BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover June 2021

English Part June 2021

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 



শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা সুনাম বয়ে আনছেন : প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২৯ মে ২০২১ সকালে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্বে বাংলাদেশের এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি দেশে কর্মরত শান্তিরক্ষী সদস্যদের সঙ্গে এ সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আপনারা যাচ্ছেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। আপনাদের এই মানবিক গুণের জন্যই আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী নেওয়ার চাহিদাটা জাতিসংঘের সবসময়ই একটু বেশি।’ এর আগে গত ২৭ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশের আট শান্তিরক্ষীসহ বিশ্বের ৪৪ দেশের ১২৯ জনকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক’ দিয়ে সম্মান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৭ মে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৯ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করে জাতিসংঘ। এর মধ্যে বাংলাদেশের আটজন শান্তিরক্ষী রয়েছেন, যা একক দেশ হিসেবে সর্বাধিক। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশসহ ৪৪ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন। এই পদক বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত জীবনের শক্তি, বিশুদ্ধতা ও নশ্বরতাকেই বার বার স্মরণ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশের আট শান্তিরক্ষী হলেন, মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল মো. হালিম; কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স করপোরাল মো. সাইফুল ইসলাম; সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স করপোরাল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস্ মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন।
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 মে ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১১৬৯ জন

মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৪০ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায়, মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৪০ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১১৬৯ জন। মে ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ৩৮ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায় করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে মে ২০২১ মাসে মৃত্যু ১১৬৯ জন।
২০২১ সালের মে মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২৪০ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৮ জন, পারিবারিক সহিংসতা ১২ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২ জন, অপহরণ হত্যা ২ জন, গুপ্ত হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৯ জন, ধর্ষণ হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৭২ জন, আত্মহত্যা ৪ জন।
মে ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১৭ জন, যৌতুক নির্যাতন ১ জন।

 

 

 মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

আমাদের দেশে ও বহির্বিশ্বে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রতি মূহুর্তেই কোথাও না কোথাও মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে তার প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসাবে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যদিও সবক্ষেত্রে এককভাবে সর্বত্র এসব অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদের পাশাপাশি সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইআরসি) এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভা ও মানবাধিকার সম্মেলনে ১ জুন ২০২১ইং প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট জাকারিয়া হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্ণর মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি), নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ নাজমুল হোসেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শাহজাহান শামীম।
আলোচনা পর্বের প্রারম্ভে জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, বন্দর ও রূপগঞ্জ থানা, উপজেলা ও আঞ্চলিক শাখার মানবতাবাদী প্রতিনিধিগণ তাদের বিভিন্ন মানবাধিকার কার্যক্রমের তথ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রূপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন মাস্টার, নির্বাহী সভাপতি মীর মাজহারুল ইসলাম আজহার, রূপগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডঃ মোঃ আঃ আউয়াল মোল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি শহীদুল আলম বুলবুল, বন্দর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মুজাহিদ সরকার জনি, বন্দর উপজেলা মহিলা শাখার সভাপতি নাজমা আক্তার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আল আমিন মির্জা।
সম্মেলনে নব গঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ২০২১-২০২৩ সেশনের জন্য ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটির মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ বিএইচআরসি-র শপথ বাক্য পাঠ করেন এবং অতিথিবৃন্দের কাছ থেকে আইডি কার্ড, কোট পিন ও ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।
বিএইচআরসি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্যবৃন্দ হলেনঃ সভাপতি এডভোকেট জাকারিয়া হাবিব; নির্বাহী সভাপতি মোঃ সাহাদাৎ হোসেন; সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি), মোঃ সুমন মিয়া, মোহাম্মদ মনির হোসনে, মোঃ মুজাহিদ সরকার জনি, কাজী শামীম, মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ আল আমিন মির্জা; সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ নাজমুল হোসেন; যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ভূঁইয়া, ডাঃ মীর মোঃ মাজহারুল ইসলাম আজহার, লুৎফুন নাহার, নাজমা আক্তার ও বিউটি বেগম; অর্থ সম্পাদক মোহসিনা রহমান মিশু; যুগ্ম অর্থ সম্পাদক তাহমিনা হোসেন; সাংগঠনিক সম্পাদক নোয়াব রাসেল; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারহানা সুলতানা; আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নাসরিন আক্তার প্রধান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক এডভোকেট ধনঞ্জয় গুহ (জয়); আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ রোকন শেখ; দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম সোহেল; সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহজাহান শামীম; মহিলা সম্পাদক হাফিজা আহমেদ; সহ মহিলা সম্পাদক সোনিয়া আজাদ এবং নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক, কিসমত সুলতানা, ইমরান হোসেন, সালমা আক্তার স্বর্ণালী, মোহাম্মদ পারভেজ, মোঃ মেহেদী সাজ্জাদ, অমিত সরকার, মোঃ রেজাউল করিম, নাসরিন আক্তার, সাবিয়া সুলতানা হিমা ও সাহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা-র উপস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি) ও তাহমিনা হোসেন। সম্মেলনের সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন মোহসিনা রহমান মিশু, মোঃ রোকন শেখ, সালমা আক্তার স্বর্ণালী ও মোহাম্মদ পারভেজ। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অবস্থিত ক্রাউন বাফেট রেস্টুরেন্টে প্রায় একশত মানবাধিকার কর্মী এ সম্মেলনে যোগদান করেন।
 

  
টানা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে তৃতীয়বারের মতো ৫ মে ২০২১ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্য মঞ্চে নয়, রাজ্যের রাজভবনের থ্রোন রুমে।
করোনা বাড়বাড়ন্তের কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অনাড়ম্বরহীন ও সংক্ষিপ্ত।
৫ মে সকাল ১০টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের মতোই পশ্চিম দিকের গেট দিয়েই রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর স্থানীয় সময় পৌনে ১১টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই মিনিটের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকাড়। প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন প্রবীণতম সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০-২৫ জনের মতো। আড়ম্বড়হীন হলেও অনুষ্ঠানের একাধিক বিরোধীদলীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনেকেই ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। এছাড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গতবারের বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মমতার ভাইপো ও দলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন এবারের ভোট পরিচালক প্রশান্ত কিশোর, দলের নেতা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা সংসদ সদস্য দেব, শতাব্দী প্রমুখ। নবনির্বাচিত বিধায়করা ৬ ও ৭ মে শপথ নেন। রাজ্যের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হয় ৯ মে রাজভবনে।
আধঘণ্টার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ করে সাড়ে ১১টায় তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নবান্নে ঢুকবেন মমতা। তার অপেক্ষায় ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে। এখানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড। গার্ড অব অনারও দেওয়া হবে। একটি পোডিয়ামও রাখা হচ্ছে। সেখানে বক্তব্যও রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
 

BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-ক (পশ্চিম) শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল প্রতিরোধে মানবাধিকার কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বিষাক্ত কেমিকেলযুক্ত খাদ্যদ্রব্য তথা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা BHRC’র মানবাধিকার কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। চাল, ডাল, তেল, মাছ, তরিতরকারি এবং মাংস সহ সকল খাদ্যদ্রব্যে ধারাবাহিকভাবে ভেজাল মিশানো হচ্ছে। এছাড়া বিষাক্ত কেমিকেলের কারণে মানবদেহে জটিল রোগ সৃষ্টি হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে মানবাধিকার কর্মীগণ একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ইঐজঈ’র মানবাধিকার কর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে মাঠে নামতে হবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ও অধিভুক্ত থানা শাখার নেতৃবৃন্দদের সাথে ইঐজঈ’র সদর দপ্তরের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে BHRC’র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার উল্লেখিত বক্তব্য প্রদান করেন। ৩১ মে ২০২১ ঢাকায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিম (দক্ষিণ-ক) শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিম (দক্ষিণ-ক) শাখার নির্বাহী সভাপতি মোস্তাক আহাম্মদ ভূইয়া। সমন্বয় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ তালুকদার, কবির আহম্মদ ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিলন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, ডেমরা থানা শাখার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান, ওয়ারী থানা শাখার সভাপতি মোঃ ইউসুফ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম হোসেন, গেন্ডারিয়া থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সহিদ, মোঃ হানিফ, অর্থ সম্পাদক সাথী আক্তার, যাত্রাবাড়ী থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ কামাল পারভেজ পিন্টু, ডেমরা থানা শাখার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, চকবাজার থানা শাখার সভাপতি মোঃ সাবিউল আমিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম হামিদ, কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি মোঃ নূরুল আফসার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল প্রমুখ।

 


 

BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কপাল থেকে শনির দশার ছাপ যেন ছাড়তেই চায় না। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক মহলের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তাই আপাতত সন্ত্রাসী কাজকর্মে অর্থনৈতিক জোগানের ওপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান। জানানো হয়, সন্ত্রাসে আর্থিক মদদ বন্ধ করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, এতে পাকিস্তানের তরফে ঘাটতি রয়ে গেছে। তাই ধূসর তালিকা থেকে এখনই অব্যাহতি পাচ্ছে না পাকিস্তান। ২০১৮ সালের জুনে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয়। এখনো ওই অবস্থা বহাল থাকল পাকিস্তানের জন্য। এফএটিএফের মতে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তপূরণে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে- ১. জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখনো তেমন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি পাকিস্তান; ২. সন্ত্রাসবাদীদের কড়া সাজা এখনো দিতে পারছেন না ওই দেশের আদালত এবং ৩. বেআইনি লেনদেন, সীমান্তে আর্থিক চোরাচালান রুখতেও পাকিস্তান তেমন কোনো পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেনি।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রাখতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে দেখা যায় ফ্রান্সকে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেন, ইসলাম নিয়ে অযথাই মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এ থেকেই ফ্রান্স ও পাকিস্তানের মধ্যে স¤পর্কের অবনতি ঘটে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফএটিএফের এমন কড়া অবস্থানের পেছনে হয়তো আরও একটি কারণ থাকতে পারে। আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যাকা-ের মূল অভিযুক্ত ওমর সাইদ শেখকে সম্প্রতি বেকসুর খালাস দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এ আদেশের সুযোগে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাও উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিস¤পন্ন একটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিচারপতিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সঙ্গে আইএসআইয়ের এ গোপন স¤পর্ক ফাঁস করেছেন পার্ল প্রজেক্টের রিপোর্টার আসরা নোমানি। তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের যে তিন বিচারপতি শেখের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে


বিশ্বের সবচেয়ে দামি জুতা ১৫ কোটি সাড়ে ২৬ লাখ টাকা!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন র‌্যাপার কেইন ওয়েস্টের পরিহিত বিশ্বের সবচেয়ে দামি এক জোড়া স্নিকার্স ১৮ লাখ ডলার বা প্রায় ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়েছে।
নিউইয়র্কের সংগ্রাহক রায়ান চ্যাংয়ের পক্ষে এই জুতা জোড়া নিলামে তুলেছিল সোথেবে’স। ২০০৮ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হেই মামা অ্যান্ড স্ট্রংগারে গানের আবেগী পারফর্ম্যান্সের সময় এই জুতা জোড়া পরেছিলেন ওয়েস্ট। এর ফ্যাশনপ্রেমী কাছে এটা ব্যাপক সাড়া পায়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে নাইকির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ইতি টানেন ওয়েস্ট। এরপর অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। সেখানে এই ইজি ব্র্যান্ডের স্নিকার্স ২০২০ সালে ১.৭ বিলিয়ন ডলার আয় করে।

 

BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয় সভা ৩০ মে ২০২১ইং বিকেল BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন। সমন্বয় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, তোফায়েল আহমেদ ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার, শেখ শামীম, মোঃ সেলিমুর রহমান, মহিলা সম্পাদক আইরিন চৌধুরী, মহিলা বিশেষ প্রতিনিধি জোসনা আক্তার বেবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওয়ারেস আলী, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ রাজু আহমেদ রাজ, মানব কল্যাণ সম্পাদক মোঃ জামাল, নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ সিরাজ, সিহাব আহমেদ স্বাধীন, মোঃ জাকির হোসাইন, কে.এম. হারুনুর রশিদ, মোঃ মোজাম্মেল হক প্রমুখ।




বাংলাদেশের আরেক নারী লন্ডনের রাজনীতিতে সফলতা পেলো


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটেনের মূল ধারার রাজনীতিতে আরেক বাংলাদেশি নারী জ্যোৎস্না রহমান ইসলাম সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। মৌলভীবাজার সদরের একাটুনা ইউনিয়নের আব্দুর রহমান মন্নাফ মিয়ার মেয়ে জ্যোৎস্না রহমান ইসলাম লন্ডন বারা অব রেডব্রিজের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
রেডব্রিজ কাউন্সিলের বার্ষিক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জ্যোৎস্না রহমান ইসলামকে লন্ডন বারা অব রেডব্রিজের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি রেডব্রিজ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
জ্যোৎস্না রহমান ইসলামের স্বামী সাম ইসলাম একই কাউন্সিলের কাউন্সিলর। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জ্যোৎস্না রহমান ইসলাম ১৯৬৬ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরে মা-বাবার ইচ্ছায় দেশে ফিরে আসেন। মৌলভীবাজারে আলী আমজাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ফের লন্ডনে যান। সেখানে লোকাল গভর্নমেন্টে চাকরির পাশাপাশি তিনি এমবিএ করেন।
জ্যোৎস্নার ছোট বোন হেলেন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মা-বাবার ইচ্ছা ছিল তাদের ছেলে-মেয়েরা দুই দেশেরই শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠুক। তাই দেশে এনেছিলেন। আমার বড় বোন জ্যোৎস্না লন্ডন বারা অব রেডব্রিজের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

 

BHRC দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানবাধিকার কর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে আইনের শাসন এবং সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মানবাধিকার কর্মীদের একযোগে এগিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই। বেআইনী কার্যক্রম ও অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিরোধ গড়তে হবে। নারী নির্যাতন রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ এবং নারীদের প্রতি হিংস্র কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। মানবাধিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রসার করতে হলে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারের কর্মচারীদেরকেও এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত। অপরদিকে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জনপ্রতিনিধি কর্তৃক নিয়োগকৃত। সকলকেই মনে রাখতে হবে প্রত্যেকে জনগণের সেবক। জনগণের শাসক হিসেবে নিজেকে আত্মহুংকার দেয়ার অধিকার কারও নেই।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। BHRC’র দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শাখার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে BHRC’র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার উপরোল্লেখিত বক্তব্য রাখেন। ২৭ মে ২০২১ইং বিকেল BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আব্দুল করিম রিপন। সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন BHRC’র সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রুহুল আমিন, BHRC দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শাখার সভাপতি মোঃ নাজিরুল বাসার নাজির, নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় গোস্বামী, সহ-সভাপতি মুহম্মদ আলী, মোঃ রিয়াজ, মোহাম্মদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক, যুগ্ম সম্পাদক জয় আল মামুন, মোঃ শফিকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমান, মোঃ মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি ফারুকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

 

 অবশেষে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল ওআইসি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার ‘তীব্রতম নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গাজার বেসামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সপ্তম দিনে সংস্থাটি এ নিন্দা জানাল।
১৬ মে ২০২১ ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে মুসলিম দেশগুলো এ নিন্দা জানায়।
ওআইসির পক্ষ থেকে অবিলম্বে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এ হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইসঙ্গে বায়তুল মুকাদ্দাসের মুসলিম ঐতিহ্য ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে যে কোনো হামলা এবং ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে উস্কানিমূলক আঘাত হানার ব্যাপারে তেল আবিবকে সতর্ক করেছে। এছাড়া সেখানে সেরকম কিছু ঘটলে তার পরিণতি ইসরায়েলকে বহন করতে হবে।
ওআইসির বিবৃতিতে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের তীব্র বিরোধিতা করে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরায়েল সেখানে একটি বর্ণবৈষম্যমূলক প্রথা চালু করেছে।
ওআইসি আরো জানায়, বায়তুল মুকাদ্দাস ও আল-আকসা মসজিদ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের রেড লাইন এবং এগুলোর পরিপূর্ণ স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল স্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তার আশা করতে পারে না।


   বাইডেনের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয় কমলার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৭ মে সোমবার গত বছরের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করলেন ট্যাক্স রিটার্নের পরই। এটি বহু বছরের ট্র্যাডিশন হওয়া সত্বেও গত চার বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি করেননি চাপ দেয়া সত্ত্বেও।
নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ট্যাক্স ফাঁকিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্যে কখনোই তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চান না। অথচ বাইডেন-কমলা জুটিতে এজন্যে ন্যূনতম অনুরোধ/আহবান জানানো হয়নি। ১৭ মে ছিল গত বছরের ট্যাক্স রিটার্নের শেষ দিন। বাইডেন ও ফার্স্টলেডি ড. জিল বাইডেন দম্পতির গত বছরের নেট আয় ছিল ৬০৭৩৩৬ ডলার। এজন্যে তারা ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন মোট আয়ের ২৫.৯% হিসেবে ১৫৭০০০ ডলার। কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী অর্থাৎ সেকেন্ড জেন্টেলম্যান ডোগ এ্যামহোফ ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন তাদের মোট আয়ের ৩৬.৭% হারে ৬২১৮৯৩ডলার। অর্থাৎ এই দম্পতির মোট আয় ছিল ১.৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে গত বছর বাইডেন দম্পতির আয় কমেছে। ২০১৯ সালে বাইডেন দম্পতির আয় ছিল ৯৮৫২৩৩ ডলার। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকা এবং করোনার কারণে ব্যবসায় লাভ কম হয়েছে বলে জানান জো বাইডেন।
ট্যাক্স রিটার্নকালে বাইডেন সেবামূলক কাজে ৩০ হাজার ডলার ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করেন। এরমধ্যে ১০ হাজার ডলার রয়েছে শিশু-সেবায় ১০ হাজার ডলার এবং দেলওয়ারে স্টেটে গরিবের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রি বিতরণের জন্যে ৫ হাজার ডলার।
অপরদিকে, কমলা হ্যারিস সেবাখাতে গত বছর ব্যয় করেন ২৭ হাজার ডলার। স্মরণ করা যেতে পারে, প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দুর্নীতি-ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অপসারিত হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট তাদের ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনও গত ২৩ বছর ধরেই তার ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছেন। এবারের ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য হোয়াইট হাউজের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৭ মে ২০২১ ছিল ট্যাক্স রিটার্নের শেষ দিন। এরপরও রিটার্ন দেয়া যাবে, তবে সেজন্যে জরিমানা গুণতে হবে ধনী আমেরিকানদের। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যে কোন জরিমানার বিধি নেই।



 

 বিয়ের জন্য পাত্রী পাচ্ছেন না প্রায় ৩ কোটি বিবাহযোগ্য চীনা পুরুষ!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাত্রের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু কনে মিলছে না। যার ফলে চীনের প্রায় ৩ কোটি যুবক অবিবাহিত রয়েছেন। যে পরিমাণ পুরুষ চীনে অবিবাহিত রয়েছে অনেক দেশের এত জনসংখ্যাই নেই। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
চীনে বরাবরই পুত্রসন্তানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। কন্যাসন্তানের সংখ্যাও বাড়ছে। যার ফলে পুরুষদের পাত্রীর অভাবে বিয়ের সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের একটি সমীক্ষা।
চীনের জনসংখ্যা সুমারি অনুযায়ী, গতবছর ১ কোটি ২০ লাখ সন্তান জন্মেছে। যার মধ্যে পুত্র ও কন্যার অনুপাত যথাক্রমে ১১৩.৩ :১০০। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনুপাত ছিল ১১৮.১:১০০। এক গবেষকের কথায়, ‘চীনে সাধারণত পুরুষরা বয়সের তুলনায় কম বয়সীদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। দেশে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশ কম বলেই এটা হচ্ছে।
আর এক গবেষকের কথায়, ‘গত বছর যে ১ কোটি ২০ লাখ সন্তান জন্মেছে। তার মধ্যে অন্তত ৬ লাখ পুরুষ বিয়ের সময় পাত্রী পাবেন না।
চীনে এক সন্তান নীতি ১৯৭৯ সালে কার্যকর করা হয়। তা আবার তুলে নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সমীক্ষা বলছে, এখন চীনা নারীরা প্রতি সন্তানধারণের হার ১.৩। তা বাড়িয়ে ২.১ হলে নারী-পুরুষ ভারসাম্য বজায় থাকবে।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, চীনের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষদেরই কনে পেতে সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অপুষ্টি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের বিষয়টি। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টিও পরিবর্তিত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
চীনের জনসংখ্যা অত্যধিক হওয়ার এক সন্তান নীতি কার্যকর করা হলেও তা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিয়ের জন্য চীনা পুরুষদের কনে পাওয়ার সমস্যাও অল্প কয়েক বছরের মধ্যে মিটবে।
 


ফিলিস্তিনিদের জন্য মালয়েশিয়ার রাজা-রানীর সালাতুল হাজত নামাজ আদায়

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মজলুম ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা এবং মঙ্গল কামনায় সোমবার বাদ মাগরিব মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ ‘মসজিদ নেগারাসহ দেশের প্রতিটি মসজিদ ও সুরাউতে সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পারতুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিআয়াতুদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ ও স্ত্রী রাজা পারমাইসুড়ি আগং টুঙ্কু হাজাহ আজিজাহ আমিনাহ মাইমুনাহ ইস্কান্দারিয়া রাজ দরবার মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য সালাতুল হাজত (প্রয়োজনের প্রার্থনা) করেন। মালয়েশিয়া রাজ দরবার ইস্তানা নেগারার সহকারী ধর্মীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুহাইরি মোহাম্মদ ইয়তিমের পরিচালনায় শুরু হওয়া প্রার্থনায় সেখানে রাজ পরিবারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) এর পুরো সম্মতিতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে উক্ত প্রার্থনা পরিচালনা করা হয়।
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পারতুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিআয়াতুদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ'র নির্দেশে ইস্তানা নেগারা ১৬ মে ২০২১ এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ানদের একটি স্বাধীন, সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের আকাক্সক্ষা অর্জনের জন্য ফিলিস্তিনের সঙ্গে সর্বদা সংহতি বজায় রাখার আহ্বান বিবৃতিতে রাজা আল-আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলির হামলা নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন এবং এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের একটি যৌথ বিবৃতি জারির সমর্থন করেছেন। এবং দেশব্যাপী মসজিদ এবং সুরউতে (পাঞ্জেগানা মসজিদ) এবং সালাতুল হাজত আদায় এবং দোয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলি শাসনের দুষ্ট উদ্দেশ্য থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
 

 

