Cover
September 2020
English Part
September 2020
1Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
প্রতিশোধ নয় আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ই আগস্টের
হত্যাকাণ্ডের পর দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু হয়েছিল।
কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কোনো প্রতিশোধের পথে
যায়নি। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করেছে। দেশের
মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তার সরকারি
বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা
সভায় যুক্ত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর
রহমানের যে চরিত্র সেই একই চরিত্র তার স্ত্রী খালেদা
জিয়ারও। একের পর এক হত্যাকাণ্ড, অপারেশন ক্লিনহার্টের
নামে কত মানুষকে হত্যা এবং সেগুলোর বিচার বন্ধে
ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে খুনিদের
পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। আর খালেদা জিয়া ২০০১
সালে ক্ষমতায় এসেই অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে যাদের
দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের ইনডেমনিটি দিয়ে পুরস্কৃত
করেছে। তারা এভাবেই রাজনীতি করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
গুম-খুনের কথা যারা বলে তাদের কাছে প্রশ্ন, এই গুম-খুন
শুরু করেছে কে? এতো জিয়াউর রহমানই শুরু করেছে।
সেনাবাহিনীর অফিসাররা ছুটিতে ছিল, চলে আসছে, তাদের মেরে
ফেলেছে। তাদের পরিবার লাশও পায়নি। সাধারণ সৈনিক তাদের
হত্যা করেছে, তাদের পরিবার লাশ পায়নি। তারা একটা
চাকরিও পায়নি। অমানবিক জীবনযাপন করেছে। এভাবে সারা
দেশকে রক্তাক্ত করেছে শুধু ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার
জন্য। শিক্ষা-দীক্ষা তো নাই। শুধু গুণ্ডামি আর
অত্যাচার, খুনের রাজনীতি কায়েম করতে চেয়েছিল। তাদের
অপকর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। শেখ হাসিনা বলেন,
জাতির পিতাকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল নাম মুছে ফেলবে,
আমাদের বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলবে। লাখো শহীদের মহান
ত্যাগ সেটাও মুছে ফেলবে, লাখো মা-বোনেরা তাদের ওপর কী
নির্মম অত্যাচার করেছে সেটাও মুছে ফেলবে। যে আদর্শের
ওপর দেশ স্বাধীন সেই আদর্শটাই তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
কিন্তু বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের আদর্শে দেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। যে কারণে
সরকার গঠনের পর তো প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা দেশের
উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছি। শিক্ষা-দীক্ষার দিকে নজর
দিয়েছি। দেশের সম্মান ফেরানোর চেষ্টা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সম্মান ভূলুণ্ঠিত করেছিল ১৯৭৫
সালে জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে, আমরা সেই
হত্যাকারীদের বিচার করেছি। হত্যাকারীদের বিচারের মধ্য
দিয়ে বাংলাদেশে যে ন্যায়বিচার হয় সেটা নিশ্চিত করেছি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় চীনে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে অবশেষে কার্যকর করা হলো নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও
খুনির ফাঁসি। এর আগে বেশ কয়েক দফা তাদের মৃত্যুদন্ডের
সাজা কার্যকর করার তারিখ পাল্টানো হয়েছিল।
সমাজে অপরাধ কমাতে বিশ্বের অনেক দেশেই মৃত্যুদন্ডের
বিধান রয়েছে। যখন থেকে মানুষ নিজেকে সামাজিক নিয়মে
বেঁধেছে, তখন থেকেই সেই নিয়ম ভাঙার সর্বোচ্চ সাজা
মৃত্যুদন্ড।
তবে সব দেশে একইভাবে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় না।
শূলে চড়ানো, গিলোটিনে গর্দান নেওয়া থেকে শুরু করে
ইলেকট্রিক চেয়ার বা ফাঁসি। সময় আর দেশভেদে পদ্ধতি বদলে
গিয়েছে মৃত্যুদন্ডের পদ্ধতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই প্রাণদন্ডের সাজার বিলুপ্তি
ঘটিয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে দেওয়া আন্তর্জাতিক
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির পরিসংখ্যান বলছে, এই
মুহূর্তে বিশ্বের ১০৬টি (অর্ধেকের বেশি) দেশে
মৃত্যুদন্ড আইনত বন্ধ। আরও ৩৬টি দেশে মৃত্যুদন্ড আইনত
থাকলেও, তা কার্যকর হয় না। অর্থাৎ ১৪২টি (বিশ্বের
দুই-তৃতীয়াংশের বেশি) দেশে মৃত্যুদন্ড কার্যত নেই।
বিশ্বে ৫৬টি দেশে কম-বেশি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। সবচেয়ে
বেশি মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় চীনে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর
আমেরিকার একমাত্র দেশ যেখানে এখনো মৃত্যুদন্ডের
অস্তিত্ব আছে। তবে সব প্রদেশে নয়। ২০১৮ সালে আমেরিকায়
২৫ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে
বেশি মৃত্যুদন্ড হয়েছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে, ১৩ জনের।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে,
বিশ্বের ৫৪টি দেশে ২ হাজার ৫৩১ জনকে মৃত্যুদন্ডের সাজা
শোনানো হয়েছে। শেষ পাওয়া হিসাব অনুয়ায়ী, এই মুহূর্তে
সারা বিশ্বে কমপক্ষে ১৯ হাজার ৩৩৬ জন মৃত্যুদন্ড
কার্যকর হওয়ার প্রহর গুনছে। তবে ২০১৭ সালের তুলনায়
২০১৮ সালে বিশ্বে প্রাণদন্ড কার্যকর করার সংখ্যা কমেছে
৩১ শতাংশ।
কুমিল্লায় এক নারীর
পাঁচ সন্তান প্রসব
মানবাধিকার রিপোর্ট’
কুমিল্লার লাকসামে এক নারী অস্ত্রোপচার ছাড়াই
স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন। ওই প্রসূতির
নাম শারমিন আক্তার। তিনি উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের
পোলাইয়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা
মিজানুর রহমানের স্ত্রী। গত ১২ আগস্ট দুপুরে লাকসাম
জেনারেল হসপিটালে তিনি পাঁচ সন্তান প্রসব করেন। এদের
মধ্যে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা সবাই সুস্থ আছে বলে
জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লাকসাম জেনারেল
হসপিটালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আক্কাস জানান,
সকালে ওই প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর
হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আক্তার লতার
তত্ত্বাবধানে দুপুরে পাঁচ সন্তান স্বাভাবিকভাবে জন্ম
নেয়। পরে ওই পাঁচ নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য
কুমিল্লার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা
এবং সন্তানরা সুস্থ আছেন। সন্তানদের পিতা হাফেজ মাওলানা
মিজানুর রহমান বলেন, এর আগে তাদের প্রথম সন্তান জন্মের
পর মারা যায়। বর্তমানে এ পাঁচ সন্তান জন্মলাভে তিনি
আনন্দিত। তাদের জন্য তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।
BHRC
টাঙ্গাইল জেলা শাখার পরিচিতি শপথ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার নতুন
কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি, শপথ ও সংবর্ধনা
অনুষ্ঠান ২৯ আগস্ট ২০২০ সকাল ১০ টায় টাঙ্গাইল পৌরসভা
মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট
সমাজ সেবক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর টাঙ্গাইল
জেলা গভর্নর সাইফুজ্জামান সোহেল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার
সভাপতি নাসরিন জাহান খান বিউটি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা
করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন আহমেদ রিপন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা
শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান তালুকদার
লিটনসহ নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের
নের্তৃবৃন্দ ও নির্বাহী সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা
উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সবাইকে লাল গোলাপ, কমিশনের
আইডি কার্ড, উন্নত মানের মাস্ক ও দুপুরের খাবার দেয়া
হয়। অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যসহ সবার জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে সবাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পড়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানবাধিকার কমিশন ফেনী
জেলা আঞ্চলিক শাখার পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ফেনী জেলা আঞ্চলিক
শাখার আয়োজনে ১৭ আগস্ট বিকালে ফেনী সদর হাসপাতাল
রোড়স্থ জমজম কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে পরিচিতি সভা ও
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত শপথ গ্রহণ ও
পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কমিশন ফেনী
জেলা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মানবতাবাদী মোঃ নুরুজ্জামান
হাজারী। সঞ্চালনা করেন ফেনী জেলা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক মানবতাবাদী সাংবাদিক মনজুর আহমেদ ফরহাদ। উক্ত
সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন সহকারি ধর্ম বিষয়ক
সম্পাদক মাওলানা জাফর আহাম্মদ। এতে বক্তব্য রাখেন
সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বাবুল,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
স্বপন চন্দ্র দাস, কামরুজ্জামান হাজারী, শেখ জিয়া
উদ্দিন চৌধুরী তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ
উদ্দিন, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক এ,এইচ,এম খোরশেদ আলম,
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান,সাংস্কৃতিক
বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
এতে উপস্থিত ছিলেন সহকারি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক,সহকারি
কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম ভুঞা, প্রচার সম্পাদক মোঃ
ইউছুপ বুলবুল, সহকারি দপ্তর সম্পাদক কাজী সাইফুল আলম
ডালিম, ফুলগাজী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানবতাবাদী
রশিদ আহমেদ রাসেদ, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল
ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাবু মতি লাল শীল, নুরুল আমিন
পাটোয়ারীসহ প্রমূখ। উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে মুনাজাত
পরিচালনা করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মনির আহাম্মদ
আরশাদী।
হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন প্রণব
মুখার্জি
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন ভারতের সাবেক
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন তিনি
বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষকে।
সত্যিকার অর্থে তিনি তার স্বাক্ষরও রেখে গেছেন।
২০১২ সালে ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত
হওয়ার পর শপথ নিয়ে তার প্রথম বিদেশ সফর ছিলো বাংলাদেশ।
২০১৩ সালের ৩ থেকে ৫ মার্চ তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে
ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি ঢাকায় আসেন।
আবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরও তিনি প্রথম
বিদেশ সফর করেন বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন প্রণব
মুখার্জি। তখন প্রণব মুখার্জি ছিলেন রাজ্যসভার একজন
তরুণ সদস্য। এই বাঙালি তরুণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালে প্রবাসি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ভারতের
স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর হয়ে উঠেন। বাংলাদেশের পক্ষে জনমত
গঠনে তিনি শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ভূমিকা রাখেন।
মুক্তযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বিদেশী বন্ধুদের
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া
হয় ২০১৩ সালে প্রণব মুখার্জিও সেই মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা
পান।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব বাংলাদেশ সফরে এলে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রী প্রদান
করে। প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখোপ্যাধায়ের
জন্ম বাংলাদেশের নড়াইলে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঢাকায় এসে
তিনি নড়াইলে শ্বশুর বাড়িতে ঘুরতে যান।
এরপর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৮ সালে
বাংলাদেশ সফর করেন। এই সময় চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তাকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রী প্রদান করে। উপমহাদেশের
প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা
হিসেবে তিনি কংগ্রেস সরকারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী থাকাকালেও একাধিকবার
বাংলাদেশ সফর করেছেন।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে প্রণব
মুখার্জির ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে
নির্বাসন কাটান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট
বোন শেখ রেহানা। এই সময় প্রণব মুখার্জি তাদের
সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখতেন ও সহযোগিতা করেছেন।
প্রণব মুখার্জির মৃত্যুর পর এক শোক বার্তায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রণব মুখার্জি আমাদের
সবসময় সহযোগিতা করেছেন। দুঃসময়ে তিনি আমার পরিবারের
খোঁজখবর রাখতেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে আমার ছোট বোন শেখ
রেহানা ও আমাদের পাশে এসে দাঁডিয়েছেন। দেশে ফেরার পরও
প্রণব মুখার্জি সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি
আমাদের অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু। যে কোনো সঙ্কটে তিনি
সাহস যুগিয়েছেন।
নরসিংদীতে BHRC’র
ঈদ-পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নরসিংদী রিজিওনাল ব্রাঞ্চের
উদ্যোগে ঈদ-পূর্ণমিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছে,অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রুপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার
জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ সুমন মাস্টার, বিশেষ অতিথি:
নির্বাহী- সভাপতি ডাঃ মীর মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম
আজহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দ্বিন-ইসলাম, এ সময়
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান চৌধুরী
