত্রত্যাগ, থুতু ফেলা, দড়ি লাফ, বিনা অনুমতিতে মানুষের ছবি তোলা এবং সালাতের সময় সঙ্গীত বাজানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অপরাধ ভেদে জরিমানা ধরা হয়েছে ৫০ রিয়াল (১৩ ডলার) থেকে ৬ হাজার রিয়াল (১৬০০ ডলার) পর্যন্ত।
সরকারি গণমাধ্যমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা সম্পর্কে সৌদি আরবের দর্শনার্থী ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অমুসলিমরা নতুন ভিসার আওতায় পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে যেতে পারবেন না। তা ছাড়া মদ্যপানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকবে। তবে অবিবাহিত বিদেশী পুরুষ ও নারী পর্যটক হোটেলে একই রুমে অবস্থান করতে পারবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশী নারী পর্যটকদের পুরো শরীর ঢাকা আবায়া পরতে হবে নাÑ যা সৌদি নারীরা পরেন, তবে অবশ্যই সংযত-শালীন পোশাক পরতে হবে। সৌদি আরব আশা করছে যে সেদেশে পর্যটন খাতে বিদেশী বিনিয়োগ হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ পর্যটন ৩% থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।

 

পাঁচ বছরে ১৩০০ কারখানা বন্ধ
কাজ হারাচ্ছেন লাখ লাখ শ্রমিক

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের তৈরী পোশাক শিল্পখাত এখন চরম দুঃসময় কাটাচ্ছে। অসম ও অনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে তৈরী পোশাকের রফতানিমূল্য প্রতিনিয়ত কমছে। অথচ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন কারখানা। গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে অন্তত এক হাজার ৩০০ কারখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও হাতে কাজ না থাকায় সাময়িকভাবে উৎপাদনে নেই আরো অন্তত দেড় হাজার কারখানা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রফতানি আয়ে।
রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৈরী পোশাকের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের দাম না বেড়ে প্রতিনিয়ত কমছে। এ সময়ে প্রধান রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পোশাকের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের প্রভাবে দুর্যোগের ঘনঘটা বাজছে রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী দেশের সম্ভাবনাময় তৈরী পোশাক শিল্পখাতে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে বিশ্বে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৮ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ বিলিয়ন ডলারে; অর্থাৎ ক্রেতাদের চাহিদা কমেছে, যা মূল্যভিত্তিক বাজার প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে রফতানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিজিএমইএ গবেষণা সেলের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৮ এই চার বছরে এক হাজার ২০০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নিকট ভবিষ্যতে আরো অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। রফতানি বাণিজ্যের চাহিদা অনুযায়ী গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকা, দীর্ঘ লিড টাইম এবং শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কম থাকায় প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে রফতানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, তৈরী পোশাক শিল্পখাতের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক অসন্তোষ। এ সমস্যাও ততটাও জটিল হতো না যদি শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে পানি ঘোলা করায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পক্ষ তৎপর না থাকত। দ্বিতীয় যে সমস্যার কারণে সম্ভাবনাময় এ শিল্প ধুঁকছে তা হলোÑ পণ্যের উপযুক্ত দাম না পাওয়া।


 


 

 

 