দীর্ঘসময় কাজ করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত কাজ করার কারণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। মহামারিতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও)।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘসময় পরিশ্রম করা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে শতকরা ৯ ভাগ বেড়েছে। দীর্ঘ সময় কাজ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে করা গবেষণাটির ফলাফল বিশ্ব এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে অতিরিক্ত কাজ করার কারণে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ, যা ২০০০ সালের তুলনায় শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ বেড়েছে।
ডব্লিওএইচওর পরিবেশ অধিদফতরের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মারিয়া নায়রা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চাই, গবেষণার এই তথ্যটির মধ্য দিয়ে কর্মীরা আরও বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাক।
সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেয়েসুস মনে করেন, করোনায় অনেক মানুষের কাজের পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে, বাড়ি এবং কাজের মধ্যে তেমন পার্থক্যও থাকছে না।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো কাজই জীবনের চেয়ে বেশি মূল্যবান নয়। কর্মীদের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা, সরকার ও কর্মীদের একমত হওয়া দরকার। ডব্লিওএইচও এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) অনুমান করেছে যে, সপ্তাহে কমপক্ষে ৫৫ ঘণ্টা কাজ করার ফলে ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৯৮ হাজার জন মানুষ স্ট্রোক এবং ৩ লাখ ৪৭ হাজার জন হৃদরোগে মারা গেছেন। ২০০০ এবং ২০১৬ সালের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৪২ ভাগ এবং হৃদরোগে মৃত্যু বেড়েছে শতকরা ১৯ ভাগ।
সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার তুলনায় ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং হৃরোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১৭ ভাগ বেশি থাকে। গবেষকরা বলেছেন, ২০১৬ সালে অতিরিক্ত সময় কাজের চাপের শিকার শতকরা ৭২ ভাগই ছিলেন পুরুষ এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবয়সী বা তার বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ।

 

 
সন্তানদের মারে আহত মায়ের পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আম খাওয়া নিয়ে পাষণ্ড সন্তানদের হাতে নির্যাতনের শিকার নারীর পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। তাকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনের নেতারা। ২৭ মে ২০২১ সকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবুর নেতৃত্বে ওই নারীকে দেখতে যান। এ সময় তারা তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।
এ সময় নেতৃবৃন্দ আহত নারীর হাতে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে মানবাধিকার কমিশন সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, ওয়াহেদ ফয়েজ, এমডি সমউনুল ইসলাম, তৌহিদ ফয়সাল, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহা এরফান প্রমুখ?
উল্লেখ্য, ২৫ মে ২০২১ চকরিয়া লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে উত্তর লক্ষ্যারচর গ্রামে গাছ থেকে আম পেরে খাওয়ায় ৪ ভাই-বোন মিলে মাকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় ওই মায়ের হাত ভেঙে যায়।
 



Top

 দুর্নীতিতে জড়ালে ব্যাংক কর্মকর্তাদের গুণতে হবে জরিমানা, হবে মামলা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৭ মে ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও বড় অংকের জরিমানার বিধান রেখে ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২১-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ১৭ মে ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, “বাংলাদেশে কর্মরত ব্যাংক কোম্পানিসমূহের কার্যক্রম ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর আওতায় পরিচালিত হয়। ব্যাংকসমূহের মোট সংখ্যা, মোট সম্পদ, আমানত, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওই আইন সবকিছু কাভার করছিল না। সেজন্য খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই আইনটি করা প্রয়োজন ছিল। সেজন্য এই সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই আলোকে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আইনের সংশোধনী খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো জিনিস ঋণগ্রহীতার সংজ্ঞা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই জিনিসটি আগের আইনে অতটা ক্লিয়ার ছিল না। যেহেতু ১৯৯১ সালের কনটেস্টে আইনটি করা হয়েছিল। নতুন আইনে সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয়েছে।
‘দুর্বল ব্যাংক কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত নতুন একটি ধারা সংকটাপন্ন অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আছে। ব্যাংক কোম্পানি পুনর্গঠন ও একত্রীকরণের বিধানও নতুন আইনে আছে,- বলেন তিনি। খসড়া আইনে শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি ব্যাংকের পরিচালকরা বা যেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাকে বড় জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রিমিনাল প্রসিডিংও (ফৌজদারি মামলা) তার বিরুদ্ধে চলছে। এটা করা হয়েছে। ‘কারও এক কোটি টাকা জরিমানা হলে সে জরিমানা দিয়ে বেঁচে যেতে পারে, সে যদি ১০ বা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সেজন্য পেনাল কোডের আইনও তার জন্য প্রযোজ্য হবে। তার যে জরিমানা হলো, সেটা ক্রিমিনাল প্রসিডিংয়ের জন্য কোনো বাধা হবে না।

 

Top

সেবা ও পেশাদারিতে শীর্ষে বাংলার শান্তিরক্ষীরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বশান্তি রক্ষায় ৭৩ বছর ধরে সেবা ও ত্যাগের অনন্য নিদর্শন হিসেবে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করছে বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষীরা। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে ৩৩ বছর ধরে বিশ্বশান্তি রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় নিজেদের অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে ৬ হাজার ৬০৮ জন শান্তিরক্ষীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদায় অবস্থান করছে। পেশাদারির সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে বিশ্বের দেশে দেশে জাতিগত সংঘাত, সন্ত্রাস, হানাহানি রোধে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। তাদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতায় অনেক অশান্ত জনপদে শান্তি ফিরে এসেছে। এসব প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি উদ্যাপিত হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সীমিত আয়োজনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে স্মরণ করা হবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এবার শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘স্থায়ী শান্তির পথে : শান্তি ও নিরাপত্তায় যুবকদের শক্তি বাড়ানো’। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৮ সালে ইরাকে সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যাত্রা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেই শুরু শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে লাল-সবুজের বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় এরপর নিয়মিতই নতুন নতুন সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে, যা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন এক মর্যাদায় নিয়ে গেছে। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশ পুলিশ নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা করে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯ জন শান্তিরক্ষী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন দিয়েছেন ১৫৮ জন। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া লেবানন শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ ৩২১ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে দারফুরে ২৯৪ জন। আইভরি কোস্টে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রাণ গেছে ২৫৯ শান্তিরক্ষীর। ৩৩ বছর ধরে বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫৪টি মিশনে শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে বিদ্যমান ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে আটটিতে ৬ হাজার ৬০৮ জন (৩১ মার্চ পর্যন্ত) বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১১৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ অবস্থানে। এর আগেও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীর সংখ্যায় শীর্ষে অবস্থানে ছিল।

 

শোক সংবাদ

BHRC টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতির স্বামীর ইন্তেকাল
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নাসরিন জাহান খান বিউটির স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ পরিচালক আলহাজ্জ্ব মোঃ হাসান ইমাম স্ট্রোক করে ১ জুন সকালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও আত্মীয় স্বজনহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ আসর নামাযে জানাযা শেষে টাঙ্গাইলের ঢাকা রোডে সুন্দরবন কুরিয়ার অফিসের পূর্ব পাশের মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়। মানবতাবাদী নাসরিন জাহান খান বিউটির স্বামীর মৃত্যুতে ইঐজঈ সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার, BHRC টাঙ্গাইল জেলা ও বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
 

সামোয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়াতে তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেখানে গত ৯ এপ্রিল নির্বাচনে ২২ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়িকে হারিয়েছেন ফাস্ট পার্টির নেত্রী ফিয়ামি নাওমি মাতাফা (৬৪)। কিন্তু এই পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ি। ২৪ মে ২০২১ পার্লামেন্টে শপথ নিতে যান ফিয়ামি নাওমি মাতাফা।
কিন্তু তার চেম্বার ও পার্লামেন্টে প্রবেশের দরজায় তালা মেরে দেন তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ির অনুগত কর্মকর্তারা। ফলে বাধ্য হয়ে পার্লামেন্টের বাইরে অস্থায়ী একটি মঞ্চে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফিয়ামি নাওমি মাতাফা। তিনি শপথ নিলেও আইনগত দিক দিয়ে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সাথে সাথে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দ্বীপরাষ্ট্রটি কঠিন রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়বে।

 

বান্ধবীর সঙ্গে বিয়ে সারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ে সেরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ‘বিশেষ ঘনিষ্ঠ’ কজন অতিথি বাদে প্রায় লুকিয়েই প্রেমিকা ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। গতকাল শনিবার রাতে ওয়েস্টমিনিস্টারের একটি ক্যাথিড্রালে বরিস-ক্যারির বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ বিয়ে সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস-ক্যারির বিয়ে সম্পর্কে আগাম কোনো তথ্যই ছিল না প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে। শুধু মাত্র দুজনের কজন বিশেষ অতিথি ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।
বিবিসি বলছে, ব্রিটেন জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কড়া নিয়েম চলছে। এ সময় কোনো অনুষ্ঠানে ৩০ জনের বেশি অতিথি আমন্ত্রণে বারণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সে নির্দেশনা মেনেই বিয়ে সেরেছেন।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন বরিস জনসন। এরপর থেকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে নিয়েই তিনি বসবাস শুরু করেন। গত বছর বরিসের সন্তান উইলফ্রেড’র মা হন ক্যারি। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তাদের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই বিয়ে সারলেন দুজন। উল্লেখ্য, এর আগেও দুবার বিয়ে করেন বরিস। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার।




উহানের ল্যাবে তৈরি হয়েছে করোনা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ল্যাবে তৈরি হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। নতুন গবেষণায় এই চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন একদল বিজ্ঞানী। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাইরাসটি প্রস্তুত করার পরে চীনা বিজ্ঞানীরা এটিকে প্রযুক্তিগতভাবে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন, যা দেখে মনে হয় ভাইরাসটি বাদুড় থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ অধ্যাপক অ্যাঙ্গাস ডালগালিশ এবং নরওয়ের বিজ্ঞানী ড. বিরজার সরেনসেন  এই গবেষণাটি করেছেন। চীনে তৈরি ভাইরাস সম্পর্কিত রেট্রো-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রমাণযোগ্য তথ্যে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনে ভাইরাস তৈরি হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। অধ্যাপক অ্যাঙ্গাস ডালগালিশ লন্ডনের সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজির অধ্যাপক। আর ড. বিরজার সরেনসেন একজন ভাইরোলজিস্ট এবং ইমিউনর নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, যে সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, উহান ল্যাবে ডেটা ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টিকে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমরা যখন দুজনেই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য করোনার নমুনাগুলো অধ্যয়ন করছিলাম তখন ভাইরাসটিতে একটি ‘বিশেষ আঙুলের ছাপ’ পাওয়া যায়।
 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে ওয়াশিংটনে সমাবেশ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দেন। আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্য থেকে এ সমস্ত মানুষ ওয়াশিংটনে এসে সমবেত হন।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং তেল আবিব যে বর্ণবাদী নীতি অনুসরণ করছে তার নিন্দা করেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বেরও অবসান দাবি করেন তারা। এছাড়া, বর্ণবাদী ইসরায়েল সরকারকে যে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে মার্কিন সরকার তাও বাতিল করার কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল যে যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে তা তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যেসব আইনজীবী কাজ করছেন তাদেরকে হয়রানি বন্ধ ও নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান সমাবেশে যোগদানকারীরা।
এই সমাবেশ থেকে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের লাগাম টেনে ধরতে আগ্রহী না হলেও সমাবেশে যোগ দেওয়া লোকজন ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনকে রক্ষা করতে প্রস্তুত, সব রকমের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তারা তাদের ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ।
 

ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘অপরাধের তদন্ত শুরু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন-এর বিরুদ্ধে ‘অপরাধ তদন্ত শুরু হয়েছে। এতদিন ‘সিভিল হিসেবে তদন্ত চলছে। গত ১৮ মে ২০২১ নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের প্রসিকিউটর লেটিয়া জেমস বলেছেন, ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত এখন আর ‘সাধারণ তদন্ত বা খতিয়ে দেখার পর্যায়ে নেই। এটি এখন অপরাধ তদন্তের সক্ষমতা নিয়ে সক্রিয়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি কৌঁসুলি।
এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়- লেটিয়া জেমস এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান দ্য ট্রাম্প অরগানাইজেশনের আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখেছেন। তখন সেটিকে ‘সাধারণ পর্যায়ের তদন্ত বা খতিয়ে দেখা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখন অপরাধ সক্ষমতা নিয়ে তদন্ত করবে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

 

 শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পোপ ফ্রান্সিসা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন আর্চবিশপ ও ভ্যাটিকানের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। সেই সঙ্গে তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে এ প্রশংসা করেন পোপ ফ্রান্সিস।
করোনা মহামারীর কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটির অ্যাপোস্টলিক প্রাসাদে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ভ্যাটিকানে নবনিযুক্ত আরও আট দেশের রাষ্ট্রদূতরা পোপের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র গ্রহণের পর পোপ ফ্রান্সিস নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।


 

Top

করোনার মধ্যে নতুন উদ্বেগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন, বাড়াচ্ছে মৃত্যু ঝুঁকি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাথে সাথে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা কালো ছত্রাক সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এমন খবর এখন পাওয়া যাচ্ছে।
বিষয়টি বেশি ঘটছে ভারতে এবং সেখানকার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ার মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর অনেকে মারাত্মক এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং এমন আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
কোভিড ভাইরাসের কারণে যখন রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে, তখন সেই ব্যক্তি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হলে সেটি মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ তৈরি করার জন্য ভারত সরকার তাদের একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে বলেও খবর বেরিয়েছে।
কেন হয়?
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় বলে পরে 'মিউকোরমাইসিসিস' বা এ ধরনের কালো ফাঙ্গাসের ইনফেকশন হতে পারে।
তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দিতে পারেন। তবে তারপরেও সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন ওষুধে কী ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে সেটিও দেখতে হবে।
মুশতাক হোসেন বলেন, যেসব রোগী আইসিইউতে যাচ্ছেন তাদের অনেক সময়স্টেরয়েড দিতে হয়, কিংবা এর আগেও চিকিৎসক এটি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো এই স্টেরয়েডই পরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

 
আপনি রক্তাক্ত হাত দিয়ে ইতিহাস লিখছেন: বাইডেনকে এরদোয়ান


ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনি রক্তাক্ত হাত দিয়ে ইতিহাস লিখছেন।
এ কথা বলতে আপনি আমাদের বাধ্য করেছেন। কারণ, আমরা এ নিয়ে আর চুপ থাকতে পারি না। আজ আমরা দেখলাম, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সই করেছেন আপনি।
তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বাইডেন সম্পর্কে এরদোগান সরাসরি এ কথা বলেন।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মধ্যেই দেশটিকে আরও নিখুঁত অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
এছাড়া গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিজেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।
 


 

 

চীনা নারীরা যে কারণে মা হতে চান না

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুযায়ী উদ্বেগজনক হারে কমছে চীনাদের সন্তান জন্মের হার। এ পরিস্থিতি তাদের জন্য এতটাই উদ্বেগের যে বিশেষজ্ঞরা চীনে জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জন্মহার কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসাবে নারীদের মা হতে চাওয়ার অনীহাকে দায়ী করেছেন তারা।
একটি জরিপ কার্যক্রমের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে নতুন প্রজন্মের অনেক নারীই সন্তান নিতে অনিচ্ছুক।
বেইজিংয়ের এমনই এক নারীর নাম লিলি (ছদ্মনাম)। দুই বছর হলো বিয়ে হয়েছে লিলির। ৩১ বছর বয়সি এ নারীর এখন পর্যন্ত মা হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘মায়েরা সবচেয়ে ভালো মা হতে পারছেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। সন্তানকে কীভাবে ভালো স্কুলে ভর্তি করাবেন, তা নিয়ে চিন্তা থাকে। সন্তান লালনপালনের ব্যয়ভার নিয়েও হিমশিম অবস্থা থাকে। পেশাগত জীবনেও প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ খারাপ থাকে। সার্বক্ষণিক এসব উদ্বেগ এড়াতে চাই আমি। জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই। সন্তান লালনপালন নিয়ে আর্থিক ও সামাজিক সুবিধা থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেন লিলি। হয়তো নিজের ক্ষেত্রেও।
এ মাসের শুরুতে চীনে প্রকাশিত আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে এক কোটি ২০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০১৬ সালে দেশটিতে এক কোটি ৮০ লাখ শিশুর জন্ম হয়। ১৯৬০-এর দশকের পর চীনে সবচেয়ে কমসংখ্যক শিশুর জন্ম হয়েছে গত বছর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সামাজিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। কারণ, বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খুঁজে পাওয়া চীনের পুরুষদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক পুরুষই পারিবারিক জীবন শুরুর কথা ভাবতে পারছেন না। আদমশুমারির তথ্য বলছে, গত বছর দেশটিতে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা তিন কোটি ৪০ লাখ নয় হাজার বেশি ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক সন্তান নীতি থেকে সরে এলেও চীনে শিশুদের শিক্ষা বা সামাজিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। আর্থিক কোনো প্রণোদনাও দেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চীনে শিশুদের লালনপালনের ব্যয়ভার অনেকেই নিতে চান না। জরিপে অংশ নেওয়া লিলির ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটাই ঘটেছে।
 

বাংলাদেশের কেউ ইসরায়েলে গেলে শাস্তি পেতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশ। তাই সেখানে কোনো বাংলাদেশি গেলে তকে শাস্তি পেতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার ফিলিস্তিনকে ওষুধসামগ্রী উপহার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি এবাদুল করিম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম পাসপোর্ট সংশোধন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে ইসরায়েল নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। ফিলিস্তিন নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি। তবে আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না। যত দিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, তত দিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী ও ৫০ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হয়। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।


গাজাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্কামলে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের পক্ষে কথা বলে গাজাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণসংস্থা- আনরাওয়া’র (টঘজডঅ) পরিচালক ম্যাথিয়াস স্কামলে।
গাজাবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি তিনি এই অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক পাশবিক হামলায় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি শোক ও সমবেদনাও জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না। স্কামলে বলেন, গত দুই সপ্তাহ গাজা উপত্যকা ও সেখানকার অধিবাসীদের জন্য ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
এর আগে ইসরাইলের পক্ষে কথা বলে প্রচণ্ড সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েন জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিনিধি। তিনি গত ২৪ মে ২০২১ ইসরাইলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া ইসরাইল গাজার বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়নি।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাৎক্ষণিকভাবে স্কামলের ওই বক্তব্যের নিন্দা জানায়। হামাস ঘোষণা করে, আনরাওয়া’র পরিচালকের দায়িত্ব ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া; ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলার ব্যাখ্যা দেয়া নয়।
গাজা উপত্যকার আবাসিক ও বেসামরিক অবস্থানগুলোর ওপর সাম্প্রতিক ইসরাইলি ভয়াবহ বিমান হামলায় ২৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৯৪৮ জন আহত হন। অন্যদিকে গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হয় ১২ ইসরাইলি। গত ২১ মে ভোররাত ২টায় মিসরের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 



চতুর্থ দফায় ক্ষমতায় বাশার আল আসাদ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধ। মার্কিনসহ পৃথিবীর বড় পরাশক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধে বলি হয়েছে সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে দেশটিতে গতকাল বুধবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফল হাতে না এলেও নির্বাচনী সমীকরণ বলছে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রায় এক দশক জুড়ে চলা এ গৃহযুদ্ধে তিন লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে আসাদের বিপক্ষে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যারা ছিলেন, পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আর আসাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অঞ্চলগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
অর্থাৎ তার সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। সে কারণেই ধারণা করা হচ্ছে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে এ নির্বাচনে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই জয়ী হচ্ছেন আসাদ।
নির্বাচনকে অর্থবহ করতে দেশটির প্রভাবশালী নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদেরও ভোট দিতে যাওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে আশা করা হচ্ছে।
এক যুবককে ধর্ষণের দায়ে পাঁচবার যাবজ্জীবন ও ৯৮৮ বছরের কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দক্ষিণ আফ্রিকায় ধর্ষণ, চুরি ও ডাকাতির মামলায় এক যুবককে পাঁচবার যাবজ্জীবন এবং ৯৮৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গত ২৯ মে ২০২১ দেশটির নর্থ হাউটেং (প্রিটোরিয়া) হাইকোর্টের বিচারপতি পেপি মোসোপা এ রায় দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম নিউজ-২৪- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটির সেলো আব্রাম ম্যাপোনিয়া (৩৩) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অর্ধশতাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি এবং শতাধিক ফৌজদারি অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার মহিলাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন ম্যাপোনিয়া। এ মামলায় সাহস করে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আদালতের বিচারপতি।
 


চীনের নীতি বদল: ৩ সন্তান নিতে পারবেন দম্পতিরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীন এক ঘোষণায় আগের নীতি থেকে সরে এসে প্রত্যেক দম্পতিকে তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির কঠোর দুই সন্তান নীতির অবসান ঘটল বলে জানিয়েছে।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটিতে এক দশকের মধ্যে একবার হওয়া আদশুমারির সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে জন্মহার অনেক কমে গেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় দম্পতিদের আরও বেশি সন্তান নেওয়ার অনুমতির পথে এগোল চীন। চলতি মাসের প্রথমদিকে চীনের আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, গত বছর দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে আর ২০১৬ সালে জন্ম হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ শিশুর। ১৯৬০ এর দশকের পর থেকে চীনে শিশু জন্মের এবারের হার সবচেয়ে কম। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল চীন তাদের পরিবার পরিকল্পনা নীতি আরও শিথিল করতে পারে। ২০১৬ সালে দেশটির সরকার তাদের এক সন্তান নীতি থেকে সরে দম্পতিদের দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তারপর পরপর দুই বছর জন্মহার বাড়লেও পরে ফের কমতে শুরু করায় জন্মহার হ্রাস করা ঠেকাতে সরকারের নেওয়ার পদক্ষেপের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়।
১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করা হয়েছিল। তারপর থেকে এই নীতি লঙ্ঘন করা পরিবারগুলোকে জরিমানা, চাকরি হারানো এবং কখনো কখনো জোরপূর্বক গর্ভপাতের শিকারও হতে হয়েছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।

 

বাড়ছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি হতে চলেছে।
তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্র“য়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু হবে।
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন। মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।


পুরুষের চেয়ে নারীদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে : গবেষণা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নেওয়া পুরুষদের চেয়ে নারীদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসছে। আজ মঙ্গলবার এক গবেষণায় এমনি তথ্যর প্রমাণ পেয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক।
গবেষক ডা. আশরাফুল হক জানান, এই গবেষণায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর অ্যালাইজা পদ্ধতিতে ৫০০ জন ভ্যাকসিন গ্রহীতার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। ৩৬০ জন পুরুষ ও ১৪০ জন নারীর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রক্রিয়ার মধ্যে এই গবেষণাটি করা হয়। পূর্ণ তথ্যসহ গবেষণাটি দ্রুত জার্নালে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গবেষণায় বিভিন্ন বয়সী ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তরুণদের মাঝে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার হার বেশি হলেও ৬০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে এই হার তুলনামূলকভাবে কম। তবে পুরুষদের চেয়ে নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ডা. আশরাফুল হক বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে আমরা প্রথমে ৫০০ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করি। পরবর্তীতে থম ডোজ দেওয়ার পর ফের সেই ৫০০ জনের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। আবার দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘তিনবারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবার মাঝেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে যা মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে। তবে কেউ আক্রান্ত হবেন না এমনটা কোনো বৈজ্ঞানিক সূত্র দিয়ে বলার সুযোগ নেই। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা কম হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের পর একটা নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে মানুষের মাঝে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এমন অবস্থায় যদি কারও মাঝে সংক্রমণ শনাক্তও হয়ে থাকে, তবে সেটির মাত্রা কম হবে। অর্থাৎ মৃত্যুঝুঁকি কিন্তু অনেকেরই কমে আসবে।’ ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের হাসপাতালে ভর্তির হারও কমে আসে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে দেশে নারী-পুরুষের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি।
 

