BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover June 2019

English Part June 2019

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


নারী-পুরুষের সুষম উন্নয়নে কাজ করছে

 সরকার ॥ প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৬ মে ২০১৯ গণভবনে জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জয়িতা ফাউন্ডেশনকে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার নারী-পুরুষের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি বহুমুখী ব্যবসা উদ্যোগের জন্য নারীদের সমান ও দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
গত ২৬ মে ২০১৯ সকালে গণভবনে জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর বিশেষ সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এই ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এর আওতায় কর্মরত তৃণমূল পর্যায়ে যেসব উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব সাখাওয়াত মুন ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে একটি সমাজকে গড়ে তুলতে হলে নারী-পুরুষ সকলকে সাথে নিয়েই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। কেউ পেছনে পড়ে থাকলে সমাজ প্গংু হয়ে যাবে। নারীশিক্ষা এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই তার সরকার কাজ করছে।
গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি গ্রামের অর্থনীতিকে শক্তিশালী না করি, গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়াই, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের অর্থনীতি কখনই উন্নত হবে না। তিনি মেয়েদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ করে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠনটিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে সেখানে কর্মরত সব নারীই বলে উঠতে পারে আমিই জয়িতা। মেয়েদের অবস্থান সুদৃঢ় করা এবং সম্মানজনক করার জন্যই জয়িতার সৃষ্টি। তারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে আবার একই সঙ্গে পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারে।
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 মে ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের
সংখ্যা ১৬৮ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে।
জরিপে মে ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৬৮টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মে ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৫ এর অধিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়-
২০১৯ সালের মে মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৬৮ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ২ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২০ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪২ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৭ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৮ জন, অপহরণ হত্যা৫ জন, গুপ্ত হত্যা ৯ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৭ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২২১ জন, আত্মহত্যা ১৫ জন।
মে ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৬৯ জন, যৌন নির্যাতন ৯ জন, যৌতুক নির্যাতন ২ জন, এসিড নিক্ষেপ ১ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
 

 

 গুম ইস্যুতে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বিশ্বের ৩৬টি দেশের গুমবিষয়ক ৪২০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেনেভায় বৈঠকে বসছে গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ। আগামী সোমবার থেকে ১০ দিনের রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে জাতিসংঘের পাঁচজন বিশেষজ্ঞ ‘গুম হওয়া’ ব্যক্তিদের স্বজন, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে গুমের অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য শুনবেন। গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ১১৮তম অধিবেশনের আওতায় এসব বৈঠক সম্পর্কিত তথ্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪২তম অধিবেশনে প্রতিবেদন আকারে উত্থাপিত হবে।
আসন্ন বৈঠকে যে ৩৬টি দেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আছে কি না জানতে চাইলে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা জেরেমি লরেন্স জানান, পুরো প্রক্রিয়াটি গোপনীয়। তাই কোন দেশের এবং কোন গুম করার অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হবে তা তাঁরা প্রকাশ করবেন না। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশে গুমের অভিযোগগুলোও যথাযথ প্রক্রিয়ায় পর্যালোচনা করা হবে। সরকারি সূত্রগুলো এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করে বলেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক কাঠামোর বৈঠকগুলোতে গুম নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বাংলাদেশের অবস্থান হলো, এ দেশে গুম বলে কিছু নেই।
জানা গেছে, ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে অন্তত সাত দফা চিঠি পাঠিয়েছে গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ। গত বছরের ৬ জুন গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস-চেয়ার অ্যালিনা স্টেইনার্টসহ সাতজন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশকে পাঠানো এক চিঠিতে মাদকবিরোধী অভিযানে ১৩২ জনেরও বেশি নিহত, ১৩ হাজারেরও বেশি গ্রেপ্তার এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি গুম হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে। ওই চিঠিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমসহ প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান। এরপর গত বছরের ২৭ আগস্ট হাসিনুর রহমান নামে সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার কথিত অপহরণ ও নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘের গুমবিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরে। গত নভেম্বর মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গুম হওয়ার অভিযোগ অব্যাহত থাকায় এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের চিঠির জবাব না দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ সফরে আসতে আগ্রহী, কিন্তু বাংলাদেশ তাতে সম্মতি জানায়নি।
 

   দেশের ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ অতি দরিদ্র
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
দেশের ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ অতি দরিদ্র বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এছাড়া দরিদ্র মানুষের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। সোমবার দুপুরে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে’ (এইচআইইএস) প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। আর এই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনের চূড়ান্ত বিশ্লেষণ তুলে ধরে বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন বলেন, দেশে দারিদ্র্যের হার প্রতিনিয়ত কমছে। উচ্চ দরিদ্র রেখা অনুযায়ী, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। নিম্ন দরিদ্র রেখা অনুযায়ী, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে উচ্চ দরিদ্র রেখায় দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নিম্ন দরিদ্র রেখা অনুযায়ী, দারিদ্র্যের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।
এর আগে ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি খানায় এবং ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি খানায় এ জরিপ করা হয়। এতে ২০১৬ সালে নমুনা খানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৮০টি করা হয়।
চূড়ান্ত ডাটা রিলিজের ফলে বর্তমানে অংশীজন, উন্নয়ন সহযোগী, দেশি-বিদেশি গবেষক, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা বিবিএসের নীতিমালা অনুসরণ করে আগের মতো হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার ২০১৬-এর ইউনিট লেভেল ডাটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. দিপংকর রায়, উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ ও বিবিএসের যুগ্ম পরিচালক এককেএম আশরাফুল হক প্রমুখ।
 

 

মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি ও ১০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাবনা
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’

মুক্তিযোদ্ধঅদের পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ১৬ হাজার ১২৪ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া। সরকার এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ নামে একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে।
আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর থাকছে। তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এই সম্মানী ভাতা ছাড়াও দেশের এ বীর সন্তানরা অন্য যেসব সুবিধা ভোগ করেন তা বহাল রাখা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, দেশে প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁরা মাসিক সম্মানী ভাতা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা করে পান। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন মাসিক এ সম্মানী ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ১৯ মে ২০১৯ ‘জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন এ দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
আগামী বাজেটে মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে দুই ঈদে সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা ভোগ করছেন। এসব সুবিধা আগের মতোই অব্যাহত থাকছে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর বিজয় দিবস ভাতা বাবদ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা পাচ্ছেন। এতে সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। আর নববর্ষ ভাতা পাচ্ছেন দুই হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর দুই ঈদে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দুটি উৎসব ভাতার জন্য সরকারের বরাদ্দ আছে ৪০০ কোটি টাকা। এসব সুবিধাসহ দুই হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ফলে আগামী অর্থবছরের নতুন বাজেটে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সে হিসাবে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা।


বিপর্যয়ের আশঙ্কা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। কক্সবাজারের ৩১টি ক্যাম্পে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি অংশ আগামী বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত ভূমিধসের আশঙ্কায় রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জীবনঝুঁকি প্রশমনে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে স্থানীয় প্রশাসনে। বর্তমানে ২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সদস্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর ও ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে বড় রকমের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। গত বৃহস্পতিবার উখিয়ার ক্যাম্প ১৭ পরিদর্শন ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আয়োজনে সেখানে দুর্যোগবিষয়ক মহড়ায় যোগ দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। উখিয়ায় আর্মি কো-অর্ডিনেশন সেলের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। তারা রোহিঙ্গা তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তৈরি করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধস, অগ্নিকা , সাইক্লোন-পরবর্তী উদ্ধারকাজের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে এখন গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করা হয়। ন্যূনতম ৬-৭ থেকে ১৪-১৫ জনের একেকটি পরিবার। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কোনো ঘরে আগুন লাগলে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো ক্যাম্পে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে।
এজন্য ফায়ার ফাইটিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা যুবকদের। প্রতি ক্যাম্পে ৩০০ জন করে যুবক নিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং করানো হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। উল্লেখ্য, মাঝারি বর্ষণেও রোহিঙ্গা বসতির অনেক জায়গা তলিয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে পাহাড়ের খাদে মোটা পলিথিনের তাঁবু টানিয়ে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। এসব বসতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খোলা আকাশের নিচে ন্যাড়া পাহাড়ের ওপর রোহিঙ্গা বসতিগুলোর আশপাশের সব গাছপালা কেটে শেষ করা হয়েছে। এখন সেখানে সীমিত পরিসরে গাছ লাগানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিপুলসংখ্যক মানুষের চাপে কিছুই করা যাচ্ছে না। বর্ষণে কাটা পাহাড়গুলো যেন ধসে না পড়ে সেজন্য সেনাবাহিনী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ছোট ছোট স্লাব বসিয়ে ধস রোধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের ৩১টি ক্যাম্পে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নির্বিঘেœ রাখতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্যোগ মৌসুম শুরুর আগমুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও কাজ করছে প্রশাসন। কক্সবাজারের উখিয়ায় মধুর ছড়া রোহিঙ্গা শিবিরে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ মোকাবিলা মহড়ায় সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেয়। মহড়ায় যোগ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, যা বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এ মহড়া দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোপুরি সক্ষম।’

 


 