 
 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

‘কালো’ মেয়েকে আছড়ে মারলো পিতা!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগরের খাঁপাড়ায় গায়ের রং কালো হওয়ায় সাড়ে তিন মাসের মেয়েকে মাটিতে আছড়ে মেরে ফেলেছে এক পাষণ্ড পিতা। ২৮ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার এর পরপরই পালিয়ে যায় ঘাতক পিতা।
নিহত শিশুটির নাম ঝিকড়া। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘাতক মনিরুলকে গ্রেপ্তারেও তৎপর হয়েছেন তারা।
জানা গেছে, তিন বছর আগে এবাদুল খাঁর ছেলে মনিরুল খাঁর সাথে ইসমাইল ঘরামির মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। কয়েকমাস আগেই তাদের মেয়ে ঝিকড়া খাতুনের জন্ম হয়। একে তো সে মেয়ে। তার উপর গায়ের রং কালো। শুরু থেকেই তাকে মেনে নিতে পারছিল না মনিরুল। এ নিয়ে সোনিয়াকে প্রতিনিয়ত কটুকথা শোনাতে থাকে সে। শেষমেশ সাড়ে ৩ মাসের মেয়েকে আছডে মেরেই ফেললো সে।
আরো পরুন : বিএনপির সমাবেশের দিন বৃষ্টির কারণে রাজশাহী আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ
সোনিয়ার বাবা ইসমাইল ঘরামি জানান, কলেজ থেকে ছাড়িয়ে মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। বিয়েতে জামাই পক্ষের চাহিদা মতো গয়না-টাকাও দেন তারা। তবুও আরো টাকা দাবি করে সোনিয়ার উপরে নির্যাতন চালাত জামাই। মেয়েসন্তান জন্ম দেয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
শিশুটির মা সোনিয়া বলেন, ‘কেনো মেয়ে হলো, এজন্য আমাকেই শুধু দায়ী করত স্বামী।’
শ্বশুর-শাশুড়ি ও এসব ঝগড়ায় ইন্ধন যোগাতো উল্লেখ করে তিনি জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর এসব নিয়েই ঝগড াঝাটি চলছিল। তাকে চড -থাপ্পর মারছিলো মনিরুল। এমনকি সোনিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছিলো সে বলে শাসায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আচমকাই ঝিকড়াকে তুলে আছাড় মারে মাটিতে। ‘শব্দটুকুও বেরোয়নি ঝিকড়ার মুখ থেকে। এর আগেই সব শেষ। মেয়েটা দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিলো।’ বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পডে ন সদ্য সন্তানহারা এই মা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে মনিরুল। নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সে মেয়েটি কোল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে বলে জানায়। তবে ততক্ষণে আসল ঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামবাসীর দেয়া সংবাদে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু তাদের যাওয়ার আগেই শিশুর মরদেহটি ফেলে পালায় ঘাতক মনিরুল। সেই সঙ্গে তার বাবা-মাও পালিয়েছে।

 

নির্যাতনে বাসার গ্রিল কেটে শিশু গৃহকর্মীর পালানোর চেষ্টা
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতন সইতে না পেরে আটতলার একটি বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টা করছিল গৃহকর্মী রিয়াদ (১২)। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্যামলী কাজমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশু গৃহকর্মী রিয়াদ আটতলার বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী সাইদুল ইসলাম জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ছেলেটির শরীরে মারধরের অসংখ্য দাগ আছে। হাতে কয়েকটি কামড়ের দাগও আছে। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী শ্যামলীকে গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেটি আমাদের জানিয়েছে, তাকে মারধর করা হতো। তাই সে গ্রিল কেটে বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।


বাল্য বিয়ের দায়ে কাজি ও মেয়ের ভগ্নিপতিকে জেল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূ বরগুনার তালতলীতে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামি হল, তালতলী উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়ীয়া গ্রামের আবদুল গনি খানের ছেলে আল-আমীন। অন্য আসামিরা হল আল-আমীনের বাবা আবদুল গনি খান ও মা রাহিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ গাববারীয়া গ্রামের আসমার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে আল-আমীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আল-আমীন ও তার বাবা-মা একটি অটোরিকশা কেনার জন্য গৃহবধূ আসমার কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আল-আমীন প্রায়ই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আল-আমীন শুক্রবার স্ত্রী আসমার কাছে অটোরিকশা কেনার জন্য আবারও দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে আল-আমীন স্ত্রী আসমাকে কিলঘুষি মারে। একই সঙ্গে আল-আমীনের বাবা-মাও আসমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আল-আমীন গামছা ও ওড়না দিয়ে আসমার হাত-পা বেঁধে রাখে। আহত গৃহবধূ আসমা বলেন, আমি বারবার চিৎকার করে আসামিদের বলেছি আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আপনারা আমাকে প্রাণ ভিক্ষা দিন। ওই গৃহবধূ বলেন, আমি যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাই তখন আমাকে আসামিরা ঘরে রেখে আমার ভাই মনিরের কাছে ফোন দিয়ে বলে আমি অসুস্থ। পরে আমার ভাই মনিরসহ কয়েকজন ওইদিনই আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বিকালে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।


নির্যাতনে বাসার গ্রিল কেটে শিশু গৃহকর্মীর পালানোর চেষ্টা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতন সইতে না পেরে আটতলার একটি বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টা করছিল গৃহকর্মী রিয়াদ (১২)। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় গত রবিবার দুপুরের এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্যামলী কাজমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশু গৃহকর্মী রিয়াদ আটতলার বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী সাইদুল ইসলাম জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ছেলেটির শরীরে মারধরের অসংখ্য দাগ আছে। হাতে কয়েকটি কামড়ের দাগও আছে। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী শ্যামলীকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেটি আমাদের জানিয়েছে, তাকে মারধর করা হতো। তাই সে গ্রিল কেটে বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।।

