BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover November 2020

English Part November 2020

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


সেনাবাহিনীকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি সময়োপযোগী, আধুনিক, প্রযুক্তিগতভাবে সুসজ্জিত এবং জ্ঞাননির্ভর বাহিনীতে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা একুশ শতকের ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী সেনাবাহিনী গঠনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাভার ক্যান্টনমেন্টে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন এবং ২৪ বছর সংগ্রাম করে এই আওয়ামী লীগই জাতির পিতার নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আমরা আমাদের একটা কর্তব্য মনে করি দেশকে উন্নত করা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীকে ‘স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তাদের সার্বিক উন্নয়ন করাও আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ৯ পদাতিক ডিভিশনের ৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও এডহক ১১ বীর মেকানাইজড ব্যাটালিয়ন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও ১৩ বীর, ১১ পদাতিক ডিভিশনের ৫৯ ইস্ট বেঙ্গল সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও ১২ বীর, ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ১৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন,
৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস্ (এসআইএন্ডটি)- সংশ্লিষ্ট কমান্ডারদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। যে আলোকে আমরা সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছি।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল বর্নাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্র্জিত আমাদের এই পতাকা। এই পতাকা হচ্ছে একটি জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। এই পতাকার মান রক্ষা করা প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। প্রতিটি সৈনিক এবং জনসাধারণ সবারই উচিত এই পতাকার মান রক্ষা করা।


 মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান ৭৫তম অধিবেশনের আওতায় তৃতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ করে মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্র“তির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেছেন, জন-কেন্দ্রিক ও সমগ্র সমাজ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জনগণের সব মানবাধিকারের সুরক্ষার কাজ করে যাচ্ছে।
সামাজিক উন্নয়ন, নারী ও বালিকাসহ সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রতিানসমূহকে শক্তিশালীকরণ, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা এবং সাইবার অপরাধ ও মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
৬ অক্টোবর ২০২০ জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে জানানো হয়, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং চলমান আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে এর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গৃহীত ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ সমূহের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
 

 নারী নির্যাতনের ঘটনায় আমরাও বিব্রত: প্রধান বিচারপতি
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় সরকার যেমন বিব্রত, আমরাও তেমনি বিব্রত। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সমাজ থেকে এই ব্যাধি দূর করা হবে। বুধবার আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) আয়োজনে এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনিয়ম দূর করতে আমাকে মামলার সেন্ট্রাল ফাইলিং করার ব্যাবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলতেন এটি করা গেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ৫০ ভাগ অনিয়ম কমে যাবে।
তার পরামর্শ অনুযায়ী আমরা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট বার রাজি না হওয়ার এই উদ্যোগটি আর নেয়া হয়নি। তিনি বার নেতৃবেৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় অনিয়ম নিয়ে কথা বলি, লিখি, পরামর্শ দেই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে অনিয়ম দূর করতে হলে এর মূলে আঘাত করতে হবে।
আমিও এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের মতো মনে করি সেন্ট্রালি মামলার ফাইলিং করা গেলে আদালত অঙ্গন থেকে ৫০ ভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে। আপনারা মরহুম আলমের ইচ্ছাটি পূরণ করতে উদ্যোগী হন।
 

   বিশ্বে ২৫ দেশে পুরুষের থেকে নারী বেশি : শীর্ষে নেপাল
    


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বর্তমান বিশ্বে নারী না পুরুষ কার সংখ্যা বেশি এক বিতর্ক চলছে। কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে নারী-পুরুষের অনুপাতটা সম্পূর্ণ উলটো। এ রকম ২৫টা দেশ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যে সব দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। যদিও ১৯৬০ সালের পর দীর্ঘ ৬ দশক কেটে গিয়েছে। এতকাল পর দেখা যাচ্ছে বিশ্বে নারী-পুরুষের অনুপাতে খুব একটা তফাৎ নেই। রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্বে ১০০ নারী পিছু পুরুষের সংখ্যা ১০১.৭।
২০১ দেশের আদমশুমারির ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৫ দেশে নারীর সংখ্যা বেশি। যদিও শতাংশের নিরিখে ৫০.১ থেকে ৫৪.২। এক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো এবং কিছু দ্বীপরাষ্ট্র।
আবার মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় পুরুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কাতারে নারী ২৪.৬, আমিরশাহীতে ৩০.৯, ওমানে ৩৪ শতাংশ। চিনে আবার ১০০ নারী পিছু পুরুষের সংখ্যা ১২১.২। যদিও সারা বিশ্বের গড় অনুপাত হল ১০০ নারী এবং ১০৫ পুরুষ। সবরকম পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে ২৫ দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি। ক্রোয়েশিয়ায় নারী ৫১.৭৯ শতাংশ।
যে সব দেশে নারী বেশী যথাক্রমে শতাংশের হিসেবে পরিসংখ্যান দেওয়া হল। মায়ানমার ৫১.৮১, মাকাও ৫১.৯৪, শ্রীলঙ্কা ৫২.০৫, মলডোভা ৫২.১১, জিম্বাবোয়ে ৫২.২৮, জর্জিয়া ৫২.৩৪, হাঙ্গেরি ৫২.৪০, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ড ৫২.৫০, অরুবা ৫২.৫৭, পুয়ের্তো রিকো ৫২.৬২, এস্তোনিয়া ৫২.৬৩, পর্তুগাল ৫২.৬৯, আর্মেনিয়া ৫২.৯৭, এল সালভাদর ৫৩.১৯, বেলারুশ ৫৩.৪৪, রাশিয়া ৫৩.৬৫, ইউক্রেন ৫৩.৬৭, লিথুয়ানিয়া ৫৩.৭২, গুয়াডেলুপ ৫৩.৮৮, লাটভিয়া ৫৩.৯১, মার্টিনিক ৫৪, কুরাকাও ৫৪.১, হংকং ৫৪.১২, নেপাল ৫৪.১৯। অর্থাৎ, শতাংশের বিচারে সবথেকে বেশি নারী নেপালে এবং সবথেকে কম নারী ক্রোয়েশিয়ায়।
 

 

নারীর প্রতি সহিংসতায় জাতিসংঘের উদ্বেগে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারীর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এগুলো গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। গত ৭ নভেম্বর ২০২০ জাতিসংঘ বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, নোয়াখালীতে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত (ভাইরাল) হয়, যা সামাজিক, আচরণগত এবং কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারীবিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে। জাতিসংঘ ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষ ও সুশীলসমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান। জাতিসংঘের ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি। জেন্ডার সংবেদনশীল বিচারব্যবস্থা প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত। জাতিসংঘ ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনতে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে। নারী সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন কীভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, সে সম্পর্কে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই।
জাতিসংঘ তার সব অংশীদারের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি, যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদবোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে। জাতিসংঘ জানায়, এ ব্যাপারে বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। কারণ, আমরা দেখতে পাই যে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত, কিন্তু অপরাধী সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।

 


 

 মহামারিতে সন্তান জন্ম দিলেই বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে সন্তান জম্ম দিলে এককালীন মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। দম্পতিদের উৎসাহ দিতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি। তবে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, চাকরি থেকে ছাঁটাই ও নানাবিধ আর্থিক চাপ মোকাবিলায় অনেক নাগরিকই এখন সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকছে জানতে পেরে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিঙ্গাপুরে আগে থেকেই সন্তান জন্মদানে বেশ কয়েকটি বোনাস চালু আছে। মহামারির মধ্যে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন যে এককালীন অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আগের বোনাসগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে।
সিঙ্গাপুরে শিশু জন্মহার অনেক কম। জন্মহার বাড়াতে দেশটি কয়েক দশক ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টো। লকডাউনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে গর্ভধারণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দেশ দুটির সরকার বেশ চিন্তিত।
ফ্রান্সে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য আরো এক হাজার বছরেও শেষ হবে না
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সমীক্ষা বলছে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়ায় নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য সবচেয়ে কম এবং তা হচ্ছে ৩ শতাংশ। এই পার্থক্য পূরণ করতে ফ্রান্সের সহ্রস্রাধিক বছর লেগে যাবে। গবেষকরা বলছেন ২০১৮ সালে ফ্রান্সে এই পার্থক্য ১৫.৬ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৫.৫ শতাংশে দাঁড়ায়। ডেইলি মেইল
জার্মানিতে নারী-পুরুষের এ বেতন বৈষম্য কমতে লাগবে শত বছর। ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে এ পার্থক্য থাকবে ২০.৯ শতাংশ। তবে আয়ারল্যান্ডে এ পার্থক্য এখনো বাড়ছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে তা কখনো হ্রাস পাবে না।
সমীক্ষায় খণ্ডকালীন কাজের বেতনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিটেনে গত বছর এ পার্থক্য ছিল ১৭.৩ শতাংশ। পূর্ণমাত্রার কাজে এ পার্থক্য অবশ্য আরো কম। আবার ৪০ বছরের নীচে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ব্রিটেনে ৯.৬ শতাংশ। ইউরোপের স্বল্পোন্নত দেশে নারীরা নারীরা কম সংখ্যায় কাজ করেন। এবং উচ্চ মর্যাদার কাজের দিকে নারীদের ঝোঁক বেশি থাকে। লুক্সেমবার্গে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য ৪.৬ ও বেলজিয়ামে এ হার ৬ শতাংশ। এ দুটি দেশে প্রশাসন ও ব্যাংকে নারীদের কাজ মর্যাদার চোখে দেখা হয়। জার্মানি ও ফ্রান্সে উৎপাদনশীল খাত ও বেশি বেতনের চাকরিতে পুরুষরা প্রাধান্য বিস্তার করছেন। বেতন বৈষম্য নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সংস্থা ফচেট সোসাইটির ধারণা ব্রিটেনে এক্ষেত্রে সার্বিক বৈষম্য দূর হতে আরো ৬০ বছর লাগবে।

 

প্রতি বছর কুমারি মেয়ে বিয়ে করেন যেই রাজা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৪০ সাল থেকে সে দেশে চলে আসছে এই নিয়ম। এখনও বিশ্বে এমন একটি দেশ রয়েছে, যেখানে রাজতন্ত্র কায়েম এবং সেখানকার রাজা প্রতি বছর একজন ‘ কুমারি মেয়েকে বিয়েও করেন। এমনকি এই বিয়ের জন্য আয়োজিত হয় কুমারি মেয়েদের বিশেষ প্যারেডও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বর্তমানে বিশ্বের খুব কম জায়গাতেই রাজতন্ত্র রয়েছে। থাকলেও প্রশাসনিক বা সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মোজাম্বিকের সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি দেশ ইসোয়াতিনি বা সোয়াজিল্যান্ডে রাজতন্ত্র রয়েছে। আর সেখানকার শাসনভারও থাকে রাজার হাতে। ১৯৪০ সাল থেকে সে দেশে চলে আসছে এই নিয়ম। বিয়ের আগে মেয়েদের কুমারিত্ব বাঁচাতে এবং আরও বেশ কিছু কারণে এই নিয়ম চালু হয়েছিল। বর্তমানে সে দেশের রাজা কিং এমসাতি তৃতীয় । ১৯৮৬ সালে ১৮ বছর বয়সে রাজা হন তিনি। তারপর থেকে প্রতিবছরই একজন কুমারি মেয়েকে বিয়ে করছেন তিনি। এর মধ্যে তিনজন স্ত্রীকে ডিভোর্সও দিয়েছেন তিনি। ৩০এরও বেশি সন্তান রয়েছে তার। কিন্তু কীভাবে রানিকে বেছে নেন রাজা? নিয়মানুযায়ী দেশের সব কুমারি মেয়েকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রানিদের থাকা জায়গা লুদজিদিনি রয়্যাল রেসিডেন্সে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এনগাবেজওয়েনি রাজকীয় বাসস্থানে। এরপর পরবর্তীতে এমবাবানের রয়্যাল প্যালাসে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য প্যারেডের। সেখানে কুমারিত্বের প্রতীক হিসেবে ছুরি হাতে অংশ নেন ওই কুমারি মেয়েরা। অনুষ্ঠান দেখতে আসা অতিথি এবং রাজার সামনে পদযাত্রায় অংশ নেন। এরপরই রাজা তাদের মধ্যে থেকেই একজনকে নতুন রানি হিসেবে বেছে নেন। আজব মনে হলেও পুরো দেশের মানুষ কিন্তু বেশ উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেয় এই অনুষ্ঠানে।
মেডিক্যাল করা প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পেলো বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে মেডিক্যাল কোর থেকে প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছেন নাজমা বেগম। সেনাবাহিনীতে তিনিই সর্ব প্রথম নারী কর্মকর্তা, যিনি ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।
৮ অক্টোবর ২০২০ আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, তিনি জাতিসংঘের ইতিহাসে সর্বপ্রথম নারী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দুবার জাতিসংঘের লেভেল-২ হাসপাতাল কমান্ড করেন। দুবার মিশন এরিয়ায় কান্ট্রি সিনিয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরিকালীন তিনি দুটি (বিএএফ বেস জহুর এবং বেস বাশার) মেডিক্যাল স্কোয়াড্রন কমান্ড করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ফোর্স কমান্ডার, এসআরএসজি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের সেনাপ্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রশংসাপত্র লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালের জন্য তিনি ‘মিলিটারি জেন্ডার এডভোকেট পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
 


