BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover March 2020

English Part March 2020

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


নতুন প্রজন্মকে সঠিক উচ্চারণে বাংলা

বলতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘বাংলাভাষার ওপর বারবার আঘাত এসেছে, মাতৃভাষার অপমান কোনোভাবে সহ্য করা যায় না, মন্তব্য করে সঠিক উচ্চারণে বাংলা বলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময়ই তিনি সঠিক উচ্চারণে বাংলা বলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। ভাষা শিক্ষার জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাতৃভাষার অপমান এটা আসলে সহ্য করা যায় না। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো এটা যে বার বার আমাদের ওপর আঘাত এসেছে। এই আঘাতটা শুধু ভাষার ওপর নয়, আমরা যে বাঙালি জাতি, আমাদের জাতির সত্তার ওপর আঘাত।
আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি আমাদের ভাষার ওপর আঘাত এসেছে। মূলত আমাদের অস্তিত্বের ওপরেই আঘাত এসেছিল। সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই আমাদের যে অগ্রযাত্রা, সেখান থেকেই কিন্তু আমাদের আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যোগাযোগ করতে হলে, ব্যবসা বাণিজ্য, সাহিত্য সম্পর্কে জানতে সেখানে অন্য ভাষা শেখারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু মাতৃভাষা বাদ দিয়ে নয়। বাংলাদেশের মাটিতে থেকে যারা বাংলা ভাষা ভুলে গিয়ে বা বাংলা ভাষাকে বাংলা ভাষার মতো বলতে পারে না। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু নেই।

 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 ফেব্র“য়ারি ২০২০ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৪৮ জন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে ফেব্র“য়ারি ২০২০ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৪৮টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফেব্র“য়ারি ২০২০ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২০ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৪৮ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ২ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২৭ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪১ জন, রাজনৈতিক হত্যা ০৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ২১ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৭ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৩ জন, অপহরণ হত্যা ৫ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৭ জন, এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৯৪ জন, আত্মহত্যা ১৭ জন।
ফেব্র“য়ারি ২০২০ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৩৯ জন, যৌন নির্যাতন ৪ জন, যৌতুক নির্যাতন ৩ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন, এসিড নিক্ষেপ ১ জন।
 

 

 BHRC চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভা-২০২০ অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র “চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভা” ১৪ ফেব্র“য়ারি ২০২০ রোজ শুক্রবার সকাল ১১টায় ওয়েলপার্ক মিলনায়তন (নিজাম রোড, জিইসি মোড়) চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের গভর্নর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন। আঞ্চলিক সভায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গভর্নর সেতারা গাফফার, ডেপুটি গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ডেপুটি গভর্নর মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ মশিউল আলম স্বপন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভায় বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার দাশ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোঃ নওশাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি জসিম আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি অসীম কুমার দাশ, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি আল-সাদাত দোভাষ (সাগর), চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান খান, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক-উর-রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজ আল আছাদুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক শাখা এবং চট্টগ্রাম মহানগর অধিভুক্ত সকল থানা শাখার প্রতিনিধিবৃন্দ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।
 

   ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে। বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান রয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সকল অফিসে এটা চালু হবে। গত ১০ জানুয়ারি ২০২০ জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। প্রশ্নকত্রীঁ ছিলেন শামসুন নাহার। দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছে। বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দী ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪। আর কারাবন্দীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন।
এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন আইনে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
 

 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০২০ অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ১৫ ফেব্র“য়ারি ২০১৯ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায় টাউন হল মিলনায়তনে, খাগড়াছড়িতে “পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০২০” অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, BHRC খাগড়াছড়ি পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী একেএম মকসুদ আহমেদ।
সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গভর্নর সেতারা গাফফার, ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, BHRC’র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, BHRC’র ডেপুটি গভর্নর মোঃ রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি ডা. সুপ্রিয় বড়–য়া, বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ক্রইসাঞো চৌধুরী, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি নু. শৈ. প্র“., বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া কিবরিয়া, বান্দরবান জেলা নির্বাহী সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি নীলিমা আক্তার নীলা. ঢাকা মহানগর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের নির্বাহী সভাপতি মোঃ জাকিউল কবির, নওগাঁ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মৌসুমী সুলতানা শান্ত, তপন কান্তি বড়–য়া, বান্দরবান জেলা শাখার সম্পাদক তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি এড. মহিউদ্দিন কবীর। সম্মেলন পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুইচিং থুই মারমা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলা এবং জেলা অধিভুক্ত সকল উপজেলা, পৌরসভা শাখার মানবাধিকার কর্মীগণ এই সম্মেলনে যোগ দেন।

 


 

 র‌্যাগিং বর্বরতা অপরাধীদের কঠিন শাস্তি কাম্য
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে একজন ছাত্রীও রয়েছেন। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় র‌্যাগিংয়ের নামে কী ধরনের বীভৎসতা চলে দুই শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের একটি দুর্বিনীত অংশের কর্মকান্ডে প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। এদের এক বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা রহমান লিয়োনা ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি ছাত্রীনিবাসে লিয়োনাকে ম্যানার শেখানোর নামে মাত্রাতিরিক্ত র‌্যাগিং করা হয়। এর ফলে মানসিক চাপে মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই ছাত্রী।
এ সময় তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, একাধিকবার র‌্যাগিংয়ের শিকার ইমরান হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে তার শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়, ফলে তাকেও ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক মমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল জাবির সাংবাদিকদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট হওয়া গেছে দুই শিক্ষার্থীর ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করায় তারা ভীত হয়ে পড়েছেন। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চার সদস্যবিশিষ্ট অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি গঠন করেছে। শিক্ষাঙ্গনে বিশেষত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় র‌্যাগিং এবং কোনো কোনো ছাত্র সংগঠনের দর্পশালী নেতাদের দাপটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জিম্মি। তাদের সঙ্গে দর্পশালীরা প্রভুসুলভ আচরণ করেন এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। আমরা আশা করব, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আজীবনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি ও নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার কথাও ভাবা যেতে পারে।

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অধিবেশনে

BHRC’র নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১৯ ফেব্র“য়ারি ২০২০ থাইল্যান্ডের রাজধানীতে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য অভিবাসনের বিষয় আঞ্চলিক সিভিল সোসাইটি এবং স্টেকহোল্ডার সাথে পরামর্শ বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে যোগদান করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র একটি চৌখস টিম। BHRC’র পক্ষে টিম লিডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক। সম্মেলনে BHRC’র প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাজিব, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রায়হান সাদিক।
সম্মেলনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কর্মকান্ড বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম রাজিব। আলোচনায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও স্থান পায়। সম্মেলনে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কম্পোডিয়া, ফিজি, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া, জাপান, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, কুরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের প্রতিনিধিগণ যোগদান করে।



ধাক্কা খেলে রক্ষা নেই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত কয়েক দিন আগের ঘটনা। কাপড় ব্যবসায়ী শাহজাহান। কাপড় কিনে বস্তায় ভরে তিনি রিকশায় দোকানে যাচ্ছিলেন। শাহজাহানপুর মোড়ে রিকশাটি পৌঁছলে রিকশাচালক প্যাডেলে পা চালানো বন্ধ করে দেয়। রিকশাটি তিনি রাস্তার পাশে দাঁড় করান। ব্যবসায়ী শাহজাহান এ সময় রিকশা থামানোর কারণ জানতে চান। রিকশাচালক তাকে বলেন, ‘স্যার, প্যাডেলে সমস্যা হইতেছে।
পাথর দিয়া বাড়ি মারলে ঠিক হইয়া যাইবো। আপনে একটু রিকশা থেকে নামেন’। শাহজাহান রিকশা থেকে নেমে যান। রিকশাচালক রিকশাটি আরও একটু সামনের দিকে ঠেলে নিতে থাকে পাথরের অজুহাতে। পেছন পেছন হাঁটতে থাকে শাহজাহান। তার দৃষ্টি রিকশায়। হঠাৎ তিনি কাঁধে ধাক্কা খেলেন। দৃষ্টি ছুটে যায় রিকশা থেকে। তার সামনে দাঁড়ানো এক লোক, তাকে বলছে- কী ভাই কোথায় তাকিয়ে হাঁটছেন? আরেক লোক ইতিমধ্যে চলে এসেছেন। তিনি বলছেন, কী ব্যাপার ভাই, কী হলো এখানে। প্রথম লোকটি বলছে, দেখেন আমার বিস্কিটের প্যাকেট ফেলে দিয়েছে। শাহজাহান এ সময় রাস্তা থেকে প্যাকেটটি তুলে দিয়ে বলেন, ভাই মাফ করে দেন। আমি খেয়াল করিনি। এ কথা বলেই তিনি সামনে তার মালভর্তি রিকশার দিকে দৃষ্টি দেন। অনেক রিকশার ভিড়ে তার রিকশাটিকে তিনি চিনতে পারছেন না। অজানা আশঙ্কা করছেন তিনি। বুক কাঁপতে থাকে তার। দৌড়ে সামনের দিকে ছুটতে থাকেন। সামনের রিকশা, তার সামনের রিকশা, পাশের রিকশা-না, কোথাও মালভর্তি রিকশা দেখছেন না তিনি। মাত্র এক মিনিটেই কতদূর যাবে রিকশাটি। তাও মালের মালিককে না নিয়েই। তিনি আশপাশের রিকশাচালকদের জিজ্ঞাসা করেন, কেউ দেখেছেন কিনা মালভর্তি কোনো রিকশা। কিন্তু কারও কাছেই কোনো জবাব নেই। শাহজাহান যখন যানজটের রাস্তায় ছোটাছুটি করছিলেন, তখন পাশের একটি টং দোকানদার শাহজাহানকে বললেন, ‘ভাই, এভাবে খোঁজ করে পাবেন না। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন আপনি। আপনার মাল পাইবেন না। এতক্ষণে কই লইয়া গেছে, ঠিক আছে? কত দেখি এমন ঘটনা রাস্তায়।’ টং দোকানদারের কথায় যেন তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন। আরে তাই তো, তিনি তো প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এমন ঘটনা তিনি আগেও শুনেছেন। কিন্তু তার নিজের বেলায় যখন ঘটছিল, তখন তা বেমালুম ভুলে গেছিলেন। আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টের কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ। বাসা ঢাকার মোহাম্মদপুরে। ব্যক্তিগত কাজে আগারগাঁও আইডিবি ভবন থেকে একটি কম্পিউটার কেনেন। কাছাকাছি বাসা হওয়ায় কম্পিউটার নিয়ে তিনি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশায় চড়ে তিনি বাসার উদ্দেশে রওনা হন। রিকশাটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস দিয়ে শ্যামলী শিশুমেলা হয়ে কলেজ গেটের দিকে যাচ্ছিল।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গেটের সামনে পৌঁছা মাত্র রিকশার গতি কমে যায়। রিকশাচালক সাইড করেন রিকশা। তানভীর জানতে চান, কোনো সমস্যা হয়েছে কি না? রিকশাচালক তানভীরকে নামতে অনুরোধ করেন। তানভীর কম্পিউটার রিকশার পাদানিতে রেখে নেমে দাঁড়ান। রিকশাচালক রিকশার একটি চাকা ধরে পরীক্ষা করছেন। এ সময় তানভীরের পাশ দিয়েই ৪/৫ জন যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। একজন তাকে ধাক্কা দেয়। এমন ঘটনা নাকি ওইসব সড়কে প্রায়ই হচ্ছে। পল্টন থানা পুলিশ এমন প্রতারকচক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ওসি জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রতারণা করে আসছে। রিকশাচালকের বেশে এরা যাত্রীদের মালামাল লুটে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ এমন ধাক্কা পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীসহ সারা দেশেই তৎপর। তবে যারা কম্পিউটার বা মালামাল রিকশায় করে গন্তব্যে নিয়ে যান, তাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। রিকশা থেকে নেমে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়লে রিকশার সামনেই দাঁড়াতে হবে। এখন টহল পুলিশ থাকে সবখানে। তাদের সহযোগিতা অবশ্যই নিতে হবে।

