BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover September 2016

English Part September 2016

 

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশকারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

অভিভাসন ও শরণার্থীদের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, অভিবাসন বিষয়টি সার্বিকভাবে মোকাবিলায় বিশ্বকে পারস্পরিক দায়িত্বশীলতার ওপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের প্লেনারির একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় শরণার্থী ও অভিবাসীদের সম্পর্কে এসব কথা বলেন। বার্তা সংস্থা বাসসের মাধ্যমে এ খবর জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের মর্যাদা নির্বিশেষে অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিষয়ে প্রথমবারের মতো সম্মেলন আহ্বান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈঠক করেন মিয়ানমারের ‘স্টেট কাউন্সিলর’ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি। এ ছাড়া কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর’২০১৬ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৫ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে সেপ্টেম্বর ২০১৬ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৭৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃঙ্খংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫.৮৩ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরনের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৭৫ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৭ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৫ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৯ জন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১১ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৪ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৭১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৬ জন, অপহরণ হত্যা ৩ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩৮০ জন, আত্মহত্যা ২৩ জন।
সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষরেণ শিকার ৩৩ জন, যৌন নির্যাতন ৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার ১১ জন।

 

 যৌতুকের সংজ্ঞার ব্যাখ্যা দিলেন উচ্চ আদালত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের পর স্বামী কিংবা স্ত্রীপক্ষ অন্য পক্ষের কাছে অর্থ-সম্পদ দাবি করলেই তা যৌতুক বলে বিবেচিত হবে না। এ ধরনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করলে সে মামলাও চলবে না। সম্প্রতি হাইকোর্ট এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন একটি মামলার রায়ে। এ রায় অনুযায়ী, বিয়ের সময় কোনো পক্ষ শর্ত দিয়ে থাকলে এবং পরে সে অনুযায়ী অর্থ-সম্পদ দাবি করলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে এবং তখন যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
আইনজীবীরা বলছেন, ইদানীং পারিবারিক কলহ কিংবা দাম্পত্য-সংক্রান্ত অন্য কোনো জটিলতাকে যৌতুক দাবির ঘটনা সাজিয়ে যখন তখন মামলা দায়েরের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দেশের আদালতে যেসব নালিশি মামলা দায়ের হয় তার অন্তত ৫০ শতাংশ যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা।
ফলে আদালতগুলোতে মামলা জট মারাত্মক আকার নিয়েছে। হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশ হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়েরের হার কমবে। পারিবারিক কলহের কারণে সাজানো ও মিথ্যা যৌতুক দাবির পরিমাণও কমবে।
আইনজীবীরা মনে করছেন, পারিবারিক কলহ ও পারিবারিক সহিংসতার মাধ্যমে নারী নির্যাতন বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বিচারের জন্য পৃথক আইনও রয়েছে। কোনো নারী স্বামীর হাতে নির্যাতিত হলে তিনি ওই আইনে মামলা করতে পারেন। তাতে অভিযোগ প্রমাণতি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তিরও বিধান রয়েছে। বরং নির্যাতনের ঘটনায় যৌতুক আইনে মামলা করলে তার ভিত্তি দুর্বল হবে।

 

 ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব বান কি মুনের

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক শুক্রবার দিনশেষে উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিতে ও এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি এ আহ্বান জানানোর কয়েক ঘন্টা পরেই শনিবার ভোরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। ভোর ৪টায় তা শুরু হয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতে থাকে। বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)। স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এ বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব বা উত্তেজনা প্রশমনে আনা পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানাবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি এলাকায় ভারতীয় একটি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে নিহত হন ভারতের ১৮ সেনা সদস্য। এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান এ দায় অস্বীকার করছে। এ নিয়েই দু’দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মালিহা লোদি। এ সময় তিনি পরিস্থিতিতে বান কি মুনের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বান কি মুনের সঙ্গে ওই বৈঠক শেশে মালিহা লোদি বলেছেন, এটা এ অঞ্চলের জন্য একটি বিপদজনক মুহূর্ত। আমরা যেহেতু এ সঙ্কট এড়িয়ে যেতে চাই তাই সময় এসেছে তার (মহাসচিব) হস্তক্ষেপের। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারত বলেছে, তারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের বেশ কয়েক কিলোমিটার ভিতরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তান বলেছে, এটা কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না। এটা ছিল সীমান্তের দু’পাড়ের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, মিথ্যা তথ্য প্রতিষ্ঠিত করতে এমন প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত। ওদিকে জাতিসংঘে ভারতীয় মিশন বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অবস্থার কোনো অবনতি ঘটানোর ইচ্ছা ভারতের নেই। ‘সন্ত্রাস বিরোধী হগামলা চালিয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি’।

 

সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন মানব না: ড. ইউনূসসব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন মানব না: ড. ইউনূস


মানবাধিকার রিপোর্ট’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ফাইল ছবিনোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাই। সব দল অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন আমরা মানব না।’ সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরের লেডিস ক্লাবে এক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন করেন। নোবেলজয়ী ইউনূস সুহূদ-চট্টগ্রাম নামের একটি সংগঠন ‘শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য ও সমাজকর্মে উদ্যোগী নারী সমাবেশ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস উপস্থিত নারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের বলতে হবে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাই। সব দল অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন আমরা মানব না।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের অবস্থা খারাপ। সবাই আতঙ্কিত। ঘর থেকে বের হতে পারবে কি না, নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বাধীন দেশে এত অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক কেন ?’
সরকারকে উদ্দেশ করে ইউনূস বলেন, ‘আমরা কোনো দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চাই না। এখনো সময় আছে, অশান্তির দরজা যেন আর না খোলে।’
গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিলে তিলে মহিলারা গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা পেয়েছে। তাদের জীবন পরিবর্তন করেছে। শুধু তা-ই নয়, গ্রামীণ ব্যাংক দেশকে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে।’
গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষায় উপস্থিত নারীদের হাত তুলে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের ব্যাংক রক্ষায় আপনাদেরই সোচ্চার হতে হবে। আপনাদের চেঁচিয়ে বলতে হবে, “খবরদার! গ্রামীণ ব্যাংকে হাত দেবেন না। যে হাত দেবেন, তাঁর হাত ভেঙে দেব।”’ তিনি নারীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আমি দেখতে চাই, আপনাদের গলায় জোর বেশি, নাকি একজনের গলার জোর বেশি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘সরকার বলছে আমি নাকি রক্তচোষা, সুদখোর, ঘুষখোর। আমি তো গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক নই, তাহলে আমি কীভাবে সুদখোর হলাম? ইচ্ছে করলে তো আমি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক হতে পারতাম।’ তিনি বলেন, ‘সরকার কখনো বলে, গ্রামীণ ব্যাংকে নাকি সুদের হার বেশি। সরকার নির্ধারিত সুদের হার ২৭ শতাংশ আর গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ২০ শতাংশ। আর এখন বলছে আমি নাকি কর ফাঁকি দিয়েছি।’
২০১৫ সালের আগে (চলতি বছরে) দারিদ্র্য অর্ধেকে নেমে এসেছে উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশে দারিদ্র্য শূন্যে নামিয়ে আনব।’ নারী উদ্যোক্তা ও চিটাগং উইম্যান চেম্বারের সভাপতি কামরুন মালেকের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মু. সিকান্দার খান, স্থপতি জেরিন হোসাইন, আনোয়ারা আলম, ডিজাইনার আইভি হাসান, লেখিকা রুনু সিদ্দিকী প্রমুখ।
 

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউনেসকোর আপত্তি

আরিফুর রহমান


রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে দেশে-বিদেশে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনসহ সুধীসমাজের প্রতিনিধিদের আন্দোলন যখন তুঙ্গে, ঠিক সে সময় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানাল ইউনেসকোও। এ বিষয়ে গত ১১ আগস্ট সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে ৫০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাটি। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে তারা বলেছে, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান ও সর্ববৃহৎ শ্বাসমূলীয় জলাবন (ম্যানগ্রোভ) সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপাল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সরকারকে পরামর্শও দিয়েছে তারা। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকার যে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ) করেছে, সেটিকেও অসম্পূর্ণ বলে অভিহিত করেছে ইউনেসকো। প্রতিবেদনের বিষয়ে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের মতামত চেয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের পরিচালক ম্যাকটিল্ড রোসলার। তাতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে নির্মাণ হতে যাওয়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আগামী মাসে ফ্রান্সের প্যারিসে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪০তম অধিবেশনে আলোচনা হবে। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। এ কমিটি গত বছর জুলাইয়ে তাদের ৩৯তম অধিবেশনেও রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে, সে সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল ইউনেসকো। ইউনেসকোর আগে জাতিসংঘের আরেক সংস্থা রামসার সেক্রেটারিয়েটের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এ ছাড়া গত মাসে বিশ্বের ১৭৭টি সংস্থা এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন না করতে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিল। সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানববন্ধন হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অনড় অবস্থানে আছে সরকার। এরই মধ্যে এ প্রকল্পে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও করে ফেলেছে সরকার। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র আপত্তি ওঠায় সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেসকো। গত বছর জার্মানির বনে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৩৯তম সেশনে এ সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ ইউনেসকোর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার) প্রতিনিধি নাওমি ডোয়াক, মিজুকি মুরাই ও বিশ্ব ঐতিহ্য সেন্টারের ফানি অ্যাডলফাইন ডাউবিরি। সফরকালে বিশেষজ্ঞদল বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। প্রতিনিধিদলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশ ও সুন্দরবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা নিরূপণ করা। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে সেটি আর হয়নি। প্রতিনিধিদলটি ২৯ মার্চ বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পাঁচ মাস পর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে ইউনেসকো।

 


ছয় মাস পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে তনুর খুনিরা

 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। এ ছাড়া তনুর ডিএনএ নমুনায় তিনজন ধর্ষণকারীর শুক্রাণু পাওয়া গেলেও ডিএনএ নমুনা ম্যাচিং কার্যক্রমও শুরু করতে পারেনি সিআইডি। এদিকে, ডিএনএ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার দাবিতে সম্প্রতি কুমিল্লার পূবালী চত্বরে বাউল পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা ও অচীন পাখি বাউল গোষ্ঠী। প্রতিবাদী সমাবেশে তনুর মা আনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমি তো আমার মেয়েকে পাব না। আমি তনু হত্যার সত্যিকার বিচার চাই। ছয় মাস হয়ে গেল, এখনো বিচার হচ্ছে না। বিচারটা যদি হতো কিছুটা সান্ত্বনা পাইতাম। মেয়ের চিন্তায় আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঈদের দিন মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি হাঁটতে পারেন নাই। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাঁকে ধরাধরি করে বাসায় নিয়ে আসা হয়। দেশবাসীর কাছে, মিডিয়ার কাছে, সরকারের কাছে আমার প্রার্থনা তনু হত্যার বিচার করা হোক।"
আনোয়ারা বেগম আরো বলেন, "আমার সামনে পথ নাই। শান্তি আসে না, বিচারের অপেক্ষায় আছি। কেউ আমাদের সাহস দেয় না। খালি বলে আপনি বাসায় বসে থাকেন। আমি যে এত কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করতে চেয়েছি এর কোনো মূল্য নাই। আমি ঘর থেকে বেরুতে পারি না। কারো সঙ্গে কথা বলতে পারি না। আমাকে বলে আইনের আশ্রয়ে আসুন। আমি তো আইনের সাহায্য চাইছি।
 

বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে
বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে

-------------------------- একেএম শমিউল আলম

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলম বলেছেন, বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি প্রত্যেক বিবেকমান মানুষকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিনিয়তই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও নিউইয়র্ক শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি জনার্দন চৌধুরী ও তার কন্যা সুষ্মিতা চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। গতকাল বিকেলে নগরীর ড আর কে ধর হলে এ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বামাক সিলেট জেলা সভাপতি ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী ড. আর কে ধরের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরষিদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাব্বির আহমদ, বামাকের সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আলহাজ্ব আতাউর রহমান, দৈনিক তরুণ কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রফিকুল ইসলাম শান্ত, সিলেট জেলা এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম, বামাক সিলেট জেলা লিগাল এইড কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোতাহির আলী, সাবেক শিক্ষক সন্ধ্যা রাণী ধর। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বামাক নিউইয়র্ক শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি জনার্দন চৌধুরী ও তার কন্যা সুষ্মিতা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি হাকীম দেলোয়ার হোসেন, জাদুশিল্পী বেলাল উদ্দীন, হবিগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইসলাম উদ্দীন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক লিলু, সুনামগঞ্জ জেলা সম্পাদক সাংবাদিক আল হেলাল, সিলেট মহানগর যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, রাসেদুজ্জামান রাশেদ, শাহ আলম, শফিকুর রহমান, খালেদ মিয়া, ইউসুফ সেলু, হুমায়ুন রশিদ শাহিন, সোহেল আহমদ রজু, নৃতেন্দ্র সিংহ, তাপস কর্মকার, সৈয়দ সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
 

 জাপানে নারী নেতৃত্বের দুর্দিন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাপান বিশ্বের অন্যতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও দেশটির রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। এ স্বল্পতার মাত্রা এমন পর্যায়ে যে, জাপানের পার্লামেন্টে নারী এমপিদের সংখ্যা সৌদি আরব ও দক্ষিণ সুদানের চেয়েও অনেকাংশে কম। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এ তথ্য দিয়েছে। খবর সিএনএনের।
জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রফেসর ও দেশটির সরকারের বর্ণবৈষম্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারি মিউরা বলেন, নারী নেতৃত্বের দিক থেকে বিশ্বের ধনী দেশ, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশ ও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ একটি দেশ জাপান।
তিনি আরও বলেন, দেশটির রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা এখানে নেই। এছাড়া জাপানের রাজনৈতিক পদ্ধতি নারীদের অনুকূলে যায় না।
 

সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার ব্যয় বহন করার ক্ষমতা দেশের অনেক মানুষের নেই।
রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের (বিএসসিআই) তৃতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন সপ্তাহে একবার অথবা অন্তত মাসে একবার হলেও গ্রামের লোকদের চিকিৎসা দিতে নিজ নিজ গ্রামে যান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন হয় চাহিদাভিত্তিক, তা মানুষের সামর্থ্যরে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
হৃদরোগকে বাংলাদেশে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, হৃদ্?রোগের কারণে দিন দিন মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে চিকিৎসকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করে হৃদ্?রোগের প্রতিরোধ গড?ে তোলার মাধ্যমে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসসিআইয়ের সভাপতি অধ্যাপক আফজালুর রহমান।

 


নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার বিষয়ক সম্মেলন ২০১৬ অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC USA যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শাখার উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জ্যাকশন হাইটস-এ USA মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়। BHRC'র কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা, BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার, USA জাতীয় শাখার সভাপতি শরীফ আহামেদ লস্কর, USA ফ্লোরিডার গভর্নর সিকদার আলী আফজল, USA  শাখার সাধারণ সম্পাদক এম কায়ছার জামান চৌধুরী, BHRC ঢাকা মহানগর মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী সভাপতি মাহবুব আলম সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তিন শতাধিক মানবাধিকার কর্মী অংশ নেন।
 

সহজ ও সস্তা বিয়ে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার দম্পতি মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাইপ্রাসে যায় শুধু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া নাগরিক আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেউ যদি সহজে বিয়ে করতে চান, তাঁদের জন্য এটাই সবচেয়ে দারুণ জায়গা।
এমনই বিয়ের বর-কনে আবদুল কাদের ও র‌্যাশেল দুজনই লেবানিজ। আবদুল কাদের সুন্নি মুসলিম আর র‌্যাশেল ম্যারোনাইট খ্রিস্টান। দুজনের কেউই তাঁদের মা-বাবার ধর্ম ছাড়তে চান না আবার তাঁরা বিয়েও করতে চান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া। তাই তাঁরা সাইপ্রাসে বিয়ে করতে আসেন।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে যাঁরা সাইপ্রাসে বিয়ে করতে যান তাঁদের বেশির ভাগই লেবানন ও ইসরায়েলের নাগরিক। তাঁরা মনে করেন, এখানে বিয়ে করা অনেক সহজ এবং অনেক কম খরচে সেটি হয়। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই বিয়ে নিজেদের দেশে আইনগতভাবে বৈধ। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট।


 মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক মিয়ানমারের ওপর থেকে শিগগিরই অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এমনটিই জানিয়েছেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন এনএলডি পার্টির নেতা অং সান সু চিকে।
১৪ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে সু চির সঙ্গে এক বৈঠকে ওবামা এ কথা বলেন।
ওবামা সু চিকে বলেন, অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমারের পণ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। এর ফলে মিয়ানমারের ‘অমিয় সম্ভাবনার দ্বার’ উন্মোচিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ওভাল অফিসে এক যৌথ বিবৃতিতে ওবামা বলেন, ‘বার্মার ওপর যে সাময়িক অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তা তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।’
এর আগে ওবামা কংগ্রেসকে অবগত করেন যে, তিনি মিয়ানমারকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৮৯ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা গণতন্ত্রপন্থিদের হটিয়ে ক্ষমতা দখল করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পাশাপাশি জিএসপি সুবিধা বাতিল করে।
সুচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আহত করে- এমন অবরোধ তুলে নেওয়ার সময় এসেছে।’
এ সময় সুচি স্মরণ করিয়ে দেন যে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মার্কিন কংগ্রেস চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে বরাবরই সাহায্য করেছে।
মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার হলে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে বলে হোয়াইট হাউস মনে করে। ’


 

হিলারিকে সমর্থন নিউ ইয়র্ক টাইমসেরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম বিতর্কের প্রাক্কালে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটির সম্পাদনা পর্ষদ এক সমপাদকীয়তে হিলারির প্রতি সমর্থন জানায়। ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ফার্স্ট লেডি, নিউ ইয়র্কের সিনেটর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি নিজেকে ‘তার প্রজন্মে সবচেয়ে অনড় রাজনীতিবিদদের একজন’ হিসেবে প্রমাণ করেছেন, যিনি দ্বিদলীয় সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে সক্ষম। ওই সম্পাদকীয়তে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে কোনো প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনীত সবচেয়ে বাজে প্রার্থী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়, হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম টিভি বিতর্ক অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে হিলারির প্রতি সমর্থনের কথা জানালো নিউ ইয়র্ক টাইমস।
পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে ভোটারদের, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মন জয় করা নিয়ে ডেমোক্রেটদের উদ্বেগের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, কেবল ট্রাম্পের নেতিবাচক গুণাবলীই তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারির প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি তাদের কাছে।
তারা লিখেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে দিলেই চলবে না। হিলারি ক্লিনটন ডনাল্ড ট্রামপ নন, এটা তার পক্ষে সবচেয়ে ভালো যুক্তি নয়, হতেও পারে না। বরং তার জন্য সবচেয়ে ভালো খবর হলো- এই দেশ যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা তার রয়েছে। বাস্তবিক বিশ্বের সমস্যা সমাধান করার জন্য তার আজীবনের অঙ্গীকারই তাকে এ পদের জন্য যোগ্য করে তুলেছে। আর দেশেরও উচিত তাকে এই কাজের জন্য এগিয়ে দেয়া।’

প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে ১৩৬ বছরের কারা বিধি সংশোধনে কমিটি

 
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রায় ১৩৬ বছর আগের কারা বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ওই কমিটির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারপতির সুপারিশক্রমে পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে প্রথম কারাগার স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৮ সালে ঢাকায়। প্রথম দিকে এটাকে বলা হত ক্রিমিনাল ওয়ার্ড। কিন্তু কারাগারের ব্যবস্থাপনার বিধান সম্বলিত একটি কোড তৈরি করা হয়েছিল ১৮৬৪ সালে। এরপর ওই কোড সাতবার সংশোধন করা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন হয় ১৯৩৭ সালে। ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এরপর ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ শতাব্দী কেটে গেছে। কিন্তু নির্বাহী আদেশে কারাবিধির কতিপয় পরিবর্তন ও সংশোধন হলেও, জেল কোডে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হয়নি।
জানা গেছে ২০০৬ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময় জেল কোড সংশোধনের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছিল। মন্ত্রীপরিষদে দফায় দফায় বৈঠক করার পর সর্বশেষ আপডেট কতটুকু তা জানা যায়নি। কিন্তু বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর এবিষয়ে উদ্যোগ নেন এবং তদন্ত কমিটি করে তাদের কারাগারে জরিমানার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়।
কি কারণে কারা বন্দিদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়, এ বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, কারা বন্দিদের জরিমানার কারণ আমারাও জানি না।
তবে কারাগার সূত্র বলছে রায় ঘোষণার সময় সাজার বদলে কাউকে কাউকে কিছু অর্থ জারিমানা করে রায় ঘোষণা করা হয়। সেটিই হতে পারে কারাবন্দিদের জরিমানা।
বিশ্বব্যাপী অপরাধ আইনে যখন বৈপ্লবিক সব সংস্কার আনা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের অপরাধ আইনে পরিবর্তন আসছে একেবারে ঢিমেতালে। কারাব্যবস্থার উন্নতকরণ, বন্দিদের শাস্তির চেয়ে সংশোধনের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ এসবের প্রতিই আধুনিক রাষ্ট্রের কারাগারগুলোয় বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে কারাগারের পরিবেশ উন্নতকরণের যে প্রচেষ্টা রয়েছে, তা একদিকে যেমন অপর্যাপ্ত অন্যদিকে এর প্রয়োগের অভাব কারাবন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কারাগার পরিদর্শন করার পর এসব টুকিটাকি বিষয় চোখে পড়ে। তারপর তিনি কারা বিধির দিকে নজর দেন। সে হিসেবে প্রধান বিচারপতি সুপারিশ ক্রমে সংশোধন হচ্ছে কারাবন্দিদের জরিমানা আদায় সংক্রান্ত একশত ৩৬ বছর আগের ১৮৮০ সালের বিধান।
 

