           
 
|
Cover March 2016
English Part
February 2016
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
মানবাধিকার
রিপোর্ট মার্চ ২০১৬
মার্চ’ ২০১৬ মাসে মোট
হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২০২ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে।
প্রতিবেদনে সার্বিক সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ ন্যশনাল
চাপ্টার। জরিপে মার্চ ২০১৬ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২০২টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬.৫১ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা
ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও
আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী
সোহাগী জাহান তনুসহ মার্চ মাসে নারী ধর্ষণ ও হত্যার
ঘটনা ঘটেছে ৩টি। সমাজের অসহায় নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ
করা বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা যায় ২০১৬ সালের
জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৪১ জন শিশুকে হত্যা
কার হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে এসব জঘন্য
অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে
বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো
হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের
জরিপে দেখা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ২০২ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৮ জন,
পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১৭ জন, সামাজিক সহিংসতায়
হত্যা ৬৫ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ১০ জন, আইন শৃংখলা
বাহিনীর হাতে হত্যা জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৪ জন,
চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৮ জন,
রহস্যজনক মৃত্যু ৭২ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৩ জন, অপহরণ
হত্যা ৬ জন এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২২২ জন, আত্মহত্যা ২৭ জন।
মার্চ ২০১৬ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ জন, যৌন নির্যাতন ৮
জনএবং যৌতুক নির্যাতনের ৬ জন।
৭ মার্চের ভাষণ
অনুযায়ী সব হয়েছিল

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একমাত্র
ব্যতিক্রম দেশ। মিত্রবাহিনী পৃথিবীর অনেক জায়গায় রয়ে
গেছে। কিন্তু এই একটি মাত্র দেশে মিত্রবাহিনী ঘাঁটি
গেড়ে বসেনি। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা হলে প্রথমেই
বঙ্গবন্ধু বলেন, কখন মিত্রবাহিনী ফিরিয়ে নেবেন? ইন্দিরা
গান্ধী ছিলেন স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি ফিরিয়ে
নিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর মতো স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন
বলেই এসব সম্ভব হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু
অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে সব সামলে ছিলেন। লন্ডনে আলোচনায়
তিনি বলেছিলেন, আন্দোলন হবে, যুদ্ধ হবে, দেশ স্বাধীন
হবে। তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে ছিলেন। অসহযোগের যে আন্দোলন
করেছেন পৃথিবীর কোথাও এমনটি দেখা যায় না। ৭ মার্চের
ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। এই ভাষণে সব কিছু পরিষ্কার
হয়ে গিয়েছিল যে কি করতে হবে। এই অনুযায়ী মানুষ কাজ
করেছিলেন। তিনি বলেন, ৯ মাসের যুদ্ধে একা বঙ্গবন্ধুকে
আটক করে রাখা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক চাপে তাকে মুক্তি
দিতে হয়েছিল। বিশ্বের মানুষের সমর্থন আমাদের সঙ্গে ছিল।
২৭ মার্চ ২০১৬ বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন্স,
খামারবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা
সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
পাকিস্তান আমলে যে দু’টি অংশ সৃষ্টি হয়েছিল- একটা দুই
হাজার মাইল দূরে আর একটা পূর্ব দিকে। ওই পশ্চিমা
পাকিস্তানিরা আমাদের সম্পদ কেড়ে নিত। আমাদের অর্থসহ সব
কেড়ে নিয়ে যাওয়া হতো। তারা মানুষ চায় নি, মাটি চেয়েছিল।
বাঙিলেদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিন খেলা হয়েছে। আমাদেরই কিছু
লোক মুনাফেকি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানিরা কখনো ভাবতে পারে নাই,
বঙ্গবন্ধু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন, তিনি পেয়েছিলেন।
মাত্র দু’টি সিট বাদে বাকি সব আওয়ামী লীগ পায়।
বাংলাদেশ যে স্বাধীন হবে সেটা তিনি হিসাব করে ছিলেন।
পতাকার ডিজাইন কি হবে সেটা চিন্তা করে রেখেছিলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৬ অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
গত ৫ মার্চ ২০১৬ইং সকাল ৯টা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
আইনজীবী সমিতি মিলনায়তন, ঢাকায় “ঢাকা- মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৬” অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপ¯ি'ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন
কমিশনের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সভাপতিত্ব
করেন কমিশনের প্রেসিডেন্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী
কাজী রেজাউল মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দণি শাখার বিশেষ প্রতিনিধি
সিকান্দার আলী জাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এডভোকেট হোসনে
আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য
ও প্রাক্তন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ড. আর.
কে. ধর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী সেতারা গাফফার,
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি এমএ সোহেল আহমেদ
মৃধা।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিশনের ঢাকা
মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল,
সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোঃ শাহ আলম ভূইয়া, ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ,
সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, বিশেষ প্রতিনিধি
সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, টঙ্গী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি
মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ। সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং
দণি এলাকার ছয় শতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের
রীট আবেদন খারিজ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রধর্ম
ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগে করা রিট আবেদন সরাসরি
খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার,
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল
কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২৮ মার্চ
২০১৬ এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয় আবেদনকারীদের আবেদনের অধিকার (লোকাস
স্টান্ডি) নাই।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জগলুল হায়দার
আফ্রিক ও সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত
অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
১৯৮৮ সালে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে
রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক)
অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম
হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে
পালন করা যাবে। তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা
প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে রাষ্ট্রধর্মের ওই বিধানের বৈধতা
চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন দেশের ১৫
জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন।
তাঁরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন,
বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম
সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ,
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর
চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও
সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ।
আবেদনকারীদের মধ্যে এখন জীবিত পাঁচজন হলেন অধ্যাপক
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত,
বদরুদ্দীন উমর, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক
আনিসুজ্জামান।
রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ
এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র
ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ
দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ড. এম জহির ও সাবেক
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম মারা গেছেন। বাকি ১২
জন হলেন টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, এম
আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, রোকনউদ্দিন মাহমুদ,
আখতার ইমাম, ফিদা এম কামাল, আজমালুল হোসেন কিউসি,
আবদুল মতিন খসরু, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আফম মেজবাহ
উদ্দিন।
রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর চলতি বছরের ৮ মার্চ এই
রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন আদালত অ্যামিকাস
কিউরিদের বাদ দিয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন খালেদা জিয়া

মানবাধিকার রিপোর্ট’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
২৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ৯ টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে
শহীদদের প্রতি তিনি এ শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থানীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন
খাঁন, জেনারেল অব. মাহবুবর রহমান প্রমুখ। স্মৃতিসৌধে
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের
মাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
এর আগে সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা
থেকে সাভারের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে ৮ টা ৫৫ মিনিটে
স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন।
কক্সবাজারে
মানব ও মাদক পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক মানবাধিকার কমিশনের
জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
১৯ মার্চ ২০১৬ইং সকাল ৯টা কক্সবাজার সাংস্কৃতিক
কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে
মানব ও মাদক পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক এক জাতীয় সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল
এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম
দক্ষিণ বিভাগীয় সমন্বয়কারী মানবতাবাদী সেতারা গাফফারের
সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, কমিশনের ঢাকা মহানগর উত্তর
শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, চট্টগ্রাম
বিভাবগীয় বিশেষ প্রতিনিধি মানবতাবাদী এম.এ. সোহেল
আহমেদ মৃধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
ডনাই প্র“ নেলী, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, বগুড়া জেলা শাখার
সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুরুন্নবী বুলু।
আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন চট্টগ্রাম উত্তর
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ
বিভাগীয় আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. ফয়েজ আহমেদ,
চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ প্রতিনিধি আমিনুল হক বাবু,
কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি আবু মোরশেদ খোকা,
কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউর
রহমান রেজা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, অবৈধ
মানব পাচার এবং নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বেআইনীভাবে আনা
মানবতাবিরোধী একটি অপরাধ। এই অপরাধের সাথে যারা
সংশ্লিষ্ট তারা সমাজের শত্র“ এবং দেশের শত্র“।
মানবপাচারকারী এবং মাদক পাচারকারীদেরকে প্রতিহত করতে
মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সম্মেলনের উদ্বোধক ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বলেন,
কক্সবাজার অঞ্চলের ৩টি বিশাল সমস্যা রয়েছে যার
প্রেক্ষিতে জাতি এই সমস্যাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা ভোগ
করছে। সমস্যা তিনটির মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা,
মানব পাচার সমস্যা এবং মাদকদ্রব্য তথা ইয়াবা বড়ি
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আনা বাংলাদেশের জন্য একটি
ভয়ংকর সমস্যায় রূপধারণ করেছে। ড. দিলদার বলেন, মানব
পাচারের সাথে কক্সবাজার অঞ্চলের কতিপয় ব্যক্তি
সংশ্লিষ্ট থেকে এই ভয়ংকর অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে
যাচ্ছে। এই অপরাধমূলক কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশের
আভ্যন্তরীণ বিশাল সমস্যার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে
দেশের ইমেজ মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়েছে। কক্সবাজার
অঞ্চলের জনগণকে এই সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি
তাদেরকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। ্টা।
যাত্রা শুরু
করলো বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরী
মানবাধিকার রিপোর্ট’
পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের বৃহত্তম
প্রমোদ তরী ফ্রান্সের ‘হারমোনি অব দ্য সিজ’।
বৃহস্পতিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর সেন্ট নাজায়ার
থেকে এর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। জাহাজটির
পরীক্ষামূলক এ যাত্রা চলবে রোববার পর্যন্ত।
৭০ মিটার উঁচু বিশাল এই জাহাজটিকে দেখার জন্য সেন্ট
নাজায়ার বন্দরে ভীড় জমিয়েছে হাজারো মানুষ। মার্কিন
জাহাজ নির্মাতা কোম্পানি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান
ইন্টারন্যাশনাল তৈরি করেছে জাহাজটি। এতে ব্যয় হয়েছে
১.১ বিলিয়ন ডলার।
আগামী দুই মাসের মধ্যে ফ্রান্সের কাছে ১ লাখ ২০ হাজার
টন ওজনের হারমোনি অব দ্য সিজ হস্তান্তর করবে রয়্যাল
ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, ফ্রান্সের
সেইন্ট-নাজায়ারের শিপইয়ার্ডে কাজ শুর হয় হারমোনি অব
দ্য সিজ’র। ১৬ তলাবিশিষ্ট জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৬২ মিটার,
যা ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৫০ মিটার লম্বা। এটি
৬ হাজার যাত্রী ধারণে সক্ষম। জাহাজটিতে থাকবে ২ হাজার
নাবিক।
লিপইয়ার বা
অধিবর্ষ কী ও কেন?
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত এবং সর্বস্বীকৃত পঞ্জিকা হলো
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। তবে সৌরবর্ষের সঙ্গে সঙ্গতি
রাখতে গিয়ে এই ক্যালেন্ডারে চার বছর পর একদিন করে
যুক্ত করতে হয়। অর্থাৎ সাধারণ বছরগুলো হয় ৩৬৫ দিনে
কিন্তু চার বছর পর এক বছর হয় ৩৬৬ দিনে। এই বছরে
ফেব্র“য়ারি মাসের সঙ্গে একদিন অতিরিক্ত যুক্ত করা হয়।
অর্থাৎ ২৯ দিনে হয় ফেব্র“য়ারি। এই বছরটিকেই বলে
লিপইয়ার বা অধিবর্ষ।
সূর্যের চার পাশ ঘুরে আসতে পৃথিবীর যেসময় লাগে সেটাই
এক বছর। এতে সময় লাগে মূলত ৩৬৫ দিন এবং এক দিনের এক
চতুর্থাংশ। অর্থাৎ আরো সঠিকভাবে বললে ৩৬৫.২৪২৫ দিন বা
৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড। অর্থাৎ
স্বাভাবিক বছর শেষে আরো ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড
সময় অতিরিক্ত হাতে থেকে যায়। এভাবে চলতে থাকলে সময় ও
ঋতুর হিসাবে গড়মিল হয়ে যেত। তাই এই অধিবর্ষের চল।
তারপরও কথা থেকে যায়। সৌরবর্ষ ঠিক ঠিক ৩৬৫ ১/৪ দিন নয়,
বরং এর চেয়ে ১১ মিনিটি কম। এই অসঙ্গতি দূর করতে আবার
প্রতি চারশ বছর পরপর একটা অধিবর্ষ বাদ দেয়া হয়। অর্থাৎ
সেবার অধিবর্ষ এলেও তা গনায় ধরা হয় না।
আর এই অধিবর্ষ বুঝার সহজ উপায় হচ্ছে ওই সালটি ৪০০ দিয়ে
নিঃশেষে বিভাজ্য কি না। সে কারণেই চলতি ২০১৬ সাল
অধিবর্ষ।
তিরিশ বছর ধরে
