BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover December 2017

English Part December 2017

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন নভেম্বর ২০১৭
 
মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৮৫ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-BHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে নভেম্বর ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৮৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নভেম্বর ২০১৭ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৬ জনের অধিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের ১৮৫ জন। এর মধ্যে
যৌতুকের কারণে হত্যা ৫ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩৪ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৩ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৫ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৮ জন, অপহরণ হত্যা ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৬৩ জন ,ধর্ষণের পর হত্যা ২ জন, এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত, পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২১৫ জন, খ) আত্মহত্যা ২৯ জন।
নভেম্বর ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৩২ জন, যৌন নির্যাতন ৯ জন, যৌতুক নির্যাতন ৫ জন ,এসিড নিক্ষেপ ১ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ১০ জন।
 

 


সরকারের চেষ্টায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি: প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল। সরকার এদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতসহ সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সাংসদ মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর সব জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডকে হার মানিয়েছে। মিয়ানমারে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষিতে বাস্তুচ্যুত লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় প্রদানের উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিকভাবে সবার প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সব সময় যে কোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়া ছিল বাংলাদেশ সরকারের একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। মিয়ানমারের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে বিদ্যমান সমস্যার ক্ষেত্রে সরকার দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সোচ্চার হয়েছে। অতিদ্রুত বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতনের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে সহায়তা করা হয়েছে।

 

BHRC’র বরিশাল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বরিশাল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ১১ নভেম্বর ২০১৭ সকাল ৯:৩০টায় ঝালকাঠির থানা রোডস্থ সানাই কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মোঃ শাহআলম। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার জোবায়দুর রহমান, BHRC চট্টগ্রাম বিভাগের গভর্নর সেতারা গাফফার, বরিশাল বিভাগীয় গভর্নর সাইদুর রহমান রিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, এড. খান সাইফুল্লাহ পনির, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঝালকাঠি জেলা, মোঃ লিয়াকত আলী তালুকদার, মেয়র, ঝালকাঠি পৌরসভা, মোঃ সুলতান হোসেন খান, চেয়ারম্যান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ, BHRC বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা মোঃ নাসির উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি, শেখ আব্দুল্লাহ, BHRC বরিশাল আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি ড. বাহাউদ্দিন গোলাপ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুন নবী বুলু। ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি এড. লিয়াকত হোসেন এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC বরিশাল আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নান্ন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু মাসুম ফয়সাল, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মেরী সূর্য্যানী সমাদ্দার, ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম.এ. আহাদ চৌধুরী তুহিন প্রমুখ। সম্মেলনে বরিশাল বিভাগের সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
 

মিয়ানমারকে সর্বসম্মত বার্তা নিরাপত্তা পরিষদের
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ জন্য বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ৬ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের এক সর্বসম্মত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া রাখাইনে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সামরিক বাহিনী যেন আর বাড়াবাড়ি না করে সে জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে শক্তি প্রয়োগ করে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে নারী-পুরুষ-শিশুদের। নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা চালানো হচ্ছে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস ও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব (রেজুল্যুশন) পাসের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে পরিষদকে। প্রস্তাব পাসের পরিবর্তে একটি সর্বসম্মত বিবৃতি দেয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান সেবাস্তিয়ানো কারডি। এটাকে গত এক দশকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের সবচেয়ে কঠোর বিবৃতি বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা এপি। ব্রিটেন ও ফ্রান্স গত মাসে প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছিল। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ সদস্য দেশের সম্মতি ছিল। তবে প্রস্তাবে যেসব বিষয় ছিল সেগুলো প্রায় অবিকলভাবেই বিবৃতিতে এসেছে। বিবৃতি হচ্ছে একটি আহ্বান। সেটা মানা বা না-মানা সংশ্লিষ্ট দেশের (এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার) মর্জির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাব পালন করা সাধারণত বাধ্যতামূলক মনে করা হয়।
মূল খসড়াতেও অবশ্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কোনো হুমকি ছিল না, যেটি অনেক মানবাধিকার সংগঠন দাবি করে আসছে।
এএফপি জানায়, নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী চীন বলছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস সংকটের জবাবে কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়। বহু বছর ধরেই মিয়ানমারের বড় আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক চীন। তবে শেষ পর্যন্ত চীন বিবৃতিতে সমর্থন দেয়ায় খুশি প্রস্তাব উত্থাপনকারীরা। জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ-রাষ্ট্রদূত জোনাথন অ্যালেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিষয়বস্তু। আমার মনে হয় অত্যন্ত কঠোর ও সর্বসম্মত বিবৃতি এখানে একটি আসল পুরস্কার।’

 

BHRC রংপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র রংপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ১৮ নভেম্বর ২০১৭ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯:৩০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা পরিষদের চেযারম্যান জয়নাল আবেদীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. দিপক কুমার সাহা, রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম মুকু, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি এড. এসএম আব্রাহাম লিংকন, লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাবিবুর রহমান, গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি এড. সেকান্দার আযম আনাম, রংপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. জিয়াউল হাসান জিয়া, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি এড. মোঃ জাহিদ ইকবাল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ’ মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিকুল ইসলাম কানু, রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আতিক-উল-ইসলাম কল্লোল, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম এবং গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আনিস মোস্তফা তোতন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জলিল। সম্মেলন পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল। সম্মেলনে রংপুর বিভাগের পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন ।
 

 BHRC পাবনা আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র পাবনা আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২৫ নভেম্বর ২০১৭ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায় রশিদ হল জেলা পরিষদ পাবনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর উড়িয়ে এবং র‌্যালীর মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের চেযারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC রাজশাহী বিভাগীয় গভর্নর মোঃ আবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. মোঃ আব্দুরর রহমান, উত্তর বঙ্গের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুরুন নবী বুলু, পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউল করিম রাখাল, বগুড়া অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন পরিচালনা করেন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস সামাদ খান রতন। সম্মেলনে পাবনা অঞ্চলের তিনশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগদান করবেন।
 

৪৬ মাসে আত্মহত্যা ৩৯৬০০


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঠাকুরগাঁও শহরের কলেজপাড়া এলাকার তরুণী প্রত্যাশা। তার সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে উঠে তন্ময় তানজিম নামের এক তরুণের। তারা প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে চ্যাটিং-এর মাধ্যমে আলাপ করতেন। ২৯শে জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “সব বলা হয়তো শেষ হয় না। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস (কেউ কমেন্ট করবেন না প্লিজ)। এরকম একটি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রত্যাশা ঘুমের ওষুধ খেয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
তার আত্মহত্যার কয়েকদিন পর ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় তন্ময় তানজিমও ফেসবুকে “আমি তোমাকে অনেক মিস করছি, তুমি জানতে আমি একটু পাগল টাইপের, তুমি তো মানিয়ে নিতে পারতে। তোমার নাম্বারটাও আমি রেগে ডিলিট করে দেই, কিন্তু আমি সত্যি তোমাকে অনেক মিস করছি” স্ট্যাটাস দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। শুধু তাই নয়, রাজশাহীর বাঘার সোহান আলী। উপজেলার খানপুর জেপি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। খানপুর পূর্বপাড়া এলাকার আশ্রাব আলীর ছেলে। ৩০শে অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবারের লোকজন। নিহত ছাত্রের মা শাহিদা বেগম জানান, সোহান ওইদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে। সকাল ৭টায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি এসে তার শয়নকক্ষে পড়তে বসে। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক এভাবেই আত্মহত্যা করছে মানুষ প্রতিদিন। গলায় ফাঁস দিয়ে অথবা বিষ খেয়ে। ঝরে যাচ্ছে হাজারো তাজা প্রাণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, কলহসহ নানা কারণেই মানুষ আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, আত্মহত্যার প্রবণতার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। কিন্তু ২০১১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৪তম। বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী সারা দেশে গত ৪৬ মাসে আত্মহত্যা করেছে ৩৯৬০০ জন। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ১০ হাজার ২০০, ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৫০০, ২০১৬ সালে ১০ হাজার ৬০০ ও ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৮ হাজার ২০০ জন আত্মহত্যা করেছেন।
 


স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধকালীন কমান্ডারকে BHRC’র সম্মাননা প্রদান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়কার রূপগঞ্জ থানা কমান্ডার কানাডা প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার খান পিনু ২০ নভেম্বর ২০১৭ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে BHRC’র মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার খানকে ফুল দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। BHRC অফিসে পুষ্পার্পণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম মাস্টার, দাউদপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমেঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা লেন্স নায়েক কাজী মনির হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদসহ মানবাধিকার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

যে দেশে নিলামে বিক্রি হয় মানুষ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ দিবস ২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে র‌্যালী ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) র‌্যালীটি নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকে শুরু করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি তপন মিত্র’র সভাপতিত্বে ও সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ’র পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মহানগর শাখার নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মন্নান, জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি হোসেইন আহমদ, মুহিতুর রহমান মুহিত, সহ সভাপতি খুররম আহমদ, সার্জেন্ট (অব:) আবুল হোসেন, আব্দুল আজিজ, ডাক্তার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, মহানগরের সহ সভাপতি গুলজার আহমদ, শাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুস্তম মাসুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর শাকু, জুমেল আহমদ, মির্জা এম কামরুল ইসলাম, দিলিপ দে, ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার, জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমদ, মনসুর আহমদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বিজিত পাল, গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক শংকর দাস, অর্থ সম্পাদক আজিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক কৌশিক চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান খোকন, আশফাক আহমদ, বদরুল ইসলাম, ইফতাদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিতাংশু চক্রবর্তী, মাহবুব আহমদ, সাইদুল ইসলাম, আসাদ উদ্দিন, একে চয়ন, নাজমা বেগম, শারমিন আক্তার, মো আজাদ আলী, মহানগরের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেব দুলাল দে পরাগ, দপ্তর সম্পাদক পরিমল পাল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল মিয়া, সহ অর্থ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ সাগর, ধর্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সদস্য সাইদ মাহমুদ ওয়াদুদ, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, আলী আকবর শিপন, আব্দুল মজিদ, মইনুল ইসলাম, নাজিব আহমদ অপু, রবিউল ইসলাম সানি, মির্জা ফুয়াদ হাসান আওলাদ, শিশির সরকার, অমিতাব চক্রবর্তী প্রমুখ।


  বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা'র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ২৬ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের অভিজাত মেজ্জান খাইলে আইয়ুন রেষ্টুরেন্টে সংগঠনের সভাপতি জনাব আমিনুল হক বাবু সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জনাব মাসুদ পারভেজ সঞ্চালনায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্রগ্রাম আঞ্চলিক শাখা'র মাসিক ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্যানেল মেয়র জনাব হাসান মাহমুদ হাসনী, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদুর রহমান, সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান খান, সহ সভাপতি তানবীর শাহরিয়ার রিমন, সহসভাপতি মন্জুরুল হক, সহ সভাপতি মঈনুদ্দিন খান লাভলু, রোটারিয়ান মিঠু চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন জনি, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব চৌধুরী কে এমএন রিয়াদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু আনিস খান, অর্থ সম্পাদক শেখ ওয়ালিদ খান, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রিগ্যান আর্চায্য, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য শাহাদাত ইবনে মাজেজ, নির্বাহী সদস্য সৌমেন তালুকদার, সদস্য তাহমিদ সাহিন সহ নবাগত সদস্যবৃন্দরা।
বক্তরা বলেনঃ সারা দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে, এর থেকে রেরিয়ে আসাতে সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধ মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন ও আগামী ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

