           
 
|
Cover August 2021
English Part
August 2021
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
মন্দকাজে সরকারি কর্মচারীদের কঠোর শাস্তি পেতে হবেঃ
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৭৫ সালের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতির পিতার ভাষণের
উদ্ধৃতি তুলে ধরে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
মানুষের সেবা করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী
দেশের বয়স্ক কেউ যাতে টিকা থেকে বাদ না যায় তা নিশ্চিত
করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের বয়স্ক কোন মানুষ
টিকা প্রাপ্তি থেকে বাদ যাবে না। ছাত্র-শিক্ষক থেকে
শুরু করে সকলের জন্যই আমরা এই টিকা ক্রয় করতে থাকবো।
সবাই যাতে টিকা পায় সেই ব্যবস্থাও আমরা অবশ্যই করবো।"
২৭ জুলাই ২০২১ সকালে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’
উদযাপন এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১’ প্রদান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন
থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ওসমানী স্মৃতি
মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ
করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, "সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের
শাসক নয় সেবক হিসেবে কাজ করবে। তাদেরকে ভাল কাজের জন্য
যেমন পুরস্কৃত করা হবে, তেমনি মন্দকাজের জন্য শাস্তিও
নিশ্চিত করা হবে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন কেনা এবং দেয়া
শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে হবে যাতে
দেশের সকলেই সুরক্ষিত থাকে। ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ
দিয়েছি সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের পরিবার শুধু নয়, তাদের
বাড়িতে যারা কাজ করে তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়া হয়।
তাতে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবে। এর জন্য যত টাকা লাগবে,
যত ভ্যাকসিন দরকার হয় কিনবো এবং বাংলাদেশে ভ্যাকসিন
আমরা তৈরি করবো যাতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয়।"
সরকার প্রধান বলেন, "আজকে অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন
এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে
পরিণত হলও এটা আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই হয়েছে।
আমরা যে পরিকল্পনাগুলো নিয়েছি সেগুলো সফলভাবে
বাস্তবায়ন করেছেন এবং মানুষ তার সুফলটা পেয়েছে বলেই
দেশের উন্নতি সম্ভব হয়েছে। তিনি এজন্য সকলকে আন্তরিক
ধন্যবাদ জানান।"
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি পুলিশ
সপ্তাহ উপলক্ষে জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানুষের সেবা করার
আহবান জানান।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
জুলাই ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৬১৭৯ জন
হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৩৪ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায়,
মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২৩৪ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৬১৭৯ জন। জুলাই ২০২১ মাসে গড়ে
প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ১৯৯ জন এবং হত্যাকান্ড
ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সরকারি হিসাব
মতে জুলাই ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয় ৬১৭৯ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
২৩৪ জন। এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৫ জন,
পারিবারিক সহিংসতা ১১ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৩ জন,
রহস্যজনক মৃত্যু ৩০ জন, ধর্ষণ হত্যা ৪ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৪৭ জন, আত্মহত্যা ৭ জন।
জুলাই ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ২২ জন, যৌন নির্যাতন ২ জন, যৌতুক
নির্যাতন ৩ জন।
BHRC
কুমিল্লা মহানগর শাখার আন্তর্জাতিক দিবস পালিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখা ২৬ জুন ২০২১
সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন
করে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার
সভাপতি এ. এইচ. এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সাধারণ
সম্পাদক মোহাম্মদ গোলজার হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার আইনী সহায়তা
প্যানেলের অন্যতম সদস্য এডভোকেট ফাহমিদা রহমান (সুপ্তি)।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার
হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হাসানুল কবির সোহেল, অর্থ
সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক
এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলমগীর
হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হান্নান, সহ সাংগঠনিক
সম্পাদক আক্তার জামিল, আবদুল কাদের খাঁন, প্রচার
সম্পাদক মোঃ শাহরিয়ার হোসেন সানি, সহ সমাজ কল্যাণ
সম্পাদক মোঃ আবুল হাসেম, সালিশী কার্যক্রম বিষয়ক সহ
সম্পাদক মোঃ শাফায়েতুল ইসলাম শরীফ, মোঃ আরিফুর রহমান,
মোঃ জামাল আহমেদ মোল্লা।
করোনভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মুগদা BHRC থানা
শাখার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
১০ জুলাই ২০২১ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, মুগদা থানা
শাখা, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত
দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সভাপতি প্রিন্স নাসির এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি
ছিলেন মোঃ মোশারফ হোসেন বাহার, সাধারণ সম্পাদক মুগদা
থানা আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। বিশেষ অতিথি
ছিলেন গোলাম কিবরিয়া খান রাজা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মুগদা থানা, ঢাকা, শফিকুল
আলম শামীম, ৭২নং কাউন্সিলর ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি
কর্পোরেশন, খাইরুজ্জামান খাইরুল, ৭১ নং ওয়ার্ড
কাউন্সিলর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, সৈয়দ আজমুল হক,
ডেপুটি গভর্নর ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোঃ মাহাবুব আলম রিজন- সাধারণ
সম্পাদক, মোঃ জাকির হোসেন সিনিয়র সহ-সভাপতি, প্রভাষক
মোঃ হাফিজুর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি। অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনির হোসেন মিখাই-সহ সভাপতি ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ, মোঃ কাজী হারুনুর রশিদ কার্যকারী সদস্য
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। সার্বিক সহযোগিতা মোঃ রবিউল ইসলাম
রবি, সহ সভাপতি, মিত্যানন্দর মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক, আরফান সরকার, দপ্তর সম্পাদক সহ মুগদ থানা শাখা
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর সদস্যগণ।
ভারতের মাতৃভাষা শিক্ষায় এগিয়ে বাংলা, পিছিয়ে
দক্ষিণ ভারতি
মানবাধিকার রিপোর্ট’
নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থানে
রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ৪ জুন এমনই এক রিপোর্ট কেন্দ্রীয়
সরকারের কাছে জমা দিয়েছে দেশটির ইউনাইটেড ডিস্ট্রিক্ট
ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (ইউডিআইএসই)।
ইউডিআইএসই -এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য ভিত্তিক
মাতৃভাষায় শিক্ষার নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে
অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ
শিক্ষার্থী বাংলা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষার্জন করে।
রাজ্যটিতে মাত্র ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি
মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হয়। এছাড়া উড়িষ্যায় বাংলাভাষী
মানুষের বাস ১ দশমিক ২ শতাংশ। তাতেও ৮০ শতাংশ
ছাত্রছাত্রী উড়িষ্যার বাংলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হয়।
এরপর রয়েছে কর্নাটক রাজ্য। সেখানে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ
শিক্ষার্থী নিজেদের ভাষায় অর্থাৎ কন্নড় ভাষায় পড়াশোনাকে
অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তবে ওই রাজ্যে ইংরেজি মাধ্যম
শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে।
দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর অবস্থা শোচনীয়।
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানা রাজ্যে ২৫ শতাংশেরও কম
ছাত্রছাত্রী তেলুগু ভাষায় স্কুলে পড়াশোনা করে। এ দুই
রাজ্যের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার সন্তানকে ইংরেজি
মাধ্যমে ভর্তি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এখানে ৭৩
দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হয়।
একইভাবে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে পিছিয়ে পড়েছে তামিলনাড়ু
এবং কেরল। তামিল ভাষায় পঠনপাঠনে শিক্ষার্থী মাত্র ৪২
দশমিক ৬ শতাংশ। কেরলে মালয়ালম ভাষায় পড়াশোনা করে মাত্র
৩৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী।
দেশজুড়ে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত
সমস্ত সরকারি স্বীকৃত এবং অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলোর ওপর
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের দ্বারা ইউডিআইএসই-কে দিয়ে
সমীক্ষা করানো হয়।
BHRC কক্সবাজার দক্ষিণ জেলা শাখার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
১৬ জুলাই ২০২১ ইং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার
দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি মিসেস মনোয়ারা খান মুন্নী
চৌধুরীর নেতৃত্ব ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় দুস্থদের মাঝে
ত্রাণ ও সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার দক্ষিণ জেলা
শাখার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রাসেল
চৌধুরী ও নবনির্বাচিত নির্বাহী সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, দপ্তর সম্পাদক ওমর
আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সহ-প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে কুলসুম, উপস্থিত ছিলেন সহ-মহিলা
সম্পাদক হালিম বেগম, এ-সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশনের আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যে দেশে গেলেই টাকার বিনিময়ে মেলে
সন্তান!
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সন্তান চাই, অথচ সন্তানধারণে অক্ষম। এ রকম দম্পতির
সংখ্যা দুনিয়ায় নেহাত কম নয়। এক সময় এই সব দম্পতিরা
ভারতে যেতেন। সেখানে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান পাওয়া
যেত। কিন্তু এখন সেদেশে আইন করে সারোগেসিকে কেন্দ্র করে
পর্যটন বন্ধ করা হয়েছে। তাহলে নিঃসন্তান দম্পতিরা
কোথায় যাচ্ছেন? উত্তরটা হল ইউক্রেন। দম্পতিদের কোলে
শিশু তুলে দিচ্ছে দেশটি। বদলে গুনতে হচ্ছে টাকা। এখন
টাকার বদলে সন্তান ধারণের পরিষেবা গোটা দুনিয়ায় কয়েকটা
মাত্র দেশ করতে পারে। তাদের মধ্যে ইউক্রেনও রয়েছে।
সারোগেসির মাধ্যমে দম্পতির কোলে সন্তান তুলে দেওয়াই
এখন সেদেশের অন্যতম ব্যবসা। সে কারণে এই দেশকে ‘শিশু
উৎপাদনের কারখানা’ বলা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর
সারোগেসির মাধ্যমে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার সন্তানের
জন্ম হয় ইউক্রেনে। এর পর বিদেশি বাবা-মায়েরা নিয়ে যায়
সেসব সন্তান। তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই নাকি চীনের
বাসিন্দা। তবে দেশটিতে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান
পাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই দম্পতি যে
সন্তান ধারণে অক্ষম, তাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারি সনদপত্র
দেখাতে হবে। সমকামী দম্পতিরা এই সুযোগ পাবেন না। কেবল
বিবাহিত দম্পতিরাই এই পরিষেবা পাবেন।
সাধারণত ইউক্রেনে সারেগেসির মাধ্যমে সন্তান পাওয়ার
ন্যূনতম খরচ ২৫ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫
লাখ ১৬ হাজার টাকা। তবে এই খরচ বাড়তে পারে ৭০ হাজার
ইউরো পর্যন্ত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ লাখ ৪৪
হাজার টাকা। তবে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি
সারোগেসি ক্লিনিক ‘বায়োটেক্সকম’ জানাচ্ছে, দেশের
অর্ধেক সারোগেসি প্রক্রিয়ায় খরচ পড়ে ৩৯ হাজার ৯০০ ইউরো,
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা। দম্পতি
ছেলে চান, না মেয়ে চান, তাও নির্ধারণ করা যাবে। ছেলে
বা মেয়ে বেছে নিতে দু’বার চেষ্টা করতে পারেন এই
বাবা-মায়েরা। আবার চাইলে পছন্দের ফল না পাওয়া পর্যন্ত
চেষ্টা করেই যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ বাড়বে। তবে এই
সারোগেসি প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ,
সন্তান যারা ধারণ করেন, তাদের ঠিকমতো যতœ করা হয় না।
সরকার শুধুই ব্যবসার কথা ভাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
করছে মিয়ানমার জান্তা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাধারণ মানুষের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর
হামলাসাধারণ মানুষের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী
অপরাধের অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-
এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটি বলছে গত ছয় মাস ধরে সামরিক
শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলনে দমন পীড়ন
চালিয়ে আসছে নিরাপত্তা বাহিনী। যা স্পষ্ট মানবাধিকার
লঙ্ঘন।
গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ামারের সু চি সরকারের কাছ থেকে
জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে
সু চিসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করে। প্রতিবাদে গত
৬ মাস ধরে মিয়ানমারের রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়
বিক্ষোভ করে আসছেন সাধারণ মানুষ। চলমান আন্দোলন প্রথম
থেকেই দমানোর চেষ্টা করে আসছে জান্তা। গণতন্ত্রের দাবি
আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামলেই চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
এমন পরিস্থিতিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ অ্যাখায়িত করেছে
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার
সংস্থাটি বলেছে, সামরিক অভুত্থানের বিরুদ্ধে যারা
বিক্ষোভ করছে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। বিরোধীদের
গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।
সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডাস বলেন,
নাগরিকের ওপর এ ধরনের হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধের
শামিল এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।
এদিকে, শনিবারও মান্দালয়ের মোটরবাইকে চড়ে লাল ও সবুজ
পতাকা উড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর নিরাপত্তা
বাহিনীল গুলিতে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত
হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি।
সাধারণ মানুষের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর
হামলাসাধারণ মানুষের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী
অপরাধের অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-
এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটি বলছে গত ছয় মাস ধরে সামরিক
শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলনে দমন পীড়ন
চালিয়ে আসছে নিরাপত্তা বাহিনী। যা স্পষ্ট মানবাধিকার
লঙ্ঘন।
গত ফেব্র“য়ারিতে মিয়ামারের সু চি সরকারের কাছ থেকে
জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে
সু চিসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করে। প্রতিবাদে গত
৬ মাস ধরে মিয়ানমারের রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়
বিক্ষোভ করে আসছেন সাধারণ মানুষ। চলমান আন্দোলন প্রথম
থেকেই দমানোর চেষ্টা করে আসছে জান্তা। গণতন্ত্রের দাবি
আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামলেই চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
এমন পরিস্থিতিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ অ্যাখায়িত করেছে