যে গ্রামে টেলিভিশন নিষিদ্ধ!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রায় তিন দশক ধরে টেলিভিশন দেখে না শরিয়তপুরের বড়াইল
গ্রামের মানুষ। মৃত্যু নিয়ে এক ফতোয়ার কারণে তারা
টেলিভশনে সংবাদ, নাটক, গান শোনার যন্ত্র ব্যবহার করতে
পারছে না।
বিভিন্ন সময়ে এই নিয়ম ভাঙ্গার চেষ্টা করা হলেও
প্রভাবশালীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। শরিয়তপুরের এই
গ্রামে প্রায় তিন’শ ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে।
আধুনিক সব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দূরবর্তী গ্রামে গিয়ে
টেলিভিশন দেখতে হচ্ছে।
ফতোয়াদানকারী আব্দুল হাই মুন্সী বলেন, এটা তার একার
সিদ্ধান্ত নয়। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা যাতে
আধুনিক শিক্ষা লাভ ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে
পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
কক্সবাজারের কোটবাজারে মানবাধিকার বিষয়ক মত বিনিময়
সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে
২০ মার্চ ২০১৬ উখিয়ার কোটবাজারে রোহিঙ্গা সমস্যা, মানব
পাচার ও মাদক পাচার বিষয়ক এক আঞ্চলিক মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন মানবাধিকার কমিশনে
উখিয়া উপজেলা সভাপতি মোঃ নুরুল হুদা। প্রধান অতিথি
হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। প্রধান
আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি লায়ন এম এ সোহেল
আহমদ মৃধা, বগুড়া জেলা সভাপতি মোঃ নুরুল নবী ভুলু,
টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মীর মিজানুর
রহমান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি
বিশিষ্ট সাংবাদিক সাঈদ মু. আনোয়ার।
বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান ফজল কাদের ভূট্রো, রতœাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি আহছাব উদ্দিন মেম্বার, রতœাপালং ইউনিয়ন
পরিষদের মেম্বার নেজাম উদ্দিন দুলাল ,পালংখালী আওয়ামী
লীগের সভাপতি এম এ মনজুর,উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন
সম্পাদক ইমাম হোসেন মানবাধিকার কমিশনের উখিয়া উপজেলা
সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মানবাধিকার কমিশনের উখিয়া
উপজেলা সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল হাকিম
বাবুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার
বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা উখিয়া এবং টেকনাফ
উপজেলাকে এক ভয়ংকর সমস্যায় উপনীত করেছে। রোহিঙ্গারা
কক্সবাজার অঞ্চলের বনভূমি উজার করে ফেলছে। এছাড়া তারা
প্রতিনিয়ত মায়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের ক্ষেত্রে
ভূমিকা পালন করছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে
মায়ানমার ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই
সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা।
এমনও
হয় জেলখানা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেলখানা মানেই যেন অন্ধকার এক জীবন। ছোট ছোট বদ্ধ
কুঠুরিতে নিরানন্দ সময় পার করা বৈ কিছু নয়। কিন্তু
অস্ট্রিয়ার জাস্টিস সেন্টার লিওবেন জেলখানার প্রচলিত
এই ছবিকে মুছে দেয়ার জন্যই যেন তৈরি হয়েছে। ২০০৪ সালের
নভেম্বর তৈরি হয় এই জেলখানাটি। আর এর ডিজাইন করেন
জোসেফ হোসেনসিন।
বাইরে থেকে দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এটি একটি জেলখানা।
প্রথম দেখায় হয়তো মনেই হতে পারে যে এটি একটি বিলাসবহুল
হোটেল।
আর ভেতরের ডাইনিং রুমে ঢুকলে মনে হবে যেন কোনো বড়
রেস্টুরেন্টের লবি। ঝা-চকচকে ডিজাইনের এই জেলখানায়
বন্দির সংখ্যা ২০৫। এসব বন্দিদের জন্য রয়েছে একা একা
সময় কাটানোর ব্যবস্থাও। বারান্দায় বসলেই চোখের সামনে
ভেসে উঠবে পাহাড় আর বিস্তৃত জমিনের অপরূপ প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য। বন্দিদের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল সুইমিং পুল
আর টেবিল টেনিস খেলার সুব্যবস্থা। বন্দিদের সেল বলতে
যেমন ঘুপচি একটি ঘরের কথা মনে হয়, তার একদম বিপরীত
চিত্র জাস্টিস সেন্টার লিওবেনে। এখানে বন্দির সেলও যেন
তারকা হোটেলের রুম।
নরম গদি দেওয়া আরামদায়ক বিছানা, সাইড টেবিল ছাড়াও এক
পাশে রয়েছে সোফা।
বন্দিদের জন্য সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা তো রয়েছেই।
চাইলে তারা নিজেরাও তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমতো
খাবার। হলরুমে রয়েছে কফি ভেন্ডর মেশিন আর টেলিভিশন। আর
শরীরচর্চার জন্য আধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ একটি
জিমনেশিয়ামও রয়েছে। অস্ট্রিয়ার এই জেলখানা তাই বড়
হোটেলের একটি আমেজই এনে দেবে।
মানবাধিকার
কমিশন কক্সবাজার জেলা সদস্যদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার জেলা, সদর এবং
পৌরসভা শাখার নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে
এক মতবিনিময় সভা ২১ মার্চ ২০১৬ইং বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত
হয়।
মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব
মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন
মানবাধিকার কমিশনের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি
মানবতাবাদী আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা)।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকা কমিশনের
বগুড়া জেলা সভাপতি মোঃ নুরু নবী ভুলু ও মানবাধিকার
কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সাঈদ মু. আনোয়ার।
বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু
তালেব,সাবেক পৌর কমিশনার উদয় শংকর পাল মিঠু,ঢাকা
খিলগাঁও থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক জোৎসা আক্তার
বেবীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব
কক্সবাজার অঞ্চলে মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম আরও
গতিশীল করার আহ্বান জানান। মহাসচিব কক্সবাজার জেলায়
লিগ্যাল এইড এবং সালিশি কার্যক্রম আরও জোরদারের আহ্বান
জানিয়ে প্রতিটি নির্যাতিত মানুষ যাতে করে এই
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সহযোগিতা পান তা নিশ্চিত করতে বলা
হয়। প্রধান অতিথি কক্সবাজার অঞ্চলের সকল উপজেলা ও
পৌরসভা শাখাগুলোকে পুনর্গঠন করে শক্তিশালী মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠান হিসেবে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা
করেন জেলা সাধারন সম্পাদক এড সৈয়দ মোঃ রেজাউল রহমান।
চিকিৎসা সেবা
মৌলিক নাগরিক অধিকার
এম. এ নায়েম
তালুকদার
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা
প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আমাদের দেশেও
সাংবিধানিক অধিকার গুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবা অন্যতম
একটি বিষয়, যা রাষ্ট্র বা সরকার দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু
কতটুকুই বা দিতে পারছেন আমাদের রাষ্ট্র বা সরকার।
সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের
মোট জনসংখ্যার ৫৩% সেবা দিতে পারলেও চিকিৎসা বঞ্চিত
মানুষ এর আওতায় রয়েই গেছে অধিকাংশ হারে। সরকারি
উদ্যোগের পাশাপাশি বে-সরকারী হাসপাতাল বা
প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসা উচিৎ। তুলনা-মূলকভাবে বে-সরকারি
হাসপাতালগুলো গরীব, দুস্থ্য ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের
তেমন উল্লেখযোগ্য হারে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না।
যদিও যে কোন হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান সরকারি নিবন্ধন
প্রাপ্তির সময় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও বিনা মূল্যে
চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তথাপিও এ
ধরনের মানব কল্যাণে বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ
তেমন একটা এগিয়ে আসেন না। বরং একেক প্রতিষ্ঠান একেক
ধরনের উচ্চ্য মূল্য হারে এদেশের রোগগ্রস্থ মানুষ তথা
রোগীদের নিকট হতে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। এমন কি আমাদের
দেশে সর্বোচ্চ সচেতন মহল বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
বা চিকিৎসকগণ রোগীদের ভিজিট গ্রহণের ক্ষেত্রেও তেমন
একটা ছাড় দেন না বা সহায়তা করেন না। যদি আমাদের দেশে
একেক জন চিকিৎসক প্রতি ২০ জন রোগীর মধ্যে ১জন রোগী ফ্রি
বা বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন, তবে শতকরা ৫% রোগী
বিনামূল্যে সেবা পেয়ে থাকতেন। এখানে আরো উল্লেখ করা
যেতে পারে নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেশে স্বক্রিয়ভাবে শুরু
হয় চিকিৎসকদের রাজনীতি এবং একই সাথে তাদের কাছে জিম্মি
হয়ে পরে এদেশের সর্বস্তরের চিকিৎসা সেবা ও সাধারন
রোগীরা। আমাদের দেশের সরকার বদলের সাথে সাথে চিকিৎসক
সংগঠন গুলো পালা বদল ক্রমে সর্বস্তরের হাসপাতাল ও
মহলগুলোতে তাদের ক্ষমতারও পালা-বদল হয়ে থাকে। যা
মন্ত্রণালয় হতে হাসপাতাল পর্যন্ত সর্বোত্রয়ই প্রভাব
বিস্তার করে সরকার সমর্থক চিকিৎসক সংগঠন। কখনো ড্যাব,
আবার কখনো স্বাচিব। এছাড়াও রাজনৈতিক বলয় এর বাইরে থাকা
দক্ষ চিকিৎসকরাও অসহায় তাদের কাছে । এ রকম একটি চিত্র
আমাদের দেশে ক্ষমতার পালা বদলে প্রতিটি সরকারের আমলেই
লক্ষ্যনীয়। এমন কি চিকিৎসা সংগঠনগুলো কথায় কথায় ধর্মঘট,
কর্মবিরতি ও মানব-বন্ধনসহ পেশাগত দায়িত্ব বহির্ভূত
বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণেও আমাদের দেশের সাধারন রোগীরা
জিম্মী হয়ে পরে। যেমনটা আমরা সরকারি হাসপাতালে
মাঝে-মধেই দেখে থাকি দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে আসা
রোগীদের, বিশেষ করে ভর্তি থাকা রোগীদের কষ্ট ও
বিড়ম্বনায় পড়তে দেখি। অথচ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
নির্যাতিত, নিপীড়িত, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের আইনী
সহায়তার পাশাপাশি হত-দরিদ্র ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণে
অক্ষম এবং চিকিৎসা বঞ্চিত সেই সকল রোগীদের পাশে গিয়ে
সহায়তা করেন, যা খুবই অপ্রতুল।
এমন একজন ভাগ্যবতী পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা, তার
বয়স মাত্র ১১ বছর। সে গত ৬/৭ মাস যাবৎ কিডনি রোগে ভুগছে,
হাতে-পায়ে পানি এসে ভিষণ রকমের ফুলে গেছে। কিছুদিন
পূর্বেই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও
হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসারত। মূমুর্ষ মেয়েটিকে
সুস্থ্য করে তোলার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও গুলশান আঞ্চলিক শাখার
উদ্যোগে চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসেন। তানজিলা পরিপূর্ণ
সুস্থ হয়ে উঠতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন
কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু বে-সরকারী হাসপাতাল গুলোর
মধ্যে ২/১ টি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে আমাদের
সমাজে। যেমন - উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, ঢাকার
প্রাণকেন্দ্রে বনশ্রীতে অবস্থিত ফরাজী হাসপাতাল লিঃ
চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের পাশে সদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে
দেন। সপ্তাহের ২দিন ঢাকার আশে-পাশের এলাকায় ভ্রাম্যমান
হেল্থ টিম দিয়ে ফ্রি-হেল্থ ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা
সেবা দিয়ে আসছেন। জাতীয় দিবসগুলোতে ( সরকারী ছুটির দিনে
) উক্ত প্রতিষ্ঠান সারা দিন ব্যাপী ফ্রি-হেল্থ ক্যাম্পিং
সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা নানা শ্রেণী-পেশার
মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে বিগত চার/পাঁচ বছর
যাবৎ। এছাড়াও এ্যপোলো হাসপাতাল (চেন্নাই ভারত) হতে আগত
৫/৬ জন বিশেষজ্ঞ বিদেশী ডাক্তার দ্বারা বছরে অন্ততঃ
৬/৭ বার এদেশের জটিল রোগীদের ফ্রি-চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রয়োজনে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সাশ্রয় মূল্যে
ভারতে (এ্যপোলো হাসপাতাল, চেন্নাই) গিয়েও চিকিৎসা নিয়ে
সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। ফরাজী হাসপাতালের মাননীয়
চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন ও ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ডাঃ এম মোক্তার হোসেন শত ব্যস্ততার মাঝেও
মানবতার সেবায় নিজেদের আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছা দিয়ে
অসহায়, রোগগ্রস্থ (অসুস্থ্য) মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং
আল্লাহ-পাকের অশেষ রহমতে তারা সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসেন।
ভাল মানের চিকিৎসা সেবা ও তাদের দোয়ার বরকতে-ই খুব
অল্প সময়ে ফরাজী হাসপাতাল দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে
বলে আমরা বিশ্বাস করি।
পরিশেষে আমি একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আশা করবো
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি প্রতিটি বে-সরকারি
হাসপাতালের মালিক যেন এদেশের মানুষের চিকিৎসা সেবায়
নিজেদের আত্মনিয়োগ করেন এবং মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন।
লেখক একজন সমাজসেবক ও মানবাধিকার কর্মী
এক গ্রাম বিষে ১৫,০০০ মানুষের মৃত্যু!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেখতে বেশ সুন্দর, কিন্তু মানুষের প্রাণনাশে এই সুন্দর
প্রাণীর জুড়ি মেলা কার্যত অসম্ভব। আকারে ছোট, দেখতে
সুন্দর আর বিশাল বিষের ধারক-এমন প্রাণী খুব কমই আছে।
ইংরাজিতে নাম গোল্ডেন ফ্রগ। বাংলায় বলা হয় সোনা ব্যাঙ।
বিজ্ঞানসম্মত নাম- চযুষষড়নধঃবং ঞবৎৎরনরষরং। চামড়ার ওপর
সোনালী রঙের আস্তরণ, আর কালো অথবা গাঢ় নীল রঙের ছোপ।
এই ব্যাঙের বিষ এত মারাত্মক যা কল্পনাতীত। বিজ্ঞানীদের
দাবি, সোনা ব্যাঙের দেহে রয়েছে উপক্ষার অধিবিষ, যাকে
বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ইধঃৎধপযড়ঃড়ীরহ’। এই বিষের এক
গ্রামেই নাকি একসঙ্গে মারা যেতে পারে ১৫,০০০ মানুষ।
পৃথিবীর আর সমস্ত বিষধর প্রাণী গুলির মধ্যে সোনা
ব্যাঙের বিষ সব থেকে বেশি মারণাত্মক বলে, দাবি
বিজ্ঞানীদের। কলোম্বিয়ার উপকূলে এদের বাস।
হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরজীবন
গুলশান ভাটারায় উৎপাত বেশি, মাসে দুই কোটি টাকা
চাঁদাবাজি
সাঈদুর রহমান রিমন
নকল হিজড়া,
চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীর সমন্বয়ে গড়ে
ওঠা ‘হিজড়া গ্রুপের’ অত্যাচারে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে
উঠেছে। রাজধানীর সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিজড়া বাহিনী।
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নামে বিভক্ত হয়ে অভিজাত এলাকা
থেকে শুরু করে সর্বত্র চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে তারা। এ
ছাড়া শিশু নাচানোর নাম করে বাসাবাড়ি থেকেও জোর করে
হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
সাম্প্রতিককালে হিজড়াদের সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চলছে
উত্তরা, গুলশান ও ভাটারা থানা এলাকায়। তারা বাসাবাড়ি,
দোকানপাট, ব্যবসা কেন্দ্র এমনকি অফিসে অফিসেও হানা
দিচ্ছে। ধার্য করে দিচ্ছে চাঁদার টাকা। নির্ধারিত সময়ে
টাকা দেওয়া না হলে তুলকালাম কা ঘটাচ্ছে তারা। অশ্রাব্য
গালাগাল, নগ্ননৃত্য প্রদর্শন, ভাঙচুর, মারধর করাসহ নানা
রকম বেলেল্লাপনায় মেতে ওঠে তারা। ভুক্তভোগীরা বলছেন,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও সুফল পাওয়া যায়
না, যে কারণে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। তবে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, হিজড়াদের
বিরুদ্ধে লিখিতভাবে
অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নির্বিঘ্ন চাঁদাবাজিতে অল্প সময়েই ধনাঢ্য
হয়ে ওঠার বাসনায় সম্প্রতি বেশ সংখ্যক পুরুষ অপারেশনের
মাধ্যমে নকল হিজড়ায় পরিণত হচ্ছে, অন্যদিকে একশ্রেণির
পতিতারাও হিজড়া সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। হিজড়াদের
চাঁদাবাজির মধ্যে নবজাতক শিশু নাচানো অন্যতম। শিশু
নাচানোর নাম করে ১০ হাজার থেকে শুরু ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৭টা।
উত্তরা মডেল টাউনের ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার গেটে
