BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover October 2017

English Part October 2017

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ২০১৭ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৭ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে সেপ্টেম্বর ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৭৭টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫.৯ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার হয় ১৭৭ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ০৪ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ২১ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৫৮ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ০৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ০৭ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ০৫ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ০৪ জন, অপহরণ হত্যা০৯ জন, গুপ্ত হত্যা ০৭ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৫১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৪ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৭৭ জন এবং আত্মহত্যা ২৯ জন।
সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩১ জন, যৌন নির্যাতনের ৯ জন এবং যৌতুক নির্যাতন ৬ জন।
 

 


‘মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে’

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমেরিকায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানোয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলছেন। তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, বিশ্বে মুসলমানরা শরণার্থী হচ্ছে কেন? ওআইসিভুক্ত মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের ব্যাপারে তিনি জোর দিয়েছেন বলেন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,ওআইসির মিটিংয়েও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, বিশ্বে মুসলমানরাই কেন শরণার্থী হবে? তারাও আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
বাংলাদেশের নাগরিকদের শরণার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে সব শরণার্থী ফেরত এনেছিলেন। আর কোনও দেশ এতো দ্রুত ফেরত আনতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী, যেটা বঙ্গবন্ধু করতেন। বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

 

রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে : জাতিসংঘ মহাসচিব
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, এদের পরিচয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে অমিমাংসিত রয়েছে। এসময় তিনি রাখাইনে অবাধে মানবিক ত্রান প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে দেওয়া ভাষণে গুতেরেস উত্তর কোরিয়া ও এর ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে ঘনীভূত সংকট রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধানের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণের সময়। আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যুদ্ধের পথে হাঁটতে পারি না।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সাবেক প্রধান গুতেরেস শরণার্থী প্রসঙ্গে বলেন, ‘শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের যখন প্রতারিত ও বলির পাঠা হতে দেখি এবং নির্বাচনে সুবিধা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের যখন তাদের ব্যবহার করতে দেখি তখন বেদনা অনূভব করি।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেকের মতো আমি নিজে একজন শরণার্থী। তবে কেউ আশা করে না যে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিদ্রযুক্ত নৌকায় সাগর পাড়ি কিংবা ট্রাকের পেছনে করে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে জন্মভূমির বাইরে চাকরি খুঁজতে যাব। বৈশ্বিক ধনীরা নিরাপদ অভিবাসনকে সীমিত করতে পারেন না।’
গুতেরেস তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তিনি কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্ব নেতাদের সর্বোচ্চ আকাঙ্খা নিয়ে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
 

 মজুরি বৈষম্যে স্কুলে সন্তান পাঠাচ্ছে না শ্রমিকরা


মানবাধিকার রিপোর্ট’
মজুরি বৈষম্যের ফলে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা অনেকেই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। অর্থাভাবে অনেকেই আবার নিজের শিশু সন্তানকে গ্রামে তার আত্মীয়ের কাছে রেখে আসছেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটেনের বড় পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান- টেসকো, আলদি ও আসদা কম দাম দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। এসব ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের জন্য পোশাক তৈরি করছেন যেসব শ্রমিক তারা তাদের শ্রমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।
তারা শিকার হচ্ছেন মজুরি বৈষম্যের। বাংলাদেশের এই শ্রমিকরা ব্রিটিশ শিশুদের জন্য স্কুলের ইউনিফর্ম তৈরি করে দেন অথচ নিজেদের সন্তানদের তারা স্কুলে পাঠাতে পারেন না। শ্রমিক মা-বাবারা নিজেরা কোনোরকম কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি একরুমের বাসা ভাড়া করে থাকলেও কম মজুরির কারণে খরচ কমাতে সন্তানদের নিজদের থেকে দূরে আত্মীয়ের কাছে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। বছরে মাত্র দুই-তিনবার সন্তানের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, মির্জাপুরের ‘নাজ’ নামের একটি পোশাক কারখানায় যুক্তরাজ্যের অন্যতম বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আলদির দুটি পলো টি-শার্ট তৈরিতে ব্যয় হয় ২১২ টাকা। আর যে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এই টি-শার্ট তৈরি করেন মাস শেষে তাদের ন্যূনতম মজুরি হিসেবে দেওয়া হয় পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। শ্রমিকরা জানান, তাদের সপ্তাহে নির্দিষ্ট শ্রমঘণ্টা ৬০ ঘণ্টার বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। কখনো কখনো তা ৭৪ ঘণ্টাও হয়ে যায়। বিষয়টি আলদি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা সেই কারখানার ব্যাপারে খোঁজ নেবে বলে জানায়। নাজ গার্মেন্টের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারের নির্ধারিত মজুরি মেনেই তারা শ্রমিকদের মজুরি দেন। এ ছাড়া প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পায়। এই কারখানাটিতেই আরেক বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেসকোরও পোশাক তৈরি করা হয়। এখানে কর্মরত এক নারী শ্রমিক জানান, টাকার অভাবে তার ১০ বছর বয়সী মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।

