           
 
|
Cover October 2018
English Part
October 2018
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
রোহিঙ্গা সমস্যার
সমাধান করতে হবে মিয়ানমারকেই : প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সঙ্গে
মিয়ানমারের যে চুক্তি হয়েছে তা আশু বাস্তবায়নের তাগিদ
দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেহেতু রোহিঙ্গা
সমস্যার উদ্ভব হয়েছে মিয়ানমারে, তাই এর সমাধানও হতে হবে
মিয়ানমারেই। আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ
সমাধান চাই। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে দেওয়া
ভাষণে মিয়ানমারের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করে
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা
সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও
টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ ধরে
প্রতিবছরের মতো এবারো জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন
প্রধানমন্ত্রী। ১৯ মিনিট স্থায়ী ভাষণে রোহিঙ্গা সঙ্কট,
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে
বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায়
সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি, বাংলাদেশের
উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন
প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণসহ বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা,
দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের কথা বিশ্বসভায় তুলে ধরেন শেখ
হাসিনা। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি
১৫ বার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত
স্থাপন করলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত
ও অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার স্থায়ী ও
শান্তিপূর্ণ সমাধানে গত বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে
আমি পাঁচ-দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। ইতোমধ্যে
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও
মিয়ানমারের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে
মিয়ানমার মৌখিকভাবে সবসময়ই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে বলে
অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা
নিচ্ছে না।
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন সেপ্টেম্বর
২০১৮
সেপ্টেম্বর ’১৮ মাসে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২০২ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে সেপ্টেম্বর ২০১৮ মাসে সারা দেশে
মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২০২টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। BHRC এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেপ্টেম্বর ২০১৮ মাসে গড়ে
প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৭টি। আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু
নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর
কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ২০২ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৬ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩২ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৮ জন,
আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২৯ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৯ জন, অপহরণ হত্যা ১১ জন, গুপ্ত হত্যা
৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৫৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৫৮ জন এবং আত্মহত্যা ১৯ জন।
সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ২৩ জন, যৌন নির্যাতন ৭
জন, যৌতুক নির্যাতন ৪ জন এবং সাংবাদিক নির্যাতন ১ জন।
BHRC'র UK
ইংল্যান্ড শাখার মানবাধিকার সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র ইংল্যান্ড উইমেন্স
শাখার উদ্যোগে ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে
BHRC'র ২৭ জন প্রতিনিধিকে সংবর্ধনা এবং এক মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ-এর যুক্তরাজ্য সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র
ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, গভর্নর এবং
যুক্তরাজ্য ন্যাশনাল শাখার সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী,
BHRC ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এ্যাম্বাসেডর/গভর্নর মোহাম্মদ
সহিদুর রহমান, BHRC যুক্তরাজ্য গভর্নর এবং যুক্তরাজ্য
ন্যাশনাল শাখার সাধারণ সম্পাদক তারাউল ইসলাম, BHRC ইউকে
উইমেন্স শাখার সভাপতি সাজিয়া øিগ্ধা, ইউকে গভর্নর এবং
ওয়েস্টমিনস্টার এন্ড কেনজিংটন শাখার সভাপতি মাসুদুল
ইসলাম রুহুল, BHRC বিশেষ প্রতিনিধি এবং বরিশাল মহানগর
শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু মাসুম ফয়সাল, BHRCবাংলাদেশ
সুপ্রীম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আলমগীর হোসেন
প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC যুক্তরাজ্য মহিলা শাখার
সভাপতি রুবি হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন BHRC
যুক্তরাজ্য মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাসনিম জাহান।
যুক্তরাজ্যে
থামছেনা আধুনিক শিশু দাসত্বে
মানবাধিকার রিপোর্ট’
যুক্তরাজ্যে ক্রমশ বেড়েই চলছে আধুনিক শিশু দাসত্ব। এর
ফলে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে হাজারো শিশু । আর এ জন্য
দেশটির সরকারের দুর্বল আইন কাঠামোকে দুষছেন এন্টি
ট্রাফিকিং মনিটরিং নামের একটি দাতব্য সংস্থা। খবর
প্রেস টিভির।
সম্প্রতি তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়,
যুক্তরাজ্য সরকার শিশু দাসত্বের বিরুদ্ধে একটি সংহত
নীতি প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও
জানানো হয়, এই বিষয়ের ওপর অবহেলা এবং বিশেষজ্ঞদের কম
নজরদারির কারণে বহু শিশু যুক্তরাজ্যে নির্যাতনের
স্বীকার হচ্ছে। এন্টি ট্রাফিকিং মনিটরিং সংস্থাটি বলছে,
আধুনিক দাসত্বের কারণে ধর্ষিত কিংবা মাদক পাচারের কাজে
ব্যবহৃত শিশুদের সুরক্ষায় ব্রিটেন বদ্ধ পরিকর। কিন্তু
এটি প্রতিরোধে সরকারের কোন স্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। এছাড়া
এ সব নির্যাতিত শিশুদের যারা চিকিৎসা করবে তাদের
যথেষ্ট প্রশিক্ষণ নেই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালের চেয়ে ২০১৭ সালে প্রায়
৬৬ শতাংশ বেশি শিশু যুক্তরাজ্যে পাচার হয়ে এসেছে। আর
পাচার হওয়া এ সব শিশুদের ভেতর দুই তৃতীয়াংশই ভিয়েতনাম,
সুদান, আফগানিস্তান এবং ইরাকের মত দেশগুলো থেকে এসেছে।
এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুদেরকেই যৌন নির্যাতন, বাসা
বাড়ির কাজ কিংবা জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করানো হয়েছে।
ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন নামে অস্ট্রেলিয়ার এক মানবাধিকার
সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৩ সালের পর যুক্ত্যরাজ্যে মানুষকে
ক্রীতদাস বানিয়ে রাখার সংখ্যা প্রায় দশগুণ বেড়ে গিয়েছে।
দাসত্ব বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা এন্টি স্লেভারি
ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন ও কন্নর বলেন,
এটা যুক্ত্যরাজ্য সরকারের জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয় যে
তারা পাচার হওয়া নির্যাতিত শিশুদের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষা
নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের এমন
নেটওয়ার্কদের সমর্থন করা উচিত যারা নির্যাতিত হওয়া ভীত
শিশু ও তাদের পরিবারদের স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে
পারবে এবং যারা ইতিমধ্যে পাচার হয়েছে তাদের বিশেষ
সাহায্য করতে পারবে।
BHRC'র UK মহিলা শাখার মানবাধিকার কনফারেন্স
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র যুওরাজ্য মহিলা
শাখার উদ্যেগে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিকেলে এক মানবাধিকার
কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের
বিচারপতি(অবঃ) একেএম সামসুদ্দিন আহামেদ মানিক।
BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল ড.সাইফুল ইসলাম দিলদার
সম্মেলন উদ্বোধন করেন। কনফারেন্সে সাভাপতিত্ব করেন
BHRC'র যুক্তরাজ্য মহিলা শাখার সভাপতি সাজিয়া সুলতানা
স্নিগ্ধা। প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য
রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ,
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিষ্টার শ্যামল
কান্তি চৌধুরী, BHRC'র ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ-এর
গভর্নর সেকান্দর আলী জাহিদ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোট
শাখার সিনিয়র আইনজীবী আমজাদ হোসেন, ইংল্যান্ড উইমেন্স
শাখার সভাপতি রুবি হক, BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, BHRC'র বিশেষ
প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, বৃৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক
শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া সহ বাংলাদেশ এবং
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার কর্মীরা সম্মেলনে যোগদেন।
সুইডেনের
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশী
প্রার্থীর জয়্
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
২০১৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অতীতের সকল
রেকর্ড ভেঙে দিয়ে কোনো বাংলাদেশী সিটি কাউন্সিলের
সদস্য নির্বাচিত হলো।
৯ই সেপ্টেম্বর সুইডেনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রথম
বাংলাদেশী হিসেবে রুহুল আমিন বিল্লাল বিজয়ী হয়েছে।
সুইডেনের স্টকহোম সিটির কমুনে দি সিগটুনা কাউন্সিল
পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জনাব রুহুল আমিন
বিল্লাল যিনি লিবারেল রাজনৈতিক পার্টি হতে প্রথমবারের
মতো নোমিনেশন পেয়ে বাজিমাত করলেন।
সুইডেনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশীর বিজয়
অনন্য মাইলফলক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে আরো
বড় সাফল্যের পথ প্রশস্ত করবে।
প্রথমবারের মত এতো বড় পরিসরে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পেরে
নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করেন বাংলাদেশী কাউন্সিলর
রুহুল আমিন বিল্লাল।তার দেশের বাড়ি গাজীপুর পিতা মরহুম
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সামসুল হক। প্রবাসে বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত।
বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সকল প্রবাসী
ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে সুইডেন যুবদলের নেতা কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায়
প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সৌদিআরব
বিএনপি সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব, বেলজিয়াম বিএনপির
সভাপতি আহমেদ সাজা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবু,
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলম হোসেন, জার্মান বিএনপির
সভাপতি আকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার, যুগ্ম
সম্পাদক মুস্তাক খান, আয়ারল্যান্ড বিএনপি সভাপতি
হামিদুল নাসির, কাতার বিএনপির সদস্য সচিব যুবদলের
সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক শরিফুল হক সাজু,
ফিনল্যান্ড বিএনপি নেতা জামান সরকার মনির, সুইডেন
বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শিশির।
BHRC'র
যুক্তরাজ্যের নর্থ-ওয়েষ্ট আঞ্চলিক মানবাধিকার কনভেনশন
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC যুক্তরাজ্যের
নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার উদ্যোগে ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিকেলে
ম্যানচেস্টারে “ নর্থ-ওয়েষ্ট আঞ্চলিক মানবাধিকার
কনভেনশন-২০১৮” অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী
জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র
ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, BHRC বিশেষ
প্রতিনিধি এবং বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু
মাসুম ফয়সাল, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার
নির্বাহী সভাপতি সায়েকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার
সভাপতি মোঃ মাঈনুল আমিন বুলবুল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার সাধারণ
সম্পাদক রুহুল আমিন রুহেল।
হত্যা,
নির্যাতন ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার চালায় বিশ্বের ৩৮টি
দেশ: জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের ৩৮টি দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ হত্যা, নির্যাতন
ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে
বলা হয়, এই ‘নির্লজ্জ’ দেশগুলো চরমভাবে অধিকারকর্মীদের
ওপর বলপ্রয়োগ করে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত,
মিয়ানমার, সৌদিআরব, চীন, রাশিয়া, ইসরায়েল ও তুরস্ক।
জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটির মহাসচিব
অ্যান্তনিও গুতেরেস লেখেন, এই দেশগুলো মানবাধিকার
কর্মীদের ওপর নজরদারী ও তাদের অপরাধে অভিযুক্ত করার মতো
ঘৃণাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত। বিশ্বের সব সাহসী
ব্যক্তিদের এর জন্য রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ৩৮টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে
সংকট ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে ও ২৯টি দেশ নতুনভাবে
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হয়েছে। দেশগুলো হল,
বাহরাইন, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, কঙ্গো,
দিজিবুতি, মিশর, গুয়েতেমালা, গুয়ানা, হন্ডুরাস,
হাঙ্গেরি, ভারত, ইসরায়েল, কাজাকস্তান, মালদ্বীপ, মালি,
মরোক্কো, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, রুশ ফেডারেশন, রুয়ান্ডা,
সৌদিআরব, দক্ষিণ সুদান, থাইল্যান্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো,
তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা
সংস্থা এবং অপরাধ দমন কৌশলের অপব্যবহার করা হয়। এর
মধ্যে কয়েকটি দেশই জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস
কাউন্সিলের বর্তমান সদস্য।
বিশ্বে
৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত : জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৭ সালে বিশ্বের ৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল
বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছর বিশ্বের ৯ জনের একজনই
প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। ক্ষুধার্ত মানুষের এ
চিত্র তুলে ধরে বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার
আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পাঁচ
বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ কোটির দৈহিক স্বাভাবিক
বিকাশ আটকে আছে পুষ্টিহীনতায়। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট
শিশুর ২২ শতাংশ। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ু
পরিবর্তনের ফলে বেড়ে গেছে বন্যা, তাপদাহ, ঝড়, খরা।
প্রতিকূল আবহাওয়া ক্ষুধা মেটানোর শস্য উৎপাদনকে ব্যাহত
করছে। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর
দেওয়া হয়। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য
কর্মসূচি, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সম্মিলিতভাবে এই
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
BHRC ব্লাকপুল শাখার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র যুক্তরাজ্যের
ব্লাকপুল শাখার উদ্যেগে ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিকেলে
মানবাধিকার বিষয়ক এক বিশেষ সভা ব্ল্যাকপুলে অনুষ্ঠিত
হয়। BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল ড.সাইফুল ইসলাম দিলদার
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সভায়
সাভাপতিত্ব করেন ব্ল্যাকপুণের সভাপতি মানবতাবাদি নাসির
উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর সেকান্দর আলী
জাহিদ, BHRC'র বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, ঢাকার
বৃৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম
কিবরিয়া,টক নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল
আমিন রুহেল, টক নর্থ-ওয়েষ্ট শাখার যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম
কিবরিয়া বেলাল, ব্ল্যাকপুল শাখার সাধারণ সম্পাদক করির
গোলাম সহ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার কর্মীরা
যোগদেন।
বছরে
খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দাওয়াই কাজে
আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তফসিলি ব্যাংকগুলো
নানাবিধ পদক্ষেপ নিলেও খেলাপি ঋণ কমাতে কার্যত তা কাজে
লাগছে না। পাহাড় সমান খেলাপি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে
ব্যাংকগুলো। গত এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ
দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ১০
দশমিক ৪১ শতাংশ। জুন প্রান্তিকে বাণিজ্যিকগুলোর
প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন
প্রান্তিক শেষে ৫৭টি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ
দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে
খেলাপি ঋণ ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা যা মোট ঋণের ১০
দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ
ছিল ৭৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ১৩
শতাংশ। ওই সময় মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ৬২৫
কোটি টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫
হাজার কোটি টাকা।
চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল
৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
উল্লিখিত সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৮
লাখ ২২ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি
টাকা যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৭ সালের
সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলো সঠিক দায়িত্ব পালন না করার কারণে খেলাপি ঋণ
কমছে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, খেলাপির বিরুদ্ধে
সমন্বিত যে ধরনের উদ্যোগ দরকার ছিল তা দৃশ্যমান হচ্ছে
না। এ কারণে খেলাপি ঋণ কমছে না। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার
কারণে খেলাপি ঋণ কমছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামীতে
নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে খেলাপি ঋণ
আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, মোট খেলাপি ঋণের
অর্ধেকই রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিকের। অবশ্য কিছুটা
কমেছে আগের প্রান্তিকের তুলনায়। জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৫২ কোটি
টাকা যা মোট ঋণের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই সময়
ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণ ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৫৯ কোটি
টাকা। মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর
মোট খেলাপি ঋণ ছিল ৪৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা যা মোট ঋণের
২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
BHRC
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৮ অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ময়মনসিংহ আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ৯:৩০টায়
এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম টাউনহল ময়মনসিংহে
অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ময়মনসিংহ বিভাগীয়
গভর্নর এড. এএইচএম খালেকুজ্জামান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ
বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা
নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এড. আনিসুর রহমান খান,
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান
পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভা মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু,
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন BHRC ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
এড. শিব্বির আহমেদ লিটন।
মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ময়মনসিংহ জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. নজরুল ইসলাম চুন্নু।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC শেরপুর জেলা শাখার
সভাপতি রাজিয়া সামাদ, নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি এড.
রেজাউল করিম, কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ
শাহনেওয়াজ গাজী, ময়মনসিংহ মহিলা শাখার সভাপতি এড.
রায়হানা খান, ময়মনসিংহ বাণিজ্যিক শাখার সভাপতি মোঃ
মতিউর রহমান রবিন।
বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা
শাখার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, ময়মনসিংহ
মহানগর বাণিজ্যিক শাখার সভাপতি আব্দুর রব মোশরফ,
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
মফিজ নুর খোকা, শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড.
শক্তি পদ পাল, নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড.
মহিবুর রহমান লিটন, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক মোঃ সুফিউর রহমান, ময়মনসিংহ বাণিজ্যিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক একেএম আজাদ সেলিম এবং ময়মনসিংহ সিটি
কর্পোরেশন বাণিজ্যিক শাখার সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা।
সম্মেলন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী
যোগ দেন।
দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেই ১০ বছরের ভিসা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুবাইয়ের এমার রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ৬টি প্রকল্প থেকে
কোনো বিদেশি নাগরিক বাড়ি কিনলেই তাকে দেশটির ভিসা দেওয়া
হবে ১০ বছরের জন্যে। দুবাই ক্রিক হারবার ও ডাউনটাউন
দুবাইয়ের মত অভিজাত এলাকা এ প্রকল্পের অন্তর্গত। যিনি
বাড়ি কিনবেন তার পরিবারের সকল সদস্য দেশটির ভিসা পাবেন।
তিন বছরে এ বাড়ির দাম পরিশোধের সুযোগও থাকছে। এমার
রিয়েল এস্টেট আমিরাতে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে যে ৪ ভাগ
রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয় তার অর্ধেক ছাড়ও দিচ্ছে।
আমিরাত সরকার দেশটির অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি করতে বিদেশি
বিনিয়োগকারীদের ভিসা সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি
শতকরা শতভাগ মালিকানায় কিছু বিশেষ ধরনের শিল্পে ফ্রি
জোনের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগও দিচ্ছে আমিরাত। একই সঙ্গে
স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছরের আবাসন সুবিধা সহ এসব বিষয়ে
কৃতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে।
BHRC এসেক্স শাখার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র যুক্তরাজ্য এসেক্স
শাখা আয়োজিত এক সমন্বয়সভা ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ দুপুরে
লন্ডনের মণ্টিপুরী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC এসেক্স
শাখার প্রেসিডেন্ট আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে
সমন্বয়সভায় BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার ,এ্যাম্বাসেডর এমএস রহমান, UK সভাপতি গভর্নর
আবদুল আহাদ চৌধুরী, গভর্নর মাসুদুল ইসলাম রুহুল ,গভর্নর
সেকান্দার আলী জাহিদ, ইইউ কো-অর্ডিনেটর/গভর্নর তারাউল
ইসলাম, ইংল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাফিজ,
BHRC UK WOMEN কমিটির প্রেসিডেন্ট সাজিয়া সুলতানা
স্নিগ্ধা, ইংল্যান্ড শাখার প্রেসিডেন্ট রুবি হক, ঢাকা
মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম,
BHRC'র বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, ঢাকার
বৃৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম
কিবরিয়া সহ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার
কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
ফুটপাতে খাবার বিক্রেতা নারী এখন সিঙ্গাপুরের
রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাম হালিমা ইয়াকুব। জন্মসূত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও
বাবা মুসলিম আর মা মালয়। হালিমার জন্ম ১৯৫৪ সালে। তার
