           
 
|
Cover
October 2020
English Part October 2020
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা
করার জন্য পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে জোরালো
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ
অধিবেশন (ইউএনজিএ)র সাইডলাইনে জলবায়ু সংক্রান্ত উচ্চ
পর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় বৃহস্পতিবার
এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে এবং নিজেদেরকে
রক্ষা করার জন্য আমি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই জোরালো
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উৎসাহিত করার পরামর্শ দেব।
দ্বিতীয় প্রস্তবনায় তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা
বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে
এবং সব প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। তৃতীয়ত,
তিনি বলেন, দুর্বল দেশগুলোকে প্রতিশ্র“ত তহবিল সরবরাহ
করতে হবে। চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, দূষণকারী
দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশমন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের
এনডিসি (জাতীয় নির্ধারিত অবদান) বাড়াতে হবে। পঞ্চম
প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, জলবায়ু শরণার্থীদের পুনর্বাসন
একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ জানানোয় জাতিসংঘ
মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন
যে, অভিযোজন এবং সহিষ্ণুতার বিষয়ে বিনিময় করার মতো কিছু
ধারণা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু
পরিবর্তন ও জল ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা
বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তুত করেছি। শেখ
হাসিনা বলেন, সরকার দেশে ৪ হাজার ২৯১ টি ঘূর্ণিঝড
আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে
এবং যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আগে প্রস্তুতি সহজ করতে ৫৬
হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন,
এজন্য আমরা রীপ (ঝুঁকি-অবহিত আর্লি অ্যাকশন
পার্টনারশিপ) উদ্যোগে অংশ নিয়েছি, যার লক্ষ্য ২০২৫
সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়ন মানুষকে বিপর্যয় থেকে
নিরাপদ করা। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ
সিভিএফ (জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম)-এর বর্তমান চেয়ার
এবং সম্প্রতি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশনের
আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিতি হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গোলটেবিলটি
আহ্বান করেন এবং যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ফেমি ওকে এটি
পরিচালনা করেন।
মৌমাছির বিষে সারবে ক্যানসার!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে মৌমাছির
বিষ স্তন ক্যানসারের আগ্রাসী কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। এই
বিষে থাকা মেলিটিন নামের উপাদান ব্যবহার করে ট্রিপল
নেগেটিভ ও এইচইআর২ নামে দুই ধরনের স্তন ক্যানসারের কোষ
ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছেন তারা। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে
এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারকে
‘রোমাঞ্চকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং আরও গবেষণার
প্রয়োজন মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যানসার চিকিৎসায় মৌমাছির বিষ নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে
যে, এই বিষে হাজার হাজার রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণ
রয়েছে, যা ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। এগুলোর
মধ্যে মানুষের চিকিৎসার জন্য অল্প কিছুই উৎপাদন করা
যেতে পারে। এর আগেও মৌমাছির বিষ নিয়ে গবেষণায় দাবি করা
হয়েছিল, এতে ত্বক ক্যানসার তথা মেলানোমা নিরোধক বিরোধী
উপাদান রয়েছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি
পারকিন্স ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চে এবারের
গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষ স্তন ক্যানসার
চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। এই নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি
পর্যালোচনা বিষয়ক জার্নাল নেচার প্রিসিসন অনকোলোজিতে
প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ
ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প
সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
স্তন ক্যানসার কি?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন বাংলাদেশে ক্যানসার
আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। সেই সঙ্গে
বাড়ছে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হারও। চিকিৎসকেরা
বলছেন, স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েগেলে, ওই
অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার
বা পিণ্ডে পরিণত হয়।
সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার
প্রবণতাই ক্যানসার।
জাতিসংঘের
ডব্লিউএসএর প্রতিনিধি দলের সাথে BHRC’র আনুষ্ঠানিক
বৈঠক অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসএ)
এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিনিধি
প্রফেসর ড. জাহিদ হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি
প্রতিনিধি দল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকালে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং
দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বৈঠকে মিলিত হন।
জাতিসংঘের ডব্লিউএসএ-এর পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড স্পোর্ট এলাইন্স এর চীফ কো-অর্ডিনেটর
মেজর (অবঃ) ড. রশিদ সিদ্দিক, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ শরীফ
লুৎফুর রহমান এবং জাতিসংঘের সহযোগী কর্মকর্তা প্রফেসর
ড. নাঈমা খানম বৈঠকে যোগ দেন। অপরদিকে ইঐজঈ’র পক্ষে
বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ইঐজঈ’র সেক্রেটারী জেনারেল ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার। তাকে সহযোগিতা করেন ইঐজঈ’র
পরিচালক এডভোকেট ফারাহ দিবা এবং সহকারী পরিচালক মোঃ
রুহুল আমিন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল ইঐজঈ’র কর্মকান্ড
বিষয়ে বিশদ অবগত হন। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ইঐজঈ’র সদর
দপ্তরে পৌছালে ইঐজঈ’র সেক্রেটারী জেনারেল তাদের ফুল
দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।।
বাংলাদেশের আনোয়ার
সুইজারল্যান্ড সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন সুইজারল্যান্ডের আসন্ন
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জিতলে তিনিই এ
সংসদের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সদস্য হবেন। ২৫ অক্টোবর
ভোট নেওয়া হবে। সিভিপি পার্টি মনোনীত প্রার্থী
আনোয়ারের আসন এলাকা ব্যাসেল সিটি।
আনোয়ার হোসেন সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। এমবিএ
ডিগ্রিধারী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি সেখানে বিয়ে
করেছেন। তার শ্বশুর-শাশুড়ি সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক
কর্মকান্ডে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক পরিবারের জামাই আনোয়ার
হোসেন দুই কন্যাসন্তানের জনক। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি
কুমিল্লার লাকসাম পৌরশহরের ফতেহপুর। তিনি গুম হওয়া
লাকসাম পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজের ছোট
ভাই। চার ভাইয়ের মধ্যে বড় গোলাম ফারুক লাকসাম বিএনপির
অন্যতম নেতা, ছোট ভাই ইকবাল হোসেন আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত
ব্যবসায়ী।
পৃথিবীর অন্যতম শান্তিপ্রিয় ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র
সুইজারল্যান্ডকে বলা হয় ইউরোপের হৃৎপিন্ড। এ দেশে চার
বছর পরপর সংসদ নির্বাচনে ১১০ জন সদস্যের
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠিত হয়। চারটি রাজনৈতিক দল
ঐকমত্যের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সরকার চালনা করে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সেরা চকলেট, সেরা ঘড়ি ও সুইস
ব্যাংকের জন্য বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডের রাজধানী
বার্ন। আয়তনের বিচারে বিশ্বের ১৩২তম দেশ। শাসনব্যবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রীয় আধাগণতান্ত্রিক। দেশের শাসক সাত
সদস্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিষদ। সুইস সরকারের অন্যতম
বৈশিষ্ট্য প্রতি বছর ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন।
চার দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত মন্ত্রিপরিষদের একজন
সদস্য এক বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন।
BHRC
বাসাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের ভেজাল
বিরোধী অভিযানি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় বাসাইল
বাজারস্থ দুধের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
পরিচালনা করা হয়। এসময় দুধে পানি মেশানোর অপরাধে ৬ জন
বিক্রেতাকে বাংলাদেশ ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১
ধারায় মামলা দায়ের করে তাৎক্ষণিক ভাবে চার হাজার
পাঁচশত টাকা জরিমানা করানো হয়।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেট শামছুন নাহার স্বপ্না ভ্রাম্যমান
আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময়ে বাসাইল উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ
নাজিম উদ্দিন বাজারে বিক্রির জন্য আগত দুধ পরিক্ষা
করেন এবং পানি মিশ্রিত প্রায় ৪০ লিটার দুধ জব্দ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বাসাইল
উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম দিপুসহ
কমিশনের অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বাসাইল শাখার
পক্ষ হতে সভাপতি মোঃ আশিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ
সম্পাদক সাইদুল ইসলাম দিপু স্বাক্ষরিত ১৫ সেপ্টেম্বর
বাসাইল বাজারে দুধে পানি মেশানো বন্ধ করার দাবিতে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি চিঠি প্রদান করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর এই অভিযান পরিচালনা
করা হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন
নাহার স্বপ্না বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,
বাসাইল শাখার পক্ষ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর বাসাইল বাজারে
দুধে পানি মেশানো বন্ধ করার দাবিতে আমরা একটি চিঠি পাই
এবং বাজার মনিটরি কার্যক্রমের অংশ হিসাবেও আজ এই
অভিযান পরিচালনা করি। যা ভবিষ্যতেও অবহ্যত থাকবে।
পরে পানি মেশানো ৪০ লিটার দুধ কর্তপক্ষের আলোচনা
সাপেক্ষে স্থানীয় দুটি এতিমখানা পৌছে দেওয়া হয়।
মরদেহের সাথে হয় খাওয়া দাওয়া, চলে আলাপতারিতা ও ধুমপান!
মৃত প্রিয় স্বজনদের দেহ কবর থেকে তুলে কথা বলেন
ইন্দোনেশিয়ার তোরজা সম্প্রদায়ের লোকেরা। এমনকি দেহ
পরিষ্কার করে নতুন পোশাক পরিধান করে আলাপতারিতার সময়
চলে ধুমপানও।
এ সময় লাশের মুখে সিগারেট জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চলে একসাথে
খাওয়া দাওয়া। একজন জীবিত মানুষের মত লাশের সাথে আচরণ
করা হয়। আর এটাই এই সম্প্রদায়ের রীতিনীতি।এই উৎসব শেষ
হওয়ার পর আবার পোশাক খুলে বিভিন্ন উপহার সমেত লাশ কফিনে
রেখে দেয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়ার ইন্দোনেশিয়ার এই তোরজা সম্প্রদায়
প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। প্রতি
বছরের আগস্টে এই উৎসব পালন করেন এই সম্প্রদায়ের লোকেরা।
তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব এটি। তারা মনে করেন এই উদযাপন
মৃত্যু ও জীবনের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে। মৃতরা তাদের
মধ্যেই বাস করে। তাদেরকে দেখে। এমনকি তাদের শুভ কামনা
করে।
এই সম্প্রদায়ের লোকেরা মনে করেন, তারা মারা যাননি বরং
তারা অসুস্থ। তাদের মৃত্যুকে সম্মান জানিয়ে এটা করা হয়।এই
উৎসব দেখতে পর্যটকদের যেতে কোন বাধা নেই। বরং এই
সম্প্রদায় উৎসবের অংশ হতে উৎসাহ দিয়ে থাকে। মৃতের পর
পরিবারের সদস্যদের দেহ মমি করার জন্য মাস, কখনও বছর
পর্যন্ত নিজেদের ঘরের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়। আবার কখনও
মৃতদের জন্য তৈরি করা নির্দিষ্ট ঘরে লাশ রাখা হয়। এরপর
মমি তৈরি হলে কবর দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা ও শোকসভার আয়োজন
করা হয়।
মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে অপূরণীয়
শূন্যতা: প্রধান বিচারপতি
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতা:
প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল
মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ রাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের
পাঠানো এক শোকবার্তায় বলা হয়, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের
সাথে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সুদীর্ঘ ২৮
বছরের সুসম্পর্ক ছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার
সাথে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে
তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি অত্যন্ত গুণী,
নির্লোভ এবং নির্মোহ একজন ব্যক্তি ছিলেন।
আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মাহবুবে আলমের
অবদান অনস্বীকার্য। আইন অঙ্গনে তার অবদান জাতি
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গনে এক
অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত
পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে
আলম।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন
নিরাপদ প্রমাণিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি
নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম বলে
প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট এ
বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি
রাশিয়া এ ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ঘটিয়ে ‘শুকনো সংস্করণ তৈরি
করে আবারও বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স। ‘স্পুটনিক ভি সম্পর্কে ল্যানসেট বলেছে,
এ ভ্যাকসিন প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে ভাইরাস
প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। এর কারণে টি-কোষও
সক্রিয় হয়েছে। এক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, ৭৬ জনকে
করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। ৪২ দিন ধরে
এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। প্রথম ডোজ
দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া
শুরু হয়েছে। গবেষকদের দাবি, দ্বিতীয় রিপোর্ট পাওয়া যায়
ট্রায়ালের ২৮ দিন পর। দেখা গেছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর
রক্তে টি-কোষ কোষ সক্রিয় হতে শুরু করেছে। এই টি-কোষ হলো
শরীরের মূল সুরক্ষা কোষ। এই কোষ সক্রিয় হলেই ভাইরাস বা
প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে ‘অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি
হয় শরীরে। স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের প্রভাবে রোগ
