           
 
|
Cover April 2018
English Part
April 2018
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন মার্চ ২০১৮
মোট
হত্যাকান্ডের সংখ্যা
১৮৫ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও
পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ইঐজঈ’র
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন-ওঐজঈ’র সহযোগিতায় প্রতিবেদন
সম্পন্ন করে। জরিপে মার্চ ২০১৮ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৮৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ ২০১৮ মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও
সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু
নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর
কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
১৮৫ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৬১ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৯ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ৭ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৪ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৯ জন, গুপ্ত হত্যা
১৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৯ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৬ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২৬৫ জন, আত্মহত্যা ৩২ জন।
মার্চ ২০১৮ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৫ জন, যৌন নির্যাতন ৭
জন, যৌতুক নির্যাতন ৫ জন এবং সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
নারীর অধিকার
নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে :
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি
ক্ষেত্রে নারীর উন্নয়ন, অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত
করার মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এক
যোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস
উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এই আহবান জানান।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সময় এখন নারীর :
উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রামশহরে কর্মজীবন ধারা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের
পবিত্র সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সকল
কর্মকান্ডে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার
বিগত ৯ বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে
অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা
বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ১৯২৯’ সময়োপযোগী
করে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ পাস করা হয়েছে।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০,
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১৩,
ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করেছি।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে
৬ মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং
মাদার ভাতা চালু করেছি। এ ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা,
তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা, অস্বচ্ছল
প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা উপজেলায় ৬০টি
ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল ও ন্যাশনাল হেল্পলাইন (১০৯) চালু
করা হয়েছে। ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর কার্যক্রম
সম্প্রসারণের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের
ফলে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা,
সশস্ত্রবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ
সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।
মানবাধিকার
কার্যক্রমের মূল বিষয় গুলো হচ্ছে মানবতার সেবায় নিজেকে
সম্পৃক্ত করা
-------------- ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ'র ঢাকা মহানগর
দক্ষিণের মানবাধিকার সম্মেলন ১৫ মার্চ ২০১৮ সন্ধ্যা
থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর
দক্ষিণের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমনের সভাপতিত্বে
মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য
রাখেন ইঐজঈ'র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদার। ইঐজঈ'র মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বলেছেন,
মানবাধিকার কার্যক্রমের মূল বিষয়গুলো হচ্ছে মানবতার
সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করা। ধর্মীয় আলোকে আপনি যদি
হিন্দু হন তা'হলে আপনার ধর্মগ্রন্থ হল গীতা, আপনি যদি
মুসলিম হন তা' হলে আপনার ধর্মগ্রন্থ হল আল কোরআন, আপনি
যদি খ্রিষ্টান হন তাহলে আপনার ধর্মগ্রন্থ হল বাইবেল এবং
আপনি যদি বৌদ্ধ হন তাহলে আপনার ধর্মগ্রন্থ হল ত্রিপিটক।
প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজেকে
মানবতার সেবায় নিয়োজিত করার কথা বার বার বলা হয়েছে।
মানুষকে সেবা করা, দুঃখী নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের
পাশে দাঁড়ানো মানুষের প্রতি সৃষ্টি কর্তাই দায়িত্ব
প্রদান করেছে। আমি যদি এই দায়িত্ব পালন না করি তবে শেষ
বিচারের দিন সৃষ্টিকর্তার সামনে আমাকে বিচারের
সম্মুখীন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, একজন ধনবান, শিক্ষিত
এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি রুপে সৃষ্টিকর্তা আমাকে তৈরী
করেছেন, আমি যদি আমার দায়িত্ব কর্তব্য পালন না করি
তা'হলে দুনিয়ার এই সংক্ষিপ্ত সময়ে সৃষ্টি কর্তা আমাকে
নিঃস করে নিয়ে যাবেন।
সম্মেলনে সন্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের গভর্নর সিকান্দর আলী জাহিদ,
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল,
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলাই কুমার সাহা,
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা শাখার নির্বাহী সভাপতি কহিনুর
ইসলাম রুমা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
আজমূল হক, মহানগর দক্ষিণ মহিলা শাখার সভাপতি
মিনান্নাহার লিপা, ইঐজঈ ইটালী শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও
এনারবি ব্যাকের পরিচালক জাহাংগীর ফরাজী, ইটালী শাখার
সহ-সভাপতি খলিল বন্দক সি, ঢাকা মহানগর উত্তর-এর
নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, সূপ্রীম কোর্ট
আইনজীবি শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বাদশা আলমগীর,
ইঐজঈ'র চার জন বিশেষ প্রতিনিধি যথাক্রমে- আলমগীর হোসেন,
হারুন অর রশিদ, মোস্তাক আহামেদ ভুইয়া, সিরাজুল ইসলাম
বিপ্লব, মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি শাহ আলম শান্ত,
মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া
মোল্লা প্রমূখ। মানবাধিকার সম্মেলনে ঢাকা মহানগর
দক্ষিণের ২৬টি থানা শাখার ছয়শতাধিক মানবাধিকার কর্মী
যোগদেন।
পিতৃত্ব ছুটি চালু
করেছে ইন্দোনেশিয়া
মানবাধিকার রিপোর্ট’
ইন্দোনেশিয়ার এক মাসের পিতৃত্ব ছুটি চালু করা হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত পুরুষ কর্মীরা সন্তান
জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য এক মাসের জন্য এ
ছুটি নিতে পারবেন। লিঙ্গ সমতাকে সমর্থনের উদ্দেশ্যে এ
উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
দেশটির ন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস এজেন্সি পিতৃত্ব ছুটির
বিষয় নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথম জোরালো উদ্যোগ নেয়। গত ১২
মার্চ ছুটির বিষয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত পিতৃত্ব ছুটি
করা হবে। যাতে পুরুষ সরকারি কর্মীরা সন্তান জন্মের
সময়টাতে স্ত্রীর পাশে থাকতে পারেন। তবে এ ছুটি নিতে হলে
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থার দলিল প্রদর্শন করতে
হবে।
BHRC
সিলেট মহানগর শাখার স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও সংবর্ধনা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার গভর্নর
ও সভাপতি মানবতাবাদি শরীফ আহমদ লস্কর বলেন,
স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতির
মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করছে। এ থেকে রক্ষা
পেতে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে
ধরতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তার কাঙ্খিত
স্থানে পৌছে দিতে মানবাধিকার কর্মীদেরকে দায়িত্ব নিয়ে
মানবাধিকার তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব
রক্ষায় নিজেদেরকে উজাড় করে দিতে হবে। এসময় তিনি
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যেসব জায়গায়
মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানান।
শনিবার (২৪ মার্চ) বিকাল ৫টায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ
আর.কে ধর হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট মহানগর
শাখার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত
কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট মহানগর শাখার নির্বাহী
সভাপতি মানবতাবাদী আব্দুল মন্নানের সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক মানবতাবাদী রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর
পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট বিভাগীয় গভর্নর
বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট মানবতাবাদী ড. আর কে ধর,
কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি মানবতাবাদী ফারুক আহমদ
শিমূল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন সিলেট মহানগর শাখার সহ সভাপতি গুলজার
আহমদ, সোহেল আহমদ চৌধুরী, শাহাব উদ্দিন, ফখরুল আলম,
বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান আতাই,
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি হাবিবুল্লাহ জাবেদ,
সহ সভাপতি ওমর ফারুক, সহ দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী, আইন
বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেট সদর উপজেলা শাখার
সভাপতি শিশির সরকার, যুগ্ম সম্পাদক সমিরুন তালুকদার,
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান সুমন,
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আদিল, সহ সভাপতি
বদরুল আলম, রুমেল আহমদ, বদরুল আলম, মুজিবুল হক, কবি ও
সাহিত্যিক পপি রাশেদ, মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক আব্দুস সামাদ তুহেল, রেহান উদ্দিন, সাজন আহমদ
সাজু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জুমেল আহমদ, কামরান
তালুকদার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সানি,
মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রিনা বেগম, সহ শিক্ষা বিষয়ক
সম্পাদক রুহুল আমিন কমল, প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া,
সহ প্রচার সম্পাদক জাহেদ আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি
এস.পি শেবু, কার্যনির্বাহী সদস্য নাজিব আহমদ অপু,
জুবের আহমদ, মো. জাবেদ খান, সুহিন মিয়া, নওশাদ আহমদ,
বাবুল আহমদ, আবুল মস্তাক, আব্দুল মুকিত।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির
ধর্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল ইসলাম।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনামূল হক, আমিরুল
ইসলাম, হুসেন আহমদ, সুমন উদ্দিন, মাসুক আহমদ, মাহবুব
হাসান, সুমন আহমেদ, ইয়াহিয়া আহমদ, মামুন হোসেন, বেলাল
উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, সায়মা বেগম, তাহের ইসলাম,
তাহমিদ হোসেন, ফাহাদুর রশিদ, রুহুল আহমদ রাব্বি, ওসমান
উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, শাবনাজ চৌধুরী, আব্দুশ শহীদ
সাদেক, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, হান্নান চৌধুরী, নুয়েল
আহমদ, রশীদ প্রমুখ।
BHRC’র
বরিশাল মহানগর শাখা আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, বরিশাল মহানগর ও রয়েল সিটি হাসপাতাল এর যৌথ
উদ্যোগে আর্ত মানবতার সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ শে মার্চ সকাল ১১টায় বরিশাল মহানগর
শাখার অস্থায়ী কার্যলয় সংলগ্ন বৈদ্যপাড়া সি এন্ড বি
রোডে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। মানবাধিকার
কমিশন বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি স.ম ইমানুল হাকিমের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন মহানগর শাখার কার্য নির্বাহী সভাপতি মোঃ রেজিন
উল কবির, নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আব্দুর
রউফ খান, ২০ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ এস এম জাকির হোসেন,
২২নং ওয়ার্ড কমিশনার শহীদ তালুকদার, রয়েল সিটি
হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কাজী আফরোজা, বি এম
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস। অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক
