           
 
|
Cover April 2019
English Part
April 2019
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে :
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
‘এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। এ দেশে
জনগণের অধিকার সমুন্নত থাকবে। জাতির পিতার
জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে দেশবাসীকে আহ্বান করব- আর
যেন স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, একুশে
আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, এতিমের
অর্থ আত্মসাৎকারীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে। মানুষের
ভাগ্য নিয়ে যেন আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এটাই
হোক প্রতিজ্ঞা।’ ১৮ মার্চ ২০১৯ বিকালে রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ
আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ থেকে ২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ
হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। আমরা মুজিববর্ষ পালন করব, এজন্য
কমিটি করে দিয়েছি। আমি চাই সারা দেশে প্রত্যন্ত
গ্রামাঞ্চলে, ইউনিয়ন পর্যায়ে মুজিববর্ষ পালন হোক।
এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তিনি আমাদের
স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে জাতির
পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’
বাকশাল থাকলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠত না : বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থা (বাকশাল) কার্যকর
থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকত না দাবি করে শেখ
হাসিনা বলেন, ‘বাকশাল ছিল সর্বোত্তম পন্থা। আমি
বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু যে পদ্ধতিটা (বাকশাল) করে
গিয়েছিলেন সেটা যদি কার্যকর করতে পারতেন তাহলে এসব (নির্বাচনী
অস্বচ্ছতা) প্রশ্ন আর উঠত না।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর
আমলে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম
হয়েছিল। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। সব বিবেচনায়
বঙ্গবন্ধু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে আমি বিশ্বাস
করি।’ বাকশালের স্বচ্ছতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী
বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে দুটি নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনের
একটি হয়েছিল কিশোরগঞ্জে, সেখানে সৈয়দ নজরুল ইসলামের
ভাই দাঁড়িয়েছিলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
মার্চ ২০১৯ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৫২ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে মার্চ ২০১৯ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৫২টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ ২০১৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই
অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের
কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র
ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার
সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড
হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা
বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ
গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি
জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
১৫২ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৩ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৭ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ১১ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ৩০ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ২ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৯
জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৪ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৬ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৭২ জন, আত্মহত্যা ১১ জন।
মার্চ ২০১৯ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ২৭ জন, যৌন নির্যাতন ৭
জন, যৌতুক নির্যাতন ৫ জন এবং এসিড নিক্ষেপের শিকার ২
জন।
BHRC’র ঢাকা
মানবাধিকার কনভেনশন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা মানবাধিকার
কনভেনশন ১৬ মার্চ ২০১৯ সকাল ১০টায় কাজী বশির মিলনায়তনে
(মহানগর নাট্যমঞ্চ) অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌঃ কাজী রেজাউল মোস্তফা। সম্মেলনে
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট
সোসাইটি বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার
এমপি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’রসদর
দপ্তরের গভর্নর সাইমুম রেজা পিয়াস, ঢাকা মহানগর গভর্নর
সিকান্দার আলী জাহিদ, সিলেট বিভাগীয় গভর্নর ড. আর. কে.
ধর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গভর্নর সেতারা গাফফার, সিনিয়র
ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর
আমিনুল হক বাবু, ডেপুটি গভর্নর শেখ আব্দুল্লাহ,
যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক কে. জামান চৌধুর,
International Human Rights Commission-IHRC বাংলাদেশ
চ্যাপ্টারের সম্পাদক দিল ফারজানা বীথিঢাকা মহানগর
দক্ষিণ এর সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক
ও বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা মহানগর (পূর্ব)
শাখার সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয়
সমন্বয়কারী এবং বিশেষ প্রতিনিধ এড. শেখ অলিউল
ইসলাম,টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নাসরিন জাহান বিউটি,
সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন রিপন, বান্দরবান জেলা
শাখার নির্বাহী সভাপতি নীলিমা আক্তার নিলা, সিলেট
মহানগর শাখার সভাপতি আবদুল মান্নান, কুমিল্লা মহানগরের
সভাপতি এএইচএম তরিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর শাখার এ্যাড
আতিকুল আলম কল্লোল, সিলেট বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ
ফারুক আহমেদ শিমুল প্রমুখ। মোঃ মোস্তাক আহমেদ ভূইয়ার
সঞ্চালনায় সহযোগিতা করেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার
সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান রুমি, যাত্রাবাড়ী থানা
শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আশিক। কনভেনশনে
দেশ-বিদেশের সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
বাংলাদেশ
আমার অনেক চেনা: রীভা গাঙ্গুলী
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
অতিথিরা।
ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস
বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক। এ
সম্পর্ক অনেক গভীর। আমি পেশাগত কাজে বহুবার বাংলাদেশে
এসেছি। এখানে থেকেছি। তাই বাংলাদেশ আমার অনেক চেনা।
১৮ মার্চ ২০১৯ সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত
মৈত্রী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা
বলেন।
ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের
সংবর্ধনা এবং ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকাকে
বিদায়ী অভিবাদন জানাতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি এ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত
যৌথ সহযোগিতার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনন্য অবস্থানে রয়েছে।
আর এ যৌথ সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের জনগণেরই
উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত হবে। তার মেয়াদে তিনি দুই
প্রতিবেশী দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও
সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে কাজ করে যাবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ
চৌধুরী।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার
আমির উল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.
আতিউর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান,
মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম,
এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল
আহসান বুলবুল, হামীম গ্রুপের অন্যতম নির্বাহী পরিচালক
রাহুল রাহাসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র
নোয়াখালী আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ৯ মার্চ ২০১৯
সকাল ৯:৩০টায় লক্ষ্মীপুর ডিসি কোর্ট মিলনায়তন
লক্ষ্মীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন সাইফুজ্জামান ভূইয়া, অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র নোয়াখালী অঞ্চলের
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এবং লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি
সামছুল করিম খোকন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মোস্তফা, নোয়াখালী
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং BHRC’র নোয়াখালী জেলা
শাখার নির্বাহী সভাপতি এড. বিএম কামরুল ইসলাম,
লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. একেএম
হুমায়ুন কবীর, লক্ষ্মীপুর সদর বি.আর.ডি.বি সভাপতি
রহিমের নেছা, নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর কাজী
রফিক উল্লাহ, ফেনী জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শহীদ উল্লাহ
ভূইয়া, রামগতি-কমলনগর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি একেএম জহির
রায়হান।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক,
ফেনী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈন উদ্দিন সুমন,
রামগতি-কমলনগর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামিন
উল্লাহ।
সম্মেলন পরিচালনা করবেন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক জসিম উদ্দীন মাহমুদ।
সম্মেলনে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী জেলা এবং
রামগতি-কমলনগর অঞ্চল অধিভুক্ত সকল উপজেলা, থানা এবং
পৌরসভা শাখার সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
৯
মিনিটে ছয় সন্তানের জন্ম!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মাত্র ৯ মিনিটে একসঙ্গে ছয়
সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। শহরের উইম্যানস হসপিটাল
অব টেক্সাসে নবজাতকগুলোর জন্ম হয়। সূত্র ফক্স নিউজ।
দুই জোড়া যমজ অর্থাৎ চারটি ছেলে এবং এক জোড়া যমজ অর্থাৎ
দুটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন ওই নারী।
নবজাতকদের ওজন এক পাউন্ড ১২ আউন্স থেকে দুই পাউন্ড ১৪
আউন্স পর্যন্ত। জন্মের পর মা ও শিশুরা সুস্থ আছে।
হাসপাতালটির কর্মকর্তারা জানান, নবজাতকদের স্বাস্থ্য
স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের হাসপাতালের অ্যাডভান্সড
নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের মাও
সুস্থ আছেন।
BHRC’র সিলেট
জেলা ও মহানগর শাখার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার
উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা
ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ৩০ মার্চ
নগরীর সুবিদবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে
এ আলোচনা সভা হয়।
সিলেট বিভাগীয় গভর্ণর ও জেলা শাখার সভাপতি ড. আর কে
ধরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামানের
পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট চীফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল কাশেম, বিশেষ
অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
বিশেষ প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ শিমুল, সিলেট জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন।অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি
হোসেন আহমদ, সিলেট মহানগর শাখার সহঃ সভাপতি মোঃ আব্দুল
ওয়াহিদ সহ সভাপতি আবু ছালেহ মো. এহিয়া,সহ সভাপতি
আব্দুল হাফিজ, মহানগর শাখার সহ সভাপতি সোহেল আহমদ
চৌধুরী, ফখরুল আলম তালুকদার, প্রস্তাবিত সিলেট মহিলা
কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ জাকিয়া তাহমিনা রিপা সাধারন
সম্পাদক এ্যাডঃ এসমিন শিরিন , সিলেট মহানগর যুগ্ম
সাধারন সম্পাদক ফাহিম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মো.
রুস্তম মাসুদ, জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু
সুফিয়ান, জাকির আহমদ চৌধুরী, জেলা শাখার অনুসন্ধান ও
পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রুবল আহমদ মাসুম,স্বাস্থ্য
সম্পাদক ডাঃ এনামুল হক এনাম, সিনিয়র মানবতাবাদী বাহার
আহমদ,কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ,
নির্বাহী সভাপতি মো. ওমর ফারুক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মো. আদিল,কোতোয়ালী থানার
সভাপতি মো. ফারহান আহমদ, সেক্রেটারী হাবিবুর
রহমান,মানবতাবাদী মোহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম, এবং অন্যান
মানবতাবাদী গন উপস্থিত ছিলেন।
শ. ম. রেজাউল করিম সকাশে পূর্বাচল
মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিবৃন্দ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত
মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এমপি’র সাথে পূর্বাচল
মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির ১১ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধা
প্রতিনিধি দল ৭ মার্চ ২০১৯ইং সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে
মন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের
জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা তথা বাংলাদেশ
সরকার কর্তৃক পূর্বাচল নতুন শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য
১ হাজার ফ্ল্যাট বরাদ্ধের ঘোষণা কার্যকর করার লক্ষ্যে
মুক্তিযোদ্ধারা মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
মুক্তিযোদ্ধাগণ সরকারের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য
মন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে
মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত ও আলোচনায় অংশ নেন পূর্বাচল
মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের সেক্রেটারী জেনারেল বীরমুক্তিযোদ্ধা
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও
পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা
মোঃ ফজলুল করিম মোল্লা, পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা
সোসাইটির সদস্যবৃন্দ যথাক্রমেঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী
মনির হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম,
বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলা
উদ্দিন আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান,
বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ সেলিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জি. কে.
বাবুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিম এবং
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ ভূইয়া।
দাড়ির উপর ট্যাক্স
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পানি, বিদ্যুৎ, খাবারদাবার থেকে শুরূ করে দৈনন্দিন
জীবনে ব্যবহার্য অনেক কিছুর উপরই ট্যাক্স বসানো হয়।
কিন্তু সবচেয়ে বিচিত্র ট্যাক্স বসানো হয়েছিল ইংল্যান্ডে।
সেখানে ১৫৩৫ সালে দাড়ির উপর ট্যাক্স বসিয়ে ছিলেন রাজা
অষ্টম হেনরি।
যে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থা যেরকম, সেই মতো কর ধার্য
করা হত। হেনরির সেই অভিনব কর এক সময় অবশ্য বন্ধ হয়ে
যায়। কিন্তু হেনরির পর সিংহাসনে বসা তাঁর মেয়ে রানি
প্রথম এলিজাবেথও দাড়ির উপর কর বসিযেছিলেন। রানি
এলিজাবেথ নিয়ম করেছিলেন, যে পুরুষ দু’ সপ্তাহের বেশি
দাড়ি কাটবেন না, তাঁকেই সেই দাড়ির উপর ট্যাক্স দিতে হবে।
এই আইন এর পর ১৭০৫ সালে চালু করেছিলেন রাশিয়ার সম্রাট
প্রথম পিটার। সম্রাট পিটার এক বিশেষ টোকেনের ব্যবস্থা
করেছিলেন। সেই রুপোর টোকেনের এক পাশে ছিল একটি ঈগলের
ছবি।
অন্য পাশে দাড়িওলা একজন মানুষের মুখের নীচের দিক। সেই
টোকেনে লেখা থাকত, ‘দাড়ির ট্যাক্স নেয়া হল’ এবং ‘দাড়ি
হল এক প্রকারের বোঝা’।
জাতীয় স্মরণসভায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘বিশ্ব এখন উগ্র সন্ত্রাসবাদের চক্রে আটকে গেছে। পাল্টা
সন্ত্রাস নয়, মানবতার মাঝেই এর সমাধান। মানবতার আলোতেই
দূর হবে বর্ণবাদ-সন্ত্রাস।’
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক হামলায়
নিহতদের স্মরণে জাতীয় শোকসভায় কথাগুলো বলেন দেশটির
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরদার্ন।
ক্রাইস্টচার্চে একসঙ্গে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার
১৪ দিন পর এদিন নিহতদের জাতীয়ভাবে স্মরণ করতে বিশাল
শোকসভার আয়োজন করে নিউজিল্যান্ড সরকার।
আক্রান্ত অন্যতম মসজিদ আল নূরের বাইরে হ্যাগলি পার্কে
জড়ো হন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ সময় মুসলিম
সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানাতে স্মরণসভায় উপস্থিত
ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডাসহ পুরো মন্ত্রিপরিষদ।
প্রার্থনার পাশাপাশি গান, স্মৃতিকথার মাধ্যমে স্মরণ করা
