BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover October 2019

English Part November 2019

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


বাংলাদেশ-ভারত বর্তমানে সর্বকালের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ ও ভারত বর্তমানে সর্বকালের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করে এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে প্লাটফর্মটির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে এবং আমাদের জনগণের পারস্পরিক বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার অনুরোধ করছি এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ ও এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারব।’
দিল্লির আইটিসি মৌর্য কামাল মহাল হলে ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইবিবিএফের প্লাটফর্মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক উপভোগ করছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আপনাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। প্লাটফর্মটি রয়েছে এবং আমরা আপনাদের প্রচেষ্টা সহজ করার জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি হাইটেক পার্ক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। মংলা, ভেড়ামারা ও মিরেরসরাইয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই তিনটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আমাদের রফতানিযোগ্য খাতকে আরও প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে।’

 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 অক্টোবর ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৯ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে।
জরিপে অক্টোবর ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৭৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অক্টোবর ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৭৯ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ২ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২৩ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৫ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৪১ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৩ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৪ জন ,এসিড নিক্ষেপে হত্যা ২ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২২১ জন, আত্মহত্যা ১৭ জন।
অক্টোবর ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৮১ জন, যৌন নির্যাতন ৭ জন, যৌতুক নির্যাতন ২ জন, এসিড নিক্ষেপ ২ জন ।
 

 

   BHRC  চাঁদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC চাঁদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২৬ অক্টোবর ২০১৯ সকাল ৯টায় চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তন চাঁদপুর শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার BHRC  প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC ’র চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. মোঃ রুহুল আমিন সরকার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইঐজঈ’র ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি লুৎফর রেজা খোকন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি এএইচএম তারিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং নোয়াখালী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ সামছুল করিম খোকন, কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান রোম্মান, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. লোকমান হোসেন, বিজয়নগর থানা শাখার সভাপতি নূর আহম্মেদ খন্দকার, কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন, সভাপতি, হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি, গাজী সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধরপ্রমুখ।
সম্মেলন পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার ঘোষ। সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা, কুমিল্লা মহানগর, চাঁদপুর জেলা, এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শাখা এবং জেলা অধিভুক্ত আঞ্চলিক উপজেলা, থানা ও পৌরসভা শাখার সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন। সম্মেলনে আগত মানবাধিকার কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান BHRC ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
 

স্বামীর যৌতুক মামলায় স্ত্রীর সাজা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্ত্রী যৌতুক দাবী করায় ওয়াহেদ আলী নামীয় এক ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মা মলা দায়ের করে। ওই মামলা স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের সাজা ও দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেয় বিচারিক আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারিক আদালত-৩ এর বিচারক নুসরাত জামান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চার বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ ইউপির আলীপুর গ্রামের সফি উল্যাহ ভূঁইয়ার কন্যা আয়েশা আক্তার মিতুর সাথে একই ইউপির ধর্মপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের পুত্র ওয়াহেদ আলীর বিবাহ হয়। বিবাহের পর মিতু পড়তে ইচ্ছে কারায় তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ভর্তি করে দেয় স্বামী।
এর পর থেকে মিতুর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে স্বামী বাধা নিষেধ করলেও তা মানতনা মিতু। গত ৮/৫/১৮ইং ওয়াহেদ আলীর দেয়া স্বর্ণলংকার ও ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা নিয়ে মিতু তার বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশে স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু স্বামীর কাছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও তার নামে ১০ ডিসিমেল জমি রেজিষ্ট্রি দাবী করে। উক্ত টাকা ও জমি না দিলে মিতু স্বামীর জজিয়তে আসবে না এবং ঘর সংসার করবে না বলে জানায়। এ ঘটনায় ওয়াহেদ আলী বাদি হয়ে ১৬/৫/১৬ইং তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। যার সি আর মামলা নং ৪১৫/১৮ইং। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত আয়েশা আক্তার মিতুকে দোষী সাব্যস্ত করে একবছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডের রায় দেন।
বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম জুয়েল বিজ্ঞ আদালতের রায়ে সন্তোষ জানান।
ওয়াহেদ আলী জানান, বিবাহের পর থেকে আমার স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার কাছে যৌতুক দাবী করে। আমি আদালতে তার বিরদ্ধে যৌ তুকের মামলা করি। এ মামলা রায়ের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
 

   BHRC'র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সমন্বয় সভা
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র  চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় সভা ৩১ অক্টোবর ২০১৯ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ব্যাপ্তি মোহন লেনে অনুষ্ঠিত হয । বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এবং চট্টগ্রামের গভর্নর সেতারা গাফফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র সেক্রেটারি জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগরের গভর্নর সেকেন্দার আলী জাহিদ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, BHRC এর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, BHRC'র আজীবন সদস্য জাকিউল কবির । অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন BHRC চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিমেল চৌধরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুদ্দিন সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানবাধিকার কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রায় দু'শতাধিক মানবাধিকারকর্মী যোগ দেন।
 

 

শিশু নির্যাতনকারীর ক্ষমা নেই

মানবাধিকার রিপোর্ট’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশু হত্যা এবং নির্যাতনে জড়িতদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ধরনের অন্যায়-অবিচার কখনই বরদাশত করা হবে না। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের শিশুরা আর কখনো যেন এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। প্রত্যেকটি শিশু যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।প্রতিটি শিশুর জীবন যেন অর্থবহ হয়। তা নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর খুনীদের বিচার না করে বরং আইন করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে সে সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনীদের পুরস্কৃত করা শিশু ও নারী হত্যাসহ হত্যা, খুন এবং নির্যাতনকে উৎসাহিত করা হয়। তিনি বলেন, আমি আমার বাবা, মা-ভাইয়ের খুনীদের বিচার চাইতে পারিনি এমনকি একটি মামলাও আমাদের করতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আজকে মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর পূর্ণ করেছে রাসেল।
 


টাঙ্গাইলে জাতিসংঘ দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC টাঙ্গাইলে জাতিসংঘ দিবস পালিত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখা এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
২৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,টাঙ্গাইল জেলা শাখার ভিক্টোরিয়া রোডস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নাসরিন জাহান খান বিউটির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক,সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন আহমেদ রিপন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত চন্দ জয়দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈয়দ মাহমুদ সালেহ (শাহী), মোঃ মোজাফর হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক, রিবাদ কিরন আকন্দ,দপ্তর সম্পাদক মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তার সাথী, যুগ্ম অর্থ সম্পাদক মোঃ আবু রায়হান, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পারুল আক্তার, যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম (মান্নান), যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক শ্রী মিলন হরিজন (লিটন), নির্বাহী সদস্য চন্দন আচার্য্যসহ অনেকে। এ সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,টাঙ্গাইল জেলা শাখার নের্তৃবৃন্দ ও সদস্য-সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস । ১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্ম প্রকাশ করে জাতিসংঘ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার পর ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়। ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পৃথিবীতে বৈষম্য ও বাধা সত্ত্বেও জাতিসংঘ ও মানবাধিকার কর্মীরা হাল ছেড়ে দেয় না। কারণ বৈষম্য হ্রাস করতে দেশে দেশে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। আলোচনা সভায় বিশ্বজুড়ে মানুষের সুযোগ এবং শান্তি বৃদ্ধি করার জন্য জাতিসংঘকে আহবান জানানো হয়।

 

কর্মীদের বেতন দেওয়ার অর্থ নেই জাতিসংঘের

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিদের আগামী মাসের বেতন দেওয়ার অর্থ নেই সংস্থাটির ফান্ডে।
৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ বাজেট কমিটির এক বৈঠকে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানান, সদস্য দেশগুলো তাদের বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধ না করলে আগামী নভেম্বর মাসে কর্মীদের বেতন দিতে পারবেন না তিনি। অঙ্গসংস্থাগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াটাও সম্ভব হবে না।
গুতেরেস বলেন, গত এক যুগে এই প্রথম সংস্থাটি চরম অর্থসঙ্কটে পড়েছে। এ বছর সদস্য দেশগুলোর প্রতিশ্রুত সাহায্য পূরণ না হওয়ায় জাতিসংঘের অর্থ তহবিলে চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ সময়, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানান, শিগগিরই তহবিলে অর্থ জমা না পড়লে এই নভেম্বরেই সংস্থাটির আংশিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
জাতিসংঘকে আর্থিকভাবে সাহায্যকারী দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর সংস্থাটির রাজনৈতিক, মানবিক ও সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২২ শতাংশ (প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা) অর্থই জমা পড়ে ওয়াশিংটনের অর্থসাহায্য থেকে।
এবছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ তহবিল এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি বলে জানিয়েছেন মহাসচিব। পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকেও তিনি প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বারবার চাওয়ার পর চলতি বছর ১২৮টি দেশ থেকে তহবিলে মাত্র ১৭ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে যা অঙ্গসংস্থাগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিবছর বিভিন্ন খাতে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় জাতিসংঘকে।
চলতি বছরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও বাজেট ঘাটতি রয়েছে। তহবিলের ২৮ শতাংশ ব্যয় করা হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অনগ্রসর দেশগুলোতে শান্তি আনয়নের কাজে। তবে এবছর জাতিসংঘকে ২৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছে এই খাতে।
শান্তিরক্ষা মিশনে জাতিসংঘকে সৈন্য সহায়তা করে থাকে ভারত, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, নেপাল ও রুয়ান্ডা। আর মূলত জাতিসংঘকে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে উন্নত দেশগুলো।
এদিকে জাতিসংঘের পাল্টা বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, জাতিসংঘকে এবছর ১৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ দেওয়ার পর আরও অর্থসাহায্য দেওয়া ওয়াশিংটনের জন্য বোঝা হয়ে যায়। সংস্থাটির বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমাতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 


 

ভারতে ভ্রমণকালে অসুস্থ হলে হাসপাতালে

 ভর্তি হওয়া যাবে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বৈধ ভিসায় ভারতে ভ্রমণকারী কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে অবস্থানকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে ভারতীয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য তার প্রাথমিক ভিসাকে মেডিক্যাল ভিসায় রূপান্তর করার প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া কোনো বিদেশি নাগরিক ভারতে প্রবেশের আগে থেকেই আক্রান্ত এমন রোগের (অঙ্গ প্রতিস্থাপন ছাড়া) ইনডোর মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রাথমিক ভিসাতেই করতে পারবেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস নোটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ট্যুরিস্ট কিংবা অন্য ভিসায় ভারতে প্রাথমিক চিকিৎসার অনুমতি থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার করানোর অনুমতি ছিল না। নতুন এ নিয়মে ভারতে চিকিৎসা নেওয়া বাংলাদেশিদের জন্য আরো সহজ হবে।
 

 