আলহাজ্ব মোঃ আবু মাসুম ফয়সল। সাংগঠনিক সম্পাদক এমঃ
আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে সার্বিক
সহযোগিতা করেন সিন. সহ সভাপতি শামিম হোসেন, যুগ্ন
সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান পারভেজ, সহ সভাপতি
আনিচুর রহমান, যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান,
সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন তুহিন, যুগ্ন
সম্পাদিকা শাহনাজ পারভিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কাইউম
হোসেন, সিভার আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, নাইম ঢালী, রিয়াজ
হাওলাদার, জন পিন্টু, শাকিল আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ,
নীরব হোসাইন, আসলাম তালুকদার। কোতয়ালী থানার সভাপতি
ইমরান শহীদ, সাধারন সম্পাদক তানভির আহমেদ,সহ সভাপতি
রফিকুল ইসলাম রাসেল, কাউনিয়া থানার সভাপতি আজমল হোসেন,
সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিমান বন্দর থানার
সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক
জহিরউদ্দিন বাবর, বন্দর থানার সভাপতি হাদিসুর রহমান
পান্না বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন, সিন. সহ
সভাপতি মামুন আর রশীদ বি এম কলেজ শাখার সভাপতি আতিকুর
রহমান, সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার কৌশিক সহ সংগঠনের
অন্যান্য নেতা কর্মী সহ স্থানীয়রা। এ সময় সকাল ১১টা
থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪শতাধিক জনকে ফ্রি
মেডিকেল ক্যাম্পিং সেবা দেয়া হয়। এ সময় সেবা প্রদান
করেন বিশিষ্ঠ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: জাহিদ হোসেন এবং রয়েল
সিটি হাসাপাতালের আর এম ও ডা: রাশেদ ইকবাল তানঈম।
সার্বিক পরিচালনা করে রয়েল সিটি হাসপাতালের সু দক্ষ
সেবিকা ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
সিরিয়ায় রাসায়নিক
হামলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ: অ্যান্তোনিও গুতেরেস
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগের বিষয়ে ২১ মার্চ ২০১৮
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি ‘এ ধরণের মারাত্মক অপরাধ’
মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন। খবর: এএফপি’র।
অর্গানাইজেশন ফর দি প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস’র (ওপিসিডব্লিউ)
প্রধানের সঙ্গে গুতেরেসের সাক্ষাতের পর এ আহ্বান জানানো
হলো। সংস্থাটি ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ায় ৭০টির বেশি
বিষাক্ত গ্যাস হামলার ঘটনা তদন্ত করেছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব
সিরিয়ান আরব রিপাবলিকানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।’ বিবৃতিতে
আরও বলা হয়, ‘এ ধরণের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার
অগ্রহণযোগ্য ও জঘন্য। এমন মারাত্মক অপরাধের সাথে যারা
জড়িত তারা ক্ষমার অযোগ্য।’
ওপিসিডব্লিউ প্রধান আহমাত উজুমকু বলেন, সিরিয়ার পূর্ব
গৌতায় সম্প্রতি কয়েক দফা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের
অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট উইন মিনত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন উইন
মিনত। আগের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর তাকে
এ পদে নির্বাচিত করা হলো। খবর বিবিসির। উইন মিনত ২০১২
সাল থেকে নিম্নকক্ষের স্পিকার ছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি
এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর ৬৬ বছরের এই নেতাকে
ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এর আগে স্বাস্থ্যগত কারণ
দেখিয়ে থিন কিউ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
জানা গেছে, মিয়ানমার পার্লামেন্ট থিনের উত্তরসূরি বেছে
নিতে এক সপ্তাহ সময় নেয়। এরপর তিনজন প্রার্থীর মধ্যে
সম্প্রতি একজনকে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে উইন মিনত
৬৩৬ ভোটের মধ্যে ৪০৩টি পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল
লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) দীর্ঘদিনের সদস্য উইন
মিনতকে সু চির অনুগত হিসেবে দেখা গেছে।
ভিসা ছাড়াই
৩৮টি দেশে যেতে পারেন বাংলাদেশের নাগরিকরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন ৩৮টি দেশে।
অর্থাৎ এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে কোন ধরণের ভিসা লাগবে
না, কেবল পাসপোর্ট থাকলেই চলবে।
বিশ্বের দুইশটি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন
সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘দ্যা
হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন
সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে
প্রতিবছরের মতো এ সূচক তৈরি করেছে তারা। এতে বিশ্বে
বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তবে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মূল্যায়নের এ সূচকটিতে
বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে। আগের ৯৫তম স্থান
থেকে নেমে গেছে ৯৭তম স্থানে। বাংলাদেশ ছাড়াও একই সূচকে
আছে লেবানন, ইরান, কসোভোর পাসপোর্ট।
সূচক তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপান ও
সিঙ্গাপুরের। দেশ দুটির পাসপোর্টেই যাওয়া যায় ১৮০টি
দেশে। আর সবচেয়ে দুর্বলতম পাসপোর্টের দেশ আফগানিস্তান।
দেশটির পাসপোর্টে যাওয়া যায় ২৪টি দেশে।
আফগানিস্তানের উপরেই আছে ইরাক। ভিসা ছাড়াই ২৭টি দেশে
যেতে পারেন ইরাকের মানুষ। আর শেষ থেকে চার নম্বরে আছে
পাকিস্তান। ভিসা ছাড়া ৩০টি দেশে যেতে পারে পাকিস্তানের
জনগণ।
বাংলাদেশিরা যেসব দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা পান:
এশিয়ার দেশ: ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল,
শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব তিমুর।
আফ্রিকার দেশ: গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো,
মাদাগাস্কার, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি,
গাম্বিয়া, মরিশিয়া, মোজাম্বিক, সিসিলি, সেন্ট হেলেনা,
টোগো এবং উগান্ডা।
ক্যারিবীয় অঞ্চল: জামাইকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস,
বাহামা, বার্বাডোজ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, সেন্ট
ভিনসেন্ট, ত্রিনিদাদ এবং ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড।
ওশেনিয়া অঞ্চল: কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া,
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিউই, সামাউ এবং ভানুয়াতু।
এছাড়া আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় যেতে ভিসামুক্ত সুবিধা
পায় বাংলাদেশিরা।
জেন্ডার
সমতার ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৮৫৭ সালের এই দিনে
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেলাই কারখানায় নারী শ্রমিকরা
ভোটাধিকারসহ তাদের মর্যাদার সঙ্গে সংশিষ্ট বেশকিছু
সুনির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করলে তারা পুলিশি
নির্যাতনের শিকার হন। এ দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে
পালনের প্রস্তাব করেছিলেন জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা
জেটকিন ১৯১০ সালে। ১৯১১ সালে প্রথম বেসরকারিভাবে
বিভিন্ন দেশে দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে
পালন করা হয়। এর দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ৮
মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণার পর থেকে
দিনটিকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো সরকারিভাবে নারী দিবস
হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশও জাতিসংঘের
সদস্যরাষ্ট্র হওয়ায় ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করে থাকে
এবং দিনটিতে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও তাদের
মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
নারী আন্দোলনের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নারী সমাজের যথেষ্ট
অগ্রগতি সাধিত হলেও জেন্ডার সমতার বিষয়টি এখনও পুরোপুরি
প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়,
পৃথিবীর সর্বত্র দৃশ্যমান। অথচ দেশ কিংবা সমাজের
উন্নয়ন নির্ভর করে জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক অবদান ও
অংশগ্রহণের ওপর। অর্থাৎ সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর (নারী)
অংশগ্রহণ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীর
অংশগ্রহণ বেড়েছে সত্য; কিন্তু তা কাক্সিক্ষত মাত্রার
অনেক নিচে অবস্থান করছে। শুধু তাই নয়, নারী নির্যাতন ও
বঞ্চনাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব হয়নি। দেশের
নারী সমাজ এখনও নানা ধরনের পারিবারিক, সামাজিক ও
রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-বঞ্চনার শিকার। শিল্পক্ষেত্রে নারী
শ্রমিকের বঞ্চনা আলোচিত ঘটনা। যৌতুক প্রথা, বাল্যবিবাহ,
ধর্মীয় কুসংস্কার, পারিবারিক জীবনে পুরুষতান্ত্রিক
মনোভাবের আধিপত্য, প্রথা, মান্ধাতার আমলের মনোকাঠামো
ইত্যাদি নারী অগ্রগতির পথে বড় বাধা। এসব অতিক্রম করার
নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে দেশে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে
নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু আবহমানকালের প্রথাগত
সামাজিক চিত্রটি একেবারে মুছে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।
নারীর সমমর্যাদা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধ শক্তিও
রয়েছে সমাজে। এ অপশক্তি নারীকে পর্দার অন্তরালে রেখে
তাকে পণ্য হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত। ধর্মপ্রাণ মানুষকে
বিভ্রান্ত করার সুযোগও রয়েছে তাদের। এ অপশক্তিকে
মোকাবেলা করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। দেশের প্রধানমন্ত্রী,
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, সংসদের বাইরে
বিরোধীদলীয় নেতা- সবাই নারী। নারী সমাজের উন্নয়নের
জন্য এর চেয়ে বড় ইতিবাচক শর্ত আর কী হতে পারে?
বাংলাদেশের সংবিধানসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
নীতিমালায় নারীর রাজনৈতিক-সামাজিক ক্ষমতায়ন ও
অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জাতীয় জীবনে
নারীর যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
সরকার জাতিসংঘ সিডও সনদসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক নীতি ও
সনদে স্বাক্ষর করেছে। এতকিছুর পরও কেন পিছিয়ে থাকবে
নারীরা? অনেক দেশে জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট
অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশেও এটা সম্ভব। প্রয়োজন
রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সেই সদিচ্ছা বাস্তবায়নে দৃঢ়
প্রত্যয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আধুনিক শিক্ষার প্রসার হতে
পারে কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
উন্নতমানের
চিকিৎসা সহজলভ্য হোক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিজ্ঞানপড়ুয়া স্কুলছাত্রদের যখন প্রশ্ন করা হয়- বড় হয়ে
সে কী হতে চায়, উত্তরে তাদের অনেকেই বলে থাকে- ডাক্তার
বা ইঞ্জিনিয়ার। এর একটি কারণ হল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার
সম্মানজনক পেশা। ছোটবেলায় ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ রচনা
লিখতে গিয়ে অনেকেই লিখেছেন, বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।
কারণ গ্রামে সুচিকিৎসার বড়ই অভাব। ডাক্তার হয়ে গ্রামে
গিয়ে তিনি সুচিকিৎসা দেবেন। কিছুদিন আগে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীও তার বক্তব্যে চিকিৎসকদের গ্রামে চিকিৎসা
দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটি সদুপদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর ওই সদুপদেশের দুটি অর্থ দাঁড়াতে পারে।
এক. দেশে অনেক ভালো চিকিৎসক আছেন, তবে তারা শহরে থাকতে
চান। দুই. গ্রামগুলোই শুধু ভালো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত,
শহরে সুচিকিৎসার অভাব নেই। কাজেই যে কেউ অন্তত
শহরাঞ্চলের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখতে
পারেন।
কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন কথাই বলে। সম্প্রতি
রাষ্ট্রপতি চোখের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন।
অধিকাংশ উচ্চবিত্তই বিদেশে পাড়ি জমান যে কোনো ধরনের
চিকিৎসার জন্য। এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক ও
বেদনাদায়ক। এতে বোঝা যায়, দেশে হয় ভালো চিকিৎসা নেই,
নয়তো দেশীয় চিকিৎসায় তাদের আস্থা নেই। রাজনৈতিক
নেতাদের যদি দেশের চিকিৎসায় আস্থা না থাকে, তাহলে ১৬
কোটি সাধারণ মানুষ আস্থা রাখবে কিভাবে? উচ্চবিত্তরা না
হয় বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষরা
যাবে কোথায়?
