BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover December 2018

English Part December 2018

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

দরিদ্র বলে আমাদের কেউ যেন অবহেলা করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ নভেম্বর ২০১৮ জাতীয় সমবায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
দেশব্যাপী সমবায় আন্দোলনকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সমবায় একটি পরীক্ষিত কৌশল। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ আন্দোলনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি এবং আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আরও ৪ থেকে ৫ ভাগ দারিদ্র্য আমরা বিমোচন করতে চাই। যাতে বাংলাদেশকে দরিদ্র বলে আর কেউ অবহেলা করতে না পারে, করুণা করতে না পারে।
২৫ নভেম্বর ২০১৮ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবস এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৬ এবং ২০১৭ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সমবায় বিভাগ আয়োজিত সমবায় পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটাগরিতে সমবায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দু’বছরে ২০ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে পদক দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তারা পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে এলজিআরডি এবং সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার।
সমবায়ভিত্তিক কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকাল সবাই লেখাপড়া শিখে চাকরি করে, বিদেশে চলে যায়। অথচ জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করতে হবে। একমাত্র সমবায়ের মাধ্যমে দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে জাতির পিতা সমবায়কে আমাদের সংবিধানের অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংযুক্ত করে গেছেন।
 

 
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন নভেম্বর ২০১৮

 নভেম্বর ’১৮ মাসে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২১১ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে নভেম্বর ২০১৮ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২১১টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। BHRC এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নভেম্বর ২০১৮ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৭ এর অধিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২১১ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৬ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২৭ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৯ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৯ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৩২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৫ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৭ জন, অপহরণ হত্যা ৯ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৬৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৩৩ জন, আত্মহত্যা ২৫ জন।
নভেম্বর ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ২১ জন, যৌন নির্যাতন ২৭ জন, যৌতুক নির্যাতন ৩ জন।
 

 

 BHRC’র যুক্তরাষ্ট্র গভর্নর শরীফ আহমেদ লস্করকে সংবর্ধনা প্রদান
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র যুক্তরাষ্ট্র গভর্নর শরীফ আহমেদ লস্কর বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে ১৯ নভেম্বর ২০১৮ BHRC সদর দপ্তরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সহ-সভাপতি এমআর আকরাম মুকুল, আরিফুল ইসলাম রাজিব, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সভাপতি শাহিদা সেবা, সাধারণ সম্পাদক মেহবুবা জাহান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার, নির্বাহী সভাপতি কোহিনুর আক্তার রুমা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মিনান্নাহার লিপা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম, ঢাকা জেলা শাখার সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের আশিক, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, মিরপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোতালেব, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শেখ শামিম প্রমুখ।
 

   মৃত্যু নিয়ে কিছু বিস্ময়কর তথ্য!
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
মৃত্যুর চেয়ে অনিবার্য সত্য আর কিছুই হয় না। তাই মৃত্যু নিয়ে মানুষের কৌতুহলেরও শেষ নেই। অনেকে অনেকভাবে মৃত্যুর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মৃত্যু নিয়ে এমনই কিছু বিস্ময়কর তথ্য তুলে ধরা হলো যা আমাদের আমাদের দৈনন্দিনের ধারণার বাইরে।
১. পৃথিবীতে হৃদরোগেই বেশিরভাগ মানুষ মারা যান।
২. কমবয়সি পুরুষদের অধিকাংশই মারা যান দুর্ঘটনায়।
৩. মৃত্যুর পরে নখের বৃদ্ধি ঘটে না।
৪. প্রতি সেকেন্ডে যতজন শিশু জন্ম নেয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
৫. প্রতি দিনই ‘খানিকটা করে মারা যাচ্ছি’ আমরা সবাই। প্রতিদিন দেহে প্রায় ৫০ বিলিয়ন কোষের মৃত্যু হয়।
৬. ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মৃতদেহে লেগে থাকা পোকার চরিত্র দেখে মোটামুটিভাবে বলতে পারেন মৃত্যু ঠিক কতক্ষণ বা কত দিন আগে হয়েছে।
৭. অল্পবয়সি মহিলাদের অধিকাংশই মারা যান সন্তান প্রসব করতে গিয়ে।
৮. মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে দেহের পেশিগুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সংকোচন ঘটে। দেহ শক্ত হতে আরম্ভ করে। একে ‘রিগর মর্টিস’ বলে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা পরে রিগর মর্টিস উধাও হতে শুরু করে।
৯. মৃত্যুর পরে অগ্ন্যাশয় ও পাচনতন্ত্রের অন্যান্য অংশ হজমের সহায়ক এনজাইমে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে ওই অঙ্গগুলোই ‘হজম’ হয়ে যেতে শুরু করে। তার পরে পুরো দেহতেই এই প্রক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর নাম ‘অটোলাইসিস’।
 

 

 

ইতালীতে নতুন আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অভিবাসীরা
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
ইতালিতে বর্ণবাদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডিক্রি বাতিলের দাবিতে ফের বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশি সহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা। দাবি আদায়ে দেশটিতে ১০ নভেম্বর অভিবাসীরা প্রধান প্রধান সড়ক সাময়িক বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশি, ইতালিয়ান আফ্রিকানসহ অন্যান্য অভিবাসীরা অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশি ও ইতালিয়ান নাগরিক ফেস্টুন, ব্যানার হাতে কালো আইনবিরোধী স্লোগান দিয়ে নতুন আইন বাতিলের দাবি জানান।
দেশটিতে অভিবাসী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে নতুন এ আইন অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করা হয়।
এরপর ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সেরজো মাতারেল্লা সই করার পর আইনটি কার্যকর হয়। এ আইন অনুমোদন হওয়ায় বাংলাদেশি ও অন্য দেশের অভিবাসীরা চরম বিপাকে পড়ছে। নতুন আইনে সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচার ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর থেকে ইতালিতে অভিবাসী সমস্যা চলছে। চলমান এ অভিবাসী সমস্যা সমাধান করতে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই অভিবাসীদের অপরাধ দমনে এই পদক্ষেপ নেন। সরকারের লক্ষ্য আইন প্রণয ন করে ইতালির সকল রোম ক্যাম্প বন্ধ করা।
ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। নতুন আইন প্রসঙ্গে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার বলেন, অবৈধদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। তবে বাংলাদেশিদের জন্য এ আইন তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আইন বাংলাদেশিদের চিন্তার কোন কারণ হতে পারে না।
এ ব্যাপারে সামাজিক সংগঠন ইল ধুমকেতু অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, এটি একটি বর্ণবাদী আইন। এটি কার্যকরী হওয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে ভবিষ্যতে অভিবাসীদের ইতালিতে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
তাই এই কালো আইন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশি, ইতালিয়ান, আফ্রিকার নাগরিকসহ অন্যান্য অভিবাসীরা ধারাবাহিক বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার ফের বিক্ষোভ সমাবেশে অভিবাসীরা এ আইন বাতিলের দাবি জানান।

 


 

BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সমন্বয় সভা ২৪ নভেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, শেখ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার যুগ্ম সম্পাদক কাউছার মিয়া, জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শামীম বকস, বনানী থানা শাখার সভাপতি গিয়াস আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আকবর প্রমুখ।

 

ছেলের নাম হিটলার রাখায় জেলে গেলেন বাবা-মা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছেলের নাম হিটলার রাখায় জেলে যেতে হলো বাবা-মাকে। নব্য নাৎসি দম্পতি ২২ বছরের অ্যাডম টমাস আর ৩৮ বছরের ক্লডিয়া পাটাটাস তাদের ছেলের নাম রেখেছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। তারা ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাকশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের ক্রাউন কোর্টের কাছে স্বশোষিত বর্ণবিদ্বেষী টমাস জানিয়েছেন, তিনি অ্যাডলফ হিটলারকে শ্রদ্ধা করেন। তাই ছেলের মাঝের নাম অ্যাডলফ রেখেছেন। ন্যাশনাল অ্যাকশনের আরেক পরিচিত সদস্য ২৭ বছরের ড্যানিয়েল বুগুনোভিককেও সোমবার দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
আদালত অ্যাডামকে গোঁড া নাৎসি বলে অভিহিত করেছে। তার বিরুদ্ধে বোমা তৈরির কাগজপত্রও পাওয়া গেছে।অনলাইনে এই দম্পতির আলাপ হয়। দু’বছর আগে একসঙ্গে বসাবাস করতে শুরু করেন তারা। একটি ছবিতে অ্যাডামের হাতে নাৎসি পতাকা এবং পাশে ক্লডিয়ার কোলে তাদের সদ্যজাত সন্তানকে দেখা গেছে। তাদের নিষিদ্ধ সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে আদালত।



নকল সূর্য চীনের!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কদিন আগে শোনা গিয়েছিল, চীন নকল চাঁদ বানিয়েছে এবং তা শিগগিরই আকাশে স্থাপন করবে। এবার তারা নকল সূর্যও বানিয়ে ফেলেছে। খবর : এমএনএন ডটকমের।
চীনা বিজ্ঞানীরা এ সূর্যকে তৈরি করেছে ভবিষ্যতে শক্তির উৎস হিসেবে। যেখানে সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে এই বস্তুটির তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। ‘ইনস্টিটিউট অব প্লাজমা ফিজিক্স’-এ নির্মিত এই নকল সূর্যের মধ্যে অবিকল আসল সূর্যের মধ্যে যেভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়, সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই প্রোজেক্টে নিউক্লিয়ার সংযোজন পদ্ধতিতে তাপ নির্মিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি যন্ত্রকে তৈরি করতে প্রতিদিন মেটাতে হয়েছে বিপুল খরচ। জানা গেছে, যন্ত্রটির পেছনে দৈনন্দিন খরচ ১৫ হাজার ডলার। চীনের এই নয়া উদ্ভাবনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানী মহল। এই আবিষ্কার পৃথিবীর ভবিষ্যতে দারুণ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

