BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover November 2021

English Part November 2021

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

 

 

বিবিধ সংবাদ

                                

শক্তিশালী জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহ্বান ॥ প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ (ইউএন) গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৩ অক্টোবর জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসুন আমরা পারস্পারিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ (ইউএন) গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাই। আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৭৬ বছরে জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানব জাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে। তবে আমরা বিশ্বের অনেক অংশের মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে দেখছি। ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম এবং মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর উৎপীড়ন, এমনই কিছু দৃষ্টান্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন জলবায়ু পরিবর্তন, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ, জাতিগত এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মতো অনেক অমীমাংসিত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে তখন বিশ্ব একটি অদৃশ্য, মারাত্মক মহামারির সম্মুখীন হয়েছে। যা গত দুই বছর ধরে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যৃর সঙ্গে জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ সনদের কালজয়ী মূল্যবোধ ‘আমাদের জনগণকে’ সেবা করার জন্য ‘আমাদের শক্তিকে একত্রিত করা’- আগের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে। তার (বঙ্গবন্ধুর) সুদৃঢ় ঘোষণা ‘বাঙালি জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত হবে’ আমাদের জনগণের জন্য নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে কাজ করে।
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 অক্টোবর ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৩৫৮ জন

 হত্যাকান্ডে মৃত্যু ১৯০ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায়, মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ১৯০ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৩৫৮ জন। অক্টোবর ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ১২ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে অক্টোবর ২০২১ মাসে মৃত্যু ৩৫৮ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১০৯ জন। এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪ জন, যৌতুকের কারণে হত্যা ৩ জন, পারিবারিক সহিংসতা ২৬ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১২ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪৪ জন, ধর্ষণ হত্যা ৫ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত, পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৮৭ জন, আত্মহত্যা ৩ জন।
অক্টোবর ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী, ধর্ষণ ১০ জন।

 

 

   সন্ত্রাসবাদকে ধর্ম-জাতীয়তার সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনো ধর্ম, জাতি, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, নৃগোষ্ঠী বা সমাজের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়। কোনো বিশেষ ধর্ম বা জাতীয়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করার যে কোনো প্রচেষ্টাকেই বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করে ও তীব্র নিন্দা জানায়।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ৬ অক্টোবর ২০২১ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তার বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোনো রূপ বা ধরনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করেন। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও এ সংশ্লিষ্ট যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইনি ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন রাবাব ফাতিমা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করতে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার ও সিভিল সোসাইটি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় অংশীদারত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, করোনা মহামারি সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যাহত করেছে।
এ ক্ষেত্রে তিনি বৈশ্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সক্ষমতা বিনির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, নারী ও যুবদের ক্ষমতায়ন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সমাজে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার লিঙ্গগত দিকগুলো তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নারীদের ওপর সন্ত্রাসের অসম প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা’র পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোনো রূপ বা ধরন মোকাবিলায় গৃহীত সব ধরনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সুদৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের যে দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনরুল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
 

  
যে জঙ্গলে গেলেই মানুষ হারিয়ে যায়!

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
জঙ্গলটিতে আলো পড়লে ভয়ংকর দেখায়। এর আশপাশে থাকা বাসিন্দাদের মুখে মুখে ভয়াবহতার গল্প।
রাতে কেন, দিনেও সেখানে প্রবেশ করেন না কেউ।
নিউজএইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সেই জঙ্গলের নাম ‘হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট’। এটি অবস্থিত ইউরোপের দেশ রোমানিয়ার। কথিত আছে, এই জঙ্গলে যারা প্রবেশ করেন, তারা আর কখনও ফিরে আসেন না।
ট্রানসেলভ্যানিয়া প্রান্তের ক্লুজ কাউন্টিতে রয়েছে হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট। এই জঙ্গলে এমন সব ঘটনা ঘটে যে, একে ট্রানসেলভ্যানিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়।
এই জঙ্গলে এমনভাবে গাছ ও বৃক্ষের স্তর রয়েছে, যাতে আলো পড়লে অত্যন্ত ভয়ানক দেখায়। সূর্যের আলো থাকলেও সেখানকার ভয়ংকর আবহাওয়া আদৌ কমে না।
এই জায়গাতে লোকজন ইউএফও থেকে ভূত-প্রেত সব কিছু নিয়েই গল্পকথা বলেন। জঙ্গলটি নিয়ে তখনই আলোচনা শুরু হয়, যখন মানুষ সেখানে গিয়ে হারিয়ে যেতে শুরু করে।
এই জঙ্গলের কাছাকাছি যারা বাস করেন, তাদের পূর্বপুরুষরাও জঙ্গলটি নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সবচেয়ে বেশি আলোচিত কাহিনীটি হলো, এক মেষপালক তার ২০০টি ভেড়া নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে হারিয়ে যায়, আর কখনই ফেরেননি তিনি। ২০০টি ভেড়ার একটিও ফিরে আসেনি।
 

BHRC নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন শাখার সভা অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)-র নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) শাখার প্রস্তুতিমূলক সভা ২৯ অক্টোবর ২০২১ শহরের সহিতুন নেছা চক্ষু হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার প্রারম্ভে বিএইচআরসি নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রাক্তন সভাপতি মরহুম রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্মরণে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাঁর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে সংগঠনের সভাপতি ও বিএইচআরসি ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের গভর্ণর কে ইউ আকসিরের সুস্থতা কামনা, মরহুম রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া এবং বিএইচআরসি নাসিক শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম জাকির হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মানবাধিকার কর্মীদের র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ডের সিদ্ধান্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বিএইচআরসি নাসিক শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি)-র সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সভাপতি বাবু ননী গোপাল সাহা।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এরশাদুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও নাসিক মহিলা কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নি, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক এম আখতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাসিন শাহীন পাপ্পু, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো: অহিদুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক রোকন শেখ, সহ-প্রচার সম্পাদক আফসানা আক্তার শিমু, কার্যকরী সদস্য ওসমান গনি, জান্নাতুল ফেরদৌস তনিমা, নাহিদ নিজামী, আফসারুল হক, আজিজুল হক, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

 


দক্ষিণ কারিয়া সফরে সেনাপ্রধান


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনুষ্ঠেয় অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশনে-২০২১ অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
১৮ অক্টোবর সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর দিনগত রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান সেনাবাহিনী প্রধান।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের চিফ অব স্টাফ জেনারেল ন্যাম ইয়ং শিনের আমন্ত্রণে সিউলে অনুষ্ঠেয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশনে অংশ নেবেন তিনি।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ।
সফরকালে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ, সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সেনাবাহিনী প্রধান।

 

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা চায় জাতিসংঘ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং সাম্প্রতিক হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো।
১৮ অক্টোবর টুইটারে মিয়া সেপ্পো উলে-খ করেন, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দুদের ওপর হামলা বাংলাদেশের সংবিধানের মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং এটা বন্ধ করা দরকার।
আমরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সহনশীলতা জোরদারে আমরা সবাইকে হাতে হাত রেখে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
১২ অক্টোবর রাতে কুমিল্লার দিঘীরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে মূর্তির পায়ের ওপরে কোরআন শরিফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার সকালে দু’জন ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম পূজামণ্ডপে গিয়ে কোরআন শরিফটি উদ্ধার করেন। মূর্তির পায়ের ওপর থেকে কোরআন উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওইদিন সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা নানুয়ার দিঘীরপাড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করে এবং দু’টি মণ্ডপে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার দুপুর ১২টার পর জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা দু’টি মন্দিরে ও একটি পূজার গেটে ভাঙচুর করে। বিকেলে টমছম ব্রিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও মিছিলের ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০০ জন আহত হন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর জের ধরে গত কয়েকদিন হবিগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নোয়াখালীতে কয়েকটি মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে। সব শেষ ১৭ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর একটি ফেসবুক পোস্টের জেরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নম্বর রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া-বটতলা ও বড়করিমপুর গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ধরনের ধর্মীয় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন নিন্দা জানাচ্ছে। রাজপথে চলছে প্রতিবাদ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।




যে কারণে ক্ষমা চাইলেন জাস্টিন ট্রুডো


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে দুই দফায় চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর পরেও ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপস আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে পারেননি তিনি। এ ঘটনায় তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে ৩০ অক্টোবর এলাকাটিতে ভ্রমণ করেছেন ট্রুডো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাস্টিন ট্রুডো সেখানে গিয়ে আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এরপর তাদের কাছে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
জানা গেছে, এর আগে আমন্ত্রণে সাড়া না দিলেও ট্রুডো পরিবারের সঙ্গে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি সৈকতে সময় কাটিয়েছেন। তা নিয়ে কানাডায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, এ বছরের মে মাসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি সাবেক আদিবাসী স্কুলের জায়গায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

 

 

 ভাসানচরে রোহিঙ্গা: জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি  

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কক্সবাজারের মতো ভাসানচরে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং জাতিসংঘের পক্ষে ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশের প্রতিনিধি উহানেন্স ভন ডার ক্লাও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
৯ অক্টোবর সচিবালয়ে এ সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও মানবিক সহাযতা অব্যাহত রাখবে। বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরে যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয়পানি, পয়ঃনিস্কাশন, চিকিৎসা, মিয়ানমার কারিকুলাম ও ভাষায় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ সরকার এখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ও কর্মরত জাতিসংঘ এবং এর সহযোগী সংস্থা ও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয় দেখাশুনা করবে।
এছাড়া ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের কারণে পার্শ্ববর্তী স্থানীয় এলাকা ও জনগণের ওপর যদি প্রভাব পড়ে তা, নিরসনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
অনুষ্ঠানে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১-১৯৯২ সাল থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং এর পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ১১ লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তার কার্যক্রম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্পাদন করা হচ্ছে। জনসংখ্যার অতি ঘনবসতি ও পরিবেশের ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এক লাখ মিয়ানমার নাগরিককে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাসানচর কিংবা কক্সবাজারে মিয়ানমার নাগরিকদের থাকার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সাময়িক। আমাদের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারের এসব বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন। সুতরাং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ অন্যান্য দেশের সার্বিক সহায়তায় প্রত্যাবাসনের কাজ দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভাসানচরে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা সহজতর হবে।

 

