           
 
|
Cover September 2018
English Part
September 2018
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
ভোট দেয়া না দেয়া
জনগণের অধিকার : প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট দেয়া না দেয়া
জনগণের অধিকার। রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের সেবা করে
যাওয়াই সরকারের লক্ষ্য। মানুষের স্বাস্থ্যা সেবা
নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। ক্ষমতায় আছি জনগণের সেবার
জন্য ভোগের জন্য নয়। ২৯ আগস্ট সকাল ১১টায় গণভবনে ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
চক্ষু হাসপাতাল ও কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ
করে দেয়। বিএনপির কথা ছিল এই কমিউনিটি ক্লিনিকে যারা
কাজ করবে এবং স্বাস্থ্য সেবা পাবে তারা নৌকায় ভোট দেবে।
তার জন্য সেবা বন্ধ করে দিলো। রাজনীতি করি জনগণের জন্য।
জনগণের সেবা করা আমার প্রথম কর্তব্য।
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট হামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী
লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য আবারও
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন,
তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের জঘন্য হামলা সংঘটিত হতে
পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন ক্ষমতাসীন
বিএনপি-জামায়াত জোটের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই হামলা হয়েছিল।
তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে
না।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি
বাসভবন গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন
ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা
বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহৃত আর্জেস
গ্রেনেড সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ আওয়ামী লীগকে
একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াই ছিল ওই হামলার উদ্দেশ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সভা
করতে গিয়ে সেখানে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে নিহত
হয়েছিল আমাদের আওয়ামী লীগের আইভি রহমানসহ ২২ জন
নেতাকর্মী এবং দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন আগস্ট ২০১৮
আগস্ট
’১৮ মাসে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৮৫ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা
ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে আগস্ট ২০১৮ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৮৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। BHRC এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আগস্ট ২০১৮ মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও
সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু
নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর
কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়. ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
১৮৫ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৫ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৬১ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ২৫ জন, বিএসএফ ৫ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৪
জন, সাংবাদিক হত্যা ১ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত
হত্যা ৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৯ জন, ধর্ষণের পর হত্যা
৫ জন, এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৫৮ জন এবৎ আত্মহত্যা ৩৩ জন।
আগস্ট ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১৭ জন, যৌন নির্যাতন ৯ জন এবং
যৌতুক নির্যাতরেন শিকার ৪ জন।
যুক্তরাজ্য বার্ণলী
শাখা গঠন
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বার্নলী শাখা গঠন
উপলক্ষ্যে গত ২৮ শে আগষ্ট বার্ণলীস্হ ঊষা রেষ্টুরেন্টে
ইব্রাহীম আলীর সভাপতিত্বে এবং জাকির হোসেন ও শাহাদত
হোসেন আলীর যৌথপরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন
রয়েল আহমদ ।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
নর্থ ওয়েষ্ট শাখার সভাপতি মাঈনুল আমীন বুলবুল, বিশেষ
অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ছুরাবুর রহমান।
প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রূহুল আমীন
রুহেল, বিশেষ বক্তা ছিলেন নির্বাহী সভাপতি শায়কুল
ইসলাম , সহ সভাপতি আবু তাহের , যুগ্ম সম্পাদক গোলাম
কিবরিয়া বেলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ধলা মিয়া ।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন
শিব্বীর আহমদ শুভ, মাহমুদ মিয়া , নাজির মিয়া, হোসেন
আহমদ, জাকির হোসেন, আবু সালেহ সিতাজ, রয়েল আহমদ, জাহেদ
মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস, শেখ মোহাম্মদ দরছ প্রমুখ ।
সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে ইব্রাহীম আলীকে সভাপতি,
নাজির মিয়াকে নির্বাহী সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ
সম্পাদক, মখলিস মিয়াকে কোষাধ্যক্ষ এবং রয়েল আহমদকে
সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব প্রদান করে ২১ সদস্য
বিশিষ্ট বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র বার্ণলী শাখা
গঠন করা হয় ।
কাঁচামাল
উৎপাদনেও উদ্যোগ নিতে হবে
মানবাধিকার রিপোর্ট’
ওষুধশিল্পকে দুনিয়াজুড়ে দেখা হয় সমীহের চোখে। সে শিল্পে
বাংলাদেশ এখন এক সম্ভাবনার নাম। স্বাধীনতার পর দেশ
যেসব শিল্পে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে ওষুধ শিল্পের
স্থান প্রথম সারিতে। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ ছিল মূলত
ওষুধ আমদানিকারক দেশ। গুটিকয়েক ওষুধ তৈরি হতো এদেশে।
কালের বিবর্তনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ
ওষুধ তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
নিজেদের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করার পরও ১৫০টি দেশে
রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। ওষুধ শিল্পে ঈর্ষণীয়
সাফল্য অর্জিত হলেও প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। বাংলাদেশের
ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের ৩০ শতাংশ তৈরি হচ্ছে
স্থানীয়ভাবে, বাকি প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। দেশে
ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগ কাজে
লাগাতে পারলে দেশ থেকে বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন
ডলারের ওষুধ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। গত অর্থবছরে ১০
কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। দেশি
মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮৬৮ কোটি টাকা। আমেরিকা-ইউরোপের মতো
দেশেও বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। ক্যান্সারসহ
নানান জটিল রোগের ওষুধ এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। ১৯৯২
সালে ইরান, হংকং, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়ায় পেনিসিলিন
তৈরির কাঁচামাল রপ্তানি করে বাংলাদেশের একটি
প্রতিষ্ঠান। পরবর্তী বছরে তারা ১৮ আইটেমের ওষুধ
রাশিয়ার বাজারে রপ্তানি করে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে
ওষুধ উৎপাদনের জন্য ডব্লিউটিও থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্তু
মেধাস্বত্ব (পেটেন্ট) আইন মানার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড়
পেয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেতৃস্থানীয় ওষুধ
রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানের যে সুযোগ
রয়েছে তাকে কাজে লাগাতে হবে। ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে
সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাঁচামাল উৎপাদনে নিতে
হবে উদ্যোগ। যা সম্ভব হলে হাজার হাজার মানুষের
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে গ্রামের
মানুষ বা সাধারণ কৃষকের পক্ষে ঔষধি গাছপালা উৎপাদন করে
আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখা সম্ভব হবে। ওষুধ শিল্পের
সামনে যে সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে তা কাজে লাগাতে
ওষুধের মানের ব্যাপারে হতে হবে আপসহীন। এ ব্যাপারে
ওষুধ প্রশাসনের কড়া নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
BHRC যাত্রাবাড়ী থানা শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
২ আগস্ট ২০১৮ রাত ৮টায় ডেমরা মৃধাবাড়ীস্থ রাজমহল
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র
যাত্রাবাড়ী থানা শাখার পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর নির্বাহী সভাপতি ও বিশেষ
প্রতিনিধি মোঃ হারুন-অর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সিনিয়র
সহ-সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া,
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন এবং BHRC সদর
দপ্তরের সহকারী পরিচালক (ব্রাঞ্চ এন্ড নেটওয়ার্ক)
মুহাম্মদ রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC
যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সভাপতি আরাফ আহম্মেদ। অনুষ্ঠান
সঞ্চালনা করেন যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক
মোঃ আবুল খায়ের সাংবাদিক। অনুষ্ঠান শেষে যাত্রাবাড়ী
থানা শাখার নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যদেরকে শপথ বাক্য
পাঠ করান BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সিনিয়র
সহ-সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিনের ডেমরা থানা শাখার
সভাপতি মোঃ হাজী আব্দুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ
ইউছুফ হোসেন প্রমুখ।
গণপরিবহনে
ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
পথে ঘাটে শুধুই ভোগান্তি। এই ভোগান্তি ঠেলেই মানুষ চলছে
ঢাকায়। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে
নৈরাজ্য। নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই
ফিরতে হচ্ছে ঈদ ফেরত যাত্রীদের। এমন দৃশ্য পাটুরিয়া ও
আরিচা ঘাট থেকে শুরু করে ঢাকার গাবতলি পর্যন্ত। সকাল
থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী পর্যন্ত প্রত্যেকটি
বাস স্টপেজে ঢাকামুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে দুর্ভোগ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদ ফেরত যাত্রীদের।
সরজমিন মানিকগঞ্জের ঘাটে পথে ঘুরে দেখা গেছে ঈদ ফের
মানুষের দুর্ভোগের করুন দৃশ্য। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি
ও লঞ্চযোগে যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন
গণ-পরিবহনের কাউন্টার গুলোর সামনে। সকাল থেকে দিনভর
ঠেলা ধাক্কায় চলে গণ-পরিবহনে ওঠার প্রতিযোগিতা। তাও
আবার নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দ্বিগুণ বেশি ভাড়া গুনে।
এছাড়া আরিচা, উথুলী, টেপড়া, বরংগাইল, বানিয়াজুরী, তরা,
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, গোলড়া, নয়াডাঙ্গিসহ ঢাকা-আরিচা
মহাসড়কের প্রত্যেকটি বাস স্টপেজে ঢাকামুখো যাত্রীরা
দিনভর চরম ভোগান্তি নিয়ে ফিরছে যে যার গন্তব্যে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় থেকে কেউ গন্তব্যে যেতে
পারছে আবার কেউ বাসে উঠতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে পাটুরিয়া ও আরিচা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত
বিআরটিসি’র নির্ধারিত ভাড়া ১৬০ টাকা। কিন্তু ঈদ ফেরত
যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া গচ্ছে আড়াইশ’ টাকা করে। এছাড়া
পদ্মা লাইন, নবীনবরণ, ভিলেজ লাইন, যাত্রীসেবাসহ লোকাল
বাসগুলো একই কায়দায় নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দ্বিগুণ ভাড়া
নিয়ে যাচ্ছে গাবতলী, সাভার, নবীনগরসহ বিভিন্ন প্রান্তে।
বাসের ভেতরে সিট না পেয়ে ভেতরে গাদাগাদি করে এমনকি
ছাদেও যাচ্ছেন মানুষজন। এছাড়া ঈদকে পুঁজি করে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইরের রোডের গাড়ি চলছে এই রুটে।
তারা ভাড়া হাকাচ্ছে দ্বিগুণ। যাত্রীদের অভিযোগ- সাধারণ
সময়ে পাটুরিয়া কিংবা আরিচা ঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত
ভাড়া ৮০-৯০ টাকা হলেও যাত্রী চাপকে পুঁজি করে ঈদের পর
ভাড়া নেয়া হচ্ছে কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। শুধু তাই
নয়, আরিচা-পাটুরিয়া ঘাট থেকে নবীনগর ও সাভারের ভাড়াও
একই সমান গুনতে হয়। এতে কম আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশি
বেকায়দায় পড়েছেন।
পাটুরিয়া ঘাটে কথা হয় কয়েকজন বাসযাত্রীর সঙ্গে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকার রহিম মিয়া তার স্ত্রী ও দুই
ছেলেকে নিয়ে লঞ্চযোগে আসেন পাটুরিয়া ঘাটে। সকাল ৯টা
থেকে বাসের অপেক্ষায় বসে থাকেন পরিবারটি। বেলা ১১টায়ও
বাসে উঠতে পারেনি। ভাড়তি ভাড়ার অভাবে তারা কোনো বাসেই
উঠতে পারছেন না বলে তাদের অভিযোগ। রহিম মিয়া জানালেন,
আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। ঢাকার বাসাবো এলাকায় কাজ করি।
ঈদে বাড়ি এসে অধিকাংশ টাকাই খরচ করে ফেলেছি। ফেরার
জন্য যে টাকা রেখে দিয়েছি তা দিয়ে বাসের ভাড়াই হচ্ছে
না, তার ওপর বাড়তি ভাড়া কোথা থেকে পাবো? দেখি কম টাকায়
যাওয়া যায় কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি।
ফরিদপুরের নারী শ্রমিক রোকেয়া বেগম ও সাহেলা বেগম কাজ
করেন নবী নগরের ইপিজেড-এ। ঈদের ছুটি শেষে নবীনগর
যাওয়ার উদ্দেশে তিনি পাটুরিয়া ঘাটে আসে। তিনি জানান,
গাবতলী যেতেও ২০০ টাকা আর নবীনগর যেতেও একই ভাড়া নেয়া
হচ্ছে। অথচ পাটুরিয়া থেকে নবীনগরের ভাড়া মাত্র ৫০-৬০
টাকা দেই। তাই কম ভাড়ার গাড়ির জন্য অপেক্ষায় আছি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার সাহেব আলী জানালেন, পরিবারের ৫
সদস্য নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে এসে বেকায়দায় পড়ে গেছি। ঢাকা
যেতে দ্বিগুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। তাই সকাল থেকে বসে আছি
কম ভাড়ায় যাওয়ার কোনো বাস আছে কি-না।
BHRC দারুস সালাম
থানা শাখার অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC দারুস সালাম থানা
শাখার পরিচিতি সভা ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ১১ আগস্ট ২০১৮
সন্ধ্যা ৬টায় বিউটি কমিউনিটি সেন্টার, বাগবাড়ী, গাবতলী,
মিরপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪
আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী
জেনালে ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, সহ-সভাপতি মোঃ
আরিফুল হক রাজিব, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট শাখার সাধারণ
সম্পাদক এডভোকেট বাদশা আলমগীর, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক
শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, ঢাকা কলেজ
শাখার সভাপতি শেখ শামীম প্রমুখ। সম্মেলনে আগত
মানবাধিকার কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান BHRC’র
সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে
দারুস সালাম থানা শাখা সহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও
দক্ষিণের চারশতাধিক মানবাধিকার কর্মীগণ যোগ দেন।
অবশেষে
উন্মোচন হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বারমুডা এমন একটি রহস্য যা নিয়ে ভাবতে গিয়ে কালঘাম
ছুটছে সাধারণ মানুষ থেকে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের। কিন্তু
সমাধান সূত্রে পৌছতে পারেননি কে উই। অবশেষে সেই
রহস্যেরই জট খুলল বলে মনে করছেন অনেকে।
জানা গিয়েছে, ৭৫ টি বিমান ও প্রায় ১০০ টির কাছাকাছি
জাহাজ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে প্রবেশের পরই উধাও হয়ে
গিয়েছে। এই রহস্যের মৃত্যুপুরী ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল’
নামে বেশি পরিচিত। এই রহস্য জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের।
পাশাপাশি আশঙ্কা, ভয় ও চক্রান্তের।
এটি আটলান্টিক মহাসাগরের উপর ৫ লক্ষ কিমি
বর্গক্ষেত্রের একটি এলাকা যা ফ্লোরিডা, পিওরটো রিকো
এবংবারমুডার মধ্যে অবস্থিত। জানা যায় এই বারমুডা
ট্রায়াঙ্গল ১০০ বছরে ১০০০ জন মানুষের জীবন নিয়েছে।
বর্তমানে ‘চ্যানেল ৫’ তাদের ‘দ্যা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল
এনিগমা’ তথ্যচিত্রে দাবি করেছে সম্ভবত এই রহস্যজনকভাবে
বিমান বা জাহাজ উধাও হয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে ১০০ ফুট
উচ্চতার ‘রাফ ওয়েভ’ বা ‘ভয়ঙ্কর ঢেউ।’ কিন্তু কি এই
‘রাফ ওয়েভ’?
বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা যায় ‘অত্যন্ত ঝোড়ো ঢেউ।’
এই ঢেউগুলি ১০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে।
১৯৯৭ সালে প্রথম একটি স্যাটেলাইটের সাহায্যে দক্ষিণ
আফ্রিকার সমুদ্র উপকুলে এই ভয়ঙ্কর ঢেউ লক্ষ্য করা যায়।
এই ঢেউগুলি সম্পর্কে আগে থেকে কোনও আভাস পাওয়া যায় না।
চ্যানেল ৫ এর তথ্যচিত্রে বিজ্ঞানীরা আভ্যন্তরীণ
উদ্দীপকের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে একটি ভয়ঙ্কর ঢেউ তৈরি
করেন।
সাদাম্পটনের বিজ্ঞানীরা ‘ইউএসএস সাইক্লোপস ‘ নামে একটি
জাহাজ তৈরি করেন যা ১৯১৮ সালে ৩০০ জনকে নিয়ে উধাও হয়ে
যায়। জাহাজটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি
সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯১৮ সালে বাহিয়া
থেকে বাল্টিমোর যাওয়ার সময় এটি উধাও হয়ে যায় ।
উল্লেখ্য , এই জাহাজটির ভগ্নাবশেষ বা ৩০৬ জনের কোনও
চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
সমুদ্র বিজ্ঞানী সাইমন বক্সবল বলেন , আটলান্টিক
মহাসাগরের ওপর তিনটি ভিন্ন জায়গা থেকে তিনটি ভয়ঙ্কর ঝড়
আশার ফলে ওইসময় ভয়ঙ্কর ঢেউের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি আরও
বলেন এইরকম ঢেউ জাহাজটিকে টুকরো টুকরো করেও দিয়ে থাকতে
পারে।
বিজ্ঞানী ডঃ ক্রসজেলনেইকি বলেন এমন নয় যে শুধুমাত্র
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলেই এইরকম ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীর বহু
জায়গাতেই এইরকম ঘটনার ইতিহাস রয়েছে । কিন্তু তাদের
ক্ষেত্রে উত্তর মিললেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের
সমাধান হয়নি । দ্যা ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাট-
মওস্ফোরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিজ্ঞানী ডঃ
ক্রসজেলনেইকির সঙ্গে একমত হয়ে জানিয়েছেন, যে এই
ট্রায়াঙ্গলের সঙ্গে অন্যান্য জায়গার কোনও তফাৎ নেই।
একই ধরনের বাতাস ও সমুদ্রের অবস্থান রয়েছে সেখানে।
থামছে না
পাহাড় কাটা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাহাড় ধসে প্রাণহানি বাড়লেও পার্বত্য জেলা বান্দরবানে
থামছে না পাহাড় কাটা। জেলার লেমুঝিরি পাড়ায় মৎস্য
খামারের রাস্তা নির্মাণের নামে স্কেভেটর দিয়ে কাটা
হচ্ছে পাহাড়। আশপাশের আরও কয়েকটি স্থানে অবাধে পাহাড়
কেটে মাটি বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা।
স্থানীয়রা জানান, লামা উপজেলার ফাইতং, ফাঁসিয়াখালী,
সরই, আজিজনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ইট তৈরির জন্য
কিছু লোক নির্বিচারে পাহাড় কেটে চলেছেন। পাহাড় কাটার
খবরে পেয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
নূর-এ-জান্নাত রুমি’র নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে তিন ইটভাটা মালিককে এক লাখ ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপরও বন্ধ হয়নি পাহাড়
নিধন। এখনো ৮-১০টি স্কেভেটর দিয়ে ফাইতং এলাকায় পাহাড়
কাটা চলছেই। জেলা শহরের কালাঘাটায় বাহাদুর নগরে কাটা
হচ্ছে পাহাড়। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, স্কেভেটর
দিয়ে জেলা শহরের অভ্যন্তরে অনুমোদন ছাড়াই পাহাড় কাটা
হচ্ছে। বাহাদুর নগর ও আশেপাশ বসতি স্থাপনের জন্য পাহাড়
কেটে জায়গা সমান করার রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু
লোক। সরজমিনে দেখা যায়, পাহাড় কেটে ট্রাকের মাধ্যমে
মাটি জলাশয় ও নিচু জমি ভরাটের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকায়।
কালাঘাটা নতুন ব্রিজ এবং বড়ুয়াটেক এলাকার কয়েকটি স্থানে
শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক শফিউল আলম জানান, পাহাড় কাটার কোনো অনুমতি
নেই। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া
হবে। উল্লেখ্য, গত ২১ মে পাহাড় কাটতে গিয়ে পাহাড় ধসে
নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫, পাহাড় ধসে লামায় ৩ এবং জেলা শহরে
একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর লেমুঝিরিতে পাহাড় ধসে
মৃত্যু হয়েছিল শিশুসহ ছয়জনের।
অমিত শাহকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ মমতার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্য দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ো
রোডে, কলকাতা, ২৮ আগস্ট। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিতৃণমূল
কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
সমাবেশে বক্তব্য দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ো রোডে,
কলকাতা, ২৮ আগস্ট। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি১১ আগস্ট
কলকাতার মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির যুব
সংগঠন যুবমোর্চা আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে বিজেপির
সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ হুংকার দিয়ে বলেছিলেন,
পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে না। এখানে ঠাঁই
পাবে উদ্বাস্তুরা। বলেছিলেন, আসামের এনআরসি বন্ধ হবে
না। প্রয়োজনে দেশজুড়ে এনআরসি হতে পারে।
অমিত শাহ সেদিন পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারকে উৎখাতের ডাক
দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠিত না হওয়া
পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চলবে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই।
চলছে মাফিয়া রাজ। শিল্প নেই, আছে বোমা তৈরির কারখানা।
তাই এই সরকারকে উৎখাত করে গণতান্ত্রিক বিজেপি সরকার
গড়তে হবে। সেই বিজেপির সরকার গড়ার আন্দোলন চলবে।
ঠিক ১৭ দিন পর কলকাতার সেই মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তি
পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠনের (টিএমসিপি)
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে দাঁড়িয়ে
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি
ঘোষণা দিলেন, ‘২০১৯ সালেই বিজেপি ফিনিশ হবে। বিজেপির
বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।
সমাবেশে জড়ো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের হাজারো সদস্য। মেয়ো
রোডে, কলকাতা, ২৮ আগস্ট। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিসমাবেশে
জড়ো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের হাজারো সদস্য।
৩৯
জন স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন একজন স্বামী
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
পরিবার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমান যুগ হল নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগ, ফ্ল্যাট
কালচারের যুগ। ছেলেরা নিজের বাবা-মা কে ছেড়ে স্ত্রী-কে
নিয়ে আলাদা থাকে। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক ব্যক্তির
কথা বলবো, যিনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক।
তার কথা শুনলে আপনিও হাঁ হয়ে যাবেন।
আজ আমরা যে ব্যক্তির কথা বলছি, তিনি হলেন ভারতের
মিজোরাম রাজ্যের বাসিন্দা জিওনা চানা। লোকজন যেখানে
পরিবারের দু তিন জনের খরচ বহন করতে হিমসিম খেয়ে যান
সেখানে এই ব্যক্তি তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪
জন বউমা এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি নিয়ে একসাথে বাস করছেন।
জিওনার চার তলার বাড়িতে ১০০ টা ঘর রয়েছে আর সবাই একসাথে
সেই বাড়িতেই থাকে। পেশাগতভাবে জিওনা একজন কাঠমিস্ত্রী।
পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮১
১৭ বছর বয়সে নিজের প্রথম বিয়েটা সারেন যাথিয়াঙ্গির সাথে
কিন্তু এখনো তার বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে। গোটা পরিবারেই
একটি সেনাবাহিনীর মত নিয়ম বলবৎ রয়েছে। জিওনার প্রথম
স্ত্রী যাথিয়াঙ্গী সকলকে তাদের কাজের দায়িত্ব বুঝিয়ে
দেন নিত্যদিন। এই পরিবারের প্রতিদিন খাবার জন্য ৬০ কেজি
আলু এবং প্রায় ১০০ কেজি চাল প্রয়োজন হয়। আর কোনোদিন
মাংস হলে, প্রায় ৩০ কেজির মতো মুরগীর মাংস প্রয়োজন হয়।
পোপ
ফ্রান্সিসের পদত্যাগ দাবি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পোপ ফ্রান্সিসের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ইতালির এক
আর্চবিশপ। শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা জানার পরেও
অভিযুক্ত যাজক মার্কিন কার্ডিনাল থিওডোর
ম্যাকক্যারিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়
পোপকে পদত্যাগের আহ্বান জানান ওই আর্চবিশপ।
১১ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে আর্চবিশপ কার্লো মারিয়া ভিগানো
বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ম্যাকক্যারিকের ওপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন পোপ বেনেডিক্ট। কিন্তু পোপ
ফ্রান্সিসের অধীনে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
ভ্যাটিক্যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের চার্চগুলোতে বর্তমান ও
অতীতে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের ওপর ম্যাকক্যারিকের
অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সব কিছুই
জানতেন পোপ ফ্রান্সিস। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত বলে
উল্লেখ করেন কার্লো মারিয়া।
নারী নির্যাতন বন্ধে সর্বাগ্রে প্রয়োজন পুরুষের
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৩ জুলাই ২০১৮ পূর্ব লন্ডনের মাইক্র বিজনেস সেন্টারে
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ইউকে ওমেন্স ব্রাঞ্চ আয়োজন করে
এক গোলটেবিল বৈঠক। আলোচনার প্রতিপাদ্য ''কর্মক্ষেত্রে
এবং পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং তা প্রতিরোধে
করণীয়।''
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন ইউকে ওমেন্স ব্রাঞ্চের
সভাপতি সাজিয়া স্নিগ্ধার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ
সম্পাদক শাহিন নাহার লিনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের
সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী,
ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, নাজমা হুসাইন। প্রধান বক্তা
ছিলেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন ইউকে ব্রাঞ্চের
সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশে এবং ইউকে তে নারী
নির্যাতনের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন সংগঠনের দপ্তর
সম্পাদক নার্গিস। এরপরই শুরু হয় মুল আলোচনা।
যুক্তরাজ্যে নির্যাতিতা নারীদের লিখিত অভিযোগগুলো পড়ে
শোনানো হয়। এ পর্যন্ত যতজন নারীদের আইনি সহায়তা দেয়া
হয়েছে তাঁদের তালিকা তুলে ধরা হয়।
উপস্থিত আলোচকরা পরিবারে এবং কর্মক্ষেত্রে যে ধরনের
প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় সে সকল অভিজ্ঞতার কথা তুলে
ধরেন। এ সকল প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধে করনীয় পদক্ষেপ নিয়ে
আলোচকরা মতামত দেন। সকলে একবাক্যে তাঁদের মতামতে বলেন
নারী নির্যাতন বন্ধে সবার আগে প্রয়োজন পুরুষের
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এছাড়াও সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা,
পজিটিভ চিন্তা, মন মানসিকতার উন্নয়ন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদি কণ্ঠস্বর, নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া,
নির্যাতিতা নারীদের সংগ্রাম এবং সাফল্যের কাহিনী
মানুষের সামনে বেশি করে তুলে ধরা, নারী নির্যাতনের
শাস্তি কি কি সেগুলো জনসাধারনকে বেশি করে জানানো।
সর্বোপরি সমাজের সবাইকে সমালচনা না করে সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দিতে হবে বলে সবাই মনে করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসম মিসবা,
আবদুল মজিদ, শাহেল, রিনা মোশারফ, ঊর্মি মাজহার, রুবি
হক, মজিবুল হক মনি, আনসার আহমেদ উল্লাহ, কবি আসমা
মতিন,ডঃ বেবি, মুন কোরেশী, শাহনাজ সুমি, সালমা
আকতার,জুয়েল রাজ, মিফাতুল নুর, সলিসিটর তানাকা নাসরিন
পিংকি ,সুফিয়া জেমিন, মলি মল্লিকা, জাহানারা, ডঃ মুকুল,
নার্গিস, সুনারা বিবি, আবু সুফিয়ান,জুবায়ের আহমেদ,
শায়েক আহমেদ, মোসলে উদ্দিন, শাহ বেলাল, খালেদ আহমেদ জয়
প্রমুখ।
উইঘুরে
মুসলিম নারীদের রাস্তায় ধরে বোরকা কেটে দিচ্ছে পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু
করেছে স্থানীয় পুলিশ। রাস্তায় বের হওয়া নারীদের ধরে
জোর করে বোরকা বা রোরকা সদৃশ লম্বা পোশাক কেটে ফেলা
হচ্ছে। খবর ইয়ানি শাফাকের।
দীর্ঘ দিন ধরে চীনের উইঘুরে মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ
রয়েছে। রমজান মাসে সেখানে মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও মুসলিম প্রথা অনুযায়ী শিশুদের
নাম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চীনের উইঘুর এলাকায় মুসলিম নারীদের পোশাক কোমরের নিচে
ঝুলে থাকলে বা বোরকা সদৃশ হলে তা কেটে নেয়ার নতুন এ
নির্যাতন শুরু করেছে পুলিশ।
ডকুমেন্টিং এগেইনিস্ট মুসলিম (ডিওএম) নামক একটি সংগঠন
জানিয়েছে, মুসলিম নারীদের পোশাক লম্বা হলে রাস্তার মাঝে
তাকে ধরে তার পোষাক ছোট করে কেটে দেয়া হচ্ছে।
BHRC ওসমানীনগর উপজেলা শাখার ত্রাণ বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ওসসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আনিসুর
রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC স্বল্প
পরিসরে হলেও বন্যার্তদের মাঝে নিজ উদ্যোগে আজ যে ত্রাণ
বিতরণ করা হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে,
সমাজের প্রতিটি মানুষ বা সামাজিক সংগঠন গুলো এভাবে
অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে এলে সমাজে দারিদ্রতা হ্রাসে
সহায়তা পাবে। তিনি বলেন, অত্র বন্যা কবলিত এলাকায়
সরকার পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেছে,
তিনি কমিশকে মানবতায় কাজে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করে
বলেন, বিগত দিনে মানবাধিকার কমিশন অসহায় মানুষের জন্য
কাজ করতে গিয়ে যেভাবে প্রশাসনের সহযোগীতা পেয়েছেন,
বর্তমানেও পাবেন।
তিনি ০২ জুলা) সকাল ১১টায় ওসমানীনগরের সাদীপুর শেরপুরে
বন্যার্তদের মাঝে মানবাধিকার কমিশন ওসমানীনগর উপজেলা
শাখাও বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির নিজ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরুক্ত কথাগুলি
বলেন।
এসময় উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য এসাম
উদ্দিন,ওসমানীনগর মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এসএম
সোহেল, নির্বাহী সভাপতি মোজাহিদ আলী, সহ সভাপতি আনোয়ার
আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া, সাদীপুর কমিটির সভাপতি
আলিউর রহমান,সহ সভাপতি শামীম মুনিম,সাধারন সম্পাদক
মামুনুর রশীদ,সহ সাধারণ সম্পাদক লায়েছ আহমদ প্রমূখ।
উক্ত ত্রাণ বিতরণে কমিশনের যারা সহযোগীতা করেছেন,
তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
Top
পেরুতে
জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা নারীদের গল্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পেরুর আন্দিজ
পর্বতমালার গা ঘেঁষে ছোট শহর ইসকুচাকা। শহরটিতে সারি
সারি একতলা ঘর ঘিরে রয়েছে ইউক্যালিপটাস আর পাইন গাছ।
সেখানে একটি ঘরে জড়ো হয়েছেন একদল নারী, যাদের সবার
গল্প কিছুটা একই রকম। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বন্ধ্যা
করে দেওয়া হয়েছে।
ওই নারীদের একজন হোসেফিনা খিসফে। তিনি বলেন, ‘একদিন
সকালে আমি রান্নাঘরে রান্না করছিলাম। দুজন নার্স আমার
দরজায এলো। ওরা আমাকে বলল, তুমি আমাদের ক্লিনিকে একটু
আসবে ? তোমার সঙ্গে আমাদের কিছু কথা আছে।’
হোসেফিনা সেই ঘটনার বর্ণনা করে আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে
একটি ঘরে নিয়ে জিজ্ঞেস করল, আমার কয়টা বাচ্চা। আমি
বললাম, পাঁচ। ওরা আমাকে বলল, আর কতকাল তুমি শূকরের মতো
এমন বাচ্চা পয়দা করবে? আমি কাঁদতে আরম্ভ করলাম। কয়েকজন
নার্স মিলে জোর করে আমার কাপড় খুলে আমাকে সাদা একটা
পোশাক পরিয়ে দিলো।’
হোসেফিনাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। জ্ঞান ফেরার
পরও তিনি বুঝতে পারেননি, আসলে তার সাথে কী অন্যায় হয়ে
গেছে।
শুধু এই এলাকাতেই দুই হাজার নারীকে এভাবে কায়দা করে
বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে।
পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির শাসনামলে
১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ নারীকে জোর
করে বন্ধ্যা করা হয়েছে, যা স্বেচ্ছায হওয়ার কথা ছিল।
অনেক নারীই অভিযোগ করছেন, তারা এ সম্পর্কে কিছুই
জানতেন না। এমন ঘটনা শিকার মূলত গ্রামীণ নারীরা।
তাদের একটি বড অংশ আদিবাসী। তাদের একজন কনসেপসিওন
কনটয়। তিনি গিয়েছিলেন স্থানীয হাসপাতালে সন্তান প্রসব
করতে।
ওই নারী তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘ছেলেটা
জন্ম হওয়ার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।
Top
সর্বকালের সেরাদের তালিকায় শেখ হাসিনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম
দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকার প্রধান হবেন। অতিক্রম করবেন
ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, চন্দ্রিকা
কুমারাতুঙ্গার মতো নারী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের।
অমরত্বের স্বাদ পাবেন। বিশ্ব নারী জাগরণের আইকন হবেন
তিনি।
বিশ্বে টানা ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার বা
রাষ্ট্রপ্রধানদের তালিকায় শীর্ষে আছেন সেন্ট লুসিয়ার
গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেত লুইজি। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭
সাল থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি সরকার
প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন অর্থাৎ ২০ বছর ১০৫ দিন
তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন। তবে বিশ্বের রাজনীতিতে তিনি
তেমন আলোচিত নন। দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদের নারী সরকার
রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট
ভেইদিস ভিনগোদির ১ আগস্ট ১৯৮০ থেকে ১ আগস্ট ১৯৯৬ সাল
পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। আলোচিত নন, তৃতীয় দীর্ঘমেয়াদে
থাকা নারীনেত্রী ডেম ইউজেনিন। ডোমেনিকার প্রধানমন্ত্রী
২১ জুলাই ১৯৮০ সাল থেকে ১৪ জুন ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মোট
১৪ বছর ৩২৮ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডেম দায়িত্ব পালন
করেন। ১৩ বছর ৩৬৪ দিন আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান
ছিলেন মেরি ম্যাকলিস।
তবে নারী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বর্তমান তালিকায়
শীর্ষে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর দায়িত্ব নিয়ে, প্রায় ১৩ বছর
ক্ষমতায় আছে এই নারী নেত্রী। বর্তমান বিশ্বে এখনো
দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের প্রধানমন্ত্রীর
হিসেবে আছেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ এর ৬ জানুয়ারি শপথ নিয়ে
নয় বছরের বেশি সময় টানা ক্ষমতায় আছেন বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী। আরেক মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হলেই তিনি
অতিক্রম করবেন ব্রিটিশ লৌহমানবী মার্গারেট থ্যাচারকে।
থ্যাচার ৪ মে ১৯৭৯ থেকে ২৮ নভেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত
১১ বছর ২০৮ দিন দায়িত্বে ছিলেন। থ্যাচারের চেয়ে অল্প
কিছুদিন কম টানা দায়িত্বে থাকলেও দুই মেয়াদে ইন্দিরা
গান্ধী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে এগিয়ে।
প্রথম মেয়াদে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ছিলেন ১১ বছর ৯০
দিন। ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধামন্ত্রী হিসেবে
দায়িত্ব গ্রহণ করে, ২৪ এপ্রিল ১৯৭৭ পর্যন্ত ইন্দিরা
গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে
১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
৩১ অক্টোবর নিহত হবার আগ পর্যন্ত ৪ বছর ২৯০ দিন তিনি
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অর্থ্যাৎ, ১৫বছরেরও বেশি
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী দায়িত্ব পালন
করেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ১৪ বছর
সরকার প্রধানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা নারী নেতৃত্বে
তৃতীয় দীর্ঘ সময়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং
প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও দুই পদে ১১ বছর
৭ দিন দায়িত্বে ছিলেন। চন্দ্রিকা অবশ্য প্রধানমন্ত্রী
ছিলেন মাত্র ৮৫ দিন। ১৯ আগস্ট ১৯৯৫ সাল থেকে, ১২
নভেম্বর ১৯৯৫ পর্যন্ত। ১২ নভেম্বর ১৯৯৫ সালে
প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা ১৯ নভেম্বর ২০০৫ সাল পর্যন্ত
ক্ষমতায় ছিলেন।
দীর্ঘদিন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বিশ্বে
আলোচিত ৪ জন। এরা হলেন ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট
থ্যাচার, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং শেখ হাসিনা। এরা
প্রত্যেকেই তাঁর দেশকে দিয়েছে নতুন দর্শন, দিয়েছে নতুন
সম্ভাবনা।
এদের মধ্যে শুধু মেরকেল এবং শেখ হাসিনা এখনো দায়িত্ব
পালন করছেন। আর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে শেখ
হাসিনা ইন্দিরা গান্ধী, থ্যাচারের মতো মহান নারী
নেতাদের পাশে নিজের নাম স্থাপন করবেন।
মালয়েশিয়ায়
মারিং-কাটিংদের ফাঁদে অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বয়বৃদ্ধ মালয়েশিয়া প্রবাসী সাংবাদিক রফিক আহমেদ।
মালয়েশিয়ায় তার কেটে গেলো অনেকটি বছর। তিনি এখন অসুস্থ।
স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত। সাংবাদিকতা পেশাকে আঁকড়ে
ধরে রেখেছেন জীবনের শেষ সময়েও। আমরা যখন কাজের ফাঁকে
আড্ডায় বসি তখন ঊনি হঠাৎ করে কথার ফাঁকে বলে উঠতেন
সিটিং-ফিটিং মারিং-কাটিং। আমরা সবাই হাঁসি টাট্টা
করতাম।
২০১৬ সালে দেশটিতে কমর্রত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার ঘোষণা
দেন মালয়েশিয়া সরকার। ধাপে-ধাপে সময় বাড়িয়ে দীর্ঘ
আড়াইটি বছর চলে বৈধ করণ প্রক্রিয়া। শেষ হয় চলতি বছরের
৩০ জুন । এই সময়ের মধ্যে জন্ম নিল অনেক প্রতারকের ।
ফিট-ফাট অফিস বানিয়ে বৈধ করে দেয়ার নামে খেটে খাওয়া
অবৈধ কর্মীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে উধাও
হয়েছে প্রতারকরা। আবার কেউ-কেউ ফোনে হুমকিও দিচ্ছে ।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বৈধ হওয়ার জন্য এসব প্রতারকদের
হাতে অর্থকরি আর পাসপোর্ট তুলে দিলেও তাদের কপালে
জুটেনি বৈধতা।
এসব অবৈধদের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের ও বেশি বলে ধারণা
করা হচ্ছে। তারা এখন ইমিগ্রেশন এবং পুলিশের ভয়ে পালিয়ে
বেড়াচ্ছেন। ওই প্রতারকরা একজন অবৈধ কর্মীকে সিটিং এবং
ফিটিং করে তাদের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার জন্য। যখন তার ফাঁদে
পড়ল তখনই শুরু করে দিল মারিং কাটিং। সাংবাদিক রফিক
আহমদের এ উক্তির বাস্থবতা খোঁজে পাওয়া গেলো শেষ
পর্যন্ত।
অনুন্ধানে জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ কর্মীদের
বৈধ করার জন্য দুটি প্রোগ্রাম চালু রেখেছিল। একটি হচ্ছে
রি-হিয়ারিং অন্যটি হচ্ছে ই-কার্ড। এ দুটি প্রোগ্রামকে
ঘিরে গড়ে উঠেছি শক্তিশালী একটি মিডলম্যান চক্র। বৈধ
হওয়া ও মালিকের কাছে কাজ পাওয়া, সব জায়গাতেই এ চক্রকে
টাকা দিয়ে টিকে থাকতে হত কর্মীদের। কর্মীদের বৈধ করে
দেওয়ার নামে ৫ থেকে ১০ হাজার রিঙ্গিত জনপ্রতি হাতিয়ে
নিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মিডলম্যানদের সঙ্গে
কথা হয়েছে। তারা রীতিমতো নিজেদের নামে ভিজিটিং কার্ড
ছাপিয়ে প্রকাশ্যে এ ব্যবসা করেছেন। তারা বাংলাদেশি
অবৈধ কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের বৈধ করে
দেওয়ার জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের বৈধ করতে
পারেননি। কর্মীদের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না তারা। উল্টো
কর্মীদের পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে। এভাবে এ চক্রের কাছে
জিম্মি হয়ে থাকতে হচ্ছে কর্মীদের।
এ ছাড়া মালিক তাদের অর্ধেক মজুরিতে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
আবার বৈধতার নামে টাকা নিচ্ছে। ফলে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে
মাস শেষে নিজে খেয়ে পড়ে বাঁচতেই কষ্ট হচ্ছে অবৈধ
কর্মীদের। মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, ১০ হাজারের বেশি
বাংলাদেশি মিডলম্যান দেশটিতে কর্মী কিনছে আর বিক্রি
করছে। তারা যে যেভাবে পারে সেভাবেই কর্মীদের শোষণ করছে।
কখনও হাইকমিশনের নামে, কখন পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করে
দেওয়ার নামে আবার কখনও বৈধ করে দেওয়ার নামে। কর্মীরা
কোনো ভাবেই মুক্তি পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে।
কর্মীরা বাধ্য হচ্ছে এ চক্রের কথা মতো চলতে। বৈধ হওয়ার
আবেদন করতে কোনো কর্মীকে ১২ শ’রিঙ্গিত জমা দেওয়া
লাগলেও অনেকেই মিডলম্যানদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে
বৈধ হওয়ার জন্য নিশ্চিত মনে বসে আছে। এরা আর কেউ নন,
তারা বাংলাদেশেরই মানুষ। তারাও একদিন কর্মী হিসাবেই
মালয়েশিয়ায় এসেছেন। দীর্ঘদিন দেশটিতে বসবাস করে
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এমনকি
তাদের পুলিশের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
মালয়েশিয়ার কেলাংয়ের কাপার বাতু লিমার মিনহু ফ্যাক্টরি
এলাকায় থাকেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ইব্রাহিম মানিক।
২০০৮ সালের প্রথমদিকে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান তিনি।
ভিসার মেয়াদ শেষে বর্তমানে তিনি অবৈধভাবে সেখানে বসবাস
করছেন। ইব্রাহিম মানিক বৈধতা নিতে ভিসার জন্য পূর্ব
পরিচয়ের সূত্র ধরে যোগাযোগ করেন টাঙ্গাইলের মাসুদের
সঙ্গে। মাসুদও মালয়েশিয়ায় একই এলাকায় থাকেন দীর্ঘদিন
ধরে।
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা শাখা কাউন্সিল
অধিবেশন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা শাখা কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। ২১ জুলাই বিকাল ৫টায় স্টেডিয়াম ব্রিজ সংলগ্ন
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে জেলা মহিলার শাখার অধিবেশন
সংগঠনের জেলা সভাপতি এড. ওসমান গনির সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম মেননের সঞ্চালনে এ
অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার মানবাধিকার কমিশন এর
সহ-সভাপতি মাস্টার রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল
হোসেন টুটুল, মাস্টার বি এম শামছুল হক। উক্ত অধিবেশনে
সভাপতি কোহিনুর ইসলাম, নির্বাহী সভাপতি খুরশীদ জাহান
শীলা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পাপিয়া আহমেদ, সহ-সভাপতি শাম্মি
আক্তার কুমকুম, সহ-সভাপতি কাজল রেখা, মাহফুজা পারভীন
লিপি, তাহরিনা পারভীন বর্না, সাধারণ সম্পাদক মহুয়া
মঞ্জুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহেনা পারভীন, মমতাজ
বেগম, নিলুফার ইয়াসমিন, অর্থ সম্পাদক নাছিমা ইসলাম,
যুগ্ম অর্থ সম্পাদক রওশন আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহেরা
পারভীন হীরা, তহুরুন ইসলাম পলি, পান্না সুমি, প্রচার
সম্পাদক সাবিনা পারভীন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নাছরিন
সুলতানা, মোসলেমা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা,
মাসকুরা খাতুন সহ ২৬ জন নির্বাহী সদস্য করে মোট ৫১
সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করেন জেলা সভাপতি এড. ওসমান
গনি। এবং অধিবেশনে জেলার অফিস উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশে হিজড়াদের
জীবন: বিড়ম্বনার শেষ কোথায়?
আফরোজা
সোমা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হিজড়াদেরকে 'বিরক্তি' বা 'আতঙ্ক' হিসেবে দেখেন না এমন
মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। বিশেষত, ঢাকায় তো
কথাই নেই। সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গা যেমন - পার্ক,
রাস্তা ও গণপরিবহণে রয়েছে হিজড়াদের সরব উপস্থিতি।
মুখের সামনে অতর্কিতে হাত বাড়িয়ে অথবা গায়ের উপরে
প্রায় পড়ি- পড়ি হয়ে তারা টাকার আবদার ধরেন।
নারী-পুরুষ বা তরুণ-তরুণীকে একত্রে পেলেই তাদেরকে
হিজড়ারা স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা ঠাওরে রসালো
মন্তব্য ছোঁড়েন এবং জবরদস্তিমূলক টাকা আদায় করেন।
আর টাকা না দিলে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় চেঁচামেচির
ঘটনাও নিত্য ঘটছে। টাকা না দিলে, এমনকি কখনো-কখনো
পুরুষের স্পর্শকাতর অঙ্গের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়ার
ঘটনাও আকছার ঘটে।
চাঁদাবাজি নিয়ে হিজড়াদের হাতে নাজেহাল হওয়ার ঘটনা
গণমাধ্যমেও বিভিন্ন সময়ে এসেছে।
অতএব হিজড়ারা যে এ শহরে বা আরো বৃহদার্থে বললে, আমাদের
এই সমাজে একটা বিড়ম্বনার নাম তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু কেন হিজড়ারা এমন জীবন বেছে নেন? সেটি কি কখনো
ভেবেছেন?
পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সবখানে তারা কেবল অপমান,
উপহাস, তাচ্ছিল্য আর নিগ্রহের শিকার।
২০১৪ সালের ১০ই নভেম্বর 'হিজড়া দিবস' পালনকালে একজন
হিজড়া জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করছেন।
বাংলাদেশে হিজড়ারা কি সমানাধিকার পাচ্ছে?
সম্মানজনক কোনো একটি কাজ করে জীবন কাটানোর মতন একটি
সামাজিক বাস্তবতা কি আমরা তৈরি করতে পেরেছি?
আমরা কি এই সমাজে নিশ্চিত করতে পেরেছি হিজড়াদের
সমানাধিকার?
হিজড়া পরিচয়ে কোনো শিশু কি আজো স্কুলে যেতে পারবে? কোনো
পরিবার কি আজো তার সন্তানকে হিজড়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে
দেবে?