হৈচৈ। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েটি দরজা খুলতেই
ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে পড়ে সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি পরা
সাত-আটজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ১৫ হাজার টাকা দাবি
করে। মেয়েটির চিত্কারে মা এগিয়ে আসেন। টাকা দিতে
অপারগতা প্রকাশ করলে গালাগালি চলতে থাকে, চলে অশ্লীল
অঙ্গভঙ্গি, চিত্কার-চেঁচামেচি। থানা-পুলিশকে ফোন করলেও
বলা হয়-ওদের ম্যানেজ করে ফেলুন। অগত্যা দুই হাজার টাকা
এবং নতুন একটি শাড়িতে রফাদফা হয়। খিলগাঁওয়ের একটি
বাড়িতেও হিজড়ারা এভাবেই হানা দেয়। এদিকে এক ব্যক্তি
জানান, ঈদের আগে একদিন দুপুরে বনানীর অফিসে কাজ করছি।
হঠাৎদরজা ঠেলে চারজন হিজড়া রুমে ঢুকে পড়ে। এ সময় এক
হিজড়া দিগম্বর হয়ে গেল। আরেকজন দরজার বাইরে নগ্ন হয়ে
চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করে। সঙ্গে অশ্লীল সব খিস্তি
খেউর। ওই খান....পুত, আগে ট্যাকা দে। ওই ব্যাটা ৫
হাজার টাকার নিচে দিলে দলবল ডাকুম। শত শত মানুষ দেখলেও
এগিয়ে যেতে কেউ সাহস পায়নি। অবশেষে তিন হাজার টাকা দিয়ে
নিস্তার মেলে তাদের। এর আগেও ওরা বনানীতে দলবল নিয়ে
বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটে হামলা করে।
মানুষ মানসম্মানের ভয়ে যা পারে দিয়ে দিতে বাধ্যও হচ্ছে।
বনানীর আরেকটি ৬ তলা ফ্ল্যাটে ৫০-৬০ জন হিজড়া
দারোয়ানদের মেরে, পার্ক করা গাড়ির কাচ ভেঙে ফ্ল্যাটের
বাসিন্দাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে
হিজড়াদের মধ্যে কারও কারও রয়েছে অঢেল সম্পদ। তারা
কীভাবে এসব সম্পদ গড়েছে সংশ্লিষ্টরা তার কোনো জবাব দিতে
পারেনি। জানা গেছে, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা,
সন্ত্রাসীদের আশ্রয়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা করে অঢেল
সম্পত্তির মালিক হয়েছে অনেক হিজড়া। খিলক্ষেত এলাকায়
দলনেতা নাজমার অধীনে রয়েছে ৪০ হিজড়া। ৩০ বছর আগে
পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয়েছে নাজমা। মাদক ব্যবসায়ী
হিসেবে বেশ পরিচিতি তার। তার প্রায় অর্ধকোটি টাকা
গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর কাছে সুদে দেওয়া আছে। খিলগাঁও
তিলপাপাড়ার ময়নাও বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। ময়না
দক্ষিণ গোড়ান সিদ্দিকবাজারে দেখতে দেখতেই পাঁচতলার
বিরাট বাড়ির মালিক বনে গেলেন। আরেকটি বাড়ি ক্রয়ের
জন্যও প্রস্তুত হয়েছেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে শুধু
মাদক ব্যবসা চালিয়ে রেখা আক্তার ফাতেমাও খিলগাঁও
এলাকায় তিনতলা অট্টালিকার মালিক। ধলপুর এলাকার আবুল
হিজড়া দুটি বাড়ি ও কয়েক কোটি টাকার মালিক। দক্ষিণখান
থানার মধ্য ফায়দাবাদ এলাকার দলনেতা রাহেলা হিজড়াও মাদক
ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। তার আসল
নাম মোহাম্মদ আলী। প্রায় ৩২ বছর আগে হিজড়া হয়েছেন। তার
ক্যাডার বাহিনীও আছে দক্ষিণখানে। এদিকে এ বিষয়ে তদন্ত
টিমের সদস্যরা জানতে পেরেছেন, শুধু রাজধানীতেই ৩০
গ্রুপের হিজড়া সদস্যরা মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা
চাঁদাবাজি করে থাকে। ফুটপাথের পান-বিড়ি দোকান থেকে শুরু
করে আধুনিক শপিং মলের ব্যবসায়ীরাও চাঁদাবাজি থেকে
রেহাই পান না। গাবতলী টার্মিনাল, সায়েদাবাদ টার্মিনাল,
যাত্রাবাড়ী বাজার, কারওয়ান বাজার, চকবাজার,
শ্যামবাজারসহ শতাধিক পয়েন্ট রয়েছে চাঁদাবাজির।
দোকানপ্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ‘দৈনিক চাঁদা’
আদায় করা হয়। এ ছাড়াও জন্ম, বিয়ে বা অন্য যে কোনো
অনুষ্ঠান কিছুই হিজড়াদের চাঁদামুক্ত থাকার উপায় নেই
নগরবাসীর। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ ফাউন্ডেশন (এইচআরএইচএফ)
নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন সম্প্রতি রাজধানীতে
হিজড়াদের কর্মকা নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। তাদের
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, দুই শতাধিক ভারতীয় হিজড়া
ক্যাডার সীমান্ত পেরিয়ে রাজধানীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা
পুরান ঢাকার মাহুতটুলী, শ্যামপুর, চকবাজার-শ্যামবাজার,
যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর ও গে ারিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে
ঘাঁটি গেড়েছে। বাংলাদেশের মাদক বাজার পরিচালনা,
চাঁদাবাজি, শিশু পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাে র
নিয়ন্ত্রণ নিতে এই হিজড়া গ্রুপ মরিয়া। মানবাধিকার
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, নানা জরিপে দেশে ২০ সহস্রাধিক
হিজড়া থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত হিজড়ার সংখ্যা
খুবই কম। বড়জোর ৫০০ জন জন্মগত হিজড়া থাকলেও বাকি সবাই
ছদ্মবেশ ধারণকারী ও প্রতিবন্ধী। ছদ্মবেশী হিজড়া
সাভারের মনু হিজড়া ও খিলক্ষেতের নাজমা হিজড়াদের মতো ১৩
গডফাদারের আওতায় কৃত্রিম হিজড়া বানানোর কারখানা রয়েছে।
তবে রাজধানীতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য নিয়ে সম্প্রতি
হিজড়াদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
তারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।
কিছুদিন আগে শ্যামবাজার, মাহুতটুলী, যাত্রাবাড়ী,
শ্যামপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা, মারধর ও
সংঘর্ষে হিজড়া নেত্রী দিপালীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
আহত হিজড়া সুইটি, নীহার, টুম্পা, সীমা, নদী, চুমকি,
রীতু, আঁখি, সুন্দরী, স্বপ্না জানান, প্রকৃত হিজড়ারা
হিজড়াবেশী পুরুষ মেজবাহ-রমজান চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে
পড়েছে। কৃত্রিমভাবে হিজড়ায় রূপান্তর হওয়া পুরুষরা
প্রকৃত হিজড়াদের ওপর জোর-জুলুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে। এ
নিয়ে ১৭ থানায় হিজড়া গ্রুপগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০টি মামলা
রয়েছে। এদিকে চাঁদাবাজ হিজড়া চক্রের সদস্যরা দিনভর
চাঁদা সংগ্রহে ব্যস্ত থাকলেও রাত হলেই তারা অন্যরকম
অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তারা রাস্তার মোড়, বাজার মুখে,
বাসস্ট্যান্ডসহ অলিগলিতে ওতপেতে থাকে। একাকী কোনো
পথচারীকে পেলেই ছিনতাই চালায়।
সূত্রমতে, সারা দেশে হিজড়ারা নানা গ্রুপে বিভক্ত।
তাদের মধ্যে রয়েছে দলাদলি। সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকায়
চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে হাকিম হিজড়া ও রিনা হিজড়া
গ্র“পের মধ্যে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।
Top
সোনিয়ার আদলে সরকার
চালাবেন সুচি

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
দলের নেতৃত্বের সূত্র ধরে দেশের নেতৃত্বও অং সান সু
চির হাতেই থাকছে। ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)
নেতারা এখন স্পষ্টভাবেই সে কথা বলছেন।
এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন জ মিন্ত মং গতকাল
সোমবার বলেন, ‘তিনি (সু চি) দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সুতরাং
এই দলের গঠিত সরকারকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।’
দলের মুখপাত্র উইন তেইনসহ সু চির বিশ্বস্ত অনেক
শীর্ষস্থানীয় নেতা সু চির ভবিষ্যৎ ভূমিকা ভারতের
কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মতো হবে বলে ইঙ্গিত
দিয়েছেন। নিজে বিদেশি নাগরিক হওয়ায় কংগ্রেস
নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সোনিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী
হতে পারেননি। কিন্তু কংগ্রেসপ্রধানের পদে থেকে তিনিই
আদতে সরকার পরিচালনায় ভূমিকা রাখেন। মিয়ানমারে সু চিও
নতুন সরকারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরিবর্তে
দলনেত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে সু চির
ভূমিকা স্পষ্ট করলেন এনএলডি নেতারা। গত ৮ নভেম্বরের
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর সু চি যখন
প্রেসিডেন্টের ওপরে থেকে দেশ পরিচালনার কথা বলেন, তখন
সংবাদকর্মীদের প্রশ্ন সত্ত্বেও এর প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি
মুখ খোলেননি। এমনকি দলের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট করে কিছু
বলা হয়নি। এমনকি সু চি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে বেছে
নিচ্ছেন, সে ব্যাপারেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোপনীয়তা
রক্ষা করা হয়। শেষমেষ তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু ও সবচেয়ে
বিশ্বস্ত উ তিন কিয়াও গত ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল তিনি
প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি
সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত মিয়ানমারের
নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জন্য নতুন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা
করাটা ‘অপরিহার্য’ বলে মন্তব্য করেন।
মিয়ানমারে কয়েক বছরের সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা ও
দাঙ্গায় প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
এ ছাড়া ২০১২ সাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে লাখো রোহিঙ্গা
মুসলমান শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। সূত্র
: এএফপি, রয়টার্স।।
Top
অ্যান্টিবায়োটিকের
অপব্যবহার
বিপর্যয় রোধে জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের জনস্বাস্থ্যে ক্রমেই এক বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি
হচ্ছে। নকল ওষুধ, ভেজাল ওষুধ তো আছেই। তার চেয়ে ভয়ংকর
রূপ নিয়ে আসছে ওষুধের, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক
ওষুধের অপব্যবহারজনিত বিপদ। এক গবেষণায় দেখা গেছে,
প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক তার
কার্যকারিতা হারিয়েছে। অর্থাৎ এরা রোগজীবাণুতে
আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও কোনো কাজ হবে না।
তাহলে তাদের রোগ সারবে কিভাবে? সেই সঙ্গে আছে
হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলে মানুষের জন্য ব্যবহৃত
অ্যান্টিবায়োটিকের অপরিমিত ব্যবহার। এসব প্রাণীর মাংস
খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরেও চলে আসছে
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব। রোগজীবাণু গড়ে তুলছে
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে এসব
রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও কোনো
কাজ হবে না। শুধু তা-ই নয়, মানবশরীরে অপরিমিত
অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশের ফলে মানুষের কিডনি, লিভারসহ
বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিংবা কার্যক্ষমতা
হারাচ্ছে। ফলে মানুষ বেশি করে রোগাক্রান্ত হচ্ছে, আর
শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
অ্যান্টিবায়োটিকের এই যথেচ্ছ ব্যবহার বা অপব্যবহার
ইতিমধ্যেই জনস্বাস্থ্যে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
কিন্তু আমাদের নীতিনির্ধারকদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট
দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না। সে কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের
অপব্যবহার রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০ ধরনের
অ্যান্টিবায়োটিক এখন চার শর বেশি নাম দিয়ে বাজারে
ছেড়েছে বিভিন্ন ওষুধ কম্পানি। পাড়া-মহল্লার দোকানেও
দেখা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুনাশী ওষুধের
ব্যাপক ছড়াছড়ি। এসব ওষুধ কিনতে চিকিৎসকের কোনো
ব্যবস্থাপত্রেরও প্রয়োজন হয় না। কারো সর্দিকাশি বা
সামান্য শারীরিক সমস্যা হলেই কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক
ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল কিনে খেয়ে নেয়। কোনো
অ্যান্টিবায়োটিকের নির্দিষ্ট কোর্স সম্পন্ন না করলে
জীবাণু ধ্বংস না হয়ে উল্টো সেই ওষুধের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। তখন পুরো কোর্স ওষুধ খেলেও
সেই জীবাণু ধ্বংস হয় না। আবার অনেক চিকিৎসকও যথেষ্ট
সতর্কতার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেন না। রোগী
গেলেই এক কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেন। এতে কাজ না
হলে তখন এটি বদলে অন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেন।
অথচ উন্নত সব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কেউ সে নীতিমালা ভঙ্গ করলে
তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ
নেওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
ওষুধ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংগঠনগুলো মিলে এ
ব্যাপারে জাতীয় করণীয় নির্ধারণ করবে এবং
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ব্যান্ডউইথ-বিদ্যুৎ বিনিময় ঐতিহাসিক ঘটনা : মোদি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ
থেকে ব্যান্ডউইথ ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তি
ঐতিহাসিক ঘটনা। আধুনিক বিজ্ঞানের কারণে বিদ্যুৎ ও
ব্যান্ডউইথ বিনিময় চুক্তির শুভ উদ্বোধনী ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়েছে। এটা দুই দেশের
জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা, এতে আমরা আনন্দিত। আজ বুধবার সকাল
১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি এ সব কথা বলেন। এ সময় ত্রিপুরা-কুমিল্লা
আন্তঃদেশীয় বিদ্যুতের গ্রিড সংযোগ ও বাংলাদেশ-ত্রিপুরা
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
মোদি বলেন, আজকে দুই দেশের বিদ্যুৎ ও ব্যান্ডউইথ
বিনিময় সারা বিশ্ব দেখবে। এতে দুই দেশের মধ্যে
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। দুই দেশের
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ধরনের
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন, আমার দৃষ্টিতে এটা ঐতিহাসিক
ঘটনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
অটুট ছিল। ওই সময়ে ভারতের ভূমিকা ও অবদানের বিষয়টি
এখনও স্মরণ রাখার এ জন্য আপনাকে (শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের দুঃখ-দুর্দশায় ভারত পাশে ছিল। বর্তমানে
বাংলাদেশ যে উচ্চতায় যাচ্ছে ভারত কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে
চলছে। দুই দেশের একসঙ্গে চলা পুরো দুনিয়ায় ইতিহাস
সৃষ্টি করেছে।
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
উপলক্ষেও সমস্ত ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান
ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি বলেন, এ ঘটনায়
আমাদের মধ্যে এমন একটি গেটওয়ে খুলছে, যা আমাদের আরও
সামনে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে
ডিজিটাল বিশ্বের এ গেটওয়ে খুলছে। তিনি বলেন, আসাম ও
ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের জন্য যে ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন
করা হয়েছে তার ধারণক্ষমতা আমরা প্রথম থেকেই বেশি রেখেছি।
আসছে দিনগুলোয় প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি বিদ্যুৎ
রফতানি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, মহাকাশেও ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে
চায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাই উৎক্ষেপনেও ভারত বাংলাদেশের
পাশে থাকবে। সড়ক, পানি ও ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশের
ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক রয়েছে
ঠিক সে সম্পর্ক মহাকাশেও থাকবে।
রোগীর পেট থেকে
বেরোল ১৯ টুথব্রাশ!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের পর এক যুবকের
পেটের ভেতর থেকে ১৯টি টুথব্রাশ বের করা হয়েছে। একই
সঙ্গে প্লাস্টিকের টুকরাসহ কিছু ধাতব বস্তুও পাওয়া গেছে।
ওই যুবকের নাম শামীম (৩৫)। তিনি মাদকাসক্ত ও মানসিকভাবে
ভারসাম্যহীন ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকসহ উৎসুক মহলে
নানা জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ রাতে ময়মনসিংহ শহরের ইসলামিয়া জেনারেল (প্রা.)