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার
সংস্থাটি বলেছে, সামরিক অভুত্থানের বিরুদ্ধে যারা
বিক্ষোভ করছে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। বিরোধীদের
গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।
সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডাস বলেন,
নাগরিকের ওপর এ ধরনের হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধের
শামিল এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।
এদিকে, শনিবারও মান্দালয়ের মোটরবাইকে চড়ে লাল ও সবুজ
পতাকা উড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর নিরাপত্তা
বাহিনীল গুলিতে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত
হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশিরা যেসব দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় চলতি বছরের
এপ্রিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থা ছিল ১০০তম। তবে
০৬ জুলাই তা ৬ ধাপ পিছিয়ে ১০৬তম অবস্থানে এলেও
অপরিবর্তিত রয়েছে ভিসা ছাড়াই ৪১টি দেশে ভ্রমণের তালিকা।
এখনও বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ভিসা ছাড়াই ৪১টি দেশে
ভ্রমণ করতে পারবেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা দ্য হেনলি অ্যান্ড
পার্টনার্সের প্রকাশিত তথ্যমতে, বাংলাদশি নাগরিকরা এখন
২২৭ দেশের মধ্যে ভিসা ছাড়া ৪১ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই চলবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে ভোগান্তি ও
সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রতিবছর চার বার যুক্তরাজ্যভিত্তিক
সংস্থা দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রতিবেদন প্রকাশ
করেন। সেই প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশি
পাসপোর্ট থাকলে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া অথবা অন
অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে।
দেশগুলোর তালিকা
এশিয়া মহাদেশের ৬টি দেশ
ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও
তিমুর।
আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশ
কেপ ভার্দ দ্বীপপুঞ্জ, কমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, গাম্বিয়া,
গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া,
মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সিসিলি, সিয়েরা লিওন,
সোমালিয়া, টোগো ও উগান্ডা।
ওশেনিয়ার ৭টি দেশ
কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউই, সামাউ,
টুভালু ও ভানুয়াতু।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১টি দেশ
বাহামা, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডস,
ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট
কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড
গ্রেনাডিন্স ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো।
বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি হিসেবে জাপান
তৃতীয়বারের মতো নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। জাপানের
পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়াই ১৯৩টি দেশ ও অঞ্চলে
ভ্রমণ করা যায়। দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর।
এ্যাড. মহিউদ্দীন কবীর পার্বত্য চট্টগ্রাম
উদ্বাস্তু সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে
নির্বাচিতে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২২ জুন ২০২১ইং তারিখের প্রজ্ঞাপনে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ’র পার্বত্য চট্টগ্রাম
অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও ইঐজঈ খাগড়াছড়ি জেলা
শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট মহিউদ্দীন কবীরকে ভারত
প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন
এবং আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন
সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত
করেছেন। এ্যাড. মহিউদ্দীন কবীর সরকারের যুগ্ম-সচিব
মর্যাদা পাবেন। এই টাস্ক ফোর্স কমিটিতে চেয়ারম্যান
হিসেবে রয়েছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি (প্রতিমন্ত্রীর
পদ মর্যাদা), সদস্য হিসেবে রয়েছেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবন
জেলা পরিষদের একজন করে প্রতিনিধি, চাকমা, মং ও বুমাং
সার্কেলের প্রধানগণ, ২৪ পদাধিক ডিভিশনের ১ জন প্রতিনিধি
এই টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শরণার্থী বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত
হওয়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ’র সেক্রেটারী
জেনারেল এ্যাডভোকেট মহিউদ্দীন কবীরকে শুভেচ্ছ ও
অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উইগুর নির্যাতন: ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীনের বাণিজ্য!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ
শৃঙ্খল ভেঙে পড়লেও ২০২০ সালে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৩.৬
শতাংশ। কিন্তু ভবিষ্যতে চীনা বাণিজ্যের এ ধারা অব্যাহত
নাও থাকতে পারে।
কারণ পশ্চিমা বিশ্ব এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন
চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রচার
চালিয়েছে, তাতে বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের ধারণায় পরিবর্তন
এসেছে। ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র
সম্প্রতি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে জোরপূর্বক শ্রমের
অভিযোগে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
ঘটনাক্রমে, সাম্প্রতিক অতীতে মোট ১০টি শীর্ষ বাণিজ্যিক
অংশীদারের মধ্যে সাতজন চীনে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশগুলি হলো, যুক্তরাষ্ট্র,
জাপান, তাইওয়ান, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ
কোরিয়া ও যুক্তরাজ্য। ভারতও এই তালিকার একটি অংশ এবং
একই মত পোষণ করে। তবে দু'দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা
নিয়ে বিদ্যমান উত্তেজনা যাতে না বাড়ে সে কারণে সরাসরি
মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ১১
বারের জন্য চীনা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন জিনজিয়াং প্রদেশে
মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জোরপূর্বক শ্রমের ব্যাপক
ব্যবহারের কারণ দেখিয়ে চীন থেকে পোশাক এবং কম্পিউটার
যন্ত্রাংশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। পরবর্তীতে এই
বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকা জিনজিয়াং থেকে তুলা এবং টমেটো
আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ সেখানে
সংখ্যালঘু উইগুর মুসলিমরা নির্যাতন, অমানবিকতার শিকার।
এর ফলে চীন ২০২০ সালে ৫৪.৩ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে,
২০১৯ সালে তাদের ৬২.৫ মিলিয়ন ডলারের নিট মুনাফা ছিল।
কিছুদিন আগে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে একটি প্রস্তাব জমা
দিয়েছিলেন যাতে জোর পূর্বক শ্রম ব্যবহারের সাথে জড়িত
মাছ ধরার কার্যক্রমে ভর্তুকি না দেওয়া হয়। এর পরে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি চীনা মৎস্য সংস্থা থেকে টুনা,
সোর্ডফিশ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ
করে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো
এন মেয়রকাস বলেছেন, যেসব কোম্পানি তাদের কর্মীদের শোষণ
করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করার কোন জায়গা নেই।
জোরপূর্বক শ্রম থেকে তৈরি পণ্য কেবল শ্রমিকদের শোষণ করে
না, বরং আমেরিকান ব্যবসাগুলিকে আঘাত করে এবং ভোক্তাদের
অনৈতিক কেনাকাটার সম্মুখীন করে।
।
BHRC চট্টগ্রাম কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি আবদুল
মাবুদ দোভাষের ইন্তেকাল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের
কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি সিনিয়র মানবাধিকার কর্মী
মানবতাবাদী আবদুল মাবুদ দোভাষ (৮১) ২৬ জুলাই ২০২১
অপরাহ্নে চট্টগ্রাম শহরের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না
লিল্লাহে .... রাজিউন)। তিনি কিডনিজনিত রোগে ভারতে
চিকিৎসাধীন থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। আবদুল মাবুদ
দোভাষের মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাকিার কমিশন’র
চট্টগ্রাম বিভাগের নেতৃবৃন্দ এবং সেক্রেটারী জেনারেল
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত
পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
আসামের মন্দির
চত্বরে নিষিদ্ধ হচ্ছে গো-মাংস বিক্রি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের আসাম রাজ্যে বিধান সভায় এবার গরু সুরক্ষায় নতুন
বিল উত্থাপিত হয়েছে। এই বিল পাস হলে রাজ্যের
মন্দিরগুলোর চত্বরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে
গো-মাংস বিক্রি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গো-মাংস
বিক্রিই শুধু নয়, হিন্দু, জৈন, শিখ এবং গরুর মাংস না
খাওয়া সম্প্রদায়ের বাস যেসব এলাকায়, সেখানেও এই
নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তাব রয়েছে ওই বিলে।
আসাম গো-সুরক্ষা বিল-২০২১ নামে ওই বিলটি সোমবার (১২
জুলাই) বিধান সভায় পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মা।
ওই বিলটি উল্লেখ রয়েছে, গো-হত্যা-মাংস ভক্ষণ,
বেআইনিভাবে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আসাম বিধান সভার বিরোধীদলের নেতা দেবব্রত
সাইকিয়া জানান, বিলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। তাই
আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন তারা। দেবব্রত বলেন,
আসামের মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গো-মাংস বিক্রি
নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই ৫ কিলোমিটার
কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে?
বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড
ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও।
তিনি বলেন, গরু সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়নি। মুসলিমদের
আবেগে আঘাত করাই বিলটির লক্ষ্য, যাতে আরও বিভাজন তৈরি
হয়। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। সংশোধন করতে আর্জি
জানাবো।
রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেমন নির্দিষ্ট
করে গরু হত্যা নিষিদ্ধ রয়েছে, গো-সুরক্ষা আইনে মোষকে
বাইরে রাখা হয়েছে, আসাম সরকারের নয়া বিলে সে রকম
নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। এর আগে আসমে ১৪ বছরের বেশি
বয়সী গরু হত্যায় কোনো বাধা ছিলো না।
এদিকে ইতোমধ্যে বিধান সভায় এ নিয়ে বিরোধিতার ঝড় উঠেছে।
বিরোধীদের একাংশ ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের দাবি, এই
বিল প্রয়োগ করা হলে সাম্প্রদায়িক হানাহানি আরও বাড়বে,
বৈধভাবে গো-মাংসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা মারাত্মক
সমস্যায় পড়বেন।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে রোহিঙ্গা রেজুলেশন
সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তীব্র মতভেদের মধ্যে রোহিঙ্গাবিষয়ক
একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে ১২ জুলাই জেনেভায়
মানবাধিকার কাউন্সিলে গৃহীত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো
জাতিসংঘ ফোরামে রোহিঙ্গাবিষয়ক কোনও রেজুলেশন সবার
সম্মতিতে গৃহীত হলো। এমনকি ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গাদের
ওপর চরম নির্যাতন চলছিল তখনও রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোনও
রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়নি।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা
বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা পর
এটি সম্ভব হয়। কূটনীতির বিচারে এটি একটি বড় অর্জন।
কারণ, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে প্রথম
থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য
দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদ ছিল।
একদিকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র ইরান, মিশর ও অন্যান্যরা
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রেজুলেশনে কোনও
কিছু অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধী ছিল। অন্যদিকে ইউরোপিয়
ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতির
উল্লেখ না থাকলে অ্যাবস্টেইন (ভোটদানে বিরত থাকা) করার
হুমকি দেয়। এখানেই শেষ নয়; তৃতীয় পক্ষ চীন ও রাশিয়ার
মতো বড় শক্তি যেকোনও ধরনের রোহিঙ্গা রেজুলেশন সবসময়
বিরোধিতা করে আসছে।
জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের
উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) এর সব সদস্য
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের
অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক
রেজুলেশনটি পেশ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, ‘সব পক্ষকে একমত করানোর জন্য প্রথম থেকেই সব
স্তরে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। অবশেষে কোনও রাষ্ট্রই এই
রেজুলেশনের বিরোধিতা করেনি, যেটি বাংলাদেশের কূটনীতির
একটি বড় অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে আমরা ওআইসি রাষ্ট্রগুলোকে বোঝাতে
সক্ষম হয়েছি, এই রেজুলেশনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের
বাস্তবতা থাকতে হবে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোকে
মানবাধিকারের বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত হওয়ার অনুরোধ করেছি।’
চীন ও রাশিয়া কেন রেজুলেশন মেনে নিলো জানতে চাইলে
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি একাধিকবার তাদের
রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমার অন্য সহকর্মীরা
তাদের স্তরে যোগাযোগ রেখেছে। শেষ পর্যন্ত তারা কোনও
বিরোধিতা করেনি।’
প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন,
‘জাতিসংঘের আলোচ্য সূচিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও
রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি সক্রিয়
আলোচনায় রাখা প্রয়োজন।’ কেবল মিযানমারের অভ্যন্তরীণ
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব সম্প্রদাযের
রোহিঙ্গাদের প্রতি মনোযোগ হারানো উচিত হবে না বলেও তিনি
মন্তব্য করেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে
নিজেদের আবাসস্থলে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়কে দৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান
জানান।
বাংলাদেশে
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন পিটার হাস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে যাচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র। তা নাম পিটার ডি হাস। শুক্রবার বাইডেন
প্রশাসন তার নাম ঘোষণা করেছে।
একই সঙ্গে আরও তিন দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র। তারা হলেন ভারতে এরিক এম গারসেতি,
ফ্রান্সে ডেনিস ক্যাম্পবেল এবং চিলির রাষ্ট্রদূত হিসেবে
বেরনাডেটে এম মিহানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে, রাষ্টদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে সিনেটে তাদের চূড়ান্ত
অনুমোদন লাগবে।
পিটার হাস জার্মানিতে কলা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন
করেন, পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনোইস ওয়েসলেয়ান
বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা
করেন এবং এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস থেকে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মরক্কোর মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে তার প্রথম
কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর যুক্তরাজ্য এবং ভারতেও মার্কিন
দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন পিটার।
সিনেটের অনুমোদন পেলে তিনি আর্ল আর মিলারে
স্থলাভিষিক্ত হবেন। আর্ল আর মিলার ২০১৮ সালের ১৩
নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যে দেশে গ্রামে বাস করলেই দেয়া হচ্ছে ২৮ লাখ টাকা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে প্রায়ই
অবাক করা অনেক বিষয় আমাদের সামনে আসে। এর মধ্যে কিছু
ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সত্য বলে জানা যায়। যেমন
ইতালির গ্রামে বাস করলেই দেওয়া হচ্ছে ২৮ লাখ টাকা! খবর
সিএনএনের।
জানা গেছে, ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্যালাবরিয়া
অঞ্চলে অবিশ্বাস্য এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে
এক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আগে আপনাকে রেস্তোরাঁ বা দোকান
খুলতে হবে এবং আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সরকারের
পক্ষ থেকে তিন বছরে ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে,
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকার সমান।
সিএনএন বলছে, মূলত অঞ্চলটির গ্রামগুলোতে জনসংখ্যা
দ্রুত কমছে এবং ইতিমধ্যে অনেক গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
তাই বাহির থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে গ্রামগুলোর জীবন ও
আর্থিক কাঠামো সচল রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির
সরকার।
Top
স্কুল
খোলার জন্য আর অপেক্ষা নয় : ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে প্রায়ই
অবাক করা অনেক বিষয় আমাদের সামনে আসে। এর মধ্যে কিছু
ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সত্য বলে জানা যায়। যেমন
ইতালির গ্রামে বাস করলেই দেওয়া হচ্ছে ২৮ লাখ টাকা! খবর
সিএনএনের।
জানা গেছে, ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্যালাবরিয়া
অঞ্চলে অবিশ্বাস্য এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে
এক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আগে আপনাকে রেস্তোরাঁ বা দোকান
খুলতে হবে এবং আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সরকারের
পক্ষ থেকে তিন বছরে ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে,
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকার সমান।
সিএনএন বলছে, মূলত অঞ্চলটির গ্রামগুলোতে জনসংখ্যা
দ্রুত কমছে এবং ইতিমধ্যে অনেক গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
তাই বাহির থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে গ্রামগুলোর জীবন ও
আর্থিক কাঠামো সচল রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির
সরকার।
Top
স্কুল খোলার জন্য আর অপেক্ষা নয় :
ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে চলতি
সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার। পরীক্ষা নেওয়া হবে,
নাকি মূল্যায়ন করা হবে, অথবা অটোপাস দেওয়া হবে-
শিগগিরই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে
তা জানাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ঝুলে থাকা
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প
পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়। এ জন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, এ
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- রচনামূলক বা সৃজনশীল
প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ)
পরীক্ষা নেওয়া, বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর)
কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া, প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা।
একাধিক পত্র থাকা একটি বিষয়ের ২০০ নম্বরের বদলে ১০০
নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে
কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে পরীক্ষা
নেওয়ারও প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে করোনার
সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি
নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়।
এদিকে সবাইকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় না থেকে
স্কুল খুলে দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরুর আহ্ বান
জানিয়েছে জাতিসংঘের দুই সংস্থা ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এবং
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল যৌথ বিবৃতিতে
বলেছেন, ‘আমরা নীতি নির্ধারক এবং সরকারগুলোর প্রতি
অনুরোধ জানাই, একটি প্রজন্মকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা
করতে নিরাপদে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়টিকে আপনারা
অগ্রাধিকার দিন। বিশ্বে কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরুর
পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে; লাখ লাখ শিশুর পড়ালেখা এখনো
ব্যাহত হচ্ছে। এখনো ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক
স্কুল বন্ধ থাকায় ১৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। বন্ধের
ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং খোলার ক্ষেত্রে সবার
আগে বিবেচনায় রাখা উচিত।’
১২ জাতের চীনা
মুরগি ‘চীনা বধূর’ খামারে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বামী ফিরোজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে আসার সময় চীনা ‘লু
হুয়া জি’ জাতের মুরগির ১০০টি ডিম এনেছিলেন ওয়াং লু ফিং
সুফি। এ ঘটনা গত বছরের মার্চের। ওই ১০০টি ডিম
ইনকিউবেটরে ফুটিয়ে ৮৪টি বাচ্চা পান তিনি। শুরুটা শখের
হলেও সুফির এখন চীনা মুরগির চার-চারটি খামার। নাম
দিয়েছেন ‘এসএস রেয়ার ব্রিজ অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্ম’।
গাজীপুরের কালীগঞ্জের নগরভেলা গ্রামে রয়েছে একটি খামার।
অন্য তিনটি রাজধানীর উত্তরখানে। ওই খামারগুলোর একটিতে
ডিম পাড়া মুরগি রাখা হয়। ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম
ফোটানো হয় একটি খামারে। অন্যটিতে বাংলাদেশি ও চীনা
জাতের মুরগির মধ্যে ক্রস করে নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজ
চলছে। এসব খামারে রয়েছে চীনের ১২ জাতের প্রায় সাড়ে তিন
হাজার মুরগি।
এখনো বাংলা ভাষা পুরো রপ্ত করতে পারেননি সুফি। স্বামী
ফিরোজ আলম চীনের তৈরি ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসা করেন।
তাঁর সহায়তায় কথা হয় সুফির সঙ্গে। পেশায় তিনি একজন
শিক্ষিকা ছিলেন। সুফি জানান, ২০১১ সালে চীনের গোয়াং
জোর সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ‘চাইনিজ
ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচার’ বিষয়ে পড়তে গিয়ে ফিরোজের
সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন।
তিন সন্তানের মা সুফি বলেন, লেখাপড়া শেষ করে ২০১৬ সালে
ফিরোজ বাংলাদেশে আসেন। স্কুলের চাকরি ছেড়ে স্বামীর হাত
ধরে চলে আসেন তিনিও।
খামারের যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে সুফি জানান, ৮৪টি বাচ্চা
বড় হয়ে ডিম দিতে শুরু করে। অনুপ্রাণিত হয়ে পরের বার
চীনা সিল্কি জাতের ১০০টি ডিম এনে ৭৫টি বাচ্চা পান। পরে
একে একে হং ইয়াও জি, বাই ফেং ওয়াং জি, উ হি জি, কিউ চি
শামা জি, পো লেমন জি, রিবন জিসহ ১২ প্রজাতির চীনা
মুরগির ডিম এনে ফুটিয়ে বাচ্চা করেন। এসব বাচ্চা বড় হয়ে
ডিম দিচ্ছে। ওই ডিম থেকে আবার বাচ্চা হয়েছে। এখন খামারে
মুরগি আছে তিন হাজারের মতো। সবচেয়ে ভালো জাত চায়না
সিল্কি। এই জাতের মুরগি আকারে বড়। বিশেষ পুষ্টিগুণ
রয়েছে এর ডিম ও মাংসে। বছরে ডিম দেয় ৩৫০টি। আবার কয়েকটি
জাত দেখতে বাংলাদেশি মুরগির মতোই।
স্বামী ফিরোজ আলম বলেন, ‘চীনা মুরগি পালন খুবই লাভজনক।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো রোগবালাই নেই বললেই চলে। দানাদার
খাবারের পাশাপাশি ঘাস, পাতা ও ফেলে দেওয়া খাবার দিয়েই
লালন-পালন করা যায়। বাংলাদেশি মুরগি চার মাসে ৮০০-৯০০
গ্রাম হয়ে থাকে। আর চীনা মুরগি দুই মাসে হয় আড়াই কেজি
পর্যন্ত।
BHRC ঢাকা জেলা
দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
ধনী দেশগুলোর
বুস্টার ডোজ বন্ধ রাখা উচিত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়ে নতুন করে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এমন
পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতারা ধনী
দেশগুলিকে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি মানুষকে টিকার প্রথম
ডোজ দেওযয়ার আগ পর্যন্ত করোনার সম্ভাব্য বুস্টার ডোজ
বন্ধ রাখতে বলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস
গেব্রিয়াসাস আধানম বলেন, কিছু দেশ ও এলাকা কোটি কোটি
বুস্টার ডোজ অর্ডার দিতে শুরু করেছেন যেখানে বিশ্বের
অনেক দেশ এখন পর্যন্ত তাদের স্বাস্থ্যকর্মী ও
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতদের জন্য টিকার সরবরাহই
নিশ্চিত করতে পারেনি।
টেডরস বলেন, যেসব দেশের বেশীরভাগ মানুষই তুলনামূলকভাবে
টিকার আওতায় বেশি এসেছে মডার্না ও ফাইজার তাদের জন্যই
বুস্টার ডোজ সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ আমাদেরকে টিকা
সরবরাহে যাওয়া দরকার কোভ্যাক্স, আফ্রিকা ভ্যাকসিন
একিউজিশন এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দিকে যারা
টিকার আওতায় কম এসেছে।
টিকা পাওয়ার বিষয়টা সবসময় ক্রয় ক্ষমতার হিসেবে হয় না।
টিকা না পাওয়া অনেক দেশই টিকার জন্য অর্থ দিতে
প্রস্তুত বলে জানান সংস্থাটির প্রধান।
তিনি আরো বলেন, "এটা এখন দ্বি-স্তরের সিস্টেম হয়ে উঠছে
যা বিপদজনক। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সবাই দেখছে উচ্চ
আয়ের দেশগুলো এখন বলতে শুরু করেছে যে আমরা এটা (করোনা
ভাইরাস মহামারি) নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছি। এটা এখন
আমাদের সমস্যা নয়।"
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি: ইইউ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বেইজিং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনে নিযুক্ত ইইউয়ে'র সদস্য
রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদেরও একাধিকবার জিনজিয়াং সফরের
আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু আমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করে
ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি সংস্থা ইউরোপিয়ান
এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) বলেছে, 'আমরা
জিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান
নিয়েছি।'
এদিকে, চীনা মিশন সতর্ক করে এক বিবৃতিতে বলেছে, ইইউয়ের
পক্ষ থেকে নির্ধারিত পূর্বশর্তের কারণে এই সফর
বাস্তবায়িত হয়নি, যা কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের কাছে
গ্রহণযোগ্য নয়। চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো
হস্তক্ষেপ একটি শক্তিশালী এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে
মোকাবিলা করা হবে।
উল্লেখ্য, জিনজিয়াং কমিউনিস্ট চীনের একটি প্রদেশ যেখানে
২০১৬ সাল থেকে আনুমানিক ২০ লাখ উইঘুর এবং অন্যান্য
মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করা হয়েছে। তাদের শিক্ষার নামে
ধর্মীয় মূল্যবোদ ভুলিয়ে দিতে জিনজিয়াং জুড়ে ডিটেনশন
সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে জোরালো অভিযোগ আছে।
এবার করোনা
ঠেকাতে চীনে নতুন প্রযুক্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় নতুন
প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে চীনে। ‘ফেস রিকগনিশন’ নামের
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে
চীন সরকার।
এতে বেশ সফলও হয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মানুষ কখন
সুপারমার্কেটে যাচ্ছে, বাড়িতে কখন ঢুকছে, কখন গণপরিবহনে
উঠছে কর্তৃপক্ষ তার সবই জানতে পারছে ‘ফেস রিকগনিশন’
প্রযুক্তির মাধ্যমে।
পাঁচ বছরে জনসমাগমের স্থানগুলোয় ২০ কোটির বেশি সিসিটিভি
স্থাপন করেছে সরকার। জনগণকে নজরদারিতে রাখার ক্ষেত্রে
অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে চীন।
এই ‘ফেস রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে
কিউআর কোড প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে
ওই ব্যক্তির করোনার পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং তিনি কার
কার সংস্পর্শে আসছেন, সেটাও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে
তার স্বাস্থ্যের অবস্থাও।
‘অলিম্পিক লরেল’ পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের
প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টোকিও অলিম্পিক গেমসে
‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের মাত্র
দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন তিনি।
২৩ জুলাই ২০২১ ড. ইউনূসের ‘অলিম্পিক লরেল’ হাতে পাওয়ার
বিষয়টি ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে ড. ইউনূস সশরীরে অলিম্পিকের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেননি। তবে সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি গেমসে অংশগ্রহণকারী
অ্যাথলেটদের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)
এক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে
দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ অবদান রেখে বিশ্বব্যাপী
প্রশংসিত হয়েছেন ড. ইউনূস। এবার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ
অবদানের জন্য অলিম্পিকে ৮১ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদকে এই
বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে।
‘অলিম্পিক লরেল’ পদক মূলত তাদেরকেই প্রদান করা হয় যারা
শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ
অবদান রাখেন। সেই লক্ষ্যে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো
‘অলিম্পিক লরেল’ পদক দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। সেবার রিও
অলিম্পিকে এই সম্মানজনক পদক দেওয়া হয় কেনিয়ার সাবেক
অলিম্পিয়ান কিপ কেইনোকে। তিনি ১৯৬৮ এবং ১৯৭২ সালে ১৫০০
মিটারে স্বর্ণপদক জেতেন। এছাড়া তিনি ছিলেন কেনিয়ার
অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং আইওসির সান্মানিক
সদস্য। তিনি নিজের দেশে শিশুদের জন্য স্কুলের পাশাপাশি
একটি অ্যাথলেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে তুলেছেন।
কিপ কেইনোর পর ড. ইউনূস হতে যাচ্ছেন ‘অলিম্পিক লরেল’
সম্মাননা পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি। আইওসির বিবৃতি অনুযায়ী,
আগামী ২৩ জুলাই ২০২১ অলিম্পিক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস “অলিম্পিক লরেল” পুরস্কার
গ্রহণ করবেন।
অলিম্পিক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক
কমিটির (আইওসি) পক্ষ থেকে পুরস্কারটি প্রদান করবে। সারা
বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখবেন।
এ ব্যাপারে অলিম্পিক প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বলেন,
“প্রফেসর ইউনূস আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। ” তিনি
আরও বলেন, প্রফেসর ইউনূস তাঁর সামাজিক ব্যবসায়ের
ধারণাকে ক্রীড়া জগতে উন্নয়নের জন্য কাজ করার জন্য এই
সম্মান পাবেন।
ইসলাম ও মুসলমানদের প্রশংসা করলেন পুতিন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইসলাম ধর্ম এবং রাশিয়ায় বসবাসকারী মুসলমানদের ভূয়সী
প্রশংসা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেন, এটি শান্তির ধর্ম, এ ধর্মের অনুসারীরা
ঐতিহ্যগতভাবে সুশৃঙ্খল এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতির প্রতি
শ্রদ্ধাশীল। মুসলিমরা খুবই সামাজিক এবং তাদের
শিষ্টাচার ও পারিবারিক বন্ধন অটুট। পবিত্র ঈদুল আজহায়
মুসলিম নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইসলামের শান্তি বাণী
প্রচার করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। খবর আনাদোলু
এজেন্সির। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি
৩ কোটি মুসলমানের বসবাস রাশিয়ায়। খ্রিস্টানপ্রধান
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম এখন ইসলাম। পৃথক বিবৃতিতে
রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিনও মুসলিমদের শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার মুসলিমরা নিজ দেশের মূল্যবোধকে
ধারণ করে এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। এ কারণে
রাশিয়ায় দিন দিন দ্যূতি ছড়াচ্ছে এবং প্রসার ঘটছে
ইসলামের।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মস্কোর মেয়র সার্গে সোবিয়ানিনও পৃথক
বাণীতে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানান।
চীনের মসুও
সম্প্রদায় নারী শাসনের এক সাম্রাজ্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দক্ষিণ পশ্চিম চীনে হিমালয়ের কোলে পৃথিবীর অন্যতম
প্রাচীন মাতৃতান্ত্রিক এক সম্প্রদায়ের নাম মসুও।
অঞ্চলটি তথাকথিত নারী শাসিত এক অভিনব সাম্রাজ্য।
