           
 
|
Cover
May 2020
English Part May 2020
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
করোনা ঝুঁকি নিয়ে যারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত
করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে চিকিৎসক, নার্স, সেনা, পুলিশসহ যারা কাজে নিয়োজিত
আছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কিন্তু যারা পালিয়ে আছেন, তারা এই প্রণোদনা
পাবেন না। দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম
ও সিলেট বিভাগের ১৫ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং
জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৭ এপ্রিল ২০২০ সকালে শুরু হওয়া ওই কনফারেন্সে তিনি
বলেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে
হানা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যারা জীবন বাজি রেখে কাজে
নিয়োজিত, তাদের তিনি পুরস্কৃত করতে চান জানিয়ে তাদের
তালিকা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাদের তিনি সম্মানী দিতে চান। তারা বিশেষ
ইনস্যুরেন্স পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে কেউ আক্রান্ত হলে
তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার নেবে। পদমর্যাদা
অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা করা হবে।
‘প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই বীমা পাঁচ গুণ বাড়ানো হবে। যারা
করোনার সময় কাজ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, এই
প্রণোদনা তাদের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যারা পালিয়ে আছেন, তারা এই
প্রণোদনা পাবেন না। ভবিষ্যতে তারা ডাক্তারি করতে
পারবেন কিনা, সে চিন্তাও করতে হবে। কেউ যদি এখন কাজে
আসতে চান, তবে তিন মাস তার কাজ দেখে তাদের কথা চিন্তা
করা হবে। কাউকে শর্ত দিয়ে কাজে আনবেন না তিনি।
বিনা চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের
মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোগী কেন
ফেরত যাবে? রোগী দ্বারে দ্বারে ঘুরে কেন মারা যাবে?
রোগী কোথায় কোথায় গেছে, সেসব ডাক্তারের নাম জানতে চাই।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে যারা আছেন, করোনা
পরিস্থিতির কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য
রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এনআইডি
কার্ডের মাধ্যমে তারা রেশন কার্ড করতে পারবেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
এপ্রিল ২০২০ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১২৫
জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে।
জরিপে এপ্রিল ২০২০ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড
সংঘটিত হয় ১২৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এপ্রিল ২০২০ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৪টিরও
বেশি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
১২৫ জন।
এর মধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১৯ জন, সামাজিক
সহিংসতায় হত্যা ৩৩ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা
১৮ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ১৪ জন, অপহরণ হত্যা ২
জন, গুপ্ত হত্যা ২ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৭ জন। বিভিন্ন
দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪০ জন,
আত্মহত্যা ১৭ জন।
এপ্রিল ২০২০ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১৫ জন, যৌন নির্যাতন ৭ জন, যৌতুক
নির্যাতন ৩ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
করোনাকালে সাধারণ
রোগীদের ২৪ ঘন্টা এ্যামুলেন্স সার্ভিস BHRC’র
মানবাধিকার রিপোর্ট’
‘মানবতার ডাকে সাড়া, দিন রাত ২৪ ঘণ্টা’ এ স্লোগান নিয়ে
উদ্বোধনের কয়েক ঘন্টার মাথায় মানবতার কাজে দৃষ্টান্ত
স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর
চট্টগ্রামের কর্মীরা। গভীর রাতে সংকটপূর্ণ অবস্থায়
যানবাহন ও জনমানববিহীন নগরীতে মাত্র ৪ দিনের এক অসুস্থ
নবজাতককে হাসপাতালে পৌছে দিয়ে সেবার নজির স্থাপন করেছে
সংস্থাটি।
গত ২০ এপ্রিল ২০২০ দিবাগত রাত ৩টায় নগরীর পাহাড়তলী বারো
কোয়াটার (আবুল বিডি ফ্যাক্টরী গলি) থেকে ৪ দিনের এই
শিশুকে আগ্রাবাদস্থ মা ও শিশু হাসপাতালে পৌছে দেয়
মানবাধিকারে ফি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
শিশুটির বাবা এস এম কায়সার হামিদ ভোরে পাঠক ডট নিউজকে
বলেন, আমার ৪ দিনের নবজাতক সন্তান রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে
হাসপাতালে নেয়ার জন্য কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। তাই
মানবাধিকার কমিশনের গাড়ি উদ্বোধনে বিষয়টি ফেসবুকে
জেনেছিলাম। তাদের নম্বরে ফোন দেয়ার পর পরই গাড়ি চলে আসে।
আমি ভাবতে পারিনি তারা এতো দ্রুত সাড়া দেবে। আমি
আন্তরিক কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি তাদের প্রতি। সময় মত
অ্যাম্বলেন্স পাওয়ায় আমার শিশুকে হাসপাতালে নিতে পেরেছি।
আমার সন্তান এখন কিছু সুস্থ্য।
করোনাকালে নগরের সাধারণ রোগীদের বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা
অ্যাম্বুল্যান্স সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা।
চারটি মোবাইল ফোন নাম্বারে (০১৬১৭ ৪৪৫৫৪৪, ০১৭১৮
২১৮৪১৫, ০১৭১২ ৮২৩৭২১ ও ০১৫১৯ ৭০২০২০) কল দিলে রোগীর
বাসায় হাজির হবে অ্যাম্বুল্যান্স।
২০ এপ্রিল দুপুরে ‘মানবতার ডাকে সাড়া, দিন রাত ২৪ ঘণ্টা’
স্লোগানের এ সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি
করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম
আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ও সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল
হক বাবু, ডেপুটি গভর্নর মশিউল আলম স্বপন, সংগঠনের
সহ-সভাপতি মহসিন ভুইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ,
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দীপক বড়ুয়া ও মশিউর রহমান
ইমরান।
আমিনুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, লকডাউন পিরিয়ডে
যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে এবং করোনা আতঙ্কে সাধারণ
রোগীরা চিকিৎসাসেবায় কোন এম্বুলেন্স বা যানবাহন
ব্যবহারের সুযোগ না থাকার কারণে মানুষের কষ্ট লাঘবে এ
উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মোবাইল
নাম্বারে ফোন করে চট্টগ্রাম সিটির যেকোনো মুমূর্ষু রোগী
এ সেবা নিতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে আগ্রহ
থাকলেও করোনা সাসপেক্ট অথবা করোনা রোগী পরিবহন করতে
পারবে না এ অ্যাম্বুলেন্স। কারণ করোনা রোগী পরিবহনে
বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন। একটি মাত্র ফোন কল, আপনার
সেবা দিতে প্রস্তত মানবাধিকার কমিশন এর নেতৃবৃন্দ।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের শুরু থেকে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার
পক্ষ থেকে ৫ হাজার মাস্ক এবং ২ হাজার স্যানিটাইজার
বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে একটানা ১০ দিন নগরের
বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে স্টেশন রোডে ছিন্নমূল,
মাঝিরঘাটে শ্রমিক, কদমতলীতে বস্তি এলাকা, ইপিজেডে
শ্রমিক এলাকা, আকবর শাহ সহ বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক ৩০০
লোকের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
আমরা বিশ্বাস করি সরকারের বড় উদ্যোগের পাশাপাশি সবার
ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করোনাকালে মানুষের উপকার করবে।
তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে।
কুতুবদিয়া ইউএনও’র
তহবিলে ত্রাণ দিল উপজেলা মানবাধিকার কমিশন
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে কর্মহীন হয়ে মানবেতর
জীবণ-যাপন করছে দ্বীপের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। দ্বীপের
এসব কর্মহীন পরিবারে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন সাধ্যমত
ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিদিন। গঠন করা হয়েছে ইউএনও’র
ত্রাণ তহবিল।
এই তহবিল গঠনে প্রতিদিন এগিয়ে আসছে বিত্তবান ব্যক্তি,
সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল
২০২০ সকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, কুতুবদিয়া
উপজেলা শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (মুকুল) এর
পক্ষে ইউএনও’র ত্রাণ তহবিলে ২৫২ প্যাকেট ত্রাণ
হস্তান্তর করেছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এসব ত্রাণ গ্রহণ
করেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ
জিয়াউল হক মীর ও এসিল্যান্ড মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি আসাদ উল্লাহ
খাঁন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও মোঃ সিরাজ,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মোঃ ওসমান, সাংগঠনিক
সম্পাদক রুহুল আমিন, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ
কবির, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন সভাপতি আবু আ াছ (ইশতিয়াক),
উপজেলা সদস্য আবদুল আলিম কালু, মোঃ শাকিল, আবদু রহিম ও
লেয়াকত আলী প্রমূখ।
তারাও মানুষ; ঝুঁকি ও
আতঙ্কে ফিরছে যারা
আমিনুল হক বাবু
গার্মেন্টসের রেমিট্যান্স সৈনিকরা যেন মানুষ নয়!
টেলিফোন করে তাদের ডেকে আনা হয়েছে, চাকরি বাঁচানোর
জন্য তারা অমানুষিক কষ্ট করে যে যেভাবে পারে
চাকরিস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ডিজিটাল যুগে তারা
কর্মস্থলে আসছে পায়ে হেঁটে। কি অমানবিক! চাকরিতে
যোগদানের নির্দেশদাতারা এটা ভাবেনি, যে গণপরিবহন
বন্ধের এ সময়ে তারা কি ভাবে আসবেন! একদিকে চলছে অঘোষিত
লকডাউন, মানুষ কে বলা হচ্ছে ‘বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন’,
অন্যদিকে লাখ লাখ শ্রমিক যখন কাজ শুরু করবেন, তাদের
সাথে সহযোগী আরো অনেক কিছু সচল হয়ে যাবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত টা কি সাংঘর্ষিক নয়?
ধরে নিলাম সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং বিদেশে
এই মুহূর্তে পিপিই, মাস্ক সহ জরুরী পণ্য রপ্তানির
সুযোগটা নিতে চায়। সে রকম হলে আমরা মনে করি প্রয়োজনীয়
এবং সক্ষম কিছু গার্মেন্টস খোলা রাখা যেতে পারে, তবে
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের যাতায়াত সহ সার্বিক
সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। তবে সব চাইতে
ভালো হতো যদি ১৪ তারিখের পরে এগুলো সচল করা হতো। কারণ
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ১০ দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত
ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপদ থাকতে হলে আপাতত জরুরী
জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখাই হবে আমাদের
জন্য নিরাপদ।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে লাখ লাখ এসব গার্মেন্টস
যোদ্ধাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজনেরও যদি করোনা ভাইরাসের
সংক্রমন ঘটে তবে ব্যাপারটা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনে এ
বিষয়গুলো বিবেচনা করে নিশ্চয় আশাপ্রদ কোন সিদ্ধান্ত
নেবেন। মনে রাখতে হবে, মানুষ বাঁচলে বাঁচবে দেশ।
লেখক : সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন।
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের BHRC সদর দপ্তর
পরিদর্শন এবং বৈঠকে অংশগ্রহণে

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের এশিয়া এবং প্যাসিফিক রিজিয়নের সিনিয়র
এডভাইজার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্বরত জাতিসংঘ
প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. জাহিদ হক এর নেতৃত্বে
৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ৫ এপ্রিল ২০২০ বিকেলে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তর পরিদর্শন
করেন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যগণ হচ্ছেন
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড স্পোর্ট এলাইন্স এর চীফ কো-অর্ডিনেটর
মেজর (অবঃ) রশিদ সিদ্দিক এবং জাতিসংঘের সহযোগী
কর্মকর্তা প্রফেসর ড. নাঈমা খানম।
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল BHRC’র সদর দপ্তরে পৌছলে BHRC’র
সেক্রেটারী জেনারেল ড, সাইফুল ইসলাম দিলদার এর নেতৃত্বে
মানবাধিকার কর্মকর্তাগণ তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
BHRC’র কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর
আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর সোহেল আহমেদ মৃধা,
ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, ডেপুটি গভর্নর
সৈয়দ আজমুল হক, সহকারী পরিচালক লিগ্যাল এইড এডভোকেট
ফারাহ দিবা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি মোঃ
আরিফুল ইসলাম রাজিব, ক্রীড়া সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজ,
ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সহ-সভাপতি মোঃ মতলব সর্দার, ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ শাখার যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল হক
লিংকন, মোঃ আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোঃ রুহুল
আমিন প্রমুখ।
BHRC’র সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিগণ
BHRC’র কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং
করোনাভাইরাসের ন্যায় প্রাণঘাতি মহামারী প্রতিরোধে
মানবাধিকার কর্মীদের মহৎ কার্যক্রমে অভিভুত হন।
জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সারা
বাংলাদেশে মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একযোগে কাজ
করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুপস্থিতিতে
চাকরি যাবে না শ্রমিকের
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)
সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, করোনা মহামারীর এ সংকটকালে
যদি কোনো পোশাক শ্রমিক কারখানায় আসতে না পারেন, তাহলে
তার চাকরি যাবে না। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেছেন,
যাদের কাজ আছে তারা কারখানা চালাবে। তবে শ্রমিকদের
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চালাতে হবে। সরকারের
পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছিল, আর আমরা
গার্মেন্টস বন্ধ করেছিলাম ২৬ মার্চ। আমাদের বেশিরভাগ
শ্রমিক কারখানার আশপাশেই থাকেন। এর পর যদি তারা বাড়িতে
চলে যান তার দায়িত্ব কে নেবে?