 

লন্ডনে BHRC’র আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন-BHRC’র ইষ্ট লন্ডন উইম্যান্স ব্রান্স পক্ষ থেকে ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনজুআরা মনি। উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত কাউন্সিলর আয়শা চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন বড় বোন নাজ খান, ফেরদৌস আরা পাখি,হামিদা আকতার,লাকি সাহা,সারদি, পপি রানী নাথ, প্রভা সরকার,ইয়াসমিন ও বন্দু মহল অনেকেই। এই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে যা যা আয়োজন ছিল —: জাতীয় সংগীত,একুশে ফেব্র“য়ারি গান গেয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,বাচ্চাদের জন্য চিত্র অংকন এবং আরও ছিল বাচ্চাদের জন্য গিফট, বাচ্চার মাদের জন্য ছিল তাজা লাল গোলাপের শুভেচ্ছা,হরেক রকমের খাবারের আয়োজন ছিল, সবাই মাতৃভাষা সম্পর্কে গান, কবিতা আবৃত্তি, ছোট গল্প উপস্থাপনা করে ছিল । আলাদাভাবে বাচ্চাদের জন্য ও মায়েদের জ ন ্য কেক কাটার আয়োজন ছিল। আরও ছিল মাতৃভাষা সম্পর্কে আয়শা আপুর মুল ্যবান বক্তব্য। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো বাচ্চাদের সামনে ২১শে ফেব্রুয়ারি কি বা মাতৃভাষার ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। আমি সকল মাদের কে বাচ্চাদের বাংলা ভাষা সম্পর্কে চর্চা করানো। যতই যা বলিনা কেন আজকাল মায়েরা অনেক সচেতন।

 

 সাগরপথে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ট্রলারডুবিতে ১৫ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭২ জনকে। প্রায় ৫১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সেন্ট মার্টিনের ৭-৮ কিলোমিটার দূরে মঙ্গলবার সকালে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারে বেশ কয়েকজন তরুণীও ছিল। বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় ঘরসংসার বাঁধার স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা। যুবকদের লক্ষ্য ছিল শরণার্থী শিবিরের ক্ষুদ্র পরিসরে আটকে না থেকে উন্নত জীবনের খোঁজে স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় যাওয়া। কক্সবাজারে আশ্রিত ১৩৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী দালাল ধরে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে ট্রলারডুবির মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজ অন্তত ৫১ জনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ট্রলারডুবিতে নিহতের মধ্যে ১২ জনই রোহিঙ্গা তরুণী, যারা বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্নে দলবেঁধে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া অন্য তরুণীরা। বাকি তিনটি লাশ শিশুর। যে ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী ও দুটি শিশু। সম্প্রতি সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার ডুবে যায়। উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে বের হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় দুই দালালকে আটক করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের অনেকেই সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে। দালাল চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বিপুল অর্থ নিয়ে হতভাগ্যদের সাগরে ফেলে দিয়েছে- এমন নজিরও কম নয়। মালয়েশিয়ায় অভিবাসন পেতে ইচ্ছুকদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে। আমরা আশা করব, আটক পাচারকারী দলের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও কাম্য।


   বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার বার্ষিক সম্মেলন ৭ ফেব্র“য়ারি ২০২০ বিকেল ৩টায় নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি এএইচএম তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার, মন্ত্রী পরিষদের উপসচিব আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ নুরুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন।



 

 আমি নাম্বার ওয়ান মোদি দ্বিতীয় : ট্রাম্প

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফেসবুকে কে বেশি জনপ্রিয়। ট্রাম্প নাকি মোদি। ভক্ত সংখ্যায় কে বেশি এগিয়ে। প্রথমবার ভারত সফরে যাওয়ার আগে অদ্ভুত দাবি করে তার জবাব দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেসবুকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জনপ্রিয়তার তুলনা করে শনিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ফেসবুক দুনিয়ায় তিনিই ‘নাম্বার ওয়ান’ আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তার ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদি। নিজের টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি এটা একটা বড় সম্মান। মার্ক জুকারবার্গ (ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা) সম্প্রতি জানিয়েছেন, ট্রাম্প ফেসবুকে ১ নাম্বারে। মোদি রয়েছেন ২ নাম্বারে। প্রকৃতপক্ষে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমি ভারতে যাচ্ছি। এ সফরের জন্য আমি প্রহর গুনছি এখন।’ ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের সফরে ভারত সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প। নয়াদিল্লি ছাড়াও সফরের দ্বিতীয় দিনে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্যে গুজরাটের আহমেদাবাদে যাবেন তিনি। ট্রাম্পকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ উপায়ে ভারতে স্বাগত জানানো হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। ভারত এমনভাবে তাকে স্বাগত জানাবে যে তা চিরদিন মনে রাখবেন ট্রাম্প- এমন কথাও বলেছেন তিনি। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সম্মানীত অতিথিদের মনে রাখার মতো করে স্বাগত জানাবে ভারত।
এ সফর একটি বিশেষ সফর এবং এটি ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে আহমেদাবাদকে সাজাতে আনুমানিক খরচ হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি রুপি। সফরের দ্বিতীয় দিনে সস্ত্রীক ট্রাম্প গুজরাটের আহমেদাবাদে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করবেন। মোতেরা স্টেডিয়ামের ওই অনুষ্ঠানে হাজারও মানুষের সামনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ট্রাম্পের সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তবে ট্রাম্পের ভারত সফরের মূল উদ্দেশ্য, এ বাণিজ্য চুক্তি হলেও দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ রোধে যৌথ পদক্ষেপ নেয়াসহ নানা বিষয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
 

ভারতে ২০ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) কারণে ভারতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্ট নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস করে। এর ফলে যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই মুসলিম।এ নিয়ে অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বিগ্ন কিনা। জবাবে অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ বলেন, ‘অবশ্যই’। এটা প্রাসঙ্গিক যে, পৃথিবীর যেখানেই নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন বা সংশোধন হোক, সেখানে এমন উদ্যোগ থাকতে হয় যাতে মানুষের রাষ্ট্রহীন হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায় এবং পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ কোনো একটি দেশের নাগরিক এটা নিশ্চিত করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার নেয় ডন নিউজ। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কাশ্মীরে নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, শিশুদের অবরোধ করে রাখা নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও সম্প্রতি নয়া দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট সহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্ট নিয়ে। জবাবে অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ বলেন, কাশ্মীরে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে তা পরিষ্কার হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ হাই কমিশনারের দুটি রিপোর্ট সহ এসব রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসব রিপোর্ট সিরিয়াসলি নেয়া অত্যাবশ্যক।
ভারত দখলীকৃত কাশ্মীর উপত্যাকায় একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন ও নৃশংসতা তদন্ত করতে কেন জাতিসংঘ ব্যর্থ হলো? এ প্রশ্নের জবাবে অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ বলেন, জাতিসংঘের শুধু গভর্নিং বডি বা নিরাপত্তা পরিষদ ওই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ওইসব রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি স্বীকার করে নেন যে, জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো এবং স্থায়ী পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা জাতিসংঘের উদ্দেশ্য প্রয়োগের সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই জাতিসংঘ তো সংঘাত সমাধানের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের সক্ষমতা বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করতে হলে তিনি মনে করেন এতে সংস্কার করতে হবে অধিক গণতান্ত্রিক, অধিক উন্মুক্ত ও অধিক কার্যকর হিসেবে। নিশ্চিত করতে হবে আমরা বর্তমানে যে বহুজাতিক বিশ্বে বাস করছি তার যেন অধিক পরিমাণ প্রতিনিধি এতে থাকেন।
 

