BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover December 2020

English Part December 2020

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চিন্তা থেকেই সরকার দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন থেকে উদ্যোগী না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। বিশ্বে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আসছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের দক্ষ কর্মজ্ঞান সম্পন্ন লোকবল সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে থাকা দরকার। কারণ আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে যতটুকু এগোবে আমরা তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলব। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় ফ্রিল্যান্সার আইডি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
সমাজের কম-বেশি সবাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জানলেও ফ্রিল্যান্সার এতদিন তাদের পরিচয় নিয়ে সমস্যায় ছিলেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত পরিচিত কার্ড বা ফ্রিল্যান্সিং আইডির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। কর্মসংস্থান, উপার্জন বা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এ কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংকিং বা ভিসার আবেদন, বাসা বা অফিস ভাড়া এমনকি বাচ্চাদের স্কুল ভর্তি করার মতো বিষয়গুলো সহজ করে দেবে। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (িি.িভৎববষধহপবৎ.পড়স.নফ) দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার এখানে রেজিস্ট্রেশন করে পরিচয়পত্র গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমি জানি আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী। অল্পতেই তারা শিখতে পারে। সরকার হিসেবেই আমাদের কাজ হচ্ছে সেই সুযোগ করে দেয়া। সেটাই আমরা করে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ৩৯টি হাইটেক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এগুলোর নির্মাণ শেষ হলে প্রায় ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যার মধ্যে যুব সমাজই সব থেকে বেশি কাজ পাবে। দেশ ও বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী তৈরি হবে। তার সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনসহ দক্ষ কর্মীবাহিনী সৃষ্টিতে নানারকম প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।


 দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলেন নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। ৬ নভেম্বর ২০২০ শপথ নিয়েছেন তিনি।
জাসিন্ডার পাশাপাশি এ দিন শপথ নেন তার নতুন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। রাজধানী ওয়েলিংটনের গভর্নমেন্ট হাউসে এই শপথ নেয়ার আয়োজন করা হয়।
শপথ অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, নতুন মন্ত্রিসভাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। অনেক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি আসবে তা একত্রে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই জাসিন্ডা জানিয়েছিলেন অবিশ্বাস্যরকম বৈচিত্র্যময় মন্ত্রিসভা গঠন করবেন তিনি। নারী, আদিবাসী ও সমকামী নিয়ে গঠিত হয়েছে তার কেবিনেট। জাসিন্ডার নতুন মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সমকামী গ্র্যান্ট রবার্টসনকে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাওরি সম্প্রদায়ের নানাইয়া মাহুতাকে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের পরে নিউজিল্যান্ডের গত মাসের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন জাসিন্ডা আরডার্ন।।
 

 যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেনি
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গণমাধ্যম দুটি বলছে, ব্যাটলগ্রাউন্ডখ্যাত পেনসিলভানিয়ায় পপুলার ভোটে জিতে গেছেন জো বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২০টি। জয়ের ফলে এখানকার সব ভোট পেয়েছেন জো বাইডেন। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি কাঙ্ক্ষিত ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলেন। এখন পর্যন্ত জো বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৭৩।
অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটর সংখ্যা ২১৪। যদিও এখনো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নেভাদায় ভোট গণনা চলছে। এই তিনটি অঙ্গরাজ্য বাদ দিয়েই ট্রাম্পকে হারালেন বাইডেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন এখন পর্যন্ত পপুলার ভোট পেয়েছেন সাত কোটি ৩০ লাখের বেশি। আমেরিকা য় আর কোনো প্রেসিডেন্ট এত মানুষের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হননি। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন প্রায় সাত কোটি ভোট। সেটাও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট।
দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেকদিন থেকেই হোয়াইট হাউসে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছিলেন বাইডেন। এবার সেই স্বপ্নপূরণ হলো ৭৭ বছর বয়সী বাইডেনের। তাঁর সেইসঙ্গে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস। বাইডেন আগামী জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
 

  হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যায় বিশ্বে প্রথম ভারত, বাংলাদেশ ষষ্ঠ
    


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বিশ্বে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এ দেশের ২ কোটি ২৯ লাখ হতদরিদ্র মানুষ আছেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ২৮ কোটি ৪৬ লাখ হতদরিদ্র মানুষ রয়েছেন ভারতে।
বিশ্বব্যাংকের ‘প্রভার্টি অ্যান্ড শেয়ার প্রসপারিটি ২০২০ : রিভসলস অব ফরচুন বা দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধির অংশীদার : ভাগ্য বিপর্যয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দৈনিক ১ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার আয় হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে বা হতদরিদ্র বলে থাকে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানের রয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে ৭ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো। দেশটিতে ৫ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ হতদরিদ্র। ৩ কোটি ৩৮ লাখ হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইথিওপিয়া। তানজানিয়ার ২ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। দেশটির অবস্থান পঞ্চম।
বিশ্বব্যাংকের মতে, কো’ভিড-১৯ মহা’মা’রী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষই দারিদ্র্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ দেশে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে উচ্চ দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অর্জনে প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের ২৫ লাখ নিম্ন ও মাঝারি মানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখছে।
এপ্রিলে করো’নার ধাক্কায় টিকে থাকতে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ভর্তুকি সুদে ২৩০ কোটি ডলার প্রণোদনা দিয়েছে। রফতানি আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক খাতেও সরকার স্বল্প সুদে প্রণোদনা দিয়েছে।
 

 

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে : আইনমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে, আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ট্রানজিশনাল পর্যায়ে অবস্থান করছি। এই সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক সূচকের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
২২ নভেম্বর ২০২০ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল জজদের জন্য অনলাইনে আয়োজিত ১৪৩তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সময় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে মানুষের চাহিদা, আচার-আচরণ, দাবি-দাওয়া, অপরাধের ধরণ, পরিবেশ-পরিস্থিতি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল বিষয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে। কোভিড ১৯ আমাদেরকে অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করতে বাধ্য করেছে। এমনকি আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি আইন প্রণয়ন এবং ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করাতেও বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী জনগণ প্রতিনিয়ত নানা রকমের সমস্যা নিয়ে আদালতে হাজির হন। তাছাড়া বিশ্ব বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সংযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজারো রকমের বিরোধের উদ্ভব হয়। এ প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন বিষয়ে নিজেকে পরিচিত করার জন্য প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

 


 

 তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরলেন ড. মোমেন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরলেন ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিনদে
ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিনদে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দি ওসিস বেনেতিজ সালাস এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অ্যাসপেন রিকতার সেভেন্দসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠককালে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের তিন বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। কারণ মিয়ানমার ফিরিয়ে নেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করেনি।
এ সময় তিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সাথে তারা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে হাইটেক পার্কে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

মৃত্যুদণ্ডের আইনের পর ধর্ষণ বেড়ে তিন গুণ 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর মুগদায় ১১ বছর বয়সের স্কুলছাত্রী যমজ দুই বোনকে মুখে গামছা গুঁজে ধর্ষণ করেন ফরহাদ নামের এক যুবক। অভিযুক্ত ফরহাদ ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রীর মামাতো ভাই। গত বুধবারের ওই ঘটনা পরে পারিবারিকভাবে ‘সমাধানের’ চেষ্টা করা হয়। শেষে রবিবার মামলা করেন মেয়েটির বাবা।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ এনামুল করিম বলেন, ‘ধর্ষণ এত বড় অপরাধ। সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এসব ঘটনায় তা মনে হয় না। কেমন যেন ছেলেখেলা। আবার ঘটনা চেপে রেখে বলে মামলা করা যাবে কি না!’
গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী কামাল ব্যাপারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, ‘ধর্ষণ বড় অপরাধ, মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এমন কোনো ভয় কামালের মধ্যে আমি দেখিনি।’
প্রতিটি ঘটনায়ই দেখা যাচ্ছে এমন মনোভাব। সিলেট ও নোয়াখালীর ধর্ষণ-নিপীড়নের পর দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ হলে সরকার গত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেছে। কিন্তু এর প্রভাব অপরাধীদের মধ্যে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সাজা বাড়লেও কমেনি ধর্ষণ। নতুন সাজা কার্যকর হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাস ১০ দিনে ছাপানো প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯১ ঘটনায় নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ৪৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ সময় অর্ধশতাধিক নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে এমন ঘটনা।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ মাসে ৯৭৫ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যেখানে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাই ২০৮টি। সংস্থাটির তথ্য মতে, আইন কঠোর হওয়ার পরও বেড়েছে ধর্ষণ। সেপ্টেম্বরে ছিল এই সংখ্যা ৮৬, যা অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৩৭৪। এই সংখ্যা আগের মাস আগস্টে ছিল ১৪৮। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় অক্টোবরে ৮৫টি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৬০।
মানবাধিকার ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠোর আইন ধর্ষণ প্রতিরোধে সহায়ক হচ্ছে না। কারণ যারা এ অপরাধ করছে, তারা ধর্ষণকে অপরাধ বলেই মনে করে না।
সচেতনতা বাড়ালে এবং শাস্তি কার্যকর করা গেলে এর প্রভাব পড়বে। এর জন্য সামাজিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একদল লম্পট ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। দুর্বৃত্তরা স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেছিল।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে এক নববধূকে ধর্ষণ করে কয়েকজন তরুণ। দুটি ঘটনায়ই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী এবং উঠতি সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে তথ্য মেলে। এসব ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুবিচারের দাবি ওঠে সব মহল থেকে। শুরু হয় আন্দোলন। দুই সপ্তাহের বিক্ষোভের মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে সরকার।
 


পাহাড়ে শত শত বছর ধরে চলছে রাজার শাসন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে এখনো রয়েছে রাজপ্রথা। শত শত বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ তিন রাজার আদেশ-নির্দেশ মেনে আসছেন। তবে রাজাদের এখন তেমন কোনো ক্ষমতা নেই। স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদান, কর আদায়, সামাজিক কিছু বিচার-আচার, সালিশ-বৈঠকের মধ্যেই তাদের কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ। তবে তিন রাজার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে চাকমা, বোমাং ও মং তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে। বোমাং সার্কেল বান্দরবানে, চাকমা সার্কেল রাঙামাটিতে ও মং সার্কেল খাগড়াছড়িতে অবস্থিত।
চাকমা এবং মং সার্কেলের নিয়ম অনুযায়ী, রাজপরিবারের বড় ছেলে বংশপরম্পরায় রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হলেও বান্দরবানের বোমাং সার্কেলে বংশের সবচেয়ে বড় জনই রাজা হয়ে থাকেন। বর্তমানে রাঙামাটিতে চাকমা রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, বান্দরবানে বোমাং সার্কেলের রাজা কে এস প্রু আর খাগড়াছড়িতে মং রাজা হিসেবে রয়েছেন সাচিং প্রু চৌধুরী। জানা গেছে, ১৯৭৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাঙামাটিতে দেবাশীষ রায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি চাকমা সার্কেলের ৫১তম রাজা। ১৬তম বোমাং রাজা ক্য এস প্রু মারা গেলে তার উত্তরসূরি হিসেবে উ চ প্রুকে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল নিয়োগ দেয় সরকার। সে থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন। খাগড়াছড়িতে মং সার্কেলের বর্তমান রাজা সাচিং প্রু। রাজা পাইহ্লা প্রু চৌধুরী সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে তাকে রাজা নিযুক্ত করা হয়। তিনি মং সার্কেলের নবম রাজা। চাকমা সার্কেলে ১৭৮টি, বোমাং সার্কেলে ৯৭টি এবং মং সার্কেলে ১০০টি মৌজা রয়েছে। হেডম্যানরা প্রতিটি মৌজার প্রধান হিসেবে কাজ করে থাকেন। প্রতিটি পাড়ায় রাজার প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন একজন করে কারবারি। রাজা হেডম্যান ও কারবারিদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ কর আদায় করে থাকেন হেডম্যান ও কারবারিরা। প্রতি বছর শীতের সময় তিন রাজা রাজপুণ্যাহের আয়োজন করে থাকেন। আর এ সময় প্রজারা তাদের জমির খাজনা প্রদান করেন। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় রাজকীয় অনুষ্ঠানমালার। যদিও রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে রাজপুণ্যাহের প্রচলন তেমন একটা নেই। তবে বান্দরবানে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় হয়ে থাকে রাজপুণ্যাহ। আর রাজপুণ্যাহে আদায় করা খাজনার শতকরা ৪২ ভাগ রাজা, ৩৭ ভাগ হেডম্যান এবং ২১ ভাগ সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে থাকে। জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে রাজারা অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিলেন। তবে পাকিস্তান আমল থেকে রাজাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে তাদের ক্ষমতা আরও কমতে থাকে। রাজারা বর্তমানে সম্মানী পেয়ে থাকেন মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর হেডম্যান ৫০০ এবং কারবারি ৩০০ টাকা। এ নিয়ে রাজা, হেডম্যান, কারবারিদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। বোমাং রাজা বলেন, ‘আমি রাজা হলেও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই না। সম্প্রতি এক সম্মেলনে রাজাদের জন্য একজন দেহরক্ষী ও গাড়ি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’ তবে রাজার তেমন ক্ষমতা না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘুরতে আসা পর্যটকদের এখনো আকর্ষণ করে রাজপ্রথা এবং রাজাদের প্রাচীন ইতিহাস। তাই দেশ-বিদেশ থেকে যারাই বেড়াতে আসেন, সবাই এক নজর হলেও দেখে যান রাজবাড়ী। সম্ভব হলে দেখা করে যান রাজার সঙ্গে।