বয়স যখন আট তখন বাবা মারা যায়। বাবা মৃত্যুর পর অসহায়
মায়ের সাথে ফুটপাথে খাবার বিক্রি করেন। পাশাপাশি
পড়াশোনা চালিয়ে যান হালিমা। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনসহ
দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে একসময় পড়াশোনা শেষও করেন।
এরপর আইনজীবী হিসেবে শুরু করেন তার পেশা।
এসব কিছুই হয়তো আমাদের চারপাশের অহরহ ঘটনার একটা।
কতজনকেই আমরা এরচেয়েও খারাপভাবে জীবন যাপন করতে দেখি।
কিন্তু অন্য সবার চেয়ে ব্যতিক্রম হালিমা। কেননা
আশ্চর্য হলেও সত্যি হালিমা নামের এই নারী এখন
সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি।
হালিমার বাবার নাম ইয়াকুব। কুইন স্ট্রিটে ১৯৫৪ সালের
২৩ আগস্ট তার জন্ম। পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে
সর্বকনিষ্ঠ হালিমা। ১৯৬২ সালে তার বাবা মারা যান। তার
বাবা ছিলেন একজন পাহারাদার। বাবার মৃত্যুর পর সংসার
সামলাতে তার মাকে অমানবিক পরিশ্রম করতে হযে ছে। তার মা
রাস্তার পাশের একটি খাবারের দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিন
সকাল ৪টায় যেতো আর বাড়ি ফিরতো রাত ১০টায়। হালিমা রোজ
স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দোকানটি পরিষ্কার করতো,
বাসনপত্র ধুয়ে দিতো, টেবিল পরিষ্কার করা এবং দোকানে
ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন ছাড়াও আরো অনেক কাজে সাহায্য
করতো। এভাবেই ১৯৭০ সালে তানজং ক্যানটং গার্লস স্কুল
মাধ্যমিকের পড়াশোনা শেষ করেন। পরে সিঙ্গাপুর
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি
সম্পন্ন করেন হালিমা। নানা কষ্ট এবং সমস্যা আর
ভোগান্তিকে নিত্যসঙ্গী করে হালিমার এই সময়গুলো কেটেছে।
হালিমা তার এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘জীবনের এই মারাত্মক
খারাপ সময়গুলোতে অনেকবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছি। কিন্তু যখন ভেবেছি যে আমি একজন মুসলিম তখন
আবার ফিরে এসেছি সে সিদ্ধান্ত থেকে। আবার নতুন করে
জীবন সাজাতে শুরু করেছি’। ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল ট্রেডস
ইউনিয়ন কংগ্রেসে (এনটিইউসি) একজন আইন কর্মকর্তা হিসেবে
যোগ দেন। তার রজনৈতিক জীবন শুর হয় ক্ষমতাসীন দল পিপলস
অ্যাকশন পার্টির কর্মী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। ২০০১
সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টংয়ের অনুরোধে
রাজনীতিতে আসেন হালিমা। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৪টি সাধারণ
নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। ২০১১ সালে সামাজিক উন্নয়ন,
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে
নিযুক্ত হন। এরপর ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুরের সংসদে প্রথম
নারী স্পিকার নিযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী
আলোচনায় চলে আসেন এবং পরিচিতি অর্জন করেন।
Top
BHRC
মোহাম্মদপুর থানা শাখার পরিচিতি ও অভিষেক অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
মোহাম্মদপুর থানা শাখার কমিটির পরিচিতি ও অভিষেক
অনুষ্ঠান গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রোজ শনিবার বিকাল ৬:৩০
ঘটিকার সময় রাজধানী ঢাকা মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ
এম.এ.সাত্তার, প্রধান বক্ত হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জনাব
আক্তারুজ্জামান বাবুল সভাপতি ঢাকা মহানগর-উত্তর
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বিশেষ অতিথি হিসাবে
উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানার জনপ্রিয় অফিসার
ইনচার্জ জনাব জামাল উদ্দিন মীর, মোঃ খোকন খান, সভাপতি
আঞ্চলিক শাখা ঢাকা মহানগর-উত্তর বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, ইয়াকুব আলী সাগর, জেনারেল সেক্রেটারী আঞ্চলিক
শাখা ঢাকা মহানগর-উত্তর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ ওয়ালিউল্লাহ
মাষ্টার চেয়ারম্যান মোহাম্মদপুর থানা শাখা বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, মোসাঃ লতিফা
ইয়াসমিন লাভলী জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদপুর থানা
শাখা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। এ সময় আরো উপস্থিত
ছিলেন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,
ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ’সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তরা
বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আইনের শাসন ও
সর্বস্তরে শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ মানবাধিকার উন্নয়ন ও
সংরক্ষণে নিবেদিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও
অলাভজনক মানবাধিকার বিষয়ক এবং নির্যাতন বিরোধী বৃহত্তর
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সমাজের অন্যায়, অবিচার ও
জুলুমের বিরুদ্ধে তথা আইনের শাসন ও মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি শাখা নিজ
নিজ ক্ষেত্রে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণকল্পে অসহায়
নারী-পুরুষদের বিনামূল্যে আইনগত সাহায্যের লক্ষ্যে
সালীশির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান, প্রশাসনের মাধ্যমে
মানবাধিকার লংঘন রোধ, বিভিন্ন মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা
তদন্ত ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ, মানবাধিকার ম্যাগাজিন নিয়মিত
প্রকাশ, নির্যাতিতদের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে
অধিকারহীন নারী-পুরুষের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থা করা,
মানবাধিকার বিষয়ে সচেনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সেমিনার,
কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা, মানবাধিকার বিষয়ক
বিভিন্ন পুস্তিকা লিফল্যাট ও পোস্টার প্রকাশনা, সকল
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা, আত্মনির্ভরশীল প্রকল্প চালু
করা এবং দুর্যোগকালীন সময়ে দূর্গতদের পাশে এগিয়ে আসা
সহ বহুমুখী কর্মসূচী অব্যাহত ভাবে পালন করে যাচ্ছে।
এছাড়াও কমিশনের সদর দপ্তর সহ ১২০০ এর অধিক শাখা
কমিটিগুলো গড়ে প্রতি বছর ২ লক্ষাধিক অসহায় নারী-পুরুষকে
বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মোহাম্মদপুর থানা শাখা
কমিটির পরিচিতি ও অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে মোহাম্মদপুর
থানা শাখা কমিটির পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
Top
বিশ্বে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত
হারে বাড়ছে বাংলাদেশে!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে
বাড়ছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই
তথ্য দেয়া হয়েছে। অতি ধনী বা ‘আলট্রা হাই নেট ওয়ার্থ’
(ইউএইচএনডাব্লিউ) বলে তাদেরকেই বিবেচনা করা হয় যাদের
সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ
বাংলাদেশি টাকায় যাদের সম্পদ আড়াইশো কোটি টাকার বেশি,
তারাই ‘অতি ধনী’ বলে গণ্য হবেন।
লন্ডন ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ এক্স’ গত সপ্তাহে
এই অতি ধনীদের ওপর সর্বশেষ রিপোর্টটি প্রকাশ করে।
এতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে
বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা
প্রায় ৮০ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান। তাদের অতি
ধনী সংখ্যার মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। আর প্রায়
১৭ হাজার অতি ধনী মানুষ নিয়ে চীন আছে তৃতীয় স্থানে।
তালিকায় প্রথম দশটি দেশের তালিকায় আরও আছে জার্মানি,
কানাডা, ফ্রান্স, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড এবং
ইটালি।
কিন্তু অতি ধনী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতহারে বাড়ছে
যেসব দেশে, সেই তালিকায় আছে বাংলাদেশ সবার উপরে। ওয়েলথ
এক্স এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৭ দশমিক তিন শতাংশ
হারে এদের সংখ্যা বাড়ছে।
দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। সেখানে অতি ধনীর সংখ্যা বাড়ছে
১৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। এরপর আছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম,
কেনিয়া, ভারত হংকং এবং আয়ারল্যান্ড।
ওয়েলথ এক্স তাদের রিপোর্টে বলছে, ‘আলট্রা হাই নেট
ওয়ার্থ’ বা অতি ধনী মানুষের সংখ্যা গত ৫ বছরে সবচেয়ে
বেশি বেড়েছে চীন এবং হংকং এ। এর বিপরীতে জাপান, কানাডা,
ইটালি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ধনী তৈরি হওয়ার গতি ধীর
হয়ে এসেছে।
ওয়েলথ এক্স বলছে, যদি বিশ্ব পরিসরে দেখা হয়, অবাক করা
ব্যাপার হচ্ছে, নতুন ধনী তৈরির ক্ষেত্রে চীন এখন আর
শীর্ষে নয়। সেখানে বাংলাদেশ সবার চেয়ে এগিয়ে।
২০১২ সাল হতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ শতাংশ
হারে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। ভিয়েতনাম, কেনিয়া এবং
ভারতও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
অতি ধনীর সংখ্যা যে বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে,
এই তথ্যে অর্থনীতিবিদরা মোটেই বিস্মিত নন।
ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড.
ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই তথ্য থেকে আমি মোটেও অবাক হইনি।
কারণ গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যে একটা গোষ্ঠীর হাতে
এ ধরণের সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা আসলে দেখাই যাচ্ছে।
এই সম্পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া তো একদিনে তৈরি হয়নি। এটা
কয়েক দশক ধরেই হয়েছে। এখন এটি আরও দ্রুততর হচ্ছে।
সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে
হবে: প্রধান বিচারপতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার
প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি
বলেছেন, সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা ও দায়িত্ব
সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমেই মানুষের ন্যায়বিচার
প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হতে পারে।
আজ বুধবার ‘লিগ্যাল এইড ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল
এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সুপ্রিম কোর্টের
সম্মেলনকক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের
সমান আশ্রয় লাভের অধিকার একটি সর্বজনীন মৌলিক অধিকার।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি
আইনগত সহায়তা প্রদানের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের
আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে
‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অর্জন কখনোই সম্ভব নয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা
একটি মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসংগতি
দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকতা তথা
গণমাধ্যমের ভূমিকা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। মানুষের
তথ্য জানার অধিকার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর
দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকেরা
প্রতিনিয়ত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা,
মানবাধিকার এবং আইনি সেবাসংক্রান্ত তথ্য আইন
সাংবাদিকতার মাধ্যমে উঠে আসে। সাংবাদিকেরা সাধারণ জনগণ
ও বিচারপ্রার্থী জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা,
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদ
প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করার গুরুদায়িত্ব
পালন করে আসছেন। লিগ্যাল এইড-বিষয়ক আইন-কানুন প্রতিটি
ল’ স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে
করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন,
শিক্ষার্থীরা যেন এ বিষয়ের ওপর বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করতে
পারে। সরকারি খরচে পরিচালিত মামলাগুলো অত্যন্ত যতœ ও
দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে
আন্তরিক হতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের
সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনীতে অন্যদের মধ্যে
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার
কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন,
