Cover
July 2019
English Part
July 2019
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন:
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতিত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে
তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভোররাতে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামি
দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণে এ আহ্বান
জানান তিনি। অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে
বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা
মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলার আহ্বানও জানান
শেখ হাসিনা, যাতে জোটের সদস্য দেশগুলো একে অন্যের জন্য
কাজ করতে পারে।
ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার
প্রধান এবং প্রতিনিধরা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।
৩১ মে রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের
স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে
স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের
শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার মহাসচিবের
বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া
ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয়
দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি
রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু
মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায ক পরিবেশ তৈরির
প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের
সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
জুন ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৬৪ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে।
জরিপে জুন ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত
হয় ১৬৪টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জুন ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৫টি। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত
বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৬৪
জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ২ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ১৯ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৫৩ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ২৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৩ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৬ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন।
গুপ্ত হত্যা ৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৩ জন, ধর্ষণের পর
হত্যা ৫ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ৩০১ জন, আত্মহত্যা ২১ জন।
জুন ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী-
ধর্ষণ ৮৪ জন, যৌন নির্যাতন ১৩ জন, যৌতুক নির্যাতন ৪ জন,
এসিড নিক্ষেপ ১ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
BHRC রাজশাহী
বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র রাজশাহী বিভাগীয়
মানবাধিকার সম্মেলন ২২ জুন ২০১৯ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায়
সরকারী কর্মচারী বোর্ড মিলনায়তন (রাজশাহী চিড়িয়াখানার
পাশে) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী
বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ আনওয়ার হোসেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র রাজশাহী বিভাগীয়
গভর্নর মোঃ আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী জেলা শাখার নির্বাহী
সভাপতি এড. কে. এম. ইলিয়াস।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC সদর
দপ্তরের গভর্নর সাইমুম রেজা পিয়াস, ঢাকা মহানগর গভর্নর
সিকান্দার আলী জাহিদ, গভর্নর শেখ আব্দুল্লাহ, সিনিয়র
ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, সিনিয়র ডেপুটি
গভর্নর আমিনুল হক বাবু, ডেপুটি গভর্নর এবং চট্টগ্রাম
মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ আহমেদ কিসলু, পাবনা
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. আব্দুর রহমান, বগুড়া আঞ্চলিক
সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় বিশেষ
প্রতিনিধি এড আবু মোত্তালেব বাদল, বিশেষ প্রতিনিধি
সৈয়দ আজমুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা,
উত্তর বঙ্গ বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুরুন নবী বুলু,।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC নওগাঁ
জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সরদার সালাউদ্দিন পিন্টু,
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. মোঃ ইউসুফ আলী
পিন্টু, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সফিউল আলম চৌধুরী
স্বপন, নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহফুজ আনাম মনি,
জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি নূরুল ইসলাম, পাবনা জেরা
শাখার নির্বাহী সভাপতি কে.এম. হাবিবুর রহমান, নাটোর
জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, চলনবিল
অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি কে.এম. বেলাল হোসেন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউর করিম রাখাল, পাবনা
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম খান রতন,
রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীনুল হক মুন,
নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ মোক্তার
হোসেন, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ চন্দন
কুমার দেব, জয়পুরহার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড.
মোঃ আরাফাত হোসেন মুন, বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক সোহেল মাহমুদ এবং চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার প্রমুখ।
সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী, নাটোর,
চাপাইনবাগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা অধীভুক্ত
সকল শাখার সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই
কমিশনারের সাথে BHRC ইংল্যান্ড উইমেন্স শাখার সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এর সাথে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, ইংল্যান্ড উইম্যান ব্রাঞ্চের একটি
প্রতিনিধিদলের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুন,
২০১৯ইং রোজ সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় মহামান্য হাইকমিশনার
মিস সাঈদা মুনা তাসনীম এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং বিভিন্ন
কর্মকান্ড এবং ভবিষ্যত কর্মসূচী নিয়ে অন্তরঙ্গ ও
ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ইংল্যান্ড উইম্যান
ব্রাঞ্চের সভাপতি মিসেস রুবি হক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের ইউ কে ব্রাঞ্চের সম্মানিত
সভাপতি জনাব আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ইংল্যান্ড উইম্যান
ব্রাঞ্চের কর্মকর্তাবৃন্দ যথাক্রমেঃ রচে আনচে, সিনিয়র
সহঃ সভাপতি, কাজী নাসিমা রৌজ, জয়েন্ট সেক্রেটারী, সখী
খাতুন, সহঃ সভাপতি, দীনা হোসেন, ‘ল’ এফেয়ার্স
সেক্রেটারী প্রমূখ।
মধ্যপ্রচ্যে শান্তির পথে বাধা ইসরাইল: ইইউ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবৈধ বসতি গড়ে
তোলার সম্প্রসারণবাদী নীতির নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয়
ইউনিয়ন। ২৮ জাতির এ সংস্থা বলেছে, ইসরাইলের এ দখলদার
নীতি মধ্যপ্রচ্যে শান্তির পথে প্রধান বাধা।
১ জুন ২০১৯ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইইউ বলেছে, পূর্ব
জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের এই অবৈধ বসতি
স্থাপন নীতির কঠোর বিরোধিতা করে ইউরোপের দেশগুলো।
ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ
এবং শান্তির পথে বাধা। খবর হারেৎসের।
দখলদার ইসরাইলের গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে নতুন
করে বায়তুল মুকাদ্দাস বা পূর্ব জেরুজালেম শহরে ৮০০ বাড়ি
নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেছে। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানালো।
ইইউ’র মুখপাত্র মাজা কোসিজানসিয়া ইইউ’র বিবৃতি পড়ে
শোনান। এতে বলা হয়- পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ ও
সম্প্রসারণবাদিতা কথিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে
ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব বায়তুল
মুকাদ্দাস দখল করে নেয়ার পর সেখানে ২৩০টির বেশি অবৈধ
বসতি গড়েছে ইসরাইল এবং এসব বসতিতে ছয় লাখের বেশি
ইহুদিবাদী বসবাস করে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে অস্থিতিশীল হবে এশিয়া:
রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে তা পুরো এশিয়াকে
অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদ।
শনিবার কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স
বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে
একথা বলেন তিনি।
তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে নাভরুজ প্যালেসে এ
সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এখন শুধু
বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা যদি সমাধান না করা হয়, তাহলে
পুরো এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত প্রায়
১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে যে
গণহত্যা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা
জাতিগত নির্মূলের একটি ‘টেক্সট বুক এক্সাম্পল’ এবং
ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর
২০১৭ সালের অগাস্ট থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে
এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তার আগে গত কয়েক দশকে এসেছে
আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের
ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করার পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে
প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনে
আস্থা না ফেরায় এবং তারা কেউ ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায়
সেই পরিকল্পনা অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যায়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের
নির্ভয়ে বসবাসের পরিবেশ তৈরি না করার মধ্য দিয়ে
প্রত্যাবসনে মিয়ানমারের অনাগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে BHRC সদর দপ্তরের ঈদ সামগ্রী
বিতরণি
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র সদর দপ্তরের পক্ষ
থেকে ৩ জুন ২০১৯ইং ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল নতুন শহরে
“পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটি” কার্যালয়ে ৬০টি
বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী যথাক্রমেঃ
নগদ অর্থসহ শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনিসহ বিভিন্ন
দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়। পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা
সোসাইটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম মোল্লার
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন BHRC’র সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান
বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন BHRC’র বিশেষ
প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। অনুষ্ঠানে পুর্বাচল
নতুন শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ যোগ
দেন।
সৌদিতে ৩৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের
মানবেতর জীবন
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের বাবতাইন কোম্পানির ৩৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক
মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব শ্রমিকরা ২০১৮ সালের
নভেম্বরে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি পাড়ি দিয়েছিলেন।
জানা যায়, ঢাকা রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং
এজেন্সির মাধ্যমে সৌদির ফাহাদ কোম্পানির চুক্তিতে সৌদি
ভিসা পেয়ে সৌদি আরব যান ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। ফাহাদ
কোম্পানিতে কাজ দেয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে বাবতাইন
কোম্পানিতে কাজ দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৭ মাস কাজ করলেও তাদের
কোন প্রকার বেতন ভাতা প্রদান করেনি বাবতাইন নামক এ
প্রতিষ্ঠান।
গত ১৩ জুন হঠাৎ করে বাবতাইন কোম্পানি থেকে তাদের বের
করে দেয়া হয়। সেখান থেকে তারা ঐ দিন রাতে রিয়াদের
বাংলাদেশ দূতাবাসে আসলে দূতাবাস বন্ধ থাকায় তারা ফিরে
এসে রিয়াদস্থ বাথা বাঙ্গালী মার্কেটের আল রাজি
বিল্ডিংয়ের নিচে মসজিদে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, তাদের একটি ঘরে রাখা হয় এবং কোম্পানিতে
কাজ না দিয়ে সাপ্লায়ার কোম্পানির মাধ্যমে অন্যত্র ৩
মাস কাজ করানো হয়। কাজের মুজুরি না দিয়েই তাদের পাঠিয়ে
দেওয়া হয়। মানবেতর জীবন যাপন থেকে বাঁচতে তারা দেশে
ফিরতে চান বলে জানান ভূক্তভোগী শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর
মেহেদী হাসান মুঠোফোনে বলেন, আমরা ব্যাপারটি জানতাম
না, এখন যখন জেনেছি তখন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা দিনে ‘তারা’ দেখতে পাই না কেন?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাতের আকাশে আমরা মিট মিটি করে জ্বলা তারা দেখতে পাই।
মহাকাশে এই তারার সংখ্যা কোটি কোটি। অথচ দিনের আলোয়
আমরা এসব তারা দেখতে পাই না। কিন্তু কেন?
