BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover May 2021

English Part May 2021

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 



নিম্ন আয়ের ৩৫ লাখ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে পাঁচ হাজার করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
৪ এপ্রিলের ঝোড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে এক লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কোভিড-১৯–এর ফলে কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা (নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মুঠোফোন নম্বর) করছে। তালিকাটি চূড়ান্ত হলে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
অন্যদিকে বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই–বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১২ মে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন।
এবারের নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় তহবিলে’ বরাদ্দ করা অর্থ থেকে নির্বাহ করা যাবে। প্রস্তাবটি বিবেচিত হলে আগের অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থ বিভাগের তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের অতি অল্প সময়ে অর্থ দেওয়া যাবে। কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে ১৪ এপ্রিল থেকে কাজ ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটরশ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। তাঁদের তখন আড়াই হাজার করে টাকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 এপ্রিল ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে হত্যাকান্ডে মৃত্যু ৩২৪ জন

মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ১৩৬ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ৩২৪ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২০২৪ জন। এপ্রিল ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ৮০ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে ১১টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে এপ্রিল ২০২১ মাসে মৃত্যু ২৪২০ জন। বিভিন্ন হত্যাকান্ডের শিকার ৩২৪ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৭ জন, পারিবারিক সহিংসতা ২৪ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৮ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ১ জন, অপহরণ হত্যা ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৫২ জন, ধর্ষণ হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৭৯ জন, আত্মহত্যা ১০ জন।
এপ্রিল ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ২৬ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয় ১ জন।

 

 

 BHRC চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার রমজান উপলক্ষ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

২৪ এপ্রিল ২০২১ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) এর উদ্যোগে মাহে রমজান ও দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে একে অপরের পাঁশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সদস্যগণ এবং মহানগর উত্তরের আওতাধীন কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, বায়েজীদ, পাচঁলাইশ, চকবাজার, সদরঘাট ও চাঁদগাও থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দগণের নিকট নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং নিজ নিজ এলাকার অসহায়, দুঃস্থ ও পরিস্থিতির স্বীকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ মানুষের জন্যে, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর মহানগরের পক্ষ হতে এবং মানবতাবাদী নেতৃবৃন্দ গত মাস হতে নিত্যপ্রয়োজনি খাদ্য দ্রব্য বিতরণ নিজ নিজ এলাকায় মহানগর এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মসূচী পালন করে আসছে। এছাড়া এই দূর্যোগ মোকাবেলায় অসহায়দের পাশে দাড়ানোর লক্ষ্যে কর্মসূচী সক্রিয় থাকবে বলে মানবতাবাদী সকল নেতৃবৃন্দগণ আশাবাদী।
উক্ত বিতরণী সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সদর দপ্তরের ডেপুটি গর্ভনর জনাব মোহামমদ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, সহ সভাপতি লায়ন মোঃ ইব্রাহীম, সহ-সভাপতি লায়ন নবাব হোসেন মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী বাবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল হাসান, শামশুজ্জোহা আজাদ পলাশ, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ তানছির, সহ দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিয়া, বিবি ফাতেমা প্রচার সম্পাদক মোহামমদ সাগর ইসলাম, গণশিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবুল, সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ ও থানার নেতৃবৃন্দ।
 

  
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ মনোযোগ দিন

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সম্প্রসারণ করে মহামারী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল সরকার। পরে রোগী কমে আসায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কয়েকটি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয় দেশে। ফেব্র“য়ারির মাঝামাঝি দৈনিক শনাক্তের হার নেমে আসে ৩ শতাংশের নিচে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন। এ বছর একই সময়ে প্রতিদিন রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায়।
গত বছর করোনার সংক্রমণ যখন শুরু, তখন অনেক হাসপাতালই প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু এক বছর পরে এসে আর বলা যাবে না, ‘আমরা প্রস্তুতির সময় পাইনি।’ রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তির জন্য আনা হলেও শয্যার অভাবে অক্সিজেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। শুধু কোনো রোগী রিলিজ হলে বা কেউ মারা গেলেই শয্যা ফাঁকা হয়। তখনই কেবল ওই শয্যায় নতুন রোগী ভর্তির সুযোগ মেলে।
সংক্রমণের হার ও রোগীর সংখ্যা যখন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, আমরা মনে করি এই মুহূর্তে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষার প্রতি। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন, আইসিইউ সেবাসহ চিকিৎসার মান উন্নত করার জন্য বাড়তি উদ্যোগ নিতে ও প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং ওই অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
 

মে দিবস উপলক্ষ্যে BHRC মুগদা থানা শাখার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
মহান মে দিবস উপলক্ষে ১৭ রমজান শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মুগদা থানার সভাপতি প্রিন্স নাসির এর উদ্যোগে ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক গোলাম কিবরিয়া খান রাজার সার্বিক সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গোলাম কিবরিয়া খান রাজা প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুগদা থানা শাখার সভাপতি প্রিন্স নাসির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম রিজন, নির্বাহী সভাপতি মোঃ আকরাম মজুমদার জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিত্যনন্দন মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক আরফান সরকার।

 


 

মালালার স্বপ্ন : পাকিস্তান-ভারতের বন্ধুত্ব
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কপাল থেকে শনির দশার ছাপ যেন ছাড়তেই চায় না। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক মহলের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তাই আপাতত সন্ত্রাসী কাজকর্মে অর্থনৈতিক জোগানের ওপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান। জানানো হয়, সন্ত্রাসে আর্থিক মদদ বন্ধ করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, এতে পাকিস্তানের তরফে ঘাটতি রয়ে গেছে। তাই ধূসর তালিকা থেকে এখনই অব্যাহতি পাচ্ছে না পাকিস্তান। ২০১৮ সালের জুনে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয়। এখনো ওই অবস্থা বহাল থাকল পাকিস্তানের জন্য। এফএটিএফের মতে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তপূরণে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে- ১. জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখনো তেমন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি পাকিস্তান; ২. সন্ত্রাসবাদীদের কড়া সাজা এখনো দিতে পারছেন না ওই দেশের আদালত এবং ৩. বেআইনি লেনদেন, সীমান্তে আর্থিক চোরাচালান রুখতেও পাকিস্তান তেমন কোনো পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেনি।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রাখতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে দেখা যায় ফ্রান্সকে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেন, ইসলাম নিয়ে অযথাই মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এ থেকেই ফ্রান্স ও পাকিস্তানের মধ্যে স¤পর্কের অবনতি ঘটে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফএটিএফের এমন কড়া অবস্থানের পেছনে হয়তো আরও একটি কারণ থাকতে পারে। আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকা-ের মূল অভিযুক্ত ওমর সাইদ শেখকে সম্প্রতি বেকসুর খালাস দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এ আদেশের সুযোগে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাও উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিস¤পন্ন একটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিচারপতিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সঙ্গে আইএসআইয়ের এ গোপন স¤পর্ক ফাঁস করেছেন পার্ল প্রজেক্টের রিপোর্টার আসরা নোমানি। তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের যে তিন বিচারপতি শেখের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে
বিশ্বের সবচেয়ে দামি জুতা ১৫ কোটি সাড়ে ২৬ লাখ টাকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন র‌্যাপার কেইন ওয়েস্টের পরিহিত বিশ্বের সবচেয়ে দামি এক জোড়া স্নিকার্স ১৮ লাখ ডলার বা প্রায় ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়েছে।
নিউইয়র্কের সংগ্রাহক রায়ান চ্যাংয়ের পক্ষে এই জুতা জোড়া নিলামে তুলেছিল সোথেবে’স। ২০০৮ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হেই মামা অ্যান্ড স্ট্রংগারে গানের আবেগী পারফর্ম্যান্সের সময় এই জুতা জোড়া পরেছিলেন ওয়েস্ট। এর ফ্যাশনপ্রেমী কাছে এটা ব্যাপক সাড়া পায়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে নাইকির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ইতি টানেন ওয়েস্ট। এরপর অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। সেখানে এই ইজি ব্র্যান্ডের স্নিকার্স ২০২০ সালে ১.৭ বিলিয়ন ডলার আয় করে।

 

যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যা বাড়ছে খুব মন্থরগতিতে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৩০ সাল অর্থাৎ গত ৯০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে ঘটলেও গত এক দশকে (২০১০-২০২০) তা আরও মন্থর হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ইউএস সেনসাস ব্যুরো এ তথ্য জানায়।
উল্লেখ্য, ১০ বছর অন্তর যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারী অনুষ্ঠিত হয়। এটি হচ্ছে গত বছর সম্পন্ন রিপোর্টের অংশ।
এ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের ১ এপ্রিল (ইউএস সেনসাস ডে) যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ছিল ৩৩১.৫ মিলিয়ন তথা ৩৩ কোটি ১৫ লাখ। ১০ বছর আগের তুলনায় তা মাত্র ৭.৪% বেশি। আর এটি হচ্ছে ১৭৯০ সালে আদমশুমারী শুরুর পর কোন দশকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বৃদ্ধির ঘটনা।




জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ৩ সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি)-এর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হল বাংলাদেশ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) এর সহযোগী সংস্থা সিএনডির এই নতুন পরিষদ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০ এপ্রিল এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “সিএনডি’র এই নির্বাচনটি ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে (৪৩ ভোট)। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ”।
বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যার সকল দিকের প্রতি বাংলাদেশ সব সময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব”।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদর দপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।
এছাড়া ইকোসক ব্যবস্থাপনা সভায় ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন এর নির্বাহী বোর্ডের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বোর্ডে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছে। নতুন এই বোর্ড দুটি জানুয়ারি ২০২২ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ড দুটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা দুটি’র মূল পরিচালনা পর্ষদ।

 