হাসপাতালে শামীমের পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর
নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
সার্জারি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক মো. শফিকুল ইসলাম। এক
ঘণ্টার এই অস্ত্রোপচারের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ ওই ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের
পর শামীম সুস্থ আছেন। মাঝেমধ্যে কথাও বলছেন। এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি কষ্ট,
হতাশা ও অসুস্থতা থেকে এগুলো খেয়েছি।’
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শামীমের বাড়ি ময়মনসিংহ
শহরের মাসকান্দা এলাকায়। তিন-চার বছর ধরে তিনি
মাদকাসক্ত ছিলেন। বিশেষ করে অতিমাত্রায় গাঁজা সেবন
করতেন। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।
এই নিয়ে কয়েকবার তাঁকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা
হয়; কিন্তু কিছুটা সুস্থ হয়ে ফিরে আবারও মাদকাসক্ত হয়ে
পড়েন। সর্বশেষ গত বছর ৭ মার্চ ময়মনসিংহ শহরের পারাপার
মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তিন মাস
চিকিৎসা নিয়ে আরো তিন মাস চিকিৎসা নজরদারিতে থাকেন তিনি।
সেখান থেকে বাড়ি ফিরে কিছুদিন পর পেটে প্রচ ব্যথা
অনুভব করতে শুরু করেন। এর মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে
আবারও ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ সময়
পেটের ব্যথায় চিৎকার আর অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেন শামীম।
নিরাময় কেন্দ্রটির পরিচালক খন্দকার আলী আহসান বলেন,
‘শামীমকে পেটে ব্যথায় কষ্ট পেতে দেখে আমরা একটি
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্স-রে করাই। সেখান থেকে
জানা যায় তাঁর পেটের ভেতর অস্বাভাবিক বস্তু রয়েছে।’
শামীমের বড় ভাই শাহীনুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ মাসের
প্রথম সপ্তাহে শামীমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করাই। সেখানে
অপারেশনের তারিখও ঠিক হয়। কিন্তু সাত দিনের মাথায়
শামীম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। কয়েক দিন পর পেটে
প্রচ ব্যথা নিয়ে আবার ফিরে আসে। এ সময় চিকিৎসকরা উন্নত
চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু
আর্থিক সামর্থের কথা চিন্তা করে আমরা তাকে শহরের
ইসলামিয়া জেনারেল (প্রা.) হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর
গত ১৮ মার্চ রাতে শামীমের পেটে অস্ত্রোপচার হয়।’
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
সার্জারি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম
বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।
পেটের ভেতর এসব টুথব্রাশ দেখে হতবাক হয়েছি। মানসিকভাবে
অসুস্থ থাকায় এসব পেটে গিলেছে রোগী। তাঁর পেট থেকে গুনে
গুনে ১৯টি টুথব্রাশ ও আরো প্লাস্টিকের টুকরা, ভাঙা
ধাতব চামচ বের করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রোগী এখন
সুস্থ রয়েছে। তবে তিনি যদি আবারও এসব খাওয়া শুরু করেন
তাহলে তাঁকে বাঁচানো কঠিন হবে।’
Top
যেভাবে নিমিষেই শেষ
হতে পারে ব্যাংকে রাখা আপনার সব টাকা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমাদের ব্যাংকিং খাত আস্তে আস্তে উন্নত হচ্ছে। আর এর
সেবা দ্রুত থেকে দ্রুততর করার জন্য টেকনোলজির মাধ্যমে
ইলেক্ট্রিক মানি তৈরি করে আমরা টাকা দ্রুততার সাথে এক
স্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠাচ্ছি। আর এর মাধ্যমেই কিছু
অসাধু লোক এই সিস্টেমগুলোর বিভিন্ন ত্রুটি কাজে লাগিয়ে
হাতিয়ে নিচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি ফিলিপাইনে
বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার হওয়াতে
ব্যাপারটা নিয়ে অনেকেই আলোচনা করছেন। কিন্তু কীভাবে করে?
কার মাধ্যমে টাকা তোলে এইগুলো অনেকের অজানা। এইগুলো
নিয়ে আলোচনার একটা ছোট্ট প্রয়াস হচ্ছে এই লেখাটা।
কার্ডিং কি?
কার্ডিং শব্দটা অনেকের কাছে নতুন মনে হতে পারে। আসলে
কার্ডিং একটা প্রচলিত শব্দ। আপনি কোনো অভিধানে এই শব্দ
পাবেন না। এই শব্দটা সাধারণত ব্যবহার হয় অনলাইন ফ্রড
ট্রানজেকশন-এর বিকল্প হিসাবে। কারণ যারা ফ্রড
ট্রানজেকশন করে তারা আপনার কার্ডের ইনফরমেশন চুরি করে
বিভিন্ন অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে পণ্য কিনে আপনার টাকা
তার নিজের মনে করে ব্যবহার করে।
অর্থাৎ আপনার ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের তথ্য
ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়াকে
কার্ডিং বলে। কার্ডিং শব্দটা সাধারণত ব্যবহৃত হয় যারা
এই কাজ করে তাদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষা হিসাবে। আমাদের
প্রচলিত ভাষায় ‘ফ্রড ট্রানজেকশন’।
আপনার কার্ডের তথ্য পায় কীভাবে?
এটা একটা বড় প্রশ্ন। অনেকেই বলে আমার কার্ডের তথ্য পায়
কীভাবে? আমি তো বাংলাদেশে থাকি একজন আফ্রিকা থেকে আমার
তথ্য পায় কীভাবে? তাহলে ব্যাংকিং সিস্টেম কী নিরাপদ
না? আপনার তথ্য কি ব্যাংকের কাছে নিরাপদ না। হাজার
হাজার আইটি সিকিউরিটি প্রফেশনাল কী করেন? এই সবগুলোর
উত্তর আমি দিচ্ছি ও বলে দিচ্ছি কীভাবে আপনার তথ্য
তাদের কাছে চলে যায়?
আপনার সব তথ্য ব্যাংকের কাছে নিরাপদ। তারা লাখ লাখ
ডলার বিনিয়োগ করছে আপনাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। এবং
তাদের সিস্টেমগুলো যথেষ্ট নিরাপদ। তারা কোনো পাবলিক
হোস্টিং কোম্পানি থেকে সার্ভার স্পেস ভাড়া নেয় না, যাতে
সার্ভার কোম্পানির থ্রুতে আপনার তথ্য ফাঁস না হতে পারে।
তাদের পুরো সার্ভার নিজেদের কন্ট্রোলে থাকে ও নিজেদের
ইনফ্রাস্ট্রাকচারে থাকে এবং ফিজিক্যাল সিকিউরিটি
যথেষ্ট থাকে। সফটওয়ারে সিকিউরিটিও থাকে। এরপরেও অনেক
উচ্চ মানের হ্যাকার হলে সেটাও হ্যাক করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে সম্প্রতি যে সকল এটিএম কার্ডের কেলেংকারি
হয়েছে তা ফিজিক্যাল সিকিউরিটির অভাবে। মানে একজন এসে
এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গেল আর আপনি দেখলেন
না, এটা তো একেবারেই বাচ্চাদের মতো কাজ। তাই সার্ভারের
নিরাপত্তার জন্য ফিজিক্যাল সিকিউরিটি ও সফটওয়্যার
সিকিউরিটি সমান গুরুত্বপূর্ণ।
তাহলে ব্যাংকে যেহেতু তাদের সার্ভারের ফিজিক্যাল ও
সফটওয়্যার পুরো নিরাপত্তা দিয়েছে তাহলে কীভাবে আমার
তথ্য কার্ডিং যারা করে তাদের হাতে চলে যায়?
এর একটা সাধারণ উত্তর হচ্ছে, এর জন্য আপনি দায়ী।
খুবই কম ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার কার্ডের তথ্য কাউকে
না দেন তাহলে ব্যাংকের ডাটাবেইজ থেকে সরাসরি
কার্ডারদের হাতে চলে যাওয়ার চান্স থাকে। তাহলে কীভাবে
যায়?
এটার উত্তর হচ্ছে আপনি কোনো না কোনোভাবে আপনার কার্ডের
তথ্য তাদের দিচ্ছেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে দিচ্ছেন
আপনার কার্ডের তথ্য। তার আগে জেনে নিই আপনার কার্ডের
কতটুকু তথ্য তাদের হাতে থাকলে আপনার কার্ড যে কেউ
ব্যবহার করতে পারে। এই জন্য আপনাকে একটা কার্ডের ছবি
দেখাই।
ব্যাঙের ছাতার মত
গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এলিনা হোসেন : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের
ছাতার মত গড়ে উঠেছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সরকারি হ্সপাতালে পরীক্ষাধীন যন্ত্রপাতি নষ্টসহ নানান
অজুহাতে রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে
বাধ্য করা হচ্ছে। দালালদের দৌরাত্ম্য, হয়রানির পাশাপাশি
সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। কিন্তু এসব
দুর্নীতি নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই হাসপাতাল
কর্র্তৃপক্ষ এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও।
রাজধানীর মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক্সরে রুমে
বেশ ঝকঝকে মেশিনেই চলে পরীক্ষার কাজ। কিন্তু মেডিকেল
টেকনোলজিস্ট আমজাদ হোসেন এক রোগীর মাকে বলেন, এক্সরে
প্রিন্ট ভাল না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে নানা
অজুহাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না করিয়ে অনেককেই
বাধ্য করা হয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে যেতে। এই সব ত্র“টি
নিয়ে কথা বলতে চাইলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কবির এই সব
অভিযোগের সবই অস্বীকার করেন।
বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পাশেই জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রংপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন
আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু তিনি রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার
জন্য সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুঁজছেন।
কমিশনসহ নানা সুবিধার কারণে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা
না করে রোগীদের পাঠানো হয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে। রাজধানীর সব সরকারি হাসপাতালের চ্ত্রিই
প্রায় এক। তবে এসব বিষয়ে সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তারা
মুখ খুলতে নারাজ। তবে এ অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. সামিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, দালালের কারণে সাধারণ মানুষ সরকারি
হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। দেশের সরকারি
হাসপাতালগুলোতে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও মান সম্মত
চিকিৎসা পাওয়া গেলে সুচিকিৎসা পাওয়া সম্ভব জেলা
সদরগুলোতেও এমনটাই আশা সাধারণ মানুষের। সরকারি
হাসপাতালগুলোতে সঠিক রোগ নির্ণয় ও মানসম্মত চিকিৎসা
সেবা সচল রাখতে সচেষ্ট হবে সরকার তাহলেই বন্ধ হবে
দালালি ও কমিশন প্রথা।
ট্রেজারি
কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট সংরক্ষণের নির্দেশ গভর্নরের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি এড়াতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর
বৈদেশিক লেনদেন (ট্রেজারি) কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট ও
জাতীয় পরিচয়পত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ফজলে কবির।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকে বেসরকারি ব্যাংকের
মালিকদের সংগঠনের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ
নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকের পর বিএবির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার
সাংবাদিকদের জানান, ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের দিকে
নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর।
এছাড়া এসব কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার সময় পাসপোর্টসহ
অন্য সব কিছু যাচাই-বাছাই করে তা সংরক্ষণেরও পরামর্শ
দিয়েছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, 'এটিএম বুথের অর্থ পুরোপুরি নিরাপদ
এ কথা বলা যাবে না। তবে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
জোরদার করেছি।'
'ইতোমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ
কারণে সবাই সজাগ থাকবে। রিজার্ভ থেকে শুধু ৮০০ কোটি
টাকা চুরি নয়, আমাদের আরও অনেক টাকা চলে যেতে পারতো'
যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশীদের
সুবিধার্থে তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট যাবে বিদেশে :
ডিজি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান জানিয়েছেন
বিদেশের মিশনগুলোতে তিন দিনের মধ্যে মেশিন রিডেবল
পাসপোর্ট (এমআরপি) পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। গত ২৭
মার্চ ২০১৬ বিকালে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে
সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। মাসুদ রেজওয়ান বলেন,
প্রবাসীদের স্বার্থে দ্রুত পাসপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা করা
হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সংস্থা ডিএইচএল, ফেডারেল
এক্সপ্রেস, টিএনটিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার
সার্ভিসের মাধ্যমে পাসপোর্টগুলো পাঠানো হবে। এতে ২-৩
দিনের মধ্যে পাসপোর্টগুলো পৌঁছাবে। বর্তমানে কূটনৈতিক
ব্যাগে বিদেশে পাসপোর্ট পাঠানোর কারণে সময় লেগে যায়
বলেও জানান তিনি। পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছরের পরিবর্তে
১০ বছর করা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, বিদ্যমান পাসপোর্টের
বইয়ের কাভার পেজ ও পৃষ্ঠা ১০ বছরের মেয়াদ করার মতো
উপযোগী নয়। তাই এখনই এগুলো ১০ বছরমেয়াদি করা সম্ভব
হচ্ছে না। তবে এ বছরের মধ্যে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর
করা হবে। এ ছাড়া পাসপোর্ট অফিসের চারপাশে দালালদের
দৌরাত্ম্য কমাতে পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়
আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ করা হবে বলে জানান
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান। তিনি বলেন, এ
ক্ষেত্রেও টেন্ডারের মাধ্যমে আউটসোর্সিং কোম্পানি
নিয়োগ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানিকে দায়িত্ব
দেয়া হতে পারে। যাতে করে জনগণকে ভালো সেবা দেয়ার
ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ থাকে। আগারগাঁওয়ে
কয়েকটি বুথের মাধ্যমে এসব কোম্পানি জনগণকে পাসপোর্ট
তৈরিতে সহায়তা করবে। তখন দালালদের দৌরাত্ম্য দূর হবে
আশা করি। সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল
পাসপোর্ট তৈরির নতুন নিয়ম-সংক্রান্ত পরিপত্র সম্পর্কে
বিস্তারিত অবহিত করেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
কিছু কেলেঙ্কারির কারণেই অফিসিয়াল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে
সরকার কঠোর হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পাসপোর্ট
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বর্তমানে দুই লাখেরও বেশি
অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মূল্যবোধের অবক্ষয়
থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, মূল্যবোধের
অবক্ষয় থেকে উত্তরণের পথ হল দেশের সঠিক ইতিহাস তথা
দেশপ্রেম জাগ্রত করা। গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম
প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
আয়োজিত ‘অগ্নিঝরা মার্চ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অজিত কুমার দাশের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন
ইউএসটিসির ভিসি প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া। তিনি
বলেন, ইতিহাস কথা বলে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে
যাচ্ছে দেশ। আমরা গর্বিত জাতি। বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ
জোবায়েরের স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন চসিক
কমিশনার জহরলাল হাজারী, ডাঃ সৈয়দ মেজবাউল হক, সজীব
সিংহ রুবেল, ওসমান গনি চৌধুরী বাবুল, গোলাম সরওয়ার
চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান জসিম, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা
পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব সেন, রিমন মুহুরী, এড.
ইলা চক্রবর্তী, আব্দুল হালিম, অনলাইন এডিটরস ক্লাবের
আহ্বায়ক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও
থানার নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দৈনিক পূর্বকোণের ফটো সাংবাদিক ও
মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জরুল আলম মঞ্জু ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
ডাঃ সৈয়দ মেজবাউল হক এর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন
প্রধান অতিথি।
মমতার হাবভাব এখন
শাহেনশার মতো: মোদি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম নির্বাচনী প্রচারে এসে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন।
রোববার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুরের এক জনসভায় মোদি
বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ একসময় দেশের চালিকা শক্তি ছিল। গোটা
দেশের শিল্পের রাজধানী ছিল বাংলা। এখন পশ্চিমবঙ্গ কোথা
থেকে কোথায় এসেছে? তিনি বলেন, সর্বনাশের এমন অবস্থা
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোথাও দেখিনি। মোদি অভিযোগ করেছেন,
কমিউনিস্টরা ৩৪ বছরে শিল্পের কোমর ভেঙে দিয়েছে। আর
তৃণমূল কংগ্রেস ৫ বছরে শিল্পকে সমাধি দিয়েছে। তিনি
বলেছেন, মা-মাটি-মানুষের কথা বলার নামে দিদি রাজ্যের
মানুষকে নিরাশায় ডুবিয়ে দিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে শুনতাম
পরিবর্তন, পরিবর্তন, পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু
বাংলায় নয়। পরিবর্তন এসেছে দিদির স্বভাবে। পরিবর্তন
এসেছে দিদির উদ্দেশ্যে। পরিবর্তন এসেছে দিদির
কার্যশৈলীতে। মানুষের কোনো পরিবর্তন আসেনি।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, এক সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে লড়াই
করতেন যে বিরোধী নেত্রী, তার হাবভাব এখন শাহেনশার মতো।
আর পরিবর্তন বলতে গ্রামে গ্রামে বোমা বানানোর শিল্প
হয়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে
মোদি বলেছেন, সারদা কা থেকে নারদ কা , এই পরিবর্তন
হয়েছে। ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস
নেতারা। নোটের বান্ডিল নিচ্ছেন ওঁরা। এই টাকা কার টাকা?
