           
 
|
Cover February 2021
English Part
February 2021
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশের সাথে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক নেই :
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সাথে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক নেই দাবি করে
প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের
পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, বৈরিতা
নয়। এই নীতিমালা জাতির পিতা আমাদের দিয়ে গেছেন। আর এই
নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক
বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।
২৮ জানুয়ারী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের 'ডিএসসিএসসি
২০২০-২০২১ কোর্সের স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে
তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, আজ কেউই বলতে পারবে না যে,
বাংলাদেশের সাথে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক আছে। আমরা
সবার সঙ্গেই মোটামুটি একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে
চলছি।
বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ঐক্য নিয়ে
বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানা ধরনের
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বিপন্ন মানবতার ডাকে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। মিয়ানমার থেকে আমাদের
দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আমরা
তাদেরও আশ্রয় দিয়েছি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের
স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের যে
নাগরিকদের আশ্রয়দান এবং তাদের নিজ দেশে যাতে ফিরে যেতে
পারে, তার ব্যবস্থার জন্য আমরা কিন্তু কারো সঙ্গে কোনো
দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি।'
সরকার প্রধান আরো বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে
আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যে, আলোচনার মাধ্যমে তারা
তাদের নাগরিকদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা বন্ধুসুলভ
মনোভাব নিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যারা অন্যায়
করছেন, নিশ্চই আমরা সেটা বলব, কিন্তু তারপরও তাদের
নাগরিকদের তারা ফেরত নেবে, সেটা আমরা চাই।
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন জানুয়ারি ২০২১
জানুয়ারি ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৫৬৮ জন
মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৬০ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও
পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে
মৃত্যু ২৬০ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে
মৃত্যু ৫৬৮ জন। জানুয়ারি ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা
ভাইরাসে মৃত্যু ১৮ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে ৮টি। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত
বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ৯৭ জন।
এর মধ্যে করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে জানুয়ারি ২০২১
মাসে মৃত্যু ৫৬৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৮ জন,
পারিবারিক সহিংসতা ২০ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৭ জন,
আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২ জন, বিএসএফ কর্তৃক
হত্যা ২ জন, অপহরণ হত্যা ২ জন, গুপ্ত হত্যা ৩ জন,
রহস্যজনক মৃত্যু ৪৯ জন, ধর্ষণ হত্যা ৩ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৬৩ জন এবং আত্মহত্যা ১৪ জন।
জানুয়ারি ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৩১ জন, যৌন নির্যাতন ৩ জন, যৌতুক
নির্যাতন ২ জন।
নিকাহ
রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নারীদের দ্বারা পালন করা সম্ভব
নয়
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের
দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়
মর্মে আইন মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে
দাখিল করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল
থাকায় বাংলাদেশে কোনো মুসলিম নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার
হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রায়ে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থা এবং ধর্মীয় কারণেই
একজন নারীর পক্ষে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব
পালন করা সম্ভব না।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত
হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। দিনাজপুর জেলার
ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ
রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ প্রত্যাশী আয়েশা সিদ্দিকার
করা এক রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায়ে এ পর্যবেক্ষণ
দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট
মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল এস কে সাইফুজ্জামান।
গত বছরের ২৬ ফেব্র“য়ারি এ রায় দেন হাইকোর্ট। তবে
সম্প্রতি এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হয়েছে বলে
রবিবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। ২০১৪ সালে
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর
ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে আয়েশা সিদ্দিকাসহ
তিনজন মহিলার নামের একটি তালিকা আইন মন্ত্রণালয়ে
প্রস্তাব পাঠানো হয়।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয়
দৃষ্টিকোণ থেকে ওই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। এরপর আইন
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন
তালিকার এক নম্বরে তাকা আয়েশা সিদ্দিকা।
হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের
সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এ অবস্থায় ওই রুলের ওপর
চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আগের দেওয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেছেন।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, একজন মুসলিম ম্যারেজ
রেজিস্ট্রার হতে হলে কিছু কিছু কার্যক্রম করতে হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাতে বা বৃষ্টির মধ্যেই
একজন নিকাহ রেজিস্টারকে বিয়ের অনুানে ছুটতে হয়। কোনো
কোনো ক্ষেত্রে নদী পার হতে হয়, কোথাও নৌকায় করে পার হতে
হয়। এই বাস্তবতায় একজন নারীর পক্ষে এসব কাজ করা সম্ভব
নয়।
রায়ে বলা হয়, প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্তবয়স্কা একজন নারীর
জীবনে প্রত্যেক মাসে একটি বিশেষ সময় আসে যে সময়টাতে
ধর্মীয় কারণেই ওই নারী মসজিদে যেতে পারেন না। আবার
নামাযও পড়তে পারেন না। ঠিক ওই রকম পরিস্থিতিতে যদি কারো
বিয়ের অনুষ্ঠান হয়, তখন ওই নারী সে অনুষ্ঠানে যেতে
পারবেন না। মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের কিছু নিয়ম
কানুন মেনে চলতে হয়। সেসব নিয়মও একজন নারীর পক্ষে মেনে
চলা সম্ভব নয়। রায়ে বলা হয়, আমাদের সংবিধান নারী ও
পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমরা তা অস্বীকার
করছি না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অন্যান্য পাবলিক অফিসে
নারীরা যে ধরনের কাজ করেন, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হিসেবে
কার্যক্রমটা সম্পূর্ণ আলাদা। বিয়ে শুধুই সামাজিক
অনুষ্ঠান নয়, এটা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। একারণেই একজন
নারীর পক্ষে নিকাহ রেজিস্টার হওয়া সম্ভব না।
BHRCর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং BHRC’র প্রতিষ্ঠাতার
জন্মবার্ষিকী পালিতা
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ৩৪তম প্রতিা বার্ষিকী
এবং BHRC এবং BHRC’র প্রতিাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড.
সাইফুল আই. দিলদার এর জন্ম বার্ষিকী সারাদেশের ন্যায়
BHRC সদর দপ্তরের উদ্যোগে উদযাপন করা হয়। ১০ জানুয়ারি
২০২১ বিকেলে ইঐজঈ সদর দপ্তর আঙ্গিনায় এক মনোজ্ঞ
অনুানের আয়োজন করা হয়। অনুানে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র
সদর দপ্তর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ। অনুানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র জাতীয় নির্বাহী
কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল
মোস্তফা। অনুান উদ্বোধন করেন BHRC’র প্রতিাতা ও
সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল আই. দিলদার। অনুানে
আলোচনায় অংশ নেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর জেসমিন আরা কবীর,
ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া
মোল্লা, নির্বাহী সভাপতি মোঃ জাহিদ হোসেন পলাশ এবং
মির্জা শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি
মোঃ মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ক) শাখার
সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন, বিশেষ প্রতিনিধি
সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকা সেন্ট্রাল রিজিওনাল
ব্রাঞ্চের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, উত্তরা আঞ্চলিক
শাখার সভাপতি মোঃ ইকরাম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক
সোহরাওয়ার্দী ভূইয়া, ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি
আব্দুল করিম রিপন, মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক তাওহীদ হাসান, পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার
সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন রাজ, বংশাল থানা শাখার সভাপতি
মোঃ হায়দার রিয়াজ খান, মুগদা থানা শাখার সভাপতি মোঃ
নাসির উদ্দিন সরকার, যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সাধারণ
সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের আশিক, সবুজবাগ থানা শাখার
সাধারণ সম্পাদক তান কাশেম দীপ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ
বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ইঐজঈর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল
করার লক্ষ্যে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির আরোপ গুরুত্বারোপ
করেন। ইঐজঈ’র কর্মকর্তারা ইঐজঈ’র বিরুদ্ধে লিপ্ত
ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের মাধ্যমে প্রতিহত করার আহ্বান
জানান। ইঐজঈ’র ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায়
তিনশত মানবাধিকার কর্মী সদর দপ্তরের কর্মসূচীতে যোগ
দেন। অনুান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন
করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়াতে জন্মের চেয়ে মৃত্যু বেশি নিয়ে
উদ্বেগ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০২০ সালে জন্মের চেয়ের মৃত্যুর হার
সবচেয়ে বেশি ছিল। দেশটিতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম। এছাড়া
বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের তালিকার দিক দিয়ে দক্ষিণ
কোরিয়ার অবস্থান শীর্ষে। এ কারণে দেশটির সরকারের
উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছর ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ শিশু
জন্মগ্রহণ করেছে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। আর
দেশটিতে গত বছর মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৭৬৪ জনের।
এ সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মৌলিক পরিবর্তনের জন্য নীতিগ্রহণ করেছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ব্যয় ও অবসরকালীন
ভাতার পরিমাণ বাড়াতে চাপের মুখে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া
সরকার। তবে এর পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা কমতে
থাকায় লোকবলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। আর তার সরাসরি
প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। গত মাসে নিম্ন জন্মহারের
প্রবণতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার
প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন পরিবারগুলোর জন্য নগদ
প্রণোদনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেন।
এর আওতায় ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন স্কিম চালু হবে। কোনো
শিশুর জন্ম হলে তার মা-বাবাকে খরচ বাবদ ২০ লাখ ওন তথা
১ হাজার ৮৫০ ডলার করে নগদ অর্থ দেওয়া হবে। এছাড়া ওই
শিশুর বয়স ১ বছর না হওয়া পর্যন্ত মাসে ৩ লাখ ওন করে
দেওয়া হবে।
২০২৫ সালে এ প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়ে মাসে ৫ লাখ ওন করা
হবে।
সৌদি আরবে এবার
চালু হচ্ছে ডিজিটাল ইকামা
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরবে ইকামা ইত্যাদির হার্ড কপির
প্রয়োজনীয়তা প্রায় ফুরিয়ে আসছে। সৌদি আরবে যেকোন
লেনদেনের জন্য এখন থেকে ডিজিটাল আইডেন্টিটি ব্যবহার
করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রযুক্তি বিষায়ক মন্ত্রী
বাদর আল-মিশোরি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন ড্রাইভের
অধীনে সৌদি নাগরিক এবং প্রবাসীদের তাদের জাতীয় পরিচয়,
আবাসিক অনুমতি (ইকামা), ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং
যানবাহনের নিবন্ধের প্লাস্টিকের নথি বহন করার দরকার
নেই
(ইসতিমারা)। প্লাস্টিকের পরিচয়পত্রের বদলে ডিজিটাল আইডি
ব্যবহার করেই সৌদি নাগরিক এবং প্রবাসীরা যাবতীয় কাজ
করতে পারবেন।
সৌদি আরবে ইকামা ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির ডিজিটাল
ব্যবহার আসছে। এখন থেকে সৌদি আরবে যেকোন লেনদেনের
ক্ষেত্রে ডিজিটাল আইডি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন
দেশটির প্রযুক্তি বিষায়ক মন্ত্রী প্রিন্স বাদার আল-
মিশোরি।
মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন
ড্রাইভের অধীনে সৌদি নাগরিক এবং প্রবাসীদের তাদের
জাতীয় পরিচয়, আবাসিক অনুমতি (ইকামা), ড্রাইভিং
লাইসেন্স এবং যানবাহনের নিবন্ধের প্লাস্টিকের নথি বহন
করার দরকার নেই (ইসতিমারা)।
৬ জানুয়ারি ২০২১ একটি টেলিভিশন অনুানে যোগ দিয়ে
প্রিন্স আল-মিশোরি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সকল সৌদি
নাগরিক এবং প্রবাসীদের সমস্ত সরকারী লেনদেনের ক্ষেত্রে
প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে ডিজিটাল আইডি ব্যবহার
করলেই হবে।
মন্ত্রী আরো বলেছেন, ডিজিটাল আইডিটি “আবসার”
প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেখা যায় এবং এর একটি অনুলিপি
স্মার্ট ফোনে রাখা যাবে, যাতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন
ছাড়াই আইডিটি চেক করা যায়।
অর্থাৎ এখন থেকে কোন প্লাস্টিকের কোন ডকুমেন্ট সাথে
রাখতে হবেনা। এর বদলে, স্মার্টফোনে যাবতীয় আইডেন্টিটি
সম্পন্ন এপ্লিকেশনটি থাকলেই হবে। যেটা থেকেই যাবতীয়
আইডেন্টিটি (ইকামা, গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স)
দেখানো যাবে।
প্লাস্টিকের পরিচয়পত্রের বদলে ডিজিটাল আইডি ব্যবহার
করেই সৌদি নাগরিক এবং প্রবাসীরা যাবতীয় কাজ করতে
পারবেন।
বাইডেন প্রশাসনের দুই কাশ্মিরি নারী
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
আর মাত্র তিন দিন বাকি। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় বসছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন।
ইতোমধ্যে তিনি তার প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে
লোক নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ভারত
নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে জন্মগ্রহণ করা দুই নারী।
বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়া দুই
কাশ্মিরি -আমেরিকান নারী হলেন- সামিরা ফাজিলি ও আয়েশা
শাহ। কাশ্মিরে জন্ম হলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে
উঠেছেন এবং সেখানেই লেখাপড়াও করেছেন।
জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের
উপ-পরিচালক হিসেবে সামিরা ফাজিলিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলে অর্থনৈতিক নীতি
নির্ধারণের বিষয় সমন্বয় করে প্রেসিডেন্টকে মার্কিন
অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন কাশ্মিরি
বংশোদ্ভূত এই নারী।
বর্তমানে জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস ট্রানজিশন টিমের
অর্থনৈতিক সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে
বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ফাজিলি। এর আগে
ওবামা-বাইডেন প্রশাসনে তিনি হোয়াইট হাউসের জাতীয়
অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সিনিয়র পলিসি উপদেষ্টা ছিলেন। এ
ছাড়া দেশটির অর্থ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মার্কিন ট্রেজারি
বিভাগের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন আটলান্টা
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের এই পরিচালক।
সামিরা ফাজিলি ইয়েল ল স্কুল থেকে আইন বিভাগ এবং
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশ্যাল সায়েন্সে স্নাতক
ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি ইয়েল ল স্কুলের আইনি
ক্লিনিক্যাল প্রভাষক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ
ইয়র্কের বাফেলোর বাসিন্দা সামিরা ফাজিলি বর্তমানে
স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে জর্জিয়ায় থাকেন। আরেকজন,
কাশ্মিরি-আমেরিকান আয়েশা শাহকে হোয়াইট হাউসের অফিস অব
ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির পার্টনারশিপ ডিরেক্টর পদে নিয়োগ
দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর রব
ফ্লেহার্টির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন আয়েশা।
বাইডেন-হ্যারিস ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল পার্টনারশিপ টিমের
পরিচালক ছিলেন আয়েশা শাহ। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের অ্যাডভান্সমেন্ট
স্পেশালিস্ট হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় বেড়ে
উঠেছেন তিনি।
নতুন
নিয়ম চালু : বাসা-বাড়িতে কাজের লোক নিলে থানায় জানাতে
হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখন থেকে রাজধানীর বাসা-বাড়িতে কাজের বুয়া, মালি,
দারোয়ান বা অন্য কোনো কাজে নতুন লোক নিয়োগ করা হলে
তাদের তথ্য থানায় জানাতে হবে। সচেতনতা ও নিরাপত্তার
স্বার্থে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে
এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, এ নিয়ম কার্যকর হলে ঢাকা শহরে বাড়িওয়ালা বা
ভাড়াটিয়াদের বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
এর ফলে চুরি ডাকাতির মতো ঘটনাগুলোও এড়িয়ে যাবে সংঘবদ্ধ
অপরাধী চক্র।
গত ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুরের একটি বাসায়
বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীকে বিবস্ত্র করে লাঠিপেটা করে মাথা
ফাটিয়ে দেন গৃহকর্মী রেখা। এরপর জোর করে চাবি নিয়ে
আলমারি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকাসহ মোবাইল নিয়ে পালিয়ে
যান। এ ঘটনায় তিন দিন পর ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল এলাকা
থেকে গৃহকর্মী রেখাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সায়েন্স
ল্যাব এলাকার সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে
মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ
ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি জড়িত সন্দেহে গৃহকর্মী স্বপ্নাসহ
দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মুলহোতা রেশমাকে ২৪
ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর এই দুই ঘটনাসহ আরো
অনেক ঘটনা আছে যেসব ঘটনায় গৃহকর্মী, পিয়ন, দারোয়ান,
নিরাপত্তারক্ষী ও মালিদের জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হয়নি।
আবার এমন অনেক ঘটনা আছে যেসব ঘটনায় কারও ফোন নম্বরও
নেই। এ কারণে অপরাধীদের ধরতে হিমশিম খেতে হয়। তাছাড়া
অনেক ঘটনা আছে পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারে না। এতে
বাদী এবং বিবাদীর ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ
থাকে।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, বাসা-বাড়িতে যাকেই নিয়োগ দেওয়া
হোক না কেন তাদের তথ্য ভোটার আইডি কার্ডসহ নিকটস্থ
থানায় অবহিত করা হলে সেক্ষেত্রে অপরাধ করে কেউ সহজে ধরা
পড়বে। আর অপরাধীরা এমনটি জানতে পারলে অপরাধ করার
ক্ষেত্রেও দ্বিধায় পড়ে যাবে। এ সময় ৩৪ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে বাসা-বাড়ি ও দোকানের
গ্রিল কেটে, জানালা কেটে বা ভেঙ্গে চুরি, ছিনতাই ও
ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটছে, বাসার দুর্বল
দিকগুলো টার্গেট করে অপকর্ম করছে। বাসার বাথরুম কিংবা
কিচেনের পেছনের গ্রিল কেটে চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।
এক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য বাথরুম বা কিচেনের দরজা লাগিয়ে
রাখার জন্য। এছাড়া যাদের সামর্থ্য আছে তারা যেন বাসায়
সিসি ক্যামেরা বা আইপি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখেন। যে
বাড়িতে গৃহকর্তা-গৃহকত্রী দুজনই চাকরিজীবী, তাদের
বাসার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা রাখা খুবই উত্তম।
এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, অনেকেই আছেন, অপকর্মের ঘটনা
ঘটলেও থানায় জানান না। এক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি নগরের
অন্য বাসিন্দার নিরাপত্তাও বিঘিœত হয়। তাই অনুরোধ যে
কোনো ধরনের অপকর্মের ঘটনা ঘটলে যেন সংশ্লিষ্ট থানায়
অভিযোগ করা হয়।
ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, ডিএমপি ভাড়াটিয়া তথ্য ফরমের
পূরণের জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায়
বাসা-বাড়ির তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। ভাড়াটিয়া তথ্য
ফরম পূরণের ফলে রাজধানীর বাসাবাড়ি ভিত্তিক অপরাধ
অনেকটাই কমে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃজ্ঞতা
প্রকাশ জাতিসংঘ মহাসচিবের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের
কাছে একটি চিঠি লিখে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস মিয়ানমারে নৃশংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি
গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ৩১ জানুয়ারি পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই
প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের
সঙ্গে লেগে থাকবে জাতিসংঘ। এছাড়াও সম্মিলিতভাবে সংকট
নিরসনে বাংলাদেশের সাথে দাঁড়াবে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা
জোরদার করবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অন্যান্য কার্যালয়ের
মাধ্যমে সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য রাখাইন রাজ্যে
নিয়ে উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশগুলোর সম্পূর্ণ
বাস্তবায়ন সহ প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির
দিকে কাজ চালিয়ে যাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য
আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার লক্ষ্যে মিয়ানমারে তার বিশেষ
দূতের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জন্মনিবন্ধনে আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করতে
রুল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বেওয়ারিশ মরদেহ, অপরাধী শনাক্ত ও নিখোঁজ ব্যক্তির
সন্ধান পেতে জন্মনিবন্ধনে আঙুলের ছাপ ও আই কন্টাক্ট
নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি
নিয়ে ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি
মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের
রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পুলিশ
মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন নরসিংদীর বাসিন্দা ও
মানবাধিকারকর্মী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া। আবেদনের
পক্ষে তিনি নিজেই রিটের শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে
ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে রিটকারী আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
জন্মনিবন্ধনে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের ফিঙ্গার
প্রিন্ট এবং আই কন্টাক্ট বাধ্যতামূলক চেয়ে গত বছরের ১২
মার্চ এ রিট করেছি। কারণ কেউ যদি দুর্ঘটনায় পতিত হয়
তখন কেউ তার মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়। তখন লোকটির
পরিচয় নির্ধারণ করা যায় না। অনেক টিনএজার আছেন যারা
ভোটার হয়নি। কিন্তু প্রয়োজনে তাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে
না। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।
৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি গেছেন:
রাষ্ট্রদূত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনিবার্য কারণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল বিন
ফারহানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ২৪-২৬ শে জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় সফরে তার ঢাকায়
আসার কথা ছিল। রোববার রাজধানীতে এক অনুান শেষে উপস্থিত
সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা
বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান বলেন, সৌদি আরবের নতুন পরিস্থিতি
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজস্ব ব্যস্ততার কারণে তাঁর ঢাকা
সফরটি স্থগিত হয়ে গেছে। তবে নতুন শিডিউলে সফরটি
শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় এক
প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশী পাসপোর্ট
নিয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গেছেন। তাদের অনেকের
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের পাসপোর্ট হারিয়ে
গেছে। তাদের একটি তালিকা রিয়াদ ঢাকাকে দিয়েছে জানিয়ে
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ায়
ব্যক্তিদের সৌদি আরব বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবেই বিবেচনা
করছে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক আশ্রয়ে থাকা
রোহিঙ্গা জনগোি এবং স্থানীয় ৩০ হাজার বাংলাদেশির জন্য
সৌদি আরবের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের আনুানিকতা
শেষে দেশটির রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আরও বলেন,
বাংলাদেশের যে সব নাগরিকের কাগজপত্র (পাসপোর্ট) হারিয়ে
গেছে বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এমন ৫৫ হাজারের তালিকা
আমরা বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন কমলা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট
হিসেবে শপথ নিলেন কমলা হ্যারিস। ২০ জানুয়ারি স্থানীয়
সময় ১১টা ৪১ মিনিটে ক্যাপিটল হিলে তিনি শপথ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম লাতিন বিচারপতি সোনিয়া
সোটোমেয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে
শপথবাক্য পাঠ করান।
২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের
হয়ে লড়াই করা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে নির্বাচিত
হন জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন
কমলা হ্যারিস। বাইডেন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা
ছেড়ে দিলে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমেরিকার আড়াইশ বছরের ইতিহাসে প্রথম
কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি। আমেরিকার
ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র দুজন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট
পদে লড়েছেন। ২০০৮ সালে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে সারা
পলিন, ১৯৮৪ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির জেরালডিন ফেরারো।
তাদের কেউই নির্বাচিত হতে পারেননি।
কমলা হ্যারিসের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ওকল্যান্ডে। পিতা ডোনাল্ড জে
হ্যারিস জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত আর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত
আমেরিকান।
কমলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত
হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত
হন ২০১০ সালে এবং দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশে
ছেলেসন্তান জন্মদানে অগ্রাধিকার কমে আসছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে সন্তান জন্মদানের উপযোগী নারীদের মধ্যে
ছেলেসন্তান জন্মদানের অগ্রাধিকার রীতি কমে আসছে বলে এক
গবেষণায় দেখা গেছে। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৪ সালে জন্ম
নিয়েছেন এমন নারীদের ওপর এ গবেষণা চালিয়েছে বৃটেনের
ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এখনও
বাংলাদেশে ছেলেসন্তান জন্মদানের রীতি প্রভাব রাখছে। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন ইউরেশিয়া রিভিউ। এতে বলা হয়, গবেষণা
শেষে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইজ সন
প্রিফারেন্স ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সিং ফ্রম বাংলাদেশ?’
শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন। বাংলাদেশে ছেলেসন্তান
জন্মদানের দিকে যে ঝোঁক তার গতি এখন কোনদিকে, এতে কোনো
পরিবর্তন এসেছে কিনা গবেষণায় সেদিকে জোর দেয়া হয়। এতে
একটি ‘সন প্রিয়ারেন্স’ বা ছেলেসন্তানের প্রতি আগ্রহ
বিষয়ক অপশন রাখা হয়। উল্লেখ্য, মেয়েসন্তানের চেয়ে
ছেলেসন্তানকে অভিভাবকরা বেশি গুরুত্ব দেন কিনা তেমন
অবস্থাকে যাচাই করতে এই অপশনটি রাখা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সন্তান জন্মদানের বয়সী
নারীদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার বিষয়টি অগ্রাধিকর পাচ্ছে।
এর কারণ, এখানে নারীশিক্ষা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু সন্তান জন্মদানের এই অবস্থার প্রেক্ষাপটের
বিপরীতে প্রকৃতপক্ষে সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্তটি
ছেলেসন্তান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নীতি প্রাধান্য
বিস্তার করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি নারীরা যারা এখনও সন্তান
নেননি তাদের কাছে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের আকাঙ্খা প্রায়
একই রকম। যেসব পরিবারে একটি বা দুটি শিশু আছে, সেখানে
যদি একটি ছেলেসন্তান থাকে তাহলে আরো একটি ছেলেসন্তান
নেয়ার বাসনায় নেতিবাচক মনোভাব শক্তিশালী হয়েছে। একই
অবস্থা মেয়েশিশুর ক্ষেত্রেও।
‘জয় শ্রী রাম’
স্লোগান শুনেই রেগে ডায়াস ছাড়লেন মমতা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাকে অপমান করা
হয়েছে-এই অভিযোগ তুলে কোন বক্তব্যই রাখলেন না
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ ভারতের
অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর
১২৫ তম জন্মবার্র্ষিকী উপলক্ষ্যে বিকালে কলকাতার
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং
প্যাটেল, কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী
বাবুল সুপ্রিয় এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।
অনুষ্ঠানে প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের বক্তব্য শেষেই
সঞ্চালক মমতাকে তার বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান জানান।
কিন্তু মমতার নাম ঘোষণার পরই দর্শক আসন থেকে হাল্কা
গুঞ্জন ও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ভেসে আসে। আর তাতেই
মেজাজ হারান মমতা।
পরে ডায়াসে দাঁড়িয়ে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা। তিনি
বলেন ‘আমার মনে হয় সরকারি অনুষ্ঠানের একটা ডিগনিটি (মর্যাদা)
থাকা উচিত। এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোন একটি রাজনৈতিক
দলের অনুষ্ঠান নয়। এটা সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ
মানুষের অনুষ্ঠান। আমি প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি
মন্ত্রীর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ যে আপনারা কলকাতায় নেতাজীর
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে
তাকে বেইজ্জত করা আপনাদের শোভা পায় না (লেকিন কিসি কো
আমন্ত্রিত কর কে বেইজ্জত করনা আপ লোগো কো শোভা নেহি
দেতা)। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আমি আর কিছু বলতে চাই না।
জয় হিন্দ, জয় বাংলা।’ এরপরই ডায়াস ছেড়ে মঞ্চে
প্রধানমন্ত্রীর পাশে নিজের আসনে গিয়ে বসে পড়েন। তবে
তার পরও বেশ কিছুটা বিধ্বস্ত দেখায় মমতাকে। এই ঘটনার
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের
সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান রুহি। তিনি লেখেন
‘ভাররেতর অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ
চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম বাষির্কী উদযাপনের মতো একটি
সরকারি অনুষ্ঠান থেকে কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয়
স্লোগানের কঠোর নিন্দা জানাই।’
কানাডার গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েতের পদত্যাগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডার গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েত তার গভর্নর
জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে
রিডিউ হলে গভর্নর জেনারেলের বিরুদ্ধে তার কর্মচারীরা
কর্মক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। কানাডার গভর্নর
জেনারেল জুলি পায়েতের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে হয়রানির
অভিযোগের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনাও সম্পন্ন
হয়েছে এবং হয়রানির ক্ষেত্রে পর্যালোচনার বিবরণগুলি
“ক্ষতিকারক” হওয়ার রিপোর্টের পরে গভর্নর জেনারেল জুলি
পায়েত তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত ২০ জানুয়ারি জুলি
পায়েতের সাথে কথোপকথনের সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী
জাস্টিন ট্রুডো জুলি পায়েতকে পদত্যাগ করতে বলেন। এক
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন যে, তিনি
জুলি পায়েতের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, কানাডার চিফ জাস্টিস রিচার্ড
ওয়াগনার অন্তবর্তীকালীন ভিত্তিতে কানাডার গভর্নর
জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী
জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে আরও উলেখ করেন, “কানাডা
সরকারের প্রতিটি কর্মচারীর নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর
পরিবেশে কাজ করার অধিকার রয়েছে এবং আমরা এটিকে সর্বদা
খুব গুরুত্ব সহকারে নেব। আজকের ঘোষণাটি রিডিউ হলে নতুন
নেতৃত্বের জন্য পর্যালোচনা চলাকালীন কর্মীদের দ্বারা
উত্থাপিত কর্মস্থলের উদ্বেগের সমাধান করার একটি সুযোগ
এনে দেবে।”
কানাডার গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েত তার পদ থেকে
পদত্যাগ করার বিষয়টি কানাডার হেড অফ স্ট্রেট বৃটেনের
রাণী ২য় এলিজাবেথকে জানানো হয়ছে।
উলে-খ্য গভর্নর জেনারেল কানাডার হেড অফ স্ট্রেট
বৃটেনের রাণী ২য় এলিজাবেথ এর প্রতিনিধি হিসাবে কানাডায়
নিয়মতান্ত্রিক হেড অফ স্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন
মাত্র।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আরও উল্লেখ করেন যে,
নতুন গভর্নর জেনারেলের জন্য সুপারিশগুলি “যথাযথভাবে”
কানাডার হেড অব স্টেট রানির কাছে প্রেরণ করা হবে।
Top
মিয়ানমারের
নেত্রী অং সান সু চি সেনাবাহিনীর হাতে আটকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি,
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে
আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ
ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট
এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আজ সোমবার ভোরে আটক করা
হয়েছে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের
রাস্তায় সৈন্যরা নেমে পড়েছে। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে
টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়
সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, তারা কিছু কারিগরি
সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা জনাথান হেড
জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের
কথা জানিয়েছিল সামরিক বাহিনী। এক দশকেরও বেশি সময় আগে
সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। এরপরও সুচিসহ ক্ষমতাসীন দলের
শীর্ষ নেতাদের আটকের ঘটনাকে পুরো মাত্রায় সামরিক
অভ্যুত্থান বলেই মনে হচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর
উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা জরুরি
অবস্থা ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু, অং সান সু চির মতো
শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আটক করার ঘটনা উসকানিমূলক এবং
খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ান্ট বার্তা
সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে বলেছেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে
বেপরোয়া কিছু না করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি তাদের আইন
মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’ নিয়ান্ট আশঙ্কা প্রকাশ করে
জানান, তিনিও যেকোনো সময় আটক হতে পারেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সেনা সদস্যেরা বেশ কয়েকটি
অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের
আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা।
দেশটির সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত
নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আজ সোমবার
বসতে যাওয়া সংসদ অধিবেশন বাতিলের দাবি জানায়। অং সান
সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি নভেম্বরের নির্বাচনে
নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি,
নির্বাচনে ভোটার তালিকায় ৮৬ লাখ গরমিল পাওয়া গেছে।
নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩ শতাংশ আসন পায়। ২০১১ সালে
সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন ছিল।
তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করে।
তারা সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ও ইলেকটোরাল কমিশনের
প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
Top
কানাডার
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করে যা বললেন
বাইডেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদেশি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সবার আগে কানাডার
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করবেন
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিতর্কিত কিস্টোন
পাইপলাইনের বিষয়ে কথা বলতে তিনি ট্রুডোকে ফোন করবেন বলে
জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। খবর
এএফপির।
হোয়াইট হাউসে সাকির প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি
সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হবেন
তার (বাইডেনের) প্রথম বৈদেশিক কল। তিনি আরও বলেন, দুই
দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কিস্টোন
এক্সএল তেল পাইপলাইন নির্মাণে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার
বিষয়ে তারা কথা বলবেন।
বাইডেন অফিসে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই যে সিদ্ধান্তগুলো
নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হল কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের
এই বিতর্কিত পাইপলাইন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত।
জাস্টিন ট্রুডো বাইডেনের এই পদক্ষেপকে হতাশাজনক বলে
মন্তব্য করেছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়
আমরা প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতিকে যেমন স্বাগত জানাই,
তেমনি প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তেও আমরা হতাশ। যদিও
নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছেন
সেগুলো পূরণের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টিও
আমাদের মাথায় আছে।
দূষণ কমাতে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়, কভিড-১৯
মোকাবিলায়, মধ্যবিত্তদের জন্য চাকরি তৈরি ও টেকসই
অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে
কাজ করব, বলেন ট্রুডো।
বাইডেনের আদেশের পরে পাইপলাইন নির্মাণকারী প্রতিান টিসি
এনার্জি ২০ জানুয়ারি তাদের চলমান নির্মাণকাজ ২০
জানুয়ারি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কয়েক হাজার মানুষ তাদের
চাকরি হারাবেন বলে জানায় তারা।
কানাডা ২০১০ সালে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন নির্মাণ
প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে সাবেক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ এই প্রকল্পে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে ২০১৭ তে ডোনাল্ড ট্রাম্প
আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন।
কানাডা সবসময় এই প্রকল্পের পক্ষে সমর্থন দিলেও
পরিবেশবাদী সংস্থা ও আদিবাসী গোীগুলো এর তীব্র বিরোধীতা
করে আসছে।
মানবাধিকার
কর্মীদের শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র সকল স্তরের
মানবাধিকার কর্মী যথাক্রমেঃ বিভাগ, জেলা, মহানগর,
আঞ্চলিক, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং
বহির্বিশ্বের সকল শাখার মানবতাবাদী মানবাধিকার
কর্মীদের অসহায়, দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে
আসার জন্য BHRC’র সদর দপ্তর আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে BHRC’র মানবাধিকার কর্মীরা
শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অব্যাহত
রেখেছে। যে সকল শাখা এখনও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র
বিতরণের কর্মসূচী নেয়নি তাদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণের
কর্মসূচী নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
BHRC’র জন্ম ও প্রতিষ্ঠা কেবলমাত্র মানবতার কল্যাণের
জন্য, ব্যক্তি স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য এই
প্রতিষ্ঠান কাজ করে না। একজন মানুষের জীবনমালা খুবই
সংক্ষিপ্ত, নির্ধারিত সময়ের পর কেহই এই পৃথিবীতে বেঁচে
থাকবে না। আপনার মানবতার কল্যাণের কাজ কেবলমাত্র টিকে
থাকবে, যা যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটে
থাকবে এবং আপনাকে স্মরণ করবে।
বাইডেনের গোয়েন্দা বিভাগে ফিলিস্তিনি
মুসলিম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি)
গোয়েন্দা শাখায় জ্যেষ্ঠ পরিচালক পদে মাহের বিতার নামের
এক ফিলিস্তিনি মুসলিমকে নিয়োগ দিয়েছে জো বাইডেনের
প্রশাসন।
৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক সংবাদ
মাধ্যম পলিটিকোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য
জানা যায়।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই
মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের ওপর ট্রাম্পের আরোপিত
নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছিলন। তার প্রশাসনে মুসলিম দেশের
বংশোদ্ভূত অনেকেই দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহের বিতার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে
থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনের
বংশোদ্ভূত আমেরিকান মাহের বিতার ডোনাল্ড ট্রাম্পের
প্রথম অভিশংসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ক
বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
মাহেরের এই নিয়োগ বিষয়ে হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির
চেযারম্যান অ্যাডাম স্কিফ বলেন, আমার মনে হয় এই পদে
মাহেরের চেয়ে ভালো আর কেউ হতেই পারেন না। ।
হিজাব পরার অনুমতি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নারী
সেনারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনী তাদের পোশাক নীতিতে বদল
এনেছে। এখন থেকে মুসলিম নারীরা হিজাব পরতে পারবেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২১ দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনীর
মুখপাত্র এমন তথ্য জানান। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনী
তাদের পোশাক নীতিতে পরিবর্তন আনে।
২০১৮ সালের জুনে দেশটির সেনাবাহিনীর মেজর ফাতিমা
ইসাকসকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিজাব খুলতে বললে তিনি
তা করেননি। সেসময় ইসাকসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা
হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইসাকসের বিরুদ্ধে
সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় সামরিক আদালত।
এদিকে সাউথ আফ্রিকান ডিফেন্স ফোর্স (এসএএনডিএফ) চলতি
সপ্তাহ থেকে মুসলিম নারীদের দায়িত্ব পালনের সময়ে হিজাব
পরার অনুমতি দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর পোশাক নীতিতে পরিবর্তন আনাকে বিজয় হিসেবে
দেখছেন ইসাকস। তার মতে, ধর্মীয় বিধান পালন করার কারণে
যারা বঞ্চনার শিকার হচ্ছিলেন, এটি তাদের সবার বিজয়।।
বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে আরব আমিরাত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রথমবারের মতো বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা
দিয়েছে আরব আমিরাত। উপসাগরীয় অঞ্চলের মানোন্নয়নে যারা
কাজ করবে তাদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ
বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, যোগ্যদের মধ্যে বিনিয়োগকারী,
মেধাবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও শিল্পীরা অন্তর্ভুক্ত
হবেন। নিু আয়ের শ্রমিকদের এই কঠোর মানদণ্ড পূরণের
সম্ভাবনা নেই। নাগরিকত্বপ্রাপ্তরা দ্বৈত জাতীয়তা রাখতে
পারবে। বিবিসি।
আমিরাতের লক্ষ্য সেসব মানুষকে আকর্ষণ করা যারা দেশের
উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন
করার নিয়ম রাখা হচ্ছে না। দেশটির রাজপরিবারই মনোনীত
করবে কাদের নাগরিকত্ব দেবে। তারপর মন্ত্রিসভা
মনোনীতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত। করোনাভাইরাস মহামারি এবং
তেলের দাম পড়ে যাওয়ার সময়ে বিদেশিদের আকর্ষণ করার ঘোষণা
করল মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি। উপসাগরীয় দেশগুলো
সাধারণত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয় না। নতুন ব্যবস্থায়
বিশেষজ্ঞ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দেওয়ার পথ
উন্মোচন করছে আরব আমিরাত। আর্থিক ও পর্যটনকেন্দ্র
হিসাবে উপসাগরীয় দেশগুলোর উত্থান প্রবাসীদের ওপর
নির্ভর করে। আরব আমিরাতে প্রবাসীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
তাদের ৯০ শতাংশের বেশি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত। এই
বিদেশিদের সাধারণত নবায়নযোগ্য ভিসা দেওয়া হয়। কয়েক
বছরের বৈধতা থাকা এসব ভিসা চাকরির সঙ্গে যুক্ত। স্বল্প
আয়ের শ্রমিকরা দেশটির অর্থনীতি গড়ে তুলতে নির্মাণ
শিল্প, হোটেল ব্যবসা এবং ভ্রমণ খাতে জনবল সরবরাহে মূল
ভূমিকা রাখেছে। দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসীদের নাগরিকত্ব
দেওয়ার আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এটি মিলছে ধনীদের
জন্য।
সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত ইতালির : সৌদি
আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি না
করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইতালি সরকার। দেশটি জানিয়েছে,
তারা সৌদি জোটের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির অনুমতি
দেবে না। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের কাছে
অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল ইউরোপের দেশগুলো।
এদিকে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় ইয়েমেনে ভয়াবহ মানবিক
বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে খাদ্য নেই, ওষুধ নেই। এ
কারণে ইউরোপের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই আগ্রাসনে
ইউরোপও শরিক হওয়ায় এর সমালোচনা করেছে
রোহিঙ্গা ও
স্থানীয়দের উন্নয়নে আসছে বিশ্বব্যাংকের অনুদান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার ন্যাশনালস (এফডিএমএন)
এবং বৃহত্তর হোস্ট সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর ও যুবকদের
শিক্ষা, জীবনের মানোন্নয়নে বড় অংকের অনুদান দেবে
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। ঋণ ছাড়া
এত বড় অংকের অনুদান দিতে সাধারণত দেখা যায় না।
এ অনুদানের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮০ টাকা ধরে) যা
১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি তৈরির কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
অধিদপ্তর। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ১ হাজার ৬৯৬
কোটি টাকা। প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অনুদানের পাশাপাশি
সরকারি খাত থেকে ৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে একনেক সভায় অনুমোদন পেলেই
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এই সংক্রান্ত চুক্তি হবে বলে
জানায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকী
বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির শিক্ষা
ও জীবনের মানোন্নয়নে প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি ডলার
অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক। এটা বলা যায় চূড়ান্ত পর্যায়ে
আছে। আমরা প্রকল্পটি দ্রুত একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক
পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন করার পরই এই
সংক্রান্ত চুক্তি হবে। প্রকল্প পাসের পরেই সাধারণত
চুক্তি করে থাকে সংস্থাটি।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন
মেয়াদে কক্সবাজার ও বৃহত্তর হোস্ট কমিউনিটিতে
বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় জোরপূর্বক
বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার ন্যাশনালস (এফডিএমএন) এবং
বৃহত্তর হোস্ট সম্প্রদায়ের শিশু, কিশোর ও যুবকদের
মৌলিক, দক্ষতা, সামাজিক আদর্শ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং
পরিচ্ছন্নতা অনুশীলনে এই অনুদান ব্যয় হবে।
প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ পরবর্তী বিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ
কেন্দ্র, শিক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা ও
শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি
করা হবে বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রকল্পের পিডিপিপি (প্রাক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা)
সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের
অনুকূলে বিশ্বব্যাংকের অনুদান প্রাপ্তির লক্ষ্যে
প্রকল্পটির পিডিপিপি মূলত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো
হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত
সচিব) সোহেল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের অনুদানে
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রকল্প
নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প প্রণয়নের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে
রয়েছে।
মদিনা শরিফ
করোনাভাইরাস মুক্ত ও বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর নগরী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মৃতি
বিজড়িত শহর পবিত্র নগরী মদিনা মুনাওয়ারা। সৌদি আরবের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পবিত্র শহরকে কোভিড-১৯ তথা
করোনাভাইরাস মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনামুক্ত ঘোষণা করার আগে মদিনা
মুনাওয়ারার আল-আইস শহরে ১৩ জন কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন।
তারা সবাই এখন সুস্থ হয়েছেন। নবির শহর মদিনায় প্রায় ৩০
হাজার মানুষ বসবাস করেন।
সৌদি সরকার হারামাইন ওয়াশ শরিফাইন খ্যাত পবিত্র দুই
নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ এবং মদিনার
মসজিদে নববির নিরাপত্তায় শুরু থেকেই ব্যাপক কর্মসূচি
গ্রহণ করে। নিরাপত্তার লক্ষ্যে এ দুই পবিত্র শহরে
ওমরাহ ও জেয়ারত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও
স্বাস্থ্য সতর্কতায় জারি করা বিধি-নিষেধ। অবশেষ পবিত্র
নগরী মক্কা ও মদিনার ব্যাপারে দীর্ঘ মেয়াদি কারফিউ।
অবশেষ চলতি মাসের শুরুর দিকে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে
নববি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। আর মদিনা গত
২৭ জানুয়ারি পবিত্র নগরী মদিনাকে করোনাভাইরাস মুক্ত
শহর হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে এখনও ব্যতিক্রম পবিত্র নগরী
মক্কা ও মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ। এ নগরীতে
এখনও চলছে কারফিউ। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের
ঝুকি কমাতে এখনও সেখানে কারফিউ রয়েছে।
অপরদিকে বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর নগরীর মর্যাদা
পেয়েছে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার কর্মীরা আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে নগরীটিকে জরিপ
করে এ স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২০ লাখ লোকের এ পবিত্র
নগরীটিই প্রথম ঘনবসতিপূর্ণ নগরী, যেটি স্বাস্থ্যকর
শহরের তকমা পেল।
২২টিরও বেশি সরকারি, বেসরকারি ও স্বোচ্ছাসেবী সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ জরিপকাজে সহায়তা করেছে। এসব
সংস্থাকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করে স্থানীয় তাইবাহ
বিশ্ববিদ্যালয়।
মালালা
শিক্ষাবৃত্তির বিলে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালালা ইউসুফজাই শিক্ষাবিষয়ক অ্যাক্ট নামে একটি বিলে
স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প। তার এ স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত
হয়েছে। আর আইন অনুসারে এখন থেকে পাকিস্তানের নারীরা
উচ্চশিক্ষায় মেধাবৃত্তিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ
শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য
জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানে হয়, এ মাসের শুরুতে
মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়। এটি
প্রেসিডেন্টের সইয়ের জন্য হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়েছিল।
নতুন এই অ্যাক্টের নামকরণ করা হয়েছে নোবেলজয়ী মালালা
ইউসুফজাইয়ের নামে। পাকিস্তানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বৃত্তি
কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানের নারীদের ২০২২ সাল পর্যন্ত
৫০টি শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলছে, মালালা ইউসুফজাই
স্কলারশিপ অ্যাক্টে স্থানীয় সময় গত বুধবার ট্রাম্প
স্বাক্ষর করেছেন। এই অ্যাক্টে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড)
অর্থায়নে পাকিস্তানের নারীরা মেধা ও প্রয়োজন অনুসারে
কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বৃত্তি পাবেন।
গত বছরের মার্চ মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে
প্রথমবার বিলটি পাস করা হয়। এর পর ১ জানুয়ারি মার্কিন
সিনেটে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়।
এ শিক্ষাবৃত্তি পাঠ্যক্রম ও যোগ্যতা অনুসারে দেওয়া হবে।
শিক্ষাবৃত্তি অনুসারে, ইউএসএইড যুক্তরাষ্ট্রে
পাকিস্তানের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও অভিবাসীদের সঙ্গে
যোগাযোগ করবে। পাকিস্তানের শিক্ষা কর্মসূচির উন্নয়নে
যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।
Top
ডিজিটাল
প্রতারণা থেকে সাবধান!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এক সময় যেসব কাজ করতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো এবং
অনেক সময় লাগত, সেসব কাজ এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই
করা যায়।
এক সময় টাকা লেনদেন করার মাধ্যম ছিল ব্যাংক, ডাক বিভাগ;
অথবা হাতে হাতে লেনদেন করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির
উন্নতির ফলে এখন চালু হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
এখন আর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে কিংবা প্রয়োজনে কোথাও
দ্রুত টাকা পাঠাতে কোনো ঝক্কি পোহাতে হয় না। ঘরে বসে
সহজেই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বেশ নিরাপদ। প্রযুক্তির
সহায়তায় এই লেনদেনকে আরও সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করতে বেশ
কয়েকটি ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গ্রাহকরা তাদের সুবিধামতো স্মার্টফোন কিংবা সাধারণ ফোন
দিয়েও লেনদেন করতে পারছে সহজেই।
তবে ঘরে বসে অর্থ লেনদেন করতে পারলেও এ ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। একশ্রেণির প্রতারক সবসময় ওঁৎ পেতে
থাকে প্রতারণা করার জন্য। পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণের
জন্য যত প্রযুক্তিই আবিষ্কার হোক না কেনো, তার
অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা হাসিলের
লোকের সংখ্যাও কম নয়।
বর্তমানে ঘরে, ব্যবসা কেন্দ্রে কিংবা যে কোনো জায়গা
থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার সুবিধা থাকায়
নগদ অর্থ লেনদেনের ঝামেলা কমে গেলেও ডিজিটাল
প্রতারকদের ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেই সঙ্গে ভুল নম্বরে অন্যত্র টাকা পাঠিয়ে দিয়ে ঝামেলা
পোহানোর ঘটনাও কম নয়।
ডিজিটাল প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব
হারানোর বহু ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সময়ের বিবর্তনে
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সবকিছুই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে
আসছে। এসব প্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক ব্যবহার আছে, তেমনি
দুষ্ট লোকেরা প্রযুক্তির অপব্যবহারসহ নানা প্রতারণার
ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
আগে তাদের প্রতারণার ধরন ছিল একরকম, প্রযুক্তির
উন্নতির পর তাদের প্রতারণার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। মনে
রাখতে হবে, প্রতারিত হয়ে গেলে প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা
ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতারকদের
দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে। কাউকে টাকা
পাঠানোর সময় নম্বর সঠিক হয়েছে কিনা তা একাধিকবার দেখে
নিতে হবে।
তেমনি কাউকে নম্বর দেওয়ার সময় সঠিক নম্বর দেওয়া হচ্ছে
কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যখন
কেউ ফোন করে পিন নম্বর চায় কিংবা ‘টাকা চলে এসেছে,
ফেরত দিন’ বলে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দিয়ে নিজের
ব্যালেন্স চেক করে এবং যারা এ বিষয়ে ভালো বোঝে তাদের
পরামর্শ নিয়ে তারপর টাকা ফেরত প্রদান কিংবা প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বনেই
প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে রক্তপাত এবং সম্পদহানি
চীন একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে। আমি বহু
শ্রমঘণ্টা চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ব্যয় করেছি এবং আমি