‘চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন
হাজারো পোশাক শ্রমিক। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে
কি-না’ জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিষয়টি আমরা
দেখছি। তবে এরা সবাই যে পোশাককর্মী তা নয়। আর এখন
বর্তমান পরিস্থিতি সবার বুঝতে হবে। তবে এতটুকু বলতে
পারি যারা বাড়ি থেকে আসতে পারবে না, তাদের চাকরি যাবে
না। তিনি গার্মেন্ট মালিকদের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা
বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
BHRC
পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার উদ্যেগে দুঃস্থদের
খাদ্যদ্রব্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিহত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তর এবং পুরাতন ঢাকা
আঞ্চলিক শাখার সহায়তায় ৫ এপ্রিল ২০২০ বিকেলে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এর পাশে প্রায় তিনশ দুঃস্থ ও কর্মহীন
মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড
স্যানিটাইজার, চাল, আলু এবং ডাল বিতরণ করা হয়। BHRC’র
সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার উপস্থিত
থেকে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিতরণ কার্যক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে BHRC’র সদর দপ্তর
ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হক, পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক
শাখার সভাপতি আনোয়ার রাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার
যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল হক লিংকন, মোঃ আনিসুর
রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজ, পুরাতন ঢাকা
আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক ফারুক,
নির্বাহী সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি
সাইদুর ইসলাম, সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক
সম্পাদক মামনুর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব
মোল্লা, নির্বাহী সদস্য শহীদুর ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক
সাদ্দাম হোসেন সহ মানবাধিকার কর্মীগণ বিতরণ অনুষ্ঠানে
যোগ দেন।
র্যাবের নতুন ডিজি চৌধুরী মামুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
র্যাবের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ
করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ
দুপুরে তিনি র্যাবের ৮ম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার
গ্রহণ করেছেন। ড. বেনজীর আহমেদ পদন্নোতি ও আইজিপি
হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তারই স্থলাভিষিক্ত হলেন মামুন। এর
আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৮৯ সালে বিসিএস পুলিশ
ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে যোগদান
করেন। গত বছরের মে মাসে অতিরিক্ত আইজিপি হন। তিনি
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে
দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর
সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ সার্কেল এএসপি,
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, ডিএমপির সহকারী
কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার চাঁদপুর এবং এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পুলিশ সুপার (এসপি)
নীলফামারী, ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও পুলিশ সদর
দপ্তরের এআইজি (সংস্থাপন এবং গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে তিনি ময়মনসিংহ ও ঢাকা
রেঞ্জ এবং একাধিকবার পুলিশ সদর দপ্তরের বিভিন
গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছন।
তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বসনিয়া-হার্জগাভিনিয়া,
লাইবেরিয়া এবং সুদানের দারফুর নিয়াজিত থেকে বিশ্ব
শান্তিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চৌধুরী
আবদুল্লাহ আল-মামুন বাংলাদশ পুলিশ একাডমি (সারদা) থেকে
মৌলিক প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন
ট্রেনিং সেন্টার (সাভার) থেকে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণসহ,
উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ
করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রামশীল এবং থাইল্যান্ড
যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ
করেন।
বরিশালে BHRC’র খাদ্যদ্রব্য বিতরণ অব্যাহত্ম্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা
শাখার আয়োজনে কাশীপুর বাজারসহ নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহ বন্দি দুঃস্থ ও শ্রমজীবী
মানুষের মাঝে চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি
বিতরণ করা হয়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা শাখার সভাপতি জনাব মুকূল চন্দ্র
মূখার্জীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ
হোসাইন (মামুন) এর সঞ্চালনায় আয়োজিত দুঃস্থ ও
শ্রমজীবীদের মাঝে খাদ্য বিতরন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি
হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
বরিশালের বিভাগীয় গভর্নর এবং বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি
জনাব মাহমুদুল হক খান মামুন, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন
ডেপুটি গভর্নর এবং বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি জনাব আবু
মাসুম ফয়সল ও বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক
জাহাঙ্গীর হাওলাদার মিন্টু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর
উপজেলা সভাপতি শামীম হোসেন, বরিশাল মহানগরের সম্মানিত
সহ সভাপতি শেখ রিয়াজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম
নাঈম ঢালি, বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা শাখার উপদেষ্টা
মেজবাহুল বারী, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মাসুদুর রহমান,
প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পারভেজ
সরদার সহ শাখার অনান্য নেতৃবৃন্দ।
৫-১০ লাখ টাকার বীমা সুবিধা পাবেন করোনা আক্রান্ত
ব্যাংককর্মীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংকিং কার্যক্রম
চালু রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ব্যাংকাররা। নিজের জীবন
এবং পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখে দায়িত্ব পালনের
স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা এবং বিশেষ
অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ
ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে
এ সংক্রান্ত একটি সার্কলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও
যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়মিত দায়িত্ব পালন
করছেন তাদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে
পদমর্যাদার ভিত্তিতে তাদেরকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার
স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে সেই অর্থ
পরিশোধ করবে ব্যাংক। পাশাপাশি তার সার্বিক চিকিৎসার
ব্যয় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে।
সাধারণ ছুটির সময় দায়িত্ব পালনের কারণে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হওয়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো ব্যাংক
কর্মকর্তা কর্মচারীর মৃত্যু ঘটলে বিশেষ স্বাস্থ্য
বীমার জন্য নির্ধারিত অংকের পাঁচগুণ বিশেষ অনুদান
হিসেবে তার পরিবারকে প্রদান করতে হবে।
এক্ষেত্রে ব্যাংক তার অন্য কোনো দায়-দেনার সাথে বিশেষ
অনুদান সমন্বয় করতে পারবে না। এ ছাড়াও ব্যাংকের
বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা
যথানিয়মে প্রদান করতে হবে।
সাধারণ ছুটি কালীন সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
যাতায়াতের সময় কিংবা দায়িত্ব পালনের সময় অন্য যেকোনো
দুর্ঘটনার শিকার হলে তার চিকিৎসা প্রকৃত ব্যয় বহন করবে
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
এই নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তারিখ থেকে
কার্যকর হবে এবং সাধারণ ছুটির শেষ হওয়ার পরবর্তী এক
মাস পর্যন্ত কভিড ১৯ দ্বারা আক্রান্তদের বিশেষ
স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর থাকবে।
করোনা গোপনে শরীরে ঢুকে গোপনে
বেরিয়েও যায়?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের আক্রমণকে প্রতিহত করা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে
একের পর এক গবেষণা চলছে। গবেষণায় যে তথ্য আসছে, তা
রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
থেকে এলো করোনাভাইরাস নিয়ে এক নয়া তথ্য।
মার্কিন এক গবেষণা বলছে, করোনার উপসর্গ অনেকের মধ্যে
দেখা দিচ্ছে না। ফলে ধরাও যাচ্ছে না যে কার করোনা রয়েছে।
এদিকে, তাদের দেহে করোনা দানা যেমন বাঁধছে, তেমনই আবার
গোপনে বেরিয়েও যাচ্ছে বলে দাবি গবেষণাপত্রের। ফলে
বিশ্বে কতোজনের দেহে এমন করোনা লুকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে
দ্বন্দ্ব রয়েছে।
করোনা টেস্টিংয়ে ধরা পড়ছে। মার্কিন গবেষণা পত্রটি বলছে,
টেস্টিং যাদের হয়নি অথচ উপসর্গবিহীন এমন করোনা হয়ে
রয়েছে, সেই ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্বেগ বেশি। আর করোনার এই
গোপন রূপটি অনেক বেশি ভয়াবহ। আরো এক নতুন গবেষণা বলছে,
করোনা রোগীদের রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই শরীরে
দানা বাঁধছে ভাইরাস। শুধু তাই নয়, করোনা রোগীদের থেকে
এই সময়ই আবার ছড়িয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ কিছু টের
পাওয়ার আগেই করোনা বাসা বাঁধছে শরীর জুড়ে।
মার্কিন গবেষণাপত্রটি বলছে, মানবদেহের নাক ও গলার থেকে
সোয়াব নিয়ে করোনার টেস্টিং হচ্ছে। সেই ব্যক্তি প্রথম
দিন নেগেগিভ এলেও পরের দিন পজিটিভ আসছে। তার কারণ করোনা
টেস্টিং এর দিন নাক বা গলার সোয়াবে সেভাবে থাবা বসাতে
নাও পারে। পরের দিন তা বসাতে পেরেছিল। ফলে বিভ্রান্তি
থেকেই যাচ্ছে। তবে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যে টেস্টিং
হচ্ছে তা সঠিক ফলাফল দিতে পারে করোনার ক্ষেত্রে। এমনই
দাবি গবেষকদের।
নতুন আইজিপি হলেন
বেনজীর আহমেদ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন
বেনজীর আহমেদ। তাকে পুলিশের শীর্ষ এ পদে নিয়োগ দিয়ে
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে
আদেশ জারি করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ দেশের ৩০তম আইজিপি। বর্তমান আইজিপি
মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর মেয়াদ আগামী ১৩ এপ্রিল শেষ
হচ্ছে। জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হলেন বেনজীর।
র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন।
বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলায়
জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি
সাহিত্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে
সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে
সহকারী কমিশনার হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন।
মানবতার দৃষ্টান্ত
সুইডেনের রাজকুমারীর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সুইডেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২ হাজার ৫৪০ জন।
দেশটিতে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৩৩৩ জনের। আক্রান্ত
রোগীদের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ছুটে
গেছেন সে দেশের রাজকন্যা সোফিয়া। আইসিইউতে করোনা
রোগীদের সেবায় সহায়তা করার জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষণ
নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সোফিয়াহেলমেট হসপিটালে
করোনা রোগীদের সহায়তায় নিয়োজিত।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার জন্য
হাসপাতালে ছুটে গেছেন সে দেশের রাজকন্যা সোফিয়া। নিবিড়
পরিচর্যাকেন্দ্রে করোনা রোগীদের সেবায় সহায়তা করার
জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি
সোফিয়াহেমেট হসপিটালে করোনা রোগীদের সহায়তায় নিয়োজিত
আছেন। জানা গেছে, করোনা রোগীদের সরাসরি
চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জড়িত নন। হাসপাতালের
নার্স ও ডাক্তারদের সহায়তা করছেন তিনি। কারণ, ওই
হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
চিকিৎসাসেবাকর্মীদের সহায়তার জন্য সপ্তাহে অন্তত ৮০
জনকে প্রশিক্ষণ দেবেন তিনি; অনলাইনে নেওয়া প্রশিক্ষণ
তিনি অন্যদের দেবেন। তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে
অন্যরা ডাক্তার ও নার্সদের সহায়তা করবে।
রাজপরিবার থেকে জানানো হয়েছে, আমরা যে বিশাল সংকটের
মধ্যে পড়েছি তা থেকে উত্তরণে রাজকন্যা যুক্ত হয়ে
স্বাস্থ্যকর্মীদের লড়াইয়ে সহায়তা করতে চায়।
করোনাই পারে
বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে : বান কি মুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস মহামারী মানবজাতির জন্য এক নজিরবিহীন
চ্যালেঞ্জ। গত কয়েক দশকেও এমন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়নি
বিশ্ব। বিশ্ব এবং এর নেতাদের জন্যও এটা একটা বড় পরীক্ষা।
এ মহামারী ইতিমধ্যে দুঃখজনকভাবে বিশাল সংখ্যক মানুষের
প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আমাদের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক
প্রভাব ফেলেছে এবং একটা দীর্ঘমেয়াদি ও অকল্পনীয় আর্থিক
মন্দা সৃষ্টি করবে।
ঐতিহাসিক এ হুমকি মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হতে
হবে। কোনো কালক্ষেপণ না করে তাদের সংকীর্ণ মনোভাব ও
একপেশে জাতীয়তাবাদ দূরে ছুড়ে ফেলতে হবে।
ক্ষুদ্র স্বার্থ, স্বল্পমেয়াদি ও আত্মকেন্দ্রিক
চিন্তা-ভাবনা থেকে বের হয়ে সমগ্র মানবতার অভিন্ন
স্বার্থ রক্ষার জন্য একযোগে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজে
ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আমি দীর্ঘদিন জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছি। সংস্থার সাবেক প্রধান হিসেবে আমি জানি, কিভাবে
এ করোনা মহামারীর মতো বৈশ্বিক সংকট আমাদেরকে/পুরো
বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে।
জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা হিসেবেই আমি আমার
উত্তরসূরি মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের একটি মানবিক
উদ্যোগের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাচ্ছি। মহামারী
