BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover June 2018

English Part June 2018

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

  বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন মে ২০১৮
মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ৩২৩ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ইঐজঈ’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনওঐজঈ’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। জরিপে মে ২০১৮ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ৩২৩টি। এর মধ্যে মাদক বিরোধী আন্দেলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয় ১২৭ জন। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মে ২০১৮ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ১০ এর অধিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ৩২৩ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৫ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩৫ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৭১ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৫ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ১২৭ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৫ জন, অপহরণ হত্যা ১১ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৫০ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৭ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২০৩ জন, খ) আত্মহত্যা ২৫ জন।
মে ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৩৭ জন, যৌন নির্যাতন ৯ জন, যৌতুক নির্যাতন ১১ জন।
 

 

বাংলাদেশ-ভারত আলাদা দেশ হলেও স্বার্থগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে : মোদি

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ ও ভারত দুটি আলাদা দেশ হলেও দুই দেশের স্বার্থগত সংযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোদি এ কথা বলেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মোদি। শুরুতে তিনি বাংলায় বলেন, ‘সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। শান্তির নীড় কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে আমি অত্যন্ত আনন্দ ও শান্তি অনুভব করছি।
তিনি আরও আরও ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। ভারত ও বাংলাদেশ দুটি আলাদা দেশ, কিন্তু আমাদের স্বার্থগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সাংস্কৃতিকভাবে হোক কিংবা সরকারি নীতির দিক দিয়ে হোক, আমরা এক অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। বাংলাদেশ ভবন তেমনই একটি দৃষ্টান্ত।
মোদি জানান, মঞ্চে ওঠার সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কথা তার মনে হচ্ছিলো। তিনি বলেন, যখন মঞ্চের দিকে আসছিলাম, আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা স্মরণ করছিলাম। তিনি এখানে মহাত্মা গান্ধী এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময় বিশ্ব নাগরিক হিসেবে স্মরণীয় থাকবেন। আমি যখন তাজিকিস্তান গিয়েছিলাম, তখন সেখানে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্য উন্মোচনের সুযোগ পেয়েছিলাম। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেক ব্যক্তিই জীবনে কিছু করার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে। সঠিক পথের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রদান খুব জরুরি, যেন তারা সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলতেন, শিক্ষা কেবল স্কুল, কলেজেই দিতে হয় না, বরং বিভিন্ন উপায়েই শিক্ষা দেওয়া যায়।

 

 রাজশাহী আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র রাজশাহী আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ১২ মে ২০১৮ রোজ শনিবার সকাল ৯:৩০টায় ‘সীমান্তে নোঙর’ অডিটোরিয়াম পদ্মা (নদী তীরবর্তী) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করে BHRC’র রাজশাহী বিভাগীয় গভর্নর মোঃ আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. মোঃ আবু মোত্তালেব বাদল।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, রাজশাহী বিভাগীয় গভর্নর মোঃ আবুল হোসেন, বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম, বরিশাল অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ শামসুল হুদা কিসলু, নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সরদার সালাউদ্দিন পিন্টু, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. মোঃ ইউসুফ আলী পিন্টু, নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহফুজ আনাম মনি, রাজশাহী মহানগর শাখার নির্বাহী সভাপতি কে.এম. হাবিবুর রহমান, রাজশাহী জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি এড. কে.এম. ইলিয়াস, নাটোর জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার (ঢাকা) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ শাহজামাল, নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ মোক্তার হোসেন, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ চন্দন কুমার দেব, খুলনা মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গাজী অহিদুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাগঞ্জ, নওগাঁ জেলা অধীভুক্ত সকল শাখার পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন ।
 

যে গ্রামে ৪০০ বছর ধরে জন্ম নেয়নি কোনো শিশু!
                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ গ্রামের মতোই। নাম শঙ্ক শ্যাম জি গ্রাম। কিন্তু এই গ্রামের রয়েছে অদ্ভুত এক রীতি। এখানে ৪০০ বছর ধরে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায় অবস্থিত গ্রামটি।
গ্রামের প্রবীণদের দাবি অনুযায়ী, ষোড়শ শতক থেকেই এমন রীতি চলে আসছে এখানে। গ্রামের লোকদের বিশ্বাস, এই গ্রামে ঈশ্বরের অভিশাপ রয়েছে। এই গ্রামে যদি কোনো শিশু জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে, না হলে শিশুটির মা মারা যাবেন। গ্রামের প্রবীণদের কথায়, ষোড়শ শতকের এই গ্রামটিতে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছিল। সে সময় এক মহিলা গম ভাঙতে শুরু করেন। সেই আওয়াজের ফলে নির্মাণ কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং ঈশ্বর। এতে অভিশপ্ত হয় গোটা গ্রাম।
গ্রামপ্রধান নরেন্দ্র গুর্জর জানান, এই গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে একটি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৯০ শতাংশ মহিলা সন্তান প্রসব করেন হাসপাতালে। জরুরি পরিস্থিতির সময় গ্রামের সীমানার বাইরে যে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই সন্তান জন্ম দেন প্রসূতিরা। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামের মধ্যে মদ কিংবা মাংসও খাওয়া হয় না। ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট রাখতেই নাকি এই রীতি চালু রয়েছে।

 

 BHRC  নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল
মাদক নির্মূল হওয়া জরুরী কিন্তু নিরপরাধ মানুষ যেনো

হয়রানির শিকার না হয়

মানবাধিকার রিপোর্ট’
দেশে এখন চলছে মাদক নির্মূল কর্মসূচী। সরকারের এ কর্মসূচী অবশ্যই একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কিন্তু এর মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষ যেনো হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করা সম্ভব সেসব ক্ষেত্রে আদালতে বিচারের মাধ্যমেই তা হওয়া বাঞ্চনীয়। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) এর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টিতে আজ সোমবার এসব কথা বলেন উপস্থিত মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ। পবিত্র মাহে রমযানের তাৎপর্য বিষয়েও আলোচনা করেন বক্তারা।
শহরের চাষাঢ়ার একটি রেস্টুরেন্টে শতাধিক মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে গতকাল বিকালে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিএইচআরসি ঢাকা বিভাগ দক্ষিণ অঞ্চলের গভর্ণর কে.ইউ. আকসির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সম্মিলিত এ আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নব নির্বাচিত সভাপতি লায়ন রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো: নাসির উদ্দিন মন্টু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (রুমি)।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মো: মঞ্জুর কাদের। এপ্রিল মাসে ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হওয়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান কে ইউ আকসির।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর শাখা, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও বন্দর থানা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুর দিকে প্রত্যেক কমিটির সদস্য নিজেদের পরিচয় প্রদান করেন।
সভায় মহিলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলেয়া সারোয়ার, অধ্যাপক রাশিদা আক্তার, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, রিনা আহমেদ, এডভোকেট (এড.) হাসিনা পারভিন, এড. তানহা রহমান, এড. হোসনে আরা বেগম, লায়লা ইয়াসমিন, আফরোজা ওসমান মুন্নি, এড. আলিফ লায়লা, লুৎফুন নাহার, শাহীনা ইসলাম, ছালিমা হোসেন, মায়ানূর আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহ্জা¦ নূর উদ্দিন, ননী গোপাল সাহা, এরশাদুর রহমান, শহীদুল আলম বুলবুল, এড. জাকারিয়া হাবিব, আব্দুল হাই, বাবুল মল্লিক, মনির হোসেন মেজর, সাংবাদিক দিল মোহাম্মদ, হাসান মাহমুদ রিপন, আবুল হোসেন, এড. রাকিবুল হাসান শিমুল, সানোয়ার হোসেন, রোকন শেখ, সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, জিয়া উদ্দিন, মাহাবুবুর রহমান, ডাঃ হাবিবুর রহমান, ওয়াহিদ সাদত বাবু, লায়ন কাজী গোলাম হোসেন, লায়ন নিজাম উদ্দিন, মোবারক হোসেন বাচ্চু, তৌহিদিুল ইসলাম, লায়ন শাকিল আহমেদ, লায়ন বি এম হোসেন, লায়ন সাইদুল্লাহ হৃদয়, আক্তার হোসেন, রাজিব হোসেন প্রমুখ।

 


 

 বেতন না দিয়ে ১৭৭ কর্মচারী ছাঁটাই
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ রাখার পর ১৭৭ কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক)। আগের মেয়রের আমলে এসব কর্মচারীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় গতকাল তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। এদিকে ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করে শূন্যপদে নতুন করে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ইতিমধ্যে নিয়োগের অনুমতি চেয়ে ৩ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন সিটি মেয়র। মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নিয়োগ বিধিসম্মত ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
২-১ দিনের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হবে। এছাড়া নতুন করে ১৫০ জন কর্মচারি নিয়োগের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। অনুমতি না পেলে দিন মজুরীর ভিত্তিতে ১৫০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। তখন ৫০১ জন কর্মচারির মধ্যে ২০৫ জনের চাকরি স্থায়ী হলেও ২৯৬ জন কর্মচারি অস্থায়ী রয়ে গেছেন। এদের মধ্যে রংপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালে আব্দুর রউফ মানিক ১১৯ জন এবং সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর আমলে ১৭৭ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করছিলেন। বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর ৪ মার্চ ২৯৬ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। তাদের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি গত রবিবার মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দেয়। কমিটির সদস্য নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম জানান, মেয়র ঝন্টুর আমলের নিয়োগ পাওয়া ১৭৭ জনের নিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি নেই। প্রতিবেদনে সে কথাই বলা হয়েছে। কর্মচারীদের চাকরিতে রাখা না রাখার এখতিয়ার মেয়র মহোদয়ের।
 

মানবাধিকার সম্মেলন ও স্বাধীনতা দিবসের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার কনফারেন্স, আলোচনা সভা, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং চিত্রাঙ্কনে প্রতিযোগিতায় বিজীয় শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ১৩ মে ২০১৮ সকাল ১০টায় শহীদ আমিনুল করিম দুলাল অডিটোরিয়াম, বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC বগুড়া জেলা শাখা এবং আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, সিআইপি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বগুড়া অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন, বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান শফিক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুন নবী বুলু। সম্মেলন পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বগুড়া মানবাধিকার কনফারেন্সে যোগদানের জন্য ১২ মে ২০১৮ রাতে বগুড়া পৌছলে মহাসচিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন BHRC বগুড়া অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আলহাজ রফিকুল ইসলাম বাবু সহ বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন BHRC ঢাকা মহাগর উত্তর ও দক্ষিণ গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা শাখার সভাপতি মিনান্নাহার লিপা, বরিশাল বিশেষ প্রতিনিধি আবু মাসুম ফয়সাল, উত্তরবঙ্গ বিশেষ প্রতিনিধি নুরুন নবী বুলু, বৃহত্তর মিরপুর (ঢাকা) আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা প্রমুখ।
 