আগেই বলেছিলাম ৩০০ আসন পাবো: মোদি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার ঘটনাকে দায়িত্ব বেয়ে যাওয়া হিসেবেই দেখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া মোদি বলেছেন, নির্বাচনের আমি যখন বলেছিলাম ৩০০ আসন পাব সে সময় অনেকেরই তা বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু ফলাফলেই সব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
নির্বাচনী সাফল্যের পর গত ২৬ মে ২০১৯ আহমেদাবাদের এক জনসভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করতে হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের চাহিদা পূরণ করতে হবে আমাদের।
এসময় তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছর ‘জন ভাগিদারী এবং জনচেতনা' এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখেই পরিচালিত হবে তাঁর সরকার।
মোদি আরো বলেন, গুজরাটের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা আমার কাছে সব সময় বিশেষ আমি এবারও এখানে দর্শন করতে এসেছি।
আহমেদাবাদে জনসভা করার আগে গান্ধীনগরের বাড়ি গিয়ে মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।

 

চোরকে ‘চোর’ ও দুর্নীতিবাজকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলতে হবে : হাইকোর্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশকে রক্ষা করার জন্য চোরকে চোর ও দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া পদক্ষেপের অগ্রগতিবিষয়ক মামলার শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
সিটি করপোরেশনের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘পানি ছিটানোর জন্য চালক উপস্থিত আছে কি না, গাড়ি নিয়ে চালক বের হয়ে পানি ছিটালেন কি না, তা কে দেখবে? পানি যে ছিটানো হয়েছে, তা বুঝব কীভাবে? চালক বের হলেও গন্তব্যে না গিয়ে গাড়ি থামিয়ে তেল চুরি করে বসে থাকতে পারেন। তেল বিক্রির ভাগ নেয় না, এমন ভদ্রলোক কম আছে।’
হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘আমরা তো রাস্তায় চলি। শুধু ভিআইপি সড়কে পানি ছিটাতে দেখা যায়, অন্য কোথাও হয় না। ফণী (ঘূর্ণিঝড়) এসেছিল বলে আপনাদের রক্ষা। প্রকৃতি ধুলোবালু কমিয়ে দিয়েছে।’
গত ১০ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশের ধারাবাহিকতায় গত ৫ মে ২০১৯ সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
শুনানির পর হাইকোর্ট পানি ছিটানোসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানাতে দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের ১৫ মে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানির শুরুতে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘১০ এপ্রিল আদালত গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সিটি করপোরেশনকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের আদেশ অনুসারে যেভাবে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা, সেভাবে দেওয়া হয়নি। এতে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের আইনজীবী নুরুন্নাহার আক্তার বলেন, ‘পানি ছিটানো প্রতিদিনের দৈনন্দিন কাজ। প্রতিবেদনে পানি ছিটানোর বিষয় উল্লেখ আছে।’
 

ইতালিতে প্রদর্শিত হলো ড. ইউনূসের জীবনীভিত্তিক অপেরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির ফানো শহরে ‘২৭ ডলার’ নামের একটি ভিন্নধর্মী অপেরার প্রিমিয়ার শো-তে যোগ দেন ২০শে মে। অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত টুরিস্ট নগরী ফানোর ‘তেয়াত্রো দেল্লা ফরচুনা’য় (থিয়েটার অব লাক) বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থতিতে প্রদর্শিত হয় অপেরাটি।
উরবিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর ভিলবার্তো স্টচ্চি-র বিশেষ আমন্ত্রণে প্রফেসর ইউনূস এই অপেরা শো-তে যোগ দেন। অপেরা ‘২৭ ডলার’-এর প্রযোজক ইতালিয়ান ন্যাশনাল সিঙ্গারস এসোসিয়েশন। এতে সহায়তা দিয়েছে উরবিনো বিশ্ববিদ্যালয়, ‘কার্লো বো’, ফানো মিউনিসিপ্যালিটি, তেয়াত্রো দেল্লা ফরচুনা ফাউন্ডেশন ও ইমাজেম এসআরএল। প্রায় আট বছরের প্রস্তুতি শেষে অপেরাটি মঞ্চায়িত হয়েছে। প্রফেসর ইউনূসের জীবনী এবং দরিদ্র মহিলাদের নিকট আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে তাঁর সংগ্রামের কাহিনী বিধৃত হয়েছে এই অপেরায়।
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত প্রফেসর ইউনূসের গ্রন্থ 'ইধহশবৎ ঃড় ঃযব চড়ড়ৎ'-এ অনুপ্রাণিত হয়ে অপেরাটি তৈরি হয়। এর রচয়িতা পাওলা সামোজ্জিয়া ও পরিচালক আন্দ্রিয়া মিরো ও কার্লো মাগরি। অপেরাটি উপস্থাপন করেন ইতালিয়ান ন্যাশনাল সিঙ্গারস অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাম্বাসেডর ও ইউনিভার্সিটি অব উরবিনোর আট অ্যান্ড কালচারাল প্রজেক্টের শিল্প নির্দেশক সোপ্রানো ফিলিসিয়া বনগিওভান্নি। মূল অভিনয় শিল্পী ছিলেন সোপ্রানো ফিলিসিয়া বনগিওভান্নি এবং টেনর ক্রিশ্চিয়ানো ক্রেমন্নিনি।
সোপ্রানো গ্রামীণ ব্যাংকের নারী ঋণগ্রহীতাদের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং টেনর প্রফেসর ইউনূসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিল একটি পুরুষ শাসিত পৃথিবীতে নারীদের সংগ্রামের ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র মুক্তির সফল প্রচেষ্টার একটি শৈল্পিক উপস্থাপনা। অপেরাটি তার অনবদ্য ধ্বনি, সুর ও ঐক্যতানের মাধ্যমে সে সময়কার নারীদের অসহায়ত্ব তুলে ধরে। অপেরাটি শুরু হয় হস্তশিল্পে নিয়োজিত কয়েকজন দরিদ্র নারী মহাজনদের নিকট মাত্র ২৭ ডলার ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে কীভাবে নিজেদের জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত করতে সক্ষম হয় তার কাহিনী দিয়ে।
‘২৭ ডলার’ অপেরাটিতে তুলে ধরা হয়েছে অর্থায়নের জগতে দরিদ্রদের প্রবেশ তাদের জন্য কী অপরিসীম সুযোগ তৈরি করে এবং কীভাবে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি ও আর্থিক শিক্ষার মধ্যদিয়ে একটি মূল্যবোধভিত্তিক অর্থনৈতিক সংস্কৃতি ও টেকসই সমাজ গড়ে ওঠে- যেখানে ব্যক্তি মানুষ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শো শেষে সাংবাদিকরা প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাৎকার নিতে এলে তিনি বলেন, ‘কাহিনীটি যেভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে তাতে আমি অভিভূত। অপেরা শিল্পীদের অসাধারণ দক্ষতা শোটিকে একটি শক্তিশালী কাহিনীতে পরিণত করেছে। কাহিনীর নারীদের দুঃখ-দুর্দশার পাশাপাশি সমাজে আত্ম-প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সংগ্রাম অপেরাটির প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ্য করে তুলেছে।’
অপেরাটি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন উরবিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ইতালির বিশিষ্ট অপেরা ব্যক্তিত্বগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।



নিশ্চিত হোক মায়ের অধিকারা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

যেকোনো নারীর চিরন্তন পরিচয় ‘মা’ এবং মা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম শব্দ। মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বংশানুক্রম ধারা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তায় মায়ের ওপরই। আর নারীর পূর্ণতাও আসে মাতৃত্বে। একথা অনস্বীকার্য যে, একজন মায়ের গর্ভকালীন সুস্থতাই পারে একটি সুন্দর ও সুস্থ শিশু জন্ম দিতে। তাই নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি মায়ের অধিকার। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশে মাতৃত্ব আসলে কতটুকু নিরাপদ, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ২১ কোটি নারী গর্ভবতী হয়, এর দুই কোটিরও বেশি গর্ভজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন এবং আশি লাখের জীবনাশঙ্কা দেখা দেয়। এখনো আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখ জীবিত জন্মে ১৭২ জন নবজাতকের মৃত্যু ঘটছে। প্রসবকেন্দ্রিক মোট মাতৃমৃত্যুর ৭৩ শতাংশ ঘটছে প্রসব পরবর্তী সময়ে। আর প্রথম ২৪ ঘণ্টাতেই মারা যায় মোট মাতৃমৃত্যুর ৫৬ শতাংশ। দেশে গর্ভপাতও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এখনো বাড়িতে প্রসব হচ্ছে ৫৩ শতাংশ প্রসূতির, প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১৫ জন প্রসূতি। গরিব, অসচ্ছল জনগণের মধ্যে জটিলতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি। মূলত গর্ভকালীন জটিলতা, দক্ষ স্বাস্থ্যসেবার অভাব, প্রয়োজনীয় যতœ ও পুষ্টির অভাব, পরিবারের অসচেতনতা, প্রসব পরবর্তী সেবাযতেœর অপ্রতুলতা ইত্যাদি একজন মাকে ঠেলে দিচ্ছে সীমাহীন অনিশ্চয়তা, দুর্ভোগ আর কষ্টের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে গর্ভজাত সন্তানটিও পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে।
প্রতিবছর ২৮ মে বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ১৯৮৭ সাল থেকে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। মাতৃ স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব ও এর কার্যকারিতা অনুধাবন করে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশেও যথাযথভাবে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। প্রতিবারই একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে যেমন, ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার’, ‘প্রতিটি জন্মই হোক পরিকল্পিত, প্রতিটি প্রসব হোক নিরাপদ’, ‘নিরাপদ প্রসব চাই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলো যাই’, ‘সকল প্রসূতির জন্য মানসম্মত সেবা আমাদের অঙ্গীকার’ ইত্যাদি। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসূতি সেবায় অঙ্গীকার।’ মা ও শিশুমৃত্যু রোধ এবং তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি এসব সমস্যা প্রতিরোধসহ মাতৃস্বাস্থ্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি সম্পর্কে মা, পরিবার ও সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সকলের প্রতিশ্র“তি নিশ্চিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। শিশুর জন্মদান ও মাতৃত্ব সম্পর্কিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা ও এগুলোর সুষ্ঠু সমাধানের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা এই দিবসটির অন্যতম।