সিরিয়ার নারীরা দেরিতে বিয়ে করছেন যে কারণে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় নারীরা ব্যাপক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। সে দেশের বহু পুরুষ পালিয়ে গেছেন, আবার অনেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
পুরুষের অবর্তমানে নারীদেরকেই ধরতে হচ্ছে সংসারের হাল। এমনকি সে দেশে নারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে বলেও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
পরিবারের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক দেরিতে নারীরা বিয়ে করছেন বলে জানা গেছে। পরিবারকে সহায়তা করার জন্য অনেক নারীই ৩০ বছর পার হওয়ার আগে বিয়ে করছেন না।
সে ক্ষেত্রে অনলাইনে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের পর অনেকেরই বিয়ে হচ্ছে। তবে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের আগে বিয়ের কথা চিন্তা করা সম্ভব হচ্ছে না সে দেশের বহু নারীর। সে ক্ষেত্রে তাঁরা পুরুষদের সঙ্গে নানা রকমের চাকরি করছেন। অনেকে দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদক কাতিয়া রৌপেজ এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। সেখানে এ ধরনের বিষয় উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাক বিক্রির দোকানে পুরুষ কর্মীর সঙ্গে একই কাজ করছেন এক নারী। ৩০ পার হয়ে গেলেও বিয়ের ব্যাপারে ভাবতেই পারছেন না এই নারীরা।

 

এবারের নোবেল বিজয়ী চার নারীই বিশ্বব্যবস্থা থেকে পুরুষতন্ত্রের অবসান চান  


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এই চার নোবেল জয়ী হচ্ছেন সহিত্যে লুইস গ্লিক, পদার্থ বিজ্ঞানে আন্দ্রিয়া ঘেজ, রসায়নে যৌথভাবে ইমানুয়েল শারপেনটিয়ের ও জেনিফার এ ডাউডনা । ইউটিউব চ্যানেল এইটটিন এ একটি রিয়েলিটি শোতে তাদের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ফেমিনা জানায়, লুইস গ্লিকের বেশির ভাগ কবিতায় স্থান পেয়েছে হৃদয়ের স্পর্শকাতরতা, একাকিত্ব, পারিবারিক বন্ধন, বিবাহবিচ্ছেদ, কাম, ক্রোধ, বেদনা, হতাশা ইত্যাদি। তার প্রথম কবিতার বই ‘ফার্স্টবর্ন’ এ তিনি পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। ‘আ ভিলেজ লাইফ’ নামে গ্লিকের লেখা বইয়ের ভুমিকায় তিনি বলেছেন, নারী রেপ হয় বেশি, কোথাও তো পুরুষ রেপের কথা শুনি না। এর কারণ পুরুষের ক্ষমতাকেন্দ্রিক ভরকেন্দ্র। পুরুষ না।
ইমানুয়েল শারপেনটিয়ের ও জেনিফার এ ডাউডনা চ্যানেল এইটটিনকে বলেন, পুরুষতন্ত্রকে বাদ দিতে হবে। এখন নারীরা জ্ঞান বিজ্ঞানের কোনো শাখাতেই পিছিয়ে নেই। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে মহাকাশেও যাচ্ছে যাচ্ছে। ফলে সমাজে নারীকে হেয়ভাবে দেখার দিন শেষ হয়েছে বহু আগেই।
আন্দ্রিয়া ঘেজ জানান,সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণ করছে এমন ৩ হাজার নক্ষত্র নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। ব্ল্যাকহোলের ঘনত্ব এত বেশি যে কোনো ভারী মহাজাগতিক বস্তুর অভিকর্ষ বল বা অসম্ভব জোরালো টানে আশপাশে থাকা প্রায় সবকিছুই তার মধ্যে ঢুকে পড়ে, এমনকি আলোও। অনেক নক্ষত্রের মাঝে এমন একটি ব্ল্যাকহোল আছে। পুরুষতন্ত্র হলো অনেকটা ব্ল্যাকহোলের মতো। সবকিছুতে ঢুকে পড়তে চায়। এটা ঠিক না। একে গুডবাই দিতে হবে।

 

 
বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রশংসা করলেন মদিনার গভর্নর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মদিনা মুনাওয়ার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশি অভিবাসীরা সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অভিভাবক হিসেবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেখাশুনা করা আমার দায়িত্ব। মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমানের সঙ্গে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম বৈঠক করেন। বৈঠককালে মদিনার গভর্নর বাংলাদেশি অভিবাসীদের দক্ষতা ও সততার জন্য তাদের প্রশংসা করে এ কথা বলেন। গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসি শ্রমিকরা পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর পরবাসে বসবাস করছে। তাদের অবস্থানকে আরো সহজ ও আরামদায়ক করার বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মদিনায় অভিবাসি শ্রমিকদের জন্য কোম্পানির অর্থায়নে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন আবাসিক কম্পাউন্ড তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে সুন্দর পরিবেশের পাশাপাশি উন্নত মানের খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান জানিয়ে মদিনার গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে রয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত মদিনার গভর্নরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রদূত করোনাকালীন বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিকিৎসা প্রদান ও জরুরি খাদ্য সাহায্য প্রদানের জন্য গভর্নরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর আগে রাষ্ট্রদূতকে গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান তার কার্যালয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।


   অপুষ্টিতে বিশ্বে প্রতি মাসে আরও ১০ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মহামারী সংকটে এমনিতেই না খেয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে হাজারো শিশু। তার ওপর এবছর অপুষ্টিতে প্রতি মাসে আরও ১০ হাজার শিশু মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিনিউজ ২৪.কম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক সম্মেলনে বলেছেন, মহামারীর কারণে তিনি এ বছর মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ১৪ শতাংশ- বা আরও ৬৭ লাখ- বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। যাদের বেশিরভাগই হতে পারে সাব সাহারা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। গেব্রিয়েসুস বলেন, “ধনীরা স্বাস্থ্যকর খাবার পাবে আর গরিবরা পাবে না, ধনীরা বাড়িতে থাকতে পারবে আর গরিবদের কাজের জন্য বাইরে বেরোতেই হবেৃ এমন পৃথিবী আমরা মেনে নিতে পারি না।”
মহামারীতে অর্থনীতি ধসে পড়ায় এখন বিভিন্ন দেশের সরকারকে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার জন্য বেসরকারি খাত এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুতকারকদেরকে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের দেশগুলো শিশু খাদ্য কর্মসূচি সম্প্রসারণ করাসহ অস্বাস্থ্যকর খাবারের বাজার কমিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ভাল খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরির নীতি নিলে লাখ লাখ জীবন বাঁচানো যেতে পারে, বলেন গেব্রিয়েসুস। তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে জীবন নশ্বর, স্বাস্থ্য খুবই মূল্যবান। আর স্বাস্থ্যকর খাবার কেবল ধনীদের একচেটিয়া নয়, এটি সবার অধিকার।” “মহামারী টিকাদান কর্মসূচি থেকে শুরু করে শিশু পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, মানসিক স্বাস্থ্যসহ আরও অনেক জরুরি সেবা কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে।” মহামারীতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে অনেক জায়গায় খাবার ঠিকমত পৌঁছাচ্ছে না। ঠিকমতো খেতে না পেয়ে শিশুদের হাত-পা সরু হয়ে যাচ্ছে। মহামারীতে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরিব শিশুরা স্কুলে যে খবার পেত তাও আর পাচ্ছে না। এই খাবার সঙ্কটের কারণে শিশুমৃত্যু নিয়েও ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস এর আগে সতর্ক করেছেন। গতমাসে তিনি বলেছিলেন, মহামারীর কারণে অনাহারে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।

 


নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী জাসিন্দা আর্ডার্ন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন বিজয়ী হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ভোট এক মাস পিছিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ৩ অক্টোবর থেকে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল। সেখানেও ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের রায় জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা দাবি করছেন-করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার দারুণ সফলতার কারণেই তাকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছে জনগণ। নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ ভোট গণনা হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে তার দল জয়ী হওয়ার আভাস দিচ্ছে।
১৯৯৬ সালে সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা গ্রহণের পর নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কোনো দল এত বেশি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে। ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ব্রিইস এডওয়ার্ডস বলেন, এটা একটি ঐতিহাসিক পালাবদল। এর মধ্য দিয়ে নতুন কোনো ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
 

নারীদের জন্য সব স্থানই হতে হবে নিরাপদ: সায়মা ওয়াজেদ


নারীরা যখন যেখানেই যাক সেখানেই তাদের নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো নারী বা মেয়ে যেখানেই হয়রানীর শিকার হবে সেখানেই সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিআরআইর ট্রাস্টি ও কো-চেয়ারম্যান এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।
১৪ অক্টোবর ২০২০ ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক এক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন।
ক্যাম্পেইনটি শুরু করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। মূলত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তারা এ প্রচার কাজ শুরু করেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, নারীদের সম্মান করতে হবে। সম্মান দেয়া শিখতে হবে। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা যাবেনা। গত ৩০ বছর ধর্ম ও বিভিন্ন ইস্যুকে ব্যবহার করে নারীদের ছোট করা হচ্ছে যেমনটা আগে হতো না। নারীরা এখন বাড়ি কিংবা বাসা সবখানে বিভিন্ন ধরণের হয়রানীর শিকার হচ্ছে। তারা কোথায় যাবে, কখন যাবে, তাদের পোশাক চলাফেরা সবকিছু নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এসবকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করে নারীদের দোষ দেয়া হচ্ছে। এটা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, নারীদের অনেক সময় পরিবারের হাল ধরতে হয়। নানা ক্ষেত্রে নানা স্থানে চাকরি করতে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা কোনো ইস্যু হওয়া উচিত নয়। সব স্থান নারীর জন্য নিরাপদ হতে হবে। কেনো চাকরি করবে, কি দরকার চাকরি করার এমন প্রশ্ন তোলাই ঠিক নয়। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তাই এ দেশের নারীদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে। তারা যেখানেই যাক সেখানেই তাদের নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো নারী বা মেয়ে যেখানেই হয়রানীর শিকার হবে সেখানেই সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটা ঘর থেকে এ শিক্ষা দেয়াটা শুরু করতে হবে।
নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইউএনডিপি’র মানবাধিকার প্রোগ্রামের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা ও নারী ক্ষমতায়নে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তরুণদের এই সংগঠনটি। যার অংশ হিসেবে পরিচালনা করা হচ্ছে এই ক্যাম্পেইন।
 

 

সিঙ্গাপুরের ‘রাষ্ট্রপতি পদক’ এ ভূষিত হলেন এক বাংলাদেশি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিঙ্গাপুরে ভালো কাজ ও প্রবাসীদের সচেতনতামূলক সামাজিক কল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের সম্মান স্বরূপ ‘প্রেসিডেন্টস ভলান্টিয়ারিজম অ্যান্ড ফিনালথ্রপি’ পুরস্কার পেয়েছেন ওমর ফারুকী শিপন নামের এক বাংলাদেশি। আজ শনিবার রাষ্ট্রপতির ভবনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোবের হাত থেকে তিনি এই সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি ‘পিপলস অফ গুড’-এ মনোনীত হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
সিঙ্গাপুরে প্রতি বছর ভালো কাজে সম্মান দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে এ বছর চারটি পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির সর্বোচ্চ সম্মানে সর্বমোট ৩০ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। চারটি পর্যায় হলো- পিপলস অফ গুড,‘অর্গানাইজেশনস অফ গুড, লিডারস অফ গুড ও স্পেশিয়াল কম্যান্ডেশন। পিপলস অফ গুড-এ পাঁচজন, অর্গানাইজেশনস অফ গুড-এ ৯ জন, লিডারস অফ গুড-এ সাতজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বাকি ৯ জনকে ‘স্পেশিয়াল কম্যান্ডেশন’-এ ভালো কাজের সম্মান স্বরূপ দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির বিশেষ পুরস্কার।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গুজব ছড়াতে থাকে। ঠিক তখন এগিয়ে আসেন ওমর ফারুকী শিপন। তিনি সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিঙ্গাপুরের দৈনিক পত্রিকা স্ট্রেইটস টাইমস, সিএনএ ও মাদারশিপ এসজি সংবাদপত্রের সংবাদগুলো বাংলায় ুপ্রকাশ করতে শুরু করেন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনও তাকে বিভিন্ন সময় তথ্য দিয়ে প্রচার করতে সহায়তা করেছেন।
ওমর ফারুকী শিপনের সত্য সংবাদে প্রবাসীদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় তার ফেজবুক পেজে চিকিৎসক ও সমাজসেবকদের নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অনেক উপকৃত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন তিনি ১৪০ থেকে ২০০ জন বংলাদেশির ফোন কলে নানান সমস্যার কথা শোনেন এবং তার উত্তর দেন।
ওমর ফারুকী শিপন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আবদুল জলীল মোল্লা ও মাতার নাম দেলোয়ারা বেগম। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বর্তমানে তার পরিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় বসবাস করছেন তিনি ২০১০ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান এবং এখন পর্যন্ত বহুজাতিক একটি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
প্রবাসীদের জীবনের নানান ঘটনা নিয়ে তার লেখা গরমৎধহঃ ষরভব; ঝঃড়ৎরবং ড়ভ ৎবাবৎরংঃ ইংরেজি ভাষায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় বইটি বর্তমানে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
ওমর ফারুক শিপনের ভালো কাজ ও কৃতিত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুরে আরও বাংলাদেশি ভালো কাজের প্রতিদান অর্জন করবে সেই প্রত্যাশা সিঙ্গাপুরে অবস্থিত সব প্রবাসীদের।


