           
 
|
Cover April 2021
English Part
April 2021
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
নারীদের অধিকার আদায়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে:
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ম ও সামাজিকতার অজুহাতে অচলায়তন ভেদ করে নারীরা এখন
সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেন, অধিকার আদায়ের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
নারীদের। ০৮ মার্চ সকালে গণভবন থেকে শিশু একাডেমিতে
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে
যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে ফসলের মাঠ থেকে শুরু করে শিক্ষা,
চিকিৎসা, বিজ্ঞান কূটনীতি, প্রশাসন সামরিক অঙ্গনসহ
নারীরা এখন প্রায় সম-অধিকারে প্রতিতি সর্বত্র। সরকারের
নীতিগত সহায়তা আর সামাজিক সচেতনতায় আলো কিছুটা এলেও,
পশ্চাৎগামিতার আঁধার এখনও কাটেনি। এমন প্রেক্ষাপটে
করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব
প্রতিপাদ্যে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস দিবস পালন করা
হচ্ছে বাংলাদেশেও।
শিশু একাডেমিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন
প্রধানমন্ত্রী। নারীর উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ৫
ক্যাটাগরিতে ৫ সংগ্রামী নারীকে দেয়া হয় জয়িতা পদক।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব পদক তুলে দেয়া হয়।
অনুানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম ও সামাজিকতার অচলায়তন
ভেঙে নারী আজ সব খানেই প্রতিতি। এই অগ্রযাত্রার শুরু
আওয়ামী লীগের আমলেই। মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে
তুলতে হবে। যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিণী, জননী
ও নারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। জাতীয়
সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা, বিরোধী নেতা সব নারী।
এভাবে রাজনীতিসহ বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে
আসছে। অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটি সবচেয়ে
বড় সফলতা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নারী-পুরুষের সম্মিলিত
প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। লিঙ্গ সমতা ও
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আমাদের জাতীয়
উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে
আমরা নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি
পেয়েছি। নারী-পুরুষ সকলে মিলে প্রিয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে
যাব। পাকিস্তান আমলে জুডিশিয়াল সার্ভিসে মেয়েরা আসতে
পারত না। বঙ্গবন্ধু মুজিব তাদের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা
এসে উচ্চ আদালতেও নারীদের নিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
মার্চ ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে
মৃত্যু ৬৩৭ জন
মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু
৯৭ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। BHRC’র জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে
মৃত্যু ৯৭ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে
মৃত্যু ৬৩৭ জন। মার্চ ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা
ভাইরাসে মৃত্যু ২১ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে ৩টি।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই
অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের
কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র
ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার
সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড
হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
৯৭ জন। এর মধ্যে সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩ জন,
পারিবারিক সহিংসতা ১৩ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৫ জন,
আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৬ জন, বিএসএফ কর্তৃক
হত্যা ৩ জন, চিকিৎসকের অবহেলা মৃত্যু ২ জন, অপহরণ হত্যা
৫ জন, গুপ্ত হত্যা ৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪২ জন, এসিড
নিক্ষেপে হত্যা ১ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে
পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৫৮ জন, আত্মহত্যা ১২ জন।
মার্চ ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ জন।
মহামারী করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে মার্চ ২০২১ মাসে
মৃত্যু ৬৩৭ জন।
BHRC ঢাকা মহানগর
উত্তর মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-BHRC, BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
মানবাধিকার সম্মেলন এবং মহামারী করোনাভাইরাস
(COVID-19) এ ব্যাপক অবদান রেখেছেন এমন মানবাধিকার
কর্মীদের শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার কর্মী হিসেবে মানবাধিকার
পদক বিতরণ অনুষ্ঠান ২৭ মার্চ ২০২১ সকালে পল্লবী ২নং
ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার মিরপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ
সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের প্রাক্তন বিচারপতি
এএসএম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী
জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে প্রধান বক্তা
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র এখলাস
উদ্দিন মোল্লা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা
মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এবং গভর্নর সিকান্দার আলী
জাহিদ। সম্মেলনের মধ্যভাগে মহামারী করোনাভাইরাসে
(COVID-19) এ ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাপক সহায়তা প্রদানকারী
৭ জন মানবাধিকার কর্মীকে শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার পদক
প্রদান করা হয়। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন BHRC’র যুক্তরাজ্যের ইস্ট-ওয়েস্ট রিজিওনের
গভর্নর মাঈনুল আমিন বুলবুল, BHRC’র সদর দপ্তর ডেপুটি
গভর্নর জেসমিন আরা কবীর, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইসমাইল মোল্লা।
সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ দেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
নির্বাহী সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান পলাশ। সম্মেলনের ঢাকা
মহানগর উত্তর শাখার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন BHRC সদর
দপ্তর বিশেষ প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। আলোচনায়
অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন গুলশান আঞ্চলিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ সবুজ, উত্তরা
আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী ভূইয়া,
রূপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সুমন মিয়া মাষ্টার,
পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজ,
দারুসসালাম থানা শাখার সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান বাপ্পী,
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার মহিলা সম্পাদক বেবী ইসলাম,
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনিরা সুলতানা, সাংস্কৃতিক
সম্পাদক নাজনীন আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত, বেলুন উত্তলন এবং
কবুতর অবমুক্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে ঢাকা মহানগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার
তিনশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রেখেছে: জাতিসংঘ
মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য
করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ২৬ মার্চ
২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশটির
জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত পাঁচ
দশকে সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাদের এ
উন্নতির জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আরও অভিনন্দন
জানাতে চাই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায়।
তিনি বলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সদস্য
বাংলাদেশের। বাংলাদেশ লাখো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
এর জন্য তাদের ধন্যবাদ।
BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-ক শাখার মানবাধিকার
সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-BHRC, BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ক
পশ্চিমের মানবাধিকার সম্মেলন এবং মহামারী করোনাভাইরাস
(COVID-19) এ ব্যাপক অবদান রেখেছেন এমন মানবাধিকার
কর্মীদের শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার কর্মী হিসেবে মানবাধিকার
পদক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০ মার্চ ২০২১ সন্ধ্যায় হোটেল
সুপার স্টার এন্ড রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন BHRC'র প্রতিাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ ক শাখার সভাপতি এবং ডেপুটি গভর্নর
মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন, সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ দেন ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ ক শাখার নির্বাহী সভাপতি ও ডেপুটি
গভর্নর মোস্তাক আহাম্মেদ ভুইয়া। মানবাধিকার সম্মেলনে
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন BHRC ঢাকা বিভাগীয়
সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এবং ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার
ফরাজী ইমন, ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হক, ডেপুটি
গভর্নর জেসমিন আরা কবীর, কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি
এএইচএম তারিকুল ইসলাম, BHRC'র US নিউ ইয়র্ক সিটি মহিলা
শাখার এলিজা আক্তার মুক্তা। সম্মেলনে উপস্থাপনা করেন
মহানগর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-ক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
দেলোয়ার হোসেন মিলন।
ঢাকা মহানগর মানবাধিকার সম্মেলনে আরও বিশিষ্ট ১৫ জন
মানবাধিকার কর্মী বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন শেষে মহামারী
করোনাভাইরাসে এ ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাপক সহায়তা
প্রদানকারী ১২ জন মানবাধিকার কর্মীকে শ্রেষ্ঠ
মানবাধিকার পদক প্রদান করা হয়। মানবাধিকার ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ-ক শাখার সম্মেলনে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন
অঞ্চলের তিন শতধিক মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গৃহশ্রমিকদের
শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ
খান মেনন এমপি। গতকাল দুপুরে জাতীয় গার্হস্থ্য শ্রমিক
ইউনিয়নের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বের বক্তব্যকালে
তিনি এ দাবি করেন। মেনন বলেন, গৃহকর্মীদের সুরক্ষা দিতে
তাদের জন্য আইন করতে হবে। তাদের শ্রম আইনের
অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ২০১৫ সালে গৃহকর্মীদের জন্য
নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও এর কার্যকারিতা নেই। এ কারণে
করোনাকালে তারা সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সামান্য
ত্রাণটুকুও পাননি। করোনাভাইরাসের কারণে মেস ও
বাসাবাড়ির কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ গৃহকর্মীকে
গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। এখন কিছু কিছু কাজে ফিরেছেন।
কিন্তু বেতন কমে গেছে এক তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে এরা যে
করোনা টিকা নেবেন তারও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সংগঠন গড়া ছাড়া
তাদের কোনো বিকল্প নেই। আইন থাকলে অথবা শ্রম আইনে
অন্তর্ভুক্ত করা হলে তাদের পক্ষে সংগঠন করা ও দাবি তোলা
সহজ হবে।
সংগঠনের সভাপতি আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে
প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান
সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন,
কৃষকনেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, প্রধান বক্তা ছিলেন
আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক
এলিজাবেথ ট্যাং। সম্মেলন পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ
সম্পাদক মুর্শিদা আখতার।
বাংলাদেশ সৃষ্টি
হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর অবিরাম সংগ্রামের ফলে’
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বঙ্গবন্ধুর অবিরাম সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি এর জন্য অদম্য নেতৃত্ব এবং নিরবচ্ছিন্ন উদ্যোগ
দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট
বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় জাতীয়
প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে
‘নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’
শীর্ষক বক্তব্য রাখার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর
জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এর মধ্য
দিয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি এর আগে
বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সফরের কথা স্মরণ করেন। ওই সফরের
সঙ্গে এবারের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমানোন্নয়নের ক্ষেত্রে
এবার অনেক অগ্রগতি চোখে পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে
বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বড় একটি
জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র সীমা থেকে বের করতে সফল হয়েছে। এই
ধারা এখনও চলছে।
বাংলাদেশকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি
জানান, এই দেশ ও জনগণের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে তিনি
আনন্দিত। বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিদ্যা দেবী
ভাণ্ডারি বলেন, দুই দেশের মধ্যে নিবিড়, বন্ধুত্ব ও
সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত আছে অনেক দিন ধরেই।
ভৌগলিকভাবে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব কম। ভৌগলিক নৈকট্য,
সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত সাদৃশ্য, পারস্পরিক সমর্থন ও
শুভেচ্ছা এই সম্পর্ককে জোরালো করেছে। ১৯৭১ সএলর ৮
এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার
পর থেকে সম্পর্ক জোরালো হওয়া অব্যাহত আছে।
বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধ হল সুইজারল্যান্ডে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুইজারল্যান্ডে বোরকা নিষিদ্ধের গণভোটে পঞ্চাশ শতাংশের
বেশি মানুষ পক্ষে মত দেয়। বোরাকার সঙ্গে সম্পূর্ণ মুখ
ঢাকা পোশাক নিকাব ও হিজাবও প্রকাশ্যে পরিধান নিষিদ্ধ
করা হয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে বোরকা ও
হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখাল
দেশটি।
সুইজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও বিষয়ে এক লাখ
মানুষ স্বাক্ষর প্রদান করলে সেই প্রস্তাবের ওপর জাতীয়
ভোট অনুতি হয়। গণভোটে ৫১ দশমিক দুই শতাংশ মানুষ ৭
মার্চ প্রস্তাবটির পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তবে দেশটির ২৬টি ক্যান্টনের (প্রশাসনিক অঞ্চল) ছয়টিতে
বেশিরভাগ মানুষ এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি। এই ছয়
ক্যান্টনের মধ্যে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় তিন শহর
জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল। এছাড়া রাজধানী বার্নের অধিকাংশ
মানুষও ছিলেন বিপক্ষে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি জনসমক্ষে মুখ ঢেকে
রাখতে পারবেন না। রেস্টুরেন্ট, স্টেডিয়াম, গণপরিবহণ
এমনকি রাস্তায় হাঁটার ক্ষেত্রেও মুখ আবৃত করে এমন
পোশাক পরা যাবে না। তবে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং নিরাপত্তা
ও স্বাস্থ্যগত কারণে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ
করোনা থেকে রক্ষায় মাস্ক পরতে কোনও সমস্যা নেই। সেই
সঙ্গে প্রার্থনাস্থলে এই নিয়মের ছাড় দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোথাও বোরকা, কোথাও
হিজাব নিষিদ্ধ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ফ্রান্স
জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক প্রভৃতি।
তবে, ২০১১ সালে ফ্রান্স প্রথম প্রকাশ্যে বোরকা ও নিকাব
ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৪ সালে
ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালত সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ
দেয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি জানায়, এই ধরনের
নিষেধাজ্ঞা মুসলিম মেয়েদের স্বাধীনতার বিরোধী।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন শেখ হাসিনা : শ্রীলংকার
প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে
সমৃদ্ধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় সফররত
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
রাজাপাকসে আরও বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশকে
সুখী ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে তিনি (শেখ হাসিনা) ব্যাপক
ভূমিকা রেখেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী
মুজিব চিরন্তন অনুানের তৃতীয় দিনে সম্মানিত অতিথির
বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে তৃতীয়
দিনের অনুানের সূচনা হয় মিরপুরের সরকারি পিএইচ
সেন্টারের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ইশারা