BHRC
চটগ্রাম মহানগরের পক্ষথেকে এতিমদের মধ্যে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC চট্রগ্রাম মহানগরের পক্ষথেকে পবিএ মাহে রমজান উপলক্ষে ২৬মে, ২০১৮ইং শনিবার বাদে যোহর আগ্রাবাদ চৌমহুনী কর্ণফুলী মার্কেট সংলগ্ন চার পীর আউলিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং নূর-এ-জাহান তাহ্ফিজুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং এরপর বন্দরটিলাস্থ ৩৮নং ওয়ার্ড এ হযরত আলী শাহ্ (রহঃ) হেফ্জখানা, হযরত বশির শাহ্ ( রহঃ) এতিম খানা ও আল্ হাসান তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় এতিমদের মধ্যে ইফতার ও সেহেরী সামগী বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র চট্টগ্রাম মহানগরের পক্ষ থেকে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ করেন গভর্নর ও মহানগর সম্মানিত সভাপতি মানবতাবাদী জনাব সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, নির্বাহী সভাপতি মানবতাবাদী জনাব আবু হাসনাত চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক মানবতাবাদী জনাব আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি মানবতাবাদী জনাব লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহীম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মহিউদ্দীন চৌধুরী মঈন, দপ্তর সম্পাদক জনাব জাহিদ তানছির, সহ দপ্তর সম্পাদক জনাব হাজ্বী বাবর আলী, আনোয়ার হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জনাব আলমগীর বাদশা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোঃ জাহিদুল হাসান নির্বাহী সদস্য জনাব শাহ আলম, শিল্পী বসাক ও বিবি ফাতেমা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

 


ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সার্ভিস চার্জের নামে

কোটি টাকা লোপাটা

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্ভিস চার্জের নামে রোগীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি করে রোগীদের কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। নিুমানের চিকিৎসা সরঞ্জামে সেবা গ্রহণে রোগীদের বাধ্য করা হচ্ছে। এ সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত সেবামূল্যের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
দেশের বড় আটটি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মমেক) অন্যতম। প্রতিষ্ঠার দিক থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরই এর অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরে দেশের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও হাসপাতালটি অনিয়ম ও দুর্নীতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক যোগদানের পর থেকে সব ধরনের সেবামূল্য এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হয়েছে। এতে সরকার নির্ধারিত সেবামূল্যের ওপর বিভিন্ন হারে তথাকথিত সার্ভিস চার্জ দিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। এসব সার্ভিস চার্জ আদায় করতে সব বিভাগীয় প্রধানকে অফিস আদেশ দিয়েছেন পরিচালক। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট পরিচালক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘যেসব বিভাগে ১০ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হচ্ছে, তা হাসপাতালের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবদুস সামাদের কাছে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে অনুরোধ করা হল।’ একই বছরের ৮ আগস্ট পরিচালকের পক্ষে উপপরিচালক স্বাক্ষরিত আরেক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘মমেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সরকারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে নিুবর্ণিত হারে সার্ভিস চার্জ আদায়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। সিটি স্ক্যান-২০০ টাকা, এমআরআই-৫০০ টাকা, আল্ট্রাসনোগ্রাম হোল এবডোমেন ৫৫ টাকা এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম সিঙ্গেল ৫০ টাকা।’ একইভাবে হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সব সেবার ওপর ৮ শতাংশ হরে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হচ্ছে।


 BHRC ঢাকা সিটি দক্ষিণ মহিলা শাখার ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র ঢাকা মহানগর দক্ষিন মহিলা শাখার ইফতার পার্টি,আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল ২৬ মে ২০১৮ সন্দায় ঢাকার মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার কেএফসি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। BHRC ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা শাখার সভাপতি মিনান্নাহার লিপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন BHRC'র সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপসিস্থত ছিলেন BHRC'র ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শেখ সহিদুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতি শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বাদশা আলমগীর, মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা সহ সিনিয়র মানবাধিকার কর্মীরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলের মানবাধিকার কর্মীরা যোগদেন।


 

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১, আহত ২৭০০, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদ ও নিজেদের ভূমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে ১৪ মে ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬১ জন নিহত ও ২৭০০ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। খবর: আল জাজিরা
এদিকে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মুসিলম বিশ্ব। ইসরায়েলকে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। লন্ডন সফরে তুর্কি শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিন দিনের শোক পালন করছে আঙ্কারা।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও ইসরায়েল থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে চলে আসতে বলেছে। এ ছাড়া আঙ্কারা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠকের দাবি জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে ইসরায়েলি হত্যাকান্ড মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন। সেখানে ইচ্ছাকৃত হত্যাকা-ের যে ঘটনা ঘটছে, তা যুদ্ধাপরাধ। এ ছাড়া এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইরান ও রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই হত্যাকা-কে ‘রক্তগোছল’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মেগরিনি সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এ হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, গণমাধ্যম ও শিশুও আছে, যা অমার্জনীয় বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
কুয়েত জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ভেটো দেয়। জাতিসংঘে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আল ওতাবি বলেন, যা ঘটেছে, আমরা তার নিন্দা জানাচ্ছি। নিহতদের শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিসরের আল আজহারের গ্রান্ড ইমাম আহমেদ আল তাইয়েব নিরাপত্তাহীন ফিলিস্তিনিদের পাশে আরব, মুসলিম ও বিশ্বের যুক্তিসম্পন্ন মানুষকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। ইরান এটিকে ভয়ঙ্কর লজ্জার দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। টুইটারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার গাজায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করছে ইসরায়েল।
 

প্রতিবন্ধী ডাটাবেজ তৈরির আহ্বান ॥ সায়মা ওয়াজেদ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অটিজম সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সকলের অংশগ্রহণমূলক একটি সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করতে তাদের ওপর একটি ডাটাবেজ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রতিবন্ধিতা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা-বর্তমান ও ভবিষ্যত্’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্লেনারি সেশন পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক অটিজম সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধীদের ওপর কোনো ডাটবেজ না থাকা একটি বড় সমস্যা। ডাটাবেজ না থাকায় তারা কোথায় বসবাস করে, কীভাবে বসবাস করে, তাদের জীবনে কী ঘটছে, কতজন লোক প্রতিবন্ধী, এ সব ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, আমরা তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রের জন্যই উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছি। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য নীতি প্রণয়নে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, চিলির ওএনজি ইনক্লুসিভার নির্বাহী পরিচালক কার্লোস কায়সার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্য ব্রত সাহা, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম এবং অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র পলিসি অফিসার সামান্ত হেলেন ফ্রেন্স বক্তব্য রাখেন।

 

 BHRC টেকনাফ আঞ্চলিক শাখার গরিব দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১৯ ঘন্টা আগে মে ১৮, ২০১৮ টেকনাফ
নিজস্ব প্রতিবেদক (০) প্রতি বৎসরের ন্যায় এ বৎসরও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে গরিব দুস্থদের মাঝে রমজানের ইফতারি সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (টেকনাফ, উখিয়া ও রামু) আঞ্চলিক কমিটি।
শুক্রবার বিকালে টেকনাফস্থ কায়ুকখালীপাড়া কার্যালয়ে ৩০০ জন গরিব দুস্থদের পরিবারের মাঝে সেমাই,চিনি,মুড়ি,খেজুর,ছোলা,চিড়া,সয়াবিন তেলসহ ইফতারির বিভিন্ন উপকরণ বিতরন করা হয়। মাঝে ইফতারি বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (টেকনাফ, উখিয়া ও রামু) আঞ্চলিক কমিটির সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মুন্নী।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর দিলরুবা আকতার, উপজেলা পরিষদের মহিলা সদস্য নাজমা আলম । এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হোছন আহমদ, সদস্য হোছনে আরা, হাছিনা মমতাজসহ আরো অনেকে।
ইফতার মাহফিলে অতিথিবৃন্দরা রমজানে ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করে সকল মুসলিমের জন্য দোয়া কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করেন।


 

জাতিসংঘ অধিবেশনে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সুপারিশ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের অধিবেশনে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সেল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) অধিবেশনে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করেছে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা কাপেং ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক হিরণ মিত্র চাকমা অধিবেশনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর মানবাধিকার পরিষদের ওয়ার্কিং গ্র“পের তৃতীয়বারের মতো পরিবীক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল এ অধিবেশনে যোগ দিয়েছে। টিআইবি চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা, কাপেং ফাউন্ডেশনের পল্লব চাকমা, সেভ দ্য চিলড্রেনের লায়লা খন্দকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রাশেদা আখতার, হিউম্যান রাইটস ফোরামের পাঁচজন কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ওই অধিবেশনে অংশ নেন।
অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে সচল করা, ভূমি কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বরাদ্দ করা, জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা করা ও তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, পেরু, আর্জেন্টিনা, ইরান, ফ্রান্স, বাহরাইন, সার্বিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্র এসব বিষয় তুলে ধরেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা, অধিকার কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও জোরপূর্বক গুম, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি, দুস্থ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা, মৃত্যুদণ্ড রহিতকরণ, কিশোরী বিবাহ নিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও সুপারিশ উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে। রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে অধিবেশনে।




Top

 

 আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাঙ্গন কয়েদখানা; লঙ্ঘিত হচ্ছে শিশু ও মানবাধিকার

