BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover May 2017

English Part May 2017

English Part

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন
 
এপ্রিল ২০১৭ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১০৯ জন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে এপ্রিল ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১০৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৩.৬৩ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ৯ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১৬ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩০ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৫ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৩ জন, অপহরণ হত্যা ৩ জন, এসিড হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৯০ জন, আত্মহত্যা ৩০ জন।
মার্চ ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৪৪ জন, যৌন নির্যাতন ৭ জন, যৌতুক নির্যাতন ৯ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের ২২ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে কী আছে?

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে নয়া দিল্লির হায়দ্রারাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বৈঠক শেষে দুইদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ঋণ, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এ সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে চারটি প্রতিরক্ষা বিষয়ক।
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১. বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
২. ঢাকার মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের ওয়েলিংটনে (নিলগিরি) ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের মধ্যে ‘কৌশলগত ও প্রায়োগিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে’ সমঝোতা স্মারক।
৩. ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও নয়া দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে ‘জাতীয় নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও কৌশলগত অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে’ সমঝোতা স্মারক।
৪. ‘মহাশূন্যের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
৫. ‘আনবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে চুক্তি সই
৬. পরমাণু নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি (বিএইআরএ) ও ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডের (এইআরবি) মধ্যে বন্দোবস্তনামা সই।
৭. বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিএইআরসি) ও ভারতের গ্লোবাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি পার্টনারশিপের (জিসিএনইপি) মধ্যে চুক্তি
৮. তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ভারতের ইলেক্ট্রনিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
৯. সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি) ও ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সিইআরটি-ইন) মধ্যে চুক্তি।
১০. বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত হাট স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
১১. দ্বিপাক্ষিক বিচারিক ক্ষেত্রে সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
১২. ভারতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা তৈরির কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
১৩. নৌবিদ্যায় সহায়তার বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
১৪. ভূবিদ্যা নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
১৫. উপকূলীয় ও প্রটোকল রুটে যাত্রী ও পর্যটন সেবায় ভারত-বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি)
১৬. ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে সিরাজগঞ্জ থেকে লালমনিরহাটের দইখাওয়া এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত নাব্য চ্যানেলের উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক
১৭. গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
১৮. অডিও-ভিজ্যুয়াল সহ-প্রযোজনা চুক্তি
১৯. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণ সহায়তা সমঝোতা স্মারক
২০. মোটরযান যাত্রী চলাচল (খুলনা-কলকাতা রুট) নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তি
২১. তৃতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
২২. বাংলাদেশে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে অর্থায়ন চুক্তি।

 

 

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সাক্ষাৎ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিন এশিয়া ও আফগানিস্তান ডেস্কের পরিচালক ওয়েন জেনকিনস। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এক ঘন্টার এই বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
বঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকও উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতের পর কোনো পক্ষ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি।
সাক্ষাৎকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান ও বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন উপস্থিত ছিলেন।

 

রোহিঙ্গা শিশুদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের সময় আটক রোহিঙ্গা শিশুদের মুক্তি দেয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।
৯ এপ্রিল মিয়ানমারে এক সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে সংস্থাটির উপ-নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফরসিথ আহ্বান জানান, দেশটির ‘বুটিডাওং’ কারাগারে অন্তত ১২টি রোহিঙ্গা শিশুর আটক থাকার খবর তিনি রিপোর্ট আকারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি’র কাছে হস্তান্তর করেছেন। ওই রিপোর্টে এসব শিশুকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান ফরসিথ।
রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানে ৬০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এই প্রদেশে বসবাসকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংসতা চলছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এবং নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন এখন রাখাইন প্রদেশের নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
গত কয়েক বছরে রাখাইন প্রদেশের শত শত মুসলমান নিহত এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসব শরণার্থী মিয়ানমারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরের পাশাপাশি বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ প্রতিবেশী অন্যান্য দেশে পালিয়ে গেছেন। জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
 

ফরিদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ফরিদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ (ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর জেলা) ২২ এপ্রিল ২০১৭ইং সকাল ৯টায় অম্বিকা মেমোরিয়াল হল, ঝিলটুলী, ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, BHR’র চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর এমএ সোহেল আহমেদ মৃধা, BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, সহসভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম রাজিব।
BHRC ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার ইফতেখার মোহাম্মদ ইকু সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
BHRC’র ফরিদপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আহম্মাদুল বারী বাবুল সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫টি জেলা সহ সাতশতাধিক মানবাধিকার কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন ।

 

 গালি দিলেও স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার নেই


আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের বিষয়টি ভয়াবহ। কারণে অকারণে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীরা নির্যাতিত হয়ে থাকেন। স্ত্রীকে মারধর করেন। ইসলামে এসব কাজকে খুবই নিন্দা করা হয়েছে। কোন অবস্থাতেই স্ত্রীর গায়ে হাত তুলার অধিকার স্বামীর নেই। স্ত্রী সঠিক পথে ফিরে না এলে রাসুল সা. সর্বোচ্চ মেসওয়াকের মাধ্যমে স্ত্রীকে হালকা প্রহার করার জন্য বলেছেন। আর না হয় শয্যা ত্যাগের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার জন্য বলেছেন। তবে স্ত্রীর মুখমন্ডলে আঘাত করা, শারীরিক বেধম প্রহার করার অধিকার স্বামীর নেই।
অনেক স্ত্রীও স্বামীকে গালি গালাজ করে থাকেন। একাজও সম্পূর্ণ হারাম। এসবের কারণেই দাম্পত্য জীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সাথে যুদ্ধ করা কুফরি (বুখারী হা/৪৮; মুসলিম হা/৬৪; মিশকাত হা/৪৮১৪)। লাক্বীত্ব বিন ছাবেরাহ (রা.) বলেন, ‘একদিন আমি রাসুল (সা.) কে বললাম, আমার একজন স্ত্রী রয়েছে যে নোংরা কথা বলে ও গালি-গালাজ করে। তিনি বললেন, তালাক দিয়ে দাও। আমি বললাম, তার ঘরে আমার একটি সন্তান রয়েছে এবং সে আমার পুরানো সঙ্গিনী। তিনি বললেন, তাকে উপদেশ দাও। যদি তার মধ্যে কোন কল্যাণ থাকে, তাহ’লে সে তা গ্রহণ করবে। তবে তুমি তোমার শয্যাসঙ্গিনীকে বাঁদীর ন্যায় মারবে না’ (আবুদাঊদ হা/১৪২; মিশকাত হা/৩২৬০)।
এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় স্ত্রীকে বশে আনতে না পারলেও কোন ক্রমেই প্রহার করা যাবে না। তাঁকে সুন্দর সুন্দর উপদেশ দিয়ে বুঝাতে হবে । যদি এতে কাজ না হয় তখন বিবাহবিচ্ছেদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবুও যেন স্ত্রীকে মারধর করা না হয়। এমনটাই কল্যাণময় ইসলামের শিক্ষা।
 

দিনাজপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র দিনাজপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর জেলা) ২৯ এপ্রিল ২০১৭ইং রোজ শনিবার, সকাল ৯টায় পঞ্চগড় শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন ।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম খান ওয়ারিশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পঞ্চগড়, দ্বীন মোহাম্মদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পঞ্চগড়।
BHRC দিনাজপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, উত্তর বঙ্গের বিশেষ প্রতিনিধি নুরুন নবী বুলু এবং দিনাজপুর অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি এড. মোঃ জাহিদ ইকবাল সম্মানীত বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
BHRC’র পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আক্তারুজ্জামান বাবু সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। দিনাজপুর অঞ্চলের ৩টি জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভা শাখার সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।

 

নারী নির্যাতন ও পুরুষ নির্যাতন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যারা নারী নির্যাতন আর পুরুষ নির্যাতনকে এক কাতারে ফেলে পুরুষ নির্যাতনের ভয়াবহতা জাহির করতে চান তারা মুক্তাকে চেনেন? ময়মনসিংহের আব্দুল মালেকের কন্যা মুক্তা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে যে প্রেম করে সবার অমতে এক ‘ভ্যাগাবন্ডকে’ বিয়ে করেছিল। আজ তার কোলে এক বছরের পুত্রশিশু।
মহিলা আইনজীবী সমিতির অফিসে বসে অঝোরে কাঁদছিল মুক্তা। একটা মেয়ে কাঁদছে সঙ্গে একটি শিশু, দেখলেই যে কেউ ধাক্কা খাওয়ার কথা। সবুজ বোরখা-হিজাবে আপাদমস্তক ঢাকা মুক্তা কিছুক্ষণ পরপর চোখ মুছছিল। যৌতুকের জন্য মুক্তাকে মেরে যে ‘ভ্যাগাবন্ড’ তক্তা বানিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়, পরেরদিন সে মুক্তাকেই তার বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে ভাত রাঁধতে বসায়। মুক্তা মুখে আঁচল চেপে ফোঁপাতে ফোঁপাতে স্বামীর পাতে ভাত বেড়ে দিয়ে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ায়। খাওয়া শেষ হলে স্বামীদের পূর্ণ-উদ্যমে মুক্তাকে পেটাতে থাকে যৌতুক ছাড়া কেন ঘরে ফিরেছে অপরাধের অভিযোগে। সুন্দরী মুক্তা কি তবে অন্য পুরুষের সঙ্গে ভেগে যাওয়ার চিন্তাই ছিল তাই বাপের বাড়ি গিয়ে টাকার কথা তোলেনি! এবারে আরো ফুঁপিয়ে উঠলে কণ্ঠনালীর ভেতর হাত দিয়ে আলজিভ পর্যন্ত গিয়ে জিভ ধরে টান মারে। মুক্তার আর কাঁদা হয়ে ওঠে না। দেড় বছর এমন অমানবিক অত্যাচার সয়ে যখন থানায় গেলো তখন তার শ্বাশুড়ি থানায় রান্না করে বলে পুলিশ জিডি বা মামলা কিছুই নিতে চায় না।
এই যে নারী নির্যাতন নিয়ে সোচ্চার হওয়া, নারীদের নিয়ে কাজ করা, নারী-অধিকার আন্দোলনকে প্রকৃত অর্থেই আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করা; এগুলো কিন্তু খুব আধুনিক ফ্যাশনের অংশ নয়। তারপরেও নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করতে গেলেই কটকটে হলদে বা টিয়া রঙের শার্ট পরা বাস কন্ডাক্টর থেকে থুতনিতে দাঁড়ি রাখা, হাতে-বুকে ট্যাটুওয়ালা দামি অফিসার পুরুষরা যখন দাঁত চেপে চেপে বলেন- ‘ম্যাডাম, পুরুষ নির্যাতন নিয়ে তো কিছুই বলেন না। আপনারা নারীবাদীরা বড্ড একপেশে হয়ে যাচ্ছেন!’ আমার তখন জানতে ইচ্ছে করে শপিং এর জন্য বউ সারাদিন চিল্লা-পাল্লা করে সোফা-আলমারি মাথায় তুলে রাখার মতো ঘটনা আর মুক্তার মতো নারীদের নারী হয়ে ওঠার আগেই নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাকে এক করার মতো বা পার্থক্য করার মতো ম্যাচিওরিটি কি সত্যিই তাদের আসেনি?
পুরুষ নির্যাতন বলে অবশ্যই একটা টার্ম আছে, পুরুষ নির্যাতনও নিশ্চয়ই সমাজের আরেকপিঠে ঘটছে। কিন্তু এই পুরুষ নির্যাতন কিন্তু পুরুষরা চাইলেই থামিয়ে দিতে পারেন, আপনাদের তথা পুরুষদের পক্ষে পুরো সমাজ। আপনাদের মাথায় তুলে রেখেছে স্বয়ং একটি সমাজ ব্যবস্থা।
কিন্তু নারীরা তো চাইলেই তাদের ওপর হওয়া অত্যাচার বন্ধ করতে পারেন না। হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে এ দেশে খুব শক্ত-পোক্ত নারী নির্যাতন আইন আছে। কিন্তু জানেন কি শতকরা কতভাগ নারী এই আইনের সহায়তায় স্বাভাবিক-সুন্দর জীবন পান? জানেন, এই আইনের আশ্রয় নিতে হলে নারীকে কতদিন ধরে সকলের কাছে হেনস্তা হতে হয়! আদালত, পাড়া-পড়শি, টাকা-পয়সা সবকিছু নিজের কোমরে গুঁজে রেখে এই আইনের ছাদের নিচে যাওয়ার জন্য নারীর যতখানি শক্তি-সামর্থ্য থাকা দরকার তা এ দেশের নারীদের আছে কিনা? জানেন?