 

 BHRC ঢাকা মহানগর অধিভুক্ত আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর অধিভুক্ত আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা ২৬ নভেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি মাহ্বুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি আব্দুস সালাম প্রবাল, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাশারুল ওয়াদুদ মুন্না, মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি নাজিম উদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজাহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি সৈয়দ মঞ্জিল, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শামীম বকস্, সাধরণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, রমনা আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

 নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দায়িত্ব গ্রহণের উদ্দেশ্যে আজ ঢাকা আসছেন। রাষ্ট্রদূত মিলার গতকাল ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে নিজের পরিচয়পত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন। গত জুলাইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়া আর্ল রবার্ট মিলার ঢাকায় মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। তিন বছর আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে বার্নিকাট এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ফিরেছেন।
১৯৮৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যোগ দেওয়া পেশাদার কূটনীতিক আর্ল রবার্ট মিলার সর্বশেষ বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ থেকে ’১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কপস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর মার্কিন মেরিন কোরে যোগ দেন আর্ল রবার্ট মিলার। এর মধ্যে তিনি ১৯৮১ থেকে ’৮৪ সাল পর্যন্ত মেরিন কোরে এবং ’৮৫ থেকে ’৯২ সাল পর্যন্ত মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে ছিলেন।


   তরুণ বেকারের হার ৭ বছরে দ্বিগুণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছেই। মাত্র সাত বছরে এই হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। তরুণেরা যত বেশি পড়ালেখা করছেন, তাঁদের তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আঞ্চলিক কর্মসংস্থান নিয়ে এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের ২৮টি দেশের বেকারত্ব, তরুণদের কর্মসংস্থান, নিষ্ক্রিয় তরুণের হার, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মসন্তুষ্টি ইত্যাদির তুলনামূলক চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ২০১৭ সালে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ওপরে আছে কেবল পাকিস্তান।
বাংলাদেশের তরুণদের বড় অংশ আবার নিষ্ক্রিয়। তাঁরা কোনো ধরনের শিক্ষায় যুক্ত নন, প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন না, আবার কাজও খুঁজছেন না। দেশে এমন তরুণের হার ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে এই হার বেশি, ৪৫ শতাংশের কাছাকাছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএলওর সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আইএলওর প্রতিবেদন দেখেননি, তাই সেটা নিয়ে মন্তব্য করবেন না। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব কিছুটা বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা বাড়তি হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কতটুকু ভূমিকা রাখছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার তরুণদের যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা কর্মসংস্থানে কাজে লাগছে কি না, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ।’



 

BHRC ঢাকা জেলা অধিভুক্ত শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা জেলা ও ঢাকা জেলা অধিভুক্ত আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা ২৮ নভেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাসিম উল্লাহ হেমায়েত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ও ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ খান, আশুলিয়া শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন মন্টু, নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন পটল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল আহমেদ, দোহার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাত হোসেন সুরুজ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম (চন্দন) প্রমুখ।
 

পোশাকশিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৈরি পোশাকশিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা করছে গাজীপুরের স্থানীয় প্রশাসন। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পসহ শিল্পঘন গাজীপুরে প্রায় সাত হাজার শিল্প-কারখানা রয়েছে। কারখানায় চুরি, শ্রমিকদের মারধর, ছাঁটাই, কারখানা বন্ধ ঘোষণা ও বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় শ্রমিকদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে নির্বাচনের আগে কাজে লাগাতে তৎপর একটি মহল। এ নিয়ে তাদের তৎপরতায় অসন্তোষ তৈরির আশঙ্কার কথা সরকারের বিভিন্ন দফতর ও তিনটি বাণিজ্য সংগঠনকে জানিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, শ্রমিক অসন্তোষ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে গত ৫ নভেম্বর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পাঁচটি অনুশাসন প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সভাপতির কাছে পত্র দিয়েছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এই পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাণিজ্য সচিব, গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক, মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের সচিব, শিল্প সচিব, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারসহ অন্যান্য সরকারি দফতরে। পত্রে বলা হয়, গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্প কারখানাসহ প্রায় সাত হাজার শিল্প-কারখানা রয়েছে। কোনো কোনো শিল্প কারখানায় ৩০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। সাধারণত কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্তৃক চুরি এবং তেপ্রক্ষিতে কারখানার মধ্যম পর্যায়ের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মারধর, নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ ঘোষণা ইত্যাদি কারণে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। দুষ্কৃতকারীরা এ সময়ে শ্রমিকদের এই অসন্তোষকে গুজবে পরিণত করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি করে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দুষ্কৃতকারীরা এ সময়ে শ্রমিক অসন্তোষকে ব্যবহার করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ গত ৩১ অক্টোবর রাতে মিতালি গার্মেন্টে কর্মরত এক শ্রমিকের মৃত্যুর গুজবে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ডেল্টা স্পিনিং মিলে কর্মরত আনসার সদস্য ভৈরব চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হন।

 

 BHRC কুমিল্লা মহানগর শাখার সার্বজনীন শিশু দিবস উদযাপন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার উদ্যোগে ২০ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ৬ টায় মহানগর কার্যালয়ে সার্বজনীন শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মহানগর শাখার সভাপতি এ.এইচ.এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন ডাঃ এম সাখাওয়াত উল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হাসানুল কবির সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মাজহারুল হক তপু,অর্থ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মোঃ সাইফুল্লাহ,প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হান্নান, সালিশী কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক এইচ.এম মনজুর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার জামিল, সহ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মোঃ মেহদী হাসান, মোঃ বেলাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোঃ শাহরিয়ার হোসেন। সানি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বিশ্ব ব্যাপী শিশু নির্যাতেনর তীব্র প্রতিবাদ জানান। শিশু নির্যাতন রোধে মানবাধিকার কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে এবং শিশু শ্রম দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার উদ্যোগে সীমার উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সীমার উপর নির্যাতনকারীকে আটক করায় সভায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।


 

 ২১ ফেব্র“য়ারি হবে বাংলা ৯ ফাল্গুনে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৯ সাল থেকে ২১ ফেব্র“য়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে বাংলা ৯ ফাল্গুন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারি ও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগে লিপইয়ারে ফাল্গুন মাস একদিন বাড়িয়ে ৩১ দিন গণনা করা হতো। সংস্কারের ফলে আগামী বছর যদি ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন হয় তবে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি দুটো দিনকেই ১ ফাল্গুন গণনা করতে হবে। এ কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগের ছুটির তালিকার আদেশটি বাতিল করে গত ১৪ নভেম্বর সংশোধিত নতুন আদেশ জারি করে। যেটি গতকাল প্রকাশ করা হল। নতুন তালিকায় ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হবে ৯ ফাল্গুন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটি ছিল বাংলা বর্ষপঞ্জির ৮ ফাল্গুন। কিন্তু এখন ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনের দিনটি বাংলা বর্ষপঞ্জির ৯ ফাল্গুন।
 



Top

 BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সমন্বয় সভা ২৯ নভেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সভাপতি শাহিদা সেবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি এবং সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা মহিলা শাখার নির্বাহী সভাপতি দিলরুবা জাহান, সাধারণ সম্পাদক মেহবুবা জাহান প্রমুখ।
 

Top



 
আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী দুর্ভোগ দূর করুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাটেনডেন্ট (পরিচর্যক) সংকটে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের অ্যাটেনডেন্ট সংকটের কারণে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত নানামুখী হয়রানি ও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
একটি ট্রেনে প্রায় ১৫টি বগির প্রতিটিতে একজন করে অ্যাটেনডেন্ট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ১৫ বগির দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র চারজন অ্যাটেনডেন্ট। এতে ব্যাহত হচ্ছে যাত্রীসেবা। বিশেষ করে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠানামার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কোচ ও আসন খুঁজে পেতেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা। এছাড়া বিনা টিকিটে অনেক যাত্রী ওঠানামা করছেন।
আসনবিহীন টিকিটধারী যাত্রীরা অবাধে উচ্চশ্রেণীর কোচে ওঠায় ওই শ্রেণীর যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। চলন্ত ট্রেনে টিকিট চেকিং কর্মসূচিতে অবৈধ যাত্রীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ যাত্রীদের রেলওয়ের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে মোট ৪৯টি আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করে। পূর্বাঞ্চলে কিছু ট্রেন অনবোর্ড সার্ভিসে সেবা প্রদান করলেও পঞ্চিমাঞ্চলে কোনো অনবোর্ড সার্ভিস প্রবর্তন করা হয়নি। তাই পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীসেবা মিলছে না বললেই চলে। চোরাচালানকারীরা অবাধে এসিপি করার সুযোগ পাচ্ছে বিধায় মাঝপথে ট্রেন বিলম্বিত হচ্ছে। রাতের ট্রেনে প্রায়ই যাত্রীদের মালামাল খোয়া যাচ্ছে।
চলন্ত ট্রেনে হকার ও পকেটমারের উপদ্রব বেড়েছে। এছাড়া অ্যাটেনডেন্ট সংকটে হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। জোটবদ্ধ হিজড়ারা প্রতিদিন কোনো না কোনো ট্রেনে আচমকা উঠে যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের টাকা দিতে বাধ্য করছে। হিজড়াদের অশ্নীল অঙ্গভঙ্গির কারণে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ট্রেন ভ্রমণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন যাত্রীরা।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে ভিক্ষুক, হকার ও হিজড়াদের উৎপাত বন্ধ করতে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকলেও সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদাসীনতায় তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে হিজড়াদের উৎপাত। বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশিত সূত্রমতে, আগে পূর্বাঞ্চলে ২১৫টি অ্যাটেনডেন্ট পদ মঞ্জুরি ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫৬ জন।
আবার তাদের মধ্যে অনেকেই অবসরে আছেন। মামলা ও অসুস্থতার কারণে ৩৩ জন কর্মস্থলে নেই।