 

মানবাধিকার কমিশনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর গভর্নরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের গভর্নর এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব কুতুবদ্দিন চৌধুরী আকসির (সংগঠক জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা) গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারটি প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সোমবার বিকেল ৫:৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির আহমেদ খান এর নেতৃত্বে একদল মানবাধিকার কর্মী আকসিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এক প্রশ্নের জবাবে জনাব আকসির বলেন, এই সম্মান আমার একার নয় এ সম্মান সমস্ত নারায়ণগঞ্জবাসীর। তাই আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সহযোগিতা ও দোয়া একান্ত ভাবে কামনা করছি। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন।



Top

 বাবুগঞ্জের গৃহবধূকে লেবাননে বিক্রি
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক বাবুগঞ্জের গৃহবধূ লেবানন থেকে উদ্ধার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

লেবাননের হাসপাতালে আয়া পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাবুগঞ্জের এক গৃহবধূকে যৌনকর্মী হিসেবে লেবাননে বিক্রি করেছে দিয়েছে প্রতারক একটি আদম ব্যবসায়ী চক্র। দীর্ঘ ৭ মাস পর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রচেষ্টায় লেবাননস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাহিমা আক্তার (২৫) নামের ওই গৃহবধূ প্রায় ৭ মাসের নির্যাতন আর অবর্ণনীয় দুর্ভোগের পর মৃতপ্রায় অবস্থায় দেশে ফেরত এসে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৬ সেপ্টেম্বর স্বামী-সন্তানসহ সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বাবুগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে। তাদের প্রচেষ্টায়ই দেশে আসতে সক্ষম হন বলে জানান লেবাননে বিক্রি হয়ে যাওয়া উপজেলার রবীন্দ্রনগর গ্রামের সুমন ঢালীর স্ত্রী রাহিমা বেগম।
তিনি আরো জানান, বরিশাল সদর উপজেলার কলসগ্রাম এলাকার বাসিন্দা প্রতারক আদম ব্যবসায়ী শামসু মোল্লা তাকে লেবাননের একটি প্রখ্যাত হাসপাতালে আয়া পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে তাকে লেবানন পাঠান। শামসু মোল্লার স্ত্রী ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন জানিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে লেবাননে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে যাবার পর শামসু মোল্লা স্ত্রী জেসমিন বেগম তাকে হাসপাতালে চাকরির বদলে একটি বিরাট বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। ওই বাড়ি থেকে কয়েকদিন পরে প্রাসাদের মতো আরেকটি বিশাল বাড়িতে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বুঝতে পারেন তাকে ওই প্রাসাদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান গৃহবধূ রাহিমা আক্তার। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি আরো জানান, ওই সুরম্য অট্টালিকায় ৭ জনের কাজ তাকে একাই করতে হতো। তাদের নির্দেশ মতো কাজ করতে না চাইলে মারপিটসহ খাদ্য আর পানি বন্ধ করে দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো। কারো সাথেই যোগাযোগ করতে দিত না তার লেবাননি মালিকরা। এভাবে কিছুদিন লেবাননের ওই বাড়িতে আটক থাকার পর একদিন সুযোগ পেয়ে স্বামীকে ফোন করেন রাহিমা আক্তার। স্বামীকে সব ঘটনা খুলে বলার পর দিশেহারা স্বামী সুমন ঢালী প্রতারক আদম ব্যবসায়ী শামসু মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন বলে জানান স্বামী সুমন ঢালী।
পরে তিনি প্রতারক শামসু মোল্লা তার স্ত্রী জেসমিন বেগমের নামে চলতি বছরের ২২ ফেব্র“য়ারি বরিশালের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এবং স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু কোন উপায়ান্ত না পেয়ে এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি কাজী মহিদুল ইসলাম লিটনের দ্বারস্থ হন। পরে সভাপতি কাজী মহিদুল ইসলাম লিটন ও সম্পাদক কামরুল হাসান প্রিন্স ঘটনাটি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জানান এবং তাকে সাথে নিয়ে ঢাকায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লেবাননস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-মেইলের মাধ্যমে পত্র যোগাযোগের প্রেক্ষিত বাংলাদেশ দূতাবাস মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার টিকিট কনফার্ম করে কমিশনের সদর দপ্তরে এয়ার টিকেটসহ বিস্তারিত তথ্য ও দেশে ফেরতের দিন তারিখ জানিয়ে দেয়। গত ২৩ জুলাই বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে রাহিমা আক্তার মৃতপ্রায় অবস্থায় দেশে ফিরে আসেন।
 

Top

মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগরের সভা ও র‌্যালী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‌্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৪ টার সময় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ড. আর কে ধর হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বামাক সিলেট জেলা সভাপতি ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী ড. আর কে ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলম, জকিগঞ্জ উপজেলা পরষিদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাব্বির আহমদ, বামাকের সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আতাউর রহমান, সিলেট জেলা এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম, লিগাল এইড কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোতাহির আলী প্রমুখ।

 

 মানবাধিকার কমিশন দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা, রাউৎগাঁও, কর্মদা ও হাজিপুর ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার অভিষেক অনুষ্টান ও কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।২সেপ্টেম্বর শুক্রবার টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত উক্ত অনুষ্টানের শুভ উদ্বোধন করেন মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় গভর্নর ও সমন্বয়কারী ড. আর কে ধর, মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এড. কিশোরী পদ দেব শ্যামল। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সহ সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমদ ও মহিলা সম্পাদিকা রিনা দত্তের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম, টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, কর্মদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খাঁন হাসনাইন, মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি এড. আবু তাহের, যুগ্ন সম্পাদক এড. সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস, সহ সাধারণ সম্পাদক এড. বিষ্ণু পদ ধর,হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক অধ্যাপক ইসলাম উদ্দিন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন দত্ত, সহ সভাপতি আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন লাল দেব প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


 

অবশেষে বিবাহিত কিশোরী মঞ্জুয়ারা বেগমের বেঁচে থাকার স্বপ্ন পূরণ হলো


সালাহ উদ্দিন কাশেম


মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগম বর্তমানে ১৮ বছর বয়সের একজন বিবাহিত কিশোরী। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পাবর্তীপুর গ্রামের আবু মিয়ার এক ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মঞ্জুয়ারা বেগম দ্বিতীয় সন্তান। বাবা একজন ভ্যান চালক এবং বাড়ী ভিটা নেই বললেই চলে। অনেক কষ্ট করে সে তার সন্তানদের নিয়ে সংসার চালাতো। অনাহারে ও অবহেলায় চলতে থাকতো মঞ্জুয়ারা বেগমের জীবন ও পড়াশুনা এভাবে সে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা চালায় এই সময়ের মধ্যে তার অভাবি বাবা মঞ্জুয়ারা বেগমের বিয়ের বড় খোজার জন্য অনেক কে অনুরোধ করেন। পাশের বাড়ীর মোঃ দুলু মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন মঞ্জুয়ারা বেগম কে খুব পছন্দ করতো এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেলাল হোসেনের বয়স আনুমানিক ১৯ বছর। ঠিক সেই সময়ে অর্থাৎ ২০১০ সালে মঞ্জুয়ারা বেগম বাবা মায়ের অবস্থা ও মান সম্মানের কথা না ভেবে বেলাল হোসেন এর সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর মঞ্জুয়ারা তার শ্বশুড় বাড়িতে আসলে ঘর সংসার করা কালে তার কপালে নেমে আসে অত্যাচার ও নির্যাতন। এভাবে দিনের পর দিন তার উপর নির্যাতন চলতে থাকা কালে এক পর্যায়ে তার শ্বশুড় পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমতাবস্থায় নিরূপায় হয়ে মঞ্জুয়ারা স্বামী সহ ঢাকায় চলে যায় গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য কিন্তু বয়স কম থাকার কারনে গার্মেন্টেস এর কাজ তার কপালে জোটে নি, তাই পরে সে শ্বশুড় বাড়িতে ফিরে আসে তিন মাস পর। বাড়িতে ফিরে স্বামী বেলাল ভ্যান চালাতে থাকে। কিছুদিন পর মঞ্জুয়ারার শ্বশুড় পরিবার বুঝতে পারে যে মঞ্জুয়ারা অন্তসত্ত্বা হয়েছে। এই অন্তসত্ত্বার কথা মঞ্জুয়ারা তার বাবা মাকে জানালে তারা সন্তান নেওয়ার পরামর্শ দেন। একদিকে অল্প বয়স তার উপর গর্ভে সন্তান। কি করবে বুঝে উঠতে পারে না মঞ্জুয়ারা। ব্র্যাকের সেবিকার বাড়িতে আসলে মঞ্জুয়ারাকে সেবিকা চেকআপ, যত্ম, পুষ্টিকর খাবার এবং বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেন। এদিকে মঞ্জুয়ারার শ্বাশুড়ী ব্র্যাক সেবিকার কথা না মেনে মঞ্জুয়ারাকে যত্ম ও নিয়ম পালন করতে বারন করেন। ফলে সে অপুষ্টিকর একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। মেয়ে সন্তান জন্মের কারনে তাকে অসহ্য গালাগালি ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়। সব কিছু মেনে নিয়ে মঞ্জুয়ারা তার শিশু কন্যা সহ একদিন বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক নিয়ে আসতে বলেন এবং এর জন্য তার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। নিরূপায় হয়ে মঞ্জুয়ারার ভ্যান চালক বাবা যৌতুক হিসেবে ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার) টাকা দেন। এভাবে কয়েক মাস চলার পর মঞ্জুয়ারা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহার সঠিকভাবে না জানায় পুনরায় অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে থাকাকালীন সে এসকেএস ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নাধিন ইমেজ প্রকল্পের বিবাহিত কিশোরী সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হয়। পরবর্তীতে সে এবং তার শ্বাশুড়ী, ননদ ও স্বামী ইমেজ প্রকল্প থেকে যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর তার পরিবারের সদস্যদের ধ্যান ধারানার পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথমত মঞ্জুয়ারা এবং তার স্বামী বেলাল হোসেন গর্ভবতীর যত্ম, চেকআপ, পুষ্টিকর খাবার এবং বিশ্রাম এসব বিষয়ে গুরুত্ব দেন এবং নিয়মাবলী মেনে চলেন। দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হলেও তাকে নিয়মিত যত্ম, টিকা দিয়েছেন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি তার স্বামী ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে মঞ্জুয়ারার স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মঞ্জুয়ারার কাজে এখন সহযোগীতা করেন। মঞ্জুয়ারা ইচ্ছে করেই অল্প বয়সে বিয়ে করার কারণে তার জীবনে অনেক কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তাই তার স্বপ্ন তার দুই মেয়েকে লেখাপড়া করাবে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তাদের বিয়ে দিবে এবং সংসার ভালোভাবে পরিচালনার জন্য স্বামীর পাশাপাশি নিজেও আয় মূলক কাজ করবে এবং দুজনের মতামতে সকল কাজ করবে।
 