ভাষায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। আজকের অনুানের
থিম যতকাল রবে পদ্মা যমুনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুানের
সম্মানিত অতিথি শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে
আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা
সংগ্রামে আজীবন লড়াই করেছিলেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তবে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে
তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
বাংলার এই অঞ্চলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সম্পর্ক
রয়েছে উল্লেখ করে রাজাপাকসে বলেন, বিশেষ করে সমুদ্রপথে
দুই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক রুট ছিল। দুই দেশের
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর জোর দেন
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী
এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুানে
যোগ দিতে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে
রাজাপাকসেকে বহনকারী উড়োজাহাজটি। সেখানে তাকে স্বাগত
জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের বেশ কয়েকজন
মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বেলা ১১টার দিকে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে পৌঁছলে তাকে স্বাগত
জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ, দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর
রহমান।
পরে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের
মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি
সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে
বেজে উঠে করুণ সুর।
পরে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি
পরিজাত ফুলের চারা রোপণ করেন এবং পরিদর্শক বইতে
স্বাক্ষর করেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উপলক্ষে আয়োজিত অনুানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী।
শিশুকে ১০ বছরের বেশি সাজা দেয়া যাবে না:
হাইকোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুর অপরাধ যাই হোক না কেন, তাকে ১০ বছরের বেশি সাজা
দেয়া যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শওকত হোসেন, বিচারপতি রুহুল কুদ্দস ও বিচারপতি
এ এস এম আবদুল মোবিন সমন্বয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে
দেয়া রায়ে এমন সিদ্ধান্ত আসে।
২০১৯ সালের ২৮ আগস্টে দেয়া সে রায়ের ৬৪ পৃষ্ঠার
পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। মো. আনিস
মিয়া বনাম রাষ্ট্র নামের এ মামলায় আইনজীবী ছিলেন এস এম
শাহজাহান ও আবু হানিফ।
একটি হত্যা মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও
১৯৭৪ সালের শিশু আইনে ২০১১ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার
ট্রাইব্যুনাল-৪ এবং শিশু আদালতের রায়ে এক শিশুকে ১০
বছরের সাজা দেয়া হয়। অন্য কয়েকজন আসামিকে দেয়া হয়
মৃত্যুদন্ড। ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে শিশুটির পক্ষে
হাইকোর্টে আপিল করা হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ
রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ডাদেশের অনুমোদনের আবেদন) ও
শিশুটির আপিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির
জন্য ওঠে।
এ মামলায় এমিকাস কিউরি হিসেবে আদালতে মতামত দিয়েছিলেন
সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এম আই ফারুকী ও
শাহদীন মালিক।
রায়ে বলা হয়, শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ
কিশোর বিচার ব্যবস্থার ধারণার পরিপন্থি। নিউরোসায়েন্স
এবং মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা অনুযায়ী শিশুরা তাদের
কর্মকান্ডের পরিণতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন নয়। শিশুরা
তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। শিশুরা
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরিণতি সম্পর্কেও সম্যক
ধারণা রাখে না বলে রায়ে বলা হয়। বস্তুত মস্তিস্কের (ব্রেইন)
যে অংশ আবেগ ও যৌক্তিকতা নিয়ন্ত্রণ করে, শিশু অবস্থায়
মস্তিস্কের সে অংশ পরিপক্ক হয় না।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, স্পর্শকাতর মামলায় কোনো কোনো
ক্ষেত্রে সংঘাতে জড়ানো শিশুর মা-বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়া
হয়। এরপর এনিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তার আর
মানসিক ভারসাম্য থাকে না। একারণে অনেক ক্ষেত্রে তারা
অপরাধের দায় নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নেয়। আবার কিছু কিছু
ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ার প্রলোভনে শিশু
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়ে যায়। আইনের
সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর বিচারের এখতিয়ার শিশু আদালতের।
রায়ে বলা হয়, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কোনোভাবে শিশু
আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে না। অভিযুক্ত শিশুর
অপরাধ যাই হোক না কেন তাকে ১০ বছরের বেশি সাজা দেয়া
যাবে না
মানবাধিকার নেত্রী কবি নীলিমা কে সংবর্ধনা দিলেন সোনার
বাংলা সঙ্গীত একাডেমি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল বিকেলে
ঢাকা কবিতা ক্যাফে এক আলোচনা সভা, গুণীজন সম্মাননা
অনুষ্টানে কবি নীলিমা আক্তার নীলাকে গীতিকার হিসাবে
সঙ্গীত ভুবনে স্বাগত জানাতে বিশেষ সংবর্ধনা ও
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিপা রাজ্জাকের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত
ছিলেন, জনাব ফারুক আহমেদ, মহা পরিচালক যুব উন্নয়ন
অধিদপ্তর, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জনাব মোঃ মোশারফ হোসেন
খান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,প্রীতি ইসলাম পারভীন, সভাপতি প্রীতি
যুব কল্যাণ সংস্থা, আইরিন খান বিশিষ্ট কবি। অনুষ্ঠান
পরিচালনায় করে ছিলেন, মোঃ মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক
সোনার বাংলা সঙ্গীত একাডেমি, কাউছার পাশা, পরিচালক কচ৩৬০
জবপড়ৎফরহম ঝঃঁফরড়. আরো উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রিয়
কন্ঠশিল্পী এবং চিত্র নায়িকা জারা অন্তরা, জনপ্রিয়
কন্ঠশিল্পী জেমস নোমানসহ বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা
বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জনপ্রিয় শিল্পীরা গানে গানে
মাতিয়ে তুলেন জমকালো এই সঙ্গীত অনুষ্টান আয়োজন সম্পন্ন
করেন বলে জানাগেছে।
ছয় মাসের
পিতৃত্বকালীন ছুটির ঘোষণা দিল ভলভো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রখ্যাত সুইডিশ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ভলভো এবার
নতুন ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটি সন্তান হলে নারী-পুরুষ
নির্বিশেষে ৪০ হাজার কর্মীর সবাইকে ছয় মাসের ছুটি দেবে
বলে ঘোষণা দিয়েছে। লিঙ্গ সমতা ও মেধাবীদের আকর্ষণ করার
লক্ষ্যে মঙ্গলবার এমন ঘোষণা দিয়েছে। খবর দ্য স্ট্রেইট
টাইমস'র।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভলভোর কর্মীরা এই সুবিধা পেতে শুরু
করবেন। তবে এর জন্য কোম্পানিটিতে কমপক্ষে এক বছর কাজ
করতে হবে। এই ছুটির সময় ৮০ শতাংশ বেতন পাবেন তারা। আর
শিশুর জন্মের পর তার বয়স তিন বছর হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছেমতো
যে কোনো সময় ছয় মাসের এই ছুটি নিতে পারবেন কোম্পানিটির
কর্মীরা।
সুইডেনের জাতীয় পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতির আওতায়
কোম্পানিটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ছুটির ক্ষেত্রে
সুইডেনের গৃহীত নীতিকে বিশ্বে সবচেয়ে উদার বলে বিবেচনা
করা হয়। এই নীতির কারণে একজন শিশুর জন্য তারা বাবা-মা
মিলে মোট ৪৮০ দিনের ছুটি পেতে পারেন। এ সময় তারা তাদের
বেতনের ৮০ শতাংশ পাবেন।
ভলভোর মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রধান হান্না ফেজার
বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা বাবা-মা
উভয়কেই এমন সুযোগ দিচ্ছি। আরও অনেক পুরুষকে
পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করতে
চাই আমরা। আর গাড়ি নির্মাণ শিল্পে পিতৃত্বকালীন ছুটি
দেওয়ার ঘটনা বিরল।’
এর আগে অন্যান্য সুইডিশ কোম্পানিও বিশ্বজুড়ে তাদের
কর্মীদের বেতনসহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া শুরু করে।
এরমধ্যে সুইডেনভিত্তিক মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি
স্পটিফাই ২০১৫ সালে তাদের পুরুষ কর্মীদের শতভাগ বেতনসহ
ছয় মাসের ছুটি দেওয়ার নীতির ঘোষণা দেয়। ২০১৭ সালে এমন
ঘোষণা দেয় বহুজাতিক আরেক সুইডিশ কোম্পানি আইকিয়া।
২৬ মার্চকে বাংলাদেশ ডে ঘোষণা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৬ মার্চকে বাংলাদেশ ডে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন
ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউচার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউচার ২৬
মার্চকে বাংলাদেশ ডে ঘোষণা দিয়েছেন।
৩ এপ্রিল ২০২১ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো
হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এক
বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল
বাউচার বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন
বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে ২৬ মার্চকে
বাংলাদেশ ডে হিসেবে ঘোষণা দেন।
দ্বিপাক্ষিক
বৈঠকে শেখ হাসিনা-লোটে শেরিং
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য
সাক্ষাত করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
২৪ মার্চ বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে
বসেন দুই দেশের সরকার প্রধান।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকের পর তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে
স্বাক্ষর করবেন। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল
হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সেখানে পরিদর্শক বইয়ে
স্বাক্ষর করবেন তিনি। বিকেলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে
ন্যাশনাল প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা
রয়েছে তার। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে
স্বাগত জানাবেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংকে
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ
সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ২১টি গান
স্যালুটসহ গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি
পরিদর্শন করেন এবং উভয় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ প্রতিনিধি
দলের সঙ্গে পরস্পরকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব,
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধানরা
উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে শেরিং
পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে
একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
একই দিন ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল তার রোপণ করা মিমুসোপস
ইলাঙ্গি ভ্যারিগাতা চারাগাছটিও তিনি পরিদর্শন করেন।
তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে পরিদর্শক বইয়ে
স্বাক্ষর করেন।
রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের সফররত
প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এর সম্মানে রাজধানীর
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে নৈশভোজের
আয়োজন করেন। লোটে শেরিং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও
হোটেলে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। উভয়
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময়
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ
সদস্য এবং পদস্থ সরকারি বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী
হিসেবে দেশটির রয়াল একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টসের (রাপা)
২২ জন শিল্পী এবং চার জন সাংবাদিক গত সপ্তাহে ঢাকায়
এসেছেন। সফরকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং
দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
আলোচনা করবেন।
শ্বশুরকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দিলেন সৌদি যুবরাজ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান তার শ্বশুর
মাশহুর বিন আব্দুল আজিজকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ
দিয়েছেন। তবে ঠিক কবে থেকে তাকে গৃহবন্দী অবস্থায় রাখা
হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সৌদি আরবের একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর
দিয়েছে ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স।
খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের নিরাপত্তা সংস্থাকে না
জানিয়ে আমেরিকার একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার সঙ্গে
বৈঠকের পর এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
যুবরাজের স্ত্রী সারার বাবা মাশহুর বিন আব্দুল আজিজ,
একইসঙ্গে তিনি বর্তমান রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজের
সৎ ভাই।
উল্লেখ্য, বর্তমান রাজার চার ছোট ভাই এখনও জীবিত
রয়েছেন। তারা যে কোনো সময় রাজা ও যুবরাজের জন্য হুমকি
হয়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
Top
ভারত
পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অর্থনীতির অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে ক্রমেই ছাড়িয়ে
যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিবছরই আসছে নতুন নতুন ক্ষেত্রে
এগিয়ে যাওয়ার খবর। অবশ্য শুধু অর্থনীতি নয়,
পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে
বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি ভারতের
ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির
গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ভারতের সঙ্গে তীব্র
প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক
ক্ষেত্রেই ভারতের থেকেও এগিয়ে। ভারত ও পাকিস্তানের
অনেক পরে স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশের
স্বাস্থ্য-শিক্ষার দিক দিয়ে ছাড়িয়ে যাওয়া চমক তৈরি
করেছে পুরো বিশ্বেই। কারণ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভাগ
হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। দুই দেশের পাশাপাশি দুই বাংলা
ভাগ হয়ে বাঙালির হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ
ঘটিয়েছিল, তা আজও বন্ধ হয়নি। সেই দেশ ভাগেরও ২৪ বছর পর
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে
বিশ্বের বুকে প্রতিতি হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কভিত্তিক একটি জনপ্রিয় বিজনেস পোর্টাল কোয়ার্টজ
ডটকম বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে অগ্রসরমান এশিয়ার অন্যতম
প্রতিনিধিত্বশীল দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। এটি বিশ্বের
একমাত্র দেশ ২০২০ এবং ২০২১ এই বছরেই যাদের প্রবৃদ্ধি
হবে ২ শতাংশের বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)
সর্বশেষ তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাকিস্তানের ছাড়িয়ে
যাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনটি ঘটতে যাচ্ছে চলতি
২০২১ সালে। সূচক বিবেচনার বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের
অর্থনীতি যে পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী তার
আত্মপ্রকাশ হবে এ বছরই। যদিও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি)
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে দুই বছর আগে, আর
মাথাপিছু জিডিপিতে ছাড়িয়েছে তিন বছর আগে। আইএমএফ বলছে,
ক্রয়ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে ২০২১ সালে পাকিস্তান যে
পিছিয়ে পড়তে যাচ্ছে সে অবস্থান থেকে পাকিস্তান আর
বাংলাদেশকে ধরতে পারছে না সহসাই।
ইধহমষধফবংয চৎধঃরফরহজানা যায়, আইএমএফের প্রাক্কলন
নিয়েই ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত রয়েছে
গত এক বছর ধরেই। কারণ গত বছরই আইএমএফের প্রাক্কলনে
মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। এই
প্রাক্কলনের বড় কারণ ছিল ওই বছরে ভারতের জিডিপি
প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক, বিপরীতে বাংলাদেশের ছিল ৩
দশমিক ৮ শতাংশ।
Top
নিঃশর্ত ক্ষমা
চেয়েছেন ড. ইউনূস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিজ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের ৩৮ জন কর্মচারীকে
চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় আদালত
অবমাননার অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ
ইউনূসসহ দুজন হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পরে
উচ্চ আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি
দিয়েছেন।
১৬.০৩.২০২১ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি
মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা ক্ষমা
চান। তারা ভার্চ্যুয়ালি হাজির হন। একই সঙ্গে গ্রামীণ
টেলিকমের কর্মচারীদের পুনর্নিয়োগের বিষয়ে জারি করা
রুলটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির
পর ২২ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুতিনকে মূল্য
দিতে হবে: বাইডেনি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
২০২০ সালে অনুতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
প্রভাবিত করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল রাশিয়া। এ প্রতিবেদনের