 

পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত: বখাটের দণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকুন্দিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের দায়ে ইয়াছিন (১৯) নামে এক বখাটেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকেলে এ কারাদণ্ডাদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন উপজেলার নামালক্ষীয়া গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে। জানা যায়, উপজেলার লক্ষীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নামালক্ষীয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের বখাটে ইয়াছিন। এনিয়ে দরবার শালিসও হয়। এতে বখাটে ইয়াছিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাকেও হুমকি-ধামকি দেয়। ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বখাটে ইয়াছিন। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও বখাটে ইয়াছিনকে আটক করে।
সিরাজগঞ্জে একদিনে চার ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিরাজগঞ্জে একদিনে চার ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়েগুলো বন্ধ করা হয়। প্রথমে বিকেল ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জ ছোনগাছা ইউনিয়নের টুকরা ছোনগাছা গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন আঁখি (১৬), সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর এলাকার কোবদাসপাড়া মহল্লার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী হাসি খাতুন (১৬), রাত ৮টার দিকে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের শৈলাবাড়ি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আয়শা খাতুন (১৩) ও রাত ১০টার দিকে রতনকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম গজারিয়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী আমিনা খাতুনের (১৪) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
এদের বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।

 

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে ইউএনওর দ্বারস্থ ছাত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গলাচিপায় নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করে অনন্য নজির স্থাপন করল ওই ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম ওই ছাত্রীর বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস ও দাদা ইউসুফ বিশ্বাসকে আগামী ২ অক্টোবর তার আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এদিকে দাদা ইউসুফ বিশ্বাস লোকজন নিয়ে স্কুল এলাকায় অবস্থান করেন। সুমাইয়া এলেই তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাবে। এ আশঙ্কায় ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকালে ভগ্নিপতি নাজমুলসহ দু’জন সুমাইয়াকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
বাল্যবিয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল বরসহ ৯ জনের জরিমানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লালমনিরহাটে শনিবার রাতে বাল্য বিয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্য বর ও তার মাসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক ৯ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বর পক্ষকে ২ লাখ ২০ হাজার ও কনে পক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মৃগেন্দ্রনাথ সরকার এ কথা জানান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়।
লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মৃগেন্দ্রনাথ সরকার জানান, আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চওড়াটারি এলাকার পুলিশ সদস্য সুজন দুলালের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল (বর) মুন্না বাবু সিয়ামকে (২৫) ১ লাখ ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে (৪৫) ৫০ হাজার টাকা, সারপুকুর এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে মোবারক হোসেনকে (৪৩), একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে জোনাব আলী (৪৮), একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি জামুরটারি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৫৫), দলিদার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৮), একই এলাকার আদিতমারী এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৩০), মৃত. আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮) ও আসাদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মোসলেম উদ্দিনসহ (৫৫) প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা।

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

 ভালো পুলিশ, মন্দ পুলিশ তালিকা করবে ডিএমপি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত প্রায় ২৭ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মাদক বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িত তাদের শুরু হয়েছে হৃদকম্পন। ডিএমপির ভাল পুলিশ ও মন্দ পুলিশের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করার পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে ডিএমপির থানা পুলিশের কার্যক্রম। রাজধানীর ৫০ থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি হয়রানিমূলক কার্যক্রমের পরিবর্তে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী কার্যক্রমের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। জনকণ্ঠ
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি’র ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও ডিসিগণের প্রতি পুলিশকে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী করার নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার বা পুলিশের সেবা পেতে কোন আর্থিক লেনদেন হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ যেন পুলিশ ভীতি থেকে বের হয়ে যাতে আসতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গীবাদ, মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ও সৎ-সজ্জন বলে পরিচিত নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রয়োজনে ওসির চেয়ারে বসে ওসিগিরি করব। নতুন পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা ও ভাল আচরণ নিশ্চিত করার এমন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারির পর রাজধানীর ৫০ থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট জোন ডিসিগণের প্রতি নির্দেশনা দেন নতুন পুলিশ কমিশনার। নতুন পুলিশ কমিশনারের কঠোর হুঁশিয়ারির পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে।

 