BHRC  সিলেট জেলা শাখার অভিষেক ও মাদক এবং দুর্নীতি বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সিলেট জেলা শাখার অভিষেক ও মাদক এবং দুর্নীতি বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ অক্টোবর শনিবার মিরের ময়দানস্থ একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠান হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় গভর্ণর ও জেলা শাখার সভাপতি ড. আর কে. ধরের সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদ মাসুমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল কাশেম এ সময় তিনি নবগঠিত কমিটির সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস ব্যাক্ত করেন, মাদক নির্মুলে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ শিমুল সিলেট বিভাগ , সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল মন্নান,সহ সভাপতি ও জকিগন্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কাদির, সহ-সভাপতি রুহুল রাজ্জাক চৌধুরী, মো. ওমর ফারুক, এড ফয়জুল হক রানা,সিলেট মহানগর এর সহ সভাপতি ফখরুল আলম তালুকদার আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ সহ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার মানবাধিকার কর্মী বৃন্দ।
 

বিবিসির সেরা ১০০ নারীর তালিকায় দক্ষিণ এশীয় যারা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির জরিপে বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর নাম উঠে এসেছে। এই তালিকায় রয়েছে রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জেসমিন আক্তারসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরো কয়েকজন নারীর নাম।
আজ বুধবার ২০১৯ সালের প্রভাবশালী একশ নারীর তালিকা বিবিসি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এতে পরিবেশ, জ্ঞান, নেতৃত্ব, সৃষ্টিশীলতা, খেলাধুলা ও পরিচয় এমন ছয় ক্যাটাগরিতে সারাবিশ্বের ১০০ নারীর নাম প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় প্রত্যেকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়।
তালিকায় রয়েছে রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক জেসমিন আক্তারের নাম। বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জন্ম নেন জেসমিন। শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর ব্র্যাডফোর্ড শহরের অল-এশিয়ান গার্লস ক্রিকেট দলে খেলে নিজের নৈপুণ্যের প্রমাণ দেন জেসমিন। এ বছর পথশিশুদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলেন জেসমিন।
ভারতীয় নারীদের মধ্যে রয়েছে ৭ জনের নাম। তারা হলেন : পারভিনা অঙ্গার (নলেজ ক্যাটাগরি), প্রগতি সিং ( লিডারশিপ), ভেনাডা শিবা (আর্থ), নাতাশা নোয়েল(আইডেন্টিটি), সুস্মিত মোহান্তি (নলেজ), শুভলক্ষী নন্দী (আইডেন্টিটি) ও অরন্য জহর (নলেজ)। উল্লেখ্য, পারভিনা অঙ্গার জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা।
এই তালিকায় পাকিস্তানি নারীদের মধ্যে রয়েছে দুজনের নাম। তারা হলেন : জলিলা হায়দার (লিডারশিপ)। তিনি পেশায় একজন আইনজীবি। অপরজন আফগান বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি জারিফা গাফারি।
নেপাল : বনিতা শর্মা (নলেজ)। তিনি একজন উদ্যোক্তা।
শ্রীলংকা : আচারিয়া পেইরিস (লিডারশিপ)। তিনি পেশায় একজন ডিজাইনার।


BHRC চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) এর মহাসম্মেলন উপলক্ষে গত ১৭ই অক্টোবর ২০১৯ রোজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ টায়, চকবাজার থানা শাখার মাসিক সভা ও সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন চকবাজার থানা শাখার সভাপতি শ. ম. বখতিয়ার। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইমরান ও অসীম কুমার দাস, সহ সভাপতি লায়ন মোঃ ইব্রাহিম, হুমায়ুন কবির, সৈয়দ ইরফানুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, যুগ্ন সম্পাদক হাজী মোঃ বাবর আলী, মোঃ নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহেদুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন চকবাজার থানা শাখার সভাপতি শ ম বখতিয়ার, নির্বাহী সভাপতি এম. হামিদ হোসাইন, সহ সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার ছৈয়দুল করিম, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. মারুফ হোসাইন রিয়াজ, সহ দপ্তর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জিসান, মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মহিলা সম্পাদক অনিমা কামাল, স্বাস্থ ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ তানজিনা রহমান, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান বাদশা, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ ইসতিয়াক মাহমুদ, সদস্য আকতার বেগম সহ অন্যান্য নেতাবৃন্দ।

 

 
গরু ছেড়ে নারীদের কথা ভাবুন: মোদিকে তরুণীর বার্তা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা হলে তাকে কী বার্তা দেবেন? এর জবাবে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ১৮ বছর বয়সী এক প্রতিযোগীর সাহসী উত্তর নজর কেড়েছে। গরুর বদলে নারীদের কথা ভাবতে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়ে দেন ওই সুন্দরী।
জানা যায়, ভিকুওনুয়ো সাচু নামের এক তরুণী ভারতে মিস কোহিমা নামের একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। নাগাল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী কোহিমা-তে গত ৫ অক্টোবর প্রতিযোগিতার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সাচু। এসময় বিচারকরা প্রশ্ন রেখেছিলেন যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে তাঁকে কী বার্তা দেবেন তিনি। সাচু এর জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে গরুর বদলে নারীদের নিয়ে ভাবতে অনুরোধ করবেন তিনি। তার এই উত্তরে হাততালি ও হাসির রোল পড়ে দর্শকদের মধ্যে।
ইতিমধ্যে সাচুর উত্তরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। টুইটারে ৬ লক্ষাধিকবার দেখা হয়েছে এই ভিডিওটি। নাগাল্যান্ড পোস্টের খবর অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান পেয়েছেন সাচু।
গত বছরে ভারতে গো-রক্ষার নামে দেশজুড়ে একের পর এক গণপ্রহারের খবর শিরোনামে উঠে আসে।
 

 

 
বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়েই মেয়ে দেখতে যাওয়া উচিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ে শব্দটা শোনামাত্র মাথায় যে জিনিসটা সবার প্রথমে আসে, তা হল এক পবিত্র বন্ধন। এটি মানবজীবনের এক অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। বিয়ে মানে কেবল দুটি মানুষের মাঝে সম্পর্ক নয়, দুটি পরিবারের মাঝে সম্পর্ক।
সাধারণত দু’ধরনের বিয়ে দেখা যায়। ‘লাভ ম্যারেজ’ ও ‘অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ’ অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক বিয়ে।
আমাদের সমাজে আনুষ্ঠানিক বিয়েই বেশি প্রচলিত। এ ধারায় একটি পরিবার অন্য একটি পরিবারের ছেলে বা মেয়েকে দেখে, নানাদিক বিবেচনা করে বিয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করে থাকেন।
বেশির ভাগ সময় ছেলের পরিবারই প্রথমে মেয়েকে দেখতে তার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে মেয়েকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, নানা কায়দায় নানা ধরনের উদ্ভট সব প্রশ্ন করে থাকে।
বলা যায়, মেয়েটিকে এক প্রকার অস্বস্তিকর অবস্থাতেই ফেলে দেয়া হয়। আপনারা যখন বিবাহযোগ্য কোনো মেয়েকে দেখতে যান, তখন তার মনের ভেতর কত কিছুই না চলতে থাকে। কত রঙিন স্বপ্ন আনাগোনা করতে থাকে তার ছোট্ট মনটায়। সে কত খুশি থাকে। আপনারা কতভাবে বিরক্ত করেন তাকে। এতকিছুর পরও সে কিছুই বলে না।
লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে, সঙ সেজে বসে থাকে আপনাদের সামনে; যেন আপনারা কোনো ভুল না ধরে বসেন। কিন্তু এতকিছুর পরও আপনারা যখন বাড়ি ফিরে গিয়ে খবর পাঠান, ‘মেয়ে পছন্দ হয়নি’- এই ছোট্ট শব্দটা আপনাদের কাছে হয়তো কিছুই না; কিন্তু মেয়েটির মনে কত বড় একটা ‘দাগ’ ফেলে, কখনও কি ভেবে দেখেছেন? ভেবে দেখার চেষ্টা করছেন- তার কতটা খারাপ লাগে তখন?
রঙিন দুনিয়াটা এক মুহূর্তেই সাদা-কালো হয়ে ওঠে তার কাছে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হয়তো সে কখনও কারও কাছে করে না। তার অভিযোগগুলো যে চাপা পড়ে যায় ভেজা বালিশের তলায়!
আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ- পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য কোনো মেয়েকে দেখতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে, মেয়েটিকে ভালো লাগলে তারপরই না হয় দেখতে গেলেন। এতে অন্তত মেয়েটিকে সেই ছোট্ট যন্ত্রণাদায়ক বাক্যটি শুনতে হবে না- মেয়ে পছন্দ হয়নি...।


বিধবা বিয়ে করলেই পাবেন নগদ ২ লাখ টাকা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই পাবেন নগদ দুই লাখ টাকা। ভারতের মধ্যপ্রদেশের সমাজ কল্যাণ দফতরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই নতুন উদ্যোগে ৪৫ বছরের নিচে কোনো বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
ভারতে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের আশা, বছরে এক হাজার বিধবা নারীর পুনর্বিবাহ সম্ভব এই উদ্যোগে। তবে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই বিধবা বিবাহের এমন ধুম পড়ছে যে সরকারের কাছে পরিসংখ্যান নিয়ে কোনো তথ্যই নেই।
তবে হঠাৎ এই উদ্যোগ কেন? বস্তুত, গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বিধবা বিবাহে উৎসাহ দিতে নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেয়। কিন্তু কেন্দ্রর বদলে মধ্যপ্রদেশ সরকার আগে এই উদ্যোগ নেয়। এবং তার জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ১৮৫৬ সালেই আইন পাস করে বিধবা বিবাহ বৈধ হয়। কিন্তু সরকারিভাবে খুব একটা বিধবা বিবাহে উৎসাহ দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়েনি।
সংশ্লিষ্ট তহবিলে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে কোনো বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই পাত্রর হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেবে সরকার। তবে এ প্রস্তাব রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। তারপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই তিন মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু হবে।
এই প্রকল্পর দুর্ব্যবহার যাতে না হয় তাও নজরে রাখবে রাজ্য সরকার। দুর্নীতি রুখতে সরকারের নীতি, অবশ্যই পাত্রকে অবিবাহিত হতে হবে। আগের বিয়ে গোপন করে এই প্রকল্পর সুবিধা নেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, জেলা কর্মকর্তার দফতর থেকে বিয়ের রেজিস্ট্রি পত্র দেখাতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষর ইস্যু করা প্রমাণ বিবেচ্য হবে না।



 

  BHRC ভাঙ্গা উপজেলা শাখার মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৬ অক্টোবর বিকেল ৪ টার সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা শাখার উদ্যোগে মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়, ভাঙ্গা বাজার ন্যাশনাল ব্যাংক ভবনের তৃতীয় তলায়, মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সরকারী ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হায়দার হোসেন, সরকারী ভাঙ্গা কেএম কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা পৌরসভা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ মোসায়েদ হোসেন ঢালী, ভাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা পৌরসভা শাখার সাধারন সম্পাদক আবুজাফর মুন্সী, ভাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা পৌরসভা শাখার সভাপতি সহিদুল হক মিরু মুন্সী, সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কমিশন ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। সভাটি সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম. নজরুল ইসলাম।
 