করোনা শনাক্ত হবে এক মিনিটেই!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এক মিনিটে করোনাভাইরাস শনাক্তের প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে সিঙ্গাপুরের এক স্টার্টঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউসি) অধীনে ব্রিদোনিক্স নামে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না, শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছের একটি শহরে এ প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে ব্রিদোনিক্স।
করোনা শনাক্তে সিঙ্গাপুরে অ্যান্টিজেন র‌্যাপিড টেস্ট অনুসরণ করা হয়। এর পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে নতুন করোনা পরীক্ষা পদ্ধতিও ব্যবহার করা হবে। করোনার এ নতুন পরীক্ষার অনুমোদনের বিষয়টি সিঙ্গাপুরের দ্য হেলথ সায়েন্সেস অথরিটির ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাত্র ৫ থেকে ২০ সিঙ্গাপুরি ডলারে এ টেস্ট করা যাবে বলে জানিয়েছে ব্রিদোনিক্স। তবে সেটি সংখ্যার ওপর নির্ভর করবে
গত বছর প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, করোনা শনাক্তে নতুন এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতোমধ্যে করা হয়েছে। পরীক্ষায় প্রযুক্তিটির ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
নতুন এ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে ব্রিদোনিক্স জানিয়েছে। করোনা শনাক্তে একই ধরনের পরীক্ষা এরই মধ্যে চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নেদারল্যান্ডস।
 

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ লাক্ষাদ্বীপেও চলছে মুসলিমদের ধ্বংস করার প্রয়াস
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরের পরে এখন আরো একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপেও সাম্প্রদায়িক শক্তি চোখ রাঙাচ্ছে। বিভিন্নভাবে অভিযোগ উঠছে যে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক ও বিজেপি নেতা প্রফুল খোদা প্যাটেল ৯৭ শতাংশেরও বেশি মুসলিম জনসংখ্যাসম্পন্ন এই দ্বীপের জীবনযাপন ও চিরাচরিত ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। ফলে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে মারাত্মক রাজনৈতিক অস্থিরতা। নতুন প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা, দুই সন্তানের অধিক সন্তান থাকলে অভিভাবকের পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই দ্বীপপুঞ্জে অপরাধের হার একেবারে নেই বললেই চলে। সেখানে গুন্ডাদমন আইন প্রণয়ন নিয়েও শোরগোল হচ্ছে। এছাড়াও নতুন আইনে উন্নয়নের কাজে যেকোনো জমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে প্রশাসনের।
প্রশাসকের সিদ্ধান্ত নিয়ে পার্শ্ববর্তী কেরালার সিপিএম-কংগ্রেস একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সোমবারই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, প্রশাসকের পদক্ষেপ লাক্ষাদ্বীপের সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাপনকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের আইন কখনো মানা যায় না। লাক্ষাদ্বীপের সঙ্গে কেরালার দীর্ঘ দিনের আত্মীয়তা। কিন্তু সেটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি ছাড়াও বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং কংগ্রেসের বহু এমপি, সেই সঙ্গে লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র এমপি মোহাম্মদ ফয়জল এই স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। প্যাটেলের স্বৈরাচারী, জনবিরোধী নীতির জেরে কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে তার অপসারণের দাবি তুলেছেন অনেকেই। এমনকি তার সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করার আওয়াজও উঠেছে।
স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ ফয়জল জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের জানুয়ারির পর থেকে প্যাটেলের কারণে প্রায় ৩০০ লোক কাজ হারিয়েছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লোকেরা তার প্রবর্তিত নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শুরু করে এবং তার কয়েক দিন পরেই কাজ হারাতে শুরু করেন অনেকেই। হায়দরাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও প্রশাসকের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি টুইট করেছেন, যে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার লাক্ষাদ্বীপ ও সেখানকার জনগণের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তিনি লাক্ষাদ্বীপের কাছ থেকে দ্বীপবিরোধী সমস্ত আইন প্রত্যাহার এবং প্যাটেলকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #ঝধাবখধশংযধফবিবঢ় ট্রেন্ড শুরু হয়। প্রধানত লাক্ষাদ্বীপ ও কেরলের মানুষেরা এই ট্রেন্ডিং শুরু করেন প্যাটেলের স্বৈরাচারী নীতির অবসানের জন্য।
উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপ ডেভলপমেন্ট অথরিটি রেগুলেশন ২০২১ (এলডিএআর) প্রশাসককে শহর পরিকল্পনা বা কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দ্বীপের বাসিন্দারা সম্পত্তি থেকে অপসারণ বা স্থানান্তর করার ক্ষমতা প্রদান করে। অন্যদিকে, ‘গুন্ডা নীতি’বিরোধী সামাজিক ক্রিয়াকলাপের আওতায় একজন ব্যক্তিকে যেকোনো সময় কোনো কারণ ছাড়াই এক বছর পর্যন্ত আটক করা যাবে।
 

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর নাশতা ‘জনগণের টাকায়’ কিনা জানতে তদন্ত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘জনগণের টাকায়’ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সকালের নাশতার বিল হয় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
গত ২৫ মে স্থানীয় একটি ট্যাবলয়েড বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন সরকারি বাসভবন কেসারান্টায় থাকলেও নিজ পরিবারের সকালের নাশতার জন্য প্রতি মাসে ৩৬৫ ডলার বিল নিচ্ছেন, যা বিধি সম্মত নয়। দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নাশতার খরচ জনগণের করের টাকা থেকে দেওয়ার বিষয়টি ফিনল্যান্ডের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে কিছু খাবারের জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীদের পারিশ্রমিক আইন অনুসারে এটি বিধিসম্মত নয়। বিবৃতিতে ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট টিমু জোকিনেন বলেছেন, ‘তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে, পুলিশের তদন্ত করার ঘোষণাকে টুইটারে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি এই সুবিধা চাইনি কিংবা এ বিষয়ক সিদ্ধান্তে আমি জড়িত ছিলাম না।’ তিনি আরও জানান, আগের প্রধানমন্ত্রীরাও এমন সুবিধা পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি এই সুবিধা গ্রহণ করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এই রাজনীতিবিদ ব্যাপক জনসমর্থন পেয়ে এসেছেন। ইউরোপের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সবচেয়ে কম রাখতে পারায় তার কেন্দ্র-বাম জোট সরকার প্রশংসিত হয়েছে।
 

কানাডার পরিত্যক্ত স্কুলে ২১৫ শিশুর গণকবর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডায় ১৯৭৮ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পরিত্যক্ত আবাসিক স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ব গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর ফলাও করে প্রচারের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ ও দেশের ইতিহাসের লজ্জাজনক অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। খবর বিবিসি।
কানাডার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা কামলুপসে অবস্থিত আলোচিত স্কুলটির নাম ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। আর যে শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে তারা সবাই টিকেমলুপস টে
সেকওয়েপেমেক নৃগোষ্ঠীর সদস্য ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই গোষ্ঠীর প্রধান রোসান্নে ক্যাসিমির এই মর্মান্তিক খবরটি বিশ্বকে জানান। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রদায় এ ঘটনার কথা আগে থেকেই জানত; কিন্তু আমাদের হাতে কোনো প্রমাণ ছিল না- এখন শুধু আমরা প্রমাণ পেলাম। তিনি আরও বলেন, এই অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়টি স্কুলের কোনো নথিতেই পাওয়া যাবে না। আর যাদের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে তিন বছরের শিশুও রয়েছে।
খবরে বলা হয়, দেহাবশেষগুলো রাডার বিশেষজ্ঞের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, উনিশ ও বিশ শতকের দিকে কানাডায় আবাসিক স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। এই স্কুলগুলো অধিকাংশই সরকার ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হতো। এ ধরনের স্কুলের মধ্যে কলম্বিয়ার কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল সবচেয়ে বড়। ১৮৯০ সালে স্কুলটি রোমান ক্যাথলিকরা শুরু করে। ১৯৫০ সালে যখন এটির রমরমা অবস্থা সেই সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০০। এর পর ১৯৬৯ সালে এটির দেখভালের দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৮ সালে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় শিক্ষার্থীরা স্কুলটিতে পড়াশোনা করেছে।
ইতিহাস বলছে, অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে ঊনবিংশ শতকের শুরুর দিকে ইউরোপ থেকে দল দলে লোক কানাডায় যেতে থাকে। সেই সময় স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের সংঘাত শুরু হয়। তখন ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা স্থানীয় আদিবাসীদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে এবং তাদের ‘সভ্য’ করার নামে কানাডাজুড়ে আবাসিক স্কুল চালু করে। ১৮৬৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি আদিবাসী শিশুকে তাদের পরিবারের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে এসব স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। এই স্কুলগুলোয় শিশুরা নিজের ভাষায় কথা বলার অনুমতি ছিল না। এই শিশু শিক্ষার্থীরা অনেকেই আর পরিবারের কাছে ফিরে যেত না। পরবর্তী সময়ে এসব স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের খবর জানা গেছে। শিশুদের ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে এক প্রতিবেদনে ঐতিহাসিক সত্য বেরিয়ে আসে যে, এসব স্কুলে আসলে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালানো’ হয়েছে।
 

রোহিঙ্গাদের জন্য ১৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জে বি-ঙ্কেন ১৮ মে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় ২০২১ সালের যৌথ কার্যক্রম পরিকল্পনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাংলাদেশের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি সহায়তা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র নতুনভাবে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সহায়তা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে ভয়াবহ সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নারী ও শিশুসহ ৯ লাখ শরণার্থীর অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় প্রধান দাতাদেশ হিসেবে নৃশংসতার শিকার ও সংকটাপন্ন অন্যান্য নাজুক মানুষদের জন্য সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

 


 মধ্যরাতে সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট, নির্বাচন নভেম্বরে্র


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নেপালে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ঘটনায় নাটকীয় মোড় দিয়ে ২১ মে ২০২১ মধ্যরাতে সংসদ ভঙ্গ করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও ১৯ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশ দিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ভেঙে দেন তিনি। জানা গেছে, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির ক্যাবিনেট সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ফলে ফের নির্বাচনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট।
কয়েকদিন আগেই পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পরাজিত হন ওলি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপালি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের ওলিকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার তোড়জোড় করছিল বিরোধী দলগুলো। ফলে সংসদ ভঙ্গ করার নেপথ্যে নিজের পিঠ বাঁচানোর তাগিদও ছিল ভাণ্ডারীর বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি।
 

