BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover February 2020

English Part February 2020

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 


ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবুধাবিতে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২০ গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতীয়দের একাংশের প্রবল আপত্তি এবং বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই গত ১০ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার কথা জানানো হয়।
সংশোধিত এই নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলমানরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবে।
ভারতের এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গালফ নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ভারত সরকার) কেন এটা (নাগরিকত্ব আইন সংশোধন) করল আমরা বুঝি না। এর প্রয়োজন ছিল না।’
তবে একই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়টিকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই বলে এসেছে যে, সিএএ ও এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বারবার তাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেছে যে এনআরসি তাদের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়। ২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লি সফরকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে এ সময় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া এনআরসি বা সিএএ’র কারণে ভারত থেকে কারও বাংলাদেশে ফিরে আসার কোনো তথ্য নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে কোনো অভিবাসী ফিরে আসছে না। তবে ভারতের ভেতরে মানুষ অনেক ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে।’

 

 
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

 জানুয়ারি ২০২০ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৬৭ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে জানুয়ারি ২০২০ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৬৭টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জানুয়ারি ২০২০ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৬৭ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২২ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪২ জন, রাজনৈতিক হত্যা ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১৫ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ১৩ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ০৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৯ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৯ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৫৭ জন, আত্মহত্যা ১৫ জন।
জানুয়ারি ২০২০ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৬০ জন, যৌন নির্যাতন ৩৪ জন, যৌতুক নির্যাতন ৭ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
 

 

 BHRC টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ৯:৩০টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ৮ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জোয়াহেরুল ইসলাম।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল ২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব ছিলেন BHRC’র টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নাসরিন জাহান খান বিউটি।
সম্মেলনে বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, টাঙ্গাইল জেলা গভর্নর সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কৃষিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট ইসমত পাশা, BHRC’র বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ আজমুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া মোল­া, জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ইঐজঈ’র টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ রিপন।
সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা ও জামালপুর জেলা অধিভুক্ত সকল শাখার দুই সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।
 

   BHRC’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী দেশে এবং বহির্বিশ্বে একযোগে পালিত
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এর জন্ম বার্ষিকী ১০ জানুয়ারি ২০২০ বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন অডিটোরিয়াম, ঢাকায় পালিত হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত, নৃত্যের সাথে সাথে মানবাধিকার সঙ্গীত এবং কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এবং BHRC’র প্রেসিডেন্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও জন্মদিনের কেক কাটায় অংশ গ্রহণ করেন। অপরদিকে BHRC’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং প্রতিষ্ঠাতার জন্ম বার্ষিকী দেশে এবং বহির্বিশ্বের দুই সহস্রাধিক শাখা বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে একযোগে ৯ জানুয়ারি থেকে পালন শুরু করে এবং ১১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত পালন অব্যাহত রাখে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় অংশ নেন BHRC’র যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক স্ট্যাট উইমেন্স ব্রাঞ্চের সভাপতি মিনা ইসলাম, BHRC’র সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, মোঃ জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি নাসিম উল্লাহ হেমায়েত, নির্বাহী সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ঢাকা সেন্ট্রাল রিজিওনাল ব্রাঞ্চের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, ঢাকা পুরাতন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আনোয়ার রাজ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শামীম বক্স, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সবুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন বক্স, ঢাকা মহানগর উত্তর পূর্বাঞ্চল শাখার সভাপতি মোঃ মাহবুব আলম প্রমুখ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল, মহানগর দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, মহানগরের বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখা, মহিলা শাখা এবং থানা শাখার কর্মকর্তাগণসহ সাতশতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেন। সভার শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশ ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।
 

 

 

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে জাতিসংঘের দূত ইয়াং হি লি
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। ২০ জানুয়ারি ২০২০ সকালে তিনি ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি বিকেলে কক্সবাজার পৌঁছান জাতিসংঘের এই দূত। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। একইসঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা।
জানা যায়, সফরকালে জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াও সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন ইয়াং হি লি।

 


 

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় BHRC’র ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চল ও মমতা চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে ১৭ জানুয়ারী ২০২০ রোজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩.৩০ টা পযন্ত ফ্রি ভিজিটে চার শতাধিকের অধিক অসহায় ও গরীব রোগীদের চক্ষু সেবা প্রদান করা হয় ।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের সভাপতি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্র্ন্সাফিউশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের প্রধান উপদেষ্টা,গজারিয়া উপজেলার দুই বারের সফল চেয়ারম্যান মোঃ রেফায়েত উল্লাহ খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গজারিয়া উপজেলার মহিলা ইউনিটের সভাপতি নারীনেত্রী অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক, মুন্সীগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট নেটের সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম নাসির উদ্দিন, অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈদ্দারগাও হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিম উদ্দীন ফরাজী, মৎসজীবিলীগের গজারিয়া উপজেলার সভাপতি হুমায়ন কবির, আওয়মীলীগ নেতা লোকমান হোসের সরকার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের সহ সভাপতি সালেহা বেগম টুম্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, কাউসার আহম্মেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- আবুল হোসেন ভূইয়া,অর্থ সম্পাদক আল আমিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ চৌধুরী অরেঞ্জ, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা আফরিন, যুগ্ম প্রেস সচিব আলমগীর মিঞা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মোল্লা, BHRC গজারিযা উপজেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি ওয়াহিদুজ্জমান নাইম, সহ সভাপতি আলম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মাহবু আলম শিপলু, জি এস শাহিন BHRC ভবেরচর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হাসান মাহমুদ, BHRC বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছরিন সুলতানা নাছিমা,রোকেয়া আক্তার কেয়া,স্মৃতি আক্তার, সুমি আক্তার নির্বাহী সদস্য নুর আলম, গোপাল রাজবংশ, অন্তর্ভুক্ত উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির সকল মানবতাবাদী মানবাধিকার কর্মীরা।

 

ই-পাসপোর্ট যুগে বাংলাদেশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করে বলেছেন, এটা জাতির জন্য ‘মুজিববর্ষে’ একটি উপহার। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টে যুক্ত হলো। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার ই-পাসপোর্ট তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রকল্পটি ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পুরো প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১০ বছরে মোট ৩০ মিলিয়ন পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিব বর্ষে দেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছি।
এটি একটি বিশেষ বছর এবং ঘটনাক্রমে জাতি এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে যে কোন দেশে প্রবেশ এবং বহির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকের ঝামেলামুক্ত চলাচল নিশ্চিত হবে এবং ই-গেটের সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সন্দেহাতীতভাবে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা আরো সমুন্নত করবে এবং বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, ই-পাসপোর্টে এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। যেখানে পাসপোর্ট গ্রহিতার সকল তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্ণিয়া এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো.শহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।



রাঙ্গুনিয়ায় মানবাধিকার কমিশনের শীতবস্ত্র বিতরণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে চন্দ্রঘোনা লিচু বাগানে দ্যা রাইজিং সান কেজি এন্ড হাই স্কুল হলে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কে এম মুছা। সাধারণ সম্পাদক ইসকান্দর মিয়া তালুকদার , এডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, মুহাম্মদ ইদ্রিস, ইলিয়াছ চৌধুরী, অধ্যাপক রফিক মিয়া তালুকদার এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের সহ সভাপতি মহিউদ্দিন বাদশার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, দ্যা রাইজিং সান কেজি স্কুলের পরিচালক মহিউদ্দিন রোকন, মোহাম্মদ সেলিম, সুনীল দাশ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা শেষে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে শতাধিক শীতার্ত অসহায় মানুষের হাতে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ কম্বল বিতরণ করেন।

 

  ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস। জম্মু কাশ্মীর সফর নিয়ে শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যালিস ওযে লস এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। খবর এনডিটিভি'র।
এসময় অ্যালিস ওয়েলস নাগরিক আইনের আওতায সকল ধর্মের জন্য সমান সুরক্ষার নীতির উপর জোর দেন । ওয়েলস বলেন , এইবারের ভারত সফর গিয়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেক কিছু শোনার সুযোগ হয়েছে। সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম এবং আদালত গভীরভাবে এই আইন পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার সরকারি ঘোষণায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্কিন কূটনীতিবিদ অ্যালিস ওযে লস। এসময় কাশ্মীরে আটক নেতাদেরও মুক্তি দাবি করেন এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা' তুলে নেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই কাশ্মীরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট । নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যে কোনও বড় জমায়েতেও। ভারত সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে তখন কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ।এছাড়া ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৫ এর আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয ার কথা বলা হয়েছে। আর এই নিয়মকেই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে ভারতের বিরোধী দলগুলো ।