 

  শেকল মুক্ত করার পরেও বিলকিসের কথা ভুলেননি মানবাধিকার কর্মীগণ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত বছরের আগস্টের ৬ তারিখ শেকল মুক্ত হয়েছিলো বিলকিস (২৯)। নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার বড় বাড়ির শেষ মাথায় সানি বিল্ডিংয়ের একটি বাসা থেকে তাকে শেকল মুক্ত করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু।
আজ সেই বিলকিস পুরোপুরি সুস্থ। বেশকিছুদিন চাকরিও করেছে একটি গার্মেন্টসে। শারীরীক দুর্বলতার কারণে এখন সে আর চাকরিতে যায়না। তবে আগের সেই পাগলি বিলকিস এখন দশটি মেয়ের মতই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে।
তার কথা বছর পার হলেও ভুলে যায়নি মানবাধিকার কর্মী আমিনুল হক বাবু। প্রায় সময় ফোনে তার খবরা খবর নিতো। এই রোজার মাসে তাকে দেখতে তার বাসায় প্রয়োজনীয় ইফতার সামগ্রী নিয়ে যান তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বামাক ইপিজেড থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন রাসেল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক খান মোহাম্মদ সাইফুল,বামাক ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ইফতেখার জিসানসহ নেতৃবৃন্দ।

 

 বাংলাদেশিরা মালয়েশীয় তরুণীদের বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে : মাহাথিরে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালয়েশিয়ায় কাজ করতে এসে বাংলাদেশিরা সুন্দরী মালয়েশীয় তরুণীদের বিয়ে করে দেশে নিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশীয় নাগরিকরা এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে বিয়ের জন্য আর মেয়ে পাবেন না। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ কথা বলেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশি এ দেশে আসছে। তাদের সংখ্যা ২০ লাখ। তারা সুন্দরী মালয় তরুণীদের বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি সতর্ক না হোন তাহলে সামনে বিয়ে করার জন্য আর মেয়ে পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমরা মালয়েশিয়ানরা কাজ করতে চাই না। তাই বাংলাদেশিরাই এখানে এসে সব কাজ করছে। যদি মালয়েশিয়ানরা নিজ দেশে কর্তৃত্ব করতে চায় তাহলে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাদের ভালো পড়াশুনা করতে হবে। দেশের জন্য কাজ করার বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় এবং মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, মধ্য এশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ রয়েছে। কে মালয়েশিয়ান নাগরিক, কে নন, এ নিয়েই এখন আমরা দ্বিধান্বিত। ওয়ার্ল্ড অব বাজ নামে এক অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী পেল ভারত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত মেয়াদে দেশটির প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে নির্মলা সীতারামন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনিই হলেন দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।
ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে বিজয়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ পড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ৫৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গত মেয়াদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলেও ৪৮ বছর পর এই প্রথম পূর্ণ মেয়াদের জন্য কোনো নারীকে অর্থমন্ত্রী করা হলো ভারতে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭০ সালের জুন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তবে পূর্ণ সময়ের জন্য স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামন হলেন দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী। মোদি তাকে এবারের মন্ত্রিসভায় গত মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা রাজনাথ সিংকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহকে প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়– প্রদেশের তিরুচিরাপল্লিতে ১৯৫৯ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন নির্মলা সীতারামন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৩ বছর আগে। বাবা ছিলেন ভারতীয় রেলের কর্মী। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন নির্মলা।
২০০৬ সালে ভারতীয জনতা পার্টিতে যোগ দেয়া নির্মলা ২০১০ সালে দলের জাতীয মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত হন।



 

  মালয়েশিয়ায় সস্তা শ্রমের বাংলাদেশিরা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হাড়-খাটুনি পরিশ্রমের জন্য পুরো মালয়েশিয়াজুড়ে বাংলাদেশিদের সুনাম থাকলেও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। মজুরির দিক দিয়ে সর্বনিম্ন বেতনধারী শ্রমিক হলেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যেখানে ৮ ঘণ্টা কাজ করে চীন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ভিয়েতনামের লোকজন মাসে বেতন পান সর্বনিম্ন ৩ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত; সেখানে বাংলাদেশিরা ১২ ঘণ্টা কাজ করে পাচ্ছেন সর্বোচ্চ দেড় হাজার রিঙ্গিত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩০ হাজার টাকায়। তবে এ ধরনের বৈষম্যের কারণ হিসেবে ‘অদক্ষ ও অবৈধ’ভাবে বিদেশে পাড়ি জমানোকেই দায়ী করছেন তারা।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ায় কতসংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক রয়েছেন, এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বলা হয়ে থাকে, বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন তেরটি রাজ্য ও তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে। এর মধ্যে অবৈধ রয়েছেন প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি।
তবে প্রবাসীরা বলছেন, অবৈধ প্রবাসীদের বেশিরভাগই সাগর পথে পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। যার কারণে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
কুয়ালালামপুরের একটি ক্যাফেতে কাজ করেন কুমিল্লার হুসাইন শান্ত। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় আসেন, তাদের বেশির ভাগই অদক্ষ জনশক্তি। ফলে অন্যদেশের চেয়ে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন বাংলাদেশিরা। এজন্যই বেশি পরিশ্রম করেও কম বেতন পান তারা।
কুয়ালালামপুর রেস্তোরাঁয় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। কুয়ালালামপুরের আরেকটি ক্যাফেতে কাজ করেন মো. মুহিবুল্লাহ। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করে দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান স্টুডেন্ট ভিসায়। কিন্তু দেশটিতে এসে জানতে পারেন তার কলেজ কালো তালিকাভুক্ত। তাই আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়েন তিনি। অবৈধ হয়েই গত ২ বছর ধরে থাকছেন দেশটিতে। তিনি বলেন, এখানে (মালয়েশিয়া) বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি সস্তা শ্রমে কাজ করছে। কারণ এখানে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি আসছে না। আর এ সুযোগটা নিয়ে নিচ্ছে ভারত, চায়নাসহ আরও বেশি কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা। সেলানগর রাজ্যের বাতুতে ভারতীয় মালিকানাধীন একটি দোকানে কাজ করেন নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকরা সবচেয়ে কষ্টের কাজ করেন কিন্তু বেতন পান অনেক কম। তবে আমরা যারা দোকানে কাজ করি, তারা মোটামুটি আরামেই আছি।
কথা হয় সেলানগরে থাকা আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক নেত্রকোণা জেলার আটপাড়ার জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে। একটি কোম্পানিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
তার ভাষ্য, আমরা সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় আসি। এখনও বৈধ হতে পারিনি। তাই অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় আমাদের বেতন কম।
বাংলাদেশি শ্রমিকরা কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তেরে গেনটিং হাইল্যান্ডের ক্যাফে অ্যারেনার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নাজমির বলেন, বাংলাদেশিরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। তারা বেশির ভাগই ভালো। তবে শতকরা ২ শতাংশ আছেন যারা খারাপ কাজে জড়িত।
তবে তাদের বেতন কম কেন? জানতে চাইলে এই মালয়েশীয় বলেন, বাংলাদেশিরা ইংরেজি জানে না। তাই ভালো পজিশনে চাকরিও পায় না। ফলে নিম্ন বেতনেই তাদের বেশি সময় কাজ করতে হয়।
 

রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়েছে ওআইসি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত দেশটিকে দ্রুত রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
মক্কায় অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের উচিৎ তার অধিবাসীদের সুরক্ষা দেয়া। কিন্তু দেশটি তার উল্টো কাজ করছে। খবর রয়টার্সের।
রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর হত্যা ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চায় বাংলাদেশ। সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ সহায়তা চান।
সৌদি আরবের জেদ্দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ৩০ মে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ওআইসির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে ওই বৈঠক হয়।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এই সংকট সমাধানে ওআইসি দেশগুলোর সহায়তা চান তিনি।
 

 

আমেরিকার ভিসার জন্য দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যও


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে দেশের ভিসার জন্য প্রায় সব আবেদনকারীদের ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। খবর বিবিসি বাংলার। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নূতন নিয়মে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহৃত নাম এবং গত পাঁচ বছর যাবত ব্যবহার করছে এমন ই-মেইল এবং ফোন নম্বর জমা দিতে হবে।
গত বছর যখন এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয়, তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হিসেব করে দেখেছিল যে এর ফলে এক কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে। কূটনীতিক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে সবসময় এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কিংবা পড়াশুনার জন্য যারা যেতে আগ্রহী তাদের তথ্য জমা দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তাকে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
তবে কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করে তাহলে সেটি উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফর্মে। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে দেখা গেছে যে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বাছাই করা সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।
সে সময় আমেরিকার একটি মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারী করে কোন কার্যকর কিছু হয়েছে এমন প্রমাণ নেই।
সংস্থাটি বলেছে, এর ফলে মানুষ অনলাইনে তাদের মতপ্রকাশের বিষয়টি নিজে থেকেই সীমিত করে ফেলবে।


 