  করোনাকালে সাধারণ মানুষের দুর্দশা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। বছর ঘুরে আজ এপ্রিল ২০২১। দ্বিতীয় ফেজে করোনা আরও বিপজ্জনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সংক্রমণের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে বৃহৎ ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক থেকে নির্মাণশ্রমিক, দিনমজুরসহ নানা পেশার মানুষ ভুগছে তাদের দৈনন্দিন আয়-রোজগার ও জীবনধারণের চরম ঝুঁকিতে। বহু পেশার মানুষ কাজকর্ম, চাকরি হারিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৬ শতাংশ মানুষ চাকরি বা কাজের সুযোগ হারিয়েছে করোনা পরিস্থিতে। ৩ শতাংশ মানুষ তাদের চাকরি থাকলেও যথাসময়ে বেতন পাননি। আর দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে যারা কাজ করেন, তাদের ৬২ শতাংশই কাজের সুযোগ হারিয়ে অসহায়। করোনার কারণে প্রায় ১০টি জেলার মানুষের আয় অধিক কমে গেছে। শুধু ঢাকা জেলার মানুষের আয় কমেছে ৬০ শতাংশ।
আগেই করোনায় সামগ্রিক অর্থনীতি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন,‘সামগ্রিকভাবে আমাদের অর্থনীতি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ক্রমান্বয়ে জীবনমানের দিক দিয়ে অনেক নিচে নেমে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবেন। এ জায়গায় তারাই যাবেনÑ যারা তুলনামূলকভাবে অস্থায়ী চাকরি করতেন, খ-কালীন কাজ করতেন। এটিই হলো করোনার এ মহামারীতে অর্থনীতির অভিঘাতের বড় জায়গা।’
আরও ভয়ানক চিত্র উঠে এসেছে যারা ঢাকা শহরে ভাসমান জনগণ, যাদের ঢাকা শহরে থাকার ঘর নেই, গ্রামে বসবাসের তেমন কোনো ভিটেমাটি নেইÑ তাদের জীবনধারণের প্রশ্নে। যেসব ভাসমান ও প্রান্তিক জনগণ ঢাকায় প্রতিদিন দিনমজুরি, হকারি, সামান্য পুঁজি নিয়ে প্রাত্যহিক কোনো ব্যবসা থেকে প্রতিদিন সামান্য রোজগার করে তিনবেলা খেয়ে-পরে বেঁচে ছিলেনÑ তারা চরম ঝুঁকিতে। অনেকে যৎসামান্য পুঁজিটুকুও হারিয়ে কোনো কাজ না থাকায় এক প্রকার অনাহারে ফুটপথে আছেন। না খেয়ে দিনের পর দিন ঢাকা শহরের পার্ক, ফুটপাথ, ওভার ব্রিজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন তারা। সমাজসেবী, উন্নয়ন সংস্থা, সরকার, জনপ্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের এই অনাহারি-ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য তেমন কোনো কর্মকা- এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এমন ভাসমান ৮৩ পুরুষ, ২৭ নারী ও শিশুসহ ১১০ জনকে ‘গত ২৪ ঘণ্টায় কী খেয়েছেন’ প্রশ্নের জবাবে জানা গেছে, ৫৯ জন একবার ভাত খেয়েছেন ও ৪৪ জন ভাত খাননি। তবে ভাত ছাড়া অন্যকিছু যেমন- রুটি, কলা, বিস্কুট খেয়ে আছেন ৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ না খেয়ে আছে ৪ শিশু। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় তাদের জন্য তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারলে খুব শিগগিরই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা সংযুক্ত হবে সন্দেহ নেই।

 

 ১২ মাসের মধ্যে লাগতে পারে টিকার তৃতীয় ডোজ : সিইও ফাইজার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে নিতে হবে টিকার তৃতীয় ‘বুস্টার’ ডোজও। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বছরে এ রকম একটি করে ডোজ নিতে হতে পারে। গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ এক সাক্ষাৎকারে ফাইজার কর্ণধার অ্যালবার্ট বুরলা বলেন, ‘শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেওয়াও জরুরি হয়ে পড়ছে। তাছাড়াও পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে প্রতি বছর একটি করে ডোজ নিতে হতে পারে। কিন্তু এই গোটা বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও নিশ্চিত হতে হবে।’ খবরে বলা হয়, করোনা প্রতিষেধক শরীরে কত দিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিশদে কোনো গবেষণা সামনে আসেনি। সম্প্রতি ফাইজার জানিয়েছে, তাদের টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকরী। যারা গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৯৫% কাজ করবে ওই টিকা এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ৬ মাস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখবে। এ বিষয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অতিমারী নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত দলের প্রধান ডেভিড কেসলারও বলেছেন, করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে হলে প্রত্যেক মার্কিনিকে ‘?বুস্টার’ ডোজ দেওয়া জরুরি। ?তিনি বলেন, যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের প্রথমে টিকার এই বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে গবেষকরা বলছেন, মডার্না, ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত থাকে। টিকা ছয় মাসের বেশি সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারলেও করোনার নতুন নতুন ধরনের কারণে নিয়মিত বুস্টার ডোজ নেওয়া প্রয়োজন।


   কর্মস্থল থেকে ছুটি পেতে ৩৭ দিনের মধ্যে একই নারীকে ৪ বার বিয়ে!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অফিস থেকে বেতনসহ ছুটি আদায় করার জন্য একই স্ত্রী’কে তিন বার ডিভোর্স দিয়ে চার বার বিয়ে করলেন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের এক ব্যক্তি। শেষ বার বিয়ের ৩৭ দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তার একটাই উদ্দেশ্য, বৈতনিক ছুটিকে আরও দীর্ঘায়িত করা।
গত বছরের ৬ এপ্রিল বিয়ে করেন ব্যাংক পেশায় কর্মরত ওই ব্যক্তি। তখন তিনি ৮ দিনের বৈতনিক ছুটি পান।
ছুটি শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন করেন এবং একই মেয়েকে বিয়ে করেন। এভাবে মোট তিন বার স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। আর মোট বিয়ে করেন চার বার।
আসলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করেও অতিরিক্ত সবেতন ছুটি পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। বারবার আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হন তিনি।এরপরেই বিয়ের ফন্দি আঁটেন। চার বার বিয়ে করার জন্য ৩২ দিনের সবেতন ছুটির আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু চতুর্থবারে বিষয়টি ব্যাংকের নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ছুটি পেতে ওই ব্যক্তি একই নারীকে বারবার বিয়ে করছেন আবার ডিভোর্স দিচ্ছেন। এরপরই ব্যাংক ওই ব্যক্তিকে ফের ছুটি দিতে অস্বীকার করে।
তবে ওই ব্যক্তির ভাষ্য, তিনি আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেননি। এরপর ব্যাংকের বিরুদ্ধে তাইপে সিটি লেবার ব্যুরোতে অভিযোগ করেন তিনি।
তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য অসৎ হলেও তিনি আইনের বাইরে কিছু করেননি। তাইওয়ানের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো কর্মচারী বিয়ে করলে ব্যাংক তাকে আট দিনের বৈতনিক ছুটি দিতে বাধ্য। ব্যাংক তা পালন না করে আইন ভেঙেছে। এ অপরাধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার তাইওয়ান মুদ্রা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।



 

 করোনায় চাকরি হারাল ১৯% নারী পোশাককর্মী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকার কভিডের কারণে বিপর্যস্ত সরকার কভিডের কারণে বিপর্যস্ত নারীদের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছিল, সে সম্পর্কে ৫৮.৬ শতাংশ নারী জানেনই না। গতকাল ১৫ এপ্রিল ‘সরকারের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা : নারীরা কতটা উপকৃত হয়েছে’, শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সংলাপটি সিপিডি ও ইউএন ওমেনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জরিপের তথ্য পর্যালোচনা করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনার প্রকোপে গত বছর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ গৃহকর্মী ও ১৯ শতাংশ নারী গার্মেন্টকর্মী তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। এতে ব্যাপক দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া লকডাউনের মধ্যে দেশে ৪৯ শতাংশ নারী নিরাপদে ছিলেন না। জরিপে এই অতিমারির মধ্যেও ৫৮ শতাংশ বাল্যবিয়ে বেড়েছে, সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই একজন মায়ের বাচ্চা জন্ম হওয়ার মতো সামাজিক সমস্যাগুলো বেড়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা গ্রামে মাত্র ২ শতাংশ শিশু কভিডের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে পেরেছে। গত বছর অক্টোবরে টেলিফোনের মাধ্যমে ৩৪টি জেলার ৭০ জন নারী উদ্যোক্তার ওপর একটি সার্ভে করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৫১.৪ শতাংশ এসএসসি পাস, ২৪.৩ শতাংশ এইচএসসি পাস, ১৭.১ শতাংশ অনার্স পাস ও ৪.৩ শতাংশ মাস্টার্স পাস। তবে তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা কোনো না কোনো বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। আর বাকি ৭২.৯ শতাংশ কোনো রকমের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এতে বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের লোন পেতে বেগ পেতে হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮ শতাংশ নারী বলেছেন, তাঁদের ব্যবসা সামনে নিয়ে যাবেন ও ৪১.১ শতাংশ ব্যবসা পুরোপুরি গুটিয়ে নেবেন। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তাঁরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হতে পারেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কাজের অগ্রগতি নেওয়া হয়েছে। কাজ হারানো গৃহকর্মী ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের দিকে নজর দেওয়া হবে। কারণ এটি অনানুষ্ঠানিক খাত হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অনেক মানুষ আছে যারা জানেই না যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এটা অবাক করার মতো বিষয়, কারণ দেশে অনেক গণমাধ্যম রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। সংলাপে আরো বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, ড. লীলা রশিদ; পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস; ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন; বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেম এবং দেশ গ্রুপ অব কম্পানিজের পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান।
 


খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দিন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল দেশের মানুষের কাছে নতুন এক অভিজ্ঞতা। বৈশ্বিক এই মহামারি দেশের তো বটেই, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। রেমিট্যান্সের গতি শ্লথ হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যে দেখা দেয় স্থবিরতা। নতুন বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বেসরকারি কর্মজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়ে। অনেকে অর্ধেক বেতনে কোনোমতে টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির পাশাপাশি শ্রমজীবীদেরও কাজের অভাব দেখা দেয়। বেসরকারি কর্মজীবীদের অনেকেই চাকরি হারিয়ে টিকে থাকার জন্য বিকল্প পেশা বেছে নিতে বাধ্য হন। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির উৎপাদন ব্যবস্থাপক রাস্তায় ভ্যানগাড়িতে তরমুজ বিক্রি করছেন, এমন সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। একসময় গয়নার শোরুম ছিল এমন একজনের খবর প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠে। ব্যবসা হারিয়ে তিনি এখন দিনমজুর। কণ্ঠের জাদুতে মঞ্চ কাঁপাতেন, এমন শিল্পী আজ ঘরে বসে আছেন, উপার্জন নেই। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের আদলে ১৭ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধে আছে দেশ। এরই মধ্যে কর্মক্ষেত্রে জনবল কমাতে বদলি শ্রমিক বাদ দেওয়া হয়েছে। দিনমজুররা ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না কাজের খোঁজে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আয় নেই চালকসহ অন্যদের। দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেক বিক্রয়কর্মীর কাজ চলে গেছে। পণ্য বিক্রি করতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর ব্যবসায় অচলাবস্থা চলছে।
গত বছর দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আবার সরকারও গত বছর বড় মাপের প্রণোদনা প্যাকেজ ও সহায়তার ঘোষণা দেয়। এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ‘লকডাউনের’ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে তিন বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়লেও সরকারি-বেসরকারি সহায়তা বা প্রণোদনার খোঁজ মিলছে না। ফলে প্রতিদিনের আয়ে যাদের সংসার চলে এমন মানুষের আয় কমে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ বড় বিপাকে পড়েছে।
এখন এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে ঘরে রাখতে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
 

