           
 
|
Cover
June 2020
English Part June 2020
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না:
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত না হয় সেজন্য এখনই
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না। ৩১ মে ২০২০ সকালে
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এবারের এসএসসি ও সমমান
পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত
শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। পরিস্থিতি
দেখে তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।’ এসময়
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল
হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের
চেয়ারম্যানরা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেগুনবাগিচার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ফল
প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো এখন
আমরা কলেজ খুলব না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা খুলতে পারছি
না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাচ্ছি।
যাতে করে এই করোনাভাইরাস দ্বারা শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত
না হয়, কারণ এরা আমাদের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ তো আমি
ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সেই কারণে আমরা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্মুক্ত করব না। আমরা দেখি এই
অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে পর্যায়ক্রমে আমরা তখন
উন্মুক্ত করব।’ শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট না করে ঘরে বসে
পড়াশোনা করার অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে
অনুরোধ করব সবাই যেন ঘরে বসে পড়াশোনা করে। এটা একটা
পড়াশোনার ভালো সুযোগও। আমদের নিজেদেরও এখন বেশি কাজ
নেই- অনেক কিছু জানার ও পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। সেটাও কম
কথা না। এখানে আমি বলব সবাই মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করব
তারা লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। শিক্ষকদের
বলব তাদের সেই শিক্ষাই দেবেন, এই শিক্ষাটা হচ্ছে শুধু
নিজে ভালো থাকা না, দেশের কল্যাণে কাজ করা, মানুষের
কল্যাণে কাজ করা। যেটা জাতির পিতা আমাদের বারবার
শিখিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘মানুষের কল্যাণেই যেন তারা
নিবেদিত প্রাণ হয় সেই শিক্ষাই তারা যেন গ্রহণ করে,
দেশকে ভালবাসা, মানুষকে ভালবাসা, মানুষের প্রতি
কর্তব্যপালন করা।
করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস
প্রেসিডেন্টের প্রেসসচিব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের
প্রেস সচিব কেটি মিলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে
হোয়াইট হাউজে গত দুইদিনে দু’কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ
শনাক্ত হলো।
৮ মে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
টেলিভিশন সংবাদমাধ্যম কেবল নিউজ নেটওয়ার্ককে (সিএনএন)
এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, কেটি মিলারের সংস্পর্শে আসা ছয়জনকে
কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন মাইক
পেন্সের সঙ্গে বিমানে ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিমান
ত্যাগ করার আগেই তাদের নামিয়ে আনা হয়েছে।
কেটি মিলার ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন
মিলারের স্ত্রী। তিনি হোয়াইট হাউসের ওভার অফিসে কর্মরত।
তাই এ সংক্রমণ হোয়াইট হাউজের অন্য
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ মে) হোয়াইট হাউজে কর্মরত নৌ-সেনার
সাবেক একজন কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়। ওই কর্মকর্তা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মচারী। তিনি হোয়াইট
হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে প্রেসিডেন্টের খাবার পরিবেশনের
দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ও মিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশটিতে
এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ লাখ ২১
হাজার একশ ২২ জন। এছাড়া এই পর্যন্ত মারা গেছে ৭৮ হাজার
পাঁচশ ৭৭ জন। ৮ মে ২০২০ এক হাজার ছয় ৪৯ জনের মৃত্যু
হয়েছে।
মহামারী
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সারাদেশে মানুষের সহায়তায়
BHRC
মানবাধিকার রিপোর্ট’
মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং করোনাভাইরাসের কারণে
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবায় গত দেড়মাস যাবত বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ সদর দপ্তরসহ সারাদেশ ও বিদেশের
দুই সহস্রাধিক শাখার মানবাধিকার কর্মীরা অবিরাম
আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা
সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং এবং হ্যান্ড
বিল বিতরণ করছে, জীবাণুমুক্ত করার জন্য জীবাণুনাশক ঔষধ
নিয়মিত ছিটানোসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সুরক্ষা সামগ্রী
যথাক্রমেঃ হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড
স্যানিটাইজার এবং পিপিই বিতরণের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
ইঐজঈ’র সদর দপ্তরে খাদ্যদ্রব্য প্যাকেটজাত ও অন্যান্য
সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মকান্ডে এবং খাদ্য বিলি কাজে
ইঐজঈ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার সরাসরি নিয়োজিত রয়েছেন এবং তদারকি করছেন।
ইঐজঈ’র সদর দপ্তর এবং সারাদেশের শাখা কমিটির মাধ্যমে
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ মানুষের মধ্যে চাল,
ডাল, আলু, ভোজ্য তেল, পেয়াজ এবং রান্না করা খাবার
বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। ইঐজঈ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার
মাধ্যমে উপরোল্লিখিত কার্যক্রম ছাড়াও মানবাধিকার
কর্মীগণ একটি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছে। যার
মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন
হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে রোগীদের আনা-নেওয়ার কাজ
দায়িত্ব সহকারে পরিচালনা করছে। ইঐজঈ’র প্রেসিডেন্ট,
গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরবৃন্দ সহ জেলা, মহানগর, আঞ্চলিক,
উপজেলা, থানা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন শাখাগুলো নিজ নিজ
উদ্যোগে মহামারী করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে
সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
পঙ্গপাল মধ্যপ্রাচ্যে
খুবই জনপ্রিয় খাবার
মানবাধিকার রিপোর্ট’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এই মুহূর্তে বিশ্বের
অনেকে দেশে চলছে পঙ্গপাল আতঙ্ক। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল
এখন এসব দেশের কৃষকদের ঘুম হারাম করে ফেলেছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বাসিন্দার কাছেই জিংক ও
প্রোটিন সমৃদ্ধ পঙ্গপাল অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। অনেকে
আবার সংকটের আশঙ্কায় পরবর্তী বছরের জন্য প্রক্রিয়াজাত
করে মজুদও করে রাখেন ছোট শিংয়ের বিশেষ এই প্রজাতিটিকে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস পঙ্গপালের কিছু ওষুধি গুণ আছে। কিছু
রোগের চিকিৎসায় তারা পঙ্গপাল ব্যবহার করেন। পঙ্গপালের
একটি জনপ্রিয় ডিশ হচ্ছে বাদাম হিসেবে খাওয়া। প্রথমে
এগুলো পানিতে সিদ্ধ করা হয়।
পরে মচমচে হওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক দিন রোদে শুকানো হয়।
এরপর পরিবেশন করা হয় লবন দিয়ে। কেউ কেউ আগুনে পুড়িয়েও
অনেকটা কাবাবের মতো করে খান পঙ্গপাল।
তবে কুয়েতে বাদামের মতো করে খাওয়ার ধরণটি বেশ জনপ্রিয়।
স্থানীয় সাংবাদিক মৌদি আল মিফতাহ বলেন, ‘এদের ঘ্রাণটা
আমার পছন্দ। এটা আমার শৈশবের স্মৃতিগুলোর একটি এবং আমরা
দাদা ও বাবার কথা মনে করিয়ে দেয়।
প্রতি বছর শীতে মিফতাহ পঙ্গপালের জন্য অপেক্ষা করেন।
নিজের হাতেই তিনি এটি রান্না করেন। প্রতি বছর
জানুয়ারিতে সৌদি আরব থেকে পঙ্গপালের প্রথম চালানটি আসে
কুয়েতে। প্রতিটি লাল ব্যাগে ২৫০ গ্রাম করে পঙ্গপাল থাকে।
৬৩ বছরের আবু মোহাম্মদ কুয়েত সিটির আল-রাই বাজারে মাছ
বিক্রি করেন। তবে শীত মৌসুমে তিনি বদলে ফেলেন পেশা। এ
সময় তিনি পঙ্গপাল বিক্রি করেন।
আবু মোহাম্মদ বলেন, ‘শীতের রাতে পঙ্গপাল ধরা হয় (ওই
সময় এরা উড়তে পারে না) এবং আমরা সৌদি আরব থেকে এগুলো
আমদানি করি। তিনি জানান, এর স্বাদ অনেকটি চিংড়ির মতো।
এর মাংস বেশ সুস্বাদু, বিশেষ করে ডিমওয়ালা পঙ্গপালের
স্বাদ অসাধারণ।
কুয়েতে বড় আকারের নারী পঙ্গপালকে বলা হয় ‘আল-মিকন। আর
পুরুষগুলোকে বলা হয় ‘আসফুর। মৌসুমে প্রতিদিন অন্তত ১২
ব্যাগ পঙ্গপাল বিক্রি করেন আবু মোহাম্মদ । আকার ও ওজন
বুঝে প্রতি ব্যাগের দাম পড়ে ৮ ও ১৬ মার্কিন ডলার।
আবু মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত
প্রায় ৫০০ ব্যাগ পঙ্গপাল বিক্রি করি। সৌদি সংবাদমাধ্যম
আল ওয়াতান জানিয়েছে, স্থানীয় বাজার আল-আহসাতে আকার ও
ওজন বুঝে প্রতি ব্যাগ পঙ্গপাল বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৪০০
সৌদি রিয়ালে।
বিক্রি নিষেধাজ্ঞার কারণে আল হফুফ এলাকায় গোপনে বিক্রি
হয় এগুলো। বিক্রেতারা গাড়ির ভেতরে লাল ব্যাগে লুকিয়ে
রাখেন পঙ্গপাল। আগ্রহী ক্রেতারাই খুঁজে বের করেন এর
বিক্রেতাদের।
তারিজি নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘অনেকে পরবর্তী বছরের
জন্য পঙ্গপাল কিনে মজুদ করে রাখেন। কারণ তাদের আশঙ্কা
হয়তো পরবর্তী মৌসুমে মিলবে না এটি।
ইয়েমেনেও বিক্রি হয় পঙ্গপাল। রাজধানী সানার পুরোনো অংশে
বৃদ্ধ পুরুষ ও নারীদের রাস্তার পাশে পঙ্গপাল বিক্রি
করতে দেখা যায়। কেউ বোতলে ভরে নিয়ে আসেন, কেউ ব্যাগে
করে।
৩৫ বছরের ওয়াদি আল নাওদাহ বলেন, ‘এটা সুস্বাদু। আপনি
যদি একটি পঙ্গপাল খান, তাহলে পাঁচটি শেষ করার আগে
থামমেন না। আমি প্রতিদিন নাস্তার পর রাতের খাবারের
জন্য পঙ্গপাল খুঁজতে বের হই। আমি এতে আসক্ত হয়ে পড়েছি।
ভিসার মেয়াদ ৩ মাস
বাড়িয়ে দিলো সৌদি আরব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করার পর যেসব পর্যটন ভিসার
মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি আরব। সৌদি
প্রেস এজেন্সি এ কথা জানিয়েছে।
সৌদির ‘দ্য জেনারেল ডিরেক্টর পাসপোর্ট’ দপ্তর এ ঘোষণা
দিয়েছে। এ মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি ‘সিস্টেম’-র মাধ্যমে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। এর জন্য অধিদপ্তরের
অফিসগুলিতে য্ওায়ার প্রয়োজন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
জুমার ২০ মিনিট আগে মসজিদ খোলার অনুমতি দেবে সৌদি আরব
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু
করেছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে
মুসল্লিদের মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের অনুমতি দেবে
দেশটি।
২৬ মে ২০২০ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দেশটির ইসলাম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,
জুমা-র ২০ মিনিট আগে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খুলে
দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। নামাজ শেষ হওয়ার ২০ মিনিট পর
মসজিদ বন্ধ করে দিতে হবে।
২৫ মে ২০২০ সৌদি কর্মকর্তার জানিয়েছেন, দেশটিতে
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জারি করা বিধিনিষেধগুলো তিন ধাপে
তুলে নেওয়া হবে।
ব্রিটেনের প্রথম হিজাব পরা বিচারক রাফিয়া
আরশাদে
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
৩০ বছর আগে রাফিয়া আরশাদকে লোকে বলত এই পোশাকে আইনজীবী
হওয়া যাবে না। তখন তিনি কিশোরী। চোখে-মুখে বিচারক
হওয়ার স্বপ্ন। মানুষের কথায় সেই স্বপ্ন ছাড়েননি।
ছাড়েননি হিজাব পরার অভ্যাসও। কঠিন মনের জোরে রাফিয়া
এতদিন বাদে বলতে পারছেন, ইচ্ছা থাকলে সব হয়!
