           
 
|
Cover June 2017
English Part
June 2017
English Part
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন
মে’২০১৭
মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১২৯ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে
মে ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়
১২৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মে ২০১৭ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৪.১৭
জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়
গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার
ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৭ সালের মে মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১২৯
জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৫জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৫ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৯ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ৭ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৩১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৩ জন, অপহরণ হত্যা ৫
জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৯৮ জন এবং আত্মহত্যা ৩৩ জন।
মে ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর
মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৫৫ জন, যৌন নির্যাতন ৭ জন এবং
যৌতুক নির্যাতন ৭ জন।
সন্ত্রাসীদের
অস্ত্র ও অর্থের যোগান বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে মোকাবেলা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীদের
অস্ত্র ও অর্থায়নের যোগান বন্ধে বৈশ্বিক উদ্যোগ
গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ মে ২০১৭ সৌদি আরবের রাজধানীতে কিং আবদুল আজিজ
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা অবশ্যই
সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থের উৎস বন্ধ
করতে চাই। খবর বাসসের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই
সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে
বিভেদ সৃষ্টি বন্ধ ও শান্তির নীতি অবলম্বনের জন্যে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে
বলেন, এটি সবার জন্য বিজয়-বিজয় পরিস্থিতি তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল
সউদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং
আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশসমূহের সরকার ও রাষ্ট্র
প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও
চরমপন্থা বিশ্বের শান্তির জন্য কেবল বড় হুমকিই নয়, এটি
উন্নয়ন ও মানব সভ্যতার জন্যও। তিনি বলেন, ‘এটি যে কোন
দেশ, ধর্ম ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’ প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশ সকল প্রকার চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো
টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং সর্বদাই যে কোন ধরনের
একক বা সম্মিলিত সন্ত্রাস ও উৎসের বিরুদ্ধে অবস্থান
নিচ্ছে।
ইসলামকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের
কোনো ধর্ম, বিশ্বাস বা মৌলিক পরিচয় নেই, তারা যে কোন
ধর্ম থেকে আসুক না কেন।’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মহানগর উত্তর
কমিটির আলোচনা সভা ও শপথ অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর
শাখার আলোচনা সভা, শপথ ও পরিচিতি সভা ১৩ মে ২০১৭
সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরার ভুতের আড্ড রেষ্টুরেন্টে
অনুষ্ঠিত হয়। BHRC'র ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি
আক্তারুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন BHRC'র নির্বাহী কমিটির
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রেজাউল মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং ১০৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির
শপথ পাঠ করান BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর
দক্ষিণের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, বিশেষ প্রতিনিধি
আনোয়ারা বেগম, ঢাকা উত্তরের প্রধান উপদেষ্টা নাজমুল
আলম ভূইয়া জুয়েল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম
সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ঢাকা উত্তরের
নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পদাক
শেখ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
আজমুল হক প্রমূখ।
দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীদের জন্য ১৪০ কোটি ডলার চেয়েছে
জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে লাখ লাখ লোক ঘরবাড়ি
ছেড়ে পালিয়ে অন্য দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছে। তাদের
সহায়তার জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো ১৪০ কোটি
ডলার দেবার আবেদন জানিয়েছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে কমপক্ষে ১৮ লাখ লোক দক্ষিণ সুদানের
প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে, আর দেশটির ভেতরে
অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে আরো ২০ লাখ লোক।
জাতিসংঘ এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা উভয়েই বলছে, এই লোকেরা
অকল্পনীয় এবং নরকীয় দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছে।
দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে ২০১৩ সাল থেকে। এসময়েই
লাখ লাখ শরণার্থী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী
দেশগুলোতে। জাতিসংঘের হিসেবে দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১৮
লাখ মানুষ এখন শরণার্থী। এদের মধ্যে দশ লাখই শিশু।
সহিংসতা থেকে বাঁচতে এরা সবাই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী
দরিদ্র দেশগুলোতে, বিশেষ করে উগান্ডা, মধ্য আফ্রিকান
প্রজাতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে। শুধু
দেশের বাইরের শরণার্থীরাই নয়, দক্ষিণ সুদানের ভেতরেও
আরো বিশ লাখের মতো মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু
হয়েছে। গত ফেব্র“য়ারি মাসেই জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে
দেশটির দুটো এলাকা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়েছে।
এই সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে শরণার্থীদের খাবার ও আশ্রয়
দেয়ার জন্যে পর্যাপ্ত তহবিল জাতিসংঘের কাছে না থাকার
কারণে। অর্থের অভাবে উগান্ডাতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থী
পরিবারগুলোকে দেয়া রেশনেও কাটছাট করতে হয়েছে জাতিসংঘের
খাদ্য বিষয়ক সংস্থাকে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, বর্তমানে
পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন না
সহিংসতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের কারণেও আরো বহু
মানুষ এখনও দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। জাতিসংঘ যত সংখ্যক
শরণার্থীর আশঙ্কা করেছিলো বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত
সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। আর শরণার্থীদের এই ¯্রােত
সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আশেপাশের দেশগুলোকেও।
মহান মে দিবসে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার
উদ্যোগে ১লা মে মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেল ৫
ঘটিকায় খুলশী ক্লাব লি: এ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের মহানগর শাখার সহ-সভাপতি অসিম কুমার দাশ এর
সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন সদর দপ্তর বিশেষ প্রতিনিধি লায়ন এম.এ.সোহেল
আহমেদ মৃধা। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব জসিম আহমেদ। সভায় আরো
বক্তব্য রাখেন, মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব
মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, সহসভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিম,
যুগ্ন সম্পাদক আবদুল মজিদ চৌধুরী, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ
আলমগীর বাদশাহ, সেকান্দর আলী, মোঃ মছরুর হোসেন, সাগর
ইসলাম, আকবরশাহ থানার সভাপতি লায়ন মাওলানা মোহাম্মদ
ইউসুফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ মহিউদ্দিন মঈন, মোঃ
লিয়াকত আলী, জাহিদ তানছির, মোঃ বাবর আলী, আনোয়ার হোসেন
মিয়া, মোঃ খোকন, জাহিদ হোসেন রনি, শাহাদাত হোসেন বাবু,
নুরুল আফসার খন্দকার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, জীবন
জীবিকার তাগিদে প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে শ্রম দিয়ে
যাচ্ছেন। মে দিবসের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রত্যেকের
ন্যায্য অধিকার প্রদানে সচেষ্ট হওয়ার জন্য সকলের প্রতি
আহবান জানান।
ক্রেডিট কার্ডে
সুদ হার সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
ক্রেডিট কার্ডে সুদ হার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ভোক্তা ঋণের যে সুদ হার রয়েছে, তার চেয়ে সর্বোচ্চ ৫
শতাংশ বেশি হতে পারবে এসব কার্ডের সুদ হার। বর্তমানে
ব্যাংকগুলোতে ভোক্তা ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ,
ফলে ক্রেডিট কার্ডে নতুন সুদ হার হবে সর্বোচ্চ ১৬
শতাংশ।
১১ মে ক্রেডিট কার্ড সেবাসংক্রান্ত এক নীতিমালা জারি
করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, শর্তগুলো অবিলম্বে
কার্যকর করতে হবে। এর ফলে ক্রেডিট কার্ডের যেসব
ব্যবহারকারী সুদ হার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তা কিছুটা
কেটেছে। বর্তমানে দেশে ৯ লাখ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী
রয়েছেন। তবে ব্যাংকগুলো এখনো এই নীতিমালা বাস্তবায়নের
উদ্যোগ নেয়নি বলে জানা গেছে। এমনকি নীতিমালা নিয়ে
আপত্তির কথাও জানিয়েছে।
দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। গত
জানুয়ারি মাসেই গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭৩৫
কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। ডিসেম্বরে ক্রেডিট কার্ড
গ্রাহকেরা ৭০৫ কোটি টাকার লেনদেন করেন। গত জানুয়ারিতে
প্রায় ৮ লাখ ৭৭ হাজার ক্রেডিট কার্ড চালু ছিল। এর মধ্যে
দি সিটি ব্যাংকের ২ লাখ ৮ হাজার, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১
লাখ ৫০ হাজার, স্টান্ডার্ড চার্টার্ডের ১ লাখ ৫০ হাজার
ও ব্র্যাক ব্যাংকের ১ লাখ ৩ হাজার।
নতুন নীতিমালায় বিধান করা হয়েছে, ব্যাংক গ্রাহককে
ক্রেডিট কার্ডের যে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে,
তার ৫০ ভাগ নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কার্ডে ঋণের
যে সীমা দেওয়া হয়েছে, তার সর্বোচ্চ অর্ধেক টাকা নগদ
উত্তোলন করতে পারবেন। কার্ডধারীদের আকৃষ্ট করতে
ব্যবহারের ওপর কোনো ধরনের পুরস্কার, বোনাস, কুপন,
টিকিটের অফার দেওয়া যাবে না।
BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর BHRC একাডেমী কাপ-২০১৭
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র ঢাকা মহানগর
দক্ষিণের আয়োজনে ১৩ মে ২০১৭ দুপুরে ঢাকার রামপুরা
থানাস্থ আফতাবনগর ক্রিকেট মাঠে BHRC একাডেমিক কাপ-২০১৭
ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট
জাতীয় দলের খেলোয়াড় এনামুল হক বিজয় এবং মোঃ আশরাফুল এই
ক্রিকেট ম্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ক্রিকেট
ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলোয়াড় এবং আয়োজকদের মধ্যে
পদক ও কাপ বিতরণ করেন BHRC’র মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণের
সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম শান্ত। অনুষ্ঠানে
অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ডাঃ
আনোয়ার ফরাজী ইমন, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ লিয়াকত আলী
২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ ওসমান গনি, BHRC ঢাকা
মহানগর দক্ষিণের ডেপুটি গভর্নর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন
মতিন, BHRC ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল
হক।
যে খাবারে দরকার নেই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক খাবার জিনিস ব্যবহার করে থাকি।
সব জিনিসের একটি মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকে। এটি খুব
গুরুত্বপূর্ণ কারণ মেয়াদ শেষে খাদ্যদ্রব্যটি নষ্ট হয়ে
যায় যা আমদের শরীরের জন্য মোটেই ভালো না। কিন্তু জানেন
কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু খাদ্যদ্রব্য কখনো
খারাপ বা নষ্ট হয় না। হ্যাঁ, তাই চলুন জানা যাক কি সেই
খাদ্যদ্রব্য –
(১) মধু: মধু এমন একটি খাবার যা কখনো নষ্ট হয় না। হয়ত
এটার রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে অথবা দানা বাঁধতে পারে
কিন্তু এরপর আপনি এই মধু খেতে পারবেন নির্দ্বিধায়। শুধু
মধুর জারটিকে গরম পানিতে চুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ না দানা
সরে যায়। মধুর জারটি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন এবং
একটি শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। যাতে যে কোন সময় এটি
খেতে পারেন।
(২) চাল: চালের বক্স বা ব্যাগের উপর যতই ময়লা হোক না
কেন ভিতরে চাল কিন্তু ঠিক থাকে, এটা রান্না করলে ভাত
হয়। পলিশ করা চাল আপনি যতদিন ইচ্ছা সংরক্ষণ করতে পারেন
তবে বাদামি চালে পোকায় ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ
বাদামি চালে উচ্চতর তেল থাকে যা চালকে সপ্তাহের মধ্যে
নষ্ট করে দেয়।
(৩) সাদা ভিনেগার: আপনার ঘরে সাদা ভিনেগারের একটি বোতল
খুঁজে পেয়েছেন? কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? নির্দ্বিধায়
তা ব্যবহার করতে পারেন। এটি এমন একটি জিনিস যা নষ্ট হয়
না। এটি রান্নার কাজে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
