BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover July 2015

English Part July 2015

 

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

 

মানবাধিকার রিপোর্ট জুলাই ২০১
জুলাই’ ১৫ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৬৫ জন



মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপ অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৬৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৮.৫ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই ‘১৫ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৬৫ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ০২ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৪ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ১০ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ০৬ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ০৩ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ০৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৬ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ০৪ জন, অপহরণ হত্যা ০৫ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৪৫ জন, আত্মহত্যা ২০ জন। জুলাই ২০১৫ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ধর্ষণ শিকার ১৯ জন, যৌন নির্যাতন ৫ জন এবং এসিড নিক্ষেপের শিকার ২ জন।
Top

 

 

দেশকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আরো উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২১ জুলাই ২০১৫ প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে কালক্ষেপণ করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি, কাজ করতে গেলে সুবিধা-অসুবিধা অনেক কিছুই আছে, অনেক কিছুই মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু তারপরেও সকলের আগে আমাদের সামনে এটাই থাকতে হবে যে- এদেশের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দরিদ্র, কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ; তাদের কথাই আমাদের আগে চিন্তা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কেমন আছি সেটা বড় কথা না, আমার থেকে যে খারাপ আছে, আমার থেকে যে দরিদ্র; তারা কি অবস্থায় আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন- এটাই আমাদের কর্তব্য।
২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে এবং ইতোমধ্যেই তার ‘কিছু কিছু ফলাফল দেশবাসিকে ইতোমধ্যেই’ সরকার দিতে পেরেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা এসময় দারিদ্রের হার কমানো, ছয় বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ছয় শতাংশের ওপর ধরে রাখা, রিজার্ভ বৃদ্ধি, বাজেট চারগুণ বৃদ্ধি, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো, গড় আয়ু বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্জনের সবচেয়ে বড় কথা হলো- আয় বৈষম্য কমানো। আমরা একেবারে নিম্নবিত্ত মানুষদের ধীরে ধীরে উপরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ফলে সকলের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।”
আওয়ামী লীগের প্রতিশ্র“তি রয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। তবে ‘সকলে মিলে আরেকটু কাজ’ করলে ২০২১ সালের আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এক্ষত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরতদের দ্বায়িত্ব সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজগুলো যেন সঠিকভাবে সুসম্পন্ন হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া এবং কিভাবে দ্রুত কাজ সম্পাদন করা যায় সে বিষয়টা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন। কালক্ষেপনটা যেন কোনোভাবে না হয় সে বিষয়টাও দেখতে হবে।

Top

 

বিরোধী রাজনীতি দুর্বলের অপপ্রয়াসে লিপ্ত সরকার: খালেদা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বিরোধী রাজনীতি দুর্বলের অপপ্রয়াসে সরকার লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, এ অপপ্রয়াসেই ছাত্রনেতা রাজীবকে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বহনকারী গাড়িতে মাদক পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের প্রচারণা রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহননের একটি ঘৃণ্য প্রচারণামূলক নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। ২১ জুলাই রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কথা উল্লেখ করেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, পবিত্র ঈদের পরদিন বাবার কবর জিয়ারত ও বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে পটুয়াখালী জেলার লেবুখালি ফেরিঘাটে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়। আমি এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল করার অপপ্রয়াসে ছাত্রনেতা রাজীবকে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বহনকারী গাড়িতে মাদক পাওয়ার প্রচারকে রাজনৈতিক কর্মীদের চরিত্রহননের একটি ঘৃণ্য প্রচারণামূলক নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের নির্দেশে মিথ্যা প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও আজ জনগণের নিন্দা আর অবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। একই দিন ঢাকা ও নরসিংদিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য পরিচালিত পুলিশি অভিযান প্রমাণ করে যে, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক উদ্ধারের বিষয়টি একটি ঘৃণ্য প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
দমন-পীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, দমন-পীড়ন করে কোনো গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকার টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখে এ অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের পতন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র বলেও মন্তব্য খালেদা জিয়ার।

Top

 

 


ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে ইটালি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে ইটালির বলোনিয়া সিটি কাউন্সিল। ৮ জুলাই বলোনিয়ার সিটি হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বলোনিয়া শহরের মেয়র ভার্জিনিও মেরোলা প্রফেসর ইউনূসকে এই সম্মানসূচক নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইটালির পার্লামেন্টের স্পিকার লরা বলদ্রিনি, ইটালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রদি ও তাঁর স্ত্রী, সিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সিমোনা লেমব্রি এবং শহরের ৩৫০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট নাগরিক। গত ১০ জুলাই ২০১৫ ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ড. ইউনূস ইটালিতে তার ৫ দিনের সফর শেষ করেছেন। “মিলান এক্সপো ২০১৫” কাঠামোর অধীনে এই সফরে তিনি কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। জুলাই ১ থেকে ৩ তারিখে মিলানে অনুষ্ঠিত সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ওয়ার্ল্ড ফোরামে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সফরে তিনি ইটালির বৃহত্তম ব্যাংকের ফাউন্ডেশন “কারিপলো ফাউন্ডেশন” আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও তিনি যুব বেকারত্ব নিরসনে একটি সামাজিক ব্যবসা ফান্ড গড়ে তোলার বিষয়ে ফাউন্ডেশনের সভাপতি গুইসেপ্পে গুেসট্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। ৭ জুলাই প্রফেসর ইউনূস এক্সপো মিলানো ২০১৫ -এ ‘দ্যা আদার হাফ অব দ্যা প্লানেট্-ওমেনস উইক’ শীর্ষক কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ফ্রান্সের সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড “ড্যানোন কমিউনিটিস” আয়োজিত একটি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন। সপ্তাহের শুরুতে ৪ জুলাই প্রফেসর ইউনূস উত্তর ইটালি থেকে দক্ষিণের নাপল্স শহরে একটি ট্রেন যাত্রায় অংশ নেন।
এই ট্রেন যাত্রায় প্রফেসর ইউনূস ৫০ জন ইটালীয় তরুণের সঙ্গে যুব সমাজের করণীয় নিয়ে আলোচনায় করেন। এই তরুণরা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা অংশ নিতে এই ট্রেন যাত্রায় যোগ দিয়েছিল। নাপলেস প্রফেসর ইউনূস স্কামপিয়া পরিদর্শন করেন, যার ১ লাখ জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ যুবক-যুবতীই বেকার। এলাকাটিতে মাদক ও সন্ত্রাস ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রফেসর ইউনূস এলাকার নের্তৃস্থানীয় ব্যক্তিদের এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

Top
 

 


 

চূড়ান্ত হলো বাংলাদেশের মানচিত্র

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির দু’দিনের বৈঠকে দুই দেশের স্থলসীমানা চূড়ান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্রও। গত ২৪ জুলাই রাতে বৈঠকটি শেষ হয়েছে। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনা মতে ভবিষ্যতের আইনি ঝামেলা এড়াতে সেখানে রেকর্ডপত্রেও সই করেছেন স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ঢাকা ও দিল্লির কর্মকর্তারা। আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা আসেনি এখন পর্যন্ত। তবে বৈঠকে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত ৩১শে জুলাই মধ্যরাতেই বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে ৬৮ বছরের পুরনো ছিটমহল সমস্যার। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে গত ২৪ জুলাই বিকালে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক চলার এক ফাঁকে কথা হয় সরকারি এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, দু’দিনের আলোচনায় অনেক বিষয় সামনে এসেছে। ২০১১ সালের ছিটমহলে সর্বশেষ জরিপ হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর এবং জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৩ জন এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন ৭ হাজার ১১০ দশমিক শূন্য ২ একর এবং লোক সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন পাওয়া গিয়েছিল। চলতি মাসে একটি জনগণনা হয়েছে। সেখানে জনসংখ্যা বেড়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের অধিকারে আসবে। আর ভারতের কাছে বাংলাদেশ হস্তান্তর করবে ৫১টি। ভারতের হাত থেকে ১৭ হাজার একর জমি বাংলাদেশের হাতে আসবে, বিনিময়ে ভারত পাবে সাত হাজার একর। গত ১০ই জুন জাতীয় সংসদে দেয়া এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে ১০ হাজার ৫০ একর জমি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যোগ হবে। কেবল ছিটমহল নয়, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে সীমান্তের অচিহ্নিত এলাকাও চিহ্নিত এবং দুই দেশের মধ্যে বণ্টন হবে। এ সংক্রান্ত প্রটোকলের আওতায় ভারত ২৭৭৭ একর জমির মালিকানা পাবে। আর ২২৬৭ একর জমির উপর বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালে ছিটমহল জরিপে বাদপড়া অনেকে নাগরিকত্ব পছন্দের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। তারা ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পাবেন সেই প্রশ্নও এসেছে। তাদের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়েও কথা হয়েছে। যারা যে দেশে যেতে চেয়েছেন বা থাকতে চেয়েছেন মর্মে মতামত দিয়েছেন তাদের সেই বিষয়টি আমলে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অধিকারে আসা ছিটমহলের ৯৭৯ জন বাসিন্দা ভারতে যেতে চান। তারা দেশটির নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন। ছিটমহলের ওপর চালানো সর্বশেষ জনগণনায় পাওয়া তথ্য মতে ওই ১১১টি ছিটমহলে ৪১ হাজার ৪৪৯ জন বাসিন্দা রয়েছেন। ৯৭৯ জন বাসিন্দা ছাড়া বাকি সবাই বাংলাদেশে থাকছেন। আগামী ১লা আগস্ট থেকে ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে তারা তাদের নিজ পছন্দ মতো নাগরিত্ব নিতে পারবেন। হলদিবাড়ি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ওই নাগরিকরা ভারতে যেতে পারবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রকাশনায় সমপ্রতি বলা হয়েছে, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি আসবে। ছিটমহলের বাসিন্দাদের গত সাত দশকের মানবিক সংকটের অবসান ঘটবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ হবে তাদের। একই সঙ্গে খুলবে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত। দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করাই এই স্থলসীমান্ত চুক্তির লক্ষ্য।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়। সেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী চুক্তিতে সই করেন। মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আওতায় ছিটমহল বিনিময়ে বাংলাদেশের দিক থেকে সব প্রক্রিয়া সারা হয়েছিল, কিন্তু ভারতের সংসদে এতদিন অনুমোদন না হওয়ায় সেই চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় আটকে ছিল। ২০১১ সালে ভারতে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধানে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়। এরপর কংগ্রেস সরকার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তার মধ্যেই নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়ে যায়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সরকারের সেই উদ্যোগকে সফল করতে আরও উদ্যোগী হন মোদি। ছিটমহল বিনিময়ে আপত্তি জানানো আঞ্চলিক দলগুলোকে রাজি করিয়ে গত মে মাসে ভারতের পার্লামেন্টে ছিটমহল বিনিময়ে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাস করান। গত ৬ই জুন মোদি ঢাকা সফরে আসেন। ওই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিটি বাস্তবায়নে নতুন একটি প্রটোকল সই হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রটোকলে সই এবং পূর্বে সই হওয়া এ সংক্রান্ত দলিল বিনিময় করেন।