মোকাবেলায় অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার মানবিক ত্রাণ
সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন গুতেরেস।
আমার বিশ্বাস, এ সহায়তা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টেস্টিং
কিট তৈরি ও সরবরাহ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন
কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার আরও একটি আবেদন, জাতিসংঘের
নেতৃত্বে তারা যেন একটি বিশ্ব সরকার ব্যবস্থা গড়ে
তোলার ব্যাপারে এখনই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন। যাতে
ভবিষ্যতে যে কোনো মহামারী বা দুর্যোগ আগেভাগেই আরও
কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে।
আমাদের সবাইকে জাতিসংঘ সনদের শিক্ষা ও মূল্যবোধগুলো
আরও একবার পর্যালোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের
সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া সমাজ ও সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় জি-২০,
ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড তথা আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের মতো বহুমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর
সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
এটা খুবই আশার ব্যাপার যে, জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ
ও ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতি রক্ষায় ৫ লাখ কোটি ডলারের
প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন।
Top
চীন
ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস! বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি
জার্মানির
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমানে গোটা বিশ্ব কাঁপছে কভিড-১৯ বা
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে; বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।বহু
মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। শুধু তাই
নয়, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিকে ফের
‘মহা মন্দা’র দিকে ঠেলে দিয়েছে। মারণ ভাইরাসটির
উৎসস্থল চীন। এ কারণে চীনের উপর বেজায় খেপেছে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। এবার চীনের কাছে বিশাল অঙ্কের আর্থিক
ক্ষতিপূরণ দাবি করল জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যম।
জার্মানির প্রথমসারির পত্রিকা ‘বিল্ড'। সম্প্রতি
পত্রিকাটি চীনকে আক্রমণ করে সদ্য একটি প্রবন্ধ প্রকাশ
করেছে। পর্যটন, উৎপাদন শিল্প-সহ বিভিন্ন খাতে করোনার
জেরে হওয়া লোকসানের খতিয়ান তুলে ধরে চীনের বিরুদ্ধে
১৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে সেখানে।
কড়া ভাষায় বেজিংয়ের সমালোচনা করে ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে,
গোটা বিশ্বের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা সংক্রান্ত তথ্য
গোপন করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সঠিক সময়ে বেজিং সমস্ত
তথ্য প্রকাশ করলে এই মহামারিকে ঠেকানো যেত। এদিকে,
সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে
উগ্র জাতীয়তাবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বেজিং।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অচেনা জ্বরে আক্রান্ত
হন চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের বেশ
কয়েকজন বাসিন্দা। তারপরই প্রকাশ্যে আসে করোনাভাইরাসের
কথা। বাকিটা ইতিহাস।
Top
মানবাধিকার
কর্মীদের প্রতি BHRC সেক্রেটারী জেনারেলের আহ্বানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC এর পক্ষ থেকে আমি
সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার আপনাদের
পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
মহামারী করোনাভাইরাসের বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের অধিকাংশ
দেশের জনগণ প্রায় দেড়মাস যাবত হোম কোয়ারেন্টাইন বা
স্ব-স্ব গৃহে অবস্থান করে দিন অতিক্রম করছেন। ইতিমধ্যে
করোনা ভাইরাসে সারাবিশ্বে প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি
মানুষ প্রাণ ত্যাগ করেছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় অর্ধ কোটি নারী-পুরুষ ও শিশু।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জামালপুর জেলা শাখার
নির্বাহী সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন,
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হোসনে আরা
রেজাসহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আরও ৩ জন
মানবাধিকার কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ
ত্যাগ করেছে। BHRC’র পক্ষ থেকে মৃত মানবাধিকার
কর্মীদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
প্রিয় মানবাধিকার কর্মী ভাইবোনেরা, করোনাভাইরাসের কারণে
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপর মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিক
আঘাত পরিলক্ষিত হয়েছে। ইঐজঈ সহ বেশ কিছু বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে কিছু কিছু সহযোগিতা করছে,
যা খুবই অপ্রতুল। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্যোগে
আক্রান্ত মানুষের জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য
বরাদ্দ করলেও জনগণের হাতে দুর্নীতির কারণে ১০% এর বেশি
তা পৌছেনি। BHRC সরকারের বরাদ্দকৃত খাদ্যদ্রব্য সরাসরি
সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণের দাবি গোড়াতেই করে আসছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসে
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পক্ষে সহায়তার হাত প্রশস্ত করেছেন।
ইঐজঈ’র পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর
কর্মকান্ডের জন্য জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবিরাম কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করা
গেলেও মন্ত্রী পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য এবং বেশিরভাগ
সংসদ সদস্যকে দেশের এই মহাবিপর্যয়ের সময় জনগণের পাশে
দেখা যাচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পবিত্র রমজান শুরু
হওয়ার পর থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে আরও
একধাপ দিশেহারা করে তুলেছে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে
বা দোকানে মূল্য তালিকা টানানোর কথা ইঐজঈ বারবার দাবি
জানালেও বাস্তবে এর কোন কার্যক্রম এখনও হয়নি। BHRC
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণের
লক্ষ্যে মূল্য তালিকা প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে মানতে
বিক্রেতাদের বাধ্য করতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা
নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে।
পরিশেষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সারা
বাংলাদেশের এবং বহির্বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের
স্ব-স্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে করোনাভাইরাসকে প্রতিহত
করার কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। জয়
বাংলা।
দীর্ঘ সময়
ধরে থাকবে করোনা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসের তান্ডব
কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা বলা মুশকিল। সারা বিশ্বই এখন
অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। করোনা নিয়ে নানা তথ্য
প্রতিনিয়তই দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারাও
বলছে কবে নাগাদ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শেষ হবে তা বলা
যাবে না। বরং এই ভাইরাসটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে বলে
শঙ্কা সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম
ঘেব্রেইয়েসাসের। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কার্যালয়ে
একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, অধিকাংশ দেশ এই
মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে অবস্থান করছে। যেসব দেশ
প্রথম দিকে আক্রান্ত হয়েছে তারা আবার এর উত্থান দেখছে।
কোন ভুল করা যাবে না। আমাদের অনেক পথ যেতে হবে। আমাদের
সঙ্গে এটি অনেক সময় থাকবে। এ সময় আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ,
মধ্য অ্যামেরিকা এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকায় করোনা রোগের
প্রকোপ বাড়তে থাকার বিষয়ে সতর্কও করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস। পাশাপাশি
করোনাকালে বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাবধানতার সঙ্গে
চালু করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও এদিন বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউন
প্রত্যাহার করে নিলে সংক্রমণ আবারো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে
পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নভেল করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় চীনের উহান শহরে। তারপর
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। ভাইরাসটির
সংক্রমণে চীনেই মারা গেছেন সাড়ে চার হাজারেরও বেশি
মানুষ। তবে দেশটি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে আসে। এদিকে চীনের পর ইতালিতে তারপর সবচেয়ে বেশি
আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪৭ হাজার
৬৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে করোনা ভাইরাসে। অন্যদিকে
আক্রান্তের সংখ্যাও কম নয়। দেশটির প্রায় সাড়ে আট লাখ
মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে
ইতালি। দেশটিতেও মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার। এছাড়া
স্পেনে ২১ হাজার ৭১৭ ও ফ্রান্সে ২১ হাজার ৩৪০ জন মারা
গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জরিপ সংস্থা
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপি এখন পর্যন্ত
করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৩০ জন। এছাড়া
আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ জন।
নতুন দরিদ্র হবে সাড়ে তিন কোটি মানুষ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের কারণে দেশে
সাড়ে ৩ কোটি লোক নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।
মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর আয় কমে যাবে
প্রায় ২৫ শতাংশ। করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক সংকটে
বাংলাদেশের দারিদ্র্যের ওপর প্রভাব নিয়ে সাউথ এশিয়ান
নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর এক গবেষণায় এ
ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কভিড-১৯
এর কারণে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের
মধ্যে আছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও এই সংকট গভীরতর হচ্ছে।
সেখানে একটি প্রশ্ন আসে যে, এই সংকট আমাদের
দারিদ্র্যের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায়
সানেমের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর
সর্বশেষ গৃহস্থালি আয় ও ব্যায়জরিপ’ এর ডাটা ব্যবহার করে
এক ধরনের একটি প্রাক্কলন করেছি।
BHRC ফুলপুর
উপজেলা কমিটির পক্ষে হতদরিদ্রদের ত্রাণ বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফুলপুর
উপজেলা শাখার উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান
কাজের অংশ হিসেবে নিজেদের সদস্যদের অর্থায়নে অসহায় ও
হতদরিদ্রদের মাঝে আজ বিকাল ৩ টার সময় ফুলপুর সরকারি
কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণের সময় প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন
ফুলপুর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ জনাব ইমারত হোসেন
গাজী। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফুলপুর উপজেলা কমিটির
সম্মানিত সভাপতি জনাব আবদুল্লাহ, নির্বাহী সভাপতি জনাব
উজ্জ্বল হোসেন। সহ-সভাপতি জনাব কাজী ইমরান হোছাইন,
সাধারণ সম্পাদক সুলায়মান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক
মাসউদ হোসাইন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাকিব মিয়া, সমাজ
কল্যাণ বিষযয়ক সম্পাদক, আসাদুজ্জামানহাফিজুর রহমান,
দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হাসান সংস্কৃতি বিষযয়ক
সম্পাদক মো দ্বীন ইসলাম, ফাহাদ হোসেন। ত্রাণের বিবরণী
৫ কেজি চাউল, ১টি মিষ্টি কুমড়া, হাফ কেজি মুড়ির প্যাক,
চানাচুর ও ৪ পিছ ডিম।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব ইমারত হোসেন গাজী
বলেন, মানুষের এই দুর্দশার সময় আপনারা তাদের পাশে
দাড়ানো খুবই প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন সমাজের সবাই
এখন পরিস্থিতির শিকার যারা মধ্যবিত্ত রয়েছেন তারা
সম্মানের ভয়ে কারো নিকট চাইতে পারছেন না আপনাদের এই
কার্যক্রম কে আমি শ্রদ্ধা জানাই যারা নিতে এসেছে তাদের
উদ্দেশ্যে বলেন সকলে যেন ঘরে থাকে, সরকারি বিধি নিষেধ
মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন করোনা ভাইরাস
এর কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি, সকলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেন যাতে আল্লাহ তায়ালা
এই পৃথিবীর বুক থেকে যেন করোনা ভাইরাস কে দূর করে দেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফুলপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি
জনাব আবদুল্লাহ জানান, মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা
সর্বক্ষণ তাদের পাশে আছি আমরা সব সময় তাদের সেবা করে
যাব। তিনি বলেন যারা সরকারি ত্রাণ পায়নি যারা সত্যিকার
অর্থে ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য আমরা তাদের কে বেছে বেছে এবং
যারা মধ্যবিত্ত আছে তাদেরকে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী
কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ তারা সম্মানের ভয়ে কারো
কাছে কিছু চাইতে পারে না যার ফলে তারা না খেয়ে ঘরে পয়ে
আছে। তিনি আরো বলেন আমাদের কার্যক্রম যথারীতি চালু
থাকবে। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, আশাকরি সকলে
আমাদের পাশে থাকবেন।
মহামারিতে বিপদে গার্মেন্টসকর্মীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে একজন পোশাক শ্রমিক মাসে গড়ে ১১০ ডলার আয় করে।
বিজিএমইএর দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশে পোশাক শ্রমিকের
সংখ্যা প্রায় ৪১ লাখ। এরমধ্যে অনেকেই পরিবারের একমাত্র
আয়ের উৎস। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের সবাইকেই