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন,
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম,
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন ও ল’
রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড
কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস
হিল্লোল রেমা।
আইসিসি নিজেই
মিয়ানমারের বিচারে সক্ষম: জাতিসংঘ মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, আইসিসি (আন্তর্জাতিক
অপরাধ আদালত) নিজেই মিয়ানমারের বিচারে সক্ষম। ২০
সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ওই
সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর
সংঘটিত জাতিগত নিধনযজ্ঞ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ
তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ
আদালত-আইসিসির কাছে সুপারিশ করবে কিনা? উত্তরে রোহিঙ্গা
ইস্যুতে মিয়ানমারের বিচার করার পক্ষে দেওয়া আইসিসিরি
মতামতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, এরইমধ্যে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে মোকাবিলার সামর্থ্য
প্রমাণ করেছে আইসিসি।
মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সনদে স্বাক্ষর
করেনি। সে কারণে সরাসরি সে দেশে সংঘটিত অপরাধ বিচারের
এখতিয়ার আইসিসির নেই। সনদে স্বাক্ষর না করা দেশকে
আইসিসি তখনই বিচারের আওতায় নিতে পারে, যখন নিরাপত্তা
পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। তবে
মিয়ানমারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত এসেছে
আইসিসির পক্ষ থেকে।
আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদার করা এক আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে
সংস্থাটির তিনজন বিচারক বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল কোর্ট
মিয়ানমারের বিচারের পক্ষে রায় দেন। রায়ে বলা হয়,
মিয়ানমার এই আদালতের সদস্য না হলেও বাংলাদেশ এর অন্যতম
সদস্য দেশ। তাই এ ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আদালতের
রয়েছে। কারণ আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের ধরনের জন্যই এই
বিচার সম্ভব। এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে
অধিকতর তদন্ত শুরু করেছেন আইসিসির প্রসিকিউটররা।
২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ
সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, নিরাপত্তা পরিষদ
রোহিঙ্গা ইস্যুটি আইসিসিতে পাঠাবে কি-না। এর জবাবে
গুতেরেস ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, আইসিসি ইতোমধ্যেই
বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে।
আপনি যে ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদকে যুক্ত হতে বলছেন,
এরইমধ্যে সেই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেছে। গুতেরেস বলেন,
‘আমি যতটুকু বুঝতে পারছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)
এ বিষয়ে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম
হয়েছে। ইতোমধ্যেই তারা বিষয়টি (রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ)
খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই আইসিসি মিয়ানমারের বিচারের পক্ষে
রায় দেওয়ার পর আইনজীবী ফাতো বেনসুদা জানান,
রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করার সময় তাদের বিরুদ্ধে
সংঘটিত অপরাধগুলো যুদ্ধাপরাধ নাকি মানবতাবিরোধী অপরাধ
তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
BHRC ইংল্যান্ড মহিলা
শাখার সংবর্ধনা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ যুক্তরাজ্যের থমাস রোডস্থ ৪১৭
ল্যান্ডিং হাউজে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র
ইংল্যান্ড মহিলা শাখার সংবর্ধনা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ
সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের
গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, যুক্তরাজ্য ন্যাশনাল
শাখার সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী, BHRC’র ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ শহীদুর রহমান, BHRC’র
ইইউ কো-অর্ডিনেটর তারাউল ইসলাম, BHRC’র লন্ডন গভর্নর
মাসুদুল ইসলাম রুহুল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ইংল্যান্ড শাখার
সভাপতি রুবি হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন BHRC’র
ইংল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক তাসনিম জাহান।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রায় শতাধিক মানবাধিকার কর্মী
যোগ দেন।
বউ বেচাকিনির হাট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় এখনও এক জঘন্য বিয়ের প্রথা
চালু আছে। যাকে অনায়াসেই বউ বেচাকিনির হাট বলে উল্লেখ
করা যায়। কেননা এখানে অর্থশালীরা চাইলেই দরিদ্র
মেয়েদের টাকা দিয়ে ক্রয় করতে পারেন। এই পুরনো প্রথার
নাম ‘মানি ম্যারিজ’ বা টাকার বিনিময়ে বিয়ে।
নাইজেরিয়ায় এই প্রথার অধীনে টাকার বিনিময়ে কিশোরী এমনকি
৫ বছরেরে একটি মেয়েশিশুকে পর্যন্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ক
পুরুষের হাতে তুলে দেয়ার নজির রয়েছে। যদিও ২৫ বছরেরও
বেশি সময় আগে এই ধরনের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে নাইজেরিয়া
সরকার। তারপরও সেখানকার সমাজে বহাল তবিয়তে বিরাজমান এই
বিয়ে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এরকম মানি ম্যারিজের শিকার
হয়েছে পাঁচ বছরের শিশু মিরাকল। এখন সে এক খ্রিস্টান
মিশনারির জিম্মায় আছে। তাকে বিয়ে নামের জঘন্য অনাচার
থেকে উদ্ধার করেছেন ওই মিশনারি। তিনি বলেন, মিরাকলের
ঘটনা প্রমাণ করে দেশে এখনও এ ধরনের বিয়ের প্রচলন রয়েছে।
এর আগে মিরকলের কিশোরী বোনকে একইভাবে বিয়ে করেছিল ওই
ব্যক্তি। সে মারা যাওয়ার পর তার পাঁচ বছর বয়সী ছোটবোনকে
বিয়ে করে তার তথাকথিত স্বামী।
সে দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে রোসে ইনায়েতিকে ভাগ্যবতীই
বলতে হয়। কেননা স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা তাকে
উদ্ধার করেছে দীর্ঘ ৯ বছর আগে। রোসে বলে, ‘তারা যখন
আমাকে উদ্ধার করে তখন আমি ১০ বছরের শিশু। আমার ৭ বছর
বয়সে বাবা মারা যান। এরপর মানি ম্যারিজের শিকার হই আমি।’
এর তিন বছর পর যখন তার বয়স ১০ বছর তখন তাকে ছাড়িয়ে
আনেন মানবাধিকার কর্মীরা।
নাইজেরিয়ার কমিয়্যুনিটি লিডার ওনামাতোপে সানডে ইনচেলে
এ ধরনের উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি জানান,
‘গত শতাব্দীর ৯০ দশকেই এই বিবাহ প্রথাটি বাতিল করা
হয়েছে। এখন প্রকাশ্যে এসে তো কোনো ব্যক্তি বলেন না, আমি
টাকার বিনিময়ে কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। বরং আর্থিক
অনটনে থাকা পরিবারগুলোই অর্থের বিনিময়ে তাদের মেয়েদের
স্বেচ্ছায় এ ধরনের বিয়ে দিয়ে থাকেন। ধরুন, কোনো বাবা
অসুস্থ হলেন কিংবা পুলিশ মামলায় জড়িয়ে পড়লেন। তখন তো
তার যে কোনো মুল্যে টাকা দরকার। তখন ওই পিতা কোনো
সম্পদশালীর কাছ থেকে টাকা ধার করেন। বিনিময়ে নিজের
কন্যাটিকে বিয়ে দেন পাওনাদার ব্যক্তির কাছে।’
এই ধরনের বিয়ে আসলে এক ধরনের দাসপ্রথা। আর এর মাধ্যমে
চরমভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নাইজেরিয়ার
মেয়েশিশু ও কিশোরীরা। এ ধরনের বিয়ের শিকার মেয়েদের বলা
হয় ‘মানি ওয়াইফ’ বা টাকায় কেনা বৌ।
মিশনারি রিচার্ড আকোনাম তার গোটা জীবন ব্যয় করেছেন এসব
টাকার বৌদের রক্ষা করার কাজে। গত নয় বছরে তিনি মোট ২১
জন মেয়েকে উদ্ধার করছেন। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে একজন
মেয়ে যে স্বামীর ঘর পায় তাকে তিনি ‘পতিতালয়’ হিসেবে
উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আইন বহির্ভূতভাবে একজন
ব্যক্তি এই মানি ম্যারেজ করে থাকেন। এমনকি অনেক সময়
কোনো কোনো ব্যক্তি একজন মেয়ের জন্মের আগেই তাকে নিজের
জন্য বায়না করে রাখেন। এমনকি ওই মেয়েটির জন্য সে ৪০
বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকেন। অনেক সময় ওই ব্যক্তি
মারা গেলে তার ভাই ওই মানি ওয়াইফকে বিয়ে করেন।’
নাইজেরিয়ার এই ঘৃণ্য প্রথাটি এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে।
আর বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর কেবল মাত্র অল্প সংখ্যক
মেয়েকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর এসব উদ্ধার কাজ
ততটা সহজ নয়। এজন্য সেখানকার মানবাধিকার কর্মীরা সহজেই
ধনী ও প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েন। এমনকি তাদের হুমকির
মুখে অনেক মানবাধিকার কর্মী ‘মানি ওয়াইফ’ উদ্ধারের কাজ
ছেড়ে দিয়েছেন, এমন ঘটনাও বিরল নয়।
BHRC চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার বাল্যবিবাহকে ‘না’
বলুন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-BHRC চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা কর্তৃক আয়োজিত
‘বাল্যবিবাহকে না বলুন’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য সাবিহা নাহার বেগম। কর্মশালায়
সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং চট্টগ্রাম
আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু। কর্মশালায়
বাল্যবিবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীগণ উপস্থিত
ছিলেন এবং বাল্যবিবাহের শিকার কিশোরীগণ তাদের
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনার
ভবিষ্যতের করুণ ঘটনা তুলে ধরেন। কর্মশালায় উপস্থিত
কিশোরীগণ বাল্যবিবাহকে না বলুন এবং বাল্যবিবাহ
প্রতিরোধের পক্ষে শপথ নেন। কিশোরীগণ ব্যক্ত করেছেন
তাদের মনের কথা, একই সাথে তারা স্বপ্ন দেখছেন একটি
সুন্দর আগামীর। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন সংগঠনের
নির্বাহী সভাপতি সাগর দোভাষ।
জাতিসংঘে নতুন শরণার্থী
চুক্তিতে জোরালো সমর্থন বিশ্বনেতাদের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শরণার্থীদের প্রতি সমর্থনে আন্তর্জাতিক চুক্তি
‘গ্লোবাল কমপেক্ট অন রিফিউজি’ ইস্যুতে সোমবার জাতিসংঘ
সদরদপ্তরে বৈঠকের আয়োজন করে জাতিসংঘ শরণার্থী
সংস্থা-ইউএনএইচসিআর। এতে বাংলাদেশ, কোস্টারিকা, তুরস্ক,
বিশ্বব্যাংকের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত হন চার
মহাদেশের রাজনীতিবিদরা।
এই বৈঠকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশনার ফিলিপো
গ্র্যান্ডি শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর প্রশংসা করে
বলেন, ‘তারা এমন একটি সময় সীমান্ত উন্মুক্ত করেছে যখন
এই বিশ্বে আমরা প্রত্যাখান, ফেরত পাঠানো ও দ্বার
বন্ধের মত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।’ তিনি আরো বলেন,
বিশ্বে শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে
৯টি দেশই উন্নয়নশীল। তারা নিজেরাই অবকাঠামো, সামাজিক
উন্নয়ন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মত চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন।’
এই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই শরণার্থী সমস্যার মত
সংকট ভাগাভাগি করতে হবে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেভলুত চেভউসুগু বলেন, ‘কোন সরকারেরই এই সমস্যা এড়ানোর
অধিকার নেই।’ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম অং কিম
বলেন ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এই শরণার্থীরা আমাদের মতই
সেরা জীবন-যাপনের স্বপ্ন দেখেন ও পরিবারকে নিয়ে
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেন।’
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ‘গ্লোবাল
কমপ্যাক্ট অন রিফিউজি’ চুক্তি কার্যকর করার কথা রয়েছে।
নতুন এই চুক্তিতে শরণার্থী, তাদের আশ্রয় দেয়া দেশকে
সমর্থন প্রদান করাসহ শরণার্থীদের ভবিষ্যত গঠনে কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের
সেপ্টেম্বরের অধিবেশনে এই চুক্তির খসড়া গৃহীত হয়েছিল।
ধরলেই গলে যায় যে
মাছি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তপসে মাছ নিয়ে কবিতা লিখেছেন-
‘কষিত-কনক-কান্তি কমনীয় কায়।’ তপসে মাছ নয়, সম্প্রতি
বিজ্ঞানীরা এমন একটি মাছ আবিস্কার করেছেন; যা আক্ষরিক
অর্থেই কমনীয় কায় বা সংবেদনশীল। মাছটির শরীর এতটাই
স্বচ্ছ যে ভেতরের সবকিছুই দেখা যায়। এর কাঁটার সংখ্যাও
খুবই সামান্য। এমনকি ধরলেই গলে যায়। আপাতত নাম রাখা
হয়েছে আটাকামা স্নেইল ফিশ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬ হাজার
ফুট নিচে এদের বাস। গবেষকদের দাবি, এরা সমুদ্রের সবচেয়ে
