BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover December 2021

English Part December 2021

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

 

 

বিবিধ সংবাদ

                                

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেন শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন, সেটাই কামনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ নভেম্বর ২০২১ বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’-এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের দেওয়া সংবর্ধনা এবং ২০২০-২১ সালের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে। ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যেখানেই থাকুক, যে দলেই থাকুক—একজন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই তিনি তাঁর সম্মান পাবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়াসহ তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১’-এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হবে জনগণের বাহিনী তথা পিপলস আর্মি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলব, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের এই দিনটি এক বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। যুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা যৌথভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করেন। ডিসেম্বরের শুরুতে সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’
তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবাই সচেতন থাকবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান অন্যদের মধ্যে সেনাকুঞ্জে উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতিরা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ সদস্যরা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টারা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা, বিচারপতিরা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মুখ্য সচিব, সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা, বাহিনীত্রয়ের সাবেক প্রধানরা, ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠর উত্তরাধিকারীরা, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীরা, উচ্চপদস্থ অসামরিক কর্মকর্তারা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 নভেম্বর ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১১৩ জন

 হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৫৬ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৫৬ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১১৩ জন। নভেম্বর ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ৪ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে নভেম্বর ২০২১ মাসে মৃত্যু ১১৩ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২৫৬ জন।
এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৯ জন, পারিবারিক সহিংসতা ২২ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১৩ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৮ জন, গুপ্ত হত্যা ২ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৯ জন।
ধর্ষণ হত্যা ৩ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৩৫ জন, আত্মহত্যা ৮ জন।
নভেম্বর ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৯ জন।

 

 

   সহিংসতার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করা জরুরি


মানবাধিকার রিপোর্ট’

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনো ধর্ম, জাতি, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, নৃগোষ্ঠী বা সমাজের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়। কোনো বিশেষ ধর্ম বা জাতীয়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করার যে কোনো প্রচেষ্টাকেই বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করে ও তীব্র নিন্দা জানায়।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ৬ অক্টোবর ২০২১ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তার বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোনো রূপ বা ধরনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করেন। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও এ সংশ্লিষ্ট যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইনি ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন রাবাব ফাতিমা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করতে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার ও সিভিল সোসাইটি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় অংশীদারত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, করোনা মহামারি সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যাহত করেছে।
এ ক্ষেত্রে তিনি বৈশ্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সক্ষমতা বিনির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, নারী ও যুবদের ক্ষমতায়ন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সমাজে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার লিঙ্গগত দিকগুলো তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নারীদের ওপর সন্ত্রাসের অসম প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা’র পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোনো রূপ বা ধরন মোকাবিলায় গৃহীত সব ধরনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সুদৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের যে দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনরুল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
 

  
বিয়ে করেছেন মালালা

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
নারীশিক্ষা অধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই বিয়ে করেছেন। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের বাড়িতে অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। ৯ নভেম্বর ২০২১ মালালা টুইট করে তার নিজের বিয়ের কথা জানান। সেই টুইটে স্বামী ও মা-বাবার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও যুক্ত করে দিয়েছেন তিনি। টুইটারে উচ্ছ্বসিত মালালা লিখেছেন, আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মহামূল্যবান দিন। আসার এবং আমি সারাজীবনের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। সামনের পথটুকু একসঙ্গে চলার জন্য অধীর হয়ে আছি।
তবে কিছুদিন আগেই বিয়ের ব্যাপারে নিজের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন মালালা। গত জুন মাসে ব্রিটেনের একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, মানুষকে কেন বিয়ে করতেই হবে এটা আমি বুঝতে পারি না। কাউকে জীবনে সঙ্গী করতে চাইলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে সই করতে হবে। শুধুমাত্র যৌথতার মাধ্যমে কেন এটা হতে পারে না?
 

  বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে BHRC নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার প্রস্তুতি সভা

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) এর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন শাখার সমন্বয় সভা গত ২৬ নভেম্বর ২০২১ইং বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জের সহিতুন্নেসা চক্ষু হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার শুরুতে সংগঠনের অর্থ সম্পাদক রিনা আহমেদের স্বামী প্রয়াত রোকন উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি প্রয়াত রাশিদা আক্তার ও সদর থানার সহ-সভাপতি হোসনে আরা রেজার মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব আনা হয় এবং বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যুবরণকারী সকলের মাগফেরাত ও অসুস্থ সকলের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংঠনের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা আকসির। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি)র সঞ্চালনায় সংঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম ও আগামী ১০ ডিসেম্বর আসন্ন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ননী গোপাল সাহা, সহ-সভপাতি এরশাদুর রহমান ও শহীদুল আলম বুলবুল, অর্থ সম্পাদক রিনা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সহ-মহিলা সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে জিয়াউদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও লায়লা ইয়াসমিনকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রস্তুতি কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মতিউর রহমান, সানোয়ার হোসেন ও রোকন শেখ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংঠনের সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক নাহিদ নিজামী সায়মন, নির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, মাসুম সেকান্দার, আজিজুল হক ও শাকিল আহমেদ।

 


সন্তান নিলেই মিলবে বেতনসহ এক বছরের ছুটি!


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনে দম্পতিদের সন্তান গ্রহণে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের কর্তৃপক্ষ এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রদেশটিতে কোনো নারী কর্মী সন্তান নিলে পূর্ণ বেতনে এক বছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
বর্তমানে চীনের শানজি প্রদেশে সন্তান হলে নারী কর্মীরা ১৬৮ দিনের ছুটি কাটাতে পারেন। প্রদেশটির সরকার এই ছুটি বাড়িয়ে প্রায় এক বছর করতে চায়। এ বিষয়ে জনমত যাচাই করছে তারা। একই সঙ্গে তৃতীয় সন্তান জন্ম নিলে পুরুষ কর্মীদের পিতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ৩০ দিন করতে চায় সরকার।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। তবে দেশটিতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি দ্রুত কমে আসছে। এ কারণে দম্পতিদের সন্তান গ্রহণে উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। গত মে মাসে সরকার ঘোষণা দিয়েছে, দম্পতিরা চাইলে দুজনের বেশি সন্তান নিতে পারবেন।
এরপর থেকে শানজিসহ ১৪টি প্রদেশ পরিবার পরিকল্পনার স্থানীয় নিয়মনীতি ও আইন সংশোধন করেছে বা জনমত যাচাই করছে। এর অংশ হিসেবে সন্তান নিলে নারী ও পুরুষ কর্মীর সবেতন ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
দেশটির কয়েকটি প্রদেশে কর্মীদের জন্য ‘শিশুর বেড়ে ওঠার ছুটি’ নামে নতুন এক ধরনের ছুটি চালু করা হয়েছে। এর আওতায় যেসব কর্মীর তিন বছর বা এর কমবয়সী সন্তান রয়েছে, তাঁরা ছুটি নিতে পারবেন।

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই বাংলাদেশি
নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই বাংলাদেশিনিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। অন্যদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। তাদের এই বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নতুন ইতিহাস রচিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।
স্থানীয় সময় ২ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। রাত ৯টার পর থেকে ভোটের ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করতে থাকে নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া মোট ভোটের ৯৮ দশমিক ৮১ ভাগ ফলাফলে ডেমোক্রেট প্রার্থী শাহানা হানিফ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট উইনকুপ পেয়েছেন ২ হাজার ৫২২ ভোট।
এদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির উইলিয়াম ডি. শানাহান পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৬২ ভোট।
প্রাপ্ত ভোটের যে ব্যবধান রয়েছে তাতে শাহানা হানিফ এবং অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে রয়েছেন। মেইল ইন এবং অ্যাবসেন্টি ব্যালট গণনার জন্য চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তা হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
এর আগে চলতি বছরে তিনি ২২ জুনের প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পান অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। দশ বছরের জন্য তিনি এই পদে আসীন থাকবেন। তাঁর আদালতে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত মামলার শুনানি করার এখতিয়ার থাকবে।

 

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মশা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকেই ভাবছেন, মশা আবার সুন্দর হয় কীভাবে? হ্যাঁ ঘটনা কিন্তু সত্য। পৃথিবীতে সুন্দর মশার অস্তিত্ব রয়েছে।
আমরা সব সময় যে ধরনের মশা দেখতে পাই, তার চেয়ে বেশ সুন্দর প্রজাতির মশা হলো স্যাবেথেস সায়ানিয়াস। এটি মশার একটি ক্রান্তীয় প্রজাতি, যা দেখতে চোখ ধাঁধানো বটে। ছবিতে যে প্রতঙ্গটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটিই স্যাবেথেস সায়ানিয়াস প্রজাতির মশা।
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে দেখা মেলে এ মশার। বিরল প্রজাতির এ মশার গায়ে দেখা যায় নীল, বেগুনি ও কালোর মিশেল। দুই পাশে আছে রহস্যময় পালকের মতো প্যাডেল। এ কারণেই মশার এ প্রজাতি সুন্দর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এরা দেখতে যেন ঠিক রাজকীয় মশা। এর সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তবে তাদেরকে দেখা পাওয়াও মুশকিল। কারণ এ প্রজাতির মশা অত্যন্ত ছদ্মবেশী। তাই এদের ছবি তোলাও কঠিন।

 

খুলনায় ইউপি সদস্য হলেন তৃতীয় লিঙ্গের শাহিদা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনার ডুমুরিয়ার ছয় নম্বর মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন হিজড়া সম্প্রদায়ের শাহিদা বিবি (৪৩)। তিনি ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।
দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ১১ নভেম্বর ২০২১ শাহিদা বিবি সংরক্ষিত ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। ভোটে মাইক প্রতীক নিয়ে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি। তিনি চারজন মহিলা প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শাহিদা মাইক প্রতীকে পান ২৭শ ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লাইলা বেগম পেয়েছিন। ১৭শ ১৪ ভোট।
শাহিদা ডুমুরিয়ার ছয় নম্বর বেতাগ্রাম সদর ওডার্ডের বাসিন্দা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে নিজে বাড়ি করে বসবাস করছেন। তার বাবার বাড়ি দক্ষিণ চুকনগর। বাবা নাম আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল। বিজয়ী হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে শাহিদা বলেন, জনগণের ভালোবাসায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকদের অধিকার আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর সবসময়ই গরিব, দুঃখী ও বঞ্চিত লোকদের পাশে থাকব। আমি কোনোদিন কোন মানুষকে কটু কথা বলিনি। কাউকে বিরক্ত করিনি। যে কারণে মানুষ আমাকে মূল্যায়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে মানুষের চিন্তা পাল্টে দিতে চাই। সমাজে আমরা অবহেলিত হওয়া সত্ত্বেও জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে সমাজে একটি স্থান দিয়েছে। তাই এলাকার সব ভোটারদের কাছে আমি ঋণী। সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে তৃতীয় লিঙ্গের আর একজন ভোটার ছিল মুক্তা মনি। যেসব সময় আমার নির্বাচনের কাজে সহযোগিতা করেছে। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭-৮ জন হিজড়া এসে আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। তাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাহিদা বলেন, খুলনায় ইউপি নির্বাচনে আমি প্রথম বিজয়ী হয়েছি। আমার বিজয়ে জনগণের সাথে সাথে মা-বাবাও ভীষণ খুশি।

 

 