মোঃ দ্বীন ইসলাম হাওলাদার
শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-শিক্ষাঙ্গনের সমন্বিত প্রয়াস। শিক্ষা একটি মানসিক ও বৌদ্ধিক প্রশিক্ষণ, যা মানুষের মানবিক বিকাশে সহযোগীতা করে। আর মানুষ যত বেশি বইয়ের সান্নিধ্য লাভ করে, তত বেশি মানবিক বিকাশ ঘটে। তবে সে বই হতে হবে কোন মানবিক চিন্তাশীল লেখকের লেখা। কেননা, কোন কোন লেখকের লেখা বই পড়লে মানবিক বিকাশ তো দূরের কথা বরং মানবিক বিপর্যয় ঘটে। শিক্ষার্জন তথা জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব বোঝেনা এমন কোন সুস্থ লোক বর্তমান বিশ্বে আছে বলে মনে হয় না। এমনকি অশিক্ষিত বাবা-মাও শিক্ষার্জনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে, তাদের সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাঙ্গণে পাঠিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাঙ্গণ হতে হবে আনন্দপূর্ণ স্থান। কেননা, শিশুরা কারো কাছ থেকে গল্প শুনতে বা ছোট ছোট গল্পের বই পড়তে আনন্দ পায়। তাছাড়া সমগ্র বিশ্বে যারা খ্যাতিমান তারা সবাই ছিলেন স্বাধীনচেতা। তাদের অনেকেই শিক্ষাঙ্গণের ধরা-বাধা নিয়মের কারণে শিক্ষাঙ্গণ ত্যাগ করেছিলেন। বিশ্ব কবি রবীন্দনাথ ঠাকুরও গৃহ শিক্ষকের মাধ্যমে শৈশব শিক্ষা সমাপ্ত করেছিলেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও শিক্ষাঙ্গণের কড়াকড়ির বেড়াজালকে ভীষনভাবে অপছন্দ করতেন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাঙ্গন যেন এক ধরনের কয়েদখানা; শিক্ষার্থীরা যেন কয়েদি আর শিক্ষকরা যেন কারা রক্ষী।
ধরা যাক একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা, যেখানে সকাল ৯:০০-৯:৩০ টার মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে উপস্থিত থাকতে হয় এবং সামান্য বিরতিসহ বিকাল ৪:০০-৪:১৫ ঘটিকা পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গণে থাকতে হয়। অথচ শীত মৌসুমে বিকাল ৩:৩০-৩:৪৫ এর মধ্যে আসর এবং ৫:১৫ এর মধ্যে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত হয়। কোন কোন বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ক্লাশ একই সাথে শুরু হয় এবং দুপুর ১২ টায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী ছুটি দিয়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিকাল ৪:০০-৪:১৫ টা পর্যন্ত রাখা হয়। আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ১২:০০টা পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাশ চলে এবং দুপুর ১২:৩০ থেকে বিকাল ৪:১৫ পর্যন্ত তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাশ চলে। একইভাবে চলছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত (সামান্য বিরতিসহ)। যা রীতিমতো কয়েদখানা। কয়েদখানায় কয়েদি সুস্থ থাকুক বা অসুস্থ থাকুক, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাকে ভেতরে থাকতেই হবে, বের হওয়ার উপায় নাই। তেমনি শিক্ষার্থীরা অসহায়ভাবে শ্রেণি কক্ষে আবদ্ধ থাকতে বাধ্য। নয়তো শিক্ষকদের বকাঝকা বা সামান্য শাস্তি। অন্যদিকে শিক্ষকরাও কারারক্ষীর মতো তাদেরকে আটকে রাখতে বাধ্য, নয়তো শিক্ষা অফিসের ঝামেলা।
আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় প্রায়ই বলেন, “আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করছি।” অথচ বিশ্বের কোথাও এমন উদ্ভট শিক্ষা ব্যবস্থা নাই যেখানে দৈনিক প্রায় ৭ ঘন্টা শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণি কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে অবস্থান করে, তারপর বাসায় গিয়ে আর বই পড়ার মনোভাব থাকে না। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রক্ত মাংসের মানুষ, সে উপলব্ধিটুকু সম্ভবত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নাই। ওদিকে রয়েছে বিশাল বইয়ের বোঝা। বয়স ও শ্রেণী বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় বইয়ের সংখ্যা ও বইয়ের কলেবর এবং প্রশ্নের ধারা প্রণয়নেও ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকলবাজি তো আছেই। যে কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অথর্ব বলেছেন। যার প্রতিবাদের ভাষা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ছিলনা। প্রতিবাদ জানাতে ব্যার্থ। শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের অথর্বের খ্যাতি মেনে নিয়েছেন। সম্প্রতি এক এক করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তারা আটক হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, তিনি যেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনের সময়, শ্রেণী ও বয়স ভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা ও বইয়ের কলেবর তৈরি এবং শিক্ষকদেরকে যথাযথ মর্যাদা প্রদানের লক্ষ্যে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
মোঃ দ্বীন ইসলাম হাওলাদর
প্রভাষক
দুমকি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা
দুমকি, পটুয়াখালী।

 

Top



পাহাড় রক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন থাই রাজকুমারী্ধ

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দ্রুত বর্ধনশীল ও জলবায়ুসহিষ্ণু বিন্না ঘাস লাগিয়ে ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ধসের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টায় ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ভেটিভার গ্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় চট্টগ্রামে ‘ভেটিভার সেন্টার’-এর উদ্বোধন করেছেন থাই রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিনধরন। গতকাল বেলা ১১টায় বন্দরনগরের টাইগার পাসের বাটালি হিল মিঠা পাহাড়ের পাদদেশে এই ভেটিভার সেন্টারে থাই রাজকুমারী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের হাতে বিন্না ঘাসের চারা তুলে দিয়ে এ সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি ভেটিভার সেন্টারে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এ দেশের মানুষকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ভারি বর্ষণের কারণে ভূমিধস হচ্ছে। পাহাড়ধস রোধে বিন্না ঘাস লাগানোর এ প্রকল্পে সহায়তা করায় থাই রাজকুমারীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। থাইল্যান্ডের রয়্যাল চাই পাত্তানা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পে কাজ করবে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, প্রায় প্রতি বছরই নগরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই পাহাড় রক্ষা করতে। পাশাপাশি মানুষের জীবন বাঁচাতে। সেই লক্ষ্যেই পাহাড়ক্ষয় রোধে বিন্না ঘাস লাগানোর এ প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুবান্নাপংসে বলেন, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধস রোধে থাই দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য চাই পাত্তানা ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ জানানো হয়। চট্টগ্রামের মানুষের উপকারের জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণে আমরা কাজ করব। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চাই পাত্তানা ফাউন্ডেশনের সুমেট তানতিভেজকুল ও এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামও বক্তব্য দেন। অধ্যাপক শরীফুল জানান, বিশ্বের শতাধিক দেশে নদীতীর ও বাঁধ রক্ষা এবং পাহাড়ে ভূমিক্ষয় ঠেকাতে এ ঘাস ব্যবহার করা হচ্ছে। ভেটিভার প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ জানান, টাইগার পাসের ভেটিভার সেন্টারে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বিন্না ঘাস লাগানো হবে। এরপর চাই পাত্তানা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নগরের ক্ষয়প্রবণ পাহাড়গুলোয় এ ঘাস লাগানো হবে।

 

মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতদের আইনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠককালে এ উদ্বেগের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সরকারের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে যারা মারা যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের আইনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে। বিনাবিচারে একজন মানুষ মারার অর্থ হচ্ছে ওই পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে যাওয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আমরাও চাই। তবে অভিযুক্ত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমরা মনে করি।
মাদকের জন্য অভিযুক্ত মূল অপরাধী এবং এর উৎস বন্ধ করার গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মাদকের উৎস বন্ধ না করে এ অভিযান পরিচালনা করলে তা সফল হবে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
ভেজাল খাদ্য কেড়ে নিচ্ছে জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভেজাল খাদ্যপণ্যে ছেয়ে গেছে দেশ। বিশুদ্ধ খাবার খুঁজে পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য পানিও আজ দূষিত। জারের পানির প্রায় ৯৮ শতাংশই জীবাণুপূর্ণ!
এসব পানি পান করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। ইতিপূর্বে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের (আইপিএইচ) এক রিপোর্টে জানা গেছে, বাজার থেকে সংগৃহীত খাদ্যপণ্যের শতকরা ৪০ ভাগে ভেজালের সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে ১৩টি পণ্যে ভেজালের হার প্রায় ১০০ ভাগ।
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত ৪৩ ধরনের খাদ্যপণ্যের মোট ৫ হাজার ৩৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ২ হাজার ১৪৭টিতেই মাত্রাতিরিক্ত ভেজালের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত সয়াবিন তেলে ভেজালের হার শতকরা ৭৮ ভাগ, সরিষার তেলে ৫৬ ভাগ, পামঅয়েলে ৩২ ভাগ এবং নারিকেল তেলে ভেজালের পরিমাণ শতকরা ২৫
 

মানব সম্পদের উন্নয়ন ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী নির্যাতনের যে হাজার হাজার মামলা তার মধ্যে মাত্র শতকরা তিন ভাগের শাস্তির বিধান হয়েছে। বিশেষ করে তদন্ত, সাক্ষী এগুলোর যে ঘাটতি এবং পুলিশ বা প্রশাসনের যে গাফিলতি, এর কারণে অনেক অপরাধী অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। আর হচ্ছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, সেটা র‌্যাব বা পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বীকার করছে। কিন্তু বাস্তবে বন্ধুকযুদ্ধ বা ক্রস ফায়ার যে গুলোই বলুক, এগুলো পরিকল্পিত ভাবে একটা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড।
ফলে শুধু মাত্র অস্বীকার করলেই অপরাধ মোচন হয় না। এটা আইনানুগ শাসনের বিচ্যুতি অথবা এক ধরণের স্বেচ্চাচারী শাসন ব্যবস্থা যদি চলে, তাহলে তার ফলাফল হিসেবে এ ধরণের জিনিস গুলো আবির্ভূত হয়। এজন্য আমরা বলছি, সঠিক তদন্তের ব্যাপারে যে গাফিলতি আছে এবং টাকা পয়সা লেনদেনে যে মামলাগুলো তার বেশির ভাগই দরিদ্র মানুষ এর শিকার হয়।
তারা একবার না, বার বার অত্যাচারিত হয়। কিন্তু তারা সঠিক বিচার পায় না। বরং তারা এ মামলা মোকদ্দমায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং হয়রানির শিকার হয়। পরবর্তীকালে আরো বেশি ক্ষতির সম্মূখিন হয়। অথচ যারা অপরাধ করে, সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে, তারা ক্ষমতার জোড়ে এবং টাকার জোড়ে পার পেয়ে যায়।
সব কিছু যে অরাজক পরিস্থিতি, এ ধরণের আইনের শাসন যদি বার বার লঙ্ঘিত হতে থাকে, নির্যাতনের মাত্রা যদি বাড়তে থাকে তাহলে মানবতা, মূল্যবোধ ধ্বংস হতে থাকবে।
এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সভ্যতা পরিপন্থি। আসলে মানব সম্পদের উন্নয়ন ছাড়া কোন উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না।

 

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন
বিয়ের পর স্বামীর পদবি যুক্ত করতে পারবেন না নারীরা
সাইদুর রহমান