Top

 

বিয়ের আসর থেকে স্কুলে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রস্তুতি চূড়ান্ত, অতিথির পদচারণে সরগরম বাড়িঘর। সেখানে কনের সাজে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার (১৪)। বর আসার জন্য যখন অপেক্ষা, আর তখনই ঘটেছে ছন্দপতন। নাটকীয় কায়দায় সব কিছু প —শ্বশুরালয় নয়, বিয়ের পাত্রীকে পৌঁছে দেওয়া হলো স্কুলে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানাসহ মুচলেকা আদায় করলেন অভিভাবকদের কাছে থেকে। স্কুল ড্রেস পরিয়ে বই-খাতা হাতে তখনই শারমিনকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। গতকাল রবিবার কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শ্রীরামপুর ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার। তাদের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের পুষ্করিণীরপাড় গ্রামে। বাবা নাছির উদ্দিন বিদেশে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় মায়ের সম্মতিতে স্বজনরা শারমিনের বিয়ের আয়োজন করেছিল। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর উদ্দিন গতকাল দুপুরে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ উপস্থিত হন বিয়েবাড়িতে। তখন অনেক অতিথিই খাবার খাচ্ছিল, অন্যরা বরপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন এ বাল্যবিয়ের আসর। স্কুল ছাত্রীর মা সাজেদা বেগম, চাচা হাবিবুর রহমান, শাহ আলম ও মোস্তফাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মা সাজেদা বেগম মুচলেকা দেন শারমিনকে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না বলে। শারমিনকে বিয়ের আসর থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে স্কুল ড্রেস পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে। সংবাদ জেনে সহপাঠীরা উল্লাস প্রকাশ করে। এ সময় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুল হক, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন আক্তারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়েদের স্থান শ্বশুরবাড়ি নয়, বিদ্যালয়। বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। এ ঘটনা এরই উদাহরণ।

 

 
দেবীদ্বার ‘প্রেমু মাদ্রাসা-এ ফায়যানে মদীনা’র কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ ‘শিশু কালই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন- প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপযুক্ত সময়।’ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকেল ৪টায় দেবীদ্বার উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের ‘প্রেমু মাদ্রাসা-এ ফায়যানে মদীনা’র উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পূণর্মিলণী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম শিশু বয়সে শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের উপর গুরুত্ব ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে ওই বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুদের শিশু বয়সে যা শিক্ষা দেয়া হয় সে শিক্ষাই গ্রহণ করে,- যা ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার প্রভাব পড়ে।
তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি মেনেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ধর্ম পালনের শিক্ষা দিতে হবে। সংকট বা সমস্যা দেখা দিলে কোরান, হাদিস, ইজমা, কিয়াস’র মাধ্যমে তার সমাধান খুঁজে নিতে হবে। তিনি ধর্মীয় সংঘাতের ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে বলেন, আমরা বিভিন্ন মাজহাবে বিভক্ত, তাই নিজেদের মধ্যে এক মাজহাব অপর মাজহাবের বিরুদ্ধাচারন করি। নিছক মতভেদের কারণে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি, ফলে শান্তির ধর্ম ইসলাম আজ অশান্ত হয়ে উঠেছে। জঙ্গী-সন্ত্রাস-নাশকতা আজ সর্বত্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ধর্মীয় মতাদর্শে পথ, মত, সংস্কৃতি’র বিভাজনের কারণে ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে, উন্নয়ন-অগ্রগতি, শান্তি, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক বিনষ্ট হচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারন করে ‘ধর্ম যার যার-রাষ্ট্র সবার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে বরকামতা ইউনিয়ন’র চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাওলানা মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান লিটন, মানবাধিকার কমিশন চান্দিনা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোঃ আমির হোসেন মেম্বার, ‘প্রেমু মাদ্রাসা-এ ফায়যানে মদীনা’ পরিচালনা পর্ষদ’র সভাপতি মোঃ রোছমত আলী মেম্বার, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আবুল হাসনাত, মোঃ অলিউল্লাহ রেজভী প্রমূখ। স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ‘প্রেমু মাদ্রাাসা-এ ফায়যানে মদীনা’র সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নেত্রকোণা সতরশ্রীস্থ ‘মাদরাসা-এ ইলমে মদীনা’র অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন। আলোচনা শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

 

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার ওষুধ নেই সরকারি হাসপাতালে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার ওষুধ (অ্যান্টিভেনাম) নেই। কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারেও এই ওষুধের মজুত নেই। যা আছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ। কেন্দ্রীয়ভাবে কেনার কোনো উদ্যোগও নেই। সংকট মোকাবিলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধই ব্যবহারের কথা বলছেন একাধিক চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে থেকে সেপ্টেম্বর—এই মাসগুলোতে সাপে কাটার ঘটনা ঘটে বেশি। এই সময়ে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ না থাকা দুঃখজনক। তাঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের একটি কোম্পানির ওষুধ বাজারে আছে। তবে ওই ওষুধ দোকানে পাওয়া যায় না, শুধু ডিপোতে পাওয়া যায়। একটি গবেষণা অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় সাত লাখ মানুষকে সাপে কামড়ায়। তাদের মধ্যে ছয় হাজারের কিছু বেশি মানুষ মারা যায়। তবে বিষধর সাপের কামড়ের হার ২০ শতাংশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলেছে, গত সপ্তাহে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সাপ্তাহিক সভায় সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার ওষুধ না থাকার বিষয়টি আলোচনা হয়। ঢাকা মেডিকেলে ওই ওষুধ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অল্প কিছুদিন হলো অ্যান্টিভেনাম শেষ হয়েছে। ওষুধের জন্য সিএমএসডিতে (কেন্দ্রীয় ঔষধাগার) যোগাযোগ করেছি। সেখানেও ওষুধ নেই।’
সরকারের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, সম্প্রতি বন্যাকবলিত ১৯ জেলায় ২৫ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১২০ জনকে সাপে কামড়ায়, এর মধ্যে ২৩ জন মারা যায়। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংখ্যা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা। প্রকৃত সংখ্যা এর অনেক বেশি।
যশোরের জলাবদ্ধ অভয়নগর ও মনিরামপুরে গত এক মাসে সাপের কামড়ে সাতজন মারা যাওয়ার খবর একটি দৈনিকে ছাপা হয়েছে।
সাপের কামড় ও জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম এ ফয়েজ। তিনি বলেন, সারা বছর প্রায় সাত লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। এর মধ্যে ছয় হাজারের কিছু বেশি মানুষ মারা যায়। বর্ষাকালে ও বন্যার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে, মানুষের বেশি মৃত্যু হয় এই সময়ে। দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার সদর হাসপাতালের মেডিসিনের একজন চিকিৎসক বলেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েও তাঁরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করার কথা ভাবছেন। এ বিষয়ে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কারণ, সরকারি ব্যবস্থার বাইরে ওষুধের দাম অনেক বেশি।

  মানবতার ছোঁয়ায় মাধবীর নতুন জীবন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

শেকল-তালায় ছয় বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছিল আট বছরের মাধবী। রোদে পুড়েছে, বৃষ্টিতে ভিজেছে। দুঃসহ সেই চিত্র ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ উঠে এসেছিল একটি অনলাইন নিউজে। সংবাদটি প্রকাশের ২০ দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সেই জীর্ণ-শীর্ণ শিশুটি নতুন জীবন নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে। হ্যাঁ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে মাধবী।
মাধবীকে শেকলমুক্ত করে সুস্থ করার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবু। মাধবীর পাশে ছিলেন চমেক হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের প্রধান ডা. মহিউদ্দিন সিকদার, রেজিস্ট্রার ডা. মোঃ তারিক আবেদীন, নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীরসহ সংশ্লিষ্টরা।
আমিনুল হক বাবু জানান, মাধবীকে উদ্ধার করে আমরা চমেক হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে ভর্তি করিয়েছিলাম। এরপর তার মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ সুস্থ হয়ে মাধবী বাড়ি ফিরেছে। আগের মতো চঞ্চলতা বা দৌড়াদৌড়ির কোনো লক্ষণই এখন আর নেই। আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতোই আচরণ করছে। তাকে ১৫ দিনের ওষুধপত্র কিনে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন পর আবার সে হাসপাতালে আসবে ফলোআপের জন্যে।
এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা লক্ষ করেছি মাধবীর পরিবারে অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। তার বাবা ভাড়া রিকশা চালায়, মা গৃহকর্মীর কাজ করে। তাই তাদের পরিবারের স্বচ্ছছলতার জন্যে মাধবীর বাবাকে একটি রিকশা উপহার দিতে চাই। এ ব্যাপারে আমাদের কমিশনের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধবী হাসপাতাল ছাড়ার সময় আমিনুল হক বাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারবেজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
ডা. মহিউদ্দিন সিকদার জানান, মাধবীর প্রধান সমস্যা মৃগী বা খিঁচুনি। বারবার খিঁচুনির কারণে তার মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তার উপর তাকে শেকল-তালা দিয়ে বেঁধে রাখায় মানসিক বিকাশ যেমন হয়নি তেমনি অস্বাভাবিক আচরণের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা চিকিৎসা করেছি, মোটামুটি সুস্থ হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দরকার। নিয়মিত ফলোআপে আসতে হবে। আমরা আশাবাদী, ধীরে ধীরে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবচেয়ে বড় কথা তার প্রতি বিশেষ যতœ নিতে হবে। পারিবারিক, সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। যাতে আর দশটা শিশুর মতো হেসে খেলে বেড়ে উঠতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সমাজে এখনো কুসংস্কার বিদ্যমান। বিশেষ করে নিুআয়ের লোকজনের মধ্যে। তারা ঝাড়-ফুঁক আর কবিরাজিতে অন্ধ।
অথচ হাতের কাছেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছিল। আমরা সেবা দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত, অঙ্গীকারবদ্ধ। মাধবীও তার ব্যতিক্রম নয়। আগামী দিনগুলোতে মাধবী যথনই হাসপাতালে আসবে সোজা আমার রুমে চলে আসতে পারবে। তাকে আউট ডোরে, জরুরি বিভাগে যেতে হবে না।
 

বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা কতটা রয়েছে ?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গ্রাহকেরা সব সময় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় থাকেন
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা এই খাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তার পরিস্থিতি কেমন?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সংগঠন, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বিবিসির মীর সাব্বিরকে বলছিলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বাড়লেও, একইভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। সে কারণে গ্রাহকেরা সব সময় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় থাকেন।
এই মূহুর্তে বাংলাদেশে ৫৭টি ব্যাংক ও ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন
কিন্তু নিরাপত্তা ঘাটতির কারণেই বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ঘটা ঘটনাগুলোতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তত বেশি নয় বলে জানান মি. সরকার।
এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনাই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। ব্যাংকগুলোকে এখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেবার মান আরো বাড়াতে হবে।
একই সঙ্গে গ্রাহকদের মধ্যেও ইলেকট্রনিক লেনদেনের ব্যপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে, সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
ঢাকায় আজ অনলাইন ব্যাংকিয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাংকসমূহ এবং বিশেষজ্ঞদের একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং সিটিও ফোরামের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অনলাইন নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকেরা।