প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর মূল্য দিতে
যাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ১৬
মার্চ ২০২১ ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই)
এর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
নির্বাচনের আগে বাইডেনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও
অসমর্থিত তথ্য দিয়ে মস্কো মার্কিন সংবাদ সংস্থা,
কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন-সহ
বিশিষ্ট মার্কিন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুতিন এ ব্যাপারে অবগত
ছিলেন এবং সম্ভবত তার নির্দেশেই ট্রাম্পের পক্ষে এবং
বাইডেনের বিপক্ষে এ প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
এদিকে, ১৭ মার্চ এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
বাইডেন জানান, নির্বাচনে পুতিনের হস্তক্ষেপের প্রমাণ
পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
জানিয়েছিলেন বাইডেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার সঙ্গে
আমার দীর্ঘ কথোপকথন হয়েছে এবং আমি তাকে বেশ ভালো করেই
চিনি। কথোপকথনের শুরুতেই আমি বলেছি, আপনি আমাকে চেনেন
এবং আমি আপনাকে চিনি। যদি সেটা (নির্বাচন প্রভাবিত
করার চেষ্টা) প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রস্তুত থাকবেন।
ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি পুতিনকে
হত্যাকারী মনে করেন কি না। জবাবে বাইডেন বলেন, হ্যাঁ,
আমি তা মনে করি।
পুতিনের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে,
সে বিষয়ে কিছু বলেননি বাইডেন। তবে, গত মাসেই রাশিয়ার
চারজন জ্যে কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, ১৭ মার্চ ২০২১ মস্কো বলেছে, নির্বাচনে
রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থার ওই
প্রতিবেদনের কোনো নিশ্চিত ভিত্তি এবং প্রমাণ নেই। কোনো
ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার
সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি জানায়
মস্কো।
করোনা অ্যান্টিবডি
নিয়ে প্রথম শিশুর জন্ম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারী
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেয়ার পর যে শিশুর জন্ম
দিয়েছেন তার দেহেও করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া
গেছে। এটি বিশ্বে প্রথম কোনো শিশু যে এই ভাইরাসটির
অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মেছে।
দুজন শিশু বিশেষজ্ঞ তাদের অপ্রকাশিত এক নিবন্ধে এমনটাই
দাবি করেছেন। নিবন্ধটি এখনও পিয়ার-রিভিউ করা বাকি আছে।
নিবন্ধের লেখক চিকিৎসক পল গিলবার্ট ও চ্যাড রুডনিক
বলেন, শিশুটির মা একজন সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী।
তিনি যখন জানুয়ারিতে ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন,
তখন মডার্নার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন।
তাদের নিবন্ধে বলা হয়, টিকা গ্রহণের তিন সপ্তাহ পর ওই
নারী একজন সুস্থসবল কন্যা শিশু প্রসব করেন। শিশুটির
নাড়ীর রক্ত পরীক্ষা করে তাতে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি
শনাক্ত হয়।
এতে আরও বলে হয়, অতএব, মাতৃত্বকালীন ভ্যাকসিন গ্রহণের
ফলে সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাস) এর বিরদ্ধে সুরক্ষা ও
সংক্রমণ হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
গিলবার্ট বলেন, আমাদের জানা মতে, ভ্যাকসিন (করোনাভাইরাসের)
নেয়ার পর এটিই বিশ্বে প্রথম কোনো শিশুর অ্যান্টিবডি
নিয়ে জন্মানোর ঘটনা। তিনি আরও বলেন, আমরা শিশুটির নাড়ী
পরীক্ষা করে দেখছি যে মায়ের অ্যান্টিবডি শিশুর দেহে
প্রবেশ করেছে কিনা, যেমনটা অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময়
অন্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি।
নিবন্ধের আরেক লেখক রুডনিক বলেন, যেসব হাজার হাজার মা
ভ্যাকসিন নিয়েছেন, আগামী কয়েক মাস ধরে তাদের হাজার
হাজার শিশু অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মাবে। এ ঘটনা তেমনই
একটি উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, শিশুর এই সুরক্ষা কতদিন থাকবে তা বুঝতে
আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।
গিলবার্ট ও রুডনিক জানান, তাদের নিবন্ধটি প্রকাশের
জন্য গৃহীত হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জার্নালের
ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষা করছেন তারা।
বায়ুদূষণ বেড়েছে
ঢাকায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিলোত্তমা হিসেবে গড়ে উঠতে গিয়ে ঢাকা আজ দূষণের নগরী।
করোনাকালেও থেমে নেই বায়ুদূষণ। বাংলাদেশ পরিবেশ
আন্দোলন ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র ঢাকা শহরের ৭০টি
স্থানের বায়ুদূষণের যে সমীক্ষা চালিয়েছে তার ফল বলছে,
গত এক বছরে রাজধানী ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ ১০ শতাংশ হারে
বেড়েছে। ২০২০ সালে ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানের গড় বস্তুকণা
২.৫ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৩৩৫.৪ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০১৯
সালের তুলনায় প্রায় ১০.২ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ২০১৯
সালে বস্তুকণা ২.৫ গড় মান পাওয়া যায় প্রতি ঘনমিটারে
৩০৪.৩২ মাইক্রোগ্রাম। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আরেক বায়ু
পর্যবেক্ষণ প্রতিান আইকিউএয়ার বলছে, রাজধানী ঢাকাসহ
সারা দেশের গড় দূষণ মাত্রায়ও বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে
দূষিত বায়ুর দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর
দ্য স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার ২০১৯ শীর্ষক বৈশ্বিক
প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের
শতভাগ মানুষ দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করে, বাংলাদেশ
সেগুলোর অন্যতম। আর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পঞ্চম। বায়ুদূষণ যে
মহামারি পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলতে পারে, সে
চিত্রও এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি ঘনমিটার
বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২.৫-এর পরিমাণ এক
মাইক্রোগ্রাম বাড়লেই করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার ৮ শতাংশ
বেড়ে যেতে পারে। দূষণ বেড়ে গেলে বাতাসে করোনাভাইরাসের
আয়ুও অনেকটা বাড়তে পারে। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার
আশঙ্কাও বেড়ে যাবে।
নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে
চলছে সড়ক খনন। নগরীর অলিগলি খোঁড়াখুঁড়ির সময় কোনো
ধরনের নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না। উন্মুক্ত স্থানে বালু,
মাটি, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণপণ্য খোলা রাস্তায় ফেলে
রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে বায়ুদূষণ। রাজধানীতে নেওয়া
মেগাপ্রকল্পগুলোর আওতায় সড়কে কাটাকাটি চলছেই। ফলে দূষণ
বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ঢাকায় ধুলার দূষণে সৃষ্ট
অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইকে
কঠিন করে তুলতে পারে। তাঁদের মতে, ঢাকায় বায়ুদূষণ
যেভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে, তাতে মানুষের
করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা কমে যাবে। কভিড
সেরে যাওয়ার পর যারা বাইরে যাবে, বায়ুদূষণ তাদের
ফুসফুসে অনেক বেশি ক্ষতি করবে। যাদের ফুসফুস কভিডে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা কভিড থেকে সেরে ওঠার পর দূষিত
বাতাসের সংস্পর্শে গেলে সর্দি, কাশি আরো বেড়ে যায়।
ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে গেলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
কভিড পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি
চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এখনই কার্যকর
ব্যবস্থা নিতে হবে।
হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে হতদরিদ্র মানুষের পাশে
দাঁড়িয়ে রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ১০ দিনের
আয়োজনের ষ দিন সোমবার অনুানে উপস্থিত হয়ে এই আহ্বান
জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন,
রাষ্ট্রপতি বলেন,
মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী
অনুষ্ঠানমালার সোমবার ষ দিনের অনুানের প্রতিপাদ্য
বাংলার মাটি আমার মাটি। অনুানে সভাপতিত্ব করছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুানে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত আছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে
বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখবেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়:
স্পিকারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন,
মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। দুই
লাখ নারীর আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।
২৮ মার্চ জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)
বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে
অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অব ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে
স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে
সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে, জেসিআই বাংলাদেশ
কর্তৃক ‘উইমেন অব ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীদের
উৎসাহিত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে
ত্বরান্বিত করবে।
তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন
প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে
না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক
অধিকার। টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ সরাসরি নারী উন্নয়নের সঙ্গে
সম্পৃক্ত। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে
লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। দারিদ্র্য,
বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ
প্রক্রিয়ায় নারীর অংশ গ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি
নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। করোনালীন
লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য বাড়ার পাশাপাশি নারী ও
কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। করোনার সময়ে উদ্ভূত
এ ধরনের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ
সমতাভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে
উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।
ফাইজার টিকার
উদ্ভাবক মুসলিম দম্পতিকে জার্মানির সম্মাননা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম সফল টিকা উদ্ভাবক,
তুর্কি বংশদ্ভুত মুসলিম জার্মান দম্পতি উগুর শাহিন ও
ওজলেম তুরেজিকে জার্মানির সর্বোচ্চ অর্ডার অব মেরিট
সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্টের
সরকারি বাসভবন বেলভাই প্রাসাদে ২৬ মার্চ ২০২১ এক
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজ্ঞানী এই দম্পতির হাতে সম্মাননা
তুলে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার
স্টেইনমিয়ার। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল
সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জার্মান
প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় বলেন, 'দেশের পক্ষ থেকে আমি
আপনাদের দুই জনকেই ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি বিস্ময়কর
বৈজ্ঞানিক সাফল্য অর্জনের জন্য। পাশাপাশি আমি আশা করছি
আপনাদের পরবর্তী গবেষণা পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনাদের ও
আমাদের সকলের জন্য একই প্রকার উদ্ভাবনী সাফল্য অর্জনের।'
তিনি শাহিন ও তুরজির ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক
বছরের কম সময়ের মধ্যে প্রতিরোধকারী টিকা উদ্ভাবনের
প্রশংসা করেন।
প্রেসিডেন্ট স্টেইনমার বলেন, 'আপনাদের উদ্ভাবনী
আবিস্কার মানুষের জীবন রক্ষা করেছে, জীবনের
প্রয়োজনীয়তায় নিরাপত্তা দিয়েছে, আমাদের সামাজিক,
অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্বকে নিশ্চিত করেছে। টিকা
পাওয়া সব মানুষকে নিয়ে আমরা স্বাভাবিক অবস্থার দিকে
ক্ষুদ্র পদক্ষেপে পা চালাতে পারি, এমন জীবনের দিকে যার
অভাব আমরা অনুভব করছি এবং এমন মানুষ যাদের আমরা
ভালোবাসি।'
উগুর শাহিন ও ওজলেম তুরেজি উভয়ের হাতেই প্রেসিডেন্ট
স্টেইনমার অর্ডার অব মেরিটের গ্রেট ক্রস সম্মাননা তুলে
দেন।
তুরস্ক থেকে আসা জার্মানিতে ১৯৬০-এর দশকে আসা অভিবাসী
পরিবারে শাহিন ও তুরেজি জন্ম নেন। চিকিৎসা বিষয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে ক্যান্সার চিকিৎসা, আণবিক
জীববিদ্যা ও টিকা প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় একত্রে সফল
ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন তারা।
২০০৮ সালে তারা নিজস্ব ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি
বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কিন অংশীদার ফাইজারের
সাথে তাদের বায়োএনটেক থেকে বিশ্বের প্রথম কার্যকর করোনা
সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবন করেন এই দম্পতি।
ঝুঁকিতে থাকা
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নেই স্বাস্থ্যবীমা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন সিটি
করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। কিন্তু তাদের জন্য
নেই কোনো স্বাস্থ্যবিমা।
স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা
জানান, দৈনিক হাজিরার টাকা ছাড়া তারা আর কিছু পান না।
সিটি করপোরেশন থেকেও স্বাস্থ্যবিমা না থাকার বিষয়ে
নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে বলে জানানো
হয়েছে।
জানা গেছে, বিনা খরচে সাধারণ চিকিৎসার জন্য একটি
হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা থাকলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা
সেখানে তেমন একটা যান না।
বিনা খরচের হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কেন যান না,
সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানমণ্ডির ওই
হাসপাতালটিতে সব এলাকার পরচ্ছিন্নতাকর্মীরা যেতে চান
না। কারণ দূরত্ব। যাতায়াত খরচ ও সময় বিবেচনা করেই তারা
নিজেদের মতো করে ধারে কাছের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে
থাকেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সূত্র
জানায়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমার বিষয়টি
প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি নিজস্ব হাসপাতালের মাধ্যমেও
চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ডিএনসিসি।
জানা যায়, ডিএনসিসির পুরনো ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬টিতে
নিজেদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে প্রায় দুই হাজার ৮০০
জন। বাকি ৮টি ওয়ার্ডে বেসরকারি পর্যায়ে এক হাজার ৫০০
জন এবং নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে আরও ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
নিয়োজিত আছেন। এছাড়া তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাসা বাড়ি
থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য আছে লোকবল।
সিটি করপোরেশনের দাবি, নিজেদের কর্মীদের স্বাস্থ্যগত
বিষয়ের পুরোটাই দেখভাল করছেন তারা।
ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক
পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা দৈনিক
হিসেবে হাজিরা পাই। এর বাইরে আমাদের জন্য কিছু নাই।
আমাদের রোগ বালাই হলে সিটি করপোরেশনের একটা হাসপাতাল
আছে। কিন্তু অসুস্থ হলে এতদূর যাওয়াই সমস্যা। তাই
আশেপাশের কোনো হাসপাতালেই যেতে হয়। সেখানে যে খরচ হয়
সব আমাদের। আবার অসুস্থ হয়ে কাজে যেতে না পারলে
সেদিনের হাজিরা মাইর যায়।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে
একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দৈনিক ৬০০ টাকা হারে হাজিরা ভাতা
পেয়ে থাকেন।
Top
সুপ্রিম কোর্ট বারে
সভাপতি আ'লীগের, সম্পাদক বিএনপির
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২১-২০২২ সেশনের
নির্বাচনে সভাপতি পদসহ ৮টি পদে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থক
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। অপরদিকে, সম্পাদক পদসহ
বাকি ৬টি পদে জয়ী হয়েছে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।
সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের আবদুল মতিন খসরু ২ হাজার
৯৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন
২ হাজার ১৩২ ভোট। সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ৩ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে
নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা
প্যানেলের মো. আবদুল আলিম মিয়া জুয়েল পেয়েছেন ২ হাজার
২০৪ ভোট।
১০ ও ১১ মার্চ ২০২১ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এ আইনজীবী
সমিতির নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৬ জন।
শুক্রবার রাতে গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন
নির্বাচন পরিচালনার গঠিত উপর কমিটির আহ্বায়ক
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান। ১৪টি পদের
বিপরীতে এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৫১ জন।
মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন নির্দেশনা
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকলের
মাস্ক পরা নিশ্চিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি)
ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দিয়েছে
সরকার।
১৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দিয়ে
চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর
হার গত কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংক্রমণের হার রোধের জন্য সর্বক্ষেত্রে সকলের মাস্ক
পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করাসহ
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য
বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের অনুরোধ জানানো হয়েছে
চিঠিতে।
সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নগামী থেকে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ
বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও নানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
১৩ মার্চ ২০২১ স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২০৬টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার
১৪ জনের। এ সময়ে মারা গেছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন
পুরুষ ও ৩ জন নারী। নতুন করে ১২ জনের মৃত্যুতে এ নিয়ে
দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫২৭ জন। মোট
শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জন।
গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুতি
মন্ত্রিসভা বৈঠকে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি
নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সে সময় তিন নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,
ভ্যাকসিন নেই বা না নেই আমরা যেন অবশ্যই তিনটি জিনিস
মেনে চলি।
'আমরা যেন অবশ্যই বাইরে মাস্ক ব্যবহার করি। যথাসম্ভব
যাতে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করি। আর তিন নম্বর হলো
পাবলিক গ্যাদারিং যেখানে হচ্ছে বিশেষ করে কক্সবাজার বা
হিল ট্র্যাকসে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় গ্যাদারিংগুলো
হচ্ছে, সেখানে যেন একটা লিমিটেড সংখ্যায় থাকি। আমরা
নিজেদের যেন একটা দায়িত্ববোধ থাকে- যেখানে বেশি সংখ্যক
লোক আছে সেখানে যেন আমি না যাই। যারা যাবেন তারা যাতে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
নাম পরিবর্তন করা হলো তথ্য
মন্ত্রণালয়ের

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে
সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নাম তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। ইংরেজিতে গরহরংঃৎু ড়ভ
ওহভড়ৎসধঃরড়হ ধহফ ইৎড়ধফপধংঃরহম।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) ধারায় দেয়া ক্ষমতা বলে
রাষ্ট্রপতি রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ সংশোধনের মাধ্যমে
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামে এই পরিবর্তন এনেছেন বলে ১৫
মার্চ ২০২১ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো
হয়েছে। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত
হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, তথ্য মন্ত্রণালয় যে
কাজ করে নামে এর পুরো প্রতিফলন নেই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের
কার্যপরিধিতে তথ্য ছাড়াও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে
ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যমের সংক্রান্ত কার্যাবলি।
তাই নামে সম্প্রচার শব্দটি যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবসে ছুটি ঘোষণা করতে কানাডার সিনেটে বিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে ২১
ফেব্রুয়ারি কানাডায় জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে সিনেটে বিল
এনেছেন কানাডীয়ান সিনেটর মবিনা জাফর। বহু সংস্কৃতির
দেশ কানাডায় অভিবাসীদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি এবং
গুরুত্ব সম্পর্কে কানাডীয়ানদের সচেতন করে তুলতেই তিনি
বেসরকারি বিল হিসেবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে
কানাডায় ছুটি ঘোষণার জন্য বিলটি এনেছেন বলে জানান।
তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে সিনেটে বিলটি নিয়ে আলোচনার
পর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে
বলে তিনি আশা করছেন। কানাডার বাংলা পত্রিকা 'নতুনদেশ'
এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আরী সাগরের সঞ্চালনায় সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচারিত শওগাত আলী সাগর লাইভে
বিলটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাকালে তিনি বিলটির
স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের
সহযোগিতা চান।
কাউকে মনে ধরলেই
অদ্ভুদ রোগে আক্রান্ত হন এই নারী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অদ্ভুদ রোগে আক্রান্ত ব্রিটেনের কার্টসি ব্রাউন নামের
এক তরুণী। কারোর দিকে ভালবেসে তাকালেই ৩২ বছরের
কার্টসির মস্তিষ্কে অসুস্থতা দেখা দেয়। সে যে রোগে
ভুগছেন তার নাম ক্যাটাপে-ক্সি। এই রোগে হঠাৎ করে তীব্র
আবেগ তৈরি হয়ে যায়, যেমন রাগ-ভয়-আনন্দ যা-ই হোক, তা
হলেই সংশ্লিষ্ট রোগীর পেশিতে পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা
যায়। একে নারকোলেপসিও বলে।
বিষয়টি নিয়ে কার্টসি জানান, দিনে মোটামুটি বারপাঁচেক
তিনি এই রোগে আক্রান্ত হন। এই ধরনের প্রকোপ এড়ানোর
জন্য তিনি কোনও জনবহুল রাস্তায় হাঁটলে বা ভিড়ের মধ্যে
পড়ে গেলে মাথা নীচু করে রাখেন, যাতে কারও সঙ্গে তার
চোখাচোখি না হয়ে যায়! কিছু চোখে ভাল লাগলেই পা কেঁপে
ওঠে, পড়ে যান তিনি। যদিও এই রোগের কোনো চিকিৎসা আছে
কিনা জানা যায়নি।
২১ বছর পর্যন্ত
ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব বাবার: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৮ তে আর শেষ নয়, ২১ বছর পর্যন্ত ভারতে ছেলের
ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে বাবা -মাকে, জানিয়ে দিল
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। স্নাতক স্তরকে শিক্ষার মাপকাঠি
হিসেবে রাখা হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত ছেলের দেখভাল করতে
হবে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়া এবং
বিচারপতি এমআর শাহের একটি বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের একটি
রায়ের পুনর্বিবেচনা করেন। বেঞ্চ জানায়, ১৮ বছর পর্যন্ত
ছেলের জন্য আর্থিক ব্যয় যথেষ্ট নয়। কারণ, কলেজ ডিগ্রি
তখনও পর্যন্ত পায়না ছেলে। ফলে চাকরি পেতে পারে না তারা।
তাই সেই বয়সের সময়সীমাকে ২১ বছর পর্যন্ত করল শীর্ষ
আদালত।
কর্নাটকের এক কর্মচারীকে ছেলের পড়াশোনার ব্যয় বাবদ ২০
হাজার টাকা দিতে বলে পারিবারিক আদালত। তিনি সেটি দিতে
চান না। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
সেখানে তিনি বলেন, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের
কারণে তাদের ২০০৫ সালের জুন মাসে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন
তাকে ছেলের ভরণপোষণ নিতে হবে, তা সম্পর্কে অবগত ছিলেন
না। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর দুই সন্তানের জন্ম
দেন ওই কর্মচারী। তার মাসিক বেতন যা, তার পক্ষে এই টাকা
দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তার কোনও কথাই শোনেননি সুপ্রিম
কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্জ জানিয়েছেন, এতে প্রথম
পক্ষের সন্তান কী দোষ করল? তার যতœ নিতে হবে।
এরপরই, পুনর্বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আর ১৮
নয়, ২১ বছর পর্যন্ত ছেলের দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে।
সেতু পার হলেই ভারত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের তিন দিক জুড়েই রয়েছে ভারত। দুই দেশের
সীমান্তে কোথাও নদী, খাল, কোথাও বিরান ভূমি কাঁটাতারের
বেড়া দিয়ে ঘেরা। এবার সম্প্রীতির সেতুতে যুক্ত হলো দুই
দেশ। সেতু পার হলেই ভারত।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে ফেনী নদীর
ওপর দিয়ে দুদেশ যুক্ত হয়েছে এ সেতু দিয়ে। দুদেশকে
যুক্ত করা প্রথম সেতুর উদ্বোধন করেছেন দুদেশের
সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার দুপুরে এক
ভার্চুয়াল অনুানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর
উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে ত্রিপুরার সাবরুমে একটি
ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টেরও ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
এই সেতুকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতার
স্মারক হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুদেশের মাঝে শুধু
সেতুবন্ধনই রচনা করবে না বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে ব্যবসা
বিনিয়োগ বাড়াবে বাইডেন সরকার
- রাষ্ট্রদূত আর্ল
আর মিলার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল
আর মিলার বলেছেন, মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য
সম্প্রসারণে শিগগিরই ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল
চালু করা হবে। এর মাধ্যমে মার্কিন উদ্যোক্তাদের কাছে
বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে।
এদেশের কৃষি, পর্যটন ও ইকো-ট্যুরিজম, সমুদ্র অর্থনীতি,
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমোবাইল প্রভৃতি খাত
বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এমন প্রেক্ষাপটে
বাইডেন সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়বে। গতকাল মতিঝিলের
চেম্বার ভবনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রি- ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে
সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন আর্ল আর মিলার। এ সময়
উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ
মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, মার্কিন দূতাবাসের
ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিট
চিফ জন ডি. ডানহাম এবং ইউএসএআইডির ইকোনমিক গ্রোথ
অফিসের পরিচালক জন স্মিথ শ্রীন প্রমুখ। রাষ্ট্রদূত
আর্ল আর মিলার বলেন, জন্মগতভাবেই বাংলাদেশিরা অত্যন্ত
উদ্যমী ও সাহসী, যা নিজেকে অত্যন্ত আলোড়িত করে। এ
দেশের উদ্যোক্তাদের সাহসী মনোভাব সামনের দিনগুলোয়
বহির্বিশে^ বাণিজ্য ও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে
কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ
ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ
৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং আগামীতে তা
আরও বাড়বে। তবে বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসা পরিচালনার সূচকে
বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে
বিশেষ করে সমুদ্রবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর
দিতে হবে।
করোনা দেখিয়েছে
ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকার: ওয়েবের জনক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ওয়েবের জনক স্যার টিম বার্নার্স–লি বলেছেন, মানুষের
মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট সংযোগের গুরুত্ব তুলে
ধরেছে করোনাভাইরাস মহামারি। তবে এখনো অনেক তরুণের কাছে
ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা পৌঁছায়নি। তাই মহামারির সময়ে
ডিজিটাল বৈষম্যের বিষয়টি আরও প্রশস্ত হয়েছে বলেই মনে
করেন তিনি।
২০৩০ সালের মধ্যেই সরকারগুলোকে সর্বজনীন ব্রডব্যান্ড
সরবরাহের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানান স্যার টিম
বার্নার্স–লি। বিশ্বব্যাপী ওয়েবের প্রতিাবার্ষিকী
উপলক্ষে তিনি তাঁর বার্ষিক চিঠিতে লিখেছেন, আমরা এটি
না করার সামর্থ্য রাখি না। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার টিম
বার্নার্স–লি ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট বিশ্বের প্রথম
ওয়েবসাইট চালু করেন। বার্নার্স–লির সেদিনের সেই
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষের
জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
মানুষ যেন দরকারি তথ্য ও নথি সহজে খুঁজে পায়, ওয়ার্ল্ড
ওয়াইড ওয়েবে এমন এক ব্যবস্থা বানাতে চেয়েছিলেন তিনি।
টিম বার্নার্স–লি সে সময় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়
গবেষণা সংস্থা সার্নের সদর দপ্তরে কাজ করতেন।
এখনো বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ তরুণ জনগোীর কাছে ইন্টারনেট
সুবিধা নেই। এ ছাড়া অনেকের কাছে বাড়িতে বসে কাজ বা
শেখার জন্য মানসম্মত ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
স্যার টিম দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে কম খরচে ইন্টারনেট
সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তাঁর ভাষ্য, ইন্টারনেটকে মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে
দেখতে হবে। তবেই প্রবৃদ্ধি হবে দেশের। খাদ্য, বস্ত্র,
বাসস্থান, চিকিত্সা যেমন মানুষের মৌলিক অধিকার, তেমনি
কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও মানুষের মৌলিক
অধিকার হওয়া উচিত।
দুর্ভিক্ষের মুখে ৩
কোটির বেশি মানুষ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত
সংকট ও সংঘাত সমন্বিতভাবে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা
পরিস্থিতিকে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায়
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলছে, আগামী কয়েক মাসে ২০টির বেশি
দেশে তীব্র ক্ষুধা বা খাবারের সংকট বর্তমানের চেয়ে বেড়ে
যেতে পারে। দ্য গার্ডিয়ান- খবর।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য
কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) খাদ্যসংকট ব্যাপক আকার ধারণ করা
এলাকাগুলো নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলছে, ইয়েমেন
ও দক্ষিণ সুদানের অনেক
এলাকার মানুষ এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন।
আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার আশঙ্কাজনক
পর্যায়ে অবস্থান করছেন। জরুরি এ ক্ষুধা পরিস্থিতি
আইপিসি (ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ
ক্ল্যাসিফিকেশন) ৪ নামে পরিচিত, যার অর্থ হলো এসব
মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হওয়া থেকে এক ধাপ দূরে
আছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বিষয়গুলো তীব্র ক্ষুধা পরিস্থিতি
তৈরি করছে, সেগুলো হলো সংঘাত, জলবায়ুর পরিবর্তন ও করোনা
মহামারি।
এফএওর মহাপরিচালক কিউ ডংইউ বলেন, ‘খাদ্যাভাবজনিত
দুর্ভোগের মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ
ব্যাপারে এখনই কাজে নেমে পড়া আমাদের দায়িত্ব। মানুষের
জীবন বাঁচাতে, জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে ও পরিস্থিতি আরও
খারাপ হওয়া ঠেকাতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোভিড-১৯ মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি বৃদ্ধি এবং
ক্ষুধার কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর
ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ
মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
১১ মার্চ ২০২১ নিরাপত্তা পরিষদের খাদ্য ও
নিরাপত্তাবিষয়ক বৈঠকে ভবিষতের ভয়াবহতা উল্লেখ করে তিনি
বলেন, পরিস্থিতির যদি উন্নতি না ঘটে তাহলে সামনে
আমাদের জন্য ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।
এক বৈঠকে গুতেরেস বলেন, তাৎক্ণিক পদক্ষেপ না নিলে লাখ
লাখ মানুষ ক্ষুধা ও মৃত্যুর মুখে পড়বে।
তিনি জানান, সাহেল, হর্ন অব আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান,
ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া, ৩৬টিরও বেশি দেশের তিন কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষ
ঘোষণা থেকে মাত্র এক পা দূরে রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব ৫৫০ কোটি ডলার জরুরি সহায়তার আবেদন করে
বলেন, বর্তমান এ সংকট আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। এ
কারণে এ থেকে উত্তরণে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিপর্যয় এড়াতে আমাদের শক্তিশালী টাস্কফোর্স চালু করতে
হবে। এখন আমরা শুধু বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছি কিন্তু
একটা সময় আসবে যখন আর অনুভব নয়, চরম অবস্থার শিকার হতে
হবে।
আসিফ মান্নানের
পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রাজশাহী মহানগর শাখার
অন্যতম উপদেষ্টা রাজশাহী জেলার বাগমারা থানাধীন
সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভরট্ট গ্রামের মহান মুক্তিযুদ্ধের
সহায়তাকারী সম্রান্ত পরিবারের প্রথিতযথা শিক্ষক মোঃ
হাবিবুর রহমান এবং মাতা আমেনা বেগম এর কনিষ্ঠতম সন্তান
এম.এ মান্নান, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ
ও পরিকল্পনা) হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০১০ সালে স্কলারশীপ
নিয়ে এম ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ইউজিসি
স্কলারশীপ পেয়ে পিএইচডি’র গবেষণা শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে পিএইচডি
ডিগ্রী প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, জনাব মান্নান ছাত্র
হিসেবে সব সময় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ১৪ শ’
বিসিএস এর মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করে
রাজশাহী কলেজ, কার মাইকেল কলেজ, নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে
একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন।
আমাকে গিলে খেলেও
পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসব!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বিজেপিকে
কটাক্ষ করে বলেছেন, ওদের (বিজেপি) হোঁদল কুতকুত মন্ত্রী
বলছে ধামাকা করবে। আমিও দেখব কি করে। গিলে খাবে বাংলাকে?