 

 মায়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন

মানবাধিকার রিপোর্ট’
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরতম নির্যাতন, হত্যা এবং ধর্ষণের ন্যায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর আয়োজনে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ জাতীয় প্রেসক্লাসের সম্মুখে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, নির্বাহী সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নির্বাহী সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, সহ-সভাপতি শাহ আলম শান্ত, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এম.এ. আবু নায়েম তালুকদার, সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার সভাপতি কোহিনুর আক্তার রুমা, পল্টন থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক চান শরীফ, আশুলিয়া থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মন্টু সহ সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী মানববন্ধন কর্মসূচীতে যোগ দেন। মহাসচিব তাঁর বক্তব্যে অবিলম্বে মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা বিষয়টি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোকে নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জোরালোভাবে উপস্থাপনের আহ্বান জানান। মহাসচিব আরও বলেন ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে স্থান দিয়ে বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করলেও এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান করলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংস্কৃতি বিরূপ প্রভাব পরবে।
 

 সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে নতুন গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে। দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবাহিত সৌদি নাগরিকরা গৃহকর্মী নিয়োগ করতে চাইলে ব্যাংকে ৩৫ হাজার রিয়াল থাকতে হবে। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বেতন হতে হবে কমপক্ষে ১০ হাজার রিয়াল।
আর্থিক অবস্থান দেখে গৃহকর্মী নিয়োগের আবেদন বিবেচনা করা হবে। গৃহকর্মী নিয়োগের চুক্তি যদি ১৮ মাস অথবা এর চেয়ে বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিসা দেওয়া হবে। পাঁচ বছর মেয়াদি কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি নাগরিকের চুক্তির বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হবে।
অপরদিকে, বিবাহিত সৌদি নাগরিক তিনজন গৃহকর্মীর জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবে। এই তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ গৃহকর্মী। এ ছাড়া মহিলা ও পুরুষ গৃহকর্মী, ব্যক্তিগত গাড়িচালক, শিশু পরিচর্যাকারী, রান্নার জন্য পুরুষ ও নারী কর্মী, পুরুষ ও নারী সেবিকার কাজের জন্য আবেদন করতে পারবে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ হাজার রিয়াল থাকতে হবে। প্রথম ভিসা পেতে ৩৫ হাজার রিয়াল থেকে পঞ্চম ভিসার জন্য পাঁচ লাখ রিয়াল পর্যন্ত থাকতে হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রবাসী পুরুষ ও বিবাহিত নারীরা বাসার কাজের জন্য দুজন কর্মী নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে তাদের বেতন ১০ হাজার রিয়ালের ওপরে হতে হবে। একজন অবিবাহিত নারী গৃহকর্মী, গাড়িচালক, শিশু পরিচর্যাকারী কাজের জন্য একজন নিয়োগ করতে পারবেন।
নিয়োগ অফিস থেকে এ পর্যন্ত গৃহকর্মী নিয়োগ প্রোগ্রামে (মুসানিদ) লাভবান হয়েছেন ৬১ হাজার ৪১১ জন। এসব অফিসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৫-এ।
 


মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ব্রিটেন: টেরিজা মে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অভিযান বন্ধ না করলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে ব্রিটেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান চালানোর পর থেকে টেরিজা মে চাপে ছিলেন।
মে বলেন, ‘বার্মায় (মিয়ানমারের আগের নাম) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি বহু বিপন্ন মানুষ জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। অং সান সু চি ও বার্মার সরকারকে স্পষ্ট করা দরকার, সেনা বাহিনীর অভিযান বন্ধ হবে।’
যুক্তরাজ্যে সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার আজ ঘোষণা করছে যে, এই ইস্যুর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা বার্মার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন এবং প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মে বলেন, ‘স্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক অঙ্গন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইস্যুতে এবং তাদের ওপর যা হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
টেরিজা বলেন, ‘আমি গতকাল (সোমবার) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছি। ব্রিটিশ সরকার মনে করে, আমাদের অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার।’

 

ডিজিটাল শিক্ষার এই দৈন্যদশা কেন?

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্কুলভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষার দৈন্যদশা প্রকট হইয়া উঠিতেছে ক্রমশ। ডিজিটাল দেশ গঠন ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হইতেছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। অথচ দক্ষ শিক্ষকের অভাবে ডিজিটাল শিক্ষা হইতে বঞ্চিত হইতেছে দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হইতেছে ডিজিটাল শিক্ষাসামগ্রী। সম্প্রতি ঝালকাঠি জেলার ডিজিটাল শিক্ষা লইয়া ইত্তেফাকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষা হইতে বঞ্চিত হইতেছেন উক্ত জেলার লাখো শিক্ষার্থী। সরেজমিনে দেখা গিয়াছে, মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল ল্যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস করিতে শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী, অথচ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এইগুলির ব্যবহার হয় না। তালাবদ্ধ থাকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ল্যাব বা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। জেলার অল্প সংখ্যক স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া বা ল্যাব চালু থাকিলেও তাহা নামমাত্র। প্রতিদিন একটি করিয়া সব শ্রেণির শিক্ষার্থীর ক্লাস পাইবার কথা থাকিলেও সপ্তাহে একটি ক্লাসও জোটে না বেশিরভাগ সময়। ইহা লইয়া শিক্ষার্থীদের হতাশাও চরমে।
সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়েও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত লইয়াছে। যুগের সহিত তাল মিলাইতে শিক্ষার এই মানোন্নয়নের গুরুত্ব অসীম। কিন্তু তাহা কোনো একটি খামতিতে আটকাইতে থাকিলে মূল লক্ষ্যই বৃথা যাইবে। আমরা দেখিতেছি, কেবল প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবই নহে, অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে অন্ধকারেই পড়িয়া থাকিতেছে ডিজিটাল শিক্ষা। যেমন পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৩টি বিদ্যালয়ে বিদ্যুত্ সংযোগ নাই। বিদ্যুতের সংযোগ নাই নড়াইলে ১৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। ওইসব বিদ্যালয়ের ৫০ হাজার শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষা হইতে বঞ্চিত। এইসকল উপজেলা উদাহরণ মাত্র। সিআরপিতে রুশনারা আলী