 

 নিজেকে শুধু নারী ভাবা যাবে না: গণপূর্ত মন্ত্রী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নিজেদেরকে শুধু নারী ভাবা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখ বন্ধ করে বিবেচনা করে দেখেন। তাকে দল সামলাতে হয়, প্রশাসনিক দিক সামলাতে হয়ে, মন্ত্রী-এমপিরা কী করছেন তা সামলাতে হয়, বিরোধী দলের রাজনীতি দেখতে হয়, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকান্ড দেখতে হয়, বিশ্ব কুটনীতি দেখতে হয়। দেশকে তিনি সফলভাবে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২০ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০ এর উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ধারণ করার শক্তি অনেক বেশী উল্লেখ করে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে অনেকেই আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা ধারণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে দাপ্তরিক দায়িত্ব নারীরা নিজের মধ্যে সফলভাবে ধারণ করেন বলে আমার মনে হয়। আমি চাই সকলে মিলে এ জায়গা ধারণ করবে।


   পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার মহিমা বুঝতে হবে : রীভা গাঙ্গুলি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে ভারতীয় ঐক্য তুলে ধরে ভারতের ৭১তম গণতন্ত্র দিবস উদযাপন করল ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। গতকাল বারিধারায় হাইকমিশনের চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণে এ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ পাঠের মধ্য দিয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। এ সময় হাইকমিশনের অন্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও ত্যাগের মহিমা সম্পর্কে বুঝতে হবে। কেননা তাদের ওপরই নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের অবদান দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস মানবতাবোধকে ধারণ করে এগোতে হবে তাদের। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জনগণ বিভিন্নভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্পপতিরা দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন, ডাক্তাররা তাদের সেবার মাধ্যমে দেশের নাম বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, সংস্কৃতিকর্মীরা সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন। তারা শেকড় মজবুত করছেন।



 

 ভূতুড়ে রূপ নিয়েছে চীনের উহান নগরী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের আতংকে চীনের উহান নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলো এখন একেবারের জনমানব শুন্য। চলছে না যানবাহন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না হাতের নাগালে। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
চীনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন অনেকেই। সবমিলিয়ে একে ভূতুড়ে নগরী বলছেন, উহানবাসী।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান। সেন্ট্রাল চীনের জনপ্রিয় শিল্পএলাকা এটি। ইউনেস্কোর মতে বিশ্বের অর্ধেক দীর্ঘ-সেতু এবং ৬০ ভাগ উচ্চগতির রেলওয়ের নকশা করেন উহানের প্রকৌশলীরা।
উহানের মেয়র জৌ ঝিয়ানওয়েঙের দাবি, ঐতিহ্যবাহী শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহরটিতে কাজ করেন অসংখ্য অভিবাসী।
তবে করোনাভাইরাসের থাবায় এক কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার উহান যেনো এখন ভূতুড়ে নগরী।
উহানের বাসিন্দা ডেভিড বলেন, খুব আতঙ্কে আছি। কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তায় বের হলে মাত্র কয়েকজনকে দেখা যায়। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই মুখে মাস্ক পড়ছেন। সবমিলিয়ে একদম ভূতুড়ে অবস্থা।
ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়, উৎপত্তিস্থল উহানকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। শহর থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া ঢুকতে পারছে না কেউ। কর্মক্ষেত্রেও যেতে পারছেন না শহরবাসী।
উহানের বাসিন্দা ডেভিড আরো বলেন, আমি সাংঘাইয়ে কাজ করি। উহানে থাকি, সবধরণের পরিবহন বন্ধ থাকায় কাজে যেতে পারছি না। সবাই এখন খুব আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী মহামারী প্রতিরোধের লড়াইয়ে উৎসাহ দিতে, উহানে আলোক প্রদর্শন করা হয়েছে।
 

নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব উঠছে

পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভায়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিধান সভার একটি বিশেষ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস এবং বামদলগুলোও এই প্রস্তাবের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। ইতোমধ্যে কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের পার্লামেন্টেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে।
গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্লামেন্টে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপণের বিষটি নিশ্চিত করেছেন। এদিন শিলিগুঁড়ি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাই প্রস্তাব পাস করেছে।’ যদিও এর আগে রাজ্যটির বিধানসভায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস যৌথভাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব তোলার চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আপত্তি জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেশী বাংলাদেশ,পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, ও পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেয়ার লক্ষে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারত। কিন্তু এতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা হয়েছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভে নামে বিরোধী দলসহ বেশকিছু সামাজিক সংগঠন। আইনটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও দাবি করে তারা।
 

 

দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মডেল: বিশ্বব্যাংক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৌলিক অধিকারগুলোই কি মানবাধিকার। নাকি মানবাধিকারের খানিক অংশ মৌলিক অধিকার? দুটি বিষয়ই কি এক? একটা কি অপরটির পরিপূরক নাকি প্রতিটিই স্বতন্ত্র? প্রশ্নগুলো অনেক সময়ই দ্বিধায় ফেলে। বুঝি আবার ঠিক বুঝতে পারছি না এমন ইতস্তত পরিস্থিতিতে পড়েন অনেকেই। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি খোলাসা থাকা জরুরি।
মৌলিক অধিকার বলতে আমরা সেসব অধিকারকে বুঝি, যা কোনো দেশের সংবিধান স্বীকৃত এবং যা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাও দেয়া হয়। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মৌলিক অধিকারগুলো সবই মানবাধিকার, তবে পার্থক্য আছে। বিশেষ কারণেই রাষ্ট্র মৌলিক অধিকারকে মানবাধিকারভুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিতে চায় না। আইন বিশ্লেষকদের দাবি, মানবাধিকারগুলো আইনগতভাবে প্রয়োগ বাধ্যতামূলক নয়। মৌলিক অধিকার আদালতের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারবেন। সংবিধানে কিছু মৌলিক অধিকার নির্দিষ্ট আছে।বাংলাদেশে কোনো আইন যদি মৌলিক অধিকার পরিপন্থী হয় তাহলে তা বাতিল হবে। আমি মনে করি, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট সূ² বিভাজনটার বিষয়ে না জানার কারণে অধিকার আদায় প্রশ্নে কিছু ফাঁক থেকে যায়। এসব নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সংস্থার সংখ্যাও কিন্তু হাতেগোনা।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালের মতে, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যের বেশি নয়। মানবাধিকারের সূত্রগুলো মৌলিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করেই হয়। একজন মানুষ মানুষ হিসেবে জন্মেছে বলেই কিছু অধিকার সে দাবি করতে পারে। মানবাধিকারে তার চলাচলের অধিকার, জীবনের অধিকার থাকবে, বিশ্বাসের অধিকার থাকবে, বাকস্বাধীনতা থাকবে। এগুলোও মৌলিক অধিকার।
তিনি আরও মনে করেন, রাষ্ট্র যে মৌলিক অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কখনও কখনও সেগুলোকে মানবাধিকার বলে স্বীকার করতে চায় না। কারণ, নাগরিক সেই অধিকার না পেলে রাষ্ট্র দিতে বাধ্য থাকে।
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো তখন পাঁচটি মৌলিক অধিকার নির্ধারিত হলেও সেগুলো মানবাধিকার হিসেবে গৃহীত হলো না। কিন্তু আমাদের ৩১ থেকে ৩৫ ধারায় মানবাধিকারের বিষয়গুলো আনা হলো। অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলো না। কিন্তু নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলো।


 

 

প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত থাকবে। এই আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য নিশ্চত করতে আপনাদের ভূমিকা ছিল অবিচল। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্ণ হওয়া সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র ১৭ আইনজীবীকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সংবর্ধিত ১৭ আইনজীবীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করেন।
সমিতির পক্ষ থেকে যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তারা হলেনÑ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট ফরিদউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাহেদ আলম, অ্যাডভোকেট এস এ রহিম, অ্যাডভোকেট আলহাজ মো. শহীদুল হক, অ্যাডভোকেট এনায়েত হুসেইন খান, ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট মো. আবদুল ওয়াদুদ, অ্যাডভোকেট লুৎফে হাবিব খান, অ্যাডভোকেট রেজা আলী, অ্যাডভোকেট সাদেক আলী, অ্যাডভোকেট এ বি এম রফিক উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আলহাজ এ কে মজিবর রহমান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রাবিয়া ভূঁইয়া এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৭ বিচারপতির ৫০ বছরের আইন পেশার প্রশংসা করে বলেন, বিচার বিভাগও তাদের কাছে ঋণী। বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনাদের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। আইন পেশা একটি অনিশ্চিত পেশা হলেও আপনাদের সততা, যোগ্যতা ও মেধার কারণে আজ আপনারা এ অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত।
 