প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হচ্ছে।
ভ্যাকসিনের ‘শুকনো সংস্করণ : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে
দিয়েছিল রাশিয়া। এবার সেই টিকার উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বকে
আরও একবার নাড়িয়ে দিল পুতিনের দেশ। সূত্র : নিউইয়র্ক
টাইমস, দ্য কনভারসেশন, বায়োফার্মাডাইভ, দ্য প্রিন্ট।
জানা গেছে, ‘ফ্রোজেন সংস্করণের পাশাপাশি টিকার ‘ফ্রিজ
ড্রায়েড বা শুকনো সংস্করণও তৈরি করে ফেলেছে ভøাদিমির
পুতিনের দেশ। এই ‘ফ্রিজ ড্রায়েডবা শুকনো টিকা দেশের
প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো যাবে। এটি ‘ফ্রোজেন সংস্করণের
মতো মাইনাসে সংরক্ষণ করার ঝক্কি নেই। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলেই হবে। অর্থাৎ থার্মোকলের
বাক্সে ভরেই বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় পাঠানো যাবে স্পুটনিক
ভি এর শুকনো টিকা। বৃহত্তর অংশকে অবশ্য ফ্রোজেন টিকাই
দেওয়া হবে, যা ডিপ ফ্রিজে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি থেকে
মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেশ কয়েক মাস মজুদ রাখা
যাবে। ক্রায়ো প্রযুক্তির কেরামতিতে তৈরি এই শুকনো টিকা
ডিসটিলড ওয়াটারের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বহু অঞ্চল মূল ভূখ- থেকে কার্যত
বিচ্ছিন্ন। যেসব স্থানে বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন নাগরিক
সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দুষ্কর ওই সব দুর্গম অঞ্চলের
বাসিন্দাদের কথা ভেবেই এই ফ্রিজ ড্রায়ার যন্ত্রের
মাধ্যমে জলীয় অংশ বের করে দিয়ে সেমি-সলিড পর্যায়ে নিয়ে
যাওয়া হয় টিকাকে। যাতে অনেক দিন পর্যন্ত সাধারণ
ফ্রিজেই মাসাধিককাল রাখা যায় এই টিকা।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে
যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. মার্ক টি এসপার।
টেলিফোনে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ
সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। গত
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি
জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর টেলিফোন আলাপ নিয়ে ঢাকার
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স
একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানায়। সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেলিফোন আলাপে কভিড-১৯ মহামারী
মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া
পদক্ষেপ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মঙ্গলার্থে সাম্প্রতিক
কার্যক্রমের প্রশংসা করেন ড. মার্ক টি এসপার। আরও বলা
হয়, তারা সব দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে একটি অবাধ
ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি তাদের যৌথ
প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক
সুরক্ষা, বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা এবং বাংলাদেশের সামরিক
সামর্থ্য আধুনিকীকরণের উদ্যোগসহ সুনির্দিষ্ট
দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে
আলোচনা করেছেন। পারস্পরিক স্বার্থ ও মূল্যবোধের সমর্থনে
ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত রাখার
অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আবারও শীর্ষ স্থানে
বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে
শান্তিরক্ষীর সংখ্যাগত দিক থেকে আবারও শীর্ষস্থানে
অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সংঘাতময় দেশগুলোতে
বর্তমানে নিয়োজিত ৮১ হাজার ৮২০ জন শান্তিরক্ষী ও স্টাফ
অফিসারের মধ্যে বাংলাদেশের ছয় হাজার ৭৩১ জন মিলিটারি ও
পুলিশ রয়েছেন। ইথিওপিয়া ছয় হাজার ৬৬২ জন শান্তিরক্ষী
নিয়ে প্রথম স্থান থেকে নেমে গেছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এর
আগেও বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯টি দেশের শান্তিরক্ষীর মধ্যে
শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছিল। ইউএন পিসকিপিং মিশনের
ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট হালনাগাদ করা তথ্যে বাংলাদেশের
শীর্ষ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের মধ্যে
মিলিটারি পাঁচ হাজার ৯৫৩ জন (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর
সদস্য), পুলিশ ৬৪৪ জন, স্টাফ অফিসার ১১৫ জন এবং
মিলিটারি এক্সপার্ট ২৯ জন। শান্তিরক্ষা মিশনের তথ্য
অনুসারে ছয় হাজার ৩২২ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে রুয়ান্ডা
তৃতীয় অবস্থানে এবং পাঁচ হাজার ৬৮২ শান্তিরক্ষী নিয়ে
নেপাল চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের
অবস্থান নেপালের পরে, পাঁচ হাজার ৩৫৩ জন শান্তিরক্ষী
নিয়ে পঞ্চম। পাকিস্তান চার হাজার ৪৪০ শান্তিরক্ষী নিয়ে
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বিশ্বের ১১৯টি দেশের শান্তিরক্ষীর
মধ্যে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান
ছাড়াও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও চীন। এদিকে গতকাল আন্তবাহিনী
জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী সাউথ
সুদানের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ডেপুটি ফোর্স
কমান্ডার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে গত শুক্রবার
কঙ্গো শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের
১৮০ জন নারী সদস্য। শুক্রবার ভোরে ঢাকার হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি
চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তারা।
ধর্ষণ আইনের শক্ত প্রয়োগ চাই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘সিলেটের এমসি
কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটকে জোর করে ছাত্রাবাসে
তুলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আমরা দুঃখিত, লজ্জিত ও
আতঙ্কিত। এ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের ব্যাখ্যাও বোধগম্য
নয়। আমি মনে করি, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর
শাস্তির পাশাপাশি এমন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে
তারা সমাজের কোথাও ঠাঁই না পায়। ধর্ষণের শক্ত আইনের
শক্ত প্রয়োগ চাই। সিলেটের এমসি কলেজে এ ধরনের
ন্যক্কারজনক ঘটনার আমি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি। গতকাল রাতে
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ মন্তব্য
করেন। আলাপচারিতায় বি. চৌধুরী বলেন, ধর্ষকদের ব্যাপারে
সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে
হবে, যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে ধর্ষকরা বেরিয়ে যেতে না
পারে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত
ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের রাজনীতি থেকে আজীবন নিষিদ্ধ
করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ধর্ষক যদি সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়, তাকে চাকরি থেকে আজীবন নিষিদ্ধ
করতে হবে। তাকে ডিউটিতে রাখা যাবে না। শিক্ষার্থী
ধর্ষক হলে তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। তার
সব শিক্ষাসনদ বাতিল করতে হবে। একইভাবে ধর্ষকদের
ব্যাপারে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে। আমি মনে করি,
সরকার যদি এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সমাজে
কিছুটা হলেও ধর্ষণ কমবে। ধর্ষণকারীরাও ভয় পাবে। তাদের
দীর্ঘমেয়াদে শাস্তি দিতে হবে। বি. চৌধুরী বলেন,
রাজনৈতিক ধর্ষকরা নানাভাবে বেরিয়ে যায়। এরপর তারা আরও
বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই তাদের আইনের শাস্তির
পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও শেষ করে দিতে হবে। সিলেটে
যারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। রাজনীতি থেকে আজীবন
তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত। আর কেউ একাধিকবার ধর্ষণ করলে
তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সমাজের কোথাও
ধর্ষকদের ঠাঁই দেওয়া যাবে না। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি
বলেন, ‘শুধু শাস্তি দিয়ে ধর্ষণের মতো সামাজিক ও মানসিক
অপরাধ বন্ধ করা যাবে না। এ জন্যই আমাদের প্রতিবেশী
দেশসহ বাংলাদেশে ধর্ষণপ্রবণতা কমেনি, বরং বেড়েছে। শিশু
এবং মা-বোনদের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত করতে হবে। তারা
শিক্ষা এবং উপার্জনের অন্বেষণে বেশি সময় বাইরে থাকেন,
সে জন্য তাদের বাইরে যেতে হয় বেশি। ধর্ষকের মতো
সামাজিক অপরাধীরা সহজেই তাদের হাতের নাগালে পায়। এ ছাড়া
অনেক পুরুষ রোজগারের অন্বেষণে দেশের বাইরে যান বলে
তাদের গৃহের বেশির ভাগ নারী ও শিশু ‘অরক্ষিত অবস্থায়
থাকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীকে আরও সতর্ক হতে হবে। এ বাহিনীতে মহিলা সদস্যের
সংখ্যা বাড়াতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের
আরও ক্ষমতায়ন করতে হবে। গণমাধ্যম এবং সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বাড়াতে হবে। ধর্ষণের আশঙ্কা
কমানোর জন্য আমাদের মা-বোন ও শিশুদের আত্মরক্ষার
প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
কৃষকের ছেলে হলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কৃষকের ছেলে ইয়োশিহিদে সুগা হতে যাচ্ছেন জাপানের
প্রধানমন্ত্রী। তিনি গতকাল দেশটির ক্ষমতাসীন দল
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভোটে এ পদের জন্য
মনোনীত হয়েছেন। ৭১ বছর বয়স্ক সুগা জন্ম নিয়েছিলেন একজন
স্ট্রবেরি চাষির ঘরে। মেধা আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি
পরিণত হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদে। সূত্র : রয়টার্স।
তার নির্বাচন সম্পর্কিত খবরে জানা গেছে, জাপানের
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা গত ১৪ সেপ্টেম্বর
২০২০ ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি)
প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী
শিনজো আবের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি। দলটির
নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটে তিনি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন।
এলডিপির সভাপতি নির্বাচনে জাপানের স্থানীয় সময় সকাল
থেকে দুপুর পর্যন্ত দলীয় সংসদ সদস্যদের ৩৯৪ ভোট আর
৪৭টি প্রদেশের তৃণমূল নেতাদের ১৪১টি ভোট গ্রহণের কথা
ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি ভোট কম পড়ে। ভোটের ফলাফল
বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, মোট
৫৩৪টি ভোটের মধ্যে ইয়োশিহিদে সুগা পেয়েছেন ৩৭৭ ভোট,
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফুমিও কিশিদা পেয়েছেন ৮৯ ভোট, আর অপর প্রতিদ্বন্দ্বী
সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পেয়েছেন ৬৮ ভোট।
নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত সভাপতিই
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আগামী বুধবার
পার্লামেন্টে আরেকটি ভোটে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বেছে
নেওয়া হবে। পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায়
তাদের নতুন নেতাই নিশ্চিতভাবে জাপানের পরবর্তী
প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি
সুগা এলডিপির নেতৃত্বও দেবেন। ১৯৭৩ সালে টোকিও হোসেই
নামক এক নৈশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক করা
ইয়োশিহিদে সুগার জন্ম হয় কৃষক পরিবারে। নিজের উপার্জিত
অর্থে পড়াশোনা করা সুগা ১৯৮৬ সালে এলডিপিতে যোগদান
করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে কানাজাওয়া প্রদেশ থেকে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন সরকারের
পুরো সময় মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্বে থাকা সুগা
সরকারের নীতি-নির্ধারকের ভূমিকায়ও ছিলেন। নতুন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুগা শিনজো আবের রেখে যাওয়া
প্রধানমন্ত্রীত্বের ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
মেয়াদ পূরণ করবেন।
মুসলিমদের কটাক্ষ: টিভি অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতীয় সংবিধানের ফ্রিডম অফ স্পিচের সুযোগ নিয়ে কোনো
সংবাদমাধ্যম এক শ্রেণীর মানুষের আবেগ, অনুভূতি ক্ষুন্ন
করতে পারেনা। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, ইন্দু
মালহোত্রা ও কে এম জোসেফের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই
রায় দিয়েছেন। ল্যান্ডমার্ক এই রায়ে তারা সুদর্শন টিভিতে
প্রচারিত বিন্দাস বোল অনুষ্ঠানটিও বন্ধ রাখার নির্দেশ
দিয়েছেন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই প্রথম একটি টিভি শো বন্ধ
রাখার নির্দেশ দিল।
বিন্দাস বোল অনুষ্ঠানটিতে বলা হয়েছিল, মুসলিমরা ভারতে
সিভিল সার্ভিসে অনুপ্রবেশ করছে। জামিয়া মিলিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সিভিল সার্ভিস
পরীক্ষায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।
তিন সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ বলেছেন, ভারতবর্ষ
ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
এদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, অনুভূতির সম্পূর্ণ বিপরীত এই
সুদর্শন টিভির অনুষ্ঠান। কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার
এবং তাদের আবেগকে আহত করার অধিকার সংবাদমাধ্যমের নেই।
তাই তারা দশ এপিসোড-এর বিন্দাস বোল অনুষ্ঠানটি বন্ধ
করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের চারটি পর্ব ইতিমধ্যেই
টেলিকাস্ট হয়ে গেছে। বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, টিআরপির
ইঁদুর দৌঁড়ে সামিল হয়ে টিভি চ্যানেলগুলি ভুলে যাচ্ছে
যে, তাদেরও সামাজিক দায় রয়েছে। ফ্রিডম অফ স্পিচ-এর
দোহাই দিয়ে যেমন ইচ্ছা চলা যায় না।
চ্যানেলের পক্ষে বিশিষ্ট আইনজীবী শ্যাম ধীবন দাবি করেন
যে, কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করা নয়, এটি ছিল একটি
ইনভেস্টিগেটিং সাংবাদিকতার ফসল। ভারতের সলিসিটর
জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ফ্রিডম অফ স্পিচ এর সুযোগ
নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবপোর্টাল, চ্যানেলে এমন খবর পরিবেশিত
হচ্ছে, যা কেবল সামাজিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।
এশিয়ার নতুন শীতল যুদ্ধে হেরে গেছে ন্যায়বিচার ও
রোহিঙ্গারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এশিয়ার নতুন শীতলযুদ্ধে ন্যায়বিচার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আঞ্চলিক ‘খেলোয়াড়রা তাদের নিজেদের
স্বার্থের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়ার কারণে মিয়ানমারে
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলার বিষয়টি
অনিয়ন্ত্রিতই থেকে গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য
গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণে ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত
এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানের
ওপর নিপীড়ন ও উদ্দেশ্যমূলক গণহত্যা এখন আইনের শাসনের
মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। আর আন্তর্জাতিক একজন শীর্ষ
আইনজীবীর মতে, এটা হল সামষ্টিক বিবেক ও মানবতার ওপর
একটি নৈতিক ক্ষত। চিহ্নিত অপরাধীরা যদি শাস্তিই পেয়ে
থাকে তাহলে এখনও রাখাইনে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ভীতিকর
অবস্থা অব্যাহত আছে কেন?
