BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover January 2021

English Part January 2021

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


ক্ষমতার চেয়ার ও কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ক্ষমতার চেয়ার ও কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২৭ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কেরাণীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করে তিনি।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিজের কারাবন্দি হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের ক্ষমতার চেয়ার ও কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে। যেটা খুবই স্বাভাবিক। ২০০৭ এ যেটা হয়েছে, ক্ষমতা ছাড়াও কিন্তু সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাজেই সেটা আমরা জানি, রাজনীতি করতে গেলে এটা হবে।
সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধুর বারবার জেল খাটার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু অপরাধ করলেই যে জেলে যায় তা না। এর মধ্যে ১৯৪৮ সালে যখন আমাদের মাতৃভাষা বাংলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তখন জাতির পিতা যে প্রতিবাদ করেছিলেন, সে প্রতিবাদের কারণে কারাগারে যেতে শুরু করেন। তারপর তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে অত্যন্ত মানবেতরভাবে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারের সঙ্গে সব সময় আমাদের একটা সম্পর্ক আছে। ছোটবেলা থেকেই কারাগারে যাই, সেখানকার ভালো-মন্দ অনেক কিছু জানারও সুযোগ হয়।
‘জাতির পিতা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে কারাগার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। ’
কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কারাগারে শুধু অপরাধীদের বন্দি করে রাখা নয়, সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করা, তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের কিছু শিক্ষা দেওয়া এবং যাতে তারা বের হয়ে ভবিষ্যতে একই অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কারাগারে এই ব্যবস্থা নিয়েছি।
 

 
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন ডিসেম্বর ২০২০

 ডিসেম্বর ২০২০ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৯১৫ জন

মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ৫০ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ৫০ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৯১৫ জন। ডিসেম্বর ২০২০ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ২৯ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে ২টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ৫০ জন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে ডিসেম্বর ২০২০ মাসে মৃত্যু ৯১৫ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ১ জন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মৃত্যু ২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৪ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ১ জন, অপহরণ হত্যা ২ জন, গুপ্ত হত্যা ৩ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২০ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ২ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৫৩ জন এবং আত্মহত্যা ৩ জন।
ডিসেম্বর ২০২০ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয় ৩ জন।

 

 

 পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি আজ : প্রত্যাশিত শান্তি কি মিলছে?
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তৎকালিন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লার সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে শান্তিবাহিনীর দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সংগ্রামের। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র আন্দোলনকারী সদস্যরা। শান্তিচুক্তির ফলে প্রাথমিকভাবে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সকল অধিবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এছাড়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি পালনে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২ দশকের সংঘাত বন্ধে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
চুক্তির ফলে স্বাভাবিকতা ফিরে আসায় দূর পাহাড়ের বুক চিরে রাত-দিন ছুটছে যানবাহন। এক সময় জেলার বাইরের অন্য জেলার সঙ্গে ৩টার পর যোগাযোগ করার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাহাড়ের পর্যটন স্পট সাজেক ছিল আতঙ্কিত ও বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগ ছিল নিষিদ্ধ। চুক্তির ফলে সেই সাজেক পর্যটন স্পট আজ পাহাড় ছেড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র সুনাম ছড়িয়েছে। গড়ে উঠেছে বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁ। প্রতিনিয়ত আসছে শত শত পর্যটক।
এছাড়া সারাদেশে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য এলাকায় বিগত সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ে শান্তির পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারীদের আর্থ-সামাজিক জীবনেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
 

  
জাতিসংঘের তিন সংস্থার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন রাবাব ফাতিমা

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাগুলোর কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
নিউইয়র্কে এক নির্বাচনে তিনি এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বুলগেরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এ তিন সংস্থার বোর্ডে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দুজন সহ-সভাপতি হলেন নেদারল্যান্ড ও গাম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি। এর ফলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এ বোর্ড তিনটির সদস্য ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং তাদের কাজে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দিতে পারবে।
মাঠ পর্যায়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিতে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা ইউএনডিপি দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করে থাকে। ইউএনপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে; আর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়াবলীর প্রকল্প সংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস।
নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী বোর্ডের প্রথম সভায় দেওয়া বক্তব্যে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থা তিনটির কাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামর্থ্যরে প্রতি আস্থা রাখা এবং বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোর জন্য বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বোর্ডসমূহের কাজ বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষাপটে আবার আগের ভালো অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে গৃহীত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সংস্থা এবং এর নির্বাহী বোর্ডের দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে, এর ফলে যে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এ নির্বাচন তারই প্রতিফলন।
চলতি বছরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
 

 

 

প্রাপ্তবয়স্করা স্বেচ্ছায় বিয়ের জন্যে ধর্মান্তরিত হতে পারবেন
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
ভারী তুষারপাত এবং ব্যাপক শীতের কারণে বসনিয়ায় শত শত অভিবাসী তাঁবুতে চরম নাজেহাল অবস্থায় দিন পার করছে। সামান্য কিছু পলিথিন আর ডালপালা দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়ে তুললেও শীতের প্রকোপ থেকে তারা রক্ষা পাচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারী তুষারপাতের কারণে সেখানকার তাপমাত্রা কমে গেছে। বসনিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে লিপা শিবিরে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষজন পাতলা কম্বল এবং ব্যাগ গায়ে দিয়ে থাকছে।
সম্প্রতি বিহাস শহরের পাশের ওই শিবিরে আগুন লাগে। এতে অভিবাসী শিবিরের তাঁবুগুলো পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর বসনিয়া কর্তৃপক্ষ সেখানকার অভিবাসীদের জন্য থাকার যথাযথ ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি।
শীত থেকে বাঁচার বা নিজেদের শরীর গরম করার জন্য কোনো উপায়ও নেই তাদের কাছে। অন্যদের দিয়ে যাওয়া খাবারের প্যাকেটের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে হাজারখানেক মানুষ অসহায় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 


 

বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না: মমতা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংগীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আরজি জানালেন তিনি। নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, “যতই নিন্দা করুন। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।' ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ আলিপুরের উত্তীর্ণতে সংগীত মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। কীভাবে তাদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর, তাও তিনি এদিনের মঞ্চে তুলে ধরেন। কুর্ণিশ জানান বাংলার প্রতিভাদের। নিজেদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে বাংলার নাম উজ্জ্বল করার পরামর্শ দেন মমতা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানেই সংগীত মেলার উদ্বোধন হয়।
সংগীত মেলার উদ্বোধন হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, “বাংলার বিভাজনের কোনও স্থান নেই। ধর্ম আলাদা হলেও মানুষ একই। গোটা মানবজাতি একটা পরিবার।” আর বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংগীত জগতের মানুষকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে মমতার তোপ, “যতই বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হোক বাংলার আশপাশে কেউ আসতে পারবে না। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না।”
এদিন তিনি আরও বলেন, “সংগীত যেমন নানা রঙের সমাহার নানা যন্ত্রের ব্যবহার তেমনই জীবনের নানা রঙ। এটাই বৃহত্তর মানবজাতির পরিচয়। একে ভাগ হতে দেব না।”

 

জাতিসংঘে সবচেয়ে নিন্দিত দেশ ইসরাইল
ইসরাইলি হামলা বন্ধে জাতিসংঘে সিরিয়ার চিঠি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭১তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর অধিভুক্ত সকল শাখা কমিটির তিন সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে এক র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটি ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যাত্রা করে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার প্রধান অতিথি হিসেবে র‌্যালীর নেতৃত্ব দেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উলে­খ করেন, প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলেই মানবাধিকার আন্দোলন সফল করা সম্ভব। তিনি বলেন, উপস্থিত মানবাধিকার কর্মী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দগ যে যে অবস্থায় কর্মরত আছেন তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশে একটি মানবাধিকার সম্মত সমাজ গড়ে উঠবে। কেউ দায়িত্ব পালন করবে না, কেউ করবে তাহলে মানবাধিকার আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মানবাধিকার আন্দোলনকে সফল করতে হলে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের প্রশাসন কর্তৃক মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তা করতে হবে, যাতে করে নির্বিঘেœ মানবাধিকার কর্মীরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
BHRC সদর দপ্তর আয়োজিত র‌্যালীতে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ক অঞ্চল) এর সভাপতি মোঃ হারুন-অর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা সেন্ট্রাল রিজিওনাল ব্রাঞ্চের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর উত্তর-পশ্চিম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি রাজিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ।



বাংলাদেশ-ভারতের তরুণ শিল্পীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান দোরাইস্বামীর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশ ও ভারতের তরুণ শিল্পীদের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিল্পের মাধ্যমে মানুষকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা সম্ভব। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ রাজধানীতে এক শিল্পকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
‘শেখ হাসিনা : অন দ্য রাইট সাইড অব স্টোরি’ শীর্ষক শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করে কসমস সেন্টার। সেটি উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। এ সময় হাইকমিশনারের স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাইস্বামী ও কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও আগামী বছর বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সময়ে এ শিল্প প্রদর্শনীর অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখে। আগামী দিনেও এমন আরো উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এই শিল্প প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের ২১ জন শিল্পীর ছবি স্থান পেয়েছে। কসমস সেন্টারে আগামী ২২ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন ২০ জন দর্শনার্থী প্রদর্শনী দেখতে পারবেন।

 

  সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারী বিমানবালা নিয়োগ 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারী বিমানবালা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। সংস্থাটি জানায়, নারী যাত্রীদের সেবার জন্য ৫০ জন বিমানবালা নিয়োগ করা হয়েছে। তারা দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দেবেন। নারী বিমানবালারা প্রথম ধাপে জেদ্দা ও রিয়াদ বিমানবন্দরে কাজে যোগ দেবেন। গত জানুয়ারিতে সৌদির বেসরকারি বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বিমানবালা হিসেবে সৌদি নারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সৌদিতে এবারই প্রথম নারীদের এ পদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
এরপর সম্প্রতি এক ঘোষণায় সৌদি এয়ারলাইন্স জানায়, বিমানবালা হিসেবে নারীকর্মীদের কমপক্ষে মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীদের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী হতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
সৌদি এয়ারলাইন্সের চাহিদা অনুযায়ী ওজন ও উচ্চতা হতে হবে। পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