খুলনায় ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার অভ্যন্তরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ২৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’এ মামলাটি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার অভিযোগের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান আরজিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর সকালে জিআরপি থানার ওসি উছমান গনিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ অভিযোগের শুনানি হয়। শুনানি শেষে জিআরপি থানা এ আদালতের বিচারভুক্ত গেজেটে না থাকায় অভিযোগটি নিয়ে ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বিচারক অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠান।
পুনরায় ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ গেলে আদালতে শুনানি শেষে মামলার আর্জি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২ আগস্ট রাতে ওই নারীকে জিআরপি (রেলওয়ে) থানার মধ্যে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ধর্ষণ ও মারধর করে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায় বলে ওই নারী আদালতে অভিযোগ করেন। ৩ আগস্ট আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ফাঁসালে পুলিশের স্থান হবে হাজত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিরীহ ব্যক্তির পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেন, সেই পুলিশের স্থান থানার চেয়ারে নয়, তার স্থান হবে থানার হাজতে।
১৩ মার্চ বিকেলে নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আয়োজিত ই-ট্রাফিক পুলিশিং এবং মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদককে দেশের অন্যতম সমস্যা উল্লেখ করে এআইজিপি বলেন, মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরও দায়িত্ব আছে।
মোখলেসুর রহমান আরো বলেন, আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জীব নই। আমরা ইচ্ছা করলেই সমস্ত কিছু করতে পারি না। সবার সহযোগিতা যদি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই কাঙ্খিত শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিণত করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা জনবান্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব পুলিশ হতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যরা সাধারণ মানুষের, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত, অবহেলিত ও গরিব মানুষের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা যেন কায়েম করে। তবে এজন্য অবশ্যই আমাদের সমাজের মানুষেরও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে জেলা পুলিশের ই-ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তাৎক্ষণিকভাবে একটি মোটরসাইকেলকে ই-ট্রাফিকিং-এর আওতায় এনে চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তিনি বলেন, ই-ট্রাফিক পুলিশিং মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।

 

"এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন জনগণ"


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গঠন করা হযে ছে ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’। সেলটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এছাঢ়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫-৩৬ এই দুই নম্বরে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করতে পারবেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) এর সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সেলটি পরিচালিত হচ্ছে ।
পুলিশ সদস্যের অপেশাদার আচারণ ও কর্মকাণ্ডের অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শাস্তির আওতায আনতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয ার্টার্সে ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’ চালু করা হয়েছে। নেয়া হচ্ছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে এ কমপ্লেইন সেলের মাধ্যমে অনেক অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কমপ্লেইন সেল দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে।
পুলিশের অপেশাদার কর্মকাণ্ডের জন্যে ভূক্তভোগীরা কোথায় গিয়ে অভিযোগ করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন। অনেক সময বিভিন্ন কারণে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। তবে এ কমপ্লেইন সেল চালু হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে এবং অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছেন। জনসাধারণ পুলিশ সদস্যের যে কোনও অপেশাদার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরাসরি, কুরিয়ার সার্ভিস ও ডাকযোগে অথবা
০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫, ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬ মোবাইল নম্বরে এবং পড়সঢ়ষধরহ@ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ ই-মেইলে এ সেলে অভিযোগ করতে পারবেন।
 

 

 

তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ছয়জনের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন এবং সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর দুই আদালত এ রায় দেয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
কুষ্টিয়া : চাঞ্চল্যকর কিশোর লালচাঁদ হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশসহ প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপার গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সজীব। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলো রানার সহোদর সোহেল আহম্মেদ ওরফে সোহেল, চৌড়হাস কলোনির বাসিন্দা কাইয়ুম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে হেলপার সোহেল, নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন ওরফে লম্বা শাহিন, মঞ্জিল হোসেনের ছেলে জনি, আমিরুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে রিপন ওরফে মেঘা ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমিন।
মামলার সূত্রমতে, ২০১১ সালের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এজাহারকারী নুর ইসলামের ছেলে লালচাঁদকে (১১) আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথমে লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে পরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
সাতক্ষীরা : স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী বিজন মলকে (৪৭) দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বিজন মন্ডল আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে বিজন তার স্ত্রী কঙ্কাবতী মন্ডলকে (৪০) প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে। পরে রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহ বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে আমগাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তিনি হত্যার শিকার হন।


শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে শেরপুরে মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামির অনুপস্থিতিতে ১৭ জুন ২০১৯ বিকেলে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃা আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
রায়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য ধর্ষক মিলনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত মিলন জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামে হতদরিদ্র কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার মাস ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে মিলন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষককে বিয়ের জন্য বলা হলে তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


