BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover November 2018

English Part November 2018

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত নয়, শান্তির মধ্য দিয়ে আসবে সমৃদ্ধি  : প্রধানমন্ত্রী 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটি রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যাটিকে রাজনৈতিকভাবে মীমাংসা করতে হবে। মিলিটারি দিয়ে এর সমাধান হবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোববার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সম্প্রীতি অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অঞ্চলে আর কোনো সংঘাত নয়, যেন শান্তি বজায় থাকে। এই শান্তির পথ ধরে আসবে প্রগতি। প্রগতির পথ ধরে আসবে সমৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর জাতির পিতা দেশ শাসনের সময় পেয়েছেন। এই সময়কালে তিনি তিনবার পার্বত্য চট্টগ্রামে এসেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি আলাদা বোর্ড গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর আর তা অগ্রগতির মুখ দেখেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পরপরই ১৯৭৬ সালে এই এলাকা সংঘাতময় হয়ে ওঠে। বিশ বছর ধরে এই এলাকা ছিল অবহেলিত। আমি ভাবলাম এরা আমার দেশের নাগরিক। সুতরাং এদের অবহেলিত রাখা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৭০ সালে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘোরার। সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। বাছালং যাওয়ার চেষ্টা করি, ছোট হরিণ্যা, বড় হরিণ্যা ঘুরেছি। আমি দেখেছি পার্বত্য চট্টগ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। এখানকার মানুষগুলো সহজ-সরল। সে জায়গায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এসে কমিটি করি। তৃতীয় পক্ষের সমঝোতা ছাড়া শান্তিচুক্তি করি। শুধু শান্তিচুক্তি নয়, শান্তিচুক্তির পাশাপাশি ১৮ জন অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। আমরা তাদের চাকরি ও পুনর্বাসন করি। তারা যে দাবি করেছে সে দাবি অনুযায়ী ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসন করি।
তিনি বলেন, আমরা অধিকাংশ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। কিছু চুক্তি চলমান আছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে।
 

 
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন অক্টোবর ২০১৮

 অক্টোবর ’১৮ মাসে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৯১ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে BHRC’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-IHRC’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে অক্টোবর ২০১৮ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৯১টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। BHRC এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অক্টোবর ২০১৮ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৭টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৯১ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ২ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪১ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৬ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৫ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৯ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৮৪ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ২ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২১৪ জন এবং আত্মহত্যা ১৩ জন।
অক্টোবর ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ১৮ জন, যৌন নির্যাতন ২১ জন, যৌতুক নির্যাতন ৫ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
 

 

 BHRC'রাঙ্গুনিয়ায় মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৮ অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সহায়তায় এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে “রাঙ্গুনিয়া মানবাধিকার সম্মেলন” ২৭ অক্টোবর ২০১৮ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায় সোহাগ কমিউনিটি সেন্টার (রাঙ্গুনিয়া থানার নিকটে) চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ, এমপি।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ কে.এম. মুছা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় গভর্নর সেতারা গাফফার, চট্টগ্রাম মহানগর গভর্নর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন, ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, চট্টগ্রাম উত্তর শাখার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর নির্বাহী সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ হারুন-অর-রশিদ, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জসিম আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সহ-সভাপতি এবং বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভুইয়া, বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার দাশ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নির্বাহী সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, বান্দরবান জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি নিলীমা আক্তার নিলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সম্মেলন পরিচালনা করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ ইসকান্দার মিয়া তালুকদার।
উক্ত মানবাধিকার সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরের মানবাধিকার কর্মীগণ যোগ দেন।
 

  ফেনীতে গৃহকর্মী নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী আটক
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
ফেনীতে রতœা আক্তার বৃষ্টি (১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী লাভলী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার বৃষ্টি বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার পরশুরাম উপজেলার মধ্যম ধনিকুন্ডা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রতœা ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের লাভলী আক্তারের বাসায় কাজ নেন। লাভলী আক্তার গৃহকর্মী বৃষ্টিকে ঢাকায় তার মেয়ে মেরীর বাসায় কাজে পাঠান। সেখানে মেরী তাকে কারণে-অকারণে মারধর করতেন। এতে বৃষ্টি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পুনরায় ফেনীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গত দুই মাস ধরে লুকোচুরি করে বৃষ্টিকে ফেনীর বাসায় চিকিৎসা করান লাভলী আক্তার। এর মধ্যে সোমবার সকালে পুনরায় মারধর করলে বৃষ্টির ঠোঁট কেটে যায়। এমতবস্থায় কোনোভাবে রক্ত বন্ধ করতে না পারলে দুপুরে ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃষ্টিকে ভর্তি করে পালিয়ে যান লাভলী আক্তার।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লাভলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

 

BHRC'র ঢাকা জেলা শাখার শপথ গ্রহণ ও পরিচিতি সভা
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা জেলা শাখার পরিচিতি সভা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আগামী ৬ অক্টোবর ২০১৮ রোজ শনিবার সকাল ১০:০০টায় ফকিরাপুল বক্স কালভার্ট রোডস্থ হোটেল রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নাসিমউল্লাহ হেমায়েত।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ডেপুটি গভর্নর মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন, ডেপুটি গভর্নর ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম সুমন, সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ হারুন-অর রশিদ, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ খান, ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবিএম শহীদুল কাদের পাপ্পু, বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা।
অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করান BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ অধীভুক্ত শাখার মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।

 


 

সআগামীতে প্রবৃদ্ধির তেজি ভাব অব্যাহত থাকবে : বিশ্বব্যাংক
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অর্থনীতির কিছু সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো হওয়ায় আগামীতে প্রবৃদ্ধির তেজি ভাব অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতে সুশাসন নিশ্চিত করাকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিতে উন্নতির তাগিদ দিয়ে চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছে বিশ্বব্যাংক। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন হালনাগাদ’ (বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট) প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া এবারের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে’ উঠে এসেছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা। রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি খরচ সঠিকভাবে করা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়ন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমানো এবং সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে আনাকেও চ্যালেঞ্জ মনে করছে সংস্থাটি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান বলেন, ‘ভালো প্রবৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো খাতে যে সরকারি বড় বড় প্রকল্প আছে, সেখানে খরচ বাড়বে। রপ্তানিতে গত বছর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। রেমিট্যান্স ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা অব্যাহত থাকবে। এবং এগুলো যদি ঘটে, তাহলে প্রবৃদ্ধির যে স্বাস্থ্যকর শক্তিশালী প্রবণতা ইদানীংকালে দেখা গেছে, সেটা চলমান থাকবে।’
ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিতে উন্নতির তাগিদ দিয়ে চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন জাহিদ হোসেন। তবে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদরা প্রবৃদ্ধিকে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমুলক করার তাগিদ দেন।
অর্থনীতিবিদ ড. জিল্লুর রহমান প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির মূল লক্ষ্য আসলে কী? ছয়-সাত-আট কি না, এ রকম শুধু সংখ্যার আলোচনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শুধুই কি উপসংহার টানতে হবে? এটা কি টেকসই?’
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্য সরকার ঠিক করেছে, সেটা সরকারি হিসাবমতে এখন প্রায় ৮ শতাংশের মতো। সমস্যাটা হচ্ছে এখানে আমি দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি। সংখ্যাটা সত্যিও যদি হয়, এটাকে টেকসই করাটা খুব কঠিন কাজ বলে আমার ধারণা।’
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে সমস্যা হলে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হতে পারে বলেও মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে গত ৮ অক্টোবর ২০১৮ প্রিন্স বাজার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ইঐজঈ’র সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উপদেষ্টা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, নাসরিন সুলতানা রিক্তা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহীন বক্স, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মোঃ কাওসার আহমেদ, মোঃ শরীয়ত উল্লাহ, মোঃ দেলোয়ার হোমেন মনা, দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম সরাই, আইন বিষয়ক সম্পাদিকা এডভোকেট ফেরদৌসী বেগম, সমাজকল্যান সম্পাদক ডাঃ মেহেনাজ নাসরিন শিলা, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইউনুস মোল্লা, নির্যাহী সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল খালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান।



সৌদি আরবে এবার নারী ব্যাংক প্রধান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে একটি ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সৌদি ব্রিটিশ ব্যাংক (এসএবিবি) ও আলাওয়াল ব্যাংকের একত্রীকরণের পর গঠিত হতে যাওয়া নতুন একটি ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন সৌদি নারীব্যবসায়ী লুবনা আল ওলায়ান।
বর্তমানে পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রয়েছেন এই নারী। আগামী দিনে অর্থলগ্নিকারী শিল্পে সৌদি নারীদের পথিকৃৎ হিসেবে থেকে যাবেন আল ওলায়ান।
ফোবর্সের ২০১৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় নাম উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা এই সৌদি নারী ব্যবসায়ীর।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটিতে নারীর ক্ষমতায়নে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এসএবিবি ও আলাওয়াল ব্যাংকের একত্রীকরণের ফলে নতুন ব্যাংকটি সৌদি আরবের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকে পরিণত হতে যাচ্ছে। ব্যাংকটির মূলধন দাঁড়াবে ১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসিও ব্যাংকটির আংশিক মালিকানায় থাকবে।
দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণশীল নীতি মেনে চলা সৌদি আরবের সাম্প্রতিক উদারপন্থা অবলম্বনেরই ফল হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত জুনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে সৌদি নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পায়।

 

 নববধূকে বিয়ে করলেন বরের বাবা! 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের বিহারের পাটনায় অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ বিয়ে করেছেন তাঁর ছেলের জন্য নির্বাচিত ২১ বছরের মেয়েকে! বিহারের সমশটিপুর জেলায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।
৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাম রোশান লাল, যিনি পাটনা শহরেই থাকেন। তিনি তাঁর ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন এবং অবশেষে ২১ বছরের স্বপ্নার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকিও হয়। স্বপ্না একই এলাকায় থাকেন।
দুই পরিবারের সম্মতিতেই রোশান লালের ছেলের সঙ্গে স্বপ্নার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের প্রস্তুতিও শুরু হয় মহাধুমধামে। দুই পরিবারই নিমন্ত্রণপত্র বিলি করেন, যেহেতু শিগগিরই বিয়ের দিন নির্ধারণ করা আছে। কথামতো বিয়ের দিন হলে উপস্থিত হন নিমন্ত্রিত অতিথিরাও।
যাহোক, নববধূ আশা নিয়ে অপেক্ষা করলেও বরের হদিশ আর পাওয়া যায় না। পরে খোঁজাখুঁজি শেষে জানা যায়, বর তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন!
দুই পরিবারের কেউই বিষয়টি জানতেন না। বিয়ের অনুষ্ঠানে অসংখ্য অতিথির সামনে দুই পরিবারই লজ্জায় পড়েন। রোশান লাল কনের মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, এখন কী করা যেতে পারে। স্বপ্নার মা-বাবা তাঁদের সম্মান বাঁচাতে চান এবং বলেন বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না। অবশেষে রোশান লালকে বলেন, তাঁদের কন্যাকে যেন তিনি বিয়ে করেন।
চিন্তিত রোশান প্রথমে রাজি না হলেও পরে ২১ বছরের স্বপ্নাকে বিয়ে করতে রাজি হন। এ পরিস্থিতি দেখে নিমন্ত্রিত অতিথিরাও অবাক হন, শোকাহত হন!