পর্তুগালের মার্কেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্পের সুনাম ইউরোপ জুড়ে। দূর প্রবাসে থাকলে ও প্রবাসীদের স্বপ্ন, পরিকল্পনা এবং চাহিদাগুলো শুধু নিজের দেশকে ঘিরেই। এ জন্য দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠেছে।
প্রতিবছর গার্মেন্টস শিল্পগুলো থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে দেশিয় গার্মেন্টস সেক্টর অনেক এগিয়ে। এ ধারাটি অব্যাহত থাকলে দেশের কাপড়ের গুনগত মান ও অনেক ভালো হবে। ইউরোপে বাংলাদেশি গার্মেন্টস শিল্পের চাহিদা অনেক।
পর্তুগালে গুণগত ও ভালো ব্র্যাণ্ডের বাংলাদেশি পোশাকের শিল্প এগিয়ে। যেমনটা সচরাচর দেখা যায় প্রাইমার্ক, এইচ অ্যান্ড এম, জারা, নিউইয়র্কার, স্প্রিং ফিল্ড, লেফটিছসহ আরও অনেক ব্র্যান্ডে। বাংলাদেশ ছাড়াও পর্তুগালে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ- চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং মিয়ানমারের পোশাক দেখা যায়। তবে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পর্তুগালসহ ইউরোপে বেশ সমাদ্রিত।
 

সৌদি আরবে বিনামূল্যে আকামার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে বিদেশী নাগরিকরা তাদের অবস্থানে আকামা (বসবাসের অনুমতি), বর্হিগমন ও পুনরায় আগমনের (এক্সিট অ্যান্ড রি-এন্ট্রি) ভিসার মেয়াদ ২ জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে বাড়াতে পারবেন। দেশটির পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার সৌদি সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানানো হয়।
সৌদি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব পাসপোর্ট (জাওয়াজাত) জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশনায় অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের ভিত্তিতে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাওয়াজাত জানায়, নাগরিক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের ওপর অর্থনৈতিক ও অর্থ যোগানে দুরূহ অবস্থার প্রভাব প্রশমনে নেয়া ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে সৌদি আরবের বাইরে গিয়ে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সুবিধায় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


করোনা পজিটিভ বরকেই পিপিই পরে হাসপাতালেই বিয়ে করলেন কনে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের দিনটি ঘিরে সব নারীরই অন্যরকম স্বপ্ন থাকে। যে যার সাধ্য অনুযায়ী বিশেষ এই দিনটিতে ব্যতিক্রমী সাজ-পোশাকের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিয়ের আগে বরের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় পিপিই পরেই হাসপাতালে বিয়ে সারতে হয়েছে এক কনেকে। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যে।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কেরালার আলাপ্পুঝার কাইনাকারির বাসিন্দা ওই বরের নাম শরথ মন (২৮) আর কনের নাম পাথেক্কানারইয়াদের আভিরামি (২০)। দু’জনের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন শরথ এবং তার মা। এরপরই তাদেরকে আলাপ্পুঝার মেডিকেল কলেজের কভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না দুই পরিবারের। পরবর্তীতে দুই পরিবার মিলে ঠিক করে নির্ধারিত দিনেই বিয়ে সম্পন্ন হবে। বিষয়টি জেলাশাসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে বিয়ের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। অনুমতি পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনেই হাসপাতালের কভিড ওয়ার্ডে আভিরামিকে বিয়ে করেন শরথ। তবে বিয়ের জমকালো কোনো শাড়ি বা সাজ পোশাক নয়, পিপিই পরে বিয়ের কাজটি সারেন তিনি। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই বিয়ের একাধিক ছবি। সেখানে দেখা গেছে, পিপিই কিট পরে বিয়ে করতে এসেছেন আভিরামি। অন্যদিকে, শরথের পরনে নীল জামা এবং প্যান্ট দেখা গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং পরিবারের অল্প কয়েকজন সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়েটা সম্পন্ন হয়। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বিয়ের সেই ছবি। অনেকেই নবদম্পতিকে আশীর্বাদও জানিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে গত বছরও এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছিল।
বর্তমানে তার ছেলে বিট্টুর (ছদ্মনাম) বয়স ১২ বছর। বিট্টু তার পালক পিতার কাছে বড় হচ্ছে। বিট্টু ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের কাছে তার মায়ের প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে আবেদন করবে বলে জানানো হয়েছে।
 

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

বিয়ে থেকে রেহাই পেতে থানায় গিয়ে আশ্রয় স্কুলছাত্রীর!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় জোরপূর্বক এক স্কুলছাত্রীকে তার বাবা-মা বাল্যবিয়ে দিতে চাইলে মেয়েটি থানায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ ওই মেয়েটির বাবা-মাকে আটক করেছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের শাহজাহান ফকিরের মেয়ে ও বিএইচপি একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তিন্নি আক্তারকে (১৪) পার্শ্ববর্তী বসুন্ডা গ্রামের রুহুল তালুকদারের ছেলে হাসিব তালুকদারের সঙ্গে অবৈধভাবে রোটারির মাধ্যমে গোপনে বিয়ে দেয় স্কুলছাত্রীর বাবা-মা। রোটারির মাধ্যমে বিয়ের কথা ওই স্কুলছাত্রীকে জানায়নি তার বাবা-মা।
১৬ মে রাতে ওই ছাত্রীর স্বামী দাবি করে তাদের বাড়িতে আসেন হাসিব তালুকদার। এই বিয়ের কথা ওই তিন্নি আক্তার জানতে পেরে রাতেই দৌড়ে গিয়ে থানায় আশ্রয় নেয়। পরে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ওই রাতে গিয়ে ফুল্লশ্রী গ্রাম থেকে স্কুলছাত্রীর বাবা শাহজাহান ফকির ও মা পারুল বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা শাহজাহান ফকির ও মা পারুল বেগমের কাছ থেকে পুনঃবয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেখা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 

অনলাইনে বৈষম্যের শিকার নারী
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বছরের পর থেকে মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি জীবনযাপন করছে। প্রযুক্তির প্রসারের এ যুগে ইন্টারনেট ছাড়া দুনিয়া চলে না। এ সময়ে অফিস, কেনাকাটা, শিক্ষা কার্যক্রম, এমনকি বিনোদনসহ যাবতীয় সবকিছুই অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছে আরও বেশি। ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের অভ্যস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে হয়রানিও। এ ক্ষেত্রে বয়স, শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ ভেদাভেদ না থাকলেও সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী।
অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি হলেও নানা রকম হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতার কারণে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে নারী। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে নারী। আফ্রিকায় ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন ৩৭ শতাংশ পুরুষ, অথচ এ সুবিধাপ্রাপ্তিতে নারীর সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ঘানায় নারী ও শিশুদের জন্য খোলা প্রযুক্তি স্কুল সুরনকো একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রেগিনা হনু বলেন, ‘যদি তাদের (বিশেষ করে নারীদের) ডিজিটাল দক্ষতা বা প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকে, তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বে।’ তিনি জানান, করোনার আগে আমরা যখন প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য নারীদের আহ্বান করতাম, তখন যেখানে ১০০ থেকে ২০০ জনের মতো নারী নিবন্ধন করতো, এখন ২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক নারী নিবন্ধন করছে। করোনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বুঝতে পারছে, ডিজিটাল দক্ষতা কতটা জরুরি।
দরিদ্র দেশ ঘানায় বাস্তব অবস্থাটা এমন যে, একজন সাধারণ শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কম্পিউটার স্পর্শ করারও সুযোগ নেই। এছাড়া লিঙ্গ বৈষম্য তো আছেই!
নারীরা সাইবার স্পেসে শুধু বৈষম্যের শিকারই হচ্ছে না, হেনস্থারও শিকার হচ্ছেন এ লকডাউন পরিস্থিতিতে। পাকিস্তানের লাহোরকেন্দ্রিক একটি হেল্পলাইনে করোনাকালীন ফোন কল ৫০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে ডিজিটাল হয়রানি সংশ্লিষ্ট কল।
এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ডিজিটাল শিক্ষামাধ্যম (জুম, মিট, টিম ইত্যাদি) ও টুইটারে তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া আইডি খোলা, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও প্রচার, শরীর ও পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য, যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের হুমকি, ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে নিপীড়ন করা ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়া ইত্যাদি হয়রানির শিকার হয়েছেন নারীরা।
সাইবার বিশেষজ্ঞ ওসিকুল আলম মিল্লাত বলেন, এসব হয়রানির স্বীকার হওয়া সত্ত্বেও অনেক নারী সামাজিক নানা কারণে আইনের আশ্রয় নেন না। অথচ আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে অপরাধের ধরন অনুযায়ী আইনের বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা হতে পারে।
এছাড়াও সাইবার অপরাধের শিকার নারীরা যাতে সহজে এবং ভয়ভীতিহীনভাবে অভিযোগ জানাতে ও প্রতিকার চাইতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে একটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ করেছে।‘


বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে ইউএনও, বর-কাজীর কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় বাল্যবিয়েতে অংশ নেওয়া এবং বিয়ে পড়ানোর অপরাধে বর ও কাজিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২১ মে ২০২১ দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত বর রকি আলী (২৩) সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামের আইনাল হকের ছেলে ও কাজী জাহিদুল ইসলাম (৪২) একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পিরোজখালী গ্রামে গভীর রাতে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় বাল্য বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেন তিনি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর রকি আলীকে এক মাস ও কাজী জাহিদুল ইসলামকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের রাতেই জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এক কিশোরীর সঙ্গে পিরোজখালী গ্রামে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ের সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসঙ্গে বর ও কাজীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৭ ধারায় তাদের দণ্ডিত করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহযোগিতা করেন পেশকার সোবহান আলী, আরমান আলী এবং সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নীতিশ কুমার।

 