 

 খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় বেশি খেলে লাখ টাকা জরিমানা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারির পরে চীন এখন শস্য সংকটে পড়েছে। খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় চীনে একটি নতুন কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’। এই অপারেশনের উদ্দেশ্য হলো রাতে কম খাবার খাওয়া এবং খাবারের অপচয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এছাড়াও চীনা সরকার একটি নতুন নীতি বাস্তবায়ন করেছে। এর আওতায় লোকজন এবং হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোকে খাবার নষ্ট করার জন্য জরিমানা করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’ শুরু করে জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য মানুষকে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাবার খেতে উদ্বুদ্ধ করা।
বলা হচ্ছে, খাবার নষ্ট করায় চীন নাকি অনেক এগিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখা গেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি এক সঙ্গে ১০টা বার্গার এবং পিজ্জা খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনে ‘ওভার ইটিং’ অর্থাৎ একবারে কে কত খেতে পারে এমন একটি চ্যালেঞ্জ দারুণ জনপ্রিয়। বর্তমানে অনেকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বেশি খাওয়ার ভিডিও বানাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন থেকে সেটি আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’-এর আওতায় চীনে বেশি খাওয়া বে-আইনি হবে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার জন্য প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রেস্তোরাঁগুলো যদি এই আইন লঙ্ঘন করে তবে তাদের উপরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চীনে এই চ্যালেঞ্জের ভিডিওগুলো প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ১০টি পিজ্জার খাবারের চ্যালেঞ্জ নেয়া হয়। আইনের আওতায় বলা হয়েছে, যেসব টিভি চ্যানেল এসব দৃশ্য বা চ্যালেঞ্জ প্রমোট করবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যেহেতু চীন শস্য সংকটে ভুগছে, তাই খাদ্য অপচয় রোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, চীনে প্রতি বছর ৩ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়। অর্থাৎ মোট উৎপাদনের ৬ শতাংশ শস্য নষ্ট হয়।


   করোনার টিকার ন্যায্য বণ্টনের আহ্বান ডব্লিউএইচওর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য বণ্টনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
ডব্লিউএইচওর প্রধান ৩০ ডিসেম্বর এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের বছর পূর্তির এক দিন আগে ভিডিও বার্তা দেন তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
ভিডিও বার্তায় শুধু ধনী দেশ নয়, বিশ্বের সব জায়গায় ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য টিকা কিনতে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থের জন্য আবেদন জানান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে এই চ্যালেঞ্জের কথা আমাদের বলতে হবে।’
ধনী-গরিব দেশ নির্বিশেষে করোনার টিকার ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করা কোভ্যাক্স উদ্যোগের লক্ষ্য।্রা



 

 মানুষের জীবনকে ওষুধ কোম্পানির মুনাফার উপরে স্থান দিতে হবে

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানুষের ইতিহাস মূলত সম্মিলিত স্বার্থে পরিচালিত হওয়ার ইতিহাস, ব্যক্তিস্বার্থে নয়। অর্থনীতিবিদরা আমাদেরকে এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছেন যে, আমরা কেবল ব্যক্তিস্বার্থেই পরিচালিত হই, আর এজন্য ব্যক্তিগত মুনাফা সর্র্বোচ্চ করতে কাজ করি। এখন সময় হয়েছে ব্যবসাকে পুরোপুরি সমাজের চাহিদা পূরণের কাজে নিয়োজিত করে সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে আমাদের মূল পরিচয়কে পুনরুদ্ধার করা; মুনাফা কখনোই মানুষের মঙ্গল ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হতে পারে না। এটা আরো বেশি সত্য আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে- যাকে ১৯৪৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংবিধানে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিতি করা হয়েছে। আমি তখন মাত্র ৬ বছরের শিশু।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ঔষধ শিল্প- যা রেকর্ড সময়ে কোভিড-১৯ এর নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে- করদাতাদের অর্থে অর্জিত উদ্ভাবনের ফসল নিয়ে গোপন একচেটিয়া চুক্তি করেছে, যেখানে কিনা তাদের উচিত ছিল এই ভ্যাকসিনের বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্বাধিকার ও প্রযুক্তি মানবতার পরবর্তী মহৎ কর্মে স্বেচ্ছায় হস্তান্তর করে দেয়া: এই ভ্যাকসিনকে পৃথিবীর সকল জায়গায়, সকলের কাছে সম্ভাব্য সবচেয়ে কম খরচ ও সময়ে পৌঁছে দেয়া।
এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই: আমরা যদি একযোগে, সম্মিলিতভাবে এই কাজ করতে ব্যর্থ হই তাহলে এর ফলাফল হবে ভয়ানক ও দীর্ঘস্থায়ী। এরই মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার ধনী দেশগুলো এই ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় সবটাই তাদের জনগণের স্বার্থে তাদের নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে এবং এর ফলে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। আমরা যখন ২০২১ সালের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত, তখন এই মহামারির একটি ভ্যাকসিন-চালিত পরিসমাপ্তির সম্ভাবনার পরিবর্তে বরং এক বিরাট নতুন সামাজিক বিভাজন দক্ষিণ গোলার্ধের অনেকের মধ্যেই ভীতি ও ক্রোধের সৃষ্টি করতে যাচ্ছে: যাদের ভ্যাকসিন আছে ও যাদের নেই - এই বিভাজন। মহামারি যত বিস্তৃত হবে তত বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করতে থাকবে এবং এই ভাইরাসও তত বেশি পরিবৃত্তির ও ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী হওয়ার সুযোগ পাবে। ফল হবে সর্বত্র ভাইরাসটির নতুন নতুন প্রবাহের ঝুঁকি। অপরদিকে ঈঙঠঅঢ (কোভ্যাক্স) এর মতো প্রশংসনীয় বর্তমান পদ্ধতি সত্ত্বেও ২০২১ সালের শেষে পৃথিবীর সর্বত্র এই ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত ডোজ নিশ্চিত করা যাবে না। উত্তর গোলার্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস এর এই জরুরি সতর্কবার্তা শুনতেই চাচ্ছে না যে, সকলকে নিরাপদ না করা পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়। আগামী দীর্ঘ একটি বছরে সকল দেশকে জরুরিভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সামগ্রীসমূহ সংগ্রহ করতে হবে, সর্বনিম্ন খরচে সকলের জন্য কার্যকর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণদের- যেমন স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক মানুষদেরকে যতো দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দিতে হবে।
 

অবশেষে বিদায় নিলো তিয়ান ই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে পদ্মা সেতুকে সার্ভিস দিয়ে আসা ক্রেন তিয়ান ই আজ মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার বুকে এই দানবাকৃতির ক্রেনটি সফলভাবে ৪১টি স্প্যান বসানোর অভিজ্ঞতা লাভ করে। ক্রেনটি বাংলাদেশে এসেছিলো চীন থেকে।
উল্লেখ্য, ক্রেনটি প্রথমে মাওয়া থেকে রওনা হয়ে কিছুদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করবে। যাত্রাপথে ক্রেনটিকে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী নিরাপত্তা প্রদান করবে। চট্টগ্রামে কাস্টমস জটিলতা শেষ করে আরেকটি বড় মাদার ভেসেলের সহযোগিতায় ক্রেনটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবে এবং হংকং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। গন্তব্যে পৌঁছাতে ক্রেনটি সময় নিবে প্রায় ৩৫ দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সেতু সূত্র।
এ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রেনটিকে অপারেশনাল রাখতে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে প্রত্যেক মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করতে হতো। বিশ্বসেরা ক্রেনটির দাম প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা। ক্রেনটির সক্ষমতা ৩৬০০ টনের অধিক। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর জন্য ক্রেনটিকে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছিলো! যদিও তিয়ান ই কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক্রেনটির বিদায়বেলায় কর্মকর্তারা আনন্দাশ্রু দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন যেন তার সাথে অনেক মিতালি সবার। সবাই বলছিলেন, বিদায় তিয়ান ই তোমাক মনে রাখবে বাংলাদেশ। বাঙালিদের গর্বিত ইতিহাসের তুমিও সাক্ষী।
 

 

টিকা নিলে পুরুষ নারীকণ্ঠে কথা বলবে, নারীদের দাড়ি উঠবে: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। করোনাভাইরাসকে তিনি সামান্য ফ্লু বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন। যদিও পরে তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু এরপর তার তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অবহেলা কমেনি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি বলেন, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন মানুষকে কুমির বানিয়ে দিতে পারে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি এক হাস্যকর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ছেলেরা মেয়েকণ্ঠে কথা বলবে। আর মেয়েদের মুখে দাড়ি উঠবে।' এ কারণে তিনি নিজে কখনও এই টিকা নেবেন না বলে ঘোষণা দেন। ব্রাজিলে মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার ও জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়েছে কয়েক মাস ধরে। ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। ব্রাজিলেও শুরু হয়েছে টিকা দেওয়া কর্মসূচি। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো বলেন, ফাইজারের চুক্তিতে একটা বিষয় পরিষ্কার: আমরা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী নই। আপনি যদি কুমিরে রূপান্তর হয়ে যান, তবে এটি আপনার সমস্যা। যদি অতিমানবে (সুপারহিউম্যান) পরিণত হন, যদি কোনো নারীর দাড়ি উঠতে শুরু করে অথবা কোনো পুরুষ নারীকণ্ঠে কথা বলতে শুরু করেন, তাদের কিছু করার থাকবে না? এর আগে গত বুধবার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন, এটা বিনামূল্যে হলেও বাধ্যতামূলক নয়।
তবে বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রুল জারি করেন যে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক, কিন্তু কারও ওপর বলপ্রয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ, কর্তৃপক্ষ চাইলে ভ্যাকসিন না নেওয়ায় মানুষজনকে জরিমানা অথবা নির্দিষ্ট জায়গায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারবে। তবে জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।