 

সন্ধ্যার পর বের হতে পারবে না যুবক-যুবতীরা  


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রহিমা খাতুন বলেছেন, সন্ধ্যার পর ইয়াং ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা বাইরে যেতে পারবে না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অভিভাবকদের নিয়ে বাইরে যাবে। এছাড়া শহর ও গ্রামের চায়ের দোকানগুলোয় টেলিভিশন থাকা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শহর ও গ্রামের দোকান বন্ধ করতে হবে।
গত ২৪ নভেম্বর ২০২০ সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছি। এছাড়াও গেলো মাসে আইনশৃঙ্খলা সভায় নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাংসহ জেলার নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ওই আলোচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অভিভাবক ছাড়া কোনও শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাতটার পর বাইরে থাকতে পারবে না।
দোকানের টেলিভিশনের কারণে আড্ডা বেশি হয়। এতে যারা শিক্ষার্থী, তারা পড়াশোনা করে না। আর যারা পড়াশোনা করে না, কৃষক বা কাজ করে, তারা অনেক সময় এখানে অলস সময় কাটায়। ফলে তার পরিবারে কী হচ্ছে, তার ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখে না। এ কারণে চায়ের দোকানে টেলিভিশন রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা মাইকিং করব। এ বিষয়ে আমরা প্রথম কয়েক দিন প্রচার-প্রচারণা চালাব। জনগণকে সচেতন করব। তারপরও যদি ইয়াং ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা সন্ধার পরে বিনা কারণে বাইরে আড্ডা দেয়, তাহলে আমরা অভিযানে যাব।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব।

 

 
পোশাক খাতে প্রহসনের মাতৃত্বকালীন ছুটি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের শ্রম আইন কয়েক দফা সংশোধনের পরও পোশাক খাতে মাতৃত্বকালীন ছুটির নামে প্রহসন চলছে। কোনো শ্রমিক ছুটি নিলে পরে কাজে যোগ দিতে নিরুৎসাহ করা হয়। অথবা কাজে নিলেও নতুন শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিক আগের কর্মসময়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক সময় কৌশলে ছাঁটাই করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে।
মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রে বৈষম্যও রয়েছে। যেখানে সরকারি খাতের শ্রমিকদের ছয় মাস ছুটি দেওয়া হয়, সেখানে পোশাক খাতে দেওয়া হয় চার মাস।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) তথ্যানুযায়ী, বেশির ভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় ক্রেতাদের চাপে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হলেও তা অপর্যাপ্ত ও অসম্পূর্ণ। কোনো না কোনো কারণে শ্রমিকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তবে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিচালিত (কমপ্লায়েন্স) কারখানায় মাতৃত্বকালীন ছুটি শতভাগ।
গর্ভবতী নারীদের সদ্যোজাত সন্তান বা সন্তানদের যতœ নেওয়ার জন্য যে ছুটি দেওয়া হয় এটা হলো মাতৃত্বকালীন ছুটি। এটা গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ থেকে দেওয়া হয়।
ডিআইএফইর পরিসংখানে দেখা গেছে, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি। অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কারখানাগুলোতে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৬১ জন শ্রমিক। এর আগের বছর ছুটি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮১২ জন। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে ছুটি পেয়েছেন এক হাজার ৭৮৬ জন। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, সারা দেশে ২৬ হাজার ৯৫৩টি নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে। শুধু পোশাক কারখানাই আছে চার হাজারের বেশি।
ডিআইএফইর উপমহাপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা ভোগের সংখ্যা বাড়ছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, চা, ওষুধ, জাহাজশিল্প এমন প্রায় ৪২টি খাতের তদারকি করছে ডিআইএফই। তবে মাতৃত্বকালীন ছুটির সংখ্যা বাড়লেও পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়।’ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘বেইস লাইন সার্ভে ২০১৭’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ৫৩ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয় না। ৯ শতাংশ শ্রমিক চাকরি জীবনে সন্তান জন্ম দিলেও তাঁদের সাড়ে ৩ শতাংশ মাতৃত্বকালীন ছুটি পাননি। ২৩ শতাংশ নারী শ্রমিক কারখানায় তাঁর সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর সুয়োগ পান না। শ্রম আইনে মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান আছে এই তথ্য জানেন না ৩৩ শতাংশ শ্রমিক। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩১ শতাংশ নারী শ্রমিক।।


   ১৩০ কোটি শিশু ও তরুণের বাড়িতে নেই ইন্টারনেট সংযোগ: ইউনিসেফ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১ ডিসেম্বর ২০২০ ইউনিসেফ ঢাকা অফিস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে ডিজিটাল বৈষম্য। যা ইতোমধ্যে দেশ ও কমিউনিটিগুলোকে বিভক্ত করে ফেলেছে। দরিদ্রতম পরিবার ও গ্রামাঞ্চলে শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠী তাদের সমবয়সী বা সহপাঠীদের চেয়ে আরও পিছিয়ে পড়ছে।
ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ধনী পরিবারের শিশুদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, দরিদ্র পরিবারের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আয়ের ভিত্তিতে একই ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, মহামারি চলাকালীন তারা শিক্ষা গ্রহণের কম সুযোগ পেয়েছে। যা বিদ্যমান বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশে কোভিড ১৯-এর কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকরভাবে এই শিশুদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি।

 


ওবামা বললেন ‘এর চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই’

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে দেয়া টুইটবার্তায় ওবামা লেখেন, ‘বন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন।’
টুইটের সঙ্গে এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতির ছবিও পোস্ট করেন ওবামা, যেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে অভিনন্দন জানানোর চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই।’
এদিকে শনিবার রাতে এক টুইট বার্তায় অভিনন্দবার্তায় ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন। আশা করি তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করবেন’।।
 

দেখা মিলল ভয়ঙ্কর সুন্দর নীল ড্রাগনের!


সৈকতে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই বিচে কিছু একটা দেখে চমকে উঠলেন। অনেকগুলো নীল-রঙা প্রাণী। দেখতে অপূর্ব সুন্দর। সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে চালান করলেন তিনি। তারপরই প্রাণীটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তার নাম মারিয়া ওয়েজেনের। হাঁটছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের এক সৈকতে। বহু বছর ধরে তিনি ওই সৈকতের কাছাকাছিই থাকেন। তার দাবি, তিনি কোনো দিন এখানে এই ধরনের কোনো প্রাণী দেখেননি। স্টারফিস তার চোখে পড়েছে। এবং তার হাতের কাছে পড়লেই তিনি তাদের ধরে পানিতে ঠেলে দেন। এ ক্ষেত্রেও তার তেমন ইচ্ছা ছিল।
কিন্তু তার কেমন সন্দেহ হয়, অচেনা এই প্রাণীটির হুল থাকতে পারে। তার আশঙ্কাই সত্যি হয়। ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে তিনি প্রাণীটির শরীরে একটি হুল আবিষ্কার করেন। বিষাক্ত হতে পারে মনে করে তিনি আর ওই চেষ্টা করেননি।
নীল-রঙা এই সামুদ্রিক প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম গ্ল্যাকাস আটলান্টিকাস। তবে ব্লু ড্রাগন নামেই বেশি পরিচিত এরা। এদের শরীরে যে হুলটি আছে কোনোভাবে এরা সেটি কারো শরীরে ফুটিয়ে দিলে আক্রান্তের বমি-বমি ভাব লাগে, ত্বকে অ্যালার্জি দেখা যায়, অত্যন্ত যন্ত্রণাও হয় সারা শরীরে।
বালির ওপর অত্যন্ত দ্রুত চলাচল করা এই ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাণীটিকে নিয়ে এখন দারুণ আলোচনা চলছে।
 

 

মায়ের গর্ভে থাকতেই বিক্রি হয়ে যায় শিশু!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মায়ের কোলে শিশুর পৃথিবী নিরাপদ হলেও কোনো কোনো মায়ের গর্ভেই শিশু অনিরাপদ। মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর আকার-আকৃতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে হয়ে যায় অন্যের কেনা সম্পদ। মাত্র কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায় একটি শিশু।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এমনই ঘটনা ঘটছে রাজশাহীতে। নগরীতে এখন গর্ভে থাকতেই সন্তান বেচাকেনা চলছে! শিশুর দাম নির্ধারণ হচ্ছে লিঙ্গ ভেদে। মেয়ে হলে কম আর ছেলে হলে বেশি দাম। আবার গয়ের রং ও স্বাস্থ্য ভেদেও দাম কম-বেশি হয়। বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুর মধ্যে কিছু বিদেশে পাচার হয়ে যায়, কখনো আবার পালক হিসেবেই কিনে নেয় অনেকে। এগুলো এত গোপনে হয় যে, অনেক ক্ষেত্রে মা নিজেও সন্তানের মুখ দেখার সুযোগ পান না। অনেকের কাছে এটা পেশাও।
রাজশাহী রেলস্টেশনের পাশেই গণসৌচাগারের পেছনের ফাঁকা জায়গায় এক কিশোরী সারা দিন ঠায় বসে থাকেন। তার যেন কোনো ব্যস্ততা নেই, কোথাও যাওয়ার নেই। তার ‘স্থায়ী ঠিকানা’ এটাই। বয়স ১৮ পার হয়নি। গর্ভে বেড়ে উঠছে শিশু।
পেটের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন ওই কিশোরী। সন্তান জন্মের পর তিনি ওই টাকা পাবেন। রাজশাহী মহানগরীর এক নিঃসন্তান দম্পতি ওই শিশুটিকে কিনেছে। সন্তান জন্মের আগ পর্যন্ত তারা সন্তান সম্ভবা কিশোরীকে দেখাশোনা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা গর্ভে সন্তান ধারণ করে বিক্রি করছে তারা ভ্রাম্যমাণ পতিতা হিসেবে কাজ করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় থাকে না। সন্তান মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়ে যায়। সাধারণত নিঃসন্তান দম্পতিরা এভাবে শিশু কিনেন। বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুদের শেষ পরিণতি কী হচ্ছে তা কেউই খবর রাখেন না।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শাহেদা নাসরিন (ছদ্মনাম) নামের এক কিশোরী সঙ্গে কথা হয়। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার বয়স এখনো ১৮ বছর পার হয়নি। তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। তার বর্তমান পেশা তিনি যৌনকর্মী। সেও একইভাবে গত রোজার ঈদের আগে তার শিশুকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। রাজশাহীর ভদ্রা এলাকার কামাল নামে এক মোটর গেরেজ কর্মী শিশুটিকে কিনে নেন।


 

অভিবাসনের বৈশ্বিক চুক্তি ‘পথ দেখাচ্ছে’ : গুতেরেস


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসনে সহযোগিতার এক ব্যাপক কাঠামো হিসেবে ২০১৮ সালে গৃহীত গ্লোবাল চুক্তিটি ‘প্রতিশ্র“তিবদ্ধ পথে ব্যবস্থা গ্রহণে পথ দেখাচ্ছে’।
মঙ্গলবার চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই চুক্তিটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বে মানব গতিশীলতা বুঝতে সহায়তা করে। তবে এটি যদি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয় মাইগ্রেশন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। জীবন হারানো থেকে শুরু করে অধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। খবর এপি।
গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এই চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন অভিবাসী বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
দেশগুলোতে বসবাস এবং কাজের অনুমতি বাড়ানো, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিয়মিত করা এবং আটক না করে বিকল্প পথ অনুসরণের মতো উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ অভিবাসীদের অনিরাপদ মনে করে তাদের ফেরার বিষয়টি স্থগিত করেছে। অন্যদেশগুলো যারা ফিরেছেন বা যারা নির্বাসিত হয়েছেন তাদের সমর্থণ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।’
‘আরো অনেক কিছু করা উচিত ’ উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘের প্রধান এই জাতীয় উদ্যোগকে আরো সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। গুতেরেস তিনটি মূল সুপারিশের কথা উল্লেখ করেন যার মধ্যে প্রথমটি হলো সহযোগিতার চেতনা ধারণ করা। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশ একা অভিবাসন সমস্যাকে সমাধান করতে পারবে না।’
কোভিড-১৯ মহামারি প্রবাসী শ্রমের মূল্য তুলে ধরেছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘ প্রধান দেশগুলোকে ন্যায্য ও নৈতিক নিয়োগ নিশ্চিতকরণের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের অবদানকে ‘অর্থপূর্ণভাবে’ স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায় ও অভিবাসীদের মধ্যে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও সংহতি জোরদার করা এবং বৈষম্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত বলে জাতিসঙ্ঘের প্রধান জানান।
তিনি বলেন ‘অভিবাসীদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সরকারি সেবা দেয়া থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। ঘৃণার ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সমাজের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে হবে।’
 



