Cover January 2018
English Part
January 2018
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন ডিসেম্বর ২০১৭
মোট
হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২১২ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও
পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ইঐজঈ’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশনওঐজঈ’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে ডিসেম্বর ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২১২টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ডিসেম্বর ২০১৭ মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৭টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও
সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু
নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর
কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
হয় ২১২ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ১০ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৩ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৬ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ১২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৬ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৭ জন ,অপহরণ হত্যা ১১ জন, গুপ্ত হত্যা
৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৭১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৯ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৩৫ জন, আত্মহত্যা ২৩ জন।
ডিসেম্বর ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ২৫ জন, যৌন নির্যাতন ৬
জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার ৭ জন।
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চায়:
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভিক্ষা করে নয়,
বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চায়’।
রোববার দুপুরে যশোরের বিমানবাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি
কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা রক্ষা, উন্নত ও
সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তুলতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের
প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলার আকাশ মুক্ত রাখতে বাহিনীর সদস্যদের সচেষ্ট
থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কারো
কাছে ভিক্ষা করে নয়, মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চায়। এ
জন্য একাডেমি থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে যশোর পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
সেখান থেকে বিএএফ একাডেমিতে পৌঁছে শেখ হাসিনা
বিমানবাহিনীর নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের
কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে নতুন কমিশনপ্রাপ্তদের
পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়
বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ২৭টি উন্নয়ন
প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করার কথা
রয়েছে।
BHRC ব্রাহ্মণবাড়ীয়া আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ আগামী ২ ডিসেম্বর
২০১৭ রোজ সকাল ৯:৩০টায় পৌর কমিউনিটি সেন্টার টেংকের
পাড়, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের
সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী। সম্মেলন উদ্বোধন
করেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC’র ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা
শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসক
রেজয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান
পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া পৌর মেয়র নায়ার কবির, BHRC’র
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর গভর্নর সিকান্দার আলী
জাহিদ, ডেপুটি গভর্নর এম.এ. সোহেল আহমেদ মৃধা, নিউ
ইয়র্ক স্ট্যাট মহিলা শাখার সভাপতি মিনা ইসলাম, কুমিল্লা
জেলা শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহন,
সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পিটার, চট্টগ্রাম মহানগর
শাখার নির্বাহী সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, চট্টগ্রাম
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জসিম আহমেদ, উত্তরবঙ্গ বিশেষ
প্রতিনিধি নূরুন নবী বুলু, বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি
মাহমুদুল হাসান রোম্মান, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক
আহমেদ ভুইয়া, সৌদি প্রতিনিধি এম.ওয়াই আলাউদ্দিন,
চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
আজমুল হক, কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি এএইচএম
তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলজার হোসন,
চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. মোঃ রুহুল আমিন সরকার।
সম্মেলন পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক এড. লোকমান হোসেন। সম্মেলনে কুমিল্লা
অঞ্চলের তিনশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।
BHRC শরীয়তপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRCর শরীয়তপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রোজ শনিবার সকাল
৯:৩০টায় চিকনদি ফুড পার্ক, দুবাই প্লাজা শরীয়তপুরে
অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য বি.এম.
মোজাম্মেল হক। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি
এড. রাশিদুল হাসান মাসুম চৌধুরী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এড. নাভানা আক্তার,
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান
খোকাশিকদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম
কোতোয়াল, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল
হাসেম তপাদার BHRC ফরিদপুর বিভাগীয় গভর্নর খন্দকার
মোহতেশাম হোসেন বাবর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি
ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম
রাশেদ আকন, ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার ইফতেখার
মোহাম্মদ ইকু, ফরিদপুর আঞ্চলিক সমন্বযকারী আহম্মাদুল
বারী বাবুল, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. এম.এ.
নাসির আহমেদ, রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি এড. এিিটএম
মোস্তফা, মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি আজমল হুদা ঢালী,
বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা নাসির উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা
শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রকেট,
রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,
মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদা ঢালী
প্রমুখ।
সম্মেলনে আগত সকল মানবাধিকার কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ
করান BHRC’র মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলন পরিচালনা করেন শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান মাসুদ। সম্মেলনে ফরিদপুর
বিভাগের পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগদান করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু
মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের আহ্বানে ৭৩
দেশের সাড়া
মানবাধিকার রিপোর্ট’
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
চুক্তি করলেও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের পথ থেকে সরে
আসেনি বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় রাখাইনের রোহিঙ্গা
মুসলিম জনগোষ্ঠী ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী জাতিসংঘের
মানবাধিকার কাউন্সিলকে বিশেষ সেশন আহ্বানের অনুরোধ
জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব এই সেশন আহ্বানের জন্য অনুরোধ
জানিয়ে নোটিশ দেয়। কাউন্সিলের সদস্য ৪৭ সদস্যের মধ্যে
৩৩টিই এতে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়াও সদস্য নয় এমন ৪০টি
দেশও এ বিশেষ সেশন আহ্বানের অনুরোধকে সমর্থন করেছে। তবে
ভারত ও চীন এতে সমর্থন জানায়নি। তাদের পক্ষে আনতে
বাংলাদেশের তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।
এই বিশেষ সেশনের নাম হচ্ছে, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী ও অন্য
সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন,
কাউন্সিলের সদস্য ৪৭ দেশের মধ্যে চীনও আছে। তারা
বাংলাদেশের আহ্বানকে সমর্থন জানায়নি।
BHRC’র
৬৯তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
১০ই ডিসেম্বর ৬৯তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সফল করার
লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর, মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা
জেলা শাখা অধিভুক্ত শাখাগুলোর সমন্বয়ে এক
প্রস্তুতিমূলক সভা ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ বিকেল ৩টায়
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সদর দপ্তরে BHRC’র ঢাকা
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য রাখেন
BHRC’র ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি একেএম
আক্তারুজ্জামান বাবুল, নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার
হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, উত্তরা
আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক
সোহরাওয়ার্দী ভূইয়া, গুলশান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ
শামীম বক্স, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, বনানী
থানা শাখার সভাপতি গিয়াস আহমেদ সবুজ, বিমানবন্দর থানা
শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল করিম ভূইয়া, ঢাকা
ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহবুবুল
আলম, শাহজাহানপুর থানা শাখার সভাপতি আবু মোহাম্মদ
সিফাত, মতিঝিল থানা শাখার সভাপতি মোঃ এমরান হোসেন,
আদাবর থানার সভাপতি জিএম শাহনেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক
মোঃ ইয়াকুব আলী সাগর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা শাখার
সভাপতি মিনান্নাহার লিপা, চকবাজার থানা শাখার সভাপতি
আব্দুল হামিদ, পল্লবী থানা শাখার সভাপতি এমএম ইসলাম
শহীদ, রামপুরা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমএ নায়েম
তালুকদার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট শাখার সাধারণ
সম্পাদক এড. মোঃ বাদশা আলমগীর, ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মতি, ঢাকা কলেজ শাখার
সভাপতি শামীম শেখ, বাড্ডা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক
মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী (সাগর), পল্টন থানা শাখার সভাপতি
সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ চাঁন শরীফ,
মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া
মোল্লা, হাজারীবাগ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
হারুন অর রশিদ, শ্যামপুর থানা শাখার সভাপতি আঃ ওয়াদুদ,
মিরপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোতালেব হোসেন,
ওয়ারী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন,
বাড্ডা থানা শাখার উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন, খিলগাঁও থানা
শাখার সাধারণ সম্পাদক জোøা আক্তার প্রমুখ।
BHRC ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ মহিলা শাখার শপথ গ্রহণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
মহিলা শাখার শপথ গ্রহণ ও পরিচিতি সভা ১২ ডিসেম্বর
২০১৭ইং বেলা ১১টায় ১২ আউটার সার্কুলার রোডস্থ আহেলী
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব
মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সভায় বক্তব্য
রাখেন BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর গভর্নর
সিকান্দার আলী জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি
একেএম আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা
শাখার সভাপতি মিনান্নাহার লিপা, সাধারণ সম্পাদক খাদিজা
আক্তার বিনা, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, রামপুরা থানা শাখার
সাধারণ সম্পাদক এম.এ. নায়েম তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ মহিলা
শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আক্তার, নির্বাহী
সভাপতি কোহিনুর আক্তার রুমা, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার
আইন সম্পাদক এড. ফেরদৌসী আক্তার, পল্টন থানা শাখার
সাধারণ সম্পাদক চান শরীফ প্রমুখ। সভায় আগত সকল
মানবাধিকার কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান ইঐজঈ’র
প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মানবতাবাদী ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার।
৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৬ রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি
ব্যবস্থাপনায় সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদফতর
নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ৮৬
হাজার ৯ শত ২৬ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। এছাড়া সমাজসেবা
অধিদফতর কর্তৃক শনিবার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম
শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩৯৫ জন
ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন
এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৭১ জন।
সরকারি তথ্য বিবরণীতে ৯ ডিসেম্বর এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শনিবার পুরোদিনে সাতটি কেন্দ্রে মোট ১৩
হাজার ৭০০ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
এদিন কুতুপালং -১ ক্যাম্পে দুই হাজার ৯৮৩ জনের
বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার একশ
৮৮ জন পুরুষ এবং এক হাজার সাতশ ৯৫ জন নারী রয়েছে।
কুতুপালং-২ ক্যাম্পে দুই হাজার ৮২২ জনের নিবন্ধন করা
হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩৭০ জন পুরুষ, এক হাজার ৪৫২
জন নারী রয়েছে।
নোয়াপাড়া ক্যাম্পে এক হাজার ৫ ৫৮ জনের নিবন্ধন করা
হয়েছে। এর মথ্যে ৭২৩ জন পুরুষ, ৮৩৫ জন নারী রয়েছে।
থাইংখালী-১ ক্যাম্পে এক হাজার ৮০৩ জনের নিবন্ধন করা
হয়েছে। এর মধ্যে ৯ ২৮ জন পুরুষ, ৮৭৫ জন নারী রয়েছে।
থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৬৩০ জন পুরুষ, ৫৪২ জন নারী মিলে
এক হাজার ১২ জনের নিবন্ধন হয়েছে। বালুখালী ক্যাম্পে এক
হাজার ২৭ জন পুরুষ, ৮৩৯ জন নারী মিলে এক হাজার ৮৬৬
জনের, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৭৩৮ জন পুরুষ, ৭৫৮ জন নারী
মিলে এক হাজার ৯৬ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন
কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক শনিবার পর্যন্ত
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬
লাখ ৩৮ হাজার ৩২০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা
বাড়ছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর আগে আগত মিয়ানমার নাগরিকের
সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
মিয়ানমারের নেতা
সুচি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হবেন: জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রা’দ
আল-হোসেইন বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের
ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের যেসব নেতা
জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বিচারের আওতায় আনলে মিয়ানমারের নেতা ও
সামরিক কর্মকর্তারা যে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত হবেন-
সে সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। দেশটির নেতা অং
সান সুচিসহ অন্যরা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রা’দ
আল-হোসেইন এসব কথা বলেছেন। তার এ সাক্ষাৎকার সোমবার
প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।