 

 করোনাকালে অর্থনীতির ত্রাতা গার্মেন্ট-রেমিট্যান্সে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারির ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি যখন মহাসংকটে, তখন দেশের অর্থনীতির ২টি সূচকে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েই চলেছে আর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। যা পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে অর্থনীতির দুএকটি সূচকে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাব এখন গার্মেন্ট ও রেমিট্যান্সে দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে: বিশ্বব্যাপী বিশেষত ইউরোপে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হলেও এখনো বড় আঘাত লাগেনি। সর্বশেষ নভেম্বর মাসের হিসাবে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেনি। বরং গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে সামান্য বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ৩০৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি করেছে। গত বছরের নভেম্বরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার। অবশ্য নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৮.২০ শতাংশ। এই সময়ে তৈরি পোশাকসহ বেশিরভাগ পণ্যই রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
এ ছাড়া ইপিবির হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাস (জুলাই-নভেম্বর) পর্যন্ত সার্বিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ (০.৯৩ শতাংশ)। করোনার এই ক্রান্তিকালেও রপ্তানি না কমে যাওয়াকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৪ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
 



Top

 একই দিনে মা এবং মেয়ের বিয়ে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মা-মেয়ের একই দিনে বিয়ে হয়েছে এমন ঘটনা বিশ্বে বিরল। কিন্তু অদ্ভুত শোনালেও সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। সেখানে আয়োজিত গণবিবাহে মা-মেয়ে একসঙ্গেই বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। সাধারণত ভারতের বহু রাজ্যেই গণবিবাহের আসর বসে। কখনো সরকারি সহায়তায়, কখনো আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে সম্প্রতি সে রকমই গণবিবাহের আসর বসেছিল। সেখানেই ঘটে এই অদ্ভুত ঘটনা।
জানা গেছে, ওই নারীর নাম বেলি দেবী। ৫৩ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী হরিহর ২৫ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে একাই পাঁচ সন্তানকে বড় করেন। এর মধ্যে দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের বিয়েও দেন। বাকি ছিল ছোট মেয়ে। সম্প্রতি গণবিবাহের আসরেই ছোট মেয়ে ইন্দুর বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ২৭ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের আসরে তিনি নিজেও বিয়ে করলেন। বর মৃত স্বামীর ভাই এবং সম্পর্কে ওই নারীর দেবর। তার নাম জগদীশ। পেশায় কৃষক ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তি। তিনিও এতদিন অবিবাহিতই ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে মোট ৬৩টি যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে ২৯ বছর বয়সী রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ইন্দুর। তবে মায়ের বিয়েতেই যেন সবচেয়ে বেশি আনন্দিত তিনি।
 

Top

দুই বোন এখন দুই ভাই!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছিলেন দুই বোন। চিকিৎসকের সুচারু অস্ত্রপচারের পর এখন তারা দুই ভাই। অবাক শোনালেও এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। তাদের আরও সাতটি বোন রয়েছে। এজন্য সম্পর্কে ও শরীরের পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল তারা।
জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, লিঙ্গ পরিবর্তন অস্ত্রপচার বেশ জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু তারা ঝুঁকি নিতে চেয়েছিল।পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি জমিদার পরিবারের সন্তান তারা। দুই বোন লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলেতে পরিণত হওয়ায় পরিবারের লোকজনও বেজায় খুশি।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গুজরাত জেলার সোনাবড়ি গ্রামে থাকে দুজন। বুশরা আবিদ ও বাফিয়া আবিদ ছেলে হওয়ার পর নিজেদের নাম রেখেছে বলিদ আবিদ ও মুরাদ আবিদ। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর দুজনেই দারুণ খুশি।
আসলে দুজনেই ছোট থেকে ছেলে হতে চাইতেন। তারা যদি পরস্পরের ভাই হতে পারেন, তাহলে ভাল হয়। এমন ইচ্ছা পুষে রেখেছিলেন মনে। সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় দুজনেক খুশির অন্ত নেই। দুজনেই ছোট থেকে ছেলেদের পোশাক পরতে ভালবাসতেন। তাদের স্বভাবও ছিল অনেকটাই ছেলেদের মতো। তাদের আরও সাতটি বোন রয়েছে। সেই বোনেরা দুই ভাইকে পেয়ে খুব খুশি।
ইসলামাবাদে হয়েছে তাদের অপারেশন। পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এর ১২ জন ডাক্তার মিলে এই জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন। গত দুবছর ধরে সিনিয়র ডাক্তার আমজাদ চৌধুরির কাছে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুজন।
এই অস্ত্রপচারের আগে ও পরে শারীরীক পরীক্ষা করাতে হয়। কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন পড়ে। অস্ত্রোপচারের পর ওষুধের মাধ্যমে হরমোনের উৎপাদন করা হয়।

 

চতুর্দশেই ব্যাংক মালিক!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৪ বছরের এক কিশোরের কাছে অর্থের মানে কী? এই বয়সি কারও কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর সেভিংসের মানে, উত্তরটা গোলমেলে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারা শুধু মাথা ঘামায় পকেটমানি নিয়ে। এ টাকা ইচ্ছামতো খরচ করে কৈশোরের স্বাদ মিটিয়ে থাকে তারা। অথচ এ বয়সের এক কিশোর সত্যিকারের ব্যাংক বানিয়ে সাড়া বিশ্বকে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সেই ব্যাংকের টাকা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনও চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ ব্যাংকার হোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি। পেরুর বাসিন্দা সে।
কেন ব্যাংক বানানোর কথা তার মাথায় এল? কীভাবেই বা আস্ত ব্যাংক বানিয়ে ফেলল হোসে? মাত্র ৭ বছর বয়সে প্রথম চিলড্রেন’স সেভিংস ব্যাংক গড়ে তোলে হোসে। প্রথমে তার সহপাঠীরাই ছিল গ্রাহক। এখন তার ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা হাজার দু’য়েক! ৮ জন কর্মী নিয়ে ব্যাংক চালায় হোসে। তারা সকলেই হোসের থেকে বয়সে অনেক বড়। হোসের ব্যাংকের নাম বার্টসেলানা স্টুডেন্টস ব্যাংক।
 

টিকা পাবে না ১৮ বছরের নিচের কেউ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ ভাগের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাদের কারোরই করোনার টিকার প্রয়োজন হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশই ১৮ বছর বয়সের কম বয়সীদের টিকা দিবে না। এদের ট্রায়ালও দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে। এ সংখ্যাটি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। আগামী জুন মাসের মধ্যে এদের সবারই টিকা দেশে আসবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওষুধের ল্যাবটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সেই ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি, জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সেই ভ্যাকসিন পাবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ভ্যাকসিন পরিবহন ব্যবস্থা, স্টোরেজ সিস্টেম, কোল্ড চেইন মেইনটেন্যান্সের জন্য কোল্ড বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে নয়টি টিকা দেওয়া হয়। সেসব টিকার পরীক্ষা হয় এই ল্যাবে। নয়টি ভ্যাকসিনের সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে যোগ হচ্ছে করোনার টিকা।

 

১৮০৪ রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরে গেল নৌবাহিনীর জাহাজি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুয়াশামুক্ত আলোঝলমলে সকালে একে একে পাঁচটি জাহাজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। এ সময় নানা বয়সী এসব মিয়ানমারের নাগরিকের চোখে মুখে খেলা করছিল নতুন স্বপ্ন।
পরনে ছিল লাইফ জ্যাকেট। নদীতে ছিল নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, নৌ পুলিশের স্পিড বোটগুলোর টহল, কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানচর। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর রাতে দুই দফায় ৩০টি বাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে আনা হয়। পতেঙ্গার বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে তাদের রাতযাপনের ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৩০টি বাস দুই ধাপে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে।




হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০’ নামে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সরকার হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতার ভিত্তিতে সে দেশের যেকোনো স্থানে হজ অফিস স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম নিতে পারবে। আইনের অধীনে নিবন্ধন ছাড়া কাউকে ওমরা বা হজে কেউ পাঠাতে পারবে না। যদি কেউ এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম করে, তাহলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ দিয়ে হজ ও ওমরা এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পরে কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালে তবে ওই অপরাধ এই দেশে (বাংলাদেশে) হয়েছে বলে গণ্য করে এই আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে। এ ছাড়া হজ ও ওমরা এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে বলেও জানান আনোয়ারুল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন খোয়ানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। অনিয়মের জন্য পর পর দুই বছর ওয়ার্নিং দেয়া হলে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে। হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 

মামলাজট কমানোর আহ্বান প্রধান বিচারপতির!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মামলাজট কমাতে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিচারের সমতা নীতির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করছি। কারণ জনগণের আস্থাই বিচারকদের বড় সম্পদ। করোনার ক্রান্তিকালে ভার্চুয়ালি বিচার বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগে উল্লেখযোগ্য হারে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবে বিচারকদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। এ সময় ন্যায়বিচার প্রতিায় বিচারকদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, করোনার দুঃসময়েও দেশে বিচারকাজ চালু রেখে বিচার বিভাগ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিগত ৪৮ বছরের পথচলায় আইনের শাসন প্রতিায় বহু উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।



 

শপথ নেয়ার আগে করোনায় মারা গেলেন মার্কিন আইনপ্রণেতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের এক সদস্য মারা গেছেন। ৪১ বছর বয়সী রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতা লুক লেটলো রাজ্যটির পঞ্চম জেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল অ্যাডওয়ার্ডস এক টুইটবার্তায় বলেন, খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে লসঅ্যাঞ্জেলেসের ফার্স্ট লেডি ও আমি নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান লুক লেটলোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর লুক তার জনগণের খেদমত করতে পারেননি। এতে আমার মন ভেঙে গেছে। কিন্তু তার পরিবারের কথা ভেবে আমি বিধ্বস্ত।
লেটলো তার স্ত্রী জুলিয়া বার্নহিল লেটলো ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মার্কিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তার পরিবার জানায়, বিগত দিনগুলোতে আমরা মানুষের কাছ থেকে বহু সমর্থন ও প্রার্থনা পেয়েছি। কিন্তু এই কঠিন ও অপ্রত্যাশিত সময়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছি। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজনের সময় পরে জানিয়ে দেয়া হবে। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনায় মারা যাওয়া মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম সদস্য হলেন লেটলো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটতে দেখা গেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ২৬ হাজার ২২৮ জন। আর মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৭ হাজার ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