 

ফকির দাওয়াত পেতে ফকির সভাপতির আজব কাণ্ড!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ডিজিটাল যুগে উন্নত হয়েছে বাংলাদেশ। বলা যায় এই যুগে কোনো কিছু পিছিয়ে নেই।
আর এই ডিজিটাল যুগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেতে ফকিরের এক সভাপতি আজব কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে হরেক রকম পোস্টার চোখে পড়লেও এর মধ্যে এক বা দুটো ভিন্ন খবরের পোস্টার রয়ে যায়। যা অল্পতেই সবার চোখের সামনে চলে আসে।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ফকির দাওয়াতসহ কুলখানি ও দোয়া মাহফিলের দাওয়াত পেতে ফকিরের এক সভাপতি গাছে গাছে পোস্টারিং করেছেন। এমনই এক ঘটনা চোখে পড়ে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের দেবনগড় বাজারে। এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে একই রকমের পোস্টার একই ইউনিয়নের মাগুরমাড়ি চৌরাস্তা বাজারের বিভিন্ন গাছেও লাগানো হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০২০ বিকেলে দেখা গেছে বেশ কিছু গাছে পেরেক দিযে টাঙানো রয়েছে পোস্টার। এক গাছের কাছে গিয়ে দেখা যায় গিয়াস উদ্দীন ফকির নামে এক ফকির নিজেকে ৭ নম্বর দেবনগড় ইউনিয়নের ফকিরের সভাপতি দাবি করে দাওয়াত পেতে নিজের ফোন নম্বর ঠিকানাসহ গাছে গাছে পোস্টারিং করেছেন।
সেই পোস্টারে লেখা হয়েছে 'এখন থেকে ফকির দাওয়াত, কুল ও দোয়া কালামের জন্য ফকিরের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন দেবনগড় ইউনয়ন ফকির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন ফকির। ' ঠিকানা দেওয়া হয়েছে মাগুরমারি চৌরাস্তা বাজার বটতলা।
যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে গিয়াস উদ্দীন ফকির বাংলানিউজকে বলেন, অনেক সময় অনেকেই আমাদের খোঁজ পায় না। যার কারণে দেবনগড় ইউনিয়নে আমরা প্রায় তিন মাস ধরে এই পোস্টারের ব্যবস্থা করেছি। এই পোস্টারের মাধ্যমে মোটামুটি ভালো সাড়া পাচ্ছি। যদি কারো ফকির দাওয়াত, কুল ও দোয়া কালাম হয়ে থাকে তারা আমাদের ফোন দেয়, তখন আমরা ২-৩ জন যাই। আমরা তাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সারাদিন সময় দেওয়ায় লোক প্রতি ৩শ টাকা নিয়ে থাকি। তবে বড়লোক পরিবারের কারো দাওয়াত হয়ে থাকলে তারা ৫শ থেকে একটু বেশিই দিয়ে থাকে।
 



Top

 পোশাকের কারণে হেনস্তার শিকার প্রধানমন্ত্রী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কিভাবে এমন পোশাক পরলেন? সামাজিক মাধ্যমে এমন মন্তব্য ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। তার পোশাক নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কিভাবে এমন পোশাক পরলেন? সামাজিক মাধ্যমে এমন মন্তব্য ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। তার পোশাক নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
বিভিন্ন ধরনের কদর্য মন্তব্য করে তাকে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ করা হচ্ছে। যে ছবি নিয়ে এত বিতর্ক তাতে দেখা গেছে, সানা মেরিন একটি লো-কাট কালো ব্লেজার পরেছেন।
এ ধরনের পোশাক একজন প্রধানমন্ত্রী কেন পরবেন, তা নিয়েই সানা মেরিনকে সমালোচিত হতে হয়েছে। ফিনল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতেই সানা মেরিন বিখ্যাত ম্যাগাজিন ট্রেন্ডির জন্য ফটোশুট করিয়েছিলেন। সেখানেই একটি লো-কাট ব্লেজার পরতে হয়েছিল তাকে। আর সেই পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে মুহূর্তেও সময় লাগেনি। প্রশ্ন উঠেছে এই ব্লেজারের বড় গলার ডিজাইন নিয়ে।
 

Top

মাস্ক ব্যবহারে এবার আইন প্রয়োগ করবে সরকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আসন্ন শীত মৌসুমে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে এবার প্রয়োজনে আইনও প্রয়োগ করবে সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে সবাই সচেতন হয়ে যেন মাস্ক ব্যবহার করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ নির্দেশনা দেয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্পেশাল একটু আলোচনা হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। আমরা সব জায়গা থেকে দেখেছি, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং থেকে দেখছি বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপে আবার একটা ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ‘সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক দিন থেকে বিভিন্ন মিটিং কথাবার্তা বলছেন। সেখানে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন সবাই যেন একটু কেয়ারফুল থাকি। পার্টিকুলারলি আমাদের দিক থেকে যে কাজটা, আমরা যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করি। বাকি কি হবে না হবে এটা তো একটা আনসার্টেন্ট বিষয়। সুতরাং মাস্ক যদি আমরা সবাই ব্যবহার করি তাহলে অটোমেটিক আমাদের ইনফেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমরা বার বার অনুরোধ করবো মিডিয়ার বন্ধুরা, যেভাবে হোক মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, টাইম টু টাইম জনসাধারণকে স্মরণ করে দেবেন সবাই যেন বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করে।
‘অনেকের মধ্যে একটা রিলাক্স ভাব দেখা যাচ্ছে। কোনোভাবে অন্তত পাবলিক প্লেসে মসজিদে বা অন্য গ্যাদারিংয়ে বা সামনে যে দুর্গাপূজার সব অনুষ্ঠানে কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না আসে।
তিনি বলেন, ‘এটা (মাস্ক ব্যবহার) আর একটু ইনফোর্স করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা এটা দৃঢ় ইচ্ছা এবং আশা প্রকাশ করেছেন সবাই সচেতন হই এবং মাস্ক ব্যবহারে আরেকটু বেশি মনোযোগী হবেন তাহলে অটোমেটিক্যালি এটা থেকে রিলিফ পাবো।
তাহলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্দেশনা হচ্ছে মাস্ক ছাড়া বাইরে চলাফেরা করবেন না এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অবশ্যই।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন ছিল সেখানে আমরা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলে দিছি তারা যেন ইমামদের মাধ্যমে সব মসজিদ থেকে রেগুলার দিনে অন্তত জোহর ও মসজিদের নামাজের পর মাইকে বা সামনা সামনি যখন জামাত হয় সেখানে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি অবগত করেন। প্রত্যেকটা মসজিদ, বাজার-মার্কেট বা গণজমায়েত যেখানে হয়, সেখানে সব জায়গায় স্লোগানের মতো যেন বিষয়টি থাকে, ‘অনুগ্রহ করে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করবেন না’। এটা সবার কাছে রিকুয়েস্ট। সেজন্য আমরা আপনাদের সাহায্য চাচ্ছি।

 


বাল্যবিয়েতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের বাল্যবিয়ে প্রবণ শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম স্থানে। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। বাংলাদেশের বাল্যবিয়ের হার এখন ৫১ শতাংশ। যদিও বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই হার কিছুটা কমেছে। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশে। গতকাল বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি বিষয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ : আ প্রোফাইল অব প্রগ্রেস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সচিবালয় প্রান্ত থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও অন্য কর্মকর্তারা এতে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের প্রবণতা ১৯৭০ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশেরও বেশি কমেছে, তা সত্ত্বেও এখনো এই হার অনেক বেশি। বর্তমানে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ৫১ শতাংশের বিয়ে হয়েছে তারা শিশু থাকা অবস্থায়ই। এটি এই দেশকে তিন কোটি ৮০ লাখ ‘শিশুকনের দেশে পরিণত করেছে, যাদের বিয়ে হয়েছে তাদের ১৮তম জন্মদিনের আগেই। আবার এদের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ নারীর বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিয়ের শিখার শিশুদের বেশির ভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়েদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।
করোনার আয়ু ২৮ দিন, ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন গবেষকরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা ভাইরাসের বেঁচে থাকা নিয়ে এ পর্যন্ত আমরা যা জেনে এসেছি, তা আপাতত তছনছ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। তারা বলছেন, টাকা, মোবাইল ফেনের স্ক্রিনসহ মসৃণ পৃষ্টে ২৮ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে করোনা ভাইরাস।
একইসঙ্গে এ ২৮ দিনই ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে অন্ধকারের মধ্যে গবেষণাটি করা হয়েছে। কারণ অতি বেগুনি রশ্মি করোনা ভাইরাসকে মেরে ফেলে।
এ পর্যন্ত গবেষকরা বলে এসেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁচি, কাঁশি ও কথা বলার মাধ্যমে করোনা ছড়ায়। কিন্তু বাতাসে ভেসে বেড়ানো ভাইরাসও সংক্রমণ ছড়ায় সে প্রমাণও পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস ‘অত্যন্ত শক্তিশালী’। অন্ধকারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ব্যবহার করা গ্লাস এবং প্লাস্টিক ও কাগজের ব্যাংক নোটের মতো মসৃণ পৃষ্ঠতলে ভাইরাসটি ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
তবে সাধারণ ফ্লুর ভাইরাস ওই একই পরিবেশে ১৭ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভাইরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস নিরেট মসৃণ যে কোনো পৃষ্ঠতলের তুলনায় কাপড়ে কম সময় বাঁচে। এটি কাপড়ের মতো বহুরন্ধ্র উপকরণের তুলনায় মসৃণ, রন্ধ্রবিহীন পৃষ্ঠতলে বেশি সময় বেঁচে থাকে। ১৪ দিনে কাপড়ের মাধ্যমে কোনো সংক্রমণ ছড়ায়নি বলে দেখা গেছে।
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করায় কমে যাবে অপরাধ : আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ধর্ষণের সাজার বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় ধর্ষণের অপরাধ কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সাজা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আজ সোমবার গুলশানে নিজ বাসায় এক প্রেসব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান ছিল। মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে উক্ত আইনের ৯(১) ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
সংশোধনী অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ধারা ৯(১) এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৯(৪) ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা সংশোধন করে সাধারণ জখমের জন্য আপোষের বিধান রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সে অনুযায়ী ১১(গ) ধারা সংশোধন করে আপোষের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের শিশু আইনের একটি সংশোধনী আনা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে উল্লেখিত সংশোধনীগুলি ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় এটা অধ্যাদেশ আকারে জারি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামীকাল রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে এটাকে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই সাজা বাড়ানো উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরাতন ধর্ষণ মামলাগুলি আগে এবং নতুন মামলাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকার আইনে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলাগুলি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা ও চেষ্টা সরকার করবে।
তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব বৃটেনে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব দেখা দিয়েছে বৃটেনে। আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশটিতে বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪.৫ শতাংশ যা পূর্বের প্রান্তিকের থেকে ০.৪ শতাংশ বেশি। বৃটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, ২০০৯ সালের পর এ বছরই সবথেকে বেশি কর্মী ছাটাই হয়েছে দেশটিতে। এ খবর দিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গেছে ওএনএসের রিপোর্ট থেকে। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তরুণরা। দেশটি দীর্ঘদিন কঠিন লকডাউনের মধ্যে ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বেকারত্ব সম্পর্কিত নতুন এই তথ্য প্রকাশ করা হলো।
এমন একসময় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যখন দেশটি আবারো নতুন করে লকডাউন দিতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু স্থানে ঘোষণা করা হয়েছে বাঁধা নিষেধের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়েও আতঙ্কিত হয়ে পরছেন দেশটির মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, এই দফাতেও কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে বৃটেনে। ওএনএসের হিসেবে, কর্মসংস্থান হারানোর মধ্যে প্রায় তিন লাখের বয়সই ১৬ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। সেবা খাতগুলোতেই মূলত ছাটাই হয়েছে বেশি।
 