৪০ বছর বয়সী রাফিয়া শুধু আইনজীবীই হননি। ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন। মেট্রো নিউজ বলছে,
তিনিই দেশটির প্রথম ‘হিজাবি’ বিচারক।
রাফিয়া নিয়োগ পেয়েছেন গত সপ্তাহে। মিডল্যান্ডস
সার্কিটের সহকারী বিচারক হিসেবে। তিন সন্তানের মা
রাফিয়ার ইচ্ছা সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা
রাখবেন।
তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্যে বড় খবর। আমি জানি
এই অর্জন শুধু মুসলিম নারীদের জন্য নয়, সবার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আমাকে মেইল করছেন। শুভকামনা
জানাচ্ছেন।
অনেক হিজাব পরা নারী বলছেন তারা এতদিন ভাবতেন হয়তো
ব্যারিস্টার হতে পারবেন না। আমি সব মানুষের জন্য এই
ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’
রাফিয়া জানান, ‘মাঝে মাঝে এখনো নানা ধরনের পরিস্থিতির
মুখোমুখি হতে হয়। আমার পরিবার থেকে ১৯ বছর আগে আমার এক
সাক্ষাৎকারের সময় হিজাব না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
বাড়ির লোকেরা বলছিলেন, এটি পরলে আমার নম্বর কমে যাবে।
আমি তাদের কথা শুনিনি।’ তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজের
সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি।
ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই
ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’
পৃথিবীর সবাইকে একটি সমাজের নানা বৈচিত্র্যকে সম্মান
করার আহ্বান জানিয়ে রাফিয়া বলেন তিনি হিজাবের জন্য
যেমন চাকরি পাননি তেমনি হিজাবের জন্য চাকরি আটকেও
থাকেনি।
তিনি জানান, ‘আমাকে নিয়োগ দেয়ার সময় কর্মকর্তারা
জানতেন না যে আমিই প্রথম হিজাব পরা বিচারক হতে যাচ্ছি।
আমাকে নেয়া হয়েছে মেধার ভিত্তিতে; হিজাব পরি সে জন্য
নয়’।
রিকশা শ্রমিকদের
মধ্যে ইঐজঈ বরিশাল আঞ্চলিক শাখার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় রিকশা চালকদের মাঝে ১৭
মে ২০২০ শুকনো খাবার বিতরণ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-ইঐজঈ বরিশাল আঞ্চলিক শাখা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ গভর্নর জনাব মাহমুদুল
হক খান মামুন, ডেপুটি গভর্নর কাজী আল মামুন, ডেপুটি
গভর্নর আবু মাসুম ফয়সাল, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি
জে এইচ সুমন, কাজী আফরোজা সভাপতি মহানগর মহিলা কমিটি ও
সাধারণ সম্পাদক আইভি, সাধারণ সম্পাদক মহানগর মো:
জাহাঙ্গীর হাওলাদার মিন্টু, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম তালুকদার, বরিশাল সদর উপজেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাসার, বরিশাল জেলা
শাখার সহ সভাপতি মফিজুর রহমান মিলন, বরিশাল আঞ্চলিক
শাখার সহ সভাপতি মোঃ কাওসার আলী সাংগঠনিক সম্পাদক
মিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি মোঃ আল আমিন, যুগ্ম সাংগঠনিক
সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।
থামছেই না মানব পাচার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দালালদের বর্বর নির্যাতনে জীবনহানি সত্ত্বেও বাংলাদেশ
থেকে মানব পাচার থামছে না। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পথ
ব্যবহার করে লোকজন অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিয়েই চলছে।
ভাগ্য বদলাতে গিয়ে দালাল নামক মানব পাচারকারীদের
প্রলোভনের শিকার হচ্ছেন তারা। সম্প্রতি মানব পাচারের
নৃশংসতায় বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রাণহানির মতো নানা
ভয়াবহ ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ২৮ মে লিবিয়ার দুর্গম মরু
এলাকায় বন্দীদশায় আটকে থাকা ২৬ বাংলাদেশি সীমাহীন
নৃশংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগেও লিবিয়া থেকে
ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৯
জন বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। নিখোঁজ হয়ে যান
অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক। এখনো ইউরোপ আমেরিকার পথে
কত শত বাংলাদেশি যে নানা নির্মমতায় আটকে আছেন তার কোনো
হদিস নেই। থাই-মালয় সীমান্তের গভীর জঙ্গলেও শতাধিক
গুপ্ত আস্তানায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি বন্দী থাকার খবর
রয়েছে। মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য তাদের ওপরও চলছে
সীমাহীন বর্বরতা। এসব আস্তানায় অকথ্য নির্যাতন আর
নৃশংসতায় বহু বাংলাদেশিকে হত্যা করারও অভিযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যেই জঙ্গলের একাংশে অভিযান চালিয়ে থাইল্যান্ডের
প্রশাসন অন্তত ৩২টি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে। উদ্ধার
হয়েছে ২৬টি মৃতদেহ। অভিযানকালে লোকালয়ের অদূরে জঙ্গলে
৬০টিরও বেশি বন্দীশিবির আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব শিবির থেকে
কয়েক দফায় ১৮১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারও করা হয়। তবে
অভিযানের আগেই পাচারকারীরা আরও কয়েকশ বাংলাদেশিকে
দুর্গম কোনো আস্তানায় সরিয়ে ফেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হওয়ার আশায় পাড়ি
জমানো শত শত বাংলাদেশি ফাঁদে পড়েছে লিবিয়ার মরুভূমি ও
পেরুর দুর্গম বনাঞ্চলে। বন্দীদশায় থাকা অনেককে মুক্তি
দেওয়ার কথা বলে তাদের স্বজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা
মুক্তিপণ হাতিয়েও নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও মুক্তি
মেলেনি তাদের। বরং এক পাচারকারী গ্রুপ এসব বাংলাদেশি
নাগরিককে ক্রীতদাস হিসেবে আরেক পাচারকারী গ্রুপের কাছে
বিক্রি করে দিয়েছে। জিম্মিদশায় থাকাবস্থায় সেখানে
খাদ্য ও পানির অভাবে করুণ মৃত্যু ঘটেছে অনেকের।
২মানব পাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে একটু স্বাচ্ছন্দ্যময়
জীবনের আশায় অনেকটা জেনেশুনেই অনেক যুবক ঝাঁপ দিচ্ছেন
নিশ্চিত মৃত্যুকূপে। মরুভূমির উত্তপ্ত বালুরাশি,
পাহাড়-পর্বত আর বিপৎসংকুল গভীর বনজঙ্গল হেঁটে পাড়ি
দিচ্ছেন তারা। পদে পদে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই ১০-১২টি দেশ
পেরিয়ে পৌঁছেছেন স্বপ্নের ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশে।
কণ্টকাকীর্ণ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ঝরে
পড়ছে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে
গেলেও ঠাঁই হয় কারাগারে।
জানা যায়, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি বা ইউরোপের
অন্য কোনো দেশে অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রথমেই নিয়ে
যাওয়া হয় দুবাই, লিবিয়া কিংবা মিসরে। সেখানকার দুর্গম
মরুপথ পাড়ি দিয়ে ব্রাজিল, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলাম্বিয়া,
পানামা হয়ে মেক্সিকো পৌঁছানোর ভয়ঙ্কর রুট আবিষ্কার করে
পাচারকারীরা। এ রুটে তাদের আড়াআড়িভাবে পাড়ি দিতে হয়
ভয়ঙ্কর জঙ্গল ‘ড্যারিয়েন গ্যাপ’। ছয় শতাধিক বর্গমাইলের
এ দুর্গম বনপথে রয়েছে বড় বড় বিষাক্ত সাপ আর ভয়ঙ্কর সব
বন্যপ্রাণী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ইফতার বিতরণ প্রোগ্রামে
BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র ঢাকা মহনগর দক্ষিণ
শাখার উদ্যেগে ৫ মে ২০২০ বিকেলে ঢাকার রামপুরা,
মালিবাগ এবং খিলগাঁও এলাকায় আট শতাধিক দরিদ্র মানুষের
মধ্যে রান্না করা খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের সাথে BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার উক্ত ইফতার বিতরণ কর্মসূচীতে
যোগদেন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
করেন।
BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এবং আল কাদেরীয়া
রেষ্টুরেন্ট লিঃ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ ফিরোজ আলম সুমন
খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের প্রোগ্রামের সমন্বয়ক
হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ইফতার বিতরণ কর্মসূচীতে
অন্যান্যদের মধ্যে BHRC'র সদর দপ্তর ডেপুটি গভর্নর ও
ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন,
ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, যুগ্ম - সম্পাদক রেজা হাসান
রানা, সৈয়দ আনিছুর রহমান টিটু, ক্রীড়া সম্পাদক রাজু
আহম্মেদ রাজ, পুরাতন ঢাকা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আনোয়ার
রাজ, দারুস সালাম থানার সভাপতি, মোঃ মিজানুর রহমান
বাপ্পী, মিরপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোতালেব,
BHRC সদর দপ্তর বিশেষ কর্মকর্তা শামীম শেখ সহ BHRC সদর
দপ্তরের কর্মীবৃন্দ এবং মহানগরের মানবাধিকার কর্মীগণ
কর্মসূচীতে যোগ দেন।
বরিস জনসন ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রীকে, ভাঙলেন ২৫০ বছরের
রেকর্ড!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ডিভোর্স দিয়েও যে ইতিহাসে নাম তোলা যায় তা দেখিয়ে
দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরসি জনসন। করোনাযুদ্ধে
জিতেই সদ্য বাবা হয়েছেন বরিস। বান্ধবীর কোলে এসেছে
ফুটফুটে ছেলে। কিন্তু এবার বউয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ
সম্পন্ন করে ভাঙলেন ২৫০ বছরের রেকর্ড।
ব্রিটেনের ইতিহাসে ২৫০ বছর পর কোনো প্রধানমন্ত্রী পদে
থাকাকালীন ডিভোর্স দিলেন স্ত্রীকে। কিছুদিন আগে
মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা বরিসের কীর্তি ফের শিরোনামে
এনেছে তাকে।
সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মারিনা উইলারের সঙ্গে
পাকাপাকিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ করে ফেললেন বরিস জনসন। ১৯৯৩
সালে প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা ওয়েনের সঙ্গে ডিভোর্সের
১২ দিন পর ম্যারিনাকে বিয়ে করেন বরিস। প্রথম স্ত্রীকে
ডিভোর্স দিয়ে সহপাঠী উইলারের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন বরিস।
ম্যারিনার বাবা ব্রিটিশ হলেও মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
বরিস ও ম্যারিনার দুই ছেলে ও দুই মেয়েও বর্তমান। কিন্তু
দাম্পত্য ক’ল’হের জেরে ২০১৮ সাল থেকে বিবাহবিচ্ছেদের
প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২ বছর পর ডিভোর্সের প্রক্রিয়া
সম্পন্ন হল।
এবার নিজের সন্তানের মা ক্যারি সাইমন্ডসকে বিয়ে করার
ক্ষেত্রে আইনত আর কোনো বাধা নেই বরিসের। গত ২৯ এপ্রিল
লন্ডনের একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন ক্যারি।
এর আগে ১৭৬৯ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
অগাস্টাস ফিত্ জরয় পদে থাকাকালীন নিজের স্ত্রীকে
ডিভোর্স দিয়েছিলেন। তার ২৫০ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙলেন
বরিস।
বরিশালে ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের পাশে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বরিশালের কর্মহীন অসহায়
নির্মাণ শ্রমিকদের পাশে এগিয়ে এলো বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন বরিশাল জেলা ও মহানগরের মানবতাবাদি নেতৃবৃন্দ। ৭
মে ২০২০ বরিশালের সিএন্ডবি রোডস্থ সংগঠনের অস্থায়ী
কার্যালয়ে ১৫০ জন কর্মহীন অসহায় নির্মাণ শ্রমিক দের
মাঝে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা
হয়। বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মাঝে ছিল চাল, ডাল, আলু,
পিয়াজ ও সয়াবিন তেল।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন বরিশালের বিভাগীয় গভর্নর ও বরিশাল জেলা শাখার
সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হক খান মামুন, ডেপুটি গভর্নর ও
বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী আল মামুন,
ডেপুটি গভর্নর ও বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ আবু
মাসুম ফয়সল, বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
জাহাঙ্গীর হাওলাদার মিন্টু, বরিশাল মহিলা মহানগর শাখার
সভাপতি কাজী আফরোজা, বরিশাল সদর উপজেলা শাখার সভাপতি
হাজী মোঃ শামীম হোসেন ও বরিশাল জেলা শাখার সহ সভাপতি
মোঃ মফিজুল হক মিলন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর শাখার সহ সভাপতি
এস এম নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাদিসুর
রহমান পান্না বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাঈম ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক
মেহেদী হাসান বাপ্পী সহ অন্যান্য মানবতাবাদী
সদস্যবৃন্দ। এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর মাহমুদুল হক খান
মামুন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার ঘোষিত লক
ডাউন বাস্তবায়নের সহায়ক হিসেবে শুরু থেকেই বরিশালের
অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
বরিশাল জেলা ও মহানগর কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনেও
অব্যাহত থাকবে। লকডাউনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সদস্যদের
সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রায় বার শত পরিবারে
খাদ্য সামগ্রী আমরা পৌছে দিতে পেরেছি বলে দাবি করেন
সংগঠনের ডেপুটি গভর্নর কাজী আল মামুন।
BHRC মুগদা থানায় ত্রাণ
বিতরণ কার্যক্রম চলমান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC মুগদা থানা শাখা নিম্ন
আয়ের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিনের মত ৮ মে
২০২০ইং ১৪ রমজান দুপুর ২টা হইতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের
অন্তর্গত ৬ ও ৭২ নং ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে
চাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ ও সাবান প্রদান করা হয়।
কার্যক্রমটি পরিচালনা করে BHRC মুগদা থানা সভাপতি ও
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির
উদ্দিন সরকার।
মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার এর নেতৃত্বে উক্ত ত্রাণ বিতরণ
কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মুগদা থানার সাধারণ সম্পাদক
মোঃ মাহাবুব আলম রিজন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ
হাফিজুর রহমান।
মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার তার এক বক্তব্যে বলেন,
শুধুমাত্র প্রচারের জন্য নয় আমাদের এই কার্যক্রম দেখে
মানুষ যেন উৎসাহিত হয় এবং তারাও যেন এই ধরনের
কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই দূর্যোগকালীন সময়ে
মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা
মধ্যবিত্ত মানুষের বাড়িতে ও খাবার পৌঁছে দিচ্ছি যারা
চক্ষুলজ্জার কারণে কারো কাছে চাইতে পারে না। তিনি আরো
বলেন যতদিন পর্যন্ত এই দূর্যোগ চলমান ততদিন পর্যন্ত
আমাদের কার্যক্রম ও চলতে থাকবে। এছাড়াও মুগদা থানা শাখা
কর্তৃক ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদ সামগ্রী দরিদ্র
পরিবারের মধ্যে পৌছে দেয়া হয়।
দুই বছরের নিচে
শিশুদের জন্য মাস্ক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে বিপাকে মানুষ।
কিভাবে নিজেকে ও তার পরিবারের ছোট্ট শিশুটিকে রক্ষা
করবেন সারাক্ষণ এ চিন্তা ভর করছে মা-বাবার মাঝে। এ সময়ে
শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কথা বলেছন জাপানি
চিকিৎসকরা। তারা জানান, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের
কোনোভাবেই মাস্ক পরানো যাবে না। কারণ এতে শ্বাস নেয়া
তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায় এবং শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট
ঝুঁকি তৈরি হয়। জাপানের একদল শিশু বিশেষজ্ঞ
বাবা-মায়েদের এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। সোমবার
(২৫ মে) দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে জরুরি অবস্থা
তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় জাপানের রাস্তাঘাটে মানুষের
চলাচল শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা সবাইকে
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও ফেস মাস্ক পরার আহ্বান
জানিয়েছেন। তবে দুই বছরের নিচে শিশুদের যাতে পরানো না
হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছে জাপানের প্যাডিযাট্রিক
অ্যাসোসিয়েশন।
চিকিৎসকদের এই সংগঠনটি বলছে, মাস্ক শিশুদের জন্য
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মাস্ক পরার পর শিশুরা সহজে শ্বাস
নিতে পারে না কারণ তাদের নাকের ছিদ্র অনেক ছোট। এতে
তাদের বুকে চাপ তৈরি হয়। এমনকি মাস্ক তাদের মধ্যে
স্ট্রোকেরও ঝুঁকি তৈরি করে।
সংগঠনটি তাদের ওয়েবসাইটে এক নোটিশে আরো জানায়, শিশুদের
মাস্ক পরানো বন্ধ করুন। শুধু তাদের সবধানে রাখলেই হবে।
কারণ শিশুদের মধ্যে করোনা ছড়ায় পরিবার থেকেই।
ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)
ও আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব প্যাডিয়াট্রিকস ও দাবি
করেছিল, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ফেসমাস্ক পরানো যাবে
না।
বরিশাল চড়কাউয়া
ফেরী ঘাটে মাঝিদের মধ্যে BHRC’র ত্রাণ বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরিশালে চড়কাউয়া ফেরী ঘাটে নৌকা ও ট্রলার মাঝিদের মাঝে
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখা।
বরিশালের কাউয়ার চড় ফেরীঘাটে মাঝি মাল্লাদের মাঝে ১১০
প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত খাদ্য
সামগ্রীর মাঝে ছিল চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ ও সয়াবিন তেল।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের সম্মানিত জেলা
প্রশাসক আজিয়র রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
বরিশালের বিভাগীয় গভর্নর ও বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি
মোঃ মাহমুদুল হক খান মামুন, ডেপুটি গভর্নর ও বরিশাল
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী আল মামুন, ডেপুটি
গভর্নর ও বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ আবু মাসুম
ফয়সল, বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
জাহাঙ্গীর হাওলাদার মিন্টু, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার
সভাপতি জে এইচ সুমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম
তালুকদার. কাউনিয়া থানা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার
হোসেন সহ অন্যান্য মানবতাবাদী সদস্যবৃন্দ।
ডবি-উএইচওর সঙ্গে
সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে সব ধরনের
সম্পর্ক ছিন্ন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২৯ মে ২০২০ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা
দেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম
সিএনএন। সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা
ভাইরাসের প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই ট্রাম্প এমন হুমকি
দিয়ে আসছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের অনুরোধ
রাখেনি। তাই ডব্লিউএইচওর সঙ্গে আমাদের সব ধরনের
সম্পর্ক ছিন্ন করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যে
অর্থায়ন করা হতো তা ফেরৎ এনে স্বাস্থ্যের উন্নয়নে খরচ
করা হবে।
করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে বিশ্বের কাছে চীনকে জবাব দিতে
হবে। আমাদের স্বচ্ছতা থাকা উচিৎ-যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে চীনের
কাছে যেসব তথ্য ছিল তা তারা ঠিকমতো বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থাকে জানায়নি। চীনা কর্মকর্তারা তাদের দায়বদ্ধতা
উপেক্ষা করে ‘বিশ্বকে বিভ্রান্ত’ করার জন্য বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এ কারণে
অগণিত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে গভীর
অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের সম্পর্ক
ছিন্ন করার বিষয়ে ডবি-উএইচওর এক মুখপাত্র সিএনএনকে
বলেছেন, তাদের কাছে কোনো মতামত নেই।
এর আগে মে মাসের শুরুর দিকে ডব্লিউএইচওকে চিঠি দিয়ে
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও
যদি ৩০ দিনের মধ্যে উন্নতি করার প্রতিশ্রুতি দিতে না
পারে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচওকে দেওয়া অর্থায়ন
স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে।
Top
BHRC
বগুড়া জেলা শাখার ইফতার বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বগুড়া জেলা
শাখার আয়োজনে শুক্রবার করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন
হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের মাঝে প্রতিদিনের ন্যায় ইফতার
বিতরণ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর
মানবতাবাদী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাবু। সামাজিক দূরত্ব
বজায় রেখে গত ১৬ মে ২০২০ প্রায় ২০০ জনকে ইফতার সমগ্রী
বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশন
বগুড়া জেলা শখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল মাহমুদ,
সহ-সভাপতি আলহাজ¦ নূরে আলম চৌধুরী, আবু তাহের, সানজু,
সৈয়দ শরিফ উদ্দিন লিখন, আজিমুদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, রনজু
, সেলিম প্রমূখ।
Top
সৌদি প্রবাসীরা
সাবধান, হঠাৎ সৌদি সরকারের নতুন ঘোষণা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি সরকার জারি করছে অবিনব আইন।
দিনের পর দিন সেখানে সুস্থ হচ্ছে অনেক মানুষ। তবে
পরিস্থিতি আরও বেশি উন্নত করতে দেশটির সরকার মাস্ক
ব্যাবহারের উপর আনছে নতুন আইন। যদি কেউ মাস্ক না পরে
তবে তাকে গুনতে হবে ১ হাজার রিয়াল জরিমানা।এই
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
৩১ মে ২০২০ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। প্রতিটি
সৌদি নাগরিক ও প্রবাসীদের ঘরের বাহিরে অবস্থান করার
সময় অতি অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। মাস্ক
ব্যবহারের সময় নিশ্চিত করতে হবে যে নাক এবং মুখ যেন
পুরোপুরি আবৃত অবস্থায় থাকে। নাক ও মুখ খোলা থাকলে
জরিমানা গুণতে হবে ১ হাজার রিয়াল।
সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। শরীরের
তাপমাত্রা পরিমাপে কোন প্রকার বাঁধা দেওয়া চলবে না। ৩১
মে থেকে ঘরের বাহিরে মাস্ক ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলেই তাকে
জরিমানা করা হবে।
মাস্কবিহীন ব্যাক্তিকে যদি কোন দোকান, অফিস বা
ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায় তাহলে ঐ ব্যাক্তির
সাথে সাথে ঐ প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হবে। ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্মীগণ ডিউটি চলাকালীন সময়ে
মাস্ক ব্যবহার না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে
১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি সরকার ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে সৌদি আরবে জীবনযাত্রা
স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ধাপের প্রথম ধাপ
শেষ হয়ে যাচ্ছে ৩০ মে ২০২০ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয়
ধাপ।
৩১ মে থেকে মক্কা নগরী ব্যাতিত সৌদি আরবের সমগ্র অঞ্চলে
ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল সৌদি নাগরিক ও
প্রবাসীগণ চলাচল করতে পারবে। এই সময়কালে মক্কা নগরী
ব্যাতিত সৌদি আরবের অন্য সকল অঞ্ছলের মসজিদ সমূহে
জুম্মার নামাজসহ অন্য সকল নামাজ চালু করা হবে।
মহামারী
করোনাভাইরাস দুর্যোগে মানবাধিকার কর্মীদের স্ব-স্ব
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে
হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে সহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশই ইতিমধ্যে মহামারী
করোনাভাইরাস দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ
রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের জীবনহানি সহ
অর্ধ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছে। এই ভাইরাসে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মী, পুলিশ বাহিনীর
সদস্য, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ। বাংলাদেশে
২ জন মানবাধিকার কর্মীসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে
আরও ৩ জন মোট ৫ জন ইঐজঈ’র মানবাধিকার কর্মী
করোনাভাইরাসে প্রাণ ত্যাগ করেছেন। ইঐজঈ সদর দপ্তর
তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
এই দুর্যোগকালীন সময়ে BHRC’র অধিকাংশ মানবাধিকার
কর্মীরা স্ব-স্ব নিরাপত্তা বজায় রেখে মানবতার কাজে
আত্মনিয়োগ করছেন। যুগ যুগ ধরে এই পৃথিবীতে যারা
শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণ করতে পেরেছেন
তারা সবাই মহামারী অথবা পৃথিবীর যে কোন বিপদময় অবস্থায়
মানবতার কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছে। আমি একজন
মানবাধিকার আন্দোলনের বড় নেতা হিসেবে দাবি করলেও দেখা
যায় মানুষের দুর্যোগকালীন সময়ে ঘরে ক্ষুদ্র একটি
বন্যপ্রাণীর মত লুকিয়ে আছি, তাহলে আমি কীভাবে একজন
মানবাধিকার কর্মী? করোনাভাইরাস প্রতিরোধকারী পিপিই,
হ্যান্ডস গ্লাভস, মাস্ক পরিধান করে, স্যানিটাইজার পকেটে
নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা মানবতার সেবায় ঘর থেকে স্বল্প
সময়ের জন্য বেরিয়ে জরুরী কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আরও ১০ জন মানুষের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সহায়তা করাই হচ্ছে
একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীর কাজ। দেশের দুর্যোগময়
অবস্থায় সাধারণ একজন মানুষ ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তার
জন্য ঠিক কাজ, কিন্তু একজন মানবাধিকার কর্মী
কোয়ারেন্টাইনের সময় ঘরে চুপচাপ বসে থাকা তার কাজ নয়।
মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে হলে অবশ্যই
মানুষের বিপদে যতটুকু সম্ভব আত্মনিয়োগ করতে হবে।
পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়ালেন তেরেসা মে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তেরেসা মে। তিনি বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পণ্য
কেনার জন্য স্থানীয় ওয়েট্রোস স্টোরের বাইরে সাধারণ
মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। তার জন্য কোনো
ভিআইপি ছাড় নেই। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলে
তাকে সবার আগে পণ্য কেনার সুযোগ দিতে হবে এমন কোনো কথা
নেই। তিনিও সে চেষ্টা করেন নি। তিনি শুধু লাইনেই
দাঁড়ান নি। একই সঙ্গে রক্ষা করছেন সামাজিক দূরত্ব।
৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে তিনি যখন লাইনে দাঁড়ানো, তখন
তার হাতে মোবাইল। তাতে তিনি কিছু একটা চেক করছিলেন।
সচিত্র এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন
ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়েছে, তেরেসা মে এখন আর ডাউনিং স্ট্রিটের
বাসিন্দা নন। অর্থাৎ তিনি এখন আর প্রধানমন্ত্রী নন।
ব্রেক্সিটের বলি হয়ে গত বছর জুলাইয়ে ক্ষমতা তুলে
দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাতে। তাকে
এই করোনা সঙ্কটকালে শনিবার দেখা গেছে স্থানীয় একটি
ওয়েট্রোস দোকানের বাইরে ওভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এর
মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব রক্ষার এক উদাহরণ সৃষ্টি
করেছেন।
তেরেসা মে’র একটি বিখ্যাত উক্তি আছে। তিনি বলেছিলেন,
তার দুষ্টুমির মধ্যে একবার তিনি গমের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে
দৌড়েছিলেন। সেই তাকে এবার দেখা গেছে বার্কশায়ারে ওই
ওয়েট্রোস স্টোরের সামনে হাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ধরে
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় তার
পরনে ছিল স্মার্ট কালো ব্লেজার, লালচে একটি স্কার্ফ এবং
গাঢ় সানগ্লাস। শান্ত মাথায় তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন।
কখনো মোবাইল চেক করছেন। ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে গুড
ফ্রাইডে রাশ শপিংয়ের সময় তিনি হয়তো এ সময় বাকি বিশ^কে
দেখে নিচ্ছিলেন মোবাইলে। তিনি গত জুলাইয়ে
প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়লেও ব্যাকবেঞ্চের একজন এমপি এখনও।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছিল, তখন তিনি একটি বিরল বিবৃতি দিয়েছিলেন। সাধারণত
তিনি খুব একটা কথা বলেন না। তবে তেরেসা মে ওই বিবৃতিতে
বলেছিলেন, বরিস জনসন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময়ে
তার প্রতি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার
সহমর্মিতা ও প্রার্থনা থাকছে।
৬৩ বছর বয়সী ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এই এমপি ওই
স্টোরে প্রবেশ করে ৪৫ মিনিট অতিবাহিত করেন। সেখানে
সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ঘুরে দেখেন। কিনে নেন
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এরপর একটিমাত্র ব্যাগ হাতে নিয়ে
স্টোর ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-BHRC
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সন্মানিত সিনিয়র সহ-সভাপতি,
শাহ-আলম শান্ত ও তার সহোদর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিনের বার বার নির্বাচিত সাংগঠনিক
সম্পাদক মোঃ রাশেদ আকন মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ
এবং করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবায় ১২
মে ২০২০ দুপুরে লৌহজং মুন্সীগঞ্জ তাদের নিজগ্রামে
ঐতিহ্যবাহী আকন পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র রমজান মাস
এবং দেশের এই করোনা ভাইরাসের মহামারির ক্রান্তিলগ্নে
গরীব, অসহায় ও দিনে আনা দিনে খাওয়া মানুষের সংঙ্গে
সংঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করে (৪০০) চার
শতাধিক পরিবারের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রতি বস্তায় মধ্যে ছিল যথাক্রমে :চাল ১০ কেজি, আলু ৫
কেজি, সয়াবিন তৈল ১ লিটার, মশুরের ডাল ১ কেজি, এংকার
ডাল ১ কেজি, ছোলা/বুট ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, লবণ ১ কেজি,
সেমাই এক প্যাকেট, মুখের মাক্স একটি, হ্যান্ড গ্লাভস
একটি, সর্বমোট ২২ কেজি। উক্ত উপহারসামগ্রী বিতরণের সময়
উপস্থিত ছিলেন আকন পরিবারের সদস্য ছাড়াও এলাকার
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন পেশার গণ্যমান
্য ব ্যক্তিবর্গ, উক্ত উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যে
ইঐজঈ'র অন ্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাহীন সাহেবের
ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। তাছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ের
বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীগণ সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে
এরকম মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের
সুদক্ষ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাশেদ আকনকে আন্তরিক
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে BHRC’র খাদ্যসামগ্রী
বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তরের উদ্যোগে
এবং BHRC চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর
আমিনুল হক বাবুর সহায়তায় ৫ মে ২০২০ইং সকালে মহামারী
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের
মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার
রূপগঞ্জ পূর্বাচল নতুন শহর এলাকা অবস্থিত পূর্বাচল
মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটি কার্যালয়ে BHRC’র সদর দপ্তর
ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হক পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা
সোসাইটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল করিম
মাস্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা,
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ এর নিকট খাদ্যসামগ্রী
হস্তান্তর করেন। এই সময় মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় ও
পার্শ্ববর্তী এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে বাড়িতে
খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। বিতরণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব
দেন পূর্বাচল মুক্তিযোদ্ধা সোসাইটির সভাপতি
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল করিম মাস্টার ও অন্যান্য
মুক্তিযোদ্ধাগণ। খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তরকালে
অন্যান্যদের মধ্যে BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার
সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ইকবাল, রূপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা
ও মানবাধিকার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘ মহাসচিবের
শুভেচ্ছা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস
ঢাকা: আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
২৯ মে ২০২০ রাতে টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রীকে এ
শুভেচ্ছা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব
ইহসানুল করিম গণমাধ্যকে এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব শুক্রবার রাতে
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন। তিনি
প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। বিশ্বের
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায়
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হচ্ছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শান্তি রক্ষায
নারী-আমাদের কার্যক্রমগুলোতে তাদের কেন্দ্রীয ভূমিকা
তুলে ধরে।’
উল্টা
ঘোরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমরা জানি চিরন্তন সত্য কথা। সূর্য্য পূর্ব দিকে উঠে
আর পশ্চিম দিকে ডোবে। চাঁদ, পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ,
নক্ষত্র আপনআপন কক্ষ পথে ঘুরছে। প্রকৃতির নিয়মে
জোয়ার-ভাটা নদী-সাগরের দিকে ধাবমান।জন্ম-মৃত্যু রিজিক
সব মহান আল্লাহ-তায়ালার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পৃথিবী
ধ্বংস হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত একই নিয়মে চলছে-চলবে।
একচুলও ব্যতিক্রম হবেনা এ বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি।
কিন্তু দয়াময় আল্লাহ-তায়ালা আমাদের জীবিত অবস্থায় যে
মৃত্যুর স্বাদ কিছুটা হলেও দেখাবেন তাি বশ্বব্যাপী
মহামারী করোনাভাইরাস(কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীরা লোকজন
দ্বারা স্বচক্ষে দেখছে, যেন মৃত্যুকে পরখ করছি। আর
ক্ষমা চাচ্ছি হে প্রভু এই মহামারী হতে আমাদের রক্ষা
করুন। জন্ম হতে জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর এই ধরণের মহামারী
দেখিনি। উন্নত বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে। এই রোগ
প্রতিরোধের কোন উপায় নাই। নাই কোন ঔষধ, প্রতিষেধক।
আমার প্রায় ৫৫ বছর বয়সে এপর্যন্ত সবই চলছিল রুটিন
মাফিক। যথানিয়মে অফিস, আদালত, ব্যাংক বা আর্থিক
প্রতিষ্ঠান ১০-৫টা চলছিল, সরকারী বন্ধের দিন ছাড়া।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব গেছে উল্টে। অফিস বা
কোর্ট বাদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বন্ধ। মসজিদে
জামাতে নামাজ বন্ধ, বাসায় নামাজ পড়ার তাগিদ। ২৪ ঘণ্টা
গেছে উল্টে। রাতে থাকি জেগে দিনে ঘুমাই। পৃথিবীতে নাকি
১০০ বছর পর পর এই মহামারী এসেছে তা উল্লেখ আছে। এ
ধরনের ছোঁয়াচে রোগ কোথাও এলে বা দেখা গেলে সেখানকার
লোক কোথাও যাবেনা বা অন্য কোথায় হতে এ এলাকায় লোকজন আসা
যাবেনা। যে এলাকার লোক সে এলাকাতেই থাকবে। আমাদের
প্রিয় নবীজি হযরত মোহাম্মদ (সা.) তাঁর এক বাণীতে
উল্লেখ করে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে কে শুনে কার কথা।
প্রতিনিয়ত হাত, মুখ ধোয়া, মুখে মাস্ক, হাতে হ্যান্ড
গ্লাভস ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব রেখে চলাফেরা করা
সরকারী নির্দেশ থাকলেও তেমনভাবে দেশের লোকজন মানছেনা।
মহামারী আক্রান্তহ ওয়ার সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
দেশের কোথাও থামেনি, বেড়েই চলেছে। এমনকি পোশাক
শ্রমিকেরা ঢাকায় প্রবেশ এবং পরবর্তীতে আবার ঢাকা থেকে
বাহির হবার নির্দেশ। করোনাভাইরাসে মৃত্যুতে নিকট
আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব কেউ দাফনে অংশগ্রহণ করতে পারছেনা।
সবকিছুই যেন উল্টা। যখন লেখাটা নিয়ে বসলাম টিভি সংবাদে
চোখ পড়লো মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ (পাঁচশত) এর অধিক, যার
সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশে কঠিন
কড়াকড়িভাবে করোনার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিৎ। মহামারী
এটা করোনা কখন শেষ হবে মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ
জানেনা। এটা মানুষের অপকর্ম বা কৃতকর্মের ফলে হয়। তাই
আবারো পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে মাফ চাই। তিনিই
মুক্তি দিতে পারেন এই মহামারী হতে। মুসলিম হিসেবে পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, তাই বিশ্বাস করি ৫টি বিষয়। সূরা
লোকমান (৩৪) নং আয়াত এ উল্লেখ আছে যথা-১। কখন কিয়ামত
হবে? ২। কখন বৃষ্টি হবে? ৩। মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে?