Top

 এইডস রোগীদের মানসম্পন্ন চিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০২০ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, এবারের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, এইডস একটি মরণঘাতী রোগ। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচ”আইভি সংক্রমণের হার কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি যথেষ্ট প্রবল। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও আচরণ পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
আবদুল হামিদ বলেন, এইডসের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হলেও বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ রোগের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে- এ প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান ও এইডস প্রতিরোধে সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতা সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
 

Top

ঢাকায় আসছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একদিনের ঝটিকা সফরে ওয়েই এখন নেপালে অবস্থান করছেন। ওই সফর শেষে তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফর করবেন বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।
কাঠমান্ডু পোস্টের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই দুদিনের নেপাল সফর শেষে গত শুক্রবার দেশে ফিরেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। এর পরই ঝটিকা কাঠমান্ডু সফর করেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গি।
সূত্রের বরাতে নেপালের এই দৈনিক তাদের অনলাইন প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেপাল সফর শেষে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফর করবেন। তাতে সূত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত বছরের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দুদিনের নেপাল সফরের পর এই প্রথম চীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ জরুরি প্রয়োজনে কাঠমান্ডু সফর করছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শনিবার নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ছাড়াও সেনাপ্রধান জেনারেল পূর্ণ চন্দ্র থাপার সঙ্গে আলোচনা করবেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়েই ফেঙ্গি।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের বৈঠকের পর ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) চলমান রাজনৈতিক কোন্দলের মধ্যেই দেশটি সফর করছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

 


বিবিসির শীর্ষ ১০০ নারীর তালিকায় ২ বাংলাদেশি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একশ জন নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করে থাকে বিট্রিশভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। চলতি বছরও এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দান এবং প্রভাব বিস্তারের ওপর ভিত্তি করে একশ জন নারীকে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
২০২০ সালের বিবিসির এই নারীদের তালিকায় বাংলাদেশের দু’জন নারী স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে একজন হলেন, যৌনকর্মী রিনা আক্তার এবং অন্যজন হলেন রিমা সুলতানা রিমু। তিনি একজন শিক্ষক এবং কক্সবাজারের ইয়াং উইমেন লিডার্স ফর পিস এর একজন সদস্য।
বিবিসি বলছে, এবার একশ নারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যারা পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং মহামারির এই কঠিন সময়েও তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন মূলত তাদেরকেই এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
রিনা আক্তারকে মাত্র আট বছর বয়সে তার এক আত্মীয় একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন এবং পরে যৌনকর্মীর হিসেবে দিন কাটে রাত। কিন্তু এখন তিনি অন্য যৌনকর্মীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রিনা ও তার টিম ঢাকায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারশো যৌনকর্মীকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এসব যৌনকর্মী মহামারির কারণে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছেন।
রিনা আক্তার বলেন, ‘লোকজন আমাদের পেশাকে ছোটো করে দেখে। কিন্তু আমরা খাবার কেনার জন্যই এই পেশায় থাকতে বাধ্য হয়েছি। আমি চেষ্টা করছি যাতে এই পেশার কাউকে না খেয়ে না থাকতে হয় এবং তাদের বাচ্চাদের যেন এই অসম্মানজনক কাজ করতে না হয়।’
অপরদিকে শিক্ষক রিমা সুলতানাও এই মহামারির মধ্যে কাজ চালিয়ে গেছেন। এই কর্মসূচি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স এর অংশ। এর মূল উদ্দেশ্য সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে আসা তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন করা যাতে করে তারা নেতৃত্ব দেয়া ও শান্তির দূত হিসেবে পরিণত হতে পারেন।
রিমা তার মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবেলায়। রোহিঙ্গা শরণার্থী বিশেষ করে নারী ও শিশু যাদের শিক্ষার সুযোগ নেই তাদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীল ও বয়সভিত্তিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তিনি।
রেডিও ব্রডকাস্ট ও থিয়েটার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করেছেন তিনি। এই শিক্ষক বলেন, ‘বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতা আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অধিকার আদায়ের জন্য নারীর শক্তিতে আমি বিশ্বাস করি।’।
 


ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে পদপে জানতে চান হাইকোর্ট
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের তা জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে বায়ু দূষণ যেন না বাড়ে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সে রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুল জারির পাশাপাশি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তবর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নারী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের ফলে হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার স্থলে আসতে যাচ্ছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পরিবর্তনের সঙ্গে রদবদল হচ্ছে অভ্যন্তরীন বিভিন্ন নীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেও। এরই অংশ হিসেবে এবার প্রথমবারের মত হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূ নারী।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূ মার্কিন নাগরিক রিমা দোদি হোয়াইট হাউসের আইন প্রণয়নবিষয়ক উপপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। রিমা দোদি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দীর্ঘদিনের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, মার্কিন জনগণ আমাদের প্রশাসনের কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছে। ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত এ নারীকে নিয়োগের মাধ্যমে সব নাগরিকের প্রতি আমাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের হেবরন শহরের দুরা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন রিমা দোদি।
তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করেন।

 জাপানে এক মাসে করোনা থেকে আত্মহত্যায়

বেশি মানুষের মৃত্যু!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নভেল করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে জাপানে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বছরব্যাপী চলা নভেল করোনাভাইরাসে যত মানুষ দেশটিতে মারা গেছেন, তার চেয়ে বেশি মানুষ গত এক মাসে আত্মঘাতী হয়েছেন।
জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে সিএনএন এবং ফক্স নিউজ জানিয়েছে, শুধুমাত্র অক্টোবরে ২ হাজার ১৫৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। আর চলতি বছরে নিজেকে শেষ করে দেয়া মোট মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি! এই তুলনায় নভেল করোনাভাইরাসে ‘অনেক কম’ মানুষ মারা গেছেন। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ লকডাউনে পরিবার থেকে দূরে থাকতে থাকতে অনেকেই হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। এর ভেতর যোগ হচ্ছে অর্থনৈতিক চিন্তা। গ্রাস করছে বেকারত্ব।‘আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন,’ মন্তব্য করে জাপান সরকারের প্রধান মুখপাত্র ক্যাটসুনোবু কাটো গত সপ্তাহে বলেন, ‘আত্মহত্যা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে আমরা হটলাইন চালু করছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
জাপানে ঐতিহাসিকভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা অন্য দেশের চেয়ে বেশি। করোনার আগের কয়েক বছরে সেটি কিছুটা কমেছিল। আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য জাপান সরকারের বিশেষ তহবিল আছে। সেটি এখন ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ মিলিয়ন করা হয়েছে।

 


ওআইসির নতুন মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নতুন মহসচিব নির্বাচিত হয়েছেন হিসেইন ব্রাহিম তাহা।
আফ্রিকার দেশ শাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম এই সংগঠনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নাইজারে অনুষ্ঠিত ওআইসির দেশভুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৭তম বৈঠকে বর্তমান মহাসচিব ইউসুফ আল ওথাইমিন নবনির্বাচিত মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ওআইসির বর্তমান মহাসচিব ইউসুফ বিন আল ওথাইমিনের মেয়াদ শেষ হলে নতুন মহাসচিব দায়িত্ব নেবেন হিসেইন ব্রাহিম তাহা। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নেবেন তিনি।
নবনির্বাচিত ওআইসি মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন আইকন ইয়েলেন।
 

 যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্ত্রীপরিষদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নানা জল্পনা। বলাবলি হচ্ছে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন বাইডেন। তিনি হলেন জ্যানেট ইয়েলেন। বাইডেনের মনোনয়ন দেয়া এই নারীকে যদি সিনেট নিশ্চিত করে তবে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী অর্থমন্ত্রী। ৭৪ বছর বয়সী জ্যানেট ইয়েলেন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ছিলেন। অর্থনীতিবিদ হিসেবে তার রয়েছে খ্যাতি। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অর্থনীতি বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কট ও আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার ছিলেন। কর্মজীবীদের ওপর ব্যাংক পলিসির ক্ষতিকর প্রভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রে অসমভাবে খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে অধিক মনোযোগ দেয়ার জন্য তিনি মার্কিনিদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী হয়ে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রচলিত রীতি আছে। তাহলো ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার’কে পরবর্তী দু’মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু ক্ষমতায় আসা নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনের আচরিত এই রীতিকে অবজ্ঞা করেন। ১৯৯০এর দশকে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় থেকে একটি রীতির প্রচলন হয়েছে। তা হলো, পূর্বসূরিদের নিয়োগ দেয়া ব্যাংক কর্মকর্তাদের তাদের পদে বহাল রাখতেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ব্যাংককে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য এমনটা করা হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার পদ ছাড়তে হয় মিসেস ইয়েলেনকে। তারপর তিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি ওয়াশিংটনকে আরো বেশি কিছু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

 

 পৃথিবীর সব থেকে দামি ফসল, দাম জানলে আতকে উঠবেন!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চারপাশে নীলের আভা। অদ্ভতু সুন্দর হয়ে উঠেছে ভূস্বর্গ। উপত্যকার এই সৌন্দর্য যেন দেশের সমস্ত সমস্যার কথা ভুলিয়ে দেয়। করোনার এই আবহেও কাশ্মীরের চাষীরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
২৭ অক্টোবর কেশর দিবস। ওই দিন থেকেই কাশ্মীরের হাজার হাজার একর জমি থেকে কেশরের ফুল তুলতে শুরু করেন চাষীরা। অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেশর ফুলের আভায় নীলিয়ে ওঠে।
১ লাখ ৬০ হাজার থেকে তিন লাখ রুপি প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয় এই কেশর। তাই এই ফসলকে পৃথিবীর সব থেকে দামি ফসল বলা হয়। ভারতে কেশরের চাষ শুধুমাত্র কাশ্মীরেই হয়।
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাম্পোর শহর কেশর শহর হিসাবে পরিচিত। শ্রীনগর থেকে ২০ কিমি দূরে জম্মু-কাশ্মীর মহাসড়কের ধারে অবস্থিত এই শহর। এই শহরের চাষীরা এখন ফুল থেকে কেশর আলাদা করতে ব্যস্ত।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে কেশরের কন্দ লাগানো হয়। অক্টোবরের মধ্যে তা থেকে ফুল হয়। বেগুনি রঙের হয় সেই ফুল। তা থেকে স্টিগমা বের করা হয়। পাম্পোর ছাড়াও কিস্তবাড় জেলাতেও কেশরের চাষ হয়। এই বছর ৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে কেশরের চাষ হয়েছে।
 

 
 

করোনা বলে কিছু নেই ভ্যাকসিনেরও প্রয়োজন নেই

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
''ভ্যাকসিন নিয়ে এমন হাহাকার আমি আগে দেখিনি। যেন এই ভ্যাকসিন না পেলে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে। আদলে তো সেরকম কোনো ব্যাপার নেই। এখন করোনা মহামারী শেষের দিকে। এই সময় ভ্যাকসিনের কোনও প্রয়োজন আর নেই।''
কথাগুলো যিনি বলেছেন তিনি একজন নামকরা বিজ্ঞানী। নাম ড. মাইকেল ইয়োডেন। মার্কিন সংস্থা ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন করোনাকে রুখতে ৯০ শতাংশ কার্যকর। তৃতীয় দফার ট্রায়ালে সাফল্য এলেই এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে জটিল রোগ তারা সারিয়ে দেবে। এই ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল- সাবেক প্রধান ড. ইয়োডেন।
৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ড. ইয়োডেন এলার্জি ও শ্বাসযন্ত্রের একাধিক রোগের বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি মনে করেন, করোনা মহামারী রোধ করার জন্য এখন আর ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেছেন, ''যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম, তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে কী লাভ! কয়েক কোটি মানুষ তো সুস্থ আছেন। তাদের কেন টীকাদিতে হবে! তাও এবার এমন ভ্যাকসিন যেটার ট্রায়াল ব্যাপকভাবে মানব শরীরে হয়নি! এমন তো হতে পারে, এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে সুস্থ মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হল! তখন তো হিতে বিপরীত হবে।''
ড. ইয়োডেন আরো বলেছেন, ''ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে জনসংখ্যার একশো শতাংশ তো সংবেদনশীল ছিল না। সার্স কোব-২ ভাইরাস নতুন হলেও করোনা কিন্তু নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এর আগে কেউ করোনার আক্রান্ত হলে তার টি-সেল ইমিউনিটি মজবুত হবে। সেক্ষেত্রে তাকে নতুন করে টীকা দেওয়া হবে কেন! এমনকি করোনার সঙ্গে উপসর্গ মেলে এমন ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সেসব আক্রান্তদের শরীর আগের থেকে সক্রিয় থাকবে। এক্ষেত্রে আমার করোনা টেস্ট আরটি-পিসিআর নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।''