হয় ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত ৫০ জনকে। খবর এনজেড
হেরল্ড ও এএফপির।
উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশে করে জাসিন্ডা বলেন, আমরা ঘৃণা,
ভয় ও অন্যান্য ভাইরাস থেকে মুক্ত নই। কখনও ছিলাম না।
কিন্তু আমরা একটা জাতি হিসেবে এ রোগ নিরাময় করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত জীবন এবং পরিবারকে নিরাপত্তা
দেয়ার জন্যেই এসব মানুষ নিউজিল্যান্ডে এসে ছিলেন।
নিহতরা আসলে আমাদেরই অংশ। তাদের স্মৃতি দায়িত্ববোধ
বাড়িয়ে দিল। নিউজিল্যান্ডকে বৈচিত্র্যপূর্ণ-ধৈর্যশীল
রাষ্ট্র হিসেবে ধরে রাখার দায়ভার এখন বাকিদের। এখানে
সন্ত্রাসবাদ, ধর্ম-বর্ণ বিদ্বেষ, চরমপন্থা, সহিংসতার
কোনো স্থান নেই। প্রত্যেকে নিজের অভিমত, ধর্মীয়
মতাদর্শ প্রকাশের সুযোগ পাবেন।’
সেদিন হামলায় বেঁচে যাওয়া ফরিদ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন
স্মরণ অনুষ্ঠানে। হামলায় স্ত্রী হারিয়েছেন তিনি।
তারপরও শান্তির বার্তা দিয়েছেন।
স্কুল
ছাত্রী নিপার ক্ষতিপূরণের দাবিতে BHRC যশোর আঞ্চলিক
শাখার মানববন্ধন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১৯ মার্চ ২০১৯ যশোরের বেনাপোল রোডে পল্লী বিদ্যুতের
একটি গাড়ী চাপায় স্কুল ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত নিপার
পা হারায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র
গভর্নর সাইমুম রেজা পিয়াস, BHRC যশোর রিজিওনাল শাখা এবং
যশোর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ
অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে গুরুতর আহত মেয়েটিকে হাসপাতালে
দেখতে যান এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করে কৃত্রিম পা
সংযোজনের দায়িত্ব নেন। তারই প্রেক্ষিতে ২১ মার্চ ২০১৯
যশোর প্রেসক্লাব সম্মুখে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC
যশোর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি রিজিয়াৎ পারভীন মুক্তার
নেতৃত্বে এক মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধন
কর্মসূচীতে শাখার সভাপতি রিজিয়াৎ পারভীন মুক্তা দায়ী
ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির
দাবি জানান এবং এভাবে যেন আর কোন মায়ের সন্তান পঙ্গু
না হয়। পরীক্ষিত ড্রাইভার ব্যতিরেকে সামান্য ট্রেনিং
বা ক্ষুদ্র লাইসেন্স নিয়ে যেন ভারী যানবাহন চালনা না
করে এবং যারা আইন বহির্ভুত ড্রাইভিং করবে তাদের
বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের নিকট।
মধ্যরাতেও সূর্য আলো দেয় যে দেশে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা কিন্তু সত্যি। সাধারণভাবে আমরা
দিনেই কেবল সূর্যের আলোর কথা ভাবতে পারি। কিন্তু
পৃথিবীতে এমন দেশও রয়েছে যেখানে সূর্য মধ্যরাতেও আলো
ছড়ায়। যাকে বলা হয় নিশীথ সূর্য।
এই নিশীথ সূর্যের দেশ বলা হয় নরওয়েকে। অবশ্য
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেন, ফিনল্যান্ডেও কদাচিৎ
এমনটি দেখা যায়।
মধ্যরাতে সূর্যের আলো দেখতে পর্যটকদের ভিড়নরওয়েসহ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলে মে মাসের মাঝামাছি সময় থেকে
জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত সূর্য কখনই অস্ত যায় না। ফলে
রাতের সময়ে অন্ধকারের পরিবর্তে গোধূলির ম্লান আলো থাকে
রাতজুড়ে।
এই অঞ্চলের উত্তরাংমে প্রায় দুই মাস এ অবস্থা বিরাজ করে।
আরও মজার ব্যাপার শীতের দু’মাস সূর্য মোটে ওঠেই না।
মধ্যরাতে সূর্যের আলো দেখতে পর্যটকদের ভিড়প্রতিবছর
হাজার হাজার পর্যটক মহাজাগতিক এ অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে
ভিড় জমান স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলে, বিশেষ করে নরওয়েতে।
আর প্রকৃত মধ্যরাতের সূর্য দেখা যায় ২১ জুন।
যুক্তরাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত একজন রোগীকে এইডস
ভাইরাসমুক্ত করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এ
সাফল্য পেলেন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ওই
রোগীকে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাণঘাতী এইডস ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্থিমজ্জা
প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত এক রোগীর দেহ
এইডস ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্য এইডস
নির্মূলে আশাবাদী করে তুলেছে চিকিৎসকদের।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা
হয়। ৫ মার্চ ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে চিকিৎসা
বিষয়ক এক সম্মেলনে তা উপস্থাপন করা হবে। তবে এখনও
পর্যন্ত রোগীর নাম, পরিচয়, বয়স ও জাতীয়তা গোপন রাখা
হয়েছে। তবে তাকে ‘লন্ডন রোগী বলে ডাকা হচ্ছে।
এ লড়াইয়ে সাহায়ক ছিলেন এইচআইভি প্রতরোধী একজন সুস্থ
ব্যক্তি। এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এমন
দুর্লভ জিনগত রূপান্তরের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর ধরে
চিকিৎসা চালানো হয়েছে।
চিকিৎসক দলের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক রবীন্দ্র
গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জানান, রোগীর দেহ এখন
ভাইরাসমুক্ত।
এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা একদিন
এইডস নির্মূল করতে পারবেন। তবে এই সাফল্যের মানে এই নয়
যে এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত
হয়েছে। রবীন্দ্র গুপ্ত জানান, তার রোগীর ‘উপশম’ হয়েছে।
তবে রোগী সুস্থ হয়ে গেছেন-এটা বলার সময় এখনো আসেনি।
এর আগে ২০০৭ সালে জার্মানির বার্লিনে টিমোথি ব্রাউন
নামের এক মার্কিন নাগরিকের দেহ একই প্রক্রিয়ায় এইডস
ভাইরাসমুক্ত করা হয়। মার্কিন ওই রোগীকে ‘বার্লিন রোগী’
বলে উল্লেখ করা হয়। তিনি এখনো ভাইরাসমুক্ত বলে
জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমান বিশে^ হিউম্যান ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি
ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০
লাখ।
BHRC মুগদা
থানা শাখার মেডিকেল ক্যাম্পে ফ্রি ঔষধ বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ২৬ মার্চ ২০১৯
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC মুগদা থানা শাখা
বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন ও ফ্রি ডাক্তার দেখানো হয় এবং
গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
BHRC মুগদা থানা শাখার সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার।
প্রধান অতিথি জনাব গোলাম কিবরিয়া খান রাজা, উদ্বোধন
করেন জনাব সামিদুল হক গোগা, বিশেষ অতিথি জনাব শ.আ
শামীম, হাজী মোঃ শরীফ হোসেন, জনাব মুনির হোসাইন সাঈদ।আরো
উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহবুব আলম রিজন, মোঃ জাকির হোসেন,
জিয়াউল হক জিয়া, হাফিজ, শরীফ,লাল মিয়া,ডাঃ মনু,ডাঃ
হীরা,,নিত্যা নন্ডল আরো অনেকে।
স্বাধীনতা দিবসে
শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন চট্টগ্রাম, মহানগরের আয়োজনে
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালদিঘী
শাহী জামে মসজিদে বাদ আসরে দেশ ও শহীদদের আত্মার শান্তি
কামনায় মিলাদ মাহফিল উদযাপন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার
গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ
জনগণের উপর হামলা চালায় । ঢাকার বিভিন্ন স্থানে
গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক
নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে
হত্যাকান্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে
পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের
প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানী জানতার
বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী
যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়। যার কারণে শহীদদের আত্মার
শান্তি কামনা চেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণকর সমৃদ্ধিতে
বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগরের আয়োজিত
মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জনাব
আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি জনাব লায়ন মোঃ
ইব্রাহীম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মহিউদ্দীন
চৌঃ মঈন, দপ্তর সম্পাদক জনাব মোঃ জাহিদ তানছির,
সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ বাবর আলী ও মোঃ জাহিদুল
হাসান, সহ দপ্তর সম্পাদক জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, আইন
বিষয়ক সম্পাদক এড. রাশেদ চৌধুরী, কোতোয়ালি থানা সভাপতি
জনাব মোঃ আব্দুল মাবুদ দোভাষ সহ মহানগর ও থানা
নেতৃবৃন্দ।
যে গ্রামে সন্তান জন্ম
দেয়া নিষিদ্ধ!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মানব শিশুর জন্ম হয়।
কেউ জন্ম নেয় নিজ বাড়িতে, কেউ বাড়ির বাইরে হাসপাতালে।
তবে ঘানার এক গ্রামে রয়েছে অদ্ভুত নিয়ম। সেখানে মায়েরা
তাদের সন্তানদের নিজ গ্রামে জন্ম দিতে পারেন না।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির মাম্ফে ডোভ গ্রামে
গর্ভবতী মা তাদের বাচ্চাদের ওই গ্রামে জন্ম দিতে পারেন
না। গ্রামবাসীর বিশ্বাস বাচ্চাকে গ্রামের ভেতর জন্ম
দিলে তা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করবে।
এই ঐতিহ্য যাতে না ভাঙে সেজন্য গর্ভবতী মায়েরা বাচ্চা
জন্ম দেয়ার সময় তাদের নিজ গ্রাম থেকে কষ্ট করে হলেও
দূরবর্তী কোন জায়গায় চলে যান। কথিত আছে, ওই গ্রামে যারা
বাস করেন তাদের কেউ সেখানে জন্ম নেননি।
তবে সম্প্রতি নারীরা এই নিয়মের বিরোধীতা শুরু করেছেন।
তারা চান তাদের বাচ্চারা নিজ গ্রামেই জন্মগ্রহণ করুক।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদ নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি নারী
উর্শী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ
ওয়েলস আসন্ন রাজ্য সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন
সাবরিন ফারুকি উর্শী। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস
দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট-উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষ।
আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় রাজ্য সংসদ নির্বাচনে দেশটির
বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে আইন
পরিষদের একটি আসনে লড়বেন উর্শী। নিউ সাউথ ওয়েলস এর
উচ্চকক্ষে মোট আসন সংখ্যা ৪২টি এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদ
আট বৎসর। প্রতি চার বৎসর অন্তর ২১টি আসনের সংসদ
নির্বাচন হয়। সাবরিন ফারুকি উর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইংরেজিতে অনার্স করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ
সাউথ ওয়েলস থেকে মাস্টার্স (ল্যাংগুয়েজ ও টিচিং) এবং
২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি
সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশের ঢাকায় বেড়ে ওঠা উর্শীর। পাঁচ
ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। সিডনিতে ১৫ বছর যাবত
বসবাস করছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সিডনিতে তিন বৎসর
শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ফেডারেল সরকারের ব্যুরো
পরিসংখ্যানে তিন বৎসর এবং ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনে পাঁচ
বছর চাকরি করেন।
অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে সাথে প্রায় চার বছরের
অধিক সময় যুক্ত থাকা সাবরিন ফারুকি উর্শী বলেন, আমি যে
সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজগুলি করি, তা যদি রাজনীতির
ক্ষেত্রও প্রয়োগ করি, তবে বড মাপের প্লাটফরমের সুযোগ
রয়েছে। এছাড াও সংসদে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নীতি
নির্ধারক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উর্শী আরো বলেন,
‘আমি চাই সমাজ কল্যাণ ও রাজনীতির যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে
সমাজটাকে আরো গতিশীল করে তুলবো। নারীদের এখন বহুমুখী
প্রতিভা রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে কল্যানমুখী সমাজ গডে তোলা
সম্ভব। উর্শী নিযুক্ত আছেন নব মাইগ্রেন্ট এবং রিফিউজি
সেটেলমেন্ট এর সঙ্গে। স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন শক্তি (এনএসডব্লিউ)
ও সিতারাস স্টোরি সংগঠনের সাথেও কাজ করে যাচ্ছেন। 'সিতারাস
স্টোরি' সংস্থার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে তিনি
বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহযোগিতা করেন।।
মৃত্যুর কারণ হতে পারে যে ভুল ধারণাগুলো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাপে কাটলে ডাক্তার আসার আগে ক্ষতস্থানে মুখ লাগিয়ে
বিষ বের করে নিন কিংবা ভালুকের আক্রমণে মৃতের ভান করে
শুয়ে থাকুন এরকম আরো অনেক ধারনা আছে যেগুলো আমরা ধ্রুব
সত্য হিসেবেই মানি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের
প্রতিটি প্রান্তেই রয়েছে এরকম অনেক শ্র“তিকথা, যেগুলো
মানুষ বিশ্বাস করে এবং ধারণা করে যে এসব জানা থাকলে
যেকোনো পরিস্থিতি থেকেই বেঁচে ফেরা সম্ভব। অথচ, এই
ধারণাগুলোর অধিকাংশই এমন যে, সেগুলো আপনাকে বাঁচাবে তো
না-ই, বরং মেরে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি! আপনি নিজেও
নিশ্চয়ই এরকম অনেক তথ্য জেনে থাকবেন। আসুন দেখে নেই
কতটুকু সত্য আপনার ধারনাগুলো
সাপের বিষ চুষে বের করা
এই ধারণাটি অধিকাংশের মনে বদ্ধমূল হয়েছে সম্ভবত বাংলা
চলচ্চিত্রের কল্যাণে। নায়িকাকে সাপে কাটলে তৎক্ষণাৎ
নায়ক ক্ষতস্থানে মুখ লাগিয়ে সব বিষ বের করে নিচ্ছেন,
আর নায়িকা সুস্থ হয়ে উঠছেন। সিনেমায় এটা সম্ভব হলেও
বাস্তবে অসম্ভব। শুধু তা-ই নয়, জীবন বাঁচাতে গিয়ে উল্টো
আপনিও বিষে নীল হতে পারেন! কেননা, কাউকে সাপে কাটার
সাথে সাথে সাপের বিষ ঐ ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে চালিত হয়।
আপনি যা করতে পারেন, তা হলো- ক্ষতস্থানটি যথাসম্ভব
শক্ত করে বেঁধে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।
মুখ লাগালে বরং সে স্থানে বাড়তি কিছু ব্যাকটেরিয়া ছড়াবে।
আর কিছু বিষ মুখে চলে আসলে এবং লালার সাথে ঘটনাক্রমে
পাকস্থলীতে পৌঁছলে সাপের কামড় না খেয়েও আপনি হবেন
ভুক্তভোগী।
ভালুকের আক্রমণে মৃতের ভান
ভালুক এবং দুই বন্ধুর গল্প কে না পড়েছে? আর সে গল্পের
কল্যাণে আমরা সবাই মোটামুটি নিশ্চিত যে, অপ্রত্যাশিত
ভালুকের আক্রমণে কিছু না করে মৃতের শুয়ে থাকতে হবে,
তাহলেই বিপদ কেটে যাবে। আপনার অবগতির জন্য জানানো
যাচ্ছে, আপনি এতদিন ভুল জেনে এসেছেন! যদি কোনো ভালুক
আক্রমণ করে, তাহলে পালানোর সামান্যতম উপায় থাকলে প্রথম
করণীয় পালিয়ে বাঁচা। অন্যথায়, ভালুক এবং তার আক্রমণের
ধরনের উপর নির্ভর করবে আপনার করণীয়। কালো রঙের ভালুকের
সামনে মৃতের মতো শুয়ে পড়লে সেটি আপনার শরীরের উপর
শিবের মতো তাণ্ডব নৃত্য করে চলে যাবে! অন্যদিকে, বাদামী
বা ছাইরঙের ভালুক সাধারণ সরাসরি আক্রমণ করে না। বরং,
এরা নিজেদের বা সন্তানের নিরাপত্তা ঝুঁকি মনে করলে
তর্জন-গর্জন করে আপনাকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইবে।
সেক্ষেত্রে ভদ্রভাবে পিছু হটাই করণীয়। কিন্তু, ভাগ্য
বেশি খারাপ হলে ভালুকটি আক্রমণ করেও বসতে পারে। তখন
পেটের দিক দিয়ে শুয়ে পড়ে হাত দিয়ে কাঁধ ঢেকে রাখতে হবে
(ভালুক সাধারণত কাঁধে আঁচড় কাটে)।
পানির তীব্র সংকটে প্রয়োজনে নিজের মূত্র পান
বেয়ার গ্রিলসের ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ অনুষ্ঠানটি
দেখার পর অন্তত এটা সবাই বিশ্বাস করেন যে, তীব্র পানির
সংকটে নিজের মূত্রও পান করা সম্ভব। অথচ পানির তৃষ্ণায়
ক্লান্ত অবস্থায় এটি হতে পারে ভয়াবহ ভুল। কেননা, মূত্র
এমনিতেই দেহের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বহন করে। তার উপর
পানির পিপাসায় ঘেমে-নেয়ে ডিহাইড্রেটেড একজন মানুষের
মূত্র অধিক বিপদজনক। এটি পান করে বরং পেটের পীড়ায়
অবস্থা আরো বেগতিক হতে পারে। বরং মূত্র দিয়ে যদি
শরীরের পরিধেয় ভিজিয়ে রাখা যায়, তাহলে বরং দেহে কম তাপ
শোষিত হবে এবং ঘাম কম হবে কিছু সময়ের জন্য।
চেরাস্রোতে কূলের সমান্তরালে সাঁতরানো
সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে চেরাস্রোতে পড়ে গেলে কূলের
সমান্তরালে সাঁতার কাটাকেই সর্বোত্তম পন্থা ভাবা হতো।
কিন্তু, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য।
সমান্তরালে সাঁতার কাটা যদিও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর,
তথাপি স্রোতের কোণ যদি কূলের সাথে ৯০ডিগ্রির’র চেয়ে কম
হয়, তাহলে আপনি কোনোদিনই আর কিনারায় পৌঁছতে পারবেন না,
বরং স্রোত আপনাকে নিয়ে যাবে মাঝ দরিয়ায়। এক্ষেত্রে
গবেষকদের উপদেশ, কূলের কথা না ভেবে প্রথমে স্রোতের কোণ
আন্দাজ করতে হবে, তারপর সেই কোণের সাথে উল্লম্বভাবে
সাঁতার কাটতে হবে।
পাখির আধাখাওয়া ফল খাওয়া ভালো
এই শ্রুতিকথাটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এবং মফস্বলে
বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে বরই আর আম যদি খানিকটা খাওয়া
হয় (ধরে নেয়া হয় তা পাখি খেয়েছে), তাহলে বলা হয় সেটি
অধিক পুষ্টিকর হয়ে গেছে! কোনো সন্দেহ নেই যে, এটি
সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। উপরন্তু, ফলটি পাখিতে খেয়েছে না
কাঠবিড়াল, সেটিও নিশ্চিত করে জানা সম্ভব না। গবেষণা
বলছে, কিছু কাঠবিড়াল আর পাখির খাওয়া ফল এতটা বিষাক্ত
হতে পারে যে, তা খেলে মারা যাবারও সম্ভাবনা রয়েছে!