আমাকে যদি গিলেও খায়, তাহলে আমি আবারও পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে
আসব। সাহস থাকলে সামনে থেকে লড়াই করুক।
২৬ মার্চ ২০২১ এক নির্বাচনী প্রচরণায় তিনি এ কথা বলেন।
মমতা আরও বলেন, বহিরাগত নেতার মতই বহিরাগত গুণ্ডা দিয়ে
বাংলায় ভোট করাতে এসেছিল। ৩০ জনকে বন্দুকসহ ধরেছে
পুলিশ। শুধু মিথ্যে বলছে নির্বাচন কমিশনকে।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সকলের নজরে
নন্দীগ্রামে। তৃণমূল বনাম বিজেপি, একদিকে তৃণমূল নেত্রী
মমতা ব্যানার্জি এবং অন্যদিকে একসময় তারই ছত্রছায়ায়
থাকা আজকে তারই প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু
অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছে রাজনীতির ময়দানে।
মিয়ানমারের বিক্ষোভে
৭০ জন নিহত হয়েছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিক্ষোভে অন্তত ৭০ জন
নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক
বিশেষ দূত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১২ মার্চ মিয়ানমারে
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫ বিক্ষোভকারী নিহত
হয়েছেন।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মান্দালায় পুলিশের এলোপাতাড়ি
গুলিতে দুই জন, কেন্দ্রীয় শহর পিয়ায় একজন ও বাণিজ্যিক
রাজধানী ইয়া্গংুনে দু'জন নিহত হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে এ পর্যন্ত ৭০ জনের নিহত
হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত ২৬৪ জন
মিয়ানমারের নাগরিক পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে
১৯৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার।
মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে
ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। প্রতিবাদে দুই
দিন পর থেকে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশসহ যে চার
দেশের নারীদের বিয়ে করতে পারবে না সৌদিরা
সৌদি আরব দেশের পুরুষদের বিদেশি নারী বিয়ে করার প্রবণতা
নিরুৎসাহিত করছে। তাই চার দেশের নারীদের বিয়ে করতে সৌদি
পুরুষদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। ১৯
মার্চ ২০২১ এক সরকারি আদেশে বাংলাদেশ, পাকিস্তান,
আফ্রিকার চাদ ও মিয়ানমার- এই দেশগুলোর কোনো নারীকে বিয়ে
করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে বলে জানানো হয়। সৌদি
আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে এই তথ্য
জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এদিকে শুধু যে ওই চার দেশের নারী তা নয়, অন্য দেশের
নারীদের বিয়ে করতেও জারি করা হয়েছে বেশ কিছু
বিধি-নিষেধের। সৌদি পত্রিকা মক্কা ডেইলিকে এ বিষয়ে
মক্কা পুলিশের পরিচালক মেজর জেনারেল আসাফ আল কুরায়শি
জানিয়েছেন, কোনো সৌদি পুরুষ বিদেশি কোনো
নারীকে বিয়ে করতে চাইলে প্রথমে তাকে বিয়ের অনুমতি চেয়ে
সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই
পঁচিশের ঊর্ধ্বে হতে হবে এবং আবেদনপত্রে তিনি যে জেলার
বাসিন্দা সেখানকার মেয়রের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
আবেদনকারী পুরুষ যদি ডিভোর্সড হন, সেক্ষেত্রে
বিচ্ছেদের ছয় মাস পার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আবেদন করতে
পারবেন না। পাশপাশি আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের
পরিচয়পত্রের কপিসহ পরিবারের সদস্যদের পরিচয়পত্রের কপিও
সংযুক্ত করতে হবে।
সৌদি পুরুষদের দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা
হয়েছে আদেশে। মক্কা ডেইলিকে আসাফ আল কুরায়শি বলেন,
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো পুরুষ যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে
চান, সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে অবশ্যই এই তথ্য উল্লেখ
করতে হবে। বর্তমানে তিনি যে স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করছেন,
তিনি অক্ষম কিংবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অথবা বন্ধ্যা এবং
হাসপাতাল সনদের কপি আবেদনপত্রে সংযুক্ত থাকতে হবে।
একবার করোনা হলে ছয়
মাসের মুক্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যিনি একবার অন্তত কভিড-১৯
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ভাইরাসটির নির্দিষ্ট
সেই স্ট্রেন থেকে ন্যূনতম ছয় মাস নতুন করে আক্রান্ত
হবেন না। ডেনমার্কে চার মিলিয়ন মানুষের ওপর সমীক্ষা
চালিয়ে দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নাল পেশ করেছে এই
স্বস্তিদায়ক তথ্য। সূত্র : বর্তমান। তবে ৬৫ বছরের
ওপরের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের সম্ভাবনার কথা
নিশ্চিত করা হয়নি। কভিড-১৯-এর নতুন স্ট্রেনগুলো
সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আসল স্ট্রেনের চাইতেও
মারাত্মক কিনা তা গবেষণায় প্রকাশিত হয়নি।
তাই বারবার বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক
দূরত্ব মেনে চলার। গবেষণা বলছে, ডেনমার্কে করোনার
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা
মাত্র ০.৬৫ শতাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় স্বাভাবিক
আক্রান্তের পরিমাণ ৩.২৭ শতাংশ। অনুসন্ধানকারীরা এটাও
বলছেন, তরুণদের চাইতে বয়স্কদের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
উল্লেখ্য, কভিড নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে
আসছে। বিভিন্ন জায়গায় করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে চলছে
গবেষণা। ভ্যাকসিন এসেছে। চলছে প্রয়োগও। তবে
ধারাবাহিকভাবে চলছে এই অতিমারী ভাইরাসের গঠনগত চরিত্র
ও তার পরিবর্তন। এরই মাঝে ডেনমার্কের চার মিলিয়ন
মানুষের ওপরে করা এই গবেষণা অল্প হলেও স্বস্তির খবর।
হিজড়া বিড়ম্বনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জনমনে আতঙ্কের এক নাম হিজড়া জনগোষ্ঠী। তাদের দ্বারা
হয়রানির শিকার হয়নি এমন মানুষ খুব কমই আছে। ময়মনসিংহে
এমন চিত্র যেন নিত্য সঙ্গী। শহরের রাস্তাঘাট,
বাস-ট্রেন, শপিং মল, পার্কে মানুষের কাছ থেকে টাকা
হাতিয়ে নিচ্ছে হিজড়ারা। হঠাৎ করে এসেই টাকা চায় আর দিতে
না চাইলে প্রকাশ্যে গালিগালাজসহ অশ্লীল আচরণ করে।
সম্মান বাচাঁতে, অশ্লীলতা এড়ানোর ভয়ে মানুষ টাকা দিয়েও
দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। হিজড়াদের এমন সুযোগকে
কাজে লাগিয়ে কিছু প্রতারক হিজড়া সেজে মানুষকে হয়রানি
করছে। বাচ্চা শিশুদের জিম্মি করে অভিভাবকের কাছ থেকে
বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার তাদের বিভিন্ন
সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, এরপরেও তারা এমন চাঁদাবাজি করেই
যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে হিজড়া বিড়ম্বনা রুখতে তাদের
পুনর্বাসনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রসাশনের দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি।
নারী ও শিশু সংবাদ
নারীর প্রতি
সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি পরিহার করতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
'৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯১০ সালে ডেনমার্কে
অনুষ্ঠিত নারীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ দিনটি
আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘও ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী
দিবসের মর্যাদা দেয়। তারপর থেকে প্রায় সব দেশেই দিনটি
বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। নারী অধিকার
প্রতিষ্ঠায় মানবসমাজ কতটা এগোলো সে বিশ্লেষণও করা হয়
এই দিনে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা ও অবদান অনেক বেশি।
দেশের সর্বত্র নারীর গুরুত্ব আজ স্বীকৃত। অতীতের যেকোনো
সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন অনেকটাই বেড়েছে।
সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের যে বিস্ময়কর উত্থান, তার
নেপথ্যে নারীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সামাজিক কিংবা
অর্থনৈতিক সূচকে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তাতেও
নারীর অবদান রয়েছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তো বটেই, ব্রিটিশবিরোধী
আন্দোলনেও বাঙালি নারী পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়াই করেছেন, শহীদ হয়েছেন। বাংলাদেশের একজন নারী
আন্তর্জাতিক দাবায় গ্রান্ড মাস্টার খেতাব পেয়েছেন।
এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন
বাংলাদেশের নারী। রাজনীতি থেকে প্রশাসন সব ক্ষেত্রেই
নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশে নারী উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নের পথ হিসেবে বেছে
নেওয়া হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর উন্নয়ন
ছাড়া যে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয় এটি অনুধাবন করে প্রতিটি
সরকার এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এর ফলে দেশের রাজনীতিতে নারীরা দ্রুত স্থান করে নিতে
সক্ষম হচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে নারীর
ভূমিকা। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকশিল্পে কর্মরত
৪০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগই নারী। তিন দশক ধরে দেশের
সরকারপ্রধান এবং বিরোধীদলীয় প্রধানের পদ নারী
রাজনীতিকদের দখলে। এ মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী,
বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার পদে যারা আছেন তাঁরা নারী।
গত আড়াই দশকে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, কৃষির মতো
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এ দেশের নারীরা পরিচালনার
কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
তাই বলছি, নারীর প্রতি সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি
পরিহার করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা বা ধর্ষণের
বিচারে আইনের জটিলতা নিরসন করতে হবে। যাতে করে নারীর
অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। নারী ও শিশু
নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই নারী
নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটবে, সেখানেই ভিকটিমের
পক্ষে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে আমি বদ্ধপরিকর।
নারী অধিকারের কথা বিশ্বব্যাপী উচ্চারণ হলেও নারীরা
প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার এবং নানা ক্ষেত্রে বৈষম্যের
শিকার হচ্ছেন। নারীরা রাস্তা ঘাটে ইভটিজিং ও যৌন
হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রায়শই।
আমরা চাই, সমাজের সবক্ষেত্রে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত,
বৈষম্যের অবসান, সহিংসতা বন্ধে রাষ্ট্রের কার্যকর
পদক্ষেপ। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সবাই মিলে
সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
লেখক: অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও সভাপতি নারী
নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন ও সাউথ এশিয়ান ল ইয়ার্স
ফোরাম।
বাল্যবিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে বাল্যবিয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনাসৃষ্ট
দুরবস্থার জেরে গ্রাম ও শহরে কন্যাশিশুকে জোর করে বিয়ে
দিচ্ছেন মা-বাবা। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে,
বিশ্বের ৪০ লাখ কন্যাশিশুকে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে
করোনা মহামারী। স্কুল বন্ধ থাকা, অভাব বেড়ে যাওয়াসহ
করোনা সম্পর্কিত নানা কারণে বাল্যবিয়ের ঝুঁকির মুখে
পড়েছে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশু। বাল্যবিয়ে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুখের হয় না। বাল্যবিয়ে দেশে মা ও
শিশুমৃত্যুর মূল কারণ ১৮ বছরের কম বয়সীদের মা হওয়া।
কিশোরী মায়ের মৃত্যুঝুঁকি প্রাপ্তবয়স্ক মায়ের তুলনায়
অন্তত চারগুণ বেশি! তাই বাল্যবিয়ে রোধে কর্তৃপক্ষ
যথাযথ উদ্যোগ নেবেÑ এটিই প্রত্যাশা।
নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে ২৬ ভাগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভোর হলেই লাখো নারীর পদভারে মুখরিত হয় নগরী। এ যেন
নারীর অগ্রযাত্রার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। শীত-বর্ষা কিংবা
প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কারখানার চাকা সচল
রেখে চলেছেন নারীরা। পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন খাত থেকে
রফতানি আয় ঘরে আনার পাশাপাশি কৃষিপণ্য উৎপাদনেও
সমানভাবে অবদান রেখে চলেছেন।
১৯৭১ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ছিল যেখানে
মাত্র ১০ ভাগ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর তা হয়েছে ৩৬ ভাগ।
অর্থাত্ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। কৃষি, তৈরি পোশাক, ব্যাংক,
অফিস-আদালতসহ কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন প্রায় ৩৬ ভাগ নারী।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে তিনটি খাত বাংলাদেশের উন্নয়নে
বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, তার সবগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ
উল্লেখযোগ্য। যদিও কুসংস্কার, সামাজিক বিধিনিষেধ আর
নিরাপত্তাহীনতা নারীর অগ্রযাত্রায় পাহাড়সমান বাধা
হিসেবে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাকি ৬৪ ভাগ নারী কিন্তু শ্রমবাজারে
নেই। তারা কোনোভাবেই কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তারা
কাজও খুঁজছেন না। নারীদের একটা বড় অংশ শ্রমবাজারে আসতে
পারছেন না। হয়তো তার শিক্ষা নেই, কিংবা পুঁজি নেই।
কারণ এ সমাজে একটা অবিবাহিত ছেলে তার পরিবার থেকে পুঁজি
পায়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটা অবিবাহিত মেয়েকে
তার অভিভাবক ব্যবসা করার জন্য পুঁজি দেন না। ফলে
মেয়েটির কর্মসংস্থান হয় না। কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও
অনিরাপত্তা।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট
স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন
আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বিশ্বব্যাপী
আলোচিত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। নারী শিক্ষায় বিনিয়োগ
করে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে সুফল । গ্র্যাজুয়েশন
পর্যন্ত বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রেখে নারী শিক্ষার
বৈপ্লবিক প্রসার ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই তুলনায়
শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
বলেন, নারীর আর্থসামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর
উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়। এজন্য দরকার নারীর
কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও
সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং
আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
বরগুনায় বাল্যবিয়ে
পণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরগুনায় শনিবার রাতে বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের
৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর করুণা গ্রামে দশম শ্রেনীর
দুশিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে ন্যাশনাল চিলড্রেন
টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে।
জানা গেছে, উত্তর করুণা গ্রামের বাসিন্দা মো. আ.
