           
 
|
Cover August 2019
English Part
August 2019
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
দশ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ
অর্থনীতির দেশ-প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক
ফোরামের-ডব্লিউইএফ বার্ষিক সম্মেলনে উন্নয়নের ৫টি
পয়েন্ট প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি
এই ৫ পয়েন্টে ছোট এবং দুর্বল অর্থনীতিগুলোর চ্যালেঞ্জ
এবং শঙ্কার বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন।
নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ১০ বছরের
মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম ২৫তম অর্থনীতির একটি
হবে। ডব্লিউইএফ, বিএসএস।
নিজের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘আমরা মাঝেমাঝে শুধু বড় অর্থনীতির প্রয়োজনগুলোই খেয়াল
করি। আমাদের ছোট অর্থনীতির বিবেচ্য বিষয়গুলো অবশ্যই
ভাবতে হবে। একটি টেকসই বিশে^র জন্য তুলনামূলক দূর্বল
অর্থনীতিগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই জরুরী।’
প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে সহযোগীতা শীর্সক বৈঠকে এসব
কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ‘৫ দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমি
বলতে পারি, এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের
জন্য এই বিষয়গুলো খুবই জরুরি। এরপর তিনি তার প্রস্তাব
উপস্থাপন করেন। প্রথম প্রস্তাবে তিনি একটি
শান্তি-সৌহার্দ্য-ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরির পরামর্শ
দেন। দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের সকল
উপযোগী বিষয়ে মনোনিবেশের তাগিদ দেন। ৩য় প্রস্তাবে বলা
হয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে
দেশগুলোকে মনোনিবেশ করতে হবে। পঞ্চম প্রস্তাবে
প্রধানমন্ত্রী শত্রুতা নয় বরং স্বচ্ছ সম্পর্ক তৈরির
প্রতি জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম
দায়িত্বগ্রহণের পর তার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো গঙ্গার
পানি বন্টনের নায্য হিস্যা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন,
আমরা মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা
নিশ্চিত করতে পেরেছি। আর এখন বাংলাদেশ ও ভারত সমতা
ভিত্তিক উন্নয়ন এবং আন্তঃনদী বিষয়ে হাতে হাত মিলিয়ে
কাজ করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারিতের সঙ্গে আকৃতি ও
সম্পদের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের টিকে থাকার
একমাত্র উপায় হলো টেকসই উন্নয়ন এবং যোগাযোগ। তিনি বলেন,
‘আমরা একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি তৈরি করতে চাই।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
জুলাই’ ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৯৪
জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে।
জরিপে জুলাই ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড
সংঘটিত হয় ১৯৪টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জুলাই ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৬টি। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত
বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
হয় ১৯৪ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৬১ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ৩০ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৭ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৫ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৯
জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৭ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন,
এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২০৫ জন এবং আত্মহত্যা ১৯ জন।
জুলাই ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৮৯ জন, যৌন নির্যাতন ১৭ জন,
যৌতুক নির্যাতন ২ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
BHRC ফরিদপুর
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ফরিদপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ২৬ জুলাই ২০১৯ সকাল ৯:৩০টায় নদী
গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয়
সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ফরিদপুর জেলা শাখার
সভাপতি খন্দকার ইফতেখার মোহাম্মদ ইকু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
আহাম্মাদুল বারী বাবুল।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC সদর
দপ্তরের গভর্নর সাইমুম রেজা পিয়াস, গভর্নর শেখ
আব্দুল্লাহ, ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ,
ডেপুটি গভর্নর মাহমুদুল হক খান মামুন, ডেপুটি গভর্নর
ডাঃ আনোয়ার ফরাজি ইমন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার
সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক,
বরিশাল মহানগর সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি আবু
মাসুম ফয়সাল, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা,
গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এস.এম. মুনির, রাজবাড়ী
জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট এটিএম মোস্তফা, শরীয়তপুর
জেলা শাখার সভাপতি এড. মাসুদুর রহমান মাসুদ, মাদারীপুর
জেলা শাখার সভাপতি আজমল হুদা ঢালী প্রমুখ।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC
বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী মামুন,
গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুরাদুল
ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর
রাজ্জাক, শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ
মোহাম্মদ মোস্তফা, মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান প্রমুখ।
সম্মেলনে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং
মাদারীপুর জেলা শাখা অধীভুক্ত সকল শাখার সহস্রাধিক
মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী
বন্দিশালাগুলো বিপদজনক
মানবাধিকার রিপোর্ট’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত রিপোর্ট বলা হয়েছে, দেশের
দক্ষিণাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলির অভিবাসী বন্দিশালা গুলো
বিপদজনকভাবে ভরে আছে।
টেক্সাসের রিওগ্রা- বন্দিশালার ছবিতে দেখা যায়, যেখানে
৪০ জন পুরুষের থাকার কথা সেখানে ৫১ জন নারীকে বন্দী করে
রাখা হয়েছে। আর যেখানে ৪২ জন নারী থাকার কথা সেখানে ৭১
জন পুরুষ অভিবাসীকে আটকে রাখা হয়েছে। কোন কোন কারাকক্ষে
শুধু দাঁড়ানোর মতো জায়গা রয়েছে। আর সেখানে পুরুষদের এক
সপ্তাহ থাকতে হচ্ছে।
এ ধরনের একটি বন্দিশালার একজন ম্যানেজার জানান,
পরিস্থিতি টাইম বোমার মতো। যে কোন সময়ে বিস্ফোরণ ঘটতে
পারে।
মার্কিন ইনস্পেকটর জেনারেল অফিসের কর্মকর্তারা রিও
গ্রান্ডে এলাকার ৭টি অভিবাসী বন্দিশালায় এ তদন্ত
চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিড় ও দীর্ঘ সময় আটক থাকার ফলে
সরকারি কর্মকর্তা এবং বন্দীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও
নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন । কারাগারগুলো পরিদর্শন
করে তিনি দেখেছেন, শিশুদের সর্বোচ্চ ৭১ ঘণ্টা আটক
রাখার নিয়ম থাকলেও ৩৩% শিশুকে তার চেয়েও বেশি সময় আটক
রাখা হয়েছে। এ সময় তাদের গরম খাবার দেয়া হয়নি। তাদের
জন্য গোসল করার পানি কিংবা পরিষ্কার পোশাক সরবরাহেরও
ব্যবস্থাও নেই।
ইনস্পেকটারদের রিপোর্টে বলা হয়, বন্দিশালায় যাওয়ার পর
আমাদের দেখে আটক অভিবাসীরা চিৎকার করতে থাকে। তারা
কারাকক্ষের দরজা-জানালায় আঘাত করতে থাকে এবং আমাদের
কাছে চিরকুট পাঠানোর চেষ্টা করে। মার্কিন কাস্টমস
অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল বিভাগের হিসেব অনুযায়ী রিও
গ্রান্ডে এলাকায় অভিবাসী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এক বছরে
এ এলাকা থেকে আড়াই লাখ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
BHRC রংপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র রংপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ৫ জুলাই ২০১৯ সকাল ৯:৩০টায় আহার
অডিটোরিয়াম রেল স্টেশন রোড রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য এইচ.এন.
আশিকুর রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলন প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি
কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র রংপুর বিভাগের বিভাগীয়
গভর্নর এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রংপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড.
জিয়াউল হক জিয়া।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ছাফিয়া খানম, BHRC ঢাকা
মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, রংপুর জেলা শাখার
সভাপতি এড. দিপক কুমার সাহা, বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া
মোল্লা, উত্তর বঙ্গ বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুরুন নবী বুলু
প্রমুখ।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC
লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাবিবুর রহমান,
রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম মুকু,
নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জলিল, কুড়িগ্রাম
জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্রাহাম লিংকন, গাইবান্ধা
জেলা শাখার সভাপতি এড. সেকান্দার আজম আনাম, নীলফামারী
জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ আল আমিন, মোঃ গওহর
জাহাঙ্গীর রুশো প্রমুখ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC রংপুর
মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আতিকুল হাসান কল্লোল,
লালমনিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. সফিকুল ইসলাম কানু,
কুড়িগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম,
গাইবান্ধা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিস মোস্তফা তোতন,
নীলফামারী শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম
প্রমুখ।
সম্মেলনে রংপুর মহানগর, রংপুর জেলা, নীলফামারী,
গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাট জেলা শাখার
মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।
হিজাবের জন্য চাকরি হারাচ্ছেন নোবেলজয়ী মালালা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডার কুইবেকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন শান্তিতে
নোবেলজয়ী পাকিস্তানি নাগরিক মালালা ইউসুফজাই। সম্প্রতি
কুইবেকের শিক্ষাদপ্তর একটি বিতর্কিত আইন পাশ করেছে,
যাতে উল্লেখ রয়েছে কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় চিহ্নযুক্ত
কোনও কিছু সঙ্গে রাখা চলবে না। পুলিশ অফিসার, আইনজীবী
এবং শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
মালালা নিয়মিত হিজাব পরেন, যা ইসলাম ধর্মের অন্যতম
চিহ্ন। সেভাবেই তিনি কানাডার প্রদেশ কুইবেকে পড়াতেন।
ফলে নতুন আইন অনুযায়ী, কুইবেকে তার পড়ানো নিষিদ্ধ।
কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী জঁ ফ্রাঁসোয়া রবার্জের যুক্তি,
ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যই এই আইনটি পাশ করানো
হয়েছে। এসবের মাঝে আবার সেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেই
মালালার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা বিতর্ক বাড়িয়েছে।
জানা গেছে, আইনটি পাশ হওয়ার পর তিনি ফ্রান্সে সফরে
মালালার সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় মালালাও ফ্রান্সেই
ছিলেন।
কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী জানান, কুইবেকে মালালা পড়ালে
আমরা সম্মানিত হব। কিন্তু যে কোনও উদার, সহিষ্ণু দেশে
শিক্ষকরা কোনও ধর্মচিহ্ন সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন, এরকম
কোনও উদাহরণ নেই।
BHRC দিনাজপুর
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র দিনাজপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ৬ জুলাই ২০১৯ সকাল ৯:৩০টায়
ঠাকুরগাঁও শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন
মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল
মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে
সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার নির্বাহী
সভাপতি বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি এ্যাভোকেট জাহিদ ইকবাল
।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর
বিভাগীয় গভর্নর এড. হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া (প্রাক্তন
সংসদ সদস্য), সেলিনা জাহান লিটা সাবেক সংসদ সদস্য,
ইঐজঈ ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, বোদা
পৌরসভার মেয়র এবং BHRC পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি এড.
ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ
মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ
রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা,
উত্তর বঙ্গ বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুরুন নবী বুলু প্রমুখ।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC
পঞ্চগড় জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ইকবাল কায়সার মিন্টু,
দিনাজপুর জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ লুৎফুল কবির
প্রমুখ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ময়মনসিংহ
বাণিজ্যিক শাখার সভাপতি মতিউর রহমান রবিন, বরিশাল সদর
উপজেলা শাখার সভাপতি সামিম আহাম্মেদ, ঠাকুরগাঁও জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন ফেরদৌস, পঞ্চগড় জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আখতারুজ্জামান বাবু,
দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী মন্ডল
প্রমুখ।
সম্মেলনে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা শাখার
পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
মাতৃকালীন ভাতাপ্রাপ্ত মায়েদের
সংখ্যা বেড়েছে
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সরকারের কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ও প্রসবোত্তর
ভাতাপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে এই
সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এর আগের অর্থ
বছরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ৯ লাখ।
সমাজে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের নারীদের সহায়তার
উদ্দেশ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই ভাতা
দেয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, তিন বছরের জন্য এই
সহায়তা দেয়া হবে এবং প্রত্যেক মা প্রতি মাসে ৮শ’ টাকা
করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অন্যতম বৃহৎ
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি হচ্ছে ভালনারেবল
গ্র“প ডেভেলপমেনট (ভিজিডি)। এই কর্মসূচির আওতায় ১০ লাখ
৪০ হাজার অসহায় দরিদ্র, নির্যাতিত, স্বামীপরিত্যক্ত এবং
তালাকপ্রাপ্ত নারীর প্রত্যেকে দু’বছরের জন্য ৩০ কেজি
করে চাল দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ভিজিডি
কর্মসূচী চালু করে এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত
প্রতি দু’বছর মেয়াদি প্রায় ৭১ লাখ নারী সুবিধা ভোগিকে
সরকার ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছে। সমাজে ছিন্নমূল, অসহায়
এবং গর্ভবতী নারীদের সহায়তা দিতে ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে
ভিজিডি কর্মসূচী চালু করা হয়। নারী ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রনালয়ের অধিন ২০১০-১১ অর্থবছরের পর থেকে
মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং প্রসবোত্তর মাতৃত্ব ভাতা চালু
করা হয়। সরকার ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করেছে।
এর ফলে সারাদেশে দরিদ্র মায়েরা খুব সহজেই মাতৃত্বকালিন
ভাতা পাচ্ছে। ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সরকারের
সামাজিক নিরপত্তা নেট বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করছে। সরকার এই কর্মসূচীর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ অর্জনে সহায়ক হবে।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য
সরকার ৬৪.১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই বরাদ্দ
জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৩.৮১ শতাংশ।
সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই কর্মসূচীর জন্য ৪৮,৫২৪ কোটি
টাকা বরাদ্দ রেখেছিল এবং তা ছিল জিডিপি’র ১৩.০৬ শতাংশ।
সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মাতৃত্ব ভাতার জন্য ৬৯৩ কোটি
টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ৩৮০
কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
দিয়েছিল। সরকার ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নারী উন্নয়নের জন্য
১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, যা মোট
বাজেটের যথাক্রমে ৩০.৮২ শতাংশ এবং জিডিপির ৫.৫৬ শতাংশ।
১০ বছরে জাতিসংঘ কর্মীদের ধর্ষণের
শিকার ৬০ হাজার নারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১০ বছরে জাতিসংঘ কর্মীদের দ্বারা ৬০ হাজারেরও বেশি
নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের
কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু ম্যাসেলিওড। এই বিষয়ক একটি
প্রতিবেদন ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী
প্রিতি পাটেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু
ম্যাসেলিওড। দি সান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে
বড় এই সংস্থায় প্রায় ৩৩০০ শিশু নিপীড়কও কর্মরত আছেন।
তারা বিশ্বজুড়ে ঝুঁকে থাকা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করতেই
দাতা সংস্থাগুলোতে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রায় ২০
বছর ধরে এমন তথ্য গোপন করে রাখা হয়েছিলো। তবে শেষ
পর্যন্ত তার সবার সামনে উন্মোচিত হলো।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের নিয়োগ
দেয়া তালিকার মধ্যে ৬০ হাজার শান্তি কর্মীর বিরুদ্ধে
যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন ম্যাকলোয়েড। আর বেসামরিক
কর্মীরা ২০১৬ সালে ৩১১ জনকে নিপীড়ন করছেন। জাতিসংঘও
স্বীকার করেছে যে তাদের প্রকাশিত তালিকার তুলনায়
প্রকৃত সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। যুদ্ধ এলাকার বাইরের
ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা তাদের কাছে নেই। অধ্যাপক
ম্যাসেলিওডও বলেন, জাতিসংঘ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত
ধর্ষণের প্রতি ১০টি ঘটনার মাত্র একটিই রেকর্ড করা হয়।
BHRC ওয়ারী থানা শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ওয়ারী থানা শাখার ঈদ
পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা ওয়ারী হোটের সুপার লিঃ-এ ৬
জুলাই ২০১৯ সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ারী থানা
শাখার সভাপতি হাজী মোঃ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC সদর দপ্তরের
গভর্নর সাইমুম রেজা পিয়াস। প্রধান আলোচক হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী
ইমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার নির্বাহী সভাপতি ও বিশেষ
প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
শাখার সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক ও
বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, পল্টন থানা শাখার
সভাপতি ও বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, BHRC
সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC
মুগদা থানা শাখার সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার,
যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের
আশিক, শ্যামপুর থানা শাখার সভাপতি আঃ অদুদ, বংশাল থানা
শাখার সভাপতি হায়দার আলী রিয়াজ, পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক
শাখার সভাপতি আনোয়ার রাজ, সাধারণ সম্পাদক মীর আজিজুর
রহমান ফারুক, কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি নূরুল আফসার
প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন ওয়ারী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক
দেলোয়ার হোসেন মিলন।
আকাশপথে পরিবহন আইন হচ্ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আকাশপথে বিমান দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হলে
সংশ্নিষ্ট কোম্পানি বা সংস্থাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে
হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে। অতীতে এমন বিধান না থাকায়
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আর্থিক সহায়তা দিতে দায়বদ্ধতা
ছিল না সংশ্নিষ্ট সংস্থার। যে কারণে অনেকেই দুর্ঘটনায়
ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংশ্নিষ্ট পরিবার বা তাদের
প্রতিনিধিরা কোনো আর্থিক সহায়তা পেতেন না। এ
পরিপ্রেক্ষিতে আকাশপথে পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত
সুনির্দিষ্ট বিধানাবলি একীভূত করে ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিলে
স্বাক্ষরিত কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য যুগোপযোগী করতে
একটি নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামরিক পরিবহন ও
শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিবহন এ আইনের আওতায় থাকছে না। তবে
যদি কোনো ব্যক্তি আইনের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে, তাহলে
দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। এজন্য অনধিক দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
অথবা অনধিক একশ’ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশে নতুনভাবে
‘আকাশপথে পরিবহন আইন, ২০১৯’ প্রণয়ন করছে বেসরকারি
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও)
সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে
মন্ত্রণালয়। আইনটি অনুমোদনের জন্য শিগগির মন্ত্রিসভায়
উপস্থাপন করা হবে। সরকারের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা
গেছে।সমকাল
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল
হক বলেন, ‘আগে এ ধরনের আইন ছিল না। এজন্য বিমানযাত্রীরা
দুর্ঘটনায় নিহত হলে তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক
সহায়তা দেওয়ার বিধান রেখে আইন করা হচ্ছে। কোনো
দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু হলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের
সদস্যবৃন্দের কল্যাণার্থে পরিবহনকারীর দায়বদ্ধতাকে
কার্যকর করা হবে।’
সচিব বলেন, পরিবহনকারীর দায়বদ্ধতা কার্যকরে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া আদায় করা অর্থ মৃত
যাত্রীর উত্তরাধিকারী অথবা অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্যে
আনুপাতিক হারে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাগ হবে।
নিউ ইয়র্কে ইঐজঈ'র মাসিক সভা সমন্বয় অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র যুক্তরাষ্ট্র শাখার
মাসিক সভা ১০ই জুলাই ২০১৯ইং সভা নিউ ইয়র্কের জেকসন
হাইটসের তিতাস পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় । এতে
সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন BHRC USA এর সভাপতি শরীফ আহমেদ লস্কর,
সভা পরিচালনা করেন BHRC USA এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ
কায়সার জামান চৌধুরী, সভায় নতুন কমিটি সদস্য পদ নবায়ন
সহ প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়মিত সভা করা ও আগামী
২৮শে জুলাই রোজ রবিবার বনভোজনের ( পিকনিক ) দিন ধার্য
করা হয়, আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়
। সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি জনার্দন চৌধুরী,
সহ সভাপতি ডাঃ নার্গিস রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী
এনাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক পর্ণা ইয়াসমীন, মহিলা বিষয়ক
সম্পাদক বি মেহের চৌধুরী নিউ, অর্থ সম্পাদক
লায়েকুজ্জামান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা
আক্তার, নিউ ইয়র্ক মহিলা কমিটির সভাপতি মিনা ইসলাম,
নিউ ইয়র্ক সিটি মহিলা কমিটির সভাপতি এলিজা আক্তার
মুক্তা আরো অনেকে।
পুরুষের মন পেতে আঙুল ভেঙে পা ছোট রাখা হতো নারীদের!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর সৌন্দর্য তার পায়ে- এমনটি মনে করা হতো চীনে। যে
নারীর পা যত ছোট, সে তত সুন্দরী। চীনে এমন রীতিই চলে
আসছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
ছোট পায়ের নারীদের প্রতি আকর্ষিত হতেন পুরুষরা। যে
কারণে এমন নারীকে বিয়ে করতে প্রতিযোগিতায় নামতেন ধনীরা।
ঠিক সে কারণেই ধনীর ঘরে বিয়ে দিতে নির্মমভাবে মেয়েদের
পা ছোট করে রাখার কু-প্রথা চালু ছিল প্রাচীন চীনে।
প্রথাটি এতই ভয়ঙ্কর ছিল যে, কৃত্রিমভাবে পা ছোট রাখতে
আঙুল ভেঙে দেয়া হতো তিন-চার বছর বয়সী কন্যাশিশুদের।
চৈনিক ইতিহাস বলছে- পা নরম রাখতে প্রথমে উষ্ণ ভেষজ ও
পশুর রক্তে পা ভিজিয়ে রাখা হতো কন্যাশিশুদের। কেটে ফেলা
হতো নখ। তার পর ঘটত সেই পৈশাচিক কাণ্ডটি। কোমলমতি
কন্যাশিশুদের পায়ের আঙুলগুলো নিচের দিকে বাঁকিয়ে ভেঙে
ফেলা হতো। এর পর পরিয়ে দেয়া হতো লোহার জুতা, যেন পা আর
না বাড়ে।
হাড় ভাঙার যন্ত্রণায় এসব শিশু কাতরাতে থাকলেও সেদিকে
ভ্রূক্ষেপ ছিল না স্বজনদের। শক্ত ব্যান্ডেজে আঙুল ভাঙা
পা মুড়ে ফেলা হতো। ব্যান্ডেজ এমনভাবে বাঁধা হতো, যাতে
ভাঙা হাড়গুলো কখনই জোড়া না লাগে।
এভাবেই বছরের পর বছর এই ব্যান্ডেজ বাঁধা বিকৃত পা
নিয়েই বড় হতে থাকত শিশুরা। এরই মধ্যে তাদের অনেকের পায়ে
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ত, কারও কারও রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে
গিয়ে পায়ে পচন ধরত।
তবু রেহাই পেত না তারা। উল্টো খুশিই হতেন পরিবারের
লোকজন। কারণ পায়ে পচন ধরলে আঙুল খসে পড়ে যাবে, তাতে পা
আরও ছোট লাগবে।
ইতিহাস বলছে, এসব সংক্রমণ ও পচনের কারণে অনেক তরুণী
মৃত্যুবরণ করতেন। তবু থেমে ছিল না এই ভয়ঙ্কর প্রথাটি।
দ্রুত পচনের জন্য অনেকে নাকি ব্যান্ডেজ বাঁধার সময়
ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড়ের মধ্যে কাচের টুকরো বা আলপিন লাগিয়ে
দিত, যাতে যত দ্রুত সম্ভব পায়ে পচন ধরে।
আঙুল ভেঙে মেয়েদের পা এভাবে ছোট রাখার একটিই উদ্দেশ্য-
পুরুষের মন পাওয়া।
মেয়েদের পা ছোট রাখতে বাধ্য করার এই কু-প্রথাটি কবে বা
কীভাবে চালু হয়েছিল, সে নিয়ে রয়েছে একটি মিথ।
চীনের ইতিহাস বলছে, ১২৭৯ সালে সং বংশের রাজত্বকালে
রাজদরবারের নর্তকীদের মধ্যে প্রথম এ প্রথা চালু হয়।
ঐতিহাসিকের মতে, ৯৭৫ সালে ট্যাং বংশের রাজত্বকালের
লিখিত পুঁথিতেও পা ছোট রাখার রীতির উল্লেখ রয়েছে।
কথিত আছে, এক নর্তকী সুন্দর, ছোট পা দেখে মোহিত হয়ে
যান সেই সময়ে এক রাজা। তার পর থেকেই ছোট পায়ের হিড়িক
পড়ে যায়। অভিজাতদের মধ্যেও এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আর ধনী পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিতে সাধারণ মানুষেরাও পা
ছোট রাখার প্রথায় জড়িয়ে পড়ে।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে চীনে মোট নারী জনসংখ্যার ৪০
শতাংশেরই পা ছোট ছিল। শুধু অভিজাতদের মধ্যেই সংখ্যাটি
ছিল প্রায় ১০০ শতাংশ। তবে ১৬৪৪ সাল থেকে মাঞ্চু চিং
বংশ ক্ষমতায় এলে পা ছোট করে রাখার কুপ্রথা নিষিদ্ধ হয়।
তার বদলে নৌকার মতো দেখতে উঁচু হিলের জুতা চালু হয়।
তবু এ প্রথা থেকে ফেরানো যাচ্ছিল না চীনা অধিবাসীদের।
১৯০০ সালের পর থেকে এই নির্মম প্রথার বিরোধিতা করতে
শুরু করেন দেশটির মুসলমানরা। রাজতন্ত্রের অবসানের পর
চীনে প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯১২ সালে
আইন করে পা ছোট করার কুপ্রথা নিষিদ্ধ হয়।
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও দোষী
ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি BHRC’র
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)-র নারায়ণগঞ্জ
মহানগর শাখার ৭ জুলাই ২০১৯ ১৪তম সভায় মানবাধিকার
কর্মীবৃন্দ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের দু’টি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান
এবং দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ধর্ষণ ঘটনা দু’টি
হল সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারি
শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম
জুলফিকারের সমন্বয়ে সংগঠিত ২০ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং
ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অবস্থিত বায়তুল হুদা
ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আল আমিন কর্তৃক ১২ জন
ছাত্রী ধর্ষণ।
সভার শুরুতে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মানবাধিকার কর্মী
দিল মোহাম্মদ দিলুর কন্যা অকাল প্রয়াত খাদিজা ইয়াসমিন
আশার জন্য শোক প্রস্তাব ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত
কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া সভায় মহানগরের অধীন শাখা
কমিটিগুলোর মেয়াদ, পুনর্গঠন ও নির্বাচন কার্যক্রমসহ
বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
বিএইচআরসি-র ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ অঞ্চলের গভর্ণর ও
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি কে ইউ আকসির সভাপতিত্বে ও
মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রুমির
সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি আনজুমান
আরা আকসির, সিনিয়র সহ-সভাপতি ননী গোপাল সাহা, সহ-সভাপতি
এরশাদুর রহমান, জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন
মন্টু, বন্দর থানার সভাপতি এডভোকেট হাসিনা পারভীন,
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাধারণ সম্পাদক জি এম হায়দার আলী
বাবলু, মহানগরের অর্থ সম্পাদক রিনা আহমেদ, সহ-মহিলা
বিষয়ক সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক
সানোয়ার হোসেন, কার্যকরী সদস্য রেখা গুণ, কামরুল হাসান,
মতিউর রহমান, কামরুল ইসলাম রূপক, ওহিদুল ইসলাম, মোছা:
ঝরনা বেগম প্রমুখ। নারায়ণগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল বিকাল
সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল মহানগর শাখার
মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরিশাল মহানগরের উদ্যোগে
সকল থানা, ওয়ার্ড, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাথে
৩০ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় ৯৪৫,
সি এন্ড বি রোডে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষ স ম ইমানুল হাকিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি
মোঃ আবু মাসুম ফয়সল, বরিশাল মহানগরের উপদেষ্টা শেখ
আবদুল্লাহ ইউসুফ মণি, সিঃ সহ সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান পারভেজ, মোঃ
আলম, মোঃ নাঈম ঢালী, মোঃ নাজমুল, মোঃ সিভার আহমেদ, মোঃ
মনির, রুহুল আমিন, নেওয়াজ ও শরাফউদ্দিন খান।
এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন কোতয়ালি থানা শাখার সাধারণ
সম্পাদক মোঃ তানভীর আহমেদ, বন্দর থানা শাখার সভাপতি
মোঃ হাদিসুর রহমান পান্না বিশ্বাস ও তথ্য সম্পাদক
ফেরদৌস, বিমান বন্দর থানা শাখার সভাপতি মুকুল মুখার্জি
ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন, ১৬ নং ওয়ার্ড শাখা সভাপতি
মোঃ জুম্মান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির ও যুগ্ম সাঃ
সম্পাঃ তৌহিদ, ২০ নং ১৫ নং ২২ নং ও ২৩ নং ওয়ার্ডের
সভাপতি সাঃ সম্পাদক গন। তাছাড়া বি এম কলেজ শাখার সভাপতি
গাজী আবীর ও সাধারণ সম্পাদক কৌশীক, বিশ্ববিদ্যালয়
শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের বর্তমান সমস্যা ডেঙ্গুর হাত
থেকে কিভাবে মানুষ কে সাহায্য করা যায় তা আলোচনা করা
হয়। উপস্থিত প্রত্যেক কমিটির নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে কথা
হয় এবং সংগঠন কে বেগবান করার জন্য বিভিন্ন ভবিষ্যত্
কর্মপন্থা ঠিক করা হয়।
সবশেষে সবাই এক সাথে রাতের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে
অনুষ্ঠান শেষ হয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে
আকষ্মিক বন্যা, হোয়াইট হাউজে পানি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারী বৃষ্টিপাতে আকষ্মিক বন্যার কবলে পড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। এছাড়া হোয়াইট
হাউজের নিচতলার একটি দপ্তরের মেঝেতে পানি উঠেছে।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ৮ জুলাই ২০১৯ এর রেকর্ড
পরিমাণ ভারী বৃষ্টিপাতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ ৭৬ মিলিমিটার (৩ ইঞ্চি) বৃষ্টি রেকর্ড
করার কথা জানিয়েছে।
৮ জুলাই ২০১৯ বৃষ্টিপাতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই
প্রতিদিনের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে যায়। এতে করে
নগরীর অনেক এলাকায় লোকজন আকস্মিক বন্যার মধ্যে গাড়িতে
আটকা পড়ে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসরত সাধারণ জনগণকে উচু স্থানে
যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে গাড়ি নিয়ে
রাস্তায় বের হওয়া বিপজ্জনক উল্লেখ করে সতর্ক করেছে
কর্তৃপক্ষ।
দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মীরা পানির মধ্যে গাড়িতে আটকে
থাকা অনেককে উদ্ধার করেছেন। ইতিমধ্যে তারা ১৫ চালককে
রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন।
তিনদিনের সফরে রাণী ম্যাক্সিমা ঢাকায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিনদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই)
সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
পৌঁছান তিনি।
এ সময় তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে
আব্দুল মোমেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স
ফর ডেভেলপমেন্ট’ বা উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক
অর্থায়ন (ইউএনএসজিএসএ) এর বিশেষ দূত হিসেবে ঢাকা আসলেন
তিনি।
সাধারণ মানুষ যেন সহজেই আর্থিক সেবাখাতের সহযোগিতা পেতে
পারে, সে উদ্দেশ্য মাথায় রেখে বাংলাদেশ এখন একটি
কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজ করছে।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ঢাকায় এলেন রানি ম্যাক্সিমা।
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৫০ শতাংশের
ব্যাংক হিসাব আছে, কিংবা তারা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে
সেবা নেন।
২০১৪ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩১ শতাংশ। ব্যবহারভোগীর এই
বৃদ্ধির পরও ৫৮ মিলিয়ন বা পাঁচ কোটি আট লাখ মানুষের
এখনও ব্যাংকে কোনো চলতি বা জমা হিসাব, ইন্স্যুরেন্স
পলিসি, ঋণ বা ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ নেই।
এতে তারা উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশে
৬৫ শতাংশ পুরুষের বিপরীতে মাত্র ৩৬ শতাংশ নারীর ব্যাংক
হিসাব রয়েছে। এই ব্যবধানের হার ২৯ শতাংশ (বৈশ্বিক
আর্থিক সূচক)।
রানি ম্যাক্সিমা তার সফরকালে নারীদের আর্থিক
প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাপ্রাপ্তিটা যেন সহজ হয় সে বিষয়ে
বিশেষ জোর দেবেন। নারীরা যদি তাদের বেতন-ভাতা ডিজিটাল
মাধ্যমে এবং নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সহায়তা পান তাহলেই
আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাপ্রাপ্তি সহজতর হবে।
এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। ডিজিটাল
পেমেন্ট প্ল্যাটফরমের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়ের একটি
যোগসূত্র কেন থাকা প্রয়োজন সে সম্পর্কেও কথা বলবেন তিনি।
তার আলোচ্যসূচিতে থাকছে দ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল
স্ট্র্যাটেজি ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স বা উন্নয়নের
জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে জাতীয় কৌশলপত্র। ১১
জুলাই ম্যাক্সিমার ঢাকা ত্যাগ করার কথা।
Top
ভারতে
‘জয় শ্রীরাম’ এর নামে আরো তিন মুসলিমকে মারধর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে
দেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব থামছে না। জয়
শ্রীরাম ইস্যুতে মুসলমানদের ওপর এ নির্যাতন
সাম্প্রতিককালে আরো বেড়ে গেছে। এই একই ঘটনার সাক্ষী
থাকলো এবার আসাম। তিন মুসলিম যুবককে জোর করে জয়
শ্রীরাম বলানো ও মারধর করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
টিডিএন
পুলিশ জানায়, চারজন দুর্বৃত্ত মোটরবাইকে করে এসে
রাকিবুল হক নামে এক ওষুধের দোকানের কর্মচারীকে মারধর
করে। এদিকে পশ্চিম বরপেটা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন,
দুষ্কৃতকারীরা কুরবান খান ও বুরান আলিকেও মারধর করে।
কুরবান ও বুরান স্থানীয় চায়ের দোকানে কাজ করে। পুলিশ
জানায়, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে,
খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছেন।
পাশাপাশি দুস্কৃতিদের মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বিজেপি সরকারের ‘এক দেশ, এক জাতি, এক ধর্ম’ দর্শনই কি
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে বেসামাল করে তুললো? দুর্বল
বিরোধীদল কংগ্রেস মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে না
পারলেও সে দেশের বিবেকবান
বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-সাহিত্যিকরা এ নির্যাতনের প্রতিবাদ
করছেন। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান কেন মুসলমানদের দিতে
বাধ্য করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
২০১৯ সালের ৩০ মে মোদির শাসনের দ্বিতীয় পর্যায়ে
প্রথমেই শুরু হয় ‘পাবলিক লিঞ্চিং’। বাস, ট্রেনে বা
রাস্তায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধরে নির্যাতনের মাধ্যমে
‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। ‘জয় শ্রীরাম’ বা ‘গো
মাতা কি জয়’ স্লোগান না দিলে পাবলিক লিঞ্চিংয়ের
তীব্রতায় বেদম প্রহার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহ স্টেশনে বিজেপি সমর্থিত হিন্দু
সংহতি নামের একটি কট্টর হিন্দু সংগঠনের নেতারা মুসলমান
যাত্রীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেয়ার নির্দেশ দেয়।
স্লোগান না দেয়ায় মারধর করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া
হয়। গত ৭ জুলাইও মধ্যপ্রদেশে গোরক্ষকদের হাতে মুসলিম
নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই প্রদেশের খান্ডোয়া জেলার
সাভালিকেন্ডা গ্রামে ৬ জন মুসলিম যুবককে নির্যাতন করা
হয়েছে। তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তায় হাঁটু মুুড়ে কান
ধরে বসিয়ে রাখা হয়; জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে
বাধ্য করা হয়।
সংখ্যালঘু মুসলমানদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার
তীব্র প্রতিবাদ করে ভারতের প্রথিতযশা অভিনেত্রী শাবানা
আজমি ৫ জুলাই শনিবার মধ্যপ্রদেশে এক অনুষ্ঠানে মোদি
সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এসব কী হচ্ছে? যখন
ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয়া হয়, তখন সে
ঘটনাটি প্রভু রামের জন্য অবশ্যই বেদনার ছিল।
বিজেপিকে উদ্দেশ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.
অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান মানুষ
প্রহার করার জন্য ভারতে আমদানি করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন বিজেপির ফাদার সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক
সংঘের (আরএসএস) দর্শন হলো ‘সবার উপর গরু সত্য তাহার
উপর নেই’। তাদের মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’য় বলা হয়েছে
‘ভারতের মুসলমানরা ধর্মের বিধান মেনে যদি গরু জবাই
করেন, তাহলে গরু হত্যাকারীকে হত্যা করার অধিকার
অন্যদের রয়েছে। আরএসএস, বিজেপি, বিশ্বহিন্দু পরিষদ,
শিবসেনা, বজরং দল ঐক্যবদ্ধভাবে সারা ভারতে মুসলিম
বিদ্বেষ প্রচার করে মুসলমান নাগরিকদের হুমকির মুখে ফেলে
দিয়েছে।
ভারতের মুসলিম নেতা তাজুদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালের ২ জুন
দেশ পত্রিকায় ‘ঊষা-দিশাহারা নিবিড় তিমির আঁকা’ শীর্ষক
প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে ভারতে কত
সংখ্যালঘু মানুষের প্রাণ গেছে তার ইয়ত্তা নেই। আহার
নিদ্রার মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ‘পাবলিক লিঞ্চিং’।
Top
নেতাদের ভুল স্বীকার করতে নির্দেশ মমতার
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে
উদ্বিগ্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজে সংগঠনের দায়িত্ব¡ নিয়ে দলের শুদ্ধিকরণে উদ্যোগী
হয়েছেন। নির্বাচনের পরে দলে পর্যালোচনার সময় দলের নেতা
ও জনপ্রতিনিধিদের আচার-আচরণ ও জনসংযোগের অভাব নিয়ে বহু
অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। সেগুলোর অধিকাংশই যে
ভিত্তিহীন নয়, তার প্রমাণ তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী নিজেও
পেয়েছেন। আর তাই দলের শুদ্ধিকরণে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি পরামর্শদাতা হিসেবে সঙ্গে নিয়েছেন
দেশের অন্যতম নির্বাচন কৌশলি বলে পরিচিত প্রশান্ত
কিশোরকে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে
স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে প্রশান্ত কিশোর তাদের সাফল্য এনে
দিয়েছেন। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনেই প্রশান্ত
কিশোরের সংস্থা অন্ধ্র প্রদেশে ওয়াই এস আর কংগ্রেসকে
জয়ী করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। আর এবার
প্রশান্ত কিশোরকে ডেকে আনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতার
ভাইপো তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ই পিসিকে বুঝিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের
সাহায্য নেবার জন্য।
একাধিকবার প্রশান্ত কিশোর মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠক করেছেন অভিষেকের সঙ্গেও। এমনকি বিভিন্ন জেলার
নেতৃত্বকে নিয়ে মমতা যে বৈঠক করছেন তাতেও হাজির থাকছেন
প্রশান্ত কিশোর। এই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই নাকি
মমতা দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে অপ্রিয় নির্দেশ
দিয়ে চলেছেন।
কয়েকদিন আগেই দলের নেতাদের কাটমানি (বিভিন্ন প্রকল্পের
অর্থ কেটে রাখা বা ঘুষ নেওয়া) ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছেন। এর ফলে দলের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হলেও
মমতা কোনো কথাই বলছেন না। রাজ্যের প্রায় সর্বত্র
কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন
স্তরের নেতাদের ঘেরাও করে মুচলেকা আদায় করা হচ্ছে।
অনেকে অর্থ ফেরতও দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতির মাঝেই গত
শুক্রবার দলের বিধায়কদের ভুল সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মমতার পরামর্শ, কোনো ভুল হয়ে থাকলে এড়িয়ে যাবেন না।
ভুলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জনসংযোগের মাধ্যমে তা শুধরানোর
চেষ্টা করুন। বিধায়কদের অনেকের আচার-আচরণ, বিলাসী
জীবনযাপন যে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ, তা বুঝিয়ে
এদিন মমতা বলেছেন, সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে।
বিধায়কদের সহজ-সাধারণ জীবনযাপন করতে হবে। বিধায়কদের
অনেকের ঔদ্ধত্য যে ‘নেতিবাচক’ বার্তা দিয়েছে, তাও
সংশোধনের চেষ্টা করতে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। মানুষের
অভাব-অভিযোগ শুনে তা দ্রুত প্রতিকারের চেষ্টা করতেও
বলেছেন তিনি।
এদিকে দলের নেতা ও কর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা
না করারও নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের উপর
নির্ভরতার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে যে ভুল বার্তা
গিয়েছে সেকথাও মমতা দলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশের
সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চান কোরিয়ান প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মাধ্যমে
বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক দৃঢ় করার মাধ্যমে নতুন
উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান সফররত কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি
নাক-ইয়োন। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ
অগ্রগতির প্রশংসা করে কোরিয়ান প্রধানমন্ত্রী তিনটি
প্রধান ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ
করেছেন। সেগুলো হলো- জ্বালানি, অবকাঠামো ও
তথ্যপ্রযুক্তি।
এ সময় তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও বাংলাদেশের রপ্তানি
বৃদ্ধিতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের ওপরও জোর দেন তিনি। আজ
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রোমোটিং বিজনেস টাইস
টুডে : ব্রিংগিং মিউটুয়াল প্রসপারেটি টুমোরো’ শীর্ষক
বাংলাদেশ-কোরিয়া বিজনেস ফোরামে বক্তব্য প্রদানকালে এ
কথা বলেন কোরিয়ান প্রধানমন্ত্রী।
ফোরামে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল
মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (কেআইটিএ)
সিইও ও চেয়ারম্যান ইয়ং জু কিম।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত
ছিলেন।
এফবিসিসিআই প্রধান ফাহিম বলেন, ‘বৈদেশিক বিনিয়োগের
জন্য এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে অনুকূল
শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও
ব্যবসার ব্যাপারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান সুপার পেট্রোকেমিক্যাল
বাংলাদেশের পেট্রোকেমিক্যাল খাতে ২.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন
ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। যা দুই দেশের বিনিয়োগ
সম্পর্কে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’
এফবিসিসিআই প্রধান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য
অংশীদার হিসেবে গত বছরে বাংলাদেশ-কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয়
বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন
ডলারের।’ এ সময় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে দৃঢ়
করতে এফবিসিসিআই ও কেআইটিএ- এর মধ্যে একটি সমঝোতা
স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রতি ৬
জনে অপুষ্টিতে ভুগছে একজন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে প্রতি ছয় জনের মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছেন।
জোগাড় করতে পারছেন না পর্যাপ্ত খাবার। জাতিসংঘের এক
প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি
করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা, কৃষি
উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল, জাতিসংঘের শিশু
তহবিল, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।
বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিয়ে তৈরি করা ‘দ্য
স্টেট অব ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯’
শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত ১৫ই জুলাই প্রকাশ হয়। এতে বলা