 

করোনা চিকিৎসায় এবার ট্যাবলেট আনছে ব্রিটেন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এর তাণ্ডবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ব্রিটেন। যদিও ভাইরাসটির চিকিৎসায় ইতোমধ্যে টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে, তাতেও পুরোপুরি দমন করা সম্ভব হচ্ছে বহুরূপী এই ভাইরাসকে।
এমন অবস্থায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ আবিষ্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটি। এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে করোনার হালকা রোগীরা বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং গুরুতর অসুস্থতা ও হাসপাতালের চিকিৎসা এড়ানো সম্ভব হবে।
আসন্ন শরৎকালের মধ্যে এমন অন্তত দুটি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আবিষ্কারের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করেছে ব্রিটিশ সরকার। এটি আবিষ্কার হলে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২০ এপ্রিল ২০২১ ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ান ও টেলিগ্রাফের।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনা একটি নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অংশ। কারণ বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর মতে এই বছর যেকোনও সময় ব্রিটেনে করোনার আরেকটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে।
বরিস জনসন বলেন, এই অ্যান্টিভাইরাল গবেষণা করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি এই অপ্রত্যাশিত তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে।
ব্রিটিশ সরকার আশা করছে যে, অ্যান্টিভাইরাল টাস্কফোর্স ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের মতই সফল হবে। তাদের লক্ষ্য নতুন ধরনসহ করোনার একটি ওষুধ খুঁজে পাওয়া। বরিস জনসন বলেন, আমাদের অ্যান্টিভাইরাল টাস্কফোর্স বিস্ময়কর চিকিৎসার সন্ধান করছে। এর মাধ্যমে আপনি বাড়িতে বসেই করোনাভাইরাসকে থামিয়ে দিতে পারেন। এটি করোনা সংক্রমণ ঠেকাবে এবং জীবন বাঁচাবে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, তিনি ব্রিটেনকে বুস্টিং করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন টাস্কফোর্স করোনা প্রতিরোধ করে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
ডেক্সামেথাসন এবং হাসপাতালের ড্রাগ টিসিলিজুমাব এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন। দারুণ টিকাদান কর্মসূচি ও ওষুধ করোনা প্রতিরোধে ও আমাদের প্রিয়জনদের বাঁচাতে ব্যতিক্রমী অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে।
হ্যানকক বলেন, ভ্যাকসিন ও থেরাপিস্ট টাস্কফোর্সের সফলতার মতো আমাদের অসাধারণ নতুন টাস্কফোর্স সফল হবে এবং শরৎকালের মধ্যেই অ্যান্টিভাইরাল ট্রিটমেন্টের সন্ধান পাবে।

 

 
সৌদিতে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে বাংলাদেশি নেওয়ার প্রস্তাবে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী দেশটিতে ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানো প্রকল্পে দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আবু থুনিয়ানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উপমন্ত্রীও সে প্রস্তাব স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়। বৈঠকে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল মাজিদ আল রাশুদি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এসএম আনিসুল হক, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং কাউন্সেলর মো. হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারি সৌদি আরব ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমানভাবে অবদান রেখে চলেছে এমন প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর সে দেশে বসবাস ও তাদের চাকরি এবং চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শ্রম সংস্কার উদ্যোগ চালু করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত জানান, বিপুলসংখ্যক নারী গৃহকর্মী এই উদ্যোগের বাইরে রয়েছেন। গৃহকর্মীদের সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি দেশটির উপমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
উপমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ আবু থুনিয়ান জানান, সৌদি আরবের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সরকার গৃহকর্মীদের এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। যদিও বর্তমানে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আরও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
 



Top

 কারাগারে মাদক পাচারের অভিযোগে বিড়াল আটক!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদকসহ একটি বিড়াল আটক করেছে পানামার পুলিশ। সাদা রঙের বিড়ালটি মাদক নিয়ে কারাগারের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ওই সময় বিড়ালটির শরীরে বাঁধা অবস্থায় অনেকগুলো মাদক জব্দ করা হয়।
বিশ্বের অনেক দেশেই বন্দিদের কাছে মাদকদ্রব্য সরবরাহের ঘটনা ঘটছে। আর উত্তর আর দক্ষিণ আমেরিকায় কারাগারে মাদকদ্রব্য সরবরাহের ঘটনা বেশ পুরোনো। তবে এসব কাণ্ডে কোনো প্রাণী আটকের ঘটনা বিরল।
সম্প্রতি পানামার রাজধানী শহর পানামা সিটির উত্তরে ক্যারিবিয়ান প্রদেশের করলান নিউইভা এস্পেরানজা কারাগারে এই ঘটনা ঘটে।
এই কারাগারে ১ হাজার ৭০০ কয়েদি আছেন। তবে এবারই প্রথম নয়, আগেও পানামার এই কারাগারে বন্দিদের কাছে এভাবেই মাদক সরবরাহের চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় বন্দিরা খাবার দিয়ে প্রাণীদের পোষ মানায়, তারপর সেই প্রাণীগুলোর মাধ্যমে বাইরে থেকে মাদক সংগ্রহ করে। পানামার পেনশনারি সিস্টেমের প্রধান আন্দ্রেস গুতেরেস জানান, বিড়ালের গলায় একটি কাপড় বাঁধা ছিল। তাতে মাদকের প্যাকেট পাওয়া যায়।

 

Top

মসজিদুল হারামে প্রথম বারের মতো নারী নিরাপত্তাকর্মী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রথম বারের মতো নারী নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মসজিদুল হারামে দায়িত্ব পালন করা নারী নিরাপত্তাকর্মীদের ছবি শেয়ার করে। এটি ছিল সৌদি আরবের ব্যতিক্রমী এক ঘটনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপত্তাকর্মীদের পোশাকে ওমরাহযাত্রীদের সেবায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। টুইটারে ছবির ক্যাপশনে 'মাঠপর্যায় থেকে হজ ও ওমরাহর নিরাপত্তা'য় লেখা দেখা যায়।
নারীদের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি সৌদি তাঁর আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ শুরু করে। কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে এটি ছিল যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের অন্যতম।
সৌদির ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে সৌদি নারীরা বিভিন্ন পেশায় নানাধরনের ভূমিকার রাখার সুযোগ পাচ্ছে, যা ইতিপূর্বে কেবল পুরুষদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল।

 

এক কাতল মাছের দাম ৪৮ হাজার টাকা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীর ফেরিঘাটের উজান থেকে ৩০ কেজি ওজনের একটি বিশাল আকারের কাতল মাছ ধরা পড়েছে। যার দাম ৪৮ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার ভোররাতে দৌলতদিয়ার জেলে জয়নাল হালদারের জালে কাতল মাছটি ধরা পড়ে।
কাতল মাছটি দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশে দুলাল মোল্লার আড়তে বিক্রির উদ্দেশে আনলে ফেরিঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১৬০০ টাকা কেজি দরে ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন। এ সময় মাছটি একনজর দেখতে স্থানীয় জনতা ফেরিঘাটে ভিড় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি উন্মুক্ত স্থানে নিলামে উঠলে আমি ১৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৮ হাজার টাকায় ক্রয় করি। এখন মাছটি ১৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করব বলে বড় বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, পদ্মা নদীর যমুনার মোহনায় এখন প্রায়ই জেলেদের জালে বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে।
 

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারে জান্তা আগ্রাসন, সহিংসতা বন্ধ এবং গণতন্ত্র ফেরাতে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
মঙ্গলবার এ আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
ভার্চুয়াল এক সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক জোট- আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেশটিতে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অব্যাহত সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ-সমাবেশ দমনে চলছে সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন আর রাতভর সাঁড়াশি অভিযান।
পর্যবেক্ষক সংস্থা-এএপিপি’র তথ্যানুসারে, অভ্যুত্থানবিরোধী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭৩৮ জনের প্রাণ গেছে মিয়ানমারে। হতভাগ্যদের তালিকায় রয়েছে ৫০ শিশুও। এছাড়া রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সুচি’সহ বন্দি বা ধরপাকড়ের শিকার ৩২শ’র বেশি মানুষ। গত ১ ফেব্র“য়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।

 

বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা হয় যে দেশে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একসময় নিজে পছন্দ করে বিয়ে হোক কিংবা পরিবারের লোকদের পছন্দে বিয়ে হোক, বিচ্ছেদের কথা বর বা বউ দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারত না। তারা যতই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে থাকুক না কেন, বিচ্ছেদ তখন কোনো সঠিক পন্থা নয় বরং চরিত্রহীনতার নামান্তর ছিল।
তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। বর্তমানে বর বা বউ চাইলে সমস্যার কথা আলোচনা করে বিচ্ছেদের পথে যেতে পারছে।
কিন্তু অনেকেই বিয়ের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। সেই সম্পর্কের কথা টের পায় না বিবাহিত সঙ্গী। এটিকে বলা হয় প্রতারণা। সময় যতই এগোচ্ছে ততই সম্পর্কে প্রতারণার সংখ্যাও এক এক করে বাড়ছে। এই বিষয়ে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অবাক করা তথ্য খুঁজে বের করেছে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করছে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গীরা। কানাডার বিবাহিতদের একটি ডেটিং সাইটের সমীক্ষা থেকে এ তথ্য সামনে এসেছে।
সেই সমীক্ষা থেকেই পাওয়া ফলাফল বলছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক (২০ শতাংশ) জন তার বিবাহিত সঙ্গীর থেকে লুকিয়ে অন্য সম্পর্কে জড়াচ্ছে। এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে জার্মানি। ১৩ শতাংশ বাসিন্দারাই প্রতিদিন তাদের বিবাহিত সঙ্গীকে বিবেকহীনভাবে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তিন নম্বর স্থান অধিকার করেছে কলম্বিয়া (৮ শতাংশ)। এরপর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স (৬ শতাংশ) এবং ইংল্যান্ড (৫ শতাংশ)।
তবে অদ্ভুতভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, যদি তাদের সঙ্গীরা নিজেদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে কখনো জানান, তাহলে তারাও তাদের ওপর চড়াও না হয়ে ক্ষমা করে দিতে পারেন। নারীদের তুলনায় পুরুষরা ক্ষমা করার বিষয়ে বেশি একমত পোষণ করেছেন।
কোনো নারী তার সঙ্গীকে আর আগের মতো বিশ্বাস করতে পারছে না বলে জানা গেছে ওই গবেষণা থেকেই।