Top

 সানা ম্যারিন-ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখন থেকে উত্তর ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের মানুষজন সপ্তাহে চারদিন আর দিনে ৬ ঘণ্টা করে কাজ করবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা ম্যারিন এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন। গেল ডিসেম্বর বিশ্বের সর্ব কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিনল্যান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির জনগণের জন্য এটি তার বড় উপহার হিসেবে দেখছে ফিনল্যান্ডবাসী। দেশটিতে সাধারণত সপ্তাহে ৫ দিন আর দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করার নিয়ম ছিল।
৩৪ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী সানা ম্যারিন মনে করেন, কর্মঘণ্টা কমানোর ফলে দেশটির জনগণ তাদের নিজের পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে পারবে। এক সন্তানের জননী সানা ম্যারিন মাত্র ২৭ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে নিজ শহর ত্যামপেরে'র কাউন্সিল প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ম্যারিন। এরপর দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দেশটির পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সানা। সানা বলেন, আমি মনে করি- এ দেশের জনগণ তাদের প্রিয়জন-পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর, জীবনকে উপভোগ করার অধিকার রয়েছে। এটা আমাদের কাজের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে।

 

Top

ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার ‘দাবি’ সংসদে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু ও নারী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এ ধরণের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড নিরসনে প্রয়োজনে ধর্ষকদের এনকাউন্টারে দেয়ার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। বিরোধী দলের দুজন সিনিয়র সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্ন মঙ্গলবার পয়েন্ট অব অর্ডারে এ দাবি জানালে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সরকারি দলের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদও। তাঁরা বলেছেন, ধর্ষকদের প্রয়োজনে বন্দুকযুদ্ধে দিলে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরণের নিষ্ঠুর ও অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটাতে সাহস পাবে না। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর এ ইস্যুতে অনির্ধারিত বিতর্কের সূত্রপাত করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াস সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলো। ধর্ষণের পর যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জরুরিভাবে সেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও গেপ্তার করার পরও জনমনে অনেক প্রশ্ন উঠেছে এটার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের পর পরই সাভারে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
এরপর ধামরাইতে একই ঘটনা ঘটে। পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সাল ধর্ষণের মহাৎসব ঘটেছে। কেন ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে? এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? এ বিষয়ে সংসদে দুই ঘণ্টার জন্য সাধারণ আলোচনার সুযোগ দিতে স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ওই সময় এসিড নিক্ষেপ করে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যায়। তখন এরশাদ সাহেব এটা প্রতিরোধে এসিড মারার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করেছিলেন। এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে এটা কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। তাই সময় এসেছে চিন্তা করার, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হোক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতো ঘটনা ঘটছে, মাদকের জন্য এতো ক্রসফায়ার হচ্ছে। সমানে বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়। কিন্তু এই ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ, এখন পর্যন্ত কেন একজন ধর্ষক বন্দুক যুদ্ধে মারা যায় না? বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে যদি ব্যবস্থা না নেয়া যায়, তবে কোনক্রমেই এটা কন্ট্রোল করা যাবে না। একই দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টাঙ্গাইলে বাসে ধর্ষণের পর পর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করলো। সেদিন যদি পুলিশ ওই পাঁচ ধর্ষককে মধুপুরে নিয়ে গুলি করে মারত, তাহলে কিন্তু অন্য কেউ আবার ধর্ষিত হত না। তিনি বলেন, একটার পর একটা ধর্ষণ হচ্ছে। মেয়েরা বাসে ওঠে, ওই বাসে আগে থেকেই ৪-৫ জন থাকে। নারীরা ওঠার পর দেখা যায় ওরা যাত্রী না, ওরা ধর্ষক।

 


গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

চেয়ে হাই কোর্টে রিট
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে তার লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ সচিবকে এ নোটিস পাঠান। নোটিসে তাদের তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়। কিন্তু নোটিসের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
 

মুসলিমদের ভারতের পুলিশ
তোর আল্লাহ কি তোকে বাঁচাতে আসবে?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে নাগরিকত্ব (সিএএ) সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ চলছে। দেশটির উত্তরপ্রদেশ (ইউপি) রাজ্যেও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতি যে নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছে রাজ্য পুলিশ তা অবর্ণনীয়।
বিশেষ করে রাজ্যের মুসলিম বাসিন্দাদের উপর ব্যাপক ‘নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ইউপি পুলিশের বিরুদ্ধে। মুসলিম নারী-পুরুষ তো বটেই এমনকি শিশুদের পর্যন্ত রেহাই দিচ্ছে না তারা।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কারাভান ডেইলিতে ইউপি পুলিশের নির্যাতনের ভয়াবহ সব কাহিনী উঠে এসেছে। বিশেষ করে শিশুদের উপর নির্যাতনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন পোর্টালটি।
উইপির মুজাফফরনগর শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ বছর বয়সি একটি শিশু জানিয়েছে, কীভাবে পুলিশ আগুনে গরম করা লোহার রড দিয়ে তার হাত পুড়িয়ে দিয়েছে। শিশুটি বলে, ‘পুলিশ গরম লোহার রড দিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাকে রাস্তায় জ্বলতে থাকা আগুনের মধ্যে ফেলে দিতে চেয়েছিল কিন্তু দুইজন পুলিশ আমাকে রক্ষা করে।
পুলিশি নির্যাতনের শিকার শিশুটি বলে, ‘তারা (পুলিশ) আমাদেরকে এবং আমাদের পবিত্র কোরানকে গালি দিয়েছে। দুইদিন আটকে রাখার সময় কোন খাবারও দেয়নি। এমনকি পুলিশ যে আমাদের আটকে রেখেছে এই খবরটিও পরিবারের সদস্যদের জানানোর কোন ব্যবস্থা করেনি।
সে উল্লেখ করে একজন পুলিশ আমার কাছে এসে বলে, ‘তোর আল্লাহ কি এখন তোকে বাঁচাতে আসবে? এছাড়া পুলিশ তাদেরকে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতেও বাধ্য করেছে বলে জানায় নির্যাতিত শিশুটি।
প্রসঙ্গত, ইউপিতে পুলিশি নির্যাতনের যে অভিযোগ রয়েছে তা সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়েছিল কারওয়ান-ই- মোহাব্বত টিম। তাদের প্রতিবেদনেই এই শিশুটির নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। ইউপি পুলিশ কম বয়সি শিশুদের থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের নির্মমভাবে প্রহার করে। পুলিশের প্রহারের শিকার অনেক শিশুকেই আহত অবস্থায় দেখতে পেয়েছে টিমের সদস্যরা।
তারা দেখতে পান, পুলিশ হেফাজত থেকে তিন সপ্তাহ আগেই মুক্তি পেলেও এখনও ভয়ে কাঁপছিল ছেলেটি। সে জানায়, সিএএর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সে তার ভাইয়ের খোঁজে রাস্তায় গিয়েছিল কিন্তু পুলিশ তাকে বিক্ষোভকারী সন্দেহে আটক করে। এরপর তাকে নির্মমভাবে পেটায়। রড দিয়ে তার হাত পুড়িয়ে দেয়।
এরপর তাকে অবৈধভাবে একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে দুইদিন ‘আটকে রাখা হয়। এই দুইদিন তাকে কোন খাবারই দেয়া হয়নি। শিশুটি জানায় ওই ক্যাম্পে আটকে রাখা কাউকেই কোন খাবার দেয়া হতো না। বিশেষ করে যাদের পরনে কুর্তা পাজামা রয়েছে অর্থাৎ পোশাক দেখে মুসলমান মনে হয়েছে তাদেরকেই ক্যাম্পে আটকে রেখেছে পুলিশ।
ছেলেটি জানায়, প্রথম রাতে পুলিশ তাকে মারধোর করার পর ১০০ জন বিক্ষোভকারীর নাম বলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। শুধু তাকেই নয় আরো যারা ওখানে ছিল তাদের সবার প্রতিই একই রকম আচরণ করেছে ইউপি পুলিশ।
এছাড়া ইউপির সামভাল শহরেও ছোট শিশুদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা জানতে পারা যায়। কারওয়ান-ই-মোহাব্বত টিমের তথ্য অনুযায়ী, সামভাল শহরে এখনো ১৯ জন শিশু পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ইউপির মুজাফফরনগর, মিরাট, সামভাল এবং ফিরোজাবাদ এই চারটি শহরে আটককৃত ব্যক্তিদের উপর চরম নির্যাতন করেছে পুলিশ। মুজাফফরনগরে একটি এতিমখানা মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন শিশুকে পুলিশ আটক অরে মারধোর করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সুন্দরী হলেও যে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না কেউ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সেই গ্রামের মেয়েরা যথেষ্ট সুন্দরী। গ্রামটিও একেবারে গণ্ডগ্রাম নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। গ্রামের মানুষ ভালো-মন্দ মিলিয়ে সমান; এমন সব গ্রামেই দেখা যায়। তারপরও এই গ্রামে ছেলেরা বিয়ে করতে চায় না।
এর কারণ হল বানরের উৎপাত। কথিত আছে- গ্রামে একটি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। তবে তারা কেউ মানুষ নয়, বানর! শুনে আপনার হাসি পেতে পারে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে- এ কথা সত্য। ভারতের ভোজপুর জেলার রতনপুর গ্রামের কথা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় উঠে আসে এই বানর দলের কারণে।
গ্রামে বাসিন্দাদের তুলনায় বানরের সংখ্যা অনেক বেশি এবং বানরের দল গ্রামবাসীদের সবসময় আতঙ্কের মধ্যে রাখে। যে কোনো অনুষ্ঠান- বিয়ে কিংবা জন্মদিন এমনকি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানেও বানরের দল হানা দিতে দেরি করে না। খাবার নষ্ট করে। ধাওয়া দিলে দাঁত-মুখ খিচিয়ে উল্টো তেড়ে আসে। তুলকালাম কাণ্ড ঘটায়।
এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে পাত্রপক্ষ ওই গ্রামে যেতে চায় না। বানরের আক্রমণের চেয়ে তারা নিরাপদে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। যে কারণে যখন রতনপুর গ্রাম থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে, বর এবং তার পরিবার সুস্পষ্ট এই কারণ দেখিয়ে ঘটককে বিদায় করে দেয়। স্থানীয় প্রশাসন বিপর্যয় রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু বানরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কারণে তারা সফল হয়নি। বিশেষ করে কোনো আয়োজন উপলক্ষ্যে যখন ভালো-মন্দ খাবার তৈরি করা হয় তখন বানরগুলো হামলা চালায়। অতীতেও এই গ্রামে এভাবে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান ভুণ্ডল হয়ে গেছে।