চীনের ইউনান প্রদেশে পাহাড়ের কোলে মসুও সমাজে নারীরাই
সর্বেসর্বা। তাদের সমাজে পুরুষরা গৌণ। পুরুষের যৌন
সংসর্গ ছাড়া যেহেতু সন্তান উৎপাদন সম্ভব নয়, তাই মসুও
সমাজে পুরুষের প্রয়োজন ভবিষ্যত বংশধর তৈরির জন্য। এর
বাইরে পুরুষের সাথে সম্পর্ককে তাদের সমাজে নিরুৎসাহিত
করা হয়।
মসুও জনগোষ্ঠীকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন পেশায় আইনজীবী
চু ওয়াই হং।
তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত কাজ করতেন সিঙ্গাপুরে একটা বড়
প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ আইনজীবী হিসাবে। ওই বছর তার শহুরে
ব্যস্ত জীবন থেকে আগাম অবসর নিয়ে মিজ চু ওয়াই হং যখন
তার পূর্বপুরুষের দেশ চীনে বেড়াতে যান, তখন হঠাৎই তিনি
দেখা পান পাহাড়ের বাসিন্দা এই বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের।
সঙ্গে সঙ্গে তাদের দারুণ ভাল লেগে যায় চু ওয়াই হংয়ের।
চু ওয়াই হং বলেন, নারীরা সেখানে দারুণ ক্ষমতাশালী। আপনি
সেখানে গেলে দেখবেন এই সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে কী
পরিমাণ আত্মবিশ্বাস- সেটা কিন্তু তাদের স্বভাবজাত।
আমাদের নারীদের মধ্যে এটা সচরাচর দেখা যায় না। এরা
কিন্তু সেভাবে শিক্ষিত নয়, এরা কৃষক, কিন্তু
আত্মবিশ্বাসে এরা যেন টগবগ করছে।
পাহাড়ের প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় অপূর্ব সুন্দর
একটা হ্রদ নাম 'লুগু লেক'। তার চারপাশে চমৎকার ঝাউবন।
পাহাড়ে ঘেরা চোখ জুড়ানো দারুণ এলাকা। প্রত্যেকেই
কৃষিজীবী আর খুব শান্ত ধীরস্থির জীবনযাত্রা সেখানে,
ব্যাখ্যা করছিলেন মিজ ওয়াই হং।
সিঙ্গাপুরে মিজ ওয়াই হং এর কর্মজীবন ছিল খুবই সফল।
কিন্তু তা ছিল অমানসিক রকম ব্যস্ত। রোজই প্রায় রাত
বারোটা পর্যন্ত তাকে কাজ করতে হতো, প্রায়ই সপ্তাহে সাত
দিন।
কয়েক দশক এভাবে চলার পর একদিন সকালে উঠে তিনি ঠিক
করলেন, সাফল্য আর অর্থের বাইরে যে জীবন, তাকে জানতে
তিনি বেরিয়ে পড়বেন। কাজে ইস্তফা দিলেন।
চু ওয়াই হং যখন ২০০৬ সালে লুগু লেকে যান, তখনও সেখানে
পর্যটকদের আনাগোনা প্রায় ছিলই না। বাইরের মানুষের
প্রভাবও তেমন পড়েনি। তিনি তখনও ভাবেননি যে সেখানেই তিনি
ভবিষ্যতে তার ঘর বাঁধবেন।
মসুও একটি ছোট প্রাচীন সম্প্রদায়। সংখ্যায় তারা ৪০
হাজারের মত। মূলত স্বনির্ভর জাতিগোষ্ঠী। কঠোর
ধর্মবিশ্বাস আর সংস্কৃতি কেন্দ্রিক তাদের জীবনযাপন।
মিজ ওয়াই হং যেদিন সেখানে গিয়ে পৌঁছেন, সেদিন মসুও
নারীরা তাদের প্রথাগত উজ্জ্বল সাজপোশাক পরে তাদের
পাহাড়ের দেবীর উৎসব উদযাপন করছিলেন।
’তারা খুব মজা করে নাচ-গান করছিল, আগুন জ্বালিয়ে খাবার
রান্না করছিল আর পর্বতের দেবীর সামনে ধূপ জ্বালাতে
সবাই পাহাড় ভেঙে উপরে উঠছিল। পাহাড়ের মাথায় তাদের দেবী
'গামু'র মন্দির।’
’তাদের বিশ্বাস এই দেবীই তাদের রক্ষাকর্ত্রী। তারা বলে,
তাদের এই দেবী নাচগান ভালবাসেন, মদ্যপান, বহুগামিতা
তার খুব পছন্দ। তাই এই দেবীকেই তারা অনুসরণ করে।’
মসুও নারীদের বক্তব্য, দেবীর মত আমাদের জীবনেও একাধিক
পুরুষসঙ্গী চাই। আমরা একজনের সাথে আটকে থাকতে চাই না।
মসুওদের জীবন নিয়ে তিনি বই লিখেছেন 'কিংডম অব উইমেন'।
মসুওদের ভাষাও শিখেছেন তিনি, তাদের সাথে বসবাস করেছেন।
প্রথাগতভাবে মসুওরা মাতৃতান্ত্রিক। অর্থাৎ তাদের বংশ
পরম্পরা মায়ের দিক থেকে। তাদের সমাজে মাতামহী বা
প্রমাতামহী সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। মেয়ে মায়ের স্থাবর ও
অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
মসুও পরিবারের কন্যারা ভাই বা ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব
নেয়। ছেলেরা কখনও বাসা ছেড়ে কোথাও যায় না। বোনের
পরিবারেই থাকে।
মসুওদের লোক সংস্কৃতিতে তাদের বিশ্বাস যে পুরুষের
ভূমিকা হল শুধু সন্তান উৎপাদনে সাহায্য করা। তাদের
ব্যাখ্যায়, নারীর শরীরে নতুন জীবনের যে বীজ সুপ্ত আছে,
পুরুষ তাকে অঙ্কুরিত করবে। সেই বীজে যখন প্রাণের
সঞ্চার হবে, তখন থেকেই সেই শিশুর মালিক তার গর্ভধারিণী
মা।
বাবার ওই শিশুতে কোন অধিকার নেই। সে শুধু বীজে পানি
দিয়ে তাকে অঙ্কুরিত করেছে। শিশুর জীবনে বাবার আর কোন
ভূমিকাই থাকে না।
মসুও পরিবারে শিশুরা যেহেতু মায়ের বাড়িতে বেড়ে ওঠে,
তাই ঘরে পুরুষ বলতে বাবার চেয়ে তারা বেশি চেনে মামাকে
বা মায়ের বংশের যে পুরুষ সেই পরিবারে থাকেন। সন্তানের
বাবার পিতৃত্বে কোন অধিকার থাকে না।
Top
যেসব দেশে চালু হলো
কোভিড পাসপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে কোভিড পাসপোর্ট।
পর্যটকদের জন্য ক্রমেই তা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। সাধারণত
মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই পাসপোর্টের
অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কাগুজে
পাসপোর্টও আছে। নিচে বেশ কয়েকটি দেশের কোভিড
পাসপোর্টের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
যুক্তরাষ্ট্র: গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউজ যুক্তরাষ্ট্রের
নাগরিকদের জন্য ফেডারেল কোভিড ভ্যাকসিনেশন পাসপোর্ট
চালুর ঘোষণা দেয়। যদিও কোভিড ভ্যাকসিনেশনে জনগণকে
উৎসাহিত করতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য পৃথক কর্মসূচি চালু
করে। ক্যালিফোর্নিয়ায় স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন সংস্থার
কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে টিকা প্রদানের প্রমাণ দাখিলের
নির্দেশ দিয়েছে।
চীন: কিউআর কোড সিস্টেমে নাগরিকদের বিভিন্ন রঙে
চিহ্নিত করেছে চীন। সবুজ রঙের কোড বলে দেবে লোকটি
বিনাবাধায় যে কোনো এলাকায় প্রবেশের অধিকার রাখেন। হলুদ
রং জানিয়ে দেয় লোকটিকে কমপক্ষে সাত দিন ঘরে থাকতে হবে।
কম্পিউটারে তথ্যউপাত্ত জমা দিয়ে চীনাদের এই কোডগুলো
সংগ্রহ করতে হয়। চীনের অনেক পাবলিক প্লেসে প্রবেশের
ক্ষেত্রে এই কোডগুলো কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর বাইরে গত
মার্চ থেকে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ চালু করেছে চীন।
যুক্তরাজ্য: এই মুহূর্তে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশটির
নাগরিকদের নাইট ক্লাবে ঢুকতে হলে ভ্যাকসিনেশনের প্রমাণ
দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কর্তৃক সম্প্রতি
গৃহীত নতুন পরিকল্পনা অনুসারে নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশন
প্রমাণের জন্য এনএইচএস কোভিড পাশ অ্যাপের আওতায় আসতে
হবে। শুধু নাইট ক্লাবই নয়, বিপুল জনসমাগমের মধ্যে
প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেককেই এই অ্যাপ দেখাতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: নিজস্ব ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করেছে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর আওতাভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা
ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন করে এর একটি কপি ডাউনলোড করে
নিজেই বিনামূল্যে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এমনকি ইইউর
দেশগুলোতে বৈধভাবে বসবাসরত নন-ইইউ নাগরিকরাও এ
পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন, যেহেতু তাদেরও বিভিন্ন
দেশে ভ্রমণের অধিকার রয়েছে।
ফ্রান্স: রেস্টুরেন্ট, বারে প্রবেশ কিংবা বিমান বা
ট্রেনে ভ্রমণের সময় ‘স্বাস্থ্য পাশ’ বাধ্যতামূলক করেছে
ফরাসি সরকার। পাশাপাশি নিয়ম করা হয়েছে, যেসব জায়গায়
৫০-এর বেশি লোক একসঙ্গে থাকেন কিংবা কাজ করেন তাদের
সবাইকে কোভিড টেস্ট নেগেটিভ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার
জন্যই ‘স্বাস্থ্য পাশ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দেশটিতে।
ইসরায়েল: বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন পাশ ব্যবহারের ঘোষণা
দিয়েছিল ইসরায়েল। এটি থাকলে যে কোনো ইসরায়েলি
ভ্যাকসিনেটেড কিংবা কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভাইরাসটি থেকে
মুক্ত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। এই পাস চালুর পর থেকে
দেশটিতে ভ্যাকসিনেশনের প্রতি যুবপ্রজন্মের আকর্ষণ অনেক
বেড়ে গেছে। তবে দেশটিতে সংক্রমণের হার অনেকটা কমে
যাওয়ায় এই প্রকল্পটি নিয়ে আর এগোচ্ছে না দেশটি।
অস্ট্রেলিয়া: বর্তমানে টিকাপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ানদের
ফোনে ফোনে ডিজিটাল সার্টিফিকেট পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু
এই সার্টিফিকেটের আওতা কিংবা বিশেষ কার্যকারিতা
নির্দেশ করা হয়নি। তবে দেশটির পর্যটনমন্ত্রী ড্যান
তিহান বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সীমানা অতিক্রম কিংবা
লকডাউনে চলাচলের জন্য এই সার্টিফিকেট ভূমিকা রাখবে।
টিকা
নিলে ১০০ ডলার দিতে চান বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। এ
পরিস্থিতিতে টিকাদানের ওপর জোর দিচ্ছে মার্কিন সরকার।
আর এ টিকাদানের হার বাড়াতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে
১০০ মার্কিন ডলার করে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নতুন যারা টিকা নেবেন, তাদের এ
অর্থ দিতে অঙ্গরাজ্যের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন তিনি।
সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন
বাইডেন। মার্কিন এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন প্রায় ২০
লাখ কর্মী। বাইডেন এক আদেশে উল্লেখ করেন, এসব কর্মীকে
প্রমাণ করতে হবে, তারা টিকা নিয়েছেন। এ ছাড়া এই
কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা ও মাস্ক
ব্যবহার নিশ্চিত করতে আদেশ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি তুলে ধরে হোয়াইট হাউস থেকে
গত বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়তে
থাকায় নতুন নতুন এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,
টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এ মহামারী ব্যাপকভাবে
ছড়িয়েছে। এসব কারণে মৃত্যু বাড়ছে। করোনাভাইরাসে
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশটিতে
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪
হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজারের
বেশি করোনা রোগী। জুনের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা
সংক্রমণ কমে গিয়েছিল। এরপর সেই সংক্রমণ আবারও বাড়তে
শুরু করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ববর্তী
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজারের বেশি মানুষ। এর
বিপরীতে দেশটির অর্ধেক নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি
ফাউসি বলেছেন, যেসব এলাকায় টিকাদানের হার কম, সেখানে
করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে। এদিকে এখন
সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)
এক নির্দেশনায় আবার সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছে।
ইনডোরে জনসমাগম হলে মাস্ক পরতে তারা আবার নির্দেশনা
দিয়েছে। যেসব এলাকায় ডেলটার সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকায়
টিকা গ্রহণ করেছেন বা টিকা গ্রহণ করেননি- এমন সবাইকে
মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা মাদকে
সয়লাব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিমা বিশ্বের জনপ্রিয় ভয়ংকর মাদকের দাপট এখন
বাংলাদেশে। এলএসডি, ডিএমটি, খাত, আইস, কোকেন, এনপিএস
নামের এসব ভয়ংকর মাদক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ সারা
দেশে। বিশেষ করে এলএসডি আর ডিএমটি নামের এ দুটি মাদক
আতঙ্ক এখন সব মহলে। এ নিয়ে অভিভাবক মহল চরম উদ্বিগ্ন।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন মাদক এলএসডি আর ডিএমটির
রুট, গতিপ্রকৃতি চিহ্নিত করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া
না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তরুণ ও যুব সমাজের
ভিতর। হ্যালুসিনেজিক ড্রাগ ব্যবহারে আসক্তরা সহিংস
আচরণ করবে। তখন পরিস্থিতি আর হাতের নাগালে থাকবে না।
নতুন ভয়ংকর এ ড্রাগের যাতে বিস্তার ঘটতে না পারে সে
লক্ষ্যে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বসাধারণকে সচেতন
হওয়ার আহ্বান জানান তারা। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের খবর
হলো, ভিতরে ভিতরে এলএসডি, ডিএমটি নিজের জায়গা বাড়াচ্ছে।
উচ্চবিত্ত ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এ মাদক।
এলএসডি সম্পর্কে অজ্ঞতা, এর রুট সম্পর্কে এখনো
পরিষ্কার ধারণা না থাকায় এ মাদক দেশে ঢুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভয়ংকর এ মাদকেও আগ্রহ বাড়ছে সেবীদের। দুঃখজনক ও ভয়াবহ
উদ্বেগের সংবাদ হলেও সত্য, হেরোইন, কোকেন, খাত, এনপিএস,
ইয়াবার পর এলএসডি এসে গেছে বাংলাদেশে। এলএসডি ছাড়াও
আগ্রহ বেড়েছে আরেক মাদক আইসের প্রতি। বলা যায়, আইস হলো
ইয়াবার পরবর্তী ভার্সন। তবে এটি ইয়াবার চেয়ে বেশি
ক্রেজি ড্রাগ। বাংলাদেশে হাজির ভয়ংকর মাদক এলএসডি।
ভয়াবহতার দিক থেকে পশ্চিমের এ মাদকটিকে বলা হয় ‘লাস্ট
স্টেজ অব ড্রাগ’। এলএসডি মাদকে আসক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
একজন শিক্ষার্থী প্রকাশ্যে নিজের গলায় দা চালিয়ে
দেওয়ার পর মাদকের ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া সামনে আসে। এ নিয়ে
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কদিন আগে কথা হয় মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ
আহসানুল জব্বারের সঙ্গে। বাংলাদেশের বাজারে নতুন মাদক
সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিস্টাল মেথ বা আইস এবং
এলএসডি শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এ দুটি অনেক দামি
মাদকও বটে। ২০১৯ সালে ৫৬১ গ্রাম আইসসহ চারজনকে
গ্রেফতার করা হয়।
২০২১ সালে ২ কেজি ২০০ গ্রাম আইসসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা
হয়। এলএসডি হ্যালুসিনেজিক ড্রাগ। অনেক সময় অলীক দৃশ্য
দেখার কারণে মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়। ২০১৮ সালে নতুন
আরেকটি মাদক “খাত” চিহ্নিত করা হয়। ওই সময় ২ হাজার ৫৪২
কেজি ৮৫ গ্রাম খাতসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এ
বিষয়ে তৎপরতার কারণে খাত চোরাচালানের এ সিন্ডিকেটকে
উৎখাত করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং
অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় আইস,
এলএসডি ও খাত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।’
চাকরির বাজার
অস্থির পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনার মহামারির প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতি।
সংক্রমণ কমাতে দেওয়া একের পর এক লকডাউনে কঠিন সংকটে
পড়েছে বেসরকারি খাত। নতুন নিয়োগ তো দূরে, টিকে থাকতে
অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিচ্ছে। সব
মিলিয়ে ভয়াবহ মন্দার মুখে পড়েছে চাকরির বাজার।
করোনা মহামারির প্রথম বছরেই চাকরি কমেছিল ২৯ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই তা কমে গেছে ২৮ শতাংশ। বছর
শেষে তা ৫০ শতাংশ ছাড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। চাকরি
কমার পাশাপাশি অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে
হতাশাগ্রস্ত তরুণদের অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে
পড়ছে। কেউ কেউ বিভিন্ন অপরাধেও জড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সমাজে নানা ধরনের অস্থিরতা
তৈরি হতে পারে।
দোলা রোসেলিন (২৩) গত বছর ঢাকার একটি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। গত বছর মার্চ
মাসে একটি এনজিওতে চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
তিনি, চাকরিটা হয়েও গিয়েছিল। তবে মার্চ মাসে অতিমারির
কারণে তাঁর চাকরির সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়, অফিসে
লোকবল নিয়োগ দেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। করোনা
মহামারির দেড় বছর পার হলেও এখনো তিনি চাকরি পাচ্ছেন
না।
সায়েদ আহমেদ শুভ (২৫) ছয় মাস ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি
কম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনা আসার পর দুই মাসের বেতন
বকেয়া হয়ে যায়। অবশেষে তিনি চাকরিটি ছেড়ে দেন। শুভ
কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো বকেয়া বেতন পাইনি। বিনা বেতনে
আর চাকরি করা যায় না। অফিসে যাতায়াত করতেও তো টাকার
প্রয়োজন হয়। দেড় বছর ধরে পত্রিকা, জব সাইটগুলোতে হন্যে
হয়ে চাকরি খুঁজে এখনো তার দেখা পাইনি। এভাবে চাকরির
পেছনে ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি।’
দোলা কিংবা সায়েদের মতো অবস্থা দেশের কোটি তরুণের।