 প্রতিবন্ধীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ায় সিআরপির গণকবাড়ি সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেছেন। এখানে মার্কস অ্যান্ড স্টার্ট প্রোজেক্টের ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শনকালে ব্রিটিশ লেবার পার্টির এই নেতার সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।
গতকাল সকালে সিআরপির এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অতিথিদের স্বাগত জানান সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম। সিআরপির এই প্রশিক্ষণ সেন্টারে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা পোশাক কারখানায় কাজ করার জন্য কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। আবাসিক সুবিধাসহ বিনা মূল্যে তারা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পায়।
রুশনারা আলী বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের মেধা কাজে লাগিয়ে তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তিনি এ ধরনের পিছিয়ে পড়া মানুষকে উৎসাহ জোগাতে এগিয়ে আসা বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি অন্যদেরও এতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিআরপি একটি সেবামূলক সংস্থা। তাই ব্রিটিশ সরকার বরাবরের মতোই সিআরপির পাশে থাকবে।
মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের সহযোগিতায় মিয়ানমার থেকে আগতদের জন্য স্থাপিত শিবিরে ক্যাম্প স্থাপনে তিনি সিআরপিকে উৎসাহ দেন।
সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির উল্লেখ করে রুশনারা আলী বলেন, ‘ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি, ওটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। ওটা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল।’ রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক মার্কস অ্যান্ড স্টার্ট প্রজেক্টের সহায়তায় পরিচালিত ট্রেনিংয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি এর আগে সিআরপি পরিদর্শন করেছি। আমি তাদের কার্যক্রম দেখে অনেক খুশি। আমাদের যুক্তরাজ্য সিআরপিকে সহায়তা করছে।
 

কনেকে বিয়ের পিঁড়িতে রেখে বর উধাও!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কনেকে বিয়ের পিঁড়িতে রেখে বরের তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পেস্কার বাড়িতে। বর মাহতাব উদ্দিন দুখু মুছাপুর ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন ভুঞাবাড়ির সফি উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাতে পেস্কার বাড়ির মৃত কামাল উদ্দিনের মেয়ে ফেন্সীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মাহতাব উদ্দিন দুখুর।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত বর দুখুর আত্মীয়স্বজনরা খোঁজ নিয়ে তার কোনো সন্ধান পায়নি। বর পক্ষের লোকজন কনে পক্ষকে আশ্বাস দিচ্ছে বরের সন্ধান পেলে তার সঙ্গেই ফেন্সীর বিয়ে হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. রবিউল হক যুগান্তরকে জানান, কনে পক্ষের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে থানায় গিয়ে বিষয়টি মৌখিকভাবে তাকে জানিয়েছে। তাদের তিনি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেন। কিন্ত তারা জিডি না করে চলে গেছে।
 

নারীর ক্ষমতায়ন আরও বাড়াতে মোদিকে সোনিয়ার আহবান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়াতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের লোকসভায় আটকে থাকা নারী আসন সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য অনুরোধ জানিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি মোদিকে চিঠি পাঠান।
সংসদে নারী ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারতীয় নারীদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে তিনি চিঠিতে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন , লোকসভায় আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিম্ন কক্ষেও বিলটি দয়া করে পাশ করানোর ব্যবস্থা করুন। নারীদের অধিকার রক্ষায় বিলটিতে কংগ্রেস সহায়তা করবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
লোকসভায় ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিলটি ২০১০ সালে অনুমোদন পায় রাজ্যসভায়। কিন্তু নিম্নকক্ষে এখনও আটকে আছে বিলটি। বর্তমানে সংসদের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। তাই সহজেই বিলটি পাশ করা সম্ভব। বর্তমানে ভারতের সংসদে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ মিলে নারী সংরক্ষণ আসন শতকরা মাত্র ১২ ভাগ।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আবেদনের মাধ্যমে এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। নারী স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে কয়েক দিন আগেই যখন দেশটিতে তিন তালাক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, ঠিক তখন দীর্ঘদিন আটকে থাকা এই বিলটি পাশ করানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস।

 

