BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover July 2021

English Part July 2021

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 



শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা সুনাম বয়ে আনছেন : প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিরা দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২৯ মে ২০২১ সকালে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্বে বাংলাদেশের এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি দেশে কর্মরত শান্তিরক্ষী সদস্যদের সঙ্গে এ সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আপনারা যাচ্ছেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। আপনাদের এই মানবিক গুণের জন্যই আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী নেওয়ার চাহিদাটা জাতিসংঘের সবসময়ই একটু বেশি।’ এর আগে গত ২৭ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশের আট শান্তিরক্ষীসহ বিশ্বের ৪৪ দেশের ১২৯ জনকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক’ দিয়ে সম্মান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৭ মে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৯ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করে জাতিসংঘ। এর মধ্যে বাংলাদেশের আটজন শান্তিরক্ষী রয়েছেন, যা একক দেশ হিসেবে সর্বাধিক। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশসহ ৪৪ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন। এই পদক বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত জীবনের শক্তি, বিশুদ্ধতা ও নশ্বরতাকেই বার বার স্মরণ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশের আট শান্তিরক্ষী হলেন, মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল মো. হালিম; কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স করপোরাল মো. সাইফুল ইসলাম; সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স করপোরাল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস্ মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন
 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 জুন ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১৮৭৫ জন

মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২২৯ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ২২৯ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১৮৭৫ জন। জুন ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ৬৩ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে দৈনিক ৮টি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে জুন ২০২১ মাসে মৃত্যু ১৮৭৫ জন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের জুন মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২২৯ জন। এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ১০ জন, পারিবারিক সহিংসতা ১৯ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৪ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, গুপ্ত হত্যা ২ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪০ জন, ধর্ষণ হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৩৬ জন এবং আত্মহত্যা ১২ জন।
জুন ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২৪টি এবং যৌন নির্যাতন ২টি।

 

 

 BHRC  কুমিল্লা মহানগর শাখার  আন্তর্জাতিক দিবস পালিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

 নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখা ২৬ জুন ২০২১ সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি এ. এইচ. এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলজার হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার আইনী সহায়তা প্যানেলের অন্যতম সদস্য এডভোকেট ফাহমিদা রহমান (সুপ্তি)। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হাসানুল কবির সোহেল, অর্থ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হান্নান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার জামিল, আবদুল কাদের খাঁন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহরিয়ার হোসেন সানি, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আবুল হাসেম, সালিশী কার্যক্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক মোঃ শাফায়েতুল ইসলাম শরীফ, মোঃ আরিফুর রহমান, মোঃ জামাল আহমেদ মোল্লা।
 

  
বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী নারী রেহতী বেগম!

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
গিনেস বুক অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী নারী জাপানের কানি তানাকা। তার বয়স ১১৮ বছর।
কিন্তু সম্প্রতি ১২৪ বছর বয়সী এক নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তার নাম রেহতী বেগম। বাড়ি কাশ্মীরের বরমুলায়।
করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে গিয়ে সন্ধান মিলেছে এই নারীর। রেশন কার্ড অনুযায়ী তার বয়স এখন ১২৪ বছর। রেশন কার্ড ছাড়া তার এই বয়স প্রমাণের আর কোনো ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টিকা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে খুঁজে পেয়েছেন।
এ যাবৎকালের সবচেয়ে বয়সী নারীর বয়সও ১২২ বছর। সে হিসাবে রেহতী বেগম সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
তবে রেহতী বেগমের বয়স এখনও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে স্বীকৃত নয়। তা সত্ত্বেও তার এই বয়সের তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। একজন চিকিৎসক নিশ্চিত করে বলেছেন, রেহতী বেগমকে ভ্রাম্যমাণ একটি টিকাদান ইউনিট বুধবার টিকা দিয়েছে।
 

টাকা ছাড়াই বাংলাদেশিদের নিয়োগ দেবে মালয়েশিয়ার দুইটি কোম্পানি
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
টাকা ছাড়াই বাংলাদেশিদের নিয়োগ দেবে মালয়েশিয়ার দুইটি কোম্পানি
বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে মালয়েশিয়ার দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্য ব্যয় নীতি গ্রহণ করেছে। এখন থেকে এ দুটি কোম্পানির চাকরি প্রাপ্ত শ্রমিকদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না।
২৪ জুলাই ২০২১ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার এ দুটি কোম্পানি ১২৮১ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে কিস্তিতে ১৭ হাজার ৫০০ রিংগিত দিতে শুরু করেছে।
যা তাদের নিয়োগ ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে। অন্যান্য আরও অনেক কোম্পানিকে একই ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে লে-অফে থাকা ১২৭ কর্মীকে অন্য একটি কোম্পানিতে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 


 

BHRC বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সমাজে ন্যায়, ন্যায্যতা ও মানবাধিকার প্রতিার ক্ষেত্রে সৎ মানবাধিকার কর্মীর কোন বিকল্প নেই। অসৎ মানবাধিকার কর্মী সমাজের জন্য দুরুহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। সৎ মানবাধিকার কর্মী সমাজকে শান্তিময় আবাস হিসেবে পরিগণিত করে। দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণ প্রতিা করতে হলে মানবাধিকার কর্মীদের পাশাপাশি সরকার তথা রাষ্ট্রীয় কর্মীদেরও একসাথে কাজ করতে হবে। যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেদেশে মানবাধিকারও নেই। মানুষের অধিকার হরণ করে কোন মানুষই স্থায়ীভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও মানুষের প্রকৃত অধিকার মানুষকে দিতে হবে। যাতে করে সে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়। প্রতিটি ধর্মেই মানবসেবাকে সর্বোৎকৃষ্ট কাজ বলে বিবেচনা করেছে। ধর্ম অনেক হতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা একজনই। তাই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট মানুষই হল সর্বোৎকৃষ্ট জীব। তাকে সেবা করা প্রতিটি মানুষেরই ধর্ম হতে হবে। ইঐজঈ বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভায় উদ্বোধক হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর সদর দপ্তর ও বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখা যৌথ আয়োজিত সমন্বয় সভা ৯ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ইঐজঈর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা। ইঐজঈর বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মুক্ত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তাওহিদুর রহমান। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা এ,কে,এম ইদ্রিস আলী, সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান, শেখ মেজবাউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, মিলন হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক রীনা তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রেজাউল হায়দার, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক এইচএম এরশাদ ইয়াসিফ রাহাত, সহ-আইন সম্পাদক যতন কুমার রায়, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, নির্বাহী সদস্য মেহের নিগার সুলতানা, তামান্না আক্তার তিন্নি, আকলিমা আক্তার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ আজাদ হোসেন, মোঃ রবিন সরকার, শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, মেহেদী হাসান পরাগ, কাজী মাহতাব উদ্দীন (মামুন) প্রমুখ।

 

বিয়ে নিয়ে মালালার বক্তব্যে তোলপাড়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র ১৪ বছর বয়সে তালেবানদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েও হার না মানা অপরাজেয় মালালা ইউসুফজাই এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে পরিচিত। এবার তাকেই জায়গা দিল ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক বিখ্যাত ভোগ পত্রিকার জুন সংখ্যার প্রচ্ছদে। মালালার একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়েছে এ সংখ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে নেট দুনিয়ায়। বিশেষ করে বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা যা বলেছেন, তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যেোচ্ছ। এমনকি, কেউ কেউ সেই মতকে ইসলামবিরোধী বলেও মন্তব্য করেছেন। বিয়ে প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছিলেন মালালা? ২৩ বছরের এ তরুণী বিয়ে প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে? জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে। মালালার এমন মন্তব্যে তোলপাড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে অনেকে এ মতটির সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি বিয়ের মতো একটি সামাজিক প্রথাকে নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার জন্য মালালার প্রশংসাও করেছেন অনেকে।
আরও অনেক বিষয় নিয়েই খোলা মনে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন মালালা। এর মধ্যে রয়েছে হিজাব পরার প্রসঙ্গও। যে বিষয়ে মালালা বলেন, এটা আমাদের সংস্কৃতিক প্রতীক। এ পোশাক বুঝিয়ে দেয়, আমি কোথা থেকে এসেছি। আমরা মুসলিম মেয়েরা, পাকিস্তানি মেয়েরা কিংবা পাখতুনের মেয়েরা এটাকে আমাদের পরম্পরা বলেই মানি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন মালালা।
২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি নারী ও শিশুদের জন্য নাটক ও তথ্যচিত্র নির্মাণে অ্যাপল টিভি প্লাসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।




BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

সামাজিক সকল অনাচারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীগণ সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সামাজিক সকল অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে, অনাচারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীগণ রুখে দাড়াতে হবে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিার ক্ষেত্রে মানবাধিকার কর্মীদের সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কতিপয় দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রীয় কর্মচারী এবং কতিপয় রাজনীতিবিদদের কারণে দেশে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। দুর্নীতি দমন এবং দুর্নীতিবাজদের উচ্ছেদ করতে হলে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মীদের উচ্ছেদ করতে হবে। ইঐজঈর ঢাকা উত্তর শাখার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সমন্বয় সভা ৭ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী সভাপতি মির্জা শাহাদাত হোসেন। সমন্বয় সভা সঞ্চালনা করেন ইঐজঈর বিশেষ কর্মকর্তা শেখ শামীম। সমন্বয় সভায় প্রধান আলোক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ইঐজঈর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া। আলোচনা সভায় অংশ নেন ইঐজঈ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নির্বাহী সভাপতি জাহিদ হোসেন পলাশ, সহ-সভাপতি মোনতাহার আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খঅদিজা বেবী, বেবী ইসলাম, সহ আইন সম্পাদক মোঃ মোতান্নবী বিল্লাহ খান, নাজনীন আক্তার, তথ্য সম্পাদক নূরজাহান আক্তার লাকী, কোষাধ্যক্ষ সালমা জেসমীন, রাবেয়া জেরিন, প্রেস সেক্রেটারী এসএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম প্রমুখ।

 

  BHRC ঢাকা বিভাগীয় শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীকে কারা বরণ করার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করতেও হতে পারে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেনস্তা ও হতে পারে। মাদক ব্যবসায়ী এবং সমাজের দুর্নীতি গ্রস্থদের প্রতিরোধ করতে গেয়ে মানবাধিকার কর্মীদের এমন হওয়াই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রের কতিপয় অসৎ কর্মচারীর কারণেএবং অসৎ রাজনীতিকদের কাল ছায়ায় সমাজে দুর্নীতি গ্রাস করেছে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে এদের প্রতিহত করতে হবে। মানবাধিকার কর্মীদের সকল প্রকার ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে অধিকার প্রতিার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর ঢাকা বিভাগীয় শাখার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর ঢাকা বিভাগীয় শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল। সভা সঞ্চালনা করেন ইঐজঈর ঢাকা বিভাগীয় শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার উর্মি। সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ ঢাকা বিভাগীয় শাখার স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আসিফ উজ্জামান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য নিলুফার ইসলাম, সুফিয়া পাশানা পারুল, আফরিন সুলতানা, মাহবুবুর রহমান, সানজিদ হোসেন, জসিম, হান্নান হক, নীল খান, আল-আমিন, নূর আলম, আশরাফ, জান্নাত আরা শিখা, খন্দকার সাবিলা রহমান, সুমি আক্তার, বংশাল থানা শাখার সভাপতি হায়দার আলী রিয়াজ প্রমুখ।

 

 ৬ মাসে ৯৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইরানে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৯৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। এর মধ্যে ছয়জন নারী। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট এই তথ্য জানান।
জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে ইরানের মানবাধিকার বিষয়ে তিনি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, ইরানের অন্তত ৮০ শিশু মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে চারজনের খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে।
মিশেল ব্যাচলেট বলেন, ইরানের অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ড সরকারের আরোপিত। নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করা হয়। এই ঘটনাকে তিনি ন্যায়বিচারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ইরানের কারাগারে বন্দিরা অপব্যবহারের শিকার হন। কারাবন্দিদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ বাইরে যাতে কোনো তথ্য প্রকাশ না হয় তার জন্য একাকী বন্দি রাখ হয়। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী, মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকারী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড প্রদানসহ ভয় প্রদর্শন ও স্বেচ্ছায় আটক রাখা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিশ্বে ২০২০ সালে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তার চারটিই মধ্যপ্রাচ্যে। গত এপ্রিলে মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের প্রকাশ করা এক রিপোর্টে বলেছে, গত বছর গোটা বিশ্বে যে ৪৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে, তার ৮৮ শতাংশই হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ- ইরান, মিশর, ইরাক এবং সৌদি আরবে।


   BHRC মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইঐজঈ মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা এবং ইঐজঈ সদর দপ্তরের যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র প্রতিাষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত সমন্বয় সভা ১৯ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুতি হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ। সভাটি সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ হাসান। সভায় বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার আইন সম্পাদক রুবাইয়াৎ আন্তা অসীম, মহিলা সম্পাদক মোছাঃ নাজনীন আরা, এবিএম ওবায়দুল হাকিম গিয়াস, মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, সৈয়দ মোঃ ইজাজুল করিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ খোকন, নজির, মোস্তাক আহমেদ, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ সেলিম, মোর্শেদ সিদ্দিকী, আ.ফ.ম. সেলিম প্রমুখ।
 

২৮ ঘণ্টায় ১০ তলা বাড়ি নির্মাণ!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের চাংসা শহরে ২৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ১০ তলা বাড়ি তৈরি করেছে ব্রড গ্র“প নামে একটি সংস্থা। এত অল্প সময়ে কী করে সম্ভব হলো? সংস্থাটি জানিয়েছে, আগে থেকেই পরিকল্পনামাফিক পুরো কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল বাড়িটির। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। কাঠামো আগে থেকেই তৈরি থাকায় সময়ও বেঁচেছে। ফলে একদিনের মধ্যেই পুরো বাড়িটি দাঁড় করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে সংস্থাটি অভয়ও দিয়েছে, এত অল্প সময়ের মধ্যে বানানো হলেও বাড়িটি যথেষ্ট মজবুত। এবং ভূমিকম্পন প্রতিরোধী। তা ছাড়া বাড়ির প্রতিটি অংশ খুলে অন্যত্র সরিয়েও নিয়ে যাওয়া যাবে।



 

  একের পর এক ধর্ষণে উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে একের পর এক ধর্ষ ণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা ভাবিয়ে তোলার মতো, দুশ্চিন্তার মতো।
গত বাইশ বছর আগে নেত্রকোনোর মদন উপজেলায় পাঁচ বছরের একটি শিশু ধর্ষ ণের মামলায় একজন আসামির যাবজ্জীবন সাজা বাতিল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানিকালে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার বিচার হওয়াটাই মূখ্য বিষয়। অপরাধ সংঘটিত হলে তার বিচার হবে না-এমন পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়। বিচারহীনতা যাতে না থাকে। যেকোনো অপরাধের বিচার হতেই হবে। সেজন্য যেকোনো অপরাধের বিচার হওয়াকেই বড় করে দেখা হয়।
হাইকোর্ট ওই আসামিকে বয়স বিবেচনায় নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
শুনানিকালে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিতে আবেদন জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে। এর চেয়ে জঘন্য অপরাধ হতে পারে না। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা ভাবিয়ে তোলার মতো।
জানা যায়, নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ১৯৯৯ সালের ৫ জুলাই পাঁচ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির নামের ২৪/২৫ বছরের এক যুবককে আসামি করে মামলা হয়। এ মামলায় নেত্রকোনার নারী ও শিশু নি র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে পলাতক আসামি হুমায়ুন কবিরকে মৃ ত্যুদণ্ড দেন।
রায়ে আসামির বয়স বিবেচনায় সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন।
 


একের পর এক ধর্ষণে উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে একের পর এক ধর্ষ ণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা ভাবিয়ে তোলার মতো, দুশ্চিন্তার মতো।
গত বাইশ বছর আগে নেত্রকোনোর মদন উপজেলায় পাঁচ বছরের একটি শিশু ধর্ষ ণের মামলায় একজন আসামির যাবজ্জীবন সাজা বাতিল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানিকালে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার বিচার হওয়াটাই মূখ্য বিষয়। অপরাধ সংঘটিত হলে তার বিচার হবে না-এমন পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়। বিচারহীনতা যাতে না থাকে। যেকোনো অপরাধের বিচার হতেই হবে। সেজন্য যেকোনো অপরাধের বিচার হওয়াকেই বড় করে দেখা হয়।
হাইকোর্ট ওই আসামিকে বয়স বিবেচনায় নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
শুনানিকালে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিতে আবেদন জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে। এর চেয়ে জঘন্য অপরাধ হতে পারে না। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা ভাবিয়ে তোলার মতো।
জানা যায়, নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ১৯৯৯ সালের ৫ জুলাই পাঁচ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির নামের ২৪/২৫ বছরের এক যুবককে আসামি করে মামলা হয়। এ মামলায় নেত্রকোনার নারী ও শিশু নি র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে পলাতক আসামি হুমায়ুন কবিরকে মৃ ত্যুদণ্ড দেন।
রায়ে আসামির বয়স বিবেচনায় সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন।
 

 

