BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover November 2016

English Part November 2016

 

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশকারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

পানি ব্যবস্থাপনায় সার্বজনীন বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান শেখ হাসিনার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পানি ব্যবস্থাপনায় সার্বজনীন বৈশ্বিক উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি দুষ্প্রাপ্য উৎস অন্তর্ভুক্ত করে ৭ দফা এজেন্ডা উত্থাপন করে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে তাদের দেশের পলিসিতে পানি সম্পর্কিত বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আজ এখানে বুদাপেস্টে পানি সম্মেলন ২০১৬’র উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণকালে বলেন, আমাদের পানি ব্যবস্থাপনায় এখনই একত্রে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা আন্তঃসীমান্ত পানি বণ্টনে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির সুব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। এ প্রসঙ্গে তিনি ভাটির ব-দ্বীপ অঞ্চলীয় দেশের চিরায়ত জীবনযাত্রার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দুষ্প্রাপ্যতা সবসময় পানি সংকটের প্রধান কারণ নয়। বরং এ সমস্যা ন্যায্য বণ্টনের সঙ্গেও সম্পর্কিত। আন্তঃসীমান্ত প্রবাহের বণ্টন একটি জটিল বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ২৩০টি নদী বিধৌত দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ দফা এজেন্ডা উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণা ও জীবনযাত্রার প্রধান অংশ জুড়ে আছে পানি।

 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
নভেম্বর’২০১৬ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২৬০ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে নভেম্বর ২০১৬ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২৬০টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অক্টোবর মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৮.৬ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদপে গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২৬০ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ১৩ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩৩ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৬১ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৬ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৯ জন, গুপ্ত হত্যা ৯ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৯৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৪ জন, এসিড নিক্ষেপে হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৩৩ জন, আত্মহত্যা ২৮ জন।
নভেম্বর ২০১৬ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৪৯ জন, যৌন নির্যাতন ১১ জন, যৌতুক নির্যাতন ১৫ জন এবং এসিড নিত্শেপের শিকার ৭ জন।
 

 

 রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখার মানববন্ধনে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে গত ২৯ নভেম্বর ২০১৬ কুমিল্লা টাউন হলের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্বিচারে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও আঞ্চলিক সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহনের সভাপতিত্বে জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পিটারের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর মানবাধিকারের সভাপতি তরিকুল ইসলাম লিটন, কুমিল্লা জেলা মানবাধিকারের উপদেষ্টা আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির মুন্শী, সহ-সভাপতি ডা. শাখাওয়াত উল্যাহ, এস এম গোলাম বায়েজিদ, বশির আহমেদ, সদর দণি মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি রোটা. ডা. জয়নাল আবেদীন জয়, কুমিল্লা জেলা শাখার আš-র্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী মাহতাব, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোতাহের ভূইয়া সবুজ, মোঃ ইউসুফ, শাহীন আহমেদ, মফিজুল ইসলাম, হাসনাত আহমেদ, মোঃ ওয়াজ করণী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গুলজার আহমেদসহ কমিশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দরা মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন বন্ধের জোর দাবী জানান এবং সরকারের কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দেওয়ার উদাত্ত আহবান করেন।

 

 বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারা যেকোনো দেশে আইনের শাসন বা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সত্য উপলব্ধি করেই আজ থেকে ৯ বছর আগে নির্বাহী বিভাগ থেকে দেশের বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতা থাকায় ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাবে বিচার বিভাগের সেই স্বাধীনতা বাস্তবে ধরা দিচ্ছে না বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বিচার বিভাগ পৃথক্করণের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া প্রধান বিচারপতির বাণীতেও উঠে এসেছে একই আক্ষেপের সুর। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগে এখনো দ্বৈতশাসন চলছে। ফলে বিচার বিভাগের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এ দেশের কোনো সচেতন নাগরিকই এমনটি চান না, চাইতে পারেন না।
বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন, বিচার বিলম্বিত হওয়া, বিচার না পাওয়ারই শামিল। অথচ বাংলাদেশে মামলার জট বাড়তে বাড়তে পাহাড় সমান হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ১৫ লাখের মতো, বর্তমানে তা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় অনেক বিচারপ্রার্থী তাঁদের জীবদ্দশায় সুবিচার পাবেন কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এই মামলাজটের অন্যতম কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা। বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি কোনো ক্ষেত্রেই বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে বিচার বিভাগ পৃথক্করণেরও কোনো সুফল মিলছে না। প্রধান বিচারপতি তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেছেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বলা হয়েছে ভিন্ন কথা। ফলে এক ধরনের দ্বৈতশাসনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিচারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে, মামলাজট বাড়ছে এবং বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটির পুনঃপ্রবর্তন হওয়া এখন সময়ের দাবি। তবে আইনমন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য স্ববিরোধী। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বর্তমান সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
বাহাত্তরের সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের ও বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত থাকবে। পরবর্তীকালে এটি সংশোধন করে বলা হয়েছে, এই নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে। এই সংশোধনের সুযোগ নিয়ে বর্তমানে এই দায়িত্ব পালন করে নির্বাহী বিভাগ বা আইন মন্ত্রণালয়। এতে বিচার বিভাগে প্রকৃত অর্থেই দ্বৈতশাসন চলছে। বিচার বিভাগের কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়নও থমকে আছে।
বিচার বিভাগে দ্বৈতশাসন রেখে কিংবা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। আমরা কথায় কথায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। কিন্তু বিচার বিভাগের হাত-পা বেঁধে দিয়ে তা তৈরি করা যাবে না। আমরা আশা করি, দ্বৈতশাসন দূর করে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দেবে।

 

বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে BHRC লন্ডন মহিলা শাখার অনুষ্ঠান

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC লন্ডন মহিলা শাখার উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর ২০১৬ লন্ডনে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে মানবাধিকার কর্মীদের এক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। BHRC লন্ডন মহিলা শাখার সভাপতি মিস জেনিফার সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন লন্ডন মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজিয়া সুলতানা øিগ্ধা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে BHRC ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর এ্যাম্বাসেডর এম. শহীদুর রহমান, যুক্তরাজ্যের গভর্নর আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ইইউ কো-অর্ডিনেটর তারাউল ইসলাম, BHRC লন্ডন সিটি গভর্নর মাসুদুল ইসলাম রুহুলসহ মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
 

নামজারি বা মিউটেশন ব্যতিরেকে জমি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর বেআইনী্

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জমি ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে ২০০৪ এবং ২০০৬ইং সালের ভূমি হস্তান্তর আইনের আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। উক্ত আইন মোতাবেক নামজারি বা মিউটেশন ব্যতিরেকে জমি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জমির বিক্রেতা জমি বিক্রি করতে হলে অবশ্যই তার নামে জমির মালিকানাসত্ব তথা নামজারি বা মিউটেশন সম্পন্ন করে বিক্রির কথা বলা হয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের কিছু কিছু সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস কতপয় অসৎ দলিল লেখেকের যোগসাজশে ভুয়া নামজারি/মিউটেশনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করে যাচ্ছে, যা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ভুয়া বা জাল মিউটেশনের মাধ্যমে জমি বিক্রিয় বা জেনে শুনে ক্রয় করা দন্ডনীয় অপরাধ। ২০০৪ এবং ২০০৬ইং সালের ভূমি হস্তান্তর আইনে ওয়ারিশগণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা কেবলমাত্র নামজারি বা মিউটেশনের মাধ্যমে সম্ভব।

 


সাঁওতাল পল্লী অধিবাসীদের মানবাধিকার কমিশনের

আইনগত ও আর্থিক সহায়তা

 

মানবাধিকার রিপোর্ট’

গত ৬ নভেম্বর ২০১৬ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, নির্বিচারে নির্যাতন, সাঁওতালদের বাড়িঘর লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC নির্যাতিত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকদের বিনামূল্যে আইনগত সাহায্য প্রদান অব্যাহত রেখেছে। BHRC’র গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট সেকান্দার আযম আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক আনিস মোস্তফা তোতন এর নেতৃত্বে একদল আইনজীবী সাঁওতালদের পক্ষে কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গ্রেফতারকৃত ৩ জন সাঁওতালের মধ্যে বিমল কিসকু (পায়ে গুরুতর আহত) এবং চরম শরেন (বুকে আঘাতপ্রাপ্ত) দুইজনের জামিন আদালত ১৭ নভেম্বর ২০১৬ প্রদান করে এবং ১৮ নভেম্বর ২০১৬ তারা মুক্তিলাভ করেন। আরও একজন সাঁওতাল সদস্য কারাগারের অভ্যন্তরে রয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী এড. জিয়াউল হাসান জিয়ার নেতৃত্বে সাঁওতাল পল্লী অধিবাসীদের মধ্যে ৪০০ গরম কাপড় ও শীত বস্ত্র বিতরণ করে। উল্লেখ করা যাচ্ছে যে, ৬ নভেম্বর ঘটনার পরবর্তী প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০-৫০ জনকে আসামী করে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অধিগ্রহণকৃত সকল জমিজমা অবিলম্বে ফেরত প্রদান, নিহত সাঁওতালদের পরিবার বর্গের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহত সাঁওতালদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণসহ ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের বাড়িঘর তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।