সাক্ষাৎকারে রা’দ আল-হোসেইন আরও বলেন, মিয়ানমারে যে
মাত্রায় সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে তাতে বিষয়টি নিয়ে
উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন রয়েছে।
জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে মাত্রায় হামলা করেছে- তা
চিন্তার বাইরে এবং পরিকল্পিত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর
এ ধরনের হত্যা-নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে
মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচিকে ফোন করেছেন কিন্তু কোনো
লাভ হয়নি।
রা’দ আল-হোসেইন বলেন, যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে সেখানে যে
গণহত্যা হয়েছে সে সম্ভাবনা আপনি উড়িয়ে দিতে পারবেন না।
গণহত্যাকে সব অপরাধের অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেন
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান।
মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ সন্ত্রাসী ও সামরিক বাহিনীর
অভিযান হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া,
হত্যা-নির্যাতনের মুখে টিকতে না পেরে প্রায় ১০ লাখ
রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সার্বজনীন মানবাধিকার মানব সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত ৬৯ তম বিশ্ব মানবাধিকার
দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘ সদস্য
রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে মানবাধিকারের শ্রেষ্ঠ
সনদ “সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা” গৃহিত হয়। চট্টগ্রামে
দিবসটি উদ্যাপনকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি অবহিতকরণ ও
মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় চট্টগ্রাম
প্রেসক্লাবে অদ্য ৯ ডিসেম্বর’১৭ দুপুরে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে
এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের
বিশেষ প্রতিনিধি ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি,
মানবাধিকার কর্মী আমিনুল হক বাবু। অন্যান্যদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর
চট্টগ্রাম অঞ্চলের কার্যনির্বাহী সভাপতি সাগর দোভাষ,
সহ-সভাপতিবৃন্দ আসাদুজ্জামান খান, তানভীর শাহরিয়ার
রিমন, মঞ্জুরুল হক, নওশাদ চৌধুরী মিটু, যুগ্ম সম্পাদক
মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী কে.এন এম রিয়াদ,
নোমান উল্লাহ বাহার, অর্থ সম্পাদক শেখ ওয়ালিদ হাসান,
ডা. দীপক কান্তি বড়–য়া, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, আবদুর রউফ,
আদনানুল ইসলাম, হাজী চান্দু মিয়া, কাইয়ুমুর রশীদ বাবু
প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আমিনুল হক বাবু বলেন, মানুষকে মানুষ
হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল অধিকার দরকার তাই
মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এবং
সামাজিক জীব হিসেবে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে
অপরিহার্য। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, মানবাধিকার বিষয়টি
কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ কিন্তু বাস্তবায়নের চিত্র ভিন্ন।
দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, ন্যায় বিচারের সংকট,
সুশাসনের অভাব, বিভিন্নমূখী অত্যাচার নিপীড়ন চলছে
পৃথিবীজুড়ে। মানবাধিকার লংঘন চলছে প্রতিনিয়ত। ১৯৮৭ সালে
প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদারের সুযোগ্য
নেতৃত্বে মানবাধিকার উন্নয়ন, সংরক্ষণ, সর্বস্তরে শান্তি
প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন বাস্তবায়নে নিবেদিত একটি
অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়
অঙ্গিকারবদ্ধ সংগঠন “বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন” এর
যাত্রা শুরু করে।
আমরা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃৃহত্তর চট্টগ্রাম
অঞ্চল এতদঞ্চলে মানবাধিকার সুরক্ষায় অসহায় মানুষদের
বিনা মুল্যে আইনগত সহায়তা, প্রশাসনের মাধ্যমে
মানবাধিকার লংঘন রোধ, দূর্যোগকালীন সময়ে দুর্গতদের
পাশে দাঁড়ানো, শরণার্থীদের সহায়তা, শিক্ষার্থী
নির্যাতন প্রতিরোধে ভূমিকা, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে
বিভিন্ন পদক্ষেপ, স্বাবলম্বীতা আনয়নে কার্যকর সহায়তাসহ
মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরীতে বহুমাত্রিক
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের
কর্মকান্ডের কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণ আপনাদের জ্ঞাতার্থে
তুলে ধরছি। সাড়া জাগানো ৬ বছরের শেকলবন্দী মাধবীর
নির্মমতার চিত্র ও মুক্তির আকাঙ্খা এবং পরিবারের
অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রাণে আমাদের সক্রিয় প্রচেষ্টায় তার
শেকলবন্দীত্ব থেকে মুক্তি, তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা
প্রদান, পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়নে রিক্সা
প্রদান সহ বিভিন্ন সহায়তায় মাধবী সুস্থ ও মুক্ত জীবনে
পদার্পণ করে।
যেসব দেশে নেই
কোনও এয়ারপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আধুনিক যুগের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার
উড়োজাহাজ। একদেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বাহন। হাজার হাজার মাইল পথ
কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে পৃথিবী এক প্রান্ত থেকে
অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করা যায় এর মাধ্যমে। তবে পৃথিবীতে
এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে কোনও বিমানবন্দর বা
এয়ারপোর্ট নেই। সেই সব দেশে যেতে হলে আপনাকে অন্যকোনও
দেশের এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। অথবা বিকল্প পথ
খুঁজে নিতে হবে চলুন জেনে নিই সেইসব দেশ সম্পর্কে-
১. ফিলিস্তিন: ফিলিস্তিন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত একটি
রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি আয়তনে বেশ বড় হলেও
দেশটির কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ইসরায়েলের বেন কুরিয়ন
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ফিলিস্তিনের মূল শহরের
দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার প্রায়। তাই ওই পথেই ফিলিস্তিনে
প্রবেশ সবচেয়ে কাছের হয়।
২. ভ্যাটিকান সিটি: ইতালী মাঝে অবস্থিত একটি ছিদ্রায়িত
রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি। সিসতাইন চ্যাপেল ও সেন্ট
পিটার্স প্রাসাদের দেশে নেই কোনো এয়ারপোর্ট। ইতালির
রোম এয়ারপোর্টে নেমে সেখান থেকে সড়কপথে যেতে হয় মাত্র
৪৬ হেক্টর আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট এ দেশটিতে।
৩.মোনাকো: ইউরোপের আর একটি ক্ষুদ্র দেশ মোনাকোতেও কোনো
এয়ারপোর্ট নেই। তবে ফ্রান্সের নাইস কোর্ট ডি আনজুর
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মোনাকো মাত্র ২৫
মিনিটের কার রাইড। তাই ফ্রান্স হয়েই মোনাকোতে যাওয়া
ভালো।
৪.লিচেনস্টেইন: পৃথিবীতে সবচেয়ে কম অপরাধের দেশ
লিচেনস্টেইন। তবে সরাসরি ফ্লাইটে দেশটিতে যাওয়া যায়
না। সুইজারল্যান্ডের গ্যালেন আলটেনহেইন এয়ারপোর্ট থেকে
লিচেনস্টেইন এর ভেদুজ এর দূরত্ব মাত্র ৩৮ কিলোমিটার।
৫. এনডোরা: পিরেনিজ পর্বতমালার উপত্যকায় গড়ে ওঠা
এনডোরাতেও কোনো এয়ারপোর্ট নেই। ফ্রান্স বা স্পেনে নেমে
সড়ক পথে দেশটিতে যাওয়া যায়। তবে স্পেনের গিরোনা-কস্টা
ব্রাভা এয়ারপোর্টই দেশটি থেকে কাছে।
৬. সান মেরিনো: পৃথিবীর পঞ্চম ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র সান
মেরিনোতেও কোনো এয়ারপোর্ট নেই। পর্বতময় দেশটির চারপাশে
ইতালি। রিমিনি শহরের ফেলিনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে
নেমে সান মেরিনোতে যেতে হয়।
সৌদিতে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে
বেলজিয়াম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে
যাচ্ছে বেলজিয়াম। ২০ ডিসেম্বর বেলজিয়ামের স্থানীয়
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে
রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের
রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডমিনিক মিনিউরকে
সৌদি আরবের নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ প্রদানের
ঘোষণা এসেছে। আগামী গ্রীস্মের আগেই তিনি দায়িত্ব বুঝে
নেবেন। বর্তমান সৌদি প্রশাসন সম্প্রতি নারীদের
স্বাধীনতা দিয়ে ঘরের বাইরে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যে নারীদের গাড়ি চালানো এবং স্টেডিয়ামে খেলা ও
হলে বসে সিনেমা দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তবে কিছু দিন আগ পর্যন্ত নারীদের ঘরে থাকারই রেওয়াজ
ছিল। তাদের সার্বিক দেখভাল হতো পুরুষ অভিভাবকের ইচ্ছা
ও নজরদারিতে। পাবলিক প্লেসে যেতে সৌদি নারীদের হিজাব
পরতে হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে নারী নির্যাতন কারা করছে?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গৃহকর্তা খারাপ লোক, যৌন নির্যাতনকারী, প্রয়োজনের
তুলনায় অতিরিক্ত কাজ করায় , ঠিকমতো বেতন দেয় না,
প্রায়ই মারধর করে, খেতে দেয় না। এতে করে অসুস্থ হয়ে পড়ে
তারা। এ ধরনের অভিযোগ আসছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে
গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে যাওয়া নারীকর্মীর পরিবারের পক্ষ
থেকে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর,
অভিবাসীকর্মীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা
এবং মানবাধিকার সংগঠনে প্রতিদিনই এসব অভিযোগ পড়ছে। এসব
নির্যাতনের শিকার হয়ে সংশ্লিষ্ট নারী কর্মীরা কেউ
গৃহকর্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে, কেউ নিখোঁজ রয়েছে
দিনের পর দিন। আবার কেউ মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করে কাজ করে
যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের জিসিসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, কাতার,
কুয়েত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ওমানে।
গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সেসব দেশে পাঠালেও নির্যাতিত
নারীদের অভিযোগ, তাদের সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছে বিক্রি
করে দেয়া হয়। ফলে তাদের কাজের যেমন পরিসীমা থাকে না,
তেমনি নানা ধরনের বাজে আচরণের শিকার হতে হয় তাদের। এসব
কারণে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং নেপাল মধ্যপ্রাচ্যে
বিশেষ করে সৌদি আরবে তাদের নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করে
দিয়েছে। আর এই সুযোগে বাড়ছে বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী
পাঠানোর হার। যদিও নির্যাতন থেকে রক্ষায় সরকারের
কার্যকর কোন ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। সম্প্রতি ওই সব দেশের
গৃহকর্মীদের অবস্থা, তাদের সুরক্ষায় বিদ্যমান আইনি
কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছে,
সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। গত
৩১শে জুলাই মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ হোসেন
সরকার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে গৃহকর্মীর অধিকার
সুরক্ষায় বিভিন্ন আইনের প্রয়োজনীয়তা ও ওই সব দেশের
বিদ্যমান আইনের ফাঁকফোকর তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দেশে বিদ্যমান দুর্বল আইনি কাঠামো
এবং তাদের গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা না
থাকায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী কর্মীরা। জানা যায়,
সাম্প্রতিককালে জিসিসিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ ও
অন্যান্য কয়েকটি দেশে নারীকর্মীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায়
এবং এসব দেশে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও নেপাল নারীকর্মী
পাঠানো বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশি নারীকর্মীর চাহিদা
বৃদ্ধি পেয়েছে। জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর
তথ্যমতে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে বাংলাদেশ থেকে নারীকর্মী গেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯
জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮ জন। এই
কর্মীদের ৭৮ ভাগই গেছে জিসিসিভুক্ত দেশে। বিশ্লেষকদের
মতে, অন্যান্য দেশে কর্মরত কর্মীদের তুলনায় গৃহকর্মে
নিযুক্ত কর্মীরা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলো- তাদেরকে বেশি সময় কাজ করতে হয়,
অন্যদের তুলনায় কম পারিশ্রমিক দেয়া হয় এবং সবচেয়ে বেশি
মানসিক পীড়ন ও ঝুঁকিতে থাকেন। এ ধরনের বৈষম্য থেকে
গৃহকর্মে নিয়োজিত কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বেশকিছু
আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। ২০১১ সালে আইএলও শুধুমাত্র
গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় গৃহকর্মী সনদ-২০১১ প্রণয়ন করে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জিসিসিভুক্ত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং নারী গৃহকর্মী গ্রহণকারী
প্রায় কোনো দেশই এই সনদ অনুসমর্থন করেনি। ওইসব দেশ
তাদের শ্রম আইনেও গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করেনি।
দীর্ঘ
জীবনের চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জীবন শ্রেয়
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২ ডিসেম্বর বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে আর্মি স্টেডিয়ামে
পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। কোনোরকম প্রচারণা চালানো না
হলেও সাধারণ মানুষ প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জানাজায়
শরিক হতে বিভিন্ন যানবাহনে দ্রুত জমায়েত হচ্ছেন। একজন
মানুষ কত ভাগ্যবান হতে পারেন; তার কর্ম, তার সৃষ্টি
দিয়ে মানুষকে কত আকৃষ্ট করতে পারেন, স্টেডিয়ামে না গেলে,
টেলিভিশনের পর্দায় না দেখলে বিশ্বাস হবে না। এত
মানুষের এত দোয়া, ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তা কবুল করুন।
আসরের নামাজ শেষে জানাজা। যে কারও জন্য ‘কাছের মানুষের’
চলে যাওয়া বেদনাবিধুর। আনিসুল হকের চলে যাওয়া অবশ্যই
গর্বের, সন্তুষ্টির, তৃপ্তির। ভালো কাজের স্বীকৃতি নিয়ে
দিনশেষে আনিসুল হক চিরস্থায়ী গৃহে প্রবেশ করেছেন। তিনি
বেহেশত লাভ করুক, কর্মের উপযুক্ত প্রতিদান পাক- মহান
আল্লাহর কাছে এটাই প্রার্থনা।
আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর যুগান্তরে তাকে
উদ্দেশ করে লিখেছিলাম- আপনি সুযোগ পেয়েছেন। প্লিজ,
সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। যা কিছু মানুষের জন্য
কল্যাণের, মঙ্গলের, উন্নতির- তাই করুন। কাকতালীয় হতে
পারে, তবে আনিসুল হক তাই করেছেন। তাই তো মৃত্যুর পরও
তাকে মানুষ এত স্মরণ করছে, তার অনুপস্থিতি উপলব্ধি করছে।
আনিসুল হকের জানাজায় শরিক হওয়ার পর রাতে বিছানায় শুয়ে
এপাশ-ওপাশ করছি, ঘুম আসছে না। আল্লাহ আনিসুল হকদের মতো
কর্মবীরদের জীবন কেন ছোট করে দেন? এ মুহূর্তে আরও
তিনজন মানুষের কথা খুব মনে পড়ছে, যারা স্বল্প কর্মজীবন
পেয়েছেন।
এই তিনজনের একজন হচ্ছেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে ১৮৯৯ সালে জন্ম নিয়ে ২৯
আগস্ট ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে যদিও কবির
বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর, তবে তিনি জীবনের বড় একটা অংশ
অসুস্থ ছিলেন। নির্বিকার ছিলেন। ১৯৪২ সালে মাত্র ৪৩
বছর বয়সে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ব্রিটিশ
ভারতে, স্বাধীন ভারতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে চিকিৎসা ও
সেবা দেয়া হয়। কবিকে দীর্ঘসময় মানসিক ব্যাধি হাসপাতালে
কাটাতে হয়। তারপর একাকী নিভৃত জীবনে চলে যান তিনি।
মৃত্যুর দিন পর্যন্ত কাউকে কিছু বলে যেতে পারেননি। বড়
বড় চোখে শুধু তাকিয়ে থাকতেন। সরকার বিদেশ না পাঠালেও
কবির গুণমুগ্ধদের সংগঠন ‘নজরুল চিকিৎসা সমিতি’ অর্থ
সংগ্রহ করে ১৯৫২ সালে তাকে লন্ডন ও ভিয়েনায় চিকিৎসার
জন্য পাঠায়। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। নিউরোসার্জন ড.