একের পর এক সহিংসতার বলি হচ্ছে শিশু সন্তান, স্ত্রী, স্বামী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রামে বাড়ছে পরকীয়া। আর তার জেরে বাড়ছে সাংসারিক তিক্ততা। হচ্ছে একের পর এক খুন, জখম। এতে করে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সাম্প্রতিক সময় পরকীয়ার জের ধরে লোমহর্ষক বেশকিছু হত্যাকা- হয়েছে। কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। গত শনিবার যার সর্বশেষ বলি হন বন্দর থানাধীন নিমতলার আবু তাহের ও তার শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন। প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনের মতে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে পরকীয়ার মতো অনৈতিক সম্পর্কগুলো বাড়ছে। যার ফলে খুনের মতো জঘন্য অপরাধের দিকে পা বাড়াচ্ছে পরিবারের অতি আপনজনরা।
তাই সবার উচিত ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুশাসন মেনে চলা। চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়- পারিবারিক কলহের জের ধরে যত অভিযোগ থানায় আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনার নেপথ্য কারণ থাকে স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরকীয়া। এর জের ধরেই সংসারে তিক্ততা শুরু হয়। এরপর তা রক্তারক্তিতে পরিণতি লাভ করে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনে প্রতি মাসে কয়েকশ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়ে। যার মধ্যে বেশির ভাগই স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া এবং পারিবারিক কলহের কারণ উল্লেখ করে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন। উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর নগরীর বন্দর এলাকায় হাসিনা আক্তার ও তার প্রেমিক মাঈনুদ্দীনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখার কারণে প্রথমে শিশু ফাতেমা খাতুন পরে স্বামী আবু তাহেরকে গলা কেটে খুন করা হয়। ১৯ মার্চ পরকীয়া প্রেমের দ্বন্দ্বের জের ধরে নগরীর হালিশহর এলাকায় খুন হন লাকী আকতার নামে এক ব্যবসায়ী। ৩১ জানুয়ারি চান্দগাঁও স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়ার অভিযোগ তুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মোস্তাফা মোরশেদ আকাশ নামে এক চিকিৎসক। এ ঘটনার পর স্ত্রী মিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 

 

 ‘পায়ের বেড়ি’ খুলছে না সৌদি নারীদের


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের নারীরা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন, মাস দুয়েক আগে এমন আইন জারি হলেও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না তাদের। কারণ, এ আইনে থেকে গেছে বিশাল ফাঁক। অনুমতি ছাড়া নারীরা ভ্রমণে গেলে পুলিশের কাছে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার অভিযোগ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
সৌদির আইন অনুযায়ী, এমন অভিযোগ পেলে নিখোঁজ নারীকে খুঁজে এনে অভিভাবকের হাতে তুলে দিতে বাধ্য পুলিশ। এমনকি, অভিভাবক চাইলে ওই নারীকে আটকেও রাখতে পারবেন।
২৩ অক্টোবর ২০১৯ ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মী ঈমান আলহুসেইনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি।
আগস্টে নারীদের ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেয় কট্টর মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। দেশটির রাজ পরিবারের এক আদেশে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী যে কোনো নারী অভিভাবক অর্থাৎ পিতা, স্বামী বা অন্য পুরুষ আত্মীয়ের সম্মতি ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
উদারপন্থি বলে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের উদ্যোগে এই আদেশ জারি করা হলেও ‘তাঘ্যয়ুব’ নামের আইনটি এখনো রয়ে গেছে দেশটিতে। এই আইন অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলে নারীদের অভিভাবকেরা পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ জানাতে পারবে।
এ কারণে বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীদের ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল করার নতুন আদেশে অনেক ঘাটতি রয়েছে। এখনো পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নারীদের স্বাধীন চলাফেরায় বাধা দিতে পারে।
পশ্চিমা এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী সৌদির পিতারা তাদের সাবালিকা মেয়েদের পাসপোর্ট তৈরিতে নিষেধ করতে পারবেন না। কিন্তু, আগের আইন অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া ভ্রমণে গেলে মেয়ের বিরুদ্ধে নিখোঁজ অভিযোগ করতে পারবেন। আর তাতে পুলিশ তাদের ধরে এনে অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে।


 

 অমানবিক র‌্যাগিং: শিক্ষার্থীদের রক্ষায় কঠোর হোন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিজের সিনিয়রদের হাতে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বরিশালের ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি- আইএইচটির এক নারী শিক্ষার্থীকে। নিজের সিনিয়রদের হাতে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বরিশালের ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি- আইএইচটির এক নারী শিক্ষার্থীকে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী জুনিয়রদের ওপর সিনিয়রদের নির্যাতন-নিপীড়ন নিয়ে পোস্ট দেয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী ড্রয়িং রুমে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী রুমে গিয়ে নাপাসহ একাধিক ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভর্তি পরীক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের নামে মানসিক নিপীড়ন করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাবজেক্টের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগের তিন কর্মী।
আসাদুজ্জামান নামের ওই ভর্তি পরীক্ষার্থী ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে বের হলে পরিবহন পুল এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে শার্ট খুলতে ও নামতা পড়তে বলে। এ সময় নামতা মনে নেই বলতেই তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু হয়। ভাগ্য ভালো, ওই সময় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ছাত্রলীগ কর্মীদের পুলিশে সোপর্দ করে। প্রক্টরিয়াল টিম এভাবে সতর্ক হলে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক অঘটন, নির্যাতন-নিপীড়ন রোধ করা সম্ভব।
র‌্যাগিংয়ের নামে জুনিয়র ছাত্রদের সিনিয়রদের হাতে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া নতুন কিছু নয়। এছাড়া রাজনৈতিক কারণে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। সর্বশেষ বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যা যার জ্বলন্ত প্রমাণ। লোমহর্ষক ওই হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটেও র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অনেক খবর বেরিয়ে এসেছে। অথচ র‌্যাগিংয়ের নামে হয়রানি ও যে কোনো ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে সরকার ও আদালতের পক্ষ থেকে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরিবার-পরিজন ছেড়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা যেখানে সিনিয়রদের কাছ থেকে ছোট ভাইয়ের আদর ভালোবাসা পাওয়ার কথা, সেখানে তাদের হিংসাত্মক বিকৃত আনন্দের বলি হয়ে তাদের মানসিক ও শারীরিক ট্রমায় পড়তে হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করার বিকল্প নেই। বরিশালে আহত শিক্ষার্থীর বিষয়ে মহিলা হোস্টেলের উপ-তত্ত্বাবধায়ক বলেছেন, তাকে নানা কথা বলা হয়েছে শুনেছি; কিন্তু র‌্যাগিংয়ের কোনো কিছু শুনিনি। এর অর্থ কি এই যে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা চাইলে জুনিয়রদের বকাঝকা করতে পারে! দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের হাস্যকর কথা না বলে দ্রুত ওই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় র‌্যাগিং নামক নিপীড়ন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ রয়েছে। আছে হল ও হোস্টেলসহ ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষও। তারপরও কীভাবে কিছু শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীর হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এর পেছনে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দায়িত্বে অবহেলা, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা ও নানা অনিয়ম যে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বুয়েটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ত্বরিত পদক্ষেপ নিত তবে আবরারকে প্রাণ দিতে হতো না।
 



Top

 কানাডায় আবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেলরা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন। সোমবার দেশজুড়ে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি) এ পূর্বাভাস দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় থাকছেন ট্রুডো। কানাডার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আসা ফলাফলে দেশটির ৩০৪টি ইলেকটোরাল ডিস্ট্রিক্টের মধ্যে ১৪৬টিতে লিবারেলরা এগিয়ে আছেন বলে সিবিসি জানিয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ট্রুডোর দলকে ১৭০টি আসনে জয় পেতে হবে। অন্যথায় তাকে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে তাকে বামপন্থি বিরোধী দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এতে ৩৩৮ আসনের হাউস অব কমন্সে ট্রুডোর অবস্থান গত মেয়াদের চেয়ে দুর্বল হবে। ভোটের আগে চূড়ান্ত প্রচারের সময় লিবারেল পার্টির নেতা ৪৭ বছর বয়সী ট্রুডোর প্রতি সমর্থন জানান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রকাশিত ‘ব্ল্যাকফেস’ কেলেঙ্কারির কারণে এবং শীর্ষ একটি কানাডীয় কোম্পানির দুর্নীতি নিয়ে শক্ত হতে না পারায় ওঠা সমালোচনায় কিছুটা কোণঠাসা হন ট্রুডো। লিবারেল দলীয় কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো সোমবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মন্ট্রিয়েলে ভোট দেন। অন্যদিকে রক্ষণশলী নেতা শেয়ার তার নিজের নির্বাচনী এলাকা সেসকাচুয়েনে নিজের ভোটটি দেন। কানাডার অন্য দলগুলোর মধ্যে কুইবেক প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী জোট কিবেকুয়া ওই প্রদেশটিতে ৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। গ্রিন পার্টি ১টি আসনে এগিয়ে আছে বলে জানা গেছে।  

 

Top

 সৌদি আরব ৯০ দিনের হোস্ট ভিসা দেবে


‘হোস্ট ভিসা’ নামে নতুন এক ধরনের ভিসা চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব সরকার। এই ভিসার মাধ্যমে কোনো সৌদি নাগরিক বা প্রবাসীরা নিজেদের খরচে ৯০ দিনের জন্য পরিচিত মানুষজনকে বা জনদের সৌদি আরবে নিয়ে আসতে পারবেন। খুব শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে নতুন এই ভিসার কার্যক্রম। হোস্ট ভিসার বিষয়ে বলা হয়েছে, সৌদি নাগরিক ও প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ জন নিকটাত্মীয় বা পরিচিতজনকে এই ভিসায় নিয়ে আসতে পারবেন। অতিথিরা হোটেলে বা হোস্টের বাড়িতে থাকতে পারবেন। হোস্ট ভিসায় এসে ওমরাহও করা যাবে। পাশাপাশি সৌদি আরবের সব ট্যুরিস্ট এক্টিভিটি উপভোগ করা যাবে। প্রতিজনের জন্য হোস্ট ভিসার খরচ পড়বে ৫০০ রিয়াল। ভিসার মেয়াদকাল ১ বছর। এই ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করা যাবে। ভিসায় মাল্টিপল এন্ট্রি গ্রহণযোগ্য হবে না। একই বছরে নতুন করে ভিসা ইস্যু করে সর্বোচ্চ তিনবার প্রবেশ করা যাবে।
এর আগে সৌদি আরব ৪৯টি দেশের পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

 

পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না, বললেন মমতা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের আসামে এনআরসি(জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন) হওয়ার পরে সব থেকে আতঙ্কে ভুগছেন পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ। লোকসভা ভোটের পরে প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভয় দিলেন রাজ্যের মানুষকে। শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাজ্যে কোনও এনআরসি হবে না। কোনও ভাগাভাগি করতে দেব না। তাঁর কথায়, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমরা আপনাদের পাহারাদার। আনন্দবাজার থেকে।
লোকসভা ভোটেও এনআরসি নিয়ে প্রচার চালিয়েছিল বিপদমান দুই দল, তৃণমূল এবং বিজেপি। গত মার্চ মাসে আলিপুরদুয়ারের এক সভায় এসে অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এর পরে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবে। যার জবাবে মমতা বারবার বলেছেন, কিছুতেই এই রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না।
 

রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: জাপানের প্রধানমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রাখাইনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।
টোকিওতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
অ্যাবে আরো বলেন, তিনি আশা করেন, স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী। জবাবে সু চি জানিয়েছেন, এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি কোনও দ্বিধা করবেন না।

 

দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি চাকরি মিলবে না রা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। ২০২১ সালের পর দুইয়ের বেশি সন্তান হলে আর কোনও দম্পতিকে সরকারি চাকরি দেবে না অসম সরকার। এই প্রস্তাবে ছাড পত্র দিল অসম মন্ত্রিসভা। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যেই সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, তাদেরও এ বিষয়ে যতœবান হতে হবে। তাঁদের যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথা হলে, তাঁদেরও চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতের দীর্ঘদিনের সমস্যা। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এদেশে এখন প্রায় ১৩৪ কোটি লোকের বাস। আর চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে চিনকেও টপকে যেতে পারে ভারত। এই সমস্যা রুখতে দুই সন্তান নীতির দাবি অনেক পুরনো। গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, গোটা দেশেই এই ধরনের নিয়ম চালু হওয়া উচিত। দুইয়ের বেশি সন্তান হলে শুধু সরকারি চাকরি নয়, সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা উচিত।
দেশের অন্য কোনও রাজ্য এখনও সাহস দেখিয়ে এই নীতি কার্যকর করতে পারেনি। অসমই প্রথম সাহস দেখাল। সোমবার সন্ধ্যায় অসমের মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে ছাড পত্র দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির পর যে সমস্ত পরিবারের দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাঁরা সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়াও যারা এর মধ্যে সরকারি চাকরি পাবেন তাদেরও এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অসম বিধানসভায় ‘অসমের জনসংখ্যা ও নারীদের ক্ষমতায ন বিল’ পাশ করানো হয়। ওই বিলেই স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, দু’টি সন্তান রয়েছে এমন চাকরিপ্রার্থীরাই কেবলমাত্র সরকারি কর্মসংস্থানের যোগ্য হতে পারবেন। সেই বিলের প্রস্তাবেই এবার ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা।
একই দিনে আরও ভূমি সংস্কার বিলে ছাড পত্র দিয়েছে অসম মন্ত্রিসভা। যাতে বলা হয়েছে, ভূমিহীন আদিবাসীদের ৩ বিঘা করে জমি দেবে অসম সরকার।



মহাসড়ক জুড়ে হাজার হাজার ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধরুন আপনি বাংলাদেশের যেকোনো মহাসড়ক ধরে দেশের কোনো জেলায় যাচ্ছেন। হঠাৎ লম্বা যানজটে পড়লেন যার কারণ আপনি জানেন না।
কিংবা কোনো দুর্ঘটনা বা উন্নয়ন কাজের কারণে হঠাৎ যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটল। এই ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে প্রায়ই ঘটে। সেসব তথ্য যাত্রী, চালক, পুলিশ বা হাসপাতালে পৌঁছাতেও অনেক সময় লেগে যায়।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সড়কে অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা সম্পর্কে আগেভাগে জানতে বা সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা থাকে যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে পুলিশ, উদ্ধারকর্মী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাই।
বাংলাদেশেও এ রকম একটি ব্যবস্থা চালু করার জন্য একটি পাইলট প্রকল্পের ব্যাপারে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। যে ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে সেটি হলো 'ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম।'
এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল করিম। তিনি ব্যাখ্যা করেন বিষয়টি আসলে কী।
তিনি বলছেন, 'এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সকল সড়ক মহাসড়ক প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা যাতে কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি জানা ও দেখা যায় এবং ব্যবস্থা নেয়া যায়।'
তিনি বলেন, 'যেমন এখন কী হচ্ছে? হাইওয়েতে একটা দুর্ঘটনা ঘটল। এটার খবর নিকটবর্তী থানা, হাইওয়ে পুলিশ বা হাসপাতালে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। এর ফলে দুটো জিনিস ঘটে। একটি হলো দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসায় দেরি হয় এবং ওই দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে বিশাল লম্বা যানজট তৈরি হয়ে যায়। একটা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যদি নজরদারি চলে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জানা যাবে ও ব্যবস্থা নেয়া যাবে।'
 

পরিস্থিতি দেখতে কাশ্মীর যাচ্ছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল
 

মানবাধিকার রিপোর
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর প্রায় তিন মাস কেটে গেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার উঠে আসা সেই কাশ্মীর পরিস্থিতির হালচাল খতিয়ে দেখতে উপত্যকায় যাচ্ছেন ইউরোপীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। সোমবার ভারতে এসে পৌঁছেছে ২৮ জনের প্রতিনিধি দলটি। এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। খবর এনডিটিভির।
প্রতিনিধি দলটির কাশ্মীর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। মোদির সঙ্গে ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাক্ষাতের সময়ও উপস্থিত ছিলেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে কাশ্মীর নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরে ‘দমন-পীড়ন’ চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও উপত্যকায় দমন-পীড়নের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার মিথ্যা বলছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি। এদিন ফের বোমা ফাটান ইলতিজা। লেখেন, আশা করা যায়, তারা (ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল) সাধারণ মানুষ, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, চিকিৎসক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। গোটা দুনিয়া ও কাশ্মীরের মধ্যে থাকা লোহার পর্দা উঠে যাওয়া প্রয়োজন। জম্মু-কাশ্মীরকে অস্থির পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে সরকারকে।



 

 মানবতা পরম ধর্ম


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শুরুতেই একটি পুরনো গল্প বলছি। তখন ১৯৪৬ সাল। ভারতবর্ষজুড়ে দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা। মারামারি কাটাকাটি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করে কিছু করতে পারছে না।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গার ঘটনার বিস্তার ঘটেছে বাংলাদেশে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় দাঙ্গার ঘটনা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নানামুখি তৎপরতা চালাচ্ছেন। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
পুরনো ঢাকায় কয়েকজন মুসল্লি হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে স্বামী-স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে দৌড় শুরু করেছে। এক পর্যায়ে তারা এক মুসলমান পরিবারের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির কর্তা দরজা বন্ধ করে দেন। বাড়িতে যারা ঢুকেছে তাদের দিকে তাকিয়ে দেখেন, তারা হিন্দু পরিবার। ভয়ে থর থর করে কাঁপছে।
বাড়ির কর্তা ভীতসন্ত্রস্ত পরিবারটিকে হাতের ইশারায় আশ্বস্ত করলেন। কিন্তু হিন্দু পরিবারটিকে তাড়া করতে করতে আসা মুসল্লিরা
বাড়ির সামনে এসে হৈচৈ শুরু করল। চিৎকার করে বলল, ওদেরকে বের করে দাও। ওদেরকে আমরা চিরতরে শেষ করে দেবো।
দরজা খুলে বাড়ির কর্তা সটান দাঁড়িয়ে বললেন, ওরা আমার মেহমান। আমার জীবন থাকতে ওদের কোনো ক্ষতি হতে দেবো না।
মুসল্লিরা কিছুক্ষণ হৈচৈ করে বলল, এসব আপনি কি বলেন? ওরা হিন্দু; ওরা আপনার মেহমান হয় কি করে?
ওরা হিন্দু না মুসলমান সেটা দেখার বিষয় নয়। ওরা মানুষ। আমার কাছে ধর্মের চেয়ে মানবতা বড়।
মুসল্লিরা হৈচৈ করে চলে গেলো। বাড়ির কর্তাও হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।
একই রকম আরেকটি ঘটনা তখন কলকাতায় ঘটেছিল। সেখানে অসংখ্য মুসলিম পরিবার হামলার শিকার হয়। হামলার সময় একটি মুসলিম পরিবার জীবন রক্ষার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওই পরিবারে ছিল দুই যুবতী কন্যা। চারদিক থেকে যখন হামলা হচ্ছিল তখন তারা বেদিশা হয়ে পড়েছিল। কোথাও লুকাবার জায়গা পাচ্ছিল না। এ রকম এক সংকটময় মুহূর্তে এক হিন্দু ভদ্রলোক পরিবারটিকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলেন। তিনি তার বাড়িতে আশ্রয় দিলেন।
আশ্রয় দেয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। হিন্দুরা এসে ভদ্রলোকের বাড়ি ঘেরাও করল। মুসলিম পরিবারটিকে ছিনিয়ে নিতে চাইল। কিন্তু ভদ্রলোক অনড়। তিনি জীবন দিয়ে হলেও মুসলিম পরিবারটিকে রক্ষা করবেন বলে জানিয়ে দিলেন।
হিন্দুরা ক্ষিপ্ত হয়ে বলল, একটা মুসলিম পরিবারকে কেন্দ্র তুমি আশ্রয় দিয়েছ? তাদেরকে আমাদের হাতে ছেড়ে দাও। আমরা ওদের প্রাণ বিনাশ করব।
ভদ্রলোক বললেন, আমার কাছে হিন্দু মুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই মানুষ। আমার কাছে বড় হচ্ছে মানবতা।
হিন্দুরা হৈচৈ করে বিদায় নিল। এভাবেই রক্ষা পেল একটি পরিবার।
এবার চীন সফর প্রসঙ্গে বলি। বেশ কিছু দিন আগে চীন সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম ৫০ শতাংশ মানুষই ধর্ম মানে না। তারা মানবতায় বিশ্বাসী। তারা মনে করে, মানব ধর্মের চেয়ে পরম ধর্ম আর নেই।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু কত শতাংশ মানুষ মানবিক? ইসলাম শান্তির ধর্ম, সম্প্রীতির ধর্ম, মানবিকতার ধর্ম। আমরা সেটা কতটুকু মানি? আমাদের আরো বেশি মানবিক হতে হবে। অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে হবে। মনের পশুত্ব দূর করতে হবে। নিষ্ঠুরতা পরিহার করতে হবে। তা না হলে সত্যিকারের মানুষ হওয়া যাবে না।

 