দীর্ঘ ছুটি দেয়া হয়েছে কিংবা ছাটাই করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য থমকে আছে।
এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বিদেশি ক্রেতাদের এদেশের
গার্মেন্টসগুলোতে যে ক্রয়াদেশ ছিল তা ক্রমেই বাতিল
হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাতিল বা স্থগিত হয়েছে প্রায় ৩১৭ কোটি
ডলারের আদেশ।
এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও বড় ধাক্কা। রপ্তানির
৮০ ভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। বছরে এ খাত থেকে আয় হয় ৩০
বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশের জিডিপিতে এ খাতের
অবদান ১৬ শতাংশ।
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে শুধু এই গার্মেন্টসকর্মীরাই
অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে আছেন তা নয়। এই খাতের সঙ্গে
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত আরো অন্তত দেড় কোটি
মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে, খাদ্য বিক্রেতা, ট্রাক
ড্রাইভার ও বন্দরকর্মী। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু
মুন্সী তাই এই অবস্থাকে অনেক মানুষের জন্য ভয়াবহ বলে
আখ্যায়িত করেছেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কাউকে ছাটাই করতে হলে তাকে ২
মাসের বেতনের সমান অর্থ প্রদান করতে হবে। কিন্তু
করোনার প্রকোপের কারণে যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাদের
অনেকেই এই অর্থ পাননি। কেউ কেউ শুধু এক মাসের বেতনের
টাকা পেয়েছেন। তাদের বেতনও কম ছিল। তাই চাকরি
হারানোদের কোনো ধরণের সঞ্চয়ও নেই। এই মহামারিতে তাদের
জন্য খাবার যোগার করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, তারা একা একা সব
দায়িত্ব নিতে পারছেন না। পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির জরিপে
৩১৬ বাংলাদেশি গার্মেন্টসের অর্ধেকেরই বেশি জানিয়েছে
যে, তাদের অর্ডার যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে কিংবা অর্ধেক
হয়েছে সেসব অর্ডারের ক্রয়াদেশ বাতিল করা হচ্ছে। এসব
ক্রেতা কোম্পানিগুলো প্রায় সবই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা
ইউরোপের। মহামারির কারণে এসব দেশেও পোশাকের চাহিদা কমে
গেছে। কিন্তু ৯৮ শতাংশ ক্রেতাই বাংলাদেশি
গার্মেন্টসগুলোকে অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অথচ, তারা আইনত কাঁচামালের দাম পরিশোধে বাধ্য। ফলে
ক্ষতির মুখে পড়ছে গার্মেন্টসগুলো। বিনা নোটিশে বন্ধ হয়ে
যাচ্ছে এগুলো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে
প্রতারণা বন্ধ করার লক্ষ্যে মূল্য তালিকা বাধ্যতামূলক
করণের দাবি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC মহামারী করোনাভাইরাস
এবং পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সারাদেশের বাজারগুলোতে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য তালিকা জনসম্মুখে
প্রকাশ করা এবং দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার
বাধ্যতামূলক আইন করার জোর দাবি জানিয়েছে। মূল্য তালিকা
না থাকার প্রেক্ষিতে মোটা চাল, বিভিন্ন ধরনের ডাল,
ভোজ্য তেল, আদা, পেয়াজ, রসুন সহ বিভিন্ন মসলা জাতীয়
দ্রব্যাদি লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মাঝে
মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দোকানদারদের নিকট থেকে
তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করলেও এই তৎপরতা মূল্য
স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকায় আসছে না।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের
উপর সরকারের মূল্য তালিকা বাধ্যতামূলক থাকে, কিন্তু
দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের ন্যায় একটি জনবহুল দেশে
জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মূল্য তালিকা নেই।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর
নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তারা কিছু
কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার
অধিদপ্তরও এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কোন
মূল্য তালিকা নির্ধারণ করতে পারেনি। মূল্য তালিকা
অবশ্যই ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের নিকট থাকতে হবে।
মূল্য তালিকা না থাকার প্রেক্ষিতে বিক্রেতা দোকানদার
অথবা পাইকারি আড়ৎদারগণ যখন তখন দ্রব্যমূল্যের দাম
লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। আকস্মিকভাবে জরিমানা
আদায় করে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বাজার
ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। মূল্য তালিকা
প্রকাশ্যে থাকলে এবং তা অমান্য করলে শাস্তি প্রদান করা
হলেই বাজার ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। রাজধানী ঢাকা সহ
সকল সিটি কর্পোরেশনগুলোতে সিটি কর্পোরেশন এবং জাতীয়
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের
দায়িত্ব গ্রহণ আবশ্যক। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের
বাহিরের এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা
নির্বাহী অফিসারসহ সরকারের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা
বাজারগুলোতে অভিযান গতিশীল করলে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক
করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি
মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মূল্য তালিকা বাধ্যতামূলক
করার জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট জোর
দাবি জানাচ্ছে।
BHRC চন্দ্রঘোনা শাখা
করোনা যোদ্ধা পেট্রোল ডিউটিরত পুলিশ বাহিনী ও ভাসমান
ছিন্নমূল ক্ষুধার্থদের মাঝে খাবার বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাই উপজেলায় করোনা যোদ্ধা ও ভাসমান
ছিন্নমূল ক্ষুদার্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
চন্দ্রঘোনা শাখা। রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন
ইউনিয়নে স্থানীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দের
মাধ্যমে ২৬ জন পুলিশ ও ৬৪ জন ভাসমান ছিন্নমূল অসহায়দের
মাঝে দুপুরের খাবার সহায়তা বিতরণ করা হয়। এইসব খাদ্য
সামগ্রী বিতরণের সার্বিক সমন্বয় করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা
মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ কে এম মুছা, সাধারণ
সম্পাদক মাস্টার ইসকান্দর মিয়া তালুকদার, নির্বাহী
সভাপতি এডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, সহ সভাপতি হাজী মোঃ
ইদ্রিস সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ এস এম আবুল ফজল, সহ সভাপতি
এডভোকেট রেহেনা আক্তার বেগম, ও চন্দ্রঘোনা মানবাধিকার
সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, সহ সভাপতি দীপক দাশ, সহ
সভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ
মহি উদ্দিন বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম
তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ গিয়াস
উদ্দিন।
২৪ এপ্রিল সকাল ১১ টা হতে রাংগুনিয়া ও কাপ্তাই উপজেলার
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান হতে শুরু করে দোভাষী বাজার,মিশন
ঘাট, ফেরীঘাট, মহাজন বটতল, ছুপিপাড়া, মরিয়ম নগর চৌমুহনী,
কেপিএম কলাবাগান, রেশম বাগান, বড়ই ছড়ি, শিলছড়ি সীতার
ঘাট, কাপ্তাই নতুন বাজার, লগ গেইট, জেটিঘাট এলাকায়
ভাসমান ছিন্নমূল অসহায় ক্ষুদার্থদের মাঝে খাদ্য
বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা জনাব নাসির উদ্দীন মহোদয়, চন্দ্রঘোনা
মানবাধিকার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক, অর্থ
সম্পাদক মুহাম্মদ আহছান উল্লাহ, নির্বাহী সদস্য মিন্টু
রায় চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য মোঃ নেজাম উদ্দিন, নির্বাহী
সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নির্বাহী সদস্য রাশেদুল
ইসলাম সমাজ সেবক ইকাবাল হোসেন, মুহাম্মদ পারভেজ, ইউপি
সদস্য বাবু স্বরণ বড়ুয়া প্রমুখ।উপজেলা মানবাধিকার
কমিশনের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার ইসকান্দর মিয়া
তালুকদার ও চন্দ্রঘোনা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ
সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক এই মহতী কার্যক্রমে
সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা জনাব নাসির উদ্দীন মহোদয় ও গ্রীন মডেল স্কুল
চন্দ্রঘোনার পরিচালক মোঃ মহি উদ্দিন বাদশার নিকট খাবার
পরিবহন ও বিতরণ করার জন্য স্কুল বাস দিয়ে দ্রুত
পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করেছেন।
২০১৯ সালে
সৌদিআরবে মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়েছে
মৃত্যুদণ্ড দেয়া
শীর্ষ ৫ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ডের হার কমলেও ২০১৯ সালে ১৮৪ জনের
মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদিআরব। এদের মধ্যে অর্ধেকই বিদেশী
নাগরিক ও ৬ জন নারী। যা দেশটির ইতিহাসে কোনো এক বছরে
সর্বোচ্চ। বিবিসি, আল জাজিরা
অ্যামনেস্টির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ক্লার আলজার বলেন,
‘সৌদিআরব রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডকে
হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এটি উদ্বেগের।’
অ্যামনেস্টি জানায়, দেশটিতে শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের
মৃত্যুদণ্ডের হার বাড়ছে। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ৩২জন
শিয়াকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে
গণমৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৯ সালে বৈশ্বিক
মৃত্যুদণ্ডের হার প্রকাশ করে। ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে ৬৫৭
ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যা ২০১৮ সালের চেয়ে
৫ শতাংশ কম (৬৯০ জন)। মৃত্যুদণ্ডের হারে প্রথম স্থানে
আছে ইরান (২৫১)। এর পরই রয়েছে সৌদিআরব (১৮৪), ইরাক
(১০০) মিশর (৩২) যুক্তরাষ্ট্র (২২) ও পাকিস্তান (১৪)।
তবে এই সমীক্ষায় চীন, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও
ভিয়েতনামকে সংযুক্ত করা হয় নি। এই দেশগুলোতে কত
ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা
রাষ্ট্র কর্তৃক গোপনীয়। অ্যামনেস্টি বলছে চীনে এই
সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের পর এই
প্রথমবারের মতো এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে
মৃত্যুদণ্ডের হার কমেছে। ২০১০ সালের পর এই প্রথমবার
আফগানিস্তানে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় নি। এক বছরের
বিরতির পর বাহরাইন ও বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ড আরাম্ভ করেছে।
তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডে ২০১৯ সালে কোনো মৃত্যুদণ্ড দেয়া
হয়নি।
Top
মানবাধিকার ও ইসলাম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
“Hamidullah, Dr. Muhammd, The First Written
Contitution in the word, Lahore : Shah Muhamad
Ashraf, 1981, P.4”
বিদায় হজ্বের অমোঘ ভাষণ : বিদায় হজ্বে প্রদত্ত মহানবী
সা. এর ঐতিহাসিক ভাষণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে
একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত। কোন আন্দোলন কিংবা
সংগ্রামের মুখে নয়, কোন চাপের কাছে নত স্বীকার করে নেয়,
সম্পূর্ণ নবুওয়তী দায়িত্ব ও কর্তব্যের খাতিরে
স্বত:স্ফুর্তভাবে প্রদত্ত এই ভাষণে তিনি মানবাধিকার
বিষয়ে যে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখেন তা অবিস্মরণীয়। তিনি
বলেন, ‘আজকের এই দিন, এই মাস ও এই শহর তোমাদের নিকট
পবিত্র অনুরূপভাবে তোমাদের জীবন এবং সম্পদ ও পবিত্র’।
“Harun Abdus Salam (ed) Tahjib sirat Ibn- Hisham,
Kuwait : Dar-al Buhuth at Islamiyah, 1984, P, 325।
রাসূল সা. আরো বলেন, কারো নিকট কোন সম্পদ গচ্ছিত থাকলে
তা প্রকৃত মালিকের নিকট অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। জাহিলী
যুগের সমস্ত সুদ প্রথা রহিত করা হল, কিন্তু মূলধন ফেরত
পারবে।” “Ibid, P.326””। “সম্মতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত
অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা অবৈধ। “Ibid, P.327”।
“জাহিলী যুগের সকল রক্তের প্রতিশোধ রহিত করা হল”।
“Ibid, P.326””। ইচ্ছাকৃত হত্যার শাস্তি মৃত্যুদন্ড,
আর অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যার শাস্তি হল একশত উট রক্তপণ
আদায়। “Al-Jahiz-Amrinb Bahr, Kitab-Al-Bayat wal
Tabyyan, Beirut : Dar al Firkr, 1968, Vol-1, Purt-2,
53”। মহানবী সা. কর্তৃক মানুষের জীবন ও সম্পদের
নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি জাতিসংঘের The Universal
Declaration of Human Rights (1948) এর ৩, ৬ ও ১৭ নং
অনুচ্ছেদে এবং সংবিধানের ৩২, ৪২, ৪২ (১) নং অনুচ্ছেদেও
স্থান পেয়েছে।
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার সম্পর্কে মহানবী সা.
বলেন, “তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে।
আবার তোমাদের উপরও তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে।
তাদের উপর তোমাদের অধিকার হল তোমাদের বিছানায় তোমরা
ছাড়া অন্য কেউ যেন না যায় এবং তারা যেন কোন অশ্লীল কাজ
সম্পাদনা করে; তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে আল্লাহর
আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর নির্দেশে তোদের
সাথে দাম্পত্যের সম্পর্ক স্থান করে তাদেরকে নিজেদের
জন্য বৈধ করেছ। “Harun, Abdus Salam, Ibid, P.326”।
স্বামী-স্ত্রীর মানবাধিকার বিষয়টি জাতিসংঘের The
Universal Declaration of Human Rights এর ১৬নং
অনুচ্ছেদে এবং International Covenent of Civil and
Political Rights (ICCPR) এর ২৩নং অনুচ্ছেদ স্থান লাভ
করে।
মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের সীমারেখা নির্ধারণ করে
মহানবী সা. বলেন “এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। আর
মুসলিম জাতি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।
অতএব, পারস্পরিক সম্মতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত কোন
মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা বৈধ নয়”।
“Ibid, P.327”। মহাবী সা. আরো বলেন, “তোমাদের রব এক এবং
তোমাদের পিতা এক। সকলকে আদম থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে আর
আদম আ-কে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে।
“Al-Jahiz-Amrinb Bahr, kitab- Al-Bayan wal Tabyyan.
