BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover January 2020

English Part January 2020

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


বাংলাদেশে
সব ধর্মের মানুষের সমানাধিকার রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। যে কোনো ধর্মের উৎসব আয়োজনে সরকার প্রতিবছরই সহযোগিতা করে থাকে। এবারও খ্রিষ্টান ধর্মের বড়দিন উপলক্ষে সহযোগিতা করা হয়েছে। যাতে বড়দিনে প্রত্যেকে মিষ্টিমুখ করতে পারেন। ২৩ ডিসেম্বর বিকালে গণভবনে খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুসলমানরা যেমন ১০০ টাকার মাধ্যমে তার সন্তানদের সম্পত্তি হেবা করে দিতে পারেন, এই সুযোগ খ্রিষ্টানদের ছিল না। আমরা আইন করে আপনাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে একই টাকায় এ ধরনের সম্পত্তি দেয়ার বিধান করেছি। ফলে আপনাদের সন্তানদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে উলে­খ করে প্রধানমন্ত্রী খ্রিষ্টান ধর্মের ধনাঢ্যদের ওই ট্রাস্টে অনুদান দেয়ার আহŸান জানান। তিনি বলেন, আপনারা গণভবনে এসেছেন, গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মানুষের সেবা করার জন্যই রাজনীতি করতেন। মানুষ যেন দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায়, সেজন্য তিনি কাজ করছেন। যারা মানুষের জন্য কাজ করেন, তাদের কেন এভাবে ব্যথা পেতে হয় তা জানি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মাধ্যমে সারাবিশ্বে থাকা এ ধর্মের মানুষের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, সমান সুযোগ নিয়ে বসবাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।
 

 
২০১৮ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন

 ডিসেম্বর ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৭ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে ডিসেম্বর ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৭৭টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ডিসেম্বর ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৭৭ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ০৫ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪১ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২২ জন , বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ০৬ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ০২ জন, অপহরণ হত্যা ০৯ জন, গুপ্ত হত্যা ০৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ০৯ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৮৪ জন, আত্মহত্যা ২১ জন।
ডিসেম্বর ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উলে­খযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৪৬ জন, যৌন নির্যাতন ১৫ জন, যৌতুক নির্যাতন ৭ জন,
এসিড নিক্ষেপ ১ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
 

 

 BHRC টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ৯:৩০টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ৮ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জোয়াহেরুল ইসলাম।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব ছিলেন BHRC’র টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নাসরিন জাহান খান বিউটি।
সম্মেলনে বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, টাঙ্গাইল জেলা গভর্নর সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কৃষিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট ইসমত পাশা, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল­া, জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ’র টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ রিপন।
সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা ও জামালপুর জেলা অধিভুক্ত সকল শাখার দুই সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।
 

   ভারতে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে মুসলিমদের ২০০ গুণ বেশি জরিমানা
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
ভিসা শেষে ভারতে অবস্থান করলে মুসলিমদের হিন্দুদের চেয়ে কমপক্ষে দুইশো গুণ বেশি জরিমানা গুণতে হবে। ভারতের এমন পদক্ষেপকে ধর্মীয় বৈষম্য হিসেবে উলে­খ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়।
ভারতের বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিসের (এফআরআরও) পক্ষ থেকে তাদের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ভিসার মেয়াদের চেয়ে দুই বছর অতিরিক্ত সময় ভারতে অবস্থান করলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জরিমানা হবে ৫০০ রুপি। তিন মাসের বেশি সময় অবস্থান করলে জরিমানা ২০০ রুপি এবং তিনমাসের কম সময় অবস্থান করলে ১০০ রুপি জরিমানা গুনতে হবে।
অন্যদিকে, যদি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের কোনো মুসলিম তার ভিসার মেয়াদের চেয়ে দুই বছর ভারতে বেশি অবস্থান করেন তাহলে তার জরিমানা হবে ৫০০ মার্কিন ডলার (৩৫ হাজার রুপি), তিন মাস অবস্থান করলে ৪০০ মার্কিন ডলার (২৮ হাজার রুপি), তিন মাসের কম অবস্থান করলে ৩০০ মার্কিন ডলার (২১ হাজার রুপি) জরিমানা গুণতে হবে।
 

 

 

BHRC বগুড়া আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC “বগুড়া আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন” ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ টিটো মিলনায়তন, সাতমাথা, বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বগুড়া ৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ হাবিবর রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বগুড়া অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুন নবী বুলু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, বগুড়া পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা, বিপিএম-বার, BHRC রাজশাহী বিভাগীয় গভর্নর মোঃ আবুল হোসেন, BHRC রংপুর বিভাগীয় গভর্নর এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, BHRC’র ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সরদার সালাহউদ্দিন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার চন্দন কুমার দেব, জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আরাফাত হোসেন মুন। সম্মেলনে সাতশত মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন BHRC বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল মাহমুদ।

 


 

পিয়াজ ছাড়া রান্নায় বাজারে এল পিয়াজের পাউডার!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের বাজারে এখনও কমেনি পিয়াজের দাম। অন্যদিকে প্রতিবেশি দেশ ভারতেও পিয়াজের ঝাজ বেড়েছে। তাই সেখানে পিয়াজ ছাড়া রান্নায় পিয়াজের স্বাদ পেতে পিয়াজের সুগন্ধিযুক্ত পাউডার বের করা হয়েছে। ফলে পিয়াজ ছাড াই রান্নায় মিলবে পিয়াজের স্বাদ।
আদা-রসুন বাটা প্যাকেট করে বহুদিন ধরেই বাজারে বিক্রি হলেও পেঁয়াজ সেভাবে প্যাকেটজাত হতে দেখা যায়নি। এই প্রথম এমনটি দেখা গেল ভারতে।
সংস্থাগুলো দাবি করছে, আসল পিয়াজের নির্যাস থেকেই এই পাউডার আর সেন্ট বানানো হচ্ছে। যদিও তা যাচাই করে দেখা হয়নি। পিয়াজের এই সেন্ট আর পাউডার আদৌ খাওয়ার উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন মানুষ।
ব্যবসায়ীদের দাবি, পিয়াজের দাম যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে কোনোভাবেই ব্যবহার করা সম্ভব নয়। পিয়াজের এই পাউডার বা সুগন্ধির দাম ধরা হয়েছে ৭০ গ্রাম ৮০ টাকা।
তবে বাংলাদেশেও ই-কমার্স সাইটগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে এই পিয়াজ পাউডার।

 

৭১তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন

স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথ পালন করলেই মানবাধিকার আন্দোলন সফল করা সম্ভব


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭১তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর অধিভুক্ত সকল শাখা কমিটির তিন সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে এক র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটি ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যাত্রা করে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার প্রধান অতিথি হিসেবে র‌্যালীর নেতৃত্ব দেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উলে­খ করেন, প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলেই মানবাধিকার আন্দোলন সফল করা সম্ভব। তিনি বলেন, উপস্থিত মানবাধিকার কর্মী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দগ যে যে অবস্থায় কর্মরত আছেন তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশে একটি মানবাধিকার সম্মত সমাজ গড়ে উঠবে। কেউ দায়িত্ব পালন করবে না, কেউ করবে তাহলে মানবাধিকার আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মানবাধিকার আন্দোলনকে সফল করতে হলে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের প্রশাসন কর্তৃক মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তা করতে হবে, যাতে করে নির্বিঘেœ মানবাধিকার কর্মীরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
BHRC সদর দপ্তর আয়োজিত র‌্যালীতে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ক অঞ্চল) এর সভাপতি মোঃ হারুন-অর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা সেন্ট্রাল রিজিওনাল ব্রাঞ্চের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর উত্তর-পশ্চিম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি রাজিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ।