হয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে পর্যাপ্ত খাবার পায়নি প্রায়
৮২ কোটি মানুষ। বিশ্বজুড়েই বাড়ছে অপুষ্টিতে ও ক্ষুধায়
ভোগা মানুষের সংখ্যা। শতকরা হারে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি
বৃদ্ধি পেয়েছে আফ্রিকান অঞ্চলগুলোতে। সেখানকার মোট
জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশই অপুষ্টিতে ভুগছে।
সংখ্যার হিসাবে তা ২৫ কোটি ৬১ লাখ মানুষ। এদিকে, শতকরা
হিসাবে আফ্রিকায় অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বেশি
থাকলেও, সংখ্যায় এশিয়ায় বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে।
অঞ্চলটিতে প্রায় ৫১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ পুষ্টিহীনতার
শিকার। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় গত পাঁচ বছরে ক্ষুধা ও
অপুষ্টি নিবারণে উন্নতি করলেও এখনো অঞ্চলটির ১৫ শতাংশ
মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া, পুরো বিশ্বের প্রায়
২০০ কোটি মানুষ পাচ্ছে না নিরাপদ, পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত
খাবার।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, পুরো বিশ্বজুড়েই শিশু ও
প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে বাড়ছে স্থূলতার হার। ২০১৮ সালে
আনুমানিক ৪ কোটি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুকে অতিরিক্ত
ওজনের অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ৫
থেকে নয় বছর বয়সী ১৩ কোটি ১০ লাখ, ২০ কোটি ৭০ লাখ
কিশোর-কিশোরী ও ২০০ কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ওজন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি
ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যের যোগান থাকা মানে এই নয় যে,
সকলেই পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে। একইভাবে, খাদ্যের উৎপাদন
বাড়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়নসহ নানাবিধ
বহুমাত্রিক ঝুঁকিও বেড়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা
হয়, গত দশকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অপুষ্টি হার
ক্রমাগত হারে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে গত বছর
পর্যন্ত তা ১১ শতাংশ বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি
উৎপাদন প্রভাবিত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে কৃষকদের সংখ্যা।
এসবকিছু মিলে খাদ্যের উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগে এসেছে
ব্যাপক পরিবর্তন। পাশাপাশি পরিবর্তিত হয়েছে খাদ্য
নিরাপত্তা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির ধরনও।
দক্ষিণ এশিয়ায় গুরুতর খাদ্য ঝুঁকির প্রাদুর্ভাবের হার
কমেছে। ২০১৪ সালে এই হার ছিল ১৩.৭ শতাংশ, ২০১৬-এ তা কমে
১০.৬ শতাংশে নেমে এসেছিল। তবে গত দুই বছরে তা ফের অল্প
করে বাড়ছে। অঞ্চলটিতে গত বছর গুরুতর খাদ্য ঝুঁকিতে ছিল
২৭ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
ইইউ কমিশনে
প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট উরসুলা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপিয়ান কমিশন
প্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন। মঙ্গলবার
স্বল্প ভোটের ব্যবধানে কমিশনটির নতুন প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত হন তিনি। এই পদে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম নারীও
তিনি। তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের
ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আগামী পহেলা নভেম্বরে বর্তমান
প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারের স্থলাভিষিক্ত হবেন
উরসুলা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভোটে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের
অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের ভোট নিশ্চিত করেন তিনি। তার
পক্ষে ভোট পড়ে ৩৮৩টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩২৭টি। ইইউ
পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যা ৭৫১ জন।
তবে মঙ্গলবার চার জন ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন। জয়ের জন্য
তার প্রয়োজন ছিল ৩৭৪ ভোট। উল্লেখ্য, ইইউ আইনের খসড়া
তৈরি, আইন প্রয়োগ করা ও সদস্য দেশগুলোর ওপর প্রয়োজনে
জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।
নির্বাচনে জয়লাভের পর উরসুলা পার্লামেন্টের উদ্দেশে
বলেন, আপনারা আমার ওপর ভরসা করার মাধ্যমে ইউরোপের ওপর
আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন। পূর্ব থেকে পশ্চিমে, দক্ষিণ থেকে
উত্তরে, একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের প্রতি
আপনাদের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে এই নির্বাচনের
মাধ্যমে। এটা বেশ বড় একটি দায়িত্ব। আমার কাজ এখনই শুরু
হলো। চলুন, আমরা একসঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করি।
ভন ডার লিয়েন উরসুলা:উরসুলার জন্ম বেলজিয়ামের রাজধানী
ব্রাসেলসে। তিনি সাত সন্তানের জননী। রাজনীতিতে
প্রবেশের পূর্বে একজন গাইনোকলোজিস্ট হিসেবে কাজ করতেন
তিনি। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেশ
সমালোচিত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এই নারী। তিনি
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশটির
সশস্ত্র বাহিনীর সরঞ্জাম ঘাটতি প্রকট হয়েছে। অনেকের
দাবি, এর পেছনে দায়ী তার ব্যবস্থাপনার ধরন। তিনি
সমাজকল্যাণ, দারিদ্র্যতাদূরীকরণ ও নারী অধিকার নিয়ে
কাজ করতে ইইউকে আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অভিবাসন
ইস্যুতে তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে ইইউ
সীমান্তগুলোতে নিরাপত্তা কড়া করবেন তিনি। তবে
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া
বেকারদের জন্য জাতীয় ইনস্যুরেন্স পরিকল্পনা জোরদার
করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
এদিকে, বিবিসি’র ইউরোপ প্রতিনিধি ডামিয়ান গ্রামাটিকাস
জানান, উরসুলার জয় নিশ্চিত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে
থাকবেন ইইউ নেতারা। তার মনোনয়ন নিয়ে বেশ জটিলতার শিকার
হতে হয়েছিল তাদের। এই পদে মূলত ৩ জন ছিলেন মূল
প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু তাদের কাউকে নিয়ে ঐকমত্যে
পৌঁছতে না পারায় অনেকটা আকস্মিকভাবেই উঠে আসে লিয়েনের
নাম। খোদ জার্মান জোটের মধ্যেই তার মনোনয়ন নিয়ে
বিরোধিতা ছিল অনেকের। গ্রিন পার্টি জানিয়েছে, জলবায়ু
পরিবর্তন ও শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর ইস্যুতে তার
প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত দুর্বল। গ্রিনরা তাকে ভোট দেয়নি।
দুস্থদের মাঝে BHRC’র সেলাই মেশিন বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক
শাখার উদ্যোগে দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলায় মেশিন বিতরণ
করা হয়েছে। ডেল্টা যাকাত ফাউন্ডেশন'র সহযোগীতায়
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দুস্থ অসহায় মহিলাদের
মাঝে ২ জুলাই নগরীর তেহরান রেস্টুরেন্টে এসব সেলায়
মেশিন বিতরণের আয়োজন করা হয়।
সক্ষম-১ প্রকল্পে প্রধান অতিথি হিসেবে এ আয়োজনের
উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর সিনিয়র
ডেপুটি গভর্নর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞলিক শাখার সভাপতি
জনাব আমিনুল হক বাবু।
ডেল্টা যাকাত ফাউন্ডেশন'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর
এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন এর ডেপুটি গভর্নর ও চট্টগ্রাম মহানগর
উত্তর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এতে উপস্থিত ছিলেন মনবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম
আঞ্চলিক শাখার যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদ
চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার, হুমায়ুন
কবির হিমু, নির্বাহী সদস্য সৌমেন তালুকদার,এসডিজি ইয়ুথ
ফোরামের সদস্য কাইয়ুমুর রশিদ বাবু, আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ
ইয়াসির সামিত, ইমরুল ইমতিয়াজ, টিপন মহাজন, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পাচ জন দুস্থ মহিলার হাতে সেলাই মেশিন তুলে
দেম নেতৃবৃন্দ।
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী
বরিস জনসন
মানবাধিকার
রিপোর
টেরিজা মে’র পদত্যাগের ঘোষণার পর প্রায় দুইমাসের ভোট
আনুষ্ঠানিতা শেষে ঘোষণা করা হয়েছে ব্রিটিশ নতুন
প্রধানমন্ত্রীর নাম। দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জেরেমি হান্টকে টপকে কনজারভেটিভ নেতা বা প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনপ্রিয়
ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন।
২৩ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বরিস
জনসনকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। এর আগে
২২ জুলাই বিকেল পর্যন্ত জেরেমি হান্ট ও বরিস জনসন- এ
দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একজনকে জয়ী করতে ভোট দেন
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির
নিবন্ধিত সমর্থকরা।
এর মধ্যে ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী
হয়েছেন বরিস জনসন। আর ৪৫ হাজার ৫৯৭ ভোটের ব্যবধানে
হেরেছেন ব্রিটেনের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ভোট
পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬টি। এ নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ
ভোট পড়েছে বলে কনজারভেটিভ পার্টির বরাত দিয়ে সংবাদ
প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
২৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ব্রিটেন সরকারের
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। একইসঙ্গে এ দিন রানি
দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে
নিজের পদত্যাগপত্র দেবেন টেরিজা মে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীও রানির সঙ্গে দেখা করবেন এবং এরপর
তিনিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও দপ্তর ‘১০ ডাউনিং
স্ট্রিট’-এ প্রথম বক্তব্য দেবেন।
এদিকে, বরিস জনসন দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে, তার অধীনে
কাজ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী
ফিলিপ হ্যামন্ডসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
ব্রিটেনের চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব বরিস
জনসন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। এছাড়া বরিস জনসন
কনজারভেটিভ নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এর
আগেও অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় জিততে পারেননি দেশটির
বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটপন্থী নেতা মাইকেল
গোভ তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন বলে। তবে এবার সব বাধা
তিনি ভেঙে দিয়েছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে।
রোহিঙ্গাদের
হয় নাগরিকত্ব, নয় ভূখণ্ড দিতে হবে ॥ মাহাথিরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সরকার পরিচালিত সংবাদ সংস্থা
আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সাধারণত অন্য দেশগুলোর
অভ্যন্তরীণ বিষয় গুলোতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। কিন্তু
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হয়েছেন এবং
মালয়েশিয়া এর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের এই
নাগরিকদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের অন্যায় আচরণেরও
বিরুদ্ধে অবস্থান মালয়েশিয়ার। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
বলেন, দেশটিতে একসময় অনেক রাজ্য ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা
মিয়ানমারকে একটি রাজ্য হিসেবে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ বার্মা রাজ্যে অনেক উপজাতি ছিল। কিন্তু এখন
অবশ্যই তাদের সঙ্গে হয় নাগরিকদের মতো আচরণ করা, নয়
তাদেরকে নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভূখণ্ড দেয়া উচিত
বলে উল্লেখ করেন তিনি। আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মাহাথির
বলেন, আজ বেশির ভাগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য
মুসলিমদেরকেই দায়ী করা হয়। কিন্তু সত্য হলো ইসরায়েলের
ফিলিস্তিন দখল এবং আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষার ফল এই
তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ থেকে
মুক্তি পাওয়ার জন্য এর কারণ জানা প্রয়োজন। মালয়েশিয়াতে
আমরা সন্ত্রাসীসহ জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করেছি এবং
সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটেছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়্যিপ
এরদোগানের আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত ২৪
জুলাই দেশটিতে পৌঁছান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
মাহাথির মোহাম্মদ।
Top
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর
কেউ ভিভিআইপি নয়, বাকিরা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী,
বললেন হাইকোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একজন যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি
ঘাটে তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে
স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
দিয়েছেন হাইকোর্ট। অতিরিক্ত সচিবের নিচে নয়- এমন একজন
কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন
সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে জনপ্রশাসন সচিবকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট
আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া
ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ৩ কোটি
টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে
চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে তদন্ত করে কেন
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া
হয়েছে রুলে।
নৌ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব,
পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআই ডব্লিউ টিসির চেয়ারম্যান,
যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডল, মাদারীপুরের ডিসি, পুলিশ
সুপার, কাঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক ও কাঠালবাড়ী
থানার ওসিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে
বলা হয়েছে।
শুনানিতে আদালত বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-ভিভিআইপি। তাদের
ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয় থাকে, সেটি বিবেচনা করতে হয়।
এর বাইরে কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। এরা ভিআইপি নন,
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এরকম কেউ করতে পারে না। ডিসি
বলতেই পারেন একজন লোক যাবেন। তার জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি
আটকে রাখতে হবে কেন? অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সাভিসের
গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
শুনানিতে হাইকোর্ট রিটকারীর কাছে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা
ক্রম জানতে চাইলে আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন বলেন, দেশে
ভিভিআইপি মাত্র দুইজন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। নৌ
পরিবহন আইন অনুযায়ী জাহাজ বা ফেরিতে ওঠার জন্যে
অগ্রাধিকার পাবে ক্রমান্বয়ে লাশবাহী গাড়ি,
অ্যাম্বুলেন্স এবং ভিআইপি। কোনো ভিআইপির গাড়ি জাহাজ বা
ফেরিতে ওঠার সময় তিন নম্বর ক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন।
কিন্তু কোনোভাবেই জাহাজ বা ফেরি থামিয়ে রাখা যাবে না
দরিদ্রদের জন্য
ক্ষতিকর আর্থিক সেবা নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
দরিদ্রদের দেওয়া সব আর্থিক সেবা অন্তর্ভুক্তিমূলক নয়।
এসব আর্থিক সেবার কোনো কোনোটি গরিব মানুষের জন্য উপকারী
হলেও অন্যগুলো প্রয়োজন ও চাহিদার বিচারে তাদের জন্য
যথোপযুক্ত নয়। এসব ক্ষতিকর আর্থিক সেবা থেকে তাদের
রক্ষা করা প্রয়োজন। চীন সফররত প্রফেসর ইউনূস
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ওপর বক্তৃতা দিতে গিয়ে
সম্প্রতি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইউনূস সেন্টার এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে। গত ২৭ জুলাই চীন সফরে
যান প্রফেসর ইউনূস। এই সফরের দ্বিতীয় অংশে বেইজিংয়ে
কেইক্সিন মিডিয়া গ্রুপ এক প্রাতরাশ সভায়
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ওপর বক্তৃতা দিতে প্রফসর
ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানায়। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও
বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৭০ জন
বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
লঘু দণ্ডপ্রাপ্তদের
সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.