 

Top

এ যেন দুনিয়ার বাইরে অদৃশ্য কিছু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কমালা চলো, আমাদের দেরি হয়ে যাবে। আমার মা তার ধৈর্য্য হারাতে বসেছিলেন। এক মিনিট মাম্মি, আমি ফোন দিচ্ছি (আমার মাও আমাকে সব সময় মাম্মি বলে ডাকতেন)। আমরা আমাদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের দিকে ছুটলাম। যেখানে ভিড় করেছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা। আমার মা প্রায়ই স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব নিতেন। যদিও তিনি প্রতিদিন এটি করতেন না। সকলেরই জানা ছিল, যখনই শ্যমলা কথা বলবে তা শুনতে হবে।
আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে যেতে হতো কাছের স্ট্রিট মার্কেটে, সান ফ্রান্সিসকোর সম্পদশালী এলাকা ডাউনটাউন হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ প্রধান এলাকা বলে পরিচিত শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমের বে ভিউ হান্টারস পয়েন্ট পর্যন্ত। বে ভিউয়ের হান্টারস পয়েন্টে বহুদিন ধরেই রয়েছে নৌবাহিনীর ঘাঁটি। যা বিংশ শতকের মধ্যভাগে আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ১৯৪০-এর দশকে এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং সমর্থ হওয়ায় সকলেই নৌ-ঘাঁটির আশেপাশে আবাস গড়ে তোলার জন্য উদ্বুব্ধ হয়। এ ছাড়াও হাজারো কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান এখানে কাজের জন্য ছুটে আসে। আর তারা তা করে বর্ণ বৈষম্যের কারণে যে অন্যায়ের শিকার হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে। এই শ্রমিকরাই লোহা বাঁকা করে এবং তা ঝালাই করে। এর মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হয়েছিল।
কিন্তু একইরকম ভাবে যুদ্ধ পরবর্তীতে অনেকেই এই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। যখন নৌ-ঘাঁটি বন্ধ হয়ে যায় তখন কেউ এই জায়গাটিতে আর আসেনি। সুন্দর সুন্দর পুরনো বাড়ি এখানে পরিত্যক্ত হয়, এখানকার বাতাস ও মাটি দূষিত হয়ে যায়, মাদক ও সন্ত্রাসে ছেয়ে যায় এখানকার পথঘাট। ফলশ্রুতিতে এ এলাকায় দীর্ঘ সময়ের জন্য দরিদ্রতা স্থায়ী রূপ পায়। এখানকার বাসিন্দারা অনুপাতহীনভাবে অপরাধে জর্জরিত হয়ে পড়ে যা ছিল সমাধানের বাইরে। বে ভিউ এলাকায় বসবাসরতদের অনেকেরই শিকড় ছিল সান ফ্রান্সিসকোতে। এলাকাটি সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই আক্ষরিক এবং আলঙ্করিক অর্থে এই এলাকা ছেড়ে যায়। বে ভিউ এমন একটি স্থানে পরিণত হয় যে শহরে প্রয়োজন ছাড়া কেউই ব্যবসায়িক কারণে সেখানে যেতে চাইতো না। মুক্তভাবে এই এলাকায় কেউই যেতে পারতো না। শহরের একপাশ থেকে আরেক পাশে যাওয়া যেত না। এটি ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ যেন দুনিয়ার বাইরে অদৃশ্য কিছু। আমি এর পরিবর্তনে কাজ করতে চেয়েছি। সুতরাং, আমি বে ভিউ এর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গালভেজের থার্ড এভিনিউতে আমার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রধান অফিস স্থাপন করি। আমার রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা মনে করলেন আমি বোকামি করেছি। তারা বললো, শহরের অন্যান্য স্থান থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা কেউই এখানে আসতে পারবে না। অর্থনৈতিকভাবে বৈশম্য ও নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে।

 

একসঙ্গে প্রশাসন ক্যাডার হলেন সিলেটের দুই বোন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউপির ছোট দেশ গ্রামের ডা. শামসুল ইসলাম চৌধুরীর দুই মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা চাঁদনী ও সাদিয়া আফরিন তারিন চলতি ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
স্কুল জীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী এই দুই বোন। তাদের ছোট বোন মেধাবী সামিয়া প্রীতি শাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত।
তাদের গর্বিত পিতা ডা. শামসুল ইসলাম চৌধুরী কানাইঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার। তিনি তার মেধাবী মেয়েদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

সাইলেন্ট অবস্থায় হঠাৎ মোবাইল ফোন খুঁজে না পেলে যা করবেন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট অবস্থায় রেখেছেন, সেই সময়েই হঠাৎ দেখলেন মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোনও ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা।
মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই তা খুঁজে পেয়ে যাবেন। কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না। তাহলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-
১. প্রথমে অন্য কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
৩. তারপর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।
৫. এরপর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।
৬. এবার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।
৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বের করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে।
এবার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বের করা তো কোনও ব্যাপারই নয়।
এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবও খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হল, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে। নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না।


জমি নিবন্ধনের আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় নামজারি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারির (নামপত্তন) কার্যক্রম সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে জমি নিবন্ধনের (রেজিস্ট্রেশন) আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরাসরি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পাঠানো হবে। সহকারী কমিশনার তাত্ক্ষণিক কার্যক্রম গ্রহণ করে তা গ্রহীতাকে জানিয়ে দেবেন। অতিরিক্ত কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে গ্রহীতার নিকট থেকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কার্যসম্পাদন করবেন। রেজিস্ট্রেশন অফিসে মোট তিন কপি দলিল হবে একটি রেজিস্ট্রেশন অফিসে থাকবে, এক কপি গ্রহীতা আরেক কপি সহকারী কমিশনার অফিসে চলে যাবে। সব জমির মালিকানা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য অনলাইনে উন্মুক্ত থাকবে। রেজিস্ট্রেশন অফিস, ভূমি অফিস এবং আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে দৃশ্যমান থাকবে সব তথ্য। এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তফিজুর রহমান গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে জনভোগান্তি ও দুর্নীতি থাকবে না। তিনি এই পদক্ষেপকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী যুগান্তকারী উল্লেখ করে বলেন, এতে জমি নিয়ে জালিয়াতি, এক জমি একাধিকবার ক্রয় বিক্রয়, সরকারি সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল, ভুয়া নামজারি ইদ্যাদি ধরনের অনিয়ম বন্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এই সভায় যোগ দেন। সভায় ‘জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা ইনভেস্টর সবার জন্য নতুন এক অধ্যায় সৃষ্টি হলো। এতে মামলা-মোকদ্দমাও কমে আসবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সিস্টেমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সার্কেল ভূমি অফিস থেকে সম্পন্ন হয়ে থাকে। বিষয়টি দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার ফলে সব সময় কমিউনিকেশন করা ডিফিকাল্ট ছিল। এ কারণে দীর্ঘসূত্রতা এবং রেজিস্ট্রেশনেও অস্পষ্টতা ছিল। যে কোনো জমি যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারত।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসি ল্যান্ড অফিসের মধ্যে একটা ইন্টারনাল সফটওয়্যার থাকবে। বাংলাদেশের সব এসি ল্যান্ড অফিসে ৪ কোটি ৩০ লাখ রেকর্ড অনলাইনে চলে এসেছে। এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস একজন অপরজনের সার্ভারে ঢুকতে পারবেন। যখন কারো কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবে, তখন সাব-রেজিস্ট্রার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেবেন না, তিনি অনলাইনে এসিল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস জানবেন। এত দিন দুটি দলিল করতে হতো। এখন থেকে তিনটি দলিল করতে হবে। বাড়তি একটা দলিল এসিল্যান্ড অফিসও পাবে। যেহেতু এসিল্যান্ড দলিল অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছেন এবং তার কাছ থেকেই জমির ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সুতরাং এসিল্যান্ডের আর বাড়তি কিছুই লাগবে না। তিনি অটোমেটিক্যালি সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই মিউটেশন (নামজারি) কমপ্লিট করবেন। এক্ষেত্রে কাউকে ডাকতে হবে না। এটার জন্য ম্যাক্সিমাম আট দিন সময় দেওয়া হয়েছে, তবে আট দিনও সময় লাগবে না। এই আট দিনের মধ্যে অটোমেটিক্যালি নামজারি হয়ে যাবে। ১৭টি উপজেলায় ইতিমধ্যে এ কাজ শুরু হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ যাতে জমির সমান ভাগ পায়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা দেখব তারা যেন বাবা-মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিতে বারবার গুরুত্ব দিয়েছেন। কেউ তৃতীয় লিঙ্গের হলে তিনি কীভাবে জমির ভাগ পাবেন সেটি মুসলিম আইনের উত্তরাধিকারে বলা আছে। কিন্তু অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে সেটি বলা নেই, সে বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যাতে কেউ বঞ্চিত না হন।

 

আমি শিক্ষক, জাতির মেরুদন্ড ?
মোঃ দ্বীন ইসলাম হাওলাদার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ আমি
সবার শীর্ষে আমার অবস্থান
সারা জীবন করেছি মানুষ
কতনা মায়ের অবাধ্য সন্তান
আমার সন্তান না খেয়ে থাকে
এই তার প্রতিদান
বেসরকারি শিক্ষক আমি, কবে হবে
এই অভিশাপের অবসান !
যুক্তরাষ্ট্রে-শিক্ষকদেরকে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হয়। ফ্রান্সের- আদালতে শুধু শিক্ষকদের জন্য চেয়ার থাকে। জাপানে-সরকারের অনুমতি ব্যতিত শিক্ষকদেরকে গ্রেফতার করা যায় না। চীনে-শিক্ষকতা সর্বোচ্চ মার্যাদাপূর্ণ পেশা। কোরিয়ায়-শিক্ষকরা মন্ত্রীর সমান সুযোগ-সুবিধা পান। আর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে শিক্ষকরা বাংলা সিনেমার অসহায় নায়িকার হত দরিদ্র পিতার ভূমিকায় বা খ্যাতিমান রম্য রচনাকার সৈয়দ মুজতবা আলীর “পাদটীকা” গল্পের তিন ঠ্যাং ওয়ালা কুকুরের জন্য মাসিক খরচের ১ ঠ্যাং এর পেছনে খরচের সমান বেতন আর বোনাস প্রাপ্তির ভূমিকায়। যে দেশ যতো শিক্ষিত; সে দেশ ততো উন্নত। আর সেই শিক্ষা সেতুর পিলার শিক্ষকরা। অথচ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনৈতিকভাবে দুটি ধারায়-সরকারি এবং বেসরকারি (এমপিওভুক্ত/নন এমপিওভুক্ত) বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিত হয়ে বিসিএস ক্যাডারসহ বড় বড় পদে চাকুরি করছে। অথচ শিক্ষকদের বেসরকারির (এমপিও/ননএমপিও) যাতাকলে পিষ্ঠ করে সামাজিক মর্যাদা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে ১০০০/- বাড়িভাড়া, ৫০০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা আর ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে। প্রতি মুহুর্তে গন্ডমূর্খ রাজনৈতিক সভাপতিদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন শিক্ষকরা। যেকোন রাজনৈতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তার দু’ধারে দাড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। শিক্ষকরা সরকারের গেজেটেড ছুটিও ভোগ করতে পারেন না। তবে আপতকালীন বিষয়টা ভিন্ন। এমপিওভুক্ত হতে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। পরিপত্রের গ্যারাকলে আটকে প্রভাষকদরকে সহকারি শিক্ষকের স্কেলে বেতন দেয়া হচ্ছে। আটকে রাখা হয়েছে টাইম স্কেল/উচ্চতর গ্রেড। যারা পেয়েছেন তাদেরকেও উৎকোচের বানে ভাসতে হয়েছে। কিন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে দিলে শিক্ষকদেরকে এত দূর্ভোগ পোহাতে হত না। সামান্য কটা টাকা বেতন পেয়ে অনেক শিক্ষক দূর দুরান্তে চাকুরি করছেন, যাদেরকে বদলির মাধ্যমে নিজ এলাকায় আসার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। যুগ যুগ ধরে ননএমপিও শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে অর্ধাহারে-অনাহারে-কোনো রকম বেঁচে থেকে ননএমপিও অবস্থায়ই অবসরে চলে গেছেন। অনেকেই আবার নন এমপিও থেকে পরপারেও চলে গেছেন। কেউ কেউ অর্থ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করলেও অধিকাংশকে কাম্য সংখ্যক ভর্তি ও পাস সহ নানা নীতিমালার গ্যারাকলে আটকে দেয়া হয়েছে। এমপিও নীতিমালা সংশোধনের নামে চলছে আর এক প্রহসন ও সময় ক্ষেপণ। পক্ষান্তরে শিক্ষকদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যারা অবসরে যাচ্ছেন, তাদের অবসরের পরে কল্যান ট্রাষ্ট ও গ্র্যাচুয়িটি পেতে বহু বছর লেগে যায়। তাই তাদেরকে অবসরের পরে অনেক কষ্টে জীবন ধারন করতে হয়। অনেকে তা না পেয়েই পরপারে চলে গেছেন। পারেন নি নিজের কর্তিত টাকায় চিকিৎসা করাতেও। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শ্রেনীকক্ষে আটকে রাখা হয় জেল খানার কয়েদিদের মতো। আমাদের শিক্ষা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তথা শিক্ষাবিদরা কায়িক শ্রম আর মেধা শ্রমের পার্থক্যও উপলদ্ধি করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের বয়স ভেদে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা তো রয়েই গেছে। সরকারি-বেসকারি-ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা একই কাজ করেন। একই সিলেবাস অনুসরন করে শিক্ষাদান করেন অর্থাৎ একই দায়িত্ব পালন করেন। (চলবে)
লেখক, প্রভাষক
দুমকি ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা
দুমকি, পটুয়াখালী।


করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুর জন্ম দিলেন সিঙ্গাপুরের নারী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্চে সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায়ই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের নারী সিলিন এনজি-চান। পরে সুস্থও হয়ে ওঠেন।
২৮ নভেম্বর ২০২০ সিঙ্গাপুরের সংবাদ মাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস জানায়, ওই নারী এই মাসে যে নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন তার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত না হলেও ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন ডাক্তাররা। সংবাদমাধ্যমে সিলিন জানান, তার চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন তিনি তার কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি শিশুর মধ্যেও স্থানান্তর করতে পারেন।
মার্চে করোনা আক্রান্তের পর মৃদু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই নারী আড়াই সপ্তাহ পর ছাড়া পেয়েছিলেন। হাসপাতালটি এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করে নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সন্তানসম্ভবা করোনা আক্রান্ত নারী গর্ভবস্থায় বা সন্তান জন্মদানের পর শিশুর মধ্যে ভাইরাস স্থানান্তর করেন কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে এখন পর্যন্ত গর্ভের শিশু ও মায়ের দুধ পান করা শিশুর মধ্যে ভাইরাসের সক্রিয় উপস্থিতি পাওয়া যায় নি।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তাররা বলছেন, মা থেকে সদ্যজাতের শরীরে করোনার সংক্রমণের বিষয়টি বিরল।


৭৩ বছর বয়সে এমএ পাস


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাবনার এক ব্যক্তি ৭৩ বছর বয়সে এমএ পরীক্ষা দিয়ে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ পেয়ে পাস করেছেন। সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামের রওশন আলী নামে এই ব্যক্তি সুজানগর পৌরসভার শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই বিভাগের শিক্ষক কোর্স সমন্বয়কারী জাহিদ হাসান বলেন, রওশন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে তাদের বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হন। সম্প্রতি ফাইনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। রওশন সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।
২০০৮ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর নেয়া রওশন বলেন, তিনি সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
পারিবারিক কারণে তখন আর পড়াশোনা করতে পারেননি। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে তিনি শিক্ষকতার চাকরি শুরু করেন। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে কলেজ শিক্ষক আর ছোট ছেলে চিকিৎক।।


সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ-এর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বিইউপি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার পিএইচডি’র বিষয় ছিল ‘ইড়ৎফবৎ গধহধমবসবহঃ ঈযধষষবহমবং ড়ভ ইড়ৎফবৎ এঁধৎফ ইধহমষধফবংয (ইএই): ওংংঁবং রহ ঞৎধহংহধঃরড়হধষ ঞযৎবধঃ. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালস (বিইউপি) এর একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভায় গত ২৯ নভেম্বর ২০২০ এই পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন দেয়া হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের পিএইচডি এর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও। এ ছাড়া, এক্সটার্নাল এক্সামিনার ছিলেন প্রফেসর ড. মিতা ব্যানার্জি। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। অপর প্যানেল সদস্য ছিলেন বিইউপি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এ কাশেম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মুজাহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. রাশেদ-উজ-জামান। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান বিইউপি’র ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের পিএইচডি’র শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে করণীয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দ্বিমত করার কোনো উপায় নেই যে, বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ, কিশোর-কিশোরীদের ঘরে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে। বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা সেই সময়কে বিনোদনমুখর করে তোলার জন্য সন্তানদের হাতে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ইত্যাদি তুলে দিচ্ছেন। ফলে এসব শিশু-কিশোর ইউটিউব, ভায়োলেন্ট (সহিংসতা উসকানিমূলক) গেমস, পর্নোগ্রাফি ও সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং এ আসক্তিই মূলত তাদের মাঝে ডেভিয়্যান্ট বিহ্যাভিয়ার (উবারধহঃ ইবযধারড়ৎ) বা সমাজবিচ্যুত ব্যবহারকে প্ররোচিত করে। এ ছাড়া আমরা গঠনমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে তাদের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত করতে পারছি না, ফলে তারা নেতিবাচক ও সমাজবিচ্যুত কাজে আরও বেশি জড়িত হয়ে পড়ছে। স্বভাবতই অনেক সময় বাবা-মা প্রাইভেসি বা পারসোনাল স্পেসের নামে সন্তানদের আলাদা কক্ষ দিচ্ছেন এবং সেখানে তারা কী করছে তা খেয়ালও রাখছেন না। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি পরিবারের এবং খুব নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বাবা-মারই প্রধান দায়িত্ব সন্তানদের গতিপ্রকৃতি দেখাশোনা অথবা বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনা বা সুপথে পরিচালিত করা।
একজন শিশু বা কিশোরের বেড়ে ওঠার প্রতিটি পর্যায় তার কিশোর অপরাধী হওয়ার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিশোর অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করতে পারে। যেমন বাবা-মায়ের মধ্যে যদি সব সময়ই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক থাকে, তাদের মধ্যে যদি পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সম্মানসূচক সম্পর্ক না থাকে তারা যদি সব সময়ই ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকেন; তাহলে সন্তানরা নেতিবাচক ব্যবহার থেকে এ ধরনের আচরণ শিখেই বড় হয়। একে আমরা বলি ‘সোশ্যাল লার্নিং থিওরি’ (ঝড়পরধষ খবধৎহরহম ঞযবড়ৎু), যেখানে মূলত শিশুরা তাদের বেড়ে ওঠার সময় আশপাশের মানুষের ব্যবহার ও কাজগুলো দেখে এবং শেখে। তার ব্যবহারের একটি বড় অংশ হলো ‘সোশিয়ালি লার্নেড বিহ্যাভিয়ার’ (ঝড়পরধষষু খবধৎহবফ ইবযধারড়ঁৎ) বা সামাজিকভাবে শেখা আচরণ, যা তারা অর্জন করে অভিভাবক, সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমাজব্যবস্থা থেকে। একইভাবে পরিবারের ভিতরে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এবং বাবা-মার প্রতিক্রিয়াশীল (ৎবংঢ়ড়হংরাব) প্যারেন্টিং সন্তানদের দায়িত্বশীল ও যৌক্তিক ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে বিভিন্নমুখী মেলামেশা (উরভভবৎবহঃরধষ অংংড়পরধঃরড়হ) তত্ত্বানুযায়ী আইন-শৃঙ্খলাবদ্ধ রীতিনীতি বা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যেমন শেখানো হয় তেমন অপরাধমূলক আচরণও শেখানোর মাধ্যমেই অর্জিত হয় এবং এ শিখন কার্যক্রমটি বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা অথবা অন্তরঙ্গ দলগত সম্পর্কের মধ্যে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নীতিবহির্ভূত আচরণ সামাজিকীকরণ করা যায়। অর্থাৎ পরিবারের বাইরেও কিশোররা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে অনেক সময় অপরাধমূলক আচরণের শিক্ষা পায়।
এবার আসা যাক সামাজিক গন্ডির বাইরে আর কী কী সংগঠন কিশোর অপরাধ বিস্তারে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। এক গবেষণায় দেখলাম, ঢাকার ১০টি কুখ্যাত কিশোর গ্যাংয়ের আটটিই দুর্বৃত্ত রাজনীতির ‘বড় ভাইদের’ সঙ্গে জড়িত। কি ভয়ংকর! এসব সন্তান বয়সের প্রাণশক্তি অপ্রত্যাশিতভাবে রাজনৈতিক বা এলাকাভিত্তিক ক্ষমতা এবং প্রভাবের বলি হচ্ছে। ১৮ বছর বা তার চেয়েও কম বয়সী কিশোররা ভালো খারাপ কাজের পরিণাম কী হতে পারে তা বোঝে না। ফলে কিশোর-কিশোরীদের অপরিপক্ব মনোবৃত্তির সুযোগ নিয়ে একদল লোক বিশেষত স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের একটি অংশ তাদের অবস্থান ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে।।

 

বিল গেটসকে টপকিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক

টেসলা গাড়ির শেয়ারমূল্য পুঁজিবাজারে ফের বেড়ে যাওয়ায় বিল গেটসকে পেছনে ফেলে দিলেন এলন মাস্ক। ৭০০ কোটি ডলার থেকে তার সম্পদ এখন ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। এর আগে মাস্ক ফেসবুক কর্মকর্তা জাকারবার্গকে টপকে গিয়েছিলেন। ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী তাও এ বছরেই। টেসলার কর্ণধার মাস্ক এ বছরেই ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। ব্লুমবার্গ/গার্ডিয়ান
বিশ্বের ৫’শ ধনী ব্যক্তির তালিকায় গত জানুয়ারিতেও মাস্ক ছিলেন ৩৫তম স্থানে। গত সেপ্টেম্বরে প্রথম পাঁচে উঠে আসেন মার্ক জাকারবার্গকে পেছনে ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এ বছরে টেসলার শেয়ার দর বেড়েছে উল্কার গতিতে প্রায় ৪৭৫ শতাংশ। গেটসকে টপকে গেছেন সহজেই। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এখন আমাজন মালিক জেফ বেজোস। একসময় এই জায়গা ছিল গেটসের। গত বছরও আন্তর্জাতিক ফোর্বস পত্রিকার তালিকায় বেজোসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ধনীতম ব্যবসায়ী ঘোষিত হয়েছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেটস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত একটানা ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখিছিলেন বিল গেটস। ২০১৮ সালে তাকে পিছু হটিয়ে দেন জেফ বেজোসই। মিলিয়নিওরের চৌকাঠ পেরিয়ে ট্রিলিওনিয়রের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন গেটস। ২০০৬ সালে বিল গেটসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলার। ২০১৬-র শেষে সেই সম্পত্তি গিয়ে দাঁড়ায় ৭৫ বিলিয়ন বা সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে নিজের ফাউন্ডেশনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান দেন গেটস। এ বছর কোভিড গবেষণা ও ভ্যাকসিন বিতরণের জন্যও প্রচুর অর্থ অনুদান দিয়েছেন গেটস। দীর্ঘ আট বছরের রেকর্ড ভেঙে ধনকুবেরদের তালিকায় এই প্রথমবার তিন নম্বরে নেমে এলেন গেটস।
এদিকে এলন মাস্কের এ বছরেই সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১’শ বিলিয়ন ডলার। তার গাড়ি কোম্পানি টেসলার বাজার মূল্য এখন ৫’শ বিলিয়ন ডলার। আর এই টেসলা থেকেই মাস্কের সম্পদের তিন চতুর্থাংশ এসেছে। টেসলার শেয়ার মূল্য স্টক এক্সচেঞ্জে যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে এলন মাস্ক বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড আয় করবেন ৫৫.৮ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৮ সালে টেসলা হয়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৬’শ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। টেসলা এখনই বিশে^র যে কোনো গাড়ির কোম্পানির চেয়ে সবচেয়ে দামি কোম্পানি। কোভিড মন্দার ভেতর এ বছরেও টেসলা ৫ লাখ গাড়ি বিক্রি করছে। জাপানের গাড়ি কোম্পানি টয়োটা বছরে উৎপাদন করছে ১ কোটি তবে তা অনেক সস্তা। এলন মাস্ক মহাকাশ কোম্পানি স্পেস এক্স’এ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। গত সপ্তাহে ফ্যালকন রকেটে স্পেস এক্সের ৪ জন নভোচারী মহাকাশে যাত্রা করে। বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি আরো বৃদ্ধি করতে ছোট আকারের ৬০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে স্পেস এক্স।