জঙ্গীবাদ নির্মূলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে ঃ ডিসি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জঙ্গীবাদ দমনে আইন ব্যবস্থার পাশাপাশি দরকার সমন্বিত উদ্যোগের সামাজিক আন্দোলন। দেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের এদেশে ঠঁ^াই নেই। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে ৪ এপ্রিল ২০১৭ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমুর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন কমিশনের সিলেট অঞ্চলের গভর্নর ও সাবেক জেলা পিপি এড. আবুল হাশেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মমিনুর রশিদ রুমি। কমিশনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মইনুদ্দিন, সহসভাপতি যথাক্রমেঃ নুরুল আমিন, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, কাউন্সিলর আঞ্জুমানারা বেগম, মোঃ সোলাইমান, অধ্যাপক শ্রীমান কান্তি ঘোষ, লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোঃ আব্দুল মজিদ চৌধুরী, এস,এম, সালাহউদ্দিন সামির, রিয়াজুল ইসলাম ভুট্টো, এসএম রফিকুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন জাহেদ, জাহিদ তানছির, এড. রাশেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, আলমগীর বাদশাহ, অশ্র“ চৌধুরী, মোঃ মইনুদ্দিন, সাগর ইসলাম, তাসলিমা নূরজাহান রুবি, জাহিদুল হাসান প্রমুখ। া
 


মানবাধিকার কমিশনের দুর্নীতি মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১১ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খুলনা মহানগর শাখা, খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়সহ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, ১৪নং ওয়ার্ড কমিটির যৌথ উদ্যোগে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত সমাজ গঠনে সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মাওলানা রহমতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএম আব্দুস সালাম বিজ্ঞ ডিভিশনাল স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ), ডিভিশনাল স্পেশাল জজ আদালত, খুলনা। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এড. মোঃ এনায়েত আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবী, প্রথিতযশা আইনজীবী ও বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, সভাপতি খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলফিকার আলী হাওলাদার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, যশোর, পওর সার্কেল, বাপাউবো, খুলনা। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়, খুলনা, মোঃ হাফিজুর রহমান (মনি), কাউন্সিলর, ১৮ নং ওয়ার্ড, কেসিসি, খুলনা, এড. শেখ অলিউল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খুলনা বিভাগ, মোঃ নুরুল ইসলাম, শেখ মনির আহমেদ, আলহাজ্ব শেখ আবু দাউদ, মোসাঃ ঝর্না শিমুল, শেখ সাদী, মাষ্টার শেখ নাসির উদ্দিন, তালুকদার মনির হোসেন, মোঃ শাহীন চাকলাদার প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে পরিবার থেকে প্রথমে সুশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে কারণ পরিবারই একটি মানুষের সুশিক্ষার মূল শেকড়। পাশাপাশি ইসলাম ধর্মসহ প্রতিটি ধর্মের আদর্শ মেনে চললে সমাজ থেকে দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে।
 

সৌদিতে শপিংমলে বিদেশিদের ‘না’ শঙ্কায় বাংলাদেশিরা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের শপিংমলগুলোতে আর কাজ করতে পারবেন না বিদেশিরা। এ ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার শ্রম মন্ত্রণালয়। সৌদি নাগরিকদের জন্য চাকরিক্ষেত্র সৃৃষ্টিতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সম্প্রতি দেশের নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশটিতে কর্মরত অন্য বিদেশিদের সঙ্গে কয়েক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়বেন। এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন দেশটির শপিংমলে কর্মরত বাংলাদেশিরা। অন্যদিকে দেশটির নাগরিকদের জন্য ১৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে রাতারাতি চাকরি হারাবেন না বিদেশিরা। চাকরিরত শ্রমিকদের সঙ্গে সংস্থার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে পুনঃচুক্তি করা যাবে না- এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির শ্রম দপ্তরের মুখপাত্র খালেদ আবাল খাইল। বাজারের পরিস্থিতির ওপর এই প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি নির্ভর করছে। সৌদি আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি ছেড়ে বের হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। সেজন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে সে দেশের রাজপরিবার। সৌদি আরবে গত ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ।


 

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন পেতে ভোগান্তির শেষ নেই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সারা জীবন জাতির মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাওয়া পেনশন ভোগী শিক্ষকদের জীবনের শেষ আর্থিক সম্বলটুকু পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় দ্বারে দ্বারে। স্বাভাবিক নিয়মে নড়ে না কোনো ফাইল। জটিলতা দেখা দিলেই লাল ফিতায় বন্দি হয়ে পড়ে আবেদনগুলো। প্রশাসনিক জটিলতা, দীর্ঘসূত্রিতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে পেনশন প্রাপ্তি দিন দিন দুরূহ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক নেতারা। আর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী।
‘কাগজ নাই। আজীবন কেউ দিতে পারবে না। এখন আমার করনীয় কি? থানায় একটা জিডি করবো। জিডি করে নিয়ে আসছি। জিডির কপি দেখিয়েছি। মানবে না তারা। না মানলে এখন আমি কি করবো, আমি কি ফাঁসি লাগাবো?’ অসহায়ত্ব ঝরে পড়ছিলো এক শিক্ষকের কণ্ঠে।
৮৮ সালের বন্যায় স্কুল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ হারিয়ে যাওয়ায় ২০১২ সালে পেনশনের টাকা এখনো পাননি এই শিক্ষক। প্রায় ৩৫ বছর পঞ্চগড়ের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। প্রথমে নিজের দুরবস্থার কথা জানালেও ক্যামেরা দেখেই এড়িয়ে যান তিনি।
একই অবস্থা অবসরে যাওয়া অন্যান্য সরকারি শিক্ষকদেরও।
এক শিক্ষক বলেন, ‘অবসরের ভাতা পাইনি এখনো। ২০১৫ সালের বর্ধিত বেতন পাবো। তা এখনো পায়নি’।
আরেক শিক্ষক বলেন, ‘আমার কাছে ১৪ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারি নাই তাই কাজ হয়নি’।
আর এর চেয়েও করুণ অবস্থা বেসরকারি শিক্ষকদের। এখানে পেনশনের নাগাল পেতে একজন শিক্ষকের অপেক্ষা করতে হয় চার থেকে পাঁচ বছর। নানা জটিলতা কাটিয়ে সৌভাগ্যবান দু-এক জন শেষমেশ টাকা পেলেও জীবদ্দশায় বেশিরভাগেরই কপালে জোটেনা এই টাকা।
এক শিক্ষক বলেন, ‘একটা একটা ইনসুলিনের দাম এক হাজার টাকা। তো আমরা কোথায় থেকে পাবো টাকা। এখন চাকরী নাই, কিভাবে হবে’।
এক শিক্ষক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সম্মান জনক পদে এরা কাজ করেন তা সব মুখে মুখে। বাস্তবে তার প্রতিফলন নাই। আমরা পদে পদে ক্ষতির শিকার হচ্ছি’।
এক শিক্ষকের সন্তান বলেন, ‘উনি মারা গেছেন তবুও পেনসন পাননি। এখন আমরা কি টাকা পাবো না’।
এর কারণ হিসেবে সরকারের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করলেন শিক্ষক নেতারা। আর সমস্যার কথা স্বীকার করে শিগগিরিই সমাধানের আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিশাল অন্তরায়। এবং এটা অমানবিক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিকতার অভাব আছে’। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেন, আমি আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা নিব। টাকাটা সরকার দিয়ে দিছে আমরা বাক্স ভরে রেখে দিয়েছি ব্যাপারটা তা না। আমাদের লাগবে দেড়শ কোটি টাকা। এই টাকাটা পাবো কোথায়। এখন আমাদের নতুন করে এই টাকাটা সংগ্রহ করতে হবে’। ভুক্তভোগীরা মনে করেন কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা ও কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতাই হতে পারে পেনশনের ভোগান্তি লাঘবের উপায়।

 

 মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিবে ভারত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

