Cover October 2021
English Part
October 2021
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
নারী নেতাদের একটি
নেটওয়ার্ক
দরকার: শেখ হাসিনা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে নারী নেতাদের একটি নেটওয়ার্ক
গঠন করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, এটি লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে চালিকা
শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির
আহ্বানে নারী নেতাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ
আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দৃঢ়ভাবে অনুভব করছি-
নারী নেতাদের একটি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যা
আমাদের শুধু একক বৈঠকের জন্য একত্রিত করবে না, বরং
লিঙ্গ সমতা অর্জনে বাস্তব পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে একটি
শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং এটি নারী ক্ষমতায়নে ব্যাপক
ভূমিকা রাখবে।
লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের সামনে তিনটি
প্রস্তাব পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লিঙ্গ সমতার বিষয়ে
উপদেষ্টা বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের প্রশংসা করি।
এখন এটিকে স্থানীয়করণ করা দরকার। প্রত্যেক পর্যায়ে,
বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে লিঙ্গ চ্যাম্পিয়ন প্রয়োজন এবং
এর মাধ্যমে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী নারী নেতৃত্বাধীন
সংগঠনগুলোকে পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে
সাহায্য-সহযোগিতা করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এ
ধরনের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দরকার।
তৃতীয় প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, লিঙ্গ সমতার
জন্য সাধারণ কর্মসূচিকে জোরদার করতে নেতাদের একটি
সম্মেলন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু আমরা নয়, সব
নেতাদের এতে যোগদান করা উচিত এবং লিঙ্গ সমতার অগ্রগতির
জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। নারীদের ওপর করোনা
মহামারির নেতিবাচক প্রভাবের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, অবৈতনিক যতœ নেওয়ার কাজ বেড়েছে। লিঙ্গভিত্তিক
সহিংসতা বেড়েছে। ইউনিসেফ এ দশকের শেষের আগে আরও দশ
মিলিয়ন বাল্যবিবাহের আশঙ্কা করছে।
করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারীদের ভূমিকার
প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা
কর্মীদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী এবং তারা মহামারির
বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে রয়েছে। তৈরি
পোশাককর্মীদের ৮০ শতাংশের বেশি নারী।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ২০২১ মাসে
করোনাভাইরাসে মৃত
১৩১৫ জন
হত্যাকান্ডে মৃত্যু
২০৮ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায়,
মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২০৮ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১৩১৫ জন। সেপ্টেম্বর ২০২১ মাসে গড়ে
প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ৪৪ জন এবং হত্যাকান্ড
ঘটে দৈনিক ৭টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। করোনাভাইরাসে
সরকারি হিসাব মতে সেপ্টেম্বর ২০২১ মাসে মৃত্যু ১৩১৫ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ২০৮ জন।
এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ২ জন, পারিবারিক
সহিংসতা ১৫ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৬ জন, আইন
শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা
২ জন, অপহরণ হত্যা ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ২ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৬০ জন, ধর্ষণ হত্যা ৪ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১০২ জন, আত্মহত্যা ১০ জন।
সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১০ জন, যৌতুক নির্যাতন ২ জন।
বাংলাদেশের
মানবাধিকার পরিস্থিতি
নিয়ে যুক্তরাজ্যের
উদ্বেগ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে
যুক্তরাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ঢাকা-লন্ডনের মধ্যে
চতুর্থ কৌশলগত সংলাপে যুক্তরাজ্য এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এ তথ্য
জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ঢাকা- লন্ডনের মধ্যে চতুর্থ
কৌশলগত সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র
সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব
দেন যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থায়ী আন্ডার
সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। সংলাপে বাংলাদেশের
মানবাধিকার সম্পর্কিত কিছু বিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্য
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনের প্রভাব, বিধিবহির্ভূত আটক,
বিধিবহির্ভূত বিচারপ্রক্রিয়া, এবং বিচারবহির্ভূত
হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । উভয়
দেশই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব,
জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে সুশীল সমাজের
উপস্থিতি ও মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয় একমত
হয়েছে। সংলাপে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ অতিমারী
চলাকালীন যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর
সমবেদনা প্রকাশ করেন এ সংলাপে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা।
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি (বিশেষ করে
কোভ্যাক্স থেকে প্রাপ্ত টিকার মাধ্যমে) পরিচালনার জন্য
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানায়।
সংলাপে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার শিকার
হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার
জন্যে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
যুক্তরাজ্য। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার
সঙ্গে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাজ্য ও
বাংলাদেশ তাদের প্রতিশ্র“তি পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করার
প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উভয়
দেশ আসিয়ান ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে
কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
সংলাপে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
সাইদা মুনা তাসনিম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা- লন্ডনের মধ্যে প্রথম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ২০১৭ সালে বাংলাদেশে। দ্বিতীয় দফায় সংলাপ
হয়েছিল ২০১৮ সালে লন্ডনে। আর তৃতীয় দফায় সংলাপ হয় ২০১৯
সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকায়। এবার লন্ডনে চতুর্থ সংলাপ
অনুষ্ঠিত হলো।
স্ত্রীর অত্যাচারে ওজন কমেছে ২১ কেজি, ডিভোর্স চেয়ে
আদালতে যুবক
মানবাধিকার রিপোর্ট’
স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারে ওজন কমে যাওয়ায় ডিভোর্স চেয়ে
আদালতে গেলেন ভারতের হরিয়ানার এক যুবক। অভিযোগ সূত্রে
জানা গেছে, আগে ওজন ছিল ৭৪ কেজি ওই যুবকের। তবে
স্ত্রীর অত্যাচারের ফলে সেই ওজন কমে ৫৩ কেজিতে
দাঁড়িয়েছে। যার কারণে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন।
ভুক্তভোগী ওই যুবক পেশায় ব্যাংককর্মী। ২০১২ সালে বিয়ে
করেন এক শিক্ষিকাকে। তাদের সংসারে একটি মেয়েও রয়েছে।
ওই যুবকের কমে যাওয়ায় এখন কানেও খুব কম শোনেন তিনি।
এদিকে, নিম্ন আদালত ওই যুবকের আবেদন মঞ্জুর করলেও
স্ত্রীর পাল্টা মামলায় এই বিষয়টি শেষমেশ পাঞ্জাব ও
হরিয়ানা হাইকোর্টে পৌঁছায়।
পরে হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখায় শেষমেশ
স্ত্রীর থেকে মুক্তি মিললো যুবকের। যুবকের অভিযোগ,
বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই নানা অজুহাতে ঝামেলা শুরু
করেন স্ত্রী। হঠাৎই মাথা গরম করে ফেলতেন। এছাড়া ২০১৬
সালে মেয়ে ও স্বামীকে ফেলে চলে গিয়েছিলেন ওই নারী।
বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে ‘অধিকার চাই’ বলছে আফগান
নারীরাই
মানবাধিকার রিপোর্ট’
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন
ক্ষমতায় ছিল, তখন আফগান নারীদের পুরুষ ‘অভিভাবক’ ছাড়া
বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ ছিল। অপরিচিত কেউ যেন গলার
আওয়াজ শুনতে না পায়, সে জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলাও
বারণ ছিল তাদের। আজ আবার তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। মাঝের
দুই দশকে আফগান নারীদের অধিকার বলতে কিছুই বাড়েনি;
কিন্তু সাহস অনেকটাই বেড়েছে। তালেবানের বন্দুকের সামনে
আফগান নারীরা বলতে শিখেছে, ‘অধিকার চাই।’
আফগান নারীদের এই ‘স্পর্ধাকে’ স্বাভাবিকভাবেই দমন করার
চেষ্টা করছে তালেবান। তবে আগের শাসনামলে সড়কে একাকী
বের হওয়া নারীকে তালেবান যেভাবে গুলি করে মেরেছে, এবার
সেই সাহস দেখানোর ক্ষেত্রে তারা কিছুটা পিছু হটেছে।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান
দখল করে নেয় তালেবান। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার ঘোষণা করেছে তারা। সেই সরকারে কোনো নারীকে রাখা
হয়নি। তালেবান ক্ষমতা দখলের পরই যেসব বিষয় নিয়ে
‘দুশ্চিন্তা’ তৈরি হয়, নারীর অধিকার সেগুলোর মধ্যে
অন্যতম। কারণ তালেবানের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি
নির্যাতনের শিকার হয়েছে নারীরাই। তাদের প্রথম শাসনামলে
আট বছরের বেশি বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি
নিষেধাজ্ঞা ছিল। যেমন- নারীরা এমন কোনো হিল জুতা
ব্যবহার করতে পারবে না, যেগুলো পায়ে দিয়ে হাঁটলে শব্দ
হয়; কোনো জায়গার নামের সঙ্গে নারী শব্দ ব্যবহার করা
যাবে না; বোরকা ছাড়া যাওয়া যাবে না ঘরের বারান্দায়;
রেডিও, টেলিভিশনসহ যেকোনো জনসমাগমে নারীদের উপস্থিতিও
নিষিদ্ধ ছিল।
এবার তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কাবুলের রাজপথে যতগুলো
বিক্ষোভ হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল নারীদের। গত ৭
সেপ্টেম্বর রাজধানী কাবুলের অন্তত তিনটি এলাকায়
বিক্ষোভ মিছিল করে নারীরা। নারীর অধিকার দাবিতে এবং
আফগান রাজনীতিতে ‘পাকিস্তানি হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে
ওই কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে
ফাঁকা গুলি ছোড়েন তালেবান যোদ্ধারা। ওই বিক্ষোভে অংশ
নিয়েছিলেন সারাহ ফাহিম নামের এক নারী। তিনি বলেন,
‘আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা মুক্ত আফগানিস্তান চাই।
আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবাই স্বাভাবিক
জীবনযাপনের সুযোগ পাবে।’
তালেবানের হুমকি উপেক্ষা করে পরের দিনও (৮ সেপ্টেম্বর)
কাবুলের রাজপথে নামে অনেক নারী। তাদের অনেকের হাতে থাকা
পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জীবন চলে যাক, তার পরও অধিকার
আদায় করে ছাড়ব।’ ওই দিনও মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা
গুলি চালান তালেবান যোদ্ধারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নারীদের না রাখার প্রতিবাদে
গত বুধবারও কাবুলের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেখানে
অনেক নারী স্লোগান দেয়, ‘আমরা সম-অধিকার চাই; আমরা
সরকারের অংশ হতে চাই। আমরা এই সরকার মেনে নেব না।’
অবশ্য নারীদের এই সাহসের মুখে কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য
হয়েছে তালেবান। তারা এরই মধ্যে জানিয়েছে, নারীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন; কিন্তু একই
শ্রেণিকক্ষে ছেলে-মেয়েদের পড়ানো যাবে না।
১৩ মাসে এক বছর হয় যে দেশে
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
একটি দেশ বাদে বিশ্বের সব দেশে ১২ মাসে বছর গণনা করা
হয়। অদ্ভুত এই নিয়ম চালু রয়েছে ইথিওপিয়ায়। এই বছর
গণনার নিয়ম হিসেবে বলা হয়, বছরের ১২ মাস ৩০ দিনে গণনা
করা হলেও ১৩তম মাস গণনা করা হয় ৬ বা ৭ দিনে। যা নির্ভর
করে অধিবর্ষের ওপর। খবর বিবিসির।
মূলত যিশু খ্রিস্টের জন্মসাল ভিন্নভাবে গণনা করার
কারণেই এমনটি ঘটে। ইতিহাসেও তারা অন্যদের থেকে আলাদা।
কেননা ৫০০ খ্রিস্টাব্দে কাথ্যলিক চার্চ খ্রিস্টের
জন্মসাল সংশোধিত করলেও ইথিওপিয়ার অর্থোডক্স চার্চ তা
করেনি।
ইথিওপিয়ায় শুধু ১৩ মাসেই বছর নয়, সেখানে বসন্তের সময়
নতুন বছর শুরু হয়। পশ্চিমা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী
সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ পয়লা দিন হিসেবে গণনা করা হয়।
অধিবর্ষে যা শুরু হয় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। এছাড়া দেশটিতে
১২টা থেকে নয়, সময় শুরু হয় ৬টা থেকে।
চরম
খাদ্য সংকটে আফগানিস্তান
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট গভীরতর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। ৩৪টি প্রদেশের সব কটিতে ২১
আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেলিফোনে নেওয়া জরিপে
দেখা গেছে ৯৩ শতাংশ পরিবারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য নেই।
খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-আঞ্চলিক পরিচালক অ্যানথিয়া
ওয়েব বলছেন, বহু পরিবারই চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং
বেঁচে থাকার জন্য নেতিবাচক কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ওয়েব বলছেন, এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এক বেলা অভুক্ত
থাকা, বড়দের খাবার না দিয়ে শিশুদের খাবার দেওয়া কিংবা
খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনা। সুতরাং এখন চারটি আফগান
পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবার সবগুলো না হলেও অন্তত একটি
পদক্ষেপ নিচ্ছে।
১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তান দখল করার আগে থেকেই
সেখানে ব্যাপক খাদ্য সংকট ছিল। ১৭ জুন টেলিফোনে করা
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জরিপে দেখা গেছে, ৮১ শতাংশ
পরিবার খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। ১৫ আগস্ট আফগান
সরকারের পতন ও তালেবানের কাবুল দখলের পর জরিপে দেখা
গেছে, এই পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে ১ কোটি
৪০ লাখ লোক ক্ষুধার্ত। যাদের মধ্যে ২০ লাখ শিশু
অপুষ্টিতে ভুগছে। জীবন রক্ষার জন্য তাদের বিশেষ
পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
লোকজন বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের খাদ্য কেনারও পয়সা নেই।
ওয়েব জানান, এখনকার প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে শীত আসার আগেই
লাখ লাখ লোকের খাদ্যের ব্যবস্থা করা। আফগানিস্তানের
রাস্তাঘাটগুলো তুষারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আগেই
সেখানকার জনগণকে এই জীবান রক্ষাকারী সহায়তা দেওয়াটা
এখন যেন সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয়।