 


পাকিস্তানের প্রথম হিজড়া আইনজীবী নিশা রাও


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৮ বছর বয়সী এই আইনজীবী করাচির সিটি কোর্টে প্রাকটিস করছেন। ২০০৯ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেয়ার অনুমতি দেয়। তাদের অধিকার সুরক্ষায় ২০১৮ সালে আইন পাস করা হয়।
লাহোরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয় নিশা। ১৮ বছর বয়সে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আরও দুইজন হিজড়ার সঙ্গে চলে যান করাচি। সেখানে অন্য হিজড়াদের কাছে তার আশ্রয় মেলে। তারা তাকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা যৌনকর্মী হতে বলে; কিন্তু নিশা সে জীবন চাননি। তিনি দিনে ট্রাফিক মোড়ে ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ দিয়ে একটি নৈশ ল’ কলেজে ভর্তি হন। কয়েক বছরের চেষ্টায় তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এ বছরের শুরুতে ‘করাচি বার অ্যাসোসিয়েশন’ সদস্য হন। একই সঙ্গে তিনি ইতিহাস গড়েন।
নিশা বলেন, পাকিস্তানের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের আইনজীবী হতে পেরে তিনি গর্বিত। তার হাতে অর্ধশত মামলা রয়েছে। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে- এমন এনজিওর হয়েও তিনি কাজ করেন। তার সেক্রেটারি জিয়া আলভি (৩৪) হিজড়া। হিজড়া নায়েব বলেন, নিশা একসময় তাদের সঙ্গেই ভিক্ষা করতো। সে অনেক এগিয়ে গেছে। মাঝরাতেও সাহায্য চাইলে তিনি সাড়া দেন।


ডেঙ্গু চিকিৎসা: বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশি গবেষকরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ডেঙ্গু চিকিৎসায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশি দুই গবেষক। দীর্ঘ দিনের গবেষণায় সফলতা মিলেছে এলট্রোমবোপ্যাগ নামের ওষুধে। এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীকে আলাদা করে প্লাটিলেট দিতে হবে না। পূর্বপশ্চিম
বরং রোগী নিজের শরীরে নিজেই প্লাটিলেট তৈরি করতে সক্ষম হবেন। তাদের নেতৃত্বে ১২ গবেষকের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, দ্যা ল্যানসেট গ্রুপের বিশ্ব বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ই-ক্লিনিকাল মেডিসিনে। সাধারণত রক্তের ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বা ক্রনিক লিভার রোগ সারাতে দেয়া হয় এলট্রোমবোপাগ ওষুধ। যা রক্তের অনুচক্রিকা সংশোধনে কাজ করে।
২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে ড. মৌসুমী স্যানাল নামের এক চিকিৎসক কয়েকজন রোগীর ওপর প্রাথমিকভাবে ওষুধটি প্রয়োগ করে কিছুটা সফলতা পান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম নুরুন নবী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজর অধ্যাপক ডা. আহেমেদুল কবিরের নেতৃত্বে অন্তত ১২ জন গবেষণা শুরু করেন। দ্বিতীয় ধাপে তারা দেখেন, রোগীকে সরাসরি প্লাটিলেট দেয়ার চেয়ে এলট্রোমবোপাগ প্রয়োগে রোগীর দেহে প্লাটিলেট বাড়ে বহুগুণ। সবচেয়ে বড় কথা, রোগীর শরীরের কোষ নিজে নিজেই নতুন অনুচক্রিকা তৈরিতে সক্ষম হয়। এই কৌশল ডেঙ্গুর চিকিৎসায় শুধু দেশে নয়, অন্যান্য দেশেও নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে; মনে করেন চিকিৎসকরা।
শরীরে ওষুধের প্রতিক্রিয়ার তারতম্যটা বংশগতির উপাদান বা ডিএনএ তে থাকা ভিন্নতার কারণে কিনা তা খুঁজে দেখা হবে গবেষণার তৃতীয় ধাপে।
এই ওষুধ প্রয়োগে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই হালকা বমি বমিভাব ছাড়া তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যাকে উৎসাহব্যঞ্জক বলছেন গবেষকরা।
 

মোহাম্মাদ বিন সালমানকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কূটনৈতিক প্রতিবেদকজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ২০২১ সালের মার্চ মাসে বা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের মার্চে যোগ দেওয়ার জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
২২ নভেম্বর ২০২০ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলা দুলাইহান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

নারীর অধিকার রক্ষায় ন্যায়

পরায়ণতার তাগিদ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারী নির্যাতন মামলাগুলি আরো বলিষ্ঠভাবে এবং ন্যায় পরায়ণতার সাথে পরিচালনা করতে পারলে গ্রামের অসহায় নিরিহ নারীদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত অনেক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে। সম্প্রতি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিন বাজার ইউনিয়নে উত্তরা সরকারী প্রাইমারী স্কুলে নারী নির্যাতন, পারিবারিক কলহ, শিশু অধিকার, নির্যাতিত নারীদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভূমিকা মিডিয়ার নিকট তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
এর আগে, ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত মানবধিকার বিষয়ক প্রকল্পের আওতায় “মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস ও মিডিয়া রিপোটিং কর্মশালা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা’র প্রোগ্রাম ম্যনেজার মো: আবদুল ওয়াহেদ। বক্তৃতা করেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ এন. আর. মুশফিকা লাইজু। কর্মশালায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিন বাজার ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের মোট ৫টি মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারী নির্যাতনের মামলাগুলির ভুক্তভোগীর পক্ষে এবং নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া নিদের্শনা পাওয়া যায়নি। স্বামীর নির্যাতনের কারণে কোন নারী বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলে তা আদালতে অনুমোদিত হচ্ছে।
কিন্তু কি কারণে একজন নারী নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা করছে তার অনুসন্ধান যথাযথ হচ্ছে না। ফলে নির্যাতনকারী সব সময় আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
 


 ফরিদপুরে ৬০ বছরের বৃদ্ধের সাথে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১২ বছরের শিশুটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ২০ অক্টোবর গোপনে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে শিশুটিকে বিয়ে করে ওই বৃদ্ধ।
বিয়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মেয়ের মা ফাতেমা বেগম। বাল্য বিয়ের ব্যাপারে মেয়ের বাবা মো. হাবিব পেয়াদা বাধা দিলে তার স্ত্রী গোপনে বিয়ের পিঁড়িতে বসান নাবালিকা কন্যাকে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাড়িতে নতুন জামাই হিসেবে মোহাম্মদ গেলে মেয়ের আত্মীয়- স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে আটক করে।
মোহাম্মদ ফকির সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের মৃত কালু ফকিরের ছেলে। বিয়ের ঘটনা ঘটে সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামে।
সত্যিকারের লকডাউন কী?  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছে প্রশাসন  [১] কানাডা-ইউরোপে চাকরি দেয়ার নামে পতারণার অভিযোগে মিরপুরে ভিসা গাইড সেন্টার সিলগালা
খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদরপুর উপজেলার ইউএনও পূরবী গোলদার মেয়ের বাড়িতে ছুঁটে যান। পরে ইউএনও‘র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বর মোহাম্মদ ফকির, মেয়ের মা ফাতেমা বেগম, বিয়ের সাথে জড়িত মেয়ের নানা ও নানীকে আটক করেন। পরে বাল্যবিয়ের দায়ে বর মোহাম্মদকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে আদালত মেয়ের মা ফাতেমা বেগম কে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মেয়ের নানা-নানীকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও পূরবী গোলদার সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ।


আফগানিস্তানে ১৪ বছরে হত্যা ও অঙ্গহানির শিকার ২৬ হাজার শিশু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৩ নভেম্বর ২০২০ সেভ দ্য চিলড্রেনের জেনেভায় ‘২০২০ আফগানিস্তান’ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাতা দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে শনিবার সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য জানা যায়।
২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৬ হাজার ২৫ জন শিশু হত্যাকাণ্ড কিংবা অঙ্গহানির শিকার হয়েছে। বিশ্বে শিশুদের জন্য শীর্ষ ১১ বিপজ্জনক দেশের একটি আফগানিস্তান। ২০১৯ সালে বিশ্বে বিভিন্ন সংঘাতে যত হত্যাকাণ্ড ও অঙ্গহানি হয়েছে তার একটা বড় অংশ ঘটেছে আফগানিস্তানে। দেশটিতে ৮৭৪ জন আফগান শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। অঙ্গহানি করা হয়েছে ২ হাজার ২৭৫ জনের। গত বছর হতাহতদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছেলে শিশু।
আফগানিস্তানের স্কুলগুলোও নিয়মিত হামলার শিকার হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের স্কুলগুলোতে তিন শতাধিক হামলা হয়েছে। এসব হামলার পেছনে রয়েছে জঙ্গীবাদ। ফলে আফগান সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে।।

 

৯ মাসে হত্যা নির্যাতনের শিকার ২৮ গৃহকর্মী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২৮ জন গৃহকর্মী হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক। বিলস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান সিরাজের সভাপতিত্বে ও গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও শিরীন আখতার। প্রতিবেদনে উঠে আসে গত ৯ মাসে সারা দেশে গৃহকর্মী হত্যা ও নির্যাতনের চিত্র। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২৮ জন গৃহকর্মী হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে হত্যা ও ১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যুসহ মোট ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬ জন। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭ জন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। এছাড়া গত ৯ বছরে অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হতাহতের শিকার হয়েছেন ৫৪৭ জন গৃহকর্মী।

 

লক্ষ্মীপুরে গর্ভে কন্যা সন্তান শুনে স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লক্ষ্মীপুরে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শাহনাজ আক্তার স্বপ্না নামে এক গৃহবধূর গর্ভে কন্যা সন্তান জেনে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছে তার স্বামী আলাউদ্দিন রিপন (৩২)। সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের জাগিরদার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ স্বপ্না। এরআগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে গৃহবধূ স্বপ্না বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তার স্বামী আলাউদ্দিন রিপন, দেবর মাইন উদ্দিন ছোটন, শ্বশুর শাহাবুদ্দিন ও শাশুড়ি জাহানারা বেগমকে আসামি করা হয়। আসামিরা সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের জাগিরদার বাড়ির বাসিন্দা।


উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, নৌকায় ঘটছে গণধর্ষণের ঘটনা। দিনাজপুরে গত এক বছরে নারী ও শিশু আদালতে ধর্ষণের ৯০, যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ৪০০ ও ১০০ অপহরণ মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ-দিনাজপুর শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বালিয়াকান্দিতে বাল্যবিবাহের দায়ে কণের পিতার জরিমানা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন এলাকায় শনিবার রাত ৯টার দিকে বাল্যবিবাহের দায়ে কণের পিতাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আবু দারদা জানান, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন এলাকার এক দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর বিবাহের আয়োজন করার খবর পেয়ে কণের বাড়ীতে গিয়ে বাল্যবিবাহ দিতে নিষেধ করাসহ কণের পিতার নিকট হতে মুচলেকা নেওয়া হয়। প্রশাসনের কথা অমান্য করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে কণের পিতাকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ও ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

 