  বড়শিতে ধরা পড়ল অ্যালিগেটর গার মাছ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আশ্চর্য এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন মৎস্য শিকারি ড্যানি লি স্মিথ। তার বড়শিতে ধরা পড়েছে অ্যালিগেটর গার প্রজাতির মাছ।
বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে পছন্দ করেন ড্যানি। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় তার বড়শিতে উঠে আসে বড়সড় এক মাছ। ডাঙায় তোলার পর দেখা যায়- সেটি অ্যালিগেটর গার প্রজাতির মাছ। জানা গেছে, কানসাস নদীতে এ প্রজাতির মাছ আগে কখনও পাওয়া যায়নি।
অ্যালিগেটর গার প্রজাতির মাছকে বলা হয় ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’। পৃথিবীতে অনেক প্রাণি আছে, যারা সুদূর অতীতে জন্ম নিলেও কোনও পরিবর্তন ছাড়াই এখনও টিকে রয়েছে। যদিও এর সমসাময়িক প্রাণিরা ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ধরনের প্রাণিকে সাধারণত জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়। ইতোমধ্যেই অ্যালিগেটর গারের যেসব ফসিল খুঁজে পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রায় ১০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
কানসাসের ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড পার্ক জানিয়েছে, ড্যানি যে মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ। ওজনও কম নয়, প্রায় ১৮ কেজি।
বিরল অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ড্যানি বলেন, পানি থেকে মাছটি তোলার পর আমি অবাক হয়ে যাই। গার প্রজাতির মাছ সাধারণত জালে কিংবা বড়শিতে আটকালে খুব লম্ফঝম্ফ করে। কিন্তু এটির আচরণ ছিল একেবারে শান্ত। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।
চীনে সন্তানের অপরাধে বাবা-মাকে শাস্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুদের মধ্যে খুব খারাপ বা অপরাধমূলক আচরণ পেলে অভিভাবকদের তিরস্কার এবং অভিভাবকদের পারিবারিক শিক্ষা নির্দেশিকা কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন চীনা আদালত। নতুন পারিবারিক শিক্ষা প্রচার আইনের খসড়া অনুযায়ী এই আইন প্রয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মুখপাত্র জাং তিয়ে ওই বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের খারাপ ব্যবহারের অনেক কারণ আছে। এর পেছনের অন্যতম কারণ হলো পারিবারিক শিক্ষার যথাযথ অভাব।’ এই সপ্তাহে এনপিসির স্ট্যাডিং কমিটির সেশনে খসড়া পারিবারিক আইন উত্থাপন করা হবে। আইন কার্যকরের লক্ষ্যে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এ বছর শিশু-কিশোরদের নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনলাইন গেমসে আসক্তি কমাতে শুধু বন্ধের দিন এক ঘণ্টা করে গেমস খেলার অনুমতি দিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মোরশেদুল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং হাটহাজারীর কৃতি সন্তান ড. মো. মোরশেদুল আলম'কে সংবর্ধনা প্রদান করেছে বিএইচআরসি চ/উ শাখা।
হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক, কবি ও গবেষক মু. সেলিম উদ্দিন রেজার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং নাজিরহাট কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গভর্নর আমিনুল হক বাবু উদ্বোধক, হাটহাজারী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার বেগম মুক্তা এতে প্রধান আলোচক ছিলেন।
সম্বর্ধিত অতিথি ড. মোরশেদুল আলম আলোচনাকালে এই সংগঠন এবং উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কুরআন তিলাওয়াত করেন- হাফেজ মাও. আকিল বিন বেদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- হাটহাজারী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকির, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. সোলায়মান।
মানবাধিকার কমিশনের উত্তর জেলা আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি মো. আজিজুল হক, সহ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শোয়েব, মোহাম্মদ ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব পাভেল, মনজুরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক নন্দ গোপাল বনিক, মো. ইবরাহীম প্রমূখ।
 

‘বাসযোগ্য গ্রহ থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে বিশ্ব’
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘বাসযোগ্য গ্রহ থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে বিশ্ব’ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস
ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, কোভিড-১৯, সংঘাত, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, আমাদের এই বিশ্বটা যথাযথ বাসযোগ্য গ্রহ থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে। তবে এসব সংকট পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সংহতির মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। ২৪ অক্টোবর ২০২১ জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ৭৬ বছর আগের বিপর্যয়কর এক সংঘাতের ছায়া থেকে বিশ্বের উত্তরণের প্রত্যাশার বাহন হিসেবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা পায়। আজ জাতিসংঘের নারী-পুরুষরা সেই প্রত্যাশাকে বিশ্বজুড়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আমাদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে বিশ্বের সব জায়গার সব মানুষের কোভিড-১৯ টিকাপ্রাপ্তি যত দ্রুত সম্ভব নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, সব মানুষের, বিশেষত দরিদ্রতম ও সবচেযে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, নারী ও মেয়েশিশু এবং শিশু ও তরুণদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের বিশ্বটাকে ক্ষতবিক্ষত করা সংঘাত নিরসনের পথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমাদের এই গ্রহটাকে রক্ষা করতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক, আন্তঃসম্পর্কযুক্ত ও কার্যকর বৈশ্বিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের অগ্রসর হতে হবে, যার বিস্তারিত আমার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ‘আওয়ার কমন অ্যাজেন্ডায়’ আমি তুলে ধরেছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ সনদকে বিগত ৭৬ বছর ধরে শক্তি জুগিয়েছে যেসব মূল্যবোধ- শান্তি, উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং সবার জন্য সমান সুযোগ- তার প্রয়োজনীয়তা কখনো ফুরিয়ে যাবে না।



 

ব্যাংকের এটিএম সেবার ফি বাড়ল

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) সেবার ফি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই বাড়তি ফি দিতে হবে। নিজ ব্যাংকের এটিএম সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়তি ফি দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে ফি আগের মতোই বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে ১৮ অক্টোবর ২০২১ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সেটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্ধিত ফি ১৯ অক্টোবর ২০২১ থেকেই কার্যকর হবে। তবে ব্যাংকগুলো তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী এই ফি আদায় করবে। এটিএম সেবা থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন ও নগদ অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফি বাড়ানো হয়েছে। অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে আগের ফি অপরিবর্তিত রয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা তুললে প্রতি লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। নগদ অর্থ জমার ক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনে এখন সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। এই দুই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে ফি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো ব্যাংক ইচ্ছে করলে এর চেয়ে কম ফি নিতে পারবে। এতে কোনো বাধা নেই। এর বাইরে এটিএম থেকে গ্রাহকের হিসাবের জমা টাকার ব্যালেন্স বা স্থিতি জানতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা, মিনি স্টেটমেন্ট বা ছোট হিসাব বিবরণী নিতে ৫ টাকা, তহবিল স্থানান্তরের জন্য ১০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। তবে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ইসু্যুকারী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ টাকা আদায় করতে পারবে। দেশের ভেতরে পস বা পয়েন্ট অব সেল ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলন করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ফি আদায় করা যাবে।
 


দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া সবার অধিকার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সব বিচারপ্রার্থীর দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
২৩ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মেডিয়েশন বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারাদেশের ২৮০ জন বিচারককে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, মূলত মেডিয়েশন হলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতি কিনা আদালত-ট্রাইব্যুনালের প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে মেডিয়েশন পদ্ধতি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে পঞ্চায়েত অন্যতম। পঞ্চায়তের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগ দ্বারাও সমাদৃত হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, মেডিয়েশন পদ্ধতে একজন মেডিয়েটরের মাধ্যমেই কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। যেখানে উভয়পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হয়। ফলে উভয়পক্ষের সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এটি বিচার বিভাগের ওপর থেকে মামলা চাপ নিরসনে কাজ করে এবং বিচারে সমতা নির্ণয় করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবী, বিচারক ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অবশ্যই মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তিতে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হলে তা বিচারের ব্যাপ্তিকে ক্ষুণ্ন করে। এতে মামলাপক্ষের খরচ বেড়ে যায় এবং আদালতে মামলার জট বৃদ্ধি পেতে থাকে। ’
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিতাল, জাতিসংঘের অম্বুডসম্যান ড. কেভিন বেরি ব্রাউন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার ও বাংলাদেশ ইন্ডিয়া মেডিয়েটর্স ফোরামের চেয়ারম্যান জর্জ যিশু ফিদা ভিক্টর।
বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই আসবে সংকেত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড়ধসের মতো ঘটনাকে এতদিন ‘দুর্যোগ’ বলা হলো। তবে সম্প্রতি বছরগুলোতে দেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু বেড়ে যায়। এরপর দাবি উঠে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকায় নিয়ে আসার। যে কারণে ২০১৫ সালে বজ্রপাতকেও দুর্যোগের তালিকায় যুক্ত করা হয়।
এখন দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে তিনটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। সেগুলো হলো ১. ‘আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম’। ২. ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং ৩. জনসচেতনতা বাড়ানো।
এর মধ্যে ‘আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ হলো, দেশের বজ্রপাত-প্রবণ এলাকায় ৭২৩টি যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, দেশে বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেওয়া যাবে। এতে করে, খোলা আকাশের নিচে কাজ করা ব্যক্তিরা সহজেই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারবেন। ফলে প্রাণহানি কমবে। এই ‘আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ শহরে চালু হবে না। কারণ, খোলা মাঠে কাজ করেন বা মাছ ধরেন, তারাই বজ্রপাতে বেশি মৃত্যুবরণ করেন। তাই তাদের জন্যই এ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
 

 

‘জিনের বাদশাহ’ প্রতারণায় নিঃস্ব একটি পরিবার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুফিয়া বেগম সখীর পুত্রবধূ মানসিক বিকারগ্রস্ত। মানসিক রোগের চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসাতেও ফল মেলেনি। গাজীপুরের স্থানীয় ক্যাবল অপারেটর দ্বারা পরিচালিত চ্যানেলে ‘জিনের বাদশাহ’র সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। পুত্রবধূকে সুস্থ করার জন্যই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুফিয়া। ফোনে ‘জিনের বাদশাহ’ একবার নিজেকে মাওলানা হাবিবুর রহমান ও আরেকবার বিজয় ঠাকুর পরিচয় দেয়। ছেলেকে না জানিয়ে পুত্রবধূকে সুস্থ করতে গিয়ে ধাপে ধাপে প্রতারক চক্রের সদস্যরা ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এই টাকা ধার নিয়েছিলেন সুফিয়া। ধার নেওয়া টাকার জন্য স্বজনরা চাপ দিলে সুফিয়া তার ছেলে শাহীন হোসেনকে বিস্তারিত ঘটনা জানান। মায়ের কাছ থেকে ‘জিনের বাদশাহ’র নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে শাহীন চলে যান চট্টগ্রামের রাউজানে; জানান র‌্যাবকে। অবশেষে প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তাব করেছে র‌্যাব-৭। তারা হলেন- রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাটের সাজেদ আফসার, একই এলাকার আবুল কালাম রাজন, বাগোয়ানের ব্রাহ্মণহাটের জাহিদুল আলম, তানজিল এবং নোয়াপাড়া কচুখাইন গ্রামের সজিব।
গত ২৩ অক্টোবর রাতে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পথেরহাটের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে চৌধুরী করপোরেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারণায় ব্যবহৃত সীমকার্ডসহ একটি মোবাইল সেট ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। প্রতারণার শিকার গাজীপুর সদর থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুফিয়া বেগম সখীর ছেলে শাহীন হোসেন রাউজান থানায় এজাহার দায়ের করেন।
করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহার করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

 

 
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র: শ ম রেজাউল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।
এই সমঅধিকারের রাম-রহিমের বাংলাদেশকে কেউ যদি বিভাজন করার অপচেষ্টা করে আমরা ধরে নেব তারা এ জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু, মানবতার শত্রু।
২৩ অক্টোবর দুপুরে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) অডিটোরিয়ামে বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০২১-২২ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন মন্ত্রী।
শ ম রেজাউল বলেন, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্ব বা ধর্মের ভিত্তিতে যে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই স্বাধীনতা যে ব্যর্থ ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ঠেকাবার চেষ্টা করেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা আবার পূর্ব-পাকিস্তান কায়েম করতে চেয়েছিল তারাও ব্যর্থ হয়েছে। আবার নতুন করে যদি কেউ স্বপ্নে বিভোর হন বাংলাদেশকে মুসলমানের দেশ বা হিন্দুর বাংলাদেশ অথবা সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করার, তাহলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
এ সময় বিএফআরআই’র মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও বিএফআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ড. এম এ মজিদ প্রমুখ।
 