 BHRC নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) র নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার উদ্যোগে ৩০ মে ২০১৯ শহরের তল্লা এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নাবা স্কুলে উপস্থিত হয়ে ১০০ জন নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের হাতে এ সামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ অঞ্চলের গভর্ণর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি কে ইউ আকসির।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রুমির সঞ্চালনায় এ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি আনজুমান আরা আকসির, সহ-সভাপতি রোকসানা খবির ও এরশাদুর রহমান, বন্দর থানা শাখার সভাপতি এড. হাসিনা পারভীন, মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম শাকিল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক বি এম হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন, সহ-অর্থ সম্পাদক রোকন শেখ, সাধারণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন রনি, মহানগরের কার্যনির্বাহী সদস্য সোনিয়া আজাদ, মোছাঃ ঝরনা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাধারণ পাঠাগার, নারায়ণগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি জাহিদ হোসেন লাভলু।
অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “আমাদের এ সমাজে এখনো অনেক অসহায় ও দরিদ্র মানুষ আছেন যারা তাদের জন্য প্রতিদিন তিনবেলা ভাল করে খাবার জোগাড় করতে পারেন না। ঈদের জামা-কাপড় কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। ঈদের আনন্দ কি? তা তারা বুঝতে পারেন না। তাই সমাজের বিত্তবানদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।”
 



Top

 নারী কর্মীদের খাটো স্কার্ট পরতে টাকা দেয় যে কোম্পানি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কাজের ক্ষেত্রে স্কার্ট পরেই আসুক নারী কর্মীরা এজন্য নারী কর্মীদের বোনাস হিসেবে নগদ টাকা অফার করছে রাশিয়ার একটি কোম্পানি। রীতিমত তোপের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি, কারণ তারা তাদের নারী কর্মীদের স্কার্ট পড়ে কর্মস্থলে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
কোম্পানিটি বলছে যেসব নারী কর্মী স্কার্ট পরবে তাদের তারা নিয়মিত বেতনের বাইরে একশ রুবল বা দেড় মার্কিন ডলার করে অতিরিক্ত অর্থ দেবে। স্কার্ট বলতে এখানে হাঁটু থেকে ৫ সেন্টিমিটারের বেশী বড় নয়, এমন পোশাকের কথা বলছে তারা।
আর বোনাস পেতে অফিসে এসে নিজের একটি ছবি তুলে পাঠাতে হবে কোম্পানিকে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ একে নারীদের বাজে ভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ করছেন। সুপরিচিত নারীবাদী ব্লগার ও সাংবাদিক জ্যালিনা মারশেঙ্কুলভাও এনিয়ে কথা বলেছেন।
তবে সেক্সিজমের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ওই কোম্পানি, যারা ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ও ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মালামাল সরবরাহের কাজ পেয়েছিলো।
রাশিয়ায় টুইটার খুব একটা প্রভাব বিস্তার করেনা। তারপরেও অনেকেই টুইটারে এর সমালোচনা করছেন। একজন লিখেছেন, খাটো স্কার্ট পরার জন্য একশ রুবল বোনাস পেতে যিনি আসবেন তিনি পুরুষ নিয়ন্ত্রিত টিমকে উজ্জ্বল করবেন।

 

Top

BHRC শাহবাগ থানা শাখার ইফতার মাহফিল ১১ মে ২০১৯ অনুষ্ঠিত



বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র শাহবাগ থানা শাখার এক ইফতার মাহফিল ১২ মে ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। শাহবাগ থানা শাখার সভাপতি শাহীন আলমের সভঅপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক প্রমুখ।

 

খাদ্যে ভেজাল বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতিদিন আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করছি তার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্যে বাজার ছেয়ে গেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। মেয়াদোত্তীর্ণ ফল, খাদ্যসামগ্রী ও মাংস বিক্রি হচ্ছে সুপারশপে। এমনকি ক্ষেতে যে ফসল উৎপাদিত হচ্ছে তা-ও নিরাপদ নয়। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর কীটনাশক। বাজারে যে আমদানি করা ফল পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। এমন অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নেও মাদকবিরোধী অভিযানের মতো ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে সরকার ও সরকারপ্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই আহ্বানের নেপথ্যে একটি কারণ আছে। এবার রমজানের আগে বাজারের বিভিন্ন পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে বিএসটিআই ১৮ কম্পানির ৫২টি পণ্যে নির্ধারিত মান না পাওয়ার কথা জানায়। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনে একটি ভোক্তা অধিকার সংগঠন। তাদের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে হাইকোর্ট এক আদেশে বিএসটিআইয়ের মান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ১৮ কম্পানির ৪৬টি ব্র্যান্ডের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে অপসারণ করে উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বাজারে থাকা এসব পণ্য দ্রুত অপসারণ করে ধ্বংস করার পাশাপাশি মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আমাদের দেশে পণ্যে মান নিয়ন্ত্রণের জন্য যেমন বিএসটিআই রয়েছে, তেমনি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণও নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনও। গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অনুমোদিত হয়েছে নিরাপদ খাদ্য আইন। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সে বিষয়েও আদালত দৃষ্টি দিয়েছেন। আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে বলেছেন, এই দুটি আইনের চেয়ে ভালো আইন নেই। আদালত বলেছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ক্ষমতা দেওয়া আছে। একজন মহাপরিচালক চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন। অথচ ক্ষমতাবানরা এসির মধ্যে নিশ্চুপ বসে থাকেন। ইচ্ছা নেই কিছু করার। হয়তো বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসে। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আদালতকে নিশ্চিত করেছে যে ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজারে রয়ে গেছে। ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রশ্ন এখানেই। সব ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠান এত দিন কী করেছে? আদালতের এই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট সবাই নিশ্চয় তৎপর হবে। আমরা আশা করি, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভেজালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে তারা নিশ্চয় পিছপা হবে না।
 

জুলাই থেকে স্কুলে স্কুলে রান্না করা খাবারা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আগামী জুলাই থেকে দেশের ১৬ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের দুপুরে রান্না করা খাবার দেয়া হবে। শিশুদের আকৃষ্ট করা, ঝরেপড়া হ্রাস এবং পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা পূরণে প্রাথমিকভাবে এ কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় চালু করা হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ শীর্ষক চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সঞ্চালনা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক রুহুল আমিন খান এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড র‌্যাগান। মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) গিয়াসউদ্দিন আহমেদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। টাকা-পয়সার সমস্যা নয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই এটাকে সমর্থন করি। কারণ আমাদের যিনি প্রধান, তিনি চান এটা হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীর মন বুঝেই এ কথা বলছি। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। তবে স্কুল মিলকে পুষ্টিমানের বিবেচনায় বিচার করতে হবে। খাবার শিশুকে শিক্ষায় মনযোগী করতে সাহায্য করবে। আমি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা দু’জনই পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বসতে রাজি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বিনিয়োগে লাভ-ক্ষতি থাকে। এ বিনিয়োগে লস নেই। এ বিনিয়োগ সমাজ, পরিবার, ধর্ম, রাষ্ট্র, বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। এই শিশুরাই শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপূর্ণ হয়ে বেরিয়ে আসবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্কুলে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি করা হলে স্কুলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়া বন্ধ হবে ও স্কুলে আসার প্রবণতা বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা যত বড় বাংলাদেশ বানাই, যত সুন্দর বাংলাদেশ বানাই, ভিত্তি দুর্বল করে ফেললে টিকবে না। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ ও শিক্ষিত করতে এ খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মানচিত্র অনুযায়ী ১৬ জেলা চিহ্নিত করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয়া আছে।
এখন ৩টি উপজেলায় পরীক্ষামূলক চালু আছে। এগুলো হচ্ছে- জামালপুরের ইসলামপুর, বরগুনার বামনা ও বান্দরবানের লামা উপজেলা। জাতীয় স্কুল মিল নীতি প্রণয়ন করতে এর আগে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রথমে আংশিক পরে দেশের সব শিশুর হাতেই বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। একইভাবে শিশুদের মধ্যে খাবারও তুলে দেয়া সম্ভব।
খাবারের তালিকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬ দিনের মধ্যে ৩ দিন রান্না করা খাবার ও ৩ দিন বিস্কুট দেয়া হবে- একদিন পরপর। রান্নার কাজ করা হবে স্থানীয়দের সহায়তায়। প্রতি স্কুলে একজন বাবুর্চি নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষার্থী বেশি হলে বাবুর্চির একজন সহকারী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে চলমান বিস্কুট কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীপ্রতি ৮ টাকা করে খরচ হয়। রান্না করা খাবার দেয়া হলে বাজেট ১৮ টাকা হবে। প্রতি খাবারে একজন শিশুর দৈনিক শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ এবং পুষ্টি চাহিদার ৫০ শতাংশ স্কুলের খাবারে নিশ্চিত করা হবে। এজন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেয়া হবে।

 

কোম্পানীগঞ্জে নিহত স্কুল ছাত্রী ঝুমুরের পরিবারের পাশে মানবাধিকার কমিশন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত কমপক্ষে আড়াই লাখ রোহিঙ্গাকে প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত করে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এটিকে ভবিষ্যতে তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকারের একটি প্রমাণ বলেও মনে করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর আরও জানায়, এর পাশাপাশি এই পরিচয়পত্রটি মানবপাচার রোধ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ একটি সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এএফপি, ইয়ন
শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৮ রোহিঙ্গা শরণার্থী অথবা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের নিবন্ধন করেছে এবং তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রতিদিন ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এই নিবন্ধনকরণ ২০১৮ সালের জুন মাসে শুরু হয়। ভবিষ্যতে এটি তাদের মিয়ানমারে ফিরতে কাজে লাগবে।’
তিনি আরও জানান, ‘নতুন পরিচয়পত্র ১২ বছরের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মূলদেশ মিয়ানমার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আইডিকার্ডে তাদের নাম, পারিবারিক যোগসূত্র, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি রাখা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর’র লক্ষ্য হলো নভেম্বরের মধ্যে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করা।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে এই মুহূর্তে ৯ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের হিসেবে এর সংখ্যা আরও অনেকবেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।