 

বাংলাদেশের প্রশংসায় মোদি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বিশ্বের সেরা পদ্ধতি হিসেবে’ বাংলাদেশের কমিউনিটিভিত্তিক সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।
এখানে বিজ্ঞান ভবনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক এশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বৃহৎ কমিউনিটিভিত্তিক সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম চালু করেছে। এটি সাইক্লোনে প্রাণহানি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি এখন বিশ্বের সেরা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, কর্মকর্তা এবং পরিবেশবাদীরা তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
মায়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আগাম সতর্কতা প্রদান ব্যবস্থার দক্ষতা রয়েছে এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে একটি আদর্শ মডেল স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাইক্লোন ও বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের রক্ষায় ৩৮৫১টি সাইক্লোন এবং ১৪২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
সাইক্লোন ঝুঁকি মোকাবেলায় দেশে ৫৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং শহরাঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ৩২ হাজারেরও বেশি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।
 

 ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চলের সমন্বয় সভা ৪ নভেম্বর ২০১৬ ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুল। সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ।
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর অধীভুক্ত BHRC বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মারুফ হোসেন, উত্তরা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ইকরাম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী ভূইয়া, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া, বনানী থানা শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সবুজ, রামপুরা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমএ নায়েম তালুকদার, তুরাগ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এএসএম আল সনেট, বাড্ডা থানা সাধারণ সম্পাদক, মোঃ সালাহউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনছুর রহমান সরকার, উত্তরখান থানা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান, উত্তরা পূর্ব থানা শাখার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিমানবন্দর থানা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল করিম, বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদারসহ বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিগণ যোগ দেন।
 

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রকে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাই সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশসহ সমমনা সব দেশকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
২৮ নভেম্বর ২০১৬ ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ডিকাব টক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের ওপর প্রভাব নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত সপ্তাহে ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছিলেন। ওই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছিলেন।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অভিযানের পর সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই সেখানে কী ঘটছে, তা আমরা জানি না। এ কারণে সেখানকার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও আনুষ্ঠানিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জানতে চাইলে মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশনটি একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও দল নিরপেক্ষ হবে; যা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে।’
ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।

 


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অঞ্চলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অঞ্চলের সমন্বয় সভা ৫ নভেম্বর ২০১৬ BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অধীভুক্ত BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ, সাধারন সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ নায়েম তালুকদার, মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, ঢাকা জজ কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, চকবাজার থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম হামিদ, রমনা থানা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শামীম শেখ, ওয়ারী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিলন, কামরাঙ্গীরচর থানা শাখার প্রচার সম্পাদক হাজী মোঃ জামাল উদ্দিন, খিলগাঁও থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক জোøা আক্তার বেবী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিগণ যোগ দেন।
 

রোহিঙ্গাদের হত্যা রোধে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসতে ইঐজঈ’র আহ্বান

রোহিঙ্গাদের গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমারের সরকারী বাহিনী এবং বৌদ্ধ নেতাদের গণহত্যা ও নির্মম নির্যাতন সর্বকালের সকল নির্যাতনের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের হত্যা ও নির্যাতনের লীলাখেলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসী বাহিনী কর্তৃক মানুষ হত্যার বর্ণনাকেও পিছিয়ে ফেলেছে। মায়ানমার ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি সরকারের আমলে এ ধরনের হত্যালীলা নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি বাছাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশ্ব সমাজকে মায়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তাই তাদেরকে হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়টি পশ্চিমা রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে আসছে না বলে BHRC মনে করছে। হাজার হাজার মুসলিম হত্যা করলে কোন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না, আর অন্য ধর্মের একজন মানুষের উপর নির্যাতন হলেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের আওয়াজ তোলেন পশ্চিমা দেশগুলো। এ ধরনের মানবাধিকার শ্লোগান বিশ্ব সমাজকে তামাশায় পরিণত করছে।
রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়টি রোধকল্পে জাতিসংঘের জরুরী বৈঠকসহ প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন সেনা মায়ানমারে প্রেরণ করার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈজাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
 


পাঁচ বছরের ভিসা দেবে ভারত, বাতিল হচ্ছে ই-টোকেন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতীয় হাইকমিশনার বলছেন, ভিসা জটিলতার অবসান হবে শিগগিরই। তিনি বলেন, এখন কোনো ব্যক্তি শুধু একা নয়, গোটা পরিবার নিয়ে যেকোনো কাজের জন্য ভারতে যেতে পারবে।
যারা নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করেন তাদের জন্য সুখবর দিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির দূত হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা।
তিনি জানিয়ছেন, স্বল্প মেয়াদী ভিসার বদলে পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা দেয়ার চিন্তা করছে তার দেশ। এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শনিবার মাদারীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কেবল দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা নয়, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি যেনো কম হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করবে তার দেশ। শিগগিরই বাতিল করা হবে ভোগান্তির ই-টোকেন পদ্ধতি। প্রতিবছর ভারতে যত দেশ থেকে মানুষ ঘুরতে যায় সংখ্যার বিচারে তারমধ্যে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভ্রমণপ্রত্যাশী ভিসা সংগ্রহ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়। নানা সময় নানা চেষ্টা করেও এই ভোগান্তি কমানো যাচ্ছে না। তবে হাইকমিশনার বলছেন, ভিসা জটিলতার অবসান হবে শিগগিরই। তিনি বলেন, এখন কোনো ব্যক্তি শুধু একা নয়, গোটা পরিবার নিয়ে যেকোনো কাজের জন্য ভারতে যেতে পারবে। এজন্য এক বছর মেয়াদী নয়, এখন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসার দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা। তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্প ভারত-বাংলাদেশের একটি যৌথ উদ্যোগ। এটি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
 


 

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির সন্ধানে

BHRC সিলেট জেলা ও মহানগরের আলোচনা সভা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর হামলা ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। হিন্দু-মুসালমান-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সকল মানুষের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য সব ভেদাবেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং মৎস্য মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বক্তারা বলেন, এ ব্যাপারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। গত ৬ নভেম্বর নগরীর দরগাগেইটস্থ ড. আরকে ধর হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির সন্ধানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট বিভাগের গভর্ণর ও জেলা সভাপতি ড. আর কে ধরের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর রহমানের শফিকের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কমিশনের কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদার, বক্তব্য রাখেন সিলেট অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আলহাজ্ব আতাউর রহমান, সিলেট জেলার সহ সভাপতি আছাদুজ্জামান, দৈনিক সিলেট বাণীর নির্বাহী সম্পাদক এম এ হান্নান, রাজনীতিবীদ মকসুদ হোসেন মকসুদ, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রতœা আবেদীন, সাংবাদিক আমিরুল চৌধুরী এহিয়া, কমিশনের সিলেট মহানগর কাশ্যব কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুষেন্দ্র চন্দ্র নম খোকন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা সৈয়দ মোতাহির আলী, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক ফাইয়ার হোসেন ফারহাদ, শাহ মনসুর আলী নোমান, রাশেদুজ্জামান রাশেদ, তাপস কর্মকার, ডাঃ আতিউর রহমান নাদিম, ফটো সাংবাদিক জাবেদ আহমদ, ফয়সল খান, হবিগঞ্জ জেলা সহ সভাপতি অধ্যাপক ইসলাম উদ্দিন, নিরঞ্জন চন্দ সুদীপ বৈদ্য, সাংবাদিক আলী মোস্তফা সরকার, ইউসুফ সেলু, রঙ্গলাল বিশ্বাস, তরণী বিশ্বাস, দিগেন্দ্র বিশ্বাস, মনোরঞ্জন নম, প্রমুখ। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সৈয়দ মোতাহির আলী।

 

তাক লাগিয়ে ট্রাম্পের বাজিমাত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিজয় নিশ্চিত জানার পর গত ৯ নভেম্বর ২০১৬ নিউ ইয়র্কের হিলটন হোটেলে বক্তব্য দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ।
ভোটের আগের প্রায় সব জরিপ ও বিশ্লেষকদের আভাস মিথ্যা প্রমাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম সেই প্রেসিডেন্ট, যাঁর এর আগে কোনো রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই, সরকারি কোনো দপ্তর পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই।
হোয়াইট হাউসে পৌঁছার এই দৌড়ে তিনি হারিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী সাবেক ফার্স্ট লেডি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর) নিজের পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তা মেনে নিয়ে ফোন করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান হিলারি। ট্রাম্পের সাফল্য কামনা করে অভিনন্দন জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই নিউ ইয়র্কে নিজের নির্বাচনী সদর দপ্তরের মঞ্চে দেওয়া প্রথম ভাষণে ৭০ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবার প্রেসিডেন্ট হব। আমেরিকাকে সব সময় সবার শীর্ষে রাখব।’ নির্বাচনের শুরু থেকে অভিবাসী ও মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, নারীদের জন্য অবমাননাকর বক্তব্য, কর ফাঁকি ও একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণে প্রায় সব জনমত জরিপে হিলারির বহু পেছনে ছিলেন ট্রাম্প। সেই তিনিই কী করে এত বড় জয় পেলেন, তা নিয়ে অবাক বিস্ময়ে বিশ্বজুড়েই চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা।
 