(৪) রিয়েল ভ্যানিলা নির্যাস: এটি অ্যালকোহল থেকে তৈরি
হয়, লাল ভ্যানিলা নির্যাস যতক্ষণ বা যতদিন ইচ্ছা এটিকে
সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, এটি তাজা ও এর স্বাদ আগের মতো
থাকবে। আপনি যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যানিলা নির্যাস দেখতে
পান তবে কিনে নিন কারণ এটার স্বাদ হবে অনন্য।
(৫) লবন: আপনি কি কখনো দেখেছেন যে লবন খারাপ বা নষ্ট
হয়ে যায়। না, মধুর মতো লবন ও নষ্ট হয় না যদি না এর উপর
আপনি পানি বা তেল ঢালেন। এটিকে গরম তাপ থেকে দূরে রাখতে
হবে এবং ভালো ছিপি যুক্ত জারে সংরক্ষণ করতে হবে।
(৬) চিনি: চিনি কখনো দূষিত হয় না কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া
জন্মাতে সাহায্য করে না। শুধু আপনি একটি বায়ুরোধী জারে
সংরক্ষণ করে তা একটি আদ্র স্থানে রাখুন এবং পিঁপড়া থেকে
বাঁচিয়ে রাখুন।
রাজধানীতে
শব্দ দূষণের মাত্রা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে ১৩১ ডেসিবেল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আবাসিক বাণিজ্যিক মিশ্র এলাকা রাজধানীতে যে পরিমান
শব্দ থাকার কথা তার চেয়ে দ্বিগুণ মাত্রা টপকে এখন শব্দ
দূষণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩১ ডেসিবেল। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন যার ফলে রাজধানীবাসী এখন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
। রাজধানীর সড়কগুলো যেন শব্দের কারখানা। সিগনালে বসেই
কান ফাঠানো হর্ন। তবে চালকরা এই হর্ন প্রয়োজনে ব্যবহার
করলেও বেশির ভাগ সময় অকারণেই বাজিয়ে থাকেন । যার কারণ
চালক নিজেরাই জানেনা।
এ নিয়ে কথা হয় কিছু চালকের সাথে। কথা বলে জানা যায়, টি
টি হর্ণের শব্দ কম। হাইড্রলিক খুলে ফেলার কারণে তাছাড়া
কিছু কিছু লোকাল বাসের চালক যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ
করতেও হর্র্ণের ব্যবহার করে থাকেন । তবে সিগনাল ছাড়ার
পরও সেই একই কান ফাঠানো হর্ন কেন বাজিয়ে থাকেন সে উওর
দিতে পারেনি কেউ। এদিকে আইন বলছে নিরব এলাকায় হর্ণ
বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ
ভিন্ন। রাজধানীতে হর্ণ মাত্রা মাপতে সাউন্ড মিটার
ব্যবহার করলে দেখা যায় ফার্মগেট, মহাখালী, বিজয় সরণীতে
এর সর্বোচ্চ। যেখানে দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা র্সব
নি¤œ পাওয়া যায় ৮২ ডেসিবেল ও সর্বোচ্চ ১৩৭ ডেসিবেল অথচ
এই মাত্রা থাকার কথা ছিল ৫৫ ডেসিবেল।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ৭০ টি এলাকা নিয়ে পর্যালোচনা
ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। পরিবেশ অধিদপ্তরে সেই ভয়ংকর
চিত্রে দেখা যায় আবাসিক এলাকার শব্দের তাপমাত্রা ৯০
ডিসেবেলের উপর আর সর্বোচ্চ ১৩০ ডেসিবেল । পরিবেশ
অদিধপ্তর ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রন এর পরিচালক ফরিদ
আহম্মেদ জানান, বিআরটিএর ভাসমান আাদালতে শাস্তির বিধান
থাকলেও সে আইন প্রয়োগ না হওয়ার কারনে এই সমস্যাটি
থেকেই যাচ্ছে ।
আইন দুর্বল ও প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলছে এ
সমস্যা। তাই এই সমস্যা নিরসনে শব্দ দূষণ বন্ধে জনসচেতনা
বিকল্প নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শব্দের মাত্রা বেড়ে যদি ৬৫ ডেসিবেল
হয় তবে সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। আর কোন কারনে তা
বেড়ে ৯০ ডেসিবেল হয় সেখানে একজন কর্ম নিয়োজিত ব্যক্তি
আট ঘন্টার বেশি সময় অবস্থান করতে পারবে না।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রামগতি-কমলনগর আঞ্চলিক
সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
এর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২৩ মে ২০১৭ রামগতিতে
অনুষ্ঠিত হয়। রামগতি-কমলনগর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি হাজী
মোঃ ইকবাল হোসেন রিয়াদ এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ
সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক
আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া। সম্মেলন উদ্বোধন করেন BHRC
লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সামছুল করিম খোকন।
সম্মেলনে রামগতি, কমলনগরসহ লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন
উপজেলা থেকে পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
ন্যায়বিচারের স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শুধু নিম্ন আদালতেই নয়, উচ্চ আদালতেও কর্মচারীদের মধ্যে
জেঁকে বসেছে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং প্রতারণার কারসাজি। এটা
কেবল উদ্বেগের নয়, আঁতকে ওঠার মতো বিষয়ই বটে। জানা গেছে,
সুপ্রিমকোর্ট ও দেশজুড়ে অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা
টাকার বিনিময়ে রায় পক্ষে পাইয়ে দেয়া, বিচার-রায় প্রদানে
বিলম্ব ঘটানোসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।
অবৈধ স্বার্থ হাসিলে জাল-জালিয়াতি, ফাইল গায়েব, রায়
পক্ষে এনে দেয়ার তদবির থেকে শুরু করে বিচারপতির
স্বাক্ষর জাল- এমন অন্যায় করতেও পিছপা হচ্ছে না
কর্মচারীরা। এক বছরের মধ্যে নিু আদালতের ১৬৮ কর্মচারীর
বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠাই দুর্নীতির ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির
প্রমাণ। বলার অপেক্ষা রাখে না, আদালতের কর্মচারীদের
অনিয়ম-দুর্নীতি দেশের বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নের
সম্মুখীন করছে এবং ন্যায়বিচারকে হুমকির মুখে ফেলছে।
আমরা মনে করি, ন্যায়বিচার ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্বার্থে
বিচারাঙ্গনের যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতিকারীর বিরুদ্ধে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
যুগান্তরের খবরেই বলা হয়, গত এক বছরে অর্ধ ডজনের বেশি
কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তিনজনকে। এর মধ্যে হাইকোর্টের
দুটি রিটের গোটা আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত
হয়েছেন এক কর্মচারী। দেশের উচ্চ ও নিন্ম আদালতে বিচারক,
কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের কারণে এমনিতেই ত্রাহি অবস্থা,
এর মাঝে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে নিজেদের
ভেতরের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তের বিষয়। এতে
বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ও
দীর্ঘসূত্রতা আরও দীর্ঘ হবে বলেই ধরে নেয়া যায়।
কর্মচারীদের এমন স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগে অপরাধীরা আরও
বেপরোয়া হয়ে পড়বে, এতে সন্দেহ নেই। বিচারপতির স্বাক্ষর
জাল করে ২৯ কেজি স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় স্থগিতাদেশ ও
১৮ হাজার পিস ইয়াবা আসামির জামিনের ঘটনা থেকে
প্রতীয়মান হয়, অপরাধীরা আদালতকে ‘হাতের মুঠোয়’ রাখা
যায় মনে করে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে অপরাধে পা বাড়াচ্ছে।
আদালত রাষ্ট্রের একটি স্পর্শকাতর অঙ্গ। অন্য অঙ্গগুলোর
অনিয়মকে আইনের আওতায় এনে সাজা নিশ্চিত করা আদালতের কাজ;
কিন্তু এ অঙ্গনেই যদি অনিয়ম জেঁকে বসে, তবে রাষ্ট্রের
অন্য স্তম্ভগুলোতেও এর প্রভাব পড়বে। আশার কথা,
সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন অনিয়মে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিচ্ছে। হাইকোর্টের কর্মচারী বিধিমালার আলোকে
সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই কেবল আদালতের
কর্মচারীদের অনিয়ম কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজনে
আদালতসংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য
আলাদা ট্রাইব্যুনাল করা যেতে পারে। কারণ কর্মচারীদের
অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে তথ্য জানানোর জন্য হটলাইন সেবা,
অনলাইনে অভিযোগ দাখিল, সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রার
জেনারেলের কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপন এবং
সেকশনগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও থামছে না অনিয়ম।
বিএইচআরসি
শাহজাদপুর উপজেলা ও পৌর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
উপজেলা ও পৌর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ গত ২০
মে সকালে শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শাহজাদপুর উপজেলা শাখার
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গোলাম সাকলাইনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য
দেন- কমিশনের পানাসি (পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ) আঞ্চলিক
শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ত. ম. শহিদুজ্জামান
নাসিম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- কমিশনের
সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাখাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
দেন- শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুন রাজীব,
শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক
শেলী, কমিশনের শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক
ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ, ওসি (তদন্ত)
মো. মনিরুল ইসলাম, কমিশনের চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি
সাংবাদিক কে. এম. বলাল হোসেন স্বপন। অন্যান্যের মধ্যে
বক্তব্য দেন- শাহজাদপুর পৌর শাখার সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামুল অখিল খান আড়ং, সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট শাহ জালাল মিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার
যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিকুর রহমান জয়, শাহজাদপুর
উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মো: রাকিবুল আলম, দপ্তর
সম্পাদক আবুল কালাম তালুকদার, নির্বাহী সদস্য রাজিব
রাসেল প্রমূখ। সম্মেলনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক মানবাধিকার সংগ্রামী অংশ
গ্রহণ করেন।
ইয়াবা আসক্ত নারীর সংখ্যা বাড়ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রথমে কৌতূহল। প্রেমিকের কাছ থেকে নিয়ে টান দেয়া।
এভাবেই ধূমপান শুরু রুপার। ঢাকার একটি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বনানীতে ক্যাম্পাস।
বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে সেবন করতেন সিসা। এক পর্যায়ে তা
আর ভালো লাগতো না। রুপা এখন ইয়াবায় আসক্ত। রুপা একা নন,
এখন অনেক মেয়েই ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। দিন দিন তাদের
সংখ্যা বাড়ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭
সালের এপ্রিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে নারী
মাদকসেবীর সংখ্যা ৫ লাখ ৯০ হাজার। তার মধ্যে ইয়াবায়
আসক্ত হচ্ছে ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৭৭ হাজার। ১৬ থেকে
৭০ বছর বয়সী পর্যন্ত নারীরা ইয়াবায় আসক্ত। তার মধ্যে
প্রায় ১০ হাজার নারী শিক্ষার্থী ইয়াবা সেবন করে। নারী
শিক্ষার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ২৮-এর মধ্যে। বেশির ভাগ
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদপ্তর তাদের নিজস্ব চিকিৎসালয় ও বেসরকারি মাদক
নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে এক প্রাথমিক জরিপ চালিয়ে এমন
তথ্য পেয়েছে। মানসিক হতাশা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না
পারা, সহপাঠীর প্ররোচনায় এবং প্রেম বিচ্ছেদের কারণে
নারীরা ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,
ইয়াবাসক্ত নারীদের নিউরোলজি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়।
মস্তিষ্কে ধারণক্ষমতা কমে যায়। আসক্ত নারী একসময়
মানসিক রোগীতে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী
পরিচালক (গোয়েন্দা) মো. নজরুল ইসলাম জানান, দেশে যতো
নারী মাদকসেবী রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী
ইয়াবা সেবন করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের
নিজস্ব চিকিৎসালয় এবং মাদক নিরাময় কেন্দ্রে একটি জরিপ
চালিয়েছিল। সেখানে যেসব চিকিৎসারত নারী রোগী ছিলেন
তাদের প্রত্যেককেই কোন কোন মাদক সেবন করে তা জিজ্ঞাসা
করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী ইয়াবা সেবন করার
কথা জানিয়েছিল। তিনি জানান, যেসব নারী ইয়াবা সেবন করে
তাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান।
যারা রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে বসবাস করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,
স্বাধীনতার পর নারীরা সিগারেট, গাঁজা, ফেনসিডিল ও
অ্যালকোহলে আসক্ত ছিল।
Top
উচ্চ আদালতও
নিজেদের কব্জায় নিতে চায় সরকার
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, সরকার
নিম্ন আদালতের মতো উচ্চ আদালতও নিজেদের কব্জায় নিতে
চায়। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিকালে তিনি এ
মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা
নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে বিচারপতিদের
অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানি হয়। মঙ্গলবার সকাল
৯টা ১৫ মিনিটে থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার
যুক্তি খন্ডন শুরু করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত শুনানি
চলার পর আধাঘণ্টার বিরতি দিয়ে সাড়ে ১১টা থেকে আবার শুরু
হয়েছে শুনানি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে)
সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাত
সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিলের এই শুনানি
চলছে। শুনানিতে আদালত আরো বলেন, নিম্ন আদলতের ৮০
পার্সেন্ট সুপ্রিমকোর্টের নিয়ন্ত্রণে নেই। আপনি বলছেন,
বিচার বিভাগ কার্যকর, এক জেলায় ৫ মাস ধরে জজ নেই।
বিচার বিভাগ কার্যকর হলো কিভাবে?