স্বর্বস্ব লুটে নিচ্ছে ভয়ঙ্কর ‘গাড়ি পার্টি’


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গাড়ি পার্টি। ভাড়ায় যাত্রী নেয়ার কথা বলে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে তারা। চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই এরা ছিনতাইকারী। কখনো যাত্রী বহনের ছলে টার্গেট করা ব্যক্তিকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। আবার কখনো ফাঁকা রাস্তায় জোর করেই গাড়ির মধ্যে টেনে নেয়। গাড়িতে তুলেই শুরু হয় নির্যাতন। টাকা, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড সবই তাদের চাই। মোটরসাইকেল আরোহীদেরও রেহাই নেই তাদের কবলে পড়লে। মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি সবই লুটে নেয় এ চক্রটি। রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে ওঠা এমন চক্রকে ‘গাড়ি পার্টি’ বলে অভিহিত করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
শাহবাগ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি পার্টির কবলে পড়েন মোজাম্মেল হোসেন। রাত ৮টার দিকে তিনজন যাত্রী নিয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে একজন মতিঝিল যাবে বলে ডাকছিল। ভাড়া মাত্র ২০ টাকা দিতে হবে বলার পর রিপন গাড়িতে উঠেন। তারপরই তিন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী তাকে জিম্মি করে। একজন পকেট থেকে পিস্তল বের করে বলে, যা আছে দিয়ে নেমে যা। চিৎকার কিংবা কথা বললে সোজা গুলি হজম করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মানিব্যাগসহ যা ছিল দিয়ে দেন। এরপর রাজউক এভিনিউ এলাকায় মাইক্রোবাসের দরজা খুলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দ্রুত চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি মতিঝিল থানায় গেলে পুলিশ ঘটনাটি সাধারণ ডায়রি হিসেবে লিখে রাখে।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। তখন রাত ৮টা। ধানমন্ডি এলাকার ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন রায়হান চৌধুরী। তখন সাদা রঙের মাইক্রোবাস থেকে যাত্রী ডাকছিলেন, একজন দরকার, একজন। তিনি চালকের সঙ্গে ভাড়ার ব্যাপারে কথা বলেন। মাত্র ৩০ টাকা ভাড়ায় রাজি হন চালক। গাড়িতে ওঠার পরই যাত্রী বেশে থাকা তিন ছিনতাইকারী তাকে জিম্মি করে। একজন পকেট থেকে পিস্তল বের করে বলে, কথা বললেই গুলি করা হবে।
মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পল্টন এলাকায় রায়হানকে নামিয়ে দিতে চান তারা। বিপত্তি বাধায় মানিব্যাগে থাকা একটি ক্রেডিট কার্ড। যানজটের মধ্যে গাড়ি ধীরে চলতে থাকে, আর ভিতরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। রায়হানের কার্ডের পিন নম্বর চান তারা। তিনি ভুলে গেছেন বলে দাবি করলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করেন একজন। এক পর্যায়ে পিন নম্বর বলে দেন মাসুদ। মতিঝিলে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের কাছে গিয়ে মাইক্রোবাসটি দাঁড়ায়। একজন নেমে যান। গাড়ি আবার চলতে থাকে। কিছুক্ষণ পর একটি কল আসে একজনের ফোনে। তখন গাড়ি ঘুরে আবার দৈনিক বাংলা মোড়ে আসে।
হঠাৎ করেই গাড়ির দরজা খুলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় রায়হানকে। ভুক্তভোগী রায়হান জানান, নগদ আট হাজার ও ক্রেডিট কার্ডের ২৮ হাজার টাকা খোয়ান তিনি। এখানেই থেমে থাকে না এ চক্র। কারও কাছে টাকা বা মূল্যবান কিছু না পেলে তাকে আটকে আদায় করছে মুক্তিপণ।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা ছাড়াও আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, কাওলা, বিমানবন্দর সড়ক, মহাখালী, কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা, কাকরাইল, মতিঝিল, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি, মিরপুর রোড ও গাবতলী এলাকায় ছিনতাইকারী ১০টি চক্র রয়েছে। গাড়ি পার্টির সদস্যরা উঠতি বয়সের তরুণ থেকে যুবক। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার মতে, এরা ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারীদের তালিকা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে রয়েছে। তারপরেও অনেকেই রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই অপরাধী চক্রটি তিনটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে যাত্রী বহনের জন্য বসে থাকে। টার্গেট করা লোককে গাড়িতে উঠিয়ে ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে মালামাল কেড়ে নেয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেকর্ডপত্র বলছে, প্রতি রাতেই আহত লোক জরুরি বিভাগে আসে। এদের প্রায় সবাই প্রহারে আহত অবস্থায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। ঘটনা সম্পর্কে আহতরা কর্তব্যতর চিকিৎসককে যে তথ্য দেয় তা হচ্ছে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে মারপিট করে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা থানা পর্যন্ত তেমন একটা গড়ায় না। আবার কেউ কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে থানায় মামলা করেন। তবে মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারের নম্বর ও আরোহী সম্পর্কে ঘটনার শিকার লোক পুলিশকে কোন তথ্য দিতে পারেন না। আবার হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যারা চলে যান তাদের অনেকের কথা, থানায় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলে না।
 

থামছে না নারী ও শিশু নির্যাতন

 

তপন কুমার ঘোষঃ
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মে মাসের প্রথম আট দিনে সারা দেশে ৪১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে তিনটি মেয়ে শিশু। এ হিসাব দিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’। চলতি বছরের প্রথম সাড়ে চার মাসে এক হাজার ৪৯০ শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭০ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে শিশু নির্যাতনের এ চিত্র পাওয়া যায়।
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক ও তার সহকারী কলেজছাত্রী রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। ওই নির্মম ঘটনার স্মৃতি এখনো আমাদের মন থেকে মুছে যায়নি। ফের একই ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন।
ধর্ষণের ঘটনা বরাবরই ছিল। আগে ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে তেমন একটা আসেনি। যৌন হেনস্তার ঘটনা চেপে রাখার প্রবণতা ছিল। এখনো অনেকে এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে চান না। মিডিয়ার কল্যাণে খবরগুলো বিদ্যুৎবেগে ছড়িয়ে পড়ছে। কোনো বাছবিচার নেই। গরিব ঘরের নাবালিকা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, এমনকি তিন-চার বছর বয়সী শিশুকন্যার ওপরও ‘পাশবিক’ যৌন অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। একটা কথা বারবার মনে হচ্ছে, পশুরা এমন ঘটনা ঘটায় কখনো? খামাকা পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সৎ বাবার দ্বারা মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে। ছি! সমাজে মানুষরূপী জানোয়ারের সংখ্যা বাড়ছে, এটা উৎকণ্ঠার বিষয়। জীবন সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা ও বাস্তববোধের অভাবে অপরিণত বয়সের মেয়েরা সহজেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সহজ সরল মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেলকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আবার ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। নরপশুরা কতটা বেপরোয়া হলে এতটা স্পর্ধা দেখাতে পারে! ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেও পিছপা হচ্ছে না। এত নিষ্ঠুর হতে পারে মানুষ! নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। দেশটা তলে তলে নারী ও শিশুদের জন্য এতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি! ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। সময়টা বদলে গেছে। বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রযুক্তির আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে মানবিকতা। চলচ্চিত্রে, টিভির ধারাবাহিকে লোভ ও হিংসার কাহিনি। অবাস্তব গল্প। শেখানো হচ্ছে, কুটনামী-হিংসা-বিদ্বেষ-ষড়যন্ত্র আর পরকীয়া। মানুষের মনের গভীরে প্রেম ও হিংসার পাশাপাশি বসবাস। হিংসাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। ইউটিউবের মাধ্যমে যৌন বিকৃতি ছড়িয়ে পড়ছে। প্রযুক্তির বদৌলতে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরাও পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এসবের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে শুভবোধ। অবশ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই আসামিদের আটক করা সম্ভব হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। অনেকে বলেন, ধর্ষণের জন্য নারীদের অশালীন পোশাক-আশাক দায়ী। হতে পারে।


 

একেই বলে মানবতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমরা প্রতিদিনই বাহারি রকমের ইফতার দিয়ে ইফতার করে থাকি। কিন্তু আমাদের চারপাশে যারা অতি দরিদ্র আছে তারা কি আমাদের মত বাহারি রকমের ইফতার দিয়ে ইফতার করতে পারছে?
একজন দরিদ্র ব্যক্তি। সারাদিন মানুষের ধারে ধারে ভিক্ষা করে। দরিদ্র লোকটির একটি হাতও নেই। হাজারীবাগ থানা,ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসাইন তার ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি লোকের দুই হাত নেই। ইফতারের সময় তার মুখে ইফতার তুলে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
আফজাল হোসাইন ছবিটির সাথে একটি ক্যাপশনে লিখেছেন, গুলিস্তান পাতাল মাকেটএ এক ভাই তার ইফতার শেয়ার করছে। মানবতা এখনো বেঁচে আছে..