 

 



 


 

 

 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ

--------------------------------------

 


ঘরের ভেতরে অরক্ষিত শিশু গৃহ শ্রমিকেরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম খুন্তি ও বিদ্যুতের তারের আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন। টাইলসের সঙ্গে মাথা লাগিয়ে নির্যাতন করায় মাথার তালুতে বেশ ক্ষত। জান্নাতুল ফেরদৌস এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি। গাজীপুরে এক বাসায় কাজ করত সে। জান্নাতুল জানিয়েছে, ঈদে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরায় গৃহকর্ত্রী তার এ পরিণতি করেছেন। জান্নাতুলের বয়স মাত্র নয় বছর।
নির্যাতন
* শিশু গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কমছে না
* বছরের প্রথম ছয় মাসে নির্যাতনে মৃত্যু ১৭ শিশুর
* শিশুদের কাজের কোনো সময়সীমা নেই
* গড় মজুরি ১ হাজার ১৮৫ টাকা
শিশু গৃহশ্রমিকেরা চারদেয?ালের ভেতরে সব ধরনের নজরদারির বাইরে রয?ে গেছে। গৃহশ্রমিকদের নিয?ে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের পরিসংখ্যান বলছে, এই শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কমছে না। নির্যাতনের পর অর্ধেক ঘটনারও কম ঘটনায় মামলা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মামলা আদালতের বাইরে আপস হয?ে যাচ্ছে।
এই গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় এখন পর্যন্ত আইন নেই দেশে। গত বছর সরকার গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা প্রণয়ন করলেও তার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। ২০১১ সালে গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয?েছেন। যত দিন আইন প্রণয়ন না হচ্ছে, তত দিন এ নির্দেশনা আইন হিসেবে প্রযোজ্য।
শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের হিসাব
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী (গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত), গৃহকর্মে নিয?োজিত আছে ১ লাখ ২০ হাজার শিশু।
আটটি জাতীয় দৈনিক এবং বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হয?েছে ২২ জন গৃহশ্রমিকের। এদের মধ্যে ১৭ জনেরই বয?স ছিল ১৮ বছর বা তারও কম। গত বছর মারা যাওয?া ৩২ জনের মধ্যে ২৩ জনই ছিল শিশু। এদের মধ্যে ৭ থেকে ১২ বছর বয?স ছিল ১৩ জনের।
নির্যাতন করে মেরে ফেলার পাশাপাশি শিশু গৃহকর্মীরা ধর্ষণসহ অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিজ বাড়িতে ১২ বছরের গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠায় খাদ্য কর্মকর্তাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শরীয?তপুর সদর হাসপাতালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এক গৃহকর্মীকে সন্তানের জন্ম দিতে হয?। পরিবারের অভিযোগ, ২০১৪ সালের দিকে গ্রামের মোকতার সরদার নামের একজন বিয়ের প্রলোভন দেখিয?ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বিষয?টি জানতে পারেন কিশোরীর গৃহকর্তা দ্বীন ইসলাম। বিষয?টিকে কাজে লাগিয?ে তিনিও কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
২৩টি সংগঠনের মোর্চা গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয?ার্কের সচিবালয? হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)। এ সংগঠন গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এ সংগঠনের দেওয?া হিসাব বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৩৭ জন গৃহকর্মী (শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক) বিভিন্নভাবে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার। এদের মধ্যে হত্যা, আত্মহত্যাসহ কর্মক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে মারা গেছে ২৬ জন। গত বছর নির্যাতনের শিকার ৭৮ জনের মধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে ৫৫টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ২৭ গৃহকর্মীর। সব মিলিয়ে সারা দেশে গত পাঁচ বছরে ১৮২ জন গৃহকর্মীর মৃত্যু ঘটেছে।
 

ইভ টিজিং প্রতিরোধ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও ভূমিকা নিতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সামাজিক ব্যাধি ইভ টিজিং আবার সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। ঢাকায় স্কুল ছাত্রী রিশা, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিতু বখাটেপনার শিকার হয়েছে। সাম্প্র্রতিক এই দুটি ঘটনা মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। অভিভাবকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বখাটেরা কত নিষ্ঠুর হতে পারে, অতীতে তার অনেক উদাহরণ আছে। রিশা বা নিতু হত্যাকা নবতর সংযোজন। ইভ টিজিং বন্ধে একটি নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০১১ সালে উচ্চ আদালতে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা নির্দেশনায় ইভ টিজিংকে যৌন হয়রানি হিসেবে চিহ্নিত করে যথাযথ আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সমাজ-মানসিকতার যে অবনতি হয়েছে, তাতে ইভ টিজিং যে একধরনের যৌন সন্ত্রাসে রূপ নিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক মেয়েকেই আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে মা-বাবা-অভিভাবক তথা শিক্ষককেও। কোনো একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রতিবাদ হয়, কোথাও কোথাও মানববন্ধন হয়। কিন্তু আবার সেই আগের চেহারায় ফিরে আসে বখাটেরা।
 

বাল্যবিবাহ পড়ানোয় কাজির সাজা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বাল্যবিবাহ পড়ানোর দায়ে মোশারফ হোসেন নামের এক কাজিকে (নিকাহ রেজিস্ট্রার) ১৫ দিনে কারাদ াদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও মুহাম্মদ শাহাদত খন্দকার এই আদালত পরিচালনা করেন। মোশারফ হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বকজুড়ী গ্রামে। তিনি মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার আটিগ্রাম গ্রামের এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের নাম ও বয়স হলফনামার মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুটিরচর গ্রামের রাজীব হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে পড়ান কাজি মোশারফ হোসেন। খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন ইউএনও শাহাদত খন্দকার।

 


যৌতুক না পেেয় গৃহবধূকে শ্বাসরােধে হত্যার অভেিযাগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুক না পেেয় এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়রি লোকজন শ্বাসরোধে হত্যা করছেনে বলে অভেিযাগ পাওয়া গছে।ে ঘটনাটি ঘটেেছ গত শনবিার রাতে নারায়ণগঞ্জরে সোনারগাঁ উপজলোর কোম্পানীগঞ্জ গ্রাম।
গৃহবধূর পরবিাররে অভযিােগ, উপজলোর বদ্যৈরেবাজার ইউনয়িনরে পঞ্চবটী গ্রামরে নুরুল ইসলামরে মেেয় লিিপ আক্তাররে সঙ্গে প্রায় চার বছর আগে মোগরাপাড়া ইউনয়িনরে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামরে হানফি ময়িার ছেেল বল্লিাল হোসনেরে বেিয় হয়। বয়িরে পর থকেইে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি যৌতুকরে জন্য নানাভাবে লপিেিক নর্যিাতন করে আসছলিনে। নর্যিাতনরে মাত্রা বাড়তে থাকায় ২০ সপ্টেম্বের লপিেিক তাঁর বাবা নজি বাড়েিত নেিয় আসনে। ২৪ সপ্টেম্বের বষিয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পর লিিপ আবার শ্বশুরবাড়েিত ফেির যান। শনবিার রাতে বল্লিাল আবারও তাঁর কাছে যৌতুক দাবি করনে। যৌতুকরে টাকা এনে দেিত অস্বীকার করায় স্বামী বল্লিাল, শ্বশুর হানফি ময়িা, শাশুড়ি হানফিা বগেম, দবের আরফি ময়িা ও ননদ হালমিা আক্তার মেিল লপিেিক শ্বাসরোধে হত্যা করনে। পরে তাঁর লাশ বদ্যৈুতকি পাখার সঙ্গে ঝুলেিয় রেেখ সবাই পালেিয় যান।


সখীপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধে শপথ নিলেন ৩ শতাধিক মা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাল্যবিয়ে না দিতে সন্মুখে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে শপথ নিয়েছেন তিন শতাধিক মা। গত কাল সকালে স্থানীয় বেসরকারি ৩০ মে সখীপুর উপজেলা সিডিপি শাখার এক অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মা এ শপথ নেন। ‘শিশুকন্যার বিয়ে বন্ধ করি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ এই স্লোগানে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন ও শিশুশ্রম বন্ধে করণীয় শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘গুড নেইবারস্? বাংলাদেশ’। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় পর্যায়ের তিন শতাধিক মা ও তাদের শিশুকন্যার বাল্যবিয়ে বিরোধী নানা স্লোগান সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলার কালিয়ান পাড়া মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির স্থানীয় শাখা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে কন্যাশিশুর বিয়ে না দিতে এবং শিশুশ্রম বন্ধে মায়েদের উদ্দেশ্যে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে ওই সমাবেশেই উপস্থিত তিন শতাধিক মা তাদের কন্যাশিশুদের বাল্যবিয়ে না দিতে সম্মুখে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে শপথ নেন।

 


 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারের বর্তমান হালচাল


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

কারাগার গুলোর সামনে বড় বড় করে লেখা থাকে একটি শ্লোগান... রাখিব নিরাপদ.. দেখাব আলোর পথ ...!
এই কথার সাথে কি বর্তমান কারাগার গুলির কোন মিল আছে ? চট্রগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারের কথায় যদি বলি সেখানে চলছে যে অমানবিক কর্মকান্ড যা নিজ চোখে না দেখলে কাউকে বুঝানো যাবেনা যে সেখানে যারা হাজতি বা কয়েদি হিসেবে আছে তাদের উপর কি নির্যাতন চালানো হচ্ছে,নতুন কোন হাজতি জেল খানায় যাওয়ার সাথে সাথে সে বাজরের পন্যের মতো একহাত থেকে আরেক হাতে বিক্রি হয়ে যায়, তখন সে মানুষটি আর মানুষ থাকেনা সে হয়ে যায় একজন কৃতদাশ,মেট এবং রাইটার নামক ব্যাক্তিরা টাকার জন্য তার উপর চালাতে থাকে অমানবিক নির্যাতন, যদি সে ব্যক্তি তাদের চাহিদা অনুযায়ি টাকা দিতে পারে তাহলে কোন মতে রক্ষা, আর যদি না পারে তাহলে এমন কোন নির্যাতন নেই তার উপর করা হয়না,অথছো যারা ওখানে যায় তারা সবাইতো প্রকৃত অপরাধি নয়,অনেকে বিভিন্ন কারনে জেলে যেতে হয়,আর যাওয়ার পর থেকে তারা দেখতে পায় নরকের চেয়েও ভয়ংকর এক পরিবেশ,দিনের পর দিন মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এই ভাবে চলতেছে, কিন্তু এর কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বড় বড় লেকচার মারে কিন্তু একবারও কোন নেতা এই বিষয়ে মুখ খুলেনা,সরকার সমর্থক আর বিভিন্ন দলের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী হয়ে আছে জেল খানার ভীতরে আর বাইরে,তাদের সাথে জড়িত জেল কর্তৃপক্ষ,প্রকাশ্যে জেলখানায় মাদক বিক্রি হচ্ছে,প্রকাশ্যে দেখার ঘরে নেওয়া হচ্ছে শত শত টাকা,সবার সামনে চলছে এই অবৈধ কর্মকান্ড. কিন্তু কেউ দেখছেনা, সবাইকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসাটি চলছে সব কারাগার গুলিতে,সরকারি দলের কয়েকজন কারা পরিদর্শক আছে, তারা কি কারা পরিদর্শন করে তা আমাদের বোধগম্য নয়,তারা কি দেখেনা এই সব ? একজন রাইডার,মেটের মাসিক ইনকাম লাখ লাখ টাকা এই টাকার ভাগ কারা কারা নেয় তা দেখার দায়িত্ব কারা পরিদর্শকদের নয়কি ? কত অসহায় লোক এই কারাগারের ভীতর এই অত্যাচারিদের কারনে চোখের পানি ফেলছে তার কোন হিসাব নেই, আপনারা যারা দায়িত্বে আছেন,দুনিয়ার কাছে না হোক পরকালে আল্লাহর কাছে এই জওয়াব দিতে হবে !
 