মিনিকেট চাল নিয়ে ভয়ঙ্কর সংবাদ, হতে পারে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার দিনাজপুরের মিনিকেট চাল নিয়ে একটি সংবাদ আমাদের জন্য ভয়ংকর দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে। সেখানে প্রক্রিয়াজাত করা মিনিকেট নামক একটি চালের ব্যবসা রমরমা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই চাল খেলে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হতে পারে।
১৯৯৫ সালের দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের কৃষকদের মাঝে সে দেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের চিকণ শতাব্দী ধান বীজ বিতরণ করে। মাঠ পর্যায়ে চাষের জন্য কৃষকদেরকে এ ধান বীজের সঙ্গে আরো কিছু কৃষি উপকরণসহ একটি মিনি প্যাকেট দেওয়া হয়, যে প্যাকেটটাকে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলে ‘মিনি কিটস’। সেখান থেকেই সেই ধানের নাম হয়ে যায় ‘মিনিকেট’।
আবার অনেকে বলেন, মিনি প্যাকেটে করে দেয়ায় ভারতীয় কৃষকদের কাছে এ ধান শেষ পর্যন্ত মিনিকিট বলে পরিচিতি লাভ করে। এ চালের প্রক্রিয়াটা এরকম: অটোরাইস মিলে অতি বেগুনি রশ্মির ডিজিটাল সেন্সর প্ল্যান্টে যেকোন ধান থেকে প্রথমে কালো, ময়লা ও পাথর সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর মোটা ধান চলে যায় অটোমিলের বয়লার ইউনিটে। সেখানে পর্যায়ক্রমে ৫টি ধাপ পার হবার পর লাল কিংবা মোটা চাল সাদা রংয়ের আকার ধারণ করে। এরপর আসে পলিশিং মেশিনে। অতি সূক্ষ্ম এই মেশিনে মোটা চালের চারপাশ কেটে চালটিকে চিকণ করা হয়। এরপর সেটি আবারও পলিশ ও স্টিম দিয়ে চকচকে শক্ত আকার দেয়া হয়। শেষে সেটি হয়ে যায় সেই কথিত এবং আকর্ষণীয় ‘মিনিকেট চাল’। আর চকচকে করার জন্য দেয়া হয় বিভিন্ন কেমিক্যাল যা মানব দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মিনিকেট’ নামে ধানের কোন জাত নেই। বাংলাদেশ কিংবা ভারত-কোন দেশেই মিনিকেট নামে ধানের কোন জাতের অস্তিত্ব মিলেনি এখনও। মোটা চাল মেশিনে চিকণ করার কারণে চালের পুষ্টিগুণ কমে যায়। মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘মিনিকেট’ নামে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোন জাতের ধান নেই। বিআর ২৮, কল্যাণী, স্বর্ণা, গুটিস্বর্ণা, লাল স্বর্ণা আইআর-৫০, জাম্বু ও কাজল লতা জাতের ধান ছেঁটে মিনিকেট বলে বস্তায় ভরে বিক্রি করা হচ্ছে।
 

মানবাধিকার কমিশন দক্ষিণ কুলাউড়া শাখার আর্থিক অনুদান প্রদান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ইটাহরি গ্রামের মোঃ ফাহিম আহমদ (১০) নামের এক শিশুর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখা।
গত ২৮ নভেম্বর তার পিতা মোঃ মুকুল মিয়ার হাতে বিশ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম চৌধূরী, সাধারন সম্পাদক তপন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন লাল দেব, অর্থ সম্পাদক ইমরান আলী, সদস্য মোঃ আকমল আলী ও মোঃ হাবিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস পূর্বে ইটাহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম আহমদ গাছ থেকে পরে কোমড় মছকে ফেলে। পরে তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার কোমড়ে রড প্র্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে প্রচুর অর্থ খরচে অক্ষম ফাহিম আহমদের দরিদ্র পরিবার বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি ও সংগঠনের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে মানবাধিকার কমিশন, দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার নেতৃবৃন্দ ফাহিম আহমেদের পাশে দাঁড়ান তার চিকিৎসার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

 

 জীবন বদলাতে জ্ঞানগর্ভ উক্তি!

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখানে ১০টি জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এগুলো ১৩ শতকের জনপ্রিয় পার্সি কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি। এগুলো হতে পারে আপনার জীবনের অনেক বড় শিক্ষা।
১. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
শিক্ষাটা হলো- নিজের মূল্য বুঝতে হবে।
২. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে, তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে থাকুন।
৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
শিক্ষাটা হলো- পরিবর্তনটা আপনি আনুন।
৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
শিক্ষাটা হলো- ইতিবাচক থাকুন।
৫. প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকুন।
৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
শিক্ষাটা হলো- মনোযোগী থাকুন।
৭. আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।
শিক্ষাটা হলো- নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করুন।
৮. যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।
শিক্ষাটা হলো- আপনি যেমন তেমনই থাকুন।
৯. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।
শিক্ষাটা হলো- ভালোবাসা ও জ্ঞানের জন্য নিজের যাত্রাটাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখুন।
১০. আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি, কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।
শিক্ষাটা হলো- সবকিছুতে ভালোবাসা খুঁজতে থাকুন।-টাইম অব ইন্ডিয়া
জীবনে সাফল্য পেতে চাইলে বিল গেটসের এই ৯টি পরামর্শ মেনে চলুন।
 

 বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ১৩৩ দেশের মধ্যে ৫৭ তম

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমান বাহিনী একসঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। এরপর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ এই দিনটিকে সশস্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বছর ঘুরে আবার আজ সেই দিন।
স্বাধীনতার পর ৪৬টি বছর কেটে গেছে। অনেক পরিবর্তন হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অস্ত্র কিনছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অন্যতম শক্তিশালী করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব এমনকি এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায়ও সামরিক অস্ত্রের দিক থেকে এখনো অনেকটা পিছিয়ে।
বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে ১৩৩টি দেশের মধ্যে ৫৭ তম অবস্থানে আছে। সেনাবাহিনীতে দুই লাখ পাঁচ হাজার সদস্য আছে।
নৌবাহিনীতে বর্তমান ১২’শ অফিসার এবং ১২ হাজার নাবিক এবং দুই হাজার ৫০০ মতো সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে।
এছাড়া বিমান বাহিনীতে ১৭ হাজার জন কমর্রত আছেন যাদের মধ্যে ১৭শ বৈমানিক। বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে বিমান রয়েছে ১৬৬টি এবং নৌবাহিনীতে ৮০টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।
বাংলাদেশের ট্যাংকের সংখ্যা ৫৩৪টি, সাঁজোয়া যান ৯৪২টি এবং ১৮টি কামান ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান রয়েছে।
নৌবাহিনীর ছয়টি ফ্রিগেট, চারটি করভেট ও দুটি সাবমেরিনসহ ৯১টি রণতরী আছে। তবে বাংলাদেশের সামরিক এই অস্ত্র বলতে গেলে অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম।
প্রতিবেশী দেশ ভারত,পাকিস্তান, চীন, মায়ানমার ও বিশ্বের প্রধান দুই সামরিক অস্ত্রধারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার অস্ত্র সমৃদ্ধি দেখলেই তা বোঝা যাবে।
ভারত: বিশ্বে সামরিক সক্ষমতায় ভারত চতুর্থ অবস্থানে আছে। যুদ্ধের জন্য দেশটির ১৩ লাখ ২৫ হাজার সক্রিয সদস্য আছে। আর সক্রিয সংরক্ষিত সদস্য ২১ লাখ ৪৩ হাজার। ভারতের মোট ট্যাংকের সংখ্যা ছয হাজার ৪৬৪টি।অস্ত্রবাহী যুদ্ধযানের (এএফভি) সংখ্যা আছে ছয় হাজার ৭০৪টি ও সেলফ-প্রপেল্ড গান (এসপিজি) ২৯০টি। তাদের টাওয়েড-আর্টিলারি আছে সাত হাজার ৪১৪টি ও মাল্টিপেল লান্স রকেট সিস্টেমস (এমএলআরএস) আছে ২৯২টি।
দেশটির মোট সামরিক এক হাজার ৯০৫টি বিমান এবং ৬২৯টি যুদ্ধবিমান আছে। এর বাইরে ফিক্সড-উইং অ্যাটাক এয়ারক্র্যাফট ৭৬১টি, পরিবহন বিমান ৬৬৭টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২৬৩টি, হেলিকপ্টার ৫৮৪টি এবং অ্যাটাকহেলিকপ্টার আছে ২০টি। ২০২টি নৌ-সক্ষমতা ও বিমানবহনে সক্ষম রণতরী আছে দুটি। তাদের ফ্রিগেটের সংখ্যা ১৫টি। ডেস্ট্রয়ার নয়টি, করভেট ২৫টি, সাবমেরিন ১৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্র্যাফট ৪৬টি ও সাতটি মেরিনওয়ারফেয়ার নিয়ে সুসজ্জিত যুদ্ধ প্রস্তুতি আছে দেশটির।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সেনা, নৌ, বিমান, মেরিন, আধা-সামরিক এবং এসপিডি বাহিনী নিযে গঠিত। দেশটির নিয়মিত সেনা সদস্য ছয় লাখ ১৭ হাজার, রিজার্ভ আর্মি পাঁচ লাখ ১৩ হাজার, এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে তিন লাখ চার হাজার জন সদস্য আছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতেও অগ্রগামী।




Top

 

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬ দিনে কর্মসূচি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতসহ ১৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি একত্রিত হয়ে বাংলাদেশে সহিংসাতার শিকার নারীদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গিকার করেছেন। সে লক্ষ্যে ১৬ দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
অঙ্গিকারাবদ্ধরা হলেন, এইচ.ই. মিজ. মার্শিয়া বার্নিকাট, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ. লিওনি মারগারেথা কুলেনারে, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ. এলিসন ব্লেইক, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ.পামপিমন সুয়ানাপোনে, রাষ্ট্রদূত, রয়েল থাই দূতাবাস, এইচ.ই. মিজ. জুলিয়া নিব্লেট, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার, এইচ.ই. মিস্টার মিকায়েল হেমনিতি উইনথার, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ. সিডসেল ব্লেকেন, বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিস্টার রেনে হোলেসটাইন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ.শারলোটা স্লাইটার, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, এইচ.ই. মিজ. রেনশে টিয়েরিনক, বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, মিজ মিয়া সেপো, বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর, মিস্টার ইওরি কাতো, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, মিজ. শোকো ইশিকাওয়া, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ, মিজ. ইয়ানিনা জারুযেলস্কি, মিশন প্রধান যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, মিজ. ক্রিস্টা রাডার, প্রতিনিধি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
তারা বলেন, আমরা একত্রিত হয়ে, যে সকল নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা সেই সকল নারী, মেয়ে ও বন্ধুদের পাশে দাঁড়াচ্ছি যারা সাহসের সঙ্গে হয়রানি, ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এবং আমরা—যাদের সোচ্চার প্রতিবাদের সুযোগ নেই, যারা লজ্জিত বোধ করছে এবং বাকি যারা নীরবে থাকতে বাধ্য হচ্ছে— তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বেকে, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে একত্রে দাঁড়াতে।
আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একসাথে দাঁড়িয়েছি। নারীর প্রতি সহিংসতার হার বাংলাদেশে অনেক বেশি, কিন্তু এটা এমন একটা বিষয় যা আমাদের নিজেদের দেশ এবং সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমরা এক হয়ে বলতে চাই যে, বাংলাদেশে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬০০ এর বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬০০ অনেক বড় একটি সংখ্যা।
আমরা আলোকপাত করতে চাই ৭০ শতাংশ সহিংসতার ঘটনার ওপর, যার কখনো রিপোর্ট হয় না। যে নারী এবং মেয়েরা উপেক্ষিত, নিশ্চুপ, হুমকিপ্রাপ্ত অথবা লজ্জিত তাদেরকে আমরা শুনছি এবং দেখছি। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরকে আহ্বান জানাচ্ছি বিচার ব্যবস্থাকে আরো সাড়াদায়ক এবং ভুক্তভোগীদের জন্য আরো সমর্থনযোগ্য করতে।
আমরা একত্র হয়ে এই দাবি জানাই যে, বাংলাদেশের সব স্কুল হয়রানিমুক্ত হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ৭৬ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়, যাদের একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শ্রেণিকক্ষ প্রাপ্য।
আমরা আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে দাঁড়াচ্ছি, যারা তাদের পরিবার দ্বারা অবহেলিত এবং গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে, বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আপনারা জেনে রাখুন যে আপনারা সম্মানিত, প্রশংসিত ও ভালোবাসার যোগ্য।