BHRC ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্মকে পুঁজি করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ অধর্ম কাজ। ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন হলেও সৃষ্টিকর্তা একজনই। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অবশ্যই মানবাধিকার সম্মত নয়। সমাজে ন্যায় বিচার, সামাজিক ন্যায্যতা ও মানবাধিকার প্রতিার ক্ষেত্রে সৎ মানবাধিকার কর্মীর কোন বিকল্প নেই। অসৎ মানবাধিকার কর্মী সমাজের জন্য দুরুহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। সৎ মানবাধিকার কর্মী সমাজকে শান্তিময় আবাস হিসেবে পরিগণিত করে। দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানবাধিকার কর্মীদের পাশাপাশি সরকার তথা রাষ্ট্রীয় কর্মীদেরও একসাথে কাজ করতে হবে। যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেদেশে মানবাধিকারও নেই। মানুষের অধিকার হরণ করে কোন মানুষই স্থায়ীভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও মানুষের প্রকৃত অধিকার মানুষকে দিতে হবে। যাতে করে সে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়। প্রতিটি ধর্মেই মানবসেবাকে সর্বোৎকৃষ্ট কাজ বলে বিবেচনা করেছে। ইঐজঈ ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখা এবং ইঐজঈ সদর দপ্তরের যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত সমন্বয় সভা ১৬ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুতি হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আব্দুল করিম রিপন। সভাটি সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাগমার প্রান্তিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঐজঈ সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ক) শাখার নির্বাহী সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া এবং ইঐজঈ সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, বদরুদ্দোজা মামুন, মোঃ ইস্কান্দার তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক সৈয়দ বেলাল হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রোকেয়া সুলতানা মুক্তি, মোঃ হারুন অর রশিদ, এড. সাবিনা বেবী, আতাউর রহমান, মোঃ আশরাফ উদ্দিন, জাহানারা বেগম প্রমুখ।

 

 
জনসমক্ষে চড় খেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পূর্বনির্ধারিত সফরে বেরিয়ে চড় খেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তার চড় খাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে বলে বিবিসি ৮ জুন ২০২১ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাঁক্রো দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এক শহরে পূর্বনির্ধারিত সফরে যান। প্রেসিডেন্ট ব্যারিকেডের বাইরে থাকা জনতার সঙ্গে হাত মেলাতে গেলে পাশে থাকা সবুজ টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি তাকে চড় মারেন বলে ভিডিওতে দেখা গেছে।
ওই ব্যক্তি তখন ম্যাক্রোঁবাদ নিপাত যাক বলে চিৎকার করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। কেন তিনি এই ঘটনা ঘটালেন তাও স্পষ্ট নয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর প্রেসিডেন্টকে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ম্যাক্রোঁকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরাসি রাজনীতিবিদরা। ঘটনার পর টুইটারেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে।
ঘটনার প্রতিবাদে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স ফ্রান্সের জাতীয় সংসদে বলেছেন, গণতন্ত্রে বিতর্ক এবং বৈধ মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে এর অর্থ কোনোভাবেই সহিংসতা, মৌখিক ও শারীরিক আক্রমণ হওয়া উচিত নয়।
 



Top

 বসবাসের অযোগ্য নগরীর তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় সর্বনিম্নে থাকা ১০ দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা। বসবাসযোগ্যতার দিক দিয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন ১৩৭তম।
বিভিন্ন দেশের শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে ১৪০টি শহরের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। এ তালিকায় ১৩৭ নম্বরে রয়েছে ঢাকা।
নতুন এ জরিপ অনুসারে ২০২১ সালে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের ওসাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুটি, জাপানের দুটি, অস্ট্রেলিয়ার চারটি ও সুইজাল্যান্ডের দুটি রয়েছে।
বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থান রয়েছে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ও জাপানের টোকিও শহর। একই নম্বর পেয়েছে এ দুই শহর। ষ অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যানন্ডের জুরিখ, জেনেভা এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে বসবাসযোগ্য শহরের ক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ২০১৮ সাল থেকে। কিন্তু এবার শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে স্থান পায়নি ভিয়েনা। ২০১৯ সালে ভিয়েনার সঙ্গে একই পয়েন্টে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। সেই মেলবোর্ন এবার আট নম্বরে নেমে এসেছে।
এবার বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে সিরিয়ার দামেস্ক। ১৪০টি শহরের তালিকায় এর অবস্থান ১৪০তম। ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস। ১৩৮তম অবস্থানে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি। এ ছাড়া ১৩৬তম অবস্থানে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ১৩৫তম অবস্থানে লিবিয়ার ত্রিপোলি ও ১৩৪তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি।

 

Top

BHRC গুলশান আঞ্চলিক এবং ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিম মহিলা শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে ও বহির্বিশ্বে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রতি মূহুর্তেই কোথাও না কোথাও মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে তার প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসাবে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যদিও সবক্ষেত্রে এককভাবে সর্বত্র এসব অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদের পাশাপাশি সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ইঐজঈ গুলশান আঞ্চলিক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক মহিলা শাখার যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর গুলশান আঞ্চলিক শাখা ও ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক মহিলা শাখার যৌথ আয়োজিত সমন্বয় সভা ১৪ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শামীম বক্স। সভাটি সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ গুলশান আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমেদ সবুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঐজঈর ডেপুটি গভর্নর জেসমিন আরা কবীর। সভায় বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ গুলশান আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহীন বকস, নির্বাহী সভাপতি মোঃ দিলওয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আফাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিরাজ ভূইয়া, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ আলীরাজ, ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, সহ-প্রচার সম্পাদক সেলিনা, বিলকিস বেগম, নির্বাহী সদস্য সনিয়া সিদ্দিকা, আকলিমা, রহিমা, রাজিয়া সুলতানা, প্রমুখ প্রমুখ।

 

BHRC নাটোর জেলা শাখা সভাপতির ইন্তেকাল
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক নাটোর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মাহ্ফুজ আলম মুনী (৭০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না ....... রাজিউন)।
৪ জুন ২০২১ সকাল ৯টার দিকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি নানা রোগে ভোগছিলেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ৪ জুন বাদ আছর পৌর জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে গাড়ীখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মাহফুজুল আলম মুনীর মৃত্যুতে BHRCর প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার ও নাটোর জেলা শাখার মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
 

BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীগণ বাঘের চেয়ে শক্তিশালী সিংহের মত সাহসী হতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী বাঘের চেয়ে শক্তিশালী এবং সিংহের চেয়েও সাহসী হতে হবে। সৎ মানবাধিকার কর্মী সমাজের দুর্নীতি, অনাচার ও অবিচার এবং বেআইনী তৎপরতা প্রতিহত করতে পারে। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি সে যতবড় নেতাই হোক সে দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজ সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি। এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে সমাজের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ব্যক্তি অহংকার ও প্রতিহিংসাকারী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত। মানবাধিকার কর্মীদের অবশ্যই অহংকার, প্রতিহিংসা বর্জন করতে হবে। তাদের মনের মধ্যে মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে। ন্যায়ের পথে চলতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস থাকতে হবে।
BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং BHRC সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা ৮ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুতি হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি লাকী আক্তার। সমন্বয় সভা সঞ্চালনা করেন BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন পল্লব। সমন্বয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং BHRCর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান রোম্মান। আলোচনা সভায় অংশ নেন BHRC ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আঃ হামিদ ইন্তাজী, সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন আহ্মেদ, মো¤ম্মদ রাব্বিল, যুগ্ম সম্পাদক রকিবুল হাসান রকিব, শেখ সোহেল রানা, সামসুল হক, সাইদুল ইসলাম, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদা আক্তার সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডেভিড বিনয় গমেজ, সহঃ দপ্তর সম্পাদক বাসুদেব চন্দ্রশীল, নির্বাহী সদস্য, মাহবুবুর রহমান টিপু, মাহবুবুল আলম ফারুক, হাজী দিপু তালুকদার, মিনি আক্তার, নাজমা বেগম, সালমা রহমান, মোঃ মহিউদ্দিন, সাইফুল কবির (বাবু), রাশেদ খন্দকার, আবুল বাসার, জন গমেজ, লতা বিশ্বাস, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আইনজীবী প্রতি ১ লক্ষ টাকা অনুদান দাবী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, দেশের ৬৪ জেলা বারকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তথা দেশে করোনা ভাইরাস কোভিট -১৯ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ আদালত সহ নিু আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘ মাস হতে স্বাভাবিকভাবে চলছে না। যে যাই বলুক এতে করে প্রায় ৬০ হাজার কোর্ট সংশ্লিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী, জুনিয়র, শিক্ষানবিশ, সহকারী (বেতন বিহীন আমরা সকলে) কেউই ভালো নেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয় কোর্ট বিশেষ ব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবে চালু করার উদ্যোগ নিবেন (ভার্চুয়াল আদালতে হাতেগোনা কয়েকজন আইনজীবী মাত্র কাজ করছেন) অথবা বার কাউন্সিল দেশের সকল আইনজীবীদের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই ঈদের-ঈদ বোনাস (স্থানীয়ভাবে রাজশাহী বার শুরু করেছে বলে কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই) বৈশাখী ভাতা চালু করা এবং আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলের স্লাব বৃদ্ধি সহ করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ (ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট) আপৎকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে নগদ অর্থ বরাদ্দ নিয়ে লাইসেন্সধারী দেশের সকল বারের আইনজীবীদেরকে নূন্যতম ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য একজন সাধারণ আইনজীবী হিসেবে জোর দাবি জানাচ্ছি। আশা করি বর্তমান অভিজ্ঞ পরিচালনা কমিটি আমার এ পরামর্শ গ্রহণ করলে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ প্রস্তাব পাসে দেশের সকল আইনজীবী বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও উপকৃত হবেন।
এ্যাড. মোঃ আবু মোত্তালেব বাদল
সভাপতি-বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
রাজশাহী মহানগর শাখা