ভারী শীতের কাপড়ের নীচে তুলার সূতিবস্ত্র পরিধান
শীতকালে শীত নিবারণের জন্য আমরা সাধারণত সিন্থেটিক বা
উলের কাপড় পরিধান করি। অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা,
বহিরাংশের পোশাকের নীচে সূতি কাপড় পরিধানই শ্রেয়। এটি
ভুল ধারণা এবং তীব্র ঠাণ্ডায় এটি হাইপোথারমিয়ার কারণ
হতে পারে। সূতিবস্ত্র পরিধেয় হিসেবে অসাধারণ। কিন্তু
এর পানি শোষণ ক্ষমতাও অনেক বেশি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
তুলার তন্তুগুলো নিজেদের ওজনের ২৭ গুণ অধিক পানি ধারণ
করতে সক্ষম। ফলে শরীর ঘামারও প্রয়োজন হয় না, শরীরের
স্বাভাবিক আর্দ্রতাই শুষে নিয়ে শীতল হয়ে ওঠে
সূতিবস্ত্র। গরমকালে তা উপভোগ্য হলেও শীতকালে পরিবহন
প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে প্রচুর তাপ বের করে দেয়। অতএব
অধিক শীতে প্রধান পরিধেয়র নীচেও সূতিবস্ত্র পরিধান
করবার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবুন।
Top
রাখাইনে
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত হচ্ছে না: জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাখাইনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের
তদন্ত হচ্ছে না: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট
বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গুরুতর মানবাধিকার
লঙ্ঘনের অভিযোগে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে না।
বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ম্যানডেট অনুযায়ী,
মিয়ানমারসহ ৯ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর
প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে ব্যাশেলেট এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত ৭ লাখ ৩০
হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, সম্মানের
সঙ্গে ও নিরাপদে প্রত্যাবাসনের যথাযথ কোনো পরিবেশ নেই।
পাশাপাশি ২০১২ সালে সহিংস ঘটনার পর থেকে প্রায় এক লাখ
৩০ লাখ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা কেন্দ্রীয় রাখাইন শিবিরে
বসবাস করছেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে
উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের
আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের
বিষয়টি যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য কোনো কার্যকর
পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
ব্যাশেলেট বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত
গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি
নেই। যে কারণে তারা তাদের মতামত পেশ করতে পারছে না।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জানান, রোহিঙ্গা
সম্প্রদায়ের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা গুরুতরভাবে
হরণ করা হচ্ছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বৈষম্য ও
ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর করা ওই
প্রতিবেদনটিতে মানবাধিকারের পাঁচটি প্রধান বিষয়কে
অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে- নাগরিকত্ব, জনজীবন অংশগ্রহণ, মৌলিক
অধিকার ও স্বাধীনতা, স্থানচ্যুতি ও প্রত্যাবাসনের
অধিকার এবং জবাবদিহিতা।
Top
এইডস থেকে
মুক্তি পেলেন আরও এক রোগী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত একজন রোগীকে এইডস
ভাইরাসমুক্ত করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এ
সাফল্য পেলেন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ওই
রোগীকে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণঘাতী
এইডস ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্থিমজ্জা
প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত এক রোগীর দেহ
এইডস ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্য এইডস
নির্মূলে আশাবাদী করে তুলেছে চিকিৎসকদের।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা
হয়। ৫ মার্চ ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে চিকিৎসা
বিষয়ক এক সম্মেলনে তা উপস্থাপন করা হবে। তবে এখনও
পর্যন্ত রোগীর নাম, পরিচয়, বয়স ও জাতীয়তা গোপন রাখা
হয়েছে। তবে তাকে ‘লন্ডন রোগী বলে ডাকা হচ্ছে। এ লড়াইয়ে
সাহায়ক ছিলেন এইচআইভি প্রতরোধী একজন সুস্থ ব্যক্তি।
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এমন দুর্লভ জিনগত
রূপান্তরের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর ধরে চিকিৎসা চালানো
হয়েছে।
চিকিৎসক দলের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক রবীন্দ্র
গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জানান, রোগীর দেহ এখন
ভাইরাসমুক্ত।
এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা একদিন
এইডস নির্মূল করতে পারবেন। তবে এই সাফল্যের মানে এই নয়
যে এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত
হয়েছে। রবীন্দ্র গুপ্ত জানান, তার রোগীর ‘উপশম’ হয়েছে।
তবে রোগী সুস্থ হয়ে গেছেন-এটা বলার সময় এখনো আসেনি।
টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রকৌশলীদের প্রতি
আহ্বান

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের চলমান উন্নয়ন
কর্মসূচি জনবান্ধব ও টেকসই করায় সহায়তা করতে প্রকৌশলী
ও প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার
স্বপ্ন বাস্তবায়নে উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ভিশন-২০২১ এবং
ভিশন-২০৪১’ গ্রহণ করেছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে উন্নয়ন
কাজ জনবান্ধব ও টেকসই করতে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের
ভূমিকা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ১১তম সমাবর্তনে
প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাঞ্চেলর বলেন,
যুদ্ধবিদ্ধস্থ বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের
মর্যাদা লাভ করেছে। দেশের সাহসী জনগণের ঐকান্তিক
প্রচেষ্টা এবং সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই এটি
সম্ভব হয়েছে।
তিনি বুয়েটকে দেশের প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার
সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে,
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা সময়ের দাবি পূরণে
প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণা আরো এগিয়ে নিতে আরো অবদান
রাখবে।
রাষ্ট্রপতি দেশ থেকে মেধা পাচার বন্ধের ওপর
গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলী,
প্রযুক্তিবিদ, স্থপতি এবং পরিকল্পনাবিদ উচ্চশিক্ষার
জন্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নদে দেশগুলোতে যাচ্ছে এবং
তাদের মধ্যে অনেকেই আর দেশে ফিরে আসছেন না। এ কারণে,
দেশ ও জনগণ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি দেশ ও
জনগণের কল্যাণে আরো বেশি করে অবদান রাখতে তাদের সকলের
প্রতি আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি সদ্য গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে ২০৪১
সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ করতে
তাদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতা কাজে লাগাতে সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানান। তিনি তাদের নিজ নিজ
দায়িত্ব পালনে সবসময় আন্তরিক হতে শিক্ষার্থীদের
পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমরা চাকরির সুবাধে বিশ্বের যে
প্রান্তেই থাক না কেন নিজ মাতৃভূমিকে কখনো ভুলবে না।
তিনি বলেন, সর্বদাই বড় হবার স্বপ্ন দেখবে এবং দেশ,
জাতি,সমাজ, পরিবার এবং নিজের কল্যাণের জন্য কাজ করে
যাবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কোন অন্যায়ের সাথে আপোস না করতে
সদ্য বুয়েট গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,
সবকিছুই করবে নিজের মেধা, সততা এবং আত্মত্যাগের
মধ্যদিয়ে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফল
উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ এখন মহাকাশ স্যাটেলাইট জগতের
গর্বিত অংশীদার। তিনি বলেন, সরকার বহুমুখি পদ্মাসেতু,
বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা সমূদ্র বন্দর, ঢাকা
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়েসহ বিভিন্ন
প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে বুয়েট
প্রোকৌশলীদের অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বন্যা, নদী ভাঙ্গন, নদী শাসন, পানি সরবরাহ
ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতাসহ প্রাকৃতিক
দুর্যোগের মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায়
সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে
‘বাংলাদেশ ডেল্টা-প্লান ২১০০’ বাস্তবায়নে অবদান রাখতে
প্রকৌশলীদের প্রতি আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রাজুয়েটদের জন্য বুয়েট সারা বিশ্বে
অধিক পরিচিত। ইতোমধ্যেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩২ হাজারের
অধিক প্রকৌশলী, স্থপতি এবং পরিকল্পনাবিদ বের হয়েছে।
কনভোকেশনে ২০১১সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৩১
ডিসেম্বর পযর্ন্ত শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৫
হাজার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট
এবং পিএইসডি ডিগ্রি সনদ গ্রহন করেন। ১৮ জন শিক্ষার্থী
সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপ্তির জন্য স্বর্ণপদক লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
সমাবর্তন বক্তব্য রাখেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,
এমপি, বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম,
ফ্যাকাল্টির ডিনগন যথাক্রমে অধ্যাপক মো. রফিক উল্লাহ,
অধ্যাপক ড. শেখ সেকেন্দার আলী, অধ্যাপক ড. মো.
মাহাবুবুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান এবং
অধ্যাপক ড. ফরিদা নিলুফার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে
৪৪ সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উগান্ডার মারিয়াম নাবাতানজি নামের এক নারী ৩৯ বছর
বয়সেই ৪৪ সন্তানের মা হয়েছেন। এতো অল্প বয়সেই এতগুলো
সন্তানের মা হওয়াতে তাকে উগান্ডার ‘সবচেয়ে উর্বর নারী’
বলা হয়। মারিয়ামের এই শিশুদের মধ্যে চার জোড়া যমজ
সন্তান রয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন
ঘটনা ঘটেছে তিনবার।
১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়া মারিয়াম বলেন, আমি ছয় সন্তানের
মা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি চারবার মা হই এবং
প্রত্যেকবারই যমজ সন্তানের জন্ম দেই। তবে আট সন্তান
আমার চাওয়ার চেয়েও বেশি ছিল। তাই আমি হাসপাতালে গিয়ে
ডাক্তারকে বলি, তিনি যেন আমার সন্তান জন্ম দেয়া বন্ধ
করে দেন। আমি জন্ম নিরোধক ব্যবহারেরও চেষ্টা করেছি
কিন্তু সেগুলো কাজ করেনি। উল্টো ডাক্তারি পরীক্ষায়
আমার হাইপাররোভ্যুলেশন নামে বিরল এক শারীরিক অবস্থা ধরে
পড়ে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আক্রান্ত নারী যখনই
মা হবেন তখন সে যমজ, তিন বা চারটি সন্তানের জন্ম দেবেন।
উগান্ডার এই নারী আরও বলেন, আমি সন্তান জন্ম দেয়ার
ক্ষেত্রে খুবই উর্বর।
জুন থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের জুন থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)
পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। ইমিগ্রেশন ও
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত ফি
পরিশোধ করে সর্বনিম্ন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ বছর মেয়াদের
ই-পাসপোর্ট পাবে দেশবাসী। ডেইলি অবজারভার।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার
থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, ই-পাসপোর্টে
তা স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে
৫ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি
পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। তবে কারও পাসপোর্টের
মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে
হবে।
শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে
সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট
বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
সাইদুর রহমান খান বলেন, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত
সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা এ বছরের
জুন মাসকে টার্গেট করে কাজ করছি।
ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও
স্থলবন্দরে চাহিদামোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয়
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে।
যাদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাদের এই গেট দিয়ে
সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাদের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট
থাকবে, তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান
থাকবে।
ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে
‘পাবলিক কি ডাইরেকটরি’তে (পিকেডি)। আন্তর্জাতিক এই
তথ্যভান্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল
অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)।
ই-পাসপোর্টের বাহক কোনো দেশের দূতাবাসে ভিসার জন্য
আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর
তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে নেবে
এবং আবেদন গ্রহণ করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা
বাতিল করে সিল দেবে।
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে দৈত্যাকৃতির মাছ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে পাওয়া মাছটিকে বিশেষজ্ঞরা সানফিশ
হিসেবে শনাক্ত করেছেন।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি সৈকতে দৈত্যাকৃতির,
অদ্ভুতদর্শন একটি মাছ ভেসে আসার পর এর ছবিগুলো ভাইরাল
হয়েছে। এক দশমিক ৮ মিটার (৬ ফুট) লম্বা এই নমুনাটিকে
বিশেষজ্ঞরা একটি সামুদ্রিক সানফিশ হিসেবে শনাক্ত
করেছেন।
ওই এলাকার একদল জেলে সৈকতের বালির ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে
যাওয়ার সময় প্রথম মাছটিকে দেখতে পান। প্রথমে এটিকে ভেসে
আসা বড় একটি কাঠের খণ্ড বলে ভুল করেছিলেন তারা,
জানিয়েছেন লিনেত গোজেলাক। তিনিই তার পার্টনারের ফেসবুক
পেইজে ছবিগুলো পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, “গুগলে
সানফিশ নাম পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এটাকে সত্যি বলে মনে