দেশের শ্রমবাজারে বছরে প্রায় ১০ লাখের মতো নতুন
শ্রমশক্তি প্রবেশ করে। দেশে চাকরির যে বাজার, তাতে
প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৪৭ শতাংশ
গ্র্যাজুয়েটের চাকরি পাওয়ার সুযোগ হয় না বলে জানিয়েছেন
শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল
জাস্টিস বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন,
‘আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। ঘরবন্দি মানুষের কোনো
সামাজিকতা নেই। এতে মানুষের মনে ব্যাপক চাপ পড়ছে।
বেকারত্ব, আয় কমে গেলে মানুষ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মানসিক
ডিপ্রেশন, সাইকোপ্যাথ, এলিয়েনেশন কাজ করবে, স্পৃহা
হারিয়ে গেলে মানুষ কোনো না কোনোভাবে নেতিবাচক কাজ করবে।
তাই বেকারদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে
হবে।’
সর্বশেষ ২০১৭ সালে শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে
কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছয় কোটি ৩৫ লাখ। আর তাদের মধ্যে কাজ
করে ছয় কোটি আট লাখ নারী-পুরুষ। কর্মক্ষম থেকে কর্মরত
জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাদ দিলে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ।
করোনাকালে যে লাখ লাখ মানুষ কাজ হারিয়ে নতুন করে বেকার
হয়েছে তাতে বেকারত্বের হিসাব ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলে শুরু করোনা
টিকার তৃতীয় ডোজ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নাগরিকদের করোনা টিকার তৃতীয়
ডোজ দেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার ষাটোর্ধ্বদের
জন্য এই কার্যক্রম চালু করেছে তারা। তবে করোনা টিকার
তৃতীয় ডোজ প্রদানের অনুমোদন এখনও দেয়নি বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও। ৩০ জুলাই ২০২১ নিজে
বয়োনটেক-ফাইজারের টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট
আইজ্যাক হার্তস্যোগ। এর ফলে যতো দ্রুত সম্ভব ইসরায়েল
স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে বলে আশা করেন তিনি। এসময়
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৪৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী
নাফতালি বেনেট। তিনি বলেন, ষাট বছর ও তার উপরের বয়সের
মানুষদের তৃতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েল
পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার
তিনি এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
বয়সের কারণে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় ডোজ নিতে না পারলেও
পেয়েছেন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী সাবেক
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত জুলাইতেই অবশ্য
গুরুতরভাবে রোগ প্রতিরোধহীন মানুষদের তৃতীয় ডোজ টিকার
অনুমোদন দেয় ইসরায়েল।
তৃতীয় ডোজ: গবেষণা যা বলছে
ইসরায়েল সবার আগে তৃতীয় ডোজ টিকার অনুমোদন দিলেও এই
বিষয়ে এখনও পূর্ণাঙ্গ কোনো গবেষণা প্রকাশিত হয়নি।
এক্ষেত্রে তারা মূলত নির্ভর করছে বায়োনটেক-ফাইজারের
তথ্যের উপরে। তাদের দাবি তৃতীয় ডোজ টিকা নিলে তা
কভিডের ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
তবে ইসরায়েল সাধারণত যাদের অনুসরণ করে সেই
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এখনও
বয়স্কদের তৃতীয় ডোজ করোনা টিকার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত
দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমোদন না দেওয়া
সত্ত্বেও তৃতীয় ডোজ চালুর বিষয়ে জেরুসালেমের হিব্রু
বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞ হাগাই লেভিন বার্তা
সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি বিশেষজ্ঞদের
মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। এটা যুক্তিনির্ভর,
মৌলিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নির্ভর নয়। কিন্ত তারপরও এই
সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। জনগণের একটি বড় অংশকে টিকা দেওয়ার
পর জুনে জনসমাগমসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নেয় ইসরায়েল।
দেশে নতুন ডিজিটাল
লেনদেন সেবা ‘ট্যাপ’ চালুু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এবং
গ্রাহকদের নিরাপদ সেবা প্রদানে চালু হলো নতুন মোবাইল
ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ট্রাস্ট আজিয়াটা পে বা
“ট্যাপ”। বুধবার ২৮ জুলাই দুপুরে ট্রাস্ট ব্যাংকের হেড
অফিসে এ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেনারেল
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান, ট্রাস্ট আজিয়াটা
ডিজিটাল লিমিটেড।
সেবাটির আওতায় প্রাহকরা অর্থ জমা-লেনদেন, ইউটিলিটি বিল
পরিশোধ, বিমার কিস্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, তিন
বাহিনীর নিয়োগ সংক্রান্ত ফি জমা দেয়া, রেমিট্যান্স
গ্রহণ, অনলাইন মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং সকল মোবাইল ফোন
অপারেটরের রিচার্জ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
‘ট্যাপ’ এর বিশেষত্ব হচ্ছে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র ও
সেলফির মাধ্যমে সেবাটি গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে
পারবেন গ্রাহকরা। একমাত্র এই সেবাটির মাধ্যমে ৫৬টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, তিন বাহিনীর নিয়োগ সংক্রান্ত
ফি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা
যাবে। টি-ক্যাশ (ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং) এর
সকল গ্রাহক এখন ট্যাপ’র গ্রাহকে পরিণত হবেন এবং
পূর্ববর্তী সকল সুযোগ সুবিধা অক্ষুন্ন রেখে আরো
আকর্ষণীয় ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশের জন্য মূল
চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আধুনিক ও উন্নতমানের সেবা দিয়ে
গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা। এর বাস্তবায়নে উদ্ভাবনী
ফিচার সমৃদ্ধ ও ব্যবহার-বান্ধব অত্যাধুনিক অ্যাপের
মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে ট্যাপ। পাশাপাশি
মিলিটারি গ্রেড নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ট্যাপ’র ইস্পিত
লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
সেবাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান জেনারেল এস এম
শফিউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান, ট্রাস্ট আজিয়াটা ডিজিটাল
লিমিটেড বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মোবাইল
ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস একটি অত্যাধুনিক ও
উপযোগী প্রযুক্তি। তাই আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের একটি
কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং আজিয়াটা ডিজিটাল
সার্ভিসের যৌথ উদ্যোগে আমরা চালু করতে যাচ্ছি ট্রাস্ট
আজিয়াটা পে বা ট্যাপ।
অবসরের পর দোষী
প্রমাণিত হলে পেনশন বাতিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার ওই
বিধান রহিতের প্রস্তাব করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন,
২০২১’এর খসড়া সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। তবে
তা অনুমোদন না হওয়ায় বিদ্যমান বিধানটিই বহাল থাকল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব করেছিল। সরকারি চাকরি
আইনের ৫১(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো
ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর
অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে, কারণ দর্শানোর
যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করে, সরকার বা নিয়োগকারী
কর্তৃপক্ষ, তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে
বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার
বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে
যুক্ত হন। আর মন্ত্রীরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে
বসেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের
সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল
ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল)
যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে
যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বিধানটি সংশোধন করে সরকারের
অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হলেও সেটিও
অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। আগে যেটা ছিল, সেটিই থাকবে।
তবে সরকার যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়,
তাহলে তা করতে পারবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার
কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২১-এর
খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বলেন, ‘বার কাউন্সিল আইনে বার কাউন্সিলে ৩১ মের মধ্যে
নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য তাদের কমিটি হবে এবং
সেই কমিটি তিন বছরের মেয়াদ থাকতেই শেষ বছরের ৩১ মের
মধ্যে নির্বাচন দেবে। কিন্তু মহামারিতে বা দুর্যোগ হলে
সে ক্ষেত্রে নির্বাচন না হলে কী করণীয়, তা আইনে ছিল
না। এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের জন্য সরকার
অ্যাডহক কমিটি করে দিতে পারবে এবং ১৫ সদস্যের এ কমিটি
সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবে।
সিয়েরা লিওনে
মৃত্যুদণ্ড বাতিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিয়েরা লিওনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড
বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন আইন প্রণেতারা। গত শুক্রবার
পার্লামেন্টে সর্বসম্মতভাবে এসংক্রান্ত বিলটি পাস হয়।
প্রেসিডেন্টের সই পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার প্রায় দুই
দশক পর এ শাস্তির বিধান বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আফ্রিকার ২৩তম দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করছে সিয়েরা
লিওন।
১৯৯৮ সালে সিয়েরা লিওনে সর্বশেষ ২৩ সেনাকে গুলি করে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। এরপর আরো অনেককেই
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তবে সেগুলো কার্যকর করা হয়নি।
মালালার ছবি থাকায়
পাঠ্যবই বাজেয়াপ্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেল জয়ী ও নারী
অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের ছবি ছাপানোয়
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিক্ষা বোর্ড ওই পাঠ্যবই
বাজেয়াপ্ত করেছে। বইটি ছাপিয়েছিল অক্সফোর্ড
ইউনিভার্সিটি প্রেস (ওইউপি)। গতকাল এ খবর জানিয়েছে
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
সোমবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট
বুক বোর্ড (পিসিটিবি) বইটি জব্দ করেছে। সপ্তম শ্রেণির
‘সামাজিক শিক্ষা’ বিষয়ক বইটিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,
কবি ইকবাল, শিক্ষাবিদ স্যার সৈয়দ আহসান, প্রথম
প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানসহ প্রখ্যাত ব্যক্তিদের
পাশে মালালার ছবিও ছাপা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার
পর সমালোচনা শুরু হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বইয়ের
দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই বই জব্দ করা হয়। এর পর সব কপি
বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত,
গত সোমবারই ২৪ বছরে পা দিয়েছেন মালালা।
BHRC রাজশাহী মহানগর শাখার মতবিনিময়
সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাজশাহী মহানগর শাখার
নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা ও
মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সাহেব বাজার আরডি
মার্কেটে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন কমিশনের
সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ আখতারুল আলম (বাবু)।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালন করেন কমিশনের সাধারণ সম্পাদক
এডভোকেট মোঃ আবু- মুত্তালেব বাদল।
উপস্তিতির মধ্যে হতে বি এইচ আর সির প্রধান কার্যালয় হতে
পত্রের উপর বিশেষ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন যথাক্রমে
কমিশনের সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা,সাংগঠনিক সম্পাদক
মোঃ শামসুজ্জাহা খান,দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসসার হোসেন,
মোঃ গোলাম রব খান, মোঃ আব্দুল মজিদ উপদেষ্টা অধ্যাপক
ডক্টর মোঃ আব্দুল কামাল। নির্বাহী সদস্য মোঃ শরিফুল
ইসলাম, মোঃ শামসুদ্দিন, মাহমুদ জামাল কাদেরী(নির্বাহী
সম্পাদক দৈনিক সোনালী সংবাদ), নির্বাহী সদস্য মোঃ
আফতাব মাসুদ খান, কাজী আসাদূর রহমান টিটু( সাংস্কৃতিক
সম্পাদক)। নাবাগত নির্বাহী সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান
আকাশ, মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ টি আর সিদ্দিকী। মহানগরের
নতুন থানা কমিটির গঠন, সালিশি কার্যক্রম জোড় দার এবং
১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস এর উপর বিশদ
আলোচনা হয়, সবশেষে কমিশনের বয়োজ্যেষ্ঠ ৫ জন নির্বাহী
সদস্য করোনাকালীন সময় ইন্তেকালে তাদের জন্যে দোয়া এবং
আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কাজী
আসাদুর রহমান টিটু। পরিশেষে সভাপতি সাহেব উপস্থিত সকল
কে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আরব বিশ্বের প্রথম
নারী নভোচারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রথম আরব নারী নভোচারী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম
লেখাতে যাচ্ছেন নোরা আল মাতরোশি। আরব আমিরাতের মহাকাশ
কর্মসূচির দ্বিতীয় ব্যাচের নভোচারী হিসেবে দুজনকে
নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতদের মধ্যে বিশ্বে প্রথম আরব
নারী নভোচারী হলেন নোরা আল মাতরোশি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল
মাকতুম টুইটারে এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিগগিরই অবশ্য কোনো মহাকাশ মিশন পরিচালিত করছে না
সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে মাতরোশি আশা করছেন একদিন তাঁর
মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ হবে। মাতরোশি বলেন, ‘আমার
মায়ের পরিবারের পক্ষের লোকজন নাবিক। তাঁরা সমুদ্রে
অভিযান চালিয়েছেন। অ্যাস্ট্রোনটের গ্রিক অর্থ
নক্ষত্রের নাবিক।’ মাতরোশির সঙ্গে নভোচারী প্রশিক্ষণের
জন্য নির্বাচিত হওয়া দেশটির আরেক যুবক মোহাম্মদ আল
মুল্লা (৩৩)। তাঁরা দুজন এ বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে
যাবেন এবং নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেবেন।
এখন নভোচারী হিসেবে তাঁরা দেশটির অন্য নভোচারীদের সঙ্গে
কাজ করছেন।
উচ্ছেদ
হবেন লাখ লাখ মার্কিনি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উচ্ছেদের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ লাখের বেশি বাসিন্দা।
করোনা মহামারিতে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় ভাড়াটে
উচ্ছেদ স্থগিতাদেশ স্থানীয় সময় ৩১ জুলাই ২০২১ মধ্যরাতে
শেষ হচ্ছে। ফলে ঘর ছাড়ার ঝুঁকিতে বহু মানুষ।
করোনা মহামারিতে গত বছরের মার্চ থেকে ভাড়াটিয়া
উচ্ছেদের সব প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। করোনায় দুর্দশায় পড়া
ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী
৩০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু ভাড়াটে উচ্ছেদের
ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের যে নিষেধাজ্ঞা
রয়েছে তা শনিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে
পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগস্টেই বাসা ছাড়তে হবে তাদের।
স্থগিতাদেশ আগামী মধ্য অক্টোবরের পর্যন্ত বাড়ানোর
দাবিতে ডেমোক্র্যাট দলের প্রগতিশীল সদস্য কোরি বুশ,
আয়ানা প্রেসলি এবং ইলহান ওমর শুক্র থেকে শনিবার
ক্যাপিটলের বাইরে অবস্থান করেন।
কোরি বুশ টুইটারে লিখেন, আমরা সিনেট এবং হোয়াইট হাউস
নিয়ন্ত্রণ করছি। সুতরাং মানুষকে অবশ্যই তাদের বাড়িতে
রাখা উচিত। এ বিষয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করতে মার্কিন
নিম্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষধের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসিকে
আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ
বাড়াতে সেনেটের ডেমোক্র্যাট শীর্ষ নেতা চাক শুমার
প্রতিও আহ্বান জানান।
ব্রাজিলের