একসঙ্গে ঘর পেয়েছে আরও ৫৩ হাজার পরিবার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়ার পর ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবারকে ঘর দিয়েছে সরকার।
১৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও একলাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির থাকলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে তাদের বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই। মুখ্য সচিব বলেন, অসহায় মানুষকে এভাবে ঘর দেওয়াকে অর্ন্তভূক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল। বিশ্বে এটা নতুন মডেল, আগে কখনো কেউ এটা ভাবেনি।
সরকার অসহায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আহমদ কায়কাউস বলেন, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখানে অনিয়মের বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনবার্সন প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি বহুতল ভবনে ৬০০টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবাররকে একটি করে ফ্ল্যাট দেন। খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আরও ৩ হাজার ৮০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
 

যুক্তরাজ্য নিজের মানবাধিকার সমস্যাকে উপেক্ষা করছে : চীনা মুখপাত্রে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান গত ১৮ জুন বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য নিজের মানবাধিকার সমস্যাকে উপেক্ষা করছে, কিন্তু অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার। এতে দেশটির দ্বৈতনীতি প্রতিফলিত হয়।
চীনা মুখপাত্র বলেন, দ্য ল্যানসেট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বেশি। গত বছর আফ্রিকান ব্রিটিশ ও এশীয় ব্রিটিশদের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ৩৫ ও ২৪ শতাংশ বেড়েছে। একই বয়সের বিভিন্ন গোীর মধ্যে চালানো জরিপ অনুযায়ী, আফ্রিকান ও এশীয়দের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে শ্বেতাঙ্গদের প্রায় তিন গুণ ও দুই গুণ। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যে এখনও ৫ বছর বা তারচেয়ে কম বয়সী শিশুদের তিন ভাগের এক ভাগ হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য।
মুখপাত্র বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসনের কুফল এখনও স্থানীয় মানুষেরা ভোগ করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক ও আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্রিটেনের উচিত অন্যের বিষয়ে নাক গলানোর আগে আত্মসমালোচনা করা।



 

 সুইডেনে এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুইডেনের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়েছে। পার্লামেন্টের ৩৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৮১ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটদানে বিরত ছিলেন ৫১ জন। সুইডেনের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী এমপিদের ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন।
২১ জুন ২০২১ এখবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা স্টেফান লোফভেনকে এখন এক সপ্তাহের মধ্যে হয় পদত্যাগ করতে হবে অথবা আগাম নির্বাচন দিতে হবে।
নবনির্মিত ভবনের ভাড়া কমানোর পরিকল্পনা ঘিরে ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী সরকারের ওপর থেকে লেফট পার্টি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী সুইডিশ ডেমোক্র্যাটরা পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের ডাক দেন। ডেমোক্র্যাট নেতা জিমি আকেসন পার্লামেন্টে বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।
২০১৮ সালে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর গ্রিন পার্টির সাথে আরও দুটি ছোট মধ্য-ডানপন্থী দল এবং লেফট পার্টির সমর্থন নিয়ে লোফভেন নড়বড়ে জোট গঠন করে সরকারে আসেন। তবে আবাসিক ভবনের ভাড়া হ্রাসের পরিকল্পনা ঘিরে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে; সেজন্য লেফট পার্টির নেতারা লোফভেনকে দায়ী করেছেন।

 

 বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদী আচরণ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর সৃষ্ট জনরোষের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সারা বিশ্বে কৃষ্ণকায় মানুষের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত বর্ণবাদী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। সোমবার এ আহ্বান জানান তিনি। এএফপির খবর।
যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার নিুর নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রস্তুত করা একটি প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত লোকজনকে অবজ্ঞার চোখে দেখার বিষয়টি বর্ণবাদী বৈষম্য ও সহিংসতাকে গা সওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত করে তুলেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে (এইচআরসি) ২৩ পৃার প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন তিনি।
বর্ণবাদী বিচারব্যবস্থা ও সমতার ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে মিশেল ব্যাচেলেট চার দফা অ্যাজেন্ডাও তুলে ধরেন। বিভিন্ন দেশকে এসব অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তিনি। ঐতিহাসিক বর্ণবাদের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দান ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের (কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন মূল্যবান) মতো আন্দোলনে অর্থায়ন ইত্যাদি তাঁর সুপারিশগুলোর অন্যতম।
চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যাচেলেট বলেন, বর্ণবাদী ব্যবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগত বর্ণবাদ রুখতে পদ্ধতিগত সাড়া প্রদান দরকার। না হলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা বৈষম্য ও সহিংসতার অবসান ঘটানো সম্ভব নয়। ফ্লয়েড নিহত হওয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা এড়াতে হলে আমাদের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।
২০২০ সালের মে মাসে মিনিয়াপোলিসে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন। তাঁকে ২২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এ সাজা ঘোষণার তিন দিন পর বর্ণবাদ নিয়ে ওই প্রতিবেদন জমা দিলেন মিশেল ব্যাচেলেট।
ফ্লয়েডকে আটকের পর প্রায় ১০ মিনিট ধরে তাঁর ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে ছিলেন তৎকালীন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পরে মারা যান ফ্লয়েড। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। একপর্যায়ে তা ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার নামে নতুন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে।
জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর পদ্ধতিগত বর্ণবাদ, কৃষ্ণকায় মানুষের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শান্তিপূর্ণ বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে সরকারের সাড়াদান বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসকে। প্রতিবেদনে সরকারের জবাবদিহি ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের প্রতিকার পাওয়ার বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।


 

Top

BHRC পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মানবতার সেবার জন্যই সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে মহাপুরুষদের এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে মানবতা সৃষ্টি করার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে মহাপুরুষদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। ইসলাম ধর্মে নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর মাধ্যমে পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের জন্য নিয়ে এসেছেন পবিত্র গীতা, যীশু খ্রিষ্ট কর্তৃক খ্রিষ্টান ধর্মের জন্য নিয়ে এসেছেন পবিত্র বাইবেল এবং শ্রীময় বুদ্ধদেব বৌদ্ধধর্মের জন্য নিয়ে এসেছেন পবিত্র ত্রিপিটক। সকল মহাপুরুষগণই মানুষের প্রতি মানবতাবোধ সৃষ্টি এবং মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়েছেন। প্রতিটি মানবাধিকার কর্মী সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত এক একজন মানবতার দূত। মানবতাবাদীদের অবশ্যই সৎ প্রকৃতির লোক হতে হবে, ন্যায়পরায়ণ হতে হবে, অহংকার পরিহার করে জীবনযাপন করতে হবে এবং প্রতিহিংসা পরিহার করতে হবে। কোন দুষ্ট লোক বা অসৎ লোক মানবাধিকার কর্মী হতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার মাহিত্য যার ভিতরে রয়েছে তিনি মানবাধিকার কর্মী হতে পারেন। প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আগমন করেন এবং সময় শেষ হলে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। সৎ পথে উপার্জন এবং সততা জীবনের কোন বিকল্প নেই। কারও ধন লুন্ঠন, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে নিজের ভোগ বিলাসকে অগ্রাধিকার দেয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। মানবাধিকার কর্মীদের অবশ্যই সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে। ইঐজঈ সদর দপ্তর এবং পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখা ঢাকার যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত সমন্বয় সভা ২৩ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈতে সদ্য যোগদানকারী মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ বর্তমান সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী। সভা সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর আজিজুর রহমান ফারুক। সমন্বয় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ সাইদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোসাঃ খায়রুন নেছা, মোঃ রনি সাউদ, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনি সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ আফজাল (নয়ন), মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।