,উদ্বোদক নাসরিন ইসলাম বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-সাধারণ সম্পাদক নরসিংদী রিজিওনাল ব্রাঞ্চ,
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ
সুজন মিয়া, প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ সুমন মাস্টার
বলেন সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, নারী
নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। নোবেল করোনা
ভাইরাসের ক্লান্তি লগ্নে গরীব অসহায় মানুষের পাশে
দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন । এ সময়
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নরসিংদী রিজিওনাল ব্রাঞ্চের
শতাধিক মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাধার এক লিটার দুধের দাম ৭ হাজার
রুপি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও উটের দুধ বিক্রি হয়, তা তো
সকলেরই জানা। কিন্তু গাধার দুধ বিক্রির কথা শুনেছেন
কখনো? অবাক মনে হলেও ভারতে বিক্রি হবে গাধার দুধ, যার
প্রতি লিটারের দাম শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়,
গাধার দুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে হরিয়ানার ন্যাশনাল
রিসার্চ সেন্টার অন ইক্যুইনস (এনআরসিই)। হরিয়ানার
হিসার এলাকায় গাধার খামার থেকে খুব শিগগিরিই দুধ
সংগ্রহ শুরু হবে। তবে যেকোনো প্রজাতির গাধা থেকে দুধ
সংগ্রহ করা হবে না। এর জন্য সংগ্রহ করা হবে হালারি
প্রজাতির গাধা। এই প্রজাতির গাধা সাধারণত গুজরাটে দেখতে
পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ১০টি হালারি প্রজাতির গাধা
হিসারে নিয়ে আসা হয়েছে এ খামারে। খামারে গাধাগুলোকে
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, যতœ নিয়ে দুগ্ধদানের
উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে।
এনআরসিই’র বিশেষজ্ঞদের মতে, গাধার দুধে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
নয়, দেখা গিয়েছে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ক্ষেত্রেও
গাধার দুধ উপকারী। যাদের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে,
তাদের ক্ষেত্রেও গাধার দুধ খুব উপকারী। আর ল্যাক্টো
অ্যালার্জির জন্য যারা দুধ পান করতে পারেন না, তারাও
গাধার দুধ অনায়াসে পান করতে পারবেন।
বিনা পয়সায় বিদেশ ভ্রমণের দায় নিয়ে কানাডার
অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কানাডার অর্থমন্ত্রী বিল মর্নো পদত্যাগের ঘোষণা
দিয়েছেন। দাতব্য সংগঠনের অর্থে পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণ
করে সমালোচনার মুখে পড়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, মর্নো উই
চ্যারিটির কর্মকাণ্ড দেখতে পরিবার নিয়ে কানাডা থেকে
কেনিয়া এবং ইকুয়েডর যান। পরে জানা যায়, ওই সফরের কোনো
খরচ তিনি পরিশোধ করেননি।
মর্নো এই কেলেঙ্কারির কথা স্বীকার করেছেন। সংবাদ
সম্মেলনে জানান, হঠাৎ বুঝতে পারেন প্রায় ৪১,৩৬৬ ডলার
(২৬ লাখ টাকা) তিনি পরিশোধ করেননি। এই সংগঠনের সঙ্গে
ট্রুডোর পরিবারের সদস্যরা যুক্ত থাকায় তিনিও চাপে আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এক মেয়ে এই চ্যারিটির বেতনভুক্ত কর্মী।
মর্নো জানিয়েছেন, লিবারেল পার্টির মন্ত্রিসভা থেকে
পদত্যাগ করার পাশাপাশি তিনি সংসদ থেকেও পদত্যাগ করছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই পদের জন্য আমি নিজেকে আর
উপযুক্ত মনে করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমি
জানিয়েছি যে সামনের নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা আমার নেই।
ফেডারেল নির্বাচনে দুবারের বেশি দাঁড়ানোর পরিকল্পনা
কখনোই আমি করিনি।’ গত জুনে শিক্ষার্থীদের জন্য উই
চ্যারিটি নামের ওই প্রোগ্রাম চালু করে কানাডা প্রশাসন।
অলাভজনক এই প্রোগ্রামের আগের নাম ছিল ফ্রি দ্য
চিলড্রেন। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এই প্রজেক্টে
৪৩.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ছিল।
করোনা পরীক্ষার ফি কমালো সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) শনাক্তে নমুনা
পরীক্ষার ফি কমিয়েছে সরকার। এখন থেকে সরকারি বুথগুলোতে
২০০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকায় নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে
৩০০ টাকা করা হয়েছে।
১৯ আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষার একটি ল্যাব থেকে ৮৭টি ল্যাব
হয়েছে। ল্যাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার সংখ্যাও
বাড়ার কথা ছিল।
না বাড়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে জানিয়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে
আগ্রহ কমে গেছে। কারণ, আক্রান্ত অনেকেই ঘরে থেকে
স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেছেন পরীক্ষার কী
প্রয়োজন। আবার বন্যার কারণেও কিছুটা পরীক্ষার হার কমে
গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য আছে,
সরকার যে ফি নির্ধারণ করেছে সে কারণে অনেক গরিব লোক
পরীক্ষা করতে কিছুটা আগ্রহ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, উনার একা নির্দেশনা
আমরা নিয়েছি।
‘এখন থেকে ২০০ টাকার যে ফি নেওয়া হতো সেটা কমিয়ে এখন
থেকে ১০০ টাকা করা হলো। যারা সেন্টারে বা ল্যাবে গিয়ে
পরীক্ষা করাবেন। আর বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করা হলে ৫০০
টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা ফি আরোপ হবে।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা
সভায়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী
মহাপুরুষা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ
বাঙ্গালী মহাপুরুষ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের
জন্ম হতোনা। ২৩ বছর কারা জীবনের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে
বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা
পেতে ৩০ লক্ষ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। জাতির জনক
বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট
২০২০ বিকেলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ সদর দপ্তর
আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুঠানে প্রধান
অতিথি'র সেক্রেটারী জেনারেল বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার তার ভাষণে এ কথা বলেন।
ইঐজঈ’র ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহামেদ ভুইয়ার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
বঙ্গবন্ধু'র ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হক, ইঐজঈ’র ঢাকা
মহানগন পূর্বের সাধারণ সম্পাদক শাহিন বকস্, বিশেষ
প্রতিনিধি ও পল্টন থানা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম
বিপ্লব, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শামীম বক্স,
সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সবুজ, বংশাল থানা শাখার
সভাপতি হায়দার রিয়াজ খান, মুগদা থানা শাখার সভাপতি
নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ইঐজঈ’র পুরান ঢাকা আঞ্চলিক
শাখার সভাপতি আনোয়ার রাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম
সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনালেক্ষ নিয়ে আলোচনা সভার পর দোয়া
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
করোনায় বিপর্যস্ত সার্কভুক্ত দশগুলো সবচেয়ে খারাপ
অবস্থা ভারতের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সার্কভুক্ত দেশগুলো।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল ও
আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩২ লাখ
২৫ হাজার ৮৮২ জন। এসব দেশে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মারা
গেছেন কমপক্ষে ৬১ হাজার ৩৯৭ জন। সব দেশেই ঘটেছে
সংক্রমণ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতের। ভারতে
আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০১ জন। মারা
গেছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯৯ জন। আর আক্রান্ত ও মৃতের
সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় আছে শ্রীলঙ্কা।
সেখানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮৯০
জন। মারা গেছেন মাত্র ১১ জন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে
ভারতের পরেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। সেখানে
আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ জন। মারা গেছেন
৬ হাজার ১৬৮ জন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভয়াবহতার
দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এখানে শনিবারের
তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫২৫ জন।
মারা গেছেন ৩ হাজার ৬২৫ জন। ভারতে প্রতিদিন মৃত্যুর
সংখ্যা প্রায় ১০০০। এ অবস্থায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে
বেশির ভাগ দেশেই লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। আবার কোনো
কোনো দেশে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন করা হচ্ছে।
রোববার ভারতে নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে ৬৩ হাজার
৪৮৯। মারা গেছেন ৯৪৪ জন। পাকিস্তানে মোট আক্রান্তের
সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬১। মারা গেছেন ৬১৬৬ জন। সবচেয়ে
খারাপ অবস্থা সেখানকার সিন্ধু প্রদেশে। সেখানে
আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন।
ওদিকে, নেপাল সরকার ১০ই আগস্ট জেলা ও সাব-জেলা
পর্যায়ের কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন আরোপের
সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সেখানে বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ,
হোটেল এখন খোলা থাকলেও সিনেমা হল, সেলুন এবং স্পা বন্ধ
রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে
প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে নেপালে। ৫ই জানুয়ারি চীন
থেকে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৩
শে জানুয়ারি। ২রা জুলাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে
কমপক্ষে একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। লকডাউন আরোপ
করে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ।
কোয়ারেন্টিন কারফিউ জারি করে শ্রীলঙ্কা। দেশজুড়ে
লকডাউন ঘোষণা করে ভারত ও নেপাল। আন্তর্জাতিক সফরের
ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম কঠোরতা অবলম্বন করে কিছু দেশ।
কিছু দেশ তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। স্থগিত
করে দেয় বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। করোনা ভাইরাসে
আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে টপকে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও
পাকিস্তান। মধ্য মে’তে চীনকে এ হিসাবে টপকে যায় প্রথম
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারত। এরপর দ্বিতীয় দেশ
হিসেবে পাকিস্তান চীনকে টপকে যায়। ১৩ই জুন চীনকে টপকে
তৃতীয় দেশ হয় বাংলাদেশ। আবার ১০ই জুন সক্রিয় সংক্রমণের
চেয়ে প্রথম সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায় ভারতে।
এ ঘটনা ৩রা জুলাই ঘটে পাকিস্তানে। আর ১২ই জুলাই একই
ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। সার্কভুক্ত দেশগুলো করোনা
মহামারিতে সহযোগিতামুলক পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন প্রস্তাব করেন।
তিনি এক কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ে তোলার আহ্বান
জানান। এতে সাড়া দেয় শ্রীলঙ্কা। তারা ১১ই এপ্রিল ঘোষণা
দেয় যে, সার্ক কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি ফান্ডে ৫০ লাখ
ডলার দেবে। পাকিস্তান ৩০ লাখ ডলার, বাংলাদেশ ১৫ লাখ
ডলার দিতে সম্মত হয়। আফগানিস্তান ও নেপাল ১০ লাখ ডলার
করে দিতে রাজি হয়। অন্যদিকে মালদ্বীপ দুই লাখ ডলার এবং
ভুটান এক লাখ ডলার দিকে সম্মত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে আবারো
পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রে আবারো পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গের
মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, নিহত ওই ব্যক্তি
অস্ত্রধারী ছিলেন এবং একটি সুপারশপে প্রবেশের চেষ্টা
চালাচ্ছিলেন। শু২১ আগস্ট দেশটির লুইজিয়ানা প্রদেশে এই
ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম
আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়েছে, গুলি করার দৃশ্যটি একটি ভিডিওতে
ধারণ করা হয়েছে। এটি দেখে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস
ইউনিয়ন এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে,
এই হত্যাকান্ড কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংসতার
একটি ভয়াবহ ও মর্মান্তিক উদাহরণ। এদিকে লুইজিয়ানার
প্রাদেশিক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকেও এ সম্পর্কে একটি
বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, লাফায়েট্টে
পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে।
এতে একজন মানুষকে ছুড়ি হাতে অনিয়ম সৃষ্টির অভিযোগ আসে
তাদের কাছে। পুলিশ গিয়ে তাকে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার চেষ্টা
করে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তখন ছুড়ি হাতে ওই ব্যক্তি
আরেকটি দোকানে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেখানে অনেক মানুষ
থাকায় তাকে গুলি করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
পুলিশের গুলিতে নিহত ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির নাম
ট্রায়ফোর্ড পেলেরিন। গুলি খাওয়ার পর ৩১ বছর বয়স্ক ওই
ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে
তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনায় কোনো
পুলিশ আহত হননি। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
লুইজিয়ানা স্টেট পুলিশ এর দায়িত্বে রয়েছে।
ফুটপাতের খাবার বিক্রেতা থেকে হালিমা যেভাবে
সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতির নাম হালিমা ইয়াকোব।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম বাবা এবং মালয় মায়ের সন্তান
হালিমার জন্ম ১৯৫৪ সালে।
৮ বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর মায়ের সাথে ফুটপাথে খাবার