এর আগে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য আজকের এই দিন
ঠিক করেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
অন্যদিকে রিটকারীর পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী
অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানিতে ১২ জন অ্যামিকাস
কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
যৌক্তিক ব্যাখ্যা শোনার জন্য ১২ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদাতের
বন্ধুরা) হলেন- সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল
হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম
আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি,
ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক
আহমেদ, এ এফ হাসান আরিফ, এম আই ফরুকী, ব্যারিস্টার ফিদা
এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী ও আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
এর আগে ৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
তার আগে ২৮ নভেম্বর সংসদ কর্তৃক বিচারপতিদের অপসারণ
সংক্রান্ত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে
হাইকোর্টের দেয়া রায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার জন্য আপিল
বিভাগে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী।
২০১৬ সালের ৫ মে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল
ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম
চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ
রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই বিচারপতি ১৬তম সংশোধণী অবৈধ
ঘোষণা করলেও এক বিচারপতি ওই সংশোধনী বহাল রেখে রিট
আবেদন খারিজ করেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ
মতের ভিত্তিতে যে রায় দেয়া হয় সেটাই চূড়ান্ত রায়।
Top
ফ্রান্স পেলো ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফ্রান্স তাদের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট পেয়ে
গেলো। গতকাল নির্বাচনের ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ইমানুয়েল
ম্যাক্রন। তিনি ফ্রান্সে মধ্যম ডানপন্থী হিসেবে
বিবেচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লি পেন। তাকে
ফ্রান্সের মানুষ উগ্র ডানপন্থী হিসেবে চিনে।
ফ্রান্সের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদের
অর্থমন্ত্রী ছিলেন ম্যাক্রন। যদিও তিনি ওলাদের ক্ষমতা
শেষ হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে সরকার থেকে পদত্যাগ করেন।
শুধু তাই নয়, তিনি ওলাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকেও নিজেকে
সরিয়ে নেন।
ফ্রাঁসোয়া ওলাদকে মনে করা হয় ফ্রান্সের ইতিহাসের সবচেয়ে
অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের একজন। সেই তার সরকারের এক
সময়ের আমলা হয়েও ম্যাক্রনের জয় এক রকম অবিশ্বাস্য ঘটনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্রান্সের জনগণ একজন উগ্র ডানপন্থী
নেতার কাছে দেশ তুলে দিতে চায়নি। তাদের এই সিদ্ধান্তই
ম্যাক্রনকে জিততে সহায়তা করেছে এবং লি পেনের পরাজয়
নিশ্চিত করেছে।
ম্যাক্রনের বর্তমান বয়স ৩৯ বছর। এক কথায় তরুণ তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ম্যাক্রন যে ধরনের কথাবার্তা
বলেছেন, ফ্রান্সের মানুষ তাতে বাস্তবতার ছাপ স্পষ্ট
দেখতে পেরেছে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের। মূলত এ কারণেই
ফ্রান্সের মানুষ একটা বদলের আশায় ম্যাক্রনকে ভোট
দিয়েছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার
বেশ আগে থেকেই ম্যাক্রনের অনুসারীরা ভোটারদের বাড়িতে
বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তারা জনগণের কাছে
তাদের চাওয়াটা জানতে চেয়ে চেয়েছেন।
একটি সংবাদে জানা গেছে, ম্যাক্রনের অনুসারীরা মোট তিন
লাখ ভোটারের কাছ থেকে ১৫ মিনিট করে সাক্ষাৎকার গ্রহণ
করেছিলেন। পরে সেই সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে ম্যাক্রন
তার নির্বাচনী বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতিসমূহ সন্নিবেশিত
করেছেন। যা ভোটারদের আশাবাদী করে তুলেছে।
ম্যাক্রন তার নির্বাচনী প্রচারণাতেও এনেছিলেন বৈচিত্র।
যেখানে পপ সঙ্গীত বেজেছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
ম্যাক্রন তার বয়সের সঙ্গে মিল রেখে তরুণদের কাছাকাছি
যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তাকে চেষ্টা
করতেই হয়নি, তরুণরাই তাকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন।
অন্য দিকে লি পেনের নির্বাচনী প্রচারণার ধরন ছিলো
একঘেয়ে। তাতে কোনো নতুনত্ব ছিলো না। প্রায়ই লির সমাবেশে
সমর্থকদের টেবিল ছোড়াছুড়ির মতো কাজও করতে দেখা গেছে।
যা ভোটারদের কাছে দুজনের পার্থক্য হিসেবে দেখা দিয়েছে।
রমজান
আসলে পণ্যের দাম বাড়ে কেন?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্মীয় উৎসব বিশেষ করে রমজান উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে পণ্যের মূল্য সাধারণত কমে যায়। বিশেষ করে
মধ্যপ্রাচ্যে রমজান এলে প্রতিটি জিনিসের দাম কমিয়ে দেন
ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র পুরোপুরি উল্টো।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিক মুনাফার আশায় প্রতি বছরই
রমজানের আগে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে
পাঁয়তারা চালান একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। সিন্ডিকেটের
মাধ্যমে তারা এ অপতৎপরতা চালান।
সরকারের সঙ্গে বৈঠকে ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় নানা
আশ্বাস দিলেও পরবর্তী সময়ে তা রক্ষা করেন না অধিকাংশ
ব্যবসায়ী। রমজান, ঈদ বা পূজা এলেই খুচরা, মাঝারি ও বড়
ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটার উৎসবে মেতে
ওঠেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
ফলে রমজান নাজাতের মাস হলেও সাধারণের কাছে এটি আতঙ্কের
মাসে পরিণত হয়েছে। কারণ তাদের জীবন-জীবিকা এ মাসে কঠিন
হয়ে পড়ে। এমনকি স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববাজারে যেসব
নিত্যপণ্যের দাম কমে, এর প্রভাব আমাদের দেশের বাজারে
পড়ে না। বরং ওইসব পণ্যের দাম বাড়তেই থাকে।
ছোলা
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ছোলা ৭৪-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ সপ্তাহে তা ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১১০
টাকায়। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো মানের ছোলা প্রতি
টন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ ডলারে। এ দর দীর্ঘদিন ধরে খুব একটা
ওঠা-নামা করেনি।
ট্যারিফ কমিশনের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, রমজান মাসে
সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। আর
সারাবছর এ চাহিদার পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টন। ২০১৬ সালে
দেশে মোট ছোলা আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার টন। চলতি
বছরের প্রথম তিন মাসে এসেছে আরও ৫৬ হাজার টন, যা কিনা
দুই বছরের চাহিদার চেয়েও বেশি। এরপরও রমজান মাস আসার
বেশ আগেই ছোলার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
চিনি
পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
খোলাবাজারে চিনির দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে
৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৮ থেকে ১০
টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে
প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনিতে বেড়েছে প্রায় ৪০০ টাকা।
অথচ স্থিতিশীল রয়েছে অপরিশোধিত চিনির পাইকারি বাজার।
আগের দর দুই হাজার ১০০ টাকায় তা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি
বাজার স্থিতিশীল থাকার প্রধান কারণ হলো আন্তর্জাতিক
বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই স্থিতিশীল রয়েছে চিনির দর।
ট্যারিফ কমিশনের বাজার মনিটরিং বিভাগের দেয়া
তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারের অপরিশোধিত প্রতি টন
চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ ডলারে। এ হিসাব বিশ্লেষণ করলে
দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনা প্রতি কেজি
অপরিশোধিত চিনির দাম পড়ে প্রায় ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা (এক
ডলারের দাম ৮২ টাকা হিসাবে)। এর সঙ্গে ট্যাক্স ও আমদানি
খরচ যোগ করে পাইকারি বাজারে এ চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি
কেজি ৪২-৪৩ টাকা। পরিশোধনের পর তা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে
প্রায় ৬৫ টাকায়।
সয়াবিন তেল
বিশ্ববাজারে গত বছরের অক্টোবরে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের
দাম ছিল প্রতি মেট্রিক টন ৮৫৮ ডলার। দুই মাস না যেতেই
আবারও দাম বেড়ে তা পৌঁছায় ৯১১ ডলারে (বিশ্বব্যাংকের
তথ্যানুযায়ী)। যেহেতু বিশ্ববাজার থেকে অপরিশোধিত তেল
এনে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করায় দেশে এ
নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। জানা গেছে,
দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের
শেষ দিকে। লিটারপ্রতি ন্যূনতম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দেয়
বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো।
বিপর্যস্ত মানুষের জীবন পানির জন্য হাহাকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অসহ্য গরমে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে মানুষের
জীবন হয়ে পড়েছে খুব বিপর্যস্ত। চলছে পানির হাহাকার।
গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। এদিকে দেশের কয়েকটি স্থানে
বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
ইত্তেফাক অফিস, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর।
খুলনা: খুলনা মহানগরীসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের
জেলাগুলোতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
শহরের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুত্ এলাকাগুলোতেও ঘন্টার পর
ঘন্টা বিদ্যুত্ থাকছে না। ফলে তীব্র গরমে মানুষ অতিষ্ঠ
হয়ে পড়েছে।
ভৈরবের মেঘনা নদীর উপর ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী সঞ্চালন লাইনের
রিভার ক্রসিং টাওয়ার ভেঙে পড়ার কারণে যেমন জাতীয় গ্রিড
থেকে চাহিদামাফিক বিদ্যুত্ আনতে না পারায় যেমন লোডশেডিং
হচ্ছে, তেমনি জাতীয় গ্রিডে এ অঞ্চল থেকে বিদ্যুত্
নেওয়াটাও লোডশেডিংয়ের আর একটি কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা
উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে
খুলনা অঞ্চলের তিনটি বিদ্যুেকন্দ্রে ওভারহোলিং করা
হচ্ছে। এ কারণেও চাহিদামাফিক বিদ্যুত্ উত্পাদন করা
সম্ভব হচ্ছে না। আর খুলনা মহানগরীতে লোডশেডিংয়ের
অন্যতম কারণ হচ্ছে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অফিসিয়ালি
বিদ্যুত্ সরবরাহ না করা।
লক্ষ্মীপুর: জেলায় পানি সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও
তীব্র গরমে জন-জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। লক্ষ্মীপুর
পৌরসভার প্রায় তিন হাজার গ্রাহক গত এক সপ্তাহ ধরে পানি
পাচ্ছেন না। তীব্র পানি সংকটে সাধারণ মানুষকে চরম
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা: অসহ্য গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের
কারণে জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মোট চাহিদার
এক চতুর্থাংশ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ পাওয়ায় এই
লোডশেডিং হচ্ছে বলে বিদ্যুত্ অফিস সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিদিন গড়ে জেলায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা লোডশেডিং
হচ্ছে বলে জানা যায়।
মেহেরপুর:নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
করছে সচেতন মেহেরপুরবাসী। রবিবার সকালে ও শনিবার রাত ৯টার
দিকে শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি
বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে
ওয়াপদার বিদ্যুত্ অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। মিছিলটি
ঘটনাস্থলে পৌঁছার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ
সেখানে অবস্থান নেয়।
মাগুরা: জেলায় লোডশেডিং ও মশার আক্রমণে জনজীবন অতিষ্ঠ
হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে
জেলায় বিদ্যুেয়র লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সাংবাদিকরা সংবাদ পাঠাত গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
কেন ভারতীয় নারীরা চাকরি ছাড়ছে ?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের চাকরি ছাড়ার হিরিক
পড়েছে। বিবিসি’র এক রিপোর্টে দেখা যায় ২০০৪-০৫ থেকে
২০১১-১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ভারতীয় নারী চাকরি
ছেড়েছেন। চাকরি ছাড়া নারীদের মধ্যে তররুণীর সংখ্যাই
বেশি। যদিও নব্বই দশকের তুলনায় এখন চাকরি ছাড়ার হার
প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে কিন্তু এখনও কর্মক্ষেত্রে
নারীরা যথেষ্ঠ নয়। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ৫৩
শতাংশ চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। এসব নারীদের অধিকাংশ গ্রাম
অঞ্চলের। এক জরিপে দেখা যায় ভারতে ২০০৪-০৫ থেকে
২০০৯-১০ পর্যন্ত ২৪ মিলিয়ন পুরুষ চাকরিতে যোগদান করেছে
এবং এ সময়ে ২১.৭ মিলিয়ন নারী চাকরি ছেড়েছেন। ভারতের
জাতীয় জরিপ সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের আওতায় এ গবেষণায়
নারীদের চাকরি ছাড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা হয়।
নারীদের চাকরি ছাড়ার পিছনে প্রাথমিকভাবে যে কারণগুলো
উঠে এসেছে তার মধ্যে বিবাহ, সন্তান লালন-পালন, লিঙ্গ
বৈষম্য ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা অন্যতম। গ্রাম
অঞ্চলে বিবাহিত নারীর সংখ্যা বেশি এবং সে কারণেই গ্রাম
অঞ্চলে নারীদের চাকরি ছাড়ার হারও বেশি। শহর অঞ্চলে
চিত্রটি একেকারেই উল্টো, শহরে অবিবাহিত নারীর সংখ্যা
বেশি এবং সেখানে নারীদের চাকরি ছাড়ার হারও কম। গবেষণায়
দেখা গেছে যেসব পরিবারের পুরুষদের চাকরির বেতনে
নিত্যদিনের খরচ মেটানো সম্ভব হয় সে পরিবারের নারীরা আর
কাজ করেন না বা করতে দেওয়া হয় না।
নারীদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য যে বিশেষ শিক্ষা
ব্যবস্থা শুরু হয়েছে তাতেও নারীর চাকরি করার বিষয়টি
নিশ্চিত হয়নি। মূলত পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বিয়ের পর
স্বামীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে যে তার স্ত্রী
কাজ করবে কিনা।
বিয়ে সমস্যায় উচ্চ শিক্ষিত নারীরা, পাত্র
পাচ্ছে না !
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুষ্প (৩২)। স্নাতকোত্তর পাস করে কয়েক বছর আগে
রাজধানীর উত্তরার একটি বায়িং হাউজে চাকরি নেন। পুষ্প
যখন ছাত্রী ছিলেন তখন তার জন্য বিয়ের অনেক প্রস্তাব
আসতো। কিন্তু এখন সে সংখ্যা বেশ কমে গেছে।
রুচিতা (৩০)। দেখতে সুন্দরী। একটি খ্যাতনামা এনজিওতে
বড় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন প্রায় ৪ বছর ধরে।
রুচিতার সমস্যাও পুষ্পের মতো। একসময় পাত্রদের ভিড়
থাকলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। পুষ্প-রুচিতার মতো অনেক
উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের ক্ষেত্রেই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি
হচ্ছে। মূলত সমপর্যায়ের শিক্ষিত পাত্র না পাওয়ার
কারণেই তৈরি হচ্ছে এই সংকট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞানী ড. সাদেকা
হালিম এ প্রসঙ্গে বলেন, এক্ষেত্রে ছেলেরা মনে করে সে
যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে সেই মেয়েটি উচ্চ শিক্ষিত
স্বাবলম্বী, তার নিজের চিন্তা ভাবনা আছে, সে ওই মেয়েকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না, বয়সটা একটু কম হলে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে- এ ধরনের হীনমন্যতা ছেলেদের
মধ্যে কাজ করে। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এ ধরনের
মানসিকতা তৈরি করে। আর এ বিষয়গুলোই কিন্তু একটি
উচ্চশিক্ষিত মেয়ের বিয়েতে প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, এলে
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখনো নারীকে পণ্য হিসেবে দেখা হয়,
একজন মানুষ হিসেবে দেখা হয় না। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে
যৌথ আয়ের পরিবার বাড়ছে। আর যৌথ আয়ের পরিবারে একটি
মেয়েকে নানা চাপের মধ্যে থাকতে হয়। তার সংসারের চাপ,
কর্মস্থলের চাপ ইত্যাদি। এ জন্য পুরুষদের মানসিকতার
পরিবর্তন আনতে হবে। উচ্চশিক্ষিত নারীকে নিয়ন্ত্রণে
রাখার যে চিন্তা, সেই হীনমন্যতা ত্যাগ করা উচিৎ। এখানে
নারীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বা হীনমন্যতায় ভোগার বিষয় নেই।
নারী বা স্ত্রীকে প্রতিযোগী ভাবারও কোনো কারণ নেই। ড.