 

সংজ্ঞা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি

মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়স ১৩ বছর

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ৯ শ্রেণী-পেশার মানুষকে এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তাদের বয়স কমপক্ষে ১৩ বছর হতে হবে। এসব বিষয় উল্লেখ করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নান যুগান্তরকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে তাদের অবশ্যই এই ৯ শ্রেণী-পেশার মানুষ হতে হবে। যুদ্ধকালীন তাদের বয়স অবশ্যই ১৩ বছর হতে হবে। তবে কয়েক শ্রেণীর বিষয়ে যাচাই-বাছাই হবে না। যেমন- বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলাকুশলী, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রভৃতি। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। এছাড়া যেসব বাংলাদেশী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেসব বাংলাদেশী বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। আদেশ অনুযায়ী, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা।
আদেশে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত এমএনএ (মেম্বর অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ও এমপিএরা (গণপরিষদ সদস্য) মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, দেশ ও দেশের বাইরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশী সাংবাদিক, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেয়া মেডিকেল টিমের ডাক্তার, নার্স ও সহকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।

Top

IHRC রিজিওনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC ওয়েস্ট বেঙ্গল রিজিওনাল চ্যাপ্টার কর্তৃক গত ২৭ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:৩০টায় কোলকাতা প্রেসক্লাবে এক মানবাধিকার সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ওঐজঈ ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। IHRC ওয়েস্ট বেঙ্গল রিজিওনাল চ্যাপ্টারের সভাপতি শ্রী প্রদীপ কুমার মৈতির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC রংপুর বিভাগের গভর্নর এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা, BHRC বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক দিল ফারজানা ফারুকী, BHRC উত্তর বঙ্গের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নরুন নবী বুলু, BHRC মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম ছত্তার, IHRC ওয়েস্ট বেঙ্গল রিজিওনাল চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আইনুল হোসেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বিশেষ প্রতিনিধি অরিন্দম সরকার, সুরজিৎ কর্মকার প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশসহ পশ্চিম বঙ্গ তেলেঙ্গানা, ঝারখন্ড, আসাম, বিহার, উড়িষ্যা, কর্ণাটকা এবং কেরালা রাজ্যের প্রায় দুইশতাধিক মানবাধিকার কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।

 

Top

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ শাখার উদ্যোগে গত ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ, রোজ- বুধবার বোচাগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা সমবায় সমিতি মিলনায়তনে এক মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভাটি সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ সামীম হোসেন চৌধুরী, সভাপতি- বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখা। সভায় বক্তারা মানবাধিকার রক্ষায় একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি (রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল) এ্যাড. মোঃ জাহিদ ইকবাল, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ আলী, ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কর্মাস এর পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, বোচাগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আসলাম, মোঃ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহদাত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কছিমউদ্দিন, মোঃ রায়হান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত আরা পারভিন প্রমূখ।
 

 

 ১১৩ বছর পর বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছেলের বয়স ন্যূনতম ২১ বছর ও মেয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থাকতে হবে। তবে চূড়ান্ত করা ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬’ শীর্ষক আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না’। এই বিশেষ ধারা যোগ করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন- ২০১৬ চূড়ান্ত করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনটি আজ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠবে। এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৪’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। আইনে নাবালকের সংজ্ঞায় পুরুষ হলে অন্যূন ২১ এবং নারী হলে অন্যূন ১৮ বছরের কথা উল্লেখ ছিল। একই বৈঠকে ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে ১৬ করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে একটি অনুশাসন দেয়া হয়। ওই অনুশাসনে বলা হয়, বিয়ের বয়স ১৮ তবে পিতা-মাতা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সামাজিক সমস্যা কম হবে। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের সময় প্রস্তাবিত আইনের ২(ক) ধারায় ‘নাবালক’-এর সংজ্ঞায় পুরুষ হইলে অন্যূন ১৮ বৎসর এবং নারী হইলে অন্যূন ষোল বৎসর বয়সী কোনো ব্যক্তি উল্লেখ করা হয়।
তবে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ ভেটিংয়ের সময় খসড়া ২(১) ধারায় নাবালক শব্দের বদলে অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থ ২১ বছর পূর্ণ করে নাই এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ বৎসর পূর্ণ করে নাই এমন কোনো নারী উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিশু উন্নয়ন নীতি-২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুশাসনের আলোকে একটি ধারা যোগ করা হয়। ওইভাবেই ১১৩ বছর পর বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন হতে যাচ্ছে। আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। এছাড়া বৈঠকে ২০১৭ সালের ছুটির তালিকা এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে।


 

ওষুধের দাম বাড়ছেই


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নামে একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও খোলাবাজারে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। প্রস্তুতকারী কম্পানিগুলো নিজেদের মতো দাম নির্ধারণ করে। বড় কম্পানিগুলো কিছুদিন পর পর ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজারে সরবরাহের পর দোকান থেকে ওষুধ তুলে নিয়ে সেই ওষুধের প্যাকেটে বাড়তি দামের নতুন লেবেল লাগিয়ে দেওয়ার মতো অনৈতিক ঘটনাও ঘটে। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরও দুর্বলতা এখানে স্পষ্ট। দেশে বর্তমানে এক হাজার ৪০০ জেনেরিকের ২৭ হাজার ব্র্যান্ড ওষুধ তৈরি হয়। সরকার আইনগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ১১৭টি ওষুধের দাম। এই তালিকায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের নাম নেই। আইনের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রস্তুতকারী কম্পানিগুলো এক হাজারেরও বেশি জেনেরিক ওষুধের দাম নিজেদের মতো করে নির্ধারণ করছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। কখনো আবার আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখানো হচ্ছে। দায় চাপানো হচ্ছে সরকারের ওপর। নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের বাজার চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ ও সরকারের নাগালের বাইরে।
ওষুধের দাম যেমন বাজারে স্থিতিশীল নয়, তেমনি মানও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে ওষুধ নিয়ে দেশের মানুষকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। দেশের অভ্যন্তরে অনেক প্রতিষ্ঠান নকল ওষুধ তৈরি করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে ফুড সাপ্লিমেন্টের নামে আমদানি করে মানহীন ওষুধ।

 

Top

 

 সৌদি আরব নিয়ে অবাক করা ১৭টি তথ্য

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ। এ দেশটি বেশ কয়েকটি কারণে বিশ্বে পরিচিত। এ লেখায় থাকছে তেমন কিছু তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. বিভিন্ন অপরাধে সৌদি আরবে প্রচুর মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। গড়ে এ সংখ্যা প্রায় প্রতি দুই দিনে একজন করে। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৫১ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।
২. সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বিশাল একটি উটের বাজার রয়েছে। রিয়াদে প্রতিদিন প্রায় একশ উট বিক্রি হয়।
৩. সৌদি আরবে রয়েছে সুবিশাল কয়েকটি তেলক্ষেত্র। এসব তেলক্ষেত্রে রয়েছে ৭৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল।
৪. সৌদি আরবে কোনো নদী নেই। নদীবিহীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ এটি।
৫. বিশ্বে একমাত্র সৌদি আরবেই নারীরা গাড়ি চালাতে পারে না।
৬. সৌদি আরবের জনসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে টেক্সাসের অর্থনীতি সৌদি আরবের চেয়ে অনেক বড়।
৭. সৌদি আরবের জিডিপির ৪৫ শতাংশ আসে তেল থেকে। এটি ইরাক, মরক্কো, রুয়ান্ডা ও টংগার একত্রিত অর্থনীতির চেয়েও বেশি।
৮. সৌদি আরবে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু হবে এ ‘জেদ্দা টাওয়ার’ নামে ভবনটি।
৯. কিংডম টাওয়ার নামে একটি সুউচ্চ ভবন নির্মিত হচ্ছে সৌদি আরবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১.২৩ বিলিয়ন ডলার।
১০. সৌদি আরব ও জর্ডানের মাঝে জিক-জ্যাক বর্ডারের পেছনে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, চার্চিল কায়রোতে একটি পানীয় উদ্বোধনের পর সে অবস্থাতেই একটি কলমের সাহায্যে এ বর্ডার আঁকেন।
১১. সৌদি আরবের ৬০ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশী। সৌদি আরবের যাবতীয় নির্মাণকাজেই বিদেশিদের অবদান রয়েছে।
১২. সৌদি আরবের নারী কর্মজীবীদের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশ কম। এটি মোট শ্রমশক্তির প্রায় ২০ শতাংশ।
১৩. সৌদি আরবে তরুণ জনসংখ্যার হার বেশি। ৪৭ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ২৪ বছরের কম। ৬০ বছরের উর্ধ্বে জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ।
১৪. সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে নয় বরং বিপুল সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে (সূত্র এইচএসবিসি চার্ট)।
১৫. সৌদি আরব সম্প্রতি ছয়টি ‘অর্থনৈতিক শহর’ তৈরি করছে। এগুলো অর্থনীতিকে গতিশীল করবে এবং তেল নির্ভরতা কমাবে।
১৬. সৌদি আরব সামরিক বাহিনীর পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। এটি আফগানিস্তানের মোট জিডিপির চার গুণ বেশি।
১৭. তেলনির্ভর হওয়ার কারণে তেলের দাম বাড়লে সৌদি আরবের অর্থনীতি গতিশীল হয়। অন্যদিকে তেলের দাম কমলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