কারাবন্দি নেতাই কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিরগিজস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাদির জাপারভ। পূর্বসূরি সুরুনবায় জিনবেকভের পদত্যাগের একদিন পরই তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিশ্চিত করে কিরগিজ পার্লামেন্ট।
দেশটির সংসদ সদস্যরা বলেন, তিনি পরবর্তী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। অপহরণের অভিযোগে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ১১ বছর ধরে কারাবন্দি ছিলেন এই জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক।
বিতর্কিত ও কারচুপির পার্লামেন্ট নির্বাচনের বিরুদ্ধে কয়েক দিনের সহিংস বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুরুনবায়। খবর গার্ডিয়ানের।
মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই অস্থিতিশীলতা চলছিল।
ফল ঘোষণার পর ভোটে জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ তুলে বিরোধী বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা রাজধানী বিশকেকের প্রধান প্রধান সব সড়ক ও সরকারি ভবনগুলো দখলে নেয়।
তারা নতুন নির্বাচন দেয়ার পাশাপাশি রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট জিনবেকভের পদত্যাগও দাবি করে। চলমান এই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে ওই পদে কে বসবেন, তা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছিল।
সৌদির শীর্ষ ধর্মীয় পরিষদে ডেপুটি নারী স্পিকার নিযুক্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদির রাজতন্ত্রের উপদেষ্টা পরিষদ শুরা কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট ও শীর্ষ ধর্মীয় পরিষদে রদবদল করে ১৮ অক্টোবর বেশ কয়েকটি আদেশ জারি করেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানাচ্ছে, বাদশাহ সালমান এসব আদেশে শুরা কাউন্সিলের নতুন একজন স্পিকার ছাড়াও আরও দু‘জন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন ডেপুটি স্পিকার হলেন নারী।
সৌদি আরবের প্রভাবশালী এই পরিষদের বর্তমান সদস্যদের মেয়াদ আগামী সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রদবদল করে আদেশ জারি করলেন সৌদি রাজতন্ত্রের প্রধান বাদশাহ সালমান।
সৌদি রাজতন্ত্রের প্রধান বাদশাহ সালমান, কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসে সংস্কার এনে তার প্রধানের দায়িত্ব গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-শেখকে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন খালেদ বিন আবদুল্লাহ আল-লুহাইদান।
এ ছাড়াও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ১৮ অক্টোবর আরও একটি আদেশ জারি করে রাজকীয় আদালত বা রয়্যাল কোর্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে ঘায়হাব মোহাম্মদ আল ঘায়হাবকে নিয়োগ দিয়েছেন।

 

দ্বিতীয় বিয়ের জন্যে ইরাকে ৮৪০০ ডলার ঋণের সুযোগ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

ইরাকের আল রাশিদ ব্যাংক এ ঋণের সুযোগ দিলেও নারীকর্মীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন নারীরা কোনো পণ্য নয় যে তাদের জন্যে বিশেষ কোনো ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণের পরিমাণ ইরাকি মুদ্রায় এক কোটি দিনার। যে কোনো ইরাকি পুরুষ দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলেই তিনি এ ঋণ পাবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে বিশাল সংখ্যক পুরুষ মারা গেছে এবং নারীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি এবং অনেক নারী বিধবা হয়েছেন। ইরানের পুনর্গঠনের জন্যেও জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি প্রয়োজন মনে করছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। আল রাশিদ ব্যাংকের নারী মুখপাত্র আমাল আল-সুওয়ালি জানান অনেকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করে ঋণের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের এ ইচ্ছা পূরণে আমরা এধরনের সুযোগ দিচ্ছি। আল রাশিদ ব্যাংক ইরাকের সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাংক। দেশটিতে এর ১৩৮টি শাখা থেকে এধরনের ঋণ পাওয়ার পর তা ৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণগ্রহীতা বা তার আগের স্ত্রী এধরনের ঋণ আগে নিয়ে থাকলে দ্বিতীয়বার তা পাবেন না। আবেদনকারীকে স্থায়ী সরকারি চাকুরে হতে হবে এবং তার চাকরির মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ২ বছর। তার ঋণের আবেদনে যে সুপারিশ করবেন তাকেও হতে হবে সরকারি চাকুরে।
এ ঋণের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী নেত্রীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন যখন ইরাক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বেড়েছে তখন দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্যে এধরনের ঋণের কোনো মানে হয় না কারণ সরকারি চাকুরেদের বেতন দিতেও অনেক সময় বিলম্ব ঘটছে।
তবে ব্যাংক বলছে নারী-পুরুষ উভয়কে এধরনের ঋণ দেয়া হবে। নারীবাদি লেখক দিনা আল-সাদি বলছেন এ ঋণ নারীর জন্যে অবমাননাকর। ঋণ দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা নারীর মর্যাদা বিনষ্ট করবে। এধরনের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাংকটির পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে ঋণ অনেকটা শর্তের ওপর নির্ভর করছে। অনেকে ডিভোর্স না পেলে মৃত্যুর হুমকি দেন। কিন্তু টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারছেন না। এ ঋণ তার প্রয়োজন মেটাবে। অর্থনীতিবেদ আলী আল-মারসোমি বলেন এ ঋণ অর্থনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

 ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে পরিপত্র জারি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ৭ অক্টোবর এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখার উপসচিব মো. সাজজাদুল হাসানের গত ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে
‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ হিসেবে ঘোষণা’ এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত হলেও দিবসটির ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
এতে আরো বলা হয়, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তবে বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত এবং দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চালনের লক্ষ্যে উক্ত কর্মকাণ্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে হবে।

 


বেতনে সংসার চলে না, পদত্যাগ করতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বেতন কম বলে অনেকেই এক চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু এ কারণে কেউ যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথা বলেন, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বেতন কম। যে টাকা পান, প্রধানমন্ত্রী না থাকলে তার থেকে বেশি উপার্জন করতে পারতেন। এত কম টাকায় সংসার চালাতে পারছেন না তিনি। সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে এমনই নাকি বলেছেন জনসন। তার পরই জানিয়েছেন ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবনাচিন্তা করছেন। খবর মেট্রো ইউক ও টাইমস নাউ নিউজের। প্রতিবেদনে জনসনের দলের এক এমপিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে চান না জনসন।
বর্তমানে তার বেতন বছরে দেড় লাখ পাউন্ডের কাছাকাছি। অথচ এর আগে একটি পত্রিকায় কলাম লিখেই তিনি বছরে আয় করতেন ২ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড। এ ছাড়া মাসে দুটি সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে তিনি আয় করতেন ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সত্যিই তার উপার্জন কমে গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ছয় ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, সাবেক স্ত্রীকে খোরপোশ বাবদ প্রতি মাসে অনেক অর্থই খরচ করতে হয় জনসনের। আর তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি। তবে এখনই নয়, ব্রেক্সিট সম্পর্কিত সব সমস্যার সমাধান এবং করোনা পরিস্থিতি দূর হলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জনসন।
 

আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার রহস্য

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইংল্যান্ডের পাশে অবস্থিত প্রায় ৮৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের ছোট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। শুনতে অদ্ভুত মনে হতে পারে, তবে পুরো আয়ারল্যান্ডে কোনো সাপ নেই।
ব্যক্তিগতভাবে কিছু শৌখিন ব্যক্তির সংগ্রহে বা চিড়িয়াখানায় অবশ্যই অল্প কিছু সাপ আছে, কিন্তু পুরো আয়ারল্যান্ডের বনে-জঙ্গলে কোথাও কোনো সাপ নেই।
আইরিশ রূপকথা অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার কারণ হচ্ছে, সেইন্ট প্যাট্রিক নামের এক ধর্মপ্রচারক মন্ত্রের জোরে সব সাপকে সমুদ্রে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নাকি সাপের হাত থেকে আয়ারল্যান্ডকে মুক্ত করেছিলেন।
বাস্তবে এই ঘটনার কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। তাছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে, সেইন্ট প্যাট্রিকের পক্ষে সাপ নির্বাসিত করা সম্ভবই ছিল না। কারণ আয়ারল্যান্ডে কোনোকালেই সাপ ছিল না।
ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আয়ারল্যান্ডের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিষয়ক গবেষক নাইজেল মোনাগান জানান, আয়ারল্যান্ডে কখনোই কোনো সাপের ফসিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এ অঞ্চলে কোনো সাপ ছিল না।
বিশ্বের সব দেশেই কমবেশি সাপ আছে। তবে আয়ারল্যান্ডে কেন সাপ নেই? এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, আয়ারল্যান্ড একটি দ্বীপ।
কাছাকাছি স্থলভূমির সঙ্গে আইরিশ সমুদ্রের উপর দিয়ে এর দূরত্ব সর্বনিম্ন ৭০ কিলোমিটার। কোনো সাপের পক্ষে এতো দূরের পথ সাঁতরে পাড়ি দেয়া সম্ভব না।
সামুদ্রিক সাপের কথা অবশ্য ভিন্ন, তারা দীর্ঘসময় পানিতে থাকতে পারে এবং দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে পারে। তবে সামুদ্রিক সাপের বসবাস উষ্ণ জলবায়ুর অঞ্চলগুলোতে। আয়ারল্যান্ডের বরফ-শীতল আটলান্টিক মহাসাগর তাদের বসবাসের জন্য উপযোগী না।
এ হিসেবে অবশ্য এই এলাকার কোনো দ্বীপেই সাপ থাকার কথা ছিল না। তবে আয়ারল্যান্ডের নিকটবর্তী ইংল্যান্ডেই প্রচুর সাপ এবং ইংল্যান্ডও একটি দ্বীপ-রাষ্ট্র। প্রশ্ন উঠতে পারে, পাশাপাশি দুটো দ্বীপের মধ্যে একটিতে সাপ আছে, অন্যটিতে নেই কেন?
এর উত্তর নিহিত আছে আয়ারল্যান্ডের সৃষ্টির ইতিহাসে। এক সময় আয়ারল্যান্ড বা ইংল্যান্ড কোনো দেশেই কোনো সাপ ছিল না।
বরফ যুগে এই দ্বীপগুলো সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর বসবাসের জন্য উপযোগী ছিল না। কারণ শীতল রক্ত বিশিষ্ট সরীসৃপ শ্রেণীর প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য আশেপাশের পরিবেশ থেকে তাপ শোষণ করতে হয়।

 

 সৌদি কারাগারে নারী মানবাধিকার নেত্রীর আমরণ অনশন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের প্রখ্যাত নারী মানবাধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাসুল কারাগারে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন। গত ৩ মাস ধরে তাকে তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। মিডিলইস্টআই
কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় লুজাইনকে কোনো ফোন কল রিসিভ করতে দেয়া হয় না এবং পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। এরই প্রতিবাদে লুজাইন অনশন শুরু করেছেন।
তার বোন লিনা ও আলিয়া রয়টার্সকে মঙ্গলবার জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে লুজাইন অনশন শুরু করেছেন। তাকে পরিরবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়া হয় না, এমনকি দেখাও করতে দেয় না সৌদি কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে সরকার খুবই বাজে ব্যবহার করছে।
গত আগস্ট মাসে লুজাইন ছয় দিনের জন্য অনশন করেন। সে সময় তাকে দিনে পরিবারের লোকজনের একটি মাত্র ফোন কল রিসিভ করার অনুমতি ছিল এবং ছয় মাসে দুইজন পারিবারিক সদস্য তার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট করা ৩১ বছর বয়সী লুজাইনকে আমিরাতে আটক করার পর সৌদি আরবে ফেরত পাঠালে তাকে রিয়াদের আল-হেয়ার কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি নারীদের ওপর থেকে গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালেও তিনি ৭০ দিনের জন্য আটক হয়েছিলেন।
এ বছরের শুরুতে ব্লুমবার্গ নিউজ জানায় করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক বন্দীদের সঙ্গে তাদের স্বজনদের আর আগের মত দেখা করতে দিচ্ছে না। ফলে গত কয়েকমাস ধরে বন্দীদের সঙ্গে তাদের স্বজনরা দেখা করতে পারছেন না।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করে লুজাইনকে বৈদ্যুতিক শক, চাবুক মারা ছাড়াও যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। গত ১০ মাস ধরে সঠিক বিচারের সুযোগও পাচ্ছেন না তিনি। এসব সংগঠন লুজাইনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। এধরনের এক মুক্তির দাবিতে ১৩’শ মানুষ স্বাক্ষরও করেছেন। তারা বলছেন লুজাইনের মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়ার আগে তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ ছাড়াই এধরনের নির্যাতন সৌদি আইন নয় বরং কর্মকর্তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করছে।
এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক লিন মালোউফ লুজাইনের আটককে লজ্জাস্কর ও ভন্ডামি বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন জি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব দিলেও সৌদি আরব নারীদের সমঅধিকারের কথা বলা হলেও দেশটির ক্ষমতায় যারা আছে তারা আড়ালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

 
 

এক পাঙ্গাশের দাম ৩২২০০ টাকা!