 ‘দিয়াড় সাহাপুর গ্রাম’ যেন ইউরোপের একটি ছোট শহর  

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছয় দশক পর এভাবে সব কিছু পাল্টে যাবে তা এলাকার মানুষ ভাবেনি। যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল একেবারেই কম, সেসব এলাকাই এখন বিদেশি নাগরিকদের চলাফেরায় মুখর।
জঙ্গলে ভরা পরিবেশে বিষাক্ত সাপ আর পোকামাকড়ে ভরে গিয়েছিল এমন এক জায়গায়তেই এখন নির্মিত হয়েছে আবাসিক এলাকা। সেখানে দেখা মিলছে সুউচ্চ ২০ তলাবিশিষ্ট ২১টি ভবনের শোভা। আর সেগুলোতে বসবাস করছেন রুশ, বেলারুশ ও ইউক্রেনের প্রায় চার হাজার নারী-পুরুষ।
এটি আর কিছু নয় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত আবাসিক এলাকা ‘গ্রিন সিটি’। এই ‘গ্রিন সিটি’ ঘিরে বিদেশিদের কেনাকাটার জন্য গড়ে উঠেছে অনেক আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমল, সেলুন, সবজি বাজারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অনেক দোকানপাট। আর যাতে তারা সহজেই বুঝতে পারে, সে জন্য সেসব দোকানের সাইনবোর্ডেও দেখা মিলছে রাশিয়ান ভাষা।
ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়াড় সাহাপুর ও অপরদিকে চরসাহাপুর গ্রাম। সেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাশিয়ান নারী-পুরুষের পদচারণায় মনে হয় যেন রাশিয়ার কোনো একটি ছোট শহর এটি।
অতীতে এসব এলাকা ভুতুড়ে গ্রাম মনে হতো। দিনের আলোতে নাকি মানুষ চলাচল করতেও ভয় পেত। এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে উদ্যোগ নেন— সপ্তাহে দুদিন এখানে একটি হাট বসবে। তাৎক্ষণিক হাটের নাম দেওয়া হয় ‘নতুনহাট’। সেই থেকে এ এলাকার নাম হয়ে যায় ‘নতুনহাট’। এখন এই নতুনহাটেই বসছে উন্নতমানের জিনিসপত্রের পসরা। গড়ে উঠেছে এসি লাগানো দোকানপাট। সেগুলোতে রাশিয়ানরা কিনছেন জিনিসপত্র।
এলাকাটি দিয়েই চলে গেছে ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়ক, যা সংক্ষেপে আইকে (ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া) রোড নামে পরিচিত। সড়কটি এখন বেশি ব্যবহৃত হয় রূপুপর প্রকল্পের গাড়ি চলাচলে। যেখানে একসময় ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকত, সন্ধ্যা নামলে মানুষ চলাচল থেমে যেত; সেখানে এখন দেখা মেলে গভীর রাতেও ঝলমলে আলোর বিচ্ছুরণ। চারদিকে আলোকিত করে রেখেছে ‘গ্রিন সিটি’। গত তিন বছরে এখানে গড়ে উঠছে এই গ্রীণসিটি।
বিদেশি নাগরিকদের বসবাস করার জন্যই গড়ে তোলা বহুতলভবণ ‘গ্রিন সিটি’ নির্মিত হওয়ার কারণে বেসরকারি ব্যাংকের শাখা, বিদেশিদের বিনোদনের জন্য আধুনিক দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে উঠেছে।

 

পাকিস্তানকে সমর্থন করলে আইনি ব্যবস্থা ॥ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান দলকে সমর্থনের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জার্সি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মারক চিহ্ন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য সুভাষ শাহর জার্সিটি (১৩ নম্বর) তুলে দেন দলের ম্যানেজার তানজীব মাজহার তান্নাসহ অন্য খেলোয়াড়রা।
কয়েক দিন আগে মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসা পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন করে তাদের পতাকা ওড়ান কয়েকজন। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় এই সমর্থন নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।


     চীন কখনও ছোট দেশগুলোকে ভয় দেখাবে না : জিনপিং


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন তার প্রতিবেশী ছোট দেশগুলোকে কখনও ভয় দেখাবে না। ২২ নভেম্বর চীন-আসিয়ান সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তিতে ভার্চুয়াল এক শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান নেতাদের উদ্দেশ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট এই কথা বলেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের সংস্থা আসিয়ান। এর সদস্য ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, ব্র“নাই ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের বিবাদ রয়েছে। আসিয়ানের অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলো হচ্ছে কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড।
গত ১৮ নভেম্বর চীনের কোস্টগার্ডের তিনটি জাহাজ ফিলিপাইন্সের দু’টি নৌকার পথ রোধ করে ও তাদের দিকে অনেক জোরে পানি ছুড়ে মারে। ফিলিপাইন্সের নৌকা দু’টি দক্ষিণ চীন সাগরের এক বালুচরে থাকা তাদের সেনাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু চীনের বাধার কারণে তাদের ফিরে যেতে হয়।
এদিকে গত ১৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক, উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। ফিলিপাইন্সের নৌকায় সশস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তিকে সক্রিয় করবে বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন কখনই ছোট দেশগুলোর উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে না। ‘চীন সবসময় আসিয়ানের ভালো বন্ধু, প্রতিবেশী ও অংশীদার ছিল, আছে এবং থাকবে, বলেন তিনি।
ফিলিপাইন্সের নৌকা আটকে দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে সম্মেলনে বলেন, তিনি এই ধরনের বিবাদ ‘ঘৃণা’ করেন। দুতার্তে বলেন, এসব বিবাদ মেটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে আইনের শাসন। তিনি ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক সালিসের দেয়া এক রায়ের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের দাবির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
১৫ নভেম্বর সম্মেলনে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
গত ফেব্র“য়ারিতে দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার আসিয়ানের কোনো প্রতিনিধিকে অং সান সু চিসহ আটক করা অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি। সে কারণে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের শাসক জেনারেল মিন অং লায়িংকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।
 

পুরুষদের দুই বিয়ে করতে হয় যে গ্রামে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে রাজস্থানের বাড়মের জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম দেরাসর। বড়জোর ৬০০ মানুষের বাস গ্রামটিতে। কিন্তু এই গ্রামের অদ্ভুত এক রীতি গোটা ভারতে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেরাসরের প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী। এ নিয়ে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী থেকে কোনো স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন দেরাসর গ্রামের পুরুষরা।
এমন রীতির সূত্রপাত অতীতের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামের এক লোকের নাকি কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই সন্তানলাভ করেন।
এরপর যখনই গ্রামের কোনো পুরুষ এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেন, তার দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হত। আর তাতেই নাকি মিলত ফল। এভাবে পুরুষের বহুবিবাহ গ্রামের রীতিতে পরিণত হয়।
অবশ্য এটি ছাড়াও অন্য একটি কারণ রয়েছে এমন রীতির পিছনে। দেরাসর গ্রামে শুরু থেকেই তীব্র পানি সঙ্কট চলে আসছে। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের নারীদের পানি আনতে হয় এই গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনো নারীর পক্ষেই হেঁটে এতদূর থেকে পানি আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষরা।
সে ক্ষেত্রে প্রথমজনকে সে অর্থে স্ত্রীর কোনো অধিকারই দেওয়া হয় না। তারা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’। সাধারণত প্রথম স্ত্রী সারা জীবনে সন্তানধারণের অধিকার পান না। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেরও অধিকার নেই তাদের। কোনো পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়। এমনকি নিজের পরিবারও তাকে পরিত্যাগ করবে। গ্রাম থেকেই বিতাড়িত করা হয় তাকে। দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তানধারণ না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে স্বামীকে আরও একটি বিয়ে করতে হয়। উপার্জনকারী স্বামীকে নিতে হয় পুরো পরিবারের দায়িত্ব।



 

কুয়েতে জুমায় পুনরায় বাংলা খুতবা শুরু

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুয়েতে দীর্ঘ ৮৭ জুমার পর পুনরায় ১৯ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজে বাংলা ভাষাসহ বিশ্বের ১৫টি ভাষায় জুমার খুতবা পাঠের অনুমতি দিয়েছে কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়। ফরওয়ানিয়া, রোমাতিয়া, চেবদী, সোলবিয়া, জাহারা এলাকায় নির্দিষ্ট মসজিদে বাংলা খুতবা পাঠ করা হয়। এছাড়াও ধাপে ধাপে আগের চালু থাকা সব মসজিদে বাংলা ভাষাসহ বিভিন্ন দেশের ভাষায় খুতবা চালু হবে। বর্তমানে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার কারণে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ থেকে মসজিদগুলোতে নামাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
 


লিবীয় উপকূলে নৌকাডুবিতে ৭৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইতালির উদ্দেশে লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রাকরা নৌকা-ডুবে ৭৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৫ জনকে।
২০ নভেম্বর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানিয়েছে (আইওএম) এমন তথ্য দিয়েছে। তবে মৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি কেউ আছে কিনা, সে তথ্য জানাতে পারেনি আইওএম। খবর লিবিয়া অবসারভার।
এতে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষদিকে লিবীয় উপকূলে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে অনুপ্রবেশের সময় সাগরে নৌকা-ডুবে এই প্রাণহানি ঘটেছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদেরকে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সাগরের মৎস্যজীবীরা তাদের উদ্ধার করেছেন। ২০ নভেম্বর ভূমধ্যসাগর থেকে কয়েক ডজন শিশুসহ ৪২০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড। এক বিবৃতিতে দেশটির উপকূলরক্ষীরা বলছেন, সিসিলির দক্ষিণাঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লাম্পাডুসায় মোটরবোটে ৭০ জনকে নিরাপদে আনা হয়েছে।
এছাড়াও একটি ভিন্ন উপকূলরক্ষী জাহাজ এদিন সন্ধ্যায় সিসিলি উপকূল থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৩৫০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। যাদের মধ্যে ৮০টি শিশু রয়েছে। এরই মধ্যে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থেমে নেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যাত্রা। এতে নৌকাডুবিতে সাগরে সলিল-সমাধি ঘটছে ইউরোপে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারীদের। জানা যায়, গত ১ অক্টোবর থেকে এ নিয়ে মধ্য ভূমধ্যসাগরে অন্তত ১০টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলো, সবগুলো নৌকাই অভিবাসন প্রত্যাশীবাহী ছিল। সাত বছরে সমুদ্রপথে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
 

 

৩২ কেজি ওজনের ‘কালো পোয়া’ ১০ লাখ টাকা বিক্রি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া ফিশারি ঘাটের বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসহাক সামুদ্রিক একটি পোয়া মাছ কিনেছেন ১০ লাখ টাকায়। পোয়া মাছটির ওজন হচ্ছে ৩২ কেজি ২০০ গ্রাম। ১৩ নভেম্বর ২০২১ বিকালে তিনি টেকনাফের মাছের আড়ৎ শফিক সেন্টার থেকে মাছটি কিনেছেন।
মাছটির ক্রেতা ইসহাক ১৩ নভেম্বর ২০২১ বলেন-‘ কালো পোয়া মাছটি আমি কিনে নিয়ে আজ রাতে কেটে পেটের ভেতরে থাকা বায়ুথলিটি বের করে নিয়েছি। বায়ুথলিটির ওজন হয়েছে ৬৯৭ গ্রাম। এটি রপ্তানি করব হংকংয়ে।’
তিনি বলেন, হংকংয়ের ক্রেতার (বায়ার) সঙ্গে তার ইতিমধ্যে যোগাযোগও হয়েছে। টেকনাফের সালেহ আহমদের মালিকানাধীন একটি মাছধরা নৌকায় শনিবার সকালে এ মাছটি ধরা পড়ে।
মাছের ক্রেতা ইসহাক আরো জানান, সামুদ্রিক কালো পোয়া মাছের মণপ্রতি দাম হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। হংকংয়ে এসব মাছের বায়ুথলি রপ্তানি করা হয় গ্রেড হিসাবে। তিনি জানান, গেল বছর তিনি সেন্ট মার্টিনস থেকে এরকম একটি ৩৭ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের কালো পোয়া মাছ কিনেছিলেন ৮ লাখ টাকায়।
কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান জানান, মাছটি সামুদ্রিক জো ফিস প্রজাতির। এটির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াক্যান্থাস’।
তিনি জানান, এসব মাছের বায়ুথলি সাধারণত তিনটি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রথমত সার্জিক্যাল কাজে ব্যবহার হয় সুতা হিসাবে, দ্বিতীয়ত ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তৈরি সর্বশেষ বিদেশে এসব মাছের বায়ুথলি দিয়ে অনেক দামি স্যুপ হিসাবে খাওয়া হয়।