 

বন্দি ঘরেই ম্যারাথন দৌড় চীনা তরুণের


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারী। শহর থেকে বন্দর, রাস্তাঘাট- সব ফাঁকা। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো। একপ্রকার ঘরবন্দি জীবনযাপন করছে কোটি কোটি মানুষ। এমন দমবন্ধ স্থবির পরস্থিতির মধ্যে নিজেকে ফিট রাখতে ঘরের মধ্যেই ম্যারাথন দৌড়াচ্ছেন এক চীনা তরুণ। ছোট্ট একটি কক্ষের মধ্যে একটানা দৌড়ে চলেছেন তিনি। এক, দুই, তিন মিনিট নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এভাবে একবারে ৬৬ কিলোমিটার দৌড়িয়েছেন তিনি। এতে তার মোট সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। চীনের অন্যতম বড় শহর সাংহাইয়ের হাংঝুর এই তরুণের নাম পান শানচু। এএফপি বলছে, একদমে যে পরিমাণ পথ তিনি অতিক্রম করেছেন তাতে এমনিতেই তার স্বর্ণের মেডেল প্রাপ্য।
মহামারী করোনাভাইরাসে চীনসহ সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫২৬ জনে। এছাড়া শুক্রবার পর্যন্ত ৬৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে জনগণকে উৎসাহিত করছে চীন সরকার। এর অংশ হিসেবে বেশিরভাগ শহর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরামর্শ দেয়া হয়েছে ১৪০ কোটি মানুষকে আপাতত ঘরে থাকার। এর ফলে বেশিরভাগ মানুষই অনেকটা শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু ৪৪ বছর বয়সী শানচু বসে নেই। চলতি সপ্তাহেই তার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘরে আসবাবপত্রের চারপাশ দিয়ে একটানা দৌড়াচ্ছেন তিনি। এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে শানচু বলেন, ‘দৌড়ানো আসলে একটা নেশার মতো। আপনি যদি কিছুদিন না দৌড়ান, তাহলে আপনার পা চুলকাবে।’


 

 

তিন দিনে মিলবে পেনশনের টাকা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকারি চাকরিজীবীরা সারা জীবন চাকরি শেষে পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়েন। এখন থেকে আর এ দুর্ভোগে পড়তে হবে না তাদের। পেনশনে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তি কমাতে ছুটি নগদায়ন মঞ্জুরির আদেশ বিল দাখিলের তিন কর্মদিবসের মধ্যে পেনশনভোগীর ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে পেনশনের অর্থ। সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ছুটি নগদায়ন মঞ্জুরির আদেশ বিল দাখিলের তিন কর্মদিবসের মধ্যে পেনশনভোগীর ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা চলে যাবে। এ ছাড়া মাসিক সুবিধার টাকা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগে শুধু পেনশনের বিষয়টি দেখার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে।
 



Top

 পুলিশ পেশাদারিত্ব দেখালে দিল্লিতে এমন হতো না: ভারতের সুপ্রিমকোর্ট
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে সহিংসতায় লাফিয়ে লাফিয়ে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে। নিহতের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতির জন্য দিল্লি পুলিশকে তুলাধোনা করেছেন সুপ্রিমকোর্ট। শাহিনবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার আদালত বলেন, এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে আবেদন শোনার পরিবেশ-পরিস্থিতি এখন নেই। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
দিল্লি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিমকোর্ট বলেন, সহিংসতায় যারা উসকানি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এসকে কউল বলেন, পুলিশের পেশাদারি মনোভাবের অভাবে এমন ঘটেছে। আরেকটি কারণ হল তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা। আইন মেনে পুলিশ কাজ করলে অনেক সমস্যা মিটে যেত। কেউ উসকানিমূলক মন্তব্য করলে তখনই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল পুলিশের। এ সবের জন্য কারা দায়ী তা ঠিক করবে প্রশাসন। এ পরিস্থিতিতে আমরা কিছু বলব না।
শাহিনবাগ মামলা প্রসঙ্গে আদালত বলেন, আগে সব ঠাণ্ডা হোক। অনেক বড় ইস্যুর এ মুহূর্তে সমাধান দরকার। শুনানিতে সব পক্ষের কথা শোনা দরকার।
সুপ্রিমকোর্টে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে দয়া করে নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ করবেন না। তা হলে পুলিশের মনোবলে ধাক্কা লাগতে পারে।
এ প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পুলিশের উদাহরণ দিয়ে বিচারপতি কেএম জোসেফ বলেন, এ ধরনের হিংসা হলে ওই দেশগুলোতে পেশাদারি মনোভাবে কাজ করে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, পুলিশের মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না তারা। এটাই সমস্যার মূল কারণ। আইন মেনে পদক্ষেপ না করে, কেন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে তাদের?
সিএএর বিরুদ্ধে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে শাহিনবাগে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। শাহিনবাগের সেই রাস্তা খালি করানো নিয়ে আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। বুধবার সেটি শুনানিতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আদালত।

 

Top

করোনার কারণে চীনের বিকল্প না খোঁজার অনুরোধ রাষ্ট্রদূতের


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনের বিকল্প না খুঁজতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
১৭ ফেব্র“য়ারি ২০২০ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ডিকাব টকে এই আহ্বান জানান চীনা রাষ্ট্রদূত। ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।
লি জিমিং বলেন, পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধরনের (চীনের বিকল্প) পদক্ষেপ ব্যয়বহুল, অসম্ভব ও অপ্রয়োজনীয়।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন এক অভিন্ন শত্র“কে মোকাবিলা করছে। এটা ঠিক যে করোনভাইরাস সংক্রমণের মধ্য দিয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ জন্য কি চীনকে দায়ী করা যায়? মোটেই না।’
লি জিমিং বলেন, ‘রোগের বিস্তার চীনের উহানে, এটা সত্যি। কিন্তু এই রোগের উৎস যে চীনে, সেটা তো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তারপরও পশ্চিমা গণমাধ্যম এই রোগকে মেড ইন চায়না বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপকরণ (কিট) দিচ্ছে চীন। আগামীকাল মঙ্গলবার কিটগুলো বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭০ জন মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা ৭০ হাজার ৫৪৮। চীনের বাইরে অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ছয় শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফিলিপাইন, হংকং, তাইওয়ান, জাপান ও ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজন মারা গেছেন।

 


গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

চেয়ে হাই কোর্টে রিট
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে তার লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ সচিবকে এ নোটিস পাঠান। নোটিসে তাদের তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়। কিন্তু নোটিসের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
 


গুলি করে হত্যা করা হলো করোনা রোগীকে!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফিরেছিলেন চীন থেকে। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে বলে সন্দেহ। এজন্য তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু তিনি নিয়ম ভেঙে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন। এই অপরাধে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডং-আ ইলবো এর বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীনে করোনাভাইরাস ব্যাপক ছড়ালেও উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছিল, সেখানে সংক্রমণ হয়নি। তবে এ ঘটনার পর পিয়ংইয়ংয়ের দাবি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন থেকে ফেরা ওই ব্যক্তির থেকে ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে ভেবে তাঁকে আটক করে গুলি করা হয়। উত্তর কোরিয়ান নেতা কিম জং-উন অনুমতি ছাড়া কোয়ারেন্টাইন ত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক আইন জারি করেছেন। ডং-আ ইলবো জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় বেশ কিছু করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে আক্রান্ত হয়ে সম্ভাব্য মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।
তবে পিয়ংইয়ংভিত্তিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, তাঁরা দেশটিতে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর কোনো ঘটনা নিশ্চিত হতে পারেননি।

 

একুশের চেতনা আমাদের অনুপ্রেরণা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, অমর একুশের চেতনা আমাদের অনুপ্রেরণা। ভাষা আমাদের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। স্থান-কাল নির্বিশেষে এ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভাষায় কথা বলার অধিকার আছে। যারা নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য ১৯৫২ সালে জীবন দিয়েছিলেন, সেই ভাষা শহীদদের প্রতি সালাম জানাতে পেরে আমি গর্বিত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলায় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গেয়ে শোনান।