গভীরে বসবাসকারী মাছেদের অন্যতম। এদেরই গোত্রের আর এক
ধরনের মাছ রয়েছে, যার নাম মেরিয়ানাস স্নেইল ফিশ। এরা
বাস করে ২৬ হাজার ৬০০ ফুট নিচে।
সম্প্রতি নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত চ্যালেঞ্জার
কনফারেন্স নামের একটি সম্মেলনে এই মাছটির কথা সবাইকে
জানানো হয়। সারা পৃথিবীতে চারশ’রও বেশি স্নেইল ফিশের
প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু এই আটাকামা স্নেইল ফিশ সত্যিই
আলাদা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক থমাস লিনলে
জানিয়েছেন, এই মাছ খুবই নরম। দাঁত আর কানের ভেতরে থাকা
হাড়, যার সাহায্যে এরা দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে সেই
দুটি অংশ সবচেয়ে কঠিন।
পৃথিবীর গভীর তলদেশে বাস করা এই মাছেরা মোটামুটি তিন
রঙের হয়- নীল, গোলাপি ও পার্পল। তাদের এই নরম শরীরই
প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে সমুদ্রের ওপরে। দেখা গেছে,
সমুদ্রপৃষ্ঠে আনা হলে সেখানকার তাপমাত্রায় এরা গলে যায়।
আপাতত বিজ্ঞানীরা একটি মাছকে আলাদা করে সংরক্ষণ করেছেন।
সেটিকে বাঁচানো না গেলেও তার শরীর গলে যাওয়া থেকে
আটকানো হয়েছে। সেটিকে নিয়ে গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখছেন।
এমন আশ্চর্য শারীরিক গঠনের প্রাণীকে ঘিরে তারা
উত্তেজিত।
Top
এক দিনেই মিলবে
পাসপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জরুরি প্রয়োজনে এক দিনেই পাসপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সুপার এক্সপ্রেস
সার্ভিসের আওতায় আগামী বছরের প্রথম মাস থেকে এই সেবা
চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আওতায় পাসপোর্ট
নবায়ন এমনকি নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা
সময় লাগতে পারে। তবে এর জন্য গুণতে হবে বাড়তি ফিস।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ
রেজওয়ান বলেন, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ সকালে আবেদন করলে
সন্ধ্যার মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘সুপার এক্সপ্রেস
সার্ভিস চালু করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা
একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। রোগীদের জরুরি প্রয়োজন ও
ভিসার মেয়াদ রয়েছে কিন্তু পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে
গেছে এমন অভিবাসী কর্মীদের কথা চিন্তা করে এটা করা
হয়েছে।’
মানবিক দিক বিবেচনা করে বর্তমানেও এক থেকে দুই দিনের
মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এখন এই সেবা সবার
জন্য উন্মুক্ত করতে চায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর, যোগ করেন
মাসুদ রেজওয়ান।
পোশাক খাতে শ্রম অধিকার
নিশ্চিতই বড় চ্যালেঞ্জ: বার্নিকাট
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারের পর এখন শ্রম
অধিকার নিশ্চিত করাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে
করেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স
ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের বিষয়টি
বাস্তবায়নে দেরি করলে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হবে,
বিদেশি ক্রেতাদের অন্যত্র ঝুঁকে পড়ার হুমকি তৈরি হবে।
গতকাল বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনায় মার্কিন
রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। বার্নিকাট বলেন, সামপ্রতিক
বছরগুলোতে এ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে গেছে।
ক্রেতারা পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে শ্রম অধিকারের ইস্যুটি বেশি
বিবেচনায় নিচ্ছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম আইনগুলো মেনে
চলা জরুরি। তিনি বলেন, এটা শুধু সঠিক কাজই নয়,
বুদ্ধিদীপ্ত কাজও বটে। দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে আইনগত
পরিবর্তন আনা জরুরি।
বিষয়টি দীর্ঘায়িত করলে তৈরি পোশাক খাতের কোনো লাভ হবে
না। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক
মানে উন্নীত করার পাশাপাশি কার্যকর করলে বিদেশের বাজারে
বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়বে। বিশ্ব বাজারে তৈরি
পোশাকের অংশ বিস্তৃত করতেও সহায়ক হবে। বার্নিকাট বলেন,
২০১৩ সাল থেকে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে তৈরি
পোশাক খাতে বিশাল সংস্কার আনা সম্ভব হয়েছে। এখন বিশ্ব
নিরাপদ কারখানাগুলোর মধ্যে চলে এসেছে বাংলাদেশ। শ্রম
অধিকার নিশ্চিত করা সামনের দিনে তৈরি পোশাক খাতের
আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কর্ম
পরিকল্পনার আওতায় কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করা ও
সংস্কারে অর্জিত অগ্রগতি বজায় রাখা দরকার।
ভয়ঙ্কর ধাক্কা পার্টি থেকে
সাবধান!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসের কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
বাসা ঢাকার মোহাম্মদপুরে। ব্যক্তিগত কাজে আগারগাঁও
আইডিবি ভবন থেকে একটি কম্পিউটার কেনেন। কাছাকাছি বাসা
হওয়ায় কম্পিউটার নিয়ে তিনি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশায় চয়ে
তিনি বাসার উদ্দেশে রওনা হন।
রিকশাটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস দিয়ে শ্যামলী শিশুমেলা
হয়ে কলেজ গেটের দিকে যাচ্ছিল। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের
গেটের সামনে পৌঁছা মাত্র রিকশার গতি কমে যায়।
রিকশাচালক সাইড করেন রিকশা। তানভীর জানতে চান, কোনো
সমস্যা হয়েছে কি না? রিকশাচালক তানভীরকে নামতে অনুরোধ
করেন। তানভীর কম্পিউটার রিকশার পাদানিতে রেখে নেমে
দাঁড়ান। রিকশাচালক রিকশার একটি চাকা ধরে পরীক্ষা করছেন।
এ সময় তানভীরের পাশ দিয়েই ৪/৫ জন যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন।
একজন তাকে ধাক্কা দেয়। সেই যুবকদের একজনের হাতে ছিল
‘আমড়া’ ভর্তি একটি ডালা। যুবকটির ধাক্কায় তানভীর যেয়ে
পড়ে আমড়া বিক্রেতার ওপর। হাত থেকে আমড়া ভর্তি ডালাটি
পড়ে যায়। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আমড়াগুলো। এ
সময় আমড়া বিক্রেতা তানভীরের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয়।
তানভীর এ সময় প্রথমে যে যুবকটি তাকে ধাক্কা দিয়েছিল
তাকে দেখিয়ে বলে, ‘আরে ভাই আমি ধাক্কা দেইনি। ওই লোকটি
আমাকে ধাক্কা দিলে আমি আপনার ওপর পড়ে যাই। এতে আমার
কোনো দোষ নেই।’ এ কথা শুনে সেই যুবকটি ক্ষেপে যায়।
যুবকটির সঙ্গে ছিল আরও ৪ যুবক। তারাও এতে অংশ নেয়।
তানভীরকে গালাগাল করতে থাকে। তানভীর তাদের মুখে লাগাম
রেখে কথা বলার অনুরোধ করে। এতে যুবকরা আরও ক্ষেপে যায়।
তানভীরকে তারা ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে
তারা তানভীরকে রাস্তার এক পাশে নিয়ে যায়। পাঁচ মিনিট
ধরে তারা তাকে ঘিরে রেখে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। কেউ
কেউ তাকে মারধর করার চেষ্টা করে। ‘আমড়া’ বিক্রেতাও
তাদের সঙ্গে ছিল। এ সময় পথচারীদের কেউ তাকে রক্ষায় যখন
এগিয়ে আসছে না, তানভীর তখন ভয় পেয়ে যান। তিনি তাদের
কাছে উল্টো ক্ষমা চেয়ে নেন। এ সময় যুবকরা হঠাৎ ঠাণ্ডা
হয়ে যায়। তারা বলে, ঠিক আছে, আপনি যখন ক্ষমা চাচ্ছেন
আপনি চলে যান। রাস্তায় চলাচল করার সময় দেখেশুনে চলবেন।
ছাড়া পেয়ে তিনি যেখানে রিকশা রেখে গিয়েছেন সেখানে
দ্রুত যান। তানভীরের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। রিকশাটি
নেই! তানভীর রাস্তায় দাড়িয়ে আশপাশে দেখার চেষ্টা করতে
থাকেন। কিন্তু চোখে পড়ছে না সেই রিকশা। আশপাশে পান
দোকানদারদের তিনি জিজ্ঞাস করেন, কম্পিউটারসহ কোনো রিকশা
তারা যেতে দেখেছেন কিনা। কিন্তু কেউ খেয়াল করেনি বলেই
তাকে জানায়। রাস্তায় ছোটাছুটি করতে থাকেন তানভীর।
বেতনের টাকা থেকে কিছু কিছু জমিয়ে তিনি কম্পিউটার
কিনেছেন। বাসা পর্যন্ত তিনি নিতে পারলেন না। তানভীরকে
যুবকরা রাস্তার পাশে যেখানে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে ছুটে
যান। সেখানে সেই যুবকরা নেই। তখনই তিনি বুঝতে পারেন
বিষয়টি। রিকশার থেমে যাওয়া, হঠাৎ কয়েকজন যুবকের আগমন,
ধাক্কা দিয়ে ফেরিওয়ালার ওপর ফেলে দেওয়া এবং তাকে
রাস্তার পাশে নিয়ে ঘিরে ধরে রাখা এসবই এক সুতোয় গাঁথা।
সেই রিকশাচালকও এই অপরাধী চক্রের সদস্য বলে তিনি
নিশ্চিত হন। আশপাশ দোকানদাররাও বলছিলেন তাকে এমন কথাই।
প্রায় দিনই এমন ঘটনা ঘটছে। পথিমধ্যে লোকজন কম্পিউটারসহ
মালামাল হারিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। কিন্তু এসবের কোনো
শেষ নেই। দিনদুপুরে এসব ঘটনা ঘটলেও আক্রান্তকারীদের
রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসে না।
ভুক্তভোগী তানভীর বলেন, তিনি আর সেই কম্পিউটার খুঁজে
পাননি। রিকশাচালক আর সেই যুবকরা একই চক্র। এমন ঘটনা
নাকি ওই সব সড়কে প্রায়ই হচ্ছে। আইডিবি ভবন থেকে যারা
রিকশায় করে কম্পিউটার নিজ গন্তব্যে নিয়ে যায়, সুযোগ মতো
তারা পথিমধ্যেই কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কম্পিউটার নিয়ে চম্পট
দেয়। পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ এমন ধাক্কা পার্টি দীর্ঘদিন
ধরেই এ ধরনের কাজ করে আসছিল। তবে হালে কিছুটা কমেছে।
তবে যারা কম্পিউটার বা অন্য মালামাল রিকশায় করে
গন্তব্যে নিয়ে যান, তাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
রিকশা থেকে নেমে রিকশার সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এখন
টহল পুলিশ থাকে সবখানে। তাদের সহযোগিতা অবশ্যই নিতে হবে।
ইতিহাস
গড়ে শিশু-সন্তান কোলে জাতিসংঘে নিউজিল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছোট্ট শিশু নিভকে নিয়ে
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্দা আর্ডেন।
স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রথম কোন নারী নেত্রী হিসেবে
শিশুকোলে হাজির হন জ্যাসিন্দা।
নেলসন ম্যান্ডেলা পিস সামিটে ভাষণ দেয়ার আগে খেলা করেন
সন্তানের সঙ্গে। তার ভাষণের সময় সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড
তিন মাসের শিশুকে সামলান। ২১ জুন নিউজিল্যান্ডের
অকল্যান্ডের হাসপাতালে নিভ তি আহোরাকে জন্ম দেন আর্ডেন।
এর আগে ১৯৯০ সালে দায়িত্বরত প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে সন্তানের জন্ম দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
বেনজির ভুট্টো। ৩৮ বছর বয়সী আর্ডেন নিউজিল্যান্ডের
সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী ও মাতৃত্বকালীন ছুটি নেয়া
বিশ্বের প্রথম নেতা। মাত্র ৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন
ছুটি নিয়ে আবার ফিরে আসেন দায়িত্বে।
আর্ডেন তার সন্তানকে নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য
৬ দিনের নিউইয়র্ক সফরে তাকে সঙ্গে নেন। সঙ্গী টেলিভিশন
উপস্থাপক ক্লর্ক গেফোর্ড নিভের খেয়াল রাখার জন্য
আর্ডেনের জন্য নিউইয়র্কে পাড়ি দেন।
জাতিসংঘ দপ্তরে প্রবেশের জন্য নিভের নিরাপত্তা ছাড়পত্র
টুইটারে পোস্ট করে গেফোর্ড লেখেন, ‘(জাতিসংঘে) প্রথম
শিশু’। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক বলেন,
‘শিশু নিভকে এই কক্ষে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আর্ডেন
দেখিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তার
চেয়ে সেরা আর কেউ হতে পারে না। বিশ্বে নারী নেতৃত্বের
হার মাত্র ৫ ভাগ। আমাদের যত সম্ভব তাদের স্বাগত জানাতে
হবে।’
BHRC বান্দরবান জেলা শাখার অধিকার
আদায়ের কর্মকান্ড অব্যাহত
মিটিং ফিটিং নিয়ে আজ সারাদিনই ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনটা করেছেন কিছুদিন আগে মিলিয়ে
দেয়া পরিবার রুবেলের মা। তিনি কঠিন গলায় বললেন, নীলিমা
আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা। আজ আমার ছেলে তার বউকে বাড়ি
নিয়ে যাবে।কিন্তু, আমার ছেলের বউকে আপনি নিজে আমার
ছেলের হাতে তুলে দিবেন। আপনি যদি আমার কথা না রাখেন,
তাহলে আসমান ভেঙ্গে পড়লেও আমরা আজ বউ নিবো না।
কি আর করা। রাত ৯টা। বান্দরবান বনরুপা পাড়ায় গিয়ে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ইঐজঈ বান্দরবান পৌরশাখা নিজ
দায়িত্বে রুবেলের হাতে তুলে দিলো তার স্ত্রী সাগরীকাকে।
ভগবান তোমাকে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। আমরা সারাজীবন
তোমার জন্য আশীর্বাদ করবো। সাগরীকার মা কাঁদতে কাঁদতে
বলছিলেন।
মাগো, আমি বান্দরবান আসলে তোমাকে একবার হলেও দেখে যাবো।
সাগরীকার বাবা।
তাদের এই আনন্দ যেন মিথ্যে হয়ে না যায়। এ আনন্দ যেন
আনন্দই থাকে।
মানবতাবাদী নীলিমা আক্তার নীলা
বিচিত্র বিয়ে: বিয়ের পর সকাল হলে
পাত্র ফিরে যায় নিজের বাড়ি !