দিনে সূর্যের প্রখর আলোর কারণেই মূলত আমরা তারা দেখতে
পাই না। আবার আকাশ পরিষ্কার না থাকলেও তারা দেখা যায়
না। বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা, গ্যাসীয় পদার্থ ও জলীয় বাষ্প
সূর্যের রশ্মিকে চারদিকে বিক্ষিপ্ত করে দেয়। এজন্যই
সমগ্র বায়ুমণ্ডলকে উজ্জ্বল দেখায়। সূর্যের আলোর তুলনায়
বহু দূরের ওই তারা থেকে আসা আলো অত্যন্ত ক্ষীণ।
দিনে ওই ক্ষীণ আলো কোনোভাবে আমাদের চোখে প্রভাব
বিস্তার করতে পারে না। এজন্য আমরা তারা দেখতে পাই না।
নিশ্চিত হোক মায়ের অধিকারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যেকোনো নারীর চিরন্তন পরিচয় ‘মা’ এবং মা পৃথিবীর সবচেয়ে
সুন্দরতম শব্দ। মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বংশানুক্রম ধারা
টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তায় মায়ের ওপরই। আর নারীর
পূর্ণতাও আসে মাতৃত্বে। একথা অনস্বীকার্য যে, একজন
মায়ের গর্ভকালীন সুস্থতাই পারে একটি সুন্দর ও সুস্থ
শিশু জন্ম দিতে। তাই নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি মায়ের
অধিকার। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশে মাতৃত্ব আসলে
কতটুকু নিরাপদ, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি
পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ২১
কোটি নারী গর্ভবতী হয়, এর দুই কোটিরও বেশি গর্ভজনিত
স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন এবং আশি লাখের জীবনাশঙ্কা দেখা
দেয়। এখনো আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখ জীবিত জন্মে ১৭২ জন
নবজাতকের মৃত্যু ঘটছে। প্রসবকেন্দ্রিক মোট মাতৃমৃত্যুর
৭৩ শতাংশ ঘটছে প্রসব পরবর্তী সময়ে। আর প্রথম ২৪
ঘণ্টাতেই মারা যায় মোট মাতৃমৃত্যুর ৫৬ শতাংশ। দেশে
গর্ভপাতও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এখনো বাড়িতে প্রসব
হচ্ছে ৫৩ শতাংশ প্রসূতির, প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১৫ জন
প্রসূতি। গরিব, অসচ্ছল জনগণের মধ্যে জটিলতায় ভোগার
আশঙ্কা বেশি। মূলত গর্ভকালীন জটিলতা, দক্ষ
স্বাস্থ্যসেবার অভাব, প্রয়োজনীয় যতœ ও পুষ্টির অভাব,
পরিবারের অসচেতনতা, প্রসব পরবর্তী সেবাযতেœর অপ্রতুলতা
ইত্যাদি একজন মাকে ঠেলে দিচ্ছে সীমাহীন অনিশ্চয়তা,
দুর্ভোগ আর কষ্টের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে গর্ভজাত
সন্তানটিও পড়ছে ঝুঁকির মধ্যে।
প্রতিবছর ২৮ মে বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক নারী
স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ১৯৮৭ সাল থেকে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব
দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। মাতৃ স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব
ও এর কার্যকারিতা অনুধাবন করে ১৯৯৭ সাল থেকে
বাংলাদেশেও যথাযথভাবে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসেবে পালন
করা শুরু হয়। প্রতিবারই একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে
যেমন, ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা
একান্ত দরকার’, ‘প্রতিটি জন্মই হোক পরিকল্পিত, প্রতিটি
প্রসব হোক নিরাপদ’, ‘নিরাপদ প্রসব চাই,
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলো যাই’, ‘সকল প্রসূতির জন্য
মানসম্মত সেবা আমাদের অঙ্গীকার’ ইত্যাদি। এবারের
প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে প্রসূতি সেবায় অঙ্গীকার।’ মা ও শিশুমৃত্যু
রোধ এবং তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার বিষয়ে
সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি এসব সমস্যা প্রতিরোধসহ
মাতৃস্বাস্থ্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য
সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি সম্পর্কে মা, পরিবার ও সমাজের
সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সকলের প্রতিশ্র“তি
নিশ্চিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। শিশুর জন্মদান ও
মাতৃত্ব সম্পর্কিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা ও এগুলোর
সুষ্ঠু সমাধানের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা এই দিবসটির
অন্যতম।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালি অধ্যায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ভারতের হাইকমিশনার রিভা
গাঙ্গুলি দাশ।
ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ভারত ও
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের আন্তরিকতায় দুই দেশের
সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে এসেছে। এটিকে আমরা সোনালি অধ্যায়
বলি।
১৭ জুন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব
কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্রমে
বাড়ছে। এদেশে ভারতের অনেক শিল্পকারখানা আছে। তারা এদেশে
অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। মোংলা ও মিরসরাই ইকোনমিক জোনে
ভারতের জোন থাকবে।
মাস্টারদা সূর্য সেনসহ অনেক কারণে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য
সুপ্রাচীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাষা, কৃষ্টি, ম্যান
টু ম্যান যোগাযোগ ইত্যাদি দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করছে।
পারস্পরিক সর্ম্পক এবং উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে
উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ২০১৮-১৯ সালে প্রায় ১০
বিলিয়ন ডলার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মধ্যে বাংলাদেশের
রফতানি ১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে
তৈরিপোশাক রফতানি বেড়েছে। হিরো, টাটার মতো ভারতের অনেক
বিখ্যাত কোম্পানি ৫৭০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি বিনিয়োগ করেছে।
উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি
বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস পরিবর্তিত
হলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি বৃদ্ধির
ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধাগুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে
দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু
কনফারেন্স হলে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,
একাত্তরে যখন এদেশে পাকিস্তানিরা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল তখন অকৃত্রিম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল ভারত।
আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।
ভারত-বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতি কমানোর
উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেভেন সিস্টার
রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে সড়ক, নৌ,
রেলপথের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার
উন্নয়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশের
অর্থনীতি। ৯৮ শতাংশ কনটেইনার এ বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়।
চেম্বার সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১০০ ইকোনমিক
জোন করছে। মিরসরাইয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। যেখানে
ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ভারতের
ব্যবসায়ীরা এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পারবেন।
আশাকরি তারা লাভবান হবেন।
সভায় বক্তব্য দেন সিসিসিআই সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য
ব্যানার্জি, সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ,
দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী,
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলম,
জাপানের অনারারি কনসাল মো. নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আলী
আশরাফ, চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, সৈয়দ
ছগীর আহমদ, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাবেক পরিচালক
মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু
তৈয়ব, আলী হোসেন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উইম্যান
চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ।
ব্যবসায়ী নেতারা ভারত বাংলাদেশের নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার,
ট্রানজিট কার্গো মুভমেন্ট, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো,
মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগসহ
বিভিন্ন বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জুলাই থেকে ১০ বছরের জন্য ই-পাসপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জুলাই মাসের শুরুতে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করবে
বাংলাদেশ। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পর নতুন প্রযুক্তির
পাসপোটের অধিকারী হবে বাংলাদেশের নাগরিকরা। ১ জুলাই
থেকে নবায়ন বা নতুন পাসপোর্ট যারা করতে যাবেন তাদের ই-পাসপোর্ট
দেওয়া হবে। তিন ধরনের ফি রাখা হবে ই-পাসপোর্টে। পাঁচ
বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
আর ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি
নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা। যাদের
বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট
দেওয়া হবে। আর ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরা পাবেন ১০
বছর মেয়াদি পাসপোর্ট। এত দিন যন্ত্রে পাঠযোগ্য
পাসপোর্ট বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ব্যবহার করত
বাংলাদেশি নাগরিকরা। আগামী ১ জুলাই থেকে আরও আধুনিক যে
ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে তার ডাটা থাকবে পৃথিবীর
অন্যান্য দেশের ডাটাবেজেও। ই-পাসপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ
২০১৭ সালে নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা কার্যকর সম্ভব
হয়ে ওঠেনি। কয়েক দফা পেছানোর পর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
করে ১ জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯
কোটি টাকা।
জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি
হয়েছে অনেক আগেই। পৃথিবীতে ১১৯টি দেশে ই-পাসপোর্ট
ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশও সেই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে
যাচ্ছে। ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশের জন্য শুরুতে জার্মানি
থেকে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করে এনে তা সরবরাহ করা
হবে। পরে দেশেই তা প্রিন্ট করা হবে, এজন্য উত্তরায়
কারখানা স্থাপন করা হবে। বর্তমান বই আকারের যে
পাসপোর্ট রয়েছে ই-পাসপোর্টে একই ধরনের বই থাকলেও তাতে
বর্তমানের মতো শুরুতে ব্যক্তির পরিচয়সংবলিত যে দুটি
পাতা আছে তা থাকবে না। তার বদলে থাকবে পলিমারের তৈরি
একটি কার্ড। সেই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ, তাতে
পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-পাসপোর্ট হবে
অনেক বেশি নিরাপদ। এ পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা
ফিচার থাকবে। আরএমপি ডাটাবেজের সব তথ্য তাতে
স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের
তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রসর পথের যাত্রী হতে সাহায্য করবে-
আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।
ফ্রান্সে
সৌদি রাজকন্যার বিচার শুরু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বোন হাসা বিনতে
সালমানকে আগামী ৯ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের
একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। একজন শ্রমিককে
হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করায় দেহরক্ষীকে
দিয়ে একজন শ্রমিককে প্রহার ও পায়ে চুমু দেয়ানোর অভিযোগ
আনা হয়েছে হাসা বিনতে সালমানের বিরুদ্ধে। আগামী ৯
জুলাই প্যারিসের একটি আদালতে এ বিষয়ে তার বিচার শুরু
হবে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হাসা বিনতে সালমান তার বাসায়
সংস্কার কাজের জন্য একজন শ্রমিক নিয়োগ করেন। কিন্তু ওই
শ্রমিক হাসার একটি ছবি তুলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তা
বিক্রি করতে চান। এতে ক্ষুব্ধ হন বাদশাহ সালমান কন্যা।
দেহরক্ষীর মাধ্যমে ওই শ্রমিককে নির্যাতন করেন তিনি।
বেধড়ক মারধরের পর তাকে হাসার পায়ে চুম্বন করতে বাধ্য
করা হয়।
নির্যাতনে ওই শ্রমিক মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ ঘটনায়
দেহরক্ষীকে মূল অভিযুক্ত করা হলেও হাসা বিনতে সালমানকে
নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রমিক
নির্যাতনের মামলায় ২০১৮ সালের মার্চে ফ্রান্সের আদালত
তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালতে হাজির
করার নির্দেশ দিয়েছিল। আগামী ৯ জুলাই থেকে নতুন করে এ
মামলার শুনানি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের কন্যা
হাসা বিনতে সালমান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে
জড়িত। নারীদের অধিকার বিষয়েও কাজ করেন তিনি।
মিসরের
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ১৭ জুন
২০১৯ আদালতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আদালতে মুরসির
বিচার চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই তাঁর
মৃত্যু হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই তথ্য জানিয়েছে।
৬৬ বছর বয়সী মুরসি ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনিজনিত
সমস্যায় ভুগছিলেন।
মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে
প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের মুরসি। কিন্তু ২০১৩
সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে
মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন
মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
২০১৩ সালে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুডকে
নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার
করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া
হয়। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে
কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার
করেছেন।
২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর
২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী
সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ
নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়েছে
ওআইসি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা
চালানোর ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত
দেশটিকে দ্রুত রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
মক্কায় অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে বক্তারা বলেন,
মিয়ানমারের উচিৎ তার অধিবাসীদের সুরক্ষা দেয়া। কিন্তু
দেশটি তার উল্টো কাজ করছে। খবর রয়টার্সের।
রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর হত্যা ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে,
যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চায়
বাংলাদেশ। সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে
আবদুল মোমেন এ সহায়তা চান।
সৌদি আরবের জেদ্দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ৩০ মে
বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ওআইসির ১৪তম
শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে ওই বৈঠক হয়।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোর
করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে
বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এই সংকট সমাধানে ওআইসি
দেশগুলোর সহায়তা চান তিনি।
মিয়ানমারে
কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারে গত দশকজুড়ে নিজেদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নয়
জাতিসংঘ। সমপ্রতি আন্তর্জাতিক সংগঠনটি নিজেদের এক
প্রতিবেদনে মিয়ানমারে তাদের শাখা সংগঠনগুলোর
কার্যক্রমের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, গত
এক দশক ধরে দেশটিতে প্রায় ক্রিয়াহীন ভূমিকা পালন করেছে
জাতিসংঘ। সেখানে সংগঠনটির পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ভেঙে পড়েছে এর ব্যবস্থাপনা। এ খবর দিয়েছে দ্য
গার্ডিয়ান।
জাতসংঘের মহাপরিচালক অ্যান্তনিও গুতেরা অনুমোদিত
প্রতিবেদনটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশের আগেই হাতে পায়
দ্য গার্ডিয়ান। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, মিয়ানমারে
রোহিঙ্গা সমপ্রদায়ের প্রতি সরকারের সহিংসতা বৃদ্ধির
লক্ষণ অগ্রাহ্য করে সেটিকে গণহত্যায় রূপ দিয়েছে
জাতিসংঘ। এটি লিখেছেন গুয়াতেমালার সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রজেনথাল।
তিনি লিখেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘ নানাদিক থেকে ব্যর্থ
হয়েছে। এর মধ্যে, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব,
মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ‘বিশ্বাসের সংস্কৃতি’ স্থাপন
এবং সেখান থেকে মিশ্র ও অসমপূর্ণ ইঙ্গিত পাঠানোসহ নানা
কারণ রয়েছে। প্রতিবেদনটি চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করার কথা
রয়েছে। রজেনথাল লিখেছেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার বদলে,
খাপছাড়া কৌশল অবলম্বন করায় প্রশ্নাতীতভাবেই জাতিসংঘের
কিছু গুরুতর ভুল হয়েছে ও কিছু সুযোগ নষ্ট হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘের দায়িত্ব ছিল সমষ্টিগত।
অন্যকথায়, এটাকে সত্যিকার অর্থে বর্ণনা করা যায়
জাতিসংঘের একটি পদ্ধতিগত ব্যর্থতা হিসেবে। উল্লেখ্য,
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা গোষ্ঠীদের ওপর সামরিক অভিযানের নামে
হামলা চালায়। এই হামলাকে জাতিসংঘ জাতি নিধন বলে
আখ্যায়িত করে। হামলায় হত্যা করা হয় হাজার হাজার মানুষকে,
ধর্ষণ করা হয় নারী ও কিশোরীদের, পুড়িয়ে দেয়া হয়
গ্রামের পর গ্রাম। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে
লাখ লাখ রোহিঙ্গা। রজেনথাল তার প্রতিবেদনে জানান,
মিয়ানমারে জাতিসংঘের একাধিক শাখা সংগঠন ও কর্মকর্তাদের
মধ্যে কৌশলগত সমন্বয়ের অভাব তাদের ব্যর্থতাকে
ত্বরান্বিত করেছে। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সংগঠনটির
একেবারে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত কোনো একক কৌশল বিদ্যমান
ছিল না। ফলস্বরূপ জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা মিয়ানমার
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার
কাজ করতে অক্ষম ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন মোড় নিয়েছে যেখানে
জাতিসংঘে কর্মকর্তারা একেকজন একেক অবস্থানে ছিলেন। কেউ
হয়তো গঠনমূলক অংশগ্রহণ চেয়েছে, আর কেউ চেয়েছে দৃঢ়
সমর্থন প্রদানের ভূমিকা। খুব সম্ভবত সাবেক মহাপরিচালক
বান কি মুন এই দুপক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠায়
ব্যর্থ হয়েছিলেন। রজেনথাল জানান, তিনি এরকম সন্দেহ
প্রমাণের জন্য আলাদা করে কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করেননি।
তবে তার প্রতিবেদনে, মিয়ানমারে জাতিসংঘের সাবেক
সমন্বয়কারী রেনাতা লক-দেসালিয়েনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
তোলা হয়। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি রোহিঙ্গাদের প্রতি
ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নির্যাতনের আকার কমিয়ে প্রচার
করেছেন। রজেনথালের প্রতিবেদনে বলা হয়, লক-দেসালিয়েনকে
নিয়োগ দেয়া হয়েছিল একটি উন্নয়নমূলক এজেন্ডা
বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে।
দুধের শিশু আটকের চার মাস পর ফিরল মায়ের কোলে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র চার বয়সেই বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিশু
কনস্তানতিন। শেষ পর্যন্ত মায়ের কোলে ফিরেছে আট মাসে।
তবে মাকে চিনতেই পারেনি সে। এখন তার বয়স দেড় বছর। তবু,
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি রোমানিয়ান শিশুটি।
অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সবচেয়ে কম বয়সী 'শিকার'
কনস্তানতিন। মাত্র চার মাস বয়সে আলাদা হয়ে গিয়েছিল
বাবা-মায়ের থেকে। মার্কিন সীমান্তে পরিবারের কাছ থেকে
দুধের শিশুটিকে কেড়ে নিয়েছিলেন অভিবাসন কর্মীরা।
এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ট্রাম্প সে
নীতি থেকে সরে আসেন।
সম্প্রতি একটি মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে উঠে
এসেছে কনস্তানতিনের কথা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রোমানিয়া থেকে মার্কিন
সীমান্তে এসেছিল মুটু পরিবার। শিশুটির বাবা ভাসিলে ও
মা ফ্লোরেনটিনা সংখ্যালঘু রোমা সম্প্রদায়ের মানুষ।
দীর্ঘদিনের দাসত্ব, হিংসা, অভাব, বৈষম্যের হাত থেকে
মুক্তি পেতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবে
পরিবারটি। বাড়িঘর বিক্রি করে মেক্সিকোর উদ্দেশে রওনা
হন তাঁরা।
মেক্সিকোয় পৌঁছানোর পর পাচারকারীরা মার্কিন সীমান্ত
পার করে দেওয়ার লোভ দেখায় তাঁদেরকেও। নতুন জীবন ও ভালো
থাকার ইচ্ছে উপেক্ষা করতে না-পেরে পাঁচ সন্তানের মধ্যে
সব চেয়ে ছোট দুটিকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ভাসিলে ও
ফ্লোরেনটিনা। কোলে-পিঠে যাচ্ছিল কনস্তানতিনও।
কিন্তু সীমান্তে যাওয়ার জন্য বাস ধরার পরই আলাদা হয়ে
যান ভাসিলে ও ফ্লোরেনটিনা। কনস্তানতিনকে নিয়ে সীমান্তে
পৌঁছে যান ভাসিলে। সেখানে পৌঁছাতেই কোনও ব্যাখ্যা
ছাড়াই শিশুটিকে কেডে নেয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। ভাসিলে
বলেন, 'ওরা আমাকে দুই মাস আটকে রেখেছিল। পুলিশ আমাকে
দিয়ে ঘর মোছাত। আমি কান্নাকাটি করতাম ছেলের জন্য। ওদের
বলেছিলাম আমি ইংরেজি বুঝতেও পারি না, বলতে পারি না।'
Top
বিরল
প্রকৃতির নীল লবস্টারট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের
ম্যাসাচুসেটসের এক রেস্তোঁরা কর্তৃপক্ষ বাক্সভর্তি
চিংড়ি কিনে আনেন রান্নার জন্য। বাক্স খুলতে অনেকগুলো
লবস্টারের ভিড়ে দেখা যায়, ঘন নীল রঙের একটি চিংড়ি।
দেখেই চমকে উঠেছিলেন রেস্তোঁরা মালিক নিকারসেন।
ভেবেছিলেন, চিংড়িটির পেটিতে ওরকম একটি প্রাণী এলো
কীভাবে? তারপর রেস্তোঁরার সব কর্মীরা দেখে বুঝতে পারেন,
ওটি আর কিছুই নয়। একটি লবস্টার, যার গায়ের রং নীল।
নিকারসেন চিংড়িটিকে রান্নাঘরে চালান না দিয়ে আলাদা রেখে
দেন। পরে রেস্তোরায় যাওয়া ক্রেতাদের সেটি দেখান। দেখে
তাজ্জব বনে যান সবাই। এই খবর পৌঁছায় প্রাণী
বিশেষজ্ঞদের কাছে। তাঁরা নিকারসেনের আরনল্ড লবস্টার
অ্যান্ড ক্লাম বারে গিয়ে নীল লবস্টারটি দেখেন ।
পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, এটি অত্যন্ত বিরল
প্রকৃতির এক সামুদ্রিক প্রাণী। জিনগত সমস্যার কারণে ২০
লক্ষ লবস্টারের মধ্যে মাত্র একটির রং এমন নীল হয়।
ঘটনাচক্রে ম্যাসাচুসেটসের ওই রেস্তোঁরায় কীভাবে যে এলো,
তা বুঝতে পারছেন না কেউই। রেস্তোঁরা মালিক নিকারসেন
বিরল সেই চিংড়ির ছবি তুলে নিজেই সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে পোস্ট করেন। জানান, নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। তা
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় পাতায়।
অনেকে চিংড়িটি দেখতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আর এসবের
জের ধরে নিকারসেন সিদ্ধান্ত নেন, নীল লবস্টারটিকে তিনি
একটি অ্যাকোরিয়ামে দেবেন। যাতে আরও বেশি মানুষ বিরল
সামুদ্রিক প্রাণীটিকে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পান।
Top
এবার ‘হালাল’ নাইটক্লাব খুলছে সৌদি আরব!