বিক্রি করার পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যান। পরিবারে ৫
ভাইবোনের সাথে দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে একসময় পড়াশুনা
শেষ করার পর আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন।
পাঁচ সন্তানের জননী হালিমা শাসক দল পিপলস অ্যাকশন
পার্টির কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ২০০১
সালে এমপি নির্বাচিত হন।
২০১১ সালে প্রতি মন্ত্রী, ২০১২ সালে মন্ত্রী হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুর
পার্লামেন্টের স্পীকার নির্বাচিত হন।
২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লডার জন্য স্পিকার
পদ থেকে ইস্তফা দেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একমাত্র
বৈধ প্রার্থী হওয়ায় তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা
করেন দেশটির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি হবে না আর্থিক
প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিস্তি পরিশোধ না করলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের
খেলাপি না দেখানোর সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়িয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাকা
দিতে না পারলেও খেলাপি হবেন না আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
কোন গ্রাহক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক
প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি
করা হয়।
বাংলাদেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান
নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব
বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে
করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ
শ্রেণিকরণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখনো কভিড-১৯
এর কারণে অনেকাংশে ঋণগ্রহীতার পক্ষে স্বাভাবিক
ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই
ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কোভি-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব
লাঘবের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নির্দেশনা সমূহ অনুসরণের
পরামর্শ দেয়া হল।
পূর্বঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০শে জুন পর্যন্ত আর্থিক
প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের খেলাপি না দেখানোর কথা ছিল। তবে
নতুন সার্কুলারে এই সময়সীমা আরো তিন মাস বৃদ্ধি করা
হয়েছে। চলতি বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেয়া হবে
এই সুবিধা। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যত
সংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে সমসংখ্যক কিস্তি বৃদ্ধি
পূর্বক পরিষদ সচিব প্রণয়ন করতে হবে।
এই সময়ে কোন দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ না করার
নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনা নতুন
যুদ্ধ সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
জাতিসংঘ
মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারি বিশ্ব শান্তির প্রতি শুধু হুমকিই নয়।
একই সঙ্গে তা নতুন নতুন যুদ্ধ, সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি
করছে। এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে
দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে এবং শান্তি গড়ে তোলার বিরুদ্ধে
ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছে কোভিড-১৯ বা করোনা মহামারি। একই
সঙ্গে তা বিদ্যমান সংঘাতকে আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে।
নতুন নতুন সংঘাতের ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন আল জাজিরা। এর আগে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলার
জন্য বিশ্বজুড়ে সংঘাত বা যুদ্ধে লিপ্ত পক্ষগুলোকে
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য ২৩ শে মার্চ আহ্বান
জানিয়েছিলেন তিনি।
তারপর যুদ্ধরত পক্ষগুলো উত্তেজনা নিরসনে এবং যুদ্ধ
বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে
নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন জাতিসংঘ
মহাসচিব। তিনি বলেন, এখনও দুঃখজনক বিষয় হলো,
বহুক্ষেত্রে যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে শত্রুতা বন্ধ করাতে বা
স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতিতে আনতে পারেনি এই মহামারি। এই
মহামারি একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক
সেবাখাত, প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা এবং সুশাসন ব্যবস্থার
কার্যকারিতাকে ক্রমশ প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর অর্থ হলো,
আমাদের টেকসই শান্তি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি
জরুরি। তিনি আরো বলেন, সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া অসমতা,
বৈশ্বিক দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা সামনের
বছরগুলোতে বেড়ে যেতে পারে।
Top
জাতীয়
শোক দিবসে ইঐজঈ নবাবগঞ্জে নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার দোয়া
মাহফিল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাধীনতার মহানায়ক,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত
বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জে
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা।
১৫ আগস্ট ২০২০ সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা মানবাধিকার
কমিশনের হলরুমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত
মানবাধিকারকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ না। পরে
কোরআন থেকে তেলাওয়াত এরপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে
বক্তব্য রাখেন উপস্থিতরা
এসময় উপজেলা শাখার সভাপতি জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে
এবং সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত
ছিলেন ঢাকা জেলা দক্ষিণ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক
নাসির উদ্দিন পল্লব, নয়নশ্রী ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী, নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক
মোঃ জসিম উদ্দিন, মানবাধিকার কমিশন নবাবগঞ্জ উপজেলা
শাখার নির্বাহী সভাপতি সাদের হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি
আসলাম খান, জাকির হোসেন, আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আজাদ,
এ.এইচ.এম আরিফ, মামুন হেসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.
নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিরাজ,
আদুরী গাইন, রাসেল, পবিত্র পাট্রাদার প্রমুখ।
Top
অবাক দৃশ্য,
পরিষ্কার নীল আকাশে বিনা মেঘেই বজ্রপাত! ে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় বজ্রপাত হতে পারে। তবে সে
সব ক্ষেত্রেই একটি বিষয় সাধারণ, তা হল আকাশ জুডে কালো
মেঘের উপস্থিতি। কিন্তু বাস্তবে কখনও দেখেছেন, বিনা
মেঘে বজ্রপাত? এমনই এক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হল।
বিশ্বাস না হলেও ভিডিওটি তেমনই দেখাচ্ছে, পরিষ্কার
আকাশ থেকে নেমে আসছে বিদ্যুতের ঝলক।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে ১২ আগস্ট ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ির ড্যাশবোর্ডে লাগানো
ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ঘটনাটি। আকাশ মোটের উপর পরিষ্কার,
শরতের কিছু মেঘ রয়েছে। সাদা মেঘের বাইরে বাকি আকাশটাই
একদম নীল, রীতিমতো রৌদ্রোজ্জ্বল। এমন আকাশ থেকে
বজ্রপাত হতে দেখা গেছে বলে খুব একটা শোনা যায়নি, আর
ক্যামেরায় ধরা পড়া তো আরও দূর অস্ত। কিন্তু এমনই আকাশ
থেকে হঠাৎই সামনের একটি তাল গাছে বিদ্যুতের ঝলক নেমে
আসে। আর তাতে তাল গাছের একটি পাতাও ভেঙে ঝুলে পড়ে।
ভিডিওটি ফ্লোরিডায় টাম্পা শহরে জোনাথন মুর নামে এক
ব্যক্তির দ্বারা রেকর্ড হয়। পরে সেটি ইউটিউবে
স্টোরিফুল রাইটস ম্যানেজমেন্ট নামে এক চ্যানেলে আপলোড
হয়। ১২ অগস্ট ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পরই তা ভাইরাল হয়ে
যায়। চার দিনে ভিডিওটি প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার বার দেখা
হয়েছে।
ভাইস
প্রেসিডেন্ট পদে ঐতিহাসিক মনোনয়ন পেলেন কমলা হ্যারিস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের আসছে নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট
প্রার্থী হিসেবে দেশটির প্রধান বিরোধী দল
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ঐতিহাসিক এক মনোনয়ন পেয়েছেন
কমলা হ্যারিস। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে
নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের সিনেটর।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, কমলা হ্যারিস
জো বাইডেনের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটের ভাইরাস প্রেসিডেন্ট
প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন। এর আগের দিন দলটির
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হন সাবেক ভাইস
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আরও ইতিহাস সৃষ্টি হবে। প্রথম কোনো
নারী দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে যাবেন। আবার কমলা
হ্যারিস নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস
প্রেসিডেন্ট পদে কোনো অশ্বেতাঙ্গ নারীর অভিষেক ঘটবে।
গত ১৭ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের
প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে দলীয় কনভেনশন ডেকেছিল
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। চার দিনব্যাপী এই কনভেনশনের
তৃতীয় দিন রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলা হ্যারিসকে ভাইস
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে
এবার করোনা ভাইরাসের কারণে অনলাইনে ভোট দিয়ে তার
প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেন দলের প্রতিনিধিরা।
চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কমলা হ্যারিস কনভেনশনে বলেন,
রিপাবলিকান নেতা ‘আমাদের ট্র্যাজেডিকে রাজনৈতিক অস্ত্র
হিসেবে পরিণত করেছেন’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইঙ্গিত
করে উইলমিংটনের হলরুমে তিনি বলেছেন, আমরা একটি
প্রতিচ্ছবিতে এসে গেছি।
এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর এবং বড় একটি দল থেকে
প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া কৃষ্ণঙ্গ রানিং মেট কমলা
হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নেতৃত্বের
ব্যর্থতা’ ধরিয়ে দিয়েছেন প্রথম দিনই।
এর আগের দিন রাতে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
জো বাইডেন এর আগেও দুই বার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
১৯৯৮ ও ২০০৮ সালের সেই দুই লড়াইয়ে তিনি না পারলেও এবার
তৃতীয়বারে এসে সফল হয়েছেন।
আসছে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন এবং কমলা
হ্যারিস জুটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে লড়াই করবেন
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ভাইস
প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে।
১০৭ বছরের নারীর করোনা জয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রাণঘাতী করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে বয়স্করা, এ ধারণাকে
ভুল প্রমাণ করে সুস্থ হলেন ১০৭ বছর বয়সী এক নারী। শুধু
তাই নয়, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে করোনা জয় করেছেন তিনি।
চমকে যাওয়ার মতো ব্যাপার হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে
মেরুদন্ডের অস্ত্রোপচার হয়েছিল ভারতে মহারাষ্ট্রের
জালনা জেলার বাসিন্দা ওই নারীর। জেলার সিভিল সার্জন
অর্চনা ভোশলে গত ২১ আগস্ট বার্তা সংস্থা পিটিআইকে
বলেছেন, ‘সম্প্রতি তার মেরুদন্ডের অস্ত্রোপচার হয়েছে
এবং ভাইরাস পরীক্ষায় যখন তার পজিটিভ হলো, তখন তাকে
সুস্থ করে তোলার জন্য তার বয়সটাই ছিল সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ।’ এই শতবর্ষী নারীর ৭৮ বছর বয়সী মেয়ে, ৬৫
বছরের ছেলে এবং ২৭ ও ১৭ বছর বয়সী দুই নাতিরও করোনা
পজিটিভ হয়েছিল। করোনায় ১১ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন
তারা। ২০ আগস্ট তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি
ফেরার আগে শতবর্ষী নারীর ছেলে বলেছেন, ‘আমরা সবাই বেঁচে
থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আমরা বেঁচে গিয়েছি
শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের নিবেদিত চিকিৎসার কারণে,
এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়।’ এ পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের
সংখ্যা ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন
৬৮ হাজার ৮৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৯৮৩ জন।
রোহিঙ্গা সংকটের
স্থায়ী সমাধান চায় জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার ও
মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রাষ্ট্রহীন
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বের কাছে আবারও সহায়তা
ও সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে
সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়,
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এর তিন বছর পর আজও
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে ও নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি
হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী পরিস্থিতিকে করেছে
আরও জটিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাংলাদেশি
জনগণকে সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নতুন চাহিদাগুলো মেটানো এবং
এ সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আরও বেশি কাজ চালিয়ে যাওয়া।
রোহিঙ্গাদের হিসাবে তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আজ
মিয়ানমারের বাইরে রয়েছে। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ
সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী কক্সবাজারে অবস্থান করছে
প্রায় আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