ওয়েব বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রতিমাসে আমাদের ৯০
লাখ লোকের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে, যদি আমরা বছরের
শেষ নাগাদ ১ কোটি ৪০ লাখ লোককে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার
লক্ষ্য ঠিক রাখতে চাই। আমরা ২০ কোটি ডলারের জন্য আবেদন
করেছি এবং বেশ কিছু দেশ সাহায্যের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে
এসেছে। তবে অক্টোবর মাস নাগাদ খাদ্য মওজুদ শেষ হওয়ায়
আমরা আক্ষরিক অর্থেই ভিক্ষা চাইছি।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এ বছর ৪০ লাখ আফগান নাগরিককে
সাহায্য করতে পেরেছে।
ভাড়া না
থাকায় দুই শিশুকে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যাত্রীদের কাছে পানি বিক্রি করতে চাঁদপুরগামী এমভি
ইমাম হাসান-৫ লঞ্চে উঠেছিল শিশু শাকিব মিয়া (১২) ও
মেহেদুল হাসান (১৩)। তাদের কাছে ভাড়া চান লঞ্চের স্টাফ।
কিন্তু তাদের কাছে ভাড়ার টাকা ছিল না। এ কারণে শিশু
দুটিকে লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নদীতে হাবুডুবু খাওয়া ওই দুই শিশুকে পরে উদ্ধার করেন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার ওসি মো. রইসউদ্দীন। তিনি
জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় গজারিয়া থানা থেকে
নদীপথে স্পিডবোটে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের
অদূরে মেঘনা নদীতে দুই শিশুকে পানিতে হাবুডুবু খেতে
দেখে তাদের উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের পর শিশু দুটিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে
নিয়ে মোবাইল ফোনে তাদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে
সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। লঞ্চের
মাস্টার দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
স্টাফরা তাদের ফেলে দেয়নি।
সৌদি আরব প্রবাসীদের জন্য সুখবর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রবাসী কর্মীদের জন্য বসবাসের অনুমতি বা ইকামার মেয়াদ
বিনামূল্যে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সৌদি
আরব। ভিজিট, এক্সিট ও রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রেও একই
সুবিধা দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। সম্প্রতি বাদশাহ
সালমানের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
সৌদি কর্তৃপক্ষ। আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,
বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের ইকামার পাশাপাশি ভিজিট,
এক্সিট ও রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ আগামী ৩০ নভেম্বর
পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে সৌদির পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এটি
সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কাউকে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যেতে হবে না। এ কাজে সহায়তা করছে
সৌদির জাতীয় তথ্য কেন্দ্র।
মেয়াদবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি হবে নিম্নরূপ: প্রথমত,
করোনার কারণে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবেশাধিকার বন্ধ
থাকা দেশগুলোতে অবস্থানরত প্রবাসীদের ইকামা, এক্সিট ও
রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সেসব দেশে
থাকা ভ্রমণকারীদের ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে।
এর আগে, চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ
আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনার ওপর আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। করোনাভাইরাস, বিশেষ করে
অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে এমন
পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
অনলাইনে শুক্রাণু কিনে ইউটিউব দেখে
‘ই-বেবি’র জন্মে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনলাইনে শুক্রাণু কিনে ইউটিউব দেখে ‘ই-বেবি’র জন্ম
স্টেফানি টেলর ও তার কন্যা ইডেন।
কোনো রকম সম্পর্ক ছাড়াই সন্তান পেতে চেয়েছিলেন ৩৩
বছরের স্টেফানি টেলর। স্টেফনি শুক্রাণু কিনেছেন
ইন্টারনেট থেকে।
ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি
শিখেছেন। শেষে ই-বে থেকে কিনেছেন প্রজনন প্রক্রিয়ার
দরকারি জিনিসপত্র। এর দশ মাস পরে জন্ম দিয়েছেন ফুটফুটে
এক কন্যা সন্তানের। কন্যার নাম রেখেছেন ইডেন। স্টেফনি
জানিয়েছেন, গর্ভধারণ কেন্দ্রে সন্তান ধারণ করানোর
মূল্য এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন। পাঁচ
বছরের এক পুত্রসন্তানের জননী স্টেফনি দ্বিতীয় সন্তানের
চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি এক বন্ধুকে জানালে অনলাইনে
শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন সেই বন্ধু। ওই
অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু
করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যায়।
স্টেফনি জানিয়েছেন, সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য
শুক্রাণু দাতা খুঁজে নেন তিনি। স্টেফনি চেয়েছিলেন তাঁর
সন্তান যেন তাঁরই মতো দেখতে হয়। তাঁর সঙ্গে শারীরিক
গঠন মেলে এমন কাউকেই খুঁজছিলেন তিনি। আর স্বভাবের দিক
থেকেও চাইছিলেন পরিবারমুখী মানুষ। পছন্দমতো শুক্রাণু
দাতা পেয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রাণু পেয়ে যান
স্টেফনি। আর প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন। স্টেফনি
জানিয়েছেন, প্রথমে এ ব্যাপারে তাঁর বাঢ়ির কয়েক জন
সদস্য রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তাঁরা খুশি।
সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে
স্টেফনিও গর্ববোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।
সাধারণ জ্বরের স্তরেই চলে আসবে করোনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জিনগত পরিবর্তনের কারণে করোনা ভাইরাস ক্রমশই প্রাণঘাতী
ক্ষমতা হারাচ্ছে। এক পর্যায়ে এটি সাধারণ জ্বরের
ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।
এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা
গিলবার্টের।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতিগুলোর প্রাণঘাতী
হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম। আগামী দিনেও করোনা
ভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে
দাবি করেছেন ডেম।
ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার
ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, শেষ পর্যন্ত এটি
সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে। ২৩
সেপ্টেম্বর ‘রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিন’ এর আলোচনা
সভায় তাদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেন, জিনের
পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনা
ভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।
ডেম জানান, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে
সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯
সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও
সেটাই হয়েছে।
তবে নির্বিষ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাসের
সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে
জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওই গবেষক।
দুর্নীতিবাজরা যেন শাস্তি পায়

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুর্নীতিবাজরা যাতে শাস্তি পায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ১৯
সেপ্টেম্বর ২০২১ সন্ধ্যায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার মো. জহুরুল হক
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ
আহ্বান জানান। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক
কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ
উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়নের এ ধারা টেকসই
করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা খুবই প্রয়োজন। তরুণ
প্রজন্ম যাতে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে
পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার থেকে
উদ্যোগ নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, দুর্নীতি দমন
কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি
অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ
গ্রহণ করবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির
কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর
জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত
মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
সরকার চাইলে
নির্বাচনে সহযোগিতা করবে-মিয়া সেপ্পো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকার চাইলে নির্বাচনে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ ‘ডিকাব
টক’ অনুষ্ঠানে মিয়া সেপ্পো ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার চাইলে
সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ। ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের
আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো এ কথা বলেছেন।
১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব)
আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ কোনো দেশের নির্বাচনী
প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে না। তবে কোনো দেশের সরকার
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ তা দিয়ে থাকে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের কোনো
সহযোগিতা চাইলে আমরা সেই সহযোগিতা দেব।
এক প্রশ্নের জবাবে মিয়া সেপ্পো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনের অপব্যবহার বন্ধে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে
আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নারীর
প্রতি সংহিংসতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি
বলেন, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান একটি জটিল পরিস্থিতির
মধ্য দিয়ে চলছে। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে দেশ
দু’টির প্রতিনিধিত্ব কে করবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে মিয়া
সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার
জন্য সরকারকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মধ্যে দিয়ে
প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট পান্থ
রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।
যে কারণে গাছ বিয়ে করলেন ৭০ ব্রিটিশ নারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আধুনিক বিশ্বের অবকাঠামোগত উন্নয়নের আড়ালে বনাঞ্চল
উজাড়ের বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। এবার গাছ কেটে বসতি
নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৭০ জন ব্রিটিশ নারী
এক অভিনব প্রতিবাদ জানালেন। তারা বৃক্ষ নিধন ঠেকাতে
বিয়ে করেছেন ব্রিস্টলের ঐতিহ্যবাহী কিছু গাছকে।
ব্রিস্টল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ গাছ কেটে ফেলবে শুনে
তাদের এই প্রতিবাদ। জানা গেছে, ১৬টি অ্যাপার্টমেন্ট
নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ব্রিস্টলের কাউন্সিল
কর্তৃপক্ষ। তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেশকিছু গাছ
কাটতে হবে। এর প্রতিবাদেই প্রতীকী বিয়ের আয়োজন করেন
স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ওই ৭০ জন নারী ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকে কনে
সেজে ৭০টি গাছকে বিয়ে করেন। তারা জানিয়েছেন, এখানকার
কাউন্সিল ফ্ল্যাট বানাতে প্রায় ৭০ টার বেশি গাছ কাটার
সিন্ধান্ত নিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সহযোদ্ধারা এর
বিপক্ষে অবস্থান জানাতে এই প্রতীকী বিয়ের আয়োজন করেছেন।
সুদানে
অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নিন্দা জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ২১ সেপ্টেম্বর
২০২১ সুদানে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে তিনি দেশটির গণতন্ত্রের উত্তরণে অর্জন রক্ষা
করারও আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র
স্টিফেন দুজারিক এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, মহাসচিব
একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং
গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য সুদানের জনগণের আকাঙ্ক্ষা
বাস্তবায়নে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ থাকতে সকল পক্ষের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সুদানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটিতে ২১
সেপ্টেম্বর সকালে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালানোর
খবর প্রচারিত হয়।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে রাশিয়াকে পাশে চায়
বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারর থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠী।
মিয়ানমারর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিশাল
সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরাতে রাশিয়ার
সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল
মোমেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায়
নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ
মান্টিটাস্কি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য
সাক্ষাৎ করতে এলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা-মস্কো বিশেষ সম্পর্কের নানা দিক তুলে
ধরে ড. মোমেন বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং
স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে রাশিয়ার অবদান
বাংলাদেশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাত্তোর তৎকালীন
সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালের
মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
রাশিয়া সফর করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি বিশেষ
কৃতজ্ঞতা জানান।
সাক্ষাৎকালে রুশ রাষ্ট্রদূত ঢাকা-মস্কো কূটনৈতিক
সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত
করলে উভয় দেশই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে বলে মত
দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিত
থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল
মোমেন।
Top
ড.
ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে তলব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুরোনো
ছবি
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে
ফৌজদারি মামলা করেছেন ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
অধিদপ্তর। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক
আরিফুজ্জামান এ মামলাগুলো করেন।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ড.
মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ
দিয়েছেন। আজ রোববার এসক তথ্য জানা গেছে। মামলার অপর
তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(এমডি) আশরাফুল হাসান, প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড পরিচালক
নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
অধিদপ্তর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে
গেলে সেখানে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন নজরে আসে। এর মধ্যে
রয়েছে, ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা
থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের
তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির
লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা
তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ইউনূসসহ
চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর বাদী
হয়ে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করেছে।
Top
জরুরি সেবা দিতে অসম্মতি জানাতে পারবে না কেউ
: হাইকোর্ট

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
অসম্মতি জানাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের কাছে কোনো অসুস্থ
ব্যক্তিকে নেওয়া হলে তাৎক্ষণিক তাকে জরুরি
স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
অসম্মতি জানাতে পারবে না।
তবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না থাকলে তাকে
কাছের কোনো হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সব
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা আগামী
তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে এমন হাসপাতাল ও
ক্লিনিকের পৃথক তালিকা এবং সেগুলোর বর্তমান অবস্থার
বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে হবে।
১২ সেপ্টেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি
ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট
বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও
ক্লিনিক প্রয়োজন বিশেষে যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি
স্বাস্থ্যসেবা দিতে অসম্মতি জানানোকে কেন বেআইনি ঘোষণা
করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার
ব্যবস্থা না থাকলে জরুরি সেবা রয়েছে এমন কাছের কোনো
হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে কেন পাঠানো হবে না রুলে তাও
জানতে চাওয়া হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু
করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা
ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা
বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে- এমন শর্ত যুক্ত
করে দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে
চেয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি)
প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ
অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও
ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে
রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ সম্পর্কে রিটের পক্ষের আইনজীবী
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, এ আদেশের ফলে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে
বাধ্য থাকবে।
করোনায় স্কুল বন্ধে বাল্যবিবাহ বেড়েছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারির কারণে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ
রয়েছে আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই সময়ে
এই স্কুলের কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে বলে
জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলার প্রায় প্রতিটি
স্কুলের চিত্র একই রকম। আগে থেকেই বাল্যবিবাহপ্রবণ জেলা
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রশাসনের
উদ্যোগে নানা কর্মসূচির কারণে বাল্যবিবাহের হার প্রায়
অর্ধেকে নেমে আসে। তবে করোনা সেই হিসাবকিতাব পালটে
দিয়েছে। ২০১৯ সালে আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা
বিদ্যালয়ে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীকে বাল্যবিবাহ না করার
শপথ করানো হয়। সে সময় উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘটা করে
আয়োজন করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি ডাটাবেজের আওতায়
এনে লালকার্ড প্রদান করা হয়।
বাল্যবিবাহের শিকার ঐ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক
ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় মন বসত
না মেয়ের। ভালো পাত্র পেয়েছিলাম বলে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে
দিয়েছি।’ আরেক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘পাড়ার এক বখাটে ছেলে
তার মেয়েকে বিরক্ত করত। বিয়ের জন্য তাদের হুমকিধমকি
দিত। সময় ভালো না, কখন কী হয়ে যায় এই ভয়ে ভালো পাত্র
দেখে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি।’
জানা যায়, বর্তমানে আইনসংগত উপায়ে বাল্যবিবাহের
নিবন্ধন হয় না। কিছু অসাধু রেজিস্ট্রার নকল নিবন্ধন
ফরমে সই নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করছে। পরে যখন ছাত্রীদের
বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে তখন রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।
ফলে আইন করেও কৌশলের কারণে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে
না।’
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের হয়ে কাজ করা
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স সাতক্ষীরার কর্মকর্তা শরিফুল
ইসলাম বলেন, গেল পাঁচ বছর ধরে তারা সাতক্ষীরা সদর
উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও শিশু নির্যাতন বন্ধে
কাজ করছেন। করোনার আগে জেলায় বাল্যবিবাহের হার অর্ধেকে
নেমে এসেছিল। গত দেড় বছর করোনার কারণে স্কুল বন্ধ
থাকায় সেই হার বেড়েছে। তবে সঠিক জরিপ ছাড়া এই মুহূর্তে
ঠিক কতটা বেড়েছে তা বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের
কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন।
মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে। যার সভাপতি স্ব স্ব
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব সেই জেলার
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। এই কমিটি বাল্যবিবাহের কোনো
সংবাদ পেলে তাত্ক্ষণিক বিয়ে প্রতিরোধ করে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে কেউ গোপনে বিয়ে করলে বা
আমাদের গোচরে না আনলে আমরা কিছু করতে পারি না।
অক্টোবর থেকে সু
চির দুর্নীতির বিচার শুরু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুর্নীতির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং
সান সু চির বিরুদ্ধে ফের বিচার শুরু হচ্ছে অক্টোবর থেকে।
শুক্রবার সু চির আইনজীবী খিন মং জ এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলার শুনানি চলছে।
এর মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ লংঘন, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি
আমদানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রয়েছে।
বিচারে সেনা সরকারের পক্ষে রায় এলে তাকে আমৃত্যু
কারাগারে থাকতে হতে পারে। গত ফেব্র“য়ারিতে গণতান্ত্রিক
সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
এরপর থেকে গৃহবন্দি আছেন সাবেক সরকারি দলের নেতা সু
চি। সু চির আইনজীবী জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে
মামলার শুনানি শুরু হবে।
প্রত্যেকটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর
করে কারাদণ্ড হতে পারে।
শেখ হাসিনার ‘মিরাকল’ উন্নয়নের প্রশংসা
জাতিসংঘ মহাসচিবের
 
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শেখ হাসিনার ‘মিরাকল’ উন্নয়নের প্রশংসা জাতিসংঘ
মহাসচিবের শেখ হাসিনা ও অ্যান্তেনিও গুতেরেস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও ভিশনারী নেতৃত্বে
বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস।
২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তোনিও
গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন তিনি।
বৈঠকের পর লোটে নিউইয়র্ক প্যলেস হোটেলে সাংবাদিকদের
ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও
গুতেরেস বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং
মানবিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি (গুতেরেস) বাংলাদেশে
‘মিরাকল’ উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা
করেছেন আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে
বলেন, এই সাফল্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে অনেক কষ্ট
শিকার করতে হয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
ওয়েলকাম টু ইওর হোম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের বহু অর্জনের পেছনে
বাংলাদেশের নেতৃত্ব রয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার
নেতৃত্ব। বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের
ঘনিষ্টভাবে কাজ করার কথা তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
ইউএনডিপির যত প্রকল্প বাংলাদেশে নেওয়া হয়েছে, তার
সবগুলোই সম্পন্ন হয়েছে। ইউএনডিপি সাহায্য করেছে,
কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পথ দেখিয়েছি,
কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হয়।
আব্দুল মোমেন বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
উদ্ভাবন। জাতিসংঘ আমাদের সহায়তা করেছে এবং এই
প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘও গর্বিত হয়েছে যে ভালো কাজে তারা
সম্পৃক্ত হয়েছে।
প্রতিবছরই
দিতে হবে করোনার টিকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহামারি করোনা বিশ্বকে মহা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে।
বিশ্বের প্রায় সব মানুষের জীবন ফেলেছে হুমকিতে।
এই অবস্থায় কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে ভ্যাকসিন বা টিকা।
কিন্তু দুটি টিকা নিয়েই নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
টিকা নিয়ে সুরক্ষা পেতে অনেক দেশই বুস্টার ডোজ বা
তৃতীয় টিকাও দিচ্ছে নাগরিকদের। তবে টিকা নির্মাতা
প্রতিষ্ঠান ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)
অ্যালবার্ট বৌরলা বলছেন, প্রতিবছরই নিতে হতে পারে
করোনার টিকা। সম্প্রতি এবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়,
করোনাভাইরাসের ছোবলে বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনি আক্রান্ত
হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মৃত্যুর কাছে পরাজিত হচ্ছে হাজার
হাজার মানুষ।
অ্যালবার্ট বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আমাদের আরও এক
বছর সময় লাগতে পারে এবং প্রতি বছর কোভিড টিকা নিতে হতে
পারে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক জীবনেও সতর্কতা বজায় রাখতে
হবে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে না বলে আমি মনে করি না। আমি
মনে করি না টিকা ছাড়া আমরা জীবনযাপন করতে পারব। আমার
কাছে পরিস্থিতিটা এমনই। করোনা মোকাবিলায় অনান্য টিকার
পাশাপাশি ফাইজারের টিকাও বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি নারীদের বেতন পুরুষের চেয়ে বেশি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের নারীদের গড় বেতন দেশটির পুরুষদের তুলনায়
বেশি। দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের
তথ্যের ভিত্তিতে আল-ওয়াতান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের
উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সৌদি গেজেট।
মিডলইস্ট ডট ইন টুয়েন্টি ফোর। প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২০
সালে নারীদের গড় মাসিক বেতন ছিল ৪১০৫ রিয়াল আর
পুরুষদের বেতন ছিল ৩৯৪৪ রিয়াল। যদিও প্রতিবেদন বলছে, এ
সময়ে নারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিকভাবে
লিঙ্গবৈষম্য পুরোপুরি দূর হয়নি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় ব্যক্তিমালিকানাধীন
প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরুষদের গড় বেতন ছিল ১৮২০ ডলার, আর
নারী সহকর্মীদের বেতন ছিল ১১৯০ ডলার।
কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই খেলেন মার্কিন
রাষ্ট্রদূত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার কুমিল্লা
সফরকালে সেখানকার বিখ্যাত রসমালাই খেয়েছেন। রসমালাই
খেয়ে তিনি এর প্রশংসাও করেছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার টুইটারে এ তথ্য
জানিয়েছেন।
মিলার টুইটারে লিখেছেন, ‘রসমালাই না খেলে কুমিল্লা
ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয় না। ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশনের
পরিচালক ক্যাথরিন স্টিভেন্সের সঙ্গে কুমিল্লার
প্রাচীনতম এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় রসমালাইয়ের দোকান মাতৃ
ভান্ডার থেকে এই মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে আমি
ভাগ্যবান ছিলাম।
টুইটারে মিলার রসমালাই খাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
উল্লেখ্য, ২৫ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদূত মিলার
ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর স্টিভেন্সের সঙ্গে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রকল্প
পরিদর্শনে কুমিল্লা জেলা সফর করেন। সফরকালে রাষ্ট্রদূত
মিলার বিখ্যাত নারী অধিকারকর্মী এবং সমাজসেবী নবাব
ফয়জুন্নেসার পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে
কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই খান।
২০২০ সালে
আত্মহত্যা করেছেন রেকর্ডসংখ্যক মার্কিন সেনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ২০১৯
সালের তুলনায় ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে
পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ তথ্য
জানানো হয়। খবর আনাদোলুর।
মার্কিন গণমাধ্যম ইউএসএ টুডে প্রতিরক্ষা বিভাগের
সূত্রের বরাতে জানায়, ২০২০ সালে ৫৮০ জন মার্কিন সেনা
আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করা
মার্কিন সেনার সংখ্যা ৫০৪।
আত্মহত্যাসংক্রান্ত ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা
হয়, এর মধ্যে ৩৮৪ জন ছিলেন কর্মরত অবস্থায়, ৭৭ জন
অতিরিক্ত বাহিনীর এবং বাকি ১১৯ জন জাতীয় সুরক্ষা
বাহিনীর সেনা।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, আত্মহত্যা করা অধিকাংশ সেনা
ছিলেন তরুণ ও পুরুষ। এর আগে ২০১৮ সালে ৫৪৩ মার্কিন সেনা
আত্মহত্যা করেছিলেন।
ইউএসএ টুডে জানায়, আলাসকায় সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার
প্রবণতারোধে সেনাবাহিনী ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি
খরচ করেছে।
প্রতিরক্ষা বিভাগের আত্মহত্যা প্রতিরোধ অফিসের পরিচালক
ডা. কারিন অরভিস বলেন, আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রে ও
সেনাবাহিনীর মধ্যে গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেশটির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই তথ্যকে ‘উদ্বেগজনক’
বলে অভিহিত করেছেন।
Top
স্বামীর ঘর ছেড়ে ২৫
বার পালালেন স্ত্রী, প্রত্যেকবারই নতুন প্রেমিক!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বামীর ঘর ছেড়ে ২৫ বার পালিয়ে গেছেন স্ত্রী।
প্রত্যেকবারই নতুন প্রেমিকের হাত ধরে। তবু স্ত্রী
হিসেবে তাকেই গ্রহণ করতে চান স্বামী।
ভারতের আসামের নওগাঁ জেলার বাসিন্দা ওই নারী ও তার
স্বামীর দাম্পত্য জীবন ১০ বছরের। তিনটি সন্তানও আছে
তাদের। যার মধ্যে ছোটটির বয়স তিন মাস।
গত ৪ সেপ্টেম্বর তিন মাসের ওই শিশুকে প্রতিবেশীর বাড়িতে
রেখে চলে যান ওই নারী। তার শ্বশুরের অভিযোগ, এ নিয়ে ২৫
বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তার পুত্রবধূ। আর প্রতি
বারই তিনি ঘর ছেড়েছেন নতুন প্রেমিকের সঙ্গে। পালানোর
সময় স্ত্রী সঙ্গে করে ২২ হাজার রূপি এবং দামি গয়নাও
নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী। ওই নারীর
স্বামী গ্যারেজে কাজ করেন। ফিরে এসেই দেখেন স্ত্রী
বাড়িতে নেই। নেই তিন মাসের শিশুটিও। খোঁজ নিয়ে জানতে
পারেন এক প্রতিবেশীর বাড়িতে শিশুটিকে রেখে গেছেন তার
স্ত্রী। ছাগলের খাবার আনতে যাচ্ছেন বলে তিনি শিশুটিকে
রেখে যান। তারপর আর ফেরেননি।
ওই নারীর স্বামী বলেছেন, ‘‘বাড়ি ফিরে দেখি আমার রূপি
এবং নিজের গয়নাও নিয়ে গেছে স্ত্রী। বুঝতে পারি তিন
মাসের শিশুটিকে ফেলে রেখে আবার পালিয়ে গেছে ও।’’ যদিও
স্ত্রী আগের মতো ফিরে এলে তাকে মেনে নেবেন বলে
জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ইতালির সিটি নির্বাচনে লড়ছেন
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩ নারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইতালির রাজধানী
রোম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটির নির্বাচন। এই
নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন
নারী। এর মধ্যে রাজধানী রোমে দুইজন ও ফ্রাসকাতিতে একজন
নারী যুক্ত হয়েছেন ইতালির মূল ধারার রাজনীতিতে।
অক্টোবরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রোম সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে রাজধানীর রোমে পাঁচ
মিউনিসিপিওতে প্রার্থী হয়েছেন নারীনেত্রী লায়লা শাহ্
এবং ৭ নম্বর মিউনিসিপিও ও কমুনের কাউন্সিলর পদে
প্রার্থী হয়েছেন সাংবাদিক জুমানা মাহমুদ। ইতালিতে এই
প্রথম কোনো বাংলাদেশি নারী সাংবাদিক রোম সিটি নির্বাচনে
কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। জুমানা মাহমুদ ২০০৭
সাল থেকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা
টিভিতে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে একাধিক
টেলিভিশনে কাজ করার পর বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি
বেসরকারি টেলিভিশনের ইতালি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছেন।
ইতালির তরভেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের
ছাত্রী জুমানা মাহমুদ জানান, এখানে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের সমস্যার কথা তিনি সরকারের কাছে তুলে ধরতে
এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আরেক নারী প্রার্থী লায়লা
শাহ্ বলেন, ‘নারীদের নানা সমস্যার কথা সরকারের কাছে
তুলে ধরাই হবে আমার প্রধান কাজ। এ ছাড়া ইতালি প্রবাসী
বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশনসহ তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে
চাই বড় ফোরামে। আর সে জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা
করি প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদেরকে বিজয় করে দেশের
সম্মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।’
ফ্রাসকাতি পৌর নির্বাচনে প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
পাপিয়া আক্তার একজন সমাজকর্মী। তিনি জানান, আশা করি
আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটকেন্দ্রে
যাবেন এবং বাংলাদেশিদেরকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব
পালন করবেন।
এদিকে ইতালির মূলধারার রাজনীতিতে তিন বাংলাদেশি নারীর
অংশগ্রহণে প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা
বিরাজ করছে। তারা আশা করছেন, ইতালির সিটি নির্বাচনে
বাংলাদেশি নারীদের বিজয় প্রবাসীদের এক নতুন মাইলফলক
হিসেবে কাজ করবে।
জাস্টিন ট্রুডোকে
পাথর মারলেন বিক্ষোভকারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০
সেপ্টেম্বর। সেই নির্বাচনী প্রচারের জন্য অন্টারিও
লন্ডনে গিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সেখানে তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা।
৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে
বলা হয়, একটি বার পরিদর্শনের পর নির্বাচনী প্রচারণার
কাজে ব্যবহৃত বাসে ফিরছিলেন ট্রুডো। এ সময় তাকে লক্ষ্য
করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি কোনো
আঘাত পাননি।
ঘটনার পর জাস্টিন ট্রুডো উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,
পাথর নিক্ষেপের কারণে তিনি কাঁধে আঘাত পেয়ে থাকতে
পারেন।
হানিমুন এলো কোথা
থেকে?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংক্ষিপ্ত অক্সফোর্ড অভিধান অনুযায়ী হানিমুন অর্থ হলো-
বিয়ের প্রথম মাস। তবে হানিমুনের বর্তমান অর্থ হচ্ছে-
বাড়িতে বসতি স্থাপনের আগে, সদ্যবিবাহিত দম্পতির একসঙ্গে
ছুটি কাটানো।
হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা নিয়ে সব নব্যবিবাহিতেরই আগ্রহ
থাকে। বিয়ের পর চেনা জগৎ থেকে দূরে কোথাও কয়েকটা দিন
কাটানোর আনন্দই আলাদা। দু’ জন মানুষের যৌথ জীবন-যাপনের
শুরুর কটা দিন কাটে রোমান্টিকতায়।
কিন্তু হানিমুনের ধারণাটি কোথা থেকে এলো?
