           
 
|
Cover September 2021
English Part
September 2021
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
দেশকে বৈশ্বিক
যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চাই: প্রধানমন্ত্রী্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের
ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সারাবিশ্বের
যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চায়। সে ক্ষেত্রে
কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সমুদ্রসৈকত ও পর্যটন
কেন্দ্র এবং আধুনিক শহর। এতে আর্থিকভাবেও দেশ অনেক
লাভবান হবে। ২৯ আগস্ট ২০২১ সকালে কক্সবাজার
বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য রানওয়ে
সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন
সরকারপ্রধান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই
বিমানবন্দরের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন তিনি। খবর
বাসস ও বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ হলে
পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যে বা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে
যত বিমান যাবে, তাদের রিফুয়েলিংয়ের জন্য সবচেয়ে
সুবিধাজনক জায়গা হবে এটি। ভবিষ্যতে কক্সবাজারই হবে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। খুব স্বল্প সময়ে এখানে
বিমান এসে নামতে এবং রিফুয়েলিং করে চলে যেতে পারবে।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, 'জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা
জিয়া- এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে
না; বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উন্নতিতেও বিশ্বাস করে
না। তাই ১২ বছরের মধ্যে আমরা যেটা করতে পেরেছি, ২১ বছরে
তারা তা করতে পারত; করেনি। কারণ, তারা করবে না।'
সমুদ্র-তীরবর্তী জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে
বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করে ১০ হাজার ৭০০ ফুট
করা হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোয়িং-৭৭৭ ও ৭৪-এর
মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে
পারবে এবং এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ
সুগম হবে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে বিভিন্ন দেশ থেকে
পর্যটক সরাসরি কক্সবাজারে আসতে পারবেন।
দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হবে
১০ হাজার ৭০০ ফুট, যার মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে
সাগরের বুকে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজার
বিমানবন্দর হবে বিশ্বের সাগর উপকূলে অবস্থিত
দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম এবং এটিই হবে
দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে।
নিউইয়র্ক, টরন্টো, সিডনির মতো দূরত্বে চলার মতো আমাদের
ড্রিমলাইনার ও অন্যান্য বিমান আছে। বিশেষ করে দক্ষিণ
এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের
যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
আগস্ট ২০২১ মাসে
করোনাভাইরাসে মৃত্যু
হত্যাকান্ডে মৃত্যু
২৩৩ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায়,
মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৩৩ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৫৫১০ জন। আগস্ট ২০২১ মাসে গড়ে
প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ১৭৮ জন এবং হত্যাকান্ড
ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। করোনাভাইরাসে
সরকারি হিসাব মতে আগস্ট ২০২১ মাসে মৃত্যু ৫৫১০ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
২৩৩ জন। এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩ জন,
পারিবারিক সহিংসতা ১৫ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৫ জন,
আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৫ জন, বিএসএফ কর্তৃক
হত্যা ২ জন, গুপ্ত হত্যা ৬ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪০ জন,
ধর্ষণ হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৩৯ জন, আত্মহত্যা ৭ জন এবং আগস্ট ২০২১ সালে
কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৯
জন।
জাতীয় শোক
দিবসের আলোচায় BHRC ’র নারী নির্যাতন প্রতিহতের
অঙ্গীকার
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর
উত্তরের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সম্মানিত সভাপতি
ও সদর দপ্তরের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর জনাব আলহাজ্ব
জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ
জাহিদুল হাসানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন
সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর ও মহানগর উত্তরের সহ সভাপতি
জনাব লায়ন নবাব হোসেন মুন্না, সুযোগ্য সাধারন সম্পাদক
জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন, সহ সভাপতি জনাব লায়ন মোঃ
ইব্রাহীম, যুগ্ন সম্পাদক জনাব হাজ্বী বাবর আলী,
সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ দিদারুল আলম, দপ্তর সম্পাদক
জনাব জাহিদ তানছির, সহ অর্থ সম্পাদক জনাব মোঃ শরিফুল
ইসলাম শরিফ সহ নেতৃবৃন্দ
সভার শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার
মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ
পরিবারের সকল শহীদদের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে
মোনাজাত করা হয়।
পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
পদত্যাগ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
পদত্যাগ মুহিউদ্দিন ইয়াসিন দায়িত্ব নেওয়ার ১৭ মাস পর
পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে পদত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। সোমবার (১৬ আগস্ট)
কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা বিষয়টি নিশ্চিত
করেছে।
দেশটির বিজ্ঞানমন্ত্রী খয়েরি জামালউদ্দিন এক
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, মুহিউদ্দীনকে পদত্যাগপত্র
নিয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর রাজা আল সুলতান
আব্দুল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে এ
ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো বক্তব্য
পাওয়া যায়নি।
এর আগে মন্ত্রিসভার সদস্য ও নিজের রাজনৈতিক দলের
নেতাকর্মীদের পদত্যাগের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন
মুহিউদ্দিন।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম মালয় মেইল জানিয়েছে, খুব শিগগিরই
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ‘স্বল্পমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী’
মুহিউদ্দিন। এছাড়া নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার আগ
পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব
পালন করবেন তিনি।
২০২০ সালে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইয়েতের
সদস্যদের ভোটে জিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন মুহিউদ্দিন।
তবে পক্ষে-বিপক্ষে পড়া ভোটের ব্যবধান অল্প থাকায় নিজের
পদ ধরে রাখতে চাপের মুখে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তার দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা বর্তমান
ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক ইউনাইটেড মালয়স
ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে (ইউএমএনও) যোগ দেওয়ার পর
পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
এদিকে তার পদত্যাগের পর পরবর্তী সরকার কে গঠন করবে তা
এখনো স্পষ্ট নয়। দেশটির কোনো আইনপ্রণেতার পার্লামেন্টে
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এছাড়া চলমান করোনা মহামারিতে নতুন
করে নির্বাচন আয়োজন করা হবে কিনা সেটিও স্পষ্ট নয়।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক মন্দাসহ
দেশ পুনর্গঠনে সঠিক নির্দেশনা দিতে না পারা ও রাজা আল
সুলতান আবদুল্লাহকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার
পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
'ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে' আফগানিস্তানকে বিশ্ব
অবলোকন করছে: জাতিসংঘি
মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আফগান
শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সব দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তার টুইটের বরাত দিয়ে
প্রকাশ করেছে, 'ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে' আফগানিস্তানের
ঘটনাগুলো সারাবিশ্ব অবলোকন করছে। প্রজন্ম ধরে যুদ্ধ আর
কষ্টের কথা আফগানরা জানেন। তারা আমাদের পূর্ণ সমর্থন
পাওয়ার যোগ্য। এখনই সহমর্মিতার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে
মহাসচিব তার টুইট শেষ করেন।
এছাড়াও আফগান শরণার্থীদের নির্বাসিত করা থেকে বিরত
থাকারও অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে আফগান শরণার্থীদের
বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে অনুরোধ জানায় মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর আগে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে
আশ্রয় দেয়ায় তা নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার
রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকেই লোকজনের মধ্যে
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে
যাচ্ছে তা নিয়ে যেন জল্পনাই শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যেই
লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে।
তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বারবার লোকজনকে আশ্বস্ত করা
হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ও তারা দেশের
জনগণের সেবায় কাজ করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান
তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী
আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১
সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে
যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান
ঘটে।
ইসির হাতেই থাকছে এনআইডি
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
নিবন্ধন কার্যক্রম। এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের হাতে দিতে ‘রুলস অব
বিজনেস, ১৯৯৬’-এর সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের প্রস্তাব
করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই প্রস্তাবে সম্মতি না
দিয়ে এ-সংক্রান্ত নথি ফেরত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
তারা বলেছে, এটি করতে হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন,
২০১০-এ সংশোধনী আনতে হবে। এ জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন
ও প্রস্তাবিত সংশোধনী আইনটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে
পাসও হতে হবে। ফলে এসব প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত
ইসির হাতেই থাকছে এনআইডি সেবা। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো
কথা বলতে রাজি হননি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আইন
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন,
এনআইডি সেবা-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগের
আওতায় দিতে হলে অবশ্যই এ-সংক্রান্ত জাতীয় পরিচয়
নিবন্ধন আইন, ২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করতে হবে।
আইনে উল্লিখিত ‘নির্বাচন কমিশন’-এর স্থলে ‘সরকার’ শব্দ
অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন হবে। আর এটি করতে হলে এ-সংক্রান্ত
সংশোধনী প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে, সঙ্গে
অনুসরণ করতে হবে বিভিন্ন প্রক্রিয়া। এর পরই রুলস অব
বিজনেস সংশোধন করতে হবে। কিন্তু তা না করে শুধু রুলস
অব বিজনেসের সংশোধন করার প্রস্তাব পাঠানোর কারণেই নথিটি
ফেরত এসেছে। সরকার চাইলে এখন সেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন
করে এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় দিতে পারে।
এ জন্য কিছুদিন সময় প্রয়োজন। সেই সময় পর্যন্ত ইসির
হাতেই থাকছে এনআইডি সেবা কার্যক্রম। জানা গেছে, ২০০৭
সাল থেকে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নকাজের অংশ হিসেবে
নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আসছে ইসি।
গাড়ির ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে
বিশ্বের তৃতীয় শহর ঢাকা
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
গাড়ির ধোঁয়া থেকে দূষণের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ঢাকা
তৃতীয়। এ থেকে মৃত্যু বেশি হচ্ছে এখানে, যা বিশ্বের গড়
মৃত্যুহারের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ। যানজটপ্রবণ
এলাকাগুলোতেই বেশি দূষণ হচ্ছে। তা বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মানমাত্রার তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের শহরগুলোয় চালানো এক
গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘বিশ্বের ১০ দেশের শহরে
গাড়ির ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট দূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক
এ গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান
সাময়িকী এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ইথিওপিয়া, ভারত, বাংলাদেশ,
চীন, ইরাক, মিসর, তানজানিয়া, কলম্বিয়া ও মালাবির ১৫ জন
গবেষক এ গবেষণা করেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকা হয়ে
উঠেছিল বিশ্বের অন্যতম নির্মল বায়ুর শহর। কিন্তু
বিধিনিষেধ ওঠার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার এ শহর সবচেয়ে
দূষিত শহরের তালিকায় এসেছে। শনিবার কানাডার
ভ্যানকুভারের পরই ঢাকার বাতাস ছিল সবচেয়ে খারাপ।
এ দূষণের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যানবাহনের
ধোঁয়া। এ কথা কয়েক বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষক দলের
অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক
আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ঢাকায়
বায়ুদূষণ বাড়ছে। বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে যানবাহনের ভূমিকা
দ্রুত বাড়ছে, তাই এখন থেকে এসব উৎস বন্ধ না করলে
জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।’
ঢাকার পাশাপাশি ভারতের চেন্নাই, ভেলোর, বেঙ্গালুরু,
দিল্লি, চীনের গুয়ানজু, জেংঝোউ ও নানজিং, কলম্বিয়ার
বোগোটা ও মেডেলিন, ব্রাজিলের সাও পাওলো, কুরিটিবা ও
লনড্রিন, মিসরের কায়রো, ইরাকের সুলায়মানিয়া, ইথিওপিয়ার
আদ্দিস আবাবা, মালাবির ব্লানতাওরি ও তানজানিয়ার দারুস
সালাম শহরে গবেষণাটি করা হয়। দেখা গেছে, এসব শহরের
মধ্যে গাড়ির গতি সবচেয়ে কম দারুস সালামে। সেখানে
ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলে। এর পরই রয়েছে ঢাকা,
গতি ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার। এ দুই শহরেই সবচেয়ে বেশি সময়
মানুষ দূষিত বাতাসের মধ্যে থাকে।
গাড়ি থেকে নির্গত দূষিত বাতাসের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির
দিক থেকে ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয়
স্থানে রয়েছে দারুস সালাম ও ব্লানতাওরি। দারুস সালামে
প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় আড়াইজনের মৃত্যু হয় এ
দূষণে। ঢাকা ও ব্লানতাওরি শহরে মারা যান একজন করে।
যেখানে এ দূষণে বিশ্বে গড়ে ১০ লাখ মানুষে সর্বোচ্চ
একজনের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ঢাকায় কোন গাড়ি চলতে পারবে আর কোনটা পারবে
না সে সনদ দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাড়ির ধোঁয়া মাপার যন্ত্র তাদের
নেই। তারা গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করেন চোখে দেখে। তবে
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ যন্ত্র কেনার
উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই যন্ত্র এলেই ধোঁয়া দূষণ রোধে
কাজ শুরু হবে।
ইসমাইল সাবরি
‘মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইসমাইল সাবরি
ইয়াকুব। এর আগে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের মন্ত্রিপরিষদে
সিনিয়র সুরক্ষামন্ত্রী ্ও পরে উপ-প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্ব পালন করেন ইসমাইল সাবরি।
এবার মুহিউদ্দিন ইয়াসিনেরই স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
২০ আগস্ট ২০২১ রাজকীয় পরিবারের নিয়ন্ত্রক আহমদ ফাদিল
শামসুদ্দিন বিবৃতিতে ইসমাইল সাবরিকে মালয়েশিয়ার নবম
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১১৪ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন
পেয়েছেন ইসমাইল সাবরি।
তাই ফেডারেল সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪০ (২) (এ) এবং ৪৩ (এ)
(এ) অনুসারে, ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবকে (বেরা এমপি)
মালয়েশিয়ার নবম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
আগামীকাল (শনিবার) দুপুর আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
শপথ নেবেন ইসমাইল সাবরি।
এর আগে বারিসান ন্যাশনালের শাসনামলে বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন ইসমাইল সাবরি। ২০০৮
সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ইসমাইল
সাবরি। পরের বছর অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, সমবায় এবং ভোগবাদ
মন্ত্রী করা হয় তাকে।
২০১৩ সালে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পমন্ত্রী করা হয় তাকে।
এর দুই বছর পর গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে
নিয়োগ পান তিনি।
টিকা সরবরাহে সমতা নিশ্চিত করতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সমতার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন সরবরাহ
নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক অঙ্গীকার এবং অংশীদারত্ব জোরদার
করার কথা বলেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত
২৪ আগস্ট ২০২১ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কমনওয়েলথ
পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), ইন্টারভেনশন
অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (হিটাপ)
আয়োজিত ‘ডিসকাশন টু শেয়ার নলেজ অন ইক্যুইটেবল কোভিড-১৯
ভ্যাকসিনেশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় যুক্ত
হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণকে দ্রুততম সময়ের
মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সরকার কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে
স্থানীয় সরকার ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখছে। বৈঠকে পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ
অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর সভাপতি হাবিবে মিল্লাত, ফুড
অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি ঘানা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ডেলিসি মিমি ডার্কো এবং ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ
ভেলোর- ভারতের প্রফেসর গগনদ্বীপ কাং বক্তব্য রাখেন।
চীনা টিকা নিয়ে সৌদি প্রবেশে বাধা কাটলে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশে
বাধা কাটল। বাংলাদেশে যারা চীনা টিকা নিয়েছেন বা নেবেন,
তাদের হজ বা ওমরাহ পালনে দেশটিতে যেতে আর কোনো বাধা
নেই। ২৫ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য
জানিয়েছে।
২৪ আগস্ট ২০২১ সৌদির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিনোফার্ম ও
সিনোভ্যাকের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর
আগে অবশ্য দেশটি শুধু অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা,
ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মডার্নার করোনা
টিকার অনুমোদন দিয়েছিল।
সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকের
টিকা গ্রহণকারীদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে।
এজন্য তাদের সৌদিতে অনুমোদিত একটি টিকার বুস্টার ডোজ
নিতে হবে। আরব নিউজ এমন তথ্যই জানিয়েছে।
কদিন আগে চীনা টিকা নিয়ে বাংলাদেশিদের সৌদিতে হজ বা
ওমরাহর জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
তখন চীনা টিকায় ছাড় দিতে সৌদি সরকারকে আহ্বান
জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার ও হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন
অব বাংলাদেশ (হাব)।
চাকরির বয়স ৬ বছর না হলে ইউএনও নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সিনিয়র স্কেল প্রাপ্ত এবং
চাকরির বয়স কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর উপজেলা
নির্বাহী অফিসার পদে পদায়ন করা যাবে। তবে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার পদে পদায়নের পূর্বে উপযুক্ত
কর্মকর্তার তালিকা (ফিটলিল্ট) প্রদান করতে হবে।
এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করার পর অন্তত দুই বছর জেলা
প্রশাসনে কাজ করতে হবে। এতে একদিকে মাঠ প্রশাসনে
কর্মকর্তার সংকট কমবে, অন্যদিকে তুলনামূলক দক্ষতা নিয়ে
উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে যোগ দিতে পারবেন
কর্মকর্তারা।
এছাড়া মাঠ প্রশাসনে ডিসি থেকে শুরু করে এবার প্রশাসনের
সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধারা সংশোধন করা
হচ্ছে। প্রশাসনকে পেশাগত দক্ষতা, গতিশীলতা ও জনসেবা
নিশ্চিত করার উদ্যোগ হিসেবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার এবং
উপসচিব ও তার উপরের কর্মকর্তাদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন
করতে যাচ্ছে সরকার। নীতিমালার খসড়া জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় থেকে সচিব কমিটিতে পাঠানো হয়েছে প্রায় দুই
বছর আগে। এর আগে আরেকবার সচিব কমিটিতে পাঠালেও সেটি
চূড়ান্ত রূপ পায়নি। প্রায় পাঁচ বছর আগে থেকে এ বিষয়ে
কাজ শুরু হলেও নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে না। এই
নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করবে সচিব কমিটি। আর সচিব কমিটি
মনে করলে এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্যও পাঠাতে পারে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো
নিরোপক্ষ প্রশাসন গড়ে উঠনি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
২০১৫ সালের জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের
চৌধুরীর স্বাক্ষরিত প্রশাসন ক্যাডার নীতিমালা গত ২০২০
সাল থেকে সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়। পরে
কিছু সংশোধনী দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো
হয়।
কিন্তু দেড় বছর পরে তা এবার নতুন করে বাস্তবায়নে জন্য
সংশোধন করা হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বরিশালে
ইউএনওর বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার এবং গত বছর
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
ওপর হামলা হয়। এছাড়া গত কয়েক বছরে প্রশাসনের কর্মকর্তা
ও কর্মচারীদের উপর বিভিন্ন হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার পরে
নড়েচরে প্রশাসন।
১০ হাজার কিন্ডারগার্টেন গুটিয়ে গেছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনার জাঁতাকলে পড়ে শিক্ষাঙ্গনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
খেই হারিয়েছে কিন্ডারগার্টেন (শিশুদের প্রাক-বিদ্যালয়)।
অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতো দেড় বছর ধরে
কিন্ডারগার্টেনের দরজায়ও ঝুলছে তালা। এসব স্কুল পায় না
সরকারি কোনো অনুদান। শিক্ষার্থীদের বেতনের মাধ্যমেই
মেটাতে হয় কিন্ডারগার্টেনের বাড়িভাড়া, শিক্ষকদের
বেতনসহ নানা খরচ। কিন্তু বাড়িভাড়া দিতে না পারায় অনেক
কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে তল্পিতল্পা গুটিয়েছে। এর
অনেকগুলো আবার শিক্ষা কার্যক্রমে আর যাবেই না। এ সংখ্যা
প্রায় ১০ হাজার। ছাত্র-ছাত্রীর খরায় শিক্ষা কার্যক্রম
বন্ধ করে দিয়ে কেউ কেউ আবার শিক্ষালয়টিকে মেস, গোডাউন
বা ফ্ল্যাট হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে
অনেক শিক্ষক পেশা ছেড়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ আর ফিরবেন
না শিক্ষাকতায়। এমনকি অনেক শিক্ষার্থীও যুক্ত হয়েছে
শিশুশ্রমে, তারা আর আসবে না কিন্ডারগার্টেনের আঙিনায়।
বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য
পরিষদের তথ্য বলছে, দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা
প্রায় ৬০ হাজার। এর অর্ধেকই করোনার অতিমারিতে বন্ধ
রয়েছে। কেউ কেউ আবার স্কুলের বড় পরিসর ছেড়ে দিয়ে দু-এক
রুমের বাসায় মালপত্র রেখে কবে আসবে সুদিন, সেই সময়
গুনছেন। তবে ২০ শতাংশ (প্রায় ১০ হাজার) কিন্ডারগার্টেন
আর শিক্ষা কার্যক্রমেই যাবে না।
জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৪
নম্বর সড়কের ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেনটি এরই মধ্যে
তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এই স্কুলের
উদ্যোক্তা বিক্রির নোটিশ দিয়েও কোনো ক্রেতা পাননি। পরে
তিনি স্কুলটি বন্ধ করে দেন। রাজধানীর মাটিকাটায়
আইডিয়াল পাবলিক স্কুল, জুরাইনে নলেজ হ্যাভেন আইডিয়াল
স্কুল, জুরাইন আইডিয়াল স্কুল, মিরপুরে আশার আলো
বিদ্যানিকেতন, সাভারের বাইপাইলে সৃজন সেন্ট্রাল স্কুল
অ্যান্ড কলেজ, রাজধানীর কালাচাঁদপুরে লন্ডন
ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমিসহ অসংখ্য স্কুল বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছে। এসব কিন্ডারগার্টেন এই বছর আর খোলার
পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদপুরের প্রাইম গাইডলাইন মডেল স্কুলটিও বন্ধ। এই
স্কুলের পরিচালক শাহানাজ আক্তার নিপু বলেন, ‘আমার
স্কুলে সোয়া ২০০ শিক্ষার্থী ছিল। বড় ক্লাসের বেশির ভাগ
বাচ্চাই কাজে যুক্ত হয়েছে। শিগগিরই স্কুল খুললে
চিন্তাভাবনা করে দেখব, নতুন করে চালু করা যায় কি না?
কিন্তু স্কুল খুলতে আরো দেরি হলে হয়তো আর খোলাই সম্ভব
হবে না।’
করোনায় পোশাক
খাতের মূল্য শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনায় বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক মূল্য শৃঙ্খল
বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি এ খাতে বেশ
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এটি উৎপাদন কাঠামোর পরিবর্তন, ভোক্তাদের চাহিদা,
পণ্যের মিশ্রণ, বাজারের গতিশীলতা এবং চতুর্থ শিল্প
বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের আসন্ন
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ এ রপ্তানিমুখী খাতের জন্য
উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি, তৈরি পোশাক শিল্প
ও এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক দল এ ধরনের কাঠামোগত
পরিবর্তনের মুখোমুখি কিভাবে হবে সেটা এখন ভাবনার বিষয়।
এ প্রেক্ষাপটে সামনের বছরগুলোতে তৈরি পোশাক খাতের
ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ভোক্তা চাহিদা পুনরুদ্ধারে যে অসম
প্রবণতা রয়েছে, তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
তাছাড়া, মহামারি-পূর্ব কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে
মহামারি-প্ররোচিত চ্যালেঞ্জগুলো সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৈরি
পোশাক খাতের ওপর দৃষ্টিপাত করতে বাধ্য করছে। গার্মেন্ট
শিল্প নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংলাপে ৩১ আগস্ট বক্তারা এসব
কথা বলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম,
বাংলাদেশ এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ এ সংলাপের
আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিপিডির চেয়ারম্যান সেন্টার
ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান
সোবহান, বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড.
মোস্তাফিজুর রহমান, গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, বাংলাদেশ টেক্সটাইল
মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি এ মতিন
চৌধুরী, সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম
খান এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর
পংকজ কুমার প্রমুখ।
তিনি বলেন, গার্মেন্ট শিল্পে খুব বড় ধরনের পরিবর্তন
আগামী সাত-আট বছরে হবে। আমরা যেহেতু পণ্য রপ্তানি করছি,
উৎপাদনশীলতা কমলে এর অভিঘাত শ্রমিকদের ওপরই বেশি পড়বে।
রুবানা হক বলেন-শ্রমিকদের আসন্ন পরিবর্তনের জন্য
প্রস্তুত হতে হবে। নতুন ধরনের শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন
করতে হবে।
এ মতিন চৌধুরী বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে পোশাক রপ্তানি
বাজারে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার একটি বড় সুযোগ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসে ১ হাজার
৩৭৯ খানায় একটি সমীক্ষা জরিপ চালানো হয়। সাক্ষাৎকারের
মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জরিপে মূলত মহামারির প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে
পার্থক্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখা গেছে শ্রমিকদের
দুই-তৃতীয়াংশ প্রথম ঢেউয়ের সময় মজুরি পাননি।
কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন প্রায় ৯৮ শতাংশ শ্রমিকই
তাদের মজুরি পেয়েছেন। ২০২০ সালের ফেব্র“য়ারির তুলনায়
২০২১ সালের মার্চে খানার আয় প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে।
সমীক্ষায় অংশ নেয়াদের প্রায় ৬৭ শতাংশ পরিবার দ্বিতীয়
ঢেউয়ে ঋণগ্রস্ত। সেটি প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় বেশি।
এ ঋণ পরিশোধ করতে তাদের গড়পড়তা প্রায় দুই বছর সময় লাগতে
পারে। কাজ হারানো শ্রমিকদের মাত্র ২৫ শতাংশ বলেছেন,
তারা শ্রমিক ইউনিয়নের ভূমিকায় খুশি আছেন।
আমরা পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করে দিয়েছি : ট্রাম্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘যুক্তরাষ্ট্র পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে,
যা খুব খারাপ কাজ হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানে
যাওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল আমাদের দেশের ইতিহাসের
নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। আমরা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস
করে দিয়েছি। এটার পেছনে আমাদের হাজার হাজার কোটি ডলার
খরচ হয়েছে, লাখ লাখ জীবন চলে গেছে, কিন্তু আগের তুলনায়
সেখানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এটা সবচেয়ে বেশি খারাপ,
কারণ সেখানে আপনাকে সবকিছু পুননির্মাণ করতে হবে, এটা
আসলে টুকরা টুকরা করে ফেলার মতো।’ ট্রাম্প বলেন,
‘মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মানে চোরাবালিতে আটকে যাওয়ার মতো
একটা ব্যাপার।’ তবে তিনি আফগানিস্তান থেকে যেভাবে
মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার সমালোচনা করে
বলেছেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকলে বিষয়টি অন্যরকম হতে পারত।
সেনা সরানোর আগে বেসামরিক লোকজন, অনুবাদক এবং অন্যান্য
লোকজনকে সরিয়ে নিলে ভালো হতো।’
কোভিড-পরবর্তী
মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালে মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে। এই মহামারিতেও
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে যেসব
দেশের মানুষ, তাদের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের
প্রথম ছয় মাসে অন্তত ৩ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি এভাবে
ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত এক যুগে ইউরোপে গেছেন
অন্তত ৬২ হাজার মানুষ। এমন তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট
বিশেষজ্ঞরা।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্য
বলছে, এভাবে যারা ইউরোপে যাচ্ছে তাদের বেশির ভাগের বয়স
২৫ থেকে ৪০। অবশ্য শুধু ইউরোপ নয়, করোনা মহামারির
মধ্যেও শ্রম অভিবাসনের নামে মানব পাচার কিংবা ভারতে
নারী-কিশোরী পাচার কোনোটাই থেমে নেই। বরং এসব ক্ষেত্রে
এখন সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড মহামারির আগেও বাংলাদেশ থেকে
প্রতি বছর গড়ে ৬ থেকে ৭ লাখ লোক বৈধভাবে বিদেশে গেছেন।
কিন্তু গত বছরের মার্চে মহামারি শুরুর পর সেই সংখ্যা ২
লাখে নেমে আসে। ফলে সামনের দিনগুলোতে লোকজন বিদেশে
যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারে। ফলে অনিয়মিত অভিবাসন
ও মানব পাচারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। দুবাইতে ভিজিট ভিসায়
লাখো বাংলাদেশির গমন এবং ইউরোপে মরিয়া হয়ে প্রবেশের
চেষ্টা তারই ইঙ্গিত দেয়। সামনের দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সবাইকে
অনিয়মিত অভিবাসন ও মানব পাচার বন্ধে আরো সক্রিয় হতে হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২০২১ সালের গত ২১ জুন এভাবে লিবিয়া
থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে
১৭ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। তিউনিসিয়ার কোস্ট গার্ড
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশিসহ ৩৮০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
এর আগে গত ২৪ জুন ২৬৭ জনকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার
কোস্ট গার্ড, যার মধ্যে ২৬৪ জনই বাংলাদেশি। আর ১০ জুন
১৬৪ বাংলাদেশিকে তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার করে
দেশটির কোস্ট গার্ড।
পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের কাছ থেকে জানা যায়, দুবাই
এবং ওমানে নতুন আসা বাংলাদেশি তরুণরাই মূলত
পাচারকারীদের প্রধান টার্গেট। দুবাই এবং ওমান থেকে
তাদের নিয়ে আসা হয় ওমানের মাসকট বন্দরে। সেখান থেকে
স্পিডবোটে ওমান উপসাগর অতিক্রম করে নিয়ে যায় ইরানের
বন্দর আব্বাসে। তারপর ইরানের বিভিন্ন শহর ও জঙ্গলে আটক
রাখে। সেখান থেকে ইরাক ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপে প্রবেশ
করার চেষ্টা চলে। এভাবে যাওয়ার সময় অনেকেই ইরানে আটক
হচ্ছেন।
করোনা টিকা দেওয়ায় শীর্ষে সিঙ্গাপুর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিঙ্গাপুর মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার
পূর্ণাঙ্গ ডোজ প্রদান করেছে। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫.৭
মিলিয়ন। এ দেশটিই বর্তমানে বিশ্বে টিকা দেওয়ার হারের
দিক থেকে সবার ওপরে অবস্থান করছে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং রোববার
ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- ‘আমরা আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম
করেছি। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ
করোনার দুই ডোজই পেয়েছে। তার মানে করোনা নিয়ন্ত্রণে
সিঙ্গাপুর আরও একধাপ এগিয়ে গেল।’
ক্ষুদ্র এই নগর-রাষ্ট্রটি টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ দেয়ার
হারের দিক থেকে এখন বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। গত
জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে সিঙ্গাপুর।
দেশটিতে বেশিরভাগ মানুষকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়া
হয়েছে।
Top
বাংলাদেশিদের
জন্য ইতালি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল
করেছে ইতালি তবে ইতালিগামী যাত্রীদের অবশ্যই কিছু শর্ত
মানতে হবে। ভ্রমণের আগে তাদের অবশ্যই ডিজিটাল
প্যাসেঞ্জার লোকেটার ফরম পূরণ করতে হবে। ৩১ আগস্ট ২০২১
গভীর রাত থেকে তা কার্যকর হবে বলে রোমের বাংলাদেশ
দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো
স্পেরান্সে ২৮ আগস্ট, ২০২১ ইতালিতে প্রবেশ সংক্রান্ত
একটি অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন, যা ইতালির সময় ৩১ আগস্ট
২০২১ (মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে) কার্যকর হবে।’
দীর্ঘ চার মাস পর বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে
ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় দেশটির স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়।
বিমান, জাহাজ, ট্রেন, বাস বা অন্য কোনো পরিবহনের
যাত্রীদের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
বিবেচনায় নিয়ে তাদের কনটাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য বিভিন্ন
দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্যাসেঞ্জার লোকেটার ফরম (পিএলএফ)
পূরণের নির্দেশ দিয়ে থাকে।
ইতালিতে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে যাত্রীকে অবশ্যই করোনার
পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।
ইতালি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আবার করোনা পরীক্ষা
করাতে হবে।যাত্রীকে ডিজিটাল প্যাসেঞ্জার লোকেটার ফরমের
উল্লিখিত ঠিকানায় ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর আবার করোনা পরীক্ষা করাতে
হবে।শনিবার সিঙ্গাপুরে ১১৩ জন নতুন করে করোনায়
আক্রান্ত হন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত
হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৭১ জন ও মারা গেছেন ৫৫ জন।
আগস্টের শুরুতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং বলেছিলেন,
‘সিঙ্গাপুর যদি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা কমিয়ে
আনতে পারে, আমাদের স্বাস্থ্য খাত যদি চাপমুক্ত থাকতে
পারে- তাহলে অর্থনীতি আরও উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সামাজিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে ও
কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ শুরু হবে।’
Top
অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করতে চান
মমতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট করার পথে আরেকটু
এগিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘অবিজেপি’
মুখ্যমন্ত্রীদের একত্রিত করতে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন
তিনি। রবিবার এসব জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে
মমতা বলেছেন, ‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পূর্ণ
নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি সব মুখ্যমন্ত্রীকে (অবিজেপি
সরকারের) নিয়ে বৈঠক ডাকতে চাই।’ অবিজেপি জোট গঠনের এই
উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেছে বিজেপি।
দলটির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো
দিল্লি গেলেন। ম্যাডামের (কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া
গান্ধী) বাড়িতে চা-ও খেলেন। এত বার বার্তা দিচ্ছেন অথচ
ওর (মুখ্যমন্ত্রী) ডাকে সাড়া দিয়ে কেউ আসছেন না কেন?