ইমান আলী বলেছেন, লঘু অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের
সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার এখনই
সময়। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের জন্য উপযুক্ত হাতিয়ার হবে
‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিনেন্স’-১৯৬০ আইনটি।
তিনি বলেন, লঘু অপরাধে যেসব নাগরিক প্রথমবার কারাগারে
যান তখন তারা বড়ো অপরাধীদের সংস্পর্শে এলে পরে কারাগার
থেকে বেরিয়ে আরো অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন। সুপ্রিম
কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মস ও জার্মান
ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন্স (জিআইজেড) আয়োজিত সেমিনারে
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিচারপতি ইমান আলী এসব কথা
বলেন। সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা
হয়। তিনি বলেন, যদি কেউ অভ্যাসগত অপরাধী না হন তাহলে
লঘু অপরাধ করলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। তিন
বছর কিংবা তার কম সাজা হলে নানারকম শর্ত দিয়ে এসব
আসামিকে দণ্ড স্থগিত রেখে প্রবেশনে রাখা যেতে পারে।
তাতে কারাগারে অতিরিক্ত চাপ কমে আসবে। আর যাদের জেলের
ভাত খাওয়ার শখ নেই তারা এসব শর্ত মেনে সেই সুযোগটি
নেবেন।
বিচারপতি ইমান আলী বলেন, অনেকেই এ আইনটি সম্পর্কে অবগত
নন। যেখানে সাজার পরিমাণ কম সেখানে এ আইনের প্রয়োগ করা
সম্ভব। তবে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বেলায় এটি প্রয়োগ
করা সম্ভব নয়। আইনটি ১৯৬০ সালের কিন্তু এখনো এটির তেমন
প্রয়োগ নেই। এটি প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। বিচারকদের
পাশাপাশি এ আইনের বিষয়ে আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই আইন
প্রয়োগের ফলে লঘু অপরাধীদের অপরাধপ্রবণতা কমবে।
পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ পেয়ে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে
গড়ে তুলতে পারবে।
কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আপিল
বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্টের বিচারপতি
ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি মো.
আবু জাফর সিদ্দিকী, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব
জিআইজেড বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রকল্পের পরিচালক উম্মে
কুলসুম, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার
হোসেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল
মামুন প্রমুখ।
কর্মশালায় জাস্টিস অডিটের তথ্য উপস্থাপন করে জিআইজেডের
রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত বলেন,
২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সাজাপ্রাপ্ত
বন্দি ছিল ১৯ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে দুই বছরের নিচে
দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৫৪৬জন। একজন
বন্দির দৈনন্দিন খাওয়া খরচ ৫৪ টাকা। সেই হিসাবে যদি
এদেরকে প্রবেশনে পাঠানো হতো তাহলে ২৩ কোটি টাকা সাশ্রয়
হতো। ঐ টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যায় করা যেত।
তিনি বলেন, একই বছরে ওই আইনের আওতায় সারাদেশে ১ হাজার
৭৬৩টি প্রবেশন অর্ডার ইসু করা হয়। এর মধ্যে চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে করা হয় ১ হাজার
৪৮৬টি। সিএমএম কোর্ট থেকে করা হয় ১৭৭টি আর ১০০টি করা
হয় চৌকি আদালত থেকে। কিন্তু প্রবেশন কর্মকর্তাগণ হাতে
পেয়েছেন ১২৬টি প্রবেশন অর্ডার। ফলে এই সংখ্যা কমিয়ে
আনার ক্ষেত্রে দুটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি।
প্রিয়া সাহার
অভিযোগ সঠিক নয়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
কাছে বাংলাদেশের নারী প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘুদের নিয়ে
যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায়
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
১৯ জুলাই রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ বিহার
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন
রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
মেরুল বাড্ডার বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনে গেলে বৌদ্ধ
ধর্মীয় নেতারা সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত
জানান। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দিরটি
ঘুরে দেখেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের সাথে মতবিনিময়
করেন।
বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য
দিয়েছেন তা সঠিক নয়।
বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবেও
উল্লেখ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা। তার
অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
তোলপাড় শুরু হয়। এরই মধ্যে দেশটির এই কূটনীতিকের কাছ
থেকে এমন জবাব এলো।
প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘুদের নিয়ে কেন অভিযোগ করেছেন, তা
খতিয়ে দেখা হবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
জনপ্রশাসন পদক পেলেন নরসিংদীর ডিসি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জনপ্রশাসন পদক পেলেন নরসিংদীর ডিসি সৈয়দা ফারহানা
কাওনাইন। বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে
কর্মসংস্থান নরসিংদীর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি এই পদক
পান।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
সম্মেলন কেন্দ্রে বেলা ৩টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল
হামিদ শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে ব্যক্তিগত
ক্যাটাগরিতে এই পদক তুলে দেন। প্রতিবছর ২৩ জুলাই
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জাতীয় পাবলিক
সার্ভিস দিবস পালন করে। এবার বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো
দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে ১১
ব্যক্তি, জেলা পর্যায়ে ৩৪ ব্যক্তি এবং উভয় পর্যায়ে একটি
করে প্রতিষ্ঠানকে এ বছরের জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত
বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায়
স্থাপিত ‘জব কর্নার’ এর মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৭ শ
বেকার যুবক-যুবতী বায়োডাটা জমা নেন জেলা প্রশাসন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নিজস্ব
চিন্তাপ্রসূত জব কর্নারের মূল লক্ষ্য ছিল শিল্পাঞ্চল
খ্যাত নরসিংদী জেলায় বেকারত্বের হার কমানো। এদের মধ্য
থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে ৩২১ জনকে নিয়োগ
দেয় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে জেলা
প্রশাসনের এই উদ্যোগ বেকার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক
সাড়া ফেলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কর্মসংস্থান
নরসিংদী নামে একটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপস তৈরির কাজ করছে
জেলা প্রশাসন। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই চাকরির আবেদন করতে
পারবে চাকরি প্রার্থীরা। আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যাপসটি
উন্মোচন হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পদক পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা প্রশাসক
সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, নরসিংদী জেলাকে বেকার
মুক্ত করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। এ কাজের স্বীকৃতি
আমাকে আনন্দ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে, পাশাপাশি দায়বদ্ধতা
বেড়েছে। এই কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
৭ বছরের শিশুর
৫২৬টি দাঁত!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এমন ঘটনা বিশ্বের চিকিৎসা ইতিহাসে নেই। মাত্র ৭ বছরের
শিশুর মুখে অস্ত্রোপচার করে ৫২৬টি দাঁত বের করা হয়েছে।
বিভিন্ন মাপের দাঁত। সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ের সবিতা
ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসকরা জানান, চোয়াল কেটে তার ভিতর থেকে একটি থলির
মত অংশ পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ২০০ গ্রাম। সেই থলির
মধ্যেই তৈরি হয়েছিল ৫২৬টি দাঁত। এর মধ্যে এমন কয়েকটি
অতি ক্ষুদ্র দাঁতও ছিল।
ওই শিশুর যখন বয়স ৩ বছর, তখনই তার বাবা-মা লক্ষ্য করেন
ছেলের চোয়ালের কাছে ফোলা। তখন বিষয়টি তারা বিশেষ
গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু ফোলাটা দিন দিন বাড়তে থাকে। ৭
বছর বয়সে শিশুটির বাবা-মা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
চিকিৎসক এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান করে। সেই রিপোর্টের
ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের সময় ওই শিশুটির চোয়াল কাটা হয়। তখনই তার
ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি থলের মত বস্তু। সেটি কাটতেই
তার মধ্যে ৫২৬টি দাঁত পাওয়া যায়। ৫ ঘণ্টা লাগে এই বিরল
অস্ত্রোপচার করতে। তবে অস্ত্রোপচারের পর ওই শিশুটি ভাল
আছে।
নবজাতক কোলে নিয়ে
বিয়ের পিঁড়িতে ১৩ বছরের নাদিয়া!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবজাতককে কোলে নিয়ে
বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ১৩ বছরের বালিকা নাদিয়া। মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় উপজেলা অডিটরিয়ামে বাচ্চা কোলে নিয়েই তার বিয়ে
হয়।
বর প্রবাসে থাকায় টেলিফোনের মাধ্যমে করা হয়েছে সব
আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার
ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে এ বিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম।
১০ জুলাই বিকালে গণমাধ্যমকে ইউএনও জানান, যে ছেলেটি এই
শিশুর বাবা তার সাথেই বিয়ে দেয়া হয়েছে। কাবিন ১০ লাখ
আর নবজাতকের নামে ২ শতাংশ জমি লিখে দেয়। মেয়েটি
ন্যায়বিচার পেয়েছে বলে মন্তব্য তার।
জানা যায়, বছর খানেক আগে ভোলাবো এলাকার সালাউদ্দিন
ভূইয়ার ছেলে মোবারকের সঙ্গে নাঈম মিয়ার বুদ্ধি
প্রতিবন্ধী মেয়ে নাদিয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে
উঠে। এসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে
একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন মোবারক। এতে নাদিয়ার
গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই নাদিয়াকে অস্বীকার করতে
শুরু করেন মোবারক।
এরপর একপর্যায়ে সামাজিক চাপে বিদেশে পালিয়ে যান মোবারক।
গত ৫ জুলাই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নাদিয়া। এ
অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ধর্ষকের সঙ্গে
বিয়ের মাধ্যেমে নবজাতক কন্যা ফিরে পায় তার পিতার পরিচয়।
নাদিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্তান জন্ম
দেওয়ার পর মেয়ের বাবা নাঈম মিয়া ছেলেটিকে ফোনে তার
মেয়েকে বিয়ে করার কথা জানালে ছেলের পরিবার বিষয়টি
স্বীকার করে। বিচারের আশায় পাঁচদিন স্থানীয়দের কাছে
ঘুরেও বিষয়টির উপযুক্ত কোনো সমাধান পাননি নাদিয়ার বাবা।
পরে নাঈম মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মমতাজ বেগমের কাছে নবজাতকের পিতৃপরিচয় পেতে বিচার দাবি
করেন।
পরে ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন
টিটুর সহযোগিতা নিয়ে ইউএনও বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারকে
নোটিশ করেন। পরে ৯ জুলাই সন্ধ্যায় উভয় পরিবারের
সম্মতিক্রমে ১০ লাখ টাকা কাবিন ও নবজাতকের নামে দুই
শতক জমি লিখে দেওয়ার চুক্তি সাপেক্ষে প্রবাসী মোবারকের
সাথে ভিডিও কলে নাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের শাড়ি, কাবিনের
ফি ও বিভিন্ন খরচ ইউএনও নিজেই বহন করেন। বিষয়টির সুষ্ঠ
ও সামাজিকভাবে সমাধান হওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় আরো
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর
ফারুক ভূইয়া, ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু,
ভোলাব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আসকারী,
ভোলাব ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম
প্রমুখ।
ফ্রি ভিসা চালু করছে শ্রীলংকা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পর্যটকদের জন্য বিনামূল্যে ‘অন অ্যারাইভাল’ বা ফ্রি
ভিসা (বিমানবন্দর নামার পর ভিসা) চালু করছে শ্রীলংকা।
৫০টি দেশের নাগরিকরা এই ফ্রি ভিসার সুযোগ পাবেন বলে
মঙ্গলবার সরকারি একটি নথিতে জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। চলতি বছর ইস্টার সানডের
উৎসবকালে দেশটিতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার পর
পর্যটকদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
পর্যটকদের টানতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে অন অ্যারাইভাল ভিসা
চালু রয়েছে ভুটান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ায়। খবর এশিয়া
টাইমসের।
গত ২১ এপ্রিল শ্রীলংকার বেশ কিছু বিলাসবহুল হোটেল এবং
গির্জায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ২৫০ জনের বেশি
মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে ৪২ জনই বিদেশি নাগরিক।
ওই হামলার পর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রীলংকায় পর্যটকদের
সংখ্যা কমে গেছে। কারণ ওই হামলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন
দেশ তাদের নাগরিকদের শ্রীলংকা ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি
করে। এতে দেশটির পর্যটন খাতে ধস নামে।
কাঞ্চন পৌরসভার নতুন
মেয়র রফিকুল ইসলাম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক মেয়র নির্বাচিত
হয়েছেন। ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় ভোটগণনা শেষে বেসরকারি
ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়। রফিকুল ইসলাম রফিক নৌকা
প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৫৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী দেওয়ান আবুল
বাশার বাদশা পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৪৭ ভোট।
নারী ও শিশু সংবাদ
কানাইঘাটে
যৌতুকবিহীন গণবিয়ে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেটের কানাইঘাটে দরিদ্র পরিবারের ২০ জোড়া দম্পতির
যৌতুকবিহীন গণবিবাহ হয়েছে। শনিবার বড়চতুল ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলীর নিজ বাড়ি
রাউতগ্রাম মাদানীনগরে এ গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে
জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, এলাকার গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলাহুল মুসিলিমিনের পক্ষ থেকে যৌতুকবিহীন এ গণবিবাহ
অনুষ্ঠানে দরিদ্র পরিবারের ২০ জোড়া নবদম্পত্তির
প্রত্যেককে তাদের ভরণ পোষণের জন্য একটি করে সেলাই
মেশিন, ১টি ছাগল এবং সংসার সাজানোর বিবাহ উপহার সামগ্রী
এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা
প্রদান করা হয়। নব দম্পতিদের পরিবার ও তাদের স্বজনরা
যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন ও সংসার সাজানোর জিনিসপত্র পেয়ে
আনন্দে অনেকে কেঁদে ফেলেন। বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান
মাওলানা আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বিয়েতে
উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
আবদুল মুমিন চৌধুরী, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি
আব্দুল করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা
আব্দুল্লাহ শাকির, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ
আব্দুল আহাদ, শাবিপ্রবি কলেজ পরিদর্শক এম তাজিম উদ্দিন,
দৈনিক সিলেটের দিনরাত পত্রিকার সম্পাদক মুজিবুর রহমান
ডালিম, কানাইঘাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম
উদ্দিন, কানাইঘাট নিউজ ডটকমের সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ,
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সামছুন নূর, বীর মুক্তিযোদ্ধা
সুবেদার আফতাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যবসায়ী
আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আহমদ, আবদুর রশিদ, বিএনপি নেতা
আলতাফ হোসেন বিলাল প্রমুখ।
আখাউড়ায় তিন বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন
ইউএনও
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক দিনে তিনটি বাল্যবিয়ে বন্ধ
করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার
বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ
করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
এ কে এম শরীফুল হক।
জানা গেছে, গতকাল পৌর এলাকার লাল বাজার রেলগেটের
বাসিন্দা নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বিজয়নগরের এক
ব্যক্তির বিয়ে হচ্ছিল। এ ছাড়া মনিয়ন্দে সপ্তম শ্রেণির
এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল কসবা উপজেলার এক
বাসিন্দার। পরে খবর পেয়ে ইউএনও শরীফুল হক দুটি বাড়িতে
গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছ থেকে
মুচলেকা নেন।
এদিকে উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত
একটি মেয়ের বিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেটিও
বন্ধ করে দেন ইউএনও।
ইউএনও শরীফুল হক জানান, গতকাল চারটি বাল্যবিয়ের খবর
পেয়ে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে একটি মেয়ের
বয়স ঠিক থাকায় বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান,
মনিয়ন্দের ভুয়া জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণিতে
পড়া মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।।
তালতলীতে যৌতুকের
দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে
নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূ বরগুনার
তালতলীতে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। আদালতের বিচারক মো.