র‌্যাগিং বন্ধে কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগিংয়ের’ নামে জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে নবীনদের নির্যাতন ঠেকাতে কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। ইশরাত পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত তিন মাসের মধ্যে র‌্যাগিংবিরোধী কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিটি র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ নেবে, র‌্যাগিং বন্ধে সুপারিশ করবে। আর স্কোয়াড র‌্যাগিং প্রতিরোধে বন্ধে ব্যবস্থা নেবে বা প্রতিকার দেবে। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে সম্প্র্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের উদাহরণ তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাই সাধারণত সিনিয়রদের দ্বারা র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং কালচারে পরিণত হয়েছে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীই মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (ট্রমাটাইজড) হচ্ছে। গত বছরের ৯ অক্টোবর র‌্যাগিং বন্ধ ও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস দেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য র‌্যাগিং বিরোধী কমিটি ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্কোয়াড গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় নোটিসে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৮ জানুয়ারি র‌্যাগিংবিরোধী কমিটি ও স্কোয়াড গঠনে নির্দেশনা চেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।
 

রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পছন্দে সায় জানিয়ে মিখাইল মিশুস্তিনকে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট। গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার ৪২৪ সদস্যের মধ্যে ৩৮৩ জনই তাকে সমর্থন দিয়েছেন। ৪১ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। দুমার অনুমোদনের পর রুশ প্রেসিডেন্ট এক ডিক্রিতে ৫৩ বছর বয়সী মিশুস্তিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। মিশুস্তিন এর আগে রাশিয়ার কর বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগের দিন বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের’ ভাষণে পুতিন গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানে বড় ধরনের সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের দাপট কমানো, প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের নিয়ম সংশোধন করা, বিদেশি নাগরিকত্ব কিংবা বিদেশে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে নিষিদ্ধের আইন সুসংহত করার কথাও বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ভাষণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করেন।

 

চীনে জন্ম হার কমছে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭০ বছরের মধ্যে চীনে শিশু জন্মহার সবচেয়ে কমেছে। শুক্রবার দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০১৯ সালে চীনে প্রতি হাজারে শিশু জন্মের হার ছিল ১০ দশমিক ৪৮। ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গঠনের পর এটিই সবচেয়ে কম জন্মহার। ২০১৮ সালে দেশটিতে এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছিল। গত বছর এ সংখ্যা থেকে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার কম শিশুর জন্ম হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই চীনে শিশু জন্মহার কমছে, যেটি ধীরে ধীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জন্মহারের সঙ্গে দেশটিতে মৃত্যু হারও কমতে শুরু করেছে।


 

 রূপসার বাজারে ১৩৭ কেজি ওজনের মাছ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনার রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারে ১৩৭ কেজি ওজনের একটি মাছ ১ লাখ ৫‘ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিশাল আকারে সামুদ্রিক এই মাছ স্থানীয়ভাবে কৈবল মাছ নামে পরিচিত। বাজার কমিটির নির্বাহী পরিচালক মো. রমজান আলী হাওলাদার এ মাছটির প্রথম দাম ডাকেন ৬০ হাজার টাকা। এক পর্যায়ে দাম বাড়তে বাড়তে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর আগে মাছটি বৃহস্পতিবার সকালে রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারের আনা হয়। এ সময়ে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকেই মাছের সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
তালা উপজেলার গোবিন্দ সরকার জানান, গত সপ্তাহে এ মাছটি আমার দাদোন দেয়া জেলেদের বেন্টি জালে মাছটি ধরা পড়ে। এর আগে আমিও এত বড় কৈবল মাছ দেখিনি। মাছটির সর্বোচ্চ দরদাতা মো. রমজান আলী হাওলাদার জানান, মাছটি আমরা ৫০ জন মিলে কিনে বাজারে কেটে ভাগ করে নিয়েছি।

 

Top

নিঃস্ব হয়ে সৌদি থেকে ফিরলেন আরও ২২৪ বাংলাদেশি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার একদিনেই দেশটি থেকে ফিরতে হয়েছে ২২৪ জন বাংলাদেশিকে। অনেককে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে আটক করে এক কাপড়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কাপড়ে রয়ে গেছে ময়লা ও রঙের দাগ। দেশে ফিরে স্বজনের দেখা পাওয়ার আশায় যে মানুষগুলোর চোখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কথা, তাদের চোখে-মুখে বিষাদ আর অনিশ্চয়তার ছাপ। অধিকাংশই ফিরেছেন শূন্যহাতে। শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে দেশে ফেরেন ১০৮ জন। এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৮ বিমানযোগে ফেরেন আরও ১১৬ জন। এ নিয়ে নতুন বছরের ১৮ দিনে ১ হাজার ৮৩৪ জন বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফিরলেন। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি থেকে ফেরত আসাদের জরুরি সহায়তা ও কাউন্সিলিং দেওয়া হয়। ফিরে আসা বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার শামীম (৩০) জানান, মাত্র তিন মাস আগে তিন লাখ টাকা খরচ করে ড্রাইভিং ভিসায় তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। দুই মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। পরে মালিককে (কফিল) বারবার অনুরোধ করলে তিনি অন্য জায়গায় কাজের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু সেখানে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তিনি মালিককে ফোন দিলেও তিনি দায়িত্ব নেননি। নরসিংদীর মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ৪ লাখ টাকা খরচ করে পাঁচ মাস আগে ক্লিনারের কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। কাজ শেষে রুমে ফেরার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। আকামা দেখানোর পরও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। অনেককেই ফিরতে হয়েছে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬ হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে দুই হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে দুই হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে এক হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূন্যহাতে ফিরেছেন। ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, নতুন বছরের শুরুর ১৮ দিনেই এক হাজার ৮৩৪ জন বাংলাদেশি সৌদি থেকে ফিরেছেন। ফেরত আসা কর্মীরা বরাবরের মতো অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রত্যেককে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি নানা স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু সৌদি আরবে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন তারা। অনেকে বেতন পাননি। অনেকে সৌদি আরবে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ফেরত এসেছেন। তারা সবাই ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায়। সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্যহাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ করে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