চলতি মাসের ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা এখন থেকে ৫ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসা পাবার যোগ্য হবেন। ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
হাইকমিশন বলেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৫ বছরের উর্ধ্বের নাগরিক ৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল এন্ট্রি ভ্রমণ ভিসা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সংযোগের স্বীকৃতি হিসেবে এই বিধান একটি বিশেষ সৌজন্য হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বর্ধিত করা হল।
৫ বছরের ভ্রমণ ভিসা পেতে ইচ্ছুক মুক্তিযোদ্ধারা এপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ভ্রমণ ভিসা আবেদনপত্র ঢাকার গুলশান আইভিএসি এবং ঢাকার বাইরে ৮টি (চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ ও রংপুর) আইভিএসি’তে সরাসরি জমা দিতে পারবেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের নিন্মোক্ত অতিরিক্ত কাগজপত্রসহ তাদের ভ্রমণ ভিসা জমা দিতে হবে জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত মূল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বা মুক্তিযোদ্ধা সনদ (জমা দেওয়ার সময় আইভিএসি’তে দেখাতে হবে) এবং এর ফটোকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযোজন করতে হবে। এছাড়া এক কপি ফটো আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণ ভিসার জন্য অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
 

পাবনা আঞ্চলিক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর পাবনা (পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা) আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ গত ২২ এপ্রিল দুপুরে ঈশ্বরদী অবস্থিত সংগঠনের আঞ্চলিক শাখা অফিস চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কমিশনের বৃহত্তর পাবনা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ত. ম. শহিদুজ্জামান নাসিমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক কেএম বেলাল হোসেন স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সাংগঠনিক বক্তব্য দেন- কমিশনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম রাখাল, পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সেলিম, আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, অপর আঞ্চলিক সহ-সভাপতি মো. শামসুল আলম, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. গোলাম সাকলাইন, বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মতিউর রহমান লাভলু, এনায়েতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. হাসান আলী, আটঘরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি কে. এম. রইচ উদ্দিন রবি, বেড়া উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোক্তার হোসেন, চাটমোহর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জয়দেব কুন্ডু গনো, ঈশ্বরদী পৌর শাখার সভাপতি শমিত জামান, চাটমোহর পৌর শাখার সভাপতি নূর-ই-হাসান খান ময়না, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তাক আহমেদ, বেলকুচি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আহসান মনি, চাটমোহর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ সালাহ উদ্দিন ফিরোজ, আটঘরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শেখ, চাটমোহর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল করিম রবি, তাড়াশ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাহমিনা খন্দকার, ফরিদপুর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডেভিড প্রমূখ।
সাংগঠনিক আলোচনা শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আ. ত. ম. শহিদুজ্জামান নাসিম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সেলিমকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ১০৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর পাবনা (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) আঞ্চলিক শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শতাধিক মানবাধিকার কর্মী অংশ গ্রহণ করেন।




Top

 

 

 প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়ার দিন শেষ, আসছে ওহো

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

অপকারটা জানেন প্রায় সকলেই। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহারও করতে হয়। বেড়াতে যাওয়া হোক বা ঘরের কাজে, অফিস হোক বা রাস্তা-ঘাটে প্লাস্টিকের জলের বোতল ছাড়া উপায় কী? সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক তৈরি হয় প্রতি বছর। তার মধ্যে ৮৮ লক্ষ টন প্লাস্টিক সাগরে গিয়ে মেশে। যা সামুদ্রিক প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্ষতি করে বাস্তুতন্ত্রেরও। নষ্ট করে পরিবেশের ভারসাম্যও। এই ভাবনাটাই তাড়না করছিল ওঁদের। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্কিপিং রকস ল্যাবে গবেষণা করতে করতেই তাই রড্রিগো গার্সিয়া, পিয়েরি পাসলিয়র আর গুইলামি কৌচে বানিয়ে ফেলল ওহো। কী এই ওহো? রড্রিগো বলেন, ওহো দেখতে জলের একটা বড় বুদবুদের মতো। প্লাস্টিক বোতলের বদলে এই জলের বুদবুদগুলি নিয়েই বেড়ানো যাবে রাস্তাঘাটে। তৃষ্ণা পেলে বুদবুদগুলো খেয়ে ফেললেই হল। এতে একদিকে যেমন দূষণও রোধ হবে, অন্য দিকে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থও কম প্রবেশ করবে।
কী দিয়ে তৈরি হয় এই ওহো?
হাতে নিলে জেলির মতো নরম। ওহো-তে রয়েছে সোডিয়াম অ্যালগিনেট দিয়ে তৈরি দু’টি পাতলা পর্দা। সামুদ্রিক ব্রাউন অ্যালগি আর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হয় এই সোডিয়াম অ্যালগিনেট। এই পাতলা পর্দার মধ্যেই থাকে তরল জল। সম্পূর্ণ বুদবুদটাকেই জেলিফিকেশন করা হয়। এই সময় জলের মধ্যে এডিবল জেলিং এজেন্টও দেওয়া হয়। এমনিতে ওহো খেতে সাধারণ জলের মতোই। তবে ইচ্ছে মতো এতে নানা রকম ফ্লেভারও যোগ করা যায়।
পিয়েরি জানালেন, কোথাও গেলে খুব সহজেই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় এই জলের বুদবুদ। তৃষ্ণা পেলে পুরোটাই খেয়ে ফেলা যাবে। প্রতি ওহোয় থাকবে ২৫০ মিলিলিটার জল। পাশাপাশি ওহো তৈরির খরচও প্লাস্টিক বোতলের থেকে অনেক কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পিয়েরি পসলিয়রের আশা, খুব শীঘ্রই ওহো প্লাস্টিক বোতলের বিপুল দূষণের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে পারবে।
 

Top


সুনামগঞ্জকে দূর্গত এলাকা ঘোষণার দাবীতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জকে দূর্গত এলাকা ঘোষনা এবং পাউবো কর্মকর্তা,পিআইসি ও ঠিকাদারদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। ১২ এপ্রিল সকাল ১১টায় স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্যা ফৌজিআরা বেগম শাম্মীর সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পলাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কমিশনের সুনামগঞ্জ পৌরসভা শাখা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠনভূক্ত উন্নয়নকর্মী ও শ্রেনীপেশার লোকজন অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কমিশনের উপদেষ্টা ড.মফচ্ছির মিয়া এডভোকেট,সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ মনির উদ্দিন, কমিশনের সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির শান্তি মিয়া,কমিশনের সাবেক সেক্রেটারী দৈনিক সুনামকন্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়,কমিশনের বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আল-হেলাল,সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক সেলিম আহমেদ তালুকদার,বার্তা সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কৃষক নেতা আব্দুল কাইয়্যুম,হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য-সচিব সাংবাদিক বিন্দু তালুকদার, কমিশনের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, পৌর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া জামান তানভীর,উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও ২ ঘন্টাব্যপী মানববন্ধনে কমিশনের জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল,রেজাউল করিম চৌধুরী,সাবেক কাউন্সিলর শামীম চৌধুরী সামু, মোঃ মফিজুল হক, গীতিকার শেখ এমএ ওয়ারিশ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলী,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব অরুন তালুকদার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান, কমিশনের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দুলাল মিয়া,প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজান,অর্থ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শ্যামল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা তানজিনা বেগম,সাবেক মহিলা মেম্বার সেলিয়া বেগম,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

 অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেই হবে না, প্রয়োজন আইনের শাসন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক উন্নত হয়েছে। দেশে যত দুর্যোগই আসুক, এখন বাইরের সাহায্য ছাড়াই দেশ তা মোকাবিলা করতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেই হবে না, দরকার আইনের শাসনও। হবিগঞ্জ বার লাইব্রেরি প্রধান শাখায় জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সমিতির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মোছাব্বির এতে সভাপতিত্ব করেন। অ্যাডভোকেট জমশেদ মিয়া ও অ্যাডভোকেট লুত্ফুর রহমান তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লা, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবদুল হাই, সৈয়দ আফরোজ বখত, নুরুল আমিন, সিরাজুল হক চৌধুরী ও আফিল উদ্দিন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে সব সরকার। প্রশাসন চায় না বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। তারা বিচার বিভাগকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। এটি সম্পূর্ণ ভুল। বিচার বিভাগ সব সময় প্রশাসন ও আইন বিভাগের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রশাসনের লোকজন যখন অবসরে যান, তখন তাদেরও রক্ষা করে বিচার বিভাগ। চাকরিকালীন বিভিন্ন সমস্যায় তাদের বিচার বিভাগেই আসতে হয়।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘অনেক দেশের মাথাপিছু আয় বেশি হলেও উন্নত দেশের মর্যাদা পায় না। এর সঙ্গে আরও অনেক সূচক জড়িত। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইনের শাসন। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও থাকতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা যাবে যদি বিচারকদের আইনজীবীরা সহযোগিতা করেন। ’ তিনি বলেন, ‘মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং জট কমাতে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। এখন যারা বিচারক হচ্ছেন তারা যেমন উচ্চ শিক্ষিত, তেমনি ইংরেজি ও কম্পিউটারে দক্ষ। এক হাজার ৫০০ জন বিচারককে ভারতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘জেলা জজ সৎ হলে অন্য বিচারকরা অসৎ হতে পারেন না। তাই বর্তমানে সৎ বিচারক ছাড়া কাউকে জেলা জজ করা হয় না। তবে দেশে আইনের ত্রুটি যেমন আছে, আছে মামলার জটও। অনেক সময় প্রয়োজনীয় আইন হয় না। ’ তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কোনো বাজেট নেই। এবারের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতিকে সবার আগে সহযোগিতা করা হবে। ’ এর আগে প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন করেন।
 