Top

দেশের প্রথম হিজড়া ভাইস চেয়ারম্যান পিংকী

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সাদিয়া আখতার পিংকী নির্বাচিত হয়েছেন। পিংকীই বাংলাদেশের প্রথম হিজড়া ভাইস চেয়ারম্যান বলে জানা গেছে। পিংকী কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সোয়াদি গ্রামের নওয়াব আলীর সন্তান।
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিংকীসহ আরও দুজন নারী এ পদের জন্য লড়েছেন। এর মধ্যে পিংকী ১২ হাজার ৮৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন রুবিনা খাতুন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ১৩৯ ভোট। এছাড়া একই পদে নাসিমা ইসলাম নামে আরও এক নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জয়ী হওয়ার পর পিংকী জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। বৈষম্য রয়েছে তা রোধে কাজ করবেন।
পিংকী আরও জানান, নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে অশান্তি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মানুষ চার পাহাড়ি সংগঠনের ক্যাডারদের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গত দুই দশকে পাহাড়ে সন্ত্রাসী আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর অস্ত্রবাজির শিকার হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ মানুষ। আহতের সংখ্যা অন্তত ১ হাজার ৪০০। পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে চাঁদা দেওয়া ছাড়া কেউ বসবাস করতে পারে না। ব্যবসায়ী, পরিবহন সেক্টর, ঠিকাদার, মুদি দোকানদার, সরকারি চাকরিজীবী, এনজিওসহ সবাই আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর কাছে জিম্মি। ছয় মাস ও বার্ষিক হারে এ সংগঠনগুলোকে চাঁদা দিয়ে নিতে হয় কথিত ‘কার্ড’। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এমনকি খুনের ঘটনাও ঘটে। শুধু চাঁদাবাজি নয়, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, খুনের বদলা খুন এবং সাংগঠনিক দ্বন্দ্বের কারণে তিন পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। দুই দশক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে চুক্তি হয়। যা পরে শান্তিচুক্তি হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু এ চুক্তির বিরোধিতা করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১০ সালে জেএসএস আরেক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে। আত্মপ্রকাশ ঘটে জেএসএস-এমএনের। সর্বশেষ ইউপিডিএফ ভেঙে হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। বর্তমানে এ চারটি সংগঠনই তিন পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করছে। যেখানে যে সংগঠনের শক্তি বেশি, তাদের অবৈধ রাজত্ব সেখানে গড়ে উঠছে। ২০০১ সালে রাঙামাটির নানিয়ার চরে তিন বিদেশিকে অপহরণ করে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটনের ক্ষেত্রে আদর্শস্থান হিসেবে বিবেচিত হলেও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অপতৎপরতায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সেভাবে ভিড় জমাচ্ছে না ওই এলাকায়। বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপনের জন্যও দায়ী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম। পার্বত্য তিন জেলার উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তৎপরতায় বাদ সাধা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের অবস্থান শক্তিশালী করার বিষয়টিও গুরুত্বের দাবিদার। এ বিষয়ে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।

 

ভয়ংকর ‘স্নেকহেড’ দেখা মাত্রই হত্যা করার নির্দেশ

 


যদি দেখেন যে একটি উত্তরাঞ্চলীয় স্নেকহেড মাছ আপনার জালে ধরা পড়েছে, এটিকে ছাড়বেন না। পাওয়ামাত্রই এটিকে হত্যা করুন। মনে রাখবেন, এটি ডাঙাতেও বেঁচে থাকতে পারে। ঠিক এরকম নির্দেশনাই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ন্যাচারাল রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট বা প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ। জি নিউজ বাংলা
উত্তরাঞ্চলীয় ‘স্নেকহেড’ মাছ দেখতে লম্বাটে ও চিকন। এর মাথা দেখতে অদ্ভূত রকম চ্যাপ্টা। এটি উচুঁ মানের শিকারী প্রাণি এবং এর ক্ষুধা অফুরন্ত। এই মাছ অন্যান্য জাতের মাছ থেকে শুরু করে ব্যাঙ, কাঁকড়া সবই সাবাড় করে ফেলে।
এটি দেখতে ৮০ সেন্টিমিটারের মতন লম্বা হতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও এই মাছ নিশ্বাস নিতে পারে এবং চলাফেরা করতে পারে। আর এ কারণেই এই মাছ এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে চলে যেতে পারে। এই মাছ যদি একবার অন্য আরেক জায়গায় পৌঁছাতে পারে তাহলে এর বিস্তার ঠেকানো মুশকিল। স্নেকহেড মাছের নারী সদস্যরা বছরে দশ হাজার পর্যন্ত ডিম দেয়। স্নেকহেড মূলত চীন, রাশিয়া ও কোরিয়া অঞ্চলের মাছ। কিন্তু প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চার জাতের স্নেকহেডকে অ্যামেরিকায় সনাক্ত করা গেছে।
 

স্বামী পেটানোয় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ভারতীয় নারীরা

 রিভা গাঙ্গুলী দাশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বামীকে পেটানোয় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে নাম এসেছে ভারতীয় নারীদের। এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যা প্রকাশ হওয়া মাত্র ঝড উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, যে দেশে নারী নির্যাতন সবচেয়ে বড সমস্যা, সেখানে এই তথ্য রীতিমতো চমকপ্রদ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, স্বামী পেটানোয় প্রথম স্থানে আছেন মিশরের নারীরা। সেখানে অন্তত ৬৬ শতাংশ নারী তাদের স্বামীকে মারধর ও নানাভাবে হেনস্তা করেছেন। তারপর ফ্যামিলি কোর্টে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছে ব্রিটেন। আশ্চর্যজনকভাবে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারত। ধর্ষণ থেকে গার্হস্থ্য সমস্যায় জর্জারিত ভারতের ক্ষেত্রে এই স্থান পাওয়া বেশ অবাক করার মতোই বলে মনে করছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
তবে খবরে এও বলা হয়েছে, বিয়ে, পণপ্রথার কবলে পড়ে নারীরা যেমন নির্যাতিত হচ্ছেন, তেমন পাল্টা মার দেওয়ার ঘটনাও যে বিরল নয়, সেই সত্যিই প্রকাশ করছে এই সমীক্ষা। আরও বলা হচ্ছে, নারীরা মারধরের ক্ষেত্রে মূলত বেলনচাকি-সহ রান্নাঘরের সামগ্রী, বেল্ট ও জুতোই হাতে তুলে নেন। এই সমীক্ষা প্রকাশ হওয়া মাত্র ঝড উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিঃশব্দে হলেও বহু পুরুষ এই সমীক্ষার সঙ্গে একমত হবেন বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে, এই তথ্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ভারতীয় নারীরা। নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও মেয়েরা যে পড়ে পড়ে মার খাওয়ার পাত্রী নন, সে যুক্তিই তুলে ধরছেন তারা। তাদের দাবি, এ তালিকায় যত সামনে আসবে ভারত, তত কমবে নারীদের অকালমৃত্যুর ঘটনা।
 


কার্যকর হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা আইনি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সড়ক নিরাপত্তায় দূরপাল্লার চালকদের জন্য মহাসড়ক বিশ্রামাগার, ৩ লাখ চালককে প্রশিক্ষণসহ নতুন একগুচ্ছ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চালক প্রশিক্ষণে ১ হাজার ৪০০ প্রশিক্ষক তৈরি করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে পরে আরও আট সদস্যকে নেওয়া হয়। কমিটি সাতটি সভা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। প্রতিবেদনে ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদি ৩২টি ও দীর্ঘমেয়াদি ২৯টি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এই আইন তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িত ছিলেন। নতুন এই উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দূরপাল্লার চালকদের জন্য খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুরে জাতীয় মহাসড়ক বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ চারটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। পরে সংখ্যা আরও বাড়বে। এ ছাড়া ভুয়া চালকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ লাখ চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যারা ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের উদ্বুদ্ধ করা হবে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসার জন্য। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দক্ষ প্রশিক্ষকের সংকট রয়েছে। এজন্য ১ হাজার ৪০০ জনকে প্রশিক্ষকের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০০ জনকে ট্রেনিং দিচ্ছে সেনাবাহিনী এবং বাকি ৬০০ জনকে ট্রেনিং দিচ্ছে ব্র্যাকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। সড়ক নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন হলে সড়কে দুর্ঘটনা কমবে বলে আমরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক সামছুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের দেশে নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে আগ্রহ ব্যাপক থাকে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ ও মনিটরিংয়ে। চালকরা পাঁচ ঘণ্টা চালানোর পর বিরতি পাবেন কি না এই মনিটরিং কে করবে সেটা নির্ধারণ করা জরুরি। অবকাঠামো দিয়ে সিস্টেমের দুর্বলতা ঢাকা যায় না। তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ চালকদের বিশ্রাম নেওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করছে কি না সেটা দেখতে হবে। নয়তো রুটি-রুজির জন্য চালকরা বাধ্য হবেন বিশ্রাম ছাড়াই চালাতে। আর এসব বিশ্রামাগার পরিণত হবে মাদকসেবী, জুয়াড়িদের আড্ডাখানায়।


বেলজিয়ামে প্রথম নারী সরকারপ্রধান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বেলজিয়ামে প্রথম নারী সরকারপ্রধান হচ্ছেন দেশটির বাজেটমন্ত্রী সোফি উইলমস (৪৪)। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল সোফি’র নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সাল থেকে দেশটির বাজেটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিং ফিলিপ প্রাথমিকভাবে তার মনোনয়নপত্র ঘোষণা করেন। তার কাছেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন সোফি। মিশেল জানান, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তিনি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সেজন্য নভেম্বরের শুরুতে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এনডিটিভি।

সৌদির নতুন পর্যটন ভিসায় ১৯ বিধিনিষেধ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে বিদেশী পর্যটকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরব। তবে বিদেশী পর্যটকদের জন্য ১৯টি বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এসব বিধিনিষেধের মধ্যে পর্যটকদের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শিথিলতার কথা বলা হলেও জনসমক্ষে অশালীন ও আকর্ষণীয় পোশাক পরিধানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব বিশ্বের ৪৯টি দেশের জন্য ভিসার নতুন নিয়ম চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এতদিন সৌদি আরবে ভিসা দেয়া হতো প্রধানত হজযাত্রী, ব্যবসায়ী এবং বিদেশী শ্রমিকদের জন্য।
নতুন ভিসার ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মূত্রত্যাগ, থুতু ফেলা, দড়ি লাফ, বিনা অনুমতিতে মানুষের ছবি তোলা এবং সালাতের সময় সঙ্গীত বাজানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অপরাধ ভেদে জরিমানা ধরা হয়েছে ৫০ রিয়াল (১৩ ডলার) থেকে ৬ হাজার রিয়াল (১৬০০ ডলার) পর্যন্ত।
সরকারি গণমাধ্যমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা সম্পর্কে সৌদি আরবের দর্শনার্থী ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অমুসলিমরা নতুন ভিসার আওতায় পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে যেতে পারবেন না। তা ছাড়া মদ্যপানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকবে। তবে অবিবাহিত বিদেশী পুরুষ ও নারী পর্যটক হোটেলে একই রুমে অবস্থান করতে পারবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশী নারী পর্যটকদের পুরো শরীর ঢাকা আবায়া পরতে হবে নাÑ যা সৌদি নারীরা পরেন, তবে অবশ্যই সংযত-শালীন পোশাক পরতে হবে। সৌদি আরব আশা করছে যে সেদেশে পর্যটন খাতে বিদেশী বিনিয়োগ হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ পর্যটন ৩% থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।

 