Top
 

প্রতিবন্ধীদের মাঝে মানবাধিকার কমিশনের ঈদ বস্ত্র বিতরণ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধিনে চট্রগ্রাম নগরির রওফাবাদে বাবা মা হারা শিশু ও অসহায় প্রতিবন্ধিদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগা ভাগি করা ও তাদের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষে প্রতি বৎসরের ন্যায় এই বার ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্রগ্রাম মহানগর কমিটি সভাপতি আলহাজ এডভোকেট আবুল হাশেম , সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমুর নেতুত্ব্যে ও সংগটনের থানা কমিটির যৌথ উদ্যোগে সবার মাঝে ঈদের নতুন জামা কাপড় বিতরন করা হয় ! উক্ত অনুষ্টানে আরও উপস্হিত ছিলেন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন সুলতানা জেসি, আবিদা আজাদ,সংগটনের চট্রগ্রাম মহানগর কমিটির সিঃ সহ সভাপতি লায়ন এ এ গোলাম ফারুক মামুন সহ সভাপতি আলহাজ মইন উদ্দিন,যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ মনচুর আহমদ, আবু সাদাত মোঃ সায়েম,সাংগটনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ,দপ্তর সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী,আ ই টি সম্পাদক কে জি এম সবুজ,সদস্য মোঃ ইব্রাহিম জাহেদ তানসির, আবদল মজিদ চৌধুরী, লায়ন সাব্বির আহমদ, মইন উদ্দিন লাবলু,মওলানা ইউসুফ, সোলায়মান খান নয়ন,সাইফুদ্দিন শান্ত, সহ প্রমুখ !

ড্রাইভিং লাইসেন্স বহনকারীদের জন্য একটি ঘোষণা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনানুযায়ী আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির কাগজপত্র সাথে না থাকা অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তাহলে সাথে সাথে ফাইন দিবেন না। আইনগত কাগজ দেখানোর জন্য আপনি ১৫ দিনের সময় পাবেন। চালান কাটার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র দেখালে ওই চালান বাতিল হয়ে যাবে। দুর্নীতি কমাতে ও জনস্বার্থে তথ্যটি সকলকে জানিয়ে রাখুন।

 

Top
 



বেসিক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর কীর্তি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বেসিক ব্যাংকের বহুল আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে দায়মুক্তি দেওয়ার সব আয়োজনই সম্পন্ন করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধানী দল যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে আবদুল হাই বাচ্চুর নাম নেই। অনুসন্ধানী দলটি বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করলেও আবদুল হাই বাচ্চুর কোনো দায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনেই তাঁর নামটি রাখার সাহস পেল না দুদক। এতটাই ক্ষমতাশালী আবদুল হাই বাচ্চু!
এখন তাহলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কী বলবেন? কারণ, অর্থমন্ত্রী গত ৮ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে আইনের আওতায় আনা হবে’। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ব্যাংকটিতে হরিলুট হয়েছে। আর এর পেছনে ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। তাঁর ব্যাংক-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণেই বেসিক ব্যাংক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে। তাঁর ব্যাংক-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।’
স্মরণ করা যেতে পারে, এর আগে গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী ‘হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ও বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি নিয়ে বলেছিলেন, ‘জালিয়াতদের ধরতে বাধা নিজের দলের লোক।’ অর্থমন্ত্রী কি এবার ওই সব দলের লোকদের নাম বলবেন?
আবদুল হাই বাচ্চুর ক্ষমতার উৎস এতটাই শক্ত যে কেউই তাঁকে স্পর্শ করতে পারছেন না। বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি নিয়ে আলোচনা ও লেখালেখি শুরু হয়েছে ২০১২ সাল থেকেই। অর্থমন্ত্রী নিজেও গত ৮ জুলাইয়ের আগে কখনোই আবদুল হাই বাচ্চুর নাম উচ্চারণ করে সরাসরি তাঁকে দায়ী করেননি। তবে ইদানীং ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও দুদক অর্থমন্ত্রীর কথা আমলেই নিল না। বরং বলা যায়, দুদক প্রভাবশালীদের দায়মুক্তির যে কমিশনে পরিণত হয়েছে, তার আরেকটি উদাহরণ এই ঘটনা।
এর আগে হল-মার্ক কেলেঙ্কারির জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দায়মুক্তি দিয়েছিল দুদক। যুক্তি ছিল, হল-মার্ককে যে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ঋণসুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তা পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদিত ছিল না। ফলে পর্ষদ সদস্যদের দায় পায়নি দুদক। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে সবকিছুই করা হয়েছে পর্ষদের মাধ্যমে। আর এর সব ধরনের প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালেই দিয়েছিল দুদককে।
এরপরও বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভাঙেননি অর্থমন্ত্রী। বরং সে সময়ে অর্থমন্ত্রী পাল্টা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পর্ষদ ভাঙা হলে দায়িত্ব (ব্যাংকটির) নেবে কে?’
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ২০১৪ সালের ৬ জুলাই পদত্যাগ করেন আবদুল হাই বাচ্চু। তিনি অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন। এর দুই দিন পর সরকার ব্যাংকের গোটা পর্ষদও অবশ্য বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ তাঁকে সম্মানজনক পদত্যাগেরই সুযোগ করে দেয় সরকার। কারণ পর্ষদ বাতিল হলে আবদুল হাই এমনিতেই চেয়ারম্যান থাকতে পারতেন না। সুতরাং তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে, এ কথাটাও বলার সুযোগ রাখেনি সরকার।

Top
 

মানবাধিকার কমিশনের লেবুখালী ইউপি শাখা গঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার ২১ সদস্য বিশিষ্ট লেবুখালী ইউনিয়ন শাখা অনুমোদন করেছে। নির্বাহী কমিটি নিুরূপঃ
সভাপতি- মোঃ আনোয়ার হোসেন ফরাজী, সহ-সভাপতি- মোঃ শাহ আলম আকন, সাধারণ সম্পাদক- মোঃ আলমগীর মৃধা (আলম), যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাসির আকন, কোষাধ্যক্ষ- মোঃ আব্দুল জলিল ফরাজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোঃ সাইফুল ইসলাম (ফারুক), সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক- মোঃ শরীফ আঃ মালেক, সহ-দপ্তর সম্পাদক- মাওলানা মোঃ জব্বার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক- মোঃ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আইন উপদেষ্টা- মোঃ আল-আমিন, সহ-আইন উপদেষ্টা- মাওলানা মুফতী আশরাফ আলী, মহিলা সম্পাদিকা- মোসাঃ আনোয়ারা, উপদেষ্টা- মোঃ শহিদুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আঃ সালাম, নির্বাহী সদস্য- মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ নজরুল সিকদার, মোঃ আঃ বারেক হাওলাদার, মোঃ কাওসার মৃধা, মোঃ নাসির হাওলাদার।
Top

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সুখবর
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট পাওয়ার পর শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না; তারা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। সে লক্ষ্যেই ৩৪ শিশুসহ ৩৬ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ প্রদান করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।
গত ২৫ জুলাই বিএসএমএমইউ’র সি বকে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ ২য় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দপত্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এসব কথা বলেন। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে নামমাত্র মূল্যে ৩৬ জনকে এ বরাদ্দপত্র দেয়া হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন মাসে শেষ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান, গলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান তরফদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমডিসি’র প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. আবু সফি আহমেদ আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ-এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর বিএসএমএমইউ-এর নাক, কান, গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এএইচ এম জহিরুল হক সাচ্চু। এ সময় কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জন ও নাক, কান, গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ডা. নাসিমা আখতার, সহকারী অধ্যাপক ডা. কানু লাল সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কক্লিয়ার বরাদ্দপত্র পেয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের বাবা-মা’রা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
প্রতিটি কক্লিয়ারের মূল্য সর্বনিম্ন প্রায় ১০ লাখ টাকা। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবার যাদের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা তারা দিবে মাত্র ১৫ হাজার এবং যে পরিবারের আয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, সেই পরিবার কক্লিয়ারের জন্য দিবে ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউতে ২০১০ সালে ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ (১ম পর্যায়)-এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার এ চিকিৎসাসেবা ৪৮ জনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, ৬ জনকে স্বল্পমূল্যে এবং ১২ জনকে নিজ খরচে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট দেয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত ৬৬ জনের মধ্যে ৬৬ শ্রবণ প্রতিবন্ধীই এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন।


Top
 

শিশু রাজনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবাধিকার কমিশন মানববন্ধন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১৬ জুলাই ২০১৫ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্দন কর্মসুচিতে বক্তারা ‘শিশু রাজন হত্যার সঙ্গে জড়িত নরপশুদের আইনি সহায়তা না দেয়ার জন্য আইনজীবিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ব"হস্পতিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বামাক সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা এই কর্মসুচির আয়োজন করে। এতে বক্তারা বর্বর, নির্মম ও নিষ্টুরভাবে রাজন হত্যা যারা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড় না দিয়ে মামলার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করারও দাবি জানান।
বামাক সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুল আলম মিলনের সভাপতিত্বে এবং সিলেট মহানগর সম্পাদক ও কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচলনায় মানবন্দন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম।
আরটিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান কামকামুর রাজ্জাক রুনু, সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট মোতাহীর আলী,বামাক’র সিলেট মহানগর সহ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক লিলু ও এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান,জেলা যুগ্ম সম্পাদক বাবলু ভোমিক, জেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহসান হাবিব, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বাবুল মিয়া,মহানগর প্রচার সম্পাদক নুর আলী,জুনেদ আহমেদ, জাহাঙ্গির আলম,আব্দুল গাফ্ফার, অজয় কুমার দেব,তুহিন চেীধুরী,আব্দাল হোসেন নাহিদ, মামুন চেীধুরী, শীরিন আক্তার,সাহেদা বেগম, মাহি চৌধুরী, শিপল আহমদ, আবির আহমদ, সালমান আতিক, জয় দাস, এনামুল হক কাজল, আশিকুর রহমান রব্বানী, ড. অশীম কুমার দাস রাজন প্রমুখ।

Top

 