হানিমুন কথাটা এসেছে 'হানি ওয়াইন' থেকে। ওয়াইনের সঙ্গে
মধু মিশিয়ে তৈরি এই হানি ওয়াইন ফুলসজ্জার রাতে নতুন
জামাইকে উপহার হিসেবে দিতেন শ্বশুর! এই 'হানি ওয়াইন'
ছিল বলবর্ধক, ঠাণ্ডায় গা গরম করার মহৌষধ। আর এভাবেই
হানিমুনের উৎপত্তি। আবার অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়,
বিয়ের পর টানা এক মাস একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি মদ
খেতে হতো নব দম্পতিকে। মধু দিয়ে তৈরি মদ খাওয়ার প্রথা
সেই হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে চালু ছিল। যার থেকেই
এসেছে হানিমুন শব্দটি।
অনেকে মনে করেন, মুন শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে।
আর সাথে হানি জুড়ে দেওয়ার কারণ বিয়ের পর
নব্যবিবাহিতদের মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ, ভালো লাগা
কাজ করে। সেটাকে মধুর সঙ্গে মিলিয়েই এ নাম দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে হানিমুনকে মধুচন্দ্রিমাও বলা হয়। বাংলাদেশি
দম্পতিরা বিয়ের পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো না কোনো
পর্যটন এলাকা থেকে ঘুরে আসেন। বিবাহিত জীবনের প্রথম
দিকের স্মৃতি ধরে রাখতে।
প্রথম নারী মেয়র
পাচ্ছে বার্লিন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) প্রার্থী
ফ্রানজিসকা গিফে রাজধানী বার্লিনের প্রথম নারী মেয়র পদে
বসতে চলেছেন। বার্লিনে এত দিন মেয়রের দায়িত্বে থাকা
এসপিডির মাইকেল মুলার এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ফলে মেয়র পদে একই দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন
ফ্রানজিসকা গিফে এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, জার্মানিতে এঙ্গেলা মের্কেলের দলকে ছোট
ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছে মধ্য বামপন্থী দল
সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি)।
প্রাথমিক ঘোষিত ফলাফলে, এসপিডি ২০৬ আসনে জয় পেয়েছে।
তারা পেয়েছে ২৫.৭ শতাংশ ভোট।
মেয়েদের কর্তৃক
ডিভোর্সের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, গত দেড়
বছর ধরে অতিমারির কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানুষের দারিদ্র্য কিছুটা হলেও বেড়েছে। কর্মজীবী
মানুষের উপার্জন হ্রাস পেয়েছে। এসব কারণেই পারিবারিক
সহিংসতাগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সমাজের
অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে
অপরাধপ্রবণতা বাড়ে-কমে। একটি দৈনিকে প্রকাশিত একটি
রিপোর্টে দেখলাম, কীভাবে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে এসেছে যে, ৭০ শতাংশ ডিভোর্স নারীরা
দিয়েছেন। এর কারণও অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে।
‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জেলা লিগ্যাল এইড
কর্মকর্তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এসব
কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়,
করোনাকালে ৪৮ হাজার ২৩৩ জন নারী ও শিশু পারিবারিক ও
অন্যান্য ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৮
দশমিক ৫ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ শিশু রয়েছে। দেশের ৫৩
জেলায় ৬৫ হাজার মানুষের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে এই
জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়।
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, সরকারি আইনসহায়তা
কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তৃত করা দরকার। যেমন সমাজে
স্বামী পরিত্যক্তা আছেন। ধর্ষণসহ অন্যান্য নির্যাতিত
নারীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই
সেবা দেওয়াটাও লিগ্যাল এইড। এটা না দেওয়ার কারণে অনেক
সময় সাক্ষ্য নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং এই বিষয়গুলো ধীরে
ধীরে লিগ্যাল এইডে অন্তর্ভুক্ত করে এর পরিধি বাড়াতে হবে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক জেলা ও
দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ২
হাজার ৬৬ জনকে আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২ লাখ ৯৪
হাজার ৬৮৭ জনকে মামলায় সহায়তা করা হয়েছে। ৪৯ হাজার ৯২৭
জনকে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি সেবা দেওয়া হয়েছে।
হটলাইনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়েছে ১৭ হাজার
৩২৮টি। মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৮ জনকে আইনি সহায়তা ও
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণ শেষ
করলেন সৌদির প্রথম নারী সেনা দল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নতুন ইতিহাস গড়লেন সৌদি নারীরা। সেনাবাহনীতেও এখন থেকে
পুরুষদের পাশাপাশি তাদের দেখা যাবে। নারী সেনাদের
প্রথম বেচের ক্যাডেটরা তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।
বুধবার তারা ১৪ সপ্তাহের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
করেছেন। খবর সৌদি গেজেটের।
সৌদি সেনাপ্রধান জেনারেল ফায়াদ আল-রুয়াইলি বুনিয়াদি
প্রশিক্ষণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী ক্যাডেটদের মধ্যে
সনদ বিতরণ করেন।
এ বছরের ৩০ মে থেকে তারা ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন।
সেনাবাহিনীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান মেজর
জেনারেল আদেল আল-বালাবি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
নির্দেশনায় সফলভাবে নারীরা তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
করেছেন। প্রশিক্ষিত এসব নারী সেনা সদস্যের প্রয়োজনীয়
স্থানে নিযুক্ত করা হবে। নারী সেনাদের
প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সার্জেন্ট
সুলাইমান আল-মালিকি ছাড়াও সৌদি সেনাবাহিনীর শীর্ষ
স্থানীয় কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিবাহের
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে: স্পিকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কোভিডকালীন
বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী
সহিংসতা, বাল্যবিবাহের মতো উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো
মোকাবেলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কন্যা সন্তানদের
অস্বচ্ছল পিতা-মাতাদের আস্থাহীনতার কারণে করোনাকালীন
বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারী
শিক্ষাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা
গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি অভিভাবকদের এই
মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আজ ‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং
প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায়
প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে
স্পিকার এসব কথা বলেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের
আওতায় গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় ‘বাংলাদেশ
এসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড
ডেভেলপমেন্ট’ (বিএপিপিডি) এই পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন
করে। এতে সভাপতিত্ব করেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং
‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক
উপ-কমিটি’র আহ্বায়ক বেগম মেহের আফরোজ চুমকি। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায়
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি,
আরমা দত্ত এমপি, শিউলি আজাদ এমপি, শবনম জাহান এমপি,
ফখরুল ইমাম এমপি। প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব এম এ
কামাল বিল্লাহ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে কন্যা
সন্তান তাদের জন্য বোঝা নয়। বর্তমান প্রেক্ষিতে কন্যা
সন্তানদের এগিয়ে নিতে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া
হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি,
মসজিদের ইমাম সবার প্রচেষ্টায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ যথাযথ বাস্তবায়ন
সম্পর্কে এরূপ কর্মশালা আয়োজন থেকে ধারণা পাওয়া যায়।
স্পিকার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি।
সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁকে 'এসডিজি
প্রগেস এওয়ার্ড'-এ ভূষিত করা হয়েছে। কমিউনিটি
ক্লিনিকের জনবান্ধব ধারণাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল। কারণ, তিনি গ্রামে, চরে,
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে সেবা দেয়ার বিষয়টি সর্বদা
প্রাধান্য দেন।
সৌদি আরবে ভিক্ষা
করলে ১ বছরের জেল, ২২ লাখ টাকা জরিমানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদির রাজধানী রিয়াদের একটি প্রধান রাস্তায় সুপার
মার্কেটের বাইরে বসে একজন নারী ভিক্ষা করছেন।
ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কঠোর আইন পাস করল সৌদি আরব। এখন
থেকে দেশটিতে কেউ ভিক্ষা করলে তার ১ বছর পর্যন্ত জেল ও
১ লাখ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২ লাখ ৭২ হাজার
টাকা প্রায়) জরিমানা হতে পারে। সম্প্রতি এ আইনের
অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রিপরিষদ।
নতুন আইন অনুসারে, সৌদি আরবে কেউ ভিক্ষা করলে,
ভিক্ষুকদের ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকলে অথবা তাদের সংগঠিত
করলে কঠোর সাজার মুখোমুখী হতে হবে। সেক্ষেত্রে কেউ
কাউকে ভিক্ষাবৃত্তিতে সাহায্য বা উৎসাহিত করলে ছয় মাস
পর্যন্ত জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা
অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। আইনে বলা হয়েছে,
বিদেশি নাগরিকদের কেউ ভিক্ষা করলে তাকে সাজাভোগের পর
স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। একবার ফেরত গেলে তিনি জীবনে
আর কখনোই কাজের জন্য সৌদিতে ঢুকতে পারবেন না। তবে
বিদেশি ভিক্ষুকদের কেউ যদি কোনো সৌদি নারীর স্বামী বা
সন্তান হন, তাহলে স্বদেশে ফেরত যাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।
এ ছাড়া, ভিক্ষাবৃত্তির অপরাধে কেউ একাধিকবার গ্রেফতার
হলে আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখী হবেন। এ আইন কার্যকরের
ভার দেওয়া হয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনের ৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে
সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি ভিক্ষুকদের
সামাজিক, স্বাস্থ্যগত, মনস্তাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক
অবস্থা পর্যালোচনা করে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সহায়তা
দিতে হবে।
সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের
তথ্য মতে, ২০১৮ সালে দেশটিতে ২ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে
গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৪০ জন নারী,
বাকি ৫৭০ জন পুরুষ ছিলেন।
হাইকোর্টে বিচারপতি-আইনজীবীদের
আপাতত যে পোশাক পরতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হাইকোর্টে আপাতত যে পোশাক পরতে হবে
বিচারপতি-আইনজীবীদের সুপ্রিম কোর্ট। মহামারি করোনা
ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি
এবং আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক
নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট
সভার সিদ্ধান্তের আলোকে করোনা ভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯)
সংক্রমণজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং
ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত
টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও
প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন।
‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং
ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত
টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও
প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন’ বলে
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সমলিঙ্গের বিয়ের
বৈধতা দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুইজারল্যান্ডে গণভোটের মাধ্যমে সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়েকে
বৈধতা দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির ৬০ শতাংশ
ভোটাররা সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়েকে সমর্থন করেছে। এর মধ্য
দিয়ে দেশটি পশ্চিম ইউরোপের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখল।
তবে সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ের বিষয়টিকে ভালাভাবে নেয়নি
দেশটির রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলগুলো। তারা এর কঠোর
সমালোচনা করে বলছে, এ ধরনের ঐতিহ্য সুইজারল্যাল্ডের
পরিবারাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
২০০৭ সালে সুইজার ল্যান্ডে ব্যাপক বাধ্য-বাধকতার
মাধ্যমে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হয়।
সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ের বৈধতা পাওয়ায় এখন থেকে
সমলিঙ্গের দম্পতিরা অন্য পরিবারের সন্তানদের দত্তক নিতে
পারবেন। এছাড়া সহকামী দম্পতিরা চাইলে তাদের শুক্রানু
প্রদান করতে পারবে।
ইকুয়েডরের কারাগারে
ফের দাঙ্গা, ২৪ বন্দি নিহতে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইকুয়েডরের একটি কারাগারে দাঙ্গায় কমপক্ষে ২৪ বন্দি
নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪৮ জন বন্দি। মঙ্গলবার
দেশটির গুয়ায়েস প্রদেশের একটি কারাগারে আধিপত্য
বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দিদের দুই গ্রুপের মধ্যে
ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে
এমনটি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে এ বছর ইকুয়েডেরের কারাগারে তৃতীয় দাঙ্গার ঘটনা
ঘটলো।
ইকুয়েডরের কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুয়ায়েসের
আঞ্চলিক কারাগারটিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দিদের
মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী
অভিযান চালায়। ১০টা ৪০ মিনিটে ভেতরে প্রবেশ করেন
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বেলা
২টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় নিরাপত্তা
বাহিনী।
স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, কারাগারের জানালা
দিয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়, বন্দিরা কারাগারের জানালা
দিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য এবং গুলি ছোঁড়ে। এসব বন্দিরা
অস্ত্র কোথায় পেল তা জানা যায়নি।
কেন ব্যর্থতায়