প্রতি বাংলাদেশ দেখিয়েছে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে তাদের সুরক্ষা, ব্যবস্থা করেছে
জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের। আজ এশিয়া ও প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি দশজন রোহিঙ্গার মধ্যে
নয়জন বাস করে বাংলাদেশে। এ মহানুভবতার প্রতিদানস্বরূপ
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের জন্য
নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান আছে মিয়ানমারে।
অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেটের সব সুপারিশ
পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব। আর
মিয়ানমার সরকারও সেটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রোহিঙ্গাদের
নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে
প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকর আলোচনার
সূত্রপাত এবং এর পাশাপাশি দুপক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির
পদক্ষেপ। এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের
চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণভাবে
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে ফেরার
সুব্যবস্থা ও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি
পরিষ্কার রোডম্যাপ। শুধু মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই নয়,
আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত
রোহিঙ্গাদের আশানুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সে
জন্য শুধু মিয়ানমারে স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়, আরও কাজ
করতে হবে আশ্রয় প্রদানকারী দেশের বাইরে তাদের শিক্ষা ও
কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা
শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার
জন্য। বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্য দেশে আশ্রয়রত
রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি ও প্রত্যয় গত তিন বছর ধরে
কাজ করছে মানবিক কর্মকাে র মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। এ
মানবিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের
প্রতিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহযোগিতার হাত। রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের সাহস ও মনোবলকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে
আমরা কাজ করে যাব যেন পৃথিবী তাদের ভুলে না যায়।
৩৩
বছর ধরে দশম শ্রেণিতে ফেল করে করোনার সুবাদে পাশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহামারী করোনা সাপে বর হয়ে গেলে ৫১ বছর বয়সী এক
ব্যক্তির। করোনার কারণে পরীক্ষা ছাড়াই পাস করে গেলেন
তিনি।
১৯৮৭ সাল থেকে দশম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন তিনি।
কিন্তু এই ৩৩ বছরেও পাসের মুখ দেখেননি তিনি।
ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম
জি-নিউজ জানিয়েছে, ৩৩ বছর ধরে দশম শ্রেণিতে প্রতিবছরই
পরীক্ষায় অংশ নিতেন মহম্মদ নুরুদ্দিন নামে হায়দাবাদের
এক বাসিন্দা। কিন্তু কখনও ধৈর্য হারা হননি। অধ্যবসায়
চালিয়েই গেছেন। অনেকেই তাকে বিকারগ্রস্থ বলেছে। নামের
সঙ্গে আদু ভাই তকমা জুটেছে। তবুও পিছপা হননি। নিয়মিতই
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে গেছেন। অবশেষে নিজে না পারলেও
করোনার কারণে পাস করলেন তিনি। নুরুদ্দিনের সাক্ষাৎকার
নিয়েছে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই।
সাক্ষাৎকারকে নুরুদ্দিন বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে লাগাতার
ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি ইংরেজিতে খুব কাঁচা।
তাই এতো বছর ধরেও পাস করতে পারছিলাম না। এবার করোনা
বাঁচিয়ে দিল। আমি পাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে লোকে নানা বাজে কথা বলেছে। তবে
আমি ঠিক করেছিলাম, পাস করেই ছাড়ব। না হলে লোকে আমাকে
ক্লাস টেন ফেল বলত। এবার সেটা বলবে না। আমি এখন
ম্যাট্রিক পাস। আমি অনেক খুশি।
ভারতের করোনা ভ্যাকসিন আগে পাবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারত কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। এই
ভ্যাকসিন তৈরি হলে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে
জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ
বর্ধন শ্রিংলা।
ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
১৯ আগস্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন।
১৯ আগস্ট হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন
মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র
সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ভারত
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত
হয়েছে। অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে
ভারত।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে ১৮
আগস্ট ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা। ১৯ আগস্ট তিনি ঢাকা ত্যাগ
করবেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার পর এটি ঢাকায় তার
দ্বিতীয় সফর। এর আগে চলতি বছর ২ মার্চ দুই দিনের সফরে
ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
২০২০ থেকে
পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে করা যাবে না?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে দিয়ে দিবো’- এমন কথা হারহামেশা
শোনা যায় আমাদের দেশে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার চিত্রটা
ভিন্ন।
সেখানে বিয়ে করতে হলে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তারপর
সরকার থেকে দেয়া হবে প্রশংসাপত্র। তবেই মিলবে বিয়ের
অনুমতি। জানা গেছে, ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে পাস করতে
হবে তিন মাসের প্রি ওয়েডিং কোর্স। রিয়েল সিলেট শুধু
কোর্স করলেই হবে না, সঠিক নম্বরও পেতে হবে। ২০২০ থেকে
এই নিয়ম চালু করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। প্রশাসন
সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। বিয়ে প্রাথমিক ভাবে জানা
যাচ্ছে দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা বিবাহবিচ্ছেদ আটকাতেই
সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কীভাবে সংসারের দৈনন্দিন কাজ
সামলে দাম্পত্য জীবন সুখের করে তোলা করা যায়, থাকছে
সেই প্রশিক্ষণও। বেশ কিছু রোগ এবং তার প্রাথমিক চিকিৎসা
স’ম্পর্কেও আলােচনা করা হবে এই পাঠক্রমে।
সম্প্রতি সে দেশের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড
কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কো-অর্ডিনেটিং মন্ত্রী মুহাদজির
এফেন্দি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নব দম্পতিরা যাতে
শান্তিতে সংসার করতে পারেন, সে কারণেই প্রি-ওয়েডিং
কোর্সের ভাবনা। সরকারের এই প্রি-ওয়েডিং কোর্সের
পাঠক্রমে থাকছে যৌন শিক্ষা, সন্তান কীভাবে মানুষ করবেন
তার প্রশিক্ষণ। ’
মক্কা ও মদিনার
পবিত্র দুই মসজিদের কর্তৃত্বে ১০ নারী নিয়োগি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাশিদুল ইসলাম সৌদি আরব পবিত্র দুই মসজিদ সংক্রান্ত
কর্তৃত্বের সিনিয়র পদে এধরনের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে
বলেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতৃত্বে নারীদের নিয়ে এসে
তাদের ক্ষমতায়নের যে যে সংস্কার চলছে তারই অংশ হিসেবে
এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এধরনের নিয়োগ উন্নয়ন ও
অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। আরব নিউজ
ওই ১০ নারীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে পবিত্র কাবা কিশওয়া
(বা কাবার গিলাফ) বিষয়ক বাদশা আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স,
পবিত্র দুই মসজিদের বিল্ডিং গ্যালারি, হলি মসজিদ
লাইব্রেরি ও অন্যান্য এলাকায়। এর মধ্য দিয়ে তরুণদেরও
ক্ষমতায়ন করা হবে। তাদের শক্তি ও সক্ষমতা যাচাই হবে
হজযাত্রীদের সেবায়।
সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ বলেছে, ওই
নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, এই নিয়োগের ফলে প্রজ্ঞাসম্পন্ন
নেতৃত্বের জন্য উচ্চাকাঙ্খা অর্জন করতে মানসম্পন্ন ও
উচ্চতর মানের সেবার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা সহায়ক হবে।
জেনারেল প্রেসিডেন্সি ফর দ্য অ্যাফেয়ার্স অব দ্য টু হলি
মস্ক-এর সার্ভিস ও প্রশাসনিক বিষয়ক এসিসট্যান্ট
আন্ডারসেক্রেটারি কামেলিয়া আল দাদি বলেছেন, এই নিয়োগ
যারা পেয়েছেন তারা পবিত্র দুই মসজিদের সব বিশেষায়িত
কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সেবা দেবেন। সেটা গাইডেন্স
হোক, ডিরেকটিভ হোক বা ইঞ্জিনিয়ারিং হোক, প্রশাসনিক হোক
বা সুপারভাইজরি সার্ভিস হোক- তারা তার সঙ্গে যুক্ত
থাকবেন।
পবিত্র দুই মসজিদের কিশওয়া, এক্সজিবিশন, জাদুঘর বিষয়ক
বাদশা আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট
আবদুল হামিদ আল মালিকি বলেন, গ্রান্ড মসজিদ পরিদর্শনে
যারা যান তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী। সেখানে সৌদি আরবের
নারী নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
স্নাতক-স্নাতকোত্তর
ছাড়া মাদ্রাসার সভাপতি নয়: হাইকোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্নাতক ডিগ্রি ছাড়া ফাজিল ও স্নাতকোত্তর ছাড়া কোনো
ব্যক্তি কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে
পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বগুড়ার এক
মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে
জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ে এ অভিমত
দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২১শে জানুয়ারি দেওয়া ওই রায়ের
পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল ১৯শে আগস্ট হাতে পান বলে
জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির।
Top
স্বামী ঝগড়া করে
না তাই ডিভোর্স চেয়েছেন স্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক নারীর অভিযোগ, স্বামীর
অতিরিক্ত ভালোবাসায় তার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে
তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান। উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার
বাসিন্দা ওই নারী অভিযোগপত্রে আরো বলেন, বিয়ের ১৮ মাস
পার হলেও স্বামী কোনো দিন তার সাথে ঝগড়া করেননি। এমনকি
কোনো ব্যাপারেই স্বামী তার ওপর বিরক্ত হন না, কখনো
চিৎকারও করেন না। তিনি ঝগড়া করতে চাইলেও স্বামী তা
করেন না। বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা ওই নারী জানান, তার
যাতে কষ্ট না হয় এজন্য স্বামী মাঝে মধ্যে রান্না করেন,
তাকে গৃহকর্মে সাহায্য করেন।
ওই নারী আরো জানান, কখনো তিনি কোনো অন্যায় বা ভুল করলে
স্বামী তাকে ক্ষমা করে দেন। তিনি বলেন, ‘এত ভালোবাসায়
আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। আমি এমন জীবন চাই না যেখানে
স্বামী সব কিছু মেনে নেবে।’
এমন অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করায় আদালত ওই
নারীর অভিযোগ খারিজ করেছে। এরপর একই আবেদন নিয়ে তিনি
হাজির হন পঞ্চায়েতের দরবারে। তবে পঞ্চায়েতের পক্ষ
থেকেও এমন আবেদন মঞ্জুর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ দিকে ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, তিনি তার স্ত্রীকে
সবসময় খুশি দেখতে চান। তিনি আদালতকে মামলাটি
প্রত্যাহার করার আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত আদালত ওই
দম্পতিকে নিজেদের সমস্যা নিজেদেরকেই মেটানোর নির্দেশ
দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
হিজাব পরার অনুমতি পেল জার্মান
শিক্ষিকারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বার্লিনের স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকারা এবার থেকে হিজাব
পরতে পারবেন বলে রায় দিয়েছেন জার্মানির আদালত।
জার্মানির এক নারীর আবেদনের ভিত্তিতে কয়েক বছর ধরে একটি
মামলা চলছিল। ২৭ আগস্ট দেশটির উচ্চ আদালত এই রায় ঘোষণা
করেন।
নিরপেক্ষতার আইন রয়েছে জার্মানিতে। যার অর্থ, স্কুলে
বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহারকারী
কোনো পোশাক পরা যাবে না। সে কারণেই স্কুলে হিজাব বা
স্কার্ফ পরে যেতে পারতেন না মুসলিম শিক্ষিকারা।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের দূত
হলেন
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সংগঠন
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক দূত
হিসেবে মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।
২২ জুলাই ২০২০ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সিভিএফের চারজন দূত
মনোনীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন
পুতুল। তিনি বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির
চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পাশাপাশি অন্য তিনজন দূত হলেন
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ কামাল, ফিলিপাইনের
ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগ্রেডা ও কঙ্গোর জলবায়ু
বিশেষজ্ঞ তোসি মাপ্নু।
ভুয়া ডাক্তারের
ছড়াছড়ি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মহামারীতে জনগণের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিত করতে গিয়ে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এর
মধ্যেই উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুয়া ডিগ্রিধারী
ডাক্তারের ছড়াছড়ি এখন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, বাড়ছে
তাদের সীমাহীন দৌরাত্ম্য।
বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি ব্যবহার করে চকচকে সাইনবোর্ড
সাঁটিয়ে নিরীহ রোগীদের প্রতারিত করে আসছে তারা। ফলে
চিকিৎসাসেবায় চরম অরাজকতা বিরাজ করছে, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে
উঠেছে রোগীদের জীবন। বছরের পর বছর ভুয়া
ডাক্তারকেন্দ্রিক নানা অরাজকতায় দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা
প্রশ্নবিদ্ধ হলেও সরকারের দায়িত্বশীল বিএমডিসি,
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিএমএসহ
ডাক্তারদের পেশাদার সংগঠনগুলো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ
নিচ্ছে না- এমন অভিযোগ উঠেছে। জাল সনদ ও নবায়নহীন