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৩ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ মাছ। মাছটি ৩২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাছটি রহমান শেখের জালে ধরা পড়ে।
জেলে রহমান শেখ বলেন, ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ৬ নম্বব ফেরিঘাটের নিচে আমরা কয়েকজন জাল ফেলে বসে থাকি। হঠাৎ জালে একটি জোরে ঝাঁকুনি দিলে বুঝতে পারি বড় কোনো মাছ জালে আটকা পড়েছে।
তখন অনেকটা সময় নিয়ে কয়েকজন মিলে মাছটি নৌকায় ওঠাতে সক্ষম হই। পরে দৌলতদিয়া মাছ বাজারে নিয়ে গিয়ে মাছটি বিক্রি করে দিই।
দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, জেলে রহমানের কাছ থেকে ১৪০০ টাকা দরে মাছটি কিনে নিই। এখন ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৫০০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

 

Top

খাবারের খোঁজে আর্বজনা ঘাটছেন গাজার বাসিন্দারা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান ও গাজাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন বিপর্যয়ে পড়েছে। গাজায় বাসিন্দারা খাবারের সন্ধানে আর্বজনার ভাগাড় ঘাটছেন। বেশিরভাগই দিনে একবার কিংবা দু’বার নিজেদের পরিবারের জন্য খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। দ্য গার্ডিয়ান ফিলিস্তিনকে সাহায্য করা জাতিসংঘের শরণার্থী এই শরণার্থী সংস্থাটি তহবিল সংকটে পড়েছে। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংস্থাটির বার্ষিক অনুদান ৩০০ মিলিয়ন ডলার কমিয়ে দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, অনুদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে কোনো সম্মান পাচ্ছে না। ইউএনআরডব্লিউএ’র ওপর ইসরায়েলের ক্রমাগত আঘাত সংস্থাটিকে দুর্বল করেছে। ইসরায়েল সংস্থাটির ওপর সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনছে।
লাজারানি বলেন, আমরা তহবিল সংকটে পড়েছি। অথচ এই সময়টাতেই আমাদের আরো বেশি করে করা প্রয়োজন। কিন্তু মহামারীর কারণে আর্থিক অনুদানদাতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার প্রভাব পড়ছে সংস্থার কার্যক্রমে ও গাজাবাসীর মৌলিক চাহিদার ওপর। এটি উদ্বেগের ও হতাশার।

 

বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে সৌদির আশ্বাস

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসীদের করোনাভাইরাসের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।
সৌদি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ড. হানি জোখদারের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় রাষ্ট্রদূত এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার) বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কর্মী সৌদি আরবে নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানান।
এছাড়া বাংলাদেশের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন মেডিক্যাল ডিগ্রীর অনুমোদন ও মেডিক্যাল বিষয়ক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা বিষয়ক প্রোগ্রামের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। সৌদি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত সফল ও কার্যকরভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সৌদি সরকারের প্রশংসা করেন। যার ফলে সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
সৌদি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ড. হানি জোখদার জানান, সৌদি সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং সকল ধরণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী করোনাভাইরাসের চিকিৎসা প্রদানে দায়িত্ব পালনকালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি চিকিৎসক ও সাস্থ্যকর্মীসহ যে সকল বাংলাদেশি অভিবাসীগণ নিহত হয়েছেন তাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। সৌদি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ড. হানি জোখদার দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকদের মৃত্যুকে সর্বোচ্চ ত্যাগ বলে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি আরবকে ভাতৃত্বের নিদর্শন স্বরূপ পাঠানো মাস্ক ও পিপিই গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে সৌদি আরব জুড়ে দীর্ঘসময় কারফিউ লকডাউন জারি করে সৌদি সরকার। কর্মহীন হয়ে পড়ে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় এবং প্রবাসী নাগরিক।

রোহিঙ্গাদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মানবিক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও সংঘাত রোধে চলতি বছর এ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জ্যানেন লেনার্সিক।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর জন্য সহায়তা উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যৌথভাবে দাতা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউএন এজেন্সি, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বাধিক অভাবী ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য নতুন বরাদ্দে অর্থ খরচ করবে।
ইইউ’র অনুদানের মাঝে শরণার্থী ও স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাহায্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে থাকছে ৫১.৫ মিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে জরুরি সহায়তা রিজার্ভ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো নতুন বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে অগ্রাধিকারের খাতগুলো হল সুরক্ষা (শিশু সুরক্ষা, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতাসহ), গুরুতর স্বাস্থ্যসেবা (মানসিক স্বাস্থ্যসহ) এবং পুষ্টি, খাদ্য সহায়তা ও সমন্বয়।
উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রাখাইন রাজ্যে স্থানীয়ভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা জোরদারের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে। এটি মৌলিক সামাজিক পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার পাশাপাশি সুরক্ষা ও তথ্যগত সমস্যা সমাধান করবে। এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে সংঘাত রোধে সাহায্য হিসেবে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে জ্যানেন লেনার্সিক বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অব্যাহতভাবে পূর্ণ সহায়তা পেয়েছে। তাদের দুর্দশা লাঘবে স্থানীয় পর্যায়ে ও আশ্রয়দানকারী কমিউনিটিতে কর্মরত মানবিক সহায়তা সংস্থাসমূহ প্রকৃত সংহতি নিয়ে সাড়া দিয়েছে। আমরা মানবিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম এবং স্থিতিশীলতার জন্য আরও বেশি সহায়তার আহ্বান নিয়ে এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

 

প্রাচীন কালের জন্মনিয়ন্ত্রণের আজব কিছু নিয়ম


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের জীবনধারাতে পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন বিভিন্ন পদ্ধতিতে ও সহজ ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার নিয়ম তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রাচীন যুগে জন্মনিয়ন্ত্রণ এতোটা সহজ ছিল না।
ঠিক একইভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণেও এসেছে নতুনত্ব। আর এর জন্য তাদের করতে হয়েছিল অনেক কষ্ট। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক প্রাচীন কালের জন্মনিয়ন্ত্রণের আজব কিছু নিয়ম-
নেকড়ের মূত্র: মধ্যযুগে বেশ ভালো রকমের অন্ধ বিশ্বাস ছিল সবার ভেতরে। বিশেষ করে ব্যাপারটা ঔষধ নিয়ে হলে তো কথাই নেই! চিকিৎসার নানারকম ধরন ছিল তখন।
আর তারই একটা অংশ হিসেবে সেসময় নারীদের অযাচিত গর্ভধারণ থেকে দূরে থাকতে যৌনমিলন করবার আগেই ঘরের বাইরে গিয়ে কোন নেকড়ের মূত্র ত্যাগ করার স্থানের ওপর মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিংবা ঘুরে আসতে হতো কোন গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে!
মধু: প্রাচীন মিশরে নারীর গর্ভধারন এড়াতে ব্যবহার করা হত মধু। তবে পুরুষ নয়, নারীরা ব্যবহার করতো এটা। মনে করা হতো মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শুক্রাণু নারীর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে জন্ম হবে না কোন সন্তানেরও! বর্তমানে অবশ্য মধুর পরিবর্তে হানি ক্যাপ ব্যবহার করে অনেকে।


নিয়মবহির্ভূতভাবে গেজেট জারি

৫৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশ্নের মুখে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গেজেটভুক্ত প্রায় ৫৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সব ধরনের তথ্য পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে। এসব মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ শাসনামলে (২০০২-২০১৪) তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।
কিন্তু সেই সময় ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২’ অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই তালিকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটির কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। তবে কমিটির কাছে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারলে তার গেজেট বহাল থাকবে।
অন্যথায় গেজেট-সনদ বাতিলের পাশাপাশি ভাতাও বন্ধ হবে। তবে যাদের নাম লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় গেরিলা বাহিনীর করা তালিকায় রয়েছে, তারা পুনঃযাচাইয়ের বাইরে থাকবেন।
৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
প্রসঙ্গত, ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল-এই সময়ের মধ্যে বিএনপি আমলে ৪৪ হাজার এবং আওয়ামী লীগ আমলে ১১ হাজার মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন।
স্বাধীনতার এত বছর পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত না হলেও এ মুহূর্তে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমবেশি ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৫।
এর মধ্যে ভাতা পাচ্ছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৩ জন। তাদের প্রত্যেককে প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা দেয়া হয়।
উল্লিখিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি রোববার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিদ্যমান জামুকা আইন লঙ্ঘন করে যাদের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করা হয়েছে তাদের তথ্য পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে। ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার গেজেট করা হয়েছে। আমরা সেগুলো জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটির মাধ্যমে পুনরায় যাচাই করব। যারা মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে তথ্য-উপাত্ত হাজির করতে পারবেন, তাদের গেজেট বহাল থাকবে। আর যারা প্রমাণ করতে পারবেন না, তাদের গেজেট ও সনদ বাতিল করা হবে।’
এই সময়ের মধ্যে কতজনের গেজেট হয়েছিল-জানতে চাইলে মন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ‘এ সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার হতে পারে। কিন্তু সবই নিয়মবহির্ভূতভাবে গেজেট জারি করা হয়নি। এর মধ্যে লাল মুক্তিবার্তার ও ভারতীয় গেরিলা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে বেশির ভাগই নিয়মকানুন না মেনেই গেজেট হয়েছে। এর সংখ্যা ৩০ হাজারের উপরে হতে পারে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জামুকার ৬৯তম সভায় বলা হয়, ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে জামুকা আইন লঙ্ঘন করে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।


মহানবীর (সা.) কার্টুন ছাপানোয় উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসংঘের


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদো অপমানজনক ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ফর দ্য এলায়েন্স অব সিভিলাইজেশন এক বিবৃতিতে ২৮ অক্টোবর সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তা অ্যাঙ্গেল মোরাটিনোস উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি ফরাসি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন শার্লি এবদো ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ করায় উত্তেজনা এবং অসহিষ্ণুতার ঘটনা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে অনুসরণ করছে জাতিসংঘ।
মোরাটিনোস উল্লেখ করেন, ওই কার্টুনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আবেগ, অনুভূতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা জাতিসত্তায় আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্মবিদ্বেষী মনোভাব বা বক্তব্য ঘৃণা ও সহিংস উগ্রবাদকে উস্কে দিচ্ছে, ফলে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করে। ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এমনভাবে প্রয়োগ করা উচিত যেন কোন ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা না করা হয়। সকল ধর্মের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখা উচিত বলেও উল্লেখ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ‘ইসলাম ধর্ম সঙ্কটে’ রয়েছে এমন মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে মুসলমানদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেন ম্যাক্রোঁ। ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ কঠোর হস্তে দমনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
কার্টুন প্রকাশে বন্ধের আহ্বানের বিষয়ে তিনি বলেন, কার্টুন প্রকাশনা তিনি বন্ধ করতে পারবেন না। কার্টুন প্রকাশ বন্ধ করাকে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ঘটনার পরপরই ফ্রান্স এবং ম্যাক্রোঁর ধর্ম নিয়ে একের পর এক তীর্যক মন্তব্যে ক্ষোভে ফুসছে তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ। প্রতিবাদে বিভিন্নস্থানে ম্যাক্রোঁবিরোধী মিছিল করেছে মুসলমানরা।


ভারতের গণতন্ত্র কঠিনতম সময়ে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মোকাবিলা, কৃষি বিল, অর্থনৈতিক মন্দা, দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ভারতের গণতন্ত্র এখন কঠিনতম সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি দলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়োগের পর রবিবার তাদের সবার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সোনিয়া এসব কথা বলেন।
সোনিয়া গান্ধী বলেন ‘কোটি কোটি কৃষক, ভাগচাষি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি, মেহনতি শ্রমিক, ক্ষুদ্র দোকানদারের জীবন ও জীবিকা আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

ধর্ষণের সাজা কোন দেশে কেমন?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ষণ একটি সামাজিক অপরাধ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই এ অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান আছে।
তারপরও এ অপরাধ পৃথিবীর অনেক দেশেই মহামরির আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে অনেকটাই।
আমাদের দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পৃথিবীর অন্য কয়েকটি দেশে এই অপরাধের সাজা কী তা জেনে নেওয়া যাক।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
যদি কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটিতে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
চীন
চীনে ধর্ষকের জন্য বরাদ্দ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
ফ্রান্স
ধর্ষণের শাস্তি ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
সৌদি আরব
ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে শাস্তি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়।
উত্তর কোরিয়া
ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে অপরাধীর বুক ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান
আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মিসর
দেশটিতে এখনও অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা থাকলেও ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান
ইরানেও ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে তা কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েল
দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা কিছুটা বর্ধিত। অন ্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র
স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
রাশিয়া
ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে রাশিয়ায়। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত ্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ে
সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
মঙ্গোলিয়া
ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।