৪। আগামীকাল কি হবে? ৫। কখন, কোন স্থানে মানুষের মৃত্যু
হবে? এ বিষয়ে আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবহিত।
সেই ভরসা তাওয়াকুল রেখে দিন কাটছে। লকডাউনের মধ্যে
আমার ছোট ছেলে ও ভাতিজি সরকারী ছুটিতে অলস বা সাময়িক
অবসর জীবনযাপনের মধ্যে রাজশাহীস্থ টিকাপাড়া বাসায়
পরিবারের সদস্যদের সাথে অবস্থান করছে। তাদের উৎসাহে,
নিজস্ব ফান্ড ও বন্ধু-বান্ধব হতে কিছু ফান্ড সংগ্রহ করে
এবং বিএইচআরসি, রাজশাহী মহানগর শাখার কিছুসংখ্যক
শুভাকাঙ্খি সদস্যগণের অনুদানে, বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, অত্র মহানগর শাখার সার্বিক সহযোগিতা ও
তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০০টি ব্যাগ (খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী),
কিছু নগদ অর্থ তিন বারে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন এলাকায়
হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য আমার ছেলে
বর্তমানে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, বসুন্ধরা, ঢাকায়
বিবিএ শেষ সেমিস্টার/ বর্ষ পড়াশুনা করছে। সে ঐ
বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ট এবং ফটোগ্রাফি ক্লাবের সাথে সে
জড়িত। করোনার মধ্যে বাজার বন্ধ থাকায় রোজায় বাসায়
সন্তানেরা জিলাপি, হালিম, বুন্দিয়া, পাস্তা ইত্যাদি
খাদ্য নিজ হাতে তৈরী করে ইফতারের যোগান দিয়েছে। বেশ
সুস্বাদু এবং বাজারের তৈরী হতে কোন অংশে কম নয় (যা
উল্টা শিক্ষা)। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শুনেছি জজ
সাহেবগণ এবং এ্যাডভোকেট সাহেবরা ভার্চুয়াল কোর্টের
মাধ্যমে মামলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু
অনেক আইনজীবীর ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন নাই, থাকলেও
অনেকেই পরিচালনায় দক্ষ নয়। আগে জীবন তারপর তো জীবিকা
অর্থাৎ কোর্ট। ভার্চুয়াল কোর্টের কাজেও তো কোর্ট
প্রাঙ্গণে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাগজপত্র কেনার
জন্য। তাই উল্টা চিন্তা করে ঘরের ছেলে ঘরেই আছি।
ভার্চুয়াল কোর্ট রাজশাহী বারে একবার স্থগিত আবার চালু
(বারের সিদ্ধান্তে) এ সংক্রান্তে দক্ষ করার জন্য
সংশ্লিষ্টদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। আম্ফান এর তান্ডব
দেখলাম। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি। মাথায় আর
সোজা চিন্তা আসছে না, তাই উল্টা ঘুরছি, উল্টা স্বপ্ন
দেখছি,আগামীতে সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকার। লেখার মধ্যে
রমজান শেষে ঈদ চলে আসলো। এ জীবনে ঈদের নামাজ সচরাচর
মাঠে বা মসজিদে আদায় করেছি। করোনায় নিজ বাসার ছাদে বড়
ভাইয়ের ইমামতিতে সন্তান, শ্যালক ও ভাতিজাদের (১০ জন)
নিয়ে ঈদ-উল-ফিতর নামাজ আদায় করলাম। কিন্তু নাই কোন
কোলাকুলি, মোসাফা যা স্মরণীয় থাকবে ইনশাল্লাহ (সবই যেন
উল্টো নিয়মে চলছে)। ঈদুল ফিতরের দুই দিন পর ঢাকাসহ
প্রায় সব জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কাল বৈশাখী ঝড়। ঝড়ে
বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানি সহ বাড়ি ঘর ও ফসলের ব্যাপক
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। করোনাভাইরাস, আম্ফান ও কাল বৈশাখী ঝড়,
এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। ২৫ মার্চ থেকে মে ২০২০
রাজশাহী শহর চিরপরিচিতি রূপ হারিয়ে অন্য রূপধারণ করেছে।
পরিবেশ, গাছপালা এবং রাস্তাঘাট সুনসান ভাব লক্ষ্য করা
যায় এ যেন সবকিছু উল্টা চলছে। তবে রাস্তাঘাটে গাছগুলিতে
পাতা ও ফুলে প্রকৃতির শোভা ছড়াচ্ছে। বাসায় বসে ভাবছি
কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে? কবে আদালত চত্ত্বরে গিয়ে
আবারও চির চেনা পরিবেশে কর্মব্যস্ততায় নিয়োজিত হবো। কবে
আবার পরিচিত মুখগুলোর দেখা পাব? কবে আর মাস্ক, হাতে
গ্লাভস পরতে হবে না, সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবেনা,
স্যানিটাইজার পকেটে রাখতে হবেনা, ট্রেন, বাস,
প্রাইভেটকার ঠিকঠাকভাবে চলবে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চালু হয়ে ছেলেমেয়েরা বাসার লক্ডাউন
(বন্দিশালা) হতে মুক্তি পেয়ে পড়াশুনায় প্রাণ ফিরে পাবে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৃণমূলে
প্রেরিত ত্রাণসামগ্রীর সংঘটিত চুরির বিচার দ্রুততম এবং
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে বাংলার
জমিনে এ ধরণের ত্রাণ চুরি করার কেহ আর সাহস পেতনা। আর
ভাবছি ‘কুল্লু নাফসিন জায়ে কাতুল মাউত’। প্রত্যেক
মানুষ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। তাহলে যেদিন মৃত্যু
আছে বা হবে সেটা করোনায় হোক বা অন্য কোন কারণে মৃত্যু
তো হবেই তাহলে অযথা দুশ্চিন্তা করে লাভ কি? বরং এরই
ফাঁকেফাঁকে কিছু মানবতার সেবা করে যাই। ইহকাল ও
পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করি। বাহির হলে প্রায়ই শহরের
রাসন্তায় অটো বা রিক্সার পিছনে অনেক সময় লেখা চোখে পরে
‘‘ঘুরফিরখা’’ অর্থাৎ ঘুরেফিরে কিছু সংগ্রহ কর। তাই বলতে
হয় আমাদের জীবন ক্ষণিকের চাহিদা বেশী না করে অল্পে
সন্তুষ্ট থাকুন, শান্তিতে থাকবেন। সবশেষে ঘুরে ফিরে ঐ
সর্বশক্তিমান আল্লাহর নাম স্মরণ ও সাহায্য প্রার্থনা
করা ছাড়া কোন উপায় নাই। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
বি.এ (অনার্স)এম.এ, এলএল-বি
এ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, রাজশাহী।
বিশেষ প্রতিনিধি- জাতীয় সদর দপ্তর, ঢাকা
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
রাজশাহী মহানগর শাখা।
সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ও
খাদ্যদ্রব্য কারও উপহার হিসেবে বলা ঠিক নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং করোনাভাইরাসের কারণে
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে
বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ
হাসিনার উদ্যোগ এবং ত্রাণ তৎপরতা প্রশংসা করেছে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ । কিন্তু বাস্তবে দেখা
গেছে বেশিরভাগ অঞ্চলে সরকার প্রদত্ত বরাদ্দকৃত অর্থ ও
খাদ্যদ্রব্য সুষ্ঠুভাবে বন্টন হচ্ছে না এবং তা জনগণের
নিকট পৌছাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার জেলা
প্রশাসন এবং উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রাপ্ত
অর্থ ও খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ জনসম্মুখে উপস্থাপনের
লক্ষ্যে স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে
প্রকাশসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ও নোটিশ
বোর্ডে নিয়মিত প্রচার করা অতি জরুরী। বিশেষ করে ইউনিয়ন
পর্যায়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ও খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ প্রচার
করা অতি জরুরী। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় মন্ত্রী ও
এমপি, প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা এমনকি বেশিরভাগ উপজেলা
ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ সরকারি অর্থ ও
খাদ্যদ্রব্য ব্যক্তিগত নামে জনগণের বিতরণ করছে। এ
ধরনের কার্যক্রম অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।
সরকারি অর্থ এবং খাদ্যদ্রব্য ১০০%ই জনগণের অর্থ।
জনগণের অর্থ জনগণের দুর্দিনে জনগণকে কিছু পরিমাণ
দেওয়ার মানে জনগণের টাকাই জনগণকে দেওয়া হচ্ছে।
এক্ষেত্রে মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসন অথবা
চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ শুধুমাত্র বাহক হিসেবে কার্যক্রম
ও দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি উপজেলা ও ইউনিয়ন
পরিষদের সদস্যগণও প্রতি মাসে সরকারের নিকট থেকে জনগণের
অর্থ হিসেবে মাসিক বেতন-ভাতা গ্রহণ করে থাকেন। জনগণের
অর্থ জনগণের নিকট বিলি করা কোন বিশাল প্রশংসার দাবিদার
কেউ নয়। প্রতিটি জনগণ বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে শুরু করে,
গ্যাস, ফোন-মোবাইল ফোন, জমি ক্রয়-বিক্রয়সহ শিল্প ও
বাণিজ্য ক্ষেত্রে সরকারকে নিয়মিত আয়কর/ভ্যাট প্রদান
করছে।
এছাড়া যারা সাধারণ চাকুরিজীবী, সাধারণ ব্যবসায়ী তারাও
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরকারকে বার্ষিক কর হিসেবে
প্রদান করছে। বিশ্বের সকল উন্নত দেশে জনগণের নিকট থেকে
কর আদায় করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি কোন ব্যক্তি
চাকুরিচ্যুত হলে সরকারকে অবহিত করার পর সরকার
চাকুরিচ্যুত ব্যক্তি যে পরিমাণ অর্থ প্রতি মাসে
পেয়েছেন, সে পরিমাণ অর্থ সেই নাগরিককে পরবর্তী চাকুরিতে
যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত মাসিক পরিশোধ করে থাকেন। উন্নত
দেশগুলোতে রাষ্ট্র তথা সরকার জনগণের দৈনন্দিন
জীবনযাপনের ব্যয় তথা বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ
সকল ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে থাকে। আমাদের এই দরিদ্র
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা নেই, তাই জনগণ বেকার বা
চাকুরিচ্যুত অবস্থায় কোন ভাতা পান না। জনগণের অর্থ
জনগণকে দেওয়া হলে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিগণ বা সরকারি
কর্মচারীগণ সেই অর্থ বা খাদ্যদ্রব্য তাদের উপহার হিসেবে
প্রচার করা বা ঘোষণা করা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে ইঐজঈ মনে
করে। এ ধরনের জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তা
প্রকৃতপক্ষে নিজেকে একজন অসাধু ও অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে
পরিচয় প্রদান করছেন।
Top
ডাক্তার আর ঔষধ কোম্পানিগুলোর হাতে
জিম্মি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা
মো: দ্বীন ইসলাম হাওলাদার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সারা বিশ্বজুড়ে হাসপাতাল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান (সরকারি/বেসরকারি)
আর ডাক্তার সেবক, এমনটিই প্রচলিত কথা। কিন্তু
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের চালচিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
এখানকার পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা ডাক্তার ও ঔষধ
কোম্পানিগুলোর হাতে জিম্মি। তবে সেবাদানকারী ডাক্তার
যে নাই, তা নয়। কিন্তু তাদের সংখ্যা অতি নগন্য, রোগীরা
যখন ডাক্তারের কাছে যান, তারা ডাক্তারদের সনদ দেখেন
না। তাই আমাদের দেশে ভূয়া ডাক্তারের সংখ্যাও কম নয়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকার জনগনের চিকিৎসার জন্য প্রতি
বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখেন ও ব্যয় করেন।
কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তারের জন্য সরকারি
হাসপাতাল অবকাশ কেন্দ্র ও রোগী সংগ্রহের কেন্দ্র।
ডাক্তারেরা প্রত্যেকেই কোন না কোনো প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক/প্যাথলোজিতে
কাজ করেন, অথবা নিজের ব্যক্তিগত চেম্বার থাকে। সুযোগ
বুঝে অধিকাংশ রোগিদেরকে মৌখিকভাবে বলেদেন বা চিরকুট
ধরিয়ে দেন তার চেম্বার/প্রাইভেট হাসপাতালে যোগাযোগ
করার জন্য। অনেকে আবার সরকারি হাসপাতালে বসেই ফি আদায়
করেন স্পেশাল দেখার কথা বলে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো
অধিকাংশ ডাক্তারই তাদের চুক্তি করা ডায়াগনিষ্টিক
সেন্টিারে রোগীদের বিভিন্ন টেষ্টগুলো করাতে বলেন এবং
টেষ্টের প্রায় ৬০%-৭০% শতাংশ অর্থ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার
থেকে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার নিয়ে নেন। অনেকে আবার অর্থের
লোভে বিনা প্রয়োজনেও অনেকগুলো টেষ্ট দিয়ে থাকেন।
তারা অনেকেই সরকারি হাসপাতালের টেষ্ট ভালো হয়না বলে,
রোগীদেরকে, ডাক্তারদের চুক্তিকরা সেন্টারে যেতে বলেন।
অনেকে আবার রোগীদের সাথে চুক্তিকরে প্রাইভেট ক্লিনিকে/হাসপাতালে
অপারেশন করেন। অথচ, তারা কর্মরত সরকারি হাসপাতাল থেকে
সকল ঔষধ নিয়ে অপারেশন সম্পন্ন করেন। বর্তমান
ডাক্তারদের কর্মকান্ড ও হীন মানসিকতা উপলব্দি করেই
প্রখ্যাত ডাক্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এরকম
মন্তব্য করেন “ডাক্তাররা প্যাথলজির থেকে উৎকোচ/ টেষ্ট
প্রতি অর্থ গ্রহণ না করলে রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমপক্ষে
৪৫% কমে যেতো।
এছাড়াও ডাক্তাররা নগদ অর্থ ও উপঢৌকনের বিনিময়ে
নিম্নমানের কোম্পানির নিম্নমানের ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে
লেখেন। বিনিময়ে তারা পেনটি/ন্যাপকিন থেকে শুরু করে
থ্রিপিচ, শাড়ি, ক্রোকারিজ সামগ্রী, ওভেন, টিভি, ফ্রিজ,
ল্যাপটপ, সৌর বিদ্যুৎ, রাইচ কুকার, প্রেসার কুকার,
প্রাইভেট কার, প্রসাধনী সামগ্রীসহ বাস্তব জীবনের সকল
প্রয়োজনীয় সামগ্রী কোম্পানির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পেয়ে
থাকেন। এসকল নিম্নমানের ঔষধ সেবনে অনেক রোগী আরগ্যের
পরিবর্তে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন। হাসপাতাল গুলোতে
ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের ভীরে রোগীরা ডাক্তারের
কক্ষে প্রবেশ করতে পারছে না। পত্রিকায় দেখলাম যে ঔষধ
তৈরীতে মাত্র ৩ টাকা খরচ হয় তা পরিবহন, প্রতিনিধিদের
বেতন ও ডাক্তারদের উপঢৌকন ও কোম্পানির ব্যবসা সব মিলিয়ে
৩৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ঔষধ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা
সরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক/হাসপাতাল,
ডাক্তারদের প্রাইভেট ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে রাখে ও
কোম্পানিতে জমা দেয়। উপঢৌকন ও উৎকোচ পাওয়া
ডাক্তারবৃন্দ তাদের ব্যবস্থাপত্রে উৎকোচ ও উপঢৌকন
প্রদানকারী কোম্পানির ঔষধ লেখেন কিনা তা মনিটরিং এর
জন্যই এমনটি। ডাক্তাররা উৎকোচ গ্রহনের কারনে ঐসকল
কোম্পানির নিম্ন মানের ঔষধ লিখতে বাধ্য। ফলে ঐ সকল ঔষধ
সেবনে রোগীরা আরোগ্যের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেশি।
আরো লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে
বিনা প্রয়োজনে রোগীদেরকে আইসিইউতে রাখা হয় এমনকি মৃত
ব্যক্তিকও আইসিইউতে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে
থাকেন। এমনকি বিনাপ্রয়োজনে অপারেশনের নামে পেট চিরে
লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেক ঔষধ কোম্পানিগুলো
বিএসটিআই এর পরীক্ষাগারে যে ঔষধ পরীক্ষার জন্য দেন তাতে
সকল উপাদান সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে অনুমতির পরে
যেনো তেনো করে ঔষধ তৈরি করেন ও বিক্রি করে থাকেন। একই
ঔষধ বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করায় কোম্পানিগুলো নিম্ন
মানের ঔষধ তৈরি করে ডাক্তারদেরকে উৎকোচের মাধ্যমে
তাদের ঔষধ বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর মতো
কোম্পানিগুলোকে ঔষধ ভাগ করে দিলে তারা নিম্নমানের ঔষধ
তৈরি থেকে বিরত থাকতো। একটি কোম্পানী যে ঔষধ তৈরী করবে
তা অন্য কোন কোম্পানী তৈরী করতে পারবে না এবং ঔষধ
চালানোর জন্য ডাক্তারদের কে এত উৎকোচ দিতে হত না। তখন
রোগীরা স্বল্প ব্যায়ে চিকিৎসা পেতো। সরকার জনগনের
চিকিৎসার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ
করছে ডাক্তার ও কর্মচারীদের বেতন ও ঔষধের পেছনে। কিন্তু
রোগীরা কি সেবা পাচ্ছে? অন্যদিকে ডাক্তাররা রাতারাতি
কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে
উন্নত দেশের মতো কষ্ট ফ্রি করলে চিকিৎসকরাও রাতারাতি
কোটিপতি হতে পারতেন না। এত বেশি প্রাইভেট হাসপাতাল হতো
না। রোগীদেরকেও এত ভোগান্তির পোহাতে হতো না।
চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি
বিস্ময়কর স্টেভিয়া বাংলাদেশে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ
সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মাঠে ফলানো হয়েছে
স্টেভিয়া। কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণও শুরু হয়েছে।
অচিরেই দেশের লাখ লাখ ডায়াবেটিক রোগীর জন্য আশীর্বাদ
হয়ে আসবে এই ভেষজ উদ্ভিদটি।
চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি, কিন্তু ক্যালরিমুক্ত।
ভেষজ ঔষধি হিসেবে ডায়াবেটিক রোগী ও সুস্থ মানুষ নির্ভয়ে
খেতে পারবে। এই বিস্ময়কর ভেষজ উদ্ভিদ হলো স্টেভিয়া।
মিষ্টি পাতা, মধুপাতা, মিষ্টি হার্ব প্রভৃতি নামে
পরিচিত এই উদ্ভিদ।
উদ্ভিদটির চাষ, ব্যবহার ও বাণিজ্যিকভাবে প্রসারে কাজ
করছেন পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সুগার ক্রপ
গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) বায়োটেকনোলজি বিভাগের
এক দল বিজ্ঞানী।
স্টেভিয়া ট্রপিক্যাল বা সাবট্রপিক্যাল ও কষ্টসহিষ্ণু
বহু বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় গাঢ় সবুজ ঔষধি গাছ। ফুল সাদা,
নলাকৃতি ও উভয়লিঙ্গ। গাছ সুগন্ধ ছড়ায় না, কিন্তু পাতা
মিষ্টি। পৃথিবীতে ২৪০টির মতো প্রজাতি ও ৯০টির মতো জাত
আছে। উদ্ভিদটির উৎপত্তিস্থল প্যারাগুয়ে। বর্তমানে
সেখানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রাজিল,
উরুগুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, থাইল্যান্ড, চীনসহ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশে বিএসআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদটি নিয়ে কাজ
শুরু করেছেন ২০০১ সালে। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান
মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. আমজাদ হোসেন পরিচালকের (গবেষণা)
দায়িত্বে থাকাকালে বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ও
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কুয়াশা মাহমুদ,
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাদিরা ইসলাম ও
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘোষসহ কয়েকজন
বিজ্ঞানীকে নিয়ে কাজ করেন। গবেষণায় সফল হওয়ার পর এখন
তাঁরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্টেভিয়া চাষের লক্ষ্যে
কৃষকদের মধ্যে প্রচার, তাদের উদ্বুদ্ধকরণ, বীজ, চারা
সরবরাহকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এখনো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু না হলেও অলাভজনক
হিসেবেই শৌখিন মানুষ, উৎসুক কৃষকরা দু-একটি করে গাছ
বাড়ির টবে, ছাদে ও বাগানে চাষ করতে শুরু করেছে। এরই
মধ্যে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে বেশ সাড়াও পড়েছে।
ড. কুয়াশা মাহমুদ জানান, স্টেভিয়া স্বল্প দিনের ঔষধি
উদ্ভিদ হলেও দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে। স্বল্পদীর্ঘ দিবস
উদ্ভিদ। স্টেভিয়া সহজে চাষ করা যায়। এমনকি মাটির টবেও
হয় এই গাছ।
ড. কুয়াশা মাহমুদ বলেন, চিনির বিকল্প হিসেবে
ক্যালরিমুক্ত স্টেভিয়ার পাতা ব্যবহার করা যায়।
স্টেভিয়ার পাতা চিনি অপেক্ষা ৩০-৪০ গুণ এবং পাতার
স্টেভিয়াসাইড চিনি অপেক্ষা ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি।
ক্যালরিমুক্ত হওয়ায় স্টেভিয়া ডায়াবেটিক রোগী খেলে রক্তে
গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না। অগ্ন্যাশয়কে (প্যানক্রিয়াস)
ইনসুলিন উৎপাদনে উদ্দীপ্ত করে বলে রক্তের গ্লুকোজও
নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে এ উদ্ভিদ। এ
ছাড়া ব্যাকটেরিয়া সাইডাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
দাঁতের ক্ষয়রোগ রোধ করে। ত্বকের কোমলতা ও লাবণ্য বাড়ায়।
স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসেবেও কাজ করে। স্টেভিয়া চা, কফি,
মিষ্টি, দই, বেকড ফুড, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি
তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর ভেষজ
উপাদান মানুষের দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
করে না।
এই বিজ্ঞানী বলছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি স্টেভিয়া
চাষের অনুকূলে। তাই বাংলাদেশের যেকোনো এলাকায় এর চাষ
সম্ভব। শুধু বর্ষা মৌসুমে একটু খেয়াল রাখতে হয়, যাতে
গাছের গোড়ায় পানি জমে পচে না যায়। এটি একবার লাগালে
তিন থেকে চার বছর নতুন করে চারা লাগানোর প্রয়োজন পড়ে
না। সেখান থেকেই নতুন চারা গজায়। স্বল্প শ্রম ও কম খরচে
স্টেভিয়া উৎপাদন হয়। ড. কুয়াশা মাহমুদ বলেন, স্টেভিয়ার
চারা লাগানোর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে পাতা সংগ্রহ
করা যায়। সেই পাতা রৌদ্রে শুকিয়ে চিনির পরিবর্তে চা,
কফি, মিষ্টিসহ বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা
যায়। তিনি বলেন, দিন দিন স্টেভিয়ার চাহিদা বিশ্ববাজারে
বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে স্টেভিয়ার চাষ বাণিজ্যিক
ভিত্তিতে শুরু হলে দ্রুত বাজার পাবে।
এই বিজ্ঞানী মনে করেন, মানুষের মধ্যে স্টেভিয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে এ দেশের
চাষিরা আর্থিকভাবে বহুগুণ লাভবান হবে।
প্রাথমিক এক জরিপে বিএসআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা
দেখেছেন, যে পরিমাণ খরচ করে স্টেভিয়া উৎপাদন করা হয়,
তার চেয়ে কমপক্ষে ১২ গুণ বেশি দরে বিক্রি করা যায়। এই
জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি স্টেভিয়ার উপকারিতা, আর্থিক
লাভ ও সর্বোপরি ডায়াবেটিক রোগীসহ সুস্থ মানুষকে মিষ্টি
ও মিষ্টিজাতীয় জিনিস খেতে স্টেভিয়ার ব্যবহার নিশ্চিত
করতে জনসচেতনতা, প্রচারণা ও কৃষকদের বিভিন্ন
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করছে। কর্মকর্তারা জানান,
স্টেভিয়া চাষ করার জন্য বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে
এই প্রতিষ্ঠান থেকে চারা বা বীজ সংগ্রহ করা যাবে।
প্রয়োজনীয় পরামর্শও পাওয়া যাবে এখান থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা,
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিনিয়াপোলিস পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবারও যুক্তরাষ্ট্রের
বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়ে টানা ৬ষ্ঠ
দিন বিক্ষোভ চলছে। অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা
হয়েছে। এই হত্যার দৃশ্য নাড়া দিয়েছে পুরো বিশ্বের
মানুষকে। তাই আমেরিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে সংহতি
প্রকাশ করে এবার রাস্তায় নেমেছে লন্ডন, বার্লিনসহ
বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সাধারণ জনতা।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সপ্তাহে আরও তিনটি বিক্ষোভের
পরিকল্পনা রয়েছে লন্ডনে। এর মধ্যে একটি মার্কিন
দূতাবাসের কাছে অনুষ্ঠিত হবে। সেন্ট্রাল লন্ডনে হাজার
হাজার বিক্ষোভকারী শ্লোগান দেয়, ‘নো জাস্টিজ নো পিচ’ (ন্যায়বিচার
নাই, শান্তিও নাই)। বিপুল সংখ্যক জনতা শ্লোগান দিতে
দিতে হাউজ অব পার্লামেন্টের দিকে যান, তারপর
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে
বিক্ষোভ শেষ করেন।
লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র
দূতাবাসের বাইরে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে ৩
জনকে করোনাভাইরাস লকডাউন নির্দেশনা ভাঙ্গার কারণে আর ২
জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের ওপর হামলার কারণে।
জার্মানির বার্লিনেও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে
বিক্ষোভ করেছে শতশত মানুষ। তারা শ্লোগান দেয়, জর্জ
ফ্লয়েডের জন্য ন্যায়বিচার চাই, আমাদের হত্যা বন্ধ কর
ইত্যাদি। বিক্ষোভ হয়েছে কানাডার টরন্টোতেও। সেখানেও
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে কয়েকশ মানুষ। সূত্র:
রয়টার্স।
রোহিঙ্গাদের পক্ষে
আদালতে আমাল ক্লুনি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার
জন্য সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ
করেছে মালদ্বীপ। তিনি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে
রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার চাইতে লড়বেন। মালদ্বীপ
সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার
সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে মালদ্বীপ। সূত্র :
রয়টার্স। আমাল ক্লুনি প্রখ্যাত এক আইনজীবী এবং বিখ্যাত
হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী। ক্লুনি এর আগে
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে
জাতিসংঘে আইনি লড়াই করেছেন। ক্লুনিকে উদ্ধৃত করে
মালদ্বীপ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মিয়ানমারে সংগঠিত
গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক পথ
বাকি। আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারের
জন্য চেষ্টা করব। প্রসঙ্গত, আমাল ক্লুনি সাবেক
প্রেসিডেন্ট নাশিদের পক্ষে জয়লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে
মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছিল।
সংখ্যালঘুর
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দুটো দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে
বাস করে আমার মনে হয়েছে, সংখ্যালঘুর নিজস্ব কিছু
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থাকে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু,
বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যেও এই জটিলতা কাজ করে।
পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রমশ
তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হারাতে থাকে। এর সাথে যোগ হয়
নিরাপত্তাহীনতা ও সম্পদ লুণ্ঠনের ঝুঁকি। গত এগারো বছর
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সংখ্যালঘু
নির্যাতনের ঘটনা অনেক হ্রাস পেলেও একেবারে বন্ধ ঢুকে
পড়ে। তার
হয়নি। বর্তমানের ভালো দিক হলো, রাষ্ট্র অন্তত সংখ্যালঘু
নির্যাতনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে না।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি সংখ্যালঘুদের এই মানসিক
কষ্টটুকু বুঝি। আমি মনে প্রাণে তাই অসাম্প্রদায়িকতা
অনুশীলন করার চেষ্টা করি। যে কারণে বিশিষ্ট নাক, কান ও
গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দেবেশ তালুকদারের নাম আমার
অন্যতম প্রিয় বন্ধুর তালিকায় জ্বলজ্বল করে।
মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা থেকে উৎসারিত কোন অসংলগ্নতা তাই
আমাকে স্পর্শ করে না।
বিকাশে ভুলে অন্য
নাম্বারে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে করণীয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমানে আর্থিক লেনদেন করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্চে
। মোবাইল নাম্বার দিয়ে মিনিটেই অনেক দূরে থেকে টাকা
লেনদেন করতে পারবেন। নাম্বারের মাধ্যমেই এই লেনদেন চলে।
কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়।
এ সমস্যায় পড়লে কী’ করবেন, তা জানা নেই অনেকের। তাই
দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। চিন্তা ছেড়ে জেনে নিন কি করলে
টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। বিকাশ একাউন্ট থেকে ভুলবশত কোন
নাম্বারে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন।
ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করুন। যতো দ্রুত সম্ভব
জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং আপনার
সমস্যা জানান।
টাকা ভুল নাম্বারে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন
দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নাম্বারে টাকা চলে গেলে,
তা ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি
টাকা উঠিয়ে ফেললে, আপনার করার কিছুই থাকবে না। অতএব
টাকা উঠানোর আগেই, জিডি কপি এবং মেসেজসহ যদি বিকাশ
অফিসে যোগাযোগ করেন, তারা টেম্পোরারি ওই ব্যক্তির
অ্যাকাউন্ট লক করে, উনার সঙ্গে কথা বলবে।
প্রাপক যদি তখন জানায় হ্যাঁ টাকা এসেছে, বিকাশ অফিস
থেকেই টাকা স্থানান্তর করে দিবে। যদি তিনি নিজের টাকা
দাবী করেন, তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অফিসে এসে
অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তী ৬ মাসে যদি তিনি
না আসেন, তাহলে প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।
পরবর্তী ৬ মাসে অ্যাকাউন্ট ঠিক না করলে অ্যাকাউন্টটি
অটো ডিজেবল হয়ে যাবে চিরতরে এবং প্রেরক আদালতের
সাহায্য নিয়ে টাকা আনতে পারবেন। এই পদ্ধতি শুধু
বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
জাতিসংঘ মহাসচিবের
উদ্বেগ, ওআইসির নিন্দা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ
করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
মুসলিমদের টার্গেট করে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী
সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে গত ২৩
ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ঐ সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জন
ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার
এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের
উদ্বেগের কথা জানান তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব নিবিড়ভাবে দিল্লি পরিস্থিতি
নজরে রেখেছেন। বিক্ষোভকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে
বিক্ষোভ করতে দেওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংযত থাকা
উচিত। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ শান্ত করা এবং
স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও মনে করেন
জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি জানান, ব্যক্তি জীবনে মহাত্মা
গান্ধীর শিক্ষায় অনুপ্রেরণা পান জাতিসংঘ মহাসচিব।
গান্ধীর আদর্শের আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ
তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন
থমথমে দিল্লিতে
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দিল্লিতে সহিংসতা আপাতত থেমেছে। তবে পরিস্থিতি থমথমে।
গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে।
সহিংসতার তদন্তে সরকার দুটি বিশেষ তদন্ত দল এবং
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
করেছেন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২৩টি
এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে।
গুরুগ্রামে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সহিংসতার
মধ্যেও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির
নজির সৃষ্টি হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার
পত্রিকার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালও বলেছেন, কারো
নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে নয়, প্রতিবেশী দেশে সহিংসতার
শিকার মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
(সিএএ) করা হয়েছে। দিল্লি কিছুটা শান্ত হতেই সরিয়ে
দেওয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। পুলিশ জানায়, দিল্লির
সহিংসতার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে। গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি
যেন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। থমথমে দিল্লিতে ঘর
থেকে বের হতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। দাঙ্গায় নিহতদের
পরিবারপিছু ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা
দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গতকাল অবশ্য দোকানবাজার কিছুক্ষণ খোলা রাখতে কোথাও
কোথাও কারফিউ শিথিল করা হয় কয়েক ঘণ্টার জন্য। গত
রবিবারের পরেই অ্যালার্ট জারি হয়েছিল গুরুগ্রামে।
গতকাল জুমার নমাজের প্রাক্কালে সেই অ্যালার্ট আরো কঠোর
করা হয়। নিরাপত্তার কথা ভেবে সিএএর বিরুদ্ধে হিংসার
ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কারা অর্থ জোগাচ্ছে তা খুঁজে
বের করতে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি
সরকার ও দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে। তদন্ত কমিটির
কর্মকর্তারা গতকাল অভিযুক্ত আপ নেতা তাহির হুসেনের
বাড়িতে যান। তিনি সহিংসতায় মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ
আছে। যদিও তিনি সব অস্বীকার করেছেন। এদিকে
মহারাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিমদের জন্য
সংরক্ষিত রাখতে রাজ্যের জোট সরকার। শুক্রবার এই ঘোষণা
দেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিক।
বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনেই আনা হবে সেই বিল।
সোনিয়া গান্ধীর তদন্ত দল গঠন
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সহিংসতায়
ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলো পরিদর্শন
এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার
জন্য একটি পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছেন। দ্রুত সময়ের
মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তাদেরকে। এই
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুুল
ওয়াসনিকও।
নারী ও শিশু সংবাদ
মহামারিতেও নারীর মুক্তি নেই!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, সারাবিশ্বে
স্বাস্থ্যসম্পর্কিত কাজে নিয়োজিত লোকবলের মধ্যে ৭০
শতাংশই নারী। চীনের স্বাস্থ্যকর্মীদের ৯০ শতাংশই ছিলেন
নারী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নারী যেমন একদিকে করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে,
অপরদিকে উদ্বেগজনকভাবে নিজেরা শিকার হচ্ছে ‘নির্যাতন’
নামক ভাইরাসের। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ
নারী কোনো না কোনো সময় নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন।
কিন্তু এই সংখ্যা লকডাউনের সময় বেড়েছে। জাতিসংঘের
তথ্যমতে, করোনার সময় নারী নির্যাতন উন্নত ও দরিদ্র
অর্থনীতির দেশ উভয়কেই প্রভাবিত করে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে নারী
নির্যাতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তুরস্কে সবাইকে ঘরে
থাকার নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে নারী-হত্যার হার বেড়েছে,
দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে অন্তত ৯০
হাজার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অভিযোগ এসেছে। অস্ট্রেলীয়
সরকারের কাছে অনলাইনে সাহায্য প্রার্থনার হার বেড়েছে
৭৫ শতাংশ। এক সপ্তাহে ফ্রান্সে ঘরোয়া নির্যাতন বেড়েছে
প্রায় ৩২ শতাংশ। অপরদিকে, যুক্তরাজ্যে সরকারি হটলাইনে
নির্যাতনের শিকার নারীদের ফোন ৬৫ ভাগ বেড়েছে (দৈনিক
প্রথম আলো, ৩১ শে মার্চ)।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার গবেষক
পিটারম্যান ও তার সহলেখকগণ ২০২০ সালে ওয়াশিংটনের
সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলোপমেন্ট থেকে প্রকাশিত
‘মহামারি ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা’ শিরোনামে
গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,
অর্থনৈতিক মন্দার সময় নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার আশঙ্কা
বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরুপ, আফ্রিকায় ইবোলা সংক্রামণের
সময় যৌন নিপীড়ন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ইয়াসমীন (২০১৬)
দেখান যে, ইবোলার সময় ধর্ষণসহ নারীর বিরুদ্ধে যৌন
সহিংসতা বেড়ে গয়েছিল। অপরদিকে ওয়েংগিং (২০২০) এ তার
গবেষণায় উল্লেখ করেন, নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান
অনুসারে এই বছরের মার্চে চীন, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল,
ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় গত বছরের মার্চের চেয়ে নারী
নির্যাতনের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউকের বিখ্যাত সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে,
লকডাউনের কারণে ইংল্যান্ডে নারী নির্যাতন, শিশু নিপীড়ন
ও পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে (দ্য গার্ডিয়ান, ২৮
মার্চ)। অপরদিকে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্রিস্তোফে কাস্তাঁয়ের জানিয়েছেন, লকডাউনের পর
ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশনে পারিবারিক
সহিংসতার অভিযোগের হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে। জাতিসংঘ বলেছে,
তুলনামূলকভাবে দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ঘরে যারা
নিপীড়নের শিকার হন, তাদের ক্ষেত্রেও পারিবারিক সহিংসতা
বৃদ্ধি পেতে পারে।
আমরা যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে করোনাকালে
নারী নির্যাতনের পরিধি ও ধরণ জানতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের
খবর পর্যালোচনা করে রীতিমতো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি পাওয়া
গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা মানবধিকার সংস্থা থেকে
এখনও সেরকম রিপোর্ট বা তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই গত মার্চ
২০ থেকে এপ্রিল ২০ পর্যন্ত মোটামুটি ৫টি দৈনিক
পত্রিকার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে যে ঘটনাগুলো বেশি
পাওয়া গেছে তার মধ্যে ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন,
যৌন নিপীড়ন, গৃহকর্মী নির্যাতন এবং আত্মহত্যা
উল্লেখযোগ্য। তুলনামূলকভাবে ধর্ষণের পরিমান সবচেয়ে বেশি
এবং ৮০% ক্ষেত্রে ভিকটিম শিশু। পাশাপাশি ৪ এপ্রিল
দৈনিক প্রথম আলোর সূত্রমতে, ঢাকা মহানগর এলাকায় ২৬
মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনে ধর্ষণ,
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও অপহরণের ২৮টি
মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৭ জন। এই সময়ের মধ্যে ৯টি
ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের
ঘটনায় মামলা হয়েছে ৮টি। এর বাইরে যৌন নিপীড়নের অপরাধে
মামলা হয়েছে ৬টি, অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫টি।
উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্য দেখা যায়, দাম্পত্য কলহকে
কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্বামী তার
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা (১১ মার্চ, প্রথম আলো);
পারিবারিক কলহের জের ধরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায়
এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে ঝলসে দেন
(২৮ মার্চ, প্রথম আলো); মাদকাসক্ত স্বামীর শারীরিক ও
মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন শুকলা
(২০) নামের এক গৃহবধূ (৮ মার্চ, প্রথম আলো); কুমিল্লা
সদরে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ (১৫ মার্চ, প্রথম আলো);
পাবনায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ (২৪ মার্চ, প্রথম আলো);
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার রাংচাপাড়া গ্রামে তৃতীয়
শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে
বায়ান্ন বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে (১ এপ্রিল, সমকাল)
; কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে
(১৫) ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে (১
এপ্রিল, সমকাল); জামালপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে
করোনা রোগী তল্লাশির কথা বলে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ
করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে (২৮
মার্চ, বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর); দুই বন্ধু মিলে
ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ছাদ থেকে
ফেলে হত্যা এক তরুণীকে (১৫ এপ্রিল, ইত্তেফাক)।
মরণ নেশায় আসক্ত পথশিশু জড়িয়ে
পড়ছে অপরাধে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজশাহীতে ছিন্নমূল শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এদের
মধ্যে পরিবারের সঙ্গে বাস করে ১৪ হাজার। বাকি ৬ হাজার
শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন পথশিশু। তাদের অধিকাংশই
মাদকাসক্ত। বিভিন্ন ধরনের সস্তা নেশায় আসক্ত এসব পথশিশু
প্রাপ্তবয়স্ক হলে জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা
ধরনের অপরাধে। রেলস্টেশনের সামনে গেলেই এদের চোখে পড়ে।
ছেঁড়া জামা-প্যান্ট পরে একত্রে সাত থেকে আট শিশু
একসঙ্গে বসে থাকে। অর্থ রোজগারে অপেক্ষা করে ট্রেনের
জন্য। স্টেশনে ট্রেন এলে তাদের ব্যস্ততা বাড়ে। অন্য
সময় অলস আড্ডা দেয়। তাদের নাম আছে তবে পরিচয় নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব পথশিশু বিভিন্ন ধরনের মরণ
নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। স্টেশনে থামা ট্রেন যাত্রীদের
মালামাল বহন করে যে টাকা আয় করে তা দিয়েই তারা মাদক
সেবন করে। রাজশাহীর রেলস্টেশন, কোর্ট রেলস্টেশন,
বহরমপুর, সাহেববাজার, শিরোইল কলোনি এলাকাগুলোতে
পথশিশুরা বাস করে। এদের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করায় ছোট থেকেই এরা মাদকাসক্ত হয়ে
পড়েছে। এদিকে এসব পথশিশুর লেখাপড়া থেকে শুরু করে মান
উন্নয়নে নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থা।
এ পথশিশুদের জন্য আগে ইউনিসেফ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি
বেসরকারি সংগঠন কাজ করলেও এখন আর কোনো সংগঠনই কাজ করে
না। যার কারণে যতদিন যাচ্ছে এসব শিশু আরও বেশি বিপথগামী
হয়ে উঠছে। এর ফলে শুধু এসব পথশিশুরাই নয়, সামাজিক
ব্যবস্থাও পড়ছে হুমকির মুখে। নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলা
পর্যায়ে তারা অপরাধ কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে। রেলস্টেশনে
থাকা ১২ বছরের রুবেল (ছদ্মনাম) বাড়ি কোথায় জানে না।
নিরিবিলি এক জায়গায় ধূমপান করছিল। বাড়ি কোথায় জানতে
চাইলে সে জানায়, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে স্টেশনকেই বাড়ি
হিসেবে দেখেছে। বাবা-মা কে জানে না। স্টেশনে সব মিলিয়ে
১২ থেকে ১৫টি ট্রেন থামে। ওইসব ট্রেনে কুলির কাজ করে।
দিনে সব মিলিয়ে তার আয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। নেশার
প্রসঙ্গে রুবেল জানায়, যখন যা পাওয়া যায় তা দিয়েই নেশা
করে। নেশার জন্য প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হয়।
পথশিশুদের মধ্যে মাদকের সমস্যাটি মারাত্মকভাবে দেখা
দিয়েছে। দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে পথশিশুদের
ভাগ্যোন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে বেসরকারি
উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ জরুরি প্রয়োজন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
জানান, বস্তি এলাকার স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য রাসিক
স্যানিটেশনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বস্তি
এলাকাগুলোর পরিবেশের উন্নয়ন করা হলে মাদক অনেকটা
নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
শিশুদের
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে
তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার আজকের
শিশু-কিশোররা। তাদের সুনাগরিকের গুণাবলী অর্জন করে
দেশপ্রেমিক ও চরিত্রবান, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক
ও সংস্কৃতিবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের। সম্প্রতি
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয়
নাট্যশালায় জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর আসরের
দুদিনব্যাপী ‘জাতীয় সম্মেলন-২০১৫’ এর উদ্বোধনকালে তিনি
এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনÑ সোনার বাংলা গড়তে
সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ বলতে তিনি সৎ, যোগ্য,
চরিত্রবান ও মেধাবীদের বুঝিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের
শিশু-কিশোররা তাদের আচার-আচরণ, চিন্তা-কর্ম ও
জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে
তুলতে হবে বলে আমার আশা।
সূত্র জানা যায়, দুদিনব্যাপী সম্মেলনে সারা দেশের ৪০টি
জেলা ও আঞ্চলিক কমিটি এবং প্রায় ৪০০টি শাখা আসরের ১
হাজার প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষক ও ২ হাজার শিশু-কিশোর ও
দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া অংশ
নিচ্ছেন সর্বভারতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘সব পেয়েছি’র
আসরের ছয় সংগঠক।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
বরগুনা কারাগার থেকে মুক্তি পেল ১১
বন্দি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নভেল করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জেলার
কারাগার থেকে মুক্তি দিবে লঘু অপরাধে দন্ডিত
কারাবন্দীদের। সরকার কর্তৃক এমন চমকপ্রাপ্ত ঘোষণাই করা
হয়েছিলো।
বরগুনা জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল
শর্তানুযায়ী বাইশ জন কারাবন্দীর নাম উল্লেখ করে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি মুক্তির প্রস্তাব প্রেরণ
করা হয়েছিলো।
গৃহীত প্রস্তাব থেকে ফিরতি চিঠিতে বরগুনা জেলা
কারাগারের জন্য এগার কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়ার একটি
নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ে। আদেশ
পৌঁছানো মাত্রই কারাবন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য বরগুনা
জেলা কারাগার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
নির্দেশানুযায়ী এ পর্যন্ত এগার জন কারাবন্দীকে মুক্তি
দিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগার।
গত ৩ এপ্রিল এক জন ও ৮ এপ্রিল দশ জনসহ মোট এগার জনকে
বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
২ হাজার ৮ শ’ ৮৪ জন কারাবন্দীকে বাংলাদেশ সরকার
বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করে ক্রমানুযায়ী মুক্তি দিবে।
যার কারণে প্রতিটি জেলা কারাগারে মুক্তির সুপারিশ চেয়ে
প্রস্তাব চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
প্রত্যেক জেলা থেকে প্রেরণকৃত মুক্তির প্রস্তাব
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সর্বশেষ
মন্ত্রী পরিষদে পর্যালোচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ এর (১) ধারা ক্ষমতাবলে
রাষ্ট্রপতি এ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। সরকার কর্তৃক লঘু
অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং নিম্নত তিন
মাস কারাবরণ করেছেন এমন কারাবন্দীদেরই বিবেচনায়
নিয়েছেন সরকার।
বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি
নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের
মাধ্যমে মুক্তিযোগ্য; এমন কারাবন্দীদের নামের তালিকা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিলাম। যার ফলস্বরুপ
হিসেবে এ পর্যন্ত এগার জনকে আমরা মুক্তি দিতে পেরেছি।
করোনায় হাজতির মৃত্যু সিলেট কারাগারে
আতঙ্ক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে এক হাজতীর মৃত্যুর পর গোটা
কারাগারেই করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তা,
কর্মচারী সহ প্রায় ১১০ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টিনে।
তবে- দুই মাস আগে কারা অভ্যন্তরে বন্দি হওয়া হাজতী
কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন সেটি নিয়ে খোদ
কর্মকর্তারাই দ্বিধা-দ্বন্ধে। কারন- গত মার্চ মাসের
মাঝামাঝি সময় থেকে মারা যাওয়া হাজতী কারো সংস্পর্শে
আসেনি। এ কারনে করোনা উৎসের অনুসন্ধান চলছে সিলেট
কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে। সিলেট কেন্দ্রীয়
কারাগার। এখন আর বৃটিশ আমলের সেই পুরাতন কারাগার নয়।
শহতলীর বাদাঘাটে বর্তমান সরকারের শাসন আমলে নির্মিত
একটি অত্যাধুনিক কারাগার। চলতি বছরের শুরুতে হাজতি এবং
কয়েদিরা এই কারাগারে স্থানান্তর হন। ফলে নতুন এবং
স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দিরা এই কারাগারে বসবাস করছে।
ধারন ক্ষমতার কম বন্দিও বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। ফলে
কারাগারে প্রবেশ করা নতুন বন্দির কোয়ারেন্টাইন রক্ষা
করতে কোনো বেগ পেতে হতে হচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষকে।
পাশাপাশি করোনা কালীন সময়ে অভ্যন্তরে থাকা বয়স্ক
বন্দিদের জন্য একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে
বিশেষ তদারকি করা হচ্ছে। এই অবস্থায় যখন চলছিলো সিলেট
কেন্দ্রীয় কারাগার তখন হঠাৎ করে গত ৭ ই মে অসুস্থ হয়ে
পড়েন কানাইঘাটের বড়াইগ্রামের আহমদ হোসেন। তার বয়স ৫৩
বছর। একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তিনি গত ৫ই মার্চ
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ হন আহমদ হোসেন।
এরপর থেকে তাকে কারাগারের ‘রজনীগন্ধা-২’ নম্বর ওয়ার্ডে
রাখা হয়। ওই ওয়ার্ডে তিনি ছাড়া মোট ৮৩ জন বন্দি রয়েছেন।
গত ৩০ মার্চ ওই ওয়ার্ড থেকে সর্বশেষ বন্দি বের হন।
এরপর থেকে সব বন্দিরা বলতে গেলে এক ভাবে কোয়ারেন্টিনে
ছিলেন। কিন্তু করোনার ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ মে। কারা
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- হাজতি আহমদ হোসেন হঠাৎ করে
অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন। এ
কারনে ওই দিনই তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তাকে ডাক্তার ও নার্সরা মিলে চিকিৎসা সেবা দিয়ে
থাকেন। কিন্তু এতে উন্নতি হয়নি ওই হাজতি রোগীর।
অবস্থান অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তাররা ওই রোগির
উপসর্গ দেখে করোনা ‘সন্দেহ’ করেন। এবং তাকে পাঠিয়ে দেন
সিলেটের করোনা চিকিৎসা সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ
হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির পর তাকে চিকিৎসা দেওয়া
হচ্ছিলো। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন- রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে
আহমদ হোসেন মারা যান। কিন্তু মারা যাওয়ার আগেই তার
নমুনা সংগ্রহ করে ওসমানীর ল্যাবে প্রেরন করা হয়। রাতে
ল্যাব থেকে রিপোর্ট এসেছে পজেটিভ। অর্থ্যাৎ আহমদ হোসেন
করোনা আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ
হাসপাতালের অবাসিক চিকিৎসক ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র
জানিয়েছেন- রোববার মারা যাওয়ার আগেই ওই রোগীর নমুনা
সংগ্রহ করা হয়। মারা যাওয়ার পর তার রিপোর্ট এসেছে
পজেটিভ। এরপর থেকে তার লাশ ওসমানীর মর্গে রাখা হয়। এখন
কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী পোস্টমর্টেমের পর লাশ
হস্তান্তর করা হবে। আর রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর সিলেট
কারাগারে দেখা দিয়েছে করোনা আতঙ্ক। কারাগারের ভেতরে
বর্তমানে বন্দি সংখ্যা প্রায় ২৭০০। তাদের স্বাস্থ্য
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই গত দুই সপ্তাহ ধরে
স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষ্যাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বজনরা এখন ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারেন। ফলে