তার মানে কারও কাছেই ওর গ্রহণযোগ্যতা নেই।’ অবিজেপি
মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে
সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী
এ দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আর রাজ্যের হাতে
অধিক ক্ষমতার দাবিতে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠক
হতেই পারে। আমরা তো বরাবরই সে এই দাবির পক্ষে।’
১২
এক রত্নাগর্ভা নারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৮ আগস্ট ছিল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯১তম
জন্মবার্ষিকী। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা,
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন
নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে দেশ ও জাতি গঠনে
কার্যকর অবদান রেখেছেন। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অসামান্য ও অবিস্মরণীয়।
বঙ্গবন্ধু ১৪ বার কারাবরণকালীন ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায়
স্থির এবং অবিচল থেকে বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রতিকূল
পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা
মুজিব। দেশের ওই দুঃসময়ে বেগম মুজিব শুধু পরিবারের
দেখাশোনাই করেননি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে
বেগবান রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ষাট-এর দশকে
পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে বেগম মুজিব প্রতি মুহূর্তেই
বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। বাংলাদেশের
স্বাধীনতার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি স্তরে বঙ্গমাতা
বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব যে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
করেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা বিরল ঘটনা।
বেগম মুজিব ছিলেন একজন রতœগর্ভা নারী। তিনি তার
ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত ও আদর্শবান মানুষ হিসাবে গড়ে
তুলেছেন। তার দুই সুপুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল ছিলেন
রণাঙ্গনের অকুতোভয় বীর যোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনাও একজন বিদূষী নারী এবং সফল
রাষ্ট্রনায়ক। এসবই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বলা হয়ে থাকে, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির সাফল্যের মূলে
একজন নারীর ভূমিকা থাকে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে
মহীয়সী নারীর ভূমিকা রয়েছে, তিনি আর কেউ নন, বঙ্গমাতা
বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পিত্রালয়ে
জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন নিরহংকার।
স্বামী একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ও
প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও খুবই সাদামাটা জীবনযাপন
করতেন তিনি।
কারও ব্যাংক হিসাব
জব্দের ক্ষমতা দুদকের নাই: হাইকোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব
অবরুদ্ধ বা সম্পত্তি ক্রোকের কোনো ক্ষমতা দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) নাই। এমনকি সেই সম্পদ যদি অপরাধলব্দ হয়ে
থাকে। এ ধরনের কোনো সম্পদ ক্রোক বা ব্যাংক হিসাব
অবরুদ্ধ করতে চাইলে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে
সিনিয়র স্পেশাল জজ বা বিচারিক আদালতে আবেদন করতে হবে।
পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে
আদেশ দিলে তখন ব্যাংক হিসাব জব্দ বা সম্পত্তি ক্রোক
করার সুযোগ রয়েছে।
‘বেলায়েত হোসেন বনাম দুদক’ মামলায় বিচারপতি এম.
ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের
সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, দুদকের কোনো তদন্ত কর্মকর্তা কারো ব্যাংক
হিসাব জব্দের নির্দেশ দিতে পারেন না। কমিশনের অনুমোদন
সাপেক্ষে আদালতের আদেশে ব্যাংক হিসাব জব্দের সুযোগ
রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারে বেলায়েত হোসেন নামে এক
ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট
ব্যাংকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা অবৈধ ঘোষণা করা হলো।
রায়ে বলা হয়েছে, দুদকের আইন ও বিধিতে কোনো অনুসন্ধান
বা তদন্ত কর্মকর্তা এমনকি অন্য কোন কর্মকর্তাকে এ
ধরনের অপরাধলব্দ সম্পত্তি ক্রোকের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
ফলে এই মামলায় দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাংক
হিসাব জব্দে যে চিঠি দিয়েছে তা শুধু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,
এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিই নয়, ক্ষমতার অপব্যবহারও বটে।
গত ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা
কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন
কক্সবাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের ব্যাংক
হিসাব জব্দে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের
কক্সবাজার শাখার ম্যানেজারকে নির্দেশ দেন। ঐ নির্দেশের
বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। ঐ রিটের
রুল গ্রহণ করে এ রায় দেওয়া হয়।
সরকারের অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকারের অনুমতি ছাড়া মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও
শ্মশানঘাটসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা
যাবে না। এসব প্রতিষ্ঠান করতে হলে স্থাপনকারী ব্যক্তি
বা কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর
মেয়র বা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করতে
হবে। পাকা ও স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য অভিজ্ঞ
প্রকৌশলীর তৈরি করা প্ল্যান ও ডিজাইন আবেদনের সঙ্গে জমা
দিতে হবে। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
স্থাপন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ের উৎস জানাতে
হবে। তিনি বার্ষিক আয়কর দেন কি না তাও বিবেচনা করা হবে।
আবেদন যৌক্তিক হলে সমন্বয় সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
দেবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), জেলা
প্রশাসক (ডিসি) এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র। এমন বিধান
রেখে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থান স্থাপন সংক্রান্ত
প্রস্তাবনা তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রস্তাবটি
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাল রবিবার অনুষ্ঠেয়
বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। জাতীয় সংসদে বেলা ১১টার বৈঠকে
সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সভায় কমিটির সব সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন বা আদেশ জারি করবে স্থানীয় সরকার
বিভাগ।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে-রাস্তার ধারে যেখানে-সেখানে
মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশানঘাট নির্মাণ করা যাবে
না। ধর্মীয় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না
প্রতিযোগিতামূলকভাবেও। এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শি¦ক
অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণের বিষয় বিবেচনা করে এসব
স্থাপনা রাস্তা থেকে যৌক্তিক দূরত্বে নির্মাণ করতে হবে।
নিজস্ব জমিতেও এসব স্থাপনা তৈরি করতে হলে সংশ্লিষ্ট
কমিটির অনুমতি নিতে হবে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও।
সরকারি/খাস বা অর্পিত সম্পত্তি/পরিত্যক্ত জমিতে কোনো
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য স্থাপনা বা কবরস্থান/শ্মশান
নির্মাণ করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।
অনুমতি ছাড়া এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হলে
নির্মাতাকে জবরদখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঁচার জন্য
পোকামাকড় খাচ্ছে যে দেশের মানুষ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চার বছর ধরে বৃষ্টিপাত নেই। ফসল হচ্ছে না। এখন মানুষ
খাদ্যের জন্য পোকামাকড় ও ক্যাকটাস পাতার ওপর নির্ভর
করছে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকা মহাদেশের উপকূলে অবস্থিত
একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কার। জাতিসংঘ বলেছে,
বিশ্বের প্রথম ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্ভিক্ষের’ কবলে
পড়ার দ্বারপ্রান্তে দেশটি। গত চার বছর ধরে বৃষ্টিপাত
নেই দেশটিতে। ফলে দেশটির মানুষ ইতোমধ্যেই ক্ষুধা ও
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ‘বিপর্যয়কর’ স্তরে রয়েছে। ভয়াবহ
খরায় ধ্বংস হয়ে গেছে মাদাগাস্কারের দক্ষিণে বিচ্ছিন্ন
কৃষি সম্প্রদায়গুলো। এ অবস্থায় সে অঞ্চলের পরিবারগুলোকে
বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য হিসেবে পোকামাকড়ের ওপর নির্ভর
করতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শেলি ঠাকরাল বলেছেন,
‘পরিস্থিতিগুলো দুর্ভিক্ষ হওয়ার মতোই। এ দুর্ভিক্ষ কোনো
ধরনের দ্বন্দ্বের কারণে ঘটবে না। বরং এটি জলবায়ু
পরিচালিত।’
জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে ৩০ হাজার মানুষ
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্তর,
অর্থাৎ ৫ম স্তরে আছে। এ ছাড়া, ফসল কাঁটার আগে
মাদাগাস্কার তার ঐতিহ্যবাহী ‘লিন সিজনে’ প্রবেশ করায়
ভুক্তভোগী মানুষের এ সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে বলে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ঠাকরাল বলেন, ‘এটি একটি বিরল ঘটনা। এখানকার লোকেরা
জলবায়ুর ক্ষতিসাধনের জন্য কিছুই করেনি। এমনকি তারা
জীবাশ্ম জ্বালানিও পোড়ায় না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের
কঠিন প্রভাবের শিকার হচ্ছে তারাই।’
সম্প্রতি আম্বোয়াসারি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ফান্ডিওভা
পরিদর্শনে যায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি)
একটি দল। গ্রামটির মানুষ যেসব পঙ্গপাল খেয়ে বেঁচে আছে
তা এই পরিদর্শনকারী দলের সদস্যদেরকে দেখান তারা।
সেখানকার অধিবাসী তামারিয়া বলেন, ‘আমি যতটা সম্ভব
পোকামাকড়গুলোকে পরিষ্কার করি। কিন্তু এখানে কোনো পানিও
নেই বলা চলে।’
চার সন্তানের মা তামারিয়া আরও জানান, ‘আমিসহ আমার
সন্তানরা আট মাস ধরে প্রতিদিন এসবই খাচ্ছি। কারণ,
আমাদের খাওয়ার মতো আর কিছুই নেই। এখানে কোনো বৃষ্টি হয়
না। যার ফলে আমরা আমাদের বপণ করা ফসল তুলতেও পারি না।’
শুকনো মাটিতে বসে তিন সন্তানের মা বোলে জানান,‘আজ
আমাদের কাছে ক্যাকটাস পাতা ছাড়া খাওয়ার মতো কিছুই নেই।’
তার স্বামী কিছুদিন আগে খেতে না পেয়ে মারা গেছেন বলেও
উল্লেখ করেন তিনি। এমনকি, ক্ষুধার্ত অবস্থায় তার এক
প্রতিবেশীও দুটি বাচ্চা রেখে মারা গেছেন। ‘আমার কি
বলার আছে? বেঁচে থাকার জন্য বারবার ক্যাকটাসের পাতা
খোঁজাই আমাদের জীবন,’ বলে যোগ করেন তিনি।
পাসপোর্ট 'দালালমুক্ত' করতে এজেন্ট প্রথা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাসপোর্ট পেতে দালালচক্রের হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য
এজেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড
পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। এরই মধ্যে এজেন্ট নিয়োগের
অনুমোদনের জন্য ডিআইপি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়
থেকে এতে সায়ও দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে
এজেন্টের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফরম পূরণ ও আবেদন করতে
সরকারি ফির বাইরে গ্রাহকের অতিরিক্ত টাকা খরচ হতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ছাড়াও
দেশের বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক শক্তিশালী
দালালচক্র গড়ে উঠেছে। গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে এ
দালালচক্র। ফরম পূরণ ছাড়াও লাইনে না দাঁড়িয়ে আবেদন ফরম
জমা দেওয়া, দ্রুততম সময়ে ছবি তোলা ও পাসপোর্ট দেওয়ার
কথা বলে চক্রটি হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে
প্রতারণার শিকার হচ্ছেন আবেদনকারীরা।
বিভিন্ন সময়ে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ডিআইপি ও আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী অভিযান চালালেও এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
অফিসগুলো থেকে সময়মতো কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে এবং
হয়রানি ও ভোগান্তি এড়াতে গ্রাহকরা দালালনির্ভর হয়ে
পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে এজেন্ট প্রথার দিকে যাচ্ছে
ডিআইপি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ডিআইপি সূত্র জানায়, দালালদের
মাধ্যমে পাসপোর্টের ফরম পূরণ ও জমা দিতে গিয়ে অনেকেই
প্রতারণার শিকার হন। এদের কোনো বৈধতা না থাকায় জবাবদিহি
ও ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে
বা এ সংক্রান্ত কাজে সহায়তায় এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হলে
কারও প্রতারণার শিকার হতে হবে না। বৈধ ও অনুমোদিত
এজেন্টের মাধ্যমে হয়রানি ও দালালমুক্ত হয়ে ফরম পূরণের
মতো সেবা নেওয়া সম্ভব হবে। কেউ ভুল করলে বা প্রতারণা
করলে ব্যবস্থাও নেওয়া সম্ভব হবে। তবে এজেন্টের কাছে না
গিয়েও যে কেউ চাইলে নিজে ফরম পূরণ করে তা জমা দিতে
পারবেন।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেন, পাসপোর্ট
আবেদনকারী অনেকেই ফরম পূরণ করতে পারেন না। ব্যাংকে টাকা
জমা দিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়েন। এ সুযোগটিই দালালচক্র
নিয়ে থাকে। দালালদের মাধ্যমে নানাভাবে প্রতারিত হলেও
দায় চাপে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওপর। এ জন্য ফরম পূরণে
সহায়তাকারীর যদি বৈধতা থাকে, পরিচয় থাকে, তাহলে
দালালদের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া
গেলে একজন গ্রাহক তাদের মাধ্যমেই বৈধভাবে সহায়তা পেতে
পারেন। অধিদপ্তর সেই চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি বলেন, যিনি ফরম পূরণ করতে পারবেন, নিজে সংশ্নিষ্ট
অফিসে আবেদন জমা দিতে পারবেন বা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে
পারবেন, তাকে এজেন্টের সহায়তা নিতে হবে না। এটা
বাধ্যতামূলক কিছু নয়।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সব কিছু করে যাচ্ছেন
: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন,
‘করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনা সব কিছু করে যাচ্ছেন। তিনি যেমন
প্রণোদনা দিচ্ছেন তেমনিভাবে টিকার ব্যবস্থা করেছেন।’
রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার গোপীনাথপুরে
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা প্রদান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান যোগ দেন।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুল
কাদিরের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকট রাশেদুল
কায়সার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
মো. মাসুদ-উল আলম, পৌরমেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল,