গত কয়েকবছর ধরেই রক্ষণশীল সৌদি আরবের সংস্কৃতিতে নানা
পরিবর্তন এসেছে। নিজেদের চিরচেনা খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে
তারা। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া, সিনেমা হল
নির্মাণ, মাঠে বসে নারীদের খেলা দেখার অনুমতিসহ অনেক
কিছুতেই পরিবর্তন এনেছে সৌদি।
এরই অংশ হিসেবে এবার জেদ্দায় ‘হালাল’ নাইটক্লাব খুলতে
যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এই কট্টরপন্থী দেশটি।
অ্যাডমাইন্ড হসপিটালিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুবাই ও বৈরুতের বিখ্যাত
ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইটের কার্যক্রম শুরু হতে
যাচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। এতে বিলাসবহুল ক্যাফে এবং
লাউঞ্জ থাকবে।
এই হালাল নাইটক্লাবে ওয়াটারফ্রন্ট থাকবে, এর সাথে থাকবে
বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা।
ইলেক্ট্রনিক ডান্স মিউজিক, কমার্সিয়াল মিউজিক, আরএনবি
এবং হিপহপ মিউজিক উপভোগ করা যাবে এখানে।
এই নাইটক্লাবের লাউঞ্জের একটি অংশে থাকবে ড্যান্স
ফ্লোর। নারী পুরুষ সবার জন্যে ড্যান্স এটা উন্মুক্ত
থাকবে। হোয়াইটের সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই এখানে পাওয়া
যাবে। তবে এই নাইটক্লাবে মদ পাওয়া যাবে না। কারণ সৌদিতে
মদ কেনাবেচা অবৈধ। কেউ যদি মদ কেনাবেচা করে তবে তাকে
শাস্তি পেতে হয়।
গত কয়েক মাসে নারীপুরুষের অংশগহণে বেশ কিছু ক্যাফেতে
পার্টির আয়োজন করা হয়। কিন্তু সৌদি সরকার লাইসেন্স না
দেয়ায় উদ্যোক্তারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি।
এমনকি গত বছর এ ধরনের একটি উচ্চস্বরের মিউজিক্যাল
পার্টির আয়োজন করায় একটি ক্যাফে বন্ধ করে দিয়েছে
কর্তৃপক্ষ।
তবে সৌদিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সঙ্গীতানুষ্ঠানের হিড়িক
পড়েছে। গত এক বছরে সৌদির বিভিন্ন শহরে মারিয়াহ ক্যারে,
ইনরিক, দ্য ব্ল্যাক আইড পিস, ডেভিড গুয়েতা, তিয়েসতো,
সিন পল এবং অ্যাকনের মতো বিশ্বের খ্যাতনামা শিল্পী ও
মিউজিক গ্র“পের পরিবেশনায় বেশ কিছু সঙ্গীতানুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স
নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স
১৯৭১ সালের ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত ন্যূনতম ১২ বছর ছয়
মাস নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত পরিপত্র অবৈধ
ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেননি আপিল
বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে আপাতত মুক্তিযোদ্ধাদের
বয়স নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রয়েছে বলে
জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল
বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। আগামী ২৩
জুলাই-এর শুনানি হবে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার
কোর্ট বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি
ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার ওমর
সাদাত। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
মাহবুবে আলম।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ মে, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর
পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ছয় মাস
নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত
পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, শুধু
বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর কোথাও মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সের
ফ্রেমে বাঁধা যায় না।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের
সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ-এ রায় ঘোষণা করেন। পরে ওই
রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে
২০১৮ সালের বিভিন্ন সময় একাধিক রিটের শুনানি নিয়ে
আদালত ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের
বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ছয় মাস নির্ধারণ করে
সংশোধিতপরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা
হবে না- এ মর্মে রুল জারি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা সচিব, যুগ্ম সচিব, বিদ্যুৎ
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব,
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের (জামুকা)
মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের
মহাপরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
২০১৬ সালে প্রথমে গেজেট প্রকাশ করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের
২৬ মার্চ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়স হতে হবে
১৩ বছর। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি পরিপত্রের মাধ্যমে সে
গেজেট সংশোধন করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যত
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস।
হিজাবকে অফিসিয়াল ইউনিফর্মের মর্যাদা
দিলো স্কটল্যান্ড পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিভিন্ন স্থানে যখন হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসছে,
তখন হিজাবকে সাদরে বরণ করে নিলো স্কটল্যান্ড। দেশটির
পুলিশ বাহিনীতে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য হিজাবকে
অফিসিয়াল ইউনিফর্মের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
এখন থেকে মুসলিম মহিলারা কর্তব্যরত অবস্থায় হিজাব
ব্যবহার করতে পারবে ইউনিফর্ম হিসেবে। এতে করে মুসলিম
নারীদের মধ্যে পুলিশে যোগদানের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে
করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
দোষী সাব্যস্ত হলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইসরাইলের একটি আদালত ২ জুন দেশটির প্রধানমন্ত্রী
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে সরকারি
তহবিল তছরুপের জন্যে দোষী সাব্যস্ত করেছে। খবর বার্তা
সংস্থা এএফপি’র।
সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে
অর্থ নিয়ে ব্যক্তিগত ডিনার পার্টিতে খরচ করেছেন। দায়
স্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে লঘু শাস্তিযোগ্য অভিযোগ আনা
হয়েছিল।
আদালত নেতানিয়াহুকে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
দিয়েছে। জেরুজালেমের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক
আভিতাল চেন এই রায় অনুমোদন করেন।
শিশুকে ধর্ষণ
করলেই ইনজেকশন দিয়ে নপুংসক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ষণ যেভাবে বাড়ছে তা মানুষের বিকারগ্রস্ততার প্রতি
ইঙ্গিত দেয়। তাই ভয়াবহ এই সামাজিক ব্যাধি রুখতে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রণীত হয়েছে নতুন একটি আইন। এখন থেকে
১৩ বছরের কম বয়সী কোনো কিশোরীকে ধর্ষণ করলে ইনজেকশন
প্রদানের মাধ্যমে ধর্ষকের যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হবে।
শিশু ধর্ষণ ঠেকাতে সম্প্রতি নতুন এ আইনটি পাস করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্য। আইন অনুযায়ী, কম
বয়সী শিশুর ধর্ষককে ইনজেকশন দিয়ে বা ওষুধের মাধ্যমে
নপুংসক করে দেওয়া হবে; যাতে সে আজীবনের জন্য যৌনক্ষমতা
হারায়। শিশুদের ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতেই এমন আইন
করেছে তারা। বলা হচ্ছে, যে ইনজেকশনের কথা বলা হচ্ছে তা
একবার দেওয়া হলে ধর্ষক দ্বিতীয়বার কারও সঙ্গে শারীরিক
সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য
অপরাধের শাস্তির ক্ষত তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
আইনে বলা হচ্ছে, অপরাধী যদি কারাবন্দী থাকে তবে তাকে
তখন এই ইনজেকশন দেওয়া হবে না। তবে প্যারোলে ছাড়া
পাওয়ার পর তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হবে। আর অপরাধী
যদি কোনো কারণে ইনজেকশন নিতে রাজি না হয়, তাহলে আজীবন
তাকে কারাগারে থাকতে হবে।
বিমানেও দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে কম ভাড়ায়!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুব সস্তায় উড়তে চাইলে কি এবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই
আকাশপথে ভ্রমণ করা যাবে? পেরোতে হবে সাতসমুদ্র?
বিমানেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েই যেতে হবে? কম ভাড়ায়
যাত্রীদের দাঁড়িয়ে বিমান ভ্রমণের সেই ব্যবস্থাই আসছে।
এমন সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছে জার্মানির হামবুর্গে
আয়োজিত একটি এক্সপোতে। বিমানের অন্দরসজ্জা প্রস্তুতকারী
বেশ কিছু কোম্পানি নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির
হয়েছিল হামবুর্গের সেই এক্সপোয়। সেখানেই একটি কোম্পানি
দেখিয়েছে বিমানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সিট। যার নাম দেয়া
হয়েছে, ‘স্কাইরাইডার ৩.০।’
তাদের দাবি, এটাই বিমানের নতুন ধরনের সিটের তৃতীয় ও
সর্বাধুনিক সংস্করণ। যারা ‘আল্ট্রা বেসিক ইকোনমি’ বা
খুব সস্তায় বিমান ভ্রমণ করতে চান, গায়ে লাগে না এমন
ভাড়া দিতে চান, বিমানে তাদের জন্য এবার চালু হতে পারে
এই নতুন ধরনের সিট।
যদিও সেই সিট নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে
সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকের অভিযোগ, ওই ধরনের সিটে বিমানে
যাত্রীদের জন্য কম জায়গা ছাড়তে হবে বলে আরও বেশি যাত্রী
পরিবহন করা যাবে। কেউ কেউ বলছেন, ‘এবার
জন্তু-জানোয়ারের মতো বিমানে যেতে হবে, সস্তায় আকাশে
উড়তে চাইলে।’ তবে এসব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন এই
ধরনের সিট প্রস্তুতকারী সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যাডভাইজার গ্যায়তানো পেরুগিনি। তার কথায়, ‘আমরা
হাজার হাজার যাত্রীকে কেবিনে পুরতে চাই না। বিমানে আমরা
বিভিন্ন ধরনের ক্লাসের ব্যবস্থা রাখতে চাই। ভাড়া
অনুযায়ী। যা এখনকার বিমানগুলোতে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘একই কেবিনে থাকবেন সব যাত্রী। যারা
স্ট্যান্ডার্ড ইকোনমি বা প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে
উড়বেন, তারাও যেমন থাকবেন; সেই কেবিনে, তেমনই থাকবেন
বিজনেস বা আল্ট্রা-বেসিক ইকোনমি ক্লাসে যাওয়া যাত্রীরা।
এটাই স্কাইরাইডার সিটের বিশেষত্ব।’
রোহিঙ্গা
জেনোসাইড স্বীকৃতি পাচ্ছে!