P. 16”। এভাবে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধকে অনেক ঊর্ধ্বে
স্থান দেয়া হয়েছে। Fyzee বলেন, ইসলামের ভ্রাতৃত্ববোধের
শিক্ষা কেবল প্রচার-প্রোপাগান্ডার মধ্যেই সীমিত নয়;
বাস্তব জীবনেও তা অনুসরণের তাগিত দেয়া হয়। বস্তুত
ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ইসলামের চিরন্তন সোনালী অধ্যায়ের এক
অবিচ্ছেদ্য অংগ। “Fyzee, Asalf, A.A., Out lines of
Mohammadan Law, London : Oxford University Press,
Introduction, P.13.”। জাতিসংঘের The Universal
Declaration of Human Rights--এর ১নং অনুচ্ছেদে
মানুষের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বসূলভ আচরণের ঘোষণা দেয়া
হয়েছে।
দূষণের শীর্ষে ঢাকার বায়ু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও সবচেয়ে
খারাপ অবস্থানে (শীর্ষে) উঠে এসেছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার
সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই)
ঢাকার স্কোর ছিল ২৮৭, যার অর্থ হচ্ছে এ শহরের বাতাসের
মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং এ অবস্থায় সবাই মারাত্মক
স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৯০ ও ১৮৮
একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা
জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু,
প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের
বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া
হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর
প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ
করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে
পারেন।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের
মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে
স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে
১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে
ধরে নেওয়া হয়।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম
খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা,
যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে
দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ু দূষণের
প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে
চিহ্নিত করা হয়েছে।
কুরআন ছুঁয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ
প্রধানের শপথ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে পুলিশ
প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। ইব্রাহিম
বেকুরা ১৭তম পুলিশ প্রধান হিসাবে কুরআন ছুঁয়ে শপথ নেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের পেটারসন
শহরের পুলিশ প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। শহরটির
মেডর আন্ড্রে সাইয়েগ বলেন, ইব্রাহিম আমেরিকার ইতিহাসে
প্রথম তুর্কি পুলিশ প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি পেটারসন
শহরের প্রথম মুসলিম পুলিশ প্রধান।
শপথ অনুষ্ঠানটি জাতীয সংগীত এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে
শুরু হয়। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সির তুর্কি
সম্প্রদায়ের সদস্য, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এবং
ইব্রাহিমের পরিবার ও আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ইব্রাহিম বেকুরা বলেন, ৩২ বছর ধরে আমেরিকায় আছি। এখানে
পুলিশ বিভাগে চাকরি করেছি। শিশুকাল থেকে পেটারসনে
বসবাস করে আসছি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পদে আসীন হওয়ার সময়
অনেক মুসলমান কুরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়েছেন।
রোহিঙ্গাদের পক্ষে
আদালতে আমাল ক্লুনি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার
জন্য সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ
করেছে মালদ্বীপ। তিনি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে
রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার চাইতে লড়বেন। মালদ্বীপ
সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার
সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে মালদ্বীপ। সূত্র :
রয়টার্স। আমাল ক্লুনি প্রখ্যাত এক আইনজীবী এবং বিখ্যাত
হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী। ক্লুনি এর আগে
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে
জাতিসংঘে আইনি লড়াই করেছেন। ক্লুনিকে উদ্ধৃত করে
মালদ্বীপ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মিয়ানমারে সংগঠিত
গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক পথ
বাকি। আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারের
জন্য চেষ্টা করব। প্রসঙ্গত, আমাল ক্লুনি সাবেক
প্রেসিডেন্ট নাশিদের পক্ষে জয়লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে
মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছিল।
সংখ্যালঘুর
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দুটো দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে
বাস করে আমার মনে হয়েছে, সংখ্যালঘুর নিজস্ব কিছু
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থাকে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু,
বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যেও এই জটিলতা কাজ করে।
পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রমশ
তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাতে থাকে। এর সাথে যোগ হয়
নিরাপত্তাহীনতা ও সম্পদ লুণ্ঠনের ঝুঁকি। গত এগারো বছর
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সংখ্যালঘু
নির্যাতনের ঘটনা অনেক হ্রাস পেলেও একেবারে বন্ধ ঢুকে
পড়ে। তার
হয়নি। বর্তমানের ভালো দিক হলো, রাষ্ট্র অন্তত সংখ্যালঘু
নির্যাতনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে না।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি সংখ্যালঘুদের এই মানসিক
কষ্টটুকু বুঝি। আমি মনে প্রাণে তাই অসাম্প্রদায়িকতা
অনুশীলন করার চেষ্টা করি। যে কারণে বিশিষ্ট নাক, কান ও
গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দেবেশ তালুকদারের নাম আমার
অন্যতম প্রিয় বন্ধুর তালিকায় জ্বলজ্বল করে।
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থেকে উৎসারিত কোন অসংলগ্নতা তাই
আমাকে স্পর্শ করে না।
বিকাশে ভুলে অন্য
নাম্বারে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে করণীয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমানে আর্থিক লেনদেন করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্চে
। মোবাইল নাম্বার দিয়ে মিনিটেই অনেক দূরে থেকে টাকা
লেনদেন করতে পারবেন। নাম্বারের মাধ্যমেই এই লেনদেন চলে।
কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়।
এ সমস্যায় পড়লে কী’ করবেন, তা জানা নেই অনেকের। তাই
দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। চিন্তা ছেড়ে জেনে নিন কি করলে
টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। বিকাশ একাউন্ট থেকে ভুলবশত কোন
নাম্বারে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন।
ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করুন। যতো দ্রুত সম্ভব
জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং আপনার
সমস্যা জানান।
টাকা ভুল নাম্বারে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন
দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নাম্বারে টাকা চলে গেলে,
তা ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি
টাকা উঠিয়ে ফেললে, আপনার করার কিছুই থাকবে না। অতএব
টাকা উঠানোর আগেই, জিডি কপি এবং মেসেজসহ যদি বিকাশ
অফিসে যোগাযোগ করেন, তারা টেম্পোরারি ওই ব্যক্তির
অ্যাকাউন্ট লক করে, উনার সঙ্গে কথা বলবে।
প্রাপক যদি তখন জানায় হ্যাঁ টাকা এসেছে, বিকাশ অফিস
থেকেই টাকা স্থানান্তর করে দিবে। যদি তিনি নিজের টাকা
দাবী করেন, তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অফিসে এসে
অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তী ৬ মাসে যদি তিনি
না আসেন, তাহলে প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।
পরবর্তী ৬ মাসে অ্যাকাউন্ট ঠিক না করলে অ্যাকাউন্টটি
অটো ডিজেবল হয়ে যাবে চিরতরে এবং প্রেরক আদালতের
সাহায্য নিয়ে টাকা আনতে পারবেন। এই পদ্ধতি শুধু
বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
জাতিসংঘ মহাসচিবের
উদ্বেগ, ওআইসির নিন্দা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ
করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
মুসলিমদের টার্গেট করে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী
সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে গত ২৩
ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ঐ সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জন
ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার
এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের
উদ্বেগের কথা জানান তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব নিবিড়ভাবে দিল্লি পরিস্থিতি
নজরে রেখেছেন। বিক্ষোভকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে
বিক্ষোভ করতে দেওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংযত থাকা
উচিত। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ শান্ত করা এবং
স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও মনে করেন
জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি জানান, ব্যক্তি জীবনে মহাত্মা
গান্ধীর শিক্ষায় অনুপ্রেরণা পান জাতিসংঘ মহাসচিব।
গান্ধীর আদর্শের আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ
তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন
থমথমে দিল্লিতে
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিল্লিতে সহিংসতা আপাতত থেমেছে। তবে পরিস্থিতি থমথমে।
গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে।
সহিংসতার তদন্তে সরকার দুটি বিশেষ তদন্ত দল এবং
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
করেছেন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২৩টি
এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে।
গুরুগ্রামে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সহিংসতার
মধ্যেও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির
নজির সৃষ্টি হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার
পত্রিকার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালও বলেছেন, কারো
নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে নয়, প্রতিবেশী দেশে সহিংসতার
শিকার মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
(সিএএ) করা হয়েছে। দিল্লি কিছুটা শান্ত হতেই সরিয়ে
দেওয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। পুলিশ জানায়, দিল্লির
সহিংসতার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে। গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি
যেন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। থমথমে দিল্লিতে ঘর
থেকে বের হতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। দাঙ্গায় নিহতদের
পরিবারপিছু ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা
দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গতকাল অবশ্য দোকানবাজার কিছুক্ষণ খোলা রাখতে কোথাও
কোথাও কারফিউ শিথিল করা হয় কয়েক ঘণ্টার জন্য। গত
রবিবারের পরেই অ্যালার্ট জারি হয়েছিল গুরুগ্রামে।
গতকাল জুমার নমাজের প্রাক্কালে সেই অ্যালার্ট আরো কঠোর
করা হয়। নিরাপত্তার কথা ভেবে সিএএর বিরুদ্ধে হিংসার
ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কারা অর্থ জোগাচ্ছে তা খুঁজে
বের করতে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি
সরকার ও দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে। তদন্ত কমিটির
কর্মকর্তারা গতকাল অভিযুক্ত আপ নেতা তাহির হুসেনের
বাড়িতে যান। তিনি সহিংসতায় মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ
আছে। যদিও তিনি সব অস্বীকার করেছেন। এদিকে
মহারাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিমদের জন্য
সংরক্ষিত রাখতে রাজ্যের জোট সরকার। শুক্রবার এই ঘোষণা
দেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিক।
বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনেই আনা হবে সেই বিল।
সোনিয়া গান্ধীর তদন্ত দল গঠন
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সহিংসতায়
ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলো পরিদর্শন
এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার
জন্য একটি পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছেন। দ্রুত সময়ের
মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তাদেরকে। এই
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুুল
ওয়াসনিকও।
নারী ও শিশু সংবাদ
শিশুদের ব্যাপারে সচেতন হউন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে বর্তমানে ৩৫০ কোটি মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার
করেন। বাংলাদেশে এই ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পৌনে
৩ কোটি। স্মার্ট ফোন কিংবা ট্যাব-ফ্যাব এখন শিশুদের
হাতেও শোভা পাইতেছে। বিশেষ করিয়া আধুনিক বাবা-মায়েরা
যেমন স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনের প্রতি ডুবিয়া থাকেন
অহর্নিশ, তেমনি শিশুরা যাহাতে তাহাদের বিরক্ত না করে
সেই জন্য শিশুটির হাতেও একটি স্মার্ট ডিভাইস ধরাইয়া
দেওয়া হয়। ধরা যাক, এই ক্ষেত্রে শিশুটির অভিভাবক
ইন্টারনেট ব্যবহারে চ্যাইল্ড লক চালু করিবার ব্যাপারে
সচেতন; কিন্তু তাহার পরও আরো কিছু ভয়ংকর ক্ষতির দিক
কিন্তু রহিয়াই যায়। সত্যিকার অর্থে মোবাইল ফোনের দুইটি
ক্ষতিকর দিক লইয়া বিশ্বের সচেতন মানুষ ক্রমশ উদ্বিগ্ন
হইতেছেন। এই দুইটি দিকের একটি হইল মানসিক ক্ষতি, অপরটি
শারীরিক। মোবাইল ফোন-সৃষ্ট ক্ষতিকর বস্তুটির নাম
‘রেডিয়েশন’ বা বিকিরণ। এক মোবাইল হইতে অন্য মোবাইলে এই
বিকিরণশক্তির মাধ্যমেই কথা আদান-প্রদান হয়। এক গবেষণায়
দেখা গিয়াছে, ১৯৭৫ সালের পূর্বে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন
ক্যানসারের রোগী তুলনামূলক কম ছিল। পরবর্তী সময়ে
মোবাইল ফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাইবার কারণে
এই ভয়ংকর রোগ দুইটির মাত্রা বৃদ্ধি পাইয়াছে বলিয়া মনে
করেন অনেক গবেষক।
তবে মোবাইল ফোনের যে ক্ষতিটি এখন উদ্বেগের পর্যায়ে
পৌঁছাইয়াছে, তাহা লইয়া এই ডিভাইসের প্রতি শিশুদের
প্রবল আসক্তি। বিকিরণ সমস্যার কথা না হয় উহ্যই রহিল,
দেখা যাইতেছে মোবাইল ফোন ছাড়া একটি শিশু তিন বেলা
ঠিকমতো খাইতে পারে না। তাহার খেলাধুলা, বিনোদনের জগত্
বন্দি হইয়া পড়িয়াছে পাঁচ বা ১০ ইঞ্চির ডিজিটাল পর্দায়।
ইহা যে কতটা ভয়ংকর এবং দিনকে দিন ইহা এমনই ভয়াবহ
সমস্যার দিকে ধাবিত হইতেছে যে, একটি শিশুর পুরো মানসিক
জগত্ ওলটপালট করিয়া দিতেছে। কে না জানে, শিশুরা নরম
মাটির মতো। তাহাদের যেইভাবে তৈরি করা যাইবে, তাহারা
সেইভাবেই গড়িয়া উঠিবে। মোবাইল ফোনের ডিজিটাল দুনিয়ায়
যে অদ্ভুত ফ্যান্টাসি রহিয়াছে, শিশুটি সেই জগতে বুঁদ
হইয়া পড়ে। আটকাইয়া পড়ে মিথ্যা মায়াবি বিস্ময়জগতে। ফলে
বাস্তব দুনিয়ার সহিত তাহাদের মিথস্ক্রিয়ার ঘাটতি বাড়িতে
থাকে। ইহার পরিণতি হইতে পারে ভয়াবহ। একপর্যায়ে শিশুরা
সারাক্ষণ ফোন লইয়া থাকিতেই আনন্দ বোধ করিবে। কাহারো
সহিত কথা পর্যন্ত বলিতে আগ্রহী হইবে না। এমতাবস্থায়
ফোন কাড়িয়া লইলে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিবে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়াইয়া পড়িবার কারণে
গৃহবন্দি হইবার বাধ্যতামূলক পরিস্থিতি তৈরি হইতেছে।
বাংলাদেশেও এখন লকডাউনের কাছাকাছি অবস্থা। এমতাবস্থায়
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি শিশুরা যেন তাহাদের
বাবা-মায়ের সহিত গৃহকোণে সময় কাটাইতে আরো বেশি স্মার্ট
ফোনের দিকে ঝুঁকিতে না পারে। বাড়িতে এই দীর্ঘ লকডাউনের
সময় স্মার্ট ফোন ব্যতীত শিশুসন্তানের সহিত কী করিয়া
গঠনমূলক সময় কাটানো যায়, তাহা লইয়া প্রত্যেক অভিভাবককে
ভাবিয়া দেখিতে হইবে।
দোহারে প্রবাসীর বাল্যবিয়ে,
অতঃপর..