 স্পেনের সংসদে ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ হয়ে গেল স্পেনের সংসদের নিম্নকক্ষে। উচ্চকক্ষ বা সেনেটে তা পাশ হয়ে গেলেই এই আইন বলবৎ হয়ে যাবে। স্পেনে ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ করানো খুব সহজে হয়নি। বাধা এসেছে অনেক।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ ডিসেম্বর দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। এ দিন সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষে ইচ্ছামৃত্যু সংক্রান্ত বিলের উপর ভোট হয়। ভোটে জয় হয় ইচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়ার। এরপর স্পেনে গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগী ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন। এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা সম্মত হলে ইচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্পেনে ২০১৯ সালে ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, দেশের সিংহভাগ মানুষ ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। তবে ভিন্ন সুরও ছিল। দেশের কনজারভেটিভ পার্টি এবং অতি দক্ষিণপন্থী দল এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্য, খ্রিস্টধর্মের প্রথা অনুযায়ী এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ম আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না।
বামপন্থী এবং মধ্য দক্ষিণপন্থীরা অবশ্য এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, যে ব্যক্তির চিকিৎসা আর সম্ভব নয়, যিনি অসুখে তীব্র কষ্ট পাচ্ছেন, তার ইচ্ছামৃত্যু বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
এখন ইচ্ছামৃত্যু স্পেনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছরের শুরুতে উচ্চকক্ষ বা সেনেটেও পাশ হয়ে যাবে আইনটি।
ইচ্ছামৃত্যুর আইন অবশ্য যথেষ্ট জটিল। রোগীকে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট চারবার আবেদন জানাতে হবে। কোনো চিকিৎসক যদি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না চান, তাকে বাধ্য করা যাবে না। আবেদনকারীকে স্পেনের নাগরিক হতে হবে। অন্য দেশের মানুষ স্পেনে গিয়ে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন না।



 

Top

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক এক নতুন ভাইরাস সনাক্ত
মো: দ্বীন ইসলাম হাওলাদার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী এক আতংকের নাম করোনা ভাইরাস, যা স্থবির করে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। বিশ্বব্যাপি করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৯ কোটি মানুষ, পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ, শিক্ষাসহ সরকারি বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই করোনার কড়াল থাবা জেঁকে বসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। অন্যান্য সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে এবং অনেকাংশে তা সম্ভবও হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা সেক্টরের কোনো অগ্রগিত হচ্ছে না। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে। পাশাপাশি অটো পাশ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি কলংকিত অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগাতার বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নয় বরং করোনার চেয়েও ভয়াবহ এক ভাইরাসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যর সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার একটা সামন্য অংশ। কিন্তু নতুন এ ভাইরাস সকল শিক্ষার্থী এবং যুব সমাজকে মেরে ফেলছে। যা পুরো বিশ্বকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী (মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের) এবং যুব সমাজ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। কোনো বিজ্ঞানীর পক্ষে যার কোনো টিকা আবিস্কার সম্ভব নয়। আর এ ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়াও কোন সহজ কাজ নয়। সেটা আর কিছুই নয় “মোবাইল ভাইরাস”।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লেখাপড়াও প্রায় বন্ধ। তাই শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইলে অফলাইন এবং অনলাইন খেলা নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি অশালীন ভিডিওতো আছেই। রাতের বেলায়ও তাদের চোখে ঘুম নাই। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন চোখের সমস্যা, মাথা ব্যাথসহ নানা জটিল রোগে ভোগছে, শুধু অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে। আর ক্ষতির চূড়ায় পৌছাতে যতটুকু বাকি ছিলো তা পূর্ণ করেছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাসের কথা বলে প্রায় সকল শিক্ষার্থীই বাবা-মার কাছ থেকে জোর করে এনড্রোইড ফোন আদায় করেছে। করোনায় দরিদ্র বেকার পিতামাতা তাদের গরু, ছাগল, অলংকারাদি বিক্রি করে হলেও মোবাইল কেনার অর্থের যোগান দিয়েছেন সন্তানদের শিক্ষার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু তার ফলাফল দাড়িয়েছে এখন এই যে, শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার আর ইউটিউবে পরে থাকে। সময় মতো নেট না পেলে তারা মারমুখো হয়ে যায়। বর্তমানে খেলাধূলা (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), হাট বাজার, গণপরিবহন, মিছিল-সমাবেশ সবই তাদের গতিতে চলছে শুধু বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছেলে-মেয়েরাও ঘরে বসে নাই। তবে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কেন এই অটোপাস ? যা চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিয়েছে আমাদের শিক্ষার মেরুদন্ডকে। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার আরেকটি বড় প্রতিবন্ধকতা হলো-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত কয়েদখানার মতো শিক্ষাঙ্গণে আটকে রাখা হয়, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমাদের শিক্ষাবিদদের তা উপলব্ধি করার ক্ষমতা নাই। পাশাপাশি অতিরিক্ত বইয়ের বোঝাতো আছেই। এসমস্যা থেকে পরিত্রাণের আশু ব্যবস্থা না নিলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙ্গে পরবে।
লেখকঃ প্রভাষক, দুমকি ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা, দুমকি, পটুয়াখালী।

 
নিজের স্বামী বেছে নিতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্ক নারী: এলাহাবাদ হাইকোর্ট


ভারতে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে ঠেকাতে নতুন আইন করায় ও স্থানীয় প্রশাসন এ ধরনের দম্পতিকে হয়রানি করায় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি তার স্বামী নিজেই পছন্দ করতে পারেন এবং তার সঙ্গে জীবন কাটাতে চান, সেই স্বাধীনতা রয়েছে তার।
লাভ জিহাদের অজুহাতে উত্তরপ্রদেশের পর একের পর এক বিজেপিশাসিত রাজ্য যখন বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধী আইন কার্যকর করতে ওঠে-পড়ে লেগেছে, সেসময় ভিন্ন ধর্মের এক দম্পতিকে নিয়ে মামলার শুনানিতে এ রায় দেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
আদালত সাফ জানিয়েছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সিদ্ধান্তে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির নাক গলানোর অধিকার নেই।
উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ আইন কার্যকর হওয়ার আগে ইটায় সালমান নামে এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন শিখা নামে এক হিন্দু তরুণী। তা নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিখার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে অপহরণ করেছেন সালমান। জোর করে শিখাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিখাকে শিশুকল্যাণ কমিটির হেফাজতে পাঠিয়ে দেন জেলার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। সেখান থেকে বাবা-মায়ের হাতেই আসে শিখার হেফাজতের ভার।
জেলা আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সালমান। বেআইনিভাবে তার স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সেই মামলার শুনানিকালে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন এবং মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকেই একহাত নেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ নকভি ও বিবেক আগারওয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ।
তারা জানান, মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এবং শিশুকল্যাণ কমিটি আইন-কানুন সম্পর্কে কতটা শ্রদ্ধাশীল তা তাদের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিখার সঙ্গেও একদফা কথা বলেন দুই বিচারপতি।
আদালতে শিখা জানান, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় সালমানকে বিয়ে করেছেন তিনি।
আদালতে স্কুলের সার্টিফিকেট জমা দিয়ে শিখা জানান, ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর তার জন্ম। সেই হিসাবে আইনত প্রাপ্তবয়স্ক তিনি। তার পরেও জোর করে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাকে। পুলিশকেও তিরস্কার করেন আদালত। সালমানের সঙ্গে শিখা শ্বশুরবাড়ি না ফেরা পর্যন্ত ওই দম্পতিকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন দুই বিচারপতি।
 


 করোনায় ৮ কোটি চাকরি নাই শুধু এশিয়ায়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল বিশ্ব। অর্থনীতির অবস্থা হয়েছে নাজুক। করোনার টিকা বাজারে আসার খবরে অনেক কিছু স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু করোনার প্রভাবে এরই মধ্য এ বছরে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮ কোটি ১০ লাখ চাকরি নাই হয়ে গেছে। চাকরি হারিয়েছেন এসব মানুষ। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে। অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের চেয়ে এ বছর কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে প্রায় সব দেশেই।
সমপ্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২০: ন্যাভিগ্যাটিং দ্য ক্রাইসিস টুওয়ার্ডস আ হিউম্যান-সেন্টার্ড ফিউচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোয় করোনা মহামারির প্রভাব সুদূরপ্রসারী। নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। চাকরিতে যাঁরা ছিলেন, এমন লাখো মানুষের কর্মঘণ্টা কমেছে, আবার অনেকে পুরো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এক হিসাবে দেখা যায়, এ অঞ্চলে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর্মঘণ্টা কমেছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং তৃতীয় প্রান্তিকে কমেছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। করোনা সংকটের আগের সময়ের সঙ্গে তুলনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বেকারত্বের হার গত বছরের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালে হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে।
আইএলওর সহকারি মহাপরিচালক এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক চিহোকো আসাদা মিয়াকাওয়া বলেন, এই অঞ্চলের শ্রমবাজারে ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। কয়েকটি দেশের সরকার করোনা মহামারি ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলেও অনেক দেশই সামাজিক নিরাপত্তা ঘাটতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুব একটা সহায়তা করতে পারেনি। ফলে, শ্রমিকেরাও কাজে ফিরতে পারেননি। পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতে থাকা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের চেয়েও নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। কারণ, তাঁরাই বেশি চাকরি হারিয়েছেন। এ ছাড়া তরুণেরা চাকরি হারিয়েছেন বা কর্মঘণ্টা কমার কারণে কমেছে বেতনও। চাকরিহারা তরুণের সংখ্যা ৩ থেকে ১৮ গুণ পর্যন্ত বেশি আগের বছরের তুলনায়। এসব কারণে সার্বিকভাবে শ্রমিকদের আয় কমেছে ১০ শতাংশ।