নারী যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে চালকের বিরুদ্ধে শাস্তি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাশের সিটে বসা নারী যাত্রীর সঙ্গে কথা বললেই বিভাগীয় শাস্তি নেয়া হবে তামিলনাড়ুর কয়েম্বাটোরের সরকারি বাস চালকদের বিরুদ্ধে। নারী যাত্রীদের সঙ্গে চালক কথা বলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন বলে এমন সরকারি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ জারি করেছে তামিলনাড়ু রাজ্যের পরিবহন করপোরেশন, কয়েম্বাটোর। তাদের এ সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলের বাস চালকরা বিস্মিত। এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, সংশ্লিষ্টদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নারী যাত্রীদের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে গিয়ে চালকরা অমনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ১৯ শে জানুয়ারি তাদেরকে সতর্ক করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, যারা এই আইন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটতে এক সেকেন্ডেরও অনেক কম সময় লাগে।
তাই অপ্রয়োজনে ওভাবে অমনযোগী হওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ইনাইয়ুম কাইগাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের এম রাধাকৃষ্ণ বলেন, এমন অনেক সময় আছে যখন কন্ডাক্টর থামতে বলা সত্ত্বেও চালক গাড়ি থামান না। এ সময় চালক আলাপচারিতায় এতটাই মত্ত থাকেন যে, যাত্রী নামছে না উঠছে সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকে না। অন্যদিকে চালকরা বলছেন, এমন কথোপকথান হয় খুব দরকারি ব্রেকের সময়। চালক ডি আর রমেশ বলেছেন, এর আগে প্রায় একই রকম একটি আইন করা হয়েছিল কন্ডাক্টরদের জন্য। তাদেরকে বাসের সিট দখল করে বসা বারণ করা হয়েছিল। তবে নারীদের সঙ্গে কথা বলায় যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে তাদের সিট বিন্যাসটা পরিবর্তন করা উচিত। চেন্নাইয়ের মতো না হয়ে কয়েম্বাটোরে লোকাল বাসের সিট বিন্যাস একটু ভিন্ন। এতে শেষের ৬ বা ৭টি সারিতে আসন থাকে পুরুষদের। নারীদের জন্য সামনের অর্ধেক অংশ রাখা। যদি নারীরা সিট না পান, তাহলে তারা চালকের পাশে বনেটের ওপর বসে পড়েন। কয়েম্বাটোরে চালকের পাশে এমন সিটে নারী বা যাত্রী বসা খুব সাধারণ বিষয়।
 

ধনী-গরিব গড় আয়ুর পার্থক্য ১৯ বছর

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অর্থের সঙ্গে জীবনযাত্রার মান যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি মানুষের আয়ুও! বাস্তবে তাই দেখা গেছে। উচ্চ আয়ের মানুষদের তুলনায় গড় আয়ুতে পিছিয়ে আছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। একটি শিশু নিম্ন আয়ের পরিবারে জন্ম নিলে তার গড় আয়ু হয় ৫৯ বছর। আর উচ্চ আয়ের ঘরে জন্ম নিলে তার গড় আয়ু হয় ৭৮ বছর। এই দুই ধরনের পরিবারে জন্ম নেওয়া মানুষের গড় আয়ুর মধ্যে পার্থক্য ১৯ বছর। জীবন-মৃত্যু, জ্ঞান-সুযোগ এবং জীবন-পরিবর্তনীয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অসমতা থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) একটি বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেছে। এসময় বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংস্থাটি তাদের গত বছরের (২০১৯) মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সার সংক্ষেপ বাংলায় প্রকাশ করে। ওই রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রোগের প্রতিষেধক সরকারি টিকাগুলো দেয়। তারা এর বাইরে অন্যান্য টিকাগুলো দিতে পারে না। আর উচ্চ আয়ের পরিবারের শিশুরা নয় বছর বয়স পার করলেই মেয়েরা ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ নানা রোগের টিকা দিয়ে থাকে। যেগুলো অর্থ দিয়ে কিনে দিতে হয়। জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও তারা উন্নত বা ব্যয়বহুল চিকিৎসার সুযোগ পায়। এই সুযোগটা নি¤œ আয়ের পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে হয় না। চিকিৎসা নেওয়ার সক্ষমতার কারণেই এই পার্থক্যটা বাড়ছে। এসব কারণে শৈশব কালে এই গ্যাপটা তৈরি হচ্ছে। এ কারণেই গড় আয়ুর ক্ষেত্রে এই পার্থক্যটা দেখা দেয়।

 

আইসিজের রায় মানতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকার এক আলোচনায় দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলেছেন, রাখাইনে গণহত্যা বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজের অন্তবর্তী রায় বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই রায়ে মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্টভাবে চার দফা পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত। ওই রায় কার্যকর হলে প্রত্যাবাসনের পথও সুগম হবে এমন মন্তব্য করে তারা বলেন, রায় বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বৈশ্বিক চাপ আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে প্রভাবশালী দেশগুলোকে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। আর এ জন্য ঢাকাকেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করা জরুরি। মঙ্গলবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড স্টাডিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ যৌথভাবে ‘রোহিঙ্গা: রাখাইনে ন্যায়বিচার ও অধিকার প্রয়োজন’ শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করে।
রাজধানীর ব্র্যাক ইনের ওই আয়োজনে সঞ্চালনা করেনÑ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। প্যানেল আলোচনায় স্বাগত বক্তৃতা দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সাংসদ ও অ্যাটর্নি জেনারেল ফিলিপ রডক বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগে মিয়ানমারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের আচরণে গুণগত পরিবর্তন আনতে এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ। আর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যে জরুরি সে বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে একমত হতে হবে। এজন্য চীন ও রাশিয়াকে রাজি করাতে হবে। বৃটেনে প্রবাসী রোহিঙ্গাদের সংগঠন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানেইজেশনের সভাপতি ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তুন খিন বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের আদি নিবাসে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে চায়। তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব চায়।
তিনি বলেন, বর্মী সেনারা রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্বিচারে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে বাস্তুচ্যুত করেছে। বেসামরিক নেতৃত্ব রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের পরিবর্তে জাতীয় যাচাই পত্র দেয়া, রোহিঙ্গাদের জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া আর মিয়ানমারের সমাজে ঘৃণার বিস্তার করেছে। কাজেই রোহিঙ্গাদের দূর্ভোগের জন্য সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব উভয়েই দায়ী। মুক্ত আলোচনায় সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি এন্ড গর্ভানেন্সের সিনিয়র ফেলো মো. শহীদুল হক বলেন, আইসিজের রায়ের পর অনেকের মাঝে আত্মতুস্টি দেখতে পাই।
মনে হচ্ছে, আমাদের যা দরকার সেটি অর্জিত হয়ে গেছে। এ ধরনের ভাবনা অত্যন্ত বিপজ্জনক। গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমারের ওই মামলার নেপথ্যে কাজ করা মিস্টার হক বলেন, জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের কিছু কিছু সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার ওই মামলার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ দিতে হবে।


 

 বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করল জাতিসংঘ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একুশে ফেব্রুয়ারিকে উপলক্ষ করে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) একটি বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেছে। এছাড়া বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংস্থাটি তাদের গত বছরের (২০১৯) মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সার সংক্ষেপ বাংলায় প্রকাশ করেছে। ২১ ফেব্র“য়ারি ঢাকার একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এই বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেন। এখন সবাই ইউএনডিপি’র ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সংস্থাটি জানায়, বাংলা বর্ণমালার যুক্তাক্ষর ও মাত্রাসহ অন্যান্য বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এই ফন্ট তৈরি করা হয়েছে।
ইউএনডিপি’র ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সার সংক্ষেপ বাংলায় রচনা করেছেন ড. সেলিম জাহান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিবেদন তৈরি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার পর স¤প্রতি অবসরে গেছেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, এই রিপোর্টে একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য আছে। তা হলো নিম্ন আয়ের ঘরে একটি শিশু জন্মালে তার গড় আয়ু হবে ৫৯ বছর। আর উচ্চ আয়ের ঘরে জন্মালে ওই শিশুর গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াবে ৭৮ বছর। অর্থাৎ জন্ম থেকেই নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মধ্যে বৈষম্য শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পাঁচ থেকে ১০ লাখ কোটি ডলার তহবিল প্রয়োজন হবে। এর একটি অংশ সরকার সরবরাহ করবে। বাকি অংশ বেসরকারি খাত ও উচ্চ আয়ের দেশ এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলো এখন স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশকে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহায়তা দিচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপির মতো সংস্থা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ইউএনডিপির প্রশংসা করে তিনি বলেন, অন্যান্য অনেক দেশে জাতিসংঘের অর্থ অপচয় বা নষ্ট হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এর পরিমাণ অত্যন্ত কম। এ কারণে ইউএনডিপি বাংলাদেশে একটি সফল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলা ভাষায় মানব উন্নয়ন রিপোর্টের লেখক সেলিম জাহানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সেলিম এখন অবসরে গেছেন। কিন্তু তিনি এখনও একটি সম্পদ।
ড. সেলিম জাহান বলেন, মানব উন্নয়ন রিপোর্ট প্রথম উদ্বোধন হয় ১৯৯০ সালে। এর পরের বছর এই রিপোর্ট বাংলায় প্রকাশিত হয়, সেটিরও রচয়িতা ছিলাম আমি। বাংলাদেশের জন্য প্রতিবছর সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই ফ্রন্ট আমাদের নিজস্ব সম্পদ।

 

Top

৭ মার্চ জাতীয় দিবস ঘোষণা করে হাই কোর্টের রায়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১-এর যে দিনটিতে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এই মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা -উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে বলেছে আদালত। এ সংক্রান্ত একটি রিটে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে ২১ ফেব্র“য়ারি ২০২০ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি এ এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের ভাষণের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