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোন নারী বিয়ের পরে তার স্বামীর নামের অংশ বা স্বামীর বংশ পদবী জাতীয় পরিচয়পত্রে যুক্ত করতে চাইলে পরিচয়পত্রে তা উল্লেখ থাকবে না। এক্ষেত্রে এসএসসি’র সনদের নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাধ্যমিকের শিক্ষা সনদ অনুযায়ী যে নাম, সেটাই জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকবে। তবে যাদের সার্টিফিকেট নেই বা বিশেষ প্রয়োজনে নামের সঙ্গে স্বামীর বংশ যুক্ত করতে চান, জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের নাম সংশোধনে কমিশনের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ১৯ মার্চ নির্বাচন কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মিতা সরকার নামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর নামের সঙ্গে স্বামীর গোত্রীয় পদবী যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত সব ধর্মের নারীর জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন, যাদের শিক্ষা সনদ আছে, তাঁদের নাম সনদ অনুযায়ী হবে। সনদ ছাড়া সংশোধন হবে না। কারণ এটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সনদে পদবী মিলে না। আর যাদের শিক্ষা সনদ নেই তাদের অন্যান্য দলিল এবং আবেদনের ‘মেরিট’ দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোনো আবেদন জরুরি এবং জটিল হলে সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনের সভায় তুলতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দু নারীদের অনেকের বিয়ে নিবন্ধন হয় না। যে কারণে নাম যাচাই করার ক্ষেত্রে জটিলতা হয়। তিনি বলেন, শুধু হিন্দু নারী নয় সব ধর্মের নারীদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। আর যারা ধর্মান্তরিত হয়ে নাম পরিবর্তন করতে চাইবেন তাঁদের আগে শিক্ষা সনদে নাম পরিবর্তন করতে হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্র জানায়, মিতা সরকার নামের একজন নারী তাঁর নামের পদবি পরিবর্তনের আবেদন করেন ইসিতে। তাঁর স্বামীর নাম রাজীব সিংহ রায়। মিতা নামের সঙ্গে স্বামীর গোত্র পদবি সিংহ রায় নিতে নাম পরিবর্তন করে মিতা সিংহ রায় করতে চান। জাতীয় পরিচয়পত্রে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মিতা সরকার স্নাতক পাশ।
এই অবস্থায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মতামত দেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরা বিয়ের পর স্বামীর পদবি ধারণ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীদের নামের সংশোধনী চেয়ে প্রচুর আবেদন আসে। তাঁরা তাদের সন্তানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে বা জন্ম নিবন্ধনে বাবা মায়ের নাম পদবীসহ উল্লেখ করেন। এমন পরিস্থিতিতে মায়ের শিক্ষাসনদে বাবার/স্বামীর পদবী না থাকা সত্ত্বেও স্বামী বা বাবার পদবি দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা হবে কি না, এ বিষয়ে একটি সার্বজনীন সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা সনদে স্বামীর পদবী না থাকায় যদি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না হয় তাহলে সন্তানদের শিক্ষা সনদ অনেক সময় অকার্যকর হয়ে যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়েও সমস্যা তৈরি হয়। আবার শিক্ষা সনদ থাকলে নাম বা অন্যান্য ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদের সঙ্গে মিল না করে সংশোধন হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
মূল নাম অপরিবর্তিত রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে নামের শেষাংশে শুধু পিতার গোত্রের পরিবর্তে স্বামীর গোত্র প্রতিস্থাপন করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যায় কি না, এ বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত চাওয়া হয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এসএসসি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ থাকলে কেবল এনআইডি সনদ অনুযায়ী সংশোধন করা যাবে। তাছাড়া যাদের সনদ নেই, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র নিয়ে দরখাস্ত করলে বিবেচনা করবে কমিশন। এরপ্রেক্ষিতে ইসি সার্টিফিকেট অনুযায়ি মিতার নাম সংশোধনের নির্দেশনা দেয়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, হিন্দু ধর্মাবলাম্বী নারীর বিয়ের পর সাধারনত: তার নামের সঙ্গে স্বামীর গোত্র পদবী যুক্ত করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে মুসলিম নারীরাও নামের সঙ্গে স্বামীর বংশপদবী যুক্ত করতে চান। এসব দিক বিবেচনায় রেখে কমিশনে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। কমিশন সার্টিফিকেট অনুযায়ি নাম সংশোধনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে নাম সংশোধন করা যাবে।।



বিশ্ব শ্রমবাজার হুমকিতে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নানান উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে নতুন শ্রমবাজার খুলছে না বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোর দুয়ার এখনো বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বন্ধ। চলতি বছরে বিদেশগামী ১০ লাখ কর্মীর ৯০ শতাংশেরই গন্তব্য পুরনো বাজার মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে। তবে এর মধ্যে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম, আমিরাতের ভিসা বন্ধ, কুয়েতের নতুন নিষেধাজ্ঞা, লিবিয়ার অস্থিরতা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে দীর্ঘায়িত করেছে। শুধু মালয়েশিয়ায় সরকারি পর্যায়ে জিটুটি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী প্রেরণই এখন আশার আলো ছড়াচ্ছে। কিন্তু এই আশার আলোতে ঝামেলা তৈরি করছে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে ঢাকায় নতুন একটি কার্যালয় খুলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (আইসিএস) দেওয়ার নতুন পদ্ধতি। জানা গেছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার, বিশ্বের অন্যতম বিত্তশালী ও সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিজস্ব তেলনির্ভরতা কমাতে এবং দেশের অর্থনীতির ক্রমোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দেশটির মন্ত্রিসভায় ‘ভিশন-২০৩০’ নামে এক মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এতে বলা হয়েছে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা, প্রযুক্তি খাতে তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের কথা। এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশটিতে মোবাইল ফোন সেট, বোরকার দোকান, রেন্ট-এ-কার, অ্যাকাউন্টিং, নারীদের তৈরি পোশাকের দোকান, চশমা, ঘড়ি, বাড়ি বা গৃহনির্মাণসামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ, গাড়ির শোরুম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ-চালিত সামগ্রী, হাসপাতালে ব্যবহূত সরঞ্জাম, চকলেট বা মিষ্টান্নের দোকান, রেডিমেড কাপড়ের দোকান, ক্রোকারিজ-সামগ্রী, কার্পেট, ফার্নিচার বা ডেকোরেশন, শপিং মল, গার্লস স্কুল, ভারী যানবাহন, ক্রেন চালনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদগুলোয় সৌদি নাগরিক নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়; যার ফলে অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সেক্রেটারি, সেল্সম্যান, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, সেল্স ম্যানেজার, সেল্স সুপারভাইজার, ফাইন্যান্স ম্যানেজার, চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অফিস ম্যানেজার, সেল্স অ্যাসিস্ট্যান্স, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজার, অফিস বয়, ড্রাইভার, রিসিপশনিস্ট, ওয়ারহাউস ম্যানেজার, ফোর্কলিফট অপারেটর, লজিস্টিক সুপারভাইজার পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীরাও চাকরি হারাচ্ছেন। সৌদি সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে দেশটিতে প্রবাসীদের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে ২৬ শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানোর পর সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা বেশ আতঙ্কিত। জানা গেছে, নির্মাণ ও জাহাজশিল্পে বাংলাদেশি শ্রমিকের বিপরীতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে সিঙ্গাপুর।
জনশক্তি রপ্তানির এই জটিল অবস্থায় ভরসা শুধু মালয়েশিয়া, দুই সরকারের চুক্তির ধারাবাহিকতা। সেখানেও নানামুখী প্রতিবন্ধকতা লেগেই রয়েছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব রূহুল আমিন স্বপন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া থেকে ২ লাখের বেশি ডিমান্ড লেটার এসেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক চলেও গেছে।

 

 দেশে অপুষ্টিতে ভুগছে আড়াই কোটি মানুষ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘নারী ও কন্যাশিশুদের খাদ্য পরিস্থিতি এবং খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশে খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তাসহ সরকারের বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরপরও বাংলাদেশে এখন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে।
গত দশ বছরে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ বেড়েছে। যে কারণে নারীর পুষ্টিহীনতার হার হ্রাস আশাব্যঞ্জক নয়। সামাজিকভাবে নারীর প্রতি অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও নারী ও কন্যা শিশুরা চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টি পায় না। ২৭ মার্চ ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ক্রিশ্চিয়ান-এইডের সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’-এর ভাইস-চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার এবং সম্মানীয় অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল করীম এনডিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট-এর ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, একশন এইড বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবীর এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ-এর দেশীয় পরিচালক সাকেব নবী।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ- সচিবালয়ের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।


 

 বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ দফা সুপারিশমালা

বীরমুক্তিযোদ্ধাদের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের মর্যাদা

প্রদানের জন্য BHRC'র আহ্বান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ মনে করে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ দেশের অহংকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে সম্মুখ যুদ্ধের বিনিময়ে জাতিকে মহান স্বাধীনতা উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে সম্মানী ভাতা চালু করেছে। মহান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বর্তমানে যে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ বেঁচে রয়েছেন, তাদের জীবদ্ধশায় ভালভাবে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের মর্যাদা এবং তাদের দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা বীরমুক্তিযোদ্ধাগণকে প্রদান করা সরকার তথা জাতির কর্তব্য।
স্বাধীনতা স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে স্বীকৃত বর্তমান সরকার। নিুে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যে সকল সুবিধাদি প্রদান করা যেতে পারে, তা পেশ করা হলঃ
১। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের সম্মানী ভাতা ২০,০০০ টাকায় উন্নীতকরণ।
২। জীবিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারী ফ্ল্যাট বা কোয়ার্টার বরাদ্দ বাধ্যতামূলককরণ।
৩। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাপ্তাহিক অথবা পাক্ষিক স্বল্পমূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালুকরণ আবশ্যক।
৪। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সরকরের বর্তমান নীতিমালা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন তথা চাকুরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা, বিমান, লঞ্চ-স্টিমার, ট্রেন এবং বাস সহ সকল যানবাহনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে যাতায়াত সুবিধা, বীরমুক্তিযোদের জন্য সকল ক্যাটাগরীর আবাসিক হোটেল, মোটেল বিনামূল্যে নির্ধারণ এবং বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণসহ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানদের ক্ষেত্রে অর্ধেক যাতায়াত ভাড়া নির্ধারণকরণ আবশ্যক।
৫। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে সর্বস্বান্ত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমুদয় ঋণের অর্থ মওকুফ আবশ্যক।
৬। বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ সরকারের নিকট ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সহায়তা চাইলে সেক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষ ব্যক্তির মর্যাদা প্রদান করে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান আবশ্যক।
৭। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উপর মিথ্যা সকল ফৌজদারি মামলা পর্যালোচনা করে নিষ্পত্তি তথা প্রত্যাহার আবশ্যক।
৮। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর বর্তমানে সরকার পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে গার্ড অব অনার প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা বৃদ্ধিপূর্বক মৃত্যুর পর একজন পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদানের বিধান চালু করা আবশ্যক।
ইঐজঈ মনে করে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে উপরোল্লিখিত সুবিধাদি প্রদান করলে সরকার তথা জাতি দেশের এই বীর সন্তানদের কাছে ঋণমুক্ত হবে। উল্লেখ করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দেড় লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সরকারের সুবিধাদি গ্রহণ করছে এবং এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছে। উক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তাবিত সুবিধার আওতায় আনা আবশ্যক। এক্ষেত্রে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টির উপর বিশেষ গুরুত্বআরোপ করা জরুরী।
 

বিধ্বস্ত বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’ কী ?