 

Top


‘৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত ইউনেস্কো’


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিচ কালদুল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নিয়েছে ইউনেস্কো। এ জন্যে ইউনেস্কোও গর্বিত।
১৮ নভেম্বর ২০১৭ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। একটি ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতিকে একত্রিত করার ইতিহাসের দলিল এটি। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ভাষণটির ওপর অনেক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বুকোভা এই ঘোষণা দেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার স্মৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক তৈরি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা।
এটি বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যগত তাৎপর্যপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল সমূহের আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রার্ড একটি তালিকা। আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রাকৃত এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্যগত প্রামাণ্য দলিলসমূহের সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি (আইএসি) কোনো প্রামাণ্য দলিল বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে রেজিস্ট্রার হবে কিনা বা যোগ্য কিনা তা বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে। এই কমিটি এবছর ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর আয়োজিত সংগঠনটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বে আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার্ড মেমোরি হিসেবে মনোনীত করে।
বর্তমানে ম্যামোরি অফ ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে সব মহাদেশগুলো থেকে ৪২৭টি প্রামাণ্য দলিল ও সংগ্রহ তালিকাভুক্ত রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভাষণটি স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকে পড়তেও উৎসাহিত করে। এটি মুক্তিবাহিনীতে যোগদানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেশের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচারে বাঙালী জাতির হৃদয় ও মনকে উৎসাহিত করে। এই ভাষণ এদেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে অনুপ্রাণিত করছে।
 

মানুষের এমন দুর্দশা কখনো দেখিনি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইইউ ও তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে আসেম সম্মেলন শুরুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো।
মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এখনো রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। অল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় চরম মানবিক সংকটের তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা স্বচক্ষে দেখতে ১৯ নভেম্বর ২০১৭ কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জার্মানি, সুইডেন ও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিজ বাস-ভূমে ফিরিয়ে নিতে আসন্ন আসেম সম্মেলনে তারা জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন। ২০ নভেম্বর ২০১৭ মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হচ্ছে। অংশীদার দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি রাজনৈতিক সংলাপের ফোরাম হলো আসেম। এই ফোরামের অংশীদার হলো ইউরোপ ও এশিয়ার ৫৩ দেশ।
১৮ ও ১৯ নভেম্বর ২০১৭ পৃথক পৃথকভাবে ঢাকায় এসে পৌঁছান ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেদেরিকো মোঘেরিনি, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্টার ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে ১৯ নভেম্বর ২০১৭ সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় যান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন। ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তারা নির্যাতনের শিকার কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন কেন্দ্র আইওএম-এর প্রাথমিক চিকিত্সা সেবা কেন্দ্র, জরুরি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা’ উল্লেখ করে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে দেখেছি। মানুষের এমন দুর্দশা কখনো কোথাও দেখিনি। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করবে জার্মানি। রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আসেম সম্মেলনে আলোচনা করা হবে এবং প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রাখা হবে। তিনি বলেন, সীমিত জায়গায় এতো মানুষের বসবাস অবাক হওয়ার মতো বিষয়। এভাবে রোহিঙ্গাদের বেশিদিন রাখা যাবে না। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসনীয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছেন ও তারা খুব অবাক হয়েছেন। এর আগে তারা কখনো এত কম জায়গায় এত বেশি মানুষ দেখেননি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আসেম সম্মেলনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
 

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের জন্য আগাম ভোটের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনে ৩১ প্রস্তাব


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বাধীন ইসির আইন সংস্কার সংক্রান্ত কমিটি বিদ্যমান আইনটি পর্যালোচনা করে সংশোধনী প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এছাড়া সংশোধনী প্রস্তাবে ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের দেওয়া সুপারিশগুলোও আমলে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনটি বাংলায় অনুবাদসহ ৩১টি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ভোটিং ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর করতে ডিজিটাল ভোটিং মেশিনে (ডিভিএম) ভোটগ্রহণের বিধান অন্তর্ভুক্তি, জামানত বৃদ্ধি, স্বতন্ত্র প্রার্থিতার জন্য শর্ত শিথিল, নির্বাচনি কর্মকর্তাদের জন্য আগাম ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের ১৩তম সভায় আরপিও সংশোধনীর সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। তবে, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সংশোধনী প্রস্তাবনায় নির্বাচনে স্বচ্ছতা বাড়াতে বেশকিছু নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, স্বতন্ত্র প্রার্থিতা সহজ করা, নির্বাচন-প্রক্রিয়া সহজ করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া ও ব্যয় মনিটরিংয়ে কমিটি গঠনের বিধান আরপিওতে সংযোজনের প্রস্তাব করেছে আইন সংস্কার কমিটি।
কমিশন বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরি করা প্রাথমিক সুপারিশ কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সভায় তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। তবে এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করতে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হতে পারে।
প্রস্তাবিত সুপারিশে আরপিও‘র ২০ (এ) ধারায় ইভিএম ব্যবহারের বিধান সংযোজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী হলে ৩১ ধারার অধীনে গোপন ব্যালটে অথবা নির্দিষ্ট ইভিএম বা ডিভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যাবে।
এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ইভিএম বা ডিভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের জন্য নতুন বিধান সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংশোধনী প্রস্তাবে জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে সংলাপে দুয়েকটি দল বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জামানত কমানোর সুপারিশ করেছিল।

 

হ্যাঁ আমি চা বিক্রি করতাম কিন্তু দেশ বিক্রি করিনি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমি চা বিক্রি করলেও দেশ বিক্রি করিনি। গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার প্রথম দিনের প্রচারণায় এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বিরোধী কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন।
গত ২৭ নভেম্বর সকালে কচ্ছের ‘আশাপুরা মাতা’ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রচারাভিযান শুরু করেন। আগামী ৯ এবং ১৪ ডিসেম্বর গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আগামী দু’সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৩০টিরও বেশি নির্বাচনী সভা করবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এবারের লড়াই উন্নয়ন বনাম পরিবারতন্ত্রের। ‘চা ওয়ালা’ কটাক্ষের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী সৌরাষ্ট্রের জনসভায় বলেন, ‘হ্যাঁ আমি চা বিক্রি করতাম। কিন্তু দেশকে বিক্রি করিনি। এভাবে আমার দারিদ্র নিয়ে কটাক্ষ করবেন না’।
তিনি বলেন, ‘আসলে কংগ্রেস আমাকে অপছন্দ করে। কীভাবে একটা দল এতটা নীচে নামে।



নবীজির বর্ণনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে সৌদি সংকট!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদিতে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ১১জন রাজপুত্র, চারজন মন্ত্রী এবং প্রায় ডজন খানেক প্রাক্তন মন্ত্রীকে বন্দি করার পর সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোড়ন। এর পর আরও কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে তীব্র আকার ধারণ করে সৌদি সঙ্কট। রাজ পরিবার বিভক্ত হওয়ার মতোও খবর পাওয়া গেছে।
রাসূল সা. বর্ণিত একটি হাদীসের সংকটময় অবস্থার সাথে মিলে যাচ্ছে না তো এই সংকট?
হযরত ছওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের ধনভাণ্ডারের (রাজত্বের জন্য) নিকট তিনজন বাদশাহর সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার (রাজত্ব) তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাহী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই করবে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন, ‘তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং-৪০৮৪) বর্তমান সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। হাদীসের ভাষ্যমতে, তিনজনই বাদশার সন্তান। এই প্রিন্সরা এখন তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। তারা হলেন- মুকরিন বিন আব্দুল আজিজ, মুহাম্মদ বিন নায়েফ, মুহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদির এই সংকটময় অবস্থায় কী ঘটতে যাচ্ছে আমরা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমরাও এটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না যে, এখনকার সংকটগুলো কী হাদিসে বর্ণিত সংকট?
প্রসঙ্গত, ৪ নভেম্বর এক বিশেষ আইনের বলে সৌদি যুবরাজ তথা দেশের ভবিষ্যৎ বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান করা হয এরপরেই ৫ নভেম্বর রাতভর সৌদি রাজপরিবারের অন্দরে বিশাল অভিযান চালান তিনি গ্রেফতার করা হয ১১ জন যুবরাজকে বন্দি করা হয়েছ, দেশের ন্যাশনাল গার্ড প্রধান ও নৌসেনা প্রধানকে।

 

ব্রিটিশ এমপি এবং কাউন্সিলরদের সাথে BHRC’র বৈঠক

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সফররত যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য লুসি পাওয়েল এমপি, সাবানা মাহমুদ এমপি এবং জেফ স্মিথ এমপি সহ কাউন্সিলর এমডি লুৎফুর রহমান, কাউন্সিলর আবিদ চৌহান, কাউন্সিলর বাসেত শেখ এবং কাউন্সিলর আলী আইলাম এর সাথে ৮ নভেম্বর ২০১৭ রাতে ঢাকার নিকুঞ্জস্থ ২১ গ্রান্ড হোটেলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC’র সাথে এক আনুষ্ঠানিক আলোচনা সম্পন্ন হয়। আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি যোগ দেন। BHRC’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন BHRC মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। BHRC’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন, যুক্তরাজ্য নর্থওয়েস্ট শাখার সভাপতি মাঈনুল আমিন বুলবুল ও সহ-সভাপতি সুরাবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর নির্বাহী সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লাসহ ২০ জন মানবাধিকার কর্মকর্তা BHRC’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। BHRC’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে বিশদ উপস্থাপন করা হয় এবং রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কার্যকর ব্যবস্থা ও মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসতে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।


 

বাংলাদেশে আসা সাড়ে ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশু এতিমে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘রোহিঙ্গা এতিম শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের’ জরিপের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। জরিপে মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ জরিপের প্রাথমিক কাজ ১০ নভেম্বর শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা এতিম শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন জামিলী।
এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক কাজ শেষ হলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় জরিপের কাজ চলমান থাকবে। এর ফলে এতিম শিশুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে এ পর্যন্ত প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তথ্য-উপাত্ত নথিবদ্ধ করার কাজ চলছে।
আল আমিন জামিলী আরো জানান, শূন্য থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত রোহিঙ্গা এতিম শিশুদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত করা এতিম শিশুদের মধ্যে কারো মা আছে, বাবা নেই। কারো বাবা-মা কেউ নেই। আবার মা-বাবা থাকার পরও পরিত্যক্ত শিশুদের এতিম বলে গণ্য করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এসব রোহিঙ্গা এতিম শিশুর সুরক্ষার মাধ্যমে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের কক্সবাজারে অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
 