 

 
সবার বিয়ে, পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় একটি মাদরাসার সব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছেন। গত ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রতি গ্র“পে দুটি বিষয়ের অনুষ্ঠিত কোন পরীক্ষায় বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়নি।
১৮ নভেম্বর ২০২১ হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষায়ও তারা অনুপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধান জানিয়েছেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব পরীক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
জানা গেছে, এ বছর বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ৫টি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। এসব মাদরাসার মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থীর ওই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন কেন্দ্রে ৮৩ জন উপস্থিত হয়। অনুপস্থিত ১৫ পরীক্ষার্থীর সবগুলোই বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থী। ওই মাদরাসা থেকে এ বছর মোট ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মাদরাসা সুপার ওই সব শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও সংগ্রহ করেছেন।
কেন্দ্র সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রের অধীনে ৫টি মাদরাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট সুপারদের কাছে সবগুলো বিতরণ করা হয়। সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবগুলোর প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী প্রতি ৩০০ টাকা কেন্দ্র ফি প্রদানের কথা থাকলেও ৪ হাজার ৫০০ টাকার পুরো ফি বকেয়া রেখে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল।
এদিকে, মানবিক গ্রুপের আল কোরআন এবং হাদিস শরীফ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ওই মাদরাসা থেকে কেউ অংশ নেয়নি। এ বিষয়ে মাদরাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু লাভ হয়নি।
এবিষয়ে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসা সুপার আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছরে তার মাদরাসা থেকে ১৫ জন ছাত্রীরই পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তবে প্রবেশপত্র পেয়ে এসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি তিনি গিয়ে ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি।

জাপানি ২ শিশু বাবার কাছে থাকবে: হাইকোর্ট
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই শিশুকন্যা বাবার কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২১ নভেম্বর ২০২১ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জাপানের নাগরিক নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। ঢাকা এসে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। মেয়ে দুটির বাবা বাংলাদেশি শরীফ ইমরানের কাছ থেকে সন্তানদের নিজের জিম্মায় পাওয়ার আবেদন করেন তিনি।
রিট আবেদনকারী পক্ষের তথ্যমতে, জাপানি আইন অনুসারে নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে করেন। এরপর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। এক যুগের দাম্পত্যজীবনে তাদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ছিল।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। গত ২১ জানুয়ারি ইমরান টোকিওর ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার এক মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। তবে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের আবেদন নাকচ করে।
পরবর্তী সময়ে স্কুলবাসে করে বাসায় ফেরার পথে বাসস্টপেজ থেকে ইমরান বড় দুই মেয়েকে (১১ ও ১০) অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। গত ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এরিকো ২৮ জানুয়ারি টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্র“য়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। তবে এই আদেশ ভঙ্গ করে ইমরান শুধু একবার মায়ের সঙ্গে বড় দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।
গত ৯ ফেব্র“য়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। গত ২১ ফেব্র“য়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।
গত ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে বড় দুই মেয়ের জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে এরিকো এত দিন বাংলাদেশ আসতে পারেননি। ছোট মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন এরিকো।
 



Top

 করোনা আক্রান্ত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সময় ২২ নভেম্বর ২০২১ দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ৫৬ বছর বয়সী জিন ক্যাসটেক্স করোনা টিকার দুই ডোজই সম্পন্ন করেছেন এবং এর আগে কখনও তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েনি। তিনি এখন ১০ দিনের আইসোলেশনে থেকে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী করোনা পরীক্ষা করান যখন তার এক কন্যার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর। প্রধাসমন্ত্রী স্থানীয় সময় ২২ নভেম্বর সকালেও ব্রাসেলসে ছিলেন, যেখানে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার দ্য ক্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যান। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও ছিলেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন ও ইউরোপীয়বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউনও ছিলেন তার সফর সঙ্গী। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছর।

 

Top

কংগ্রেস নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছেন মমতা?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের গোয়ার পর এবার হরিয়ানায়ও কংগ্রেসকে দুর্বল করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৩ নভেম্বর ২০২১ হরিয়ানার সাবেক কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপর থেকেই এমন অভিযোগে সরব হচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর দল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য দু’টি। প্রথমত, তারা কাউকে যেচে ডাকছেন না। বিভিন্ন কারণে যারা তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর ভরসা করে আসতে চাইছে, তাদেরই নেওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, অন্য দলের মতো তৃণমূলেরও অভিপ্রায় এবং অধিকার রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ানোর। কংগ্রেস অসন্তুষ্ট হবে, সে কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকার প্রশ্নই উঠছে না।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিপুলভাবে বিজেপিকে পরাজিত করার পর এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে দেশে প্রধান বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, রাহুল ঘনিষ্ঠ তানওয়ার এখন আর কংগ্রেসে নেই ঠিকই, কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে তার নেটওয়ার্ক অত্যন্ত ভালো। তিনি যুব কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে গোয়া, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে নিজের ভিত তৈরি করেছিলেন, যা এখনও অনেকটাই অক্ষত। এবার তাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।
তৃণমূলের বক্তব্য, হরিয়ানায় কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে ফাটল ধরিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছেন মমতা, এমনটি মনে করা হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, কংগ্রেস সখ্যের বিরুদ্ধে আগেই দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি নয়াদিল্লি সফরে রয়েছেন। দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। একাধিক কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বৈঠক করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গেও। তারপরই প্রশ্ন উঠতে থাকে, কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা কেন করছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এটা সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।

 

ভারতে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ভারতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। গোটা দেশে নারী ও পুরুষের অনুপাত হয়েছে ১০২০:১০০০ অর্থাৎ এখন প্রতি ১০২০ নারী পিছু পুরুষের সংখ্যা ১০০০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য জরিপ-৫’ বা (এনএফএইচএস-৫)-এর এক সমীক্ষায় বৃহস্পতিবার এ তথ্য সামনে এসেছে। ২০১৫-২০১৬ সালে এনএফএইচএস-৪-এর তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে ১০০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ছিল ৯৯১ জন। গ্রামেও বেড়েছে জনসংখ্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামে প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারীর সংখ্যা ১০৩৭ জন, সেখানে শহর এলাকায় প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারী ৯৮৫ জন। তবে কেবল নারী-পুরুষের অনুপাতই নয়, জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাতও তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

 ভাষণের মাধ্যমে বিশ্বকে যে প্রতিশ্র“তি দিলেন আফগান প্রধানমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না বলে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ।
২৭ নভেম্বর আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিশ্র“তি দেন। এদিন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আরও বেশি সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানান আফগান প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের একটি অডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। জাতি নানা ধরনের সংকট পার করলেও তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সহযোগী ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা মোল্লা হাসান আখুন্দ ছিলেন চুপ। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যে তার প্রায় ৩০ মিনিটের একটি ভাষণ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হলো। ভাষণে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব দেশকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, তালেবান কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। আমরা সব দেশের সঙ্গে ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে বলছি, সহায়তা আটকে রাখবেন না। ক্লান্ত এ জাতিকে সহযোগিতা করুন, যাতে জনগণের সমস্যার সমাধান হয়। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই দেশটিতে মূদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব বেড়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাত একেবারেই ধসে পড়েছে বলা চলে। ওয?াশিংটন কাবুলের প্রায? ১০ বিলিয়ন সম্পদ জব্দ করার পরে আর্থিক সংকট আরও বেড়ে যায়। এর পর বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আফগানিস্তানের তহবিলে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।

 

 ইলেকট্রিক গাড়িতে ইউরোপ আমেরিকা ঘায়েল করছে চীন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মোটরগাড়ির ক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দ্রুতই বিশ্ববাজার দখল করছে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি। আর এখানেই বাজিমাত করছে চীন।
দেশটির তৈরি ব্যাটারিই হয়ে উঠেছে তাদের বিশ্বজয়ের অস্ত্র। এই অস্ত্রেই ঘায়েল করছে ইউরোপ ও আমেরিকাকেও।
ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতায় তাদের ধারেকাছেও কেউ নেই। খনি থেকে ব্যাটারির কাঁচামাল উৎপাদন থেকে শুরু করে গাড়ি প্রস্তুত পর্যন্ত সবকিছুই চীনা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে। দ্য গার্ডিয়ান।
ইলেকট্রিক কার বা বৈদ্যুতিক গাড়ির কথা এলেই সবার আগে আসে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করার রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানিটির হাতেই। কিন্তু ইলনের এই কোম্পানির সফলতার পেছনেও রয়েছে সেই চীনা ব্যাটারির ক্যারিশমা। চীনের সাংহাইতেও টেসলার কারখানা রয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার কারখানার চেয়ে এই সাংহাই কারখানাই বেশি গাড়ি তৈরি করে। আর এই গাড়িগুলো যাতে সচল হয় সেই ব্যাটারিগুলোর বেশির ভাগই চীনের তৈরি।
মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যেই ডিজেল/পেট্রলচালিত গাড়ি থেকে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব। বিরাট সম্ভাবনাময় এই খাতের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ হচ্ছে ব্যাটারি। এ ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী ও নিশ্চিত করতে চাইছে কোম্পানিগুলো। ফলে তাদের মধ্যে বিশাল একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের সমরাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতার সঙ্গে মিলিয়ে যাকে বলা হচ্ছে ‘ব্যাটারি আর্মস রেস’ তথা ব্যাটারি অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ ক্ষেত্রে ইউরোপ ও আমেরিকাকে হটিয়ে ইতোমধ্যে একচেটিয়া আধিপত্য গড়ে তুলেছে ‘বিশ্বের নির্মাতা’ খ্যাত দেশ চীন। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন নিজেই বৈদ্যুতিক গাড়ির সবচেয়ে বড় বাজার। গত বছর এখানে ব্যাটারিচালিত গাড়ি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ; যা বিশ্বের মোট বিক্রির চেয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি। বিশ্বের মোট ব্যাটারি বাজারের ৩০ শতাংশই চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএটিএলের দখলে। ব্যাটারি তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে কোবাল্ট। বিশ্বের ৮৫ ভাগ কোবাল্টই এখন চীনা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে। যার উৎস প্রধানত আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। এখানকার ৭০ শতাংশ খনিই নিয়ন্ত্রণ করছে চীনারা।