নারীর সুরতহাল রিপোট এবং লজ্জা
জাকির আহমেদ খাঁন


খুবই লজ্জার ব্যাপার। লজ্জার ব্যাপার। এ লজ্জা গোটা রাষ্ট্রের, সমাজের, আপনার, আমার সবার। একজন মৃত নারী কিংবা ধর্ষিতা কেন শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে? নারীর সবচেয়ে বড় যে জায়গাটা তাহলো সম্মনবোধ। আমরা এখনো নারীদের কেন সম্মান দিতে পারছিনা, রাষ্ট্রের একজন নারী যখন ধর্ষিত হয় কিংবা খুন হয় তখন তার সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন একজন পুরুষ ডাক্তার। আর কখনো সাথে থাকেন পুরুষ পুলিশ অফিসার এটা কতটা লজ্জার সেটা বলা মুশকিল। এর আগে উচ্চ আদালত নারী পুলিশ এবং নারী ডাক্তার দিয়ে সুরতহাল রির্পোট করতে রায় দিয়েছে, সে রায় কতটা কার্যকর হয়েছে? এখনো হর হামেসা নারীর মৃত দেহ কিংবা ধর্ষিতার দেহ পরীক্ষা করে একজন পুরুষ ডাক্তার। এটা এক জন নারীর জন্য কতটা অপমানের, রাষ্ট্রের কি অধিকার আছে একজন নারীর শ্লীলতাহানি করার। আমরা জানি একজন ধর্ষিতাকে কিবাবে ডাক্তারী পরিক্ষা (সুরতহাল) করানো হয়। নির্যাতনে শিকার একজন নারীর জন এটি দ্বিতীয় বার যৌন নির্যাতনের শামিল নির্যাতনের শিকার নারী এর ফলে মানুষিক ভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের পরীক্ষা আবশ্যিক ভাবে নারী ডাক্তার ও নার্স দিয়ে করানো উচিত। এ রাষ্ট্র কি সে ব্যবস্থা রেখেছে? মুলত বাধ্য হয়েই একজন ধর্ষিতা নারী পুরুষ ডাক্তার এর কাছে পরীক্ষা করাচ্ছেন। একজন ধর্ষিতাকে বাধ্য হয়ে তবেই একজন পুরুষ পুলিশ অফিসারের কাছে তার লজ্জার কথা অকপটে বলতে হচ্ছে। বিপদে না পরলে মনে হয় কখনোই একজন নারী পূরুষ ডাক্তারের সামনে তার পোশাক খুলে বিবস্ত্র হতোনা, ধর্ষণের সেই নির্মম কাহিনীর ধারা বর্ননা দিতেন না। যখন ডাক্তার একজন নারীকে তার শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে ফেলতে বলেন, তখন জীবনটা তার কেেছ যন্ত্রনাদায়ক মনে হয় বৈকি। এটা তার জীবনের দ্বিতীয়বার ধর্ষণও বলতে পাড়াযায় পরিতাপের বিষয় এইযে, শুধু ধর্ষকের শাস্তির জন্য এতকিছু করার পরেও সেই মামলায় ধর্ষক বেঁচে যায় প্রায় ক্ষেত্রেই। সত্যি বিচিত্র এই দেশ, যার এরকম হাজারো নজির বিদ্যমান। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছার। স্মরণ রাখতে হবে আমরা সবাই কোন না কোন পরিবারের সদস্য এবং পরিবারে আমাদের সবারই মা, বোন ও মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে যে কেউ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি যদি হয় তখন আমাদের একই কষ্ট লাগবে। কথা হলো কোন মহিলা পুলিশ অফিসার অভিযোগ নিলে ধর্ষিতা সাবলিল ভাবে কথা বলতে পারেন। তার ডাক্তারী পরীক্ষা যদি কোন মহিলা ডাক্তার করেন তবে তার সহমর্মিতা পেতে পারেন অত্যাচারিরা। পারিবারিক নির্যাতন, সহিংসতা ধর্ষণ, ইভটিজিং যৌন হয়রানি সহ নারী ভিকর্টিমদের সার্পোট দিতে নারী পুলিশ কর্মর্কতা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্র পুরুষ পুলিশ কর্মর্কতার সঙ্গে নারী ভিকটিমরা সব বিষয় আলোচনা করতে পারেন না। এছাড়া কোন নারী খুন হলে তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করতে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তাকে সমস্যায় পড়তে হয়। ধর্ষণ, হত্যা, দুর্ঘটনার মামলা অথবা ছেলেরা মেয়েদের বয়স নির্ধারন করে সিক মেডিসিন বিভাগ থেকে সনদ নিতে হয়। আইনের চেখে এ সনদ অতিগুরুত্বর্পূণ একটি দলিল বটে। অনেকে মনে করেন, এ দলিল পেতে দ্বিতীয় বার ধর্ষণের শিকার হন নারী। অবাক করার বিষয় যে, দেশের কোন হাসপাতালেই নারীর শারীরিক পারীক্ষার জন্য পৃথক কক্ষ নেই। চিকিৎসকদের বসার কক্ষে পুরুষ চিকিৎসক পুরুষ ওয়ার্ড বয়ের সহযোগিতায় সেই টেবিলের ওপর ধর্ষনের শিকার নারীকে রেখে তার পরিধেয় কাপড় খুলে শারীরিক পরীক্ষা করেন। আর এখানে পরীক্ষা মুখোমুখি হয়ে আতকে উঠেন সবাই। পরীক্ষার আতষ্কে বা ভয়ে অনেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত থাকেন। অতি সর্ম্প্রতি ঢাকার সবুজ বাগ থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ কুমার ঘোষ আদালতের নির্দেশে বয়স নির্ধারনের জন্য একটি মেয়েকে ফরেনসিক বিভাগে আনলে
মেয়েটিকে খোলা বারান্দার টেবিলের ওপর পুরুষ ওয়ার্ডবয় কাপড় খুলতে শুরু করলে মেয়েটি চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর বয়স নির্ধারনে আর রাজি হয়নি মেয়েটি। পত্রিকার খবরে দেখেছি টাকা দিতে রাজি হলে হাসপাতালের অন্য বিভাগ থেকে নারী চিকিৎসক এনে পরীক্ষা করানো হয়। টাকা বেশী দিলে ওই দিনই পরীক্ষা সনদ পাওয়া যায় এসব ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার থেকে লাক্ষ টাকা পযর্ন্ত নেওয়া হয়ে থাকে। অভিভাবক দের কাছে থেকে, টাকা খরচ না করলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় ধর্ষণ কিংবা বয়স নির্ধারনের প্রতিবেদনের জন্য। একবার যদি আমরা চিন্তা করি যে, মেয়েটি হতে পারতো আমার বোন, বা আমার মেয়ে তাহলেই কিন্তু এসব কুঃকর্ম করতে হাজার বার চিন্তা করে বিবেগবান মানুষ কিছুতেই এহেন জঘন্য কাজ করতোনা। কোন কোন পুলিশ কর্মর্কতাদের বলতে শুনি, এসব মামলা তদন্ত স¤পন্ন করতে গিয়ে তারাও বিব্রত হচ্ছেন। এটা পুরো পুরি আমানবিক। বহু ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে থানার তদন্ত কারীর কর্মর্কতার অশ্লীল প্রশ্ন বানে কার্যত দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হন ধর্ষিতা। সেই পিড়নকে কেন আমরা যৌন নিপীড়ন বলবোনা? এ থেকে নির্যতিতাদের কে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লজ্জা শুধু ধর্ষিতা অসহায় অবোলা নারীর লজ্জা তা বলবনা, এটা আমাদের লজ্জা, এটা রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের লজ্জা, এ লজ্জা রাষ্ট্রের প্রধান মন্ত্রীর, সর্বোপরি বলব এ লজ্জা দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির। তা বলা বোধ করি অজুক্তি হবেনা। বিষয়টি গোটা দেশ বাহির জন্যই লজ্জার। নারীর প্রতি সমঅধিকার, নারী বৈষম্য, নারী নির্যাতন, সব কর্মে নারীর সমান সুযোগ, নারী শিক্ষার উন্নতি জাতীয় ব্যাপক নীতি কথার বুলি কচলান আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা। তাদের সেই নীতি আমাদের দেশের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে তা নারী অধিকার পরিপন্থি। এর মধ্যে অন্যতম হল ধর্ষণ মামলার আইনি প্রতিকারের জন্য পুরুষ ডাক্তার কর্তৃক ধর্ষিতার শরীর পরীক্ষা। দীর্ঘদিন ধরেই তা আমাদের দেশে হয়ে আসছে। বার বার এ সমস্যা সমধানের আশ্বাষ আসে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু তা কখনই ফলপ্রসু হয়নি, এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ধর্ষিতা যদি ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত প্রদক্ষেপ নিতে চায় সে ক্ষেত্রে মামলায় সফলতার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা বাধ্যতামুলক। আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে (৯০%) পুরুষ ডাক্তাররাই নারীদের এ জাতীয় পরীক্ষা করে থাকেন। ধর্ষিতা নারীকে নগ্নকরে তবেই এ রিপোর্ট লিখতে হয়। আর এটাই বিধান। যা সত্যিই ধর্মীয় মুল্যবোধ এবং নৈতিকতা পরিপন্থি।
এ জাতীয় পরীক্ষার নামে ধর্ষিতারা দ্বিতীয় বারের মতো ধর্ষণের ঘোরতর বিরোধী করতেই হয় আমাদের দেশে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এ জাতীয় অমানবিক ও নোংড়া দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। পুরুষ কর্তৃক ধর্ষিতা হওয়ার পর অন্য একজন পুরুষ ডাক্তারের কছে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় পুরো শরীর পরীক্ষা করে অপরাধ প্রমানের সনদ গ্রহনের পক্ষে কিছুতেই মত দেয়া যায়না। কিন্তু ধর্ষিতার শরীর পরীক্ষার বিপক্ষে মত দিচ্ছি, তা কিন্তু নয়। বরং পুরোপুরি পক্ষে। সুশিল সমাজেরে মত আমারও ভাবনা ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক। তবে আমার আপত্তি হলো ধর্ষিতাকে পরীক্ষা করতে হলে একজন মহিলা ডাক্তার অবশ্যই থাকতে হবে। এবং এই মহিলা ডাক্তারই ধর্ষিতার সমস্ত পরীক্ষা করবেন। এ জাতীয় মানুষিকতা নিয়েই আমাদের এগুতে হবে। আপনার, আমার, সবারই মা, বোন রয়েছে। ঐ ধর্ষিতাদের কথা ভাবুন, ভেবে দেখুন আমাদের মা বোন, স্ত্রী এ ক্ষেত্রে কতটা নিরাপদ। যদি কখনো তাদেরও এইপরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তবে আপনি কি একজন ছেলে হিসাবে মায়ের, ভাই হিসেবে বোনোর, এবং স্বামী হিসেবে স্ত্রীর পরীক্ষা একজন পুরুষ ডাক্তার এর কাছে করাতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, এটা আপনার জন্য কতটা স্বস্তিকর?
লেখক- সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা।
Top