ছোবাহানের মেয়ে ও দক্ষিণ বেতাগী নাদেরিয়া দাখিল
মাদ্রসার দশম শ্রেণির ছাত্রী শান্তা আক্তারের সাথে একই
গ্রামের মো. দুলাল সিকদারে ছেলে একাদশ শ্রেনীর ছাত্র
মো. তানভির হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়।
রাতে এই বিয়ের আয়োজনের সংবাদ জানতে পেয়ে ন্যাশনাল
চিলড্রেন টাস্ক ফোর্সের সভাপতি তানজিলা জামান শিফা ও
সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম মুন্নাসহ শিশু সদস্যরা
মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে
ধরে। মেয়ের স্বজনরা এ সময় তাদের সাথে বিতর্কে জড়িয় পড়ে,
বিয়ে বন্ধ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে বেতাগী উপজেলা
প্রশাসন ও থানা পুলিশ উপস্হিত হলে বিয়ের কার্যক্রম
বন্ধ ঘোষণা উভয় পক্ষের অভিবাবকরা ভুল স্বীকার করে
মুচলেকা দেন। সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি
সাইদুল ইসলাম মন্টু, তথ্যসেবা কর্মকর্তা জান্নাতুল
রিফাদ, বেতাগী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো.
শামীম সিকদার, দপ্তর সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের
কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রোমটার অলি আহমেদ,
বেতাগী থানার এসআই করুণ বিশ্বাস ও ধ্রুবতারা বরগুনা
জেলা শাখার সহসভাপতি মিঠুন দে।
।
ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার
নিরসন হোক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনকে কলঙ্কিত করেছে যৌতুক প্রথা।
যৌতুক প্রথা সমাজে এখন এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে যৌতুক ছাড়া
বিয়ের কল্পনা করাও বৃথা। সমাজ একে গ্রহণ করেছে। প্রতিটি
মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই কন্যাদায়গ্রস্ত গরিব মা-বাবাকে
যৌতুকের করাল গ্রাসের নির্মম পরিণতির কথা ভেবে মানসিক
দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। একটা সময় এ প্রথা একটি
নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব
জায়গায় ছড়িয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত
সবার মধ্যেই ছড়িয়েছে। এমনকি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
প্রতিটি মানুষের ভিতরে লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে
আসছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়তই যৌতুকের দাবিতে নারী
নির্যাতন, নারী হত্যা, আত্মহত্যা ও তালাকের মতো সংবাদ
ছাপা হয়।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
থানার ছাদে নিজের
পিস্তলে আত্মহত্যা এসআইয়ের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন
করে গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন
হাসান আলী। প্রশিক্ষণ শেষে চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি
পাবনার আতাইকুলা থানায় সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে
যোগ দেন। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় গত ২১ মার্চ ২০২১
সকালে থানা ভবনের ছাদে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার
মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজের ইস্যু করা পিস্তল মাথায়
ঠেকিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী
গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক জব্বার আলীর ছেলে হাসান।
পারিবারিক আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে
মানসিক চাপ ও অশান্তিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি আত্মহত্যা
করবেন এমনটি তার কোনো সহকর্মীই ধারণা করেননি। নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসানের এক সহকর্মী ও রুমমেট বলেন,
‘গ্রামের কিছু স্বজন হাসানের কাছে মাঝেমধ্যেই টাকা
চাইতেন। পুলিশের চাকরি করায় তিনি বৈধ-অবৈধ পথে অনেক
টাকা আয় করেন বলেও তারা মনে করতেন। কিন্তু হাসান
ব্যক্তিগতভাবে কখনোই অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনে আগ্রহ
দেখাননি। ফলে তাদের দাবি অনুযায়ী টাকাও তিনি দিতে
পারতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই স্বজনদের সঙ্গে তার
মনোমালিন্য হতো। মাঝেমধ্যে হতাশায় এ পৃথিবী থেকে কবে
মুক্তি পাবেন জানতে চাইতেন হাসান। কিন্তু তিনি
আত্মহত্যার এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা করেছিলেন তা কখনোই
বুঝতে পারিনি।’ পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘‘হাসান অবিবাহিত ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে তিনি পারিবারিক চাপ ও মানসিক অশান্তিতে
আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা মনে করছি। মৃত্যুর পর খুঁজে
পাওয়া ডায়েরিতেও হাসান ‘আই ওয়ান্ট টু ডাই’, ‘পৃথিবীর
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই’ এসব কথা লিখেছেন।
শরীয়তপুরে ৬ জনের ফাঁসি ৪ জনের
যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি এবং জেলা
আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হাবিবুর
রহমান ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন হত্যা মামলার রায়ে ৬
জনকে ফাঁসি ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ
দিয়েছেন বিচারিক আদালত। এছাড়া আরও ৩ জনকে বিভিন্ন
মেয়েদে সাজা দেয়া হয়েছে। ১৩ আসামিকেই জেল হাজতে পাঠানো
হয়েছে। দীর্ঘ শুনানির পর রোববার আদালত এই রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদ তালুকদার,
ছলেমান সরদার, শহীদ কোতোয়াল, শাহীন কোতোয়াল, মজিবর
তালুকদার ও শফিক তালুকদার।
২০০১ সালে নিজের শয়ন কক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক
যুগ্ম সম্পাদক এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি
এডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ছোটভাই মনির হোসেন
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় ৫৩ জনকে আসামি
করে পালং থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ইতিমধ্যে এই
মামলার ২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন আর পলাতক রয়েছেন ৫
জন।
চট্টগ্রামে কারাগারে
নতুন জেলার তারিকুল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন জেলার হিসেবে পদায়ন
করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার দেওয়ান
মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামকে।
২৪ মার্চ ২০২১ সকালে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত
করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি (প্রিজন্স) একে এম
ফজলুল হক।
এর আগে ২৩ মার্চ কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
মোমিনুর রহমান মামুন স্বাক্ষরিত এক আদেশে দেওয়ান
মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে
জেলার এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একই আদেশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দি
পালানোর ঘটনায় বদলিকৃত (কারা অধিদফতরে সংযুক্ত)
চট্টগ্রামের সাবেক জেলার মো. রফিকুল ইসলামকে কারা
অধিদফতর থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে যায় রুবেল
নামের এক আসামি। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই কোতোয়ালী থানায়
মামলা করেন তৎকালীন জেলার মো. রফিকুল ইসলাম। পরে
চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার ও ডেপুটি জেলারকে বদলি, দুই
কারারক্ষীকে বরখাস্ত ও সহকারী প্রধান কারারক্ষীর
বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়।
ঝালকাঠিতে মাদককারবারির যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঝালকাঠিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মো.
জামাল হাওলাদার নামে এক মাদককারবারিকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা
জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১০ মার্চ ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
বিচারক শেখ. মো. তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জামাল হাওলাদার ঝালকাঠি শহরের পূর্ব
চাঁদকাঠি এলাকার মিনহাজ হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি
দিনগত রাত ৯টায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা
জামালের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এবং তার হেফাজত থেকে
৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় র্যাব-৮ এর
বরিশালের ডিএডি নাদের আলী বাদী হয়ে জামালের বিরুদ্ধে
২০১২ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের
করেন। ২০১২ সালের ২৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের
করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)
আ. বারেক। আদালত ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আ স ম
মোস্তাফিজুর রহমান ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আ.
আলীম।
জনগণের সত্যিকারের
বন্ধু হোক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জননিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব পুলিশের। বিপদে-আপদে
জনসাধারণ পুলিশের সাহায্য নেবে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু
মানুষের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে একধরনের ভীতি রয়েছে।
আবার এটাও সত্য যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ
বাহিনীর ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দেশের
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সে দেশের নাগরিকদের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পুলিশ সপ্তাহে ১৯৭৫ সালের ১৫
জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনারা স্বাধীন
দেশের পুলিশ। আপনারা বিদেশি শোষকদের পুলিশ নন—জনগণের
পুলিশ। আপনাদের কর্তব্য জনগণের সেবা করা, জনগণকে
ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা। আপনাদের বাহিনী
এমন যে এর লোক বাংলাদেশের গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে।
আপনাদের নিকট বাংলাদেশের মানুষ এখন একটি জিনিস চায়।
তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে। তারা আশা করে, চোর,
বদমাইশ, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ যেন তাদের ওপর অত্যাচার
করতে না পারে। আপনাদের কর্তব্য অনেক।’ ওই বক্তৃতায় তিনি
আরো উল্লেখ করেন, ‘...আপনাদের মানুষ যেন ভয় না করে।
আপনাদের যেন মানুষ ভালোবাসে। আপনারা জানেন, অনেক দেশে
পুলিশকে মানুষ শ্রদ্ধা করে। আপনারা শ্রদ্ধা অর্জন করতে
শিখুন।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও
বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সব
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশকে জনগণের সেবক হতে হবে।
পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে
বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হবে।’
পুলিশের বিরুদ্ধে আটক বাণিজ্য থেকে শুরু করে চোরাচালান,
মাদকপাচার, মাদক বাণিজ্য, চুরি, ছিনতাই, অপহরণ ইত্যাদি
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ, সেই বাহিনী বদলে যাচ্ছে।
বিদ্যমান আইনের মধ্যে থেকেই সংস্কারের অংশ হিসেবে
পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করার পদক্ষেপ
নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর থানাগুলোতে কোনো বাদী মামলা করতে
গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না, ঘুষ দিতে হচ্ছে কি
না, সেটা নজরে রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে
আলাদা সেল খোলা হয়েছে। সেল থেকে মামলা ও জিডির বাদীকে
ফোন করে জানতে চাওয়া হয় থানা পুলিশের হয়রানির শিকার
হয়েছেন কি না বা কোনো পুলিশ ঘুষ চাচ্ছে কি না, থানায়
গিয়ে অভিযোগ দিতে কোনো সমস্যায় পড়েছেন কি না, পুলিশ
অভিযোগ অবহেলা করছে কি না ইত্যাদি।
ইতিবাচক ভূমিকায় বদলে যাবে পুলিশ বাহিনী, এটাই আমাদের
প্রত্যাশা।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
বিনা ঔষধে সুস্থ থাকার কিছু ফর্মূলা
ডাঃ রাহাত করিম মিতুল
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রোগ প্রতিরোধে করণীয়ঃ
মেনথল দিয়ে গরম পানির ভাপ নিবেন। চা, কফি, চকোলেট
নিষেধ। চোখের দৃষ্টিশক্তি (পাওয়ার) পরীক্ষা করিয়ে
নিবেন।
দাঁতক্ষয় রোগ প্রতিরোধ :
প্রতিদিন ২ বার (সকাল ও রাত) সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ কর
১ মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। টুথপিক এর
পরিবর্তে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
জ্বর প্রতিকার : স্বাভাবিক সময়ের ‘দ্বিগুণ তরল খাদ্য/পানি
পান করুন। (তাহলে জীবাণু প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে
যাবার সম্ভাবনা থাকে) প্রচুর মুরগীর স্যুপ সেবন করুন।
(মুরগীর স্যুপ আমিষ তাই এ্যান্টিবডি তৈরী করবে)
সর্দি ঠান্ডা রোগ প্রতিরোধ :
ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন। উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে
গড়গড়া সহকারে কুলি করবেন। আদা ও লেবু সহকারে চা সেবন
করুন।
ঘাড় ও কোমর ব্যথা রোগ প্রতিরোধ :
ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। (প্রয়োজনে ২ হাতে সমান
ভাগ করে নিন) ঝুঁকে কোন কাজ করবেন না। (সম্পূর্ণ
উঠা-বসার মাধ্যমে করুন) মালিশ সম্পূর্ণ নিষেধ। (প্রয়োজনে
হট-ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করুন)
উচ্চ রক্তচাপ/হার্ট এ্যাটাক নিয়ন্ত্রণ:
পাতে আলগা লবণ খাবেন না।
তেল-চর্বি যুক্ত খাবার পরিহার করবেন। অতিরিক্ত
দুশ্চিন্তা করবেন না।
এ্যাজমা/হাঁপানি/এ্যালার্জী রোগ নিয়ন্ত্রণ :
ধূলাবালিতে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঠান্ডা হতে বিরত থাকার
চেষ্টা করুন। এ্যালার্জীযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
হেপাটাইটিস/জন্ডিস প্রতিরোধ করুন :
বাইরের খাবার খাবেন না। সেলুনে সেভ করবেন না। ব্লাড
ব্যাংকে জমানো রক্ত গ্রহণ করবেন না। নিজ