 

 

 

Top

না জানিয়ে সেলফি তুললে ৬ মাসের জেল, জরিমানা কোটি টাকা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কারো অসম্মতিতে বা কাউকে না জানিয়ে সেলফি তুললে যেতে হবে জেলে। সেইসঙ্গে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় কোটি টাকার বেশি। এমন আইন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খালিজ টাইমস
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোন বিয়ে বাড়িতে বা প্রাইভেট পার্টিতে নিজের ইচ্ছে মত সেলফি তুলছেন। এজন্য আপনাকে বিপদের মধ্যে পড়তে হতে পারে। জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, নিজে বা নিজেরা সেলফি তুলছেন কিন্তু সেই সেলফিতে অপরিচিত জনের ছবি চলে এসেছে, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য ছয় মাসের জেল এবং বাংলাদেশি টাকায় জরিমানা দিতে হবে এক কোটি টাকার ওপরে।
দেশটির এক আইনজীবী নওরা সালেহ আল হাজরি বলেন, গত তিন বছরে বিয়ে এবং প্রাইভেট পার্টিতে ‘ছবি তোলা সম্পর্কিত’মামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
এর আগে অতিরিক্ত সেলফি তোলাকে মানসিক রোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল একদল গবেষক।

 
 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

একটি অভিজ্ঞতার আলোকে নারী নির্যাতন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ এখন আর মেয়েদের জন্য মোটেও নিরাপদ কোনো দেশ নয়। চারদিকে ছোট শিশু থেকে ষাটোর্ধ্ব নারী পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্ষণের শিকারে পরিণত হচ্ছে। কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না নারী ও শিশুর প্রতি এ জঘন্যতম অত্যাচার ও নির্যাতন।
এর মধ্যে আলোড়ন তুলেছে ফেনীর নুসরাতের প্রতি অশালীন ব্যবহারের বিচার চাওয়া ও এর জন্য সৃষ্ট মামলা না তোলার কারণে তার গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা।
কিভাবে ঠাণ্ডা মাথায় মেয়েটিকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলে মানুষরূপী শয়তান নিজের অপকর্ম লুকাতে চেয়েছে! আরও কিছু অমানুষ এ কাজে সহযোগিতা করেছে, এমনকি বান্ধবী পর্যন্ত শয়তানদের দোসর হয়ে তার গায়ে আগুন দেয়ার কাজে সহায়তা করেছে।
এই বর্বর ঘটনার পর মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে, নির্যাতিত নারী বা শিশু বা এ ধরনের ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন নারী ম্যাজিস্ট্রেট, যাতে নির্যাতিত মেয়েটি তার কথাগুলো বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করে।
এটি তো সত্যিই যে, পুরুষ বা পুরুষের দল কর্তৃক বর্বরোচিতভাবে নির্যাতিত একটি মেয়ে অপর একজন পুরুষের কাছে তার প্রতি করা অন্যায়-অত্যাচারের কথা বলতে ভয় পাবে, স্বচ্ছন্দবোধ করবে না। তারপরও অপরাধী হাতেনাতে ধরা পড়ে দোষ স্বীকারের পরও নির্যাতিত নারীরা সবসময় যে বিচার পায় না, তার সংখ্যা কম নয়।
প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ আন্তরিক থাকার পরও এবং নারী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়ার পরও আইনের মারপ্যাঁচ, অর্থের লোভ এবং নারীর প্রতি সংবেদনশীল ও মানবিক না হওয়ার কারণে অনেক সময় নির্যাতিত নারী ও শিশুরা এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের সঠিক কিংবা আদৌ বিচার পায় না।
যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে কঠোর নির্দেশনা না দিতেন, তাহলে নুসরাতের মামলার যে অগ্রগতি হয়েছে তা আদৌ হতো কিনা সন্দেহ আছে। আমরা চাই, মূল অভিযুক্ত সিরাজউদ্দৌলাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক যা দেখে অন্যায়কারীরা ভয় পাবে।
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করার সময় আমি অনেক নির্যাতিত মেয়ের জবানবন্দি নিয়েছি, তাদের কষ্টের কথা শুনেছি। আসলে মেয়েরা অন্য মেয়েদের শরীর ও মনের কষ্ট এবং মনের অনুভূতিগুলোকে যেভাবে বোঝে, পুরুষরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা সেভাবে বোঝে না। যেসব নির্যাতিত মেয়ের জবানবন্দি নিয়েছি তার মধ্যে সব ঘটনা যে সত্যি ছিল তা নয়; তবে বেশিরভাগই সত্যি ছিল।
কিন্তু বিচার পেয়েছে খুবই কমজন। ভিকটিমের পক্ষে সব সাক্ষ্য-প্রমাণ সুস্পষ্টভাবে থাকার এবং অভিযুক্তদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পরও কিভাবে বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে গুমরিয়ে কেঁদেছে, সে বিষয়ে একটি ঘটনা সম্পর্কে এখানে তুলে ধরব।
একটি ঘটনা ১৯৯৫ সালের। আমি তখন বড় একটি জেলায় কর্মরত ছিলাম। সম্ভবত আগস্ট মাসের এক সন্ধ্যারাতে এক গ্রামের গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিল। ৬/৭ জন নরপিশাচ তাদের পথরোধ করে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বধূটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনাস্থলেই পুলিশ তিনজনকে আটক করে। এ তিনজনের একজন ছিল একটি বাহিনীর সদস্য, তাকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়।
পরদিন ভিকটিম ও হাতেনাতে আটক দু’জন অভিযুক্তকে আদালতে আনা হলে নারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমি ভিকটিমের আর একই সময়ে দু’জন পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক পৃথক কক্ষে অভিযুক্ত দু’জনের দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করি। একই সময়ে পৃথক পৃথক কক্ষে লিপিবদ্ধকৃত তিনজনের বক্তব্য হুবহু এক ছিল।

 

হাটহাজারীতে দুই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ইউএনও
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হাটহাজারীতে সোমবার দুইটি বিয়ের খবর পেয়ে কনেদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে ১০ম শ্রেণী পড়–য়া দুই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকালেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমীন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে একটি এবং অপরটি দুপুর সাড়ে ১২টায় মেখল ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়। ইউএনও রুহুল আমীন এ প্রতিবেদককে জানান, দুই মেয়ের বাবা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে ১৮ বছর বয়স হলে বিয়ে দেবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
এদিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের দুর্গম বড়বিল গ্রামে বাল্যবিয়ের আসরে পুলিশ আসায় বর ও কাজী পালিয়ে গেছে।
গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক ছাত্রীকে বড়বিল গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি চলছি। পরে সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বরের মাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে ছেলের বউ না করার মুচলেকা নেয়া হয়।


হোমনায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হোমনায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নাজমা আক্তারের লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নাজমা আক্তার উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ও তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি গ্রামের আ. সালামের মেয়ে। জানা যায়, উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের সঙ্গে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়।
নিহতের বাবা আ. সালাম জানান, বিয়ের সময় কোনো যৌতুক দেয়ার কথাছিল না। তবে কয়েকদিন ধরে আমার মেয়েকে তার স্বামী নির্যাতন করে আসছিল। গত রাতে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।


নারী নিপীড়ন ও নির্যাতনবিরোধী কমিটি গঠন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী নিপীড়ন এবং যৌন নির্যাতনবিরোধী অভিযোগ কমিটি’ গঠন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী নিপীড়ন এবং যৌন নির্যাতনবিরোধী অভিযোগ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন গবেষণা অনুবিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন রিজিওনাল অর্গানাইজেশন অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা রহমান সুমনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশের যেকোনো দূতাবাসের যেকোনো নারী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা নিগৃহীত এবং বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত যেকোনো বাংলাদেশি নারী এ কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অফিস সময়ে বা ই-মেইলে যেকোনো সময় অভিযোগ পাঠানো যাবে।

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

 বরিশালে পুলিশ কনস্টেবলসহ দু’জনের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালে মাদক মামলায় ট্যুরিস্ট পুলিশের এক সদস্যসহ দু’জনকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দু’জনকে ৩ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে পুলিশ সদস্যকে এক মাস ও অপরজনকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রোববার বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডিতরা হলেন- পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কর্মরত ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. মকবুল হোসেন ও অপরজন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের আবদুর রব হাওলাদারের ছেলে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেন হাওলাদার।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা হিরন বাজার এলাকা থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মকবুল ও তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী মনিরকে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন বাকেরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মো. মমিন উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাজার রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

 

বরিশালে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ষণের অভিযোগে আরআরএফ পুলিশ সদস্য শামিম হোসেন সাগরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার জেলা জজ আবু শামীম আজাদ বিচারাধীন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। আদালত সূত্র জানায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে আরআরএফের পুলিশ কনস্টেবল শামিম হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা। অভিযোগে ধর্ষিতা আদালতে বলেন, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ কনস্টেবল পদে ভর্তি হতে গেলে শামিমের সাথে তার পরিচয় হয়। শামিম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে একই সালের ৩০ এপ্রিল তাকে নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সামনে আবাসিক হোটেল মিডসিটিতে যায়। ছদ্মনাম দিয়ে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। ট্রেনিং শেষে বিয়ে করার অঙ্গীকার করে চলে যায়। ট্রেনিং শেষে চাকরি নিয়ে শামিম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। খোঁজ নিয়ে তাকে পেয়ে বিয়ের দাবি জানালে অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে গত বছর ১২ এপ্রিল অভিযুক্তর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নালিশ দিলে তারা তদন্তে সত্যতা পেয়ে শামিমকে শাস্তি দিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেয়। থানায় মামলা করতে যায়। থানা পুলিশ মামলা না নিলে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আহমেদ তদন্তে সত্যতা পেয়ে সাগরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযুক্ত সাগর উচ্চাদালতে হাজির হয়ে দুই সপ্তাহের জন্য জামিন পায়। ২১ মে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ওই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