 

BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও মহানগর দক্ষিণ অধিভুক্ত শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও দক্ষিণ অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয় সভা ৩০ নভেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর নির্বাহী সভাপতি ও বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ হারুন-অর-রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সহ-সভাপতি ও বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাজিব, সহ-সভাপতি রাশেদ আকন, সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাজীব, মনিরুল ইসলাম, দারুস সালাম থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল শরীফ, বিশেষ প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন, মুগদা থানা শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিন সরকার, রামপুরা থানা শাখার উপদেষ্টা এমএ নায়েম তালুকদার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান, ওয়ারী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন, মতিঝিল থানা শাখার সভাপতি এমরান হোসেন, শাহজাহানপুর থানা শাখার সভাপতি আবু মোহাম্মদ শফিউল আজম (শফিক), চকবাজার থানা শাখার সভাপতি মোঃ সাবিউল আমিন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক এসএম হামিদ, যাত্রাবাড়ী সাধারণ সম্পাদক আবু খায়ের আশিক, পল্টন থানা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শেখ শামীম, সূত্রাপুর থানা শাখার সভাপতি কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি অশোক চন্দ্র রায়, কোতয়ালী থানা শাখার সভাপতি মোঃ নূরুল আফসার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী, বংশাল থানা শাখার সভাপতি হায়দার রিয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার রাজ, খিলগাঁও থানা শাখার সভাপতি নবী হোসেন, কামরাঙ্গীরচর থানা শাখার প্রচার সম্পাদক হাজী জামাল উদ্দীন, শ্যামপুর থানা শাখার নির্বাহী সভাপতি সমীর ভৌমিক প্রমুখ।
 

অপরাধীরা ছাড়া পেলে বিচার বিভাগ আস্থাহীনতায় পড়বে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর সোমবার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দুই মামলায় মোট ১৫৬৪ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।
এতে কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বাকি ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। রায় ঘোষণার ১৫ মাস পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হল। গত বছরের ২২ আগস্ট বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স। মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য এই ফোর্স বহুবিধ কাজ করছে। কতিপয় ব্যক্তির জন্য সামগ্রিকভাবে এই বাহিনীকে দায়ী করা যায় না। তাদের ভাবমূর্তি নষ্টেরও কারণ নেই। কতিপর অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামিরা যে ধরনের অপরাধ করেছে, যদি তারা ছাড়া পেয়ে যায়, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণ আস্থাহীনতায় ভুগবে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি আমরা পেয়েছি। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের বিষয়ে আপিল করব কি না, রায়টি পুরোপুরি পড়ে সিদ্ধান্ত নেব। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত কপি যাবে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে। রায় প্রকাশের এক মাসের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপিল না করলে রায় কার্যকরের জন্য বিচারিক আদালত সত্যায়িত অনুলিপি কারাগারে পাঠাবে। কারা কর্তৃপক্ষ জেলকোড অনুযায়ী রায় কার্যকর করবেন।’
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পার হয়েছে। তিন বছরে ওই ঘটনার বিচারের দুটি ধাপ অতিক্রম হয়েছে। এখন বাকি আছে শুধু আপিল বিভাগের চূড়ান্ত বিচার। গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃদ হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

 

BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা শাখার সমন্বয় সভা ১ ডিসেম্বর ২০১৮ বিকেল ৩টায় BHRC সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা শাখার সভাপতি মারজান-নুন-নাহার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি ও সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর (সিনিয়র) আক্তারুজ্জামান বাবুল। সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম ছত্তার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, ঢাকা জেলা মহিলা শাখার সভাপতি শাহিদা সেবা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা শাখার সভাপতি মিনান্নাহার লিপা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা শাখার নির্বাহী সভাপতি কামরুন নাহার আজাদ স্বপ্না, সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার সিদ্দিকা, যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের আশিক প্রমুখ।




এক রাতে ৫০০০ বিয়ে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিনে দূষণ, রাতে জ্যাম- ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির চোখ-সওয়া একটি দৈনন্দিন দৃশ্য । প্রতিদিনের এ দুর্ভোগের মধ্যেই সোমবার রাতে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠে দিল্লির। এক রাতেই ৫০০০ বিয়ে। বিরাট অঙ্কের এ বিয়ের বরযাত্রীদের যানের দাপটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রায় অনড়-দশাই ছিল দিল্লি। সন্ধ্যার পর থেকেই রাজপথে নামে ‘স্মরণকালের সেরা যানজট’। আধঘণ্টার রাস্তা যেতে কোথাও দুই ঘণ্টা, কোথাও বা তারও বেশি সময় লেগেছে। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজারের।
রাস্তায় ১০০০ অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অলোক কুমার বলেন, ‘আমাদের হিসাবে সোমবার রাতে ৫০০০ বিয়েবাড়ি ছিল। রাস্তায় অতিরিক্ত ১০০০ কর্মী নামানোর পাশাপাশি আমাদের টুইটার হ্যান্ডলেও নিয়মিত আপডেট দেয়া হয়েছে।’
বিয়েবাড়ির হাজার হাজার নিমন্ত্রিত। তার সঙ্গে সেই তালিকায় ছিলেন প্রচুর ভিআইপি-ভিভিআইপি। তাদের যাতায়াতের জন্যও যানজট বেড়েছে বলে মনে করছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা।
যানজট মোকাবিলায় রাতেও রাস্তায় টহল দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। যেখানে-সেখানে বেআইনি পার্কিং দেখলেই সেগুলো সরিয়ে দিয়েছেন বা গাড়ি তুলে নিয়ে গিয়েছেন। বিশেষ নজর ছিল দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে। কারণ রাজধানীর বেশির ভাগ ম্যারেজ হলই ছত্রপুর, মেহরাউলি, এমজি রোড, কাপাশেরা, রাজৌরি গার্ডেন, পাঞ্জাবি বাগ, দ্বারকা লিঙ্ক রোড, আলিপুর লক্ষ্মীনগর এলাকায়।
 

মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে : ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নবনিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। খবর বাসসের
তিনি বলেন, মিয়ানমারের উচিত তাদের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহবান জানান।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে তার সরকারের পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য তার সরকার নোয়াখালীতে একটি চরের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ চাই।
উইনি এস্ট্রাপ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি আপনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।
দেশের উন্নয়নে তার সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সরকারের ধারবাহিকতা বজায় থাকায় এখন উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের খাদ্য নিরাপত্তাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
শেখ হাসিনা এ সময় তার সরকারের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের উল্লেখযোগ্য সাফল্যসমূহও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তার সরকারের বিবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশের নারী সমাজ এখন দেশের সকল সেক্টরে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।


 

'যে কোন রুট দিয়ে বৈধ ভিসায় ভারতে ঢোকা যাবে'


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশিদের ভ্রমণ সহজ করতে নতুন উদ্যোগ নিল ভারত। বাংলাদেশি পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভারতীয় সব রুটের ব্যারিয়ার তুলে দেওয়ার। এবার সেই রুট ব্যারিয়ার সম্পূর্ণ উঠে না গেলেও এখন থেকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে পাসপোর্ট জমা করলেই যোগ হয়ে যাবে চাহিদমতো নতুন রুট।
গত ২০ নভেম্বর বিকেলে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি হলে হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান। যার ফলে বাংলাদেশি পর্যটকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা কিছুটা পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার জানান, নতুন উদ্যোগে যে কেউ বাংলাদেশের যে কোনো ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে ৩শ টাকা ফি দিয়ে নতুন রুট যুক্ত করার আবেদন করতে পারবেন। ভিসার মতো ফর্ম পূরণ করে পাসপোর্ট জমা দিয়ে আবার নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট মিলবে। এতে একজন বৈধ ভিসা থাকাকালীন সময়ে যতোবার খুশি ততোবার নতুন রুট যুক্ত করতে পারবে। আবেদনের তিন কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে।
সব আইভিএসিতে রুট অনুমোদনের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। একজন আবেদনকারী বিদ্যমান ২৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং গেদে/হরিদাসপুর রেল ও সড়কপথ ছাড়াও অতিরিক্ত দু’টি রুটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভারতীয় হাইকমিশন ও ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে
ব্রিফ করছেন হাইকমিশনার, যদি কারো আগরতলা দিয়ে বৈধ ভিসা থাকে আর তিনি যদি দার্জিলিং যেতে চান তাহলে তিনি পঞ্চগড়ের ফুলবাড়ি কিংবা বুড়িমারি দিয়ে নতুন রুট যুক্ত করার আবেদন করতে পারবেন। পারমিশন মিললে ঢুকতে কিংবা বেরুতে পারবেন নতুন রুট দিয়েও। কেউ চাইলে ডাউকি দিয়ে ঢুকে ফুলবাড়ি দিয়ে বের হওয়ার আবেদনও করতে পারবেন। আবার নতুন ভিসার সময়ও এক রুট দিয়ে ঢুকে আরেক রুট দিয়ে বের হওয়ার আবেদন করা যাবে।

 

 মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিগাঁথা নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনীর সেই দ্বিতল ভবনটি এখনও দন্ডায়মানি