পাঁচ বছরে ১৩০০ কারখানা বন্ধ
কাজ হারাচ্ছেন লাখ লাখ শ্রমিক

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের তৈরী পোশাক শিল্পখাত এখন চরম দুঃসময় কাটাচ্ছে। অসম ও অনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে তৈরী পোশাকের রফতানিমূল্য প্রতিনিয়ত কমছে। অথচ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন কারখানা। গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়েছে অন্তত এক হাজার ৩০০ কারখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও হাতে কাজ না থাকায় সাময়িকভাবে উৎপাদনে নেই আরো অন্তত দেড় হাজার কারখানা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন লাখ লাখ শ্রমিক। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রফতানি আয়ে।
রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তৈরী পোশাকের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের দাম না বেড়ে প্রতিনিয়ত কমছে। এ সময়ে প্রধান রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পোশাকের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। এসবের প্রভাবে দুর্যোগের ঘনঘটা বাজছে রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী দেশের সম্ভাবনাময় তৈরী পোশাক শিল্পখাতে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে বিশ্বে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৮ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ বিলিয়ন ডলারে; অর্থাৎ ক্রেতাদের চাহিদা কমেছে, যা মূল্যভিত্তিক বাজার প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে রফতানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিজিএমইএ গবেষণা সেলের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৮ এই চার বছরে এক হাজার ২০০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নিকট ভবিষ্যতে আরো অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। রফতানি বাণিজ্যের চাহিদা অনুযায়ী গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকা, দীর্ঘ লিড টাইম এবং শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কম থাকায় প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে রফতানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, তৈরী পোশাক শিল্পখাতের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক অসন্তোষ। এ সমস্যাও ততটাও জটিল হতো না যদি শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে পানি ঘোলা করায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পক্ষ তৎপর না থাকত। দ্বিতীয় যে সমস্যার কারণে সম্ভাবনাময় এ শিল্প ধুঁকছে তা হলোÑ পণ্যের উপযুক্ত দাম না পাওয়া।


 


 

 

 

 
 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

‘কালো’ মেয়েকে আছড়ে মারলো পিতা!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগরের খাঁপাড়ায় গায়ের রং কালো হওয়ায় সাড়ে তিন মাসের মেয়েকে মাটিতে আছড়ে মেরে ফেলেছে এক পাষণ্ড পিতা। ২৮ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার এর পরপরই পালিয়ে যায় ঘাতক পিতা।
নিহত শিশুটির নাম ঝিকড়া। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘাতক মনিরুলকে গ্রেপ্তারেও তৎপর হয়েছেন তারা।
জানা গেছে, তিন বছর আগে এবাদুল খাঁর ছেলে মনিরুল খাঁর সাথে ইসমাইল ঘরামির মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। কয়েকমাস আগেই তাদের মেয়ে ঝিকড়া খাতুনের জন্ম হয়। একে তো সে মেয়ে। তার উপর গায়ের রং কালো। শুরু থেকেই তাকে মেনে নিতে পারছিল না মনিরুল। এ নিয়ে সোনিয়াকে প্রতিনিয়ত কটুকথা শোনাতে থাকে সে। শেষমেশ সাড়ে ৩ মাসের মেয়েকে আছডে মেরেই ফেললো সে।
আরো পরুন : বিএনপির সমাবেশের দিন বৃষ্টির কারণে রাজশাহী আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ
সোনিয়ার বাবা ইসমাইল ঘরামি জানান, কলেজ থেকে ছাড়িয়ে মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। বিয়েতে জামাই পক্ষের চাহিদা মতো গয়না-টাকাও দেন তারা। তবুও আরো টাকা দাবি করে সোনিয়ার উপরে নির্যাতন চালাত জামাই। মেয়েসন্তান জন্ম দেয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
শিশুটির মা সোনিয়া বলেন, ‘কেনো মেয়ে হলো, এজন্য আমাকেই শুধু দায়ী করত স্বামী।’
শ্বশুর-শাশুড়ি ও এসব ঝগড়ায় ইন্ধন যোগাতো উল্লেখ করে তিনি জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর এসব নিয়েই ঝগড াঝাটি চলছিল। তাকে চড -থাপ্পর মারছিলো মনিরুল। এমনকি সোনিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছিলো সে বলে শাসায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আচমকাই ঝিকড়াকে তুলে আছাড় মারে মাটিতে। ‘শব্দটুকুও বেরোয়নি ঝিকড়ার মুখ থেকে। এর আগেই সব শেষ। মেয়েটা দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিলো।’ বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পডে ন সদ্য সন্তানহারা এই মা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে মনিরুল। নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সে মেয়েটি কোল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে বলে জানায়। তবে ততক্ষণে আসল ঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামবাসীর দেয়া সংবাদে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু তাদের যাওয়ার আগেই শিশুর মরদেহটি ফেলে পালায় ঘাতক মনিরুল। সেই সঙ্গে তার বাবা-মাও পালিয়েছে।

 

নির্যাতনে বাসার গ্রিল কেটে শিশু গৃহকর্মীর পালানোর চেষ্টা
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতন সইতে না পেরে আটতলার একটি বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টা করছিল গৃহকর্মী রিয়াদ (১২)। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্যামলী কাজমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশু গৃহকর্মী রিয়াদ আটতলার বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী সাইদুল ইসলাম জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ছেলেটির শরীরে মারধরের অসংখ্য দাগ আছে। হাতে কয়েকটি কামড়ের দাগও আছে। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী শ্যামলীকে গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেটি আমাদের জানিয়েছে, তাকে মারধর করা হতো। তাই সে গ্রিল কেটে বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।


বাল্য বিয়ের দায়ে কাজি ও মেয়ের ভগ্নিপতিকে জেল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূ বরগুনার তালতলীতে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামি হল, তালতলী উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়ীয়া গ্রামের আবদুল গনি খানের ছেলে আল-আমীন। অন্য আসামিরা হল আল-আমীনের বাবা আবদুল গনি খান ও মা রাহিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ গাববারীয়া গ্রামের আসমার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে আল-আমীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আল-আমীন ও তার বাবা-মা একটি অটোরিকশা কেনার জন্য গৃহবধূ আসমার কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আল-আমীন প্রায়ই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আল-আমীন শুক্রবার স্ত্রী আসমার কাছে অটোরিকশা কেনার জন্য আবারও দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে আল-আমীন স্ত্রী আসমাকে কিলঘুষি মারে। একই সঙ্গে আল-আমীনের বাবা-মাও আসমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আল-আমীন গামছা ও ওড়না দিয়ে আসমার হাত-পা বেঁধে রাখে। আহত গৃহবধূ আসমা বলেন, আমি বারবার চিৎকার করে আসামিদের বলেছি আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আপনারা আমাকে প্রাণ ভিক্ষা দিন। ওই গৃহবধূ বলেন, আমি যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাই তখন আমাকে আসামিরা ঘরে রেখে আমার ভাই মনিরের কাছে ফোন দিয়ে বলে আমি অসুস্থ। পরে আমার ভাই মনিরসহ কয়েকজন ওইদিনই আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বিকালে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।


নির্যাতনে বাসার গ্রিল কেটে শিশু গৃহকর্মীর পালানোর চেষ্টা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতন সইতে না পেরে আটতলার একটি বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টা করছিল গৃহকর্মী রিয়াদ (১২)। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় গত রবিবার দুপুরের এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্যামলী কাজমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশু গৃহকর্মী রিয়াদ আটতলার বাসার গ্রিল কেটে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী সাইদুল ইসলাম জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ছেলেটির শরীরে মারধরের অসংখ্য দাগ আছে। হাতে কয়েকটি কামড়ের দাগও আছে। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী শ্যামলীকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেটি আমাদের জানিয়েছে, তাকে মারধর করা হতো। তাই সে গ্রিল কেটে বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।।

 

পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত: বখাটের দণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকুন্দিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের দায়ে ইয়াছিন (১৯) নামে এক বখাটেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকেলে এ কারাদণ্ডাদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন উপজেলার নামালক্ষীয়া গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে। জানা যায়, উপজেলার লক্ষীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নামালক্ষীয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের বখাটে ইয়াছিন। এনিয়ে দরবার শালিসও হয়। এতে বখাটে ইয়াছিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাকেও হুমকি-ধামকি দেয়। ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বখাটে ইয়াছিন। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও বখাটে ইয়াছিনকে আটক করে।
সিরাজগঞ্জে একদিনে চার ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিরাজগঞ্জে একদিনে চার ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়েগুলো বন্ধ করা হয়। প্রথমে বিকেল ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জ ছোনগাছা ইউনিয়নের টুকরা ছোনগাছা গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন আঁখি (১৬), সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর এলাকার কোবদাসপাড়া মহল্লার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী হাসি খাতুন (১৬), রাত ৮টার দিকে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের শৈলাবাড়ি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আয়শা খাতুন (১৩) ও রাত ১০টার দিকে রতনকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম গজারিয়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী আমিনা খাতুনের (১৪) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
এদের বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।

 

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে ইউএনওর দ্বারস্থ ছাত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গলাচিপায় নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করে অনন্য নজির স্থাপন করল ওই ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম ওই ছাত্রীর বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস ও দাদা ইউসুফ বিশ্বাসকে আগামী ২ অক্টোবর তার আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এদিকে দাদা ইউসুফ বিশ্বাস লোকজন নিয়ে স্কুল এলাকায় অবস্থান করেন। সুমাইয়া এলেই তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাবে। এ আশঙ্কায় ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকালে ভগ্নিপতি নাজমুলসহ দু’জন সুমাইয়াকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
বাল্যবিয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল বরসহ ৯ জনের জরিমানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লালমনিরহাটে শনিবার রাতে বাল্য বিয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্য বর ও তার মাসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক ৯ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বর পক্ষকে ২ লাখ ২০ হাজার ও কনে পক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মৃগেন্দ্রনাথ সরকার এ কথা জানান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়।
লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মৃগেন্দ্রনাথ সরকার জানান, আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চওড়াটারি এলাকার পুলিশ সদস্য সুজন দুলালের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল (বর) মুন্না বাবু সিয়ামকে (২৫) ১ লাখ ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে (৪৫) ৫০ হাজার টাকা, সারপুকুর এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে মোবারক হোসেনকে (৪৩), একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে জোনাব আলী (৪৮), একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি জামুরটারি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৫৫), দলিদার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৮), একই এলাকার আদিতমারী এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৩০), মৃত. আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮) ও আসাদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মোসলেম উদ্দিনসহ (৫৫) প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা।

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

 ভালো পুলিশ, মন্দ পুলিশ তালিকা করবে ডিএমপি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত প্রায় ২৭ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মাদক বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িত তাদের শুরু হয়েছে হৃদকম্পন। ডিএমপির ভাল পুলিশ ও মন্দ পুলিশের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করার পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে ডিএমপির থানা পুলিশের কার্যক্রম। রাজধানীর ৫০ থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি হয়রানিমূলক কার্যক্রমের পরিবর্তে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী কার্যক্রমের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। জনকণ্ঠ
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি’র ৫০ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ও ডিসিগণের প্রতি পুলিশকে গণমুখী, জনবান্ধব ও সেবাধর্মী করার নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার বা পুলিশের সেবা পেতে কোন আর্থিক লেনদেন হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ যেন পুলিশ ভীতি থেকে বের হয়ে যাতে আসতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গীবাদ, মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ও সৎ-সজ্জন বলে পরিচিত নতুন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রয়োজনে ওসির চেয়ারে বসে ওসিগিরি করব। নতুন পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা ও ভাল আচরণ নিশ্চিত করার এমন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারির পর রাজধানীর ৫০ থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট জোন ডিসিগণের প্রতি নির্দেশনা দেন নতুন পুলিশ কমিশনার। নতুন পুলিশ কমিশনারের কঠোর হুঁশিয়ারির পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে।