করিনি।” তার পার্টনার স্টিভেন জোন্স কয়েক বছর ধরে মাছ
ধরার কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তাই সে জানত এটা
কী; কিন্তু এর আগে বাস্তবে কখনো দেখেনি। “এ কারণেই
এটির ছবি তুলেছে তারা। সে জানিয়েছে এটি অত্যন্ত ভারী
আর এর চামড়া খসখসে অনেকটা গণ্ডারের চামড়ার মতো।”
অ্যাডিলেড শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে কুরঙ
ন্যাশনাল পার্কে মাছটিকে পাওয়া যায়। মাছটি পরে ঢেউয়ের
তোড়ে ফের সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামুদ্রিক সানফিশ বা মোলা মোলা বিশ্বের সবচেয়ে ভারী
কাঁটাযুক্ত মাছ। বিশ্বব্যাপী নাতিশীতোষ্ণ সামুদ্রিক জলে
এগুলোকে পাওয়া যায়। বড় ভোঁতা মাথা, বেমানান ছোট মুখ,
পিঠে লম্বা পাখনা ও পেছন দিকেও পাখনা আছে এই মাছের।
এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে যে মাছটি
পাওয়া গেছে সেটিকে ছোট বলে মনে হয়েছে, কারণ এই মাছগুলো
৪ মিটারেরও (১৩ ফুট) বেশি লম্বা ও আড়াই টনেরও (২,৫০০
কেজি) বেশি ওজনের হতে পারে।
স্ত্রীর যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে ৬২ বছর ধরে বোবার অভিনয়
স্বামীর!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমেরিকার কানেটিকাটের ওয়াটারবারি এলাকায় বিস্ময়কর এক
ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীর কথা যাতে শুনতে না হয় এ কারণে টানা
৬২ বছর ধরে মূক-বধিরের অভিনয় করেছেন এক ব্যক্তি। তবে
শেষ রক্ষা হয়নি। সত্যিটা জানতে পেরে স্বামীর বিরুদ্ধে
বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন এক স্ত্রী। ওয়ার্ল্ড নিউজ
ডেইলির খবর।
জানা গেছে, ৮৪ বছর বয়সী ব্যারি ডাওসন গত ৬২ বছরে একটা
কথাও বলেননি তার স্ত্রী ৮০ বছর বয়সী ডরোথির সঙ্গে। এ
কারণে ডরোথি তাকে বোবা ও বধিরই ভাবতেন। স্বামীর সঙ্গে
যোগাযোগ চালিয়ে যেতে ডরোথি ইশারার সাহায্যে কথা বলার
ভাষা শিখেছিলেন। যদিও সেই ভাষা শিখতে ডরোথির দুই
বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। ডরোথি জানান, যখন তিনি
ইশারায় কথা বলার ভাষা ভালভাবে রপ্ত করে ফেলেছিলেন তখনই
তার স্বামী ইশারায় জবাব দেওয়া বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যারি এত বছর ধরে বাড়িতে বোবা হয়ে
প্রতারণা করেছেন। অথচ একটিবারের জন্য আমি সেটা বুঝতে
পারিনি। সম্প্রতি ইউটিউবে তার একটা ভিডিও আমার চোখে পড়ে।
যেখানে সে একটা বারে চ্যারিটির জন্য গান গাইছিল। ওটা
দেখার পর আমার সব ভুল ভেঙে যায়।’ ব্যারি ও ডরোথি
দম্পতির ৬ টি সন্তান রয়েছে। শুধু স্ত্রী-ই নন, ব্যারির
সন্তান, নাতি-নাতনী সবাই এতদিন ব্যারিকে বোবাই মনে করতো।
স্বামী ব্যারির এমন অমানবিক আচরণ কিছুতেই মানতে পারছেন
না ডরোথি। বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি এ কারণে এতদিন ধরে
এভাবে তার উপর মানসিক অত্যাচার ও চাপ তৈরি করার জন্য
আর্থিক ক্ষতিপূরণও দাবী করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ব্যারি
ডাওসনের আইনজীবী রবার্ট সানচেজ দাবী করেন, স্ত্রীকে
ঠকানোর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার মক্কেলের। তাহলে
তাদের সংসার এত বছর টিকতে পারতো না। ওই আইনজীবী বলেন,
‘আমার মক্কেল শান্ত প্রকৃতির। বেশি কথা বলতে পছন্দ
করেন না। অন্যদিকে তার স্ত্রী তাকে খুবই বিরক্ত করতেন।
এ কারণে বাধ্য হয়েই তিনি বোবা সেজে ছিলেন সংসার
বাঁচানোর জন্য’। আদালতে এখন তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ও
ক্ষতিপূরণের মামলাটি বিচারধীন আছে।
৮০০ সন্তানের
বাবা এই ব্যক্তি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সাইমন ওয়াটসন
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সাইমন ওয়াটসন দাবি করেছেন, গত
১৫ বছরে তিনি অন্তত ৮০০ সন্তানের বাবা হয়েছেন।
বিষয়টি শুনেই অনেকে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবতে
পারেন, তবে সাইমন ওয়াটসনের এ দাবি অকাট্য।
সত্যি সত্যি তিনি ৮০০ সন্তানের বাবা। তবে তার বাবা
হওয়ার কাহিনী ভিন্ন রকম। ৪১ বছর বয়সী এ ব্রিটিশ নাগরিক
একজন পেশাদার শুক্রাণুদাতা। বিগত ১৬ বছর ধরে নিজের
শুক্রাণু দিয়ে আসছেন।
এ জন্য ইন্টারনেটে একটি সাইটও খুলেছেন সাইমন। প্রতি
তিন মাস পরপর নিজের সুস্থতার বিষয়ে পরীক্ষা করে সেই
রিপোর্ট তিনি তার সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে
তুলে দেন।
আর সেখান থেকে ক্লায়েন্ট তথ্য সংগ্রহ করে অনেক নারী ও
দম্পতি এসে শুক্রাণু নিয়ে যান।
তার কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে বিভিন্ন বেসরকারি
ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন
নারীরা।
শুক্রাণু দিতে ৫০ পাউন্ড করে সার্ভিস চার্জও নেন সাইমন
ওয়াটসন।
জানা গেছে, ব্রিটেনে মি. ওয়াটসনের এই পেশা অবৈধ। এর
জন্য তার কোনো লাইসেন্স নেই।
যুক্তরাজ্যে কৃত্রিম গর্ভধারণের বিষয়ে আইনি বিধি-নিষেধ
রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এভাবে সন্তান ধারণ বৈধতা পায় না
দেশটিতে।
তা সত্ত্বেও মা ডাকটি শুনতে অনেক নারী সাইমন ওয়াটসনের
মতো শুক্রাণু দাতাদের শরণাপন্ন হন।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. ওয়াটসন বলেন, আমি
অন্তত ৮০০ সন্তানের বাবা হয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় আমি আরও
সন্তানের বাবা হতে চাই, একে আমি রেকর্ড বলে মনে করি।
আমি চাই আমার রেকর্ডটি কেউ না ভাঙুক।
দায়িত্ব দেওয়া
হলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করব : মমতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব, সেখানেও শান্তি ফিরে
আসতে পারে বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেক্ষেত্রে
কেউ না পারলে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি নিজে
দীর্ঘকালীন এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হবেন বলে জানান
মমতা। বাংলাদেশ প্রতিদিন। বুধবার বিকালে দক্ষিণ
কলকাতার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে আসন্ন লোকসভা
নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ
অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মমতা।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা আরো বলেন, ‘হবে
না বলে পৃথিবীতে কোনো কাজ নেই, পারবো না বলেও কিছু নেই।
আপনাকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা যখন এরাজ্যে
ক্ষমতায় আসি তখন জঙ্গলমহল কি ছিল? প্রতি বছর চার
শতাধিক মানুষ মারা যেত। দিল্লির স্বার্থে দার্জিলিং-এর
পরিস্থিতি কি ছিল? তারা চাইতো দার্জিলিং-এর আগুন
জ্বলুক। দিল্লি থেকে কেবল পাম্প (উসকানি) করে। আমরা কি
জঙ্গলমহলে সমস্যার সমাধান করিনি? এসময় মমতা বলেন,
‘আমরা যদি জঙ্গমহলের সমস্যা সমাধান করতে পারি, দার্জিলিং
যদি শান্তিতে থাকতে পারে তবে কাশ্মীর ইস্যু সমাধানও
সম্ভব। এখানকার মানুষের আস্থা নিয়েই এবং যারা যারা
কনসার্নড ব্যক্তি আছেন তারা বসে নিশ্চয়ই এটাকে সমাধান
করতে পারে।’
Top
আধুনিক যুগে “নেমন্তন্ন”একটি বিশেষ
সামাজিক নির্যাতন
মো. দ্বীন ইসলাম
হাওলাদার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আধুনিক যুগে মানুষ প্রতিনিয়ত অসংখ্য সামাজিক অনুষ্ঠান
পালন করছে। যেমন-বিয়ে, বৌভাত, খাতনা, জন্ম দিন, মৃত্যু
দিবস, মুখেভাত, বিবাহ বার্ষিকী, কাঙ্গালী ভোজ, মৃত্যু
ব্যক্তির নামে দোয়া ও খানাপিনার আয়োজন আরো কত কী ? সেই
ছোট বেলায় দেখেছি মানুষ মানুষকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
দাওয়াত করতো। দাওয়াত পেয়ে মানুষ আনন্দিত হতো। মেজবান
তার সামর্থ অনুসারে আপ্যায়ন করতো। উভয় পক্ষই অর্থাৎ
মেজবান ও মেহমান বেশ হাসি খুশি থাকতো। কিন্তু আধুনিক
যুগে তথা যান্ত্রিক যুগে মানুষের অন্তর যেন লোহার মতো
শক্ত। তারা নেমন্তন্নতেও ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
এমনকি মৃত্যু ব্যক্তির নামে খাওয়াতে গেলেও। কেউ বা চান
নাম যশ; কেউবা আর্থিক সুবিধা। তবে দু’একটা যে ভালো
অনুষ্ঠান হয় না, তা নয়। এ ধরনের অনুষ্ঠান হওয়া উচিৎ
মেজবানের সামর্থ অনুসারে আয়োজনের ভিত্তিতে। যেখানে
মেহমান আসবে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে খাওয়া দাওয়ায়
অংশগ্রহণ শেষে চলে যাবে। আসলে কি তা হচ্ছে ? মোটেই না।
ধরা যাক কোন মৃত্যু ব্যক্তির নামে খাওয়ার আয়োজন। এটা
হয় ঐ ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনার্থে দোয়া ও
খানা-দানার আয়োজন। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় এ সকল
আয়োজনে মিটিং করে ধরা হয় কারা চাল দেবে, কারা মিষ্টি
দিবে, কারা গরু দিবে। অনেক সময় এই ধরাধরির কারণে কথার
কাটাকাটি এমনকি হাতাহাতিও হয়ে যায়। যা অনেক সময়
মেহমানদের জন্য কষ্টকর হলেও সামাজিকতার খাতিরে না বলতে
পারে না। আবার ভিআইপিদের জন্য অনেক অনুষ্ঠানের আলাদা
ব্যবস্থা করা হয়। অথচ এ খানার দাবিদার ফকির ও মিসকিন।
ফলে শরীয়তের দৃর্ষ্টিতে এ রকম আয়োজন হারাম হয়ে যায়। আর
অন্যান্য অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্যন্ডেলের প্রবেশ দ্বারে
সু-সজ্জিত টেবিলের এক পাশে দুই/এক জন লোক বসে থাকেন
খাতা কলম নিয়ে কে কি দিলো তার তালিকা করার জন্য। কেউবা
নগদ টাকা, কেউবা সোনার গহনা, কেউ বা ইলেকট্রিক
মালামালসহ ক্রোকারিজের মালামাল। একদম খালি হাতে কেউ
নাই। এর ফলে দরিদ্র মেহমানরা এক দিকে না গিয়েও পারে
না; অন্য দিকে তাদেরকে ধার-কর্জ করে উপঢৌকন দিতে হয়।
সে দেনা পরিশোধ করতে অনেক কষ্ট হয়। যদি অর্থাভাবে কোন
মেহমান কিছু না দিতে পারেন তবে তাকে অনুষ্ঠানে বসে বা
বাহিরে ডেকে লাঞ্চিত করা হয়। অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে
মেজবান আর মেহমানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি এমনকি
সম্পর্ক শেষও হয়ে যায়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে সকল অফিস
আদালতে বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
নেমন্তন্নের প্রচলন অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তা/কর্মচারী/
শিক্ষকদের ছেলে মেয়ের বিয়ে, খাতনা, বৌ-ভাতের আয়োজন হলে
প্রতিষ্ঠানে দাওয়াত। সাথে সাথে মোটা অংকের চাঁদা।
ক্লাস/অফিস আদালত বন্ধ, চাঁদা দিয়েও নিস্তার নেই। অনেক
মেজমান আগে ভাগেই মেহমানদেরকে বলে রাখেন কোন কিছু কিনে
দেয়ার দরকার নাই। নগদ টাকা দিলেই ভাল হয়। অনেকে আবার
আগেই হিসাব করে রাখেন কত টাকা খরচ হবে আর কত টাকা উঠতে
পারে। অনেকে হিসেব করে নেমন্তন্ন করেন কাকে নেমন্তন্ন
করলে বেশি উপটৌকন পাওয়া যাবে। বস/সহকর্মীদের নেমন্তন্নে
কোন কারণে হাজির হতে না পারলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
রীতিমতো হেনস্তা করা হয়। এর চেয়ে বড় কোন সামাজিক
নির্যাতন থাকতে পারে বলে মনে হয় না। এই নির্যাতন থেকে
বের হওয়ার পথ খুজে বের করা এখন সময়ের দাবি।
লেখকঃ প্রভাষক, দুমকি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা,
পটুয়াখালী।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইসরায়েলের চিরাচরিত স্বভাব :
মাহাথির
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইসরায়েলের চিরাচরিত স্বভাব।
বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে ইসরায়েলিরা বেশি
সহিংস ও সন্ত্রাসবাদী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েল নতুন করে হামলা চালানো শুরু
করেছে। গতকাল বুধবার মালয়েশিয়ার লাংকাভিতে আন্তর্জাতিক
বিমান ও সমুদ্রের ন্যাভিগেশন ফেয ার উদ্বোধনকালে
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে ড. মাহাথির এ
মন্তব্য করেন।
মাহাথির বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইসরাইলের চিরাচরিত
স্বভাব। তাদের অধিকাংশই সন্ত্রাসী মনোভাবের। অন্যান্য
জাতির চেয়ে তারা বেশী উগ্র ও সহিংস।
সহিংসতা সে অঞ্চলের সমস্যা সমাধান করতে পারে না
মন্তব্য করে ড. মাহাথির বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
জাতিসংঘের শিক্ষা সম্মেলনে
প্রথম বাংলাদেশি শিশু শিক্ষার্থী গার্গী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের শিক্ষা সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে প্রথম
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী স্বস্তিকা গার্গী চক্রবর্তী। এটি
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল ক্লাসরুম
ইন্টার-ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম’ বা
জিসিআইমুন। জাতিসংঘের অধীনে একটি শিক্ষা বিষয়ক
ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম এটা। প্রতিবছরের মতো এবারো ২৮
মার্চ থেকে ৩০ মার্চ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে
যাচ্ছে এ সম্মেলন।
জাতিসংঘে যাচ্ছ, কেমন লাগছে, জানতে চাইলে গার্গী বলেন,
‘আমি খুব খুশি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে। এটা আমার
কাছে বিরাট অর্জন। এটা সম্মানের বিষয়, আশা করছি ভালো
কিছুই হবে।’ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৫ম
শ্রেণিতে পড়েন গার্গী, বাবা সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ও
মা অনসূয়া চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে স্বস্তিকা।
জাতিসংঘের ১৫তম এই সম্মেলনে বিশ্বের ২৮টি দেশের ৫০
হাজার হাই স্কুল এবং ২৫০ প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রায় ৪
হাজার তরুণ নেতা জিসিআইমুনে অংশগহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
তারা একে অপরের কাছে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরবেন।
আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রতিবছর দুইবার এ প্রোগ্রামের
আয়োজন করে জাতিসংঘ। ২৮ মার্চ তারুণ্যের শক্তি নিয়ে
পৃথিবী বদলানের প্রত্যয়ে তরুণরা হাজির হবেন এ শিক্ষা
সম্মেলনে।
গার্গী বলে, ‘এই শিক্ষা সম্মেলনের সবকিছুতেই জাতিসংঘ
সম্মেলনের মতো নিয়ম-কানুন। যা আমার ভবিষ্যতে খুব কাজে
দেবে। কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা, নিজের দেশের
পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা, বিতর্ক করা- সবই এখানে করতে হবে।
সম্মেলনে গার্গী তার জন্য নির্ধারিত ক্যারিবীয় সাগরের
হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিমে এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে
গঠিত রাষ্ট্র হাইতির হয়ে কথা বলবেন। দেশটির
প্রতিনিধিদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনায় মিলিত হবেন তিনি।
আর এ জন্য তাকে প্রচুর পড়তে হয়েছে। হাইতির সমাজ
ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা,
বিদেশনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি- সব বিষয়েই জানতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে
স্মারকলিপি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর
বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির সাথে সখ্যতা ও নারায়ণগঞ্জকে
অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ
কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সকল
শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘নারায়ণগঞ্জের
সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে’ ঐ স্মারকলিপি প্রদান করা
হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে নাগরিক সমাজের
পক্ষে প্রেস ব্রিফিং ও স্মারকলিপি পাঠ করেন জেলা
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া ঐ স্মারকলিপিতে মেয়র আইভীর
বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী ও কলেজ
ছাত্রী তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে সরকারকে
বিব্রত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি
জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে পরিচিত ওসমান
পরিবার নিয়ে মেয়র আইভীর দেয়া ‘অশালীন’ বক্তব্যেরও
প্রতিবাদ জানানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে
দেয়া স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,
আইনজীবী সমিতি, সরকারি আইন কর্মকর্তাগণ, স্বাধীনতা
চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), শিক্ষক সমিতি, ইমাম সমিতি,
জেলা ও ৫টি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি, জেলা ও মহানগর
আওয়ামী লীগ, জাতীয় ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন, সিটি
করপোরেশনের প্যানেল মেয়রসহ ২৪ জন কাউন্সিলর, জেলা
পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, পৌরসভা
ও ইউনিয়ন পরিষদের ২২ জন চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সাংবাদিক
সংগঠন, পত্রিকা মালিক সমিতি, ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন,
ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বেকারত্ব
কমাতে দরকার শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার
বেকারত্ব কমাতে দরকার শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর পাওয়া আর না পাওয়ার হিসাব চুকাতে
গেলে অনেক কিছুরই গলদ চোখে পড়বে। হয়তো বা যতটুকু
উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল ততটুকু হয়নি। তবে আশাহত হওয়াটাও
ঠিক হবে না।
অতীতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। হেনরি
কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা থেকে সেই কবেই আমরা
বেরিয়ে এসেছি। তারপর বাংলাদেশ হেঁটে এসেছে অনেকটা পথ।
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানিয়া দেশ। জিডিপি
প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জন কিংবা মাথাপিছু আয়ে
বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশকে টেক্কা দিতে
প্রস্তুত। সম্প্রতি বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এতসব উন্নয়ন আশা জাগায়। তবে ওই যে প্রথমে বলেছিলাম-
এতসব উন্নয়নের মাঝেও কিছুটা গলদ চোখে পড়বে। দেশের
অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনও টিকে আছে;
তবে কিছুটা খেই হারিয়েছে বৈকি! সময়ের পরিক্রমায় দেশে
আরও নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে। হয়তো বা
উচ্চশিক্ষাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্যই বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের জন্ম হচ্ছে। উদ্দেশ্য এমনটা হয়ে থাকলে তা
নির্দ্বিধায় মহৎ বলা চলে।
এবার আসল কথায় আসা যাক। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪৫। স্বাধীনতা-উত্তর দেশে হু
হু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে এবং এখনও এই ধারা
চলমান। আমরা শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে যতটা না ভাবছি তার
চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ানোর
ওপর। শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে দ্বিমত নেই;
কারোরই দ্বিমত থাকা উচিত নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা শুধু শিক্ষিতের সংখ্যাই
বাড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে উচ্চশিক্ষার হার। কিন্তু সেই সঙ্গে
বাড়ছে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও।
আমরা যারা একটু-আধটু সংবাদপত্র পড়ি, তারা মোটামুটি
অবগত আছি এ বিষয়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে,
দেশে বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি ২০ লাখ। অর্থাৎ দেশের বৃহৎ
জনগোষ্ঠী চাকরিবঞ্চিত অবস্থায় রয়েছে। আমাদের শুধু
বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার সময়
হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করতে পারে নিঃসন্দেহে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত
হয়ে সহজেই কোনো একটি নির্দিষ্ট পেশায় ঢুকে পড়ার ভালো
সুযোগ রয়েছে। নয়তো অচিরেই এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের
জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। উন্নয়নের পথে ধাবিত হওয়া
অর্থনীতি খেই হারাবে। বেকার জনগোষ্ঠী হতাশায় নিমজ্জিত
হবে। তাদের হাতেই সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। গবেষণা
তাই-ই বলে; খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার তাগিদে এই বেকাররা
বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়বে। মাদকাসক্তি, টাকার
বিনিময়ে খুন-খারাবি কিংবা বিভিন্ন নীতিবিবর্জিত কাজ
বেড়ে যাবে।
তাই এসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। নয়তো বা অদূর ভবিষ্যতে
আমাদেরকেই এ দায় নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক
শিক্ষাকে গুণগত মানে উন্নীত করতে হবে। কারিগরি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বেকারদের
বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির উপযোগী করতে হবে।
তবেই দেশে বেকারত্বের বোঝা অনেকাংশে লাঘব হবে।।
যে দেশটির কথা কেউ শোনেনি
লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসের অপর পাড়ের শহরের নাম
‘উজুপিস’। ছোট্ট শহরটি নিয়েই গঠিত হয়েছে পৃথিবীর
অন্যতম এক খুদে দেশ, যে দেশের কথা কেউ জানে না।
গণতান্ত্রিক উজুপিসের জন্য অবশ্য রক্তক্ষয়ী কোনো
যুদ্ধের প্রয়োজন হয়নি। একদিন হঠাত্ করে শহরের
বাসিন্দারা ঘোষণা দিয়ে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র গঠন করে বসে।
লিথুনিয়ার একদল শিল্পমনা মানুষ মিলে স্রেফ মজা করতে
করতে গণতান্ত্রিক উজুপিসের ঘোষণা দেয়। সময়ের ব্যবধানে
এই দেশটির রয়েছে নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা, প্রেসিডেন্ট,
সংবিধান, এমনকি নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থাও। মজার বিষয়,
এক বর্গ কিলোমিটারের চেয়ে ছোট আয়তনের এই উজুপিসের রয়েছে
নিজস্ব নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীও। নৌবাহিনীর সদস্যরা
মাত্র তিন থেকে চারটি নৌকায় করে দেশের চারদিকে পাহারা
দিয়ে বেড়ায়। আর সেনাবাহিনীতে রয়েছে মোটের ওপর ১০ জনের
একটি দল যদিও এই সেনাবাহিনী কখনো কারো বিরুদ্ধে
যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় না। উল্টো দেশটির জনসাধারণের
শান্তিপ্রিয় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটে উজুপিসের সামরিক
বাহিনীর মাধ্যমে।
লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস আর উজুপিসের মধ্যে রয়েছে
এক নদী। সেই নদী পাড়ি দিলেই উজুপিস। এই দেশটিতে পা দিলে
পর্যটকদের চোখে পড়বে ‘উজুপিস জলপরীর ভাস্কর্য’। ২০০২
সালে দেশটির বিখ্যাত ভাস্কর রোমাস ভিলকাউসকাসের নকশায়
তৈরি হয় রৌপ্যের জলপরীটি। এটি যে কোনো পর্যটকের মন জয়
করে নেবে অনায়াসেই। ঐতিহ্যগতভাবে ভাস্কর্যের প্রতি
বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে লিথুনিয়াবাসীর। লিথুনিয়ার প্রায়
প্রত্যেকটি শহরে রয়েছে নানা ধরনের ভাস্কর্য। ১৯৯০ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগে পর্যন্ত সেখানকার
ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে সোভিয়েত স্থাপত্যের নিদর্শনের
বহিঃপ্রকাশ ঘটত। ১৯৯৫ সালের পর থেকে সোভিয়েত আমলের
অনেক ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায়
একদল শিল্পমনা মানুষ উজুপিসের একটি ভাস্কর্য সরিয়ে
সেখানে বসিয়ে দেয় মার্কিন পপ সম্রাট ফ্রাঙ্ক জাপ্পা’র
একটি মূর্তি। এরও দুই বছর পর ১৯৯৭ সালের ১ এপ্রিল আরও
সাহসী এক পদক্ষেপ নেয় তারা। লিথুনিয়া থেকে নিজেদের
স্বাধীনতা ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক উজুপিস গঠন করে তারা।
যদিও আন্তর্জাতিকভাবে কোনো স্বীকৃতি মেলেনি উজুপিসের।
লিথুনিয়া সরকারও এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বরং রাজধানী
ভিলিনিয়াস এবং লিথুনিয়ার কাছে এটি রীতিমতো গর্বের বিষয়।
দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস ১ এপ্রিল। প্রতি বছর এই দিনে
বিশেষভাবে পালন করে দেশের মানুষ। লিথুনিয়া কিংবা অন্য
যে কোনো দেশের পর্যটকদের উজুপিসে প্রবেশের জন্য কোনো
ভিসা-পাসপোর্টের প্রয়োজন না হলেও প্রজাতন্ত্র দিবসের
বেলায় নিয়মটা একটু বদলে যায়। এই দিনে উজুপিসে প্রবেশ
করতে হলে সঙ্গে থাকতে হবে পাসপোর্ট। দেশটির
প্রবেশদ্বারে এই পাসপোর্টে অনুমোদন দিলেই কেবল এদিন
উজুপিসে প্রবেশ করার অনুমতি মিলবে।
উজুপিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস চেপাইটিস একাধারে
ক্ষুদ্র জাতি-রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা জনকও। উজুপিসের
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনের গল্প
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, দার্শনিক এরিস্টটলের দর্শন
অনুযায়ী মহত্ রাষ্ট্র হতে হলে সেখানে সীমিত সংখ্যক
জনগণ থাকতে হবে। তার দর্শনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৈরি
করা হয়েছে ক্ষুদ্র জাতি-রাষ্ট্র, যেখানে মোটের ওপর
মাত্র ৫ হাজার মানুষের বাস। এখানে সবাই সবাইকে চেনে।
সুতরাং কারো পক্ষে কাউকে ঠকানো কিংবা ঝামেলা করার কোনো
সুযোগ নেই।
প্রবীণরাও মানবসম্পদ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জীবনের বসন্ত পেরিয়ে গেলে নেমে আসে প্রবীণকাল। একসময়
যে মানুষটি সংসারের হাল ধরেছিলেন, যার ওপর নির্ভরশীল
ছিল সবাই, যিনি ছিলেন পরিবারের সর্বেসর্বা, সময়ের
ব্যবধানে তিনি হয়ে পড়েন কর্মহীন অক্ষম একজন মানুষ।
তার শারীরিক শক্তি কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়েন। লাঠিতে
ভর দিয়ে চলতে হয়। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখ দেখা দেয়।
একসময়ের টগবগে তাজা তরুণ জীবনের অন্তিম বেলাভূমে এসে
অসহায় হয়ে পড়েন। চলাফেরা, ওঠাবসা, খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা-
সব ক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
অনেকে প্রবীণদের গুরুত্ব দেয় না। এড়িয়ে চলে। সংসারের
বোঝা মনে করে। অবহেলা করে। খোঁজখবর নেয় না। ভরণপোষণ,
সেবাযতœ ও চিকিৎসা করে না। কর্কশ ব্যবহার ও বিদ্রƒপ করে।
আবার অনেকে প্রতারণা করে প্রবীণের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে
নেয়। ফলে প্রবীণ ব্যক্তি হয়ে পড়ে সহায়-সম্বলহীন। তার
দীর্ঘশ্বাস বেড়ে যায়।
শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনের
কারণে এবং সমাজ ও পরিবারে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,
দারিদ্র্য, হীনমন্যতা ও পারিবারিক ভাঙনে প্রবীণরা
বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
পারিবারিক অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে বার্ধক্যের অসহায়ত্ব
সঙ্গে নিয়ে প্রবীণকে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে অথবা তাকে
ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিতে হয়।
আমাদের মনে রাখতে হবে- এ সমাজ, সংসার ও দেশ প্রবীণদের
কাছে কৃতজ্ঞ। যৌবনে মেধা, শ্রম, ত্যাগ ও অর্থ দিয়ে এই
প্রবীণ ব্যক্তিরা নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলেন।
এখনও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হলে তারা তাদের বুদ্ধি,
পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে
পারেন এবং সঠিক ও সুন্দর পথ দেখাতে পারেন। তাই বলা যায়,
প্রবীণরাও আমাদের মানবসম্পদ।
প্রবীণদের প্রতি আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব রয়েছে। তাদের মূল্যায়ন করা উচিত।
আমাদের প্রতি তাদের হক বা অধিকার আছে। তাদের অধিকার
থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। সমাজ বা রাষ্ট্রে বিভিন্ন
সাংবিধানিক অধিকার যেমন- নারী অধিকার, শিশু অধিকার,
শ্রম অধিকার ইত্যাদি অধিকারের মতো প্রবীণ অধিকারও থাকা
দরকার। প্রবীণ অধিকার আদায় ও বাস্তবায়নে আমাদের সচেতন
হওয়া উচিত। প্রবীণের পাশে থাকা এবং সহযোগিতা করা
আমাদের নৈতিক কর্তব্য।
সাধারণত সংসারে মা-বাবাই প্রবীণ। তারাই এ পৃথিবীতে
আমাদের আগমনের উৎস। মা-বাবা ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব
কল্পনা করা যায় না। তাছাড়া সমাজে আমাদের
আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও কিছু প্রবীণ ব্যক্তি রয়েছেন।
প্রবীণদের প্রতি সবসময় সহনশীল থাকতে হবে। তাদের সঙ্গে
নম্র, ভদ্র ব্যবহার করতে হবে। তাদের কোনোরকম কষ্ট দেয়া
যাবে না। তাদের প্রতি সবসময় সুনজর রাখতে হবে।
অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসা করাতে হবে। তাদের সেবাযতœ করতে
হবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের পাশে বসে
গল্প-গুজব করে নিঃসঙ্গতা দূর করতে হবে। প্রবীণদের
খাদ্য, গোসল ও পোশাক-পরিচ্ছদের প্রতি যতœশীল হতে হবে।
কখনও তাদের সঙ্গে রাগ বা অভিমান করা ঠিক নয়।
পথেঘাটে কোনো প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলে তাকে
সম্মান করতে হবে। চলাফেরায় তার কোনো অসুবিধা হলে তাকে
সহযোগিতা করা কর্তব্য। দেশের নাগরিক হিসেবে প্রবীণদের
জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে
এবং তাদের অধিকারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
নুরুল আমিন : প্রাবন্ধিক, লালমোহন, ভোলা
বৃটেনে নিযুক্ত
প্রথম নারী হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম
বৃটেনে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম
দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
গত ২৬ নভেম্বর তিনি নতুন পদে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছান।
হাই কমিশনারকে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানান
ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার জুলকার নাইন। তার সাথে ছিলেন
মানচেস্টার ও বার্মিংহামের সহকারি হাই কমিশনার এবং হাই
কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা।
সাঈদা মুনা তাসনিম বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১১তম
ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৯৩ সালে তিনি চাকুরিতে যোগ দেন।
বৃটেন হাইকমিশনের শীর্ষপদে তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা।
তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্তান, এ অনন্য
সাফল্যের জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন সাঈদা মুনা
তাসনিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রতি ২ মিনিটে একজন কিশোর-কিশোরীর এইচআইভি আক্রান্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, এইডসের
কারণে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৬০
হাজার কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। এই সময়ে এইচআইভি
প্রতিরোধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রকল্পে বাড়তি
বিনিয়োগ করা না হলে প্রতিদিন ৭৬ জন কিশোর-কিশোরী মারা
যাবে। বর্তমানে প্রতি ২ মিনিটে একজন কিশোর বা কিশোরী
এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে।
উপেক্ষিত
মানবাধিকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্বীকার
মোঃ দ্বীন
ইসলাম হাওলাদার
যারা শিক্ষকতা করেন তারাই শিক্ষক। হোক সে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । শিক্ষক
তো শিক্ষকই আর শিক্ষকতা মানেই ব্রেইন কালচার। কোন
মানুষের হাত-পা না থাকলেও সে স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন
করতে পারে। কিন্তু ব্রেইনে সামান্যতম সমস্যা দেখাদিলে
সে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে না।তার স্থান হয়
রাস্তা-ঘাটে; যেখানে-সেখানে অর্থাৎ সে স্বাভাবিক মানুষ
থাকে না। সেই ব্রেইন কালচার করতে হয় শিক্ষকদেরকে। তাই
শিক্ষকদেরকে তাদের কাজে অর্থাৎ শিক্ষকতার কাজেই রাখা
দরকার। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষকরা তীব্র মানষিক
নির্যাতনের স্বীকার। তাদেরকে শিক্ষকতার পাশাপাশি
বিভিন্ন কাজ করতে বাধ্য করা হয়; যা অনেকাংশে অমানবিক।
আমাদের দেশের শিক্ষকদেরকে সকাল ৯/৯:৩০টা থেকে ৪/৪:৩০
টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে থাকতে হয় যা বিশ্বের অন্য কোন
দেশে আছে কিনা সন্দেহ। তারপরে শিক্ষকদেরকে দিয়ে নতুন
ভোটার তালিকা করানো, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করানো,
আদমশুমারি পশুশুমারি নিরাপদ ও অনিরাপদ পায়খানা
ব্যবহারকারীদের সংখ্যা নিরূপণ, শিশু জরিপ সহ নানাকাজে
নিয়োজিত করা হয়। এ সকল কাজে গিয়ে তাঁরা নানা ভাবে
লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। এ রকমের বহু ঘটনা
প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। অথচ ওয়ার্ড
ভিত্তিক সরকারের ইউপি সদস্য রয়েছে, রয়েছে চৌকিদার এ
কাজ তো তাদের করার কথা। অথবা বিভিন্ন চৎড়লবপঃ এর মতো
সরকার পারিশ্রমিক দিয়ে এ সকল কাজের জন্য সাময়িকভাবে
জনবল নিয়োগ দিতে পারে। কোথাও কোন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ
হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হয় উক্ত
সভা-সমাবেশে হাজির হওয়ার জন্য, যাতে লোক সমাগম বেশি
দেখানো যায়। দেখা গেছে, উপজেলাগুলোতে কোন সমাবেশ হলে
এমনকি কোন পাবলিক ফাংশনের কোন সমাবেশ হলেও
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হয় উপজেলা অডিটরিয়ামে
হাজির হতে। কোন এক ইউনিয়ন পরিষদে সাধারন জনগনকে আইসিটি
বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হলে উক্ত
ইউপি চেয়াম্যান ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে হাজির হতে বাধ্য করেন। কিন্তু
ওটা ছিলো সরকারি চৎড়লবপঃ যার জন্য সরকারি বরাদ্ধও ছিলো
অনেক। অথচ সেখানে শিক্ষকদেরকে হাজির করে বিনা খরচে
সমাবেশ করে চৎড়লবপঃ শেষ করা হয় ও অর্থ লোপাট হয়ে যায়।
আবার ইউনিয়ন বা উপজেলার বিভিন্ন দিবস উদযাপন বা
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীসহ
হাজির হতে বাধ্য করা হয়। অথচ সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক
নেতাদের ভীড়ে শিক্ষকরা কোথাও একটু বসার জায়গাও পায় না
শিক্ষার্থীরাতো দুরের কথা। শিক্ষার্থীরা অনাহারে দিন
কাটিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। আবার কোন এমপি বা মন্ত্রী বা
কোন শীর্ষ স্থানীয় নেতা বা নেত্রীর আগমনে তাঁকে উষ্ণ
অভ্যর্থনা জানাতে শিক্ষক ও কোমলমতী শিক্ষার্থীদেরকে
ঘন্টারপর ঘন্টা অনাহারে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তার
দু’ধারে দাড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। অথচ এখানে
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের থাকার কথা ছিলো না। উপস্থিত
থাকার কথা সংশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের। কিন্তু
সেখানে নেতাদেরকে খুশি করানোর জন্য সংশ্লিষ্ঠ
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে উপস্থিত
থাকতে বাধ্য করা হয়। এভাবে প্রতিবছর বহুদিন শ্রেণি
কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যা মানবাধিকার ও শিশু অধিকার
পরিপন্থী। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব সহকারে
বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
Top
একটি মানবাধিকার
কর্মীর সফলতার গল্প
মেয়ের জন্য বাবার কান্নার
আর্তনাদ, সেদিন কাঁদিয়ে ছিলো সবাইকে। চট্টগ্রাম
লোহাগাড়া, কলাউজান থেকে মেয়ের সংসার বাঁচানোর জন্য
অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ
বান্দরবান পৌরশাখা কার্যালয়ে এসেছিলেন, চিনু দাশের বাবা,
মনোরঞ্জন দাশ। তার স্বপ্ন সফল হলো।
চিনু দাশের স্বামী সুমন দাশ। বান্দরবান মেম্বারপাড়ার
বাসিন্দা। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর সংসার করতে চায়।
অতীতের সমস্ত কথা ভুলে যাবে এক্কেবারে এমনি আশ্বাস দিলো
সবাইকে। চোখ মুছতে মুছতে সুমন আমায় বললো, আজকাল
ছেলেদের কথা কেউ শুনতে চায় না, আপনি আমার কথা শুনেছেন
গুরুত্ব সহকারে, আমি আপনার সেই সম্মান রাখবো। চিনু বলে,
ভেঙ্গে ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাওয়া সংসারটি আপনি পেরেছেন
জোড়া দিতে, আজ থেকে আপনি আমাদের আপন বোন, আপন দিদি।
চিনু দাশের মা, বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়ে সংসার
ফিরে পেয়েছে, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। সারাজীবন আমরা
তোমার জন্য আশীর্বাদ করবো। বান্দরবান আসলে একবার হলেও
তোমাকে দেখে যাবো।
কখন যে চোখ দু'টো আনন্দে ভিজে গেলো জানিনা। আনন্দে
কাঁদলো তারাও।
সাংবাদিক হাকিম ভাই ফোন করে বললেন, নীলিমা তোমার উপর
আমার বিশ্বাস আছে, তারপরেও তুমি ভালো করে দেখো বিষয়টা,
সংসারটা যেন ভেঙ্গে না যায়। হাকিম ভাইকে আন্তরিক
ধন্যবাদ। আন্তরিক ধন্যবাদ যারা সহযোগীতায় ছিলেন।
নীলিমা আক্তার নীলা
সভানেত্রী-বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC
নারী ও শিশু সংবাদ
নারীর কাজের সঠিক মূল্যায়ন হলে সমাজে সমমর্যাদা
প্রতিষ্ঠিত হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর গৃহস্থালী কাজের আর্থিক স্বীকৃতি দিয়ে অর্থনীতিতে
নারীর অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা
বলেছেন, নারীর গৃহশ্রম ও সেবামূলক কাজকে যদি সঠিকভাবে
মূল্যায়ন করা হয় তাহলে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে
নারী-পুরুষের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে পুরুষের
পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের পরিবর্তন, সমাজে নারীর
গুরুত্ব অনুধাবন এবং নারীর প্রতি পুরুষের শ্রদ্ধাশীল
হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘করের
টাকা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করতে হবে’ শীর্ষক
মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্লোবাল ডেইজ অব
অ্যাকশন উপলক্ষে ‘ইক্যুইটিবিডি’ এর আয়োজন করে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কারী ফেরদৌস আরা রুমী বলেন,
অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়লেও প্রাতিষ্ঠানিক খাতে
নারীর অংশগ্রহণ এখনো আশানুরূপ নয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে
জড়িত শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। তবে
একই ধরনের শ্রমের সাথে যুক্ত থাকলেও পুরুষের তুলনায়
মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কম ভোগ করেন নারীরা।
অন্যদিকে এই নারীদেরকেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, বিদ্যুত্ ইত্যাদি সবার মতো
একই দাম দিয়ে কিনতে হয়। তার জন্য নেই বিশেষ কর মওকুফের
ব্যবস্থা বা করনীতি, যা কি না হবে নারীবান্ধব।
গৃহশ্রমসহ অন্যান্য সেবামূলক কাজে নারীরা পুরুষের
তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সময় দেন। কিন্তু নারীর এই শ্রমকে
জাতীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। যার আর্থিক মূল্য
জিডিপি’র প্রায় ৭৭ শতাংশের সমান।
বাংলাদেশ কিষাণী সভার সভাপতি রেহানা আকতার বলেন, নগরীতে
হাতে গোনা কয়েকটি গার্মেন্ট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া
কর্মজীবী মায়ের সন্তানদের জন্য নেই শিশু দিবাযতœ
কেন্দ্র। তিনি কর্মক্ষেত্রে সমতা আনার জন্য নারীবান্ধব
পরিবেশ ও শিশুর জন্য দিবাযতœ কেন্দ্র তৈরিতে সরকারের
বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে জানান।
কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম প্রাতিষ্ঠানিক খাতে
নারীদের কর্মসংস্থান আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন,
রাজনীতি, অর্থনীতি, আইন কাঠামোয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের
ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মানববন্ধনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়ে বলা হয়,
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, বিদ্যুত্ খাতের বেসরকারিকরণ
নয়। সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য কমাতে হবে।
দক্ষ নারী শ্রমিক তৈরি করতে হবে। নারীপ্রধান পরিবারের
ওপর করের বোঝা নয়। নারীর সকল কাজের আর্থিক মূল্য
বিবেচনা করতে হবে। করের টাকা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায়
বিনিয়োগ করতে হবে এবং নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত
করতে হবে।
এখনও তীব্র অপুষ্টির শিকার বহু শিশু!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নীতি রানির বয়স এখন দেড় বছর। গত ১১ মার্চ তাকে
মৌলভীবাজার জেলার রাজানগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
তীব্র অপুষ্টি নিয়ে ভর্তি করা হয়। নীতির মা শান্তা রানি
জানান, বেশ কিছু দিন হলো নীতির খাওয়া-দাওয়ার প্রতি
অনীহা। কিছুই খাচ্ছিল না। কান্নাকাটি লেগেই ছিল। কেমন
যেন নেতিয়ে যাচ্ছিল। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসময় তার ওজন ছিল ৬ কেজি। কিন্তু বয়স অনুযায়ী তার ওজন
হওয়ার কথা ৯ কেজির বেশি। তার উচ্চতাও এ বয়সের অন্য
শিশুর চেয়ে কম। শান্তা জানান, তার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়।
তার তিন সন্তান। নীতি রানি জন্মের সময় কম ওজন নিয়ে
জন্মায়। সংসার আর অন্য দুই সন্তান রেখে কতদিন হাসপাতালে
থাকতে পারবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত তিনি।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের সমিরন
বেগমের ৮ সন্তানের মধ্যে সাদিয়া বেগম সবার ছোট (২০ মাস)।
এগার মাস বয়সে ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের খর্বাকৃতির
সাদিয়াকে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। তিনদিন চিকিত্সার পর তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
সঙ্গে দেওয়া হয় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা। এ তালিকা
অনুসরণ করে সাদিয়ার এখন ৮ কেজি ৫০ গ্রাম ওজন হয়েছে।
সম্প্রতি সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল
ঘুরে দেখা গেছে, এখানে শিশুরা এখনো মাত্রাতিরিক্ত
অপুষ্টিজনিত খর্বতা (স্টান্টিং) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম
‘সূচনা’র মাঠকর্মীরা এসব শিশুদের শনাক্ত করে থাকে। তবে
এ বিষয়ে সরকারের আলাদা কোনো কার্যক্রম নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে খর্বকায়
ও লম্বার তুলনায় কম ওজনের মানুষের সংখ্যা বেশি। অথচ
জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি)
পুষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এসডিজির ২ নং
লক্ষ্য ক্ষুধামুক্তি, খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন এবং সব
ধরনের অপুষ্টি দূর। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে তাই অপুষ্টি
মোকাবিলার বিষয়টি গভীরভাবে আমলে নিতে হবে।
‘সূচনা’র ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী রেজা
মনে করেন, অপুষ্টির শিকার শিশুদের মায়েরা জানে না
‘স্টান্টিং’ কী; কেন হয়। তারা সচেতন না শিশুর প্রথম ১
হাজার দিন সম্পর্কে। এমনকি গর্ভধারণ থেকে দুই বছর
পর্যন্ত শিশুর সামগ্রিক বিকাশের জন্য পুষ্টি কতটা
গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়েও তারা অসচেতন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুষ্টির অভাবে শিশুর বৃদ্ধি এবং
বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হওয়াকে ‘স্টান্টিং’ বলা হয় ।
২০১৩ সালে ইউনিসেফের একটি জরিপ অনুযায়ী, মায়েদের
নিম্নশিক্ষার হার এবং সামাজিক ও আর্থিক সংকট শিশুর
পুষ্টিহীনতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাংলাদেশ
ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস) ২০১৪
অনুযায়ী, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে খর্বকায় হওয়ার
হার ৩৬ শতাংশ। ২০১১ সালে এটি ছিল ৪১ শতাংশ, ২০০৭ সালে
৪৩ শতাংশ এবং ২০০৪ সালে ৫১ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী,
সিলেট বিভাগে খর্বাকায় শিশুর হার সবচেয়ে বেশি। যা ২০১৪
সালে ছিল ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ অঞ্চলের শিশুর অপুষ্টি ও খর্বকায় রোধে ‘সূচনা’ ২০১৫
সাল থেকে ছয় বছর কাজ করবে। এসময় ২ লাখ ২০ হাজার
মানুষের অপুষ্টি রোধের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
গর্ভবতী মা ও কিশোরী এবং নবজাতককে পুষ্টি বিষয়ে
প্রয়োজনীয় শিক্ষা, দারিদ্র্যতা দূর এবং কিশোরীদের
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করছে তারা।
জানতে চাইলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো.