 
শিশু ধর্ষণের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইনমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'শিশু ধর্ষণের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে। অভিযুক্তদের কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, এ ধরনের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে এবং তার বিচারিক কাজ দ্রুত সময়ে হবে। আমি আশা করি, ধর্ষণে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে কেউ সাহস না পায়।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলায় পাঁচ বছর বয়সি ধর্ষিত শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ শিশুর বাবা ঘটনার দুই দিনের মাথায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন (৪৮)। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামকে দিনাজপুর শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

নোট বদলাতে লাইনে প্রধানমন্ত্রীর মা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রুপি হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। ৮ নভেম্বর পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেছে। এরপর থেকে ভারতজুড়েই নোট বদলে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। এ জন্য প্রতিদিনই দেশটির ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে নোট পরিবর্তন করছেন। এবার সেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা ৪ হাজার ৫০০ রুপির পরিবর্তন করেছেন।
টিএএন ও এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মা হওয়া সত্ত্বেও বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি মোদির ৯৫ বছর বয়সী মা হীরাবেন। সাধারণ মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়েই পুরোনো রুপি বদলে নিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের আহমেদাবাদের গান্ধীনগরে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এক শাখায় হুইলচেয়ারে বসে সাধারণ অন্য মানুষের লাইনে দাঁড়ান হীরাবেন। এরপর তিনি সাড়ে চার হাজার রুপির পরিবর্তন করেন। ব্যাংক-কর্মীরা তাঁর হাতে খুচরা নোট তুলে দেন।ব্যাংকে রুপি বদলাতে হাজির ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন আত্মীয়র সাহায্যে হুইলচেয়ারে বসে ব্যাংকে আসেন। তাঁর কাছে ছিল ৫০০ রুপির নয়টি নোট। ব্যাংক কাউন্টারে গিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় নথিতে সই করে ৪ হাজার ৫০০ নতুন রুপিতে নেন।
ভারতের ব্যাংকগুলো গত কয়েক দিনে গ্রাহকদের ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বদলে দিচ্ছে। চার দিন ধরে বাজারে নতুন দুই হাজার রুপির নোট ছাড়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ রুপির পুরোনো নোট বাতিল ঘোষণা করে। দেশজুড়ে পরদিন ব্যাংক এবং দুদিন এটিএম বুথও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে ব্যাংকগুলো কম মূল্যমানের মুদ্রাগুলো মজুত করে গ্রাহকদের বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ রুপি বদলে দিতে পারে। গ্রাহকেরা প্রত্যেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ হাজার রুপি বদলাতে পারবেন। ইতিমধ্যে ৫০০ রুপি মূল্যমানের নতুন ৫০ লাখ নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবারের মধ্যে আরও ৫০ লাখ নোট বাজারে আসছে।

 মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মামলার দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করতে বিচার বিভাগ, আইনজীবী ও পুলিশ প্রশাসনকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আপনাদের অব্যাহত প্রয়াস চালাতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার নিশ্চিত করা।’ গত ১৩ নভেম্বর ২০১৬ সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বার সমিতির ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন মানুষের জন্য আইনি সহায়তার জন্য বর্তমান সরকার আইনগত সহায়তা আইন ২০১৬ পাস করেছে। এই আইনের আওতায় প্রতিদিন শত শত দরিদ্র মানুষ আইনের সেবা নিচ্ছে। আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অসহায় বিচারপ্রার্থীর মামলা বিনা পারিশ্রমিকে নিষ্পত্তি করবেন। দেখবেন এর ফলে সমাজের চেহারা পাল্টে যাবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বার সমিতির নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি মুলতান উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক। স্বাগত বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম।
 

কলকাতায় ভোগান্তিতে বাংলাদেশিরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ক্যান্সারের রোগী রাজশাহীর নাসিমা ভর্তি হয়েছেন কলকাতার মুকুন্দপুরের এক হাসপাতালে। গতকাল তার এমআরআই করার কথা ছিল। কিন্তু রুপির সমস্যায় তা সম্ভব হয়নি। হাসাপাতাল থেকে বলা হয়েছে, রুপি জমা দিলে এমআরআই হবে, নইলে সম্ভব নয়। কিন্তু ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নেওয়া যাবে না। খুচরো দিন। নাসিমা বললেন, ‘নোট সমস্যার কারণে গতকাল রাতে পুরি খেয়েছি। কিন্তু আজ সকালে চা-বিস্কুট খেয়ে থাকতে হয়েছে। আজকের মধ্যে রুপি জোগাড় করতে না পারলে কাল-পরশু বাড়ি চলে যাব।’ একই অবস্থা ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে কলকাতায় বেড়াতে যাওয়া রবিন চৌধুরীর। প্রথম দিনটা ভালো কাটলেও পরদিন থেকেই নোট সমস্যায় পড়েছেন তিনি। ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ভারত সরকারের ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা মাথায় যেন বাজ পড়েছে তার। ভেবেছিলেন সবকিছু বোধহয় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু চার দিন পরও অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কী করবেন কূলকিনারা করতে পারছেন না তিনি। রুপি যা আছে এর প্রায় সবটাই ৫০০ ও ১০০০ হাজার রুপির নোট। মানি এক্সচেঞ্জগুলোও তা বদল করে দিচ্ছে না। ফলে সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। রুপির চিন্তায় দুবেলা দুমুঠো খাবার খেতে যাওয়ার আগে-পিছে চিন্তা করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে দেশে ফেরার বদলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। রবিন বললেন, ‘প্রথমে হোটেলগুলো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নিলেও এখন তারা বলছে এই রুপি চলবে না।
এ অবস্থায় কোথাও খেতে পারছি না, ঘুরতে পারছি না। বিপদে পড়ে গেছি। যদিও পুলিশ বলেছে, হোটেল কর্তৃপক্ষ রুপি নিতে বাধ্য। এমনকি মানি এক্সচেঞ্জগুলোও রুপি নিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু তারা তা শুনছে না। এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।’ এ সংকট শুধু নাসিমা ও রবিনের নয়। ভারতে হঠাৎ ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করার ঘোষণায় কলকাতায় চিকিৎসা, বেড়ানোসহ নানা কাজে যাওয়া কয়েক হাজার বাংলাদেশি পড়েছেন অশেষ ভোগান্তিতে। হঠাৎ করে বড় নোট বাতিলের ঘোষণায় পুরো কলকাতাতেই দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের সংকট। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না রুপি। হোটেল বিল, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে রোগীর চিকিৎসা, অপারেশনও। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রত্যেকেরই এখন শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। না পারছেন কলকাতায় থেকে যেতে, না পারছেন দেশে ফিরে যেতে। বাংলাদেশি পর্যটকদের বেশির ভাগই কলকাতায় যান চিকিৎসা করাতে। প্রতিবছর প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ বাংলাদেশি ভারতে গিয়ে থাকেন।

 

প্রতিবছর অপুষ্টির জন্য এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য ইতিবাচক। ক্ষুধা, মঙ্গা, খরা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কমছে শিশুদের অপুষ্টিতে আক্রান্তের হারও। এরপরও অপুষ্টির জন্য প্রতিবছর প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়, যা স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয়ের চেয়েও বেশি। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় খাদ্য সংকট ও অপুষ্টিকে প্রধান অন্তরায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় চার কোটি মানুষ এখনো খাদ্য সংকটে রয়েছে। এমনকি তিনবেলা পেটপুরে খাওয়া তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছেমতো বৈচিত্র্যময় খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। তারা অপুষ্টিরও শিকার। নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও এখনো প্রতি তিনজনে একটি শিশু নিপীড়নের শিকার। নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও গত কয়েকবছরে দেশের অতি অপুষ্টিহীনতার হার সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।দেশের গ্রামাঞ্চল ও বস্তিতে এ প্রবণতার হার বেশি। তবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপুষ্টির হার হ্রাসের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিশেষ পদক্ষেপ রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ সমসাময়িক দেশের অপুষ্টি দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে খাদ্যে নিরাপত্তা অর্জন করতে হবে। অপুষ্টির হার কমাতে গণসচেতনতাসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ, দায়িত্ব সচেতনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সমাজের প্রতিটি নাগরিককে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নারীদের বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও চাষাবাদের পদ্ধতিতে বৈচিত্র্যতা আনতে হবে। জোরদার করতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।

 