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনদিনের মাথায়
অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরীকে বিয়ে করলেন মো. রাসেল নামে
এক প্রবাসী। করোনা ভাইরাস নিয়ে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিও
বিয়ে আটকাতে পারেনি তার। বাল্যবিয়ের এমন অভিযোগে ওই
প্রবাসীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি
ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার উত্তর জয়পাড়া গ্রামে।
কোয়ারেন্টাইন ঠিক মতো পালন না করা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।
জানা যায়, দোহার পৌরসভার উত্তর জয়পাড়া গ্রামের শুকুর
আলীর ছেলে মো. রাসেল নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বগুড়ার
একটি নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করেন। সে ৮ই মার্চ সৌদি আরব
থেকে দেশে আসেন। খবর পেয়ে বুধবার রাতে রাসেলের বাড়িতে
অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাল্যবিবাহের অপরাধে
আটক করা হয় তাকে।
২৬ মার্চ ২০২০ সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ রাসেলকে
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, ৭(১) ধারায় ৫ হাজার টাকা
জরিমানা করেন। একইসাথে কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়া
পর্যন্ত তাকে বাবার বাড়িতে রাখবে এবং তার সাথে বৈবাহিক
সম্পর্ক স্থাপন না করার শর্তে মুচলেকা রেখে মুক্তি দেয়া
হয়।
করোনায় আপনার শিশুকে নিরাপদ রাখতে
করণীয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের হার
বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। আর এই উদ্বেগ
আতঙ্কে বয়সিরা যেমন আছেন তেমনি শিশুরাও। বিশেষ করে
পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুরা একরকমের বন্দিদশায় কাল
কাটাচ্ছেন। বড়রা লকডাউন আর ফিজিক্যাল ডিসটেন্স বুঝলেও
ছোটদের ক্ষেত্রে হচ্ছে উল্টো। অনেক বাসায় দেখা যায়
কাজের বুয়ারাই বাসার বাচ্চাকে লালন-পালন করে থাকেন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিশুরা কতটা
নিরাপদ? প্রাপ্ত তথ্যে জনা যায়, বাংলাদেশের গড় শিশুর
পুষ্টিহীনতা উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
চলমান এই সঙ্কটে শিশুর সুরক্ষায় কি করা যাবে? কি করা
যাবে না? এ বিষয় নিয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন,
ঢাকা শিশু হসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি এন্ড আইসোলেসন
ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.
রিয়াজ মোবারক। তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো
পাঠকদের জন্যÑ
যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি:
১. যারা কোলে করে শিশুটিকে বড় করছেন তাদের কেউ যদি
ভাইরাসবাহী হন তাহলে তা শিশুর মধ্যে খুব সহজেই ছড়াতে
পারে।
২. বড়দের হাঁচি-কাশি থেকেও শিশুর মধ্যে ভাইরাসটি
প্রবেশ করতে পারে।
৩. শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানারকম ময়লা বা নোংরা
জিনিসপত্র হাতে নেয়, এসব থেকে দূরে না রাখতে পারলে
শিশুটি করোনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
৪. অনেকে শিশুদের হাতে ময়লা বা পুরোনো নোট দিয়ে থাকেন।
যা নিয়ে শিশুরা খেলাধুলা করে। এটাও মারাত্মক ঝুঁকির
কারণ হতে পারে। কারণ, টাকা অনেকের হাতে যায়। ফলে এর
মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ানো স্বাভাবিক।
৫. আমাদের দেশে একান্নবর্তী পরিবার বা যৌথ পরিবারের
সংখ্যা অনেক বেশি। সুতরাং, যদি পরিবারের বড় কেউ এই
ভাইরাস বহনকারী হন তাহলে তাকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেসনে
রাখা পুরোপুরি সম্ভব না হলে শিশুটি আক্রান্ত হতে পারে।
৬. ঢাকায় ঘনবসতি বা অ্যাপার্টমেন্টে পাশাপাশি অনেক
মানুষের বাস। কাজেই পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন না করলে
আপনার শিশুটি যে কোনভাবে অন্যকোন অপরিচিত দ্বারা
আক্রান্ত হতে পারেন।
৭. যদি এমন হয় মায়ের মধ্যে উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে
তাহলে সন্তানের কাছ থেকে মাকে আলাদা থাকতে হবে।
সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থেই এটি করতে হবে।
৮. আর যদি সন্তানের হয় সেক্ষেত্রে মাকে সুরক্ষা পোষাক
বা পিপিই ব্যবহার করে শিশুর যতœ নিতে হবে। কোনভাবেই
আবেগপ্রবণ হওয়া যাবে না। এতে বাবা-মা দুজনেই আক্রান্ত
হতে পারেন।
৯. আমাদের শিশুদের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়
হিমোগ্লোবিন কম, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এ ধরণের ঘাটতি
থাকলে দ্রুত ভাইরাস শিশুটিকে কাবু করতে পারে।
১০. দরিদ্র পরিবারের শিশুদের অনেক ক্ষেত্রেই প্রোটিন
ঘাটতি থাকে যা এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে দ্রুত কাবু করতে
পারে।
যে সকল বিষয়ে সাবধানতা জরুরি:
১. এ সময় যে কারও কোলে আপনার শিশুকে দেয়া যাবে না।
খোলাশা করে বললে দাঁড়ায়, যার তার কোলে নয়।
২. কাজের বুয়া বা বাইরের কারও সামনে শিশুকে দাঁড়াতে
দিবেন না বা বাইরের কেউ শিশুর সামনে দাঁড়াবে না।
৩. যারা বাসার বাইরে কাজে যাচ্ছেন, তাদের ঘরে ফিরে
শিশুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। বিশেষত পর্যাপ্ত
পরিচ্ছন্নতা বা সুরক্ষা নেয়া ছাড়া তো নয়ই।
৪. শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন সি
জাতীয় ফল, সবজি, পানি খাওয়াতে হবে। তাতে শিশুর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৫. শিশুকে বাসায় এমন একটি পরিবেশে রাখার চেষ্টা করতে
যেন তার স্বভাবিক বৃদ্ধি আটকে না যায়। অর্থাৎ,
খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। বিভিন্ন ধরণের ইনডোর গেমের
মাধ্যমে তাকে উৎফুল্ল রাখা।
৬. লকডাউন বা ফিজিক্যাল ডিসটেন্স এ সময়টাই শিশু বাসার
ভেতরে খেলাধুলা সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
৭. খেয়াল রাখতে হবে টেলিভিশনে রোগিরা ভেন্টিলেশনে আছে
এমন ফুটেজ যেন না দেখে। এতে শিশুটি মানসিকভাবে দুর্বল
হলে তার ক্ষতি হতে পারে।
৮. শিশুটিকেও বারবার পরিচ্ছন্নতার চর্চা শিক্ষা দিতে
হবে। কিভাবে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে তা বুঝাতে হবে।
৯. বাইরের শিশুদের সঙ্গে এ সময়টায় মিশতে দেয়া যাবে না।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
দুই বোনই পুলিশ কর্মকর্তা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাসরিন আক্তার ও শিরিন আক্তার।নাসরিন আক্তার ও শিরিন
আক্তার।গ্রামে স্কুলপড়ুয়া সমবয়সী মেয়েদের বিয়ে নিয়ে
অভিভাবকেরা যখন ব্যস্ত, তখন তাঁদের বাবার সাফ কথা,
মেয়েদের আগে পড়ালেখা শেষ করতে হবে। শুধু তাই নয়,
পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার পরই বিয়ে।
মেয়েরাও তাঁর কথা রেখেছেন। বাবা মো. আকবর হোসেনের
উৎসাহে নাসরিন আক্তার ও শিরিন আক্তার বর্তমানে পুলিশের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আকবর হোসেনের অন্য দুই মেয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি প্রথম আলোর কার্যালয়ে বসে বাবার উৎসাহে
তাঁদের দুই বোনের পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার গল্প শোনালেন
সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) শিরিন আক্তার। ঢাকায়
পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নাসরিন আক্তারের দেখানো পথ ধরে এ পেশায় যোগ দিয়েছেন
শিরিন। বড় বোন নাসরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস
বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে
যোগ দেন। আর শিরিন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ
দেন।
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২
জনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টাঙ্গাইলে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই জনের
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এক লাখ টাকা
জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা
ইয়াসমিন আসামিদ্বয়ের উপস্থিতিতে জণাকীর্ণ আদালতে এ রায়
দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালিহাতী উপজেলার মৃত রহিজ
উদ্দিনের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৬৫) এবং ওই
ধর্ষণ ও হত্যায় সহায়তাকারী বাসাইল উপজেলার নাজির
হোসেনের স্ত্রী নাজমা (৩২)।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার আশা আক্তার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার
ফৈলারঘোনা গ্রামের আলীমের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের
এনায়েতপুরে তার নানার বাড়িতে থাকতেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের
বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার জনান, ২০১৬ সালের ১৮
অক্টোবর আশা আক্তার নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ
১০-১২ দিনেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় তার বাবা আলীম বাদী
হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায়
মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন নাজমাকে
গ্রেফতার করেন। নাজমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নূর
মোহাম্মদ ওরফে নুরুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা জানান, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর তারা দুজনে
আশা আক্তারকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার ধানগড়া গ্রামের
মান্দাই বিলের কাছে যান। নূর মোহাম্মদ পরে আশা আক্তারকে
দুই বার ধর্ষণ করে এবং নাজমার সহায়তায় বিলের পানিতে
চুবিয়ে ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে
২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
করে। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
করোনার জের: কলকাতার কারাগারে বন্দিদের তাণ্ডব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা আতঙ্কের জেরে খুব জরুরি ছাড়া আদালতের সব কাজকর্ম
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে বিচারাধীন
বন্দিদের বিচার স্তব্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সতর্কতা হিসেবে
জামিনের বহু আবেদনেরও নিষ্পত্তি বন্ধ রয়েছে। সতর্কতা
হিসেবে সাময়িক ভাবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বন্দিদের
দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সবেরই প্রতিবাদে
কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের একদল বন্দি
ক্ষুব্ধ হয়ে কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যাপক ভাঙচুর
চালিয়েছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কারাগারের সম্পত্তিতে।
সেইসঙ্গে বন্দিরা করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে বাঁচতে
মাস্ক ও স্যানিটাইজার দাবি করেছেন। কারা সূত্রের খবর
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ
ভার্মা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কারাগারে গিয়ে কয়েক
ঘণ্টার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ বন্দিদের শান্ত করতে সক্ষম
হয়েছেন।
দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের আগুন নিভিয়েছে। জানা
গেছে, এ দিন সকালে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। দমদম
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত
বিচারাধীন বন্দিরাই থাকেন। জেল সুপার নিজে বিক্ষোভ
থামাতে গেলে, তার সামনে একাধিক দাবি নিয়ে হাজির
হয়েছিলেন বন্দিরা। বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মতো
তাদেরও প্যারোলে ছাড়তে হবে। এই নিয়েই জেল কর্তৃপক্ষ এবং
বন্দিদের মধ্যে বচসা থেকে তা সংঘর্ষের আকার নেয়।
অভিযোগ, ওই সংঘর্ষ চলাকালীন জেল পুলিশ এবং বাইরে থেকে
র্যাব এসে ওয়ার্ডের মধ্যেই বিচারাধীন বন্দিদের ওপর
ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। বন্দিরা পাল্টা ওয়ার্ডে
ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। সেই সময় বিক্ষুব্ধ বিচারাধীন
বন্দিরা ওয়ার্ডের গেট ভেঙে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন
বলে অভিযোগ। কারা কর্তাদের দাবি, বন্দিরা দা এবং
কুড়ালের মতো অস্ত্রও হাতে তুলে নিয়েছিলো। পুলিশ অবশ্য
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাইরে থেকে কাঁদানে গ্যাসের
শেল ফাটিয়েছে। পুলিশ গুলিও চালিয়েছে বলে বন্দিরা
অভিযোগ করেছে। দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েক শ’ বন্দি
রয়েছে। এর মধ্যে বহু বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দিও রয়েছে।