পর্যবসিত নারী বৈষম্যকারী দেশগুলো?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ২০০১ সালে তালেবানকে
ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে আফগান মেয়েদের প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে ভর্তির সংখ্যা শূণ্য থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত
হয়, শিশুমৃত্যুর হার অর্ধেকে নেমে আসে এবং জোরপূর্বক
বিবাহ অবৈধ করা হয়। এক দশক পর আবারও কট্টর তালেবান
শাসনের অধীনে সেই অর্জনগুলি এখন হুমকির সম্মুখীন। সেই
সাথে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও। তাই সম্ভবত
হিলারি ক্লিনটন এক দশক আগে বলেছিলেন, ‘নারীদের পরাধীনতা...আমাদের
বিশ্বের সাধারণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
যে দেশগুলিতে নারীরা ব্যাপকভাবে অত্যাচারিত হয়, সেই
দেশগুলির সহিংস এবং অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
বেশি। অনেক দেশে বংশের প্রতিনিধি হিসাবে ছেলে
ভ্রুণগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, মেয়ে ভ্রুণগুলির
গর্ভপাত ঘটানো হয় এবং মেয়ে শিশুদের মারাত্মকভাবে অবহেলা
করা হয়। এতে, দেশগুলিতে লিঙ্গ বৈষম্য আরও বেশি তীব্র
হয়ে ওঠে, যার অর্থ লাখ লাখ যুবক অবিবাহিত থেকে যায়। ফলে,
নি:সঙ্গ ও হতাশ যুবকদের সহিংস অপরাধে জড়িত হওয়ার বা
বিদ্রোহীদের দলে যোগদানের সম্ভাবনা বাড়ে। বোকো হারাম
এবং ইসলামিক স্টেটের নেতারা তাদের সদস্য বাড়াতে এই
সুযোগটি কাজে লাগায়। এবং তারা তাদের যোদ্ধাদের বিজয়ের
পুরস্কার হিসাবে ‘বহু স্ত্রী’ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
থাকে।
ধনী গণতন্ত্রের বাইরে, পুরুষতান্ত্রিক বংশানুক্রম এখনও
অনেক সমাজের মৌলিক একক। তবে, তারা বেশিরভাগই সমস্যা
সৃষ্টি করে। উদহরণস্বরূপ, মধ্য প্রাচ্য এবং সাহেল জুড়ে
বংশানুক্রমে পুরুষদের প্রতিশোধমূলক সংঘাতগুলি রক্তপাত
ঘটিয়ে চলেছে। বিভিন্ন দেশে পুরুষ নেতৃত্বগুলি বংশ
পরস্পরায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে বাকিদের সাথে
প্রায়শই হিংস্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়, যাতে তারা
নিজেদের এবং তাদের আত্মীয়দের মধ্যে চাকরি সুযোগ-সুবিধা
বা লুন্ঠনের লভ্যাংশ ভাগ করে নিতে পারে। সেই দেশগুলি
দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে নাগরিকরা
রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সন্ত্রাসবাদীদের
দল ভারি করে, যারা তাদের আরও ন্যায়সঙ্গত শাসনের
প্রতিশ্র“তি দেয়।
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম এবং ব্রিগেম ইয়ং ইউনিভার্সিটির
গবেষকরা নারীদের প্রতি প্রাক-আধুনিক মনোভাবের একটি
বৈশ্বিক সূচক তৈরি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ
বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন, সম্পত্তিতে নারীদের অসম
অধিকার, মেয়েদের বাল্যবিবাহ, পিতৃতান্ত্রিক বিবাহ,
পুরুষের বহুবিবাহ, কনের দাম, ছেলে সন্তানের অগ্রাধিকার,
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এর আইনি উদাসীনতা (উদাহরণস্বরূপ,
একজন ধর্ষক কি তার শিকারকে বিয়ে করে শাস্তি থেকে বাঁচতে
পারে?)।
প্রাণ
ফিরছে পোশাকশিল্পে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক
উৎপাদনে ফিরছে পোশাকশিল্প; রপ্তানিও বাড়ছে দিন দিন।
এখন নতুন বাজারের সন্ধ্যানে পোশাক খাতসংশ্লিষ্টরা। একই
সঙ্গে পণ্যের বহুমুখীকরণেও উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন উদ্যমে কাজে যোগ দিয়েছেন
শ্রমিকরা। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাকশিল্পে
আবারও প্রাণ ফিরছে। এমনকি বছরের প্রথম সাত মাসে পোশাক
রপ্তানিতে প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে ফের
দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
উদ্যোক্তারা বলছেন, ক্রেতা-দেশগুলো ভ্যাকসিন নিশ্চিত
করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। মার্কেট, শপিংমলগুলো
খুলছে। ক্রেতারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে পোশাকের
চাহিদা বাড়ছে। বড় ব্র্যান্ডের ক্রেতারাও আগের তুলনায়
অর্ডার বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এভাবে ক্রেতারা ঝুঁকলে আগের
অবস্থানে ফিরে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলেও মনে
করছেন তারা। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পোশাক
রপ্তানি ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে; স্থানীয়
মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। তৈরি পোশাকশিল্প
মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে
পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ
৬৭ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা)। আগের বছরে (২০১৯-২০ অর্থবছর)
রপ্তানি হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার, (২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬০
কোটি টাকা)।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি
শহীদুল্লাহ
আজিম আমাদের সময়কে বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের
মধ্যেও গত অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ
বেড়েছে। চলতি অর্থবছরেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। আমরা
প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি।
তিনি বলেন, কৃত্রিম ফাইবারে যেতে পারলে ভ্যালু অ্যাড
বর্তমানের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। রপ্তানি
বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন বাজার ধরতে হলে ফাইবারের পণ্য
তৈরি করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সরকারি প্রতিশ্র“তিই জয় এনে দিতে পারে মমতাকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি মাসের ৩০ তারিখে পশ্চিমবঙ্গে উপ-নির্বাচন। দক্ষিণ
কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায কে কোনোকালেই নিরাশ করেনি।
তবে এবার কিছুটা হলেও চাপে আছেন তিনি। কারণ এবারের
উপ-নির্বাচন শুধু নামমাত্র ভোট নয , তার কাছে ‘ডু অর
ডাই ফাইট’।
আগামীতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি পেতে হলে ভবানীপুরের
উপ-নির্বাচন জিততেই হবে তৃণমূল প্রার্থী মমতাকে। আর সে
উপলব্ধি স্বয়ং স্বীকার করে নিয়েছেন নেত্রী।
সম্প্রতি ওই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের উদ্দেশে মমতা
বলেছেন, ‘এবারের উপ-নির্বাচনের অন্য গুরুত্ব রয়েছে।
ভাববেন না দিদি দাঁড়িয়েছে, তাই জিতে যাবে। সবাই ভোট
দেবেন। প্রতিটি ভোট খুব দামি। আমি না জিতলে বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব না। তৃণমূল সরকার চালাবে, কিন্তু
অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে। ’
তিন তিনবারের লড়াকু মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে এমন আবেগী
ভাষণে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন চিহ্নের জন্ম নিলেও
হাল ছাড়ছে না মমতার দল। পাশাপাশি বিরোধীরা কিছুটা জমি
পাবে বলে মনে করছে বিজেপি। গেরুয়া দলের মতে ভোটের আগেই
শঙ্কিত মমতা। ফলে নন্দীগ্রামের ফলাফল পুনরাবৃত্তির
মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। প্রার্থী করা হয়েছে
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। খাতায় কলমে অ্যাডভানটেজ মমতা
হলেও জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে তারাও। কিন্তু
পরিসংখ্যান কী বলছে। সত্যিই কী নন্দীগ্রামের
পুনরাবৃত্তি ঘটবে ভবনীপুরে?
২০১১ সাল ছিল পশ্চিমবাংলায় পরিবর্তনের বছর। সেবার
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার পতন ঘটে মমতা হাত ধরেই। ফলে
ব্যতিক্রম ছিল না ভবানীপুর কেন্দ্রটিও। ওই বছর তৃণমূল
কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দলের বর্তমানে রাজ্য সভাপতি
সুব্রত বক্সি। সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন নারায়ণ প্রসাদ
জৈন। ৪৯ হাজার ৯৩৬ ভোটে জিতেছিলেন সুব্রত।
যে
নিয়ম মেনে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে আফগান নারীরা
এখন থেকে আফগানিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষা নিতে হবে
পর্দার নিয়মকানুন মেনে। আফগান নারীরা যেতে পারবেন
বিশ্ববিদ্যালয়ে তবে তাদের শ্রেণিকক্ষে বসতে হবে
নারী-পুরুষ আলাদা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। গতকাল রোববার
এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের নতুন সরকারের
শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাকি হাক্কানি নারী
শিক্ষাব্যবস্থার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রথমে প্রতিশ্রুতি মিললেও তালেবানের নতুন নেতৃত্বে
জায়গা হয়নি নারীদের। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন হয়তো
শিক্ষাক্ষেত্রেও নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে না
তালেবান। তবে গতকালের সংবাদ সম্মলনের পর শঙ্কা কেটেছে
আফগান নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নিয়ে। এখন থেকে
আফগানিস্তানের নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বাধা নেই,
এমনকি স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়তে পারবেন তারা। শর্ত
একটাই, পর্দা রক্ষায় ছেলেমেয়ে একসঙ্গে নয়, বসতে হবে
আলাদা ক্লাসরুমে এবং অবশ্যই হিজাব পরতে হবে।
নতুন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাকি হাক্কানি বলেন,
‘আফগানিস্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের দায়িত্ব এখন আমাদের।
নারী-পুরুষ সবার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে নতুন
জাতি গঠনে আমরা কাজ করব। বর্তমানে আফগানিস্তনে অনেক
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে এখন
থেকে নারী-পুরুষ আলাদা হয়ে পর্দার মধ্যে থেকে
উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’
এছাড়া তালেবানের বিগত শাসনামলে আফগানিস্তানের শিক্ষা ও
সামাজিক ব্যবস্থায় নারীদের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল,
সেক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তালেবান।
তবে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর বারবার
যেই কথা সামনে আসছে তা হলো নারী অধিকার। ১৫ আগস্ট
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের বিরুদ্ধে প্রথম
রাজপথে নামেন দেশটির নারীরাই। নিজেদের অধিকার আদায়ে
এখনো তালেবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার তারা।
তালেবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গত ১১ সেপ্টেম্বর
কাবুলের রাস্তায় নামেন শত শত নারী। হাতে ছিল ব্যানার,
ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ড। নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে
বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা। বিক্ষোভকারীদের
ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় তালেবান সদস্যরা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আফগান নারীদের পাশে
দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী
নারী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই।
‘আমি হচ্ছি কানাডা সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিজেকে কানাডায় ‘প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী’ হিসেবে দাবি
করেছেন ফেডারেল জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে মন্ত্রী হিসেবে
নিয়োগ দিয়েছেন, আমি তাঁকে বলেছি- আমি হচ্ছি কানাডা
সরকারে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী। কারণ আমি সবচেয়ে
বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি কানাডিয়ানের প্রতিনিধিত্ব করি,
তাদের সেবা করি।
কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক
শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সম্প্রচারিত ‘শওগাত আলী
সাগর লাইভের’ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে তিনি
লিবারেল পার্টির মনোনয়নে স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট
নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট এলাকায় সর্বাধিক সংখ্যক বাংলাদেশি
কানাডিয়ান ভোটার বসবাস করেন।
এ নির্বাচনী এলাকা থেকেই প্রভিন্সিয়াল সংসদে এমপি
হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম।
যুক্তরাজ্যের
‘লাল তালিকা’ থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জটিলতা
অবশেষে কাটছে। যুক্তরাজ্য সরকার গতকাল শুক্রবার রাতে
হালনাগাদ করা ‘রেড লিস্ট’ (লাল তালিকা) থেকে
বাংলাদেশের নাম বাদ দিয়েছে। যুক্তরাজ্য সময় আগামী ২২
সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে এটি কার্যকর হবে। যুক্তরাজ্য
পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস লাল তালিকা থেকে
বাংলাদেশসহ আটটি দেশকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা
জানান। অন্য সাতটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ,
পাকিস্তান, তুরস্ক, কেনিয়া, মিসর ও ওমান। দেশগুলোর
কভিড পরিস্থিতির উন্নতি আমলে নিয়েই লাল তালিকা থেকে
বাদ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি
যুক্তরাজ্য সফরকালে এবং যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের ‘লাল তালিকা’ থেকে
বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। দেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন,
কভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরও বাংলাদেশকে ওই
তালিকায় রাখা বৈষম্যমূলক।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কভিড পরিস্থিতি
বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর যুক্তরাজ্য সরকার
ট্রাফিক বাতির মতো রং যেমন ‘রেড’, ‘আম্বার’ ও ‘গ্রিন’
তালিকার মাধ্যমে ঝুঁকি নিরূপণ করে। গত ৭ মে যুক্তরাজ্য
সরকার প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশ ‘রেড লিস্টে’ স্থান
পায়। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া নিষিদ্ধ
না হলেও নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার
কারণে তা ছিল বেশ ব্যয়বহুল।
গাড়ির মতো প্লেনেও
হর্ন থাকে, কখন তা ব্যবহার করেন পাইলট?
গাড়ি বা ট্রেনের হর্নের কথা শুনেছেন। কিন্তু কখনও
প্লেনে হর্নের কথা শুনেছেন? কিংবা প্লেনের হর্নের শব্দ
কেমন জানেন? প্রশ্ন জাগতেই পারে, প্লেনেরও আবার হর্ন!
আকাশে তো বিমানজটের বালাই নেই, তাহলে আবার হর্নের
প্রয়োজন কেন? অবশ্যেই প্রয়োজন আছে এবং এই হর্নের
যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাজও আছে।
প্লেনেরও হর্ন আছে, এটা না হয় জানা গেল। কিন্তু তা বলে
আকাশে হর্ন বাজানো হয়? এখানেও প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে
নিশ্চয়ই কোনও প্লেন কাছাকাছি চলে এলে সতর্ক করতেই সেই
হর্ন বাজানো হয়! কিংবা পাখির কবলে পড়ে যাতে বিমান
দুর্ঘটনা না হয় সেজন্য বাজানো হয়?