নিবন্ধটি লিখেছেন সাংবাদিক সিমন টিসডাল। ‘জাস্টিজ
অ্যান্ড দ্য রোহিঙ্গা পিপল আর দ্য লুজারস ইন এশিয়াজ
নিউ কোল্ড ওয়ার- শীর্ষক নিবন্ধে তিনি উপরোক্ত প্রশ্নের
কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা এমন একটি প্রশ্ন যার
সম্ভাব্য বেশ কিছু উত্তর হতে পারে। হতে পারে দরিদ্র,
বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা মিয়ানমার, যার আগের নাম ছিল বার্মা;
এখনও রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে
যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নয়।
হয়তো পশ্চিমারা অবচেতন বলে বাদামি ত্বকের মুসলিম
সংখ্যালঘুদের জীবন তাদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
অথবা, হয়তো টেকসই প্রতিবাদের অনুপস্থিতি ও বিশ্ব
শক্তিগুলোর পক্ষে দুর্বল জনগোষ্ঠী ও দেশগুলোর ওপর
নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যর্থতার কারণেই এমনটা হচ্ছে। মিয়ানমারে
এক শতকের বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের
শাসনাধীন ছিল। এখন রয়েছে চীন সাম্রাজ্যবাদের অধীনে;
যারা নিজ দেশ বা বিদেশ কোনো জায়গাতেই মানবাধিকারের ধার
ধারে না।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই-কমিশনার
মিশেল ব্যাচেলেট সতর্ক করেছেন যে, মিয়ানমারে নির্যাতন
বন্ধ রাখা তো দূরের কথা, তার বদলে ফের বেসামরিকদের
হত্যা ও অপহরণ শুরু হয়েছে। রাখাইন ও পার্শ্ববর্তী চীন
রাজ্যে দায়মুক্তির সঙ্গে এসব চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘কিছু ঘটনায় তারা বাছবিচারহীনভাবে
হামলা চালায়। এতে আরও যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী
অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
নিবন্ধে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে মিয়ানমারের বেসামরিক
নেত্রী অং সান সুচি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)
হাজির হয়ে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বলেন, রাখাইনের ব্যাপারটি সেনাবাহিনী এবং রোহিঙ্গা
‘জঙ্গি ও সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যকার একটি
‘অভ্যন্তরীণ সংঘাত। এতে যদি সেনারা ব্যক্তি পর্যায়ে
অপরাধের জন্য দোষী হয়ে থাকে, তাহলে তাদের শাস্তি হবে।
তবে এখন অবধি তেমন কোনো শাস্তি হয়নি। শাস্তি দেয়া হলেও
তা খুব অল্প কয়েকজনই পেয়েছে।
ক্রেডিট
কার্ডের সুদ ২০ শতাংশের বেশি নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অবশেষে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক। আরোপ করা হয়েছে আরও কিছু নতুন শর্ত।
যখন-তখন চাইলেও গ্রাহক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে
পারবেন না। বিলম্ব ফি আদায় করা যাবে একবার।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ব্যাংকগুলোকে এসব নির্দেশনা দিয়ে
একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের ওপর সুদ বা মুনাফা হার
২০ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা যাবে না। ক্রেডিট
কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সবশেষ তারিখের
অব্যবহিত পরের দিন থেকে ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত
বিলের ওপর সুদ বা মুনাফা আরোপযোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে
কোনভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা যাবে না।
বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে
সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা ছাড়া
অন্য কোন নামে নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে
না। বিলম্বে পরিশোধিত কোন বিলের বিপরীতে শুধু একবার
বিলম্ব ফি (অন্য যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) আদায় করা
যাবে।
এই নির্দেশনা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কয়েক হাজার মসজিদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে চীন!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে কয়েক হাজার মসজিদ ধ্বংস করে
দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বিশেষত দেশটির
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার
মসজিদ ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)
নামের একটি থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে এসব
তথ্য তুলে ধরেছে।
এ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে,
জিনজিয়াংয়ের ওই এলাকার পরিসংখ্যানগত মডেলিংয়ের মাধ্যমে
স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে শতাধিক পবিত্র
স্থান ও হাজার হাজার মসজিদ ধ্বংসের প্রমাণ পেয়েছে
এএসপিআই। প্রতিবেদনে প্রায় ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস অথবা
ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যার মধ্যে গত
৩ বছরেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। বলা
হচ্ছে, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মসজিদ পুরোপুরি
গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকি ও
কাশগর শহরের আশপাশে এ ধ্বংসযজ্ঞ বেশি চালানো হয়েছে।
যেসব মসজিদ ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়ে সেসবের মিনার ও
গম্বুজ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এত এত মসজিদ ধ্বংসের পরও এখনও
জিনজিয়াংয়ে সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মসজিদ অক্ষত কিংবা
আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ঠিকে আছে। এএসপিআই বলছে,
তাদের পরিসংখ্যান যদি সত্যি হয় তবে ১৯৯০ এর দশকে চীনে
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর মসজিদের সংখ্যা এবারই সবনিম্ন
হবে। জিনজিয়াংয়ে মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য ইসলামি পবিত্র
স্থাপনা- কবরস্থান, মাজার ও তীর্থযাত্রার পথের
এক-তৃতীয়াংশই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তবে মসজিদ ধ্বংস
করা হলেও জিনজিয়াংয়ে এখনও খ্রিষ্টানদের গির্জা ও
বৌদ্ধদের মন্দির অক্ষত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে
এএসপিআই।
গেল সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং
ওয়েনবিন জানিয়েছেন, জিনজিয়াংয়ে প্রায় ২৪ হাজার মসজিদ
রয়েছে। সেখানকার জনসংখ্যার তুলনায় মসজিদের এই হার
বিশ্বের অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের তুলনায়ও বেশি।
হাজার হাজার মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার পরও চীন সরকার বলছে,
জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দারা শতভাগ ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ
করছেন।
Top
প্রধানমন্ত্রী
পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না মাহাথির
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন হলে
প্রধানমন্ত্রী পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে
জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির
মোহাম্মদ। আগামী ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন কালে তার
বয়স হবে ৯৮ বছর। শনিবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া
এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ২০১৮ সালের
নির্বাচনে জয়ের পর পাকাতান হারাপান জোটের প্রধান হিসেবে
ওই বছরের ১০ মে মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
শনিবার সাক্ষাৎকারে মাহাথির জানিয়েছেন, তিনি পার্টি
পিজুয়াং তানাহ এয়ার নামে নতুন একটি দল গঠন করছেন। এই
দলের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকতে চান। অবশ্য কোনো কারণে
আগাম নির্বাচন হলে তাতে তিনি অংশ নেবেন কিনা সে বিষয়ে
কোনো ইঙ্গিত দেননি ৯৫ বছর বয়সী মাহাথির। সব কিছু
স্বাভাবিক থাকলে মালয়েশিয়ার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন
হওয়ার কথা ২০২৩ সালে।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
ক্ষমতায় এসেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এই
প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ের পর পাকাতান
হারাপান জোটের প্রধান হিসেবে ওই বছরের ১০ মে
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন মাহাথির মোহাম্মদ।
এর আগে বারিসান ন্যাশনাল দলের নেতা হিসেবে টানা প্রায়
২২ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে
২০০৩ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যান তিনি।
Top
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ২০ হাজার করার সুপারিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান সম্মানী পর্যালোচনা করে
তাদের সচ্ছল জীবনযাপনের লক্ষ্যে মাসিক সম্মানী আট
হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ
করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ
ট্রাস্টের অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি সংসদীয়
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী
কমিটির ১৩তম বৈঠকে এই সুপারিশ ও তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহ্বায়ক এবং কাজী ফিরোজ
রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সদস্য করে উক্ত তদন্ত
কমিটি গঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি
শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম
মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ
থেকে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের নামে কিছু ভূঁইফোঁড়
প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সংসদীয়
কমিটির সুপারিশ মোতাবেক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)
সেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এ সময়
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর শব্দটি ব্যবহার করতে
একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ
রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানে প্রদান করার জন্য সুপারিশ করা
হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ইতিহাসে
চিরস্মরণীয় করে রাখতে নিজ নিজ এলাকার সড়কের নামগুলো
তাদের নামে নামকরণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
ভার্চুয়াল
পদ্ধতিতে আপিল বিভাগে চার হাজার মামলা নিষ্পত্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য
জানানো হয়। গত ১৩ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
এসব মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল
অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তি
ব্যবহার করে ১৩ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল
বিভাগে একটি বেঞ্চ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে দুটি বেঞ্চে বিচার
কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সাইফুর রহমান আরও জানান, আপিল বিভাগে চার হাজার ৭৩টি
মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর বর্তমানে বিচারাধীন মামলার
সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬০টি।
চার বাংলাদেশিকে ‘বাস্তব জীবনের নায়ক উপাধি দিল
জাতিসংঘে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাস্তব জীবনের নায়কের স্বীকৃতি পেয়েছেন চার বাংলাদেশি
তরুণ-তরুণী। ‘বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ চলমান
পরিস্থিতিতে আর্ত-মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্যে
সারা বিশ্বের বেশ কয়েকজনকে এ তালিকায় রেখেছে।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি রিজভী হাসানের ছবিসহ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সেবামূলক কাজের
প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট ছিল জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব
মানবিক দিবস। তার প্রাক্কালে বিশেষ এ পরিস্থিতিতে
মানবতার সেবায় স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা মানুষদের স্বীকৃতি
দেওয়ার বিষয় অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত,
ব্র্যাকের প্রকৌশলী রিজভী হাসান, অনুবাদক সিফাত নুর ও
আঁখি বিরল এ সম্মান পেয়েছেন করোনা মহামারির সময়ে
অন্যদের মতো জীবন রক্ষার্থে গৃহবন্দি হয়ে না থেকে
আক্রান্তদের পাশে এবং অসহায় মানুষদের ‘সহায় হিসেবে
আবির্ভূত হওয়ায়। এদের প্রত্যেকেই মানবিক কার্যক্রমে এক
অনন্য ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যে
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাস ছেড়ে
নিজ নিজ বাড়ি চলে যায় তখন সৈকত ক্যাম্পাসে থেকে
প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা দেওয়া শুরু করেন। এপ্রিলের
শুরু থেকে টানা ১১৬ দিন কার্যক্রম চালানোর পর করোনার
প্রকোপ কমলে তিনি সুনামগঞ্জে যান এবং বন্যাকবলিত
মানুষকে সহায়তা দেন। বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীদের কাছ থেকে
অর্থ সহায়তা গ্রহণ করে এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন
সৈকত।
বাস্তব জীবনের নায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আরেক
বাংলাদেশি আঁখি। একসময়ে বাংলাদেশের আরও বহু শিশুর মতো
শিশুশ্রমে নিয়োজিত আঁখিকে পুনর্বাসনে সহায়তা দেয়
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন। বয়সের কারণে
স্কুলে ফেরানো না গেলেও তাকে দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ
দেয় সংস্থাটি। পরে তাকে একটি সেলাই মেশিন আর কিছু কাপড়
দেয় সংস্থাটি। সেখান থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতে থাকেন
নিজেই গার্মেন্টস কারখানা গড়ে তোলার।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়া আরেক বাংলাদেশি রিজভী
হাসানের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। স্থাপত্যবিদ্যার পাঠ চুকিয়ে
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক-এ কাজ শুরু করেন রিজভী।
তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য সাইক্লোন
সেন্টার নির্মাণের কাজ পান। তখনই তিনি দেখতে পান
বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে
আসা রোহিঙ্গাদের জন্য স্বল্প খরচে আবাসনের ব্যবস্থা
করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি লিঙ্গভিত্তিক
সহিংসতায় আক্রান্ত নারীদের সেবা দেওয়ার জন্য স্বল্প
খরচে নিরাপদ স্থান গড়ে তোলা শুরু করেন। এসব স্থানে
রোহিঙ্গা শিবিরের নারীদের কাউন্সেলিংসহ নানা দক্ষতা
উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমী এসব স্থাপনার
মাধ্যমে বহু নারীকে নিরাপদে সেবা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে
ব্র্যাক ও ইউনিসেফ।
অনুবাদের কাজ করে বাস্তব জীবনের নায়ক হিসেবে জাতিসংঘের
স্বীকৃতি পেয়েছেন আরেক বাংলাদেশি তরুণ সিফাত নূর।
জাতিসংঘ মনে করে, যেকোনো সঙ্কটের সময়ে খাবার, পানি ও
আশ্রয়ের মতোই মানুষের দরকার পড়ে তথ্য ও যোগাযোগের। এসব
তথ্য ও যোগাযোগ হতে হয় তাদের নিজস্ব ভাষায়। আর এখানেই
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে একজন অনুবাদকের কাজ।
২০২০ সালের মার্চে ট্রান্সলেটর উইদাউট বর্ডারস নামে
একটি সংস্থায় কাজ শুরুর পর এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি
শব্দ বাংলায় অনুবাদ করেছেন তিনি। আইএফআরসি ও
ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার হয়ে
এসব শব্দ অনুবাদের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে জীবন
রক্ষাকারী তথ্য পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। সম্প্রতি
কোভিড-১৯ নিয়ে তার অনুবাদ কাজের মাধ্যমে বহু মানুষ
নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
জার্মান
পুলিশের মধ্যে হিটলার প্রীতি বাড়ছে, বরখাস্ত ২১
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এ তথ্য জানিয়েছে দ্য পলিটিকো। বিশেষজ্ঞদের মতে,
শরণার্থী সমস্যা জার্মানিতে চরম দক্ষিণপন্থীদের সমর্থন
আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। অলটারনেটিভ ফর
জার্মানি-এএফডির মতো কট্টর ডানপন্থী দল গত কয়েক বছরে
বিপুল ভোট পেয়েছে। নিও নাৎসি আদর্শও ইদানীং আলোচনার
বিষয়। পুলিশের মধ্যেও তার প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন
অনেকে।
ডয়েচে ভেলে জানায়,গত বুধবার চ্যাটবক্সে নাৎসি একনায়ক
অ্যাডলফ হিটলারের ছবি শেয়ার করায় ২১ জন পুলিশকে
বরখাস্ত করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। জার্মানিতে দায়িত্ব
অবহেলা ও বর্ণবাদের অভিযোগে বেশ কিছু পুলিশকর্মীর বাড়ি
ও ব্যুরোতে তল্লাশি চালানো হয়। এসেন এবং নর্থ রাইন
ওয়েস্টফেলিয়ার ওই অভিযানে ২৯ জন বিতর্কিত পুলিশকর্মীকে
চিহ্নিত করা হয়। যাদের চ্যাটবক্সে পাওয়া যায় হিটলারকে
নিয়ে ছবি।
২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের ব্যবহার করা
পাঁচটি গ্রুপ চ্যাট বের করা হয়। সেখানে দেখা যায়,
বর্ণবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত এসব পুলিশ সদস্য।
তারা নিজেদের মধ্যে হিটলারের ছবি শেয়ার করেন এবং গ্যাস
চেম্বারে শরণার্থীকে মারার কাল্পনিক ছবি নিয়েও আলোচনা
করেন। জার্মানিতে এ ধরনের কাজ করা অপরাধ।
আলবুখারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হলেন নোবেল জয়ী
ড. ইউনূস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এই নিয়োগটা তিনি পেয়েছেন গত মঙ্গলবার। ইউনূস
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েরও
চ্যান্সেলর । এবার হলেন আরেকটি বিশ্বদ্যিালয়ের।
আলবুখারির ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক
দাতুক ড. আবদুল আজিজ তাজউদ্দিনকে উদ্ধৃত করে
মালয়েশিয়ান গণমাধ্যম এনএসটি জানিয়েছে, সামাজিক
বাণিজ্যের মূল্যবোধ বিশেষ করে ড. ইউনূসের সামাজিক
বাণিজ্যের সাতটি নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটি
তাদের শিক্ষাক্রম সাজিয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সফল
সামাজিক উদ্যোক্তা হতে পারেন। গার্ডিয়ান
[৩] বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে,
ড.ইউনূসের কাজ হলো শিক্ষার্থীদের সামাজিক ব্যবসায়ী
হিসেবে গড়ো তোলা।
[৪] আল বুখারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
প্রতিষ্ঠাতা তান শ্রী সায়েদ মুখতার আলবুখারি। আলবুখারি
ফাউন্ডেশনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম
পরিচালিত হয়। আল বুখারির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে,
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এখন
পর্যন্ত ৩৭টি দেশের ২১৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা
করছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে
যাবে।
ইহুদি নারীরাও পরিধান করছে বোরকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিজেদের সম্মান ও মর্যাদাকে রক্ষা করতে বোরকা পরছেন বহু
ইহুদি নারী। দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে বলা
হয়, নিজেদেরকে পাপমুক্ত রাখতে ও সম্ভ্রম বাঁচাতে
মুসলিম নারীদের মতো ইহুদিরাও বোরকা পরা শুরু করেছেন।
এই খবর প্রকাশের পরই বিশ্বব্যাপী তা সাড়া ফেলেছে।
দ্য সেন্ট্রাম মিডিয়ার ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওর
তথ্যসূত্র অনুযায়ী, ইসরাইলসহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশের
বেশ কিছু অঞ্চলে ইহুদি নারীদের বোরকা পরা অবস্থায় দেখা
গেছে। কিন্তু হঠাৎ মুসলিমদের ধর্মীয় পোশাককেই কেন বেছে
নিলেন ইহুদিরা? একজন ইহুদি নারী এই প্রশ্নের জবাবে
জানান, নিজের সতীত্ব ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা বোরকা
পরছেন।
তিনি আরো জানান, বোরকা এমন এক পোশাক যা মুসলিম বিশ্বের
বেশিরভাগ নারী পরিধান করেন এবং এই পোশাক তাদেরকে
নিরাপত্তা দেয়। সেই নিরাপত্তার কথা ভেবেই বোরকা পরা
শুরু করেছেন ইহুদিরা।
ইহুদিদের বোরকা পরার বিষয়টিকে কিভাবে দেখেছেন ইসলামি
স্কলাররা? বলছেন, শুধু ইসলাম প্রদত্ত পোশাকই নয়,
ইসলামের সব বিধানই মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকারকে
সুনিশ্চিত করেছে।
জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে মমতার দুই উপহার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে
ফুল ও মিষ্টি উপহার পাঠিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে পাঠিয়েছেন
শুভেচ্ছাপত্রও।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সন্ধ্যায় ভারতে বাংলাদেশ হাই
কমিশনের মাধ্যমে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ উপহারসামগ্রী
বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনের ডেপুটি কমিশনার
বিএম জামাল হোসেন (পলিটিকাল) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,
তাদের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল, মিষ্টি ও শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়েছেন।
তারা সে উপহারগুলো সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান
রুবেল জানান, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর পাঠানো
উপহারসামগ্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি
রাত পৌনে ৮টায় যশোর বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না কোটা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোটা থাকছে না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক
নিয়োগে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকে সহকারী
শিক্ষকদের পদ ১৩তম গ্রেড ঘোষণা হওয়ায় কোটা তুলে দেয়ার
সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০
শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানানো হয়, এই
নিয়োগ পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথম
দিকে শুরু হবে। সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও প্রায় ১০ হাজার শূন্যপদে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু
করতে ডিপিই থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে
অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল এবং
রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে
সম্পন্ন করতে হবে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা
হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়বে। চলতি মাসের শেষে অথবা
অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি
তরুণীকে জয় করে নিলেন ইতালির পুলিশ কর্মকর্তা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দীর্ঘদিনের প্রেমের ইতি টেনে অবশেষে ইতালির এক মিলিটারি
পুলিশ কর্মকর্তা সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন
বাংলাদেশি তরুণী। সোমবার দক্ষিণ ইতালির কাম্পানিয়া
বিভাগের সালের্নো প্রভিন্সের মাইওরি পৌর এলাকায়
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সুমাইয়ারা ও দোমেনিকো তামবুররিনো।
স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, তুরিন সিটি
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশি
বংশোদ্ভূত ২৫ বছর বয়সী সুমাইয়ারার সঙ্গে প্রথম পরিচয়
ঘটে দোমেনিকোর।
ভালো লাগা থেকে তাদের ভালোবাসা অবশেষে বিয়ে। বর
দোমেনিকো ইতালির মিলিটারি পুলিশ “ক্যারাবিনিয়ারি”তে
কর্মরত একজন দক্ষ মার্শাল। ইতালিতে ক্যারাবিনিয়ারী
পুলিশকে ‘ক্রিমিনাল পুলিশ বলা হয যারা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড করেন দেশের জন্যে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বর দোমেনিকো তার বিখ্যাত বাহিনীর
গৌরবের ইউনিফর্ম পরিধান করেন আর লাল রঙের শাড়িতে
বাজিমাত করেন বাংলাদেশি বধূ সুমাইয়ারা। ইতালীয় বিভিন্ন
নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায়
পঞ্চমুখ এই নবদম্পতি। ইতালীয়-বাংলাদেশি ভিন্ন দুই
সংস্কৃতির মেরুতে অবস্থান করেও প্রেমের টানে আপন করে
নিলেন দুজনকে।
স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি নারী ইতালীয়
পুলিশকে বিয়ে করে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এদিকে মহামারি করোনার কারণে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা থাকায়
কনের পরিবারের কেউই বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আসতে পারেননি।
তবে এই পরিবারের দেশের বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি।
বিয়ে করলেই নবদম্পতি
পাবে ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ে করলেই নবদম্পতি সরকারের কাছ থেকে আর্থিক পুরস্কার
পাবেন! পুরস্কারের মূল্যও কম নয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪
লাখ ৮২ হাজার টাকা। না তবে এদেশে নয়, নবদম্পতিকে বিয়ের
জন্য এমন উপহার এবার থেকে দেবে জাপান সরকার। কিন্তু
কেন?