 
পেটে লাথি খেয়ে ‘অলৌকিক শিশু’র জন্ম দিলেন শাবানা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উত্তাল ভারতের দিল্লি এখন রণক্ষেত্র। এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২ শতাধিক। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পরিণত হয়েছে।
অনেক মুসলিম পরিবারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িঘর-দোকানপাট।
এই সহিংসতার মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছিলেন শাবানা পারভিন নামের এক মুসলিম নারী।
৩০ বছর বয়সী এই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পেটে লাথি খেয়েও একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম শিশুটিকে ‘মিরাকল বেবি’ বা ‘অলৌকিক শিশু’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
জানা যায়, উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাওয়াল নগরের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা শাবানা এবং তার স্বামী সহিংসতার মধ্যে পড়ে যান। এ সময় তাদের ওপর উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন করা হয়। পেটে এলোপাতাড়ি লাথি খেয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েন শাবানা ও তার অনাগত শিশু। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শাবানা। বুধবার একটি সুস্থ ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম পুরো ঘটনাটিকেই মিরাকল হিসেবে দেখছে। পারভিনের শাশুড়ি নাসিমা বলেন, রাতে হঠাৎ দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন আমরা ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। অতর্কিত হামলায় পালিয়ে যেতে পারিনি। নাসিমার ভাষ্যে, পারভিনের ওই অবস্থায় কীভাবেই বা পালিয়ে যাই! দুষ্কৃতিকারীরা ধর্ম তুলে গালিগালাজ করে। তার ছেলেকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন। তাকে শাবানা বাধা দিতে গেল, তার ওপরও হামলা চালানো হয়। নাসিমা বলেন, পেটে লাথি মারে দুষ্কৃতিকারীরা। এরপরই পারভিনের শুরু হয়ে যায় প্রসব যন্ত্রণা।
রাস্তায় ইটপাটকেল, কাচের টুকরো, লোহার রড এদিক-ওদিক ছড়িয়েছিল। বাতাসে গুমোট আতঙ্ক। জাফরাবাদ, মৌজপুরসহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকার ছবি কার্যত এক। ওই অবস্থায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তার স্বামী। প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি নিতে অস্বীকার করে ওই হাসপাতাল। বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠিকানা। কোনোভাবে পারভিনকে হারাতে চান না তার স্বামী। ছুটে যান অল-হিন্দ হাসপাতালে। সেখানেই পুত্র সন্তান জন্ম দেন শাবানা।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মা-ছেলে দুজনই ভালো আছে। যে সংকটজনক অবস্থায় শাবানা ছিলেন, তাতে সদ্যোজাত যে সুস্থ, তা দেখে অবাক চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, শাবানা ‘মিরাকল বেবি’-র জন্ম দিয়েছেন।
 


 হিন্দুকন্যার বিয়ে পাহারায় মুসলিমরা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একদিকে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছিল দাঙ্গা। হিন্দু ও মুসলিম দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছিল দিল্লির আকাশ-বাতাস। এর মধ্যে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ এক শহরতলিতে কনে সেজে বসেছিল এক হিন্দু নারী। ১৮ ফেব্র“য়ারি তার বিয়ে ছিল। বিয়ের সাজে সেজে, হাতে মেহেদি রাঙিয়ে, শরীরে হলুদ মেখে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল ২৩ বছর বয়সী সাবিত্রি প্রসাদ। কিন্তু আচমকাই একদল দাঙ্গাকারী দরজা ভেঙে তাদের বাড়িতে বিয়ে ভেঙে যায়। সাবিত্রি জানান, তিনি একাধারে কেঁদে চলেছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে তার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বিয়ে ভেঙে গেলেও ভেঙে পড়েনি সাবিত্রির পরিবার। সেদিনই ফের বিয়ের আয়োজন করলেন তারা। তার বাবা জানান, আমার মুসলিম প্রতিবেশীরা তার পরিবারের মতো। তাদের উপস্থিতিতে তিনি স্বস্তি পেয়েছিলেন। বিয়ের দিন তাদের বাড়িতে গিয়েছিল রয়টার্সের একটি টিম। সাবিত্রি তাদের সেদিন বলেন, আমার মুসলিম ভাইরা আমায় রক্ষা করছে।
পুরো অনুষ্ঠান হয় সাবিত্রির বাড়িতেই। চান্দবাগ জেলায় ইটের তৈরি ছোটখাটো এক বাড়ি। এর থেকে কয়েক কদম দূরে অবস্থিত মূল সড়ক যেন যুদ্ধের ময়দান। সেখানে পড়ে ছিল পোড়া গাড়ি, পাশেই ভাঙা দোকান, জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল নিকটস্থ এক মসজিদ। পুরো এলাকাজুড়ে সংঘর্ষের চিহ্নস্বরূপ পড়ে ছিল অসংখ্য পাথর। সেদিন চান্দবাগ ও দিল্লির অন্যান্য এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ৩২ জন। পরবর্তীতে সে সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হন কয়েকশ’ হিন্দু-মুসলিম।
হামলাকারীরা আমাদের এলাকার নয়
সোম ও মঙ্গলবারের দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে সাবিত্রির বাবা ভোদয় প্রসাদ বলেন, আমরা ছাদে গিয়ে চারপাশে কেবল ধোঁয়া আর ধোঁয়া দেখতে পাই। এটা লোমহর্ষক। আমরা কেবল শান্তি চাই। তিনি জানান, বহু বছর ধরে মুসলিমদের সঙ্গে ওই এলাকায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাস করছেন তারা। হামলাকারীরা তার এলাকার ছিলেন না। বলেন, যারা এই সহিংসতায় যুক্ত ছিল তাদের আমরা চিনি না। তারা আমাদের প্রতিবেশী না। এখানে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই।
সোমবার সহিংসতা ভয়াল আকার ধারণের আগেই হাতে মেহেদি লাগিয়েছিলেন সাবিত্রি। তারা আশা করেছিলেন মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ওঠবে। কিন্তু তা হয়নি, বিয়ে ভেঙে যায়। সহিংসতা বুধবার কিছুটা কমলেও দোকানপাট বন্ধ ছিল। বেশিরভাগ মানুষই নিজঘর থেকে বের হয়নি। এর মাঝেই বিয়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন ভোদয়। সাবিত্রিকে সাজতে সাহায্য করেছিল তার চাচাতো বোন পূজা। তিনি বলেন, হিন্দু বা মুসলিম, আমরা সবাই মানুষ। সবাই সহিংসতা ভয় পাই। এই লড়াই ধর্মের নয়। এটাকে এমন দেখানো হচ্ছে।
বিয়েতে সাবিত্রিকে আশীর্বাদ জানাতে হাজির হন তাদের মুসলিম প্রতিবেশীরা। এমন একজন হচ্ছেন আমির মালিক। তিনি বিয়ের দিন আরো বেশ কয়েকজনকে নিয়ে সাবিত্রিদের বাড়ির সুরক্ষার দায়িত্ব নেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের হিন্দু ভাইদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করি। তাদের জন্য আমরাই সব। আগ থেকেই এমনটা চলে আসছে। আমরা তাদের পাশে আছি।
বিয়েতে সাবিত্রির দূরের কোনো আত্মীয় যোগ দিতে পারেনি। সে প্রসঙ্গে ভোদয় বলেন, আজ আমার মেয়ের বিয়েতে আমাদের কোন আত্মীয় যোগ দিতে পারেনি। কিন্তু আমাদের মুসলিম প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে আছে। তারা আমাদের পরিবার।

 

দূষণের শীর্ষে ঢাকার বায়ু

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে (শীর্ষে) উঠে এসেছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২৮৭, যার অর্থ হচ্ছে এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং এ অবস্থায় সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৯০ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ু দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
 

কুরআন ছুঁয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ প্রধানের শপথ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে পুলিশ প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। ইব্রাহিম বেকুরা ১৭তম পুলিশ প্রধান হিসাবে কুরআন ছুঁয়ে শপথ নেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের পেটারসন শহরের পুলিশ প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। শহরটির মেডর আন্ড্রে সাইয়েগ বলেন, ইব্রাহিম আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম তুর্কি পুলিশ প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি পেটারসন শহরের প্রথম মুসলিম পুলিশ প্রধান।
শপথ অনুষ্ঠানটি জাতীয সংগীত এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সির তুর্কি সম্প্রদায়ের সদস্য, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এবং ইব্রাহিমের পরিবার ও আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ইব্রাহিম বেকুরা বলেন, ৩২ বছর ধরে আমেরিকায় আছি। এখানে পুলিশ বিভাগে চাকরি করেছি। শিশুকাল থেকে পেটারসনে বসবাস করে আসছি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পদে আসীন হওয়ার সময় অনেক মুসলমান কুরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়েছেন।

 

রোহিঙ্গাদের পক্ষে আদালতে আমাল ক্লুনি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার জন্য সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ করেছে মালদ্বীপ। তিনি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার চাইতে লড়বেন। মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে মালদ্বীপ। সূত্র : রয়টার্স। আমাল ক্লুনি প্রখ্যাত এক আইনজীবী এবং বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী। ক্লুনি এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে জাতিসংঘে আইনি লড়াই করেছেন। ক্লুনিকে উদ্ধৃত করে মালদ্বীপ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক পথ বাকি। আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারের জন্য চেষ্টা করব। প্রসঙ্গত, আমাল ক্লুনি সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদের পক্ষে জয়লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছিল।