রাষ্ট্রদূত হলেন সাদিয়া ফয়জুননেসা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিউইয়র্কের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকে পদোন্নতি
দিয়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) এর ১৮তম ব্যাচের
কর্মকর্তা সাদিয়া নিউইয়র্কের ১৫তম কন্সাল জেনারেল
হিসেবে ২০১৮ সালের ১ জুন যোগদানের পর থেকেই বহুজাতিক
সিটির বিভিন্ন ভাষা-ভাষী মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের
কূটনীতিকদের সাথে বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে
নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত করার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন। একইসাথে কন্স্যুলার সেবাকে সহজতর করতেও
নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি
ছিলেন সরব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বাত্মক সহযোগিতার
দিগন্ত প্রসারিত রেখেছিলেন লকডাউনের পুরো সময়।
ব্যক্তিগতভাবে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তার হওয়ায়
করোনাকালে প্রবাসীদের নানা চিকিৎসা-সহায়তাও দিয়েছেন
টেলিফোন-অনলাইনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি এবং মুজিববর্ষ
উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে রেজ্যুলেশন উত্থাপন ছাড়াও
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, নিউ অর্লিন্স, জর্জিয়া এবং নিউ
হ্যামশায়ার স্টেটের উভয় কক্ষে রেজ্যুলেশন পাশে কর্মরত
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের পাশেও ছিলেন সাদিয়া ফয়জুননেসা।
এভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরা
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইমেজ সমুন্নত রাখতেও
নিরন্তরভাবে সচেষ্ট রয়েছেন এই নারী কূটনীতিক।
বিরোধী জোট অটুট
রাখতে দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন মমতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাঁচদিনের সফর শেষে ৩০ জুলাই ২০২১ কলকাতায় ফিরছেন
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত ২৫ জুলাই
দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন তিনি।
দিল্লি থেকে ফেরার আগে বিজেপি বিরোধীদের একজোট হয়ে
লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও।
গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট আমাদের হতেই হবে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লড়াই চলবে। তাই এবার থেকে প্রতি
দুইমাস অন্তর দিল্লি আসবো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতার প্রতি দু’মাস অন্তর
দিল্লি সফরে যাওয়ার প্রধান কারণ বিরোধী জোটকে অটুট এবং
জোরদার করা।
দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, বহু বিরোধী
নেতার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়েছে এবং কথা হয়েছে। তবে
করোনার কারণে সংসদ সদস্যদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি।
তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হল না। কেন্দ্রীয় সরকারের
মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশবাসীর অবস্থা খুব খারাপ।
মমতার এবারের সফরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী,
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ বহু
নেতানেত্রীর সঙ্গে দেখা এবং বৈঠক হয়েছে। বিরোধী জোট
ছাড়া এবারের সফরে কেন্দ্রের মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে
দেখা করেছেন মমতা। তবে এই সফরে দিল্লিতে আন্দোলনরত
কৃষকদের সঙ্গে দেখা হয়নি তার।
কেনো দেখা করলেন না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মমতা বলেন,
‘এবার ওদের (কৃষক নেতাদের) সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়নি।
ওরাও কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেননি। তবে ওরা যখন
বাংলায় গিয়েছিলেন তখন কথা হয়েছে। তবে আমি কৃষকদের
আন্দোলনের পাশেই আছি। আমার তরফে সেই বার্তা পৌঁছে
দিয়েছি কৃষকদের কাছে।
পাশাপাশি এদিন করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়েও উদ্বেগ
প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে
প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। তাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে
বলেছি।
নারী ও শিশু সংবাদ
বাল্যবিয়ের হার ২৫ বছরে সর্বোচ্চ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে বাল্যবিয়ের হার উদ্বেগজনক। এক জরিপ বলছে, গত ২৫
বছরে বাল্যবিয়ের হার বাড়তে বাড়তে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,
মহামারীর সময় দেশে বাল্যবিয়ে ১৩% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাল্যবিয়ের কারণে দেশের লাখ লাখ
ছেলেমেয়ের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বিবাহিত কিশোরীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের সোনালি শৈশব থেকে।
অল্প বয়সেই এদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরা
শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের সহিংসতার
শিকার হচ্ছে। অনেক সময় বিয়ে বিচ্ছেও ঘটছে। অকালে
গর্ভধারণের ফলে নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন
হতে হচ্ছে। এমনকি অনেক কিশোরী অকালে মৃত্যুবরণও করছে।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণের পর দেড় বছরে অভিভাবকের আয়
কমে যাওয়া ও স্কুল বন্ধ থাকা এ দুটিকেই সংশ্লিষ্টরা
বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চিহ্নিত করছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, দরিদ্র পরিবারের দৈনিক উপার্জন কমে
যাওয়া, শহর থেকে অনেক পরিবারের গ্রামে স্থানান্তর,
অসচেতনতা, কন্যাসন্তানের ভরণপোষণ ও নিরাপত্তা দিতে না
পারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা, মহামারীতে
কম খরচে এবং যৌতুক না লাগায় বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন
অভিভাবকরা। এ অবস্থায় দেশব্যাপী ‘বাল্যবিয়ে রুখব/সম্ভাবনার
আগামী গড়ব’ স্লোগানে ‘ওয়ান মিলিয়ন প্লেজড-টু অ্যান্ড
চাইল্ড ম্যারেজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অঙ্গীকারনামা
স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জন হপকিনস
ইউনিভার্সিটির আওতায় মার্কিন সরকারের সহযোগিতা সংস্থা
ইউএসএইড এ উদ্যোগ নিয়েছে। বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে
উজ্জীবন, সেভ দ্য চিলড্রেন ও বিসিসিপি। এর লক্ষ্য ১
লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো; যারা বাল্যবিয়ে বন্ধের
অঙ্গীকারনামায় অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে ভার্চুয়ালি
অঙ্গীকার সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, মা-বাবারা অনেকটা
লুকিয়ে এবং রাতের আঁধারে কিশোরী মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে
দিচ্ছেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছু বাল্যবিয়ে বন্ধ করা
গেলেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই আটকানো যাচ্ছে না। আবার
শহরের তুলনায় গ্রামেই বেশি বাল্যবিয়ে ঘটছে। বিশেষ করে
দেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত জেলা এবং উত্তরাঞ্চলে
বাল্যবিয়ে বেশি ঘটছে।
আখাউড়ায় বাল্যবিয়ে
বন্ধ করলেন ইউএনও
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
হস্তক্ষেপে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নয়াদিল
গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিয়ে
বন্ধ করেন ইউএনও রুমানা আক্তার। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত বসিয়ে মেয়ের বাবাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেই সঙ্গে মেয়ের বাবার কাছ থেকে নেওয়া হয় আগামী পাঁচ
বছরের মধ্যে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা। উপজেলা ইউএনও
রুমানা আক্তার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে
উপস্থিত হয়ে ওই মেয়ের বিয়ে বন্ধ করা হয়। লকডাউনের কারণে
বিয়ের আয়োজনটি অনেকটা গোপনে করা হয়েছিল, তার পরও শেষ
রক্ষা হয়নি। তখনও বরযাত্রী না আসায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো
ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চৌহালীতে
দুই বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চৌহালীতে কঠোর লকডাউনেও একই দিনে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ
করলেন ইউএনও আনিসুর রহমান। তিনি চৌহালী উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। পৃথক
অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে এ বাল্যবিয়েগুলো বন্ধ করেন
তিনি। জানা যায়, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুকুরিয়া
গ্রামে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী (১৪) ও ঘোরজান
ইউনিয়নের চরজাজুরিয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক
মাদ্রাসাছাত্রীর (১৩) বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে
তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ও
স্কুলগামী সন্তানদের বাল্যবিয়ে দেবেন না বলে উভয়
অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এসময় চৌহালী
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহিদ আল হাসান, ঘোরজান
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান আলী ও স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
যৌতুকের জন্য
গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে সন্তান নষ্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে চারমাসের
সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামী শিবলুকে (২২) গ্রেফতার
করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ জুলাই) নওগাঁর রানীনগর থানা
পুলিশ আদালতে করা অভিযোগ এজহার হিসেবে গ্রহণ করে। পরে
আজ বিকেলে শিবলুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৩০ মে উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে। পরে ২৬ জুন গৃহবধূ সাথী আক্তার (২০) বাদী হয়ে নওগাঁ
আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে স্বামী, শ্বশুর,
শাশুড়ি ও ভাসুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী সাথী বগুড়ার আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের
শাহিন মন্ডলের মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রানীনগরের পশ্চিম বালুভরা
গ্রামের শাকবর রহমানের ছেলে শিবলুর সঙ্গে গত বছরের ২০
মার্চ সাথীর বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা
ও বেশকিছু আসবাবপত্র দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই
ব্যবসার জন্য শিবলু তার সাথীকে বাবার বাড়ি থেকে দুই
লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে না
পারায় নানাভাবে সাথীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন
চলতে থাকে। এরইমধ্যে এ ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকবার
স্থানীয়ভাবে সমাধানও করে দুই পরিবার।
এরপর গত ৩০ মে শিবলু তার বাবা, মা ও বড়ভাইসহ আত্মীয়দের
কথায় সাথীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পেটে লাথি মারলে
তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ওই দিনই খবর পেয়ে সাথীর
পরিবারের লোকজন তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা যায়, আঘাতে সাথীর পেটে
থাকা চার মাসের সন্তান মারা গেছে। বিষয়গুলো নিয়ে
স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে সাথী
নিজেই বাদী হয়ে ২৬ জুন নওগাঁ আদালতে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা শাহিন মণ্ডল বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে
আমার মেয়ের ওপর তারা বার বার নির্যাতন চালাতেন। আমার
সাধ্যমতো জামাইকে কয়েকবার সহযোগিতা করেছি। এরপরও বন্ধ
হয়নি যৌতুক দাবি। একপর্যায়ে মেয়ের লাথি মেরে পেটে থাকা
সন্তান নষ্ট করে ফেলে। জামাইসহ তার পরিবারের
অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি করছি। সেখানে আমার মেয়ে
নিরাপদ নয়।’
ভুক্তভোগী সাথী বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে নানাসময় আমাকে
নির্যাতন করা হতো। পেটের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার
আগেই বিদায় নিয়েছে। একজন মা হিসেবে আমি কতটা আঘাত
পেয়েছি- তা বুঝাতো পারবো না। তাদের কঠিন বিচার দাবি
করছি।’
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ
বলেন, এ ঘটনার মূল আসামি শিবলুকে শনিবার রাতে গ্রেফতার
করা হয়েছে।
ফুলপুরে
যৌতুকের বলি মীম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে যৌতুকের বলি হয়েছেন নুসরাত জাহান
মীম (২০) নামে এক গৃহবধূ। তিনি সিয়া (৬ মাস) নামে এক
কন্যাসন্তানের জননী। মাদকসেবী স্বামী সবুজের মারধরের
কারণে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় এক সপ্তাহ পর শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু
হয়। মীম ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ রোড সংলগ্ন পৌরসভার
গোদারিয়া গ্রামের মৃত বাবুল ড্রাইভারের মেয়ে। তার
স্বামী সবুজ আমুয়াকান্দা বাজারের গরুহাটা রোডের আদম
মেম্বারের ছেলে ও আমুয়াকান্দা বাসাবাড়ি মার্কেটের কাপড়
ব্যবসায়ী। মীমের দাদি ফিরোজা বেগম, ভাই মাহি ও
আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদকসেবী সবুজ
কৌশলে মীমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ২০১৮
সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে প্রথমে
৫০ হাজার টাকা যৌতুক নেয়। এরপর আবারও ১০ হাজার টাকা
যৌতুকের জন্য মীমকে চাপ দেয় সবুজ।
এবং এর জন্য বিভিন্ন সময় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
কিন্তু প্রেমের বিয়ে বলে মাকেও কিছু না জানিয়ে সব নীরবে
সহ্য করেন মীম। অবশেষে সপ্তাহখানেক আগে পাষ- স্বামী
সবুজ যৌতুকের জন্যে মীমকে পিঠা বানানোর বেলুন দিয়ে
বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে বাচ্চার ন্যাকড়া গলায়
পেঁচিয়ে তাকে টানাহেঁচড়া করে ও দেয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে
মাথায় আঘাত করে। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় মীমকে
উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হলে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে
জানতে চাইলে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি
শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী
নির্যাতনে তোলপাড়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে প্রকাশ্যে
ভয়াবহ বন্দী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ইউটিউব
ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ে
তোলপাড় শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা
সেবা বিভাগ এবং কারা অধিদফতরের কর্মকর্তা ও
কর্মচারীদের মধ্যে।
কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা
রাজ্যের দুর্গাপুর গ্রামের আবদু মিয়ার ছেলে শাহজাহান
বিলাস (কয়েদি নম্বর ৭১৫১/এ) ডাকাতি ও হত্যা মামলার ৫৮
বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২৬ বছর ধরে তিনি কুমিল্লা
কারাগারে বন্দী। সম্প্রতি তিনি ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,
এক পুড়িয়া গাঁজা, নগদ ৬০০ টাকাসহ কারারক্ষীদের হাতে ধরা
পড়েন। এর পর তাকে কারাভ্যন্তরে কেস টেবিলের সামনে ডেকে
জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। ভাইরাল
হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে
বন্দী বিলাসের দুই হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে মাটিতে ফেলে
বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই নির্যাতনে
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা
দেওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে ফের কারাগার সেলে
পাঠানো হয়। বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও কারা
অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে তাদের নির্দেশে
এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়। এ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার শফিকুল
ইসলাম খানকে। সদস্য দুজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কারাগারের জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও ফেনী জেলা
কারাগারের জেলার শাহাদত হোসেন মিঠু।
এদিকে তোলপাড় সৃষ্টি করা ভিডিওটি ভাইরাল করার অভিযোগে
গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী
মোহাম্মদ শরীফ ও কারারক্ষী অনন্ত চন্দ্র দাসকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়ার পর গতকাল কারারক্ষী
অনন্ত চন্দ্র দাস আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক
অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দী নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুমিল্লার জেল
সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, গত ১২ এপ্রিল বন্দী
বিলাসের ওয়ার্ডে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা, গাঁজা, সিগারেট
ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। পরে তাকে কেস টেবিলে ডেকে এনে
মাদক ধ্বংস ও জব্দ করা টাকা সরকারের কোষাগারে জমা
দেওয়ার কথা বললেই সে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। এ জন্য তাকে
লঘু শাস্তি দেওয়া হয়।
পুলিশ সদস্যের ইয়াবা সিন্ডিকেট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘ঠিক যেন বলিউডের কোনো মুভি ট্রেইলার। পুলিশের এক
সদস্য নির্দেশনা দিচ্ছেন কীভাবে কার কাছে পৌঁছে দিতে
হবে ইয়াবার চালান। আবার ইয়াবার চালান জব্দ করায়
ক্ষুব্ধ হয়ে ‘ক্যারিয়ারকে হুমকি দিচ্ছেন দেখে নেওয়ার।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে আসা কয়েকটি কল রেকর্ড এবং
ভিডিওচিত্রে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার
এক পুলিশ সদস্যের ইয়াবা ব্যবসার ভয়ংকর চিত্র। অভিযোগ
রয়েছে পুলিশ সদস্য মানিকচন্দ্র রক্ষিতের নেতৃত্বেই চলে
ইয়াবার নতুন জোন হয়ে ওঠা বাঁশখালীর মাদক বাণিজ্য।
বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির বলেন, ‘কোনো পুলিশ
সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সত্যতা পাওয়া গেলে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব বিষয়ে
অভিযুক্ত মানিক রক্ষিত বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে
আমার সম্পৃক্ততা নেই। নিজেও নেশা করি না। ভিডিও এবং
অডিও ক্লিপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর না
দিয়ে ফোন কেটে দেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মানিকচন্দ্র রক্ষিতের কয়েকটি কল
রেকর্ড এবং ভিডিও ক্লিপ হাতে এসেছে বাংলাদেশ
প্রতিদিনের হাতে। একটি কল রেকর্ডে মানিককে বলতে শোনা
যায়, নগরীর কোথায় এবং কার কার কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছে
দিতে হবে- সেই নির্দেশনা। অপর একটি কল রেকর্ডে উঠে আসে
গত ২ জুলাই সিএমপির বাকলিয়া থানায় মানিকের পাঠানো ২
হাজার পিস ইয়াবা জব্দের ইতিবৃত্ত। ওই কল রেকর্ডে মানিক
উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কে আমার জিনিস ধরিয়ে দিয়েছে। তুই
আমার জিনিস ধরিয়ে দিয়েছ। সাত দিনের মধ্যে তোকে দেখে
নেব। এ হুমকি দেওয়ার চার দিনের মাথায় ইয়াবার চালান
ধরিয়ে দেওয়ার ‘অপরাধে জাহাঙ্গীর আলম নামে পুলিশের এক
সোর্সকে বাঁখশালী থানায় একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো
হয়। এ ছাড়া মানিক রক্ষিতের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও-ও
এসেছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়
অজ্ঞাতনামা এক নারীকে নিয়ে ইয়াবা সেবনে করছেন বিতর্কিত
এই পুলিশ সদস্য।
করোনাকালে মানুষের
পাশে মানবিক পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালের শুরুর ঘটনা। ঢাকার ধামরাইয়ে করোনা উপসর্গ
নিয়ে মারা যান পাখি মন্ডল। তার মৃতদেহের কাছে কোনো
স্বজন যাননি। মৃতদেহ পড়ে ছিল। খবর পেয়ে এগিয়ে যায়
পুলিশ। ধামরাই থানা পুলিশ লাশটি কায়েতপাড়া শ্মশানে নিয়ে
সৎকার করে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মধ্যরাতে একজন করোনা
রোগীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বাড়িওয়ালা। খবর পেয়ে
পুলিশ হাজির। গভীর রাতে পুলিশ তাকে সেই বাড়িতে তুলে
দিয়ে আসে। করোনা আক্রান্ত সাভারের আশরাফুজ্জামানকে ফেলে
বাসা থেকে চলে যান তার স্ত্রী ও সন্তান। সেখানেও পুলিশ।
অসুস্থ ব্যক্তির দেখভালের দায়িত্ব নেয় তারা। ধান
উৎপাদনের প্রান্তিক কৃষক ধান কাটতে লোক পাচ্ছিল না।
তখনো এগিয়ে এলো পুলিশ। করোনাকালে পুলিশ সদস্যরা
পুরোদস্তুর কৃষক হয়ে খেতে নেমে পড়লেন। পাকা ধান কেটে
মাড়াই করে দিলেন তারা। হাসি ফোটে কৃষকের মুখে।
করোনাকালে সারা দেশে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান চিত্র
এটি। করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে সম্পূর্ণ এক ভিন্ন
রূপে হাজির হয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। করোনা
সংক্রমণের আতঙ্কে মানুষ যখন একে অন্যের বিপদেও কাছে
যাচ্ছে না, চিকিৎসকদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার মতো
অমানবিক ঘটনাও ঘটছে, সেই সময় এমন মানবিক তৎপরতা পুলিশ
বাহিনীকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। করোনা মহামারীতে
সহকর্মী-স্বজনরা মারা গেলেও পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর
অর্পিত দায়িত্ব ঠিক পালন করে যাচ্ছেন। নিজের জীবন
বিলিয়ে দিয়ে রক্ষা করে যাচ্ছেন দেশের মানুষকে। নানা
সময় সমালোচনার মুখে পড়া এই বাহিনী এখন ভাসছে প্রশংসায়।
পরিণত হয়েছে মানুষের সত্যিকার বন্ধুতে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে ১৬ মাস ধরে বিরামহীন
দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। লকডাউনে
সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে নানা উপায়ে কাজ করছেন। আর এ
কাজে নেমে তারা রীতিমতো অসহায় মানুষের ত্রাতারূপে
আবির্ভূত হয়েছেন। যে কোনো সমস্যায় এখন সবার আগে কাছে
পাওয়া যাচ্ছে পুলিশকেই। কে খাদ্য সংকটে রয়েছেন খোঁজে
খাবার নিয়ে হাজির হওয়া, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, টাকা দিয়েও
অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ঘরে ধুঁকতে থাকা অসুস্থদের
হাসপাতালে পৌঁছানো, করোনা সন্দেহে যখন প্রতিবেশীরাও
কাছে ভিড়ছে না-সেই মৃতদের পরম মমতায় দাফন, রাস্তায়
রাস্তায় ভাসমান মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে
দেওয়া-কী না করছেন পুলিশ সদস্যরা! শহর-বন্দর-গ্রামে
অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন পুলিশ
কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে ভয়ংকর এই সময়ে মানবিক পুলিশকে
কাছে পাচ্ছে দেশের মানুষ।
পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
বাড়াবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে ‘বডি
র্ওর্ন ক্যামেরা চালু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
প্রাথমিকভাবে সিএমপির চার থানার পুলিশ কর্মকর্তারের
শরীরে এ ক্যামেরা চালু করলেও পর্যায়ক্রমে সিএমপির সব
থানায় এ কার্যক্রম চালু হবে। গতকাল এ কার্যক্রম
উদ্বোধন করা হয়। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর
বলেন, ‘পুলিশের কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে বডি
ওর্ন ক্যামেরা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চার থানার
এ কার্যক্রম চালু করা হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে
বাকিগুলোতে তা চালু করা হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে
মাঠপর্যায়ে কাজ করা পুলিশ সদস্যদের ওপর মনিটরিং জোরদার
করা যাবে।
জানা যায়, পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিএমপির চার বিভাগের
চার থানায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে
ডবলমুরিং, কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ এবং পতেঙ্গায় ৭ টি করে
ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। এ ক্যামেরার মাধ্যমে অডিও,
ভিডিও এবং ছবি ক্যাপচার করা যাবে। জিপিএস প্রযুক্তির
মাধ্যমে যেকোনো স্থানে বসেই সবকিছু তদারকি ও মনিটরিং
করতে পারবেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ডবলমুরিং থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বডি
ওর্ন ক্যামেরা ভ্রাম্যমাণ সিসি ক্যামেরার মতো কাজ করবে।
পুলিশের চোখ এড়িয়ে গেলেও এ ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে
রাখবে। যা পরবর্তীতে পুলিশের কাজে লাগবে।
কিশোরগঞ্জ কারাগারে আসামিকে পিটিয়ে
হত্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এ আসামিদের মধ্যে মারামারির
ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই (২৭) নামে এক হাজতি
আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (গতরাত) গভীর রাতে।
নিহত আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শিমুলিয়া
গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। মাদক মামলায় তিনি হাজতি
আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। কারাগারসহ বিভিন্ন সূত্রে
জানা গেছে, গতরাতে কারাগারের অভ্যন্তরে আব্দুল হাইয়ের
সাথে ঝগড়া হয় অপর হাজতি আসামি সাইদুর মিয়ার। ঝগড়ার এক
পর্যায়ে সাইদুর মিয়া বাথরুম থেকে কাঠ এনে আব্দুল হাইকে
বেদম পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অপর
এক হাজতি আসামি জাহাঙ্গীর আহত হন। তিনি নিকলী উপজেলার
নয়াহাটি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। সাইদুর মিয়ার বাড়ি
তাড়াইল উপজেলার কালনা মাইজপাড়া গ্রামে।
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের
দুই এএসআই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই
এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা
পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন
হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ
এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ।
সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই
পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের
পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি
চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি
দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা
হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায়
জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া
চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন
বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের
সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে
আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ
সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
খাওয়ার সঠিক সময়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে মানবদেহ সবল ও রোগমুক্ত রাখতে
হলে তার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস একটি নিয়মে পরিচালনা করতে
হবে। সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ক্ষেত্রে সময়
নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত সহ
রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতি ২ থেকে
আড়াই ঘন্টা পর পর স্বল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। নিুে
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দেয়া ৩ বেলার বিজ্ঞানসম্মত খাবার
সূচী দেয়া হলঃ
সকালের নাস্তা
আদর্শ সময়ঃ সকাল ৭টা থেকে ৮টা। সকাল ১০টার পরে নাস্তা
খাওয়া উচিত নয়। মনে রাখবেন সকালের নাস্তা ঘুম থেকে
উঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে করা উচিত।
দুপুরের খাবার
আদর্শ সময়ঃ দুপুর ১২:৩০টা থেকে ২টা। ৪টার পর দুপুরের
খাবার না খাওয়া ভাল। মনে রাখবেন সকারে নাস্তা ও
দুপ৩ুরের খাবারে ৪ ঘন্টার ব্যবধান থাকা উচিত।
রাতের খাবার
আদর্শ সময়ঃ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা। রাত ১০টার পর
রাতের খাবার না খাওয়া ভাল। মনে রাখবেন রাতের খাবার
ঘুমোনোর ২ থেকে আড়াই ঘন্টা আগে খাওয়া উচিত।
গর্ভধারণ ও
স্তন্যদানকালে কোভিড টিকার ব্যবহার
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গর্ভবতী অনেক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে
প্রতিদিন। চেম্বার-হাসপাতাল সর্বত্র এ ধরনের রোগীর
সংখ্যা বেড়ে গেছে।
প্রসূতি ওয়ার্ডে জ্বরের রোগীকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন
টেস্ট করালেই দুটো লাল দাগ কটকটিয়ে তাকিয়ে থাকে।
এছাড়া নন-কোভিড প্রসূতি ও প্রসব পরবর্তী নারীদের
বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে দীর্ঘদিন থাকতে হলে তিনিও
করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন হাসপাতাল থেকেই। গর্ভধারণের ফলে
যেহেতু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই তাদের
নিয়ে ভয় বেশি।
এর মাঝে নানা গবেষণায় জানা গেছে, বিশ্বে অনুমোদন পাওয়া
সব কোভিড টিকা গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য
নিরাপদ। তবে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস কেউ যদি টিকা
নিতে না চায়, সেটা তার একান্ত নিজস্ব অভিমত। না দেওয়ার
স্বপক্ষে বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি নেই।
আমেরিকায় ১ লাখ ৩০ হাজার গর্ভবতী নারী ও ইংল্যান্ডে ৪
হাজার নারী ইতিমধ্যে টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের মাঝে
সমীক্ষা চালিয়ে মা ও শিশুর কোনও সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি।
গর্ভধারণের যে কোনও সময় কোভিড টিকা নেওয়া যাবে। তবে,
কয়েকদিনের মধ্যে ডেলিভারি ডেট বা সিজারের ডেট থাকলে এর
পরই টিকা নেওয়া উচিত।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মা টিকা নিয়েছেন তাদের
বাচ্চার শরীরে জন্মের পর কোভিড এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করবার তরবারি ‘অ্যান্টিবডি’ সৃষ্টি হয়েছে।
স্তনদুগ্ধ দানকারী মা ডেলিভারির পর যে কোনও সময় এবং
শিশুর বয়স যা-ই হোক না কেন টিকা নিতে পারবেন। টিকা
নেওয়ার কারণে এক মুহুর্তের জন্যও দুধ পান করানো বন্ধ
করার দরকার নেই।
গর্ভাবস্থা যেহেতু হাইরিস্ক একটা অবস্থা তাই তাদেরকে
সবার আগে টিকা দেওয়া উচিত। কেননা, করোনা পরিস্থিতি দিন
দিন বাড়ছে। কখন এর ঊর্ধ্বগতি থামবে তা বলা যায় না। রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম তাদের সবাইকে অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। নারীরা মাসিকের যে কোনও সময়ও
টিকা নিতে পারবেন।
ইতিমধ্যে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, ভারত সহ বিশ্বের
অনেক দেশ গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী মাকে টিকা দেওয়ার
অনুমোদন দিয়েছে। যেহেতু গর্ভবতীকে টিকা দিয়ে দুটো জীবন
বাঁচানো সম্ভব, তাই সব গর্ভবতীদের টিকা দিতে উদ্বুদ্ধ
করতে হবে।
আসুন, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী (প্রেগন্যান্ট অ্যান্ড
লেকটেটিং) নারীকে সবার আগে টিকা দিতে আগ্রহী করে দুটো
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। তবে মনে রাখতে হবে,
মাস্ক-সামাজিক দূরত্ব-টিকা; এ তিনটিই করোনা মোকাবেলার
হাতিয়ার। এর আওতায় সবাই এলেই করোনা জয় সম্ভব।
অবসট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)
বিশ্বের সব গাইনি সংস্থার সাথে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
লেখক: ডা. ফাহমিদা রশীদ স্বাতি, সহকারী অধ্যাপক, গাইনি
বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।
প্রতিদিন এলাচ খেলে
কমতে পারে যেসব অসুখ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিভিন্ন খাবারে এলাচ মশলা হিসেবে ব্যবহার হলেও এলাচের
রয়েছে বহু অসুখ নিরাময়ের গুণ। আমাদের আজকের এই
প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন এলাচের সেই গুণাগুণ সম্পর্কে-
১। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় এই এলাচ। চায়ের সঙ্গে
মধু মেশানো এলাচ খেলে কমতে পারে সর্দি-কাশির উপদ্রব।
২। নিয়মিত এলাচ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।
৩। এলাচ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪। এলাচের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকে
ছাপ, বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়।
৫। মুখের দুর্গন্ধ হাত থেকে বাঁচতে মুখে রাখুন দু-তিনটে
এলাচ।
৬। নিয়মিত এলাচ খেলে কমতে পারে ক্যানসারের সম্ভবনা।
৭। মুখের ঘা, মাড়ির ক্ষত ইত্যাদিতে এলাচ অব্যর্থ
ওষুধের কাজ করে।
ঘুমানোর আগে দুধ-রসুন খেলে
ম্যাজিকের মতো কাজ করে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দুধ ও রসুন দুটিই খুব উপকারী দুটি খাবার। এদের রয়েছে
স্বাস্থ্যগত গুণ। দুধের মধ্যে রসুন মিশিয়ে খেলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়। এই পানীয় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ
দূর করে। এছাড়া শ্বাসতন্ত্রকে ভালো রাখে। রাতে ঘুমানোর
আগে দুধের মধ্যে রসুন দিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