খাদিজার উপর হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেট সরকারী কলেজের ছাত্রী খাদিজার উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। সোমবার সকাল ১০ টায় শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে কমিশনের জেলা,সদর উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির এক যৌথ উদ্যোগে হামলাকারী বখাটে ছাত্র বদরুলের সব্বোর্চ শাস্তির দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উপদেষ্টা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মফচ্ছির মিয়া এডভোকেট। কমিশনের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন দিলীপের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পলাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সহ-সভাপতি এডভোকেট শহীদুল হাসমত খোকন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আরতি তালুকদার কলি,সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আল-হেলাল,যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হেলিনা আক্তার, শফিকুল ইসলাম,অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আব্দুল করিম বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজেদ আলী খন্দকার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির শানিমশ মিয়া,সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল হক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শামীনূর রশীদ চৌধুরী সামু,সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মফিজুল হক,যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা জিয়াউর রহমান,মোজাহিদুল ইসলাম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিবুর রহমান মুহিব,সহ অর্থ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক ফরিদ আহমদ,সুনামগঞ্জ পৌরসভা শাখার সভাপতি মোঃ জাকারিয়া জামান তানভীর ,সাধারন সম্পাদক শাকিল আহমেদ,সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক শানমশ তালুকদার, অর্থ সম্পাদক মহসিন উদ্দিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সিহাব আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধার সনমশান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে কমিশনের প্রথম থেকে মেধাবী ছাত্র অর্ক এর চিকিৎসা সহায়তার লক্ষ্যে ড. মফচ্ছির মিয়া এডভোকেট ও জসিম উদ্দিন দিলীপ এর নেতৃত্বে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি অর্থ সংগ্রহ উপকমিটির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তহবিল গঠন করা হয়।

 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ

--------------------------------------

 


 

ইয়েমেনে ক্ষুধার সঙ্গে শিশুদের যুদ্ধ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের হোদাইদা শহরের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অপুষ্টিতে ভোগা এক শিশু। সম্প্রতি তোলা ছবিটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ছয় বছরের শিশু সালেম ইসা। তার হাড়জিরজিরে কায়া দেখে মনে হয় বয়সটা আরও কম। চিকিৎসার জন্য অভিভাবকেরা তাকে ভর্তি করেছেন ইয়েমেনের সানায় অবস্থিত সরকারি থাওরা হাসপাতালে। শুধু ইসা নয়, তার মতো লিকলিকে হাত-পা নিয়ে অনেক শিশু ভর্তি হয়েছে ওই হাসপাতালে। সঙ্গে অভিভাবকদের ভিড়। এই শিশুরা দেশটিতে চলা গৃহযুদ্ধের সরাসরি কুফল ভোগ করছে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
থাওরা হাসপাতালে আগে মাসে গড়ে এমন ১০ থেকে ২০ জন শিশুর আগমন ঘটত। কয়েক মাসে তা বেড়ে গেছে। এখন প্রতি মাসে গড়ে ১২০ জন শিশুকে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে ইসার মা বলছিলেন, ‘আমি সাধারণত তাকে বিস্কুট খাওয়াই। কিন্তু সে খুবই দুর্বল। সে কিছুই খেতে পারছে না।’ অগত্যা তিনি সন্তানকে বাঁচাতে এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
এমন শিশুদের দেখা যে শুধু থাওরা হাসপাতালে মিলছে, এমন নয়। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দরিদ্র এই দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে ক্রমে এমন শিশুদের ভিড় বাড়ছে। হোদেইদা নামের একটি শহরের এক হাসপাতাল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জাতিসংঘের মানবকল্যাণ সহায়তাপ্রধান স্টিফেন ও’ব্যারেন বলেন, ছোট শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।
তবে কি দেশটিতে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে? এ ব্যাপারে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত কয়েক মাসের গৃহযুদ্ধ ও সরকার বন্দর আটকে রাখার কারণে দেশটিতে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগছে। এই সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।
ইউনিসেফের মতে, চরম অপুষ্টিতে ভুগে ৩ লাখ ৭০ হাজার শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ১৫ লাখ শিশু ক্ষুধার্ত থেকে যাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যার সৃষ্টি করবে। দেশটির পাঁচ বছরের কমবয়সী অর্ধেকের বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইয়েমেনে শিশুদের ভবিষ্যৎ এমন হুমকির মুখে পড়ার পেছনে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী হুতিদের গৃহযুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে। দেশটির সৌদি জোট-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদি দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের দমাতে তাদের অধ্যুষিত এলাকায় বন্দর অবরোধ আরোপ করেছেন। এ ছাড়া ইরানের সমর্থন পাওয়া হুতি বিদ্রোহীদের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চাপে ফেলতে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তর রাজধানী সানা থেকে সরিয়ে এডেনে নিয়ে গেছেন। কারণ, সানা এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া তিনি নতুন একজন গভর্নর নিয়োগ করেছেন। আর নতুন গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো অর্থ নেই। এটি দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে। নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্ভব হলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। শিশুদের নিয়ে কাজ করছে যে মন্ত্রণালয়গুলো, তাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোরও চেষ্টা চালানো হবে।
কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। বক্তাদের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌসের কথা। এই শিশুর মাথায় গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। এক বছর ধরে চালানো হয়েছে নির্মম নির্যাতন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ পায়। বর্তমানে জান্নাতুলকে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর থেকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাস্ট শিশুটির পুনর্বাসন ও আইনি সহায়তা দিচ্ছে।
আলোচনায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘শিশু গৃহকর্মীদের প্রতি মানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমরা আমাদের ঘরে শিশু গৃহকর্মী রাখবই না। নিজের সন্তান স্কুলে যাচ্ছে, তার সঙ্গে পানির ফ্লাস্ক দিয়ে পাঠানো হচ্ছে আরেক শিশুকে। এটি মূল্যবোধের অবক্ষয় ছাড়া আর কিছু নয়।’
প্রথম আলো ট্রাস্টের সদস্য মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ঘরে কাজের লোক থাকছে, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। একসঙ্গে বসে খেতে পারে না। এ ধরনের চিত্র সমাজে খুব স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক চিত্রই গ্রহণযোগ্য না। সেখানে তাদের খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ অন্যান্য নির্যাতন করা হচ্ছে। এটি হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। জান্নাতুলের ঘটনাকে সামনে রেখে বলি, আমার বাসা, আমার সন্তানের বাসা বা নাতির বাসায় এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা কখনো ঘটবে না।’
 


 

অধিকাংশ দেশে অধিকারবঞ্চিত নারীরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ হলেও অধিকাংশ দেশে নারীরা অধিকারবঞ্চিত। উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে নারী ও পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি দেশে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে (আইপিইউ) সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের নারী সংসদ সদস্যদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, এম এ আওয়াল, রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, নাছিমা ফেরদৌসী ও রওশন আরা মান্নান এবং জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে এ বিষয়ে আলোচনা হলেও প্রকৃতপক্ষে নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সংসদ উপনেতা নারী হলেও প্রকৃত অর্থে নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি। এ বিষয়ে আইপিইউ কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় রওশন এরশাদ আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্বের নেতাদের আমন্ত্রণ জানান। পরে তিনি সেখানে বাংলাদেশি স্টল পরিদর্শন করেন এবং আইপিইউতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 

কুমিল্লায় নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত শিশু গৃহকর্মী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুটি নিজের নামও ঠিকভাবে বলতে পারে না। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে শুধু আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখায় আর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। উত্সুক মানুষের ভিড় আর পুলিশের উপস্থিতিতে তার চোখেমুখে ফুটে ওঠে আতঙ্কের ছাপ। নাম জানতে চাইলে মৃদু কণ্ঠে বলে, ‘ইভা’। কে মেরেছে? ‘পলি খালা।’ এই দুটি উত্তর ছাড়া আর কিছ্ইু বলতে পারছিল না শিশুটি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার কালিয়াজুড়ি মাজারসংলগ্ন এলাকার একটি ভবনের তিনতলা থেকে ইভা নামের পাঁচ বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ঘরে আটকে রেখে পালিয়ে গেছেন গৃহকর্ত্রী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক আবুল হোসেন জানান, আইনউদ্দিন শাহ মাজার রোড এলাকায় একটি শিশুকে আটক করে মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন গৃহকর্ত্রী রোমানা আক্তার পলি (৪০) পালিয়ে যান।
পুলিশ এলাকাবাসী ও বাড়ির মালিক ময়নাল হোসেনের সহায়তায় ভবনের তিনতলার একটি কক্ষ থেকে ইভাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটির হাতে ও শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে পোড়া ক্ষতের দাগ। সে জানায়, গৃহকর্ত্রী পলি খুন্তি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁকা দিতেন। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ও ভয়ে সন্ত্রস্ত ইভা জানায়, তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম নজু। এ ছাড়া আর কোনো তথ্য দিতে পারছিল না সে।
এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘শিশুটি যে বাসায় কাজ করত তার গৃহকর্তা দেবীদ্বার উপজেলার প্রজাপতি গ্রামের মাহবুবুর রহমান। রোমানা আক্তার পলি তাঁর স্ত্রী। বাসার সবাই পালিয়ে গেছে।’