চিরতার জাদুকরী যত গুণ

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
চিরতা বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইউনানি চিকিৎসা অনুযায়ী, চিরতা হৃৎপিন্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতিবর্ধক ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। হাঁপানিতে এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ডায়রিয়া নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মোতাবেক, চিরতা স্নিগ্ধকারক, হজমকারক, চক্ষুরোগনাশক ও লিভার রোগ উপশমকারী। অন্যান্য ঔষধি উপদানের সঙ্গে নানা প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত চিরতার রসে ইনফ্লুয়েঞ্জা, শোথ রোগ, রক্তপিত্ত, নবপ্রসূতার স্তন্য শোধন, গর্ভাবস্থায় বমি বন্ধ, প্রচণ্ড বমি আটকাতে, কৃমির উপদ্রব কমাতে দারুণ কাজ করে।
ডায়াবেটিস যে ধরনেরই হোক না কেন, ৫০০ মিলিগ্রাম চিরতা চূর্ণ ও ২ গ্রাম ছোট গো চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল পানিসহ দুবার পান করলে এ রোগ প্রশমিত হবে। পচা ঘা সারাতেও চিরতা উপকারী। চুল পড়া রোধে ২-৩ গ্রাম চিরতা ১ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই পানি ছেঁকে মাথা ধুলে চুল পড়া কমে যাবে। তবে ১ দিন পর পর ৩-৪ দিন ধুতে হবে। এ ছাড়াও ২৫ গ্রাম চিরতা ফুল ২০০ গ্রাম নারিকেল তেলে ভেজে নিয়ে ওই তেল মাথায় ব্যবহার করলে খুশকিসহ মাথায় ফুসকুড়ি ওঠা বন্ধ হয়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে স্বীকৃত জৈবিক কার্যকারিতায় চিরতা উপকারী ভূমিকা রাখে প্রদাহনাশকতায়, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা প্রতিরোধে, কোমলতা আনয়নে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, রেচনে, পেটব্যথায়, টনিক হিসেবে, হৃৎকার্য নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কারে, হাইপোগাইসেমিক কার্যকারিতার জন্য চিরতার কার্যকর।



থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
থাইরয়েড হরমোন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকা গ্রন্থির নাম থাইরয়েড। এদের কাজ শরীরের উপকারের জন্য এই হরমোন তৈরি করা। সুস্থতার জন্য এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। মেয়েদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব জরুরি একটি উপাদান হলো প্রোটিন। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। পনির, ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিকমতো কাজ করবে। আয়োডিনযুক্ত খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কার্যকরী। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করে রান্না করা যেতে পারে। এ ছাড়া গাজর, কলা, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, স্ট্রবেরি, শাকপাতা আর মৌসুমি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারলে ভালো। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। সাঁতার বা সাইকেল চালানো থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
অনেকেই কাজের চাপে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমোতে যান। যদি দিনেও প্রয়োজনীয় ঘুম হয়, সে ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি নেই। তবে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।


ঘুমের ওষুধের ক্ষতিকর দিক


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সাধারণত রোগীদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে চিকিত্সকরা ঘুমের ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা কিংবা কোনো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসক ঘুমের ওষুধ দেন। কিন্তু নিয়মিত ঘুমের উদ্দেশ্যে এই ওষুধ সেবন ধীরে ধীরে এই ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ হতে পারে। বেশিদিন ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করলে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। ঘুমের ওষুধ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে হ্যালুশিনেশন এবং বিভ্রান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়লে পানি পিপাসা কমিয়ে দেয়। এতে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং কিডনিতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ সেবন সূক্ষ্ম বিবেচনা শক্তিকে হ্রাস করে, কাজের প্রতি অনাসক্তি তৈরি করে। যারা ঘুমের ওষুধ নিয়মিত সেবন করেন তারা জানেন, এটা শরীরের ক্ষতি করে। কিন্তু ঘুমের ওষুধ কতটুকু ক্ষতি করে এটা অনেকেই জানেন না, তবে প্রয়োজন ছাড়া শুধু নিয়মিত ভালো ঘুম হবার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন ক্ষতিকর। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।


