Cover March 2018
English Part
March 2018
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন ফেব্র“য়ারি
২০১৮
মোট
হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৮৪ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও
পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ইঐজঈ’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-ওঐজঈ’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে ফেব্র“য়ারি ২০১৮ মাসে সারা দেশে
মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৮৪টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফেব্র“য়ারি ২০১৮ মাসে গড়ে
প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৭টি। আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু
নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর
কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৮ সালের ফেব্র"য়ারি মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ১৮৪ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৫ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩৩ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৫৮ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শ"ংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ১১ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৫ জন, গুপ্ত হত্যা ৯
জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৯ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৭৫ জন, আত্মহত্যা ৩১ জন।
ফেব্র“য়ারি ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৭ জন, যৌন নির্যাতনের
শিকার ৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার ৬ জন।
মিয়ানমারকে দায় নিতে হবে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৮ ফেব্র“য়ারি গণভবনে
তিন নারী নোবেল বিজয়ী শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমার
নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন
শান্তিতে নোবেলজয়ী তিন নারী উত্তর আয়ারল্যান্ডের
ম্যারেইড ম্যাগুয়ার, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও
ইরানের শিরিন এবাদি। রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
তাঁরা বলেন, ‘সু চির কাছে জানতে চাই কেন রোহিঙ্গারা
শরণার্থী হয়েছে?’ তাঁরা জানান, সু চি এ ব্যাপারে চুপ
ছিলেন। এর দায়ও তাঁকে নিতে হবে। তাওয়াক্কুল কারমানবলেন,
‘রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো আমরা পরিদর্শন করতে
চাই। সে সুযোগ আমাদের দিতে অং সান সু চিকে আহ্বান
জানাই। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের দায় মিয়ানমারের
সরকারকেও নিতে হবে।’ কারমান আরও বলেন, ‘সরকারপ্রধান
হিসেবে সু চির দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ
করা। তা ছাড়া তিনি তো শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। কীভাবে
তিনি চুপ থাকতে পারেন? কেন তিনি সরকার প্রধান হয়ে
মিয়ানমার আর্মির এসব নির্যাতনের অংশীদার হচ্ছেন? সু
চির উচিত সরকার থেকে পদত্যাগ করা। অন্যাথায় তাঁকেও
বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ কারমান আরও বলেন, ‘আমরা সু
চির সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি।
কিন্তু দুঃখজনক, তিনি কোনো জবাব দিচ্ছেন না। আমরা
মিয়ানমারে যাব।’ ইরানের শিরিন এবাদি বলেন, ‘সু চিকে মনে
করিয়ে দিতে চাই তিনি যখন নিজ দেশে গৃহবন্দী ছিলেন তখন
তাঁর মুক্তির জন্য অনেক আন্দোলন করেছি। কিন্তু আজ তিনি
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে যেন চোখ বন্ধ করে
রেখেছেন।’ শিরিন এবাদি আরও বলেন, ‘সু চি যখন মিয়ানমারে
গৃহবন্দী ছিলেন আমরা তাঁর মুক্তির জন্য কাজ করেছি।
ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি
জানিয়েছি।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজে শান্তি
প্রতিষ্ঠা সম্ভব
বিচারপতি
আমীরুল কবির চৌধুরী
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র চেয়ারম্যান, সুপ্রীম
কোর্ট অ্যাপিলেট ডিভিশনের প্রাক্তন সিনিয়র বিচারপতি এবং
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি
আমীরুল কবির চৌধুরী বলেন, সকল স্তরে মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা
সম্ভব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতিমালায় সামান্যটুকু
ভুলত্র“টির মাধ্যমে লক্ষ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে
পারে, পক্ষান্তরে সুচিন্ত নীতিমালার মাধ্যমে লাখো কোটি
মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। তিনি আরও বলেন,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কর্মীদের সমাজের পিছিয়ে
পড়া মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে, এছাড়া সমাজে নিগৃহীত ও
নিপীড়িত মানুষকে আইনগত সহযোগিতা করে মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠায় বেগবান করা সম্ভব। বিচারপতি আমীরুল কবীর
চৌধুরী ১৭ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ সকালে ঢাকার গুলিস্তানস্থ
কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র
ঢাকা মানবাধিকার কনভেশন-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ
কথা বলেন। কনভেনশন উদ্বোধন করেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও
মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
কনভেনশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য
এডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, BHRC’র জাতীয় উপদেষ্টা
ও গভর্নর ডাঃ এএসএম বদরুদ্দোজা, গভর্নর মোঃ ফজলুর
রহমান শরীফ, BHRC’র গভর্নর ড. আর. কে. ধর, BHRC’র
গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, BHRC’র যুক্তরাষ্ট্র
শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কায়সার জামান চৌধুরী,
BHRCযুক্তরাজ্য নর্থ-ওয়েস্ট রিজিওনের সভাপতি মাঈনুল
আমিন বুলবুল, ঢাকা দক্ষিণের গভর্নর কুতুব উদ্দীন আকসির,
BHRC’র বিশেষ গভর্নর এম. এ. সোহেল আহমেদ মৃধা, ডেপুটি
গভর্নর মোয়াজ্জেম হোমেন মতিন, ঢাকা মহানগর উত্তর এর
সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর
সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ঢাকা মহানগর উত্তর এর
নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর
শাখার নির্বাহী সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি লায়ন মোঃ মোজাম্মেল হক
ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা শাখার সভাপতি
বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার, বরিশাল মহানগর শাখার
সাধারণ সম্পাদক আবু মাসুম ফয়সাল, উত্তর বঙ্গের বিশেষ
প্রতিনিধি এড. মোঃ জাহিদ ইকবাল, খুলনা মহানগর সাধারণ
সম্পাদক এড. অলিউল ইসলাম, চাদপুর জেলা শাখার সভাপতি এড.
মোঃ রুহুল আমিন, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি
বীরমুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবীর মোহন, মৌলভীবাজার জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ চৌধুরী, ঝালকাঠি জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, বান্দরবান পৌরসভা
শাখার সভাপতি নীলিমা আক্তার নীলা, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. গাজী আব্দুর রহমান রানা,
সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি শাখার সাধারণ সম্পাদক এড.
মোঃ বাদশাহ আলমগীর, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাধারণ
সম্পাদক শেখ মোঃ শহীদুল ইসলামসহ ৩০ জনের অধিক বক্তা
বক্তব্য রাখেন। কনভেনশনে মানবাধিকার কার্যক্রমে বিশেষ
অবদানের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীকে জাতীয়
মানবাধিকার স্বর্ণপদক, ১৯ জন বিশিষ্ট মানবাধিকার
কর্মীকে শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার পদক এবং ১৫ জন মানবাধিকার
কর্মীকে মানবাধিকার সম্মাননা পদকে ভূষিত করা হয়।
কনভেনশনে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণসহ দেশের প্রায় ৫০টি
জেলা থেকে আগত দেড়সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী সম্মেলনে
যোগ দেন।
BHRC বগুড়া আঞ্চলিক
সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র বগুড়া আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ৩ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ রোজ শনিবার সকাল
৯:৩০টায় টিটু মিলনায়তন, পার্ক রোড বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়
সংসদের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান। সম্মেলন উদ্বোধন করেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব
মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র বগুড়া আঞ্চলিক
সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম। সম্মেলনে প্রধান বক্তা
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
ডাঃ মকবুল হোসেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য সফুর বেগম,
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের গভর্নর সিকান্দার আলী
জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি একেএম
আক্তারুজ্জামান বাবুল। সম্মেলনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ
নুরুন নবী বুলু, নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সরদার
সালাউদ্দিন মিন্টু, জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি নূরুল
ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরাফাত
হোসেন (মুন), নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
হাফিজুর রহমান চৌধুরী, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। সম্মেলন পরিচালনা
করেন বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম.এম. রুবেল
তালুকদার। সম্মেলনে বগুড়া, জয়পুরহাট এবং নওগাঁ অঞ্চলের
পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
রোহিঙ্গাদের
দেখতে কুতুপালংয়ে সুইস প্রেসিডেন্ট
মানবাধিকার রিপোর্ট’
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে যাবেন সফররত সুইজারল্যান্ডের
প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসে।
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখো
রোহিঙ্গা কক্সবাজারের কুতপালংসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে
আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের বর্তমান অবস্থা দেখতে
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আজ সকাল ৯টায় সুইস
এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা
ত্যাগ করবেন। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিমানটি কক্সবাজার
পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট অ্যালেন
বেরসে বেলা সাড়ে ১১ টায় কুতপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প
যাবেন এবং দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অবস্থান
করবেন। এ সময় তিনি ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সাথে
কথা বলবেন এবং তাদের কাছ থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর
নির্যাতনের কাহিনী শুনবেন।
এরআগে ঢাকাস্থ সুইস দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়, সুইস প্রেসিডেন্ট চলমান রোহিঙ্গা সংকটে সংহতি
প্রকাশের জন্য বাংলাদেশে সরকারি সফর করছেন। তিনি
কুতপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয়
সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন। পরে তিনি কক্সবাজার সদর
হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। পরে সুইস প্রেসিডেন্ট বিকেল
সোয়া ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
সংশোধনী
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা
মানবাধিকার কনভেনশন-২০১৮ উপলক্ষে গত ১৭ ফেব্র“য়ারি
২০১৮ইং তারিখে প্রকাশিত স্মরণিকায় BHRC’র চেয়ারম্যান
বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরীর নিুাংশে সিনিয়র বিচারপতি
লেখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সিনিয়র শব্দের পরিবর্তে সাবেক
লেখা হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য BHRC আন্তরিকভাবে
দুঃখিত।
BHRC
টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র টাঙ্গাইল আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ২ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ রোজ শুক্রবার
সকাল ৯:৩০টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু ভিআইপি
মিলনায়তন, টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য
মোঃ সানোয়ার হোসেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন-BHRC’র টাঙ্গাইল জেলা শাখার
সভাপতি এড. এম.এ সাত্তার উকিল। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের
গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, টাঙ্গাইল জেলা গভর্নর
সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
কৃষিবিদ মীর মিজানুর রহমান, জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি
এড. ইসমত পাশা, টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি
নাসরিন জাহান খান বিউটি, জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক শাহ মোঃ সামসুল হুদা, মিরপুর আঞ্চলিক শাখার
সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। সম্মেলন পরিচালনা
করেন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী
তাজউদ্দিন আহমেদ রিপন। সম্মেলনে টাঙ্গাইল ও জামালপুর
জেলা অধিভুক্ত উপজেলা, পৌরসভা শাখার পাঁচশতাধিক
মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।।
সড়কে বাড়ছেই
মৃত্যু
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে এত আলোচনার প্রেক্ষাপটে যান্ত্রিক
যানের চালকরা ন্যূনতম সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে এমন
দৃষ্টান্ত বিরলই বলা চলে। বরং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি
চালানো যেন নিয়মেই পরিণত হয়েছে।
চালকের অদক্ষতা এবং ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচলের কারণে
দুর্ঘটনার সংখ্যা যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। অবস্থা
এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, একজন যাত্রী ঘর থেকে
বের হয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কিনা অথবা
দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড শেষ করে নিরাপদে ফিরতে পারবেন কিনা
এ নিয়ে প্রতি মুহূর্তে উদ্বেগের মধ্যে থাকতে হয়।
বিভিন্ন সংস্থার জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে বোরবারের
যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,
গত ১৩ বছরে সড়কে ৫৯ হাজার ৯৪১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন
৬৮ হাজারের বেশি যাত্রী। উল্লিখিত সময়ে আহত হয়েছেন ২
লাখেরও বেশি যাত্রী। যেখানে একজন ব্যক্তির হতাহতের
কারণে একাধিক পরিবারে নানারকম সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেখানে
এই বিপুলসংখ্যক আহত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের
সদস্যদের কী অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা সহজেই
অনুমান করা যায়।
রাজধানীর একজন গাড়ির মালিক বিচক্ষণতার সঙ্গে গাড়ির
চালক নিয়োগ প্রদান করেন। ফলে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনা
তুলনামূলক কম হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি
একেবারেই ভিন্ন।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের জরিপের
তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের শহরাঞ্চলে মোট সড়ক দুর্ঘটনার
৭৪ শতাংশই ঘটে রাজধানীতে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর
কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এবং অদক্ষ চালকের কারণে যে
প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে তাও বহুল আলোচিত। এছাড়া অন্য
যেসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে
তাও অজানা নয়। চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কতটা
আন্তরিক এটাই বড় প্রশ্ন।
একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে আর
কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত হাজির করবে, এটা কতদিন চলবে?
ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময়ও যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়,
এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কী হতে পারে? এ নিয়ে কোনো
জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুনতে চায় না কেউ।
সবাই চায় এর প্রতিকার। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ
কঠোর না হলে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা যে বাড়বে, এতে
কোনো সন্দেহ নেই। চিহ্নিত সমস্যার সমাধানে দায়িত্বশীল
কোনো ব্যক্তি দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর
পদক্ষেপ না নিলে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমবে না।
বস্তুত চালকের অসতর্কতা ও অবহেলার করণেই সড়ক দুর্ঘটনা
বাড়ছে। চালকদের তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও মনস্তাত্ত্বিক
প্রশিক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আলোচিত বিষয়ে
কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না। চালকদের সার্বিক
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াটাও অতি
জরুরি।
সিমটি
ফোরজি কিনা জানবেন যেভাবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফোরজি যুগে প্রবেশ করল দেশের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি।
১৯ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরকে
সরকারের পক্ষ থেকে ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তরের মধ্য
দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
গ্রাহকের সিমটি ফোরজি কি না তা জানা যাবে মোবাইল ফোন
অপারেটরগুলোর দেওয়া নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে।
গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা *১২১*৩২৩২# ডায়াল করলে ফিরতি
এসএমএসে পেয়ে যাবেন তার সিমটি ফোরজি কি না।
রবির গ্রাহকরা *১২৩*৪৪# ডায়েল করলে এবং বাংলালিংকের
গ্রাহকেরা মোবাইল ফোন থেকে ৪এ লিখে ৫০০০ নম্বরে এসএমএস
পাঠালে ফিরতি ম্যাসেজে ফোরজি সিমের বিষয়ে তথ্য পাবেন।
গ্রাহকের সিমটি যদি ফোরজি না হয়, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট
মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে
পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৮ অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ১০ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ রোজ শনিবার
সকাল ৯:৩০টায় এম. মনসুর আলী মিলনায়তন, সিরাজগঞ্জে
অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতে একটি র্যালী সিরাজগঞ্জ
জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয়
সংসদের সংসদ সদস্য গাজী এমএম আমজাদ হোসেন মিলন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র পাবনা-সিরাজগঞ্জ
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. গাজী আব্দুর রহমান রানা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ডাঃ হাবিবে মিল্লাত, সংসদ
সদস্য তানভীর ইমাম, সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন,
সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মন্ডল, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম,
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ লতিফ বিশ্বাস,
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC
বিশেষ গভর্নর এমএ সোহেল আহমেদ মৃধা, উত্তরবঙ্গ বিশেষ
প্রতিনিধি নূরুন নবী বুলু, বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
মোঃ রফিকুল ইসলাম, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সাইফুল
আলম স্বপন, নির্বাহী সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস সামাদ খান রতন
চলনবিল অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি কে.এম. বেলাল হোসেন
স্বপন। সম্মেলন পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউল করিম রাখাল। সম্মেলনে সিরাজ
ও পাবনা জেলার সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন।
বরগুনায় মানবাধিকার কমিশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন বরগুনা জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর শাখার
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় হোটেল বে
অব বেঙ্গলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন
পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বিপিএম, পিপিএম, বিশেষ অতিথি
ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান,বরগুনা পৌরসভার
প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপন, মানবাধিকার কমিশনের
জাতীয় সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা নাসির
উদ্দীন।সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, সঞ্চালনা
করেন অ্যাড, মোস্তফা কাদের। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন আলহাজ্ব আ: রব ফকির, অ্যাড,নিজাম উদ্দীন,শামস
উদ্দীন খান, অধ্যাপক ভাস্কর রঞ্জন, সোহেলি পারভীন ছবি
প্রমুখ। সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন
মনোয়ারকে সভাপতি ও অ্যাড,মোস্তফা কাদেরকে সাধারণ
সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বরগুনা জেলা কমিটি, শামস
উদ্দীন খান কে সভাপতি ও শহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক
করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বরগুনা সদর উপজেলা কমিটি এবং
জহিরুল হাসান বাদশাকে সভাপতি ও জয়দেব রায়কে সাধারণ
সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বরগুনা পৌরসভা কমিটি গঠন
করা হয়। ।
আজব গ্রাম,
যেখানে সবাই বাস করে মাটির নিচে!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাটির নিচে গ্রাম! ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
রূপকথার মতো এই গ্রামটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে
একটি আস্ত শহরই গড়ে উঠেছে মাটির নিচে।
কুবের পেডি নামের ওই শহরটি আর পাঁচ আধুনিক শহরের মতোই।
অ্যাডিলেড থেকে ৮৪৬ কিলোমিটার উত্তরে। প্রায় সাড়ে ৩
হাজার মানুষের বসবাস শহরটিতে।
যেখানে সকলেই মাটির নীচে বাস করেন! এই শহরটির জন্ম
১৯১৫ সালে। শহরটির মূল বৈশিষ্ট হল বহুমূল্য রতেœর খনি।
ড়ঢ়ধষ নামক রতœটি বিশ্বের ৯৫ শতাংশই পাওয়া যায় কুবের
পেডি এলাকা থেকে।
শহরটিতে বাইরে থেকে দেখলে তাজ্জব হতে হয়। চারিদিক
জনমানব শূন্য। স্থানে স্থানে গুহা। সেই গুহাগুলি থেকে
নেমে গিয়েছে সুড়ঙ্গের মতো সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি চলে গিয়েছে
গভীরে। সিঁড়ি ধরে নীচে নামলেই রূপকথা!
যেখানে সকলেই মাটির নীচে বাস করেন! অত্যাধুনিক
বাসস্থান। উচ্চপ্রযুক্তির সরঞ্জাম। রয়েছে দামি হোটেল।
সুইমিং পুল।কেন এই শহর মাটির তলায়? অস্ট্রেলিয়ার একটি
বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলে তীব্র গ্রীষ্মের দাপট।
গ্রীষ্মকালে কুবের পেডি এলাকায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায়
৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই সেখানকার মানুষ সকলেই মাটির
নীচে বাস করেন!
রোহিঙ্গারা আগের মতোই নৃশংসতার ঝুঁকিতে :
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝিমিয়ে পড়েছে উল্লেখ
করে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি) বলেছে, রোহিঙ্গারা আবারো
অতীতের মতো নৃশংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই
পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদার
সাথে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আস্থা রাখা যায় না।
গত ১২ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর শেষে
ব্রাসেলস থেকে দেয়া বিবৃতিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের
মানবাধিকার বিষয়ক সাব-কমিটির প্রধান পিয়ার অ্যান্তোনিও
এ কথা বলেন। ১১ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে অ্যান্তোনিও
ছাড়াও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির উরমাস পেইট,
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশনের মার্স তারাবিলা ও
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জেইন ল্যাম্বার্ড
ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গাদের
পরিস্থিতি সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেছে। এরপর তারা
মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) মিয়ানমারের
সাথে সম্পর্ক অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এতে
মিয়ানমারকে শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উৎসাহিত
ও অনুৎসাহিত করার নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।
ইপি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গত ২৩ নভেম্বর
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া চুক্তির পূর্ণ
বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সমস্যা সমাধানে
মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন আনার
আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির কার্যকর
পর্যবেক্ষণ, রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার কর্মীদের বিনা
বাধায় প্রবেশাধিকার ও গত আগস্ট থেকে এ রাজ্যে চালানো
ভয়াবহ নৃশংসতার জন্য একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত
চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ রাখাইন রাজ্যে
নৃশংস অভিযান চালানোর নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে মেজর
জেনারেল মং মং সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।
এর ফলে কানাডায় এই সামরিক কর্মকর্তার কোনো সম্পত্তি
থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই সাথে কানাডায় এই
অফিসারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও মেজর জেনারেল মং মং সোয়ের ওপর
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর
হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে
নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে
অভিযুক্ত করেছে। ইইউও মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকে
ইউরোপে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাখাইন
রাজ্যের দায়িত্ব থেকে মেজর জেনারেল মং মং সোয়েকে সরিয়ে
নিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
এ ব্যাপারে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া
ফ্রিল্যান্ড সিবিসি নিউজকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর
জাতিগত নিধন অভিযান চালানো হয়েছে। এটা মানবতার বিরুদ্ধে
অপরাধ। আমরা মনে করি জাতিগত নিধন চালানোর জন্য দায়ী
ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি। রোহিঙ্গাদের
মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘনের সাথে মেজর জেনারেল মং মং
সোয়ে সরাসরি জড়িত ছিল বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশে
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ
ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি প্রত্যাশা করছেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ
নির্বাচনের জন্য দেশটিতে একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক ১৬
ফেব্র“য়ারি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রত্যাশার কথা
জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার,
শাস্তি ও বাংলাদেশে পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের দিকে জাতিসংঘ
তীক্ষ্ম নজর রাখছে বলেও জানান দুজারিক।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের
প্রশ্নে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে
মুক্তি দেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় কোনো
পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে দুজারিক বলেন, ‘আমরা
আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। প্রত্যাশা ব্যক্ত করি...
যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই... এটা আমাদের মৌলিক অবস্থান।’
গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে
অযোগ্য করতেই খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা-
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের
মুখপাত্র বলেন, আমরা বলেছি পরিস্থিতির দিকে আমরা
তীক্ষè দৃষ্টি রাখছি। আমরা আশা করছি, অবাধ ও সুষ্ঠু
নির্বাচন যেন হতে পারে, সেরকম একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।’
জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্র“য়ারি
বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া
হয়। একই মামলায় তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও
দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের
পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন সাবেক
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
দুর্নীতি-অনিয়মে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না
প্রধান বিচারপতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুর্নীতি ও অনিয়ম পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে
সুপ্রিমকোর্টে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করলেন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
২৭ ফেব্র“য়ারি বিকালে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে তাদের
উদ্দেশে দেয়া অভিভাষণে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। বৈঠক
সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো রায়
বা আদেশ বিচারক কর্তৃক স্বাক্ষর হওয়ার পর তা দ্রুত
সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠিয়ে দেবেন। দিনের কাজ দিনে শেষ
করবেন।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এটাই প্রধান বিচারপতির
প্রথম বৈঠক। এতে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের
রেজিস্ট্রার, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, ডেপুটি
রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, বেঞ্চ অফিসার, সহকারী