 পুলিশদের কষ্ট নিয়ে কখনো ভেবেছেন কী ?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আজকে এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে পুলশিকে নেিয় এক ভদ্র লোকরে করা একটি মন্তব্য দেেখ কষ্ট পলোম। সবসময় পুলশিকে নিয়ে এতো মাতামাতি আর ছাতার মাথা র্মাকা কথা শুনতে শুনতে কখনো অবাক আবার কখনো নর্বিাক হই।
আরে ভাই, পুলশিকে নিয়ে আপনি এতো যে সমালোচনা করছনে বুকে হাত দেিয় বলুন দেখি, আপনার উপরে যে দায়ত্বি র্অপতি হয়েেছ সটেুকু আপনি ঠিকমতো পালন করছনে কি?
শত বদনাম, ঝুট-ঝামলো, রোদ, বৃষ্টি কংিবা প্রখর রোদরে মাঝে, মাথার ঘাম পায়ে ফেেল এই পুলশিই কন্তিু আপনার-আমার বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসে। সাহায্যরে হাত বাড়ায়।
এ র্পযন্ত দায়ত্বিরত অবস্থায় কতজন পুলশি মারা গেছেন, কতজন বোমার স্পন্টিাররে আঘাত নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছনে, নহিত পুলশি স্বজনদরে কী অবস্থা, তাদরে আহাজারি আর গগনবদিারী চৎিকার আপনি শুনছেনে কি কখনো?
আমার যে পুলশি কনস্টবেল ভাইটা সাত সকালে পরম আদররে ঘুমন্ত সন্তানকে দেেখ ডউিটি করতে এসে আবার যখন রাত্রে গেিয় দ্যাখে যে বুকরে ধন প্রয়ি ময়েটো দমা আব্বু কখন আসব,ে আব্বু কখন আসবদে বলে ঘুমেিয় পড়েেছ সইে পুলশি কনস্টবেলরে বুকরে ভতেরটা কি একবারও দখেছেনে?
অস্বীকার করছি না আবার এড়য়িওে যাচ্ছি না, হ্যাঁ অবশ্যই পুলশিরে মাঝে কছিু খারাপ মানুষ আছ,ে আক্কলেগুড়ুম হওয়ার মতো কছিু কাজও ঘটছে মাঝে মাঝ।ে এর পরমিাণ খুবই কম। এরকম মানুষদরে পরণিতি আপনারা জাননে না। এরা প্রতনিয়িত বভিাগীয় শাস্তি পাচ্ছ,ে কংিবা অনকেইে সাসপন্ডে হয়ে অপরাধরে ঘানি টানছে বছররে পর বছর।
পুলশিকে আপনার বন্ধু ভাবুন। ভালোভাবে আপনার সমস্যার কথা বুঝেিয় বলুন। পুলশিরে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। এরা অন্য কউে না। আমার কংিবা আপনার কারো ভাই, কারো মামা, কারো বোন কংিবা কারো বাবা।
 

রংপুরে সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবা-মায়ের ফাঁসি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রংপুরে তানজিনা খাতুন (৭) নামে এক শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবা আবু তাহের (৪১) ও সৎ মা লাবনী বেগমের (২৯) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় ফলিয়া গ্রামের সালেহা বেগমের সঙ্গে কাফ্রিখাল এলাকার আবু তাহেরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জন্ম হয় তানজিলার। এরপর ২০০৭ সালে আবু তাহের গোপনে একই এলাকার সোনা মিয়ার স্ত্রী লাবনীকে বিয়ে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মেয়ে তানজিলা ও দ্বিতীয় স্ত্রী লাবনীসহ পার্শ্ববতী শ্যামপুর এলাকায় বেড়াতে যান আবু তাহের। বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাফ্রিখাল শিমুলতল এলাকায় স্বামী ও স্ত্রী মিলে শ্বাসরোধে তানজিলাকে হত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আবু তাহেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও লাবনী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার পরের দিন নিহত তানজিলার মামা সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দু’জনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তরা জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফারুক মো. রিয়াজুল করিম এবং আসামি পক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাড. সুলতান আহম্মেদ শাহীন।


সাজাপ্রাপ্ত আসামির পলায়ন, কারারক্ষী সাময়িক বরখাস্ত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এক নারী সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, পলাতক ওই নারীর নাম কুলসুম খাতুন (৪৫)। তিনি তাড়াশ উপজেলা সদরের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয়। কুলসুম একই উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী।
জানতে চাইলে তাড়াশ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে ইউএনওর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে কুলসুমকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পৌঁছে দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।
জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা করায় সে সময় প্রধান ফটকে কর্তব্যরত কারারক্ষী শামীম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পলাতক কুলসুমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
 

অসহায় নারীর পাশে পুলিশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংগৃহীতঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পড়েছিলেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী। গত বৃহস্পতিবার ভোরে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করছিলেন তিনি। এ সময় টহল পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তার খুব খারাপ লাগে। পরে তিনি ওই নারীর সেবায় এগিয়ে আসেন।
সোনারগাঁ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে টহল দেওয়ার সময় আবর্জনার স্তূপ থেকে তিনি অজ্ঞাতনামা ওই নারীকে (৪৫) উদ্ধার করেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা ওই নারীকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে ওয়ার্ডের মেঝেতে ফেলে রাখেন। পরে তিনি ওই নারীকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন। সেখান থেকে গত সোমবার রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই নারী শুধু তাঁর স্বামীর নাম আমজাদ ও ছেলের নামনাছির বলতে পারেন। কোনো ঠিকানা বলতে পারেন না।

 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


বেল ফলের গুণাগুণ

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পাকযন্ত্রের পীড়ায় বেলের তুল্য আর কোনো দ্বিতীয় ওষুধ নেই। বিশেষ করে আমাশয় নিবারণে, অম্ননাশে, রক্তার্শ নিরাময়ে, পরিপাক যন্ত্রের গোলযোগ উপশমে, গাত্র দুর্গন্ধ দূরীকরণে, মদির প্রবণতা রোধে, শুক্রতারল্য স্বাভাবিকিকরণে বেল একটি শ্রেষ্ঠ ওষুধ।
বেল কাঁচা অবস্থায় খেতে হয়। পাকা অবস্থায় নয়। পাকা বেল স্বাস্থ্যর পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সব ফল পাকলেই তার গুণের উৎকর্ষ ঘটে, বেলের ক্ষেত্রে সেটি উল্টো। বেল কাঁচাই উপকারী। বলা হয়, পাকা বেল বিষবৎ, শরীরের পক্ষে খতিকর। আর কাঁচা বেল অমৃতের সমান গুণকর।' এটি এ জন্য যে, পাকা বেল হজম হয় খুব কষ্টে। এটি বহু দোষের আকর। যার জন্য পাকা বেল ভণের ফলে পেটে দুর্গন্ধ বায়ুর সৃষ্টি হয় এবং কখনো কখনো এটি এমন বিপরীত গুণ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে যা অতীব ভয়াবহ। আমাশয় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অম্ল রোগীরা পাকা বেল খেলে সাথে সাথেই তা টের করতে পারেন। পক্ষান্তরে স্বভাবে ও গুণে কাঁচা বেল সংগ্রাহী। অর্থাৎ কচি বা কাঁচা অবস্থায় বেল ব্যবহার করলে তখন এটি হয় স্নিগ্ধ উষ্ণবীর্য অথচ তীক্ষè এবং অগ্নির উদ্দীপক। কাঁচা বেল কফ ও বায়ুর জয়কারক। তবে এখানে একটি প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। অনেকে বলবেন, পাকা বেল খেলে কোষ্ঠতো বেশ পরিষ্কার হয়। পরিষ্কার হয় বটে, তবে তা ইচ্ছে করে নয়। পাকা অবস্থায় বেল খেলে অন্ত্র বা মলভান্ডের দোষকে সংশোধন না করে মল জোরপূর্বক বের করে আনে। কিন্তু কাঁচা বেল পাচক ও অগ্নিবল বাড়িয়ে দিয়ে আমদোষ পরিপাকান্তে মল সরল করে বের করে আনে। কাঁচা বেল অগ্ন্যাধিষ্ঠান নাড়িকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে। কাজেই কোনো অবস্থায়ই কারার পক্ষে পাকা বেল খাওয়া উচিত নয়। কাঁচা বেল আগুনে পুড়িয়ে বা সিদ্ধ করে মোরববা বা হালুয়া করে খেতে হয়।
যারা মেদস্বী গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ বেরোয়, তারা বেল পাতার রস পানিতে মিশিয়ে ওতে শরীর মুছে নিলে দোষটি মরে যায়। বেল পাতা আগুনে সেঁকে নিয়ে ঢেকে রেখে অতঃপর থেঁতো করলেই রস পাওয়া যায়।
সদির" প্রবণতায় বেলপাতার রস ১ চামচ (৬০ ফোঁটা) আন্দাজ খেলে কাঁচা সর্দি বা তার সাথে জ্বরজ্বর ভাব এ দোষটি সেরে যায়।
শোথে হাত-ফুলে উঠেছে, এ েেত্র বেল পাতার রস সমপরিমাণ মধুসহ খেতে থাকলে শোথ অচিরাৎ কমে যায়।
কচি বেল টুকরো টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিলে ওটাকে বেলশুট বলে। বেলশুট শহরে-গঞ্জের পশারী দোকানেও কিনতে পাওয়া যায়। বেলশুট অথবা অপক্ব কচিবেল ছয় ঘণ্টা ধরে পানিসহ আগুনে জ্বাল করে হালুয়া আকারে খেলে অতি অল্প দিলেই অম্লরোগ নিবারিত হয়।
যে ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করেও মনে রাখতে পারে না, তিন থেকে সাতটি বেল পাতা ঘিরে মুড়মুড়ে করে ভেজে অল্প মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে প্রত্যহ একবার করে খেতে দিলে অল্প দিনেই তাদের স্মরণ শক্তি বেড়ে যায় এবং মেধাশক্তি প্রবল হয়।
যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্ত্রিক তে ভুগছেন, তারা কচি বেলের শুকনো টুকরো অর্থাৎ বেলশুট পরিমাণ মতো বালির" সাথে একত্রে পাক করে পরে সেটি ছেঁকে নিয়ে বার্লিটা খেয়ে নিলে অল্প দিনেই আলসার সেরে যায়।
একটুকরো বেলশুট পাউর"টির মতো সেঁকে গুঁড়ো করে টাটকা ঘোলের সঙ্গে মিলিয়ে প্রত্যহ প্রাতে একবার করে খেলে অতি অল্প দিনেই পুরাতন আমাশয় রোগ চমৎকারভাবে সেরে যায়।


নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের

রস ব্যবহার করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস ঙহরড়হ ঔঁরপব নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। কিš' অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
১. পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপো করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা যবধফ থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের জন্য এই পানি বেশ উপকারী।
৩. পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৪. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপো করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।
৫. পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপো করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।


ফিটকিরির এত গুণ! দেরি না করে আজই কিনুন..