মানুষের জীবন কি এতই মূল্যহীন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মানুষের জীবন কি এতই মূল্যহীন যে, জাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়েও তাকে পদদলিত হয়ে মরতে হবে ময়মনসিংহ শহরে গত ১০ জুলাই সকালে যে মর্মবিদারক ঘটনাটি ঘটে গেছে-তা এই প্রশ্নটিকে অনিবার্য করে তুলছে। একটি-দুইটি নয়, কমপক্ষে ২৫টি জীবন ঝরে পড়ছে চোখের পলকে-যে জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে আরও বহু মানুষের জীবন-জীবিকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নিহতদের অধিকাংশই নারী। অনুমান করা কঠিন নয় যে, তাদের অনেকেরই অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান আছে, নির্ভরশীল বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা অসুস্থ স্বামী আছে। কেউবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ঈদ উপলক্ষে জাকাতের কাপড় বিতরণের সংবাদ পেয়ে একটি শাড়ি কিংবা লুঙ্গির আশায় ছুটে গিয়েছিলেন, ফিরেছেন লাশ হয়ে। এই মৃত্যুর দায় কে বহন করবে সেই প্রশ্ন তো আছেই। তবে সর্বাপেক্ষা বড়ো প্রশ্নটি হল, এই যে এতগুলি পরিবার অনিশ্চয়তার অথৈ সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হল-তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নিবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন। জাকাতদাতাসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছেন পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই যে এই ক্ষতি পূরণ হবে না তা সহজেই অনুমেয়।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দরিদ্রদের মধ্যে জাকাতের কাপড় বিতরণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদের পাশাপাশি বহু প্রতিষ্ঠানও তাতে সম্পৃক্ত আছে এবং তাদের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছে। আর সেখানে যে, হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে থাকে তাও সুবিদিত। অব্যবস্থাপনার কারণে অতীতেও জাকাতের কাপড় দিতে গিয়ে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। অতএব, এটা বলা যাবে না যে অনভিজ্ঞতার কারণে এমনটি ঘটেছে। জাকাতের কাপড় বিতরণের উদ্যোগটি যারা নিয়েছিলেন, তাা সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন কিনা- সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে তারা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারতেন। পূর্বাহ্নে বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছিল কিনা তাহাও স্পষ্ট নয়। অবহিত করা হউক বা না হউক, এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক সময় পুলিশ ও প্রশাসন স্বতঃপ্রণোদিতভাবেও প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থাদি নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটিল কেন-তাও আমাদের বোধগম্য নয়।
অনভিপ্রেত হলেও এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এই উপমহাদেশে মাঝে-মধ্যেই ঘটে থাকে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ছবিটি যতটা না দারিদ্র্যের তার চেয়ে অধিক হল বিশৃঙ্খলার ও দায়িত্বহীনতার-যা এই অঞ্চলের অনেকটা মজ্জাগত বৈশিষ্ট্যই বলা চলে। যেভাবেই দেখা হউক না কেন, বিষয়টি মোটেও গৌরবের নয়। আমরা আশা করি, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের সমুচিত শাস্তি দেয়া হবে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলির জন্য এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন বস্তুগত সহায়তা। তাদের ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়, তবু যতদূর সম্ভব নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। আমরা হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

Top


আর নয় শিশু নির্যাতন এবার হবে প্রতিরোধ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্রগ্রাম মহানগর ও বায়েজীদ বোস্তামী থানা শাখার যৌথ উদ্যোগে শিশু রাজন হত্যার প্রতিবাদ ও দোষিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে এক মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা গত ১৫ই জুলাই দুপুর ২টায় চট্রগ্রাম নগরীর রওফাবাদ মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের বায়েজীদ বোস্তামী থানা কমিটির সহ সভাপতি আলহাজ সোলায়মান খান নয়নের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চট্রগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি ও জেলা পি পি আলহাজ এডভোকেট আবুল হাশেম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার নেতা রাজনিতিবীদ আলহাজ আবদুল নবী লেদু, আরও যারা উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ সভাপতি এ এ গোলাম ফারুক মামুন, আলহাজ মইন উদ্দিন, যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ মনসুর আহমদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জেসি ,আবিদা আজাদ, আনজুমান আরা, নগর কমিটির সদস্য রুকসানা নুরুন্নবী, মোঃ ইব্রাহিম, জাহেদ তানসির, মাসুদ পারভেজ টুটুল, ডবল মুরিং থানা কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ চৌধুরী, কোতয়ালী থানা কমিটির সভাপতি লায়ন সাব্বির আহমদ, পাচলাইশ থানা কমিটির সভাপতি মাইন উদ্দিন লাভলু, আকবর শাহ থানা কমিটির সভাপতি লায়ন মৌলানা মোঃ ইউসুফ, বায়েজীদ বোস্তামী থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন শান্ত, ধর্ম বিষয়য়ক সম্পাদক মোঃ জিকু,সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্ধ।
Top

রমজান মাস ব্যাপি ছহীহ কুরআন শিক্ষা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ রেজভীয়া তালিমুস সুন্নাহ বোর্ড ফাউন্ডেশন চান্দিনা উপজেলা শাখা উদ্যোগে ছায়কোট কার্যালয়ে রমজান মাস ব্যাপি ছহীহ কুরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন তারাবীহ নামাজের পর এলাকার যুবক বৃদ্ধ সর্বস্তরের মুসলমানগন অংশগ্রহন করেন। ছুরা, ক্বিরাত, অযুর নিয়ম, দোয়া কালিমা নামাজের বিভিন্ন হুকুম আহকাম এবং শুদ্ধ ভাবে কুরআন তিলাওয়াত ও জানাজা এবং ঈদের নামাজের নিয়ত সহ ধর্মীয় বিভিন্ন মাসআলার উপর বিশদ আলোচনা ও তালিম দেয়া হয়। এতে এলাকা মুসলিম গন স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহন করে। সর্ম্পূন বিনা বেতনে এই কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়। ছহীয় কুরআন শরীফ শিক্ষা কোর্সটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রেজভীয়া তালিমুস সুন্নাহ বোর্ড এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী কাজী ছিদ্দিকুর রাহমান রেজভী, মোয়াল্লিম ছিলেন হাফেজ নুরুল আমিন ও মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা শাহআলম, মৌলভী কবির হোসেন, কুরআন শিক্ষা কোর্সটি ১৭/০৭/২০১৫ ইং তারিখে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Top
 

আমৃত্যু কারাদণ্ডের চেয়ে মৃত্যুদণ্ড শ্রেয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

একজন অপরাধীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়ার অর্থ হলো তাকে বিষক্রিয়ায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। এর চেয়ে বরং তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়াই শ্রেয়। গত ২৩ জুলাই ২০১৫ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার শুনানি চলাকালে এ মন্তব্য করে সুপ্রিম কোট। খবর এনডিটিভি ও পিটিআই’র।
প্রধান বিচারপতি এইচএল দাত্তুর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন জানায়, যাবজ্জীবন সাজা মানে যদি হয় মৃত্যু পর্যন্ত জেলবাসের সাজা, তাহলে সেই আসামিদের মৃত্যুদন্ড দেয়াই ভাল। তিনি বলেন, একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর সবাইকে তাকে ভুলে যায়। কারণ মানুষের স্মরণশক্তির একটা সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু যারকারণ কারান্ডের ফলে একজন মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে যায়। এর ফল ভোগ করে তার পরিবারও।
বিচারপতিরা পাশাপাশি ১৪ বছর জেলে থাকার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের রেহাই দেয়ার উপর এক বছর আগে যে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তাও এদিন তুলে নেয়া হয়।
ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪৩২ ও ৪৩৩ ধারা অনুযায়ী, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী ১৪ বছর বা তার বেশি জেলে থাকার পর সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার তাকে রেহাই দিতে পারে। কিন্তু রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্র শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর গত বছর ১৪ জুলাই রাজ্যের সেই ক্ষমতার উপর সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। তবে একইসঙ্গে আদালত কয়েকটি ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে রাজ্যের এই রেহাই দেয়ার ক্ষমতা কার্যকরী হবে না। যেমন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বা ধর্ষণ ও খুনের মতো যৌন হিংসার জন্য যাবজ্জীবন সাজা পেলে।
পাঁচ বিচারপতি এইচ এল দাত্তু, এফ এম আই কাইফুল্লা, পি সি ঘোষ, অভয় মনোহর সাপ্রে এবং ইউ ইউ ললিতের সাংবিধানিক বেঞ্চ এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজীব গান্ধী হত্যাকারীদের ক্ষেত্রে আপাতত এই নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত ভি শ্রীহরণ ওরফে মুরুগান, আরিভু, নলিনী, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার ও রবিচন্দ্রন বর্তমানে তামিলনাড়ুর জেলে বন্দি। এর মধ্যে প্রথম তিনজনের মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ পরে মওকুফ হয়ে যাবজ্জীবন হয় এবং বাকিরা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ১৪ বছরের বেশি জেলে থাকা হয়ে গিয়েছে বলে ওই সাত জনকেই মুক্তি দেয়ার পক্ষপাতী জয়ললিতার সরকার। কিন্তু সিবি আই তদন্তে দোষী সাব্যস্ত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীরা কোনো মার্জনার যোগ্য নয় বলে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই বিষয়ে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজীব হত্যাকারীরা মুক্তি পাচ্ছেন না।
Top