Top

 বউয়ের জ্বালায় কারাগারে থাকার আবেদন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাড়িতে স্ত্রীর জ্বালায় জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তাই স্বেচ্ছায় কারাগারে থাকতে চেয়ে ইতালি পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন আলবেনীয় এক তরুণ। স্থানীয় সময় ২৪ অক্টোবর ইতালি পুলিশ এ তথ্য জানায়।
ইতালি পুলিশের বরাত দিয়ে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির রাজধানী রোমের বাইরে গাইডোনিয়া এলাকায় থাকেন ৩০ বছর বয়সী ওই তরুণ। তিনি আলবেনীয় নাগরিক।
কয়েক মাস ধরে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে ওই তরুণ গৃহবন্দি ছিলেন। তার সাজার মেয়াদ আরও কয়েক বছর বাকি রয়েছে। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া না হওয়ায় তিনি কারাগারেই থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ওই তরুণের বাসায় স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্য রয়েছেন। পুলিশের কাছে গিয়ে তিনি বলেছেন, বাড়িতে আমার জীবন নরক হয়ে উঠেছে। আর পারছি না। আমি জেলেই থাকতে চাই।
গৃহবন্দিত্বের আদেশ লঙ্ঘন করায় ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

Top

প্রদর্শিত হলো ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি কোরআন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯০টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘দুবাই এক্সপো-২০২০’। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা আগামী ছয় মাসব্যাপী চলবে। অত্যন্ত জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এ প্রদর্শনী চালু হয়। এ প্রদর্শনীতে থাকবে নানা চমক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রদর্শনীটি রেকর্ড করতে যাচ্ছে। বৃহত্তম এ প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি বৃহত্তম কোরআনের অংশবিশেষের প্রদর্শনী।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআনটি পাকিস্তানে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর প্রতিটি হরফ সাজানো হচ্ছে স্বর্ণ দিয়ে। পাকিস্তানের বিখ্যাত শিল্পী শহিদ রাসাম কোরআনটি প্রস্তুত করছেন। ফ্রেম ছাড়া সাড়ে আট ফুট দৈর্ঘের এবং সাড়ে ছয় ফুট প্রস্থের এই কোরআন তৈরি করতে ব্যয় হবে ২০০ কেজি স্বর্ণ।
৫৫০ পৃষ্ঠার এ কোরআনে শব্দ রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। প্রতিটি পৃষ্ঠায় গড়ে ১৫০ শব্দ থাকবে। এগুলো তৈরি করতে প্রায় ২০০ কেজি স্বর্ণ এবং ২ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হবে। অ্যালুমিনিয়াম নির্মিত শব্দগুলো স্বর্ণ দিয়ে মোড়া থাকবে। এ বিষয়ে দুবাইয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানি ওই শিল্পী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এ কোরআনটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। তবে এক্সপো ২০২০ দুবাইয়ে তিনি এ কোরআনের অংশবিশেষ উপস্থাপন করবেন। লাখ লাখ দর্শকের কাছে সৃজনশীল কাজটি তুলে ধরার জন্য তিনি এটিকে উপযুক্ত ও সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করছেন।

 

বাইডেনের হোয়াইট হাউজে অনুপস্থিত থাকার রেকর্ড
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে বিশাল পরিবার বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউজে থাকতে নয়, জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়ে সেখানে যেতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। কর্মদিবস শেষ করেই সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজ ছেড়েছেন বাইডেন। আবার ফিরেছেন কর্মদিবস শুরুর সময়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ২৭৬ দিনের মধ্যে ১০৮ দিনই বাইডেন হোয়াইট হাউজে ছিলেন না। এর বড় অংশই তিনি ডেলওয়ারের বাসায়, মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে কিংবা দূর থেকে কাজ করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে প্রেসিডেন্টের চলাফেরার নানা বিধিনিষেধ আছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবনে সবসময় সাংবাদিক, বিক্ষোভকারী, বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মী, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ভিড় লেগেই থাকে। প্রেসিডেন্ট তার নিজ শয়নকক্ষে বসেও এসব শুনতে পাবেন। এত গোলমাল কারই বা ভালো লাগে। তাই সময় পেলেই বাইডেন তার ব্যক্তিগত বাসভবনে চলে যান। সেখান থেকে অবশ্য হোয়াইট হাউজের দূরত্ব খুবই অল্প। হেলিকপ্টারে মাত্র ১ ঘণ্টা। হোয়াইট হাউজের চেয়ে নিজ বাসাতেই স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউজে অনুপস্থিত থাকার ক্ষেত্রে বাইডেন ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সময় পেলেই ট্রাম্প ফ্লোরিডা ও নিউ জার্সিতে বেড়াতে যেতেন। এ নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যবান বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরুর পর প্রথম ২৭৫ দিনের মধ্যে ১০৭ দিন হোয়াইট হাউজে থাকেননি বাইডেন। ট্রাম্প ছিলেন না ৭০ দিন, বারাক ওবামা ৪০ দিন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ ছিলেন না ৮৪ দিন।
বাইডেনের মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি নিজ বাসা থেকে কাজও করেন বাইডেন। তাছাড়া করোনার এই সময়কালে অনেকেই বাসা থেকেই কাজ করছেন। বাইডেন তার ব্যতিক্রম নয়।
বিভিন্ন সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মুখে শোনা গেছে হোয়াইট হাউজের কড়াকড়া নিয়ে বিতৃষ্ণার কথা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান এটিকে আখ্যা দিয়েছেন সাদা খাঁচা নামে। এটিকে খাঁচা বলেছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও।
 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম পার্টনার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত হচ্ছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগী। শ্রিংলা গতকাল ১৯৭১ সালে যুদ্ধ বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার অন্যতম বিষয় ‘স্বারনিম বিজয় কনক্লেভ অন হিউম্যানিটেরিয়ান, পলিটিক্যাল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক ফেসেটস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম পার্টনার। ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী (পার্টনার) বাংলাদেশ।’ শ্রিংলা বলেন, দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় ও তার বাইরেও উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার পথে এবং সর্বদাই শৃঙ্খলা দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাড়ে, মেজর জেনারেল আয়ান কর্দোজো ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ। দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ম পে ও বাড়িঘরে আক্রমণকে কেন্দ্র করে বিজেপির কয়েকটি উপদলের তীব্র প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা ও নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এই তাৎপর্যময় অভিমত প্রকাশ করলেন।
শ্রিংলা বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন আগের চেয়ে গভীরতর। দুই পাশাপাশি দেশের মধ্যে এমন সম্পর্ক একটি রোল মডেল।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত সুস্থিতি ও সমৃদ্ধি ‘সোনালি অধ্যায়’ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে ধাপে ধাপে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সহযোগিতা দিয়েছেন, বিশ্বময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়েছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা তার বর্ণনা দেন এবং সেই ধারা ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

 

 শ্রীলঙ্কায় গরু জবাই নিষিদ্ধ ॥ আসছে কঠোর আইন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শ্রীলঙ্কার সরকার একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে। যেখানে সে দেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রীলঙ্কার গবাদি দুগ্ধ-শিল্প উপকৃত হবে।
মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর খসড়া আইনটিকে অনুমোদনের জন্য এখন সংসদে তোলা হবে।
সমালোচকদের উদ্ধৃত করে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু মুসলমানদের লক্ষ্য করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ তারাই গোমাংসের প্রধান ভক্ষক।
শ্রীলঙ্কার কট্টরপন্থী সিংহলী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলি গোমাংস নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশ। জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ লোক এই ধর্মের অনুসারী। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই মাংসভোজী। তবে বৌদ্ধদের একাংশ গরুকে পবিত্র-জ্ঞান করেন এবং তারা গোমাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
তবে সেদেশের জনসংখ্যার ১০% মুসলমান। তারাসহ খ্রিস্টান, কিছু বৌদ্ধ এবং হিন্দুরাও গরুর মাংস খান।
সরকারের সমালোচকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার গোমাংসের ব্যবসা এবং হালাল সার্টিফিকেশনের নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে। ফলে এরাই এই প্রস্তাবিত আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গরু জবাই বন্ধ করার পক্ষে বিভিন্ন দল অবস্থান নিয়েছে। তাদের যুক্তি, কৃষিকাজ এবং দুগ্ধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গরু দেশে নেই।
শ্রীলঙ্কায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রথম উঠেছিল ২০০৯ সালে। সে সময় একজন সংসদ সদস্য ভিজেদাসা রাজাপাক্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সংসদে তুলেছিলেন। তবে সে সময় প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়নি।
এরপর ২০১২ সালে ক্যান্ডি শহরের কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকার মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে। পরের বছর এ নিয়ে বিতর্কটি তীব্র আকার ধারণ করে যখন গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবিতে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর কট্টরপন্থী দুটি সিংহলী বৌদ্ধ সংগঠন, সিনহালা রাভায়া এবং বদু বালা সেনা, একে তাদের আন্দোলনের একটি প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত করে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাক্সে ২০১৬ সালের প্রস্তাবটিকে নতুন করে সংসদে তুলে আনেন এবং আইন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেন।




 ৭০ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭০ বছর অপেক্ষা করার পর প্রথমবারের মতো মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন এক নারী। বিয়ের ৪৫ বছর পর ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা ওই নারীর কোল আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। শুক্রবার একটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, জিভবেন ভালাভাই রাবারি ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফের মাধ্যমে গত মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
জিভবেন সন্তান গর্ভধারণের ব্যাপারে ভীষণ আবেগপ্রবণ হওয়ায় ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা তাতে সায় দেন। বয়সের কারণে তার নিয়মিত মাসিক চক্রও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বয়সের একজনের ওপর আইভিএফ পদ্ধতির প্রয়োগ চিকিৎসকদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিকিৎসকরা প্রথমে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে তার মাসিক চক্র নিয়মিত করেন। এরপর বয়সের কারণে সঙ্কুচিত জরায়ুকে চওড়া করা হয়। পরবর্তীকে তার ডিম্বাণু নিষিক্ত করার পর ব-াস্টোসিস্ট তৈরি করে জরায়ুতে স্থানান্তর করা হয়।
দুই সপ্তাহ পর চিকিৎসকরা সোনোগ্রাফিতে ভ্রূণের উন্নতি দেখে খুবই অবাক হন। এরপর থেকে চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরবর্তীতে যথাসময়ে হৃদস্পন্দন শনাক্ত হয় এবং ভ্রূণে কোনো ধরনের বিকৃতিও দেখা যায়নি। তাই জিভবেনের গর্ভধারণ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
জিভবেনের কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকলেও বয়সের কারণে গর্ভধারণের আট মাসের মাথায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন জিভবেন। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এমন বয়সে এসেও জিভবেনের সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনায় তার স্বজন ও প্রতিবেশিরা ভীষণ আপ্লুত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জিভবেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেক মানুষ।
 