 
ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে নড়েচড়ে বসেছেন মমতা


কখনও বুলবুল-আইলা আসছে, কখনও আবার আম্পান-ইয়াস। আর টাকাগুলো জলে চলে যাচ্ছে। ১০-২০ বছরে ভাঙবে না এমন বাঁধ তৈরি করুন। একটা বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিন। যেখানে কংক্রিট কাজ করবে না সেখানে ম্যানগ্রোভ বাড়ান। আম্পানের পর পাঁচ লাখ ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছিলাম। সাড়ে ৬ কোটি রুপি লেগেছে গাছ লাগাতে। এবার পাঁচ কোটি সুন্দরবনে, ৫ কোটি দক্ষিণ ২৪পরগনা এবং ৫ কোটি উত্তর ২৪পরগনায় ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। বন দপ্তরকে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর প্রকল্প দেওয়া হোক।
২ জুন ২০২১ বিকেলে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে সেচ দপ্তর বৈঠকে এমনই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উড়িষ্যায় আছড়ে পড়লেও, মমতার কথা মতন সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যে ২০ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। তখনই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, যেভাবে বালিয়াড়ি অঞ্চল এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অঞ্চল স্বেচ্ছাচারিতার বশে ধ্বংস করা হচ্ছে। তারই খেসরাত দিতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। রাজ্যকে ঝড়ের হাত থেকে একমাত্র রক্ষা করতে পারে বালিয়াড়ি এবং ম্যানগ্রোভ অঞ্চল। গড়ে তুলতে হবে বনসৃজন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নির্দেশ দেন, এবার থেকে নজর দিতে বনসৃজন এবং সমুদ্র সৈকতগুলোতে।
তিনি বলেন, সমুদ্র থেকে একটা নির্দিষ্ট জায়গা বাদ দিয়ে হোটেল তৈরি করতে হবে। এক একটা সমুদ্রতটের দায়িত্ব নিতে কর্পোরেট এবং ব্যবসায়ীদের। দীঘার সৌন্দর্যায়ন নষ্ট হয়েছে। দীঘার জন্য একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যেসব হকারদের দোকানগুলো নষ্ট হয়ে গেছে আবাসন দপ্তর এবং দীঘা উন্নয়ন পর্ষদকে তা তৈরি করে দিতে হবে।
 

 

BHRC ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর কর্মীদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। দেশে এবং বিদেশের সকল মানবাধিকার কর্মীদের একযোগে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। মানবাধিকার কর্মীদের মহামারী করোনা ভাইরাস (ঈঙঠওউ-১৯) প্রতিরোধে পূর্বেকার ন্যায় এবারও যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। মহামারী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে মানুষকে ক্রমেই বিপদ থেকে বিপদের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মোতাবেক মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। ইঐজঈ ঢাকা মহানগর পূর্ব এবং ইঐজঈর সদর দপ্তরের যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী এবং ইঐজঈর সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এ কথা বলেন। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মাহবুবুল আলম। ইঐজঈর ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা এবং ইঐজঈ সদর দপ্তরের যৌথ সমন্বয় সভা ২ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় সভা সঞ্চালনা করেন ইঐজঈর বিশেষ প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুক্ত রহমান। সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈর ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল করিম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ তারেক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা রাসেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, পল্লবী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম-উদ-দোজা প্রমুখ।
 

 


কোভিডকালীন বিশ্বে নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে : স্পিকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, করোনাকালীন হেলথলাইন ব্যবস্থা নারীদের চিকিৎসায় সুফল বয়ে এনেছে। এ প্রযুক্তিগত সহায়তাগুলো কাজে লাগাতে হবে। কভিডকালীন মহামারীর মধ্যে সারা বিশ্বেই নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ সময় নারীরা যেন নির্যাতনের শিকার না হন, সে জন্য জাতিসংঘ থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) আয়োজিত একটি কর্মশালা গত ২০ জুন ২০২১ ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কভিডকালীন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
 

BHRC লালবাগ আঞ্চলিক শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতিটি মানবাধিকার কর্মীকে ন্যায়ের পথে চলতে হবে, সত্যবাদী হতে হবে এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে। অপরাধ যে কেহই করুক না কেন, সেটা তার পরিবারের লোকজন হলেও তিনি ক্ষমা পাবেন না। অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে এবং বিচারের দোরগোড়ায় আসতে হবেন। ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জাতি-উপজাতি নির্বিশেষে সবার উপরে মানুষ সত্য। মানুষকে আরেকজন মানুষ সম্মানিত করতে হবে। তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, তাহলে তিনিও সম্মানিত হবেন। মুখে সত্যের কথা বাস্তবে অন্যায় করে মানবাধিকার কর্মী হওয়া যায় না। মানবতাবাদী মানবাধিকার কর্মী হতে হলে তাকে সমাজের শ্রে স্থানে উপনীত হতে হবে। প্রতিটি মানুষ যাতে করে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেন, তাহলে তিনি একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিতি করতে পারবেন। ইঐজঈ সদর দপ্তর এবং বৃহত্তর লালবাগ আঞ্চলিক শাখা ঢাকার যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে বিশ্ব বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার একথা বলেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ। ইঐজঈর লালবাগ আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত সমন্বয় সভা ২১ জুন ২০২১ইং বিকেল ইঐজঈ সদর দপ্তরে অনুতি হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইঐজঈর লালবাগ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান। সভাটি সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ লালবাগ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ বৃহত্তর কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান রোম্মান। সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন লালবাগ আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, আইন সম্পাদক এ্যাড. মোঃ ইমরাজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসিফ বাপ্পি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হোসেন মোঃ নাদিম, সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক পাঠান, মোসাঃ শাহিদা, মোঃ সুজন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর, প্রচার সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহ রাজু, মোঃ শামীম আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাঃ ফাতেমা, নির্বাহী সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী জিকো, মোঃ দাদন, মোঃ বাশার, মোঃ আলী, মোঃ জব্বার, মোঃ চান মিয়া, রানা, আঃ রব প্রমুখ।

 



কারাগারে আত্মহত্যা করলেন অ্যান্টিভাইরাসের স্রষ্টা জন ম্যাকাফি!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অ্যান্টিভাইরাসের আবিষ্কারক জন ম্যাকাফিকে বার্সেলোনার একটি কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
২৩ জুন স্পেনের একটি আদালত তাকে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণ করতে রাজি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তার মরদেহ মিলল।
গত বছরের অক্টোবরে স্পেনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছের এই ব্যক্তি।
কাতালান বিচার বিভাগ বলেছে, কারাগারের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, সবকিছুই ইঙ্গিত করে ম্যাকাফি নিজেকে নিজেই শেষ করে (আত্মহত্যা) দিয়েছেন।
তবে ম্যাকাফির আইনজীবী রয়টার্সকে বলেছেন, ৭৫ বছর বয়সী ম্যাকাফি কারাগারে তার কক্ষে নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন।
ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান আলোচিত ও সমালোচিত এই সফটওয়্যার নির্মাতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে পরোয়ানা জারি ছিল। সেই মামলার জেরে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে স্পেন পুলিশ। স্পেন কর্তৃপক্ষ তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল।
জন ম্যাকাফির বিরুদ্ধে উদ্ভট সব কাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ ছিল। প্রতিবেশীকে খুন, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার আড়ালে ট্যাক্স ফাঁকি, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বহু স্ক্যান্ডাল কাণ্ডে তিনি কিছুদিন পরপর আলোচনায় আসেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি বহুদিন নিজেকে আড়ালও করে রাখেন। মুখে যথাযথ মাস্ক না পরার দায়ে নরওয়ে পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন দেশে ২২ বারের মতো গ্রেফতার হন এ সফটওয়্যার গুরু।
১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার নির্মাতা জন ম্যাকাফি। ম্যাকাফি ইনকর্পোরেট প্রতিানের প্রতিাতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। শৈশবকাল ভার্জিনিয়ার সালেমে অতিবাহিত করেন। ১৯৬৭ সালে রোয়ানোক কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।


সুইজারল্যান্ডে এমপি হলেন বাংলাদেশি সুলতানা খান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুইজারল্যান্ডে এই প্রথমবারের মতো কোন প্রবাসী বাংলাদেশি জাতীয় সংসদে পা রাখছেন। সুইজারল্যান্ডে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি সুলতানা খান। জুরিখ জোন থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিতদের মধ্যে সুলতানা খান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। সুলতানা খানের জন্ম ঢাকার মিরপুরে, গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। বাবার নাম এসএম রুস্তম আলী, মাতা রাজিয়া সুলতানা। পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বর্তমানে স্বামী প্রবাসী সাংবাদিক, সংগঠক এবং ব্যবসায়ী বাকিউল্লাহ খান ও দুই পুত্র সন্তানসহ দীর্ঘদিন যাবৎ সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে বসবাস করছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের পূর্বে তিনি সুইজারল্যান্ডের মূলধারার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাছাড়া বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য চর্চার জন্য বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

অপরাধ রুখতে কড়া পরিকল্পনা নিচ্ছেন বাইডেন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অপরাধ কমাতে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২৩ জুন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মেয়র এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বন্দুক আইন বদলের পরিকল্পনাও করছেন তিনি।
তবে বাইডেনের পরিকল্পনায় খুশি নন রিপাবলিকানরা। বন্দুক আইন নিয়ে বাইডেনের ভাবনার সঙ্গে এখনো সহমত নন তারা।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের প্রথম কোয়ার্টারে আমেরিকায় খুনের ঘটনা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাকালে চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধপ্রবণতা। হেট ক্রাইম থেকে শুরু করে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই সবই বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এই বিষয়টিকেই কমাতে চাইছেন বাইডেন। কড়া আইন করে অপরাধীদের জেলে ঢোকাতে চাইছেন তিনি।
২৩ জুন মেয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, অতিমারি নিয়ে লড়াই চলছে আমাদের। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে গরমে ফের একবার করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতির মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না। বাইডেনের বক্তব্য, সমস্যার উৎসে আঘাত হানতে হবে এবং তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
তার মতে, আমেরিকায় বেআইনি অস্ত্র বিক্রির চক্র তৈরি হয়েছে এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র পাঁচ শতাংশ অস্ত্র ব্যবসায়ী গোটা আমেরিকাজুড়ে তাদের বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে। ফলে এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কড়া অস্ত্র আইন তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি বিভিন্ন শহরের মেয়রদের তিনি জানিয়েছেন, করোনার জন্য রাজ্যগুলিকে যে ফান্ড দেওয়া হয়েছিল, অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করতে সে অর্থ তারা খরচ করতে পারে।
 