না। পারবে না। দেবে না। দেয় না।
এই যে লোকলজ্জার সংস্কৃতি এটি নিয়ে ভাবতে হবে।
নিন্দা আর লজ্জা জারি রাখার সমাজ না পাল্টালে একটি
হিজড়া কিশোর ভয়-লজ্জা-আড়ষ্টতা ও হীনমন্যতা নিয়ে বড় হবে।
নিজেকে ছেলে বা মেয়ে বলে সমাজে একটা ছদ্ম পরিচয় দিয়ে
সে যখন বেড়ে উঠবে তখন তার মনের মধ্যে জমা হবে ক্লেদ,
দুঃখ ও বঞ্চনা।
ফলে, সে কিছুতেই নিজেকে মূল জনস্রোতের অংশ মনে করবে
না।
লোকলজ্জার ভয়ে একটা সময়ে পরিবারও হিজড়া সন্তানকে 'দায়'
মনে করে। অতএব পরিবার থেকে পালিয়েই যেনো মুক্তি।
নির্ভার হয়ে বাঁচতে হিজড়ারা খুঁজে নেয় আলাদা সমাজ। নেয়
গুরু মায়ের কাছে দীক্ষা। রপ্ত করতে থাকে হাতে তালি
বাজিয়ে, কোমর দুলিয়ে, মুখে কড়া মেক আপ মেখে নাচ-গানের
তালিম।
অর্থাৎ, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়েই হিজড়ারা
নামেন যৌনকর্ম ও চাঁদাবাজির পেশায়।
ঢাকায় নিজের পার্লারে কাজে ব্যস্ত শাম্মী হিজড়া।
শাম্মী হিজড়া: পার্লারের ব্যবসা দিয়ে বেছে নিয়েছেন
সম্মানের জীবন।
বাংলাদেশে শাম্মী নামে একজন হিজড়া পার্লারের ব্যবসা
দিয়ে বেছে নিয়েছেন সম্মানের জীবন। তিনি ভালো
আয়-রোজগারও করেছেন।
বিবিসি বাংলার টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রবাহতে সম্প্রতি
শাম্মী হিজড়াকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে।
যেখানে শাম্মী নিজেই জানিয়েছেন, তার পার্লারে নারীরা
আসতে সংকোচ বোধ করছেন না। বরং তৈরি হয়েছে পারস্পরিক
শ্রদ্ধাবোধের পরিবেশ।
হিজড়াদেরকে বাংলাদেশ সরকার তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি
দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু হিজড়াদের প্রতি সামাজিক
দৃষ্টিভঙ্গির কোনো বদল হয়নি।
বাল্যবিয়ে
বন্ধে পাঁচ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন উন্নয়ন
সূচকে বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক উন্নতি করলেও এখনো বাল্যবিয়ে
বন্ধে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায়
সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয় বাংলাদেশে। আর এই
ক্ষেত্রে প্রধানত পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-
সিদ্ধান্ত গ্রহণে মেয়েদের মতামতকে কম গুরুত্ব দেয়া,
প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য প্রাপ্তির সীমিত সুযোগ, স্থানীয়
উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম থাকা, পারিবারিক ও
সামাজিক বাধা এবং সর্বোপরি মেয়েদের ভবিষ্যৎ
কর্মসংস্থানের কথা অভিভাবকগণের বিবেচনায় না আনার
প্রবণতা। এই কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলে বাল্যবিয়ে
বন্ধে দেশে আশানুরূপ সাফল্য আসতে পারে। ১৬ জুলাই ২০১৮
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘তারুণ্যের শক্তি: আমরাই
পারি বাল্যবিবাহ রুখে দিতে’ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়
সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। গার্লস নট
ব্রাইডস-এর আয়োজনে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির
সমন্বয়ক ও ব্র্যাকের পরিচালক আন্না মিনজ।
সভায় প্রকল্প মূল্যায়ন গবেষণায় প্রাপ্ত শিক্ষণ ও
সীমাবদ্ধতা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন ব্র্যাকের জেন্ডার
জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির প্রধান হাবিবুর
রহমান ও সংস্থাটির একই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক দিলরুবা
নাসরীন। আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের বিবিএস কর্তৃক
মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাসটার সার্ভের পরিসংখ্যান
অনুযায়ী- রংপুর বিভাগে ১৮ বছরের আগে বিবাহ সংঘটনের হার
৭৬ শতাংশ, যা সবচেয়ে বেশি। আর বরিশাল বিভাগে এই হার ৭০
শতাংশ, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই প্রেক্ষাপটে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সমমনা কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে
গঠিত গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ জোটের পক্ষ থেকে এই
জেলা দুটিতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০১৮
সালের ২৪শে জুলাই। প্রকল্পের প্রায় শেষ সময়ে এর
কার্যকারিতা ও প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাসমূহ তুলে ধরতে এই সভার
আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি মূলত
প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে মেয়েদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকরণে ভূমিকা রাখে। আর এটি
বাস্তবায়নে জোটের সচিবালয়ের দায়িত্বপালনকারী সংস্থা
ব্র্যাকের নেতৃত্বে সদস্য সংস্থাসমূহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত
থাকে। রংপুরের মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা
ও কাউনিয়া এবং বরিশালের আগৈলঝরা, মুলাদি, হিজলা,
বাকেরগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্প
বাস্তবায়ন করা হয়। সভায় আন্না মিনজ বলেন, অভিজ্ঞতায়
দেখা যায় কোনো এলাকায় অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি বা সুশীল
সমাজ যাদেরই সাক্ষাৎকার নেয়া হউক না কেন, তারা দাবি
করেন নিজেদের এলাকায় বাল্যবিয়ে হয় না, বরং তাদের এলাকা
থেকে পালিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরা অন্য এলাকায় বিয়ে
করেন। হাবিবুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ে এখন মানবাধিকার
লঙ্ঘনও বটে। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি-
বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ সবাই এক
প্ল্যাটফরমে কাজ করলে বাল্যবিয়ে বন্ধে কার্যকর ফলাফল
আসে। সচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে তখন যুবদের ঐক্যবদ্ধ
শক্তির পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেটওয়ার্কিং
তৈরি হয়। ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি
কর্মসূচির সমন্বয়কারী নিশাত সুলতানার সঞ্চালনায়
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য
বিষয়ক কনসালট্যান্ট কাজী আরিফুল হকসহ সরকারি-বেসরকারি
ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। এতে দেশের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে আসা যুব, ধর্মীয় নেতা, কিশোর-কিশোরীসহ
প্রায় ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন।
এবার প্লেন
চালাতে পারবেন সৌদি নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের অবাধ স্বাধীনতার পথ ফের প্রশস্ত করেছে সৌদি
আরব। এর অংশ হিসেবে সৌদি নারীরা এবার প্লেন চালাতে
পারবেন। দীর্ঘদিনের ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার
পর এবার প্লেনের ককপিটেও বসতে যাচ্ছেন তারা। সৌদি
আরবের একটি ‘ফ্লাইট স্কুল’ দেশটির নারীদের প্লেন
চালানোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। খবর খালিজ
টাইমস।
এর আগে দেশটির ট্রাফিক অধিদফতর নারীদেরকে ড্রাইভিং
লাইসেন্স প্রদান করেছে। সৌদি আরবকে বলা হয়, কট্টোর
রক্ষণশীল দেশ। কিন্তু সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ
বিন সালমান দেশে ব্যাপক সংস্কার অভিযান চালাচ্ছেন।
এরমধ্যে অন্যতম নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান তার
এই সংস্কার কার্যক্রমেরই অংশ। অথচ বছর খানেক আগেও ভাবা
সম্ভব ছিল না যে, মেয়েরা দেশটিতে গাড়ি চালাতে পারবেন।
এখন আবার প্লেন চালাবেন!
সৌদি নারীদের প্লেন চালানোর ব্যাপারে দেশটির
অ্যাকাডেমির কার্যনির্বাহী পরিচালক ওথম্যান আল মৌতাইরি
জানান, এই ‘ফ্লাইট স্কুলে’ শিক্ষার্থীরা তিন বছরের
অ্যাকাডেমিক ও বাস্তব প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।
পাঁচ দিনের সফরে
ঢাকায় রুশনারা আলী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা এসেছেন ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী।
পাঁচ দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের এই এমপি। ২২ জুলাই
থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সফর কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রুশনারা আলীর নেতৃত্বে
যুক্তরাজ্যের রেল কোম্পানিগুলোর একটি বাণিজ্যিক
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছিল।
এই দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা
আলী ২০১২ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত
হিসেবে নিয়োগ পান। গত বছর তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন।
যুক্তরাজ্যের মূল বাজার হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলোর সঙ্গে
দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে এবং অর্থনৈতিক
অগ্রগতিতে সাহায্য করতে ২০১২ সালে বাণিজ্যদূতের
কর্মসূচি চালু করা হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের
মধ্যকার দ্বিমুখী বাণিজ্য ২৩০ কোটি পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
দেশের সব জেলা সদর
হাসপাতালে আইসিউ বেড স্থাপনে রুল জারি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এস এম নূর মোহাম্মদ : দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে
৩০টি করে আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করতে কেন
নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন
হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি জে
বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ রুল
জারি করেন।
এ ছাড়া অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল,
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা এবং ফিসের
মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না তাও জানতে চাওয়া
হয়েছে রুলে।
এছাড়া বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন
লাইসেন্স দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস
ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভাযরনমেন্ট সোসাইটি অব
বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের
করেন।
Top
প্রথম
বাংলাদেশি কানাডিয়ান এমপিপি হতে পেরে গর্বিত : ডলি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান এমপিপি নির্বাচিত হতে পেরে
আমি গর্বিত। আমার নির্বাচনে জয়ের পেছনে যারা নিরলসভাবে
কাজ করেছেন আমি তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই’।
কানাডার অন্টারিও পার্লামেন্টে গত ২০ জুলাই প্রথমবার
বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন ডলি বেগম।
অন্টারিও পার্লামেন্টের নতুন স্পিকারকে ধন্যবাদ ও
অভিনন্দন জানিয়ে ডলি বলেন, ‘আমি শুরুতেই ধন্যবাদ দিতে
চাই স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট-এর জনগণকে যারা আমাকে এই
সংসদে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে নিরলস কাজ করেছেন। আমি
আমার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, এবং চমৎকার কমিউনিটির
সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যারা মাসের পর মাস
আমার ক্যাম্পেইনের জন্য এবং এই ইতিহাস গড়ার ক্ষেত্রে
অবদান রেখেছেন।’
দলের সর্ব কনিষ্ঠ ২৭ বছর বয়স্ক এমপিপি ডলি বলেন,
‘প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান হিসেবে কানাডার এই
পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পেরে আমি
গর্বিত।’ এসময় ডলি’র দলের অন্য সংসদ সদস্যরা তাঁকে
হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ভাঙা
সংসারে সন্তানের মানসিক বিকাশ ঘটে না : হাই কোর্ট
বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার শিশুকে হেফাজতে নেওয়া
সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত বলেছে, ভাঙা সংসারে
শারীরিক বিকাশ ঘটলেও শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে না। ২৫
জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল
আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। নওগাঁ সদর
উপজেলার বাংগাবাড়িয়া গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান ও তৌহিদা
আক্তারের ৮ বছরের শিশু সাজফা সাজিদাকে হেফাজতে নেওয়া
সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে মন্তব্য করে।
আদালতে শিশুর মায়ের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম
কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী অমিত
দাসগুপ্ত। শিশুর বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এস এম
শাহরিয়ার কবির। অমিত দাসগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আদালত
উভয় পক্ষকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য সময় দিয়েছে। এ
মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য ৫ আগস্ট দিন ধার্য করা
হয়েছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৭ জুন নওগাঁ সদর
উপজেলার বাংগাবাড়িয়া গ্রামের মো. সাজ্জাদুর রহমানের
সঙ্গে ওই উপজেলার কুসুমদি গ্রামের তৌহিদা আক্তারের বিয়ে
হয়। এই দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় সাজফা সাজিদা। পরে
দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাদের
বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মেয়েকে নিজের হেফাজতে নিতে
হাই কোর্টে রিট করেন বাবা। ৩০ মে হাই কোর্ট ওই শিশুকে
আদালতে হাজির করতে নওগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে
(ওসি) নির্দেশ দিলে ২৭ জুন শিশুটিকে আদালতে হাজির করা
হয়। তার বাবা-মাও আদালতে আসেন। সেদিন আট বছরের সাজফা
সাজিদাকে আপাতত মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে তার বাবা সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন মেয়ের সঙ্গে
সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
অমিত দাসগুপ্ত জানান, আদেশ অনুসারে মেয়ের সঙ্গে বাবার
দুইবার সাক্ষাৎ হয়েছে। আদালত বাবা-মায়ের মধ্যে
পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য আরও সময় দিয়ে ৫ আগস্ট আদেশের
দিন ধার্য করেছে। বিচ্ছেদের পর শিশুটির মা তার বাবার
বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আদালত বলেছে,
মামলা করে সংসার করা যায় না। এ ছাড়াও আদালতে শিশুটির
বাবা বলেছে, মেয়ের মা আমার মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না।
তখন আদালত বলে, শাশুড়ি তো মায়ের মতো। তাকে নিয়েই তো
সংসার করতে হয়।
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন
আরও ৪২ নারী শ্রমিক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরা নারী শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ২৭
জুলাই রাতে দেশে ফিরেছেন আরও ৪২ জন নারী শ্রমিক। তারা
সবাই সৌদি আরবের সফর জেলে ( ডিপোর্ট সেন্টার) দেশে
ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। ২৭ জুলাই রাত ৯.৩০ মিনিটে সৌদি
এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি ৮০৪-এ করে হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা। জনশক্তি,
কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) জনশক্তি
জরিপ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান আনসারী এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৪২ জন নারী
শ্রমিক এসেছেন। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে যতটুকু
সাহায্য করার করেছি।’
উলেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে
বেশি নারী শ্রমিক যায়। আবার নানা কারণে নির্ধারিত সময়
শেষ হওয়ার আগে সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি নারী ফেরত আসেন।
তবে কোনও সংস্থা কিংবা মন্ত্রণালয়, কারও কাছে এই ফেরত
আসা শ্রমিকের বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য নেই।
বিমানবন্দরের প্রবাস কল্যাণ ডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য
অনুযায়ী, গত ৩ মে ৩৫ জন, ১২ মে ২৭ জন, ১৯ মে ৬৬ জন, ২৩
মে ২১ জন, ২৭ মে ৪০ জন এবং ৩ জুন ২৯ জন,১৮ জুন ১৬ জন
এবং ১৯ জুন ২৭ জন এবং ২৬ জুন ২২ জন, ১০ জুলাই ৪২ জন,
২১ জুলাই ৩৪ জন নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। তবে এর
বাইরেও আরও নারী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন বলে বিভিন্ন
মাধ্যম হতে জানা যায়।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