যুক্তরাজ্যের ভিসা সহজ হলো বাংলাদেশিদের জন্য


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ, আধুনিক ও উন্নত করতে কার্ড এবং অনলাইন পেমেন্ট/ট্রানজেকশন সুবিধা সংযোজন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউকে ভিসা ও ইমিগ্রেশন (ইউকেভিআই)।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ যুক্তরাজ্যের ঢাকা হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউকে ভিসা আবেদনের জন্য এর আগে শুধু নগদ অর্থ বা ক্যাশ জমা দেয়ার সুযোগ ছিল। ১৭ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা ইউকে ভিসা আবেদনের আগের প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করেছে এবং পেমেন্ট করার জন্য গ্রাহকদের বিকল্প সুযোগ দিচ্ছে।
গত বছর (২০১৮ সাল) ২৫ হাজার বাংলাদেশি প্রায় সব ক্যাটাগরিতে ইউকে ভিসা পেয়েছেন। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের ইউকে ভিসা পাওয়া বেড়েছে শতকরা ২৬ ভাগ। এছাড়াও প্রায় শতকরা ৮৫ ভাগ বাংলাদেশি আবেদনকারী ১৫ কর্মদিবস বা তার চেয়ে কম সময়ে ইউকে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছে।
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি ইউকে ভিসা আবেদনকারীদের আরও আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাতেই ভিসা আবেদনে কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ইউকে ভিসা প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকার অবগত। এ কারণেই আমরা ইউকে ভিসা প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব দক্ষ ও উন্নত করে তুলছি।
এই ঘোষণাটি সেই লক্ষ্য অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের ভিসা সার্ভিসে আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া সংযোজন অর্থ আদান-প্রদানকে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করে গ্রাহকদের স্বস্তি দেবে। এ নতুন সুবিধাটি পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য চালু করছে ইউকেভিআই’র বাণিজ্যিক পার্টনার ভিএফএস। এ সময়ে ভিসা আবেদনকারীরা চাইলে নগদ অর্থ বা ক্যাশ টাকার মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে। কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট সুবিধার সংযোজন সম্পর্কে পরিকল্পনার বিস্তার ঘটাতে যুক্তরাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বাংলাদেশিদের মতামত জানতে আগ্রহী।

 

  থামছেই না যৌন হয়রানি জড়িত শিক্ষকরাও 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একের পর এক ঘটছে যৌন হয়রানির ঘটনা। কখনো ছাত্রনেতা, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আবার কখনো বাস চালক কিংবা সহকারীর যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন ছাত্রীরা। এমনকি কিছুসংখ্যক শিক্ষকের কাছেও ছাত্রীরা নিরাপদ নন। গত এক বছরে কমপক্ষে ১৫ ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে গত এক মাসে চারটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় দিন দিন যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
চবির রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘সর্বশেষ আরমান হেলালীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর চবির জীববিজ্ঞান অনুষদের উচ্চমান সহকারী আরমান হেলালী এক ছাত্রীর বোনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে অনৈতিক প্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আরমান হেলালী। একই দিন ক্যাম্পাস থেকে নগরীতে যাওয়ার পথে অপর এক যাত্রীর যৌন হয়রানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এক ছাত্রী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যাত্রী জামাল উদ্দিনকে আটক করে হাটহাজারী পুলিশ। এর আগে ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যাত্রীবাহী বাসে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন আরেক যাত্রী। পরে মানিক মিয়া নামের ওই যাত্রীকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক ছাত্রী বাসে পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে আসছিলেন। বহদ্দারহাট নতুন চান্দগাঁও থানার সামনে সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয় বাসটির হেলপার। কিন্তু ওই ছাত্রীকে সামনে নামিয়ে দেবে বলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বাসের হেলপার। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি নামতে চাইলে বাধা দেয়। পরে ওই ছাত্রী ৯৯৯ নম্বরে কল দিতে চাইলে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে ছাত্রী লাথি দিয়ে বাসের দরজা খুলে লাফ দেন। পরে মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে স্টাটাস দিলে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে।
গণপরিবহনে যৌন হয়রানির এ চিত্রকে ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলছেন সমাজবিজ্ঞানী, মানবাধিকারকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তারা। পরিস্থিতির উন্নতিতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর জোর দেন তারা।

 

 স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই। ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি রাজধানীর এ্যাপোলো হসপিটালসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে এ্যাপোলো হসপিটালসে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। বিশ্ববরেণ্য এই সমবায় সংগঠকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী, শুভাকাক্সক্ষী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হাসপাতালে ছুটে যান। পরিবারের পাশাপাশি ব্র্যাক পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফজলে হাসান আবেদের লাশ এ্যাপোলো হসপিটালসের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবারও হিমঘরে থাকবে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক সেন্টারে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁর লাশ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।


   আলাস্কায় মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় গত ১০ দিন ধরে তাপমাত্রা জিরোর উপরে উঠেনি। তাপমাত্রা নামতে নামতে প্রায়ই রেকর্ড হচ্ছে আলাস্কায়। শীতে তাপমাত্রায় মঙ্গলগ্রহের তাপমাত্রাকে পাল­া দিচ্ছে আলাস্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় স্থানীয় সময় ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তাপমাত্রা মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সেখানকার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানা গেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট (২৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। আলাস্কার ফেয়ারব্যাংক শহরের জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০১২ সালের পর এ তাপমাত্রা



 

 ‘নাগরিকত্ব আইন ও একজন ইন্দুলেখা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইন্দুলেখা পার্থান। মাত্র ১৮ বছর বয়সী আইনশাস্ত্রের একজন ছাত্রী। তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী নন, নন কোনো নেতা। কিন্তু তিনিই ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। চারদিক থেকে পাচ্ছেন শত শত অভিনন্দন বার্তা ও ফোনকল। তার মধ্যে রয়েছেন একজন সাবেক এমপি। তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়া হিট করেছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং এনআরসি’র প্রতিবাদে ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে স্পৃহা ছড়িয়ে পড়েছে, যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তার অনেক ছবির মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে ইন্দুলেখার ছবি।
এর কারণ তিনি প্রতিবাদ বিক্ষোভে পরেছিলেন একটি বোরকা এবং একটি হিজাব। তার হাতে ছিল একটি প্ল্যাকার্ড। তাতে ইংরেজিতে লেখা ‘মিস্টার মোদি, আই অ্যাম ইন্দুলেখা। আইডেন্টিফাই মি বাই মাই ড্রেস?’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমি ইন্দুলেখা। আপনি কি আমাকে আমার পোশাক দিয়ে শনাক্ত করবেন? এ খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক অনলাইন টেলিগ্রাফ।
গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংসতা করছে তাদেরকে পোশাক দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। ফলে ইন্দুলেখা যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা মোদির প্রতি একটি সরাসরি বার্তা। ইন্দুলেখা কেরালার আরনাকুলামে গভর্নমেন্ট ল’ কলেজের প্রথম বষর্েূর ছাত্রী। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য নন। তা সত্তে¡ও তিনি নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু বোরকা পরে, হিজাব পরে। এ ধারণা কীভাবে পেয়েছেন সে সম্পর্কে ইন্দুলেখা জানিয়েছেন, অন্য ১৪টি কলেজের সঙ্গে আরনাকুলায় পরিকল্পিত তিন কিলোমিটার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সম্পর্কে তিনি ভারতের দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, সিনিয়র শিক্ষার্থী ভাইবোনরা আমাদের ক্লাসে গিয়েছিলেন। তারা জানতে চেয়েছিলেন আমাদের ভেতর কেউ কি কড়া প্রতিবাদের কোনো ধারণা দিতে পারি কিনা। আমার এই পোশাকের বিষয়ে আমি তাদেরকে ধারণা দেই। সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার ধারণাটি গ্রহণ করেন। সিনিয়ররা অবিলম্বে সবকিছুর আয়োজন করেন। তারা আমার পোশাক ও প্ল্যাকার্ড তৈরি করে দেন। সেই পোশাক পরেই আমি বিক্ষোভে যাই। হাতে ধরি সেই প্ল্যাকার্ড।
এর পরপরই ইন্দুলেখার ওই ছবি সবচেয়ে বেশি শেয়ার হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইন্দুলেখা বলেন, আমি যেহেতু কাউকে অবমাননা করার চেষ্টা করছি না, তাই আমি কোনো কিছু থেকে ভীত নই। আমি শুধু পোশাক ও একটি প্ল্যাকার্ডের সাহায্যে আমার মনের কথা বলতে চেয়েছি।
 