বুঝতে পেরেছি যে, আমাদেরকে কিসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে
হবে। বৈশ্বিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিস্তার ঘটিয়ে চীন
দীর্ঘ খেলা খেলছে। এজন্য তারা চীনের বাইরে তাদের
নিজস্ব রাজনৈতিক মডেলের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ
প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। এদিকে ট্রাম্প মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের যারা ঘনিতম মিত্র, সেটা কানাডা থেকে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত সবাই তার চোখে হয়ে উঠেছে
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
আর সেটা করতে গিয়ে তিনি এসব মিত্র দেশের সঙ্গে অত্যন্ত
ক্ষতিকর এবং নৈরাজ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এভাবে
আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে মার্কিন অর্থনৈতিক
সুযোগ-সুবিধার পরিধিকে সংকুচিত এমনকি বিচ্ছিন্ন করার
মধ্য দিয়ে ট্রাম্প আমাদের দেশের পক্ষে প্রকৃত বৈশ্বিক
অর্থনৈতিক হুমকি মোকাবিলা করার সামর্থ্যকে কমিয়ে
দিয়েছেন। চীনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখানোর কোনো দরকার
নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। চীন যদি তার পথেই চলতে
থাকে, তাহলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন
কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি
হরণ করবে।
তারা একই সঙ্গে তাদের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলোকে
ভর্তুকি দেবে। এর ফলে চীনা কোম্পানিগুলো একটা অন্যায্য
সুবিধা পেয়েই চলবে। এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং শিল্পে
তারা তাদের খবরদারি বজায় রাখার চেষ্টা করবে। চীনের
মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তার পীড়নমূলক আচরণ প্রতিরোধের
জন্য মিত্রদের নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
নেতৃত্বাধীন একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে। এটাই
হবে চীনকে মোকাবিলার সব থেকে কার্যকর কৌশল। যদিও জলবায়ু
পরিবর্তন, পরমাণু বিস্তার রোধকরণ এবং বৈশ্বিক
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে
সহযোগিতামূলক সম্পর্কেও মার্কিন অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ জিডিপির
প্রতিনিধিত্ব করে। এরপর আমরা যখন আমাদের সহযোগী
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে একত্রিত হবো, তখন
আমাদের শক্তি বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। আর তখন সেই
বৈশ্বিক অর্থনীতির অর্ধেকের বেশি শক্তিকে চীন অগ্রাহ্য
করে পার পাবে না। আর সেটা আমাদেরকে পরিবেশ থেকে শ্রম,
বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতার
বিষয়গুলোতে নিয়মনীতি অনুযায়ী চলার ক্ষেত্রে আমাদেরকে
উল্লেখযোগ্য সুযোগ-সুবিধা এনে দেবে, যাতে এসব
বিষয়গুলোয় গণতান্ত্রিক স্বার্থ এবং মূল্যবোধের
প্রতিফলন ঘটতে পারে।
জোর-জুলুম করে কিছু পাওয়া যায়
না: মেলানিয়া ট্রাম্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় শেষ
হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পেরও
সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের সঙ্গে তাকেও ছাড়তে হবে
হোয়াইট হাউস।
২০ জানুয়ারি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ
নিচ্ছেন জো বাইডেন।
বিদায়বেলায় মার্কিনীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা
দিয়েছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সোমবার তিনি
ওই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন।
ভিডিও বার্তায় মেলানিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট
লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা ছিল আমার জীবনে সবচেয়ে
বড় সম্মান।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে আমেরিকানদের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ডে
আমি বেশ অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তবে কোন ধরনের কর্মকাণ্ড
তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়ে হয়ে তা তিনি বিস্তারিত
বলেননি।
এছাড়া তিনি বলেন, আপনারা যাই করুন না কেন, মন দিয়ে
করুন। মনে রাখবেন, সহিংসতা, জোর-জুলুমের মাধ্যমে কোনো
কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এটা কখনই ন্যায়সঙ্গত নয়।
পদত্যাগ করছেন
ইতালির প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে পদত্যাগ করছেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো
হয়েছে, মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন তিনি। করোনাভাইরাসে
বিধ্বস্ত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক
অস্থিরতার মধ্যেই ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের
সিদ্ধান্ত। খবর সিএনএনের।
স্থানীয় আজ সকাল ৯টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন
প্রধানমন্ত্রী কন্তে। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে
জানানো হয়েছে, তিনি ওই বৈঠকে তার পদত্যাগের
সিদ্ধান্তের কথা মন্ত্রীদের জানাবেন। এর পরই তিনি
প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তেরেলা বাসভবনে পদত্যাগপত্র
জমা দিতে যাবেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইতালিতে নতুন
সরকার গঠন হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির পার্লামেন্টে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে
টিকে যান কন্তে। কিন্তু সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা
হারিয়েছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি
কন্তের জোট সরকার থেকে ইতালির ভাইবা পার্টির সমর্থন
প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায়
ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণে কন্তের ওপর আস্থা
হারিয়েছেন দেশটির জনগণ।
কন্তে আজ পদত্যাগপত্র জমা দিলে প্রেসিডেন্ট চাইলে তা
গ্রহণ করতে পারেন। আবার নতুন সরকার গঠনেরও আহ্বান
জানাতে পারেন। কন্তে যদি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পান, তবে নতুন সরকার গঠন করতে পারবেন। এ জন্য তাকে আরও
অন্তত পাঁচজন সিনেটরের সমর্থন পেতে হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে
দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই
করতে কন্তে হয়তো নতুন সরকার গঠনের পরামর্শ চাইতে পারেন।
ইতালিতে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫
হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিতে
ধস নেমে এসেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন ইতালির
প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের
পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে
শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র
আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন
রেনজি। করোনার বড় ধাক্কা লেগেছে ইউরোপের বড় অর্থনীতির
দেশ ইতালিতে। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের পরিসংখ্যান বলছে,
দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫
হাজার ৩৭২। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৫ হাজার ৮৮১ জন।
ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬১ জন।
উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী বললেন
মমতা পুরোপুরি বাংলাদেশি হয়ে গেছেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
পুরোপুরি বাংলাদেশি বলে আখ্যায়িত করেছেন উত্তর
প্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুকলা। রোববার তিনি
মমতার সমালোচনা জানাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বলে খবর
দিয়েছে অনলাইন এএনআই। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য
বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন মমতা। স্বরূপ শুকলা বলেন,
ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন
মমতা। তার ভাষায়- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোপুরি
বাংলাদেশি হয়ে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইসলামপন্থি
সন্ত্রাসীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। এর মধ্য
দিয়ে তিনি দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে উঠেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা
নির্বাচনের শিডিউল রয়েছে। এতে রয়েছে মোট ২৯৪ টি আসন।
এবার এসব আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে
শক্তির লড়াই করতে হবে বিজেপির সঙ্গে। এরই মধ্যে এ
রাজ্যে বিজেপি তার অবস্থান শক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি, তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ
কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই দৃষ্টি দিয়েছেন এ রাজ্যের দিকে।
তারা নানা ইস্যুতে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন মমতাকে।
দৃশ্যত এরই মধ্যে অনেকটা অবস্থান পাকা করেছে বিজেপি।
এখন দেখার বিষয় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কে কতখানি
জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে পারেন।
বাইডেন প্রশাসনে চার বাংলাদেশি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে
প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
পান জাইন সিদ্দিক। এবার আরও তিন বাংলাদেশিকে
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হোয়াইট হাউস প্রশাসনে, যা
ঐতিহাসিক। এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো
আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় বাংলাদেশি নতুন
প্রজন্মের নবযাত্রা হিসেবে দেখছেন সবাই। নতুন
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- কাজী সাবিল আহমদ, রোমানা আহমেদ ও
ফারাহ আহমেদ।
হোয়াইট হাউসের এক্সিকিউটিভ অফিসের ম্যানেজমেন্ট
অ্যান্ড বাজেট বিভাগে ইনফরমেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি
অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র কাউন্সিলর পদে যোগ দিয়েছেন ৩৮
বছর বয়সী কাজী সাবিল আহমদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে
জন্মগ্রহণকারী সাবিল ব্রুকলিন ল’ স্কুলের অ্যাসোসিয়েট
প্রফেসর ছাড়াও ‘ডেমজ’ নামক একটি থিংকট্যাংকের
প্রেসিডেন্ট।
রোমানা আহমেদ যোগ দিয়েছেন বাইডেনের ইউএস এজেন্সি ফর
গ্লোবাল ইনফরমেশনের রিভিউ প্যানেলের সদস্য হিসেবে। তিনি
বাইডেনের ট্রানজিশন টিমের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দলেও
কাজ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়েও
হোয়াইট হাউসে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে রোমানার। তবে
ট্রাম্প প্রশাসন শপথ নেওয়ার আট দিনের মাথায়
প্রেসিডেন্টের মুসলিম নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদে হোয়াইট
হাউস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সালে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান
রোমানা। বাবা ব্যাংক অব আমেরিকায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৫
সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। আর মা
নিজের একটি ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করেন। রোমানা
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন
করেন। মায়ের সঙ্গেই তিনি ওয়াশিংটনের অদূরে
ম্যারিল্যান্ডে বসবাস করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আন্ডার
সেক্রেটারির চিফ অব স্টাফ পদে নিয়োগ পেয়েছেন নরসিংদীর
মেয়ে ফারাহ আহমেদ। কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর
এবং নিউজার্সির প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স
করা ফারাহ ইউএসডিএতেও কাজ করেছেন। বাবা ড. মাতলুব
আহমেদ ও মা ড. ফেরদৌস আহমেদ দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। ফারাহ আহমেদের
নানা ড. আবদুল বাতেন খান বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি
কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশি
বংশোদ্ভূত আমেরিকান জাইন সিদ্দিক হোয়াইট হাউসের ডেপুটি
চিফ অব স্টাফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হয়েছেন। তিনি
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ও ইয়েল ল’ স্কুল থেকে উচ্চতর
ডিগ্রি অর্জন করেন। নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা এই তরুণের
কর্মজীবন শুরু হয় ইউএস সুপ্রিমকোর্টের জজ ইলেনা ক্যাগন
ও ইউএস কোর্ট অব আপিলের জজ ডেভিড ট্যাটেলের সঙ্গে
কাজের মধ্য দিয়ে। খ্যাতনামা ল’ ফার্ম ওরিক হেরিংটন
অ্যান্ড সাটসলিফ এলএলপির সহযোগী হিসেবেও তিনি কাজ
করেছেন। বাইডেন-কমালা ট্র্যানজিশন টিমে ডমেস্টিক
অ্যান্ড ইকোনমিক বিভাগের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব
পালনরত অবস্থায়ই হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ
পান জাইন। তার বাবা ডা. মামুন ও মা ডা. হেলেন দুজনই
নিউইয়র্কে কর্মরত। তাদের দেশের বাড়ি ময়মনসিংহের
নান্দাইলে।
একদিনের জন্য
মুখ্যমন্ত্রী হলেন তরুণী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের আজ রবিবার পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় শিশু কন্যা দিবস’।
দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিল
দেশটির উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এদিন ২৪ ঘণ্টার
জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেন সৃষ্টি গোস্বামী
নামে ১৯ বছর বয়সী তরুণী। দেরাদুনে আয়োজিত চাইল্ড
অ্যাসেম্বলিতে অংশও নেবেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৮ সাল
থেকে সৃষ্টি উত্তরাখণ্ডের শিশু বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রী
পদে রযেছেন। হরিদ্বারের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা
সৃষ্টি বর্তমানে কৃষি বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বাবা প্রবীন গোস্বামী গ্রামেই একটি ছোট দোকান চালান।
মা একজন অঙ্গনওয়ারি কর্মী। এর আগেও সৃষ্টি শিশুকন্যা
দিবসে বহু আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
২৪ ঘণ্টার জন্য এত বড় দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত সৃষ্টি। তার
কথায়, "এটা সত্যি যে আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমি এতটাই অভিভূত। তবে একইসঙ্গে আমি কথা দিচ্ছি, আমার
যথাসাধ্য চেষ্টা করব। প্রশাসনিক কাজে যাতে আগামীদিনে
যুব সমাজ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেই প্রচেষ্টাই করব।’
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, এদিন উত্তরাখণ্ডের
গ্রীষ্মকালীন রাজধানী গয়েরসাইন থেকে প্রশাসনের
কাজকর্মের উপর নজর রাখবেন সৃষ্টি। ত্রিবেন্দ্র সিংহ
রাওয়াত সরকার পরিচালিত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি
প্রকল্প কতটা রূপায়ণ হয়েছে, কতদূর কাজ এগিয়েছে, তা
খতিয়ে দেখে মূল্যায়ণ করবেন তিনি। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে
রয়েছে ‘অটল আয়ুষ্মান প্রকল্প’, ‘স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট’,
রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের হোমস্টে স্কিম ও আরও নানা
উন্নয়নমূলক প্রকল্প।।
করোনায়
দিশেহারা ইসরাইল : কারাগার বন্ধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইহুদীবাদী ইসরাইলের কারাগারগুলোতে মূলত স্বাধীনতাকামী
ফিলিস্তিনিদের আটকে রাখা হয়। এবার সেই কারাগারও বাধ্য
হয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের।
সারা বিশ্বের মতো ইসরাইলেও দাপট দেখাচ্ছে প্রাণঘাতী
করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে রামন কারাগারের বন্দী ও
নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ফলে
ওই কারাগার বন্ধ করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
প্যালেস্টাইন প্রিজনার সোসাইটি (পিপিএস) নামের একটি
বেসরকারি সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
তবে কারাগার বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি
ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার পিপিএস এক বিবৃতিতে জানায়,
কারাগার বন্ধের বিষয়টি বন্দীদের মধ্যে করোনা ভয়ানক
আকার ধারণের ইঙ্গিত দেয়।
ইতিমধ্যে কারাবন্দীদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা শুরু করবে
বলে জানিয়েছে বন্দী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। রেমন কারাগারে
সাতটি সেল আছে এবং তাতে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী আছে
বলে জানা যায়।
ফিলিস্তিনের বন্দী বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র হাসান আবেদ
রাব্বু বলেন, ওহানার বক্তব্য জাতিবিদ্বেষমূলক। এতে করে
বন্দীদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপরাধ যুক্ত হল।
নারী ও শিশু সংবাদ
নারীমুক্তি
আন্দোলনের মূল বিষয় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
'নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার' নারীমুক্তি
আন্দোলনের মূল বিষয়। কারণ এটি শুধু স্বাস্থ্য ও প্রজনন
সেবা নয়, নারীর জীবন-জীবিকা উন্নয়নের জন্য
অধিকারভিত্তিক সমন্বিত কর্মসূচি। যেমন- নারীর জন্য
জলবায়ু, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি।
অনলাইনে আয়োজিত 'তবুও তরী বাইতে হবে' শীর্ষক
দু'দিনব্যাপী জাতীয় নারী সম্মেলনের সমাপনী দিনে গতকাল
শনিবার বক্তারা এ কথা বলেন। নারীপক্ষ আয়োজিত এ সম্মেলনে
মোট পাঁচটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। শেষ দিনের কর্মসূচি
শুরু হয় 'পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা' গানটির
সঙ্গে নারীপক্ষের বিভিন্ন কর্মসূচির ভিডিও ক্লিপ
প্রদর্শন করে। এর পরই নারীপক্ষের সাবেক সভানেত্রী
ফিরদৌস আজীম ও ফজিলা বানু লিলির সঞ্চালনায় শুরু 'নারী
মুক্তি আন্দোলন :কতিপয় মৌলিক বিষয় ও বিতর্ক' শীর্ষক
আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য দেন ইউরো এশিয়া প্যাসিফিকের
প্রতিষ্ঠাতা শান্তি দায়রিয়াম, মালয়েশিয়ার এশিয়া
প্যাসিফিক রিসোর্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার নির্বাহী
পরিচালক সিভানানথি থানেনথিরান ও ভারতের নয়াদিল্লির
পার্টনারস ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নির্বাহী পরিচালক
মাধু মেহরা।
সিডওর অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে নারীর সমতার
জন্য আন্তর্জাতিক সংগ্রাম সম্পর্কে শান্তি দায়রিয়াম
বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনকারী সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি
সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নারীর প্রতি বৈষম্য
বিলোপ সনদ (সিডও) সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য
প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। কোনো রাষ্ট্র সিডওতে শুধু
অনুস্বাক্ষর করলেই হবে না, বাস্তবে নারীরা সিডওতে
বর্ণিত অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছে কিনা
তা পর্যবেক্ষণ করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিভানানথি থানেনথিরান বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনের একটি
মূল বিষয় হওয়া উচিত নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য
অধিকার। হিজড়া ও সমকামীদের অবহেলা না করে বরং নারী
আন্দোলনের বিষয় হিসেবে গণ্য করে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে
যাওয়া প্রয়োজন।
মাধু মেহরা জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে বৈষম্যমূলক আইন
সংস্কার, নারী সুরক্ষার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে একত্রিত হয়ে কাজ
করার পরামর্শ দেন।
সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে নারীপক্ষের বিভিন্ন কর্মশালা
ও সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
নারীমুক্তির লক্ষ্যে সুপারিশ উপস্থাপন করা হয় এবং সেই
আলোকে সুপারিশগুলো একসঙ্গে বাস্তবায়ন করার জন্য আলোচনা
করা হয়। ওই অধিবেশনে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চালনা করেন
সংগঠনের সদস্য গীতা দাস, রওশন আরা, আফসানা চৌধুরী, কেএ
জাহান রুমী, সামিয়া আফরিন এবং রিতা দাস রায়।
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে 'নারীবাদী নেতৃত্বের বিকাশ :পথচলার
অভিজ্ঞতা' শীর্ষক আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন
নারীপক্ষের সাবেক সভানেত্রী শিরীন হক। বক্তব্য দেন
রয়েল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা
মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, নিউইয়র্ক কমিউনিটি সংগঠক শাহানা
হানিফ প্রমুখ।
শিগগির নারী বিচারক নিয়োগ দেবে সৌদি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিগগির নারী বিচারক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশের
সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে এবার বিচারক
নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সৌদির সমাজ উন্নয়ন ও
মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপসচিব
হিন্দ আল জাহিদ আল আরাবিয়া টিভির এক সাক্ষাতকারে এ
তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির আইন মন্ত্রী ওয়ালিদ আল সামানি
ইতোমধ্যে নারীদের আইন বিষয়ক সুযোগ তৈরিতে এক শ জন নারী
নোটারিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সৌদি সরকার আইন,
শরিআহ, সমাজবিজ্ঞান, প্রশাসন ও প্রযুক্তি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ে যোগ্য নারীদের নিয়োগ দিয়েছে।
আল আরাবিয়া টিভিকে আল জাহিদ এক বিবৃতিতে নারীদের
ক্ষমতায়নে সৌদি সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন।
সৌদি সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নারীদের কম উপস্থিতির
বিলম্বে নিয়োগকে দায়ী করেন আল জাহিদ। তিনি বলেন,
সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে শিক্ষা ও
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি।
কারণ এই মন্ত্রণালয়ে তাদের আগ থেকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আল জাহিদ আরো জানান, বর্তমানে শ্রম বাজারে শতকরা ২৫
ভাগ সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে
নারীদের অংশগ্রহণ শতকরা ৩১ ভাগ বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।
যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে
চিকিৎসক গ্রেপ্তার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)
কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জোনায়েত বাতেনকে (৪৬)
স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌতুকের
কারণে নির্যাতনসহ দুটি মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত
১১টার দিকে শাহবাগ থানা–পুলিশ জোনায়েত বাতেনকে
রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই)
তমেজ উদ্দিন আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন,
প্রথম স্ত্রীর দুটি মামলায় (১৩৩/২০ এবং ১৫৯/২০) গত
বছরের ডিসেম্বরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার
করা হয়। আজ সকালে থানা থেকে তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া
হয়েছে। এসআই জানান, মামলায় জোনায়েত বাতেনকে
বিএসএমএমইউর চিকিৎসক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিজেকে প্রথম স্ত্রী উল্লেখ করে প্রথম
আলোকে বলেন, ২০০০ সালে জোনায়েত বাতেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে
হয়। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। দুজনই স্কুলে পড়ে।
বিভিন্ন সময় তাঁকে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের কারণে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছিল।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালতে
যৌতুকের কারণে নির্যাতন ও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া
আবার বিয়ে করার অভিযোগে দুটি মামলা করেন।
ওই নারী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে একাধিক নারীর
সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে না জানিয়ে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে আরও
দুটি বিয়ে করেন তাঁর স্বামী। এসব অভিযোগ নিয়ে তিনি
একাধিকবার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ
জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। স্বামীর
সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়নি বলে জানান তিনি।’
।
নারীর কর্মস্থল এখনো অনিরাপদ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে গত জুনে এক বেসরকারি হাসপাতাল
কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক মো. শাহ আলম (৬৫)
গ্রেফতার হন। বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অ্যান্ড ক্লিনিকের এই চিকিৎসক ভুক্তভোগী সেই নারী
কর্মীকে (ফিজিশিয়ান) চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে নিয়মিত
উত্ত্যক্ত করতেন। গত ৭ জুন ক্লিনিকের একটি কক্ষে ডেকে
নিয়ে তাকে দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করাতে বাধ্য করেন। পরে
ম্যাসাজের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করলে ডা. শাহ আলমকে
গ্রেফতার করা হয়।
গত জুলাইয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের
সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম হিরণকে সাময়িক
বরখাস্ত করে স্কুল পরিচালনা কমিটি। থানায় দেওয়া অভিযোগ
অনুযায়ী বিদ্যালয়টির সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী আশরাফুল
আলমের বাড়িতে পড়তে গেলে ওই শিক্ষক ছাত্রীটির
স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি স্থানীয়
ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশকে জানানো হয়। এ ছাড়া চলতি
বছরই গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন
বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে
চাকরি হারান। এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেলোয়ার হোসেনের ২৬
মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জরুরি বৈঠক ডেকে তাকে
অব্যাহতি দেয়। ওপরের ঘটনাগুলো বলছে, করোনা মহামারীতেও
নারীরা কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার সারা
দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যৌন হয়রানি থেকে
রেহাই পাচ্ছে না মেয়ে ও নারী শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, উচ্চ আদালত থেকে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি গঠনের
কথা বলা হলেও গত এক দশকের বেশি সময়ে হাতেগোনা কিছু
প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠিত হয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানে এই কমিটি গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া এই
নির্দেশনায় অপরাধীর শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ না থাকায়
কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীরা যৌন নিপীড়নের
শিকার হচ্ছে।
কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ১০ শতাংশ নারী পুলিশ নিজের
কর্মস্থলে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। চলতি
বছরের আগস্টে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও গার্লস
অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্সের এক জরিপ থেকে জানা যায়,
প্রতিটি নারী কর্মস্থলে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির
শিকার হন। এর বাইরে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন অফিস ও
প্রতিষ্ঠানে এবং পেশায় কর্মরত নারীরা প্রতিনিয়ত মানসিক,
শারীরিক ও মৌখিকভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই
নারীদের একটি বড় অংশই কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসা-যাওয়ার
পথে গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কাজ করতে গিয়ে
তাদের প্রায়ই অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। চাকরি
হারানোর ভয়ে অনেকেই দিনের পর দিন নীরবে এই অত্যাচার
মেনে নিচ্ছেন।
সাহস করে কেউ আইনি লড়াইয়ে গেলেও তাকে নানা রকম হুমকি ও
গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। অথচ দেশের সব
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি
করার জন্য ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এর
বাস্তবায়ন নেই। হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠান কমিটি গঠন
করলেও তা সক্রিয় নয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী পাঁচ
সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। এর প্রধান হবেন একজন
নারী। এর মেয়াদ হবে দুই বছর। প্রতি বছর কমিটি দুই বার
সভা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হল, অনুষদ ও
ইনস্টিটিউটভিত্তিক আলাদা কমিটি করতে হবে। দেশের সব
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে।
পাঁচ সদস্যের কমিটি ওই কেন্দ্র পরিচালনা করবে। কমিটি
যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান করে
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলবে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
৯ পুলিশ সদস্য জুয়ার আসর থেকে আটক,
বরখাস্ত ৪
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজশাহী সরকারি কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে একটি
আবাসিক হোটেলে জুয়া খেলার অপরাধে চার পুলিশ সদস্যকে
বরখাস্ত করা হয়েছে। মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম
সিদ্দিকের নির্দেশে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর
আগে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ লাইনের ৯ জন পুলিশ সদস্যক
জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ
লাইনে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ কমিশনার আবু
কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে পুলিশ লাইনের দুজন হাবিলদার,
একজন নায়েক এবং তিন কনস্টেবলকে আজ সাসপেন্ড করা হয়।
এ ছাড়াও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বোয়ালিয়া
থানার এএসআই বকুল হোসেন এবং কাশিয়াডাঙ্গা পুলিশ বক্সের