উইগুরদের প্রতি চীনের আচরণ গণহত্যার সমান: চেক সিনেট


উইগুর মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনা সরকারের আচরণকে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমান বলে চিহ্নিত করে একটি প্রস্তাবে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে চেক সিনেট।
শতভাগ ভোটে অনুমোদিত এই প্রস্তাবে "মানবাধিকার ও স্বাধীনতার ব্যাপক লঙ্ঘন, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতিগত বৈষম্য এবং সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় দমন" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
চীন সম্পর্কিত আন্তঃসংসদীয় জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রস্তাবে চেক সরকারকে আসন্ন বেইজিং ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবের সমর্থকরা দাবি করেছেন, এর জন্য বেলজিয়াম সরকারকে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই অপব্যবহারগুলো প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েকটি দেশ উইগুরদের প্রতি চীনের আচরণকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
চেক সিনেটর এবং চীন সম্পর্কিত আন্তঃসংসদীয় জোটের সহ-সভাপতি পাভেল ফিশার বলেছেন, চীনা সরকার উইগুর, তিব্বতী এবং অন্যান্যদের ওপর সবচেয়ে নির্মম নির্যাতন চালানোর সময় আমরা চুপ থাকতে পারি না।
বেলজিয়ামের সংসদ সদস্য এবং চীন সম্পর্কিত আন্তঃসংসদীয় জোটের সহ-সভাপতি স্যামুয়েল কোগোলাতি বলেছেন, উইগুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনা সরকার যে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে, তাতে বিশ্ব ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। চেক ভোট এর আরও একটি প্রমাণ।
 

পৃথিবীর সব চেয়ে দামি আম চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে, প্রতি কেজি ৩ লাখ টাকা
 

ফলের রাজা আম। তাই তেমনই তার দাম! চলতি বছরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আম চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ঝড়ে গিয়েছে আম। তাতে চাষীদের মাথায় হাত। করোনা আর আম্ফানের জোড়া থাবায় মানুষের নাজুক অবস্থা।
মহরেকরকম আম মেলে ভারতবর্ষে। তবে বিশ্বের সব থেকে দামি আম কিন্তু ভারতবর্ষে পাওয়া যায় না। সেই আম এক কেজি কিনতে গিয়ে অনেক ধনী ব্যক্তিও ঢোঁক গিলেন। তাইও নো তামাগো। যার মানে ঊমম ড়ভ ঃযব ংঁহ. এই প্রজাতির আম বিশ্বে সব থেকে দামি। এটির চাষ হয় জাপানের মায়াজাকি অঞ্চলে।
বিক্রি হয় অবশ্য গোটা জাপানজুড়ে। প্রতি বছর প্রথম ফলন করা আম নিলামে তোলা হয়। আর সেই আম বিক্রি আকাশছোঁয়া দামে। তবে এই আমের ফলন আর পাঁচটা প্রজাতির আমের মতো হয় না। অর্ডারের উপর নির্ভর করে এই আমের ফলন। এই প্রজাতির আম অর্ধেক লাল, অর্ধেক হলুদ।
জাপানে এই প্রজাতির আমের ফলন হয় গরম ও শীতের মাঝে। আর সেই জন্যই এই আমের দাম এমন চড়া হয়। ২০১৭ সালে এই প্রজাতির দুটি আমের নিলামে দাম উঠেছিল ৩৬০০ ডলার।
অর্থাৎ প্রায় দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা। সেবার প্রতিটি আমের ওজন ছিল ৩৫০ গ্রাম। অর্থাৎ মাত্র ৭০০ গ্রাম আমের দাম দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা। আপনি হয়তো ভাবছেন কী এমন আছে যে এই আমের এমন অস্বাভাবিক দাম! এই আমের চাষ করতে চাষীকে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
প্রতিটি আম গাছে থাকাকালীনই ছোট জালে জড়িয়ে রাখা হয়। তার পর আমগুলোকে নির্দিষ্ট পজিশনে রাখা হয়। এতে করে সূর্যের আলো আমের একটি নির্দিষ্ট অংশে পড়ে।
তাছাড়া আমগুলিকে গাছ থেকে মাটিতে পড়তে দেওয়া হয় না। তারও ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে আমের এক পাশে রুবি রেড রং ধরানো হয়। আর স্বাদের কথা বলাবাহুল্য। যেমন দাম তেমনইতার স্বাদ ও গন্ধ।
 

ইভ্যালিসহ ১০ ইকমার্সের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ার খবরে ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ ১০ ইকমার্স কম্পানির সঙ্গে কার্ড লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিল মিউচুয়াল ট্রাস্টও। লেনদেন স্থগিত করেছে দেশের চারটি বেসরকারি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিানগুলো হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স। প্রতিানগুলো গ্রাহকদের প্রতি ওই সব ই-কমার্স কম্পানি থেকে পণ্য কিনতে তাদের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে। লেনদেন যদি করা হয়, তবে তার দায়ভার তারা নেবে না।
ব্যাংকগুলোর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি।
ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের এসএমএসে জানিয়েছে, কার্ড গ্রাহকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুসংখ্যক অনলাইন মার্চেন্টে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কার্ড লেনদেন বন্ধ থাকবে।
ব্যাংকগুলোর কার্ড বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ার খবর মিলছে। এ জন্য বাড়তি সতর্কতা হিসেবে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সমাধান হলেই লেনদেন চালু করে দেওয়া হবে।
এদিকে অভিনব কায়দায় গ্রাহকদের লোভনীয় প্রস্তাবের ফাঁদে ফেলে ভয়ানক প্রতারণার তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আট ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে প্রচলিত বিভিন্ন আইন ভঙ্গের প্রমাণ উদঘাটন কর খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি তদন্ত টিম অনুসন্ধান করে নানা প্রতারণা ও অনিয়মের সত্যতা পায়।
তদন্তে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিানটির বিরুদ্ধে অর্ডার করা পণ্য নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি না দেওয়া, গ্রাহকদের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ না রাখা, পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হলে অগ্রিম নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়া, ক্যাশব্যাক হিসাবে টাকা না দিয়ে ই-ব্যালান্স দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য সচিব মোঃ জাফর উদ্দিনের কাছে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পুলিশ সদর দপ্তরকে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নানা কৌশলের আশ্রয়ে প্রতিানটি প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। অথচ কম্পানির পরিশোধিত মূলধন মাত্র এক কোটি টাকা। প্রতিানটির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রতিানটির ব্যবসার ধরন দেখে বিশেষজ্ঞরাও শঙ্কা করছেন, এতে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ রয়েছে। 
 


 

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, চিকিৎসক আটক

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

'যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল চেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মো. মহসিন নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রী সানজিদার দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসককে আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
২৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে নগরের দক্ষিণ শুলকবহর এলাকার মোজাম্মেল ম্যানশন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার চিকিৎসকের স্ত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডা. মো. মহসিন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, বছরখানেক আগে পারিবারিকভাবে সানজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ডা. মো. মহসিনের। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় সানজিদার ওপর নির্যাতন চালাতো স্বামী। সর্বশেষ মোটরসাইকেল দাবি করে আবারও নির্যাতন করলে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, যৌতুকের জন্য একাধিকবার চিকিৎসক স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়। যেহেতু এটি একটি পারিবারিক বিষয়, তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

কন্যাশিশুর ওপর যৌন হয়রানি বেড়েছে
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালে ৩০ শতাংশ শিশু অনলাইনে নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর নিপীড়নের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ কন্যাশিশু এবং ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছেলে শিশু। ‘শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইনে যৌন শোষণের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি ও পরিস্থিতি যাচাই এবং প্রবণতা বিশ্লেষণ’ বিষয়ক এক গবেষণা পরিচালনা করে এ তথ্য জানা যায়। কভিড-পরবর্তী জরিপ পরিচালনায় দেখা গেছে, নিপীড়ন বা নির্যাতনের শতকরা হার প্রায় চার গুণ বেড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ শিশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। ৮৮ শতাংশ শিশু করোনাকালে অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনলাইনে শিশু নিপীড়নের ধরন সম্পর্কে বলা হয়, শিশুদের ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন, অশালীন প্রস্তাব, সাইবার বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিং, পর্নোগ্রাফি এবং কোনো না কোনোভাবে যৌনতাবিষয়ক ছবি ও তথ্য উল্লেখযোগ্য। ১০৮ জন শিশুকে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়। জরিপে এসেছে, ৫৪ শতাংশ শিশুর নিজস্ব ডিভাইস (মুঠোফোন, কম্পিউটার, ট্যাব) আছে। ১০০ শতাংশ শিশুই মেসেঞ্জার ব্যবহার করে। ৩৮ শতাংশ শিশু ইমো ও ১৬ শতাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। অন্তত ৯৪ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, করোনাকাল কোনো না কোনোভাবে তাদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। অনলাইনে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার শিশুদের ৪১ শতাংশ পরবর্তীকালে তাদের অভিভাবক ও স্বজনদের বিষয়টি জানিয়েছে। তার মধ্যে ৬ শতাংশ শিশুর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়ক ওম্বিকা রায় বলেন, দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ পাস হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই আইনে অনলাইনে শিশুদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বিষয়টিকে চিহ্নিত করে আলাদা কোনো বিধান রাখা হয়নি, যার কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে।