হানস হফ্ বলে দেন- কবির চিকিৎসার অবহেলা হয়েছে, অনেক
দেরি হয়ে গেছে; নজরুলের আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এরপর তাকে ভারতে ফেরত আনা হয় ১৯৫৩ সালে।
১৯২৯ সালে গুটিবসন্তে প্রিয় সন্তান বুলবুল মারা গেলে
নজরুল দিশেহারা হয়ে পড়েন। বুলবুলকে হারিয়ে প্রচণ্ডভাবে
ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোমতেই ভুলতে পারছিলেন না
সন্তানকে। হারানোর বেদনা কবিকে অহর্নিশ দগ্ধ করছিল, যা
তার গানে-কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। প্রিয় সন্তানের
অকালমৃত্যুতে হৃদয়ে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, কবি তা
কাউকে দেখাতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে সব্যসাচি ও
অনিরুদ্ধ কাজী কবির ঘর আলো করলেও বুলবুলের জন্য তার
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি।
Top
ইউনেস্কো থেকে
সরে দাঁড়াচ্ছে ইসরায়েল
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জাতিসংঘের শিক্ষা
বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে তার
দেশ বেরিয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে ইউনেস্কো
থেকে ইসরায়েলের নাম প্রত্যাহার করে নিতে দেশটির
কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২৪ ডিসেম্বর দেশটির মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের
শুরুতে নেতানিয়াহু বলেন, সপ্তাহের শেষের দিকে ইউনেস্কো
থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আমি পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি।
‘আমি মনে করি, আমাদের ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি
পক্ষপাতদুষ্ট, একতরফা ও অযৌক্তিক মনোভাবের কারণে
সংগঠনটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সংস্থাটিকে
ইসরাইলবিরোধী শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু।
চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি পশ্চিম তীরের
হেবরনের ওল্ড টাউনকে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান
তীর্থযাত্রীদের পবিত্র স্থান হিসেবে ফিলিপাইনের
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর জেরে
ইসরায়েলে ব্যাপক প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার জেরে জাতিসংঘের
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইউনেস্কো থেকে নিজের দেশকে গুটিয়ে
নেয়ার তথ্য জানালেন।
Top
বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে :
রাষ্ট্রদূত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেছেন, ২০১৪ সালে
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দ্বিপক্ষীয় সফরে দুই দেশের
জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও
বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের
জনগণের জন্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জাপানের
সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। গতকাল জাপান সরকারের
গ্র্যান্ট অ্যাসিস্ট্যান্স ফর কালচারাল গ্রাসরুটস
প্রজেক্টসের আওতায় ৬০ হাজার ২৯১ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ
অনুদানে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের
জন্য নির্মিত ও মানোন্নয়নকৃত অডিও-ভিজ্যুয়াল ফ্যাসিলিটি
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি
এ কথা বলেন। ঢাকার জাপান দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস জানায়, মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায়
প্রতিষ্ঠানটির কিউরেটর ড. এস এম নজরুল ইসলামের
পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত
ছিলেন। ফ্যাসিলিটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আগে নতুন
অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য
জাতীয় চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীর ওপর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
হয়। এখন থেকে নিয়মিতই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন
স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের ওয়ার্কশপ ও
সেমিনার আয়োজন করবে।
গৃহকর্মীর সঙ্গে
প্রিয়নবী সা. কেমন আচরণ করতেন ?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভুল মানুষই করে। ভুল শুধরানো মহাগুণ। যারা আমাদের
তত্ত্বাবধানে কাজ করে তারা আমাদের মতোই মানুষ। যদি তারা
ভুল করে তাহলে আমরা আহামরি কান্ড ঘটিয়ে ফেলি। অথচ
একবার এক সাহাবী এসে নবীজীকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর
রাসূল! আমি খাদেমকে (গৃহকর্মীকে) কতবার ক্ষমা করব?
নবীজী চুপ থাকলেন। সাহাবী আবার জিজ্ঞাসা করলেন। এবার
নবীজী বললেন, প্রতিদিন ৭০ বার। (জামে তিরমিযী,হাদীস
১৯৪৯)
রাগ দমন করে মুমিন মহা পুণ্যের অধিকারি হয়। মহান
আল্লাহ মুমিন-মুত্তাকীর গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে
বলেছেন, ‘যারা ক্রোধ দমন করে, ক্ষমা করে দেয়।’
সুতরাং শুধু ক্রোধ দমন করাই নয় বরং ক্ষমাও করে দিতে হবে।
আর গায়ে হাত তোলার তো প্রশ্নই ওঠে না। অসহায়ের গায়ে
হাত তোলা কত বড় অন্যায় তা আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন !
ইসলামের বিধান কতো সুন্দর! গৃহকর্মীর তো দূরের কথা।
টাকায় কেনা গোলাম-বাদির অধিকারের ব্যাপারে রাসূল সা.
কতো সুন্দর বলেছেন, “আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীন
করেছেন। তোমাদের কারো অধীনে যদি কেউ থাকে তাহলে সে যেন
নিজে যা খায় তাকেও তা থেকে খাওয়ায়। নিজে যা পরিধান করে
তাকেও তা থেকে পরিধান করায়। এবং তোমরা তাদের উপর
সাধ্যের বেশি কাজ চাপিয়ে দিও না। যদি দাও তাহলে নিজেও
সে কাজে তাকে সাহযোগিতা কর।” (সহীহ বুখারী, হাদীস
২৫৪৫)
তারা আপনার জন্য ভালো কোনো খাবার প্রস্তুত করে আনলে
এমন যেন না হয় যে, সে কষ্ট করে খাবার প্রস্তুত করল আর
ঘ্রাণ নেওয়া ও দেখা ছাড়া তার ভাগ্যে কিছুই জুটল না।
প্রিয় নবীজী বলেছেন, যখন খাদেম খাবার প্রস্তুত করে
তোমার সামনে উপস্থিত করে,তখন (পারলে তাকে তোমার সঙ্গে
বসিয়ে খাওয়াও) তাকে যদি তোমার সাথে বসিয়ে খাওয়াতে না
পার, অন্তত তার হাতে এক-দুই লোকমা তুলে দাও। কারণ এ
খাবার প্রস্তুত করতে গিয়ে আগুনের তাপ ও সকল কষ্ট তো
সেই সহ্য করেছে। (সহীহ বুখারী,হাদীস ২৫৫৭; সহীহ মুসলিম,
হাদীস ১৬৬৩)
বাংলা ভাষা
বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে ইউনিসেফের বিরুদ্ধে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে ইউনিসেফের তৈরি একটি অনলাইন
পোস্টারকে ভাষাবিকৃতি হিসেবে দেখছেন ভাষাবিদরা। তারা
বলছেন, এ ধরনরে বিকৃতি ইউনিসেফ-এর কাছে আশা করা যায়
না। আর প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘ইনফরমাল’ যোগাযোগরে জন্য
এমনটা করা হয়েছে। এতে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই বলেও দাবি
করা হয়েছে।
ইউনিসেফের পোস্টার বাংলা ভাষার জন্য রক্তদানকারী
শহীদদের মর্যাদা দিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে, তখনই এই ভাষাকে বিকৃত
করার অভিযোগ উঠেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ)
বিরুদ্ধে।
‘প্রতিবন্ধীদের
সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতিবন্ধীতা বান্ধব দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
জাতীয় টাস্কফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ
বলেছেন, প্রতিবন্ধিদের সহযোগিতায় সকলকে আন্তরিকতা ও
মমতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের চলার ও বেঁচে থাকার পথ সুগম
করে দিতে হবে। একে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে সমাজের সকল
স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
২৬ ডিসেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতিবন্ধিতা বান্ধব দুর্যোগ
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের দ্বিতীয়
সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আগামী বছরের মে মাসে
প্রতিবন্ধীতা বান্ধব দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন
উদ্বোধন করতে পারেন।
সভায় জানান হয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ
১৯টি জেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য
সংগ্রহ ও ডাটাবেজ প্রণয়ন করেছে। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
তারিখ পর্যন্ত সারাদেশের ১৫ লাখ ৪১ হাজার ১৪৯ জন
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রশিক্ষণ কারিকুলামে অন্তর্ভূক্তিকরণ প্রসঙ্গে সভায়
জানান হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের ও
কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ মডিউলে প্রতিবন্ধিতা
বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
অধিদফতর ও ‘নারী কনসোর্টিয়াম’-এর যৌথ উদ্যোগে জেলা
পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কোর্সটির পাইলটিং করা হয়েছে। এ
প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য মাষ্টার ট্রেইনার পুল তৈরি করা
হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনিং কোর্সে প্রতিবন্ধিতা বিষয়
অন্তর্ভূক্তকরণে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একটি মুরগি দু’লাখ টাকা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কালোর দাম সবচে বেশি- ফর্সা আর কালোকে আলাদা করার চল
শেষ হয়নি। রবীন্দ্রনাথ কালো মেয়ের হরিণচোখ নিয়ে সুরেলা
প্রেমকাব্য বাঁধলেও কালো মেয়ের একাকী ভাবনা হয়তো রচিত
হয় নিজেকে খাটো করেই।ছেলেরা উদারতার ফাঁক গলিয়ে জীবন
বাঁধতে খুঁজে বেড়ায় দুধে আলতা গায়ের রং। কালো তো ভালো
বটেই।
কালো জুতো, কালো স্যুট এমনকি কালো শার্ট, ধনাঢ্যদের
কালো মার্সিডিজ বা জাগুয়ার প্রিয়র চেয়ে প্রিয়।কালো
মানুষের দেশে অবশ্য কালোর গভীরে সুন্দরের অন্য রহস্য
থাকে। আমাদের পোড়ামাটি আর পিত বর্ণের জনসমাজ না চেনে
কালো না চেনে ফর্সা।
তারা অন্তর দিয়ে রূপ ধরে না, রূপ ধরে আৎখা এক চোখ দিয়ে।যে
চোখে থাকে অস্থিরতার লাল চশমা। ওই চোখে থেকে যায়
ভুলভ্রান্তি, বিভ্রান্তি। যা হোক, কালো ফর্সা নিয়ে
হাসান আকলিমার পালাগান রচনা আমার উদ্দেশ্য নয়।পৃথিবীর
সবচেয়ে দামী মুরগির বর্ণ কুচকুচে কালো।
বিমানে কোনও
যাত্রীর মৃত্যু হলে কী করা হয়!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন।
এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে।
মাঝ-আকাশে মৃত্যু কারোরই কাক্সিক্ষত নয়। কিন্তু সেই
ঝুলন্ত প্রবাসে দৈবের বশে যদি কারো জীবতারা খসে পড়ে,
তার জন্য তাঁকে তো আর দোষ দেওয়া যাবে না! সেই
সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? কী
পদক্ষেপ করেন বিমান কর্মীরা? বেশ কিছু বিমানের নকশা
এমনভাবে করা হয়, যাতে একটা দেহ তার কোনও এক জায়গায়
শুইয়ে রাখা যায়।
যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করছে, ততক্ষণ এভাবেই
রেখে দেওয়া হয় মৃতদেহ। এই ব্যাপারটা সহযাত্রীদের কাছে
মোটেই সহনীয় নয়। তাই বেশ কিছু বিমান সংস্থা ভিন্ন
ব্যবস্থা নিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বেশ কিছু
বিমানে শবদেহ রাখার জন্য বিশেষ লকারের ব্যাবস্থা করা
হয়েছে। অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে
রাখা হয় মৃতদেহকে।
কিন্তু মাঝ-আকাশে বিমান কর্মীরা কী করেন কারোর আকস্মিক
মৃত্যুতে? কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমানে ফার্স্ট এইড
পরিষেবা থাকেই। প্রায় সব বিমান কর্মীই প্রাথমিক
চিকিৎসার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু তার পরেও যদি
অতিরিক্ত চিকিৎসা পরিষেবার দরকার পড়ে, তা হলে বিমানকে
নিকটতম বিমানবন্দরে অবতরণ করাতে হয়। একথা অবশ্য সকলেই
জানেন। কিন্তু যদি কেউ উড়ন্ত বিমানে মারা যান, তা হলে
তাঁর দেহকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য যাত্রীদের থেকে দূরে
রাখার ব্যবস্থা নেয় বেশিরভাগ বিমান সংস্থাই।
৬০ বছরের
বন্ধুত্বের পর জানা গেল তারা দুই ভাই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৭৪ বছর বয়সী ওয়ালটার ম্যাকফারলেন এবং ৭২ বছর বয়সী
অ্যালান রবিনসনের মধ্যে ৬০ বছরের বন্ধুত্ব। দুই জন
জন্মেছেন হনুলুলুতে। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল হনুলুলুর
একটি প্রাইমারি স্কুলে। স্কুলে একসঙ্গে ফুটবল খেলার
সূত্র ধরে দুই জনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। সেই
বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে আজো।
৬০ বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়ালটার আর রবিনসনের জীবনে অনেক
কিছুতেই বেশ মিল ছিল। দুই বন্ধুই এক মেয়েকে বিয়ে করতে
চেয়েছিলেন। এমনকি তারা যে স্কুলে পড়েছেন তাদের উভয়ের
সন্তানরাও পড়েছেন সেই একই স্কুলে। জীবনের অনেক ঘটনার
মধ্যে এই মিলকে কাকতালীয় হিসেবেই মনে করতে পারেন অনেকে।
কিন্তু ৬০ বছর পর তারা আবিষ্কার করলেন তারা আসলে একই
মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া দুই ভাই! তবে তাদের মধ্যে এই
সম্পর্কের রহস্যটা আবিষ্কার করেছেন ওয়ালটারের মেয়ে
চিন্ডি ম্যাকফারলেন ফ্লোরেস। বাবার পরিবারের তথ্য
আবিষ্কার করতে ডিএনএ ম্যাচিং ওয়েবসাইটের দ্বারস্থ
হয়েছিলেন চিন্ডি। রবিনসনও এক সময় জানতে পারেন তিনি আসলে
পালিত বাবা-মায়ের কাছে বড় হয়েছেন। এ কারণে নিজের
সত্যিকারের বাবা-মা কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের খোঁজ
করছিলেন। তিনিও ডিএনএ ম্যাচিং ঐ ওয়েবসাইটে যোগাযোগ
করেন। কাকতলীয়ভাবে রবিনসনের ডিএনএর সঙ্গে মিলে যায়
ওয়ালটারের ডিএনএ। বিষয়টি দুই বন্ধু জানার পর প্রথমে
বেশ অবাক হন। এরপর পুরনো ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন
সত্যি সত্যি তারা দুই ভাই।
সুচির পদত্যাগ করা
উচিত: বোনো
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইরিশ রক ব্যান্ড ‘ইউ-টু’র প্রধান গায়ক পল ডেভিড হিউসন
মনে করেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর
নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে দেশটির নেত্রী অং সান সু
চির পদত্যাগ করা উচিত। এই গায়ক বোনো নামেই বেশি পরিচিত।
সু চি গৃহবন্দী থাকার সময় গান গেয়ে তার পক্ষে জনসমর্থন
আদায়ে ভূমিকা রাখেন এই সংগীতশিল্পী। সু চির সমর্থনে