জনগণের টাকা লুটে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।
কংগ্রেস ও বামদের জোটকেও কটাক্ষ করেছেন মোদি। তিনি
বলেছেন, কংগ্রেস আর কমিউনিস্ট পার্টি বাঙালিকে বোকা
বানাতে চেয়েছে। কেরলে কুস্তি আর বাংলায় দোস্তি। কেরলে
একে অপরের মাথা কেটে ফেলার চেষ্টা করছেন। আর বাংলায়
পর্দার পিছনে কী হচ্ছে? এরা আসলে কুরশির জন্য লালায়িত।
কমিউনিস্ট পার্টি আর কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন
তিনি। মোদির মতে, এরা বাঙালির বুদ্ধিকে ছোট করছে।
বাঙালিকে অপমান করছে। মোদির অভিযোগ, বিজেপিকে ঠেকাতে
তৃণমূল কংগ্রেস, বামরা ও কংগ্রেস, এই তিন দল মিলে
একসঙ্গে কাজ করছে। দীর্ঘ ৫০ মিনিটের ভাষণে মোদি বলেন,
ভেবেছিলাম ৩৪ বছরের কুশাসন শেষ হবে। কিন্তু ৩৪ বছরে
যতটা সর্বনাশ হয়েছিল, গত পাঁচ বছরেই ততটা সর্বনাশ হয়ে
গেছে। আপনাদের ৪০ বছর ধ্বংস হয়ে গেছে। এবার আমাকে একটা
সুযোগ দিন। ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনবো পশ্চিমবঙ্গকে।
আর এ প্রসঙ্গেই দিল্লির বিজেপি সরকার গরিবদের জন্য কি
কি কাজ করছে তারও ফিরিস্তি দেন তিনি। এদিনের জনসভায়
অবশ্য প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। একবার আজানের জন্য তিনি
সংক্ষিপ্ত বিরতিও দিয়েছিলেন।
এদিকে এদিন আসামের বরাক উপত্যকার শিলচরে এবং
রাঙ্গাপাড়ায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেন। এই দুটি জনসভাতেই
মোদি জানিয়েছেন, আসামে এখন পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে।
তিনি বলেন, গত ৬০ বছরে কংগ্রেস আসামের জন্য কি করেছে
তার জবাব দিক? কেন আসামের আকাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি?
এরপরেই তিনি যোগ করেছেন, আপনাদের হাসিকে আমি উন্নয়নে
পরিবর্তিত করবো। এদিনের সব জনসভাতে মোদি নিজেকে বারবার
তুলে ধরেছেন। তার কর্মযজ্ঞের নানা উদাহরণও দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, কংগ্রেস তাদের আমলে ব্যাংক
খোলা রেখেছিল বড়লোকদের জন্য। আর এর সুযোগ নিয়ে বড়লোকরা
কোটি কোটি রুপি লুট করেছে ধার নেয়ার নাম করে। কিন্তু
এই অর্থ ব্যাংকের নিজের অর্থ নয়, এই অর্থ জনগণের। তবে
মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ব্যাংকের ঋণ যারা বকেয়া
রেখেছেন তাদের একজনকেও ছেড়ে দেয়া হবে না। জনগণের অর্থ
ফিরিয়ে আনা হবেই। তিনি জানিযেছেন, তার সরকার যারা বকেয়া
রেখেছেন তাদের টাইট করার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও
বলেন, তার সরকার মধ্যস্বত্বভোগীদের বিলুপ্ত করে
দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার এখন গোটা
বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে।
মানবাধিকা কমিশনের কুমিল্লা আঞ্চলিক
শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক
শাখা ও লাকসাম উপজেলা পৌরসভা শাখার যৌথ উদ্যোগে গত ৩
মার্চ স্থানীয় একটি চাইনীজ রেষ্টুরেন্টে আগামী ১৯
মার্চ কক্সবাজার মানবাধিকার সম্মেলন ও কুমিল্লা
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
হয়।
উক্ত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কুমিল্লা জেলা
আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান রোম্মান,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লাকসাম পৌরসভার সভাপতি
রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী হেলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক শাখার
সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলীপ চন্দ্র দাস, কুমিল্লা জেলা
আঞ্চলিক শাখার সাধারন সম্পাদক দৈনিক তরুন কণ্ঠের
সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত,লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো.
আহসান উল্যাহ, আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
আঞ্চলিক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মোশারফ হোসেন
খন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর রহমান পাটোয়ারী, দপ্তর
সম্পাদক আহমেদ তমিজ উদ্দিন চুন্নু, লাকসাম পৌরসভা
যুগ্ম সম্পাদক এ.টি.এম নুুরুল হুদা রাজু, লাকসাম পৌরসভা
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন, গোবিন্দপুর
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, লাকসাম উপজেলা
সদস্য মো. সালমান প্রমুখ।
জনশক্তির
বাজার বেহাল
রেমিট্যান্স আয় হুমকির সম্মুখীন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার এক বড় অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের
পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে। দুনিয়াজুড়ে মন্দার
অশুভ প্রভাব ছোবল হানার পর অনেক নেতৃস্থানীয় দেশের
অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়লেও বাংলাদেশে তার কোনো
প্রভাব অনুভূত হয়নি রেমিট্যান্স আয়ের রমরমা অবস্থার
কারণে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এই সহজতম উৎস
এখন হুমকির সম্মুখীন। দেশের জনশক্তির বাজার দিন দিন
সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় এ ক্ষেত্রটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে
পড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণ
একপ্রকার থমকে গেছে। নতুন শ্রমবাজার খোঁজার নানান
উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। অদক্ষ শ্রমিক
নেওয়া থেকে বিরত থাকছে জনশক্তি আমদানিকারক বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশ মূলত অদক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করেই এতকাল
বাজারমাত করেছে। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও চলতি বছরে সাত
লাখ জনশক্তি প্রেরণের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। দক্ষ
জনশক্তি তৈরির জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে
উদ্যোগ নিয়েছে তা সফল হলে এ ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ
সৃষ্টি হয়েছে তা কমে আসবে। বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও কাতারসহ
মধ্যপ্রাচ্যের বাজার সচল করতে নানান কূটনৈতিক তত্পরতা
চলছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে কয়েকটি দেশ সফরে গিয়ে বন্ধ
শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। সে সময়
কয়েকটি দেশ জনশক্তি নেওয়ার আগ্রহ দেখালেও পরে এর সুফল
পাওয়া যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ৬ থেকে ৭ বছর
ধরে বৈধপথে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। মালয়েশিয়াতেও ৬
বছরের বেশি সময় ধরে বৈধভাবে কোনো কর্মী যেতে পারছে না।
মালয়েশিয়া ১৫ লাখ কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিলেও শেষ
পর্যন্ত তা ভেল্কিতে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই
দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে তেমন কোনো তথ্যও
এখন দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব এখন শুধু
মহিলা কর্মী নিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু আগ্রহী মহিলা
কর্মীর অভাবে সে সুযোগ কাছে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। সব
মিলে জনশক্তির বাজার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বমন্দার
কারণে দুনিয়াজুড়ে শ্রমবাজারে যে প্রতিকূলতা সৃষ্টি
হয়েছে তার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে
সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি
রপ্তানির সুবিধার্থে গ্রহণ করতে হবে ব্যাপক প্রশিক্ষণ
কার্যক্রম। কূটনৈতিক তত্পরতার মাধ্যমে নতুন শ্রমবাজার
সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।
গভীর সাগরে
পাওয়া গেল ‘এলিয়েন’ মাছ, নামটাও অদ্ভুত!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি গভীর সাগরে আবিষ্কৃত হয়েছে অদ্ভুত আকারের এক
মাছ। এ মাছটির আচার-আচরণ যেমন অদ্ভুত তেমন তার দেহও
অদ্ভুত। আরও মজার ব্যাপার হলো এ মাছের নামটিও অদ্ভুত।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে মিরর। সাগরের গভীরে যে
কত অদ্ভুত বিষয় এখনও মানুষের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে
তা অনেকেরই জানা নেই।
সম্প্রতি তেমনই এক রহস্যের কথা জানা গেল অদ্ভুতদর্শন
এক মাছ আবিষ্কারে। এ মাছটির বহু বিষয়ই মানুষকে অবাক
করছে। বনি-ইয়ার্ড অ্যাসফিস (নড়হু-বধৎবফ ধংংভরংয) নামে
মাছটি দেখতে ব্যাঙাচি ও বান মাছের মাঝামাঝি। এ মাছ
সাগরের গভীরে বাস করে। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া
রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রতি মাছটি ধরা পড়ে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়ায় অবস্থিত রয়েল বিসি
মিউজিয়ামে মাছটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
মিউজিয়ামের কিউরেটর অব ভার্টেব্রেট জুওলোজি মি. গেভিন
হ্যাংকি বলেন, মাছটি বড় মাথার এক অদ্ভুত প্রাণীর মতো
দেখতে। মাছটি দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন। বিশেষ করে
শিশুরা এ মাছটি দেখতে খুবই আগ্রহী। মাছটির নাম তারা
রেখেছে ‘অ্যাসফিস’। সাধারণত তিন থেকে চার ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছটি বাস করে। মাছটি দ্রুত
সাঁতার কাটতে পারে। তবে ভিডিওতে দেখা যায় এটি ধীরে
সাঁতার কাটতেই ভালোবাসে।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
বেড়েই চলছে শিশু হত্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বেড়েই চলছে শিশু হত্যা।
তুচ্ছ সব কারণে বলি হতে হচ্ছে শিশুদের। বিশেষ করে
বড়দের স্বার্থের বলি হচ্ছে শিশুরা। গত দুই মাসে
অর্ধশতাধিক শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়েছে। গড়ে প্রায়
প্রতিদিন একটি করে শিশু হত্যাকাে র শিকার হচ্ছে। দিনে
দিনে বাড়ছে খুনের এই পরিসংখ্যান। নিজের মা-বাবার কোলও
শিশুদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে। সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতাই
শিশুদের ওপর নৃশংস আচরণের জন্য দায়ী। সমাজে অস্থিরতা
বিরাজমান থাকলে মানুষের মনে তা প্রভাব পড়ে। সাম্প্রতিক
কয়েকটি শিশু হত্যার ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে,
পারিবারিক কলহ, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, ব্যক্তিগত
লোভ-লালসা চরিতার্থ কিংবা স্বার্থ আদায় করার জন্য
টার্গেট করা হচ্ছে শিশুদের। চলছে ধর্ষণ ও অপহরণের
ঘটনাও। সবশেষ রাজধানীর বনশ্রীতে দুই ভাইবোন তাদের
মায়ের হাতে হত্যাকাে র শিকার হওয়ার ঘটনাটি সারা দেশে
আলোড়ন তুলেছে। বেশির ভাগ মানুষই বিশ্বাস করতে চাইছেন
না, মা তার আদরের দুই সন্তানকে নিজ হাতে হত্যা করতে
পারেন। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মা নিজেই স্বীকার
করছেন হত্যাকাে র ঘটনা। বলছেন, সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে
সংশয়ের কারণেই তাদের হত্যা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক ধরনের মানসিক অসুখ।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার’ বলে।
সমাজে অস্থিরতা বিরাজ থাকলে সচ্ছল মানুষের মধ্যেও এ
ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর আগে হবিগঞ্জের
বাহুবলে চার শিশুকে একসঙ্গে হত্যার পর বালিচাপা দিয়ে
রাখার ঘটনাও সারা দেশে আলোড়ন তোলে। ওই ঘটনার প্রধান
আসামি বাচ্চু র্যাব’র কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
এছাড়া কেরানীগঞ্জের শিশু আবদুল্লাহ হত্যাকাে র ঘটনাতেও
প্রধান আসামি র্যাব’র সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা
যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধান আসামিরা কথিত
বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলেই শিশু হত্যাকা বন্ধ হবে না।
শিশু হত্যাকা সহ সকল অপরাধ দমনের জন্য আইনের শাসনের
শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে
যে অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাহলেই কেবল
সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধ দূর করা সম্ভব। খোঁজ নিয়ে জানা
গেছে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা
দেশে ৫৪টি শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়েছে। জানুয়ারি মাসে
২৯টি শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে
এই সংখ্যা ছিল ২৫টি। এই হিসাবে সারা দেশে প্রতিদিনই গড়ে
প্রায় একটি করে কোমলমতি শিশুর প্রাণ ঝরে পড়ছে। তবে
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থ
চরিতার্থ করার জন্য নিষ্পাপ শিশুদের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে
পরিণত করছে। এছাড়া সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়,
বেকারত্ব, অনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, সংস্কৃতির নেতিবাচক
প্রভাব, অনলাইন প্রযুক্তির কু-প্রভাব, পর্নোগ্রাফির
প্রসার, অনৈতিক জীবনযাপন, মানবপাচার, বিরোধ বা শত্রুতা,
ব্যক্তি স্বার্থপরতা, লোভ, ক্রমাগত সামাজিক ও রাজনৈতিক
অস্থিরতা শিশু হত্যাকাে র কারণ মানবাধিকার সংস্থাগুলি
বলছে, শিশুহত্যার মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িতদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় শিশু হত্যার ঘটনা বেড়ে
যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, গত
বছরে সারা দেশে ২৯২টি শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়েছে আর
২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত চার বছরে সারা দেশে এক
হাজার ৮৫টি শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়েছে। এর মধ্যে
২০১২ সালে ২০৯টি শিশু, ২০১৩ সালে ২১৮টি শিশু ও ২০১৪
সালে ৩৬৬টি শিশু হত্যাকাে র শিকার হয়।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন,
‘শিশুরা পরিবারের চোখের মণি এবং এদের সহজেই টার্গেট করা
যায় বলে অপরাধীরা শিশুদের টার্গেট করছে। প্রতিটি শিশু
হত্যার ঘটনাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে
অনুসন্ধান ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হলে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে
হবে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
একার পক্ষে কোনো অপরাধই নির্মূল করা সম্ভব নয়।’
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু হত্যাকা বেড়ে যাওয়ার
অন্যতম কারণ হলো মানুষের মানবিক গুণাবলী ক্রমশ লোপ
পাওয়া। মূল্যবোধের অবক্ষয় ও অসহিষ্ণু মনোভাবের কারণেই
অবুঝ শিশুদের প্রতি নির্মম আচরণ করতে পারে। এক্ষেত্রে
সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
না হওয়াও অন্যতম কারণ। এছাড়া শিশুরা পরিবারের চোখের মণি
হওয়ার কারণে তাদের টার্গেট করে কিছু আদায় করা বা
প্রতিশোধ নেয়ার কথা বিবেচনা করে দুর্বৃত্তরা। নানারকম
প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের অপহরণ ও হত্যাকা করাও সহজ।
কারণ শিশুরা প্রতিরোধ করতে পারে না। মেয়ে শিশুরা
সাধারণত বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের লালসার শিকার হয়ে
থাকে। ধর্ষণের পর পরিচয় ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় অনেক
ক্ষেত্রে মেয়ে শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মওলানা
ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ও
অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ
আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিশুদের টার্গেট করা হলো সবচেয়ে
অমানবিক কাজ। এটা সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ করতে পারার কথা
নয়। ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এসব
হত্যাকাে র জন্য দায়ী। সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু
হলে এসব ঘটনা বেড়ে যায়। এজন্য রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে
হবে। এসব হত্যাকাে র ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
বিশেষ নজর দিতে হবে। দ্রুত আইনি কার্যক্রম শেষ করে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবেই শিশু
হত্যাকা বন্ধ করা সম্ভব।
কয়েকটি ঘটনা: গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় আলভী
ও অরণী নামে দুই ভাইবোন তাদের গর্ভধারিণী মায়ের হাতে
নৃশংসভাবে খুন হয়। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
গত ১২ই ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন
পর ১৭ই ফেব্রুয়ারি বালিচাপা দেয়া অবস্থায় তাদের লাশ
উদ্ধার করে পুলিশ। ২৭শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দক্ষিণ
রসূলপুরে সৎ ভাইয়ের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় মেহেদি ও
মনি নামে দুই সহোদর। ১৬ই ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জে
পরকীয়ার জেরে এক মা তার দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা
করে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি পাবনায় দুই শিশুকে বিষ খাইয়ে
হত্যার পর আত্মহত্যা করে এক নারী। ৩রা ফেব্রুয়ারি
বরিশালের গৌরনদীতে কবিতা নামে এক শিশু ও পঞ্চগড়ে
আম্বিয়া নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১লা
ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জে এক শিশুকে হত্যা করে তার মা।
৩১শে জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে আবদুল্লাহ নামে এক শিশুকে
অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করে
পুলিশ। ৩০শে জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদরের মালির পাথর
এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে নীরব (১১) নামের এক
মাদ্?রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার
দুই মাস পর ২৮শে জানুয়ারি মিঠাপুকুরের একটি জমির গর্ত
খুঁড়ে পুলিশ শিশু রাহিমুল ইসলামের (১১) লাশ উদ্ধার করে।
১৯শে জানুয়ারি কক্সবাজারের রামুর বড়বিল গ্রামের একটি
ফলের বাগান থেকে মোহাম্মদ শাকিল (১০) ও মোহাম্মদ কাজল
(৯) নামের দুই সহোদরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৬ই
জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে ফাইভ মার্ডারের ঘটনায় শান্ত (৫)
ও সুমাইয়া (৫) নামের দুই শিশুও ছিল। গত ৫ই জানুয়ারি
একদিনেই দেশে ছয় শিশুকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে
গাজীপুরের টঙ্গীতে চোর সন্দেহে মোজাম্মেল হক নামে এক
শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঢাকায় রানা নামের এক
শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে তার সৎবাবা। আর চট্টগ্রামে
ছুরিকাঘাতে নিহত হয় আজিম হোসেন। সিলেট ও যশোরে অপহরণের
পর সালমান ও লিমাকে হত্যা করা হয়। ৩রা জানুয়ারি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ইকবাল
হাসেন নামে এক ব্যক্তি নিজের ভাই ও বোনের তিন সন্তান
শিবলু, আমিন ও মাহিনকে পুড়িয়ে হত্যা করে।
শিশু শ্রমিকরা পাবে
আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ, অভিভাবকরা পাবেন ঋণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে
নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমজীবি শিশুদের আর্থিক সহায়তা
ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যে সকল পরিবার ও
অভিভাবক তাদের সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দিতে বাধ্য
তাদের(পরিবার/অভিভাবক) বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য
ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী
কমিটির বৈঠক এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি
মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির
সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক,
আনোয়ারুল আবেদীন খান, ছবি বিশ্বাস, শিরীন আখতার, মো.