আর্মেনীয় গণহত্যার স্বীকৃতি দেবেন বাইডেন


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমানদের হাতে বিপুলসংখ্যক আর্মেনীয়র মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি শিগগির এ স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। দুই নেতার কথোপকথন বিষয়ে অবগত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। ওয়াশিংটনের এ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ন্যাটো মিত্র দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে বলেই পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন মাসেরও বেশি সময় পর বাইডেন গত শুক্রবার প্রথম টেলিফোনে এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা তুর্কি প্রেসিডেন্টের অনাগ্রহের কারণেই দুই নেতার মধ্যে আলাপে এত দেরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এতদিন অটোমানদের ১৯১৫ সালের হত্যাযজ্ঞকে ‘ভয়াবহ খারাপ অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এসেছে। ন্যাটো মিত্র তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঠেকাতেই তারা এমনটা বলত বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
 

গোপনে গণহত্যা চলছে উইঘুরে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এবার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন সরকারের আচরণকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে সংসদে বিল পাস করেছে যুক্তরাজ্য। এই ঘটনাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পার্লামেন্টের সদস্য টরি স্যার আইইন ডানকান স্মিথ। তবে চীন বলেছে, যুক্তরাজ্যের উচিত হবে নিজেদের ভুল সংশোধন করা। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরসহ অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রেখেছে চীন। এসব গণআটক কেন্দ্রে বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। তবে চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র আগেই চীনকে গণহত্যায় অভিযুক্ত করে পার্লামেন্টে বিল পাস করেছিল। এবার প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ক্ষুদ্র এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চলছে মর্মে বিল পাস করা হলো।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে; কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে- সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।



 

ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেড়েছে ইসরাইলি সহিংসতা :  জাতিসংঘ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা জানিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি কয়েক মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর শারীরিক আক্রমণ ও সম্পতি ধ্বংসসহ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। বুধবার সংস্থাটির অধীন মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দফতর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ২১০টিরও বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় এক ফিলিস্তিনির মৃত্যুও হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ৭৭১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। ওই সকল সহিংসতায় ১৩৩ জন ফিলিস্তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, হেবরন, জেরুসালেম, নাবলুস ও রামাল্লায় এই সকল সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে। সহিংসতার এই ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের নয় হাজার ছয় শ ৪৬টি গাছ এবং ১৮৪টি গাড়ি ধ্বংস হয়। মিডল ইস্ট মনিটর।

 

 মনে রাখবেন এবারের নির্বাচন বাংলাকে বাঁচানোর : মমতা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এবারের নির্বাচন মনে রাখবেন বাংলাকে বাঁচানোর নির্বাচন, বাংলার সম্মান বাঁচানোর নির্বাচন। এবারের নির্বাচন বাংলায় সভ্যতা থাকবে কি না তার নির্বাচন বলে জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা ভোটটা অবশ্যই দেবেন। না হলে বিজেপি জানেন তো দুটো আইন করে এখনও রেখে দিয়েছে। একটা এনপিআর (জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন), একটা এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি)। আরেকটা অন্য আইন করে রেখে দিয়েছে। ফলে আপনি যদি ভোট না দেন, ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ গেলে, ওরা আসামে ১৪ লাখ বাঙালিকে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আসামে নির্বাচন ৬ তারিখে হয়ে গেছে, এবং ৮ তারিখ থেকে আবার ‘ডি নোটিশ’ দিতে শুরু করেছে। কাজেই মনে রাখবেন ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। আমি এনআরসি করতে দেবো না, আমি এনপিআর করতে দেবো না। আমি উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ জমি নিঃশর্ত জমির দলিল দিচ্ছি। উদ্বাস্তুরা যে যেখানে আছেন সবাই জমির দলিল পাবেন। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।


 

Top

বিরল জমজ শিশুর জন্ম দিয়েছেন ব্রিটিশ নারী!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গর্ভাবস্থাতেই আবারও গর্ভধারণ করে দুটি বিরল জমজ শিশুর জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারের রেবেকা রবার্টস। ভিন্ন সময়ে মায়ের গর্ভে এসেও এই শিশুরা একই দিনে জন্মগ্রহণ করে। তাই চিকিৎসকরা এদের ‘সুপার টুইনস’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। বাথের রয়াল ইউনাইটেড হাসপাতলের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড ওয়াকার বলেন, ‘এটি এত বিরল ঘটনা যে এরকম ঘটনা কতটি ঘটেছে তার প্রকৃত সংখ্যাও অজানা। ডিম্বানু মুক্তিকরণ বন্ধের পরিবর্তে, রেবেকা প্রথমটির তিন বা চার সপ্তাহ পরে আরেকটি ডিম্বানু ছেড়েছেন এবং ডিম্বানুটি অলৌকিকভাবে নিষিক্ত হতে সক্ষম হয়েছে এবং জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।’ ইউরোপিয়ান জার্নাল অব অবসটেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনেকোলজির এক প্রতিবেনুযায়ী, ২০০৮ সালে পৃথিবীতে এ ধরণের ‘সুপার টুইনস’ এর ঘটনা দশটিরও কম ছিল। রেবেকা জানান, 'তিনি ও তার সঙ্গী রাইস ওয়েভার অনেক বছর ধরেই সন্তান জন্মদানের চেষ্টা করে আসছিলেন। এজন্য রেবেকা ও রাইস বহুবার চিকিৎসকের কাছেও গিয়েছেন।' চিকিৎসা নিয়ে অবশেষে গর্ভধারণ করতে পারেন রেবেকা। কিন্তু গর্ভাবস্থায় তৃতীয় আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার সময় চিকিৎসকরা জানান, 'তিনি আবারও গর্ভধারণ করেছেন। এই পরীক্ষার সময় রেবেকা ১২ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলেই খুবই অবাক করা ছিল যে একটির জায়গায় দুটি বাচ্চা। তখন তারা আমাকে বলেন দুটি বাচ্চার মধ্যে তিন সপ্তাহের ব্যবধান রয়েছে যা চিকিৎসকদের বোধগম্য হচ্ছে না। এরা আমার সুপার টুইনস। প্রতিদিন এদের দিকে আমি তাকাই আর ভাবি, আমি ভীষণ ভাগ্যবতী।’ রেবেকার এই গর্ভধারণকে 'সুপারফেটেশন' নামেও অভিহিত করা হয়। এটি এমন এক পরিস্থিতি যখন প্রথম গর্ভধারণের মধ্যেই দ্বিতীয় গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে। এটি ঘটে যখন ডিম্বাশয় থেকে দুটি পৃথক সময়ে ডিম্বানু বের হয়। রেবেকার গর্ভধারণ বেশ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি করেছিল কারণ চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছিলেন, দ্বিতীয় সন্তানটি নাও বাঁচতে পারে। তবে সৌভাগ্যক্রমে গত সেপ্টেম্বরে নোয়াহ ও রোসেলি নামে দুই জমজ শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি।

 
রোজাদাররা করোনায় সংক্রমিত কম হন: বলছে গবেষণা


রোজাদাররা রোজা রেখে করোনায় সংক্রমিত কম হন বলে গবেষণায় জানা গেছে। এমন তথ্য দিয়েছে ইউরোপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমসিবি।
সূত্রমতে, পবিত্র রমজান মাস ইতালিতে পালিত হচ্ছে গভীর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে। লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন মানুষের মাঝে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পবিত্র রমজান পালনে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ২৩ রমজানের দ্বিতীয় জুম্মায় দেশটির প্রায় ৮ শতাধিক মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
রোজাদারদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একেবারেই কম। এমন তথ্য দিয়েছে ইউরোপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমসিবি। আর এ তথ্যের উপর বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা ও বিবিসি।
এমন তথ্য যখন প্রকাশ পায় তখন সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র সিয়াম পালনের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় শতভাগ। যেমনটা ঘটেছে ইতালিসহ সমগ্র ইউরোপে।
লকডাউনের বন্দী জীবনে মানুষের যেন একটু বেশিই আগ্রহ ধর্ম-কর্ম, নামাজ ও রোজার প্রতি। এতে করে রমজানের দ্বিতীয় জুম্মার দেশটির মসজিদগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। প্রতিটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় একাধিক জুম্মার নামাজের
জামাত। মসজিদের ভিতর পেরিয়ে বারান্দা ও পাশের খেলা মাঠেও মুসল্লিদের সালাত আদায় করতে দেখা যায়। জুম্মার নামাজে সামিল হতে পেরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২৩ এপ্রিল দুপুরের পর মসজিদগুলোতে ধর্মীয় বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় পবিত্র জুম্মার নামাজের প্রস্তুতি। ইমাম সাহেবদের খুতবা পাঠের পর শুরু হয় পবিত্র জুম্মার নামাজ। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মুসলিম উম্মাহ ও সমগ্র পৃথিবীর শান্তির জন্য হাত তুলে মোনাজাত করেন। অনেকেই বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য মোনাজাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সকলের মুখে উচ্চারিত হয় করোনামুক্ত আগামী বিশ্বের স্বপ্ন।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান ধর্মের আদিভূমি ইতালিতে ইতালি সরকার চলতি বছর পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে খুলে দেয় মসজিদগুলো। আর এতে করে পবিত্র রমজানের তারাবীহর নামাজও মসজিদে পালন করতে সক্ষম হচ্ছে সেখানে অবস্থানরত মুসলিমরা। তবে করোনার যে ঢেউ ইতালিতে সেটি এখনও রোজাদারদের তত ছুঁতে পারেনি।
 


 

 

করোনার বিধি ভঙ্গ করায় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আর্না সোলবার্গকে জরিমানা করেছে দেশটির পুলিশ। ১৩ জন ব্যক্তি নিয়ে পারিবারিকভাবে নিজের ৬০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য এ ঘটনায় ক্ষমাও চেয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী। ৯ এপ্রিল দেশটির পুলিশপ্রধান ওলে সায়েভেরুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গত ফেব্র“য়ারি মাসের শেষ দিকে একটি পাহাড়ি রিসোর্টে ওই পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে ১৩ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশটিতে করোনার কারণে ১০ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ। তিনি করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় ২০ হাজার নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা ১ হাজার ৭১৩ ইউরো জরিমানা করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত জরিমানা করা হয় না। করোনার বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে সরকারি দায়িত্বের অগ্রভাগে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনিই বিধি ভেঙেছেন। এ জন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছে। আর্না সোলবার্গ নরওয়ের দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  
 

 