মিয়ানমারের বর্বরতার বর্ণনা দিলেন আবু বকর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দায়েরকৃত মামলার শুনানির শুরুতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বোধ হত্যাকাণ্ড বন্ধে দেশটির প্রতি আহŸান জানিয়েছেন গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে এ মামলার শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, গাম্বিয া যা বলছে তা হলো আপনি মিয ানমারকে এই নির্বোধ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে বলুন।
দ্য হেগে রোহিঙ্গা গণহত্যার এ বিচারপ্রক্রিয়ায় দেশের হয়ে আইনি লড়াই চালাতে আদালতে উপস্থিত রয়েছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামাবাদু।
মামলার শুনানির শুরুতে তিনি বলেন, বর্বর এবং নৃশংস এসব কাজ; যা আমাদের সবার বিবেককে আঘাত করেছে। এটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। নিজ দেশের মানুষকে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। হেগের আদালতে এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মামলায় গণহত্যার দায় অস্বীকারের পক্ষে সাফাই গাইতে লড়ছেন অং সান সু চি। দ্য হেগের শান্তি প্রাসাদে ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টার আগে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে পৌঁছান মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় এ উপদেষ্টা।
শুনানির শুরুতে এ মামলার প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাই আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। সোমালীয় বংশোদ্ভূত এই বিচারপতি পরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে একজন করে অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন। দুই অ্যাডহক বিচারপতি গাম্বিয়ার নাভি পিল­াই এবং মিয়ানমারের প্রফেসর ক্লাউস ক্রেস। তারা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শুরুতে শপথ নেন।
আইসিজের রেজিস্ট্রার ফিলিপ গোতিয়ে অন্তর্বতী পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনের বিস্তারিত পড়ে শোনান। পরে অধ্যাপক পায়াম আখাভান রাখাইনে গণহত্যার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার জাতিসংঘের গণহত্যা সনদের ৭০তম বার্ষিকী। কিন্তু এ সনদের শর্ত অনুযায়ী গণহত্যা বন্ধ করেনি মিয়ানমার।
 

 

মৌলিক অধিকার বনাম মানবাধিকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৌলিক অধিকারগুলোই কি মানবাধিকার। নাকি মানবাধিকারের খানিক অংশ মৌলিক অধিকার? দুটি বিষয়ই কি এক? একটা কি অপরটির পরিপূরক নাকি প্রতিটিই স্বতন্ত্র? প্রশ্নগুলো অনেক সময়ই দ্বিধায় ফেলে। বুঝি আবার ঠিক বুঝতে পারছি না এমন ইতস্তত পরিস্থিতিতে পড়েন অনেকেই। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি খোলাসা থাকা জরুরি।
মৌলিক অধিকার বলতে আমরা সেসব অধিকারকে বুঝি, যা কোনো দেশের সংবিধান স্বীকৃত এবং যা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাও দেয়া হয়। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মৌলিক অধিকারগুলো সবই মানবাধিকার, তবে পার্থক্য আছে। বিশেষ কারণেই রাষ্ট্র মৌলিক অধিকারকে মানবাধিকারভুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিতে চায় না। আইন বিশ্লেষকদের দাবি, মানবাধিকারগুলো আইনগতভাবে প্রয়োগ বাধ্যতামূলক নয়। মৌলিক অধিকার আদালতের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারবেন। সংবিধানে কিছু মৌলিক অধিকার নির্দিষ্ট আছে।বাংলাদেশে কোনো আইন যদি মৌলিক অধিকার পরিপন্থী হয় তাহলে তা বাতিল হবে। আমি মনে করি, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট সূ² বিভাজনটার বিষয়ে না জানার কারণে অধিকার আদায় প্রশ্নে কিছু ফাঁক থেকে যায়। এসব নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সংস্থার সংখ্যাও কিন্তু হাতেগোনা।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালের মতে, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যের বেশি নয়। মানবাধিকারের সূত্রগুলো মৌলিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করেই হয়। একজন মানুষ মানুষ হিসেবে জন্মেছে বলেই কিছু অধিকার সে দাবি করতে পারে। মানবাধিকারে তার চলাচলের অধিকার, জীবনের অধিকার থাকবে, বিশ্বাসের অধিকার থাকবে, বাকস্বাধীনতা থাকবে। এগুলোও মৌলিক অধিকার।
তিনি আরও মনে করেন, রাষ্ট্র যে মৌলিক অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কখনও কখনও সেগুলোকে মানবাধিকার বলে স্বীকার করতে চায় না। কারণ, নাগরিক সেই অধিকার না পেলে রাষ্ট্র দিতে বাধ্য থাকে।
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো তখন পাঁচটি মৌলিক অধিকার নির্ধারিত হলেও সেগুলো মানবাধিকার হিসেবে গৃহীত হলো না। কিন্তু আমাদের ৩১ থেকে ৩৫ ধারায় মানবাধিকারের বিষয়গুলো আনা হলো। অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলো না। কিন্তু নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলো।


 

 পথশিশুদের বঞ্চনা, তাদের স্বাভাবিক

জীবন নিশ্চিত করতে হবে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে ‘ড্যান্ডি’র নেশায় মত্ত ভাসমান শিশুদের দেখতে পাওয়া গেলেও এসব শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ভাবেন কতজন?
শুধু ‘ড্যান্ডি’ নয়, এসব শিশুর অনেকে সিগারেট, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবনের সঙ্গেও যুক্ত। বস্তুত সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ার কারণেই নগরীর পথেঘাটে বসবাসকারী ছিন্নমূল শিশুরা বিভিন্ন নেশায় ডুবে থাকে।
দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হলেও সড়কের পাশে নেশায় মত্ত ভাসমান শিশুদের অহরহ চোখে পড়ে। ড্যান্ডি সেবন সরাসরি মাদক আইনে না পড়ায় এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাদকের নেশা এসব শিশুর জীবনীশক্তি কীভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে, মঙ্গলবার যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
ভাসমান পথশিশুদের কথা ভাবলেই ড্যান্ডি সেবনরত শিশুদের ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কোনভাবে হাতে কিছু টাকা এলেই এরা বিভিন্ন নেশার উপকরণ সংগ্রহ করে।
একটি সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে মাদক সেবন করে। এদের কেউ কেউ ইনজেকশনের মাধ্যমেও নেশা করে থাকে। শিশুদের নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ হল তাদের কষ্টের অন্ত নেই। প্রাপ্তি নামক শব্দটির সঙ্গে এরা প্রায় অপরিচিত।
এমনকি অসুস্থ হলেও এদের কপালে øেহের ছোঁয়া দেয়ার মতো কেউ নেই। বেশিরভাগ পথশিশু জীবনের অর্থ বোঝে না। একটি দিন কী করে অতিবাহিত করবে, এটাই তাদের প্রধান চিন্তা। তাদের প্রত্যেকের জীবনের গল্প ঘুরেফিরে একই রকম। ফলে হতাশাই তাদের প্রতিমুহূর্তের সঙ্গী। নেশার টাকা জোগাড় করতে এদের অনেকে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
যেহেতু এরা জীবনের মূল্য বোঝে না, তাই সহজেই এদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডসহ যে কোনো কাজে যুক্ত করা যায়। অথচ যথাযথ সহযোগিতা পেলে এরাও ব্যতিক্রম কিছু করতে পারে। পথশিশুদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ চলমান থাকলেও তা অপ্রতুল।
প্রতিটি পথশিশুর মাঝেই রয়েছে অনেক সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হলে প্রতিটি ভাসমান শিশু সম্পদে পরিণত হতে পারবে। এর জন্য সরকারকে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের প্রতিটি ভাসমান শিশুর মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাদের স্বপ্ন দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হলে তারাও দেশকে বড় কিছু উপহার দিতে পারবে। আর যদি তাদের হতাশা ও বঞ্চনার অবসান না হয়, তাহলে তাদের অনেকে যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে তাতে সন্দেহ কী?
 