নিজের
বিয়ে নিজেই ভেঙে দিলো আয়শা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাউফল উপজেলায় নিজের বিয়ে নিজেই ভেঙে
দিয়েছে আয়শা আক্তার (১২) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক
শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী গতকাল বাউফল থানায় এসে এসআই
আনোয়ার হোসেনের কাছে তাকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়া
হচ্ছে এমন অভিযোগ করলে বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের সব
কার্যক্রম। স্থানীয়রা জানায়, বাউফল সরকারি কলেজের
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সূর্যমনি গ্রামের শাহজাদা
হোসেনের ছেলে মান্নানের সঙ্গে রাজাপুর গ্রামের কামাল
নাগাসীর মেয়ে আয়শা আক্তারের বিয়ে ঠিক করে তাতে রাজি
হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে আয়শার বাবা। আয়শা ওই বিয়েতে
রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে তার বাবা। বাবার মারধর
সহ্য করতে না পেরে গতকাল সকালে আয়শা থানায় উপস্থিত হয়ে
বাবা-মা জোর করে তাকে বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ
করেন। আয়শা বাউফল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
বাউফল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে একটি ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের
সঙ্গে বসবাস করেন। বাউফল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন,
মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আয়শার বাবাকে ডেকে এনেছি।
আয়শার আঠারো বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না
বলে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার করেছেন
আয়শার বাবা কামাল।
এজেন্সির দৌরাত্মে সৌদিতে বাংলাদেশী
নারী শ্রমিকরা ঝুঁকিতে!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদেশে কাজের জন্য ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রেহানা
বেগম। সৌদি আরবে কাজ করতে যান যেসব বাংলাদেশী নারী
শ্রমিক, তারা প্রতারণা, নিয়মিত বেতন না পাওয়া, শারীরিক
ও মানসিক নির্যাতন এবং ভাষা সমস্যাসহ নানা ধরনের
বিপদের শিকার হচ্ছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
সচিব ড. নমিতা হালদার বিবিসিকে জানান, এই সব সমস্যার
কিছু অংশ বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। সৌদি নিয়োগকর্তাদের
তরফ থেকেও নারী শ্রমিকরা নানা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
নিয়ম অনুযায়ী সৌদি নিয়োগকর্তা যখন তার দেশের রিক্রুটিং
এজেন্সির কাছে গৃহকর্মী চান, তখন তিনি সেই এজেন্সিকে
প্রয়োজনীয অর্থ প্রদান করেন। সেই এজেন্সি আবার
বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশী শ্রমিককে কোন অর্থ লেনদেন করতে হয়
না।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রায প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকদের
কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। জনপ্রতি ১০,০০০ টাকা
থেকে এক লক্ষ টাকাও আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। মধ্যস্বত্ত্বভোগী এজেন্সিগুলো
আর্থিক মুনাফার জন্য শ্রমিকদের ‘বিক্রি’ করে দিচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী চাকরির প্রথম তিন মাস পর্যন্ত শ্রমিকের
দাযদায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিকে বহন করতে হয়। কিন্তু
তারপর গৃহকর্মী শ্রমিকের দাযদায়িত্ব আর রিক্রুটিং
এজেন্সির থাকে না। এটি মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের
ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করছে বলে
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
সচিব ড. নমিতা হালদার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পুরুষ
শ্রমিকের ক্ষেত্রে এটা যদি দু’বছর হতে পারে, তাহলে
নারী শ্রমিকের বেলায় এটি কেন তিন মাস হবে তা ঠিক
যুক্তিগ্রাহ্য নয়। এছাড়া বিশাল সংখ্যক নারী অবৈধভাবে
মধ্যপ্রাচ্যে যান কাজ করার আশায়। তারা যখন বিপদে পড়েন
তখন তাদের সাহায্য করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে বলে
কর্মকর্তারা বলছেন।
রিয়াদে ১১ মাস গৃহকর্মের কাজ করে দেশে ফিরে এসেছেন
সুনামগঞ্জের তসলিমা আক্তার। তিনি বিবিসিকে জানান, ১১
মাস কাজ করার পরও পাওনা বেতন পাননি। দেশে ফিরে আসার
চেষ্টা করায় ‘কফিল’ (নিয়োগকর্তা) উল্টো তার বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করে এজেন্সিকে দেয়া অর্থ তাকে ফেরত দিতে
বলে। দেশে ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের একটি বড় অংশের
অভিযোগ যেসব বাড়িতে গৃহকর্মী পদে তাদের নিয়োগ করা হয়
সেগুলো প্রায়শই যৌথ পরিবার। ফলে সেখানে কাজের চাপ
থাকে মাত্রাতিরিক্ত। গৃহকর্মী শ্রমিক তসলিমা আক্তার
জানান, তিনি যে বাড়িতে কাজ পেয়েছিলেন সেখানে লোক ছিল
৪৫ জন।
নারী কর্মজীবীদের
বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু
ওয়াটার গার্ডেন হোটেল তাদের কর্মজীবী নারীদের নিয়ে
দিবসটি বিশেষভাবে উদযাপন করেছে। দিনটি উদযাপন করতে
কর্মজীবী নারীদের নানাভাবে উৎসাহিত এবং চাকরিজীবনে
সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা এবং
নারীদের নানাভাবে উৎসাহ, পরামর্শ দিতে র্যাডিসন ব্লু
ওয়াটার গার্ডেন তরুণ, উদ্যোমী নারী বিশেষ করে যারা
হোটেল ম্যানেজমেন্ট পেশায় ভালো করতে চায় তাদের জন্য ‘র
্যাডিসন ওমেন ট্যালেন্টস ডে’ আয়োজন করেছে।
র ্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে নারীদের নিয়ে
সম্প্রতি একটি ক্যারিয়ার সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের উদ্বোধন করেন জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস্টোফ
ভোগেলি। এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন হোটেলটির
হিউম্যান রিসোর্স এবং প্রশিক্ষক মো. মাহাবুব আলম।
ক্যারিয়ার বিষয়ক মোট দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে অংশ নিয়ে নারীরা তাদের বায়োডাটা জমা দিয়ে
যোগ্যতা অনুযায়ি চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
নারী দিবস উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন
তাদের হোটেলে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের নারীদেরও
সম্মানীত ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।
হোটেলটির নারী কর্মজীবীরা কেক কাটা, বিশেষ বাফেট লাঞ্চ
এবং উপহার গ্রহণের মাধ্যমে আয়োজন করেছে এবারের নারী
দিবস। এছাড়াও তিনজন প্রতিভাবান নারীকে নিয়ে দৃক
গ্যালারির সহযোগিতায় ফটোগ্রাফী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে
র ্যাডিসন। বিশেষ দিনে নারীদের জন্য সকল ধরনের খাদ্যে
ছিল বিশেষ ছাড়।
র ্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের জেনারেল
ম্যানেজার ক্রিস্টোফ ভোগেলি বলেন, র্যাডিসন ব্লু ঢাকা
ওয়াটার গার্ডেন হোটেল সবসময নারীর ক্ষমতায নে কাজ করে।
এখানে নারী-পুরুষে কোন ভেদাভেদ নেই। সকলে মিলেমিশে
সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে। র্যাডিসন হোটেল
বিশ্বাস করে নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে গেলেই সমাজ
এগিয়ে যাবে।
প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ১৫ ডাউন সিনড্রোম শিশু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাড়ছে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। তবে ডাউন
সিনড্রোম কোনো রোগ নয়। তাই চিকিৎসায় এটা ভালো করাও যায়
না। এটা পারিবারিক বা বংশের কোনো দোষ নয়। এটা কারো
অভিশাপের ফল নয়। তবে পরিচর্যায় শিশুর শারীরিক
সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ জন্য সমাজ ও
অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে জানান
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনেরা।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ১৫
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু। এই হিসেবে বছরে জন্ম
নিচ্ছে পাঁচ হাজারেরও বেশি ডাউন সিনড্রোম শিশু। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এর তথ্য অনুযায়ী,
বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম নিয়ে
জন্মায়। পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ ডাউন সিনড্রোম মানুষ
রয়েছে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে
বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক হিসাবে, প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০
শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম শিশু জন্ম নেয়।
বর্তমানে দেশে ২ লাখ ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তি রয়েছে।
ডাউন সিনড্রোম শরীরের জেনেটিক পার্থক্য বা ক্রোমোজমের
একটি বিশেষ তারতম্য। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে একটি
অতিরিক্ত ক্রোমোজম থাকে। মানুষের শরীরে ক্রোমোজমের
সংখ্যা থাকে ৪৬টি। এর মধ্যে ২৩টি বাবার ২৩টি মায়ের কাছ
থেকে আসে। যা জোড়ায় জোড়ায় দেহকোষ গঠন করে। কিন্তু ডাউন
সিনড্রোম ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেহকোষের ২১তম
ক্রোমোজমের একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজম লক্ষ্য করা যায়।
অর্থাত্ ২১তম ক্রোমোজমে ৩টি ক্রোমোজম থাকে। এভাবে ডাউন
সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে প্রত্যেক কোষে মোট ক্রোমোজমের
সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭টি। এটা গর্ভাবস্থায় শিশুর কোষ
বিভাজনের সময় সংঘটিত হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউন সিনড্রোম শিশুদের
সঠিক পরিচর্যা ও চিকিত্সার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক
জীবন-যাপন করতে পারে। তাদের আমরা বোঝা মনে করলেও তারা
আসলে সমাজের বোঝা নয়। তবে তাদের শিশুবয়সেই সময় দিয়ে
পরিচর্যা করলে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
বিশেষ করে পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং
ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাকিম আরিফ বলেন, তাদেরকে
মূলধারার জনগোষ্ঠির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে দরকার শিক্ষা,
চাকরির সুযোগ, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা তথা বাড়তি যতœ। এ
ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল
শ্রেণির মানুষকে নিয়ে আমাদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাই
ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অনেক
বেশি। সচেতনতা ও ভালবাসা দিয়েই সমাজে তাদের প্রতিষ্ঠা
করতে হবে।
ডাউন মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু
ওয়াটার গার্ডেন হোটেল তাদের কর্মজীবী নারীদের নিয়ে
দিবসটি বিশেষভাবে উদযাপন করেছে। দিনটি উদযাপন করতে
কর্মজীবী নারীদের নানাভাবে উৎসাহিত এবং চাকরিজীবনে
সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা এবং
নারীদের নানাভাবে উৎসাহ, পরামর্শ দিতে র্যাডিসন ব্লু
ওয়াটার গার্ডেন তরুণ, উদ্যোমী নারী বিশেষ করে যারা
হোটেল ম্যানেজমেন্ট পেশায় ভালো করতে চায় তাদের জন্য ‘র
্যাডিসন ওমেন ট্যালেন্টস ডে’ আয়োজন করেছে।
র ্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে নারীদের নিয়ে
সম্প্রতি একটি ক্যারিয়ার সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের উদ্বোধন করেন জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস্টোফ
ভোগেলি। এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন হোটেলটির
হিউম্যান রিসোর্স এবং প্রশিক্ষক মো. মাহাবুব আলম।
ক্যারিয়ার বিষয়ক মোট দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে অংশ নিয়ে নারীরা তাদের বায়োডাটা জমা দিয়ে
যোগ্যতা অনুযায়ি চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
নারী দিবস উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন
তাদের হোটেলে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের নারীদেরও
সম্মানীত ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।
হোটেলটির নারী কর্মজীবীরা কেক কাটা, বিশেষ বাফেট লাঞ্চ
এবং উপহার গ্রহণের মাধ্যমে আয়োজন করেছে এবারের নারী
দিবস। এছাড়াও তিনজন প্রতিভাবান নারীকে নিয়ে দৃক
গ্যালারির সহযোগিতায় ফটোগ্রাফী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে
র ্যাডিসন। বিশেষ দিনে নারীদের জন্য সকল ধরনের খাদ্যে
ছিল বিশেষ ছাড়।
র ্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের জেনারেল
ম্যানেজার ক্রিস্টোফ ভোগেলি বলেন, র্যাডিসন ব্লু ঢাকা
ওয়াটার গার্ডেন হোটেল সবসময নারীর ক্ষমতায নে কাজ করে।
এখানে নারী-পুরুষে কোন ভেদাভেদ নেই। সকলে মিলেমিশে
সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে। র্যাডিসন হোটেল
বিশ্বাস করে নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে গেলেই সমাজ
এগিয়ে যাবে।
প্রতিদিন
জন্ম নিচ্ছে ১৫ ডাউন সিনড্রোম শিশু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাড়ছে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। তবে ডাউন
সিনড্রোম কোনো রোগ নয়। তাই চিকিৎসায় এটা ভালো করাও যায়
না। এটা পারিবারিক বা বংশের কোনো দোষ নয়। এটা কারো
অভিশাপের ফল নয়। তবে পরিচর্যায় শিশুর শারীরিক
সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ জন্য সমাজ ও
অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে জানান
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনেরা।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ১৫
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু। এই হিসেবে বছরে জন্ম
নিচ্ছে পাঁচ হাজারেরও বেশি ডাউন সিনড্রোম শিশু। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এর তথ্য অনুযায়ী,
বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম নিয়ে
জন্মায়। পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ ডাউন সিনড্রোম মানুষ
রয়েছে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে
বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক হিসাবে, প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০
শিশুর মধ্যে একজন ডাউন সিনড্রোম শিশু জন্ম নেয়।
বর্তমানে দেশে ২ লাখ ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তি রয়েছে।
ডাউন সিনড্রোম শরীরের জেনেটিক পার্থক্য বা ক্রোমোজমের
একটি বিশেষ তারতম্য। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে একটি
অতিরিক্ত ক্রোমোজম থাকে। মানুষের শরীরে ক্রোমোজমের
সংখ্যা থাকে ৪৬টি। এর মধ্যে ২৩টি বাবার ২৩টি মায়ের কাছ
থেকে আসে। যা জোড়ায় জোড়ায় দেহকোষ গঠন করে। কিন্তু ডাউন
সিনড্রোম ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেহকোষের ২১তম
ক্রোমোজমের একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজম লক্ষ্য করা যায়।
অর্থাত্ ২১তম ক্রোমোজমে ৩টি ক্রোমোজম থাকে। এভাবে ডাউন
সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে প্রত্যেক কোষে মোট ক্রোমোজমের
সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭টি। এটা গর্ভাবস্থায় শিশুর কোষ
বিভাজনের সময় সংঘটিত হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউন সিনড্রোম শিশুদের
সঠিক পরিচর্যা ও চিকিত্সার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক
জীবন-যাপন করতে পারে। তাদের আমরা বোঝা মনে করলেও তারা
আসলে সমাজের বোঝা নয়। তবে তাদের শিশুবয়সেই সময় দিয়ে
পরিচর্যা করলে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
বিশেষ করে পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং
ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাকিম আরিফ বলেন, তাদেরকে
মূলধারার জনগোষ্ঠির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে দরকার শিক্ষা,
চাকরির সুযোগ, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা তথা বাড়তি যতœ। এ
ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল
শ্রেণির মানুষকে নিয়ে আমাদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাই
ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অনেক
বেশি। সচেতনতা ও ভালবাসা দিয়েই সমাজে তাদের প্রতিষ্ঠা