 যে গ্রামে বয়ঃসন্ধিকালে অনেক শিশুর লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যায়!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিভিন্ন সময় মাঝেমধ্যেই আমরা খবরের কাগজ কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় দেখি, ছেলে হয়ে জন্মে পরবর্তীতে মেয়েতে রুপান্তর হওয়া অথবা মেয়ে হয়ে জন্মে ছেলেতে রুপান্তর! এমন ঘটনা সাধারণ কালেভেদেই চোখে পড়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যালিনাস নামক গ্রামে এমন ঘটনা একেবারেই স্বাভাবিক। সেখানে প্রতি ৯০ জন শিশুর মধ্যে এক জন বয়ঃসন্ধিকালে এমন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান।
বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এটি নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, গ্রামটিতে অনেক শিশুই মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে ধীরে ধীরে তাদের শরীরে ছেলেদের বৈশিষ্ট প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাদের আচরণও ছোট থেকেই ছেলেদের মতো থাকে।
যেমন- ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করা, পোশাক পরিধান করা ইত্যাদি। বাবা-মা সন্তানের জন্য মেয়েদের পোশাক কিনলেও সন্তান সেটা পড়তো না। আর বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছালে পেশি শক্ত হওয়া এবং পুরুষ লিঙ্গ বের হয়।
একই রকম ঘটনা ঘটে ছেলে হয়ে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রেও। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে ধীরে ধীরে তাদের শরীরে মেয়েদের বৈশিষ্ট প্রকাশ পেতে শুরু করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামটিতে প্রতি ৯০ জন শিশুর মধ্যে এক জনের শরীরে এমন পরিবর্তন ঘটে।
গ্রামবাসীদের অনেকে বিশ্বাস করতেন, গ্রামের ওপর কোনো পুরনো অভিশাপ থাকায় এমনটা ঘটে। কিন্তু বিজ্ঞান ও চিকিৎসকরা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এই শিশুরা বিরল জিনগত রোগ ফাইভ আলফা রিডাকটেজ ডেফিসিয়েন্সিতে আক্রান্ত। ফাইভ আলফা রিডাকটেজ হলো, মানব শরীরের একটি উৎসেচক এবং সেটির ঘাটতি দেখা দিলেই এই রোগটি দেখা দেয়।
শরীরে যে জিনটি এই উৎসেচক তৈরির নির্দেশ বহন করে তার মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এটি কম উৎপন্ন হয়। এই উৎসেকটির কাজ হলো, স্ত্রী শরীরে পুরুষের বৈশিষ্ট্য বাহক হরমোন টেস্টোস্টেরনের বিপাক ঘটিয়ে তাকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে পরিণত করা। নারী শরীরে এটাই স্বাভাবিক জৈবিক ক্রিয়া এবং এর ফলেই পুরুষের বৈশিষ্ট প্রকাশ পায় না। তখন ওই ব্যক্তি এক জন স্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন।
আর ফাইভ আলফা রিডাকটেজের ঘাটতি দেখা দিলে টেস্টোস্টেরনের বিপাক ঘটিয়ে তাকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে পরিণত করার জৈবিক ক্রিয়াটি ব্যাহত হয়ে থাকে। তখন শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উপস্থিতির কারণে পুরুষের বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়।
 

যে মুরগির মাংসের কেজি হাজার টাকা!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কড়কনাথ মুরগির চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। প্রতি কেজি মুরগির দাম গড়ে হাজার টাকা। তবে শীত ও গ্রীষ্মকালে দামের কিছুটা পার্থক্য হয়ে থাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলা হয়, ভারতে এই ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ায়। সেখানকার মুরগির চাহিদা রয়েছে গোটা ভারতে। মধ্যপ্রদেশের কড়কনাথ মুরগি জিআই ট্যাগও পেয়েছে। এখন ধীরে ধীরে ভারতের অন্য রাজ্যতেও হাঁস-মুরগি পালনের মতোই কড়কনাথ মুরগি চাষের দিকে ঝুঁকছে। কড়কনাথ মুরগির বিশেষত্ব: এই মুরগি পুরোপুরি কালো রঙের। একই সঙ্গে এই মুরগির মাংস, রক্ত ও ডিম কালো রঙের হয়ে থাকে। এ জন্যই এই মাংসের চাহিদা রয়েছে বেশি।
মাংসে স্বাস্থ্য উপকারী গুণ: কড়কনাথ মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী। এই মাংসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিন থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও থাকে অনেক কম। ফলে এই মাংস হার্টের রোগী ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। চিকিৎসকেরা অনেক সময় এই মাংস খেতে পরামর্শ দেন। দাম: শীতকালে ভারতে এই মুরগির মাংস প্রতি কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্য সময় এর দাম থাকে ৮০০ টাকা কেজি।



 

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন 'বাংলাদেশি' ২ নারী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই নারী শাহানা হানিফ ও সোমা সাঈদ। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই দুই নারী।
২ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম নারী কাউন্সিল ওমেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায়।
তিনি ব্র“কলিনের নির্বাচনী এলাকা ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে ২৮ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ব্রেট ওয়েনকফ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫২২ ভোট। শাহানা হানিফ একসময় নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের কর্মচারী ছিলেন।
অন্যদিকে কুইন্স সিভিল কোর্টের বিচারক হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম মুসলিম নারী বিচারক। তার পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দুই বাংলাদেশি নারীর ঐতিহাসিক বিজয়ে বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস, ওজোনপার্ক, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার, স্টারলিংক, ব্র“কলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

 

 পুষ্টিহীনতায় মৃত্যুঝুঁকিতে ১০ লাখের বেশি আফগান শিশু

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসা সব ধরনের সহায়তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন সংকটে সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির শিশুরা।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ৩০ লাখের বেশি শিশু অপুষ্টির সঙ্গে লড়ছে। দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে অন্তত ১০ লাখ শিশুর মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। খবর সিএনএন ও বিবিসির।
অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড সিভিক এনগেজমেন্টের চিফ অব কমিউনেকেশন স্যাম মার্ট বলেছেন, চলতি বছর ইউনিসেফ আফগানিস্তান বিশ্ব শিশু দিবস পালন করেনি। এ মুহূর্তে আফগানিস্তানে শিশু হওয়াটা অভিশাপ। দেশটিতে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত। তিন লাখের বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের মৃত্যুঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাত কবলিত দেশটির হাজার হাজার শিশুকে বিপজ্জনক কাজ করানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে নয় বছর বয়সী সোনিয়া কাবুলে জুতার কারখানায় কাজ করে।
শিশুটি জানিয়েছে, তাদের অর্থ দেয়ার মতো কেউ নেই। কোনো নিকটাত্মীয় তাদের খেতে দেয় না। আগে তার মা বাইরে কাজ করতো। এখন তার মা আর বাইরে বের হতে পারেন না। ফলে শিশুটি জুতার কারখানায় কাজ নিয়েছে।
যুদ্ধে বাবাকে হারিয়েছে ১০ বছর বয়সী আব্দুর রহমান। তার পরিবারের সাতজনের মধ্যে একমাত্র ‘উপার্জনক্ষম’ এখন শুধুই সে। রহমান বলেন, ‘বাবা যুদ্ধে মারা গেছেন। ভাইয়েরা কাজ করতে পারে না। আমিই কাজ করছি, যে অর্থ রোজগার করি তা দিয়ে সংসার চলে।’
ইউনিসেফ বলছে, আফগানিস্তানে জরুরি সহায়তা না দেওয়া হলে শিশুদের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেবে। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
 


 

Top

ইতিহাস সৃষ্টি করলেন কমলা হ্যারিস ৮৫ মিনিটের প্রেসিডেন্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন কমলা হ্যারিস। আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি। এবার প্রেসিডেন্ট হলেন কমলা। এই প্রথম কোনো নারী যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেলেন।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার কোলোনোস্কপি করা হয়। এ সময় প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল কমলাকে। ৫৭ বছর বয়সী কমলা প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ৮৫ মিনিটের জন্য। জো বাইডেনের যখন কোলোনোস্কপি করা হচ্ছিল, তখন তাঁকে চেতনানাশক দেওয়া হয়। তাই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন কমলার কাছে। এ চিকিৎসা কার্যক্রম শেষে বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা এখন ঠিকঠাক। তিনি এখন নিয়মিত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত। বাইডেনের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীর ঠিক আগের দিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলো। এদিকে কমলা হ্যারিস দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ব্যবহার করেননি। তিনি নিজ কার্যালয় হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং থেকেই এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি ঠিক কী কী কাজ করেছেন এই ৮৫ মিনিটে, তা জানা যায়নি।
কমলা হ্যারিসের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য কমলা যে দায়িত্ব পেয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এ সুযোগ রেখেছে এবং নিয়মিত কার্যপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০০২ ও ২০০৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে এমন ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে ২০১৯ সালে তাঁর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। গতকাল দায়িত্বে ফেরার পর তিনি বলেন, ‘আমি বেশ ভালো অনুভব করছি।’

 
 কোভিড পিল ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি



মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে কোভিড উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশে ওরাল ট্যাবলেট "মলনুপিরাভির" ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে দেশের সব হাসপাতালে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে কোভিড আক্রান্ত গুরুতর রোগী এবং অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্তদের জন্য এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তরটি। জরুরি ব্যবহারের জন্য কিছুদিন আগেই মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটটি তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তার এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অনুমোদন এসেছে। ১৬ নভেম্বর ২০২১ দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে," যেসব কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণ দেখা যায়, তারা চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন।" কোভিডের গুরুতর লক্ষণযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, "৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা অন্যান্য সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি সেবন করা উচিত না।" শিগগিরই কোভিডের ক্লিনিকাল নির্দেশিকাতে ওষুধটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গত সপ্তাহে একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুহার কমপক্ষে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।
এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো, এসকেএফ, স্কয়ার এবং রেনাটাকে "মলনুপিরাভির" ট্যাবলেট তৈরি ও বাজারজাত করার অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
 

 

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ উদ্বেগজনক: ডব্লিউএইচও

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানায় টিকাপ্রাপ্তরাই করোনার নতুন এই প্রজাতির দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নয়া ভ্যারিয়েন্টের ভাবগতিক বুঝতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্টে বিপজ্জনক মিউটেশন ঘটেছে। বস্তুত সেই কারণেই চিহ্নিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকির সর্বোচ্চ ধাপে রাখা হলো করোনার এই নয়া স্ট্রেনকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল এই প্রজাতির ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তাতে ৫০টি মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে, যার মধ্যে ৩০টিরও বেশি হয়েছে শুধু স্পাইক প্রোটিনে। নতুন এই প্রজাতির করোনাভাইরাস যাদের আক্রমণ করেছে, তাদের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ বা ‘ভাইরাল লোড’ খুব বেশি হয়েছে।
নতুন প্রজাতিটির উৎস নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো এইচআইভি আক্রান্তের শরীরই সম্ভবত এই ভ্যারিয়েন্টের উৎস। অতীতে করোনার বিটা ভ্যারিয়েন্টও এক এইচআইভি রোগীর শরীরে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বুধবার যত জন সংক্রমিত হয়েছে, তাদের ৯০ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রন স্ট্রেনের ভাইরাস মিলেছে। নতুন এই প্রজাতির করোনা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে জোহানেসবার্গে। সেখানকার সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া। ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নয়া প্রজাতির ভাইরাসের শিকার মূলত হচ্ছেন অল্পবয়সীরা।
 