জাতিসংঘের মহাসচিব পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এবার জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবতী আকাঙ্ক্ষা অরোরা। এই অল্প বয়সেই তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদি তাতে তিনি সফল হন তাহলে বিশ্ববাসীর আশ্রয়স্থল জাতিসংঘের প্রথম কোনো নারী মহাসচিব হবেন তিনি। আগামী অক্টোবরে এই পদে নির্বাচন হবে। তাতে আগেভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় এই যুবতী।
অরোরা ২০১৬ সালে যোগ দেন জাতিসংঘে। এর দুই বছরের মধ্যে তার মনে হতে থাকে- যে উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে সংগঠনটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে যাওয়া ছাড়া এটার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই ৩৪ বছর বয়সে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী মহাসচিব পদে প্রার্থী হবেন। যদি তাই হয় এবং তিনি যদি এ যাত্রায় সফল হন তাহলে একসঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়বেন। একটি হলো সবচেয়ে কম বয়সে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং অন্যটি হলো প্রথম কোনো নারী মহাসচিব। অরোরা বলেন, জাতিসংঘ মানুষকে হতাশ করেছে। যাদের তার সেবা দেয়ার কথা ছিল তারা তা দেয়নি। জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো সেবা দেয়ায় তার নিজস্ব অক্ষমতা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো তা বাস্তবায়ন, যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এর ফলে জাতিসংঘের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা, আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।


রামায়ণ-মহাভারতকে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করল সৌদি আরব


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের নয়া শিক্ষানীতির অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের স্কুল পড়–য়াদের পাঠক্রমে রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনী যোগ করল সৌদি আরব। সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের নয়া শিক্ষানীতির অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাইছে সৌদি আরব। তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, জ্ঞানকে পাঠক্রমের অন্তভূক্ত করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এবার রামায়ণ-মহাভারতের পাঠও পাবে শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, আবশ্যিক করা হচ্ছে ইংরেজি ভাষাশিক্ষাও। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে যাতে পড়–য়ারা ছোট থেকেই ওয়াকিবহাল হয়, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। সূত্রের খবর, রামায়ণ-মহাভারতই নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়েও পাঠ দেওয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তার মধ্যে থাকছে যোগচর্চা, আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন শিক্ষাও। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির মতোই প্রাধান্য দেওয়া হবে ভারতের। নয়া সিলেবাসে বিভিন্ন ধর্ম নিয়েও পড়–য়াদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা হবে। হিন্দুত্ব, বৌদ্ধ ধর্ম, ধর্ম, কর্ম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হবে পড়ুয়াদের। ভবিষ্যত প্রজন্মকে আরও বেশি সর্বধর্ম সহিষ্ণু করে তুলতেই এই উদ্যোগ। পুঁথিগত শিক্ষার বাইরেও যাতে পড়–য়ারা বৃহত্তর জ্ঞান লাভ করতে পারে, তার জন্যই পাঠক্রমে পরিবর্তন, মত সেদেশের শিক্ষাবিদদের।

 



অদ্ভুত গ্রাম শিংনাপুর! ঘরে নেই দরজা, ব্যাংকে নেই তালা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের শিঙ্গাপুর নামের গ্রামটি এক বিষ্ময়ের জন্ম দিয়েছে। ভারতের প্রদেশ মহারাষ্ট্রর নাভাসা জেলার এ গ্রামটিতে মূলত শনি মন্দিরের কারণেই বেশি পরিচিত। গ্রামের নামও শনি দেবতার নামানুসারেই রাখা হয়েছে। তবে দুই শতাধিক বসতবাড়ির এই গ্রামটিতে নেই কোনো দরজা।
গ্রামটিতে দিন বা রাত যখনই হোক ২৪ ঘন্টা সব বাসিন্দাদের ঘরের দরজা খোলা থাকে। আসলে সেই গ্রামে কারোর বাড়িতেই নেই প্রবেশের দরজা। এই কারণে চাইলেও দরজা বন্ধ করার সুযোগ নেই।
এমনকি ২০১১ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংকের শাখা খোলা হয় সেখানে। ব্যাংক খোলার পরিকল্পনার সময় গ্রামবাসীর সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আলোচনার করে স্থির করে যে ব্যাংকের দরজা থাকলেও তা হবে স্বচ্ছ গ্লাসের আর থাকবে না কোনো তালা।
এই রহস্যের পিছনে আছে এক লোককথা। প্রচলিত আছে, প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামটিতে একবার প্রচন্ড বৃষ্টি ও বন্যা হয়। বন্যা শেষ হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানাশালা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয় বিশালাকৃতির কালো রঙের একটি পাথর।
এক রাখাল তার হাতের লাঠি দিয়ে পাথরটিকে স্পর্শ করতেই সেটি থেকে নাকি অঝোর ধারায় রক্ত বইতে শুরু করে। গ্রামের সকল মানুষ ভয়ে দিশেহারা হয়ে দিগবিদিক ছুটতে শুরু করে। তারপর হঠাৎ করেই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সবাই নাকি ঘুমিয়ে পড়ে।
সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল, তখন সবার স্বপ্নে দেখা দেয় শনি দেবতা। সবাইকে তিনি জানান যে, এই মূর্তি তারই প্রতিমূর্তি। যদি তারা ঠিকভাবে তার উপাসনা করে তাহলে সবার মুক্তি ও নিরাপত্তা দেবেন ঈশ্বর। নইলে এই রক্তের ধারা বন্ধ হবে না। তার উপাসনার জন্যে দুটি শর্ত জুড়ে দেন। প্রথমত, এই গ্রামের কোনো জায়গায় পবিত্র মূর্তিটিকে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রামের কেউ তাদের ঘরের দরজা কখনোই বন্ধ করতে পারবে না। সেই থেকেই এমনভাবে চলে আসছে গ্রামটিতে।


মাস্কেই মরবে জীবাণু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সারাবিশ্বকে। এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক, পিপিই, সঠিক জীবাণু মুক্তিকরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। এ অবস্থায় এমন এক মাস্ক তৈরি করলেন ভারতের একদল গবেষক যা শুধু ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশের থেকে আটকাতে সাহায্যই করে না, মাস্কের ওপর চলে আসা মারণ ভাইরাসকে মেরেও ফেলে। আনন্দবাজার পত্রিকা।
সারাবিশ্বের কাছেই এ গবেষণা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন আইআইটি মান্ডির এক দল গবেষক। সম্প্রতি আমেরিকার একটি জার্নাল ‘আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি- অ্যাপ্লায়েড মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টারফেসেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণা।
অতিমারীকে রুখতে আশা দেখাচ্ছেন আইআইটি মান্ডির গবেষক অমিত জায়সওয়ালের নেতৃত্বে সৌনক রায়, প্রবীণ কুমার এবং অনিতা সরকারের নিরন্তর পরিশ্রম।
মলিবডেনাম ডাইসালফাইড উপাদান দিয়ে একটি চুলের থেকেও কয়েকগুণ পাতলা একটি আস্তরণ তৈরি করা হয়েছে, যা মাস্কের ওপরে লাগিয়ে দিচ্ছেন গবেষকরা। এ উপাদানটিরই নাকি অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল গুণাগুণ রয়েছে। ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া এই আস্তরণের ওপর চলে এলে নিমেষে তাকে মেরে ফেলে ওই আস্তরণ। কোভিড ১৯ ভাইরাসটি ১২০ ন্যানোমিটারের। তাই এ উপাদানের সংস্পর্শে এলে কোভিড-১৯ ভাইরাসও মারা যায়।

 

বাংলাদেশি রুমা এখন মার্কিন এটর্নি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিউইয়র্ক স্টেট বার পরীক্ষায় প্রথমবারেই উত্তীর্ণ হয়ে এটর্নি এ্যাট ল’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া রুমা। ওয়েস্টার্ন নিউ ইংল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জেডি ডিগ্রি অর্জনকারি রুমা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টসহ ৩৬টি স্টেটেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। রুমা ছাড়া মাত্র ৯ জন এই যোগ্যতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্য থেকে। রুমা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে (এডভোকেটশিপ) পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। পড়াশুনা করেছেন সাকের মোহাম্মদ চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ উমরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, খুটাখালীর কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, চট্টগ্রামের এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে।
রুমা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম ও মরহুম হাজী মনজুর আলম সওদাগরের ৬ষ্ঠ সন্তান। বর্তমানে তিনি আমেরিকার নাগরিক। জান্নাতুল মাওয়া রুমার স্বামী নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। একমাত্র কন্যা, স্বামী এবং শাশুড়ির সাথে নিউইয়র্কে থাকেন রুমা।
 

করোনা প্রতিরোধক ‘জায়নামাজ’ নিয়ে এলো ইন্দোনেশিয়া!


মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক জায়নামাজ তৈরি করেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির পূর্ব জাভার ৫ পুচাং সুরাবায়া শহরের ওয়ারদাতুল উম্মাহ মোহাম্মাদিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুসলমানদের নামাজকে সহজ করতে ‘সাজানা’ নামে একটি করোনা প্রতিরোধক জায়নামাজ তৈরি করেছে।’ খবর মোহাম্মাদিয়া ডটওআর ডটআইডি (গটঐঅগগঅউওণঅঐ.ঙজ.ওউ)।
জায়নামাজগুলো ব্যবহারে নরম হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকিও রয়েছে। মূলত জায়নামাজগুলো নরম হলেও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। যা সহজেই ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসমুক্ত করতে তাৎক্ষণিক জীবাণুনাশক স্প্রে দ্বারা মুছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা যায়।
সুরাবায়া ওয়ারদাতুল উম্মাহ মোহাম্মাদিয়া স্কুলের হস্তশিল্প বিষয়ক একটি শিক্ষক জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের তৈরি নরম এ জায়নামাজগুলোর রঙ ম্লান হবে না। কারণ এটিতে নির্দিষ্ট রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল তিনি জানান, যখন জায়নামাজগুলো জীবাণূমুক্ত করার জন্য স্প্রে করা হবে তখন এগুলোর রঙ নষ্ট হবে না।
জায়নামাজগুলো ব্যবহার উপযোগী ও আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চিত্রের ডিজাইন করেছে। বিভিন্ন ডিজাইনের এ জায়নামাজগুলো প্রস্থে ৬০ সেন্টমিটার এবং লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটার।
এছাড়া ‘সাজানা’ জায়নামাজগুলোর নিচে ডান দিকে লেখা আছে
-নামাজের পরে স্প্রে/জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন (সেসুদা শোলাত সেম্প্রোট / ডিলাপ ডিসিনফেক্টান)।
-মাস্ক বা মুখোশ পরিধান করুন (আইও পাকাই মাস্কার)।
-সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করুন (কচি টাঙ্গান পাকাই সবুন দান)।
-সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন (জাগা জারক সোসিয়াল)।
স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ‘সাজানা’ জায়নামাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজারজাত করবে। রমজান মাসে এবং আগামী ঈদুল ফিতরে এটি বিক্রয়যোগ্য হবে বলেও জানানো হয়।
জায়নামাজ ‘সাজানা’ তৈরির মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আশা করছে, তারা মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল অর্থনৈতিক কর্ম পরিকল্পনার অংশ।
 

মাত্র ১ ইউরোতে বাড়ি মিলছে ইতালিতে!
 