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন,
ছাত্রলীগ আহ্ বায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে খাদ্যসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি
দেওয়া হয়। মন্ত্রী এ সময় সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নির্দেশ অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্
বান জানান। কসবার চিত্র তুলে ধরে বর্তমান অবস্থায়
স্বাস্থ্যবিধি মানলে ১০-১২ দিনের মধ্যে করোনা
সংক্রমণের হার কমে আসার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাগেরহাটে ধরা
পড়ল ১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল
১০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ। বরগুনা জেলার
পাথরঘাটা উপজেলার মাসুম কোম্পানির একটি ফিশিং ট্রলার
থেকে ফেলা জালে সোমবার সকালে ধরা পড়ে বিশালাকৃতির এই
শাপলাপাতা মাছটি। মঙ্গলবার সকালে মাছটি বিক্রির জন্য
তোলা হয় বাগেরহাট কেবি ফিশারি ঘাটের মৎস্য আড়তে। ৫২
হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মাছটি কিনেন মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ
সরদার ও জাকির সরদার। দুপুরে মাছটি বিক্রির জন্য আনা
হয় বাগেরহাট খানজাহান আলী মাজার হাটে। খবর পেয়ে
বিশালাকৃতির মাছটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। পরে
মাইকিং করে বিশালাকৃতির এ মাছটি ৩৫০ টাকা কেজি দরে
বিক্রি করা হয়। মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ সরদার ও জাকির
সরদার জানান, আমরা গত ৩০ বছরেও এত বিশাল আকৃতির এই
শাপলাপাতা মাছ দেখিনি। তাই বাগেরহাট কেবি ফিসারি ঘাটের
মৎস্য বাজারের আড়তদার অনুপ সাহার আড়ত থেকে মাছটি ৫২
হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। ক্রেন দিয়ে ইঞ্জিনচালিত
নছিমনে তুলে বাগেরহাট শহরতলির খানজাহান আলী মাজার হাটে
আনা হয়। পরে কেটে ৩৫০ টাকা কেজি দরে প্রায় দেড় লাখ
টাকায় মাছটি মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি করেছি।
Top
সাবেক আফগান মন্ত্রী
এখন পিৎজা ডেলিভারির কাজ করছেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানের সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আহমদ শাহ সাদাতকে
সম্প্রতি জার্মানিতে দেখা গেছে। সেখানে তিনি লেইপজিগ
শহরে পিৎজা সরবরাহের কাজ করছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য
জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
জানা যায়, ২৫ আগস্ট তার কিছু ছবি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাকে কমলা রঙের
পোশাক পরা, পিঠে ব্যাগ নিয়ে সাইকেল চালাতে দেখা গিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, সাইকেলে পিজ্জা সরবরাহের সময়
একজন জার্মান সাংবাদিক রাস্তায় সাদাতকে দেখেছেন বলে
দাবি করেছেন।
এক টুইটে ওই সাংবাদিক দাবি করেন, কিছুদিন আগে, আমি
একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। যিনি নিজেকে
দুইবছর আগে আফগানিস্তানের যোগাযোগ ও প্রযুক্তি যোগাযোগ
মন্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তিনি
লেইপজিগে কী করছেন। তিনি জানান, জার্মানিতে তিনি খাবার
বিতরণের কাজ করেন।
জানা গেছে, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসতেই দেশ
ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন সাদাত। পাড়ি দেন জার্মানিতে।
তবে দেশ ছাড়ার বছর খানেক আগেই তিনি তার পদ থেকে
পদত্যাগ করেছিলেন।
কানাডায়
করোনার টিকা নিলে
ওমরাহ ভ্রমণের
সুযোগ
করোনা সংক্রমণ রোধে কানাডায় বসবাসরত মুসলিমদের টিকা
গ্রহণে উৎসাহিত করতে দেশটির ইমামরা ভিন্নধর্মী উদ্যোগ
নিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে টিকা নিলে লটারির
ভিত্তিতে ওমরাহ ভ্রমণের ঘোষণা দেয় দেশটির বৃহত্তর
মুসলিম সংগঠন দ্য ইসলামিক সুপ্রিমম কাউন্সিল।
২৫ আগস্ট ২০২১ কানাডার ক্যালগরির ২৫ ইমাম এক যৌথ
বিবৃতিতে স্থানীয় মুসলিমদের করোনা টিকা নিতে উৎসাহিত
করেন। প্রকাশিত বিবৃতিতে তাঁরা কোরআন ও সুন্নাহর বর্ণনা
অনুসারে জীবনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে
ধরেন।
ক্যালগরির ইমাম ও দ্য ইসলামিক সুপ্রিম কাউন্সিল অব
কানাডা প্রধান সায়েদ সোহারওয়ার্দী বলেন, ‘কানাডার
মুসলিমদের টিকা ড়্রহণে আমরা জোরালো আহ্বান জানাই। তা
মানবজীবন বাঁচাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।’
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে টিকা
নিতে বিলম্ব করা কিংবা না নিলে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে
যায়, যা ইসলামের সুমহান শিক্ষা সমর্থন করে না। তাছাড়া
কভিড-১৯ বিভিন্ন রূপ ধারণ করে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ফলে টিকার গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি।
রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ
থেকে রেহাই পেতে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
পালিয়ে আসে। আশ্রয় নেয় কক্সবাজারে। মানবিক কারণে
বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু এই আশ্রিত
রোহিঙ্গারাই এখন দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশ এখন নিজেই
সংকটের মুখে পড়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে
কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনজীবনে নেমে এসেছে এক দুর্বিষহ অবস্থা। কঠিন
পাহারা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখা যাচ্ছে না।
কত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে, তার
সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক
ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
তাদের নিজেদের মধ্যেও হানাহানি, খুনোখুনির ঘটনা ক্রমেই
বাড়ছে। আশ্রয়শিবিরগুলো হয়ে উঠেছে নানাবিধ অপরাধের আখড়া।
গুম, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ- কোনো কিছুই বাদ নেই। বিশেষ করে
রাতের বেলা ক্যাম্পগুলো চলে যায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা
সন্ত্রাসীদের দখলে। এ পর্যন্ত কয়েক শ ব্যক্তি
গুম-অপহরণের শিকার হয়েছেন। এদের হাতে স্থানীয়রাও
হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন প্রসঙ্গে মিয়ানমারের নির্বাসিত
সরকার জাতীয় ঐক্য সরকারের (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-
এনইউজি) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুআ লাসি লা কালের
কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিয়ানমারে কয়েক
দশক ধরে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর
নিপীড়নের দায় পুরোপুরি ওই দেশের সামরিক বাহিনীর। প্রায়
ছয় মাস আগে তারা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা
কুক্ষিগত করেছে, যে কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে
পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার স্বদেশে ফিরে যাওয়া
বর্তমান জান্তা সরকারের সময় সম্ভব হবে না। তিনি মনে
করেন, যত দিন মিলিটারি কাউন্সিল (স্টেট
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল) ক্ষমতায় আছে তত দিন এ
ধরনের প্রত্যাবাসনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ সামরিক
বাহিনী শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক
প্রত্যাবাসনের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাঁর মতে,
জাতীয় ঐক্য সরকারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত
প্রতিনিধিদের সরকারই শুধু ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা
শরণার্থী প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা করা
হয়েছে, কক্সবাজারের তুলনায় তা অনেক উন্নত ও নিরাপদ।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্ট্যান্ডার্ড
মেনে ৩.৯ বর্গমিটার জায়গা রেখে সেখানে ঘরগুলো তৈরি করা
হয়েছে। ১২০টি ক্লাস্টারে থাকা ঘরগুলো এতটাই পাকাপোক্ত
যে ২৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়েও ঘরের কোনো ক্ষতি হবে না।
তারপরও এসব ক্লাস্টারের সঙ্গে রয়েছে চার তলা একটি
দুযোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র। রয়েছে ভূগর্ভস্থ পানি এবং
পুকুর, হ্রদ ও খালের ব্যবস্থা। প্রতি ১১ জনে একটি
টয়লেট ও ২০ জনে একটি বাথরম্নমসহ রয়েছে উন্নত সেনিটেশন
ব্যবস্থা। আছে ডিজেল জেনারেটর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা।
রয়েছে বাজার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, থানা, সুপারশপ, অফিস
ও শেল্টার হাউস। পাশাপাশি আছে জীবিকা নির্বাহের নানা
সুবিধা প্রায় তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে
এই আবাসন উদ্যোগ গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ রোহিঙ্গাদের
সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে একটি গোষ্ঠী।
পরকীয়া একটি ভয়ঙ্কর
ব্যাধি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পরকীয়া একটি মারাত্মক ব্যাধি। একটি পরিবারের জন্য মহা
হুককি স্বরূপ হচ্ছে এ-পরকীয়া। পরকীয়ার এ-জের ধরে কত
সংসার ভেঙে খান খান হয়ে গেছে।জীবন হয়ে যাচ্ছে একেবারে
হাহাকার।এভাবে চললে যে, জীবনের প্রতিটি পাঠ একেবারে
ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে।তা আমাদের বিবেচনা করার
ব্যাপার নয় কী? প্রতুত্তরে আমরা বলবো অবশ্যই বিবেচনা
করার ব্যাপার। স্ত্রীর প্রতি স্বামী অসন্তুষ্টি।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীও বেমান ভাবেই রাগান্বিত। পাশের
বাড়ির সুন্দরী মেয়ের সাথে সুযোগ পেলেই জড়িয়ে যাচ্ছে
পরকীয়ার মত অবাধ মেলে মেশায়। স্বামীকে একান্ত কাছে না
পেয়ে স্ত্রী পরকীয়ার বিষবাষ্পে নিজের গা ডুবিয়ে দিচ্ছে।যেনো
নিজের গাকে নিজেই উনুনের অগ্নিকান্ডে জ্বালিয়ে ছাই করে
দেওয়ার মত অবস্থা।এব্যাপারে দিশেহারা হয়ে গেছে প্রায়
কিছু মানুষ।ব্যক্তি জীবন একেবারেই অতিষ্ঠ হয়ে গেছে
তাদের। জীবন হয়ে গেছে কলুষে বিবর্ণ,ধূসরতায় গিয়ে পৌঁছলো
জীবনের রূপ এবং রঙ। অবচেতনার দিকে ধাবিত হচ্ছে সময়ের
কিছু মুহূর্ত। আবার পারিবারিক জীবনেও কিছু মানুষ
শান্তির হিমেল বাতাস লাগাতে চাই তাদের গায়ে।
কিন্তু আমাদের রগ রেশায় এ-ব্যাধিটা যে একেবারে মিশে
গেছে। স্ত্রীর হাতে স্বামী নিহত আবার স্বামীর হাতেও
স্ত্রী নিহত হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। খবরের পাতা
উল্টোলেই বের হয়ে আসে পরকীয়ার জেরে একে অপরের হাতে
হত্যার কথা। এ ব্যাধির উৎসের মূল হচ্ছে একে অপরকে সময়
না দেওয়া এবং স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে মূল্যায়ন না
করা। দুহাজার উনিশ সালের এক সমীক্ষায় জানা যায় যে
পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে আছে। এর
আরেকটি কারণ হতে পারে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটির
ফলে একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। অনেক সময় এমনটাও
দেখা যায় অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কোন পুরুষের সাথে
চ্যাটিংয়ে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে পারিবারিক জীবনে
দ্বন্দ্ব কলহ সৃষ্টি এভাবেই দুজনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে
যায়।
এ পরকীয়ার আবির্ভাব কোথা থেকে ঘটে আর তার নিরসনের
পন্থাই বা কি! এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে চোখকে
পর নারী বা পরপুরুষের কুদৃষ্টি থেকে যত সংযোমী হওয়া
যায় বা নিজের আত্মাকে যত নিবৃত্ত রাখা যায়। চোখ দিয়ে
আমরা দেখি আর এই দেখাটা যখন আমরা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি
করি বা অনুভূতি জাগায় তখন থেকে ভালো লাগা শুরু হতে থাকে।আর
তখন থেকেই সেই রূপবতী চেহারার ম্যাপ আঙ্কন করি।
কখনো কখনো পর নারীকে আমরা কল্পনার জগতে এত্ত সুন্দর করে
সাজাই একেবারে পাগল পাড়া হয়ে যায় তার জন্য । আগাগোড়া
পুরোটাই মেলে ধরি কল্পনার মহারাজ্যে।তার দেহের ছবিটা
একেবারে মনের গভীরে নিয়ে কামনা বাসনার স্বপ্ন বুনি সেই
নারীকে নিয়ে। আর সেই নারীর কারণে নিজের স্ত্রীর ওপর
অনেক সময় জুলুমের স্টিম রোলার চালাতে খানিকটা
দ্বিদ্বাবোধও করি না আমরা।ঠিক তখন আমরা নরপুশুর রূপ
ধারণ করি।
'লৈঙ্গিক' জটিলতায়
ভ্যাকসিনের বাইরে থাকছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনার টিকা নিয়ে রাজশাহীতে মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।
তবে রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে স্বীকৃত তৃতীয় লিঙ্গের
জনগোষ্ঠীর (হিজড়া) অনেকেই করোনা টিকা কার্যক্রমের
বাইরেই থেকে গেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্ম
নিবন্ধন সনদ না থাকা, সুরক্ষা ওয়েবসাইটে লিঙ্গ পরিচয়
না থাকাসহ নানা জটিলতার কারণে টিকা নিতে ভোগান্তিতে
পড়ছেন তারা। আর বিধিবদ্ধ সব নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন নিতে
কেন্দ্রে গেলে সেখানেও পড়ত হচ্ছে নানান বিড়ম্বনায়।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা বলছেন, ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে
রাজশাহীর সব মানুষ করোনার গণটিকা ক্যাম্পেইন ও টিকাদান
কর্মসূচির আওতায় আসলেও কেবলমাত্র হিজড়া হওয়ায় সেই
সুযোগ তারা পাচ্ছেন না। পরিবার বা সমাজের মূল ধারার
সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় অনেকেরই আবার নেই জাতীয়
পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ! কয়েকজন এবার ভোটার
হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন পুরুষ কিংবা নারী পরিচয়ে।
ফলে তারাও নিবন্ধন করেননি টিকা নিতে। আবার নিবন্ধনের
জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটেও রাখা হয়নি তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয়ে
নিবন্ধনের সুযোগ। যে কারণে অতি প্রয়োজনীয় করোনা
ভ্যাকসিন নিতে গিয়েও লৈঙ্গিক জটিলতার আবর্তে ঘুরপাক
খাচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর লোকজন বলছেন- রাজশাহীতে করোনার টিকা
নিতে কয়েকটি বাধায় পড়তে হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন বা জাতীয়
পরিচয়পত্র না থাকা, বয়সসীমা নিয়ে বিভ্রান্তি, সুরক্ষা
অ্যাপে তৃতীয় লিঙ্গ অপশন না থাকা, নিবন্ধন প্রক্রিয়া
সম্পর্কে ধারণা না থাকা ও টিকাকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে
ভোগান্তিই এর মধ্যে অন্যতম। মূলত এসব সমস্যাগুলোর কারণে
তারা করোনা টিকা নিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ অবস্থায়
তাদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন মরণঘাতী এই ভাইরাসে।
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্য মিতু বলেন, নিবন্ধন করে
এনআইডি কার্ড নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার পর আমাদের
ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। টিকার জন্য ছেলেদের লাইনে
দাঁড়ালে বলে মেয়েদের লাইনে যেতে। কিন্তু আবার মেয়েদের
লাইনে দাঁড়ালে ছেলেদের লাইনে পাঠিয়ে দেয়। কার্ড থাকার
পরও আমরা টিকা নিতে পারছি না। আমরাও তো এই দেশেরই
নাগরিক। হিজড়া বলে আমি কি ভ্যাকসিন নিতে পারবো না? তিনি
আরও বলেন, সামাজিকভাবে গ্রহণ না করার কারণে মানবিক ও
মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় টিকা নেওয়ার সুযোগ
থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এসব সমস্যার কারণে অনেকেই
টিকা নিতে অনাগ্রহী। এজন্য তাদের টিকাদানের বিশেষ