উগান্ডায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উগান্ডায় প্রচলিত আইন থেকে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন। সাফিনা নামুকোসে (৩০) নামে এক মুসলিম নারীকে তার তিন সন্তানসহ ফেলে রেখে স্বামী আরেকটি বিয়ে করেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলাও করেন। খবর আনাদোলুর।
কিন্তু পুলিশ ঘুস খেয়ে তার স্বামীকে আটক করছিল না। কয়েক মাস ধরে তিনি থানা পুলিশের কাছে ধরনা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত শরিয়াহ আদালতের দ্বারস্ত হন। এতে সঙ্গে সঙ্গেই কাজ হয়। স্বামী এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন।
সাফিনার মতো অনেকেই এখন ভরসা করছেন ইসলামি আদালতে। ১৯৯৫ সাল থেকে উগান্ডায় সাংবিধানিক আইন চালু হয়। দেশটির চার কোটি ৬০ লাখ মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মুসলিম। ২০১৯ সালে দেশটিতে শরিয়াহ আইন চালু হয়। প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয় ইসলামি আদালত।
এর পর থেকেই প্রচলিত আলাদতের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শরিয়াহ আদালত। গত তিন মাসে কেবল বুগিরি জেলাতেই শরিয়া আদালত ১৪০ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। ওই জেলায় সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বসবাস।
উগান্ডার মুসলিম সুপ্রিম কাউন্সিলের মুখপাত্র আশরাফ মুভাওয়ালা বলেন, দিন দিন এখানে শরিয়াহ বিচারব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বর্তমানে আমাদের শরিয়াহ আদালতের বিচারকরা বেশ ব্যস্ত বিচারকাজ নিয়ে। প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলা হচ্ছে শরিয়াহ আদালতে। মানুষের আস্থা এই আদালতের প্রতি দিন দিন যে বেড়ে চলেছে এ থেকেই তা প্রমাণ হয়।



 

৫০ লাখ টাকা দামের পানি খান নীতা আম্বানী!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নীতা আম্বানী ভারতের এক নম্বর ধনকুবেরের ঘরণী। শুধু তাই নয়, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেট টিমের মালকিন তিনি।
আর তাই বিলাসিতার দিক দিয়ে তিনি অনেকের চেয়ে ব্যতিক্রম হবেন, এটাই স্বাভাবিক। জানা গেছে, তিনি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানি পান করেন। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, নীতা আম্বানী যে পানি পান করেন, তার পৌনে এক লিটার বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার বা ৫০ লাখ টাকার বেশি।
এবার হিসাব করে নিন, নীতার এক ঢোক পানির দাম কত পড়ে! কিন্তু এই পানি কি তিনি নিয়মিত খান নাকি মাঝে-মধ্যে দাওয়াই হিসেবে খান, তা জানা যায়নি। কিন্তু পানির কেন এত দাম? তরতাজা স্বাস্থ্যের জন্য নীতা যে পানি পান করেন তার নাম ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আমডিগলিয়ানি’। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৫টি বোতলজাত পানির মধ্যে এটি অন্যতম। বোতলবন্দি ওই পানি আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। দাবি করা হয়, এই পানিতে নাকি ৫ গ্রাম সোনাচূর্ণ মেশানো থাকে, যা মানবদেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। সেজন্যই এই পানির দাম লাখ লাখ টাকা।
জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার অধিকার তাইওয়ানের নেই : চীন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তাইওয়ানের জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার কোনো অধিকার নেই বলে জোর দাবি জানিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তাইওয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানোর পর এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাইওয়ানবিষয়ক মুখপাত্র মা শাওকুয়াং এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বিরোধিতা। এরই ধারাবাহিকতায় এ প্রতিক্রিয়া দেখাল দেশটি। এদিকে চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
এদিকে বেইজিংয়ের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র মা জিয়াওগুয়াং বলেন, জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার কোনো অধিকার তাইওয়ানের নেই। জাতিসংঘ সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকারগুলোর সংস্থা, তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলেন তিনি।
চীনের জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, বিশ্বমঞ্চ থেকে তাইওয়ান ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তিনি ব্যথিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভূতপূর্বসংখ্যক জটিল এবং বৈশ্বিক ইস্যুর মুখোমুখি হতে থাকায় এসব সমস্যা নিরসনে সব অংশীদারের অংশগ্রহণ জরুরি। এসব সমস্যার মধ্যে তাইওয়ানে বসবাসকারী দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ ব্যবস্থায় তাইওয়ানের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটি বাস্তব ইস্যু।
তবে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। তারা শক্তি প্রয়োগ করেও তাইওয়ানের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হতে চায়।

 

 সমঝোতা করবেন না মাহাথির

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে না মাহাথিরের দল পেজুয়াং। দলের চেয়ারম্যান ড. তুন মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, তার দলের সংসদ সদস্যরা ফেডারেল সরকারের সঙ্গে সমঝোতা (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে না। ১৮ সেপ্টেম্বর ল্যাংকাওয়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিরোধীদের অবশ্যই মুক্ত থাকতে হবে। এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর, পিকেআর সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম, ড্যাপ মহাসচিব লিম গুয়ান ইঞ্জ ও আমানাহ সভাপতি মোহাম্মদ সাবুর উপস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) শীর্ষ নেতা ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব, গত আগস্টে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় বসেই দেশটিতে চলমান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন। তার এ উদ্যোগে পিকেআর সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম, ড্যাপ মহাসচিব লিম গুয়ান ইঞ্জ ও আমানাহ সভাপতি মোহাম্মদ সাবু একমত হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পেজুয়াংয়ের চেয়ারম্যান ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, সমঝোতা স্বাক্ষর করা মানেই সরকারকে সমর্থন দেওয়া। পেজুয়াং সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না। মাহাথির বলেন, আমরা স্বাধীন, আমরা কোনো দলের সঙ্গে আবদ্ধ নই। তবে চলমান কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে আমরা কিছু শর্ত আরোপ করতে পারি।
 


 

Top

মোদীর ১০০ কোটি টিকা দেওয়ার দাবি মিথ্যা: মমতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে মোট ১০০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে ২১ অক্টোবর, এরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইতে আরও শক্তিশালী হলো ভারত। ’ তবে ১০০ কোটি টিকা দেওয়ার দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ অক্টোবর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের রবীন্দ্র মুক্তমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘বলা হচ্ছে, ১০০ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ভারতে মোট জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। কীভাবে ১০০ কোটি মানুষকে টিকাকরণ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতে ২৯ কোটি ৫২ লাখ মানুষ টিকার দুটি করে ডোজ পেয়েছেন। একটাও টিকা পাননি অনেকে। সেই সব মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা না করে কৃতিত্বের দাবি করছে।’ মমতা বলেন, ‘ভারতে ৩৫ কোটি মানুষ এখনও একটিও টিকা পাননি। যারা টিকা পাননি তাদের টিকা না দিয়ে কেন এত ঢাক পেটাচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতে এখনও ১৮ বছরের নিচে টিকা দেওয়া শুরুই হয়নি। তাহলে কীভাবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ টিকা পেলেন?’
পাশাপাশি টিকা বণ্টনেও পশ্চিমবঙ্গকে মোদি সরকার বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাকে কম টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন অবদি বাংলা পেয়েছে সাত কোটি টিকা। বলা হচ্ছে, আমরা টিকাকরণে তিন নম্বরে। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ আমাদের থেকে অনেক বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা এগিয়ে। ’
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ১৫ কিলোমিটার বাড়িয়ে বিএসএফ’র ক্ষমতা ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি বিএসএফের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু বিভেদের ভাবনা নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা ভালো নয়। আমরা যেমন প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলি, তেমনই ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্কও বেশ মধুর।’

 
 ‘বিনা প্রশ্নে’ ২ দিনের ঋতুকালীন ছুটি



মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রেই নারীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির ব্যবস্থা থাকে না। তবে এবার নারীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান সুইগি।
সুইগি জানিয়েছে, প্রতি মাসে দুই দিন ‘বিনা প্রশ্নে’ ছুটি দেওয়া হবে নারী কর্মীদের। ২৩ অক্টোবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই নারী কর্মীরা ঋতুকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ছুটির কারণ জানাতে সংকোচবোধ করেন। তাই ‘বিনা প্রশ্নে’ এই ছুটি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইগির ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই দুই দিন বেতনও পাবেন ওই নারী কর্মীরা।
সুইগির ভাইস প্রেসিডেন্ট মিহির শাহ বলেন, ঋতুকালীন নারীদের রাস্তাঘাটে বের হওয়া খুবই কষ্টদায়ক। এই সময় অনেক নারী পণ্য ডেলিভারির কাজ করতে চান না। এ কারণেই আমরা বেতনসহ দুই দিনের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রত্যেক নারী ডেলিভারি পার্টনার এই ছুটি পাবেন।
 

 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে রেহাই পেতে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আশ্রয় নেয় কক্সবাজারে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু এই আশ্রিত রোহিঙ্গারাই এখন দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশ এখন নিজেই সংকটের মুখে পড়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনজীবনে নেমে এসেছে এক দুর্বিষহ অবস্থা। কঠিন পাহারা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখা যাচ্ছে না। কত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের নিজেদের মধ্যেও হানাহানি, খুনোখুনির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আশ্রয়শিবিরগুলো হয়ে উঠেছে নানাবিধ অপরাধের আখড়া। গুম, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ- কোনো কিছুই বাদ নেই। বিশেষ করে রাতের বেলা ক্যাম্পগুলো চলে যায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দখলে। এ পর্যন্ত কয়েক শ ব্যক্তি গুম-অপহরণের শিকার হয়েছেন। এদের হাতে স্থানীয়রাও হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন প্রসঙ্গে মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার জাতীয় ঐক্য সরকারের (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজি) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুআ লাসি লা কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের দায় পুরোপুরি ওই দেশের সামরিক বাহিনীর। প্রায় ছয় মাস আগে তারা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে, যে কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার স্বদেশে ফিরে যাওয়া বর্তমান জান্তা সরকারের সময় সম্ভব হবে না। তিনি মনে করেন, যত দিন মিলিটারি কাউন্সিল (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল) ক্ষমতায় আছে তত দিন এ ধরনের প্রত্যাবাসনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ সামরিক বাহিনী শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাঁর মতে, জাতীয় ঐক্য সরকারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকারই শুধু ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কক্সবাজারের তুলনায় তা অনেক উন্নত ও নিরাপদ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্ট্যান্ডার্ড মেনে ৩.৯ বর্গমিটার জায়গা রেখে সেখানে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। ১২০টি ক্লাস্টারে থাকা ঘরগুলো এতটাই পাকাপোক্ত যে ২৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়েও ঘরের কোনো ক্ষতি হবে না। তারপরও এসব ক্লাস্টারের সঙ্গে রয়েছে চার তলা একটি দুযোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র। রয়েছে ভূগর্ভস্থ পানি এবং পুকুর, হ্রদ ও খালের ব্যবস্থা। প্রতি ১১ জনে একটি টয়লেট ও ২০ জনে একটি বাথরম্নমসহ রয়েছে উন্নত সেনিটেশন ব্যবস্থা। আছে ডিজেল জেনারেটর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা। রয়েছে বাজার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, থানা, সুপারশপ, অফিস ও শেল্টার হাউস। পাশাপাশি আছে জীবিকা নির্বাহের নানা সুবিধা প্রায় তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে এই আবাসন উদ্যোগ গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ রোহিঙ্গাদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে একটি গোষ্ঠী।
 

 


ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহককে না জানিয়ে অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যক্তিগত ঋণের ক্রেডিট কার্ডের অনিয়ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। গ্রাহকের কাছে সুদবিহীন, চার্জবিহীন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কৌশলে নানা ধরনের সুদ ও চার্জ আরোপ করছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাও উপেক্ষিত থাকছে। ইন্টারেস্ট হিসাবের মারপ্যাঁচে ফেলে গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি ইন্টারেস্ট আদায় করে যাচ্ছে বেশির ভাগ ব্যাংক। নির্দিষ্ট সময়ের আগে সুদ আরোপ করার কোনো নিয়ম না থাকলেও বিভিন্ন ব্যাংক সেই কাজটিই করছে। অনেকটা গ্রাহককে না জানিয়েই গোপন সুদ আদায় করছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ক্রেডিট কার্ডে বিল পরিশোধের নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের অব্যবহিত পরের দিন থেকে ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বিলের ওপর ইন্টারেস্ট বা সুদ আরোপযোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে ইন্টারেস্ট আরোপ করা যাবে না। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যাংকই এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে গ্রাহকদের লেনদেনের তারিখ থেকে ইন্টারেস্ট আরোপ করছে। এভাবে গ্রাহকদের ইন্টারেস্ট হিসাবের পদ্ধতি সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট আদায় করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো গ্রাহক যদি আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৮ হাজার টাকা খরচ করেন, তার মাসের নির্ধারিত পেমেন্ট তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই তিনি ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর-৪৭, ৩(খ) তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এবং পিএসডি সার্কুলার লেটার নম্বর-১২, ১(ক) তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১ অনুযায়ী ওই গ্রাহকের অপরিশোধিত ৪ হাজার টাকার ওপর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারেস্ট চার্জ করার কথা। কিন্তু ব্যাংকগুলো ওই গ্রাহকের অপরিশোধিত ৪ হাজার টাকার ওপর লেনদেনের তারিখ ৩০ আগস্ট থেকেই ইন্টারেস্ট চার্জ করছে। এর ফলে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও বিল পরিশোধের সময় গ্রাহককে বলা হয় না তার ঋণের ওপর মোট সুদের পরিমাণ। কোন তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা হয়েছে সেটি উল্লেখ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিলের ওপর সুদ হয়তো ৫০০ টাকা বা ২০০ টাকা। এই পরিমাণ অর্থের জন্য গ্রাহকও খোঁজ নেন না কোন তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা হয়েছে।
 

 সরকার এনআইডি দেবে শূন্য বয়স থেকে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলে শূন্য বয়স থেকেই নাগরিকদের এনআইডি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বর্তমানে ১৮ বছরের পর থেকে নাগরিকদের এনআইডি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৬ অক্টোবর ২০২১ সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে যারা ভোটার তাদেরই কেবল এনআইডি দেওয়া হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য বয়স থেকে এনআইডি চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার কিছু আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় ফাইল আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগ এবং অপরটি সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ। দুই বিভাগে ছোটবড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি অনুবিভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরেকটি বিভাগ যুক্ত হয়েছে। সেটি হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম। পরিকল্পিতিভাবে সামনের দিকে এগোনো হচ্ছে। এতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাত থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চলে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগের হাতে।এজন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এ সংশোধনী আনার প্রয়োজন হবে। আইনে উল্লিখিত ‘নির্বাচন কমিশন’-এর স্থলে ‘সরকার’ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সেই কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে চলে যাবে। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ অনুসারে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি বা মৃতদের নাম তালিকা দেওয়ার এখতিয়ার ইসির হাতেই থাকবে। যদিও নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত সেবা একই সার্ভার থেকে দিয়ে আসছে ইসি।

 



যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ মাসে মৃত্যু ২০১৬০

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এ বছরের প্রথম ৬ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ হাজার ১৬০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। ২০০৬ সালের পুরো বছরের সমান প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে সেইফটি এডমিনিস্ট্রেশন’ (এনএইচটিএসএ) সূত্রে ২৯ অক্টোবর এ সংবাদ জানা গেছে। করোনাভাইরাসের ভীতির মধ্যেও বল্গাহীন ড্রাইভিংয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেল প্রশাসন। ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এবারের একই সময়ের দুর্ঘটনার হার ১৮.৪% বেশি।
বাইডেনের পরিবহন মন্ত্রী পিতে বাটিগীগ বলেছেন, এহেন অবস্থাকে চলতে দেয়া উচিত হবে না। ১৯৭৫ সালের পর আর কোন বছরের অর্ধেক সময়ে এতবেশী আমেরিকান মারা যায়নি সড়ক দুর্ঘটনায়। তাই দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ফেডারেল সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, এ বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসের দুর্ঘটনা সমূহের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পর দেখা গেছে, করোনা মহামারির আগের তুলনায় এখন সীটবেল্ট ছাড়া ড্রাইভিং এবং গতিসীমা লংঘনের ঘটনা বেড়েছে। গত দু’বছর থেকেই গতিসীমা লংঘনকারি ড্রাইভারের সংখ্যা বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেছে মহাসড়কের ট্রাফিক পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বাস্থ্যবিধি অনেকাংশে শিথিল করার পরই সড়কে গাড়ি চলছে দ্রুতবেগে। ট্রাফিক আইন লংঘনের প্রবণতাও বেড়েছে। ফেডারেল মহাসড়ক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত ৬ মাসে গাড়ি চালানোর পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৭৩.১ বিলিয়ন মাইল অর্থাৎ ১৩%। এ অনুযায়ী প্রতি ১০০ মিলিয়ন মাইল চলার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ১.৩৪। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে ১.২৮। এহেন অবস্থায় এনএইচটিএস এর উপ-প্রশাসক স্টিভেন ক্লিফ ড্রাইভারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গতিসীমা লংঘন না করতে এবং সীটবেল্ট লাগিয়ে গাড়ি চালাতে।


দুই সিজনে আলাদা ড্রেস চান আইনজীবীরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইনজীবীদের জন্য শীতকাল এবং গরমকালে আলাদা ড্রেসকোড চেয়ে আপিল বিভাগে মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনে সুযোগ নেই।
এর জন্য রুলস পরিবর্তন করতে হবে।
৩১ অক্টোবর আপিল বেঞ্চে এ আবেদন জানানোর পর আদালত অন্য দেশের নজিরসহ লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন।
করোনাকালে গতবছর কালো কোট-গাউন পরায় ছাড় দিয়েছিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর কালো কোট-গাউন পরতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সে অনুসারে রোববার থেকে বিচারক-আইনজীবী ফের কালো কোট-গাউন পরতে শুরু করেছেন।
এদিন সকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রমের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বাংলাদেশর আবহাওয়া এবং সব কিছু মিলিয়ে আইনজীবীদের জন্য একটি সামার (গ্রীষ্মকালীন) এবং একটি উইন্টার (শীতকালীন) ড্রেস নির্ধারণ করার উদ্যোগ যদি আপনারা নিতেন। এটি বিবেচনার জন্য আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কালো কোট পরি, বিদেশেও কিন্তু কালো কোট নাই। লন্ডনে পড়ে ডার্ক (ধূসর), কালো নয়। অনেক জায়গায় দেখেছি ব্লু পরতে। আমি সেখানে তাদের জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছেন, কালো নয়, তাদেরটা ধূসর। আর আমরা মানুষ কালো, পরি কালো কোট, দেখা যায় আরও কালো।
একপর্যায়ে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা যারা সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করি, এখানে এয়ার কন্ডিশন থাকায় আমাদের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু সারাদেশের আদালতগুলাতে যারা প্র্যাক্টিস করেন, তাদের অনেক কষ্ট হয়। এ ড্রেসটা শীতের জন্য ঠিক আছে। আমরা সাদা শার্ট পরে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এটা আসলে অতটা খারাপ লাগে না। বরং এ ড্রেসটা থাকলে বিভিন্ন আদালতে টাউট বাটপার শনাক্ত করতে সুবিধা হয়।

 

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্র“তি দিলেন মোদি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে তথা কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে পাঁচ প্রতিশ্র“তি দিয়েছে ভারত। আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নেমে আসবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ নভেম্বর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেছেন মোদি। যদিও চীনের দাবি, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে তারা। অন্যদিকে, ২০৫০ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্মেলনে মোদি বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই বিদ্যুতের পঞ্চাশ শতাংশ চাহিদাই পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলবে ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতের কার্বন নিঃসরণ আরও এক বিলিয়ন টন কমিয়ে ফেলার দাবিও করেন তিনি।
২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা পুরোপুরি কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি সম্মেলনে মোট পাঁচটি প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন মোদি। এই পাঁচটি প্রতিশ্র“তিকে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার বলেও উল্লেখ তিনি। পাঁচটি প্রতিশ্র“তি হচ্ছে-
১. ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন বাড়িয়ে ৫০০ গিগাওয়াট করবে ভারত।
২. ওই একই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশই পূরণ করা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে।
৩. চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ কার্বন দূষণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার থেকে ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারত।
৫. সর্বশেষে, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত। গ্লাসগোর আগে ইতালির রোমে জি-২০ সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা হ্রাস করার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই গোষ্ঠীভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনেতারা। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়ালে সীমাবদ্ধ রাখা।
 

হিরায় তৈরি গাড়ি, ছুঁলেই দিতে হবে লাখ টাকা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

কল্পনা করুন তো, এমন একটি গাড়ি যা আপাদমস্তক ‘হিরা’ দিয়ে মোড়ানো! সে গাড়ি দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু তা বলে ভুল করেও ছুঁয়ে দেখতে যাবেন না যেন। কারণ, সে গাড়ি ছুঁয়ে দেখতে গেলেও পকেটে রাখতে হবে অন্তত লাখ টাকা। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয় সৌদি আরবের যুবরাজ আল-ওয়ালিদ। তিনি এক জন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীও। বেইরুটের পাইনউড কলেজে তার পড়াশোনা শেষে ভর্তি হন রিয়াদের একটি সেনা স্কুলে। তার পর ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো কলেজ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক এবং নিউ ইয়র্কের সাইরাকুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আল-ওয়ালিদ অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। শুধুমাত্র সৌদি আরবেই তিনটি প্রাসাদ রয়েছে তাঁর। তবে মধ্য রিয়াদের প্রাসাদেই বেশির ভাগ সময় কাটান তিনি। ওই প্রাসাদে রয়েছে অন্তত ৩১৭টি ঘর। এই বিশাল প্রাসাদ বানাতে খরচ হয়েছিল ১৩ কোটি ডলার। অন্য দেশে ভ্রমণ করতে গেলে ব্যক্তিগত বিমানেই যাতায়াত করেন ওয়ালিদ। আকাশপথে ভ্রমণের জন্য যেমন ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে, জলপথের জন্যও রয়েছে একটি ইয়ট। এটির মূল্য ৫০ কোটি ডলার। এছাড়া অন্তত ২০০টি বহুমূল্য গাড়ি রয়েছে তার। এমন কথা প্রচলিত রয়েছে এই গাড়িটি শুধু ছুঁয়ে দেখতে গেলেও নাকি গুনতে হয় লাখ টাকা। সেটি আসলে একটি মার্সিডিজ গাড়ি। কিন্তু গাড়ির আগাগোড়া হিরের মতো কেলাস দিয়ে মোড়া। অন্তত তিন লাখ কেলাস রয়েছে গাড়িটিতে। জানা গেছে, ১৩ জন বিশেষজ্ঞের চেষ্টায় গাড়িটিকে এমন ‘হিরা’ দিয়ে সাজানো সম্ভব হয়েছিল। যার জন্য সময় লেগেছিল দুই সপ্তাহ। মার্সিডিজ এসএল৬০০ মডেলের গাড়িটির দাম ৪৮ লক্ষ ডলার। ২০০৭ সালে দুবাইয়ের একটি প্রদর্শনীতে মার্সিডিজের ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে গাড়িটি দেখানো হয়েছিল। তার পরই সেটি কিনে নেন যুবরাজ ওয়ালিদ। পুরোটাই ‘হিরা’ দিয়ে মোড়া থাকায় আলো পড়লেই ঝলমল করে ওঠে ওই গাড়ি।
 