না, তা নয়। আসল বিষয়টা হল, প্লেনের হর্ন থাকলেও তা
কিন্তু আকাশে উড্ডয়ন অবস্থায় ব্যবহার করা হয় না।
বিমানচালককে এই হর্ন বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। বলা
ভাল, উড্ডয়নের সময় প্লেনের এই হর্ন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
তবে বিমানবন্দরে প্লেন থাকাকালীনই এই হর্ন ব্যবহার করা
হয়। একমাত্র গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা যখন ককপিটে থাকেন,
তখন গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই
হর্ন ব্যবহার করা হয়। সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের কাছে
এই হর্ন থাকে।
প্লেনের ককপিটে যে ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল থাকে সেখানে
‘জিএনডি’ লেখা একটা বোতাম থাকে। এই বোতাম টিপলেই হর্ন
বাজে। অনেকটা জাহাজ বা স্টিমারের হর্নের মতো আওয়াজ। তবে
প্লেনে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে সতর্কতামূলক
সঙ্কেত হিসেবে এই হর্ন বাজানো হয়।
হর্নের আওয়াজেরও আবার ধরন আছে। এই নানা ধরনের হর্ন শুধু
ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই। বিমানের কোথায় কোন সমস্যা হচ্ছে,
বা কী সমস্যা হচ্ছে, হর্নের ধরন শুনে তারা বুঝতে পারেন।
এক একটি হর্নের সঙ্গে এক এক রকম আলোও লাগানো আছে। এ
ছাড়া কেবিনে কোনও সমস্যা হলে তার জন্য আলাদা হর্ন আছে।
তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন প্লেনের ককপিটেও হর্ন
থাকে। নানা রঙের আলোর মাধ্যমে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের
সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলটরা। ওই নানা রঙের আলোগুলোকে
প্রযুক্তিগতভাবে প্লেনের হর্ন বলাও হয়ে থাকে।
নারী ও শিশু সংবাদ
নারীর হাতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উম্মে খোদেজা (২২)। স্বামী
পরিত্যক্ত এই নারী দুই সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের ভরণপোষণের
জন্য বছর দুই আগে খালাতো বোনের সঙ্গে ঢাকায় একটি পোশাক
কারখানায় কাজে ঢোকেন। বেতনের টাকায় গ্রামে নিজের
পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও খোদেজা তার সন্তানদের
ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাচ্ছেন।
এমন চিত্র শুধু এক খোদেজার নয়। পরিবারের সঙ্গে দেশের
অর্থনীতিও সচল রাখতে খোদেজার মতো লাখ লাখ নারী পোশাক
শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর নারী পোশাক
শ্রমিকদের সেলাই মেশিনের চাকা সচল আছে বলেই বদলে যাচ্ছে
বাংলাদেশের অর্থনীতির চালচিত্র। বাংলাদেশ বিশ্বের
দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আর পোশাক খাতের এই
অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে নারী শ্রমিকদের কারণেই। ভারতীয়
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে
শ্রমশক্তিতে নারীদের উচ্চতর অংশগ্রহণ একটি বড় ভূমিকা
রাখছে। আর ভারত এদিক দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে
আছে। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে
মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। এই পোশাক খাতকে
নিয়েই বিশ্ববাজারে একটি ভালো স্থান করে নিয়েছে
বাংলাদেশ। হিসাব বলছে, শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের নারীদের
অংশগ্রহণের হার ৩২ শতাংশ, আর ভারতে এই হার মাত্র ২০
দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বাংলাদেশ
প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম
আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পেছনে নারীর এই অগ্রগতি মুখ্য
ভূমিকা রাখছে। তাদের মতে, রাজনৈতিকভাবে সরকারের বড়
দর্শন কাজ করছে যে, নারীকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বিশেষ
করে সরকারি চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়া। সচিব, সিনিয়র
সচিবসহ সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন নারী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন-পুলিশ, সেনাবাহিনী,
নৌবাহিনীতেও উচ্চপদে নারীর অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ
এখন পুরুষ সমকক্ষ কর্মক্ষেত্রগুলোতে নারীর অংশগ্রহণের
সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সরকার যদি রাজনৈতিক এই অবস্থা ধরে
রাখে এবং বেসরকারি খাতকে যদি জেন্ডার সমতা বিষয়ক
নীতিগত সিদ্ধান্ত পালনে বাধ্য করে তাহলে পুরুষ সমকক্ষ
কাজেও সমভাবে দেখা যাবে নারীদের অংশগ্রহণ। বিগত এক দশকে
বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত
হয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ
ক্রমেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। ওয়ার্ল্ড
ইকোনমিক ফোরামের সূচক বলছে, বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতায়
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আর এই সমতা
নারীর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার হার, স্বাস্থ্যের
উন্নতি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর ভিত্তি করে তৈরি
করা হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। আর বিগত এক
দশকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নারীর অংশগ্রহণও
উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক
অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
পাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী
বাংলাদেশে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১০ সালে যেখানে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ছিল ১৬.২ লাখ
সেখানে ২০১৬-১৭ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮.৬
লাখ। ১৯৭৪ সালে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪
শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫.৬ শতাংশ। তবে
চাকরির বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরুষের
প্রতিদ্ধন্ধিতায় এখনো নারীকে পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। আর
এমনটি হচ্ছে উচ্চতর শিক্ষায় নারীরা পুরুষের তুলনায় এখনো
পিছিয়ে আছে বলে। এ জন্য পেশাদার চাকরিগুলোতে নারীর
অংশগ্রহণ এখনো কম।
মির্জাপুরে ১৬টি কয়লার কারখানা, শিশু
কিশোররা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বনাঞ্চল ও জনবসতি এলাকায় ১৬টি
কয়লার কারখানায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব কারখানা নির্মিত
হওয়ায় বনাঞ্চলের কাঠ কেটে কয়লার কারখানায় বিক্রি করা
হচ্ছে। এতে একদিকে বনাঞ্চলের কাঠ যেমন উজার হচ্ছে। অপর
দিকে এর নির্গত ধোয়ায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে
পরেছে। তাছাড়া এলাকার শিশু-কিশোররাও নানা রোগ-ব্যাধিতে
আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
চুল্লির ধোয়ায় এলাকার মৌসুমী ফল গাছের মুকুল ও সবজি
গাছ নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী
ও বন বিভাগ সূত্র জানান, মির্জাপুর উপজেলার আজগানা,
বাশতৈল এবং তরফপুর ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার একর সংরক্ষিত
বনাঞ্চল রয়েছে। বাঁশতৈল পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা
বিল্লাল হোসেনের ২৫৫ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি প্রতি
মাসে ৮ হাজার টাকা বাড়ায় ২ বছর আগে বাঁশতৈল ইউনিয়নের
কাহারতা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও গায়রাবেতিল গ্রামের
মজিবুর রহমানের কাছে ভাড়া দেন। পরে তারা জমির মালিক
বিল্লাল হোসেন ও হারুন অর রশিদ নামে দুইজনকে সাথে নিয়ে
চারজনে ওই স্থানে ১৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি স্থাপন করেন।
ওই কারখানায় কাঠ চোরারা প্রতিদিন ট্রাক এবং গরু-মহিষের
গাড়িতে শতশত মন কাঠ এনে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা মন দরে
বিক্রি করেন। ওইসব কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিটি চুল্লিতে ৩ থেকে ৪ দিনে ২০০ মন কাঠ পুড়ানো হয়।
তা থেকে ৫৫ থেকে ৬০ বস্তা কয়লা তৈরি হচ্ছে। ২৫ থেকে ২৭
কেজি ওজনের প্রতি বস্তা কয়লা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে। কয়লা পরিবহনে যাতে কোন সমস্য না হয়
সেজন্য চটের বস্তায় এসব কয়লা বিভিন্ন স্থানে শীষা এবং
সিলভারের তৈজসপত্র তৈরি কারখানায় সরবরাহ করা হয় বলে
জানা গেছে। প্রতি মাসে প্রতিটি চুল্লিতে ১ হাজার ৬০০
মন কাঠ পুড়ানো হচ্ছে। সে হিসেবে ওই ১৬টি চুল্লিতে ২৫
হাজার ৬০০ মন কাঠ পুড়ানো হয়।
প্রতিদিন প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে শতশত মন কাঠ পোড়ানোর
ফলে নির্গত ধোয়ায় জনস্বাস্থ্য ও এলাকার পরিবেশও
মারাতœকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। কয়লার কারখানার কালো ধোয়ায়
ওইসব এলাকার মৌসুমী ফল আম, কাঠাল, বড়ই ও লিচুর মুকুল
ঝরে পড়ে। এছাড়া কলা, বেগুন, কাঁচামরিচের আবাদও নষ্ট
হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।
কয়লার চুল্লির ধোয়ায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরাসহ সব
বয়সের মানুষ সর্দি কাশি এবং চোখের জ্বালা সহ নানা
প্রকার রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী
জানিয়েছেন।
বনাঞ্চলে গড়ে উঠা এসব কয়লার কারখানার মালিকরা এলাকায়
এতই প্রভাবশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী টু-শব্দও
করতেও সাহস পাচ্ছে না।
জয়নাল মিয়ার স্ত্রী ফুলখাতুন জানান, ২০ শতাংশ জমিতে
বেগুন, ১০ শতাংশ জমিতে বড়ই, ৪০ শতাংশ জমিতে কাঁচা
মরিচের আবাদ করা হয়েছিলো। ধোয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে।
নারীকে
উত্ত্যক্ত করায় যুবকের ছয় মাসের কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুরে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে
দেলোয়ার নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড
প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত যুবক
দেলোয়ার হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় স্কুলপাড়া গ্রামের
মৃত আনারুল হকের ছেলে। গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ
আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুর
আলম এ রায় দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ
নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বোয়ালদাড় গ্রামের
দেলোয়ার একই গ্রামের একজন নারীকে বিভিন্নভাবে
কুপ্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। পরে ওই নারীর
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাকিমপুর পুলিশের সহযোগিতায়
নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে
আসামিকে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।
বাল্যবিয়ে পণ্ড, বর-কনের মা-বাবাকে জরিমানা
সুবর্ণচরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে
রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। উপজেলার চর
জুবলী ইউনিয়নের চর ব্যাগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী
(১৫) পাঙ্কার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির
ছাত্রী। পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে ইউএনও ওই বাড়িতে
উপস্থিত হয়ে কনের মাকে দশ হাজার এবং বরের বাবাকে পনেরো
হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিদেশ ফেরত নারী
শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রত্যাবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত সামাজিক
সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নসহ অসহায় অবস্থা নিরসনে দ্রুত
পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা
বলেন, বিদেশ থেকে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের উপযুক্ত
দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর
জোর দিতে হবে। সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত
বাণিজ্যিক পরামর্শেরও প্রয়োজন রয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর ‘দেশে ফিরে আসা
অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা’
শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিলস
গবেষণা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিলস নির্বাহী
পরিষদ সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী, মো. আব্দুল ওয়াহেদ,
পূলক রঞ্জন ধর, বিলস পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন,
উপ-পরিচালক এম এ মজিদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিলস নেতারা বলেন, প্রত্যাবাসী অসহায়
নারী শ্রমিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়ে
গুরুত্ব নিয়ে কাজ করা দরকার। বিদেশ ফেরত নারী
শ্রমিকদের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ এবং এর ধারাবাহিক
পর্যালোচনা করা দরকার। এই গবেষণা তার একটি ক্ষুদ্র
প্রচেষ্টা মাত্র। গবেষণায় বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের
আর্থ-সামাজিক অবস্থা, তাদের প্রতি বিদ্যমান সামজিক
মনোভাব, তাদের পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক
পুর্নবাসনে প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে আনা হয়। বিদেশ ফেরত
নারী শ্রমিকদের উন্নয়নে বিলস এর গবেষণায় কিছু সুপারিশ
তুলে ধরা হয়।
সুপারিশগুলো হলো- প্রত্যাবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য
উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা, উপযুক্ত
দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর
জোর দেওয়া, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত
বাণিজ্যিক পরামর্শ দেওয়া, মনো-সামাজিক পরামর্শসহ
উপযুক্ত স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়া, পদ্ধতিগত নিবন্ধন এবং
তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দেওয়া, উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ
ব্যবস্থা প্রবর্তন যা দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
এছাড়া সংগঠন, নিবন্ধন, সচেতনতা বৃদ্ধি ও পর্যবেক্ষণ
প্রক্রিয়ায় ট্রেড ইউনিয়নকে সম্পৃক্ত করা এবং ক্রমান্বয়ে
একটি পূর্ণাঙ্গ নীতি-কাঠামো প্রণয়নে উদ্যোগী হওয়া, নীতি
ও আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ
করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারের ভাগ্য
পরিবর্তনের আশায় বিদেশ গিয়ে ২৩ শতাংশ নারী শ্রমিক এক
বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দেশে ফিরেছেন, ১৮ শতাংশ এক বছরের
সামান্য বেশি সময় থেকেছেন, ৫৫ শতাংশ নারী শ্রমিকের দেশে
ফেরত আসা ছিল জবরদস্তিমূলক।
এছাড়া দেশে ফেরত আসা প্রতি ৩ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে ১
জনের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের থেকে অবনতি হয়েছে এবং
তাদের মধ্যে সিংহভাগই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ৮৫
শতাংশ তাদের বর্তমান কাজ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত এবং ৫৭
শতাংশ তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে চিন্তিত। ৫২ শতাংশ
বিদেশে জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হয়েছেন, ৬১ শতাংশ
বিদেশে খাদ্য ও পানির অভাবে ভুগেছেন, ৭ শতাংশ যৌন এবং
৩৮ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তারাগঞ্জে যৌতুকের
দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তারাগঞ্জে যৌতুকের কারণে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে ৭
জনকে অভিযুক্ত করে রোববার থানায় মামলা করেছেন। জানা
যায়, প্রায় ৮ বছর আগে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি
গ্রামের আব্বাস মুহুরির ছেলে রমজান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়
পার্শ্ববর্তী গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর পানাপুকুর
গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে মেরিনা খাতুনের। ৩১ আগস্ট
২ লাখ টাকা যৌতুক আনতে স্ত্রী মেরিনাকে বাবার বাড়িতে
যেতে বলেন রমজান। বাবার বাড়ি থেকে বারবার টাকা আনতে
অস্বীকার করলে রমজান আলীসহ শ্বশুর আব্বাস মুহুরি,
শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, ননদ ছায়মা বেগম, আয়শা বেগম, জোহরা
বেগম, ছপুরা বেগম ওই গৃহবধূকে মারধর করে ও দা দিয়ে জখম
করেন। এলাকাবাসী গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এতে টানা ১১ দিন
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার সকালে তারাগঞ্জ থানায়
স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদদের অভিযুক্ত করে নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং যৌতুকের দাবি, মারধর ও
জখমের ঘটনায় মামলা করেন।
কুড়িগ্রামে