যে গ্রামে বাস করলেই মিলবে ৫৯ লাখ টাকা!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে, সুইজারল্যান্ডের আলবিনেন গ্রামে বাস করতে গেলে তারা আপনাকে প্রায় ৫৯ লাখ টাকা দেবে। হয়ত ভাবছেন, নিশ্চয়ই এই গ্রামে কোনো সমস্যা আছে, কিন্তু সত্যি কোনো সমস্যা নেই। বরং এই গ্রামের শান্ত-শিষ্ট প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
আসলে, এই গ্রামে কর্মসংস্থানের সমস্যা থাকায় গ্রামের লোকজন অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে জীবিকা নির্বাহের জন্য। আর এই কারণেই গ্রামটি হয়ে পড়েছে মানুষ শূন্য। আর তাতেই দেখা দিয়েছে, মহাসংকট! বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের বিদ্যালয়টি। মাথায় উঠেছে গ্রামের দোকানপাটের কেনাকাটা।
দিন দিন প্রাণহীন হয়ে পড়ছে আলবিনেন। তাই গ্রামবাসীরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই গ্রামে কেউ বাস করতে আসলেই তাকে প্রায় ৫৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
তবে, অবশ্যই শর্ত প্রযোজ্য। এই টাকাটা পাওয়ার জন্য ১০ বছর একটানা থাকতেই হবে গ্রামে। তার আগে গ্রাম ছেড়ে চলে গেলে টাকাটা ফেরত দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, পরিবারের পুরুষ আর নারীর বয়স ৪৫ বছরের বেশি হওয়া চলবে না। সঙ্গে থাকতে হবে দুটি সন্তানও। তা হলেই বয়স্কদের জন্য বাংলাদেশি মাথাপিছু ২১ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
 

Top

 যৌন হয়রানির শিকার যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ ভাগ নারী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ নারীই যৌন হয়রানির শিকার। এসব নারী জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন নারীদের দুই-তৃতীয়াংশই বলেছেন, এসব যৌন হয়রানির ঘটনা কর্মক্ষেত্রে ঘটেছে। প্রকাশিত নতুন এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় জরিপটি চালিয়েছে। চলতি মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত চালানো এই জরিপে অংশ নেয় ১৪১৫ জন উত্তরদাতা। জরিপটি এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন দেশটিতে যৌন হয়রানি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি দেশটিতে বেশ কিছু যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। খবর এএফপির। জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র ২০ ভাগ পুরুষ জানিয়েছে, তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এদের ৬০ ভাগ জানিয়েছে, যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো ঘটেছিল কর্মক্ষেত্রে। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার ৬৯ শতাংশ নারী।

ময়মনসিংহে এক সঙ্গে তিন সন্তান প্রসব করলেন গৃহবধূ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এক সঙ্গে তিন সন্তান প্রসব করলেন ময়মনসিংহের ফুলপুরের পয়ারি ইউনিয়নের কাহনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা খাতুন। ২৩ নভেম্বর ২০১৭ রাতে ফুলপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সী আকলিমা এক সঙ্গে তিনটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুদের ওজন ১ কিলো ৬০০ গ্রাম থেকে ২ কিলোগ্রামের মধ্যে। মা ও নবজাতকরা সুস্থ রয়েছে। বাড়তি খেয়াল রাখা হচ্ছে।
আকলিমার স্বামী মো. সামিরুল ইসলাম একজন ইন্ডিয়ান। বর্তমানে ওমান প্রবাসী। আকলিমা খাতুন দুই বছর আগে কাজের উদ্দেশ্যে ওমান যান। সেখানে সামিরুলের সাথে তার বিয়ে হয়। আকলিমা গর্ভবতী হওয়ার পর সন্তান প্রসবের জন্য পিত্রালয় অর্থাৎ বাংলাদেশে আসেন।সূত্র : ঢাকাটাইমস
আকলিমা বলেন, এখন আমাদের পুরো বাড়িটাই বাচ্চাদের হুড়োহুড়িতে খুব জমে যাবে।
চিকিৎসকরা জানান, শুক্রাণু ও ডিম্বানু মিলনের পর কোনভাবে তিনটি ভাগে ভেঙে যাওয়ায় এক সঙ্গে তিনটি সন্তান হতে পারে। অন্য কারণেও ওই সম্ভাবনা থাকে।
 


ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তার ঐক্য দরকার: রাষ্ট্রপতি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের একার পক্ষে সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সুনামি ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের একার পক্ষে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সকল দেশের ঐক্য দরকার।
তিনি সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া সমুদ্র তীরবর্তী ইনানীতে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের (আইওএনএস) ‘মাল্টিল্যাটারাল মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসারসাইজের (ইমসারেক্স) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করছে আইওএনএস। ২২টি দেশ এর সদস্য। এছাড়া নয়টি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে।
সদস্য দেশগুলোর নৌ-বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানেও আইওএনএস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দীন আহমেদ এ জোটের বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ইমসারেক্সের এবারের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মোট ২৩টি দেশ। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ইনানী সমুদ্র উপকূলে এই মহড়া চলবে।
অনুষ্ঠানে ‘ব্লু-ইকোনোমির’ গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা সবাই সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন আছি। সাগরের সম্পদ উত্তোলন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।”
এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র খাতের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সশ্রস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই সমৃদ্ধ এই মেরিটাইম ইকোনোমির উন্নতি হতে পারে। সমুদ্র নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক দিনদিন জটিল হয়ে পড়ছে। এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়ন, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতেও বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
সাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘আস্থার প্রতীক’ হিসেবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের ব্লু-ইকোনমি এজেন্ডা বাস্তবায়নে নৌবাহিনী সাগরে ‘অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে'।



 

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই আসছে নতুন শ্রম আইন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই উত্থাপন হচ্ছে সংশোধিত শ্রম আইন ও নতুন ইপিজেড শ্রম আইন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)।
তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএলওর পরামর্শে এ দুটি শ্রম আইনের খসড়া কপি (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) আইএলওতে পাঠানো হয়েছে। এই আইন দুটি সম্পর্কে চলতি মাসেই আইএলও তাদের মতামত বাংলাদেশকে জানাবে। আইএলও’র মতামত পাওয়ার পর সব প্রক্রিয়া শেষ করে আইন দুটি পাসের উদ্দেশ্যে সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, বিদ্যমান শ্রম আইনটির কিছু ধারা সংশোধন ও খসড়া পর্যায়ে থাকা ইপিজেড আইনে সংযোজনের জন্য আইএলও শর্ত দিয়েছিল ৩২টি। এর মধ্য দিয়ে ১৬টি পয়েন্টের ওপর মতামত দিয়েছে বাংলাদেশ। বাকিগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে কোনও মতামত বাংলাদেশ দেয়নি।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও’র গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এই মতামতগুলো উপস্থাপন করেন। চলতি মাসের মধ্যেই অতি শীঘ্র আইএলও তাদেও মতামত বাংলাদেশকে জানাবে বলে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছেন আইএলও কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশে বিদ্যমান শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রম আইনটি সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএলওকে অবহিত করেছে সরকার। ওইদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ঢাকায় কর্মরত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দুই কর্মকর্তাকে সরকারের এ উদ্যোগের বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু), বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম পরিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মি. কনস্টানটিনোস ভারডিকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএলও’র কান্টি ডিরেক্টর মি. শ্রীনিবাস বি রেড্ডি এবং আইএলও প্রোগ্রাম অফিসার মি. সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

ন্যূনতম দুই বউ না থাকলেই জেল!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘সকল পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।’ এটি এরিত্রিয়ার সরকারি আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
কথায় বলে একে চন্দ্র, দুয়ে পক্ষ। আর তা যেন কাজে প্রমাণ করিয়ে দিয়েছে এরিত্রিয়া সরকার। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় উঠেছে।
আরবীয় দেশগুলির মধ্যে এরিত্রিয়াতেই শুধুমাত্র এমন অদ্ভুত আইন জারি করা হয়েছে। রীতিমতো ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছেন গ্র্যান্ড মুফতি। আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যুনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে পুরুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অনেক পুরুষ হারিয়েছে এরিত্রিয়া। ক্রমশ পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে এই দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করেছে দেশটির সরকার।


মালয়েশিয়ান মেয়েরা বাংলাদেশি ছেলেদের বিয়ে করার গোপন রহস্যে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালয়েশিয়ান মেয়েরা- ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় পড়ছেন মুনতাহা তাবাসসুম। একই ক্লাসে পড়তেন বাংলাদেশের অনীক রায়হান নামে এক যুবক। পড়ার সময় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের মাধ্যমে ৩ এপ্রিল থেকে সংসার শুরু করেন।
স্বামী হিসেবে মালয়েশিয়ান যুবতীদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশি যুবকরা। পরের অবস্থানে রয়েছেন ইরানি। তিন বছরে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রায় আট শতাধিক নারী।
কেন বাংলাদেশিদের বেশি পছন্দ- এমন তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে নানা মজাদার তথ্য।
কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশিরা স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে না, ভালোবাসে সবকিছু উজাড় করে। মালয়েশিয়ার কয়েকটি অভিজাত এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্যের সত্যতা। মুনতাহা জানান, তার বড় খালারও বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে। খালার কাছে জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের ছেলেরা স্ত্রীকে খুব ভালোবাসেন।
প্রয়োজনে জীবন বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেন না বাংলাদেশি যুবকরা।
তখন থেকে তার স্বপ্ন বাংলাদেশের যুবককে বিয়ে করবেন। আমরিন ইবনে ফরহাদ নামে এক যুবতী মালয়েশিয়ার টেলিকমে চাকরি করেন।
একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সাঈদ আহমেদ নামে বাংলাদেশের এক প্রকৌশলী। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা হতো। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে গেলে আমরিন সরাসরি সাঈদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সাঈদ প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের বিয়ে হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশিরা কেন মালয়েশিয়ানদের বিয়ে করেন- এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ান মেয়েরা স্বামীর আয় নিজের জন্য ব্যয় করেন না। তারা সব সময় নিজের আয় থেকে চলতে ভালোবাসেন।
অনেক সময় স্বামীর প্রয়োজনে পিতার কাছ থেকে সহযোগিতা নেন। মালয়েশিয়ান বিমান সংস্থা মালিন্ডো এয়ারলাইনসে কাজ করেন তাসফিয়া নাজরিন। তিনিও বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের যুবক হেমায়েত হোসেনকে।
তাসফিয়া জানান, ‘ছয় মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। দুজন খুব ভালো আছি। আমরা আরও দুই বছর পর সন্তান নেব। এরপর চাকরি ছেড়ে দেব।

 