মাহবুবুল হক বলেন, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শিশুর বিকাশ
ব্যাহত হয়। মানসিক শক্তি কমে যায়। লেখাপড়ায় দুর্বলতা
বাড়ে, অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শিশুর
খর্বকায়ত্বের পেছনে মস্তিষ্কের পুষ্টিহীনতা দায়ী বলে
তিনি জানান।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন,
বাবা-মায়ের অজ্ঞতা এবং বাল্যবিয়ে অপুষ্টি ও খর্বকায়
শিশুর মূল কারণ। এছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারতো
রয়েছেই।
এ বিষয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি
পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, রিপোর্টে অপুষ্টির
হার কমেছে। সরকার পুষ্টি নিয়ে আলাদা করে কাজ করে না।
তবে সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টি কর্নার আছে।
এছাড়া আমাদের মাঠকর্মীরা পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য
দেওয়ার সময় শিশু ও মায়ের পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব
দিচ্ছে।
কিছুতেই কমছে না বাল্যবিয়ে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল সিরাজগঞ্জের আলমপুর
গ্রামের সীমা খাতুনের। বিয়ের ছয় মাস পার না হতেই
যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না
পেরে দেড় বছরের মাথায় এক সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ি পাড়ি
জমাতে হয় তাকে। একই ঘটনার শিকার রাজশাহী দুর্গাপুরের
আকলিমা আক্তার। বয়স লুকিয়ে ভুয়া সনদ দিয়ে জোর করে বিয়ে
দেওয়া হয় তার। কাঠ ব্যবসায়ী ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি আগের
স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ১৪ বছরের আকলিমার বিয়ের বয়স
হয়নি জেনেও তাকে জোর করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে
বিভিন্ন রকমের অসুখে ভুগতে থাকে আকলিমা। সন্তান হওয়ার
পর থেকেই রক্তশূন্যতায় ভুগছে সে। শহরাঞ্চলে কমলেও
গ্রামাঞ্চলে কমেনি বাল্যবিয়ের প্রবণতা। কাজীর কাছে ভুয়া
সনদ উপস্থাপন করে বাল্যবিয়ের ঘটনা উসকে দিচ্ছেন
অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়,
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ৬ মাসে
বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৮৪ কিশোরী। জাতিসংঘের
শিশুবিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের
যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি, বাংলাদেশ তার
একটি। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে
যখন দুনিয়াজুড়ে সমীহের চোখে দেখা হচ্ছে, তখন এ কলঙ্ক
সেই সাফল্যকে অনেকটাই নিষ্প্রভ করছে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
পুলিশ বাহিনী কি জনবান্ধব হতে
পারবে?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উন্নত দেশগুলোর স্কুল শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে কী হবে জানতে
চাইলে অনেকেই বলে, তারা পুলিশ অফিসার হতে চায়। কেউ বলে,
ফায়ার ফাইটার হতে চায়। কারণ, সবাই এদের সম্মান করে।
পুলিশ অফিসার এবং দমকল বাহিনীর লোকজন মানুষকে বিপদাপদে
সাহায্য করে বলে তাদের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে
ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়।
কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে স্কুল
শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কিত ধারণা নেতিবাচক।
এদের ‘এইম ইন লাইফ’ জানতে চাইলে অধিকাংশক্ষেত্রে এরা
উত্তর দেয়, আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট অথবা
বিসিএস অফিসার হতে চাই। এরা দমকল বাহিনী বা পুলিশ
বাহিনীর অফিসার হতে চায় না। এর কারণ কী? এ দেশের সব
পুলিশ অফিসার কি অপছন্দের? কেন পুলিশ জনমনে ইতিবাচক
ভাবমূর্তি তৈরি করতে পারেনি?
এ নিবন্ধে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করব। দেখাতে চেষ্টা করব,
বাংলাদেশে সংখ্যায় কম হলেও জনবান্ধব ও পরোপকারী পুলিশ
অফিসার আছেন। এরা নীরবে জনগণকে সেবা দিলেও তা প্রচারে
আসে না। অধিকাংশ পুলিশ অফিসারের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের
ভিড়ে তাদের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয় না। ফলে ভালো
পুলিশ অফিসাররাও অপবাদের শিকার হন। এ সম্পর্কে নিজস্ব
অভিজ্ঞতা থেকেও উদাহরণ দেব।
পুলিশের ভালো কাজ করার পথে দুটি বাধা আছে। এর প্রথমটি
হল আইন এবং দ্বিতীয়টি হল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। পরিতাপের
বিষয়, স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাব্দী পার করেও বাংলাদেশ
একটি সময়োপযোগী ও জনবান্ধব পুলিশ আইন তৈরি করতে পারেনি।
ফলে পুলিশ চলছে ব্রিটিশ আমলের ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন
দিয়ে।
স্বাধীনতার পর যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনায় ছিল তারা এর
জন্য দায়ী। তবে সব সরকারকে একই মাত্রায় দোষ দেয়া যাবে
না। কারণ, ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দীন সরকার অসাংবিধানিক
হয়েও পুলিশ আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত
আইজি এসএম শাজাহানকে প্রধান করে পুলিশ আইন সংস্কারের
লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি এতদঞ্চলের
দেশগুলোর পুলিশ আইন পর্যালোচনা করে একটি জনবান্ধব
পুলিশ সংস্কার অধ্যাদেশ তৈরি করেছিল। কিন্তু দুঃখের
বিষয়, ওই সরকার অধ্যাদেশটি পাস করে যায়নি। রাজনৈতিক
নেতারা ওই সময় এ মর্মে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে
তারা এ অধ্যাদেশটি পাস করবেন। কিন্তু পরবর্তী সরকার সে
ওয়াদা রাখেনি। অধ্যাদেশটি পাস করলে পুলিশ একটি
জনবান্ধব বাহিনী হতে পারত। অধ্যাদেশটিতে অনেক ভালো
উদ্যোগের মধ্যে পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন সৃষ্টির
সুপারিশ ছিল। পুলিশি আচরণে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে
ওই কমিশনে অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু কেন অধ্যাদেশটি
পাস করা হয়নি সে জবাব সরকারকেই দিতে হবে।
পুলিশের জনবান্ধব হওয়ার পথে দ্বিতীয় বাধাটি হল পুলিশি
কার্যকলাপে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। পুলিশকে যদি
স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হতো, তাহলে পুলিশ নাগরিক
সমাজকে অনেক বেশি সেবা দিতে পারত। কিন্তু ক্ষমতাসীন
সরকার সবসময় পুলিশকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের
অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এর ফলে পুলিশকে রাজনৈতিক
নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। অনেক সময় ইচ্ছার
বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোকে নাজেহাল করে সরকারি দলকে খুশি
করতে হয়। পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও অন্যান্য
সুযোগ-সুবিধা বিতরণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকায় পুলিশ
সরকারি নির্দেশ পালন করে। এ জন্য স্বাভাবিক সময়ে বা
নির্বাচনের সময়ে, পুলিশ সরকারি ইচ্ছানুযায়ী কাজ করে।
সে জন্য পুলিশ পদসোপানের ফাঁড়ি এবং থানা থেকে শুরু করে
পদে পদে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কাজ দুষ্টের দমন
আর শিষ্টের পালন হলেও পুলিশ নিজেই আজ দুর্নীতিগ্রস্ত।
এ কারণে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
আশার কথা, এমন প্রতিকূল পরিবেশ, মান্ধাতার আমলের আইন
এবং নৈরাজ্যের মধ্যেও কিছুসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা ভালো
কাজ করে যাচ্ছেন। এ সত্য স্বীকার্য, পুলিশের মধ্যে এমন
কর্মকর্তার সংখ্যা কম। আবার, যারা সৎভাবে কাজ করতে চান,
অনেকক্ষেত্রে তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাদেরকে
দূরবর্তী স্থানে বদলি করে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও যেসব
সৎ পুলিশ অফিসার সব বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে নাগরিক সেবার
ব্রত নিয়ে কাজ করেন, তাদেরকে শ্রদ্ধা না করে পারা যায়
না। তবে নাগরিকদেরও দোষ আছে। তারা সমাজে এমন
পুলিশবিরোধী কালচার গড়ে তুলেছেন যেখানে পুলিশের ভালো
কাজ প্রশংসিত হয় না। নিন্দিত হয় পুলিশের অপকর্ম। পুলিশ
ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িত হলে অবশ্যই তার নিন্দা করা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পুলিশ কোনো ভালো কাজ করলে নাগরিক
সমাজ তার প্রশংসা করে না কেন? নাগরিকদের এ অভ্যাস
পরিবর্তন করা জরুরি। একটা উদাহরণ দেয়া যাক। র্যাব
সদস্যরা মাজারের টাকা আত্মসাৎ করেছে বা নারায়ণগঞ্জে
সেভেন মার্ডারে জড়িত হয়েছে, সে কারণে নাগরিক সমাজ তার
নিন্দা করেছে। এ নিন্দা পুলিশের প্রাপ্য। কিন্তু পুলিশ
যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপরাধী গ্রেফতার করে, যখন মাথায়
গুলি খেয়ে জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর
রহমান বাংলাভাইকে গ্রেফতার করেছিল, তখন নাগরিক সমাজ কি
পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল? না, জানায়নি। নাগরিক সমাজে
পুলিশের মন্দ কাজের নিন্দা আছে, কিন্তু ভালো কাজের
প্রশংসা নেই। এই একচোখা কালচার থেকে বেরিয়ে আসা
প্রয়োজন।
বরিশালে ধর্ষণ মামলায় একজনের
যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা
মামলায় মনির মোল্লা (৩৮) নামে একজনকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা
জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
১৮ মার্চ আসামির উপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ
আদেশ দেন।
মনির জেলার উজিরপুর উপজেলার গাজীরপাড় গ্রামের নূর
ইসলাম মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম প্রতিবন্ধী শিশু ও
আসামি উভয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা। ২০১১ সালের ২
অক্টোবর সকাল ৬টায় টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির
পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে
দণ্ডপ্রাপ্ত মনির।
এসময় শিশুটির চিৎকারে তার মা ঘটনাস্থলে গেলে ধর্ষক
পালিয়ে যান। এ ঘটনায় একইদিন শিশুটির মা বাদী হয়ে
উজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ
মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ২১ নভেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরকে অভিযুক্ত করে
আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন।
মামলায় ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে
সোমবার বিচারক এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ
সহকারী আজিবর রহমান।
যানবাহনের বিরুদ্ধে
৬৩ মামলা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশাল নগরীর সড়কগুলোর শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নিরাপদ সড়ক
গড়ার লক্ষ্যে গতকাল বুধবার নগরীর প্রবেশদ্বার দপদপিয়া
সেতুর ঢালে বিএমপির ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ
অভিযান পরিচালিত হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি
(ট্রাফিক) খাইরুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ট্রাফিকের এসি (দক্ষিণ) মাসুদ রানা ও এসি (উত্তর)
একেএম ফাইজুর রহমানসহ বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের
সহযোগিতায় বেশ কিছু যানবাহন আটক ও মামলা দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা শেষে ডিসি (ট্রাফিক) খাইরুল আলম জানান,
অভিযানে শিমুল পরিবহন নামে একটি মিনিবাস আটক ও
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিআরটিসি বাস,
মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের নামে প্রায় ৬৩টি মামলা
দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের কাজ মানুষকে সচেতন করা।
নিরাপদ সড়ক গড়ার লক্ষ্যে সড়কগুলোর শৃঙ্খলা রক্ষায় এ
অভিযান চলমান থাকবে। এ দিকে নগর ট্রাফিক পুলিশের
অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ পথচারী ও নগরবাসী।
তারা বলেন, ট্রাফিক পুলিশের এ রকম অভিযান নিয়মিত
পরিচালনা করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমে আসবে, জনগণ আরো
সচেতন হবে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। এ সময়
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাস মালিক সমিতির
সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক কাওসার
হোসেন শিপন, যুগ্ম সম্পাদক মোমেন উদ্দিন কালু, ট্রাফিক
পুলিশের টিআই শামসুল আলম, শাহ আলম, আ. রহিম, বিদ্যুত,
সার্জেন্ট কামরুল, তরিকুল ইসলাম, ইমরান, ইমন, মাহাবুব,
তৌহিদ মোর্শেদ টুটুল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
আগুনে দগ্ধ হলে যা করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আগুন, গরম পানি, গরম তেল, বিদ্যুৎ, রাসায়নিক পদার্থ,
এসিড, ক্ষার, বোমা বিস্ফোরণ, বিকিরণ ইত্যাদি নানা কারণে
পোড়াজনিত আঘাত বা বার্ন ইনজুরি হতে পারে। আমাদের দেশে
গরম পানি এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া- এ দুটোর পরিমাণ বেশি।
শীতকাল এলে এর প্রকোপটা বেড়ে যায়। এ ছাড়াও রয়েছে
ইলেকট্রিক বার্ন (ইলেক্ট্রিক শকের কারণে হয়) এবং
কেমিক্যাল বার্ন (এসিড, ক্ষার দিয়ে হয়)।
প্রাথমিক চিকিৎসা
আগুনে পোড়া রোগীকে প্রথমেই আগুনের কাছ থেকে সরিয়ে আনুন।
এবার শরীরের কাপড় এবং গয়না খুলে ফেলুন। তারপর দ্রুত
টিউবওয়েল কিংবা পানির ট্যাপের নিচে ৩০মিনিট থেকে ১
ঘণ্টা আক্রান্ত স্থানে পানি দিন। আক্রান্ত অংশ
পরিষ্কার কাপড় বা গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে একটু উঁচুতে
রাখুন। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্ঞান থাকলে পানিতে একটু লবণ
মিশিয়ে শরবত, স্যালাইন বা ডাবের পানি এমনকি সাধারণ
পানিও পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে দিন।
এভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে
নিতে হবে।
আগুনে পোড়া জায়গায় ডিম/পেস্ট লাগানো কি ঠিক?
আগুনে পুড়ে গেলে অনেকেই ডিম ভেঙে দেয়, কেউ পেস্ট লাগায়।
আসলে এগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই। এসব জিনিস দিলে
সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ে। তাই এগুলো না দেয়াই উত্তম।
যেহেতু ডিমে প্রোটিন আছে, তাই ডিম ভেঙে উপরে না দিয়ে
বরং খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
এ ছাড়াও মনে রাখবেন চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম
বা ক্রিম লাগানো ঠিক না। ফোসকা হলে তা ফুটো করবেন না।
পোড়া স্থানে বরফ, তুলা, ডিম, পেস্ট ইত্যাদি লাগাবেন
না। পোড়া জায়গায় যেন আঘাত বা ঘষা না লাগে সেদিকে খেয়াল
রাখবেন।
পায়ের পেশিতে
টান!পায়ের পেশিতে টান!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
প্রায়ই শোনা যায় খেলোয়াড়দের পায়ের পেশিতে টান লেগে
ইনজুরি হয়েছে। এমনও হতে পারে এজন্য তাকে পুরো ম্যাচ বা
সিরিজই মাঠের বাইরে থাকতে হয়। শুধু প্লেয়ারদের নয়,
এসমস্যা হয় সাধারণ মানুষেরও।
ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে টান বা মাসলপুল হলে অসহ্য
ব্যথা হতে পারে। এ সময় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিতে
পারেন “RICE থেরাপি”।
এই RICE মানে কিন্তু ভাত বা চাল না। “RICE থেরাপি” মানে
হচ্ছে,
R- Rest, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
I- Ice, বরফ দিয়ে সেঁক দিতে হবে
C- Compression আক্রান্ত পেশিতে সহনীয় চাপ দিন
E- Elevation আক্রান্ত স্থানের নিচে বালিশ দিয়ে শরীরের
তুলনায় কিছুটা ওপরে রাখতে হবে।
এভাবে ধাপগুলো মেনে চললে ব্যথায় কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
একেই RICE থেরাপি বলে।
এছাড়াও নিয়মিত খাবারে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা, মিষ্টি আলু
ও প্রোটিনযুক্ত খাবার মাছ-মাংস-রাখুন।
পানির ঘাটতির জন্যই মাসলপুল হয়। সারাদিনে পর্যাপ্ত
পরিমাণে পানি পান করুন।
মাসলপুল হলে আক্রান্ত স্থান একেবারেই নাড়াচাড়া করতে না
পারলে, সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন।
কীভাবে বুঝবেন হৃদ্
রোগের ঝুঁকিতে আছেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সুস্থ–সবলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ, কোনো সমস্যা নেই,
একদিন হঠাৎ শোনা যায় তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়ে
গেছে। সমস্যা হলো এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে প্রায়ই কিছু
জানা যায় না। এ রকম হার্ট অ্যাটাকের পরিণতি হয় সঙ্গে
সঙ্গে মৃত্যু, নয়তো জীবনের সঙ্গে আপস করে কোনোমতে চলা।
তাই হৃদ্ রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন ঝুঁকিতে আছেন?