টাঙ্গাইলে নারী পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে তার লাশ পুলিশ লাইনের নারী কনস্টেবল ব্যারাক থেকে উদ্ধার করা হয়। ফাঁসি নেয়া ওই পুলিশ সদস্যের নাম শারমিন আক্তার। তিনি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলায়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম শারমিনের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, শারমিন অফিসে না আসায় গোয়েন্দা পুলিশ অফিস থেকে তাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে পুলিশ ব্যারাকে অন্য এক নারী কনস্টেবলকে ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়। তিনি শারমিনের রুমের সামনে গিয়ে দরজা বন্ধ এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শারমিনকে দেখতে পান। তার লাশ উদ্ধার করার পর একজন নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

 

পুলিশের ডিআইজি ও এসপিসহ ৮ কর্মকর্তা বদলি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০ মে ২০১৯ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে ডিআইজি মো. আবদুল্লাহেল বাকীকে রাজশাহীর পুলিশ একাডেমি সারদায়, বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমানকে র‌্যাব সদর দফতরের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান এবং ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হায়দার আলী খানকে পুলিশ সদর দফতরে বদলি করা হয়েছে।

 

 

রংপুরে ইয়াবাসহ পুলিশের এসআই গ্রেফতার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রংপুরের পীরগাছা থেকে ইয়াবাসহ পুলিশের এক এসআই ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জাগো নিউজ
পীরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিমুদ্দিন জানান, ইয়াবার বড় চালান হাতবদল হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অন্নদানগরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই ইজ্জত আলী ও স্থানীয় পাঁচ যুবককে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
ইজ্জত আলী অন্নদানগর ইউনিয়নের পঞ্চানন গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারকৃত অপর পাঁচজন হলেন- মামুন মিয়া, আরিফ হোসেন, জিয়াউর রহমান, পিয়াল ও পিংকু। তারা সবাই পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা। এদিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও ইয়াবার পরিমাণ নিয়ে তথ্য দিতে অপারগতা দেখিয়েছেন থানার ওসি রেজাউল করিম। তবে থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়েছে।


কারাগারে বন্দিদের ডাটা বেইস তৈরি বন্ধ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে কারাগারে বন্দিদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য তিন বছর আগে যে ডাটা বেইস তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল তা নভেম্বর থেকে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও কারা কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ কাজ শুরু করেছিল। তবে কয়েকটি কারাগারে এখনো সেই কার্যক্রম চালু আছে। শুরুর পর থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত চার লাখ ৩৫ হাজার বন্দির তথ্য ডাটা বেইসে সংরক্ষণ করা গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
দেশে একের পর এক ব্লগার হত্যাকাণ্ড চলার পর জঙ্গিসহ সব অপরাধীর তথ্য রাখার জন্য শুরু হয় ওই ডাটা বেইস তৈরির কাজ। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ‘র‌্যাব-প্রিজন ইনমেইট ডাটা বেইস’ নামে এই ডাটা বেইস তৈরির কাজ শুরু করা হয়। র‌্যাব সূত্র জানায়, শুরুতে দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৪৫টি কারাগারে বন্দিদের ডাটা বেইস তৈরি শুরু হয়। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত চার লাখ ৩৫ হাজার বন্দির তথ্য রাখা হয় ডাটা বেইসে।


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


পেটের গ্যাস কমাবে যে খাবার

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গ্যাসের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই ভাল জানেন কতটা অস্বিস্তিকর। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া।
যেকোনো মানুষের বাসায় গেলেই আর যাই হোক গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
জেনে নেওয়া যাক:
শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
কলা ও কমলা: কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
আদা: আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
ঠাণ্ডা দুধ: পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
জিরা: জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ: ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এলাচ: লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
পুদিনা পাতার পানি: এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
মৌরির পানি: মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন: সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।


যে ৬টি খাবার হাড়ের জন্য খুব উপকারী


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আমাদের দেহে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার। এছাড়া আরও অনেক ধরনের উপাদানই আমাদের দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম।
কেননা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সেটি হল দেহের হাড় মজবুত করে থাকে। আসুন এমনই কিছু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জেনে নিই যেগুলো আমাদের দেহের হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
১. দুধ:
দুধ সর্বোৎকৃষ্ট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই না এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও একটি প্রয়োজনীয় খাবার। এটি এমনই একটি খাবার যা দেহে খুব সহজেই জারিত এবং শোষিত হয়ে থাকে যার ফলে শারীরিক বৃদ্ধি এবং হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
২. দই:
এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে কিছু স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এতে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করে থাকে।
৩. মটরশুটি:
মটরশুটিতেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুল হাড় মজবুত করে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য আপনি বিভিন্ন জাতের মটরশুটি খেতে পারেন।
৪. সবুজ শাক সবজি:
বিভিন্ন প্রকারের সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যেমন ধরুন বিভিন্ন শাক, শালগম, বাধাকপি, লেটুস পাতা, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুলো হাড় গঠনে সহায়তা করে
৫. বিভিন্ন ঔষধি এবং মসলা:
বিভিন্ন ধরনের ঔষধি অর্থাৎ তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, দারুচিনি এবং মসলা জাতীয় খাবার যেমন রসুন ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন হাড় মজবুত করে থাকে।
৬. কমলা :
সাইট্রাস জাতীয় ফল কমলাতে শুধু ক্যালসিয়ামই নয় ভিটামিন ডি আছে যেগুলো শরীরের হাড় মজবুত করে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময়ে এক গ্লাস কমলার জুস খেতে পারেন এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে এবং হাড় মজবুত করবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।


নাক ডাকার সমস্যা চিরতরে দূর করবে ২টি জাদুকরী পানীয়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে?
নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা। এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটির ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা নয় মোটেই। সমস্যাটি কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।
গাজর-আপেলের জুস
শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকর।
- ২ টি আপেল ছোট ছোট খণ্ডে কেটে নিন এবং ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
- এবার ২ টি গাজর কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
- এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
- কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন।
- এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা দূরে পালাবে।
হলুদের চা
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটিও বেশ কার্যকর নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে।
- ২ কাপ পরিমাণ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
- এতে ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এবার আবার জ্বাল করতে থাকুন।
- যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে চলে আসবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন।
- এবার ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পান করে নেবেন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।


কোমল পানীয় খেয়ে অজান্তেই করছেন নিজের সর্বনাশ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। এ সময় কোমল পানীয় খাওয়ার চাহিদা বাড়ে। বাইরে বেরোলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোমল পানীয় প্রচুর খাওয়া হয়। তবে কোমল পানীয় খেয়ে হয়ত সামান্য সময়ের জন্য স্বস্তি পাচ্ছেন। তবে ডেকে আনছেন ভয়াবহ শরীরিক ক্ষতি। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। কোমল পানীয় ছোট-বড় সবার জন্য ক্ষতিকর। শিশুদের এই ঠাণ্ডা পানীয় থেকে দূরে রাখাটাই ভালো।
চিনি দিয়ে বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এসব খাবারের কারণে হৃদরোগ এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
হার্ভাড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। গত ৩০ বছর ধরে চালানো গবেষণাটির ফলাফল গতমাসে প্রকাশিত হয়। সারা বিশ্বের ৩৭ হাজার পুরুষ এবং ৮০ হাজার নারীর ওপর ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে দেখা গেছে, চিনি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয় পানের কারণে অন্য কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গবেষণা বলছে, ওই জাতীয় পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, তাদের মৃত্যু ঝুঁকিও ততই বেড়ে যাবে।
গবেষক ও প্রধান লেখক ভাসান্তি মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা মাসে একবার এরকম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে, তাদের তুলনায় যারা চারবার পর্যন্ত পান করে, তাদের আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি ১ শতাংশ বেড়ে গেছে।
যারা সপ্তাতে দুই থেকে ছয়বার পান করে, তাদের বেড়েছে ৬ শতাংশ, আর যারা প্রতিদিন এক থেকে দুইবার চিনির পানীয় পান করে তাদের বেড়েছে ১৪ শতাংশ। প্রতিদিন যারা দুইবারের বেশি এ ধরনের চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে তাদের আগাম মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়েছে ২১ শতাংশ।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় খেয়েছেন, তাদের আগাম হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এটা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক এই কারণে যে, সারা বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের প্রবণতা বাড়ছে।
আসুন জেনে নেই কোমল পানীয় খেয়ে যেভাবে অজান্তেই করছেন নিজের সর্বনাশ।
১.কমল পানীয় হৃদরোগ ও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২. কমল পানীয় নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত চা বা কফির মতোই কোমল পানীয় গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৩. কোমল পানীয়তে থাকা কার্বনমনোঅক্সাইড শরীরের বিভিন্ন কোষগুলিতে প্রবেশ করে ফলে অনেকটাই গর্ভধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৪. কোমল পানীয় সুস্বাদু করে তোলার জন্য এক ধরণের মিষ্টি জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের শরীরে থাকা স্বাভাবিক প্রজননের গুণগুলিকেও নষ্ট করে দিতে পারে।
৫. ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হওয়া মানে শুধু দেখতে খারাপ বা শারীরিক অস্বস্তিকর ব্যাপারই নয়, এটি নানাবিধ শারীরিক সমস্যাও তৈরি করে। মোটা হওয়ার সঙ্গে কোমল পানীয় বা সফট ড্রিংকসের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে।