 

আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি গঠন চেয়ে রিট খারিজ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

 সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের শুনানি নিয়ে ৩১ অক্টোবর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম রিটটি করেছিলেন। ২৪ অক্টোবর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ৩১ অক্টোবর (আজ) শুনানির জন্য দিন রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট সংসদকে আইন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিতে পারেন না—এমন যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারকে নিয়োগ দান করবেন।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। আগামী বছরের ১৫ ফেব্র“য়ারি থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। রিটে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১ নামে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। তার আলোকে আইন প্রণয়ন করে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে রিটটি করা হয়।
২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন বা বিধান প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল শুনানির অপেক্ষায় বলে জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।
 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউর উদ্বেগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জোটটি বলেছে, এ আইনে ডিজিটাল অপরাধ রোধ করার কথা থাকলেও আইনের কয়েকটি ধারা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চতুর্থ কূটনৈতিক সংলাপে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই আইনে করা চলমান কয়েকটি মামলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইইউ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইগান্ড গুনার এ বিষয়ে জানতে চান। সংলাপ শেষে দুপক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ইইউর চলমান ভিসা কোডের ‘২৫ এ’ ধারা অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতে অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আলোকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বৈধভাবে থাকার সুযোগ হারিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুযায়ী তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতিকে ইইউ স্বাগত জানিয়েছে।

 

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নয় বিচারক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া নয় বিচারক শপথ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। তারা হলেন-বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা। এই নয়জনকে নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারকের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ জনে। আর প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক রয়েছেন ৫ জন। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ মে হাইকোর্টে ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী তুরস্কের গেলগি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড করলেন তুরস্কের রুমেইসা গেলগি। বিরল রোগের কারণে রুমেইসা গেলগির উচ্চতা সাত ফুট সাত ইঞ্চি। ২৪ বছর বয়সী রুমেইসা বেশির ভাগ সময়ে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে চলাচল করেন। এছাড়া তিনি ওয়াকিং ফ্রেমও ব্যবহার করে হাঁটতে পারেন।
২০১৪ সালে সবচেয়ে লম্বা কিশোরী নারী হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন রুমেইসা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি অসুবিধা আপনার নিজের জন্য একটি সুবিধা হতে পারে, তাই আপনি যেমন তেমন ভাবে নিজেকে গ্রহণ করুন, আপনার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।
মার্কিনভিত্তিক ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর রেয়ার ডিজ অর্ডারের মতে, উইভার সিন্ড্রোম সাধারণত জন্মের আগে শুরু হয় এবং কখনো কখনো মাংস পেশির স্বর বৃদ্ধি, অত্যন্ত প্রশস্ত চোখ, প্রশস্ত কপাল, পায়ের বিকৃতি এবং অস্বাভাবিকভাবে বড় কান থাকে। এর কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে নেক গবেষক মনে করেন, উত্তরাধিকার সূত্রে এমন হতে পারে।
এদিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো গেলগিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। উচ্চতায় লম্বা হওয়ার পাশাপাশি গেলগির হাতও স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক লম্বা। তিনি বলেন, 'আমি সবার থেকে আলাদা থাকতে পছন্দ করি। এটি আকর্ষণীয় এবং আমাকে বিশেষ অনুভব করায়। এটি আমাকে উঁচু স্থানে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে এবং ওপর থেকে মানুষের দিকে তাকানোও খারাপ কাজ নয়।




ঢাকায় চারটি ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ করার নতুন উদ্যোগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এতিম-বিপন্ন শিশুদের জন্য ঢাকায় চারটি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক স্থাপনের জন্য নতুন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে গত ৩১ অগাস্ট আবেদন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্যামিলি হেলথ ইন্টারন্যাশনাল-এফএইচআই ৩৬০। জন্মের সময় মা হারায় অনেক নবজাতক। মা থাকলেও অসুস্থতার কারণে অনেকে বুকের দুধ পায় না, আবার পেলেও নবজাতকের পুষ্টির জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। এমন শিশুদেরকে মায়ের দুধ যোগাবে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’।
 

 


 


 

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনে গৃহকর্তা গ্রেফতার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রাজধানী খিলক্ষেত এলাকার একটি বাসায় ৯ বছর বয়সী এক শিশু গৃহর্কমীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকর্তা মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মিঠুর স্ত্রী ও গৃহকর্ত্রী শাপলা খাতুন পলাতক রয়েছে।
৩০ অক্টোবর দুপুরে ভুক্তভোগী শিশু গৃহকর্মীর মা পাবনার সাঁথিয়া থেকে ঢাকার আসেন। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লিখিত অভিযোগ করেন।
৩০ অক্টোবর বিকালেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আহমেদ।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার স্ত্রী এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সংসারের অভাব দূর না হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিশু মেয়ে মরিয়মকে সাঁথিয়া উপজেলার রায়েকমারী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মিঠুর ঢাকার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে পাঠান। তবে কিছুদিন পর থেকেই মিঠুর স্ত্রী শাপলা খাতুনের নির্যাতন শুরু হয় শিশুটির ওপর। তিনি তাকে মারধর ও গরম খুনতির ছ্যাঁকা দিতেন এবং কান্নার শব্দ যেন বাইরে না যায়, সে জন্য শিশুটির মুখে গামছা ভরে দিতেন।
অভিযোগে আরও জানা যায়, ২৯ অক্টোবর শিশুটিকে বেধড়ক মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন মিঠু ও তার স্ত্রী শাপলা। এরপর মিঠু তার মায়ের মাধ্যমে শিশুটিকে সাঁথিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন। বিষয়টি সে তার মাকে জানালে তারা সাথিয়া থেকে ঢাকায় এসে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটির দুই হাত, পিঠ ও মুখে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
 


ইয়েমেন যুদ্ধে ১০ হাজার শিশু হতাহত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়েমেনে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০ হাজার শিশু হতাহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইয়েমেন সফর থেকে ফিরে জেনেভা জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন, আরেকটি লজ্জাজনক মাইলফলক ছুঁয়েছে ইয়েমেন সংঘাত। ২০১৫ সালের পর দেশটিতে ১০ হাজার শিশু নিহত অথবা পঙ্গু হয়েছে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে প্রতিদিন চারজন শিশু নিহত হয়েছে। অনেক শিশুর মৃত্যু বা আহতের খবর অপ্রকাশিত থেকে গেছে বলেও জানান তিনি।
জেমস এলডার বলেন, ইয়েমেনের প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে চার লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ২০ লাখ শিশু পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
 

 

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় স্বামী গ্রেফতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্বামী মো. মনিরুজ্জামানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুজ্জামান আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর নোওয়াপাড়া এলাকার মান্নান মোল্যার ছেলে।
পুলিশ জানায়, যৌতুকের দাবিতে মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী শারমিন নাহারকে নির্যাতন করতেন। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন শারমিন। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামান গ্রেফতার করা হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

৫৪ নারী মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে কনডেম সেলে


মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন মোট এক হাজার ৯৮৭ জন।
এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৯৩৩ জন এবং বাকি ৫৪ জন নারী কয়েদি।
এ হিসাব ১৯ সেপ্টেম্বর’২০২১ পর্যন্ত, এমনটাই জানা গেছে কারা অধিদপ্তর থেকে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির কনডেম সেলের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে কারা অধিদপ্তরে চিঠি দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর এ আইনজীবীর চাহিদা অনুসারে তথ্য দেয় কারা অধিদপ্তর।
কারা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের সব কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য কনডেম সেল রয়েছে মোট দুই হাজার ৫৯৯টি। এর মধ্যে পুরুষ কয়েদির জন্য দুই হাজার ৪৫৬টি এবং নারীদের জন্য রয়েছে ১৪৩টি সেল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব সেলে মোট কয়েদি ছিলেন এক হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ কয়েদি ছিলেন এক হাজার ৯৩৩ জন। আর নারী কয়েদি ৫৪ জন।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সেলের সংখ্যা অপ্রতুল হলে একাধিক কয়েদিকে এক সঙ্গে রাখা হয়। তবে সাধারণত একটি কনডেম সেলে একজন রাখা হয়।
কয়েদিদের বিনোদন ও খেলাধুলার বিষয়ে বলা হয়, কারাগারে আটক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের চিত্ত বিনোদনের জন্য বই-পুস্তক ও পত্রপত্রিকা পড়ার এবং শরীর চর্চার সুযোগ দেওয়া হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর আইনজীবী শিশির মনিরকে এ তথ্য দিয়েছে কারা অধিদপ্তর।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। আদালতে রিট আবেদনটি করেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। পরে দেশের সব কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ও কনডেম সেলের সংখ্যাসহ কনডেম সেলের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ প্রতিবেদন নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তা দাখিল করবেন।
প্রতিবেদন চেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
রিট আবেদনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে আবদ্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশের সব জেলের কনডেম সেলে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাখার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে (সুযোগ, সুবিধা) কারা মহাপরিদর্শককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধন রঞ্জন দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক গ্রেড-২ পদের বিপরীতে গ্রেড-১ এর দুটি সুপারনিউমারারি পদ (অবসর, অপসারও কিংবা অন্যকোনো কারণে পদ শূন্য হলে বিলুপ্তির শর্তে) অস্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে সৃজনের সরকারি মঞ্জুরি প্রদান করা হয়।

 

 


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

থানার গ্রিল ভেঙে পালালেন আসামি, ২ পুলিশ ক্লোজড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
থানার গ্রিল ভেঙে পালালেন আসামি, ২ পুলিশ ক্লোজড থানার জানালা ভেঙে পালালো আসামি, ২ পুলিশ ক্লোজড
দিনাজপুর: মাদক মামলার এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানা হাজতের জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় থানার দায়িত্বরত একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করে জেলা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
২৬ অক্টোবর ২০২১ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামি পালানোর এ ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর পুলিশের ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দুইজনকে ক্লোজ করা হয়েছে, আরও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ২৬ অক্টোবর ২০২১ সন্ধ্যায় তাদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্লোজ হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ডিউটি অফিসার এএসআই কেবিএম শাহারিয়ার ও পুলিশ কনেস্টেবল সাবিনা ইয়াছমিন।
এদিকে ঘটনার পর দিনাজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মমিনুল করিম ও ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৫ অক্টোবর ২০২১ দিনগত রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। এ সময় ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক মামলার আসামি মোকারুল ইসলামকে (৩২) উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতেই তাকে পার্বতীপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর কথা থাকলেও তার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাজতখানার জানালার তিনটি গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে গত এক বছর ধরে । তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য বেশ কয়েকটি পোশাকের ট্রায়ালও শুরু হয়েছিল। ট্রায়াল শেষ হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। শিগিগরই নতুন পোশাক পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সদর দফতরের লজিস্টিক শাখা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে ছয়-সাতটি পোশাকের নমুনা নিয়ে ট্রায়াল শুরু হয়। ট্রায়ালে নতুন পোশাক আরামদায়ক কি না, ডিউটির সময় এটি পরে থাকলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো অস্বস্তি কাজ করে কি না ও নতুন পোশাক দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখা হয়েছে।
এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়ায় চারটি মিশ্র রঙয়ের পোশাক প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। ঠিক করা পোশাকগুলোর নমুনা সেপ্টেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত দিলেই মিশ্র রঙের নতুন পোশাকে দেখা যাবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের।
কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানায়, বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিবর্তন একটি নিয়মমাফিক কাজ। বেশ কয়েক বছর পরপরই বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশের ইউনিফর্মে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়। যেমনটি হয়েছিল ২০০৪ সালে এবং ২০০৯ সালে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্যও পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া আবহাওয়াগত বিষয় মাথায় রেখেও বাহিনীর পুলিশের ইউনিফর্মে পরিবর্তন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