 

মানবাধিকারের স্বার্থে সংবিধানের কিছু ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন

মোঃ দ্বীন ইসলাম হাওলাদার

প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশেরই নিজস্ব সংবিধানিক বা নীতিমালা রয়েছে তবে আমাদের সংবিধানের কিছু কিছু ধারা বাস্তবতার সাথে অনেকটাই সাংঘর্ষিক। তাই ওই সমস্ত ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের বিচার বিভাগ মামলা নিষ্পত্তিতে অনেক বিলম্বিত করেন। দেখা যায় জমিজমা সংক্রান্ত মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে যুগ পরে যুগ পার হয়ে যায়। এমনও ঘটে যিনি মামলা করেন তিনি যুগ যুগ ধরে চালিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে তার সন্তানরা এমনকি তার নাতী-নাতনীদেরকেও সে মামলা চালাতে হয়। ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তিতে ও যুগ যুগ লেগে যায়। বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষই মামলার খরচ চালাতে চালাতে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পরেন। পক্ষান্তরে লাভবান হন আইনজীবি আর তার সহকারীরা। আবার অনেক আইনজীবীরা চেষ্টা করেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের মক্কেলদেরকে বিজিত করতে। কিন্তু তাদের মিথ্যা তথ্য প্রমাণিত হলেও তাদের কোনো শাস্তি পেতে হয় না। কোন পক্ষ মিথ্যা মামলা করলে এবং তা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হলেও বিবাদী মুক্তি পায় ঠিকই কিন্তু বাদীকে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো শাস্তি পেতে হয় না। ক্ষমতাধর বড় বড় অপরাধীরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্বিঘেœ চালাতে থাকেন। অথচ তারা আগাম জামিন না পেলে তার তাদের অপরাধ কর্ম নতুনভাবে চালাতে পারতেন না। আবার দেখা গেছে কোনো মামলার আসামি গ্রেফতারের পর যুগ যুগ লেগে যায় মামলা নিষ্পত্তিতে। মামলা নিষ্পত্তির পর তাকে ধার্যকৃত শাস্তি ভোগ করতে হয়। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তির আগে তার বহু বছর চলে যায় কারাগারে। টাকা বা সম্পদ আত্মসাতের মামলার নিষ্পত্তিতে বিবাদীর শাস্তি হলেও বাদী তার কোনো কিছুই ফেরত পান না বা সরকারি চাকুরিজীবিদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী দূর্নীতি হত্যার সাথে জড়িত তাদের বিচার অনেক ক্ষেত্রে বদলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের তেমন কোনো শাস্তি পেতে হয় না। ক্ষমতা বলে আইনের মার প্যাঁচে বেড়িয়ে যান। বড় বড় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ না করে দেউলিয়া দেখিয়া মেরে দেন। যারা কালো ব্যবসায়ী করে বা বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন তাদেরকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়, যা ঐ সকল অপরাধীদেরকে অপরাধ কর্মে আরো উৎসাহিত করে। এ ক্ষেত্রে তাদের সে অবৈধ সম্পদ রাজকোষে নিয়ে নিলে তারা এই অপরাধ কর্মে আর জড়াতো না। সবচেয়ে বড় দুঃখ জনক ঘটনা হলো আমাদের দেশে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা যত অপরাধীই করেন তাদের বেশির ভাগই আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে যান। তাই আইনের অনেক ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন।
লেখক শিক্ষক ও কবি।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মুখ ঝলসে দিল স্বামী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের টাকা পরিশোধ করলেও বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় আবারও টাকার জন্য চাপ দেয় স্বামী কালু মিয়া । বাবার বাড়ির অসচ্ছলতার কারণে স্ত্রী অপারগতা স্বীকার করলে চালানো হয় নির্যাতন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী রূপা আক্তার । এর পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতবররা মীমাংসা করার চেষ্টা করলে মামলা তুলে নিতে বলা হয় রূপা আক্তারকে। স্বামীর বাড়িতে তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে মাসখানেক আগে স্বামী জমি লিখে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে নেন স্ত্রীকে। পুনরায় শুরু হয় স্ত্রীর প্রতি স্বামীর নির্যাতন। তারই এক পর্যায়ে গত গত ৬ অক্টোবর রাতে স্ত্রীকে গরম তেল দিয়ে মুখ ও শরীর ঝলসে দেয় পাষণ্ড স্বামী। গুরুতর অবস্থায় পরিবারের লোকজন চিকিত্সার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামে। সাটুরিয়া থানাপুলিশকে বিষয়টি অবগত করলেও মামলা না নিয়ে মীমাংসা করার আশ্বাস দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৯ অক্টোবর ২০২০ মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ, এমনটিই জানিয়েছেন নির্যাতিত রূপা আক্তারের পরিবার।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, তিন জনের নামে মামলা হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে রুপার স্বামী কালুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
 


 ভালো নেই শিশুরা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদে বেড়ে ওঠার ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও কোমলমতি শিশুরা ভালো নেই। করোনা মহামারীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় বাসাবাড়িতে একরকম বন্দীদশায় সময় পার করছে শিশুরা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মহামারীর সময়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণের পর অনেক শিশুকে আবার নৃশংসভাবে হত্যাও করা হয়েছে। বাবা-মায়ের কলহের জেরে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেক কোমলমতিকে। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকদের কেউ কেউ চাপে পড়ে কন্যাশিশুদের বাল্যবিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। আর স্কুল না থাকায় অভিভাবকের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে পড়ায় কিছু পরিবারে শিশুরাও ভারী কাজে নেমে পড়েছে। অর্থাৎ যেখানে হেসে-খেলে আনন্দে শৈশব কাটানোর কথা, সেখানে শিশুরা পার করছে কঠিন এক সময়। এ অবস্থায় আজ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদ্্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩২৪ জন শিশু। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয় ৪৯ জন। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১ জন প্রতিবন্ধী শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ৮৪ জনকে।
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১৮ জনকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করে ৭ জন। এ সময় পর্নোগ্রাফির শিকার হয় ১৬ শিশু। আর যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় ১০৪ জন শিশুকে। ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ছয় বছরের এক শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ফলের বাগানে নিয়ে গিয়ে আবদুল খালেক (৩৫) নামের এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। এমনকি ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নির্যাতিত শিশুকে হুমকিও দেয় খালেক। ঘটনার কয়েক দিন পর শিশুটির শরীরে ব্যথা অনুভূত হলে শিশুটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে। করোনার এ সময়ে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে বাল্যবিয়ে। দেশে বাল্যবিয়ে রোধে নিয়োজিত হেল্পলাইন সেন্টার ১০৯৮-এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে, মহামারীতে বাল্যবিয়ে রোধে ফোনকলের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। হেল্পলাইনটির ব্যবস্থাপক চৌধুরী মো. মোহাইমেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চাইল্ড হেল্পলাইনে বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ৪৫০টি ফোনকল আসে। অথচ মার্চে এ সংখ্যা ছিল ৩২২। তিনি বলেন, ‘আগে যেখানে আমরা বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ১০০টি কল পেতাম, এখন সেখানে ১৮০টি ফোন পাচ্ছি।’ করোনার এ সময়ে মা-বাবার কলহের কারণে অনেক শিশুকে প্রাণও হারাতে হচ্ছে। শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে মা-বাবার হাতে প্রাণ দিয়েছে ১৫ জন শিশু। এর মধ্যে ২১ জন নির্যাতনের শিকার হয়। চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর গোরানে একটি ফ্ল্যাটে দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে কামরুন্নাহার পপি (৩৫) নামের এক মা নিজে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।


বাল্যবিয়ে দিতে গিয়ে কারাগারে কাজি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাল্যবিয়ে দেয়ার সময় কাজি আনোয়ার পারভেজ ওরফে এনামুল কাজিকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার রাতে গুরুদাসপুর পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড গাড়িষাপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত পৌনে ৮টার দিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই কাজিকে ৬ মাসের জেল এবং বর সুরুজ আলীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাজি আনোয়ার পারভেজ ওরফে এনামুল কাজির বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিয়াঘাট ঘাটপাড়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে সুরুজ আলীর সঙ্গে পৌর এলাকার গাড়িষাপাড়া মহল্লার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৪) গোপনে কাজির বাড়ি নিয়ে এসে ওই বাল্যবিয়ে দিচ্ছিলেন। গাড়িষাপাড়া মহল্লায় এনামুল কাজির বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, প্রকৃতপক্ষে কাজিদের কারণে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে তাদের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। রাতেই ওই কাজিকে নাটোর জেলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

কারাগারে মায়েদের সঙ্গে ৩৪৩ শিশুর বন্দি জীবন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তারা শিশু। নিষ্পাপ। তবু জীবন কাটছে কারাগারে। যে বয়সে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। সেই বয়সে বন্দি জীবন কাটছে তাদের। মাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে দেশের কারাগারগুলোতে মায়ের সঙ্গেই ঠাঁই হয়েছে ৩৪৩টি শিশুর। তাদের অধিকাংশের বয়স এক থেকে ১০ বছর।
বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়ার কারণে আদালত ওইসব মায়েদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের আইনজীবীরা আদালতের বিচারকের কাছে প্রার্থনা করেন যে, নারী আসামির যে শিশু সন্তান আছে, সেই সন্তানকেও তাদের সঙ্গে কারাগারেও রাখার সুযোগ দিতে। নতুবা শিশু একা থাকতে পারবে না। কান্নাকাটি করবে। পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আদালত এসব শিশুকে কারাগারে মায়েদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেন। দেশের মোট ৬৮টি কারাগারে ৩৪৩টি শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে আছে।
কারাগারে থাকা শিশুদের মায়েরা অধিকাংশই মাদক মামলার আসামি। কেউ চুরির দায়ে কারাগারে আছে। অনেক আসামির দীর্ঘদিন ধরে জামিন হয়নি। কারাগারে যেসব মায়েদের সঙ্গে শিশুরা আছে তাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন কারাগারের চিকিৎসক সন্ধ্যাকালীন রাউন্ড দিয়ে থাকেন। কারা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর ওপর কারাগারের পরিবেশটা প্রভাব ফেলে। কারাগারে বন্দি মায়েদের সঙ্গে শিশুরা থাকলে তাদের সুস্থ সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন মানবজমিনকে জানান, আদালতের আদেশে বন্দি মায়েদের সঙ্গে ৩৪৩ জন শিশু দেশের বিভিন্ন কারাগারে আছে। কারাগারের মধ্যে তাদের বিশেষ সেবা দেয়া হয়। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যেসব নারী আসামির শিশু সন্তান রয়েছে তাদের দিকে নজর দিয়ে আদালত শিশুসহ তাদের কারাগারে পাঠানোর অনুমতি দেন। যাতে মা কারাগারে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর কোনো অসুবিধা না হয়। যেসব মা শিশুসহ কারাগারে বন্দি রয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ডের ব্যবস্থা আছে।
সূত্র জানায়, তবে কোনো কোনো কারাগারে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। এসব শিশু মায়েদের সঙ্গে নির্ধারিত নারী কয়েদিদের ওয়ার্ডেই ঘুমায়। তবে শিশুদের সারাদিন কাটে খেলার মাঠে ও ডে-কেয়ার সেন্টারে ঘুরে-ফিরে। দেশের কারাগারগুলোতে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পড়ালেখা এবং অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছে। তবে অভিযোগ আছে, সব কারাগারে শিশুদের জন্য এমন ব্যবস্থা নেই। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আসামি ছিনতাই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশ সদস্যদের মারধর করে জিআর মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যও এ হামলায় অংশ নেন।
১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বানিয়াচং থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ তোহাকে হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুইটি জিআর মামলার আসামি ও দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে বুলবুল মিয়াকে গ্রেফতার করতে কয়েকজন পুলিশ ওই গ্রামে যায়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মমিন মিয়া ও আসামির ভাই বদরুল মিয়াসহ একদল লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন হামলাকারীরা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়।
হামলায় বানিয়াচং থানার এএসআই মোহাম্মদ তোহা, এএসআই সোহেল
ও কনস্টেবল হাতিমুর রহমান আঘাতপ্রাপ্ত হন। এদের মধ্যে এএসআই তোহাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে আসা পুলিশ সদস্যরা বাংলানিউজকে জানান, এএসআই তোহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী অবস্থা জানানো যাবে।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আসামি গ্রেফতারের পর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মমিন মিয়া ও বদরুলসহ লোকজন পুলিশকে মারধর করেছে। তারা আসামি বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বানিয়াচং থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