রুহুল আমিন, রেজাউল হক চৌধুরী ও রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি
এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ বি
এম সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়,
‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন’
শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ৯০ হাজার শিশু
শ্রমিককে ১৮ মাসব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা
উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আরো ৬০ হাজার
শিশু শ্রমিককে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। আরো বলা
হয়েছে, সরকার ৩৮টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ
হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকারের
গৃহীত কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতিমধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরে
শিশুশ্রম নিরসন হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬
অনুযায়ী শ্রম আদালতে ২০১৫ সালে ৪০টি ও চলতি বছর ৬টি
মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈঠকে সরকারের গৃহীত প্রকল্প
দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করতে অভিভাবক ও
জনপ্রতিনিধিসহ সকল পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে শিশু ও নারী নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সারাদেশে শিশু ও নারী নির্যাতন বাড়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ
মানুষ। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, পারিবারিক মূল্যবোধ
আর সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দিন দিন বাড়ছে এ ধরণের
অপরাধ। তবে আইন-শৃঙ্খলা বহিনী বলছে, উৎকন্ঠার কিছু নেই
অপরাধ স্বাভাবিক পর্যায়েই আছে।
গত ফেব্র“য়ারি মাসে লক্ষ্মীপুরের কমল নগরে যৌতুকের
দাবিতে ফাতেমা আক্তার সীমা নামের এক গৃহবধূকে স্বামী
রোকন হোসেন পিটিয়ে হত্যা করে। একই মাসে চর গজারিয়ায়
ধর্ষণের শিকার হয় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী। পুলিশের
তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে যৌতুকের দাবিতে এই জেলাতেই খুন
হয়েছেন ৭ জন নারী, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬৪
জন। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৫৭ টি।
কুমিল্লায় গত ৩ মাসে পারিবারিক কলহে খুন হয়েছে ৬ জন
শিশু। এমন আশঙ্কাজনক হারে শিশু হত্যার ঘটনায় নড়েচড়ে
বসেছে পুলিশ।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই
বাড়ছে নারী ও শিশু হত্যা। তাদের মতে অপরাধীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় নারী এবং শিশু
নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।
নারীর নিরাপত্তা
বাড়ে ক্ষমতায়নে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই নারী অনিরাপদ। প্রতিনিয়ত নানাভাবে
নির্যাতনেরর শিকার হচ্ছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ
অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হলে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার।
ক্ষমতায়ন ও নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে
নিরাপত্তাহীনতাও কেটে যাবে। তাঁদের মতে, কোনো সমাজে
মানুষ নৈতিকতা বিবর্জিত হলে নারীর অনিরাপদ থাকা
স্বাভাবিক। তাই নারীকে সুরক্ষা দিতে হলে বিদ্যমান আইন
বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের সচেতনতা ও নৈতিক
মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পরিবার থেকেই শুরু করতে
হবে নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা।
নারীর অনিরাপত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নির্যাতনের মাধ্যমে।
সেই নির্যাতন হতে পারে মানসিক বা শারীরিক। তিনি বলেন,
যেসব নারী তাদের নিজ পরিবারে নির্যাতনের শিকার হয়,
সেগুলো তারা প্রকাশ না করা পর্যন্ত কেউ জানতে পারে না।
ফলে কোনো সংগঠনই এই নির্যাতনের চিত্র সঠিকভাবে তুলে
ধরতে পারে না।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমাজে নানা ক্ষেত্রে
অগ্রগতি ঘটলে একই হারে নারী নির্যাাতনের ঘটনা ঘটছে।
নারী নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনাই অপ্রকাশিত থাকে। ২০১২
সালের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে নানাভাবে হত্যাকান্ডের
শিকার হয়েছে এক হাজার ৩৪২ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫৭
জন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার ৬৬ জন ও পুলিশি নির্যাাতনের
শিকার হয়েছে ৫৯ জন। ২০১৩ সালে এক হাজার ২০০ নারী
হত্যাকান্ডের শিকার, ধর্ষণের শিকার ৬৯৬ জন, এসিড
সন্ত্রাসের শিকার ৪৬ জন এবং পুলিশের নির্যাতনের শিকার
হয়েছে ৩৭ জন। ২০১৪ সালে এক হাজার ২৭২ জন নারী নানাভাবে
হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭৪ জন,
এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪১ জন ও পুলিশের
নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৩ জন নারী। ২০১৫ সালে এক
হাজার ৩০০ নারী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে, ধর্ষণের
শিকার হয়েছে ৮০৮ জন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৩৭
জন এবং পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪০ জন।
এসব নির্যাতন থেকে নারীকে বাঁচাতে হলে শুধু আইন করেই
হবে না, নৈতিকতাবোধের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ‘আমাদের দেশের
৭৬ শতাংশ নারীই অর্থনৈতিকভাবে অনিরাপদ। নারীকে
অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ করতে পারলেও অনেকাংশে কমে যাবে
নারীর নিরাপত্তাহীনতা।’
‘নারীর অনিরাপত্তা শুরু হয় তার নিজের ঘর থেকে। একজন
নারীকে যখন তার পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীনতা দিতে
পারে না; সেখান থেকেই ওই নারীর অনিরাপত্তার শুরু। আবার
আমাদের সমাজে একজন নারী স্বাধীনভাবে চলতে পারে না। এটি
হলো অনিরাপত্তার আরেক ধাপ।’ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার
পরিবর্তনের পাশাপাশি নারীকে সাহসী ও প্রতিবাদী হতে হবে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
কুমিল্লা কারাগারে টাকা
হলে মাদকসহ সবই মেলে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২২৪ বছরের পুরনো কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার। বর্তমানে
এর অভ্যন্তরে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির
কারণে বন্দিরা চরম হয়রানি ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন। এ
থেকে রক্ষা পান না বন্দির সঙ্গে দেখা করতে আসা
স্বজনরাও। টাকা হলে এখানে সবই মেলে। ফেনসিডিল ও গাঁজা
থেকে শুরু করে সব মাদকই পাওয়া যায় সহজে। এ কারাগারের
ভেতরে-বাইরে অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি।
বন্দির সঙ্গে দেখা করা, খাদ্য সরবরাহ, অসুস্থ্য রোগী
না হয়েও হাসপাতালে শয্যা পাওয়া, ভালো সেলে ঘুমানো,
কারারক্ষী ও তাদের নিযুক্ত কয়েদিদের (মানি কালেক্টর)
চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে উল্টো ‘ক্যাশ টেবিলে’
বিচারের নামে চলে নির্মম নির্যাতন। কারাগার থেকে সদ্য
মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সঙ্গে আলাপ করে এ ধরনের নানা
অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে। দুর্নীতি, অনিয়ম
ও অব্যবস্থাপনায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত এ কারাগারে সমস্যাও
রয়েছে অন্তহীন। জরাজীর্ণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেলে ধারণ
ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দি গাদাগাদি করে থাকছে।
নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা
দীর্ঘ দিন ধরে অচল থাকলেও তা মেরামতে করা হচ্ছে না।
সরেজমিন ঘুরে ও এ কারাগার থেকে সদ্য বের হওয়া কয়েকজন
আসামি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কারারক্ষীর
সঙ্গে আলাপকালে বেরিয়ে আসে বিচিত্র তথ্য। তারা জানান,
এ কারাগারে আসামি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি কক্ষে
নিয়ে তাদের বেচা-কেনা শুরু হয়ে যায়। মিয়া সাহেবদের
চাহিদা অনুসারে টাকা না দিলে ভালো স্থানে থাকা, রাতে
ঘুমানো, নিয়মিত খাবারও পাওয়া যায় না। টাকার বিনিময়ে
কারা অভ্যন্তরে সিগারেটের ভেতরে গাঁজা ও কোমল পানীয়ের
বোতলে খোলা ফেনসিডিল পাওয়া যায়। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে
প্রবেশ করে (অফিস কল) ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে
বন্দিদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখা করার ব্যবস্থা করে
দেয়া হয়। ভেতরে অনায়াসেই খাবারও সরবরাহ করা যাচ্ছে।
এছাড়া সাধারণ দর্শনার্থীদের সাক্ষাতের স্থান দিয়ে টাকা
নেয়ার বিধান না থাকলেও সেখানেও ৫০ থেকে ২শ’ টাকা
পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারারক্ষী ও
তাদের নিযুক্ত মানি কালেক্টরদের (সাজাপ্রাপ্ত বিশ্বস্ত
আসামি) সহায়তায় মাদকও ভেতরে নেয়া হচ্ছে। তবে কারা
বিভাগের পরিদর্শন টিম ভেতরে গেলে কোনো বন্দি ভেতরে
তাদের সমস্যা কিংবা কোনো অনিয়ম ও খাবারের সমস্যার বিষয়ে
অভিযোগ করলে পরে কৌশলে তার বিছানার নিচে গাঁজার পুটলি
দিয়ে অভিযুক্ত করে সেল থেকে বের করে নিয়ে গাছের সঙ্গে
বেঁধে ক্যাশ টেবিলে বিচারের নামে নির্মমভাবে পেটানো হয়
বলে জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন বন্দি
জানিয়েছেন। কারা হাসপাতালে এখন অসুস্থ বন্দিরা
চিকিৎসার জন্য সিট না পেলে টাকা দিলে সুস্থ বন্দিরাও
যতদিন প্রয়োজন অবস্থান করতে পারে। কারামুক্ত কয়েকজন
বন্দি জানিয়েছেন, কারা হাসপাতালে এখন চিকিৎসা সেবার
নামে চলে সিট বাণিজ্য, সেখানকার ডাক্তার-ফার্মাসিস্ট
এবং কারা কর্তৃপক্ষ সিট বাণিজ্যের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েও
বেশি ব্যস্ত থাকেন।
সহকারী পুলিশ
কমিশনারের বিরুদ্ধে চার্জশিটা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্দিষ্ট সময়ে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় খুলনা
মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ
জয়নুদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট)
দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের
উপ-পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার মুখ্য মহানগর হাকিম
আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে শেখ
জয়নুদ্দীনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদের
প্রমাণ খুঁজে পায় দুদক। এই অবস্থায় তার সম্পদ বিবরণী
দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
শেরে বাংলা নগর
থানার দুই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর শেরে বাংলা
নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী
উপপরিদর্শককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ঢাকা মহানগর
পুলিশ (ডিএমপি)। বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন
এসআই দেবাশীষ ও এএসআই শফিয়ার। এছাড়া এ ঘটনায় সম্পৃক্ত
থাকার অভিযোগে শেরে বাংলা নগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা
আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া
চলছে বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে তাদের বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন
ডিএমপি তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার
সরকার। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে একটা ট্রাভেল
এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে ৪৫টি
পাসপোর্টসহ থানায় নিয়ে আসে এসআই দেবাশীষ ও এএসআই
শফিয়ার। তিনজনকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে তিনলাখ টাকা ঘুষ
দাবি করেন তারা। পরে সত্তর হাজার টাকা নিয়ে রাতেই ওই
তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে আটকে রাখা হয় পাসপোর্টগুলো।
শর্ত ছিলো তিন লাখ টাকা পুরো দিলে পাসপোর্টগুলো ফেরত
দেয়া হবে। বিষয়টি ডিসি বিপ্লব কুমার সরকারের
দৃষ্টিগোচর হলে তিনি নিজেই এ ব্যাপারে তদন্ত করেন।
তদন্তে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায়
তাৎক্ষণিকভাবে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত
করেন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল
কালাম আজাদের সম্পৃক্ততা মেলায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণের জন্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে
বলে জানান তিনি।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
পায়ের রগে বা পেশিতে হঠাৎ টান ধরলে সাথে সাথে যা
করবেন!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হয়তো ঘুমিয়ে আছেন বা নদীতে গোসল করতে নেমেছেন হঠাৎ
পায়ের মাংসপেশির টানের ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন।
এমতাবস্থায় পা সোজা বা ভাঁজ করা সম্ভব না। পা ভাঁজ করে
রেখে হঠাৎ সোজা করতে গেলে পায়ের পেশিতে টান পড়ে তখনই
পায়ের পেশিতে বা রগে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এমনটা
ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে। তবে
ঘুমন্ত অবস্থায় বেশি হয়ে থাকে।
দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় পায়ের
পেশিতে বেশি টান লাগতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ বসে বা
দাঁড়িয়ে থাকলেও এমনটা হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে
পারে। যেমন, পানিশূন্যতা, মাংসপেশি বা স্নায়ুতে আঘাত,
রক্তে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাব,
কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন- হাইপারটেনশন ও
কোলেস্টেরল, কয়েকটি বিশেষ ভিটামিনের অভাবে যেমন-
ভিটামিন ‘বি’ ই১, ই৫, ই৬। কিছু বদভ্যাসের কারনে যেমন-
ধূমপান, মদপান।
ধূমপায়ীদের পায়ে রক্ত চলাচল কম হয় বলে সামান্য
হাঁটাহাঁটিতেই তাদের পায়ে টান লাগে। গর্ভাবস্থায়
বিভিন্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে থাকে, তাই ওই সময় পায়ের
পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার
হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ফেইলিওর, মেন্সট্রুয়েশন,
গর্ভসঞ্চার ইত্যাদির কারণেও পেশিতে টান লাগতে পারে।
তখন কি করবেন?