প্রতি বছর চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ রোগী বিভিন্ন দেশে
যান। চিকিৎসা বাবদ দেশ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বিদেশ চলে
যায়। জানা যায়, দেশব্যাপী তিন শতাধিক এরকম এজেন্ট রয়েছে,
যাদের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার রোগী
বিদেশে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে ভারতেই যাচ্ছে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ হাজার রোগী।
বাকিরা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও
মালয়েশিয়া যাচ্ছে বলে এজেন্ট প্রতিনিধিরা উল্লেখ
করেছেন। এ হিসাবে প্রতি বছর কমপক্ষে আড়াই লাখ লোক
বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান বলে এজেন্ট প্রতিনিধিদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এর ফলে দেশের অর্থের যেমন
অপচয় হচ্ছে, তেমনি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে
অবহেলিত।
মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে চিকিৎসা একটি।
মেডিকেল জার্নাল দ্য লেনসেটে প্রকাশিত গ্লোবাল বার্ডেন
অব ডিজিস শিরোনামের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়
চিকিৎসাসেবা গ্রহণ ও মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ তার
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংকা ও চীনের চেয়েও এগিয়ে।
ওই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান দেখানো হয়েছে ৫২, আর ভারতের অবস্থান ১৫৪। তবুও
চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারত কিংবা অন্য দেশে পাড়ি
জমায় মানুষ। ক্ষমতাবানরাই দেশে চিকিৎসার গুরুত্ব
অনুধাবনে ব্যর্থ, এটি দুঃখজনক। আশা করি, সরকার বিষয়টি
গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
দেশে উন্নতমানের চিকিৎসা সহজলভ্য করা হবে।
এমদাদুল হক সরকার : শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়
মানবাধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ভূমিকার
প্রশংসায় জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানবাধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা
করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক
অধিকার সম্পর্কিত কমিটি (সিইএসসিআর)। বাসস।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত
সিইএসসিআর-এর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার
সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের ৬৩তম অধিবেশনে কমিটি
বাংলাদেশের রিপোর্টের ওপর প্রথম পর্যালোচনায় এই অভিমত
তুলে ধরে। পর্যালোচনা অধিবেশনের প্রতিনিধি দলের
নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রতিনিধি দলে জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী
প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কৃষি
মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়,
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন
কমিশন, সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন
কর্মকর্তাসহ জেনেভায় স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা ছিলেন।
সিইএসসিআর-এর ১৮ সদস্যের একটি কমিটি দুই দিনের এই
পর্যালোচনা অধিবেশনটি পরিচালনা করেন। এতে কমিটির
সদস্যবৃন্দ প্রতিনিধি দলের কাছে বাংলাদেশ আইসিইএসসিআর
বাস্তবায়নে বর্তমান অবস্থা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে
চায়।
এ সময় শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক,
সামাজিক ও সাস্কৃতিক অধিকার বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দর্শনের কথা উল্লেখ করেন এবং
স্বপ্ন বাস্তবায়নে আইন প্রণয়ন ও নীতিমালার পাশাপাশি
বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
বর্তমান সরকারের বহুমুখী অধিকার তথা কর্মঅধিকার,
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা,
শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের অধিকার বাস্তবায়ন এবং বৈষম্য, সমতা,
পরিবার সুরক্ষা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কমিটি নারীর ক্ষমতায়ন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা,
বৈষম্যবিরোধী বিল-২০১৫-এর অবস্থা, কর ব্যবস্থা
শক্তিশালীকরণ, শ্রম অধিকার রক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা
বলয়, অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি থেকে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে
রূপান্তরে বাংলাদেশের পরিকল্পনা, জন্ম নিবন্ধন,
বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন বিষয় উত্থাপিত হয়।
পার্বত্য
অঞ্চলের উন্নয়নে ইউএসএইড সহায়তা অব্যাহত রাখবে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে ইউএসএইড
সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাট। রাঙ্গামাটি ও
বান্দরবান সফরের প্রথম দিনে ১২ মার্চ ২০১৮ দুপুরে
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্
শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষে ঘন্টব্যাপী রুদ্ধদার বৈঠকে
পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন মানোন্নয়নে
চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পার্বত্য পরিস্থিতি
নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিঙ্গা সংকটের মূলে নজর দিতে হবে :জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মূলে নজর দেওয়ার জন্য আবারো
আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে
মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ৬ মার্চ
২০১৮ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে
মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক তার এই কথা জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে
স্বেচ্ছায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করার
পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
এর আগে জাতিসংঘ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়,
মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের বিষয়ে একটি
প্রতিবেদন দেখে জাতিসংঘ মহাসচিব মর্মাহত হয়েছেন। তিনি
ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতির উন্নয়নে মিয়ানমারের সব নেতাদের সমন্বিত
অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
ফারহান হক বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাখাইন অ্যাডভাইজরি
কমিশনের (কফি আনান কমিশন রিপোর্ট) সুপারিশগুলো
বাস্তবায়নে এ ধরনের নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। প্রসঙ্গত,
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার মুখে গত বছরের আগস্ট
থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ এ সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধনের সাথে তুলনা
করেছে।
মিয়ানমারের প্রতি চাপ
অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের
পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক
গোষ্ঠী ও মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে
যুক্তরাজ্য। সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
থেরেসা মে এসব কথা বলেন বলে তুরস্কের বার্তা সংস্থা
আনাদলু এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে। সংসদীয় কমিটির
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মে
বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসা বাংলাদেশকে
অব্যাহতভাবে সমর্থন দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরের মধ্যে রাখতে কাজ করে
যাবে তার দেশ। প্রধানমন্ত্রী মে বলেন, মিয়ানমার সরকারকে
তাদের প্রতিটি নাগরিকের কথা শুনতে হবে। তাদের নাগরিক
অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
Top
নারী
উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন স্পিকার

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের
প্রতিনিধিদের প্রতি নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানসমূহে
সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। ১৬ মার্চ সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে জাতিসংঘের
জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ
ড. অশা বৃত্তা টোরকেলসন সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান
জানান। এ সময় তিনি সরকারি সহায়তায় জয়িতা প্রকল্পের
মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান ও সক্ষমতা অর্জনের ফলে
সারা দেশে এ প্রকল্প সাড়া জাগিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ
ছাড়া বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং
বাল্যবিবাহরোধে ইউএনএফপিএ-এর ভূমিকার প্রশংসা করে
ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ
করেন তিনি।
Top
পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন বন্ধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান কমেছে। মোটা দাগে এ
অভিযোগ আসছে অনেক দিন ধরে। এ জন্য কারণে-অকারণে সাধারণ
ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিন দেশে হয়রানির শিকার
হচ্ছেন। এয়ারপোর্ট থেকে ফিরতি বিমানে দেশে পাঠিয়ে
দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। ‘পাসপোর্ট কাণ্ড’ নিয়ে বিভিন্ন মহল
দালালচক্র ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্যকে দায়ী
করলেও পাসপোর্ট অধিদপ্তর উল্টো গ্রাহকদের কাঠগড়ায় দাঁড়
করিয়েছে। গ্রাহকরা তথ্য পরিবর্তন করায় বহির্বিশ্বে
বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে বলে মন্তব্য
করে সমপ্রতি এমআরপি পাসপোর্টে সব ধরনের তথ্য পরিবর্তন
বন্ধে আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে এও বলা হয়- তথ্য পরিবর্তন করে ভিন্ন তথ্য সংবলিত
পাসপোর্ট গ্রহণের ফলে বাহককে বিভিন্ন ইমিগ্রেশনে
প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে বহির্বিশ্বে
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আচমকা জারি করা এ আদেশের ফলে
সাধারণ লোকজন এবং বিদেশে বাংলাদেশিদের ভোগান্তি ও
হয়রানি আরো বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্র
দপ্তরের কনস্যুলার সংক্রান্ত বিষয়াবলি দেখভালের
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং দূতাবাসগুলোতে কনস্যুলারে
কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কর্মকর্তারা ঢালাও অভিযোগ করে
জারি করা এ দেশের মিশনগুলোর কাজে বাড়তি চাপ তৈরি করবে
বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, নানা কারণে এ
পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। এটি যারা দেখভাল করেন শুধু
তারাই বোঝেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জাতীয়
পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যে গরমিল এবং
শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মনগড়াভাবে একেক
পরীক্ষার জন্য একেক জন্ম তারিখ লিখে দেয়ার কারণেও
পাসপোর্টধারীদের অনেক সময় তথ্য পরিবর্তন এমনকি বয়স
সংশোধন জরুরি হয়ে পড়ে। অবশ্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছে, এটি পুরোপুরি বন্ধ করে
দেয়া হয়নি। তারা যৌক্তিক পরিবর্তনগুলো বিবেচনায় রাখছেন।
বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো তথা
দেশের সুমান বৃদ্ধির জন্যই এই অফিস আদেশ জারি করেছে।
বিষয়টি জনগণকে অবহিত করতে পাসপোর্ট অফিসগুলোর পক্ষ থেকে
সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। তবে ছোটখাটো ভুল সংশোধন অব্যাহত
রয়েছে।
মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও
পরিদর্শন) মো. সাইদুর রহমান গত ৭ই মার্চ ওই আদেশ জারি
করেন। পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ, স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব এবং পুলিশের
অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক (বিশেষ শাখা)কে অবহিত করে বিদেশে
বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলোতে
কার্যার্থে পাঠানো অধিদপ্তরের ওই আদেশে বলা হয়েছে-
সামপ্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে
উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আবেদনকারী পাসপোর্টে তাদের অনুকূলে
ইস্যুকৃত এমআরপি সমর্পন করে নিজের নাম বা পিতা কিংবা
মাতার নাম অথবা প্রাক পরিচয় সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে
এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে বয়স পরিবর্তন (সংশোধন) করে
পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করছেন। এভাবে যত্রতত্র
তথ্য পরিবর্তন করে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করায় মেশিন
রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)-এর গ্রহণযোগ্যতা বহির্বিশ্বে
নিদারুণভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তথ্য পরিবর্তন
সংবলিত যে সব আবেদনপত্র পাসপোর্ট অফিসগুলো গ্রহণ করেছে
তার বিষয়ে অধিদপ্তরের নির্দেশনা সংক্রান্ত আদেশে বলা
হয়েছে- সেই সব আবেদনকারীকে কলনোটিশ প্রদান করে আগের
তথ্যানুযায়ী পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো
অবস্থাতেই অপারেটরের ভুল কিংবা বানান ভুল ব্যতীত রি-ইস্যুতে
কোনো রূপ তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না। আগামী দিনে এ
সংক্রান্ত নতুন আবেদন গ্রহণ না করার বিষয়েও নির্দেশনা
দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
উলফা নেতা রাজখোয়া, ধরা পড়া জঙ্গি ও মিয়ানমার থেকে আসা
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে।
সাতটি দেশে
মার্কিন সেনারা সবচেয়ে বেশি তৎপর
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত অক্টোবর মাসে আফ্রিকার দেশ নিজের-এ ওঁত পেতে থাকা
হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের চার জন সৈন্য নিহত হয়। মার্কিন
জনগণ এই খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে
থাকে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট এই দেশটিতে মার্কিন সৈন্যরা
ঠিক কী করছিল?
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা ১৮০টি দেশে
২০০,০০০ জন সামরিক কর্মচারী নিযুক্ত করেছে বলে জানা
যাচ্ছে। কিন্তু মাত্র সাতটি দেশে মার্কিন বাহিনী
প্রত্যক্ষভাবে সামরিক অভিযানের সাথে জড়িত রয়েছে বলে
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা সম্প্রতি খবর দিয়েছে। কোন সাতটি
দেশে তারা তৎপর?
১. আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা ১৩,৩২৯ জন।
২০১১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং
ওয়াশিংটন ডিসির ওপর হামলার পর তালেবানের সাথে লড়াই
করার জন্য এদের পাঠানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিস থেকে
কংগ্রেসের জন্য তৈরি করা এক রিপোর্টে বলা হয়েছে,
মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকার প্রয়োজন এই
কারণে যে সেই দেশকে নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে সন্ত্রাসীরা
যেন আবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে না পারে।
আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্তানে আল-কায়েদা, তথাকথিত
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, তালেবান এবং তার বিভিন্ন
উপগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
২. ইরাক
ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার সামরিক সাফল্যের পাশাপাশি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে তার মূল লক্ষ্যে পরিবর্তন
আনছে। লড়াই থেকে সরে এসে তারা তাদের সাফল্যকে ধরে
রাখার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসে মার্কিন সরকারের রিপোর্ট
অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র আইএস-এর উপগোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা
অব্যাহত রাখবে।
এর কারণ হচ্ছে প্রাণঘাতী হামলার চালানোর ক্ষমতা এই
দলগুলোর রয়েছে। এরা ইরাকের বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা
এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে বড় হুমকি।
ইরাকে লড়াইয়ের পাশাপাশি মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকি
বাহিনী, কুর্দি পেশমার্গা বাহিনীকেও অস্ত্র ও
প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
৩. সিরিয়া
যুক্তরাষ্ট্র তার অনুগত সামরিক জোটকে নিয়ে ২০১৭ সালে
ইরাকে অভিযান চালিয়ে আইএস-এর কবল থেকে ৪৫ লক্ষ লোককে
মুক্ত করে। এর পর থেকে আইএস ইরাক এবং সিরিয়ায় তার দখলে
থাকা ৯৮% ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায়।
সিরিয়ায় এখন ১৫০০ মার্কিন সৈন্য তৎপর রয়েছে। এরা
সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স, এসডিএফ-কে নানা ধরনের
সাহায্য সহযোগিতা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, এসব সাহায্যের মধ্যে রয়েছে
বোমা বর্ষণ করা, স্থানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা
এবং অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
৪. ইয়েমেন
মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে কিছু
বোমা বর্ষণ করছে। আল কায়েদা ইন দ্যা অ্যারাব পেনিনসুলা
বা অ্যাকাপের বিরুদ্ধে তারা কিছু লড়াই চালিয়েছে।
মার্কিন সরকার স্বীকার করেছে যে ইয়েমেনের সাবেক
প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর বিরুদ্ধে সৌদি
নেতৃত্বাধীন জোটকে তারা সীমিত পর্যায়ে সামরিক সমর্থন
দিয়েছে।
এই সাহায্যের মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করা এবং
জোটের বাহিনীগুলিকে সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করা। তবে
যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে না।
৫. সোমালিয়া
সোমালিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা প্রায়
৩০০ জন। ঐ দেশে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামিক স্টেট এবং
আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীগুলির সন্ত্রাসবাদী হুমকি’
মোকাবেলা করা। এই দেশেই ১৯৯৩ সালে মার্কিন সৈন্যরা এক
চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস সে সময় যুদ্ধবাজ নেতা মোহামেদ
ফারাহ্ আইদিদের একজন ডান হাতকে পাকড়াও করার চেষ্টা
করছিল। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। অভিযানে ১৮ জন
মার্কিন সৈন্য নিহত, ৭০ জন আহত এবং দুটি ব্ল্যাকহক
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। বর্তমানে মার্কিন সামরিক
কর্মকর্তারা সোমালিয়ায় সন্ত্রাস-বিরোধী তৎপরতায়
পরামর্শ দিচ্ছে।
৬. লিবিয়া
ওপর বোমা বর্ষণ করা হয়। সরকারিভাবে লিবিয়ায় মার্কিন
সৈন্যের সংখ্যা সীমিত। কিন্তু সৈন্য সংখ্যা কম থাকার
মানে যে লিবিয়ার ভেতরে তাদের তৎপরতা কম, তা কিন্তু নয়।
কংগ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বাহিনী লিবিয়ার
মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকা ইসলামিক স্টেট-এর অনুসারী
গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে বিমান হামলা চালায়।
তারা সেখানে ড্রোন ব্যবহারও করে থাকে।
৭. নিজের
নিজেরে ৫০০ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা মোতায়েন রয়েছে।
কিন্তু তাদের কথা ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত
বিশ্ববাসীর অজানা ছিল। ঐ সময়ে ইসলামিক স্টেটের অনুগত
এক বাহিনী মার্কিন সৈন্যদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা
চালায়। এতে চার জন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়।
সে সময় এই ঘটনা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। নিজেরে
নিহত এক সৈন্যের স্ত্রী দাবি করেন, ঐ ঘটনার পর তিনি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে এক বিতর্কিত শোকবার্তা
পেয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল: সে (সৈন্য) জানতো, সে কিসের
মধ্যে ঢুকছে।
ঐ ঘটনার দু’মাস পরে নাইজেরিয়ান সৈন্যদের সাথে টহল
দেয়ার সময় মার্কিন সৈন্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো
হয়।
মানব সম্পদের
উন্নয়ন ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না্ধে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারী নির্যাতনের যে হাজার হাজার মামলা তার মধ্যে মাত্র
শতকরা তিন ভাগের শাস্তির বিধান হয়েছে। বিশেষ করে তদন্ত,
সাক্ষী এগুলোর যে ঘাটতি এবং পুলিশ বা প্রশাসনের যে
গাফিলতি, এর কারণে অনেক অপরাধী অপরাধ করেও পার পেয়ে
যায়। আর হচ্ছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, সেটা র্যাব
বা পুলিশ কর্মকর্তারা অস্বীকার করছে। কিন্তু বাস্তবে
বন্ধুকযুদ্ধ বা ক্রস ফায়ার যে গুলোই বলুক, এগুলো
পরিকল্পিত ভাবে একটা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড।
ফলে শুধু মাত্র অস্বীকার করলেই অপরাধ মোচন হয় না। এটা
আইনানুগ শাসনের বিচ্যুতি অথবা এক ধরণের স্বেচ্চাচারী
শাসন ব্যবস্থা যদি চলে, তাহলে তার ফলাফল হিসেবে এ
ধরণের জিনিস গুলো আবির্ভূত হয়। এজন্য আমরা বলছি, সঠিক
তদন্তের ব্যাপারে যে গাফিলতি আছে এবং টাকা পয়সা লেনদেনে
যে মামলাগুলো তার বেশির ভাগই দরিদ্র মানুষ এর শিকার হয়।
তারা একবার না, বার বার অত্যাচারিত হয়। কিন্তু তারা
সঠিক বিচার পায় না। বরং তারা এ মামলা মোকদ্দমায়
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং হয়রানির শিকার হয়।
পরবর্তীকালে আরো বেশি ক্ষতির সম্মূখিন হয়। অথচ যারা
অপরাধ করে, সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার
করে, তারা ক্ষমতার জোড়ে এবং টাকার জোড়ে পার পেয়ে যায়।
সব কিছু যে অরাজক পরিস্থিতি, এ ধরণের আইনের শাসন যদি
বার বার লঙ্ঘিত হতে থাকে, নির্যাতনের মাত্রা যদি বাড়তে
থাকে তাহলে মানবতা, মূল্যবোধ ধ্বংস হতে থাকবে।
এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং
সভ্যতা পরিপন্থি। আসলে মানব সম্পদের উন্নয়ন ছাড়া কোন
উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না।
জাতীয়
পরিচয়পত্র সংশোধন
বিয়ের পর
স্বামীর পদবি যুক্ত করতে পারবেন না নারীরা
সাইদুর রহমান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোন নারী বিয়ের পরে তার স্বামীর নামের অংশ বা স্বামীর
বংশ পদবী জাতীয় পরিচয়পত্রে যুক্ত করতে চাইলে পরিচয়পত্রে
তা উল্লেখ থাকবে না। এক্ষেত্রে এসএসসি’র সনদের নাম
ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাধ্যমিকের শিক্ষা সনদ
অনুযায়ী যে নাম, সেটাই জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকবে। তবে
যাদের সার্টিফিকেট নেই বা বিশেষ প্রয়োজনে নামের সঙ্গে
স্বামীর বংশ যুক্ত করতে চান, জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের
নাম সংশোধনে কমিশনের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ নির্বাচন কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়। মিতা সরকার নামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর নামের
সঙ্গে স্বামীর গোত্রীয় পদবী যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা
করে এসব সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত সব ধর্মের
নারীর জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের
পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন, যাদের
শিক্ষা সনদ আছে, তাঁদের নাম সনদ অনুযায়ী হবে। সনদ ছাড়া
সংশোধন হবে না। কারণ এটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সনদে
পদবী মিলে না। আর যাদের শিক্ষা সনদ নেই তাদের অন্যান্য
দলিল এবং আবেদনের ‘মেরিট’ দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কোনো আবেদন জরুরি এবং জটিল হলে সিদ্ধান্তের জন্য
কমিশনের সভায় তুলতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দু নারীদের অনেকের বিয়ে নিবন্ধন হয় না।
যে কারণে নাম যাচাই করার ক্ষেত্রে জটিলতা হয়। তিনি
বলেন, শুধু হিন্দু নারী নয় সব ধর্মের নারীদের ক্ষেত্রে
এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। আর যারা ধর্মান্তরিত হয়ে
নাম পরিবর্তন করতে চাইবেন তাঁদের আগে শিক্ষা সনদে নাম
পরিবর্তন করতে হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্র জানায়, মিতা
সরকার নামের একজন নারী তাঁর নামের পদবি পরিবর্তনের
আবেদন করেন ইসিতে। তাঁর স্বামীর নাম রাজীব সিংহ রায়।
মিতা নামের সঙ্গে স্বামীর গোত্র পদবি সিংহ রায় নিতে
নাম পরিবর্তন করে মিতা সিংহ রায় করতে চান। জাতীয়
পরিচয়পত্রে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মিতা সরকার স্নাতক পাশ।
এই অবস্থায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক
মতামত দেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরা বিয়ের পর
স্বামীর পদবি ধারণ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীদের
নামের সংশোধনী চেয়ে প্রচুর আবেদন আসে। তাঁরা তাদের
সন্তানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে বা জন্ম নিবন্ধনে বাবা
মায়ের নাম পদবীসহ উল্লেখ করেন। এমন পরিস্থিতিতে মায়ের
শিক্ষাসনদে বাবার/স্বামীর পদবী না থাকা সত্ত্বেও স্বামী
বা বাবার পদবি দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা হবে
কি না, এ বিষয়ে একটি সার্বজনীন সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
শিক্ষা সনদে স্বামীর পদবী না থাকায় যদি জাতীয়
পরিচয়পত্র সংশোধন না হয় তাহলে সন্তানদের শিক্ষা সনদ
অনেক সময় অকার্যকর হয়ে যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়েও
সমস্যা তৈরি হয়। আবার শিক্ষা সনদ থাকলে নাম বা
অন্যান্য ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদের সঙ্গে মিল না করে
সংশোধন হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
মূল নাম অপরিবর্তিত রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহিত
নারীদের ক্ষেত্রে নামের শেষাংশে শুধু পিতার গোত্রের
পরিবর্তে স্বামীর গোত্র প্রতিস্থাপন করে জাতীয়
পরিচয়পত্র সংশোধন করা যায় কি না, এ বিষয়ে ইসির
সিদ্ধান্ত চাওয়া হয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে।
কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এসএসসি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
থাকলে কেবল এনআইডি সনদ অনুযায়ী সংশোধন করা যাবে। তাছাড়া
যাদের সনদ নেই, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র নিয়ে
দরখাস্ত করলে বিবেচনা করবে কমিশন। এরপ্রেক্ষিতে ইসি
সার্টিফিকেট অনুযায়ি মিতার নাম সংশোধনের নির্দেশনা দেয়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন,
হিন্দু ধর্মাবলাম্বী নারীর বিয়ের পর সাধারনত: তার
নামের সঙ্গে স্বামীর গোত্র পদবী যুক্ত করে থাকেন। অনেক
ক্ষেত্রে মুসলিম নারীরাও নামের সঙ্গে স্বামীর বংশপদবী
যুক্ত করতে চান। এসব দিক বিবেচনায় রেখে কমিশনে বিষয়টি
উত্থাপন করা হয়। কমিশন সার্টিফিকেট অনুযায়ি নাম
সংশোধনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে
কমিশনের অনুমোদন নিয়ে নাম সংশোধন করা যাবে।।
বিশ্ব
শ্রমবাজার হুমকিতে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নানান উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে নতুন শ্রমবাজার
খুলছে না বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা,
রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত
দেশগুলোর দুয়ার এখনো বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বন্ধ।
চলতি বছরে বিদেশগামী ১০ লাখ কর্মীর ৯০ শতাংশেরই
গন্তব্য পুরনো বাজার মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও
সিঙ্গাপুরে। তবে এর মধ্যে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম,
আমিরাতের ভিসা বন্ধ, কুয়েতের নতুন নিষেধাজ্ঞা, লিবিয়ার
অস্থিরতা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে দীর্ঘায়িত করেছে। শুধু
মালয়েশিয়ায় সরকারি পর্যায়ে জিটুটি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী
প্রেরণই এখন আশার আলো ছড়াচ্ছে। কিন্তু এই আশার আলোতে
ঝামেলা তৈরি করছে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে
ঢাকায় নতুন একটি কার্যালয় খুলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট (আইসিএস) দেওয়ার নতুন পদ্ধতি। জানা গেছে,
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার, বিশ্বের অন্যতম
বিত্তশালী ও সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিজস্ব তেলনির্ভরতা কমাতে এবং
দেশের অর্থনীতির ক্রমোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের
এপ্রিলে দেশটির মন্ত্রিসভায় ‘ভিশন-২০৩০’ নামে এক
মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এতে বলা হয়েছে তেলনির্ভর
অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা, প্রযুক্তি খাতে তরুণ
নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর
ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের
কথা। এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও সৌদি
নাগরিকদের কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশটিতে মোবাইল ফোন সেট,
বোরকার দোকান, রেন্ট-এ-কার, অ্যাকাউন্টিং, নারীদের তৈরি
পোশাকের দোকান, চশমা, ঘড়ি, বাড়ি বা গৃহনির্মাণসামগ্রী,
গাড়ির যন্ত্রাংশ, গাড়ির শোরুম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও
বিদ্যুৎ-চালিত সামগ্রী, হাসপাতালে ব্যবহূত সরঞ্জাম,
চকলেট বা মিষ্টান্নের দোকান, রেডিমেড কাপড়ের দোকান,
ক্রোকারিজ-সামগ্রী, কার্পেট, ফার্নিচার বা ডেকোরেশন,
শপিং মল, গার্লস স্কুল, ভারী যানবাহন, ক্রেন চালনা
ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা
জারি করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়। এর বাইরে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদগুলোয় সৌদি নাগরিক নিয়োগ দেওয়ার
বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়; যার ফলে অ্যাকাউন্ট্যান্ট,
সেক্রেটারি, সেল্সম্যান, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, সেল্স
ম্যানেজার, সেল্স সুপারভাইজার, ফাইন্যান্স ম্যানেজার,
চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অফিস
ম্যানেজার, সেল্স অ্যাসিস্ট্যান্স, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
ম্যানেজার, অফিস বয়, ড্রাইভার, রিসিপশনিস্ট, ওয়ারহাউস
ম্যানেজার, ফোর্কলিফট অপারেটর, লজিস্টিক সুপারভাইজার
পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীরাও চাকরি হারাচ্ছেন। সৌদি
সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে দেশটিতে প্রবাসীদের
শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চরম
দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে ২৬ শ্রমিককে
দেশে ফেরত পাঠানোর পর সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা বেশ
আতঙ্কিত। জানা গেছে, নির্মাণ ও জাহাজশিল্পে বাংলাদেশি
শ্রমিকের বিপরীতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক
নিচ্ছে সিঙ্গাপুর।
জনশক্তি রপ্তানির এই জটিল অবস্থায় ভরসা শুধু মালয়েশিয়া,
দুই সরকারের চুক্তির ধারাবাহিকতা। সেখানেও নানামুখী
প্রতিবন্ধকতা লেগেই রয়েছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের
সংগঠন বায়রার মহাসচিব রূহুল আমিন স্বপন গতকাল বাংলাদেশ
প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া থেকে ২ লাখের
বেশি ডিমান্ড লেটার এসেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজারের
বেশি শ্রমিক চলেও গেছে।
দেশে
অপুষ্টিতে ভুগছে আড়াই কোটি মানুষ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘নারী ও কন্যাশিশুদের খাদ্য পরিস্থিতি এবং খাদ্য
অধিকার’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশে
খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে এবং দরিদ্র
মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তাসহ
সরকারের বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরপরও
বাংলাদেশে এখন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে।
গত দশ বছরে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ৭
লাখ বেড়েছে। যে কারণে নারীর পুষ্টিহীনতার হার হ্রাস
আশাব্যঞ্জক নয়। সামাজিকভাবে নারীর প্রতি অধস্তন
দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও নারী ও কন্যা শিশুরা চাহিদা এবং
প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টি পায় না। ২৭ মার্চ
ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ক্রিশ্চিয়ান-এইডের সহায়তায়
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট
মো. কামরুল ইসলাম। ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’-এর
ভাইস-চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের সভাপতিত্বে
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার এবং সম্মানীয় অতিথি ছিলেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল
করীম এনডিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট-এর ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ-এর
পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, একশন এইড
বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবীর এবং ক্রিশ্চিয়ান
এইড বাংলাদেশ-এর দেশীয় পরিচালক সাকেব নবী।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-
সচিবালয়ের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা। সেমিনারটি সঞ্চালনা
করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ
ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের
জন্য ৮ দফা সুপারিশমালা
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের
মর্যাদা
প্রদানের জন্য
BHRC'র আহ্বান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ মনে করে ১৯৭১ সালের
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী
বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ দেশের অহংকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের
রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি
স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব
রক্ষায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে সম্মুখ যুদ্ধের বিনিময়ে
জাতিকে মহান স্বাধীনতা উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমান সরকার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে সম্মানী
ভাতা চালু করেছে। মহান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে
বর্তমানে যে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ বেঁচে রয়েছেন, তাদের
জীবদ্ধশায় ভালভাবে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে মৃত্যু পূর্ব
পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের মর্যাদা এবং
তাদের দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা বীরমুক্তিযোদ্ধাগণকে
প্রদান করা সরকার তথা জাতির কর্তব্য।
স্বাধীনতা স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে স্বীকৃত বর্তমান সরকার।
নিুে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যে সকল সুবিধাদি প্রদান করা
যেতে পারে, তা পেশ করা হলঃ
১। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন
তাদের সম্মানী ভাতা ২০,০০০ টাকায় উন্নীতকরণ।
২। জীবিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারী ফ্ল্যাট বা
কোয়ার্টার বরাদ্দ বাধ্যতামূলককরণ।
৩। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাপ্তাহিক অথবা পাক্ষিক
স্বল্পমূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালুকরণ আবশ্যক।
৪। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সরকরের বর্তমান নীতিমালা
পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন তথা চাকুরি, ব্যবসা-বাণিজ্য,
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে
বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা, বিমান,
লঞ্চ-স্টিমার, ট্রেন এবং বাস সহ সকল যানবাহনে
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে যাতায়াত সুবিধা,
বীরমুক্তিযোদের জন্য সকল ক্যাটাগরীর আবাসিক হোটেল,
মোটেল বিনামূল্যে নির্ধারণ এবং বিভিন্ন অডিটোরিয়াম
ব্যবহারের ক্ষেত্রে অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণসহ
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানদের ক্ষেত্রে অর্ধেক
যাতায়াত ভাড়া নির্ধারণকরণ আবশ্যক।
৫। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ
গ্রহণ করে সর্বস্বান্ত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমুদয় ঋণের
অর্থ মওকুফ আবশ্যক।
৬। বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ সরকারের নিকট ব্যক্তিগত
নিরাপত্তার জন্য সহায়তা চাইলে সেক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক
বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষ ব্যক্তির মর্যাদা প্রদান করে
বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান
আবশ্যক।
৭। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উপর মিথ্যা সকল ফৌজদারি মামলা
পর্যালোচনা করে নিষ্পত্তি তথা প্রত্যাহার আবশ্যক।
৮। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর বর্তমানে সরকার
পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে গার্ড অব অনার
প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন
করে। এক্ষেত্রে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা
বৃদ্ধিপূর্বক মৃত্যুর পর একজন পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে
গার্ড অব অনার প্রদানের বিধান চালু করা আবশ্যক।
ইঐজঈ মনে করে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে
উপরোল্লিখিত সুবিধাদি প্রদান করলে সরকার তথা জাতি
দেশের এই বীর সন্তানদের কাছে ঋণমুক্ত হবে। উল্লেখ করা
যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দেড় লক্ষ
মুক্তিযোদ্ধা সরকারের সুবিধাদি গ্রহণ করছে এবং এদের
মধ্যে প্রায় অর্ধেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছে।
উক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তাবিত সুবিধার আওতায় আনা
আবশ্যক। এক্ষেত্রে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টির উপর
বিশেষ গুরুত্বআরোপ করা জরুরী।
বিধ্বস্ত বিমানের
‘ব্ল্যাকবক্স’ কী ?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয় ারলাইন্সের
ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নেপালি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইট ২১১কে রানওয়ের দক্ষিণ
দিক থেকে অবতরণ করতে বলা হলেও পাইলট উত্তর দিক থেকে
অবতরণ করে।
তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নেপালি কর্তৃপক্ষের দাবি
অস্বীকার করে বলেছে, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে ভুল
নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
তবে এই জটিলতা খুব তাড়াতাড়িই খুলে যাবে। কেননা বিমানের
‘ব্ল্যাকবক্স’ উদ্ধার করা গেছে। আর এর মাধ্যমেই জানা
যাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আসল কারণ।
ব্ল্যাকবক্সটি কী
ব্ল্যাকবক্স নামে ডাকা হলেও এর রং আসলে কালো নয়। এর রং
অনেকটা কমলা ধরনের। এর আসল নাম হল- ফ্লাইট রেকর্ডার।
যেটি বিমান চলাচলের সর্বশেষ সব তথ্য রেকর্ড করে রাখে।
এটি এমন একটি যন্ত্র, যাতে ককপিটের যাবতীয় কথাবার্তা
এবং বিমানের কারিগরি তথ্য রেকর্ড করা হয়ে ।
এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা কিন্তু এটিকে
ব্ল্যাকবক্স নামে ডাকেন না। তারা বলেন- ফ্লাইট
রেকর্ডার। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি
বাক্স, যা পানি, আগুন, চাপ বা যে কোনো তাপমাত্রায়ে টিকে
থাকে। এটি দুটি অংশের সমন্বয়ে আসলে একটি ভয়েস রেকর্ডার।
বিমান চলাচলের সময় সব ধরনের তথ্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে।
এর মধ্যে দুই ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হল-
ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা এফডিআর। যেটি বিমানের ওড়া,
ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা
তাপের পরিবর্তন, সময , শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয নিজের
সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) নামে আরেকটি অংশে
ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা,
পাইলটদের সঙ্গে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিটের
সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমানবন্দরের
সঙ্গে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড হতে থাকে। ফলে কোনো
বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে এই ব্ল্যাকবক্সটি খুঁজে বের করাই
হয়ে পড়ে উদ্ধারকারীদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এটি পাওয়া
গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয়।
বাক্সটির রং উজ্জ্বল কমলা হওয়ায় সেটি খুঁজে পাওয়া সহজ
হয়। সমুদ্রের তলদেশেও ৩০ দিন পর্যন্ত ব্ল্যাকবক্স
অক্ষত থাকতে পারে।
ব্ল্যাকবক্সের আবিষ্কার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ
প্রথম নেয়া হয়। তবে সত্যিকারের ব্ল্যাকবক্সের কাজ শুরু
হয় ১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে।
অস্ট্রেলীয় সরকারের এয়ারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে
কেমিস্ট ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন। ১৯৬২ সালের
২৩ মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে
পরীক্ষামূলকভাবে এটির ব্যবহার করা হয়।
কীভাবে টিকে থাকে ব্ল্যাকবক্স
এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি
লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, প্রচণ্ড
উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও সেটি
টিকে থাকতে পারে।
স্টেইনলেস স্টিল বা টাইটানিয়ামের খোলস দিয়ে বক্সের
আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেক পরীক্ষায় পাস করার
পরেই ব্ল্যাকবক্সকে বিমানে সংযোজন করা হয়।
ব্ল্যাকবক্স কীভাবে তথ্য পায়
আধুনিক ব্ল্যাকবক্সগুলোয় ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমানের
ফ্লাইট ডাটা ধারণ করে রাখতে পারে। এর ভেতরে অনেক মেমোরি
চিপ পাশাপাশি সাজানো থাকে। এখানে তথ্য সরবরাহ করার
জন্য বিমানের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সেন্সর লাগানো থাকে।
এসব সেন্সর অনবরত বিমানের গতি, তাপমাত্রা, সময়,
ভেতর-বাইরের চাপ, উচ্চতা ইত্যাদি বিমানের সামনের দিকে
থাকা ফ্লাইট ডাটা অ্যাকুইজিশন ইউনিট নামে একটি অংশে
পাঠাতে থাকে। সেখান থেকে সেসব তথ্য চলে যায
ব্ল্যাকবক্সের রেকর্ডারে।
পাইলট, কো-পাইলট, ক্রুদের বসার কাছাকাছি জায়গায় অনেক
মাইক্রোফোন বসানো থাকে। তাদের সব কথাবার্তা, নড়াচড়া বা
সুইচ চাপা ইত্যাদি এসব মাইক্রোফোনে রেকর্ড হতে থাকে।
সেগুলো অ্যাসোসিয়েটেড কন্ট্রোল ইউনিট নামে একটি ডিভাইসে
পাঠায়। এর পর সেসব তথ্য ব্ল্যাকবক্সে গিয়ে জমা হয়।
ব্ল্যাকবক্সে কত তথ্য থাকে
আসলে বিমান চলাচলের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত
ব্ল্যাকবক্স তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। মূলত শেষের দিকে
তথ্য এটিতে জমা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর আগের
তথ্য মুছে যেতে থাকে আর নতুন তথ্য জমা হয়। ফলে
দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বশেষ তথ্য এটিতে পাওয়া যায়।
কীভাবে তথ্য উদ্ধার করা হয়
ব্ল্যাকবক্সটি পাওয়ার পরেই বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী,
বিমান সংস্থা, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি দল
তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে তারা
ব্ল্যাকবক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজটি শুরু করেন।
বক্সের অবস্থার ওপর নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি তথ্য পাওয়া
যাবে। সেটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় মাসের পর
মাসও তথ্য উদ্ধারে সময় লেগে যায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের
খেয়াল রাখতে হয়, যাতে তথ্য উদ্ধার করতে গিয়ে কিছু মুছে
না যায় বা মেমরি চিপগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ব্ল্যাকবক্সের শক্তি
একেকটি ব্ল্যাকবক্সের পাওয়ার বা শক্তির জোগান দেয় দুটি
জেনারেটরের যে কোনো একটি। এসব সোর্স থেকে এই বক্সটি
অব্যাহতভাবে শক্তির সরবরাহ পেয়ে থাকে।
শোক সংবাদ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন হাজারীবাগ থানার সিনিয়র সহ-
সভাপতি মানবতাবাদী মোশারফ হোসেন ভূঁঞা মশুর মা মোসাম্মৎ
রেজিয়া বেগম গত ২৮/১১/২০১৭ ইং রোজ মঙ্গলবার রাত ৯.৩০
মিনিটে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বুরাপীট গ্রামে
নিজ বাড়ীতে বাধ্যকজনিত রোগে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-
ইল্লাহির রাজিউর।
মৃত্যুকালে মরহুমার বয়স হয়েছিল ৯৫ বৎসর। মৃত্যুকালে
মরহুমা তিন ছেলে তিন মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও
গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার ঢাকা
মহানগর দক্ষিনের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, হাজারীবাগ থানা শাখার সভাপতি
সাবদার মাহমুদ খান অতুল, সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ
রিয়াজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন,
সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম খোকন, সদস্য আবুল
খায়ের, সদস্য মোঃ ফিরোজ আলম হিরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ
গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা
এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
Top
মাত্র সাত
বছর বয়সে পুলিশ ইন্সপেক্টর!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাত্র সাত বছর বয়স অর্পিত মণ্ডলের। তার একটাই স্বপ্ন,
বড় হয়ে পুলিশ হবে। হয়েও গেল। এক দিনের জন্য পুলিশের
ইন্সপেক্টর হয়েছে সে। স্যালুটও দিয়েছে সবাই।
ইন্সপেক্টর অর্পিত সেই স্যালুট গ্রহণ করে চেয়ারে বসেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। অর্পিতের স্বপ্ন পূরণ
করার জন্য মুম্বাই পুলিশও বাহবা পাচ্ছে। কারণ,
অর্পিতের শরীরে যে মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অর্পিত।
চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন কিন্তু সম্পূর্ণ সেরে ওঠার
সম্ভাবনা একেবারেই কম। সে কারণে অর্পিতের স্বপ্ন জানতে
পারার সঙ্গে সঙ্গেই ইচ্ছে পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়
মুম্বাই পুলিশ। সারাদিন ছোট্ট এই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে
নিয়ে বেশ মজা করেই কাটালেন মুলুন্দ থানার অন্য
পুলিশকর্মী ও কর্মকর্তারা। ইন্সপেক্টরকে কেক খাওয়ানো
থেকে শুরু করে কোলে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
মুম্বাই পুলিশ সেই ছবি টুইটারে প্রকাশ করতেই প্রশংসা
করেন অনেকেই। এর আগে এক অভিযুক্তর এফআইআর দেখে মুম্বাই
পুলিশ জানতে পারে জন্মদিনে পুলিশ হেফাজতে সেই যুবক।
থানাতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করে পুলিশকর্মীরা। সেই
খবরেও সুনাম কুড়িয়েছিল পুলিশ। এবার অর্পিতের ইচ্ছে
‘পূরণ’ করার সুযোগ করে দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে নিল বহু
মানুষের।
অপারেশন
শুরুর দুই ঘণ্টা পর জানা গেল ভুল রোগী
একজন রোগীর মাথার রক্ত জমাট ছিল। তার অপারেশনের
প্রস্তুতিও ছিল। অন্যদিকে আরেকজন রোগীর প্রয়োজন ছিল
আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায় সেলাইয়ের। কিন্তু যার শুধুমাত্র
সেলাইয়ের দরকার ছিল তাকেই চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে
নিয়ে গেলেন। মাথার খুলি খুলে জমাট বাঁধা অংশও খুঁজতে
লাগলেন। কিন্তু কোথাও তা দেখতে না পাওয়ায় তাদের মনে
সন্দেহ হল। অপারেশন শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা
বুঝতে পারলেন তারা ভুল রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে
এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সেলাই
দিয়ে রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। সৌভাগ্যক্রমে রোগীর
কোন বিপদ ঘটেনি।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে কেনিয়ার নাইবোরি শহরে
কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হাসপাতালে। এ নিয়ে কেনিয়ার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির জন্য আইডি ট্যাগ
পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, যে
রোগীর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকে তার নাম আলাদা করে
ট্যাগে লেখা থাকে। কিভাবে তা বদলে গেল তা নিয়ে চিন্তিত
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য
ইতিমধ্যে তারা হাসপাতালের নিউরো সার্জন,
অ্যানেসথিয়াসিস্ট এবং দুইজন নার্সকে বরখাস্ত করেছে।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের
সিইও।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভুল করে যেই ব্যক্তির
অপারেশন করা হয়েছিল তিনি এখন ভালো আছেন। অন্যদিকে যার
মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল তার অপারেশনের প্রয়োজন পড়েনি।
ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।ি।
নিকৃষ্ট দেশ মিয়ানমারা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো
পৌঁছাতে পারে না- এমন দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে
মিয়ানমার। জেনেভাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এসিএপিএস বলেছে,
বিভিন্ন কারণে ত্রাণকর্মীদের প্রবেশাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে
এমন দেশগুলোর তালিকায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট দেশ মিয়ানমার।
ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও জনগণের কাছে তাদের
পৌঁছাতে বাধা দেয়াসহ ৯টি বিষয় বিবেচনা করে ৩৭টি দেশের
ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
মানবিকতার অনন্য পুরস্কার!