মহামারি করোনাভাইরাস দিন দিন সংক্রমণের ধরন বদলিয়ে আগের থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। দেশে দেশে কোয়ারেন্টাইন রুলে পরিবর্তন হচ্ছে। তবে ইতালিতে একটি জিনিস আগের মতোই রয়েছে।
সেটি হচ্ছে এক কাপ কফির দামে গোটা একটি বাড়ি মিলছে দেশটিতে। দেশটির ক্যাস্টিগলিওনি ডি সিসিলিয়া শহরে কর্তৃপক্ষ মাত্র এক ইউরোতে বাড়ি বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন। যা বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১০২ টাকা। তবুও ক্রেতাদের সাড়া মিলছে না তেমন একটা।
ইতালির ইটনা পর্বতের ঢালে অনিন্দ্যসুন্দর এই শহরে এ ধরনের ৯০০ পরিত্যক্ত বাড়ি আছে যেগুলো পানির দরে বিক্রি করে শহরটিকে ফের জমজমাট করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
শহরের মেয়র এন্টোনিও কামারডা বলেন, আগে শহরটির লোকসংখ্যা ১৪ থেকে ১৫ হাজার ছিল। কিন্তু কমতে কমতে এখন ৩ হাজারে এসে ঠেকেছে। তাই লোকসংখ্যা বাড়ানোর জন্য এই প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন উঠতে পারে এত সুন্দর লোকেশনে অবস্থিত বাড়িগুলো কেন ছেড়ে চলে গেছে এর পূর্বের মালিকরা। আসল বিষয় হলো পর্যটকদের বেড়ানোর জন্য এ ধরনের স্থান আকর্ষণীয় হলেও দীর্ঘমেয়াদে এখানে থাকা আসলেই কষ্টকর। কারণ জমানো অর্থ এখানে এনে খরচ করতে থাকলে তা একদিন শেষ হবেই।
এই এলাকাতে ভালো কোনো উপার্জনের ব্যবস্থা নেই। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটানা অনেকদিন এখানে থাকতে চায় না কেউ। অনেকে বাড়ি বিক্রি করে আবার অনেকে স্রেফ ফেলে রেখে চলে গেছে যেসব শহরে লোকজন বেশি আছে এবং ভালো উপার্জনের ব্যবস্থা আছে।
এখানে যেসব বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে সেগুলোই ১ ইউরোতে দেয়া হচ্ছে। এগুলো সংস্কার করতে এর ক্রেতাকে আরও অনেক অর্থ খরচ করতে হবে। তাই আগ্রহ দেখাচ্ছে না বেশিরভাগ লোক। সূত্র: সিএনএন।
 

‘নিজের শয়তানি কর্মকাণ্ডই ইসরায়েলের ধ্বংস ডেকে আনবে’


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অপকর্মগুলো তাদের জন্যই উল্টো ফল বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। গতকাল সোমবার লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা যদি তাদের অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যেতে থাকে তবে তারা অতীতের চেয়ে দ্রুতগতিতে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনবে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ধ্বংসের সবগুলো উপাদান প্রায় প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আইআরজিসি’র কমান্ডার আরও বলেন, ইসরায়েলের যেকোনো শয়তানি কর্মকাণ্ডের সমান অথবা তার চেয়ে শক্তিশালী জবাব দেবে ইরান। ইহুদিবাদী ইসরায়েল এ অঞ্চলে যেসব দুষ্কর্ম করছে অদূর ভবিষ্যতে এগুলো তাদের জন্যই প্রকৃত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
 

জাপানে বিড়ালের দ্বীপ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাপানের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল তাদের সমাজের অংশ হিসেবে তৈরি করা বিখ্যাত “নেকো-শিমা”গুলো। নেকো-শিমা শব্দের বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘বিড়ালের দ্বীপ’। দ্বীপে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে কেবল বিড়াল আর বিড়ালের পরিবার।
জাপানের সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত বিড়ালের দ্বীপ হলো ‘আওশিমা’। তবে এছাড়াও তার পরেও জাপানের উপকূলজুড়ে বেশ কয়েকটি বিড়ালের দ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি কিছু নোনা পানির হ্রদের ভেতরে গড়ে ওঠা দ্বীপও ‘নেকো-শিমা’ হিসেবে জায়গা পেয়েছে।
বিড়ালদের জন্য সুবিখ্যাত জাপানের দ্বিতীয় বৃহৎ দ্বীপটির নাম তাশিরো-জিমা। তবে ধীরে ধীরে বিড়ালের দ্বীপ বা নেকো-শিমাগুলো পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণে পরিণত হওয়ায় জাপানে নতুন নতুন আরো অনেক দ্বীপ বিড়ালের জন্যে গড়ে উঠছে।
জানা গেছে যে এই মুহূর্তে ১১টি বিড়ালের দ্বীপ রয়েছে জাপানে। এগুলো হলো: ওকিশিমা, জেনকাইশিমা, তাশিরো-জিমা, সানাগিশিমা, আওশিমা, আইওয়াইশিমা, মুজুকিজিমা, মানাবেশিমা, আইজিমা, আইশিমা, কাদারাশিমা। এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে এইসব দ্বীপে মানুষের বিপরীতে বিড়ালের অনুপাত কত? এই সংখ্যাটা একেক নেকো-শিমায় একেক রকম পাওয়া গিয়েছে।
 

৪০ বছর না খেয়ে বাঁচে যে প্রাণী!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জার্মান প্রাণীবিজ্ঞানী জোহান ১৭৭৩ সালে প্রথম এই প্রাণীটির খোঁজ পান। বিশেষ এই প্রাণীটির নাম হচ্ছে টারডিগ্রেড। জানা গেছে, এটি প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া না করেই বাঁচতে পারে। খাবার না খেয়ে এতো লম্বা সময় বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের বলা হয়ে থাকে “ক্রিপ্টোবায়োসিস”।
বলা হয়ে থাকে, এই প্রক্রিয়ায় এই প্রাণীটি নিজের শরীরের সব মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় ও এর ফলে জলের পরিমাণ একদম কমে গিয়ে তার নিজের শরীর সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে যায়। প্রাণীটির এই সহ্য ক্ষমতা সত্যিই অবাক করেছে সবাইকে। এর আকার মাত্র শূণ্য দশমিক ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১ মি.লি. মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এই প্রাণীর রয়েছে ছোট ছোট আটটি পা এবং নিজস্ব এক পাচনতন্ত্র। ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান অয়মিয়াকনে বাস করতেও সমস্যা হয় না। শীতকালে অয়মিয়াকনের তাপমাত্রা নেমে যায় প্রায় -৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সেখানে তারা কোনো বাধা ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।

 


বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট পরিচয়পত্র


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল সনদ ও ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এসব আইডি কার্ড তৈরিতে সক্ষম প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র আহ্বান করে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করেছে। তারা সবাই এসব কার্ড পাবেন। সব মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রকৃত সংখ্যা হতে পারে ১ লাখ ৭০ হাজার- এমন তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতেই ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ কাজ আমরা শেষ করতে পারব।
 

মিয়ানমারে ফের আটক জাপানি সাংবাদিক ইয়ুকি কিতাজুমি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারে ইয়ুকি কিতাজুমি (৪৫) নামে জাপানের এক সাংবাদিককে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
গত রবিবার রাতে ইয়াঙ্গুনে নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় টোকিও-ভিত্তিক নিক্কেই বিজনেস ডেইলির সাবেক এই প্রতিবেদককে। এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাপানি ওই ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
 

মিয়ানমার ইস্যুতে আসিয়ান সম্মেলন


সহিংসতা বন্ধ করে মিয়ানমারে চলমান সংকটের ইতি টানার ব্যাপারে একমত হয়েছেন আসিয়ান নেতারা। সহিংসতা বন্ধে জোটের নেতাদের ঐকমত্যে সায় দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংও। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের জোট আসিয়ানের সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনি ইয়াসিন। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গতকাল এই সম্মেলন হয়। অভ্যুত্থানের পর জান্তাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথম বিদেশ সফর করেন মিন অং হ্লাইং। সম্মেলনপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার সরকারপ্রধান ইয়াসিন জোট নেতাদের ঐকমত্যের ব্যাপারে বলেন, ‘এটা আমাদের প্রত্যাশার অতীত।’ সম্মেলনে যোগ দেওয়া মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান হ্লাইংয়ের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ না করতে। কারণ সহিংসতার জন্য কে দায়ী সেটা বড় কথা নয়। সহিংসতা যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, আমরা কেবল সেটার ওপর জোর দিয়েছি। তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অপর পক্ষ সহিংসতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে তিনিও একমত হয়েছেন। আমরা যেসব প্রস্তাব সামনে এনেছি, সেগুলো তিনি বাতিল করে দেননি।’
মিয়ানমার ইস্যুতে পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। জোটের নেতৃত্বে থাকা ব্র“নাইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এগুলো হচ্ছে সহিংসতা বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণে গঠনমূলক আলোচনা করা, আলোচনার আয়োজনে সহায়তা করতে আসিয়ানের বিশেষ দূত নিয়োজিত করা, মানবিক সহায়তা গ্রহণে মিয়ানমারের সম্মতি দেওয়া এবং আসিয়ান দূতের মিয়ানমার সফর করা। এই পাঁচ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেল হ্লাইংয়ের জবাব সম্পর্কে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইয়াসিন বলেন, ‘তিনি বলেছেন, তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। এসব প্রস্তাব তিনি বিবেচনায় নিবেন। এগুলোকে তিনি সহায়ক বলে মনে করেন।’