৯ লাখ রোহিঙ্গার টিকা খাওয়ানো সম্পন্ন, ৮২এইডস আক্রান্ত


কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ রিপোর্ট লিখাকালীন পর্যন্ত এইচআইভি(এইডস) পজেটিভ আক্রান্ত ৮২ জনকে শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী।
তাদের সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কুতুপালং ক্যাম্পের মেডিকেল টিমে কাজ করা ডা. জাফর আলম বলেন, এইডসের জন্য চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মিয়ানমার।
এ কারণে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকের শরীরে এইচআইভি জীবাণু থাকতে পারে।উখিয়া সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ উখিয়া জানান, এইডসের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা সর্দি, কাশি, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাছাড়া জ্বর, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব রোগীর জন্য উখিয়ায় ২৭টি ও টেকনাফে ১৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের জন্য রয়েছে বিশেষ চিকিৎসা।
তা ছাড়া সম্প্রতি কলেরা রোগ প্রতিরোধে ৯ লাখ রোহিঙ্গাকে টিকা খাওয়ানোর কাজ শেষ হয়েছে।

তৈরী হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি করা হল বিশ্বের সর্ববৃহৎ আকারের ব্যাটারি। অস্ট্রেলীয় রাজ্য সরকার গত ২৩ নভেম্বর ২০১৭ একটি বিবৃতিতে জানায়, লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তির ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ রুপে প্রস্তুত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত উদ্যোক্তা এলন মাস্কের গাড়ি, বিদ্যুৎ ও সোলার প্যানেল নির্মাতা কোম্পানি টেসলা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে ফরাসি একটি প্রতিষ্ঠান ও অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সরকারের সাথে একটি দল গঠন করে আমেরিকান কোম্পানি টেসলা । এলন মাস্ক এই ব্যাটারিটি মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে তৈরি করার অঙ্গীকার করেছিলেন, এবং তিনি বলেছিলেন যে তারা যদি এটি যদি যথাসময়ের মধ্যে সরবরাহ না করতে পারে তাহলে এটি বিনামূল্যে রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেবে।
এই শর্ত অনুযায়ী সময়মত ব্যাটারিটি প্রস্তুত হওয়ায় মাস্ক ২৩ নভেম্বর ২০১৭ একটি টুইট বার্তায় বলেন, ‘অভিনন্দন টেসলার সকল কর্মকর্তা ও দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় সরকারকে যারা রাত-দিন পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করেছে।’
দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের বিদ্যুৎ সংকট নিরসণে ১০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে । বিদ্যুতের চাহিদা যখন বেশি থাকবে, তখন পার্শ্ববর্তী একটি বায়ুকল থেকে এই ব্যাটারিতে শক্তি সরবরাহ করা হবে।
টেসলা দাবী করছে যে এই ব্যাটারির প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে এটি ৩ গুন বেশী শক্তি সম্পন্ন এবং প্রয়োজনের সময় এটি চাহিদা মেটাতে পারে নাকি তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী জে ওয়েদারিল বলেছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে।


ভয়াবহ বায়ুদূষণ
জনসচেতনতা গড়ে তুলুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বায়ুদূষণ শুধু রাজধানীই নয়, সারা দেশের জন্য এক অভিশাপের নাম। দুনিয়ার যেসব নগরী বায়ুদ্বারা ভয়াবহভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে তাতে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পর্যায়ে।
শুধু ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশই বায়ুদূষণের সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে এ-সম্পর্কিত ভয়ঙ্কর চিত্র। এতে বলা হয়েছে, শুধু বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে ২৭ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে। দেশে পরিবেশদূষণের ক্ষেত্রে মহীরুহ হয়ে বিরাজ করছে ইটভাটা। শিল্পায়ন ও যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ দূষণের ক্ষেত্র আরও বাড়িয়েছে। নরওয়ের ইনস্টিটিউট ফর এয়ার রিসার্চের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ, রাস্তার ধুলামাটি ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস পোড়ানো ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ৭ শতাংশ দায়ী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা হয়, নভেম্বর-মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের বাতাসে বস্তুকণাজনিত দূষণ বেড়ে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে শীতকালে উন্নয়নকাজ শুরু হওয়ায় ধুলাবালির প্রকোপও বাড়ে। বায়ুদূষণ রোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আধুনিক ইটভাটা নির্মাণের ওপর। এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ, যানজট কমিয়ে জ্বালানি অপচয় হ্রাস, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং জোরদার করা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহন ও মজুদের সময় ঢেকে রাখা, নির্মাণকাজের সময় পানি ছিটানো, রাস্তা খুঁড়ে মাটি শুকানোর আগে পানি ছিটানো, রাস্তা পরিষ্কারে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার, রাস্তার পাশে প্রচুর গাছ লাগানো এবং যেখানে-সেখানে আবর্জনায় আগুন না লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

লেবার নিউকামার অব দ্য ইয়ার টিউলিপ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ‘লেবার নিউ কামার এমপি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন। ওয়েস্ট মিনিস্টারে প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ তিনি ওই পুরস্কার পান।
হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাওয়ের হাত থেকে তিনি ওই পুরস্কার নেন। এই খেতাব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ সিদ্দিক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘লেবার নিউ কামার অব দ্য ইয়ার সনদ পেয়ে আমি গর্বিত। ’ টিউলিপ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্র ও সুশীল সমাজে ভিন্ন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করে থাকে দেশটির সংস্থা প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য রাজনীতিকদের পুরস্কৃত করে থাকে। টিউলিপ ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজ অব লন্ডন থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
 


পথ খাবারের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পথখাবারের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি লইয়া সম্প্রতি গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হইয়াছে। খাইতে মুখরোচক মনে হইলেও মূলত এইসকল খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিতেছে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ও পরিবেশিত হয় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণও এইসকল খাবারকে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করিয়াছেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়াছে যে, এই ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, আলসার, হূদরোগ ও হেপাটাইটিসসহ নানা ধরনের সংক্রামক ও জটিল রোগে আক্রান্ত হইবার ঝুঁকি অত্যন্ত প্রবল।
রাজধানী ঢাকাসহ সর্বত্রই নগরজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই পথখাবার। তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষই এইসকল খাবারের উপর বেশি নির্ভরশীল থাকেন। তবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সমাজের নানা স্তরের পেশাজীবী মানুষকেও নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করিতে হয়। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান হইতে জানা যায়, দেশে প্রায় ১৩০ ধরনের পথখাবার রহিয়াছে, যাহার অধিকাংশই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দেশের একমাত্র খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল)-এর সম্পতি প্রকাশিত প্রতিবেদনেও এই সকল খাবারের উপাদানে কলিফর্ম, মাইকোটক্সিন, সিসা, সালমোনেল্লা ও ই-কোলাই-এর মতো বিষাক্ত জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়াছে বলিয়া সতর্ক করা হইয়াছে। তবে শুধু রাস্তার পার্শ্বের খোলা খাবার শুধু নহে, সারা দেশের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর জন্যও এই সতর্কতা সমভাবে প্রযোজ্য। অতিশয় উদ্বেগের বিষয় হইল, এই ধরনের অব্যাহত সতর্কতার পরও ভুক্তভোগী জনগণ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার বোধোদয় পরিলক্ষিত হইতেছে না।
তবে ইহা ঠিক যে, রাজধানীর হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদারকি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে রাস্তার পার্শ্বের কিংবা ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলি একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। অনতিবিলম্বে তাহাদেরকে সিটি কর্পোরেশন বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কঠোর তদারকির আওতায় আনা অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে। পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হইতে হইবে। ইহার জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রচারণারও প্রয়োজন রহিয়াছে বৈকি। তাহা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন এলাকায় পথখাবার বিক্রেতাদের পরিচ্ছন্ন কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তবে শুধু সরকারের মুখাপেক্ষী না হইয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই ব্যাপারে উদ্যোগী হইতে হইবে।


ইয়েমেনে প্রতি দশ মিনিটে মারা যাচ্ছে একটি শিশু!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়েমেনে অপুষ্টিজনিত কারণে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে শিশু মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
সম্প্রতি সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক জানান, ইয়েমেনে এই মুহূর্তে এক কোটি ১০ লাখ শিশুর জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া, ১৯ লাখ শিশুকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন দেয়া দরকার বলেও জানান তিনি।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি জোট বিমানের বিমান হামলা শুরুর পর চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

অধিক স্মার্টফোনের ব্যবহারে

মস্তিষ্কে ক্যান্সারের ভয়াবহ ঝুঁকিতে কিশোররা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখনকার তরুণ প্রজন্ম স্মার্টফোন ছাড়া একটি মুহূর্তও চলতে পারে না। কিন্তু সেই স্মার্টফোন যে তাদের কত বড বিপদ ডেকে আনছে, সেকথা বোধহয় কেউই বুঝতে পারছে না। মুম্বাই আইআইটির এক প্রফেসর সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। সেই গবেষণায় তিনি দাবি করেছেন, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রফেসর গিরিশ কুমার আলিগড মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে গিয়ে রেডিয়েশন হ্যাজার্ডস অফ সেল ফোন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মার্টফোনের কুপ্রভাব সম্পর্কে মুখ খোলেন।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে সাবধান করেছেন, স্মার্টফোন দিনে তিরিশ মিনিটের বেশি যেন কেউ ব্যবহারই না করেন। সেটা না করলেই সামনে সমূহ বিপদ। এমনকি সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তিনি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। শুধু মস্তিষ্কে ক্যান্সার নয়, মোবাইল ফোন থেকে বেরনো ফ্রি র‌্যাডিকাল পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। কিশোর বয়সের থেকেও স্মার্টফোন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে শিশু মস্তিষ্কে। কারণ, এই সময় মস্তিষ্কের আস্তরণ পাতলা থাকে।
শুধু মানুষ নয়, মোবাইলের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পডে পশু, পাখি এবং গাছের ওপরও। শুধু ক্যান্সার বা প্রজনন ক্ষমতা নয়, ঘুমের সমস্যা, নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, অ্যালঝাইমার বা পার্কিনসনের মতো অসুখেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে। কাজেই আসন্ন বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে এখনই সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক মানুষের।
 

মৃত্যুঝুঁকিতে লাখ লাখ ইয়েমেনি শিশু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়েমেনে সৌদি অবরোধের কারণে চার লাখ শিশুর মৃত্যুঝুঁকির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ক্ষুধাকাতর ১ কোটি শিশুর বিপন্নতার কথা জানিয়ে জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, এক্ষুণি অবরোধ না উঠলে সেখানে মৃত্যু হতে পারে চার লাখ শিশুর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে সময়মতো মানবিক সহায়তা না পৌঁছালে দেশটির চার লাখ শিশু মারা যেতে পারে। তারা জানায়, ‘২ কোটিরও বেশি মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। যাদের প্রায় এক কোটি শিশু।’
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইয়েমেনে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অনাহারে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস অবরোধ তুলে নিতে সৌদি জোটের অস্বীকৃতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের কারণে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, খাদ্যাভাব ও অসুস্থতায় ইয়েমেনের ৫০ হাজার শিশু মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ত্রাণ কার্যক্রম বারবার ব্যহত হওয়ার কারণে হাজার হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেন সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। শনিবার রাজধানী রিয়াদে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ঘটনায় রবিবার অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব। স্থল, পানি ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ায় সীমান্তে আটকা পড়েছে অনেক জরুরি ত্রাণ সামগ্রী। সৌদি আরবের যুক্তি, ইরান যেন অস্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সেজন্যই এই অবরোধ আরোপ করেছে তারা। ইরান অবশ্য এই অভিযাগ অস্বীকার করেছে। এই অবরোধে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলো আটকা পড়েছে অক্সফাম, ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এর মতো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। এর আগে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেস, নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলসহ মোট ২২টি মানবাধিকার সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ৭০ লাখ দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ছয় সপ্তাহের খাবার রয়েছে। ‘ইয়েমেনে মানবেতর পরিস্থিতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ করা না হলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।’