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী স্মৃতিগাঁথা নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষা কুমুদিনী মেমোরিয়াল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর তৎকালীন কার্যালয় সাদা রংয়ের দ্বিতল ভবনটি এখনও দন্ডায়মান, যা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার অধিভুক্ত। ৮ নভেম্বর ২০১৮ দুপুরে ইঐজঈ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান রুমীকে সাথে নিয়ে স্মৃতিগাঁথা কুমুদিনীর ট্রাস্ট্রের স্থানগুলো পরিদর্শন করা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭২ সালের ফেব্র“য়ারি মাসের শেষ দিকে সহযোদ্ধা সাইফুল কবির ও অন্যান্য বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেই। সাইফুল কবিরসহ তিনজন বীরমুক্তিযোদ্ধা তৎকালীন নারায়নগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা) সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযুদ্ধ শেষে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র এখানে জমা দেন। ১টি এসএলআর, ২টি স্টেনগান, ১টি বেয়নেট এবং কিছু গোলা-বারুদ আমরা জমা দেই। সাইফুল কবির ৬/৭ বছর পূর্বেই অস্ট্রিয়ার একটি হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার পর কুমুদিনী ট্রাস্টে সরকারিভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, তিন রাত্রিযাপনের পর ফিরে আসার সময় নারায়ণগঞ্জ মহকুমা প্রশাসনের দেয়া জেনারেল এমএজি ওসমানী এবং ২নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর হায়দার স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র, নগদ ১০০ টাকা এবং সাদা রয়ের একটি শার্ট পিছ নিুস্বাক্ষরকারী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদাগণ উপহার হিসেবে গ্রহণ করে।

 

Top

১০ বছর বেশি বাঁচে ধনীরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যকার পার্থক্য আজকের নয়। তাই নানা বিষয়ের পার্থক্যের পাশাপাশি এ দুই শ্রেণির মধ্যে আয়ুষ্কালেও পার্থক্য রয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণও মিলেছে তার। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ধনীরা দরিদ্রদের তুলনায় ১০ বছর বেশি বাঁচে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ল্যানসেট পাবলিক হেলথের জার্নালে এ গবেষণার ওপর একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
গবেষণা অনুযায়ী, ধনী এবং দরিদ্রদের সম্ভাব্য আয়ুর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে ধনী এবং সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মধ্যে সম্ভাব্য আয়ুষ্কালে পার্থক্য বেড়েছে। সবচেয়ে ধনী মেয়ে শিশু ও নারীরা সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মেয়ে শিশু ও নারীদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। এই হার ২০০১ সালে ছিল ৬.১ বছর, যা বেড়ে ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯ বছর। আর বর্তমানে সবচেয়ে ধনী এবং সুবিধাবঞ্চিত ছেলে শিশু এবং পুরুষদের মধ্যে সম্ভাব্য আয়ুষ্কালের পার্থক্য বেড়েছে ৯ বছর থেকে ৯ দশমিক ৭ বছর। লন্ডনের বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিষয়ক অধ্যাপক মাজিদ ইজাতি বলেন, সব বয়সে এবং সব ধরনের রোগে ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। যা এটাই বোঝায় যে, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীরাই দুর্দশা ভোগ করে বেশি। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সেবা থেকেও বঞ্চিত তারা। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সমন্বয় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ইজাতি।

 
ব্রাজিলে যে গ্রামে শুধু যমজ জন্মায়


ব্রাজিলের একেবারে দক্ষিণে যে গ্রাম তার নাম , ক্যানডিডো গডোই। সাত হাজারের মতো বাসিন্দা।কিন্ত বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে এখানে যজম শিশুর জন্মের হার অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। ব্রাজিলে যমজ শিশু জন্মের জাতীয় গড়ের চেয়ে এই গ্রামের হার ১০ গুণ বেশি। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরাও কিছু বলতে পারছেন না। প্রজনন বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞের একটি দল গত কয়েক বছর ধরে এই গ্রামটির ওপর গবেষণা করছে। রহস্য উদঘাটনে গবেষকরা গ্রামের লোকজনের ডিএনএ সংগ্রহ করছে এবং পরিবারগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।
বিবিসির প্রতিবেদকরা গ্রামটিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন যমজের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গ্রামের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছেন।
যমজ বোনদের একজন লুসিয়া গ্রোনিটজগি বলেন, এটা আমাদের জন্য খুব স্বাভাবিক। আমাদের স্কুলেও অনেক যমজ শিক্ষার্থী ছিল। আমাদের অনেক বন্ধুও যমজ ছিল, আমার চাচাতো ভাই-বোনেরা জমজ। তবে কেউ যদি যমজ না হয় তখনই দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে। মনে হতো, এটিই ব্যতিক্রম।
 


 মানবাধিকার কর্মীর জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৮ লাভ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আজীবন সদস্য, গাজীপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব ডি. এম. এরশাদুল আলম শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে গত ০১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৮ গ্রহণ করেন। তার পুরস্কার প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন অভিনন্দন জানাচ্ছে। ইতিপূর্বে তিনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক মানবাধিকার পদক-২০১৮ প্রাপ্ত হন। তিনি ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ এর আজীবন ফেলো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুলের আজীবন দাতা সদস্য, বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ), গাজীপুর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সহঃ সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সদস্য, জাতীয় প্রতিবন্ধী যুব ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কালিয়াকৈর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আজীবন ও নির্বাহী সদস্য, বোখারী ললিতকলা কেন্দ্র ও কৃষ্টি সাংস্কৃতিক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি, ফ্রি ল্যান্স জার্নালিস্ট সোসাইটি কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বাড়ইপাড়া শাখার কার্যকরী সভাপতি, গোসাত্রা পল্লী উন্নয়ন যুবক সমিতির সদস্য সচিব, গোসাত্রা পূর্ব পাড়া জান্নাতুল মুয়াল্লা কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত।

 

সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমানাধিকার বিল পাস তিউনিসিয়ায়

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষেরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সমান ভাগ পাবেন। খবর রয়া নিউজের।
গত ২৩ নভেম্বর দেশটির মন্ত্রীসভা পরিষদ নতুন এই বিল পাস করে। বিলটি পাস করার আগে দেশটির মন্ত্রীসভায় ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট বেজি ক্যাড এসেবসি ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রথমবারের মত এই বিল তৈরি করার জন্য পরামর্শ দেন।
তিউনিসিয়ার অনেক মুসলিম এই বিলের বিরোধিতা করে আসছিলন। তাদের অভিযোগ নতুন এই আইন ইসলাম বিরোধী। তবে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেউ চাইলে সম্পত্তির ভাগ ইসলাম মোতাবেক করতে পারবেন।
এছাড়া ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এসেবসি দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য স্বতন্ত্র স্বাধীনতা ও সমানাধিকার কমিটি গঠন করেন।
তিনি আরো বলেন, তিউনিসিয়া সংবিধান দেশটির নাগরিকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এছাড়া নাগরিকদের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাস হয়েছে বলে জানানো হয়।
তবে ২০১৭ সালে তিউনিসিয়ায় এক জরিপে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। জরিপে দেশটির ৬৩ শতাংশ নাগরিক এই বিল নিয়ে বিপক্ষে রায় দেয় যার মধ্যে ৫২ শতাংশই ছিলেন নারী।
 

 কন্যাসন্তান হলে তার ক্লিনিকে সব ফ্রি করে দেন গাইনি ডা. শিপ্রা


তিনি একজন লোকসেবী গাইনি ডাক্তার। পাল্টে দিয়েছেন সমাজে চলতি সকল ধারণা। তার হাতে কোন কন্যা সন্তান হলে তিনি আনন্দে আত্মহারা হন। সবাইকে মিষ্টি মুখ করান। কোন চিকিৎসা ফি নেন না। তখন তার নিজস্ব ক্লিনিকে সব চিকিৎসা ফ্রি।
এমনটি তিনি কেন করেন। কারণ, মানুষ জন্ম হিসেবে পৃথিবীতে কন্যাদের সমান অধিকার। এটা বলা বাহুল্য, কন্যা সন্তানকে আমরা কোন চোখে দেখি।
নানান সরকারি কার্যক্রম, স্কুলের পড়াশোনা ও সামাজিক আলোচনার মধ্যেও আমাদের দেশে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করে বেশির ভাগ মানুষ। প্রতিদিনই মেয়েদের উপর নানান অকথ্য নির্যাতনের খবর চোখে আসে। তার মধ্যে গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করে মেয়ে শিশুর গর্ভবস্থাতেই হত্যা করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই মৃত ভ্রুণ উদ্ধার হতে দেখা যায বিভিন্ন যায়গায়। অনেক পরিবারের সদস্যরা মেয়ে সন্তান হলে খুব কষ্ট পেয়ে থাকে। এমনকি মেয়ের জন্ম হলে ভবিষতের কথা ভেবে কাঁদতে শুরু করেন অনেকেই।
এত কিছুর পরও আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা মেয়েদের জন্য দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাতে তারা সমাজের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।


অবাধ, সুষ্ঠু, অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত : শ্রিংলা



বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। নির্বাচনী জোট নিয়ে ভারতকোনো ধরনের মন্তব্য করবে না। এসব কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইহমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর সেতু ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ও প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল আমরা। সে কারণেই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।
বাংলাদেশের ঐক্য প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী জোট নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র বিকাশ চাই। গণতন্ত্র নিয়ে কথাও বলতে পারি। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী জোট নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের সহিংসতার প্রত্যাশা করে না ভারত।