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয় ারলাইন্সের ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নেপালি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইট ২১১কে রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণ করতে বলা হলেও পাইলট উত্তর দিক থেকে অবতরণ করে।
তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নেপালি কর্তৃপক্ষের দাবি অস্বীকার করে বলেছে, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
তবে এই জটিলতা খুব তাড়াতাড়িই খুলে যাবে। কেননা বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’ উদ্ধার করা গেছে। আর এর মাধ্যমেই জানা যাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আসল কারণ।
ব্ল্যাকবক্সটি কী
ব্ল্যাকবক্স নামে ডাকা হলেও এর রং আসলে কালো নয়। এর রং অনেকটা কমলা ধরনের। এর আসল নাম হল- ফ্লাইট রেকর্ডার। যেটি বিমান চলাচলের সর্বশেষ সব তথ্য রেকর্ড করে রাখে। এটি এমন একটি যন্ত্র, যাতে ককপিটের যাবতীয় কথাবার্তা এবং বিমানের কারিগরি তথ্য রেকর্ড করা হয়ে ।
এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা কিন্তু এটিকে ব্ল্যাকবক্স নামে ডাকেন না। তারা বলেন- ফ্লাইট রেকর্ডার। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি বাক্স, যা পানি, আগুন, চাপ বা যে কোনো তাপমাত্রায়ে টিকে থাকে। এটি দুটি অংশের সমন্বয়ে আসলে একটি ভয়েস রেকর্ডার। বিমান চলাচলের সময় সব ধরনের তথ্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে।
এর মধ্যে দুই ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হল- ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা এফডিআর। যেটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময , শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) নামে আরেকটি অংশে ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা, পাইলটদের সঙ্গে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিটের সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমানবন্দরের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড হতে থাকে। ফলে কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে এই ব্ল্যাকবক্সটি খুঁজে বের করাই হয়ে পড়ে উদ্ধারকারীদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয়।
বাক্সটির রং উজ্জ্বল কমলা হওয়ায় সেটি খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। সমুদ্রের তলদেশেও ৩০ দিন পর্যন্ত ব্ল্যাকবক্স অক্ষত থাকতে পারে।
ব্ল্যাকবক্সের আবিষ্কার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ প্রথম নেয়া হয়। তবে সত্যিকারের ব্ল্যাকবক্সের কাজ শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে।
অস্ট্রেলীয় সরকারের এয়ারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে কেমিস্ট ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন। ১৯৬২ সালের ২৩ মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলকভাবে এটির ব্যবহার করা হয়।
কীভাবে টিকে থাকে ব্ল্যাকবক্স
এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও সেটি টিকে থাকতে পারে।
স্টেইনলেস স্টিল বা টাইটানিয়ামের খোলস দিয়ে বক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেক পরীক্ষায় পাস করার পরেই ব্ল্যাকবক্সকে বিমানে সংযোজন করা হয়।
ব্ল্যাকবক্স কীভাবে তথ্য পায়
আধুনিক ব্ল্যাকবক্সগুলোয় ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইট ডাটা ধারণ করে রাখতে পারে। এর ভেতরে অনেক মেমোরি চিপ পাশাপাশি সাজানো থাকে। এখানে তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিমানের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সেন্সর লাগানো থাকে। এসব সেন্সর অনবরত বিমানের গতি, তাপমাত্রা, সময়, ভেতর-বাইরের চাপ, উচ্চতা ইত্যাদি বিমানের সামনের দিকে থাকা ফ্লাইট ডাটা অ্যাকুইজিশন ইউনিট নামে একটি অংশে পাঠাতে থাকে। সেখান থেকে সেসব তথ্য চলে যায ব্ল্যাকবক্সের রেকর্ডারে।
পাইলট, কো-পাইলট, ক্রুদের বসার কাছাকাছি জায়গায় অনেক মাইক্রোফোন বসানো থাকে। তাদের সব কথাবার্তা, নড়াচড়া বা সুইচ চাপা ইত্যাদি এসব মাইক্রোফোনে রেকর্ড হতে থাকে। সেগুলো অ্যাসোসিয়েটেড কন্ট্রোল ইউনিট নামে একটি ডিভাইসে পাঠায়। এর পর সেসব তথ্য ব্ল্যাকবক্সে গিয়ে জমা হয়।
ব্ল্যাকবক্সে কত তথ্য থাকে
আসলে বিমান চলাচলের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্ল্যাকবক্স তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। মূলত শেষের দিকে তথ্য এটিতে জমা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আগের তথ্য মুছে যেতে থাকে আর নতুন তথ্য জমা হয়। ফলে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বশেষ তথ্য এটিতে পাওয়া যায়।
কীভাবে তথ্য উদ্ধার করা হয়
ব্ল্যাকবক্সটি পাওয়ার পরেই বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী, বিমান সংস্থা, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে তারা ব্ল্যাকবক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজটি শুরু করেন।
বক্সের অবস্থার ওপর নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি তথ্য পাওয়া যাবে। সেটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় মাসের পর মাসও তথ্য উদ্ধারে সময় লেগে যায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের খেয়াল রাখতে হয়, যাতে তথ্য উদ্ধার করতে গিয়ে কিছু মুছে না যায় বা মেমরি চিপগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ব্ল্যাকবক্সের শক্তি
একেকটি ব্ল্যাকবক্সের পাওয়ার বা শক্তির জোগান দেয় দুটি জেনারেটরের যে কোনো একটি। এসব সোর্স থেকে এই বক্সটি অব্যাহতভাবে শক্তির সরবরাহ পেয়ে থাকে।
শোক সংবাদ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন হাজারীবাগ থানার সিনিয়র সহ- সভাপতি মানবতাবাদী মোশারফ হোসেন ভূঁঞা মশুর মা মোসাম্মৎ রেজিয়া বেগম গত ২৮/১১/২০১৭ ইং রোজ মঙ্গলবার রাত ৯.৩০ মিনিটে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বুরাপীট গ্রামে নিজ বাড়ীতে বাধ্যকজনিত রোগে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না- ইল্লাহির রাজিউর।
মৃত্যুকালে মরহুমার বয়স হয়েছিল ৯৫ বৎসর। মৃত্যুকালে মরহুমা তিন ছেলে তিন মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, হাজারীবাগ থানা শাখার সভাপতি সাবদার মাহমুদ খান অতুল, সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ রিয়াজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম খোকন, সদস্য আবুল খায়ের, সদস্য মোঃ ফিরোজ আলম হিরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

 

Top

 মাত্র সাত বছর বয়সে পুলিশ ইন্সপেক্টর!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র সাত বছর বয়স অর্পিত মণ্ডলের। তার একটাই স্বপ্ন, বড় হয়ে পুলিশ হবে। হয়েও গেল। এক দিনের জন্য পুলিশের ইন্সপেক্টর হয়েছে সে। স্যালুটও দিয়েছে সবাই। ইন্সপেক্টর অর্পিত সেই স্যালুট গ্রহণ করে চেয়ারে বসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। অর্পিতের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মুম্বাই পুলিশও বাহবা পাচ্ছে। কারণ, অর্পিতের শরীরে যে মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অর্পিত।
চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন কিন্তু সম্পূর্ণ সেরে ওঠার সম্ভাবনা একেবারেই কম। সে কারণে অর্পিতের স্বপ্ন জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই ইচ্ছে পূরণের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই পুলিশ। সারাদিন ছোট্ট এই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে নিয়ে বেশ মজা করেই কাটালেন মুলুন্দ থানার অন্য পুলিশকর্মী ও কর্মকর্তারা। ইন্সপেক্টরকে কেক খাওয়ানো থেকে শুরু করে কোলে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
মুম্বাই পুলিশ সেই ছবি টুইটারে প্রকাশ করতেই প্রশংসা করেন অনেকেই। এর আগে এক অভিযুক্তর এফআইআর দেখে মুম্বাই পুলিশ জানতে পারে জন্মদিনে পুলিশ হেফাজতে সেই যুবক। থানাতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করে পুলিশকর্মীরা। সেই খবরেও সুনাম কুড়িয়েছিল পুলিশ। এবার অর্পিতের ইচ্ছে ‘পূরণ’ করার সুযোগ করে দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে নিল বহু মানুষের।

 অপারেশন শুরুর দুই ঘণ্টা পর জানা গেল ভুল রোগী
 


একজন রোগীর মাথার রক্ত জমাট ছিল। তার অপারেশনের প্রস্তুতিও ছিল। অন্যদিকে আরেকজন রোগীর প্রয়োজন ছিল আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায় সেলাইয়ের। কিন্তু যার শুধুমাত্র সেলাইয়ের দরকার ছিল তাকেই চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলেন। মাথার খুলি খুলে জমাট বাঁধা অংশও খুঁজতে লাগলেন। কিন্তু কোথাও তা দেখতে না পাওয়ায় তাদের মনে সন্দেহ হল। অপারেশন শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারলেন তারা ভুল রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সেলাই দিয়ে রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। সৌভাগ্যক্রমে রোগীর কোন বিপদ ঘটেনি।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে কেনিয়ার নাইবোরি শহরে কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হাসপাতালে। এ নিয়ে কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির জন্য আইডি ট্যাগ পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, যে রোগীর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকে তার নাম আলাদা করে ট্যাগে লেখা থাকে। কিভাবে তা বদলে গেল তা নিয়ে চিন্তিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য ইতিমধ্যে তারা হাসপাতালের নিউরো সার্জন, অ্যানেসথিয়াসিস্ট এবং দুইজন নার্সকে বরখাস্ত করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের সিইও।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভুল করে যেই ব্যক্তির অপারেশন করা হয়েছিল তিনি এখন ভালো আছেন। অন্যদিকে যার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল তার অপারেশনের প্রয়োজন পড়েনি। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।ি।
 