করোনা পজিটিভ বরকেই পিপিই পরে হাসপাতালেই বিয়ে করলেন কনে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের দিনটি ঘিরে সব নারীরই অন্যরকম স্বপ্ন থাকে। যে যার সাধ্য অনুযায়ী বিশেষ এই দিনটিতে ব্যতিক্রমী সাজ-পোশাকের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিয়ের আগে বরের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় পিপিই পরেই হাসপাতালে বিয়ে সারতে হয়েছে এক কনেকে। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যে।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কেরালার আলাপ্পুঝার কাইনাকারির বাসিন্দা ওই বরের নাম শরথ মন (২৮) আর কনের নাম পাথেক্কানারইয়াদের আভিরামি (২০)। দু’জনের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন শরথ এবং তার মা। এরপরই তাদেরকে আলাপ্পুঝার মেডিকেল কলেজের কভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না দুই পরিবারের। পরবর্তীতে দুই পরিবার মিলে ঠিক করে নির্ধারিত দিনেই বিয়ে সম্পন্ন হবে। বিষয়টি জেলাশাসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে বিয়ের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। অনুমতি পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনেই হাসপাতালের কভিড ওয়ার্ডে আভিরামিকে বিয়ে করেন শরথ। তবে বিয়ের জমকালো কোনো শাড়ি বা সাজ পোশাক নয়, পিপিই পরে বিয়ের কাজটি সারেন তিনি। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই বিয়ের একাধিক ছবি। সেখানে দেখা গেছে, পিপিই কিট পরে বিয়ে করতে এসেছেন আভিরামি। অন্যদিকে, শরথের পরনে নীল জামা এবং প্যান্ট দেখা গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং পরিবারের অল্প কয়েকজন সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়েটা সম্পন্ন হয়। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বিয়ের সেই ছবি। অনেকেই নবদম্পতিকে আশীর্বাদও জানিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে গত বছরও এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছিল।
বর্তমানে তার ছেলে বিট্টুর (ছদ্মনাম) বয়স ১২ বছর। বিট্টু তার পালক পিতার কাছে বড় হচ্ছে। বিট্টু ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের কাছে তার মায়ের প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে আবেদন করবে বলে জানানো হয়েছে।
 

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, চিকিৎসক আটক

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

'যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল চেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মো. মহসিন নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রী সানজিদার দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসককে আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
২৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে নগরের দক্ষিণ শুলকবহর এলাকার মোজাম্মেল ম্যানশন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার চিকিৎসকের স্ত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডা. মো. মহসিন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, বছরখানেক আগে পারিবারিকভাবে সানজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ডা. মো. মহসিনের। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় সানজিদার ওপর নির্যাতন চালাতো স্বামী। সর্বশেষ মোটরসাইকেল দাবি করে আবারও নির্যাতন করলে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, যৌতুকের জন্য একাধিকবার চিকিৎসক স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়। যেহেতু এটি একটি পারিবারিক বিষয়, তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

কন্যাশিশুর ওপর যৌন হয়রানি বেড়েছে
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালে ৩০ শতাংশ শিশু অনলাইনে নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর নিপীড়নের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ কন্যাশিশু এবং ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছেলে শিশু। ‘শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইনে যৌন শোষণের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি ও পরিস্থিতি যাচাই এবং প্রবণতা বিশ্লেষণ’ বিষয়ক এক গবেষণা পরিচালনা করে এ তথ্য জানা যায়। কভিড-পরবর্তী জরিপ পরিচালনায় দেখা গেছে, নিপীড়ন বা নির্যাতনের শতকরা হার প্রায় চার গুণ বেড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ শিশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। ৮৮ শতাংশ শিশু করোনাকালে অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনলাইনে শিশু নিপীড়নের ধরন সম্পর্কে বলা হয়, শিশুদের ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন, অশালীন প্রস্তাব, সাইবার বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিং, পর্নোগ্রাফি এবং কোনো না কোনোভাবে যৌনতাবিষয়ক ছবি ও তথ্য উল্লেখযোগ্য। ১০৮ জন শিশুকে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়। জরিপে এসেছে, ৫৪ শতাংশ শিশুর নিজস্ব ডিভাইস (মুঠোফোন, কম্পিউটার, ট্যাব) আছে। ১০০ শতাংশ শিশুই মেসেঞ্জার ব্যবহার করে। ৩৮ শতাংশ শিশু ইমো ও ১৬ শতাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। অন্তত ৯৪ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, করোনাকাল কোনো না কোনোভাবে তাদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। অনলাইনে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার শিশুদের ৪১ শতাংশ পরবর্তীকালে তাদের অভিভাবক ও স্বজনদের বিষয়টি জানিয়েছে। তার মধ্যে ৬ শতাংশ শিশুর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়ক ওম্বিকা রায় বলেন, দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ পাস হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই আইনে অনলাইনে শিশুদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বিষয়টিকে চিহ্নিত করে আলাদা কোনো বিধান রাখা হয়নি, যার কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে।


বাল্যবিয়ে দেওয়ায় দু'জনের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হরিণাকুণ্ডুতে নবম শ্রেণিপড়ূয়া এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে দু'জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকেলে উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিলাত আলী মণ্ডলের
ছেলে কনের গ্রাম সম্পর্কীয় দাদা গোলাপ আলী (৬৫) এবং চাচা সামসুদ্দিন ম ল (৪৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, বিকেলে পোলতাডাঙ্গা গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার পর অনুষ্ঠান চলছে এমন খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কনের বাবা-মাসহ বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে কনে পক্ষের দু'জনকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার নিরসন হোক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনকে কলঙ্কিত করেছে যৌতুক প্রথা। যৌতুক প্রথা সমাজে এখন এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে যৌতুক ছাড়া বিয়ের কল্পনা করাও বৃথা। সমাজ একে গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই কন্যাদায়গ্রস্ত গরিব মা-বাবাকে যৌতুকের করাল গ্রাসের নির্মম পরিণতির কথা ভেবে মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। একটা সময় এ প্রথা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব জায়গায় ছড়িয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবার মধ্যেই ছড়িয়েছে। এমনকি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিটি মানুষের ভিতরে লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে আসছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়তই যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতন, নারী হত্যা, আত্মহত্যা ও তালাকের মতো সংবাদ ছাপা হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

মাদক মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নগরের চকবাজার থানায় র‌্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) (সাময়িক বরখাস্ত) গোলাম মোস্তফাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৩ ফেব্র“য়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এএসআই গোলাম মোস্তফা নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান সিকদার বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরের ওয়াসা মোড়ের হক লাইব্রেরির সামনে থেকে ২ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন রাঙ্গুনীয়া থানার কনস্টেবল মোশররফ হোসেন। পরদিন নগরের চকবাজার থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।
গত ১২ জানুয়ারি কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও এএসআই গোলাম মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাঈনুর রহমান।
গোলাম মোস্তফা কয়েকমাস পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন নিয়ে কর্মস্থল নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনে হাজির হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এএসআই গোলাম মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

কাশিমপুর কারাগারে মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-এ মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত বন্দি হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার শিবলা মানিহারকান্তা এলাকার মো. রহম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৯)।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার রীতেশ চাকমা জানান, দুপুরে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে হাবিবুর রহমান। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে ফের কারাগারে আনা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আবারো তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করে। তার কয়েদী নং-৯৫৩৫/এ ছিল।
হাবিবুর রহমান মোবাইল কোর্টের মামলায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। গত ৩০ জানুয়ারি থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কুমিল্লায় সেনাসদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুর রহমান (৩০) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া ইস্কান্দর বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া ওরফে জনি, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল মিয়া ও হবিগঞ্জের প্রদীপ দাস। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা আলী আক্কাছ।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর চলন্ত ট্রেনে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের নির্মম ছুরিকাঘাতে বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগ্যনাল ব্যাটেলিয়ান সদস্য আবদুর রহমান (৩০) নিহত হন। ওইদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইনের মাঝখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত ওই সেনা সদস্যের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে পরদিন লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

চাঁদাবাজির কারণে ৬ পুলিশ কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আনোয়ারা উপজেলায় এক ব্যক্তির কাছে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ০৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ছয়জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজির করা আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আনোয়ারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে ছয় জনের বিষয়ে জানতে পারে। তখন আমরা দামপাড়া থেকে ছয়জনকে আটক করে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

 

কিশোরগঞ্জ কারাগারে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এ আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই (২৭) নামে এক হাজতি আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (গতরাত) গভীর রাতে।
নিহত আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। মাদক মামলায় তিনি হাজতি আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। কারাগারসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতরাতে কারাগারের অভ্যন্তরে আব্দুল হাইয়ের সাথে ঝগড়া হয় অপর হাজতি আসামি সাইদুর মিয়ার। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সাইদুর মিয়া বাথরুম থেকে কাঠ এনে আব্দুল হাইকে বেদম পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অপর এক হাজতি আসামি জাহাঙ্গীর আহত হন। তিনি নিকলী উপজেলার নয়াহাটি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। সাইদুর মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার কালনা মাইজপাড়া গ্রামে।

 

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের দুই এএসআই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ। সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন কীভাবে?

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।
কিডনির সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ:
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন,...
-বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
-শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।
-শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
-অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
-রক্তবর্ণের প্রসাব।
-বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।


ডায়াবেটিস কমায় ধনেপাতা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধনেপাতা বেশির ভাগ মানুষের কাছেই প্রিয় একটি মসলা। চাটনি থেকে শুরু করে তরকারি, সব কিছুতে যেমন স্বাদ বাড়ায়, তেমনই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধনেপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের মোক্ষম দাওয়াই।
ফ্লোরিডা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ধনেপাতা কিংবা বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধনেপাতা বীজের মধ্যে থাকে ইথানল, যা ব্লাড সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ধনেপাতা হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন?
রেসিপি ১: ফ্রাইয়িং প্যানে এক চা চামচ ধনে বীজ এবং অর্ধেক চা চামচ জিরা মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। তার মধ্যেই এক চা চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। এরপর তা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে সারারাত রেখে, তারপর খেতে পারেন।
রেসিপি ২: প্রথমেই একটি পাত্রে এক চা চামচ ছোলার ডাল, ৩টি শুকনো মরিচ, ৩ চা চামচ ধনে বীজ গরম করে নিন। তারপর সেটা সরিয়ে পিঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবারে মিশ্রণটা ঠান্ডা হওয়ার পর, একটি ব্লেন্ডারে ধনে গুঁড়োর সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে এক চা চামচ গুড় এবং এক চা চামচ তেঁতুল মিশিয়ে নিন। পানি এবং লবণ দিয়ে চাটনি তৈরি করে নিন। আরও একটি পাত্রে তেল গরম করে সামান্য সরিষা বীজ এবং কারিপাতা ভেজে নিন। এরপর চাটনির উপর দিয়ে সাজিয়ে নিন।
রেসিপি ৩: একটি প্যানে এক চা চামচ ঘি গরম করে নিন। তাতে ধনে গুড়ো দিয়ে ভাল করে ফ্রাই করুন। এর মধ্যে সামান্য মাখনও দিতে পারেন। তারপর কয়েক টুকরো কাজু এবং আমন্ড ছোট ছোট টুকরো করে গুড়ো করে নিন। এরপর এই মিশ্রণের মধ্যে গ্রেটেড নারিকেল, ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে পাঞ্জিরি তৈরি করতে পারেন। এই তিনরকমের রেসিপির যেকোনও একটি ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