সাদেকা হালিম আরো বলেন, মেয়েদের পড়াশুনা কিন্তু
ছেলেদের মতো না। ছেলেরা পড়াশুনা করে চাকরির জন্য।
কিন্তু মেয়েরা পড়াশুনা করলে তার চিন্তা ও মননশীলতায়
পরিবর্তন আসে এবং সে যে একজন মানুষ সেই স্বীকৃতিও ওই
নারী পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতা বা
কিছু পুরুষের নারী সম্পর্কে নেতিবাচক মানসিকতা নারীকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। মজার বিষয় হচ্ছে- যে ছেলে কম
বয়সী শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করতে চায়, কিছু ক্ষেত্রে সেই
মেয়েও কিন্তু কিছুদিন পরে চাকরি করে।
‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক ও নারীনেত্রী খুশী কবির বলেন,
স্ত্রীর বয়স কম হলে তার পরিণত অবস্থান কম হবে, আর
লেখাপড়া কম হলে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা কম থাকবে।
এক্ষেত্রে একজন পুরুষ কিন্তু তার স্ত্রীকে সঙ্গী হিসেবে
দেখছে না। এটি কিছু পুরুষের অপরিণত মানসিকতা। একই সঙ্গে
আস্থাহীনতাও। যার নিজের ওপর আস্থা কম থাকে তখন সে
অন্যজনকে দমন করতে চায়। তারও যে কর্তৃত্ব আছে এটিও
প্রমাণ করতে চায়। তবে, যার নিজের ওপর আস্থা আছে তার
কর্তৃত্ব কোথাও প্রমাণ করতে হয় না। তিনি বলেন, আমাদের
সমাজ ব্যবস্থা এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, পুরুষ
মানেই এমন একটি চরিত্র থাকতে হবে, যেটা টিকিয়ে রাখার
জন্য পুরুষ নারীকে ভয় পায় যে নারীকে তার অধীনস্থ রাখতে
পারবে না। এটা পুরুষের দুর্বলতা। তবে, সবাই যে এমন তা
কিন্তু নয়। অনেকে পুরুষ উচ্চশিক্ষিত কর্মজীবী নারীকে
বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন। খুশী কবির বলেন, বিয়ে শুধু
একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্কই নয়, এটি একটি
‘পার্টনারশিপ’। কিন্তু এখনো কিছু পুরুষ নারী সম্পর্কে
তাদের নেতিবাচক অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। আর
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, একজন শিক্ষিত, কর্মজীবী
নারীকে নিয়ে অভিভাবক এবং সমাজের ভয় পাওয়ার কোনই কারণ
নেই। কারণ নারী যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, তাহলে
সেই নারী বিবাহিত না হলেও কিছু যায় আসে না।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট ফওজিয়া
করিম ফিরোজ বলেন, শিক্ষিত মেয়েরাই কিন্তু ভালো গৃহিণী,
ভালো মা এবং ভালো মানুষ হয়। একজন কম শিক্ষিত নারীকে
তার স্বামীর অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু একজন
শিক্ষিত ও কর্মজীবী মেয়েকে ওই সমস্যায় পড়তে হয় না, সে
তেমন অপচয়ও করে না। কিন্তু যে পরিবারের ছেলেরা
নেতিবাচক পারিবারিক শিক্ষা পায় তাদের মধ্যেই আসলে এ
ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা কাজ করে। কেউ কেউ চিন্তা করে,
একটু বেশি বয়সী মেয়ে বিয়ে করলে হয়তো সন্তান জন্ম দিতে
পারবে না। টেলিভিশনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সুন্দরী
মেয়েদের ছবি ছেলেদেরকে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখায়।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে
স্কুলগুলোতে যেভাবে পড়াশুনা হচ্ছে তাতে সেখানে ছোটবেলা
থেকেই মেয়েদেরকে সম্মান দেয়া হয় না। স্কুলগুলোতে বোঝানো
হয় স্বামীর পায়ের নিচেই স্ত্রীর বেহেস্ত। স্বামী ছাড়া
এটা হবে না, ওটা হবে না। এমনকি অনেক পরিবারের
পারিবারিক সিদ্ধান্তের বেলায়ও নারীরা আসতে পারে না। বলা
হয়, নারীরা পারিবারিক আলোচনার কি বোঝে? এখন এই ধরনের
মানসিকতা যখন চলতে থাকে তখন কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি
বেরিয়ে আসে। এডভোকেট ফওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, শিক্ষিত
মেয়েদের যে বিয়ে হচ্ছে না তা কিন্তু না। তবে, আমি মনে
করি নারী সম্পর্কে পুরুষদের ওই ধরনের মানসিকতার
পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই তা হবে।
চিকুনগুনিয়া
রোগে ১৫০ জন আক্রান্ত তবে কেউ মারা যায়নি : সাঈদ খোকন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এ পর্যন্তসারাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগে ১৫০ জন আক্রান্ত
হয়েছেন। তবে কেউ মারা যায়নি বলে বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি
করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
রোববার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ
প্রতিরোধে মশক নিধন ক্র্যাশ কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি
এসব কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, চিকুনগুনিয়া একটি নতুন রোগ। যদিও এটি
ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশা থেকে ছড়ায়। তবে এ নিয়ে
আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। একটু সচেতন হলেই এ রোগ
প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ডেঙ্গু জরের মতো চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। প্যারাসিট্যামল
খেলেই সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে এ জ্বর সেরে যায়। তবে
আমরা জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। এটি প্রতিরোধে
সবার সচেতনতায় প্রয়োজন।
খোকন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকদের নিয়ে একটা সেমিনার হবে। সেমিনারের সুপারিশ
অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এ রোগ যাতে ব্যাপক
হারে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আমরা ক্র্যাশ কর্মসূচির
আয়োজন করেছি।
চিকুনগুনিয়া রোগ: চিকুনগুনিয়া রোগের প্রথমদিন থেকেই
রোগীর অনেক বেশি তাপমাত্রায় জ্বর ওঠে। প্রায়ই তা একশ
চার/পাঁচ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় উঠে যায়।
একইসঙ্গে মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বিশেষ করে হাড়ের
জয়েন্টে ব্যথা হয়। জ্বর চলে যাবার পর শরীরে লাল র্যাশ
ওঠে। জ্বর ভালো হলেও রোগটি অনেকদিন ধরে রোগীদের
ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ রোগের চিকিৎসা: চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ ডেঙ্গু ও জিকার
মতোই। তাই চিকিৎসায় অবহেলা করা উচিত নয়। প্যারাসিটামল
জাতীয় ওষুধ খেয়ে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত
বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পানি, ফলের রস ও সরবত খেতে
হবে। তা না হলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণায় বলা হয়,
১৯৫২ সালে প্রথম তানজানিয়ায় রোগটি শনাক্ত হয়। তবে এখন
বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটি দেখা যায়।
ধর্ষক ঠেকাতে বৈদ্যুতিক চপ্পল!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বা ধর্ষণকারীদের হাতেনাতে
ধরতে অভিনব চপ্পল তৈরি করেছে ১৭ বছরের এক কিশোর।
নারীদের জন্য তৈরি ওই চপ্পলের নাম দেওয়া হয়েছে
‘ইলেকট্রোশু’।
আজ ২২ মে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে
জানানো হয়, ধর্ষণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য দেশটির
হায়দরাবাদের সিদ্ধার্থ ম-লা নামের এক কিশোর
‘ইলেকট্রোশু’ নামের চপ্পলটি তৈরি করেছে। স্কুলে
পদার্থবিজ্ঞান পড়ার সময়ের জ্ঞান আর নিজের কিছু কোডিং
দক্ষতা দিয়েই সিদ্ধার্থ চপ্পলটি তৈরি করেছে।
ইলেকট্রোশুর ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধার্থর ভাষ্য, কোনো
নারীকে কেউ ধর্ষণের চেষ্টা করলেই এই চপ্পলের মাধ্যমে
তাঁকে আটক করা যাবে এবং ওই নারী নিজেকে ওই ব্যক্তির
হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। চপ্পলটিতে বিশেষ ধরনের
একটি সার্কিট ও রিচার্জেবল ব্যাটারি বসানো আছে।
হাঁটলেই এটা চার্জ নেবে। যে যত বেশি হাঁটবেন, চপ্পলটি
তত বেশি চার্জ ধরে রাখবে। এটাকে ‘পিয়েজোইলেকট্রিক
ইফেক্ট’ বলে। কেউ ধর্ষণের চেষ্টা করলে পায়ের এই চপ্পলটি
দিয়ে ওই ব্যক্তিকে স্পর্শ করলেই তাঁর শরীরে ০.১
অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে। এ ছাড়া নিমেষে এ-সংক্রান্ত
একটি জরুরি বার্তা স্থানীয় থানা ও ওই নারীর পরিবারের
সদস্যদের মোবাইলে চলে যাবে। এতে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওই
ব্যক্তিকে সহজেই ধরে ফেলা যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যে চপ্পলটির পেটেন্ট নেওয়ার
জন্য সিদ্ধার্থ মন্ডলা আবেদন করেছে। এখন চলছে চপ্পলটির
বাজার যাচাইয়ের প্রক্রিয়া।
সিদ্ধার্থ মন্ডলা বলেছে, ‘চপ্পলটির পেটেন্ট পাওয়ার পর
আমি এটার নকশা কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে চেষ্টা
করব। ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়াকান্ডের পর নারীদের
আত্মরক্ষার জন্য কিছু একটা তৈরি করার চিন্তা মাথায় আসে।
সে চিন্তা থেকেই এই ইলেকট্রোশু তৈরি করেছি।’
২০৩০ সালের
মধ্যে অদৃশ্য হবে তেলচালিত গাড়ি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আধুনিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে দিন দিন জীবাশ্ম
জ্বালানির ব্যবহার বেড়েই চলছে।
তবে জ্বালানির ওপর নির্ভরতা না কমাতে পারলে ভবিষ্যতে
মানবজাতিকে অনেক বড় সংকটে পড়তে হবে। আর এ কারণে
তেলচালিত গাড়ির ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়েই এখন আলোচনা।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, তেলচালিত গাড়ির জায়গায়
ভবিষ্যতে বিদ্যুতচালিত গাড়ি চলে আসবে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্তনীতিবিদ টনি সেবার
মতে, খুব নিকট ভবিষ্যতেই তেল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা মুখ
থুবড়ে পড়বে। আর তা হতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই।
এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে। এতে বলা হয়,
পরিবহন খাতে শিগগিরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। আর এই
পরিবর্তনের কারণ হবে গাড়ি শিল্পে বৈদ্যুতিক জ্বালানি
ব্যবহার।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণার কথা উল্লেখ
করে টনি সেবা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা
দিন দিন কমে আসবে। সে জায়গা দখল করে নেবে বৈদ্যুতিক
শক্তি। যে কারণে আগামী আট বছরের মধ্যে যারা গাড়ি কিনতে
আগ্রহী তাদের অবশ্যই বৈদ্যুতিক যানবাহনে বিনিয়োগ করা
উচিত।
'রিথিংকিং ট্রান্সপোর্টেশন ২০২০-২০৩০' শিরোনামের ওই
গবেষণাপত্রে বলা হয়, পরিবহন ও যানবহন পরিচালনায় মানুষ
শেষ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য বৈদ্যুতিক জ্বালানি চালিত
গাড়ির দিকেই ঝুঁকবে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা
পরিচালিত গাড়ির চেয়ে বিদ্যুত পরিচালিত গাড়ির
রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা হবে ১০ গুণ বেশি সস্তা।
টনি সেবা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, একটি বিদ্যুৎ চালিত
গাড়ির আয়ুষ্কাল ১৬ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪ কিলোমিটারের মতো।
আর এক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির গাড়ি চলতে পারে ৩ লাখ
২১ হাজার কিলোমিটারের মতো।
আর এ কারণে আগামী দিনে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িগুলো
প্রয়োজনীয় পেট্রোল পাম্প খুঁজে পেতেই বিপাকে পড়বে।
এছাড়া বিভিন্ন সময় মেরামতের প্রয়োজনে গাড়ির প্রয়োজনীয়
যন্ত্রাংশও খুঁজে পাবেন না বাহনের মালিকরা।
সবশেষ তিনি বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে আধুনিক দিনের কার
ডিলারশিপ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
Top
বিচারক নিয়োগের
নীতিমালা সংক্রান্ত রিটের রায় প্রকাশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে করা রিটের
পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে
হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত
হয়েছে। গত ২২ মে ২০১৭ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৬
পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৩
এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা
দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়। এর আগে
এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬
সালের ২৮ আগস্ট হাই কোর্ট বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ
(সিএভি) রাখে। বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি
বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের
নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ
চৌধুরী ২০১০ সালের ৩০ মে হাই কোর্টে এই রিট করেন।
শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ
রুল জারি করে।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায়
স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে কেন সুনির্দিষ্ট
দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে না এবং নিয়োগের নির্দেশনা