সংখ্যালঘুর মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দুটো দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করে আমার মনে হয়েছে, সংখ্যালঘুর নিজস্ব কিছু মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থাকে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যেও এই জটিলতা কাজ করে। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রমশ তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাতে থাকে। এর সাথে যোগ হয় নিরাপত্তাহীনতা ও সম্পদ লুণ্ঠনের ঝুঁকি। গত এগারো বছর আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অনেক হ্রাস পেলেও একেবারে বন্ধ ঢুকে পড়ে। তার
হয়নি। বর্তমানের ভালো দিক হলো, রাষ্ট্র অন্তত সংখ্যালঘু নির্যাতনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে না।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি সংখ্যালঘুদের এই মানসিক কষ্টটুকু বুঝি। আমি মনে প্রাণে তাই অসাম্প্রদায়িকতা অনুশীলন করার চেষ্টা করি। যে কারণে বিশিষ্ট নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দেবেশ তালুকদারের নাম আমার অন্যতম প্রিয় বন্ধুর তালিকায় জ্বলজ্বল করে। মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থেকে উৎসারিত কোন অসংলগ্নতা তাই আমাকে স্পর্শ করে না।


বিকাশে ভুলে অন্য নাম্বারে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে করণীয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমানে আর্থিক লেনদেন করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্চে । মোবাইল নাম্বার দিয়ে মিনিটেই অনেক দূরে থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। নাম্বারের মাধ্যমেই এই লেনদেন চলে। কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়।
এ সমস্যায় পড়লে কী’ করবেন, তা জানা নেই অনেকের। তাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। চিন্তা ছেড়ে জেনে নিন কি করলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। বিকাশ একাউন্ট থেকে ভুলবশত কোন নাম্বারে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করুন। যতো দ্রুত সম্ভব জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং আপনার সমস্যা জানান।
টাকা ভুল নাম্বারে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নাম্বারে টাকা চলে গেলে, তা ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে, আপনার করার কিছুই থাকবে না। অতএব টাকা উঠানোর আগেই, জিডি কপি এবং মেসেজসহ যদি বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করেন, তারা টেম্পোরারি ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট লক করে, উনার সঙ্গে কথা বলবে।
প্রাপক যদি তখন জানায় হ্যাঁ টাকা এসেছে, বিকাশ অফিস থেকেই টাকা স্থানান্তর করে দিবে। যদি তিনি নিজের টাকা দাবী করেন, তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তী ৬ মাসে যদি তিনি না আসেন, তাহলে প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।
পরবর্তী ৬ মাসে অ্যাকাউন্ট ঠিক না করলে অ্যাকাউন্টটি অটো ডিজেবল হয়ে যাবে চিরতরে এবং প্রেরক আদালতের সাহায্য নিয়ে টাকা আনতে পারবেন। এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।


জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ, ওআইসির নিন্দা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। মুসলিমদের টার্গেট করে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ঐ সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জন ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানান তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব নিবিড়ভাবে দিল্লি পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন। বিক্ষোভকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে দেওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংযত থাকা উচিত। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ শান্ত করা এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি জানান, ব্যক্তি জীবনে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষায় অনুপ্রেরণা পান জাতিসংঘ মহাসচিব। গান্ধীর আদর্শের আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন

থমথমে দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিল্লিতে সহিংসতা আপাতত থেমেছে। তবে পরিস্থিতি থমথমে। গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। সহিংসতার তদন্তে সরকার দুটি বিশেষ তদন্ত দল এবং কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে। গুরুগ্রামে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সহিংসতার মধ্যেও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালও বলেছেন, কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে নয়, প্রতিবেশী দেশে সহিংসতার শিকার মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) করা হয়েছে। দিল্লি কিছুটা শান্ত হতেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। পুলিশ জানায়, দিল্লির সহিংসতার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে। গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি যেন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। থমথমে দিল্লিতে ঘর থেকে বের হতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। দাঙ্গায় নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গতকাল অবশ্য দোকানবাজার কিছুক্ষণ খোলা রাখতে কোথাও কোথাও কারফিউ শিথিল করা হয় কয়েক ঘণ্টার জন্য। গত রবিবারের পরেই অ্যালার্ট জারি হয়েছিল গুরুগ্রামে। গতকাল জুমার নমাজের প্রাক্কালে সেই অ্যালার্ট আরো কঠোর করা হয়। নিরাপত্তার কথা ভেবে সিএএর বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কারা অর্থ জোগাচ্ছে তা খুঁজে বের করতে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা গতকাল অভিযুক্ত আপ নেতা তাহির হুসেনের বাড়িতে যান। তিনি সহিংসতায় মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। যদিও তিনি সব অস্বীকার করেছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে রাজ্যের জোট সরকার। শুক্রবার এই ঘোষণা দেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিক। বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনেই আনা হবে সেই বিল।
সোনিয়া গান্ধীর তদন্ত দল গঠন
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলো পরিদর্শন এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তাদেরকে। এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুুল ওয়াসনিকও।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

বিশ্বের প্রতিটি শিশু তাৎক্ষণিক হুমকিতে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

জলবায়ু পরিবর্তন ও নিচু মানের খাবার থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে শিশুদের রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব। এতে বিশ্বের প্রতিটি শিশু ‘তাৎক্ষণিক হুমকির’ (ইমিডিয়েট থ্রেট) মুখে রয়েছে। আজ বুধবার জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য বিষয়ক কমপক্ষে ৪০ জন বিশেষঙ্গের মতে, কার্বন নির্গমন, প্রকৃতির ক্ষতিসাধন, উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য থেকে যে ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষায় পর্যাপ্ত করছে না বিশ্বের কোনো একটি দেশ। তারা বলেছেন, অতিমাত্রায় কার্বন নির্গমন সব শিশুর ভবিষ্যতকে হুমকিতে ফেলছে। এতে তাদের ওপর অতিরিক্ত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাপদাহ থেকে শুরু করে মৌসুমি বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে এসব বিষয়। আর ওই কার্বন নির্গমণ করছে বেশি ধনী দেশগুলো।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এতে বলা হয়, ওই রিপোর্ট অনুমোদন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। এতে উচ্চ মাত্রার চর্বি, চিনি সমৃদ্ধ খাবার, এলকোহল ও তামাকজাত পণ্যের বাজারজাতকরণ থেকে শিশুরা যে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড হেলথের ডাইরেক্টর এবং ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড হেলথের প্রফেসর অ্যান্থনি কস্টেলো বলেছেন, সবচেয়ে বড় খবরটি হলো বিশ্বের একটি দেশও বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করছে না। তিনি বলেন, যখন আপনি দেখবেন বায়ু দূষণের কারণে শিশুদের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে তখন দেখবেন হাতে খুব কম সময়ই আছে এর সমাধান করার জন্য। আমাদের কাছে এর সমাধান আছে। কিন্তু আমাদের নেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যারা এই সমাধানটা করবেন।
রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানচেট নামের মেডিকেল জার্নালে। এতে ১৮০টি দেশের শিশুদের বেঁচে থাকা, শিক্ষা ও পুষ্টির বিষয় আমলে নিয়ে র‌্যাংকিং করা হয়েছে। এতে ধনী দেশ যেমন নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডের তুলনায় দুর্বল পারফর্ম করছে অনুন্নত দেশ যেমন মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, বিশ্ব এখনকার শিশু ও তরুণদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্যের যতœ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের এই গ্রহকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ৫ বছর বয়সের নিচে এমন প্রায় ২৫ কোটি শিশু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঝুঁকিতে আছে। তারা বসবাস করছে অপুষ্টি, দারিদ্র্যে। একই সঙ্গে বিশ্বে মোটা হয়ে যাওয়া শিশুর সংখ্যা ১৯৭৫ সাল থেকে ১১ গুন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ। কিছু কিছু দেশের শিশুরা এক বছরে টেলিভিশনে ৩০ হাজারের মতো বিজ্ঞাপন দেখে। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় শুধু এক বছরে শিশুরা এলকোহলের বিজ্ঞাপন দেখে ৫ কোটি ১০ লাখ বার। কস্টেলো বলেন, এসব শিল্পকে নিয়মতান্ত্রিকতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব। এ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। কারণ, শিশুদের উদ্দেশ্য করে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
 

বাল্যবিবাহ করতে এসে বর শ্রীঘরে
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাল্যবিবাহের দায়ে বরকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বর ও কনের পিতাকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার দিবাগত রাতে পৌরসভার নারিকেল বাড়ি গ্রামে। জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কামারটারী গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র আরিফুল ইসলাম আরিফ (২২) এর সঙ্গে পৌরসভার নারিকেলবাড়ির শটিবাড়ি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর স্কুলপড়ুয়া কন্যা হালিমা আক্তার (১৪) বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। বাল্য হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহের অপরাধে বর আরিফুল ইসলাম আরিফকে ১০ দিনের কারাদণ্ড এবং বরের বাবা নুর ইসলামকে ৫ হাজার ও কনের বাবা ইব্রাহিম আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হালিমা আক্তার উলিপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