 

খুলনায় ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার অভ্যন্তরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ২৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’এ মামলাটি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার অভিযোগের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান আরজিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর সকালে জিআরপি থানার ওসি উছমান গনিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ অভিযোগের শুনানি হয়। শুনানি শেষে জিআরপি থানা এ আদালতের বিচারভুক্ত গেজেটে না থাকায় অভিযোগটি নিয়ে ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বিচারক অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠান।
পুনরায় ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ গেলে আদালতে শুনানি শেষে মামলার আর্জি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২ আগস্ট রাতে ওই নারীকে জিআরপি (রেলওয়ে) থানার মধ্যে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ধর্ষণ ও মারধর করে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায় বলে ওই নারী আদালতে অভিযোগ করেন। ৩ আগস্ট আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ফাঁসালে পুলিশের স্থান হবে হাজত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিরীহ ব্যক্তির পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেন, সেই পুলিশের স্থান থানার চেয়ারে নয়, তার স্থান হবে থানার হাজতে।
১৩ মার্চ বিকেলে নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আয়োজিত ই-ট্রাফিক পুলিশিং এবং মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদককে দেশের অন্যতম সমস্যা উল্লেখ করে এআইজিপি বলেন, মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরও দায়িত্ব আছে।
মোখলেসুর রহমান আরো বলেন, আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জীব নই। আমরা ইচ্ছা করলেই সমস্ত কিছু করতে পারি না। সবার সহযোগিতা যদি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই কাঙ্খিত শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিণত করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা জনবান্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব পুলিশ হতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যরা সাধারণ মানুষের, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত, অবহেলিত ও গরিব মানুষের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা যেন কায়েম করে। তবে এজন্য অবশ্যই আমাদের সমাজের মানুষেরও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে জেলা পুলিশের ই-ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তাৎক্ষণিকভাবে একটি মোটরসাইকেলকে ই-ট্রাফিকিং-এর আওতায় এনে চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তিনি বলেন, ই-ট্রাফিক পুলিশিং মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।

 

"এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন জনগণ"


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গঠন করা হযে ছে ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’। সেলটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এছাঢ়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫-৩৬ এই দুই নম্বরে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করতে পারবেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) এর সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সেলটি পরিচালিত হচ্ছে ।
পুলিশ সদস্যের অপেশাদার আচারণ ও কর্মকাণ্ডের অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শাস্তির আওতায আনতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয ার্টার্সে ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’ চালু করা হয়েছে। নেয়া হচ্ছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে এ কমপ্লেইন সেলের মাধ্যমে অনেক অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কমপ্লেইন সেল দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে।
পুলিশের অপেশাদার কর্মকাণ্ডের জন্যে ভূক্তভোগীরা কোথায় গিয়ে অভিযোগ করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন। অনেক সময বিভিন্ন কারণে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। তবে এ কমপ্লেইন সেল চালু হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে এবং অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছেন। জনসাধারণ পুলিশ সদস্যের যে কোনও অপেশাদার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরাসরি, কুরিয়ার সার্ভিস ও ডাকযোগে অথবা
০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫, ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬ মোবাইল নম্বরে এবং পড়সঢ়ষধরহ@ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ ই-মেইলে এ সেলে অভিযোগ করতে পারবেন।
 

 

 

তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ছয়জনের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন এবং সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর দুই আদালত এ রায় দেয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
কুষ্টিয়া : চাঞ্চল্যকর কিশোর লালচাঁদ হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশসহ প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপার গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সজীব। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলো রানার সহোদর সোহেল আহম্মেদ ওরফে সোহেল, চৌড়হাস কলোনির বাসিন্দা কাইয়ুম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে হেলপার সোহেল, নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন ওরফে লম্বা শাহিন, মঞ্জিল হোসেনের ছেলে জনি, আমিরুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে রিপন ওরফে মেঘা ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমিন।
মামলার সূত্রমতে, ২০১১ সালের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এজাহারকারী নুর ইসলামের ছেলে লালচাঁদকে (১১) আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথমে লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে পরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
সাতক্ষীরা : স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী বিজন মলকে (৪৭) দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বিজন মন্ডল আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে বিজন তার স্ত্রী কঙ্কাবতী মন্ডলকে (৪০) প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে। পরে রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহ বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে আমগাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তিনি হত্যার শিকার হন।


শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে শেরপুরে মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামির অনুপস্থিতিতে ১৭ জুন ২০১৯ বিকেলে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃা আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
রায়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য ধর্ষক মিলনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত মিলন জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামে হতদরিদ্র কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার মাস ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে মিলন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষককে বিয়ের জন্য বলা হলে তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


চিরতার জাদুকরী যত গুণ

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
চিরতা বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইউনানি চিকিৎসা অনুযায়ী, চিরতা হৃৎপিন্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতিবর্ধক ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। হাঁপানিতে এটি ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ডায়রিয়া নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মোতাবেক, চিরতা স্নিগ্ধকারক, হজমকারক, চক্ষুরোগনাশক ও লিভার রোগ উপশমকারী। অন্যান্য ঔষধি উপদানের সঙ্গে নানা প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত চিরতার রসে ইনফ্লুয়েঞ্জা, শোথ রোগ, রক্তপিত্ত, নবপ্রসূতার স্তন্য শোধন, গর্ভাবস্থায় বমি বন্ধ, প্রচণ্ড বমি আটকাতে, কৃমির উপদ্রব কমাতে দারুণ কাজ করে।
ডায়াবেটিস যে ধরনেরই হোক না কেন, ৫০০ মিলিগ্রাম চিরতা চূর্ণ ও ২ গ্রাম ছোট গো চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল পানিসহ দুবার পান করলে এ রোগ প্রশমিত হবে। পচা ঘা সারাতেও চিরতা উপকারী। চুল পড়া রোধে ২-৩ গ্রাম চিরতা ১ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই পানি ছেঁকে মাথা ধুলে চুল পড়া কমে যাবে। তবে ১ দিন পর পর ৩-৪ দিন ধুতে হবে। এ ছাড়াও ২৫ গ্রাম চিরতা ফুল ২০০ গ্রাম নারিকেল তেলে ভেজে নিয়ে ওই তেল মাথায় ব্যবহার করলে খুশকিসহ মাথায় ফুসকুড়ি ওঠা বন্ধ হয়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে স্বীকৃত জৈবিক কার্যকারিতায় চিরতা উপকারী ভূমিকা রাখে প্রদাহনাশকতায়, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা প্রতিরোধে, কোমলতা আনয়নে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, রেচনে, পেটব্যথায়, টনিক হিসেবে, হৃৎকার্য নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কারে, হাইপোগাইসেমিক কার্যকারিতার জন্য চিরতার কার্যকর।



থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
থাইরয়েড হরমোন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকা গ্রন্থির নাম থাইরয়েড। এদের কাজ শরীরের উপকারের জন্য এই হরমোন তৈরি করা। সুস্থতার জন্য এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। মেয়েদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব জরুরি একটি উপাদান হলো প্রোটিন। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। পনির, ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিকমতো কাজ করবে। আয়োডিনযুক্ত খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কার্যকরী। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করে রান্না করা যেতে পারে। এ ছাড়া গাজর, কলা, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, স্ট্রবেরি, শাকপাতা আর মৌসুমি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারলে ভালো। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। সাঁতার বা সাইকেল চালানো থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
অনেকেই কাজের চাপে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমোতে যান। যদি দিনেও প্রয়োজনীয় ঘুম হয়, সে ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি নেই। তবে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।


ঘুমের ওষুধের ক্ষতিকর দিক


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সাধারণত রোগীদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে চিকিত্সকরা ঘুমের ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা কিংবা কোনো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসক ঘুমের ওষুধ দেন। কিন্তু নিয়মিত ঘুমের উদ্দেশ্যে এই ওষুধ সেবন ধীরে ধীরে এই ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ হতে পারে। বেশিদিন ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করলে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। ঘুমের ওষুধ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে হ্যালুশিনেশন এবং বিভ্রান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়লে পানি পিপাসা কমিয়ে দেয়। এতে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং কিডনিতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ সেবন সূক্ষ্ম বিবেচনা শক্তিকে হ্রাস করে, কাজের প্রতি অনাসক্তি তৈরি করে। যারা ঘুমের ওষুধ নিয়মিত সেবন করেন তারা জানেন, এটা শরীরের ক্ষতি করে। কিন্তু ঘুমের ওষুধ কতটুকু ক্ষতি করে এটা অনেকেই জানেন না, তবে প্রয়োজন ছাড়া শুধু নিয়মিত ভালো ঘুম হবার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন ক্ষতিকর। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।


বাংলাদেশে তরুণদের হৃদরোগ হওয়ার কারণ জানালেন

ডা. দেবী শেঠি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার দিনদিন বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন জরিপ এমনটাই জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিজ্ঞতার আলোকে নিজের মত জানালেন, ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী প্রসাদ শেঠি।
তিনি জানালেন ঠিক কি কারণে এই উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে মানুষের তরুণ বয়সে হৃদরোগ হয়।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগ হওয়ার প্রধান কারণ জিনগত।
গত ১৫ জুন চট্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল উদ্বোধনে অংশ নেন দেবী শেঠি। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য দেয়ার সময়ই এ তথ্য দেন দেবী শেঠি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে মানুষের বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে অর্থাৎ অবসরকালীন সময়ে হৃদরোগ হয়। এ সময় তারা কাজ করেন না আর ভোজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশে মানুষদের তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ জিনগত। এখানকার মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভাস, ধূমপান, ডায়াবেটিস হৃদরোগের জন্য দায়ী।’
ভারত ও বাংলাদেশে হৃদরোগীর পরিমান বৃদ্ধির বিষয়ে দেবী শেঠি বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ রোগ হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যায়। এর আগে যায় না।শরীরের চেকআপ করায় না।তাদের মতে, সুস্থ থাকার সময় কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন!
কিন্তু এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয় জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুস্থ থাকার সময়ও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সবকিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটা সুস্থ রয়েছি আমি।’
ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের এই প্রতিষ্ঠাতা জানান, ভারত ও বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসা ধরণ অনেকটা একইরকম।
দুই দেশের সংস্কৃতি, পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাস একই রকম বলেই চিকিৎসা পদ্ধতি একইরকম বলে মনে করেন তিনি।
চিকিৎসা ব্যবস্থা এক হলেও বাংলাদেশ থেকে কিছু হৃদরোগী ভারতে কেন যান সে প্রসঙ্গে দেবী শেঠি মনে করেন, ‘হৃদরোগের চিকিৎসায় ভারতে অনেকগুলো একই মানের হাসপাতাল রয়েছে। তাই মানুষ বিকল্প বেছে নিতে পারছে। বাংলাদেশে হয়তো এখনও সেভাবে বেশি বিকল্প তৈরি হয়নি।’
সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ইমপেরিয়াল হসপিটাল সঠিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার নতুন সংযোজন বলে মন্তব্য করেন ডা. দেবী শেঠি।
তিনি বলেন, ‘ভালো চিকিৎসার জন্য ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ইমপেরিয়াল হাসপাতালে নারায়ণ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ দল কাজ করবে। মাঝেমধ্যে আমিও আসব। আশা করি, এখানকার মানুষ আধুনিক চিকিৎসা পাবে। বিদেশমুখী কমবে।’