লাইসেন্স পুঁজি করেই ভুয়ারা রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি
জেলা ও উপজেলা সদরে অভিজাত চেম্বার সাজিয়ে অহরহ
রোগীদের প্রতারণা করে চলছে। ভুয়াদের বিরুদ্ধে
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার
নজির নেই বললেই চলে। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের
নিয়মিত অভিযানে একাধিকবার ভুয়া ডাক্তার ও ভুয়া
বিশেষজ্ঞ আটক হয়েছে। তারা এমবিবিএস ডিগ্রির আগে-পিছে
দেশ-বিদেশের ভুয়া, নকল, মনগড়া উচ্চতর সব ডিগ্রি
ব্যবহার করে বছরের পর বছর রোগী দেখছে, হাতিয়ে নিচ্ছে
মোটা অঙ্কের ফি। চিকিৎসা সেক্টরে ভুয়া ডাক্তার ও
অপচিকিৎসা বছরের পর বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারের
মতোই চেপে আছে। বাণিজ্যের লক্ষ্যে ভুয়া ডাক্তাররা
নামের পেছনে এফআরএসএইচ, এমএসিপি, এফএসিপি, পিজিটি, এমডি
ও এফসিপিএস (ইনকোর্স) ও পার্ট-১ অথবা পার্ট-২সহ
বিভিন্ন ডিগ্রি উল্লেখ করে থাকে। এ কারণে সাধারণ রোগীরা
এসব ডাক্তারকে বিদেশি ডিগ্রিপ্রাপ্ত বলে মনে করেন।
দেশজুড়ে ১৪ হাজার ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার ছড়িয়ে পড়েছে
বলে জানা গেছে।
ট্রাম্প না চাইলেও
তাকে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে বাধ্য করা হবে: পেলোসি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ট্রাম্প এখনো জানুক বা না জানুক তাকে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে
হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব
রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর আগে
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়া
নিয়ে অস্পষ্ট বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড
ট্রাম্প। এর ভিত্তিতেই পেলোসি বলেন, এখানে একটি নিয়ম
আছে। হোয়াইট হাউজের একজন বাসিন্দার (ট্রাম্প) চাওয়ার
ওপর কিছু নির্ভর করছে না, প্রয়োজনে তাকে বের করে আনা
হবে। এ খবর দিয়েছে ডেলি মেইল।
এর আগে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প মুখোমুখি হন সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেসের। এসময়
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি আসন্ন প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন কিনা প্রসঙ্গে। উত্তরে
ট্রাম্প জানান, তিনি এখনো নিশ্চিত নন। তিনি বলেন,
দেখুন- আমাকে ভাবতে হবে।
আমি এখনি "হ্যা" বলে দিতে পারছি না। আমি "না" ও বলছি
না।
এই একই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, মেইলে ভোটের
মাধ্যমে নির্বাচনে কারচুপি করা হবে। তবে এমন দাবির
পক্ষে কোনো প্রমাণ তুলে ধরেননি তিনি। সম্প্রতি করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মেইলে ভোট দেয়ার বিষয়টি
আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্প দাবি করেন, ফক্স
জনমত জরিপসহ যেসব জরিপে দেখানো হচ্ছে তার থেকে
ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন বেশি জনপ্রিয় সেগুলো আসলে
"মিথ্যা"।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রেক্ষিতে পেলোসি বলেন, ভোটাররা ও
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান জানুয়ারিতেই ট্রাম্পকে হোয়াইট
হাউজ ছাড়তে বাধ্য করবে। তিনি মনে মনে এটা মানুক বা
স্বেচ্ছায় হোয়াইট হাউজ ছাড়তে না চাক তাতে কিছু যায় আসে
না। তিনি হোয়াইট হাউজ ছাড়তে চান না মানে এই নয় যে আমরা
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উৎসব করব না! তিনি আরো
বলেন, প্রেসিডেন্সিতো প্রেসিডেন্সিই হয়। এটা কোনো
ভৌগলিক অবস্থান নয়।
সৌদি প্রবাসীদের রিএন্ট্রি ও ভিসা
এক্সটেনশন নিয়ে নতুন খবর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মরণ থাবা করোনার কারণে যে সকল সৌদি প্রবাসীরা নিজ নিজ
দেশে অবস্থান করছেন বা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে
ধীরে ধীরে। এই সকল প্রবাসীদের রিএন্ট্রি ও ভিসা
এক্সটেনশন সম্পূর্ণ করলো সৌদি পাসপোর্ট বিভাগ জাওয়াজাত।
জাওয়াজাত নিশ্চিত করেছে যে এই মুহূর্তে সৌদি আরবের
বাহিরে অবস্থানরত সকল সৌদি প্রবাসীর ৩ মাসের জন্য
রিএন্ট্রি ভিসা ও ভিসা এক্সটেনশন ফ্রিতে সম্পূর্ণ হয়েছে।
টুইটারে একটি টুইটের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে
জাওয়াজাত। তারা জানিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে
সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে পড়ায় যারা নিজ নিজ
দেশে আটকা পড়েছে, সৌদি আরব ফিরতে পারছে না এবং যাদের
ভিসা এক্সটেনশন ও রিএন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে
তাদের সকলেরই আপনাআপনি এই প্রক্রিয়ায় রিএন্ট্রি ভিসা ও
তিন মাসের ভিসা এক্টটেনশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
সম্পূর্ণ হয়েছে।
অন্যদিকে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবসার অ্যাপ
ঘোষণা করেছে যে এই রি এন্ট্রি ও ভিসা এক্সটেনশনের
মেয়াদ ঐ সৌদি প্রবাসীর পরিবারের সকল সদস্য ও গৃহকর্মী
যারা সৌদি আরবে বসবাস করেন তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
তবে এক্ষেত্রে সেই প্রবাসীকে অবশ্যই সৌদি আরবের বাহিরে
থাকতে হবে এবং বাহিরের থাকার সময়টায় অবশ্যই তাঁর
ইকামার মেয়াদ থাকতে হবে যেন তা ঐ বর্ধিত মেয়াদকাল
পর্যন্ত বজায় থাকে।
অর্থাৎ যে তিনমাসের জন্য জাজাওয়াত রিএন্ট্রি ভিসা ও
ভিসার মেয়াদবৃদ্ধি করছে ঐ তিন মাস যেন অতি অবশ্যই ইকামা
বজায় থাকে।
আরেকটি কন্ডিশন হল যে এক্ষেত্রে যাদের এক্সিট ও
রিএন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬০ দিন পার হয়ে
গেছে তারা জাজাওয়াতের এই সেবার অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
ফের
ক্ষমতায় এলে সারা জীবন রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে
রেশন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিমবঙ্গে ২১ আগস্ট ২০২০ ছিল ক্ষমতাসীন তৃণমূল
কংগ্রেস দলের শহীদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল কালীঘাট
থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা
দিতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে ভরসা রাখুন,
বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন। একুশে তৃণমূলই কমবেশি সরকার
গড়বে।’ তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারে
এলে সারা জীবন রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন,
স্বাস্থ্য পরিষেবা সহজ করা হবে বলেও আগাম ঘোষণা দেন
মমতা ব্যানার্জি।
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে
তৃণমূলের এটাই শেষ শহীদ দিবস পালন। আর সেদিকে তাকিয়ে
এদিন কার্যত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন
তৃণমূলনেত্রী। মমতা বলেন, ‘সিপিআইএমের রাজত্বে মারতে
মারতে আমার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।
কুয়েতের সেনা কর্মকর্তা পাপুল কাণ্ডে
গ্রেফতার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২
আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক
আর্থিক লেনদেন ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের এক সেনা
কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরবি ভাষার পত্রিকা আল কাবাসের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ
জানিয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন
আল-জারাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
খবরে বলা হয়, ঘুষের বিনিময়ে পাপুলের বেশ কিছু কাজ
দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মেজর
জেনারেল মাজেন আল-জারাহ । তিনি কুয়েতের নাগরিকত্ব,
পাসপোর্ট ও বসবাসের অনুমতি বিষয়ক দপ্তরের
অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।
বাংলাদেশি এমপি পাপুল রিমান্ডে যাদের নাম বলেছেন তাদের
মধ্যে মাজেন আল-জারাহ অন্যতম। ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর
এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা রিমান্ডে
জানিয়েছেন এমপি পাপুল।
এক পর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট
আন্ডার সেক্রেটারির পদে থাকা মেজর জেনারেল মাজেন
আল-জারাহকে জুনের শেষ দিকে বরখাস্তের আদেশ দেন কুয়েতের
উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।
এরপর গত বৃহস্পতিবার এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন।
ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে
কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি
কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে
বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার ৫ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের
বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি
প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর
এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
অপরাধ দুর্নীতি
করলেই শাস্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালের দুই আলোচিত চরিত্র মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম
এবং চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বা সাবরিনা শারমিন
হোসেইন। এদের একজন ছিলেন ‘টকশো নায়ক’, অপরজন ‘তারকা
উপস্থাপক’। নানা উপায়ে ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে অবৈধভাবে
অর্থবিত্তের মালিক হতে চাওয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণ এই
দুই চরিত্র। তবে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। দুর্নীতি ও
অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর
অবস্থান থাকায় তারা গ্রেফতার হয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের
প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, কেবল সাহেদ
বা সাবরিনাই নন, আওয়ামী লীগ ও সরকারের নাম ভাঙিয়ে
অনিয়ম-দুর্নীতি বা অপরাধ করার চেষ্টা করলে কাউকেই
রেহাই দেওয়া হবে না। প্রত্যেককেই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য
সহিষ্ণুতা নীতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের তিনি
নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন।
গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী
বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ
যে-ই হোক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। কে কোন দলের
তা বড় কথা নয়, দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে
যাচ্ছি। আগের দিন ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে
অপর এক বক্তৃতায় রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতাল নিয়ে বলেন,
ওই (রিজেন্ট) হাসপাতালের এই তথ্য আগে কেউ দেয়নি, জানাতে
পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকেই খুঁজে বের করেছি, ব্যবস্থা
নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অপরাধ ও দুর্নীতি
যার যার তার তার। দল বা সরকার কারও অপরাধের দায় নেবে
না। এক্ষেত্রে কেউ দল বা সরকারের ভিতর বা বাইরের হতে
পারেন। কাউকে ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। কোনোমতেই
আইনের স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত করতে দেবেন না তিনি।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় মনে করে, ক্ষমতার টানা তিন মেয়াদে
একটি সুবিধাবাদী শ্রেণি নানা ফটক দিয়ে আওয়ামী লীগে ঢুকে
পড়েছে। তারা দলের নাম ভাঙিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় আছে।
তাদের কর্মকান্ড দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার বা দলের কোনো বড় নেতা বা
কর্মকর্তা তাদের রক্ষা করতে পারবেন না। এখানে
প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কঠোর ও অনমনীয়।
জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব মো. ইহসানুল
করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপরাধ ও দুর্নীতির
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আপস নেই। যারা যেখানে উল্টাপাল্টা
কিছু করছে তাৎক্ষণিক তাদের ধরা হচ্ছে। সে যেই হোক,
দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। এ ব্যাপারে
প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত কঠোর।
কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদের
নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক রকম যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
এক্ষেত্রে তিনি নিজের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা
শুরু করেন। এ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের
অনেক প্রভাবশালী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী সংগঠন থেকে ছুড়ে
ফেলে দেন।
বাংলাদেশের মেরিনা
তাবাসসুম বিশ্বের শীর্ষ
৫০ বুদ্ধিজীবির
তালিকায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের মেরিনা তাবাসসুমের নাম ওঠে এসেছে বিশ্বের
শীর্ষ ৫০ বুদ্ধিজীবির তালিকায়।ব্রিটেনভিত্তিক
ম্যাগাজিন প্রসপেক্ট চলতি বছরের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ৫০
বুদ্ধিজীবির তালিকাটি প্রকাশ করেছে। গতকাল ইউটিউব
চ্যানেল বিডিনেট এ উপলক্ষ্যে বিশেষ বুলেটিন প্রচার করে।
তিনি আগা খান , কমনওয়েলথ, ব্রিটেনের স্মিথ এওয়ার্ডসহ
বিভিন্ন পুরষ্কার পেয়েছেন। তাকে নিয়ে এ মাসেই বিবিসি,
গার্ডিয়ান, এনডিটিভি বিশেষ স্টোরি করেছে। বুলেটিনে বলা
হয়, প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে ভবন নির্মাণ এবং
পরিবেশের দ্বারা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করে নকশা
তৈরি করার ক্ষেত্রে মেরিনা দারুণ অবদান রেখেছেন। এই
অবদানই তাকে স্বীকৃতিটি এনে দিয়েছে।
মেরিনা ঢাকার বায়তুর রউফ মসজিদের নকশা করেছেন যা
টেরাকোটা ইট দিয়ে নির্মিত। মসজিদের নকশা রীতিমতো
সুলতানি আমলের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ ছাড়া আরেক স্থপতি
কাশেফ মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে যুগ্মভাবে সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের নকশা
করেছেন মেরিনা।
২০১৫ সাল থেকে নিজস্ব স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মেরিনা
তাবাসসুম আর্কিটেক্টস (এমটিএ) পরিচালনা করছেন তিনি এবং
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভুমিকম্পের ঝুঁকিতে কি ধরণের ভবন
রয়েছে এ নিয়ে গবেষণা করে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি
কাউন্টার পাঞ্চ ও থট জার্নালের নিয়মিত লেখক।