আংটি বদল, বিয়ের অনুষ্ঠান- কোন কিছুই হয় না। শুধু তাই
নয়, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। তবে
অবাক হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, বিয়ের পর পাত্রকে রাতে
পাত্রীর বাড়িতে থাকে। আর সকাল হলে ফিরে যায় নিজের বাড়ি।
তিব্বত সীমান্তের কাছে, চীনের ইয়ুনান ও সিচুয়ান
প্রদেশের বাসিন্দা এরা। এদের বলা হয় মোসুও জনগোষ্ঠী।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় লেক
লুগুর পাড়েই বাস করে এই গোষ্ঠী। তাদের জনসংখ্যা প্রায়
৪০ হাজার। জনসংখ্যা এত কম বলে চীনের প্রশাসন এই
গোষ্ঠীকে পরিচিতি দেয় না।
মোসুও গোষ্ঠী মাতৃতান্ত্রিক। এখানে সব কিছুর নেতৃত্বে
নারীরা। বাড়ির কাজকর্ম থেকে গোষ্ঠীর প্রশাসনিক
দায়দায়িত্ব, সবই বহন করেন তারা।
এদের বিয়ের রীতি হচ্ছে ছেলে-মেয়ে নিজেরাই নিজেদের
পছন্দ করে। বিয়ের পর রাতে ছেলে যায় মেয়ের বাড়িতে। সকাল
হলে সে ফিরে যায় নিজের বাড়ি। এমনভাবেই সম্পর্ক চলে
দুজনের। যত দিন মনে হয়, তত দিন। যে ঘরে পাত্র-পাত্রী
রাত কাটায় তাকে ‘ফ্লাওয়ার রুম’ বলা হয়।
একজন নারীর সঙ্গে যে একজন পুরুষেরই সম্পর্ক থাকে তা
একেবারেই নয়। এছাড়া মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হলে, তার
সন্তানের পিতৃ পরিচয়েরও প্রয়োজন হয় না। শিশুটি বেড়ে ওঠে
তার মায়ের কাছেই।
চীনারা মোসুও সম্প্রদায়কে হীন দৃষ্টিতে দেখে। তারা মনে
করে, এই সম্প্রদায় এখনও আদিম যুগেই পড়ে রয়েছে।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
শিশু
নির্যাতন রোধে ইসলাম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু নির্যাতন একটি ভয়াবহ অপরাধ। দ-নীয় এই অপরাধের
জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। মিডিয়াতে শিশু নির্যাতনের
করুণ আর্তনাদের চিত্র প্রায়ই দেখা যায়। যা দেখে
হৃদয়বান ব্যক্তির হৃদয় কম্পিত হয়। শিশুদের অল্প বেতন
দিয়েও কলকারখানায় কাজ করিয়ে তাদের ওপর অমানবিক
নির্যাতন করা হয়। যা আইনত দ-নীয় অপরাধ।
সরকার আইন করার পরও শিক্ষকরা ছাত্রদের বিভিন্ন সময় গায়ে
হাত তুলে যাচ্ছেন। বাসার কাজের শিশুকে রুটিন মাফিক
নির্যাতন করা হচ্ছে। ক্ষতি করা হচ্ছে তাদের এই সাজানো
সুন্দর সুখময় জীবন। মানুষকে ক্ষতি করতে বিশ্ব নবী
(সা:) নিষেধ করেছেন। রাসুল (স:) বলেন, ‘আল¬াহ তায়ালা
প্রতিটি জিনিসের উপযোগীতা নির্ধারন করে দিয়েছেন। কাজেই
যে ব্যক্তি নিজেদের অথবা অন্যের ক্ষতি সাধন করে সে
উপকার করল না। সে মহান আল্লাহর নির্ধারিত বিধানের
পরিপন্থী কাজ করল’। (আল হাদিস)
শিশুরা জাতির ভবিষ্যত। আজকের শিশু বড় হয়ে একটি দেশকে
উন্নত করবে। তারা এই সুন্দর দেশকে সুন্দর করে পরিচালনা
করবে, কিন্তু সেই শিশু সন্তানকে নির্যাতন করে হত্যা করে
ফেলা হচ্ছে। শিশু সন্তানকে হত্যা করতে আল্লাহ তায়ালা
নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা নিজেদের
সন্তানকে হত্যা করো না। (সূরা বাকারা:১৫১) অন্যত্র
মহান আল¬াহ বলেন, ‘যেসব লোক নিজেদের সন্তানদের হত্যা
করেছে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ (সূরা আনআম-১৪০)
শিশু সন্তান যদি অন্য ধর্মাবলম্বী হয় তাহলেও তাকে
নির্যাতন করা যাবে না। হজরত আল আসওয়াদ ইব্ন সারী (রা:)
হতে বর্ণিত, রাসুল (স:) বলেন,‘খবরদার! তোমরা শিশুদের
হত্যা করো না। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল¬াহ তারা কি
মুশরিকের সন্তান নয়? রাসুল (স:) বললেন, তোমাদের মধ্যে
যারা উত্তম তারা কি মুশরিকের সন্তান ছিলে না!’ (মুসনাদ
আহমদ : ১৫৬৭৪)
শিশুদের নির্যাতন করে হত্যা না করে তাদের প্রাণ বাঁচাতে
হবে। কেউ শিশু নির্যাতন করে হত্যা করছে এ রকম দেখলে
তাকে নিষেধ করে সেই শিশুকে বাঁচতে সাহায্য করতে হবে।
যদি কেউ কোন ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচালো সে ব্যক্তি গোটা
মানব জাতিকে বাঁচতে সাহায্য করল। মহান আল¬াহ বলেন,‘কেউ
কাউকে নর হত্যার অপরাধ ব্যতিত হত্যা করলে সে যেন গোটা
মানবজাতিকে হত্যা করলো। আর কেউ কারো প্রাণ বাঁচালো সে
যেন গোটা মানবজাতিকে বাঁচালো’। (সূরা মায়িদা : ৩২)
ভূঞাপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন
ইউএনও
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদেশে কাজের জন্য ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রেহানা
বেগম। সৌদি আরবে কাজ করতে যান যেসব বাংলাদেশী নারী
শ্রমিক, তারা প্রতারণা, নিয়মিত বেতন না পাওয়টাঙ্গাইলের
ভূঞাপুরে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসার
শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ। ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার
সিরাজকান্দি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে এই
বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ঝোটন চন্দ জানান, উপজেলার সিরাজকান্দি গ্রামের
মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে মেয়েটির বাবা
বাল্যবিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে মুচলেকা দেন।
শিশুর ক্ষমতায়নে চাইল্ড অনলাইন সেফটি কর্মসূচি চালু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কিত সচেতনতা
সৃষ্টির লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী ‘সেফ ইন্টারনেট
আউটরিচ প্রোগ্রামে’র আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে গ্রামীণ
ফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ। সম্পর্কিত সচেতনতা
সৃষ্টির লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী ‘সেফ ইন্টারনেট
আউটরিচ প্রোগ্রামে’র আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে গ্রামীণ
ফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ। ছবি: বিজ্ঞপ্তিএ বছরের
জুনে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় শিশু-কিশোরদের নিরাপদ
ইন্টারনেট সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে
সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী ‘সেফ ইন্টারনেট আউটরিচ
প্রোগ্রামে’র আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে গ্রামীণ ফোন,
টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ।
বৃহস্পতিবার ‘বি স্মার্ট, ইউজ হার্ট’, শীর্ষক ‘চাইল্ড
অনলাইন সেফটি প্রোগ্রাম’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী
অনুষ্ঠান হয় রাজধানীর জিপি হাউজে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ পলক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক,
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি, ইউনিসেফ
বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার, গ্রামীণফোনের
সিসিএও মাহমুদ হোসেন এবং টেলিনর গ্রুপের ভাইস
প্রেসিডেন্ট ও সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড চাইল্ড অনলাইন
সেফটি স্পেশালিস্ট ওলা য়ো তান্দ্রে। অনুষ্ঠানে আরও
উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোন, ইউনিসেফ এবং টেলিনর এর
অন্যান্য কর্মকর্তারা।
১১ থেকে ১৬ বছরের ৪ লাখ শিশু কিশোরের ক্ষমতায়ন এবং ৫০
হাজার অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিরাপদে ইন্টারনেট
ব্যবহারের সুযোগ কীভাবে তৈরি করতে হয়, সে সম্পর্কে
অবহিত করতে এই উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোতে
প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল শিক্ষার জন্য
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি
করা। এ ছাড়াও, চাইল্ড হেল্পলাইন হটলাইন (১০৯৮) এ
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি ইস্যুতে’।
যেখানে কল করে কিশোর-তরুণেরা এ সম্পর্কিত উপদেশ ও
পরামর্শসহ অন্যান্য সহায়তা পাবে।
এই উদ্যোগটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১০-বৈষম্য
দূরীকরণের প্রতি গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের
প্রতিশ্র“তিবদ্ধতা পূরণে সহায়ক হবে। গ্রামীণফোন ২০১৪
সাল থেকে শিশুদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক সচেতনতা
সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী ১ লাখ
৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম
হয়েছে। ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন এবং ইউনিসেফ অভিভাবকদের
জন্য দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সচেতনতা
সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
কিছুতেই কমছে না বাল্যবিয়ে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল সিরাজগঞ্জের আলমপুর
গ্রামের সীমা খাতুনের। বিয়ের ছয় মাস পার না হতেই
যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না
পেরে দেড় বছরের মাথায় এক সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ি পাড়ি
জমাতে হয় তাকে। একই ঘটনার শিকার রাজশাহী দুর্গাপুরের
আকলিমা আক্তার। বয়স লুকিয়ে ভুয়া সনদ দিয়ে জোর করে বিয়ে
দেওয়া হয় তার। কাঠ ব্যবসায়ী ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি আগের
স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ১৪ বছরের আকলিমার বিয়ের বয়স
হয়নি জেনেও তাকে জোর করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে
বিভিন্ন রকমের অসুখে ভুগতে থাকে আকলিমা। সন্তান হওয়ার
পর থেকেই রক্তশূন্যতায় ভুগছে সে। শহরাঞ্চলে কমলেও
গ্রামাঞ্চলে কমেনি বাল্যবিয়ের প্রবণতা। কাজীর কাছে ভুয়া
সনদ উপস্থাপন করে বাল্যবিয়ের ঘটনা উসকে দিচ্ছেন
অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়,
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ৬ মাসে
বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৮৪ কিশোরী। জাতিসংঘের
শিশুবিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের
যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি, বাংলাদেশ তার
একটি। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে
যখন দুনিয়াজুড়ে সমীহের চোখে দেখা হচ্ছে, তখন এ কলঙ্ক
সেই সাফল্যকে অনেকটাই নিষ্প্রভ করছে। দেশের জনসংখ্যার
২১ দশমিক ৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী। সংখ্যায় এরা ৩ কোটি ৬৩
লাখ ৮০ হাজার। এর অর্ধেক কিশোরী। অল্প বয়সে বিয়ে,
গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের কারণে কিশোরীদের একটা অংশ
বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। এদিকে ইউএনএফপিএর এক
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের ওপর
নির্ভরশীল। তাই পুরো দেশকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখতে
হলে বাল্যবিয়ে কমাতে হবে। ইতিমধ্যে বিয়ে হওয়া কিশোরীরা
যেন বিলম্বে গর্ভধারণ করে, সেই উদ্যোগও নিতে হবে।
আইসিডিডিআরবির এক জরিপে দেখা গেছে, ০-৪ বছর বয়সী
মেয়েশিশুর ক্যালরির ভাগ ছেলেশিশুর চেয়ে ১৬ শতাংশ কম এবং
প্রোটিনের ভাগ ১২ শতাংশ কম। এসব কারণে মেয়েশিশু ঠিকমতো
বেড়ে ওঠে না। বয়স অনুযায়ী যে উচ্চতা থাকা দরকার, তা
তাদের থাকে না। তাদের জীবন সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হতে
পারে না। দেশের আইন অনুযায়ী বিয়ের ন্যূনতম বয়স বরের
ক্ষেত্রে ২১ আর কনের ক্ষেত্রে ১৮। এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ে
হলে তা বাল্যবিয়ে বলে বিবেচিত হয় এবং আইনের দৃষ্টিতে
অপরাধের শামিল। শুধু সচেতনতার অভাবে বাবা-মা নিজ হাতে
নষ্ট করছেন তাদের কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ। বিয়ে
নিবন্ধনে সঠিক জন্ম সনদের বদলে তারা উপস্থাপন করছেন
ভুয়া জন্ম সনদ। শহরাঞ্চলে গোপনে দু-একটি বাল্যবিয়ের
ঘটনা ঘটলেও প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঘটছে হরহামেশাই।
অনেকক্ষেত্রে জানাজানির ভয়ে শিশুকন্যার বিয়ে দিয়ে গোপন
রাখছেন অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে মহিলা ও শিশুবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্পে
মাল্টি সেক্টরাল প্রকল্পের পরিচালক এবং বাল্যবিয়ে
প্রতিরোধ কার্যক্রমের ফোকাল পারসন ড. আবুল হোসেন বলেন,
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
দেশের ইতিহাসে
কারাগার থেকে একসঙ্গে ১৪২ কয়েদির মুক্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন
কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশে একইদিনে কোনো কারাগার
থেকে এত বিপুল সংখ্যক কয়েদির মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এই
প্রথম। এরা লঘু অপরাধে কারাভোগ করছিলেন।
রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়। পরে
রাত ১০টায় সিলেট কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
মুক্তি পেয়ে বন্দীরা খুবই আনন্দিত। তারা
প্রধানমন্ত্রীকে তার এ মহৎ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ
জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি
বিশেষ মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগ অনুসারে,
যারা ছোটখাটো তথা লঘু অপরাধ করে কারাগারে আছেন, তারা
যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভালো পথে চলার
অঙ্গিকার করেন, আর তাদের কারাজীবন সন্তোষজনক হয় তাহলে
মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায়
মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রথম বাস্তবায়ন ঘটলো
সিলেটে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, লঘু অপরাধে
অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে সিলেট মুখ্য
মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ
বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মহানগর আইনে
চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে অভিযুক্ত
ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গিকারও করেন।
পরে আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল আসামির জামিন
মঞ্জুর করেন। এছাড়া কিছু আসামির সাজার মেয়াদ পেরিয়ে
যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের বাস্তবায়ন
হিসেবে এসব কয়েদির মুক্তি পাওয়ার আগে সিলেট কারাগার
পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ
উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো.