বেঞ্চ অফিসার ও সুপারিনটেনডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ অফিসারদের
হাইকোর্ট বিভাগের কজলিস্ট (কার্যতালিকা) তৈরিতে
বিশেষভাবে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, কার্যতালিকা
ক্রমানুযায়ী সঠিকভাবে করতে হবে, এদিক-সেদিক করা যাবে
না। যেটা যেখানে থাকার কথা সেটা সেখানেই রাখতে হবে।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া
হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের যে কোনো আদেশ ফেলে রাখা
যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই যে কোনো রায় এবং আদেশ সংশ্লিষ্ট
স্থানে পাঠাতে হবে। সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে এবং
যাওয়ার ক্ষেত্রেও সময়ের আগে যাওয়া যাবে না। এ সময়
সবাইকে নিজেদের পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
এছাড়া স্টাফ হিসেবে নিজেদের কাজের মাধ্যমে
সুপ্রিমকোর্টের মান ধরে রাখারও তাগিদ দেন প্রধান
বিচারপতি।
Top
ধর্মীয়
স্বাধীনতায় বিশ্বে বাংলাদেশ বড় উদাহরণ: বার্নিকাট

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সব ধর্মের মানুষ
শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে বড় একটা
উদাহরণ বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। ১৬ ফেব্র“য়ারি ২০১৮
বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধধর্মের একটি অনুষ্ঠানে এ
কথা বলেন রাষ্ট্রদূত তিনি। নবনির্মিত এই বৌদ্ধ
মহাবিহারে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি।
এ সময় ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম থেকে
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
বাংলাদেশে সব ধর্মের জন্য স্বাধীনতা পরিবেশ বজায় রাখার
জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘বিশ্বে এটা একটা বড় উদাহরণ যে
বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস
করছে। আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও এটা একটা
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে একই
মর্যাদা বিদ্যমান।’
Top
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জাতিসংঘে তুলল
বাংলাদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি
জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থিত
বাংলাদেশের একটি সংসদীয় দল। জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত
এক শুনানিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন
প্রক্রিয়ায় বিশ্বসম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা
করেছে দলটি। এ ছাড়া একে একটি মানবিক ইস্যু হিসেবে
আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ। ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও জাতিসংঘের
উদ্যোগে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ ফেব্র“য়ারি দলটি
বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে।
‘ইউএন মাল্টি স্টেকহোল্ডার হিয়ারিং অ্যান্ড
পার্লামেন্টারি হিয়ারিং অ্যাট দি ইউনাইটেড নেশন্স’ নামে
এই শুনানিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি
মুহাম্মদ ফারুক খান আট সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি
দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মন্ন ুজান
সুফিয়ান, কমিটির সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য
গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম এবং
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন।
এ ছাড়া প্রতিনিধি দলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার ও যুগ্মসচিব নীতিশ
চন্দ্র সরকারও রয়েছেন। প্রতিনিধি দলটি আজ দেশে ফিরবে
বলে জাতীয় সংসদের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ
দেশে প্রত্যাবর্তনে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চেয়েছেন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ১৫ ফেব্র“য়ারি স্থানীয়
সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব
দেশটিতে সফররত আবদুল হামিদকে ফোন করলে রাষ্ট্রপতি এ
সহযোগিতা চান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল
আবেদীন টেলিফোনে বাসসকে জানান, ‘সিঙ্গাপুরের
প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের
সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।’ ‘আলাপকালে সিঙ্গাপুরের
প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত
হওয়ায় আবদুল হামিদকে অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি
রাষ্ট্রপতির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।’ চোখের চিকিৎসা ও
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার
সিঙ্গাপুরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। দেশটির মেরিনা
ম্যান্ডারিন হোটেলে অবস্থান করছেন আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের সঙ্গে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ গুরুত্ব দেয়।
আগামী ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন
সিঙ্গাপুর সফরের উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার এ সফর দুই
দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। রাষ্ট্রপতি
সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায়
হালিমা ইয়াকুবকে অভিনন্দন জানান এবং আশা করেন,
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।
রোহিঙ্গাদের দেখতে ঢাকায় আসছেন নোবেল জয়ী ৩ নারী : ৮
দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তিন
নারী। নারীপক্ষের আমন্ত্রণে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে তারা আসছেন।
মাদকাসক্ত
পথশিশুদের নেই নিরাময় কেন্দ্র
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের পথশিশুদের মধ্যে ৮৫ ভাগই মাদকাসক্ত। বিপুল
সংখ্যাক এই মাদকাসক্ত পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে
আনার নেই পর্যাপ্ত সুযোগ। এরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে
চাইলেও নিরাময় সেবার সুযোগ পায় না। দেশে যেসব
মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র আছে তা মাদকাসক্ত পথশিশুদের
জন্যে নয়। আর নিরাময় সেবা কোনোভাবে দুই-একজন পেলেও
তাদের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে তারা আবারো
ফিরে যায় নেশার জগতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সব শিশুদের
সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে নেয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ
বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
দেশে কর্মজীবী শিশু ৭৪ লাখ। এদের মধ্যে ১৩ লাখ শিশু
ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত। এ সব শিশুর মধ্যে ১১
দশমিক ৫ ভাগ পথশিশু। এর মধ্যে মাদকের মামলায় গ্রেফতার
হয় ১৮ ভাগ শিশু-কিশোর। এর মধ্যে ৮০ ভাগ যৌনকর্মীর সঙ্গে
যৌনসম্পর্কে সম্পৃক্ত। ৯৫ ভাগ শিশু নেশা শুরু করে
সিগারেট দিয়ে। ইউনিসেফ ও বিআইডিএস’র সবশেষ জরিপ থেকে এ
তথ্য জানা যায়।
‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, শতকরা ৮৫ ভাগ
পথশিশুই মাদক গ্রহণ করে। রাজধানীর কাওরান বাজার,
কমলাপুর রেলস্টেশন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাইকোর্টসহ
রাজধানীর কমপক্ষে ২২৯টি স্পটে শিশু-কিশোররা মাদক সেবন
করে। তারা সাধারণত গাঁজা, হেরোইন, ঘুমের ওষুধ প্রভৃতি
গ্রহণ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,
দেশের ৪৪ ভাগ পথশিশু মাদক গ্রহণ ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত।
৩৫ শতাংশ পথশিশু পিকেটিংয়ের সঙ্গে, বোমাবাজির সঙ্গে
জড়িত ১৬ ভাগ পথশিশু, ১২ শতাংশ ছিনতাইর সঙ্গে,
সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে পাঁচ শতাংশ ও অন্যান্য
অপরাধের সঙ্গে শতকরা ২১ ভাগ পথশিশু জড়িত।
মাদকাসক্ত এ সব শিশু নেশার টাকার জোগান দিতে
মাদকদ্রব্য বহন করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। অপরাধ
বোঝার আগেই তারা ভয়াবহ অপরাধী হয়ে বেড়ে উঠছে। আর কিশোরী
মেয়েরা তাদের নেশার জোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক
কর্মকাণ্ডে। রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে কথা হয়
কয়েকজন মাদকাসক্ত পথশিশুর সঙ্গে। এদের কেউ ফেনসিডিল,
কেউ গাঁজা, কেউ বা ড্যান্ডি কেউবা ঘুমের ওষুধ সেবন করে।
রাজধানীর কাওরান বাজারে রেল লাইনের পাশে ও বস্তিতে
প্লাস্টিকের ছোট ব্যাগে মুখ ডুবিয়ে নেশা সেবন করতে
হরহামেশাই দেখা যায় কিশোরদের। এদের একজন জানায়,
‘ড্যান্ডি খাই; এটা টানলে ক্ষিদা লাগে না’। এ শিশুগুলো
মৌলিক চাহিদা থেকে যেমন বঞ্চিত; তেমনি বিভিন্ন নাগরিক
সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। জীবিকার প্রয়োজনে তারা অপরাধমূলক
কর্মকাণ্ডে খুব সহজেই জড়িয়ে নিজেদের অন্ধকারের জগতের
দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মনোবিজ্ঞানী ডা. মুহিত কামাল বলেন, বস্তির শিশুরা
একভাবে মাদকাসক্ত হচ্ছে আবার পথশিশুরা একভাবে
মাদকাসক্ত হচ্ছে। এদের সচেতন করতে হবে। সেটা হতে হবে
পরিবার থেকে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন বলেন, এ সব
শিশু-কিশোরদের সামাজিকিকরণ হচ্ছে না। যার কারণে তারা
সুনাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠছে না। এদের মধ্যে অপরাধ
প্রবণতা প্রবল থাকে।
বাংলা ভাষা
বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে ইউনিসেফের বিরুদ্ধে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে ইউনিসেফের তৈরি একটি অনলাইন
পোস্টারকে ভাষাবিকৃতি হিসেবে দেখছেন ভাষাবিদরা। তারা
বলছেন, এ ধরনরে বিকৃতি ইউনিসেফ-এর কাছে আশা করা যায়
না। আর প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘ইনফরমাল’ যোগাযোগরে জন্য
এমনটা করা হয়েছে। এতে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই বলেও দাবি
করা হয়েছে।
ইউনিসেফের পোস্টার বাংলা ভাষার জন্য রক্তদানকারী
শহীদদের মর্যাদা দিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে, তখনই এই ভাষাকে বিকৃত
করার অভিযোগ উঠেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ)
বিরুদ্ধে।
সুচি’র পদত্যাগ দাবি
করলেন তিন নোবেল জয়ী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের নোম্যানস
ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা জানতে সেখানে
যান শান্তিতে নোবেল জয়ী তিন নারী। এ সময় সেখানে থাকা
ধর্ষণের শিকার চার রোহিঙ্গা নারীর বর্বর নির্যাতনের কথা
শুনেন তারা এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও শান্তিতে
নোবেল পুরস্কার পাওয়া অং সান সু চি’র পদত্যাগ দাবি
করেছেন নোবেল জয়ী এই তিন নারী।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তুমব্র“ সীমান্তের নোম্যানস
ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা জেনে এ দাবি
করেন তারা।
নোবেল জয়ী তাওয়াক্কল কারমান কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
‘রোহিঙ্গাদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে
তার প্রতিবাদ হিসেবে প্রথমে অং সান সু চি’র পদত্যাগ করা
উচিত। তিনি যেহেতু শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন নারী,
পাশাপাশি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর, তাই এর দায়ভার
তিনি এড়াতে পারেন না।’
আরেক নোবেল জয়ী মেরেইড ম্যাগুয়ার বলেন, ‘রোহিঙ্গা
নারীদের যেভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে, এজন্য সু
চি ও তার সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত।
রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সসম্মানে মিয়ানমারে
ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে মিয়ানমারের ওপর চাপ
দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
শিরিন ইবাদি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতিত,
নিপীড়িত রোহিঙ্গারা আজ পরবাসে জীবনযাপন করছেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেখানে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে মুসলিম দেশগুলো
চুপ মেরে বসে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ এমন সংকটময় সময়ে
মুসলিম দেশগুলো কোথায়? ইরান, সৌদি আরব, কাতার, আরব
আমিরাত কোথায়? এসব প্রভাবশালী দেশ রোহিঙ্গা মুসলিমদের
সেবায় আসছে না কেন?’ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তারা বলেন,
‘মিয়ানমারে যে গণহত্যা, জাতিগত নিধন, গণধর্ষণ ও
শিশুহত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নেওয়া যায়
না।’ এ সংকট সমাধানে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ
কামনা করেন এবং মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান
জানান।
যে ভাষায় কথা
বলেন মাত্র ৩ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পৃথিবী থেকে যে ভাষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে তারই
একটি মৃতপ্রায় ভাষার নাম ‘বাদেশি’। এ ভাষায মাত্র
তিনজনই বর্তমানে কথা বলেন।
পাকিস্তানের উত্তরের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার এ তিন
মানুষ ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের মৃত্যু ঘটলে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে এ ভাষাটিও।
এ ভাষার কথা বলেন এমন একজন ব্যক্তি হলেন সাইদ গুল। তিনি
তার ভাষায় বলেন, অমাদের গ্রাম খুবই সুন্দর।
শুরুতে ৯ থেকে ১০ টি পরিবার এ ভাষায় কথা বলতো। কিন্তু
অন্যান্য এলাকা থেকে আমাদের অঞ্চলে ভিন্ন ভাষী লোক
আসার করণে এ ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বের
সর্বাধিক প্রচলিত ১১টি ভাষাতে কথা বলেন। আবার এমন অনেক
দেশ রয়েছে যেখানে কয়েকশ ভাষা প্রচলিত। উদাহরণ হিসেবে
পাপুয়া নিউগিনি, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার কথা বলা যায়।
পাপুয়া নিউগিনিতে ৮৫০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে,
ইন্দোনেশিয়ার রয়েছে ৬৭০টি ভাষা। জাতিসংঘের হিসাবে
বিশ্বে এখন আছে ৬ হাজার ভাষা। কিন্তু প্রতি ১৪ দিনে
হারিয়ে যাচ্ছে এদের মধ্যে একটি করে ভাষা।
এরকম হারিয়ে যেতে ভাষার তালিকায় থাকা আরেকটি ভাষা হলো