 


এসপি পদমর্যাদার ২৮ কর্মকর্তাকে রদবদল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ২৮ কর্মকর্তাকে রদবদল করে গতকাল সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফারজানা জেসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই আদেশ কার্যকর হবে। এ ছাড়া চারজন ডিআইজি প্রিজন্সকে বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁদের রদবদল করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার এসপি রশীদুল হাসানকে জয়পুরহাটে, কুড়িগ্রামের এসপি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহকে সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি), শেরপুরের এসপি মেহেদুল করিমকে কুড়িগ্রামে, পাবনার এসপি আলমগীর কবীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি, ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খানকে গোপালগঞ্জের এসপি, গোপালগঞ্জের এসপি এস এম এমরান হোসেনকে ডিএমপির উপকমিশনার, ফরিদপুরের এসপি জামিল হাসানকে ডিএমপির উপকমিশনার, এনটিএমসির ডাটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এ কে এম ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজারে, রাজবাড়ীর এসপি জিহাদুল কবিরকে পাবনায়, ১১ এপিবিএনের এসপি সালমা বেগমকে রাজবাড়ীতে, জয়পুরহাটের এসপি মোল্ল্যা নজরুল ইসলামকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুর রহমান খানকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, পুলিশ স্টাফ কলেজের মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার দ্বিতীয় এপিবিএনে, ঝালকাঠির এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহাকে ফরিদপুরে, মাগুরার এসপি এ কে এম এহসানউল্লাহকে নৌ পুলিশে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসপি মিজানুর রহমানকে আরআরএফ রাজশাহীতে, আরআরএফ রাজশাহীর এসপি বি এম হারুন অর রশীদকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে, কক্সবাজারের এসপি শ্যামল কুমার নাথকে সিএমপির উপকমিশনার, এসএমপির উপকমিশনার মোশফেকুর রহমানকে হাইওয়েতে (প্রশাসন ও প্ল্যানিং), হাইওয়ের (প্রশাসন ও প্ল্যানিং) এসপি শাহিনা আমিনকে ১১ এপিবিএন ঢাকায়, নৌ পুলিশের এসপি জোবায়েদুর রহমানকে ঝালকাঠিতে, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের এসপি সৈয়দ হারুন অর রশীদকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আসাদ উল্লাহ চৌধুরীকে এসবিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে ডিএমপিতে, এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার সুলতানা নাজমা হোসেনকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে ও পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি রফিকুল হাসান গনিকে শেরপুরের এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
চার ডিআইজি প্রিজন্স বদলি : চারজন কারা উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি প্রিজন্স) বদলি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন্স এ কে এম ফজলুল হককে সিলেট বিভাগ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের মো. বজলুর রশীদকে ঢাকায় কারা অধিদপ্তরে, বরিশালের মো. আলতাব হোসেনকে রাজশাহী বিভাগে ও সিলেটের মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শিরীন রুবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বদলি করা হয়।


হাইতিতে কারাগার ভেঙে ১৭০ জনের বেশি বন্দি পালিয়ে গেছেন।া


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ৩০ মাইল উত্তরে আরকাহায়ের কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
পালিয়ে যাওয়া বন্দিরা পাঁচটি রাইফেল নিয়ে গেছে। এ সময় বন্দিদের সঙ্গে কারারক্ষীদের গোলাগুলিতে একজন রক্ষী ও একজন বন্দি নিহত হয়েছেন।
পরে দেশটিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের সহায়তায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
হাইতির সরকার টুইটবার্তায় এ ঘটনাকে কারাবিদ্রোহ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।
দেশটির বিচারমন্ত্রী ক্যামিল এদুয়ার্দ জুনিয়র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, 'এক কারারক্ষী এ ঘটনার সময় নিহত হন। তিনজন বন্দি আহত হন। তাদের মধ্যে পরে একজন মারা যান।'
পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনকে পুনরায় আটক করা হয়েছে।
আরকাহায়ের কারাগারের বন্দিরা কোনো ইউনিফর্ম পরে না। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে তাদের মিশে যাওয়া সহজ।
হাইতির কারাগারগুলোয় ভয়াবহভাবে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দি রয়েছে। বন্দিরা বিচারের আগেই বছরের পর বছর কারাগারে আটক থাকেন।

 


 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে মহাপরিকল্পনা 


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে গঠন করা হচ্ছে কাউন্টার টেরোরিজম ও পুলিশ এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট। পরিকল্পনার মধ্যে আরও রয়েছে পুলিশ এভিয়েশন ইউনিট গঠন, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোয় পুলিশ নিয়োগ ও ডিজিটালাইজড ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। পাশাপাশি যুগোপযোগী তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ, উন্নতমানের অস্ত্র ও গাড়িসহ লজিস্টিক সাপোর্ট, গোয়েন্দা তথ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত তদন্ত ব্যবস্থার প্রসার, ভবন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এছাড়া এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুলিশে নেয়া হচ্ছে নতুন আরও ৫০ হাজার জনবল। পুলিশ সদস্যদের জন্য উন্নত খাবার এবং পোশাক সরবরাহও রয়েছে এই পরিকল্পনায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের নয়া এই পরিকল্পনার বিষয়টি অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশকে একটি ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট’ (সিটিএন্ডটিসিইউ) গঠন করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত হওয়ায় সারা দেশের জন্য এ ইউনিট গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক অস্ত্র, প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ, দেশে ও বিদেশে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহারেরও অনুমতি প্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে। পুলিশের গোয়েন্দা সক্ষমতা বাড়াতেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যুগান্তরকে বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনেই পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই এখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে পুলিশ বাহিনীর আরও আধুনিকায়নসহ তাদের সক্ষমতা-দক্ষতা এবং যোগ্যতা বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ‘পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ পুলিশ আরও দক্ষতার সঙ্গে জনসাধারণকে উন্নত সেবা দিতে সক্ষম হবে।’
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশ বাহিনীর সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানো ও আধুনিকায়নের জন্য সরকার এই বাহিনীতে নতুন করে আরও (দ্বিতীয় পর্যায়) ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদর দফতরের বিদ্যমান বিভিন্ন ইউনিটের জন্য সর্বমোট ১৩ হাজার ৬৪১টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। অবশিষ্ট পদ সৃষ্টির কার্যক্রম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা দফতরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে সব জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটের জনবল বাড়ানোসহ রংপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা মেট্রোপলিটন ইউনিট এবং পুলিশ এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট গঠনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যানবাহনসংক্রান্ত বিষয়ে কার্যপত্রে বলা হয়, পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যানবাহন ও জলযান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুলিশ বাহিনীর গতিশীলতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষায়িত, দীর্ঘস্থায়ী, মানসম্পন্ন যানবাহন এবং জলযানের বিকল্প নেই। যানবাহন ক্রয়ে বাজেট কোড প্রতিবন্ধকতা দূর করে ব্যবহার উপযোগী, টেকসই ও মানসম্পন্ন যানবাহন দ্রুততার সঙ্গে ক্রয় করতে হবে।
 

 কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। মৃত বাদল মিয়া (৩২) চাঁদপুর জেলার মদনা এলাকার ঈসহাক আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রবিবার সকালে কয়েদি বাদল মিয়া বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক মামলায় বাদল মিয়াকে ছয় মাসের কারাদ দেয়।
সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 

 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


কাশির যন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে করণীয়!