আসলে জাপানের সাধারণ মানুষের অনেকেই আজীবন অবিবাহিত
থাকেন। কেউ একা থাকেন, কেউ বা থাকেন সঙ্গীর সঙ্গে লিভ–ইন
রিলেশনশিপে। এই কারণে অনেকেই সন্তান ধারণ করতে চান না।
ফলে আশঙ্কানজক হারে কমে গেছে দেশটির জন্মহার। আর সেটা
বাড়ানোর দিকেই এবার নজর দিয়েছে সেদেশের সরকার। এজন্য
তারা চালু করেছে ‘ঘবষিুবিফং ধহফ ঘবি খরভব ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ
চৎড়লবপঃ নামে একটি প্রকল্পের। এই প্রকল্পের আওতায়
দম্পতিদের এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সম্প্রতি একটি
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তবে রয়েছে শর্তও। জানা গেছে, আর্থিক সাহায্য পেতে হলে
নবদম্পতি দুজনেরই বয়স হতে হবে ৪০ বছরের কম।
সেক্ষেত্রেই তারা জাপানি মুদ্রায় ৬ লাখ ইয়েন (৪ লাখ ৮২
হাজার টাকা) পুরস্কার হিসেবে পাবেন। শুধু তাই নয়,
দুজনের মিলিত আয় হতে হবে ৫.৪ মিলিয়ন ইয়েন। এছাড়া এর
আরও একটি ধাপ রয়েছে। নবদম্পতির দুজনেরই বয়স ৩৫ বছর হলে
এবং মিলিত আয় ৪.৮ মিলিয়ন ইয়েন হলে, তারা পুরস্কার পাবে
৩ লাখ ইয়েন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, জাপানে
অবিবাহিত পুরুষদের ২৯.১ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছর।
এছাড়া ওই বয়সের মধ্যে অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা ১৭.৮
শতাংশ।
Top
সৌদিতে নারীদের
জন্য ডিজিটাল কলেজ চালু্
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের জন্য দুটি ডিজিটাল কলেজ চালু করেছে সৌদি আরব।
গত বুধবার রাজধানী রিয়াদ ও জেদ্দা শহরে কলেজ দুটির
উদ্বোধন করেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী হামাদ আল শেখ।
নারীদের আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক কাজে সম্পৃক্ত করতে এই
প্রথম এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলেজ দুটিতে ৪ হাজারের
বেশি নারীকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি প্রেস
এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-এরাবিয়া।
ক্রাউন প্রিন্স সালমান তার ২০৩০ ভিশনের আওতায় আগামী ১০
বছরের মধ্যে ১০ লাখ নারীকে চাকরির সুযোগ করে দেয়ার
লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। গত জুলাইয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত
সৌদি রাষ্ট্রদূত মিশাল আল-বালাওয়ি এমনটা জানিয়েছিলেন।
এদিকে, আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন
স্থাপিত কলেজগুলোয় প্রযুক্তি বিষয়ক নানা বিষয়ে অনার্স
ও ডিপ্লোমা ডিগ্রির ব্যবস্থা থাকবে। এসব ডিগ্রির মধ্যে
রয়েছে, নেটওয়ার্ক সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট, মিডিয়া
টেকনোলজি, সফটওয়ার, স্মার্ট সিটি, রোবটিকস টেকনোলজি,
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্টস, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি।।
অর্থাভাবে ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রীর গৃহকর্মী নেই!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কয়েকজন বন্ধু
সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বেতন কমে যাওয়ার কারণে
গৃহকর্মী রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ব্রিটেনের
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বন্ধুরা জানিয়েছেন, এখন
বরিসের কোনো গৃহকর্মী নেই। শুধু একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
রয়েছেন। কয়েক মাস আগে আবার বাবা হওয়ায় এখন অন্তত একজন
আয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন তিনি। কিন্তু তার বর্তমান বেতনে
আয়া রাখা সম্ভব হবে না। বরিসের আরেকজন সহযোগী বলেছেন,
ব্রিটেনের আগের অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো বরিসও
খুব খারাপ সেবা পেয়ে আসছেন। বরিসের বন্ধুরা জানান,
বরিসের বর্তমানে কোনও গৃহকর্মী নেই। বর্তমানে তার শুধু
বাড়িতে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে। এখন তিনি নিজ
ফ্ল্যাটে আটকে আছেন। ডাউনিং স্ট্রিট থাকার মতো সুন্দর
জায়গা নয় বলে উল্লেখ করেন তারা। ডাউনিং স্ট্রিট এলিসি
বা হোয়াইট হাউসের মতো নয়। যেখানে চাইলেই অনেক কিছু থেকে
সরে থাকা যায়। কারণ সেগুলো অনেক বড় পরিসরের। বরিস বা
কেরি গোলাপ বাগানে যেতে চাইলেও তাদের অফিসের মধ্য দিয়ে
যেতে হয় বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বছরে প্রায় দেড় লাখ পাউন্ড বেতন
পেয়ে আসছিলেন বরিস। স¤প্রতি এ বেতনের উল্লেখযোগ্য অংশ
কমানো হয়েছে। জনসন তার ছয় সন্তানের মধ্যে চারজনকে
পড়াশোনার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা দেয় বলেও জানায় তার
বন্ধুরা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দ্য ডেইলি
টেলিগ্রাফের সর্বোচ্চ সম্মানির কলাম লেখক ছিলেন বরিস
জনসন। লেখালেখি করে, বক্তব্য দিয়ে বড় অংকের অর্থ আয়
করতেন তিনি। এসব থেকে তিনি বছরে সাড়ে তিন লাখ পাউন্ডের
বেশি আয় করতেন বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে নেয়া
উচিত নয়- পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাফ কথা জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল
কমর জাভেদ বাজওয়া। পার্লামেন্টের নেতাদের তিনি বলে
দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর রেষারেষিতে সেনাবাহিনীকে
টেনে নেয়া উচিত নয়। দেশের কোন রকম রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয় সেনাবাহিনী। তবে
প্রয়োজন হলে বেসামরিক সরকারের পাশে দাঁড়াবে তারা। গত
সপ্তাহে পার্লামেন্টের নেতাদের সঙ্গে তার এক বৈঠকে এমন
আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র এক সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে
এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়,
অন্য বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে গিলগিট-বাল্টিস্তানের
প্রশাসনিক বিষয় ও ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি)
ভূমিকা নিয়ে সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া এবং
ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়েজ হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে
মিলিত হন পার্লামেন্টারি নেতারা। সূত্রের মতে, এতে
উপস্থিত ছিলেন পিএমএলএনের শাহবাজ শরীফ, খাজা আসিফ ও
আহসান ইকবাল।
অন্যদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতাদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শেরি রেহমান
প্রমুখ। সূত্র বলেছেন, গিলগিট-বাল্টিস্তানকে নতুন
প্রদেশ ঘোষণার জন্য বৈঠকে একমত হয়েছেন সবাই। কেন্দ্রীয়
রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ সোমবার একটি বেসরকারি নিউজ
চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত
করেছেন। বলেছেন, গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বৈঠক।
মন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলীয় এসব প্রতিনিধিকে
সেনাপ্রধান এটা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, সেনাবাহিনীকে
রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত হবে না। এনএবি চেয়ারম্যান বা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর
কিছুই করার নেই। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয়। রোববার
সর্বদলীয় কনফারেন্সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ
অগ্নিঝরা বক্তব্য রেখেছেন। এ বিষয়ে রশিদ বলেন, দেশের
প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের রাজনৈতিক
অধ্যায় বন্ধ করে দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। তার বক্তব্য
শাহবাজ শরীফের মিশনকে ডুবিয়ে দেবে। পিএমএএলএনের ভিতরেই
ফাটল দেখা দেবে।
জাতিসংঘের ৩
সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হলো বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৫৪ ভোটের মধ্যে ৫৩ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপি,
ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএস-এর নির্বাহী বোর্ডের ২০২১-২০২৩
মেয়াদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। নির্বাচনটিতে
একটি মাত্র সদস্য দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নব-নির্বাচিত এই নির্বাহী
বোর্ড কাজ শুরু করবে।
৫৪ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কাউন্সিল (ইকোসক) এর ৮টি অঙ্গ সংস্থার এই নির্বাচন ১৪
সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে
অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে
পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রা এবং
জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ ও তার কার্যনির্বাহী বোর্ডসমূহের
সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার কারণে বাংলাদেশ সুদৃঢ়
উত্তরাধিকার, বিশ্বাস ও আস্থার যে সম্পর্ক অর্জন করেছে
এ বিজয় তারই বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ বর্তমানেও ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী
বোর্ডের সদস্য। এছাড়া জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বর্তমানে
ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন
করছেন।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে
সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়ার প্রতিশ্র“তি বিএসএফ
মহাপরিচালকের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্দের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ
প্রাধান্য দেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী
বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাকেশ আস্তানা। শনিবার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মহাপরিচালক
(ডিজি) পর্যায়ের সম্মেলন শেষে তিনি এ কথা জানান।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পিলখানায়
বিজিবি সদর দফতরে এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে বিজিবির
মহাপরিচালক মোঃ সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের
প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিএসএফের তরফ থেকে অংশ নেয় রাকেশ
আস্তানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল।
সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন শূন্যের কোঠায়নামিয়েআনতে
বিজিবি-বিএসএফের সম্মতি ও যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের
মধ্য দিয়েশেষ হয়েছে এ সম্মেলন। ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে
দুই বাহিনী প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে বলা হয়, সীমান্তহত্যা শূন্যের কোঠায়নামিয়ে আনা,
মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র, মানবপাচার রোধ এবং
মানবাধিকারের বিষয় প্রাধান্য দেয়ার ব্যাপারে
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালকের পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছে
দুই বাহিনী।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও
বিজিবি সদরদফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড
ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব
করেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদরদফতরের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
৯৫ শতাংশ গৃহকর্মী
এখনো বেকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংক্রমণের শঙ্কায় বাসাবাড়িতে প্রবেশাধিকার মিলছে না
তিন বেলা খাবার জুটছে না, অনেকে রাস্তায় নেমে হাত পাতছে
স্বকর্মসংস্থানে বিশেষ ঋণ দেওয়ার পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর সাত মাস পার হতে
চলেছে। পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না।
কিন্তু সংক্রমণ রোধে গত মার্চে সরকার ঘোষিত সাধারণ
ছুটির পরই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
সংক্রমণঝুঁকি মাথায় নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে
সব কিছু। করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় বাসাবাড়িতে
প্রবেশাধিকার না মেলায় ৯৫ শতাংশ গৃহকর্মীই এখনো বেকার।
করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় মার্চ-এপ্রিলেই বেশির ভাগ
পরিবারে গৃহকর্মী বাদ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক এক
জরিপের তথ্য মতে, বর্তমান সময়ে এসে মাত্র ৫ শতাংশ
গৃহকর্মীকে পুনরায় কাজে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশই
এখনো বেকার। অনেকে গ্রামে ফিরে গেলেও সেখানেও বেকার বসে
থাকতে হচ্ছে। পেটের দায়ে অনেকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে
হাত পাতছে।
মিরপুর ১৩ নম্বরে প্রায় ১০ বছর ধরে গৃহকর্মীর কাজ করেন
জোহরা খাতুন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘করোনার আগে চার
বাসার কাজে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন পাইছি। অসুস্থ
স্বামী আর তিন মাইয়া নিয়া বস্তিতে থাকি। করোনা বাড়তে
থাকলে গত এপ্রিল মাসে আমারে সবাই বাদ দিছে। গত কয়েক
মাস বাড়ি বাড়ি ঘুরছি; কিন্তু কেউ আমারে রাখে না। সবাই
প্রশ্ন করে আমার করোনা আছে কি না, আমাদের বস্তিতে কার
কার করোনা হইছে, টেস্ট করাইছি কি না। টেস্ট করাইতে কুনো
যামু, তা-ও জানি না। এদিকে আয় না থাকায় ঘরভাড়া দিবার
পারি না। তিনবেলা খাবার জোটে না।
করোনা সংক্রমণের এই সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর,
খিলগাঁও, বাড্ডা ও মিরপুর এলাকায় গৃহকর্মীদের সার্বিক
অবস্থা পর্যবেক্ষণে নারী মৈত্রী একটি স্বল্পমেয়াদি
জরিপ চালিয়েছে। এতে বলা হয়, গৃহকর্মীদের শতকরা ৮০ জনের
ওপর তার শিশু সন্তান এবং ৩০ শতাংশের ওপর পরিবারের
বয়স্করা নির্ভরশীল। করোনা সংক্রমণে বেকার হয়ে পড়া এসব
শ্রমজীবীর মাত্র ৫ শতাংশ ছয় মাস পর এসে কাজ ফিরে পেয়েছে।
বাকিরা এখনো বেকার।
সরেজমিনে রাজধানীর ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া,
সেগুনবাগিচা, মিরপুর ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ
নিয়ে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের ভয়ে গত মার্চের শেষের
দিকে বা এপ্রিলের প্রথম ভাগ থেকেই বেশির ভাগ পরিবারে
বাইরের মানুষ প্রবেশ বন্ধ।
প্রথমবারের মতো
বিরোধী দলের আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে
চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি বিরোধী দল গঠন করেছে
ভিন্নমতাবলম্বীরা। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে
জানায়, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে
নির্বাসিত সৌদি নাগরিকেরা ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি
নামে ওই দল গঠনের ঘোষণা দেন।
এদিকে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, বাদশাহ সালমান বিন
আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বের
বিরুদ্ধে এটাই সৌদিতে প্রথম কোনো সংগঠিত রাজনৈতিক
প্রতিরোধ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব একটা
নিখুঁত রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। কোনো ধরনের রাজনৈতিক
বিরোধিতার সুযোগ নেই সেখানে। সম্প্রতি
ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন আরো বেড়েছে। এমন
প্রেক্ষাপটে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজতন্ত্রের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিরোধী দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হল।
এর আগে ২০০৭ ও ২০১১ সালেও বিরোধী দল গঠনের প্রচেষ্টা
নেওয়া হয়েছিল। যদিও গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ধরনের
বলপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে তা তখন দমন করা হয়।
এবার যারা দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন, বুধবার তাঁদের
পক্ষ থেকে বিবৃতি এসেছে। মূলত সেখানে দাবি করা হয়,
‘আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি নামের একটি
রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য সৌদি
আরবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
ঘোষিত রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে
জানিয়েছে, দলের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছেন
লন্ডনভিত্তিক বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ইযাহা আসিরি।
সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- শিক্ষাবিদ মাদায়ি আল-রশিদ,
গবেষক সাঈদ বিন নাসের আল-গামদি, যুক্তরাষ্ট্রে
নির্বাসিত আবদুল্লাহ আলাউদ এবং কানাডায় থাকা ওমর আবদুল
আজিজ।
পদত্যাগ করলেন
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আদিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন লেবাননের
প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আদিব। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে
নিজের সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ লেবাননের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া
এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রী নিয়োগের
বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মাইকেল আউনের সঙ্গে আলোচনার পরপরই
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন মোস্তাফা আদিব। খবর বিবিসি ও
আলজাজিরার।
৩১ আগস্ট দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে
সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পান তিনি।
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং সৌদি আরবের সমর্থন
পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির দলসহ ছোট ছোট
দলের বেশ কয়েকটি জোটই তাকে সমর্থন দেন। লেবাননের
ক্যাবিনেটে মন্ত্রিত্ব নিয়ে শিয়া মতাবলম্বী দুই দল
আমাল মুভমেন্ট ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে মতের
মিল না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে সরকার গঠনে জটিলতা।
২০১৩ সাল থেকে জার্মানিতে লেবাননের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও
দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফা আদিব। তিনি অন্তত ২০ বছর
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির উপদেষ্টা
ছিলেন। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে ভঙ্গুর লেবাননে এখন
কে হবেন প্রধানমন্ত্রী সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বিয়ের কিছু চমৎকার আইন!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
(এক) ঐচ্ছিক বিয়ের বয়স শুরু হতো আঠার থেকে। শেষ হতো
পঁচিশে। এর মধ্যে বিয়ে না করলে, তাকে বাধ্য করে বিয়ে
করানো হতো।
(দুই) যদি কেউ অসুস্থতার অজুহাত দেখাতো, তদন্ত করে দেখা
হতো, বক্তব্যটা সঠিক কি না। রোগটা নিরাময়যোগ্য হলে,
সুস্থ্য হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় চাপ স্থগিত রাখা হতো।
আর দুরারোগ্য ব্যধি হলে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই বিয়ে
করতে বাধা দেয়া হতো।
(তিন) পঁচিশ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কেউ বিনা কারণে বিয়ে
না করে থাকতো, তার আয়/ব্যবসা বা সম্পদের এক চতুর্থাংশ
কেটে রাখা হতো। জব্দকৃত অর্থ নিয়ে বিবাহোচ্ছুক গরীবদের
বিয়ের বন্দোবস্ত করা হতো।
(চার) পঁচিশের পরও বিয়ে না করলে, তাকে রাষ্ট্রীয় কোনও
চাকুরিতে নেয়া হতো না। কোনও সংগঠনেও ভুক্তি দেয়া হতো
না। আর চাকুরিতে থাকলে, ইস্তেফা দেয়া হতো।
(পাঁচ) কোনও ব্যক্তির বয়স যদি পঞ্চাশ হয়ে যায়, ঘরে বিবি
থাকে একটা, কিন্তু তার আর্থিক সংগতি ভালো, তখন তাকে
সামাজিক কোন কাজে অর্থ দিয়ে অংশগ্রহণ করতে বলা হতো।
গ্রহণযোগ্য কোনও কারণ দেখিয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে,
সামর্থ্য অনুসারে অন্তত এক থেকে তিনজন এতীমের
ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হতো।
(ছয়) আঠার থেকে পঁচিশের মধ্যে যদি কোনও গরীব যুবা বিয়ে
করতো, তাকে হুকুমতের পক্ষ থেকে ১৫৯ থেকে শুরু করে ৩০০
দুনমা পরিমাণের জমির বন্দোবস্তি দেয়া হতো। চেষ্টা করা
হতো জমিটা যেন তার বাড়ির কাছাকাছি কোথাও হয়। এক দুনমা
সমান: ৯০০ মিটার।
(সাত) গরীব বর যদি কারিগর বা ব্যবসায়ী হয়, তাকে
পূঁজিপাট্টা দেয়া হতো। কোনও বিনিময় ছাড়াই। তিন বছর
মেয়াদে।
(আট) ছেলে বিয়ে করার পর, বাবা মায়ের সেবা করার জন্যে
আর কোনও ভাই না থাকলে, বরকে বাধ্যতামূলক সেনাকার্যক্রম
থেকে রেহাই দেয়া হতো। তদ্রুপ মেয়ের বিয়ের পর যদি বাবা
মায়ের সেবার জন্যে ঘরে কেউ না থাকে, মেয়ের জামাইকেও
বাধ্যতামূলক সেনা কার্যক্রম থেকে রেহাই দেয়া হতো।
(নয়) পঁচিশের আগেই বিয়ে করে তিনসন্তানের বাবা হলে,
নৈশস্কুলে বিনামূল্যে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেয়া
হতো। সন্তান তিনজনের বেশি হলে, তিনজনের লেখাপড়ার
ব্যবস্থা বিনামূল্যে করা হতো। বাকী সন্তানদের জন্যে দশ
টাকা করে বরাদ্দ করা হতো। তের বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত।
কোনও মহিলার ঘরে যদি চার বা তার চেয়ে বেশি ছেলে সন্তান
থাকতো, তাকে মাথাপিছু ২০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হতো।
(দশ) কোন ছাত্র লেখাপড়ার কাজে ব্যস্ত থাকলে, লেখাপড়া
শেষ হওয়া পর্যন্ত বিয়ে স্থগিত রাখার অনুমতি দেয়া হতো।
(এগার) কোনও কারণে স্বামীকে অন্য এলাকায় থাকতে হলে,
বাধ্য করা হতো সাথে করে স্ত্রীকেও নিয়ে যেতে!
যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণে স্ত্রীকে সাথে নিতে না পারলে,
স্বামীর যদি আরেক বিয়ে করার সামর্থ থাকতো, তাকে
কর্মস্থলে আরেক বিয়ে করতে বাধ্য করা হতো। তারপর চাকুরি
শেষে নিজের এলাকায় ফিরলে, দুই স্ত্রীকেই সমান অধিকারে
রাখতে বাধ্য করা হতো।
বর্তমানের প্রেক্ষাপটে আইনগুলো হয়তা বেখাপ্পা শোনাবে,
কিন্তু সমাজে প্রচলিত সব ধরনের অনাচার রোধে, আইনগুলো
বেশ কার্যকর বলেই মনে হয়।
নারী ও শিশু সংবাদ
১১৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ইউএনও
তমাল হোসেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং প্রতিরোধে নাটোরের গুরুদাসপুর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন শুরু থেকেই
নিয়েছিলেন অনন্য উদ্যোগ। তিনি গত ১৪ মাসে ১১৪টি
বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।
যোগদানের পর থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে,
ইভটিজিং, মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন উপজেলা
হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। ফলে উপজেলার
একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় সব জায়গায় তার
ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়েছে। ছোট-বড় প্রায় সবাই এখন তার
ভক্ত।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
আকলিমা, নবম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়াসহ বেশ কয়েকজন
জানায়, নতুন করে তারা আবার স্কুলে যেতে পারছে। তাদের
স্বপ্ন এক দিন বড় হয়ে দেশ ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
বিয়ে হলে এ স্বপ্ন আর পূরণ হতো না। ইউএনও তমাল হোসেনের
প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা এটাও
জানায় যে, তাদের স্কুলের গেটে স্থাপন করা হয়েছে
বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং প্রতিরোধে করণীয় বিলবোর্ড।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা জানান, ইউএনও
তমাল হোসেনের সঙ্গে বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং প্রতিরোধে কাজ
করে যাচ্ছেন তিনি। বাল্যবিয়ের খবর পাওয়া মাত্রই তা
বন্ধ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে জরিমানা-মুচলেকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ে
একটি অভিশাপ। কারণ এর ফলে একজন মেয়ের শিক্ষা যেমন বন্ধ
হয়ে যায়, পাশাপাশি সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। মেয়েরা
যেন তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বিঘেœ যেতে পারে এবং
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ থাকে, সে বিষয়টি সর্বাধিক
গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
মাদারীপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ,
মেয়ের বাবাকে জরিমানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদারীপুরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর
বিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাঁচখোলা
ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে
বন্ধ করে প্রশাসন।
জানা যায়, পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা গ্রামে
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর বিয়ের আয়োজন
করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়
আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
বাল্যবিয়ের আয়োজন করার দায়ে মাদ্রাসাছাত্রীর বাবাকে ১৫
হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
ইউএনও মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস জানান, প্রাপ্ত বয়স্ক না
হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়া
মেয়ের বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে এ
অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মহামারীতে বাল্যবিয়ে
বেড়েছে দুই গুণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে দুই গুণ
বৃদ্ধি পেয়েছে। মা-বাবা অনেকটা নীরবে লুকিয়ে কিশোরী
মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছু
বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেলেও বেশির ভাগই আটকানো যাচ্ছে
না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামেই বেশি
বাল্যবিয়ে ঘটছে। বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত
জেলা এবং উত্তরাঞ্চলে বেশি ঘটছে বাল্যবিয়ে। এ ক্ষেত্রে
ভোলা, রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলা এগিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, দরিদ্র পরিবারের দৈনিক উপার্জন কমে
যাওয়া, শহর থেকে অনেক পরিবারের গ্রামে স্থানান্তর হওয়া,
অসচেতনতা, কন্যাসন্তানের ভরণপোষণ ও নিরাপত্তা দিতে না
পারা, মহামারীতে কম খরচে ও যৌতুক ছাড়া বিয়ে দেওয়ার
জন্য অভিভাবকরা সন্তানকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।
ছদ্মনাম লাবণ্য আক্তার (১৬)। কুমিল্লার এ কিশোরী জুনের
প্রথম দিকে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে চাইল্ড হেল্পলাইন
১০৯৮-এ ফোন দিয়ে সাহায্য চায়। কিশোরীটিকে জোর করে বিয়ে
দেওয়া হচ্ছিল। লাবণ্য হেল্পলাইনে জানায়, গ্রামবাসী তার
বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করার পরও পরিবার তাকে জোর করে বিয়ে
দিচ্ছে। সে-যাত্রায় লাবণ্যকে স্থানীয় প্রশাসন
বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। জানা যায়, করোনা
সংক্রমণের কারণে কিশোরীর বাবার উপার্জন বন্ধ হয়ে
যাওয়ায় কঠিন সময় পার করছিল তাদের পরিবার। এজন্যই
মেয়েটির বিয়ের আয়োজন। জানা যায়, সমাজসেবা অধিদফতরের
আওতায় এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮
সারা দেশে বিপদে পড়া শিশুদের সাহায্য করে থাকে। প্রতিটি
উপজেলায় চাইল্ড হেল্পলাইনের মোবাইল টিম আছে। ইউনিয়ন
পর্যায়েও সংস্থাটির কর্মীরা কাজ করছেন। এ ছাড়া সরকারি
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো
এ হেল্পলাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করছে।
চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮-এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে
জানা যায়, এ সাহায্যকারী সংস্থার কাছে
বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ফোনকলের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ
বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক পরিবারই করোনার কারণে আর্থিকভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্রামে ফিরে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকায় মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এসব
কারণে মহামারীতে বাল্যবিয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আবার করোনাকালে দেশে অনেক প্রবাসী অবিবাহিত
যুবক ফিরে এসেছেন। তারাও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের বিয়ে
করেছেন।
হেল্পলাইনের ব্যবস্থাপক চৌধুরী মো. মোহাইমেন বাংলাদেশ
প্রতিদিনকে বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশে
বাল্যবিয়ের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি
বছরের এপ্রিলে চাইল্ড হেল্পলাইনে বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত
৪৫০টি ফোনকল আসে। অথচ মার্চে এ সংখ্যা ছিল ৩২২। তিনি
বলেন, ‘আগে যেখানে আমরা বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ১০০টি কল
পেতাম, এখন সেখানে ১৮০টি ফোন পাচ্ছি।’ বাল্যবিয়ের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তালিকায় থাকা বিশ্বের প্রথম দিকের
দেশগুলোর একটি। ইউনিসেফের তথ্যে, এ দেশের ৫৯ শতাংশ
কিশোরীর বিয়ে ১৮ বছরের আগেই হচ্ছে। আর ২২ শতাংশের বিয়ে
হচ্ছে ১৫ বছরের আগে। বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য
ফাউন্ডেশন’ ৫৭ হাজার নারী-শিশুকে ফোন দিয়ে একটি জরিপ
প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়, চলতি বছরের জুনে ৫৩টি
জেলায় ৪৬২টি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নারীনেত্রী ও
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার
স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মালেকা বেগম বাংলাদেশ
প্রতিদিনকে বলেন, ‘মহামারীর এই সময়ে ঘর থেকে কেউ বের
হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। কারও সঙ্গে
আমরা কথা বলতে পারছি না। কারও কাছে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি না।
মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো না। আমরা যদি সামাজিক
দূরত্ব ও নিরাপত্তার আহ্বানই করতে থাকি, তাহলে করোনার
সময় বাল্যবিয়ে রোধ করা কঠিন। আবার বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে
নারী সংগঠনগুলোও আন্দোলন করছে না, যা বাল্যবিয়ে
বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ।
বাল্যবিয়ে রুখে দিল
পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রতœাগাড়ী
গ্রামে গতকাল বাল্যবিয়ে রুখে দিল থানা পুলিশ। জানা যায়,
কাহালু উপজেলার রতœাগাড়ী গ্রামের আজিম উদ্দিনের
স্কুলপড়ুয়া মেয়ে আরফিন খাতুনের (১২) সঙ্গে একই উপজেলার
সাবানপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে লাজিম ইসলামের
(১৬) বিয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বাল্যবিয়ের
খবর পেয়ে কাহালু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে
গ্রামের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়।
পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না
দেওয়ার অঙ্গীকারনামায় অভিভাবকের স্বাক্ষর নেয়।
বগুড়ার কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়া লতিফুল
ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত
বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার নামায়
স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
নকলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছর
কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শেরপুরের নকলার পাঠাকাটা গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে
অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে রানা মিয়া (২১) নামে এক যুবককে
৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শিশু আদালতের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার দুপুরে
এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত রানা মিয়া নকলা উপজেলার
পাঠাকাটা পূর্ব গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে। জামিন
নিয়ে পলাতক থাকায় আসামি রানা মিয়ার অনুপস্থিতিতে
বিচারক এ রায় দেন। শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হত্যা ও গণধর্ষণের