 

 বিশ্বে ইন্টারনেট ভিত্তিক শ্রমশক্তির ১৫ শতাংশ বাংলাদেশের


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে মানুষের জীবনধারা, বদলে যাচ্ছে কাজের ধরণ। পেশাগত কাজে আসছে পরিবর্তন। অনলাইনে কর্মসংস্থান ভৌগলিক বাধাকে অতিক্রম করেছে। এর বড় উদাহরণ ‘আউটসোর্সিং’। বিশ্বে এখন লাখ লাখ তরুণ অনলাইনে কাজ করছে। সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ভিত্তিক শ্রমশক্তির ১৫ ভাগ রয়েছে বাংলাদেশে। যাদের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের বেশি। ইন্টানেটের সুবাদে ভৌগলিক দূরত্ব মানুষের যোগাযোগে আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট-২০১৯: দ্য চেঞ্জিং নেচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে কাজের প্রকৃতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উত্পাদন খাতে প্রযুক্তিগত ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণ এবং সামাজিক অংশগ্রহণ বাড়ছে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন ভাবনার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত বিশ্বে দক্ষ শ্রমিকের অনেক চাহিদা বেড়েছে। উন্নয়নশীল দেশেও এর চাহিদা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়া, বলিভিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় দক্ষ জনশক্তির চাহিদা প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু মধ্য ও নিম্ন দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিকের চাহিদা সেভাবে বাড়েনি। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে জর্ডানে আধা-দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে মাত্র সাড়ে ৭ ভাগ। অন্যদিকে বাংলাদেশে এর চাহিদা না বেড়ে উল্টো ২০ ভাগ কমেছে। এসময়কালে বাংলাদেশে নিম্ন দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে।


  চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি (দক্ষিণ) এর শপথ গ্রহণ ও কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি (দক্ষিণ) এর শপথ গ্রহণ ও কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান ২৭ অক্টোবর ২০১৮ চট্টগ্রামের রেবতী মোহন লেন, দামপাড়ায় শাখা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC সদর দপ্তরের সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি (দক্ষিণ) ও গভর্নর সেতারা গাফফার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, BHRC’র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর নির্বাহী সভাপতি ও বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ হারুন-অর রশিদ, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন BHRC’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি (দক্ষিণ)এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুদ্দীন।



 

BHRC ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৮ অনুষ্ঠিত

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ৯:৩০টায় এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম টাউনহল ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় গভর্নর এড. এএইচএম খালেকুজ্জামান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এড. আনিসুর রহমান খান, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভা মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন BHRC ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. শিব্বির আহমেদ লিটন।
মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. নজরুল ইসলাম চুন্নু।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রাজিয়া সামাদ, নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি এড. রেজাউল করিম, কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শাহনেওয়াজ গাজী, ময়মনসিংহ মহিলা শাখার সভাপতি এড. রায়হানা খান, ময়মনসিংহ বাণিজ্যিক শাখার সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান রবিন।
বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, ময়মনসিংহ মহানগর বাণিজ্যিক শাখার সভাপতি আব্দুর রব মোশরফ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজ নুর খোকা, শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. শক্তি পদ পাল, নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মহিবুর রহমান লিটন, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুফিউর রহমান, ময়মনসিংহ বাণিজ্যিক শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম আজাদ সেলিম এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন বাণিজ্যিক শাখার সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা। সম্মেলন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
 

দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেই ১০ বছরের ভিসা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুবাইয়ের এমার রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ৬টি প্রকল্প থেকে কোনো বিদেশি নাগরিক বাড়ি কিনলেই তাকে দেশটির ভিসা দেওয়া হবে ১০ বছরের জন্যে। দুবাই ক্রিক হারবার ও ডাউনটাউন দুবাইয়ের মত অভিজাত এলাকা এ প্রকল্পের অন্তর্গত। যিনি বাড়ি কিনবেন তার পরিবারের সকল সদস্য দেশটির ভিসা পাবেন। তিন বছরে এ বাড়ির দাম পরিশোধের সুযোগও থাকছে। এমার রিয়েল এস্টেট আমিরাতে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে যে ৪ ভাগ রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয় তার অর্ধেক ছাড়ও দিচ্ছে।
আমিরাত সরকার দেশটির অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভিসা সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি শতকরা শতভাগ মালিকানায় কিছু বিশেষ ধরনের শিল্পে ফ্রি জোনের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগও দিচ্ছে আমিরাত। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছরের আবাসন সুবিধা সহ এসব বিষয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে।

 

 BHRC এসেক্স শাখার বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র যুক্তরাজ্য এসেক্স শাখা আয়োজিত এক সমন্বয়সভা ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ দুপুরে লন্ডনের মণ্টিপুরী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC এসেক্স শাখার প্রেসিডেন্ট আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সমন্বয়সভায় BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার ,এ্যাম্বাসেডর এমএস রহমান, UK সভাপতি গভর্নর আবদুল আহাদ চৌধুরী, গভর্নর মাসুদুল ইসলাম রুহুল ,গভর্নর সেকান্দার আলী জাহিদ, ইইউ কো-অর্ডিনেটর/গভর্নর তারাউল ইসলাম, ইংল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাফিজ, BHRC UK WOMEN কমিটির প্রেসিডেন্ট সাজিয়া সুলতানা স্নিগ্ধা, ইংল্যান্ড শাখার প্রেসিডেন্ট রুবি হক, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, BHRC'র বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, ঢাকার বৃৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া সহ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।


 

 দুর্গম এ গ্রামের অধিবাসীরা কেন চারপেয়ে জন্তুর মতো হাঁটে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ বছর আগে মানুষ হাঁটতে শিখেছে। কিন্তু এখনো তুরস্কের দুর্গম অঞ্চলের এক গ্রামের কিছু মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারা চার হাতপায়ে বন্য জন্তুর মতো করেই হাঁটে।
কিন্তু কেন সেই গ্রামের মানুষেরা চার হাতপায়ে হাঁটে? তারা কি ডারউইনের বিবর্তনের সেই সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করছে? নাকি অন্য কোনো কারণে তাদের মাঝে এ প্রবণতা তৈরি হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে প্রথম অনুসন্ধান শুরু করেন একদল তুর্কি বিজ্ঞানী। এরপর তা বিশ্বের অন্যান্য বিজ্ঞানীদেরও নজরে পড়েছে।
অনেকেই বলছিলেন, এরা দুপেয়ে মানুষ ও চারপেয়ে প্রাণীর মধ্যবর্তী পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু বিবর্তনের তথ্যপ্রমাণ বলে, এমনটা হওয়ার কথা নয়। কারণ মানুষ এ পর্যায় পেরিয়ে এসেছে বহু বছর আগেই। তাহলে কি এ গ্রামবাসীদের ক্ষেত্রে বিবর্তনের সূত্র বিপরীত দিকে চলছে?
সম্প্রতি সিক্সটি মিনিটস অস্ট্রেলিয়া নামে একটি টিভি অনুষ্ঠানে এ অধিবাসীদের চার হাতপায়ে হাঁটার কারণ তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে শেষ পর্যন্ত গবেষকরা বলেছেন এটা বাস্তবে একটি স্বতন্ত্র শারীরিক বিকৃতি সমস্যা। আর তারা সবাই মূলত একই বংশের সন্তান।
গবেষকরা দেখেছেন, তুরস্কের সে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী রিজিত ইলনেস ও তার স্ত্রীর ১৮টি সন্তান রয়েছে। তাদের মাঝে ছয়জনেরই একটি বিশেষ ধরনের বিকলাঙ্গতা রয়েছে। পরবর্তীতে তাদের সন্তানদের মাঝেও একই সমস্যা দেখা দেয়।
কী ধরনের সমস্যায় তারা এমন করে হাঁটে তা জানতে তাদের মস্তিষ্কে স্ক্যানও করেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায় তাদের মস্তিষ্কের সেরেবেলাম নামে একটি অংশে সমস্যা রয়েছে। তবে এ সমস্যার কারণেই যে এমনটা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তাদের জিনগত সমস্যাও রয়েছে বলে মনে করছেন কিছু বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছান, বংশগত শারীরিক সমস্যার কারণে তাদের অনেকেরই এ সমস্যা হয়েছে। সে এলাকাটি প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সাধারণ চিকিৎসাসেবা পৌঁছেনি। তাই চিকিৎসার মাধ্যমে যে তাদের সঠিকভাবে হাঁটা শেখানো যেত তাও জানত না তারা।
পরে অবশ্য বিজ্ঞানীরা তাদের ফিজিওথেরাপিস্ট ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবা দিয়ে সঠিকভাবে হাঁটা শেখানোর উদ্যোগ নেন। তবে বয়স্কদের ছোটবেলা থেকেই চার হাতপায়ে হাঁটার ফলে স্থায়ী শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে, যা হঠাৎ করে ঠিক করা যায় না। এভাবে হাঁটতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাদের সন্তানদেরও একই সমস্যা ছিল। যদিও অল্পবয়সী হওয়ায় তাদের সন্তানদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সোজা হয়ে হাঁটার অভ্যাস করা সম্ভব হয়েছে।
 



Top

 নির্যাতিতা সীমার সহায়তায় মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা সীমার শয্যাপাশে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখা।
গত ৮অক্টোবর দৈনিক কুমিল্লার কাগজ ও দৈনিক আজকের কুমিল্লা এবং ৯ অক্টোবর দৈনিক শিরোনাম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও কিশোর সার্জারী বিভাগের ৩নং বেডে চিকিৎসারত সীমাকে দেখতে যায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।পরিবারের পক্ষ থেকে সীমার উপর গৃহকর্তা নাজমুল ইসলাম অপু ও তার সহধর্মিনীর অমানবিক নির্যাতনের বিষয়টি কমিশন নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়। এ সময় সীমাকে বাকরুদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায় মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ। কিশোরী গৃহপরিচারিকা সীমার উপর নির্যাতনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করে মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ।

 

Top



 মাটির নিচে ১৯ তলা হোটেল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনের সাংহাই শহরের কাছে সংজিয়াং জেলার খনি অঞ্চলে একটি ২১ তলা হোটেল হচ্ছে। হোটেলটির ১৯ তলাই মাটির নিচে থাকবে। আর উপরে থাকবে মাত্র দুটি তলা।
নির্মাণাধীন এই অভিনব হোটেলটির কাজ শেষ হলে, ওই খনি এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। অনবরত মেশিনের শব্দ আর কালো ধোঁয়ায় জ্বালাতন থাকবে না। আনাগোনা থাকবে না শ্রমিকদেরও। ওই এলাকার আশেপাশে শ্রমিকরা বসবাস করতেন।
কিছু দিনের মধ্যে চালু হবে এই ঝাঁ চকচকে হোটেল। ফলে রুক্ষ এই খনি অঞ্চল হবে মনোরম ও মনোমুগ্ধকর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০১৮-র মে মাস থেকেই চালু হয়ে যাবে এই হোটেল। বিলাসবহুল এই অভিনব হোটেলে ছুটি কাটাতে পারবেন পর্যটকেরা।
এই হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। হোটেলটির বৈশিষ্ট্য শুনলে আপনি অবাক হবেন। কারণ, হোটেলের পুরোটাই মাটির নিচে । ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটার গভীর খনির ৮০ মিটার নিচে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে হোটেলটি। হোটেলের বেশ কিছুটা অংশ রয়েছে জলের নিচে ও। আর এটাই এই হোটেলের প্রধান আকর্ষণ। ব্রিটিশ সংস্থা আটকিনস্ এই হোটেলের নকশা বানিয়েছে।
হোটেলটির নামেই অবশ্য তার বৈশিষ্ট্যের আভাস পাওয়া যায়। হোটেলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিপ পিট হোটেল’। ২১ তলা হোটেলের ১৭টি ফ্লোর মাটির নিচে, দু’টি ফ্লোর পানির তলায় এবং দু’টি ফ্লোর মাটির উপরে।
হোটেলটিতে সব মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য ৩৮৩টি রুম রয়েছে। হোটেলের মাঝখানে কাচের তৈরি কৃত্রিম জলপ্রপাত রয়েছে। হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে উপরে তাকালে মনে হবে, ঠিক যেন পাহাড়ের গা বেয়ে ৮০ ফুট নিচে গভীর খাদে নেমে আসছে জলপ্রপাতটি।
হঠাৎ খনিকে বিলাসবহুল হোটেলে পরিণত করা হল কেন? আগে পুরোমাত্রায় সচল থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্তই ছিল ওই খনি এলাকাটি। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত চীনের।

 