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাশি একটা সামান্য রোগ ঠিক, যন্ত্রণা কিন্তু সামান্য নয়। কাশি হলে আপনি মনের সুখে কোন কাজ করতে পারবেন না। নিজের ঘুমের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবেন।
খুসখুসে কাশিতো আরো বেশি যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধূলাবালি, গরম-ঠাণ্ডা পরিবেশসহ বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে। শীতের আগমন বার্তা শোনা যাচ্ছে। এই সময়ে কাশির প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। আমরা কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাজার থেকে প্রচুর ঔষধ ক্রয়ের জন্য অন্ধ হয়ে যাই। কিন্তু এজন্য কিছু সহজ ঘরোয়া ব্যবস্থা রয়েছে যেগুলোর দ্বারা সহজেই কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।
চলুন জানা যাক, কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়:
১৫-২০ গ্রাম ঘিতে কিছু গোলমরিচ নিয়ে হালকা তাপে গরম করুন। যখন গোলমরিচ গরম হবে তখন কিছু ঠাণ্ডা করে তাতে প্রায় ২০ গ্রাম মিছরি গুঁড়ো মেশান। অতঃপর গোলমরিচ সরিয়ে খেয়ে নিন। এই নিয়মে দু-তিন দিন সেবন করলে কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।
তুলসি পাতায় ৫টি গোলমরিচ, ৫টি কিশমিশ, ৫ গ্রাম গমের আটা, ৬ গ্রাম যষ্টিমধু নিয়ে ২০০ মি.লি. পানিতে গরম করুন। যখন পানি কমে অর্ধেক হবে তখন তা নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। পুনরায় গরম করুন এবং রাতে শোয়ার সময় গরম গরম পান করুন। এভাবে ৩-৪ দিন পান করুন। কাশি ভাল হয়ে যাবে।
সৈন্ধব লবণের টুকরা আগুনে গরম করুন। যখন তা গরমে লাল হবে তখন দ্রুত আধা কাপ পানিতে ঢেলে দিন। শোয়ার পূর্বে এই পানি পান করলে কাশি থেকে অনেক আরাম মিলবে। অথবা, এক গ্রাম সৈন্ধব লবণ এবং ১২৫ গ্রাম পানি নিয়ে আগুনে গরম করুন। পানি অর্ধেক হলে নামিয়ে ফেলুন। সকাল-সন্ধ্যা এই পানি পান করলে কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।
কাশি হলে দুধে কয়েক টুকরা শুকনো আদা নিয়ে গরম করুন। রাতে শোয়ার সময় এই দুধ পান করুন। এভাবে মাত্র ২-৩ দিনেই কাশি ভাল হয়ে যাবে।
মধু ও কিশমিশ খেলে কাশি থেকে মুক্তি মেলে।
ত্রিফলা ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে পান করলে কাশিতে উপকার পাবেন।
তুলসী পাতা, গোলমরিচ এবং আদা দ্বারা তৈরি চা পান করলে কাশি থেকে নিমিষেই মুক্তি পাবেন।
হিং, ত্রিফলা, যষ্টিমধু একত্রে মিশিয়ে লেবুর রস দিয়ে চাটনি বানিয়ে খান, কাশি পালাবে।
খুসখুসে কাশিতে অধিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এই কাশিতে কফ হয় না কিন্তু কাশি আসতেই থাকে। যদি কাশি দীর্ঘদিন থাকে তবে অবহেলা করবেন না। দু’সপ্তাহের বেশি কাশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।


শুকনো ফলে পুষ্টি বেশি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বহু যুগ আগে থেকেই ফল শুষ্ক করে বা ফলের মধ্যকার জলীয় অংশকে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা ও খাওয়ার প্রচলন আছে। কিশমিশ, খোরমা, শুকনো খেজুর, আমসি, আমসত্ত্ব ইত্যাদি আমাদের দেশে জনপ্রিয়। ইদানীং বাজারে বিদেশি শুকনো ফল যেমন: এপ্রিকট, ক্রানবেরি, ফিগ ইত্যাদিও প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে।
সাধারণ ফলকে শুকিয়ে ফেলার পর এর মধ্যকার উপাদানের ঘনত্ব বেড়ে যায় বলে শুকনো ফলে সাধারণ ফলের চেয়ে পুষ্টি বা ক্যালরি বেশি। শুকনো করে ফেলার পরও এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, থায়ামাইন ইত্যাদি পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকে। এ ছাড়া শুকনো ফলে চর্বি, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম বা লবণ থাকে না বললেই চলে। তবে এতে চিনি বা শর্করার পরিমাণ বেশি। আবার অনেক সময় প্রস্তুতপ্রণালিতে খানিকটা চিনি মেশানো হয় বলে এগুলো রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। কিন্তু বাড়তি শক্তি ও ক্যালরি জোগাতে ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফলের জুড়ি নেই।
* কিশমিশ, শুকনো খেজুর ও এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এবং রক্তশূন্যতার রোগীদের প্রায়ই এসব ফল খেতে বলা হয়। এ ছাড়া কিশমিশে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও অনেক। রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এগুলো। রক্তনালিকে সুস্থ রাখে।
* শুকনো ফলে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বিশেষ করে এপ্রিকট ও ফিগ বা শুকনো ডুমুর পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতার জন্য ভালো।
* শুকনো ক্রানবেরি প্রস্রাবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুকনো আম বা আমসত্ত্বতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই। আরও আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের সুরক্ষা দেয়। কিশমিশে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, তা ত্বককে সতেজ রাখে বলে সৌন্দর্যচর্চায় এর ব্যবহার সুপ্রাচীন। শুকনো ফলের ভালো দিক হলো, এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় ও সহজে বহনযোগ্য, পচনশীল নয়। শুকনো কাচের বয়াম বা জারে সংরক্ষণ করে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং প্রতিদিন কিছু পরিমাণ করে খেতে পারেন।


দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে যা যা করতে পারেন!


মানবাধিকার হলেথ ডেস্কঃ
আশেপাশের পরিবেশ থেকে শতকরা ৮০ ভাগ বিষয়ই মানুষ জানতে পারে তার চোখের মাধ্যমে? দুর্ভাগ্য হলেও এ কথা সত্য যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখও নানা অসুখে আক্রান্ত হয়, যা এড়াতে সময় মতো চোখের যতœ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
মুক্তবাতাস: শুধু ফুসফুস সুস্থ রাখতেই যে মুক্ত বাতাসের প্রয়োজন তা নয়, চোখের কর্ণিয়া জন্যও চাই মুক্তবাতাস? কারণ চোখ নিজস্ব অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না? বিশেষ করে যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বদ্ধ ঘরে কাজ করেন, তাদের জন্য মুক্ত বাতাসে হাঁটা বেশি জরুরি? এ কথা জানান জার্মানির লাইপসিগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়েন্স ডাওজিনস্কি।
বই পড়তে চাই যথেষ্ট আলো: পড়াশোনার সময় যেন ঘরে যথেষ্ট আলো থাকে। কারণ আলো কম হলে চোখের পেশিগুলোতে অনেক বেশি চাপ পড়ে। এর ফলে অনেক সময় মাথা ব্যথা বা চোখে লালভাব বা চোখকে লাল দেখায়।
যথেষ্ট পানি পান: চোখের নিজস্ব পানি সংবেদনশীল চোখকে বাইরের ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার রাখতে ও চোখের অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই চোখের পানি বজায় রাখতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকা প্রয়োজন? অর্থাৎ এর জন্য দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করতে হবে? কারণ শুষ্ক চোখেই দেখা দেয় নানা সমস্যা।
অতিরিক্ত সূর্যের তাপ থেকে দূরে থাকুন: সূর্যের অতি বেগুনিরশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই বেশি রোদে যাওয়ার সময় অবশ্যই ‘আলট্রা ভায়োলেট রে’ থেকে সুরক্ষা দেয়, এমন সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। এতে চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকিও কমবে।
শরীরে বিটা ক্যারোটিনের অভাব হলে রাতে মানুষ কম দেখে। তাই নিয়মিত গাজর খাবেন। কারণ গাজরে রয়েছে যথেষ্ট বিটা ক্যারোটিন। তবে হ্যাঁ, গাজর সামান্য তেল দিয়ে মেখে নিলে শরীর তা আরো সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে? দিনে অবশ্য মাঝারি সাইজের একটি গাজরই কিন্তু যথেষ্ট!
সবুজ সবজি: সবুজ সবজিতে থাকা লুটেইন চোখের অসুখকে দূরে রাখতে সাহায্য করে? বিশেষকরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের যেসব সমস্যা দেখা দেয়, তা থেকে তবে প্রতিদিন ১৫০ গ্রাম সবুজ সবজিই চোখের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট।
সামুদ্রিক মাছ: মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সোজা কথা, অল্প বয়সে চোখের স্বাস্থ্যে দিকে ভালোভাবে নজর দিলে পরে তার ফল অবশ্যই পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই বা তিনদিন মাছ খাওয়া যেতে পারে।
চোখের মেকআপ: অনেকেই চোখ দু’টোকে আরো আকর্ষণীয় দেখাতে মেকআপ ব্যবহার করেন। তবে তারা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যে, সেই রূপচর্চার সামগ্রী যেন আপনার চোখের উপযুক্ত হয়? অর্থাৎ চোখের মেকআপে যেন সংরক্ষণকারী পদার্থ মেশানো না থাকে? কারণ রাসায়নিক পদার্থ থেকে চোখে নানারকম অ্যালার্জি এবং অন্যরকম ক্ষতিও হতে পারে।

 


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ছোলা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ

ছোলা বা বুটকে বলা হয় দানাদার শক্তিশালী খাদ্যশস্য। অর্থাৎ প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে (প্রায় ৫০ গ্রাম) ছোলা খেলে মাছ-গোশত ইত্যাদির ঘাটতি পূরণ হয়। এর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত ছোলা খেলে আর নিয়মিত পায়খানা হলে খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু থাকতে পারে না। মজার ব্যাপার হলো, ছোলায় আমিষ বা প্রোটিনের পরিমাণ মাংস, মাছ বা ডিমের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আমিষ আছে প্রায় ১৮ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট আছে প্রায় ৬৫ গ্রাম। আর ফ্যাট আছে প্রায় ৫ গ্রাম। ছোলায় আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় রয়েছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম।
 