হাফিজুর রহমান সোমবার মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী উপজেলা
ভাইস চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল
করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামি হল, তালতলী
উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়ীয়া গ্রামের আবদুল গনি খানের ছেলে
আল-আমীন। অন্য আসামিরা হল আল-আমীনের বাবা আবদুল গনি
খান ও মা রাহিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ গাববারীয়া গ্রামের
আসমার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে আল-আমীনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আল-আমীন ও তার বাবা-মা একটি অটোরিকশা
কেনার জন্য গৃহবধূ আসমার কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি
করে আসছে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আল-আমীন
প্রায়ই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আল-আমীন শুক্রবার
স্ত্রী আসমার কাছে অটোরিকশা কেনার জন্য আবারও দেড় লাখ
টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে
প্রথমে আল-আমীন স্ত্রী আসমাকে কিলঘুষি মারে। একই সঙ্গে
আল-আমীনের বাবা-মাও আসমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে
আল-আমীন গামছা ও ওড়না দিয়ে আসমার হাত-পা বেঁধে রাখে।
আহত গৃহবধূ আসমা বলেন, আমি বারবার চিৎকার করে আসামিদের
বলেছি আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আপনারা আমাকে প্রাণ
ভিক্ষা দিন। ওই গৃহবধূ বলেন, আমি যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে
যাই তখন আমাকে আসামিরা ঘরে রেখে আমার ভাই মনিরের কাছে
ফোন দিয়ে বলে আমি অসুস্থ। পরে আমার ভাই মনিরসহ কয়েকজন
ওইদিনই আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। রোববার
দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বিকালে তালতলী থানায়
মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
নির্যাতনে বাসার
গ্রিল কেটে শিশু গৃহকর্মীর পালানোর চেষ্টা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতন সইতে না পেরে আটতলার একটি বাসার গ্রিল কেটে
পালানোর চেষ্টা করছিল গৃহকর্মী রিয়াদ (১২)। পরে পুলিশ
এসে তাকে উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগের
মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় গত রবিবার দুপুরের এ ঘটনায়
গৃহকর্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্যামলী কাজমীকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশু গৃহকর্মী রিয়াদ আটতলার বাসার গ্রিল
কেটে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী
সাইদুল ইসলাম জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে
পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানা
হেফাজতে নেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ছেলেটির
শরীরে মারধরের অসংখ্য দাগ আছে। হাতে কয়েকটি কামড়ের
দাগও আছে। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী শ্যামলীকে গতকাল সোমবার
গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান,
ছেলেটি আমাদের জানিয়েছে, তাকে মারধর করা হতো। তাই সে
গ্রিল কেটে বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। এ
ঘটনায় মামলা হয়েছে।।
পাস্তুরিত দুধে বেশি
ঝুঁকিতে শিশুরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিচার্স সেন্টারের
সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক বলেছেন বাজারে
থাকা পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের মাধ্যমে
অ্যান্টিবায়োটিক মানব দেহে প্রবেশের ফলে বাড়ছে
মৃত্যুঝুঁকি। মানুষের শরীরে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে।
এর মধ্যে অনেক রোগ আছে যেগুলো প্রাণঘাতী। এসব প্রাণঘাতী
জীবানুকে মারার জন্য আমরা মানব দেহে অ্যান্টিবায়েটিক
ব্যবহার করি। যদি প্রতিদিন দুধের মাধ্যমে শরীরে
অ্যান্টিবায়েটিক প্রবেশ করতে থাকে এক সময়
অ্যান্টিবায়েটিক তার কার্যকারিতা হারাবে। তখন অসুখ হলে
অ্যান্টিবায়েটিক খেলেও তা কার্যকর হবে না। তখন মৃত্যু
ছাড়া উপায় নেই। দেখা যাবে সাধারণ অসুখেই আমাদের মৃত্যু
হবে।
মানবজমিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সবচেয়ে
বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। শিশুদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
নাজুক থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পরিনত হয়।
দুধের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়েটিক শিশুদের শরীরে প্রবেশ
করলে তাদের ক্ষতির পরিমানটাও বেশি হয়। দুধে
অ্যান্টিবায়েটিক গর্ভবতী মায়েদের জন্যও ক্ষতিকর ।
দুধের মধ্য দিয়ে তা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রবেশ করলে
গর্ভের সন্তানের সঠিক বৃদ্ধি ঘটেনা । এতে করে বিকলাঙ্গ
শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। এই সমস্যার দ্রুত
সমাধান চান অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক। তিনি বলেন সরকারের
কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন আমার নামে মামলা
করবেন। ডেইরী শিল্পের মালিকরা বলছেন আমার নামে মামলা
করবেন। বিএসটিআই বলছে আমার নামে মামলা করবে। বাজারে
থাকা পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের পরীক্ষায় মানব
চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিপজ্জনক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।
এটা যদি ভুল বলে থাকি আমাদের শাস্তি হবে। তার আগে
আপনারা সমস্যা সমাধান করেন। আমরা ডেইরী শিল্পের ওপর
নির্ভর করতে চাই। সরকারের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা আছেন তাদের উদ্যোগী হয়ে এসমস্যা সমাধান করা
উচিৎ। যাতে দ্রুত নিরাপদ দুধ খেতে পারে মানুষ।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
কুমিল্লার আদালতে আসামির হাতে
আসামি খুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের
এজলাসের খাস কামরায় ১৫ জুলাই ২০১৯ সকালে এক আসামি অপর
আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন। নিহত যুবকের নাম
ফারুক হোসেন (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের ফুপাতো ভাই
আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্টের হত্যা
মামলার আসামি ছিলেন ফারুক ও হাসান। আজ জামিনে থেকে ওই
মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তাঁরা। এ সময় ফারুক ও হাসানের
মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসান কুমিল্লার জেলা
ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ছুরি নিয়ে ধাওয়া
করেন ফারুককে। ফারুক আত্মরক্ষার্থে আদালতের এজলাস কক্ষে
প্রবেশ করেন। সেখানে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাঁকে
উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন আদালতের লোকজন হাসানকে
আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ফারুককে হাসপাতালে নেওয়ার
পথে তিনি মারা যান।
কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘মামাতো-ফুপাতো ভাইয়ের মধ্যে
দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে
ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছি এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে।’।
কক্সবাজার কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৯
গুণ বেশি বন্দী ঘুমাচ্ছেন পালা করে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১১টি কারাগারে বর্তমানে ধারণ
ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী গিজগিজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে
বেশি বন্দী অবস্থান করছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলা
কারাগারে। এই কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৯ গুণ বেশি
বন্দী রয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রতিদিন নানা
বয়সী বন্দীদের কারা অভ্যন্তরে থাকা, খাওয়া, চলাফেরা
থেকে শুরু করে প্রতিটি মুহূর্ত চরম দুর্ভোগের মধ্যে
কাটাতে হচ্ছে। শুধু যে দিনেই তাদের কষ্ট হচ্ছে তা নয়,
রাতে তাদের ঘুমাতে হচ্ছে পালা করে। এতে অতিরিক্ত গরম
আর অসহ্য যন্ত্রণায় অসুস্থ বন্দীর সংখ্যা বাড়ছে। এমন
পরিস্থিতিতে কারা প্রশাসন সম্প্রতি অতিরিক্ত বন্দীদের
মধ্য থেকে সহস্রাধিক বন্দীকে একই বিভাগের অন্য দুটি
কারাগারে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। তারপরও বন্দীদের
থাকার জায়গা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
কক্সবাজারসহ সারা দেশের কারাগারে ধারণ ক্ষমতার
অতিরিক্ত বন্দীর অবস্থানসহ একাধিক বিষয় নিয়ে গতকাল
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে
স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা, সেবা বিভাগ), আইজি প্রিজন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা ছাড়াও
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান,
বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দীর সংখ্যা
আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে থাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে
অনেকের সমস্যা হচ্ছে।
এ ছাড়া নানাবিধ সমস্যার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে কারা
অধিদফতরে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
তারা আরও জানান, সাক্ষাৎ কক্ষের স্থানটি ছোট হওয়ায় কেউ
কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পারছে না। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার
জেলা কারাগারের জেলার রিতেশ চাকমা বলেন, আজ (রবিবার)
সকাল পর্যন্ত কারাগারে মোট বন্দী ছিল চার হাজার ৪৬৩ জন।
এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ২১০ জন আর মহিলা বন্দী ২৫৩
জন। যদিও কারাগারটির বন্দী ধারণ ক্ষমতা ৫৩০ জন। এর
মধ্যে পুরুষ ৪৯৬ আর মহিলা ৩৪ জন। ওই হিসাবে ধারণ
ক্ষমতার প্রায় ৯ গুণ বন্দী আছে। এত বিপুল সংখ্যক বন্দী
নিয়ে প্রতিদিন আমাদের সকাল বিকাল হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বন্দীদের থাকার
জায়গা দিতে। গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে বন্দীদের। তিনি
বলেন, প্রতিনিয়ত বন্দীর চাপ বাড়তে থাকায় গত ২৮ জুন
বান্দরবান ও রাঙামাটি কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক হাজার
বন্দীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। এক প্রশ্নের
উত্তরে তিনি বলেন, এমনিতেই কারাগারে ডাক্তারের স্বল্পতা
রয়েছে। কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দীদের চিকিৎসা এখন
ডাক্তারের পরিবর্তে ফার্মাসিস্ট দিয়ে চালানো হচ্ছে।
তার মতে, কারাগারে বন্দীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ আছে
কিন্তু ডাক্তার নেই। আরেক এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি
বলেন, ইয়াবা মামলায় ১০২ জন আত্মসমর্পণ করা বন্দীসহ
কারাগারে যত বন্দী রয়েছে তার মধ্যে ৭০ শতাংশ বন্দীই
মাদক মামলার আসামি। তিনি বলেন, কারাগারে ২০০ জন বন্দী
থাকার জন্য একটি ছয়তলা ভবন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। সেটি
দ্রুত চালু করা সম্ভব হলে বন্দীর চাপ কিছুটা হলেও কমে
যেত বলে তিনি মনে করছেন।।
পকেটে মাদক ঢুকিয়ে
ফাঁসালে পুলিশের স্থান হবে হাজত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মো.