বাল্যবিয়ে দেওয়ায় দু'জনের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হরিণাকুণ্ডুতে নবম শ্রেণিপড়ূয়া এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে দু'জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকেলে উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিলাত আলী মণ্ডলের
ছেলে কনের গ্রাম সম্পর্কীয় দাদা গোলাপ আলী (৬৫) এবং চাচা সামসুদ্দিন ম ল (৪৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, বিকেলে পোলতাডাঙ্গা গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার পর অনুষ্ঠান চলছে এমন খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কনের বাবা-মাসহ বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে কনে পক্ষের দু'জনকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার নিরসন হোক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনকে কলঙ্কিত করেছে যৌতুক প্রথা। যৌতুক প্রথা সমাজে এখন এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে যৌতুক ছাড়া বিয়ের কল্পনা করাও বৃথা। সমাজ একে গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই কন্যাদায়গ্রস্ত গরিব মা-বাবাকে যৌতুকের করাল গ্রাসের নির্মম পরিণতির কথা ভেবে মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। একটা সময় এ প্রথা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব জায়গায় ছড়িয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবার মধ্যেই ছড়িয়েছে। এমনকি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিটি মানুষের ভিতরে লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে আসছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়তই যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতন, নারী হত্যা, আত্মহত্যা ও তালাকের মতো সংবাদ ছাপা হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

মাদক মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নগরের চকবাজার থানায় র‌্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) (সাময়িক বরখাস্ত) গোলাম মোস্তফাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৩ ফেব্র“য়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এএসআই গোলাম মোস্তফা নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান সিকদার বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরের ওয়াসা মোড়ের হক লাইব্রেরির সামনে থেকে ২ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন রাঙ্গুনীয়া থানার কনস্টেবল মোশররফ হোসেন। পরদিন নগরের চকবাজার থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।
গত ১২ জানুয়ারি কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও এএসআই গোলাম মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাঈনুর রহমান।
গোলাম মোস্তফা কয়েকমাস পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন নিয়ে কর্মস্থল নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনে হাজির হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এএসআই গোলাম মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

কাশিমপুর কারাগারে মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-এ মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত বন্দি হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার শিবলা মানিহারকান্তা এলাকার মো. রহম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৯)।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার রীতেশ চাকমা জানান, দুপুরে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে হাবিবুর রহমান। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে ফের কারাগারে আনা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আবারো তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করে। তার কয়েদী নং-৯৫৩৫/এ ছিল।
হাবিবুর রহমান মোবাইল কোর্টের মামলায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। গত ৩০ জানুয়ারি থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কুমিল্লায় সেনাসদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুর রহমান (৩০) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া ইস্কান্দর বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া ওরফে জনি, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল মিয়া ও হবিগঞ্জের প্রদীপ দাস। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা আলী আক্কাছ।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর চলন্ত ট্রেনে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের নির্মম ছুরিকাঘাতে বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগ্যনাল ব্যাটেলিয়ান সদস্য আবদুর রহমান (৩০) নিহত হন। ওইদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইনের মাঝখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত ওই সেনা সদস্যের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে পরদিন লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

চাঁদাবাজির কারণে ৬ পুলিশ কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আনোয়ারা উপজেলায় এক ব্যক্তির কাছে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ০৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ছয়জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজির করা আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আনোয়ারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে ছয় জনের বিষয়ে জানতে পারে। তখন আমরা দামপাড়া থেকে ছয়জনকে আটক করে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

 

কিশোরগঞ্জ কারাগারে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এ আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই (২৭) নামে এক হাজতি আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (গতরাত) গভীর রাতে।
নিহত আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। মাদক মামলায় তিনি হাজতি আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। কারাগারসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতরাতে কারাগারের অভ্যন্তরে আব্দুল হাইয়ের সাথে ঝগড়া হয় অপর হাজতি আসামি সাইদুর মিয়ার। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সাইদুর মিয়া বাথরুম থেকে কাঠ এনে আব্দুল হাইকে বেদম পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অপর এক হাজতি আসামি জাহাঙ্গীর আহত হন। তিনি নিকলী উপজেলার নয়াহাটি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। সাইদুর মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার কালনা মাইজপাড়া গ্রামে।

 

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের দুই এএসআই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ। সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন কীভাবে?

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।
কিডনির সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ:
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন,...
-বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
-শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।
-শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
-অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
-রক্তবর্ণের প্রসাব।
-বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।


ডায়াবেটিস কমায় ধনেপাতা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধনেপাতা বেশির ভাগ মানুষের কাছেই প্রিয় একটি মসলা। চাটনি থেকে শুরু করে তরকারি, সব কিছুতে যেমন স্বাদ বাড়ায়, তেমনই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধনেপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের মোক্ষম দাওয়াই।
ফ্লোরিডা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ধনেপাতা কিংবা বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধনেপাতা বীজের মধ্যে থাকে ইথানল, যা ব্লাড সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ধনেপাতা হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন?
রেসিপি ১: ফ্রাইয়িং প্যানে এক চা চামচ ধনে বীজ এবং অর্ধেক চা চামচ জিরা মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। তার মধ্যেই এক চা চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। এরপর তা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে সারারাত রেখে, তারপর খেতে পারেন।
রেসিপি ২: প্রথমেই একটি পাত্রে এক চা চামচ ছোলার ডাল, ৩টি শুকনো মরিচ, ৩ চা চামচ ধনে বীজ গরম করে নিন। তারপর সেটা সরিয়ে পিঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবারে মিশ্রণটা ঠান্ডা হওয়ার পর, একটি ব্লেন্ডারে ধনে গুঁড়োর সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে এক চা চামচ গুড় এবং এক চা চামচ তেঁতুল মিশিয়ে নিন। পানি এবং লবণ দিয়ে চাটনি তৈরি করে নিন। আরও একটি পাত্রে তেল গরম করে সামান্য সরিষা বীজ এবং কারিপাতা ভেজে নিন। এরপর চাটনির উপর দিয়ে সাজিয়ে নিন।
রেসিপি ৩: একটি প্যানে এক চা চামচ ঘি গরম করে নিন। তাতে ধনে গুড়ো দিয়ে ভাল করে ফ্রাই করুন। এর মধ্যে সামান্য মাখনও দিতে পারেন। তারপর কয়েক টুকরো কাজু এবং আমন্ড ছোট ছোট টুকরো করে গুড়ো করে নিন। এরপর এই মিশ্রণের মধ্যে গ্রেটেড নারিকেল, ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে পাঞ্জিরি তৈরি করতে পারেন। এই তিনরকমের রেসিপির যেকোনও একটি ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


দাঁত ব্যথা দূর করে লবঙ্গ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবঙ্গ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখন বৃদ্ধি করা একান্তই প্রয়োজন। তাই লবঙ্গ খেলেই মিলবে উপকার।
নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হজম শক্তি বাড়বে দ্রুত। কারণ, এটি পাচক রসের ক্ষরণ ঘটিয়ে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
যাদের মুখে গন্ধের সমস্যা আছে, দাঁতে ব্যথা হয়, তারাও লবঙ্গ খেতে পারেন নিয়মিত। তাতে এই সমস্যা দূর হবে।
শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে অনেক সময় এটি সাহায্য করে। যাদের সুগারের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।
চিকিৎসকরা বলেন, যাদের হাড় দুর্বল তাদের জন্য লবঙ্গ বিশেষ উপকারী। লবঙ্গের সাহায্যে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড়ের সংযোগ বা জয়েন্টও শক্তিশালী হয়।