 

 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল, পুলিশসহ আটক ৪
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্বাক্ষর জাল করে রংপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিও লেটার দেওয়ার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন রংপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা (২৮) ও নয়া মিয়ার ছেলে আল-আমিন (১৯), মিঠাপুকুর উপজেলার রূপসী গাছুয়াপাড়া গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন ও গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে পুলিশ সদস্য মাসুদার রহমান মাসুদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রংপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে নিয়োগে সহযোগিতাসহ চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে রংপুরে একটি প্রতারকচক্র গড়ে উঠেছে।
ডিও লেটার পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। এরপর জেলা গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানে নামে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মাসুদার রহমান মাসুদ ও জুয়েল রানাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করা ডিও লেটারসহ ভুয়া কাগজপত্র ও ছবি জব্দ করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ডিও লেটার দেওয়ার ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

 

আপত্তিকর অবস্থায় এএসআই আটকের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১৩


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনকে আটক ও মারধরের মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রামে গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে মামলার এক নারী বাদির বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে আটক হন উপ-পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। এ ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্তও করা হয়। এদিকে সেই এএসআইকে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় রবিবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহিল জামান জানান, এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জন গ্রেফতার করেছে।
তারা হলেন- উপজেলার উত্তর ধর্মপুর গ্রামের জহুরুল হক, রবিউল ইসলাম, সুমন মিয়া, হামিদুল ইসলাম, আঃ খালেক, আমজাদ হোসেন, মুকুল মিয়া, বকুল মিয়া, রাজু মিয়া, জয়নাল আবেদীন, শাহজাহান সিদ্দিক, পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আজিজুর রহমান ও গাইবান্ধা সদরের ফারাজি পাড়ার নাজমুল হক। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
পুলিশের মামলায় বলা হয়েছে, ছড়ারপাতা গ্রামের এক মামলার বাদীর গাছ জোর করে কেটে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যান। পরে বাদীর (এক প্রবাসীর স্ত্রী) অভিযোগ শুনে আসার সময় ওই নারীর ভাশুর মাসুদ মিয়া এএসআই তোফাজ্জলকে গালমন্দ করেন। এরপর চিৎকার করে গ্রামবাসীকে জড়ো করে তোফাজ্জলকে আটক করে উঠানের আমগাছে বেঁধে রাখে।
 

 


 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


বেশি খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল!

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার খুব বুঝে-শুনে খেলেও রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে কোলেস্টেরল একেবারে বাদ দেওয়া মুশকিল। সঙ্গে কোলেস্টেরল হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তো আরও চিন্তার বিষয়। তাহলে কি কোলেস্টেরলমুক্ত জীবন পাওয়ার কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে। সঠিক ডায়েট এবং লাইফস্টাইল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অথবা কোলেস্টেরল হওয়ার প্রবণতা থাকলে তা কমাতে কার্যকরী।
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে হবে। ভাত ও রুটির চেয়ে ওটস, বার্লি, ভুট্টা বেশি খাওয়া উচিত। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এমন খাবার যেমন আপেল, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ব্ল্যাকবেরি, বাঁধাকপি, কুমড়ো, গাজর, ব্রকোলি ইত্যাদি বেশি খেতে হবে।
এছাড়া যেকোনো ধরনের বাদাম, বিশেষ করে আমন্ড ও আখরোট কোলেস্টেরল কমাতে খুবই উপকারী। ডায়েটে সবরকম সবুজ শাকসবজি ও ফল বেশি করে রাখতে হবে। রসুন কোলেস্টেরল কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এছাড়া রেড মিটের পরিবর্তে সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস, দুই-তিন দিন ডিম খাওয়া উচিত। তবে প্রতিদিন অনায়াসে যেকোনো ধরনের মাছ খেতেই পারেন।
শরীরে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতে রান্নায় তেলের ব্যবহারের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই রান্নার পদ্ধতি এবং রান্নার তেল সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। একবার কোনো তেলে রান্না করার পর সেই তেলে পরে আবার রান্না করা উচিত নয়। এতে তেলের গুণাগুণ নষ্ট হয় এবং শরীরের ক্ষতি করে।
একইসঙ্গে সব রকম তেল মিশিয়ে খাওয়া উচিত অর্থাৎ কারও বাড়িতে যদি ৬ লিটার তেল লাগে তাহলে ২ লিটার সরিষার তেল, ২ লিটার সানফ্লাওয়ার অয়েল এবং ২ লিটার অলিভ অয়েল খেতে পারেন। অর্থাৎ ডায়েটে স্যাচুরেটেড আনস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মিশ্রণের ব্যালান্স থাকলে ভাল হয়।
বাইরে বেরোতে হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একেবারে বাইরে খেতে হলে শুকনো মুড়ি, ছোলা, খাওয়া যায়। মনে রাখবেন, শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত হাঁটা, সঠিক ডায়েট মানলে এবং চিন্তামুক্ত থাকলে কোলেস্টেরল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সপ্তাহে অন্তত চারদিন ৩০ মিনিট ব্রিক্স ওয়ার্ক বা জোডে হাঁটা দরকার। ব-াড প্রেশার, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপানসহ যেকোনো ধরনের নেশা বর্জন করুন।
বনস্পতি জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা যেকোনো সোডা জাতীয় পানীয়, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট, মিষ্টি, কেনা ফলের রস কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া সব রকম ভাজাভুজি, ময়দা, প্যাকেটজাত ও যেকোনো ধরনের ট্রান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।


যে পরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া প্রয়োজন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত ভিটামিন সি খেতে। এছাড়া মহামারীর সময়েও খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই ভিটামিন শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
শরীরে ভিটামিন সি-এর প্রচুর অভাব হলে স্কার্ভির মতো রোগ হতে পারে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি আছে?
বেশ কিছু সবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিন যদি পাতিলেবু কিংবা আমলকি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। ব্রকোলি দিয়ে এখন অনেকেই সালাদ বা তরকারি করে খান, এতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
এছাড়াও খেতে পারেন ক্যাপসিকাম। পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই কাঁচা পেঁপে এবং পাকা পেঁপে দু’টিই খেতে পারেন।
দৈনিক কতটুকু ভিটামিন সি খাবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তবে, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া এই পরিমাণ অত্যন্ত কম।
আধুনিক পরিসংখ্যান মতে বলা হচ্ছে, জনসংখ্যার অন্তত প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়তে পারে প্রতিদিন ৯৫ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন সি খেলে।


প্রতিদিন কতটুকু হাঁটা প্রয়োজন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দীর্ঘ জীবন লাভের সম্ভাবনা বাড়াতে চাইলে রোজ ৭ হাজার কদম হাঁটলে সম্ভবত ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে নতুন দুটি গবেষণায় উঠে এসেছে। অথবা সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা টেনিস, সাইক্লিং, সাঁতার, জগিং কিংবা ব্যাডমিন্টনের মতো খেলায় সময় দিলেও একই ফল পাওয়া যাবে।
গবেষণা দুটিতে দেখা যায়, সঠিক পরিমাণে সঠিক ধরনের ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমায়। এ দুই গবেষণার আওতায় কয়েক দশক ধরে ১০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে গবেষকরা এ-ও বলেছেন যে, শারীরিক পরিশ্রমের সুফল পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা থাকতে পারে। যারা পরিশ্রম বেশি করেন, তারা যে অল্প পরিশ্রমীদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচেন, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তবে ঠিক কী পরিমাণ পরিশ্রম করলে বেশি সুফল পাওয়া যায়, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এমনকি অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে আয়ুষ্কাল কমে যায় কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নতুন গবেষণায় এ সমস্যাগুলোর ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রথম গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হাঁটার ওপর। বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন রোজ ১০ হাজার কদম হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে ঠিক ১০ হাজার কদমই যে হাঁটতে হবে, তার কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই।
গবেষকরা দেখেন যে, যেসব মানুষ দিনে অন্তত ৭ হাজার কদম হাঁটে, তারা সাধারণত তুলনামূলক বেশি আয়ু পান। হাঁটার পরিমাণ যত বাড়ে, দীর্ঘ জীবন লাভ করার সম্ভাবনাও ততই বাড়ে। যারা দৈনিক ৯ হাজার কদমের বেশি হাঁটেন, তাদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
তবে ১০ হাজার কদম পর আর কোনো উপকারিতা দেখা যায়নি। যারা প্রতিদিন ১০ হাজার কদমের বেশি হাঁটেন, তাদের ৭ হাজার কদম হাঁটা ব্যক্তিদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচতে দেখা গেছে খুব কমই। দ্বিতীয় গবেষণায় দেখা হয়েছে সপ্তাহে কত ঘণ্টা খেলাধুলা করলে (সাইক্লিং, টেনিস, সাঁতার, হ্যান্ডবল, ওয়েট লিফটিং, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল ও অন্যান্য) বা শারীরিক পরিশ্রম করলে স্বাস্থ্যের উপকার হয়।
গবেষকরা পর্যবেক্ষণে দেখতে পেয়েছেন, যারা সপ্তাহে ২ দশমিক ৬ ঘণ্টা, অর্থাৎ দিনে ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করেন, তারা দীর্ঘ সুস্থ জীবন লাভ করেন। কিন্তু যারা সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা বা দিনে ৯০ মিনিটের মতো পরিশ্রম করেন, তাদের বেলায় এই উপকারিতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে। এ দুটো গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, শারীরিক পরিশ্রম দীর্ঘজীবন লাভের জন্য সহায়ক, কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রম আয়ু বাড়াতে সরাসরি কোনো কাজে আসে না। কাজেই ব্যায়াম বা পরিশ্রম থেকে সুফল পেতে হলে আমাদের উচিত সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক উপায়ে সেটা করা। দীর্ঘ সুস্থ জীবন লাভের জন্য দিনের ৭-৮ হাজার কদম হাঁটা অথবা ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করাই যথেষ্ট।