 
আরও এক ‘লজ্জা’, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নীচে মোদীর ভারত!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আর এই তথ্যের ভিত্তিতেই ৫১ তম স্থানটি পেয়েছে ভারত। ২০১৯ সালের সূচকে ৬.৯০ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের স্থান ৫১ তম। ২০১৮ সালে ৭.২৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান ছিল ৪১-এ। ভারতের এই লজ্জাজনক অধঃপতনের কারণ হিসেবে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে ইআইইউ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি।
সেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, জিডিপি’র হার ক্রমাগত হ্রাস, চূড ান্ত অর্থনৈতিক সংকট- এরকম টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের জন্য আরও এক লজ্জাজনক তথ্য সামনে এল। গোটা দেশ নাগরিত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদে সরব। প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেলে যাওয়াই শুধু নয়, প্রাণও খোয়াতে হয়েছে অনেককে। সেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, জিডিপি’র হার ক্রমাগত হ্রাস, চূড ান্ত অর্থনৈতিক সংকট- এরকম টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের জন্য আরও এক লজ্জাজনক তথ্য সামনে এল। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-র তথ্য অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়ে গেল ভারত।
আর এই তথ্যের ভিত্তিতেই ৫১ তম স্থানটি পেয়েছে ভারত। ২০১৯ সালের সূচকে ৬.৯০ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের স্থান ৫১ তম। ২০১৮ সালে ৭.২৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান ছিল ৪১-এ। ভারতের এই লজ্জাজনক অধঃপতনের কারণ হিসেবে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে ইআইইউ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি।
১৯৯৫ কেজি খিচুডি রান্না করে বিশ্ব রেকর্ড সকল রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়লেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান, আহত হয়েছে রাজপরিবার, জানালো বাকিংহাম প্যালেস মাদকের কারণে যে ব্যক্তির দাঁত পড়ে যায়, তার পক্ষে কাউকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ তো দূরে থাক, নিজেকে টেনে তোলার ক্ষমতাই থাকে না
বলা হয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় বিশাল সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছিল ভারত। সেখানে কারফিউ জারি, রেকর্ড দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা, তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখা, হাজার হাজার কাশ্মীরিকে অনৈতিকভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দেশের সংখ্যালঘুদের একটা বড অংশই। এমনকী ধর্ম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণেরও অভিযোগ উঠেছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কার্যকর গণতন্ত্র রয়েছে ২২টি দেশে। আর ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে ৫৪টি দেশে। হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থা রয়েছে ৩৭টি দেশে। আর কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে ৫৪টি দেশে।
 


 পুরো দেশটা একটি আধুনিক ক্যাসিনো

মো: দ্বীন ইসলাম হাওলাদার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
Casino এর বাংলা প্রতিশব্দ নাচঘর, জুয়াখেরার ঘর, তাস খেলার ঘর, আমোদ-প্রমোদ ঘর ইত্যাদি। মন্ত্রী, এমপি, সচিব, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের পদস্থ কর্মকর্তা, প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ সকল আন্ডার গ্রাউন্ডের লোকদের যাতায়াত থাকে ক্যাসিনোতে। তবে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ছত্রছায়ায় থেকে অনেক নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত শ্রেণির লোকেরাও ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পাশাপাশি ছায়া দানকারী ব্যক্তিবর্গও ফায়দা লুটেছেন। মাদক-নারীসহ অপরাধ জগতের সকল কাজই সেখানে সংঘটিত হয়ে থাকে। একমাত্র ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমেই রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়; গড়া যায় সম্পদের পাহাড়। তাই অর্থ আয়ের দিক বিবেচনা করলে পুরো দেশটা একটি আধুনিক ক্যাসিনো। আমাদের দেশের একজন ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত অনেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকেই ক্যাসিনোর মতো অল্পদিনে শত-শত; হাজার-হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। একজন সাব রেজিষ্ট্রার অফিস থেকে যাওয়ার সময় লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যান। বন কর্মকর্তা চোরা কারবারীদের সাথে আতাত করে বন উজার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। সাধারণ একজন পুলিশ কনস্টবলও আসামীদের সাথে আতাত করে, মাদক ব্যবসায়ীদেরকে সহযোগীতা দিয়ে, নিজে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে কিংবা সাধারন মানুষের পকেটে গাজার পোটলা বা ইয়াবার প্যাকেট ঢুকিয়ে হেনস্থা করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে অল্প দিনে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। তাদের পোশাকই যেন তাদের অর্থ আয়ের একমাত্র উৎস (তবে সব পুলিশ যে এমন তা নয়)। এ সমস্ত কাজ করতে গিয়ে কখনো জনতার হাতে ধরা খেলেও বিচার হয়না; বড়জোড় অন্যত্র বদলী। নিয়োগ প্রদানকারী কর্মকর্তারা নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। শিক্ষা অফিসগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা নানা অজুহাতে শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজেষ্টতো আছেই। ডাক্তারেরা ঔষধ কোম্পানি, প্যাথলোজি ও রোগীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে দেখা গেছে সরকারি অফিসের একজন পিয়নও অল্প দিনে শত কোটি টাকা ও বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে যান। মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী রাজনীতিক ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা জমি দখল, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। যে কোনো দলের সভাপতি-সম্পাদকরা মনোনয়ন বিক্রি ও বিভিন্ন কমিটি অনুমোদন দিয়ে অল্প দিনে ধনকুবের হয়ে যান। ঠিকাদারেরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যেন তেন ভাবে কাজ করে অল্প দিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নেন।
ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাকি, পণ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। অনেক শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস ফাকি দিয়ে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে, প্রশ্ন ফাঁস ও নকল বাজির মাধ্যমে অঢেল অর্থ আয় করে নেন। অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ না করেই মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকারি বেসরকারি সুবিধা নিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সুদ্ধি অভিযানে কিছু সরাসরি ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও পুরো দেশটাই যে এক আধুনিক ক্যাসিনো-তার কি হবে ? ক্রিকেট নামের ক্যাসিনোটা বিশ্ব ব্যাপি শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে ধ্বংশ করছে। বর্তমানে দেশে অর্থের কোনো অভাব নাই। অভাব শুধু সুসম বন্টনের। তবে অর্ধাহারে-অনাহারে ধুকে ধুকে মরছে আমাদের সুশিক্ষিত জাতির সংগঠক নন এমপিও শিক্ষক সমাজ। তারা যুগ যুগ ধরে বিনা বেতনে জাতিকে শিক্ষিত করে যাচ্ছেন। অনেকে নন এমপিও থেকেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাদেরকে নীতিমালার বেড়াজালে আটকে দেয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান শুরুতে অনেক ভালো ছিলো, অনেক শিক্ষার্থী ছিলো, ভালো ফলাফল ছিলো। ১৫/২০ বৎসর নন এমপিও থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অথচ এক দিনের ক্যাসিনো ব্যবসায় যে অর্থ লেনদেন হয়, তা দিয়ে সকল প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। যারা এমপিওভুক্ত তারাও মাসে ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। টাইম স্কেল/উচ্চতর স্কেল জটিলতায় প্রভাষক এবং সহকারী শিক্ষকরা একই বেতন পেয়ে থাকেন। এই সকল অনিয়মের দায়ভার কার? হয়তো এখন দায় এড়িয়ে গেলেও কঠিন বিচারের দিনে কেউ রেহাই পাবেন না।
লেখক প্রভাষক, দুমকি ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা, দুমকি, পটুয়াখালী।

 