মানবাধিকার রক্ষার নায়ক থেকে বিচ্ছিন্নতার প্রতীক সু চি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় আততায়ীর হাতে নিহত হন জেনারেল অং সান। সেই তখন থেকে শুরু হয়ে প্রায় ছয় দশক মিয়ানমারে চলে একগুয়ে সামরিক শাসন। সেই অং সানের সন্তান অং সান সু চি’র হাত ধরেই ফের গণতন্ত্র ফেরে মিয়ানমারে। প্রায় দুই দশক গৃহবন্দি থাকা সু চি ব্যাপক জনসমর্থনে দেশটির শাসন ক্ষমতার কাছাকাছি চলে আসেন। তবে জান্তা সরকারের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সারা বিশ্বের কাছে ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সেই সু চিই ক্ষমতায় আসার পর নির্বিকার অবস্থানের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মুখ চেপে থাকায় তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা প্রান্তে।
রাখাইন রাজ্যে ‘সাম্প্রদায়িক নির্মূল’ অভিযান চলছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে সুচির উত্তর স্পষ্টতই ‘না’। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাখাইনের পরিস্থিতিকে ‘ভিন্নভাবে’ ব্যাখ্যা করতেও পিছ পা হননি। রাখাইনে ‘মুসলিমরাই মুসলিমদের হত্যা করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অথচ এই সুচিই নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নিপীড়নের খবর জানতে উদগ্রিব হয়ে থাকতেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদা নিঃসংকোচে কথা বলতেন।
মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও শান্তিতে নোবেল জয়ের পরও নিজ দেশে ব্যর্থ হয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবেও পাশ কাটিয়ে গেছেন সুচি। ‘রাখাইনের অধিবাসিদের মধ্যে নানা বিভেদ রয়েছে এবং তারা এই বিভেদ কমানোর চেষ্টা করছেন’ বলে মন্তব্য করেন সু চি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার সূত্র ধরেই রাখাইনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সূত্রপাত বলে মনে করেন তিনি।
রাখাইনে নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও নিশ্চুপ অবস্থান সু চির। তিনি জবাব দেন, মার্গারেট থ্যাচার বা মাদার তেরেসা নন, তিনি একজন রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক সমাধানেই তাদের আগ্রহ।
তবে নিরব অবস্থানের কারণে সূ চির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার কথাও জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। বার্মিজদের মধ্যে এখনও তার প্রতি সমর্থন থাকলেও সংখ্যালঘুদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে বলে বিভিন্ন জরিপে জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভাবেও একারণে সু চি কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমর্থনে সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্ট পদে আসার পথ যদি তিনি সুগম করতে না পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতেও তাকে বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।

 

তিস্তার বিকল্প প্রস্তাব দিলেন মমতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিস্তার সমস্যা মেটাতে তোর্সা, জলঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর পানিবণ্টনের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৮ এপ্রিল নয়াদিল্লি সফররত বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ প্রস্তাব দেন।
৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মমতা তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির লনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সূত্র জানায়, ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বৈঠকে যোগ দেন। সেখানেই মোদি তিস্তার বিষয়টি তোলেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তার সমস্যা তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছেন।
তিনি বলেন, তিস্তায় কোনো পানি নেই। পানির অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের জন্য পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বলেছেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নামে ভবন হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার হতে পারে। তাঁদের আলোচনায় দুই বাংলায় দুই দিন পয়লা বৈশাখ উদ্ যাপনের বিষয়টি উঠে আসে।



বাংলাদেশ মানবাধিকর কমিশনের সহকারী পরিচালকের পিতার ইন্তেকাল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন BHRC-এর সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও জনসংযোগ) জাহানারা আক্তার এর পিতা মোহাম্মদ খোরশেদ মিয়া গত ১৫ মার্চ ২০১৭ইং রোজ বুধবার ভোর ৪টায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারনে ইন্তেকাল করেন ( ইন্না .......... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ১৫ মার্চ বাদ জোহর মরহুমের নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জের বালুরচক (বিক্রমপুর) কবরস্থানে তার স্ত্রীর পাশে দাফন করা হয়েছে।
BHRC’র চেয়ারম্যান বিচারপতি আমীরুল কবীর চৌধুরী এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার BHRC’র সহকারী পরিচালক জাহানারা আক্তারের পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 

বাল্যবিয়ের বিধান নিয়ে রুল
1

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশেষ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের অনুমোদন দিয়ে প্রণীত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারা নিয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। রুলে ওই ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১০ এপ্রিল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ সংসদে পাস হয়।
ওই আইনের ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না। আইনের এই বিধানকে সংবিধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে ৪ এপ্রিল হাই কোর্টে রিট করে নারীপক্ষ ও জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।

 

হিজড়াদের অস্বস্তিকর উৎপাতে নাজেহাল রাজধানীবাসী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ট্রাফিক সিগন্যাল ও বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে হিজড়াদের উৎপাত মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সকাল দুপুর রাতে হরহামেশাই পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে থাকে তারা। ফলে বিভ্রান্তি আর অস্বস্তিতে পড়েন অনেকে।
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এই জনগোষ্ঠী অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর।
অসংলগ্ন কথাবার্তা আর অস্বাভাবিক দেহভঙ্গিতে নানান টালবাহানায় নগরবাসীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় হিজড়ারা। অসম্মতি জানালে অশ্রাব্য গালাগাল থেকে শুরু করে শারীরিক নির্যাতন করে থাকেন। রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ বিভিন্ন পার্কে এদের উৎপাতের পরিমাণ বেশি।
বিভিন্ন উৎসবেও নানা বাহানায় অর্থ আদায় করে তারা। পয়সা চাওয়ার ধরণকে চাঁদাবাজির সাথে তুলনা করেছেন কেউকেউ। তবে কাজের সুযোগ পেলে ভিক্ষাবৃত্তি বা এ ধরণে চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতেন বলে জানান হিজড়ারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সমাজ যেহেতু সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তাই আমি মনে করি অনেকেই এখানে এগিয়ে আসতে পারেন।
হিজড়াদের সহায়তায় শিক্ষাবৃত্তি, মাসিক ভাতা ও কর্মসংস্থান সহায়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর তথ্য মতে, সারাদেশে ২০ হাজার এবং রাজধানীতে প্রায় ২ হাজার হিজড়ার বসবাস করলেও তাদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার।
 

অন্তহীন জীবন যন্ত্রণায় বস্তির কিশোরীরা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লিমার বয়স ১৭, নাইমার ১৬ আর রুমার ১৫ বছর। তারা থাকে শ্যামপুর ম্যাচ ফ্যাক্টরির বস্তিতে। সবাই এক কামরার বাসায় বাবা-মা, ভাই-বোনের সাথে থাকে। গোসল ও রান্নার জন্য একই গোসলখানা ও রান্নাঘর ব্যবহার করে। তাদের স্কুল কিংবা বাজারে যাওয়ার জন্য আলাদা কোনো রাস্তা নেই। এক একজনের বাড়ির ওপর দিয়ে তাদের দৈনন্দিন, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করতে যেতে হয়। ফলে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা কাজে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে নানা রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয় তাদের।
এটা শুধু লিমা, নাইমা কিংবা রুমার সমস্যা নয়, বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড় কদমতলী এলাকায় বস্তিতে থাকা সুমি, রিতা, শাবনূরদেরও একই সমস্যা। তাদের বস্তির রাস্তার পাশের এক চায়ের দোকানের তরুণ ও মাঝ বয়সের পুরুষরা তাদের দেখে নানা রকম বাজে কথা বলে। সুযোগ পেলে বাজে অঙ্গভঙ্গি দেখায়। এটি শুধু এই দুই এলাকায় না, মিরপুর এক নম্বর মাজার এলাকা, করাইল বস্তি, পূর্ব নাখালপাড়া ও কাওরানবাজার রেললাইনের আশ-পাশের বস্তি ঘুরে একই চিত্র পাওয়া যায়।
অপরিকল্পিত অবকাঠামো, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, স্মার্ট ফোনের দৌরাত্ম্য, পারিবারিক সহিংসতা, সুস্থ বিনোদনের অভাব বস্তির কিশোরীদের এমন সব সমস্যায় ফেলে বলে মনে করেন বিজ্ঞজনেরা। তারা বলেন, সরকারে নানা কর্মসূচি থাকলেও সুযোগ গ্রহণ করার মত অবস্থা অনেক সময় এসব কিশোরীদের থাকে না। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে উপেক্ষিত হওয়ার ভয়ে বেশিরভাগ সময়ই সেখানে যায় না। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, শিক্ষা, সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিই পারে কিশোরীদের এ অবস্থার পরিবর্তন করতে। বস্তিবাসী সুরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ বস্তিবাসী ইউনিয়ন, এনডিবাস ও এনবাস চারটি বস্তি এলাকা নিয়ে কাজ করা সংগঠনের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে ৪ হাজার বস্তিতে ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। তাদের অর্ধেক নারী হলে ২০ লাখ বস্তিবাসী নারী।
শ্যামপুর ম্যাচ ফ্যাক্টরির বস্তির স্থানীয় মেম্বার আলী হোসেন সাজাহান ইত্তেফাককে বলেন, এসব ঘটনা এখনও বিদ্যমান। তারা সালিশের মাধ্যমে অনেক অভিযোগ সমাধান করেন। তিনি বলেন, ব্র্যাক ও প্লানের মতো উন্নয়ন সংস্থা এলাকায় এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে বলে ঘটনা আগের তুলনায় কমেছে।
 

Top

জাতিসংঘের ‘শান্তির দূত মনোনীত হলেন মালালা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালালা জাতিসংঘের নতুন শান্তির দূত বা ‘মেসেঞ্জার অব পিস’ নির্বাচিত হলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতিরেসই মালালাকে জাতিসংঘে শান্তি প্রচারের বার্তাবহ হিসেবে নির্বাচিত করেন।
মালালার শান্তির দূত নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ১৯ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই বিশ্বে নারীশিক্ষার ও নারীদের অগ্রগতির প্রচার চালাবেন। তিনি আরও জানান, মালালা ৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ প্রদত্ত এই পদে নিযুক্ত হবেন।
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে শিক্ষায় শিশুদের অধিকার নিয়ে প্রচার চালানোর সময় তালেবানদের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন মালালা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেও নিজের কাজ থামাননি তিনি। শিশু ও নারীদের শিক্ষা নিয়ে লড়ে গিয়েছেন তিনি। তাই মালালাকেই শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তাবহ হিসেবে বেছে নিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
মালালা ছাড়াও শান্তির দূত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, মাইকেল ডগলাস, সংগীত জগতের ড্যানিয়েল বেয়ারবোইম এবং ইয়ো-ইয়ো মা।