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান
এই নেত্রী।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন,
সুরক্ষা অ্যাপসে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত
বিষয়টি এরই মধ্যে তাদের নজরে এসেছে। তারা এই বিষয়টি
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
ইতালি উপকূলে নৌকা
থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৩৯ জন উদ্ধার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসা উপকূলে একটি
জরাজীর্ণ মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৩৯ জন
অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের
প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট
বর্ডারসের নার্স আলিদা সেরাচিয়েরি জানান, নৌকায়
গাদাগাদি করে থাকা লোকজনের মধ্যে তিন জন নারী ও কয়েকটি
শিশু ছিল।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার
লোকজন রয়েছে। তবে, তাদের সঙ্গে কত জন বাংলাদেশি রয়েছে,
তা জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে লিবিয়ায় বন্দি
হওয়া কিছু লোকও রয়েছে বলে ইতালির স্থানীয়
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভাগ্য বদলের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে ঢুকতে
লিবিয়া উপকূল থেকে রওনা দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা
সমুদ্রপথে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইতালির
লাম্পেদুসা উপকূলে পৌছায়। ইতালির কোস্টগার্ড তাদের
উদ্ধার করে।
পাঁচ শতাধিক উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে অন্তত ২০ জনের
শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান নার্স
আলিদা সেরাচিয়েরি। তাদের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা
হয়েছে। সেরাচিয়েরি বলেন, তাদের শরীরে পোড়ার ক্ষত এবং
আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। কয়েকজন পানিশূন্যতায় চরম
দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
‘পুলিশ নিউজের’
যাত্রা শুরু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘পুলিশ নিউজ’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে বাংলাদেশ
পুলিশ। পোর্টালে দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক খবর ছাড়াও
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অর্জনগুলো দ্রুততম সময়ে তুলে
ধরা হবে। নিউজ পোর্টালটিতে থাকবে পৃথক রিপোর্টিং টিম,
যারা সবাই পুলিশের সদস্য। ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশ
সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হবংি.ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ নামে
পোর্টালটির উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)
ড. বেনজীর আহমেদ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আইজিপি বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলায়
নিউজ পোর্টালটি চালু হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা ইংরেজি
ভার্সন চালু করবো। মূলত পুলিশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে
এ পোর্টালে। এছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশে অসংখ্য পজিটিভ
সংবাদ থাকে। সেগুলো তুলে ধরা হবে এখানে। পুলিশ নিউজে
মূলত পুলিশ সদস্যরাই নিউজ করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিউজগুলো অনুমতি
সাপেক্ষে ক্রেডিট দিয়ে ছাপানো হবে।
জাতিসংঘ শিক্ষার
পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শিশুদের নিরাপত্তাও চায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ জানিয়েছে, শিক্ষার পাশাপাশি ফিলিস্তিন শিশুদের
এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিরাপত্তা।
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার ও আবাসনবিষয়ক
সমন্বয়কারী লিন হ্যাস্টিংস সোমবার এ কথা বলেছেন। খবর
আনাদোলুর।
তিনি বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শিশুদেরও
নিরাপত্তা প্রাপ্য। জীবনের নিরপিত্তা তাদের অধিকার।
এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
উচিত বিশ্বের সবচেয়ে অনিরাপদ এলাকায় বসবাস করা এসব
শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ফিলিস্তিনে চলতি বছরের শুরু থেকে এ
পর্যন্ত ৭৯টি শিশু নিহত এবং এক হাজার ২৬৯টি শিশু আহত
হয়েছে।
সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে নিহত হয় ৬৭টি
ফিলিস্তিনি শিশু। এ ছাড়া পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে
ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে আরও ১১ শিশুর।
ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রাণহানির জন্য ইসরাইল দায়ী
করেছেন জাতিসংঘের এ কর্মকর্ত। তিনি বলেন, স্কুল থেকে
বাড়ি আসার পথে প্রায়ই ইসরাইলি বাহিনী অথবা বর্ণবাদী
ইহুদি বসতকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে
ফিলিস্তিনি শিশুরা। কখনও কখনও ইসরাইলিদের বর্বরতায়
প্রাণ হারাচ্ছে এসব শিশু।
পশ্চিম তীরে ৫৫
ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন জানিয়েছে যে এ বছর
পশ্চিম তীরে ৫৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি
কর্তৃপক্ষ। ইসরাইলি সেনাদের সরাসরি গুলিতে এসব
ফিলিস্তিনি নিহত হন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক
কমিশনের (ওসিএইচএ) অফিস এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এসব
তথ্য প্রকাশ করেছে। শনিবার এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে
তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে
পশ্চিম তীরের ২২১ ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে ইসরাইলিরা।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০২১ সালে পশ্চিম তীরের
এরিয়া-সি এলাকায় ৫২৭ ফিলিস্তিনির বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা
হয়েছে। এ সময় ৭৩৩ ফিলিস্তিনিকে জোর করে ওই এলাকা থেকে
তাড়িয়ে দেয়া হয়। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যেকার ১৯৯৫
সালের অসলো চুক্তি অনুসারে পূর্ব জেরুসালেমসহ সমগ্র
পশ্চিম তীরকে এ, বি ও সি ব্লক এলাকায় ভাগ করা হয়।
বর্তমানে পশ্চিম তীরের এরিয়া-সি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের
সকল ধরনের বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করছে
ইসরাইল। এ অঞ্চলের প্রশাসন ও নিরাপত্তা ইসরাইলের
নিয়ন্ত্রণে আছে। পশ্চিম তীরের এরিয়া-সি এলাকায় তিন লাখ
ফিলিস্তিনি বাস করে। এ সকল ফিলিস্তিনির বেশির ভাগই
হলেন বেদুইন ও গবাদিপশু পালনের সাথে জড়িত। তারা তাবু,
কাফেলা ও গুহায় বাস করেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম হলো অধিকৃত এলাকা। তাই এ
অঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণ অবৈধ। আনাদোলু এজেন্সি।
সবচেয়ে ধনী রুশ নারী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিনি জ্যাক মা’র নারী ভার্সন। শুরুতে জ্যাক মা’র
মতো শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি অনলাইন
ব্যবসায় নেমে রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী নারী হয়ে গেছেন। তার
নাম তাতিয়ানা বাকালচুক। তাতিয়ানা অ্যামাজনের রাশিয়ান
ভার্সন চালিয়ে এখন এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের মালিক।
ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের যে তালিকা তৈরি
করেছে সেখানেই এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চার সন্তানের মা তাতানিয়াও ইংরেজি ভাষার সাবেক একজন
শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু শিক্ষকতা ছেড়ে দিতে অ্যামাজনের
মতো অনলাইনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান।
রাশিয়ার ওয়েবসাইটগুলো বলছে, ওয়াইল্ডবেরিস নামের ওই
প্রতিষ্ঠানটি একেবারে শূন্য থেকে দাঁড় করিয়েছেন
তাতিয়ানা। আর এভাবেই তিনি নিজে নিজে রাশিয়ার প্রথম নারী
হিসেবে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। ফোর্বস বলছে, চালু
করার কয়েক মাসের মধ্যেই দ্রুত সাফল্যের মুখে দেখেন
তাতিয়ানা। মাত্র এক বছরেই তার সম্পদের পরিমাণ এক হাজার
২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এভাবেই তিনি এক হাজার ৩০০ কোটি
ডলারের মালিক হন। গত বছর পর্যন্ত ওয়াইল্ডবেরিস আয় ছিল
৪৩৭ বিলিয়ন রুবলস (৫৯০ বিলিয়ন ডলার)। মে মাস পর্যন্ত
স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫৩ হাজার মানুষের
কর্মসংস্থানও তৈরি করেছে ওয়াইল্ডবেরিস।
এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ওয়াইল্ডবেরিসের
নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ লাখ বেড়েছে। সব মিলিয়ে
এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা
দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ। আসলে করোনার মধ্যে অনলাইন
ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়ার সুফল পাচ্ছেন তাতিয়ানাও। ৪৫ বছর
বয়সী রুশ-কোরিয়ান বংশোদ্ভূত তাতিয়ানা ২০০৪ সালে
মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে জমানো ৭০০ ডলার দিয়ে নিজের
ফ্ল্যাটেই ওয়াইল্ডবেরিসের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
পালিয়ে বিয়ে করায়
বাল্যবিয়ে বাড়ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মেয়েরা অল্প বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করায়
বাল্যবিবাহ বাড়ছে বলে দাবি করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। জাতীয় সংসদ ভবনে
বুধবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য
জানা গেছে। কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ, শবনম
জাহান, সৈয়দা রাশিদা বেগম, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ
ফাতেমা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, কমিটি এর আগে বাল্যবিয়ের কারণ
সম্পর্কে জানতে চায় মন্ত্রণালয়ের কাছে। ওই বৈঠকের
কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ
নিজেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে বলেন, অল্প বয়সের অনেক
মেয়ে এখন বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করছে। যার কারণে
বাল্যবিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। পরে কমিটি বিষয়টি সুপারিশ আকারে
নিয়ে আসে।
এই সুপারিশের আলোকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
পক্ষ থেকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও শিশু একাডেমির
মহাপরিচালক এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে
চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বর্তমানে অল্প বয়সের অনেক মেয়ে
বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কারণে বাল্যবিবাহ বেড়ে
যাচ্ছে উল্লেখ করে এর কারণ খুঁজে বের করার জন্য বলা হয়।
পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি জরিপ করার জন্য ইতঃপূর্বে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গঠিত কমিটিগুলোকে সময়োপযোগী
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তালেবান ফিরছে নতুন
রূপে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পরনে ইউনিফর্ম, বুট, বালাক্লাভা হেলমেট আর শরীরবর্ম-
পুরোপুরি সামরিক সাজে তালেবান সদস্যদের এই রূপ দেখে
চমকে যাবেন অনেকেই।
সম্প্রতি নিজেদের ‘বিশেষ বাহিনীর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে এমন ছবিই প্রকাশ করেছেন তালেবান। সেখানে
সামরিক পোশাকে তালেবান সদস্যদের ছবি দেখলে অনেকেরই চোখ
কপালে উঠতে পারে। অনেকেই আবার এটা আসলেই তালেবান
সদস্যদের ছবি কী না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেন।
কারণ সেই চিরচেনা আফগান পোশাক পরিহিত তালেবান সদস্যদের
সাথে এই তালেবানের কোনো মিলই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তালেবান তাদের এই বিশেষ বাহিনীর নাম দিয়েছে ‘বদরি
ওয়ানথ্রিওয়ান’। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতীতের চেয়ে
বর্তমানের তালেবান কতটা প্রশিক্ষিত আর সুসজ্জিত তা
বোঝাতেই বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিশ্বের সব বিশেষ বাহিনীর মতোই আফগান ঐতিহ্যবাসী পোশাক
সালোয়ার-কামিজ, পাগড়ি আর স্যান্ডেলের বদলে তালেবানের
সদস্যদের ইউনিফর্ম, বুট, বালাক্লাভা হেলমেট আর
শরীরবর্ম পরতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে চিরচেনা রাশিয়ান তৈরি কালাশনিকভ রাইফেলের বদলে
তালেবানের বিশেষ বাহিনীর কাঁধে দেখা গেছে এমফোরের মতো
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাইফেল। কখনো কখনো তাদের চোখে দেখা
গেছে নাইট ভিশন গগলস।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরামর্শক ম্যাট হেনম্যান জানান,
তালেবানের মধ্য থেকে সেরা যোদ্ধাদেরই বিশেষ বাহিনীতে
নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিশেষ বাহিনী তালেবানের প্রচারণা
চালানোর এক ধরনের প্রপাগান্ডাও হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করে এক পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞ ছদ্মনামে
টুইটারে জানিয়েছেন, তালেবানের বিশেষ বাহিনীর সাথে
পশ্চিমা কিংবা পাক-ভারতের বিশেষ বাহিনীর মিল নেই। তারা
চিরচেনা তালেবান সদস্যদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তারা
নিঃসন্দেহে আফগান ন্যাশনাল আর্মির চেয়ে মান সম্মত।
১৪০০ হাজান বছর আগের ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে মহানবী হযরত
মুহাম্মদ (স.) মাত্র ১৩১ জন সাহাবি নিয়ে বিধর্মীদের
মোকাবেলা করেছিলেন। সেই জন্য হাজারের বেশি সদস্যদের
দলটির নাম ‘বদরি ওয়ানথ্রিওয়ান’ রাখা হয়েছে বলে
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
কর্মহীন মালয়েশিয়া
প্রবাসীরা শঙ্কায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন এবং
অচলাবস্থার কারণে বহুমাত্রিক সংকট দেখা দিয়েছে
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে। এরই মাঝে বিভিন্ন সামাজিক
সংগঠন কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে
সংক্রমণরোধে দেশটির সরকার টিকা প্রদানে জোর দিয়েছে।
দুই ডোজ টিকা সম্পন্নকারীরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে
পারবেন- এমনটিই জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে চলমান লকডাউনে
কিছুটা শিথিলতা আনলেও দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত
বাংলাদেশিরা একদিকে বেতন পাচ্ছেন না আবার অনেকে ছাঁটাই
এবং মজুরি হ্রাসের কবলে পড়েছেন। দেশটিতে অবস্থানরত
প্রবাসীদের অনেকেই এখন বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
চাকরি নিয়েও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। মালয়েশিয়ায় কর্মরত
সাইদুল মিয়া জানান, গত চার মাস ধরে তিনি দেশে টাকা
পাঠাতে পারছেন না। গত মাসে বেতন-ভাতাও পাননি। তিনি যে
কারখানায় কাজ করেন সেটিও বন্ধ। বাড়ি থেকে যোগাযোগ করছে
টাকা-পয়সা দরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে
মালয়েশিয়ায় যে কড়াকড়ি চলছে তাতে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
সবাই। এছাড়া মহামারির প্রভাবে দেশটির অর্থনীতিও মন্দার
কবলে। এ অবস্থায় বহু প্রতিষ্ঠানে বেতন কাটা হচ্ছে এবং
শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হয়েছে বলে জানান প্রবাসী সোহাগ মিয়া।
তিনি বলেন, আমার কোম্পানি প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক ছাঁটাই
করছে। ছাঁটাই একটা বিরাট সমস্যা হয়ে গেছে। আরেকটা
সমস্যা হচ্ছে বেতন কাটছে। তিনি জানান, ধরেন যাদের বেতন
দেড় থেকে দুই হাজার ছিল তাদের বেতন এক হাজার থেকে ১২শ'র
মধ্যে নিয়ে আসছে।
এ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে থাকা প্রবাসীদের
পরিবারগুলোতে আর্থিক সংকট দেখা দিচ্ছে। কথা বলে বোঝা
যাচ্ছে অনেকেই সংকটে পড়ে গেছেন। আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি
দেশে এসে কর্মস্থলে ফেরা নিয়েও অনিশ্চয়তায় আছেন ছুটিতে
থাকা প্রায় ২৫ হাজার প্রবাসী।
তালেবানের সঙ্গে
সংলাপ চান মের্কেল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তালেবানের সঙ্গে সংলাপ চান মের্কেল অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।
তালেবান পতনের পর দীর্ঘ ২০ বছর আফগানস্তিানে যে
পরিবর্তন ও উন্নয়ন এসেছে, সেগুলো ধরে রাখতে তালেবানের
সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জার্মান
চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। ২৫ আগস্ট জার্মান
পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতিকে ‘তিক্ত বাস্তবতা’ বলে
উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গত ২০ বছরের অর্জন ধরে রাখতে
তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রয়োজন। মের্কেল বলেন,
আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত তালেবানের সঙ্গে সংলাপে বসা।
এদিকে ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা
প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি
আফগানিস্তানের জনগণকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্র“তি
ব্যক্ত করেন। এর আগে, তালেবান হুঁশিয়ারি করেছে ৩১
আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা
প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল জজ হলেন বাংলাদেশি নূসরাত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন ফেডারেল কোর্টে এই প্রথম একজন বাংলাদেশি
আমেরিকান জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার নাম নূসরাত
জাহান চৌধুরী (৪৪)। বেশ ক’বছর থেকেই আমেরিকান সিভিল
লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনগত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করছেন। ইউএস সিনেটের লিডার এবং নিউইয়র্ক থেকে
নির্বাচিত সিনেটর (ডেমক্র্যাট) চাক শ্যুমারের সুপারিশে
নূসরাত চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে জেসিকা
ক্লার্ক (৩৮) এবং নীনা মরিসন (৫১) নামের আরও দুই নারীকে
ইউএস ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এবং সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট
কোর্টের জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজনেরই প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায়
উজ্জীবিত বলে সর্বত্র পরিচিতি রয়েছে। সিনেটরের অফিস
থেকে ১ সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানানো হয়েছে এ সংবাদদাতাকে।
এ সময় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে চাক শ্যুমার বলেছেন, নূসরাত
ইতিহাস সৃষ্টি করলেন বাংলাদেশি হিসেবে এবং দ্বিতীয়
মুসলিম জজ হিসেবে-যিনি ফেডারেল কোর্টে বসবেন।
নারী ও শিশু সংবাদ
নারীর হাতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উম্মে খোদেজা (২২)। স্বামী
পরিত্যক্ত এই নারী দুই সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের ভরণপোষণের
জন্য বছর দুই আগে খালাতো বোনের সঙ্গে ঢাকায় একটি পোশাক
কারখানায় কাজে ঢোকেন। বেতনের টাকায় গ্রামে নিজের
পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও খোদেজা তার সন্তানদের
ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাচ্ছেন।
এমন চিত্র শুধু এক খোদেজার নয়। পরিবারের সঙ্গে দেশের
অর্থনীতিও সচল রাখতে খোদেজার মতো লাখ লাখ নারী পোশাক
শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর নারী পোশাক
শ্রমিকদের সেলাই মেশিনের চাকা সচল আছে বলেই বদলে যাচ্ছে
বাংলাদেশের অর্থনীতির চালচিত্র। বাংলাদেশ বিশ্বের
দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আর পোশাক খাতের এই
অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে নারী শ্রমিকদের কারণেই। ভারতীয়
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে
শ্রমশক্তিতে নারীদের উচ্চতর অংশগ্রহণ একটি বড় ভূমিকা
রাখছে। আর ভারত এদিক দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে
আছে। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে
মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। এই পোশাক খাতকে
নিয়েই বিশ্ববাজারে একটি ভালো স্থান করে নিয়েছে
বাংলাদেশ। হিসাব বলছে, শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের নারীদের
অংশগ্রহণের হার ৩২ শতাংশ, আর ভারতে এই হার মাত্র ২০
দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বাংলাদেশ
প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম
আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পেছনে নারীর এই অগ্রগতি মুখ্য
ভূমিকা রাখছে। তাদের মতে, রাজনৈতিকভাবে সরকারের বড়
দর্শন কাজ করছে যে, নারীকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বিশেষ
করে সরকারি চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়া। সচিব, সিনিয়র
সচিবসহ সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন নারী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন-পুলিশ, সেনাবাহিনী,
নৌবাহিনীতেও উচ্চপদে নারীর অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ
এখন পুরুষ সমকক্ষ কর্মক্ষেত্রগুলোতে নারীর অংশগ্রহণের
সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সরকার যদি রাজনৈতিক এই অবস্থা ধরে
রাখে এবং বেসরকারি খাতকে যদি জেন্ডার সমতা বিষয়ক
নীতিগত সিদ্ধান্ত পালনে বাধ্য করে তাহলে পুরুষ সমকক্ষ
কাজেও সমভাবে দেখা যাবে নারীদের অংশগ্রহণ। বিগত এক দশকে
বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত
হয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ
ক্রমেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। ওয়ার্ল্ড
ইকোনমিক ফোরামের সূচক বলছে, বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতায়
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আর এই সমতা
নারীর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যের
উন্নতি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর ভিত্তি করে তৈরি
করা হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। আর বিগত এক
দশকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নারীর অংশগ্রহণও
উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক
অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
পাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী
বাংলাদেশে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১০ সালে যেখানে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ছিল ১৬.২ লাখ
সেখানে ২০১৬-১৭ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮.৬
লাখ। ১৯৭৪ সালে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪
শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫.৬ শতাংশ। তবে
চাকরির বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরুষের
প্রতিদ্ধন্ধিতায় এখনো নারীকে পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। আর
এমনটি হচ্ছে উচ্চতর শিক্ষায় নারীরা পুরুষের তুলনায় এখনো
পিছিয়ে আছে বলে। এ জন্য পেশাদার চাকরিগুলোতে নারীর
অংশগ্রহণ এখনো কম।
মির্জাপুরে ১৬টি কয়লার কারখানা, শিশু
কিশোররা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বনাঞ্চল ও জনবসতি এলাকায় ১৬টি
কয়লার কারখানায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব কারখানা নির্মিত
হওয়ায় বনাঞ্চলের কাঠ কেটে কয়লার কারখানায় বিক্রি করা
হচ্ছে। এতে একদিকে বনাঞ্চলের কাঠ যেমন উজার হচ্ছে। অপর
দিকে এর নির্গত ধোয়ায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে
পরেছে। তাছাড়া এলাকার শিশু-কিশোররাও নানা রোগ-ব্যাধিতে
আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
চুল্লির ধোয়ায় এলাকার মৌসুমী ফল গাছের মুকুল ও সবজি
গাছ নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী
ও বন বিভাগ সূত্র জানান, মির্জাপুর উপজেলার আজগানা,
বাশতৈল এবং তরফপুর ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার একর সংরক্ষিত
বনাঞ্চল রয়েছে। বাঁশতৈল পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা
বিল্লাল হোসেনের ২৫৫ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি প্রতি
মাসে ৮ হাজার টাকা বাড়ায় ২ বছর আগে বাঁশতৈল ইউনিয়নের
কাহারতা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও গায়রাবেতিল গ্রামের
মজিবুর রহমানের কাছে ভাড়া দেন। পরে তারা জমির মালিক
বিল্লাল হোসেন ও হারুন অর রশিদ নামে দুইজনকে সাথে নিয়ে
চারজনে ওই স্থানে ১৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি স্থাপন করেন।
ওই কারখানায় কাঠ চোরারা প্রতিদিন ট্রাক এবং গরু-মহিষের
গাড়িতে শতশত মন কাঠ এনে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা মন দরে
বিক্রি করেন। ওইসব কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিটি চুল্লিতে ৩ থেকে ৪ দিনে ২০০ মন কাঠ পুড়ানো হয়।
তা থেকে ৫৫ থেকে ৬০ বস্তা কয়লা তৈরি হচ্ছে। ২৫ থেকে ২৭
কেজি ওজনের প্রতি বস্তা কয়লা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে। কয়লা পরিবহনে যাতে কোন সমস্য না হয়
সেজন্য চটের বস্তায় এসব কয়লা বিভিন্ন স্থানে শীষা এবং
সিলভারের তৈজসপত্র তৈরি কারখানায় সরবরাহ করা হয় বলে
জানা গেছে। প্রতি মাসে প্রতিটি চুল্লিতে ১ হাজার ৬০০
মন কাঠ পুড়ানো হচ্ছে। সে হিসেবে ওই ১৬টি চুল্লিতে ২৫
হাজার ৬০০ মন কাঠ পুড়ানো হয়।
প্রতিদিন প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে শতশত মন কাঠ পোড়ানোর
ফলে নির্গত ধোয়ায় জনস্বাস্থ্য ও এলাকার পরিবেশও
মারাতœকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। কয়লার কারখানার কালো ধোয়ায়
ওইসব এলাকার মৌসুমী ফল আম, কাঠাল, বড়ই ও লিচুর মুকুল
ঝরে পড়ে। এছাড়া কলা, বেগুন, কাঁচামরিচের আবাদও নষ্ট
হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।
কয়লার চুল্লির ধোয়ায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরাসহ সব
বয়সের মানুষ সর্দি কাশি এবং চোখের জ্বালা সহ নানা
প্রকার রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী
জানিয়েছেন।
বনাঞ্চলে গড়ে উঠা এসব কয়লার কারখানার মালিকরা এলাকায়
এতই প্রভাবশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী টু-শব্দও
করতেও সাহস পাচ্ছে না।
জয়নাল মিয়ার স্ত্রী ফুলখাতুন জানান, ২০ শতাংশ জমিতে
বেগুন, ১০ শতাংশ জমিতে বড়ই, ৪০ শতাংশ জমিতে কাঁচা
মরিচের আবাদ করা হয়েছিলো। ধোয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে।
নারীকে
উত্ত্যক্ত করায় যুবকের ছয় মাসের কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুরে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে
দেলোয়ার নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড
প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত যুবক
দেলোয়ার হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় স্কুলপাড়া গ্রামের
মৃত আনারুল হকের ছেলে। গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুর
আলম এ রায় দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ
নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বোয়ালদাড় গ্রামের
দেলোয়ার একই গ্রামের একজন নারীকে বিভিন্নভাবে
কুপ্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। পরে ওই নারীর
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাকিমপুর পুলিশের সহযোগিতায়
নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে
আসামিকে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।
বাল্যবিয়ে পণ্ড, বর-কনের মা-বাবাকে জরিমানা
সুবর্ণচরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে
রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। উপজেলার চর
জুবলী ইউনিয়নের চর ব্যাগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী
(১৫) পাঙ্কার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির
ছাত্রী। পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে ইউএনও ওই বাড়িতে
উপস্থিত হয়ে কনের মাকে দশ হাজার এবং বরের বাবাকে পনেরো
হাজার টাকা জরিমানা করেন।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫ পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ২৫ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা
হয়েছে। এদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক (এসআই), সহকারী
উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবল রয়েছেন। অপরাধসহ
বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে
তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আরও ১০০
জনকে বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ আগস্ট দুপুরে
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি। এ
সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ সদস্যদের
বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বিভাগে কোনো অপরাধীর জায়গা
নেই। আমি ২৫ জনকে চাকরিচ্যুত করে দিয়েছি। ১০০ জনকে বড়
ধরনের শাস্তি দিয়েছি। এ ছাড়া ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেম বা সিডিএমএসের মাধ্যমে জেলার সব পুলিশ সদস্যের
তিন বেলা হাজিরা ও ডিউটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। পুলিশের
ঘর অবশ্যই অপরাধমুক্ত হবে। এসপি আরও বলেন, ১
সেপ্টেম্বর থেকে মাদক, অবৈধ অস্ত্র এবং অবৈধ
মোটরসাইকেলসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু
হবে। অপরাধী যারাই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া
চোরাকারবারি, কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
হবে। পাশাপাশি যারা মোটরসাইকেলে ‘প্রেস’ লাগিয়ে নানা
অপরাধমূলক কর্মকা- করে আসছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান
চলবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর-দপ্তর) মো. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সরাইল
সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ জেলা
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মেহেরপুরের হত্যা
মামলায় স্ত্রীসহ চার জনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মেহেরপুরের বলিয়ারপুর গ্রামের আলম হত্যায় জড়িত থাকার
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিহতের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন এবং
তিন আসামি খোকন, মুকুল ও আসাদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড
অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা
জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এই দণ্ড দেন।
নিহত আলমের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী সাফিয়া খাতুন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আহসান
আলীর মেয়ে এবং খোকন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা
উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আসির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে,
মুকুল চুয়াডাঙ্গার শংকর চন্দ্রপুর গ্রামের টেঙ্গর ওরফে
হোসেন আলীর ছেলে ও আসাদুল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা
উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩১
জুলাই মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের
পাটক্ষেতসংলগ্ন রাস্তার ওপর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির
লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় নিহতের দুই হাত কাঁচা পাট
দিয়ে বাঁধা ছিল এবং গলায় ও ঘাড়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে
কোপানো ছিল। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি
দল ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে
মেহেরপুর মর্গে পাঠায়। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি
বলিয়ারপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আলম বলে জানা যায়।
ওই ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই শওকত আলী
বাদি হয়ে অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে একটি মামলা
দায়ের করেন।
কাশিমপুর কারাগারে
হাজতির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হত্যা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি
কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
৮ আগস্ট ২০২১ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই হাজতিকে হাসপাতালে
নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত হাজতি শরিফুল ইসলাম হিজু (৩৫) যশোরের চৌগাছা থানার
হাঘাটি চান্দ্রাপাড়া এলাকার মৃত আসমত আলীর ছেলে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি
জেলার দেলোয়ার পারভেজ জানান, দক্ষিণখান থানায় ৫৪(৫)১৮
নং মামলায় ৩০২২০১৩৪ ধারায় প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগার কেরানীগঞ্জে বন্দি ছিলেন শরিফুল ইসলাম। পরে
তাকে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি
কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
৮ আগস্ট ২০২১ রাত ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে তিনি হঠাৎ
অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন
আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে
কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ৮টার
দিকে শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে
তলব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রামের সেই মিনু বেগমের দীর্ঘ কারাভোগ ও পরবর্তী
সময়ে কারামুক্তির পর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাকে
কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাদের ওই দুই
মামলার নথিসহ (সিডি) হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। একই সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন
ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার
রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত
আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে নিরীহ
মিনুর কারাগারে বন্দি থাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মামলায়
এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী
ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপর পক্ষে
আইনজীবী ছিলেন ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ও অ্যাডভোকেট
সগির হোসেন লিওন।
এদিকে মিনুর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় বিচার
বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগে গত ২৮
জুন হাইকোর্ট দেশের সব কারাগারে প্রকৃত আসামি শনাক্তে
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে
বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া
হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব,
আইন সচিব (লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ) ও কারা
মহাপরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা
হয়েছে।
যশোরে
ফেনসিডিল-ইয়াবাসহ পুলিশের দুই কনস্টেবল আটক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফেনসিডিল-ইয়াবাসহ পুলিশের দুই কনস্টেবলকে আটক করেছে
যশোর পুলিশ। গতকাল শনিবার গভীর রাতে শহরের একটি আবাসিক
হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই
বোতল ফেনসিডিল এবং ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ইয়াবা
সেবনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি চারটি পাইপ লাইটার জব্দ করা
হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার
গভীর রাতে পুলিশ কনস্টেবল মুজাহিদ ও আজম মোল্যা যশোর
আবাসিক হোটেলের ৪১০ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে, কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খাইরুল আলম
সেখানে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদের হাতেনাতে আটক
করেন। এসব মাদকদ্রব্য বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা সেখানে
অবস্থান করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। এ
ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আটক কনস্টেবল মুজাহিদ যশোর শহরের চাঁচড়া ফাঁড়িতে
কর্মরত। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার জয়গাছি গ্রামে।
অন্যজন, মুজাহিদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
তবে বর্তমানে তিনি বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তার বাড়ি
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কচুয়াপোতা গ্রামে।
ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারের ফাঁসির আসামির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কয়েদি গত ২৪ আগস্ট ২০২১
রাতে মারা গেছেন। তিনি একটি মামলায় ফাঁসির আসামি ছিলেন।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মারা যাওয়া কয়েদির নাম সারোয়ার কামাল ওরফে লিটন (৫৬)।
তাঁর কয়েদি নম্বর ১১৪৮/এ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সারোয়ারের গ্রামের ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কারাহো
গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ফজুলল করিম।
কারাগার সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন সারোয়ার। গতকাল রাতে তিনি হঠাৎ
অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কয়েকজন কারারক্ষী তাঁকে দিবাগত
রাত পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
ক্যান্সার প্রতিরোধী, ডায়াবেটিস রোগেও উপকারী
পেঁপের বীজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর, রসাল ও সুস্বাদু একটি ফল হচ্ছে
পেঁপে। এটি কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া হয়ে থাকে।
এ ফলটির স্বাদের পাশাপাশি এর অনেক গুণাগুণ থাকার কারণে
এর কদর সারা বিশ্বেই। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই
ফলটির বীজও আপনি খেতে পারবেন আর এর বীজেরও রয়েছে অনেক
গুণাগুণ।
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী পেঁপের বীজ। এতে বিভিন্ন
ধরনের প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাশাপাশি এটিতে
পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। আর এ যৌগগুলো আমাদের
শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এ ছাড়া
পেঁপের বীজে ওলিক অ্যাসিড এবং আরও কিছু উপকারী
মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে, যা শরীরের জন্য
অনেক প্রয়োজনীয়।
পেঁপের বীজ আমাদের শরীরে ফাইবার সরবরাহ করার মাধ্যমে
রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। আর
এতে থাকা উচ্চ ফাইবার হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক,
ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাতেও অনেক উপকারী।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা
গেছে যে, পেঁপের বীজের মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের
কারণে উচ্চমাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খুব কম ঘনত্বের
লাইপোপ্রোটিন যথাক্রমে ১৯ শতাংশ ও ২২ শতাংশ পর্যন্ত
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে।
আমাদের মাঝে অনেকেই জানেন না যে, পেঁপের বীজের এত
উপকার রয়েছে। আর যদি কেউ জানত যে এর এত উপকার রয়েছে,
তা হলে হয়তো পেঁপের বীজ কেউ ফেলে দিতেন না। আজ জানুন
পেঁপের বীজের বিভিন্ন উপকারী দিক
১. সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে
পেঁপের বীজ শরীরের নির্দিষ্ট ধরনের কিছু ছত্রাক এবং
পরজীবী ধ্বংস করতে পারে। আর এর কারণে এটি আমাদের শরীরে
বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। একটি
গবেষণায় দেখা গেছে যে, শুকনো পেঁপের বীজ ও মধু দিয়ে
তৈরি পানীয় অন্ত্রের পরজীবী উল্লেখযোগ্যভাবে বিনাস করতে
পারে।
২. কিডনি কার্যকারিতা রক্ষা করে
আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে
কিডনি। এটি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল
অপসারণ করতে অনেকটা ফিল্টারের মতো কাজ করে থাকে।
পেঁপের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির কোষগুলোকে
ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং কিডনির স্বাস্থ্য ভালো
রাখতে সহায়তা করে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
পেঁপের বীজের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং এর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পেঁপের বীজের নির্যাস শরীরের
প্রদাহ কমাতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ
ছাড়া আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপের কালো বীজ
প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে।
৪. হজম শক্তিতে উপকারী
পেঁপের বীজ ফাইবারের অনেক ভালো উৎস। আর এ কারণে এটি
আপনার হজম শক্তিতে উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে যে, পেপেঁর বীজে থাকা ডায়েটরি
ফাইবার প্রদাহজনক পেটের রোগ থেকে রক্ষা করে এবং
হেমোরয়েডের লক্ষণ উপশম করতে পারে। এ ছাড়া অন্ত্রের
আলসার গঠনে বাধা দিতেও সহায়তা করে পেঁপের বীজ।
৫. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
পেঁপের বীজ হৃৎপিন্ডকে ভালো রেখে হৃদরোগ প্রতিরোধে
সহায়তা করে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন এ, সি, ই এবং শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরের বাজে
কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
তবে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে পেঁপের বীজ খাওয়ার আগে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি শরীরে ক্ষতিকারক
প্রভাব ফেলে। তবে ক্ষতির চেয়ে এর উপকারই বেশি। আর
গর্ভকালীন পেঁপের বীজ খাওয়া যাবে না।
মাস্ক একটি
না দুটি পরবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কেউ বাজার থেকে মাস্ক কিনে ব্যবহার করেন, কেউবা আবার
ঘরে বানিয়ে মাস্ক ব্যবহার করেছেন। মাস্ক ব্যবহারের আগে,
সেটি আপনার মুখের সঙ্গে ফিট হবে কিনা তা দেখে নিন।
ডাবল মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায়
রাখবেন।
মাস্ক কী একটি পরলেই যথেষ্ট না কি দুটি পরতে হবে তা
নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না অনেকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)
থেকেও দুটি মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, যতো ভালো মাস্কই হোক না কেন, একটি না
পরে বরং দুটি একসঙ্গে পরা উচিত।
সমীক্ষা অনুসারে, দুটি মাস্ক পরার কারণে করোনা
সংক্রমণের সম্ভাবনা ৮৫-৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
দুটি মাস্ক ব্যবহারের কারণে যত ক্ষুদ্র জীবাণু বা
ভাইরাসই হোক না কেন; তা আপনার নাক বা মুখ দিয়ে প্রবেশ
করতে পারেব না। এছাড়াও কারও সঙ্গে কথা বলার সময়ও বেশি
দূরে দাঁড়াতে হবে না। গণপরিবহন, অফিস বা বদ্ধ ঘর,
বাজার, হাসপাতাল এসব স্থানে যাওয়ার আগে অবশ্যই একসঙ্গে
২-৩টি মাস্ক পরতে হবে।
সিডিসির সাম্প্রতিক গবেষণা তথ্যানুসারে, ডাবল মাস্কের
ক্ষেত্রেও লেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে মাস্কগুলো
অন্তত ৩ স্তরবিশিষ্ট সেগুলো ভালো সুরক্ষা দেয়। একাধিক
স্তরবিশিষ্ট মাস্ক আপনাকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করবে।
এজন্য নিশ্চিত করুন, আপনি এমন একটি মাস্ক নির্বাচন
করেছেন; যেটি একাধিক স্তরবিশিষ্ট। দুটি মাস্ক পরার
ক্ষেত্রে এটি নিশ্চিত করুন যে, আপনি আরামবোধ করেছেন
কিনা।
অনেক সময় দেখা যায়, মাস্ক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ কারণে ভালো মানের আরামদায়ক মাস্ক পরুন। মাস্ক পরার
পর ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারছেন কিনা সেদিকেও খেয়াল
রাখুন। একটির ওপরে আরেকটি মাস্ক পরলে শরীরে ভাইরাস
প্রবেশের পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে যায়। তাই অনেকেই এখন
সার্জিক্যাল মাস্কের ওপরে কাপড়ের আরেকটি মাস্ক পরছেন।
এতে প্রথমদিকে নিশ্বাস নিতে কিছুটা অসুবিধা হলেও
পরবর্তীতে অভ্যাস হয়ে যায়। যাদের সমস্যা হয় তাদের জন্য
সবচেয়ে ভালো হয়, প্রথমে একটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরে
তার ওপরে আরেকটি কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে।
মনে রাখবেন, নারীদের পরিহিত শাড়ি বা ওড়না মাস্কের
বিকল্প হতে পারে না। তাছাড়া সব সময় এভাবে মুখ ঢেকে
চলাফেরাও সম্ভব না। শাড়ি বা ওড়নাকে মাস্ক মনে করা
অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর চিন্তা। শাড়ি ও ওড়নার দিয়ে
মুখ ঢেকে চলা অজ্ঞতার পরিচয়। কারণ এগুলো কোনোভাবেই
ভাইরাস রোধে সুরক্ষা দিতে পারে না।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে বদলে গেছে আমাদের
স্বাভাবিক জীবনযাপন। কোনোকিছুই আর আগের মতো নেই।
হাজারটা বিধি-নিষেধ মেনেই আমাদের লড়াই চলছে। বারবার
হাত পরিষ্কার করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পরিচ্ছন্ন
থাকা, মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠেছে
আমাদের। তাই এসময় আমাদের আরও বেশি সচেতন ও যতœবান হতে
হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয়
প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও
সচেতনতার বিকল্প নেই।
কালোজিরাতেই
সেবনে ঘায়েল করোনা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘরের অতি সাধারণ একটি মসলা কালোজিরা। আর সেটাই
হতে পারে করোনার ওষুধ! ভাবতে অবাক লাগলেও এমনটাই বলছেন
বিজ্ঞানীরা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্যাটিভা।
এটি বছরের পর বছর ধরে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার
নানা দেশে সংক্রামক অসুখ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও এর
জুড়ি নেই।
কালোজিরা কেন করোনা মোকাবিলা করতে পারে?