মানবাধিকার হলেথ ডেস্কঃ
তখন তো আর এখনকার মতো ফিল্টার ছিল না। বাড?ির বয়স্ক মানুষটিকে দেখা যেত, জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে নিশ্চিন্ত হতেন। জল পরিস"ুত হয়ে, নোংরা থিতিয়ে পড?ত নীচে। বা, দাড?ি কাটতে গিয়ে ব্লেডে গালটা আচমকা কেটে গেলে, স্যাভলন বা কোনও আফটারসেভের খোঁজ পড়ত না। হাতের কাছে থাকা ফিটকিরির ডেলা গালে ঘষে নিতেন। ব্যস, রক্ত বন্ধ। এমন প্রচুর গুণ কিন্তু রয়েছে ফটকিরির।
সর্বঘাটের কাঁঠালি কলা:
তা আপনি বলতেই পারেন। আগে তো বাড়ির মেয়েরা রূপচর্চা করতেও ফটকিরি ব্যবহার করতেন। তার কারণ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। তা ছাড়া, যেহেতু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই দাঁতের রোগেও কিন্তু ফিটকিরি ভালো কাজ দেয়।
আঙুলে হাজা:
অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারণে হাতে হাজা হলে, বা, পায়ের পাতা ফুললে, নিশ্চিন্তে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো ফটকিরি জলে ফেলে, জলটা ভালো করে গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, পা চুবিয়ে রাখুন। দুরন্তআরাম পাবেন।
হঠাৎ রক্ত:
দাড়ি? কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, সেলুনে এখনও ফটকিরি ঘষে দেয়। যদি, গাল কাটাই নয়, যে কোনও আঘাতে রক্তপাত হলে, সেখানে ফটকিরি চূর্ণ করে দিয়ে দিন। কিছুণের মধ্যেই রক্ত বেরোনো বন্ধ হবে।
টনসিলে আরাম:
ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে বা গ্ল্যান্ড ফুললে, গরম জলে এক চিমটে নুন ও ফটকিরি চূর্ণ মিশিয়ে, দিনে কয়েকবার গার্গেল করুন। স্বস্তি পাবেন।
ব্রন-ফুসকুড়ি
মুখে ব্রন-ফুসকুড়ি? হচ্ছ? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফটকিরি ঘষুন। বা ফটকিরি চূর্ণ জলে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, কিছুণ পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে কিছু দিন করলে, মুখে ঊজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রন-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।
দাঁতে যন্ত্রণা:
দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বা, মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? সব মাজনে চেষ্টা করেও, মুখের গন্ধ যাচ্ছে না? তাই কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না? আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে ফটকিরি। গরম জলে ফটকিরি গুলে নিয়ে, কুলকুচি করুন। আপনি দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে লজ্জায় পড?তে হবে না
ঘেমে চান:
গরমে ঘাম তো হবেই। কিন্তু, যাঁরা খুব বেশই ঘামেন, পরনের জামা চুপচুপে হয়ে ভিজে যায়, তাঁদের এই বিরক্তিকর অবস্থার হাত থেকে স্বস্তি দিতে পারে এক টুকরো ফটকিরি। চানের সময় এক টুকরো ফটকিরি জলে ভালো করে মিশিয়ে, গায়ে ঢেলে দিন। কিছু দিন এ ভাবেই স্নান করুন। স্বস্তিু মিলবে।

 

জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানে লাউ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ


লাউ এমন একটি সবজি যা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু কিশোর-তরুণরা এই সবজিটি তেমন পছন্দ করেনা। লাউ এর উপকারিতাকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই। কারণ লাউয়ে প্রচুর পানি থাকার পাশাপাশি এতে ফাইবার, ভিটামিন ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান থাকে। সাধারণ লাউ এর অসাধারণ কিছু উপকারিতার কথাই জানবো আজ।
ক্যালরি কমঃ
কম ক্যালরির খাবার হিসেবে লাউ আদর্শ খাবার। লাউয়ে ৯৬% পানি থাকে। উচ্চমাত্রার ডায়াটারি ফাইবার থাকে লাউয়ে। ১০০ গ্রাম লাউয়ে ১৫ ক্যালরি ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এতে ভিটামিন সি ও সামান্য বি ভিটামিন, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম ও থাকে।
পরিপাকে সাহায্য করেঃ
লাউয়ে ভালো পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে। তাই লাউ পরিপাকে এবং পরিপাক সম্পর্কিত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাদের পাইলসের সমস্যা আছে তাদের জন্য লাউ খাওয়া উপকারী।
শিতলিকারকঃ
লাউয়ে ভালো পরিমাণে পানি থাকে বলে শরীর ঠান্ডা ও শান্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই গরমের সময় লাউ খাওয়া উপকারী বিশেষ করে যারা প্রখর সূর্যতাপে কাজ করেন তাদের হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে লাউ। লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।
ইউরিনারি সমস্যা সমাধানেঃ
লাউ মূত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে লাউ। ১ গ্লাস লাউয়ের জুসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিসিয়ে পান করুন। ক্ষারীয় এই মিশ্রণটি এসিডিক মিশ্রণকে তরল হতে সাহায্য করে এবং মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া কমতে সাহায্য করে। অন্যারা যা পড?ছেন ৃ
ওজন কমতে সাহায্য করেঃ
লাউয়ে ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে বলে লাউ ওজন কমতে সাহায্য করে। রক্তের কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে লাউ।
অকালে চুল পাকা রোধ করেঃ
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে, সকালে নিয়মিত তাজা লাউয়ের জুস পান করলে অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারীঃ
ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। এটি মুখের ত্বকের তেলের নিঃসরণের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে লাউ।
ভালো ঘুম হতে সাহায্য করেঃ
তিলের তেলের সাথে লাউয়ের জুসের মিশ্রণ ইনসমনিয়ার সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। লাউ পাতা রান্না করে খেলে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে এবং ঘুমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
পুনরুজ্জীবিত করেঃ
ডায়রিয়া, উচ্চমাত্রার জ্বর এবং অন্য কোন স্বাস্থ্যসমস্যার কারণে যদি শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায় তাহলে ১ গ্লাস লাউয়ের জুস পান করুন। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পানির প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের অত্যধিক তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানেও উপকারী ভূমিকা রাখে লাউ। অসাধারণ উপকারিতা সম্বলিত এই সবজিটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা সকালে খালি পেটে লাউয়ের জুস পান করার পরামর্শ দেন। আবার অনেকের মতে লাউ দিনের যেকোন সময় যেকোন উপায়ে রান্না করে খাওয়া উপকারী।
জন্ডিস হলে যা করবেন না
জন্ডিস হতে পারে নানা কারণে। প্রস্রাবের রং, চোখ ও ত্বক হলদে দেখালে জন্ডিস হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জন্ডিসের কারণ, মাত্রা, জটিলতা ইত্যাদি জেনে নেওয়া উচিত।
জীবাণুর সংক্রমণের কারণে জন্ডিস হয়ে থাকলে রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি আপনজনদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও খেয়াল রাখা দরকার। জীবাণু কিছু ছড়ায় খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে; কিছু জীবাণু আবার ছড়িয়ে পড়ে দূষিত রক্ত, অনিরাপদ সুইয়ের মাধ্যমে।
কোনো রোগীর ক্ষেত্রে কী ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন, তা নির্ভর করে জন্ডিসের কারণের ওপর। জন্ডিস রোগীর ব্যাপারে কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো:
* অতিরিক্ত তেল-চর্বিসমৃদ্ধ এবং মসলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে যকৃতের বিশ্রাম হয়।
* জন্ডিস হলে অন্তত দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।
* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। জন্ডিস সারানোর জন্য কবিরাজি, হারবাল, টোটকা যেসব ওষুধ বিক্রি করা হয়, কোনো অবস্থাতেই সেগুলো সেবন করা যাবে না। এমনকি আপনার নিয়মিত সাধারণ ওষুধগুলোও খাওয়া যাবে কি না তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
* সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার, রান্নার উপকরণ কিংবা থালাবাটি ধরবেন না; টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
* এ সময় রক্তদান করবেন না।
* অ্যালকোহল বা এ-জাতীয় কোনো পানীয় গ্রহণ করবেন না।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত নেইল কাটার, ব্লেড, রেজার বা শেভিং কিট অন্য কেউ ব্যবহার করবে না।
* স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো একজন হেপাটাইটিস বি কিংবা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অপরজনের সুরক্ষার বিষয়টি ভুলে যাওয়া চলবে না; অন্যজনকে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নিতে হবে এবং বৈবাহিক জীবনে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে তা কখনোই উন্মুক্ত রাখা যাবে না, বরং ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হবে।
 

  ব্যথার ওষুধ কতটা ক্ষতিকর



মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ঘাড়, কোমর, হাঁটুসহ শারীরিক ব্যথাক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের ব্যথা কমানোর প্রধান অবলম্বন হয়ত ব্যথানাশক ওষুধ। কিন্তু আমরা কখনও কি ভেবে দেখেছি, ব্যথার ওষুধ কতটা ক্ষতিকর! ব্যথার ওষুধ গ্যাস্ট্রিক আলসার তৈরি করে অথবা কিডনীর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব আছে এটা প্রায় সবার জানা। কিন্তু অতি সম্প্রতি আমেরিকান কার্ডিয়াক সোসাইটি জানাচ্ছে, সবচেয়ে সহনশীল ব্যথানাশক আইবুপ্রোফেনও হার্টঅ্যাটাকের জন্য দায়ী হতে পারে।
ব্যথার ওষুধের বিকল্প আছে কি : পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে মানুষ তত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছে। সামান্য ব্যথা সারাতে কিডনী বা হৃদযন্ত্রকে আঘাত করতে কেউই চাইবেন না। তাই সারা বিশ্বে ব্যথার ওষুধবিহীন ব্যথার চিকিৎসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পুংখানুপুংখভাবে কারণ নির্ণয় করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথার চিকিৎসা করা যায়। কিছু সাধারণ শারীরিক ও কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমেই খুব সহজেই ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্নয় করা সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে বেশিরভাগ শারীরিক ব্যথার চিকিৎসা ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই করা সম্ভব। গত কয়েক মাস আগে একজন ব্যথার রোগীর সঙ্গে পরিচিত হলাম যিনি কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তিন মাস ব্যথানাশক সেবন করেছেন। তার অভিযোগ ছিল, ওষুধ খেয়ে সাময়িক মুক্তি মিলছে বটে কিন্তু ওষুধ বন্ধ করলে আবার ব্যথা ফিরে আসছে। ইতিহাস নিয়ে জানা গেল উনি দিনে ৯/১০ ঘণ্টা বসে কাজ করেন। তার বসার চেয়ার বদল, কিছু বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম আর ইলেক্ট্রোথেরাপি তাকে ব্যথামুক্ত জীবন উপহার দিয়েছে।
শেষ কথা : শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার মূলমন্ত্র হল ব্যথার কারণ নির্ণয়। ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য থাকুন।
 



কিডনিতে পাথর জমে কেন?