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসছে
মিয়ানমার বাহিনীর ওপর
তপন কুমার ঘোষঃ
রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে অভিহিত করেছে
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধিসভার
পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। ওই কমিটি একই সঙ্গে মিয়ানমার
বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত ‘বার্ম
ইউনাইটেড থ্রো রিগোরাস মিলিটারি অ্যাকাউন্টিবিলিটি (সংক্ষেপে-বার্মা
অ্যাক্ট)’ শীর্ষক একটি আইনের খসড়া সর্বসম্মতিক্রমে
অনুমোদন করেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে অত্যন্ত
তাৎপর্যপূর্ণ এই অগ্রগতির পর এখন ‘বার্মা অ্যাক্টের’
ব্যাপারে ভোটের জন্য প্রতিনিধিসভায় পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিনিধিসভার পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সভাপতি এলিয়ট এল.
ইঙ্গেল গত ২১ জুন এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকে
‘জেনোসাইড’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, প্রতিনিধিসভায় এবং
প্রয়োজনে সিনেটেও আইনটি দ্রুত পাস হবে বলে আশা করছি।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ভয়ংকর নিপীড়নের
শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষার
প্রহর আর দীর্ঘ হওয়া উচিত নয়। আইনটি পাস হলে মিয়ানমারে
সামরিক বাহিনীর সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া
‘জেনোসাইড’ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের ব্যাপারে
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কী করছে তা কংগ্রেসকে অবহিত করতে
হবে।
বার্মা অ্যাক্টের আওতায় জেনোসাইডের হোতাদের ওপর ভ্রমণ
ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তাদের বিচার ও
জবাবদিহির উদ্যোগ নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
এদিকে অগ্রগতি আছে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও।
রোহিঙ্গা নিপীড়ন ‘জেনোসাইড’ কি না তা নির্ধারণের
আহ্বানসংবলিত একটি প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে সিনেটের
পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। সিনেটর জেফ মার্কলে সিনেটে
প্রস্তাবটি এনেছিলেন গত ১১ জানুয়ারি। ঠিক সাড়ে পাঁচ
মাস পর আগামী ২৫ জুন (বাংলাদেশ সময় ২৬ জুন ভোর)
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে সিনেট কমিটির বৈঠকে ওই
প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তবে
ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২৩
সিনেটর এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এর
‘কো-স্পন্সর’ (সহপৃষ্ঠপোষক) হয়েছেন।
সৌদির প্রথম
নারী পাইলট ইয়াসমিনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব
একটু একটু করে নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার সৌদি আরব বাণিজ্যিক বিমানে
প্রথম নারী পাইলট পেল। বিমান চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার
ছয় বছর পর বাণিজ্যিক বিমান চালানোর অনুমতি পেলেন
ইয়াসমিন আল মাইমানি নামের ওই নারী।
আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়, বৈমানিক হিসেবে জর্ডান থেকে
যোগ্যতা অর্জন করার পর যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ ঘণ্টা বিমান
ওড়ানোর রেকর্ড করেন ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন নেসমা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে
নিয়োগ পেয়েছেন। এই এয়ারলাইন্সটি সৌদি ও মিসরের বিভিন্ন
স্থানে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
এদিকে ঐতিহাসিক এ অর্জনের পর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে
নিজের আনন্দের কথা জানিয়েছেন ইয়াসমিন। একটি বিমানের
ককপিটে বসা অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করে তার নিচে তিনি
লিখেছেন- ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, আজ আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
Top
ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডেও ব্যয় বাড়ছে
পাঁচ গুণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কার্ডের জন্য আমদানি করা
পণ্যের ওপর নতুন করে পাঁচ থেকে ছয় গুণ শুল্ক আরোপের
প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে নতুন ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট
কার্ড ইস্যু করা ব্যয়বহুল হবে। একে বাংলাদেশ ব্যাংকের
‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ক্রেডিট ও
ডেবিট কার্ড তৈরির আমদানীকৃত পণ্যগুলোর (তিন ধরনের
কার্ড) ওপর নতুন করে ট্যারিফ প্রস্তাব করা হয় :
ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড আমদানি প্রতি ০.৭০ ইউএস ডলার,
চিপ ও পিন কার্ড দুই ডলার এবং কন্টাক্টলেস কার্ড তিন
ডলার ট্যারিফ ধার্য করা হয়েছে। আগে আমদানি করা কার্ডের
ওপর কোনো ঘোষিত ট্যারিফ রেট ছিল না। জাতীয় রাজস্ব
বোর্ডের (এনবিআর) এ তথ্যানুযায়ী, কাস্টমস বিভাগ
সাধারণত এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫২ সেন্ট ট্যারিফ নিত।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে এবং
নাগরিক সেবায় ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকারের প্রস্তাবিত
বাজেটে প্রতি কার্ডের এই নতুন মূল্য এবং কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের নতুন এই হার সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক।’
বিশ্বজুড়ে টিকার
ওপর আস্থা কমছে!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়েই টিকার ব্যাপারে মানুষের অবিশ্বাস বাড়ছে। ফলে
প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই আবার পিছিয়ে
যেতে শুরু করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
টিকার ব্যাপারে মানুষের মনোভাব জানার জন্য বিশ্বে এ
যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, অনেক অঞ্চলে
টিকা সম্পর্কে মানুষের আস্থা একেবারেই কম। বিশ্বের
১৪০টি দেশের এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের ওপর জরিপটি
চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম
ট্রাস্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ১০টি বিষয়কে বিশ্বের
স্বাস্থ্য খাতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে বর্ণনা করছে,
তার একটি হচ্ছে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে মানুষের
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ব জরিপে এমন অনেক লোকের খোঁজ
পাওয়া যাচ্ছে, যারা বলছে টিকার ব্যাপারে তাদের খুব কমই
বিশ্বাস বা আস্থা আছে। টিকা নিরাপদ কি না এ প্রশ্নের
উত্তরে ৭৯ শতাংশ বলেছে তারা ‘মোটামুটি’ বা ‘দৃঢ়ভাবে’
এর সঙ্গে একমত। ৭ শতাংশ বলেছে তারা এ ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে
দ্বিমত করে। ১৪ শতাংশ এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেনি।
টিকা কতটা কাজ করে এ প্রশ্নের জবাবে ৮৪ শতাংশ বলেছে
তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে টিকা কাজ করে।
৪ শতাংশ বলেছে, তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ
করে। আর ১২ শতাংশ পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেনি।
বিশ্বজুড়ে কয়েক শ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে টিকা।
হাম বা এ রকম অনেক মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকা
যে সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা, এটির অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
আছে। বিশ্ব থেকে যে গুটিবসন্ত নির্মূল করা গেছে, তার
পুরো অবদান এই গুটিবসন্তের টিকার। পোলিওর মতো রোগসহ আরো
অনেক রোগ এখন নির্মূলের পথে। অন্যদিকে হামসহ আরো কিছু
রোগ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকজন টিকা
দেওয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ টিকা সম্পর্কে
তাদের ভীতি ও ভুল ধারণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান
লিন্ডস্ট্রান্ড বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই
উদ্বেগজনক। টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগের
বিরুদ্ধে বিশ্বে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, তা কিন্তু
ভেস্তে যেতে পারে টিকা দেওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের
কারণে। এসব রোগ আবার নতুন করে ছড়িয়ে পড়লে সেটাকে আমরা
অগ্রহণযোগ্য পশ্চাত্যাত্রা বলে গণ্য করব।’
জয় বাংলা স্লোগান
দেওয়ার নির্দেশ মমতার
বিজেপির দেওয়া ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ায়
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রুষ্ট
হওয়ার ঘটনা রাজ্যের সবারই জানা। নিজের যাত্রাপথে এই
স্লোগানকারীদের উদ্দেশ্যে কটু কথাও বলেছিলেন মমতা। মমতা
যত রুষ্ট হয়েছেন ততই ঝাঁজ বেড়েছে ‘জয় শ্রী রাম’
স্লোগানের। ফেসবুকে তিনি অবশ্য বলেছেন এই স্লোগানে তার
কোনো আপত্তি নেই, স্লোগানটিকে ধর্ম ও রাজনীতিতে মিশিয়ে
যেভাবে অশান্তি পাকানো হচ্ছে তাতেই তার আপত্তি।
বিজেপির এই স্লোগানের পাল্টা হিসেবে দলীয় কর্মীদের ‘জয়
বাংলা,’ ও ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
মমতা ব্যানার্জি। সেই নির্দেশ মেনে দলের ছোট-বড় নেতা
থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা সেই স্লোগান
দিচ্ছেন। আর সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়েই বিতর্ক এখন
তুঙ্গে। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল-অনেকেই
এই স্লোগানকে আবার প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের স্লোগান
বলেও মন্তব্য করেছেন। এবার ফেসবুকে ‘জয় বাংলা’
স্লোগানের বিরোধিতা করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তার দাবি, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের
সঙ্গে। বাঙালিরা যে কেউ এই স্লোগান দিতে পারেন। এই
স্লোগান কারও নিজস্ব নয়-এমন একটা প্রচার করা হচ্ছে।
কিন্তু আসল ঘটনা বোধহয় তা নয়। এই স্লোগান ইচ্ছাকৃত
দেশদ্রোহিতা। এর ফলে প্রতারিত হচ্ছে জাতীয়তাবাদ।’ দুই
দিন আগেই সংসদে শপথ নিতে গিয়ে তৃণমূলের কাকলি ঘোষ
দস্তিদারসহ সাংসদরা যেভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
দিয়েছিলেন সেই প্রশ্ন তুলেই তথাগতের এই মন্তব্য।
ফেসবুকে তথাগত রায়ের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই
তৃণমূলের তরফে পাল্টা জানানো হয়েছে। মেঘালয়ের
রাজ্যপালের বাংলার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলে
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘তথাগত রায় নিজের
রাজ্য নিয়ে মোটেও গর্ববোধ করেন না। পাঞ্জাব ভারতেও আছে
পাকিস্তানেও পাঞ্জাব প্রদেশ আছে। তবে কি ভারতে থেকে
‘জয় পাঞ্জাব’ বলা যাবে না?’ তৃণমূলের তরফে আরও বলা
হয়েছে, ‘বিধানসভায় পাস হওয়া পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত
নতুন নাম ‘বাংলা’। তবে ‘জয় বাংলা’ বললে অসুবিধা কোথায়?
‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে যাওয়া
নিয়ে বিতর্ক ওঠায় মমতা ব্যানার্জিও মুখ খুলেছেন।
শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে নদীয়া জেলার তৃণমূল
নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’? কেন বলা
যাবে না? এটা আমরা বলব। বাংলাদেশ বলতে পারলে, আমরা বলতে
পারব না কেন! এটা তো কাজী নজরুল ইসলামের লেখা স্লোগান
এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বহু আগেই নজরুল তার
লেখায় এই শব্দগুলো ব্যবহার করেছিলেন।’ মমতা আরও বলেন,
‘রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ হোক। আমরা এই প্রস্তাব কেন্দ্রের
কাছে পাঠিয়েছি। বাংলা নামকরণ হলে আরও বেশি ‘জয় বাংলা’
বলতে পারব।’
লোকসভায় তিন তালাক
বিল পাস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ভারতের
লোকসভায় শুক্রবার একটি নতুন বিল পাস হয়েছে। গত সংসদের
উচ্চকক্ষে বাতিল হওয়া বিলটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে
প্রথম বিল হিসেবে এটি পেশ করা হয়েছিল। এদিন তিন তালাক
বিলকে কেন্দ্র করে ভোটাভুটি হয়েছে। ভোটাভুটিতে দেখা
গেছে, বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৬টি, বিপক্ষে ৭৪।
অবশ্য ভোটাভুটির আগে বিলটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছে।
সেই বিতর্কে সরব হলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোটাভুটিতে
অংশ নেয় নি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিলটি পেশের আগে
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, আমরা গত
লোকসভাতেই বিলটি পাস করেছিলাম। কিন্তু রাজ্যসভায় পাস
না হওয়ায় লোকসভার মেয়াদ শেষ হতেই বিলটি বাতিল হয়ে যায়।
অধ্যাদেশ জারি ছিল। তাই নতুন সংসদে বিলটি আজ আনা হয়েছে।
শাহ বানু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে তিনি
বলেছেন, তিন তালাক সাংবিধানিক নৈতিকতার বিরুদ্ধে। এটা
ধর্ম নয়, নারীর গরিমার বিষয়। রাজনৈতিক মহলের মতে,
সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে প্রথমেই তিন তালাক বিল
আনা হয়েছে। লোকসভা ভোটে মুসলিমদের একাংশের ভোট পেয়েছে
বিজেপি। তাই উদারপন্থি সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টায়
নেমেছে দল। এদিন বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেসের শশী থারুর
বলেছেন, এই আইন সকলের জন্য করা হোক। স্রেফ মুসলিমদের
জন্য নয়। কেননা, অন্য ধর্মের অনেক পুরুষও স্ত্রীকে
পরিত্যাগ করে থাকে। ওই পুরুষেরা কেন শাস্তি পাবে না?
এমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির বলেছেন, এই আইন মুসলিম
মহিলাদের আরো অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দেবে। তৃণমূল
কংগ্রেসের সৌগত রায় জানিয়েছেন, বিতর্কিত বিলটি সংসদীয়
স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানোর পক্ষে দল। তবে লোকসভায়
বিলটি পাস হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়
বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি। ছ’টি করে
আসন থাকা জেডিইউ ও টিআরএস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিলে
বিরোধী ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২০।
দশ সাংসদের বিজেডি ঘোষিত ভাবে বিলটির বিপক্ষে। ধোঁয়াশা
রয়েছে জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের অবস্থান ঘিরেও।
তবে বিজেপি আশাবাদী, বিজেডি ও জেডিইউ ভোটাভুটিতে
অনুপস্থিত থাকলেই এ যাত্রায় পাস করানো যাবে বিলটি। এ
বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন গত জাতীয়
গণতান্ত্রিক জোট সরকার মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদে
তাৎক্ষণিক তালাক বা তিন তালাকের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি
করেছিল। এই অধ্যাদেশকে পরিবর্তন করে নতুন ‘মুসলিম নারী
বিল’ (বিয়ে সুরক্ষা অধিকার) পেশ করা হয়েছিল। এই আইন
অনুযায়ী, কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে
তিনবার তালাক বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে তিন বছরের
কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
রূপগঞ্জে অবাধে
বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো
অবাধে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ওষুধের ফার্মেসি দোকান।
এসব ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল এবং অবৈধভাবে
আসা বিভিন্ন দেশের ওষুধে সয়লাব। অনুমোদিত ওষুধের দোকান
পুরো উপজেলায় শতাধিক হলেও অবৈধ অননুমোদিত দোকানের
সংখ্যা হাজারের অধিক। এসব ওষুধ বিক্রেতাদের নেই কোনো
দক্ষ প্রশিক্ষণ আর বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স। এসব দোকানিরা
বিক্রি করছেন বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ওষুধ। সন্ধ্যার
পর এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছে বাড়ন্ত বয়সের ছেলেরা। সহজেই
ছেলেরা ঝুঁকে পড়ছে মাদকে। অনুমোদিত দোকানেও বিক্রি
হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল কোম্পানির ওষুধ।
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১ কোটি ৮০ লাখ
ইউরো দেবে ইইউ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেওয়া
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এক কোটি ৮০ লাখ ইউরো (প্রায়
১৭২ কোটি টাকা) দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকার একটি
হোটেলে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা
জানান বাংলাদেশে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা
ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি। তিনি জানান,
কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে ইইউর দেওয়া
এই অর্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা
স্থানীয়দের জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যয় করা হবে। ইইউর
অর্থায়ন ও ইউনিসেফের তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের আওতায়
পুষ্টি, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা এবং
শিশু সুরক্ষার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার মাধ্যমে উপকৃত
হবে প্রায় দুই লাখ শিশু ও তাদের পরিবার। তিনি জানান, এ
অর্থ দিয়ে টেকনাফ ও পেকুয়া উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার
শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল সরঞ্জাম কেনা হবে। পাশাপাশি
সাতটি বহুমুখী শিশু-কিশোর কেন্দ্র নির্মাণ এবং তিনটি
তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া ১৫০০
কিশোর-কিশোরীকে দেওয়া হবে দক্ষতা প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি
১৫টি কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত রেন্সজে
তিরিঙ্ক বলেন, শরণার্থী সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার
ভবিষ্যত্ নিশ্চিতে আমাদের কার্যক্রম আরো ভালোভাবে
পরিচালনা করতে হবে। রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় ইইউ
এখন পর্যন্ত ইউনিসেফকে দুই কোটি ৪৮ লাখ ইউরো সহায়তা
দিয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন, গজারিয়া-২০১৯ আগামী ২৮ জুন ২০১৯
রোজ শুক্রবার সকাল ১০:০০টায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়
মিলনায়তন (গজারিয়া জামালদি বাস স্ট্যান্ড), মুন্সীগঞ্জে
অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ
মহিউদ্দিন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র গজারিয়া উপজেলা শাখার
সভাপতি এসএম নাসির।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন BHRC গজারিয়া উপজেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা
মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, গজারিয়া উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা হাসানি সাদি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও
হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোঃ
মাজহারুল হক (তপন), মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক
চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, বাংলাদেশ হামদর্দ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল
মান্নান, এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মামুনুর
রশিদ, BHRC মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আবু
ইউসুফ ফকির, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং বৃহত্তর
মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া
মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর
রহমান টুটুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক
নাজমুল হাসান রুমি, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার
সহ-সভাপতি যথাক্রমেঃ মোঃ সামসুল আলম, একেএম হাসান
প্রমুখ।
মানবপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশের
নারী-শিশুদের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের নারী এবং শিশুরা মানবপাচারের ক্ষেত্রে
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি এবং বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘মানবপাচার ২০১৯’
শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ হয়েছে। গত শুক্রবার
প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও মেয়ে
শিশুদেরও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পাচারকারী চক্র তাদের গৃহকর্মী হিসেবে চাকরি পাইয়ে
দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে লেবানন, জর্ডান, সিরিয়াসহ কয়েকটি
দেশে পাচার করে দেয়। সেখানকার কর্মস্থলে তারা যৌন
নির্যাতনের শিকার হন অথবা তাদের যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত
হতে বাধ্য করা হয়।
চীনের কিছু নাগরিক বিয়েসহ মিথ্যা প্রলোভনে বাংলাদেশের
নারীদের বিদেশে পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এভাবে
প্রতিবছর অন্তত ৭ লাখ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ অবৈধ
পন্থায় এবং মানবপাচারকারী চক্রের সহযোগিতায় বিদেশে
যাচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা নারী ও মেয়ে শিশুরা যৌন
হয়রানি এবং মানবপাচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপদাপন্ন
অবস্থার মধ্যে রয়েছে। পাচারকারীরা তাদের চট্টগ্রাম,
ঢাকাসহ বাংলাদেশের মধ্যেই রেখে দেয় যৌন কর্মে নিয়োজিত
করতে।
কখনো কখনো তাদেরকে কলকাতা ও কাঠমন্ডুতে যৌনকর্মী হিসেবে
পাচার করে দেওয়া হয়। রোহিঙ্গাদের মধ্যেই কিছু ব্যক্তি
এ জাতিগোষ্ঠীর নারী ও মেয়ে শিশুদের বিয়ে, ভালো চাকরিসহ
নানা প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্পগুলো থেকে তাদের পাচারের
চেষ্টা চালায়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের
সীমান্তরক্ষী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উৎকোচের বিনিময়ে এ
পাচারকাজে নানাভাবে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে
মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে তার বিচারে
আদালত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শৈথিল্য ও গড়িমসির
প্রসঙ্গ নানাভাবে উঠে এসেছে।
বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের
উদাসীনতা এবং অনাগ্রহ রয়েছে বলে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে
সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বলা হয়, পুলিশ ও
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থাহীনতার কারণে তাদের কাছে
জনগণ সহযোগিতা কামনাও করে না।
এ ছাড়া মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের
পক্ষ থেকে বিগত বছরগুলোয় কিছু কার্যক্রম নেওয়া হলেও
যথাযথ মানদণ্ডে তা যথেষ্ট নয়। আর সরকারের এ সংক্রান্ত
কার্যক্রম অতীতের চেয়ে ভালো এটাও প্রমাণ করতে পারেনি।
এ কারণেই চলতি বছরকে ধরে গত তিন বছরই মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ
পর্যবেক্ষণ বা নজরদারির তালিকায় রয়েছে।
১৬ই আগস্ট থেকে
ওমরার ভিসার আবেদন শুরু হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একমাস বন্ধ রাখার পর আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ফের শুরু
হচ্ছে ওমরাহ পালনে ভিসার আবেদন গ্রহণ। হাজিদের পাঁচ
দিনের জন্য এক মাস মেয়াদি ভিসা দেয়া হবে। যুগান্তর
শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ
টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালনের জন্য
ভিসার আবেদন গ্রহণ করবে সৌদি মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৬
জনকে ওমরাহ ভিসা দেয়া হয়েছে।
সৌদি গেজেটের বরাতে মক্কা ডেইলিতে প্রকাশিত এক
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১৭ জুন থেকে ভিসার আবেদন
নেয়া বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি
সংখ্যক ওমরাহ পালনকারী আসেন পাকিস্তান থেকে। এরপর আছে
ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মিশর, আলজেরিয়া, ইয়েমেন, তুরস্ক,
মালয়েশিয়া, ইরাক ও জর্ডানের নাম।
সৌদি সরকার ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে ওমরাহ পালনে
ইচ্ছুকদের ব্যাপক হারে ভিসা দেয়া শুরু করেছে।
২০২২ সালের মধ্যে ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা দেড় কোটি ও
২০৩০ সালের মধ্যে তা তিন কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য
রয়েছে তাদের।
জুলাইয়ে ঢাকায় আসছেন দক্ষিণ কোরীয়
প্রধানমন্ত্রী
ও বান কি মুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন দিনের সরকারি সফরে আগামী ১৩ জুলাই বাংলাদেশে আসছেন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়ুন। তাঁর এ
সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে
বলে ঢাকা আশা করছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে আগামী
৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন ওই দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।
গতকাল শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বান কি মুন প্রসঙ্গে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তিনি
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রেখেছিলেন।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের কয়েক সপ্তাহ পর দক্ষিণ
কোরিয়ার নয়াদিল্লি মিশনের জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন বান কি মুন। ১৯৭৪
সালে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক
সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে চুক্তি সইয়ে যে কলমটি ব্যবহার হয়
সেটি তিনি সযতেœ রেখে দিয়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল
পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার গল্প বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের পদ ছাড়ার পর
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য
প্রার্থী হিসেবে বান কি মুনের কথা অনেকেই বিবেচনা
করছিল। তবে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন।
ভারতে প্রতি ১০ জন
নারীর সাতজন পরকীয়ায় লিপ্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের নারীদের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য এক
জরিপের মাধ্যমে উঠে এসেছে। জরিপে প্রত্যেক ১০ জন নারীর
মধ্যে সাতজন তাদের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
এমনকি তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। পরকীয়ায় জডি য়ে পড ার
প্রবণতা ৩৪ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের মধ্যে বেশি। ডেটিং
অ্যাপ গ্লিডেনের পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এই অ্যাপ ২০০৯ সালে ফ্রান্সে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১৭
সাল থেকে ভারতে পথ চলা শুরু করেছিল গ্লিডেন। গ্লিডেন
জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কলকাতা, এই তিন শহরের
নারীরা সব থেকে বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন।
পাঁচ লাখ গ্লিডেন ব্যবহারকারীর মধ্যে ২০ শতাংশ পুরুষ ও
১৩ শতাংশ নারী পরকীয়ায় জড়ানোর কথা সরাসরি স্বীকার
করেছেন। গবেষণায় উঠে এসেছে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গবেষণা অনুযায়ী দশজন নারীর মধ্যে সাতজন নারী পরপুরুষের
সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। এছাড়া ভারতের প্রায় ৪৮ শতাংশ
নারী মনে করেন, তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকা উচিত।
জরিপে অংশ নেয়া এমন ৭৭ শতাংশ ভারতীয় নারী বলেছেন,
তাদের বিবাহিত জীবন একঘেয়েমি হয়ে পড়েছে; যে কারণে তারা
বিয়ের বাইরে একজন সঙ্গীকে খুঁজে নিচ্ছেন। বিবাহিত
জীবনের বাইরে একজন সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার মধ্যে তারা
ভিন্ন ধরনের উত্তেজনা অনুভব করেছেন বলে দাবি করেছেন।
প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় পুরুষ ও নারী এই মুহূর্তে
গ্লিডেন অনলাইন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। তাদেরকে
নিয়েই একটি গবেষণা করেছে সংস্থাটি।
মার্কিন কংগ্রেসে আরাকানকে
বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করার প্রস্তাব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখন
সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। চুক্তির ২ বছর মেয়াদেও কোন
রোহিঙ্গাকে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবাসন করানো যায়নি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বার্মার যেমন সদিচ্ছা নেই, তেমনি
নাগরিক অধিকার বঞ্চিত থেকে স্বদেশে ফিরতে নারাজ
রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে
দ্বিপাক্ষিক নীতির উপর গুরুত্বারোপ করতে ভোক্তভূগি
বাংলাদেশেকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চীন ও ভারত। ফলে
বাংলাদেশও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে অন্ধকার ভবিষ্যত দেখছে।
রাতারাতি রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান যে হচ্ছেনা তা
দিবালোকের মত সত্য।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি
পরিষদের এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান
ব্রাড শেরম্যান রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে এমন একটি
প্রস্তাব এনেছেন যা রীতিমত আলোচনার তুঙ্গে ওঠেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পররাষ্ট্র দপ্তরের
দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বাজেটবিষয়ক শুনানিতে তিনি বলেন,
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বার্মার আরাকান রাজ্যকে দেশটি থেকে
আলাদা করে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করা হোক। ব্রাড
শেরম্যান কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জন্য মানচিত্রট বদলে
দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে তিনি যুক্তি দেখান যে, সুদান
থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে
বার্মার আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার
প্রতিষ্ঠার জন্য কেন একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না?