দাঁত ব্যথা দূর করে লবঙ্গ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবঙ্গ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখন বৃদ্ধি করা একান্তই প্রয়োজন। তাই লবঙ্গ খেলেই মিলবে উপকার।
নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হজম শক্তি বাড়বে দ্রুত। কারণ, এটি পাচক রসের ক্ষরণ ঘটিয়ে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
যাদের মুখে গন্ধের সমস্যা আছে, দাঁতে ব্যথা হয়, তারাও লবঙ্গ খেতে পারেন নিয়মিত। তাতে এই সমস্যা দূর হবে।
শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে অনেক সময় এটি সাহায্য করে। যাদের সুগারের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।
চিকিৎসকরা বলেন, যাদের হাড় দুর্বল তাদের জন্য লবঙ্গ বিশেষ উপকারী। লবঙ্গের সাহায্যে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড়ের সংযোগ বা জয়েন্টও শক্তিশালী হয়।


যে ৬টি খাবার হাড়ের জন্য খুব উপকারী


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আমাদের দেহে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার। এছাড়া আরও অনেক ধরনের উপাদানই আমাদের দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম।
কেননা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সেটি হল দেহের হাড় মজবুত করে থাকে। আসুন এমনই কিছু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জেনে নিই যেগুলো আমাদের দেহের হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
১. দুধ: দুধ সর্বোৎকৃষ্ট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই না এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও একটি প্রয়োজনীয় খাবার। এটি এমনই একটি খাবার যা দেহে খুব সহজেই জারিত এবং শোষিত হয়ে থাকে যার ফলে শারীরিক বৃদ্ধি এবং হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
২. দই: এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে কিছু স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এতে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করে থাকে।
৩. মটরশুটি: মটরশুটিতেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুল হাড় মজবুত করে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য আপনি বিভিন্ন জাতের মটরশুটি খেতে পারেন।
৪. সবুজ শাক সবজি: বিভিন্ন প্রকারের সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যেমন ধরুন বিভিন্ন শাক, শালগম, বাধাকপি, লেটুস পাতা, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুলো হাড় গঠনে সহায়তা করে
৫. বিভিন্ন ঔষধি এবং মসলা: বিভিন্ন ধরনের ঔষধি অর্থাৎ তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, দারুচিনি এবং মসলা জাতীয় খাবার যেমন রসুন ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন হাড় মজবুত করে থাকে।
৬. কমলা : সাইট্রাস জাতীয় ফল কমলাতে শুধু ক্যালসিয়ামই নয় ভিটামিন ডি আছে যেগুলো শরীরের হাড় মজবুত করে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময়ে এক গ্লাস কমলার জুস খেতে পারেন এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে এবং হাড় মজবুত করবে।
দাঁত দেিয় নখ কাটার বদভ্যাস, কনে এমন হয়?
প্রতিদিন আপনার চারপাশে এমন অনকেকইে দখেতে পান, যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। নখ হাতে না থাকলেও দেখা যায়, হঠাৎ করইে নখরে চামড়া কাটছনে দাঁত দিয়ে। অনেকে এটিকে বদভ্যাস বললেও চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় 'ওনিকোফেজিয়া' । ছোটবেলা থেেক এই বদভ্যাস অনেকে পরেও ছাড়তে পারেন না। কিন্তু কেন এমন হয়? এর কারণ জানিয়েছেন চিকিসিকরা।
চিকিৎসকদের মতে, বিশেষত কয়েকটি কারণের জন্য সাধারণ মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। বিরক্তিভাব, একঘেয়েমিভাব বা চঞ্চল স্বভাবের জন্য অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। কোনও কাজ প্রচন্ড মনোযোগে করলেও নিজের অজান্তেই নখ চলে যায় দাঁতের কাছে। আবার অনেকে উদ্বেগ কাটাতে নখ দিয়ে দাঁত কেটে থাকেন। আবার এই ধরনের অভ্যাস অনেক সময় মানসিক রোগের লক্ষণও হতে পারে। এডিএইচডি, ওসিডি, ডিপ্রেসিভ ডিসওর্ডারের মত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে মত চিকিৎসকদের।
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থেকে থাকলে তা শীঘ্রই বন্ধ করার পরার্মশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ র্দীঘ সময় ধরে নখ দাঁত দিয়ে কাটতে থাকলে শুধু নখের গঠন নষ্ট হয়না, হতে পারে ফাংগাল ইনফেকশনও। এমনকী পেটের মধ্যে নখের কণা গিয়ে নানারকম সমস্যা তৈরি করতে পারে। নখ কাটার বদঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার বেশ কয়েকটি সহজ উপায়ের কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। দেখে নিন একনজরে-
নখ বাড়লে তা দাঁত দিয়ে না কেটে নেল কাটার দিয়ে সুন্দর করে কাটুন। অথবা বিউটি পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর করান। যদি আপনি নখের পিছনে টাকা খরচ করেন তাহলে তা দাঁত দিয়ে কেটে নষ্ট করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে। নেইল পলিশ ব্যবহারে দিক নজর দেওয়া উচিত। কারণ নেইল পলিশ থাকলে যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন অদ্ভুদ স্বাদ মুখে আসবে। স্বভাবতই মুখ থেকে হাত এমনিই সরে যাবে। মনকে সচতেন করুন। একদিনে নয়, এটা সম্পূর্ণ অভ্যাসের ব্যাপার। যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন, নিজেকেই নিজে শাসন করুন। দেখবেন এই বদঅভ্যাস খুব সহজে ছড়ে যাবে আপনাকে। আর সবশেষে ধৈর্য রাখুন। ভাল হোক বা খারাপ, অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তাই সময় দিন নিজেকেও। শরীর সুস্থ রাখতে যতœ রাখুন নিজের।


মাছি থেকে খাবারে বিষক্রিয়া, তাড়াতে কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘর হয়তো আপনার মনের মতো। সব সময় পরিষ্কারও রাখেন। তবে মাছির উৎপাত লেগেই আছে। রান্নাঘরে অনেক কিছুই আপনাকে রান্না করে রাখতে হয়। কিন্তু রান্না করা গরম খাবারের মধ্যে যদি মাছি পড়ে তবে কিন্তু সর্বনাশ। খাবারের চারপাশে যদি দেখেন মাছি ভনভন করছে, তবে কিন্তু মুশকিলের ব্যাপার। মাছি ভনভন করে ঘুরে মুহূর্তের অস্বাস্থ্যকর ও খাবারও বিষাক্ত ছাড়াবে। গবেষকরা বলছেন, ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তাই মাছি যদি খাবারে বসে তবে পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঘরের মাছি তাড়ানো জরুরি।
আসুন জেনে নেই মাছি তাড়াতে কী করবেন?
১.মাছি তাড়তে রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে।
২. রান্নাঘরের কোণগুলোতে ভিনিগার স্প্রে করতে পারেন। ভিনিগার মাছির যম। ২. ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে ক দিন স্প্রে করুন রান্নাঘরে।
৩. রান্নাঘরের জানালায় দু'টুকরো দারুচিনি রাখুন।
৪. রান্নাঘরে লবঙ্গ ছড়িয়ে রাখন। ৫. প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালাতে পারেন। ভালো ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন। কোনোভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। খাবার ঢেকে রাখুন।

 


উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় বাঁচে করোনাভাইরাস


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে নতুন করোনাভাইরাস। তাপ প্রায় ফুটন্ত অবস্থার কাছাকাছি নিলেই কেবল এই ভাইরাস ধ্বংস হয়। ফ্রান্সের একদল গবেষকের পরীক্ষায় এমন ফল পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের এইক্স-মার্সাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে করোনার স্যাম্পলকে তাপ দেওয়ার পরও এর কিছু অংশকে সক্রিয় দেখতে পেয়েছেন তারা। ভাইরাসকে সেদ্ধ করার পর্যায়ের তাপমাত্রা প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এর যা ফল এসেছে তাতে ল্যাবের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার এক ধরনের বানরের কিডনি কোষ এবং জার্মানির একজন রোগীকে ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। ‘পরিষ্কার’ এবং ‘নোংরা’ পরিবেশে রাখা হয় সংগ্রহ করা ভাইরাসের স্যাম্পলকে। তাপ প্রয়োগের পর দেখা যায়- পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও সক্রিয় থাকে নোংরা পরিবেশের ভাইরাস। মর্নিং পোস্ট বলছে, ল্যাবে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্য ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। আরও তাপ প্রয়োগ করাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে ফ্রান্সের গবেষক দল জানিয়েছে। তারা বলছেন, ১৫ মিনিট ধরে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা করোনার স্যাম্পলের ওপর প্রয়োগ করা হলে এটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে পানি ফুটে যায় বা বাষ্পীভূত হয়। গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, পরিবেশ বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে করোনাভাইরাস। এই জটিলতা সমাধানের পথ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।

 

টাক কেন শুধু পুরুষের মাথায়ই হয়!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়, ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে। অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা, মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


যৌতুক গ্রহণ ও মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছরের জেল

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদানের পাশাপাশি এক্ষেত্রে সহায়তা করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ উত্থাপিতা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যৌতুকের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করলেও ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিল অনুযায়ী বিয়ের সময় বা তার আগে ও পরে যৌতুক দেয়া নিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিত করে নতুন করে এই বিলটি আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। আর বিলের চার ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক গ্রহণ করলে বা প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের পাঁচ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তিনিও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা মামলার জন্য কোন শাস্তির বিধান ছিল না।
বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। এই যৌতুক প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত বিল প্রণীত হয়েছে। অপরাধ বিচার আপীল ও তদন্তে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।
 

জুয়া খেলা: আইন কী বলে?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
প্রকাশ্য জুয়া আইন। ১৮৬৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনাধীন এলাকায় প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি এবং সাধারণ ক্রীড়াভবনের ব্যবস্থা করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ আইন থাকা স্বত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো সিলগালা ও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধেই ‘জুয়া খেলার’ অপরাধে মামলা হয়নি। সব মামলা হয়েছে মাদক, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে ‘ক্যাসিনো’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো কার্যকারিতাও নেই। তবে, ৭২’-এর সংবিধানে জুয়া নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন কার্যকরী ও কঠোর আইন। এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়ার যুক্তিকতা প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারী ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়া কোনো মতেই সঠিক হবে না। লাইসেন্স দেয়া হলে এটি হবে সংবিধান বিরোধী। জুয়া বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলটি নিষ্পতি করতে এটর্নী জেনারেল অফিসের উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.