এইডস নির্মূলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: রাষ্ট্রপতি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। সূত্র:বাসস।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস– ২০১৮’ পলিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই’।
এইডস একটি মরণব্যাধী- এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে অদ্যাবধি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, এইডস নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ও লোকলজ্জা কাজ করে, যে কারণে এখনও বহু মানুষ তাদের নিজেদের অবস্থা তথা এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের তথ্য জানায় না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে এইডসের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধ ও সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। বর্তমানে এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী ২৩টি জেলায় এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

 

বৃটেনে নিযুক্ত প্রথম নারী হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম


বৃটেনে বাংলাদেশের নতুন হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর তিনি নতুন পদে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছান। হাই কমিশনারকে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানান ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার জুলকার নাইন। তার সাথে ছিলেন মানচেস্টার ও বার্মিংহামের সহকারি হাই কমিশনার এবং হাই কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা।
সাঈদা মুনা তাসনিম বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৯৩ সালে তিনি চাকুরিতে যোগ দেন। বৃটেন হাইকমিশনের শীর্ষপদে তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্তান, এ অনন্য সাফল্যের জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন সাঈদা মুনা তাসনিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রতি ২ মিনিটে একজন কিশোর-কিশোরীর এইচআইভি আক্রান্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, এইডসের কারণে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। এই সময়ে এইচআইভি প্রতিরোধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রকল্পে বাড়তি বিনিয়োগ করা না হলে প্রতিদিন ৭৬ জন কিশোর-কিশোরী মারা যাবে। বর্তমানে প্রতি ২ মিনিটে একজন কিশোর বা কিশোরী এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে।
 

উপেক্ষিত মানবাধিকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্বীকার
 মোঃ দ্বীন ইসলাম হাওলাদার


যারা শিক্ষকতা করেন তারাই শিক্ষক। হোক সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । শিক্ষক তো শিক্ষকই আর শিক্ষকতা মানেই ব্রেইন কালচার। কোন মানুষের হাত-পা না থাকলেও সে স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু ব্রেইনে সামান্যতম সমস্যা দেখাদিলে সে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে না।তার স্থান হয় রাস্তা-ঘাটে; যেখানে-সেখানে অর্থাৎ সে স্বাভাবিক মানুষ থাকে না। সেই ব্রেইন কালচার করতে হয় শিক্ষকদেরকে। তাই শিক্ষকদেরকে তাদের কাজে অর্থাৎ শিক্ষকতার কাজেই রাখা দরকার। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষকরা তীব্র মানষিক নির্যাতনের স্বীকার। তাদেরকে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করতে বাধ্য করা হয়; যা অনেকাংশে অমানবিক। আমাদের দেশের শিক্ষকদেরকে সকাল ৯/৯:৩০টা থেকে ৪/৪:৩০ টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে থাকতে হয় যা বিশ্বের অন্য কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ। তারপরে শিক্ষকদেরকে দিয়ে নতুন ভোটার তালিকা করানো, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করানো, আদমশুমারি পশুশুমারি নিরাপদ ও অনিরাপদ পায়খানা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা নিরূপণ, শিশু জরিপ সহ নানাকাজে নিয়োজিত করা হয়। এ সকল কাজে গিয়ে তাঁরা নানা ভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। এ রকমের বহু ঘটনা প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। অথচ ওয়ার্ড ভিত্তিক সরকারের ইউপি সদস্য রয়েছে, রয়েছে চৌকিদার এ কাজ তো তাদের করার কথা। অথবা বিভিন্ন চৎড়লবপঃ এর মতো সরকার পারিশ্রমিক দিয়ে এ সকল কাজের জন্য সাময়িকভাবে জনবল নিয়োগ দিতে পারে। কোথাও কোন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হয় উক্ত সভা-সমাবেশে হাজির হওয়ার জন্য, যাতে লোক সমাগম বেশি দেখানো যায়। দেখা গেছে, উপজেলাগুলোতে কোন সমাবেশ হলে এমনকি কোন পাবলিক ফাংশনের কোন সমাবেশ হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হয় উপজেলা অডিটরিয়ামে হাজির হতে। কোন এক ইউনিয়ন পরিষদে সাধারন জনগনকে আইসিটি বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হলে উক্ত ইউপি চেয়াম্যান ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে হাজির হতে বাধ্য করেন। কিন্তু ওটা ছিলো সরকারি চৎড়লবপঃ যার জন্য সরকারি বরাদ্ধও ছিলো অনেক। অথচ সেখানে শিক্ষকদেরকে হাজির করে বিনা খরচে সমাবেশ করে চৎড়লবপঃ শেষ করা হয় ও অর্থ লোপাট হয়ে যায়।
আবার ইউনিয়ন বা উপজেলার বিভিন্ন দিবস উদযাপন বা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীসহ হাজির হতে বাধ্য করা হয়। অথচ সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ভীড়ে শিক্ষকরা কোথাও একটু বসার জায়গাও পায় না শিক্ষার্থীরাতো দুরের কথা। শিক্ষার্থীরা অনাহারে দিন কাটিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। আবার কোন এমপি বা মন্ত্রী বা কোন শীর্ষ স্থানীয় নেতা বা নেত্রীর আগমনে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে শিক্ষক ও কোমলমতী শিক্ষার্থীদেরকে ঘন্টারপর ঘন্টা অনাহারে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তার দু’ধারে দাড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। অথচ এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের থাকার কথা ছিলো না। উপস্থিত থাকার কথা সংশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের। কিন্তু সেখানে নেতাদেরকে খুশি করানোর জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হয়। এভাবে প্রতিবছর বহুদিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যা মানবাধিকার ও শিশু অধিকার পরিপন্থী। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

Top

একটি মানবাধিকার কর্মীর সফলতার গল্প


মেয়ের জন্য বাবার কান্নার আর্তনাদ, সেদিন কাঁদিয়ে ছিলো সবাইকে। চট্টগ্রাম লোহাগাড়া, কলাউজান থেকে মেয়ের সংসার বাঁচানোর জন্য অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ বান্দরবান পৌরশাখা কার্যালয়ে এসেছিলেন, চিনু দাশের বাবা, মনোরঞ্জন দাশ। তার স্বপ্ন সফল হলো।
চিনু দাশের স্বামী সুমন দাশ। বান্দরবান মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর সংসার করতে চায়। অতীতের সমস্ত কথা ভুলে যাবে এক্কেবারে এমনি আশ্বাস দিলো সবাইকে। চোখ মুছতে মুছতে সুমন আমায় বললো, আজকাল ছেলেদের কথা কেউ শুনতে চায় না, আপনি আমার কথা শুনেছেন গুরুত্ব সহকারে, আমি আপনার সেই সম্মান রাখবো। চিনু বলে, ভেঙ্গে ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাওয়া সংসারটি আপনি পেরেছেন জোড়া দিতে, আজ থেকে আপনি আমাদের আপন বোন, আপন দিদি।
চিনু দাশের মা, বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়ে সংসার ফিরে পেয়েছে, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। সারাজীবন আমরা তোমার জন্য আশীর্বাদ করবো। বান্দরবান আসলে একবার হলেও তোমাকে দেখে যাবো।
কখন যে চোখ দু'টো আনন্দে ভিজে গেলো জানিনা। আনন্দে কাঁদলো তারাও।
সাংবাদিক হাকিম ভাই ফোন করে বললেন, নীলিমা তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে, তারপরেও তুমি ভালো করে দেখো বিষয়টা, সংসারটা যেন ভেঙ্গে না যায়। হাকিম ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আন্তরিক ধন্যবাদ যারা সহযোগীতায় ছিলেন।
নীলিমা আক্তার নীলা
সভানেত্রী-বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 
ভয়ঙ্কর পথে শিশুরা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বলা হয়, ‘আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ। কিন্তু মাদক নামের এ ভয়বাহ ভাইরাসটি বড়দের তো বটেই সেইসঙ্গে আক্রমণ করছে শিশুদেরও। মাদকের কবলে পড়ে শিশুরা হারাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। মাদকাসক্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে অনেক শিশুই। মাদকের কবলে পড়ে অনেক মেধাবী শিশু-কিশোরই ঝরে পড়ছে। অধিকাংশ শিশু-কিশোর প্রাথমিক অবস্থায় সিগারেট বা ধূমপান করে মাদকে পা দেয়। এরপর আস্তে আস্তে উচ্চমাত্রার মাদক যেমন ঘুমের বড়ি, ডান্ডি, হেরোইন, ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়, পড়ালেখায় মন বসে না। এমনকি খাওয়া-দাওয়ায়ও অরুচি এসে যায়। ডান্ডি, ঘুমের বড়ি, ইয়াবা সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই এ-জাতীয় মাদকে বেশি ঝুঁকছে। ঘুমের বড়ি ইদানীং মাদক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফার্মেসি থেকে তারা ছলেবলে-কৌশলে ঘুমের ওষুধ সহজে কিনেই মাদকাসক্ত হচ্ছে।
মাদকের জন্য তারা অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। দেশের ৮৫ শতাংশ পথশিশুই মাদকাসক্ত। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যমতে, পথশিশুর ১৯ শতাংশ হেরোইন নামের মারাত্মক মাদক সেবন করে। আর ৮ শতাংশ সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক নিচ্ছে। বিভিন্ন মাদকের মধ্যে পথশিশুরা গাঁজা, হেরোইন, ঘুমের বড়ি, ডান্ডির মতো মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যমতে, ৮ থেকে ১০ বছরের পথশিশুরা গাঁজা, সিগারেট, ডান্ডির মতো মাদক গ্রহণ করছে। আর ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা ফেনসিডিল, হেরোইনে আসক্ত। এমনকি ক্ষুধার কষ্ট থেকে ভুলে থাকতে এই শিশুরা নিয়মিত মাদক সেবন করছে। অভিভাবকহীন অনেক শিশুর ভাগ্যে অধিকাংশ সময় খাবার জোটে না। আর এ পরিস্থিতিতে ক্ষুধার জ্বালা যাতে না বোঝা যায় সেজন্য তারা মাদক নিচ্ছে এবং মাদক ব্যবসায়ীরা এই শিশুদের মাদক বিক্রির কাজেও ব্যবহার করছে। কমলাপুুর রেলস্টেশনের আশপাশে গেলেই দেখা যায় টোকাই ও পথশিশু দলবেঁধে ডান্ডি নামক সহজলভ্য মাদক গ্রহণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে শুধু নয়, পথশিশুরাও মাদকের কবলে ঝুঁকছে। যে সময়টা তাদের বিকাশ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে কাটানোর কথা সে সময়টা তারা মরণব্যাধি মাদকে ঝুঁকে পড়ছে। মাদকের কবল থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষায় শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একা কাজ করলে চলবে না সেইসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে আমার, আপনার। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।’
 