মানব পাচারের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানব পাচার আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। গত কয়েক বছরের জাতীয় দৈনিকগুলো ঘেঁটে দেখেছি, প্রায় প্রতিদিনই মানব পাচারের ওপর কোনো না কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আর প্রতি সপ্তাহেই মানব পাচারের ভয়াবহতা ও পাচারকারীদের কর্মকান্ডের ওপর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ ছাপা হয়েছে। গেল দুই সপ্তাহের জাতীয় দৈনিকগুলো পড়লেও মানব পাচারের ধারাবাহিক খবর চোখে পড়বে। এত প্রতিবেদন, এত পদক্ষেপ, এত গোল টেবিল বৈঠক, তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছে না মানব পাচারের। এ যেন ক্রমেই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৪০ বছরের পাচার হওয়া মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা খুবই উদ্বেগজনক আমাদের জন্য। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচার হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র পথ পাড়ি দেওয়ার সময় ট্রলার ডুবে প্রাণহানি হয় অসংখ্য মানুষের। এছাড়া জলদস্যুদের হাতে বন্দি হয় ট্রলার। কখনো কখনো জলদস্যুরা তাদের খাবার ও অন্যান্য মালামাল লুট করে। আবার কখনো নারী ও শিশুদের নিয়ে যায় নিজেদের সঙ্গে করে। যেসব ট্রলার এ দুইটি ঝুঁকি থেকে মুক্ত হয় তাদের তৃতীয় ভয় হলো সমুদ্রে পথ হারিয়ে ফেলা। একবার পথ হারিয়ে ফেললে বাঁচার আর কোনো আশা নেই। খাবারের অভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে মানুষের। একটা সময় না খেয়েই মরতে হয় তাদের। এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এক ব্যক্তির জীবনালেখ্য নিয়ে গত মাসের শেষের দিকে অপর একটি জাতীয় দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশ প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি আর আমার বন্ধু ট্রলারে ছিলাম। কয়েকদিনের না খাওয়ায় আমরা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ি। কোথায় যাচ্ছি, কী করব কিছুই জানা নেই আমাদের। তবে বুঝতে পারছি আমরা পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়েছি। ইতোমধ্যে ট্রলারের অনেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর কয়েকজন না খেয়ে দুর্বল হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। আমার সামনেই মারা গেছে আমার প্রিয় বন্ধুও। খাবার নেই, পানীয় নেই। বাধ্য হয়ে নিজের পেসাব নিজে খেয়েছি। অনেকের কাছে শুনেছি, এমন পরিস্থিতিতে মৃত দেহ থেকে মাংস খেয়ে বেঁচে থাকার লোমহর্ষক গল্পও। একপর্যায়ে আমাদের কজনকে ড্রামে ভরে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরের ইতিহাস স্মরণ হলেই মূর্ছা যাই আমি।’
এ তো গেল পথ হারিয়ে ফেলার কথা। সঠিক পথে চলাও কিন্তু নিরাপদ নয় এ পথের যাত্রীদের জন্য। সঠিক পথে চলতে গেলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ভয় থেকেই যায়। মোদ্দাকথা, সমুদ্র পথে যারা বিদেশে পাড়ি জমাতে পা বাড়ায়, তারা মূলত মৃত্যুকে তুচ্ছ করেই সামনে এগোয়। জীবন সংগ্রামে পরাজিত এসব সাহসী সৈনিকদের একাংশকে প্রথমে থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলে আটকে রাখা হয়। এরপর তাদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেয় পাচারকারীরা। থাইল্যান্ডের মৎস্য খামারে এসব ক্রীতদাসকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে বাধ্য করা হয়।


দুই মাসে ইমানের ওজন কমেছে ২৪২ কেজি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঠিক দুই মাস আগে প্রায় ৫০০ কেজি ওজন নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতের মুম্বাইয়ে এসেছিলেন মিসরীয় নারী ইমান আহমেদ। তাঁর ওজন এখন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ইমানের চিকিৎসক বারিয়াট্রিক সার্জন মুফাজ্জল লাকদাওয়ালা মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতে আসার পর এখন পর্যন্ত ইমানের ওজন ২৪২ কেজি কমেছে।
৩৬ বছর বয়সী ইমানের জন্মশহর মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া। মুম্বাইয়ে আসার আগ পর্যন্ত তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী নারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
ইমান ভারতে আসার পরপরই এক সংবাদ সম্মেলনে সার্জন মুফাজ্জল বলেছিলেন, ইমানের ওজন ৪৯৮ কেজি।
ওজন কমাতে গত ৭ মার্চ মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালে ইমানের অস্ত্রোপচার হয়।
এখন হাসপাতালের চিকিৎসক দল এক বিবৃতিতে বলছে, ইমানের স্বাস্থ্যগত অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ওজন কমায় নাটকীয়ভাবে তাঁর স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির অগ্রগতি হয়েছে। তাঁর হৃদ্ যন্ত্র, কিডনি, ফুসফুস ও অতিরিক্ত তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখনো তাঁর বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা রয়ে গেছে।
চিকিৎসার জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে পৌঁছান ইমান। এর আগে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ তিনি অতিরিক্ত ওজনের জন্য ঘরের বাইরে বের হতে পারেননি।
 

জেনে নিন বিয়ের জন্য আদর্শ নারী কারা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
“সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে!” এই প্রবাদ বাক্যটি কম বেশি সকলের জানা। এখন এই গুণবতী রমণী খুজেবের করা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। বিদেশি চ্যানেলগুলো যে ভাবে সংসারের মধ্যে বৌ শাশুড়ির ঝগড়া দিয়ে হাজারের উপর পর্ব বানাচ্ছে। হাজার পর্ব শেষ হয় কিন্তু ঝগড়া শেষ হয় না। ফলে মেয়েরা তাদের সংসার জীবনে প্রবেশের আগেই সংসারকে নেগেটিভ ভাবে নিয়ে ফেলে।
আবার সেই রমণীর গুণকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের ঐ সব রমণীর জীবনীকে আদর্শ হিসেবে নিতে হবে, যারা শুধু পৃথিবীর সকল নারীই না পরকালের সকল জান্নাতি নারীর আদর্শ ও মডেল হিসাবে থাকবে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সঃ) বলেছেন, “সারা বিশ্বের মহিলাদের মধ্যে থেকে এই চারজন মহিলার ফযীলাত সম্পর্কে তোমার অবগত হওয়া যথেষ্ট। তাঁরা হচ্ছেন ইমরানের মেয়ে মারইয়াম, খুওয়াইলেদের মেয়ে খাদীজা, মুহাম্মাদ (সঃ) এর মেয়ে ফাতিমা এবং ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া” (তিরমিযী হা/৩৮৭৮, মিশকাত হা/৬১৮,বাংলা মিশকাত হা/৫৯৩০)। এই হাদীছে রাসূল (সঃ) চারজন নারীর মর্যাদা সম্পর্কে সকলকে জানতে বলেছেন। কারণ কোন নারী বা পুরুষ আদর্শবান ও আল্লাহ্ ভিরু হতে চাইলে এই নারীদের ইতিহাস জানতে হবে। কোন নারী যদি তার সতীত্ব সঠিক ভাবে রক্ষা করতে চায়, কঠিন কষ্টের সময় ধৈর্যধারণ করে আদর্শবান হতে চায় তাহলে তার মারইয়াম ও আছিয়ার ইমানী আদর্শকে ভালোভাবে জানতে হবে।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কে সবচেয়ে উত্তম নারী? রাসূল (সাঃ) বললেন, “যে স্ত্রী তার স্বামীকে খুশী করতে পারে, স্বামী যখন তার দিকে লক্ষ করে। স্বামী যখন তাকে আদেশ করে, তখন স্বামীর আদেশ যথাযথ ভাবে পালন করে। আর তার নিজের ব্যাপারে এবং নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে সে তা করে না” (সিলসিলা ছহীহ হা/১৮৩৮/১৯১৬)। এখানে আদর্শবান নারীর তিনটি গুনের কথা বলা হয়েছে। (১) হাসি মুখে থাকা, স্বামী দৃষ্টি দিলেই যেন খুশি হয়। (২) সবসময় স্বামীর আদেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত থাকা। (৩) নিজের এবং নিজের স্বামীর সম্পদের ব্যপারে স্বামীর ইচ্ছার বিরধীতা না করা। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, “স্ত্রীলোক যখন তার প্রতি নির্ধারিত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে, রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করে, নিজের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে ও স্বামীর অনুগত থাকে, তখন সে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা মত প্রবেশ করতে পারবে” (আবু নু’আইম, মিসকাত হা/৩২৫৪, বাংলা মিসকাত হা/৩১১৫) এই হাদীছে আদর্শ নারীর চারটি গুনের কথা বলা হয়েছে। যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরবে, রামাজাতের রোজা রাখবে, স্বামীর অনুগত এবং নিজের লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে সে আদর্শ নারী। সর্বোপরি একজন আদর্শ নারীর অন্তত ৬ টি গুন থাকা দরকার (১) আল্লাহ্র হুকুম ও আইন-বিধান পালন কারী। আদর্শবান নারী আল্লাহ্র আদেশ নিষেধ পালনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে। (২) মুমিন হওয়া।
এদের বিশেষত্ব হল নিজের চরিত্র, অভ্যাস-আদত, আচার আচারনে ও ব্যাবহারে আল্লাহ্র দ্বীন অনুসরন করা। (৩) নিজ স্বামীর অনুগত। (৪) এমন স্ত্রী যে তার অপরাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায়। যার মাঝে কোন অহংকার, গৌরব, অহমিকা থাকে না। যে নম্র ও ভদ্র প্রক্রিতির হয়। (৫) এমন স্ত্রী ইবাদত করার কারনে আল্লাহ্র নির্ধারিত সীমাসমুহ পুরাপুরি রক্ষা করে চলে। কখন আল্লাহ্র ইবাদত করার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় না এমন তা তার কাছ থেকে আশা করা যায়। (৬) ছিয়াম পালনে অভ্যস্থ স্ত্রী। এই সকল গুনের অধিকারী নারী হল আদর্শবান নারী। এই সকল আদর্শবান নারী হতে পারে সুখের সংসারের সুখের মূল চাবি।

 

শিশুদের ইসলামী নাম নিষিদ্ধ করেছে চীন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুর নাম রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের মুসলিমরা। ওই অঞ্চলে সদ্যোজাতদের ইসলামী নাম রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ‘ভুল নাম’ রাখলে শিশুকে শিক্ষা ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কর্মকর্তারা নিষিদ্ধ নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ইসলাম, কোরআন, সাদ্দাম, মক্কা- এ ধরনের নাম এবং দেশটির কমিউনিস্ট সরকারের নীতির বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের মোট এক কোটি ৩০ লাখ মুসলিমের মধ্যে অর্ধেকই বাস করে এই প্রদেশে।
সরকারি এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিশুদের নিষিদ্ধ নাম রাখলে বাড়ির নিবন্ধনও দেয়া হবে না। যে কোনো সামাজিক সেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা অধিকার পাওয়ার জন্য এই নিবন্ধনটি অপরিহার্য। তবে নিষিদ্ধ নামের পুরো তালিকাটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আরও কোন কোন ধরনের নাম নিষিদ্ধ করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সহিংসতার জন্য ধর্মীয় চরমপন্থীদের অভিযুক্ত করে আসছে চীন। এই অজুহাতে জিনজিয়াংয়ে সিরিজ অভিযানও চালানো হচ্ছে। এই প্রদেশেই বাস করে দেশটির সবচেয়ে সামরিক নির্যাতনের শিকার উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, সেখানে ধর্ম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সহিংস হামলাকেও স্থানীয় পর্যায়ের বিচ্ছিন্ন হামলা বলে মনে করে তারা।