তিনি সুদানের উদাহরণ টেনে আরো বলেন, সুদান তাদের
নাগরিকদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেনি। কিন্তু বার্মা
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করছে, তাদের পাসপোর্ট
দেওয়া হয় না এবং অন্যান্য অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত।
বার্মায় একটি গণহত্যাও সংঘটিত হয়েছে । তিনি জোরালো
প্রস্তাব রেখে বলেন, বার্মা যদি আরাকানের রোহিঙ্গা
নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে যে দেশ তাদের
দায়িত্ব নিয়েছে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে আরাকানকে জুড়ে
দেওয়াই যৌক্তিক পদক্ষেপ।
ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে
গরু পুজা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে আশঙ্কাজনকভাবে নারী নিপীড়ন, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা
বেড়ে গেছে। এমন কোনো দিন নেই যেদিন দেশটিতে এ ধরনের
ঘটনা ঘটে না। শুধু তাই নয়, প্রতি ১৫ মিনিটে ভারতের
কোনও না কোনও শিশু যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি
উত্তরপ্রদেশে দু'মাসের শিশুকে ধর্ষণ ও খুন এবং চার
বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ
হচ্ছে কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না। এদিকে ধর্ষণ-নিপীড়ন
বন্ধ করতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন হায় দরাবাদের চিলকু
বালাজি মন্দিরের পণ্ডিতেরা। তাঁরা এগুলা বন্ধে গরুর
পূজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ করতে বালাজি মন্দিরের পণ্ডিতেরা
এবার উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে আইনি পথে না গিয়ে তাঁরা
পুজার পথ বেছে নিয়েছেন। তা-ও আবার গোমাতাকে পুজা করার
পথে।
মন্দিরের পণ্ডিতদের দাবি, একমাত্র ভগবানই। দীর্ঘদিন ধরে
চলে আসা নারী জাতির প্রতি অত্যাচার, ধর্ষণ, খুনের ঘটনা
বন্ধ করতে পারেন। গরুকে পুজা করার মধ্যে দিয়েই ভগবানের
সাহায্য পাওয়া এবং এসব ঘটনা থামানো সম্ভব।
এ বিষয়ে চিলকু বালাজি মন্দিরের পন্ডিত রঙ্গ রজন বলছেন,
গোমাতাকে পুজ করার মধ্যে দিয়েই আমরা সমস্ত সমস্যার
সমাধান করতে পারি। এই মন্দিরের চার পাশে তিনটে গরুকে
প্রদক্ষিণ করিয়ে এই পুজার সমাপ্তি টানবো। তিনি জানান,
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা অতি প্রাচীন। প্রাচীন ভারতে এই
ধরনের ঘটনা একেবারেই ঘটতো না। এখন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির
সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটার ফলেই আজ ভারতে এতো বেশি ধর্ষণ,
খুনের ঘটনা ঘটে। এখন ভারতে শিশুরা একেবারেই সুরক্ষিত
নয়। এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতেই গরু পুজা শুরু করেছেন
তাঁরা।
নারী ও শিশু সংবাদ
বাল্যবিবাহের
বরযাত্রী ৪ ইউপি চেয়ারম্যান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ছেলেমেয়ের বিয়ের আয়োজনে বরযাত্রী হয়ে
গিয়েছিলেন চারটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চারজন
চেয়ারম্যান। সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে গত ১৯ জুন বিকেল
পাঁচটায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ওই বিয়েতে যান তাঁরা।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কারা ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
পরিচালনা করেন। বাল্যবিবাহ দেওয়ার দায়ে মেয়ের বাবা ও
খালাতো ভাইকে চার দিন করে কারাদণ্ড দেন জুবায়ের হোসেন
চৌধুরী। বাল্যবিবাহে সহযোগিতার দায়ে চার চেয়ারম্যানের
কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মেয়েটি সদর উপজেলার
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার
অপ্রাপ্তবয়স্ক এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে।
অ্যাফিডেভিট করে বয়স বাড়িয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে
তারা। পারিবারিকভাবে এ বিয়ে মেনে নিয়ে গত ১৯ জুন বিকেলে
মেয়ের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বরসহ
বরযাত্রীরা গতকাল বিকেলের মধ্যে মেয়ের বাড়িতে হাজির হন।
বরের সঙ্গে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারটি ইউপির চারজন
চেয়ারম্যানও আসেন। তাঁরা একই উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িতে চড়ে আসেন।
বাল্যবিবাহের তথ্য পেয়ে গত ১৯ জুন ২০১৯ বিকেল পাঁচটার
দিকে ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী মেয়ের বাড়িতে অভিযান
চালান। এ সময় বরপক্ষের লোকজন খাওয়াদাওয়া করছিলেন।
তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ কয়েকজন পালিয়ে যান।
নির্বাহী হাকিম জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, মেয়ের বয়স
১৭ বছর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ছেলের বয়সও কম বলে জানা গেছে।
বিয়েসংক্রান্ত অ্যাফিডেভিট নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। মেয়ের
বাবা ও খালাতো ভাইকে চার দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বাল্যবিবাহে বরযাত্রী হয়ে আসা ও বিয়েতে
সহযোগিতার দায়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না ইউপির
চেয়ারম্যান ছমির উদ্দিন, খলিসা ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুর
রহমান, চাঁদপুর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও
দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীকে ১০ হাজার টাকা
করে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ, স্থানীয় ঝাউদিয়া
ইউপির চেয়ারম্যান কেরামত আলীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে
নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বন্দরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
উঠেছে এক মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। আহত গৃহবধূর নাম
সাজেদা (২৯)। গত ২০ জুন দুপুরে বাটগাঁও গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে ওই দিন
রাতে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী
নাদিম মাহমুদ পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুছাপুর ইউপির
বাটগাঁও গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাদিম মাহমুদ ১১ বছর
আগে একই গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে সাজেদা আক্তারকে বিয়ে
করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে এক সন্তান জন্ম হয়।
সন্তানের মুখের দিকে চেয়েই মাদকাসক্ত স্বামীর সংসার করে
যাচ্ছেন গৃহবধূ। মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচার
নির্যাতনের পাশাপাশি দেবর শ্বশুর-শাশুড়ি মানসিক
নির্যাতন চালাতেন।
এমতাবস্থায় স্বামীকে বিদেশে পাঠাতে ৫ লাখ টাকা যৌতুক
দাবি করে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা
দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শ্বশুর বাড়ি থেকে এক সপ্তাহ
আগে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয় গৃহবধূ সাজেদাকে। গত ২০ জুন
২০১৯ দুপুরে স্বামী নাদিম মাহমুদ পিত্রালয়ে গিয়েও
স্ত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ সময়
স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে
স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে
স্বামী। তার ডাক-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে স্বামী পালিয়ে
যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই
গৃহবধূ বাদী হয়ে ২০ জুন রাতে স্বামী নাদিম মাহমুদ,
শ্বশুর নুরুল হক, শাশুড়ি নাসিমা ও দেবর রাজিবকে আসামি
করে থানায় একটি অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী
নাদিম মাহমুদ পলাতক।
বিয়ানীবাজারে এগিয়ে
যাওয়া পাঁচ সংগ্রামী নারীর গল্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আজকের আধুনিক বিশ্বে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও সংগ্রাম
করে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সংগ্রামে বিজয়ী হয়ে নিজের জীবন
সাজানোর পাশাপাশি অনেকের প্রেরণার জোগান দিচ্ছেন তারা।
এক সময় সমাজের অধিকাংশ নারী-ই রক্ষণশীলতার অজুহাতে
আবার কেউ নিরাপত্তার অজুহাতে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখতেন।
এখন সেইদিন আর নেই, বাধা ডিঙ্গিয়ে অভিষ্ট লক্ষে
পৌঁছাচ্ছেন নারীরা। তারা দৃঢ় মনোবল, সাহস, বুদ্ধি ও
পরিশ্রমের সমন্বয়ে নিজেই গড়ছেন নিজের জগৎ। তেমনি জীবন
সংগ্রামে জয়লাভ করে এগিয়ে যাচ্ছেন বিয়ানীবাজারের পাঁচ
জয়িতা। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছেন
মেওয়ার পারুল বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য
অর্জন করেছেন শিল্পী রাণী দত্ত, সফল জননী নারী শাহজাদী
সুলতানা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন
উদ্যমে জীবন শুরু করা মোছাঃ রুবিনা আক্তার রুবি ও সমাজ
উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী তাজিরুন বেগম। তাদের
জীবনযুদ্ধের গল্প হার না মানার..।
পারুল বেগম: ছোটবেলা থেকে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বড়
হওয়ার শিক্ষা পেয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সংসারের
অনটনের কথা চিন্তা করে অনেকটা কিশোর বয়সেই মামা তার
বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের সময় তার শ্বশুর-শাশুড়িকে পড়ালেখা
করানোর কথা বললে তারা রাজি হন। কিন্তু বিয়ের পর তার আর
লেখাপড়া করা হয়নি। স্বামীর ক্ষুদ্র ব্যবসায় তার
সংসারের চাকা ধীরলয়ে ঘুরতে থাকে। তবে কিছুদিন পর
ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় তাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্বামীর
পরামর্শে কিছু ছাত্রছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন
পারুল বেগম। স্বামীও যোগ দেন রাজমিস্ত্রির কাজে। এ সময়
স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন সেলাই মেশিন
ক্রয় করেন। এভাবে তার আয় বাড়তে থাকে। কিছুদিন পর
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে তাকে
এলাকার অন্যান্য মেয়েদের সেলাই কাজ শুরুর দায়িত্ব দেন।
এভাবে দুই বছর পেরিয়ে গেলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে নির্বাচন করে জয়লাভ
করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজ খামারে ২৫টি মুরগী, ২৩টি
ছাগল ও ৮টি গরু রয়েছে। এ ছাড়াও তার একটি মোবাইল
সার্ভেসিং এর দোকান রয়েছে। তিনি উপজেলার মেওয়া গ্রামের
মো. আবদুল হান্নানের স্ত্রী।
শিল্পী রাণী দত্ত: ১৯৮৩ সালে ৫ম শ্রেণি পাশ করার পর
যোগাযোগ সুবিধা না থাকা এবং দারিদ্র্যতার কারণে তার
লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তখন নিজের ইচ্ছা আর
মায়ের চেষ্টায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। বাবা
ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। চরম
প্রতিকূলতার মাঝেও ১৯৯০ সালে এসএসসি পাস করেন। কলেজে
পড়াকালীন একটি কিন্ডারগার্টেনে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে
একবছর চাকরি করেন। এ সময় তিনি পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে
চাকরি পান। একই কলেজ থেকে তিনি বিএ পাস করেন। বর্তমানে
তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে
চাকরি করছেন। শিল্পী রাণী দত্ত উপজেলার চারখাই
ইউনিয়নের বিলুয়া গ্রামের অমরেশ চন্দ্র দেবের স্ত্রী।
শাহজাদী সুলতানা বেগম: খুব কষ্টে এসএসসি পাস করে
পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি নেন। কিন্তু
পারিবারিকভাবে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। বোন
জামাই তখন হুমকি দেন-চাকরি না ছাড়লে বোনকে ছেড়ে যাবেন।
চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর এক বেকার যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে
হয়। পরে অবশ্য তার স্বামী কুয়েতে পাড়ি জমান। সেখানে
খাপ খাওয়াতে না পেরে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরেন স্বামী।
সংসারের হাল ধরেন শাহজাদী। এক সময় দিন বদলাতে শুরু করে
তার।
রুবিনা আক্তার রুবি: আর্থিক অনটনের সংসারে ১০ম শ্রেণিতে
পড়াবস্থায় তার বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর নতুন সংসার ভালো
চলছিল। হঠাৎ স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ
কারণে তার সৌদি আরব যাওয়া হয়নি। এটা মেনে নিতে না পেরে
শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুবিকে দোষারোপ শুরু করেন। শুরু হয়
তার ওপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। এতে তিনি বাপের
বাড়ি চলে আসেন। পরবর্তীতে বৈরাগীবাজারের একটি মহিলা
সংস্থায় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তখন তাকে
সম্মানী হিসেবে মাসিক ৪ হাজার টাকা দেয়া হতো। তিনি এই
কাজের পাশাপাশি এলাকায় স্বর্ণকারের দোকানে কাজ নেন।
নারী নিপীড়ন ও
নির্যাতনবিরোধী কমিটি গঠন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী নিপীড়ন এবং যৌন নির্যাতনবিরোধী অভিযোগ কমিটি’ গঠন
করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন
এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী
ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও
জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী নিপীড়ন এবং
যৌন নির্যাতনবিরোধী অভিযোগ কমিটির প্রধান হিসেবে
দায়িত্ব পালন করবেন গবেষণা অনুবিভাগের মহাপরিচালক
নওরীন আহসান। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন রিজিওনাল
অর্গানাইজেশন অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা রহমান সুমনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশের যেকোনো
দূতাবাসের যেকোনো নারী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের
পরিবারের সদস্য মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের পুরুষ
কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা নিগৃহীত এবং বিভিন্ন দেশে
কর্মরত ও বসবাসরত যেকোনো বাংলাদেশি নারী এ কমিটির কাছে
অভিযোগ করতে পারবেন। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অফিস সময়ে
বা ই-মেইলে যেকোনো সময় অভিযোগ পাঠানো যাবে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
কালিহাতীতে পুলিশ সদস্যের
স্ত্রীর মানবেতর জীবন্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া গ্রামের ছানোয়ার
হোসেনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী পুলিশ সদস্য রেজাউল
করিম মঞ্জুর স্ত্রী ছালেহা শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর
জীবনযাপন করছেন। ২৩ জুন দুপুরে এলেঙ্গায় এক সংবাদ