Top

 সমাজের সর্বক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মানবাধিকার কমিশনের কাজ প্রশংসনীয়
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মোঃ আব্দুর রহমানঃ মানবতা বিবর্জিত বর্তমান সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা ভূলন্ঠিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের দ্বারা, হর্নের মাধ্যমে শব্দ দূষণের দ্বারা, ফুটফাট দখলের দ্বারা সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের মানবাধিকার ভূলন্ঠিত হচ্ছে। এই সমাজে মানবতার জয়গান নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। তাদের বাস্তবমুখী কাজের প্রশংসা করতেই হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত ৭১ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন সিলেট সিটি করপোরেশন এর জনন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১:০০ ঘটিকায়, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট বিভাগীয় গভর্নর সিলেট জেলা সভাপতি ড. আর. কে ধর।
সিলেট জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাদির ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী রুবেল আহমেদ মাসুম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ইউ.এস. এর গভর্নর শরিফ আহমেদ লস্কর, সিলেট মেট্রপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শের-ই-আলম, সিলেট আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান, সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি ফারুক আহমদ শিমুল, সিলেট জেলার সহ সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রৌশন শ্যামলী, সিলেট জেলা সহ সভাপতি আলাউদ্দিন বাদশা ও এডভোকেট ফয়জুল হক রানা, সিলেট জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও রুহিন চৌধুরী ফরহাদ, সিলেট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে আসরাফ মান্না, বিয়ানীবাজার উপজেলা সভাপতি আতাউর রহমান আতাই, বিশ্বনাথ উপজেলা সেক্রেটারী সুহেল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সেক্রেটারী আব্দুল­াহ মুহাম্মদ আদিল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী সভাপতি ওমর ফারুক, ওসমানীনগর উপজেলার সেক্রেটারী মোঃ আরজু মিয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভার পূর্বে সকাল ১০ ঘটিকায বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালী শহরের প্রদক্ষিণ করে।

 

Top

বাধার মুখে আটকে গেল ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণে ‘মিল্ক ব্যাংক’ স্থাপনের বিরোধিতা করে এবং এ ব্যাপারে যথাযথ শর্তারোপ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএমএইচ), নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্ক্যানো), নবজাতক আইসিইউ (এনআইসিইউ) এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হযে ছে।
রোববার জনস্বার্থে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
ঢাকার মাতুয়াইলের সরকারি শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইসিএমএইচ) গত ১ ডিসেম্বর মিল্ক ব্যাংকের কাজ শুরুর কথা ছিল। এজন্য বিদেশ থেকে আনা হয় আধুনিক যন্ত্রপাতিও।
এই পরিকল্পনা শুনেই হালাল-হারামের বিষয় জড়িয়ে আছে জানিয়ে উদ্যোগের বিরোধিতায় নামেন ওলামাদের একটি অংশ। এতে আইনগত ও ধর্মীয় সমস্যা তৈরি হবে দাবি করে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।
‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের’ সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমান বলেন, তারা এই কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রেখেছেন।
বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ হওয়ায় শুরুতেই আলেমদের সঙ্গে কথা বলা দরকার ছিল বলে মনে করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘(ইসলামে) ১৪ জনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা নিষিদ্ধ বা হারাম। দুধ পানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই ১৪ জনের সঙ্গে বিবাহ হারাম। বিষয়টি এত হালকাভাবে দেখলে চলবে না।’
ইসলামে কেউ মা ব্যতীত অন্য নারীর দুধ পান করলে তিনি দুধ মার স্বীকৃতি পান। মায়ের সম্পর্কিত যেসব স্বজনকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ, দুধ মার সম্পর্কিত তার স্বজনদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
গাজী আতাউর বলেন, ‘মায়ের দুধ সংরক্ষণ হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, যারা সংরক্ষণ করছে, তারা কতটা সতর্ক থাকবে। সংরক্ষণ করলে সেটা কতদিন ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। কাকে খাওয়াচ্ছে, তার পরিচয়টা কীভাবে চিহ্নিত হবে। কোন বাচ্চাটা দুধ খাচ্ছে, যার দুধ খাচ্ছে তার সঙ্গে যে একটা সম্পর্ক হচ্ছে, এটা ওই বাচ্চাটা জানবে কি না। এই প্রক্রিয়াটা যতক্ষণ স্বচ্ছ না হবে এটা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে।’
একই সমস্যার কথা তুলে ধরে ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, কোনো বাচ্চা কোনো নারীর দুধ পান করলে ওই নারী তার দুধ মা হয়ে যায়। বড় প্রশ্ন হলো কীভাবে চিহ্নিত করা যাবে, মায়ের সংরক্ষিত এই দুধ কে খেল? ‘রসুল (সাঃ) এর জামানায় কেউ যখন দুধ মা হত, তখন তারা চিহ্নিত করে রাখত যে কে কে দুধ মায়ের দুধ খেয়েছে। এখন এটা কীভাবে চিহ্নিত করবে?’ তবে প্রশ্নগুলোর মীমাংসা করে এই কাজ নিয়ে এগোলে তা সমস্যা দেখছেন না মওলানা মাসঊদ।

 

ভারতের নাগরিকত্ব আইন ‘মুসলিমবিরোধী’: জাতিসংঘ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ‘মুসলিমবিরোধী’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মূলগতভাবে বৈষম্যমূলক। কারণ এতে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন মূলগতভাবে বৈষম্যমূলক হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ধারণা করছি, নতুন এই আইনটি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বিবেচনা করবেন। আশা করি, আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবেন তারা। গত ০৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। বিলটি উত্থাপন করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায পাস হয় আইনটি। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি ভোট।
 

শিশুর কাধে ব্যাগের বোঝা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুদের বইয়ের সঙ্গে ভালোবাসা সৃষ্টি করতে হবে নিঃসন্দেহে। প্লে শব্দের অর্থ খেলা করা। তাহলে প্লে ক্লাসের শিশুরা খেলতে খেলতে শিখবে। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্লে ক্লাসের একটি শিশুকে যত বই-খাতা স্কুলে বহন করে নিয়ে যেতে হয়, দশম শ্রেণির একজন ছাত্রকে তত বই বহন করতে হয় না। প্লে থেকে কেজি ক্লাসের শিশুদের ব্যাগ এত বেশি ভারী থাকে যে তাদের ব্যাগ নিতে অনেক কষ্ট হয়। আমি যখন প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম তখন দুটি বই আর দুটি খাতা নিয়ে স্কুলে যেতাম। আর এখন কেজি স্কুলে নার্সারিতে পড়ুয়া আমার ছেলেটি বই-খাতা মোট ১৫টি নিয়ে যায়। সঙ্গে পানির ফ্লাক্স, টিফিনবক্স তো আছেই। শিশুদের বিভিন্ন রকমের পাঠ্যবই আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত না করে সৃজনশীল পাঠাভ্যাসের জন্য বিকল্প কিছু চিন্তা করা দরকার। আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাব—কেজি স্কুলের টিচারদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। সেইসঙ্গে একটি শিশু বই-খাতাসহ কত কিলোগ্রাম ওজনের ব্যাগ বহন করবে তার একটা নিয়ম কার্যকর করা হোক।

 

ফল প্রত্যাখ্যান, নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃভোট দাবি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। পাশাপাশি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রোববার রাতে বেইলী রোডের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে ভোট যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না, এটা আরও একবার প্রমাণিত হল। এ অবস্থায় দলীয় সরকার বাদ দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ এই দাবি না মানলে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।’
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের প্রায় সব আসন থেকেই একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছিল। এ পর্যন্ত আমাদের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এই নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দাবি করছি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সবখানে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল এবং এই আন্দোলনও চলবে।




বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে আকবরশাহ থানায় শীতবস্ত্র বিতরণ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০ ডিসেম্বর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আকবরশাহ থানা শাখার উদ্যোগে গরীব ও অসহায়দের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। নগরীর পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে এই মহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আকবরশাহ থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আকবরশাহ থানার সভাপতি নজরুল ইসলাম সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ , বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিনের নির্বাহী সভাপতি শফিউল আলম রানা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন,“ সারা বাংলাদেশের সকল অসহায় মানুষের পাশে এক সাথে দাড়ানো সম্ভব না হলেও প্রত্যেকেই যার যার স্থান থেকে একটু একটু করে এগিয়ে আসতে হবে।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসা জানিয়ে সব সময় এভাবেই সাধারন মানুষের পাশে থাকার আহবান জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আকবরশাহ থানার সহ-সভাপতি আব্দুল করিম রুবেল ভান্ডারী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম , ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
 

বিশ মাথার বিরল ফুলকপি!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে এক কৃষকের জমিতে ছোট বড় মিলে প্রায় বিশের অধিক ফুল দেখা গেছে একটি কপিতে। উপজেলার তালুকদার পাড়ার কবির আহাম্মদের ছেলে আমিনুল হকের জমিতে এই ফুলকপিটি পাওয়া যায়।
পানছড়ি বিজিবির ক্যাম্প এলাকার অক্ষয় মেম্বার পাড়া সড়কের পাশের জমিতেই দেখা মেলে বিশ মাথার ফুলকপিটির।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন শেখ জানান, তিন মাথা, চার মাথার কপি দেখতে পাওয়া গেছে। কিন্তু বিশ মাথার কপি এই প্রথম। ওক্সিন হরমোনের প্রভাবে এমনটি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
কৃষক আমিনুল জানান, ষাট শতক জমিতে কপি চাষ করেছি যার মধ্যে বিশ মাথা ও ছয় মাথার দুটি কপি নজরে পড়ে। দীর্ঘ বছর চাষাবাদ করলেও এমন বিরল কপি আগে কখনো দেখিনি।