২০০০ সালে বোনোর ‘ওয়াক ওন’ গানটি সাড়া ফেলেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পাক্ষিক ম্যাগাজিন রোলিং স্টোনকে দেওয়া
এক সাক্ষাৎকারে সংগীতশিল্পী বোনো বলেন, ‘আমি রীতিমতো
অস্বস্তি বোধ করি। কারণ সবকিছু থেকে পরিষ্কার, রাখাইনে
রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন চলছে। সু চি তা জানেন। এ কারণে
তার পদত্যাগ করা উচিত।’
বোনোর সাক্ষাৎকারটি নেন রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের
প্রতিষ্ঠাতা জেন ওয়েননার। সু চির পদত্যাগের পক্ষে
যুক্তি হিসেবে বোনো বলেছেন, অং সান সু চির অন্তত এ
বিষয়ে (রোহিঙ্গা) আরও মুখ খোলা উচিত। কেউ তা না শুনলে
তখন তার উচিত হবে পদত্যাগ করা।
তবে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সু চির অবস্থানের কারণ হিসেবে
বোনো এমনও বলেন, সু চি হয়তো চাইছেন না মিয়ানমারে আবার
সামরিক শাসন জারি হোক। এ কারণেই তিনি নিশ্চুপ। শান্তিতে
নোবেলজয়ী সু চি মিয়ানমারে সামরিক জান্তার আমলে প্রায়
দুই দশক গৃহবন্দী ছিলেন। সে সময়ে বোনোসহ অনেক তারকার
সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
Top
শ্রমবাজারে
বেড়েছে নারী শ্রমিক ধরে রাখতে চাই অনুকূল পরিবেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শেষ শ্রমশক্তি জরিপ
অনুযায়ী শ্রমবাজরে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি বছর মে মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৬
লাখ নারী দেড় বছরে (২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬
সালের জুন পর্যন্ত) শ্রমবাজরে প্রবেশ করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী
শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে আবার
প্রশিক্ষিত শ্রমিকও কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে
বিজ্ঞজনরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন,
শ্রমিক অধিকার, প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন, শিল্পদক্ষতা
উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নির্ধারণ না করা গেলে নারী
শ্রমিকদের ধরে রাখা যাবে না।
এবারই প্রথম পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমশক্তি বেড়েছে। আর
শ্রমশক্তির বাইরে রয়ে গেছে দেশের ৩ কোটি ৪৫ লাখ নারী।
যা ২০১৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৬১ লাখ। দেখা গেছে, এক দশকের
ব্যবধানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেছে। আর কর্মজীবী
মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে ১২ দশমিক
১ ভাগ বেকার। তাদের মধ্যে নারীদের হার বেশি এবং তা ১৫
শতাংশ। শহর অঞ্চলে বেকারত্বের হার (৪.৪ শতাংশ) গ্রামের
তুলনায় (৪.১ শতাংশ) বেশি। দেশের কর্মক্ষম নারীদের ৬
দশমিক ৮ ভাগ বেকার, পুরুষদের মধ্যে ৩ শতাংশ বেকার।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ইন্ডাস্ট্রি স্কিল
ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অফিসার এএনএম তানজিল আহসান
ইত্তেফাককে বলেন, নারীরা শ্রমবাজরে প্রবেশ করলেও তাদের
দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ ছিল না। এখন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও
সরকারি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুসারে নারী শ্রমিক তৈরি
করতে পারছে।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার
টাকা করার দাবি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি
১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। সেই
সঙ্গে শ্রমিক পরিবারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য
সরবরাহ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে হয়রানি বন্ধ করা, রপ্তানি
প্রক্রিয়াকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) সব খাতের শ্রমিকদের
মজুরি বৈষম্য দূর করা, তিন বছর পর পর নিম্নতম মজুরি
বাস্তবায়নসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ ভবনে
বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের (বিএসএসএফ)
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা এ দাবি জানান। ফেডারেশনের
সভাপতি মোসাদেক হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান
অতিথি ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা
মোস্তফা কামাল। এ সময় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১৬ দফা দাবি
তুলে ধরা হয়। এ দাবিনামা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও
শ্রম মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
ফেডারেশনের দাবি অনুযায়ী, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জীবনধারণের সাথে
সঙ্গতিপূর্ণ হারে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার
টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে
রয়েছে দরিদ্র শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষার উদ্দেশ্যে শ্রম
সংশ্লিষ্ট মামলা সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে দ্রুত
নিষ্পত্তি করা, দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকদের
ক্ষতিপূরণ এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধে আইন প্রণয়ন করা,
মূল শহর থেকে দূরে গার্মেন্টস শিল্প পল্লী স্থাপন ও
সেখানে আবাসনের ব্যবস্থা রাখা, প্রাতিষ্ঠানিক
শ্রমিকদের ন্যায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ কৃষি,
নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী, মৎস্য ও তাঁতি ইত্যাদি
খাতের শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া; বন্ধ
শিল্প চালু করা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও)
শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন বাস্তবায়ন করা অন্যতম।
কাউন্সিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) চেয়ারম্যান
হাবিবুর রহমান সিরাজ, লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মো.
আবু জাফর, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন
আহমেদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা.
ওয়াজেদুল ইসলাম খান, মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ
সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ
সম্পাদক নাইমুল হাসান জুয়েল প্রমুখ।
৪ মাসে রোহিঙ্গা এসেছে ৬ লাখ ৫৫
হাজার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত চার মাসে ৬ লাখ
৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম রোববার এ তথ্য
জানিয়েছে। আগস্টে মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়।
২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ
করা শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত আছে। আইওএমের দেয়া তথ্য
অনুযায়ী, পুরনো-নতুন মিলিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এই
মুহূর্তে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
আইওএম জানায়, নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই
গাদাগাদি করে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে।
৯ ভাগ রোহিঙ্গা শরণার্থী স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বসবাস
করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল হতে
হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছিনতাইকারীর থাবায় মায়ের কোল থেকে পড়ে ৬ মাসের শিশুর
মৃত্যু ঘটনাটি মেনে নেয়া কষ্টকর। জানা গেছে, শাহ আলম ও
আকলিমা দম্পতি শরীয়তপুর থেকে বড় ছেলের চিকিৎসা করাতে
রাজধানীতে এসেছিলেন। তারা সদরঘাট থেকে রিকশায় শনির
আখড়ায় যাওয়ার পথে মর্মন্তুদ এ ঘটনা ঘটে। এক ছেলের
চিকিৎসা করাতে এসে আরেক ছেলের লাশ নিয়ে এ দম্পতি গ্রামে
ফিরে গেলেও তাদের দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে-
এদেশে ঘাতকের হাত থেকে ৬ মাস বয়সী একটি শিশুরও নিস্তার
নেই।
রাজধানীতে ছিনতাই ও ছিনতাইকারীদের হাতে মানুষের
মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। পুলিশ ও স্থানীয়
সূত্রগুলোর মতে, রাজধানীতে অন্তত ১৪১টি স্পট রয়েছে,
যেখানে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অভিযান জোরদার
করে চিহ্নিত এসব এলাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করা জরুরি। দেশে
একের পর এক ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা সংঘটিত হবে,
অথচ এর বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা
পালন করবে- এটি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এবার পরিবেশবান্ধব পানীয় দাহ!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটেনের একটি স্থানীয় পরিষদ মরদেহকে দাহ করার
পরিবর্তে তরল দ্রব্যে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, এটি পরিবেশবান্ধব। তবে অভিনব এই উদ্যোগে
বাদ সেধেছে একটি পানি সরবরাহ কোম্পানি। তারা বলছে,
মরদেহকে তরল করে তা ড্রেনে ফেলা যাবে না। খবর দ্য
ইন্ডিপেনডেন্টের। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের স্যান্ডওয়েল
মেট্রোপলিটন ব্যুরো কাউন্সিল প্রায় ৩ লাখ পাউন্ড খরচ
করে তাদের রাউলি রেজিস ক্রেমেটরিয়ামে মরদেহকে তরল করার
জন্য রেসোম্যাটর বসানোর অনুমতি দেয়। আলকেলিন
হাইড্রোলাইসিস নামের এই প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক, তাপ এবং
চাপ প্রয়োগ করে তিন ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে মরদেহকে
পানিতে পরিণত করা হয়। এতে দাহ করার চেয়ে জ্বালানি খরচও
বেশ কম হয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, এটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার
সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। তরলীকৃত অবশিষ্টাংশ
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফিল্টার বা পরিশোধন করে ড্রেনে
ফেলা হবে। তবে স্থানীয় সেভার্ন ট্রেন্ট ওয়াটার
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মরদেহের তরলীকৃত অংশ পানি সরবরাহ
ব্যবস্থায় ফেলে দেয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। পানি
সরবরাহকারীরা এখন পরিবেশগত বিষয়ে বিচার বিভাগের
নীতিমালার অপেক্ষা করছে। তবে অস্ট্রেলিয়া ও
যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা
ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কানাডীয় কোম্পানি অ্যাকোয়াগ্রিন
গত বছর জানিয়েছে যে, তারা দুই শতাধিক মরদেহের ‘পানীয়
দাহ’ সম্পন্ন করেছে। কোম্পানিটি বলছে, অন্টারিওর পানি
সরবরাহ ব্যবস্থায় মরদেহের তরলীকৃত অংশ ফেলে দেয়ার আগে
দু’বার ফিল্টার করা হয়। তাদের দাবি এই প্রক্রিয়া শতভাগ
সবুজ (পরিবেশসম্মত)। স্যান্ডওয়েলের রেসোমেশন
প্রক্রিয়ায় প্রথমে কোনো মরদেহের ওজন নির্ধারণ করে তাকে
রেসোমেটর চেম্বারে রাখা হয়।
যেভাবে পাওয়া যাবে
‘ডাক টাকা’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এখন বাড়ির পাশের ডাকঘরে
গিয়ে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে মাত্র ২ টাকায় অ্যাকাউন্ট
খুললেই মিলবে একটি ‘ডিজিটাল ওয়ালেট’ন, সহজ ভাবে বললে
একটি অদৃশ্য মানিব্যাগ। ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড
দিয়ে এই ওয়ালেটে টাকা ভরা যাবে। তখন ডিজিটাল ওয়ালেটের
এই টাকা হয়ে যাবে ‘ডাক টাকা’। নিজের মোবাইলের অদৃশ্য
মানিব্যাগ বা ডিজিটাল ওয়ালেটের এই ডাক টাকা যেকোনো সময়
ওঠানো যাবে-পাঠানো যাবে। পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও
মোবাইলের এই ডিজিটাল ওয়ালেটে ডাক টাকা থাকলে কেনাকাটা,
বিল দেয়ার কাজ করা যাবে অনায়াসে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘ডাক টাকা’ সেবার কারিগরি
সহযোগিতা ও পেমেন্ট সুইচ প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছে
ডি-মানি।
ডি-মানি’র ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির বলেন:
‘ডি-মানি সফটওয়্যার এবং পোস্ট অফিসের পোস্টাল ক্যাশ
কার্ডের সমন্বিত সেবা ‘ডাক টাকা’। দেশে প্রায় ৯ হাজার
পোস্ট অফিস আছে। ডাক টাকার সেবা পেতে প্রথমে বাড়ির
কাছের পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র
কিংবা আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এরপর নিজের মোবাইল নম্বর
দিয়ে ২ টাকা জমা দিয়ে একটি হিসাব খুলতে হবে। হিসাব
খুললেই ওই ব্যক্তির মোবাইলফোনে ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি হয়ে
যাবে। তারপরে ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড দিয়ে
মোবাইলের সেই হিসাবে টাকা রিচার্জ বা অ্যাকাউন্টে টাকা
জমা করতে হবে। এরপর প্রয়োজনে কেনাকাটা করে দাম মেটানোর
সময় এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) ব্যবহার করে বা
কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোডের ওপর মোবাইল ফোনটি ধরলেই
পেমেন্ট করা হয়ে যাবে।’
তবে স্মার্টফোন নেই এমন জনগোষ্ঠীর কথা ভেবেই এই সেবা
চালু হচ্ছে জানিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাবেক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বর্তমানে ডি-মানির ভাইস
চেয়ারম্যান জানান ডাক টাকার সেবা মিলবে সাধারণ ফিচার
ফোনে।
সোনিয়া বলেন:“আমরা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষদের
ডাক টাকার মাধ্যমে ব্যাংকিংখাতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।
এই বিপুল জনগোষ্ঠীর অনেকেই পড়তে জানে না, স্বাক্ষর করতে
জানে না। তাদের হাতে স্মার্টফোন নাই। তাই শুধু তাদের
হাতের সাধারণ ফোনটিকে ডাক টাকার ওয়ালেট করতে ফোন
নম্বরটি দিয়ে বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে দেবো এবং
মাত্র ২ টাকা জমা রেখে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে
ব্যাংকিংয়ের মতো সেবা দেবো।”
সাধারণ মানুষ ডাক টাকায় আগ্রহী হবে এমন আশা প্রকাশ করে
তিনি বলেন:‘মানুষজনকে এতো কম টাকায় সেবা দেবো যে তারা
আসবে। ভালো সেবা দিলে মানুষ আসবেই। আমরা দেখেছি
গ্রামের মানুষ পিন নাম্বার, সংখ্যাভিত্তিক কোড মনে
রাখতে পারে না। এদিক বিবেচনায় রেখেই আমরা ডি-মানি
সফটওয়্যার তৈরি করেছি। এতে গ্রামের একজন নারী গল্পের
মতো করে পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর লিখতে পারবেন। যেমন:
গ্রামের একজন মা তার ছেলেকে সকালে একটি ডিম, দু’টি কলা