সঙ্গি-সঙ্গিনীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন ।
গ্যাস্ট্রিক/আলসার জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করুন :
বেশি তেল, মসলা, ভাজি, পোড়া, ঝালযুক্ত খাবার খাবেন না
। ধূমপান ও অ্যালকোহল কে ‘না’ বলুন। ঘন ঘন ব্যথার বড়ি
খাবেন না।
কিডনি রোগ/প্রস্রাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করুন:
পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে বিরত থাকুন। নিজে নিজে কোন ঔষধ
সেবন করবেন না (যেমন : এ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথার বড়ি,
ঘুমের বড়ি ইত্যাদি)
কৃমি রোগ প্রতিরোধ :
হাতের নখ নিয়মিত কাটবেন। প্রতিবার খাবার পূর্বে ও
পায়খানার পরে হাত সাবান দিয়ে ধৌত করবেন। প্রতি ৩ মাস
অন্তর কৃমির ঔষধ খাবেন।
যৌন রোগ প্রতিরোধ :
বিবাহ বহির্ভূত যৌন মেলামেশা থেকে বিরত থাকুন। নেশা/মাদক
দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যৌন উত্তেজক বড়ি সেবন
থেকে বিরত থাকুন।
ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ :
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার (শর্করা) পরিহার করুন।
চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাবেন না। প্রচুর শাক-সবজি ও ফল
খাবেন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করুন।। প্রয়োজনে
অল্প অল্প করে বারে বারে খাবেন যাতে অতিরিক্ত ক্যালরি
জমে না যায়। নিজের পা শুকনা ও পরিষ্কার রাখবেন ও পায়ে
নরম জুতা ব্যবহার করবেন । ঘন ঘন ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও
প্রস্রাব লাগলে রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করাবেন।
থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ :
বেশি করে খাবেন : সামুদ্রিক মাছ, টমেটো, দুধ। কম করে
খাবেন : ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর। বাচ্চার জন্মের ৭
দিনের মধ্যে ১ ফোটা রক্ত নিয়ে টি.এস.এইচ পরীক্ষা করুন।
ডাঃ মোঃ রাহাত করিম মিতুল
থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ
আজীবন সদস্য- বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
গরমে প্রতি দিন পাতে
থাক দই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
এবার চৈত্রের শুরুতেই বেশ গরম পড়েছে। এই গরমে স্বস্তির
খাবার টক-মিষ্টি দই।
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, প্রোটিন এবং ফ্যাটসমৃদ্ধ দই
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ
করে হাড় শক্তিশালী করে।
এছাড়াও গরমের সময় দই খেলে আমরা আরো যে উপকারিতা পেয়ে
থাকি:
পেট ঠাণ্ডা রাখে ও হজমে সহায়ক দই
দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স শোষণ করতে সাহায্য করে রক্তে কোলেস্টেরল
কমাতে সাহায্য করে ও পেটের গ্যাস কমায় দই।
এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দই খেতে পারেন। চাইলে
বাজারের কেনা দইয়ের পরিবর্তে ঘরেও তৈরি করতে পারেন
মজাদার টক-মিষ্টি দই।
যেভাবে করবেন, যা লাগবেঃ
দুধ দুই লিটার, দই এক কাপ, চিনি ইচ্ছা, মাটির হাড়ি
দু’টি।
প্রণালীঃ পাত্রে দুধ নিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন করে নিন। তবে
লক্ষ্য রাখবেন যেন সর না পড়ে। মিষ্টি দই খেতে চাইলে
পছন্দমতো চিনি মিলিয়ে নিন।
এবার চুলা থেকে নামিয়ে দুধ ঠাণ্ডা করে মাটির হাড়িতে
ঢেলে নিন। দুধের সঙ্গে এবার আগের দই মিশিয়ে নিন।
মাটির হাড়িগুলো ঢেকে রেখে দিন। একটু গরমে রাখলে দই ভালো
জমে। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় দুধ জমে দই হয়ে যায়।
এবার ফ্রিজে রেখে খান দারুণ মজার ও স্বাস্থ্যকর
টক-মিষ্টি দই।
ডায়াবেটিস রোগীদের
ইফতার ও সেহেরী
ঐতিহ্যগতভাবেই সিয়াম সাধনার মাস রমজান হওয়া সত্বেও
টেবিল ভরা ইফতার, ভাজা আইটেম, সেহরীতে বেশী খাবার
গ্রহণের প্রবণতা আমাদের যেন চিরন্তন রূপ। যার ফলে
বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় সারা বছরের রুটিনের সাথে
রমজানের অমিল থাকার ফলে রোজার মাসে মোটামুটি সুস্থ
থাকলেও দেহের যে পরিবর্তন ঘটে তার বহি:প্রকাশ ঘটে রোজা
শেষ হবার পর পরই। যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে না থাকা, কোলেস্টেরল লেবেল বেড়ে যাওয়া
ইত্যাদি। অথচ একটু সচেতন হলেই ইফতার ও সেহরী যেমন
আনন্দের সাথে গ্রহণ করা যায় তেমনি দৈহিক বিভিন্ন
অনিয়ন্ত্রিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ঠিক তেমনি
একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস সমস্যায় স্বাস্থ্যকর ইফতার ও সেহরী।
ইফতার
চিনি ছাড়া জাম্বুরা, তরমুজ, পাকা পেঁপে, আনারসের সরবত
অথবা জুস, সুপের চেয়ে সামান্য ঘন সবজির নরম খিচুড়ী (আলু
ছাড়া), দুটি পেয়াজু, দুটি বেগুনি, আধা কাপ হালিম-যে
কোন ১টি, ছোলাভাজা ১ টেবিল চামচ, দইবড়া ছোট-১টি, মৌসুমী
ফল (আম, কাঠাল, ও কলা ব্যতিত) অথবা ফ্রুট ককটেল-১
পরিবেশন।
রাতের খাবার
রুটি ২-৩ পিস ছোট, মিক্সড সবজি পৌণে ১ বাটি, ২ টুকরা
মাছ/মাংস ছোট, এবং ঘুমানোর আগে ১ পরিবেশন ফল গ্রহণ করতে
পারেন।
সেহরীর খাবার
ননিতোলা ১ গাস দুধের সাথে ৪ টেবিল চামচ ওটমিল/কোয়েকার্স
ওটস/ছাতু মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে আসলে কাস্টার্ডে
ব্যবহূত ফল ছোট ছোট (যেমন-আপেল, কমলা, কামরাঙ্গা, আমড়া,
আনার, মালটা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি) করে কেটে মিশিয়ে
নামিয়ে নিতে হবে। আপেল ছাড়া বাকি ফলগুলো ছোট ছোট করে
কেটে রাতেই এয়ার টাইট বক্সে ফ্রিজে রেখে দেয়া যায়। সময়
লাগে মাত্র ৫-৭ মিনিট। বাটির পরিমাণ = ১ বাটি =
ম্যালামাইনের ছোট স্যুপের বাটির ১ বাটি। উপরে উল্লেখিত
উপায়ে রোজা পালনে যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকতে ঠিক
তেমনি শরীর সুস্থও থাকবে।
রোজাদারের ২০
পরামর্শ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পবিত্র রমজান মাস আসলে ছোট বড় নারী পুরুষ ভেদে প্রায়
সকল মুমিন মুসলমান রোজা রাখেন। এক্ষেত্রে দীর্ঘ ১১
মাসের স্বাভাবিক আহার, নিদ্রা, নিয়ম-নীতির কিছুটা
ব্যত্যায় ঘটে। এরপরও একজন রোজাদার কিছু পরামর্শ অনুসরণ
করলে থাকতে পারেন সুস্থ, সবল এবং রাখতে পারেন
সৃষ্টিকর্তার বড় নিয়ামত রোজা। কিভাবে রোজা রেখে সারাটি
মাস সুস্থ থাকবেন এই নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সূত্রের আলোকে
রোজাদারদের প্রতি আমাদের পরামর্শ।
১. রমজানে যাদের চিকিৎসা নিতে হয় তারা এবং যারা সুস্থ
থেকে রোজা পালন করতে চান তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন
অনুসারে চিকিৎসার পরামর্শ নেয়া উচিত।
২. রোজায় পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ, পানি শূন্যতা
রোধে পর্যাপ্ত পানি পান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার
৩. সেহেরীর সময় অতিরিক্ত আহার করবেন না। খাদ্য তালিকায়
পর্যাপ্ত আশ জাতীয় শর্করা খাবার রাখুন। বেশী আমিষ খান
এবং খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে সবজি-ফল।
৪. দিনের গরমের সময় ঠান্ডা যায়গায় বিশ্রাম নিন। সম্ভব
হলে শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিন।
৫. ইফতারির সময় খেজুর, প্রচুর শরবত, দুধ, ফলের রস বেশী
না খেয়ে মাগরিব এর পর হালকা খাবার যেমন স্যুপ ও
অন্যান্য হালকা খাবার খেতে হবে। রক্তে চিনির মাত্রা
স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে খাদ্য তালিকায় কিছুটা মিষ্টি
জাতীয় খাদ্য রাখুন।
৬. রাতের খাবারের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ
করুন। অতিরিক্ত খাবার বর্জন করুন এবং পর্যাপ্ত পানি
পান করুন।
৭. চা, কফি, সোডা পান থেকে বিরত থাকুন।
৮. মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরী ডেজার্ট খেতে পারেন।
৯. ইফতারির পর থেকে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত অন্তত: ৮
গাস পানি পান করুন।
১০. সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম যেমন: ১৫-২০ মিনিট হাটার
অভ্যাস করুন
১১. তেলে ভাজা খাবার ও
অধিক মসলাযুক্ত ঝাল খাবার পরিহার করুন। এসব খাবারে বুক
জ্বালাপোড়া ও হজমে সমস্যা হয়।
১২. প্রতিদিন অন্তত: ১টা মাল্টিভিটামিন সেবনের চেষ্টা
করুন।
১৩. কয়েক বার দাঁত পরিষ্কার
ও ফ্লসিং করুন। (রোজাদারগণ এটা করে থাকেন)
১৪. দিনে কয়েকবার হাত মুখ ওয়াশ করুন। (রোজাদারগণ এটা
করে থাকেন)
১৫. ধূমপান ত্যাগ করুন।
১৬. পর্যাপ্ত ঘুমানোর জন্য
আপনার ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
১৭.রোজা রেখে অধিক ও অপ্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনা থেকে বিরত
থাকুন।
১৮. রোজায় যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার ও
উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
ওষুধ সেবন বিধি পুন:নির্ধারন করুন।
১৯. রোজা রেখে আকষ্মিক কোন অসুস্থতা যেমন; অতিমাত্রায়
দুর্বলতা, অসস্থি থাকলে সম্ভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন অথবা ব্লাড প্রেসার
পরীক্ষা করুন।
২০. গুরুতর অসুস্থতায় রোজা ভঙ্গের প্রয়োজন হলে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা শরীয়তের বিধান অনুসরণ করুন।
আমাদের দেশে সৌদি আরবের খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও
মূলত রমজান মাস ছাড়া ফলটি খুব একটা কেউই খায় না।
সারা বছর কম খাওয়ার ফলে রমজান মাসে ফলটির চাহিদা বেড়ে
যায় বহুগুণ। কিন্তু আপনি কি জানেন আরবের এই ফলটির মধ্যে
লুকিয়ে আছে সাতটি রোগের মহাওষুধ। আসুন জেনে নিই
খেজুরের সেই সাতটি রোগের বিরুদ্ধে কিছু স্বাস্থ্যগত
গুণের কথা।
১। দ্রুত শক্তি প্রদানকারী
খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ যা আপনাকে
শক্তি দিয়ে থাকে। এটি খুব দ্রুত কাজের শক্তি ফিরিয়ে
নিয়ে আসে শরীরে। আপনি যদি খুব ক্লান্ত থাকেন তখন কিছু
খেজুর খাবেন, দেখবেন শরীরের ক্লান্তি এক নিমিষে দূর হয়ে
গেছে।
২। রক্ত স্বল্পতা দূর করে
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তারা নিয়মিত খেজুর খেতে
পারেন। খেজুর রক্ত উৎপাদন করে দেহের রক্তের চাহিদা
পূরণ করে থাকে।
৩। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে
না। ফলে আপনি সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করে অন্যান্য
ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৪। ওজন কমিয়ে থাকে
মাত্র কযয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং
পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। আর এই কয়েকটি
খেজুর শরীরের শর্করার চাহিদাও পূরণ করে থাকে। ফলে আপনি
শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করলেও শরীরে শর্করার অভাব
হয় না।
৫। হজমে সাহায্য করে
কখনো বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া করে ফেললে, অনেক সময় বদহজম
হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি দেবে কয়েকটি
খেজুর।
৬। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাক হতে
সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ডায়রিয়া হলে
কয়েকটি খেজুর খান। এটি ডায়রিয়া রোধ করতে সাহায্য করবে।
৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ
অবাক হলেও সত্য খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এক
গবেষণায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের
ঝুঁকিটা কমে যায় অনেকখানি।
রোজাদারগণের নতুন মস্তিষ্ক কোষ তৈরি
হয়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রোজার স্বাস্থ্য বেনিফিট বা উপকারিতা নিয়ে কারও কোন
সন্দেহ নেই। বিজ্ঞানীরাও অনেক ক্ষেত্রে ভেবে পান না
এমন কোন অদৃশ্য শক্তি কাজ করে যে, সারাদিন অভুক্ত
থাকেন অথচ রোজাদারগণ কষ্ট পান না বরং শারীরিকভাবে
সুস্থ থাকেন। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা থাকেন অথচ
হাইপোগাইসেমিয়া হয় না। এটাও মহান সৃষ্টিকর্তার এক
অপরিমেয় কুদরত।
এবার খোদ মার্কিন বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন,
রোজাদারগণের মস্তিষ্কে নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর নামক এক
ধরনের মস্তিষ্ক উদ্দীপক বেড়ে যায়। আর এর ফলে নতুন
ব্রেইন সেল বা মস্তিষ্ক কোষ উৎপাদন বাড়ে। অথচ
বিজ্ঞানীরা সব সময় বলে আসছেন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
শরীরের অন্যান্য কোষের মত মস্তিষ্ক কোষেরও ক্ষয় হয় এবং
নতুন মস্তিষ্ক কোষ তৈরি হয় না। অথচ রোজাদারগণের পজিটিভ
ও আধ্যাত্মিক চিন্তার কারণে মস্তিষ্ক কোষ নতুন করে তৈরি
হয়। এটাও মহান আল্লাহতায়ালার এক অপরিমেয় কুদরত। আর
যেহেতু রমজানে মস্তিষ্ক কোষের উৎপাদন বাড়ে সে কারণে
মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে।
এছাড়া বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় আরও দেখেছেন, স্ট্রেস হরমোন
নামে বহুল পরিচিত কার্টিসোল হরমোন যা এড্রিনাল গান্ড
থেকে নি:সরিত হয়। রোজাদারগণের স্ট্রেস হরমোন রোজা
থাকাকালীন এবং রোজার পরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
তাই এ সময় মানসিক শান্তি থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে
অনেক বেশি।
মাছি থেকে খাবারে বিষক্রিয়া, তাড়াতে
কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘর হয়তো আপনার মনের মতো। সব সময় পরিষ্কারও রাখেন।
তবে মাছির উৎপাত লেগেই আছে। রান্নাঘরে অনেক কিছুই
আপনাকে রান্না করে রাখতে হয়। কিন্তু রান্না করা গরম
খাবারের মধ্যে যদি মাছি পড়ে তবে কিন্তু সর্বনাশ।
খাবারের চারপাশে যদি দেখেন মাছি ভনভন করছে, তবে কিন্তু
মুশকিলের ব্যাপার। মাছি ভনভন করে ঘুরে মুহূর্তের
অস্বাস্থ্যকর ও খাবারও বিষাক্ত ছাড়াবে। গবেষকরা বলছেন,
ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি পা,
পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটেরিয়া এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তাই মাছি
যদি খাবারে বসে তবে পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের
বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঘরের মাছি তাড়ানো জরুরি।
আসুন জেনে নেই মাছি তাড়াতে কী করবেন?