চীন থেকে তৈরি প্লাস্টিকের চাউল থেকে সাবধান


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের তৈরী প্লাস্টিকের চালের ভয়ে এখন গোটা পৃথিবী ? অবাক হওয়ার মত বিষয়, কিছু মানুষের মনুষত্ব, আদর্শ, নীতি ও নৈতিকতার কতটা অবক্ষয়/ অবনতি হয়েছে !! কতটা বিকৃত হয়েছে তাদের মানসিকতা ? ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য মানুষ মানুষকে কিভাবে ঠকাচ্ছে এবং বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ? নিজে সচেতন হউন, অন্যকে সচেতন করার অনুরোধ রইল ?
বাজারে চীন সস্তায় প্লাস্টিকের চাল ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ভারতের। ভারতের ধারনা চালাকি করে চীন এই চাল ভারতের বাজারে ছাড়তে পারে। বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ? বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকিট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। হাঁড়িতে সে ভাত ফুটলও। দিব্য খেয়ে ফেললেন। কিন্তু, জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাডা কিছু নয়।
তা অবিশ্বাস আপনি করতেই পারেন, কিন্তু, চিন এ ভাবেই নকল প্লাস্টিকের চালে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে। এমনকী যারা চালের কারবারি, দিনরাত চাল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরাও ধরতে পারেননি চিনের এই চালাকি। আর পাঁচটা চাইনিজ জিনিস যেমন সস্তায় মেলে, তেমন সস্তায় চাল কিনে, ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
এর আগে নকল ডিম বানিয়েও দেদার আয় করেছে চিন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকী ডিম ফাটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির। এই ডিম নাকি ভারতের বাজারেও বিক্রি হয়েছে। ভারতীয়রা সব সময় সস্তায় জিনিস কিনতে চায়। এই কারনে চীনের প্লাস্টিকের চাল নিয়ে ভারতের শঙ্কা।
ভারতের বাজারেও দেদার বিকোচ্ছে এই সস্তার চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে। যে কোন সময় ঢুকে পড়বে বাংলাদেশেও ? সস্তায় দিচ্ছে বলে, নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চীন।
চীনের এই প্লাস্টিকের চাল এতটাই চালের মতো রান্নার আগে বুঝতেও পারবেন না, সেটা প্লাস্টিকের কিনা। পাশপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই। রান্না করে বুঝবেন, ভাতটা মনমতো হল না। সেই স্বাদও পাবেন না। সম্প্রতি কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিন থেকে এই নকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙা আলু মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নকল চাল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টেকের চাল কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয় হতে পারে।
Top

২৪ নভেম্বরের পর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার বন্ধ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের পর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহারের আর কোনো সুযোগ থাকছে না। এরপর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ব্যবহার করতে হবে। কারণ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী এমআরপি ছাড়া বিদেশ গমন করা যাবে না। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আসতে সমস্যা হবে। ফলে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গত ২৯ জুলাই সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে জানানো হয় এ আহ্বান। আইকাওয়ের নির্দেশমতে এমআরপি দেওয়ার অগ্রগতি, সমস্যাবলী ও আইসিএও’র স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ক এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Top

নিরাপদ জীবন সবার অধিকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সন্তানের কাছে মায়ের কোল যেমন সবচেয়ে নিরাপদ স্থান, তেমনি একজন মানুষের জন্য তার নিজের দেশ বা রাষ্ট্র সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের সার্বিক যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা কেউ নিরাপদ বোধ করি না। দেশে প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ ঘটেই চলেছে। ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক পাচারকারীদের উৎপাত তো আছেই। আবার সড়ক দুর্ঘটনাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু আলোচিত হত্যাকাণ্ড আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো এসব অপরাধ সংঘটনকারীরা দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছে। দেশে যেন বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজ করছে। একটি হত্যাকাণ্ড ঘটার পর দীর্ঘদিন পার হলেও খুনিদের কেউ ধরা পড়ে না। ধরা পড়লেও রাজনৈতিক অথবা আর্থিক ক্ষমতার প্রভাবে বেরিয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে এ দেশ একদিন অপরাধকারীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে, তখন আর এটি রাষ্ট্র থাকবে না, কিছু গোষ্ঠীর হাতে চলে যাবে পুরো দেশ। এ সমস্যার আশু সমাধান প্রয়োজন।

Top


কফিনে জেগে উঠলো হাস্যোজ্জ্বল শিশু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নবজাতক এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তাকে সমাহিত করার জন্য যখন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে তখন কফিনে শায়িত শিশুটি হেসে উঠলো। উপস্থিত সবাইকে জানিয়ে দিলো যে সে বেঁচে আছে। আবেগাপ্লুত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে খুশির বন্যা বয়ে গেল তা বলাই বাহুল্য। ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। ৫ জুলাই শিশুটির মা ৭ মাস অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শিশুটিকে নিজ বাড়িতে জন্ম দেয়। এরপর মা ও নবজাতককে কেনিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুন্দো এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিটিজেন টিভিকে শিশুটির পিতা জানান, ৭ জুলাই পর্যন্ত ইনকিউবেটরে ছিল শিশুটি। এরপর কর্তব্যরত নার্সরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর যথারীতি শেষকৃত্যের সময় এক নারী শিশুটির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাকে দেখতে চায়। ওই নারী দেখতে পায় কফিনে শায়িত শিশুটি হাসছে। এ সময় শিশুটির মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার সন্তান বেঁচে আছে জানতে পেরে স্বভাবতই তার আনন্দের বাঁধ যেন মানছিল না। এমনটাই জানান শিশুটির পিতা।
Top

এপিজে আবদুল কালাম আর নেই


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ পি জে আবদুল কালাম আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। দেশটির মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের একটি হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ভারতীয় ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের একটি অনুষ্ঠান চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। আবদুল কালামের জন্ম তামিলনাড়ুর উপকূল সংলগ্ন রামেশ্বারামে। তার বাবা জয়নুল আবেদিন ও মা আসিআম্মা। তিনি খুব গরীব পরিবারের সন্তান ছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই তাকে জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে হয়। তার পড়াশুনার বিষয় ছিল অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং।
৪০ বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এপিজে আবদুল কালাম। বিশেষ করে উবভবহপব জবংবধৎপয ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঙৎমধহরংধঃরড়হ (উজউঙ) এবং ওহফরধহ ঝঢ়ধপব জবংবধৎপয ঙৎমধহরংধঃরড়হ (ওঝজঙ) কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা ও সামরিক মিসাইল তৈরিতে অসামান্য অবদান রাখেন।
Top




 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

দুর্যোগে নারী ও শিশুদের সুরক্ষাই এখন চ্যালেঞ্জ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ


মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ প্রায় সব সূচকে অগ্রগতি হলেও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বাল্যবিয়েকে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যায় উন্নতি না হওয়া, অপূর্ণ চাহিদা ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে ড্রপ আউট উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস না পাওয়া এবং পদ্ধতি গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অনুপাতে অসামঞ্জস্যতার কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সব কিছুকে ছাপিয়ে বিপদ ও দুর্যোগকালীন সময়ে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী নতুন চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) পক্ষ থেকে যে কোনো সংকটে নারী ও কম বয়সী জনগোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া এবং সংকট কাটিয়ে ওঠার মুহূর্ত পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে ছেলেশিশুদের তুলনায় কন্যাশিশুদের কম খাবার দেওয়া হয়। কন্যাশিশুদের স্কুল থেকে অধিক হারে প্রত্যাহার ও বাল্যবিয়েতে বাধ্য করা হয়। সাইক্লোন, সিডর ও আইলা-পরবর্তী সময়ে বরগুনা জেলায় নারী ও শিশু পাচার বেড়ে গেছে। কম বয়সী নারীরা জীবিকা নির্বাহে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সমকালকে বলেন, বঞ্চিত নারী ও শিশু সুরক্ষায় অধিকতর উন্নত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের শিক্ষা, সামাজিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের আওতায় আনার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলার অংশ হিসেবে কৈশোরকালীন যৌন ও প্রজনন স্বা¯ে’্যর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এতে সংকটের মুহূর্তে এই জনগোষ্ঠী সুরক্ষিত থাকবে। নারী ও শিশু সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ বছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নারী ও শিশু সবার আগে, বিপদে-দুর্যোগে প্রাধান্য পাবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ইউএনএফপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে আগের তুলনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ তিনগুণ বেড়েছে। নগরায়ন, বন উজাড় করা, পরিবেশের অবক্ষয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জাতিগত দ্বন্দ্বের কারণে সংহিসতাও অধিক হারে বেড়েছে। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যš- বিশ্বের ১১১টি দেশ আংশিক বা পুরোপুরি জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংহিসতার মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্বের ১১টি কম শান্তিপূর্ণ দেশে ১৪০ মিলিয়ন প্রজননক্ষম নারী ও ১৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন গর্ভবতী নারী সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত ও শরণার্থী জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। আগামী বছর এ সংখ্যা ৭ দশমিক ৮ কোটিতে উন্নীত হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সহিংসতায় ঘরবাড়িবিহীন জীবন কাটাচ্ছেন বিশ্বের ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ নারী ও কন্যাশিশু। বাংলাদেশ পরিস্থিতি : ভৌগোলিক ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন, খরা, কালবৈশাখী, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ আঘাত হানে এ দেশে। বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০১২ অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বাধিক দুর্যোগপ্রবণ ১৭৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২শ’র বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বলে চিহ্নিত করেছেন। দ্রুত নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা, অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধসের পাশাপাশি ভূমিকম্পের আশঙ্কাও বাড়ছে। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী সমকালকে বলেন, বিশ্বব্যাপী যে কোনো দুর্যোগে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির চ্যালেঞ্জ ও সাফল্য :পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৮ বছরের আগেই ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ১৯ বছর বয়স হওয়ার আগেই মা বা গর্ভবতী হন। ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে। শহরের তুলনায় পল্লী অঞ্চলে এর প্রভাব আরও বেশি। তবে এসব চ্যালেঞ্জের পরও গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনমিতির সূচকে অগ্রগতি হয়েছে। শিশুমৃত্যু হ্রাসে সাফল্যের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এমডিজি অর্জনের পথে চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার সমকালকে বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে গতিশীল করে ওই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য খাতের এ কর্মসূচিকে সফল করতে মন্ত্রণালয় থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি :রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় আলোচনা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

Top


নড়াইলে বাল্যবিয়ের আসর থেকে কনের বাবাসহ গ্রেপ্তার ৬


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাল্যবিবাহের আসর থেকে মেয়ের বাবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৪ জুলাই ২০১৫ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি উপজেলার সরসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ২৪ জুলাই রাতে সরসপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন মোল্যার মেয়ে নাসরিন খানমের (১২) সঙ্গে একই গ্রামের কাকা মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যার (২৫) বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন রাতে বরের ভাইসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মেয়ের বাবা নাসির উদ্দীন, বরের বড় ভাই কাইয়ুম মোল্যা, বরের তিন ভগ্নিপতি বাচ্চু বিশ্বাস, সোহেল মোল্যা, রাসেল মৃধা এবং বরের খালু কাবুল মোল্যা।
এ সময় বর রাসেল মোল্যা (২৫) পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নড়াগাতি থানায় মামলা দায়েরের পর গতকাল শুক্রবার ওই ছয়জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মামলা দায়েরের পর তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Top