 


কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইসরাইল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তীব্র নিন্দা সত্ত্বেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার গ্র“প জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১৪৯ ফিলিস্তিনি শিশুকে বন্দি করেছে ইহুদিবাদী দেশটি।
গত ২০ নভেম্বর ২০২১ বিশ্ব শিশু দিবসে এক বিবৃতিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনাদুলু এজেন্সি। এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতার শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বন্দিসব শিশু কারাগারে থেকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯ হাজার শিশুকে বন্দি করা হয়েছে; যাদের বয়স ১০-১৮ বছরের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত শতশত শিশু-কিশোর বন্দি জীবন কাটাচ্ছে ইসরায়েলের কারাগারে।
 

বিদেশিদের জন্য ওমরাহ পালনে নতুন বয়সসীমা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি আরব। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বিদেশি নাগরিকরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন। সৌদি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোভিডের দুই ডোজ টিকা নিয়েই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন বিদেশিরা। টিকা নেওয়ার সনদপত্রও থাকতে হবে। এসব তথ্য প্রমাণ জমা দিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক এন্ট্রি ভিসা নিতে হবে বিদেশিদের। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ইতমারনা ও তাওয়াক্কালনা নামের দুটি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ করতে আসা বিদেশিদের মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে নানান আনুষ্ঠানিকতা পালন ও মদিনার মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার সুবিধা চালু করেছে।
যারা পারমিট ইস্যু করতে ইচ্ছুক তারা তাওয়াক্কালনা অ্যাপে গিয়ে হজ ও ওমরাহ সার্ভিসে ‘ইস্যু পারমিটস’ অপশনে ক্লিক করে পারমিটের ধরন ও তারিখ নির্বাচন করতে পারবেন।
পারমিটের ধরন নির্বাচন করার পর আবেদনকারী কোথায় অবস্থান করতে ইচ্ছুক এবং কোথা থেকে তিনি এসেছেন সেসব তথ্য অ্যাপে দিতে হবে।

 



‘আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের পেছনের ইতিহাস ?

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক ‘নারী দিবস’ সম্পর্কে জানা আছে প্রায় সবারই। এ নিয়ে অনেক পুরুষের মৃদু আক্ষেপের কথাও জানি আমরা! অনেক পুরুষই বলে থাকেন- ‘পুরুষ দিবস’ নেই কেন?
আবার অনেকে বলেন ৮ মার্চ ছাড়া বাকি দিনগুলো হলো পুরুষদের জন্য। এই একটা দিন নিয়েই ‘সন্তুষ্ট’ থাকুক নারী। কিন্তু এমন ধারণা সঠিক নয়। আসলে খুব বেশি প্রচারণার অভাবে অনেকেই জানেননা অন্যান্য দিবসের মতো রয়েছে ‘পুরুষ দিবস’ও ! বিশ্বের অনেক দেশেই বহুবছর আগে থেকেই সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে ‘আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস’। শুরুতেই বলে রাখি, এই দিবস কিন্তু নারী দিবসের বিপরীত কিছু নয়। বরং পুরুষের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
ইন্টারন্যাশনাল মেন’সে ডে লিখে গুগলে সার্চ দিলেই উইকিপিডিয়া ছাড়াও দেখা মিলবে এই সংক্রান্ত বেশকিছু ওয়েব সাইট। ১৯ নভেম্বর ‘আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস’কে কেন্দ্র করেই এসব ওয়েবসাইট। মেন’স ডে সাইটগুলোতে এই দিবস পালনকারী বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের তালিকা আছে। তবে সে তালিকায় বাংলাদেশের কোনো সমর্থকের উল্লেখ নেই। একইসঙ্গে যেসব দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়- তাতেও নেই বাংলাদেশের নাম। এমনকি বাংলাদেশের পত্রিকা ও নিউজ সাইটের আর্কাইভ খুঁজেও এ সংক্রান্ত তেমন কিছুর হদিস পাওয়া যায়না খুব একটা! প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিনটি উদ্যাপন করা হয়ে থাকে।


যেভাবে শুরু আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে প্রথমবারের মতো পালিত হয়। এরপর দিবসটি জাতিসংঘের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চাশটি দেশে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। ইউনেস্কোর উইমেন এন্ড কালচার অব পিসের পরিচালক ইনিবর্গ ব্রেইনিস বলেন, ‘এটা একটা দারুণ আইডিয়া। এটা লৈঙ্গিক ভারসাম্য আনবে।’
এর আগে ১৯৯৪ সালে প্রথমবার পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। তবে গোড়ার ইতিহাসটা বেশ পুরনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।
 

 

আফগানিস্তানে টিভি নাটকে নারী নিষিদ্ধ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানে টেলিভিশন নাটকে নারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। তবে সাংবাদিক ও উপস্থাপকদের পর্দায় হিজাব পরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
২২ নভেম্বর ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, গণমাধ্যমে নারীদের জন্য নতুন ৮টি আইন করেছে তালেবান সরকার। নতুন আইনে আফগান নারীরা টেলিভিশনের নাটকে নিজেদের দেখাতে পারবেন না। সাংবাদিক ও উপস্থাপকদের হিজাব ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তবে কোন ধরনের হিজাব পরতে হবে তা বলা হয়নি।
নতুন আইনে রয়েছে, শরীয়া বা ইসলামি আইন কিংবা আফগান মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায়- এমন চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমেডি এবং বিনোদনমূলক শো-গুলোতে ধর্মকে অবজ্ঞা করা যাবে না কিংবা আফগানদের কাছে আক্রমণাত্মক বিবেচিত হয় এমন সবকিছু নিষিদ্ধ থাকবে। ভিডিও ফুটেজে পুরুষদের শরীরের অন্তরঙ্গ অংশগুলো দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে। আফগান টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশি নাটক প্রচার করে, সেগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকে নারী। আফগান সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের সদস্য হুজ্জাতুল্লাহ মুজাদ্দেদি বলেছেন, নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, নতুন নিয়মের কয়েকটি বাস্তবিক নয় আর এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। এরপরই প্রথমে নারীদের স্কুলে না গিয়ে ঘরে থাকতে বলেছিল তারা। যদিও পরে সেই অবস্থান থেকে তারা ফিরে আসে। এর আগে ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনে কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
 

বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় খেয়ে দিতে হয় পুরুষত্বের প্রমাণ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

এই আধুনিক বিশ্বে এখনো অনেকে নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। যারা বিভিন্ন রকম প্রথা ও নিয়মে বিশ্বাসী, বাস্তবে যার আদৌ কোনো ভিত্তি আছে কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যেমন আমাজনের সাতেরে মাওয়ে উপজাতির পুরুষদের পুরুষত্বের প্রমাণ দিতে খেতে হয় বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড়।
বহু বছর ধরে চলে আসা এই প্রথায় বুলেট নামক ভিমরুলের আকৃতির দসেই পিঁপড়ার বিষাক্ত কামড় সহ্য করতে পারলেই প্রকৃত যোদ্ধা হওয়া যাবে সেখানকার পুরুষরা। জানা গেছে, আমাজনের এই পিঁপড়ার নাম প্যারাপোনেরা ক্লাভাটার, যার এক কামড়ে ২৪ ঘণ্টা একটানা ব্যথা থাকে। এমনকি গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতই যন্ত্রণাদায়ক সেই ব্যথা। যা অনেকেই সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। কিন্তু সাতেরে মাওয়ে উপজাতির মধ্যে যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে তারাই বীরপুরুষের খেতাব পেয়ে যায়।
একজন পুরুষকে সারা জীবনে ২০বার বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় সহ্য করতে হয়। পিঁপড়াগুলোকে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্ধারিত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পাতা দিয়ে তৈরি পিঁপড়ার গ্লাভসটি পরিয়ে দেওয়া হয়।
বারো বছর বয়স থেকেই এই পরীক্ষা শুরু হয়। কম বয়সী ছেলেরা পাঁচ মিনিট, বয়স বাড়লে অবশ্য দশ মিনিট বা তারও বেশি সময় এই পরীক্ষা দিতে হয়। এই অগ্নিপরীক্ষার সময় যখন ছেলেটি যন্ত্রণায় কাতরায় তখন বাকিরা গান এবং নৃত্যে ব্যস্ত থাকে। কঠিন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই একজন সাতেরে মাওয়ে পুরুষ পান শারীরিক সম্পর্ক করার অনুমতি।
 

 

‘বউ পেটানো’ সঠিক মনে করেন নারীরাই
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

 বউ পেটানো ঠিক, নাকি ঠিক নয়- বিতর্কিত এ প্রশ্ন নিয়ে এবার জরিপে নেমেছিল ভারতের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (এনএফএইচএস)। সমীক্ষায় প্রশ্ন ছিল-বউ পেটানো কি ঠিক, নাকি অন্যায়? পশ্চিমবঙ্গসহ ১৩ রাজ্যের ওপর চালানো জরিপের ফলাফলে জানানো হয়, পুরুষশাসিত সমাজের এই ঘৃণ্য সহিংসতাকে সঠিক বলে মনে করছেন নারীরাই! এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজার।
তেলেঙ্গানার ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশ নারী বলেছেন, ঠিক। এ ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে সমীক্ষায় ‘হ্যাঁ’-এর বিচারে তেলেঙ্গানা যেমন শীর্ষে, তেমনি পুরুষদের মধ্যে সবার আগে কর্নাটক। কারণ, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার আগের রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, সারা ভারতের ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪২ শতাংশ পুরুষ পারিবারিক সহিংসতাকে যুক্তিযুক্ত বলে মেনে নিচ্ছেন। আর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বিভিন্ন রাজ্যে ওই শতকরা হার আশির ঘরে পৌঁছানোটা উদ্বেগেরই বিষয়। দক্ষিণী রাজ্যের ৮১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে মারেন, তাতে কোনো দোষ নেই! পশ্চিমবঙ্গসহ ১৩টি রাজ্যে এই সমীক্ষার আওতায় আসা নারীরাই মনে করছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করাটাই স্বামীর হাতে স্ত্রীর নিগ্রহের প্রধান কারণ।
ইদানীং ভারতের জাতীয় পরিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার প্রকাশিত ওই ফলাফলের কিছু ইতিবাচক দিক নিয়ে চর্চা হচ্ছে। যেমন-শহরাঞ্চলের ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৭৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। ভারতে নারীপ্রতি শিশুর জন্মহার নেমে এসেছে দুইয়ে। জন্মহারে এগিয়ে শিশুকন্যারা। তা সত্ত্বেও স্বামীর হাতে স্ত্রীর শারীরিক নিগ্রহকে যেভাবে সমর্থন করেছেন নারীদেরই একাংশ, তা উদ্বেগজনক।
২০১৯-২১ সালের মধ্যে এবারের সমীক্ষাটি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গোয়া, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা এবং কেন্দ শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের নারী-পুরুষের ওপর।
 

 সুরে সুরে কথা বলে গ্রামবাসী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাহাড়ের গায়ে গাছগাছালি ঘেরা শান্ত-নিবিড় একটি গ্রাম।
মাঝে মাঝেই ভেসে আসে বিচিত্র শিস। কখনও কিচিরমিচির শব্দের সুর। তবে তা কিন্তু পাখির নয়, মানুষের।
মেঘালয়ের গহিন অরণ্যের এই গ্রামের নাম কংথং। এখানকার মানুষ এভাবেই সুরে সুরে কথা বলে।
এই গ্রামের মানুষের কথা বলার এক বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। শব্দে নয়, তারা গান বা সুললিত সুরে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, ডাকেন।
কংথং ছাড়াও এর আশপাশের আরও বেশ কিছু গ্রামেও ছড়িয়েছে এই ঐতিহ্য। শুধু তাই নয়, এই গ্রামের প্রত্যেক মা তার সন্তানদের জন্য আলাদা আলাদা সুর তৈরি করেন।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