জহিরুল হক।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল
জলিল বলেন, মুক্তি পাওয়া ১৪২ আসামি আদালতে আত্মপক্ষ
সমর্থন করলে আদালত তাদেরকে জামিন প্রদান করেন। অনেকে
মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশে এই প্রথম কোনো
কারাগারের এতজন আসামি একসঙ্গে জামিন লাভ করলেন।
কঠোর শাস্তি না হওয়ায় অপরাধে জড়াচ্ছে
পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধে জড়াচ্ছে
পুলিশ সদস্যরা। মাদক নির্মূলের দায়িত্ব পালনকারী
বাহিনীর সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় মাদকের
বিস্তার রোধও হচ্ছে না। এতে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি
ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আবার মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের নেয়া জিরো টলারেন্স
নীতির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র
জানায়, সারা দেশে পুলিশের ৩৮৮ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক নির্মূলের দায়িত্বে থাকা
বাহিনীর সদস্যরা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে
সমাজকে মাদক মুক্ত করা অসম্ভব। তাই প্রথমেই সর্ষের ভূত
তাড়াতে হবে। জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, সারা দেশে পুলিশের ৩৮৮
সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, বিক্রি ও পাচারের সঙ্গে
জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে
পুলিশ প্রশাসন। তদন্ত শেষে অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
চাকুরিচ্যুতসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ
সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে
বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িত অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সাবেক আইজিপি নুর মোহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, অপরাধ দমন
করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য অপরাধে জড়িয়ে
পড়ছেন। এসব তথ্য জেনেও অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
কোনো ব্যবস্থা নেন না। শুরুতে কঠোর বার্তা দেয়া হলে এবং
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হলে অন্যরা সতর্ক হতো।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়লে
তার পক্ষে রাজনৈতিক অনেক তদবির আসে। এসব তদবিরের কারণে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া সম্ভব হয় না। দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি না হওয়ায় অনেকে অপরাধে জড়ানোর সাহস পায়।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার রেদোয়ান পেট্রোল পাম্পের
সামনে ১ সেপ্টেম্বর ফার্নিচার বোঝাই ট্রাকে অভিযান
চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায়
জড়িত থাকায় পুলিশের এসআই বদরুদ্দোজা মাহমুদকে গ্রেফতার
করে খুলশী থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বদরুদ্দোজা ইয়াবা
ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত থাকার কথা স্বীকার
করেন। তার বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় মাদকের মামলা হয়।
তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
খুলশী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন,
বদরুদ্দোজার মামলার তদন্ত করছে মিরসরাই থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিরসরাই
থানার ওসি জাহিদুল কবির বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন,
দু’দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে এখন কিছু বলা
যাবে না।
মার্চে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী
রুবেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিন
পুলিশ সদস্যের নাম আসে। চারজনের বিরুদ্ধে মাদক
নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও তারা স্বীকার
করেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম
যুগান্তরকে বলেন, এই মামলা তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব
দ্রুতই তাদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হবে।
জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না : মাদক
ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে অনেক পুলিশ
সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও আবার কারও কারও
ক্ষেত্রে ভিন্নচিত্র দেখা যায়। কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া
১০ লাখ পিস ইয়াবা বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে ওঠে এসপিসহ
১২ সদস্যের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সদর দফতরের গঠিত কমিটির তদন্তে ওই ঘটনার সত্যতাও
মিলেছে। তবে এসপিসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত
প্রতিবেদন দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি
পুলিশ প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি
সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে
যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাজিরায় পুলিশের থাপ্পড়ে কলেজ
ছাত্রের মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাজিরা উপজেলায় পুলিশের চড়-থাপ্পড়ে এক কলেজছাত্রের
মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা ফাহিমা
বেগমসহ তার পরিবার। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ থাপ্পড়ের কথা অস্বীকার
করেছে। জাজিরা উপজেলার আনন্দ বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে
এ ঘটনা ঘটে। নিহত পাভেল শেখ জাজিরা উপজেলার
পূর্বকাজিকান্দি গ্রামের আবদুর রউফ শেখের ছেলে ও
চান্দেরচর নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে
জাজিরা থানার ওসি মো. বেলায়েত হোসেন, তার বডিগার্ড
জাকির হোসেন ও গাড়িচালক লক্ষণ চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে
নাওডোবা এলাকায় টহলে যান। পথে বিকে নগর ইউনিয়নের আনন্দ
বাজারে পাভেল শেখ ও তার চাচাত ভাই শান্ত শেখকে মাদক
ব্যবসায়ী মনে করে তাদের শরীর তল্লাশি করেন। এ সময়
জাকির হোসেন পাভেলের পকেটে হাত দিতে চাইলে পাভেল নিষেধ
করে। এ সময় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে পাভেলকে চড়-থাপ্পড় মারে।
এতে তার কান দিয়ে রক্ত ঝড়ে ঘটনাস্থলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর
কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পাভেলের চাচাত
ভাই শান্ত শেখ এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ
বলছে, তাকে কোনো চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়নি। সে মৃগী রোগে
আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। নিহতের মা ছেলে হত্যাকারী
পুলিশের বিচার চেয়ে বলেন, আমার ছেলেকে আনন্দ বাজারে
পুলিশ চড়-থাপ্পড় মারে। এতে তার কান দিয়ে রক্ত ঝরে
অজ্ঞান হয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। আর
বাবা আবদুর রউফ শেখ ছেলের মৃত্যু নিয়ে কোনো কথা বলতে
রাজি হননি।
জাজিরা থানার ওসি মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি টহলে
যাওয়ার সময় আনন্দ বাজারে দুই যুবককে হঠাৎ গলির মধ্যে
চলে যেতে দেখে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহ করে পুলিশ পাঠাই।
পুলিশ তাদের শরীর তল্লাশি করতে গেলে সে পকেটে হাত দিতে
রাজি হয়নি। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুনে আমি সেখানে যাই।
গিয়ে দেখি পাভেল নামের যুবক শরীর খিঁচুনি দিয়ে পড়ে গেল।
একটু পরে ওর বাবা এলে তার সহায়তায় তাকে জাজিরা
হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে
মৃত ঘোষণা করেন। আমরা তাকে কোনো প্রকার মারপিট বা
চড়-থাপ্পড় দেইনি।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
যেভাবে বুঝবেন আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ক্তশূন্যতাকে খুব বড় কোনও রোগ বলে মনে না হলেও, যে কোন
বড় অসুখের শুরু হতে পারে এই রক্তশূন্যতা থেকেই। তাই
শুরু থেকেই রক্তশূন্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন ১২.১
থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে
১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার
থাকা স্বাভাবিক। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন এর চেয়ে কমে
গেলে তিনি রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত বলেই মনে করা হয়।
রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নিন;
১) রক্তশূন্যতায় রোগী অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। সামান্য
কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
২) অনেক সময় রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক ফ্যাকাশে
হতে থাকে।
৩) আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা হতে পারে। এই আয়রনের অভাবে
অতিরিক্ত চুল ঝরে যেতে শুরু করে।
৪) রক্তশূন্যতায় আক্রান্তকে বিষণ্ণতায় ভুগতে দেখা যায়।
সারাক্ষণ দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা হওয়ার কারণে রোগীকে
বিষণ্ণতা গ্রাস করে।
৫) এ ছাড়াও রক্তশূন্যতার আর একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল,
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। রক্তশূন্যতার কারণে হৃৎপিণ্ড
পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত দেহে সঞ্চালনের জন্য পাম্প করতে
পারে না। ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।
এ বার রক্তাল্পতার কারণগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১) পুষ্টিহীনতা এবং শরীরে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের
ঘাটতি।
২) দীর্ঘদিন ধরে যারা ব্যথার ওষুধ সেবন করেন, তারাও
রক্তশূন্যতায় ভোগেন।
৩) থ্যালাসেমিয়া-সহ কিছু জন্মগত রোগে আক্রান্তরা
রক্তশূন্যতায় ভোগেন।
৪) পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষত বা আলসারের কারণে ক্রমাগত
বমি বা পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া, অন্ত্রে কৃমির
সংক্রমণ বা অর্শরোগে (পাইলস) রোগীর অতিরিক্ত রক্তপাতের
কারণেও রক্তশূন্যতা হতে পারে।
রক্তশূন্যতা প্রতিকারের উপায়:—
শরীরে আয়রনের ঘাটতিজনিত কারণে রক্তাল্পতা হলে
আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
রক্তাল্পতায় অনেকে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে
ইচ্ছামতো আয়রন ট্যাবলেট না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো
আয়রন খাওয়াই ভাল।
কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যা খাওয়ার মাধ্যমে কোনও ওষুধ
ছাড়াই রক্তশূন্যতা দূর করা সম্ভব। যেমন, দুধ, শাক-সবজি,
মধু, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি। যারা ফল খেতে ভালবাসেন না
তারা প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া আয়রন খুব সহজেই শরীরের
কাজে লাগাতে পারেন।
মধু খেলেই ৭ জটিল
সমস্যার সমাধান
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
নানা গুণের মধুর উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি।
গবেষণায় দেখা গেছে, মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
হৃদরোগ থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত প্রায় সব
কিছুতেই মধু-দারুচিনির মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। জেনে
নিতে পারেন, মধু খেলে যে ৭ জটিল সমস্যা সহজেই সমাধান
করতে পারবেন।
১) হৃদরোগ: হার্ট সুস্থ্য রাখার জন্য দারুচিনি ও মধুর
পানির কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মধু ও
দারুচিনি মিশ্রিত পানি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি
অনেকটাই কমানো সম্ভব। এই মিশ্রণ রক্তের কোলেস্টেরলের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই
কমিয়ে দেবে।
২) কোলেস্টরল: এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধুর
সঙ্গে তিন টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
এটি রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা অন্তত ১০ শতাংশ কমেয়ে
দেবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই মিশ্রণ অত্যন্ত
কার্যকর।
৩) পিত্ত থলিতে সংক্রমণ: মধু-দারুচিনির মিশ্রণ পিত্ত
থলির সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম। মধু দারুচিনিতে অ্যান্টি
ব্যাক্টোরিয়াল উপাদান আছে, যা পিত্ত থলিকে বাইরের
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
৪) বাত/আর্থারাইটিস-এর সমস্যা: একাধিক সমীক্ষায় দেখা
গেছে, মধু দারুচিনির পানি পান করার ফলে খুব অল্প সময়ের
মধ্যে বাতের ব্যথা কমে যায়। এক গ্লাস গরম পানিতে দুই
টেবিল চামচ মধু আর এক টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো
মিশিয়ে নিন। এই পানি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে
উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। কয়েক
সপ্তাহের মধ্যে এটি আপনার বাতের ব্যথা কমিয়ে দেবে।
৫) চুল পড়া রোধে: অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু,
১ চা চামচ দারচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন।
এটি চুলের ফাঁকা জায়গায় লাগান (যেখান থেকে চুল পড়ে গেছে
সেখানে)। ১৫ মিনিট পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু
করে ধুয়ে ফেলুন। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
৬) নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে: উষ্ণ গরম পানিতে মধু
ও দারচিনি মেশান। প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণ পান করুন।
এটি আপনার মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে সাহায্য করবে।
৭) ওজন কমাতে: শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু দারচিনির
জুড়ি মেলা ভার। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দারচিনি ও
মধু খুব দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন
দারচিনি গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস পানি
খালিপেটে পান করুন। এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
টানা ৭ দিন ডাবের পানি খেলে কী হয় জানেন?