 নিকৃষ্ট দেশ মিয়ানমারা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো পৌঁছাতে পারে না- এমন দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার। জেনেভাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এসিএপিএস বলেছে, বিভিন্ন কারণে ত্রাণকর্মীদের প্রবেশাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এমন দেশগুলোর তালিকায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট দেশ মিয়ানমার। ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও জনগণের কাছে তাদের পৌঁছাতে বাধা দেয়াসহ ৯টি বিষয় বিবেচনা করে ৩৭টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
মানবিকতার অনন্য পুরস্কার!
মানবিকতা এমন একটা গুণ যা মানুষকে শেখানো যায় না, সম্পূর্ণ ভেতর থেকে আসতে হয়। এই সময়ের অনেক নির্মম ঘটনার কারণে অনেকের কাছেই মনে হয়, মানবিকতার বুঝি মৃত্যু হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা কিনা আমাদের আশা জোগায়, মনে হয় এখনো হয়তো অবশিষ্ট আছে কিছু একটা মানবিকতার। এদিন এমনই এক মানবিকতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইভোনি উইলিয়ামস। সামনের সেমিস্টারের জন্য টাকা জোগাড় করতে একটি রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি করতেন ১৮ বছরের ইভোনি। রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিলেন এক বৃদ্ধ, তার অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল যে নিজ হাতে খেতেও পারছিলেন না। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসেন ইভোনি। নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দিতে থাকেন ঐ বৃদ্ধকে। ঘটনাটি পাশের টেবিলে বসে প্রত্যক্ষ করার সাথে সাথে ক্যামেরাবন্দিও করেন এক ব্যক্তি। ৩ মার্চের ঐ ঘটনার ভিডিওটি এই কয়দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। ইভোনির এমন মানবিকতায় মুগ্ধ হয়ে তার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ স্কলারশিপের সুযোগ করে দিয়েছে ইভোনিকে।। 



 


 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 যৌতুক না দেয়ায় নোয়াখালীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

যৌতুক না দেয়ায় নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূ মনি বেগমের (৩০) বাবা আতাউর বাদী হয়ে স্বামী মহিউদ্দিনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। উপজেলার ১৯নং চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামে ২৮ মে রাত ৮টায় নিজ বসত ঘরে ঘাতক স্বামী মহিউদ্দিন তার স্ত্রী মনি বেগমকে পিটিয়ে খুন করেছে। নিহত মনি বেগম একই গ্রামের প্রবাস ফেরত আতাউরের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০৫ সালে ওই গ্রামের প্রবাসী আতাউরের নিহত মনি বেগমকে একই গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিনের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে মহিউদ্দিন ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে। দুবাই থেকে অসুস্থ হয়ে আতাউর ২০১২ সালে বাড়িতে চলে আসেন। নিহত মনি তার বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়ে বাকি টাকা দিতে অপারগতা জানায়। ১০ দিন আগে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাকি যৌতুকের টাকা দাবি না করতে মহিউদ্দিনকে সতর্ক করছে। চেয়ারম্যান সতর্ক করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২৮ মে রাতেই মহিউদ্দিন বাকি টাকার দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও নির্যাতনে আহত করে। আহতের চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। আহত গৃহবধূকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাতে জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মনিকে মৃত ঘোষণা করেন। সুরতহাল শেষে গৃহবধূকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে জানান, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
 

নারী নির্যাতন বন্ধে আগে এগিয়ে আসতে হবে নারীদেরই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আর্থ-সামাজিক বাধা ও রাষ্ট্রীয় নানা অব্যবস্থাপনার কারণে বহু ধর্ষিত নারী যে বিচারের বাইরে থাকছেন নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি জিনাত আরা। গত শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘যৌন সন্ত্রাসবিরোধী গণকনভেশনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ভিকটিমদের মধ্যে দেখা যায়, তারা মনে করে অপবিত্র হয়ে গেছে, যে কারণে সাথে সাথে বার বার গোসল করতে থাকে। এর জন্য অনেক ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। ‘আমাদের এখানে ডিএনএ টেস্ট সব জায়গাতে সঠিকভাবে করাও হয় না। সাথে সাথে ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয় না। গেলেও অনেক সময় দেখা যায় ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ব্যক্তিদের চাপে সঠিক রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে আসে না।’ ধর্ষণের মামলা আদালতে যাওয়ার আগে আরও বেশ কিছু বাধা ও সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন বিচারপতি জিনাত আরা। তিনি বলেন, ‘দেখা যায় প্রথমে গ্রামের লোকজন বাধা দেয় যাতে মামলা না করা হয়। আর যদি ইনফ্লুয়েন্সিয়াল হয় তা হলে মামলা দায়েরের পূর্বে অথবা পরে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ফেলে। তারপরও যেটা হয় উনারা কোর্টে এসে সাক্ষ্য দেন না। ‘তখন সাক্ষী না থাকায় বিচারকরা অনুমানের ওপর শাস্তি দিতে পারেন না। বিচারকালে আমাদের এ সব প্রচুর সমস্যা ফেইস করতে হয়।’ তবে ধর্ষণ নিয়ে প্রচুর মিথ্যা মামলা হয়ে থাকে এবং আইনগত কারণে অনেক ধর্ষণের ঘটনার বিচার হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নারীরা প্রায় সব পরিবেশে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে মন্তব্য করে জিনাত আরা বলেন, ‘নারী নির্যাতন বন্ধে আগে নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। পুত্র ও কন্যা সন্তানকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
যৌন সন্ত্রাসবিরোধী গণকনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ডা. লেলিন চৌধুরী। এতে খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে দেশে নারী পুরুষ-সমান থাকবে। নারী আন্দোলনের নেত্রী রোকেয়া কবীর বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের যে যুদ্ধ এটি কঠিন যুদ্ধ, এই যুদ্ধে আমাদের জয় হতেই হবে।’
অনুষ্ঠানে গণধর্ষণের শিকার এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেত্রী বলেন, ‘ভূমি দস্যুদের হাত থেকে আমার স্বামীর জমি রক্ষা করার আন্দোলনে গিয়ে আমি গণধর্ষণের শিকার হয়েছি। আমি বিচার পাইনি।


শিকল দিয়ে বেঁধে শিশু নির্যাতন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাড়ির উঠানে একটি কাঁঠাল গাছ, কোমর ও হাতে শিকল পরিয়ে ওই গাছের সঙ্গে বেঁধে এক শিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর নাম শামীম মোল্লা (১১)। সে ওই গ্রামের খোকন মোল্লার ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, ওই গ্রামের হালিম ব্যাপারী তার বাড়িতে চুরি করার অপবাদ দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার শামীম ও তার বাবা খোকন মোল্লা ১০ মে থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শামীমের মা ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় সোমবার রাতে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় হালিম ব্যাপারী, তার স্ত্রী রাহিলা বেগমসহ পাঁচজনকে আসামি করেছেন। পুলিশ গতকাল মামলার আসামি করম আলী ব্যাপারী ও সাহেব আলী ব্যাপারীকে গ্রেফতার করেছে। পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উত্তর চন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন মোল্লার ছেলে শামীম স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি সে তার বাবার সঙ্গে ভ্যানগাড়ি চালায়।
তাদের প্রতিবেশী হালিম ব্যাপারীর বাড়িতে ২ মে চুরি হয়। হালিমের ঘরে চুরি করেছে এমন অজুহাতে ৯ মে সকালে শামীমকে ধরে আনেন হালিম ব্যাপারী ও তার স্ত্রী রাহিলা। ধরে এনে বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তাকে উদ্ধার করতে তার বাবা খোকন মোল্লা গেলে তাকেও বেঁধে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে ওই এলাকার সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ তাদের করে। মামলা হওয়ার পরই গ্রাম থেকে পালিয়েছেন হালিম ব্যাপারী ও তার স্ত্রী রাহিলা বেগম। গতকাল তাদের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পালং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর বলেন, দুজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

ভারত লিঙ্গ বৈষম্যে বছরে মারা যায় প্রায় আড়াই লাখ কন্যা শিশু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে প্রতি বছর দুই লাখ ৩০ হাজার কন্যা শিশু মারা যায় বলে নতুন এক গবেষণা উঠে এসেছে। গত এক দশকে দেশটিতে পাঁচ বছরের নীচে ২৪ লাখ কন্যা শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। মেডিক্যাল জার্নাল ল্যান্সেটে এ সংক্রান্ত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। খবর সিএনএন ও আল জাজিরা’র
গতকাল মঙ্গলবার ল্যান্সেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অভিভাবকরা মেয়ের চেয়ে ছেলেকে বেশি পছন্দ করেন। গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস্টোফি গুইলমতো বলেন, এই পছন্দ-অপছন্দ হয়তো কন্যা শিশুর জন্ম ঠেকাতে পারছে না, কিন্তু জন্মের পর তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভারতে ৬৩ মিলিয়ন নারী নিখোঁজ হয়েছেন। ক্রিস্টোফি গুইলমতো জানান, লিঙ্গ বৈষম্য কেবল এখানেই নয়, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, রাজনীতি, টিকাদান এবং পুষ্টি সামগ্রী বিতরণেও এই বৈষম্য ফুঁটে উঠেছে। ভারতে যতো নারীর মৃত্যু ঘটে তার দুই-তৃতীয়াংশ মারা যায় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্তান এবং মধ্যপ্রদেশে।

 

গৃহকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতনের উপযুক্ত সাজা হওয়া প্রয়োজন
 

মানবাধিকার রিপোর্ট
গত বছরের জুলাই মাসে গৃহকর্মী আদুরীকে নির্যাতনের মামলায় আসামি গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। তখন আমরা ভেবেছিলাম এ রায় আমাদের সমাজে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রত্যাশা খুবই স্বাভাবিক যে গৃহকর্মীদের ওপর এ রকম নির্মম নির্যাতনের ঘটনা আমাদের আর শুনতে হবে না। কিন্তু বছর না ঘুরতেই গৃহকর্মী সাবিনার ওপর একই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা আমাদের প্রত্যাশাকে ভুল প্রমাণিত করেছে।
রোববার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চরবলেশ্বর গ্রামের সাবিনা (২৫) এক বছর আগে ঢাকার ধানমন্ডির ৯ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে কাজে যোগ দেন। কিন্তু এই এক বছরে তাঁর ওপর চালানো হয়েছে ভয়াবহ নির্যাতন। কাজে ভুল হলেই তাঁকে নির্যাতন করতেন গৃহকর্ত্রী। মুখে কাপড় গুঁজে মোটা লাঠি দিয়ে দরজা বন্ধ করে পেটানো হতো তাঁকে। এতে হাতের বাহু থেকে শুরু করে কবজি পর্যন্ত কয়েক জায়গায় ভেঙে যায়। তাঁকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না।

 