নারী স্বাধীনতায় নতুন লাগাম

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

আফগানিস্তানে এবার টেলিভিশন নাটকে নারীদের নিষিদ্ধ করল তালেবান। রোববার নতুন ‘ধর্মীয় নীতিমালা’ প্রকাশ করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিতে নারীদের নাটক, সিনেমা, সাংবাদিকতা ও উপস্থাপনাসহ মোট ৮টি বিষয়ের ওপর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেই শিক্ষা, চাকরি, সংগীত, খেলাধুলার পর এই প্রথম গণমাধ্যম ও অভিনয়েও নারী স্বাধীনতার লাগাম ধরল তালেবান। বিবিসি, এএফপি।
আফগান টিভি চ্যানেলে প্রচারিত নতুন ৮ নির্দেশনায় বলা হয়েছে-নারী সাংবাদিকসহ উপস্থাপকদেরও পর্দায় হিজাব পরতে হবে। তবে কোন ধরনের হিজাব পরতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। শরিয়াহ আইন কিংবা আফগান ‘মূল্যবোধ’র বিরুদ্ধে যায়-এমন চলচ্চিত্র টেলিভিশনে দেখানো যাবে না। এমন কোনো ভিডিও দেখানো যাবে না, যেখানে পুরুষের শরীরের ‘ব্যক্তিগত’ কোনো অংশ প্রকাশ্যে আসে। কমেডি কিংবা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে এমন কিছু দেখানো যাবে না, যাতে ধর্মের অবমাননা হয় বা আফগানদের জন্য আপত্তিকর বলে বিবেচিত হতে পারে। বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রচার করে, এমন বিদেশি চলচ্চিত্রও আফগান টিভিতে সম্প্র্রচার করা যাবে না। নতুন নীতিমালা জারির পর তা রোববারই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাকিফ মোহাজির এএফপিকে বলেন, ‘এগুলো কোনো আইন না, বরং ধর্মীয় নীতিমালা।’ আফগানিস্তানে সাংবাদিকদের একটি সংগঠন হুজ্জাতুল্লাহ মুজাদ্দেদির একজন সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, নতুন এই বিধিনিষেধ ছিল ‘অপ্রত্যাশিত’। তার ভাষায়, ওই নির্দেশনার কিছু নিয়ম বাস্তবসম্মত নয়। ফলে এটা কার্যকর করা হলে টেলিভিশন সম্প্রচারই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের আগে গত ২০ বছরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছিল আফগানিস্তানের টিভি চ্যানেলসহ গণমাধ্যমগুলোর। ২০০১ সালের পর পশ্চিমাসমর্থিত তৎকালীন আফগান সরকারের অধীন গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন। ‘আমেরিকান আইডল’র আদলে আয়োজন হয়েছিল গানের প্রতিযোগিতার। চলত গানের ভিডিও। নতুন আদেশে এসব বন্ধ। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে পুরুষের লিখিত অনুমতি ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। সেই অনুমতি থাকলেও তাদের বের হতে হতো সর্বাঙ্গ ঢাকা বোরকা পরে। বয়ঃপ্রাপ্ত হলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ, নারীদের চাকরি করারও সুযোগ ছিল না। টেলিভিশন দেখা অবস্থায় কেউ ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হতো। ভেঙে দেওয়া হতো টেলিভিশনটিও। আর কারও কাছে ভিডিও প্লেয়ার মিললে শাস্তি ছিল জনসমক্ষে বেত্রাঘাত। দুই দশক পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তালেবান বলেছিল, তাদের শাসনে নারীরা অধিকার পাবে ‘শরিয়াহ আইন অনুযায়ী’। ধীরে ধীরে তারা পুরোনো সেই কঠোর নিয়মের দিকেই যাচ্ছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। সেই দুই দশক আগের সেই দৃশ্যগুলোই ফুটে উঠছে আফগান মানচিত্রে।
২০ বছরে প্রথম বেসামরিক বিমান : এখন থেকে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে সর্বশেষ উড়েছিল বেসামরিক বিমান। ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আফগান আকাশে শুধুই সামরিক বা যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। দুই দশক পরে দেশটিতে আবার বেসামরিক বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের চার মাস পর শনিবারই আফগানিস্তানে প্রথম কোনো বেসামরিক বিমান অবতরণ করেছে। এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহর প্রদেশের জালালাবাদ শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেছে ওই বেসামরিক বিমান। এর মাধ্যমে ২০ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর নানগারহর বিমানঘাঁটিতে প্রথম বেসামরিক বিমান অবতরণ করল। ইরান থেকে আসা ওই বিমানে করে মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে। শনিবার প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জালালাবাদ বিমানঘাঁটি সব ধরনের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে ওই বিমানবন্দরের সব ধরনের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
 


দশ লাখ আফগান শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ৩২ লাখ শিশু অপুষ্ঠির মুখে পড়তে পারে। শীতের কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় এদের মধ্যে দশ লাখ মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
১২ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। এ তথ্য দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তালেবানরা দেশটির ক্ষমতা দখলের পর পশ্চিমারা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ত্রাণ সংস্থাগুলো অনেকদিন ধরেই দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জানিয়ে আসছে।
কাবুল সফরে থাকা ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, দেশজুড়ে অনাহার বাড়তে থাকায় এটি একটি কঠিন যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যাচ্ছে। শীতে বয়স্ক ও শিশুদের বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। আফগানিস্তান থেকে বিশ্বের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো ছোট ছোট শিশুতে ভরে গেছে। সাত মাসের এক শিশু রয়েছে যে নবজাতকের চেয়েও ছোট। এখানে হামে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২৪ হাজার ক্লিনিক্যাল কেস পাওয়া গেছে।
দ্রুত উদ্যোগ না নিলে অনেক মৃত্যু দেখার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হ্যারিস।
 

 

শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালের গৌরনদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মেয়ে চুমকি। চুমকির বয়স যখন আট, তখন তার বাবা দীর্ঘদিনের কঠিন রোগে কষ্ট পেয়ে মারা যায়। চাচারা ষড়যন্ত্র করে ঋণের অজুহাত দেখিয়ে বসত ভিটা দখল করে চুমকিদের ঘর থেকে বের করে দেয়। গ্রাম্য বিচারে রায় গেলো চাচাদের পক্ষে। অগত্যা আর কী করা! জন্মস্থান, সবুজে ঘেরা গ্রাম ছাড়লো চুমকিরা, ক্ষোভে, অভিমানে। বেঁচে থাকার তাগিদে এক অগ্রহায়ণে ঢাকা চলে এলো। এসে আশ্রয় নিল রেলওয়ের এক বস্তিতে। এখানে তাদের গ্রামের বাড়ির লোক ফরিদ থাকে। সে ভাড়ায় টেক্সি চালায়। ফরিদের সহযোগিতায় চুমকির মা কাজ পায় নীলক্ষেত এলাকায় একটি চা-এর দোকানে। তার কাজ ধোয়া-মোছা ও মরিচ-মসল্লা বাটা। মায়ের সামান্য আয়ে চুমকিসহ অন্য ছোট দুই ভাইয়ের দুই বেলা ভাত খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাস শেষে ২৫০ টাকা ঘর ভাড়া দিতেও হিমশিম খেতে হয় চুমকির মাকে।
চুমকি এক প্রকার বাধ্য হয়েই মায়ের দেয়া ১২০ টাকা পুঁজি নিয়ে কাটা ফলমূল ব্যবসায় নেমে পড়ে। সারাদিন নগরীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত চষে বেড়ায়, ফেরি করে। মৌসুমী ফল খিরা, শশা, গাজর, বেল এবং আমড়া যা পায় তা-ই চুমকি ফেরি করে। চুমকির সাথে কথা হলে সে অসহায় কণ্ঠে জানায় তার জীবনের ঘটনাবলী।
সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ৫০/৬০ টাকা লাভ হয় চুমকির। কিন্তু ফেরি করতে গিয়ে প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে পলাশী এলাকা, রেল স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডগুলোতে চুমকি অসুবিধায় পড়ে যায়। এ সমস্ত এলাকায় বেঁচা-বিক্রি ভালো হয় বলে ঐ সমস্ত এলাকায় না গিয়েও পারে না। পলাশী এলাকাতে ভবঘুরেরা, রেল স্টেশনের কুলি-মজুররা এবং বাসস্ট্যান্ডে বাসের হেলপাররা খরিদ করার প্রয়োজনীয়তার চেয়ে চুমকির গায়ে হাত চালাতে চেষ্টা করে। এতে চুমকির মন খারাপ হয়ে যায়। একদিন প্রতিবাদ করেছিলো চুমকি এক মাঝবয়সী লোকের কুপ্রস্তাবে। উপস্থিত ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ঐ লোকটাকে অন্যরা ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে, কান ধরে উঠ-বস করিয়ে পুলিশে দেবে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলো।

 

ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সুমনা (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি পৌর শহরের ঘোষগাতি মহল্লার সুজনের মেয়ে। ২৩ নভেম্বর রাতে উপজেলা সদরে অবস্থিত জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক বন্ধ করে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পালিয়েছেন। শিশুটির মা সুমা খাতুনের অভিযোাগ, মেয়ের পিঠের ফোড়া অপসারণের জন্য সোমবার রাত ৮টার দিকে জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। কয়েকটি পরীক্ষার পর ক্লিনিকের চিকিৎসক কে এম আহসানুল হক সুমনার পিঠে পর পর পাঁচটি ইনজেকশন দেন। এরপর খিঁচুনি শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়।


পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে লেবাননের নারীরা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গিওর্গিনা খেয়ালখুশি মতো আঙ্গুল মোচড়ায়, কারণ যে ঘটনাটি তাকে দক্ষিণ লেবাননের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বাধ্য করেছে তা নিয়ে কথা বলতে তাকে নিজের সাথে কঠিন লড়াই করতে হয়। তার পেছনে বাচ্চাদের আঁঁকা-আঁকিগুলো দেয়ালে পাশাপাশি স্থাপিত। নারী অধিকার গ্রুপ রিসোর্স সেন্টার ফর জেন্ডার ইক্যুয়ালিটির (আব্বাদ) নির্দেশনায় সেফ হাউজে আসা গিওর্গিনা তার নিপীড়ণকারী স্বামীকে আটকের আদেশের জন্য একটি মামলা করেছে। বিয়ের ১৩ বছরের মধ্যে এবারই সে প্রথমবারের মতো আদালতের একটি আদেশ পেয়েছে।

 

 

 

Top
 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 

ধর্ষণ মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। ২৪ নভেম্বর বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় অপর দুই আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাদুর ছেলে কাবুল ওরফে কালু, একই উপজেলার চাঁদগ্রামের বিশুর ছেলে মোস্তক আলী মস্তান, তার ছেলে গোলাম রেজা রোকন এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে মিলন। আসামিদের মধ্যে গোলাম রেজা রোকন ও মোস্তাক আলী মস্তান পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১২ আগস্ট তিন সন্তানের জননী দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করতে আল্লাহরদর্গা এলাকার একটি ডালের মিলে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন ভেড়ামারা থানা পুলিশ ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় সাতজনকে আসামি করে থানার হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পড়ে আদালত ২৪ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, এ মামলায় সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিকে চার আসামি সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কালু এবং মিলনকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি গোলাম রেজা রোকন ও মোস্তাক আলী মস্তান পলাতক রয়েছেন।