প্রণয়ন করে তা কেন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে না— রুলে
তা জানতে চাওয়া হয়।
ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিলের শুনানি : উচ্চ আদালতের
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে
আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত আপিলের শুনানি
অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ মে ২০১৭ প্রধান বিচারপতি
সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের
পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ মামলার শুনানি গ্রহণ করে। শুনানি আজ
পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর
উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে
ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
রোজা ও ঈদে পুলিশের
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সব ধরনের চাঁদাবাজি
বন্ধে তত্পর থাকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ
দিয়েছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। কোনো পুলিশ সদস্যের
বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে
কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি
জানান। গত ২৩ মে বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সভায় তিনি
সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনার জন্য গত ২৩ মে পুলিশ
সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা
এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কে নছিমন, করিমন,
ভটভটি, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক ইত্যাদি যান চলাচল বন্ধ
রাখতে হবে। সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশ কোনো যানবাহনে তল্লাশি
করবে না। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ ও যানজট নিরসনে
হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ বিশেষ তত্পর থেকে দায়িত্ব পালন
করবে। ফরমালিন ও রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত ফল, ভেজাল
ইফতারি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যবিরোধী মোবাইল কোর্ট
পরিচালনা করতে হবে।
সভায় পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান,
রেলওয়ের অতিরিক্ত আইজিপি আবুল কাশেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল
পুলিশের মহাপরিচালক মো. নওশের আলী, ডিএমপি কমিশনার
আছাদুজ্জামান মিয়া, সব পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ও হাইওয়ে
পুলিশসহ অন্যান্য ইউনিটের ডিআইজি, ঢাকা, গাজীপুর,
টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ
সুপারসহ এনএসআই, ডিজিএফআই, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি
করপোরেশন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে রমজান মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে
চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলস্টেশন, বাস
ও লঞ্চ টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা
প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা
নিয়োজিত থাকবেন। বিপণিবিতান ও শপিংমল যথাসম্ভব
সিসিটিভির আওতায় এনে কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়ে
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ব্যাংক ও
অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের
ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অসৎ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য
মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে নকল ও ভেজাল পণ্যের
তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজধানীজুড়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদন ছাড়াই
যেখানে সেখানে কারখানা বসিয়ে ভেজাল খাদ্যসহ বিভিন্ন
পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন চলছে। স্বাস্থ্যহানিকর এসব
খাদ্যপণ্যের বাজারজাতও চলছে ঢাকঢোল পিটিয়ে। ইফতারির
পণ্যও ভেজালের বিষমুক্ত থাকছে না। ঈদকে সামনে রেখে নকল
কারখানায় উৎপাদিত প্রসাধন সামগ্রী রাজধানীসহ সারা দেশে
বাজারজাত হচ্ছে। প্রতি বছর রমজানের অন্তত দুই সপ্তাহ
আগে বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের
দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো ভেজালবিরোধী অভিযান চালায়। এ
বছর তারা নীরব-নির্বিকার। কর্তৃপক্ষীয় ঢিলেঢালা
ব্যবস্থাপনার সুযোগেই নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারীরা
তত্পর হয়ে উঠেছে। শুধু রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে গড়ে
উঠেছে খাদ্যপণ্যের অসংখ্য কারখানা। এগুলোতে
মানহীন-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই, লাচ্ছা
সেমাই, নুডলস, ঘি, হলুদ, মরিচ, মসলা, বেসন ইত্যাদি।
এসব ভেজাল পণ্যে যথেচ্ছভাবে মেশানো হচ্ছে
জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নানা উপকরণ। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে বাইরে তালা ঝুলিয়ে
আলো-আঁধারি পরিবেশে উৎপাদন করা হচ্ছে নকল ভেজাল
খাদ্যপণ্য। খাদ্যপণ্যে ভেজাল মেশানো আমাদের দেশে
অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফল গাছে থাকতেই চলে
রাসায়নিক ব্যবহারের প্রক্রিয়া। বাজারজাত করার সময়
ফরমালিনের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় পচন রোধের জন্য।
যে ফল মানুষ খায় পুষ্টি অর্জনের জন্য তা শেষ পর্যন্ত
বিষ খাওয়ার নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। খাদ্যপণ্য ও ফলমূলে
ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহারে কিডনি নষ্ট হচ্ছে, লিভার
কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে, ক্যান্সারসহ নানা দুরারোগ্য রোগে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত রোজার মাসে
ইফতারির পণ্য নকল ভেজাল চলতে থাকলে জনস্বাস্থ্যের জন্য
হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। রোজার মাসে রাজধানীসহ দেশবাসীকে
নকল ভেজালের দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষায় অবিলম্বে নকল
ভেজালবিরোধী অভিযান শুরুর কথা ভাবতে হবে।
জেনে
নিন অজানা সব আইন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এক এক দেশের আইন এক এক রকম। আইন তৈরির সময় সমাজ,
সমাজের মানুষ, পরিবেশ সকল দিক বিবেচনা করে করতে হয়।
তাই অনেক সময় আমাদের কাছে অনেক সময় অন্য দেশের আইন
অন্য রকম এবং অবিশ্বাস লাগে। তাই আজ জানবো কিছু এমনি
কিছু আইনের কথা।
(১) ভাইকিংদের সংস্কৃতি ছিল, তারা একসাথে বসে নতুন আইন
তৈরি করে এই আইনের ব্যপারে সকলের সম্মতি নিয়ে নিতো।
তারা এটাকে ‘চিন্তা’ বলতো।
(২) দক্ষিন কোরিয়াতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির
সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দেশে প্রচুর নকল অতিথির
এজেন্ট আছে যারা এইসব অনুষ্ঠানে নকল অতিথি সাপ্লাই করে।
(৩) পন্যের গায়ে ‘মেইড ইন (দেশের নাম)’ দেয়ার নিয়ম
১৮৮৭ সালে প্রথম চালু করে ইউনাইটেড কিংডম।
(৪) একজন মহিলা ওয়ালমার্টের বিরুদ্ধে ২ সেন্টের মামলা
করে এবং সে জিতেও যায়।
(৫) ২০১১ সালে জাতিসংঘ ঘোষণা করে যে ইন্টারনেট ব্যবহার
করা মানুষের অধিকার। ইন্টারনেট থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন
করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
(৬) জাপানে বিয়ার ক্যানের উপর অন্ধদের জন্য ডট প্রিন্টে
লেখা থাকে এটি বিয়ার নাকি কোমল পানীয়। জাপানে এই নিয়ম
করা হয়েছে যাতে ক্রয় করার সময় অন্ধরা প্রতারিত না হয়
এই ভেবে যে কোনটা বিয়ার কোনটা অন্য পানীয়।
(৭) আমেরিকাতে কংগ্রেস দ্বারা অনেক আইন পাশ করা হয়েছে
যখন দেশের অর্থনীতি খুব খারাপ ছিল।
(৮) শিকাগোর একজন লোক তার বান্ধবীর নামে একটি গাড়ি
ক্রয় করে। যখন তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় তখন সে তার ঐ
গাড়ি অ’হেরি বিমানবন্দরে অবৈধ ভাবে পার্ক করে। তারপর ঐ
গাড়ির পারকিং ফি মোট ১,০০,০০০ ডলার আসে ৬৭৮ টিকিটের
জন্য। যা পরিশোধ করার জন্য তার বান্ধবীকে বলা হয়।
(৯) প্রতি রাতে আমেরিকার সংবিধান, অধিকার বিল এবং
স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র একটি বোমা প্রতিরোধী বক্সে রেখে
দেয়া হয়।
(১০) এটা অবৈধ যদি কোন শিক্ষক ঘণ্টা দেয়ার পরও শাস্তি
দেয়ার জন্য ছাত্রদের শ্রেণী কক্ষে আটকে রাখে। সমষ্টিগত
শাস্তি জেনেভা কনভেনশনের আইন লঙ্ঘন করে।
শিশুদের ইসলামী নাম
নিষিদ্ধ করেছে চীন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুর নাম রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চীনের
পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের মুসলিমরা। ওই অঞ্চলে
সদ্যোজাতদের ইসলামী নাম রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
সরকার। ‘ভুল নাম’ রাখলে শিশুকে শিক্ষা ও অন্যান্য
সরকারি সুবিধা দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের
কর্মকর্তারা নিষিদ্ধ নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এতে ইসলাম, কোরআন, সাদ্দাম, মক্কা- এ ধরনের নাম এবং
দেশটির কমিউনিস্ট সরকারের নীতির বিরুদ্ধে যেতে পারে
এমন নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের মোট এক কোটি ৩০
লাখ মুসলিমের মধ্যে অর্ধেকই বাস করে এই প্রদেশে।
সরকারি এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিশুদের নিষিদ্ধ নাম
রাখলে বাড়ির নিবন্ধনও দেয়া হবে না। যে কোনো সামাজিক
সেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা অধিকার পাওয়ার জন্য এই
নিবন্ধনটি অপরিহার্য। তবে নিষিদ্ধ নামের পুরো তালিকাটি
এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আরও কোন কোন ধরনের নাম নিষিদ্ধ
করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সহিংসতার জন্য ধর্মীয়
চরমপন্থীদের অভিযুক্ত করে আসছে চীন। এই অজুহাতে
জিনজিয়াংয়ে সিরিজ অভিযানও চালানো হচ্ছে। এই প্রদেশেই
বাস করে দেশটির সবচেয়ে সামরিক নির্যাতনের শিকার উইঘুর
মুসলিম সম্প্রদায়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, সেখানে ধর্ম এবং
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে
রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সহিংস হামলাকেও স্থানীয় পর্যায়ের
বিচ্ছিন্ন হামলা বলে মনে করে তারা।
থেরেসা
মে ৪০ বছরের সেরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কি আয়রন লেডি হিসেবে
খ্যাত সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে
জনপ্রিয়তায় অতিক্রম করবেন? এক জরিপে দেখা গেছে ৬১ ভাগ
ব্রিটিশ ভোটার মনে করেন থেরেসা মে ১৯৭৯ সাল থেকে
এপযন্ত সবচেয়ে সক্ষম প্রধানমন্ত্রী। এমনকি মার্গারেট
থ্যাচারের চেয়েও থেরেসা মে’কে ভাল নেতা বলে মানছেন
জরিপে উত্তরদাতা ব্রিটিশ নাগরিকরা। এসব উত্তরদাতার ২৩
ভাগ আবার লেবার পার্টির জেরেমি করবিনকে যোগ্য ভাবছেন।
ইপসস মোরির এ জরিপে দেখা যাচ্ছে, এযাবত কালের যে কোনো
জরিপের তুলনায় জনপ্রিয়তা ও দক্ষতার দিক থেকে থেরেসা মে
এগিয়ে আছেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে জরিপে যেমন ফকল্যান্ড
যুদ্ধের সময় ১৯৮৩ সালে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
মার্গারেট থ্যাচার ৪৮ ভাগ পক্ষে ভোট পেয়েছিলেন, ২০০১
সালের জরিপে তিন বারের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও লেবার
পার্টি নেতা টনি ব্লেয়ার পেয়েছিলেন ৫২ ভাগ সমর্থন,
২০০৭ সালে তারই অনুসারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন
ব্রাউন পান ৫৮ ভাগ সমর্থন। অথচ থেরেসা মে’কে নিয়ে জরিপে
উত্তরাদাতারা তাকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছেন।
থেরেসা মে’র পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬১ ভাগ। তার জনপ্রিয়তা
১০ ভাগ বৃদ্ধি পেলেও জেরেমি করবিনের ব্যাপক সমর্থন
কমেছে। হাউস অব কমন্সে দিন কয়েক আগেও বর্তমান ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন
‘স্ট্রং’ শব্দটি দৃঢ়তার সাথে ব্যবহার করেন ২৭ বার।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দীর্ঘদিন ধরে যে পেনশন সুবিধা
নিয়ে দাবি দাওয়া ঝুলে আছে তারও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান
করতে যাচ্ছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। মুদ্রাস্ফীতির
সঙ্গে সমন্বয় রেখে গড় বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিতে তিনি
সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবেন বলে অনেকের
বিশ্বাস।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
কৌশল বদলে
যাচ্ছে নারী শিশু পাচারে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের ১৮টি রুট দিয়ে প্রতি বছর ২০ হাজার নারী ও