খেতে দিয়েছিলেন। ডি-মানি ওয়ালেটের জন্য এখন তিনি চাইলে
পিন নম্বরের জায়গায় মনে রাখার সুবিধার্থে লিখতে পারবেন
একটি ডিম, দু’টি কলা। যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই তাদের
জন্যও এই সফটওয়্যারে বিশেষ সুবিধা রাখছি।’
এক মিলিয়ন ডলারের গাড়ি
এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের নতুন বিলাসবহুল গাড়ি বাজারজাত
করেছে নির্মাতা কোম্পানি ম্যাকলারেন। রোববার আল্টিমেট
সিরিজের নতুন মডেল ‘সেননা’ ওই গাড়িটি জনসম্মুখে
প্রদর্শন করে কোম্পানির কর্মকর্তারা । ম্যাকলারেন
কোম্পানি গাড়িটিকে তাদের বিরলতম এবং সবচেয়ে উন্নত
হিসেবে দাবি করেছে বলে জানায় সিএনএন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায় , ২০১৫ তে উৎপাদন বন্ধ হয়ে
যাওয়া ৯০৩ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন হাইব্রিড গাড়ি
ম্যাকলারেন পি-১ মডেলের পরিবর্তে এই নতুন ও সর্বাধুনিক
ম্যাকলারেন সেননা বাজারে ছাড়া হবে । এই গাড়ি চালক ও
গাড়ির মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে । সাবেক
ফর্মুলা ১ এর চালক অর্টন সেননার নামানুসারে এই গাড়ির
নামকরন করা হয় ।
অর্টন সেননা ম্যাকলারেন রেসিং দলের হয়ে ৮০ থেকে ৯০ দশকে
তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় । ১৯৯৪ সালে স্যান মেরিনো
রেসে এক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৭৮৯ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন
ম্যাকলারেন সেননা গাড়িটি খুব হালকা কার্বন ফাইবার দিয়ে
তৈরি । গাড়িটিতে টুইন-টার্বোচার্জড ভি৮ ইঞ্জিন
ব্যবহার করা হয়েছে।
দেখতে অতি আকর্ষণীয় এই গাড়ির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
হবে আগামী বছরের মার্চে হতে যাওয়া ৮৮ তম জেনেভা
আন্তর্জাতিক মোটর প্রদর্শনীতে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা
মর্তুজা হোসাইন-এর মৃত্যুতে BHRC’র গভীর শোক প্রকাশ !
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশিষ্ট সমাজসেবী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, ইফকো
কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা এএসএম
মর্তুজা হোসাইনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন-BHRC’র চেয়ারম্যান বিচারপতি আমীরুল কবীর চৌধুরী
এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গভীর শোক প্রকাশ
করেছেন। ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণের পর ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
সর্বশেষ নামাযে জানাযার পর চট্টগ্রামে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ’র বিশেষ প্রতিনিধি এবং
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু মরহুম
বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম মর্তুজা হোসেনের জামাতা। BHRC
মরহুমের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় শোকার্ত পরিবারের প্রতি
গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন
কারাগারে
চিকিৎসা সেবায় ধনী-গরিবের বৈষম্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে কারাবন্দীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে।
কারণ দেশের ৬৮ হাজার কারাবন্দীর জন্য চিকিৎসক রয়েছে
মাত্র ৬ জন। তবে ক্ষমতাবান কারাবন্দীরা চিকিৎসা
নিচ্ছেন কারাগারের বাইরে থেকে। এতে করে চিকিৎসা সেবা
থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ এবং গরিব কারাবন্দীরা।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ
দেশের ৬৮টি কারাগারে এখন বন্দীর সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার।
এর মধ্যে কেরানিগঞ্জ বাদে বাকি ৬৭টি কারাগারে হাসপাতাল
আছে একটি করে। তবে চিকিৎসক মাত্র ৬ জন। আর কেউ অসুস্থ
হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতে অ্যাম্বুলেন্স
রয়েছে মাত্র ৯টি। এ সুযোগে বাইরের হাসপাতালে দিনের পর
দিন চিকিৎসা নিচ্ছেন ভিআইপি কারাবন্দীরা।
অনেকের অভিযোগ, রোগী সেজে দীর্ঘদিন কারাগারের বাইরে
ছিলেন হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা,
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ
জোসেফ, ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদাসহ আরও অনেকে।
ভয়াবহ বায়ুদূষণ
জনসচেতনতা গড়ে তুলুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বায়ুদূষণ শুধু রাজধানীই নয়, সারা দেশের জন্য এক
অভিশাপের নাম। দুনিয়ার যেসব নগরী বায়ুদ্বারা ভয়াবহভাবে
দূষিত হয়ে পড়েছে তাতে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পর্যায়ে।
শুধু ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশই বায়ুদূষণের সাক্ষাৎ নরকে
পরিণত হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে
ফুটে উঠেছে এ-সম্পর্কিত ভয়ঙ্কর চিত্র। এতে বলা হয়েছে,
শুধু বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে ২৭ ভাগ মানুষ মারা
যাচ্ছে। দেশে পরিবেশদূষণের ক্ষেত্রে মহীরুহ হয়ে বিরাজ
করছে ইটভাটা। শিল্পায়ন ও যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ
দূষণের ক্ষেত্র আরও বাড়িয়েছে। নরওয়ের ইনস্টিটিউট ফর
এয়ার রিসার্চের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত
গবেষণা প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ,
রাস্তার ধুলামাটি ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস
পোড়ানো ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ৭ শতাংশ দায়ী বলে
চিহ্নিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা
হয়, নভেম্বর-মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের বাতাসে
বস্তুকণাজনিত দূষণ বেড়ে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ
হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে শীতকালে উন্নয়নকাজ শুরু হওয়ায়
ধুলাবালির প্রকোপও বাড়ে। বায়ুদূষণ রোধে সবচেয়ে বেশি
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আধুনিক ইটভাটা নির্মাণের ওপর। এ
ছাড়া ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ, যানজট কমিয়ে জ্বালানি
অপচয় হ্রাস, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং জোরদার করা,
নির্মাণসামগ্রী পরিবহন ও মজুদের সময় ঢেকে রাখা,
নির্মাণকাজের সময় পানি ছিটানো, রাস্তা খুঁড়ে মাটি
শুকানোর আগে পানি ছিটানো, রাস্তা পরিষ্কারে ভ্যাকুয়াম
ক্লিনার ব্যবহার, রাস্তার পাশে প্রচুর গাছ লাগানো এবং
যেখানে-সেখানে আবর্জনায় আগুন না লাগানোর ওপর গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে।
লেবার নিউকামার অব
দ্য ইয়ার টিউলিপ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক
‘লেবার নিউ কামার এমপি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন।
ওয়েস্ট মিনিস্টারে প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে
গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ তিনি ওই পুরস্কার পান।
হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাওয়ের হাত থেকে তিনি
ওই পুরস্কার নেন। এই খেতাব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায়
টিউলিপ সিদ্দিক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘লেবার নিউ কামার
অব দ্য ইয়ার সনদ পেয়ে আমি গর্বিত। ’ টিউলিপ সিদ্দিক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্র ও সুশীল সমাজে ভিন্ন
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করে থাকে দেশটির
সংস্থা প্যাচওয়ার্ক ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি প্রতিবছর
বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য রাজনীতিকদের পুরস্কৃত করে
থাকে। টিউলিপ ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজ অব লন্ডন
থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
লাভ করেন।
পথ খাবারের
মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পথখাবারের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি লইয়া সম্প্রতি গণমাধ্যমে
বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হইয়াছে। খাইতে মুখরোচক মনে
হইলেও মূলত এইসকল খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিতেছে
নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ও
পরিবেশিত হয় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণও এইসকল খাবারকে
জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসাবে চিহ্নিত
করিয়াছেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়াছে যে, এই ধরনের
খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, আলসার,
হূদরোগ ও হেপাটাইটিসসহ নানা ধরনের সংক্রামক ও জটিল রোগে
আক্রান্ত হইবার ঝুঁকি অত্যন্ত প্রবল।
রাজধানী ঢাকাসহ সর্বত্রই নগরজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ
এই পথখাবার। তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় স্বল্প আয়ের
মানুষই এইসকল খাবারের উপর বেশি নির্ভরশীল থাকেন। তবে
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ
সমাজের নানা স্তরের পেশাজীবী মানুষকেও নিয়মিত এই ধরনের
খাবার গ্রহণ করিতে হয়। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান হইতে
জানা যায়, দেশে প্রায় ১৩০ ধরনের পথখাবার রহিয়াছে,
যাহার অধিকাংশই জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
দেশের একমাত্র খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড
সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল)-এর সম্পতি প্রকাশিত
প্রতিবেদনেও এই সকল খাবারের উপাদানে কলিফর্ম,
মাইকোটক্সিন, সিসা, সালমোনেল্লা ও ই-কোলাই-এর মতো
বিষাক্ত জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়াছে বলিয়া সতর্ক করা
হইয়াছে। তবে শুধু রাস্তার পার্শ্বের খোলা খাবার শুধু
নহে, সারা দেশের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর জন্যও এই
সতর্কতা সমভাবে প্রযোজ্য। অতিশয় উদ্বেগের বিষয় হইল, এই
ধরনের অব্যাহত সতর্কতার পরও ভুক্তভোগী জনগণ কিংবা
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার বোধোদয় পরিলক্ষিত
হইতেছে না।
তবে ইহা ঠিক যে, রাজধানীর হোটেল রেস্তোরাঁগুলিতে মাঝে
মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদারকি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে রাস্তার পার্শ্বের কিংবা
ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলি একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন।
অনতিবিলম্বে তাহাদেরকে সিটি কর্পোরেশন বা নিরাপদ
খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কঠোর
তদারকির আওতায় আনা অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে। পাশাপাশি
ভোক্তাদেরও সচেতন হইতে হইবে। ইহার জন্য সরকারি উদ্যোগে
প্রচারণারও প্রয়োজন রহিয়াছে বৈকি। তাহা ছাড়া শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন এলাকায় পথখাবার বিক্রেতাদের
পরিচ্ছন্ন কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি
বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তবে শুধু সরকারের মুখাপেক্ষী
না হইয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই ব্যাপারে উদ্যোগী
হইতে হইবে।
ইয়েমেনে প্রতি দশ
মিনিটে মারা যাচ্ছে একটি শিশু!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়েমেনে অপুষ্টিজনিত কারণে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে
শিশু মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক
সংস্থা ইউনিসেফ।
সম্প্রতি সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক জানান, ইয়েমেনে এই
মুহূর্তে এক কোটি ১০ লাখ শিশুর জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা
প্রয়োজন। এছাড়া, ১৯ লাখ শিশুকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন
দেয়া দরকার বলেও জানান তিনি।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি জোট বিমানের বিমান হামলা শুরুর
পর চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
বিদায়ী বছরে
রেকর্ড সংখ্যক নারী ধর্ষণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদায়ী বছরে নারীদের অর্জন কম নয়। কিন্তু সেই অর্জন
অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে রেকর্ড সংখ্যক নারী ধর্ষণের
ঘটনায়। বাদ যায়নি শিশুদের উপর নির্যাতনও। বাংলাদেশ
মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালের জানুয়ারি
থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ৪ হাজার ৫৩৮ জন নারী
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণ, গণধর্ষণের
ঘটনা সব চেয়ে বেশি। রয়েছে হত্যা, আত্মহত্যা,
উত্যক্তকরণ, যৌতুকের কারণে নির্যাতন, শ্লীলতাহানির মত
ঘটনাও। যেগুলো বার বারই উঠে আসে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নারী নির্যাতনের বিষয়টি এখনো
রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখছে না। যে কারণে
চোখের সামনে নির্যাতনের ঘটনা দেখলেও সবাই তা মেনে
নিচ্ছে। দুর্বল আইনের শাসনও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
তাই এ ধরনের সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে, নির্যাতন বন্ধ
করা সম্ভব হবে না। তারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন
আর পেশিশক্তির প্রভাবের কারণে সমাজে নারীদের
উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি আর ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই
চলেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী গতবছর
থেকে এই বছর নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে ৫৮ শতাংশের
বেশি। চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নারী নির্যাতনের
সংখ্যা ৯ হাজার ১৯৬ টি। এর মধ্যে ৬৮ ভাগ ঘটনাই
নথিভুক্তই হয়নি। সব ধরনের নির্যাতনকে ছাপিয়ে গেছে
ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী নিষ্ঠুরতার ঘটনাগুলো। চলতি বছরে
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনা ১ হাজার ৭৩৭
টি। শুধু তাই নয় শিশু ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পরে হত্যার