'অপুষ্টিতে ইয়েমেনের ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত তিন বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে অপুষ্টিতে ভুগে ইয়েমেনের ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন সম্প্রতি এই তথ্য জানায়।
সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ইয়েমেনের শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগে। এর মধ্যে প্রায় সবাই পাঁচ বছর বয়সী শিশু। এতে ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির বিভিন্ন এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এজন্য ওই সব এলাকার মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে।
কয়েক বছর আগে ইয়েমেনের মোট খাদ্য আমদানির প্রায় ৯০ শতাংশ দেশটির হুদাইদা বন্দর দিয়ে আসতো। কিন্তু বর্তমানে বন্দরটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এজন্য বাণিজ্য আমদানির পরিমাণ এক মাসে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কমেছে। এছাড়া বন্দরটির আশেপাশে লড়াই চলতে থাকায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


শিশুরা যেন যৌন দাসত্বের শিকার না হয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মেয়ে শিশুদের পাশাপাশি ছেলে শিশুরাও অপরাধীদের হাতে বন্দী হয়ে যৌন দাসত্বের শিকার হয়। অথচ অনেকে ভাবেন কেবলমাত্র মেয়ে শিশুরাই পাচারের শিকার হয়। এ ধারণা ভুল। শিশুরা যেন যৌন দাসত্বের শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। শিশু পাচার প্রতিরোধে কমিউনিটি ও নেটওয়ার্কিং শক্তিশালীকরণে প্রিভেনশন অব চাইল্ড ট্রাফিকিং থ্রো স্ট্রেন্থেনিং কমিউনিটি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং (পিসিটিএসসিএন) এবং অ্যাসটেক বাংলাদেশ ‘বিশ্ব শিশু দিবসের অঙ্গীকার, সম্মিলিতভাবে রুখব শিশু পাচার’ শীর্ষক এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। এর মধ্যে কোনো শিশুকে পাচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তার সুরক্ষার উদ্যোগ, উদ্ধারকৃত শিশুর আইনগত সহায়তা, আশ্রয় এবং পারিবারিক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠা সহায়তার ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। তারা বলেন, শিশুরা বিভিন্ন ধরনের জোরপূর্বক শ্রম ও বাধ্যতামূলক ও শোষণমূলক শ্রমের উদ্দেশে পাচারের শিকার হয়ে থাকে। সঠিক পরিবেশ ও স্নেহ দেওয়ার কথা বলে শিশুদের নিয়োগ করে তাদের কোনো ধরনের শিক্ষা ও স্নেহ না দিয়ে, অত্যাচার ও দীর্ঘ সময় বিনা বা স্বল্প মজুরিতে কাজ করানো, জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তি, ছেলে-মেয়ে উভয়েরই অঙ্গ পাচার, যৌন শোষণ ইত্যাদির শিকার হয় শিশুরা। মানববন্ধনে ইনসিডিন বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, পিসিটিএসসিএন-এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শারিফুল্লাহ রিয়াজ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষে মো. জাহিদ হাসানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।


নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বগুড়ায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী ৫ কিলোমিটার বাইসাইকেল চালিয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করেছে। ‘নারীর কথা শুনবে বিশ্ব : কমলা রঙে নতুন দৃশ্য’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রীরা অংশ নেয়। সরকারি আজিজুল হক কলেজ পুরাতন ভবন মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের নেতৃত্বে র‌্যালি বের হয়। আস্থা প্রকল্প নামে একটি বেসরকারি সংস্থা র‌্যালির আয়োজনে সহযোগিতা করে।
এর আগে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সভাপতিত্বে ও পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহজাহান আলী, ইউএনএফপিএ’র কাউন্সিলিং অফিসার রুমানা পারভিন, আস্থা প্রকল্পের সমন্বয়ক মাসুদা ইসলাম, বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, ফেরদৌসী আকতার রুনা, কবি সিক্তা কাজল, খায়রুন নাহার খুশি প্রমুখ।
পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে পুলিশ লাইন্স মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শত শত জনতা সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী ৫১১ নারী শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান। পুলিশ লাইন্স মাঠে অংশগ্রহণকারীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এরপর মিলনায়তনে নারী নির্যাতন বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিপক্ষ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করেন।

 

বাল্যবিয়েসহ নানা কারণে ঝরে পড়েছে ২৮৮ কিশোরী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৯টি কেন্দ্রের ২৮৮ জন পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তাদের মধ্যে মেয়ে ১৪২ জন ও ছেলে ১৪৬ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছাত্রীদের মধ্যে ৭১ জন প্রাথমিক স্তরের ও ৭১ জন এবতেদায়ি পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছেলেদের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে ৮৭ জন ও এবতেদায়িতে ৫৯ জন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৬টি কিন্ডারগার্টেন ও ৫৭টি এবতেদায়িসহ মোট ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার ৫৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে ডিআরভুক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ছেলে পরীক্ষার্থী দুই হাজার ৩১২ জন, মেয়ে পরীক্ষার্থী দুই হাজার ৭১৮ জন। এবতেদায়ি স্তরে এবার ৫৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৩১১ জন ও মেয়ে ২২৩ জন।
পারলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইবনে সউদ বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিয়ের রেজিস্ট্রির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না। অভিভাবকদের অসচেতনতাও এ ক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বাল্যবিয়ে ও দারিদ্র্যতাই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ। যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত ধুনট উপজেলার বেশির ভাগ পরিবারই দরিদ্র। অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব থাকায় মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে।
অন্যদিকে সংসারের ঘানি টানতে বই-খাতা ছেড়ে দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা বাবার সঙ্গে কাজে ঝুঁকছে।
তবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

মাদক পাচার বন্ধে কাজ করছে পুলিশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদকের চোরাচালান বন্ধে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, অবশ্যই কক্সবাজারের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। সবাই জানি এই কক্সবাজার দিয়েই মাদকের একটি বড় অংশ সারা দেশে যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে কার্যকরভাবে আমরা কাজ করছি। আশা করি আমরা সফল হব। বেলা সাড়ে ১১টায় চকরিয়া থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অত্যাধুনিক সুযোগ- সুবিধাসম্পন্ন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার নবনির্মিত চারতলা ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই দিন উখিয়া সার্কেল কার্যালয়ের ভবন ও ঈদগাহ তদন্ত কেন্দ্র ভবনেরও উদ্বোধন করেন পুলিশের আইজি। খবর বাংলানিউজ। আইজিপি বলেন, কক্সবাজার থেকেই মাদকের একটি বড় অংশ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশ এই নীতি বাস্তবায়নে দেশে এর প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ড. জাবেদ পাটেয়ারী বলেন, অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সারা দেশে আমাদের অভিযান চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে। শুধু অবৈধ অস্ত্র নয়, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কাজ করছে। সে অনুযায়ী দেশজুড়ে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন ভবন উদ্বোধন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই ভবনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চকরিয়া পুলিশের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট দূর হবে। পাশাপাশি জনগণের প্রতি পুলিশের যে দায়বদ্ধতা, সেখান থেকে সেবার মানও বাড়বে। কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক প্রমুখ। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের সব পুলিশ সুপার, কক্সবাজার জেলা পুলিশের সব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ঢামেকে কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানু সরকার নামে এক কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তার হাজতি নম্বর ৩৭৯০৭/১৮। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার মাহাবুবুল ইসলাম জানান, কানু সরকার আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার অসুখ বেড়ে যায়। উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল ৫টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
 

 

ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চুয়াডাঙ্গায় শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ইমান আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২২ নভেম্বর ২০১৮ দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
মামলার অপর আসামি আব্দুল মজিদ মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগরের লিয়াকত আলীর মেয়ে স্কুলছাত্রী ফারাজান আক্তার কুটি নিখোঁজ হয়। এর দুইদিন পর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে কুটির দুলাভাই ইমান আলী ও জয়নগরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদকে আটক করে। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত কুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারক।