এক যুগে বাল্যবিয়ে ১৬ শতাংশ কমেছে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এক যুগের ব্যবধানে দেশে বাল্যবিয়ের হার ১৬ শতাংশ কমেছে। তবে এখনো অহরহ বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে। বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, ঝরে পড়া শিশু বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ আয়োজিত পলিসি ব্রিফ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, দেশের ২০-২৪ বছর বয়সি বিবাহিত নারীদের প্রায় অর্ধেকের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। এদের মধ্যে আবার প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর বয়সের আগেই। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ : ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বি আইডিএস) গবেষক ড. জুলফিকার আলী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ বাল্যবিয়ে বন্ধের উদ্দেশ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে দেশে বাল্যবিয়ের হার ছিল ৬৪ শতাংশ, যা কমে ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি আরও কমিয়ে আনতে শক্ত আইনি কাঠামো, উপযুক্ত নীতি বাস্তবায়ন এবং সামাজিক সচেতনতা ও জনসমর্থন বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বাল্যবিয়ে সমাজের একটি ব্যাধি। সভ্য সমাজে এটা কখনোই কল্পনা করা যায় না; যদিও সমাজে অহরহ বালাবিয়ের ঘটনা ঘটছে। রাতারাতি সামাজিক সমস্যাটি দূর করা যাবে না। তবে চেষ্টা অব্যাহত থাকলে একদিন বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে।
মেয়েদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরাজ চুমকি বলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে হবে না। নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে ৫০টি আইন রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে এই আইনের বাস্তবায়ন হয় না। অস্বীকার করা যাবে না যে, বাল্যবিয়ে একটা অন্যতম সমস্যা। তবে সরকার এ সমস্যা সমাধানে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফে-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেদার বলেন, শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুবিষয়ক বর্তমান নীতিমালা সংস্কার করতে হবে। এ তিনটি বিষয়ে সফলতা পেতে চাইলে সরকারকে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে হবে।


 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

পুলিশের একাংশ বেপরোয়া


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পুলিশের একটি অংশ। তারা জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপকর্মে। স্বর্ণ চোরাচালান, ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ গুরুতর সব অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে নিরীহ মানুষকে আটক করে ঘুষ বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা অদায়ের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ অনেক পুরনো হলেও বর্তমানে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিুস্তরের এক শ্রেণীর পুলিশ সদস্যের মধ্যে এখন অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে শুরু হয়েছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা। আর এ কারণেই নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখার চেয়ে পুলিশের এসব সদস্য নিজেদের আখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত। বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্নীতিপরায়ণ এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তেমন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির কারণেই মূলত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিচের স্তরের কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আইনবহির্ভূত কথাও শুনতে বাধ্য হচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাঝে মধ্যেই ভেঙে পড়ছে পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ড’। কিন্তু সেটি কেউ প্রকাশ করতে চান না চাকরি হারানো অথবা ওএসডি হওয়ার আশংকায়। এমন পরিস্থিতি আর কিছু দিন অব্যাহত থাকলে পুলিশ সদস্যদের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা ‘মহামারী’ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতরের সিকিউরিটি সেলে এসব দুর্নীতিপরায়ণ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২টি অভিযোগ জমা পড়ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না। কোনো পুলিশ সদস্য বড় ধরনের অপরাধ করলে তাকে প্রত্যাহার কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করেই দায়িত্ব শেষ করছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লঘুদণ্ড হিসেবে বেতনের অংশ কর্তন কিংবা পদোন্নতি স্থগিতও করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এত বড় একটি বিশাল বাহিনীতে কিছু দুষ্ট লোক থাকতেই পারে। এ জন্য পুরো বাহিনীকে দোষ দেয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নেয়া কয়েকটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বর্তমান সরকার পুলিশকে কখনোই দলীয়করণ করেনি। পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে বলেই দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

Top


এবার ছিনতাইয়ে পুলিশের এসআই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে গিয়ে পুলিশের হাতেই ধরা খেলো আরেক পুলিশ সদস্য। তার নাম রফিকুল ইসলাম। সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাফরুল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তারের পর ওই এসআই ও লুৎফর রহমান নামে এক গাড়িচালককে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে। তবে গত ১২ জুলাই সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী ওই চক্রের আরও চার সদস্যকে ধরতে ও ছিনিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, কাফরুল থানায় কর্মরত এসআই রফিক ১২ জুলাই সকালে তার চার সহযোগীকে নিয়ে ছিনতাইয়ের এ পরিকল্পনা করে। এক সোর্সের মাধ্যমে সে জানতে পারে নাজমুল নামে এক ঝুট ব্যবসায়ী ১৯ লাখ টাকা নিয়ে একটি বাসে করে শনির আখড়ার দিকে যাচ্ছেন। এসআই রফিকসহ অন্যরা মাইক্রোবাস নিয়ে শনিরআখড়া গিয়ে ওই বাসটিকে আটকায়। এসময় পোশাকধারী এসআই রফিক বাসের ভেতরে গিয়ে আসামি ধরার নাম করে ব্যবসায়ী নাজমুলকে ধরে মাইক্রো বাসে তুলে। মাইক্রোবাসে ওঠানোর পরপরই নাজমুলের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়া হয়। নাজমুল চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে মাইক্রোবাসটিকে আটকায়। এসময় এসআই রফিকসহ অন্যরা টাকার ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মাইক্রোবাসচালক লুৎফরকে ধরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের একটি টহল দলের কাছে সোপর্দ করে। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ছিনতাইয়ের বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই মাইক্রোবাসচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ছিনতাইয়ের এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তা জড়িত। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের নির্দেশে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এসআই রফিককে কাফরুল থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করে। এর আগে ব্যবসায়ী নাজমুল বাদী হয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এসআই রফিক ও গাড়িচালক লুৎফরের সঙ্গে আরো চারজন ছিনতাইকারী ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই চারজনের বিস্তারিত পরিচয় দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান চালাচ্ছে। সূত্র জানায়, ঘটনার পর এসআই রফিক পালিয়ে কাফরুল এলাকায় ফিরে গেলেও অপর চারজন টাকার ব্যাগটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, টাকাগুলো হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত বলে তারা জানতে পেরেছেন। বিষয়টি এসআই রফিক জানতেন। তার এও জানা ছিল নাজমুল টাকা নিয়ে লোকাল বাসে করে শনিরআখড়ার দিকে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃত এসআই রফিকের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে বলে জানা গেছে। ১৯৮৬ সালে সে কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেয়। এরপর ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে সে পুলিশের এসআই হয়েছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া তার সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Top

খাগড়াছড়িতে তিন পুলিশ কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে পুলিশের তিন কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে এক নারী পুলিশের ওই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল ফিরোজুল ইসলাম ও মো. মনিরুজ্জামান এবং গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কনস্টেবল হাফিজুর রহমান।
মামলার বাদী মাংপ্রু মারমা বলেন, ‘গত ৮ জুলাই রাতে সাদা পোশাকধারী তিন পুলিশ খাগড়াছড়ি সদরের মধ্য গঞ্জপাড়ায় আমার বাসায় আসেন। তাঁরা এসে আমার স্বামীকে ডাকতে থাকেন। দরজা খুলে না দেওয়ায় তাঁরা আমাদের গালাগাল করেন। একপর্যায়ে দরজা খুলে দিলে তাঁরা ঘরে ঢুকে হাতকড়া পরিয়ে আমার স্বামীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমরা মাদক ব্যবসা করি-এ অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যরা আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনেক দেন-দরবারের পর ২৫ হাজার টাকা দিলে তাঁরা চলে যান। এর এক দিন পর তাঁরা আবারও বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিতে থাকেন। তখন তাঁদের আরও দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়।’ এরপর তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান সাংবাদিকেরা। এরপর পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। গত ১১ জুলাই দিবাগত রাত তিনটায় ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খাগড়াছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহান বেগম জানান, পুলিশের ওই তিন সদস্যকে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মজিদ আলী জানান, প্রাথমিক তদন্তে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মেলায় পুলিশের ওই তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Top

ধর্ষণ মামলায় গাইবান্ধায় ৩ জনের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাইবান্ধার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বুধবার একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছেন। আদালতের বিচারক রতেœশ্বর ভট্টাচার্য ওই রায় প্রদান করেন। কারাদ- প্রাপ্তরা হচ্ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব কোমরনই গ্রামের স্বপন, জিন্নু ও হেলাল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩শে এপ্রিল বিকালে পূর্ব কোমরনই মিয়াপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আজিজুর রহমানের মেয়ে মাছুমা আক্তার বীথি খালাত বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। সে সময় পূর্ব কোমরনই বাঁধের ওপরে আসামিরা বীথিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী জমির শ্যালো মেশিন ঘরে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধী পূর্ব কোমরনই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে স্বপন, আফছার আলীর ছেলে জিন্নু ও নয়া মিয়ার ছেলে হেলালকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-াদেশ প্রদান করেন। মামলার অপর আসামি ওই এলাকার হামিদুল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন। সরকারি পক্ষের কৌশলী ছিলেন অ্যাডভোকেট মহিবুল হক সরকার মোহন এবং আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন ঘোষ।
Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 

ভ্রমণে বমি এড়াতে আপনি কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ) জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়। এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান করতে পারে ভ্রমণের আগে।
শতায়ু দিতে পারে যে ৬টি খাবার
যারা শতবর্ষ পার করেন, সবাই তাঁর জীবন যাপনের রহস্যটা জানতে চান। তিনি কী খেতেন, কিভাবে চলতেন ইত্যাদি দীর্ঘ জীবন লাভের উপায় হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘায়ু লাভের সবচেয়ে বড় সহায়ক হতে পারে সঠিক পুষ্টিমানের খাবার। তা ছাড়া কিছু মানুষ জিনগতভাবেই অনেক দিন বেঁচে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের বিষয় তো রয়েছেই। বহু খাবারের পুষ্টিগুণ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু খাদ্য চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে, এগুলো মানুষকে শতায়ু দিতে পারে। চিনে নিন এমনই ছয়টি জাদুকরি খাবারের কথা।
১. অ্যাসপারাগাস : সুস্বাদু ও দারুণ উপকারী সবজি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ এবং পটাশিয়াম রয়েছে। গোটা দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ কোষের ক্ষয় সারাতে ভালো কাজ করে অ্যাসপারাগাস।
২. বিন : বরবটি, শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদির বিচি প্রোটিনে ভরপুর থাকে। এসব উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ধরে রাখে। এতে হালকা ফ্যাট এবং উচ্চমাত্রার আঁশ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়, যেসব মানুষ সারা জীবন নিয়মিত বিন খান, তাঁরা দীর্ঘদিন বাঁচেন।
৩. বেরি : আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি বেরি জাতীয় ফলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করতে দারুণ কাজ করে এগুলো।
৪. ডার্ক চকোলেট : সবাই পছন্দ করেন চকোলেট। তবে ডার্ক চকোলেট বহুগুণে গুণান্বিত। প্রতিদিন কয়েক কামড় চকোলেট হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
৫. রসুন : এটি বহু রোগের ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। এতে রয়েছে এসিলিন, যা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সুষ্ঠু রাখে।
৬. গ্রিন টি : এ চা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকে যে ক্ষতিসাধন করে, গ্রিন টি তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে বলে মনে করেন গবেষকরা। সূত্রঃ ফক্স নিউজ অবলম্বনে