টিএসআই মনিরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ লাইনের যারা জুয়া খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তারা হলেন-
হাবিলদার বারেক, হাবিলদার মিজান, কনস্টেবল আফজাল,
সালাম, ফরহাদ, শাহেদ, খগেন, রফিক ও করিম।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রুহুল কুদ্দুস বলেন,
ওই চার পুলিশ সদস্য গভীর রাতে বসে পিকনিক করছিলেন এবং
জুয়া খেলছিলেন। এ কারণে তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।।
ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দুই রায়ে
একজনের মৃত্যুদণ্ড দুইজনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পৃথক দুটি মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন, নীলফামারীর
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
২১শে জানুয়ারি ২০২১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল-১ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে এই দুই মামলার রায় প্রদান করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান
এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও মতিয়ার রহমানের
ছেলে হালিমুর রহমান এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি
ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জসর উদ্দিনের
ছেলে আজগর আলী। সুত্র জানায়, মকবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ড
ও একলাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত হালিমুর ও
আজগর আলীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের
কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল
পিপি আল মাসুদ আলাল জানান, ২০১৩ সালের ২৯শে আগস্ট রাতে
আব্দুল গনির মেয়ে মৌসুমি নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে তিস্তা
নদীর চরে মৌসুমির লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ধর্ষণ ও
হত্যা মামলা দায়ের করা হলে চার আসামির মধ্যে মকবুলের
মৃত্যুদণ্ড ও হালিমুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ছোবদুল
ও মোমিনুর রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন,
ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুর রহমান।
অপরদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর
স্পেশাল পিপি রামেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী জানান, ধর্ষণের
অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ই অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীর
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের
স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।
বগুড়ায় পুলিশের
এসআইর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজশাহী বিভাগে পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) আলমগীর
হোসেনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৯ লক্ষাধিক টাকা অর্জনের
অভিযোগ উঠেছে। দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী
পরিচালক সুদীপ্ত কুমার চৌধুরী রোববার নিজ কার্যালয়ের
উপ-পরিচালকের কাছে এ মামলা করেন। সোমবার দুপুরে এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এজাহার ও অন্যান্য
সূত্র জানায়, এসআই আলমগীর হোসেন, পিপিএম (৪৩)
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার শৌলীসবলা গ্রামের মৃত
মবজেল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে বগুড়ার সোনাতলা থানায়
কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯৭ সালের ২৪ এপ্রিল কনস্টেবল পদে
(তৎকালীন দাঙ্গা দমন বিভাগ) যোগদান করেন। এসআই হিসাবে
পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর
পর্যন্ত বগুড়ার শাজাহানপুর থানা এবং ২০১৫ সালের
নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়া ডিবিতে
কর্মরত ছিলেন। এসআই আলমগীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ/সম্পত্তির
মালিক হয়েছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শেষে
সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি দাখিলকৃত সম্পদ
বিবরণীতে ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর এবং তিন লাখ ৭৬
হাজার ৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭২ লাখ ৫১ হাজার
৭৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের ঘোষণা দেন।
অনুসন্ধান ও যাচাইকালে তার নামে আরও সম্পদের সন্ধান
পাওয়া যায়। সুদীপ্ত কুমার চৌধুরী আরও জানান, সোমবার
দুপুর পর্যন্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
দিনাজপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিনাজপুর জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামি হেলাল
উদ্দীন (৪৮) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। হেলাল
উদ্দীন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের
শুকরু মিয়ার ছেলে।
১৫ জানুয়ারি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি হাজতবাস
করছিলেন। দিনাজপুর জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান
রুবেল জানান, বুধবার ভোরে হঠাৎ বুকে ব্যথায় হেলাল
উদ্দীনের শরীরে ঘাম ঝরছিল।
এরপর দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, হৃদরোগে
আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা
করা হচ্ছে।
পুলিশের একাংশের মানসিকতায়
পরিবর্তন আসবে কি?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি
খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ
এক শুনানিতে বলেছেন, পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে
দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া, সে যে-ই হোক না কেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক
আচরণের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে পুলিশ সুপার
এসএম তানভীর আরাফাত হাজির হলে হাইকোর্টের বিচারপতিরা এ
কথা বলেন।
আদালত কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের উদ্দেশে আরও বলেন, কে
কোন দল, মত, আদর্শের উত্তরাধিকার-এটা বিবেচ্য বিষয়
আপনার নয়। কথায় পটু হলে চলবে না, কাজে পটু হতে হবে।
আদালতের শেষোক্ত বক্তব্যটি সম্ভবত এসপি তানভীর
আরাফাতের পূর্বেকার কিছু অপেশাদারি আচরণের জন্য
যথোপযুক্ত হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগে কুষ্টিয়ার এ পুলিশ
কর্মকর্তাই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক
সমাবেশ মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক নেতার মতো বক্তব্য দিয়ে
বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। তার সেই বক্তব্য বিভিন্ন
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিরূপ সমালোচনার সৃষ্টি হয়,
যা সব পুলিশ সার্ভিসের জন্য ছিল বিব্রতকর।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের
সঙ্গে তানভীর আরাফাত ও তার সঙ্গী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
মোস্তাফিজ যে বাক্য বিনিময় করেন, তা ছিল সম্পূর্ণ
অভদ্রোচিত ও মারমুখী। সংবাদপত্র জানিয়েছে, তানভীর
আরাফাত নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন! তিনি আদালতকে
বলেছেন, বিচারককে চিনতে না পারায় এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল
হয়েছে। আদালতকে দেওয়া তানভীরের এ বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন
উঠেছে।
তানভীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি
বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সত্যের অপলাপ নয়তো? কারণ,
খবর বেরিয়েছে, ঘটনার সময় তানভীর পরিচয় জানতে চাইলে,
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান নিজের
পরিচয় দেন; পরিচয় দেওয়ার পরও তানভীর ও তার সঙ্গী-সাথিরা
আক্রমণাত্মক ও চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে তিনি
অভিযোগ করেন।
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের
দুই এএসআই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই
এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা
পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন
হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ
এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ।
সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই
পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের
পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি
চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি
দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা
হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায়
জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া
চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন
বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের
সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে
আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ
সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
ওষুধের সাথে যেসব খাবার নিষেধ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে মানুষ মারা
যায়’, এটা এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার
হলেও বেশ কিছু রোগের ওষুধ গ্রহণের পরে কিছু নির্দিষ্ট
খাবার গ্রহণের নিষেধ আছে। ওষুধ সুস্থ করবে এটাই
স্বাভাবিক, কিন্তু তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যা
খাদ্যাভাসে বেশ গুরুত্ব বহন করে যা অনেক সময় ব্যক্তিকে
অসুস্থ করে তোলে। তেমনি কিছু খাবারের কথা জানবো
অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ: দুধ খুব উপাদেয় খাবার হলেও,
যখন আপনি অ্যান্টিবায়োটিক নিবেন তখন এই খাবারটি এড়িয়ে
চলুন। দুধের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালশিয়ামের সাথে মিশে
দানা বা জট হয়ে যায় ফলে তা পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ
করতে পারে না তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া
উচিত নয় তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দু’ণ্টা আগে বা পরে
দুধ পানে বাধা নেই
রেডিমেড মাংসের সাথে ডিপ্রেশনের ওষুধ: তৈরি মাংসের
খাবারে মূলত প্রচুর পরিমাণে টিরামিন থাকে। তাই যারা
বিষণœতায় ভোগেন এবং সে রোগের জন্য ওষুধ গ্রহণ করেন,
তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ তা সুস্থ হওয়া
দীর্ঘায়িত করে এবং এতে উচ্চরক্তচাপও হতে পারে
অ্যাজমার ওষুধ আর গোলমরিচ: যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির
আছে, তারা চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গোলমরিচ পরিহার করাই
বুদ্ধিমানের কাজ কারণ গবেষণায় বলছে, গোলমরিচের ঝাঁঝ
অ্যাজমার ওষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে তার গতিও ধীর করে
দেয় তাই যাদের হাঁপানি আছে, তারা গোলমরিচ এড়িয়ে চলুন
সেরিয়ালের সাথে ‘প্যারাসিটামল’: সেরিয়াল বা বিভিন্ন
দানায় থাকা আঁশ ব্যথার ওষুধকে ভালোভাবে কাজ করতে দেয়
না। শুধু তাই নয়, একই সাথে অনেক বাঁধার সৃষ্টি করে
অর্থাৎ পেট বা অন্ত্রকে দমন করে থাকে সেরিয়াল তাই
শষ্যদানা, আঁশ জাতীয় খাবার কোনো ব্যথার ওষুধের সাথে
খাবেন না।
দুধ ও মিশ্রি একসঙ্গে খাওয়ার
উপকারিতা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অল্প কাজ করলেই ক্লান্তি ঘিরে ধরে? কোথাও বেরোলে বাড়ি
ফিরে কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না? মেজাজ নিয়ন্ত্রণ
হারাচ্ছে? একটুতেই মনে হয়, ঘুম ঘুম পাচ্ছে তাহলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে এই উপসর্গের মূল কারণ
আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব অথবা পুষ্টি শোষন
ক্ষমতা কম। পর্যাপ্ত পুষ্টি নেই শরীরে।
এমন সময় ঘরোয়া টোটকাই আপনার এনার্জিকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে শরীরে
মিলবে পুষ্টিগুণ। সুস্থতার জন্য একদিকে দুধ খুবই উপকারি
একটি পানীয়। যার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলাদা করে বলা কিছু
নেই। এতে রয়েছে প্রোটিন, নিয়াসিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, খনিজ পদার্থ, চর্বি,
শক্তি, রাইবোফ্লাভিন, জিংক, ভিটামিন এ, ডি, কে এবং ই।
আপনার যদি দুধে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলেও
খেতে পারেন এই আয়ুর্বেদিক টোটকা। কারণ দুধের সঙ্গে
মিছরি অ্যান্টাসিড এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরের বাড়তি
কর্মশক্তি যোগাতে দুধ খুবই উপকারি। প্রাচীনকাল থেকেই
মিছরি অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
১.হালকা গরম দুধের সাথে মিশরি মিশিয়ে বদহজমের সমস্যা
দূর হয় এবং গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর
হয়।
২. ঘুমের সমস্যা খুব সহজেই দূর হবে। প্রতিদিন রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয় খান।
৩.মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখতে
সহায়তা করে।
৪.যারা সারাক্ষণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে কাজ
করেন, তাদের জন্য দুধ-মিছরির মিশ্রণটি খুব উপকারী।
চোখের উপকার করে এই মিশ্রণ।
৪.গরম দুধে জাফরান ও মিছরি মিশিয়ে খেলেও শরীরে
অ্যানার্জি আসে। এ ছাড়াও শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ
বাড়ে।
৫.শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে আরও উন্নত করে দুধ-মিছরি। এতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৬. ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এক গ্লাস গরম দুধ ও মিছরি পান করলে
সর্দি-কাশি থেকে রেহাই মিলবে।
কিডনি সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে কিডনি রোগে
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রতিবছর অনেক
মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। এ ধরনের রোগের চিকিৎসাও
বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যতœ নেয়া উচিত।
মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির
ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে
ফেলে। এই কিডনি যদি আপনার শরীরের কাজ না করে তবে আমরা
বলে থাকি কিডনি নষ্ট হতে চলেছে। আর কিডনি কাজ না করলে
শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেবে।
তাই কিডনি ভালো রাখাতে হলে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু
নিয়ম মেনে চলতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে
আপনার কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়বে। আসুন জেনে নেই কিডনি ভালো
রাখতে হলে যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না।
১. প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া
উচিত। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরও
বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর
হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।
২. মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের
চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ
খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করুন।
৩. গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির ওপর
অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত
খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও
কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৩. খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির ওপর
চাপ পড়ে এবং কিডনির দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার আশংকা
থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে মাছ বা ডাল জাতীয়
প্রোটিন রাখুন।
৪. রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার
ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময়
১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি
বেড়ে যায়। নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান।
সুগার বেশি থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ
করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়।
নিয়ম না জেনে নিজে ওষুধ খাবেন না।
৭. মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি
ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে
বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার
আশংকা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম
ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।
৮. অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের
এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয় কিডনির
জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৯. ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত
চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও
হ্রাস পায়। ফলে ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী ব্যক্তি একপর্যায়ে
গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়।
থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
থাইরয়েড হরমোন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। স্বরযন্ত্রের
দুই পাশে থাকা গ্রন্থির নাম থাইরয়েড। এদের কাজ শরীরের
উপকারের জন্য এই হরমোন তৈরি করা। সুস্থতার জন্য এর একটি
নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম
বা বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে নানা
সমস্যার সৃষ্টি হয়। মেয়েদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি
লক্ষ্য করা যায়। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলে
থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। থাইরয়েড
নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব জরুরি একটি উপাদান হলো
প্রোটিন। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। পনির, ডিম, মুরগির
মাংস ইত্যাদি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে
পারলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিকমতো কাজ করবে। আয়োডিনযুক্ত
খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কার্যকরী। আয়োডিনযুক্ত
লবণ ব্যবহার করে রান্না করা যেতে পারে। এ ছাড়া গাজর,
কলা, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, স্ট্রবেরি, শাকপাতা আর মৌসুমি
সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। তাই প্রতিদিনের
খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারলে ভালো।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত
শরীরচর্চা প্রয়োজন। সাঁতার বা সাইকেল চালানো থাইরয়েডের
সমস্যা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি
ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত
জরুরি। অনেকেই কাজের চাপে রাতে জেগে থেকে দিনে বা
ভোরের দিকে ঘুমোতে যান। যদি দিনেও প্রয়োজনীয় ঘুম হয়,
সে ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি নেই। তবে থাইরয়েডের সমস্যা
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার ক্ষতিগুলো এড়াবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই এক জায়গায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ
করতে হয়। কম্পিউটারের সামনে বসে একটানা সাত-আট ঘণ্টা
কাজ করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের
শরীরে।
এর মধ্যে রয়েছে-
- কোমর, পিঠে, হাড়ের ও স্নায়ুর নানা অসুখ
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বাড়তি ওজন
- রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যার কারণও
এই বসে থাকা।
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার ক্ষতিগুলো এড়াতে মেনে চলুন
নিয়মগুলো-
- দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে না থেকে মাঝে মাঝে উঠে
দাঁড়ান
- রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে প্রতি ঘণ্টায় কয়েক পা হেঁটে
নিন
- তিন-চার তলায় উঠা-নামা করতে লিফট নয়, সিঁড়ি ব্যবহার
করুন
- একটি বল রাখুন ডেস্কে, কাজের মাঝে কয়েক সেকেন্ড চাপ
দিন। এটি আঙুলের হাড় ও পেশির জন্য যেমন উপকার, তেমনি
মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে
- প্রতিদিন আধঘণ্টা হাঁটুন বা যেকোনো ব্যায়াম করুন
- খাবারের বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে
- অতিরিক্ত খাবার, তৈলাক্ত বা ফাস্টফুডের পরিবর্তে বেশি
বেশি শাক-সবজি-ফল খান। সঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন।
- চেয়ারটি যেন বেশি নরম বা শক্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য
রাখুন।
- খুব উঁচু-নিচু হলেও কিন্তু সমস্যা। ।
পেটের গ্যাস কমাবে যে খাবার
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গ্যাসের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই ভাল জানেন কতটা
অস্বিস্তিকর। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া।
যেকোনো মানুষের বাসায় গেলেই আর যাই হোক গ্যাস্ট্রিকের
১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা
গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয়া কিছু
উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে
সহজেই বাঁচা যায়।
জেনে নেওয়া যাক:
শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য।
এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান
যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে
দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর
হয়।
পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি
বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের
সমস্যা কমে।
কলা ও কমলা: কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম
দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে
কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
আদা: আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
ঠাণ্ডা দুধ: পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস
ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ
চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার
খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
জিরা: জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি
বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে
ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ: ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা,
বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এলাচ: লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
পুদিনা পাতার পানি: এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে
ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প
নেই।
মৌরির পানি: মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন: সরষে গ্যাস সারাতে করতে
সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয়
যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর
রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে
কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।
২০০ রোগের
প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের
প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে।
বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার,
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা
বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে,
কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর
প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে
যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে
কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার
করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান
করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা
হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ।
এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক
ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা
ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন-
ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে
প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ
ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং
জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের
মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের
সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা
বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ
ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও
মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়,
তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে
হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা
প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত
বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের
যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার
চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
Top
আইন কনিকা
নারী নির্যাতন
দমনে নতুন আইন
সহিংসতা রোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের পরও কমেনি ধর্ষণসহ নারীর
প্রতি সহিংসতা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এসব বেড়েই
চলেছে। তাই এবার ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন দমনে নতুন
আইনের সুপারিশ করেছে আইন কমিশন। সাবেক প্রধান বিচারপতি
এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশন সম্প্রতি
১৩ পৃষ্ঠার প্রস্তাবনা ও ২৯ পৃষ্ঠার নারী নির্যাতন দমন
আইনের খসড়া সংসদে বিল আকারে উপস্থাপনের জন্য
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, ‘নারী
নির্যাতন দমন আইন, ২০২১’ নামের প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায়
ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হলে আইনানুগভাবে গর্ভপাতের
বৈধতা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে
কোনো শিশুর সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হলে তাও ধর্ষণ
হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায়
ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য,
তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের জবাবদিহির
বিষয়েও বিধান যুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায়
ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনে অভিযুক্তকে মৃত্যুদন্ড
বা যাবজ্জীবনের পাশাপাশি যে কোনো মেয়াদের দন্ড
প্রদানের ক্ষমতা বিচারককে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে কোনো অভিযুক্তকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলে কী কারণে ওই
দন্ড তার ব্যাখ্যা রায়ে বিচারককে উল্লেখ করতে হবে। আইন
কমিশন বলছে, যেহেতু নারী বলতে সব বয়সের নারী বোঝায়
সেহেতু মেয়েশিশুরা নারী জাতিভুক্ত এবং নারীর বিরুদ্ধে
সংঘটিত বিশেষ অপরাধসমূহ অর্থাৎ ধর্ষণ শিশুসহ যে কোনো
বয়সের নারীর ওপরই সংঘটিত হতে পারে। এ জন্য নারী শিশু ও
পুরুষ শিশু উভয় শিশুর ওপর সাধারণভাবে সংঘটিত অপরাধগুলো
একটি পৃথক আইনের আওতাভুক্ত করাই বাঞ্ছনীয়। বর্তমান
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে মাঠপর্যায়ের গবেষণা, বিভিন্ন
বেসরকারি সংস্থার মতামত, দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য
রায়ের ভিত্তিতে নতুন এ আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
যে মুসলিম দেশগুলোতে
তিন তালাক দেওয়া যায় না
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
সম্প্রতি ভারতে মুসলিমদের তিন তালাকের বিধান নিষিদ্ধ
করা হয়েছে। এক নিশ্বাসে তিনবার তালাক বলে বিবাহবিচ্ছেদ,
ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে 'তালাক, তালাক, তালাক' বলে
স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়মুক্ত হওয়ার দিন শেষ
ভারতে। গতকাল ভারতের রাজ্যসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক
বিল পাশ হয়েছে শুধু ভারত নয়, বিশ্বে ২০টিরও বেশি দেশে
তিন তালাক নিষিদ্ধ রয়েছে
ভারতে বিরোধী দলগুলো যখন তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ
হিসেবে গণ্য করার বিরোধিতা করছিলেন, তখন কেন্দ্রীয়
সরকারের যুক্তি ছিল, মুসলিম প্রধান দেশে তিন তালাক
নিষিদ্ধ থাকলে ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে তা নয় কেন?
মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে মিসরে সর্বপ্রথম নিষিদ্ধ
হয়েছিল এই প্রথা। দেশটিতে ১৯২৯ সালে এই প্রথা নিষিদ্ধ
ঘোষণা করা হয়েছিল অন্যদিকে, 'মুসলিম নারী পরিবার
অধ্যাদেশ, ১৯৬১' -এর মাধ্যমে পাকিস্তানে এই প্রথা রদ
করা হয়।
বাংলাদেশে তালাক পদ্ধতিটি চমকপ্রদ। মূলত তিন ধাপে এখানে
স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় প্রথমে
লিখিত নোটিশ, তারপর বিশেষ সালিশি সভায় আলোচনা, তৃতীয়
ধাপে নির্দিষ্ট সময়ের পর কার্যকর হবে বিচ্ছেদ আবার,
তিউনিশিয়া, সিরিয়া, জর্ডান, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, সুদান,
লেবানন, সৌদি আরব,মরক্কো, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত,
কাতার, সাইপ্রাস, ব্রুনেই, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া,
ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, বাংলাদেশে এই প্রথা
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুসলিম দেশ না হলেও শ্রীলঙ্কাতে
তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ। মুসলিম সমাজে মূলত তিন রকমের
তালাক প্রচলিত। তালাক-এ-এহসান, তালাক-এ-হাসান এবং
তালাক-এ-বিদ্দত। প্রথম দুটি হয় নির্দিষ্ট সময়-কাঠামো
এবং পদ্ধতি মেনে, যেখানে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে
ফিরেও আসা যায়। তৃতীয় ক্ষেত্রে পরপর তিনবার তালাক বলেই
নিকাহ ভেঙে দেওয়া হয়। শুধু তৃতীয় পথটির সাংবিধানিক
বৈধতা নিয়েই বিতর্ক। সাম্প্রতিক অতীতে চিঠি, ফোন,
এসএমএস বা ইন্টারনেটেও তিন তালাক দেওয়ার বহু ঘটনা সামনে
এসেছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বহু মুসলিম অধ্যুষিত
দেশেই তিন তালাক নিষিদ্ধ থাকলেও এতদিন ভারতের মতো
ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এই প্রথা বলবৎ ছিল।
Top
|
|