 

নিহত মিতু দাসের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজ পুর ইউনিয়নের বিরাহিম পুর গ্রামের মেয়ে মিতু দাসের পরিবারের পাশ্বে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুর হাট পৌরসভা শাখা।
নিহত মিতু দাসের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুস্থ্য তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবীতে নেমেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুর হাট পৌরসভা শাখা।
নিহত মিতু দাসের মায়ের দাবী তার মেয়ে মিতু দাসকে মিতু দাসের দেবর শ্যামল চন্দ্র দাস মিতুকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
মিতুর স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর শ্যামল সব সময় মিতুকে বিভিন্ন কূ পস্তাব দিতো এই কথা মিতু তার স্বামীকে বলে এবং মিতুর মাকে বলে গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে শ্বশুর বাড়িতে দেবরের নির্যাতন করে হত্যা করে মিতু দাস মিতু দাসকে দেবর ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
মিতুর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর ২০১৯ বিকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কোম্পানীগঞ্জ ও বসুর হাট পৌরসভার শাখার একটি প্রতিনিধি দল মিতুর বাপের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজ পুর ইউনিয়নের বিরাহিম পুর গ্রামের বাড়ীতে যান মিতুর মায়ের সাথে কথা বলেন মিতুর মা প্রতিনিধি দলেরর সাথে কথা বলার সময় বার বার কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মিতুর মা প্রতিনিধি দলের কাছে দাবী করেন আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তাদের যেন ফাঁসী হয় ।
আর যেন কোন মেয়েকে এভাবে হত্যা করতে না পারে।
প্রতিনিধি দল তখন মিতুর মাকে সব ধরনে সহযোগিতা করার কথা বলেন।
পরে প্রতিনিধি দল কোম্পানীগঞ্জ থানায় এসে থানার অফিসার ইনর্সাজ আরিফুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ প্রকৌশলী সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে দেশ যত বেশি উন্নত, সে দেশ তত বেশি সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের বিপুল মানবসম্পদ থাকা সত্তে¡ও কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্জিত না হওয়ায় আশানুরূপভাবে এগোতে পারিনি। তবে বর্তমানে সরকার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্ববিদ্যালগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য র্দীঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধাগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত উচ্চশিক্ষা দেওয়ায় ব্রতী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
রোববার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পঞ্চম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

 বউ চুরি উৎসব, নেই বাধা ও শাস্তি!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার। সেখানে বাস করে যাযাবর পশুপালক উপজাতি ওডাআবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তারা পালন করে আসছে এক অদ্ভুত উৎসব। এই উৎসবে পুরুষরা যোগ দেয় পরের বউকে চুরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন স্ত্রীরাও। তাই এই উৎসবের অন্য নাম ‘বউ চুরি উৎসব’।
ওডাআবে সমাজে সম্পর্ক ভাঙার ও গড়ার সুযোগ পান নারী-পুরুষরা। কোনও রাখঢাকের ব্যাপার নেই। গোষ্ঠীপতি শাসিত এই সমাজে একজন নারী বা পুরুষের বহু সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক ও সমাজস্বীকৃত ঘটনা। বিয়ের আগে ওডাআবে উপজাতির মেয়েরা যার সঙ্গে ইচ্ছা সম্পর্কে জড়াতে পারে। বিয়ের পরেও যতখুশি স্বামী রাখতে পারে।
ওডাআবে উপজাতির কাছে বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মাস হল সেপ্টেম্বর। সারাবছর এই উপজাতির মানুষেরা ছোট ছোট পরিবার নিয়ে গড়া দলে বিভক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায় নাইজারের মরুভূমি অঞ্চলে। কয়েক মাস ধরে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে হাঁটার পর উপজাতির হাজার হাজার নারীপুরুষ বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হয়ে পালন করে এই উৎসব।
টানা সাতদিন সাতরাত ধরে চলে এই উৎসব। অন্যের বউ চুরির করার চিরাচরিত চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবে চলে নাচগান, খানাপিনা। মরুভূমির বিভিন্ন মরুদ্যানে প্রতিবছর উৎসবটি হয়। উৎসবের স্থানগুলোর নাম আগে থেকে বলা হয না। উৎসবের কিছুদিন আগে স্থান ও দিন ঘোষণা করা হয়।
এই প্রতিযোগিতার জন্য পুরুষরা কয়েকমাস আগে থেকে নিজেকে তৈরি করা শুরু করে। ওডাআবে উপজাতির নারী, পুরুষরা তাদের সৌন্দর্য্য নিয়ে ভীষণ গর্বিত। পুরুষরা মনে করে তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ। এমনকি তাদের রুপচর্চায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই তারা সঙ্গে আয়না নিয়ে ঘোরে।

 

Top

নারী-শিশু পাচারে নতুন কৌশল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে নারী-শিশু পাচারে আরও কৌশলী হচ্ছে পাচারকারী চক্র। সন্দেহ এড়াতে পাচারে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে তারা। এতে বাংলাদেশ থেকে নারী ও মেয়েশিশু পাচার দিন দিন বাড়ছে। জানা গেছে, পাচারকারীরা এখন বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পাশের দেশ ভারতে পাচার করে দিচ্ছে। পাচারের সময় তারা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে পাচারের শিকার শিশু ও নারীকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহ এড়াতে পাচারকারীরা ভুক্তভোগী নারী ও মেয়েশিশুদের নিজের মেয়ে, বোন ও স্ত্রী বলে পরিচয় দিচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে পাচারকারী ব্যক্তি বিয়ে করছে এবং ভারতে বেড়ানোর কথা বলে বা চাকরির আশ্বাস দিয়ে সেখানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। পাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা দেশে ফিরে আসার পরও নিরাপদ নয়। কারণ, পাচারকারীরা পুনরায় পাচার করার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর নজর রাখে। বিয়ের এক মাস পর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি নারী পাচার সিন্ডিকেটের কাছে রহিমাকে (ছদ্মনাম) বিক্রি করে দেয় তার স্বামী। রহিমা ১৮ বছর বয়সেই পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এবং বিয়ের এক মাস পরই স্বামীর অসদুদ্দেশ্যে বুঝতে পারেন। বেড়ানোর নাম করে বেঙ্গালুরু নিয়ে একটি নারী পাচার সিন্ডিকেটের হাতে রহিমাকে তুলে দেয় স্বামী। এরপর বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে রহিমাকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এ কাজে রাজি না হলেই তার ভাগ্যে জুটত নির্মম শারীরিক নির্যাতন। তাকে খাবার খেতে দেওয়া হতো না। জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকায় পোড়ানো হতো রহিমার শরীর। রহিমাকে তিন বছর ধরে এই অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এরপর পরিচিত একটি পরিবারের সহয়তায় রহিমাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রহিমা সে সময় গর্ভবর্তী ছিলেন। দারিদ্র্য্যের কারণে পাচারকারীদের ফাঁদে পড়েন বিউটিও (ছদ্মনাম)। এক ছেলের সঙ্গে বিউটিকে তার পরিবার বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পর বিউটিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ভারতে পাচার করে দেয় তার স্বামী। মুম্বাই শহরের এক পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় বিউটিকে। সেখানে একটি রুমে আটকে রেখে অসংখ্যবার ধর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া আবাসিক হোটেলে নিয়েও তাকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হতো। রাজি না হলে তার শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষতবিক্ষত করা হতো। অবশেষে এক ব্যক্তির সহায়তায় বিউটি তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পান। এরপর এক দেশীয় দালালের সহায়তায় বিউটি সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনিও তখন গর্ভবতী ছিলেন। রহিমা-বিউটির মতো এই করুণ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে পাচারের শিকার বাংলাদেশি নারীদের।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে, ভারতীয় সীমান্তে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে পাচারকারীরা নারী-শিশুদের পাচার করছে। এ ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনে পাচারের শিকার নারীকে তার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে তারা মিথ্যা বিয়ের সার্টিফিকেট বা ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করছে।