BHRC বরিশাল মহানগর শাখা কর্তৃক নির্যাতিত শিশু লামিয়াকে চিকিৎসা সহযোগিতা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশু লামিয়ার উপর নির্যাতনের খবরশুনে শেরে বাংলা হাসপাতলে উপহার সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরিশাল মহানগরের সা: সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিনিধি জনাব আবু মাসুম ফয়সালের নেতৃত্বে বরিশালের মানবাধিকার কর্মিরা । এসময় তারা পুলিশ প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে পুলিশ কমিশনারকে তিনিই নিজ উদ্যোগে লামিয়াকে উদ্দার সহ নির্যাতনকারিকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা আশাকরি সকল আসামিকে সল্প সময়ের মধ্য ধরে আইনের আওতায় আনতে পাবেন। এসময় উপস্হিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি মোঃশামিম হোসেন। উপদেষ্টা রতন ভাই যুগ্ম সা: সম্পাদক পারভেজ সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।
 

২০১৯ সাল থেকে সারাদেশে অনলাইন ভ্যাট ব্যবস্থা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৯ এর জানুয়ারি থেকে সারা দেশে ভ্যাট ব্যবস্থা অনলাইন করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ফলে ঘরে বসেই করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ও ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন।
এতে হয়রানি ও ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে বলে মনে করে এনবিআর। ডিসেম্বরে প্রথমে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। এজন্য কমিশনারদের মতামত নিয়ে পরিবর্তিত ভ্যাট আইনকে বিবেচনায় রেখে নতুন অনলাইন রিটার্ন ফর্মও তৈরি করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর নতুন ফর্মের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
ব্যবসায়ীদের বিরোধিতায় নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে গেলেও ভ্যাট ব্যবস্থা অটোমেশনের কাজ চালিয়ে যায় এনবিআর। এজন্য নয় ডিজিটের নতুন ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর বিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭’র মার্চে। তবে সফটওয়্যার আপডেট, বিধিমালা সংশোধন, রিটার্ন ফর্মে ত্রুটির কারণে বারবার সময় দিয়েও অনলাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে সব জটিলতার। মোট ভ্যাটের ৫৬ শতাংশ বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে আসায়, এলটিইউতে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন রিটার্ন চালু করা হচ্ছে। আর আগামী বছরের জানুয়ারিতে চালু করা হবে সব ভ্যাট অফিসে ।
এতে ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে বলে মনে করেন এনবিআর। আর অনলাইন চালু ছাড়া নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রেজাউল হাসান (সদস্য, এনবিআর) এখন অনেক ডকুমেন্ট ফটোকপি করে দিতে হয়, কিন্তু এখন অফিসে বসে যেকোন কোম্পানি অডিট করা যাবে।
আব্দুল মজিদ (সাবেক চেয়ারম্যান, এনবিআর) বাংলাদেশ যে অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় পরিপূর্ণ সেটিকে ডিসিপ্লিনে আনতে হলে এর বিকল্প নেই। অনলাইনিং না হলে নতুন আইন প্রবর্তন হবে না।

 

পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পদত্যাগপত্র জমা দেন। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজ বলছে, নিকি হ্যালির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পদত্যাগের ব্যাপারে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন সাউথ ক্যারোলিনার সাব্কে এই গভর্নর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ওভাল অফিস থেকে আমার বন্ধু জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির ব্যাপারে বড় ধরনের ঘোষণা আসছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিকি হ্যালি ওভাল অফিসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
ট্রাম্পের সবচেয়ে আস্থাভাজন ছিলেন ক্যারোলিনার সাবেক এই নারী গভর্নর। তবে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা সেব্যাপারে কোনো তথ্য নিশ্চিত করেননি তিনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল উলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ বইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিকি হেইলির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়। বইয়ে প্রকাশিত এই গুজব ছড়িয়ে পড়ায় নিকি হেইলি মুখ খুলতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রেমের গুজবের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
হেইলির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের ব্যাপারে এইচবিও প্রোগ্রামের বিল মাহেরকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের ব্যাপারে তার কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ছিল; যা তিনি বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তবে চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকায় তিনি বই থেকে বাদ দিয়েছেন।
তবে তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বইটির শেষ লাইন পর্যন্ত পাঠককে পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এরপরই আপনি চমকপ্রদ বিষয়টি জানতে পারবেন।
এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন নিকি হেইলি। টুইটের শেষ জুড়ে দেয়া হয়, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের।
এদিকে, গুজবের জবাবে হেইলি বলেছিলেন, ‘চরম বিব্রতকর’, ‘বিরক্তিকর’ এবং ‘আসলেই এটি ঠিক নয়’। তিনি বিমানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুধুমাত্র তখনই ছিলেন; যখন সেখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিল। আমি কখনোই সেখানে একা ছিলাম না।
পদত্যাগকারী মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত সেই সময় বলেন, অধিকাংশ পুরুষই নারীদের সম্মান করেন। তবে অল্প কিছু পুরুষ আছেন যারা নারীকে সম্মান দিতে জানেন না; তারাই নারীকে নিয়ে এমন গুজব ছড়ায়।
নিকি হেইলি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক। ২০১০ সালে সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি।




মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাদকের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলার পরও একের পর এক ইয়াবার চালান আটকের ঘটনায় বোঝা যায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া। ইয়াবা সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এ মাদক সেবন করে যাচ্ছে।
যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইয়াবা বিপণনে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে- দেশবাসী এটাই দেখতে চায়। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর খসড়া সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও সেবনের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। বিশ্বের অনেক দেশেই মাদক ব্যবসার শাস্তি মত্যুদণ্ড। মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধে আমাদের দেশেও এ ধরনের একটি কঠোর আইনের প্রয়োজন রয়েছে। অবশেষে আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে, এটি স্বস্তিদায়ক।
বস্তুত সহজলভ্য হওয়ার কারণেই দেশে ইয়াবার ব্যবহার বেড়েছে। এসব মাদক বিপণনের যারা পৃষ্ঠপোষক, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে, দেশবাসী এটাই দেখতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে অনেকে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত হয়েছে, এসব তথ্য আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। ইয়াবা, হেরোইন- এসব মাদক সেবনের অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদকসেবীরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়। কাজেই মাদকের ব্যবহার বন্ধ না হলে সমাজে অপরাধের মাত্রা কমবে না। উদ্বেগের বিষয় হল, সমাজে ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। নতুন নতুন মাদকও দেশে প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কোনো বিকল্প ছিল না।
দেশের সীমান্ত এলাকায় কোন্ কোন্ রুটে ইয়াবা প্রবেশ করে তা বহুল আলোচিত। কাজেই দেশে যাতে ইয়াবা প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশে মাদকের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে যারা এসব পাচারের মূল হোতা তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে ইয়াবা দেশে প্রবেশ করে, সেহেতু এসব মাদক ব্যবহারকারীদের হাতে আসতে কয়েকবার হাত বদল হয়। এ চক্রের সব সদস্যকেই দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কিংবা মাদক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনকারী কোনো অসাধু ব্যক্তি যাতে নতুন আইন অপপ্রয়োগের চেষ্টা না করেন সেদিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখা দরকার। নতুন আইন অপপ্রয়োগের কোনো তথ্য পাওয়া গেলে এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
 

প্রত্যেক মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইনজীবী হিসেবে তাদের সেবা দিতে হবে। আমাদের দেশে বড় লোকরা নয়, সাধারণ মানুষরাই বেশি মামলা করতে আদালতে আসে। তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনের বেশি টাকা নেওয়া উচিত না।’
দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জজকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা মো. আবদুল হামিদকে সংবর্ধনা দেন। ওই অনুষ্ঠানে এসব বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো আইনজীবী যদি মামলার বাদী বা আসামি হয় তাহলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো আইনজীবী দাঁড়ান না। সবাই আইনজীবীর পক্ষে থাকায় সাধারণ বিচারপ্রার্থী আইনজীবী পান না। এটা ঠিক না। এ ধরনের মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত। আইনজীবীদের ঐক্যের কারণে যেন সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত না হয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আনিসুল হক দেশের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘দেশের বাজেট একসময় ৭৫৬ কোটি টাকা ছিল। এখন তা চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অচিরেই আমরা দেশের বাজেটের ৯০ শতাংশ নিজেরাই অর্থায়ন করতে পারব। এটা আমাদের বিরাট অর্জন। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবীরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন।’
আইনমন্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলা বারে ‘রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ভবন’ নির্মাণে এক কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন এবং এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৯৬ সালে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি প্রায় ২০ বছর আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং পাঁচবার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুব-উল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল আলম শহীদ।
তিনদিনের সফরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে জেলা শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। তিনি আগামীকাল বুধবার ঢাকায় ফিরবেন।


 

মানবাধিকার লঙ্ঘনই বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটি প্রয়োগের প্রতিবন্ধকতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যে দেশ যত শিক্ষিত; সে দেশ তত উন্নত। শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন নবীকূল শিরোমনি হযরত মুহাম্মদ (স.)। বর্তমান বিশ্ব শিক্ষার উপর অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষার মানোন্নয়নে অনেক মহা প্রকল্প গ্রহণ করে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারও সমগ্র বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি নির্ভর করার চেষ্টা চালাচ্ছে (বিশেষ করে মাধ্যমিক শাখা)। এ লক্ষ্যে শিক্ষকদেরকে আইসিটি প্রশিক্ষণসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ, প্রজেক্টরসহ কিছু কিছু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। তবে আমাদের শিক্ষাবিদ ও সরকারের উচ্চ মহলের হীনমন্যতায় শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ৯০ শতাংশেরও বেশি পিছিয়ে রয়েছে।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কম্পিউটারে কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। (তবে বর্তমানে নেট থেকে লোড দেয়ার সুযোগ রয়েছে)। কিন্তু এর পেছনে শিক্ষককে অনেক সময় ও শ্রম দিতে হয়। যা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার/ল্যাপটপে সম্ভব নয়। সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ১টি করে ল্যাপটপ (কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ল্যাব) দিয়েছে। তবে তা খুবই নিম্ন মানের হওয়ায় প্রায় সব গুলোই অচল। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে ল্যাপটপ কিনেছে। তবে অনেক মাদরাসায় শিক্ষকদের টাকায় শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, রেজিষ্ট্রেশন, ফরম পূরণসহ নানা কাজ পরিচালিত হয়ে থাকে। এমনকি বর্তমানে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৯০% শিক্ষার্থী শিক্ষিক হয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে স্নাতক পাস একজন শিক্ষকের মাসিক বেতন ১২০০০/- টাকা, বি.এড/ টাইম স্কেল সহ ১৬৫০০/- টাকা। বর্তমান বাজারে বাসা ভাড়া, ছেলে/মেয়েদের শিক্ষা ব্যয় ও পারিবারিক ভরন-পোষনের জন্য তাকে ক্লাস শেষে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়তি আয়ের জন্য কঠিনভাবে ব্যাস্ত থাকতে হয়।
সকাল ৯/৯:৩০-বিকাল ৪.০০/৪.৩০ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান, এরপরে পরিবারের ভরণ-পোষনের জন্য যুদ্ধ। তারপর কিভাবে একজন শিক্ষক ল্যাপটপ কিনবেন বা তার পেছনে সময় দিবেন? আমাদের দেশে প্রায় ৮০% শিক্ষকদের ল্যাপটপ কেনার সক্ষমতা নেই। তাছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পাঠানোর জন্য তাদের স্মার্ট ফোন থাকা আবশ্যক। কিন্তু তা নেই অধিকাংশ শিক্ষকের। আর যতোদিন শিক্ষকদেরকে পরিবারের ভরণ-পোষনের বিষয়ে ভাবতে হবে অর্থাৎ সরকার তাদেরকে যুগোপযুগী সম্মানী না দেবে ততদিনে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বোকামি।
একটি জ্বলন্ত উদাহরণ-আরাকান রাজসভার কবি ছিলেন “মহাকবি আলাওল”। রাজদরবার থেকে মোটা অংকের সম্মানী দেয়া হত তাকে পরিবারের ভরণপোষনের কোন চিন্তা করতে হতো না। তিনি শুধু কবিতা রচনা করে তা আবৃতি করে চললেন। পরবর্তীতে তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হলে তাকে রাজদরবার থেকে বহিস্কার করা হয় এবং তার সম্মানী বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে মহাকবি আলাওলকে পরিবারের ভরণ-পোষনের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় এবং তাঁর কবিতা রচনা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাঁকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে, তিনি আবার রাজসভায় যোগদান করেন এবং কবিতা রচনা শুরু করেন। তিনি যতোদিন পরিবারের ভরনপোষনের যুদ্ধে মগ্ন ছিলেন ততো দিনে একটি বর্ণও রচনা করতে পারেন নি। আমাদের দেশের শিক্ষকরা ১২০০০/- টাকা থেকে ১৬০০০/- টাকা বেতন পেয়ে পরিবারের ভরণ পোষনের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অন্য কাজ করবে। আর সরকার তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করবে। তা কি করে সম্ভব!
সচিবদের মোবাইল কেনার বরাদ্ধ ৭৫০০০/- টাকা, গাড়ির বরাদ্ধ আলাদা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বিনাসূদে/স্বল্প সূদে হাউজিং লোন ও সরকারি হাউজিং এ প্লট বরাদ্ধ সাথে উৎকোচ বানিজ্য ও সরকারি সম্পদ লুটতো থাকছেই। আর বেসরকারি অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য থাকছে সরকারের চাহিদা পূর্ণ করতে না পারলে এমপিও হারানোর হুমকি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অধিকাংশ বড় বড় ভবনগুলো শিক্ষকদের আর বঙ্গবন্ধুর সোনার স্বাধীন দেশে জরাজীর্ণ বাড়িগুলোর মালিক শিক্ষকরা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জেলখানার কয়েদিদের মতো সকাল ৯/৯.৩০ টা থেকে ৪.০০/৪.৩০ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে থাকবে, ক্লাস শেষে শিক্ষকরা পরিবারের ভরণ পোষনের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত বাড়তি আয়ের জন্য যুদ্ধ করবে (যা বিশ্বের কোথাও নাই)। শিক্ষকদেরকে “শিক্ষা ব্যবস্থা” কার্যকর করার জন্য স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সময়টুকু দেয়া হয় না। তদুপরি নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক যুগযুগ ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষিত করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপরে রয়েছে বইয়ের খড়গ। শিক্ষাবিদরা যেমন মান সম্মত শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছেন তেমনি সরকারও শিক্ষকদেরকে মানসম্মত সাম্মানি না দিয়ে শিক্ষার মনোন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। মোট কথা হলো সরকার যতোদিনে শিক্ষকদেরকে মানসম্মত সম্মানিসহ সার্বিক সুবিধা প্রদান না করবে, ততো দিনে দেশে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে না।
মো. দ্বীন ইসলাম হাওলাদার
প্রভাষক
দুমকি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা

 

 BHRC ভুলতা ইউনিয়ন শাখার মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতি

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (ভুলতা ইউনিয়ন) শাখা এর মাসিক সভা অনুঠিত হয় রুপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এর কার্যালয় এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান ভুইয়া, বিশেষ-অতিথি আনোয়ার সরকার নির্বাহী সভাপতি, ভুলতা ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ভুইয়া, সিনিয়র-সভাপতি তারেক, সহ- সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, সহ- সম্পাদক খাদেম হোসেন, আইন সম্পাদক মাফিজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মানিকুল ইসলাম মানিক, হাজী আমিরুল ইসলাম, সাখাওয়াত ইসলাম থানা সম্পাদক আরো অনেকই উপস্থিত ছিলেন।

 

Top

পৃথিবীর রহস্যময় কিছু স্থান, যেখানে কখনো যেতে পারবেন না!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা পাহাড়ের শৃঙ্গ হোক বা সবুজ বনভূমি অথবা নীল গভীর সমুদ্র কোথায় নেই মানুষের পদচারণা। কখনও পিঠে বেলুন লাগিয়ে ঝাঁপ দিয়েছে আকাশ থেকে, কখনও বা পিঠে অক্সিজেন ঝুলিয়ে পা রেখেছে কঠিন পর্বতশৃঙ্গে। পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গাতেই নিজের পায়ের ছাপ রেখেছে মানুষ। তবে পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে চাইলেও যাওয়া যায় না। যেমন লন্ডনের রানির ঘর কিংবা আমেরিকায় কোকা কোলার রেসিপি ভল্ট, এগুলিতে সাধারণ মানুষ চাইলেই যেতে পারে না। এগুলোই পৃথিবীর নিষিদ্ধ জায়গা। আজ আপনাদের জানাবো বিশ্বের এমন কিছু জায়গার তথ্য যেখানে সাধারণের যাওয়া নিষেধ।
ব্রাজিলের সাও পাওলোর স্নেক আইল্যান্ড: ব্রাজিলে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপটির নাম থেকেই বুঝা যায় যে কেন এটি নিষিদ্ধ। এই দ্বীপে প্রায় ৫০০০ এর ও বেশি প্রাজাতির বিভিন্ন বিষাক্ত সাপ রয়েছে। ৯৩ মাইলজুড়ে বিস্তৃত এই দ্বীপের প্রায় ১০ বর্গফুটে রয়েছে এক থেকে পাঁচটি সাপ। এই দ্বীপে যে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
আমেরিকার বোহেমিয়ার গ্রোভ: মন্টে রিও ২৭০০ একরের এই ক্যাম্পগ্রাউন্ড শুধুমাত্র জুলাইয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসনের সদস্যরা আসেন এই মাঠে। মনে করা হয়, ১৯৪২ সালের ম্যানহাটন প্রকল্পের আলোচনা হয়েছিল এখানে। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ।
এরিয়া ৫১: আমেরিকার একটি অতি গোপনীয় স্থান, যেখানে সাধারণ মানুষের যাওয়া একদমই নিষিদ্ধ। এটি আমেরিকার নেভাদা মরুভূমির একটি বিরাট অংশ জুড়ে অবস্থিত। তবে কেন এই জায়গা সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ, তা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। কারো মতে এই জায়গাটিতে আমেরিকার গোপন অস্ত্রাগার ও সৈনিকদের স্পেশাল ট্রেইনিং দেয়া হয়। আবার কারো মতে এখানে এলিয়েন শিপ/স্পেসশিপ অবতরণ করে, যা শুধু আমেরিকান সরকারই জানে।
ভ্যাটিকান সিটির সিক্রেট আর্কাইভ: যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক যুগিয়েছে,সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। খুব কম সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। এখানে প্রায় ৮৪০০০টি বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কি:মি: দীর্ঘ। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান, মেসনারি, প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
কিং শি হুয়ানের সমাধিস্থল: সশস্ত্র প্রহরা রয়েছে এখানে।সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কেউ বলেন, সমাধিস্থলে রয়েছে পারদের সমাহার, যা ক্ষতিকারক। কেউ বলেন, সমাধিস্থ করা হয়নি নাকি কিছু মৃতদেহ।
আমেরিকার নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড: প্রথমে ইয়েলো ফিভার, তার পর স্মল পক্স ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রোগীদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল ছিল। তার পর হাসপাতালগুলিও পরিত্যক্ত। বন্ধ করে দেওয়া হয় এই দ্বীপটি।
ইতালির পোভেগ্লিয়া: ইতালির ‘মোস্ট হন্টেড প্লেস’। অশরীরীরা নাকি এখানেই থাকেন, বলা হয় এমনটাই। উনিশ শতকে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করা হত, এই দ্বীপে। সেখানে এক চিকিৎসক নাকি রোগীদের উপর গবেষণা করতেন! এর পরই রটনা শুরু হতে থাকে। বিশেষ অনুমতিপত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।
রাশিয়ার মেজগোরে: উরাল পর্বতের কাছে ছোট্ট শহরটি ১৯৭৯ সালে তৈরি করা হয়েছে। গোটা শহরে প্রবেশ নিষেধ। মনে করা হয়, এটি নিউক্লিয়ার মিসাইল সাইট। তাই প্রবেশ করা যায় না। দুই ব্যাটেলিয়ন সেনা প্রহরা দেয় এই শহরে। ক্রেমলিনের দাবি, এটিতে খনি রয়েছে, আর কিছু নয়।
অস্ট্রেলিয়ার হার্ড আইল্যান্ড: ম্যাডাগাস্কার ও অ্যান্টার্কটিকার মাঝে রয়েছে এটি। অস্ট্রেলিয়ার এই দ্বীপটি বরফে আবৃত। রয়েছে সিল মাছ ও পেঙ্গুইনের আনাগোনা। প্রবেশ নিষেধ এই দ্বীপে।
আইসল্যান্ডের সার্ৎসে আইল্যান্ড: এই দ্বীপটি আইসল্যান্ডের উপকূল থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট। কিন্তু অসংখ্য গাছ ও ৩৩৫টির বেশি অমেরুদণ্ডী শ্রেণির প্রাণীর সমাবেশ রয়েছে এখানে। বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্যই মূলত বাইরের কারও প্রবেশ নিষেধ।
ডালাসে অবস্থিত গুগল ডাটা সেন্টার: ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে নির্মিত ডালাসে অবস্থিত এই গুগল ডাটা সেন্টারটি সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখে। এখানে কারোর প্রবেশাধিকার নেই, এমনকি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেরও! গুগলের এই ডাটা সেন্টারের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তাদের নিজেদের প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে!
জেরুজালেমের ডোম অব দ্য রক: জেরুজালেমের ডোম অব দ্য রকে যাওয়া যায় না। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট পবিত্রতম স্থান। কিন্তু এখানকার ডোম অব দ্য মাউন্টে প্রবেশাধিকার নিয়ে বিশেষ ধর্মীয় নির্দেশিকা রয়েছে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘর: লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ পর্যটকের কাছে আকর্ষণের জায়গা। তবে রানির ঘরে প্রবেশ করার কোনও অনুমতি নেই। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ থাকেন এখানে।
কোকাকোলা রেসিপি ভল্ট: কোকাকোলা পানীয় হিসেবে আমাদের সবার কাছেই পরিচিত। পৃথিবী জুড়ে এই কোলা, এর ক্লান্তি দূর করার ক্ষমতা ও স্বাদের জন্য খুবই সমাদ্রিত। আর স্বাদের পেছনে রয়েছে একটি মহামূল্যবান রেসিপি। আমেরিকার আটলান্টায় কোকা কোলার রেসিপি রাখা রয়েছে একটি ভল্টে। ৬.৬ ফুটের হাই স্টেপ ভল্ট এটি। রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, সশস্ত্র বাহিনী। বিশেষ কি প্যাড ও হ্যান্ড স্ক্যানার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতেই পারবেন না এখানে।
সালবার্দ বীজ ভান্ডার: নরওয়ে এর স্পিটসবার্গেন দ্বীপের তুষার আবৃত একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এই বীজ ভাণ্ডারটি। এখানে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের গাছের বীজ সংরক্ষিত রয়েছে। এবং প্রতিনিয়তই নতুন বীজ সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। পৃথিবী তে যেকোন সময়ই ঘটে যেতে পারে মহাদুর্যোগ। আর তার সাথে ধংস হতে পারে আমাদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গাছ। আর সেই ঘটনা কে সামনে রেখেই এই বীজ ভান্ডারটিকে তৈরি করা হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র কিছু বিজ্ঞানী ও গবেষকই ঢুকতে পারেন।

 
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ দিনে সাড়ে ৫ ডলারের কম অর্থে দিন কাটায়: বিশ্বব্যাংক