শিশুরা অনিরাপদ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে কার্বন নিঃসরণজনিত ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশের শিশুরা। বিভিন্ন দেশে শিশুদের পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ ও ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালের করা এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষায় তারা ‘ফ্লারিশিং ইনডেক্স (সমৃদ্ধি নির্দেশক)’ ও ‘সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স (উন্নয়ন নির্দেশক)’ নামে দুটি সূচক বা নির্দেশকে ১৮০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। সমীক্ষার ফলাফল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রকাশ করা হয়।
ফ্লারিশিং ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩। আর সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স বাংলাদেশের অবস্থান উপরের সারিতে ৩৯-এ। ৪০ জন শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়ে এ সমীক্ষা চালানো হয়। একটি দেশে শিশুরা সামাজিকভাবে কতটা সুরক্ষিত, তাদের হিংসার শিকার হতে হয় কি না, শিশুদের শিক্ষার ও খাদ্যের অধিকার রক্ষা করা হয় কি না, শিশু আত্মহত্যার হার কত, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার কত, এই ধরনের বেশ কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে সমীক্ষকরা তৈরি করেছিলেন ফ্লারিশিং ইনডেক্স।
শিশুদের সমৃদ্ধির এ তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থান ১৪৩। এ সূচকে বাংলাদেশের শিশুরা অনিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় অবস্থান ও সমীক্ষার ব্যাখ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
সমৃদ্ধি সূচকের সবার উপরে রয়েছে নরওয়ে। সেরা ১০ এর অন্য দেশগুলো হলো- কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, জাপান, বেলজিয়াম, আইসল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। তলানির দেশগুলো হলো মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাঁদ, সোমালিয়া, নাইজার, মালি, গুয়েনা, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন ও আফগানিস্তান। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান-১৩৩।
শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও সাসটেইনেবিলিটি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। এ সূচকে মানদন্ড ছিল- একটি দেশ কতটুকু কার্বন নিঃসরণ করে এবং ভবিষ্যতে কতটুকু করবে। এখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯। যেখানে কার্বন নিঃসরণে ফলে বাংলাদেশের শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে নেই।
এ তালিকায় সবার উপরে রয়েছে বুরুন্ডি। সেরা ১০ এর অন্য দেশগুলো হলো চাঁদ, সোমালিয়া, কঙ্গো, কেন্দ্রীয় আফ্রিকা, মালাউ, রাওয়ান্ডা, মালি, নাইজার ও মাদাগাস্কার। তালিকার তলানির দেশগুলো হলো কাতার, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কাজাখাস্তান ও লুক্সেমবার্গ। ৭৭ অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত।

 

টঙ্গিবাড়ীকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ১০টায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সদরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। পরে উপজেলা প্রাঙ্গণে এই নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভুতু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। এরপর সচেতনারোধে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

কারাগারে প্রেমিকযুগলের বিয়ে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। আর তখনই এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বসে প্রেমিক। কোনভাবেই বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে অবশেষে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন প্রেমিকা। মামলার আসামী হয়ে প্রেমিকের ঠিকানা হয় জেল। একবছরের অধিক সময় থেকে তিনি কারাবাস করছেন। পরে আদালতের নির্দেশে হাজতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৫ ফেব্র“য়ারি ২০২০ বিকেল ৩টার দিকে কারাগারের অফিস কক্ষে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে তাদের এক বছরের ছেলে উপস্থিত ছিলো।
বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা চিনাশুখানিয়া এলাকার আবদুল হকের ছেলে মো. স্বপন এবং কনে একই এলাকার মেয়ে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এবং বর ও কনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দু’বছর আগে শ্রীপুর উপজেলা চিনাশুখানিয়া এলাকার আবদুল হকের ছেলে মোঃ স্বপন একই এলাকার ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের ওই সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে মোঃ স্বপন সব কিছু অস্বীকার করেন। উপায় না পেয়ে ওই মেয়েটি শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। একপর্যায়ে এ মামলায় উচ্চ আদালত তাদের দু’জনের বিয়ের নির্দেশ দেন। পরে দু’পক্ষের পরিবারের উপস্থিতিতে কারাগারে তাদের দু’জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার বাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশেই কারাগারের অফিস কক্ষে মোঃ স্বপন এবং ওই মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় বর ও কনের বাবা-মা, তাদের এক বছরের ছেলে ও পরিবারের আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কাজী আশরাফুর আলম তাদের বিয়ে পড়ান। স্বপন ২০১৮ সালের ১৮ই ডিসেম্বর থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

 

কারাগারে বিদেশি বন্দি ৫৭৭


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারাগারে বিভিন্ন দেশের বন্দি রয়েছেন ৫৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন ৮৭ জন। এই ৮৭ জনের মধ্যে ৬ জন বিদেশি নারী। মাদক চোরাচালান, অবৈধ উপায়ে স্বর্ণ পাচার, নানারকম প্রতারণা, জাল ডলার ব্যবসা, পাসপোর্ট জটিলতা, অবৈধ ভিওআইপি’র ব্যবসা ও মানব পাচারের অভিযোগে বন্দি রয়েছেন তারা। জামিন ও আইনগত জটিলতায় প্রায় ১২ জন বন্দি জেলখানা থেকে মুক্ত হতে পারছেন না । বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে জানালেও কোন সমাধান মেলেনি। তবে কারা কর্তৃপক্ষ ওইসব দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। একাধিক বন্দির খোঁজ পাওয়া গেছে যে, তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন লাভের পরও আবারও নতুনভাবে জড়িয়ে পড়েছেন নানা অপরাধে। পুলিশ আবারও তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের পাঠিয়েছেন কারাগারে। ওইসব বন্দিরা অধিকাংশ আফ্রিকা মহাদেশের নাগরিক। কারাগারের আলাদা সেলে বিদেশী বন্দিদের কঠোর নিরাপত্তা বলয় ও কঠোর সতর্ক দৃষ্টিতে রাখা হয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন মানবজমিনকে জানান, ‘নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ৫৭৭ জন বিদেশী বন্দি দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছে। ওইসব বন্দিদের রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে দিন দিন বাড়ছে বিদেশী বন্দিদের সংখ্যা। গত বছরে সারাদেশের কারাগারে প্রায় ৩০০ জন বন্দি ছিলো।

কারাবন্দিদের ৩০ ভাগের বেশি মাদকে সম্পৃক্ত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের কারাগারগুলোর বন্দিদের মধ্যে ৩০ দশমিক ০৪ ভাগ মাদকে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা।
শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের আওয়াতায় মাদকবিরোধী কার্যক্রমের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আহছানিয়া বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল। সভাপতিত্ব করেন আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজি প্রিজন্স বলেন, কারাবন্দি মাদক সম্পৃক্তদের মধ্যে মাদকাসক্ত ও মাদকবহনকারীরাও রয়েছে। বিপুল সংখ্যক এই মাদকসম্পৃক্তদের কারাগারে রাখা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এদের জন্য মাদকসম্পৃক্ত নন এমন বন্দিরাও ঝুঁকিতে থাকেন।
তিনি বলেন, এই মাদকসম্পৃক্ত বন্দিদের আলাদা রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কারাগারাগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুন বন্দি থাকায় তা সব সময়ে করা যায় না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পাশা বলেন, কারাগারে মাদক ঠেকাতে সন্দেহভাজন বন্দিদের তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করা হবে।
অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুই সাংবাদিকের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেওয়া হয়।

 

পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা হাজতে জ্যোৎস্না ওরফে লিমা (৩৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। পুলিশ বলছে, সোমবার রাতে থানা হাজতে অসুস্থ হওয়ায় তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা জ্যোৎস্না থাকতেন মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে। মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. রওশানুল হক সৈকত জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে ডি-টাইপ কলোনির একটি ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে- ৯৯৯ নম্বরে এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সেলিনা, জ্যোৎস্না, শাহিনুর, সোহাগকে আটক করা হয়। থানায় এনে তাদের রাতের খাবারও দেওয়া হয়। রাত ৩টার পর জ্যোৎস্না অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যোৎস্না মারা যান। সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত কলোনির ওই বাসাটি সেলিনার জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা সৈকত বলেন, সেলিনার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা সেলিনার বিরুদ্ধে মানবপাচারের দুটি মামলাও রয়েছে।
 


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


 


করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৩-তে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ। রোববার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তবে বাংলাদেশে এখনও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এই ভাইরাস না ছড়ালেও সাবধান থাকা জরুরি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে ভারতে অন্তত তিনজনকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাই বাংলাদেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভারতের সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের(সিডিসি) দেয়া পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কয়েকটি উপায় জানা গেছে।
আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন?
১. করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রাথমিক সুরক্ষার বিষয়গুলো জানতে হবে।
২. হাত ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। নাক, মুখ, চোখ আবৃত রাখতে হবে যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ না হয়।
৩. বাহ্যিক বিভিন্ন বস্তুর এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত বস্তুগুলো ব্যবহার পর অবশ্যই জীবাণু ম্ক্তু হতে হবে।
৪. অনেকেই মনে করেন ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ পরলে ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই ‘মাস্ক’ সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়, তবে পুরোপুরি আশঙ্কা ম্ক্তু করে না। ‘এন নাইনটি ফাইভ’ নামক ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ সবচাইতে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে এই ক্ষেত্রে।
৫. তীব্র ‘ফ্লু’তে ভুগছেন কিংবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. ১৪ দিনের মধ্যে যারা চীন গেছেন, তাদের এবং তাদের আশপাশে থাকার লোকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৭. এই ভাইরাস থেকে সংক্রমণের পূর্বাভাস দেখা দিলে সুস্থ মানুষের সঙ্গ পরিহার করুন। যাদের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণ হতে না পারে তারে সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৮. বিশ্বব্যাপী সব বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এমন স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে।
৯. ঘরে থেকে বিশ্রাম নিন। নিজে সুস্থ হন, অপরকে সুরক্ষিত রাখুন।