বাল্যবিয়ে বাড়ছে হাটহাজারীতে: উদ্বিগ্ন প্রশাসন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালে নানা কারণে হাটহাজারী উপজেলায় বাড়ছে বাল্যবিয়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ১ সপ্তাহে ৩টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।
এসব বিয়ের কনের আসনে বসানো হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের।
সূত্র জানায়, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রী অলস সময় কাটাচ্ছে ঘরে। আবার আয়-রোজগার কমে যাওয়া, নানা শঙ্কা ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ‘ভালো ছেলে’ হাতছাড়া না করতে অনেক অভিভাবক বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের। ইউএনওকে ফাঁকি দিতে আইনজীবীর রুমে এফিডেভিট করে নিচ্ছেন অনেক অভিভাবক। এতে উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলশিক্ষক, সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের।
২৮ মে ২০২১ বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও এ প্রসঙ্গে বলেন, কনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে ওবায়দুল্লাহ নগর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বর ঠিক করা হয়েছিল একই ইউনিয়নের এক প্রবাসফেরত ছেলের সঙ্গে। বিয়ের প্রীতিভোজ চলাকালে বর আসার আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করি। উভয় পক্ষ জানায় তারা আইনজীবীর রুমে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।
পরে মেয়ের বাবা এবং বরের ভাইকে যখন বোঝানো হয় এভাবে বিয়ে বৈধ নয় এবং আইনগত ভিত্তি নেই এবং মেয়ে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়বে। তখন মেয়ের বাবা ভুল বুঝতে পারেন। বর কনে উভয় পক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কনের ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেবেন তারা।
অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব ও ইউপি সদস্যরা সহায়তা করেন।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে - আইজিপি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশ ও জনগণের কল্যাণে আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করার জন্য সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
১৯ মে ২০২১ বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুম শাপলায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত চারজন অতিরিক্ত আইজির র‌্যাংক ব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আইজিপি এবং অতিরিক্ত আইজি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন মোঃ দিদার আহম্মদ, মোঃ আতিকুল ইসলাম, এম খুরশীদ হোসেন ও মোঃ শফিকুল ইসলাম।
আইজিপি বলেন, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আজ আপনারা পুলিশের সর্ব্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। এখন আপনাদের শুধু দেওয়ার পালা। আপনাদের দেশ, জনগণ, পুলিশ এবং সিনিয়র ও জুনিয়র সহকর্মীদের জন্য কাজ করতে হবে।
পুলিশকে একটি শক্তিশালী ও মর্যাদাবান সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, এর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। গর্ব ভরে সম্মানের সাথে চাকরি করতে হবে, যাতে চাকরি শেষে গর্ব নিয়ে বাড়ি যাওয়া যায়।
পুলিশিংয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুপারভিশন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আইজিপি বলেন, পেশাগত শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও এর উৎকর্ষ সাধনে সুপারভিশনের কোনো বিকল্প নেই। আপনাদের এ দায়িত্ব নিতে হবে। পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব বাড়াতে হবে, সুপারভিশনের ওপর জোর দিতে হবে।
আইজিপি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিগণের মধ্যে মো. দিদার আহম্মদ ও এম খুরশীদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রথমবারের মতো র‌্যাবে পদায়ন ৪৮ এসপিকে্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া ৬৩ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার মধ্যে ৪৮ জনকে প্রথমবারের মতো পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) উপ-পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।
১৬ মে ২০২১ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই পদায়নের আদেশ দেয়া হয়।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাবে উপ-পরিচালক পদে মেজর পদমর্যাদার ১০৮টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ জনের মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আরও ১৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু নতুন ৪৮ জন এসপির কোথায়, কীভাবে পদায়ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, র ্যাব বিধি অনুসারে র‌্যাবের মোট জনবলের বাহিনীভিত্তিক বিভাজন হচ্ছে-পুলিশ বাহিনী- ৪৪%, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী- ৪৪%, বিজিবি- ৬%, আনসার- ৪%, কোস্টগার্ড-১% ও সিভিল প্রশাসন-১%।
এর আগে এসপি পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে র ্যাবে পদায়ন করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ জাতীয় স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে র‌্যাবের আত্মপ্রকাশ হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইতোমধ্যে বাহিনীটি সফলতার মুখ দেখিয়েছে।
কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণীকে ধর্ষণ: সেই এএসআই বরখাস্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনায় ভারতফেরত কোয়ারেন্টিনে থাকা এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোখলেছুর রহমানকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৭ মে ২০২১ সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মো. জাহাংগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৭ মে ২০২১ দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী খুলনায় থানায় এএসআই মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মো. জাহাংগীর আলম জানান, গত ১৩ মে রাত ১টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের (পিটিআই) মহিলা হোস্টেলে ভারতফেরত কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরতদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মোকলেছুর রহমান। ডিউটিতে থাকাকালীন উক্ত এএসআই কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরত এক তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরের রাতে আবারও ওই তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে এএসআই মাকলেছুর দ্রুত নিচে নেমে যায়। ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলে।
তিনি আরও জানান, এএসআই মোকলেছুর রহমানকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্যাতিত তরুণী খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইন্সপেক্টর থেকে এএসপি হলেন ১৮ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক পদের ১৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
২৪ মে ২০২১ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের জননিরপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস।
যারা পদোন্নতি পেয়েছেন, তারা হলেন- মোঃ ছবির উদ্দিন, জনাব মোঃ সেলিম নেওয়াজ, মোঃ আবদুল খালেক, মোঃ জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ আব্দুল মোনায়েম, মোঃ সামফুল আলম চৌধুরী, মোঃ আফজাল হোসেন, জিয়াউর রহমান, সুব্রত কুমার সাহা, আফজালুল ইসলাম, কাজী সাইদুর রহমান, সৈয়দ ফয়েজ আহমেদ, মোঃ রুহুল আলম, মোঃ ফরমান আলী, মোঃ আলী হোসেন খান, মোঃ নূরুল মোত্তাকিন, মোঃ সরাফত উল্লাহ, দাউদ হোসেন।
এর আগে ২৩ মে ২০২১ পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের ১২ জন পুলিশ সুপার (এসপি) ও ২৪ জন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

 

কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদক মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দি এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
৯ এপ্রিল রাতে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হলেন গাজীপুরের টঙ্গী দত্তপাড়া এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২)। তার হাজতি নম্বর-২৩৬৫/২০ ছিল।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার আবু সায়েম জানান, শাহবাগ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় এ কারাগারে বন্দি ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। রাতে হঠাৎ কারাগারের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় প্রথমে তাকে কারাগারে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক রাত পৌনে ১০টার দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলার আরও জানান, বন্দি জাহাঙ্গীর আলম স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

দুই বছরে কর্তব্যরত ৭২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্তব্যরত অবস্থায় দুই বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে ২০১৯ সালে ২৭ জন এবং চলতি বছরে ৪৫ জন মারা গেছেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর পুলিশে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি।
আশা-ভরসার অবলম্বন হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা। কারও কারও স্ত্রীর উপার্জনে চলছে সংসার। স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংসারের হাল ধরেছেন তাদের স্ত্রীরা।



Top
 

 

স্বাস্থ্য সংবাদ



আম খেয়ে যা খাওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
চলছে আমের মৌসুম। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর আম। পৃথিবীর অন্যতম সুস্বাদু এই ফল অনেকেরই অতিপ্রিয়। রসালো এই ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবনসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
তবে আম খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। দেখে নিন আম খাওয়ার আগে কি কি খাওয়া যাবে না।
পানি
কথায় আছে ফল খেয়ে জল খাওয়া যাবে না। আমেও ক্ষেত্রেও এটি শতভাগ সত্যি। আম খাওয়ার পর পানি পান করলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। হতে পারে পেট ব্যথাও। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত।
দই
আমের সাথে ভুলেও দই মিশিয়ে খাবেন না। কারণ দই আর আম এক সাথে শরীরে ফেলতে পারে বিরূপ প্রভাব। এতে চামড়ায় অ্যালার্জি হতে পারে। হতে পারে হজমে সমস্যা, এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়াও।
করলা
আম খাওয়ার পর করলা খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমিও হতে পারে। হতে পারে শ্বাসকষ্টও।
ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার
আম খাওয়ার সাথে সাথে ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খেলে হজমে সসম্যা দেখে দিতে পারে। ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতেও।
কোমল পানীয়
আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমল পানীয় খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়।


ব্যথার উপশম বরফে? জানেনই না কী ভুল করছেন!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
খেলতে গিয়ে পায়ে চোট লেগেছে, পড়ে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছেন, পেশিতে টান বা হাড়ে ব্যথা? হাতের কাছে প্রাথমিকভাবে একটাই তো ওষুধ!বরফ। এক খণ্ড বরফ ঘষে নিলেই মনে হল, আপাতত ঠিক আছে। পরে মলম বা মেডিসিনের খোঁজ করা যাবে।
না, সেই ধারণায় আপনাকে আমূল বদল আনতে হবে। এ বিষয়ে করা একটি গবেষণার ফল সম্প্রতি সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, আঘাতপ্রাপ্ত পেশির জন্য ঠান্ডাই সব চেয়ে ভাল উপশমকারী ব্যাপার নয়! শুধু তাই নয়, আঘাতপ্রাপ্ত পেশিতে বরফ চেপে ধরে ব্যথা কমাতে চেয়ে হয়তো আপনি আপনার পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার গতিটাই অজান্তে অনেক কমিয়ে ফেলছেন।
‘Applied Physiology’-র গবেষকেরা চল্লিশটি ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা করে তাদের মত জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, মানুষের শরীরের পেশির মতোই পেশির ধরন ইঁদুরের। তাই তারা ইঁদুর নিয়ে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় তারা ইঁদুরের পায়ে মাইল্ড ইলেকট্রিক শক দেন।
পরে তারা শক-প্রাপ্ত কিছু সংখ্যক ইঁদুরের পায়ে আইস-প্যাক বেঁধে দেন। বাকিগুলোর ওপর এই বরফ-প্রয়োগ করেন না। দেখা যায়, যে প্রাণীগুলোর ওপর বরফ প্রয়োগ করা হয়নি, সেগুলো বরং একটু দ্রুতই সেরে উঠেছে, যাদের পায়ে বরফ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর চেয়ে।
এ থেকে সিদ্ধান্ত হয়, আঘাতপ্রাপ্ত পেশিতে বরফ চিকিৎসা করলে বরং সেই পেশির স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে একটু বেশিই সময় লাগে। গোটা পরীক্ষার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন Kobe University Graduate School of Health Sciences-Gi professor of medicine Takamitsu Arakawaি। তিনি জানান, আমাদের শরীর জানে, কীভাবে দ্রুত সেরে উঠতে হয়।


ফ্যাটি লিভারের চর্বি কমবে মাত্র একটি উপাদানে!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের অনেকেরই সাধারন সমস্যা লিভারে চর্বি বা ফ্যাটি লিভার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, লিভার শরীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ এবং শক্তির ভাণ্ডার।
এটি পরিপাক নালি থেকে শরীরের মধ্যে যাওয়ার আগে রক্ত ছাঁকা, রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক ঘনত্ব বজায় রাখা, সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করার জন্য আয়রন ও গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, ক্ষুদ্রান্তে গিয়ে ফ্যাট হজম করান ও পিত্তরস নিঃসরণসহ নানা কাজ করে থাকে।
অবসাদ, ক্লান্তি, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, ওজন অনেক কমে যাওয়াসহ যৌন চাহিদা কমে যাওয়াও ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ।
লিভারে চর্বি তাড়াতে আমরা মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া শুরু করি। কিন্তু ওষুধ খেয়েও অনেক সময় তেমন কাজ করে না। তবে সমাধান পেতে পারি প্রাকৃতিক উপদানেই। যেমন, লিভারের সমস্যা থাকলে তেঁতুল সব থেকে উপকারি। তেঁতুল আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখে। এছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে।
যেভাবে তেঁতুল খাবেন
খোসা ছাড়ানো আধা কাপ তেঁতুল দুই গ্লাস পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি ছেকে নিয়ে সামন্য মধু মিশিয়ে সকাল-বিকেল দু’বেলা পান করুন।
তেঁতুলের শরবত পানে লিভারের ফ্যাট দূর করার সঙ্গে সঙ্গে আরও যে উপকারিতাগুলো আমরা পেতে পারি-
হৃদরোগের সমস্যা দূরতে সাহায্য করে
তেঁতুলে থাকা ল্য়াক্সেটিভ কোষ্ঠকাঠ্যিন্যের মতো সমস্যা দূর করে
এছাড়াও তেঁতুলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি বুড়িয়ে যাওয়া ত্বককে রক্ষা করে
শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং লিভারে জমা ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে।
লিভার ভালো রাখতে তেতুলের শরবত পানের পাশাপাশি ওজন ঠিক রাখা, ধূমপান বন্ধ করাও জরুরি। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘুম। মনে রাখবেন, আমরা যখন ঘুমের মধ্যে থাকি, আমাদের লিভার তখন কাজ করে। এজন্য আমাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, যেন লিভারের কার্যক্রম ঠিকভাবে চলতে পারে।