Top



মাথা ঘাড় ও প্রেসারের সম্পর্ক


মাথাব্যথা অনেক কারণেই ঘটে থাকে তার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগের মতো কারণ চিকিৎসকরা নির্ণয় করতে না পারায় ওই ধরনের সমস্যাকে একটি ঢালাও নামে ডাকা হয়ে থাকে, মাইগ্রেন। মানে মাথা ব্যথায় প্রায় ৪০-৫০ শতাংশই মাইগ্রেন এবং এর গ্রহণযোগ্য কারণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি। মাইগ্রেন সাধারণভাবে উঠতি বয়সের ব্যক্তিদের বেলাই বেশি পরিলক্ষিত হয়। উচ্চ রক্তচাপ সাধারণভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কোনোরূপ উপসর্গের সৃষ্টি করে না, তাই বহুদিন ধরে হাইপ্রেসার অনেক রোগীদের কাছে অজানাই থেকে যায়। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এভাবেই অনেক ব্যক্তি বছরকে বছর অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নিয়ে দিব্যি সব ধরনের কাজকর্ম যথাযথভাবে পালনও করতে পারছেন। উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে আপনার হৃৎপিণ্ডকে অধিক শক্তি ব্যয় করে রক্ত পাম্প করতে হয়। অধিক কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মেই হার্টের কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যাকে হার্ট মোটা হওয়া, হার্ট বড় হওয়া, হার্টের দেয়াল মোটা হওয়া বলা হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছার পর হার্ট আরও বেশি কাজ করতে অপারগ হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই এ ধরনের রোগীরা বেশকিছু সমস্যায় আক্রান্ত হন, যেমন- বুক ব্যথা বিশেষ করে ভরা পেটে হাঁটতে গেলে, তার সঙ্গে কারও কারও পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যাওয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া বা শ্বাসকষ্ট হওয়া, এর সঙ্গে অনেকের পা ফুলে পানি আসা, পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাস, বদহজম, অরুচি ইত্যাদি হয়ে থাকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, উচ্চ রক্তচাপ বিনা লক্ষণে হার্টের ক্ষতি করার পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই অনেকে উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। উচ্চ রক্তচাপ কারও কারও বেলায় কিছু উপসর্গের প্রকাশ ঘটায় যেমন- অস্থিরতা, কাজে মন না বসা, ঠাণ্ডা এবং গরম সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া, কারও কারও ঘাড়-মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের উপসর্গ মাত্র শতকরা ১০ ভাগ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেলায় পরিলক্ষিত হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যদি কোনো ধরনের তীব্র ব্যথায় আক্রান্ত হন যেমন তীব্র পেট ব্যথা, হাত-পা ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যথার কারণে রক্তচাপ সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘাড়-মাথা ব্যথা হলে যদি প্রেসার বেশি পরিমাপিত হয়, তাতে কিন্তু সঠিকভাবে বলা যাবে না যে, প্রেসার থেকে মাথা ব্যথা হচ্ছে অথবা ঘাড়-মাথা ব্যথা হওয়ার ফলে প্রেসার বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ব্যথা থেকেও প্রেসার বাড়তে পারে। কখনো কখনো টেনশনের জন্য রক্তচাপ বৃদ্ধি ও মাথা ব্যথা দুটোই একসঙ্গে ঘটে থাকে তবে এর সঙ্গে অনিদ্রারও একটি যোগসূত্র আছে। ঘাড়-মাথা ব্যথার সঙ্গে হাইপ্রেসার পাওয়া গেলেই যে রক্তচাপের বৃদ্ধি পেয়েছে তা মোটেই সঠিক নয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায় ঘাড়ে অস্থিক্ষয়জনিত সমস্যা আছে কিনা জানতে হবে।
লেখক : সিনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি), ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাবর রোড, ঢাকা।
Top

ধূমপানে সিজোফ্রেনিয়া


ধূমপানের সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়া রোগের যোগসূত্র রয়েছে বলে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের কিংস কলেজের এক দল গবেষক ৬০টির বেশি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধূমপায়ীদের সিজোফ্রেনিয়া রোগ বা ‘দ্বৈত সত্তা’র সমস্যায় ভোগার প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ‘সাইকোসিস’ বা যে মানসিক বৈকল্যের কারণে মানুষ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে তার সঙ্গে ধূমপানের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু এত দিন ধূমপানকে এর কারণ হিসেবে দেখা হতো না বরং মনে করা হতো, এই মানসিক অবস্থা রোগীকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে। অর্থাৎ সাইকোসিসের রোগী যারা সচরাচর কণ্ঠ শুনতে পায় বা অলীক কিছু দেখতে পায় তারা মানসিক এই চাপ কমাতে নিজেরাই ধূমপানের পথ বেছে নেয়।
কিংস কলেজের গবেষকরা এখন বলছেন, তাঁরা সিজোফ্রেনিয়ার সঙ্গে ধূমপানের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ধূমপান অল্প বয়স থেকে এই মানসিক অবস্থার দিকে কাউকে ঠেলে দিতে পারে। তবে তাঁরা বলেছেন, এর পক্ষে জোরালো তথ্য-প্রমাণ পেলেও এ বিষয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।
গবেষকরা অবশ্য এ-ও বলছেন, ধূমপান করলেই যে সিজোফ্রেনিয়া হবে- এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কোনো কারণ নেই। তবে সিজোফ্রেনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষের ক্ষেত্রে ধূমপান এই ঝুঁকি যে বাড়িয়ে দেয় গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র : বিবিসি।
Top

মাইগ্রেইন রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাস


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মাইগ্রেইন যাদের আছে তাদের মাথাটা মনে হয় একটা টাইম বম্ব। একটু বেচাল হলেই ভয়ঙ্কর মাথা ব্যথা শুরু হয়ে সব কাজ পণ্ড হয়ে যেতে পারে। রাত জাগা, কাজের চাপ, বেশি বা কম কফি খাওয়ার কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হতে পারে। সত্যি বলতে কি, এর চেয়ে অনেক তুচ্ছ কারণেও মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হতে পারে।
যাদের এই ব্যথা আছে শুধু তারাই জানেন এটি কী পরিমাণে যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। মাইগ্রেইনের ব্যথা উঠলে কেবল মাথা ব্যথা হয় তাই নয়, অনেক সময় চোখ খুলে তাকানোও যায় না। কারো কারো এসময় বমিও হতে পারে। সাধারণত: মাইগ্রেইনের সময় মাথা দপ দপ করে এবং মাথার একপাশে ব্যথা শুরু হয়ে তা সারা মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত আলো এবং শব্দে এই ব্যথা বাড়তে পারে। অনেক সময় মাইগ্রেইনের রোগীদের বিষন্নতা থাকে, এবং সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে তাদের সমস্যা হতে পারে। মাইগ্রেইনের সমস্যার ওষুধ থাকলেও জীবন যাপনের ধরণ এবং খ্যাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেও আপনি এই সমস্যা কমিয়ে আনতে পারেন।
Top
 

কোন ধরণের খাবার খেলে ব্যথা শুরু হয় তা বের করুন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
একেক জনের একেক ধরণের খাবারের কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হয়। আপনার যাতে ব্যথা শুরু হয় তাতে আরেকজন মাইগ্রেইন রোগীর সমস্যা নাও হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ একটি নোটবুকে কি কি খাবার খাচ্ছেন এবং কোন কোন দিন ব্যথাহচ্ছে তা টুকে রাখুন। আপনি এভাবে কোন খাবারের কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হয় তা বিশ্লেষণ করে বের করতে পারবেন। এটি একটি ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া মনে হলেও অনেকে এতে উপকার পেয়েছেন। মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু করে এমন খাবারগুলো এড়িয়ে চললে, সময়মত ঘুমালে এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করলে মাইগ্রেই থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবার তালিকায় রোজ সবুজ শাক সবজি এবং বাদাম রাখুন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লাবিন বা ভিটামিন-বি২ মাথা ব্যথা কমানোর কাজ করে। এগুলো সবুজ শাক সবজি এবং বাদামে পাওয়া যায়। তাই রোজ দুপুরে বা রাতে শাক খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ৪-৬ টি বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। আলু এবং লাল আটাতেও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ডিম এবং কম চর্বিযুক্ত দুধে রিবোফ্লাবিন থাকে।
ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
ভিটামিন ডি মূলত: দাঁত এবং হাড়ের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হলেও মাথা বথ্যার সাথেও এটির সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। সাধারণত: প্রতিদিন ১০০০ আইইউ ভিটামিন ডি শরীরের জন্য প্রয়োজন হলেও মেয়েদের ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই চাহিদা ১২০০ আইইউ-তে গিয়ে পৌছায়। ভিটামিন ডি-এর বেশিরভাগই আসে সূর্যের আলোর সংস্পর্শ থেকে তবে খাবার থেকেও অনেকটুকু শরীরে গ্রহণ করতে হয়। যেসব খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- মাশরুম, ডিমের কুসুম, চিজ বা পনির, দৈ, দুধ, কড লিভার অয়েল এবং গরুর কলিজা। আপনি একসাথে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খেয়েও দেখতে পারেন। এটি বিশেষ করে ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং ষাটোর্ধ যে কারোর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
Top

পরিমান মত নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করুন


প্রতিদিন তিনবার ভরপেট খাওয়ার চাইতে অল্প করে বেশ কয়েক বার খান যাতে রক্তচাপ কখনো কমে না যায়। চর্বিযুক্ত খাবার কম খান এবং জটিল ধরণের শর্করাজাতীয় খাবার বেশি খান। যেসব খাবার থেকে আস্তে আস্তে চিনি শরীরে পৌছায়, যেমন-বাদামি রুটি, লাল আটার রুটি, ওটমিল, লাল চাল, কম জিআই যুক্ত চাল, শাক সবজি সেগুলোকে জটিল ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার বলে। আপনার মাইগ্রেইন হয়ত কখনই পুরোপুরি ভাল হবে না, তবে কিছু বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে জীবনের মান অনেক উন্নত হয়ে উঠতে পারে।
ডা: নাওমি মির্জা, মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ
 

এসপিরিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়


দিনে ১টা করে লো ডোজ বা স্বল্পমাত্রার এসপিরিন ট্যাবলেট সেবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি হরাস পায় ১৯ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন, দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রাম এসপিরিন সেবন যদি ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা যায় তবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এসপিরিন সেবনে ক্যান্সার নিরাময় ও প্রতিরোধেও ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়া এসপিরিনের হূদরোগ প্রতিরোধ ও আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতিদিন ১টা করে লো ডোজ এসপিরিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একটি বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে যাদের হাইপার এসিডিটি ও গ্যাসট্রিক আলসার আছে তাদের নিয়মিত এসপিরিন সেবনের আগে অবশ্যই সংশ্লি¬ষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
Top

 

 

আইন কনিকা


 

ধর্ষণের অভিযোগে কঠিন সাজা হতে পারে
রফিকুল আলম


আমাদের সমাজব্যবস্থার কারণে সব সময়ই দেখা যায় দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চলতে থাকে। আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে নারী ও শিশুদের ওপর এ অত্যাচারের পরিমাণ বেশি। নারী ও শিশুর প্রতি এ নির্যাতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। নারী ও শিশুরা সাধারণত যেসব নির্যাতনের শিকার হয় তার মধ্যে অন্যতম ধর্ষণ। অনেক সময় দেখা যায় ধর্ষণের ফলে যে শিশুর জন্ম হয়, সে শিশুর তত্ত্বাবধান ও ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে দেখা দেয়া নানা প্রশ্ন। অবশ্য আমাদের সমাজব্যবস্থায় এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তাই এসব বিষয়ে পাঠাকদের উদ্দেশে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর তত্ত্বাবধান ও ভরণপোষণ : নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের যথাযথ বিচার করার উদ্দেশ্যে সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করে। ওই আইনের ১৩ ধারায় এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ধর্ষণের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানকে তার মা কিংবা মাতৃকুলীয় আত্মীয়-স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাবে। ওই সন্তান তার বাবা অথবা মা কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকারী হবে। তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে ২১ বছর পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে তার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে স্বীয় ভরণপোষণের যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত এই ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে হবে। উল্লেখ্য, ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় এই অর্থ সরকার ধর্ষকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। সেটি সম্ভব না হলে ধর্ষক ভবিষ্যতে যে সম্পদের অধিকারী হবে, তা থেকে ওই টাকা আদায়যোগ্য হবে।
ধর্ষণ : কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া তার সঙ্গে কোনো পুরুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে ধর্ষণ বলে। আরো সহজ ভাষায় বলা যায়, যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি না থাকলেই তা ধর্ষণ হবে। ধর্ষণের সময় নারী যদি কোনো বাধা না দেয় বা প্রতিরোধ নাও করে তাহলেও যৌন সম্পর্ক স্থাপনে যে কোনোভাবে অসম্মতি জানালেই সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে অর্থাৎ নারীর সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকেই ধর্ষণ বলে ধরা হবে। কারণ ধর্ষণের সময় অনেক কারণে নারী বাধা দিতে বা প্রতিরোধ করতে পারেন না। যেমনÑ ধর্ষণকারী তাকে অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখাতে পারে, নারী মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত পাওয়ার ভয় পেতে পারেন। আবার মাদকদ্রব্য বা ওষুধ দিয়ে নারীকে জ্ঞানহীন করে ধর্ষণ করা হতে পারে। তবে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি দিক বা না দিক তা ধর্ষণ হবে। কারণ এই আইনের ক্ষেত্রে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুর সম্মতির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আইন বিষয়টি এভাবে দেখছে এ জন্যই যে, বড়রা নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটি শিশুকে এমন সূক্ষ্মভাবে প্রভাবান্বিত করতে পারে, যাতে মনে হতে পারে যে, শিশুটি স্বেচ্ছায়ই কাজটি করছে বা করেছে।
ধর্ষণের শাস্তি : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ ধারাতে ধর্ষণের শাস্তি সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। ৯-এর ১ উপধারা মতে, কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করলে তার শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং সে এর অতিরিক্ত অর্থদ-েও দণ্ডিত হবে। ধর্ষণের ফলে বা ধর্ষণ-পরবর্তী অন্য কোনো কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে ধর্ষণকারী মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। এ ছাড়াও তাকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হতে পারে। এই আইনের ৯(১) ধারার ব্যাখায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ বিয়ে ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়স্ক কোনো নারীর সঙ্গে তার সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে তার সম্মতি বা অসম্মতির কোনো আলাদা গুরুত্ব নেই। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ ধারার ৩ উপধারায় দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই ধারা মতে, দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করলে এবং ধর্ষণের ফলে ওই নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে বা তিনি আহত হলে ওই দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দণ্ডিত হবে। এ ছাড়াও তাদের সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। পত্রিকা পড়লে কখনো কখনো দেখা যায়, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায়ও কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বা হন। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের ও সাধারণ পুলিশদের দায়িত্বহীনতা এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। পুলিশের এ ধরনের দায়িত্বহীনতার জন্য ওই আইনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইনের ৯(৫) ধারা মতে, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে, যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, সে ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা, ওই নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরি দায়ী হবেন এবং তাদের প্রত্যেকে অনধিক ১০ বছর; কিন্তু অন্যূন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ-ে দণ্ডিত হবেন এবং অনূর্ধ্ব ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তবে এ ধরনের হেফাজতকারীরা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তাদের হেফাজত কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম বা অসাবধানতা ঘটেনি, তবে তারা নির্দোষ বলে গণ্য হবেন। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অপরাধ বিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগকারীকেই প্রমাণ করতে হবে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সংঘটিত অপরাধটি করেছে। বর্তমান বিধানে এই নীতির ব্যতিক্রম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হবে যে, সে নির্দোষ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ ধারার ৪ উপধারায় ‘ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানো বা আহত করার চেষ্টা’কে একটি মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই ধারা মতে, কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করলে তার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ড বা জরিমানা। কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু সর্বনিম্ন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং এ ছাড়াও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ধর্ষিতার করণীয় : ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই একজন নারী বা একটি শিশু মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। তখন তার কী করা উচিত বা তিনি কী করবেন ভেবে পান না। তাছাড়া ধর্ষণের শিকার নারী এবং তার পরিবারের প্রতি সমাজের বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনাই গোপন করে যাওয়া হয়। মামলার প্রক্রিয়াটি একজন ধর্ষণের শিকার নারীর জন্য খুব সহায়ক নয়। ধর্ষিত হওয়ার পর থানায় যাওয়া, মেডিকেল পরীক্ষা করানো, আদালতে দাঁড়ানো সবকিছুই একজন ধর্ষণের শিকার নারীর জন্য বিব্রতকর; তবু এর মধ্যেই সব প্রতিকূলতা এড়িয়ে নারীকে আইনের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। ধর্ষণের ঘটনায় আইনি সহায়তা পেতে হলে কী করতে হবে তা নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলোÑ ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে কাজে লাগানোর জন্যও ঘটনাটি কাউকে জানানো উচিত। যে কাউকেই ধর্ষণ সম্পর্কে জানানো যায়। সে আত্মীয়, বন্ধু, ডাক্তার এমনকি পুলিশ অফিসারও হতে পারে; ধর্ষণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা করতে হবে। কারণ ধর্ষণের পর মামলা করতে দেরি হলে ধর্ষণ প্রমাণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে; ধর্ষণের শিকার নারী বারবার গোসল করে নিজেকে পরিষ্কার করতে চায়। ফলে শরীরের বেশিরভাগ আলামত বা সাক্ষ্য-প্রমাণ ধুয়ে-মুছে যায়। সুতরাং যত খারাপই লাগুক নিজের স্বার্থেই ডাক্তারি পরীক্ষার আগে গোসল করা যাবে না। ধর্ষণের সময় পরনে যে কাপড় ছিল তা ধোয়া বা পরিষ্কার করা যাবে না। কারণ কাপড়ে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি থাকে; ওই কাপড় কোনোভাবেই পলিথিনের ব্যাগে রাখা যাবে না। কাগজের ব্যাগে বা কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে এবং সেভাবেই এই কাপড় থানায় নিয়ে যেতে হবে; ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থানায় অভিযোগ করতে হবে। যে কেউ এজাহার করতে পারেন। আক্রান্ত নারী যখন থানায় যান, তখন তার সঙ্গে আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেলে ভালো। সেক্ষেত্রে বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি কিছুটা সহযোগিতা ও সাহস পাবেন; মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে যে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তার জবানবন্দি গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ এ জবানবন্দি গ্রহণ করবে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পুলিশ অফিসার অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিতে নারী বাধ্য নন; ধর্ষণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারি পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা করানো জরুরি। কেননা এরপর আর খুব বেশি সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকে না।
Top

বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার
সাদিকুল নিয়োগী পন্নী


ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪, ৫৫, ৫৭, ১৫১ ধারা অনুযায়ী পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করা যায়। তবে এ গ্রেফতারের পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী নিুোক্ত কারণে কোনও ওয়ারেন্ট বা মেজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করতে যেতে পারে।
* আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত বা জড়িত থাকার সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি।
* যে ব্যক্তির কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম যেমন-হাতুড়ি, শাবল, ছুরি ইত্যাদি পাওয়া যায় কিন্তু সে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে না পারলে।
* যাকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বা সরকার কর্তৃক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
* চোরাইমাল হিসেবে সন্দেহ করা যায় এরূপ মালামালসহ কোনও ব্যক্তি।
* পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করা বা পুলিশ হেফাজতে বা আইনসঙ্গত হেফাজত থেকে পলায়ন বা করার চেষ্টা করেছে এমন ব্যক্তি।
* বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা থেকে পলায়নকারী বলে সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি।
* বাংলাদেশের আইন যা অপরাধ এরূপ কাজ দেশের বাইরে করে দেশে আত্মগোপন করলে।
* ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬৫(৩) উপধারা লঙ্ঘন করেছে এমন মুক্তিপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি।
* যাকে গ্রেফতার করার জন্য অন্য কোনও থানার পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে ইনকোয়ারি ¯িপ পাওয়া গেলে।
কোনও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৫ ধারা অনুসারে বখাটে, ভবঘুরে, পুরাতন ডাকাত, উত্ত্যক্তকারী ইত্যাদি প্রকৃতির লোককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৭ ধারা অনুসারে কোনও ব্যক্তি পুলিশের কাছে তার প্রকৃত পরিচয় ও ঠিকানা জানাতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবে। এছাড়াও কোনও ব্যক্তি অপরাধমূলক কর্মকাে র প্রস্তুতি নিলে পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারা অনুসারে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে।

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.