প্রচুর কমলা খাবেন যে ৭ কারণে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শীতকালে বাজারে প্রচুর কমলা পাওয়া যায়। কিন্তু সুস্বাদু এই ফলের গুরুত্ব না বুঝে আমরা অনেকেই এটি খাই না। ভিটামিন ‘সি’তে ঠাসা এই ফল রোজ খাওয়া উচিত। অবশ্য এখনতো শীত-গ্রীষ্ম ১২ মাস এই ফল পাওয়া যায়।
যারা ঠাণ্ডা-সর্দিতে ভোগেন তাদের জন্য প্রধান দাওয়াই এই ফল। রোগ প্রতিরোধে কমলার চেয়ে কার্যকর ফল খুবই কম আছে। যেসব কারণে প্রচুর কমলা খাবেন সে সম্পর্কে আসুন জেনে নিই-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কমলা। রোজ কমলা খেলে ছোটখাটো রোগবালাই এমনকি বড় রোগও ঘেঁষবে না ধারে কাছে।
২. কমলায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ত্বকের বলিরেখা দূর করে তারুণ্য ধরে রাখে বহু বছর।
৩. আমাদের শরীরে মাঝে মাঝে ভিটামিন ‘সি’র ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর হয়ে পড়ে নির্জীব। কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। ত্বকের সজীবতা ও শরীরে প্রাণশক্তি এবং কর্মস্পৃহা ধরে রাখতে কমলা খান প্রতিদিন।
৪. কমলায় ভিটামিন ‘সি’র পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি-৬ ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কমলা।
৬. অনেকে চোখের সমস্যায় ভোগেন। কমলায় রয়েছে ভিটামিন ‘এ’। এই ভিটামিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
৭. কমলায় রয়েছে প্রচুর আঁশজাতীয় উপাদান, যা ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।


টাক কেন শুধু পুরুষের মাথায়ই হয়!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়, ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে। অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা, মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে হবে।


কী হয় মাত্র একটি তুলসিপাতা প্রতিদিন খেলে?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
তুলসপিাতাকে ভেষজের রাণী বা মা বলা হয়। এই ছোট্ট পাতাটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি মাথাব্যথা, মুখের র্দুগন্ধ রোধ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সবগুলো গুণই আপনি পেতে পারেন কেবল প্রতিদনি তুলসিপাতা খেলে।
মাথাব্যথা সারাতে
মাথাব্যথা সারাতে তুলসি পাতা খেেত পারনে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী নাসারন্ধ্রের বন্ধ নিবারক উপাদান। যেটা মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দয়ে। মাইগ্রেন, সাইনাস, চাপের কারণে মাথাব্যথা ইত্যাদি দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন নিয়মিত তুলসিপাতা খেলে।
জ্বরের চিকিৎসায়
যদি আপনার জ্বর ওষুধে একেবারেই না কমতে চায়, তবে প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যেতে পারেন। প্রতিদিন তিনবার তুলসির পাতা খান এবং জ্বর কমা না র্পযন্ত এটা খেয়ে যান।
ইনফকেশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায়
এই শক্তিশালী পাতা দিয়ে ইনফেকশন দূর করা যায়। তুলসির মধ্যে রয়েছে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটরেয়িাল উপাদান। তাই এটি ইনফকেশন সহজে দূর হতে সাহায্য করে।
কিডনির পাথর
বিশষেজ্ঞরা বলেন, তুলসির পাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসরি পাতা খাওয়া হয় তবে এটা প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করবে।
কাশি রোধ করবে
আপনি যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে পানির সঙ্গে তুলসিপাতা খেয়ে দেখতে পারেন। এর অ্যান্টিটুসিভ উপাদান কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকেটারেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করতে সাহায্য করে।
ফুসফুসের জন্য
একটি তুলসিপাতা প্রতিদিন খাওয়া ফুসফুসকে ভালো রাখে। এর মধ্যে পলিফেনল উপাদান ফুসফুসের রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
মুখরে স্বাস্থ্যে
দাঁত ব্রাশের পর মাড়িতে তুলসির পাতা ঘষতে পারেন। এটি মাড়ির প্রদাহ দূর করবে এবং মুখের র্দুগন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এর মধ্যে থাকা ইমিউনো-মোডিওলোটোরি উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সব ধরনের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।


ালি পেটে রসুন খাওয়ার ৬টি আশ্চর্যজনক উপকার


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
খালি পেটে রসুন খাবার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হবার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে। তবে যাদের রসুন খাবার ফলে এলার্জির আশঙ্কা কিংবা মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খালি পেটে রসুন খাবার উপকারিতা জেনে নিন-
১. প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক:
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ আর রক্ষা পায় না।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
৩. অন্ত্রের জন্য ভাল:
খালি পেটে রসুন খাবার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৪. শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে:
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাক্সঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
৫. শ্বসন:
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
৬. যক্ষ্মা প্রতিরোধক:
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।

 

ভ্রমণে বমি এড়াতে আপনি কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ) জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়। এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান করতে পারে ভ্রমণের আগে।
ধূমপানে সিজোফ্রেনিয়া
ধূমপানের সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়া রোগের যোগসূত্র রয়েছে বলে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের কিংস কলেজের এক দল গবেষক ৬০টির বেশি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধূমপায়ীদের সিজোফ্রেনিয়া রোগ বা ‘দ্বৈত সত্তা’র সমস্যায় ভোগার প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ‘সাইকোসিস’ বা যে মানসিক বৈকল্যের কারণে মানুষ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে তার সঙ্গে ধূমপানের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু এত দিন ধূমপানকে এর কারণ হিসেবে দেখা হতো না বরং মনে করা হতো, এই মানসিক অবস্থা রোগীকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

হয়রানি ছাড়াই মিলছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

আলী আজম

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিদেশগামী ব্যক্তি অথবা বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের সম্পর্কে নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) চায়। এমন ব্যক্তিকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হচ্ছে, যিনি কোনো অপরাধী নন এবং যার বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগও নেই। তিনি দেশের বাইরে গেলে রাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই। এ সনদকেই বলা হয় পিসিসি। এখন পিসিসি মিলছে পুলিশের কোনো হয়রানি ছাড়াই। অনলাইনে আবেদন করে ঘরে বসেই সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পিসিসি। গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক পিসিসি হাতে হাতে বা ডাকযোগে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত তিন বছরে ৭৫ হাজার পিসিসি সরবরাহ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডিএমপি সদর দফতরে এ সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে সার্ভিস নিশ্চিত করতে একজন পরিদর্শক, তিনজন এএসআই ও দুজন কনস্টেবল নিয়োজিত রয়েছেন এ কাজে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৫০০ টাকা চালান জমা দিয়ে পাওয়া যাবে পিসিসি। সোনালী ব্যাংকের চালান নম্বর ১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১। ঢ়পপ.ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ এই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর ছবি, ব্যাংকের চালান কপি, পাসপোর্টের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাগরিক সনদপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ আবেদন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। বিদেশে অবস্থানকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি আবেদন ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। পাসপোর্ট সত্যায়ন না থাকা, নাম-ঠিকানা ভুল দেওয়া, জেলার ঠিকানা দিয়ে ডিএমপিতে আবেদন করায় অনেক আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চঈঈ ঝ এরপর রেফারেন্স নম্বর লিখে যে কোনো মুঠোফোন থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আবেদনের সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানা যাবে। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অনলাইনে পিসিসি চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে ৭৫ হাজার পিসিসি সরবরাহ করা হয়েছে। ভুল-ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৪১টি আবেদন ফরম। ২৪ ঘণ্টা পিসিসির সার্ভিস নির্বিঘœ করতে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর ০১৭১৩৩৯৮৬৮০। এ হেল্পলাইন নম্বরে পিসিসি-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় জানা যাবে। পিসিসির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
একটি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত নাজমুন নাহার জানান, তিনি কানাডায় থাকেন। বিশেষ প্রয়োজনে তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। পরে তিনি কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সত্যায়িত করে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বামীর মাধ্যমে আবেদন করেন।

আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যৌতুকের জন্য কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়ায়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজকের মন্ত্রিসভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা চলতি বছরের জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিও রয়েছে মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচিতে। এতে গত বছরের তুলনায় জনপ্রতি সাড়ে ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ২১ হাজার টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত ২০১৬ সালের ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে বৈঠকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
যৌতুক নিরোধ আইন প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের শাস্তি নির্দিষ্ট করা থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী, স্বামীর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, মারাত্মক জখমের জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা অন্যূন ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুকের জন্য অঙ্গহানির শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা কমপক্ষে ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। তবে স্ত্রীর জখমের ধরন অনুযায়ী স্বামীকে অর্থদন্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ দেয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে সাধারণ জখম করলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে। খসড়ায় ‘যৌতুক’ বলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত যে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর বা মূল্যবান জামানতকে বোঝানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তি কনে বা বর পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি বা যৌতুক নিলে বা দিলে অধরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
কেউ যৌতুক দাবি বা লেনদেন করলে সর্বনিু এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি যৌতুক নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তিনি ছয় মাসের কারদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও যৌতুকের জন্য কোনো নারীর মৃত্যু ঘটানোর দায়ে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুদন্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুক নিরোধ আইনেও একই ধরনের শাস্তির বিধান যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও অপরাধকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে খসড়া আইনে। প্রস্তাবিত এই আইন কার্যকরের পর ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন রহিত হলেও ওই আইনের আলোকে প্রণীত বিধি ও প্রবিধি উপ-আইন হিসেবে গণ্য হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।
 

রিমান্ড কি মানবাধিকার পরিপন্থী?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে। মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.