এনজেরেপ। একসময় আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রচলিত ছিল
এই ভাষা। এখন এই ভাষায় কথা বলার মানুষ টিকে আছে মাত্র
চার জন। নাইজেরিয়ার সেই চারজনের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স
যার, তিনি ষাট বসন্ত পার করেছেন। এই চারজনের মৃত্যুতে
যে এনজেরেপ ভাষাটিও মৃত্যুবরণ করবে তা বলাই যায়।
বিলুপ্তপ্রায় আরেকটি ভাষার নাম ‘লিকি’। ইন্দোনেশিয়ার
পাপুয়া অঞ্চলে একসময় গির্জার পাদ্রীরাও এই ভাষায় কথা
বলতেন। কিন্তু, এখন সেখানে গনা দশেক মানুষ খুঁজে পাওয়া
যাবে, যারা লিকি ভাষার কিছু শব্দ জানেন। খুব শীঘ্রই এ
ভাষাটিও পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন
ভাষাবিদরা।
আরেকটি ভাষা ‘পাকান্তি’। অস্ট্রেলিয়ার ডার্লিং নদীর
আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত একসময়ের এই ভাষায় কথা বলেন
এখন মাত্র ২২ জন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ভাষাটিকে ফের
বাঁচিয়ে তুলতে চেষ্টা করছে। এজন্য কিছু কিছু স্কুলে
ফের পাকান্তি শেখানো শুরু করা হয়েছে।
বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের দিন একুশে ফেব্রুয়ারিকে
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ফলে মাতৃভাষার মর্যাদা
রক্ষায় বাঙালির আত্মত্যাগের দিনটি এখন এখন বিশ্বের সব
ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন। সারা বিশ্বের মানুষ এখন
পালন করে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। সেখানে প্রতি
১৪ দিনে হারিয়ে যাচ্ছে একটি ভাষা। বিশ্বজুড়ে মরতে বসা
এই ভাষাগুলো বাঁচিয়ে তুলতে কেউ এগিয়ে আসবে কিনা- সেটাই
এখন দেখার বিষয়।
ত্রাণের
বিনিময়ে যৌন কাজে বাধ্য করা হচ্ছে সিরীয় নারীদের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সিরিয়ায়
ত্রাণ বিতরণের সময় স্থানী য়রা নারীদের যৌন কাজে
ব্যবহার করেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানতে
পেরেছে।
ত্রাণকর্মীরা বলেছেন, খাদ্য সাহায্য এবং তাদের গাড়িতে
করে কোথাও পৌঁছে দেয়ার বিনিময়ে স্থানীয়রা যৌন সুবিধা
নিতো।
ত্রাণকর্মীরা বিবিসিকে বলেছেন, যৌন শোষণ সেখানে এতটাই
ব্যাপক যে কিছু সিরিয়ান নারী ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রেই
যেতেন না- কারণ তাহলে লোকে ভাববে যে তারা দেহদান করে
ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এসেছে।
কেয়ার এবং আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (আইআরসি) নামে দুটি
মানবিক সংস্থা ২০১৫ সালেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে এমন
ঘটনা ঘটছে। কিন্তু গত বছরেও ইউএনএফপিএ’’র একটি রিপোর্টে
দেখা যায়, দক্ষিণ সিরিয়ায় ত্রাণের বিনিময়ে যৌন সুবিধা
নেয়া অব্যাহত রয়েছে।
দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা হয়েছে, এক বেলার খাবার পেতে
সিরিয়ান নারী বা অল্পবয়স্ক মেয়েরাও অল্প কিছু সময়ের
জন্য কর্মকর্তাদের বিয়ে করে যৌন সেবা দিয়েছে।
কোথাও ত্রাণ বিতরণকারীরা মেয়েদের কাছে তাদের ফোন
নাম্বার চেয়েছে, কেউ বা গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার
বিনিময়ে কিছু একটা চেয়েছে।
অনেক নারীকে ত্রাণের বিনিময়ে ‘তার বাড়িতে যাওয়ার’ বা
‘তার সঙ্গে এক রাত কাটানোর’ ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের
শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, তারা এ
ব্যাপারে নজরদারি বাড়িয়েছে। একজন ত্রাণকর্মী দাবি
করেছেন, লোকজনের হাতে ত্রাণ পৌঁছানোর স্বার্থে তারা
এসব দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন।
ইউএনএফপিএর ভয়েসেস ফ্রম সিরিয়া ২০১৮ নামে এক প্রতিবেদনে
বলা হয়, বিশেষ করে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারী বা
অল্পবয়সী মেয়ে ‘যাদের কোন পুরুষ রক্ষক নেই’ তাদের এরকম
বিপদের ঝুঁকি বেশি।
কোনো কোনো নারী বলেছেন, দারা এবং কুনেইত্রার স্থানীয়
কাউন্সিলের পুরুষ কর্মীরা ত্রাণসামগ্রী আটকে রেখে
নারীদের যৌন কাজে ব্যবহার করতো- জানান ডানিয়েল
স্পেন্সার নামে একটি দাতব্য সংস্থার উপদেষ্টা।
এ ব্যাপারে বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘ এবং
দাতব্য সংস্থাগুলো এরকম ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছে, তবে
তারা বলছে এ ব্যাপারে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে
এবং ওই অঞ্চলে তাদের সহযোগীদের মধ্যে এধরণের কাজ হচ্ছে
বলে তাদের জানা নেই।
নারীর
প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ব্যাগ হইতে উদ্ধার করা
হইয়াছে আঁখি নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ।
নিহত তরুণীর গলায় দাগ ছাড়াও তাহার ঘাড় ভাঙা ছিল। ধারণা
করা হয়েছে, আঁখিকে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে। দ্বিতীয়
ঘটনাটি ঘটিয়াছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে। সম্প্রতি রাতে
কামারখন্দ এলাকার ভদ্রঘাট বাজার হতে অটো রিকশাযোগে বাড়ি
ফিরিবার পথে গণধর্ষণের শিকার হন ২৮ বৎসর বয়সী এক তরুণী।
তৃতীয় ঘটনাটি ফরিদপুরের। অটোরিকশায় রাজবাড়ী হতে
ফরিদপুর আসবার পথে গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী চিকিৎসক।
তন্মধ্যে তিন ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
পত্রিকায় একই দিনে নারীর ওপর সহিংসতার যেই সকল খবর
প্রকাশিত হয়, তাহার আড়ালে থাকিয়া যায় আরো অনেক
মর্মান্তিক ঘটনা। কিন্তু যেইটুকু প্রকাশিত হয়, তাহাই
শিহরিয়া উঠিবার মতো। বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট অনুযায়ী
২০১০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ছিল ১৭ হাজার
৭৫২। পাঁচ বৎসরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ২১
হাজার ছাড়াইয়া যায়। মামলা যতগুলি তাহার তুলনায়
নিপীড়নমূলক ঘটনার সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। কারণ
লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার ঘটনা আড়াল করা
হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কর্তৃক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে
প্রকাশিত নারী নির্যাতনের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা
একটি প্রতিবেদন হইতে জানা যায়, দশ বৎসরে বিভিন্নভাবে
নির্যাতন, হত্যা ও আত্মহত্যা করেছেন ৫৬ সহস্রাধিক নারী।
নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশে
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত, ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু
নির্যাতন আইন, ২০০০ ও ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইন, সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট-২০০৮, হাইকোর্ট নির্দেশিত
পাশবিক নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা-২০০৮ পাস হয়েছে। অর্থাৎ
আইনের অভাব নাই। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, সহিংসতার মাত্রা
বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এই ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে
করেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইন ছাড়াও প্রয়োজন
নারীর প্রতি সম্মান ও তাহার কাজের সঠিক মূল্যায়নসহ
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে পারিবারিক মূল্যবোধ
গড়িয়া তোলাটাও অতি গুরুত্বপূর্ণ। নারীর প্রতি সহিংসতার
ঘটনার যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, শাস্তির
তথ্য যদি বিভিন্নভাবে প্রচার করা হয়—তাহা হলে
অপরাধমনস্করা অন্তত এই বার্তা পাবে যে, এই ধরনের অপরাধ
করলে শাস্তি পেতেই হবে। সুতরাং নারীর প্রতি সহিংসতার
ঘটনায় রাষ্ট্র যদি আপসহীন, ক্ষমাহীন এবং জিরো টলারেন্স
দেখায়, তাহা হলে সমাজের ভিতরে যে মানসিক বৈকল্য ও
অবক্ষয় তৈরি হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভবপর
হবে। তার জন্য নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও
প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে
হবে। ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার
করার সুপারিশও করেছেন অনেকে যা গুরুত্বের সাথে
বিবেচনার দাবি রাখে।
বিয়ের ফাঁদে পড়ে চীনে
পাচার হচ্ছে তরুণীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনা নাগরিকদের বিয়ের ফাঁদে পড়ে পাচার হচ্ছে পাহাড়ি
মেয়েরা। এ কাজে বাংলাদেশ ও চীনে একাধিক শক্তিশালী চক্র
সক্রিয়। গত প্রায় ছয় মাস ধরে অভিনব কায়দায় এই নতুন রুটে
নারী পাচার হচ্ছে। ম্যারেজ মিডিয়ার আড়ালে চক্রের
সদস্যরা এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক মেয়েকে চীনে পাচার করেছে।
অল্প শিক্ষিত সহজ-সরল দরিদ্র পাহাড়ি মেয়েরাই হচ্ছেন এর
প্রধান টার্গেট।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছে, প্রাথমিক যোগাযোগের
পর চীনা নাগরিকরা বাংলাদেশে এসে বিয়ের পর চীনে নিয়ে
যাওয়ার কয়েক মাস পরই তাদেরকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে
অন্ধকার জগতে বিক্রি করে দিচ্ছে। উন্নত জীবনের আশায়
মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে পার্বত্য জেলার মেয়েরা পাচারের
শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির সুর্বণা চাকমা (২৩)
নামের এক মেয়েকে পাচারকালে চীন নাগরিকসহ তিনজনকে ডিবি
পুলিশের গ্রেফতারের পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার শেখ
নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, অভিনব কায়দায় চীনে নারী
পাচার করছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। দেশের কয়েকটি
ম্যারেজ মিডিয়া এ জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত। অপরাধ
বন্ধে দু’দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের
সমন্বিত কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
পাহাড়িদের সরলতা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে পুঁজি করে
এভাবে নারী পাচার করছে সংঘবদ্ধ চক্র। পাচার বন্ধে তারা
সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে ও দু’দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নারী পাচারের সঙ্গে রাজধানী উত্তরার এম এন্টারপ্রাইজ,
লাইফ মিডিয়াসহ অন্তত ১০টি ম্যারেজ মিডিয়ার সম্পৃক্ততা
খুঁজে পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার এই ম্যারেজ
মিডিয়াগুলো মূলত পাহাড়ি মেয়েদের তথ্য সংগ্রহ করে চীনা
মিডিয়াগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। চীনা ম্যারেজ মিডিয়া
থেকে তথ্য নিয়ে চীনা পুরুষরা ঢাকায় ছুটে এসে
বাংলাদেশের ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মেয়েদের
সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিয়ে করছে। চেহারা ও ধর্মের
মিল থাকায় বিয়েতে তেমন জটিলতা হয় না। কোর্টের মাধ্যমে
বিয়ে করে চীনা দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয় এসব মেয়েকে। পরে
দূতাবাসের অনুমতি নিয়েই নববধূ হিসেবে পাহাড়ি মেয়েদের
নিয়ে যাওয়া হয়। পাচারের অভিযোগে গত বছরের ৮ নভেম্বর
উত্তরা থেকে ২য় ম্যারেজ মিডিয়ার মালিক হাতেমকে
গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হাতেম ডিবিকে
চীনে নারী পাচারের নতুন রুট ও সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র
সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি
জানান, এ ধরনের প্রতি বিয়েতে তারা ৩০ হাজার টাকা করে
পান। তবে চীন থেকে বাংলাদেশে আসা, থাকা-খাওয়া, বিয়ে করা,
বিয়ে করে নিয়ে যাওয়া, ম্যারেজ মিডিয়ার কমিশন মিলে মোট
২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়।
Top
ছোট বোনকে
মাস্ক পরিয়ে মৃত্যুর কোলে বড় বোন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তুলতে এই একটি ছবিই যথেষ্ট।
সিরিয়ায় এক ধ্বংসাত্মক রাসায়নিক গ্যাস হামলায় আহত হয়
ছোট বোন। তাই তাকে কোলে নিয়ে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে ধীরে
ধীরে নিজেই কিনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো বড় বোন! এই
দৃশ্য দেখার পরও কী আমাদের বিশ্ব বিবেক চুপ করে থাকবে?
মাত্র ১টি ছিল অক্সিজেন মাস্ক আর প্রান ছিল ২টি। ছোট
বোনের চেয়ে সে নিজেই আহত ছিল বেশী। বর্তমান সিরিয়ায়
এরকম হৃদয়বিদারক ঘটনা অহরহই ঘটছে। প্রতিদিন মানুষ মারা
যাচ্ছে। মানবতা আজ কোথায়?
গত এক মাসে সিরিয়ায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত প্রায় ৪ শত
এরও অধিক, এদের মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় ২ শত। সিরিয়ার
পূর্ব ঘৌটা থেকে যাতে লোকজন নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারেন,
সেই সুযোগ তৈরি করতে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টার জন্য মানবিক
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির
আহ্বানে সর্বসম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার পর
রাশিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই এ যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর
বিরতির এ সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে বেরিয়ে
যাওয়ার সুযোগ করে দিতে মানবাধিকার করিডরও স্থাপন করা
হবে।
বন্ধ
হোক ফেসবুকের নেতিবাচক ব্যবহার
মুন্নাফ হোসেন
ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। মার্ক জুকারবার্গ
তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৪ সালে এটি আবিষ্কার
করেছিলেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা
করা। ফেসবুকের কল্যাণে অসংখ্য ভালো কাজ হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এটি জরুরি।
ফেসবুক ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের ওপর একধরনের নিষেধাজ্ঞা
থাকলেও বয়স বাড়িয়ে আইডি খুলে ব্যবহার করছে কোমলমতি
শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
শিক্ষিত অভিভাবকরাই তার সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছে
স্মার্টফোন।
তারা বন্ধুদের প্ররোচনায় খুলছে আইডি, আর সারাক্ষণ ডুবে
থাকছে ফেসবুকে। বাবা-মাকে ধোঁকা দিচ্ছে এই বলে যে, তারা
ফেসবুকে পড়াশোনা করছে। ফেসবুক আসক্তির কারণে সন্তানরা
বাবা-মা, প্রতিবেশী বা শিক্ষকদের সম্মান করে না।