কোনো সমস্যা বোধ করছেন না, বুকে ব্যথা করে না কখনো,
অনেক পরিশ্রমও করতে পারেন, তার মানে কোনো দিন হার্ট
অ্যাটাক হবে না এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে ঝুঁকি
কতটুকু আছে, তা জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অকালমৃত্যু
বা কঠিন পরিণতি এড়ানো যায়।
নিজের ঝুঁকি জানতে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আপনি
আপনার ঝুঁকির মাত্রা জানতে পারেন। প্রশ্নের বেশির ভাগ
উত্তরই যদি ‘হ্যাঁ’ হয়ে থাকে, তবে আপনার হার্ট
অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি।
আপনি কি ধূমপান করেন? আপনার পরিবারে কি হার্ট
অ্যাটাকের ইতিহাস বা অল্প বয়সে হঠাৎ মৃত্যুর ইতিহাস আছে?
আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা
বেশি আছে? আপনি কি কায়িক শ্রমবিহীন জীবন যাপন করেন?
আপনি কি স্থূল বা আপনার কি ওজন বেশি? আপনার মানসিক চাপ
কি প্রচণ্ড?
জানতে হবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
* বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মধ্যে চাপ বোধ
হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা
মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর
চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।
* অনেক সময় বাহু, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল অথবা পাকস্থলীতেও
অস্বস্তি অনুভূত হয়।
* অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে
আসে।
* অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে
যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা, পিঠে বা চোয়ালে
ব্যথা হতে পারে।
হাসপাতালে আসতে হবে গোল্ডেন আওয়ারে
কারও হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যেতে হবে।
কারণ, হার্ট অ্যাটাকের পর প্রথম এক ঘণ্টা হলো গোল্ডেন
আওয়ার, অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসকের
জরুরি চিকিৎসা নিতে পারলে রোগীর প্রাণ রক্ষা প্রায়
নিশ্চিত করা সম্ভব।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বুঝব হার্ট অ্যাটাক, না
গ্যাসের কারণে বুকব্যথা? এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে অনেক সময়
চলে যায়। বুকে ব্যথা চরমে উঠলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। রোগীর জীবনসংশয়
দেখা দেয়। তারপরও চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন। যদি হার্ট
অ্যাটাকের তীব্রতা কম হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো প্রাণ রক্ষা
পায়। কিন্তু বাকি জীবন কষ্ট করে চলতে হয়। কারণ, হার্ট
অ্যাটাকের ফলে হৃৎপিণ্ডের কিছু অংশ অকেজো হয়ে যায়। শেষ
পর্যন্ত হয়তো চরম ঝুঁকিতে পড়তে হয়। তাই একটু বেশি
বয়সীরা বা যাঁরা ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের বুকে ব্যথা হলে
অবহেলা না করে অন্তত একটা ইসিজি করে দেখতে পারেন যে
হার্টের ব্যথা নয় তো?
ডায়াবেটিস থেকে হৃদ্ রোগে আক্রান্ত
অধিকাংশ ডায়াবেটিসের রোগী হৃদ্ রোগে আক্রান্ত হয়েই
অকালে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। ডায়াবেটিস ও হৃদ্ রোগ এ
দুটি পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে বিষয়গুলো
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত, যেমন অতি ওজন,
ধূমপান, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা
বংশগতি, এগুলো হৃদ্ রোগেরও ঝুঁকি। তাই এ দুটি সমস্যা
পরস্পরের হাত ধরেই চলে। একটির ঝুঁকি কমালে অপরটির
ঝুঁকিও কমে আসে।
আর তাই—
* রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে চর্বির মাত্রা
নিয়মিত পরীক্ষা করুন ও প্রয়োজনে চর্বি কমানোর ওষুধ
গ্রহণ করুন।
* উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলুন। ধূমপান করবেন না। সুষম
খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
* সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটুন বা যেকোনো ব্যায়াম
করুন। কায়িক পরিশ্রম বাড়ান। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। বিশেষ
করে পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন।
* নিয়মিত রক্তচাপ, শর্করা পরীক্ষা করুন, চিকিৎসকের
সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ও হৃদ্ রোগ আছে কি না, তা নির্ণয়ে
সচেতন হোন। সব সময় যে উপসর্গ থাকবে, এমন কোনো কথা নেই।
ভালো অভ্যাসে সুস্থ হৃদ্ যন্ত্র
ছোট্ট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন জীবনটাকে বদলে দিতে পারে।
সুস্থ রাখতে পারে শরীরের হৃদ্ যন্ত্রকে। এর জন্য কিছু
অভ্যাস ছাড়তে হবে, আবার কিছু সাদরে গ্রহণ করতে হবে।
সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও খাদ্য
সম্পর্কে সচেতন হওয়া। ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে বড়
প্রয়োজন প্রতিজ্ঞা। সঠিক-স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ,
নিয়মিত ব্যায়াম—এসব অভ্যাস নিজের পাশাপাশি সন্তান ও
পরিজনদের মধ্যেও গড়ে তুলতে হবে।
ডা. মু. সালাউদ্দিন, হৃদ্ রোগ বিশেষজ্ঞ
এন্টিবায়োটিকের
অপব্যবহার ক্ষতিকর
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এন্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ও যথেচ্ছ ব্যবহার ক্রমান্বয়ে
বেড়ে চলেছে আমাদের দেশে- ফলশ্র“তিতে বেড়ে চলেছে
রেজিষ্ট্যান্ট জীবানুর সংখ্যা। এন্টিবায়োটিক জীবন
রক্ষাকারী অতীব প্রয়োজনীয় ওষুধ, এর ব্যবহার হওয়া উচিত
পরিমিত, সীমিত ও প্রয়োজনে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন তা
হচ্ছে না। সাধারণ সর্দি জ্বর, ভাইরাসজনিত পাতলা পায়খানা
এগুলোতে এন্টিবায়োটিকের কোন প্রয়োজন নেই কিন্তু সত্যি
কথা বলতে কি এমন একটা ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যাবে না
যেখানে এন্টিবায়োটিক লিখা হয়নি। আইনে আছে ব্যবস্থাপত্র
ছাড়া এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না- কিন্তু আমাদের দেশে
তা মানা হয় না। বলতে গেলে প্রতিটি ওষুধ দোকানদার
ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সারাদিন যে কোন ধরণের এন্টিবায়োটিক
ক্রেতাকে সরবরাহ করে যান। ভবিষ্যতে এর পরিণতি হবে
ভয়াবহ। এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে অজস্র রেজিষ্ট্যান্ট জীবানু।
সাধারণ ওষুধে এখন আর রক্ত আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড,
নিউমোনিয়া ভালো হয় না। এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্ট
যক্ষ্মা এখন প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে কো-ট্রাইমোক্সজল,
এমপিসিলিন, এমক্সিসিলিন বা প্রথম জেনারেশন
সেফালোসারিনই যথেষ্ট সেখানে দ্বিতীয় বা তৃতীয় জেনারেশন
সেফালোসারিন লেখা হচ্ছে হর হামেশাই। এতে ওষুধের অপচয়ের
পাশপাশি হচ্ছে অর্থের অপচয়। দামী এন্টিবায়োটিক লিখা
এখন খানিকটা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের এ ব্যাপারে
এখনই সচেতন হতে হবে-তা না হলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে
আমাদের প্রত্যেকের জীবন, কারণ কিছুদিন পর কোন
এন্টিবায়োটিকই কোন জীবানুর বিরুদ্ধে আর তেমন কার্যকরী
ভূমিকা রাখতে পারবে না।
ডাঃ এম, করিম খান সহযোগী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ কমিউনিটি
বেজ্ড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
ক্যান্সার রোগীর জন্য আদা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা এ পর্যন্ত শুনেছি আদার অনেক গুণের কথা। আদার
উপকারিতার ফিরিস্তি খুব ছোট হবে না। আদা, রসুন, পেঁয়াজ
এ তিনটি শেকড় জাতীয় ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ মাটির নিচে
উৎপন্ন হয়। শুধু এসবের পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে
সূর্যরশ্মি থেকে খাদ্য গ্রহণের জন্য। অল ইন্ডিয়া
ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএম) চিকিৎসকরা
বলেছেন, আদা খেলে ক্যান্সার রোগীর বিবমিষা বা বমির
উদ্রেক বহুলাংশে হ্রাস পাবে। আদাকে শুকিয়ে তা পাউডারের
মতো করে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্সার
রোগীকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়। যার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের
বমির উদ্রেক হয়। আদার গুঁড়ো চা বা অন্য কোনো খাবারে
অথবা সরাসরি প্রতিদিন পরিমিত খেলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থেকে প্রায় নব্বই ভাগ মুক্ত হওয়া সম্ভব। আদার গুঁড়ো
থেকে ইতিমধ্যে ক্যাপসুল তৈরি হয়েছে। যেসব রোগীর শরীরের
ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি তাদের ১৬৭ মিলিগ্রাম এবং ৪০ থেকে
৬০ কেজির জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল সেবন করতে দেওয়া
হয়। কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে রোগীকে
অন্তত ৬টি ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
এআইআইএমএস ২০০৯ সাল থেকে রোগী বা তাদের আত্মীয়পরিজনদের
না জানিয়ে এ ওষুধটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ৮ থেকে ২১
বছর বয়সী ৬০ জন রোগীর ওপর নিয়মিত পরীক্ষা চালাতে থাকে।
অবশেষে এ বছর এর উপকারিতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন
ইনস্টিটিউটের ভারতীয় চিকিৎসকরা। তারা বলেন, আদার ভেষজ
গুণাবলীর ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই এ ওষুধ
ব্যবহারের জন্য রোগীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ক্যাপসুলের
নামকরণ কী করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। কিংবা ভারতের
বাইরে অন্য কোনো দেশে অবাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা
হচ্ছে কি-না তাও বলা হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, বমির
উদ্রেক শতভাগ ভালো হবে না। তা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে
রাখবে মাত্র। এই আদা থেকে তৈরি ক্যাপসুলের কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শতভাগ নিরাপদ। যেকোনো বয়সের
শিশুরাও তা গ্রহণ করতে পারবে।
ঢেঁকিছাটা
চালের পুষ্টিগুণ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পালিশ করা সরু চালের ভাত সকলেরই পছন্দ এবং এই ভাত
খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে- শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা
পৃিথিবীজুড়ে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা
বাড়ছে এবং এই ধরনের পালিশ করা সাদা চাল খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাদামি, মোটা চালের ভাত তাদের পক্ষে উপকারি বলে জানা
গছে। পালিশ করা সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালে আছে
উচ্চমাত্রার তন্ত, কেলসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন-বি।
আবার অঙ্কুরিত বাদামি চাল আরও ভালো। কারণ অঙ্কুরোদগম
নিষ্ক্রিয় এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে
অঙ্কুরিত বাদামি চালের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। অতএব
পুরোনো দিনের লাল মোটা চালের ভাত খাওয়ার দিন এগিয়ে আনতে
হবে।
Top
আইন কনিকা
কোর্ট ম্যারেজ বলতে কি
বুঝায়্ড্তি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক উঠতি বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা পরিবারের অমতে কোর্টে
গিয়ে কিছু কাগজপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ভাবেন
আইনগতভাবে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা এখন স্বামী-স্ত্রী
এবং একসাথে বসবাস করতে পারবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি -
কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা
নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার
জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে,
তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর কোন আইনগত ভিত্তি
নেই। এই রুপ কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা
হয় তাহলে আইনগত কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময় যদি এক
পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার
পাবেনা।
*** পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি
পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা একশত পঞ্চাশ টাকার
নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর
ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে
অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি
ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন
করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে।
*** আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ তরুণীর ভুল ধারণা
হয় যে, শুধুমাত্র এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত
হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয়
বলে কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে করে তারা।
*** যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয় তাহলে স্ত্রী
মোহরানা আদায় করতে ব্যার্থ হবে। অধিকিন্তু আইন অনুযায়ী
তার বিয়ে প্রমান করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই
ক্ষেত্রে সঙ্গী কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভাবানাই অধিক।
*** মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রিকরণ) আইন, ১৯৭৪-এর
ধারা ৫(২) অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে একজন নিকাহ রেজিস্টার
ব্যাতিত অন্য ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্টিত হয় সে
ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্টানের তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০)
ত্রিশ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টারের নিকট
প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
*** ধারা ৫(৪) অনুযায়ী অত্র আইনের বিধান লঙ্গন করলে
দুই বছর পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড
বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয়
দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
**** হিন্দু আইনে কী বলা আছে ?
***হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা
মেনেই বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
কোর্ট এরিয়ায় বিয়ে করতে
কি কি লাগে, যানতে চেয়েছেন?
সমাধানঃ কোর্টে গিয়ে বিয়ে করতে হলে, প্রথমে আপনি একজন
আইনজীবীর সাথে কথা বলেন।
তবে যে সব কাগজ পএ আপনি সঙ্গে আনবেন তা হলো।
১- বর ও কনের পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি।
২- জাতীয় পরিচয়পএ, (বয়স ও ঠিকানা নিধারনের জন্য)
৩-দুই জন সাক্ষীসাবুদ।
এই কাগজ পএ নিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তায় কোর্টে
গিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
মাদকের মামলায়
একজনকে ১৪ বছরের জেল
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
নওগাঁয় মাদকের মামলায় মো. আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক
ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে
১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের
কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ
আদালত-২ এর বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর
উপজেলার মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি জামিনে
গিয়ে বর্তমানে পলাতক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার আরও দুই আসামি
মোশাররফ হোসেন (৩৫) ও মো. সোহেলকে (২৮) বেকসুর খালাস
দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৯ মে নওগাঁ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি
দর জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চৌপাড়া গ্রামে অভিযান
চালায়। পুলিশ সদস্যরা চৌপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে
পৌঁছালে আসামি আলাউদ্দিন, মোশাররফ হোসেন ও সোহেল
পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
আলাউদ্দিনের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা ও
২০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের
এসআই নিরঞ্জন কুমার বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে
নিয়ামতপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ১৯(১)
ধারায় মামলা করেন। আজ মামলার রায় হলো।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী শামসুর
রহমান। আসামি আলাউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এসএম আব্দুর
রহমান, মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সোমেন্দ কুমার কুণ্ড এবং
আসামি সোহেলের পক্ষে মোফাজ্জল হক মামলাটি পরিচালনা
করেন।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|
|