মানবিকতা এমন একটা গুণ যা মানুষকে শেখানো যায় না,
সম্পূর্ণ ভেতর থেকে আসতে হয়। এই সময়ের অনেক নির্মম
ঘটনার কারণে অনেকের কাছেই মনে হয়, মানবিকতার বুঝি
মৃত্যু হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা
কিনা আমাদের আশা জোগায়, মনে হয় এখনো হয়তো অবশিষ্ট আছে
কিছু একটা মানবিকতার। এদিন এমনই এক মানবিকতার অনন্য
নজির সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইভোনি উইলিয়ামস।
সামনের সেমিস্টারের জন্য টাকা জোগাড় করতে একটি
রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি করতেন ১৮ বছরের ইভোনি।
রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিলেন এক বৃদ্ধ, তার অবস্থা
এতোটাই খারাপ ছিল যে নিজ হাতে খেতেও পারছিলেন না।
বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে
এগিয়ে আসেন ইভোনি। নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দিতে থাকেন ঐ
বৃদ্ধকে। ঘটনাটি পাশের টেবিলে বসে প্রত্যক্ষ করার সাথে
সাথে ক্যামেরাবন্দিও করেন এক ব্যক্তি। ৩ মার্চের ঐ
ঘটনার ভিডিওটি এই কয়দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো
ভাইরাল হয়ে যায়। ইভোনির এমন মানবিকতায় মুগ্ধ হয়ে তার
ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ স্কলারশিপের সুযোগ করে দিয়েছে
ইভোনিকে।।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
গোলাপগঞ্জে নারী
ও শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সলেটের গোলাপগঞ্জে বজ্রপাতে গ্যাস রাইজারে আগুন লেগে
অন্তঃসত্ত্বা দুই নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর
মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। ১৭ মার্চ গভীর রাতে উপজেলার
লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের লয়লু মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
অগুনে তিনটি ঘর পুড়ে গেছে। ঘটনার পর স্বজনদের আহাজারিতে
এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।
জানা যায়, ১৭ মার্চ দিনগত গভীর রাতে উপজেলাজুড়ে হালকা
বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ছিল বিজলী। এ সময় উপজেলার
লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের লক্ষণাবন্দ গ্রামের ক্লাব বাজার
এলকার লয়লু মিয়ার কলোনির সামনের একটি গ্যাসের রাইজারে
বজ্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে রাউজারে আগুন লেগে যায়।
মুহূর্তে ওই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কলোনির
লোকজনের আর্ত-চিৎকার শুনে চারদিক থেকে শত শত লোক ছুটে
গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ছুটে যায়
সিলেটের ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিটও। ছুটে যায়
পুলিশও। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কিন্তু এরই মধ্যে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান মোগলা
বাজার থানার খালেরমুখ এলাকার বাবলু মিয়ার ৭ মাসের
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৩০), তার সন্তান
তাহসিন আহমদ (২), লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নোয়াই দক্ষিণভাগ
এলাকার মৃত ইসরাইল আলীর ছেলে সেবুল আহমদ (১৬), একই
এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে ইয়াজ উদ্দিন (১৭) ও
শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের পরনাইরচক গ্রামের মসকন আলীর স্ত্রী
৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শেবু বেগম (২২)। এ ঘটনায় দগ্ধ
হয়েছেন নিহত তাহমিনা বেগমের স্বামী বাবলু মিয়া। তাকে
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অগ্নিকাণ্ডে কলোনির ৩টি পরিবারের আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে
গেছে। ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রোববার দুপুরে লাশগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক নগদ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লয়লু মিয়ার কলোনির তিনটি ঘর
পুড়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, গভীর রাতে চিৎকার শুনে
তাদের ঘুম ভাঙে। লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
নছিরুল হক শাহিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে
যাই। গিয়ে দেখি মর্মান্তিক ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য
আপ্তাব উদ্দিন বলেন, চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।
এর পর গ্যাস অফিসে ফোন দেই। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ
করেননি। জানতে চাইলে জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপক নীল
কমল চৌধুরী বলেন, ‘হয়তো রাত বেশি হওয়ার কারণে শুনিনি।
আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের
ঘটনা প্রায়ই ঘটে।’
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক
শিবলী জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।
গিয়ে দেখি আগুনে দগ্ধ হয়ে পাঁচজন মারা গেছে। লাশগুলো
উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম
জানান, নিহত ও আহতদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
কেন্দুয়ায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল
মাদ্রাসা-ছাত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কেন্দুয়ায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল এক মাদ্রাসা ছাত্রী।
ওই ছাত্রী উপজেলার রায়পুর পিজাহাতী দাখিল মাদ্রাসার
দশম শ্রেণির ছাত্রীও। খবর পেয়ে গত ১৩ মার্চ বিকালে
কেন্দুয়া থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর বিয়েটি বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক
কল্যাণী হাসান জানান, উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের
বানিয়াগাতী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আল মামুনের
সঙ্গে ১৩ মার্চ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ের
প্রস্তুতি চলছিল।
কিন্তু সালমা বিয়েতে রাজি না থাকায় বিয়ে বন্ধের জন্য
বিষয়টি সে তার বন্ধু-বান্ধবীদের জানায়। পরে তার বন্ধুরা
বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি তা পুলিশকে অবহিত করি।
কেন্দুয়া থানার এসআই রোকনউদ্দিন জানান, আমি খবর পেয়েই
রায়পুর গ্রামে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাড়িতে যাই। সেখানে
মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে
দেওয়া হবে না মর্মে পুলিশের কাছে মুচলেকা দেন তার বাবা।
শুনতে কি পান এই
নারীদের কান্না?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবের এক সেফহোম থেকে ফোন করে এক নারী গড়গড় করে
বলতে থাকেন, ‘আফা, অনেক কষ্টে আপনার নাম্বার পাইছি।
আমরা অনেক কষ্টে আছি। আফা, আমাদের বাঁচান। কেউ কেউ
পাগল হইয়া যাইতেছে। নিজের মাথা নিজেরা ফাটাইতাছে। একজন
নিজের গলা নিজে কাইট্যা চোখের সামনেই মইরা গেল। তারপর
থেইক্যা সবায় কয়, এইটা একটা ভূতের বাড়ি। আমরা যে কবে
দ্যাশে যাইতে পারমু তা জানি না।’
৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শুধু এ নারী নয়, একাধিক নারী কথা
বলেন টেলিফোনে। কান্নার দমকে অনেকের কথা অস্পষ্ট হয়ে
যায়। তাঁদের একটাই আবেদন, দেশে ফিরতে চান।
একজন নির্যাতন প্রসঙ্গে বললেন, ‘শরীর খারাপের (মাসিক)
সময ও আমারে রেহাই দেয নাই। বুইঝা লন কী কইছি আমি।’
এই নারীদের মুঠোফোনে করা ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ
প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায , এক নারী
সেফহোমের ঘরটিতে ‘লাশ’ আছে ভয়ে আর কিছুতেই থাকবেন না
বলে চিৎকার করছেন। ঘরটিতে প্রায ২০ থেকে ২৫ জন নারী ওই
নারীকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
এই নারীরা একসময় নিজে ও পরিবারকে ভালো রাখার আশায় সৌদি
আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে যান। অনেককে গৃহকর্মীর কাজ না
দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও আছে।
অনেক নারীকে বাড়ি র মালিক, ছেলে এবং অন্য পুরুষ
সদস্যদের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। খেতে
না দেওয়া, কাজে একটু ভুল হলেই মারধর করা, বেতন না দেওয়া,
এক বাড়ির কথা বলে কয়েক বাড়িতে কাজ করানো, বাড়ির জন্য
মন কেমন করাসহ অন্যান্য সমস্যা ও নির্যাতনে অনেকে
মালিকের বাড়ি থেকে পালিয়ে সেফহোমে আশ্রয় নিয়েছেন।
মালিকপক্ষের মিথ্যা মামলাসহ নানান জটিলতায় এই নারীরা
দেশে ফিরতে পারছেন না। কেউ অপেক্ষায় আছেন প্রায় এক বছর
ধরে। অনেকে এ হোমে এসেছেন কয়েক মাস ধরে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,
সৌদি আরবে ১০০ জনের বেশি নারী দেশে ফেরার অপেক্ষায়
আছেন। গত ২১ জানুয়ারি ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের
প্রধান শরিফুল ইসলাম অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া
আবেদনের ভিত্তিতে লিখিতভাবে সৌদি আরবের রিয়াদের সেফহোম
থেকে ২৪ নারী কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে
বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডকে ২৪
জনের তালিকাসহ চিঠি দেন। ২৪ জানুয়ারি বোর্ডের উপসচিব
জহিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এই ২৪ নারীকে দ্রুত
দেশে ফেরত পাঠাতে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের
কাউন্সিলরকে (শ্রম) চিঠি দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
এই নারীরা এখন পর্যন্ত দেশে ফিরতে পারেননি। ওয়েজ
আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন এনজিওর কাছে এভাবে
একের পর এক আবেদন জমা পড়ছে।
ব্র্যাকের ২৪ জনের তালিকা ধরে বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের
টেলিফোনে যোগাযোগ করলে কারও বাবা, কারও স্বামী, ভাই
কিংবা ছেলে আহাজারি করতে থাকেন। এখন আর কোনো টাকা
পয়সার আশা নেই, শুধু পরিবারের সদস্যকে জীবিত ফেরত চান
তাঁরা। এক ছেলে বললেন, ‘মায়ের চেহারা আর দেখমু কি না,
বা দেখতে পাইলে কবে পামু তার কোনো গ্যারান্টি নাই।’
গত ২০ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,
৮ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে
সৌদি আরব থেকে ৩২৪ নারী গৃহশ্রমিক দেশে ফেরেন। তখন
ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন ৭৫ জন নারী।
সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি)
দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছর ১৮টি দেশে যাওয়া নারী
শ্রমিকের সংখ্যা ছিল এক লাখের বেশি। এর মধ্যে শুধু সৌদি
আরবে যান ৮৩ হাজার ৩৫৪ জন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) ২০১৩ সালের এক
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের ৬৫
শতাংশেরও বেশি নির্যাতনের শিকার হন। এখন নারী শ্রমিকের
সংখ্যা বাড়ায় নির্যাতনের হারও বেড়েছে বলে ধারণা অভিবাসী
শ্রমিকদের নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গৃহ খাতে কর্মী নিতে
বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে সৌদি আরব। অবশ্য যৌন
নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ
কয়েকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ
রেখেছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪ থেকে
৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে লেবার কনফারেন্সের আয়োজন করে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে
পুলিশকে তিন নির্দেশনা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মোবাইল ফোন ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিন
নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশ সদর দফতর। সম্প্রতি পুলিশ
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী
স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে,
কর্তব্যরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন
ব্যবহার করলে তা কর্তব্যে অবহেলা হিসেবে গণ্য করা হবে।
নির্দেশনা তিনটি হচ্ছে- (ক) নিরাপত্তার দায়িত্বে
নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনকালে জরুরি প্রয়োজন
ব্যতিরেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। এক্ষেত্রে
নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নকালে কোন কোন পুলিশ সদস্য
মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন তার মোবাইল নম্বর
নামের পাশে উল্লেখ করতে হবে। (খ) পুলিশ সদস্যরা
কর্তব্যরত অবস্থায় সেলফি/ছবি তোলাসহ সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে পোস্ট করা থেকে বিরত থাকবেন। (গ) দায়িত্ব
পালনরত অবস্থায় মোবাইল ফোনে গেমস খেলা, ভিডিও দেখা,
গান শোনা, ইউটিউব, ফেসবুক, অনলাইন পত্রিকা/নিউজ
পোর্টাল অবলোকন/পাঠ করা থেকে বিরত থাকবেন। নির্দেশনায়
বলা হয়, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পুলিশ সদস্য কর্তৃক
মোবাইল ফোনের ব্যবহার যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনকে ব্যাহত
করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তি নিরাপত্তাসহ নিজ
নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র-গুলি ও অন্যান্য সরকারি সম্পদের
যথাযথ নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ভবিষ্যতে ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য (অনুমোদিত পুলিশ
সদস্য ব্যতীত) কর্তৃক মোবাইল ফোন ব্যবহার দৃষ্টিগোচর
হলে তা কর্তব্যে অবহেলা হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ সদর
দফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দায়িত্বে নিয়োজিত
পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ
ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ
সুপারদের (এসপি) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্তব্যরত
অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার বিষয়ে আগে থেকেই নির্দেশনা
ছিল। বর্তমান আইজিপি এসে এ বিষয়টি ফের স্মরণ করিয়ে
দিয়েছেন এবং গুরুত্বের সঙ্গে দেখাশোনা করছেন। কোনো