শিশু পাচার হচ্ছে। আর পাচারের শিকার ৬০ ভাগের বয়সই ১২
থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ)
দেওয়া তথ্যে এমনটি জানা যায়। পাচার রোধে সরকারের কঠোর
আইন থাকা সত্ত্বেও পাচারকারীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে
উঠছে। নিত্যনতুন কৌশলে তারা নারী-শিশুদের ফাঁদে ফেলে
পাচার করছে। কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের বিয়ের প্রলোভন,
দরিদ্র-অসহায় নারীদের বিদেশে গৃহপরিচারিকার কাজ এমনকি
গার্মেন্টের নারীদেরও ভালো কাজের কথা বলে পাচার করা
হচ্ছে। এমনকি নারী ও শিশুদের সহজে ফাঁদে ফেলতে পাচার
কাজে নারী দালালদের বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিএনডব্লিউএলএ-এর গবেষণা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের
বিভিন্ন জেলা থেকে ভারতীয় একটি চক্র তাদের দালালদের
মাধ্যমে প্রথমে পাচারকৃত নারীদের সংগ্রহ করছে। আর
প্রত্যেক নারীর জন্য দালালদের ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা
দেওয়া হচ্ছে। পরে এসব নারীকে মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও
কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরের পাচারকারীদের হাতে তুলে দেওয়া
হচ্ছে। বিভিন্ন রুটের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের
১১টি রুট দিয়ে আর সাতক্ষীরার কয়েকটি সীমান্ত দিয়েও
ভারতে নারী পাচার হচ্ছে। সেন্টার ফর উইমেন্স অ্যান্ড
চিলড্রেন স্টাডিজের তথ্যে, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১০
লাখ নারী ও শিশু পাচার হয়েছে। যার মধ্যে ৪ লাখকেই ভারতে
আর পাকিস্তানে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছে ১০ হাজারের
বেশি নারীকে। অনেক ক্ষেত্রে দেহ ব্যবসা ছাড়াও
নারী-শিশুদের দিয়ে অশ্লীল ছবি নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ
করানোসহ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী ব্যক্তিদের কাছে দাসী হিসেবে
বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পাচারের উদ্দেশে কলকাতা,
মুম্বাই ও হায়দরাবাদকেন্দ্রিক পাচারকারী চক্র দেশের
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তারা
ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মফস্বলের ও গ্রামের উঠতি
বয়সের কিশোরীদের ফাঁদে ফেলছে।
মার্চ মাসে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দমদম এলাকা থেকে
পাঁচ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তিন নারীকে
উদ্ধার করা হয়। কলারোয়া থানা সূত্রে জানা যায়,
পাচারকারীরা বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন
নারীর কাছ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা নিয়েছিল। টাকার
বিনিময়ে যশোর বিমানবন্দর থেকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে
বলে জানানো হলেও তাদের সাতক্ষীরা সীমান্তে পাচারের
উদ্দেশে পাঠানো হয়। যশোরের বকচর গ্রামের মেয়ে সায়মা (ছদ্মনাম)।
পঞ্চম শ্রেণিতে থাকার সময় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়ার
কথা বলে তাকে গ্রামের এক পরিচিত ভারতে পাচার করে দেয়।
মুম্বাইয়ের একটি পতিতালয়ে সায়মাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে মালিকের কথা না শুনলে তাকে মারধর করা হয়। ছয়
মাসের মাথায় সায়মাকে উদ্ধার করা হয়।
কেরানীগঞ্জে
যৌতুকের বলি হলেন নববধূ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শ্বশুর বাড়ি যৌতুকের দাবি না মেটানোয় তরুণী নববধূ বিথী
আক্তারকে (১৮) শ্বাসরোধে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী।
সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা নামাবাড়ির একটি ভাড়া
বাসা থেকে ওই তরুণী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে স্বামী নাদিম হোসেন (২২) পলাতক রয়েছে।
তবে নাদিমের মা রোকেয়া বেগম ও ননদ ফারজানা আক্তারকে
আটক করেছে পুলিশ।
নিহত বিথীর বাবা জাহিদ হোসেনের অভিযোগ, জামাইয়ের দাবি
করা যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে হত্যা করেছে
তার স্বামী।
জানা গেছে, জিনজিরা নামাবাড়ী এলাকায় পাশাপাশি থাকার
সুবাদে বিথীর সঙ্গে নাদিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দুই পরিবারের অসম্মতিতে তারা ১০ মাস আগে পালিয়ে বিয়ে
করে। এরপর নামাবাড়ি এলাকায় জনৈক স্বপনের বাড়িতে
নবদম্পত্তি ভাড়া বাসায় উঠেন। তখন নাদিম তার মা ও বোনকে
নতুন বাসায় নিয়ে আসে।
বিথীর পারিবারিক সূত্র জানায়, বিয়ের পর নাদিম সৌদি আরব
যাওয়ার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি
করে। প্রায়ই ফোন করে তাদের কাছে এ টাকা চাইত নাদিম।
অন্যথায় বিথীকে তাদের কাছে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দেয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের
জানান, যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বাবা
জাহিদ হোসেন একটি মামলা করেছেন। নাদিমের মা ও ননদকে
আটক করা হয়েছে। নাদিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দেশে এখনো ৬৫ শতাংশ
মেয়ের বাল্যবিবাহ হচ্ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলছে নানা প্রচারণা। সঙ্গে আছে সরকারি-বেসরকারি নানা
উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৬৫ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই
বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর ২৯ শতাংশের বিয়ে হচ্ছে ১৫ বছরের
আগে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘মানব
উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৬’ এমনটাই বলছে। প্রতিবেদনটি গত
২১ মার্চ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি, ৬৫ শতাংশ।
এরপরের অবস্থান ভারতের, ৩১ শতাংশ। পাকিস্তান ও
শ্রীলঙ্কায় এই হার যথাক্রমে ২৪ ও ২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায় ১৫ বছর বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ে
হওয়ার হারও বাংলাদেশে বেশি (২৯ শতাংশ)। ভারতে এই হার
কাছাকাছি হলেও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এটা অনেক কম।
প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, বাল্যবিবাহের মধ্য দিয়ে
শিশুদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। বাল্যবিবাহ হলে মেয়েরা
কম বয়সে সন্তান গ্রহণ করে, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে
যায় ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। ফলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ
সম্ভাবনা সংকুচিত হয়ে যায়।
রাজধানীর রাইমা আক্তারের (১৫) বিয়ে হয় নবম শ্রেণিতে
পড়ার সময়। এর কয়েক মাস পরই অন্তঃসত্ত্বা হয় মেয়েটি। ফলে
পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে রাইমাকে। বাচ্চার ঠিকমতো যতœ
নিতে না পারায় বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকে মেয়েটি।
এতে অখুশি শ্বশুর-শাশুড়ি। রাইমা বলে, অল্প বয়সে বিয়ে
হলে নিজের জন্যও কিছু করা যায় না, ঠিকমতো সংসারও করা
যায় না।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক আয়শা
বানু। তিনি বলেন, আশির দশকে যৌতুক নিরোধ আইনে বিয়েতে
‘উপহার’ দেওয়ার ফাঁক রাখায় যৌতুকের সংস্কৃতি এখনো চলছে।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এ বছর পাস হওয়া বাল্যবিবাহ
নিরোধ আইনে। বিশেষ বিধান রাখায় আইনের মধ্যেই রয়ে গেছে
স্ববিরোধিতা। এটি নারীর উন্নয়ন এবং একই সঙ্গে নাগরিক
অধিকারেরও অন্তরায়। নারীর অবস্থান ও ক্ষমতায়নের পথে
বিরাট হুমকি এই বিশেষ বিধান।
১১ মার্চ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ পাস হয়। এতে বিশেষ
বিধানের ১৯ ধারায় বিশেষ প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশে
এবং অভিভাবকের সম্মতিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ
রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী
পরিচালক সালমা আলী বলেন, বিশেষ বিধানের কারণে
বাল্যবিবাহের ঘটনা আরও বাড়বে। পাশাপাশি, এটা দেশের
অন্যান্য আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এমনকি এটা শিশু
অধিকারেরও চরম লঙ্ঘন।
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য উল্লেখ করে জাতীয়
ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী
অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বাল্যবিবাহের
কারণে সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই জরায়ুর
ব্যবহার শুরু হয়। অপরিপক্ব জরায়ুতে গর্ভধারণ, দীর্ঘ
বিবাহিত জীবন, ঘন ঘন সন্তান প্রসব জরায়ুমুখের
ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বাল্যবিবাহ বন্ধ করলে
জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
কোমলমতি শিশুদের
দিয়ে চলছে কারখানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গাজীপুরের শ্রীপুরে
অসংখ্য শিল্পকারখানায় শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
শিশু শ্রমের কারণে এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। উপজেলার
বিভিন্ন কারখানায় শিশুরা অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশে কাজ করছে। নামমাত্র বেতনে শিশু শ্রমিক পাওয়া
যায় বিধায় কারখানার মালিকেরা শিশুদের কাজে নিয়োগে
আগ্রহী হচ্ছে। শিশুদের মাসিক বেতনের টাকাও সঠিক সময়ে
পরিশোধ করছে না কারখানার মালিকরা। অপরিপক্ব বয়সে কাজের
অতিরিক্ত চাপ থাকায় ও দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করে তারা
অপুষ্টির শিকার হয়েই বেড়ে উঠছে। কারখানা মালিকরা
প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব
দেখেও না দেখার ভান করছে। যে বয়সে কোমলমতি শিশুদের
বিদ্যালয়ে থাকার কথা, সেই বয়সে ঘুরাতে হচ্ছে কারখানার
চাকা। যাদের বয়স ৮ বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এমন একটি
কারখানার সন্ধান মিললো গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি
ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকায় গোদারচালা গ্রামে। কম
বেতনে কাজ করানো যায় বিধায় এমন বয়সী শিশুদের দিয়ে চলছে
পুরো একটি কারখানা, অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমের
বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। গাজীপুর জেলার
শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকার
গোদারচালা গ্রামের এ.আর.আই কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামের
একটি প্যাকে কারখানা শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা
করা হচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কারখানার শ্রমিকদের
মধ্যে অধিকাংশই শিশু। কারখানায় ২৬ জনের মতো শিশু
শ্রমিক দৈনিক দুই শিফটে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের
ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে একারখানা।
নারী নির্যাতন বন্ধ করুন, ভালো থাকুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘নির্যাতক পুরুষেরা সুখে থাকেন
না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে
দেশে পরিচালিত একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়, যার
ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পুরুষ নারী নির্যাতন করেন,
জীবন নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টির মাত্রা যাঁরা নারী
নির্যাতন করেন না তাঁদের তুলনায় কম। নির্যাতন করার
বিষয়টি তাঁদের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অর্থাৎ নারী নির্যাতনকারী পুরুষেরা সুখী হন না। ওই
প্রতিবেদনে আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফলের কথা
উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, সমাজে নারী-পুরুষের
সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও
জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়।
গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, আমাদের দেশের বেশির ভাগ
পুরুষ অসুখী। কারণ, নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যাটা যে
অনেক বেশি। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় নারীর ওপর
নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি
জরিপের ফলাফল। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিবাহিত
নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের
শিকার হন। আর স্বামীরা তাঁদের ওপর এ নির্যাতন চালিয়ে
থাকেন। এ অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা আর
নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যা সমান। কী ভয়াবহ ব্যাপার,
তাই নয় কি? পুরুষেরা নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে
তাঁদের বারোটা তো বাজিয়েই চলেছেন, তার ওপর নিজেরাও ভালো
থাকছেন না। কী লাভ হচ্ছে তাহলে?