মাধক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব-পুলিশের হাতে তিন শতাধিক আটক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেনেভা ক্যাম্পসহ রাজধানীর তিন মাদক আখড়ায় অভিযান চালিয়ে ২১৪ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে র‌্যাবের হাতে ১৫৩ এবং পুলিশের হাতে ৬১ জন আটক হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের অভিযানে ৫১৩ জনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩৬০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগ টিটিপাড়া বস্তি এবং গুলশান বিভাগ বনানীর কড়াইল বস্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিটিপাড়া বস্তি থেকে ৩১ জনকে এবং কড়াইল বস্তি থেকে শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কড়াইল বস্তিতে অভিযান চলছিল। তবে পুলিশ-র‌্যাবের অভিযানে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ীর গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। অভিযানের আগেই মূল হোতারা আখড়া ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
র‌্যাব জানায়, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে জেনেভা ক্যাম্প থেকে ১৫৩ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়মিত মামলা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হচ্ছে। শনিবার রাতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটকদের মধ্যে ৭৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৭৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ক্যাম্পে প্রবেশের প্রধান ছয়টি প্রবেশমুখসহ সব পথ বন্ধ করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিহারিদের এ ক্যাম্পটি মাদকের বড় আখড়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ অভিযানে আটকদের র‌্যাব-২ কার্যালয়ে নেয়া হয়। অভিযানের আগে র‌্যাব সদস্যরা ড্রোন উড়িয়ে ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। অভিযানের পর জেনেভা ক্যাম্প পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। র‌্যাব-২ এর নেতৃত্বে প্রায় ৮০০ জনের দল অভিযানে অংশ নেয়। আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারী আছেন। অভিযানে ১৩ হাজার ইয়াবা ও ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে র‌্যাব-১, ২, ৩, ৪, ১০ ও ১১ অংশ নেয়। অভিযানের সময় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ী নেই। তবে ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা করে তালিকাভুক্ত ৯০ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, অভিযানে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই করে অধিকাংশ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর ক্যাম্পের মাদকের মূল হোতা ইশতিয়াক, নাদিম, রাজিয়াসহ অনেকেই পালিয়ে গেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ খুচরা মাদক ব্যবসায়ী। আটক ব্যক্তিরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী নন। তাদের মধ্যে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীও রয়েছেন।
 

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশের শেল্টারে ১৫ স্পটে ইয়াবা আসর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেনেভা ক্যাম্পসহ রাজধানীর তিন মাদক আখড়ায় অভিযান চালিয়ে ২১৪ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে র‌্যাবের হাতে ১৫৩ এবং পুলিশের হাতে ৬১ জন আটক হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের অভিযানে ৫১৩ জনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩৬০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগ টিটিপাড়া বস্তি এবং গুলশান বিভাগ বনানীর কড়াইল বস্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিটিপাড়া বস্তি থেকে ৩১ জনকে এবং কড়াইল বস্তি থেকে শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কড়াইল বস্তিতে অভিযান চলছিল। তবে পুলিশ-র‌্যাবের অভিযানে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ীর গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। অভিযানের আগেই মূল হোতারা আখড়া ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
র‌্যাব জানায়, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে জেনেভা ক্যাম্প থেকে ১৫৩ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়মিত মামলা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হচ্ছে। শনিবার রাতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটকদের মধ্যে ৭৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৭৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ক্যাম্পে প্রবেশের প্রধান ছয়টি প্রবেশমুখসহ সব পথ বন্ধ করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিহারিদের এ ক্যাম্পটি মাদকের বড় আখড়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ অভিযানে আটকদের র‌্যাব-২ কার্যালয়ে নেয়া হয়। অভিযানের আগে র‌্যাব সদস্যরা ড্রোন উড়িয়ে ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। অভিযানের পর জেনেভা ক্যাম্প পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। র‌্যাব-২ এর নেতৃত্বে প্রায় ৮০০ জনের দল অভিযানে অংশ নেয়। আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারী আছেন। অভিযানে ১৩ হাজার ইয়াবা ও ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে র‌্যাব-১, ২, ৩, ৪, ১০ ও ১১ অংশ নেয়। অভিযানের সময় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ কোনো মাদক ব্যবসায়ী নেই। তবে ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা করে তালিকাভুক্ত ৯০ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, অভিযানে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই করে অধিকাংশ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর ক্যাম্পের মাদকের মূল হোতা ইশতিয়াক, নাদিম, রাজিয়াসহ অনেকেই পালিয়ে গেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ খুচরা মাদক ব্যবসায়ী। আটক ব্যক্তিরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী নন। তাদের মধ্যে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীও রয়েছেন।


ঢামেক হাসপাতালে পুলিশের শেল্টারে ১৫ স্পটে ইয়াবা আসর


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইয়াবার বিষ।
দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও ঢামেক হাসপাতালের অন্তত ১৫টি স্পটে হরদম চলছে ইয়াবা সেবনের আসর। অভিযোগ, ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (এবি) বাচ্চু মিয়ার সহযোগিতায় এসব মাদকের আসর বসে।
প্রতি আসর থেকে বাচ্চু নিজে নতুবা তার ক্যাশিয়ার আনসার শামীম টাকা নেয়। শুধু তাই নয় বাচ্চুর সহযোগিতায় চানখাঁরপুল ও চকবাজার এলাকার পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হাসপাতালে ইয়াবা সাপ্লাই দেন।
শনিবার ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। মাদকের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
এ কারণে তাদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত-উৎকণ্ঠিত। জানা গেছে, হাসপাতালে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কতিপয় চিকিৎসক, শিক্ষানবিস চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার, ওয়ার্ডবয়, স্পেশালবয়সহ সেবার কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের একটি অংশ ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের নেশায় ঝুঁকে পড়ছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে বাচ্চু মিয়া যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালে মাদক ব্যবসা হয়- বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, গত পরশুও শাহবাগ থানার ওসিকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, ইয়াবার আসর থেকে টাকা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বাচ্চু মিয়া ফোনলাইন কেটে দেন।
এরপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ সংবাদ যাতে প্রকাশ করা না হয় সেজন্য একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে এ প্রতিবেদককে ফোন করিয়েছেন বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শাহ আলম তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, মাদকাসক্তি এক ধরনের অসুস্থতা। তাই কোনো মাদকাসক্তের হাতে রোগীর শতভাগ চিকিৎসা কিংবা সেবা আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, হাসপাতালের কোনো কর্মচারী মাদকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মাদকসহ যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে।
ঢামেক হাসপাতালে মাদক সেবনের চিত্র : শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের সাবেক পিজি ডক্টর কিচেনের একটি রুমে ইয়াবা সেবন করছিল পাঁচ যুবক।
তাদের মধ্যে কয়েকজন এ হাসপাতালের কর্মচারী। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ওই রুমে প্রবেশ করে ৫ মিনিটের মাথায় বেরিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবকরা বেরিয়ে যায়।

 

ফরিদপুরের কারাগারে হাজতির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফরিদপুরের সালথায় মো. রওশন খান (৫০) নামে হত্যা মামলার এক আসাফম কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রওশন খাঁ সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত বাহাদুর খাঁর ছেলে। একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে গত পহেলা এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। তিনি ফরিদপুর জেলা কারাগরের ১৫৪৪/১৮ নম্বর হাজতি ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে দুপুর একটার দিকে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন রওশন। এর পরই তাকে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সেলে চিকিৎ্সাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মারা যান তিনি।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুর মোহাম্মদ (৫৫) নামের এক কয়েদি মারা গেছেন। অসুস্থতাজনিত কারণে শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢামেকে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারারক্ষী বারেক জানান, যাত্রাবাড়ীর একটি মাদক মামলায় তিনি কারাবাস করছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নুর মোহাম্মদের বাবার নাম মৃত মোকসেদ আলী ব্যাপারী। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে।


গোপালগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩৮


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জরা জানান, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৬ জন, কোটালীপাড়া থানায় ৮ জন, মুকসুদপুর থানায় ৭ জন ও টুঙ্গিপাড়া থানায় ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারদের মধ্যে মাদক, নিয়মিতসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি রয়েছে। সোমবার এদেরকে আদালতে হাজির করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জানিয়েছেন।
 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


সেহেরিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রোজদারদের জন্য সেহেরী ও ইফতার ইবাদতের মতো। অনেকেই মনে করেন সেহেরী ও ইফতারে ভারী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু সব ধরনের ভারী খাবার রোজদারের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
সেহেরীতে এমন সময় খাওয়া হয় যখন বেশি ক্ষুধা অনুভূত হয় না। এই সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে সারাদিনের শক্তি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে এই সময়ে খুব সাধারণ খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পেটও যাতে খুব ভরা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
রুটি, ভাত এবং আলু-এই খাবারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান কার্বোহাইড্রেট থাকে যা হজম হতে অনেক সময় লাগে এবং কর্মশক্তিও দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে সেহেরিতে এইসব খাবার খেতে পারেন।
ফাইবারযুক্ত ফল এবং শস্য জাতীয় খাবার খেতে পারেন সেহেরীতে। বার্লি, ছোলা এবং ওট এই খাবারগুলো দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো কোষ্টকাঠিন্যও সারায়। তবে এসব খাবার খুব বেশি খেলে বারবার পিপাসা লাগতে পারে।
সেহরিতে প্রোটিণ জাতীয় খাবার খাওয়াটা জরুরি। এর মধ্যে ডিম, মুরগীর মাংস, দই,ডাল -এইসব খাবার শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
যেসব খাবার পানিশূণ্যতা দূর করে সেগুলি সেহেরিতে যোগ করা যেতে পারে। এর মধ্যে ডাবের পানি, শসা, আনারস, টমেটো, কমলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সেহেরিতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা উচিত যাতে সারাদিনের পানি ঘাটতি পূরণ হয়।

সেহেরির সময় খুব বেশি মসলাদার এবং ঝাল খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো খেলে বুক জ্বালাপোড়া হয় এবং হজমে সমস্যা করে।
সেহেরিতে খুব বেশি চা, কফি খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো পানিশূণ্যতা তৈরি করে এবং পিপাসা বাড়ায়।
সেহেরির সময় বেশি লবণাক্ত খাবার খাওয়াও ঠিক নয়। এসব খাবারও পানিশূণ্যতা বাড়ায়।
এছাড়া সেহেরিতে চিনিযুক্ত খাবারও পরিহার করা উচিত। কারণ এসব খাবার দ্রুতই হজম হয়,এজন্য তাড়াতাড়ি ক্ষুধা অনুভূত হয়।
৫ টাকায় কিডনি ক্লিন! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
তেল, ঝাল, মশলা খেয়ে হাত তো ঠিকই ধুচ্ছেন, তবে কিডনি কি পরিষ্কার করছেন? না, সে কি সম্ভব নাকি! উত্তর হবে- হ্যাঁ, সম্ভব। হাতের কাছেই আছে এর সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন? জেনে নিন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া উপায়। তাও আবার মাত্র পাঁচ টাকায়।
১. পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এক আঁটি ধনেপাতা।
২. এরপর কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন।
৩. পাত্রে কিছুটা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
৪. ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রেখে দেন। ফ্রিজেও রেখে দেয়া যেতে পারে ওই বোতল।
৫. এরপর প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল।
কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবণ এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। এক আঁটি ধনেপাতায় আছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন শ, ১৩৫% ভিটামিন অ, ৪৫% ভিটামিন ঈ, ১৬% ফলেট।
বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবণ, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।
 