১. রসুনের দুধ যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগগুলিতে
সমৃদ্ধ। রসুনের দুধ ভাইরাসজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে
খুব উপকারী এবং এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সুস্থ
রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে রসুনের দুধ পান করে কোলেস্টেরল
হ্রাস পায়। এমনকি স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য উপকারী।
২. অ্যাজমা, কফ, নিউমোনিয়া সমস্যা-যাদের অ্যাজমা, কফ,
নিউমোনিয়ার সমস্যা রয়েছে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে
দুধে রসুন মিশিয়ে খেলে সমস্যা দুর হয়।
৩. কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে- দুধের সঙ্গে রসুন
মিশিয়ে খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ভালো
কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করে।
৪. জন্ডিসের প্রতিকার-রসুন-দুধ জন্ডিসের ক্ষেত্রে ভালো
কাজ করে।
৫. বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে-গাঁটে গাঁটে ব্যথা
অনেক কমিয়ে দেয় এই রসুন দুধ। এমনিতেই গরম দুধ ব্যথা
কমায়, সেই সঙ্গে রসুন প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। সব মিলিয়ে
খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৬. অনিদ্রার সমস্যা-হাজার চেষ্টা করলেও রাতে ঠিক করে
ঘুম হয় না। এক গ্লাস রসুন-দুধ খেয়ে নিন। সমস্যা দুর হয়ে
যাবে।
মাছের তেল ভালো নাকি খারাপ?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বেশি তেল খেলে স্বাস্থ্যহানি হয় এই ভয়ে অনেকে মাছের
তেলও খেতে চায় না। কিন্তু সত্যিই কি মাছের তেল শরীরের
জন্য ক্ষতিকর এই নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ আছে। অনেকেই
মনে করেন মাছের সাদা অংশ পুষ্টি জোগায় এজন্য মাছের তেল
খাওয়া উচিত না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের মত তেল
সমান পুষ্টিকর।
মাছের তেলের পুষ্টিগুণ:
মাছের তেলে রয়েছে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,
ভিটামিন এ,ডি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে অতি
প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়। মাছের ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে
অন্যান্য ফ্যাট।
হার্টের সুস্থতায়:
মাছের তেল হার্টের জন্য অনেক ভালো। যারা নিয়মিত মাছ
খান তারা খুব কমই হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। মাছের
যে তেল রয়েছে তা হলো ভালো কোলেস্টেরল। তবে অবশ্যই তার
নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে।
হার্ট অ্যাটাক রোধ করে:
মাছের তেল ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে পারে
ট্রাইগ্রিসারাইডস-এর মাত্রা। রক্তচাপের সমস্যা কমাতে
পারে। ধমনিতে ক্রমশ চর্বি জমলে রক্তবাহী নালি অনমনীয়
হয়ে পরে। এরপর রক্তের অণুচক্রিকা ভেঙে গিয়ে রক্ত জমাট
বাঁধতে পারে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। নিয়মিত
মাছের তেল খেলে ধমনিতে জমতে থাকা চর্বির সমস্যা কমতে
থাকে।
মস্তিষ্কের কাজকর্ম ঠিক রাখতে:
মস্তিষ্কের কাজকর্ম সঠিকভাবে চালাতে সাহায্য করে মাছের
তেল। যার নেপথ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড।
চোখ ভালো রাখে:
মস্তিষ্ক ভালো থাকে মাছের তেলে আর সেই সূত্র ধরে চোখের
স্বাস্থ্যও ভালো হয়। দৃষ্টিশক্তিও ভালো থাকে মাছের তেল
খেলে।
শিশুদের বিকাশে:
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে
যে, শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ, স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি
বাড়াতে ডিএইচএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ছয় থেকে
দশ বছর বয়সি শিশুরা পর্যাপ্ত ওমেগা-৩ এবং ডিএইচএ গ্রহণ
করলে পরবর্তী জীবনে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ, স্মৃতিশক্তি,
দৃষ্টিশক্তি ও মেধার পরিচয় দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে:
ছোট-বড় মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান, যা ক্যান্সার, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ,
আর্থ্রাইটিস রোধে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখে:
মাছের তেল ত্বক কোমল, মোলায়েম ও সুন্দর রাখে। এছাড়া
মাছকে ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলা হয়।
দাঁত ভালো রাখে:
এ ছাড়া মাছে আমিষ ও ওমেগা-৩ চর্বির পাশাপাশি রয়েছে
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও
ফসফরাস, যা দাঁত, পেশি ও হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
সয়াবিন তেলের যত
উপকারিতা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সয়াবিন তেল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে জানিয়েছেন জেড এইচ
শিকদার মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের পুষ্টিবিদ
আশফি মোহাম্মদ। লিখেছেন আতিফ আতাউর
বেশির ভাগ মানুষের রান্নাবান্নায় বড় ভরসা সয়াবিন তেল।
সঠিক পুষ্টিমানের কারণে দিন দিন সয়াবিন তেলে রান্না করা
খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন গ্রাহকরা। উদ্ভিজ্জ
প্রোটিনের সেরা উপাদানগুলোর মধ্যেও অন্যতম সয়াবিন। এটা
সম্ভব হয়েছে সয়াবিনে বিদ্যমান নানা ভিটামিন ও
পুষ্টিগুণের কারণে। সয়াবিন শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল
কমাতে সাহায্য করে। সয়াবিনে পাওয়া যায় মানবশরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। থায়ামিন,
নিয়াসিন, ফলিক এসিড ও রিবোফ্লাবিনের অন্যতম উৎস সয়াবিন।
যারা হার্ট ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী
এসব ভিটামিন। ডিম, মাংস ও ডেইরি পণ্যের মতোই প্রাণিজ
প্রোটিনের সমতুল্য প্রোটিন পাওয়া যায় সয়াবিনে। সয়াবিনে
ফ্যাটের পরিমাণও কম। এতে থাকা ভিটামিন-ই ও লেসিথিন
জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে,
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁত ও হাড় মজবুতের
জন্য উপকারী এসব ভিটামিন। এতে থাকা আয়রন মানবশরীরে
রক্তের সুস্থতা ধরে রাখে।
নিয়মিত সয়াবিন খেলে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারেরও ঝুঁকি
কমে। এ জন্য বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বেশি বেশি সয়াবিন
খাওয়া ভালো। সয়াবিনে বিদ্যমান আইসোফ্ল্যাবনস মেনোপজের
লক্ষণ, প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তা ছাড়া
সয়াবিন তেলে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না।
কিশোর বয়সে ছেলে-মেয়েদের মুখমণ্ডল, গলায় ফুসকুড়ি ও কালো
আঁচিল দেখা যায়। অনেকের মুখে মেছেতা পড়ে। এসব দূর করতে
সাহায্য করে সয়াবিন।
সয়াবিনের প্রোটিন মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সকে
সতেজ রাখে। এতে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফলে
সহজে কাজে ক্লান্তি আসে না। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন
মস্তিষ্ক গঠনের উপাদান। এ জন্য সয়াবিন খেলে মস্তিষ্কের
কার্যকারিতা বাড়ে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন তেলে ৯
ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়
সয়াবিন রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়।
প্রতিদিন দাড়ি
কামানো কি
বড় রোগ ডেকে আনে?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক পুরুষই প্রতিদিন দাড়ি কামান। কর্মক্ষেত্রের
কারণেই হোক, কিংবা ব্যক্তিগত পছন্দেই হোক, রোজ দাড়ি
কামানোর অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু কতটা ভালো এই অভ্যাস?
সম্প্রতি ‘হেল্থলাইন’ জার্নালে প্রকাশিত হয় এ বিষয়ে
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতামত। তাদের বেশির ভাগেরই মত,
প্রতিদিন দাড়ি ছাড়া পরিষ্কার চেহারা দেখতে যতই ভালো
লাগুক না কেন, আসলে এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই
ভালো নয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছন, দাড়ি কামালে, লোমকূপের
গোড়াগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে সেখানে বিভিন্ন জীবাণু
বাসা বাঁধে, সংক্রমণ ঘটায়। দাড়ি না কামালে ক্রমশ
উন্মুক্ত গোড়াগুলো বন্ধ হয়ে আসে এবং জীবাণুগুলোও মরে
যায়। কিন্তু প্রতিদিন দাড়ি কামালে গোড়াগুলো বন্ধ হতে
পারে না। সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
চিকিৎসকদের দাবি, ত্বকের সাধারণ সংক্রমণ এর ফলে হতেই
পারে। ত্বক লাল হয়ে যায়। চুলকানি বাড়তে থাকে। কিন্তু
দীর্ঘ দিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে তা বড় রোগের কারণ
হয়ে দাঁড়াতে পারে।
টাক কেন শুধু
পুরুষের মাথায়ই হয়!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা
পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে
চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক
পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়,
ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে।
অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে
অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা
রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই
মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা
দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে
স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা,
মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি
প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও
কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও
ব্যায়াম করতে হবে।
Top
আইন কনিকা
যৌতুকের মামলায় কী
করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তালাকের নোটিস প্রাপ্তির পর
আপনি এবং আপনার পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য তালাকের
বিষয় গোপন করে থানা কিংবা কোর্টে মিথ্যা মামলা হয়েছে।
ভাবছেন কী করবেন, কোথায় যাবেন, কীভাবে মিথ্যা মামলা
থেকে পরিত্রাণ পাবেন। তালাক আপনার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ
করবে। আপনি শুরুতেই মামলার কপিটি সংগ্রহের চেষ্টা করুন।
যদি এমন হয় আপনি জানতে পারলেন না আর হঠাৎ পুলিশ এসে
আপনাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেল তাহলে গ্রেফতারের
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে আদালতে পাঠাবে। তখন আপনার
আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করুন। যদি দলিলপত্র ও
সাক্ষ্য-প্রমাণ ঠিক থাকে তাহলে মিথ্যা মামলা থেকে
রেহাই মিলবে। আর মামলাটি যদি থানায় হয় তাহলে তদন্ত
কর্মকর্তার কাছে তালাকের কপিসহ মিথ্যা মামলার
ডকুমেন্টগুলো প্রদান করুন। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির
সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত
প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা
যদি এ কাজটি না করে চার্জশিট দাখিল করেন তাহলে আপনি
বিচারিক আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে
পারেন। অব্যাহতির আবেদন কোনো কারণে নাকচ হলে উচ্চ
আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। মনে রাখতে হবে, যদি
থানায় মামলা না হয়ে আদালতে সিআর বা পিটিশন মামলা হয়
তাহলে আদালত সমন দিতে পারে কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানাও
জারি করতে পারে। এ ক্ষেত্রেও আদালতে একজন আইনজীবীর
মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে পারেন।
ক্ষেত্রবিশেষ হাই কোর্ট বিভাগ থেকে আগাম জামিন নিতে
পারেন। আপনার স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর পরিবারের কেউ যদি
আপনার ক্ষতিসাধনের ইচ্ছায় মিথ্যা যৌতুক মামলা করেন
কিংবা মামলা করাতে সহায়তা করলে যিনি মিথ্যা মামলা
করেছেন বা করতে সহযোগিতা করেছেন তারা প্রত্যেককে পাঁচ
বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়
দন্ডে দন্ডিত হবেন। তবে এ মামলাটি করতে হবে যখন আপনি
মিথ্যা মামলার দায় থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। তারপর
আদালতে আবেদনের মাধ্যমে মামলাটি করতে হবে। যৌতুক নিরোধ
আইনের ৬ ধারায় এ কথাগুলো স্পষ্ট করে বলা আছে। মনে
রাখবেন যৌতুকের অভিযোগে যে কেবল স্ত্রীই মামলা করতে
পারবেন তা নয়, স্ত্রী যদি আপনার কাছে যৌতুক দাবি করেন
আপনিও স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করতে
পারেন।
এবার জেনে নিই তালাকের পর আপনার স্ত্রী যৌতুক মামলা
করলে সে মামলার ফলাফল কী হবে। যৌতুকের অপরাধ প্রমাণ
করতে হলে ঘটনার তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে যৌতুকের
মামলা করতে হয়। ওই সময় অতিক্রান্তের পর মামলা রুজু করলে
তা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১(এ)
ধারামতে বাতিলযোগ্য হবে। (১৬ বিএলডি, এডি, ১১৮)। সে
কারণে তালাক প্রাপ্তির পর মামলা হলে বাদীপক্ষ থেকে
মামলা প্রমাণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। মনে রাখবেন
দন্ডবিধির ২১১ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলা করা একটি
শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে মিথ্যা
অভিযোগকারী বা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে আপনি পাল্টা
মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া দন্ডবিধির ১৯১ ও ১৯৩ ধারায়
মিথ্যা সাক্ষ্যদানের শাস্তির জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর
কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের কথা উল্লেখ আছে। নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১৭ ধারায়ও মিথ্যা মামলা
দায়েরের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। এখানে বলা হয়েছে, যদি
কোনো ব্যক্তি কারও ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এ আইনের অন্য
কোনো ধারায় মামলা করার জন্য আইনানুগ কারণ না জেনেও
মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন অথবা অভিযোগ করান তবে সেই
অভিযোগকারী অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন
এবং অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন। কাজেই তালাকের
পর আপনি যদি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েই যান তাহলে আইন ও
আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলাটি লড়ে যান। বিজয়
আপনার অবশ্যম্ভাবী।
লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
জুয়া খেলা: আইন কী
বলে?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
প্রকাশ্য জুয়া আইন। ১৮৬৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনামলে
বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনাধীন এলাকায়
প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি এবং সাধারণ
ক্রীড়াভবনের ব্যবস্থা করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়।
এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে
গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর
ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ আইন থাকা স্বত্বেও গত এক
সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান
চালিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো সিলগালা ও বেশ কয়েকজনকে
আটক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধেই ‘জুয়া
খেলার’ অপরাধে মামলা হয়নি। সব মামলা হয়েছে মাদক, মানি
লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা
বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে
‘ক্যাসিনো’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো
কার্যকারিতাও নেই। তবে, ৭২’-এর সংবিধানে জুয়া
নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন
কার্যকরী ও কঠোর আইন। এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায়
বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া
খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর
আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি
হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান। ক্লাবগুলোতে
ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়ার যুক্তিকতা প্রসঙ্গে এই
আইনজীবী বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারী ক্যাসিনোর লাইসেন্স
দেয়া কোনো মতেই সঠিক হবে না। লাইসেন্স দেয়া হলে এটি হবে
সংবিধান বিরোধী। জুয়া বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল
বিভাগের রুলটি নিষ্পতি করতে এটর্নী জেনারেল অফিসের
উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।
Top
|
|