নারী ও শিশু সংবাদ
তিনবছরে রোহিঙ্গা শিবিরে জন্ম নিয়েছে
প্রায় ৭৬ হাজার শিশু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর)
তথ্য উপাত্তের ভিত্তি অনুসারে, চলতি বছরের ৩১শে মে
পর্যন্ত কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোয় তিন বছরের কম
বয়সী শিশুর সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৯৭১টি। ধারণা করা হচ্ছে,
এই শিশুগুলোর প্রত্যেকে তাদের মায়েরা বাংলাদেশে আসার
পর জন্ম নিয়েছে।
শিশুদের পুরো একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চুরি হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে আবদ্ধ অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে
জন্ম নিয়েছে আনুমানিক ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭টি শিশু।
বাংলাদেশের শরনার্থী শিবির ও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গাদের শিবিরের জনসংখ্যা বিশ্লেষণে এ তথ্য বেরিয়ে
এসেছে।
রাখাইন থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে
আসার তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। গত ৩
বছরে কক্সবাজারের শিবিরগুলোয় ৭৫ হাজারের বেশি শিশুর
জন্ম হয়েছে। প্রতিটি শিশুর জন্মই একটি আনন্দের মুহূর্ত।
কিন্তু এই শিশুগুলো দুর্ভাগ্যের শিকার। তারা এমন এক
জীবন নিয়ে জন্মেছে, যেখানে তাদের পরিবার কাজ করতে পারছে
না। তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সীমিত। নেই
চলাফেরার স্বাধীনতাও।
শোক দিবসে পথ শিশুদের মাঝে
খাবার বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম
শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুবলীগ নেতা
দেবাশীষ পাল দেবুর উদ্যেগে সিআরবি শিরীষতলায় পথশিশুদের
মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট সকালে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা
প্রদান করে সামাজিক সংগঠন নগর ফুল।
মোনাজাত পরিচালনা করেন মোহাম্মদ হাবিব। এসময় পথ
শিশুদের মাঝে খাবারের সাথে মাস্কও বিতরণ করা হয়।
যুবলীগ নেতা মো ইসমাইলের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগ নেতা
ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
এসকান্দর আলম, নগর ফুলের প্রধান সমন্বয়কারী রাহুল
চক্রবর্তী, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল হক মার্শাল, মো
ইমতিয়াজ বাবলা, এম রাশেদ চৌধুরী, রায়হান নেওয়াজ সজীব,
যুবায়ের হোসেন অভি, মো এমরান, মনির হোসেন টিটু, মো
ফয়সাল, মাহবুবুর রহমান জনি, মো রাশেদ, নজরুল ইসলাম টিপু,
আজিজুল হাকিম মাহিন,মেহেদী হাসান রিগাল, মিনহাজ হোসন,
আশিকুর রহমান শান্ত প্রমুখ।
বাল্য বিবাহ পণ্ড, বরের বাবাকে জরিমানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বড় বৈৎসব গ্রামে ষষ্ঠ
শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী।
পরে ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে বরের অভিভাবককে ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, কনে উপজেলার চাখার ওয়াজেদিয়া মেমোরিয়াল
বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বর একই উপজেলার
জম্বুদ্বীপ গ্রামের আনোয়ার শরীফের ছেলে মুন্না (২০)।
স্থানীয়রা জানান, ৩ আগস্ট দুপুরে মেয়ের নানা বাড়িতে
উভয় পক্ষ উপস্থিত হয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রি করছিল। বিষয়টি
গ্রামবাসী জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করে।
তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে পুলিশ
বর-কনেসহ তাদের অভিভাবকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
কার্যালয়ে নিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ
আব্দুল্লাহ সাদিদ জানান, বরের অভিভাবককে ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে বর ও কনের উপযুক্ত বয়স না
হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা রাখা হয় উভয়ের
অভিভাবকের কাছ থেকে।
যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ি গিয়ে
স্ত্রীকে মারধর, যুবক আটক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যৌতুকের জন্য
শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করায় সাইফুল ইসলাম
সুমন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ৩১ আগস্ট
দুপুরে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নির্যাতিত শান্তা মনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল ইসদাইর
বুড়ির দোকান এলাকার ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া টিটু
পেদার মেয়ে শান্তা মনির (২১) সঙ্গে পরিবারিকভাবে একই
এলাকার মুছা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম সুমনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের ৫ লাখ টাকার জন্য প্রায়ই স্ত্রী
শান্ত মনিকে মারধর করতো সুমন। ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায়
যৌতুকের জন্য মারধর করে শান্তা মনিকে বাসা থেকে বের করে
দেন সুমন। এরপর ৩০ আগস্ট বিকেলে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ফের
যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করেন তিনি। এসময় আশপাশের
লোকজন এগিয়ে এলে সুমন পালিয়ে যায়। এরপর শান্তাকে শহরের
ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম
হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শান্তা মনির অভিযোগ পেয়ে
সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। এবিষয়ে মামলা হয়েছে। শান্তা
মনি চিকিৎসা নিয়ে এখন তার বাবার বাসায় রয়েছে।
শিশু উন্নয়ন
কেন্দ্রে হত্যাকাণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যশোরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার
খবর হৃদয়বিদারক। বিশেষত কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কদের হাতে
যেভাবে সংশোধনের জন্য পাঠানো কিশোরদের লাশ হতে হল; তাকে
রক্ষকদের ভক্ষকের ভূমিকা নেয়া বললেও কম বলা হয়।
উদ্বেগের বিষয়, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী
তত্ত্বাবধায়ক ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর এবং ফিজিক্যাল
ইন্সট্রাক্টররা হত্যার পর যেভাবে নানা ঘটনা- যেমন,
নিজেদের মধ্যে গ্রুপে গ্রুপে সংঘর্ষের গল্প তৈরি
করেছেন, তা খুবই ন্যক্কারজনক।
কিশোর অপরাধীদের মানসিক সংশোধনের জন্য যাদের কাছে
পাঠানো হয়, তাদের আচার-অচরণ যদি এমন হয় তবে সংশোধন না
হয়ে আরও ভয়ংকর অপরাধী হয়ে বেরিয়ে আসবে কিশোর অপরাধীরা।
আমরা মনে করি, নৃশংস এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নয়ন
কেন্দ্রগুলোতে শাস্তির পদ্ধতি পর্যালোচনা করা দরকার।
শিশু-কিশোরদের অপরাধের শাস্তি হিসেবে জানালার গ্রিল
দিয়ে হাত বের করে বেঁধে ও মুখে কাপড় ঢুকিয়ে বেধড়ক
পেটানোর মতো সাজা কী করে সরকারি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে
থাকতে পারে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তার ওপর পেটানোর পর
জ্ঞান হারালে গাছের নিচে ফেলে রাখা এবং জ্ঞান ফিরলে
আবারও পেটানো- এমন জঘন্য শাস্তি শিশু-কিশোরদের জন্য
কোনোভাবেই হতে পারে না। আহত কিশোরদের বিবরণে জানা যায়,
একজন আনসার সদস্য শিশুদের চুল কেটে দিতে চাইলে তারা
রাজি না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নেশার অভিযোগ আনা এবং একে
কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে ওই আনসার সদস্যকে কিশোরদের
মারধর করার কারণে এমন নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হয় তিন
কিশোরকে। এ থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হল- কেন্দ্রের
তত্ত্বাবধায়ক থেকে নিরাপত্তারক্ষী সবাই কিশোরদের
প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে থাকে।
এগুলো খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা ও
শিশু-কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয়
সংস্কারের বিকল্প নেই।
এটা সত্য, শিশু ও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে যারা
সংশোধনের জন্য যায় তারা সবাই অপরাধী। বয়সজনিত কারণে
সরাসরি কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধন করে ভালো মানুষ
হিসেবে গড়ে তোলাই থাকে এসব কেন্দ্রে পাঠানোর লক্ষ্য।
কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এসব কেন্দ্রের
কারাগারের মতো নেশা-মাদকদ্রব্য গ্রহণসহ নানা অপরাধের
সুযোগ রয়েছে এবং রক্ষকরা ভক্ষক হয়ে সেগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে
পড়াও অস্বাভাবিক নয়। এমনটি হলে তা যে কেন্দ্রগুলোর মূল
উদ্দেশ্যের বিপরীত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আশার কথা,
যশোরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার
ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, নিহতদের পরিবারের পক্ষ
থেকে মামলাও হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি
কেন্দ্রগুলোকে প্রকৃত সংশোধন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার
দিকে নজর দেয়াই হোক এখন মূল ফোকাস।
‘কয়েলের ধোঁয়ায় কমছে
প্রজনন ক্ষমতা’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কয়েলের ধোঁয়ার কারণে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমছে বলে
জানিয়েছেন গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী।
ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে একটি জাতীয় দৈনিক আয়োজিত
গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
‘অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল : স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
ভোক্তারা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ডা. পূরবী বলেন,
অননুমোদিত মাত্রার বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে তৈরি
করা মশার কয়েল প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক
ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে।
পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরজ বাচ্চার
জন্মহার বেড়েছে।
তিনি বলেন, শুধু প্রজনন ক্ষমতা কমছে তা না, এসব কয়েলের
ধোঁয়ার কারণে চোখে কম দেখা, মাথা ব্যাথাসহ নানা সমস্যা
দেখা দিচ্ছে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদি নিখোঁজ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদি নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল
সন্ধ্যা থেকেই একজন কয়েদিকে কারাগারের লকআপে খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েদির নাম আবু বকর সিদ্দিক।
কারাসূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের পর
থেকে অনেক খোজাঁখুজি করেও রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাকে
কারাগারের ভেতরে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায়নি। তিনি
কাশিমপুর-২ কারাগারের কয়েদি।
নিখোঁজ ওই কয়েদি যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত। আবু বকর
সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ
চন্ডীপুরে।
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১
সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি
হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই
তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান
করেন আদালত।
২০ বছর পর ফাঁসির আসামি খালাস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্ত্রী ও নিজ মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে
মৃত্যুদন্ড পাওয়া খুলনার নারিকেলি চানপুরের বাসিন্দা
জাহিদ শেখকে ২০ বছর পর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম
কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ
হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ গতকাল এ
আদেশ দেয়। আদেশে বলা হয়েছে, জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে
স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মামলার
বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে বাগেরহাটে নিজ বাড়িতে
জাহিদ শেখের স্ত্রী রহিমা ও মেয়ে রেশমা খাতুন খুন হন।
পরে রহিমার বাবা ময়েন উদ্দিন শেখ বাগেরহাটের ফকিরহাট
থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি
হিসেবে জাহিদ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিচারিক
আদালতের বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০০ সালে তাকে ফাঁসির
দন্ডাদেশ দেওয়া হয়। এরপর একই বছর ডেথ রেফারেন্স ও আপিল
শুনানির জন্য তা হাই কোর্টে আসে। ২০০৪ সালে হাই কোর্টও
তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। এদিকে ২০০৭ সালে মামলাটি
আপিল বিভাগে আসে।
সাত পুলিশ রিমান্ডে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে বাহারছড়া এপিবিএন
চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত
মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান
তিন আসামিসহ মোট সাত আসামির আরও চার দিন করে রিমান্ড
মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল কক্সবাজার সদর চার নম্বর
আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। সাত আসামিকে
আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের আরও সাত দিন করে
রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের
সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
শুনানি শেষে আদালত আসামিদের চার দিন করে রিমান্ড
মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, সাবেক
পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিত,
এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন
ও আবদুল্লাহ আল মামুন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জকরিয়া
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এর
আগে মামলার প্রধান তিন আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত
আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
করে আদালত। আজ সেই রিমান্ড শেষ হয়। পরে র্যাবের
কক্সবাজার কার্যালয় থেকে গতকাল বেলা আড়াইটায় আসামি
প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে
আদালতে নেওয়া হয়। বাকি চার আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়
কারাগার থেকে। উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর
চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