রাজধানীতে শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি হাসপাতাল থেকে মনি (১২) নামের এক শিশু গৃহকর্মী লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ । মৃত গৃহকর্মীর পরিবারের দাবি, তাকে ওই বাসার লোকজন হত্যা করেছে।
১৯ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ২০ নভেম্বর দুপুরে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। মনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আহমেদ মিয়ার মেয়ে। সে ধানমন্ডি ১২ নম্বর রোডের ১০/১ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় গৃহকর্তা জসিম উদ্দিনের বাসায় কাজ করতো। জসিম উদ্দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলে জানাগেছে।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকার আরিফ হোসেন জানান, মনি ১ বছর আগে জসিম উদ্দিনের বাসায় কাজে যোগদেয়। ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে মনি গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে মেয়ের মৃত সংবাদ পেয়ে দেশের বাড়ি থেকে ঢাকায় ছুটে আসে মনির পরিবার। ঢামেক মর্গের সামনে মনির মা চায়না আক্তার জানান, তার মেয়েকে জসিম উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। এতটুকু মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না । তিনি আরও জানান, ঢাকায় তাদের বেশ কয়েক জন আত্মীয় জসিম সাহেবের পরিচিতদের বাসায় কাজ করে। জসিম সাহেবের লোকজন তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন কথা শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
ধানমন্ডি থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান , মনির মৃতদেহটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে । এবিষয়ে গৃহকর্তা জসিম উদ্দিনকে থানায় ডেকে জিঞ্জাসাবাদ করা হয়েছে। জসিম পুলিশকে জানিয়েছেন,মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার কারন জানতে পারেননি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। মনির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


নারী নিপীড়ন বন্ধে দিল্লি পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে নারী পুলিশ স্কোয়াড গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। এখন থেকে দিল্লি শহরের অলিগলিতে মোটরসাইকেলে টহল দেবে এসব নারী পুলিশ। নারীর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করাই এই স্কোয়াডের লক্ষ্য। দিল্লিতে ২০১২ সালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর এ উদ্যোগ নেয়া হল। এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে রাফতার বা গতি।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ উদ্যোগের আওতায় আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে প্রায় ৬০০ মোটরসাইকেলসহ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নারী পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে মোতায়েন করা হবে। এসব কর্মকর্তার সঙ্গে থাকবে স্বাভাবিক অস্ত্র, বডি ক্যামেরা, পেপার স্প্রে ও স্টান গান। শহরের জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে জোড়ায় জোড়ায় টহল দেবে তারা। আশা করা হচ্ছে, নারী স্কোয়াডের উপস্থিতি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধগুলো কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে দিল্লির ওই ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব নারী সহিংসতা ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে নিশ্চিন্ত করবে।
পাঁচ বছরে ২৩ হাজার নারীকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সর্বক্ষেত্রে নারীর বিস্ময়কর সাফল্য লক্ষ্যণীয় হলেও সমাজে নারী নির্যাতন থামছে না। এ থেকে নারী কোনোভাবেই যেন রেহাই পাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের জন্য মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞজনেরা। একইসঙ্গে তারা ইন্টারনেটের প্রভাব, নারীর প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক মূল্যবোধের অভাবকেও সমানভাবে দায়ী করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষদের ভূমিকাই মুখ্য বলে জানিয়েছেন।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন, ভালো থাকুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘নির্যাতক পুরুষেরা সুখে থাকেন না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেশে পরিচালিত একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়, যার ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পুরুষ নারী নির্যাতন করেন, জীবন নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টির মাত্রা যাঁরা নারী নির্যাতন করেন না তাঁদের তুলনায় কম। নির্যাতন করার বিষয়টি তাঁদের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ নারী নির্যাতনকারী পুরুষেরা সুখী হন না। ওই প্রতিবেদনে আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, সমাজে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়।
গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ অসুখী। কারণ, নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যাটা যে অনেক বেশি। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় নারীর ওপর নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি জরিপের ফলাফল। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। আর স্বামীরা তাঁদের ওপর এ নির্যাতন চালিয়ে থাকেন। এ অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা আর নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যা সমান। কী ভয়াবহ ব্যাপার, তাই নয় কি? পুরুষেরা নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের বারোটা তো বাজিয়েই চলেছেন, তার ওপর নিজেরাও ভালো থাকছেন না। কী লাভ হচ্ছে তাহলে?
আমাদের দেশের অনেক পুরুষই হয়তো দেশে ও বিদেশে পরিচালিত ওই গবেষণার ফলাফলকে মানতে চাইবেন না। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন, মারধর না করলে মেয়ে লোক মাথায় চড়ে বসে। আর নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা বা সংসারে তাঁর কথাই যে শেষ কথা, সেটা বোঝানোর জন্যও অনেকে মারধরকেই পথ হিসেবে মানেন।
নির্যাতনকারী সেই সব পুরুষকে বলতে চাই, নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এটা কোনো রাস্তা নয়। সংসার তো নারী-পুরুষ দুজনের। সেখানে পুরুষকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই হবে কেন? দুজনে মিলেমিশে দুজনের মতের ভিত্তিতে কি সংসার চালানো যায় না? নিশ্চয়ই যায়। এ রকম উদাহরণও তো সমাজে আছে। স্ত্রীকে মারধর করে আপনি যতটা না কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন, ভালোবাসলে, স্ত্রীর দায়িত্ব নিলে দেখবেন আপনা-আপনি আপনার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে স্ত্রীও ভালো থাকতেন এবং নিজেও সুখী হতেন।
অনেক পুরুষ ভাবেন, গায়ে হাত তুললেই সেটা কেবল নির্যাতন হয়, এ ছাড়া নির্যাতন হয় না। কিন্তু কাউকে যখন মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়, সেটাও নির্যাতন। আমাদের ভদ্র সমাজে মানসিক নির্যাতনের হার বেশি। আছে অর্থনৈতিক নির্যাতনও।

১০৭ বাল্যবিবাহ রোধ করেছে সাজেদা আক্তার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাজেদা আক্তার এখন গ্রামের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও কিশোর-কিশোরীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী কর্মী। যেখানে বাল্যবিবাহ, সেখানেই এই কিশোরী প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে। এগিয়ে আসছে নারীদের উত্ত্যক্তকারী বখাটে প্রতিরোধেও। এরই মধ্যে তার চেষ্টায় এলাকার ১০৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে।
বরগুনার এক দরিদ্র পরিবারের এই কিশোরী সাজেদা নীরবেই এত সব বড় কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে নিজের পড়াশোনাও।
এসব কারণে সাজেদা আক্তারকে এ বছর ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস পিস প্রাইজ’-এর জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার শিশুদের নোবেল পুরস্কার হিসেবে খ্যাত। শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য যেসব শিশু সাহসের সঙ্গে লড়াই করে, প্রতিবছর তাদের এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০১৩ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিল পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই।
প্রথম প্রত্যয়
বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সাজেদা আক্তার। এখন সে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা সানু মিয়া রিকশাচালক। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালাইয়্যা সোংসার চালানেই কষ্ট। এত কষ্টের পর লোকজনে যহন মাইয়্যার সাহসী কাজের প্রশংসা করে, তহন মনটা খুশিতে ভইর ্যা যায়।’
এক শতক জমির ওপর তাদের দোচালা টিনের ছোট্ট ঘরে গত মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় সাজেদার সঙ্গে। সাজেদা বলল, ‘আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছিল। তাঁর পরিবারে নানা অশান্তি-দুর্ভোগ দেখে বুঝতে পারি, তাঁর এই পরিণতির পেছনে দায়ী বাল্যবিবাহ। তা ছাড়া আমাদের গ্রামের মেয়েদের অল্পবয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। সিদ্ধান্ত নিই আমি বাল্যবিবাহ করব না আর কোনো কিশোরীরও বাল্যবিবাহ হতে দেব না।’
 

বরিশালে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যবসার জন্য দাবিকৃত যৌতুকের দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গৃহবধূ আসমা বেগম। এ ঘটনায় বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের।
হাসপাতালে শষ্যাশয়ী বাগধা গ্রামের গোলাম মাওলার কন্যা আসমা বেগম জানান, খাজুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের সাথে বিগত দশ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকলোভী রাজ্জাকের দাবিকৃত সকল চাহিদা পূরন করা হয়। বিয়ের পরও তার (রাজ্জাক) দাবি অনুযায়ী সাধ্যমত টাকা দিয়ে সহযোগীতা করা হয়েছে।
অতিসম্প্রতি রাজ্জাক ব্যবসার জন্য আসমা বেগমের বাবার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ওই টাকা পরিশোধ না করায় প্রায়ই তাকে (আসমা) শারিরীক নিযার্তন করা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুকলোভী রাজ্জাক ফকির তার স্ত্রী আসমা বেগমকে অমানুষিক নির্যাতন করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় ওইদিন রাতেই আসমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী সাঃ
আজকের শিশু আগামী দিনের স্বপ্নিল সম্ভাবনা। শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের ওপর নির্ভর করে একটি সুস্থ জাতির গঠন। সে কারণে শিশুর জীবনের অধিকার, নিরাপত্তা, সুস্থ বিকাশ অপরিহার্য। মহানবী (সা.)- এর আবির্ভাবের পূর্বের সময়টাকে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ বলা হয়। গোটা সমাজ তখন সবধরণের পাপ ও অন্যায়ের অন্ধকারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলো। কোথাও কারো কোনো অধিকার, নিরাপত্তা বিদ্যমান ছিলো না। ছিলো না জীবনের নিশ্চয়তা। জন্মের পর শিশুরা যেহেতু অসহায়, তাই তাদের জীবন-মরণ নির্ভর করত মা-বাবা বা সমাজপতিদের ওপর। কন্যা সন্তান হওয়া অশুভ অকল্যাণ মনে করে জীবিত পুঁতে ফেলা হতো। অপরদিকে পুত্র-সন্তান এবং বর্বরতার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া কন্যা সন্তানেরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ পেতো না। তারা বেড়ে ওঠতো অনাদারে, অবহেলায়, অশিক্ষায়, কুশিক্ষায় ও অবাঞ্ছিত মানবরূপে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুরা তাদের মা-বাবার আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত হতো।
আরবের এহেন নাজুক অবস্থাতে মহানবী (সা.) শিশুদের পাশে দাঁড়ান। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। আরব সমাজ হতে শিশু হত্যা রোধ এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তাদের সুস্থ ও পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে আদর্শ জাতি, সমাজ, রাষ্ট্রগঠনের ভিত তৈরি করেন।
শিশুরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আরব সমাজে চরম অবহেলিত ও নির্যাতিত শিশুদের তিনি সেরা সম্পদ বলে আখ্যায়িত করেন। তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করেন। পবিত্র কুরআন মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ধনৈশ্বর্য এবং সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। ( সুরা কাহাফ: ৪৬)
শিশুর সুস্থ ও সুন্দর বিকাশ অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে রাসুল (সা.) জোর তাগিদ দিয়েছেন। তাদের প্রতি যথাযথ আদর, স্নেহ, মায়া মমতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না সে আমার দলভুক্ত নয়। অন্যত্র বলেন, শিশুদের স্নেহ করো এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করো। তোমরা তাদের সঙ্গে ওয়াদা করলে তা পূর্ণ করো। কেননা, তাদের দৃষ্টিতে তোমরাই তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করছো। অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) তাঁর নাতি হাসানকে চুমু খেলেন। সেখানে আকবা ইবনে হাবিস নামে এক সাহাবী বসা ছিলেন। হাসানকে চুমু খাওয়া দেখে তিনি বললেন, আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি তাদের কাউকে চুমু খাইনি। নবীজী তার দিকে তাকিয়ে বললেন, যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হবে না। (সহীহ বুখারী: ৫৬৫১) তাই শিশুদের আদর করা, তাদের চুমু খাওয়া নবীজির শিক্ষা, নবীজির চাওয়া।
ইসলাম শিক্ষার ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। মহান আল্লাহ আমাদের শিক্ষার আলো স্বরূপ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন। কুরআন নাযিলের প্রথম শব্দই ছিল ‘ইক্বরা’ অর্থ পড়। শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতির উন্নতি কল্পনা করা যায় না। জাগতিক ও পারলৌকিক উভয় জগতের উন্নতি, অগ্রগতি ও সফলতার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। তবে অবশ্যই ইসলামী নৈতিকতা ও আদর্শভিত্তিক শিক্ষা হতে হবে। শিক্ষা এমন এক আলো যা অজ্ঞতা ও অন্ধকারকে দূরীভূত করে, মানুষকে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথ দেখায়। শৈশবকাল থেকেই পিতা-মাতা ও অভিভাবককে শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে সচেতন ও যতœবান হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ করো এবং তাদের শিষ্টাচার শিক্ষাদান করো। তিনি আরও বলেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি রাখো। শিশুদের উত্তম ও যুগোপযোগী শিক্ষাদানের জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের উত্তমরূপে জ্ঞানদান করো কেননা, তারা তোমাদের পরবর্তী যুগের জন্য সৃষ্টি।’ সুতরাং বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্বের জন্য শিশুকে সময়ের চাহিদানুযায়ী আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। রাসুল (সা.) শিশুদের সীমাহীন ভালোবাসতেন। তাদের আগে সালাম দিতেন। শিশুদের কান্না তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না। একবার তিনি শিশু হুসাইনের কান্নার আওয়াজ পেলেন। এতে তিনি ব্যথিত হলেন এবং হজরত ফাতেমা (রা.) কে বললেন, তুমি কি জানো না, শিশুদের কান্নার আওয়াজ আমাকে কষ্ট দেয়? মহানবী (সা.)- এর শিশুপ্রীতি, তাদের প্রতি দয়া ও মমতার দিকটা ফুটে ওঠে এমন আরও অসংখ্য হাদিসে। মানবতার মুক্তি দূত বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক শিশুদের অধিকারের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, শিশুর অধিকার, মর্যাদা, সুষ্ঠু বিকাশ ও সুশিক্ষা সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। নিজের জীবদ্দশায় তিনি শিশু অধিকার ও সামাজিক অবস্থান সুনিশ্চিত করেন। সুতরাং তারই প্রদর্শিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থায় একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থ বিকাশ সম্ভব।
 