করোনার পর কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাশি উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই কার্যকরী। করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পরও দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কাশি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করলে কাশি দ্রুত সেরে উঠবে।
বাসক পাতা
বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে এ পানি খেতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাসক পাতার রস খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই-তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়। তুলসী, আদা, লবঙ্গ, তেজপাতা, গুলমরিচ, দারুচিনি, কালোজিরা দিয়ে গরম মসলার চা খুবই উপকারী।
মধু
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস আর সামান্য আদার রসের মিশ্রণ প্রতিদিন এক-দুবার খেতে হবে। এ মিশ্রণ কফ ও গলাব্যথা উপশমে সহায়তা করে। গলায় ব্যথা কিংবা খুশখুশে কাশিতে সব ধরনের সমস্যাতেই মধু বেশ উপকারী। এতে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। এতে শরীরের উপকারী অনেক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে। শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুইবার করে গরম পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে গলা অনেকটাই আরাম পাবে।
আদা
অনেক অসুখ সারাতেই আদা কাজ করে। বিশেষ করে যেকোনো ধরনের সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর। কাশি না কমলে বাড়িতেই আদা দিয়ে চা তৈরি করে দিনে একাধিকবার খেতে পারেন। আরাম পাবেন।
লবণ পানি:
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মাঝে মধ্যে কুচিকুলি করতে হবে। লবণ জীবাণু তাড়াতে সাহায্য করে। সংক্রমণের কারণে শরীরে যে জীবাণু ঢুকেছে, তার সঙ্গে লড়াই করতে পারে লবণ। কয়েকদিন টানা কুলিকুচি করলে গলায় আরাম পেতে পারেন।
এছাড়াও গরম দুধে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা কাশি উপশমে বেশ কাজে আসে।
ডায়াবেটিস রোগীদের লিচু খাওয়া নিষেধ নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বাদের দিক দিয়ে লিচুর কোনো তুলনা হয় না। তার উপর লিচুর খাদ্যগুণও যথেষ্ট। সব ফলেরই কিছু না কিছু উপকারিতা থাকে, লিচুতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এই দুই ফল সম্বন্ধে আমাদের অনেক ভুলধারণাও রয়েছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে। তারা লিচু খেতে পারেন না, রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে।
লিচু কি ডায়াবেটিস রোগীদের একেবারেই নিষিদ্ধ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলটির অন্তত পক্ষে ৮১ শতাংশই পানি। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য এই ফল আদর্শ। এর প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেটের কারণে এর স্বাদও বেশ মিষ্টি। গরম মোকাবিলায় লিচুর তুলনা নেই। মৌসুমের সব ফলই খুব উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাত্র বিকল্প রয়েছে এবং সেটি হলো ফল। ফল খাওয়া তাদের শুধুমাত্র পুষ্টি সরবরাহ করে না, তাদের দেহে চিনির মাত্রাও বজায় রাখে।
লিচু অনেক গুণাবলীর ভাণ্ডার। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে যেমন স্যাপোনিন, স্টিগমারস্টেরল, এপিটিকন, লিউকোসায়ানডিন, মালভিডিন, গ্লাইকোসাইডস এবং প্রোকায়ানডিনস এ টু এবং বি টু। এছাড়াও, লিচু পাতা, বীজ এবং ফুল সব ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ফলের ব্যবহার কেবল গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তবে গ্রীষ্মের মৌসুমে এটি আপনাকে শীতলতাও সরবরাহ করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসে লিচুর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।
অ্যান্টি ডায়াবেটিস বৈশিষ্ট্য
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। লিচুর ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রি র ্যাডিক্যালের প্রভাব হ্রাস করা যায়। লিচুর খেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থাও মেরামত হয়।
কতটা পরিমাণে লিচু খাবেন
ডায়াবিটিস রোগীদের লিচু খাওয়া নিরাপদ, তবে আপনি এটি পরিমিতরূপে খেতে ভুলবেন না। ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের ক্যালোরির যতœ নিতে হবে। আপনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন এবং সঠিক পরিমাণে আপনার কত ফল খাওয়া উচিত তা জেনে নিন।
ইমিউনিটি বুস্টার লিচু
ডায়াবিটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায়শই খুব দুর্বল থাকে। যার কারণে অসুস্থ হতে শুরু করে। তবে লিচু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও উন্নত হতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এতে অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগিক ম্যাক্রোফেজগুলির উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে। এটির মাধ্যমেই অনাক্রম্যতা বাড়ানো শুরু হয়।
স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে লিচু
ডায়াবেটিস রোগীরা জন্য ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা সকলেই জানেন।লিচুর ভিতরে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া লিচুর ভিতরে কোলেস্টেরলও নেই। এছাড়াও লিচুতে রয়েছে প্রচুর বৈশিষ্ট্য যা চাপ কমাতে সাহায্য করে। শুধু এটিই নয় এর অভ্যন্তরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিনের উৎপাদন উন্নত করে।


ভ্যাকসিন নিলেও করোনা হচ্ছে, তাহলে কেন নেবেন! 


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মহামারি করোনা পুরো বিশ্ববাসীকে গত একটা বছরে একটা দিনের জন্যও স্বত্বি দিচ্ছে না। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সঙ্গে মৃত্যুও।
এই অবস্থায় অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন মাহামারি রোগটিতে। এবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে টিকা নিয়ে কী হবে?
ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর সোশাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল হেলথ সায়েন্টিস্ট, শামীম আহমেদ বলেন, মহামারি থেকে বাঁচতে ভ্যাক্সিন নিতেই হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাক্সিনকে সবচেয়ে নিরাপদ ধরা হচ্ছে। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন করোনাক্রান্ত মানুষকে মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি থেকে বেশ সফলভাবে বাঁচাতে পারলেও এর কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যার জন্য অনেক দেশেই এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তবে উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন ছাড়া গত্যন্তর নেই। এজন্য এটিই নিতে হবে।
করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে, এই মুহূর্তে মহামারি থেকে নিজেদের নিরাপদে রাখতে যা করতেই হবে:
* ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড যেটা পাওয়া যাবে সুযোগ পেলেই ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন। কারণ তিনটি ভ্যাক্সিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে কার্যকর
* দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। করোনাভাইরাস মূলত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় সুতরাং যতটা পারা যায় মানুষের সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। দূরত্ব না থাকলে যেকোনো জায়গায়ই ঝুঁকিপূর্ণ
* মাস্ক পরা। দূরত্ব বজায় না থাকলেও যদি মাস্ক পরা থাকে, তবে কিছুটা প্রতিরোধ হয়। নিজে মাস্ক পরুন, অন্যকেও মাস্ক পরতে উৎসাহিত করুন
* কিছু স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে নিন। হাত না ধুয়ে চোখে-মুখে হাত দেবেন না
* যেখানে বারবার হাত ধুতে পাবরেন না, সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।


মাছি থেকে খাবারে বিষক্রিয়া, তাড়াতে কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘর হয়তো আপনার মনের মতো। সব সময় পরিষ্কারও রাখেন। তবে মাছির উৎপাত লেগেই আছে। রান্নাঘরে অনেক কিছুই আপনাকে রান্না করে রাখতে হয়। কিন্তু রান্না করা গরম খাবারের মধ্যে যদি মাছি পড়ে তবে কিন্তু সর্বনাশ। খাবারের চারপাশে যদি দেখেন মাছি ভনভন করছে, তবে কিন্তু মুশকিলের ব্যাপার। মাছি ভনভন করে ঘুরে মুহূর্তের অস্বাস্থ্যকর ও খাবারও বিষাক্ত ছাড়াবে। গবেষকরা বলছেন, ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তাই মাছি যদি খাবারে বসে তবে পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঘরের মাছি তাড়ানো জরুরি।
আসুন জেনে নেই মাছি তাড়াতে কী করবেন?
১.মাছি তাড়তে রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে।
২. রান্নাঘরের কোণগুলোতে ভিনিগার স্প্রে করতে পারেন। ভিনিগার মাছির যম। ২. ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে ক দিন স্প্রে করুন রান্নাঘরে।
৩. রান্নাঘরের জানালায় দু'টুকরো দারুচিনি রাখুন।
৪. রান্নাঘরে লবঙ্গ ছড়িয়ে রাখন। ৫. প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালাতে পারেন। ভালো ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন। কোনোভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। খাবার ঢেকে রাখুন।

 


উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় বাঁচে করোনাভাইরাস


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে নতুন করোনাভাইরাস। তাপ প্রায় ফুটন্ত অবস্থার কাছাকাছি নিলেই কেবল এই ভাইরাস ধ্বংস হয়। ফ্রান্সের একদল গবেষকের পরীক্ষায় এমন ফল পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের এইক্স-মার্সাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে করোনার স্যাম্পলকে তাপ দেওয়ার পরও এর কিছু অংশকে সক্রিয় দেখতে পেয়েছেন তারা। ভাইরাসকে সেদ্ধ করার পর্যায়ের তাপমাত্রা প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এর যা ফল এসেছে তাতে ল্যাবের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার এক ধরনের বানরের কিডনি কোষ এবং জার্মানির একজন রোগীকে ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। ‘পরিষ্কার’ এবং ‘নোংরা’ পরিবেশে রাখা হয় সংগ্রহ করা ভাইরাসের স্যাম্পলকে। তাপ প্রয়োগের পর দেখা যায়- পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও সক্রিয় থাকে নোংরা পরিবেশের ভাইরাস। মর্নিং পোস্ট বলছে, ল্যাবে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্য ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। আরও তাপ প্রয়োগ করাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে ফ্রান্সের গবেষক দল জানিয়েছে। তারা বলছেন, ১৫ মিনিট ধরে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা করোনার স্যাম্পলের ওপর প্রয়োগ করা হলে এটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে পানি ফুটে যায় বা বাষ্পীভূত হয়। গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, পরিবেশ বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে করোনাভাইরাস। এই জটিলতা সমাধানের পথ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।

 

টাক কেন শুধু পুরুষের মাথায়ই হয়!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়, ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে। অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা, মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


ভোক্তার যত অধিকার
 

(পূর্ব প্রকাশের পর)
অপরাধ ও দন্ড: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের অধীন সকল অপরাধ জামিনযোগ্য , আমলযোগ্য ও আপোষযোগ্য। উক্ত আইনের ধারা ৩৭ থেকে ৫৫ পর্যন্ত অপরাধ ও শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধি দ্বারা কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহার-বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে থাকলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৩৭]। কোন আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করে তার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করে সেই অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৩৮]। আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করে তার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ না করলে এবং সংশ্লিষ্ট স্থানে বা সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে উক্ত তালিকা প্রদর্শন না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৩৯]। আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৪০]। কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করলে বা করতে প্রস্তাব করলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৪১]। কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৪৪]। কোন ব্যক্তি প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন [ধারা ৪৫]। কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনে উক্ত পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৪৬]। কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা হলে হলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন [ধারা ৪৯]। মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করলে বা করতে প্রস্তাব করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ড দন্ডিত হবেন [ধারা ৫১]।কোন সেবা প্রদানকারী অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানী ঘটালে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ড দন্ডিত হবেন [ধারা ৫৩]। এছাড়াও খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপির, পরিমাপে কারচুপি, পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করার, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করার ও অপরাধ পুনঃ সংঘটন উক্ত আইন মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধ ।
মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা: অত্র আইনের ৫৪ ধারা মতে, কোন ব্যক্তি, কোন ব্যবসায়ী বা সেবা প্রদানকারীকে হয়রানি বা জনসমক্ষে হেয় করা বা তার ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করলে, উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদন্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
কে অভিযোগ দায়ের করতে পারে: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা এই আইনের অধীন ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারবেন।
যেখানে অভিযোগ দায়ের করা যাবে: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র এবং প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দায়ের করা যাবে।
যেভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হবে: দায়েরকৃত অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বা অন্য কোন উপায়ে, অভিযোগের সাথে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ সংযুক্ত করতে হবে। অভিযোগকারী তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম, এনআইডি নং, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করবেন। অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা, অপরাধের বিবরণ, সাক্ষ্য প্রমাণ উল্লেখ থাকতে হবে।
 

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.