থেরেসা মে ৪০ বছরের সেরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কি আয়রন লেডি হিসেবে খ্যাত সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে জনপ্রিয়তায় অতিক্রম করবেন? এক জরিপে দেখা গেছে ৬১ ভাগ ব্রিটিশ ভোটার মনে করেন থেরেসা মে ১৯৭৯ সাল থেকে এপযন্ত সবচেয়ে সক্ষম প্রধানমন্ত্রী। এমনকি মার্গারেট থ্যাচারের চেয়েও থেরেসা মে’কে ভাল নেতা বলে মানছেন জরিপে উত্তরদাতা ব্রিটিশ নাগরিকরা। এসব উত্তরদাতার ২৩ ভাগ আবার লেবার পার্টির জেরেমি করবিনকে যোগ্য ভাবছেন।
ইপসস মোরির এ জরিপে দেখা যাচ্ছে, এযাবত কালের যে কোনো জরিপের তুলনায় জনপ্রিয়তা ও দক্ষতার দিক থেকে থেরেসা মে এগিয়ে আছেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে জরিপে যেমন ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময় ১৯৮৩ সালে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ৪৮ ভাগ পক্ষে ভোট পেয়েছিলেন, ২০০১ সালের জরিপে তিন বারের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টি নেতা টনি ব্লেয়ার পেয়েছিলেন ৫২ ভাগ সমর্থন, ২০০৭ সালে তারই অনুসারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন পান ৫৮ ভাগ সমর্থন। অথচ থেরেসা মে’কে নিয়ে জরিপে উত্তরাদাতারা তাকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছেন। থেরেসা মে’র পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬১ ভাগ। তার জনপ্রিয়তা ১০ ভাগ বৃদ্ধি পেলেও জেরেমি করবিনের ব্যাপক সমর্থন কমেছে। হাউস অব কমন্সে দিন কয়েক আগেও বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ‘স্ট্রং’ শব্দটি দৃঢ়তার সাথে ব্যবহার করেন ২৭ বার।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দীর্ঘদিন ধরে যে পেনশন সুবিধা নিয়ে দাবি দাওয়া ঝুলে আছে তারও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান করতে যাচ্ছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে গড় বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিতে তিনি সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবেন বলে অনেকের বিশ্বাস।


 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 যাত্রাবাড়ীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, স্বামী আটক

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সনির আখড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত স্বর্ণাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী নাজমুল হোসেন বিদুৎকে আটক করেছে পুলিশ। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বর্ণা উত্তরার এশিয়ান ইউনির্ভাসিটির বাংলার ছাত্রী। আর তার স্বামী নাজমুল আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। স্বর্ণার গ্রামের বাড়ী টাংঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বলে জানিয়েছেন এসআই মোঃ বাচ্চু মিয়া।
স্বর্ণার মা কাজলী বেগম বলেন, ‘আট মাস আগে পারিবারিকভাবে নাজমুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। প্রথমদিকে স্বর্ণা-নাজমুলের সংসার ভালোই চলছিল। তবে কয়েক মাস আগে থেকে যৌতুকের দাবিতে নাজমুল স্বর্ণাকে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।’
কাজলী বেগম আরও বলেন, ১০ এপ্রিল বেড়াতে যাই নাজমুলদের সনির আখড়ার মাতুয়াইল রহমতের বাড়ির ৫ম তলার ভাড়া বাসায়। ১১ এপ্রিল বিকালে স্বর্ণাকে নাজমুল ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শুনি, স্বর্ণা ছাদ থেকে পড়ে গেছে। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
আহত স্বর্ণা খাতুন বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে সায় না দেওয়ায় নাজমুল আমাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।’ তবে নাজমুল বলেন, ‘দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বর্ণা নিজেই লাফিয়ে পড়ে।’
 

বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় মারধর হামলা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তার নিকটাত্মীয়রা। এ সময় তার মা-বোনের ওপরও হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে গেলে সেখান থেকেও তাদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা। এ সময় কথিত বর অমল সরকারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
আহত নিলীমা সরকার ওই উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের মেয়ে এবং বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
নিলীমা জানায়, তার ও পরিবারের অমতে কাকা একই বাড়ির বিপুল কর, রনি কর ও বিপুলের স্ত্রী অনিতা কর জোরপূর্বক উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আদিত্য সরকারের ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক অমল সরকারের সঙ্গে আগামী ২৭ এপ্রিল বিয়ের দিন ধার্য করে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ২৪ এপ্রিল রাতে বিপুল, রনি ও অনিতা তাকে (নিলীমা) মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে তার মা অনিতা কর ও ছোট বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী ঈশিতা করকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। আহত নিলীমা তার বোন ঈশিতাকে নিয়ে ইউএনও গাজী তারিক সালমনের অফিসে রওনা হন। পথিমধ্যে কথিত বর অমল তার সহযোগীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিলীমাকে জোর পূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা অমলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিলীমা কর বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার এসআই মোশারফ হোসেন।


চন্দনাইশে বাল্যবিয়ে পণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চন্দনাইশ উপজেলায় ২০ এপ্রিল ২০১৭ বিকালে বাল্যবিয়ে পণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওইদিন উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া আনন্দ নগর কমিউনিটি সেন্টারে হাশিমপুর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শিবলু আক্তারের(১৭) সঙ্গে একই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের(২৫) বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় উপস্থিত হয়ে চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবারক হোসেন বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি বাল্য বিবাহে সহযোগিতা করার অপরাধে বরের চাচা ও কনের বাবাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেন।
 


বানারীপাড়ায় বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেতে মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেলার বানারীপাড়ায় কিশোরী স্কুল ছাত্রী মিলি বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেতে মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। উপজেলার খলিশাকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী নুরজাহান আক্তার মিলি গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের কাছে লিখিত আবেদনে অভিযোগ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিলির বাবা কুয়েতে কর্মরত থাকার সুযোগে তার মা ১৬ এপ্রিল নোয়াখালীতে নিয়ে জোড়পূর্বক তাকে জহিরুল ইসলাম নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বর্তমানে তাকে বরের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দিতে পারিবারিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে মিলি ইউএনও’র শরাণাপন্ন হন। মিলির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই দিন বিকালে মিলির মা নাসিমা আক্তার মিনি ও নানা শাহজাহান হাওলাদারকে ইউএনও তার কার্যালয়ে ডেকে এনে মিলি, তার মা ও নানার বক্তব্য শুনেন। পরে তিনি মিলি ও তার মাকে এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই দিন সময় দেন। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মকর্তা-নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খলিশা কোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী নুরজাহান আক্তার মিলি বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে লেখাপড়া করে আলোকিত নারী হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়। এদিকে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মিলি সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ায় সাংবাদিকসহ এলাকার সচেতন মহল তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন, ভালো থাকুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘নির্যাতক পুরুষেরা সুখে থাকেন না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেশে পরিচালিত একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়, যার ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পুরুষ নারী নির্যাতন করেন, জীবন নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টির মাত্রা যাঁরা নারী নির্যাতন করেন না তাঁদের তুলনায় কম। নির্যাতন করার বিষয়টি তাঁদের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ নারী নির্যাতনকারী পুরুষেরা সুখী হন না। ওই প্রতিবেদনে আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, সমাজে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়।
গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ অসুখী। কারণ, নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যাটা যে অনেক বেশি। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় নারীর ওপর নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি জরিপের ফলাফল। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। আর স্বামীরা তাঁদের ওপর এ নির্যাতন চালিয়ে থাকেন। এ অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা আর নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যা সমান। কী ভয়াবহ ব্যাপার, তাই নয় কি? পুরুষেরা নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের বারোটা তো বাজিয়েই চলেছেন, তার ওপর নিজেরাও ভালো থাকছেন না। কী লাভ হচ্ছে তাহলে?
আমাদের দেশের অনেক পুরুষই হয়তো দেশে ও বিদেশে পরিচালিত ওই গবেষণার ফলাফলকে মানতে চাইবেন না। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন, মারধর না করলে মেয়ে লোক মাথায় চড়ে বসে। আর নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা বা সংসারে তাঁর কথাই যে শেষ কথা, সেটা বোঝানোর জন্যও অনেকে মারধরকেই পথ হিসেবে মানেন।
নির্যাতনকারী সেই সব পুরুষকে বলতে চাই, নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এটা কোনো রাস্তা নয়। সংসার তো নারী-পুরুষ দুজনের। সেখানে পুরুষকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই হবে কেন? দুজনে মিলেমিশে দুজনের মতের ভিত্তিতে কি সংসার চালানো যায় না? নিশ্চয়ই যায়। এ রকম উদাহরণও তো সমাজে আছে। স্ত্রীকে মারধর করে আপনি যতটা না কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন, ভালোবাসলে, স্ত্রীর দায়িত্ব নিলে দেখবেন আপনা-আপনি আপনার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে স্ত্রীও ভালো থাকতেন এবং নিজেও সুখী হতেন।
অনেক পুরুষ ভাবেন, গায়ে হাত তুললেই সেটা কেবল নির্যাতন হয়, এ ছাড়া নির্যাতন হয় না। কিন্তু কাউকে যখন মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়, সেটাও নির্যাতন। আমাদের ভদ্র সমাজে মানসিক নির্যাতনের হার বেশি। আছে অর্থনৈতিক নির্যাতনও।

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

আজকের পুলিশ আর দশ বছর আগের পুলিশ এক নয়

            স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আজকের পুলিশ আর দশ বছর আগের পুলিশ এক নয়। আজকের পুলিশ জনগণের পুলিশ, জীবনের বিনিময়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পুলিশ। গত ২৯ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ‘মাদক ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ এবং কনসার্ট’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিএমপি গুলশান বিভাগের উদ্যোগে ৫০ জন মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাকে একটি করে সেলাই মেশিন ও ৪ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছি, সেখানেই অভিযান চালিয়ে তাদের দমন করেছি। ইতিমধ্যে জঙ্গি অভিযানে আমাদের কিছু চৌকস অফিসার নিহত হয়েছেন। জেলখানায় বিশ শতাংশ কয়েদী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ ঐশী হোক আমরা চাই না।
অনুষ্ঠানে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যেসব বস্তিতে অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী থাকবে, সেসব বস্তি আমরা রাখব না।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ রুখতে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছি। যার কারণে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, আরো ২০০ জন পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ায় আছেন। মাদক প্রতিরোধের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্ল্যাহ, তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আবু হায়দার প্রমুখ।
 

ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০ হাজার টাকার চাঁদা দাবি এবং ওই চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিয়ে লাশ গুম করার অভিযোগে আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন মোকলেছুর রহমান নামের এক ট্রলারচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক।
গত ১৬ মার্চ দুপুরে বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ওই অভিযোগ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসাইন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ারসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুনসুর আলী, উপজেলার মাধবরায় এলাকার জুয়েল মাতুব্বর ও চর খাজুরিয়া এলাকার মো. জাকির শিকদার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সাংসদের সমাবেশে লোক জমায়েত করার জন্য আসামিরা ১২ মার্চ পরস্পরের যোগসাজশে বাদীর কাছে চারটি ট্রলার দাবি করেন। বাদী তাঁর নিজের ট্রলারটি দিতে রাজি হন। অন্য তিনটি ট্রলার দেওয়া সম্ভব নয় বলে আসামিদের জানিয়ে দেন। এ সময় আসামিরা তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ১৫ মার্চ সকালে কাজীরহাট থানার এসআই মুনসুর আলী বাদীর বাড়ি গিয়ে ট্রলারসহ মোকলেছুর রহমানকে আটক করেন। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে দুপুর পর্যন্ত আটকে রাখেন। এ সময় আসামিরা তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁকে ক্রসফায়ারে দিয়ে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ওই দিন তাঁকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্যও হুঁশিয়ার করেন আসামিরা।
কাজীরহাট থানার ওসি শওকত আনোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
 

বরগুনায় পুলিশের নির্যাতনে দু’বছরের শিশু ও বৃদ্ধ আহত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরগুনা সদর উপজেলায় দুই বছরের শিশু ও তার দাদাকে পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৬ এপ্রিল বদরখালী ইউনিয়নে কুমড়াখালী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় দাদা সুলতান ও নাতনি তানহাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সুলতান জানান, তাদের প্রতিপক্ষ সালাম বরগুনা থানায় একটি দরখাস্ত দেয় তাদের জমি থেকে আমাদের লোকজন মুগ ডাল তুলে নেয়। দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা থানার এসআই মোতালেব জোমাদ্দার বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সুলতান ও তার দুই বছরের নাতনি জয়নালের মেয়ে তানহাকে কোলে নিয়ে ডাল ক্ষেতের পাশে দাঁড়ানো ছিল। উপপরিদর্শক মোতালেব জোমাদ্দার ঘটনাস্থলে পৌঁছে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে। তখন সুলতান এসআই মোতালেব জোমাদ্দারকে বলেন, গালমন্দ না করে কথা শুনেন। এতে ওই দারোগা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সুলতান বার বার দারোগাকে বলেন, হাইকোর্টের রায় আমাদের পক্ষে। জমি আমাদের। এতে দারোগা আরও উত্তেজিত হয়ে ডাল তুলতে নিষেধ করেন। সুলতান কথা না শোনার অপরাধে দারোগা লাঠি দিয়ে সুলতানকে এলোপাতাড়ি পেটাতে পেটাতে মাটিতে ফেলে দেয়। সুলতানের কোলে থাকা শিশু তানহাকেও দারোগা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে শিশুর ডান চোখের উপর ও নিচের ঠোঁটে জখম হয়। সুলতানের শরীরে অসংখ্য জখম হয়।
 

৭ পরিবহন শ্রমিক কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট চলাকালে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাত শ্রমিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালত এক দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, হাসানুর, রবিন, মো. সোহেল, ফজলে রাব্বী, আলামিন ও এনামুল হক।
রিমান্ডশেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. জোবায়ের আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জোহা আসামিদের জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ ফেব্র“য়ারি মানিকগঞ্জের আদালত তারেক মাসুদ ও মিশুক মনির নিহতের ঘটনায় আসামি জামিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ঢাকার একটি আদালত সাভারের এক নারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মামলায় আসামী মীর হোসেনকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন।
এর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধের ডাক দিলে গত ১ মার্চ গাবতলীর তিন রাস্তার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানার পুলিশের উপপরিদর্শক বিশ্বজিত পাল এই মামলাটি দায়ের করেন।

 

নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যায় দায়ীদের বিচার দাবি


মানবাধিকার রিপোর্ট
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার নারী কনস্টেবল হালিমা বেগমের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা ঘটনায় মৃত্যুর আগে তিনি ডায়েরিতে একই থানার এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও একই চিরকুটে ওই থানার ওসি ধর্ষণের অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলে লিখে যান। ২৪ এপ্রিল দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ এসব অভিযোগ করেন। এসময় তিনি মৃত্যুর আগে হালিমার লেখা চিরকুট ও ওসির কাছে করা ধর্ষণের অভিযোগ দেখান সাংবাদিকদের। তিনি তার মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘আমার মরে যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম আমাকে জোর ধর্ষণ করে। আমার অভিযোগ অফিসার ইনচার্জ গ্রহণ করে না।’ মৃত্যুর আগে গৌরীপুর থানার ওসির কাছে মিজানুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ লিখে যান হালিমা।
 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


খাবার থেকে ফরমালিন দূর করবেন যেভাবে

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ফরমালিন ছাড়া খাবার জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া এক কথায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফরমালিনযুক্ত খাবার খেয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করে খাদ্য থেকে ফরমালিন দূর করা যায়। যদিও আজকাল ফল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাক সবজি, এমনকি দুধে পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে এই রাসায়নিক। ফর্মালিন (রাসায়নিক সংকেত -ঈঐঙ-)হ হল ফর্মালডিহাইডের পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মত। ফর্মালিন বস্তুটা মূলত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও সর্বোপরি মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
অনেকের ধারণা, ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিশুদ্ধ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে খাদ্যদ্রব্য থেকে ফরমালিন দূর হয় বা কমে যায়। আসলে কমলেও তা অতটা কার্যকর নয়। তার চেয়ে বরং কাঁচা অবস্থায় খাবার থেকে ফরমালিন অপসারণ করতে চাইলে পানির কল ছেড়ে তার নিচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে।
কারণ কাঁচাসবজি ও ফলের ত্বকে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। আর পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিন আরো ভালোভাবে খাবারে মিশে যেতে পারে। তাই পানির কল ছেড়ে তার নিচে নির্দিষ্ট খাবার দ্রব্য বা ফলটি রেখে দিন।
ভিনেগার বা লেবুর রসে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখেও ফরমালিন দূর করা যায়। আগুনের তাপে ফরমালিন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্নার আগে ফরমালিন কমানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে রান্না করলে খাবার পুরোপুরি ফরমালিন মুক্ত করা সম্ভব।
 

সাইক্লিং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সাইকেল চালিয়ে কাজে গেলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
বাহনে চড়ে মানুষজন কাজে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যের ওপর তার প্রভাব নিয়ে- পাঁচ বছর ধরে ২ লাখ ৫০ হাজার অফিস যাত্রীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাইকেল চালিয়ে অফিসে যান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমেছে ৪৫ ভাগ, আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমেছে ৪৬ ভাগ।
এছাড়া গবেষণায় পাওয়া যায়, সাইক্লিং করলে শরীরে মেদ এবং প্রদাহ কম যায়।
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেসন গিল বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত। কাজে যাওয়ার জন্য ব্যবহার হওয়া বাহনের সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকার অনস্বীকার্য।’
তিনি বলেন, সাইকেল চালালে অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। মনের সাথে যুদ্ধ করতে হয়না।
ব্রিটেনের শীর্ষ বেসরকারি ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র ক্লেয়ার হাইড বলছেন, এই গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিনের জীবনযাপনে যারা যত বেশি সক্রিয় থাকেন, তাদের রোগের ঝুঁকি তত কমে।
 

হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপরে অনেকেরই অগাধ আস্থা থাকে। অনেকে রীতিমতো উপকারও পান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়। কিন্তু এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, যা না মানলে রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে না। কী রকম নিয়ম? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাবেন না।
২. হোপিওপ্যাথিক ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করবেন না। সিগারেট বা মদের মতো নেশাকর দ্রব্যে যে তীব্র সাপ্লিমেন্ট থাকে, তা ওষুধের কার্যকারিতাকে খর্ব করে দেয়।
৩. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কখনওই হাতে নেবেন না। হাতে নিলে ওষুধের অভ্যন্তরীণ স্পিরিট উবে যায়। কাগজ কিংবা ওষুধের শিশির ঢাকনায় ঢেলে নিয়ে ওষুধ মুখে দিন।
৪. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের আগে সাদা জলে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন।
৫. ওষুধ খাওয়ার পরে কোনও টক খাবার সেবন করবেন না। এতে ওষুধের প্রভাব খর্ব হয়ে যায়।
৬. অ্যালোপাথি কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখবেন না। এতে ওষুধের ক্ষমতা কমে যায়।
৭. চিকিৎসা চলাকালীন চা এবং কফিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৮. কোনও ভাবেই অন্য কোনও রোগীর ওষুধ নিজে খাবেন না। একই রকমের রোগ হলেও অন্য রোগীর ওষুধ খাওয়া কখনওই উচিত নয়। কারণ মনে রাখবেন, রোগীভেদে হোমিওপ্যাথি ওষুধও কিন্তু বদলে যায়।
৯. যে জায়গায় ওষুধটা রাখবেন, সেখানে যেন কোনও ভাবেই সরাসরি রোদ না আসে।
১০. ওষুধের শিশির ঢাকনা কখনওই খোলা রাখবেন না।