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত
হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আইজিপি।
বরিশালে ফাঁসির
আসামির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্ট
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জাফর গাজী (৪৮) নামে এক ফাঁসির
আসামি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে
হাসপাতালের মেডিসিন-১ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। তিনি
ধর্ষণ মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বরিশাল
কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। জাফর গাজীর বাড়ি পটুয়াখালীর
দশমিনা উপজেলার গছানি এলাকার হোসনেবাদে। তার বাবার নাম
নূর হোসেন।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. বদরুদ্দোজা
জানান, ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় জাফর গাজী হৃতরোগে
আক্রান্ত হন। দশমিনা এলাকায় একটি ধর্ষণ মামলায় তাকে
ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন পটুয়াখালীর আদালত। সেই থেকেই
বরিশাল কারাগারে ছিলেন। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে লাশ
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশের চাকরি নিতে
জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেফতার ৮
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বগুড়ায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ
জালিয়াতির মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টার
অভিযোগে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) অফিসের
স্টেনোগ্রাফারসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
১৪ মার্চ থেকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্নস্থান থেকে ৮জনকে
আটকের পর ১৭ মার্চ রাতে তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর
থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তারা হচ্ছে- জয়পুরহাট পুলিশ সুপার অফিসের স্টেনোগ্রফার
ও বগুড়ার সোনাতলা থানার হাসরাজ গ্রামের বাসিন্দা
রফিকুল ইসলাম, একই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান,
জাকির হোসেন, মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান,
আল-আমিন ও মনির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৬ মার্চ বগুড়া পুলিশ লাইন্স
মাঠে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। শারীরিক ও
লিখিত পরীক্ষা শেষে ১২ মার্চ লিখিত পরীক্ষায়
উর্ত্তীণদের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে রাত সাড়ে ৮টায়
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মিল্লাত হোসেন, আইনুর
ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেন মৌখিক
পরীক্ষার বোর্ডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংক্রান্ত সনদপত্র
দাখিল করে। সনদপত্র দেখে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের
সন্দেহ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষা পরে নেয়া হবে মর্মে
জানানো হয়। এরপর গোপন অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে
তাদের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংক্রান্ত সনদপত্র
ভুয়া এবং জাল। এরপর ১৫ মার্চ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের
একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে।
প্রথমে গ্রেফতার করা হয় পুলিশে নিয়োগ নিতে আসা প্রার্থী
মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও
মনির হোসেনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে
পারে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করার মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ
পাইয়ে দেয়া চক্রের মূল হোতা জয়পুরহাট পুলিশ সুপার
অফিসের স্টেনোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম।
তিনি ও তার ছোট ভাই ওয়াসিম রেজা ছাড়াও অপর আসামিরা ৫জন
প্রার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে সাড়ে ১১ লাখ
করে টাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ৫জনকে
পুলিশে চাকুরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে গোয়েন্দা
পুলিশ স্টেনোগ্রাফার রফিকুলসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ৮জনকে শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানা পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করে। বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ
অফিসার আবু তাহের বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া জেলা গোয়েন্দা
পুলিশের পরিদর্শক আসলাম আলী জানান, জালিয়াতি চক্রের ১২জনের
নামে থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। পলাতক ৪জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার
প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে বগুড়া পুলিশ
সুপারের অফিসে কর্মরত ছিল। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাটে
কমর্রত আছেন।
বরিশালে ঘুষ নেয়ায়
পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিকাশের মাধ্যমে মাদক মামলার আসামির পরিবারের কাছ থেকে
৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ায় উজিরপুর থানার এএসআই আমিনুল
ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাকে থানা থেকে সরিয়ে
বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করতে রোববার দুপুরে
নির্দেশ দেয়া হয়।
বরিশাল জেলা পুলিশের সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান,
এএসআই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত
চলমান রয়েছে। তবে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে
প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি আরও তদন্ত করে বিভাগীয় শাস্তি নেয়া হবে বলে
জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল জেলা পুলিশের সহকারী
সুপার আকরামুল হাসান। প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ শামিম খান
নামে এক ব্যক্তিকে বেশকিছু ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন
এএসআই আমিনুল ইসলাম। বিষয়টি জানতে পেরে শামীমের মা রেবা
বেগম থানায় যান। এ সময় তাকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা
অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই আমিনুল ইসলাম। পরে
তিনি রেবা বেগমকে একটি ভিজিটিং কার্ড দেন। কিন্তু
দাবিকৃত টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে সর্বশেষ ৫ হাজার
টাকা দিতে বলেন। ১৬ মার্চ উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরের
একটি দোকান থেকে বিকাশের মাধ্যমে ওই নম্বরে রেবা বেগম
৫ হাজার টাকা পাঠান।
য়াহিনের
চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তাহিরপুরের হাওররক্ষা বাঁধে ওঠার অপরাধে প্রকল্প
কমিটির সভাপতি (পিআইসি) ও যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদের
বর্বরতার শিকার প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু ইয়াহিনের
চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ
সুপার মো. বরকতুল্লাহ খাঁন। আহত ইয়াহিন হাসপাতালের বেডে
কাতরাচ্ছে।
জানা যায়, ঘটনায় সাথে জড়িত অভিযুক্ত অদুদ মিয়ার ছোট
ভাই আলম মিয়াকে (৩০) রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়
তাহিরপুর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর
উপজেলার পলাশ বাজার এলাকা থেকে আলম মিয়াকে আটক করেছে
পুলিশ। আটককৃত আলম মিয়া সুলেমানপুর গ্রামের জমির
উদ্দিনের ছেলে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে
গিয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার শিশুর মা দিলরাজ বেগম ও
শিশু ইয়াহিনকে শান্তনা দিয়ে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যত
শক্তিশালী হোক, তাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পুলিশ ইয়াহিন’র পাশে রয়েছে জানিয়ে উপস্থিত
গণমাধ্যমকর্মীদের পুলিশ সুপার বলেন, মর্মান্তিক এ
ঘটনার বিষয়ে বার বার খোঁজ নিচ্ছেন মাননীয় মহিলা ও শিশু
বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান ও ডিআইজি মহোদয়। তিনি
মা দিলরাজ বেগমের হাতে ইয়াহিন’র চিকিৎসার জন্য ২০
হাজার টাকা তুলে দেন এবং ইয়াহিন’র চিকিৎসার পুরো ব্যয়ই
সুনামগঞ্জ পুলিশ বহন করবে বলে জানান। স্থানীয় সংসদ
সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুর
গ্রামের বাড়ি সুলেমানপুরে গিয়ে স্বজনদের শান্তনা দেন
এবং ইয়াহিন’র চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামও ১৮ মার্চ রাতে আহত
শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান। তাহিরপুরের মহালিয়া
হাওরপাড়ে ময়নাখালি বাঁধের উপর উঠা ও বাঁধ থেকে গড়িয়ে
পড়ার সময় বাঁধের ক্ষতি হয়েছে এমন অভিযোগ তোলে শিশু
ইয়াহিন মিয়ার ডান হাতের ৪ টি আঙ্গুল কেটে দেয় পিআইসির
(প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সভাপতি ইউনিয়ন যুবলীগের
সাবেক সভাপতি অদুদ মিয়া। আহত ইয়াহিন মিয়া সুলেমানপুর
গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে। সে শাহজালাল জামেয়া
ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র।
এসিড নিক্ষেপ
মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এসিড নিক্ষেপের দায়ে আয়তাল হক (৩৮)
নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের
বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক
শরনিম আকতার এই রায় দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি
আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার মূলাডুলি
গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা আকতার নাসরিনকে
(৩০) একই এলাকার আয়নাল হকের ছেলে আয়তাল হক প্রেমের
প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৯ সালের
২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাসিমার মুখে ও শরীরে এসিড
নিক্ষেপ করেন আয়তাল।
এ ঘটনায় নাসিমার মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি এসআই মোহাম্মদ আলী আদালতে
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮জন সাক্ষীর
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
পরিকল্পনা,
গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড জরুরী কেনো?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেক প্রাকৃতিক উৎস থেকেই ফলিক এসিড পাওয়া যায়। ইদানিং
অনেক খাবারেই কৃত্রিম ভাবে ফলিক এসিড যোগ করা হচ্ছে,
যেমন- ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি।
এগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফলিক এসিডের চাহিদা কিছুটা
হলেও পূরণ করে। কিন্তু গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা
করছেন এমন মায়েদের জন্য এগুলোকে ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে
বিবেচনা করা উচিত নয়।
এসব খাবার লেবেল অনুযায়ী আপনি হয়তোবা সঠিক পরিমাণ
গ্রহণ করছেন কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এতে
আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ফলিক এসিড যাচ্ছে। এছাড়াও এ
খাবারগুলো কেউ নিয়মিত গ্রহণও করেন না।
ফলিক এসিড কী?
ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (ঋড়ষধঃব)
নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক
বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি
অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের
রক্তস্বল্পতা রোধে (ধহবসরধ) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা
উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি
ডিএনএ এর গঠন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে
সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।
লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ
করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয স্ক উভযে রই প্রযে াজন।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন দরকার?
আপনি যদি গর্ভধারণ করেন বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন
সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক এসিড গ্রহণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড নিউরাল
টিউব ডিফেক্ট (ঘঞউ) যেমন- স্পাইনাল কর্ড (ঝঢ়রহধ ইরভরফধ)
ও ব্রেইনের (ধহবহপবঢ়যধষু) জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে
সাহায্য করে। নিউরাল টিউব হলে ভ্রূণের একটি অংশ যা থেকে
মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের গঠন হয়।
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট সাধারণত ভ্রূণের বিকাশের একেবারে
প্রথম দিকে শুরু হয় যখন অধিকাংশ মহিলায় বুঝতে পারেনা
যে তারা গর্ভবতী। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে
সাথেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।
সিডিসি (ঈবহঃবৎং ভড়ৎ উরংবধংব ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ চৎবাবহঃরড়হ)
এর মতে যে সব মহিলা গর্ভধারণে অন্তত একমাস আগে থেকে বা
গর্ভধারণের প্রথম ট্রাইমেস্টারে নিয়মিত ফলিক এসিড
গ্রহন করে তাদের গর্ভের শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট এর
ঝুঁকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যায়। আরও কিছু গবেষণায় দেখা
গেছে ফলিক এসিড গর্ভের শিশুর আরও কিছু জন্মগত ত্রুটি
প্রতিরোধ করে, যেমন- ঠোঁট কাটা (পষবভঃ ষরঢ়), তালু কাটা
(পষবভঃ ঢ়ধষধঃব) এবং আরও কিছু হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা।
এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রি-এক্লাম্পশিয়ার
ঝুঁকি কমায়। এছারাও গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা এবং বেড়ে
ওঠা শিশুর কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ফলিক
এসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করা যায়?