 
কমিশন নিয়ে ওষুধ লেখার কারণে ডাক্তারি পেশা নষ্ট হচ্ছে : হাইকোর্ট


কমিশন নিয়ে প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ লেখার কারণে ডাক্তারি পেশা নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ কথা জানান।
এসময়, ভেজাল ওষুধ বিক্রির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন আদালত। অল্প সাজা দেয়ায় মোবাইল কোর্টের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না ফলে ভেজাল ওষুধ বিক্রিও বন্ধ হচ্ছে না বলে জানায় হাইকোর্ট।
আদালত অভিযোগ করেন, মোবাইল কোর্ট অল্প শাস্তির মাধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে রিটের পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর ওই দিন ওষুধ শিল্প মালিক সমিতিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
 


 লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে চালু হলো ‘বাংলা টাকা বন্ড’


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হলো বাংলাদেশের প্রথম ‘টাকা ডিনমিনেটেড বন্ড’, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলা বন্ড’। বিশ্বব্যাংক গ্র“পের প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) বলছে, তাদের চালু করা এই বন্ডের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাজার থেকে তোলা ৯.৫ কোটি ডলার (প্রায় ৮০ কোটি টাকা) ব্যয় হবে প্রাণ গ্রুপের পরিচালন ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে।
‘বাংলা বন্ড’-এর তালিকাভুক্তি উপলক্ষে সোমবার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘এর মধ্যদিয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে এক দীর্ঘ যাত্রার সূচনা হলো।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের গল্প এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এই বন্ডের মাধ্যমে বিদেশ থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দেশের বেসরকারি খাতকে ‘অনেক দূর এগিয়ে নেবে’ বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আইএফসি ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিনা স্টোয়োলকোভিচ, আইএফসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রেজারার জন গ্যান্ডোলফ, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও নিখিল রথী এবং বৃটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৩ বছর। পরে তা বাড়িয়ে ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর করা হতে পারে।
এই বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে, সেখান থেকে প্রাণ এগ্রো ও নাটোর এগ্রো ৮০ কোটি টাকা ঋণ পাবে। সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ঋণ সমান কিস্তিতে তিন ও পাঁচ বছরে তাদের পরিশোধ করতে হবে। এই বন্ডের তালিকাভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘আইএফসির সঙ্গে আমার অনেকগুলো মিটিং হয়েছে।
সামনে আরো ৩০০ মিলিয়ন ডলার আসবে। তার মধ্যে এটা প্রথম। এই বন্ডে কী রকম সাড়া পাওয়া যায় সেটা দেখে পরেরগুলো ছাড়া হবে।

 

জাতিসংঘ টিমের ভাসানচর পরিদর্শন স্থগিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

জাতিসংঘ টিমের ভাসানচর পরিদর্শন স্থগিত করা হয়েছে। তবে সেটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য কী না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক পরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারীর দপ্তরের আলোচনায় এটি ঠিক হয়েছিল। দু’একদিন আগে সফরটি স্থগিত হয়ে গেছে। তবে কোন পক্ষ এটি স্থগিত করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য ভাসানচর উপযোগী কি-না? তা যাচাইয়ে জাতিসংঘের টেকনিক্যাল কমিটির একটি প্রতিনিধি দলের চরটি পরিদর্শনের কথা ছিল। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও খবর হয়েছিল।
 

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে কাজীর কারাদন্ড

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে শিরুল হুদা (৪৫) নামে এক কাজীকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। খবর বাংলানিউজের। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল ইসলাম সরকার তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। এ ছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরেকটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। নাজমুল ইসলাম সরকার জানান, উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের রাইপুর ও কৃষ্ণবাটি গ্রামে দুপুরে তিনি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে দুপুরে বিয়েবাড়ি গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে বিয়েবাড়ির খাবার স্থানীয় মসজিদ ও এতিমখানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়। মাটিকাটা ইউনিয়নের রাইপুরে বিয়ে পড়াতে আসা কাজী শিরুল হুদাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় পাত্র ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যান।
এ ছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে নির্বাহী মাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার করেন অভিভাবকরা।
 

লোহাগাড়ায় নির্যাতনে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লোহাগাড়ায় সফুরা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোস্তফা আলীর বিরুদ্ধে। এমনকি লাশ দাফনেও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ৮টায় ওই নারীর মৃত্যু হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত দাফন করতে পারেনি পরিবার। অভিযোগ করেছেন নিহত সফুরা খাতুনের প্রথম ঘরের ছেলে লোকমান হাকিম। সফুরা খাতুন সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সেনেরহাট বাজার এলাকার অলু মিয়ার মেয়ে। পরিবার সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে স্বামী আবুল কাশেম মারা গেলে প্রতিবেশী মোস্তফা আলীকে বিয়ে করেন সফুরা খাতুন। সফুরা খাতুনের প্রথম ঘরের ছেলে লোকমান হাকিমের অভিযোগ, ২২ ডিসেম্বর রাতে তার মা সফুরা খাতুনকে সৎবাবা মোস্তফা আলী কয়েক দফা মারধর করেন। পরদিন সকালে তাকে ফের মারধর করা হয়। এরপর দুপুরের দিকে স্থানীয়দের কাছে খবর পান তার মা মারা গেছেন। লোকমান হাকিম বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সৎবাবা মোস্তফা আলীর ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, মা যখন মৃত্যুযন্ত্রণায় বাসায় ছটফট করছিলেন, সেসময় সৎবাবা বাসায় ছিলেন। স্থানীয়রা মাকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও সৎবাবা নিতে দেননি। আমার সন্দেহ, নির্যাতনের কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে বিষপানে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সৎবাবা পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফনে বাধা দেন।’ স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. বেলাল জানান, মোস্তফা আলীসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের পারিবারিক কবরস্থানে সফুরার লাশ দাফনে বাধা দেয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসেন।


কেন্দুয়া ও বড়লেখায় বাল্যবিয়ে পণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাতের বাল্যবিয়ের আয়োজনটি অবশেষে পণ্ড করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম রাতে পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে গিয়ে ওই বিয়ে পণ্ড করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে। উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের জেএসসি পাস নূর আলমের ছেলে রিমন মিয়ার (১৬) সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পাশের তেলিপাড়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর। রাতে বিয়ের সব ধরনের আয়োজন করছিল মেয়েটির পরিবার। বরবেশে রিমন মিয়া এবং বরযাত্রীরাও যথারীতি চলে আসেন বিয়েবাড়িতে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বিয়েবাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ দেখে বর-কনের অভিভাবকসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। এরপর ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম এ বিয়ে পণ্ড করে দেন।
এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইউএনও’র তৎপরতায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে রোধ হয়েছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুরমা কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিয়ের প্রস্তুতিকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ খবরে বরপক্ষ বিয়ের আসরে না পৌঁছে মাঝ পথ থেকে সটকে পড়ে। পরে কনের মা, মামা ও নানাকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছে। জানা গেছে, সিলেট সদরের কাজীর বাজারের খালপার এলাকার আলম হোসেনের (২৮) সঙ্গে বড়লেখার ভাটাউচি গ্রামের প্রবাসী আবদুল কালামের কিশোরী মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুরমা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান থানা পুলিশ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কর্মকর্তাদের এ বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

 

টঙ্গিবাড়ীকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ১০টায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সদরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। পরে উপজেলা প্রাঙ্গণে এই নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভুতু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। এরপর সচেতনারোধে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

চোখ বেঁধে পুলিশ যা করেছে তাতে আত্মহত্যা করার কথা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের দেওয়া মিথ্যা মামলায় মাসহ কলেজছাত্রীকে গ্রেফতারের বিচার চেয়েছেন হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা এলাকার একটি পরিবার। গত ১৮ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোজিনা বেগম এই অভিযোগ করেছেন। এ সময় তার মেয়ে শেরেবাংলা কলেজের এইচএসসির ছাত্রী শারমীন আক্তার শান্তা, বোন শবজান, ভাতিজি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অনার্সের ছাত্রী ইতি উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রোজিনা বলেন, মীরবাগ নয়াটোলার সাত নম্বর হোল্ডিংয়ে থাকা তাদের বাড়িটি অবৈধভাবে দখলের জন্য প্রতিবেশী মজিবুল হকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তার অংশ হিসেবে পুলিশ রোজিনার ভাই আব্দুল হাকিমকে আট পিস ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার দেখায়। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশ নয়াটোলার ঐ বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাসা থেকে শান্তা, আঁখি, জবাসহ তাদের মা-খালাদের টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর পুলিশ তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় হামলা চালিয়ে ১৭ জন পুলিশকে মারধর করে আহত করার অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অথচ থানায় থাকা একাধিক সিসি ক্যামেরায় সেই হামলার ফুটেজ ওঠেনি। সেই মিথ্যা মামলায় ১২দিন হাজত খেটে জামিনে মুক্তি পান তারা।
রোজিনা বলেন, ‘থানার একটি রুমে চোখ-হাত বেঁধে হাতিরঝিল থানার ওসি তার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তাতে তার আত্মহত্যা করার কথা। কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে আত্মহত্যা করতে পারিনি’। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এরপর হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টির মীমাংসার প্রলোভন দেখাতে শুরু করে। কিন্তু তার লোভে সাড়া না দেওয়ায় তিনি আরো একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন রোজিনা।