বিশ্বে হতদরিদ্রের সংখ্যা কমলেও এখনও বিশ্বের অর্ধেক মানুষ সাড়ে ৫ ডলারের কম অর্থে দিন যাপন করে। এদিকে একই সঙ্গে ধনী দেশগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। বুধবার বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
দ্বি-বার্ষিক এ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক সামগ্রিক দারিদ্রতার ওপরে আলোকপাত করেছে। একই সঙ্গে তারা এও জানিয়েছে গত ২ বছরে বিশ্বজুড়ে কমেছে হতদরিদ্রের সংখ্যা। যে সকল ব্যাক্তি দৈনিক ১.৯০ ডলারের নিচে আয় করে তাদের হতদরিদ্র বিবেচনা করা যায়। রিপোর্টটি বলছে এখনও বিশ্বে দরিদ্রের সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে বড় রকমের বৈষম্য রয়েছে।
যদিও গত কয়েকবছরে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার শ্লথ এরপরেও ২০১৩ থেকে ১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ৬ কোটি ৮০ লাখ দরিদ্র মানুষ কমেছে। যা যুক্তরাজ্য কিংবা থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। তবে উন্নতি সত্ত্বেও রিপোর্টটি বলছে বিশ্বব্যাংকের ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি দরিদ্র মানুষ কমিয়ে ৩ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।
১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৬৭ থেকে ৪৬ শতাংশে নেমে এসেছে। চীনের অর্থনৈতিক বিপ্লবের সুবাদে পূর্ব এশিয়া এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র ৬০ পয়েন্ট কমে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলে এখনও ৮৪.৫ শতাংশ মানুষ দিনে সাড়ে ৫ ডলারের নিচে আয় করে। বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষই স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করে।
 


 বেলজিয়ামে কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশি শায়লা শারমীনের জয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বেলজিয়ামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এন্টোয়রপেনের পিবিডিএ পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শায়লা শারমীন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বেলজিয়ামের এন্টোয়রপেন জেলা পরিষদ ও মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচনে বিদেশী অধ্যুষিত এলাকায় ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন।
যোগ্যতা আর মেধার পরিচয় দিয়েই নির্বাচিত হন শায়লা শারমীন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেও সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। শায়লা শারমীন স্থানীয় বেলজিয়াম নাগরিকসহ সব দেশের নাগরিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বরিশালের মেয়ে শায়লা শারমীন স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও একমাত্র পুত্র সায়মনকে নিয়ে এন্টোয়রপেনে বসবাস করছেন। ১৫ বছর পূর্বে ব্যবসায়ী স্বামী জাহিদুল ইসলামের সূত্রেই বেলজিয়ামে যান শায়লা শারমীন। তার এই বিজয়ে বেলজিয়ামে বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর সব বাংলাদেশি ও ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শায়লা শারমীন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

 

কারাগারে থেকে মাধ্যমিকে পাঁচটি লেটার নিয়ে উত্তীর্ণ মাওবাদী নেত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেত্রী ঠাকুরমণি মুর্মু ওরফে তারা।
রাতের মাওবাদী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি, একজন শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেত্রী। তার নাম ঠাকুরমণি মুর্মু। মাওবাদীরা যাকে ‘তারা’ বলে ডাকে।
মাওবাদীদের মিলিটারি কমিশনের রাজ্য সম্পাদক বিকাশের স্ত্রী তিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ছিলেন ভারতের পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খাতায়।
তারা নামের এই মাওবাদী স্কোয়াড নেত্রী এখন রয়েছেন ভারতের দমদম কারাগারে। আর সেখানে থেকেই পাঁচটি লেটার মার্কসহ ৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলের ওসি অপহরণ, শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলাসহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত তারা বছর দেড়েক আগে গ্রেফতার হয়ে দমদম কারাগারে আসেন।
প্রথম দিন থেকেই কারা কর্তৃপক্ষকে বিরক্ত করতেন তিনি। কারাগারের অন্যান্য কয়েদিদের মতো নিয়ম মেনে চলতেন না।
সে সময় তারাকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে, তার মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগাতে চেষ্টা করেন কারাগারের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লিলি পোদ্দার। এতে সাহায্য করেন এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
হঠাৎ করেই বদলে যেতে শুরু করেন ঠাকুরমণি ওরফে তারা।
একদা আগেয়াস্ত্র ধরা হাত তুলে নেয় রঙ, তুলি আর ক্যানভাস। জেলে তারা ছবি আঁকা শেখা শুরু করেন। সঙ্গে এসে যোগ দেয় সাঁওতালি ভাষার গান।
পরিবর্তন আসতে শুরু করে এ শালবনি মাওবাদী নেত্রীর মধ্যে। ছবি আঁকা, গান ও নাচের মধ্যে দিয়েই যেতে থাকে তারার জেল জীবন।
হঠাৎ একদিন পড়াশুনায় মন দিতে ইচ্ছা করে তারার। যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ। শুরু তারার পড়ালেখা।
প্রতিদিনই হোমওয়ার্ক করতে থাকেন তারা। এসময় প্রায় মধ্যরাতে তারার সেলে আলো জ্বলতে দেখতে পেতেন দমদমের কারারক্ষীরা।
পড়ালেখার প্রতি তারার এমন মনযোগ দেখে জেল কর্তৃপক্ষ পুরদমে সাহায্য করতে থাকে তাকে।
এভাবে মধ্যরাতে না ঘুমিয়ে পড়াশুনা করে সিলেবাস শেষ করেন তারা।
জুন মাসে ভারতে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় তারার এমন ফলাফলে দমদম কারাগারে যেন খুশির বন্যা বইছে।
সাত বিষয়ে মধ্যে পাঁচটিতে লেটার নিয়ে ৫৭৯ নম্বর পেয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে জেল সুপারের ‘মেয়ে’ বলে আখ্যায়িত হয়েছেন দহিজুড়ির কুসুমডাঙার বাসিন্দা এ মাওবাদী।
দমদম জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষের ভিতরে খিদে থাকে। আমার মেয়ে ঠাকুরমণি তার খিদেটা সুন্দর ভাবে প্রস্ফুটিত করেছে।’
তারা এবার উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন বলে জানিয়েছে দমদম কারা দফতর সূত্র। ’

 

 ডাক বিভাগে ডিজিটাল সেবা
প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে


 

সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক বিভাগ ‘নগদ’ নামে নতুন একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা চালু করতে যাচ্ছে। ‘বাংলাদেশ পোস্টাল অ্যাক্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২০১০-এর ৩-এর ২এফ ধারার আইন অনুযায়ী সেবাটি পরিচালিত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ—এই লক্ষ্য সামনে রেখে ২০১০ সালে ডাক বিভাগ পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা চালু করে, যেটা ছিল ডাক বিভাগের প্রথম ডিজিটাল আর্থিক সেবা।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দেশের একটি পুরনো প্রতিষ্ঠান। দেশজুড়ে রয়েছে ৯ হাজার ৮৬৬টি পোস্ট অফিস এবং অসংখ্য দক্ষ কর্মী। যেকোনো সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে প্রথম প্রয়োজন হয় একটি অবকাঠামোর। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের তা আছে। দক্ষ যে কর্মী বাহিনী রয়েছে তাদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তাদের দিয়েই দেশে বড় বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। লক্ষ করলে দেখা যাবে, দেশের ডাক যোগাযোগের সব ধরনের সেবা শুরু হয়েছিল ডাক বিভাগের মাধ্যমে। শুরু থেকেই ডাক বিভাগ যেসব কাজ করে আসছে, সেগুলো হচ্ছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ডাক দ্রব্যাদি গ্রহণ, পরিবহন ও বিলি, ভ্যালু পে-এবল বা ভিপি সার্ভিস, বীমা সার্ভিস, পার্সেল সার্ভিস, বুক পোস্ট, মানি অর্ডার সার্ভিস, এক্সপ্রেস সার্ভিস, ই-পোস্ট ইত্যাদি। ডাক বিভাগই প্রথম জিইপি চালু করে। গ্যারান্টেড এক্সপ্রেস পোস্ট সংক্ষেপে জিইপি নামে পরিচিত। দ্রুত ও নিরাপদে চিঠি পাঠানোর জন্য জিইপি ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। একইভাবে সুলভে পার্সেল করার সুযোগ ছিল ডাক বিভাগে। ডাক বিভাগের সেবাগুলো নিয়েই দেশে এখন অসংখ্য বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস লাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। শুধু পার্সেল সার্ভিস পরিচালনা করে অনেক প্রতিষ্ঠান। আজকের দিনে মানি অর্ডারের জায়গা নিয়ে নিয়েছে বিকাশ-রকেটের মতো অনেক সেবা। অথচ সবার আগে সব ধরনের সেবা নিয়ে গ্রাহকদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল ডাক বিভাগের। দেরিতে হলেও ডাক বিভাগ নতুন করে সেবাসামগ্রী নিয়ে গ্রাহকদের কাছে যেতে চাইছে। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হবে।
ডাক বিভাগের আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে ডাক বিভাগকে আবারও জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতার। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত সব ধরনের আধুনিক সেবা পৌঁছে দেবে। সে সামর্থ্য প্রতিষ্ঠানটির আছে।


অবাধ, সুষ্ঠু, অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত : শ্রিংলা



বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। নির্বাচনী জোট নিয়ে ভারতকোনো ধরনের মন্তব্য করবে না। এসব কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইহমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর সেতু ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ও প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল আমরা। সে কারণেই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।
বাংলাদেশের ঐক্য প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী জোট নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র বিকাশ চাই। গণতন্ত্র নিয়ে কথাও বলতে পারি। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনী জোট নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের সহিংসতার প্রত্যাশা করে না ভারত।