বাল্যবিয়ের হিড়িক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর থেকে করোনা মহামারীর কারণে সারা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দরিদ্র্যপীড়িত
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ ছিল। এ সময়টাতে এ অঞ্চলের দরিদ্র ও অশিক্ষিত কিংবা
কম শিক্ষিত অনেক অভিভাবক তাদের কন্যা সন্তানকে বোঝা
হিসেবেই মনে করেন। লেখাপড়া বন্ধ থাকায় দিনের পর দিন
কন্যা সন্তান বড় হচ্ছিল। সমাজে ও এলাকায় কিংবা
পরিবারের বোঝা মনে করতে থাকেন কতিপয় অভিভাবক। পাশাপাশি
কন্যা শিশুদের নিরাপত্তার অভাব, যৌতুক প্রথা ও
কুসংস্কারের কারণে বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হন জেলার
ফুলবাড়ী উপজেলার বেশ কিছু অভিভাবক। করোনাকালীন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে ফুলবাড়ী উপজেলায়
এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ৮৫ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের
শিকার হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে
দেওয়া হয়। এর পরপরই বিদ্যালয়ে ছাত্রী উপস্থিতি কম
হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে। দেখা গেছে
ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। কম বয়সেই এসব শিক্ষার্থী
এখন স্বামীর বাড়িতে ঘর-সংসার করছে। এলাকাবাসীসহ জনতার
দাবি দারিদ্র্যতা, যোগাযোগ বিচ্ছন্নতাসহ নানা
প্রতিবন্ধকতার জন্য এ উপজেলায় বাল্যবিয়ের হার
উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কোনোক্রমেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে
না বাল্যবিয়ে। সম্প্রতি ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ে এ চিত্র দেখা যায়। ওই প্রতিষ্ঠানের
প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান খন্দকার জানান, ইতিপূর্বে
তার বিদ্যালয়ে ৩৪৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছিল। কিন্তু
এরই মধ্যে ৮৫ জন বালিকার বাল্যবিয়ে হয়ে যায়। তিনি
অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে
জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। তার ভাষ্যমতে, এ সময়েই
বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে-ষষ্ঠ শ্রেণিতে দুজন, সপ্তম
শ্রেণিতে ১১ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ১৭ জন, নবম শ্রেণিতে
২৮ জন, দশম শ্রেণিতে ১৪ জন এবং আগামী নভেম্বরের
অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৩ জন
বাল্যবিয়ের শিকার। গত ২০২০ মার্চ মাসে করোনা মহামারীর
কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আগে এ বিদ্যালয়ে
প্রতিদিন গড়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল ৭০-৯০ শতাংশ।
কিন্তু এখন করোনা পরবর্তী বিদ্যালয় চালু হলে উপস্থিতি
রয়েছে ৪০-৫০ শতাংশ। বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাছিমা, নুপুর ও আতিকা খাতুনসহ
অনেকেই জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার প্রথম
দিনে এসে দেখে যে তাদের ১৭ জন বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে।
এজন্য তারা দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়ে। অপর ৯ম শ্রেণির
শিক্ষার্থী সুমী আক্তার জানায়, আমার ক্লাসেরও ২৮ জন
বান্ধবীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। সবমিলে স্যারদের কাছে
জানলাম আমাদের স্কুলে ৮৫ থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থীর
বাল্যবিয়ে হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের বাল্যবিয়ের শিকার
নিলুফা ইয়াসমিনের বাবা সাইকেল মেকার বাবলু মিয়া জানান,
বাধ্য হয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। কোনোরকম মানুষের সাইকেল
ভালো করেই যা পাই তা দিয়েই চলে সংসার। তাও করোনার কারণে
অনেক কষ্টে চলতে হয়। মেয়ের একটা ভালো সম্বন্ধ পাওয়ায়
পর আর দেরি করি নাই। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটার বিয়ে দিয়েছি।
কালিয়াকৈরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ
হল বাল্যবিবাহ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সপ্তম
শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা
পেয়েছে। ১৬ আগস্ট ২০২১ উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের
পাবুরিয়া চালা এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে
বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার
আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। ইউএনও বলেন, তিনি জানতে
পারেন স্থানীয় আলতাব হোসেনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া
মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর সেখানে উপস্থিত হয়ে
বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিই। পরে মেয়েটির বাবা ১৮ বছরের আগে
মেয়ে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দেন। এ সময়
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আহমদ
রেজা আল মামুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস
সাত্তার, উপজেলা সিএ নুরুজ্জামান, স্থানীয় মেম্বারসহ
গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
নতুন নিয়মে
এসআই-সার্জেন্ট পদে নিয়োগ : আইজিপি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন,
নতুন নিয়মে মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্যতা
সম্পন্ন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অচিরেই
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদেও নতুন
নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ এবং উন্নত অনেক দেশের নিয়োগ
নীতিমালা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী
কনস্টেবল নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আইজিপি আজ মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী অপরাধ পর্যালোচনা
সভার শেষ দিনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে
সমাপনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে এ সভায়
পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রমাণিত হলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আইজিপি
বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনায় দেশ ও
জনগণের কল্যাণে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্যের মাদকের সাথে কোনো
ধরনের সংশ্লেষ থাকতে পারবে না। কারো যদি মাদকের সাথে
কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তাকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কোনো পুলিশ সদস্যের মাদক গ্রহণ, মাদক ব্যবসা বা মাদক
ব্যবসায়ির সাথে সম্পর্ক রয়েছে প্রমাণিত হলে তার
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ বাহিনী,
দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, পুলিশ সদস্য হিসেবে এমন
কোনো কাজ করা যাবে না।
পুলিশকে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী উল্লেখ করে আইজিপি বলেন,
বাহিনীর শৃঙ্খলা এবং কল্যাণ এক বিষয় নয়। শৃঙ্খলাকে
কল্যাণের সাথে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। বাহিনীর শৃঙ্খলা
রক্ষার বিষয়ে কোনো ধরনের আপোষ করা যাবে না। কোনো পুলিশ
সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের
কল্যাণও নিশ্চিত করা হবে।
উদ্ভাবনী পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন,
পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করতে হবে।
পুলিশে বেস্ট প্র্যাকটিসের চর্চা বাড়াতে হবে। তিনি
সাধারণ মানুষের প্রতি আচরণ বদলানোর আহবান জানিয়ে বলেন,
মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এজন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো।
মামলা তদন্ত পুলিশের প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে আইজিপি
বলেন, মামলা তদন্তের মান আরো বাড়াতে হবে। তদন্তের প্রতি
অত্যন্ত মনোযোগী হতে এবং তদারকি বাড়াতে তিনি মাঠ
পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, কোনো সাধারণ নাগরিক যাতে সাইবার ক্রাইমের
শিকার না হন, সেই জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মিত মনিটর
করতে হবে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের ও পুলিশ বাহিনীর
অনুশাসন মেনে চলার নির্দেশ দেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও বৈধ
অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে দেশের
বিভিন্ন স্থানে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব
প্রজেক্টে অনেক বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। তাদের যথাযথ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এখন
থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, শুধু চাকরি
করলে হবে না। চাকরিতে প্রাইড নিয়ে আসতে হবে। এজন্য
মানসিকতা ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি দেশ
ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের
প্রতি আহবান জানান।
কাশিমপুর কারাগারে
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক
কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
মৃত মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক (৬০)
মাদারীপুরের রাজৈর থানার মজুমদারকান্দি এলাকার মৃত
হাকিম ফরাজীর ছেলে।
তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি)
সদস্য ছিলেন।
৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে কারাগারের ভেতর
অসুস্থ হয়ে পড়েন মাওলানা আব্দুর রউফ। প্রথমে তাকে কারা
হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত
চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে
মাওলানা আব্দুর রউফকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুর রউফ ২১
আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলের
পাশে বোমা পুঁতে রাখা সংক্রান্ত মামলায়
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি মতিঝিল
থানায় ২টি মামলায়, রমনা থানায় ১টি ও ফরিদপুরের কোতোয়ালি
থানায় একটিসহ ৪টি মামলায় যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছিলেন। কারাগারে তার কয়েদি নম্বর
ছিল ৪১৩৫/এ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার
মো. আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনি
প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে মো. আশরাফুল (২৪) নামের
এক হাজতি মারা গেছেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার
দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া হাজতি জেলার
নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুটের মৃত আলী আহমেদের ছেলে। জেলা
কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত
করে জানান, গত শনিবার মধ্যরাতে আশরাফুলের বুকে ব্যথা
হয়।
হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার জাদুকর
এসআই আব্দুল কাদের
কেউ তাকে ডাকেন মোবাইলের যাদুকর কেউবা মোবাইল কাদের।
তিনি গুলশান থানার এএসআই আব্দুল কাদের। হারানো মোবাইল
খুঁজে বের করাই যার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই অথবা
হারিয়ে যাওয়া অন্তত তিন হাজার মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে
দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।
মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তার।
মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন
তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর
বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।
২০০৫ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু কাদেরের। ষোল
বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন
হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন
পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য লেগে ছিলেন দুই বছর। মোবাইল
খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন
গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, অনেকসময় গরীব রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমিকরা
তাদের হারানো ফোন উদ্ধারের আশায় আমার কাছে এসে জিডি
করেন। সমান গুরুত্বের সাথেই আমি তাদের হারানো মোবাইল
উদ্ধারের চেষ্টা করি।
২০১৩ সাল থেকে প্রায় তিন হাজার হারানো মোবাইল উদ্ধার
করেছেন তিনি। বিগত আড়াই বছরে শুধু গুলশান থানার জিডির
বিপরীতেই ৬০০ মোবাইল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল
হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে
ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায়
না।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক
অভিযোগ আসে কাদেরের কাছে। নিজ থানা ছাড়াও নানা স্থান
থেকে হারানো মোবাইল খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন
গুলশান থানায়। এরইমধ্যে পুলিশ থেকে ১৬ বার পুরস্কৃত
হয়েছেন কাদের।
ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালে ধর্ষণের মামলায় ইমদাদুল বেপারি নামের এক
আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি
৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের
কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর আসামির উপস্থিতিতে
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের
বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন। ইমদাদুল
বেপারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর গ্রামের হানিফ
বেপারির ছেলে বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুল।
২০১০ সালের ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় মুলাদীর ষোলঘর এলাকায়
বাদীর বসতঘরে ঢোকে ইমদাদুল। বাদীর ১৮ বছরের ঘুমন্ত
কিশোরী মেয়ের মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে। ওই বছরের ১৬
জুন কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইমদাদুলকে একমাত্র আসামি করে
মামলা করেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
থাইরয়েডের সমস্যায় এড়াবেন যেসব খাবার
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা আছে। হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে
শরীরের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে
না। তখন চুল পড়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, বিপাক
হার কমে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ
সময় খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
থাইরয়েডর সমস্যা হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন-
সয়াবিন বা সয়াবিন জাতীয় সব খাবার : বেশ কিছু সমীক্ষায়
দেখা গেছে, সয়ার খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো
কাজ না-ও করতে পারে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো
খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
বাঁধাকপি-ফুলকপি : কপির মতো যে কোনও খাবারেও সমস্যা হতে
পারে থাইরয়েডের ওষুধে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি বা
বাঁধাকপির পমতো শাকসবাজি রাখেন খাদ্যতালিকায়। কিন্তু
থাইরয়েড থাকলে এসব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
কফি : ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে।
থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফেইন আরও এড়িয়ে যেতে হবে।
তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে
পারেন। বেলা বাড়ার পর আর না খাওয়াই ভাল।
মিষ্টি : যে কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি
দেওয়া হয়েছে, তা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের
সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি
এড়িয়ে চলাই ভাল। চিনির বদলে গুড় বা মধু জাতীয় কিছু
রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাকেটজাত খাবার : বাজারে তৈরি প্যাকেটজাত খাবারে
বাড়তি লবণ, চিনি এবং তেল থাকবেই। তাই এই ধরনের খাবার
এড়িয়ে চলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারও না খাওয়াই ভালো।
দুগ্ধজাত খাবার : বেশির ভাগ চিকিৎসকই মনে করেন,
দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়।
তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে
দই হজমের পক্ষে খুবই উপকারী। দই খাওয়া যাবে কি না, তা
চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
যেসব রোগের
মহৌষধ পাথরকুচি!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে
ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্য পাথরকুচি অন্যতম। চিকিৎসা
বিজ্ঞানীদের মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি, উচ্চ রক্তচাপসহ
বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে।
আসুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে:
কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের
পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায় পেট ফুলে গেছে, প্রসাব
আটকে আছে। সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা-চামচ
পাথর কুচির পাতার রস গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
পানির সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০
ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম
হবে।
শিশুদের পেট ব্যথায়: শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা
পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
ত্বকের যতœ: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে
যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
পাইলস: পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে পান
করলে পাইলস ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জন্ডিস নিরাময়ে: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে
তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির
সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
শরীর জ্বালাপোড়া: দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ
গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে জ্বালাপোড়া উপশম হয়।
ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে এক কাপ চা!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এক কাপ চা আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। এনে দিতে পারে
ফুরফুরে মেজাজ।
একইসঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো নাছোড়বান্দা অসুখ নিয়ন্ত্রণে
রাখতেও চায়ের জুড়ি নেই।
হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কয়েকটি ভেষজ চা নিয়মিত পান করলে
আপনার ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রক্তে
শর্করার মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব ভেষজ চায়ের কথা:
গ্রিন টি বা সবুজ চা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীরের প্রদাহ এবং
কোষের ক্ষতি কমাতে পারে, পাশাপাশি ইনসুলিনের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। দিনে দু'বার সবুজ চা
পান করলে ওজন কমবে, রক্তে চিনির পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে
থাকবে। এর সঙ্গে এক চিমটি জায়ফল গুঁড়া যোগ করলে ঘুম
ভালো হয়।
হিবিস্কাস টি
হিবিস্কাস টি চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত
সহায়ক। এটা প্রদাহ কমায়, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা
উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং
রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ব্ল্যাক টি
ব্ল্যাক টি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সহায়তা করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করতেও সহায়তা করে।
দারুচিনির চা
দারুচিনির চা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত
উপকারী। এটি স্থূলতা কমানোর পাশাপাশি, হার্টের
স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়তা করে। শর্করার মাত্রা
কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে,
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
ক্যামোমাইল টি
অনিদ্রা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি, ঘুমের মান উন্নত
করতেও এই চা অত্যন্ত সহায়ক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এর
জুড়ি নেই। প্রতিদিন দু-তিন কাপ ক্যামোমাইল টি পান
করলেই পাবেন উপকার।
হলুদ চা
চায়ের মধ্যে হলুদ দিয়ে বানানো চাকেই হলুদ চা বলে। হলুদে
উপস্থিত কারকিউমিন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে
অত্যন্ত সহায়ক। কারকিউমিন ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে
উন্নত করে, রক্তে স্বাস্থ্যকর শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি
করতে পারে।
ডেঙ্গু হলে
প্লাটিলেট বাড়াবে কিউই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এখন আর নতুন করে বলার
কিছুই নেই। এখন সময় সচেতনতার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের।
ডেঙ্গু হলে শরীরে রক্তের প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যায়।
যা কিনা মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের তেমন কোনো ওষুধ নেই বাজারে। তাই পেঁপে
পাতার রসের ওপর ভরসা করছি আমরা।
তবে পেঁপে পাতার রস অনেকেই খেতে চায় না, টেস্ট না
থাকার জন্য। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা।
জানেন কি পেঁপে পাতার রসের মতোই প্লাটিলেটের মাত্রা
বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কিউই ফল। চিকিৎসার পাশাপাশি দিনে
অন্তত দু’টি কিউই খেতে পারেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলে
কার্বোহাইড্রেট, খাদ্যআঁশ, ফোলেটসহ আরও অনেক উপাদান
রয়েছে যা মানবদেহের পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধে
সহায়তা করে।
যারা অ্যানেমিয়া(রক্তসল্পতা) বা ভিটামিন বি এর ঘাটতি
অথবা অন্য ভাইরাস ইনফেকশনে ভুগছেন তাদের জন্যও কিউই ফল
উপকারী।
এছাড়াও
* কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে
* কিউই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
করে
* কিউইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
* কিউইতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়ামও হার্ট সুস্থ রাখে।
এছাড়া একটি ছোট কিউই ফল ও ২ চামচ বাটা কাজু বাদাম
মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হবে। কিউইতে রয়েছে সেরোটনিন ও
ভিটামিন সি আর কাজুবাদামে আছে ট্রিপটোফেন।
বাজার করারর সময় অন্য ফলের সঙ্গে তালিকায় এটিও যোগ
করুন, নিয়মিত কিউই ফল খান। বড় বড় কাঁচাবাজার এবং সুপার
শপগুলোতে খুঁজলেই অনায়াসে পাওয়া যায় চমৎকার টক-মিষ্টি
স্বাদের এই ফলটি।
ভুট্টা খান,
আয়ু বাড়ান!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভুট্টা ‘দানাশস্যের রানি’ হিসেবে পরিচিত। এটির আদি
উৎপত্তিস্থল হচ্ছে মেসো আমেরিকা।
ইউরোপীয়রা আমেরিকা মহাদেশে পদার্পণ করার পর বিশ্বে
ছড়িয়ে পড়ে ভুট্টা। একলিঙ্গের উদ্ভিদ এটি। ভুট্টায়
প্রচুর পরিমাণে লৌহ রয়েছে যা কিনা রক্তের লোহিত কণার
প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে থাকে। ইদানিং
মার্কেট ও রাস্তা-ঘাটের সামনে গেলে চোখে পড়ে
ভ্যানগাড়িতে পোড়ানো হচ্ছে ভুট্টা। যাকে অনেকে পপকন
হিসেবে কিনে থাকেন। অনেকে আবার কর্ন স্যুপ মিশ্রিত
ভেজিটেবল স্যুপ খেয়ে থাকেন। কেবল খেতেই ভালো নয়,
বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই দানা।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশিত
প্রতিবেদন থেকে ভুট্টার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে
জানানো হলো।
ভুট্টার পুষ্টিগুণ: প্রতি ১শ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেইট, ২ গ্রাম আঁশ, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১
দশমিক ৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে।
অন্যদিকে ১শ গ্রাম পপকর্ণে ৯২ ক্যালরি, ২ দশমিক ৯
গ্রাম প্রোটিন, ১৮ দশমিক ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং
১ গ্রাম চর্বি থাকে।
ভুট্টার উপকারিতা: ভুট্টা আঁশে ভরা। এতে পরিপাকতন্ত্র
সুস্থ থাকে। এতে বায়োফ্লাভোনয়েডস ও ক্যারোটিনয়েডসের মতো
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে শরীর সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্যকর নাশতা: ভুট্টা সাধারণত রোস্ট বা স্টেম করে
খাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে
দুশ্চিন্তা করা লাগবে না। চাইলে ভুট্টা মাইক্রোওয়েভ
ওভেনে গ্রিল করেও খেতে পারেন।
রুচি বর্ধক: বর্ষায় ঘরে মুভি দেখতে বা বাইরে সময় কাটাতে
ভুট্টা ও চা খেতে পারেন। চায়ের আড্ডা জমতে পারে ভুট্টা
দিয়ে।
হজমে সহায়ক: ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে।
রক্তাল্পতা দূর হয়: ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও
ভিটামিন বি১২ বর্তমান যা নতুন রক্তকোষ গঠনে সাহায্য করে।
এতে রক্তাল্পতা দূর হয়।
প্রচুর শক্তি: প্রচুর শর্করা থাকে বলে দীর্ঘ ও
স্বল্পমেয়াদে শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। মস্তিষ্ক ও
স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের সহায়ক। এক কাপ
ভুট্টায় ২৯ গ্রাম শর্করা থাকে।
খারাপ কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রক: এলডিএল নামে শরীরে যে বাজে
কোলস্টেরল থাকে, ভুট্টা তা দূর করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: ভুট্টার হলুদ দানাগুলোতে
ক্যারোটিনয়েডস থাকে। ভুট্টার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি
প্রখর করতেও সাহায্য করে।
পুরুষের বন্ধ্যাত্ব
এড়াতে মেনে চলবেন যেসব অভ্যাস
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অতীতে কুসংস্কার ও অশিক্ষার কারণে নারীকেই
বন্ধ্যাত্বের দায়ভার বহন করতে হতো। কিন্তু বর্তমান
আধুনিক গবেষণা ও বিজ্ঞান বুঝিয়েছে, নারী-পুরুষ সমানভাবে
বন্ধ্যাত্বের অংশীদার। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের কারণ হন
পুরুষরাও।
চিকিৎসকদের দাবি, বর্তমান জীবনযাত্রা মহিলা বা পুরুষ,
উভয়ের সন্তানহীনতার জন্যই দায়ী। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা,
মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক, মানসিক চাপ এসবের প্রকোপে এই
সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই একটি বিষয়কে কিছুতেই নজরে রাখি না
আমরা। খুব কম বা খুব বেশি ওজন, প্রজনন ক্ষমতার প্রধান
অন্তরায়। উচ্চতা অনুযায়ী তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
প্রথম থেকেই। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট
করুন।
খাদ্যাভ্যাস
সময়ে খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম, এই দু’টিকে যত অবহেলা
করবেন, ততই বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। বন্ধ্যাত্ব
প্রতিরোধে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার রাখুন পাতে।
যেমন- মাছ, আমন্ড, মৌসুমী ফল, শাক-সবজি, প্রচুর
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
যেমন এই প্রতিবন্ধকতা কমায়, তেমনই দই, দুধ জাতীয়
খাবারের ভিটামিন ই-ও এই সমস্যা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা
পালন করে। এড়িয়ে চলুন ঝাল-মশলার খাবার।
শরীরচর্চা
যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে তেমনই শরীরের পুরুষ
হরমোনগুলির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ব্যায়াম।
তাই ফিজিকাল ট্রেনারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম
করুন। সবসময় যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়, বাড়িতেও করতে
পারেন শারীরিক কসরত।
চিকিৎসা
কেবল বন্ধ্যাত্বের জন্য চিকিৎসকের শরণ নেওয়াই নয়,
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হাইপারটেনশন অর্থাৎ লাইফস্টাইল
ডিজিজ থাকলে তার উপযুক্ত চিকিৎসা করান, প্রয়োজনীয় ওষুধ
ও নিয়ম মেনে সেসব আয়ত্তে রাখুন সব সময়।
এছাড়াও অব্যশই ধূমপান, মদ্যপান, এক টানা বসে থাকা, রাত
জাগার মতো বদভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে, মানসিক চাপমুক্ত
সুস্থ জীবন ধারণ করার চেষ্টা করতে হবে।
Top
আইন কনিকা
মুসলিম উত্তরাধিকার
আইনানুযায়ী সম্পত্তি বন্টনের হার
মিজানুর রহমান মিলটন
বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) আজ থেকে ১৪শ’ বছর আগেই বলে
গিয়েছেন, ”উত্তরাধিকার আইন নিজে জানো ও অপরকে শেখাও,
সকল জ্ঞানের অর্ধেক হল এই জ্ঞান।” মুসলিম হাওয়া
সত্ত্বেও আমাদের অনেকেরই উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে
তেমন ধারণা নেই।
কিন্তু এটা প্রত্যেক মুসলিমের জানা প্রয়োজন। মুসলিম
আইনে কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার ওপর ভিত্তি করে মৃত
ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের
মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। এভাবে বণ্টন করাকে ফারায়েজ
বলা হয়।
এই সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা নিসাতে জোর দিয়ে বলা
হয়েছে। তাই এই বিষয়ে জানা উচিত। এতে কোন মুসলমান পুরুষ
বা নারী উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তার ভাগে কতটুকু
সম্পত্তি পাবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। এখানে শুধু
আমরা স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও পুত্র-কন্যার
উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অংশ নিয়ে আলোচনা করব।
তবে কোন মুসলমান মারা গেলে তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে
কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়।
চলুন আগে জেনে নেই কী সেই সব আনুষ্ঠানিকতা
১. মৃত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি থাকলে সেখান থেকে
তার দাফন কাফনের যাবতীয় খরচ মেটাতে হবে।
২. তিনি যদি জীবিত থাকা অবস্থায় কোন ধার-দেনা করে
থাকেন তবে তাও রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে পরিশোধ করে
দিতে হবে।
৩. তার স্ত্রী বা স্ত্রীদের দেনমোহর পরিশোধিত না হয়ে
থাকলে বা আংশিক অপরিশোধিত থাকলে তা পরিশোধ করে দিতে হবে।
মোট কথা স্ত্রীর সম্পূর্ণ দেনমোহর স্বামী মৃত অথবা
জীবিত যাই থাকুক না কেন তা স্বামীর সম্পত্তি থেকে আইন
অনুযায়ী সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দিতে হবে।
৪. মৃত ব্যক্তি কোন দান কিংবা উইল করে গেলে তা প্রাপককে
দিয়ে দিতে হবে।
উপরের সব কাজ সম্পন্ন করার পরে মৃত ব্যক্তির অবশিষ্ট
সম্পত্তি ফারায়েজ আইন অনুযায়ী তার উত্তরাধিকারীদের
মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। এবার জেনে নিই কি অনুপাতে
বা কীভাবে এই সম্পত্তি বণ্টন হবেঃ
স্বামীর অংশ:
স্বামী ২ ভাবে মৃত স্ত্রীর সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে।
স্বামী কখনো তার মৃত স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে
না। মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে
স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে। মৃত স্ত্রীর
কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান কেউই না থাকলে স্বামী
স্ত্রীর সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে।
স্ত্রীর অংশ:
স্ত্রীও ২ ভাবে তার মৃত স্বামীর সম্পত্তি পেয়ে থাকে।
বিধবা স্ত্রী কোন ভাবে তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে
বঞ্চিত হবে না। মৃত স্বামীর কোন সন্তান বা তাদের
পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী, স্বামীর সম্পত্তির ১/৮
অংশ পাবে। যদি মৃত স্বামীর কোন সন্তান বা পুত্রের
সন্তান কেউই না থাকলে তবে স্ত্রী, স্বামীর সম্পত্তির
১/৪ অংশ পাবে। স্ত্রী একাধিক হলেও সবাই মিলে ১/৪ অংশ
সমান ভাগেই পাবে।
বাবার অংশ:
বাবা তার মৃত সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ৩ ভাবে
হয়ে থাকে। যদি মৃত সন্তানের পুত্র, পুত্রের পুত্র বা
পুত্রের পুত্রের পুত্র এভাবে যতই নিচের হোক না কেন যদি
থাকে, তবে মৃত সন্তানের পিতা পাবেন সন্তানের সম্পত্তির
১/৬ অংশ। যদি মৃত সন্তানের শুধু মাত্র কন্যা সন্তান বা
তার পুত্রের কন্যা সন্তান থাকলে তবে পিতা সন্তানের
সম্পত্তির ১/৬ অংশ পাবেন।
এই ক্ষেত্রে কন্যাদের ও অন্যান্যদের দেয়ার পর অবশিষ্ট
যে সম্পত্তি থাকবে তাও পিতা পাবেন। আর যদি মৃত
সন্তানের কোন পুত্র-কন্যা বা পুত্রের সন্তান কিছুই না
থাকে তাবে বাকী অংশীদারদের তাদের অংশ অনুযায়ী দেয়ার পর
অবশিষ্ট যা থাকবে তার সবটুকুই বাবা পাবেন। তবে মৃত
ব্যক্তির কোন সন্তান ও বাবা কেউ না থাকলে তার সম্পত্তি
তার জীবিত ভাই বা ভাইরা পাবে। আবার ভাই না থাকলে তার
ভাইয়ের সন্তানরা পাবে।
মায়ের অংশ:
মা তার মৃত সন্তানের সম্পত্তি পেয়ে ৩ ভাবে পেয়ে থাকে।
– মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যত
নিম্নেরই হোক থাকলে অথবা যদি মৃত ব্যক্তির আপন, পূর্ণ
বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাইবোন থাকলে তবে মাতা ছয়
ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন। মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা
পুত্রের সন্তানাদি যত নিম্নের হোক না থাকলে এবং মৃত
ব্যক্তির যদি একজনের বেশি ভাই বা বোন না থাকে তবে মাতা
তিন ভাগের এক ভাগ (১/৩) পাবেন। কোন সন্তান বা পুত্রের
সন্তানাদি যত নিম্নের হোক না থাকলে অথবা কমপক্ষে দুইজন
ভাইবোন না থাকলে এবং যদি মৃত ব্যক্তির স্বামী বা
স্ত্রীর অংশ বাদ দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে, তার তিন
ভাগের এক ভাগ (১/৩) মাতা পাবেন। মৃত ব্যক্তির এক ভাই
থাকলেও মাতা ১/৩ অংশ পাবেন।
(চলবে)
লেখক: মো. জাহিদ হোসেন
Top
|