  কুকুর কামড়ালে তাৎক্ষণিক যা করবেন



মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
 

পথে ঘাটে হঠাৎ ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। কামড়াতে পারে কুকুর। কুকুরের কামড় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাতœক। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। রেবিস নামক ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এটি একটি স্নায়ুজনিত রোগ।
রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে যায় এবং সেখান থেকে স্নায়ুতে পৌঁছে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। জলাতঙ্ক হলে স্নায়ুতে সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। মস্তিষ্কে প্রদাহের সাথে খাদ্যনালীতে তীব্র সংকোচন হতে পারে। এছাড়া রোগী কোন আলো বা শব্দ সহ্য করতে পারে না। এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে কুকুর কামড়ালে প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। এই কাজগুলো করা হলে মারাত্মক আকার ধারণ করা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ক্ষত পরিষ্কার করুন:
প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ক্ষতের স্থানটি চেপে ধরুন। তারপর কুকুরের কামড় দেওয়া স্থানে বেশি করে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা ভাল। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু দূর করে থাকে। তবে ক্ষত পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি ঘষাঘষি করবেন না।
রক্ত বন্ধ করুন:
ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে।
ব্যান্ডেজ:
ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে নিন। তারপর একটি গজ কাপড় দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
ডাক্তারের কাছে যাওয়া:
প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শে টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ানোর পর অব্যশই টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেওয়া উচিত।
সতর্কতা:
কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তাকে আস্থা প্রদান করতে হবে যে, সে আবার সুস্থ হয়ে যাবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অব্যশই রোগীকে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হবে।

 

লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও প্রতিকার


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়। যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড?তি লবণ কিডনি, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড?ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। হাড?ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
৭. পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে।
কী করে বুঝবেন বেশি লবন খাচ্ছেন?
১. অতিরিক্ত পানির তেষ্টা পাবে।
২. হাত পায়ে পানি জমে ফোলা ফোলা ভাব দৃশ্যমান হবে।
৩. নোনতা খাওয়ার ইচ্ছে বাড়বে।
৪. ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা।
কীভাবে লবন খাওয়া কমাবেন?
১. ভাত বা ফলের সঙ্গে লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।
২. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য লেবুর রস, ভিনিগার,কাঁচা রসুন ও মশলা ব্যবহার করুন।
৩. ফ্রোজেন ফুড এড়িয়ে চলুন।
৪. ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমানে লবন থাকে, ফাস্টফুড কম খান।
৫. রান্নার ধরনের পরিবর্তন আনুন। যাতে লবন কম থাকে।
৬. সন্তানকে শৈশব থেকেই কম লবনযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত করুন।



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

 

ছেলে সন্তানের অবর্তমানে সম্পত্তিতে মেয়ের উত্তরাধিকার




মানবাধিকার ল’ ডেস্কঃ
জনাব আজমল হোসেন মারা যাওয়ার সময় স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ভাই রেখে যান। মুসলিম আইন অনুসারে তার মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তার মেয়ে এবং এক-অষ্টমাংশ পাবেন তার স্ত্রী। সে হিসেবে পুরো সম্পত্তির আট ভাগের পাঁচ ভাগ এ দুজনের মধ্যে বণ্টন হওয়ার পর বাকি আট ভাগের তিন ভাগ আসাবা হিসেবে পেয়ে যাবেন আজমল সাহেবের ভাই। পক্ষান্তরে আজমল সাহেব যদি মারা যাওয়ার সময় স্ত্রী, ভাই এবং এক মেয়ের সঙ্গে একজন ছেলে সন্তানও রেখে যেতেন, সে ক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টনের হিসাব-নিকাশ অন্যরকম হয়ে যেত। এ অবস্থায় স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ নেয়ার পর বাকি আট ভাগের সাত ভাগ তার ছেলে-মেয়ের মধ্যে ২:১ হারে বণ্টিত হয়ে যেত এবং আজমল সাহেবের ভাই সম্পত্তিতে কোনো অংশ পেতেন না।
এর অর্থ হলো আজমল সাহেবের মৃত্যুর পর তার ছেলে না থাকলে সম্পত্তির বড় একটা অংশ পরিবারের বাইরে অর্থাৎ তার ভাইয়ের কাছে চলে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে মৃত্যুকালে ছেলে রেখে গেলে তার এ সম্পত্তি পরিবারের বাইরে যাচ্ছে না। ইসলাম একটি কমিউনিটিভিত্তিক জীবনব্যবস্থা, যেখানে পরিবারের চেয়ে সমাজ কিংবা কমিউনিটির স্বার্থ বেশি দেখা হয়। এ কারণে পারিবারিক গ-ির বাইরেও কাউকে কাউকে সম্পত্তি দেয়া হয়ে থাকে। কমিউনিটিভিত্তিক সমাজব্যবস্থায় আজমল হোসেনের মৃত্যুর পর তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তার স্ত্রী এবং মেয়ের দেখাশোনার নৈতিক দায়িত্ব তার ভাইয়ের ওপর বর্তায় বলে মুসলিম আইনে আজমল সাহেবের ভাইকেও সম্পত্তির কিছু অংশ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হলো, আজকের সমাজ আর কমিউনিটিভিত্তিক নেই বরং পরিবারকেন্দ্রিক। এখন প্রতিটি পরিবার অন্য পরিবার থেকে স্বতন্ত্র; যে কারণে সম্পত্তি অর্জন কিংবা দেখভালের জন্য পরিবারের বাইরের সদস্যরা যেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখে না আবার আজমল সাহেবের ঘটনার মতো মৃত্যুর পর মৃতের স্ত্রী-কন্যাকে দেখাশোনার ব্যাপারেও পারিবারিক গ-ির বাইরে চাচা-ফুফুদের মতো আত্মীয়রা খুব একটা দায়িত্ব নেয় না। পরিবারগুলোর এই স্বতন্ত্রতা এবং এককেন্দ্রিকতা এখন একটি কঠিন বাস্তবতা। সুতরাং, এ রকম সমাজব্যবস্থায় পুত্রের অবর্তমানে মৃতের নিকটতর কন্যাসন্তানকে বাবার পুরো সম্পত্তি প্রদান না করে তুলনামূলকভাবে দূরবর্তী আত্মীয় চাচা-ফুফুদের কাছে সেই সম্পত্তি হস্তান্তর করায় এক অসম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
মুসলিম পারিবারিক আইনের আওতায় এর দুই ধরনের প্রতিকার সম্ভব। প্রথমটি হলো পুত্রসন্তানের অনুপস্থিতির কারণে যে অংশটুকু পরিবারের বাইরে চলে যাওয়ার কথা, সেটুকু অংশ পিতা তার জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানের অনুকূলে উইল করে দিয়ে যেতে পারেন। আর দ্বিতীয় উপায়টি হলো জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানকে সেই অংশটুকু হেবা করে দিতে পারেন। তবে এ দুই উপায়েই বিশেষ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে যারা নির্ধারিত অংশ পাবেন, তাদের উইল করতে হলে যার অনুকূলে উইল করা হবে, তার সহ-শরিকদের মতামত গ্রহণ করতে হয়। সে হিসেবে কন্যা যেহেতু পিতার সম্পত্তিতে নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে থাকে, তার অনুকূলে সম্পত্তি উইল করতে হলে পিতাকে অন্য সহ-শরিকদের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে; যা বাস্তবে বেশ কঠিন ব্যাপার। আবার জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানের অনুকূলে হেবা বা সম্পত্তি দান করারও একটা ঝুঁকি রয়েছে। হেবা সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয় বলে হেবা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তার মালিক হয়ে যায় হেবাগ্রহিতা। এখন সম্পত্তি যদি বাবা-মা তার মেয়ের অনুকূলে হেবা করে দেন, সে ক্ষেত্রে বাবা তার জীবদ্দশায় অনিরাপদ বোধ করতে পারেন, কারণ সম্পত্তি তখন আইনগতভাবে আর তার মালিকানায় থাকে না। সম্পত্তিহীনভাবে বাকি সময়টা মেয়ের গলগ্রহ হয়ে পড়ে থাকার ঝুঁকি তাই কোনো বাবা-মা নিতে চান না।
সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে? এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান, পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা গুরুত্বপূর্ণ অভিমত দিয়েছেন। সমস্যার চারটি সম্ভাব্য সমাধান উল্লেখ করেছেন তিনি। তার মতে, পুত্রসন্তানের অনুপস্থিতিতে কন্যাসন্তানদের অবশিষ্ট সম্পত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ইসলামী আইনের আওতার ভেতর থেকেই ইজতিহাদের (গবেষণা) মাধ্যমে সমাধান বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং সে অনুসারে আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। তিউনিসিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ এবং ইন্দোনেশিয়ায় কন্যাসন্তানের উত্তরাধিকার অংশ বৃদ্ধিতে যেভাবে ইজতিহাদ করা হয়েছে, তার উদাহরণ টানেন তিনি। দ্বিতীয়ত সম্পত্তি উইল করার ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করা যেতে পারে। তার মতে, জীবদ্দশায় যেহেতু একজন ব্যক্তি পুরো সম্পত্তি হেবা করে যেতে পারেন, সেহেতু মৃত্যুর পরও পুরো সম্পত্তি উইল করার ব্যাপারে তার ক্ষমতা থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ উইল করা এবং উইল করতে হলে উত্তরাধিকারীদের সম্মতি গ্রহণসংক্রান্ত বাধ্যবাধকতাগুলো শিথিল করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.