বাংলাদেশে তরুণদের হৃদরোগ হওয়ার কারণ জানালেন

ডা. দেবী শেঠি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার দিনদিন বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন জরিপ এমনটাই জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিজ্ঞতার আলোকে নিজের মত জানালেন, ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী প্রসাদ শেঠি।
তিনি জানালেন ঠিক কি কারণে এই উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে মানুষের তরুণ বয়সে হৃদরোগ হয়।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগ হওয়ার প্রধান কারণ জিনগত।
গত ১৫ জুন চট্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল উদ্বোধনে অংশ নেন দেবী শেঠি। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য দেয়ার সময়ই এ তথ্য দেন দেবী শেঠি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে মানুষের বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে অর্থাৎ অবসরকালীন সময়ে হৃদরোগ হয়। এ সময় তারা কাজ করেন না আর ভোজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশে মানুষদের তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ জিনগত। এখানকার মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভাস, ধূমপান, ডায়াবেটিস হৃদরোগের জন্য দায়ী।’
ভারত ও বাংলাদেশে হৃদরোগীর পরিমান বৃদ্ধির বিষয়ে দেবী শেঠি বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ রোগ হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যায়। এর আগে যায় না।শরীরের চেকআপ করায় না।তাদের মতে, সুস্থ থাকার সময় কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন!
কিন্তু এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয় জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুস্থ থাকার সময়ও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সবকিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটা সুস্থ রয়েছি আমি।’
ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের এই প্রতিষ্ঠাতা জানান, ভারত ও বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসা ধরণ অনেকটা একইরকম।
দুই দেশের সংস্কৃতি, পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাস একই রকম বলেই চিকিৎসা পদ্ধতি একইরকম বলে মনে করেন তিনি।
চিকিৎসা ব্যবস্থা এক হলেও বাংলাদেশ থেকে কিছু হৃদরোগী ভারতে কেন যান সে প্রসঙ্গে দেবী শেঠি মনে করেন, ‘হৃদরোগের চিকিৎসায় ভারতে অনেকগুলো একই মানের হাসপাতাল রয়েছে। তাই মানুষ বিকল্প বেছে নিতে পারছে। বাংলাদেশে হয়তো এখনও সেভাবে বেশি বিকল্প তৈরি হয়নি।’
সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ইমপেরিয়াল হসপিটাল সঠিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার নতুন সংযোজন বলে মন্তব্য করেন ডা. দেবী শেঠি।
তিনি বলেন, ‘ভালো চিকিৎসার জন্য ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ইমপেরিয়াল হাসপাতালে নারায়ণ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ দল কাজ করবে। মাঝেমধ্যে আমিও আসব। আশা করি, এখানকার মানুষ আধুনিক চিকিৎসা পাবে। বিদেশমুখী কমবে।’


পাইলস নিয়ে অপচিকিৎসা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মলদ্বারে যে রোগই হোক না কেন, সাধারণ মানুষ মনে করে পাইলস, অর্শ্ব অথবা গেজ। অনেকের ধারণা নেই যে, এ রোগের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়া সম্ভব। অনেকে আবার মলদ্বারে মরণব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে পাইলসের চিকিৎসার জন্য কবিরাজ, হেকিম কিংবা কোনো প্রতারকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাদের দেওয়া দাওয়াই মাসের পর মাস সেবন করেন। দেরি করার কারণে ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে কিছুই করার থাকে না। মলদ্বারের অন্য সমস্যা এসব কবিরাজ পাইলস ভেবে দাওয়াই দেয়। ফলে তা জটিল আকার ধারণ করে। এক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন, এসব রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত— ধারণা। চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
আমাদের সমাজে অসংখ্য রোগী, যারা মলদ্বারে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক সময় লজ্জাবশত বলেন না কিংবা অপচিকিৎসার শিকার হন; এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কখনও কখনও এমন পর্যায়ে উপস্থিত হন তখন আর অপারেশনের বিকল্প কিছু থাকে না। কিন্তু মানুষ যদি মলদ্বারের রোগ সম্পর্কে সচেতন হয় ও সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নেয় তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে বিনা অপারেশনে এর চিকিৎসা সম্ভব। মলদ্বারে যে সব উপসর্গ দেখা দেয়, তার মধ্যে উল্লেখ্য মলত্যাগের পর জ্বালাপোড়া করা, ব্যথা করা, মলত্যাগের পর রক্ত পড়া। কখনও ফোঁটা ফোঁটা অথবা ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়া, মলদ্বারের পাশে ছোট ছিদ্র হয়ে পুঁজ বা পানি পড়া, রক্ত মিশ্রিত আমাশয়, মলত্যাগের পর পূর্ণতা না আসা, কিছু মল থেকে যাওয়া, হঠাৎ রাতে মলদ্বারে ব্যথা কিংবা ব্যথার জন্য ঘুম ভেঙে যাওয়া, সম্পূর্ণ মলদ্বার বের হয়ে আসা, কিংবা মলদ্বারের এক পার্শ্বে মাংস বেড়ে যাওয়া অথবা পায়খানা করার সময় আঙ্গুরের মতো একখন্ড মাংস বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যে উপসর্গই থাকুক না কেন, সবাই পাইলস, ফিস্টুলা হয়েছে বলে মনে করেন। আসলে এটা সঠিক নয়। মলদ্বারে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়, যেমন অ্যানাল-অ্যাবসেস, রেকটাল প্রোলাপস, অ্যানাল ওয়ার্ট, প্রোকটালজিয়া-ফোগাস ইত্যাদি। রোগ ভেদে এর চিকিৎসার ধরনও বিভিন্ন।