টিকটিকি, মাছি, পিঁপড়া ও উইপোকা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
১। টিকটিকি তাড়াবার সহজ উপায় পাঁচখানা ডিমের খোসা একটি বাটিতে করে, যে ঘরে টিকটিকি আছে সে ঘরে রাখলে টিকটিকির উপদ্রব অনেক কমে যাবে। ময়ূরের পাখনা চার-পাঁচটি অংশ একটি সুতলিতে টাঙিয়ে রাখলেও উপদ্রব কমবে।
২। বাড়িতে গ্যাস শেষ হয়ে গেলে আবার ব্যবহারের পদ্ধতি, বিজ্ঞানীদের ধারণা ওই গ্যাস সিলিণ্ডারের তলার অংশে এক থেকে দেড় লিটার গ্যাস থাকে এবং ওই গ্যাস গরম পানি বা গরম ভাতের ফ্যানার ওপর রাখলে আরও অনেকবার ব্যবহার করা যায়।
৩। মাছি ও পিঁপড়া তাড়াবার সহজ উপায় হচ্ছে চায়ের চামচের চার চামচ লবণ এক লিটার পানিতে গুলে ঘরের মেঝে ভালো করে মুছলে মাছি ও পিঁপড়ের উপদ্রব অনেক কমে যাবে।
৪। গাঁয়ের ঘামাচি তাড়াতে পাঁচ গ্রাম ফিটকিরি এবং একমুঠো নিমপাতা দিয়ে দুটোকে এক সঙ্গে বেটে গোসলের এক ঘন্টা আগে গাঁয়ে মেখে শুকিয়ে ফেলে গোসল করলে অনেকটা ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৫। উইপোকা তাড়াতে ৫০ গ্রাম কাপড় কাঁচা সোডা, ১০ গ্রাম খাবার চুন পাতলা করে গুলে স্প্রে করলে উইপোকার উপদ্রব কমে যাবে।
৬। আরশোলা তাড়াতে ৫০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার ও ৫০ গ্রাম কাপড় কাঁচা জেট পানিতে গুলে স্প্রে করলে আরশোলার উপদ্রব কমে যাবে।
 

খালি পেটে যে খাবার খেতে নেই


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ক্ষুধা লাগলেই যে হাতের সামনে যা আছে তা-ই খেয়ে নেব তা কিন্তু নয়। প্রতিটি খাবার খাওয়ারই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। তা না হলে খাবার গ্রহণে উপকারের পরিবর্তে উল্টো ক্ষতি হতে পারে শরীরের। কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়া একদমই ঠিক নয়। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো ভুল করেও খালিপেটে খাওয়া যাবে না।
টমেটো
টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং নিউট্রিশন থাকে। কিন্তু এই টমেটো খালি পেটে খাওয়া একেবারেই অনুচিৎ। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটোয় বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে পাকস্থলীর মধ্যে এক ধরনের অদ্রবণীয় উপাদান তৈরি করে। এটি পাকস্থলীতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
শসা
প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শসা খালি পেটে খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। এর ফলে তলপেটে যন্ত্রণা, হৃদরোগ, পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
কলা
কলাকে বলা হয় সুপার ফুড। এটি হজমের জন্যে খুবই দরকারী। কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। কিন্তু যদি আমরা খালি পেটে কলা খাই, তাহলে রক্তে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে। তাই সকাল বেলা কলা খাওয়া মানা।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চ পরিমাণ কার্বোনেটেড এসিড। খালি পেটে এগুলো খেলে বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
দুধজাতীয় খাবার
দই কিংবা দুধের তৈরি যেকোনও খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়। এতে অ্যাসিডিটি হয়। ভারী খাবার গ্রহণের পর দুধ বা দই খাওয়া উচিৎ।
লেবুজাতীয় খাবার
লেবু বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। বাতাবি লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খালিপেটে খেলে অ্যাসিডিটি বাড়ার ঝুঁকি থেকে। এটি শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে।
মশলাদার খাবার
ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে খালি পেটে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়ার কারণে পেটে জ্বালাপোড়া হয়। নিয়মিত এরকম হলে পাকস্থলীর ক্ষতি হবার ঝুঁকি বাড়ে।
চা-কফি
খালি পেটে চা কিংবা কফি খাওয়া ক্ষতিকর। চায়ের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড, যা পাকস্থলীর আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা পাকস্থলীর জন্য ভালো নয়। তাই সকালবেলা চা কিংবা কফি খেলে তার আগে একগ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন।
 

ডায়াবেটিস রোগীদের আর যন্ত্রণাদায়ক ইনসুলিন নিতে হবে না


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এবার আর ডায়বেটিস রোগীদের যন্ত্রণাদায়ক ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিতে হবে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় একদল গবেষক। এন্ডোক্রিনোলাজি নামের জার্নাল প্লাস ওয়ান এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এ দাবি করেন তাঁরা।
তারা আরও বলেন, এমন একটি রাসায়নিক তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যা শরীরে ইনসুলিনের মতোই কাজ করবে। ওই রাসায়নিক টি দুই ধরনের ডায়াবেটিসের (ডায়াবেটিস ১ এবং ডায়াবেটিস ২) ক্ষেত্রেই সমান কার্যকর। গবেষকদের দাবি, ওই রাসায়নিকটি অদূর ভবিষ্যতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
রাসায়নিক টি তৈরির পিছনে অবদান রয়েছে দেশের আটটি প্রতিষ্ঠানের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার এন্ডেক্রিনোলজি ল্যাবোরেটরির।
গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী বিশ্বভারতীর সমীর ভট্টাচার্য বলেন, ডিএমপি নামের এমন একটি রাসায়নিক আমরা তৈরি করেছি। ইঁদুরের উপরে তার প্রয়োগ সফল হয়েছে। রাসায়নিক টি তৈরিতে অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রসায়ন বিজ্ঞানী মিহির চৌধুরীর ভূমিকাই প্রধান বলে মন্তব্য করে এসএসকেএম-এর এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, মানুষের উপরে ওই রাসায়নিকটির পরীক্ষা সফল হলে তা ওষুধ হিসেবে বাজারে আসতে পারে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করবে ডিএমপি? ডায়াবেটিস ১-এর ক্ষেত্রে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ইনসুলিন তৈরিই হতে পারে না। এ সব ক্ষেত্রে রোগীকে বাইরে থেকে ইনসুলিন নিতে হয়। ডায়াবেটিস ২-এর ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় বটে, কিন্তু তার পরিমাণ কম এবং ওই ইনসুলিন শরীরে ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, নতুন রাসায়নিকটি ডায়াবেটিস ১-এর ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মতো কাজ করবে। আর ডায়াবেটিস ২-এর ক্ষেত্রে শরীরে চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেবে যা শরীরে যেটুকু ইনসুলিন থাকবে তাকে সক্রিয় করবে। এন্ডোক্রিনোলজিস্টেরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিসের সময় শরীরে চর্বি থেকে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তাই দেহে জমে থাকা বা খাবারের সঙ্গে ঢোকা চর্বি গ্লুকোজ ভাঙতে পারে না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকে। ওই চর্বি যাতে শরীরে জমে থাকতে না পারে, তার জন্য বাজারে দু’টি ওষুধ এক সময় চালু ছিল। কিন্তু শরীরে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি সে ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেয়। সেই তুলনায় ডিএমপি একেবারেই নিরাপদ বলে গবেষণাপত্রে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সমীরবাবু বলেন, ডিএমপি এক দিকে যেমন চর্বি থেকে শক্তি উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে উজ্জীবিত করে, তেমনই ইনসুলিনের মতো কাজ করে। পাশাপাশি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় থাকলে তাকেও সক্রিয় করে তোলে।
এসএসকেএম-এর সতীনাথবাবুও বললেন, ডিএমপি-র বৈশিষ্ট্য হল এই ওষুধ ডায়াবেটিস ১ এবং ডায়াবেটিস ২, দু’টি ক্ষেত্রেই সমান সক্রিয়।
অন্য এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা এই আবিষ্কার নিয়ে কী বলছেন? বিশ্বজিৎ ঘোষ দস্তিদার বলেন, নানা ধরনের মলিকিউলের অস্তিত্ব সামনে আসছে, ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়ার ক্ষেত্রে যাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিএলপি ওয়ান অ্যানালগ-এর কথা আগে জানা গিয়েছে যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডিএমপি-ও হয়তো তেমনই কোনও রাসায়নিক।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস, রায় প্রকাশ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এক হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তা আমৃত্যু কারাবাস হবে বলে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ বছর আগে সাভারের জামান হত ্যা মামলায় দুই আসামির আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছিল।
২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আদালত বলেছে, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস।
এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এই রায়ের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কারা মহাপরিদর্শককে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা হয়েছে, ‘দণ্ডের মেয়াদসমূহের ভগ্নাংশসমূহ হিসাব করার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাবাসকে ৩০ বছর মেয়াদী কারাবাসের সমতুল্য বলে গণ্য হবে।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, তিনি প্রধান বিচারপতিকে বলেছিলেন যে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যেন আমৃত্যু কারাবাসের বিষয়ে মন্তব্য না থাকে।
“আমি বলেছি, প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য যেন মূল রায়ে না থাকে। যদি থাকে, তাহলে সব মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।”
সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, আদালত বলেছে যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ ৩০ বছর নয়, বরং আমৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।
“প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রায়ে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হবে। উনার মতামত দেবেন যে আদালত যদি মনে করেন যে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হবে, তাহলে তাকে মৃত্যু অবধি জেলে থাকতে হবে।”
ব্রিটিশ আমলে করা আইন ও কারাবিধির বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে বিচারপতি এস কে সিনহা আদালতের বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তির কথা বলে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ জুন গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে করেন ৩০ বছর। ধরে নেয়, সব জায়গায়। প্রকৃত পক্ষে এটার অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থ হল একেবারে যাবজ্জীবন, রেস্ট অফ দ্য লাইফ।”
এরপর আদালতে দেওয়া রায়েও একই মত প্রকাশ করেন তিনি।
আদালত তার অভিমতে বলেছে, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৪৫ ধারার সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সোমবার রাতে বলেন, আদালত তো এখানে নতুন আইন করছে না। আইনের একটা ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এই আইনটা যদি এতদিন সবাই না বুঝে থাকে, এখন আদালত যে ব্যাখ্যা দেয় সেটা মানতে হবে।”
“এখন যারা জেলে আছে, সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে,” বলেন তিনি।
তবে তিনি একইসঙ্গে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় ভালোভাবে পড়ে এবিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
“এর মধ্যে কেউ বের হয়ে গিয়ে থাকলে তাকে তো আবার জেলে ঢোকানো যাবে না। তবে সর্বোচ্চ আদালতের ব্যাখ্যা মানতে হবে।”
কারাবিধিতে আসামি রেয়াত পেলে দণ্ড আরও কমে আসে। কিন্তু আমৃত্যু সাজা হলে রেয়াত খাটবে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সাধারণ কয়েদিদের ক্ষেত্রে তো আবার জেল কোড প্রযোজ্য। সেখানে যদি কেউ রেয়াত পায়, সেটার কী হবে- সেটা পুরো রায় পড়ে বুঝতে হবে।”

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.