১.মাছি তাড়তে রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান।
পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে।
২. রান্নাঘরের কোণগুলোতে ভিনিগার স্প্রে করতে পারেন।
ভিনিগার মাছির যম। ২. ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা
অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে ক দিন স্প্রে করুন রান্নাঘরে।
৩. রান্নাঘরের জানালায় দু'টুকরো দারুচিনি রাখুন।
৪. রান্নাঘরে লবঙ্গ ছড়িয়ে রাখন। ৫. প্রতিদিন সন্ধ্যায়
ধুনো জ্বালাতে পারেন। ভালো ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে
দিন। কোনোভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। খাবার ঢেকে
রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় বাঁচে
করোনাভাইরাস
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে নতুন
করোনাভাইরাস। তাপ প্রায় ফুটন্ত অবস্থার কাছাকাছি নিলেই
কেবল এই ভাইরাস ধ্বংস হয়। ফ্রান্সের একদল গবেষকের
পরীক্ষায় এমন ফল পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের এইক্স-মার্সাইল
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা
এই গবেষণা চালিয়েছেন। ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়
এক ঘণ্টা ধরে করোনার স্যাম্পলকে তাপ দেওয়ার পরও এর কিছু
অংশকে সক্রিয় দেখতে পেয়েছেন তারা। ভাইরাসকে সেদ্ধ করার
পর্যায়ের তাপমাত্রা প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এর যা ফল
এসেছে তাতে ল্যাবের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
উঠেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য
জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাস
নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার এক ধরনের বানরের কিডনি কোষ
এবং জার্মানির একজন রোগীকে ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা।
‘পরিষ্কার’ এবং ‘নোংরা’ পরিবেশে রাখা হয় সংগ্রহ করা
ভাইরাসের স্যাম্পলকে। তাপ প্রয়োগের পর দেখা যায়-
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও
সক্রিয় থাকে নোংরা পরিবেশের ভাইরাস। মর্নিং পোস্ট বলছে,
ল্যাবে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্য ৬০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। আরও তাপ প্রয়োগ
করাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে ফ্রান্সের
গবেষক দল জানিয়েছে। তারা বলছেন, ১৫ মিনিট ধরে ৯২ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা করোনার স্যাম্পলের ওপর প্রয়োগ করা
হলে এটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে পানি ফুটে যায় বা বাষ্পীভূত হয়।
গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, পরিবেশ বদলের সঙ্গে
সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে করোনাভাইরাস। এই জটিলতা
সমাধানের পথ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক
নির্যাতনের দণ্ড আছে কি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী,
বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই
স্বামী বা সঙ্গীর কাছে শারীরিক অথবা যৌন নির্যাতনের
শিকার হন। আমাদের জাতীয় পর্যায়ের জরিপেও একই ধরনের
তথ্য মেলে। এ পরিস্থিতি বদলাতে হলে বহুমাত্রিক উদ্যোগ
প্রয়োজন। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লোকালয়, সমাজ,
বিচারব্যবস্থা, রাষ্ট্র, সবারই সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন।
নির্যাতনের শিকার নারীদের সুরক্ষা দিতে একটি শক্তিশালী
আইনি কাঠামোর প্রয়োজনও অনস্বীকার্য।
অনেকের ধারণা, এ বিষয়ে দেশে একাধিক আইন ও নীতিমালা আছে।
তাই আইন পরিবর্তন–পরিমার্জনের তেমন প্রয়োজন নেই,
প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। আমার মতে, এ
ধারণা কিছুটা ঠিক, পুরোপুরি ঠিক নয়। আসলে আইন যথাযথ
নেই, যা আছে তাতেও নারীর সুরক্ষা এবং প্রতিরোধের
গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় বাদ পড়ে গেছে। আইনগুলোর
প্রায়োগিক দিকও অনেকটাই অস্পষ্ট, আইন প্রয়োগের
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোও দুর্বল।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনগুলোতে পারিবারিক নির্যাতনকে
কোথাও পৃথক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। ২০১০ সালের
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের ক্ষেত্রে
ফৌজদারি আদালতের এখতিয়ার থাকলেও আইনটিতে মূলত দেওয়ানি
প্রকৃতির প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, ২০১০ সালের
আইনটি করার অন্যতম উদ্দেশ্য পারিবারিক সম্পর্ক বহাল
রেখে নির্যাতনমুক্ত গৃহের পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে
জোর দেওয়া। সে কারণে নির্যাতনকারীকে অপরাধে দণ্ডিত না
করে প্রতিকার হিসেবে নির্যাতনের শিকার নারীকে সুরক্ষা
আদেশ, বসবাসের আদেশ, ক্ষতিপূরণ ও সন্তানের নিরাপদ
হেফাজতের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আদালতকে। শুধু
সুরক্ষা আদেশের লঙ্ঘন ও মিথ্যা আবেদনের শাস্তি হিসেবে
কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। গৃহে
নির্যাতনের শিকার নারীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এ দেওয়ানি
প্রতিকারগুলোর যথাযথ প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক
হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো নির্যাতিত নারী পারিবারিক
নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে চাইলে ২০১০
সালের আইনটিতে কোনো প্রতিকার নেই।
সহিংসতার শিকার নারী চাইবেন তাঁর মামলা চলুক বিশেষায়িত
ট্রাইব্যুনালে, কিন্তু আইনগতভাবে তা তিনি করতে পারবেন
না। কারণ, সহিংসতার জন্য বিশেষায়িত আইন এবং
ট্রাইব্যুনাল থাকলেও পারিবারিক সহিংসতাকে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ আইনের শুধু একটি ধারায় (ধারা ১১) নির্যাতনকারী স্বামী
বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব। এ ধারায়
মামলা করা যাবে শুধু তখনই, যখন যৌতুকের কারণে সাধারণ
জখম, মারাত্মক জখম বা মৃত্যু ঘটানো হয়। কখনো কখনো
আইনজীবীরাও ভুক্তভোগী নারীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালে মামলা করার উপদেশ দেন ১১ ধারার অধীনে,
সেখানে যৌতুকের দাবি না থাকলেও। এ কারণে অনেক সময়
যৌতুকের ধারায় মামলাগুলো মিথ্যা বলে আখ্যায়িত হচ্ছে,
কিন্তু সহিংসতার ঘটনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যা নয়।
অর্থাৎ সহিংসতা দমনের জন্য ২০০০ সালের আইনটি করা হলেও
সহিংসতার শিকার নারীদের একটি বড়‘ অংশকেই আইনটি বাদ রেখে
দিচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে পারিবারিক সহিংসতার কারণে
যদি একজন নারীর মৃত্যু হয়, তাহলেও আইনগতভাবে নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা সম্ভব নয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পারিবারিক সহিংসতার
মামলা করা যায় না, কিন্তু দণ্ডবিধির অধীনে হত্যা,
মারাত্মক জখম, সাধারণ জখম ইত্যাদির মামলা সাধারণ
ফৌজদারি আদালতে করা যায়। তবে যৌতুকের কারণে জখমের
মামলার ক্ষেত্রে যেমন সাধারণ ফৌজদারি আদালতের তুলনায়
একটি বিশেষায়িত ট্রাইব্যুনালকে যথাযথ বলে মনে করা হয়েছে,
একই যুক্তিতে পারিবারিক সহিংসতাকেও নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন ছিল।
যৌতুকের কারণে মৃত্যু ঘটানো বা জখম করা যেমন সাধারণ
ফৌজদারি আদালত থেকে সরিয়ে বিশেষায়িত ট্রাইব্যুনালে
দেওয়া হয়েছে, তেমনি পারিবারিক সহিংসতাকেও একটি আলাদা
অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে। আমাদের দণ্ডবিধি এবং নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইন কোনোটিতেই পারিবারিক নির্যাতন
আলাদা অপরাধ গণ্য হয় না।
আমাদের ২০১০ সালের আইনটিতে যেভাবে পারিবারিক সহিংসতাকে
সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তাতে তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা নারী
পারিবারিক সহিংসতার শিকার হলেও তিনি এ আইনে অনেক সময়ই
আদালত থেকে প্রতিকার পান না। পারিবারিক সহিংসতার শিকার
নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় আশ্রয় বা সুরক্ষার ব্যবস্থায়ও
ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ
হলো ২০১০ সালের আইনটির প্রয়োগ একেবারেই অবহেলিত। আইনটি
যাঁরা প্রয়োগ করবেন, তাঁদের দক্ষতা নিশ্চিত করা
প্রয়োজন। আইনটি সম্বন্ধে জনসচেতনতা বাড়ানোও খুব জরুরি।
পারিবারিক সহিংসতাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও দণ্ডনীয়
করতে হবে। পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আইনি
প্রতিকারকে অর্থবহ করতে হলে অন্যান্য সামাজিক ও
অর্থনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে এ আইনি কাঠামোরও
সংশোধন প্রয়োজন।
Top
আইন কনিকা
যৌতুক গ্রহণ ও মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছরের জেল
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদানের পাশাপাশি
এক্ষেত্রে সহায়তা করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের
কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’
উত্থাপিতা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা
উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যৌতুকের অভিযোগে
মিথ্যা মামলা করলেও ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রাখা
হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয়
সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও
শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অধিবেশনে
বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সদস্য
মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য
সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিল অনুযায়ী
বিয়ের সময় বা তার আগে ও পরে যৌতুক দেয়া নিরোধ
সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিত করে নতুন করে এই বিলটি আনা
হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি
করলে, তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে কিন্তু
সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে
জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল
না। আর বিলের চার ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক গ্রহণ
করলে বা প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা
সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০
হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের
পাঁচ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা
মামলা দায়ের করেন, তিনিও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে
সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা
উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা
মামলার জন্য কোন শাস্তির বিধান ছিল না।
বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন
প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। এই যৌতুক
প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে
নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত বিল প্রণীত হয়েছে। অপরাধ
বিচার আপীল ও তদন্তে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর
বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।
জুয়া খেলা: আইন কী
বলে?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
প্রকাশ্য জুয়া আইন। ১৮৬৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনামলে
বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনাধীন এলাকায়
প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি এবং সাধারণ
ক্রীড়াভবনের ব্যবস্থা করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়।
এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে
গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর
ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ আইন থাকা স্বত্বেও গত এক
সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান
চালিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো সিলগালা ও বেশ কয়েকজনকে
আটক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধেই ‘জুয়া
খেলার’ অপরাধে মামলা হয়নি। সব মামলা হয়েছে মাদক, মানি
লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা
বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে
‘ক্যাসিনো’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো
কার্যকারিতাও নেই। তবে, ৭২’-এর সংবিধানে জুয়া
নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন
কার্যকরী ও কঠোর আইন। এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায়
বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া
খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর
আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি
হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান। ক্লাবগুলোতে
ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়ার যুক্তিকতা প্রসঙ্গে এই
আইনজীবী বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারী ক্যাসিনোর লাইসেন্স
দেয়া কোনো মতেই সঠিক হবে না। লাইসেন্স দেয়া হলে এটি হবে
সংবিধান বিরোধী। জুয়া বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল
বিভাগের রুলটি নিষ্পতি করতে এটর্নী জেনারেল অফিসের
উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।
Top
|
|