ঘটনা এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। বছরের জানুয়ারি
থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৯৯ জন শিশুকে ধর্ষণ করা হয়, যাদের
মধ্যে ৫৮ শিশু হয়েছে গণধর্ষণের শিকার এবং এদের মধ্যে
৩৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু।
নারী নির্যাতনের ঘটনা বাদ দিলে ছিল অনেক আশা জাগানিয়া
খবরও। স্বপ্রণোদিত একঝঝাঁক কিশোরীর উদ্যোগে দেশব্যাপী
বাল্য বিয়ে ঠেকানোর ঘটনা বছরজুড়েই আলোচিত হয়েছে। আরো
ছিল তৃণমূল থেকে উঠে আসা দেশের নারী ফুটবলারদের জয় আর
দু’জন নারী পাইলটের যুদ্ধবিমান চালনা। দুই নারী পাইলট
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গিয়েও বাংলাদেশের মর্যাদা
বাড়িয়েছেন।
বিশ্বে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়
পৌনে ২ কোটি শিশু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বে এক বছরের কম বয়সী প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে
বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হয়। যা তাদের মস্তিষ্কের
বিকাশকে ঝুঁকিতে ফেলে। এসব শিশুর তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি
দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে। সমপ্রতি বায়ু দূষণ কীভাবে
শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়ে
এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে
বলা হয়, শিশুরা দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে তা
সুনির্দিষ্টভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু এবং জ্ঞানের বিকাশকে
ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে; যার বিরূপ প্রভাব বয়ে বেড়াতে
হয় জীবনভর। জীবনের প্রথম সংকটময় ১ হাজার দিনে
অপর্যাপ্ত পুষ্টি ও সহিংসতার মতো বায়ু দূষণও শিশুদের
মস্তিষ্কের প্রারম্ভিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে শৈশবের
বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে স্নায়ু প্রদাহ
সৃষ্টি করতে পারে। বায়ু দূষণের ক্ষেত্রেও শিশুরা
অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকে। কারণ তারা অনেক দ্রুত শ্বাস নেয়
এবং তাদের শারীরিক প্রতিরক্ষা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
সম্পূর্ণ বিকশিত হয় না।
ঘরে তামাকজাত পণ্য, রান্নার চুলা ও আগুন থেকে বের হওয়া
ক্ষতিকর ধোঁয়া থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য
বাবা-মাকে পরামর্শ দেওয়া হয়। তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপসহ
শিশুদের ক্রমবিকাশমান মস্তিষ্কের ওপর বায়ু দূষণের
ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে জরুরি পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদনে
তুলে ধরা হয়।
খুবি শিক্ষকের
বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জানের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা
যৌতুক দাবি ও মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন
তার স্ত্রী মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস। মঙ্গলবার খুলনা
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর সরকারি এম এম কলেজের দর্শন
বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন,
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের সহকারী
অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিক ও
আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উভয়
পক্ষের পরিবারের সদস্য, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও ডিনসহ
গণিত ডিসিপ্লিনের প্রায় সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পূর্বে পাত্রের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর হওয়ায়
আমার মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আপত্তি
জানায়। কিন্তু তার শিক্ষক এবং এই বিয়ের প্রস্তাবক ও
ঘটক খুবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত)
মো. শরীফ উদ্দিন আমার মা-বাবাকে রাজি করান।
এ অবস্থায় দু’মাস পর তার ছোট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার
গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে আমাকে নিয়ে যায়।
শ্বশুরালয়ে গিয়ে আমি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হই। আমার
মুদি দোকানি শ্বশুর অশিক্ষিত ও যৌতুকলোভী। এরপর আমার
স্বামী আমাকে গাজীপুর থেকে আমার পিতার বাড়ি যশোরে রেখে
খুলনায় যায়। তারপর শুরু হয় তার মুখোশ উন্মোচনের পালা।
অনেক অনুরোধের পর আমাকে খুলনায় নিয়ে আসে। কিন্তু তার
সবকিছুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। ইতোমধ্যে আমি
সন্তানসম্ভবা হই। এটা শোনার পর সে আমাকে বাবার অথবা
শ্বশুর বাড়িতে চলে যেতে বলে। আমি যেতে অস্বীকৃতি জানালে
আমার ওপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন চালায়। পরিস্থিতির
এরকম পর্যায়ে বাবা-মা এসে আমাকে নিয়ে যান। এরপর সে
আমার কোনো খোঁজ নিত না। সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে
ভর্তি হবার পর সে গেলেও বিল দিতে হয় আমার আত্মীয়দের।
পরে আমার পরীক্ষার জন্য খুলনা আসি। কিন্তু এসে প্রচণ্ড
নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ১০
লাখ টাকা দাবি করা হয়। অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ আমাকে
মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে তার স্বামী খুবির গণিত বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
যৌতুক দাবি করার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো
নির্যাতনও করিনি। বরং আমার ওপর নির্যাতন হয়েছে এ
ব্যাপারে আমি গত বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা থানায় সাধারণ
ডায়েরি করেছি। এছাড়া গত ২০ মার্চ তাকে আইনিভাবে তালাক
দিয়েছি।
নারী নিপীড়ন বন্ধে
দিল্লি পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে নারী পুলিশ
স্কোয়াড গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। এখন থেকে দিল্লি
শহরের অলিগলিতে মোটরসাইকেলে টহল দেবে এসব নারী পুলিশ।
নারীর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে
লড়াই করাই এই স্কোয়াডের লক্ষ্য। দিল্লিতে ২০১২ সালে ঘটে
যাওয়া ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর এ উদ্যোগ
নেয়া হল। এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে রাফতার বা গতি।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ উদ্যোগের আওতায় আগামী ডিসেম্বর
মাস থেকে প্রায় ৬০০ মোটরসাইকেলসহ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত
নারী পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে মোতায়েন করা হবে। এসব
কর্মকর্তার সঙ্গে থাকবে স্বাভাবিক অস্ত্র, বডি ক্যামেরা,
পেপার স্প্রে ও স্টান গান। শহরের জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে
জোড়ায় জোড়ায় টহল দেবে তারা। আশা করা হচ্ছে, নারী
স্কোয়াডের উপস্থিতি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধগুলো কমিয়ে
আনতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে দিল্লির ওই ভয়াবহ ধর্ষণের
ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব নারী সহিংসতা ও যৌন
হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন
তাদেরকে নিশ্চিন্ত করবে।
পাঁচ বছরে ২৩ হাজার নারীকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সর্বক্ষেত্রে নারীর বিস্ময়কর সাফল্য লক্ষ্যণীয় হলেও
সমাজে নারী নির্যাতন থামছে না। এ থেকে নারী কোনোভাবেই
যেন রেহাই পাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি
যৌন সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের জন্য মূলত
বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞজনেরা।
একইসঙ্গে তারা ইন্টারনেটের প্রভাব, নারীর প্রতি সমাজের
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক মূল্যবোধের অভাবকেও
সমানভাবে দায়ী করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে
পুরুষদের ভূমিকাই মুখ্য বলে জানিয়েছেন।
এবার বহুবিবাহের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ লোকসভায় তিন তালাক
বাতিলের বিল পাসের পর এবার বহুবিবাহ বাতিলের দাবিতে
সোচ্চার হয়েছেন দেশটির মুসলিম নারীরা। এ বিষয়ে আইনি
লড়াইয়ে যুক্ত নারীরা তিন তালাকের চেয়ে বহুবিবাহকে ‘আরও
জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। এজন্য তিন তালাকের পাশাপাশি
বহুবিবাহকেও বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছেন তারা। খবর
এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভোটাভুটিতে কোনো সংশোধনী ছাড়াই
পাস হয় তিন তালাক বিল। বিলটি এবার পাসের জন্য উচ্চকক্ষ
রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। এখানেও বিলটি সহজেই পাস হবে বলে
আশা করা হচ্ছে। তিন তালাক বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত
সরকারি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম নারী
সমাজকর্মীরা। কিন্তু এতে তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
তাদের বক্তব্য, মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে সংস্কার আনার
বিরাট সুযোগ নষ্ট করল কেন্দ্র। তিন তালাকের সঙ্গে বহু
বিবাহও নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল তাদের।
সমাজকর্মী রিজওয়ানা ও রাজিয়ার সঙ্গে তিন তালাক
নিষিদ্ধকরণের দাবিতে মামলা লড়েছিলেন আইনজীবী ফারাহ
ফয়েজ। তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীরা বিয়ের ক্ষেত্রে তখনই
পুরোপুরি স্বাধীন হবেন, যখন মাথার ওপর স্বামীর একাধিক
বিবাহের খাঁড়া ঝুলবে না।’ সমাজকর্মী রিজওয়ানা নিজেই
বহুবিবাহ প্রথার শিকার। তিনি বলেন, তিন তালাক বেআইনি
ঘোষণাকে সংস্কার প্রক্রিয়ার একটি অংশ হিসেবে দেখা উচিত,
সম্পূর্ণ সংস্কার নয়। নিকাহ হালালার মধ্যযুগীয় প্রথা
থেকে মুসলিম মেয়েদের উদ্ধার করার সময় এসেছে। তাদের
আশঙ্কা, তিন তালাক বেআইনি ঘোষণার পর মুসলিম সমাজে বহু
বিবাহ এবার কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে
বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন
কামাল। তিনি বলেছেন, ‘তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছিল। আজকে আমরা প্রায় ১৬ হাজার
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। সব ক্ষেত্রে সরকার এগিয়ে
চলছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে ভোলার লালমোহন
উপজেলার বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ
উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রতিদিন নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ১৯ বার
হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেশের অসহায় মানুষের
ভাগ্যবদলের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মহান আল্লাহ রক্ষা
করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (ভোলা-৩) নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের
সভাপতিত্বে সভায় লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন,
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আলী রেজা মিয়া, পৌর আওয়ামী
লীগের সভাপতি ফকরুল আলম হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা যা বলেন তা করে দেখিয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি
বলেছিলেন বাংলাদেশ পাল্টে দেবেন, তিনি গোটা দেশটাকে
বদলে দিয়েছেন। দেশের মানুষও আজ বুঝতে পেরেছে শেখ
হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পৃথিবীর সৎ ও
আদর্শবান ১৭৮ জন রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনা
তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। এর মাধ্যমে গোটা দেশের
ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, সরকার দারিদ্র্যসীমা কমিয়ে
২২ ভাগে নিয়ে এসেছে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে এটাকে ১২ ভাগে
আনা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে
শিক্ষিত করা হবে। আর ২০৪০ সালে শতভাগ মানুষ শিক্ষিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জঙ্গি দমনে জীবনের মায়া
ত্যাগ করে তারা কাজ করছে। তাই সাধারণ মানুষের পুলিশ
বাহিনীর প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে
লালমোহন নবনির্মিত আধুনিক থানা ভবনের উদ্বোধন করেন। এ
ছাড়া বিকেলে তজুমদ্দিন থানা ভবন উদ্বোধন করেন।
ময়মনসিংহে ৩ ভুয়া
ডিবি পুলিশ আটকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৩ ভুয়া
ডিবি পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ডিবি পুলিশের পোশাক, ৩টি
পিস্তল ও ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। আটক ৩ জন হচ্ছে,
সুমন (৪০), আক্কাছ (৪২) ও পলাশ (২৮)। শনিবার গাজীপুর
থেকে তাদের আটক করা হয়। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ
নুরুল ইসলাম রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের
মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য
জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানান হয়, গত ৩ ডিসেম্বর ভুয়া ডিবি
পুলিশের এই ৩ সদস্য ত্রিশাল উপজেলা সদর থেকে একজন
মত্স্য ব্যবসায়ীকে আটক করে তার কাছ থেকে ৯ লাখ ৮০
হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মহাসড়কে স্থাপিত সিসি
ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে পুলিশ এ দলটিকে গ্রেপ্তারে
সক্ষম হয়। আটক হওয়া দলটি পুরো দেশে ডিবি পুলিশের পরিচয়
দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও প্রতারণা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আরও ২ জন এই
চক্রের সাথে জড়িত। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো
হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলা হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
উচ্চশিক্ষিত মুসলিম কনেদের বিয়েতে
অভিনব উপহারের অঙ্গিকার করল মোদী সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন তালাকের মতো প্রথার অবসানের প্রচেষ্টার পাশাপাশি
এবার মুসলিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষায উৎসাহ যোগাতে অভিনব