স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে পার্কে বা নদীর ধারে বসে
ব্যবহার করছে ফেসবুক। এতে করে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি
হচ্ছে।
বই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উত্তমসঙ্গী। কিন্তু বই না পড়ে
কতটুকু জ্ঞান অর্জন সম্ভব, তা আমার মাথায় আসে না।
জ্ঞান অর্জনে বইয়ের চেয়ে উত্তম হাতিয়ার কিছু হতে পারে
না। তাই ফেসবুক ছেড়ে বইয়ের পাতায় শিক্ষার্থীদের মগ্ন
হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
মাধ্যম হল ফেসবুক। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এর
ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং ব্যবহারকারীর
অধিকাংশই বয়সে তরুণ।
নিজের কোনো অভিজ্ঞতা, আনন্দ, অনুভূতি, স্মৃতি অথবা
বিভিন্ন ধরনের ছবি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পেজে পোস্ট করে
দিয়ে ফেসবুক বন্ধুদের মন্তব্য উপভোগ করা এবং জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা সংক্রান্ত মতামত শেয়ার করার
কার্যকর মাধ্যম হল ফেসবুক। নিঃসন্দেহে এটি বিশ্বকে
হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার আরেকটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন।
কিন্তু প্রতিটি উদ্ভাবনেরই যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক
রয়েছে, সেটিও মনে রাখা দরকার।
বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহার কী
অর্থে হচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক
সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা ফেসবুকের নেতিবাচক ব্যবহার
প্রমাণ করে। প্রেম, বন্ধুত্ব কিংবা ভালোবাসা মানবিক
জীবনে চিরন্তন বাস্তবতা। বিভিন্নকালে এর বিকাশ
বিভিন্নভাবে হয়েছে এবং সবসময়ই বিশ্বাস, আস্থা ও
পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল এ ধরনের মানবিক সম্পর্কের ভিত্তি।
আর এর জন্য প্রয়োজন উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক জানাশোনা,
যেখানে আর্থ-সামাজিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করার সুযোগ
নেই।
কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মাঝে পারস্পরিক
যে সম্পর্ক তৈরি হয় তার মধ্যে থাকে না কোনো পারস্পরিক
আস্থা ও বিশ্বাস। কেবল সাময়িক আবেগনির্ভর এ ধরনের
সম্পর্কের অশুভ পরিণতি সামাজিক জীবনে নানা ধরনের
অস্থিরতা তৈরি করছে। কারও সংসার ভাঙছে, কেউবা
মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে এবং কারও কারও জীবনটাই বিপন্ন হয়ে
পড়ছে। আর এভাবেই দেশের সামাজিক মূল্যবোধের দ্রুত
অবক্ষয় হচ্ছে।
ফেসবুকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রায় সব প্রশ্ন পাওয়া
যাচ্ছে, যা আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হওয়ার
জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
এবার সেনাবাহিনীতেও যোগ দিচ্ছে সৌদি
নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ ছেড়ে নারীদের আরও কিছু ক্ষেত্রে
ছাড় দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে সেখানে গাড়ি চালানো,
স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা, সিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র
দেখার অনুমতি মিলেছে নারীদের। আর এবার দেশটি সিদ্ধান্ত
নিয়েছে সেনাবাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার। প্রথমে
সৌদি আরবের চারটি অঞ্চলের নারীরা এই সুযোগ পাবে।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, রিয়াদ,
মক্কা, আল-কাসিম ও আল-মদিনার নারীরা সেনাবাহিনীতে যোগ
দেয়ার আবেদন করতে পারবে। সৌদি বংশোদ্ভূত এবং দেশটিতে
বসবাসকারী নারীরাই কেবল আবেদনের সুযোগ পাবে। এছাড়া
আবেদনের জন্য ২৫-৩৫ বছর বয়স হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা
থাকতে হবে ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এরপর পরীক্ষা,
সাক্ষাৎকার ও মেডিক্যাল চেকআপের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা
নির্ধারণ করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু সামাজিক ও ধর্মীয় কঠোর
রীতিনীতি থেকে সরে আসছে সৌদি আরব। রাজপরিবারের
প্রভাবশালী যুবরাজ সালমান সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে
নিজের ক্ষমতা সুসংহত করার চেষ্টা করছেন।
নারীদের সমর্থনে সৌদি মানবাধিকার
কমিশনে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশন তাদের এক প্রতিবেদনে
জানিয়েছে, কোনও সচেতন নাগরিক সৌদি আরবের নারীদের
সাম্প্রতিক ক্ষমতায়নের বিষয় অস্বীকার করতে পারবে না।
মানবাধিকার কমিশন নারীদের সবসময়ই সমর্থন করে বলে জানায়
তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের অধিকার
নারীদের প্রতি বৈষম্যহীন ব্যবস্থাপনাকেই ইঙ্গিত করে।
তাই আমরা নারীদের এ অধিকার আদায়ে সরকারের পাশে আছি বলে
মন্তব্য করেন সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র।
তিনি আরো বলেন, ফৌজদারী আইন নারী নির্যাতন আইন
ট্র্যাফিক আইন, রাজনৈতিক ও জনজীবনের বিভিন্ন আইনে আমরা
নাগরিক হিসেবে নারীদের জন্য মর্যাদার জায়গা তৈরি করতে
চাই। সৌদি শূর কাউন্সিলের ২০শতাংশ আসন নারীদের জন্য
বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিনিয়র পদে
অধিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের কোন আসন নেই। আমরা
সরকারের কাছে এ বিষয়ে জোর দাবি জানাই।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শ্রম
ব্যবস্থায় পুরুষ-নারীদের মধ্যে অধিকার ও কর্তব্য সমান
করার বিধান রয়েছে। ২৮/৮/২০১০ তারিখ শ্রম ধারার
(১/২৩৭০) মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত পুরুষ ও নারীকর্মীদের
মধ্যে মজুরির কোনও বৈষম্য রাখা যাবে না। রিপোর্টে
উল্লেখ করা হয়েছে যে, সৌদি সরকার নারীদেরকে সরকার
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার
সুযোগ দিচ্ছে। তাদের আইনী শিক্ষাগত ও অন্যান্য অধিকার
নিশ্চিত করে নারীদের জন্য একজন মাহরাম (পুরুষ অভিভাবক)
এর উপস্থিতির নিয়মও বাতিল করা হয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০
বলছে যে, দেশের সংখ্যা দেশের ৫০ শতাংশেরও বেশি অংশে
উন্নীত করা হবে। দেশের শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান গঠন করবে নারীদের মাধ্যমে। কাজটি তাদের প্রতিভা
বিকাশের জন্যই সরকার অব্যাহত রাখছে।
চাকরির দরখাস্তের দাম ৪১ লাখ টাকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চাকরির দরখাস্ত করার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। অর্থের
অভাবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আবেদন করতে পারেন না।
কিন্তু কারো চাকরির দরখাস্তের মূল্য কী বিপুল পরিমাণ
হতে পারে? বাস্তবে তেমনটাই ঘটতে যাচ্ছে একজনের ক্ষেত্রে।
বিশ্বের ধনীদের তালিকার শীর্ষের দিকেই তার নাম ছিল।
‘অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
বিশ্ববাসী তাকে চেনেন মাইক্রো কম্পিউটারের জনক হিসেবেই।
শুধু কম্পিউটার নয়, পরবর্তী সময়ে আইফোনও বিশ্ববাজারে
আনেন তিনিই।
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে ২০১১ সালে মারা
যান তিনি। তিনি আর কেউ নন, স্টিভ জবস। সম্প্রতি
বস্টনের এক অকশন হাউস জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে তার একটি
চাকরির দরখাস্ত।
প্রায় ৪০ বছর আগের সেই দরখাস্ত পড়লে যুবক স্টিভ
সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা যায়। বিশেষ কিছু করার
সক্ষমতার ব্যাপারে মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছিলেন, ‘টেক
অর ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার’।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি
লিখেছিলেন ‘সম্ভব, তবে সম্ভাবনা নেই’। আইফোনের
স্রষ্টার কাছে তখন কোনো ফোন ছিল না বলেই জানা গেছে ওই
দরখাস্ত থেকে।
১৯৭৩ সালের সেই দরখাস্ত যে স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষকদের
কাছে মূল্যবান হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বস্টনের ওই নিলামের হাউসের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার
সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, স্টিভ জবসের ওই চাকরির
দরখাস্তের দাম উঠতে পারে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশি টাকায় যার অঙ্ক দাঁড়ায়, ৪১ লাখ ৫৫ হাজার
দুইশ ৫০ টাকা।
জানা গেছে, ৮ মার্চ থেকে ১৫ পর্যন্ত চলবে নিলামটি।
সেখানে এই দরখাস্তের পাশাপাশি থাকবে, স্টিভ জবসের
স্বাক্ষর করা ‘ম্যাক ওএস এক্স’-এর একটি মানুয়্যেল ও
খবরের কাগজের একটি ক্লিপিং।
প্রসঙ্গত, চাকরির এই দরখাস্ত করার প্রায় তিন বছর পর,
বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াকের সঙ্গে তিনি শুরু করেন অ্যাপেল
ইনকর্পোরেটেড। এবং সেই দরখাস্তে তার নাম স্বাক্ষরিত
ছিল ‘স্টিফেন জবস’ হিসেবে।
যেভাবে পাওয়া যাবে
‘ডাক টাকা’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এখন বাড়ির পাশের ডাকঘরে
গিয়ে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে মাত্র ২ টাকায় অ্যাকাউন্ট
খুললেই মিলবে একটি ‘ডিজিটাল ওয়ালেট’ন, সহজ ভাবে বললে
একটি অদৃশ্য মানিব্যাগ। ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড
দিয়ে এই ওয়ালেটে টাকা ভরা যাবে। তখন ডিজিটাল ওয়ালেটের
এই টাকা হয়ে যাবে ‘ডাক টাকা’। নিজের মোবাইলের অদৃশ্য
মানিব্যাগ বা ডিজিটাল ওয়ালেটের এই ডাক টাকা যেকোনো সময়
ওঠানো যাবে-পাঠানো যাবে। পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও
মোবাইলের এই ডিজিটাল ওয়ালেটে ডাক টাকা থাকলে কেনাকাটা,
বিল দেয়ার কাজ করা যাবে অনায়াসে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘ডাক টাকা’ সেবার কারিগরি
সহযোগিতা ও পেমেন্ট সুইচ প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছে
ডি-মানি।
ডি-মানি’র ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির বলেন:
‘ডি-মানি সফটওয়্যার এবং পোস্ট অফিসের পোস্টাল ক্যাশ
কার্ডের সমন্বিত সেবা ‘ডাক টাকা’। দেশে প্রায় ৯ হাজার
পোস্ট অফিস আছে। ডাক টাকার সেবা পেতে প্রথমে বাড়ির
কাছের পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র
কিংবা আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এরপর নিজের মোবাইল নম্বর
দিয়ে ২ টাকা জমা দিয়ে একটি হিসাব খুলতে হবে। হিসাব
খুললেই ওই ব্যক্তির মোবাইলফোনে ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি হয়ে
যাবে। তারপরে ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড দিয়ে
মোবাইলের সেই হিসাবে টাকা রিচার্জ বা অ্যাকাউন্টে টাকা
জমা করতে হবে। এরপর প্রয়োজনে কেনাকাটা করে দাম মেটানোর
সময় এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) ব্যবহার করে বা
কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোডের ওপর মোবাইল ফোনটি ধরলেই
পেমেন্ট করা হয়ে যাবে।’
তবে স্মার্টফোন নেই এমন জনগোষ্ঠীর কথা ভেবেই এই সেবা
চালু হচ্ছে জানিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাবেক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বর্তমানে ডি-মানির ভাইস
চেয়ারম্যান জানান ডাক টাকার সেবা মিলবে সাধারণ ফিচার
ফোনে।
সোনিয়া বলেন:“আমরা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষদের
ডাক টাকার মাধ্যমে ব্যাংকিংখাতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।
এই বিপুল জনগোষ্ঠীর অনেকেই পড়তে জানে না, স্বাক্ষর করতে
জানে না। তাদের হাতে স্মার্টফোন নাই। তাই শুধু তাদের
হাতের সাধারণ ফোনটিকে ডাক টাকার ওয়ালেট করতে ফোন
নম্বরটি দিয়ে বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে দেবো এবং
মাত্র ২ টাকা জমা রেখে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে
ব্যাংকিংয়ের মতো সেবা দেবো।”
সাধারণ মানুষ ডাক টাকায় আগ্রহী হবে এমন আশা প্রকাশ করে
তিনি বলেন:‘মানুষজনকে এতো কম টাকায় সেবা দেবো যে তারা
আসবে। ভালো সেবা দিলে মানুষ আসবেই। আমরা দেখেছি
গ্রামের মানুষ পিন নাম্বার, সংখ্যাভিত্তিক কোড মনে
রাখতে পারে না। এদিক বিবেচনায় রেখেই আমরা ডি-মানি
সফটওয়্যার তৈরি করেছি। এতে গ্রামের একজন নারী গল্পের
মতো করে পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর লিখতে পারবেন। যেমন:
গ্রামের একজন মা তার ছেলেকে সকালে একটি ডিম, দু’টি কলা
খেতে দিয়েছিলেন। ডি-মানি ওয়ালেটের জন্য এখন তিনি চাইলে
পিন নম্বরের জায়গায় মনে রাখার সুবিধার্থে লিখতে পারবেন
একটি ডিম, দু’টি কলা। যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই তাদের
জন্যও এই সফটওয়্যারে বিশেষ সুবিধা রাখছি।’
এক মিলিয়ন ডলারের গাড়ি
এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের নতুন বিলাসবহুল গাড়ি বাজারজাত
করেছে নির্মাতা কোম্পানি ম্যাকলারেন। রোববার আল্টিমেট
সিরিজের নতুন মডেল ‘সেননা’ ওই গাড়িটি জনসম্মুখে
প্রদর্শন করে কোম্পানির কর্মকর্তারা । ম্যাকলারেন
কোম্পানি গাড়িটিকে তাদের বিরলতম এবং সবচেয়ে উন্নত
হিসেবে দাবি করেছে বলে জানায় সিএনএন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায় , ২০১৫ তে উৎপাদন বন্ধ হয়ে
যাওয়া ৯০৩ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন হাইব্রিড গাড়ি
ম্যাকলারেন পি-১ মডেলের পরিবর্তে এই নতুন ও সর্বাধুনিক
ম্যাকলারেন সেননা বাজারে ছাড়া হবে । এই গাড়ি চালক ও
গাড়ির মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে । সাবেক
ফর্মুলা ১ এর চালক অর্টন সেননার নামানুসারে এই গাড়ির
নামকরন করা হয় ।
অর্টন সেননা ম্যাকলারেন রেসিং দলের হয়ে ৮০ থেকে ৯০ দশকে
তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় । ১৯৯৪ সালে স্যান মেরিনো
রেসে এক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৭৮৯ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন
ম্যাকলারেন সেননা গাড়িটি খুব হালকা কার্বন ফাইবার দিয়ে
তৈরি । গাড়িটিতে টুইন-টার্বোচার্জড ভি৮ ইঞ্জিন
ব্যবহার করা হয়েছে।
দেখতে অতি আকর্ষণীয় এই গাড়ির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
হবে আগামী বছরের মার্চে হতে যাওয়া ৮৮ তম জেনেভা
আন্তর্জাতিক মোটর প্রদর্শনীতে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা
মর্তুজা হোসাইন-এর মৃত্যুতে BHRC’র গভীর শোক প্রকাশ !