হঠাৎ করে এক বন্দি করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে
তুলেছে সবাইকে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা
সুপার আব্দুল জলিল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ওই বন্দি
কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন সে বিষয়টির এখনো অনুসন্ধান
চলছে। তবে- তার সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ১১০ জনকে
কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে কেউ করোনা
আক্রান্ত কী না সেটিও পরে দেখা হবে। তিনি বলেন- করোনা
আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ওই হাজতি যে ওয়ার্ডে থাকতেন
সেই ওয়ার্ডেও ৮৩ জন বন্দিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা
হয়েছে। তাদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে
ওই রোগীর সংস্পর্শে যেসব ডাক্তার ও নার্স ও কর্মকর্তা
এবং কর্মচারী এসেছেন তাদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
কারাগারের অভ্যন্তরে যাতে করোনা ভাইরাস না ছড়ায় সেদিকে
বিশেষ নজরদারি রয়েছে। বিশেষ করে অসুস্ত রোগীদের আলাদা
করে রাখা হচ্ছে। এদিকে- করোনা আক্রান্ত হওয়া মারা যাওয়া
হাজতি আহমদ হোসেনের মরদেহ রোববার রাত থেকে সিলেট ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ
জানায়- কারাবিধি অনুযায়ী পোর্স্টমর্টেমের পর ওই মারা
যাওয়া ওই রোগীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
করোনার জের: কলকাতার কারাগারে বন্দিদের তাণ্ডব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা আতঙ্কের জেরে খুব জরুরি ছাড়া আদালতের সব কাজকর্ম
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে বিচারাধীন
বন্দিদের বিচার স্তব্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সতর্কতা হিসেবে
জামিনের বহু আবেদনেরও নিষ্পত্তি বন্ধ রয়েছে। সতর্কতা
হিসেবে সাময়িক ভাবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বন্দিদের
দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সবেরই প্রতিবাদে
কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের একদল বন্দি
ক্ষুব্ধ হয়ে কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যাপক ভাঙচুর
চালিয়েছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কারাগারের সম্পত্তিতে।
সেইসঙ্গে বন্দিরা করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে বাঁচতে
মাস্ক ও স্যানিটাইজার দাবি করেছেন। কারা সূত্রের খবর
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ
ভার্মা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কারাগারে গিয়ে কয়েক
ঘণ্টার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ বন্দিদের শান্ত করতে সক্ষম
হয়েছেন।
দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের আগুন নিভিয়েছে। জানা
গেছে, এ দিন সকালে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। দমদম
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত
বিচারাধীন বন্দিরাই থাকেন। জেল সুপার নিজে বিক্ষোভ
থামাতে গেলে, তার সামনে একাধিক দাবি নিয়ে হাজির
হয়েছিলেন বন্দিরা। বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মতো
তাদেরও প্যারোলে ছাড়তে হবে। এই নিয়েই জেল কর্তৃপক্ষ এবং
বন্দিদের মধ্যে বচসা থেকে তা সংঘর্ষের আকার নেয়।
অভিযোগ, ওই সংঘর্ষ চলাকালীন জেল পুলিশ এবং বাইরে থেকে
র্যাব এসে ওয়ার্ডের মধ্যেই বিচারাধীন বন্দিদের ওপর
ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। বন্দিরা পাল্টা ওয়ার্ডে
ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। সেই সময় বিক্ষুব্ধ বিচারাধীন
বন্দিরা ওয়ার্ডের গেট ভেঙে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন
বলে অভিযোগ। কারা কর্তাদের দাবি, বন্দিরা দা এবং
কুড়ালের মতো অস্ত্রও হাতে তুলে নিয়েছিলো। পুলিশ অবশ্য
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাইরে থেকে কাঁদানে গ্যাসের
শেল ফাটিয়েছে। পুলিশ গুলিও চালিয়েছে বলে বন্দিরা
অভিযোগ করেছে। দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েক শ’ বন্দি
রয়েছে। এর মধ্যে বহু বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দিও রয়েছে।
করোনাভাইরাস: কারাবন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে ভারত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা আতঙ্কে ভারতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলের তিন হাজারের
বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই তাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে
বলে জানিয়েছে কারা কতৃপক্ষ।
রাজ্যে প্রতিটি জেলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ
থাকায় করোনা মোকাবেলায় তাদের আপাতত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা সালসা-র
এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান দীপঙ্করের দত্তের নেতৃত্বে
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি বৈঠকে বসে। এই কমিটি ১০১৭ জন
দণ্ডিত বন্দি এবং ২০৫৯ জন বিচারাধীন বন্দিকে যথাক্রমে
প্যারোলে এবং অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়ার
সুপারিশ করেছে বলে জানায় কারা কতৃপক্ষ। তিন মাসের জন্য
মুক্তি পেতে পারেন বন্দিরা। তবে কোনও বন্দি যদি আগে এ
ভাবে মুক্তি পেয়ে থাকেন, এই ক্ষেত্রে তাঁর নাম বিবেচিত
হবে না।
তবে নারীদের যৌন হেনস্থা, রাজ্যের বিরুদ্ধে
দাঙ্গাহাঙ্গামা, জাল নোট, শিশু অপহরণ, দুর্নীতি, মাদক
পাচার (এ ক্ষেত্রে মাদকের পরিমাণ বিচার্য) এই ধরনের
অভিযোগে বা বাণিজ্যিক ও আর্থিক অভিযোগে যাঁরা বন্দি
রয়েছেন, তাঁরা অবশ্য মুক্তি পাবেন না। এছাড়া যে সব
বিচারাধীন বন্দি রাজ্যের বাইরের বাসিন্দা এবং যাঁদের
বিরুদ্ধে বিদেশি আইনে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরাও এই মুক্তির
তালিকায় থাকবেন না। বিচারাধীন বন্দিদের অন্তর্র্বতী
জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত থাকবে বলে জানিয়েছে কারা
দফতর।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে
কারাবন্দির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
প্যাট্রিক জোনস নামের এক কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। তিনি
মাদক মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। তার
মধ্যে ভাইরাসটির প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় গত ১৯শে মার্চ।
এই প্রথম দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো কারাবন্দির
মৃত্যু হলো। দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগার ব্যুরো (বিওপি)
স্থানীয় সময় শনিবার একথা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স।
বিওপির ওয়েবসাইট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কেন্দ্রীয়
কারাগারগুলোয় সবমিলিয়ে ১৪ বন্দি ও ১৩ কর্মী করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন। জোনস ২০১৭ সালে লুইজিয়ানার ওকডেলে
একটি স্বল্প-নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বিওপি জানায়, তিনি আগ থেকেই কিছু জটিল রোগে ভুগছিলেন।
পুলিশ হেফাজতে
নারীর মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা হাজতে জ্যোৎস্না ওরফে লিমা
(৩৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। পুলিশ বলছে, সোমবার রাতে
থানা হাজতে অসুস্থ হওয়ায় তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট
ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল ভোরে কর্তব্যরত
চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা
জ্যোৎস্না থাকতেন মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে।
মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. রওশানুল হক সৈকত জানান,
সোমবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে ডি-টাইপ
কলোনির একটি ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে- ৯৯৯ নম্বরে
এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সেলিনা,
জ্যোৎস্না, শাহিনুর, সোহাগকে আটক করা হয়। থানায় এনে
তাদের রাতের খাবারও দেওয়া হয়। রাত ৩টার পর জ্যোৎস্না
অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যোৎস্না মারা যান। সরকারি
বরাদ্দপ্রাপ্ত কলোনির ওই বাসাটি সেলিনার জানিয়ে পুলিশ
কর্মকর্তা সৈকত বলেন, সেলিনার স্বামী অনেক আগেই মারা
গেছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী
কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
মাস্টার্স করা সেলিনার বিরুদ্ধে মানবপাচারের দুটি
মামলাও রয়েছে।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
নতুন গবেষণা সুখবর
দিল করোনা রোগীদের জন্য
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুখবর দিল নতুন
একটি গবেষণা। সম্প্রতি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার
করেছেন যে, যেসব ওষুধে রক্ত পাতলা হয়ে যায় সেগুলো করোনা
রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে পারে।
কোভিড-১৯য়ে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসে মারাত্মকভাবে
রক্ত জমাট বাঁধার কারণেই অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন
তথ্য উদঘাটন করেছেন লন্ডনের বিশেষজ্ঞরা।
এসব রোগীদের ক্ষেত্রে যদি রক্ত পাতলাকারী ওষুধ ব্যবহার
করা যায় তবে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে আনা
সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে
হাসপাতালগুলোকে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাদের
অবস্থা খুবই জটিল তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধ
প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মধ্যে সম্পর্ক
খুঁজে পেয়েছেন রয়্যাল ব্রুম্পটন হসপিটালের একদল
বিশেষজ্ঞ।
তারা উচ্চতর প্রযুক্তির ক্যাট স্ক্যান ব্যবহার করে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের ফুসফুসের ছবি বিশ্লেষণ করে
দেখেছেন। ছবিতে দেখা গেছে, এসব রোগীদের ফুসফুসে রক্ত
প্রবাহ অনেক কম। এমনকি ফুসফুসের ছোট ছোট অংশ রক্ত জমাট
বেঁধে থাকে।
সানডে টেলিগ্রাফকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, এ
থেকেই সহজে ব্যাখ্যা করা যায় যে, কিছু রোগী কেন রক্তে
অক্সিজেনের অভাবে লাঙ্গস ফেইলারে মারা যায়।
অধিকাংশ কোভিড রোগীই অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে মারা
যান। এদিকে, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ওপেনসো
বলেছেন, আমরা এর আগে অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রেই রক্ত
জমাট বাঁধার এমন ঘটনা দেখিনি।
তবে রয়্যাল ব্রুম্পটনের চিকিৎসকরা বলছেন, রক্ত
পাতলাকারী ওষুধ রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে
ব্যবহার করতে হবে।
করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারক অনুজীব
বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এর মতে করোনাকে অঙ্কুরে
বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ
মাধ্যমে।
অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্য
কেন্দ্রের র্যাপিড ডট ব-ট কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান
বিজ্ঞানী। ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর
ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে ডেঙ্গুর
কুইক টেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবকও ড. বিজন। ২০০৩ সালে তিনি
সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেন।
এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা।
বর্তমানের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মূলত সার্স-২
ভাইরাস। সার্সের ভয়াবহতার কথা মনে করে মানুষ যেন
আতঙ্কিত না হয় সেজন্য বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ নামকরণ
করেছিল।
প্রচারবিমুখ ড. বিজন কুমার শীল সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া
একান্ত সাক্ষাৎকারে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে কয়েকটি
সহজ পদ্ধতি অনুসরণের কথা উল্লেখ করেছেন। তার সহজ ঘরোয়া
পদ্ধতিগুলো তুলে ধরা হলো :
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ পএকটি
হচ্ছে, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার পেয়ারা, লেবু, আমলকি
অথবা ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেতে হবে। এর সঙ্গে সম্ভব হলে
প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন সি
এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে
এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আরেকটি হচ্ছে কেউ যদি আক্রান্ত হন, যেমন গলাব্যথা,
শুকনো কফ ছাড়া কাশি, কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না।
এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য
ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে
পানি পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।
এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বেশি কড়া না হালকা রং চা
বারবার খাওয়া, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা। এর চেয়ে ভালো
উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম
করলে কালোমতো একটা রং হবে। এর সঙ্গে সামান্য মধু বা
চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে খেলে অথবা এই পানি দিয়ে গারগল
করতে হবে। এর ফলে গলায় যে ভাইরাসগুলো থাকে সেগুলো মারা
যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের
এন্টিসেপ্টিক গুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার
টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রোধ করে।
আপনার জ্বর হোক বা না হোক, এই মুহূর্তে আমাদের সবার
উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গারগল
করা। এর ফলে শরীরে যদি ভাইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর
বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা ভাইরাস না আরও অনেক
ইনফেকশনকে রোধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে
পারে, তাহলে তার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
করোনা ভাইরাসের কারণে যদি কখনও কারও পেটের সমস্যা দেখা
দেয় তাহলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ
হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে
তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এসময় এমন রোগীকে
এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।
করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও যাদের বাইরে কাজ করতে
হয়, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী, সাংবাদিক,
স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যদের করণীয় সম্বন্ধে ড. বিজন কুমার
শীল বলেন, করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তো
আর আক্রমণ করে না। সময় নিয়ে আসতে আসতে শরীরের মধ্যে
বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বাসায় ফিরে গরম পানি পান করা,
এক কাপ হালকা রং চা খাওয়া, নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির
ভাপ নেয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো
হয়। তাহলে নাকটা আরও ভালোমতো পরিষ্কার হয়ে যাবে, ফলে
ভাইরাস ঢুকলেও শরীরের মধ্যে বাড়তে এবং সুবিধা করতে
পারবে না।
২২ ঘন্টা রোজা রাখতে হয় যে শহরে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উপবাস আর আতœসংযমের মধ্যদিয়ে সিয়াম পালন করছে সারা
বিশ্বের মুসলমান। কিছু কিছু দেশ ও শহর আছে যেখানে দিন
দীর্ঘ হয়, তাই অধিবাসীদেরও দীর্ঘসময় রোজা রাখতে হয়।
তেমনি একটি শহর উত্তর গোলার্ধের রেইকিয়াভিক। এটি
আইসল্যান্ডের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর। এ শহরে দিনের
আলো থাকে ২১ ঘন্টা। ফলে শহরের মুসলিমদের উপবাস থাকতে
হয় দীর্ঘ ২২ ঘন্টা। রাতে খাওয়া দাওয়ার জন্য তারা সময়
পান মাত্র ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
রেইকিয়াভিকে বাস করেন প্রায় ১ হাজার মুসলিম। শহরে
সূর্যাস্ত হয় ১২ টা ২ মিনিটে। আর তার দেড় ঘন্টা পরই ১
টা ৩০ মিনিটে ফজরের আজান হয়। ফলে মুসলিমরা দীর্ঘ ২২
ঘন্টা রোজা রাখেন এ শহরে। সক্ষম মানুষরা এটি মেনে
চললেও বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী অনেক সময় দীর্ঘ রোজা রাখেন না।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ ইসলামি থিংক ট্যাঙ্ক কুইলিয়াম
ফাউন্ডেশনের শেখ ড. উসামা হাসানের ফতওয়া হচ্ছে- যারা
উত্তর গোলার্ধে বসবাস করেন তারা প্রয়োজন ও পরিস্থিতি
বুঝে ১২,১৪ বা ১৬ ঘন্টা রোজা রাখতে পারেন। তবে এ
বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে নিউইয়র্ক
ইউনিভার্সিটির ইসলামিক সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক
ইমাম খালিদ লতিফ বলেন, ‘সময় অনুযায়ী উপবাস থাকা উচিত।