ক্যান্সার রোগীর জন্য আদা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা এ পর্যন্ত শুনেছি আদার অনেক গুণের কথা। আদার উপকারিতার ফিরিস্তি খুব ছোট হবে না। আদা, রসুন, পেঁয়াজ এ তিনটি শেকড় জাতীয় ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ মাটির নিচে উৎপন্ন হয়। শুধু এসবের পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে সূর্যরশ্মি থেকে খাদ্য গ্রহণের জন্য। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএম) চিকিৎসকরা বলেছেন, আদা খেলে ক্যান্সার রোগীর বিবমিষা বা বমির উদ্রেক বহুলাংশে হ্রাস পাবে। আদাকে শুকিয়ে তা পাউডারের মতো করে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্সার রোগীকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বমির উদ্রেক হয়। আদার গুঁড়ো চা বা অন্য কোনো খাবারে অথবা সরাসরি প্রতিদিন পরিমিত খেলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে প্রায় নব্বই ভাগ মুক্ত হওয়া সম্ভব। আদার গুঁড়ো থেকে ইতিমধ্যে ক্যাপসুল তৈরি হয়েছে। যেসব রোগীর শরীরের ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি তাদের ১৬৭ মিলিগ্রাম এবং ৪০ থেকে ৬০ কেজির জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সেবন করতে দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে রোগীকে অন্তত ৬টি ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
এআইআইএমএস ২০০৯ সাল থেকে রোগী বা তাদের আত্মীয়পরিজনদের না জানিয়ে এ ওষুধটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ৮ থেকে ২১ বছর বয়সী ৬০ জন রোগীর ওপর নিয়মিত পরীক্ষা চালাতে থাকে। অবশেষে এ বছর এর উপকারিতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন ইনস্টিটিউটের ভারতীয় চিকিৎসকরা। তারা বলেন, আদার ভেষজ গুণাবলীর ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই এ ওষুধ ব্যবহারের জন্য রোগীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ক্যাপসুলের নামকরণ কী করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। কিংবা ভারতের বাইরে অন্য কোনো দেশে অবাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে কি-না তাও বলা হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, বমির উদ্রেক শতভাগ ভালো হবে না। তা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখবে মাত্র। এই আদা থেকে তৈরি ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শতভাগ নিরাপদ। যেকোনো বয়সের শিশুরাও তা গ্রহণ করতে পারবে।


ঢেঁকিছাটা চালের পুষ্টিগুণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পালিশ করা সরু চালের ভাত সকলেরই পছন্দ এবং এই ভাত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে- শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা পৃিথিবীজুড়ে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং এই ধরনের পালিশ করা সাদা চাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাদামি, মোটা চালের ভাত তাদের পক্ষে উপকারি বলে জানা গছে। পালিশ করা সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালে আছে উচ্চমাত্রার তন্ত, কেলসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন-বি। আবার অঙ্কুরিত বাদামি চাল আরও ভালো। কারণ অঙ্কুরোদগম নিষ্ক্রিয় এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে অঙ্কুরিত বাদামি চালের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। অতএব পুরোনো দিনের লাল মোটা চালের ভাত খাওয়ার দিন এগিয়ে আনতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

ত্যাজ্যপুত্র কি আসলেই ত্যাজ্য্ড্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধনাঢ্য ঘরের একমাত্র সন্তান শাকিল (ছদ্মনাম) পরিবারের অমতে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অপেক্ষাকৃত নিচু ঘরের সন্তান লিলিকে (ছদ্মনাম)। শাকিলের বাবার একান্ত ইচ্ছা ছিল, ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দেবেন তাঁর দীর্ঘ দিনের এক বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু শাকিল যখন সবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলেন, তখন তাঁর বাবা এতে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে তাঁর সব সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ঘোষণা দেন। আমাদের দেশে এ রকম ঘটনার কথা অহরহ শোনা যায়। সাধারণত সন্তানেরা বাবা-মায়ের অবাধ্য হলে বা তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের মতো করে কোনো কাজ করলে কিংবা কোনো কারণে বখে গেলে তাকে পরিবারের মতে চলার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু কোনো কিছুতেই যখন তাকে বশে আনা যায় না, তখন বাবা-মায়েরা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে শাস্তিস্বরূপ তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেন এবং অনেক সময় ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণাও করেন।
ত্যাজ্যপুত্র যদিও একটি প্রচলিত বিষয়, কিন্তু এ বিষয়ে অস্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা এই যে যদি কোনো বাবা-মা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন, তবে ওই সন্তান চিরতরে তার বাবা-মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। অনেক সময় দেখা যায়, পিতা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন এবং হলফনামার মাধ্যমে স্বীকৃতি দেন যে তাঁর মৃত্যুর পর ওই সন্তান সম্পত্তির কোনো অংশীদার হবে না। এ ধরনের ঘোষণার আদৌ কোনো আইনি ভিত্তি আছে কি না, তা অনেকের কাছেই অজানা। এই অজ্ঞতার কারণেই সমাজে বিষয়টি সম্পর্কে নানা ধরনের অঘটন ঘটছে।
কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো, ত্যাজ্যপুত্র সম্পর্কে মুসলিম আইনে কোনো বিধান নেই এবং এটি একটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।
মুসলিম পারিবারিক আইনে উত্তরাধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবে এবং তাদের অংশ কতটুকু হবে।
মুসলিম আইন অনুযায়ী, জন্মসূত্রেই কোনো সন্তান তার পরিবারের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার অর্জন করে এবং তাদের এই অধিকার কোনোভাবেই খর্বযোগ্য নয়। আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নানাভাবেই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। যেমন দান, উইল, বিক্রয় ইত্যাদি। তবে মুসলিম আইনে উইলের দ্বারা এবং উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তা কার্যকর হবে। উইলের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পত্তি দেওয়া যাবে না। জীবৎকালে যদি কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয় দান বা বিক্রির মাধ্যমে, তবে ওই সম্পত্তিতে ওই ব্যক্তির মালিকানার বিলুপ্তি ঘটে এবং তার মৃত্যুর পর হস্তান্তর করা সম্পত্তি বাদে রেখে যাওয়া বাকি সম্পত্তিতে ওই ব্যক্তির উত্তরাধিকারদের মালিকানা সৃষ্টি হয় এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী তাদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টিত হবে। কিন্তু মুসলিম আইনে এমন কোনো বিধান রাখা হয়নি, যার দ্বারা ঘোষণার মাধ্যমে বাবা-মা তাঁদের সম্পত্তি থেকে সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন। যেহেতু সুস্পষ্টভাবে অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তাই সম্পত্তি কীভাবে এবং কাদের মধ্যে বণ্টিত হবে, সে বিষয়ে মতামত দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। উত্তরাধিকার আইনে যে কয়জন অংশীদারকে কোনো অবস্থায় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যায় না, তাদের মধ্যে ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তবে কেউ যদি রেজিস্ট্রিকৃতভাবে পুরো সম্পত্তি দান বা হস্তান্তর করে যায় এবং সন্তানকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে তার কোনো অংশের কথা উল্লেখ না করে যায়, তবে ওই সম্পত্তিতে তার সন্তানদের কোনো অংশ থাকবে না। অনেকে দলিল সম্পাদন কিংবা হলফনামার মাধ্যমে ত্যাজ্য করার ঘোষণা দেন। কিন্তু যেভাবেই করা হোক, এ ধরনের ইচ্ছা বা আদেশের কোনো মূল্য নেই। কেননা, মুসলিম আইনে এ ধরনের দলিল বা হলফনামা সম্পাদনের কোনো ধারাই রাখা হয়নি।
এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক তসলিমা মুনসুর বলেন, ‘ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে ত্যাজ্যপুত্র বিষয়টি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। যেহেতু বিষয়টির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই, তাই হলফনামার মাধ্যমে করা হলেও তা আদালতে কার্যকর করার কোনো সুযোগ নেই।’ সাধারণত দেখা যায়, বাবা যদি কোনো সন্তানকে ত্যাজ্য করেন তবে তাঁর মৃত্যুর পর অন্যান্য উত্তরাধিকার সেই সন্তানকে সম্পত্তির অংশ দিতে চান না। সমাজপতিরাও আইন সম্পর্কে অজ্ঞ হওয়ার কারণে এ বিষয়ে ভুল সিদ্ধান্ত দেন এবং কোনো সুরাহা করতে পারেন না। তাই কেউ যদি এমন অবস্থার শিকার হন এবং ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে না পারেন, তবে তিনি আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। ত্যাজ্যপুত্র একটি ভুল ও ভ্রান্ত বিষয় এবং এটি কোনোভাবেই আইনে স্বীকৃত নয়। মুসলিম আইন উত্তরাধিকার স্বত্বের অধিকারকে চিরন্তন সত্য হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে।
 

মাদকের মামলায় একজনকে ১৪ বছরের জেল


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
নওগাঁয় মাদকের মামলায় মো. আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি জামিনে গিয়ে বর্তমানে পলাতক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার আরও দুই আসামি মোশাররফ হোসেন (৩৫) ও মো. সোহেলকে (২৮) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৯ মে নওগাঁ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দর জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চৌপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশ সদস্যরা চৌপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে আসামি আলাউদ্দিন, মোশাররফ হোসেন ও সোহেল পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আলাউদ্দিনের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই নিরঞ্জন কুমার বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ১৯(১) ধারায় মামলা করেন। আজ মামলার রায় হলো।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী শামসুর রহমান। আসামি আলাউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এসএম আব্দুর রহমান, মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সোমেন্দ কুমার কুণ্ড এবং আসামি সোহেলের পক্ষে মোফাজ্জল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.