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশিষ্ট সমাজসেবী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, ইফকো
কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা এএসএম
মর্তুজা হোসাইনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-BHRC’র চেয়ারম্যান বিচারপতি আমীরুল কবীর চৌধুরী
এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গভীর শোক প্রকাশ
করেছেন। ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণের পর ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
সর্বশেষ নামাযে জানাযার পর চট্টগ্রামে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু মরহুম
বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম মর্তুজা হোসেনের জামাতা। BHRC
মরহুমের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় শোকার্ত পরিবারের প্রতি
গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন
কারাগারে
চিকিৎসা সেবায় ধনী-গরিবের বৈষম্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে কারাবন্দীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে।
কারণ দেশের ৬৮ হাজার কারাবন্দীর জন্য চিকিৎসক রয়েছে
মাত্র ৬ জন। তবে ক্ষমতাবান কারাবন্দীরা চিকিৎসা
নিচ্ছেন কারাগারের বাইরে থেকে। এতে করে চিকিৎসা সেবা
থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ এবং গরিব কারাবন্দীরা।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ
দেশের ৬৮টি কারাগারে এখন বন্দীর সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার।
এর মধ্যে কেরানিগঞ্জ বাদে বাকি ৬৭টি কারাগারে হাসপাতাল
আছে একটি করে। তবে চিকিৎসক মাত্র ৬ জন। আর কেউ অসুস্থ
হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতে অ্যাম্বুলেন্স
রয়েছে মাত্র ৯টি। এ সুযোগে বাইরের হাসপাতালে দিনের পর
দিন চিকিৎসা নিচ্ছেন ভিআইপি কারাবন্দীরা।
অনেকের অভিযোগ, রোগী সেজে দীর্ঘদিন কারাগারের বাইরে
ছিলেন হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা,
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ
জোসেফ, ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদাসহ আরও অনেকে।
ভয়াবহ বায়ুদূষণ
জনসচেতনতা গড়ে তুলুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বায়ুদূষণ শুধু রাজধানীই নয়, সারা দেশের জন্য এক
অভিশাপের নাম। দুনিয়ার যেসব নগরী বায়ুদ্বারা ভয়াবহভাবে
দূষিত হয়ে পড়েছে তাতে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পর্যায়ে।
শুধু ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশই বায়ুদূষণের সাক্ষাৎ নরকে
পরিণত হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে
ফুটে উঠেছে এ-সম্পর্কিত ভয়ঙ্কর চিত্র। এতে বলা হয়েছে,
শুধু বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে ২৭ ভাগ মানুষ মারা
যাচ্ছে। দেশে পরিবেশদূষণের ক্ষেত্রে মহীরুহ হয়ে বিরাজ
করছে ইটভাটা। শিল্পায়ন ও যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ
দূষণের ক্ষেত্র আরও বাড়িয়েছে। নরওয়ের ইনস্টিটিউট ফর
এয়ার রিসার্চের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত
গবেষণা প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ,
রাস্তার ধুলামাটি ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস
পোড়ানো ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ৭ শতাংশ দায়ী বলে
চিহ্নিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা
হয়, নভেম্বর-মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের বাতাসে
বস্তুকণাজনিত দূষণ বেড়ে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ
হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে শীতকালে উন্নয়নকাজ শুরু হওয়ায়
ধুলাবালির প্রকোপও বাড়ে। বায়ুদূষণ রোধে সবচেয়ে বেশি
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আধুনিক ইটভাটা নির্মাণের ওপর। এ
ছাড়া ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ, যানজট কমিয়ে জ্বালানি
অপচয় হ্রাস, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং জোরদার করা,
নির্মাণসামগ্রী পরিবহন ও মজুদের সময় ঢেকে রাখা,
নির্মাণকাজের সময় পানি ছিটানো, রাস্তা খুঁড়ে মাটি
শুকানোর আগে পানি ছিটানো, রাস্তা পরিষ্কারে ভ্যাকুয়াম
ক্লিনার ব্যবহার, রাস্তার পাশে প্রচুর গাছ লাগানো এবং
যেখানে-সেখানে আবর্জনায় আগুন না লাগানোর ওপর গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে।
লেবার নিউকামার অব
দ্য ইয়ার টিউলিপ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক
‘লেবার নিউ কামার এমপি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন।
ওয়েস্ট মিনিস্টারে প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে
গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ তিনি ওই পুরস্কার পান।
হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাওয়ের হাত থেকে তিনি
ওই পুরস্কার নেন। এই খেতাব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায়
টিউলিপ সিদ্দিক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘লেবার নিউ কামার
অব দ্য ইয়ার সনদ পেয়ে আমি গর্বিত। ’ টিউলিপ সিদ্দিক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্র ও সুশীল সমাজে ভিন্ন
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করে থাকে দেশটির
সংস্থা প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি প্রতিবছর
বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য রাজনীতিকদের পুরস্কৃত করে
থাকে। টিউলিপ ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজ অব লন্ডন
থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
লাভ করেন।
পথ খাবারের
মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পথখাবারের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি লইয়া সম্প্রতি গণমাধ্যমে
বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হইয়াছে। খাইতে মুখরোচক মনে
হইলেও মূলত এইসকল খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিতেছে
নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ও
পরিবেশিত হয় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণও এইসকল খাবারকে
জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসাবে চিহ্নিত
করিয়াছেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়াছে যে, এই ধরনের
খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, আলসার,
হূদরোগ ও হেপাটাইটিসসহ নানা ধরনের সংক্রামক ও জটিল রোগে
আক্রান্ত হইবার ঝুঁকি অত্যন্ত প্রবল।
রাজধানী ঢাকাসহ সর্বত্রই নগরজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ
এই পথখাবার। তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় স্বল্প আয়ের
মানুষই এইসকল খাবারের উপর বেশি নির্ভরশীল থাকেন। তবে
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ
সমাজের নানা স্তরের পেশাজীবী মানুষকেও নিয়মিত এই ধরনের
খাবার গ্রহণ করিতে হয়। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান হইতে
জানা যায়, দেশে প্রায় ১৩০ ধরনের পথখাবার রহিয়াছে,
যাহার অধিকাংশই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
দেশের একমাত্র খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড
সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল)-এর সম্পতি প্রকাশিত
প্রতিবেদনেও এই সকল খাবারের উপাদানে কলিফর্ম,
মাইকোটক্সিন, সিসা, সালমোনেল্লা ও ই-কোলাই-এর মতো
বিষাক্ত জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়াছে বলিয়া সতর্ক করা
হইয়াছে। তবে শুধু রাস্তার পার্শ্বের খোলা খাবার শুধু
নহে, সারা দেশের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর জন্যও এই
সতর্কতা সমভাবে প্রযোজ্য। অতিশয় উদ্বেগের বিষয় হইল, এই
ধরনের অব্যাহত সতর্কতার পরও ভুক্তভোগী জনগণ কিংবা
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার বোধোদয় পরিলক্ষিত
হইতেছে না।
তবে ইহা ঠিক যে, রাজধানীর হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে মাঝে
মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদারকি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে রাস্তার পার্শ্বের কিংবা
ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলি একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন।
অনতিবিলম্বে তাহাদেরকে সিটি কর্পোরেশন বা নিরাপদ
খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কঠোর
তদারকির আওতায় আনা অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে। পাশাপাশি
ভোক্তাদেরও সচেতন হইতে হইবে। ইহার জন্য সরকারি উদ্যোগে
প্রচারণারও প্রয়োজন রহিয়াছে বৈকি। তাহা ছাড়া শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন এলাকায় পথখাবার বিক্রেতাদের
পরিচ্ছন্ন কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি
বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তবে শুধু সরকারের মুখাপেক্ষী
না হইয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই ব্যাপারে উদ্যোগী
হইতে হইবে।
ইয়েমেনে প্রতি দশ
মিনিটে মারা যাচ্ছে একটি শিশু!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়েমেনে অপুষ্টিজনিত কারণে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে
শিশু মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক
সংস্থা ইউনিসেফ।
সম্প্রতি সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক জানান, ইয়েমেনে এই
মুহূর্তে এক কোটি ১০ লাখ শিশুর জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা
প্রয়োজন। এছাড়া, ১৯ লাখ শিশুকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন
দেয়া দরকার বলেও জানান তিনি।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি জোট বিমানের বিমান হামলা শুরুর
পর চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
বিদায়ী বছরে
রেকর্ড সংখ্যক নারী ধর্ষণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদায়ী বছরে নারীদের অর্জন কম নয়। কিন্তু সেই অর্জন
অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে রেকর্ড সংখ্যক নারী ধর্ষণের
ঘটনায়। বাদ যায়নি শিশুদের উপর নির্যাতনও। বাংলাদেশ
মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালের জানুয়ারি
থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ৪ হাজার ৫৩৮ জন নারী
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণ, গণধর্ষণের
ঘটনা সব চেয়ে বেশি। রয়েছে হত্যা, আত্মহত্যা,
উত্যক্তকরণ, যৌতুকের কারণে নির্যাতন, শ্লীলতাহানির মত
ঘটনাও। যেগুলো বার বারই উঠে আসে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নারী নির্যাতনের বিষয়টি এখনো
রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখছে না। যে কারণে
চোখের সামনে নির্যাতনের ঘটনা দেখলেও সবাই তা মেনে
নিচ্ছে। দুর্বল আইনের শাসনও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
তাই এ ধরনের সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে, নির্যাতন বন্ধ
করা সম্ভব হবে না। তারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন
আর পেশিশক্তির প্রভাবের কারণে সমাজে নারীদের
উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি আর ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই
চলেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী গতবছর
থেকে এই বছর নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে ৫৮ শতাংশের
বেশি। চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নারী নির্যাতনের
সংখ্যা ৯ হাজার ১৯৬ টি। এর মধ্যে ৬৮ ভাগ ঘটনাই
নথিভুক্তই হয়নি। সব ধরনের নির্যাতনকে ছাপিয়ে গেছে
ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী নিষ্ঠুরতার ঘটনাগুলো। চলতি বছরে
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনা ১ হাজার ৭৩৭
টি। শুধু তাই নয় শিশু ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পরে হত্যার
ঘটনা এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। বছরের জানুয়ারি
থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৯৯ জন শিশুকে ধর্ষণ করা হয়, যাদের
মধ্যে ৫৮ শিশু হয়েছে গণধর্ষণের শিকার এবং এদের মধ্যে
৩৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু।
নারী নির্যাতনের ঘটনা বাদ দিলে ছিল অনেক আশা জাগানিয়া
খবরও। স্বপ্রণোদিত একঝঝাঁক কিশোরীর উদ্যোগে দেশব্যাপী
বাল্য বিয়ে ঠেকানোর ঘটনা বছরজুড়েই আলোচিত হয়েছে। আরো
ছিল তৃণমূল থেকে উঠে আসা দেশের নারী ফুটবলারদের জয় আর
দু’জন নারী পাইলটের যুদ্ধবিমান চালনা। দুই নারী পাইলট
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গিয়েও বাংলাদেশের মর্যাদা
বাড়িয়েছেন।
বিশ্বে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়
পৌনে ২ কোটি শিশু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে এক বছরের কম বয়সী প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে
বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হয়। যা তাদের মস্তিষ্কের
বিকাশকে ঝুঁকিতে ফেলে। এসব শিশুর তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি
দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে। সমপ্রতি বায়ু দূষণ কীভাবে
শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়ে
এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে
বলা হয়, শিশুরা দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে তা
সুনির্দিষ্টভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু এবং জ্ঞানের বিকাশকে
ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে; যার বিরূপ প্রভাব বয়ে বেড়াতে
হয় জীবনভর। জীবনের প্রথম সংকটময় ১ হাজার দিনে
অপর্যাপ্ত পুষ্টি ও সহিংসতার মতো বায়ু দূষণও শিশুদের
মস্তিষ্কের প্রারম্ভিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে শৈশবের
বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে স্নায়ু প্রদাহ
সৃষ্টি করতে পারে। বায়ু দূষণের ক্ষেত্রেও শিশুরা
অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকে। কারণ তারা অনেক দ্রুত শ্বাস নেয়
এবং তাদের শারীরিক প্রতিরক্ষা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
সম্পূর্ণ বিকশিত হয় না।
ঘরে তামাকজাত পণ্য, রান্নার চুলা ও আগুন থেকে বের হওয়া
ক্ষতিকর ধোঁয়া থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য
বাবা-মাকে পরামর্শ দেওয়া হয়। তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপসহ
শিশুদের ক্রমবিকাশমান মস্তিষ্কের ওপর বায়ু দূষণের
ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে জরুরি পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদনে
তুলে ধরা হয়।
খুবি শিক্ষকের
বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জানের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা
যৌতুক দাবি ও মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন
তার স্ত্রী মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস। মঙ্গলবার খুলনা
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর সরকারি এম এম কলেজের দর্শন
বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন,
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের সহকারী
অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিক ও
আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উভয়
পক্ষের পরিবারের সদস্য, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও ডিনসহ
গণিত ডিসিপ্লিনের প্রায় সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পূর্বে পাত্রের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর হওয়ায়
আমার মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আপত্তি
জানায়। কিন্তু তার শিক্ষক এবং এই বিয়ের প্রস্তাবক ও
ঘটক খুবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত)
মো. শরীফ উদ্দিন আমার মা-বাবাকে রাজি করান।
এ অবস্থায় দু’মাস পর তার ছোট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার
গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে আমাকে নিয়ে যায়।
শ্বশুরালয়ে গিয়ে আমি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হই। আমার
মুদি দোকানি শ্বশুর অশিক্ষিত ও যৌতুকলোভী। এরপর আমার
স্বামী আমাকে গাজীপুর থেকে আমার পিতার বাড়ি যশোরে রেখে
খুলনায় যায়। তারপর শুরু হয় তার মুখোশ উন্মোচনের পালা।
অনেক অনুরোধের পর আমাকে খুলনায় নিয়ে আসে। কিন্তু তার
সবকিছুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। ইতোমধ্যে আমি
সন্তানসম্ভবা হই। এটা শোনার পর সে আমাকে বাবার অথবা
শ্বশুর বাড়িতে চলে যেতে বলে। আমি যেতে অস্বীকৃতি জানালে
আমার ওপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন চালায়। পরিস্থিতির
এরকম পর্যায়ে বাবা-মা এসে আমাকে নিয়ে যান। এরপর সে
আমার কোনো খোঁজ নিত না। সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে
ভর্তি হবার পর সে গেলেও বিল দিতে হয় আমার আত্মীয়দের।
পরে আমার পরীক্ষার জন্য খুলনা আসি। কিন্তু এসে প্রচণ্ড
নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ১০
লাখ টাকা দাবি করা হয়। অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ আমাকে
মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে তার স্বামী খুবির গণিত বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
যৌতুক দাবি করার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো
নির্যাতনও করিনি। বরং আমার ওপর নির্যাতন হয়েছে এ
ব্যাপারে আমি গত বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা থানায় সাধারণ
ডায়েরি করেছি। এছাড়া গত ২০ মার্চ তাকে আইনিভাবে তালাক
দিয়েছি।
নারী নিপীড়ন বন্ধে
দিল্লি পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে নারী পুলিশ
স্কোয়াড গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। এখন থেকে দিল্লি
শহরের অলিগলিতে মোটরসাইকেলে টহল দেবে এসব নারী পুলিশ।
নারীর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে
লড়াই করাই এই স্কোয়াডের লক্ষ্য। দিল্লিতে ২০১২ সালে ঘটে
যাওয়া ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর এ উদ্যোগ
নেয়া হল। এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে রাফতার বা গতি।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ উদ্যোগের আওতায় আগামী ডিসেম্বর
মাস থেকে প্রায় ৬০০ মোটরসাইকেলসহ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত
নারী পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে মোতায়েন করা হবে। এসব
কর্মকর্তার সঙ্গে থাকবে স্বাভাবিক অস্ত্র, বডি ক্যামেরা,
পেপার স্প্রে ও স্টান গান। শহরের জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে
জোড়ায় জোড়ায় টহল দেবে তারা। আশা করা হচ্ছে, নারী
স্কোয়াডের উপস্থিতি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধগুলো কমিয়ে
আনতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে দিল্লির ওই ভয়াবহ ধর্ষণের
ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব নারী সহিংসতা ও যৌন
হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন
তাদেরকে নিশ্চিন্ত করবে।
পাঁচ বছরে ২৩ হাজার নারীকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সর্বক্ষেত্রে নারীর বিস্ময়কর সাফল্য লক্ষ্যণীয় হলেও
সমাজে নারী নির্যাতন থামছে না। এ থেকে নারী কোনোভাবেই
যেন রেহাই পাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি
যৌন সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের জন্য মূলত
বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞজনেরা।
একইসঙ্গে তারা ইন্টারনেটের প্রভাব, নারীর প্রতি সমাজের
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক মূল্যবোধের অভাবকেও
সমানভাবে দায়ী করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে
পুরুষদের ভূমিকাই মুখ্য বলে জানিয়েছেন।
এবার বহুবিবাহের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ লোকসভায় তিন তালাক
বাতিলের বিল পাসের পর এবার বহুবিবাহ বাতিলের দাবিতে
সোচ্চার হয়েছেন দেশটির মুসলিম নারীরা। এ বিষয়ে আইনি
লড়াইয়ে যুক্ত নারীরা তিন তালাকের চেয়ে বহুবিবাহকে ‘আরও
জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। এজন্য তিন তালাকের পাশাপাশি
বহুবিবাহকেও বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। খবর
এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভোটাভুটিতে কোনো সংশোধনী ছাড়াই
পাস হয় তিন তালাক বিল। বিলটি এবার পাসের জন্য উচ্চকক্ষ
রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। এখানেও বিলটি সহজেই পাস হবে বলে
আশা করা হচ্ছে। তিন তালাক বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত
সরকারি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম নারী
সমাজকর্মীরা। কিন্তু এতে তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
তাদের বক্তব্য, মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে সংস্কার আনার
বিরাট সুযোগ নষ্ট করল কেন্দ্র। তিন তালাকের সঙ্গে বহু
বিবাহও নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল তাদের।
সমাজকর্মী রিজওয়ানা ও রাজিয়ার সঙ্গে তিন তালাক
নিষিদ্ধকরণের দাবিতে মামলা লড়েছিলেন আইনজীবী ফারাহ
ফয়েজ। তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীরা বিয়ের ক্ষেত্রে তখনই
পুরোপুরি স্বাধীন হবেন, যখন মাথার ওপর স্বামীর একাধিক
বিবাহের খাঁড়া ঝুলবে না।’ সমাজকর্মী রিজওয়ানা নিজেই
বহুবিবাহ প্রথার শিকার। তিনি বলেন, তিন তালাক বেআইনি
ঘোষণাকে সংস্কার প্রক্রিয়ার একটি অংশ হিসেবে দেখা উচিত,
সম্পূর্ণ সংস্কার নয়। নিকাহ হালালার মধ্যযুগীয় প্রথা
থেকে মুসলিম মেয়েদের উদ্ধার করার সময় এসেছে। তাদের
আশঙ্কা, তিন তালাক বেআইনি ঘোষণার পর মুসলিম সমাজে বহু
বিবাহ এবার কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে
বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন
কামাল। তিনি বলেছেন, ‘তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছিল। আজকে আমরা প্রায় ১৬ হাজার
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। সব ক্ষেত্রে সরকার এগিয়ে
চলছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে ভোলার লালমোহন
উপজেলার বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ
উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রতিদিন নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ১৯ বার
হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেশের অসহায় মানুষের
ভাগ্যবদলের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মহান আল্লাহ রক্ষা
করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (ভোলা-৩) নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের
সভাপতিত্বে সভায় লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আলী রেজা মিয়া, পৌর আওয়ামী
লীগের সভাপতি ফকরুল আলম হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা যা বলেন তা করে দেখিয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি
বলেছিলেন বাংলাদেশ পাল্টে দেবেন, তিনি গোটা দেশটাকে
বদলে দিয়েছেন। দেশের মানুষও আজ বুঝতে পেরেছে শেখ
হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পৃথিবীর সৎ ও
আদর্শবান ১৭৮ জন রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনা
তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। এর মাধ্যমে গোটা দেশের
ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, সরকার দারিদ্র্যসীমা কমিয়ে
২২ ভাগে নিয়ে এসেছে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে এটাকে ১২ ভাগে
আনা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে
শিক্ষিত করা হবে। আর ২০৪০ সালে শতভাগ মানুষ শিক্ষিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জঙ্গি দমনে জীবনের মায়া
ত্যাগ করে তারা কাজ করছে। তাই সাধারণ মানুষের পুলিশ
বাহিনীর প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে
লালমোহন নবনির্মিত আধুনিক থানা ভবনের উদ্বোধন করেন। এ
ছাড়া বিকেলে তজুমদ্দিন থানা ভবন উদ্বোধন করেন।
ময়মনসিংহে ৩ ভুয়া
ডিবি পুলিশ আটকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৩ ভুয়া
ডিবি পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ডিবি পুলিশের পোশাক, ৩টি
পিস্তল ও ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। আটক ৩ জন হচ্ছে,
সুমন (৪০), আক্কাছ (৪২) ও পলাশ (২৮)। শনিবার গাজীপুর
থেকে তাদের আটক করা হয়। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ
নুরুল ইসলাম রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের
মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য
জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানান হয়, গত ৩ ডিসেম্বর ভুয়া ডিবি
পুলিশের এই ৩ সদস্য ত্রিশাল উপজেলা সদর থেকে একজন
মত্স্য ব্যবসায়ীকে আটক করে তার কাছ থেকে ৯ লাখ ৮০
হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মহাসড়কে স্থাপিত সিসি
ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে পুলিশ এ দলটিকে গ্রেপ্তারে
সক্ষম হয়। আটক হওয়া দলটি পুরো দেশে ডিবি পুলিশের পরিচয়
দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও প্রতারণা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আরও ২ জন এই
চক্রের সাথে জড়িত। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো
হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলা হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
উচ্চশিক্ষিত মুসলিম কনেদের বিয়েতে
অভিনব উপহারের অঙ্গিকার করল মোদী সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন তালাকের মতো প্রথার অবসানের প্রচেষ্টার পাশাপাশি
এবার মুসলিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষায উৎসাহ যোগাতে অভিনব
উদ্যোগ নিল মোদী সরকার স্নাতক মুসলিম মহিলাদের বিয়েতে
সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে
কেন্দ্র উচ্চশিক্ষায মুসলিম মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতে
স্নাতক অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট মুসলিম মেয়েদের বিয়েতে এবার
৫১ হাজার রুপি দেবে মোদী সরকার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া
হয়েছে ‘শাদি শগুন’ এই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য জানিয়ে শীঘ্রই একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে কেন্দ্র
এই প্রকল্পের ফলে মুসলিম মেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষায়
আগ্রহী হবেন, তেমনি তাদের পরিবারও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও পড়া সম্পূর্ণ করার
জন্য মেয়েদের উৎসাহ দেবে। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের
অন্তর্ভুক্ত মৌলানা আজাদ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সরকারি
ওয়েবসাইটে ‘শাদি শগুন’ স্কিমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে
ধরবে ওই ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই যেসব মুসলিম
মেয়েরা গঅঋ স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা এই সরকারি উপহার
পাবেন এছাড়াও কেন্দ্র মাধ্যমিক স্তরের মুসলিম
ছাত্রীদের জন্যও ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান
দেওয়ার কথা ভাবছে একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
ছাত্রীদের জন্যেও ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়ার
পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের তিন তালাক সহ ঘৃণ্য কিছু
প্রথার কারণে মুসলিম সমাজে নারীরা চুড়ান্ত অবহেলিত
পরিসংখ্যান বলছে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
শ্রীমঙ্গলে আসামির পলায়ন, দুই পুলিশ
ক্লোজড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শ্রীমঙ্গল থানার হাজতখানা থেকে সেলিম মিয়া নামের এক
র্যাবের হাতে আটক হওয়া এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায়
পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় এক নারী সহকারী
উপ-পুলিশ পরিদর্শকসহ পুলিশের এক কনেস্টবলকে ক্লোজ করা
হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার
কার্যালয়ের নির্দেশে এ দুজনকে তাদের কর্তব্যরত দায়িত্ব
পালনকালে অবহেলার দায়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
ক্লোজ হওয়া এ দু’জন হলেন- শ্রীমঙ্গল থানার উপ-সহকারী
পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মনিকা সরকার ও কনস্টেবল ঝুমন
দেব। শহরতলীর শাহীবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. আরজু
মিয়ার ছেলে সেলিম হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ারকালে
এএসআই মনিকা সরকার ডিউটি অফিসার ও কনস্টেবল ঝুমন দেব
থানায় সেনট্রির দায়িত্বে ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা
যায়, গত রবিবার রাতে শহরের হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা
থেকে র্যাব সিপিসি-২ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা
অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে শাহীবাগ আবাসিক এলাকার
সেলিম (৩৮)কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।
পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঝাড়ুদার থানার
হাজতখানা পরিষ্কার করতে গেলে ওই আসামি তখন হাজত থেকে
বেরিয়ে থানার পেছনের দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
পিরোজপুরে হাজতির
মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্ট
পিরোজপুর কারাগারে থাকা এক হাজতির হাসপাতালে মৃত্যু
হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার ভোরে ওই হাজতি
পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মারা যাওয়া ওই হাজতির নাম জাকির হোসেন (৫৪)। তিনি
কাউখালী উপজেলার জিবগা সাতুরিয়া গ্রামের মৃত মোকলেস
তালুকদারের ছেলে। তিনি চিরাপাড়া পার সাতুরিয়া ইউপির
সাবেক সদস্য ছিলেন।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেন
কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের এনামুল হত্যা মামলার
আসামি। তিনি ২৯ অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন। বুধবার
ভোর সোয়া চারটার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে
পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার
কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার শামিম ইকবাল বলেন,
মৃতের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপর পরিবারের কাছে
হস্তান্তর করা হবে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ননী
গোপাল রায় বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেনের
মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকায় হাসপাতালে
স্ত্রী হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম মৃধা (৬০) নামে এক কয়েদীর
মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তার
লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আবু হানিফ।
মহাখালীতে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম মৃধা বরিশালের বাকেরগঞ্জ
উপজেলার আলফাকাটি গ্রামের সৃত আব্দুল লতিফ মৃধার ছেলে।
তার ভাতিজা কামরুজ্জামান মৃধা জানান, স্ত্রী মাকসুদা
বেগমকে হত্যার দায়ে প্রথমে আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম
মৃধার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালত তার
যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
জসিম মৃধা ১৭ বছর যাবত বরিশাল কারাগারে সাজাভোগ
করছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে মহাখালী বক্ষব্যাধি
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে মারা
যান তিনি।
শ্রীপুরে শিশু
হত্যায় একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসির
আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা
জরিমানাও করা হয়।
এ ছাড়াও এ মামলার অপর দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে। তাদেরকেও পাঁচ হাজার জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন
মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার সকালে
গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক এ রায়
দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রিপন মিয়া (৩৩) শ্রীপুর
উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে। আর
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি
গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুরের
ঝিনাইগাতী থানার দিঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে
মো. মোজাফ্ফর (১৯)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের
কাঠগড়ায় ছিলেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি আরিছ উদ্দিন আহম্মদ বলেন,
মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ায় নাজনিন নামের সাত বছরের
শিশুটি শ্রীপুরের চকপাড়ায় নানা হাসমত আলীর বাড়িতে থাকত।
হাসমত আলীর সঙ্গে জমির বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ৩০
অক্টোবর তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মা মোসাম্মৎ আসমা
বেগম শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান ওই তিনজনের
বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তিনি আরো বলেন, এ মামলায় মোট আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে
আদালত এ রায় দিয়েছেন।
না’গঞ্জে
নারীর পেটে ইয়াবা, উদ্ধার করলো গোয়েন্দা পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারয়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুফিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক নারী
অভিনব কৌশলে পেটের ভিতরে করে ইয়াবা পাঁচার করার সময়
তাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি।
আটক সুফিয়া দেওভোগ পশ্চিম এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের
স্ত্রী ও মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ইয়াবা পাচার করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি
দল এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সুফিয়ার বাসায় ২৩
নভেম্বর রাতে অভিযান চালায়।
পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে প্রচুর পানি পান করিয়ে
পেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখা প্রতি প্যাকেটে ৫০ পিচ করে
থাকা ৫’শত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাকে
গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত প্রেরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা উপ
পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, আটক সুফিয়া একজন
চিহ্নিত মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ী। এর আগে সে
ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লায় ধরা পড়ে। এরপর থেকে সে
ফেন্সিডিল বাদ দিয়ে ইয়াবা কাযক্রম শুরু করে।
পেটের ভিতরে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, টেকনাফ
থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সে এই অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে
আসছে। সুফিযার তথ্যমতে সে এ পদ্ধতিতে ২ হাজার ইয়াবা
বহন করতে পারে।
এসিড নিক্ষেপ
মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এসিড নিক্ষেপের দায়ে আয়তাল হক (৩৮)
নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের
বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক
শরনিম আকতার এই রায় দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি
আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার মূলাডুলি
গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা আকতার নাসরিনকে
(৩০) একই এলাকার আয়নাল হকের ছেলে আয়তাল হক প্রেমের
প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৯ সালের
২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাসিমার মুখে ও শরীরে এসিড
নিক্ষেপ করেন আয়তাল।
এ ঘটনায় নাসিমার মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি এসআই মোহাম্মদ আলী আদালতে
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮জন সাক্ষীর
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
পরিকল্পনা,
গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড জরুরী কেনো?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক প্রাকৃতিক উৎস থেকেই ফলিক এসিড পাওয়া যায়। ইদানিং
অনেক খাবারেই কৃত্রিম ভাবে ফলিক এসিড যোগ করা হচ্ছে,
যেমন- ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি।
এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফলিক এসিডের চাহিদা কিছুটা
হলেও পূরণ করে। কিন্তু গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা
করছেন এমন মায়েদের জন্য এগুলোকে ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে
বিবেচনা করা উচিত নয়।
এসব খাবার লেবেল অনুযায়ী আপনি হয়তোবা সঠিক পরিমাণ
গ্রহণ করছেন কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এতে
আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ফলিক এসিড যাচ্ছে। এছাড়াও এ
খাবারগুলো কেউ নিয়মিত গ্রহণও করেন না।
ফলিক এসিড কী?
ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (ঋড়ষধঃব)
নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক
বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি
অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের
রক্তস্বল্পতা রোধে (ধহবসরধ) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা
উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি
ডিএনএ এর গঠন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে
সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।
লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ
করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয স্ক উভযে রই প্রযে াজন।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন দরকার?