কিডনিতে পাথর জমে কেন? আসুন তাহলে জেনে নেই!
যদি কোনো কারণে কিডনিতে খনিজ পদার্থ আটকে যায় বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে কিডনি দেহের বর্জ্য ঠিক মত পরিশোধিত করতে না পারে তখন তা জমা হতে থাকে কিডনির ভেতরে। আর একেই আমরা কিডনির পাথর হিসেবে জানি? জানুন কেন কিডনিতে পাথর জমে-
১) লেবু জাতীয় খাবার কম খেলেঃ
লেবু, কমলা,মালটা ইত্যাদি ধরণের পরঃৎঁং ফল কম খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা করে?
২) অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশী খেলেঃ
পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে।
৩) ক্যালসিয়ামের অভাব হলেঃ
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৪) অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খেলেঃ
লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে।
৫) মাইগ্রেনের ঔষধ ও ব্যথা নাশক ঔষধ খেলেঃ ব্যাথানাশক ঔষধ মূত্রনালির পিএইচ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে যা কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
৬) অতিরিক্ত সোডা বা কোমলপানীয় পান করলেঃ কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে তোলে। এছাড়াও এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এই অস্বাস্থ্যকর চিনিও কিডনিতে পাথর জমার জন্য দায়ী।
৭) পরিমিত পানি পান না করলেঃ
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে?
এছাড়াও যাদের পরিবারের ইতিহাসে কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা আরও বেশী সতর্ক থাকুন। কারণ তাদের কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের তুলনায় আরও বেশী থাকে।

 

লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও প্রতিকার


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়। যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড?তি লবণ কিডনি, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড?ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। হাড?ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
৭. পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে।
কী করে বুঝবেন বেশি লবন খাচ্ছেন?
১. অতিরিক্ত পানির তেষ্টা পাবে।
২. হাত পায়ে পানি জমে ফোলা ফোলা ভাব দৃশ্যমান হবে।
৩. নোনতা খাওয়ার ইচ্ছে বাড়বে।
৪. ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা।
কীভাবে লবন খাওয়া কমাবেন?
১. ভাত বা ফলের সঙ্গে লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।
২. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য লেবুর রস, ভিনিগার,কাঁচা রসুন ও মশলা ব্যবহার করুন।
৩. ফ্রোজেন ফুড এড়িয়ে চলুন।
৪. ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমানে লবন থাকে, ফাস্টফুড কম খান।
৫. রান্নার ধরনের পরিবর্তন আনুন। যাতে লবন কম থাকে।
৬. সন্তানকে শৈশব থেকেই কম লবনযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত করুন।



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

 

ছেলে সন্তানের অবর্তমানে সম্পত্তিতে মেয়ের উত্তরাধিকার




মানবাধিকার ল’ ডেস্কঃ
জনাব আজমল হোসেন মারা যাওয়ার সময় স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ভাই রেখে যান। মুসলিম আইন অনুসারে তার মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তার মেয়ে এবং এক-অষ্টমাংশ পাবেন তার স্ত্রী। সে হিসেবে পুরো সম্পত্তির আট ভাগের পাঁচ ভাগ এ দুজনের মধ্যে বণ্টন হওয়ার পর বাকি আট ভাগের তিন ভাগ আসাবা হিসেবে পেয়ে যাবেন আজমল সাহেবের ভাই। পক্ষান্তরে আজমল সাহেব যদি মারা যাওয়ার সময় স্ত্রী, ভাই এবং এক মেয়ের সঙ্গে একজন ছেলে সন্তানও রেখে যেতেন, সে ক্ষেত্রে সম্পত্তি বণ্টনের হিসাব-নিকাশ অন্যরকম হয়ে যেত। এ অবস্থায় স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ নেয়ার পর বাকি আট ভাগের সাত ভাগ তার ছেলে-মেয়ের মধ্যে ২:১ হারে বণ্টিত হয়ে যেত এবং আজমল সাহেবের ভাই সম্পত্তিতে কোনো অংশ পেতেন না।
এর অর্থ হলো আজমল সাহেবের মৃত্যুর পর তার ছেলে না থাকলে সম্পত্তির বড় একটা অংশ পরিবারের বাইরে অর্থাৎ তার ভাইয়ের কাছে চলে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে মৃত্যুকালে ছেলে রেখে গেলে তার এ সম্পত্তি পরিবারের বাইরে যাচ্ছে না। ইসলাম একটি কমিউনিটিভিত্তিক জীবনব্যবস্থা, যেখানে পরিবারের চেয়ে সমাজ কিংবা কমিউনিটির স্বার্থ বেশি দেখা হয়। এ কারণে পারিবারিক গ-ির বাইরেও কাউকে কাউকে সম্পত্তি দেয়া হয়ে থাকে। কমিউনিটিভিত্তিক সমাজব্যবস্থায় আজমল হোসেনের মৃত্যুর পর তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তার স্ত্রী এবং মেয়ের দেখাশোনার নৈতিক দায়িত্ব তার ভাইয়ের ওপর বর্তায় বলে মুসলিম আইনে আজমল সাহেবের ভাইকেও সম্পত্তির কিছু অংশ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হলো, আজকের সমাজ আর কমিউনিটিভিত্তিক নেই বরং পরিবারকেন্দ্রিক। এখন প্রতিটি পরিবার অন্য পরিবার থেকে স্বতন্ত্র; যে কারণে সম্পত্তি অর্জন কিংবা দেখভালের জন্য পরিবারের বাইরের সদস্যরা যেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখে না আবার আজমল সাহেবের ঘটনার মতো মৃত্যুর পর মৃতের স্ত্রী-কন্যাকে দেখাশোনার ব্যাপারেও পারিবারিক গ-ির বাইরে চাচা-ফুফুদের মতো আত্মীয়রা খুব একটা দায়িত্ব নেয় না। পরিবারগুলোর এই স্বতন্ত্রতা এবং এককেন্দ্রিকতা এখন একটি কঠিন বাস্তবতা। সুতরাং, এ রকম সমাজব্যবস্থায় পুত্রের অবর্তমানে মৃতের নিকটতর কন্যাসন্তানকে বাবার পুরো সম্পত্তি প্রদান না করে তুলনামূলকভাবে দূরবর্তী আত্মীয় চাচা-ফুফুদের কাছে সেই সম্পত্তি হস্তান্তর করায় এক অসম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
মুসলিম পারিবারিক আইনের আওতায় এর দুই ধরনের প্রতিকার সম্ভব। প্রথমটি হলো পুত্রসন্তানের অনুপস্থিতির কারণে যে অংশটুকু পরিবারের বাইরে চলে যাওয়ার কথা, সেটুকু অংশ পিতা তার জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানের অনুকূলে উইল করে দিয়ে যেতে পারেন। আর দ্বিতীয় উপায়টি হলো জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানকে সেই অংশটুকু হেবা করে দিতে পারেন। তবে এ দুই উপায়েই বিশেষ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে যারা নির্ধারিত অংশ পাবেন, তাদের উইল করতে হলে যার অনুকূলে উইল করা হবে, তার সহ-শরিকদের মতামত গ্রহণ করতে হয়। সে হিসেবে কন্যা যেহেতু পিতার সম্পত্তিতে নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে থাকে, তার অনুকূলে সম্পত্তি উইল করতে হলে পিতাকে অন্য সহ-শরিকদের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে; যা বাস্তবে বেশ কঠিন ব্যাপার। আবার জীবদ্দশায় কন্যাসন্তানের অনুকূলে হেবা বা সম্পত্তি দান করারও একটা ঝুঁকি রয়েছে। হেবা সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয় বলে হেবা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তার মালিক হয়ে যায় হেবাগ্রহিতা। এখন সম্পত্তি যদি বাবা-মা তার মেয়ের অনুকূলে হেবা করে দেন, সে ক্ষেত্রে বাবা তার জীবদ্দশায় অনিরাপদ বোধ করতে পারেন, কারণ সম্পত্তি তখন আইনগতভাবে আর তার মালিকানায় থাকে না। সম্পত্তিহীনভাবে বাকি সময়টা মেয়ের গলগ্রহ হয়ে পড়ে থাকার ঝুঁকি তাই কোনো বাবা-মা নিতে চান না।
সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে? এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান, পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা গুরুত্বপূর্ণ অভিমত দিয়েছেন। সমস্যার চারটি সম্ভাব্য সমাধান উল্লেখ করেছেন তিনি। তার মতে, পুত্রসন্তানের অনুপস্থিতিতে কন্যাসন্তানদের অবশিষ্ট সম্পত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ইসলামী আইনের আওতার ভেতর থেকেই ইজতিহাদের (গবেষণা) মাধ্যমে সমাধান বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং সে অনুসারে আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। তিউনিসিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ এবং ইন্দোনেশিয়ায় কন্যাসন্তানের উত্তরাধিকার অংশ বৃদ্ধিতে যেভাবে ইজতিহাদ করা হয়েছে, তার উদাহরণ টানেন তিনি। দ্বিতীয়ত সম্পত্তি উইল করার ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করা যেতে পারে। তার মতে, জীবদ্দশায় যেহেতু একজন ব্যক্তি পুরো সম্পত্তি হেবা করে যেতে পারেন, সেহেতু মৃত্যুর পরও পুরো সম্পত্তি উইল করার ব্যাপারে তার ক্ষমতা থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ উইল করা এবং উইল করতে হলে উত্তরাধিকারীদের সম্মতি গ্রহণসংক্রান্ত বাধ্যবাধকতাগুলো শিথিল করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.