উচ্চশিক্ষিত মুসলিম কনেদের বিয়েতে অভিনব উপহারের অঙ্গিকার করল মোদী সরকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন তালাকের মতো প্রথার অবসানের প্রচেষ্টার পাশাপাশি এবার মুসলিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষায উৎসাহ যোগাতে অভিনব উদ্যোগ নিল মোদী সরকার স্নাতক মুসলিম মহিলাদের বিয়েতে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র উচ্চশিক্ষায মুসলিম মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতে স্নাতক অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট মুসলিম মেয়েদের বিয়েতে এবার ৫১ হাজার রুপি দেবে মোদী সরকার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাদি শগুন’ এই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে শীঘ্রই একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে কেন্দ্র এই প্রকল্পের ফলে মুসলিম মেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হবেন, তেমনি তাদের পরিবারও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও পড়া সম্পূর্ণ করার জন্য মেয়েদের উৎসাহ দেবে। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের অন্তর্ভুক্ত মৌলানা আজাদ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সরকারি ওয়েবসাইটে ‘শাদি শগুন’ স্কিমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরবে ওই ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই যেসব মুসলিম মেয়েরা গঅঋ স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা এই সরকারি উপহার পাবেন এছাড়াও কেন্দ্র মাধ্যমিক স্তরের মুসলিম ছাত্রীদের জন্যও ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ভাবছে একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রীদের জন্যেও ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের তিন তালাক সহ ঘৃণ্য কিছু প্রথার কারণে মুসলিম সমাজে নারীরা চুড়ান্ত অবহেলিত পরিসংখ্যান বলছে।

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

১৩ সহকারী পুলিশ কমিশনারের বদলি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১৩ জন সহকারী কমিশনারকে (এসি) বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে।
১৯ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি বা পদায়ন করা হয় বলে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমশিনার (ডিসি মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ১৯ নভেম্বর রাতে আমাদের সময় ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কানিজ ফাতেমাকে ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চে, প্রশাসন-উত্তরা বিভাগের শিকদার মো. হাসান ইমামকে গোয়েন্দা বিভাগ পূর্বে, ইমতিয়াজ মাহবুবকে প্রশাসন-উত্তরা বিভাগে, আহসানুজ্জামানকে গোয়েন্দা বিভাগ দক্ষিণে, মো. খায়রুল আমিনকে পেট্রল-মোহাম্মদপুরে, মো. সামসুজ্জামানকে ডিএমপির তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগে, সাদিয়া আফরিনকে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে, মো. শিবলী নোমানকে ওয়ার্কশপ বিভাগে, মো. হান্নানুল ইসলামকে, জুলফিকার আলীকে প্রোটেকশন বিভাগে, ওয়ার্কশপ বিভাগের এসি মো. আবদুল্লাহ-আল-মামুনকে অ্যাডমিন-ওয়ার্কশপে, ইশতিয়াক আহমেদকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম এবং এসি (পেট্রল-মোহাম্মদপুর) বিপ্লব কুমার রায়কে প্রোটেকশন বিভাগে সহকারী কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

 

যশোর কারাগারে দুই খুনের আসামির ফাঁসি কার্যকরে
 


মানবাধিকার রিপোর্ট
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই খুনের আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের আরশেদ সরদারের ছেলে গোলাম রসুল ঝড়ু সরদার (৬৫) ও মুরাদ আলীর ছেলে মকিম হোসেন (৫৫)। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। একই উপজেলার কুমারী ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তাদের ফাঁসির রায় হয়।
আদালত ও পুলিশ সূত্র মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রবকুল মণ্ডলের মেজ ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনকে ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন গ্রামের বাদল সর্দারের বাড়িতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কয়েকজন চরমপন্থি কুপিয়ে হত্যা করে। ওইদিনই নিহতের ভাই মুক্তিযোদ্ধা অহিম উদ্দীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৪ বছর পর ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দুই আঞ্চলিক নেতা মোকিম ও ঝড়ুসহ ৩ জনকে ফাঁসি এবং ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। বাকি ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেলা কারাগারের হাজতী আশোক আলী (৫৫) নামে এক হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। নিহত আশোক নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেলসুপার নূরুননবী ভূঁইয়া জানান, জেলার নাসিরনগরে হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় আশোক আলীকে। বিকেল চারটার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিকভাবে কারাগারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই আসামির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশের বাড়াবাড়ির ফল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার এক দম্পতির ক্ষতিপূরণ মামলা তদন্তে এসে বীমা কর্মকর্তা রীতিমতো গোয়েন্দাগিরি শুরু করেন। বাড়ির আঙিনার কিছু গাছ দেখে সোজা পুলিশে রিপোর্ট করেন। বীমা কর্মকর্তা পুলিশকে জানান, ঐ দম্পতি তাদের বাড়িতে গোপনে গাঁজা চাষ করছেন। বীমা কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে এসে হাজির হয় তিন পুলিশ সদস্য। তাদের বাড়িতে মাদক খুঁজতে নেমে পড়ে পুলিশ। একেবারে শেষ পর্যায়ে বীমা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী বাড়ির আঙিনা থেকে একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে ঐ দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাদের। তবে ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর জানা যায় সেটি আসলে একটি জবা গাছ। পুলিশ ভুল বুুঝতে পেরে ঐ দম্পতিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
 

শ্রীপুরে শিশু হত্যায় একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবনা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
এ ছাড়াও এ মামলার অপর দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদেরকেও পাঁচ হাজার জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রিপন মিয়া (৩৩) শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে। আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার দিঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফ্ফর (১৯)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি আরিছ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ায় নাজনিন নামের সাত বছরের শিশুটি শ্রীপুরের চকপাড়ায় নানা হাসমত আলীর বাড়িতে থাকত। হাসমত আলীর সঙ্গে জমির বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মা মোসাম্মৎ আসমা বেগম শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তিনি আরো বলেন, এ মামলায় মোট আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দিয়েছেন।


না’গঞ্জে নারীর পেটে ইয়াবা, উদ্ধার করলো গোয়েন্দা পুলিশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারয়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুফিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক নারী অভিনব কৌশলে পেটের ভিতরে করে ইয়াবা পাঁচার করার সময় তাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি।
আটক সুফিয়া দেওভোগ পশ্চিম এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ইয়াবা পাচার করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সুফিয়ার বাসায় ২৩ নভেম্বর রাতে অভিযান চালায়।
পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে প্রচুর পানি পান করিয়ে পেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখা প্রতি প্যাকেটে ৫০ পিচ করে থাকা ৫’শত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত প্রেরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, আটক সুফিয়া একজন চিহ্নিত মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ী। এর আগে সে ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লায় ধরা পড়ে। এরপর থেকে সে ফেন্সিডিল বাদ দিয়ে ইয়াবা কাযক্রম শুরু করে।
পেটের ভিতরে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সে এই অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। সুফিযার তথ্যমতে সে এ পদ্ধতিতে ২ হাজার ইয়াবা বহন করতে পারে।

 

এসিড নিক্ষেপ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এসিড নিক্ষেপের দায়ে আয়তাল হক (৩৮) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শরনিম আকতার এই রায় দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার মূলাডুলি গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা আকতার নাসরিনকে (৩০) একই এলাকার আয়নাল হকের ছেলে আয়তাল হক প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাসিমার মুখে ও শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন আয়তাল।
এ ঘটনায় নাসিমার মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি এসআই মোহাম্মদ আলী আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


পরিকল্পনা, গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড জরুরী কেনো?