যে পায়ের পেশিতে টান পড়বে, দ্রুত সেই পায়ের পেশিকে
শিথিলায়ন বা রিলাক্স করতে হবে। এতে পেশি প্রসারিত হবে
এবং আরাম পাবেন। পেশিকে প্রসারিত করার নিয়ম হলো আপনার
যদি হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনের মাসলে টান লাগে তাহলে পা
সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো ধরে আপনার
দিকে আস্তে আস্তে টানুন। আর যদি সামনের দিকে হয় তাহলে
পা ভাঁজ করে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো পেছনের দিকে টানুন।
অনেক সময় উরুর পেছনেও এমনটা হয়, তখন চিৎ হয়ে শুয়ে পা
ভাঁজ করে হাঁটু বুকের দিকে নিয়ে আসুন যতোটুকু পারা যায়।
আর উরুর পেছনের পেশিতে আলতো হাতে আস্তে আস্তে মালিশ
করুন আরাম পাবেন। আর যদি পেশি শক্ত হয়ে আসে তখন ওয়াটার
ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেক দিন
আক্রান্ত পেশিতে। আবার যদি পেশি বেশি নরম ও ফুলে যায়
আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইসব্যাগ দিয়ে ঠান্ডা সেক
দিন। বেশ আরাম পাবেন। প্রত্যেকের বাসায় মুভ বা ভিক্স
জাতীয় ব্যথানাশক বাম বা জেল থাকে, তা দিয়ে আলতো হাতে
মালিশ করা যেতে পারে ওই পেশিতে।
আপনার পায়ের ‘পেশীর টানমুক্ত’ অবস্থায় ভালো থাকতে
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খান।
শাকসবজি, ফল, খেজুর, দুধ ও মাংসতে পর্যাপ্ত পরিমাণে
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। আপনার
নেশাজাতীয় বদঅভ্যাস থাকলে তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।
প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন।
হলদি দুধের গুণাগুণ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হলদি দুধ বা হলুদ দেওয়া দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক প্রতিদিন
সন্ধ্যায় পান করলে এর উপকারিতা অসাধারণ। নিচে যে
রেসিপিটি থাকছে তার প্রধান উপাদান হলুদ।
হলুদে কারকিউমিন নামের পলিফেনল উপাদান থাকে। শরীরের
জন্য এই উপাদানটি ১৫০টিরও বেশি কাজে লাগে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি ও এর
ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ রয়েছে এর।
হলুদ বা কারকিউমিনের অন্যান্য উপকারিতা
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,
অ্যান্টিসেপ্টিক
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ক্যান্সার প্রতিরোধী
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- হজমশক্তি বাড়ায়
- লিভারের দূষিত উপাদান দূর করে
- মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
- ত্বকের জন্য উপকারী
- নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডারে কাজ করে
- শরীরের ট্রাইগিসারাইড কমায়
হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ যোগ করলে গোল মরিচের পিপারাইন
নামের উপাদানের কারণে হলুদে থাকা কারকিউমিনের জৈব
গুণাগুণ ১০০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। খাবারে মসলা হিসেবে
ব্যবহার করলেও একই ব্যাপার ঘটে।
হলুদ এবং গোল মরিচ একসঙ্গে মিশ্রণ করলে আপনার শরীরের
হলুদ গ্রহণ করার ক্ষমতা শতকরা দুই হাজার গুণ বৃদ্ধি
পায়।
হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক রেসিপি
১ম ধাপ: হলুদের পেস্ট তৈরি
উপাদান
- ১/৪ কাপ হলুদের গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ গোল মরিচ
- ১/২ কাপ পান করার পানি
নির্দেশনা
একটি ছোট পাত্রে বা সসপ্যানে এই উপাদানগুলি ভালোভাবে
মিশান। মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে তা নাড়তে থাকুন যতক্ষণ
না এটি একটি ঘন পেস্টে পরিণত হয়। এতে বেশি সময় লাগবে
না, তাই পাত্র চুলায় দিয়ে অন্য কোথাও যাবেন না।
এই পেস্টজাতীয় মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে একটি ছোট বাটি বা
জারে ফ্রিজে রেখে দিন।
২য় ধাপ: গোল্ডেন মিল্ক
উপাদান
- ১ কাপ অ্যালমন্ড মিল্ক বা বাদামের দুধ (নারকেলের
দুধেও হবে)
- ১ চা চামচ খাওয়ার নারকেল তেল
- ১/৪ চা চামচ অথবা তার বেশি হলুদের পেস্ট (আগে থেকে
তৈরি করে ফ্রিজে রাখা)
- মধু
নির্দেশনা
মধু ছাড়া বাকি সব উপাদান একটি পাত্রে বা সসপ্যানে নিন।
মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন এবং
তরল মিশ্রণটিকে ফুটে উঠার আগেই নামিয়ে ফেলুন। এরপর
স্বাদমত মধু যোগ করুন।
এখন আপনার গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দুধ তৈরি।
স্লিম থাকার সহজ উপায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কষ্ট ও পরিশ্রম করে ওজন কমিয়ে এনে পরে ব্যায়াম ও ডায়েট
করা ছেড়ে দিয়ে আবার মোটা হয়ে যান অনেকেই। কিন্তু কিছু
নিয়ম মেনে চললে খুব কষ্টকর ডায়েট এবং ব্যায়াম ছাড়াই
চিরকাল স্লিম থাকা সম্ভব বেশ সহজে। কীভাবে? চলুন জেনে
নিই -
তিনবেলার পরিবর্তে ৫-৬ বেলা অল্প করে খাবার খাওয়ার
অভ্যাস তৈরি করুন। তবে তিনবেলায় যা খেতেন সেটাই ভাগ করে
৫-৬ বেলাতে নিয়ে আসবেন। একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে
দেরি হয় যার কারণে দেহে মেদ জমে। ৫-৬ বার খাবার খেলে
একবারে কম খাওয়া হবে, মেদও জমবে না।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেন ঠিকই কিন্তু চিনি সমৃদ্ধ
পানীয় পান করে ফেললেন ইচ্ছে মতো। তাহলে কিন্তু কোনো
লাভই হবে না। পানি বাদে অন্যান্য যতো পানীয় পান করছেন
তার সবগুলোর ব্যাপারে সর্তক থাকুন। সফট ড্রিংকস বাফলের
জুস যা-ই হোক না কেন পানীয়ের বাড়তি চিনিটাই আপনার জন্য
ক্ষতিকর।
অস্বাস্থ্যকর সকল খাবারকে না বলে স্বাস্থ্যকর খাবারের
দিকে নজর দিন। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি একেবারেই কেক
পেস্ট্রি আইসক্রিম বা ফাস্ট ফুড খেতে পারবেন না। শুধু
পরিমাণ কমিয়ে সপ্তাহে ১ দিন এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস
করুন তাও পরিমিত।
ব্যায়াম করার জন্য আলাদা সময় বের না করতে পারলেও
শারীরিক পরিশ্রমকে না বলবেন না কখনোই। স্লিম হওয়ার
ব্যাপারটা ধরে রাখতে চাইলে পরিশ্রম করার অভ্যাস তৈরি
করে ফেলুন। সেটা বাইরের কাজও হতে পারে বা ঘরের কাজ হতে
পারে।
ক্যালোরি যতো গ্রহণ করতে থাকবেন ততোই ওজনের ওপর তার
প্রভাব পড়বে। তাই প্রতিবেলা খাবারের ক্যালোরি হিসাব করে
খাবার খান। হিসেব মতো ক্যালোরি গ্রহণ করলেই চিরকাল
দেহটাকে রাখতে পারবেন স্লিম।।
ডিমের
কুসুম, ভালো না খারাপ!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ডিমের কুসুম খেলে শরীর মুটিয়ে যায়, কোলেস্টেরল বেড়ে
যাবে’ ধারণাটি বহুদিনের পুরানো। সত্যতা কতটুকু না
জানলেও মেনে চলেন অনেকেই। তবে কুসুম খাওয়ার উপকারিতা
কেউ অস্বীকার করবে না।স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট
জানাচ্ছে ডিমের কুসুমের উপকারিতা।
দৃষ্টিশক্তি: ‘করাটেনোয়েডস’ নামক পুষ্টি উপাদানের জন্য
শাকসবজির উপর জোর দেন অনেকেই। ডিমের কুসুমে থাকে
‘লুটিন’ ও ‘জিযান্থিন’ নামক দুই ধরনে ক্যারাটেনোয়েডস।
যা চোখকে অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা
করে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন এই উপাদান গ্রহণের
মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা রোধ করতে সহায়ক।
সৃতিশক্তি: ডিমের কুসুমে থাকে ‘কোলিন’। এটি একটি খাদ্য
উপাদান যা শরীরের সকল কোষের সাধারণ কার্যপদ্ধতি
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষত, মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে সৃতিশক্তি বাড়ে।
হৃদরোগ: কুসুমের আরেকটি উপাদানের নাম ‘বেটাইন’, যা
রক্তে ‘হোমোসিস্টেইন’য়ের মাত্রা কমায়। রক্তকণিকায়
হোমোসিস্টেইনের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি
বাড়ে। তারমানে ডিমের কুসুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও
সহায়ক।
চর্বি ও কোলেস্টেরল: ডিমের কুসুমের চর্বি উপাদান
পুরোপুরি ভিত্তিহীন। চর্বি যদি থাকেও, তার অর্ধেকই
‘স্যাচুরেইটেড’ নয়। অপরদিকে, নতুন গবেষণা অনুযায়ী,
‘স্যাচুরেইটেড’ চর্বি আপনার শত্রু নয়। আর আপনার
কোলেস্টেরলের সমস্যা আগে থেকেই না থাকলে ডিমের কুসুমের
কোলেস্টেরল আপনার জন্য ক্ষতিকর নয়। তাছাড়া পরিমাণ মতো
খেলে কোনো খাবারই ক্ষতিকর নয়।
তাই ডিমে অ্যালার্জি না থাকলে নিশ্চিন্তে কুসুমসহ ডিম
খেতে পারেন।
যেভাবে খাবেন: পুরো সিদ্ধডিম কুচি করে সালাদের সঙ্গে
মিশিয়ে খেতে পারেন। তাড়াহুড়োর দিনে সকালের নাস্তা
হিসেবে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। বা সঙ্গে রাখতে পারেন
স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য।
আস্ত সিদ্ধ ডিমের কুচির সঙ্গে লেবুর রস, অলিভ ওয়েল এবং
পেঁয়াজের মতো সবজি ‘লিক’ সঙ্গে মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে
খেতে পারেন।
পাউরুটির টোস্টের উপর একটি ডিম পোচ ও সিদ্ধ পালংশাক
দিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে দিতে পারেন সালসা সস।
ক্যানসার ঠেকাতে রোজ দাগি কলা খান!
কলা খাওয়া তো ভাল, কিন্তু কেমন কলা কিনবেন বলুন তো?
আপনার উত্তর নিশ্চয় দাগহীন, টাটকা ফল। তাহলে আজ থেকেই
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে নিন। এবার থেকে বাজারে গিয়ে
বেছে বেছে দাগি কলা কিনুন।
কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দাগি কলাই নাকি বেশি উপকারি।
দাগি কলা নাকি ক্যানসার রোধ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য
করে।
কলা যত দাগি হবে তার নাকি ততই পুষ্টিগুন। লন্ডনের এক
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে এই তথ্য জানিয়েছেন এক দল
বিজ্ঞানী। তাঁরা জানান, কলার খোসার উপরে যে বাদামি ছোপ
থাকে তা আসলে টিএনএফ (টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর)।
টিএনএফ অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান। যা দেহে কোনো
অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টিউমার রোধ করে এবং রোগ
প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
এ ছাড়াও কলা অ্যাসিডিটি দূর করে। রক্তচাপ স্বাভাবিক
রাখে, রক্তাল্পতা কমিয়ে আপনাকে সুস্থ রাখে।
তা হলে আর নিশ্চয় দাগি কলা দেখে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবেন
না।
গোলাপজল তৈরির সহজ
পদ্ধতি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সৌখিন রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চা পর্যন্ত চলে
গোলাপ জলের ব্যবহার। খাবারকে সুগন্ধি করা বা রূপকে
অনন্য করতে গোলাপ জলের গুরুত্ব উল্লেখ করার মতো। উপকারী
এই গোলাপজল পেতে আমাদেরকে নির্ভর করতে হয় বিপনি
বিতানের উপর। অথচ, খুব সহজেই ঘরে বসে গোলাপজল তৈরি করা
সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক গোলাপজল তৈরির সহজ পদ্ধতি।
যেভাবে করবেন:
একমুঠো তাজা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে নিতে হবে। এবার পাপড়ি
গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটি
পাত্রে এক লিটার পরিমাণ ফোটানো পানির ভেতর পাপড়ি ছেড়ে
দিন। মাঝারী আঁচে ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে রাখুন আধা
ঘণ্টা। গোলাপের পাপড়ি রঙ হারালে এবং পানির পরিমাণ
অর্ধেক হয়ে আসলে চুলা থেকে পাত্রটি নামিয়ে আনতে হবে।
এবার ঠান্ডা হলে পাপড়ি ছেকে পানি নিয়ে নিন। ইচ্ছা করলে
বোতলে ভরে দীর্ঘ দিন ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এবার প্রয়োজনীয় কাজে গোলাপজল ব্যবহার করুন সহজেই।
যে ৭টি রোগে ঢেঁড়স কাজ করে ঔষধের মতন
ঢেঁড়স ভাজি, ঢেঁড়সের তরকারি পছন্দ করেন না এমন লোক
পাওয়া কঠিন। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটির ফলন আমাদের
প্রচুর। ঢেঁড়স দেখতে অনেকটা নারীর সরু কোমল আঙুলের মতো
হওয়ায় একে ‘লেডিস ফিঙ্গার’ ডাকা হলেও এর প্রকৃত ইংরেজি
নাম ঙশৎধ।
ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন। আপনার হয়তো
জানা নেই ঢেঁরস সুস্বাস্থ্যের জন্য কতোটুকু গুরুত্ব
রাখতে পারে। আসুন জেনে নেই কোনসব অসুখে ঢেঁড়স ঔষধের মতো
কাজ করে।
১। হাঁপানিতে উপকারী: ঢেঁড়স হাঁপানী রোগে খুব উপকারী।
প্রাচীন হারবাল চিকিৎসায় হাঁপানি রোগ সারাতে ঢেঁড়সকে
ঔষধ হিসেবে ব্যবহারা করা হয়েছে। ঢেঁড়স বীজের তেল
শ্বাসকষ্ট কমাতে পারে।
২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ব্লাড সুগার কমাতে ঢেঁড়সের
তুলনা নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ০.০৭
মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ০.০১
মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন। যা ডায়াবেটিক রোগীর
স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবারাহ করে সতেজ রাখে। তাই
ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিদিন খাবার পাতে রাখা উচিত
ঢেঁড়স।
৩। প্রোস্টেট গ্রন্থির অসুখে: ঢেঁড়সের একটা দারুন
ঔষধিগুণ হলো এইট প্রসাবের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এতে
প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি কমে যায়। ঢেঁড়স পানিতে
সেদ্ধ করে তরল পিচ্ছিল পদার্থ ছেঁকে পান করলে
প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়বে।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর আঁশ।
আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সহজে হজম হয় বলে
বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।
৫। ত্বকের যতেœ: ঢেঁড়স ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঢেঁড়স
খেলে ব্রণ কম হয়। ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে। রক্ত
চলাচল বৃদ্ধি করে বলে, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।
৬। হাড় ও দাঁতের যতেœ: প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে
৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা। ফলে
ঢেঁড়স হাড়কে মজবুত রাখে। দাঁত ও মাড়ির রোগেও ঢেঁড়স
উপকারী।
৭। চুলের যতেœ: চুলের ঢেঁড়সের রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যবহার।
ঢেঁড়সকে প্রাকৃতিক কি শনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
চুল পড়া কমায়, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
পাঠকগন, সুস্বাস্থের খাতিরে ঢেঁড়স রাখুন প্রতিদিনের
খাবার তালিকায়। এটি আপনাকে দেবে অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা।
Top
আইন কনিকা
ভাড়াটেদের
তথ্য নেওয়া বন্ধের রিট খারিজ
রাজধানীতে বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটেদের ব্যক্তিগত
তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট
আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। ফলে ভাড়াটেদের
তথ্য পুলিশকে দিতে হবে।
আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.
ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদন
খারিজ করেন। এর আগে ৮ মার্চ এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি
হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন।
৩ মার্চ হাইকোর্টে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজে এই রিট
আবেদনটি করেন। তিনি বলেন, রিট আবেদনে তিনটি বিষয়ে
আদালতের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। প্রথমত, তথ্য
সংগ্রহের কার্যক্রম যেন এই মুহূর্তে বন্ধ করা হয়।
দ্বিতীয়ত, ইতিমধ্যে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা যেন
কোনো কাজে ব্যবহার না করা হয়। তৃতীয়ত, সুনির্দিষ্ট আইন
না হওয়া পর্যন্ত যেন এসব সংগৃহীত তথ্য গোপনীয়ভাবে
সংরক্ষণ করা হয়। আইন ও স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)
কমিশনারকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে জ্যোতির্ময়ের যুক্তি, নাগরিকদের
ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশ যেভাবে সংগ্রহ করছে, তার
অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। এসব তথ্য যদি কোনো
ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে পড়ে, তাহলে ব্যক্তির
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা আছে। সংবিধানে
নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে,
পুলিশের এ উদ্যোগে সেটাও লঙ্ঘিত হতে পারে।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও
সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান
পাওয়ার পর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ
শুরু করে মহানগর পুলিশ। এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটেদের
পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ছবির পাশাপাশি তাঁদের
জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর,
জন্মতারিখসহ বাসার বাসিন্দা এবং গৃহকর্মী ও গাড়িচালকের
তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ধর্ষকের সম্পত্তির মালিক হলো ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশু
ধর্ষকের সম্পত্তির মালিক হলো ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া
শিশু। ফেনীতে ধর্ষক তৌহিদুল আলম সোহেলের সম্পত্তির
উত্তরাধিকার দেওয়া হয়েছে ওই শিশুকে। সেই সাথে ১০ বছর
আগে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ওই যুবককে
যাবজ্জীবন কারাদ ও দিয়েছেন আদালত।
২ মার্চ ২০১৬ দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল-দুই এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ
নিলুফার সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডাদেশপ্রাপ্ত যুবক সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল
খায়েরের ছেলে। মামলা দায়েরের সময় থেকেই তিনি পলাতক।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, আসামি সোহেলকে
সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদ াদেশ ও এক লাখ
টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদে র আদেশ দেন
বিচারক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে
আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি
ফরিদ আহম্মদ হাজারী।
তিনি বলেন, ধর্ষণ ও এর ফলে শিশু জন্মের বিষয়টি
প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে
বর্ণিত বিধি অনুযায়ী শিশুকে আসামির সম্পত্তির ওয়ারিশ
ঘোষণা করেছেন।
এ আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল অর্থদ বা
ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলে এবং ওই অর্থ তার বিদ্যমান
সম্পদ থেকে আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে আসামি যে
সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন তা থেকে আদায় করা যাবে।
সে ক্ষেত্রে ওই সম্পদের ওপর অন্যান্য দাবির চেয়ে দ বা
ক্ষতিপূরণের দাবি প্রাধান্য পাবে।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মেজবাহ
উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ফেনীর আদালতে ধর্ষণ মামলায়
শিশুকে সম্পদের অংশীদার করার রায় এই প্রথম।
মামলার নথির বরাত দিয়ে এপিপি ফরিদ হাজারী জানান, ২০০৬
সালের ২০ অগাস্ট তৌহিদুল আলম সোহেল অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া
একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনার পর মেয়েটি সোহেল,
তার দুই ভাই ও বোনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
ধর্ষণের ফলে সে
অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তানের জন্ম দেয়
এদিকে, সোহেল পালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গেছেন বলে জানা
গেছে। আর তার সন্তান একটি পরিবারের কাছে দত্তক দেওয়া
হয়েছে।
ছোট বোনের সাজা ভোগ করলেন বড় বোন
বোনের নাম শুধুই লাকি। আগে-পরে কিছু নেই। তাঁর ছোট
বোনের নাম মুক্তা বেগম। কিন্তু পাসপোর্টে তিনি নিজের
নাম দিয়েছেন লাকি আক্তার মুক্তা। আর এখানেই বিপত্তি।
বড় বোনের নামের সঙ্গে মিল থাকায় তিন মাস জেল খাটতে
হয়েছে লাকিকে।
আদালতের নথি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোট বোন মুক্তা
সোনা চোরাচালান মামলার আসামি। পাসপোর্টের নামে আদালত
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন লাকি আক্তার মুক্তার নামে।
কিন্তু গত বছরের ১৭ নভেম্বর পুলিশ প্রকৃত আসামি ছোট
বোন লাকি আক্তার মুক্তাকে গ্রেপ্তার না করে বড় বোন
লাকিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করে দেয়। সেই থেকে
তিনি কারাগারে। এরপর মূল আসামি গত বৃহস্পতিবার লাকি
আক্তার মুক্তা ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে বলেন,
‘মাননীয় আদালত, আমি মামলার প্রকৃত আসামি। আমার বোন লাকি
নির্দোষ। তাকে মুক্তি দিন।’ আসামির এমন বক্তব্যের পর
ঢাকার ১৬ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক
আবুল কাসেম নির্দোষ বড় বোন লাকিকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ
দেন। কারাগারে পাঠান ছোট বোন মুক্তাকে।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, মূল আসামি লাকি আক্তার মুক্তা
স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করায় এটি স্পষ্ট যে, পূর্বে
গ্রেপ্তার লাকি মামলার আসামি নন। তাই তাঁকে মুক্তির
আদেশ দেওয়া হলো। আর মামলার প্রকৃত আসামি লাকি আক্তার
মুক্তাকে কারাগারে পাঠানো হোক।’
নিরপরাধ লাকি আদালত এলাকায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি
বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন আমি পুলিশকে
বারবার বলছিলাম, আমার নাম শুধুই লাকি। আসামি না। আমি
নিরপরাধ। আমার ছোট বোন আসামি। ওর নাম লাকি আক্তার
মুক্তা। আমাকে আপনারা গ্রেপ্তার করতে পারেন না। এর পরও
আমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে আমি জেল খাটছি।
আমি এর বিচার চাই।’
নিরপরাধ লাকিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দিয়েছিলেন
যাত্রাবাড়ী থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শামসুল হক।
কেন নিরপরাধ লাকিকে গ্রেপ্তার করা হলো—এমন প্রশ্নের
জবাবে এএসআই শামসুল হক বলেন, ‘বড় বোনের নাম লাকি। আবার
ছোট বোনের নামের এক জায়গায় লাকি রয়েছে। এই দুজনের
স্বামীর নামেরও কিছু মিল আছে। বড় বোনের স্বামীর নাম
হারুন দেওয়ান আর ছোট বোনের হারুন-অর-রশীদ। নামের মিল
থাকায় লাকিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করি।’
নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১২ এপ্রিল এক কেজি সোনাসহ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন লাকি
আক্তার মুক্তা। পরে তাঁর নামে বিমানবন্দর থানায় মামলা
হয়। ওই বছরের ৯ জুলাই জামিন হয় লাকির। এর পর পরই ছাড়া
পান আসামি মুক্তা। এ নিয়ে ‘সোনা চোরাচালানের জামিন
মাদকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি জানাজানি
হলে ওই বছরের ৩০ আগস্ট লাকি আক্তার মুক্তার জামিন
বাতিল করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পরে
বিচারিক আদালত লাকি আক্তার মুক্তার নামে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেন। এই পরোয়ানার সূত্র ধরে যাত্রাবাড়ী
থানার পুলিশ নিরপরাধ লাকিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়।
বিচারপতি মানিকের জজশিপ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে
আবেদন
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর ঝড় অব্যাহত রয়েছে। এবার
তাঁর জজশিপ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
৯ মার্চ ২০১৬ দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
মোজাম্মেল হক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে আবেদনটি
দাখিল করেন।
১২ সেপ্টেম্বর সংবিধান লংঘন, শপথ ভঙ্গ ও অসদাচরণের
অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে)
সিনহার অভিশংসন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে
চিঠি পাঠান আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন
চৌধুরী মানিক। এরপর থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত
প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এরপর তার
অবসরকালী সময়ে দেয়া রয়ের নতি ও প্রয়োজনী দলিল চেয়ে
পাঠানো হয়।
পাবলিক প্লেসে ধুমপান
বন্ধে হাইকোর্টে রুল
ধুমপান ও তামাকদ্রব্য ব্যাবহার নিয়ন্ত্রন আইন ২০০৫ এর
৭ ও ৮ ধারা বাস্তবায়নের লক্ষে কেন পদক্ষেপ নেয়া হবে
না, এবং পাবলিক প্লেসে ধুমপান বন্ধে কেন প্রয়োজনীয়
ব্যাবস্থা নেয়া হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারী করেছেন
হাইকোর্ট।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল
জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ
দেন।
গত ৯ মার্চ ২০১৬ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানী করেন
অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্বিযে স্বাস্থ্য সচিব,
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ
মোট ছয়জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে
বলা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারী এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাম্মী আক্তার ।রিট করার আগে
এই আইনজীবী সংল্ষ্টিদেরকে একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ
করেছিলেন। সে নোটিশের যথাযথ জবাব না পাওয়ায় তিনি এ রিট
আবেদনটি দায়ের করেন।
ধুমপান ও তামাকদ্রব্য ব্যাবহার নিয়ন্ত্রন আইন ২০০৫ এর
৭ ও ৮ ধারায় বলা হয়েছে কোনো জনসমাগম এলাকায় ত্বাবধায়ক
বা নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি বা ব্যবস্থাপক বা উহাতে কোনো
পাবলিক পরিবহণের মালিক, তত্বাবধায়ক নিয়ন্ত্রনকারী
ব্যাক্তি বা ব্যাবস্থাপক উহাতে ধুমপানের জন্য চিনহিত
করে দিতে পারবেন।
কোনো পাবলিক প্লেসে বা পাবলিক পরিবহনে ধুমপানের
স্থানের সীমানা, বর্ননা,, সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা
ব্যবাস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। সতর্কতা মুলক
নোটিশ প্রদর্শন ধারা ৭ এর অধিীন বা নির্দিষ্ট স্থানের
বাইরে প্রত্যেক পাবলিক প্লেসের মালিক ততত্বাবধায়ক,
নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি বা ব্যাবস্থাপক উক্ত স্থানের
এক বা একাধিক জায়গায় এবং পাবলিক পরিবহনের মালিক , ,
নিয়ন্ত্রনকারী ব্যাক্তি ধুমপান হইতে বিরত থাকুন, ইহা
শাস্তিযোগ্য অপরাধ” সম্বলিত নোটিশ বাংলা এবং ইংরেজি
ভাষায় প্রদর্শন করিয়া ব্যাবস্থা করিবেন।
বাংলাদেশের অর্থ
লোপাট: দেগিতোসহ ৫ জনকে তলব
বাংলাদেশের রিজার্ভের ৮১ কোটি ডলার লোপাটের সঙ্গে জড়িত
থাকার অভিযোগে রিজল ব্যাংকের (আরসিবিসি) শাখা
ব্যবস্থাপক মাইয়া সানতোস দেগিতোসহ পাঁচ জনকে তলব করেছে
ফিলিপিন্সের বিচার বিভাগ।
এই ঘটনায় দায়ের করা মুদ্রা পাচারের মামলার প্রাথমিক
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া দেশটির সহকারী প্রসিকিউটর
গিলমারি ফে পাকমার শুক্রবার তাদের প্রতি সমন জারি করেন
বলে ফিলিপিন্সের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
দেগিতোসহ ওই চারজনকে আগামী ১২ ও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায়
প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হয়ে লিখিত
জবানবন্দি ও সমর্থনে প্রমাণাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যরা হলেন- মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি
ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলফ্রেড সান্তোস ভারজারা ও
এনরিকো তিয়োডোরো ভাসকুয়েজ।
সমনে বলা হয়েছে, “এই নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে
আপনাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রহিত এবং মামলাটি
নথিভুক্ত দলিলাদির ভিত্তিতে নিষ্পত্তিযোগ্য বলে
বিবেচিত হবে।”
এই মামলার বাদী ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ
কর্তৃপক্ষকেও (এএমএলসি) শুনানিতে হাজির থাকতে সমন জারি
করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এর মধ্যেই ফিলিপিন্সের সিনেটে নির্বাহী
অধিবেশনে শুনানি হয়েছে, যাতে দেগিতো জবানবন্দি দিয়েছেন।
তার আইনজীবী ফার্দিন্যান্দ টোপাসিও সিএনএন পিলিপিন্সকে
বলেছেন, তার মক্কেল শুনানিতে অংশ নেবে।
গত মাসে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক
ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) মেসেজিং সিস্টেমে
জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে
ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে বাংলাদেশের প্রায় এক বিলিয়ন টাকা
সরানোর চেষ্টা হয়।
এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপিন্সের রিজল
কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) চারটি
অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে স্থানীয় মুদ্রা পেসোতে
রূপান্তরের পর ওই টাকার একটি অংশ চলে যায় দুটি
ক্যাসিনোতে।
জুয়ার টেবিলে আয় বৈধ করার সুযোগ নিয়ে হাতবদলের মাধ্যমে
পাচার হয়ে যায় ওই টাকা।
ফিলিপিন্সের ইনকোয়ারার পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন হলে
মার্সের শুরুতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
বিনা পরোয়ানায়
গ্রেফতার
সাদিকুল নিয়োগী পন্নী
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪, ৫৫, ৫৭, ১৫১ ধারা অনুযায়ী
পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করা যায়। তবে এ
গ্রেফতারের পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী নিুোক্ত কারণে
কোনও ওয়ারেন্ট বা মেজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই কাউকে
গ্রেফতার করতে যেতে পারে।
* আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত বা জড়িত থাকার
সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি।
* যে ব্যক্তির কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম যেমন-হাতুড়ি,
শাবল, ছুরি ইত্যাদি পাওয়া যায় কিন্তু সে কোনও
যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে না পারলে।
* যাকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বা সরকার কর্তৃক
অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
* চোরাইমাল হিসেবে সন্দেহ করা যায় এরূপ মালামালসহ কোনও
ব্যক্তি।
* পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করা বা পুলিশ হেফাজতে বা
আইনসঙ্গত হেফাজত থেকে পলায়ন বা করার চেষ্টা করেছে এমন
ব্যক্তি।
* বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা থেকে পলায়নকারী বলে
সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি।
* বাংলাদেশের আইন যা অপরাধ এরূপ কাজ দেশের বাইরে করে
দেশে আত্মগোপন করলে।
* ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬৫(৩) উপধারা লঙ্ঘন করেছে এমন
মুক্তিপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি।
* যাকে গ্রেফতার করার জন্য অন্য কোনও থানার পুলিশ
কর্মকর্তার কাছ থেকে ইনকোয়ারি ¯িপ পাওয়া গেলে।
কোনও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির
৫৫ ধারা অনুসারে বখাটে, ভবঘুরে, পুরাতন ডাকাত,
উত্ত্যক্তকারী ইত্যাদি প্রকৃতির লোককে বিনা পরোয়ানায়
গ্রেফতার করতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৭ ধারা
অনুসারে কোনও ব্যক্তি পুলিশের কাছে তার প্রকৃত পরিচয় ও
ঠিকানা জানাতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাকে বিনা পরোয়ানায়
গ্রেফতার করতে পারবে। এছাড়াও কোনও ব্যক্তি অপরাধমূলক
কর্মকান্ডের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির
১৫১ ধারা অনুসারে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে।
Top
|
|