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

ফেনী কারাগারে বিয়ে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফেনীতে ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন পেতে হাইকোর্টের নির্দেশে ফেনী কারাগারে ধর্ষক ও ধর্ষণের শিকার প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে ফেনী জেলা কারাগার চত্বরে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে সোনাগাজীর বাসিন্দা ধর্ষক জিয়াউল হক জিয়া ও ধর্ষণের শিকার তার প্রেমিকার বিয়ে পড়ান কাজী আবদুর রহিম। এ সময় বর-কনেসহ দু’পক্ষের লোকজন, বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১লা নভেম্বর, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশ দেন। আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষ সম্মত থাকলে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে এবং বিয়ে সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টকে অবহিত করবে। বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের এমন প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা হলে আদালত আসামিকে জামিনের আদেশ দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি বলেন, গত ৩০শে জুন এ মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে আসামি উচ্চআদালতে জামিন নিতে এলে বিয়ের শর্ত দেন আদালত।
কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিয়ে হয়ে উচ্চআদালতে প্রমাণপত্র এলে আসামিকে জামিন দেয়া হবে। আদালত মনে করেছে তরুণী এ বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা থেকে রক্ষা পেয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এ দুই পরিবারের দিকে তাকিয়ে হয়তো সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। সামাজিকতার কথা চিন্তা করেছেন, তবে অপরাধ কমার ক্ষেত্রে এটি কোনো ভূমিকা রাখবে না। আমি মনে করি অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। আদালত মনে করেছে, যদি আসামি বিয়ে করে, তা হলে এটি ন্যায়বিচার হবে। ভুক্তভোগী বিয়ের মাধ্যমে তার অভিযোগ তুলে নেবে।
ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করিম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনাক্রমে তাদের বিয়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক কনেসহ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে জেল সুপারের তত্ত্বাবধানে আইনজীবী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আলমগীর বলেন, ধর্ষণ মামলায় গত ২৯শে মে আসামি জিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের পর থেকে সে ফেনী কারাগারে রয়েছে। নিম্ন আদালতে জামিন না হলে আমি জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিস মামলা দায়ের করেছিলাম। গত ১লা নভেম্বর আদালত বিয়ের শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দেবার অভিমত ব্যক্ত করে এ আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের মাধ্যমে আদালত ন্যায়বিচার করেছে। ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ফেনীতে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনাও বলছেন এই আইনজীবী।
ছেলের বাবা আবু সুফিয়ান বলেন, আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। হাইকের্টের নির্দেশনা মেনে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য পাঠানোর পর আশা করি দ্রুত আমার ছেলের মুক্তি মিলবে। জহির মুক্তি পেলে বাড়িতে বড় করে অনুষ্ঠান করে ছেলের বউকে ঘরে তুলে নেবো।ে।

 

কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মুত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাজতি ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চরদিরামপুর এলাকার হাছেন আলীর ছেলে মো. সাইম। তার হাজতি নম্বর ২৩৯৫/১৭। শুক্রবার রাতে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় জানান, আশুলিয়া থানায় দায়ের হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি ছিলেন মো. সাইম। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কারাগারের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাইম মারা যান। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা নম্বর-২৩(১২)১৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(২) রুজু ছিল।


 

শরীয়তপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা ও খাগড়াছড়িতে অপর তিনটি মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
শরীয়তপুর : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- ডামুড্যা উপজেলার চরঘরোয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মুতাইতের ছেলে আবদুল হক মুতাইত (৪২), দাইমী চরভয়রা গ্রামের মৃত মজিত মুতাইতের ছেলে জাকির হোসেন মুতাইত (৩৩) ও গোসাইরহাট উপজেলার মধ্যকোদালপুর গ্রামের মৃত লুৎফর খবিরের ছেলে মোর্শেদ উকিল (৫৬)। ওই মামলায় বাকি ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার চরভয়রা উকিল পাড়া গ্রামের খোকন উকিলের স্ত্রী হাওয়া বেগম পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। একই এলাকার মজিবুর রহমান চৌকিদারের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে হাওয়া বেগমকে ধর্ষণ করে মোর্শেদ, আবদুল হক ও জাকির। পরে মাথায় আঘাত করে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী খোকন উকিল বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে ডামুড্যা থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ৯ জনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, বাদী পক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।

 

কক্সবাজার কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কক্সবাজার জেলা কারাগারে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে টাকায় মাদক ব্যবসায়ীরাও বিশেষ সুবিধা পান বলে অনেকের অভিযোগ। টাকা দিতে না পারলে সে বন্দীর ওপর চলে অমানুষিক অত্যাচার। কক্সবাজার কারাগারে নির্যাতন সইতে না পেরে এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় মো. মোস্তফা নামের ওই কয়েদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃত কয়েদির বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় মো. মোস্তফা (২৫) নামের এক কয়েদিকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আহমেদ জানান, কয়েদি মোস্তফা একটি মারামারি মামলার আসামি। ২৯ নভেম্বর রবিবার আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভিতরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
তবে জেল সুপারের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন হাজতি এ প্রতিবেদকে জানান, বন্দীর আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক। সেখানে এখন টাকা ছাড়া বন্দীদের কোনো মূল্য নেই। একই কথা মৃত কয়েদির পরিবারের। তাদের অভিযোগ, টাকা দিতে না পারায় তাকে নির্যাতন করা হয় এবং কারাগারের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পারে সে আত্মহত্যা করে। অথবা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
জেল ফেরত অনেকে অভিযোগ করেন, সামান্য অজুহাতেই জেল সুপারের লেলিয়ে দেওয়া পোশাকধারী লাঠিয়ালরা কেইস টেবিলে সাধারণ হাজতিদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। তারা বলেন, বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে সাক্ষাৎ-প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়। বন্দীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কারাগারে ভালো সিট, চিকিৎসা, ফোনে কথা বলা- কোনো কিছুই টাকা ছাড়া হয় না।


 


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 

রাতে ঘুম হয় না? ওষুধ নয় আছে যাদুকরী পদ্ধতি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, ওষুধের রিয়্যাকশন, বার্ধক্যজনিক কারণ বা নানা চিন্তার জন্য অনেকেরই রাতের ঘুম ঠিকঠাক হয় না। এতে করে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা খুব কম ডোজের ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন, কিন্তু অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় না।
দিনের পর দিন রাতে ঘুম না হলে হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা, অস্বস্তি সহ একধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যা পরে মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়। এর থেকে মুক্তি দিতে পারে বাইনরাল বিটস। গান শোনার মতোই এই বিটস ঘুম পাওয়ার ক্ষেত্রে যাদুর মতো কাজ করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটি একধরনের অডিও ইলিউশন। দু'ধরনের টোনে আলাদা ফ্রিকোয়েন্সিতে একসঙ্গে শোনা। যার একটি থাকবে এক কানে। আর অপরটি আরেক কানে। এটি একটি আলাদা বা তৃতীয় সাউন্ড তৈরি করে। যা সাধারণত কোনও রিদমিক বিট হয়। বলা হয়, এই রিদমিক বিট বা তৃতীয় সাউন্ডটি নিউরনকে নির্দেশ দেয় ইলেক্ট্রিকাল ম্যাসেজকে ট্রান্সমিট করতে আর রিদিমিক বিট-টিই স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি ম্যানেজ করে। ফ্রন্টিয়ার্স অফ সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, খারাপ মেজাজ ভালো করতে অডিও থেরাপির জুড়ি মেলা ভার। আর এ ক্ষেত্রে বাইনরাল বিটসকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে।
বাইনরাল বিটসের আওয়াজ, সাউন্ড ব্রেনের প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ও মাথাকে রিল্যাক্স করে, অ্যাংজাইটি দূর করে ঘুমোতে সাহায্য করে। পাশাপশি ব্রেনওয়েভ অ্যাক্টিভিটিকে রিল্যাক্স করে ও অ্যাংজাইটি কমায় যাতে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে। এই থেরাপিটি থেটা ব্রেনওয়েভ (যা রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে)-এর মতো ব্রেনওয়েভে কাজ করে। এতে করে ঘুম গভীর হতে কাজ করে।
অনেকেই জানে মাথা ঠান্ডা করতে, শরীরকে রিল্যাক্স করতে মিউজিকের গুরুত্ব রয়েছে। সম্প্রতি সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতেও মিউজিক দারুণ কাজ করে। কর্টিসল লেভেলও কমায়। এ'ক্ষেত্রে যে কোনও রিদমিক বিটসের মতোই বাইনরাল বিটসও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। উচ্চ রক্তচাপ, শারীরিক ও মানসিক চাপ, হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে।।


ডায়াবেটিস ও ওজন কমাতে কার্যকর আখের রস!

 


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল সব কালেই রাস্তায় আখের রস দেখতে পাওয়াই যায়। এক গ্লাস আখের রস খেলেই যেন ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক বলা হয়। তবে শুধুমাত্র ক্লান্তি দূর করতেই নয়, ত্বক এবং শরীরের জন্যও যথেষ্ট উপকারি হল আখের রস।
জানেন কি, নাছোড় ব্রণের হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে আখের রস? মুলতানি মাটি আর আখের রসের প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে তিনবার মুখে লাগাতে পারলে তৈলাক্ত ত্বক ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে উঠবে। যেহেতু আখে প্রচুর ক্যালশিয়াম থাকে, তাই নিয়মিত তা সেবন করলে দাঁত, নখ আর হাড়ের স্বাস্থ্যও খুব ভালো থাকবে। আখ যদি চিবিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে আপনার মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে, মুখের দুর্গন্ধও কমে যাবে। দেখে নিন উপকারিতা-
ডায়াবেটিস দূরে থাকে : খেতে মিষ্টি হলেও এটি ডায়াবেটিসের পক্ষে খুবই কার্যকরি। এতে জিআই-এর পরিমাণ খুব কম থাকে। যার জন্য ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এ আখ খেতেই পারেন। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে একেবারে তলার দিকে থাকার কারণে আখের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। বরং এ প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম করে আখের রস খাওয়া পরামর্শ দেয়া হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আখের রস খাওয়া উচিত। কারণ জেনে নেয়া উচিত এ রসটি খেলে তাদের শরীরে আর কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে কিনা!
হৃদরোগ উপশম : একাধিক গবষণায় দেখা গেছে, রোজের ডায়েটে আখের রসকে জায়গা করে দিলে একাধিক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। কারণ আজকের ডেটে যে যে ডিজিজ আমাদের ঘিরে ধরেছে, তার প্রায় সবকটির প্রকোপ কমাতেই আখের রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এ প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম এবং আরো সব উপকারি উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এই রস। হার্ট অ্যাটাক রুখতেও সাহায্য করে এ রস। এমনকি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে : আখের রস মিষ্টি হলেও এ রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
ত্বকের পক্ষে উপকারি : আখের রস ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারি। এতে আলফা হাআইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। যা ব্রণ, বলিরেখা দূর করে ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এমনকি না খেয়ে আখের রস যদি মুখে মাস্ক হিসেবে লাগিয়ে রাখা যায় তাহলে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায় : এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ খুব ভালো থাকে। এমনকি ফাইবারও যথেষ্ট বেশি পরিমাণে থাকে। যার জন্য আখের রস খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়, আখের রস ডিহাইড্রেশন দূর করতে সক্ষম। পেটের ইনফেকশন রুখতেও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে এ রস।
তবে কয়েকটি সতর্কতা : বাজারে আখের রস তৈরির মেশিনগুলো সচল রাখার জন্য নিয়মিত তেল দেয়া হয়, সেটা আপনার ফলের রসে মিশে মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে। তার চেয়ে আখের খোসাটা ছিলে বাড়িতে আনুন। খুব ভালো করে ধুয়ে শুকনো করে ফ্রিজে রেখে দিন। রস খাওয়ার আগে ছোট ছোট করে কেটে ব্লেন্ডারে পিষে নিন সামান্য আদাসহ। তার পর ছোবড়া হাত দিয়ে চেপে চেপে রস নিংড়ে বের করে নিতে হবে। সামান্য বিট লবণ আর লেবুর রস যোগ করে পান করুন। অন্য কোনো ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে সুস্বাদু ককটেলও তৈরি করে নিতে পারেন।
আখের রস সদ্য তৈরি করে নিতে হবে। ফ্রিজে রাখলে ঘণ্টা দু’য়েক পরও খাওয়া চলে, কিন্তু তারপর একেবারেই চলবে না। কারণ ফলের রসে তার মধ্যেই রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
যাঁরা প্রতিদিন আখের রস খান, তারা দিনে দু’ গ্লাসের উপরে উঠবেন না। একমাত্র জন্ডিস রোগী ছাড়া কারোই দিনে দু’ গ্লাসের বেশি আখের রসের প্রয়োজন হয় না। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।


ত্রিশের পর মা হলে রয়েছে যেসব বিপদের আশংকা !