সিডনির একটি সমীক্ষা বলছে, এতে রয়েছে থাইমোকুইনোন নামে
একটি উপাদান, যা করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে
পারে। এই উপাদানটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের
সঙ্গে আটকে যায়, ফলে ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে
পারে না।
এ ছাড়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক যে
‘সাইটোকাইন স্টর্ম’, সেটিও আটকে দিতে পারে কালোজিরা।
আর সেই কারণেই করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে এটি।
তবে কিছু সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন,
ওষুধ তৈরির উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যা কাটানো
সম্ভব। তখন ওরাল মেডিসিন হিসেবেও এটি নেওয়া যাবে। তবে
এখন পর্যন্ত রোগীদের নাকের স্প্রে হিসেবেই এর ব্যবহার
হয়েছে।
প্যানিক অ্যাটাক নাকি হার্ট অ্যাটাক?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রাত ৩টা ৩০ মিনিট। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল এরিনের। একটা
অসহনীয় অথচ অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে থাকল তার। বুকের
কাছে হাত দিয়ে দেখল হৃৎপিণ্ড প্রচণ্ড গতিতে লাফাচ্ছে।
মুহূর্তেই ঘেমে গেল কপাল, মুখ, হাতসহ সারা শরীর।
তীব্রভাবে কাঁপতে থাকল সে। মনে হলো কেউ যেন জোরালোভাবে
তার গলা চেপে ধরেছে; প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করল।
বাতাসের প্রয়োজনে হাঁপাতে থাকল সে। হঠাৎ বুকে ব্যথা
শুরু হলো। পেটে মোচড় দিয়ে বমি হওয়ার উপক্রম হলো। তীব্র
গরম লাগতে থাকল তার। হাত-পা অবশ হয়ে আসতে লাগল। মাথা
ঘোরা শুরু হলো; তার মনে হলো সে পড়ে যাবে। চারপাশের
সবকিছু অবাস্তব লাগতে থাকল। সে আর নিজের ভেতরে নেই,
এমন অনুভব করতে থাকল। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে বলে মনে
হলো তার। মনে হতে থাকল, এই বুঝি হৃৎপিণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রচণ্ড মৃত্যুভীতি তাকে গ্রাস করতে থাকল।
এই ঘটনা যে কারও ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। এটা মূলত
প্যানিক অ্যাটাক। প্যানিক অ্যাটাক একধরনের মানসিক
সমস্যা। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে,
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতিবছর প্রতি ৯ জনের মধ্যে
একজনকে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইউরোপ বা
অন্যান্য জায়গায় এই সংখ্যাটা একটু কম।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাঁদের বয়স কম, তাঁদের মধ্যেই
এটি বেশি দেখা যায়। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে এটি
প্রায় দ্বিগুণ বেশি। মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক উপাদান
যেমন সেরোটোনিন, নরএপিনেফ্রিন, গামা অ্যামিনো
বিউটাইরিক অ্যাসিড (গাবা) ইত্যাদির স্বাভাবিক ভারসাম্য
নষ্ট হওয়া এবং ভয় নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থান
যেমন অ্যামিগডালা, হাইপোথ্যালামাস, হিপপোক্যাম্পাস,
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স ইত্যাদির কাজের ত্রুটির জন্য এটি
হয়ে থাকে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এটি সাধারণত ৩০ মিনিটের
বেশি স্থায়ী হয় না। এটি ঘুমের মধ্যেও হতে পারে আবার
জেগে থাকা অবস্থায়ও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়ে যাচ্ছে ভেবে রোগী
প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু বিভিন্ন
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমন কিছু ধরা
পড়ে না। একবার প্যানিক অ্যাটাক হলে পরবর্তী অ্যাটাকের
সময় ও পরিণতি নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভয় বা উদ্বেগ কাজ
করে। অনেকের মধ্যে আবার অ্যাগোরাফোবিয়া দেখা যায়। এ
ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি যেসব স্থানে বিপদ হলে
সাহায্য পাওয়া বা মুক্তি পাওয়া কঠিন মনে করেন, সেসব
স্থানে গেলে বা যাওয়ার কথা ভাবলে প্রচণ্ড উদ্বেগ অনুভব
করেন। এ জন্য তাঁরা সেসব স্থান যেমন বাসা থেকে দূরে
কোনো জায়গা, আবদ্ধ জায়গা (লিফট, বাস, ট্রেন ইত্যাদি),
ভিড় কিংবা খোলা জায়গা ইত্যাদি এড়িয়ে চলেন। এ ছাড়া সঙ্গে
অন্য মানসিক রোগও থাকতে পারে।
ব্যক্তির জন্য প্যানিক অ্যাটাক একটি ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।
এর ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়।
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়।
কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি
মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ওষুধ ও সাইকোথেরাপির মাধ্যমে এর
চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষায়
শারীরিক কোনো রোগ পাওয়া না গেলে দ্রুত মানসিক
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
লেখক: এমডি রেসিডেন্ট, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য
ইনস্টিটিউট, ঢাকা
ডায়াবেটিস
ঘরোয়া টোটকায় রাখুন নিয়ন্ত্রণে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ডায়াবেটিস এমন
একটি রোগ যা একবার শরীরে তৈরি হলে সারা জীবনের জন্য এর
সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যেতে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো এটি আপনার
কার্ডিয়াক সমস্যা, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, অন্ধত্ব
ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। শরীরে ব্লাড সুগার
বেশি হলে ক্লান্তি লাগতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে,
বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। কিন্তু কিছু কিছু খাবার খেলে
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাহলে আমাদের আজকের
এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেয়া যাক, ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রণে রাখবে এমন কয়েকটি খাবারের বিষয়ে-
শাক-সবজি
শাক-সবজি খাওয়া সবার স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। তবে
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটি বেশি কার্যকরী।
আলু, মিষ্টি কুমড়া ও আঁশযুক্ত সবজিগুলো কম খেতে হবে।
কাঁচা ও হালকা সেদ্ধ সবজি খাওয়াটা বেশি ভালো।
করলা
করলা খেতে অনেকের মধ্যেই অনীহা দেখা যায়। করলার কিন্তু
একাধিক উপকারিতা আছে। তাই যদি করলা পছন্দের নাও হয়,
দ্বিতীয়বার ভেবে দেখুন। এটি একটি নিখুঁত 'এন্টিডায়াবেটিস'
সবজি। এতে ক্যারাটিন এবং মোমোরডিসিন আছে, যা ডায়াবেটিস
রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আদা
আদা প্রাচীনকাল থেকেই প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায়।
অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে আদার। এটি ইনসুলিন নিঃসরণের
নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। আপনি আপনার চায়ের মধ্যে আদা
দিয়ে খেতে পারেন অথবা দুধে আদা এবং হলুদ দিয়ে খেতে
পারেন।
মেথি
মেথি শরীরে গ্লুকোজ সহনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
এতে সলিউবল ফাইবার বেশি থাকে। এর ফলে হজমের ক্ষমতা
অনেক বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও মেথি কার্বোহাইড্রেটের
শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে।
সয়াবিন তেলের যত
উপকারিতা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সয়াবিন তেল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে জানিয়েছেন জেড এইচ
শিকদার মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের পুষ্টিবিদ
আশফি মোহাম্মদ। লিখেছেন আতিফ আতাউর
বেশির ভাগ মানুষের রান্নাবান্নায় বড় ভরসা সয়াবিন তেল।
সঠিক পুষ্টিমানের কারণে দিন দিন সয়াবিন তেলে রান্না করা
খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন গ্রাহকরা। উদ্ভিজ্জ
প্রোটিনের সেরা উপাদানগুলোর মধ্যেও অন্যতম সয়াবিন। এটা
সম্ভব হয়েছে সয়াবিনে বিদ্যমান নানা ভিটামিন ও
পুষ্টিগুণের কারণে। সয়াবিন শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল
কমাতে সাহায্য করে। সয়াবিনে পাওয়া যায় মানবশরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। থায়ামিন,
নিয়াসিন, ফলিক এসিড ও রিবোফ্লাবিনের অন্যতম উৎস সয়াবিন।
যারা হার্ট ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী
এসব ভিটামিন। ডিম, মাংস ও ডেইরি পণ্যের মতোই প্রাণিজ
প্রোটিনের সমতুল্য প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিনে। সয়াবিনে
ফ্যাটের পরিমাণও কম। এতে থাকা ভিটামিন-ই ও লেসিথিন
জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে,
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁত ও হাড় মজবুতের
জন্য উপকারী এসব ভিটামিন। এতে থাকা আয়রন মানবশরীরে
রক্তের সুস্থতা ধরে রাখে।
নিয়মিত সয়াবিন খেলে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারেরও ঝুঁকি
কমে। এ জন্য বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বেশি বেশি সয়াবিন
খাওয়া ভালো। সয়াবিনে বিদ্যমান আইসোফ্ল্যাবনস মেনোপজের
লক্ষণ, প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তা ছাড়া
সয়াবিন তেলে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না।
কিশোর বয়সে ছেলে-মেয়েদের মুখমণ্ডল, গলায় ফুসকুড়ি ও কালো
আঁচিল দেখা যায়। অনেকের মুখে মেছেতা পড়ে। এসব দূর করতে
সাহায্য করে সয়াবিন।
সয়াবিনের প্রোটিন মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সকে
সতেজ রাখে। এতে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফলে
সহজে কাজে ক্লান্তি আসে না। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন
মস্তিষ্ক গঠনের উপাদান। এ জন্য সয়াবিন খেলে মস্তিষ্কের
কার্যকারিতা বাড়ে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন তেলে ৯
ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়
সয়াবিন রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়।
প্রতিদিন দাড়ি
কামানো কি
বড় রোগ ডেকে আনে?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক পুরুষই প্রতিদিন দাড়ি কামান। কর্মক্ষেত্রের
কারণেই হোক, কিংবা ব্যক্তিগত পছন্দেই হোক, রোজ দাড়ি
কামানোর অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু কতটা ভালো এই অভ্যাস?
সম্প্রতি ‘হেল্থলাইন’ জার্নালে প্রকাশিত হয় এ বিষয়ে
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতামত। তাদের বেশির ভাগেরই মত,
প্রতিদিন দাড়ি ছাড়া পরিষ্কার চেহারা দেখতে যতই ভালো
লাগুক না কেন, আসলে এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই
ভালো নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছন, দাড়ি কামালে, লোমকূপের
গোড়াগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে সেখানে বিভিন্ন জীবাণু
বাসা বাঁধে, সংক্রমণ ঘটায়। দাড়ি না কামালে ক্রমশ
উন্মুক্ত গোড়াগুলো বন্ধ হয়ে আসে এবং জীবাণুগুলোও মরে
যায়। কিন্তু প্রতিদিন দাড়ি কামালে গোড়াগুলো বন্ধ হতে
পারে না। সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
চিকিৎসকদের দাবি, ত্বকের সাধারণ সংক্রমণ এর ফলে হতেই
পারে। ত্বক লাল হয়ে যায়। চুলকানি বাড়তে থাকে। কিন্তু
দীর্ঘ দিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে তা বড় রোগের কারণ
হয়ে দাঁড়াতে পারে।
টাক কেন শুধু
পুরুষের মাথায়ই হয়!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা
পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে
চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক
পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়,
ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে।
অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে
অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা
রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই
মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা
দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে
স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা,
মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি
প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও
কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও
ব্যায়াম করতে হবে।
Top
আইন কনিকা
অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার
মিজানুর রহমান মিলটন
বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রতি ধরনের রাষ্ট্রই কোন না কোনভাবে
শ্রমের অভিবাসন প্রক্রিয়া হতে লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশও
অভিবাসন প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে
অর্জিত সম্পদের একটি বড় অংশ আসে বিদেশে কর্মরত
শ্রমিকদের আয় থেকে। অভিবাসী শ্রমিকের শ্রম, নিয়োগকারী
দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম উপাদান, আর
প্রেরণকারী রাষ্ট্রের বহু কাক্সিক্ষত বৈদেশিক মুদ্রার
একটি বড় অংশ তৈরি হয় অভিবাসী শ্রমিক কর্তৃক সরবরাহকৃত
রেমিটেন্সের মাধ্যমে। নিজ দেশ এবং নিয়োগকারী দেশের
অর্থনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সত্ত্বেও
অভিবাসী শ্রমিকরা বিশ্ব শ্রমশক্তির সবচেয়ে দুর্বল এবং
অরক্ষিত অংশ। নিজ দেশের ভেতরে এবং নিয়োগকারী দেশে তারা
বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হন।
মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার বিষয়ে যেসব আন্তর্জাতিক
দলিল অভিবাসী শ্রমিকের স্বার্থরক্ষায় ব্যাপক এবং
সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারে তাদের মধ্যে অন্যতম হল
১৯৯০ সালের অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ
কনভেনশন।
১৯৯০ সালের কনভেনশন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান :
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে ৭টি আন্তর্জাতিক
দলিল নিরীক্ষার জন্য আইন কমিশনের কাছে পাঠায়।
জাতিসংঘের অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার ক্ষরা বিষয়ক
কনভেনশন, ১৯৯০ সেই ৭টি দলিলের একটি। আইন কমিশন ১৯৯০
সালের অভিবাসন কনভেনশন নিরীক্ষা করে জানায়, এই
কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ১৮-এর একটি উপধারা বাংলাদেশের
ফৌজদারি আইন ব্যবস্থার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। অভিবাসন
কনভেনশনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধের বিচার করতে হলে
তা হতে হবে বিবাদীর উপস্থিতিতে। অথচ বাংলাদেশের ফৌজদারি
আইনের ৩৩৯বি ধারায় বলা হয়েছে, বিবাদী পলাতক থাকলেও তার
অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যাবে। সুতরাং দেখা
যাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের কনভেনশনটি অনুসমর্থন করতে
তেমন কোন সাংবিধানিক বাধা নেই। ফৌজদারি আইন বিষয়ে যে
অসংগতি রয়েছে তা সহজেই অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে
রিজার্ভেশন দিয়ে। আইন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯৯৮
সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ অভিবাসী বিষয়ক কনভেনশন সই করে।
কিন্তু বাংলাদেশ এই কনভেনশন সই করার পর এত দীর্ঘ সময়
পার হয়ে গেলেও কনভেনশনটি অনুমোদনের বিষয়ে তেমন কোন
অগ্রগতি সাধিত হয়নি। বাংলাদেশের আইনের বিধান মতে,
কনভেনশন অনুসমর্থনের জন্য সংসদে পাস হওয়ার কোন প্রয়োজন
পরে না। বাংলাদেশ যখন নীতিগতভাবে এই কনভেনশনটিকে গ্রহণ
করেছে এবং তাতে স্বাক্ষর করেছে, সেক্ষেত্রে সরকার
উদ্যোগ নিলেই খুব দ্রুত এটি অনুসমর্থন করতে পারে।
অভিবাসী শ্রমিক ও তার পরিবারের অধিকার : ১৯৯০ সালের
অভিবাসী কনভেনশন অভিবাসী শ্রমিক ও তার পরিবারের
সদস্যদের অধিকার রক্ষায়ও বেশ সচেষ্ট। এই কনভেনশনের ৪
অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যেসব ব্যক্তির অভিবাসী শ্রমিকের
সঙ্গে বিয়ের বা এমন কোন সম্পর্ক আছে যাতে প্রচলিত আইনে
তাকে বিয়ের সমতুল্য বলে গণ্য করা যায় এবং সংশিষ্ট
রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী তাদের পোষ্যগণও একইভাবে স্বীকৃত;
তাদের এই কনভেনশনে অভিবাসী শ্রমিকের পরিবারের সদস্য বলা
হয়।’ ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘লিঙ্গ, জাতি, গোষ্ঠী,
বর্ণ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক বিশ্বাস, জাতীয়তা, বয়স,
অর্থনৈতিক অবস্থান, সম্পত্তি, বৈবাহিক অবস্থা, জš§গত
বা অন্য কোন অবস্থানের ভিত্তিতে অভিবাসী শ্রমিকের মাঝে
বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না।’ অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের
মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অনুচ্ছেদ
১-এ বলা হয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকের ও তাদের পরিবারের
সদস্যদের মৌলিক অধিকারের অংশ হিসেবে স্বদেশ ত্যাগ ও
স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের অধিকার থাকতে হবে।’ অনুচ্ছেদ
৯-এ বলা হয়েছে, অনেক অভিবাসী শ্রমিক বাসস্থান ও
কর্মক্ষেত্রে যে অমানবিক অবস্থা এবং শারীরিক ও
যৌননিপীড়ন সহ্য করেন, তার প্রতিকারের বিষয়টি কনভেনশনে
‘জীবনের প্রতি অধিকারের মধ্যে পুনঃনিশ্চিত করা হয়েছে’।
এছাড়াও কনভেনশনে নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা অবমাননাকর
শাস্তি এবং দাসত্ব বা তার সমতুল্য ব্যবস্থা এবং
বলপূর্বক আদায় করা বা আবশ্যক শ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে
(অনুচ্ছেদ-১১)। অনুচ্ছেদ ১২তে মুক্তচিন্তার, বিে বকের
এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ১৩তে মত পোষণ
ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার
রয়েছে। অনুচ্ছেদ ১৫তে বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকের
সম্পত্তি বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করা যাবে না।
Top
|
|