সুস্থ জীবনের জন্য সুনিদ্রা

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যান্ত্রিক জীবনের অতিব্যস্ততায় পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় নেই অনেকের। অথবা হয়তো অনেকেই রাতের পর রাত ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের সামনে বসে পার করছেন। সকাল থেকে আবার পড়াশোনা বা অফিসের কাজ। ঘুমানোর অতো সময় কোথায়! কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম জীবনের জন্য, শরীরের জন্য, সুস্থতার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। রাতের নির্বিঘœ, গভীর ঘুম পরদিন মানুষকে চনমনে রাখে, দিন শুরু হয় নতুন শক্তিতে, নতুন উদ্দীপনায়। এসব আমরা জানি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এর পাশাপাশি ঘুমের আরো কিছু উপকারিতার কথা বলছেন, যেগুলো একটু অন্যরকম ও নতুন শোনালেও তা গবেষণা থেকেই পাওয়া।
গবেষকরা বলছেন, যারা কম ঘুমায়, তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেখা গেছে, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের দেহে ক্ষুধা উদ্রেককারী হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। এ নিঃসরণের পরিমাণ যারা ৮ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের চেয়ে ১৫% বেশি। একই সঙ্গে ক্ষুধা কমানোর হরমোনটিও কম নিঃসৃত হয়। বেশি ক্ষুধার কারণে এরা বেশি খায়, ফলে বেড়ে যায় তাদের বডি মাস ইনডেক্সও। তাই ‘স্লিম ফিগারে’র জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম।
পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক দল ব্যক্তিকে পিয়ানো বাজানো শিখিয়ে তাদের দুই গ্র“পে ভাগ করে দেন। এক গ্র“প শেখার পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ঘুমায়, অপর গ্র“প এই ১২ ঘণ্টা জেগে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায়, যারা ঘুমিয়েছিল তারা পিয়ানোতে সঠিক সুরটি তুলতে বেশি পারঙ্গমতা দেখিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেন, এ সময় অন্য কোনো তথ্য বা কাজ তাদের ব্রেনকে ব্যস্ত না রাখায় শেখা সুরটি স্মৃতিতে ভালোভাবে গেঁথেছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সুনিদ্রা প্রয়োজন। যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি, তখন দেহে ‘মেলাটোনিন’ হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ক্যান্সার-প্রতিরোধী এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। দেখা গেছে, যেসব মহিলা রাতে কাজ করেন, তাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৭০ গুণ বেশি। এ ছাড়া রাতের পর রাত জেগে থাকা মানুষের গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কারণ, গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পাকস্থলীর কোষকে রক্ষা করে যে রাসায়নিক পদার্থÑ তা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই বেশি নিঃসৃত হয়।
বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতেও ঘুমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাতের পর রাত নিদ্রাহীনতা বার্ধক্যজনিত রোগের তীব্রতা বাড়ায়। অপরদিকে গবেষকরা দেখেছেন, যারা রাতে গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমায়, তারা সাড়ে চার ঘণ্টার কম ঘুম যাদের, তাদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে।
অন্যদিকে, টিন এজারদের নিদ্রাহীনতা তাদের জীবন বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এরা অন্যদের চেয়ে বেশি বিষণœতায় ভোগে ও কম আত্মবিশ্বাসী হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, যারা ছোটবেলায় নিদ্রাহীনতায় ভোগে, তাদের বয়ঃসন্ধিকালে মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।
তাই জীবনকে অতি ব্যস্ততায় জড়িয়ে না ফেলে নিজের বিশ্রামের জন্য সময় বের করুন, পর্যাপ্ত সময় ঘুমান। যাপন করুন সুস্থ, নীরোগ, দীর্ঘ জীবন।