জাতিসংঘের মরণোত্তর মানবাধিকার পুরস্কার পেলেন আসমা জাহাঙ্গীর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের মানবাধিকার নেত্রী আসমা জাহাঙ্গীর জাতিসংঘের মরণোত্তর মানবাধিকার পুরস্কার পেলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ পুরস্কার দেয়া হবে। আসমা জাহাঙ্গীর জাতিসংঘে বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ডের ওপর বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি একই পদে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাস নিয়ে কাজ করেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার ৭০তম বর্ষপূর্তিতে আসমা জাহাঙ্গীর এবার এ পুরস্কার পেলেন। প্রতি ৫ বছর পরপর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মানবাধিকার নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ জাতিসংঘ এ পুরস্কার প্রদান করে।
এছাড়া এশিয়া সোসাইটি নিউ ইয়র্কে গত পহেলা অক্টোবর আসমা জাহাঙ্গীরকে সন্মামনা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের রেকর্ড, ১০ বছরে ৬৮১৯৫ জনের পাসপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত বছর পর্যন্ত এক দশকে ইমিগ্র্যান্ট ও নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭২৭ বাংলাদেশি গেছেন আমেরিকায়। অপরদিকে, গত ৮ বছরে লাল-সবুজ পাসপোর্ট বিসর্জন দিয়ে মার্কিন সিটিজেন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন ৬৮ হাজার ১৯৫ জন। ইউএস সিআইএস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৬ বাংলাদেশি গেছেন গ্রিনকার্ড নিয়ে। অর্থাৎ তারা পারিবারিক কোটা অথবা ডিভি লটারি কিংবা অন্য কোন পন্থায় ইমিগ্র্যান্ট ভিসা লাভ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী-১৭১৪৭ জন গেছেন ২০১৬ সালে। দ্বিতীয় বৃহৎ হচ্ছে ১৫৪৯৪, ২০০৯ সালে। ২০০৮ সালে ৯৪০৯, ২০১০ সালে ১৩২৮৭, ২০১১ সালে ১৫০১৯, ২০১২ সালে ১৩৭৭৪, ২০১৩ সালে ১০৬৯৩, ২০১৪ সালে ১২০৯৯, ২০১৫ সালে ১৪০৯৩, ২০১৭ সালে গেছেন ১২৩৩১ জন।
নন-ইমিগ্র্যান্ট তথা স্টুডেন্ট, ট্যুরিস্ট, বিজনেস, ব্যবসা, কূটনীতিক ভিসায় গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮১ জন। সবচেয়ে ২০১৪ সালে ৩৫০২৫ জন। ২৮০৮০ জন গেছেন ২০১৩ সালে। ২০০৮ সালে ৮৬২৭, ২০০৯ সালে ১০৫৪৪, ২০১০ সালে ১১১০৬, ২০১১ সালে ১১২৩৮, ২০১২ সালে ১৫৯১১, ২০১৩ সালে ২৮০৮০, ২০১৫ সালে ২১৬৩৬, ২০১৬ সালে ১৭৭১৫ এবং ২০১৭ সালে গেছেন ১৪৪৯৯ জন বাংলাদেশি।
এর মধ্যে কতজন ফিরেছেন সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই বিবাহ, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় গ্রিনকার্ড লাভ করেন।
ইউএসসিআইএসের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি (৯৯৪৯) সিটিজেনশিপ নিয়েছেন। সবচেয়ে কম ৬৯৭৯ জন সিটিজেন হিসেবে শপথ নেন ২০১০ সালে। ২০১১ সালে ৭৩৫, ২০১২ সালে ৮৪১৭, ২০১৩ সালে ৯৫৭১, ২০১৪ সালে ৭৪৭৫, ২০১৫ সালে ৯৭৫০ এবং ২০১৭ সালে ৮৬২৯ জন সিটিজেন হয়েছেন। গ্রিনকার্ড পাবার ৫ বছর পরই সিটিজেন হওয়া যায় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিধি অনুসরণ করতে হয়।
জানা গেছে, ডিভি লটারি থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ যাবার পর ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে পারিবারিক কোটা বহাল থাকায় সে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহ অনুযায়ী পারিবারিক কোটাকে সংস্কারের যে উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে সেটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশিদের আগমনের হার ক্রমান্বয়ে কমবে বলে সকলের ধারণা। কেবলমাত্র মেধাবি এবং দক্ষতা, উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন স্বজনরাই তখন ইমিগ্র্যান্ট ভিসার যোগ্য হবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী মনোভাবকে ধরাশায়ী করতে ৬ নভেম্বরের মধবর্তী নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম এবং ডেমোক্র্যাটরা এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ।
সিটিজেনশিপে ভারতীয়রা : গত বছর ৫০ হাজার ৮০২ জন ভারতীয় শপথ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন হিসেবে। আগের বছরের চেয়ে তা ৪ হাজার বেশী। ২০১৫ সালে শপথ নেন ৪২২১৩ জন ভারতীয়। অর্থাৎ, প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার জন করে বেড়েছে। গত বছর মোট ৭ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জন বিদেশী শপথ নেন আমেরিকার নাগরিক হিসেবে। আগের বছর সে সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬০। তারও আগের বছর ছিল ৭ লাখ ৩০ হাজার ২৫৯।
অর্থাৎ, সারাবিশ্বের লোকজনের সিটিজেনশিপ গ্রহনের পরিমাণ ক্রমেই বেড়েছে ভারতীয়দের। গত বছর সবচেয়ে বেশী মেক্সিকান শপথ নেন, ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৯। অনেক কম হলেও ভারতীয়রা হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসী এবং তৃতীয় শীর্ষে রয়েছে চীন ৩৭৬৭৪ জন। চতুর্থ ফিলিপাইন, ৩৬৮২৮। ডমিনিকান রিপাবলিকের ২৯৭৩৪ এবং কিউবার ২৫৯৬১ জন শপথ নিয়েছেন গত বছর।
গত বছর সিটিজেন হিসেবে শপথ গ্রহণকারিদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বেশি, ৩৯৬২৩৪ জন। গত বছর শপথগ্রহণকারি ভারতীয়দের মধ্যে ১২ হাজার জন বাস করছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। এরপরে রয়েছেন নিউজার্সিতে ৫৯০০ এবং টেক্সাসে ৩৭০০।

 

মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের


ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসন এ সফর বাতিলের কারণ হিসেবে একই সময়ে অভ্যন্তরীণ জরুরি কর্মসূচিকে দায়ী করেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও বিবৃতি দেয়নি। রোববার দিল্লির মার্কিন দূতাবাস ট্রাম্পের ভারত সফর বাতিলের খবর নিশ্চিত করেছে। খবর এনডিটিভির।
গত এপ্রিলে ভারতের তরফে ট্রাম্পকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। আগস্টে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স ওই আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এনডিটিভি জানায়, একই সময়ে ট্রাম্পের সিনেটে বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। এই ভাষণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিন ধার্য নেই। তবে ২২ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ ভাষণ দিয়ে থাকেন দায়িত্বরত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০১৫ সালে স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ স্থগিত রেখেই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দুই অর্থনীতির মধ্যে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মতবিরোধের মধ্যে এবারের কর্মসূচি বাতিল করলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল ব্যবস্থা ক্রয় চুক্তির বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের সময়ে পাঁচটি এস-৪০০ মিসাইল ব্যবস্থা কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা নিয়েও ভারতকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ইরান থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রেখেছে ভারত। ট্রাম্প আমন্ত্রণ বাতিল করায় ভারতের মোদি সরকারকে এখন নতুন কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। ট্রাম্পের বাতিল করা আবেদন আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধান নেবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ। ২০১৪ সালে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
 

ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে তিন কোটি টাকা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় দেশের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ইতোমধ্যে উক্ত অর্থ ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ৫৮টি জেলায় জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য বেগম হাজেরা খাতুন। লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের জন্য বিমান বন্দর এলাকা, হোটেল রেডিসন, দূতাবাস এলাকা, হোটেল সোনারগাঁ, বেইলি রোড এলাকায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 ‘প্রত্যেক নারীর জীবনে রয়েছে নানা বঞ্চনা।

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

‘প্রত্যেক নারীর জীবনে রয়েছে নানা বঞ্চনা। আর এসব বঞ্চনা পেরিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। নারীর জীবনের বঞ্চনা ও সমস্যা নিয়ে কাজ করছে নারীপক্ষ।
নারীপক্ষ বিশ্বাস করে, নারীর অবস্থার ভিন্নতা রয়েছে। নারী বিত্তহীন, বিত্তবান। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তার অবস্থান এক। সুতরাং নারীকে কথা বলতে হবে নিজের মতো করে।’ বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী পর্বের স্বাগত বক্তব্যে সংস্থাটির সভানেত্রী অর্চনা বিশ্বাস এ কথা বলেন।
বাদ্যের তালে তালে নারীপক্ষ’র সদস্যদের নৃত্যের মধ্য দিয়ে ‘ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল : নারীপক্ষ’র স্বপ্ন ও ৩৫ বছরের পথচলা’ শীর্ষক উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। এ সময় ৬ বিশিষ্ট নারী নেত্রীকে স্মরণ করা হয়। তারা হলেন- অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর নাসরীন পারভীন হক।
নারীপক্ষ’র সদস্য ও পল্লীস্বাস্থ্য উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রোকেয়া বুলি, নারীপক্ষ’র স্বাস্থ্য দলের সদস্য করুণা সমাদ্দার, মমতাজ বেগম, ব্র্যাকের সিজিএসটির প্রধান সিমীন মাহমুদ এবং রোকেয়া রহমান কবীর। তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নারীপক্ষ’র সিনিয়র সদস্য শামসুননেছাকে ফুলের সংবর্ধনা জানান সংস্থার সভানেত্রী অর্চনা বিশ্বাস, রেহানা সামদানী কণাসহ অন্য সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে নারীপক্ষ’র নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সভানেত্রী রেহানা সামদানী কণা সূচনা বলেন, ‘নারীপক্ষ’র সদস্যরা বিশ্বাস করেন সারা পৃথিবীই নারীর যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধ করেই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে টিকে থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নারীপক্ষ ঘরেবাইরে নারীর ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার।’
‘নারীর অবস্থা ও অবস্থান’ শিরোনামে প্রথম কর্ম অধিবেশনে নারীপক্ষ’র সাবেক সভানেত্রী রীনা রায়, সদস্য গীতা দাস, সাবেক সভানেত্রী মাহীন সুলতান, নির্বাহী সদস্য রীতা দাশ রায়, সদস্য কামরুন নাহার, জাহানারা খাতুন, শাহনাজ আক্তার ও সাবেক সভানেত্রী ও নির্বাহী সদস্য ইউএম হাবিবুন নেসা তাদের বক্তব্যে সম্পদ, দায়িত্ব, অধিকারের ক্ষেত্রে নারীর অসম বণ্টনের কথা তুলে ধরেন।
দ্বিতীয় কর্ম অধিবেশনে নারীর মুক্তি আন্দোলন ও যৌনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নারীপক্ষ’র নির্বাহী সদস্য ফিরদৌস আজীম বলেন, ‘পতিতাবৃত্তি থেকে যৌনকর্ম, পতিতা থেকে যৌনকর্মী ইত্যাদি শব্দগুলো পরিবর্তন করার সুযোগ হয় ১৯৮৯ সালে। এ সময় যৌনকর্মীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল।’
আরেক নির্বাহী সদস্য ডা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘নারীর যৌনতা ও নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা এক সময় বলা যেত না। নারীর শরীর ও যৌনতাকে ঘিরে যে আচরণ তা নারীকে অনেক দূর পিছিয়ে দিয়েছে।
একজন শিশুর শরীর যেমন বাড়ে তেমনি তার মেধার বিকাশ হতে থাকে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তাকে সহযোগিতা করে। কিন্তু বিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে এগারো-বারো বছরের মেয়েশিশুর স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অথচ এই মেয়েশিশুটিই পড়াশোনা করে নিজের মতো বড় হয়ে যৌন হয়রানির মোকাবেলা করতে সক্ষম হতে পারত।’
নির্বাহী সদস্য রীতা দাশ বলেন, ‘নারীকে নারী হিসেবে চিন্তা না করে ভোগের বস্তু হিসেবে চিন্তা করা হয়। আর এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই নারীর ওপর সহিংস আক্রমণ হচ্ছে।’ সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাধনা গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের লুবনা মরিয়মের দল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রাঙ্গদা ‘নহি দেবী নহি সামান্য নারী’ পরিবেশন করে।
বাল্যবিয়েমুক্ত বিশ্বনাথে হিড়িক বাল্যবিয়ের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয় ২০১৬ সালের আগস্টে। কিন্তু এর পরও থামছে না বাল্যবিয়ে। এক সপ্তাহে কয়েকটি বাল্যবিয়ে ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি বাল্যবিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বাল্যবিয়ে নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানাইয়া মশুলা গ্রামে বাল্যবিয়ের আয়োজন করে বর-কনের পরিবার। রাতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এ খবর জানতে পারে উপজেলা প্রশাসন। পরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়েটি ভেঙে দেন। এ সময় বর ও কনের পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এদিকে গত ৩ অক্টোবর উপজেলার দৗলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে বর-কনের পরিবার বিয়েটি ভঙ্গ করার অঙ্গীকার করে। একই ঘটনা ঘটে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের রায়কেলী গ্রামেও।
 

নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামী, শ্বশুর, দেবর, ননদ, শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন করে খুন করার ৮ দিন পরও থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। যৌতুক না দেয়ার জের ধরে ২০ অক্টোবর রাত ৮টায় উপজেলা কাদিরপুর ইউনিয়নের ঘাটলা গ্রামে ঘাতকদের বসতঘরে শারীরিক নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ শাহিদা আক্তার মনার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে সুরতহাল শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক চিকিৎসক যুগান্তরকে জানান, নিহত শাহিদা আক্তারের বাম হাতের ৪টি আঙ্গুলই ভাঙা। এছাড়া সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত। নিহত গৃহবধূর বৃদ্ধ বাবা মফিজ উল্লাহ মুঠোফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে ২ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় ঘাতক স্বামী তার বাবা, ননদ, শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতনে শ্বাসরোধ করে খুন করছে। ঘাতক স্বামীর ভাই পুলিশ আলাউদ্দিনের প্রভাবে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দিলেও এফআইআর গ্রহণ করেনি। মেয়েকে নির্যাতন করে ৪টি আঙুল ভেঙে সারা শরীরে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। থানায় মামলা না নেয়ায় বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ঘাতকদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা যুগান্তরকে জানান, ওই ইউনিয়নে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খুনের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুরতহাল রিপোর্টে নিহত গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।