করোনাভাইরাস: কারাবন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে ভারত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা আতঙ্কে ভারতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলের তিন হাজারের
বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই তাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে
বলে জানিয়েছে কারা কতৃপক্ষ।
রাজ্যে প্রতিটি জেলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ
থাকায় করোনা মোকাবেলায় তাদের আপাতত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা সালসা-র
এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান দীপঙ্করের দত্তের নেতৃত্বে
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি বৈঠকে বসে। এই কমিটি ১০১৭ জন
দণ্ডিত বন্দি এবং ২০৫৯ জন বিচারাধীন বন্দিকে যথাক্রমে
প্যারোলে এবং অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়ার
সুপারিশ করেছে বলে জানায় কারা কতৃপক্ষ। তিন মাসের জন্য
মুক্তি পেতে পারেন বন্দিরা। তবে কোনও বন্দি যদি আগে এ
ভাবে মুক্তি পেয়ে থাকেন, এই ক্ষেত্রে তাঁর নাম বিবেচিত
হবে না।
তবে নারীদের যৌন হেনস্থা, রাজ্যের বিরুদ্ধে
দাঙ্গাহাঙ্গামা, জাল নোট, শিশু অপহরণ, দুর্নীতি, মাদক
পাচার (এ ক্ষেত্রে মাদকের পরিমাণ বিচার্য) এই ধরনের
অভিযোগে বা বাণিজ্যিক ও আর্থিক অভিযোগে যাঁরা বন্দি
রয়েছেন, তাঁরা অবশ্য মুক্তি পাবেন না। এছাড়া যে সব
বিচারাধীন বন্দি রাজ্যের বাইরের বাসিন্দা এবং যাঁদের
বিরুদ্ধে বিদেশি আইনে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরাও এই মুক্তির
তালিকায় থাকবেন না। বিচারাধীন বন্দিদের অন্তর্র্বতী
জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত থাকবে বলে জানিয়েছে কারা
দফতর।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে
কারাবন্দির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
প্যাট্রিক জোনস নামের এক কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। তিনি
মাদক মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। তার
মধ্যে ভাইরাসটির প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় গত ১৯শে মার্চ।
এই প্রথম দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো কারাবন্দির
মৃত্যু হলো। দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগার ব্যুরো (বিওপি)
স্থানীয় সময় শনিবার একথা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স।
বিওপির ওয়েবসাইট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কেন্দ্রীয়
কারাগারগুলোয় সবমিলিয়ে ১৪ বন্দি ও ১৩ কর্মী করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন। জোনস ২০১৭ সালে লুইজিয়ানার ওকডেলে
একটি স্বল্প-নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বিওপি জানায়, তিনি আগ থেকেই কিছু জটিল রোগে ভুগছিলেন।
পুলিশ হেফাজতে
নারীর মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা হাজতে জ্যোৎস্না ওরফে লিমা
(৩৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। পুলিশ বলছে, সোমবার রাতে
থানা হাজতে অসুস্থ হওয়ায় তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট
ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল ভোরে কর্তব্যরত
চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা
জ্যোৎস্না থাকতেন মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে।
মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. রওশানুল হক সৈকত জানান,
সোমবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে ডি-টাইপ
কলোনির একটি ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে- ৯৯৯ নম্বরে
এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সেলিনা,
জ্যোৎস্না, শাহিনুর, সোহাগকে আটক করা হয়। থানায় এনে
তাদের রাতের খাবারও দেওয়া হয়। রাত ৩টার পর জ্যোৎস্না
অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যোৎস্না মারা যান। সরকারি
বরাদ্দপ্রাপ্ত কলোনির ওই বাসাটি সেলিনার জানিয়ে পুলিশ
কর্মকর্তা সৈকত বলেন, সেলিনার স্বামী অনেক আগেই মারা
গেছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী
কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
মাস্টার্স করা সেলিনার বিরুদ্ধে মানবপাচারের দুটি
মামলাও রয়েছে।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
করোনাভাইরাস থেকে
বাঁচতে কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে
৮১৩-তে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ১৯৮ জন
মানুষ। রোববার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে
এসব তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তবে বাংলাদেশে এখনও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এই
ভাইরাস না ছড়ালেও সাবধান থাকা জরুরি। বিভিন্ন
সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে ভারতে অন্তত তিনজনকে এই
ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাই বাংলাদেশে এ
ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভারতের সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড
প্রিভেনশনের(সিডিসি) দেয়া পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কয়েকটি উপায় জানা গেছে।
আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন?
১. করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রাথমিক সুরক্ষার বিষয়গুলো
জানতে হবে।
২. হাত ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। নাক, মুখ, চোখ
আবৃত রাখতে হবে যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ না হয়।
৩. বাহ্যিক বিভিন্ন বস্তুর এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত
বস্তুগুলো ব্যবহার পর অবশ্যই জীবাণু ম্ক্তু হতে হবে।
৪. অনেকেই মনে করেন ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ পরলে ভাইরাস
সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই ‘মাস্ক’
সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়, তবে পুরোপুরি আশঙ্কা ম্ক্তু করে
না। ‘এন নাইনটি ফাইভ’ নামক ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ সবচাইতে
শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে এই ক্ষেত্রে।
৫. তীব্র ‘ফ্লু’তে ভুগছেন কিংবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. ১৪ দিনের মধ্যে যারা চীন গেছেন, তাদের এবং তাদের
আশপাশে থাকার লোকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৭. এই ভাইরাস থেকে সংক্রমণের পূর্বাভাস দেখা দিলে
সুস্থ মানুষের সঙ্গ পরিহার করুন। যাদের মাঝে ভাইরাস
সংক্রমণ হতে না পারে তারে সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৮. বিশ্বব্যাপী সব বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে কড়া সুরক্ষা
ব্যবস্থা। তাই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এমন স্থান
থেকে দূরে থাকতে হবে।
৯. ঘরে থেকে বিশ্রাম নিন। নিজে সুস্থ হন, অপরকে
সুরক্ষিত রাখুন।
মানবদেহের বাইরে
কতোক্ষণ বাঁচে করোনাভাইরাস
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে কভিড-১৯, প্রতিদিনই বাড়ছে
মৃত্যু। ভাইরাসটি কীভাবে ছড়াচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট না
হলেও অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এর আচরণ
এমটাই ধরে নেয়া হচ্ছে। ফলে মানবদেহের বাইরে এটি
কতোক্ষণ জীবিত থাকতে পারে সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ
আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বণিক বার্তা
সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠতল
স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ
কারণে বস্তুর পৃষ্ঠতল নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি বাড়ছে।
এখন অফিস আদালতের দরজার হাতল আর কেউ ধরতে চাচ্ছেন না,
বাস-ট্রেনসহ গণপরিবহণে ওঠা নামার সময়ও ঝুঁকি নিয়ে
সার্ফ করার মতো করে ওঠানামা করছেন, কর্মীরা সকালে অফিসে
এসেই আগে ডেস্ক পরিষ্কার করছেন জীবাণুনাশক দিয়ে।
যেসব এলাকায় এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে
পড়েছে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিশেষ পোশাক পরে শপিংমল,
প্লাজা, পার্ক, রাস্তাঘাট ইত্যাদি জনসমাগমের স্থানে
জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। অফিস, হাসপাতাল, দোকানপাট,
রেস্টুরেন্টেও জীবাণুনাশকের ব্যবহার বেড়েছে। অনেক শহরে
স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতি রাতে এটিএম মেশিনের কি-বোর্ড
জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে দিচ্ছেন।
ফ্লুসহ অন্য অনেক শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী
ভাইরাসের মতো কভিড-১৯ ভাইরাসও আক্রান্ত ব্যক্তির নাক ও
মুখ দিয়ে কাশির অতিক্ষুদ্র ফোঁটার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
একবার কাশিতে এমন প্রায় ৩ হাজার ফোঁটা বের হয়। সাবধানতা
অবলম্বন না করলে এসব কণা পড়তে পারে অন্য লোকের গায়ে,
কাপড়ে অথবা আশেপাশের বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠতলে। কিছু কণা
বাতাসেও ভেসে থাকতে পারে। নরম বস্তুর গায়ে ভাইরাস
তুলনামূলক বেশি সময় টিকে থাকতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে।
এ কারণে টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর বা জীবাণুদূষিত কিছু
স্পর্শ করার পর ভালোভাবে হাত না ধুলে সেই হাত থেকে
জীবাণু ছড়াতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)
বলছে, দূষিত বস্তুর পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর মুখে হাত
দেয়াই ভাইরাস ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম এমন কোনো কথা নেই।
তবে এরপরও সিডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য
দেশে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে
ঘন ঘন হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। যদিও বস্তুর দূষিত
পৃষ্ঠতল থেকে এখন পর্যন্ত কতোজন আক্রান্ত হয়েছেন এর
কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো
সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো কভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী
ভাইরাস সার্স-কোভ-২ আসলে মানবদেহের বাইরে কতোক্ষণ টিকে
থাকতে পারে। সার্স এবং মার্সের মতো ভাইরাসগুলোর বিষয়ে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এরা ধাতু, কাচ এবং
প্লাস্টিকের পৃষ্ঠে নয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
এমনকি নিম্ন তাপমাত্রায় কিছু ভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত
অক্ষত থাকে।
কোথায় বেঁচে থাকতে পারে এটির ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের
ব্যাপারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ কারণে
গবেষকরা কভিড-১৯ প্রতিরোধে এ বিষয়ে গবেষণার ওপরও জোর
দিচ্ছেন। তারা বুঝার চেষ্টা করছেন, এ ভাইরাস মানবদেহের
বাইরে কোথায় কতোদিন টিকে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য
ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) ভাইরোলজিস্ট নিলতে ভন ডোরমালেন।
মোন্টানার হ্যামিল্টনে রকি মাউন্টেন ল্যাবরেটরির
সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠতলে
সার্স-কোভ-২ ভাইরাস কতো সময় টিকতে পারে তা নিয়ে গবেষণা
করেছেন। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি একটি বিজ্ঞান
সাময়িকীতে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
তাদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাতাসে কাশির সঙ্গে বেরিয়ে
আসা ক্ষ্দ্রুফোঁটার মধ্যে এ ভাইরাস তিন ঘণ্টা পর্যন্ত
বাঁচে। ছোট আকারের কোণা যেগুলো ১-৫ মাইক্রোমিটার
আকারের হয় (মানুষের চুলের প্রায় ৩০ ভাগের এক ভাগ)
সেগুলো স্থির বায়ুতে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভেসে অক্ষত
থাকতে পারে।
এর অর্থ হলো, বায়ু চলাচলের পথে যদি কোনো ফিল্টার না
থাকে তাহলে এ ভাইরাস বড়োজোর কয়েক ঘণ্টা ভাসমান অবস্থায়
জীবিত থাকতে পারে। যেখানে অ্যারোসলের কোণা অস্থির
বাতাতেও এর চেয়ে দ্রুত নিচে পড়ে যায়।
এনআইএইচের গবেষণায় আরো বলা হচ্ছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাস
কার্ডবোর্ডের (শক্ত কাগজের বোর্ড) গায়ে ২৪ ঘণ্টা
পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারে। আর প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস
স্টিলের গায়ে থাকতে পারে ২-৩ দিন পর্যন্ত। ফলে আপনার
সেলফোনটি নিয়ে সাবধান থাকুন!