সম্মেলনে ছালেহা খাতুন তার শিশু সন্তান নিয়ে
সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৪ সালে ভুয়াপুর উপজেলার খুদে
নিকলা গ্রামের মৃত আকতার হোসেনের ছেলে মো. রেজাউল করিম
(মঞ্জু)’র সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। পরে
আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন মিলে একাধিক কাগজে রেশন
কার্ড করার কথা বলে আমার স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়। ওই
স্বাক্ষর ও টিপসহিকৃত কাগজ ব্যবহার করে পুনরায় গত
১২/০৩/২০০৬ তারিখে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে জাল
কাবিননামা তৈরি করে গোপন রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি
জানতে পেরে ১০-১০-২০১৬ তারিখে জাল কাবিননামাটির কপি
সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে
জালকাবিন করার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করি। আমার
স্বামী রেজাউল করিম মঞ্জু ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের
যোগসাজশে আমার ২০০৪ সালের বিয়ের কাবিননামায়
অস্তিত্বহীন গোপালপুর উপজেলার হাদিরা গ্রামের লিয়াকত
আলীর মেয়ে আজমেরী, মধুপুর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের
আমীর আলীর ছেলে অস্তিত্বহীন হারুন-অর রশিদকে বর হিসেবে
কাবিননামায় লিপিবদ্ধ করেন। বাস্তবে ওই নামের কোনো ছেলে
এবং মেয়ে কোনো ঠিকানায় নাই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
ওসির মহানুভবতায় এতিম জেরিনের বিয়ে
সম্পন্নে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সহায় সম্বলহীন এতিম এক তরুণীর অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে
ভালোবাসার তরুণের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মহানুভবতার
দৃষ্টান্ত গড়েছেন মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান।
নিজ উদ্যোগে আয়োজিত অসহায় ওই তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠানে
তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বরপক্ষকে আপ্যায়নসহ যাবতীয়
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। শুক্রবার বিকালে নরসিংদীতে
সদর উপজেলা কাঠালিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ কান্দী গ্রামে
এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিন জানা যায়, ওই তরুণীর নাম উর্মি
আক্তার জেরিন। তার বাবার নাম মৃত. মোহাম্মদ আলী। বাবার
অবর্তমানে তাদের মা মানুষের বাসায় কাজ করে উপার্জিত
টাকায় কোনো রকম খেয়ে পরে তাদের অভাব অনটনের সংসার
চালিয়ে আসছিলেন। নিজেদের কোনো সহায় সম্বল না থাকায় তিনি
দুই মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাঁঠালিয়া
ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ কান্দী গ্রামে পুরাতন রেল সড়কের
জায়গায় কোনো রকম একটি ছাউনি তুলে বসবাস করে আসছিলেন।
খুলনায় হত্যা
মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামের গৃহবধূ
হালিমা বেগম হত্যা মামলায আসামি রফিকুল ইসলামকে
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১২ জুন দুপুর ১২টায় খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
বিচারক মশিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আসামি রফিকুল ইসলামকে আদালত থেকে
কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামি রফিকুল ইসলাম ক্রিসেন্ট
জুট মিলের বদলি শ্রমিক ছিলেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রজব আলী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী আবু শাহিন বলেন,
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চন্দনীমহল গ্রামের রফিকুল
ইসলাম একই গ্রামের মোহাম্মদ জিন্নাত আলী শেখের বাড়িতে
যান। সেখানে গিয়ে তার স্ত্রী হালিমা বেগমের কাছে পাঁচ
হাজার টাকা ধার চান। হালিমা বেগম টাকা দিতে অস্বীকৃতি
জানালে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা
করেন।
এ ঘটনায় নিহত হালিমা বেগমের স্বামী জিন্নাত আলী শেখ
বাদী হয়ে এইদিন দিঘলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিঘলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)
শেখ লুৎফর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল
আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় জন সাক্ষীর মধ্যে
২৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ভিক্ষুক পুলিশের
ঠাঁই নাই কুষ্টিয়ায়: পুলিশ সুপার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যে পুলিশের বেতন হয়, সেই পুলিশ
জনগনের পুলিশিং সেবা নিশ্চিতে বাধ্য। বাংলাদেশ পুলিশের
সেবা বান্ধব এমন দৃঢ়তা ব্যক্ত করে কুষ্টিয়া পুলিশ
সুপার এসএম তানভির আরাফাত এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
কুষ্টিয়া পুলিশকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করেন তিনি।
আজ থেকে কুষ্টিয়ার কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য
মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা নিতে পারবেন না। কোনো
ভিক্ষুক পুলিশ কুষ্টিয়ায় থাকতে পারবেন না।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের
সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা
বলেন। একই সাথে এই ঘোষণার শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে
কোন বিচ্যুতি পেলে তাৎক্ষনিক জেলা পুলিশের
কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে
অনুরোধ করেন তিনি।
কুষ্টিয়ার ৭টি থানার ওসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে,
সাধারণ ডায়েরী, মামলা দায়ের কিংবা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের
নামে কোন প্রকার টাকা লেনদেন করা যাবে না। নির্দেশ
অমান্যকারী কোন পুলিশ এই জেলায় থাকতে পারবেন না বলে
তিনি জানান।
পুলিশ সুপার বিগত দিনে মতো গণমাধ্যমের সর্বাঙ্গীন
সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, মাদককে শুন্যের
কোটায় আনতে একমাত্র তথ্য উৎস হিসেবে সংবাদ মধ্যম যেভাবে
দায়িত্ব পালন করছেন একই ভাবে সড়ক মহাসড়কে যে কোন ধরনের
চাঁদাবজি এমনকি কোন পুলিশ সদস্য হলেও তার তথ্য
প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঠেকাতে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল
ও অদক্ষ চালককে নিরুৎসাহিত করণ, মটর সাইকেল চুরি বা
ছিনতাইসহ আসন্ন ঈদে জনগনের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা
রক্ষায় জেলা পুলিশের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। এসময়
উপস্থিত সাংবাদিকগণও নানা বিষয় তুলে ধরেন পুলিশ
কর্তাদের সামনে।
কারাগারে পরিবর্তন
হলো সকালের নাস্তার মেন্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইংরেজ শাসনামলে কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে একই
মেন্যুতে সকালের নাস্তা করতো বাংলাদেশের কারাবন্দীরা।
অবশেষে পরিবর্তন হলো তাদের এই মেন্যু। এবার নাস্তায়
যুক্ত হয়েছে মুখরোচক কিছু খাবার।
কারা সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ
পর্যন্ত সকালের নাস্তায় একটি মেন্যু ছিল। নাস্তায় একজন
কয়েদি পেত ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ
রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেত ৮৭.৬৮
গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল
ইসলাম মিলন বলেন, নতুন মেন্যুতে একই খাবার পাবে একজন
কয়েদি ও হাজতি। তারা সপ্তাহে ২ দিন পাবে ভুনা খিচুড়ি,
৪ দিন সবজি ও রুটি এবং বাকি ১ দিন হালুয়া ও রুটি। ১৬
জুন ২০১৯ ভোর থেকে এই মেন্যু কার্যক্রম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন মেন্যুর বিষয়টি জেনে কারাবন্দীরা
আনন্দ প্রকাশ করেছে। কারাবন্দীদের বিষয় মাথায় রেখে
দীর্ঘদিনের মেন্যু পরিবর্তন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী
সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
১৬ জুন ২০১৯ সকাল ৯টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন
এই মেন্যু উদ্বোধন করেন।
শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৩০
বছরের কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে শেরপুরে
মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের ৩০ বছরের সশ্রম
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামির অনুপস্থিতিতে ১৭ জুন ২০১৯ বিকেলে শেরপুর নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃা
আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
রায়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের
ভরণ-পোষণের জন্য ধর্ষক মিলনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও
দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত মিলন জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার
ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর
থেকে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া
গ্রামে হতদরিদ্র কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার
মাস ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে মিলন। এতে অন্তঃসত্ত্বা
হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষককে বিয়ের
জন্য বলা হলে তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
হঠাৎ শ্বাসটানে যা করবেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হাঁপানি রোগীদের শ্বাসটান আকস্মিকভাবেই ওঠে। বিশেষ করে
হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ায়, মৌসুম পরিবর্তনের সময়, ধুলাবালু
লাগলে, ঘর ঝাড়মোছ করলে বা ফুলের পরাগরেণুর সংস্পর্শে
রোগীর হাঁপানির টান ওঠে। ভাইরাস সংক্রমণ, সর্দি-কাশিও
এই সমস্যার জন্য দায়ী। যাদের হাঁপানি আছে তাদের জেনে
রাখা ভালো এমন হঠাৎ শ্বাসটান উঠলে, বিশেষ করে ছোটদের
হলে, সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত।
রোগীকে সোজা হয়ে বসতে বলুন ও আশ্বস্ত করুন যে আতঙ্কের
কিছু নেই।
উপশমকারী সালবিউটামল বা সালবিউটামল ও
ইপরাট্রোপিয়ামযুক্ত ইনহেলার স্পেসারের সাহায্যে ধীরে
ধীরে পাঁচটি চাপ নিন। স্পেসার না থাকলে কাগজের ঠোঙা
ব্যবহার করতে পারেন।
স্পেসারের মধ্যে প্রতিবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার
শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পাঁচবার চাপ দিন। বয়স্ক ও
শিশুদের ক্ষেত্রে খেয়াল করুন, শ্বাস বড় করে ওষুধ ঠিকমতো
টেনে নেওয়া হচ্ছে কি না, খেয়ে ফেললে কাজ হবে না।
৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশ্রাম নিন। তারপরও শ্বাসকষ্ট
না কমলে আবার পাঁচ চাপ নিন। এভাবে মোট পাঁচবার (মোট ২৫
চাপ) নেওয়া যেতে পারে।
এরপরও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির টান না কমলে রোগীকে
কাছাকাছি হাসপাতালে নিতে হবে বা নেবুলাইজার যন্ত্রের
সাহায্য লাগবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পাঁচ
চাপ করে ইনহেলার নিতে থাকবেন।
ক্স শুরুতেই জিব, নখ বা আঙুল নীল হয়ে এলে, শ্বাসকষ্টের
জন্য কথা পর্যন্ত না বলতে পারলে বা চেতনা হারিয়ে যেতে
থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে
নেবুলাইজার ছাড়াও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
ডা. মো. আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
ক্যান্সারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করে সফেদা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মিষ্টি ফল সফেদা। সামান্য একটু হাতের চাপেই খুলে যায়।
মুখে দিলে নিমেষে মিলিয়ে যায়। থেকে যায় মিষ্টি রসের
আস্বাদ। কেবল স্বাদে নয়, গুণেও অতুলনীয় এই সফেদা।
১) সফেদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি থাকে।
ভিটামিন এ চোখের পক্ষে খুবই ভাল। আর শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি’র জুড়ি মেলা ভার।
২) সফেদায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই ব্যস্ত
দিনের আগে একটি সফেদা খেয়ে নিলে শরীর গোটা দিন চাঙ্গা
থাকে।
৩) এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা
ওরাল ক্যাভিটি ক্যান্সারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। ৪) সফেদায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,
ফসফরাস ও আয়রন রয়েছে। ফলে এটি যেমন আপনার হাড়ের জোর
বাড়ায়, তেমনই শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক
রাখে।
৫) সফেদা আবার শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও
সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৬) একাধিক
ভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। তাই এটি গর্ভবতী
মহিলাদেরও নিয়মিত খাওয়া উচিত। এতে বমি বমি ভাবটিও কেটে।
৭) সফেদায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। খিদে মেটাতেও এই ফল
খুবই কার্যকরী। ফলে ডায়েটিংয়ের ক্ষেত্রে এই ফল ভীষণ
উপকারী।
কীভাবে
বুঝবেন আপনার শরীরে
ক্যালসিয়ামের অভাব
হয়েছে?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়েছে?
কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়েছে?
ক্যালসিয়ামের অভাবে কয়েকটি কারণে বিশ্বাস করা হয় যে
শক্ত হাড়ের জন্য শুধু শিশুদের দুধ খাওয়া দরকার।
প্রাপ্তবয়স্ক অনেকে মনে করেন না যে তাদের প্রয়োজনীয়
ক্যালসিয়াম দরকার। ক্যালসিয়াম শরীরের পক্ষে দরকারি
যেহেতু এটা রক্তচাপ কমায় এবং হাড় শক্ত করে।
ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় দুগ্ধ জাতিও
খাবারে যেমন দুধ, চিজ, দই, সামুদ্রিক খাবারে এবং সবুজ
সবজিতে। বর্তমানে আমরা সবাই অস্বাস্থ্যকর খাবার, জাঙ্ক
ফুড, পিঁজা, ভাজাভুজি, বার্গার এবং তেলেভাজা নিয়ে মেতে
উঠেছি যা পুষ্টি নষ্ট করছে। আমাদের জীবন যাপন বর্জিত
করছে সমস্ত রকম শারীরিক কার্যকলাপ, এটাই অন্যতম কারণ
অস্বাস্থ্যকর জীবনের।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ প্রস্তাব দিয়েছে যে
পুরুষ ও মহিলা সবারই প্রতিদিন ১০০০ গ্রাম করে
ক্যালসিয়াম দরকার। ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে যে
মারাত্মক প্রভাব পড়ে বা যে লক্ষণগুলো দেখা তা হলোঃ- ১।
পায়ে খেঁচুনি ধরাঃ যদি আপনারা আপনাদের পায়ে খেঁচুনি ধরা
অনুভব করেন, তাহলে এটা ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রথম
লক্ষণ।
এর প্রতিকারে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার রোজকার
খাবারে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাছাড়া, ক্লেভেলান্ড
ক্লিনিক বলেছে যে শোওয়ার আগে পা প্রসারিত করুন তাতে
ব্যথা কিছু কম লাগবে। এটা কি বিশ্বাস করেন? না করলে
একবার চেষ্টা করে দেখুন!