পরিবার থেকে সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে হবে: পুলিশ সুপার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেছেন, আমাদের সচেতনতা জরুরি। আমরা প্রথম শিখি পরিবার থেকে।
পরিবার থেকে সন্তানকে সুশিক্ষা, সুশাসন দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আপনি যতই আইনের কথা বলেন, পরিবারের ভূমিকাই কিন্তু মুখ্য।
তিনি বলেন, ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের কাজ এটি। নিকৃষ্ট শ্রেণির মানুষের কাজ।
১৭ অক্টোবর ২০২০ মিরসরাই থানাধীন নিজামপুর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, ১৫-১৬ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা প্রেমের সম্পর্কে জড়াচ্ছে। কিছুদিন প্রেমের পর তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছে। এরপর একটা সময় যখন ওই ছেলে সম্পর্কে অনীহা প্রকাশ করে তখন এটি প্রকাশ পায়। ধর্ষণের মামলা হয়। এটি এন্টি সোস্যাল কর্মকাণ্ড। এর শিক্ষা পরিবার থেকেই দিতে হবে। পরিবারকে খোঁজ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনার সন্তান মাদকাসক্ত কী না সেটা আপনাকে খোঁজ রাখতে হবে। আপনার সন্তান কার সঙ্গে মেশে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা কি আদৌ তা করি? কিন্তু আমাদের তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মিরসরাইয়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলার ১৬ থানার ২৩১ বিটে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ।


 

টাকার খনি সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর দামি পুলিশ ফাঁড়িগুলোর অন্যতম বন্দরবাজার ফাঁড়ি। জনশ্রুতি রয়েছে-বড় অংকের টাকা দিয়ে আসতে হয় এই পুলিশ ফাঁড়িতে।
এসআই আকবরও এই পন্থা অবলম্বন করে ফাঁড়িতে আসেন এক বছর দুই মাস আগে।
পোশাকের আড়ালে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অপরাধে। লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতন করে টাকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়াই ছিল তার অর্থ উপার্জনের অন্যতম পন্থা। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনেরও অভিযোগ করেন অধীনস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, তার গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমা থেকে করিমউল্লাহ মার্কেটের শহীদ নামের এক ব্যবসায়ীকে রেঁস্তোরা থেকে ধরে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসআই আকবরের কবল থেকে মুক্তি পান ওই ব্যবসায়ী। এছাড়া ফাঁড়ির আওতাধীন আবাসিক হোটেল, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা, হকার, সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যাণ্ড, ভাসমান ব্যবসায়ী, তিন তাসের খেলা, ছিনতাইকারী গ্রুপ এমনকি ক্বীন ব্রিজের নীচে পতিতাবৃত্তি থেকেও কাড়ি কাড়ি টাকা আদায় করাতেন তিনি। থানার কর্তা ব্যক্তির কাছেও এসবের ভাগ বাটোয়ারা যেতো। যে কারণে ওসির আজ্ঞাবহ ছিলেন আকবর।
১১ অক্টোবর রায়হান উদ্দিনকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনার পর তার এসব অপকর্ম বেরিয়ে আসতে থাকে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বন্দরবাজার ফাঁড়ির আওতাধীন বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে পতিতাবৃত্তির জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা, হকার থেকে ১০ হাজার টাকা, চারটি জুয়ার বোর্ড (শীলং তীর) থেকে ১৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ফাঁড়ির অধীনে চারটি জুয়ার বোর্ডের মধ্যে রয়েছে-বন্দরবাজার রংমহল টাওয়ার সংলগ্ন শীলং তীরের বোর্ড চালান সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি। রাকিব ও ইকবাল নামের দু’জনের অধীনে সুরমা মার্কেট জুয়ার বোর্ড, হকার মার্কেট ও কালিঘাটের বোর্ড চালান কালাম নামের এক ব্যক্তি ও তার ভাই। তাদের মাধ্যমে টাকাও আদায় করতেন এসআই আকবর।
এছাড়া নগরীর কালিঘাটে ভেজাল মসলার বিক্রি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩০/৪০ হাজার টাকা, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা থেকে সপ্তাহে ২০ হাজার টাকা, তিন তাসের খেলা থেকে দিনে ৭ হাজার টাকা, ছিনতাই গ্রুপের মাধ্যমে অন্তত ২০/৩০ হাজার টাকা এবং ভাসমান পতিতারা প্রাত্যহিক ২ হাজার টাকা করে ফাঁড়িতে আকবরকে দিতেন। এছাড়াও ভারতীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী ও সুপারির চালান আটক করে পরে ছেড়ে দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা কামান তিনি।
সূত্র জানায়, পলিথিনের ব্যবসা থেকে টাকা তুলে এনে দেন কানাইঘাটের দুলু নামের এক ব্যক্তি। যিনি আকবরের ক্যাশিয়ার ও সোর্স হিসেবেও কাজ করেন। ছিনতাইকারীদের কেউ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ধরে বাজার থেকে ছোরা-চাকু কিনে মামলায় চালান দেওয়া হতো।
১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। কিন্তু নিহতের পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের দাবি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

 

কক্সবাজারে ১ হাজার ৩৪৭ পুলিশ বদলি!

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ৩৪৭ পুলিশকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন আদেশে ১ হাজার ৩৪৭ জনকে কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বদলি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন- কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আট শীর্ষ কর্মকর্তা। ৫৩ জন পরিদর্শক, ১৩৯ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), ৯২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), ১ হাজার ৫৫ জন নায়েব ও কনস্টেবল।
জানা গেছে, কক্সবাজারের শূন্য এসব পদে যোগদান করতে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বদলি আদেশে এক হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জে যোগদান করেছেন। এর মধ্যে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ৫৩ জন পুলিশ পরিদর্শক, ২১৫ জন এসআই-এএসআই এবং ৭৩৪ জন কনস্টেবল রয়েছেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, এতদিন অভিযোগ ছিল কিছু পুলিশ সদস্য ঘুরেফিরে কক্সবাজারে চাকরি করছেন। মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতেই কক্সবাজার পুলিশের ইউএন রোটেশন স্টাইলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সেটআপ আশা করছি দ্রুতই মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করবে। আমাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট কক্সবাজারের ইয়াবা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া। কক্সবাজারকে ইয়াবা মুক্ত করা।


 


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 

মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবার কতটুকু স্বাস্থ্যকর, যা বলছে গবেষণা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বদলেছে দুনিয়া। আর এই নগরায়ণের জেরে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে আমাদের লাইফস্টাইল। ব্যস্ত কর্মজীবনে ৮টা ৫টা’র ডিউটি সামাল দিতে গিয়ে ফুসরত নেই মানুষের। কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই আমাদের ঘর থেকে বাইরে যেতে হয়। কাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যস্ততা। ব্যস্ততার কারণে ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে আমাদের রান্নার কাজ সারতে হিমশিম খেতে হয়। তাই অনেকে পুরো সপ্তাহের রান্না একবারে করে ফ্রিজে রাখেন। পরে তা ওভেন দিয়ে গরম করে খেয়ে থাকেন। আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে এখন ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট যেন বিলাসিতা।
আর এই বিলাসিতা দেখাতে গিয়ে আপনি নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? আপনি হয়তো ব্যস্ততা কারণে এমনটি করছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, পরিবারের সবাই খাচ্ছেন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবার। কিন্তু এই অভ্যাস ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে এমনটাই দাবি করছেন চিকিৎসকরা। সাধারণ শাকসবজি, ফলমূল কাটার পর এমনিতেই অনেকটা ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া সবজি জল দিয়ে ভালোকরে ধুয়ে ফুটিয়ে রান্না করে খেলে তারমধ্যে আর কোনও পুষ্টিগুনই অবশিষ্ট থাকে না। তার উপর আপনি যদি একদিন রান্না করে খাবার ফ্রিজে রেখে ঘনঘন মাইক্রোওভেনে গরম করে খান তাহলে আপনার এই অভ্যাস অজান্তেই অনেক বিপদ ডেকে আনবে আপনার শরীরে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখিয়েছেন যে, মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি১২ ক্রমে অকার্যকর হয়ে পড়ে। খাবার গরমের সময় এটি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ নষ্ট করে দেয়। এছাড়া দুধ ও মাংসজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। তাই এসব খাবার যদি মাইক্রোওয়েভে গরম করা হয় তবে তার খাদ্যগুণ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার পর কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়। যেমন বেঞ্জিন, জাইলিন। এগুলো খাবারের সঙ্গে মিশে গেলে শরীরে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার গরম করে খেলে তা থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়। এর ফলে হতে পারে ক্যান্সার। তাই মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম না করাই ভালো। শুধু তাই নয়, হৃদস্পন্দনের গতিরও তারতম্য ঘটে মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রেডিয়েশনের কারণে। যার ফলে মাইক্রোওয়েভে ডিম, দুধ, মাংস , মাশরুম জাতীয় খাবার গরম করে খাওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এতকিছুর পরেও মাইক্রোওয়েভে রান্নার বিষয়ে একেবারে নিষেধাজ্ঞা করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
কারণ, ছোটোখাটো এই ইলেকট্রিক গ্যাজেট যেকোনও জায়গায় যেকোনওভাবে বহন করা যায়। যার ফলে যখন যেভাবে প্রয়োজন রান্নাও সেরে ফেলা যায়। তবে দরকার সঠিক পাত্রের। কারণ, রান্নার সময় মাইক্রোওয়েভ প্রুফ পাত্র ব্যবহার করলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।


চুল পাকা রোধ নয় শুধু, গজাবে নতুন চুল
 


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।
ব্যবহার করবেন যেভাবে:
নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে প্রথমে। এরপরই বার্নার বন্ধ করে পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে।
পাতার গন্ধ ও পুষ্টিগুণ যাতে পুরোপুরি তেলের সঙ্গে মিশে যায়, সেই সময়টুকু দিতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট। এরপর তেল পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে উষ্ণ তেল ভালো করে মাথার চুলে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।
সারারাত সেই তেল মাথায় রেখে পরদিন শ্যাম্পু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পানিতে পাতিলেবু দিয়ে কন্ডিশনিংও করে নিতে হবে।
আরও একটু বেশি ফল পেতে ধোয়ার আগে চুলে ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল নরম হবে।