দূর করুন কাঁধের ব্যথা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাঁধে ব্যথা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যথা তীব্র হলে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে ছন্দপতন। অনেকে ব্যথার জন্য ঘাড়ের ওপরে হাতই তুলতে পারেন না। কাঁধ নাড়াতেও বেশ কষ্ট হয়। অসহ্য ব্যথায় অনেক সময় শরীরের পেশি শক্ত হয়ে ওঠে। সাধারণত যে কারণগুলোর জন্য কাঁধে ব্যথা হয় এবং ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে “ফ্রোজেন শোল্ডার” অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা। পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ ও ছেলেদের ১৮

মন্ত্রীসভায় আইন পাশ

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত এক আইনে সাজার মেয়াদ এবং জরিমানার পরিমাণ বেড়েছে, তবে একইসাথে কমেছে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স সীমা। ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত ঐ আইনে নারীর জন্যে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ এবং পুরুষদের জন্যে ২১ থেকে ১৮ করা হয়েছে।
তবে বয়স কমালেও বাল্যবিবাহের সাথে জড়িতদের শাস্তিও আরো কঠোর করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ কারাভোগের মেয়াদ তিনমাসের জায়গায় দুই বছর করা হয়েছে। জরিমানা বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করা হয়েছে।
বিয়ের জন্যে নারী ও পুরুষের এই বয়স কেন কমানো হচ্ছে- এই প্রশ্নে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় বিয়েজন্য এই উঁচু বয়স সীমা জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছিল।
তিনি বলেন, বিশেষ করে মেয়েদের এই আইনের প্রয়োগ কঠিন হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের অনেক দেশেও বিয়ের বৈধ বয়স ১৬। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে বাল্যবিবাহ যারা করবেন, সেই বিয়ে যারা পরিচালনা করবেন অথবা তা আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকবেন, তারা সবাই দণ্ডের আওতায় পড়বেন।
মন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, অভিভাবক, কাজি, মৌলভি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত যারাই বাল্য বিবাহের আয়োজনে জড়িত থাকবেন তারা সবাই আইনের আওতায় আসবেন। তিনি বলেন, বিয়ে ঠেকানো না গেলেও বাল্য বিবাহ অবৈধ বলে গণ্য করা হবে।
 

জিডি করুন ঘরে বসেই


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক\
কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কারণে অনিরাপদ মনে হলে বা অন্যান্য কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করতে হয়।জিডি করতে হলে থানায় গিয়ে আবেদন করতে হতো। কিন্তু এখন অনলাইনেই আবেদন করা যাবে জিডির। নাগরিক সুবিধাকে সহজ করতে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সহয়তায় সম্প্রতি অনলাইনে জিডি আবেদনের সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।আপাতত কেবলমাত্র কিছু হারানো বা নিখোঁজ হওয়া ও কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া বিষয়ক জিডি করা যাবে অনলাইনে। অনালাইনে আবেদনের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ ও একটি সচল মোবাইল নম্বর। তিনটি সহজ ধাপে সেরে ফেলা যাবে এই আবেদন। আবেদনটি কিভাবে করা যাবে চলুন দেখে নেয়া যাক তার বিস্তারিত। প্রথম ধাপ প্রথমে এই ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। স্মার্ট কার্ডের জন্য ১০ সংখ্যার নম্বর ও পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ১৭ সংখ্যার নম্বর ব্যবহার করতে হবে। ১৪ ডিজিটের এনআইডির ক্ষেত্রে প্রথমে জন্মসাল যোগ করতে হবে।

 

‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ পছন্দ করেন না হাইকোর্ট



বরগুনায় রিফাত শরীফকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার একেএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার মামলার সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
গত ২৬ জুন রিফাত খুনের পরদিন ২৭ জুন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ওইদিন আদালত ২টার মধ্যে ডিসি-এসপির (জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার) কার্যক্রম জানতে চান। ২টার মধ্যে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশনায় তখন আদালত বলেছিলেন, আসামিরা যেন সীমান্ত পার হতে না পারে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার মামলার অগ্রগতি জানাতে বলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, এই মামলার কোনো আসামি দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি। এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামি এবং সন্দেহভাজন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.