ভিটামিন-ই গ্রহণের সুবিধা ও অসুবিধা
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়। এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে। কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
 

ব্রণের চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হাজার হাজার তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ ব্রণ নামের তৈলাক্ত গ্রন্থির এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। আজকাল ব্রণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে লেজারসহ নানা পদ্ধতির কথা বলা হয়। অনেক রোগী প্রশ্ন করেন ব্রণের লেজার করা যায় কিনা। আমি নিজে এ ধরনের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। রোগীদের একটাই প্রশ্ন ডাক্তার সাহেব টিভিতে, পত্র-পত্রিকায় দেখি লেজার চিকিৎসায় ব্রণ ভালো হয়। আসলে কি লেজার দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা হয় কি আমি আগে একাধিকবার বলেছি, লেজার দিয়ে কখনোই ব্রণের স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব নয়। লেজার দিয়ে ব্রণের সাময়িক নিরাময় হতে পারে। তবে স্থায়ীভাবে বা দীর্ঘ সময় ব্রণ নিরাময় সম্ভব নয়। যেসব লেজার সেন্টার থেকে বলা হয় লেজার দিয়ে ব্রণের
চিকিৎসা সম্ভব তাদের কাছে অবশ্যই জেনে নিবেন হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে লেজার করার পরমুখের ব্রণ আবার হবে কিনা। কোন লেজার সেন্টারের বিশেষজ্ঞগণ যদি নিশ্চয়তা দেন লেজার দিয়ে ব্রণের স্থায়ী চিকিৎসা দিতে পারবেন তাহলে লেজার-এর পিছনে অর্থ ব্যয় নিশ্চয়ই করতে পারেন। তবে আমি কখনই বলি না লেজার দিয়ে ব্রণের স্থায়ী সমাধান সম্ভব। শুধু মুখের ব্রণ না যে কোন সমস্যায় লেজার করার আগে রোগী হিসেবে অবশ্যই আপনার জানার অধিকার আছে কতদিনে আপনি ফল পাবেন। যদি চিকিৎসক আপনার প্রশ্নের সন্তোসজনক জবাব দিতে না পারেন তাহলে কেন আপনি কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করবেন।
মুখের ব্রণ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। লেজার দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা সম্ভব কিনা। আসলে আমার মতে ব্রণের চিকিৎসায় লেজার পরিহার করা ভালো। আমি সাধারণত মুখের যে কোন ধরনের ব্রণ চিকিৎসায় লেজারের পরিবর্তে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার পক্ষে। তবে অনেক সময় রোগীদের চাপে পড়ে লেজারের পরামর্শ দিতে হয়। পাশাপাশি মুখের ব্রণ চিকিৎসা ও ব্রণের দাগ তুলতে অনেক সময় কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করা হয়। তবে ব্রণ চিকিৎসার সবচেয়ে উত্তম ও কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা।
ডাক্তারী ভাষায় ব্রণের নানা শ্রেণীবিন্যাস আছে। এসব শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে আর একদিন আলোচনা করবো। তবে এ কথাটি বলতে পারি হালকা, মাঝারী বা তীব্র যে কোন ধরনের ব্রণ ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। ব্রণের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক লোশন, রেটিনয়েড, এ্যাজিলিক এসিডসহ নানা ক্রিম লোশন ও এন্টিবায়োটিক রয়েছে যা ব্রণের চিকিৎসায় কার্যকর। তবে ব্রণ চিকিৎসায় আমি ব্যক্তিগতভাবে যে সমস্যাটি বেশী দেখি তা হচ্ছে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা নিয়ম মেনে চিকিৎসা করে না। কিছুদিন চিকিৎসার পর ব্রণ ভালো হলে আর ডাক্তারের কাছে আসে না। বার বার ডাক্তার পরিবর্তন করে ইত্যাদি। তবে এজন্য আমি শুধু রোগীদের দোষ দেব না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আমরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দেই না। রোগীদের কাউন্সিলিং করেন না। ফলে রোগীরা বিভ্রান্তিতে পড়ে। বার বার ডাক্তার পরিবর্তন করে। ওষুধ সেবনে অনিয়ম করে, অমনযোগী থাকে। তাই রোগীদের যেমন ব্রণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে তেমনি চিকিৎসকদেরকেও রোগীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। প্রথমেই রোগীকে লেজার, এমসিডি, ক্রায়ো, কেমিক্যাল পিল এসবের প্রতি প্রলুব্ধ না করে মনযোগ দিয়ে ব্রণ বা ত্বকের চিকিৎসা করা উচিত। এতে রোগী সুচিকিৎসার পাশাপশি অকারণে অর্থদন্ডের হাত থেকে রেহাই পাবেন।


 ওজন কমাতে লাউ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লাউ একই সঙ্গে জনপ্রিয়, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে যেসব পুষ্টিগুণ আছে তা হলো- কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ০.২ মিলিগ্রাম। এ ছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন বি-১, বি-২ এবং আয়রন। আপনি যদি ওজন কমানোর কথা বলে থাকেন তাহলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউ একটি কম ক্যালরিসম্পন্ন ডায়েট। লাউয়ের ৯৬ শতাংশই হলো পানি। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং খুবই কম ক্যালরি থাকে, যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই যারা ওজন কমানোর চিন্তা করছেন তারা বেশি করে লাউ খান, তাহলে শরীরে কম ক্যালরিযুক্ত হবে এবং পেটও ভরবে। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এ ছাড়াও নিয়মিত লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে। অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যেহেতু লাউয়ের মূল উপাদান হলো পানি, তাই লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
 

 

পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায়
 

যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
 

এক দিনেই কাশি সারাবে পেঁয়াজ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায় নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয় ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।


লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও প্রতিকার


লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়। যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

বিচারবহির্ভূত হত্যার নিষ্ঠুরতা কি সহনীয় হয়ে উঠছে?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাভাষীদের চলতি আলোচনার কারণে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ আবদুর রহমান বদিকে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি বললেও সম্ভবত কম বলা হবে। আলোচনায় যেসব বিষয় এসেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে কোনো একটি অনুষ্ঠানে তাঁর খোলামেলা আলোচনার ছবি, সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অন্তত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের কিছু ছবি, ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি এবং তাঁর ফেসবুকের একটি স্ক্রিনশট; যাতে লেখা আছে, ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে।’ জন-আলোচনায় সাংসদ বদির এই প্রাধান্য পাওয়ার কারণ সর্বনাশা ইয়াবার কারবারে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ।
সরকারঘোষিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা ১২ দিনে ৮১ ছাড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের সম্পর্কে যতটা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর তৈরি তালিকায় মাদক কারবারি হিসেবে নাম নথিভুক্ত ছিল। পুলিশ ছাড়া আর যারা তালিকা করে, তাদের মধ্যে আছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, পুলিশের অভিজাত অংশে র‌্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আরও কোনো কোনো সংস্থার তালিকায়ও তাঁদের নাম থাকার সম্ভাবনা আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে সাংসদ বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও প্রমাণ নেই। প্রমাণ পেলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আইনসম্মত ও যৌক্তিক এই মন্তব্যের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। বছর কয়েক আগে সাংসদের ছয় ভাইয়ের নাম সরকারের তৈরি তালিকায় ছিল। ছোট ভাইয়ের ইয়াবার চালান ধরা পড়ার পর পাঁচ বছরেও যেহেতু তদন্ত শেষ হয়নি, সেহেতু তাঁরা সবাই নিরপরাধ বিবেচিত হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। শুক্রবার তাঁর যে বেয়াইয়ের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তাঁর মৃত্যুও কাম্য ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তা আদালতের বিচার্য বিষয় ছিল। সাংসদের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে যুক্তি দিলেন, তাঁর বেয়াইয়ের ক্ষেত্রেও সেই যুক্তি প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। শুধু সাংসদ বদি কেন, এর আগে আরও কয়েকজন সাংসদ এবং ছাত্রলীগের নেতার
বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ এসেছে। যেহেতু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায় না, সেহেতু ধরে নেওয়া যায়, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রমাণের জন্য অপেক্ষার পালা চলছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের কপাল খারাপ যে তাঁদের ক্ষেত্রে একই নীতি অনুসৃত হয়নি।
মাদকের মতো অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে মৃত্যু অথবা অপরাধীকে নির্মূল করাই যখন একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তখন যাঁদের প্রাণ গেছে, তাঁদের আসল পরিচয়টাও একটু দেখা দরকার। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে ছিলেন—এমন কারও কথা শোনা যায়নি। তবে গ্রেপ্তার হয়ে আদালত থেকে জামিনে ছিলেন, এমন অনেকের কথাই শোনা গেছে। পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্তদের চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন, এমন কয়েকজনের কথাও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অন্তত একজন রাজনৈতিক বিরোধীদলীয় কর্মীর মৃত্যুর কথাও জানা গেছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক হচ্ছে, পরিচয় ভুল হওয়ায় নিহত হওয়ার ঘটনা। অর্থাৎ সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই শুধু অভিযোগ ওঠার কারণেই এঁদেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ (টিআইবি) শাখার ২০১৩ সালের একটি জরিপ বলছে যে দেশটিতে জনসেবা খাতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হচ্ছে পুলিশ। গত পাঁচ বছরে পুলিশের ভাবমূর্তির যে খুব একটা উন্নতি ঘটেছে, সে কথা বলার মতো কোনো দৃষ্টান্ত তারা তৈরি করতে পেরেছে এমন নয়। মাদকবিরোধী যুদ্ধ চলার সময়েই ইত্তেফাক একজন পুলিশ সুপারের ভাষ্য উল্লেখ করে বলছে, সীমান্তবর্তী একটি জেলায় পুলিশ মাদক কারবারিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পায় (আমাদেরও অনেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিশে গেছে, ইত্তেফাক, ২৫ মে, ২০১৮)। সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলার অবস্থা এর চেয়ে উন্নত কিছু হবে, এমনটি মনে করা কঠিন। ইতিমধ্যে খবর বেরিয়েছে, পুলিশ টাকা আদায়ের জন্য আটক করে মাদকের অভিযোগ দিয়ে শুধু হয়রানি করছে তা-ই নয়, গাজীপুরে টাকা নেওয়ার পরও কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে (টাকাও নিয়েছে, ক্রসফায়ারেও দিয়েছে; বাংলা ট্রিবিউন, ২২ মে, ২০১৮)। চট্টগ্রামে র ্যাবের সোর্স পরিচয় ভুল করায় নিহত হয়েছেন একজন এবং পরে সেই সোর্সও ক্রসফায়ারে মারা পড়েছেন (‘ভুল তথ্যে’ র ্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাবিব নিহত, দাবি পরিবারের; বিডিনিউজ ২৪.কম, ২১ মে, ২০১৮)।

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.