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কালোজিরা খুব পরিচিত একটি নাম। ছোট ছোট কালো দানাগুলোর মধ্যে সৃষ্টিকর্তা যে কী বিশাল ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর। প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
কালোজিরায় কি আছে:
কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ। কালোজিরার রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
ক্রিয়াক্ষেত্র:
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান, দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা, পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ, হাড়ভাঙ্গা, ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি, হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার।
চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। কালোজিরার তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা যেতে পারেন। কালোজিরার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওষুধ প্রস্তুত:
আগেই বলেছি আমরা কালোজিরার টীংচার, বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছি। কখনো এককভাবে কখনো অন্য ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র প্রয়োগ করে থাকি। কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল, তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়। কালোজিরা আরক+কমলার রস।
ব্যবহার: কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ কালোজিরা+গাজর
মাথাব্যথা:
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করূন। ৩ দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন।
সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের তেল, তিল তেল ও কালোজিরার তেলের সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ন্যাট্রম মিউর ও ক্যালকেরিয়া ফসের মধ্যে লক্ষণ মিলিয়ে একটা হোমিওপ্যাথিক ও অপরটা বায়োকেমিক হতে প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনবোধে প্রথমে বেলেডোনা ব্যবহার করে নিতে পারেন।
চুলপড়া:
লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পুর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
১ সপ্তাতেই চুলপড়া বন্ধ হবে। মাথার যন্ত্রনায় কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক দেয়া যায় এক্ষেত্রে পুদিনার টীংচার রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে ও নেয়া যেতে পারে।
কফ ও হাঁপানী:
বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা মিশিয়ে ও নেয়া যেতে পারে। রীতিমতো হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।


প্রতিদিন কি ডিম খাওয়া ভালো


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেকে সপ্তাহে ৩টির বেশি ডিম খান না। আর যাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টে নানা সমস্যা আছে তাদের জন্য ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে খানিকটা বাধা রয়েছে। সমপ্রতি ব্রিটিশ নিউট্রিশন বুলেটিন-এ বলা হয়েছে, প্রতিদিন একজন সুস্থ লোকের ক্ষেত্রে একটা ডিম খাওয়া হূদরোগ বা কোলেস্টেরলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ-এসব তথ্য বিজ্ঞানভিত্তিক নয়। ডিমকে বলা হয় পুষ্টিকর খাবার যাতে রয়েছে ১৭টি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজ লবণ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ফলেট ও ভিটামিন ই। তবে ফুড নিউট্রিশন অস্ট্রেলিয়া-এর পরিচালক পুষ্টিবিদ শ্যারন ন্যাটোলি-এর মতে, ডিমের নানা উপাদান করোনারি হূদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন একটি ডিম আহার চোখের জন্য ভালো এবং এটা অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করে। তবে অনেক গবেষক মনে করেন, সপ্তাহে ২টির বেশি সম্পূর্ণ ডিম খাওয়া উচিত নয়। তবে অনেক গবেষক মনে করেন, ডিমের কুসুম বেশি খাওয়া ক্ষতিকর। একটি ডিমে ১৮৫ থেকে ২১৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। ডিমের সাদা অংশে কোন চর্বি থাকে না। তবে প্রতি ১০০ গ্রাম ১টি সিদ্ধ ডিমে ৪২৫ মিলিগ্রাম, ডিম অমলেট-এ ৪১০ মিলিগ্রাম এবং ডিম পোচ ডিম ভাজাতে ৪৮০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।


হƒদরোগ নিয়েও সহজ-সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হƒদরোগ পৃথিবীর অন্যতম ঘাতক রোগ। আমেরিকায় হƒদরোগ এক নম্বর মরণঘাতী রোগ। ১৯৭১ সালে হƒদরোগ প্রতিকারে যে চারটি ওষুধ ব্যাপকহারে ব্যবহƒত হয়, তা হল ডিজক্সিন, নাইট্রোগি-সারল, কুইনিডিন এবং রেসারপিন। নাইট্রোগি-সারল বিস্ফোরক হিসেবে পরিচিত এবং বাকি তিনটি ওষুধের উৎস ওষুধি গাছগাছড়া। ১৯৭৯ সালের দিকে হƒদরোগ প্রতিকারে ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপব সাধিত হয়। আমেরিকায় বহুল প্রচলিত শীর্ষস্থানীয় ১০০টি ওষুধের তালিকায় ১৯৭৯ সালে ১৯টি ও ১৯৮৬ সালে ২৪টি ওষুধ অন্তর্ভুক্ত হয়। উল্লেখ্য, এ তালিকায় শীর্ষস্থানীয় ১০টি ওষুধের মধ্যে ছয়টিই ছিল হƒদরোগে ব্যবহƒত ওষুধ। একই বছর বিশ্বের মোট ওষুধ বিক্রির ১৮.২ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ ছিল শুধু হƒদরোগের নিমিত্তে প্রস্তুতকৃত ওষুধ। এই ওষুধ বিশ্বজুড়ে হƒদরোগ নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুহার কমাতে যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে এনেছে। শুধু ওষুধ নয়, হƒদরোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও হƒদরোগ নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুহার অনেক কমেছে।
হƒদরোগ প্রতিকারে ২০ বছরে বিভিন্ন কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মাইওকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন প্রতিকারে বাইপাস সার্জারি বিশ্বজুড়ে সাফল্যজনক চিকিৎসা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। রোগ হয়ে গেলে সুস্থতা বা জীবনরক্ষার জন্য আমাদের প্রতিকার খুঁজতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও রোগ প্রতিকারের প্রদত্ত চিকিৎসা সব সময় সুফল বয়ে আনে না। তাই প্রতিকারের চেয়ে রোগ বা রোগের কারণগুলো প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করাই চিকিৎসা শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য। তবে এটা মনে করার কোন কারণ নেই, রোগ বা রোগের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সব রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। কারণ বহু রোগের উৎপত্তি অজানা কারণে হয়ে থাকে। এবার দেখা যাক, আমাদের লাইফ স্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে হƒদরোগ ও তার কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারি।
এক. উচ্চরক্তচাপ হƒদরোগ ও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। আপনি কি জানেন, আপনার রক্তের চাপ স্বাভাবিক আছে কি না? রক্তচাপ স্বাভাবিক না হলে কত বেশি? এসব তথ্য না জানলে বিলম্ব না করে জেনে নিন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সচেষ্ট হোন। লাইফ স্টাইল, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও ব্যায়ামের মাধ্যমেও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যায়।
দুই. আপনি হƒদরোগে ভুগলে ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপান রক্তচাপের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চরক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে সিগারেটের নিকোটিন রক্তের শিরা বা উপশিরার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে এটা জোর দিয়ে বলা যাবে না যে, শুধু ধূমপান পরিহার করলে রক্তচাপ কমে যাবে বা হƒদরোগ ভালো হয়ে যাবে।
তিন. শরীরের ওজন ঠিক রাখুন। শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে হƒদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি স্থূলকায় হয়ে থাকেন, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শরীরের ওজন কমিয়ে আনুন। বাড়তি ওজন কমিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। শরীরের ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।


মানসিক চাপ থেকে ব্রণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শুধু শারীরিক সমস্যাই করে না স্ট্রেসের কারণে ত্বকে ব্রণ বা একনি হতে পারে। প্রবল মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন নি:স্বরণের গতি বেড়ে যায়। আর এই হরমোন একনি সৃষ্টিতে সহায়ক। এছাড়া স্ট্রেস একনির অবস্থার অবনতি ঘটাতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর। স্ট্রেস দু’ভাবে একনি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এক: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে এড্রিনাল গান্ডকে স্টিমুলেট করে। ফলে অধিক হরমোন নি:সরিত হয়। দুই: মানসিক চাপের কারণে বিদ্যমান একনি নিরাময়ের গতি মন্থর হয়। এড্রিনাল গান্ড থেকে নি:সৃত কর্টিসোল হরমোন ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থিকে অতিরিক্ত তেল বা সেবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে এবং ত্বকের পোরস বা ক্ষুদ্রাতি ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একনি বেড়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে একনির তীব্রতায় প্রদাহ হতে পারে। আর যদি একনির এ অবস্থায় দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না দেয়া যায় তবে একনি থেকে ক্ষত তৈরী হয় এবং মুখের ত্বকে স্কার সৃষ্টি হয়। তাই ত্বকের ব্রণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে শুধু ওষুধই যথেষ্ট নয়, মানসিক চাপ থাকলে তা অবশ্যই কমাতে হবে। তা না হলে একনির তীব্রতা কমানো যাবেনা। শুধু কর্টিসোল হরমোন নয়, শরীরে টেসটেসটেরণ হরমোনের আধিক্যের কারণেও অয়েল গান্ড স্টিমুলেটেড হয়। এ কারণেও একনি বাড়তে পারে। তাই একজন দক্ষ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া খুবই দরকার। তবে ইদানিং অনেক একনি আক্রান্ত রোগী দেখা যায় যারা একনির ক্ষেত্রে বিকল্প চিকিৎসার প্রলোভনে আকৃষ্টি হন। লেজার, ফ্যাসিয়াল বা হারবাল চিকিৎসা কোন কিছুতেই একনির সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। একনির যথাযথ চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই প্রটোকল অনুযায়ী একনির ধরণ বুঝে চিকিৎসা দিতে হবে। অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ভুল চিকিৎসায় একনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ত্বকে স্থায়ী ক্ষত বা গর্ত তৈরী হতে পারে। তাই একনির সমস্যা অবহেলা করা বাঞ্জনীয় নয়। যদি মানসিক চাপ কমানোর মত অবস্থা না থাকে এবং যে কারণে আপনার মানসিক চাপ তৈরী হচ্ছে সে পারিপাশ্বিকতার নিরসন না ঘটে তবে প্রতিদিন খানিকটা হালকা ব্যায়াম বা জগিং করলেও স্ট্রেস অনেক খানি কমতে পারে। পাশাপাশি একনি প্রবণ ত্বকের অয়েল কন্ট্রোলে ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড কোন ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি প্রয়োজন সাউন্ড ¯িপ বা ভালো ঘুম। এছাড়া হালকা মেজাজে থাকতে চেষ্টা করুন। বই পড়ুন। সম্ভব হলে কমেডি ছবি দেখুন। এতে আপনার স্ট্রেস কমতে পারে। যার ফলশ্র“তিতে একনি কমতে সহায়ক হবে।