 

৭২তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে BHRCর সদর দপ্তরের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

১০ ডিসেম্বর ২০২০ইং ৭২তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তর ৪ ডিসেম্বর ২০২০ বিকেল ৩টায় BHRCর সদর দপ্তরে এক সমন্বয় সভা অনুতি হয়। সমন্বয় সভায় BHRCর ঢাকা বিভাগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRCর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী সভাপতি মির্জা শাহাদাত হোসেন। অনুানে বক্তব্য রাখেন BHRCর ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওয়ারেছ আলী, ঢাকা সেন্ট্রাল রিজিওনাল ব্রাঞ্চের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজাহারুল ইসলাম স্বপন, মুগদা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব আলম রিজন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর আলম, রামপুরা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মতিঝিল থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন, সূত্রাপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমির হামজা প্রমুখ। 
 

করোনাই শেষ মহামারি নয় : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাই বিশ্বের শেষ মহামারি নয়। পরবর্তী মহামারি থেকে বাঁচতে আমাদের করোনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মহামারি প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
ভিডিও বার্তায় গেব্রেয়াসুস বলেন, ইতিহাস আমাদের বলে যে এটাই শেষ মহামারি নয়। মহামারি আমাদের জীবনের অংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন। এই মহামারি দেখিয়েছে যে প্রাণী এবং পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য কতটা জড়িত। আমরা মহামারিতে অনেক টাকা খরচ করি। কিন্তু যখন এটি শেষ হয়ে যায় তখন ভুলে যাই। তাই এখনই সময় এই মহামারি থেকে আমাদের শিখতে হবে।


সর্বকনিষ্ঠ মেয়র


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসেবে উঠে এলেন দক্ষিণের বামপন্থী কন্যা। কেরালার এসএফআই নেত্রী আর্যা রাজেন্দ্রণ তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার মেয়র পদে শপথ নিতে চলেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই আর্যার এ কৃতিত্ব গোটা ভারতেই বিরল। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও। বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কেরল রাজ্য কমিটির সদস্য ২১ বছরের আর্যা রাজেন্দ্রণ। তিনি সিপিএম শাখা সংগঠনেরও সদস্য। কেরলের মুদাভানমুগল ওয়ার্ড থেকে তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার লড়াইয়ে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। বিপক্ষের ইউডিএফ প্রার্থী শ্রীলেখাকে ২৮৭২ ভোটে হারিয়ে দেন বিএসসি অঙ্ক অনার্সের ছাত্রী আর্যা।
এরপর সিপিএম রাজ্য কমিটিই মেয়র পদে তার নাম প্রস্তাব পাঠায়। নতুন দায়িত্ব জানানো হয় সদ্য তরুণী কমরেডকে। সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র পদে বসে নতুন ইতিহাসের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কী প্রতিক্রিয়া আর্যা রাজেন্দ্রণের? সহজ-সরল মেয়ের একটাই কথা, ‘দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই খুব ভালভাবে মনে দিয়ে পালন করার চেষ্টা করব। বাড়তি নজর অবশ্যই থাকবে স্থানীয় মহিলাদের সমস্যা সমাধানে। তাঁদের অসুবিধা দূর করা অগ্রাধিকার’।
আসলে, বামশাসিত কেরালায় পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করতে উদ্যোগী বিজয়নরা, ভিএস-রা। যার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে স্থানীয় স্তরের নির্বাচনগুলিতে বেশিরভাগ নতুন, তরুণ মুখকে দাঁড় করিয়েছে শাসক এলডিএঠ। এ তালিকায় রয়েছে আর্যার মতো বেশ কয়েকজন। আর্যা এখনও কলেজছাত্রী। সেন্টস কলেজে অঙ্কে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে বামপন্থী রাজনীতিও করেন পুরোদমে। রাজ্যের নবীন প্রজন্মের বেশ উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আর্যা। তারই পুরস্কার পেলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে স্থানীয় পুরসভার মেয়র পদে উত্তরণ। তবে এ নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হতে রাজি নন একুশের তরুণী। বলছেন, এখন দায়িত্ব আরও বেশি। তা ভালভাবে পালন করতে পারা বড় চ্যালেঞ্জ।


২০২১ সাল থেকে থাকছে না শ্রেণি রোল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বর থাকছে না। এর পরিবর্তে সবাইকে একটি করে ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
২৯ ডিসেম্বর ২০২০ বই উৎসব নিয়ে আয়োজিত অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমাদের শ্রেণিকক্ষে সহযোগিতামূলক আচরণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রোল নম্বরের কারণে। তাই ২০২১ সাল থেকে শ্রেণিকক্ষে থাকছে না কোন রোল নম্বর।
তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জন্য এই ইউনিক আইডি সারাজীবন থাকবে। এই আইডি সে সারাজীবন ব্যবহার করবে। এরমাধ্যমে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

 



সৌদিতে নারী অধিকার কর্মীর কারাদণ্ড

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে এক নারী মানবাধিকারকর্মীর পাঁচ বছর আট মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। লুজাইন আল-হাথলুল (৩১) নামের ওই মানবাধিকারকর্মী নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ২০১৮ সালে লুজাইনসহ কয়েক নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করে সৌদি সরকার।
দেশি-বিদেশি অনেক মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। এর মধ্যে গত সোমবার সৌদি আরবের বিশেষায়িত ফৌজদারি আদালত লুজাইনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। রায়ে বলা হয়, লুজাইন সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা করার প্রমাণও মিলেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
লুজাইন ও তাঁর পরিবার শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এ ছাড়া কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও আদালতে অভিযোগ তুলেছেন লুজাইন। তবে আদালত তাঁর সেই অভিযোগ আমলে নেননি।
সৌদি আরবে ২০১৮ সালেই নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়। আর লুজাইনকে গ্রেপ্তার করা হয় এর কয়েক সপ্তাহ আগে। সৌদি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, লুজাইনকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গে নারীদের গাড়ি চালানোর আন্দোলনের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
লুজাইন দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। সেই হিসাবে তাঁকে আরো দুই বছর ১০ মাস কারাভোগ করতে হবে। স্বজনদের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পর লুজাইনের সঙ্গে তিন মাস যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। ওই সময় বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চাবুক দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এমন প্রস্তাবও দেওয়া হয়, আদালত কিংবা গণমাধ্যমে তিনি যদি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন তাহলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভাষ্য, এই বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়নি। লুজাইনের মামলা বিশেষায়িত আদালতে স্থানান্তরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত নভেম্বরে একটি বিবৃতি দেয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মতে, বিশেষায়িত আদালতের ওপর সৌদি সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের কারণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এমবিএস নামে পরিচিত এই যুবরাজই নারীদের গাড়ি চালানোর দাবি মেনে নিয়েছিলেন। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ টানতে কট্টরপন্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সৌদি আরবের অঘোষিত এই শাসক।


করোনায় দিশেহারা ইসরাইল : কারাগার বন্ধ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইহুদীবাদী ইসরাইলের কারাগারগুলোতে মূলত স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের আটকে রাখা হয়। এবার সেই কারাগারও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের।
সারা বিশ্বের মতো ইসরাইলেও দাপট দেখাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে রামন কারাগারের বন্দী ও নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ফলে ওই কারাগার বন্ধ করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
প্যালেস্টাইন প্রিজনার সোসাইটি (পিপিএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
তবে কারাগার বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার পিপিএস এক বিবৃতিতে জানায়, কারাগার বন্ধের বিষয়টি বন্দীদের মধ্যে করোনা ভয়ানক আকার ধারণের ইঙ্গিত দেয়।
ইতিমধ্যে কারাবন্দীদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বন্দী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। রেমন কারাগারে সাতটি সেল আছে এবং তাতে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী আছে বলে জানা যায়।
ফিলিস্তিনের বন্দী বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র হাসান আবেদ রাব্বু বলেন, ওহানার বক্তব্য জাতিবিদ্বেষমূলক। এতে করে বন্দীদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপরাধ যুক্ত হল।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

কালকিনিতে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে নির্যাতন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

কালকিনিতে যৌতুকের দাবিতে ঘরে আটকে রেখে ফারজানা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে স্বামী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবার। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী পরিবার ও সরেজমিন এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার মৃধাকান্দি গ্রামের হারেজ মৃধার মেয়ে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে এনায়েতনগর গ্রামের সোবহান সরদারের ছেলে আরিফ সরদারের পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়া হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন মিলে বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে ফারজানাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। বর্তমানে আরিফ বাড়িতে একটি পাকাঘর নির্মাণের জন্য স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তার পরিবার গরিব হওয়ায় এ টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি আরিফ ও পরিবারের লোকজন মিলে ফারজানাকে ঘরে আটকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও গোপণাঙ্গ খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ বিষয় অভিযুক্ত আরিফের বাবা সোবহান সরদার বলেন, ফারজানাকে মারধর করার পর আমরা তাকে চিকিৎসা করিয়েছি। আর মারলে কি হয়েছে। থানার ওসি মো. নাছিরউদ্দিন মৃধা বলেন, নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে ‘ব্লেড দিয়ে’ হত্যার চেষ্টা
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে মারুফা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর সারা শরীর ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামী। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছে, ছয় বছর আগে সাভারের কান্দি ভাকুর্তার গোলাম মোস্তফার মেয়ে মারুফা আক্তারের সঙ্গে আশুলিয়ার কুটুরিয়ার ধলপুর এলাকার আব্দুর রহমান আজাদের বখাটে ছেলে শেখ সাদী আজাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই গৃহবধূর কাছে তার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সাদী আজাদ।
কিন্তু ওই গহবধূ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে গতকাল শনিবার তাকে ধরে সারা শরীর ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। এ সময় ওই গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা ওই গৃহবধূর গোঙ্গানি শুনে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূর হাত-পা সহ বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে নির্মমভাবে কেটে দেওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