রোহিঙ্গা শিশুরা সরকারি উদ্যোগে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মিয়ানমারের কারিকুলামেই তাদের শিক্ষা দেওয়ার হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রোহিঙ্গাবিষয়ক সেলের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকার গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব শিশুকে মিয়ানমারের কারিকুলামে শিক্ষা দেওয়া হবে, যাতে মিয়ানমারে ফেরার পর তারা সেখানে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ এবং অবকাঠামোও স্বতন্ত্র হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের সঙ্গে নয়, বরং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা করে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ লাখ শিশু কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বাস করছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ।
কারাগারে মায়ের সঙ্গে বন্দি ৩৫১ শিশু
মনোরোগ অধ্যাপক ডা. সুলতানা বলেন, 'স্বাভাবিকভাবেই তাদের মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া তারা শৈশবের অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে
বিভিন্ন অভিযোগে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দি আছেন অনেক নারী। তাদের অনেকের সঙ্গেই আছে শিশু সন্তান। কারা বিধান অনুযায়ী, ছয় বছরের কম বয়সি শিশুদের মায়ের সঙ্গে কারাগারে অবস্থানের সুযোগ আছে। সে সুবাদে বন্দি মায়ের সঙ্গে অনেক শিশুর শৈশবও কাটছে কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে। এতে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বৈরী পরিবেশের স্মৃতি নিয়ে তারা কারাগার থেকে বের হচ্ছে বলেও মনে করেন শিশু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী (২৩ জানুয়ারি, ২০২০) বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি মায়েদের সঙ্গে ছয় বছরের কম বয়সি ৩৫১ শিশু রয়েছে। এসব শিশুর মধ্যে ১৭২ জন ছেলে ও ১৭৯ জন মেয়ে শিশু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন বিভাগের কারাগারগুলোর ৩৫১ শিশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৩, সিলেট বিভাগে ২৩, রাজশাহী বিভাগে ৪১, রংপুর বিভাগে ১৭, খুলনা বিভাগে ২৬, বরিশাল বিভাগে ৬ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে অবস্থান করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছয় বছরের কম বয়সি শিশুরা সাধারণত মায়েদের সঙ্গেই কারাগারে অবস্থান করে। মায়ের সঙ্গে কারাগারে যাওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিশুর নাম ও বয়স রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা হয়। শিশু তার মায়ের সঙ্গেই নির্ধারিত সেলে থাকে। প্রয়োজন হলে কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। শিশুদের দায়িত্বে থাকেন একজন নারী ডেপুটি জেলার।
 

শিশু ধর্ষণের শাস্তি কেন মৃত্যুদন্ড নয়

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

শিশু ধর্ষণের শাস্তি কেন মৃত্যুদন্ড নয়- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গত ১৯ জানুয়ারি ২০২০ দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্টের আলাদা দুটি বেঞ্চ পৃথক আদেশ দিয়েছে। আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনাও দিয়েছে। আদালতের জারি করা রুলে-ভিকটিমের বয়স ১৬ বছর বা তার নিচে হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করে আইন করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, ধর্ষণ মামলার বিচারের জন্য আলাদা আদালত গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষকের ডিএনএ ডাটাবেজ তৈরি করে তা সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমকে সহায়তা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, ভিকটিমের ছবি গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশের ক্ষেত্রে কেন সতর্কতা অবলম্বন করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও মহিলা বিষয়ক সচিব, পুলিশের আইজিসহ মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সারা দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ভিকটিমকে সহায়তা দিতে একমাসের মধ্যে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ধর্ষণ ঠেকাতে এন্টি রেপ ডিভাইসের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় জরুরি সেবাকে (৯৯৯) সংযুক্ত করতে আইসিটি সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে।
ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ভিকটিমকে (ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশু) সহায়তা দিতে কমিশন গঠনের বিষয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার এম এস কাউসারের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার ড. রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনে বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত চিকিৎসক, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, সমাজের বিশিষ্ট নাগরিককে রাখতে বলা হয়েছে। ধর্ষণের মূল কারণ উদঘাটন ও তা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ তৈরি করে ৬ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এই আদালতের জারি করা রুলে ধর্ষণ থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এন্টি রেপ ডিভাইসটি সবার কাছে পরিচিত করে তা সহজলভ্য করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

ইটভাটায় কাজ করছে শিশু

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইটভাটাগুলো আইন-কানুন ও নিয়মনীতির ন্যূনতম তোয়াক্কা না করে স্থাপনের ফলে নষ্ট হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। অধিকাংশ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে আবাসিক এলাকায় কৃষি ফসলি জমির মধ্যে। ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির উপরি অংশের উর্বর মাটি। আর ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে স্কুলগামী শিশুরা।
উপজেলার ভাটা মালিক সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তাড়াশে নাবিলা সুপার ব্রিকস, বন্যা ব্রিকস, সাদিয়া ব্রিকস, আখী ব্রিকস, মেঘনা ব্রিকস, এমআরএইচ ব্রিকস, এমএমবি ব্রিকস, এইচ এন্ড কে ব্রিকস এবং সততা ব্রিকস নামে ৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশসম্মত জিগজ্যাগ চিমনির ভাটা ৬টি।
সরজমিন দেখা গেছে, ইট পোড়ানোর কাজে ভাটার মালিকেরা অতি নিম্নমানের কয়লার ব্যবহার করছেন। একটি বড় ইটভাটায় একবারে চার থেকে সাড়ে চার লাখ ইট পোড়াতে ২৫ দিনের মতো সময় লেগে যায়। যেখানে কমপক্ষে ১০ হাজার মণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়।
এদিকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৮ এর (ক), (ঘ) এবং (চ) ধারা কোনো রকমের অনুসরণ না করেই বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, কৃষি ফসলি জমি ও সরকারি রাস্তার কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ইটভাটাগুলো।
একই সঙ্গে ১৫ নং আইনের (ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করে ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কারখানা আইন-১৯৬৫ এর ৩ এর (গ) ধারা উপেক্ষা করে ১৪ বছরের কম বয়সী অসংখ্য শিশু শ্রমিক দিয়ে ইট তৈরি ও টানার কাজ করানো হচ্ছে। এতে এলাকায় শিক্ষার হার দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
সরজমিন আরো দেখা গেছে, ৯টি ইট ভাটাই সরকারি রাস্তার গা ঘেঁষে কৃষি জমি নষ্ট করে স্থাপন করা হয়েছে। কেবল ৬ কিলোমিটার তাড়াশ-কালিবাড়ি গ্রামীণ সড়কের সঙ্গে রয়েছে ৫টি ভাটা। ২টি ভাটা খালকুলা-নওগাঁ গ্রামীণ সড়কে। ২টি তাড়াশ-নিমগাছি আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে। আর প্রতিটি ইটভাটার নিকটেই চারপাশে শ’ শ’ পরিবারের বসবাস সঙ্গে রয়েছে ফসলের মাঠ। ওই ৩টি রাস্তায় দিন-রাত ইটবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করায় কার্পেটিং উঠে ইটের সোলিং নষ্ট হয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের ধুলার আস্তরণে ঢাকা পড়ে আছে আশপাশের বসতঘর। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় মরে যাচ্ছে ফসল। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ভাটাতেই শিশুরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এদের বেশিরভাগ ইট তৈরি করছে। আবার কেউ কেউ ইট মাথায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। শিশু শ্রমিক ইমরান হোসেন, সাব্বির হোসেন, মমিন আলী, আতিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ প্রমুখ জানায়, তাদের অনেকের বাবা-মা ভাটা মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম দাদন নেয়ায় তারা পড়ালেখা বাদ দিয়ে ইটভাটায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
 

বিশ্বে ২৬ কোটি শিশু-কিশোর শিক্ষা বঞ্চিত
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমান শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তারা বলছে, বিশ্বে প্রাপ্ত বয়স্ক ৭৭ কোটি নিরক্ষর মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী। বর্তমান বিশ্বে ১৭ বছরের নিচে ২৬ কোটি ৪০ লাখ শিশু শিক্ষা বঞ্চিত। এছাড়াও বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করছে কিন্তু শিখছে না বলেও জানায় সংস্থাটি।
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০৩০ সালের ‘অ্যাজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ইউনেস্কোর পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট এবং গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম) এটি যৌথভাবে প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১০-২০১৫ সালে ১২৮টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ১২ বছরের নিচে ৪০ কোটির বেশি শিশু স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে।
আর ৮০ কোটির শিশু কোন ধরণের যোগ্যতা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করছে।
বিশ্বে ২৬ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষাবঞ্চিত শিশু-কিশোরের মধ্যে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী ৬ কোটি ১০ লাখ শিশু প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬ কোটি শিশু মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পায় না। আর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পায় না ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ কোটি ২০ লাখ শিশু। আর উচ্চমাধ্যমিকে পড়া বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষের তথ্য থেকে দেখা যায়, ৪০টি দেশের ৪ জনের ১ জনের কম শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করতে পেরেছে। আর ৬০টি দেশের ২ জনের ১ জনেরও কম শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশুনা শেষ করেছে ১৪টি দেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জাতিসংঘের সাধারণ এই অধিবেশনে সংস্থাটির উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ বলেন, লাখ লাখ মানুষ যারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না বা করেননি শুধু তাদের জন্যই নয়, যারা শিক্ষা গ্রহণ করছে কিন্তু শিখছে না তাদের জন্যও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষা আন্দোলনের ডাক দিতে হবে, যাতে সবার জন্য সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা ভবিষ্যতের লক্ষ্য না হয়ে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়।


সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা স্বপ্নের রাজ্যে এক দিন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে আনন্দ-উৎসবে মাতাল বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটীতে ফ্যান্টাসি পার্ক অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ডে শিশুদের জন্য বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ‘স্বপ্নের রাজ্যে এক দিন’ শীর্ষক এ উৎসবের আয়োজন করে। আয়োজনের সহযোগী ছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘বি-থার্টিন’। ‘স্বপ্নের রাজ্যে এক দিন’ কাটানোর সুযোগ পেয়ে নারায়ণগঞ্জের সুবিধাবঞ্চিত ৭০ শিশু সবাই যেন এমন উপলক্ষ পেয়ে সব দুঃখ-আক্ষেপ ভুলে সবার সঙ্গে মিলে উদযাপনে মেতে ওঠে।
পার্কে প্রবেশের মুহূর্তে সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর হাতে ফুল ও চকলেট তুলে দেন এলপি গ্যাস কর্মকর্তারা। ওই সময় শুভেচ্ছা বিনিময়, পরিচয় পর্বের পর শিশুরা অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ডের বিভিন্ন রাইডে উঠে আনন্দ উপভোগ করে। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব সেলস জাকারিয়া জালাল এবং এজিএম (সেলস) আতাউর রহমান। শিশুদের উপহার দেওয়ার পর জাকারিয়া জালাল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সামাজিক দায়দায়িত্ব থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন সেই সামাজিক দায় থেকেই। সবাইকে না পারলেও অন্তত আমাদের ও আমাদের পরিবারের সঙ্গে ৭০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে আমরা দিনব্যাপী এ আয়োজন করেছি। এ আয়োজনে আমরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব, একসঙ্গে পার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ব। আমরা একসঙ্গে এখানে খাব এবং সবাইকে নিয়ে উৎসবের পাশাপাশি তাদের কিছু উপহারও দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই আমাদের ডিস্ট্রিবিউটর, বিভিন্ন গ্রাহক, ক্রেতা-বিক্রেতা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এর মধ্যে শিশুদের নিয়ে এ আয়োজনও যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ৭০ জন শিশুকে নিয়ে আজকে এ আয়োজন করছি এবং আগামীতে আমরা আমাদের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এ শিশুদের নিয়ে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করব।

 

টঙ্গিবাড়ীকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ১০টায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সদরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। পরে উপজেলা প্রাঙ্গণে এই নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভুতু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা আক্তার। এরপর সচেতনারোধে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদীর কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মামলার বাদী মেছলেহ উদ্দিন মিন্টুকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড, একই সঙ্গে মামলার আট আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান ও তাদেরকে ১ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ, অনাদায়ে আরো ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। গতকাল বুধবার নোয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালত এ আদেশ দেন। আদালত এ সময় জাল জখমি সনদের ভিত্তিতে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরজব্বার থানার এসআই মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ২৭ আগষ্ট চরজব্বারে দক্ষিণ চরবাগ্যার মোজাম্মেল হেসেনের ছেলে মেছলেহ উদ্দিন জাল জখমি সনদ দাখিল করে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আট জনকে আসামি করে থানায় একটি জিআর মামলা দায়ের করেন। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে চিকিত্সক জখমি সনদ জল বলে শনাক্ত করেন এবং বাদী ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি হননি বলে জানান। মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বার বার আদালত সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য হাজির হতে নির্দেশ দিলেও তারা উপস্থিত হননি। এ অবস্থায় আদালত বাদীর অনুপস্থিতিতে তাকে ১৫ ও ১০ দিন কারাদণ্ড ও আসামিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

 

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে রমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন জানান, রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকার আমিনুল ইসলাম ডন (৪০) মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হলে গত ১১ জানুয়ারী কারাগারে আসে। মঙ্গলভার বেলা ১১টার দিকে সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। সাথে সাথে রমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাবনায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা

পুলিশের এসআই কারাগারে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় ঢাকার (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই নাসির আহম্মেদকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওলিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এসআই নাসির আহম্মেদ, মোস্তাক আহম্মেদ, সালমা আহম্মেদ ও লাকী খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে পাবনা শহরের কাচারীপাড়ার নাসির আহম্মেদের পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে স্বামী পুলিশের এসআই নাসির আহম্মেদ স্ত্রী রুবিনা খাতুনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে অন্য আসামিদের যোগসাজশে নাসির আহম্মেদ স্ত্রী রুবিনা আক্তার রুনাকে মারধর করে আহত করেন। মামলায় নাছির আহম্মেদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা ইস্যু করেন। সোমবার দুপুরে মামলার ধার্য তারিখের আগেই ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত এসআই নাসির আহম্মেদ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

 

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মেয়রস্ক চেকপয়েন্ট দিয়ে এই বন্দী বিনিময় শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের টুইটে ঐ বন্দি বিনিময়ের ছবি পোষ্ট করা হয় যাতে দেখা যায় বাস অ্যাম্বুলেন্স ও সশস্ত্র সেনা বহর। রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তথাকথিত ওমবাডসম্যান দারিয়া মোরোজোভা নিশ্চিত করে বলেন বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে। এই বন্দি বিনিময়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ৮৭ বন্দি বিদ্রোহী পাঠাচ্ছে আর বিদ্রোহী পক্ষ ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে ৫৫ জনকে। চার মাস আগে দুই পক্ষের সংঘাতের সময় আটককৃত বন্দি বিনিময়ে এটি দ্বিতীয় ধাপ।
 


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


 


খালি পেটে যে খাবার খেতে নেই


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ষুধা লাগলেই যে হাতের সামনে যা আছে তা-ই খেয়ে নেব তা কিন্তু নয়। প্রতিটি খাবার খাওয়ারই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। তা না হলে খাবার গ্রহণে উপকারের পরিবর্তে উল্টো ক্ষতি হতে পারে শরীরের। কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়া একদমই ঠিক নয়। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো ভুল করেও খালিপেটে খাওয়া যাবে না।
টমেটো টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং নিউট্রিশন থাকে। কিন্তু এই টমেটো খালি পেটে খাওয়া একেবারেই অনুচিৎ। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটোয় বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে পাকস্থলীর মধ্যে এক ধরনের অদ্রবণীয় উপাদান তৈরি করে। এটি পাকস্থলীতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
শসা
প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শসা খালি পেটে খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। এর ফলে তলপেটে যন্ত্রণা, হৃদরোগ, পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
কলা
কলাকে বলা হয় সুপার ফুড। এটি হজমের জন্যে খুবই দরকারী। কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। কিন্তু যদি আমরা খালি পেটে কলা খাই, তাহলে রক্তে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে। তাই সকাল বেলা কলা খাওয়া মানা।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চ পরিমাণ কার্বোনেটেড এসিড। খালি পেটে এগুলো খেলে বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
দুধজাতীয় খাবার
দই কিংবা দুধের তৈরি যেকোনও খাবার খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়। এতে অ্যাসিডিটি হয়। ভারী খাবার গ্রহণের পর দুধ বা দই খাওয়া উচিৎ।
লেবুজাতীয় খাবার
লেবু বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। বাতাবি লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খালিপেটে খেলে অ্যাসিডিটি বাড়ার ঝুঁকি থেকে। এটি শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে।
মশলাদার খাবার
ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে খালি পেটে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়ার কারণে পেটে জ্বালাপোড়া হয়। নিয়মিত এরকম হলে পাকস্থলীর ক্ষতি হবার ঝুঁকি বাড়ে।
চা-কফি
খালি পেটে চা কিংবা কফি খাওয়া ক্ষতিকর। চায়ের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড, যা পাকস্থলীর আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা পাকস্থলীর জন্য ভালো নয়। তাই সকালবেলা চা কিংবা কফি খেলে তার আগে একগ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন।