এটি শরীরকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে। সারা পৃথিবীতেই
এই পানির বেশ কদর রয়েছে। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক
বেশি।
টানা সাতদিন ডাবের পানি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে
যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা
বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা গ্রহণ করুন।
আসুন জেনে নিন ডাবের পানির উপকারিতা :
১। ডাবের পানি প্রাকৃতিক ভাবেই স্যালাইন ওয়াটারের কাজ
করে। সমুদ্র উপকূলে বা রোদে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা দিনে
দু’-তিনটি ডাবও খেতে পারেন।
২। ডাবের পানিতে উপকারী উৎসেচক থাকায় তা হজম অত্যন্ত
সাহায্য করে। অনেকেরই ভারী কিছু খাওয়ার পর ডাবের পানি
উপকারি।
৩। ডাবের পানি শরীরে পানির ভারসাম্য রাখে। তাই ক্ষতিকর
খাবারের বদলে ডায়েটে রাখুন ডাবের পানি।
৪। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম
রয়েছে। তাই শরীরে এই সব খনিজের অভাব রুখে দিতে পারে
ডাবের পানি।
৫। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে মূত্রবর্ধক উপাদান। এটি
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিষ্কারে সাহায্য করে।
৬। শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। থাইরয়েড হরমোনের
উৎপাদন বাড়ায়।
৭। ব্যায়াম করার পর এক গ্লাস ডাব পানি শরীরের শক্তি
পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
৮। প্রতিদিন এক কাপ ডাবের পানি পান করলে ত্বককে আর্দ্র
থাকে। এটি ব্রণের সমস্যা কমায়।
৯। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটি হজমে বেশ সাহায্য
করে। নিয়মিত নারকেলের পানি পান করলে গ্যাসট্রিকের
সমস্যা কমায়।
১০। নারকেলের পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্টে সংক্রমণকারী
ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে।
কিডনির ক্ষতি হয় যেসব অভ্যাসে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিদিন সারা বিশ্বে
লাখ লাখ মানুষ কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
দৈনন্দিন জীবনে কিছু কিছু অভ্যাসের কারণে কিডনি
মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন-
১. অ্যালকোহল পান কিডনির জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে
ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। এটা লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক
রোগের জন্যও দায়ী। এ কারণে সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত
অ্যালকোহল পান থেকে দূরে থাকুন।
২. কিডনির সুরক্ষার জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করেন না। এতে
কিডনির ওপর চাপ পড়ে। এটি তখন ঠিক মতো কাজ করতে পারে
না। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি
পান করা জরুরি।
৩. অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে। খেতে বসে
প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই। এটি কিডনির
মারাত্মক ক্ষতি করে। কিডনি এই অতিরিক্ত সোডিয়াম দেহ
থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি সোডিয়ামটুকু রয়ে
যায় কিডনিতেই। তখন কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪. অনেকে সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ওষুধ খান। এটি
কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । অতিরিক্ত মাত্রায় এই
ধরণের ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের কারণে কিডনির কোষগুলো
মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ
ছাড়া ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
৫. অনেকের মাংসের প্রতি আসক্তি রয়েছে। শাকসবজি ও মাছ
বাদ দিয়ে শুধু মাংস খেতেই পছন্দ করেন।
রোগের নাম হাইড্রোসিল
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যাকে বলা হয় টিউনিকা ভেজাইনালিস। যখন এই টিউনিকা
ভেজাইনালিসের মাঝে পরিসড়ার তরল জমতে থাকে তাকে
হাইড্রোসিল বলে। প্রাইমারী হাইড্রোসিলের ক্ষেত্রে
ব্যথাহীন ভাবে ক্রমশ অন্ডথলি বড় হতে থাকে। সব সময়
টিউনিকা ভেজাইনালিসের দুইটি স্তরের মধ্যে কিছু তরল
পদার্থ নিসৃত হতে থাকে। আবার যেই মাত্রায় এই তরল
পদার্থ নিসৃত হয় একই মাত্রায় তা পরিশোষিত হয়। যদি
পরিশোষণ থেকে এই নিঃসরণের মাত্রা বেশী হয় তখন টিউনিকা
ভেজাইনালিসের দুটি স্তরের মাঝে তরল জমা হতে থাকে যাকে
বলা হয় হাইড্রোসিল।
হাইড্রোসিল বা একশিরা রোগ পুরুষের এমন একটি সমস্যা যাতে
পুরুষের অন্ডথলির এক দিক বা উভয় দিক ক্রমশ তরল জাতীয়
পদার্থ জমা হয়ে বড় হতে থাকে। সাধারণত কোন কারণ ছাড়াই
এই রোগ দেখা দিতে পারে আবার কখনও কখনও আঘাত, অন্ডকোষের
ক্যান্সার বা সংক্রমণ জনিত কারণে হতে পারে। ফাইলেরিয়া
বা গোদ রোগের কারণে হতে পারে। চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা
যেমন প্রষ্টেট ক্যান্সার, তেজস্ক্রিয় চিকিৎসা বা
ভেরিকোসিল অপারেশনের পরে এই রোগ দেখা দেয়ার প্রবণতা
বাড়ে। হাইড্রোসিল সাধারণত দুই ধরণের দেখা যায়। একধরণের
হাইড্রোসিল দিনের বেলায় বড় থাকে রাত্রে ঘুমোলে সকালে
ছোট হয়। এই ধরণের হাইড্রোসিলের থলির সাথে উদর গহবরের
একটি যোগ থাকে। যার ফলে উদর গহবরের তরল পদার্থ দিনে
কর্মব্যস্ত কালীন সময়ে হাইড্রোসিল থলিতে জমা হতে থাকে
আবার রাত্রিতে যখন শুয়ে থাকে তা আস্তে আস্তে উদর গহবরে
জমা ফেরৎ যায়।অন্য ধরণের হাইড্রোসিল রয়েছে যা দিনে
আকার বাড়ে না বা রাত্রেও আকারে কমে না। অর্থাৎ দিনে
কিংবা রাত্রিতে একই রকম থাকে। এই ধরণের হাইড্রোসিলের
থলি আবদ্ধ অবস্থায় থাকে অর্থাৎ উদর গহবরের সাথে কোন
যোগাযোগ থাকে না। যদিও হাইড্রোসিল শরীরের মারাত্মক কোন
সমস্যা সৃষ্টি করে না তবুও কোন কোন ক্ষেত্রে
হাইড্রোসিলের সাথে ক্যান্সার থাকতে পারে আবার
হাইড্রোসিলে সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে জটিলতা দেখা দিতে
পারে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপারেশনই শ্রেয়। বহিঃবিভাগেই
এই অপারেশন সম্ভব। ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে পানি ও
হাইড্রোসিল থলি অপসারণ করা হয়। সাধারণত এই অপারেশন
করার জন্য অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না। শরীরের নিম্নাংশ
অবশ করে অপারেশন করা হয়। অন্য পদ্ধতিতে সূঁচের সাহায্যে
পানি অপসারণ করে সে জায়গায় কিছু ওষুধ দেয়া হয় যাতে
পুনরায় পানি না জমে। এই ক্ষেত্রে প্রচন্ড ব্যথা,
সংক্রমণ সহ পুনঃ প্রাদুর্ভাব জটিলতা দেখা দিতে পারে।
মহিলাদের স্ট্রোক রোধে ৬ পরামর্শ
স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ পুরুষ বা মহিলাদের
উভয়ের হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ,
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন এবং মাইগ্রেন রয়েছে এমন
মহিলাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর আমেরিকান
হার্ট এসোসিয়েশন এবং আমেরিকান স্ট্রোক এসোসিয়েশন
যৌথভাবে মহিলাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হরাসে ৬টি পরামর্শ
দিয়েছেন। আর তা হচ্ছে: যে সমস্ত মহিলার উচ্চ রক্তচাপ
আছে তাদের গর্ভাবস্থায় অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
হবে।
যাদের গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-একলামশিয়া থাকে
তাদের সন্তান জন্মদানের পর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
গর্ভবতী মধ্যম মাত্রায় উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও মেডিকেশন
শুরু করতে হবে।
যারা নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন তাদের
অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে।
যে সব মহিলার তীব্র মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেইন আছে তাদের
অবশ্যই ধূমপান বর্জন করতে হবে।
যে সব মহিলার বয়স ৭৫ বছরের বেশি তাদের হূদরোগের যথাযথ
চিকিৎসা করতে হবে।
পেট থেকে গ্যাস দূর
করার সহজ কয়েকটি উপায়
যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত
যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো
বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া
যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস,
বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী
খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে
করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা
দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা
হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও
গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত
সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের
কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে
আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে
যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক
জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর
বিকল্প নেই।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
নারী ও শিশু নির্যাতনে বিচারাধীন মামলা ১৬৬০০০
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনপ্রধান বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আদালত ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। ফলে আরও অধিক হারে
মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আমি আশাবাদী। তবে শুধু মামলা
দায়ের এবং নিষ্পত্তি নয়, মামলার গুণাগুণের ভিত্তিতে
নিষ্পত্তি প্রয়োজন। সে জন্য দরকার সঠিক তদন্ত,
পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ, উদ্ ঘাটন, সঠিক ডাক্তারি
পরীক্ষা এবং মামলার সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতামূলক
মনোভাব।’
আজ সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির
মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ
মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের
উদ্যোগে ‘নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
ন্যায়বিচার প্রাপ্তিবিষয়ক’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বছরের
মার্চের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে বিচারাধীন নারী ও
শিশু নির্যাতনের মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮২টি।
২০১৭ সালে দায়ের হয়েছে ৫০ হাজার ৩৩২টি মামলা এবং
নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৬৪টি মামলা। তিনি আরও বলেন,
‘এরই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় যেন অযথা হয়রানি না হয়,
সেদিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রকৃত আসামি নয় এবং
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং বৃদ্ধ পিতামাতা, ভাইবোন
বা আত্মীয়স্বজনকে মামলায় জড়িত করার প্রবণতা পরিহার করতে
হবে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধান
বিচারপতি বলেন, আইন প্রণয়নে মহিলা পরিষদের ভূমিকা
অনস্বীকার্য। বিবাহবিচ্ছেদ, যৌতুক বহুবিবাহ, মোহরানা
প্রদান ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর
উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রে
নারীর সাফল্য ও অগ্রগতি ইতিবাচক। তারপরও নারী
নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। নির্যাতিতদের কেউ কেউ
আইনের আশ্রয় নিয়ে পারিবারিক ও সমাজের প্রভাবের কারণে
আইনের আশ্রয় থেকে বিরত থাকছে।
সভায় বিশেষ অতিথি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির
চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সংবিধানে
নারীর অধিকার রক্ষার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
সামাজিক বাস্তবতায় নারীর অধিকার নিশ্চিত হতে পারে
নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই
নারীর ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত
করার চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে সাক্ষী উপস্থাপন না করতে পারা,
সময়মতো মামলা শেষ করতে না পারাসহ আরও কিছু জটিলতা। সাত
থেকে আট বছর হয়ে যায় অথচ একটি ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি
হয় না। নারী ও শিশু নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায়
স্বাস্থ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বিত
মনিটরিং টিম করার ওপর জোর দেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনার পর দ্রুত বিচারের তাগিদ দিয়ে অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ধর্ষণের মামলাগুলো বিচার
অন্য মামলার বিচারের সঙ্গে হয় বলে দেরি হয়। কিছু
ধর্ষণের মামলাকে নজরদারি করে দ্রুত বিচার করা উচিত।
তাতে করে দ্রুত সমাধান হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে
সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন
খোকন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো.
জাফরোল হাছান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নারায়ণগঞ্জে মওদুদ
হত্যা, দুজনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মওদুদ আহমেদ শাওন হত্যা মামলায়
দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার
দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক
রবিউল আউয়াল এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের
সুমিলপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন
ওরফে বাসু (২৪) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রাকিব
হোসেন ওরফে বাবুল (২৫)। রায় ঘোষণার সময় সাজ্জাদ আদালতে
উপস্থিত ছিলেন। তবে রাকিব পলাতক। নিহত মওদুদ (২৪)
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও রোড এলাকার নাসির হোসেনের
ছেলে।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাকসুদা বেগম জানান, ২০১৪
সালের ৯ জুলাই সুমিলপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে
নিখোঁজ হন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী মওদুদ। ১০ জুলাই
সোনারগাঁর বারদী দলরদী গ্রামের একটি খেত থেকে
অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তাঁর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে ১১ জুলাই নগরের মাসদাইর কবরস্থানে
বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হয়।
Top
|
|