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক প্রাকৃতিক উৎস থেকেই ফলিক এসিড পাওয়া যায়। ইদানিং অনেক খাবারেই কৃত্রিম ভাবে ফলিক এসিড যোগ করা হচ্ছে, যেমন- ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি। এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফলিক এসিডের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করে। কিন্তু গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন এমন মায়েদের জন্য এগুলোকে ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।
এসব খাবার লেবেল অনুযায়ী আপনি হয়তোবা সঠিক পরিমাণ গ্রহণ করছেন কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এতে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ফলিক এসিড যাচ্ছে। এছাড়াও এ খাবারগুলো কেউ নিয়মিত গ্রহণও করেন না।
ফলিক এসিড কী?
ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (ঋড়ষধঃব) নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের রক্তস্বল্পতা রোধে (ধহবসরধ) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি ডিএনএ এর গঠন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি। লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয স্ক উভযে রই প্রযে াজন।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন দরকার?
আপনি যদি গর্ভধারণ করেন বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক এসিড গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (ঘঞউ) যেমন- স্পাইনাল কর্ড (ঝঢ়রহধ ইরভরফধ) ও ব্রেইনের (ধহবহপবঢ়যধষু) জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিউরাল টিউব হলে ভ্রূণের একটি অংশ যা থেকে মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের গঠন হয়।
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট সাধারণত ভ্রূণের বিকাশের একেবারে প্রথম দিকে শুরু হয় যখন অধিকাংশ মহিলায় বুঝতে পারেনা যে তারা গর্ভবতী। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে সাথেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।
সিডিসি (ঈবহঃবৎং ভড়ৎ উরংবধংব ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ চৎবাবহঃরড়হ) এর মতে যে সব মহিলা গর্ভধারণে অন্তত একমাস আগে থেকে বা গর্ভধারণের প্রথম ট্রাইমেস্টারে নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহন করে তাদের গর্ভের শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট এর ঝুঁকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যায়। আরও কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফলিক এসিড গর্ভের শিশুর আরও কিছু জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে, যেমন- ঠোঁট কাটা (পষবভঃ ষরঢ়), তালু কাটা (পষবভঃ ঢ়ধষধঃব) এবং আরও কিছু হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা। এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রি-এক্লাম্পশিয়ার ঝুঁকি কমায়। এছারাও গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা এবং বেড়ে ওঠা শিশুর কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ফলিক এসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করা যায়?
প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে ফলিক এসিড পাওয়া যায় সেগুলোও বেশীরভাগ সময় পরিপূর্ণভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূর্ণ করতে পারে না। আশ্চর্যজনক হলেও গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের শরীর বেশীরভাগ প্রাকৃতিক উৎসের চাইতে সাপ্লিমেন্টে পাওয়া ফলিক এসিড আরও ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। তাছাড়াও আমরা যখন এসব খাবার সংরক্ষণ করি বা রান্না করি তখন তাতে ফলিক এসিডের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আপনি যদিও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তবুও হয়তো গর্ভাবস্থায় আপনাকে সাপ্লিমেন্ট নেয়ার পরামর্শ দেয়া হতে পারে।
 

জেনে নিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়। এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে। কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
 

আপনি জানেন কি, পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজকাল অনেকেই ফ্যাশন করে দাড়ি রাখেন। নিজের ইচ্ছামতো স্টাইল করে ফ্যাশনেবল লুকে আসতে মুখের সাথে মানানসই দাড়ি রাখা সব চাইতে ভালো আইডিয়া। কিন্তু আপনি জানেন কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের সাথে যুক্ত নয় এটি যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও যুক্ত। পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। জানতে চান কী কারণে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো। প্রেমিকের দাড়ি দেখে মেয়েদের রাগ করার দিন এবার সত্যি ফুরালো!
ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে: যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।
শেভিং র‌্যাশ থেকে মুক্তি: অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র ্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা, শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে ডারম্যাটোলজিস্টগণ স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে: পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বর্ণের ঝামেলা থেকে মুক্তি : পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যতœ নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা সংক্রান্ত ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।


 দাঁড়িয়ে পানি পান করছেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পানির আরেক নাম জীবন। আবার একথাও সত্য যে এই জীবনকে গ্রহণ করার একটা নিয়ম রয়েছে। প্রয়োজনে তৃষ্ণা মেটায়। আবার অপ্রয়োজনে অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে। নিয়ম না মানলে এই জীবনের এই মূল উপাদানই মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েই থাকেন। কিন্তু কখন তা পান করা উচিত? আর কোন অবস্থায় পান করা উচিত? তা অনেকেই জানেন না। যেমন ধরুন তেষ্টা পেল আর দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে পানি খেলেন, কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে এভাবে পানি পান করে আপনি নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন?
আমাদের শরীরে এমন অনেক ছাঁকনি রয়েছে যা পানির ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে শুষে নেয়। দাঁড়িয়ে থাকলে এই ছাঁকনিগুলো সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে তা কাজ করতে পারে না। তাই দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করলে পানির ক্ষতিকারক উপাদানগুলো সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা তীব্র বেগে খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে সোজা নিম্ন পাকস্থলীতে ধাক্কা মারে। এর ফলে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যা বেশ বড় আকার নিতে পারে।
পানি কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তবে একথাও ঠিক যে দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিডনির পক্ষেও ক্ষতিকর। প্রবল বেগে যাওয়া পানির মধ্যে যে দূষিত পদার্থগুলো থাকে তা কিডনি পরিশ্র“ত করতে পারে না। ফলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরের ক্ষতি করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করলে অর্থ্রারাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভবিষ্যতে নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশি পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়। সবসময় তো আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে পানি অনেক কম খাওয়া হয়। তাই পানি পানের আগে কোথাও বসুন। একটু সময় নিয়ে বেশি করে পানি পান করুন। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে।
 

 

পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায়
 

যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
 

এক দিনেই কাশি সারাবে পেঁয়াজ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায় নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয় ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।


লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও প্রতিকার


লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়। যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

বিয়ের জন্য ২৭০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন নেই


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বামী অত্যাচারী হতে পারে, পরনারী আসক্ত হতে পারে, মাতাল হতে পারে। বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যেতে পারে। খুন-ধর্ষণ ইত্যাদির মামলায় স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে মুক্তির প্রত্যাশা করতে পারে। স্বামী অসুস্থ হতে পারে, স্থায়ী যৌন অক্ষমতা থাকতে পারে। অপঘাতে স্বামীর মৃত্যু হতে পারে।
বিয়ে ভেঙ্গে গেলে কিংবা স্বামী মরে গেলে যখন ইচ্ছে তখন বিয়ে করা যাবে না, পাত্রী যত সুযোগ্যই হোক। স্বামীর মৃত্যুজনিত কিংবা স্বামীর সঙ্গে তালাকজনিত বিচ্ছেদের সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ তাতে কাজ হবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না। ২৭০ দিন অপেক্ষার আইনটি কলম্বিয়ার। শত বছরের পুরনো এই আইনটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে সেখানকার প্রগতিশীল নারী সমাজ। এক পর্যায়ে পুরুষদের সমর্থনও মেলে। শেষ পর্যন্ত পেগোটার সাংবাদিক আদালত ২৭০ দিন অপেক্ষার এই আইনটি বাতিল করে দেন।
এখন সন্তানের পিতৃত্ব নিশ্চয়নের জন্য আর অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। গর্ভের সন্তান নিয়ে অবলীলায় বিয়ে করা যাবে। পিতৃত্ব নিয়ে বেশি ঝামেলা হলে ডিএনএ টেস্ট তো আছেই।
অপহরণ যদি ভালবাসার কারণে হয়ঃ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অপহরণ একটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলে প্রাক বৈবাহিক সম্পর্ক খুব ভাল চোখে দেখা হয় না। বরং মেয়েটিকে অপহরণ করে একরাত তার সঙ্গে কাটিয়ে বিয়ের দাবিটা জোরদার করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক সময় মেয়ের পরিবারও চায় মেয়েটির প্রেমিক তাকে অপহরণ করুক। তারপর তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও যৌন সঙ্গমের অবিযোগ এনে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে। সিসিলির উচচ আদালতে এ ধরনের একটি মামলায় উভয়পক্ষের জন্য স্বস্তিকর একটি রুলিং জারি হয়েছে। অপহরণকারী যদি প্রেমিকাকে অপহরণ করে কিংবা অপহৃত মেয়েটিকে যদি সত্যি সত্যি ভালবাসে এবং নাবালিকা হলেও মেয়েটি যদি তার ভালবাসায় সাড়া দেয় তাহলে অপরাধটি ভালবাসায় তলিয়ে যাবে। অপহরণকারীর কোন শাস্তি হবে না। এই রুলিং সমালোচিতও হয়েছে- তাহলে উচ্চ আদালত কি অপহরণের উস্কানি দিচ্ছে?
পোশাক অপশনাল সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞাঃ প্রভিন্সটাউন বোস্টনের একটি ছোট্ট সৈকত শহর। সৈকতে একচিলতে বিশেষভাবে চিহ্নিত বালুকাবেরা। এখানে পোশাক পরা অপশনাল। ইচ্ছে করলে পুলওভার ওভারকোট সবই চাপাতে পারেন। ইচ্ছে করলে দিগম্বও থাকতে পারেন। অবশ্যই পোশাকের বাহাদুরি দেখানোর জন্য কেউ সেখানে যায় না, যায় দেহ সৌন্দর্য দেখানোর জন্য এবং আদিম আনন্দের জন্য। চিহ্নিত এই বালুকাবেলার নাম ‘স্পেগেটি স্ট্রিপ’। এভিন্সটাউন স্বশাসিত শহর। রেজিস্টার্ড বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাসন বালূকাবেলা সৃষ্টি করেছে। এতে শহরের আয়ত্ব বেড়েছে। এই সৈকতের জন্য মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। কিন্তু বাদ সেধেছেন সুপিরিয়র কোর্ট জজ। তিনি রায় দিলেন নগ্ন সাঁতার এবং শরীরের অসুন্দর প্রকাশ আইনের পরিপন্থী।
শহরের কর্মকর্তা বোঝাতে চেষ্টা করলেন নগ্নতা আসলে শরীর সৌন্দর্যের প্রকাশ ও নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটা ব্যক্তিগত অধিকার। সায় দিলেন না বিচারক। বন্ধ করে দিলেন পোশাক অপশনাল সৈকত। প্রভিন্সটাউন মূলত একটি আর্টিস্ট কলোনি। শহর কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে সুপিরিয়র জজের আদেশের বিরুদ্ধে। তারা আশা করছে, আপিলের রায়ে রক্ষা হবে নগ্নতা প্রকাশে কোন বাধা থাকা উচিত নয়।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রায় সব কৃষি কাজে পশু ব্যবহার হয়। পশুপালন ও কৃষি কাজে পশুর ব্যবহার হাজার বছর ধরে চলে আসা বাঙালি সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি হিন্দু সমাজে বিশেষ করে গরুকে মাতৃরূপ দেবতা জ্ঞান করে। এর কারণই হলো কৃষিকার্যে পশুর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা। এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে গৃহপালিত পশু কৃষি কাজ, মালামাল টানা এবং যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে এখনো এই দেশে বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সভ্যতার এই যুগেও কিছু মানুষ তার গৃহপালিত পশুকে ব্যবহার করে অমানবিক ব্যবহারকে নিবারণের জন্য ১৯৮০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিবারণ’ আইন। এ আইনে পশুর প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখিত আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি-
ক) তার গৃহপালিত পশু দিয়ে অতিমাত্রায় গাড়ি টানা, মারপিট বা অহেতুক কষ্ট বা ব্যথা দিতে পারবে না। খ) পশুটিতে অহেতুক কষ্ট দিয়ে বাঁধা বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চালান দিতে পারবে না। গ) ক্ষুধা-তৃষ্ণার দরুন পশুটিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। ঘ) অহেতুক নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে হত্যা করা যাবে না। ঙ) দুগ্ধবর্তী গাভী বা এ ধরনের পশুর দোহনের জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার (কুফা বা দুমদেব) করা যাবে না। চ) অসুস্থ, বার্ধক্য, জখম বা ঘায়ের দরুন বা অন্য কোনো কারণে কাজে অযোগ্য হলে এ ধরনের পশুকে খাটানো যাবে না।
উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ৫০ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে কারাদণ্ড বা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.