পাইলস রোগের লক্ষণ ও করণীয়


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পাইলস শব্দটির অর্থ পিলার। মেডিকেলের ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। সহজ বাংলায় মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলা হয়ে থাকে। তরুণ এবং বৃদ্ধরা সাধারণত পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে রোগটির বিস্তার দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বিশ্বে শতকরা চার থেকে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত।
মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদ অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত ভাবেও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত যাওয়া পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়। রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।
পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে। মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি) এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয া যেতে পারে। তিনদিন পর্যন্ত মল না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশ মত ব্যবহার করতে হবে।
এ রকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।


লিভার পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লিভার আমাদের শরীরের দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভার শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের সুস্থ রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। এই সাধারণ সমস্যাগুলো শুরুতেই আমলে না নিলে এ থেকে নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে। যেমন: লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি।
অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ। তাই আমাদের এই লিভার নামে দ্বাররক্ষীর যতœ নিতে হবে।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো খেলে লিভার সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে;
জাম্বুরা: জাম্বুরাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে বৃদ্ধি করে।
ছোট সাইজের এক গ্লাস জাম্বুরার জুস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা কার্সিনোজেন এবং অন্যান্য টক্সিনকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
রসুন: রসুনে সেলেনিয়াম ও এলিসিন নামক উপাদান থাকে এবং এরাও লিভার থেকে টক্সিন বাহির হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া রসুনে লিভার পরিষ্কারক প্রচুর এনজাইম থাকে এবং এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।
বিট ও গাজর: গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। গাজর ও বিট উভয়ের মধ্যেই উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ ফ্লেভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটি হচ্ছে লিভার লাভিং বেভারেজ বা যকৃৎপ্রেমী পানীয়। গ্রিনটি উদ্ভিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা লিভারের কাজে সহযোগিতা করে।
সবুজ শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি শক্তিশালী লিভার পরিষ্কারক। সবুজ শাক-সবজি কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রার ক্লোরোফিল থাকে এবং এরা রক্ত প্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়।
আরো যা খেতে পারেন- আপেল, অ্যাভোকাডো, ওলিভ অয়েল, লেবু, হলুদ, আখরোট, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, মিষ্টি আলু, ব্রোকলি, টমেটো ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খেলে লিভার পরিষ্কার থাকবে।


তুলসিতে নিরাময় যে ১০ রোগের


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গত ৫০০০ বছর ধরে নানা রোগ সারাতে এই গাছটিকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে, তা ত্বকের রোগ হোক কী চুল, বা অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা। আসলে তুলসি গাছের রসের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ছোট-বড় নানা রোগ সারাতে দারুণ কাজে আসে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে তুলসি গাছের পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নানা রোগ এমনিতেই দুরে পালায়।
আসলে 'দ্য কুইন অব হার্বস' নামে পরিচিত তুলসি গাছের গুণাগুণ লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবু কয়েকটির কথা না বললেই নয়।
এখানে এমন ১০টি রোগের বিষয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলো সারাতে তুলসির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১. কিডনির পাথর : তুলসি পতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন যদি মধু দিয়ে তৈরি চুলসি পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে কিডনির পাথর গলে তো যায়ই, সেই সঙ্গে শরীর থেকে তা বেরিয়েও যায়। প্রসঙ্গত, তুলসি পাতায় যে ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফেল কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
২. হার্ট ভালো রাখে : ইউজেনল নামে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তুলসি পাতায়, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। আর এ কথা তো সকলেরই জানা যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। আপনি কি কোনো রকমের হার্টের রোগে ভুগছেন? তাহলে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খান। দেখবেন অল্প দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৩. ক্যানসার রোগকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে : প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট থাকায় তুলসি পাতা খেলে ক্যানসার রোগও দূরে পালায়। একাধিক গবেষণা অনুসারে, রোজ যদি তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ব্রেস্ট এবং ওরাল ক্যানসার কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে তুলসি পাতার রস খেলে পরিবেশে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরকে নষ্ট করতে পারে না। ফলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।


২০০ রোগের প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে। বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ। এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন- ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

হয়রানি ছাড়াই মিলছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

আলী আজম

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিদেশগামী ব্যক্তি অথবা বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের সম্পর্কে নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) চায়। এমন ব্যক্তিকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হচ্ছে, যিনি কোনো অপরাধী নন এবং যার বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগও নেই। তিনি দেশের বাইরে গেলে রাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই। এ সনদকেই বলা হয় পিসিসি। এখন পিসিসি মিলছে পুলিশের কোনো হয়রানি ছাড়াই। অনলাইনে আবেদন করে ঘরে বসেই সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পিসিসি। গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক পিসিসি হাতে হাতে বা ডাকযোগে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত তিন বছরে ৭৫ হাজার পিসিসি সরবরাহ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডিএমপি সদর দফতরে এ সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে সার্ভিস নিশ্চিত করতে একজন পরিদর্শক, তিনজন এএসআই ও দুজন কনস্টেবল নিয়োজিত রয়েছেন এ কাজে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৫০০ টাকা চালান জমা দিয়ে পাওয়া যাবে পিসিসি। সোনালী ব্যাংকের চালান নম্বর ১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১। ঢ়পপ.ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ এই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর ছবি, ব্যাংকের চালান কপি, পাসপোর্টের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাগরিক সনদপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ আবেদন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। বিদেশে অবস্থানকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি আবেদন ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। পাসপোর্ট সত্যায়ন না থাকা, নাম-ঠিকানা ভুল দেওয়া, জেলার ঠিকানা দিয়ে ডিএমপিতে আবেদন করায় অনেক আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চঈঈ ঝ এরপর রেফারেন্স নম্বর লিখে যে কোনো মুঠোফোন থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আবেদনের সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানা যাবে। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অনলাইনে পিসিসি চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে ৭৫ হাজার পিসিসি সরবরাহ করা হয়েছে। ভুল-ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৪১টি আবেদন ফরম। ২৪ ঘণ্টা পিসিসির সার্ভিস নির্বিঘœ করতে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর ০১৭১৩৩৯৮৬৮০। এ হেল্পলাইন নম্বরে পিসিসি-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় জানা যাবে। পিসিসির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
একটি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত নাজমুন নাহার জানান, তিনি কানাডায় থাকেন। বিশেষ প্রয়োজনে তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। পরে তিনি কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সত্যায়িত করে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বামীর মাধ্যমে আবেদন করেন।

আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যৌতুকের জন্য কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়ায়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজকের মন্ত্রিসভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা চলতি বছরের জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিও রয়েছে মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচিতে। এতে গত বছরের তুলনায় জনপ্রতি সাড়ে ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ২১ হাজার টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত ২০১৬ সালের ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে বৈঠকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
যৌতুক নিরোধ আইন প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের শাস্তি নির্দিষ্ট করা থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী, স্বামীর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, মারাত্মক জখমের জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা অন্যূন ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুকের জন্য অঙ্গহানির শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা কমপক্ষে ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। তবে স্ত্রীর জখমের ধরন অনুযায়ী স্বামীকে অর্থদন্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ দেয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে সাধারণ জখম করলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে। খসড়ায় ‘যৌতুক’ বলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত যে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর বা মূল্যবান জামানতকে বোঝানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তি কনে বা বর পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি বা যৌতুক নিলে বা দিলে অধরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
কেউ যৌতুক দাবি বা লেনদেন করলে সর্বনিু এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি যৌতুক নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তিনি ছয় মাসের কারদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও যৌতুকের জন্য কোনো নারীর মৃত্যু ঘটানোর দায়ে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুদন্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুক নিরোধ আইনেও একই ধরনের শাস্তির বিধান যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও অপরাধকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে খসড়া আইনে। প্রস্তাবিত এই আইন কার্যকরের পর ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন রহিত হলেও ওই আইনের আলোকে প্রণীত বিধি ও প্রবিধি উপ-আইন হিসেবে গণ্য হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।
 

রিমান্ড কি মানবাধিকার পরিপন্থী?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে। মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.