 

 রাজৈরে শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের শিশু আদুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী। রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের শিশু আদুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের ৫ বছরের শিশু আদুরীকে হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ২৯ নভেম্বর সকালে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই রায় প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজৈর উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার (৩৮), কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)। এছাড়া এ মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (০৫)। নিহতের বাবা টুকু সরদার বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২২ ই সেপ্টেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরে ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মামলার চার আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিন আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অদ্যাবধি পলাতক রয়েছে।
পিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আজ বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা এই মামলায় রায় প্রদান করেন। রায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন ও একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। মামলার রায় ঘোষণার সময় মামলার এক আসামী রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিলো। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। আমার সরকারের কাছে একটাই দাবী এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।

 

 পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেটের কানাইঘাটে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ইমরান হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় নারীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২৪ নভেম্বর বিকেলের দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। আদালত সেই সঙ্গে উভয়কে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মামলার অপর ২ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রঞ্জিত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ জন হলেন সুহাদা বেগম (২৫) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। সুহাদা বেগম কানাইঘাট উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ নয়াগ্রামের সৌদিপ্রবাসী বদরুল ইসলামের স্ত্রী এবং জাহাঙ্গীর আলম তার প্রতিবেশী এবং নিকটাত্মীয়। মামলায় খালাস পেয়েছেন সুহাদার ভাই ইমরান আহমদ (২৯) ও দেবর মাসুম আহমদ (৩৪)।

 

গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৫জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আদালতের এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের খালিদ ফকির, রাজ্জাক মোল্লা, মো. বিপুল ফকির ও কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর গ্রামের মো. হাসান শেখ এবং নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার চাচই গ্রামের মো. ফসিয়ার মোল্লা। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

 

দেবরের ১০ ও ননদের ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জামালপুরে আনোয়ারা বেগম শিখা নামের এক নারীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের দায়ে দেবরকে ১০ বছর ও ননদকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল আহম্মেদ বাবু (২৭) ও সাবিনা ইয়াসমিন শিলা (৩২) জামালপুর সদর উপজেলার বিনন্দেরপাড়া এলাকার মো. সামসুল হকের ছেলে-মেয়ে। এর মধ্যে দেবর শাকিলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড এবং ননদ সাবিনাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বিনন্দেরপাড়া এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের মেয়ে আনোয়ারা বেগম শিখাকে দেবর শাকিল ও ননদ সাবিনা যোগসাজশে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
 

 


 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


৭ কারণে হতে পারে পাকস্থলীতে ক্যান্সার

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের জন্য শরীরের সব অঙ্গই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাকস্থলী। আর এতে হওয়া বিভিন্ন সংক্রমণের মধ্যে একটি হচ্ছে পাকস্থলীতে ক্যান্সার।
মূলত পেটের টিস্যু তৈরি করে এমন কোষের ডিএনএতে পরিবর্তন হলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের সূচনা ঘটে। মিউটেশনের কারণে ডিএনএ কোষকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বলা শুরু করে এবং দ্রুত প্রতিলিপি ঘটে। ফলে এই কোষগুলো একত্রিত হয় এবং টিউমার গঠন করে। আর এ পরিস্থিতিতে সব সুস্থ কোষকে মেরে ফেলে। এ ছাড়া এই বৃদ্ধি অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত পাকস্থলীতে ক্যান্সার কেন হয় তার নির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও কী কী কারণে এটির বিকাশ হতে পারে তার ধারণা দিয়েছে গবেষণা। আসুন জেনে নিই তেমনই সাত কারণ
১. গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হলো একটি অবস্থা, যেখানে খাদ্যনালীর (ইসোফেগাস) শেষে অবস্থিত বৃত্তাকার পেশি ঠিক করে বন্ধ হয় না, আর পাকস্থলীতে থাকা যাবতীয় জিনিস খাদ্যনালীতে উঠে আসে ও জ্বালা সৃষ্টি করে। এটি অনেকটা বুকজ্বালা করার মতো। এটি থেকেও পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে।
২. স্থূলতাঃ স্থূলতার কারণে অনেক সময় পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে। আপনার অতিরিক্ত স্থূলতা থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৩. বেশি নোনতা ও ধোয়াযুক্ত খাবার
বেশি পরিমাণে নোনতা ও ধোয়াযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে।
৪. ফল ও সবজি কম খেলে
ফল ও সবজি শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি এ ধরনের খাবার অতিরিক্ত কম খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
৫. পারিবারিক ইতিহাস থাকলে
পারিবারিক উতিহাস সূত্রেও অনেকের পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে।
৬. দীর্ঘমেয়াদি পেটের প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রিকঃ দীর্ঘমেয়াদি পেটে প্রদাহ থাকলে বা অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের কারণে তা একসময়ে গিয়ে পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
৭. ধূমপান
অতিরিক্ত মাত্রায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করার কারণে তা পেটের পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।


শীতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি
 


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শীতকালীন এমন কয়েকটি সবজি আছে যা কেবল সুস্বাদুই নয়, এগুলোর পুষ্টিগুণও বেশি। এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সেসব সবজি।
গাজর : গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর চোখের সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। লিভার ভালো রাখে। দাঁতের সুরক্ষাতেও গাজর অত্যন্ত কার্যকর।
ফুলকপি : ফুলকপি ভাজা হোক বা তরকারি- যা লা-জবাব। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
বাঁধাকপি : কপির কথা উঠলে বাঁধাকপির কথা বলতেই হয়। এতে আছে ফসফরাস। নানাভাবে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে বাঁধাকপি।
শিম : শিমের বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হৃদরোগও নিয়ন্ত্রণ করে। চুলের জন্যও শিম খুব উপকারী।
পালং : পালংশাক ছাড়া শীত যেন ভাবাই যায় না। নানা রকম রান্নায় পালংশাক দেওয়া যায়। পালংয়ে প্রচুর আয়রন ও খনিজ আছে।
মটরশুঁটি : শীতকাল মানেই মটরশুঁটি। এই সবজি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোলেস্টেরল কমায়। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।


ডায়াবেটিস-হাঁপানি নিরাময়ে কাজ করে করলা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মেদ ঝরানোর পাশাপাশি ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়ে করলার খুবই গুরুত্ব রয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ ওবেসিটির শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হতে বাধা দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও করলার রস খুব উপকারি। করলার মধ্যে রয়েছে পলিপেপটাইড বি, ভিসিন এবং ক্যারাটিন। প্রতিদিনের ডায়েটে করলার জুস রাখলে উচ্চরক্তচাপ কমে। রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাঁপানি এবং ফুসফুসের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করে করলার জুস। নিয়মিত করলার জুস খেলে ত্বক অনেক টানটান এবং তরতাজা দেখায়। বলিরেখা দূর হয়। করলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মধু মিশিয়ে করলার জুস খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার, যা পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।


হাই হিল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
নিজেকে একটু লম্বা ও আকর্ষণীয় দেখাতে নারীদের অনেকেই হাই হিল বা উঁচু হিলের জুতা পরেন। কিন্তু নারীদের হাই হিল পরার স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে। এর বড় ধরনের ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না।
মাংসপেশির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে
সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাই হিলের জুতা পরার কারণে নারীদের গোড়ালির কাছের মাংসপেশির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এ থেকে শরীরে অস্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যহীনতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মেরুদণ্ড থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা
হাই হিল পরলে মেরুদণ্ড ও নিতম্বের মাঝের জায়গা অর্থাৎ শ্রোণির ওপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে মেরুদণ্ড, শ্রোণি ও পায়ের পেশিতে ব্যথা শুরু হয় এবং একসময় তা স্থায়ী হয়ে যায়।
মাংসপেশির ক্ষতি করে
উঁচু হিলের জুতা পরলে পা সব সময় স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু হয়ে থাকে। তা ছাড়া সারাক্ষণ বেশি চাপ পড়ার কারণে মাংসপেশিতে ব্যথা যেমন ‘সাইটিকা’ ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়।
হাড়ের বড় রকমের ক্ষতি হয়
হাই হিল দীর্ঘদিন পরার কারণে পায়ের হাড় নাজুক হয়ে যায়। হাড়ে চিড় ধরতে পারে, এমনকি কখনো কখনো তা ভেঙেও যেতে পারে।
হাঁটুর ভীষণ ক্ষতি হয়
নিয়মিত হাই হিল জুতা পরলে হাঁটুতে চাপ পড়ে। গবেষণা বলেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার উঁচু হিলের স্যান্ডেল পরলেই হাঁটুতে অন্তত ২৩ শতাংশ চাপ বেড়ে যায়। এতে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা হাড় ক্ষয় রোগ হতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
পরামর্শ
একান্তই হাই হিল পরতে চাইলে বেশি সরু হিল পরবেন না। একটু চওড়া হিলের জুতা পড়ুন যাতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সুবিধা হয়।
- হিলের উচ্চতা যেন ৪ সেন্টিমিটারের বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- জুতার ভেতর নরম ইনসোল ব্যবহার করুন, এতে হাঁটুতে চাপ কম পড়বে।
- একটানা হাই হিল পরবেন না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পরতে পারেন।
- হাই হিল পরে সব সময় বসে থাকবেন না। কাজের ফাঁকে বা বসে থাকার সময় জুতা খুলে রাখুন।
- সময় পেলে পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।


ডায়াবেটিস মোকাবিলায় দারচিনি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দারচিনি রান্নায় ব্যবহৃত সব থেকে পরিচিত মশলার মধ্যে অন্যতম। শুধুমাত্র স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, বিভিন্ন ওষুধ সম্বন্ধীয় বৈশিষ্ট্যের জন্যেও দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘সিনামালডিহাইড’ খাবারের গন্ধ ছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে দারচিনি। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডান্ট হিসেবেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
দারচিনির পুষ্টিগুণ
এক চামচ দারচিনিতে সাধারণত যা যা পুষ্টিকর উপাদান থাকে, তা হলো-
ক্যালরি-৬.৪২
কার্বোহাইড্রেট-২.১ গ্রাম
ক্যালসিয়াম-২৬.১ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম-১.৫৬ মিলিগ্রাম
ফসফরাস-১১.২ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম-১১.২ মিলিগ্রাম
এছাড়াও কোলাইন, লাইকোপেনের মতো বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডান্ট যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় দারচিনিতে।
দারচিনির ধরন
মূলত দু ধরনের দারচিনি হয়:
১. সেইলন দারচিনি
২. চাইনিজ বা ক্যাশিয়া দারচিনি
বলা হয়, সেইলন দারচিনি চাইনিজ দারচিনির থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। নাম শুনেই বোঝা যায়, সেইলন দারচিনি শ্রীলঙ্কায় উদ্ভব, আর মূলত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দারচিনির কার্যকারিতা
আয়ুর্বেদিক ওষুধপত্র বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে দারচিনি বহুকাল ধরেই রক্তে বাড়তি শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। সম্প্রতিকালে দেখা গেছে যে, ৪০ দিন ধরে প্রতিদিন ৬ গ্রাম দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকতে পারে। এর সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রেও দারচিনি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
দারচিনির অন্যান্য উপকারিতা
শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন পেটের সমস্যার ক্ষেত্রেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়রিয়া মোকাবিলায়ও দারচিনি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। দারচিনির ছাল অনেক সময়ে দাঁতের যন্ত্রণায় বা জয়েন্টের ব্যথার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
দারচিনির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বেশি মাত্রায় দারচিনি সেবন লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কেউ যদি রক্ত তরল করার ওষুধ নিয়মিত খায় বা কাউকে যদি ডায়াবেটিসের মোকাবিলা করার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তাহলে তাদের জন্য বেশি মাত্রায় দারচিনি না খাওয়াই ভালো।


বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী প্রধান চারটি কারণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে নারীরা এখন ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ফোকাস করে। কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন হওয়ার পর তারা বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। আত্মনির্ভরশীল হওয়ায় নিজের বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজে। এতে করে দেখা যায় পরিবার শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। যার ফলে অনেক নারী বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগে থাকে।
অনেক একটা বিষয় মাথায় রাখে না যে বায়োলজিক্যাল ক্লক করো জন্য অপেক্ষা করে না। এতে করে যখন সে নিজেকে স্বাবলম্বী মনে করে অর্থাৎ বিয়ের জন্য উপযুক্ত মনে করে তখন দেখা যায় সময় অনেক গড়িয়ে গিয়েছে। এজন্য প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখা অনেক জরুরি।
যেভাবে ত্বক, চুল বা শরীরের যতœ নেওয়া হয় সেভাবে প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক হওয়া। গবেষণা বলেছ, গ্রামাঞ্চলের নারীরা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনের কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভোগে আর শহুরে নারীরা অনিয়মত জীবনযাপন, দেরিতে বিয়ে ইত্যাদি কারণ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, দূষিত পরিবেশ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের কারণে গত কয়েক বছরে বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে। এজন্য সন্তান নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করলে স্বামী-স্ত্রীর দুজনেরই উচিত কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করা। কারণ প্রথমে সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হলে তা সমাধান করা সহজ হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা , কোন বদ অভ্যাসে আসক্ত না হওয়া বন্ধ্যাত্ব দূর করতে সাহায্য করে।
বন্ধ্যাত্বের ৪টি প্রধান কারণ:
নারীদের প্রধানত যেসব কারণে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয় সেগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বয়স:
গর্ভধারণ বয়স খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। নারী ও পুরুষ দুইয়ের জন্য উর্বরতা সবচেয়ে বেশি থাকে ২০ বছর বয়সে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরছেন, ৩৫ এর পর নারীর উর্বরতা কমতে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে কমতে থাকে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা। আর একজন পুরুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৪০ এর পর কমতে শুরু করে।
ওজন:
গর্ভধারণ বেশি ওজন বা কম ওজন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ওজন খুব বেশি কম বা খুব বেশি হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় শরীরে। আর এর ফলে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
ধূমপান ও মদ্যপান:
ধূমপান নারী ও পুরুষ দুজনেরই উর্বরতা কমিয়ে দেয়। যেসব নারীরা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করে তাদের গর্ভধারণ করতে অনেক সময় লাগে। এছাড়া ধূমপানের কারণে গর্ভকালীন সময়েও তৈরি পারে সমস্যা, এমনকি মিসক্যারেজও হতে পারে।
একইভাবে পুরুষদের ক্ষেত্রেও ধূমপান বেশি করলেও উর্বরতা কমে। কারণ ধূমপান করলে স্পার্ম কাউন্ট কম হয়, স্পার্মের গুণাগুণও কমে যায়। এছাড়া অ্যালকোহল পান করলে তা স্পার্মের ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনও হতে পারে।
দুঃশ্চিন্তা:
দুঃশ্চিন্তা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাকে ডেকে আনে। সেই সাথে গর্ভধারণেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুঃশ্চিন্তা। অতিরিক্ত চিন্তায় পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। আবার অতিরিক্ত চিন্তা নারীদের ওভুলেশনে প্রভাব ফেলে। কারণ মস্তিষ্কের কমান্ড না পেলে প্রতি মাসে এগ রিলিজ হয় না।

 

পালং শাকের পুষ্টিগুণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শীত আসতেই বাজারে উঠেছে পালং শাক। এই সময়ে কথায় কথায় বাঙালি বাড়ির দুপুরে ও রাতের খাবারে থাকে পালং শাকের নানা পদ। বিশেষ করে বেগুন, কুমড়ো দিয়ে মরিচ ঝোল তো মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে। কিন্তু প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং সি যুক্ত এই শাক রোজ রোজ খেতে ইচ্ছা হয় না অনেকেরই।
সে কারণেই জানা দরকার, কত দিক দিয়ে শরীরের যতœ নিতে পারে এই শাক। নিয়মিত পালং শাক খেলে বেশ কয়েকটি কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখা যায় নিজেকে। কোন কোন রোগ দূরে থাকে পালং শাক খেলে?
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পালং শাকে উপস্থিত আছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা শরীরকে ক্যানসারমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার রোধে এই শাক খুবই কার্যকর।
২) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন? তা-ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই শাকের বিভিন্ন উপাদান।
৩) সর্দি-কাশি লেগেই থাকে? শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে নজর দিতে হয় শরীরের দিকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই ভাল ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
৪) পালং শাকে রয়েছে লুটিন আর কেরোটিনয়েড। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে এই দু’টি উপাদান খুবই কার্যকর।


 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


জমিজমার মালিকানা ও দখল স্বত্ব

 

যিনি দখলে আছেন জমি তার না জমির কাগজপত্র যার আছে জমি তার, না অন্য কারও। বিখ্যাত শিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে একটি গান আছে- ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।’ ঘরের মালিক যে প্রকৃত অর্থে কে তা নিয়ে এ পৃথিবীতে কম বিপত্তি ঘটেনি। বলা যায়, মানুষে মানুষে সবচেয়ে বেশি দ্বন্দ্ব-বিবাদ হয়েছে জমি বা সম্পত্তির অধিকার নিয়ে। দখলিস্বত্ব বলে একটা কথা আছে। একজনের নামে থাকা জমি ১২ বছর ধরে অন্যজনের ভোগদখলে থাকলেই সে জমি তার হয়ে যাবে- এমন পুরনো আইন কিন্তু এখনো বহাল রয়েছে। দখলদার যাতে জমির মালিক না হয়ে যায় সেজন্য ‘ভূমির ব্যবহারস্বত্ব গ্রহণ আইন-২০২০’ নামে নতুন একটি আইন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা সবাই জানি, একজনের জমি আরেকজন জোরজবরদস্তি করে দখল করে রাখবে তা সম্পূর্ণ অন্যায় ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আইন বলছে, জোর করে ১২ বছরের অধিককাল দখলদার ব্যক্তি বড়জোর প্রতিকূল দখলের দাবিতে মামলা করতে পারেন। কিন্তু জমির স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না। আবার উচ্চ আদালত বলছে, বাদী স্বত্ব দখল প্রমাণ করতে পারলেই স্বত্ব প্রচারের ডিক্রি পাবেন। ৬০ ডিএলআর ২৯ পৃষ্ঠায় এ রকম একটি সিদ্ধান্তও রয়েছে। শুধু জমির কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ থাকলেই হবে না এক্সক্লুসিভ পজিশনও থাকতে হবে। উচ্চ আদালত বলছে, এক্সক্লুসিভ পজিশন ইজ দ্য বেটার কেস। আপনার জমি কিংবা বাড়ি আছে অথচ আপনি জমির ব্যবহার কিংবা সে বাড়িতে বসবাস করছেন না। এগুলো দেখাশোনার জন্য নিজের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা বিশ্বস্ত কাউকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ সুযোগে আপনার মালিকানাধীন জমি কিংবা বাড়ি রক্ষক নিজের বলে দাবি করছেন কিংবা গায়ের জোরে দখল করে নিতে চাইছেন। এমনকি কিছু অংশ তো দখলই করে নিয়েছেন। এখন আপনি কী করবেন, কীভাবে দখলচ্যুত করা জমি কিংবা বাড়ি ফিরিয়ে নেবেন, এর জন্য কত সময় ও টাকা খরচ হবে?
দেশে জমির ভোগদখলসংক্রান্ত যে আইনটি রয়েছে তা ব্রিটিশ আমলের, ১৮৮৫ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশে অনেক আইনের পরিবর্তন হলেও এ আইন আগের মতোই রয়ে গেছে। এতে কারও জমি অন্যজন ১২ বছর ভোগদখল করলে সে জমির মালিকানা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ধরুন করিম সাহেব ঢাকায় চাকরি করেন। তার কুষ্টিয়ায় একটি বাড়ি আছে। সে বাড়িতে তার পরিচিত সুজনকে থাকার জন্য সুযোগ দিলেন। প্রায় ১৩ বছর ধরে সুজন ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। এলাকার লোকজনও জানে এটা সুজনের বাড়ি। এখন করিম সাহেব চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। গ্রামে এসে তার বাড়িতে থাকতে চান। তিনি আইনত সুজনকে গায়ের জোরে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারবেন না। স্বেচ্ছায় না যেতে চাইলে করিম সাহেবকে দেওয়ানি আদালতে মামলা করে সুজনকে বেদখল করতে হবে। যদি জোর করে বের করে দেন তবে সুজন দেওয়ানি আদালতে মামলা করে তার দখল বজায় রাখতে পারবেন। এখানে দখলকারীর স্বত্ব বিবাদীর স্বত্বের চেয়ে ভালো বা বিবাদীর কোনো স্বত্ব আছে কি না তা দেখার কোনো দরকার হয় না। এখানে আদালত স্বত্বের বিষয় বিবেচনা করে না। শুধু দখলের বিষয় বিবেচনা করে। আমাদের ভূমিসংক্রান্ত ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী যদি কেউ বিনা বাধায় কারও জমি একাধারে ১২ বছর দখলে বা ভোগদখল করে রাখতে পারেন তবে তিনি ভূমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করতে পারেন। দখলদার যদি আদালতে বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেন তবে তিনি ওই জমির মালিকানা পেতে পারেন। সে কারণে দখলদার ও ভূমির মালিকের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি নতুন আইন হওয়া দরকার। যদিও উচ্চ আদালত বলছে, অবৈধ দখলকার জমিতে মূল মালিকের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার অধিকারী নয়। (৬০ ডিএলআর, ৯)। কিন্তু জমির কাগজ আছে জমি দখলে নেই তাহলে সিম্পল ডিক্লারেশন অব টাইটলের মামলা বারিত হবে বলে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যা ৪২ ডিএলআরের ৪৩৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে। কারণ দখলদারের স্বত্ব যে অস্বীকার করে তাকেই স্বত্ব প্রমাণ করতে হয়। আরেকটু বলে রাখি, জমি থেকে অবৈধভাবে দখলচ্যুত হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চেয়ে দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে হয়। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী দখলচ্যুত ব্যক্তিকে ওই জমিতে তার স্বত্ব বা মালিকানা আছে বলে প্রমাণ দিতে হয়; নইলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না। ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পেতে গেলে বাদী শুধু দখলচ্যুত হয়েছেন এ মর্মে প্রতিকার চাইতে পারেন, স্বত্ব বা মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই। কারণ জমিতে স্বত্ব যার, আদালত দখল তার অনুমান করবে। অবৈধ দখলদারের ক্ষেত্রে অনুরূপ অনুমানের অবকাশ নেই।
 

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.