যে সাত কারণে কমে যায় আয়ু
প্রায় সব মানুষেই বেশিদিন বেঁচে থাকতে চান । তবে এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আমাদের অজান্তে আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। জেনে নিই কাজগুলো কী কী-
১. একা থাকা
অনেকে একা থাকতে পছন্দ করেন। মনে করেন এতে করে চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একা থাকা মানে জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া – যা আয়ু কমায়। দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়, পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ না করলেও সেরকম ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড।
২. টিভি দেখা
ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এক ঘণ্টা টিভি, ডিভিডি বা ভিডিও দেখলে তাদের জীবনের আয়ু প্রায় ২২ মিনিট কমে যেতে পারে। দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা করে টিভি দেখলে তার জীবন থেকে পাঁচ বছর চলে যেতে পারে।
৩. যৌন সম্পর্ক
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের একটি গবেষণায় জানা যায়, যেসব পুরুষ মাসে কমপক্ষে একবারও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হননি তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন যৌন সম্পর্ক করেছেন, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ। ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, যেসব নারীর আনন্দময় যৌন জীবন রয়েছেন তারা অন্যদের চেয়ে প্রায় আট বছর বেশি বাঁচেন।
৪. বসে থাকা
অ্যামেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’র জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকা মানে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া।
৫. অতিরিক্ত ব্যায়াম
ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সেটা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত।
৬. বেকারত্ব
ক্যানাডার গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষ বেকার থাকা মানে তার অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। ১৫টি দেশের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা
৭. ঘুমানো
দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো ঠিক নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে এত সময় ধরে ঘুমানো স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন তারা।
ফুসফুস পরিষ্কার করবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আপনার বুকে ভারী অনুভূত হলে অথবা অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে হতাশ হবেন না। প্রথম করণীয় হলো, ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাসগুলো ছেড়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে চিকিৎসা করবেন। এছাড়া ফুসফুস পরিষ্কার করতে কিছু ঘরোয়া টেকনিকও অনুসরণ করতে পারেন।
এসব মেথডে ফুসফুস পরিষ্কারের পাশাপাশি বাতাস চলাচলের পথ খুলতে পারে, ফুসফুসে বাতাস ধারণের ক্ষমতা বাড়তে পারে ও প্রদাহ কমতে পারে। এখানে ফুসফুস পরিষ্কারের তিনটি ঘরোয়া পদ্ধতি দেয়া হলো। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, গ্রিন টি পান করলে ও প্রদাহনাশক খাবার খেলে আরো ভালো ফল পাবেন।
গরম পানির ভাপ নেয়া: গরম পানির ভাপ নেয়াকে স্টিম থেরাপি বা স্টিম ইনহেলেশনও বলা হয়। গরম পানির ভাপ নিলে ফুসফুসে বাতাস চলাচলের পথ খুলে ও শ্লেষ্মা বের হয়ে যেতে পারে। যা শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। একটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগে যারা শ্বাসক্রিয়ার কাঠিন্যতায় ভুগেছেন তারা গরম পানির ভাপ নেয়াতে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কমেছে। কিন্তু ভাপ নিলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া যায় কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না, আরো গবেষণার অপেক্ষা করতে হবে।
কৃত্রিম কাশি দেয়া: কাশি হলো শ্লেষ্মায় আটকে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে শরীরের প্রাকৃতিক উপায়। কৃত্রিম কাশিতেও ফুসফুসের অতিরিক্ত শ্লেষ্মা আলগা হয়ে বের হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস রোগীদের ফুসফুস পরিষ্কারে এই এক্সারসাইজ করতে পরামর্শ দেন:
একটি চেয়ারে বসে কাঁধকে শিথিল করুন।
পা দুটিকে মেঝেতে সমতলে রাখুন।
উভয় বাহুকে ভাঁজ করে পেটের ওপর রাখুন।
নাকের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন।
সামনের দিকে ঝুঁকে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এসময় বাহুগুলোকে পেটের সঙ্গে চেপে ধরুন।
শ্বাস ছাড়ার সময় ২-৩ বার কাশি দিন। এ সময় মুখ একটু খোলা রাখুন।
বিশ্রাম নিয়ে আবারও প্রয়োজনানুসারে রিপিট করুন। মাধ্যাকর্ষণের সাহায্যে শ্লেষ্মা দূর করুন: মাধ্যাকর্ষণের সাহায্যে শ্লেষ্মা বের করতে ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে শুতে হয়। এ প্রক্রিয়াকে পস্টুরাল ড্রেনেজ বলে। এ চর্চায় শ্বাসক্রিয়া উন্নত হয় ও ফুসফুসের সংক্রমণ প্রশমিত বা প্রতিরোধ হয়। পজিশনের ওপর ভিত্তি করে পস্টুরাল ড্রেনেজ ভিন্ন হয়ে থাকে।
পদ্ধতি ১ মেঝে বা বিছানায় চিৎ হয়ে শুতে হবে। নিতম্বের নিচে বালিশ রাখুন যেন বুক নিতম্বের তুলনায় নিচে থাকে। ধীরে ধীরে নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন ও মুখের মাধ্যমে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময়কাল শ্বাসগ্রহণের দ্বিগুণ হবে, যাকে ১:২ ব্রিদিং বলে। কয়েক মিনিট চালিয়ে যান।
পদ্ধতি ২ মাথাকে একটি বাহু বা বালিশের ওপর রেখে এক কাতে শুতে হবে। নিতম্বের নিচে বালিশ রাখুন। ১:২ ব্রিদিং প্যাটার্ন চর্চা করুন। কয়েক মিনিট অব্যাহত রেখে অন্য কাতে রিপিট করুন।
পদ্ধতি ৩ মেঝের ওপর বালিশের একটি স্ট্যাক রাখুন। এবার পেটকে বালিশগুলোর ওপর রেখে শুতে হবে। এ সময় বুক নিতম্বের তুলনায় নিচে থাকবে। মাথাকে সাপোর্ট দিতে দুই বাহু ভাঁজ করে কপালের নিচে রাখুন। কয়েক মিনিট ধরে ১:২ ব্রিদিং প্যাটার্ন চর্চা করুন।


কীভাবে বুঝবেন করোনা নাকি ইনফ্লুয়েঞ্জা?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনার আতঙ্কের মধ্যেই আজকাল অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। আর জ্বর হলেই সবাই ধরেই নিচ্ছে করোনা হয়েছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর মানেই করোনা নয়, হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সাধারণ জ্বরও।
মাঝে মাঝে তীব্র গরম, আবার সন্ধ্যার পরে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, কখনো বৃষ্টি সব মিলিয়ে যেহেতু এটি ঋতু পরিবর্তনের সময , এজন্য ইনফ্লুযে ঞ্জা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারেন অনেকেই।
চিকিৎসকদের মতে, সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভাববেন না যে, কোভিড-১৯ ই হযে ছে। সাধারণ জ্বর বা ইনফ্লুযে ঞ্জার উপসর্গের সঙ্গে করোনার উপসর্গ প্রায এক হলেও, খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যের মাধ্যমে এদের আলাদা করা সম্ভব।
জেনে নিন, করোনা এবং ইনফ্লুযে ঞ্জার পার্থক্যগুলো:
ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ
হালকা জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয। জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন থাকে এর পরে কমে আসে।
সামান্য সর্দি-কাশি থাকতে পারে। সারা গায়ে ব্যাথা ও মাথার যন্ত্রণা হয়।
যে সময়ের রোদে ভিটামিন ‘ডি’ সবচেয়ে বেশি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যখন আমরা সূর্যের আলোতে যাই তখন আমাদের ত্বকের কোলেস্টরেল থেকে এটি তৈরি হয়। যদি ভিটামিন ডি এর পরিপূরক গ্রহণ না করা হয় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
আবার খুব বেশি সময় সূর্যের আলোতে থাকলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। এজন্য সূর্যের আলো কখন গ্রহণ ও কতটুকু গ্রহণ করা উচিত সে বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই কোন সময়ের রোদে ভিটামিন ডি বেশি থাকে।
সর্বাধিক ভিটামিন ডি পেতে নিজেকে সূর্যের আলোতে রাখার সবচেয়ে সেরা সময় হলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা। এই সময়ে ইউভিবি রশ্মিগুলি তীব্র হয় এবং সূর্যের আলো আরও বেশি ভিটামিন ডি তৈরি করতে সক্ষম।
এছাড়া এই সময়ের সূর্যের আলো অন্য সময়ের চেয়ে নিরাপদ। কারণ বলা হয়ে থাকে যে, কিছু সময়ের সূর্যের আলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
হালকা রঙয়ের ত্বকের জন্য ১৫ মিনিট রোদে থাকলেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া গাঢ় রঙয়ের ত্বকের জন্য এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় রোদে থাকা লাগতে পারে।
যদিও সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর একটি দুর্দান্ত উৎস, তবুও খুব বেশি রোদ আপনার ত্বকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।


সব ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে শুধুই গরম পানি!  


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ভয়াল থাবা বসিয়েছে মহামারি করোনা। এই করোনা থেকে দূরে থাকতে কত কিছুই না করছি আমরা। নেওয়া হয়েছে হাজারো ব্যবস্থা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাইরে না যাওয়া, বারবার হাত পরিষ্কার করা, মাস্ক ব্যবহারের মতো অনেক অভ্যাস তৈরি করে নিচ্ছি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী।
এরপরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর আরও কিছু পন্থা বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মান প্রবাসী জাহিদ আল আমীন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক তাকে ঘরে থেকেই কিছু ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত গরম পানির ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর ফলে মাত্র কয়েক দিনেই তিনি করোনামুক্ত হন। সব সময় করোনার আতঙ্কে না থেকে সর্দি-কাশি বা হালকা জ্বর হলে ঘরেই কীভাবে প্রতিকার পেতে পারেন জেনে নিন:
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদার আর মধুর চা পান করুন।

 

রক্তের ভাসমান চর্বি থেকে হার্টের সমস্যা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ে কথা হলেই সবাই প্রথমে মাথায় আনেন ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল অথবা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল। তবে যুক্তরাষ্টের হিউস্টনের বেলর কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড: পিটার এইচ জোনস এমডি এর অভিমত: হার্ট ভালো রাখতে হলে রক্তের ট্রাইগিসারাইড অবশ্যই ১৫০ অথবা এর নীচে রাখা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে রক্তের এই ভাসমান চর্বি হার্টের রক্তনালীতে জমা হয়ে হার্টের সমস্যা করতে পারে। এমনকি অনেক বিশেষজ্ঞও মনে করেন ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল ঠিক থাকা এবং খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল কম থাকলেই চলে। হার্ট ডিজিজ ও ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে রক্তে ভাসমান চর্বি হিসাবে পরিচিত ট্রাইগিসারাইড বেশী ঝুঁকির্পূণ। তাই রক্তের ট্রাইগিসারাইড ১৫০ মাত্রার নীচে নামিয়ে রাখতে হবে। কোন প্রকার ওষুধ ছাড়াই রক্তের এই ক্ষতিকর ট্রাইগিসারাইড ৩০ থেকে ৫০ শতাংশে হ্রাস করতে পারেন। আর এটা সম্ভব যদি আপনি আপনার খাবারের তালিকা থেকে স্যাসুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি যেমন: গরুর মাংস, লালমাংস, মাখন, নারিকেল তেল, সয়াবিন তেল, কালো চকলেট, ডিম, চিপস ইত্যাদি বাদ দেন অথবা এ ধরণের চর্বি খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেন। পাশাপাশি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে পারেন। এতে আপনার হ্নদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ ভাগ কমে যাবে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করলেও রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

 

গর্ভাবস্থায় খাবার নিয়ে কুসংস্কার


মানবাধিকার হেলথ রিপোর্টঃ
দীর্ঘদিন ধরে মেয়েলি রোগ নিয়ে কাজ করছি। প্রতিদিনই রোগী দেখতে হয়। কত শিশুর প্রথম কান্নার আওয়াজ শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিদিন রোগী দেখতে গিয়ে একটি উপলব্ধি হয়েছে, গর্ভাবস্থায় মেয়েরা কুসংস্কারের কারণে নিজের জীবনে চরম সর্বনাশ ডেকে আনে। অনেক শিক্ষিত মেয়েকেও দেখেছি কুসংস্কারের কাছে হার মানতে। মা-দাদি-নানি, শাশুড়িরা এ ধরনের কুসংস্কার মেনে চলতে গর্ভবতীদের বাধ্য করেন। এ সময় তারা খাবার নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। মনে করা হয় গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে খেলে ও পুষ্টিকর খাবার খেলে সন্তান বেশি বড় হবে। ফলে নরমাল ডেলিভারি হবে না। সন্তান প্রসবের পর কোনো কোনো এলাকায় মাকে শুধু শুকনো খাবার অল্প পরিমাণে দেওয়া হয়। কোথাও শুধু ঘি-ভাত বা কালিজিরা-ভাত দেওয়া হয়। অনেকে মনে করেন সবজি, মাছ-মাংস খেলে বাচ্চার পেট কামড়াবে।
পানি কম খেতেও বাধ্য করা হয়। মনে করা হয় পানি ও তরল খাবার বেশি খেলে শরীরের রস টানবে না।
গর্ভাবস্থায় শিশু মায়ের কাছ থেকে পুষ্টি নেয়। এ সময় মায়ের চাহিদা বাড়ে। মাকে যদি বেশি পরিমাণে না খাওয়ানো হয়, তাহলে মা ও শিশু দু’জনেরই পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। এতে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি কম হবে, ওজন কম হবে। ওজন খুব কম হলে শিশু মারাও যেতে পারে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক কি ধর্ষণ?

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দেশে রীতিমতো ধর্ষণের মহামারি চলছে। বাদ-প্রতিবাদ, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি কোনো কিছুতেই থামছে না এই মহামারি। তবে এর মধ্যে একটি পুরনো বিষয় নিয়েও নতুন করে নানা আলোচনা চলছে। বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কি কি ধর্ষণ?
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯(১)-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোন পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত [ষোল বছরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করে, অথবা [ষোল বছরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলে গণ্য হবেন’’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ ব্যাপারে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ধর্ষণে যে জোরপূর্বক বা বলপ্রয়োগের বিষয় থাকে তা এখানে অনুপস্থিতপ্রেমের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যখন শারীরিক সম্পর্ক হয় তখন সেটা ধর্ষণ নয়। কিন্তু পরে যখন বিয়ের প্রতিশ্র“তি রক্ষা করা হয় না তখন ধর্ষণ মামলা করা হয়। আমার বিচেনায় এটা প্রতারণাআমার মনে হয় আইনে এটার ব্যাখ্যা এবং আলাদা শাস্তির বিধান থাকা উচিত।’’ তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় আদালতের রায়েও এটা পরিস্কার করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলন হলে সেটা ধর্ষণ হবে না। আমাদের এখানেও আশা করি কোনো মামলায় আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বা আইনের সংশোধন হবে।’’
একজন মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘‘প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলনের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি বড় ধরনের প্রতারণা।তবে আমার বিবেচনায় এটা ধর্ষণ নয়।বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে এই ধরনের প্রতারণার বিচার ও শাস্তির বিধান আছে।কিন্তু যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এটা ধর্ষণ তাই দণ্ডবিধির ওই ধারায় কেউ মামলা করেন না। সরাসরি ধর্ষণ মামলা করেন।’’ দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এই আইনটি মামলা দায়ের বা চার্জশিটের সময় বিবেচনা করা যায়।

 

এখন থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, তা ১২ অক্টোবর ২০২০ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা আজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হলো।
এর আগে গতকাল সোমবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া এই আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত ৮ দিন ধরে।
এসব কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার আইন পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে।
 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.