 

বন্দীশিবিরে ১০ লাখ মুসলমান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুসলমান হওয়ার অপরাধে চীনে উইঘুর জাতির ১০ লাখ লোককে বন্দীশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। চীন সরকার বিপুলসংখ্যক মুসলমানকে বন্দী করে রাখার কথা অস্বীকার করছে না। তারা বলছে, জঙ্গিবাদ দমনের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তারা ওইসব মুসলমানকে বিশেষ শিবিরে রাখছে। তাজ্জব ব্যাপার হলো, চীন দাবি করছে চরমপন্থা ও উগ্রবাদ দমনের জন্য তারা যে কৌশল বেছে নিয়েছে তাতে পাকিস্তান, রাশিয়া, সার্বিয়াসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের সমর্থন রয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ইহুদি নিধনের জন্য হিটলারের জার্মানিতে হলোকাস্টের পর চীনের উইঘুর মুসলমানদের বন্দীশালাকে সবচেয়ে বড় বন্দীশিবির বলে মনে করা হচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকারের গণগ্রেফতার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলা হয়, উইঘুরদের নিশ্চিহ্ন করতে চীন সরকারের এই ‘নীলনকশা’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। বন্দীশিবিরে রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হচ্ছে এবং বন্দীদের কঠোর অনুশাসন মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে। আইসিআইজের হাতে পড়া সরকারি নথির বেশির ভাগই ২০১৭ সালের। যেগুলোকে পুরো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন। চীন সরকারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভিক্টোর গাওয়ের ভাষ্য, এটা বন্দীশিবির নয়।

মামলা, জিডির জন্য টাকা-পয়সা নেয়া চলবে না : আইজিপি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৯০ ওসিকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
ওসিদের উদ্দেশ্যে পুলিশপ্রধান বলেছেন, থানায় আসা ভিকটিমকে সেবা দিয়ে হাসিমুখে বিদায় করতে হবে। দেশের প্রত্যেক থানার ওসিকে তা নিশ্চিত করতে হবে। মামলা, জিডি বা অন্য কোনো কাজে কেউ থানায় এলে তাদের কাছ টাকা-পয়সা নেয়া চলবে না। সেবার বিনিময়ে কোনো পুলিশ সদস্যের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার বিকালে এক কর্মশালায় আইজিপি বলেন, থানায় কর্মরত কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করা সম্ভব। এ বিষয়টি মাথায় রেখে জনগণকে অধিকতর আইনি সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সব থানার ৬৯২ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রথমদিনের কর্মসূচিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৯০ ওসিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কর্মশালায় মোট ৭টি সেশনে পিআরবি, সিডিএমএস, তথ্য সংগ্রহ, পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধি, পুলিশ-মিডিয়া সম্পর্ক, গুজব, সাইবার ক্রাইম, নারী নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, পুলিশকে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাদের দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করতে হবে। তিনি পুলিশকে জনগণের কাছে যেতে এবং জনগণের পুলিশ হতে নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, থানা হল পুলিশি সেবা প্রদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে গণমুখী তথা জনগণের পুলিশে পরিণত করাই এ কর্মশালার লক্ষ্য।

 

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মেয়রস্ক চেকপয়েন্ট দিয়ে এই বন্দী বিনিময় শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের টুইটে ঐ বন্দি বিনিময়ের ছবি পোষ্ট করা হয় যাতে দেখা যায় বাস অ্যাম্বুলেন্স ও সশস্ত্র সেনা বহর। রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তথাকথিত ওমবাডসম্যান দারিয়া মোরোজোভা নিশ্চিত করে বলেন বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে। এই বন্দি বিনিময়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ৮৭ বন্দি বিদ্রোহী পাঠাচ্ছে আর বিদ্রোহী পক্ষ ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে ৫৫ জনকে। চার মাস আগে দুই পক্ষের সংঘাতের সময় আটককৃত বন্দি বিনিময়ে এটি দ্বিতীয় ধাপ।
 


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
নিয়মিত হাঁটাচলায় হৃদযন্ত্র ভালো থাকে কিংবা শরীরের পেশিগুলো থাকে সচল ও সজীব এ কথা বহুবার বহু গবেষণায় উঠে এসেছে। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার ওপরও রয়েছে এর সরাসরি প্রভাব। তাদের মতে, হাঁটার সময় পায়ের তলায় পড়া চাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো পুষ্টি পায় সহজে, যা এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। খবর সায়েন্সডেইলি।
নিউ মেক্সিকো হাইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির (এনএমএইচইউ) একদল গবেষক সম্প্রতি এ-বিষয়ক একটি গবেষণা করেন। এতে দেখা যায়, হাঁটার সময় পায়ের তলায় যে চাপ পড়ে, তা রক্ত সংবহনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে একটি চাপীয় তরঙ্গ প্রেরণ করে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। এতে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে মস্তিষ্ক কোষগুলো, যা এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ-বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটি শিকাগোর পরীক্ষামূলক জীববিজ্ঞান ২০১৭ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।
এতদিন পর্যন্ত মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহনের (সেরিব্রাল ব্লাড ফ্লো বা সিবিএফ) বিষয়টিকে শরীরের স্বনিয়ন্ত্রিত বিষয় বলে ধারণা করা হতো। অর্থাৎ শরীরচর্চা বা এমন কোনো কারণে রক্তচাপের যে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, তা মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখে না। কিন্তু এনএমএইচইউর গবেষকরা দেখতে পান, হাঁটার সময় বিপরীত রক্তপ্রবাহের (শরীরের নিম্নাংশ থেকে ঊর্ধ্বমুখী) গতিতে বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। হূদস্পন্দনের সঙ্গে তাল রেখে ঘটা এ পরিবর্তনের ফলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের মাত্রায়ও পরিবর্তন আসে। এ-বিষয়ক একটি পূর্বধারণা থাকলেও এ নিয়ে বিস্তৃত কোনো গবেষণা এর আগে হয়নি।
সাম্প্রতিক গবেষণায় এনএমএইচইউর গবেষকরা ১২ জন তরুণের ওপর পরীক্ষা চালান। তারা শব্দোত্তর তরঙ্গ ব্যবহার করে বিভিন্ন অবস্থায় অংশগ্রহণকারীদের রক্ত সংবহনতন্ত্রের ব্যাস, সংবাহিত রক্তের গতি ও মস্তিষ্কে পরিবাহিত রক্তের পরিমাণের হিসাব নেন। এতে দেখা যায়, দৌড়ানোর তুলনায় হাঁটার সময় কম চাপ পড়লেও এ সময় মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের বিষয়টি শরীরের গতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এ কারণে শরীরচর্চা আমাদের সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিক তৃপ্তিও দেয়। একই সঙ্গে বর্ধিত এ রক্তপ্রবাহের কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে এর দক্ষতাও বেড়ে যায়।
সাইক্লিং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সাইকেল চালিয়ে কাজে গেলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
বাহনে চড়ে মানুষজন কাজে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যের ওপর তার প্রভাব নিয়ে- পাঁচ বছর ধরে ২ লাখ ৫০ হাজার অফিস যাত্রীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাইকেল চালিয়ে অফিসে যান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমেছে ৪৫ ভাগ, আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমেছে ৪৬ ভাগ।
এছাড়া গবেষণায় পাওয়া যায়, সাইক্লিং করলে শরীরে মেদ এবং প্রদাহ কম যায়।
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেসন গিল বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত। কাজে যাওয়ার জন্য ব্যবহার হওয়া বাহনের সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকার অনস্বীকার্য।’
তিনি বলেন, সাইকেল চালালে অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। মনের সাথে যুদ্ধ করতে হয়না।
ব্রিটেনের শীর্ষ বেসরকারি ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের ক্লেয়ার হাইড বলছেন, এই গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিনের জীবনযাপনে যারা যত বেশি সক্রিয় থাকেন, তাদের রোগের ঝুঁকি তত কমে।