বন্দি আসামির মৃত্যু ঢামেকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মো. প্রিন্স (২২) নামের
এক কারাবন্দি মারা গেছেন। তিনি আশুলিয়া এলাকায় একটি
ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে বন্দি ছিলেন। কারা সূত্র
জানায়, গতকাল শুক্রবার ভোররাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রিন্স অসুস্থতা বোধ করেন।
কারারক্ষীরা সকাল ৭টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
(ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া
জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা
হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে আসামি পালিয়েছে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ২৮ আগস্ট রাত ৩টা ৪০
মিনিটের দিকে মিন্টু (২৮) নামে এক আসামি পালিয়ে গেছে।
কারা সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল কারাগারের বন্দি মিন্টু
অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত ১২ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি
করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গত ২৮ আগস্ট তার শরীর খারাপ
হওয়ায় ওই দিনই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল ভর্তি করা
হয়। রাতের বেলা সে কৌশলে পালিয়ে যায়। আসামি মিন্টু
মাদক মামলার আসামি। তিনি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথাসহ নানা
অসুখে ভুগছেন। এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনকারী তিন
কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কারা
কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে থানা হাজতে যুবককে নির্যাতনের
অভিযোগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা হেফাজতে সাইদুল ইসলাম (২৫) নামে
এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলেছে ঐ
যুবক হাজতের লোহার দরজায় মাথা ঠুকে আত্মহত্যার চেষ্টা
চালিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন পুলিশ
তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার ঐ যুবক
বর্তমানে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তিনি আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ
গ্রামের তফিজউদ্দিনের ছেলে। মিরপুর বাংলা কলেজে পড়তেন
তিনি।
সাইদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন জানান, শনিবার সকালে
তার জন্য খাবার দিয়ে আসি। কিন্তু আমরা সরাসরি দেখা করতে
পারিনি। ফেরার সময় পুলিশের চিৎকার শুনে হাজতে গিয়ে দেখি
সাইদুল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশ তাকে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সাইদুল ইসলামের
বোন জেসমিন আকতার মোবাইল ফোনে জানান, পুলিশ সাইদুলকে
বিকেলে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে কেন নেওয়া হচ্ছে
জানতে চাইলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুলকে আটক করা
হয়েছে বলে জানায়। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটোয়ারী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। থানা
হেফাজতে আমার ভাই কীভাবে রক্তাক্ত হলো?—এমন প্রশ্ন তার।
তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা দিলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেবে
বলে জানিয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় তাকে নির্যাতন করেছে বলে
মন্তব্য করেন তিনি।
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হুমায়ুন কবির
জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার সময় আহত ঐ যুবকের
কপালের আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে কয়েকটি সেলাই
করা হয়েছে। লোহা জাতীয় কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাত পেয়ে
এমনটা হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে তিনি কিছুটা
সুস্থ রয়েছেন এবং পুলিশি পাহারায় তার চিকিত্সা চলছে।
আটোয়ারী থানার ওসি মো. ইজারউদ্দিন জানান, নির্যাতনের
তথ্য সঠিক নয়। আটোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি চুরির
ঘটনায় আটককৃতদের কাছ থেকে ঐ যুবকের নাম আসলে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে তাকে
আদালতে নেওয়ার আগে তিনি হাজতের লোহার দরজায় মাথা ঠুকে
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা
তাকে ধরে ফেলে শান্ত করেন এবং হাসপাতালে (স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে) নিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা
রয়েছে। বর্তমানে ঐ মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
পুলিশ পানিতে নেমে
উদ্ধার করল নিখোঁজ যুবকের লাশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর ধানক্ষেত থেকে
সুজন চন্দ্র সরকার (২২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ
উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে উপজেলার
ডুমুরিয়া ও দোবারিয়া গ্রামের ধানক্ষেতের মধ্যে পানিতে
নেমে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুজন চন্দ্র সরকার কেরনখাল ইউনিয়নের ডুমুরিয়া
গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে। পেশায় তিনি
কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
নিহতের বড় ভাই যুবরাজ সরকার বলেন, ২১ আগস্ট বিকালে তার
স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
তারপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
আমরা আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজ নিয়েছি কোথাও পাইনি।
২৬ আগস্ট সকালে লোক মারফত শুনতে পাই দোবারিয়া ধানক্ষেতে
লাশ পাওয়া গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে ভাইয়ের অর্ধগলিত লাশ
দেখতে পাই।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
করোনা রুখে দিতে প্রথমেই থাকবে নিমপাতা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেল ঈদ আনন্দে। অবশ্য আনন্দ একটু
বেশিই হয়ে গেছে অনেকেরেই।
ছিল না মহামারি করোনা ভীতিও। আর এই অসাবধানতায় ঈদের পরে
বাড়তে পারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
এসময়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা
ভাইরাসের মোকাবিলা করা। যতই দিন যাচ্ছে করোনার সঙ্গে
বসবাসের এক নতুন লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি আমরা।
তবে এসব নতুন বিষয়ের সঙ্গে যোগ হচ্ছে সেই প্রাচীন
চিকিৎসার প্রকৃতির আশির্বাদ নিমপাতা। নিমপাতার স্বাদ
যদিও ভয়ঙ্কর তিতা কিন্তু এর গুণ যে অসাধারণ তা তো সবাই
জানি। কিন্তু এই করোনায় কীভাবে রক্ষাকর্তার ভূমিকায়,
আসুন জেনে নিই:
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু করোনা নয়, যে কোনো সংক্রমণকেই
দূরে রাখতে পারে নিম। এজন্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
এমন খাদ্যতালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আর এই তালিকায়
সবার প্রথমেই থাকবে নিমপাতা।
* নিমপাতা কুচি করে এক গ্লাস পানিতে মিলিয়ে পান করুন
এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড বে
* এটি প্রাকৃতিক অ্যন্টিবায়োটিকের কাজ করে
* অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি হওয়ায় লিভার পরিষ্কার হয় এবং
হজমশক্তি ভালো থাকে
* নিমপাতার রস খেলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে
* করোনা রোগীর রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে
* দাঁতের সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধে দূর করে
* শরীরের কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থানে নিম লাগালে
ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
করোনাকালে প্রতিদিন একটি করে নিমপাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে
চুইংগামের মতো চিবাতে পারেন। প্রথমে দু’এক দিন একটু
খারাপ লাগলেও পরে ঠিক অভ্যাস হয়ে যাবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে গর্ভবতী নারীরা নিম খাবেন
না।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে
কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনা ও হাঁপানি রোগী ছাড়াও অনেকের শ্বাসকষ্টের মত
সমস্যা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট হলে এখন অনেকেই ভয় পেয়ে
বসেন। হঠাৎ শ্বাসের সমস্যা হলে ভয় পাবেন না।
এ বিষয়ে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আরেফিন খান বলেন, ঠান্ডা বা
কাশি হলে শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ফুসফসে
সংক্রমণ হলেও শ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে
যাওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু কাজ আপনি বাসায় নিজেই করতে
পারেন। এতে শ্বাসের সমস্যায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।
কী করবেন-
১. শ্বাসকষ্ট হলে বালিশ দিয়ে মাথার দিক উঁচু করে কাত
হয়ে শোবেন। এ সময় হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে হবে। এতে
আরাম বোধ করবেন।
২. চেয়ারে বসে টেবিলের ওপর বালিশ রেখে তাতে মাথা নিচু
করে শোয়া। এছাড়া চেয়ারে বসে সামনে ঝুঁকে কিছুক্ষণ বসতে
পারেন।
৩. একইভাবে সামনে একটা চেয়ারকে সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার
করে ঝুঁকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন।
৪. দেয়ালে শরীর হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, পা দেয়াল থেকে এক
ফুট দূরত্বে রেখে দাঁড়ান। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় এসব করলে
অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
মধু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল আধুনিক বিজ্ঞান
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মধুর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই বেশ ভালোভাবেই
অবগত। মধু আমাদের অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে
সহায়তা করে। প্রাচীনকাল থেকেই মধুর গুণাগুণ সম্পর্কে
আমরা জেনে আসছি এবং এটি ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে
যুগ যুগ ধরে। এখনকার আধুনিক বিজ্ঞান এই মধু নিয়ে দিল
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং এর গুণাগুণ সম্পর্কে দিল যথেষ্ট
ধারণা।
নতুন এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, সর্দি-কাশির চিকিৎসায়
প্রচলিত বিভিন্ন ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের তুলনায় মধু
বেশি কার্যকরী।
মধু সস্তা ও সহজলভ্য এবং এটি অতিপরিচিত একটি প্রাকৃতিক
উপাদান, যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। এর তেমন
কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা
তাদের গবেষণায় বলেন, সর্দি-কাশির চিকিৎসায় রোগীদের
অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার সুপারিশ
করতে পারেন চিকিৎসকরা।
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন (ইউআরটিআই) নাক, গলা,
কণ্ঠস্বর এবং শ্বাসনালীকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে থাকে,
যার ফলে ফুসফুস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। এই
লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- গলাব্যথা, নাক বন্ধ ও কাশি।
শিশুদের কাশি, গলাব্যথা এবং সাধারণ সর্দির জন্য ঘরোয়া
চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মধুর কার্যকারিতা
প্রমাণের গবেষণাগুলো পদ্ধতিগতভাবে এখনো পর্যালোচনা হয়নি।
তবে গবেষণাগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে সমাধানের চেষ্টা
করছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এজন্য ১৪টি ক্লিনিক্যাল
ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন
বয়সের মোট ১,৭৬১ জন অংশগ্রহণ করেছিলো। এই গবেষণাগুলোর
ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্দি-কাশির ঘনত্ব এবং
তীব্রতা কমানোর ক্ষেত্রে মধু অনেক বেশি কার্যকর ছিল।
দুটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মধু খাওয়ার ফলে
প্রচলিত ওষুধের তুলনায় ২ দিন আগে সর্দি-কাশি থেকে
নিরাময় হয়েছে।
বিএমজে এভিডেন্স বেজড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই গবেষণায় বলা হয়,
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনে (ইউআরটিআই) প্রায়ই
অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেহেতু বেশিরভাগ
ইউআরটিআই ভাইরাল, তাই অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন
উভয়ই অকার্যকর এবং অনুপযুক্ত।
বিজ্ঞানীদের মতে, আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনের
চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধু
প্রেসক্রাইব করতে পারেন চিকিৎসকরা।
রোদ থেকে বেশি
ভিটামিন ‘ডি’ পাবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হচ্ছে
ভিটামিন ‘ডি’। ডায়াবেটিস, প্রজনন সমস্যা থেকে শুরু করে
হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, পলিসিস্টিক
ওভারি সিনড্রোম বা দৈহিক স্থূলতারও কারণ হতে পারে
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি।
সারাবিশ্বের এখন ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি একটি বড় সমস্যা।
দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
সূর্যের আলো থেকে। সূর্যের আলো পড়লে এর প্রভাবে ত্বক
ভিটামিন ডি তৈরি করে। ফলে এটিই ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম
প্রধান উৎস। এছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকে বাকি ২০ শতাংশ
ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
দিনের কখন, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’
পাওয়া যায়? কারাই বা সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ডি
সংগ্রহ করতে পারে? মেডিকেল নিউজ টুডের প্রতিবেদনে এসব
প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
দিনের যে সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
দুপুরের ঠিক আগ মুহূর্তে সূর্য যখন আকাশের সবচেয়ে উঁচু
স্থানে থাকে, তখনই শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন
‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময়
প্রচণ্ড রোদে থাকা উচিত নয়।
যেভাবে রোদ পোহালে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি
ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে
রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে
বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায় যারা?
সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিতে ত্বকের রঙ বিশেষ
প্রভাব ফেলে। যেমন কারো ত্বকের রং যদি বেশি গাঢ় হয় (ত্বকে
বেশি মেলানিন থাকলে), তাহলে তা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি
প্রবেশে বেশি বাধা দেবে। ফলে ভিটামিন ডি উৎপাদন বিঘিœত
হবে। এজন্য যাদের গায়ের রং যত কালো বা গাঢ়, তাকে তত
বেশিক্ষণ রোদে থাকতে হবে।
অর্থাৎ কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে শ্বেত বর্ণের
মানুষের শরীরে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।
১২ কেজি ওজন কমতে পারে শুধু গরম পানি পানেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে পর্যাপ্ত পানি পানের গুরুত্ব
অনেক। গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো শুধুমাত্র ঠিকমতো পানি পান
করেও ওজন কমানো যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তেষ্টা
পাওয়ার পর ঈষৎ উষ্ণ গরম পানি পান করলে ওজন কমতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তৃষ্ণার সময় উষ্ণ গরম
পানি পান করে ১২ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যেতে পারে।
মানব শরীরে ঠান্ডা ও গরম, দুই রকম পানির প্রভাব আলাদা
গরমে অনেকেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করেন। এটা খুবই
ক্ষতিকর চিকিত্ সা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঠান্ডা পানি আসলে
হজম শক্তি কমিয়ে দেয়
ফলে বদহজমের জেরে শরীরে মেদ জমতে থাকে দ্রুত তাই হয়
স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন খান ওজন কমাতে
চাইলে সব সময়ই উষ্ণ গরম পানি পান করার চেষ্টা করেন।
মানব শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে কম তাপমাত্রার পানি পান
করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরকে অনেক বেশি
শক্তি ব্যয় করতে হয় ফলে পুষ্টির ঘাটতি হতে শুরু করে
স্থুলতা বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাওয়ার সময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি
পান করলে খাবারে থাকা চর্বি পেটে গিয়ে কঠিন আকার ধারণ
করে ফলে অনাবশ্যক চর্বি জমা হতে থাকে উষ্ণ পানি পান
করলে শরীরের সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে কিডনি তো ভাল
থাকেই, হার্টও ভাল রাখে ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা
ঠিক থাকে
পরিপাক হরমোনকে উদ্দীপিত করে গরম পানি। ফলে, খাবারকে
দ্রুত ভাঙতে ও খাদ্যরস শোষণে সাহায্য করে গরম পানি।
‘নাকডাকা এক নীরব ঘাতক’
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
নাক ডাকার কারণে উচ্চরক্তচাপ, হƒদরোগ, মস্তিষ্কে
রক্তক্ষরণ ও হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল রোগ দেখা দেয়। এ
রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতে পারলে এসব
রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। স্যার সলিমুলাহ
মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক, কান ও গলা
বিভাগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ‘নাকডাকা এক নীরব ঘাতক
রোগ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। নাক,
কান ও গলা বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. জাহেদুল আলমের
সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা.
মনিলাল আইচ লিটু। বক্তব্য রাখেন কলেজের প্রোভিসি
অধ্যাপক সামিউল ইসলাম সাদি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. খবিরউদ্দিন
আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক মহিউদ্দিন খান
প্রমুখ।
ফুড পয়জনিং হলে কি
করবেন্ত
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিটি পরিবারে এক
ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা। এমন কোন মানুষ নেই যে এই
সমস্যায় এক বা বহুবার আক্রান্ত হননি। সাধারণত পঁচা,
বাসি খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা জীবানুযুক্ত খাবার
বা পানীয় আহার বা পান করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। এছাড়া
শিশুদেরও একই ধরণের সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে
খাবার হয়ত স্বাস্থ্য সম্মত থাকে। তবে যেসব পাত্রে
পরিবেশন করা হয় সেসব পাত্র ভালো করে ধোয়া মোছা হয়না।
ফলে জীবানুমুক্ত হয়না। এসব পাত্রে খাবার পরিবেশন করা
হলেও ফুডপয়জনিং হতে পারে। বিভিন্ন ধরণের জীবানু দ্বারা
ফুড পয়জনিং হতে পারে। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ যাই
হোক না কেন লক্ষণসমূহ মোটামোটি একই থাকে। সাধারণত: ফুড
পয়জনিং হলে পেটে ব্যথা, হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, বমি
অনেক ক্ষেত্রে জ্বর হতে পারে। অনেক সময় ফুড পয়জনিং ও
ডায়রিয়া আলাদা করা যায়না। ফুড পয়জনিং হলে প্রথমত:
খাবার-দাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আক্রান্ত
ব্যক্তিকে নরম খাবার দেয়া ভালো। এছাড়া লক্ষণ অনুযায়ী
চিকিৎসা দেয়া উচিত। যেমন: জ্বর হলে প্যারাসিটামল, বমি
ও পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন দেয়া যায়। পাশাপাশি
ফুড পয়জনিং-এর তীব্রতা অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক
বা জীবাণুনাশক ওষুধ সেবন করলে দ্রুত ফুড পয়জনিং-এ
আক্রান্ত ব্যক্তি নিরাময় লাভ করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে
এক ধরণের টাক্সিন থেকেও ফুড পয়জনিং হতে পারে। যদি ফুড
পয়জনিং-এ আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসায় ভাল না
হয়, তাহলে নিকটস্থ হাসপাতাল বা যেকোন চিকিৎসকের
পরামর্শ নেয়া বাঞ্জনীয়।
মাছের তেলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
মানবাধিকার হেলথ রিপোর্টঃ
বিজ্ঞানীরা মাছের তেলের উপর গবেষণা করে দেখেছেন যে
হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে মাছের তেল অত্যন্ত
উপকারী। মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামক অসম্পৃক্ত
ফ্যাটি এসিড যা রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল খউখ ও
ঠখউখ কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল ঐউখ বাড়িয়ে দেয় যার
ফলে হার্টের রক্তনালীতে চর্বি জমতে পারে না এবং
রক্তনালী পরিষ্কার, সংকীর্ণমুক্ত থাকায় রক্ত চলাচল ভাল
থাকে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কামায় এবং উচ্চ রক্তচাপ
থাকলে তা হ্রাস করে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে ওমেগা থ্রি
রক্তের অণুচক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না ফলে রক্তনালীতে
রক্ত জমাট বাঁধার কারণে সৃষ্ট স্ট্রোক হতে পারে না।
সুতরাং হার্ট এ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে আমাদের
খাদ্য তালিকায় তৈলাক্ত মাছ থাকা উচিত।
Top
আইন কনিকা
হাই কোর্টের রুল
গর্ভপাতবিরোধী
পাঁচ ধারা কেন বেআইনি নয়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনে গর্ভপাতবিরোধী পাঁচটি ধারা
(৩১২ থেকে ৩১৬) কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে
চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গত ১৮ আগস্ট ২০২০
বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস
জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার
জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
অমিত দাস গুপ্ত।
পরে রিটকারী আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, বাস্তবতা থেকে
দেখলে মামলার ভয়ে অনেক ডাক্তার-নার্স গর্ভপাত করাতে
চান না। তাই প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার-নার্সদের দিয়ে গর্ভপাত
করানো সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে স্থানীয়
ডাক্তার-নার্সদের বাসায় নিয়ে গর্ভপাত করান অনেকে। ফলে
গর্ভপাতটি সঠিকভাবে শেষ করা সম্ভব হয় না এবং পরবর্তী
সময়ে সেটি অন্যান্য রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এ কারণে
নারীদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেশি হয়। তিনি আরও
বলেন, গর্ভপাতের সুযোগ না থাকায় পথশিশু ও এতিমখানায়
শিশুদের হার দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়াও এ ধারাগুলোতে
ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভপাতের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ
সুযোগ রাখা হয়নি। সংসার জীবনে অনেকের জীবনে
অপ্রত্যাশিতভাবে বাচ্চার জন্ম হচ্ছে। মূলত ওই সময়ে
সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি না থাকা সত্ত্বেও আইনে
বাধার কারণে তাদের বাচ্চার জন্ম দিতে হচ্ছে। তাই আইনের
ধারাগুলো চ্যালেঞ্জ করে এ রিট দায়ের করি।
পরকীয়ার সাজা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (ব্যাভিচার) সাজা সম্পর্কিত
দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা
হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। গতকাল
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল
কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। তিন সপ্তাহের
মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী
ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী
জিনাত হক। দণ্ডবিধির এই বিধানটি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট
আবেদনটি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ১১ই ফেব্র“য়ারি
এডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। রিটে দাবি করা হয়
পরকীয়ায় যারা আসক্ত হন তারা উভয়েই সমান দোষে দোষী।
কিন্তু প্রচলিত আইনটি বৈষম্যমূলক ও ভ্রান্ত। দণ্ডবিধির
৪৯৭ ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির
স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোন ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে
বা তার অনুরুপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোন ব্যক্তির
সঙ্গে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া এইরুপ
যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, তবে সে
ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে
এবং তাকে সাত বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড
সশ্রম ও বিনাশ্রম করাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়
দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে, একই ক্ষেত্রে স্ত্রী
দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য হবে না।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, দণ্ডবিধির এই ধারা
অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে
জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে।
অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কোন মামলা বা কিছুই করতে
পারবে না। একইভাবে স্বামী অন্য কোনো নারীর সঙ্গে
সম্পর্কে জড়ালে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী
ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন,
এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।
রিমান্ড কি
মানবাধিকার পরিপন্থী?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য
পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে
পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে
হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য
উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে
আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের
জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর
নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে
পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি
রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই
পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে
দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা
এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট
রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং
এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড
মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে
কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম
শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক
বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে।
মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে
নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে
মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|