মোখলেসুর রহমান বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিরীহ
ব্যক্তির পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর
চেষ্টা করেন, সেই পুলিশের স্থান থানার চেয়ারে নয়, তার
স্থান হবে থানার হাজতে।
১৩ মার্চ বিকেলে নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক
স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ আয়োজিত ই-ট্রাফিক
পুলিশিং এবং মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদককে দেশের অন্যতম সমস্যা উল্লেখ করে এআইজিপি বলেন,
মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না,
আওয়ামী লীগের নেতা ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরও দায়িত্ব
আছে।
মোখলেসুর রহমান আরো বলেন, আমরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন
কোনো জীব নই। আমরা ইচ্ছা করলেই সমস্ত কিছু করতে পারি
না। সবার সহযোগিতা যদি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই
কাঙ্খিত শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিণত করতে
পারবো।
তিনি বলেন, আমরা জনবান্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব
পুলিশ হতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যরা
সাধারণ মানুষের, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত,
অবহেলিত ও গরিব মানুষের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা যেন
কায়েম করে। তবে এজন্য অবশ্যই আমাদের সমাজের মানুষেরও
সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত
ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড.
সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ
খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী
লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং
কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন।
এর আগে জেলা পুলিশের ই-ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রমের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তাৎক্ষণিকভাবে একটি মোটরসাইকেলকে ই-ট্রাফিকিং-এর
আওতায় এনে চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তার কাছ থেকে
জরিমানা আদায় করেন অতিরিক্ত আইজিপি।
এসময় তিনি বলেন, ই-ট্রাফিক পুলিশিং মাধ্যমে ঝামেলা
ছাড়াই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।
ধর্ষণের পর হত্যার
দায়ে দুই আসামির যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যা
মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ
ছাড়া উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর
করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- বরিশাল
মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন আরজীকালিকাপুর
এলাকার সেন্টু খাঁর ছেলে মনির খাঁ (২৭) ও কালাম মীরার
ছেলে রুবেল (২৬)। রোববার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই রায়
ঘোষণা করেন। এ সময় মনির উপস্থিত থাকলেও রুবেল পলাতক
ছিল বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফয়েজুল
হক ফয়েজ। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে
২৮শে জুলাই সন্ধ্যার পরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা
নিজ ঘরের পাশেই বান্ধবী সুমির বাসায় টেলিভিশন দেখতে
যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন ২৯শে জুলাই সকালে
মুক্তার মা রুশিয়া বেগম তাদের লাকড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে
ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের লাশ দেখতে পান।
থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়
এবং একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের
প্রতিবেদনে পুলিশ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ
পায়। মুক্তাকে ধর্ষণ করে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা
করে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার
এসআই সিদ্দিকুর রহমান ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই নভেম্বর
বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করে।
কারাগারে পরিবর্তন
হলো সকালের নাস্তার মেন্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইংরেজ শাসনামলে কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে একই
মেন্যুতে সকালের নাস্তা করতো বাংলাদেশের কারাবন্দীরা।
অবশেষে পরিবর্তন হলো তাদের এই মেন্যু। এবার নাস্তায়
যুক্ত হয়েছে মুখরোচক কিছু খাবার।
কারা সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ
পর্যন্ত সকালের নাস্তায় একটি মেন্যু ছিল। নাস্তায় একজন
কয়েদি পেত ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ
রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেত ৮৭.৬৮
গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল
ইসলাম মিলন বলেন, নতুন মেন্যুতে একই খাবার পাবে একজন
কয়েদি ও হাজতি। তারা সপ্তাহে ২ দিন পাবে ভুনা খিচুড়ি,
৪ দিন সবজি ও রুটি এবং বাকি ১ দিন হালুয়া ও রুটি। ১৬
জুন ২০১৯ ভোর থেকে এই মেন্যু কার্যক্রম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন মেন্যুর বিষয়টি জেনে কারাবন্দীরা
আনন্দ প্রকাশ করেছে। কারাবন্দীদের বিষয় মাথায় রেখে
দীর্ঘদিনের মেন্যু পরিবর্তন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী
সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
১৬ জুন ২০১৯ সকাল ৯টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন
এই মেন্যু উদ্বোধন করেন।
শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৩০
বছরের কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে শেরপুরে
মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের ৩০ বছরের সশ্রম
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামির অনুপস্থিতিতে ১৭ জুন ২০১৯ বিকেলে শেরপুর নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃা
আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
রায়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের
ভরণ-পোষণের জন্য ধর্ষক মিলনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও
দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত মিলন জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার
ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর
থেকে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া
গ্রামে হতদরিদ্র কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার
মাস ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে মিলন। এতে অন্তঃসত্ত্বা
হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষককে বিয়ের
জন্য বলা হলে তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
রক্তে প্লাটিলেট বাড়াবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
(ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তে প্লাটিলেট কমে
যাওয়া) রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা রক্তজমাটে
সাহায্য করে। ২০ হাজারের নিচে প্লাটলেটের সংখ্যা নেমে
আসলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। কোনো
কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে জীবনযাত্রা ও
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের
সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিছু খাবার আছে
যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে
নেই সেসব খাবারের নাম।
পেঁপে এবং পেঁপে পাতা: পেঁপে খুব দ্রুত রক্তের
প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। মালয়েশিয়ার এশিয়ান
ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে
প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত
বৃদ্ধি করে। রক্ত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে
প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান
করুন।
মিষ্টি কুমড়া এবং কুমড়া বীজ: মিষ্টি কুমড়া রক্তের
প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মিষ্টি
কুমড়াতে আছে ভিটামিন ‘এ’ যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা
করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত
মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
লেবুর রস: লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে।
ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও
ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।
আমলকী: আমলকীতেও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও
আমলকীতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে আমলকী
খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস
হওয়া থেকে রক্ষা পায়। অ্যালোভেরার রস: অ্যালোভেরা
রক্তকে বিশুদ্ধ করে। রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও
অ্যালোভেরা উপকারী। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান
করলে রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ডালিম : ডালিম রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে। এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা প্লাটিলেট
বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের জুস দুই
সপ্তাহ পান করুন। ডালিমের রসের ভিটামিন দুর্বলতা দূর
করে কাজে শক্তি দেবে।
ডেঙ্গুর
প্রকারভেদ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এডিস ইজিপটি নামক মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস
মানব শরীরে প্রবেশ করে। এই মশা ভাইরাসবাহী কাউকে
কামড়ানোর পর অন্য আরেকজনকে কামড়ালে সেই মানুষটি
আক্রান্ত হয়। এডিস মশা স্থির পানিতে, যেমনÑপরিত্যক্ত
টায়ার, পানির বোতল, কনটেইনার, ফুলের টব, এয়ারকুলারের
পানি ইত্যাদির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে। সাধারণত শহরাঞ্চলে
রোগটি বেশি হয়, তুলনামূলকভাবে গ্রামে কম হয়। এক রোগী
থেকে অন্য মানুষের শরীরে সরাসরি ডেঙ্গু ছড়াতে পারে না।
তাই রোগীর সংস্পর্শে গেলেই ডেঙ্গুও হয় না। ডেঙ্গুর
বিষয়টি মানুষ জানলেও এর যে গতি-প্রকৃতিতে পরিবর্তন
হচ্ছে, সে সম্পর্কে সচেতনতা নেই অনেকের। এমনকি আমাদের
অনেকেরই এ বিষয়ে ভালো ধারণা নেই। ফলে সবাইকে এ ব্যাপারে
সচেতন ও সতর্ক থাকা উচিত। ডেঙ্গু রোগের চারটি সেরোটাইপ
রয়েছে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪)। সাধারণত একবার
এক সেরোটাইপ দিয়ে আক্রান্ত হলে পরবর্তী সময় আরেকটি দিয়ে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারও হয়তো ডেঙ্গু শনাক্ত
হচ্ছে, কিন্তু ঠিক কোনো টাইপের ডেঙ্গু তা শনাক্ত করা
হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু পরীক্ষার পাশাপাশি টাইপিং বের
করাটাও জরুরি। না হলে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া কঠিন
হয়ে পড়ে।
প্রকারভেদ : ভাইরাসজনিত জ্বর ডেঙ্গু, যা এডিস মশার
কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল, ডেঙ্গু
হেমোরেজিক ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম-এই কয়েক ধরনের ডেঙ্গু
হয়। ক্লাসিক্যাল : ক্লাসিক্যাল বা সাধারণ ডেঙ্গুতে
প্রচন্ড জ্বর হয়, যা ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট
পর্যন্তও হতে পারে। জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত
স্থায়ী হতে পারে। সঙ্গে মাথাব্যথা, পেটব্যথা, বমি বমি
ভাব, চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশি বা গিঁটে ব্যথা,
শরীরে র্যাশ থাকতে পারে। অন্যদিকে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু
হলে তেমন সমস্যা নেই, এতে মৃত্যুর মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে
না।
হেমোরেজিক : ডেঙ্গু হেমোরেজিকে জ্বর কমে যাওয়ার দু-তিন
দিনের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল র্যাশ বা
রক্তবিন্দুর মতো দাগ দেখা যায়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে
রয়েছে মাড়ি বা নাক দিয়ে আপনা-আপনি রক্তক্ষরণ, রক্তবমি,
কালো রঙের পায়খানা, ফুসফুসে বা পেটে পানি জমা ইত্যাদি।
রক্ত পরীক্ষা করালে দেখা যায়, রক্তের অণুচক্রিকা বা
প্ল্যাটিলেটের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। হেমোরেজিক
ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি বেশি, যাতে শরীর থেকে অস্বাভাবিক
রক্তক্ষরণ হতে পারে।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম : ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ডেঙ্গু
হেমোরেজিক ফিভারের উপসর্গগুলোর পাশাপাশি রোগীর রক্তচাপ
হঠাৎ কমে যায়, নাড়ির গতি বৃদ্ধি পায়, হাত-পা শীতল হয়ে
আসে, রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে
যেতে পারে। এ ধরনের জ্বর হলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা
নেওয়া উচিত। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত বা
অণুচক্রিকাও দিতে হতে পারে। তবে সবার যে এমন হবে, তা
কিন্তু নয়।
জ্বর হলে করণীয় : যেকোনো জ্বরে আক্রান্ত রোগী যত বেশি
বিশ্রামে থাকবে, যত বেশি তরল খাবার খাবে, তত দ্রুত
জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই ডেঙ্গুর মূল চিকিৎসা প্রচুর
তরল বা পানি গ্রহণ করা, পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকা ইত্যাদি।
যেকোনো জ্বরে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর তাপমাত্রা
গেলেই তা কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সাপোজিটরি
ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পানি, শরবত ও তরল খাবার বেশি
দিতে হবে। কোনো অবস্থায়ই শরীরে যেন তরলের ঘাটতি না হয়।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ খাবেন না।
অন্যান্য ওষুধ প্রয়োগ না করাই উচিত। তবে যেকোনো জ্বর
তিন দিনের বেশি থাকলে, শরীরে প্রচন্ড ব্যথা থাকলে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে তালের
শাঁস-ওলকচু
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এবার কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
শিক্ষক বলছেন, কচি তালের শাঁস, পাকা তালের রস,
অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস এবং ওলকচু
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অথচ
ডায়াবেটিস রোগীদের উল্লিখিত জিনিস খাওয়া ব্যাপারে ভীতি
রয়েছে।
অধ্যাপক ড. শেখ শাহিনুর রহমান নামের ওই শিক্ষক বলছেন,
তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, এই খাদ্যগুলো ডায়াবেটিক
রোগীদের জন্য উপকারী।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে গবেষণা করে তাল ও ওলকচু
সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন ফলিত পুষ্টি
ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক।
তার গবেষণায় উঠে এসেছে, পাকা তালের রস, কাঁচা তালের
শাঁস, অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা অংশ অথবা
ওলকচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে।
এর কোনোটিই ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ায় না; বরং
উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনে। স্বাভাবিক খাবারের
পাশাপাশি এসব খাদ্যোপাদান পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
অধ্যাপক ড. শেখ শাহিনুর রহমান এই প্রকল্পের ওপর পিএইচডি
ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে
ভালো ফল পেয়েছেন।
এতে দেখা গেছে, ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও পূর্ণ
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
এই গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
সিন্ডিকেট তাকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে। গবেষণাটির
সুপারভাইজার ছিলেন অধ্যাপক ড. শেখ আবদুর রউফ। কো-সুপারভাইজার
ছিলেন অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
গবেষক ড. শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, তাল ও ওলকচু নিয়মিত
পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস অনেকাংশে
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি উদ্ভিদজাত
উপাদানের সংমিশ্রণে ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম এমন একটি
কার্যকর খাদ্য উপাদান তৈরির জন্য গবেষণা চালিয়ে যাব।
উপযুক্ত ফান্ড পেলে গবেষণার মান এবং পরিধি বাড়ানো
সম্ভব বলেও জানান তিনি।
দুধ রসুন একসঙ্গে খেলে সারবে ৪ রোগ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দুধ হলো একটি পুষ্টিকর খাবার। ছোট-বড় সবাই দুধ খাওয়া
উচিত। দুধ শরীরে শক্তি যোগায়। তবে দুধের সঙ্গে যদি
আরেকটি উপাদান মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে চারটি রোগ থেকে
মুক্তি মিলবে। এটি হলো রসুন।
রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আর দুধ
পুষ্টিকর খাবার। দুধ ও রসুন মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে
বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এছাড়া শ্বাসতন্ত্রকে ভালো রাখে।
দুধের মধ্যে রসুন দিয়ে ঘুমানোর খেলে অ্যাজমা, কফ,
নিউমোনিয়া, হজমের সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে। দুধে
রসুন মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতার কথা জানিয়েছে
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক।