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বর্তমান সময়ে লেখাপড়া শেষে কর্মস্থলে একটু স্থিতিশীল হয়ে, স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে দেখতে মেয়েদের বয়স ৩০ পার হয়ে যায় অনেকসময়। ৩৫ বছরের পর বাচ্চা নিতে চাইলে কী ধরনের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা ভালো।
প্রথমত : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ধারণক্ষমতা ধীরেধীরে কমতে থাকে।
দ্বিতীয়ত : ৩৫ এর পর কিছু সমস্যা, যেমন- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, প্রসব পূর্ব রক্তক্ষরণ, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অধিকতর ঝুঁকি ও প্রসবকালীন জটিলতা বেড়ে যায়। এসবের সঙ্গে আরেকটি সমস্যা যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তা হলো জন্মগত ত্রুটিযুক্ত সন্তানের জন্মদান।
তৃতীয়ত : বিভিন্ন জটিলতার পরিণতিতে অপরিপক্ব শিশুর জন্মহার যেমন বেড়ে যায়, সে সঙ্গে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্মহারও বেড়ে যায় অনেকগুণ।
চতুর্থত : প্রথম সন্তান ত্রিশোর্ধ্ব বা পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে হলে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে যে দুই বা তিন বছর বিরতি দিতে হয়, সে সুযোগটাও থাকে না, যা মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক জরুরি।
এজন্য শত ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার ভাবনা, মানসিক প্রস্তুতি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এসব ভাবনা থাকার পরও মেয়েদের বয়স ৩০ পার হওয়ার আগেই অন্তত প্রথম সন্তান ধারণ করা নিরাপদ মা ও সন্তান উভয়ের জন্যেই, তবে কোনভাবেই বিশের আগে নয়।
পঁয়ত্রিশের পর মা হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে উচিত হবে আগেই কোনো প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে গর্ভধারণ করা, যাতে পরবর্তী সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়, কখন কী করতে হবে এ ব্যাপারে এবং অহেতুক দুশ্চিন্তা না করতে হয়।


অ্যান্টিবায়োটিকের আগে মধু খান 


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হালকা ঠাণ্ডায় অনেকেরই সর্দি-কাশিতে নাক বন্ধ অবস্থা। আর এই অসুস্থতা দূর করতে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন অনেকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরিবর্তে এসব সমস্যা মোকাবিলায় মধু বেশি কার্যকর।
সম্প্রতি এক গবেষণায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, জ্বর ঠাণ্ডার মতো সাধারণ রোগের উপশমে সহজলভ্য মধু ব্যবহার করেই অ্যান্টিবায়োটিকের ফল পেতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা প্রকল্প তৈরি করেন। তারা ১৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করেন যাতে ১ হাজার ৭৬১ জন অংশ নেয়। গবেষণায় অ্যান্টিহিস্টামিন, পেইনকিলারসহ অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদানও ব্যবহার করা হয়।
মানুষের শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশে অবস্থিত নাক, গলা, কণ্ঠ, শ্বাসনালী যুক্ত ফুসফুসের সঙ্গে। আর করোনাকালে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে ও ঠাণ্ডা জ্বর সারাতে নিয়মিত মাত্র এক চামচ মধু খেলেই উপকার পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে মধুর ব্যবহার নিরাপদ ও কার্যকর। মধুতে প্রায় ৪৫টিও বেশি খাদ্য উপাদান থাকে। তবে এতে সাধারণত কোনো চর্বি ও প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধু থেকে আমরা ৩০৪ ক্যালরি পাই।
মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং রক্তনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। নিয়মিত মধু খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বের করে দেয় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়। সংক্রমণ দূর করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে মধু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

ভাত কি আসলেই ক্ষতিকর, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ভাত খেলে ওজন বাড়ে, ভাতে নেই কোনো উপকার- এ ধরনের নানা কথা প্রচলিত। তবে আসলেই কি ভাত এতোটা ক্ষতিকর? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাতকে যতটা ক্ষতিকর মনে করা হয় আসলে তা নয়। বরং ভাতের মধ্যে রয়েছে উপকারও। তবে সেই উপকার পাওয়ার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাদের মতামত।পূর্বপশ্চিম
দিনে এক-দুবার ভাত খান
ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুষম খাবারের অঙ্গ হিসেবে অল্প করে ভাত খেলে, সে আপনি যদি ফ্যানযুক্ত ভাতও খান, ওজন বাড়ে না, বরং উচ্চ রক্তচাপ, মেটাবলিক সিনড্রোম (হৃদরোগের অন্যতম কারণ) ও কোমরের মাপ বাড়ার আশঙ্কা কমে যথাক্রমে ৩৪, ২১ ও ২৭ শতাংশ। কমে কিছু ক্যানসারের আশঙ্কাও। কাজেই সারা দিনে ১৫০ গ্রামের মতো ভাত খেতেই পারেন। এতে ৫০০ ক্যালোরির বেশি ঢোকে না শরীরে। সঙ্গে কম তেলে রান্না করা ডাল সবজি মাছ ডিম ইত্যাদি খেলে এক দিকে যেমন যথাযথ পুষ্টি হয়, ক্যালোরির হিসেবও ঠিক থাকে। অতএব ভাতের ভক্ত হলে, রুটি খেয়ে অতৃপ্ত থাকার বা পেটের গোলমালে ভোগার দরকার নেই। দিনে একবার কি দু–বার ভাতই খান।’
কোন ভাত উপকারী?
পুষ্টিবিদ বিজয়া আগরওয়াল জানান, শুধু ব্রাউন কেন, কালো বা লাল চালের ভাতও হয়। হয় ওয়াল্ড রাইস বা বন্য চাল। এরা হলো সব হোল গ্রেইন বা আনপলিশড চাল। খেতে পারলে খুবই ভালো। অনেক বেশি প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল পাবেন। তবে সমস্যা হয় স্বাদ-গন্ধ নিয়ে। কালো, বাদামি বা লাল চালের ভাতে বাদামের মতো গন্ধ থাকে, বন্য চালের ভাতে থাকে মাটির গন্ধ। ফলে অনেকেই খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে সাদা ভাত খান, তারও অনেক উপকার আছে।
ভাতের উপকার
ভাতে রয়েছে স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। আছে ফাইবার, পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন-সুগার-রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে।
* ভাত সহজে হজম হয়। ফলে জ্বর, পেটের গোলমাল বা অন্য অসুখ–বিসুখের মধ্যেও খেতে পারেন। ডায়াবেটিসেও সে ব্রাত্য নয়। ফাইবারসমৃদ্ধ শাক-সবজি-স্যালাড, ডাল, মাছ ইত্যাদি থাকলে এক-আধ কাপ ভাত খাওয়া যেতে পারে।
* ভাত হজম হয় ধীরে, হোল গ্রেইন চালের হলে আরও ধীরে। ফলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। তা ছাড়া ভাত খেলে সেরেটোনিন নামে হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে বলে অল্প খেলেও শরীর-মন তৃপ্ত থাকে। ।

 

যাবজ্জীবন সাজা ৩০ বছরক্ষেত্রবিশেষে আমৃত্যু


মানবাধিকার হেলথ রিপোর্টঃ
যাবজ্জীবনের সাজা ৩০ বছরের কারাবাস বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে ক্ষেত্রবিশেষ এ সাজা আমৃত্যু কারাবাস বিবেচিত হতে পারে। যাবজ্জীবনের সাজা আমৃত্যু কারাদন্ড, নাকি ৩০ বছর, এ-সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আবেদনটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেন, দৃশ্যত যাবজ্জীবন মানে কোনো দন্ডিত ব্যক্তি তার স্বাভাবিক জীবনের বাকি সময় কারা ভোগ করবেন। তবে দন্ডবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে দন্ডবিধির ৫৫, ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫(ক) মিলিয়ে পড়লে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর বলে গণ্য হবে। কিন্তু ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিলে দন্ডিত আসামি কার্যবিধির ৩৫(ক) ধারার সুবিধা পাবেন না। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদন্ড। তবে আদালত যদি আমৃত্যু সাজা দেয়, তাহলে সেটাই গণ্য করতে হবে উল্লেখ করে রিভিউ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কিন্তু ৩০ বছরের এ রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় কার্যকর নয় বলে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।’ রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যাবজ্জীবন কত দিন থাকবে, কত দিন একজন আসামির সাজা ভোগ করতে হবে, এ ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। আমরা সে ব্যপারে রিভিউ পিটিশন করেছিলাম এবং আমরা বলেছিলাম, যাবজ্জীবন বর্তমান আইনের বিধান অনুযায়ী ৩০ বছর হবে। কারণ ৩০ বছর যদি না হয় তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫(ক) ধারাসহ আইনের অন্য বিধানগুলো এবং জেলকোড- এগুলো সব বাতিল হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এ রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, যদিও যাবজ্জীবন বলতে একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যত দিন, তত দিন, কিন্তু আইন অনুযায়ী একজন যাবজ্জীবন আসামির ৩০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আইনের অন্যান্য রেয়াত যেগুলো আছে, যদি না আদালত বিশেষভাবে আদেশ দেন, তাহলে আমৃত্যু জেলখানায় থাকতে হবে। আমরা মোটামুটি এ রায়ে সন্তুষ্ট।’ রিভিউ রায়ে আসামি আতাউর মৃধার ক্ষেত্রে কী হবে সেটি উল্লেখ না থাকায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে তা দেখে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। যাবজ্জীবনের সাজা আমৃত্যু কারাদন্ড, নাকি ৩০ বছর, এ-সংক্রান্ত রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে ২৪ নভেম্বর রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আতাউর মৃধাসহ দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর রায় দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাই কোর্টে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর রায়ে হাই কোর্ট দুজনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আবারও আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেয়। এরপর আসামি আতাউর আপিল বিভাগের অভিমত রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত রায় দেয় আপিল বিভাগ।

 

পাকিস্তানে ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষকের পুরুষত্ব কেড়ে নেয়ার আইন পাস


মানবাধিকার ল’ ডেস্কঃ
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ধর্ষককে রাসায়নিক ইনজেকশন দিয়ে তার পুরুষত্ব হরণ করা হবে, পাকিস্তানের সংসদ এই মর্মে আইন পাস করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও অনুমোদন মিলেছে। খবরটি দিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান টিভি নিউজ চ্যানেল জিও টিভি জানিয়েছে, দেশে ক্রমবর্ধমান যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের ঘটনা রুখতে সরকার বাধ্য হচ্ছে এই ব্যবস্থা নিতে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে প্রথার সাহায্য নেয়া হচ্ছে তার নাম ক্যাস্টাসইজেশন। এই প্রথায় রাসায়নিক ইনজেকশন প্রয়োগ করে চিরতরে পুরুষত্ব বিলোপ করা যায়। বহু দেশে নাবালিকা ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেও পাকিস্তানের নেয়া এই সাজা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে তেহরিক ই ইনসাফ সরকারের আমলে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের আইনসভায় দীর্ঘ বিতর্কের পর সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও টিভি। ২০১৮ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনা থেকেই আজকের এই সিদ্ধান্ত।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক কি ধর্ষণ?

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দেশে রীতিমতো ধর্ষণের মহামারি চলছে। বাদ-প্রতিবাদ, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি কোনো কিছুতেই থামছে না এই মহামারি। তবে এর মধ্যে একটি পুরনো বিষয় নিয়েও নতুন করে নানা আলোচনা চলছে। বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কি কি ধর্ষণ?
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯(১)-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোন পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত [ষোল বছরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করে, অথবা [ষোল বছরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলে গণ্য হবেন’’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ ব্যাপারে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ধর্ষণে যে জোরপূর্বক বা বলপ্রয়োগের বিষয় থাকে তা এখানে অনুপস্থিতপ্রেমের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যখন শারীরিক সম্পর্ক হয় তখন সেটা ধর্ষণ নয়। কিন্তু পরে যখন বিয়ের প্রতিশ্র“তি রক্ষা করা হয় না তখন ধর্ষণ মামলা করা হয়। আমার বিচেনায় এটা প্রতারণাআমার মনে হয় আইনে এটার ব্যাখ্যা এবং আলাদা শাস্তির বিধান থাকা উচিত।’’ তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় আদালতের রায়েও এটা পরিস্কার করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলন হলে সেটা ধর্ষণ হবে না। আমাদের এখানেও আশা করি কোনো মামলায় আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বা আইনের সংশোধন হবে।’’
একজন মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘‘প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলনের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি বড় ধরনের প্রতারণা।তবে আমার বিবেচনায় এটা ধর্ষণ নয়।বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে এই ধরনের প্রতারণার বিচার ও শাস্তির বিধান আছে।কিন্তু যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এটা ধর্ষণ তাই দণ্ডবিধির ওই ধারায় কেউ মামলা করেন না। সরাসরি ধর্ষণ মামলা করেন।’’ দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এই আইনটি মামলা দায়ের বা চার্জশিটের সময় বিবেচনা করা যায়।

 

এখন থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, তা ১২ অক্টোবর ২০২০ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা আজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হলো।
এর আগে গতকাল সোমবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া এই আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত ৮ দিন ধরে।
এসব কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার আইন পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে।
 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.