দুই মামলায় সাত জনের ফাঁসি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজবাড়ীতে নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের মামলায় তিনজন ও
খুলনার রূপসায় মাদ্রাসাছাত্র মুসা শিকদার (১১) হত্যা
মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছে পৃথক দুই আদালত।
পাশাপাশি দুই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে
বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান,
রাজবাড়ীতে নারী চিকিৎসক গণধর্ষণ মামলার রায়ে তিন
আসামিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুর
১২টায় রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর
খালাস দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজবাড়ী সদর
উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের রানা মোল্লা (২৭) ও হান্নান
সরদার (৩২) এবং খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের
মামুন মোল্লা (২২)। রায় ঘোষণার সময় দ প্রাপ্তরা আদালতে
উপস্থিত ছিলেন। রাজবাড়ীর জর্জ কোর্টের পাবলিক
প্রসিকিউটর মো. উজির আলী শেখ বলেন, দীর্ঘ সময়ের
বিচার-বিশ্লেষণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায়
দিয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ অত্যন্ত খুশি হয়েছে। এ রায়ের
বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান আসামি
পক্ষের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি
রাতে ওই নারী চিকিৎসক ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার
উদ্দেশে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় এসে গাড়ির জন্য
অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় দন্ড প্রাপ্তরা তাকে
গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ব্যাটারিচালিত
অটোরিকশায় উঠিয়ে বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর নিহাজ জুট
মিল এলাকায় একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, খুলনার রূপসা এলাইপুরে
মাদ্রাসা ছাত্র মুসা শিকদার (১১) হত্যা মামলায় চার
আসামিকে মৃত্যুদ ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে
অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মুসাকে অপহরণের দায়ে
ওই চার আসামিকে ১০ বছরের কারাদ ও ২০ হাজার টাকা করে
অর্থদ দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে এক বছরের কারাদ দেওয়া হয়।
রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- বনি আমিন (২৫),
রাহিম শেখ (২২), রাজু শিকদার (২৩) ও নুহু শেখ (৩৫)।
রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রায়ে অপর দুই আসামি জসিম শিকদার ও সিরাজ শিকদারকে
খালাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক
মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। নিহতের মা
মামলার বাদী রশিদা বেগম বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি
সাজা হয়েছে আসামিদের। তিনি দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি
জানান। নিহত মুসা এলাইপুর গ্রামের মুস্তাকিম সিকদারের
ছেলে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা মুসা
শিকদারকে দোকান থেকে অপহরণ ও পরে হত্যা করে লাশ নদীতে
ফেলে দেয়। ২০ সেপ্টেম্বর মুসা শিকদারের লাশ আঠারবেকি
নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রশিদা বেগম
বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা করেন। পরে গ্রেফতার হওয়া
চার আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দি দেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে তদন্ত কর্মকর্তা
ডিবির এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল
করেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মুসাকে শ্বাসরোধ করে
হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
শেরপুর জেলা
কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সুফিয়া বেগম (৫০) নামে এক
নারী হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে অসুস্থ
হওয়ার পর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুফিয়া পার্শ্ববর্তী
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেছেরচর গ্রামের মৃত
আইয়ুব আলীর স্ত্রী।
জেলা কারাগারের জেলার তরিকুল ইসলাম জানান, ডলার
জালিয়াতি মামলার আসামি হিসেবে গত ২৬শে আগস্ট ওই নারী
কারাগারে আসেন। বুধবার রাত পৌণে ১০টার দিকে তিনি
কারাগারে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে জেলা সদর
হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। তিনি আরও
জানান, সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর স্বজনরা
লাশ নিতে চাইলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খাইরুল
কবীর সুমন জানান, বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ওই নারী
হাজতিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার লাশ
হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ
আল মামুন জানান, ওই নারী সদর থানার ডলার জালিয়াতি
মামলার আসামি। তাকে গত ২৬শে আগস্ট আদালতের মাধ্যমে
কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। জেলা সদর হাসপাতালের দেওয়া
তথ্যের প্রেক্ষিতে ওই ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু
মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন
হয়েছে। এখন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে
জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ওই নারীর ময়নাতদন্তের
প্রস্তুতি চলছে।
মুক্তিপণের টাকা না
পেয়ে শিশু হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অপহরণের পর মুক্তিপন না পেয়ে তিন বছরের শিশু হত্যার
অভিযোগে গাইবান্ধায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গোবিন্দগঞ্জের রোয়া গ্রামের
বাসিন্দা মাহফুজার রহমান, মফিদুল ইসলাম ও সালদার রহমান।
গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে
এই রায় প্রদান করেন।
গাইবান্ধার পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি সফিকুল ইসলাম সফিক
বলেন, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারী দন্ডপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের বাসিন্দা
মেজবাউল ইসলামের তিন বছরের শিশুপুত্র রাফসান সামিকে
মুক্তিপণের দাবীতে অপহরন করেন। ঘটনা জানাজানি হলে
অপহরনকারীরা শিশুকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাশরোধ করে হত্যা
করে। তারপর তার লাশ খড়ের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ২ জানুয়ারী অপহরনকারীদের বাড়ির
পার্শে খড়ের নিচ থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে
নিহতের স্বজনরা। এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা
দায়ের করা হলে তদন্তকারী দারোগা মিজানুর রহমান লাশ
উদ্ধার করে।
পরে অভিযুক্ত ও দন্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে আসামি করে আদালতে
চার্জশীট দাখিল করা হয় । দীর্ঘদিন মামলার যুক্তিতর্ক
শেষে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ
আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক অভিযুক্ত তিনজনকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা ঘোষনা
করে রায় প্রদান করেন।
যৌতুকের মামলায়
এএসপি কারাগারে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস
সাকিবের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল ঢাকার-৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া নাজমুস সাকিবের বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা
খালেদা সুলতানাকে জামিন দেন বিচারক।
ওই আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,
মা-বাবাসহ নাজমুস সাকিব আইনজীবীর মাধ্যমে গতকাল আদালতে
আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক নাজমুস
সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮
আগস্ট বাবা-মাসহ এএসপি নাজমুস সাকিবকে চার সপ্তাহের
আগাম জামিন দেয় হাই কোর্ট। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন
আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জামিনের মেয়াদ শেষ
হওয়ায় তারা গতকাল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায়
এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার
স্ত্রী। মামলার অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে মার্চে
নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই
শ্বশুর মোঃ সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা
সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব
প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় বাদীর বাবার
কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে না
পারায় আসামিরা বাদীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন
করতেন। নির্যাতনের ভয়ে বাদী তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই
টাকা এনে আসামিদের দিতেন। আরও অভিযোগ করা হয়, ওই সময়
বাদী গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা
আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করানোর
জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নাজমুস
সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে বাদীনীকে গর্ভপাত করান।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
আপেল শুধু উপকারীই
নয় ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উপকারী ফল আপেলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, যেগুলো
সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। সেগুলো সম্পর্কে
অবশ্যই সবার জানা দরকার। আপেলের একাধিক স্বাস্থ্য
উপকারিতার জন্য অসুস্থ হলে চিকিৎসকেরাও রোগীকে আপেল
খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াও
ভালবেসে দিনে একটা বা দুটো আপেল অনেকেই খান।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চ-এর
গবেষকদের মতে, আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি
প্রায় ২৩ শতাংশ কমে যায়। তাদের দাবি, আপেলের মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনল থাকে যা অগ্ন্যাশয়ে
ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আপেলের
মধ্যে ট্রিটারপেনয়েডস নামের এক ধরনের উপাদানের সন্ধান
দিয়েছেন। এই ট্রিটারপেনয়েডস স্তন, লিভার এবং কোলোন
ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এ ছাড়াও আপেল খেলে
ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৮ শতাংশ কমে যায়। কারণ,
আপেলের মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করারর ভারসাম্য
সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
তবে এই উপকারী ফলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে যা
আপনার স্বাস্থ্যহানি, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে
পারে! আসুন এ বার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পরিবারের কারও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আপেল থেকে দূরে
থাকাই ভাল। কারণ আপেলের গায়ের লেগে থাকা মোম
অ্যালার্জির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আপেলের গায়ে
লেগে থাকা মোমে যে সালফার ডাই অক্সাইড থাকে তার প্রভাবে
গলা খুসখুস করা, বমি বমি ভাব-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
কৃত্রিম উপায়ে আপেলের ফলন বাড়াতে এবং কীট-পতঙ্গের হাত
থেকে বাঁচাতে আপেলেই যে সবচেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার
করা হয়, একাধিক সমীক্ষায় তার প্রমাণ মিলেছে। আমাদের
শরীরে এই কীটনাশকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক
ক্ষতিকর! পানি দিয়ে ধোওয়ার পরও আপেলকে কীটনাশকের
প্রভাবমুক্ত করা যায় না। ফলে স্বাস্থ্যহানির একটা ঝুঁকি
থেকেই যায়।
আপেলের বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর!
আপেলের বীজ পেটে চলে গেলে তা স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি
মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। একটা বা দুটো বীজে
তেমন কোনও মারাত্মক ক্ষতি না হলেও পেটে খিঁচুনি, বমি
বমি ভাব, মাথা ব্যথা, অস্বাভাবিক ক্লান্তি-সহ একাধিক
শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বেশ কয়েকটা আপেলের
বীজ চিবিয়ে খেলে তা থেকে শরীরে মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে
পারে।
আপেলের বীজে থাকা অ্যামিগডালিন অত্যাধিক পরিমাণে শরীরে
মিশলে তা রক্তের অক্সিজেনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
বাধাপ্রাপ্ত হয় রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক সরবরাহ। ফলে
মিনিট খানেকের মধ্যেই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! যত খুশি
আপেল খান। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উল্লেখিত এই বিষয়গুলো
মাথায় রাখলেই চলবে।
নাকের স্প্রেতে কমবে
করোনা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস নিয়ে এখন চারিদিকেই নানা রকম চিন্তাভাবনা
চলছে। বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছে করোনা
ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের করবার জন্য। আর সেই পথেই আরও
একটু এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া । করোনা ভ্যাকসিন এখনও
আবিষ্কৃত না হলেও একটি ন্যাজাল স্প্রে আবিষ্কার করেছে
মেলবোর্নের বায়োটেক কোম্পানি এনা রেসপিরেটরি। চলতি
বছরেই মানব দেহে এই স্প্রে -এর ফেস য়ান ক্লিনিক্যাল
ট্রায়াল শুরু হবে, ইতিমধ্যেই প্রাণীদের শরীরে এটি
প্রয়োগ করে উল্লখযোগ্য সাড়া মিলেছে। এনা রেসপিরেটরি-র
ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড : ক্রিস্টোফে ডিমেসন জানিয়েছেন,'
প্রাণীদের ওপর এই স্প্রে প্রয়োগ করে ৯৬ শতাংশ সাফল্য
এসেছে। পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে
ভাইরাসকে নির্মূল করার ক্ষমতা রয়েছে এই স্প্রে-এর।গবেষকরা
জানিয়েছেন যে, এই ভ্যাকসিন সাধারণত ইনফেকশনের যে পথ
সেই পথেই এই ভাইরাসকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই ন্যাজাল স্প্রের সাহায্যে যে
ভ্যাকসিনেশন দেয়া হবে তাতে থাকবে ডবল প্রটেকশন যৌথ
নিরাপত্তা।
মানে যিনি ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নোবেল করোনাভাইরাসে
ভুগেছেন তিনি এই গোত্রের যেকোনও রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
সঙ্গে গবেষকদলের এক সদস্য যোগ করেছেন যে আরও এক বছর
হয়তো সময় লাগবে এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে বাজারে আনতে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, ইনজেকশনের থেকে ন্যাজাল স্প্রে
অনেক বেশি কার্যকর বলে তাঁরা মনে করছেন এবং তাঁরা মনে
করছেন একটি মানুষকে স্প্রে দেওয়া অনেক বেশি সহজ। তাই
আপাতত অতিমাত্রায় তৈরী করে অনেক বেশি সহজে ন্যাজাল
স্প্রে ব্যবহার করার উপায় করা হবে। শুধু তাই নয় এর
কার্যকারিতা ভ্যাকসিনের মতোই হবে।অর্থাৎ ভাইরাসের
সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের এই স্প্রে প্রয়োগ করলে
ভাইরাস নির্মূল হবে। ইনট্রানাসাল স্প্রে বর্তমানে ফ্লু
ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং শিশু ও
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়
, যারা সাধারণত ইনজেকশন থেকে দূরে থাকতে চান । যদিও এই
মুহূর্তে এর ঘন ঘন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলছেন
গবেষকরা। আগামীদিনে ভ্যাকসিনের পরিবর্তে নাসাল
স্প্রে-এর ব্যবহার নিয়ে আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন
তাঁরা। মানব দেহে প্রয়োগের জন্য এনা রেসপিরেটরি
সংস্থাটি ১১.৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে এবং আগামীদিনে
মানব দেহে এই পরীক্ষা ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনে আরো
অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মানসিক চাপ