যদি দীর্ঘ দিনের সময়কে কমিয়ে এনে রোজা রাখা হয় তবে তাতে
সমস্যা হতে পারে। যেমন আলাস্কাতে ১৯ ঘন্টা রোজা রাখতে
হবে এবং হেলসিনকিতে ১৮ ঘন্টা। এর বিপরীতে বুয়েনোস
আইরেস শহরে মাত্র ৯ ঘন্টা রোজা রাখতে হয়।
সকালে মেথি চা খেলে যেসব রোগ কাছেও
ঘেষবে না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দিয়ে তৈরি। একই
ধরনের অনেক কোষ মিলে দেহে কলা ও গ্রন্থতৈরি হয়। এ
কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায় এবং পুরনো
কোষের জায়গায় নতুন কোষ জন্ম নেয়। কোষগুলো নিজেরাই
বিভক্ত হয়ে নিজেদের বৃদ্ধি ঘটায়। এ বৃদ্ধি স্বাভাবিক,
নির্দিষ্ট ও নিয়মিতভাবে সংগঠিত হয়। এর মাধ্যমে মানুষের
শরীরের কলাগুলোর কোষসংখ্যা বজায় থাকে।
ক্যানসারের কারণ : ক্যানসার হওয়ার কারণ নিয়ে
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবে
সাধারণ কিছু বিষয় ক্যানসার তৈরির কারণ হতে পারে বলে মনে
করা হয়। যেমন- বয়স বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এর ফলে কোষগুলো স্বাভাবিক ক্ষমতা
হারায় এবং টিউমার তৈরির আশঙ্কা দেখা দেয়। ৬০ থেকে ৭০
শতাংশ ক্ষেত্রে সাধারণত বয়স্কদের ক্যানসার হতে দেখা
যায়।
খাবার এবং জীবনযাপনের ধারা : খাবার এবং জীবনযাপনের
ধারার সঙ্গেও ক্যানসারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যেমন-
ধূমপান বা মদ্যপানের সঙ্গে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালির এবং
যকৃৎ বা লিভার ক্যানসারের যোগসূত্র রয়েছে। একই ভাবে
পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি
খাবারের সঙ্গেও ক্যানসারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পরিশ্রম বিমুখতা : সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করলে
ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
পারিবারিক ইতিহাস : ক্যানসারের সঙ্গে জিনগত সম্পর্ক
রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে পরিবারের কারো
যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে, তাহলে
অন্যদেরও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে
যায়।
পরিবেশ এবং পেশাগত কারণ : রাসায়নিক পদার্থের কারণেও
ক্যানসার হতে পারে। যেমন- মেসোথেলিওমিয়ায় (এক ধরনের
দুর্লভ ক্যানসার। এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের
কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই
এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এ ক্যানসারে
আক্রান্ত হন। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য।
রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত
হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ক্যানসার প্রতিরোধে প্রাকব্যবস্থা : নিয়মিত কিছু বিষয়
মেনে চললে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। যেমনÑ
প্রতিদিন নিয়মিত কিছু সময় ব্যায়াম করা। মাংস খাওয়া
বন্ধ করে দেওয়া বা কমিয়ে দেওয়া। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি,
ফলমূল এবং আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া। চর্বিজাতীয় খাবার কম
খাওয়া। ধূমপান বা মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া বা পরিমাণ কমিয়ে
আনা। পান-সুপারি জর্দা, তামাকপাতা খাওয়া বন্ধ করা। রোদে
বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন মেখে বের হওয়া। নিয়মিত
ডাক্তার দেখানো। তা সম্ভব না হলে শরীরে কোনো
অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া। বয়স
পঞ্চাশের বেশি হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে
শরীর পরীক্ষা করানো।
লেখক : মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট ও ক্যানসার মেডিসিন
বিশেষজ্ঞ চিফ মেডিক্যাল অফিসার
সব ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে
শুধুই গরম পানি!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ভয়াল থাবা বসিয়েছে মহামারি
করোনা। এই করোনা থেকে দূরে থাকতে কত কিছুই না করছি আমরা।
নেওয়া হয়েছে হাজারো ব্যবস্থা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা,
বাইরে না যাওয়া, বারবার হাত পরিষ্কার করা, মাস্ক
ব্যবহারের মতো অনেক অভ্যাস তৈরি করে নিচ্ছি বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ অনুযায়ী।
এরপরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর আরও কিছু পন্থা
বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা।
জার্মান প্রবাসী জাহিদ আল আমীন জানিয়েছেন, করোনা
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক তাকে ঘরে থেকেই কিছু
ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত গরম পানির ভাপ নেওয়ার পরামর্শ
দেন। এর ফলে মাত্র কয়েক দিনেই তিনি করোনামুক্ত হন। সব
সময় করোনার আতঙ্কে না থেকে সর্দি-কাশি বা হালকা জ্বর
হলে ঘরেই কীভাবে প্রতিকার পেতে পারেন জেনে নিন:
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদার আর মধুর চা
পান করুন
দুষ্প্রাপ্য ঔষধি, চিয়া বীজের চাষ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পুষ্টি ও ঔষধি গুণসম্পন্ন ‘চিয়া’ বীজ চাষে সফলতা
পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরে
নুরুল আমিন নামে এক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু
করেছেন। ঔষধি গুণসম্পন্ন দানাদার ফসল চিয়ায় প্রচুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস,
ক্যান্সার, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিয়া ফসল
ব্যাপক ভূমিকা রাখবে- এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মশিউর
রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ও মাটি এ চিয়া
ফসলের চাষ উপযোগী। রবি ফসল চাষযোগ্য যে কোনো জমিতে
‘চিয়া’ চাষ সম্ভব। কৃষক সহজেই এ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ
করতে পারবেন। মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, কানাডা,
কলম্বিয়াসহ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ওষুধি ফসল হিসেবে
‘চিয়া’ চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকে এর চাষ সম্পর্কে
জানতে নুরুল আমিনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর চাষ
সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন,
অন্যদিকে স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে। নুরুল
আমিন জানান, পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্যের পর এবার ৪৫ শতক
জমিতে এ চিয়া ফসল চাষ করেছেন। আশা করছেন এখান থেকে
প্রায় ১০০ কেজি চিয়া পাবেন। তিনি জানান, অক্টোবরে চিয়া
বীজ বপন করতে হয়। ১১০-১২০ দিন পর এর ফল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এক আমদানিকারকের কাছে এ চিয়া প্রতি কেজি ১
হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
ভ্রমণে বমি এড়াতে আপনি কী করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়।
এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ)
জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়।
এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি
প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু
খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু
খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের
জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের
আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি
প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে
ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে
থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি
ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি
দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু
মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের
অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব
কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ
এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো
কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে
চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে
পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের
জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে
পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি
ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান
করতে পারে ভ্রমণের আগে।
ধূমপানে সিজোফ্রেনিয়া
ধূমপানের সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়া রোগের যোগসূত্র রয়েছে বলে
আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের কিংস কলেজের এক
দল গবেষক ৬০টির বেশি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন,
ধূমপায়ীদের সিজোফ্রেনিয়া রোগ বা ‘দ্বৈত সত্তা’র
সমস্যায় ভোগার প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা
বলছেন, সিগারেটের নিকোটিন মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিতে
পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন ‘সাইকোসিস’ বা যে
মানসিক বৈকল্যের কারণে মানুষ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক
হারিয়ে ফেলে তার সঙ্গে ধূমপানের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু
এত দিন ধূমপানকে এর কারণ হিসেবে দেখা হতো না বরং মনে
করা হতো, এই মানসিক অবস্থা রোগীকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ
করছে।
Top
আইন কনিকা
ভরণপোষণ না দেয়ায়
স্বামীর ৪৮০ দিনের জেল
আলী আজম
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্ত্রীর ভরণপোষণ না দেয়ায় ভারতের আহমেদাবাদের এক আদালত
৪৮০ দিনের জেল দিয়েছে ওই নারীর স্বামী নরেশ রজনী
(২৯)কে। নরেশ আহমেদাবাদের শীর্ষ স্থানীয় একটি ওষুধ
কোম্পানিতে চাকরি করেন। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের
অধীনে তার থেকে আলাদা থাকা স্ত্রীকে ভরণপোষণ বাবদ তাকে
এক লাখ ২০ হাজার রুপি দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু
এ অর্থ না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়া হয়েছে। এ
খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মির্জাপুরে
স্থানীয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ বিষয়ে
শুনানি হয় সোমবার। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে স্ত্রীকে মাসে
৭৫০০ রুপি দিতে আদালত নির্দেশ দেয় নরেশকে। কিন্তু ১৬
মাস ধরে ওই অর্থ পরিশোধ করেনি নরেশ। এ অবস্থায় তার
স্ত্রী আইনজীবী সেলিম সাঈদের মাধ্যমে বকেয়া এক লাখ ২০
হাজার রুপি চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার আদালতে তলব করা হয় নরেশকে। তাকে
বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
জবাবে নরেশ বলেন, নিকট ভবিষ্যতে তিনি তার স্ত্রীকে ওই
অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না। কারণ, তিনি এই অর্থ
সংগ্রহ করতে পারেন নি। আদালত দেখতে পায়, তার উত্তর
অযৌক্তিক এবং সন্তোষজনক নয়। আদালত থেকে বলা হয়, তিনি
এখনো এই অর্থ পরিশোধে প্রস্তুত নন। তাকে আর সময় দেয়ার
কোনো কারণই থাকতে পারে না। কারণ, এটা হবে তার স্ত্রীর
প্রতি অবিচার এবং আইনের ব্যত্যয়। তাই প্রতি মাসের
খেলাপির জন্য ৩০ দিন করে তাকে মোট ৪৮০ দিন জেল দেন
বিচারক।
নামজারি কেন করবেন?
কীভাবে করবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কোনো ব্যক্তি কোনো জমির মালিকানা লাভ করার পর তার নাম
সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা বা তার নিজ নামে
নতুন খতিয়ান খোলার যে কার্যক্রম তাকে খারিজ/নামজারি বা
মিউটেশন বলে। সাধারণত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জরিপের
মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। ফলে দুই
জরিপের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে জমি
প্রাপ্তির ফলে কিংবা দলিলের মাধ্যমে জমি হস্তান্তরের
ফলে ভূমি মালিকানার পরিবর্তনে খতিয়ান হালনাগাদকরণ
অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি)
খারিজ/নামজারি বা মিউটেশনের মাধ্যমে খতিয়ান হালকরণের
কাজ করে থাকে।
কেন খারিজ/ নামজারি/ নিউটেশন করবেন?
১। যে কোনো সময় জমি বিক্রয় করা যাবে (রেজিস্ট্রেশন আইন,
১৯০৮-এর ৫২এ ধারা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২-এর
৫৩সি ধারা অনুসারে, দলিলমূলে প্রাপ্ত জমির নামজারি
খতিয়ান না থাকলে সে জমি বিক্রয় করা যায় না)।
২। ভূমির মালিকানা হালনাগাদ হবে।
৩। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়/প্রদান করা সহজ হবে।
৪। খতিয়ান হালনাগাদ থাকার ফলে জরিপ কাজে সুবিধা হবে।
৫। সরকারের খাস জমি সংরক্ষণে সুবিধা হবে।
৬। নদী পয়স্তিজনিত কারণে রেকর্ড সংশোধন হবে।
৭। মূল ভূমি মালিকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকারগণের
মালিকানার নির্দিষ্ট অংশ সংবলিত খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
৮। রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে জমি হস্তান্তরের কারণে
ক্রেতা বা গ্রহীতার নামে খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
৯। মামলা-মোকদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
১০। বিক্রেতা আপনার ক্রয়কৃত জমি দ্বিতীয়বার বিক্রি করতে
পারবে না।
সর্বোপরি যে কোনো বিতর্কের সময় মালিকানা বা দখল
প্রমাণের ক্ষেত্রে নামজারিসংক্রান্ত কাগজপত্রাদি
গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নামজারি তিন ধরনের হয়ে থাকে-
১। শুধু নামজারি বা নামপত্তন : কোনো রেকর্ডীয় মালিকের
নামের পরিবর্তে ওই একই খতিয়ানে পরবর্তী গ্রহীতা ও
ওয়ারিশগণের নামভুক্ত হলে, তা শুধু নামজারি বা নামপত্তন
হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব
আইনের ১৪৩ ধারা মতে এ ধরনের নামজারি বা নামপত্তন হয়ে
থাকে।
২। নামপত্তন ও জমা খারিজ : কোন দাগের জমি বিক্রয় বা
অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তরের মাধ্যমে বিভক্ত হলে এবং
ওই বিভক্তির জন্য পৃথক হিসাব বা হোল্ডিং খুলে ভূমি
উন্নয়ন কর আদায়ের আদেশ দিলে তা নামপত্তন ও জমা খারিজ
নামে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে জমির মালিকানার পরিবর্তন হবে
এবং পৃথক খতিয়ান এবং হোল্ডিং নম্বর পড়বে। রাষ্ট্রীয়
অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ও ১১৭ ধারা মতে
নামপত্তন ও জমা খারিজ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়ে থাকে।
রিমান্ড কি
মানবাধিকার পরিপন্থী?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য
পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে
পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে
হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য
উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে
আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের
জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর
নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে
পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি
রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই
পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে
দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা
এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট
রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং
এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড
মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে
কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম
শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক
বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে।
মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে
নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে
মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।
যৌতুকের মিথ্যা মামলার
শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস
যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা
মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস
হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি
পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে
পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল
না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল
বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য
ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে
পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫
জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন
করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২,
১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
Top
|
|