আমাদের দেশের অনেক পুরুষই হয়তো দেশে ও বিদেশে পরিচালিত
ওই গবেষণার ফলাফলকে মানতে চাইবেন না। আমাদের সমাজে এমন
অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন, মারধর না করলে মেয়ে
লোক মাথায় চড়ে বসে। আর নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করা বা সংসারে তাঁর কথাই যে শেষ কথা, সেটা বোঝানোর
জন্যও অনেকে মারধরকেই পথ হিসেবে মানেন।
নির্যাতনকারী সেই সব পুরুষকে বলতে চাই, নিজেদের
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এটা কোনো রাস্তা নয়। সংসার তো
নারী-পুরুষ দুজনের। সেখানে পুরুষকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা
করতেই হবে কেন? দুজনে মিলেমিশে দুজনের মতের ভিত্তিতে
কি সংসার চালানো যায় না? নিশ্চয়ই যায়। এ রকম উদাহরণও
তো সমাজে আছে। স্ত্রীকে মারধর করে আপনি যতটা না
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন, ভালোবাসলে, স্ত্রীর
দায়িত্ব নিলে দেখবেন আপনা-আপনি আপনার কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে স্ত্রীও ভালো থাকতেন এবং নিজেও
সুখী হতেন।
অনেক পুরুষ ভাবেন, গায়ে হাত তুললেই সেটা কেবল নির্যাতন
হয়, এ ছাড়া নির্যাতন হয় না। কিন্তু কাউকে যখন
মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়, সেটাও নির্যাতন। আমাদের
ভদ্র সমাজে মানসিক নির্যাতনের হার বেশি। আছে অর্থনৈতিক
নির্যাতনও।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
টাকা ভর্তি ব্যাগ মালিককে ফিরিয়ে দিলেন সার্জেন্ট
হাবিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের অনেক নেতিবাচক খবরের মাঝে ইতিবাচক খবরও আছে।
এবার এক পুলিশ সার্জেন্টের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এক যুবক
ফিরে পেয়েছেন তার ব্যাগে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং
ল্যাপটপ।
যে সার্জেন্টের প্রত্যুৎপন্নিমতায় শরীফ তার নগদ টাকাসহ
ব্যাগ ফিরে পেয়েছে তার নাম আহসান হাবিব প্রামাণিক। তিনি
ডিএমপি’র কোতোয়ালি জোনে কর্মরত। এ ব্যাপারে সার্জেন্ট
আহসান হাবিবের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি ২০১১
সালে পুলিশে যোগ দেন। তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ
থানার উত্তর দলগ্রাম পাটেয়ারীটারী গ্রামের বাসিন্দা।
তার বাবা স্কুল শিক্ষক। এর আগেও তিনি সংবাদ পেয়ে জীবন
বাজি রেখে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে তাৎক্ষণিক
অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের আটক করেন।
আহসান হাবিব নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা
ছিল মানুষের উপকার করার। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে বাকি
জীবনেও মানুষের উপকার করে যেতে চাই। মানুষের উপকার
করার এ দীক্ষা আমি আমার পিতার কাছ থেকে পেয়েছি।”
ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি জানান, রাজধানীর নিকুঞ্জের
বাসিন্দা শরীফ আহমেদ সিএনজি অটোরিকশায় করে গত মঙ্গলবার
সন্ধ্যা ৭টায় কেরানীগঞ্জ থেকে বাবুবাজার ব্রিজে এসে
নামেন। কিন্তু নামার সময় তার সাথে থাকা ব্যাগ
অটোরিকশায় রেখে নামেন। ভাড়া দিয়ে ব্যাগ হাতে নিবেন।
তাই ভাড়া দেয়ার জন্য পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করছেন।
কিন্তু ভাড়া না নিয়েই অটোরিকশা দ্রুত ঘুরে বিপরীতে চলতে
থাকে।
শরীফের মাথা ঘুরে যায়। কারণ ব্যাগে রয়েছে তার বাড়ি
নির্মাণের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা ও ল্যাপটপ। কার কাছে
অভিযোগ করবে বুঝতে পারছিলেন না শরীফ। অগত্যা সামনে
একজন পুলিশ সার্জেন্টসহ কয়েক পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে
দেখে দৌড়ে তাদের শরণাপন্ন হন।
পুলিশ দল তাকে সান্ত¦না দিয়ে বসতে বলেন। আর সাথে সাথেই
পুলিশের সেই সার্জেন্ট তার মোটরসাইকেলে রওনা দেন শরীফকে
বহনকারী স্কুটারটির পেছনে। অন্য পুলিশ সদস্যরা এ সময়
তাকে সান্তনা দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রতি মিনিট যেন তার
কাছে কয়েক যুগ বলে মনে হচ্ছিল।
শরীফের অপেক্ষার পালা আর শেষ হচ্ছে না। আর কি করা যায়
বুঝতেও পারছে না শরীফ। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুলিশ
সার্জেন্ট শরীফের হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ও অটোরিকশা ও তার
চালককে নিয়ে হাজির। তবুও যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না
শরীফ। তার সামনে সেই ব্যাগ। তখনো তার মনে সন্দেহ টাকা
ফিরে পাওয়ার সন্দেহ। ব্যাগ খুলে দেখেন যে সব কিছু
ঠিকঠাক আছে।
পুলিশ এ সময় আইনগত ব্যবস্থা নিতে চালক কালামকে থানায়
নিয়ে যেতে চাইলে শরীফ তার অর্থ ও মালামালসহ ব্যাগ ফিরে
পাওয়ায় এবং চালক ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে
অনুরোধ করেন। শরীফ এবার ভালো করে সার্জেন্টের দিকে
তাকান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। খুশি হয়ে বলেন, ভাই আমার
টাকা উদ্ধার করেছেন। এখান থেকে আপনার যা খুশি টাকা নেন।
পুলিশ সার্জেন্ট সেই টাকা নামিয়ে বরং ব্যাগ বন্ধ করে
বলেন, আপনার হারিয়ে যাওয়া টাকা ও ব্যাগ উদ্ধার করা
পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। আমি তা পালন করেছি মাত্র। এর
জন্য আমি কোন অতিরিক্ত সুযোগ নিতে পারি না। উল্টো
পুলিশ সার্জেন্ট তাকে চা পান করান এবং পরে অন্য একটি
গাড়িতে তাকে নিরাপদে যাত্রার ব্যবস্থা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ২ ওসি ও ১ এসআই প্রত্যাহার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অবশেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিতর্কিত ওসি (প্রশাসন)
মুহাম্মদ সরাফত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হোসেন ও উপ-পরিদর্শক
(এসআই) ওমর ফারুককেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের
বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের এক বিধবা নারীর জমি দখলে নিতে
ভূমিদস্যুদের সহায়তার অভিযোগ ছিল। ২৩ মে দুপুরে জেলা
পুলিশ সুপার এ সিদ্ধান্ত নেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিন পুলিশ কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে একজন নারীর অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত
কমিটি প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনের
প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। ওসি সরাফত উল্লাহ
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক
দলের বাইরে খোদ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের বড় একটি
অংশও তার ওপর ক্ষব্ধ। স্থানীয় প্রভাবশালী সংসদ সদস্য
শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে
প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করতো না। গত ৬ই মে শনিবার
দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার মৃত হোসেন আলী সাউদের
স্ত্রী আছমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার
বাবার ওয়ারিশ সূত্রে সিদ্ধিরগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ
সম্পত্তি আমরা ৭ ভাই বোন ভোগ করে আসছি।
কারাবন্দিদের
স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা নাজুক : আইজি প্রিজন্স
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার
উদ্দিন জানিয়েছেন, কারা বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার
ব্যবস্থা কিছুটা নাজুক। দেশের ৬৮ কারাগারে ডাক্তারের
চাহিদা ১১৭ জন। সেখানে ডাক্তার আছেন মাত্র ৬ জন। যেসব
নার্স আছেন তারাও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অন্যত্র চলে
যাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স আছে ৯টি। তবে চিকিৎসক না
থাকলেও আমরা বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চিন্তিত নই।
গত ১৪ মে রবিবার রাজধানীর কারা অধিদফতরে এক সংবাদ
সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন্স বলেন,
একজন অসুস্থ আসামি হাসপাতালে ক’দিন থাকবে তা সম্পূর্ণ
চিকিত্সকের উপর নির্ভর করে। এতে আমাদের কোনো
সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি আরো বলেন, যেসব বন্দীর নামে হাসপাতালে থাকার
অভিযোগ শোনা গেছে তারা অনেকেই ডায়াবেটিস, ব্লাড
প্রেসারসহ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত। তারা অসুস্থ বোধ
করলেই তাদের হাসপাতালে নিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশনা
রয়েছে। তাই তারা যখনই বলে অসুস্থ তখনই আমরা তাদের
হাসপাতালে নিতে বাধ্য হই।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি দীর্ঘদিন রাখেন
তাহলে এটা তাদের ব্যাপার। আমরা চাইলেই তাদের আনতে পারি
না। চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাদের কারাগারে ফিরিয়ে আনতে
হলে আমাদের বন্ড সই করে আনতে হবে। রাজশাহীতে এ ধরনের
একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বন্ড দিয়ে কারাগারে আনার পর এক
বন্দির মুত্যু হয়েছে। একজন অসুস্থ কারাবন্দী হাসপাতালে
যাওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব শুধু তার নিরাপত্তা বিধান করা।
সাতক্ষীরায় পুলিশ
কর্মকর্তার স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাতক্ষীরায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা
রিমাকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে
রিমার দেহ ঝলসে যায়। শহরের পুরান সাতক্ষীরা এলাকায় এ
ঘটনা ঘটে। রিমাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। রিমার
স্বামী পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর টিপু সুলতান ঝালকাঠি
জেলার রাজাপুর থানায় কর্মরত। ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং
ডাক্তারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিক্ষিপ্ত পদার্থটি
সরাসরি এসিড নয়, অন্য কোনো দাহ্য রাসায়নিক দ্রব্য। সদর
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসেম জানান,
রিমা পুরান সাতক্ষীরার ছয় আনি মসজিদ এলাকার রফিকুল
ইসলাম জনির মেয়ে। বেশ কিছুদিন দুই সন্তান নিয়ে তিনি
পিত্রালয়ে ছিলেন। পুলিশ পরিদর্শক জানান, বিষয়টি
সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি নিজে হাসপাতালে যান।
সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়
ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
নাটোরে হত্যা
মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাটোরের সিংড়ার একটি হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার নাটোরের জেলা
ও দায়রা জজ রেজাউল করিম পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে ওই
দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- আঙ্গুর মোল্লা, মো. মিঠু, সোহাগ
হোসেন, মো. নয়ন ও ফারুক হোসেন। মামলার এজাহার সূত্রে
জানা যায়, উপজেলার দামকুড়ি গ্রামের কৃষক লোকমান আলী
২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল পাশের কালীগঞ্জ বাজারে গিয়ে
নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল বিকালে কালীগঞ্জ
বাজারের পাশের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে
তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম
জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সিংড়া থানায় মামলা
করেছিলেন। তদন্ত শেষে সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক
মন্তেজার রহমান সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
দাখিল করেন।
জৈন্তাপুর থানা
হাজতে আসামির ‘আত্মহত্যা’
মানবাধিকার রিপোর্ট
সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা হাজত থেকে নারী নির্যাতন
মামলার এক আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত নজরুল ইসলাম (৩৫) জৈন্তাপুর থানার কহাইগড়
প্রথমখন্ডের আব্দুল জলিলের ছেলে। জেলা পুলিশের
মুখপাত্র সুজ্ঞান চাকমা জানান, ১৯ মে সকালে ঝুলন্ত
অবস্থায় নজরুলের লাশ পাওয়া গেছে। গলায় কম্বল পেঁচিয়ে
তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জৈন্তাপুর থানা হাজতের সিসি
ক্যামেরার ফুটেজে আত্মহত্যার দৃশ্য ধরা পড়েছে।
জৈন্তাপুর থানার ওসি শফিউল কবির বলেন, স্ত্রী নাসরিন
ফাতেমার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার আসামি ছিলেন
নজরুল। তাকে ১৮ মে রাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
উপস্থিতিতে নজরুলের লাশের সুরতহাল তৈরির কাজ চলছে
জৈন্তাপুর থানায়। সুরতহাল শেষে লাশ ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হ
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
খাবার থেকে ফরমালিন দূর করবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ফরমালিন ছাড়া খাবার জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া এক কথায়
অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফরমালিনযুক্ত খাবার খেয়ে বাড়ছে
স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করে খাদ্য
থেকে ফরমালিন দূর করা যায়। যদিও আজকাল ফল থেকে শুরু করে
মাছ, মাংস, শাক সবজি, এমনকি দুধে পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে
এই রাসায়নিক। ফর্মালিন (রাসায়নিক সংকেত -ঈঐঙ-)হ হল
ফর্মালডিহাইডের পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা
পাউডারের মত। ফর্মালিন বস্তুটা মূলত টেক্সটাইল,
প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও সর্বোপরি মৃতদেহ
সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও
মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
অনেকের ধারণা, ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিশুদ্ধ পানিতে ডুবিয়ে
রাখলে খাদ্যদ্রব্য থেকে ফরমালিন দূর হয় বা কমে যায়।
আসলে কমলেও তা অতটা কার্যকর নয়। তার চেয়ে বরং কাঁচা
অবস্থায় খাবার থেকে ফরমালিন অপসারণ করতে চাইলে পানির
কল ছেড়ে তার নিচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে।
কারণ কাঁচাসবজি ও ফলের ত্বকে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র
রয়েছে। আর পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিন আরো ভালোভাবে
খাবারে মিশে যেতে পারে। তাই পানির কল ছেড়ে তার নিচে
নির্দিষ্ট খাবার দ্রব্য বা ফলটি রেখে দিন।
ভিনেগার বা লেবুর রসে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখেও
ফরমালিন দূর করা যায়। আগুনের তাপে ফরমালিন অনেকটাই
নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্নার আগে ফরমালিন কমানোর পদ্ধতি
ব্যবহার করে রান্না করলে খাবার পুরোপুরি ফরমালিন মুক্ত
করা সম্ভব।
সাইক্লিং
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য
অনুযায়ী, সাইকেল চালিয়ে কাজে গেলে ক্যান্সার এবং
হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
বাহনে চড়ে মানুষজন কাজে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যের ওপর তার
প্রভাব নিয়ে- পাঁচ বছর ধরে ২ লাখ ৫০ হাজার অফিস
যাত্রীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে,
যারা সাইকেল চালিয়ে অফিসে যান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি
কমেছে ৪৫ ভাগ, আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমেছে ৪৬ ভাগ।
এছাড়া গবেষণায় পাওয়া যায়, সাইক্লিং করলে শরীরে মেদ এবং
প্রদাহ কম যায়।
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জেসন গিল বলেন, ‘এটা
এখন প্রমাণিত। কাজে যাওয়ার জন্য ব্যবহার হওয়া বাহনের
সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে
সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকার অনস্বীকার্য।’
তিনি বলেন, সাইকেল চালালে অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। মনের
সাথে যুদ্ধ করতে হয়না।
ব্রিটেনের শীর্ষ বেসরকারি ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান
ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র ক্লেয়ার হাইড বলছেন, এই
গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিনের জীবনযাপনে যারা যত
বেশি সক্রিয় থাকেন, তাদের রোগের ঝুঁকি তত কমে।
হাঁটলে মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা বাড়ে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপরে অনেকেরই অগাধ আস্থা থাকে।
অনেকে রীতিমতো উপকারও পান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়।
কিন্তু এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, যা না
মানলে রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে না। কী রকম নিয়ম?
আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে কিছু
খাবেন না।
২. হোপিওপ্যাথিক ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা
করবেন না। সিগারেট বা মদের মতো নেশাকর দ্রব্যে যে
তীব্র সাপ্লিমেন্ট থাকে, তা ওষুধের কার্যকারিতাকে খর্ব
করে দেয়।
৩. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কখনওই হাতে নেবেন না। হাতে নিলে
ওষুধের অভ্যন্তরীণ স্পিরিট উবে যায়। কাগজ কিংবা ওষুধের
শিশির ঢাকনায় ঢেলে নিয়ে ওষুধ মুখে দিন।
৪. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের আগে সাদা জলে ভাল করে
কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন।
৫. ওষুধ খাওয়ার পরে কোনও টক খাবার সেবন করবেন না। এতে
ওষুধের প্রভাব খর্ব হয়ে যায়।
৬. অ্যালোপাথি কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখবেন না। এতে ওষুধের ক্ষমতা কমে
যায়।
৭. চিকিৎসা চলাকালীন চা এবং কফিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে
চলুন।
৮. কোনও ভাবেই অন্য কোনও রোগীর ওষুধ নিজে খাবেন না।
একই রকমের রোগ হলেও অন্য রোগীর ওষুধ খাওয়া কখনওই উচিত
নয়। কারণ মনে রাখবেন, রোগীভেদে হোমিওপ্যাথি ওষুধও
কিন্তু বদলে যায়।
৯. যে জায়গায় ওষুধটা রাখবেন, সেখানে যেন কোনও ভাবেই
সরাসরি রোদ না আসে।
১০. ওষুধের শিশির ঢাকনা কখনওই খোলা রাখবেন না।
টিকটিকি,
মাছি, পিঁপড়া ও উইপোকা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
১। টিকটিকি তাড়াবার সহজ উপায় পাঁচখানা ডিমের খোসা একটি
বাটিতে করে, যে ঘরে টিকটিকি আছে সে ঘরে রাখলে টিকটিকির
উপদ্রব অনেক কমে যাবে। ময়ূরের পাখনা চার-পাঁচটি অংশ
একটি সুতলিতে টাঙিয়ে রাখলেও উপদ্রব কমবে।
২। বাড়িতে গ্যাস শেষ হয়ে গেলে আবার ব্যবহারের পদ্ধতি,
বিজ্ঞানীদের ধারণা ওই গ্যাস সিলিণ্ডারের তলার অংশে এক
থেকে দেড় লিটার গ্যাস থাকে এবং ওই গ্যাস গরম পানি বা
গরম ভাতের ফ্যানার ওপর রাখলে আরও অনেকবার ব্যবহার করা
যায়।
৩। মাছি ও পিঁপড়া তাড়াবার সহজ উপায় হচ্ছে চায়ের চামচের
চার চামচ লবণ এক লিটার পানিতে গুলে ঘরের মেঝে ভালো করে
মুছলে মাছি ও পিঁপড়ের উপদ্রব অনেক কমে যাবে।
৪। গাঁয়ের ঘামাচি তাড়াতে পাঁচ গ্রাম ফিটকিরি এবং একমুঠো
নিমপাতা দিয়ে দুটোকে এক সঙ্গে বেটে গোসলের এক ঘন্টা আগে
গাঁয়ে মেখে শুকিয়ে ফেলে গোসল করলে অনেকটা ঘামাচির হাত
থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৫। উইপোকা তাড়াতে ৫০ গ্রাম কাপড় কাঁচা সোডা, ১০ গ্রাম
খাবার চুন পাতলা করে গুলে স্প্রে করলে উইপোকার উপদ্রব
কমে যাবে।
৬। আরশোলা তাড়াতে ৫০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার ও ৫০ গ্রাম
কাপড় কাঁচা জেট পানিতে গুলে স্প্রে করলে আরশোলার
উপদ্রব কমে যাবে।
খালি পেটে যে খাবার
খেতে নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ক্ষুধা লাগলেই যে হাতের সামনে যা আছে তা-ই খেয়ে নেব তা
কিন্তু নয়। প্রতিটি খাবার খাওয়ারই একটা নির্দিষ্ট সময়
আছে। তা না হলে খাবার গ্রহণে উপকারের পরিবর্তে উল্টো
ক্ষতি হতে পারে শরীরের। কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে
খাওয়া একদমই ঠিক নয়। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো ভুল
করেও খালিপেটে খাওয়া যাবে না।
টমেটো
টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং নিউট্রিশন থাকে।
কিন্তু এই টমেটো খালি পেটে খাওয়া একেবারেই অনুচিৎ। এর
ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটোয়
বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে
পাকস্থলীর মধ্যে এক ধরনের অদ্রবণীয় উপাদান তৈরি করে।
এটি পাকস্থলীতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
শসা
প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শসা খালি পেটে
খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। এর ফলে তলপেটে যন্ত্রণা,
হৃদরোগ, পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
কলা
কলাকে বলা হয় সুপার ফুড। এটি হজমের জন্যে খুবই দরকারী।
কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে।
কিন্তু যদি আমরা খালি পেটে কলা খাই, তাহলে রক্তে
ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে।
তাই সকাল বেলা কলা খাওয়া মানা।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চ পরিমাণ কার্বোনেটেড এসিড। খালি
পেটে এগুলো খেলে বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
দুধজাতীয় খাবার
দই কিংবা দুধের তৈরি যেকোনও খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিৎ
নয়। এতে অ্যাসিডিটি হয়। ভারী খাবার গ্রহণের পর দুধ বা
দই খাওয়া উচিৎ।
লেবুজাতীয় খাবার
লেবু বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। বাতাবি
লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খালিপেটে খেলে অ্যাসিডিটি
বাড়ার ঝুঁকি থেকে। এটি শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে।
মশলাদার খাবার
ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে খালি পেটে ঝাল
জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়ার
কারণে পেটে জ্বালাপোড়া হয়। নিয়মিত এরকম হলে পাকস্থলীর
ক্ষতি হবার ঝুঁকি বাড়ে।
চা-কফি
খালি পেটে চা কিংবা কফি খাওয়া ক্ষতিকর। চায়ের মধ্যে
রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড, যা পাকস্থলীর আবরণকে
ক্ষতিগ্রস্ত করে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা পাকস্থলীর
জন্য ভালো নয়। তাই সকালবেলা চা কিংবা কফি খেলে তার আগে
একগ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের
আর যন্ত্রণাদায়ক ইনসুলিন নিতে হবে না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এবার আর ডায়বেটিস রোগীদের যন্ত্রণাদায়ক ইনসুলিন
ইঞ্জেকশন নিতে হবে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় একদল গবেষক।
এন্ডোক্রিনোলাজি নামের জার্নাল প্লাস ওয়ান এ প্রকাশিত
একটি গবেষণাপত্রে এ দাবি করেন তাঁরা।
তারা আরও বলেন, এমন একটি রাসায়নিক তাঁরা আবিষ্কার
করেছেন যা শরীরে ইনসুলিনের মতোই কাজ করবে। ওই রাসায়নিক
টি দুই ধরনের ডায়াবেটিসের (ডায়াবেটিস ১ এবং ডায়াবেটিস
২) ক্ষেত্রেই সমান কার্যকর। গবেষকদের দাবি, ওই
রাসায়নিকটি অদূর ভবিষ্যতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
রাসায়নিক টি তৈরির পিছনে অবদান রয়েছে দেশের আটটি
প্রতিষ্ঠানের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অব পোস্ট
গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের এন্ডোক্রিনোলজি
বিভাগ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের
সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার এন্ডেক্রিনোলজি
ল্যাবোরেটরির।
গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী বিশ্বভারতীর সমীর ভট্টাচার্য
বলেন, ডিএমপি নামের এমন একটি রাসায়নিক আমরা তৈরি করেছি।
ইঁদুরের উপরে তার প্রয়োগ সফল হয়েছে। রাসায়নিক টি তৈরিতে
অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রসায়ন বিজ্ঞানী
মিহির চৌধুরীর ভূমিকাই প্রধান বলে মন্তব্য করে
এসএসকেএম-এর এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
বলেন, মানুষের উপরে ওই রাসায়নিকটির পরীক্ষা সফল হলে তা
ওষুধ হিসেবে বাজারে আসতে পারে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করবে ডিএমপি?
ডায়াবেটিস ১-এর ক্ষেত্রে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলি
নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ইনসুলিন তৈরিই হতে পারে না। এ সব
ক্ষেত্রে রোগীকে বাইরে থেকে ইনসুলিন নিতে হয়।
ডায়াবেটিস ২-এর ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় বটে,
কিন্তু তার পরিমাণ কম এবং ওই ইনসুলিন শরীরে ঠিক মতো
কাজ করতে পারে না। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, নতুন রাসায়নিকটি
ডায়াবেটিস ১-এর ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মতো কাজ করবে। আর
ডায়াবেটিস ২-এর ক্ষেত্রে শরীরে চর্বির পরিমাণ কমিয়ে
দেবে যা শরীরে যেটুকু ইনসুলিন থাকবে তাকে সক্রিয় করবে।
এন্ডোক্রিনোলজিস্টেরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিসের সময় শরীরে
চর্বি থেকে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তাই দেহে জমে
থাকা বা খাবারের সঙ্গে ঢোকা চর্বি গ্লুকোজ ভাঙতে পারে
না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকে। ওই চর্বি যাতে
শরীরে জমে থাকতে না পারে, তার জন্য বাজারে দু’টি ওষুধ
এক সময় চালু ছিল। কিন্তু শরীরে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থাকায় আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি সে ওষুধের ব্যবহার
নিষিদ্ধ করে দেয়। সেই তুলনায় ডিএমপি একেবারেই নিরাপদ
বলে গবেষণাপত্রে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সমীরবাবু বলেন, ডিএমপি এক দিকে যেমন চর্বি থেকে শক্তি
উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে উজ্জীবিত করে, তেমনই
ইনসুলিনের মতো কাজ করে। পাশাপাশি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন
প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় থাকলে তাকেও সক্রিয় করে তোলে।
এসএসকেএম-এর সতীনাথবাবুও বললেন, ডিএমপি-র বৈশিষ্ট্য হল
এই ওষুধ ডায়াবেটিস ১ এবং ডায়াবেটিস ২, দু’টি ক্ষেত্রেই
সমান সক্রিয়।
অন্য এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা এই আবিষ্কার নিয়ে কী বলছেন?
বিশ্বজিৎ ঘোষ দস্তিদার বলেন, নানা ধরনের মলিকিউলের
অস্তিত্ব সামনে আসছে, ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়ার ক্ষেত্রে
যাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিএলপি ওয়ান
অ্যানালগ-এর কথা আগে জানা গিয়েছে যা ডায়াবেটিসের
পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডিএমপি-ও হয়তো তেমনই
কোনও রাসায়নিক।
Top
আইন কনিকা
যাবজ্জীবন মানে
আমৃত্যু কারাবাস, রায় প্রকাশ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এক হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের
সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তা আমৃত্যু
কারাবাস হবে বলে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ বছর আগে সাভারের জামান হত ্যা মামলায় দুই আসামির
আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার
সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ গত ১৪
ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছিল।
২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায়টি
প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আদালত বলেছে, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারায়
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস।
এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু
কারাগারে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
মাহবুবে আলম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের বিষয়ে পদক্ষেপ
নিতে এই রায়ের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কারা
মহাপরিদর্শককে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা হয়েছে, ‘দণ্ডের মেয়াদসমূহের
ভগ্নাংশসমূহ হিসাব করার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাবাসকে
৩০ বছর মেয়াদী কারাবাসের সমতুল্য বলে গণ্য হবে।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, তিনি প্রধান বিচারপতিকে
বলেছিলেন যে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যেন আমৃত্যু কারাবাসের
বিষয়ে মন্তব্য না থাকে।
“আমি বলেছি, প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য যেন মূল রায়ে
না থাকে। যদি থাকে, তাহলে সব মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে
এটা প্রযোজ্য হবে।”
সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, আদালত
বলেছে যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ ৩০ বছর নয়, বরং
আমৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে
হবে।
“প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রায়ে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা
হবে। উনার মতামত দেবেন যে আদালত যদি মনে করেন যে
আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হবে, তাহলে তাকে মৃত্যু অবধি
জেলে থাকতে হবে।”
ব্রিটিশ আমলে করা আইন ও কারাবিধির বর্তমান প্রেক্ষাপটে
নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে বিচারপতি এস কে সিনহা
আদালতের বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিয়ে বিভ্রান্তির কথা বলে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ জুন গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন,
“যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে
করেন ৩০ বছর। ধরে নেয়, সব জায়গায়। প্রকৃত পক্ষে এটার
অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থ হল একেবারে
যাবজ্জীবন, রেস্ট অফ দ্য লাইফ।”
এরপর আদালতে দেওয়া রায়েও একই মত প্রকাশ করেন তিনি।
আদালত তার অভিমতে বলেছে, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৪৫ ধারার সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে
হবে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু
কারাদণ্ড।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে
আলম সোমবার রাতে বলেন, আদালত তো এখানে নতুন আইন করছে
না। আইনের একটা ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এই আইনটা যদি এতদিন
সবাই না বুঝে থাকে, এখন আদালত যে ব্যাখ্যা দেয় সেটা
মানতে হবে।”
“এখন যারা জেলে আছে, সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে,”
বলেন তিনি।
তবে তিনি একইসঙ্গে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় ভালোভাবে পড়ে
এবিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
“এর মধ্যে কেউ বের হয়ে গিয়ে থাকলে তাকে তো আবার জেলে
ঢোকানো যাবে না। তবে সর্বোচ্চ আদালতের ব্যাখ্যা মানতে
হবে।”
কারাবিধিতে আসামি রেয়াত পেলে দণ্ড আরও কমে আসে। কিন্তু
আমৃত্যু সাজা হলে রেয়াত খাটবে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সাধারণ কয়েদিদের ক্ষেত্রে তো
আবার জেল কোড প্রযোজ্য। সেখানে যদি কেউ রেয়াত পায়,
সেটার কী হবে- সেটা পুরো রায় পড়ে বুঝতে হবে।”
Top
|
|