থেকে ব্রণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শুধু শারীরিক সমস্যাই করে না
স্ট্রেসের কারণে ত্বকে ব্রণ বা একনি হতে পারে। প্রবল
মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন নি:স্বরণের গতি বেড়ে
যায়। আর এই হরমোন একনি সৃষ্টিতে সহায়ক। এছাড়া স্ট্রেস
একনির অবস্থার অবনতি ঘটাতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর।
স্ট্রেস দু’ভাবে একনি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এক: স্ট্রেস বা
মানসিক চাপের কারণে এড্রিনাল গান্ডকে স্টিমুলেট করে।
ফলে অধিক হরমোন নি:সরিত হয়। দুই: মানসিক চাপের কারণে
বিদ্যমান একনি নিরাময়ের গতি মন্থর হয়। এড্রিনাল গান্ড
থেকে নি:সৃত কর্টিসোল হরমোন ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থিকে
অতিরিক্ত তেল বা সেবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক
তৈলাক্ত হয়ে পড়ে এবং ত্বকের পোরস বা ক্ষুদ্রাতি
ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একনি বেড়ে যায় এবং
ব্যাকটেরিয়া থেকে একনির তীব্রতায় প্রদাহ হতে পারে। আর
যদি একনির এ অবস্থায় দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না দেয়া যায়
তবে একনি থেকে ক্ষত তৈরী হয় এবং মুখের ত্বকে স্কার
সৃষ্টি হয়। তাই ত্বকের ব্রণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে শুধু
ওষুধই যথেষ্ট নয়, মানসিক চাপ থাকলে তা অবশ্যই কমাতে হবে।
তা না হলে একনির তীব্রতা কমানো যাবেনা। শুধু কর্টিসোল
হরমোন নয়, শরীরে টেসটেসটেরণ হরমোনের আধিক্যের কারণেও
অয়েল গান্ড স্টিমুলেটেড হয়। এ কারণেও একনি বাড়তে পারে।
তাই একজন দক্ষ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা নেয়া খুবই দরকার। তবে ইদানিং অনেক একনি
আক্রান্ত রোগী দেখা যায় যারা একনির ক্ষেত্রে বিকল্প
চিকিৎসার প্রলোভনে আকৃষ্টি হন। লেজার, ফ্যাসিয়াল বা
হারবাল চিকিৎসা কোন কিছুতেই একনির সম্পূর্ণ নিরাময়
সম্ভব নয়। একনির যথাযথ চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই
প্রটোকল অনুযায়ী একনির ধরণ বুঝে চিকিৎসা দিতে হবে।
অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ভুল চিকিৎসায় একনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়
এবং ত্বকে স্থায়ী ক্ষত বা গর্ত তৈরী হতে পারে। তাই
একনির সমস্যা অবহেলা করা বাঞ্জনীয় নয়। যদি মানসিক চাপ
কমানোর মত অবস্থা না থাকে এবং যে কারণে আপনার মানসিক
চাপ তৈরী হচ্ছে সে পারিপাশ্বিকতার নিরসন না ঘটে তবে
প্রতিদিন খানিকটা হালকা ব্যায়াম বা জগিং করলেও স্ট্রেস
অনেক খানি কমতে পারে। পাশাপাশি একনি প্রবণ ত্বকের অয়েল
কন্ট্রোলে ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড কোন ভালো
ক্লিনজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি প্রয়োজন সাউন্ড ¯িপ
বা ভালো ঘুম। এছাড়া হালকা মেজাজে থাকতে চেষ্টা করুন।
বই পড়ুন। সম্ভব হলে কমেডি ছবি দেখুন। এতে আপনার
স্ট্রেস কমতে পারে। যার ফলশ্র“তিতে একনি কমতে সহায়ক হবে।
চুলকানির রহস্যভেদ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চুলকানির রহস্য আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। চুলকানির
অনুভূতি সৃষ্টির জন্য দায়ী স্নায়ুকোষ বা নিউরন শনাক্ত
করেছেন তারা। এ আবিষ্কারের ফলে চুলকানিনিরোধ ওষুধ
তৈরিতে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদ
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের। আগে ধারণা করা হতো, ব্যথার
অনুভূতি এবং চুলকানির জন্য একই নিউরন কাজ করে। নতুন
গবেষণায় জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখেন,
এমআরজিপিআরএ৩ নামে এক ধরনের স্নায়ুকোষ বা নিউরন
বিশেষভাবে চুলকানির অনুভূতি সৃষ্টি করে। এ স্নায়ুকোষ
ব্যথার অনুভূতি তৈরি করে না। নেচার নিউরোসায়েন্স
জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে তারা বলেন, এক দশকের
বেশি সময় ধরে গবেষণা শেষে এ নিউরন শনাক্ত করা সম্ভব
হয়েছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্টিস্ট শিন জং
দং একটি ইঁদুরের জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই নিউরন শনাক্ত করেন।
গবেষকদের আশা, এ নিউরন আবিষ্কারের ফলে চুলকানিরোধক
ওষুধ তৈরিতে অসামান্য অগ্রগতি হবে।
ওষুধ ছাড়া ঠান্ডার চিকিৎসা
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত সমস্যা।
ওষুধের দোকানে তাই বিক্রিও বেড়ে গেছে। শীত মৌসুমে
মুড়িমুড়কির মতো ওষুধ না খেয়ে রোগ এড়াতে একটু সচেতন হোন।
এতে বিব্রতকর রোগগুলো হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। ওষুধের
বিকল্প হিসেবে নিচের পদ্ধতিগুলোয় অভ্যস্ত হলে ঠান্ডার
রোগ পালাবে এমনিতেই।
বারবার হাত ধোয়া : অধিকাংশ ঠান্ডাজনিত ভাইরাস সরাসরি
সংস্পর্শে সংক্রমিত হয়। কারও কাছ থেকে এ ভাইরাসগুলো
আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিস যেমন- টেলিফোন,
মোবাইল ফোন, কি-বোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে একজন থেকে
অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। এই জীবাণুগুলো মানুষের দেহ ছাড়াও
ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কখনও কখনও কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকে।
এই সময়ে তাই সারা দিনই কয়েকবার হাত ধুতে হবে। যদি হাত
ধোয়ার সুযোগ না থাকে, এক হাত দিয়ে আরেক হাত কয়েক মিনিট
ভালো করে ঘষতে হবে। এতেও ঠান্ডার জীবাণু কিছুটা দূর হবে।
মুখে হাত দেওয়া যাবে না : ঠান্ডা ও ফ্লু ভাইরাসগুলো
মানুষের দেহে প্রবেশ করে সাধারণত চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে।
খেলার ছলে শিশু হাত মুখে পুরে দেয়। হামাগুড়ি দিয়ে
বেড়ায় সারা ঘর। একজনের কোল থেকে যায় অন্য কোলে। এভাবেই
কোনো এক সময় সংক্রমিত হয়ে পড়ে শিশু। নিজের ও শিশুর
ঠান্ডা এড়াতে তাই পরিষ্কার না করে মুখম লে হাত দেওয়া
যাবে না।
পানি পান : পানি শরীরের ভেতরকার তন্ত্রগুলোর সুরক্ষায়
কাজ করে। শরীর থেকে বের করে দেয় ক্ষতিকর উপাদান। একজন
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন আট আউন্স পরিমাণের আট
গ্লাস পানীয় দরকার। আমরা কি তা গ্রহণ করছি এটা কিন্তু
সহজেই বোঝা যাবে প্রস্রাবের রঙ দেখে। যদি প্রস্রাবের
রঙ পানির মতো হয় তবে ঠিক আছে। যদি গাঢ় হলুদ হয় তাহলে
বুঝতে হবে, শরীরে পানির ঘাটতি আছে। তাই পানি পান করতে
হবে আরও।
ছেঁক নেওয়া : বিশেষজ্ঞরা এখনও খুব জোর দিয়ে বলতে
পারছেন না যে, ছেঁক ঠান্ডা প্রতিরোধে কার্যকর। কিন্তু
১৯৮৯ সালে জার্মানির এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা সপ্তাহে
দুই দিন ছেঁক নেন, অন্যদের তুলনায় তাদের ঠান্ডা লাগার
প্রবণতা অনেক কম। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো, যখন ছেঁক
নেওয়া হয় তখন উচ্চ তাপমাত্রায় গরম বাতাস
শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় দেহের ভেতর প্রবেশ করে। এই
তাপমাত্রায় সাধারণত ঠান্ডার জীবাণুগুলো বাঁচতে পারে
না।
ব্যায়াম নিত্যদিন : হৃৎপিন্ডের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়
ব্যায়াম। রক্ত চঞ্চল হয়ে ওঠে শরীরে। অক্সিজেন ফুসফুস
থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কোষ থেকে কোষে। শরীরে তৈরি হয়
তাপ। সেই সঙ্গে ঘাম। ফলে শরীরে তৈরি হয় ভাইরাস
প্রতিরোধী কোষ।
ধূমপান বর্জন : অতিধূমপায়ীদের ঠান্ডাজনিত রোগে
আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে অন্যদের তুলনায়।
ধোঁয়া নাসারল্প্রব্দ শুষ্ক করে ফেলে এবং নাকের ভেতরের
সিলাগুলো কর্মক্ষমতা হারায়। এই সিলার স্বাভাবিক
নড়াচড়ায় ঠান্ডার ভাইরাসগুলো নাসারল্প্রব্দ থেকে বেরিয়ে
যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু ধূমপানের ফলে এই অংশটি দুর্বল
হয়ে পড়ায় প্রায় বিনাবাধায় ঠান্ডার জীবাণুগুলো ঢুকে পড়ে
দেহে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ছাড়তেই হবে ধূমপান।
দই খেতে হবে : দই উপাদেয় খাদ্য তো বটেই, তাকে আরও এক
ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বেশকিছু গবেষণা। সেখানে বলা হয়,
প্রতিদিন অল্প ফ্যাটের এক কাপ দই ঠা া সংক্রমণের
পরিমাণ কমিয়ে দেয় ২৫ শতাংশ। বিশ্লেষজ্ঞরা মনে করেন,
দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতায় কার্যকর এবং ঠান্ডাজনিত রোগের বিরুদ্ধে
শক্তিবলয় তৈরি করতে সাহায্য করে।
ঠান্ডায় হাড় ব্যথা : বাতাসের আর্দ্রতা এবং আনুষঙ্গিক
পরিবেশ শরীরের ছোট-বড় জয়েন্টের ওপর প্রভাব ফেলে। এ সময়
শরীরের কোথাও সামান্য আঘাত পেলে তা বেশি অনুভূত হয় এবং
যারা আগে থেকেই বাতের ব্যথায় ভুগছেন তাদের ব্যথা বেড়ে
যায়। শীতে ব্যথা বাড়ার বেশ কিছু যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
প্রথমত, বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও কমতে থাকে। এজন্য
হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। এ সময় রক্ত মূলত হৃৎপি এবং
মস্তিষ্কে বেশি প্রবাহিত হয়। এতে জয়েন্ট এবং শরীরের
অন্যান্য অংশে, বিশেষত হাতে ও পায়ে রক্ত প্রবাহ কমে
যায় এবং সেখানে উষ্ণতা হ্রাস পায়। দ্বিতীয়ত, শীতে
বাতাসের চাপ কমে যায়, এতে ব্যথা বেড়ে যায়। একে বলা হয়
প্রেসার ফেনোমেনা। বায়ুচাপ কমে গেলে স্বভাবতই জয়েন্টের
ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর প্রশস্ততা বেড়ে যায়, যা জয়েন্টের
ভেতরে-বাইরে প্রভাব ফেলে এবং ব্যথা বেড়ে যায়। প্রকৃত
অর্থে জয়েন্টে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, বাতাসে বায়ুচাপ
কম থাকা এবং জয়েন্ট পার্শ্ববর্তী ত্বক শীতল হওয়াই শীতে
ব্যথা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ। এ সময় ত্বকের তাপমাত্রা
সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে,
যা বছরের অন্য সময়ে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা আরও বেশি
থাকে। শীতে ত্বক শীতল থাকায় ব্যথা অনুভবের স্নায়ুগুলো
অধিক স্পর্শকাতর থাকে, তাই অল্পতেই বেশি ব্যথাবোধ হয়।
যেমন- একটি ক্রিকেট বল ওপরে ছুড়ে তা আবার মুষ্টিবদ্ধ
করতে গরমকালের চেয়ে শীতে বেশি ব্যথা লাগে।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
নতুন গবেষণা সুখবর
দিল করোনা রোগীদের জন্য
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুখবর দিল নতুন
একটি গবেষণা। সম্প্রতি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার
করেছেন যে, যেসব ওষুধে রক্ত পাতলা হয়ে যায় সেগুলো করোনা
রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে পারে।
কোভিড-১৯য়ে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসে মারাত্মকভাবে
রক্ত জমাট বাঁধার কারণেই অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন
তথ্য উদঘাটন করেছেন লন্ডনের বিশেষজ্ঞরা।
এসব রোগীদের ক্ষেত্রে যদি রক্ত পাতলাকারী ওষুধ ব্যবহার
করা যায় তবে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে আনা
সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে
হাসপাতালগুলোকে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাদের
অবস্থা খুবই জটিল তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধ
প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মধ্যে সম্পর্ক
খুঁজে পেয়েছেন রয়্যাল ব্রুম্পটন হসপিটালের একদল
বিশেষজ্ঞ।
তারা উচ্চতর প্রযুক্তির ক্যাট স্ক্যান ব্যবহার করে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের ফুসফুসের ছবি বিশ্লেষণ করে
দেখেছেন। ছবিতে দেখা গেছে, এসব রোগীদের ফুসফুসে রক্ত
প্রবাহ অনেক কম। এমনকি ফুসফুসের ছোট ছোট অংশ রক্ত জমাট
বেঁধে থাকে।
সানডে টেলিগ্রাফকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, এ
থেকেই সহজে ব্যাখ্যা করা যায় যে, কিছু রোগী কেন রক্তে
অক্সিজেনের অভাবে লাঙ্গস ফেইলারে মারা যায়।
অধিকাংশ কোভিড রোগীই অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে মারা
যান। এদিকে, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ওপেনসো
বলেছেন, আমরা এর আগে অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রেই রক্ত
জমাট বাঁধার এমন ঘটনা দেখিনি।
তবে রয়্যাল ব্রুম্পটনের চিকিৎসকরা বলছেন, রক্ত
পাতলাকারী ওষুধ রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে
ব্যবহার করতে হবে।
করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারক অনুজীব
বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এর মতে করোনাকে অঙ্কুরে
বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ
মাধ্যমে।
অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্য
কেন্দ্রের র্যাপিড ডট ব-ট কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান
বিজ্ঞানী। ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর
ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে ডেঙ্গুর
কুইক টেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবকও ড. বিজন। ২০০৩ সালে তিনি
সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেন।
এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা।
বর্তমানের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মূলত সার্স-২
ভাইরাস। সার্সের ভয়াবহতার কথা মনে করে মানুষ যেন
আতঙ্কিত না হয় সেজন্য বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ নামকরণ
করেছিল।
প্রচারবিমুখ ড. বিজন কুমার শীল সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া
একান্ত সাক্ষাৎকারে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে কয়েকটি
সহজ পদ্ধতি অনুসরণের কথা উল্লেখ করেছেন। তার সহজ ঘরোয়া
পদ্ধতিগুলো তুলে ধরা হলো :
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ পএকটি
হচ্ছে, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার পেয়ারা, লেবু, আমলকি
অথবা ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেতে হবে। এর সঙ্গে সম্ভব হলে
প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন সি
এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে
এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আরেকটি হচ্ছে কেউ যদি আক্রান্ত হন, যেমন গলাব্যথা,
শুকনো কফ ছাড়া কাশি, কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না।
এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য
ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে
পানি পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।
এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বেশি কড়া না হালকা রং চা
বারবার খাওয়া, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা। এর চেয়ে ভালো
উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম
করলে কালোমতো একটা রং হবে। এর সঙ্গে সামান্য মধু বা
চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে খেলে অথবা এই পানি দিয়ে গারগল
করতে হবে। এর ফলে গলায় যে ভাইরাসগুলো থাকে সেগুলো মারা
যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের
এন্টিসেপ্টিক গুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার
টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রোধ করে।
আপনার জ্বর হোক বা না হোক, এই মুহূর্তে আমাদের সবার
উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গারগল
করা। এর ফলে শরীরে যদি ভাইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর
বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা ভাইরাস না আরও অনেক
ইনফেকশনকে রোধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে
পারে, তাহলে তার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
করোনা ভাইরাসের কারণে যদি কখনও কারও পেটের সমস্যা দেখা
দেয় তাহলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ
হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে
তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এসময় এমন রোগীকে
এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।
করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও যাদের বাইরে কাজ করতে