শিশুশ্রমে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিগত বছরগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া ও খেলাধুলা করে ব্যস্ত সময় কাটালেও গত ৯ মাস ধরে করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে করোনার কারণে উপার্জন কমে যাওয়ায় ফুলবাড়ীর হতদরিদ্র পরিবারগুলো তাদের শিশুদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করছেন। এতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা কম পারিশ্রমিকে তাদেরকে নানা কাজে যুক্ত করছেন। এতে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বাড়বে অভিমত শিক্ষকসহ সচেতন মহলের।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। উপজেলার দাসিয়ারছড়ার বটতলা এলাকার দিনমজুর ইজ্জত আলীর ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে হাফিজুর সবার বড়। ছেলের স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবারের আয় বাড়াতে তাকে কালিরহাট বাজারে একটি চায়ের দোকানে দৈনিক ১০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে কাজে নিয়োজিত করেছেন। হাফিজুর জানায়, আমি কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় গত ১৫ দিন ধরে চায়ের দোকানে কাজ করছি। এখানে মালিক দুই বেলা খাওয়া-দাওয়া দেয়। সঙ্গে দৈনিক ১০০ টাকা দেয়। আমার উপার্জনের টাকা বাবার হাতে তুলে দেই। স্কুল খুললে স্কুলে যাব। হাফিজুরের বাবা ইজ্জত আলী জানান, ‘বাহে আমরা খুবেই গরিব মানুষ। করোনার কারণে আয় কমেছে।
তাই ছেলেটাকে মানুষের দোকানে রেখে দিয়েছি। স্কুল খুললে ছেলেকে স্কুলে পাঠানো হবে।’

 

নারীর কর্মস্থল এখনো অনিরাপদ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে গত জুনে এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক মো. শাহ আলম (৬৫) গ্রেফতার হন। বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের এই চিকিৎসক ভুক্তভোগী সেই নারী কর্মীকে (ফিজিশিয়ান) চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন। গত ৭ জুন ক্লিনিকের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করাতে বাধ্য করেন। পরে ম্যাসাজের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করলে ডা. শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
গত জুলাইয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম হিরণকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুল পরিচালনা কমিটি। থানায় দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী বিদ্যালয়টির সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী আশরাফুল আলমের বাড়িতে পড়তে গেলে ওই শিক্ষক ছাত্রীটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশকে জানানো হয়। এ ছাড়া চলতি বছরই গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে চাকরি হারান। এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেলোয়ার হোসেনের ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জরুরি বৈঠক ডেকে তাকে অব্যাহতি দেয়। ওপরের ঘটনাগুলো বলছে, করোনা মহামারীতেও নারীরা কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না মেয়ে ও নারী শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ আদালত থেকে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও গত এক দশকের বেশি সময়ে হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠিত হয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই কমিটি গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া এই নির্দেশনায় অপরাধীর শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ১০ শতাংশ নারী পুলিশ নিজের কর্মস্থলে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। চলতি বছরের আগস্টে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্সের এক জরিপ থেকে জানা যায়, প্রতিটি নারী কর্মস্থলে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। এর বাইরে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠানে এবং পেশায় কর্মরত নারীরা প্রতিনিয়ত মানসিক, শারীরিক ও মৌখিকভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই নারীদের একটি বড় অংশই কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসা-যাওয়ার পথে গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রায়ই অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। চাকরি হারানোর ভয়ে অনেকেই দিনের পর দিন নীরবে এই অত্যাচার মেনে নিচ্ছেন।
সাহস করে কেউ আইনি লড়াইয়ে গেলেও তাকে নানা রকম হুমকি ও গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। অথচ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি করার জন্য ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই। হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠান কমিটি গঠন করলেও তা সক্রিয় নয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। এর প্রধান হবেন একজন নারী। এর মেয়াদ হবে দুই বছর। প্রতি বছর কমিটি দুই বার সভা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হল, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটভিত্তিক আলাদা কমিটি করতে হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে। পাঁচ সদস্যের কমিটি ওই কেন্দ্র পরিচালনা করবে। কমিটি যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলবে।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

বিধি মোতাবেক চাকুরি থেকে অব্যাহতি পরবর্তী গ্রাচুইটি প্রদান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ পরিদর্শককে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়।
আদেশে সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) বিপ্লব কিশোর শীলকে ওসি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা, ডিবি-রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. দেলোয়ার হোসেনকে ওসি ভাসানটেক থানা, সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আবদুল মজিদকে ওসি উত্তরখান থানা, ডিবি-রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শাহ্ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসকে ওসি উত্তরা-পশ্চিম থানা, সবুজবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার নাসির উদ্দিনকে ওসি ডেমরা থানা, শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোরাদুল ইসলামকে ওসি সবুজবাগ থানা, তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহা. কামাল উদ্দীনকে ওসি উত্তরা-পূর্ব থানা ও ভাসানটেক থানার ওসি মুন্সী ছাব্বীর আহ্ম্মদকে ওসি খিলক্ষেত থানায় বদলি করা হয়েছে।
একই আদেশে, উত্তরা-পূর্ব থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকীকে ডিবি-গুলশান বিভাগ, উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিনকে হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড অ্যাডমিন বিভাগ, উত্তরা-পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহাকে ডিবি-রমনা বিভাগ, খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনকে আইসিটি বিভাগ, সবুজবাগ থানার ওসি মাহবুব আলমকে ডিবি-রমনা বিভাগ, ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে ডিবি-উত্তরা বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আলী হোসেন খানকে প্রসিকিউশন বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শরীফুল ইসলামকে প্রসিকিউশন বিভাগে বদলি করা হয়।

 

এসএমপির দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন- আরআই ইন্সপেক্টর আবদুছ ছালাম ও আরও-১ এসআই খায়রুদ্দিন।
তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বিভাগীয় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) মো. রেজাউল হক স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এসএমপি কমিশনারকে এই্ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্তে ইন্সপেক্টর আবদুছ ছালাম এবং এসআই খায়রুদ্দিনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

মামলা, জিডির জন্য টাকা-পয়সা নেয়া চলবে না : আইজিপি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন- আরআই ইন্সপেক্টর আবদুছ ছালাম ও আরও-১ এসআই খায়রুদ্দিন।
তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বিভাগীয় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) মো. রেজাউল হক স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এসএমপি কমিশনারকে এই্ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্তে ইন্সপেক্টর আবদুছ ছালাম এবং এসআই খায়রুদ্দিনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

 

দুই বছরে কর্তব্যরত ৭২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্তব্যরত অবস্থায় দুই বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে ২০১৯ সালে ২৭ জন এবং চলতি বছরে ৪৫ জন মারা গেছেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর পুলিশে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি।
আশা-ভরসার অবলম্বন হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা। কারও কারও স্ত্রীর উপার্জনে চলছে সংসার। স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংসারের হাল ধরেছেন তাদের স্ত্রীরা।
ডিএমপি সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর কর্তব্যরত অবস্থায় যারা মারা গেছেন তারা হলেন পুলিশ পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ, রফিকুল ইসলাম, এসআই এসএম মুকুল মিয়া, রাজিবুল ইসলাম, বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, নূরুল আলম মজুমদার, কামাল হোসেন, নায়েক আবদুস ছালাম, আল মামুন রশীদ, গোপী চন্দ্র দেবনাথ, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, কামরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, হারুন অর রশিদ, আনিছুজ্জামান, জসিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন খোকা, আবদুল খালেক, এনামুল হক, আসলাম আলী, আলমগীর হোসেন, আবুল হোসেন আজাদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, তৌহিদুল ইসলাম, কাশেম আলী, সিরাজুল ইসলাম, সায়ফুল আলম, কাজী মো. মহসীন, তাজুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, শেখ টিপু সুলতান, জুলফিকার আলী, মঞ্জুর রহমান, কোরবান আলী, আবদুস সোবহান, অফিস সহকারী কাম কমিম্পউটার অপারেটর নীরোদ চন্দ্র মণ্ডল এবং উচ্চমান সহকারী তরুণ চন্দ্র সরকার। ২০১৯ সালে যারা কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন, শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রাজু, টিএসআই নুরুল ইসলাম, এএসআই মোজাম্মেল হক রুবেল, সাখাওয়াত হোসেন, ইমতিয়াজ আহম্মেদ, খায়রুল আলম, নজরুল ইসলাম, দুলাল ওয়াদুদ প্রামাণিক, সহিষ (ঘোড়া চালক) রফিকুল ইসলাম, নায়েক শহিদুল ইসলাম, রিয়াজুল আলম, কনস্টেবল মজিবুর রহমান, শহিদ মিয়া, আবদুর রহিম, এনামুল হক সরদার, রকিবুল হাসান, কাজী শরীফ, আজিজুল হক, আবুল কাশেম, নুর মোহাম্মদ রহমান, শ্রী রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, আবদুল কাদের, আবু জামাল, শহিদুল ইসলাম, মামুন মিয়া এবং সেহায়েত হোসেন শেখ।

 

অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নগরের কোতোয়ালী থানার সিনেমা প্যালেস এলাকার আদর আবাসিক হোটেলে অস্ত্র বিক্রির সময় স্বরূপ বড়ুয়া নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
স্বরূপ বড়ুয়া রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের প্রকৃত বড়ুয়ার ছেলে।
তিনি চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২৫ ডিসেম্বর ২০২০ রাতে একটি রিভলবারসহ স্বরূপকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানতে পারেন সিনেমা প্যালেস এলাকার আদর আবাসিক হোটেলে অস্ত্র বিক্রির জন্য এক ব্যক্তি অপেক্ষা করছেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে স্বরূপ বড়ুয়াকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, স্বরুপ বড়ুয়া নামে একজনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মুহাম্মদ আলী হোসেন বাংলানিউজকে জানান, স্বরুপ বড়ুয়া নামে একজনকে অস্ত্রসহ আটকের পর তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তার দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে শিল্প পুলিশকে চিঠি পাঠিয়েছি।
পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী হোসেন জানান, শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও স্বরুপ বড়ুয়ার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। স্বরুপ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য স্বরূপ বড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা ও মিডিয়া) জসিম উদ্দীন।