প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে ফলিক এসিড পাওয়া যায়
সেগুলোও বেশীরভাগ সময় পরিপূর্ণভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা
পূর্ণ করতে পারে না। আশ্চর্যজনক হলেও গবেষণায় দেখা গেছে
আমাদের শরীর বেশীরভাগ প্রাকৃতিক উৎসের চাইতে
সাপ্লিমেন্টে পাওয়া ফলিক এসিড আরও ভালোভাবে শোষণ করতে
পারে। তাছাড়াও আমরা যখন এসব খাবার সংরক্ষণ করি বা
রান্না করি তখন তাতে ফলিক এসিডের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আপনি যদিও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তবুও
হয়তো গর্ভাবস্থায় আপনাকে সাপ্লিমেন্ট নেয়ার পরামর্শ
দেয়া হতে পারে।
জেনে নিন ইসবগুলের
ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ইসবগুলের ভুসি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া
চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই সাদা
ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর
অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক
উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে
ইসবগুলের ভুষিতে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয়
খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য
খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুষি
পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে
বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী
হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের
ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম
গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান
করে নিন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও
কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া
যায়। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন
সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব
কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া
প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে
মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ
কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে
বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর
ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল
খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক
স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে
রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর
বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে
আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২
চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন।
এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে
অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে
উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার
অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়।
এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি
পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে,
হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান
থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি
পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার
করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে।
কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য
লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
আপনি জানেন কি,
পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার!
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজকাল অনেকেই ফ্যাশন করে দাড়ি রাখেন। নিজের ইচ্ছামতো
স্টাইল করে ফ্যাশনেবল লুকে আসতে মুখের সাথে মানানসই
দাড়ি রাখা সব চাইতে ভালো আইডিয়া। কিন্তু আপনি জানেন
কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের সাথে যুক্ত নয় এটি
যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও যুক্ত। পুরুষের দাড়ি
রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। জানতে চান কী কারণে?
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো।
প্রেমিকের দাড়ি দেখে মেয়েদের রাগ করার দিন এবার সত্যি
ফুরালো!
ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে: যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে
বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম
ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার
ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত
থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে
অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।
শেভিং র্যাশ থেকে মুক্তি: অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ
হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের
সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র ্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি
রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা,
শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল
জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন
ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের
ক্ষেত্রে ডারম্যাটোলজিস্টগণ স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা
পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে: পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো
ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা
অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং
রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং অ্যালার্জি সংক্রান্ত
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বর্ণের ঝামেলা থেকে মুক্তি : পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে
থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও
বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যতœ
নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব
সহজেই।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে
মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে
ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা
অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা সংক্রান্ত ঝামেলা
থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
দাঁড়িয়ে পানি পান করছেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পানির আরেক নাম জীবন। আবার একথাও সত্য যে এই জীবনকে
গ্রহণ করার একটা নিয়ম রয়েছে। প্রয়োজনে তৃষ্ণা মেটায়।
আবার অপ্রয়োজনে অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে। নিয়ম না মানলে
এই জীবনের এই মূল উপাদানই মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েই থাকেন।
কিন্তু কখন তা পান করা উচিত? আর কোন অবস্থায় পান করা
উচিত? তা অনেকেই জানেন না। যেমন ধরুন তেষ্টা পেল আর
দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে পানি খেলেন, কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে
এভাবে পানি পান করে আপনি নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি
করছেন?
আমাদের শরীরে এমন অনেক ছাঁকনি রয়েছে যা পানির ক্ষতিকর
উপাদানগুলোকে শুষে নেয়। দাঁড়িয়ে থাকলে এই ছাঁকনিগুলো
সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে তা কাজ করতে পারে না। তাই
দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করলে পানির ক্ষতিকারক
উপাদানগুলো সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা তীব্র বেগে খাদ্যনালীর মধ্যে
দিয়ে বয়ে গিয়ে সোজা নিম্ন পাকস্থলীতে ধাক্কা মারে। এর
ফলে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে হজমের সমস্যা
তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যা বেশ বড় আকার নিতে পারে।
পানি কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তবে একথাও ঠিক যে
দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিডনির পক্ষেও ক্ষতিকর। প্রবল
বেগে যাওয়া পানির মধ্যে যে দূষিত পদার্থগুলো থাকে তা
কিডনি পরিশ্র“ত করতে পারে না। ফলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে
শরীরের ক্ষতি করে।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট
করে দেয়। আর দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করলে অর্থ্রারাইটিসের
সমস্যা দেখা যায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভবিষ্যতে
নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে একাধিক নার্ভে
প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা
অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই
ভাল নয়।
আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশি পানি খাওয়া সম্ভব হয়
না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়।
সবসময় তো আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে
পানি অনেক কম খাওয়া হয়। তাই পানি পানের আগে কোথাও বসুন।
একটু সময় নিয়ে বেশি করে পানি পান করুন। শরীর সুস্থ
থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে।
পেট থেকে গ্যাস দূর
করার সহজ কয়েকটি উপায়
যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত
যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে
মসলায্ক্তু খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর
গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে
গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো
বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া
যায়।
তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়!
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস,
বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী
খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে
করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা
দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা
হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও
গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত
সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের
কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে
অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা
কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা
সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে
আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা
আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে
১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে
যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক
জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর
বিকল্প নেই।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
বিয়ের জন্য ২৭০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বামী অত্যাচারী হতে পারে, পরনারী আসক্ত হতে পারে,
মাতাল হতে পারে। বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে
যেতে পারে। খুন-ধর্ষণ ইত্যাদির মামলায় স্বামীর সঙ্গে
তালাক হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে স্ত্রী বৈবাহিক
সম্পর্ক থেকে মুক্তির প্রত্যাশা করতে পারে। স্বামী
অসুস্থ হতে পারে, স্থায়ী যৌন অক্ষমতা থাকতে পারে।
অপঘাতে স্বামীর মৃত্যু হতে পারে।
বিয়ে ভেঙ্গে গেলে কিংবা স্বামী মরে গেলে যখন ইচ্ছে তখন
বিয়ে করা যাবে না, পাত্রী যত সুযোগ্যই হোক। স্বামীর
মৃত্যুজনিত কিংবা স্বামীর সঙ্গে তালাকজনিত বিচ্ছেদের
সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ তাতে কাজ
হবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে
না। ২৭০ দিন অপেক্ষার আইনটি কলম্বিয়ার। শত বছরের পুরনো
এই আইনটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে সেখানকার প্রগতিশীল
নারী সমাজ। এক পর্যায়ে পুরুষদের সমর্থনও মেলে। শেষ
পর্যন্ত পেগোটার সাংবাদিক আদালত ২৭০ দিন অপেক্ষার এই
আইনটি বাতিল করে দেন।
এখন সন্তানের পিতৃত্ব নিশ্চয়নের জন্য আর অপেক্ষার
প্রয়োজন নেই। গর্ভের সন্তান নিয়ে অবলীলায় বিয়ে করা যাবে।
পিতৃত্ব নিয়ে বেশি ঝামেলা হলে ডিএনএ টেস্ট তো আছেই।
অপহরণ যদি ভালবাসার কারণে হয়ঃ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই
অপহরণ একটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে
এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইতালির
দক্ষিণাঞ্চলে প্রাক বৈবাহিক সম্পর্ক খুব ভাল চোখে দেখা
হয় না। বরং মেয়েটিকে অপহরণ করে একরাত তার সঙ্গে কাটিয়ে
বিয়ের দাবিটা জোরদার করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক
সময় মেয়ের পরিবারও চায় মেয়েটির প্রেমিক তাকে অপহরণ
করুক। তারপর তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও যৌন সঙ্গমের অবিযোগ
এনে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে। সিসিলির উচচ আদালতে এ
ধরনের একটি মামলায় উভয়পক্ষের জন্য স্বস্তিকর একটি রুলিং
জারি হয়েছে। অপহরণকারী যদি প্রেমিকাকে অপহরণ করে কিংবা
অপহৃত মেয়েটিকে যদি সত্যি সত্যি ভালবাসে এবং নাবালিকা
হলেও মেয়েটি যদি তার ভালবাসায় সাড়া দেয় তাহলে অপরাধটি
ভালবাসায় তলিয়ে যাবে। অপহরণকারীর কোন শাস্তি হবে না।
এই রুলিং সমালোচিতও হয়েছে- তাহলে উচ্চ আদালত কি
অপহরণের উস্কানি দিচ্ছে?
পোশাক অপশনাল সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞাঃ প্রভিন্সটাউন
বোস্টনের একটি ছোট্ট সৈকত শহর। সৈকতে একচিলতে বিশেষভাবে
চিহ্নিত বালুকাবেরা। এখানে পোশাক পরা অপশনাল। ইচ্ছে
করলে পুলওভার ওভারকোট সবই চাপাতে পারেন। ইচ্ছে করলে
দিগম্বও থাকতে পারেন। অবশ্যই পোশাকের বাহাদুরি দেখানোর
জন্য কেউ সেখানে যায় না, যায় দেহ সৌন্দর্য দেখানোর
জন্য এবং আদিম আনন্দের জন্য। চিহ্নিত এই বালুকাবেলার
নাম ‘স্পেগেটি স্ট্রিপ’। এভিন্সটাউন স্বশাসিত শহর।
রেজিস্টার্ড বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাসন
বালূকাবেলা সৃষ্টি করেছে। এতে শহরের আয়ত্ব বেড়েছে। এই
সৈকতের জন্য মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। কিন্তু বাদ সেধেছেন
সুপিরিয়র কোর্ট জজ। তিনি রায় দিলেন নগ্ন সাঁতার এবং
শরীরের অসুন্দর প্রকাশ আইনের পরিপন্থী।
শহরের কর্মকর্তা বোঝাতে চেষ্টা করলেন নগ্নতা আসলে শরীর
সৌন্দর্যের প্রকাশ ও নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটা ব্যক্তিগত
অধিকার। সায় দিলেন না বিচারক। বন্ধ করে দিলেন পোশাক
অপশনাল সৈকত। প্রভিন্সটাউন মূলত একটি আর্টিস্ট কলোনি।
শহর কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে সুপিরিয়র জজের আদেশের
বিরুদ্ধে। তারা আশা করছে, আপিলের রায়ে রক্ষা হবে নগ্নতা
প্রকাশে কোন বাধা থাকা উচিত নয়।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রায় সব কৃষি কাজে পশু ব্যবহার
হয়। পশুপালন ও কৃষি কাজে পশুর ব্যবহার হাজার বছর ধরে
চলে আসা বাঙালি সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি হিন্দু
সমাজে বিশেষ করে গরুকে মাতৃরূপ দেবতা জ্ঞান করে। এর
কারণই হলো কৃষিকার্যে পশুর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা।
এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে গৃহপালিত পশু কৃষি কাজ,
মালামাল টানা এবং যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে এখনো এই দেশে
বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সভ্যতার এই যুগেও কিছু মানুষ তার
গৃহপালিত পশুকে ব্যবহার করে অমানবিক ব্যবহারকে
নিবারণের জন্য ১৯৮০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘পশুর প্রতি
নিষ্ঠুরতা নিবারণ’ আইন। এ আইনে পশুর প্রতি নিষ্ঠুর
ব্যবহার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখিত আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি-
ক) তার গৃহপালিত পশু দিয়ে অতিমাত্রায় গাড়ি টানা,
মারপিট বা অহেতুক কষ্ট বা ব্যথা দিতে পারবে না। খ)
পশুটিতে অহেতুক কষ্ট দিয়ে বাঁধা বা এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে চালান দিতে পারবে না। গ) ক্ষুধা-তৃষ্ণার দরুন
পশুটিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। ঘ) অহেতুক নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে
হত্যা করা যাবে না। ঙ) দুগ্ধবর্তী গাভী বা এ ধরনের
পশুর দোহনের জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার (কুফা বা
দুমদেব) করা যাবে না। চ) অসুস্থ, বার্ধক্য, জখম বা
ঘায়ের দরুন বা অন্য কোনো কারণে কাজে অযোগ্য হলে এ
ধরনের পশুকে খাটানো যাবে না।
উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ৫০
থেকে ২০০ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে
কারাদণ্ড বা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।
Top
|
|