হয়, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী, সাংবাদিক,
স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যদের করণীয় সম্বন্ধে ড. বিজন কুমার
শীল বলেন, করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তো
আর আক্রমণ করে না। সময় নিয়ে আসতে আসতে শরীরের মধ্যে
বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বাসায় ফিরে গরম পানি পান করা,
এক কাপ হালকা রং চা খাওয়া, নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির
ভাপ নেয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো
হয়। তাহলে নাকটা আরও ভালোমতো পরিষ্কার হয়ে যাবে, ফলে
ভাইরাস ঢুকলেও শরীরের মধ্যে বাড়তে এবং সুবিধা করতে
পারবে না।
২২ ঘন্টা রোজা রাখতে হয় যে শহরে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উপবাস আর আতœসংযমের মধ্যদিয়ে সিয়াম পালন করছে সারা
বিশ্বের মুসলমান। কিছু কিছু দেশ ও শহর আছে যেখানে দিন
দীর্ঘ হয়, তাই অধিবাসীদেরও দীর্ঘসময় রোজা রাখতে হয়।
তেমনি একটি শহর উত্তর গোলার্ধের রেইকিয়াভিক। এটি
আইসল্যান্ডের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর। এ শহরে দিনের
আলো থাকে ২১ ঘন্টা। ফলে শহরের মুসলিমদের উপবাস থাকতে
হয় দীর্ঘ ২২ ঘন্টা। রাতে খাওয়া দাওয়ার জন্য তারা সময়
পান মাত্র ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
রেইকিয়াভিকে বাস করেন প্রায় ১ হাজার মুসলিম। শহরে
সূর্যাস্ত হয় ১২ টা ২ মিনিটে। আর তার দেড় ঘন্টা পরই ১
টা ৩০ মিনিটে ফজরের আজান হয়। ফলে মুসলিমরা দীর্ঘ ২২
ঘন্টা রোজা রাখেন এ শহরে। সক্ষম মানুষরা এটি মেনে
চললেও বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী অনেক সময় দীর্ঘ রোজা রাখেন না।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ ইসলামি থিংক ট্যাঙ্ক কুইলিয়াম
ফাউন্ডেশনের শেখ ড. উসামা হাসানের ফতওয়া হচ্ছে- যারা
উত্তর গোলার্ধে বসবাস করেন তারা প্রয়োজন ও পরিস্থিতি
বুঝে ১২,১৪ বা ১৬ ঘন্টা রোজা রাখতে পারেন। তবে এ
বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে নিউইয়র্ক
ইউনিভার্সিটির ইসলামিক সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক
ইমাম খালিদ লতিফ বলেন, ‘সময় অনুযায়ী উপবাস থাকা উচিত।
যদি দীর্ঘ দিনের সময়কে কমিয়ে এনে রোজা রাখা হয় তবে তাতে
সমস্যা হতে পারে। যেমন আলাস্কাতে ১৯ ঘন্টা রোজা রাখতে
হবে এবং হেলসিনকিতে ১৮ ঘন্টা। এর বিপরীতে বুয়েনোস
আইরেস শহরে মাত্র ৯ ঘন্টা রোজা রাখতে হয়।
সকালে মেথি চা খেলে যেসব রোগ কাছেও
ঘেষবে না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দিয়ে তৈরি। একই
ধরনের অনেক কোষ মিলে দেহে কলা ও গ্রন্থতৈরি হয়। এ
কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায় এবং পুরনো
কোষের জায়গায় নতুন কোষ জন্ম নেয়। কোষগুলো নিজেরাই
বিভক্ত হয়ে নিজেদের বৃদ্ধি ঘটায়। এ বৃদ্ধি স্বাভাবিক,
নির্দিষ্ট ও নিয়মিতভাবে সংগঠিত হয়। এর মাধ্যমে মানুষের
শরীরের কলাগুলোর কোষসংখ্যা বজায় থাকে।
ক্যানসারের কারণ : ক্যানসার হওয়ার কারণ নিয়ে
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবে
সাধারণ কিছু বিষয় ক্যানসার তৈরির কারণ হতে পারে বলে মনে
করা হয়। যেমন- বয়স বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এর ফলে কোষগুলো স্বাভাবিক ক্ষমতা
হারায় এবং টিউমার তৈরির আশঙ্কা দেখা দেয়। ৬০ থেকে ৭০
শতাংশ ক্ষেত্রে সাধারণত বয়স্কদের ক্যানসার হতে দেখা
যায়।
খাবার এবং জীবনযাপনের ধারা : খাবার এবং জীবনযাপনের
ধারার সঙ্গেও ক্যানসারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যেমন-
ধূমপান বা মদ্যপানের সঙ্গে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালির এবং
যকৃৎ বা লিভার ক্যানসারের যোগসূত্র রয়েছে। একই ভাবে
পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি
খাবারের সঙ্গেও ক্যানসারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পরিশ্রম বিমুখতা : সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করলে
ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
পারিবারিক ইতিহাস : ক্যানসারের সঙ্গে জিনগত সম্পর্ক
রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে পরিবারের কারো
যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে, তাহলে
অন্যদেরও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে
যায়।
পরিবেশ এবং পেশাগত কারণ : রাসায়নিক পদার্থের কারণেও
ক্যানসার হতে পারে। যেমন- মেসোথেলিওমিয়ায় (এক ধরনের
দুর্লভ ক্যানসার। এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের
কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই
এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এ ক্যানসারে
আক্রান্ত হন। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য।
রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত
হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ক্যানসার প্রতিরোধে প্রাকব্যবস্থা : নিয়মিত কিছু বিষয়
মেনে চললে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। যেমনÑ
প্রতিদিন নিয়মিত কিছু সময় ব্যায়াম করা। মাংস খাওয়া
বন্ধ করে দেওয়া বা কমিয়ে দেওয়া। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি,
ফলমূল এবং আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া। চর্বিজাতীয় খাবার কম
খাওয়া। ধূমপান বা মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া বা পরিমাণ কমিয়ে
আনা। পান-সুপারি জর্দা, তামাকপাতা খাওয়া বন্ধ করা। রোদে
বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন মেখে বের হওয়া। নিয়মিত
ডাক্তার দেখানো। তা সম্ভব না হলে শরীরে কোনো
অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া। বয়স
পঞ্চাশের বেশি হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে
শরীর পরীক্ষা করানো।
লেখক : মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট ও ক্যানসার মেডিসিন
বিশেষজ্ঞ চিফ মেডিক্যাল অফিসার
সব ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে
শুধুই গরম পানি!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ভয়াল থাবা বসিয়েছে মহামারি
করোনা। এই করোনা থেকে দূরে থাকতে কত কিছুই না করছি আমরা।
নেওয়া হয়েছে হাজারো ব্যবস্থা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা,
বাইরে না যাওয়া, বারবার হাত পরিষ্কার করা, মাস্ক
ব্যবহারের মতো অনেক অভ্যাস তৈরি করে নিচ্ছি বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ অনুযায়ী।
এরপরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর আরও কিছু পন্থা
বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা।
জার্মান প্রবাসী জাহিদ আল আমীন জানিয়েছেন, করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক তাকে ঘরে থেকেই কিছু
ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত গরম পানির ভাপ নেওয়ার পরামর্শ
দেন। এর ফলে মাত্র কয়েক দিনেই তিনি করোনামুক্ত হন। সব
সময় করোনার আতঙ্কে না থেকে সর্দি-কাশি বা হালকা জ্বর
হলে ঘরেই কীভাবে প্রতিকার পেতে পারেন জেনে নিন:
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদার আর মধুর চা
পান করুন
দুষ্প্রাপ্য ঔষধি, চিয়া বীজের চাষ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পুষ্টি ও ঔষধি গুণসম্পন্ন ‘চিয়া’ বীজ চাষে সফলতা
পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরে
নুরুল আমিন নামে এক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু
করেছেন। ঔষধি গুণসম্পন্ন দানাদার ফসল চিয়ায় প্রচুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস,
ক্যান্সার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিয়া ফসল
ব্যাপক ভূমিকা রাখবে- এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মশিউর
রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ও মাটি এ চিয়া
ফসলের চাষ উপযোগী। রবি ফসল চাষযোগ্য যে কোনো জমিতে
‘চিয়া’ চাষ সম্ভব। কৃষক সহজেই এ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ
করতে পারবেন। মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, কানাডা,
কলম্বিয়াসহ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ওষুধি ফসল হিসেবে
‘চিয়া’ চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকে এর চাষ সম্পর্কে
জানতে নুরুল আমিনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর চাষ
সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন,
অন্যদিকে স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে। নুরুল
আমিন জানান, পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্যের পর এবার ৪৫ শতক
জমিতে এ চিয়া ফসল চাষ করেছেন। আশা করছেন এখান থেকে
প্রায় ১০০ কেজি চিয়া পাবেন। তিনি জানান, অক্টোবরে চিয়া
বীজ বপন করতে হয়। ১১০-১২০ দিন পর এর ফল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এক আমদানিকারকের কাছে এ চিয়া প্রতি কেজি ১
হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
ভ্রমণে বমি এড়াতে আপনি কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়।
এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ)
জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়।
এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি
প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু
খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু
খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের
জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের
আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি
প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে
ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে
থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি
ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি
দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু
মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের
অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব
কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ
এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো
কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে
চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে
পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের
জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে
পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি
ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান
করতে পারে ভ্রমণের আগে।
ধূমপানে সিজোফ্রেনিয়া
ধূমপানের সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়া রোগের যোগসূত্র রয়েছে বলে
আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের কিংস কলেজের এক
দল গবেষক ৬০টির বেশি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন,
ধূমপায়ীদের সিজোফ্রেনিয়া রোগ বা ‘দ্বৈত সত্তা’র
সমস্যায় ভোগার প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা
বলছেন, সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিতে
পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ‘সাইকোসিস’ বা যে
মানসিক বৈকল্যের কারণে মানুষ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক
হারিয়ে ফেলে তার সঙ্গে ধূমপানের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু
এত দিন ধূমপানকে এর কারণ হিসেবে দেখা হতো না বরং মনে
করা হতো, এই মানসিক অবস্থা রোগীকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ
করছে।
Top
আইন কনিকা
হিন্দু বিধবারা
স্বামীর সব সম্পত্তির ভাগ পাবেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হিন্দু বিধবা নারীরা শুধু স্বামীর বসতভিটা নয়, সব
সম্পত্তির ভাগ পাবেন বলে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল
বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক হাই কোর্ট
বেঞ্চ এ রায় দেয়। এক হিন্দু পরিবারের সম্পত্তির বিষয়ে
দায়ের করা মামলায় এ রায় দিলেন উচ্চ আদালত। হাই কোর্টের
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিন্দু বিধবা নারীর
আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ নাফিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, হিন্দুদের মধ্যে সাধারণত বিধবা নারীরা
স্বামীর বসতভিটার মালিকানা লাভ করতেন। এ রায়ের ফলে
হিন্দু বিধবা নারীরা এখন থেকে কৃষিজমিরও ভাগ পাবেন। ৮৩
বছর ধরে স্বামীর কৃষিজমিতে কোনো অধিকার ছিল না হিন্দু
বিধবাদের। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এ অসঙ্গতি দূর করে
রায় দিল হাই কোর্ট।
বিধবা বৌদি তার স্বামীর কৃষিজমি পাওয়ার অধিকার রাখে
না, এমন দাবি করে ১৯৯৬ সালে খুলনার আদালতে মামলা করেন
জ্যেতিন্দ্রনাথ ম-ল। এতে নি¤œ আদালত বলে, বিধবারা
স্বামীর অকৃষিজমির অধিকার রাখলেও কৃষিজমির অধিকার
রাখেন না। আপিল করার পর জেলা জজ দেন ভিন্ন মত। রায়ে বলা
হয়, বিধবারাও স্বামীর কৃষিজমির অংশীদার হবেন। বিষয়টি
পরে উচ্চ আদালতে আসে। ১৯৩৭ সালের হিন্দু বিধবা সম্পত্তি
আইনে, স্বামীর অকৃষিজমির অধিকার দেওয়া হলেও কৃষিজমি
থেকে বঞ্চিত করা হয় স্ত্রীদের। আইনটি নিয়ে দুই পক্ষের
দীর্ঘ শুনানি শেষে অ্যামিকাস কিউরির মত নেয় হাই কোর্ট।
গতকাল আদালত রায়ে জানায়, হিন্দু বিধবারা স্বামীর
কৃষিজমিরও মালিক হবেন।
যৌন হয়রানির মামলায়
ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ না করে ব্যতিক্রমী রায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মাগুরায় অশ্লীল ছবি সংরক্ষণ এবং প্রচারের অভিযোগে
দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগীর প্রকৃত নাম প্রকাশ না করে
ব্যতিক্রমী এক রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ জিয়াউর রহমান সোমবার কলেজপড়ুয়া
ভুক্তভোগীকে কল্প নামে অভিহিত করে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি যুবায়ের হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই
বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভুক্তভোগী পাবেন হবে
নির্দেশনা দেন বিচারক।
দেশের বিচার ব্যবস্থায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কিংবা
বিচারপ্রার্থীর নিজ নামের পরিবর্তে প্রতীকী নামে রায়
ঘোষণার ইতিহাস এটিই প্রথম বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে
ঘনিতার সুযোগে ওই কলেজছাত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি
মোবাইল ফোনে ধারণ করেন জুবায়ের। বিষয়টি জানতে পেরে
মেয়েটি তার সাথে সম্পর্কের ইতি টানেন। এ অবস্থায়
মোবাইল থাকা ছবিগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে দেন
জুবায়ের।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট
থানায় মামলা করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদা বেগম তার মক্কেলের নাম
গোপন রাখা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায়
এ ধরনের রায়ের কোনো নজির না থাকায় বিচারক ভারতের
সুপ্রিম কোর্টের নির্ভয়ার মামলা এবং ব্রিটিশ সুপ্রিম
কোর্টে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই আসামির
প্রকৃত নামের পরিবর্তে এন ওয়ান এবং এইচ ওয়ান অভিহিত করে
রায় দেয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুজ্জামান বাচ্চু বলেন,
ব্রিটেন আইন করে ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ধর্ষণসহ যৌন অপরাধে
ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধ। আমাদের দেশেও নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী
ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ পায় এমন কিছু প্রকাশ নিষিদ্ধ।
কিন্তু তা কেউ মানছেন কেউ মানছেন না। এ অবস্থায়
ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করে রায় দেয়ার ঘটনা অবশ্যই
ইতিবাচক।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|
|