২। দাঁতের গর্তঃ আগের চেয়ে দাঁতের গর্ত বাড়ছে? শুধু
মিষ্টিকে দোষ দেবেন না। যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে
যথেষ্ট ক্যালসিয়াম পায়না, এটি অন্যান্য উৎস থেকে খোঁজে,
যেমন আমাদের দাঁত। ৩। অসাড় অবস্থায় পায়ে খেঁচুনি ধরার
মতো ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে আমাদের হাতের
স্প্ল্যাশাল স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায়। যদি আপনি আগুলের ওপর
অস্থিরতা বা ঝলকানি সংবেদন অনুভব করেন তাহলে এখুনি
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করান।
৪। ভঙ্গুর নখঃ দাঁত ও শরীরের মতো নখেও ক্যালসিয়াম থাকে।
অতএব, একটি ক্যালসিয়াম-অনাহারী শরীর পুষ্টির জন্য
সেখান থেকে ক্যালসিয়াম নেবে। এটার জন্যে আমাদের নখ
ভঙ্গুর হয়ে যায়, যদি না আমরা বেশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ না
করি। ৫। ঘুমের অসুবিধাঃ মেডিকেল তথ্য আনুসারে
ক্যালসিয়াম সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা কিনা
ঘুমের জন্যে দায়ি। যখন আপনি গভীর ঘুমে যান, তখন আপনার
ক্যালসিয়ামের লেভেল বেড়ে যায়। সুতরাং যদি আপনি রাতে কম
ঘুমান তাহলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব বাড়বে।
৬। বাজে অঙ্গবিন্যাসঃ কম ক্যালসিয়াম মানে, দুর্বল হাড়
এবং দুর্বল হাড় মানে দুর্বল শরীর। আপনার শরীর এই
দুর্বলতার জন্যে জবুথবু হয়ে যাবে। এই বাজে
অঙ্গবিন্যাসের জন্যে পিঠে ও কাঁধে ব্যাথা বাড়বে। ৭।
হৃদরোগের আক্রমণঃ জৈবপ্রযুক্তি জাতীয় কেন্দ্র বলছে যে
ক্যালসিয়াম পেশী সংকোচন এবং নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ
দরকারি। সুতরাং ক্যালসিয়ামের অভাব হৃদরোগের আক্রমণের
কারণ হতে পারে। ৮। স্মৃতিশক্তি হ্রাসঃ রিমোট কোথায় মনে
করতে পারছেন না? ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে স্নায়বিক
উপসর্গগুলি হয় যেমন স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ভুলে যাওয়া।
জন্ডিসের যম পাথরকুচি পাতা, যেভাবে
ব্যবহার করবেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পাথরকুচি পাতা পাতা থেকে গাছ হয়! এমনি এক আশ্চর্য
গাছের নাম পাথরকুচি। এই আশ্চর্য গাছের গুণাবলী শুনলে
আপনিও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পাথরকুচি পাতা যে কতভাবে
আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই।
কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা : পাথরকুচি পাতা
কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
জন্ডিস নিরাময়ে : লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা
করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
সর্দি সারাতে : অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায়
ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ।
পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়।
ক্ষত স্থান সারাতে : পাথরকুচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই
পানি দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে
যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।
এছাড়াও- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা
থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়। শরীরের জ্বালা-পোড়া বা
আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে। পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক
ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়।
কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি
পাতার জুড়ি নেই।
৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং
৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে
উপকার পাওয়া যায়। পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ
মিশিয়ে পান করলে পাইলস্ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।
ত্বকের যতেœ : পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে
যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে
জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে
অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে
পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কিডনি সুস্থ রাখতে
যেসব খাবার খাবেন না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে কিডনি রোগে
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রতিবছর অনেক
মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। এ ধরনের রোগের চিকিৎসাও
বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যতœ নেয়া উচিত।
মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির
ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে
ফেলে। এই কিডনি যদি আপনার শরীরের কাজ না করে তবে আমরা
বলে থাকি কিডনি নষ্ট হতে চলেছে। আর কিডনি কাজ না করলে
শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেবে।
তাই কিডনি ভালো রাখাতে হলে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু
নিয়ম মেনে চলতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে
আপনার কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়বে। আসুন জেনে নেই কিডনি ভালো
রাখতে হলে যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না।
১. প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া
উচিত। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরও
বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর
হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।
২. মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের
চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
পরিহার করার অভ্যাস করুন।
৩. গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির ওপর
অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত
খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও
কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৩. খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির ওপর
চাপ পড়ে এবং কিডনির দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার আশংকা
থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে মাছ বা ডাল জাতীয়
প্রোটিন রাখুন।
৪. রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার
ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময়
১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি
বেড়ে যায়। নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান।
সুগার বেশি থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ
করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়।
নিয়ম না জেনে নিজে ওষুধ খাবেন না।
৭. মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি
ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা
থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি
গ্রহণ করুন।
৮. অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের
এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয় কিডনির
জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৯. ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত
চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও
হ্রাস পায়। ফলে ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী ব্যক্তি একপর্যায়ে
গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়।
সন্তানের রোগ এড়াতে ‘রক্তের
সম্পর্কীয় বিয়ে নয়’
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রক্তের সম্পর্কীয়দের মধ্যে বিয়ের ফলে জিনগত ত্রুটিজনিত
রোগের ঝুঁকি বাড়ায় তা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন
চিকিৎসকরা।
শনিবার রাজধানীতে এক কনফারেন্সে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন,
“আমরা অনেক জিনগত ত্রুটিজনিত রোগ দেখতে পাই, যেগুলো
রক্তের সম্পর্কীয়দের মধ্যে বিয়ে ঠেকাতে পারলে প্রতিরোধ
করা সম্ভব।”
এ প্রসঙ্গে সাইপ্রাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন,
পাত্র-পাত্রীকে এ বিষয়ে সচেতন করে থ্যালাসেমিয়া অনেক
কমিয়ে আনতে পেরেছে দেশটি।
থ্যালাসেমিয়া রক্তের জিনগত ত্রুটিজনিত একটি রক্ত রোগ,
যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন
ব্যাহত হয়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
চাচাত, মামাত বা খালাত ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের আগে রক্ত
পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে সাইপ্রাস।
“রক্ত পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তাদের বিয়ের ফলে
সন্তানের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে চার্চের
মধ্যে তাদের অবহিত করা হয়।”
“এর পরেও যারা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তাদের গর্ভকালীন
সময়ে একটি পরীক্ষা করানোর জন্য বিশেষভাবে বলা হয়।
গর্ভের শিশুর কোনো জিনগত ত্রুটি আছে কি না তা আপনি
জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী গর্ভপাতের বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন “
ক্যান্সার রোগীর জন্য আদা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা এ পর্যন্ত শুনেছি আদার অনেক গুণের কথা। আদার
উপকারিতার ফিরিস্তি খুব ছোট হবে না। আদা, রসুন, পেঁয়াজ
এ তিনটি শেকড় জাতীয় ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ মাটির নিচে
উৎপন্ন হয়। শুধু এসবের পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে
সূর্যরশ্মি থেকে খাদ্য গ্রহণের জন্য। অল ইন্ডিয়া
ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএম) চিকিৎসকরা
বলেছেন, আদা খেলে ক্যান্সার রোগীর বিবমিষা বা বমির
উদ্রেক বহুলাংশে হ্রাস পাবে। আদাকে শুকিয়ে তা পাউডারের
মতো করে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্সার
রোগীকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়। যার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের
বমির উদ্রেক হয়। আদার গুঁড়ো চা বা অন্য কোনো খাবারে
অথবা সরাসরি প্রতিদিন পরিমিত খেলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থেকে প্রায় নব্বই ভাগ মুক্ত হওয়া সম্ভব। আদার গুঁড়ো
থেকে ইতিমধ্যে ক্যাপসুল তৈরি হয়েছে। যেসব রোগীর শরীরের
ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি তাদের ১৬৭ মিলিগ্রাম এবং ৪০ থেকে
৬০ কেজির জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সেবন করতে দেওয়া
হয়। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে রোগীকে
অন্তত ৬টি ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
এআইআইএমএস ২০০৯ সাল থেকে রোগী বা তাদের আত্মীয়পরিজনদের
না জানিয়ে এ ওষুধটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ৮ থেকে ২১
বছর বয়সী ৬০ জন রোগীর ওপর নিয়মিত পরীক্ষা চালাতে থাকে।
অবশেষে এ বছর এর উপকারিতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন
ইনস্টিটিউটের ভারতীয় চিকিৎসকরা। তারা বলেন, আদার ভেষজ
গুণাবলীর ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই এ ওষুধ
ব্যবহারের জন্য রোগীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ক্যাপসুলের
নামকরণ কী করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। কিংবা ভারতের
বাইরে অন্য কোনো দেশে অবাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা
হচ্ছে কি-না তাও বলা হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, বমির
উদ্রেক শতভাগ ভালো হবে না। তা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে
রাখবে মাত্র। এই আদা থেকে তৈরি ক্যাপসুলের কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শতভাগ নিরাপদ। যেকোনো বয়সের
শিশুরাও তা গ্রহণ করতে পারবে।
ঢেঁকিছাটা
চালের পুষ্টিগুণ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পালিশ করা সরু চালের ভাত সকলেরই পছন্দ এবং এই ভাত
খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে- শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা
পৃিথিবীজুড়ে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা
বাড়ছে এবং এই ধরনের পালিশ করা সাদা চাল খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাদামি, মোটা চালের ভাত তাদের পক্ষে উপকারি বলে জানা
গছে। পালিশ করা সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালে আছে
উচ্চমাত্রার তন্ত, কেলসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন-বি।
আবার অঙ্কুরিত বাদামি চাল আরও ভালো। কারণ অঙ্কুরোদগম
নিষ্ক্রিয় এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে
অঙ্কুরিত বাদামি চালের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। অতএব
পুরোনো দিনের লাল মোটা চালের ভাত খাওয়ার দিন এগিয়ে আনতে
হবে।
Top
আইন কনিকা
পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হলে তার মিউটেশন করাতে
আর কোনও খরচ লাগবে না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভূমি দফতরের নতুন অ্যাপ তৈরির বিষয়টি মন্ত্রিসভার ছাড
পত্র পেয়েছে। ‘জমির তথ্য’ নামে এই অ্যাপে জমি
সংক্রান্ত তথ্য মিলবে। জমির রেকর্ড কার নামে, কোনও জমি
নিয়ে মামলা চলছে কি না, প্লট ও দাগ নম্বর, জমির
মানচিত্র-সহ সব তথ্য থাকবে তাতে।
পারিবারিক সূত্রে পাওয়া জমির পরচা তৈরির ক্ষেত্রে
মিউটেশন ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য
মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এ কথা
জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তিনি জানান, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি শরিকদের
মধ্যে ভাগাভাগি হয়। তার রেকর্ডও করাতে হয় পরের
প্রজন্মের নামে। সেই সময় আলাদা ভাবে সকলের কাছ থেকে
মিউটেশন ফি নেওয়া হত। মুখ্যমন্ত্রী সেই ব্যবস্থা তুলে
দিতে চান। ফলে কোনও পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হলে
তার মিউটেশন করাতে আর কোনও খরচ হবে না।
জমির মিউটেশনের তারিখ এ বার থেকে মিউটেশন সার্টিফিকেটে
উল্লেখ করা হবে। এক ভূমিকর্তা জানান, একই জমি পুরনো
পরচা দেখিয়ে একাধিক লোককে বেচে দেওয়ার নজির বহু। এই
সমস্যা কাটাতে মিউটেশন সার্টিফিকেটে তারিখ উল্লেখ করা
হবে। একাধিক পরচা নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তারিখ দেখে
বোঝা যাবে, জমিটি সর্বশেষ কার নামে রেকর্ড হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে
তাঁকেই জমিটির মালিক বলে ধরা হবে।
অতিরিক্ত বাড়িভাড়া আদায়ের শাস্তি
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
শহরের অধিকাংশ মানুষই ভাড়াটে বাসায় বসবাস করেন।
বাড়িভাড়া নিয়ে শহরজীবনে বহু মামলা ও বিরোধ দেখা দেয়।
এসব মামলার এক পক্ষ বাড়ির মালিক আর অন্য পক্ষ ভাড়াটিয়া।
বাড়ির মালিক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন কিছুদিন পরপর অধিক
ভাড়ায় নতুন ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দিতে কিংবা আগের ভাড়াটিয়া
থাকলেও তার কাছ থেকে উচ্চহারে ভাড়া আদায় করতে। কিন্তু
তাদের অধিকাংশেরই হয়তোবা জানা নেই যে, যুক্তিসঙ্গত
ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা বেআইনি এবং দন্ডযোগ্য
অপরাধ। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১-এর ২৩ ধারা
মোতাবেক মানসম্মত বা যৌক্তিক ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া
আদায়ের দন্ড বা শাস্তি হচ্ছেÑ
১. বাড়ির মালিক কর্তৃক উন্নয়ন এবং আসবাবপত্র সরবরাহের
জন্য (যা বাড়ি মেরামতের পর্যায়ভুক্ত নয়, যা ৮নং ধারায়
বর্ণিত) অথবা কর প্রদানের কারণে ভাড়া বৃদ্ধির (সে
ক্ষেত্রে বাড়ির পৌরকর, টোল ইত্যাদি ভাড়াটিয়া কর্তৃক
প্রদেয়Ñ ৯নং ধারা মোতাবেক) কারণ ব্যতীত অন্য কারণে
মানসম্মত ভাড়া অপেক্ষা বেশি ভাড়া আদায় করলে (প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে) প্রথমবারের অপরাধের জন্য মানসম্মত ভাড়া
অপেক্ষা অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকার দ্বিগুণ এবং পরবর্তী
প্রতিবারের ওইরূপ অতিরিক্ত অর্থের তিনগুণ পর্যন্ত
অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
২. কোন বাড়ি যদি নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে
কমপক্ষে ২০ বছরের জন্য ভাড়া দেয়া হয় এবং ওই ভাড়ার
মেয়াদ (নির্মাণকার্য) শুরু হওয়ার তারিখ থেকে ১০ বছরের
মধ্যে বাড়ির মালিকের ইচ্ছানুযায়ী বাতিলযোগ্য না হয়,
তাহলে বাড়ির মালিক ভাড়ার অতিরিক্ত হিসেবে কোন
প্রিমিয়াম, সালামি, জামানত অথবা অনুরূপ কোন অর্থ গ্রহণ
করতে পারবেন, যা আইনের ১১নং ধারায় বর্ণিত। এ ব্যতিরেকে
বাড়ির মালিক যদি মানসম্মত ভাড়া অপেক্ষা অতিরিক্ত কোন
টাকা গ্রহণ বা দাবি অথবা প্রদানের জন্য প্রস্তাব করেন
তাহলে প্রথমবারের অপরাধের জন্য ২ হাজার টাকা পর্যন্ত
এবং পরবর্তী প্রতিবারের অপরাধের জন্য ৫ হাজার টাকা
পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৩. বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রকের লিখিত আদেশ ব্যতীত বাড়ির
মালিক যদি অগ্রিম ভাড়া বাবদ এক মাসের ভাড়ার অধিক গ্রহণ
করেন তাহলে প্রথমবারের অপরাধের ক্ষেত্রে এক মাসের
ভাড়ার অতিরিক্ত যে টাকা গ্রহণ করা হয়েছে এর দ্বিগুণ
এবং পরবর্তী প্রতিবারের জন্য এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত
যে টাকা গ্রহণ করা হয়েছে এর তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে
দণ্ডিত হবেন।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|