পায়ের রগে টান লাগলে যা করবেন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেকের রাতে পায়ে টান লেগে যন্ত্রণার চোটে ঘুম ভেঙে যায়। খুবই অস্বস্তিকর এই যন্ত্রণা কয়েক সেকেন্ড ধরে চলতে পারে। আবার বেশ কয়েক মিনিট ধরেও চলতে পারে। এমনিতেই ঘুমের মধ্যে পায়ে টান লাগা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রবণতাও বাড়তে থাকে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে পায়ে টান লাগার প্রবণতা বেশি। পায়ে টান লাগার অনেক কারণ হতে পারে। সাধারণত এই নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। পায়ে টান লাগলে এমনিতে সেই ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ বা ইঞ্জেকশন হয় না। বরফ লাগিয়ে, কিংবা উষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রেখে আরাম পেতে পারেন। হালকা মাসাজ করেও পায়ের তালু পেশির যন্ত্রণা কমতে পারে। তবে, পেশিতে টান লাগার ঘটনা এড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে।
দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। মদপান এবং ক্যাফিন কম করুন। ঘুমোনোর সময়ে সতর্ক হন। পায়ের নিচে বালিশ রেখে পা উঁচুতে তুলে রাখতে পারেন। ঘুমোনোর আগে পায়ের পেশি সামান্য স্ট্রেচ করে নিন। শরীরচর্চার সময়ে পায়ের পেশির দিকে মন দিন। সাধারণত শরীরে পানির অভাবে পেশিতে টান লাগে। শরীরে কিছু জরুরি পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিনের অভাব হলেও টানের প্রবণতা বেড়ে যায়। টান লাগার যন্ত্রণা বেশ কিছু ক্ষণ থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজে থেকেই মিলিয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ঘন ঘন পায়ে টান লাগা বড় কোনও অসুখের উপসর্গও হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা হৃদরোগের আশঙ্কা। লিভার সিরোসিস। ডায়াবিটিস। কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। পার্কিনসনন্স ডিজিজ। ক্যানসার চিকিৎসায় কেমো থেরাপি নিলেও স্নায়ু বিকল হয়ে পায়ে টান ধরতে পারে। তাই পায়ে টান লেগে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় বা চামড়ার রং বদলে যায়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


মৃত্যু ঝুঁকিতে আরামের জীবন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বসে বসে আরামে জীবন কাটানো সম্ভব হলে কে আর কষ্ট করেন? কিন্তু জানেন তো, পৃথিবীতে এক গোপন ঘাতক এসেছে। এর নাম সিটিং ডিজিজ (ঝরঃঃরহম উরংবধংব)।
যা নিরবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, স্থুলতা, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল, কোমড়ে ব্যথা, ডিমেনশিয়া ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন কত ঘণ্টা বসে থাকেন? অফিসের কাজে, পড়ার টেবিলে, বাসে বা গাড়িতে, খাবার টেবিলে, টিভির সামনে, ফেসবুক বা কম্পিউটারের সামনে? যোগ করুন।
এক গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে আমেরিকানদের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে।
তবে ভয়ের কারণ নেই, মুক্তির উপায়ও আছে। তার জন্য যা করতে হবে:
- যত নড়াচড়া করবেন, দেহঘড়ি ততো স্বাস্থ্যকর ও সহজ হবে
- বিশেষজ্ঞদের মতে, যিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং যিনি মোটেই ব্যায়াম করেন না, উভয় ব্যক্তিই সিটিং ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারেন
- গড়ে প্রতি আধা ঘণ্টায় (বসার পরে) ১-৩ মিনিট উঠে দাঁড়ান বা হাঁটুন
- দ্রুত হাঁটা জীবনী শক্তি বাড়ায়। ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী
- দিনে ২ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হলো ৩৬ মিনিট হাঁটার সমান।
নিজেকে একটা সহজ টার্গেট দিন
- ধরুন-প্রথম ৭ দিনে ১ তলা সিঁড়ি বেয়ে উঠে লিফট নেবেন। তারপরের সপ্তাহে ২ তলা উঠে লিফট নিন। এর ৭ দিন পরে ৩ তলা উঠে লিফট নিন।
- এভাবে প্রতিদিন ৬ তলা পর্যন্ত সিঁড়ি ভাঙার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করুন। (সিঁড়ির ধাপ প্রতি তলায় ১০টি যেখানে, ৩ তলা = ৬০ ধাপ) ধাপ কম-বেশি নিজে নিজে অ্যাডজাস্ট করে নিন। উপরে উঠতে যে পরিমাণ শক্তি লাগে, নিচে নামতে তার আর্ধেক শক্তি ক্ষয় হয়।
- মোবাইলে প্রতি ৩০ মিনিট পর অ্যালার্ম দিন। উঠে দাঁড়ান, নাচের অঙ্গভঙ্গী করুন। দেহ ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
- ফাইল পাঠাতে পিয়নের সাহায্য না নিয়ে নিজেই যান। এতে আন্তরিকতা যেমন বাড়বে, হাঁটাও হয়ে যাবে। আবার নিজের চা, পানি, নিজেই নিয়ে নিলে আপনার সম্মান মোটেও কমবে না।
- ফোনে কথা বলা বা আড্ডার সময় দাঁড়িয়ে থাকুন।


লবঙ্গের যত গুণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শুধু রান্নাতেই লবঙ্গের গুণাগুণ সীমাবদ্ধ নয়। সুস্বাস্থ্যে লবঙ্গ নানাভাবে আমাদের উপকারে আসে।
আসুন জেনে নেই লবঙ্গের গুণাগুণ সম্পর্কে-
১) দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পেলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যন্ত্রণা কমবে।
২) লবঙ্গ মুখে রাখলে বা জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলে আপনার বমি বমি ভাব দূর হবে।
৩) হাল্কা গরম পানিতে ১০ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ও মধু যোগ করে, সেটা খেয়ে নিন। ভাইরাল ফিভারে কাজে দেবে।
৪) মানসিক চাপ দূর করে লবঙ্গ। পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। লবঙ্গের সঙ্গে তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা ও দারচিনি মিশিয়ে আপনি ফ্লেভার্ড চা তৈরি করতে পারেন।
৫) সর্দি, কাশিতে লবঙ্গ খেলে আরাম পাওয়া যায়। কফ দূর হয়। নিঃশ্বাসে বাজে দুর্গন্ধও দূর করে লবঙ্গ।
৬) চিকিৎসকরা বলেন, যাদের হাড় দুর্বল তাদের জন্য লবঙ্গ বিশেষ উপকারী। লবঙ্গের সাহায্যে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড়ের সংযোগ বা জয়েন্টও শক্তিশালী হয়।

 


 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


মিথ্যা মামলা-ভুয়া ওয়ারেন্ট-নিরপরাধ মানুষের হয়রানি ঠেকাতে হাই কোর্টের ৭ দফা নির্দেশনা

 

মামলা দায়ের হয় এবং আসামি ধরা পড়েন। কখনও জামিন মেলে, কখনও মেলে না। বিচারে নির্দোষ প্রমানে আদালত বেকসুর খালাস দেন। কিন্তু ততোক্ষণে নির্দোষ ব্যক্তির সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে যায়। বিনা অপরাধে গ্রেফতার হওয়া আসামির সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয় অপরাধের গ্লানি। বেকসুর খালাসের পরও কারাভোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে ‘অপরাধী’ তকমা নিয়ে বাঁচতে হয় সারাজীবন। অপরাধ না করেও কারাবাস। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় দিনগুলো জীবন থেকে হারিয়ে যায়। সন্তান, পরিবার, স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। কর্মক্ষমদের কারাজীবনে উপার্জনহীন থাকা। মামলা পরিচালনায় অর্থ যোগান। সহায়-সম্বল বিক্রি। এমন আরও বহুমাত্রিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হতে হয় একতরফাভাবে শুধুমাত্র ‘আসামির’। বিচারে ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হলেও এর দায়-দায়িত্ব কাউকেই নিতে হয় না। অথচ যে বাদী নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে ‘আসামি’ করলো, যিনি মামলা রেকর্ড করলেন, যিনি মামলা তদন্ত করলেন, যে আইনজীবী নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে ‘অপরাধী’ প্রমাণে মরিয়া হলেন-তাদের যেন কোনো দায় নেই। কিংবা যে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার কারণে শান্তিপ্রিয় নিরীহ নাগরিককে ‘আসামি’ হতে হলো-সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও কার্যকর কোনো জবাবদিহিতা নেই। যদিও সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুযায়ী নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ১৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ মতে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক সমান।
বিনা অপরাধে কারাভোগ করেন তারা : একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছিলো নিরীহ পাটকল শ্রমিক মো. জাহালমকে। তফসিলের মধ্যে পড়ায় মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহালমকে এমন কয়েকটি ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয় যেটিতে অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতো।
কারাভোগের ৩ বছর পর জানা গেলো, জাহালম নির্দোষ। উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। দুদক এই মর্মে ভুল স্বীকার করে যে, তাদের ভুল তদন্ত এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার ভুল সাক্ষ্যের কারণে কারাভোগ করতে হয়েছে নিরপরাধ জাহালমকে। কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের কোনো শাস্তি ভোগ করতে হয়নি।
ঘটনা ২০০৩ সালের। সাতক্ষীরার দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা খুন হন। ঘটনার পর আসামি করা হয় ওবায়দুর রহমান নামক ব্যক্তিকে। ওবায়দুর ‘আবেদ আলী’ নামেও পরিচিত। মামলার বিচারে ২০০৬ সালে আবেদ আলীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। ২০১১ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আবেদ আলীকে বেকসুর খালাস দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল করে। এর শুনানি চলে ৪ বছর। ২০১৮ সালে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট। নির্দোষ আবেদ আলীকে কারামুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশের কপি কারাকর্তৃপক্ষের কাছে যখন পৌঁছায়-আবেদ আলী তখন মৃত। অর্থাৎ, মুক্তির আদেশ হাতে পাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কারাভ্যন্তরে ইন্তেকাল করেন আবেদ আলী। এ ঘটনার জন্যও কোনো পর্যায়ের কাউকে শাস্তি ভোগ করতে হয়নি।
১৯৯২ সালে ‘ডাকাতির মামলা’য় গ্রেফতার হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাবুল মিয়া। সে সময় তার বয়স ছিলো ১৮ বছর। বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হন বাবুল। তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। কারাগারেই কেটেছে তার কৈশোর, তারুণ্য এবং যৌবনের বিশাল অংশ। ২৫ বছর কারাভোগ করেন বাবুল।
অথচ যে ধারায় তাকে ‘দোষী সাব্যস্ত’র চেষ্টা করা হয়েছে সেই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার শাস্তি হতো বড়জোর ১০ বছর। জীবনের এতো বড় ক্ষতির জন্য বাবুল কারও কাছে বিচার চাইতে পারেননি। মুক্তির পর শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন-আমার যৌবনের ২৫টি বছর ফিরিয়ে দেবে কে?
স্ত্রী এবং দেড় বছরের শিশু সন্তান হত্যার অভিযোগে ২০০০ সালে মামলার ‘আসামি’ করা হয় বাগেরহাটের শেখ জাহিদকে। তদন্ত শেষে বিচার প্রক্রিয়ায় ২০০৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টও তার দণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট শেখ জাহিদকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। আর আদেশে যখন খুলনা কারাগার থেকে জাহিদের কারামুক্তি ঘটে তখন তার বয়স ৫০ বছর। ২০টি বছর তাকে কাটাতে হয় ফাঁসির আসামিদের জন্য নির্ধারিত ‘কনডেম সেল’ এ। তার মূল্যবান জীবনের বন্দিত্ব এবং যন্ত্রণাকাতর কারা জীবনের জন্য যারা দায়ী তাদের কাউকেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি।
 

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.