উপকরণ
২০০ মিলিলিটার দুধ, চারটি রসুনের কোয়া, সামান্য মধু।
প্রণালী
একটি পাত্রের দুধ নিয়ে গরম করুন ও তার মধ্যে রসুনের
কোয়াগুলো দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে
এলে চুলা থেকে নামিয়ে সামান্য মধু মেশান। প্রতিদিন
ঘুমানোর আগে এ পানীয়টি পান করুন।
শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার ক্ষতিগুলো এড়াবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই এক জায়গায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ
করতে হয়। কম্পিউটারের সামনে বসে একটানা সাত-আট ঘণ্টা
কাজ করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের
শরীরে।
এর মধ্যে রয়েছে-
- কোমর, পিঠে, হাড়ের ও স্নায়ুর নানা অসুখ
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বাড়তি ওজন
- রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যার কারণও
এই বসে থাকা।
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার ক্ষতিগুলো এড়াতে মেনে চলুন
নিয়মগুলো-
- দীর্ঘ সময় একই জায়গায় বসে না থেকে মাঝে মাঝে উঠে
দাঁড়ান
- রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে প্রতি ঘণ্টায় কয়েক পা হেঁটে
নিন
- তিন-চার তলায় উঠা-নামা করতে লিফট নয়, সিঁড়ি ব্যবহার
করুন
- একটি বল রাখুন ডেস্কে, কাজের মাঝে কয়েক সেকেন্ড চাপ
দিন। এটি আঙুলের হাড় ও পেশির জন্য যেমন উপকার, তেমনি
মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে
- প্রতিদিন আধঘণ্টা হাঁটুন বা যেকোনো ব্যায়াম করুন
- খাবারের বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে
- অতিরিক্ত খাবার, তৈলাক্ত বা ফাস্টফুডের পরিবর্তে বেশি
বেশি শাক-সবজি-ফল খান। সঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন।
- চেয়ারটি যেন বেশি নরম বা শক্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য
রাখুন।
- খুব উঁচু-নিচু হলেও কিন্তু সমস্যা।
যেসব খাবার একসঙ্গে খেলে বিপদ
প্রকাশ: ১ ঘণ্টা আগে খেলেই তো আর হল না। তা হজম করার
শক্তি চাই। আর হজম করতে গেলে জানতে হবে- কোনটা খাবেন,
আর কোনটা খাবেন না। আবার কোনটার সঙ্গে কোনটা খাবেন না।
যেমন-
-দুধ-কলা দিয়ে কখনও পেটের কালসাপ পুষবেন না। কারণ দু’টি
খাবারেই খুব হাই প্রোটিন থাকে যা পেট ভারী করে দেয়। আর
শরীর খুব অল্প সময়েই ক্লান্ত হয়ে যায়।
-প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারের প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। একথা
যেমন ঠিক, তেমনই ঠিক আরও একটি কথা যে, আপেলের সঙ্গে
কখনও অ্যালার্জির ওষুধ খাবেন না। এতে ওষুধের গুণ প্রায়
৭০ শতাংশ কমে যায়।
-আধুনিকতার ছোঁয়ায় বার্গার-ফ্রাইয়ের কম্বো খাননি এমন
বাঙালি পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু জানেন কি, এই দুই ফ্যাট
জাতীয় খাবার একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে রক্তে শর্করার
পরিমাণ কমে যায়। তাতে আপনি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করবেন।
-ধোঁয়া ওঠা গরম পিজ্জা, সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্ক। এমন কাজ
আমরা জীবনে কমবেশি সকলেই করেছি বা করে থাকি। কিন্তু
এতেই বাডে বিপত্তি। প্রোটিনের সঙ্গে স্টার্চ মিলে মিশে
হজমের শক্তি কমিয়ে দেয়। অল্প সময়েই পেট ভারী হয়ে যায়।
-ডায়েট যারা মেনে চলেন তাদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের
খাবার দই ও ফল। কিন্তু এই দুই স্বাস্থ্যকর খাবারই
একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। প্রোটিনের সংস্পর্শে অ্যাসিড
আসলে টক্সিন সৃষ্টি হয়। আর কোল্ড অ্যালার্জি দেখা দিতে
পারে।
-ভর্তি পেটে ফল একদম খাবেন না। এতে হজমের খুবই সমস্যা
হয়। আর অ্যাসিডও হতে পারে।
-মাংসের ঝোলে আলু ডুবিয়ে খাওয়ার অভ্যেস অনেকরই রয়েছে
নিশ্চয়ই। কিন্তু এতেই ঘটছে যাবতীয় বিপত্তি। এমনিতে
অ্যাসিড কিংবা গ্যাস হতে পারে। আবার পরবর্তীকালে
ফাইবারের অভাবও হতে পারে।।
বিয়ে করেছেন বা
করবেন, জানুন আইন-কানুন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিয়ে আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়ের
মাধ্যমে দু’টি জীবন এক হয়ে গড়ে তোলে স্বপ্নের মতো
সুন্দর এক সংসার। বিয়ে আসলে একটি সামাজিক চুক্তিই আর
সব ধর্মেই বিয়ের মাধ্যমেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে
নারী-পুরুষের যৌথ জীবন উপভোগের।
বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষের জন্য দেশে প্রচলিত
আইনের যে বিষয়গুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ:
- বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং
কনের ১৮ বছর হতে হবে।
- এর কম বয়স হলে 'বাল্যবিয়ে' বলে ধরা হবে, যা বেআইনি
- বিয়ের এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষকে তা
গ্রহণ করতে হবে
- বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে
- বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত 'কবুল'
শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনো রকম চাপ বা
প্ররোচনা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে
- একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে
হবে
- মুসলিম আইনে কোনো পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয়
কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়
- কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের
শর্তগুলো থাকবে
- স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখা
- পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা ও আর্থিক
সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে
- বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রেশন।
এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়েসংক্রান্ত
দলিল, যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে
- মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪)
অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর
বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করা যায়
- অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে
কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো
শব্দ নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোষণা
মাত্র।
পরকীয়ার সাজা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (ব্যাভিচার) সাজা সম্পর্কিত
দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা
হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের
হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে
আইন মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক
আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে
আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
দণ্ডবিধির এই বিধানটি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি
করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ১১ই ফেব্র“য়ারি এডভোকেট
ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। রিটে দাবি করা হয় পরকীয়কায়
যারা আসক্ত হন তারা উভয়েই সমান দোষে দোষী।
কিন্তু প্রচলিত আইনটি বৈষম্যমূলক ও ভ্রান্ত। দণ্ডবিধির
৪৯৭ ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির
স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোন ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে
বা তার অনুরুপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোন ব্যক্তির
সঙ্গে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া এইরুপ
যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, তবে সে
ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে
এবং তাকে সাত বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড
সশ্রম ও বিনাশ্রম করাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়
দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে, একই ক্ষেত্রে স্ত্রী
দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য হবে না।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, দণ্ডবিধির এই ধারা
অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে
জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে।
অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কোন মামলা বা কিছুই করতে
পারবে না। একইভাবে স্বামী অন্য কোনো নারীর সঙ্গে
সম্পর্কে জড়ালে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী
ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন,
এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।
ক্যান্সার রোগীর জন্য আদা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা এ পর্যন্ত শুনেছি আদার অনেক গুণের কথা। আদার
উপকারিতার ফিরিস্তি খুব ছোট হবে না। আদা, রসুন, পেঁয়াজ
এ তিনটি শেকড় জাতীয় ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ মাটির নিচে
উৎপন্ন হয়। শুধু এসবের পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে
সূর্যরশ্মি থেকে খাদ্য গ্রহণের জন্য। অল ইন্ডিয়া
ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএম) চিকিৎসকরা
বলেছেন, আদা খেলে ক্যান্সার রোগীর বিবমিষা বা বমির
উদ্রেক বহুলাংশে হ্রাস পাবে। আদাকে শুকিয়ে তা পাউডারের
মতো করে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্সার
রোগীকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়। যার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের
বমির উদ্রেক হয়। আদার গুঁড়ো চা বা অন্য কোনো খাবারে
অথবা সরাসরি প্রতিদিন পরিমিত খেলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থেকে প্রায় নব্বই ভাগ মুক্ত হওয়া সম্ভব। আদার গুঁড়ো
থেকে ইতিমধ্যে ক্যাপসুল তৈরি হয়েছে। যেসব রোগীর শরীরের
ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি তাদের ১৬৭ মিলিগ্রাম এবং ৪০ থেকে
৬০ কেজির জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সেবন করতে দেওয়া
হয়। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে রোগীকে
অন্তত ৬টি ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
এআইআইএমএস ২০০৯ সাল থেকে রোগী বা তাদের আত্মীয়পরিজনদের
না জানিয়ে এ ওষুধটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ৮ থেকে ২১
বছর বয়সী ৬০ জন রোগীর ওপর নিয়মিত পরীক্ষা চালাতে থাকে।
অবশেষে এ বছর এর উপকারিতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন
ইনস্টিটিউটের ভারতীয় চিকিৎসকরা। তারা বলেন, আদার ভেষজ
গুণাবলীর ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই এ ওষুধ
ব্যবহারের জন্য রোগীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ক্যাপসুলের
নামকরণ কী করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। কিংবা ভারতের
বাইরে অন্য কোনো দেশে অবাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা
হচ্ছে কি-না তাও বলা হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, বমির
উদ্রেক শতভাগ ভালো হবে না। তা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে
রাখবে মাত্র। এই আদা থেকে তৈরি ক্যাপসুলের কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শতভাগ নিরাপদ। যেকোনো বয়সের
শিশুরাও তা গ্রহণ করতে পারবে।
ঢেঁকিছাটা
চালের পুষ্টিগুণ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পালিশ করা সরু চালের ভাত সকলেরই পছন্দ এবং এই ভাত
খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে- শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা
পৃিথিবীজুড়ে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা
বাড়ছে এবং এই ধরনের পালিশ করা সাদা চাল খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাদামি, মোটা চালের ভাত তাদের পক্ষে উপকারি বলে জানা
গছে। পালিশ করা সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালে আছে
উচ্চমাত্রার তন্ত, কেলসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন-বি।
আবার অঙ্কুরিত বাদামি চাল আরও ভালো। কারণ অঙ্কুরোদগম
নিষ্ক্রিয় এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে
অঙ্কুরিত বাদামি চালের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। অতএব
পুরোনো দিনের লাল মোটা চালের ভাত খাওয়ার দিন এগিয়ে আনতে
হবে।
Top
আইন কনিকা
বিয়ে করেছেন বা করবেন, জানুন আইন-কানুন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিয়ে আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়ের
মাধ্যমে দু’টি জীবন এক হয়ে গড়ে তোলে স্বপ্নের মতো
সুন্দর এক সংসার। বিয়ে আসলে একটি সামাজিক চুক্তিই আর
সব ধর্মেই বিয়ের মাধ্যমেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে
নারী-পুরুষের যৌথ জীবন উপভোগের।
বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষের জন্য দেশে প্রচলিত
আইনের যে বিষয়গুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ:
- বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং
কনের ১৮ বছর হতে হবে।
- এর কম বয়স হলে 'বাল্যবিয়ে' বলে ধরা হবে, যা বেআইনি
- বিয়ের এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষকে তা
গ্রহণ করতে হবে
- বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে
- বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত 'কবুল'
শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনো রকম চাপ বা
প্ররোচনা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে
- একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে
হবে
- মুসলিম আইনে কোনো পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয়
কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়
- কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের
শর্তগুলো থাকবে
- স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখা
- পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা ও আর্থিক
সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে
- বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রেশন।
এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়েসংক্রান্ত
দলিল, যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে
- মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪)
অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর
বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করা যায়
- অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে
কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো
শব্দ নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোষণা
মাত্র।
পরকীয়ার সাজা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক\
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (ব্যাভিচার) সাজা সম্পর্কিত
দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা
হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের
হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে
আইন মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক
আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে
আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
দণ্ডবিধির এই বিধানটি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি
করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ১১ই ফেব্র“য়ারি এডভোকেট
ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। রিটে দাবি করা হয় পরকীয়কায়
যারা আসক্ত হন তারা উভয়েই সমান দোষে দোষী।
কিন্তু প্রচলিত আইনটি বৈষম্যমূলক ও ভ্রান্ত। দণ্ডবিধির
৪৯৭ ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির
স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোন ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে
বা তার অনুরুপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোন ব্যক্তির
সঙ্গে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া এইরুপ
যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, তবে সে
ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে
এবং তাকে সাত বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড
সশ্রম ও বিনাশ্রম করাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়
দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে, একই ক্ষেত্রে স্ত্রী
দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য হবে না।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, দণ্ডবিধির এই ধারা
অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে
জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে।
অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কোন মামলা বা কিছুই করতে
পারবে না। একইভাবে স্বামী অন্য কোনো নারীর সঙ্গে
সম্পর্কে জড়ালে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী
ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন,
এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।।
পরকীয়ার সাজা নিয়ে
হাইকোর্টের রুল
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|
|