যে ৬টি খাবার হাড়ের জন্য খুব উপকারী


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আমাদের দেহে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার। এছাড়া আরও অনেক ধরনের উপাদানই আমাদের দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম।
কেননা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সেটি হল দেহের হাড় মজবুত করে থাকে। আসুন এমনই কিছু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জেনে নিই যেগুলো আমাদের দেহের হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
১. দুধ: দুধ সর্বোৎকৃষ্ট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই না এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও একটি প্রয়োজনীয় খাবার। এটি এমনই একটি খাবার যা দেহে খুব সহজেই জারিত এবং শোষিত হয়ে থাকে যার ফলে শারীরিক বৃদ্ধি এবং হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
২. দই: এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে কিছু স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এতে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করে থাকে।
৩. মটরশুটি: মটরশুটিতেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুল হাড় মজবুত করে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য আপনি বিভিন্ন জাতের মটরশুটি খেতে পারেন।
৪. সবুজ শাক সবজি: বিভিন্ন প্রকারের সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যেমন ধরুন বিভিন্ন শাক, শালগম, বাধাকপি, লেটুস পাতা, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুলো হাড় গঠনে সহায়তা করে
৫. বিভিন্ন ঔষধি এবং মসলা: বিভিন্ন ধরনের ঔষধি অর্থাৎ তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, দারুচিনি এবং মসলা জাতীয় খাবার যেমন রসুন ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন হাড় মজবুত করে থাকে।
৬. কমলা : সাইট্রাস জাতীয় ফল কমলাতে শুধু ক্যালসিয়ামই নয় ভিটামিন ডি আছে যেগুলো শরীরের হাড় মজবুত করে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময়ে এক গ্লাস কমলার জুস খেতে পারেন এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে এবং হাড় মজবুত করবে।
দাঁত দেিয় নখ কাটার বদভ্যাস, কনে এমন হয়?
প্রতিদিন আপনার চারপাশে এমন অনকেকইে দখেতে পান, যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। নখ হাতে না থাকলেও দেখা যায়, হঠাৎ করইে নখরে চামড়া কাটছনে দাঁত দিয়ে। অনেকে এটিকে বদভ্যাস বললেও চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় 'ওনিকোফেজিয়া' । ছোটবেলা থেেক এই বদভ্যাস অনেকে পরেও ছাড়তে পারেন না। কিন্তু কেন এমন হয়? এর কারণ জানিয়েছেন চিকিসিকরা।
চিকিৎসকদের মতে, বিশেষত কয়েকটি কারণের জন্য সাধারণ মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। বিরক্তিভাব, একঘেয়েমিভাব বা চঞ্চল স্বভাবের জন্য অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। কোনও কাজ প্রচন্ড মনোযোগে করলেও নিজের অজান্তেই নখ চলে যায় দাঁতের কাছে। আবার অনেকে উদ্বেগ কাটাতে নখ দিয়ে দাঁত কেটে থাকেন। আবার এই ধরনের অভ্যাস অনেক সময় মানসিক রোগের লক্ষণও হতে পারে। এডিএইচডি, ওসিডি, ডিপ্রেসিভ ডিসওর্ডারের মত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে মত চিকিৎসকদের।
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থেকে থাকলে তা শীঘ্রই বন্ধ করার পরার্মশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ র্দীঘ সময় ধরে নখ দাঁত দিয়ে কাটতে থাকলে শুধু নখের গঠন নষ্ট হয়না, হতে পারে ফাংগাল ইনফেকশনও। এমনকী পেটের মধ্যে নখের কণা গিয়ে নানারকম সমস্যা তৈরি করতে পারে। নখ কাটার বদঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার বেশ কয়েকটি সহজ উপায়ের কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। দেখে নিন একনজরে-
নখ বাড়লে তা দাঁত দিয়ে না কেটে নেল কাটার দিয়ে সুন্দর করে কাটুন। অথবা বিউটি পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর করান। যদি আপনি নখের পিছনে টাকা খরচ করেন তাহলে তা দাঁত দিয়ে কেটে নষ্ট করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে। নেইল পলিশ ব্যবহারে দিক নজর দেওয়া উচিত। কারণ নেইল পলিশ থাকলে যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন অদ্ভুদ স্বাদ মুখে আসবে। স্বভাবতই মুখ থেকে হাত এমনিই সরে যাবে। মনকে সচতেন করুন। একদিনে নয়, এটা সম্পূর্ণ অভ্যাসের ব্যাপার। যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন, নিজেকেই নিজে শাসন করুন। দেখবেন এই বদঅভ্যাস খুব সহজে ছড়ে যাবে আপনাকে। আর সবশেষে ধৈর্য রাখুন। ভাল হোক বা খারাপ, অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তাই সময় দিন নিজেকেও। শরীর সুস্থ রাখতে যতœ রাখুন নিজের।


মাছি থেকে খাবারে বিষক্রিয়া, তাড়াতে কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘর হয়তো আপনার মনের মতো। সব সময় পরিষ্কারও রাখেন। তবে মাছির উৎপাত লেগেই আছে। রান্নাঘরে অনেক কিছুই আপনাকে রান্না করে রাখতে হয়। কিন্তু রান্না করা গরম খাবারের মধ্যে যদি মাছি পড়ে তবে কিন্তু সর্বনাশ। খাবারের চারপাশে যদি দেখেন মাছি ভনভন করছে, তবে কিন্তু মুশকিলের ব্যাপার। মাছি ভনভন করে ঘুরে মুহূর্তের অস্বাস্থ্যকর ও খাবারও বিষাক্ত ছাড়াবে। গবেষকরা বলছেন, ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তাই মাছি যদি খাবারে বসে তবে পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঘরের মাছি তাড়ানো জরুরি।
আসুন জেনে নেই মাছি তাড়াতে কী করবেন?
১.মাছি তাড়তে রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে।
২. রান্নাঘরের কোণগুলোতে ভিনিগার স্প্রে করতে পারেন। ভিনিগার মাছির যম। ২. ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে ক দিন স্প্রে করুন রান্নাঘরে।
৩. রান্নাঘরের জানালায় দু'টুকরো দারুচিনি রাখুন।
৪. রান্নাঘরে লবঙ্গ ছড়িয়ে রাখন। ৫. প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালাতে পারেন। ভালো ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন। কোনোভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। খাবার ঢেকে রাখুন।

 


উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় বাঁচে করোনাভাইরাস


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে নতুন করোনাভাইরাস। তাপ প্রায় ফুটন্ত অবস্থার কাছাকাছি নিলেই কেবল এই ভাইরাস ধ্বংস হয়। ফ্রান্সের একদল গবেষকের পরীক্ষায় এমন ফল পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের এইক্স-মার্সাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে করোনার স্যাম্পলকে তাপ দেওয়ার পরও এর কিছু অংশকে সক্রিয় দেখতে পেয়েছেন তারা। ভাইরাসকে সেদ্ধ করার পর্যায়ের তাপমাত্রা প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এর যা ফল এসেছে তাতে ল্যাবের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার এক ধরনের বানরের কিডনি কোষ এবং জার্মানির একজন রোগীকে ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। ‘পরিষ্কার’ এবং ‘নোংরা’ পরিবেশে রাখা হয় সংগ্রহ করা ভাইরাসের স্যাম্পলকে। তাপ প্রয়োগের পর দেখা যায়- পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও সক্রিয় থাকে নোংরা পরিবেশের ভাইরাস। মর্নিং পোস্ট বলছে, ল্যাবে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্য ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। আরও তাপ প্রয়োগ করাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে ফ্রান্সের গবেষক দল জানিয়েছে। তারা বলছেন, ১৫ মিনিট ধরে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা করোনার স্যাম্পলের ওপর প্রয়োগ করা হলে এটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে পানি ফুটে যায় বা বাষ্পীভূত হয়। গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, পরিবেশ বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে করোনাভাইরাস। এই জটিলতা সমাধানের পথ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।

 

টাক কেন শুধু পুরুষের মাথায়ই হয়!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়, ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে। অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা, মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


যৌতুক গ্রহণ ও মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছরের জেল

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদানের পাশাপাশি এক্ষেত্রে সহায়তা করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ উত্থাপিতা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যৌতুকের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করলেও ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিল অনুযায়ী বিয়ের সময় বা তার আগে ও পরে যৌতুক দেয়া নিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিত করে নতুন করে এই বিলটি আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। আর বিলের চার ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক গ্রহণ করলে বা প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের পাঁচ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তিনিও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা মামলার জন্য কোন শাস্তির বিধান ছিল না।
বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। এই যৌতুক প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত বিল প্রণীত হয়েছে। অপরাধ বিচার আপীল ও তদন্তে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।
 

জুয়া খেলা: আইন কী বলে?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
প্রকাশ্য জুয়া আইন। ১৮৬৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনাধীন এলাকায় প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি এবং সাধারণ ক্রীড়াভবনের ব্যবস্থা করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ আইন থাকা স্বত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো সিলগালা ও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধেই ‘জুয়া খেলার’ অপরাধে মামলা হয়নি। সব মামলা হয়েছে মাদক, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে ‘ক্যাসিনো’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো কার্যকারিতাও নেই। তবে, ৭২’-এর সংবিধানে জুয়া নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন কার্যকরী ও কঠোর আইন। এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়ার যুক্তিকতা প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারী ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়া কোনো মতেই সঠিক হবে না। লাইসেন্স দেয়া হলে এটি হবে সংবিধান বিরোধী। জুয়া বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলটি নিষ্পতি করতে এটর্নী জেনারেল অফিসের উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.