করতে হবে।
ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর চেয়ারপারসন
সরদার এ রাজ্জাক বলেন, সমাজে ওদের সুযোগ করে দিলে ওরা
অনেক কিছু করতে পারে। সারা বিশ্বেই ওরা কাজ করছে।
আমাদের দেশে ওরা কিছু না করার কারণ, আমরা তাদের কাজ
করতে দিচ্ছি না। আমাদের অভিভাবকরা এবং সমাজের মানুষরা
জানে না যার কারণে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে ডাউন
সিনড্রোম মিলিয়ে ফেলছে।
জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারপারসন
অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাঈম বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে এটা
সুপ্র্রতিষ্ঠিত যে ডাউন সিনড্রোম শিশু জন্মের মধ্যে
মা-বাবার কোনো ভূমিকা নেই। এটা পারিবারিক ঐতিহ্যেরও
কোনো দোষ নয়। এটা কারো অভিশাপের ফল নয়। তিনি বলেন,
যেহেতু ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয় তাই এটি নিরাময় হবার
কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিচর্যায় শিশুর শারীরিক
সমস্যাগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। চিকিত্সকরা
আল্ট্রাসাউন্ড করে কিংবা রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষার
মাধ্যমে বুঝতে পারেন যে, গর্ভস্থ শিশুর ডাউন সিনড্রোম
আছে কি না।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
থানা হবে নারী ও শিশুবান্ধব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মতো কঠোর
দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে পালন করছেন।
তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অনন্য অবদান রাখছেন।
থানাগুলোকে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে
জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ
জাবেদ পাটোয়ারী। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে
পিএসসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন
নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) নবগঠিত কার্যনির্বাহী
কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের আধুনিকায়ন হচ্ছে, সক্ষমতা বাড়ছে।
আমরা পুলিশকে একটি জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে
গড়ে তুলতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে ঢাকা
মহানগর পুলিশে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন
ডিভিশন গঠন করা হয়েছে। ৭টি মহানগর পুলিশ ইউনিটসহ
রাঙ্গামাটি জেলায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা
হয়েছে।
জেলা এসপি কার্যালয়ে নারী সহায়তা কেন্দ্র ও থানায় শিশু
হেল্পডেস্ক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। নারী পুলিশের
সমন্বয়ে গঠিত ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সুনামের সঙ্গে
দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৭৪ সালে মাত্র ১৪ জন নারী নিয়ে
পুলিশে নারীর পদযাত্রা সূচিত হয়। আজ পুলিশে নারীর
সংখ্যা ১১ সহস্রাধিক, যা মোট পুলিশ সদস্যের সাড়ে ৭ ভাগ।
পুলিশে নারীরা আজ স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি)
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও বিপিডব্লিউএন’র নবনির্বাচিত
সভাপতি আমেনা বেগম। এর আগে, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ
কমিশনার আমেনা বেগমকে সভাপতি এবং এসবির বিশেষ পুলিশ
সুপার ফরিদা ইয়াসমিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৮-২০২০
সালের জন্য বিপিডব্লিউএন’র ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন
করা হয়েছে।
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে
মুদি দোকানির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্ট
রাজধানীতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ভবন থেকে পড়ে কালু মিয়া
(৩৫) নামে এক মুদি দোকানির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ
পরিবারের। গতকাল কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুরে এ ঘটনা
ঘটে। ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য
ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
ঢামেক সূত্র জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কালু মিয়ার স্ত্রী
রোজিনার সঙ্গে তার ভাই বাবরের স্ত্রী রুবিনার ঝগড়া হয়।
এর জেরে বাবরের স্ত্রী গতকাল সকালে থানায় একটি অভিযোগ
করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে তাদের
বাসায় যায় এবং কালু মিয়াকে তার দোকান থেকে আটক করে
থানায় নিতে চায়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে কালু মিয়া
পালিয়ে তার বাসার তৃতীয় তলায় চলে যান। আর বলতে থাকেন,
তাকে ধরতে গেলে তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
এই বলে বাসার ওপরে উঠতেই তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে যান
তিনি।
২২ তলা ভবন পাচ্ছে
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়াবা। ফাইল ছবিইয়াবা। ফাইল ছবি
চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে ইয়াবা
উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব। গত ৩০ জুলাই রাত ১২টার
দিকে নগরের বাকলিয়া থানার পশ্চিম বাকলিয়া এলাকার একটি
বাসা থেকে এসব মাদক উদ্ধার করে র ্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম)
মিমতানুর রহমান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাকলিয়া থানার
উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সাইফুদ্দিন পরিবার নিয়ে
অন্য জায়গায় থাকেন। কিন্তু পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় একটি
বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি ইয়াবা ব্যবসা করেন, র ্যাবের কাছে
এমন তথ্য ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান
চালিয়ে ১৫ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। বাসা থেকে
মো. মিল্লাদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাসায়
ওই এসআইয়ের পোশাকসহ ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া
গেছে। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
প্রণব চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। চলতি মাসের
শুরুতে নগরের বহদ্দারহাট থেকে ইয়াবাসহ বরখাস্ত হওয়া এক
এএসআইকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। এর আগে ২০১৬ সালে
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা
হয়েছিল।
ঢামেক হাসপাতালে
পুলিশের শেল্টারে ১৫ স্পটে ইয়াবা আসর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেনেভা ক্যাম্পসহ রাজধানীর তিন মাদক আখড়ায় অভিযান
চালিয়ে ২১৪ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর মধ্যে র্যাবের হাতে ১৫৩ এবং পুলিশের হাতে ৬১ জন
আটক হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেনেভা
ক্যাম্পে অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের অভিযানে ৫১৩
জনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩৬০ জনকে ছেড়ে দেয়া
হয়।
অপরদিকে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগ
টিটিপাড়া বস্তি এবং গুলশান বিভাগ বনানীর কড়াইল বস্তিতে
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিটিপাড়া বস্তি
থেকে ৩১ জনকে এবং কড়াইল বস্তি থেকে শনিবার রাত ১টা
পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত ১টার দিকে এ
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কড়াইল বস্তিতে অভিযান চলছিল।
তবে পুলিশ-র্যাবের অভিযানে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ীর
গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। অভিযানের আগেই মূল
হোতারা আখড়া ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
র্যাব জানায়, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে জেনেভা
ক্যাম্প থেকে ১৫৩ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের
অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়মিত মামলা এবং ভ্রাম্যমাণ
আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হচ্ছে। শনিবার রাতে র্যাবের
পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটকদের মধ্যে ৭৭ জনকে বিভিন্ন
মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাকি ৭৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়ার প্রস্তুতি
চলছে। ক্যাম্পে প্রবেশের প্রধান ছয়টি প্রবেশমুখসহ সব
পথ বন্ধ করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান
চলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিহারিদের এ ক্যাম্পটি মাদকের
বড় আখড়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ
অভিযানে আটকদের র্যাব-২ কার্যালয়ে নেয়া হয়। অভিযানের
আগে র্যাব সদস্যরা ড্রোন উড়িয়ে ক্যাম্পের পরিস্থিতি
পর্যবেক্ষণ করেন। অভিযানের পর জেনেভা ক্যাম্প
পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। র্যাব-২ এর নেতৃত্বে প্রায় ৮০০
জনের দল অভিযানে অংশ নেয়। আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারী
আছেন। অভিযানে ১৩ হাজার ইয়াবা ও ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়। অভিযানে র্যাব-১, ২, ৩, ৪, ১০ ও ১১ অংশ নেয়।
অভিযানের সময় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আটক
ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ী নেই। তবে
ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা করে তালিকাভুক্ত ৯০ জনের মধ্যে
৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম
যুগান্তরকে বলেন, অভিযানে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক
করা হলেও যাচাই-বাছাই করে অধিকাংশ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া
হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের
বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাসিন্দারা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী
বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর ক্যাম্পের মাদকের মূল হোতা
ইশতিয়াক, নাদিম, রাজিয়াসহ অনেকেই পালিয়ে গেছেন। যাদের
আটক করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ খুচরা মাদক ব্যবসায়ী। আটক
ব্যক্তিরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী নন। তাদের মধ্যে অনেক
নিরীহ ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীও রয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশের শেল্টারে
১৫ স্পটে ইয়াবা আসর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল
কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইয়াবার বিষ।
দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও ঢামেক হাসপাতালের
অন্তত ১৫টি স্পটে হরদম চলছে ইয়াবা সেবনের আসর। অভিযোগ,
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (এবি)
বাচ্চু মিয়ার সহযোগিতায় এসব মাদকের আসর বসে।
প্রতি আসর থেকে বাচ্চু নিজে নতুবা তার ক্যাশিয়ার আনসার
শামীম টাকা নেয়। শুধু তাই নয় বাচ্চুর সহযোগিতায়
চানখাঁরপুল ও চকবাজার এলাকার পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা
হাসপাতালে ইয়াবা সাপ্লাই দেন।
শনিবার ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে
এসব তথ্য জানা গেছে। মাদকের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা
সেবা নিয়ে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
এ কারণে তাদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত-উৎকণ্ঠিত। জানা
গেছে, হাসপাতালে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কতিপয় চিকিৎসক,
শিক্ষানবিস চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার, ওয়ার্ডবয়,
স্পেশালবয়সহ সেবার কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের একটি অংশ
ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের নেশায় ঝুঁকে
পড়ছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে বাচ্চু মিয়া যুগান্তরকে বলেন,
হাসপাতালে মাদক ব্যবসা হয়- বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি
বলেন, গত পরশুও শাহবাগ থানার ওসিকে নিয়ে অভিযান চালানো
হয়েছে।
তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, ইয়াবার আসর
থেকে টাকা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বাচ্চু মিয়া
ফোনলাইন কেটে দেন।
এরপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। সরাসরি যোগাযোগের
চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ সংবাদ যাতে
প্রকাশ করা না হয় সেজন্য একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে এ
প্রতিবেদককে ফোন করিয়েছেন বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শাহ আলম
তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, মাদকাসক্তি এক ধরনের
অসুস্থতা। তাই কোনো মাদকাসক্তের হাতে রোগীর শতভাগ
চিকিৎসা কিংবা সেবা আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, হাসপাতালের কোনো কর্মচারী মাদকে জড়িত থাকার
প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া মাদকসহ যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে
কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া
আছে।
ঢামেক হাসপাতালে মাদক সেবনের চিত্র : শনিবার দুপুর
আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের সাবেক পিজি ডক্টর
কিচেনের একটি রুমে ইয়াবা সেবন করছিল পাঁচ যুবক।
তাদের মধ্যে কয়েকজন এ হাসপাতালের কর্মচারী। ঢামেক
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ওই রুমে প্রবেশ করে
৫ মিনিটের মাথায় বেরিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবকরা
বেরিয়ে যায়।
ফরিদপুরের কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফরিদপুরের সালথায় মো. রওশন খান (৫০) নামে হত্যা মামলার
এক আসাফম কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিত্সাধীন অবস্থায়
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রওশন খাঁ সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর
গ্রামের মৃত বাহাদুর খাঁর ছেলে। একটি হত্যা মামলার
আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে গত পহেলা এপ্রিল
আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। তিনি ফরিদপুর
জেলা কারাগরের ১৫৪৪/১৮ নম্বর হাজতি ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে দুপুর একটার দিকে
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন রওশন। এর পরই তাকে প্রিজন
সেলে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সেলে
চিকিৎ্সাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মারা
যান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েদির
মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুর মোহাম্মদ (৫৫) নামের
এক কয়েদি মারা গেছেন। অসুস্থতাজনিত কারণে শুক্রবার
সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢামেকে নিয়ে আসা হলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারারক্ষী
বারেক জানান, যাত্রাবাড়ীর একটি মাদক মামলায় তিনি
কারাবাস করছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকালে তাকে
হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নুর
মোহাম্মদের বাবার নাম মৃত মোকসেদ আলী ব্যাপারী।
গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে।
গোপালগঞ্জে পুলিশের বিশেষ
অভিযানে গ্রেফতার ৩৮
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ
অভিযান চালানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল
ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জরা জানান,
জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে
সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময়
গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৬ জন,
কোটালীপাড়া থানায় ৮ জন, মুকসুদপুর থানায় ৭ জন ও
টুঙ্গিপাড়া থানায় ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারদের মধ্যে মাদক, নিয়মিতসহ বিভিন্ন মামলা ও
ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি রয়েছে। সোমবার এদেরকে আদালতে
হাজির করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জানিয়েছেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ভাত নাকি রুটি?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শর্করা সব খাবারেই থাকে। যেসব খাবারের শর্করা শরীরে
ধীরে ধীরে মিশে যায় সেগুলোই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য
উপযুক্ত। তবে পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
একজন ডায়াবেটিস রোগী ভাত কিংবা রুটি-দুটোই খেতে পারেন।
তবে পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে, পরিশোধিত চাল ও আটার চাইতে
বাদামি চাল ও অপরিশোধিত গমের আটা কিংবা বেসনের রুটি
ডায়াবেটিসদের জন্য উপযুক্ত। মাথায় রাখুন-
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-
কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে পরিণত করে, একটি খাবার কত
দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে সেই পরিমাপকে
বলে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’। বিভিন্ন ধরনের চালের ভাত ও
রুটির ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’র মাত্রা ভিন্ন। ফল, শষ্য,
সবজি সবকিছুতেই কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে তা বিপাক হয়
ভিন্ন গতিতে। কারণ তাদের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের
মাত্রা ভিন্ন। যেসব খাবার ধীরে ধীরে ভাঙে সেগুলো রক্তে
শর্করার মাত্রায় তারতম্য আনে কম।
ডায়াবিটিকদের জন্য আদর্শ-
যেসব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স'র মাত্রা ৫৫ এর কম,
সেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রায় কম প্রভাব ফেলে। আর এই
ধরনের খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। যেসব
খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স'র মাত্রা ৫৬ থেকে ৬৯ -এর
মধ্যে, সেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রায় মাঝারি মাত্রার
প্রভাব ফেলে আর যে সমস্ত খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স'র
মাত্রা ৭০ বা তারও বেশি, সেগুলো রক্তে দ্রুত শর্করার
মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ভাত ও রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-
ভাতের মাত্রা নির্ভর করে চালটা পলিশ করা হয়েছে কি না
তার উপর। আর রুটির ক্ষেত্রে কোন ধরনের আটা দিয়ে বানানো
হয়েছে তার উপর।
ভাত-
সব ডায়াবেটিস রোগীরাই ভাত খেতে পারবেন, তবে একটা
নির্দিষ্ট পরিমাণে। সাদা চালের ভাতের থেকে লাল বা
বাদামি চালের ভাত উপকারি। কারণ সাদা চাল পলিশ করা হয়।
এই পলিশ করার প্রক্রিয়ায় চাল তার পুষ্টিগুণ হারায়। সাদা
চালের ভাতে স্টার্চ বেশি থাকে, তাই সহজেই হজম হয়।
অন্যদিকে বাদামি কিংবা লাল চালের ভাতে থাকে বিভিন্ন
মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার, ফলে হজম হতে সময় লাগে।
বাদামি চালের ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স'র মাত্রা ৬৮ আর
সাদা চালের ভাতের ৭৩।
ভিটামিন-ই গ্রহণের
সুবিধা ও অসুবিধা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া
চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা
ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর
অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক
উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয়
খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য
খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি
পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে
বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী
হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের
ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম
গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান
করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও
কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া
যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন
সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব
কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে
মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ
কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর
ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল
খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক
স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে
রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর
বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে
আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২
চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন।
এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে
অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে
উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার
অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়।
এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি
পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে,
হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান
থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি
পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার
করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে।
কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য
লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
সকাল বেলায় ৭ দিন পান্তা ভাত খান,
ফল কি হবে জানলে চমকে যাবেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাঙালী মাত্রেই পান্তাভাত প্রেমী। পান্তাভাত খেয়ে
দিবানিদ্রা দেয়নি এরকম বাঙালি হয়তো অনেক কষ্টে খুঁজে
পাওয়া যাবে। চানাচুর, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ সহযোগে
পান্তাভাত হল অমৃত। আসলে পান্তাভাত হল সংরক্ষণের একটি
পদ্ধতি।
রাতের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে
সংরক্ষণের জন্য এই ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল দিয়ে
প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়। ভাত
পুরোটাই শর্করা। ভাতে জল দিয়ে রাখলে বিভিন্ন
ব্যাক্টেরিয়া বা ইস্ট এই শর্করা ভেঙ্গে ইথানল ও
ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরির ফলে
পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (ঢ়ঐ কমে) তখন পচনকারী ও
অন্যান্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ভাত নষ্ট করতে
পারে না।
১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে (১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর)
৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে
থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পান্তাভাতে
পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম; যেখানে
সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম।
এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩
মিলিগ্রাম যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫
মিলিগ্রাম।
পান্তা ভাত ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো
উৎস। পান্তাভাত শর্করাসমৃদ্ধ জলীয় খাবার। গরমের দিনে
শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরের জলের
অভাব মেটায় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। পান্তা
ভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়,
কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাবার। মানবদেহের জন্য
উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে ওঠে।
পেটের রোগ ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে
সজীবতা বিরাজ করে এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।
এ ভাতে পেটের পীড়া ভালো হয়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং
শরীরে সজীবতা বিরাজ করে। পাশাপাশি শরীরে তাপের
ভারসাম্য বজায় থাকে।
যে ৫ সাদা
খাদ্যদ্রব্য শরীরের জন্য ক্ষতিকারক
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
দৈনন্দিন জীবনের খাবারদাবারের মধ্যে বেশ কিছু জিনিস
এমন রয়েছে যা বাদ দিয়ে কোনও ভাবেই খাবারের স্বাদ ঠিক
রাখা যায় না। পেটও ভরে না। অথচ চিকিৎসা শাস্ত্র
জানাচ্ছে, এই সব জিনিস পরিমাণে বেশি খেলেই বিপত্তি।
মানব দেহে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। সংক্ষেপে দেখে
নেওয়া যাক কোন সেই পাঁচটি সাদা খাদ্যদ্রব্য ও তাদের
অপকারিতা-
১। লবণ-
বাজারে যে নুন কিনতে পাওয়া যায়, তা অস্বাস্থ্যকর না
হলেও, শরীরে ‘টক্সিক’ রাসায়ন তৈরি করতে পারে। যার ফলে
রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ‘হেল্থলাইন.কম’-এ
বলা হয়েছে এই রক্তচাপের ফলে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
২। চিনি-
যে সিন্থেটিক চিনি আমরা নিত্য দিনে ব্যবহার করি, তার
ফলে যে শুধুমাত্র ডায়াবেটিস হয় তাইই নয়। ওজন বৃদ্ধি,
বয়সের আগেই ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠা, দাঁতের সমস্যাও
দেখা দেয় বেশি চিনি খাওয়ার ফলে।
৩। হোয়াইট রাইস-
রোজকার পাতে ব্রাউন রাইস খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
সাদা চাল খেলে কনস্টিপেশনের সমস্যা পারে।
৪। দুধ-
বেশি মাত্রায় ডেয়ারি মিল্ক সেবনে ওভারিয়ান ক্যানসার (মহিলাদের
ক্ষেত্রে) ও প্রস্ট্রেট ক্যানসার (পুরুষদের ক্ষেত্রে)
হতে পারে। বেশি পরিমাণে গরুর দুধ খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
৫। ময়দা-
ওজন বৃদ্ধিই নয়, হজমের সমস্যাও হয় ময়দায়। আর এই ওজনের
জন্য ডায়াবেটিসের সমস্যাও হতে পারে। এর বদলে আটা খাওয়া
উপকারি।
পেট থেকে গ্যাস দূর
করার সহজ কয়েকটি উপায়
যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত
যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো
বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া
যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস,
বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী
খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে
করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা
দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা
হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও
গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত
সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের
কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে
আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে
যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক
জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর
বিকল্প নেই।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
নারী ও শিশু নির্যাতনে বিচারাধীন মামলা ১৬৬০০০
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনপ্রধান বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আদালত ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। ফলে আরও অধিক হারে
মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আমি আশাবাদী। তবে শুধু মামলা
দায়ের এবং নিষ্পত্তি নয়, মামলার গুণাগুণের ভিত্তিতে
নিষ্পত্তি প্রয়োজন। সে জন্য দরকার সঠিক তদন্ত,
পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ, উদ্ ঘাটন, সঠিক ডাক্তারি
পরীক্ষা এবং মামলার সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতামূলক
মনোভাব।’
আজ সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির
মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ
মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের
উদ্যোগে ‘নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
ন্যায়বিচার প্রাপ্তিবিষয়ক’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বছরের
মার্চের হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে বিচারাধীন নারী ও
শিশু নির্যাতনের মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮২টি।
২০১৭ সালে দায়ের হয়েছে ৫০ হাজার ৩৩২টি মামলা এবং
নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৬৪টি মামলা। তিনি আরও বলেন,
‘এরই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় যেন অযথা হয়রানি না হয়,
সেদিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রকৃত আসামি নয় এবং
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং বৃদ্ধ পিতামাতা, ভাইবোন
বা আত্মীয়স্বজনকে মামলায় জড়িত করার প্রবণতা পরিহার করতে
হবে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধান
বিচারপতি বলেন, আইন প্রণয়নে মহিলা পরিষদের ভূমিকা
অনস্বীকার্য। বিবাহবিচ্ছেদ, যৌতুক বহুবিবাহ, মোহরানা
প্রদান ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর
উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রে
নারীর সাফল্য ও অগ্রগতি ইতিবাচক। তারপরও নারী
নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। নির্যাতিতদের কেউ কেউ
আইনের আশ্রয় নিয়ে পারিবারিক ও সমাজের প্রভাবের কারণে
আইনের আশ্রয় থেকে বিরত থাকছে।
সভায় বিশেষ অতিথি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির
চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সংবিধানে
নারীর অধিকার রক্ষার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
সামাজিক বাস্তবতায় নারীর অধিকার নিশ্চিত হতে পারে
নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রেই
নারীর ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত
করার চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে সাক্ষী উপস্থাপন না করতে পারা,
সময়মতো মামলা শেষ করতে না পারাসহ আরও কিছু জটিলতা। সাত
থেকে আট বছর হয়ে যায় অথচ একটি ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি
হয় না। নারী ও শিশু নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায়
স্বাস্থ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বিত
মনিটরিং টিম করার ওপর জোর দেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনার পর দ্রুত বিচারের তাগিদ দিয়ে অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ধর্ষণের মামলাগুলো বিচার
অন্য মামলার বিচারের সঙ্গে হয় বলে দেরি হয়। কিছু
ধর্ষণের মামলাকে নজরদারি করে দ্রুত বিচার করা উচিত।
তাতে করে দ্রুত সমাধান হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে
সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন
খোকন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো.
জাফরোল হাছান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নারায়ণগঞ্জে মওদুদ
হত্যা, দুজনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মওদুদ আহমেদ শাওন হত্যা মামলায়
দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার
দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক
রবিউল আউয়াল এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের
সুমিলপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন
ওরফে বাসু (২৪) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রাকিব
হোসেন ওরফে বাবুল (২৫)। রায় ঘোষণার সময় সাজ্জাদ আদালতে
উপস্থিত ছিলেন। তবে রাকিব পলাতক। নিহত মওদুদ (২৪)
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও রোড এলাকার নাসির হোসেনের
ছেলে।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাকসুদা বেগম জানান, ২০১৪
সালের ৯ জুলাই সুমিলপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে
নিখোঁজ হন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী মওদুদ। ১০ জুলাই
সোনারগাঁর বারদী দলরদী গ্রামের একটি খেত থেকে
অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তাঁর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে ১১ জুলাই নগরের মাসদাইর কবরস্থানে
বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হয়।
Top
|
|