 

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের দুই এএসআই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ। সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


করোনাকালে শীতে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা, নিয়ন্ত্রণে যা করবেন

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দেশের অনেক জেলায় তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে এসেছে। তীব্র শীতে অনেকেরই অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়।
হাঁপানি সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। এদিকে মহামারি করোনার উপসর্গও হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট, ফলে ধৈর্য ধরে মোকাবিলা করুন। এই কষ্ট থেকে কিছুটা আরাম পেতে ঘরোয়া কয়েকটা উপায় জেনে নিন:
অ্যাজমা রোগীদের উচিত বিভিন্ন ঠাণ্ডা দুগ্ধজাত খাবার যেমন- ঠাণ্ডা দুধ, আইসক্রিম, দই, পনির ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। এসব খাবার শ্বাসকষ্টের ও সর্দি-কাশি বাড়ায়।
প্রয়োজনমতো গরম কাপড় ব্যবহার করা। কান ও গলা ঢেকে রাখা। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার করা। ঘর ও নিজের চারপাশ পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত রাখুন।
যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়েই থাকে তবে সোজা হয়ে বসুন। এ সময় লম্বা শ্বাস নিন। আস্তে আস্তে দেখবেন কষ্ট অনেকটা কম মনে হচ্ছে।
ধুলাবালি এড়িয়ে চলা এবং বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলা। ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
হাঁপানির কষ্ট থেকে নিমেষেই আরাম পেতে ভেষজ চা পান করুন। এক কাপ পানিতে এক চামচ শুকনো যষ্টিমধু মিশিয়ে, পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে, ছেঁকে পান করুন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং উপকারী উদ্ভিজ্জ যৌগ অ্যাজমাকে নিযন্ত্রণে রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে।
হাঁপানি নিযন্ত্রণে রাখতে এবং করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি এডাতে মহামারি চলাকালীন নিযমিত আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ও ইনহেলার ব্যবহার করুন।


পুরুষের জন্য আসছে জন্ম বিরতিকরণ পিল?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
নারীদের জন্য আছে পিল, লাইগেশন সহ গর্ভনিরোধক নানা ব্যবস্থা। কিন্তু পুরুষের জন্য? হ্যাঁ, এখন পর্যন্ত তাদের জন্য জানা দুটি পদ্ধতিই আছে। তা হলো কনডম ব্যবহার। কিংবা ভাসেকটমি নামের স্থায়ী ব্যবস্থা। কিন্তু নতুন বছর ২০২১ সালে কি পুরুষের জন্য নারীদের মতো কোন পিল বা অন্য কোনো ব্যবস্থা আসবে? এখন থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে বৃটেনে নারীদের জন্মবিরতিকরণের পিল চালু হয়। কিন্তু পুরুষদের পিলের বিষয়টি হতাশাজনক। গত প্রায় ২৫ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, পুরুষদের জন্যও পিল আসছে।
কিন্তু সেই প্রতিশ্র“তি হতাশায় রূপ নিয়েছে। তবে কি ২০২১ সালে তাদের সেই প্রতিশ্র“তি বাস্তবে রূপ পাবে? এমন প্রশ্ন রেখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। সর্বশেষ গবেষণায় বলা হচ্ছে, খুব শিগগিরই পুরুষরা জন্মবিরতিকরণ পণ্য হাতের নাগালে পেয়ে যেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে জেল, প্রতিদিন সেবন করার জন্য পিল, মাসিক ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন গ্রহণ অথবা পরিবর্তনযোগ্য কেমিক্যাল ভ্যাসেকটমি। এসব বিষয় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ভাল ফল দেখিয়েছে। যদি তা সত্য হয় তাহলে পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়ে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বায়োলজিক্যাল ইকুইপমেন্ট থিওরি নারীদের তুলনায় দৃশ্যত বেশি সাধারণ পদ্ধতি। বায়োলজিক্যাল দিক দিয়ে একজন পুরুষ জিন বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখেন। একদিনে একজন সুস্থ পুরুষের দেহে প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ শুক্রাণু তৈরি হয়। আর যৌন মিলনের সময় সে মুক্ত করে ২৫ কোটি শুক্রাণু। দৃশ্যত এটা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন মনে হতে পারে। পক্ষান্তরে একজন নারীর শরীরে এক মাসে মাত্র একটি বা দুটি ডিম্বাণু তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে ১৯৫০ এর দশকে পুরুষদের জন্য পিল আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। মার্কিন কেম্পানি স্টার্লিং ড্রাগ যখন ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় অনাকাঙ্খিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পায়, তখন তারা এন্টি-প্যারাসাইট মেডিকেশন পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করে। এতে পুরুষকে অস্থায়ী সময়ের জন্য সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে তোলে। তারা এক্ষেত্রে বন্দি পুরুষদের শুক্রাণু নিয়ে পরীক্ষা করে। কিন্তু এর পর পরই ওইসব বন্দি পাচার হয়ে জেলে ঢোকা হুইস্কি পান করেন এবং বুক ধরফরানি, বমি করতে থাকেন ভয়াবহভাবে। ফলে স্টার্লিং তাদের ওষুধটি বাতিল করে দেয়।
কিন্তু এখন পুরুষের জন্য আছে দুটি মাত্র বিকল্প। এক হলো কনডম ব্যবহার। অন্যটি হলো স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ বা ভাসেকটমি। শেষ পদ্ধতিতে যে টিউব বা নল দিয়ে শুক্রাণু বাহিত হয় সার্জনরা সেটি কেটে দেন অথবা বন্ধ করে দেন। তবে নতুন একটি আশা দেখা দিয়েছে। সেটি হলো জন্মবিরতিকরণে ব্যবহৃত জেল। এই জেল পুরুষের কাঁধে ও বাহুতে মাখতে হয়। এটি বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে দম্পতিদের ওপর। এই জেলে আছে সেজেস্টেরন অ্যাসিটেটের (নেস্টরন হিসেবে যা পরিচিত) সঙ্গে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন। এটি নারীদের প্রোজেস্টিন-টাইপের হরমোনের মতো। পরীক্ষায় দেখা গেছে নেস্টরন কার্যকরভাবে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। পরীক্ষায় পুরুষরা এই জেল প্রতিদিন তাদের কাঁধে এবং বাহুতে মাখেন। এর ফলে এর হরমোন ত্বকের নিচে পৌঁছে যায়। ২৪ ঘন্টার জন্য তা রক্তপ্রবাহের সঙ্গে মিশে যায়।
বৃটেনে এই পরীক্ষা করা হয়েছে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে। এডিনবার্গের গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্লিনিক্যাল প্রজনন বিজ্ঞান বিষয়ক প্রফেসর রিচার্ড অ্যান্ডারসন। তিনি বলেছেন, আমাদের পরীক্ষায় বর্তমানে ৫টি দম্পতি আছেন। তারা এক বছর ধরে জন্মবিরতিকরণের এই জেল ব্যবহার করছেন। তবে তারা বড় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হননি। ৪৫০টি দম্পতির ওপর এই পরীক্ষা করার লক্ষ্য স্থির হয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জেল পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন লস অ্যানজেলেস বায়োমেডিকেল রিসার্স ইনস্টিটিউটের অনুসন্ধানকারী ড. ক্রিস্টিনা ওয়াং। তিনি বলেছেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে কাজ হচ্ছে। তা হলো, পিল, জেল এবং মাসিক ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন। প্রতিটিই অগ্রগতির পর্যায়ে আছে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করছেন প্রতিদিন পিল সেবন। কারণ, এটা সহজ পদ্ধতি। কিন্তু পিল সেবন করলে এর শতকরা এক থেকে ৩ ভাগ মাত্র শরীর শোষণ করে। পক্ষান্তরে জেলের শতকরা ১০ ভাগ শরীর শোষণ করে। আর ইঞ্জেকশন শতভাগ শোষণ করে। আমি মনে করি প্রথমেই বিক্রির জন্য জেলটাকে অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। এরপর আসতে পারে ইঞ্জেকশন। পরীক্ষায় দেখা গেছে জেলটা বেশি নিরাপদ। এটা সহনীয় এবং শুক্রাণু নির্গমন দমিয়ে রাখে।