শালিখায় অবাধে বাল্যবিয়ে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাগুরার শালিখা উপজেলার সাত ইউনিয়নের ১১৮টি গ্রামে দেদারছে হচ্ছে বাল্যবিয়ে। উপজেলা প্রশাসন বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করলেও কৌশলে এ বিয়ে সম্পন্ন করছে অভিভাবক মহল। এলাকার সচেতন ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতারা ও কতিপয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে এই বিয়ে ঘটছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা এই বিবাহের শিকার হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জন্ম নিবন্ধন সনদ জাল করে ভুয়া বয়স বাড়িয়ে নিচ্ছে। অনেকেই আবার এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ ঘোষণা করেই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সংসার করছে।
এসব নাবালিকা মেয়েরাই অল্প বয়সে সন্তান ধারণ করে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে একদিকে ওই মেয়েদের চিকিৎসা করাতে পিতা বা স্বামীর হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, কয়েক বছর সংসার করার পর মেয়েরা নানাভাবে মানসিক, শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। কোনো মেয়ে বিষপানসহ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করছে। কিংবা হত্যার পর ফাঁস দিয়ে গাছে বা ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখছে এমন অভিযোগও রয়েছে। চলতি বছরে উপজেলার শতখালী ইউনিয়ন ও তালখড়ী ইউনিয়নসহ উপজেলার সর্বত্রই একের পর এক স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এসব বিয়ের সঙ্গে ইউনিয়নের কতিপয় কাজী বা পুরহিতরাও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিছু বাল্যবিবাহ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলেও পুনরায় অভিভাবক মহল কৌশলে নিজ গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে নিয়ে খুব গোপনে বিবাহ সম্পন্ন করেছেন। অথচ সরকারিভাবে মাগুরার চারটি উপজেলা তথা শালিখা, মহম্মদপুর, শ্রীপুর ও সদর উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। প্রত্যেকটি গ্রাম ও মহল্লার পথে পথে সাইনবোর্ড দেয়া রয়েছে যে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন।
এ ছাড়াও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি রয়েছে। এর পরও কোনোভাবেই মুক্ত হচ্ছে না এই বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের এই অভিশাপ থেকে কিশোরী মেয়েরা পরিত্রাণ পাচ্ছে না। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে এই বিয়ের হার অনেক বেশি। এর মধ্যে সীমাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ মাসের ব্যবধানে কমপক্ষে ১০ জন, বাউলীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ জন, শতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪ জন, সেওজগাতী আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ জন, আড়পাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৬ জনসহ কমপক্ষে শতাধিক বাল্যবিবাহ ঘটেছে। এ ব্যাপারে সেওজগাতী আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবি স্বপন বিশ্বাস বলেন, মূলত দুইটি কারণে এসব বাল্যবিবাহ ঘটছে, প্রথমত রাস্তায় বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি, দ্বিতীয়ত কন্যা সন্তানের প্রতি অভিভাবকদের অবহেলা।

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিন মাসে ছাড়া পেল ১১ হাজার বন্দি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিন মাসে ছাড়া পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২০ বন্দি। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৩ হাজার ৬৭৫, আগস্টে ৪ হাজার ১০৫ ও সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৯৫০ জন মুক্তি পেয়েছেন। এর বাইরে চলতি মাসের প্রথম ৬ দিনে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ২৮০ বন্দি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের কারাগারগুলোতে ‘লঘু অপরাধে’ বন্দি থাকা প্রায় ৬ হাজার আসামিকে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ওই তালিকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ১ হাজার ২৪৫ জনের নাম রয়েছে। তাদের বিষয়ে আদালতে নথিপত্র উপস্থাপন করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারা অধিদফতর ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৪ হাজার। এই মুহূর্তে এখানে সাড়ে ১০ হাজার বন্দি আছেন। কারাগারের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে কারা কমপ্লেক্সের ভেতর আরও দুইটি ছয় তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে। এ দুই ভবনে ৩ হাজার বন্দির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শিগগিরই ভবন দুটি বুঝে পাওয়ার আশা করছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। পুলিশ যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবে। এ কারণে নতুন দুটি ভবন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আর যদি সেরকম কিছু না হয়, তাহলে পুরাতন বন্দিদের অনেককেই নতুন ভবনে নেয়া হবে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি যেসব বন্দি মুক্তি পেয়েছেন তাদের ৬০ ভাগই মাদক মামলার আসামি। ২০ ভাগ রাজনৈতিক, বাকিরা অন্যান্য মামলার আসামি। ওই সূত্রটি জানায়, ৩ মাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন বন্দি এসেছে ১৭ হাজার ৫২২ জন।
এর মধ্যে জুলাইয়ে ৬ হাজার ৪৯৫, আগস্টে ৪ হাজার ৫৯০ ও সেপ্টেম্বরে ৬ হাজার ৪৩৭ জন। আর চলতি মাসের ছয় দিনে এসেছে ১ হাজার ৭৯৬ জন। আগে মাদক মামলার আসামি বেশি এলেও গত এক মাসে রাজনৈতিক মামলার বন্দি বাড়ছে।
বিএনপির দাবি, গত এক মাসে সারা দেশে ৪ হাজারের বেশি মামলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ জনকে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার যুগান্তরকে বলেন, গত এক মাসে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৯১টি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হিসেবে ৮ হাজার ৫৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৮৫৪ জনকে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৫৫১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৩৭ জন এখন রিমান্ডে আছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের এআইজি আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে লঘু অপরাধে যারা বন্দি আছেন, তাদের মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তালিকা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ও ফেনী কারাগার থেকে তালিকাভুক্ত বেশকিছু বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। তালিকায় থাকা অন্য বন্দিরাও একই প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, কারা অভ্যন্তরে নতুন দুটি ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলেও ভবনগুলো এখনও বুঝে পাইনি। ভবন দুটি তৈরি করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। তাই অধিদফতরকে ভবনগুলো দ্রুত বুঝিয়ে দিতে বলেছি। বুঝে পাওয়ার পরই সেগুলোতে নতুন বন্দি উঠানো হবে। আরেক প্রশ্নে ইকবাল চৌধুরী বলেন, কারাগারে নতুন বন্দি আসা বা বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো হাত নেই। আদালত কাউকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিলে আমরা তাকে রাখি। আবার কাউকে মুক্তির আদেশ দিলে আমরা কেবল সেই আদেশ প্রতিপালন করি।


নিয়োগ হচ্ছে আরো ৫০ হাজার পুলিশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বর্তমান সরকারের আমলে গত ৯ বছরে নতুন ১০টি ইউনিট যুক্ত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পুলিশে জনবল বেড়েছে ৭৫ হাজার। আরো ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন ইউনিটগুলো হলো। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স ব্যাটালিয়ন (এসপিবিন), নৌ পুলিশ, শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, এন্টি টেররিজম ইউনিট। সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট নামে আরো একটি ইউনিট ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন হয়ে গেজেটের অপেক্ষায় আছে।
জানা গেছে, পুলিশ বাহিনীতে ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পুলিশের বিভিন্ন পদে প্রায় ৩৩ হাজার পদ সৃষ্টির কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশের ৫০ হাজার জনবলের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪ হাজার ৭৭৮টি পদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১৫৬ এবং নন ক্যাডার পদে ৬৬৪ (ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট)। বাকি পদগুলো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গাজীপুর ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকা রেঞ্জের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই শুরু হয় পুলিশকে ঢেলে সাজানো। হাজারো সমস্যা জর্জরিত পুলিশ বাহিনীকে বদলে ফেলার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করে। আবাসন, যাতায়াত সমস্যা সমাধান করার পাশপাশি সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হয়। ওই সময় পুলিশের জনবল ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার বর্তমানে এ জনবল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩শ’৬৪ জন। অর্থাৎ ৯ বছরে প্রায় ৭৫ হাজার জনবল বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের ২ হাজার ৩৭০ জন। দ্বিতীয় ধাপে ৯ হাজার ৯০৬ পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ক্যাডার পদ ১২৯ এবং নন ক্যাডার পদ ১ হাজার ৮৭২টি। ঢাকা মেট্রোপলিটনে ৭ হাজার ১৫১টি পদ, যার ক্যাডার পদ ৮৯, নন ক্যাডার ১ হাজার ৩৩০ এবং অন্যান্য পদে ৫ হাজার ৭৩২। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্যাডার পদে ১৮, নন ক্যাডার ২৫৫ এবং অন্যান্য পদে ১ হাজার ২১। বরিশাল মেট্রোপলিটনে ক্যাডার পদে ১৩, নন ক্যাডার ১৮৬ এবং অন্যান্য পদে ৫০৫। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে ক্যাডার পদে ৯, নন ক্যাডার ১০১ এবং অন্যান্য পদে ৫৫০ জন।
এছাড়াও পুলিশের ৫০ হাজার জনবলের পদ সৃষ্টি করলে ৭৫০টি বিসিএস ক্যাডার, অতিরিক্ত আইজি ১১, ডিআইজি ২৮, অতিরিক্ত ডিআইজি ৪৫, পুলিশ সুপার (এসপি) ১৮২, অতিরিক্ত এসপি ৩৫১ ও এএসপি ১৩৩টি নতুন পদ হবে। এ ছাড়া ইন্সপেক্টর ২ হাজার ৯৮৫, এসআই ৯ হাজার ১৭৭, সার্জেন্ট ৩৬৫, নিরস্ত্র এএসআই ৮ হাজার ২১২, সশস্ত্র এএসআই ১ হাজার ৭৭১ জন, এএসআই ৪৩৩, নায়েক ৯৭৬, কনস্টেবল ২১ হাজার ৩৪৫ এবং সিভিল কর্মচারী ৩ হাজার ৯৮৬টি পদ সৃষ্টি হবে।
 

 

কিশোরগঞ্জে জোড়া খুনে চারজনের ফাঁসির রায়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিশোরগঞ্জে ছয় বছর আগের এক জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের মঙ্গলবার এ রায় দেন।
দণ্ডিত ২৫ আসামির সবাই রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরপরই তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া চার আসামি হলেন- আলামিন, মিজানুর রহমান, নাজমুল ও স্বপন মিয়া।
বিচারক ২৫ আসামির সবাইকে একলাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রায়ে।
২০১২ সালের ২৪ আগস্ট করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা গ্রামের কোবাদ মিয়া ও জাকারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
জজ আদালতের পিপি শাহ আজিজুল হক মামলার নথির বরাতে বলেন, কোবাদ মিয়ার ভাতিজার মোবাইল ফোন চুরি হলে চোর খুঁজতে গিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। এর জেরে কোবাদ ও জাকারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা মারা যান।
এ ঘটনায় কোবাদ মিয়ার স্ত্রী সুজাতা আক্তার থানায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পিপি আজিজুল বলেন, “সাক্ষ্য-প্রমাণে ২৫ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্থ করে আদালত এই রায় দিয়েছে।”


 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


ঋতু পরিবর্তনে স্বাস্থ্য সচেতনতা

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
গরমের পর শীত আসি আসি করছে। আবহমান কাল থেকেই ঋতুর এই পরিবর্তন চলে আসছে এবং চলতেই থাকবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্যের পরিবর্তন বা রোগ ব্যাধি হওয়াটই স্বাভাবিক।
ঋতু পরিবর্তনের সময় সবচেয়ে বেশি রোগব্যাধির প্রকোপ ঘটে শ্বাসতন্ত্রে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবার সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড দেখা যায়। তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে বলে এ সময় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বেশি হয়। নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে পানি ঝরা, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, জ্বর জ্বর ভাব ইত্যাদি দেখা যায়। এগুলো বেশিরভাগই ভাইরাস জনিত যা লক্ষণভিত্তিক কিছু চিকিত্সা, এমনকি চিকিত্সা ছাড়াও ভালো হয়ে যায়। এ সময় গরম চা, কুসুম গরম পানি, আদা রস, মধু, লেবুর রস, তুলশি পাতার রস ইত্যাদি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে কাশির সঙ্গে পাকা কফ বের হলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়া শীতকালে শুষ্কতার জন্য অ্যালার্জি, অ্যাকজিমা, সাইনোসাইটিস, বাতের সমস্যা, সোরিয়াসিস, অ্যাজমা, ত্বক ফাটা, ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে দেরি না করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা নিতে হবে। এ সময় শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যতœ নিতে হবে। ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার জন্য সচেতনতা, পর্যাপ্ত ঘুম, অধিক পানি পান করা, শরীর চর্চা ও পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ


গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্টের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বেশির ভাগ মানুষ হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় সে ঘুম আর ভাঙে না। পাশে শুয়ে থাকা মানুষটিও টের পায় না রাতে কিভাবে লোকটি হার্টব্লক করে মারা গিয়েছে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা: সাধারণত এই ব্যথা পেটের উপরের অংশে হয় এবং নির্দিষ্ট একটা জায়গাজুড়েই হয়। শরীরের অন্য অংশে এই ব্যথা ছড়ায় না।
হার্টের ব্যথা: যেহেতু আমাদের হার্ট বুকের বাম পাশে তাই হার্টের ব্যথা বুকের বামপাশ কিংবা মাঝখান থেকে শুরু হয়ে ঘাড়, বাম বাহু বা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে, অনেকটা হাতির পা বুকে চাপ দিলে যেমনটা হয় ঠিক তেমনি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ভারী পাথর বুকের উপর রাখলে যেমনটা ফিল হয় অনেকটা সেরকম। এই ব্যথায় রোগী শুয়ে থাকলে কিংবা দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলেও নিজেই নিজের হাতে বুকের বাম পাশটা চেপে ধরে বসে পড়েন।
হার্টের ব্যথায় প্রাথমিক চিকিৎসা: যে কোন বয়সে যে কোন সময় হার্টের ব্যথা উঠতে পারে। সেই ব্যথা কয়েক মিনিটে রোগী মারাও যেতে পারে। যদি আপনার ঘরোয়া চিকিৎসা জানা থাকা তবে প্রাথমিকভাবে মানুষটি বেঁচে যাবে।
হার্টের ব্যথা হলে যা করবেন: একসঙ্গে ৪টা এস্পিরিন ৭৫ সম (যা দোকানে ইকুস্প্রিন নামে পাওয়া যায়) পানিতে গুলিয়ে খাইয়ে দিন। কারণ ট্যাবলেট আমাদের শরীরে পৌঁছে কাজ করতে যে সময় নিবে সে সময়ের মধ্যে রোগী মারাও যেতে পারে। সেই দিক থেকে লিকুইড তাড়াতাড়ি কাজ করে। যদি মনে হয় ব্যথাটা হার্টের তাহলে জিহ্বার নিচে নিটোকার্ড নামক স্প্রে দুইবার দিন। দেখবেন রোগী অনেকটা সুস্থ বোধ করছে। এরই মধ্যে হসপিটাল নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করুন।
হার্টের ব্যথায় কখনোই যা করবেন না: হার্টের ব্যথায় রোগীর শরীরে ঠাণ্ডা ঘাম বের হওয়া স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রে রোগীরর বাড়ির লোকজন ১৮ ডিগ্রী সে. এসি চালিয়ে দেন। এতে ঠান্ডায় ব্লাড ফ্লো কমে যায়। তাই এসি না চালিয়ে নরমাল ফ্যানের বাতাসে রোগীকে রাখুন। অনেকেই আবার এই ব্যথায় রোগীকে সোজাসুজি শুইয়ে দেন। আরো একটি ভুল পদ্ধতি। যেহেতু ব্লাড সার্কুলেশনের অভাবে হার্ট অ্যাটাক হয়। এই সময় রোগী শুয়ে থাকলে ব্লাডের গতি আরো কমে যায়। তাই রোগীকে খাটে বসিয়ে পিঠের পেছনে বালিস দিয়ে হেলান দিয়ে রাখুন। সতর্ক থাকুন, নিজে বাঁচুন, প্রিয়জনের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।


যেসব অভ্যাসে কমবে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
শরীরের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। আর আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির মারাত্মক একটি অসুখের নাম হল লিভার সিরোসিস। এই রোগে লিভার পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, যার ফলে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি।
প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। আসুন জেনে নিন তার উপায়-
১) সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস-
যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর সে ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
২) টিনজাত বা বোতলজাত খাবার ও প্রসেসড ফুড একেবারেই খাবেন না-
প্রিজারভেটিভ যুক্ত এবং কৃত্রিম স্বাদ ও গন্ধযুক্ত টিনজাত খাবার আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই যতটা সম্ভব এই জাতীয় খাবার কম খান বা সম্ভব হলে বর্জন করুন।
৩) মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন-
মদ লিভারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে দেওয়ার জন্য দায়ী। সামান্য পরিমান মদ্যপানেও হতে পারে হেপাটাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগ। সুতরাং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং এই মরনব্যাধি থেকে দূরে থাকুন।
৪) নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস করুন-
পানি আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা পানি কম পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই পানি বেশি করে খান। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
৫) প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না-
অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খান। কিন্তু এই অভ্যাস লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ওষুধ খাবেন না। বিশেষ করে কোনও ব্যথানাশক (পেইন কিলার) ওষুধ।
৬) নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলুন-
শারীরিক পরিশ্রম শরীরে মেদ জমার পাশাপাশি লিভারে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে লিভারের মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন।


কোন বয়সে কত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পড়ার চাপ, পেশাগত চাপ, ঘুমের আগে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারসহ নানা কারণে অনেকেরই সঠিক ঘুম হয় না। আর দীর্ঘদিন এভাবে চললে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। তবে প্রতিদিন কতোটা ঘুমানো উচিৎ তা নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। এই মতের মধ্যে সাত ঘন্টা থেকে ১০ ঘন্টার কথাও রয়েছে।
মার্কিন স্লিপ ফাউন্ডেশন বয়সভিত্তিক ঘুমের সময় প্রকাশ করেছে। চলুন দেখে নিই তাদের হিসাব।
*বয়স: ০ থেকে ৩ মাস
ঘুমানো প্রয়োজন: ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা
*বয়স: ৪ থেকে ১১ মাস
ঘুমানো প্রয়োজন: ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা
*বয়স: ১ থেকে ২ বছর
ঘুমনো প্রয়োজন: ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা
*বয়স: ৩ থেকে ৫ বছর
ঘুমানো প্রয়োজন: ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা
*বয়স: ৬ থেকে ১৩ বছর
ঘুমানো প্রয়োজন: ৯ থেকে ১১ ঘন্টা
*বয়স: ১৪ থেকে ১৭ বছর
ঘুমানো প্রয়োজন: ৮ থেকে ১০ ঘন্টা
*বয়স: ১৮ থেকে ৬৪ বছর
ঘুমানো প্রয়োজন: ৭ থেকে ৯ ঘন্টা
*বয়স ৬৫+
ঘুমানো প্রয়োজন: ৭ থেকে ৮ ঘন্টা।


হাঁপানি প্রতিরোধে শীতের শুরুতেই করুন ১০টি কাজ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধুলোবালি এবং অন্যান্য জিনিস যা অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায় সেগুলো থেকে দূরে থাকলে হাঁপানি রোগীরা বেশ সুস্থই থাকেন। যাদের হাঁপানি বা অ্যাজমা রয়েছে তাদের পুরো বছরই বেশ সচেতন থাকতে হয়। তারপরেও শীতের শুরুর দিকে বিশেষ সর্তকতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ। এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে যায় এবং ধুলোবালি বেশি হয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক শীতের শুরুতে হাঁপানি প্রতিরোধে করতে যে কাজগুলো করা জরুরি।
১. ঘরোয়া জীবাণু মাইট কমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এখনই রোদে কাঁথা কম্বল, লেপ, তোষক দিয়ে নিন। এবং সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কাভারও রোদে দিন।
২. শোয়ার সময় বালিশ ঢেকে রাখুন পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে।
৩. ঘরের কার্পেট, ম্যাট সরিয়ে ফেলুন। নতুবা এগুলোতে ধুলো আটকে থাকবে।
৪. ঘন ঘন হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক পানি পান করুন। এতে শ্বাসনালীতে তৈরি হওয়া কফ পাতলা থাকবে। এতে করে কাশি কমবে, শ্বাসকষ্ট কমবে।
৫. সম্ভব হলে পুরো ঘর সপ্তাহে অন্তত ১ বার ভ্যাক্যুয়াম ক্লিন করুন।
৬. দরজা জানালার পর্দা, মশারি এগুলোও নিয়মিত ধোবেন এবং কড়া রোদে শুকিয়ে নেবেন।
৭. এলার্জি স্কিন টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিন কোনো কোনো কারণে আপনার দেহে অ্যালার্জেন ঘটে এবং সেসকল জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
৮. বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
৯. নিজে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। এবং বাড়িঘরের অ্যালার্জেন ও হাঁপানির প্রকোপ বাড়ায় এমন জিনিস দূর করুন। ঘর দোরের ধুলো-বালি ঝেড়ে মুছে পরিস্কার রাখুন।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খান।


২০০ রোগের প্রাথমিক সংকেত হলো মুখের ঘা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা’র মাধ্যমে। বর্তমানে মরণ রোগ এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়।
মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- এগুলিই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরর। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে। মুখের ঘা হওয়ার পেছনে এই সব অতি সাধারণ কারণ। এছাড়াও মুখের ঘা নানা মারণব্যধির কারণে হতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে আয়রন বা ভিটামিন বি-১২-এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যেমন- ফল, শাকসবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন থাকায় মুখের ঘা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে মুখের ঘা খুব বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জর্দা খান এবং অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি থাকে।
মুখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ। তাই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহার করতে যাবেন না। যা করবেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, চিকিৎসার পরও মুখের ঘা যদি দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই বায়োপসি বা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কারণ মুখের বেশ কিছু ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার ক্ষত বলে থাকেন। সুতরাং, মুখের ঘা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যতœ নিন। মুখের ভিতরের অংশে ঘা হওয়া মাত্রই তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে চাইলে


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক কাজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সার্টিফিকেট কিভাবে পাওয়া যায়? এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। মূলত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে গেলে বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে যায়। সেখানে আবেদন করার এক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
সেবাসমূহ
১. ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা এলাকার নাগরিকদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ১ সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হয়।
২. ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ কর্তৃক সত্যায়িত করে দেওয়া হয়।
৩. প্রার্থীর চাহিদামতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
৪. শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা-বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়।
যা করবেন
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর সাদা কাগজে আবেদন পত্রের সাথে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (অবশ্যই ১ম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত), বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে ৫০০ টাকা টাকা মূল্যমানের ট্রেজারি চালান- চালানের কোড নাম্বার (১-২২০১-০০০১-২৬৮১), পাসাপোর্টের স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানা যে কোনো একটি অবশ্যই ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ওই ঠিকানায় অবস্থান করতে হবে।
আরও পড়ুন- ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যা করবেন
যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন, সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়িত থাকতে হবে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে (এম.আর.পি) যদি ঠিকানা উল্লেখ না থাকে, সেক্ষেত্রে পাসপোর্টে যে স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের সনদপত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হবে।
স্পেনে যাওয়ার জন্য যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদন করবেন তারা সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবর উল্লেখিত কাগজপত্রসহ তাদের আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা-০৩ এ দাখিল করতে হবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রদত্ত টোকেনটি ডেলিভারির দিন অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর ওই অফিস থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
যাদের পাসপোর্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের ঠিকানা দেওয়া আছে, তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা বরাবর উল্লেখিত কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে।

কোথায় যাবেন
ডিএমপির সদর দফতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সেন্টারে সবসময় প্রস্তুত আছে একঝাঁক পুলিশ সদস্য। যারা এ সংক্রান্ত কাজগুলো আন্তরিকভাবে করে যাচ্ছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সরাসরি যোগাযোগ করুন। ডিএমপি সদর দফতর, কক্ষ নং-১০৯, হেল্প লাইন- ০১১৯১-০০৬৬৪৪ এবং ০২-৭১২৪০০০।

 

যৌতুকের মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছর রেখে আইন পাস



যৌতুক দেওয়া-নেওয়া এবং যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
কারও ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনও দণ্ডের বিধান ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান করলেও একই ধরনের সাজা হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।’
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়। গত ২৫ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে সংসদে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.