আপনি যদি গর্ভধারণ করেন বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন
সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক এসিড গ্রহণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড নিউরাল
টিউব ডিফেক্ট (ঘঞউ) যেমন- স্পাইনাল কর্ড (ঝঢ়রহধ ইরভরফধ)
ও ব্রেইনের (ধহবহপবঢ়যধষু) জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে
সাহায্য করে। নিউরাল টিউব হলে ভ্রূণের একটি অংশ যা থেকে
মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের গঠন হয়।
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট সাধারণত ভ্রূণের বিকাশের একেবারে
প্রথম দিকে শুরু হয় যখন অধিকাংশ মহিলায় বুঝতে পারেনা
যে তারা গর্ভবতী। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে
সাথেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।
সিডিসি (ঈবহঃবৎং ভড়ৎ উরংবধংব ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ চৎবাবহঃরড়হ)
এর মতে যে সব মহিলা গর্ভধারণে অন্তত একমাস আগে থেকে বা
গর্ভধারণের প্রথম ট্রাইমেস্টারে নিয়মিত ফলিক এসিড
গ্রহন করে তাদের গর্ভের শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট এর
ঝুঁকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যায়। আরও কিছু গবেষণায় দেখা
গেছে ফলিক এসিড গর্ভের শিশুর আরও কিছু জন্মগত ত্রুটি
প্রতিরোধ করে, যেমন- ঠোঁট কাটা (পষবভঃ ষরঢ়), তালু কাটা
(পষবভঃ ঢ়ধষধঃব) এবং আরও কিছু হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা।
এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রি-এক্লাম্পশিয়ার
ঝুঁকি কমায়। এছারাও গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা এবং বেড়ে
ওঠা শিশুর কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ফলিক
এসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করা যায়?
প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে ফলিক এসিড পাওয়া যায়
সেগুলোও বেশীরভাগ সময় পরিপূর্ণভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা
পূর্ণ করতে পারে না। আশ্চর্যজনক হলেও গবেষণায় দেখা গেছে
আমাদের শরীর বেশীরভাগ প্রাকৃতিক উৎসের চাইতে
সাপ্লিমেন্টে পাওয়া ফলিক এসিড আরও ভালোভাবে শোষণ করতে
পারে। তাছাড়াও আমরা যখন এসব খাবার সংরক্ষণ করি বা
রান্না করি তখন তাতে ফলিক এসিডের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আপনি যদিও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তবুও
হয়তো গর্ভাবস্থায় আপনাকে সাপ্লিমেন্ট নেয়ার পরামর্শ
দেয়া হতে পারে।
জেনে নিন ইসবগুলের
ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া
চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা
ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর
অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক
উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয়
খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য
খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি
পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে
বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী
হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের
ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম
গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান
করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও
কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া
যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন
সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব
কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে
মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ
কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর
ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল
খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক
স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে
রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর
বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে
আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২
চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন।
এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে
অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে
উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার
অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়।
এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি
পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে,
হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান
থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি
পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার
করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে।
কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য
লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
আপনি জানেন কি,
পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজকাল অনেকেই ফ্যাশন করে দাড়ি রাখেন। নিজের ইচ্ছামতো
স্টাইল করে ফ্যাশনেবল লুকে আসতে মুখের সাথে মানানসই
দাড়ি রাখা সব চাইতে ভালো আইডিয়া। কিন্তু আপনি জানেন
কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের সাথে যুক্ত নয় এটি
যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও যুক্ত। পুরুষের দাড়ি
রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। জানতে চান কী কারণে?
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো।
প্রেমিকের দাড়ি দেখে মেয়েদের রাগ করার দিন এবার সত্যি
ফুরালো!
ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে: যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে
বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম
ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার
ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত
থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে
অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।
শেভিং র্যাশ থেকে মুক্তি: অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ
হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের
সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র ্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি
রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা,
শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল
জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন
ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের
ক্ষেত্রে ডারম্যাটোলজিস্টগণ স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা
পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে: পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো
ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা
অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং
রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং অ্যালার্জি সংক্রান্ত
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বর্ণের ঝামেলা থেকে মুক্তি : পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে
থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও
বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যতœ
নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব
সহজেই।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে
মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে
ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা
অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা সংক্রান্ত ঝামেলা
থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
দাঁড়িয়ে পানি পান করছেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পানির আরেক নাম জীবন। আবার একথাও সত্য যে এই জীবনকে
গ্রহণ করার একটা নিয়ম রয়েছে। প্রয়োজনে তৃষ্ণা মেটায়।
আবার অপ্রয়োজনে অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে। নিয়ম না মানলে
এই জীবনের এই মূল উপাদানই মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েই থাকেন।
কিন্তু কখন তা পান করা উচিত? আর কোন অবস্থায় পান করা
উচিত? তা অনেকেই জানেন না। যেমন ধরুন তেষ্টা পেল আর
দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে পানি খেলেন, কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে
এভাবে পানি পান করে আপনি নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি
করছেন?
আমাদের শরীরে এমন অনেক ছাঁকনি রয়েছে যা পানির ক্ষতিকর
উপাদানগুলোকে শুষে নেয়। দাঁড়িয়ে থাকলে এই ছাঁকনিগুলো
সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে তা কাজ করতে পারে না। তাই
দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করলে পানির ক্ষতিকারক
উপাদানগুলো সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা তীব্র বেগে খাদ্যনালীর মধ্যে
দিয়ে বয়ে গিয়ে সোজা নিম্ন পাকস্থলীতে ধাক্কা মারে। এর
ফলে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে হজমের সমস্যা
তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যা বেশ বড় আকার নিতে পারে।
পানি কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তবে একথাও ঠিক যে
দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিডনির পক্ষেও ক্ষতিকর। প্রবল
বেগে যাওয়া পানির মধ্যে যে দূষিত পদার্থগুলো থাকে তা
কিডনি পরিশ্র“ত করতে পারে না। ফলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে
শরীরের ক্ষতি করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট
করে দেয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করলে অর্থ্রারাইটিসের
সমস্যা দেখা যায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভবিষ্যতে
নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে একাধিক নার্ভে
প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা
অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই
ভাল নয়।
আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশি পানি খাওয়া সম্ভব হয়
না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়।
সবসময় তো আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে
পানি অনেক কম খাওয়া হয়। তাই পানি পানের আগে কোথাও বসুন।
একটু সময় নিয়ে বেশি করে পানি পান করুন। শরীর সুস্থ
থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে।
পেট থেকে গ্যাস দূর
করার সহজ কয়েকটি উপায়
যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত
যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো
বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া
যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস,
বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী
খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে
করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা
দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা
হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও
গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত
সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের
কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে
আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে
যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক
জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর
বিকল্প নেই।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
বিয়ের জন্য ২৭০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বামী অত্যাচারী হতে পারে, পরনারী আসক্ত হতে পারে,
মাতাল হতে পারে। বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে
যেতে পারে। খুন-ধর্ষণ ইত্যাদির মামলায় স্বামীর সঙ্গে
তালাক হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে স্ত্রী বৈবাহিক
সম্পর্ক থেকে মুক্তির প্রত্যাশা করতে পারে। স্বামী
অসুস্থ হতে পারে, স্থায়ী যৌন অক্ষমতা থাকতে পারে।
অপঘাতে স্বামীর মৃত্যু হতে পারে।
বিয়ে ভেঙ্গে গেলে কিংবা স্বামী মরে গেলে যখন ইচ্ছে তখন
বিয়ে করা যাবে না, পাত্রী যত সুযোগ্যই হোক। স্বামীর
মৃত্যুজনিত কিংবা স্বামীর সঙ্গে তালাকজনিত বিচ্ছেদের
সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ তাতে কাজ
হবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে
না। ২৭০ দিন অপেক্ষার আইনটি কলম্বিয়ার। শত বছরের পুরনো
এই আইনটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে সেখানকার প্রগতিশীল
নারী সমাজ। এক পর্যায়ে পুরুষদের সমর্থনও মেলে। শেষ
পর্যন্ত পেগোটার সাংবাদিক আদালত ২৭০ দিন অপেক্ষার এই
আইনটি বাতিল করে দেন।
এখন সন্তানের পিতৃত্ব নিশ্চয়নের জন্য আর অপেক্ষার
প্রয়োজন নেই। গর্ভের সন্তান নিয়ে অবলীলায় বিয়ে করা যাবে।
পিতৃত্ব নিয়ে বেশি ঝামেলা হলে ডিএনএ টেস্ট তো আছেই।
অপহরণ যদি ভালবাসার কারণে হয়ঃ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই
অপহরণ একটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে
এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইতালির
দক্ষিণাঞ্চলে প্রাক বৈবাহিক সম্পর্ক খুব ভাল চোখে দেখা
হয় না। বরং মেয়েটিকে অপহরণ করে একরাত তার সঙ্গে কাটিয়ে
বিয়ের দাবিটা জোরদার করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক
সময় মেয়ের পরিবারও চায় মেয়েটির প্রেমিক তাকে অপহরণ
করুক। তারপর তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও যৌন সঙ্গমের অবিযোগ
এনে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে। সিসিলির উচচ আদালতে এ
ধরনের একটি মামলায় উভয়পক্ষের জন্য স্বস্তিকর একটি রুলিং
জারি হয়েছে। অপহরণকারী যদি প্রেমিকাকে অপহরণ করে কিংবা
অপহৃত মেয়েটিকে যদি সত্যি সত্যি ভালবাসে এবং নাবালিকা
হলেও মেয়েটি যদি তার ভালবাসায় সাড়া দেয় তাহলে অপরাধটি
ভালবাসায় তলিয়ে যাবে। অপহরণকারীর কোন শাস্তি হবে না।
এই রুলিং সমালোচিতও হয়েছে- তাহলে উচ্চ আদালত কি
অপহরণের উস্কানি দিচ্ছে?
পোশাক অপশনাল সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞাঃ প্রভিন্সটাউন
বোস্টনের একটি ছোট্ট সৈকত শহর। সৈকতে একচিলতে বিশেষভাবে
চিহ্নিত বালুকাবেরা। এখানে পোশাক পরা অপশনাল। ইচ্ছে
করলে পুলওভার ওভারকোট সবই চাপাতে পারেন। ইচ্ছে করলে
দিগম্বও থাকতে পারেন। অবশ্যই পোশাকের বাহাদুরি দেখানোর
জন্য কেউ সেখানে যায় না, যায় দেহ সৌন্দর্য দেখানোর
জন্য এবং আদিম আনন্দের জন্য। চিহ্নিত এই বালুকাবেলার
নাম ‘স্পেগেটি স্ট্রিপ’। এভিন্সটাউন স্বশাসিত শহর।
রেজিস্টার্ড বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাসন
বালূকাবেলা সৃষ্টি করেছে। এতে শহরের আয়ত্ব বেড়েছে। এই
সৈকতের জন্য মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। কিন্তু বাদ সেধেছেন
সুপিরিয়র কোর্ট জজ। তিনি রায় দিলেন নগ্ন সাঁতার এবং
শরীরের অসুন্দর প্রকাশ আইনের পরিপন্থী।
শহরের কর্মকর্তা বোঝাতে চেষ্টা করলেন নগ্নতা আসলে শরীর
সৌন্দর্যের প্রকাশ ও নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটা ব্যক্তিগত
অধিকার। সায় দিলেন না বিচারক। বন্ধ করে দিলেন পোশাক
অপশনাল সৈকত। প্রভিন্সটাউন মূলত একটি আর্টিস্ট কলোনি।
শহর কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে সুপিরিয়র জজের আদেশের
বিরুদ্ধে। তারা আশা করছে, আপিলের রায়ে রক্ষা হবে নগ্নতা
প্রকাশে কোন বাধা থাকা উচিত নয়।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রায় সব কৃষি কাজে পশু ব্যবহার
হয়। পশুপালন ও কৃষি কাজে পশুর ব্যবহার হাজার বছর ধরে
চলে আসা বাঙালি সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি হিন্দু
সমাজে বিশেষ করে গরুকে মাতৃরূপ দেবতা জ্ঞান করে। এর
কারণই হলো কৃষিকার্যে পশুর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা।
এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে গৃহপালিত পশু কৃষি কাজ,
মালামাল টানা এবং যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে এখনো এই দেশে
বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সভ্যতার এই যুগেও কিছু মানুষ তার
গৃহপালিত পশুকে ব্যবহার করে অমানবিক ব্যবহারকে
নিবারণের জন্য ১৯৮০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘পশুর প্রতি
নিষ্ঠুরতা নিবারণ’ আইন। এ আইনে পশুর প্রতি নিষ্ঠুর
ব্যবহার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখিত আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি-
ক) তার গৃহপালিত পশু দিয়ে অতিমাত্রায় গাড়ি টানা,
মারপিট বা অহেতুক কষ্ট বা ব্যথা দিতে পারবে না। খ)
পশুটিতে অহেতুক কষ্ট দিয়ে বাঁধা বা এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে চালান দিতে পারবে না। গ) ক্ষুধা-তৃষ্ণার দরুন
পশুটিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। ঘ) অহেতুক নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে
হত্যা করা যাবে না। ঙ) দুগ্ধবর্তী গাভী বা এ ধরনের
পশুর দোহনের জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার (কুফা বা
দুমদেব) করা যাবে না। চ) অসুস্থ, বার্ধক্য, জখম বা
ঘায়ের দরুন বা অন্য কোনো কারণে কাজে অযোগ্য হলে এ
ধরনের পশুকে খাটানো যাবে না।
উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ৫০
থেকে ২০০ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে
কারাদণ্ড বা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।
Top
|