উদ্যোগ নিল মোদী সরকার স্নাতক মুসলিম মহিলাদের বিয়েতে
সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে
কেন্দ্র উচ্চশিক্ষায মুসলিম মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতে
স্নাতক অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট মুসলিম মেয়েদের বিয়েতে এবার
৫১ হাজার রুপি দেবে মোদী সরকার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া
হয়েছে ‘শাদি শগুন’ এই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য জানিয়ে শীঘ্রই একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে কেন্দ্র
এই প্রকল্পের ফলে মুসলিম মেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষায়
আগ্রহী হবেন, তেমনি তাদের পরিবারও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও পড়া সম্পূর্ণ করার
জন্য মেয়েদের উৎসাহ দেবে। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের
অন্তর্ভুক্ত মৌলানা আজাদ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সরকারি
ওয়েবসাইটে ‘শাদি শগুন’ স্কিমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে
ধরবে ওই ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই যেসব মুসলিম
মেয়েরা গঅঋ স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা এই সরকারি উপহার
পাবেন এছাড়াও কেন্দ্র মাধ্যমিক স্তরের মুসলিম
ছাত্রীদের জন্যও ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান
দেওয়ার কথা ভাবছে একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
ছাত্রীদের জন্যেও ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়ার
পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের তিন তালাক সহ ঘৃণ্য কিছু
প্রথার কারণে মুসলিম সমাজে নারীরা চুড়ান্ত অবহেলিত
পরিসংখ্যান বলছে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
শ্রীমঙ্গলে আসামির পলায়ন, দুই পুলিশ
ক্লোজড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শ্রীমঙ্গল থানার হাজতখানা থেকে সেলিম মিয়া নামের এক
র্যাবের হাতে আটক হওয়া এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায়
পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় এক নারী সহকারী
উপ-পুলিশ পরিদর্শকসহ পুলিশের এক কনেস্টবলকে ক্লোজ করা
হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার
কার্যালয়ের নির্দেশে এ দুজনকে তাদের কর্তব্যরত দায়িত্ব
পালনকালে অবহেলার দায়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
ক্লোজ হওয়া এ দু’জন হলেন- শ্রীমঙ্গল থানার উপ-সহকারী
পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মনিকা সরকার ও কনস্টেবল ঝুমন
দেব। শহরতলীর শাহীবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. আরজু
মিয়ার ছেলে সেলিম হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ারকালে
এএসআই মনিকা সরকার ডিউটি অফিসার ও কনস্টেবল ঝুমন দেব
থানায় সেনট্রির দায়িত্বে ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা
যায়, গত রবিবার রাতে শহরের হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা
থেকে র্যাব সিপিসি-২ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা
অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে শাহীবাগ আবাসিক এলাকার
সেলিম (৩৮)কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।
পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঝাড়ুদার থানার
হাজতখানা পরিষ্কার করতে গেলে ওই আসামি তখন হাজত থেকে
বেরিয়ে থানার পেছনের দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
পিরোজপুরে হাজতির
মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্ট
পিরোজপুর কারাগারে থাকা এক হাজতির হাসপাতালে মৃত্যু
হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার ভোরে ওই হাজতি
পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মারা যাওয়া ওই হাজতির নাম জাকির হোসেন (৫৪)। তিনি
কাউখালী উপজেলার জিবগা সাতুরিয়া গ্রামের মৃত মোকলেস
তালুকদারের ছেলে। তিনি চিরাপাড়া পার সাতুরিয়া ইউপির
সাবেক সদস্য ছিলেন।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেন
কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের এনামুল হত্যা মামলার
আসামি। তিনি ২৯ অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন। বুধবার
ভোর সোয়া চারটার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে
পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার
কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার শামিম ইকবাল বলেন,
মৃতের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপর পরিবারের কাছে
হস্তান্তর করা হবে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ননী
গোপাল রায় বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেনের
মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকায় হাসপাতালে
স্ত্রী হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম মৃধা (৬০) নামে এক কয়েদীর
মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তার
লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আবু হানিফ।
মহাখালীতে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম মৃধা বরিশালের বাকেরগঞ্জ
উপজেলার আলফাকাটি গ্রামের সৃত আব্দুল লতিফ মৃধার ছেলে।
তার ভাতিজা কামরুজ্জামান মৃধা জানান, স্ত্রী মাকসুদা
বেগমকে হত্যার দায়ে প্রথমে আসাদুজ্জামান ওরফে জসিম
মৃধার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালত তার
যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
জসিম মৃধা ১৭ বছর যাবত বরিশাল কারাগারে সাজাভোগ
করছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে মহাখালী বক্ষব্যাধি
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে মারা
যান তিনি।
শ্রীপুরে শিশু
হত্যায় একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসির
আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা
জরিমানাও করা হয়।
এ ছাড়াও এ মামলার অপর দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে। তাদেরকেও পাঁচ হাজার জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন
মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার সকালে
গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক এ রায়
দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রিপন মিয়া (৩৩) শ্রীপুর
উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে। আর
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি
গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুরের
ঝিনাইগাতী থানার দিঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে
মো. মোজাফ্ফর (১৯)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের
কাঠগড়ায় ছিলেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি আরিছ উদ্দিন আহম্মদ বলেন,
মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ায় নাজনিন নামের সাত বছরের
শিশুটি শ্রীপুরের চকপাড়ায় নানা হাসমত আলীর বাড়িতে থাকত।
হাসমত আলীর সঙ্গে জমির বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ৩০
অক্টোবর তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মা মোসাম্মৎ আসমা
বেগম শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান ওই তিনজনের
বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তিনি আরো বলেন, এ মামলায় মোট আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে
আদালত এ রায় দিয়েছেন।
না’গঞ্জে
নারীর পেটে ইয়াবা, উদ্ধার করলো গোয়েন্দা পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারয়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুফিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক নারী
অভিনব কৌশলে পেটের ভিতরে করে ইয়াবা পাঁচার করার সময়
তাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি।
আটক সুফিয়া দেওভোগ পশ্চিম এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের
স্ত্রী ও মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ইয়াবা পাচার করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি
দল এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সুফিয়ার বাসায় ২৩
নভেম্বর রাতে অভিযান চালায়।
পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে প্রচুর পানি পান করিয়ে
পেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখা প্রতি প্যাকেটে ৫০ পিচ করে
থাকা ৫’শত পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাকে
গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত প্রেরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা উপ
পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, আটক সুফিয়া একজন
চিহ্নিত মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ী। এর আগে সে
ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লায় ধরা পড়ে। এরপর থেকে সে
ফেন্সিডিল বাদ দিয়ে ইয়াবা কাযক্রম শুরু করে।
পেটের ভিতরে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, টেকনাফ
থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সে এই অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে
আসছে। সুফিযার তথ্যমতে সে এ পদ্ধতিতে ২ হাজার ইয়াবা
বহন করতে পারে।
এসিড নিক্ষেপ
মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এসিড নিক্ষেপের দায়ে আয়তাল হক (৩৮)
নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের
বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক
শরনিম আকতার এই রায় দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি
আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার মূলাডুলি
গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা আকতার নাসরিনকে
(৩০) একই এলাকার আয়নাল হকের ছেলে আয়তাল হক প্রেমের
প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৯ সালের
২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাসিমার মুখে ও শরীরে এসিড
নিক্ষেপ করেন আয়তাল।
এ ঘটনায় নাসিমার মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি এসআই মোহাম্মদ আলী আদালতে
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮জন সাক্ষীর
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
পরিকল্পনা,
গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড জরুরী কেনো?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক প্রাকৃতিক উৎস থেকেই ফলিক এসিড পাওয়া যায়। ইদানিং
অনেক খাবারেই কৃত্রিম ভাবে ফলিক এসিড যোগ করা হচ্ছে,
যেমন- ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি।
এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফলিক এসিডের চাহিদা কিছুটা
হলেও পূরণ করে। কিন্তু গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা
করছেন এমন মায়েদের জন্য এগুলোকে ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে
বিবেচনা করা উচিত নয়।
এসব খাবার লেবেল অনুযায়ী আপনি হয়তোবা সঠিক পরিমাণ
গ্রহণ করছেন কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এতে
আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ফলিক এসিড যাচ্ছে। এছাড়াও এ
খাবারগুলো কেউ নিয়মিত গ্রহণও করেন না।
ফলিক এসিড কী?
ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (ঋড়ষধঃব)
নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক
বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি
অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের
রক্তস্বল্পতা রোধে (ধহবসরধ) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা
উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি
ডিএনএ এর গঠন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে
সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।
লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ
করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয স্ক উভযে রই প্রযে াজন।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন দরকার?
আপনি যদি গর্ভধারণ করেন বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন
সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক এসিড গ্রহণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড নিউরাল
টিউব ডিফেক্ট (ঘঞউ) যেমন- স্পাইনাল কর্ড (ঝঢ়রহধ ইরভরফধ)
ও ব্রেইনের (ধহবহপবঢ়যধষু) জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে
সাহায্য করে। নিউরাল টিউব হলে ভ্রূণের একটি অংশ যা থেকে
মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের গঠন হয়।
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট সাধারণত ভ্রূণের বিকাশের একেবারে
প্রথম দিকে শুরু হয় যখন অধিকাংশ মহিলায় বুঝতে পারেনা
যে তারা গর্ভবতী। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে
সাথেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।
সিডিসি (ঈবহঃবৎং ভড়ৎ উরংবধংব ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ চৎবাবহঃরড়হ)
এর মতে যে সব মহিলা গর্ভধারণে অন্তত একমাস আগে থেকে বা
গর্ভধারণের প্রথম ট্রাইমেস্টারে নিয়মিত ফলিক এসিড
গ্রহন করে তাদের গর্ভের শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট এর
ঝুঁকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যায়। আরও কিছু গবেষণায় দেখা
গেছে ফলিক এসিড গর্ভের শিশুর আরও কিছু জন্মগত ত্রুটি
প্রতিরোধ করে, যেমন- ঠোঁট কাটা (পষবভঃ ষরঢ়), তালু কাটা
(পষবভঃ ঢ়ধষধঃব) এবং আরও কিছু হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা।
এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রি-এক্লাম্পশিয়ার
ঝুঁকি কমায়। এছারাও গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা এবং বেড়ে
ওঠা শিশুর কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ফলিক
এসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করা যায়?