হাঁপানি প্রতিরোধে শীতের শুরুতেই করুন ১০টি কাজ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধুলোবালি এবং অন্যান্য জিনিস যা অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায় সেগুলো থেকে দূরে থাকলে হাঁপানি রোগীরা বেশ সুস্থই থাকেন। যাদের হাঁপানি বা অ্যাজমা রয়েছে তাদের পুরো বছরই বেশ সচেতন থাকতে হয়। তারপরেও শীতের শুরুর দিকে বিশেষ সর্তকতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ। এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে যায় এবং ধুলোবালি বেশি হয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক শীতের শুরুতে হাঁপানি প্রতিরোধে করতে যে কাজগুলো করা জরুরি।
১. ঘরোয়া জীবাণু মাইট কমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এখনই রোদে কাঁথা কম্বল, লেপ, তোষক দিয়ে নিন। এবং সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কাভারও রোদে দিন।
২. শোয়ার সময় বালিশ ঢেকে রাখুন পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে।
৩. ঘরের কার্পেট, ম্যাট সরিয়ে ফেলুন। নতুবা এগুলোতে ধুলো আটকে থাকবে।
৪. ঘন ঘন হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক পানি পান করুন। এতে শ্বাসনালীতে তৈরি হওয়া কফ পাতলা থাকবে। এতে করে কাশি কমবে, শ্বাসকষ্ট কমবে।
৫. সম্ভব হলে পুরো ঘর সপ্তাহে অন্তত ১ বার ভ্যাক্যুয়াম ক্লিন করুন।
৬. দরজা জানালার পর্দা, মশারি এগুলোও নিয়মিত ধোবেন এবং কড়া রোদে শুকিয়ে নেবেন।
৭. এলার্জি স্কিন টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিন কোনো কোনো কারণে আপনার দেহে অ্যালার্জেন ঘটে এবং সেসকল জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
৮. বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
৯. নিজে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। এবং বাড়িঘরের অ্যালার্জেন ও হাঁপানির প্রকোপ বাড়ায় এমন জিনিস দূর করুন। ঘর দোরের ধুলো-বালি ঝেড়ে মুছে পরিস্কার রাখুন।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খান।


২০০ রোগের প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে। বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ। এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন- ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

আদালত ছাড়াই বিরোধ নিষ্পত্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভালার সোনিয়া আক্তারের (২২) বিয়ে হয় ২০০১ সালে কুমিল্লার বিল্লাল হোসেন সুজনের (২৬) সঙ্গে। সুজন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করে। বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ থাকত ঢাকার ডেমরায়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সুজন সোনিয়ার কাছে যৌতুক দাবি করে। এ জন্য সোনিয়াকে শারীরিক নির্যাতনও করে। এরই মধ্যে সুজন বদলি হয়ে চলে যায় সিলেটে। তারপর থেকে সোনিয়ার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই। সোনিয়ার ভরণপোষণও দেয় না। বেশ কিছুদিন এভাবে থাকার পর সোনিয়া একটি আইনী সহায়তা সংস্থার কাছে সুজনের বিরুদ্ধে নালিশ করে। ওই নালিশের ভিত্তিতে সংস্থার পক্ষ থেকে সুজনের পরপর তিনটি চিঠি দেয়া হয়; কিন্তু কোন জবাব দেয় না সুজন। সংস্থার সমন্বয়কারী সালিশে বসার জন্য সোনিয়া ও সুজনকে ডাকে। সালিশের দিনক্ষণ ঠিক হয়। এদিকে সুজন সোনিয়াকে তালাক না দিয়েই আরেকটি বিয়ে করে। অসহায় হয়ে পড়ে সোনিয়া সিদ্ধান্ত নেয় সুজনের সংসার আর করবে না এবং সুজনকে তালাক দেবে। সংস্থার পক্ষ থেকে এবার সুজনের কাছে মোহরানা বাবদ এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর সুজন সোনিয়াকে মোহরানার পুরো টাকা দিতে বাধ্য হয়। এই বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটে মাত্র চার মাসে। সংস্থার সমন্বয়কারীর দাবি, সোনিয়া সালিশের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছে বলেই অল্প সময়ে মোহরানার টাকা আদায় করে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে পেরেছে। আদালতে গেলে নিশ্চয় এত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হতো না। আর এভাবে আলোচনার মাধ্যমে ছোট ছোট দ্বন্দ্বের আপস করা গেলে ভবিষ্যতে বড় বিরোধ এড়ানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাদ তখনই শুরু হয় যখন কমপক্ষে দু’টি মনস্তাত্ত্বিক শক্তি একটি অন্যটির বিরোধী হয়। এর ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার সময় ভাল-মন্দ বিচার করার জ্ঞান থাকে না। তৈরি হয় সবার প্রতি অবিশ্বাস। এ সময় একজন উপযুক্ত মধ্যস্থতাকারী বিবাদমান পক্ষগুলোকে সন্তোষজনক মীমাংসায় আনতে পারে। আমেরিকাতেও ষাটের দশকে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার এখন মানবাধিকার এবং আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থার মাধ্যমে সালিশযোগ্য মামলা আপসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পারিবারিক আদালত সমঝোতার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে থাকে।
তবে মনে রাখতে হবে, সব মামলা সালিশযোগ্য নয়। ধর্ষণ, হত্যা, জখম বা হত্যা প্রচেষ্টার মতো অপরাধ আইনগত দিক থেকে আপসযোগ্য নয়। এ ধরনের মামলার নিষ্পত্তি আদালতেই করতে হয়। ছোট-খাটো অন্যায়, মারামারি, বিরোধ, পারিবারিক সংঘাত ইত্যাদি আইনগত দিক থেকে আপসযোগ্য এবং সালিশের মাধ্যমে এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সুলতানা কামাল বলেন, কেবল আদালতের বাইরের বিষয়ে সালিশ করা যায়। কোন ক্রিমিনাল অফেন্স সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায় না।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভরণপোষণ, তালাক, মোহরানা, স্বামী অথবা স্ত্রীর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে বিরোধ সালিশে সমাধানযোগ্য।’ তিনি জানান, সালিশে কথাবার্তার মাধ্যমে সব পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা আনা হয়। আর দন্ডবিধির কোন কোন অপরাধের বিচার কার মাধ্যমে হবে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে এবং ৩৪৫(১), ৩৪৫(২) উপধারায় আদালতের অনুমতি নিয়ে বাদীর ইচ্ছা সাপেক্ষে মীমাংসা করার বিধান রয়েছে। সালিশ বিচারের বিকল্প হলেও বিচারের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। যেমন, কোন অপরাধের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের প্রাপ্য শাস্তি নির্ধারণ করা বিচারের প্রধান লক্ষ্য। অন্যদিকে সালিশে শাস্তি বা দোষারোপ করার প্রয়োজন পড়ে না। বিবদমান পক্ষের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করাই সালিশের মূল লক্ষ্য।
একজন মানবাধিকার কর্মকর্তা বলেন, পারিবারিক কিছু বিষয় যেমন- বিয়ে, তালাক, ভরণপোষণ বা মোহরানা নিয়ে জটিলতা পারিবারিক আইনের আওতায় পড়ে। ১৯৮৫ সালে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ জারি হয়। পারিবারিক মামলাগুলো প্রথমে সালিশের মাদ্যমে আপস করার চেষ্টা করা হয়।’ তার মতে, বিবদমান পক্ষ যদি নিজেরা সালিশে বসতে পারেন তবে অহেতুক মামলার খরচ এড়ানো যায়। আদালতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকেরই একবার ভাবা উচিত সালিশের মাধ্যমে বিরোধটি নিষ্পত্তি করা সম্ভব কি-না। বাংলাদেশে সাধারণত সমন্বিত পদ্ধতিতে সালিশে বিরোধের মীমাংসা করা হয়। এ জন্য সালিশকারীকে বিবদমান পক্ষের মানসিকতা ও আবেগগত আচরণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হয়।
বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশ একটি ফলপ্রসূ ব্যবস্থা। বর্তমানে আদালতে মামলা নিষ্পত্তিতে অনেক জটিলতা হয়। সময় ও অর্থ অপচয় হয়। অনেক সময় একটি মামলা নিষ্পত্তিতে ৫-১০ বছর লেগে যায়। সালিশৈ হয়তো দুই-তিন মাসেই ওই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে অনেক সময় সালিশে সিন্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ করে মেয়েদের কথা বলার সুযোগ থাকে না। সালিশের নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। এসব সমস্যার কারণে গ্রামে সালিশ ব্যবস্থার প্রতি মানুষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘গ্রামে চেয়ারম্যান, মেম্বার বা মাতব্বররা সালিশ করার সময় পক্ষপাতিত্ব করলে মানুষ সুবিচার পাবে না। সালিশের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো নিরপেক্ষ থাকা।’ ফরিদা ইয়াসমিনের মতে, সালিশের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো গোপনীয়তা রক্ষা করা। যারা সালিশের জন্য আসে তাদের সব বিষয় গোপন রাখা উচিত। চেয়ারম্যান, মেম্বার বা যারা সালিশ করেন তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে সালিশ ব্যবস্থা আরো কার্যকর হবে বলে মনে করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নীনা গোস্বামী বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গরিব। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তারা অনেক সময় আদালত পর্যন্ত যেতে পারেন না। এক্ষেত্রে সালিশ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.