খালি পেটে যে খাবার খেতে নেই


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ষুধা লাগলেই যে হাতের সামনে যা আছে তা-ই খেয়ে নেব তা কিন্তু নয়। প্রতিটি খাবার খাওয়ারই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। তা না হলে খাবার গ্রহণে উপকারের পরিবর্তে উল্টো ক্ষতি হতে পারে শরীরের। কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়া একদমই ঠিক নয়। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো ভুল করেও খালিপেটে খাওয়া যাবে না।
টমেটো টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং নিউট্রিশন থাকে। কিন্তু এই টমেটো খালি পেটে খাওয়া একেবারেই অনুচিৎ। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটোয় বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে পাকস্থলীর মধ্যে এক ধরনের অদ্রবণীয় উপাদান তৈরি করে। এটি পাকস্থলীতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
শসা
প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শসা খালি পেটে খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। এর ফলে তলপেটে যন্ত্রণা, হৃদরোগ, পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
কলা
কলাকে বলা হয় সুপার ফুড। এটি হজমের জন্যে খুবই দরকারী। কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। কিন্তু যদি আমরা খালি পেটে কলা খাই, তাহলে রক্তে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে। তাই সকাল বেলা কলা খাওয়া মানা।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চ পরিমাণ কার্বোনেটেড এসিড। খালি পেটে এগুলো খেলে বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
দুধজাতীয় খাবার
দই কিংবা দুধের তৈরি যেকোনও খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়। এতে অ্যাসিডিটি হয়। ভারী খাবার গ্রহণের পর দুধ বা দই খাওয়া উচিৎ।
লেবুজাতীয় খাবার
লেবু বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। বাতাবি লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খালিপেটে খেলে অ্যাসিডিটি বাড়ার ঝুঁকি থেকে। এটি শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে।
মশলাদার খাবার
ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে খালি পেটে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়ার কারণে পেটে জ্বালাপোড়া হয়। নিয়মিত এরকম হলে পাকস্থলীর ক্ষতি হবার ঝুঁকি বাড়ে।
চা-কফি
খালি পেটে চা কিংবা কফি খাওয়া ক্ষতিকর। চায়ের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড, যা পাকস্থলীর আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা পাকস্থলীর জন্য ভালো নয়। তাই সকালবেলা চা কিংবা কফি খেলে তার আগে একগ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন।


পাইলস রোগের লক্ষণ ও করণীয়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পাইলস শব্দটির অর্থ পিলার। মেডিকেলের ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। সহজ বাংলায় মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলা হয়ে থাকে। তরুণ এবং বৃদ্ধরা সাধারণত পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে রোগটির বিস্তার দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বিশ্বে শতকরা চার থেকে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত।
মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদ অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত ভাবেও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত যাওয়া পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়। রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।
পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে। মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি) এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয া যেতে পারে। তিনদিন পর্যন্ত মল না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশ মত ব্যবহার করতে হবে।
এ রকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।


লিভার পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লিভার আমাদের শরীরের দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভার শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের সুস্থ রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। এই সাধারণ সমস্যাগুলো শুরুতেই আমলে না নিলে এ থেকে নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে। যেমন: লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি।
অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ। তাই আমাদের এই লিভার নামে দ্বাররক্ষীর যতœ নিতে হবে।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো খেলে লিভার সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে;
জাম্বুরা: জাম্বুরাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে বৃদ্ধি করে।
ছোট সাইজের এক গ্লাস জাম্বুরার জুস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা কার্সিনোজেন এবং অন্যান্য টক্সিনকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
রসুন: রসুনে সেলেনিয়াম ও এলিসিন নামক উপাদান থাকে এবং এরাও লিভার থেকে টক্সিন বাহির হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া রসুনে লিভার পরিষ্কারক প্রচুর এনজাইম থাকে এবং এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।
বিট ও গাজর: গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। গাজর ও বিট উভয়ের মধ্যেই উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ ফ্লেভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটি হচ্ছে লিভার লাভিং বেভারেজ বা যকৃৎপ্রেমী পানীয়। গ্রিনটি উদ্ভিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা লিভারের কাজে সহযোগিতা করে।
সবুজ শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি শক্তিশালী লিভার পরিষ্কারক। সবুজ শাক-সবজি কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রার ক্লোরোফিল থাকে এবং এরা রক্ত প্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়।
আরো যা খেতে পারেন- আপেল, অ্যাভোকাডো, ওলিভ অয়েল, লেবু, হলুদ, আখরোট, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, মিষ্টি আলু, ব্রোকলি, টমেটো ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খেলে লিভার পরিষ্কার থাকবে।


তুলসিতে নিরাময় যে ১০ রোগের


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গত ৫০০০ বছর ধরে নানা রোগ সারাতে এই গাছটিকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে, তা ত্বকের রোগ হোক কী চুল, বা অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা। আসলে তুলসি গাছের রসের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ছোট-বড় নানা রোগ সারাতে দারুণ কাজে আসে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে তুলসি গাছের পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নানা রোগ এমনিতেই দুরে পালায়।
আসলে 'দ্য কুইন অব হার্বস' নামে পরিচিত তুলসি গাছের গুণাগুণ লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবু কয়েকটির কথা না বললেই নয়।
এখানে এমন ১০টি রোগের বিষয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলো সারাতে তুলসির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১. কিডনির পাথর : তুলসি পতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন যদি মধু দিয়ে তৈরি চুলসি পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে কিডনির পাথর গলে তো যায়ই, সেই সঙ্গে শরীর থেকে তা বেরিয়েও যায়। প্রসঙ্গত, তুলসি পাতায় যে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফেল কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
২. হার্ট ভালো রাখে : ইউজেনল নামে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তুলসি পাতায়, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। আর এ কথা তো সকলেরই জানা যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। আপনি কি কোনো রকমের হার্টের রোগে ভুগছেন? তাহলে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খান। দেখবেন অল্প দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৩. ক্যানসার রোগকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে : প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট থাকায় তুলসি পাতা খেলে ক্যানসার রোগও দূরে পালায়। একাধিক গবেষণা অনুসারে, রোজ যদি তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ব্রেস্ট এবং ওরাল ক্যানসার কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে তুলসি পাতার রস খেলে পরিবেশে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরকে নষ্ট করতে পারে না। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।


২০০ রোগের প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে। বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ। এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন- ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যৌতুকের জন্য কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়ায়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজকের মন্ত্রিসভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা চলতি বছরের জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিও রয়েছে মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচিতে। এতে গত বছরের তুলনায় জনপ্রতি সাড়ে ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ২১ হাজার টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত ২০১৬ সালের ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে বৈঠকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
যৌতুক নিরোধ আইন প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের শাস্তি নির্দিষ্ট করা থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী, স্বামীর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, মারাত্মক জখমের জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা অন্যূন ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুকের জন্য অঙ্গহানির শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা কমপক্ষে ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। তবে স্ত্রীর জখমের ধরন অনুযায়ী স্বামীকে অর্থদন্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ দেয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে সাধারণ জখম করলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে। খসড়ায় ‘যৌতুক’ বলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত যে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর বা মূল্যবান জামানতকে বোঝানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তি কনে বা বর পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি বা যৌতুক নিলে বা দিলে অধরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
কেউ যৌতুক দাবি বা লেনদেন করলে সর্বনিু এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি যৌতুক নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তিনি ছয় মাসের কারদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও যৌতুকের জন্য কোনো নারীর মৃত্যু ঘটানোর দায়ে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুদন্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুক নিরোধ আইনেও একই ধরনের শাস্তির বিধান যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও অপরাধকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে খসড়া আইনে। প্রস্তাবিত এই আইন কার্যকরের পর ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন রহিত হলেও ওই আইনের আলোকে প্রণীত বিধি ও প্রবিধি উপ-আইন হিসেবে গণ্য হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।
 

রিমান্ড কি মানবাধিকার পরিপন্থী?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে। মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.