প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে ফলিক এসিড পাওয়া যায়
সেগুলোও বেশীরভাগ সময় পরিপূর্ণভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা
পূর্ণ করতে পারে না। আশ্চর্যজনক হলেও গবেষণায় দেখা গেছে
আমাদের শরীর বেশীরভাগ প্রাকৃতিক উৎসের চাইতে
সাপ্লিমেন্টে পাওয়া ফলিক এসিড আরও ভালোভাবে শোষণ করতে
পারে। তাছাড়াও আমরা যখন এসব খাবার সংরক্ষণ করি বা
রান্না করি তখন তাতে ফলিক এসিডের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আপনি যদিও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তবুও
হয়তো গর্ভাবস্থায় আপনাকে সাপ্লিমেন্ট নেয়ার পরামর্শ
দেয়া হতে পারে।
জেনে নিন ইসবগুলের
ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া
চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা
ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর
অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক
উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয়
খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য
খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি
পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে
বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী
হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের
ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম
গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান
করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও
কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া
যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন
সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব
কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে
মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ
কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর
ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল
খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক
স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে
রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর
বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে
আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২
চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন।
এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে
অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে
উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার
অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়।
এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি
পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে,
হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান
থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি
পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার
করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে।
কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য
লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
আপনি জানেন কি,
পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজকাল অনেকেই ফ্যাশন করে দাড়ি রাখেন। নিজের ইচ্ছামতো
স্টাইল করে ফ্যাশনেবল লুকে আসতে মুখের সাথে মানানসই
দাড়ি রাখা সব চাইতে ভালো আইডিয়া। কিন্তু আপনি জানেন
কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের সাথে যুক্ত নয় এটি
যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও যুক্ত। পুরুষের দাড়ি
রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। জানতে চান কী কারণে?
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো।
প্রেমিকের দাড়ি দেখে মেয়েদের রাগ করার দিন এবার সত্যি
ফুরালো!
ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে: যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে
বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম
ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার
ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত
থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে
অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।
শেভিং র্যাশ থেকে মুক্তি: অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ
হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের
সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র ্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি
রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা,
শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল
জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন
ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের
ক্ষেত্রে ডারম্যাটোলজিস্টগণ স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা
পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে: পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো
ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা
অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং
রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং অ্যালার্জি সংক্রান্ত
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বর্ণের ঝামেলা থেকে মুক্তি : পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে
থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও
বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যতœ
নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব
সহজেই।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে
মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে
ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা
অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা সংক্রান্ত ঝামেলা
থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
দাঁড়িয়ে পানি পান করছেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পানির আরেক নাম জীবন। আবার একথাও সত্য যে এই জীবনকে
গ্রহণ করার একটা নিয়ম রয়েছে। প্রয়োজনে তৃষ্ণা মেটায়।
আবার অপ্রয়োজনে অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে। নিয়ম না মানলে
এই জীবনের এই মূল উপাদানই মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েই থাকেন।
কিন্তু কখন তা পান করা উচিত? আর কোন অবস্থায় পান করা
উচিত? তা অনেকেই জানেন না। যেমন ধরুন তেষ্টা পেল আর
দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে পানি খেলেন, কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে
এভাবে পানি পান করে আপনি নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি
করছেন?
আমাদের শরীরে এমন অনেক ছাঁকনি রয়েছে যা পানির ক্ষতিকর
উপাদানগুলোকে শুষে নেয়। দাঁড়িয়ে থাকলে এই ছাঁকনিগুলো
সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে তা কাজ করতে পারে না। তাই
দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করলে পানির ক্ষতিকারক
উপাদানগুলো সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা তীব্র বেগে খাদ্যনালীর মধ্যে
দিয়ে বয়ে গিয়ে সোজা নিম্ন পাকস্থলীতে ধাক্কা মারে। এর
ফলে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে হজমের সমস্যা
তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যা বেশ বড় আকার নিতে পারে।
পানি কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তবে একথাও ঠিক যে
দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিডনির পক্ষেও ক্ষতিকর। প্রবল
বেগে যাওয়া পানির মধ্যে যে দূষিত পদার্থগুলো থাকে তা
কিডনি পরিশ্র“ত করতে পারে না। ফলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে
শরীরের ক্ষতি করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট
করে দেয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করলে অর্থ্রারাইটিসের
সমস্যা দেখা যায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভবিষ্যতে
নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে একাধিক নার্ভে
প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা
অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই
ভাল নয়।
আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশি পানি খাওয়া সম্ভব হয়
না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়।
সবসময় তো আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে
পানি অনেক কম খাওয়া হয়। তাই পানি পানের আগে কোথাও বসুন।
একটু সময় নিয়ে বেশি করে পানি পান করুন। শরীর সুস্থ
থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে।
পেট থেকে গ্যাস দূর
করার সহজ কয়েকটি উপায়
যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত
যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো
বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া
যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস,
বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী
খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে
করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা
দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা
হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও
গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত
সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের
কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে
আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে
যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক
জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর
বিকল্প নেই।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
বিয়ের জন্য ২৭০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বামী অত্যাচারী হতে পারে, পরনারী আসক্ত হতে পারে,
মাতাল হতে পারে। বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে
যেতে পারে। খুন-ধর্ষণ ইত্যাদির মামলায় স্বামীর সঙ্গে
তালাক হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে স্ত্রী বৈবাহিক
সম্পর্ক থেকে মুক্তির প্রত্যাশা করতে পারে। স্বামী
অসুস্থ হতে পারে, স্থায়ী যৌন অক্ষমতা থাকতে পারে।
অপঘাতে স্বামীর মৃত্যু হতে পারে।
বিয়ে ভেঙ্গে গেলে কিংবা স্বামী মরে গেলে যখন ইচ্ছে তখন
বিয়ে করা যাবে না, পাত্রী যত সুযোগ্যই হোক। স্বামীর
মৃত্যুজনিত কিংবা স্বামীর সঙ্গে তালাকজনিত বিচ্ছেদের
সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ তাতে কাজ
হবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে
না। ২৭০ দিন অপেক্ষার আইনটি কলম্বিয়ার। শত বছরের পুরনো
এই আইনটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে সেখানকার প্রগতিশীল
নারী সমাজ। এক পর্যায়ে পুরুষদের সমর্থনও মেলে। শেষ
পর্যন্ত পেগোটার সাংবাদিক আদালত ২৭০ দিন অপেক্ষার এই
আইনটি বাতিল করে দেন।
এখন সন্তানের পিতৃত্ব নিশ্চয়নের জন্য আর অপেক্ষার
প্রয়োজন নেই। গর্ভের সন্তান নিয়ে অবলীলায় বিয়ে করা যাবে।
পিতৃত্ব নিয়ে বেশি ঝামেলা হলে ডিএনএ টেস্ট তো আছেই।
অপহরণ যদি ভালবাসার কারণে হয়ঃ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই
অপহরণ একটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে
এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইতালির
দক্ষিণাঞ্চলে প্রাক বৈবাহিক সম্পর্ক খুব ভাল চোখে দেখা
হয় না। বরং মেয়েটিকে অপহরণ করে একরাত তার সঙ্গে কাটিয়ে
বিয়ের দাবিটা জোরদার করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক
সময় মেয়ের পরিবারও চায় মেয়েটির প্রেমিক তাকে অপহরণ
করুক। তারপর তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও যৌন সঙ্গমের অবিযোগ
এনে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে। সিসিলির উচচ আদালতে এ
ধরনের একটি মামলায় উভয়পক্ষের জন্য স্বস্তিকর একটি রুলিং
জারি হয়েছে। অপহরণকারী যদি প্রেমিকাকে অপহরণ করে কিংবা
অপহৃত মেয়েটিকে যদি সত্যি সত্যি ভালবাসে এবং নাবালিকা
হলেও মেয়েটি যদি তার ভালবাসায় সাড়া দেয় তাহলে অপরাধটি
ভালবাসায় তলিয়ে যাবে। অপহরণকারীর কোন শাস্তি হবে না।
এই রুলিং সমালোচিতও হয়েছে- তাহলে উচ্চ আদালত কি
অপহরণের উস্কানি দিচ্ছে?
পোশাক অপশনাল সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞাঃ প্রভিন্সটাউন
বোস্টনের একটি ছোট্ট সৈকত শহর। সৈকতে একচিলতে বিশেষভাবে
চিহ্নিত বালুকাবেরা। এখানে পোশাক পরা অপশনাল। ইচ্ছে
করলে পুলওভার ওভারকোট সবই চাপাতে পারেন। ইচ্ছে করলে
দিগম্বও থাকতে পারেন। অবশ্যই পোশাকের বাহাদুরি দেখানোর
জন্য কেউ সেখানে যায় না, যায় দেহ সৌন্দর্য দেখানোর
জন্য এবং আদিম আনন্দের জন্য। চিহ্নিত এই বালুকাবেলার
নাম ‘স্পেগেটি স্ট্রিপ’। এভিন্সটাউন স্বশাসিত শহর।
রেজিস্টার্ড বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাসন
বালূকাবেলা সৃষ্টি করেছে। এতে শহরের আয়ত্ব বেড়েছে। এই
সৈকতের জন্য মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। কিন্তু বাদ সেধেছেন
সুপিরিয়র কোর্ট জজ। তিনি রায় দিলেন নগ্ন সাঁতার এবং
শরীরের অসুন্দর প্রকাশ আইনের পরিপন্থী।
শহরের কর্মকর্তা বোঝাতে চেষ্টা করলেন নগ্নতা আসলে শরীর
সৌন্দর্যের প্রকাশ ও নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটা ব্যক্তিগত
অধিকার। সায় দিলেন না বিচারক। বন্ধ করে দিলেন পোশাক
অপশনাল সৈকত। প্রভিন্সটাউন মূলত একটি আর্টিস্ট কলোনি।
শহর কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে সুপিরিয়র জজের আদেশের
বিরুদ্ধে। তারা আশা করছে, আপিলের রায়ে রক্ষা হবে নগ্নতা
প্রকাশে কোন বাধা থাকা উচিত নয়।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রায় সব কৃষি কাজে পশু ব্যবহার
হয়। পশুপালন ও কৃষি কাজে পশুর ব্যবহার হাজার বছর ধরে
চলে আসা বাঙালি সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি হিন্দু
সমাজে বিশেষ করে গরুকে মাতৃরূপ দেবতা জ্ঞান করে। এর
কারণই হলো কৃষিকার্যে পশুর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা।
এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে গৃহপালিত পশু কৃষি কাজ,
মালামাল টানা এবং যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে এখনো এই দেশে
বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সভ্যতার এই যুগেও কিছু মানুষ তার
গৃহপালিত পশুকে ব্যবহার করে অমানবিক ব্যবহারকে
নিবারণের জন্য ১৯৮০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘পশুর প্রতি
নিষ্ঠুরতা নিবারণ’ আইন। এ আইনে পশুর প্রতি নিষ্ঠুর
ব্যবহার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখিত আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি-
ক) তার গৃহপালিত পশু দিয়ে অতিমাত্রায় গাড়ি টানা,
মারপিট বা অহেতুক কষ্ট বা ব্যথা দিতে পারবে না। খ)
পশুটিতে অহেতুক কষ্ট দিয়ে বাঁধা বা এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে চালান দিতে পারবে না। গ) ক্ষুধা-তৃষ্ণার দরুন
পশুটিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। ঘ) অহেতুক নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে
হত্যা করা যাবে না। ঙ) দুগ্ধবর্তী গাভী বা এ ধরনের
পশুর দোহনের জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার (কুফা বা
দুমদেব) করা যাবে না। চ) অসুস্থ, বার্ধক্য, জখম বা
ঘায়ের দরুন বা অন্য কোনো কারণে কাজে অযোগ্য হলে এ
ধরনের পশুকে খাটানো যাবে না।
উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ৫০
থেকে ২০০ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে
কারাদণ্ড বা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।
Top
|