কিসমিস বাড়ায় মস্তিষ্কের কার্যকারিতা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আঙুরের শুকনা রূপ কিসমিস। গবেষণা বলছে, সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এতে আছে, ভিটামিন বি ৬ বা পাইরিডক্সিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম।
মিষ্টি খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহিৃত হয় এই কিসমিস।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে থাকা বোরন কাজ করে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে।
কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে-
সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়
সব ড্রায়েড ফ্রুট যেমন খেজুর কাজুবাদাম ইত্যাদির মতই, কিসমিস সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ ও পোটেনশিয়াল এনার্জিতে ভরপুর এই কিসমিস। বডি বিল্ডার বা অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে কিসমিস খেতে বলা হয় কারণ তাদের প্রচুর এনার্জি লাগে বা ওজন বাড়ানোর জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এড়িয়ে কিসমিস খেলে সুস্থভাবে ওজন বাড়তেও সাহায্য পাওয়া যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
কিসমিসে ক্যাটেচিন নামক একধরনের অ্যান্টিওক্সিডান্ট থাকে যা শরীরে ভেসে বেড়ানো ফ্রি র‌্যাডিকলগুলিকে লড়াই করে নিঃশেষ করে। এটা জানা গেছে যে শরীরের এই ফ্রি র‌্যাডিকলগুলিই ক্যান্সার সেলের স্বতঃস্ফুর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মেটাস্টাসিসএও সাহায্য করে। কিসমিস নিজের রোজকারের খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মতন শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়,ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে বা যারা এতে আক্রান্ত, তাদের শরীরে বৃদ্ধির পরিমাণ খানিকটা হলেও কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, কিছু কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে কিসমিস পোস্টপ্রান্ডিয়াল ইন্সুলিন রেস্পন্সকে নামিয়ে দেয়, যার মানে দাঁড়ায় যে কিসমিস খেলে লাঞ্চ বা ডিনারের পরে শরীরে যে ইনসুলিনের হঠাৎ বৃদ্ধি বা ঘাটতি দেখা দেয়, তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। লেপটিন আর ঘ্রেলিন নামক দুটি হোরমোনের রিলিজেও কিসমিস সাহায্য করে, যেগুলি শরীরকে সিগনাল দেয় কখন খিদে পেয়েছে বা কখন যথেষ্ট পরিমানে খাদ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাই কিসমিস খেলে অত্যাধিক খাওয়া রোধ করা সম্ভব।
তবে অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে সমস্যা হতে পারে, তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা। কারণ ফ্রুক্টোজ বা গ্লুকোজ ডায়াবেটিস-এর রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে।
মস্তিষ্কের জন্য
কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমাতে সরাসরি সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অন্তর্গত বেশ কিছু ভিটামিন এতে পাওয়া যায়, যা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপারও থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সাহায্য করে।
জ্বর সারাতে
কিসমিসে আছে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশানের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী
চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন।
দাঁতের যতেœ
অলিওনেলিক অ্যাসিড বলে একটি ফাইটো কেমিকল আছে যেটি দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি ও দাঁতের ভঙ্গুরতা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। “স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান্স” ও “পরফিরোমনাস জিঙ্গিভালিস”, দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী এই দু’টি ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকাতে এই অ্যাসিডের জুড়ি নেই। তাছাড়াও, কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি দাঁত শক্ত করে এবং এনামেল গড়তেও সাহায্য করে, যা সুস্থ দাঁতের জন্য খুব দরকারী।
হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন
কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান, ক্যালসিয়াম, যা হাড়ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন। এছাড়াও, বোরন নামক এক মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টও কিসমিসে থাকে যা সঠিক ভাবে হাড় গঠন হতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামকে তাড়াতাড়ি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুব অল্প পরিমাণে দরকার বলেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত কিন্তু শরীরে এর উপস্থিতির গুরুত্ব অসীম। তাই বোরন মেনোপজ ঘটে যাওয়া নারীদের মধ্যে অস্টিয়োপোরসিস এবং হাড় ও জয়েন্ট এর জন্য খুব উপকারী।
বার্ধক্যেও সুস্থ থাকা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বয়স্কদের অনেক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় ত্বকে চর্বির মাত্রা কমে যায়, মোটা ত্বক পাতলা হয়। ঘামগ্রন্থি কমে যায়, ত্বকে ভাঁজ পড়ে ও ত্বক শুকনা দেখায়। চোখে ছানি দেখা দেয়। চোখের মণি বিবর্ণ হয়ে পড়ে। দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি দেখা যায়। শ্রবণশক্তি কমে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত সব অঙ্গের কর্মক্ষমতার ভান্ডার কমতে থাকে। বয়স পঞ্চাশের দশক পেরুলে এই ক্রমাবনতি ঘটতে থাকে। এটা অবশ্য ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। অন্য অসুখ না থাকলে বয়সের এই পরিবর্তনের জন্য কোন উপসর্গ থাকা উচিত নয়। নগণ্য সংখ্যক ভাগ্যবানই সুস্থ-স্বাভাবিক বয়োবৃদ্ধি হন।
অপুষ্টি বয়স্কদের এক বিশেষ সমস্যা। এক মাসে ৫ শতাংশ অথবা ৬ মাসে ১০ শতাংশ ওজন কমলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। দীর্ঘদিনের হার্ট বা ফুসফুসের অসুখ, মুখে ঘা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হাইপার থাইরয়েডিজম, ডিপ্রেশন, একাকিত্ব ইত্যাদি নানা কারণে ক্ষুধামান্দ্য হয় ও ওজন কমে যায়।
বৃদ্ধ অবস্থায় খাদ্য তালিকা করার জন্য বয়োবৃদ্ধি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার দিকে গুরুত্ব দিয়ে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। নিুোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে খাদ্য নির্বাচন করা যেতে পারেÑ
*খাবারে লবণ, চিনি, লাল আলু, সাদা ভাত, সাদা রুটি ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। এছাড়া চর্বিযুক্ত মাংস, গরু-খাসীর মাংস, কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, হাড়ের মজ্জা, ঘি-মাখন-ডালডা, মার্জারিন এবং তেলেভাজা খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে ডিসলিপিডিমিয়া, হাইপারলিপিডিমিয়া, ডায়াবেটিস থাকলে চিনি, মিষ্টি, চর্বিযুক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিলে ভালো হয়।
*চর্বিহীন মাংস, মাছ-ডিম, কম চর্বির দুধ-দই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। এসময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়, অন্যদিকে ক্যালসিয়ামের শোষণও কমে যায়। এজন্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। দুধ ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস। এজন্য নিয়মিত কমচর্বির দুধ খাওয়া ভালো। দৈহিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে দুধ ও দুগ্ধসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।


লিভার পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লিভার আমাদের শরীরের দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভার শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের সুস্থ রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। এই সাধারণ সমস্যাগুলো শুরুতেই আমলে না নিলে এ থেকে নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে। যেমন: লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি।
অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ। তাই আমাদের এই লিভার নামে দ্বাররক্ষীর যতœ নিতে হবে।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো খেলে লিভার সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে;
জাম্বুরা: জাম্বুরাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে বৃদ্ধি করে।
ছোট সাইজের এক গ্লাস জাম্বুরার জুস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা কার্সিনোজেন এবং অন্যান্য টক্সিনকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
রসুন: রসুনে সেলেনিয়াম ও এলিসিন নামক উপাদান থাকে এবং এরাও লিভার থেকে টক্সিন বাহির হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া রসুনে লিভার পরিষ্কারক প্রচুর এনজাইম থাকে এবং এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।
বিট ও গাজর: গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। গাজর ও বিট উভয়ের মধ্যেই উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ ফ্লেভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটি হচ্ছে লিভার লাভিং বেভারেজ বা যকৃৎপ্রেমী পানীয়। গ্রিনটি উদ্ভিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা লিভারের কাজে সহযোগিতা করে।
সবুজ শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি শক্তিশালী লিভার পরিষ্কারক। সবুজ শাক-সবজি কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রার ক্লোরোফিল থাকে এবং এরা রক্ত প্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়।
আরো যা খেতে পারেন- আপেল, অ্যাভোকাডো, ওলিভ অয়েল, লেবু, হলুদ, আখরোট, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, মিষ্টি আলু, ব্রোকলি, টমেটো ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খেলে লিভার পরিষ্কার থাকবে।


তুলসিতে নিরাময় যে ১০ রোগের


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গত ৫০০০ বছর ধরে নানা রোগ সারাতে এই গাছটিকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে, তা ত্বকের রোগ হোক কী চুল, বা অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা। আসলে তুলসি গাছের রসের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ছোট-বড় নানা রোগ সারাতে দারুণ কাজে আসে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে তুলসি গাছের পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নানা রোগ এমনিতেই দুরে পালায়।
আসলে 'দ্য কুইন অব হার্বস' নামে পরিচিত তুলসি গাছের গুণাগুণ লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবু কয়েকটির কথা না বললেই নয়।
এখানে এমন ১০টি রোগের বিষয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলো সারাতে তুলসির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১. কিডনির পাথর : তুলসি পতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন যদি মধু দিয়ে তৈরি চুলসি পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে কিডনির পাথর গলে তো যায়ই, সেই সঙ্গে শরীর থেকে তা বেরিয়েও যায়। প্রসঙ্গত, তুলসি পাতায় যে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফেল কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
২. হার্ট ভালো রাখে : ইউজেনল নামে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তুলসি পাতায়, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। আর এ কথা তো সকলেরই জানা যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। আপনি কি কোনো রকমের হার্টের রোগে ভুগছেন? তাহলে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খান। দেখবেন অল্প দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৩. ক্যানসার রোগকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে : প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট থাকায় তুলসি পাতা খেলে ক্যানসার রোগও দূরে পালায়। একাধিক গবেষণা অনুসারে, রোজ যদি তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ব্রেস্ট এবং ওরাল ক্যানসার কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে তুলসি পাতার রস খেলে পরিবেশে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরকে নষ্ট করতে পারে না। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।


২০০ রোগের প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে। বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ। এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন- ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

৯৯৯-এ ফোন করে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সঠিক ও দ্রুততার সঙ্গে প্রকৃত সেবাগ্রহীতার সেবা নিশ্চিত করতে তাতে ফোন দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
৩০ নভেম্বর ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নীতিমালা, ২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
নীতিমালা অনুযায়ী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে। যার প্রধান হবেন কমপক্ষে একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে ৯৯৯ এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে ইমার্জেন্সি সার্ভিস পলিসি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে জরুরি সেবা এখন আরও সুসংগঠিতভাবে দেয়া হবে। এনটিএমসি, বিটিআরসি সবার সঙ্গে সমম্বিত যোগাযোগের ব্যবস্থা সিস্টেম থাকবে।
তিনি বলেন, কে কোথা থেকে ফোন করতেছে, সেটা জানার ব্যবস্থা থাকবে। তাই সহজে কেউ মিথ্যা ফোন করবে না। তাছাড়া ৯৯৯ এ ফোন করলে আপনা-আপনি ৩৩৩, ১০৯ এর মত যে নম্বরগুলো আছে তাতে সংযোগ হবে।
প্রধানমন্ত্রী সভায় ৯৯৯ সেবাকে শক্তিশালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
 

হাইকোর্টে আপাতত যে পোশাক পরতে হবে বিচারপতি-আইনজীবীদের


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ১১ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে করোনা ভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন।
‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.