সকালে মেথি চা খেলে যেসব রোগ কাছেও
ঘেষবে না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সকালে এককাপ চা না হলে কি চলে? আপনার সারা দিনের কাজের
জন্য শরীরকে তৈরি করবে এককাপ চা। বিভিন্ন ধরনের চা খেয়ে
থাকি আমরা। তবে শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে মেথি
চা। এই চা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি চা দারুণ উপকারী। যারা
ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের সুস্থ থাকতে মেথি চা পান করতে
পারেন নিয়মিত। সুগার ছাড়াও বিভিন্ন রোগ দূর করে মেথি
চা।
তাই সকালে নাস্তায় খেতে পারেন মেথি চা। আসুন জেনে নিই
মেথি চায়ের উপকারিতা-
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
সকালের নাস্তায় খেতে পারেন মেথি চা। ডায়াবেটিস থেকে
বাঁচতে আগাম সাবধানতার জন্য এখন থেকেই শুরু করতে পারেন
মেথ চা-পান করা।
ওবেসিটি কমায়
সকালে খালি পেটে এক কাপ মেথি চা মানেই হজম ক্ষমতা বেড়ে
যাওয়া। এ ছাড়া অতিরিক্ত চর্বি কমবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মেথিতে চা হজম ও আলসারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া
মেথির মধ্যে থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য
করে। এতে দ্রুত হজম হয়।
হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমায়
রোজ সকালে মেথি চা মানেই কোলেস্টেরল কম। আর তাতে ধমনী,
শিরার চর্বি থাকতে পারে না। এতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।
ভালো থাকে হার্ট।
ভালো রাখে কিডনি
প্রতিদিন মেথি চা পান করলে পরিষ্কার থাকে কিডনিও।
মেথির প্রভাবে ইউরিন ক্লিয়ার থাকে। কিডনিতে স্টোন
হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
কীভাবে মেথি চা তৈরি করবেন?
এক চা-চামচ মেথি গুড়ো করে নিন। এক কাপ ফুটন্ত গরম
পানিতে ওই গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এক চা-চামচ মধু মেশাতে
পারেন। চাইলে চা পাতা বা তুলসী পাতাও মেশানো যেতে পারে
এতে।
সব উপকরণ দিয়ে মিনিট তিনেক ভিজিয়ে রাখুন। ছেঁকে নিয়ে
গরমাগরম চুমুক দিন।
৫টি উপায়ে শরীর রাখুন বিষমুক্ত
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শরীর বিষমুক্ত
রাখা একান্ত প্রয়োজন। নিয়মিত সহজলভ্য কিছু খাবার
গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীর থেকে এই বিষাক্ত
উপাদানগুলো দূর করতে পারি।
তিতা খাবার
তিতা খাবার আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে
দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে
চিরতার পানি অথবা করলা কিংবা নিমপাতার রসের জুডি নেই।
লেবু
লেবুতে আছে একগুচ্ছ ডিটক্স ডাইট যা টক্সিন নামক বিশেষ
প্রকার জৈব, যা বিষ নির্মূলে সহায়তা করে। এছাড়া লেবুতে
রয়েছে ভিটামিন সি, যা দাঁত ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
তাছাড়া লেবুর ক্ষারীয প্রভাব আপনার শরীরে অম্লতার
ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন এক ফালি লেবুর সাথে গরম
পানি আপনার শরীর থেকে বিষ নির্মূল করবে।
রসুন
আমরা সবাই জানি হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে উপকারী
খাদ্য রসুন। এতে রয়েছে এলিসিন নামক রাসায নিক উপাদান
যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন ও টক্সিন নির্মূলে
সাহায্য করে। রসুন কাচা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
গ্রিন টি
শরীর থেকে বিষাক্ত জৈব রাসায়নিক নির্মূলে গ্রিন-টি’র
কোনো বিকল্প নেই। তরল এই খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন
অংশের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি
শুধু চা নয , একে ওজন কমানোর ঔষুধও বলা চলে। এতে রয়েছে
উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
টাটকা ফল
তাজা ফলে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ফাইবার ও কম ক্যালোরি যা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলো
নির্মূলে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চোখ ও ত্বককে উজ্জ্বল
করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।
খালি
পেটে রসুন খাওয়ার ৬টি আশ্চর্যজনক উপকার
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
খালি পেটে রসুন খাবার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি
পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হবার সাথে সাথে
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে। তবে যাদের
রসুন খাবার ফলে এলার্জির আশঙ্কা কিংবা মাথা ব্যথার
সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় তারা অবশ্যই কাঁচা
রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খালি পেটে রসুন খাবার
উপকারিতা জেনে নিন-
১. প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক:
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি
শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে
নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে।
তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো
উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা
নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ
আর রক্ষা পায় না।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন,
রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম
হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
৩. অন্ত্রের জন্য ভাল:
খালি পেটে রসুন খাবার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে
নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের
বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও
ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর
করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের
গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন
খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর
করতে সাহায্য করে।
৪. শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে:
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন
প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাক্সঘাতিক জ্বর,
ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ
প্রতিরোধ করে।
৫. শ্বসন:
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন,
হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল
রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
৬. যক্ষ্মা প্রতিরোধক:
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে
সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার
বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা
পাবেন।
ভ্রমণে বমি এড়াতে আপনি কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়।
এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ)
জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়।
এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি
প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু
খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু
খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের
জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের
আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি
প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে
ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে
থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি
ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি
দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু
মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের
অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব
কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ
এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো
কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে
চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে
পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের
জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে
পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি
ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান
করতে পারে ভ্রমণের আগে।
ধূমপানে সিজোফ্রেনিয়া
ধূমপানের সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়া রোগের যোগসূত্র রয়েছে বলে
আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের কিংস কলেজের এক
দল গবেষক ৬০টির বেশি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন,
ধূমপায়ীদের সিজোফ্রেনিয়া রোগ বা ‘দ্বৈত সত্তা’র
সমস্যায় ভোগার প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা
বলছেন, সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিতে
পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ‘সাইকোসিস’ বা যে
মানসিক বৈকল্যের কারণে মানুষ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক
হারিয়ে ফেলে তার সঙ্গে ধূমপানের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু
এত দিন ধূমপানকে এর কারণ হিসেবে দেখা হতো না বরং মনে
করা হতো, এই মানসিক অবস্থা রোগীকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ
করছে।
Top
আইন কনিকা
ভরণপোষণ না দেয়ায়
স্বামীর ৪৮০ দিনের জেল
আলী আজম
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্ত্রীর ভরণপোষণ না দেয়ায় ভারতের আহমেদাবাদের এক আদালত
৪৮০ দিনের জেল দিয়েছে ওই নারীর স্বামী নরেশ রজনী
(২৯)কে। নরেশ আহমেদাবাদের শীর্ষ স্থানীয় একটি ওষুধ
কোম্পানিতে চাকরি করেন। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের
অধীনে তার থেকে আলাদা থাকা স্ত্রীকে ভরণপোষণ বাবদ তাকে
এক লাখ ২০ হাজার রুপি দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু
এ অর্থ না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়া হয়েছে। এ
খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মির্জাপুরে
স্থানীয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ বিষয়ে
শুনানি হয় সোমবার। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে স্ত্রীকে মাসে
৭৫০০ রুপি দিতে আদালত নির্দেশ দেয় নরেশকে। কিন্তু ১৬
মাস ধরে ওই অর্থ পরিশোধ করেনি নরেশ। এ অবস্থায় তার
স্ত্রী আইনজীবী সেলিম সাঈদের মাধ্যমে বকেয়া এক লাখ ২০
হাজার রুপি চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার আদালতে তলব করা হয় নরেশকে। তাকে
বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
জবাবে নরেশ বলেন, নিকট ভবিষ্যতে তিনি তার স্ত্রীকে ওই
অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না। কারণ, তিনি এই অর্থ
সংগ্রহ করতে পারেন নি। আদালত দেখতে পায়, তার উত্তর
অযৌক্তিক এবং সন্তোষজনক নয়। আদালত থেকে বলা হয়, তিনি
এখনো এই অর্থ পরিশোধে প্রস্তুত নন। তাকে আর সময় দেয়ার
কোনো কারণই থাকতে পারে না। কারণ, এটা হবে তার স্ত্রীর
প্রতি অবিচার এবং আইনের ব্যত্যয়। তাই প্রতি মাসের
খেলাপির জন্য ৩০ দিন করে তাকে মোট ৪৮০ দিন জেল দেন
বিচারক।
নামজারি কেন করবেন?
কীভাবে করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কোনো ব্যক্তি কোনো জমির মালিকানা লাভ করার পর তার নাম
সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা বা তার নিজ নামে
নতুন খতিয়ান খোলার যে কার্যক্রম তাকে খারিজ/নামজারি বা
মিউটেশন বলে। সাধারণত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জরিপের
মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। ফলে দুই
জরিপের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে জমি
প্রাপ্তির ফলে কিংবা দলিলের মাধ্যমে জমি হস্তান্তরের
ফলে ভূমি মালিকানার পরিবর্তনে খতিয়ান হালনাগাদকরণ
অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি)
খারিজ/নামজারি বা মিউটেশনের মাধ্যমে খতিয়ান হালকরণের
কাজ করে থাকে।
কেন খারিজ/ নামজারি/ নিউটেশন করবেন?
১। যে কোনো সময় জমি বিক্রয় করা যাবে (রেজিস্ট্রেশন আইন,
১৯০৮-এর ৫২এ ধারা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২-এর
৫৩সি ধারা অনুসারে, দলিলমূলে প্রাপ্ত জমির নামজারি
খতিয়ান না থাকলে সে জমি বিক্রয় করা যায় না)।
২। ভূমির মালিকানা হালনাগাদ হবে।
৩। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়/প্রদান করা সহজ হবে।
৪। খতিয়ান হালনাগাদ থাকার ফলে জরিপ কাজে সুবিধা হবে।
৫। সরকারের খাস জমি সংরক্ষণে সুবিধা হবে।
৬। নদী পয়স্তিজনিত কারণে রেকর্ড সংশোধন হবে।
৭। মূল ভূমি মালিকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকারগণের
মালিকানার নির্দিষ্ট অংশ সংবলিত খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
৮। রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে জমি হস্তান্তরের কারণে
ক্রেতা বা গ্রহীতার নামে খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
৯। মামলা-মোকদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
১০। বিক্রেতা আপনার ক্রয়কৃত জমি দ্বিতীয়বার বিক্রি করতে
পারবে না।
সর্বোপরি যে কোনো বিতর্কের সময় মালিকানা বা দখল
প্রমাণের ক্ষেত্রে নামজারিসংক্রান্ত কাগজপত্রাদি
গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নামজারি তিন ধরনের হয়ে থাকে-
১। শুধু নামজারি বা নামপত্তন : কোনো রেকর্ডীয় মালিকের
নামের পরিবর্তে ওই একই খতিয়ানে পরবর্তী গ্রহীতা ও
ওয়ারিশগণের নামভুক্ত হলে, তা শুধু নামজারি বা নামপত্তন
হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব
আইনের ১৪৩ ধারা মতে এ ধরনের নামজারি বা নামপত্তন হয়ে
থাকে।
২। নামপত্তন ও জমা খারিজ : কোন দাগের জমি বিক্রয় বা
অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তরের মাধ্যমে বিভক্ত হলে এবং
ওই বিভক্তির জন্য পৃথক হিসাব বা হোল্ডিং খুলে ভূমি
উন্নয়ন কর আদায়ের আদেশ দিলে তা নামপত্তন ও জমা খারিজ
নামে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে জমির মালিকানার পরিবর্তন হবে
এবং পৃথক খতিয়ান এবং হোল্ডিং নম্বর পড়বে। রাষ্ট্রীয়
অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ও ১১৭ ধারা মতে
নামপত্তন ও জমা খারিজ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়ে থাকে।
রিমান্ড কি
মানবাধিকার পরিপন্থী?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য
পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে
পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে
হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য
উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে
আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের
জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর
নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে
পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি
রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই
পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে
দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা
এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট
রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং
এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড
মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে
কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম
শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক
বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে।
মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে
নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে
মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|
|