পাইলস নিয়ে অপচিকিৎসা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মলদ্বারে যে রোগই হোক না কেন, সাধারণ মানুষ মনে করে পাইলস, অর্শ্ব অথবা গেজ। অনেকের ধারণা নেই যে, এ রোগের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়া সম্ভব। অনেকে আবার মলদ্বারে মরণব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে পাইলসের চিকিৎসার জন্য কবিরাজ, হেকিম কিংবা কোনো প্রতারকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাদের দেওয়া দাওয়াই মাসের পর মাস সেবন করেন। দেরি করার কারণে ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে কিছুই করার থাকে না। মলদ্বারের অন্য সমস্যা এসব কবিরাজ পাইলস ভেবে দাওয়াই দেয়। ফলে তা জটিল আকার ধারণ করে। এক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন, এসব রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত— ধারণা। চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
আমাদের সমাজে অসংখ্য রোগী, যারা মলদ্বারে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক সময় লজ্জাবশত বলেন না কিংবা অপচিকিৎসার শিকার হন; এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কখনও কখনও এমন পর্যায়ে উপস্থিত হন তখন আর অপারেশনের বিকল্প কিছু থাকে না। কিন্তু মানুষ যদি মলদ্বারের রোগ সম্পর্কে সচেতন হয় ও সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নেয় তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে বিনা অপারেশনে এর চিকিৎসা সম্ভব। মলদ্বারে যে সব উপসর্গ দেখা দেয়, তার মধ্যে উল্লেখ্য মলত্যাগের পর জ্বালাপোড়া করা, ব্যথা করা, মলত্যাগের পর রক্ত পড়া। কখনও ফোঁটা ফোঁটা অথবা ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়া, মলদ্বারের পাশে ছোট ছিদ্র হয়ে পুঁজ বা পানি পড়া, রক্ত মিশ্রিত আমাশয়, মলত্যাগের পর পূর্ণতা না আসা, কিছু মল থেকে যাওয়া, হঠাৎ রাতে মলদ্বারে ব্যথা কিংবা ব্যথার জন্য ঘুম ভেঙে যাওয়া, সম্পূর্ণ মলদ্বার বের হয়ে আসা, কিংবা মলদ্বারের এক পার্শ্বে মাংস বেড়ে যাওয়া অথবা পায়খানা করার সময় আঙ্গুরের মতো একখন্ড মাংস বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যে উপসর্গই থাকুক না কেন, সবাই পাইলস, ফিস্টুলা হয়েছে বলে মনে করেন। আসলে এটা সঠিক নয়। মলদ্বারে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়, যেমন অ্যানাল-অ্যাবসেস, রেকটাল প্রোলাপস, অ্যানাল ওয়ার্ট, প্রোকটালজিয়া-ফোগাস ইত্যাদি। রোগ ভেদে এর চিকিৎসার ধরনও বিভিন্ন।


সুস্থ জীবনের জন্য সুনিদ্রা

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যান্ত্রিক জীবনের অতিব্যস্ততায় পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় নেই অনেকের। অথবা হয়তো অনেকেই রাতের পর রাত ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের সামনে বসে পার করছেন। সকাল থেকে আবার পড়াশোনা বা অফিসের কাজ। ঘুমানোর অতো সময় কোথায়! কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম জীবনের জন্য, শরীরের জন্য, সুস্থতার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। রাতের নির্বিঘœ, গভীর ঘুম পরদিন মানুষকে চনমনে রাখে, দিন শুরু হয় নতুন শক্তিতে, নতুন উদ্দীপনায়। এসব আমরা জানি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এর পাশাপাশি ঘুমের আরো কিছু উপকারিতার কথা বলছেন, যেগুলো একটু অন্যরকম ও নতুন শোনালেও তা গবেষণা থেকেই পাওয়া।
গবেষকরা বলছেন, যারা কম ঘুমায়, তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেখা গেছে, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের দেহে ক্ষুধা উদ্রেককারী হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। এ নিঃসরণের পরিমাণ যারা ৮ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের চেয়ে ১৫% বেশি। একই সঙ্গে ক্ষুধা কমানোর হরমোনটিও কম নিঃসৃত হয়। বেশি ক্ষুধার কারণে এরা বেশি খায়, ফলে বেড়ে যায় তাদের বডি মাস ইনডেক্সও। তাই ‘স্লিম ফিগারে’র জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম।
পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক দল ব্যক্তিকে পিয়ানো বাজানো শিখিয়ে তাদের দুই গ্র“পে ভাগ করে দেন। এক গ্র“প শেখার পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ঘুমায়, অপর গ্র“প এই ১২ ঘণ্টা জেগে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায়, যারা ঘুমিয়েছিল তারা পিয়ানোতে সঠিক সুরটি তুলতে বেশি পারঙ্গমতা দেখিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেন, এ সময় অন্য কোনো তথ্য বা কাজ তাদের ব্রেনকে ব্যস্ত না রাখায় শেখা সুরটি স্মৃতিতে ভালোভাবে গেঁথেছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সুনিদ্রা প্রয়োজন। যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি, তখন দেহে ‘মেলাটোনিন’ হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ক্যান্সার-প্রতিরোধী এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। দেখা গেছে, যেসব মহিলা রাতে কাজ করেন, তাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৭০ গুণ বেশি। এ ছাড়া রাতের পর রাত জেগে থাকা মানুষের গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কারণ, গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পাকস্থলীর কোষকে রক্ষা করে যে রাসায়নিক পদার্থÑ তা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই বেশি নিঃসৃত হয়।
বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতেও ঘুমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাতের পর রাত নিদ্রাহীনতা বার্ধক্যজনিত রোগের তীব্রতা বাড়ায়। অপরদিকে গবেষকরা দেখেছেন, যারা রাতে গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমায়, তারা সাড়ে চার ঘণ্টার কম ঘুম যাদের, তাদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে।
অন্যদিকে, টিন এজারদের নিদ্রাহীনতা তাদের জীবন বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এরা অন্যদের চেয়ে বেশি বিষণœতায় ভোগে ও কম আত্মবিশ্বাসী হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, যারা ছোটবেলায় নিদ্রাহীনতায় ভোগে, তাদের বয়ঃসন্ধিকালে মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।
তাই জীবনকে অতি ব্যস্ততায় জড়িয়ে না ফেলে নিজের বিশ্রামের জন্য সময় বের করুন, পর্যাপ্ত সময় ঘুমান। যাপন করুন সুস্থ, নীরোগ, দীর্ঘ জীবন।


দূর করুন কাঁধের ব্যথা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাঁধে ব্যথা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যথা তীব্র হলে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে ছন্দপতন। অনেকে ব্যথার জন্য ঘাড়ের ওপরে হাতই তুলতে পারেন না। কাঁধ নাড়াতেও বেশ কষ্ট হয়। অসহ্য ব্যথায় অনেক সময় শরীরের পেশি শক্ত হয়ে ওঠে। সাধারণত যে কারণগুলোর জন্য কাঁধে ব্যথা হয় এবং ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে “ফ্রোজেন শোল্ডার” অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা। পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ ও ছেলেদের ১৮

মন্ত্রীসভায় আইন পাশ

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ রোধে প্রস্তাবিত এক আইনে সাজার মেয়াদ এবং জরিমানার পরিমাণ বেড়েছে, তবে একইসাথে কমেছে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স সীমা। ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত ঐ আইনে নারীর জন্যে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ এবং পুরুষদের জন্যে ২১ থেকে ১৮ করা হয়েছে।
তবে বয়স কমালেও বাল্যবিবাহের সাথে জড়িতদের শাস্তিও আরো কঠোর করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ কারাভোগের মেয়াদ তিনমাসের জায়গায় দুই বছর করা হয়েছে। জরিমানা বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করা হয়েছে।
বিয়ের জন্যে নারী ও পুরুষের এই বয়স কেন কমানো হচ্ছে- এই প্রশ্নে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় বিয়েজন্য এই উঁচু বয়স সীমা জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছিল।
তিনি বলেন, বিশেষ করে মেয়েদের এই আইনের প্রয়োগ কঠিন হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের অনেক দেশেও বিয়ের বৈধ বয়স ১৬। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে বাল্যবিবাহ যারা করবেন, সেই বিয়ে যারা পরিচালনা করবেন অথবা তা আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকবেন, তারা সবাই দণ্ডের আওতায় পড়বেন।
মন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, অভিভাবক, কাজি, মৌলভি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত যারাই বাল্য বিবাহের আয়োজনে জড়িত থাকবেন তারা সবাই আইনের আওতায় আসবেন। তিনি বলেন, বিয়ে ঠেকানো না গেলেও বাল্য বিবাহ অবৈধ বলে গণ্য করা হবে।
 

জিডি করুন ঘরে বসেই


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক\
কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কারণে অনিরাপদ মনে হলে বা অন্যান্য কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করতে হয়।জিডি করতে হলে থানায় গিয়ে আবেদন করতে হতো। কিন্তু এখন অনলাইনেই আবেদন করা যাবে জিডির। নাগরিক সুবিধাকে সহজ করতে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সহয়তায় সম্প্রতি অনলাইনে জিডি আবেদনের সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।আপাতত কেবলমাত্র কিছু হারানো বা নিখোঁজ হওয়া ও কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া বিষয়ক জিডি করা যাবে অনলাইনে। অনালাইনে আবেদনের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ ও একটি সচল মোবাইল নম্বর। তিনটি সহজ ধাপে সেরে ফেলা যাবে এই আবেদন। আবেদনটি কিভাবে করা যাবে চলুন দেখে নেয়া যাক তার বিস্তারিত। প্রথম ধাপ প্রথমে এই ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। স্মার্ট কার্ডের জন্য ১০ সংখ্যার নম্বর ও পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ১৭ সংখ্যার নম্বর ব্যবহার করতে হবে। ১৪ ডিজিটের এনআইডির ক্ষেত্রে প্রথমে জন্মসাল যোগ করতে হবে।

 

‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ পছন্দ করেন না হাইকোর্ট



বরগুনায় রিফাত শরীফকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার একেএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার মামলার সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
গত ২৬ জুন রিফাত খুনের পরদিন ২৭ জুন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ওইদিন আদালত ২টার মধ্যে ডিসি-এসপির (জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার) কার্যক্রম জানতে চান। ২টার মধ্যে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশনায় তখন আদালত বলেছিলেন, আসামিরা যেন সীমান্ত পার হতে না পারে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার মামলার অগ্রগতি জানাতে বলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, এই মামলার কোনো আসামি দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি। এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামি এবং সন্দেহভাজন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.