 রোহিঙ্গা ঠেকাতে মরিচ গুঁড়া, স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে ভারত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে তাদের ওপর ‘মরিচগুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড’ ছুড়ছে ভারত। কর্মকর্তারা ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ একথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সংলগ্ন পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে রোহিঙ্গা ঠেকাতে ভারত এমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইতোমধ্যেই দেশটিতে বাস করে আসা প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে বের করে দিতে চায়।
নিরাপত্তায় ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এ বাহিনীর হাতে যে কোনও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নির্মমভাবে ঠেকানোরও ক্ষমতা দেওয়া আছে।
নয়া দিল্লিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ- এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা তাদেরকে গেপ্তার কিংবা গুরুতর জখম করতে চাই না। তবে ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করা হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা কয়েকশ’ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে আমরা মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ব্যবহার করছি পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ।
রোহিঙ্গদের ঠেকাতে নিরাপত্তারক্ষীদেরকে মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড এবং স্টান গ্রেনেড দুই-ই ব্যবহার করতে বলা আছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পিআরএস জসওয়াল। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের একটি বিশাল অংশের পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন তিনি।
মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়। আর স্টান গ্রেনেড ছুড়লে প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। এতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয় এবং অনেক সময় সাময়িকভাবে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার দিন দিনই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে উঠছে।
 

 লন্ডনে মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার বিয়ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ যুক্তরাজ্য জাতীয় শাখার আয়োজনে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ লন্ডনের ব্রিকল্যান্ড হোয়াইট চ্যাপেল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ইঐজঈ’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি কারেন বাক, ব্রিটিশ কাউন্সিলর রিতা বেগম, ইঐজঈ’র ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এ্যাম্বাসেডর এম. শহিদুল ইসলাম, ইউকে ন্যাশনাল ব্রাঞ্চের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ইঐজঈ’র লন্ডন গভর্নর মাসুদুল ইসলাম রুহুল, ইঐজঈ সিলেট বিভাগীয় গভর্নর ড. আর. কে. ধর. ইঐজঈ ঢাকা মহানগর গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, ইইউ কোঅর্ডিনেটর তারাউল ইসলাম, লন্ডন ব্রাঞ্চের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান, ইংল্যান্ডন ব্রাঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, ইউকে উইমেন্স শাখার সভাপতি সাজিয়া সুলতানা øিগ্ধা, এসেক্স ব্রাঞ্চের সভাপতি আব্দুল মজিদ, এসেক্স ব্রাঞ্চের সভাপহি মুজমিল হোসেন, ওয়েস্টমিনস্টার এন্ড কেনজিংটন ব্রাঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হিফজুর রহমান, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সহসভাপতি মুক্ত রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। এছাড়া যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শাখা থেকে আগত মানবাধিকার নেতৃবৃন্দগণ এবং বাংলাদেশ থেকে ৮ সদস্যস্যে একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দেন।




Top

 

সাড়ে ১৩ হাজার কিমি. রাস্তা পায়ে হেঁটে মক্কায়

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দীর্ঘ এক বছরে সাড়ে ১৩ হাজার কিলোমিটার (আকাশ পথে ৯ হাজার কিমি) রাস্তা পায়ে হেঁটে মক্কায় পৌঁছে পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার এক যুবক।
দেশটির পশ্চিম জাভা দ্বীপের পেকালঙ্গান শহর থেকে গেল বছরের ২৮ আগস্ট রাত ১০টায় পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ২৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ খামিম সেতিয়াওয়ান। যাত্রার সময় তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে হেঁটে পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
সময়সূচি অনুযায়ী এ বছরের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ মক্কা পৌঁছার কথা থাকলেও ১৯ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পৌঁছেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান হয়ে দুবাইতে পৌঁছেন তিনি। দুবাই থেকে আবুধাবি হয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করেন।
দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী, প্রবল সাহসী মানসিকতার যুবক মোহাম্মদের বাবা ৭৪ বছর বয়সী সাইয়ফানি সলিচিন জানান, যখনই সে কিছু চেয়েছে, তখন সে নিজেই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে তা অর্জন করেছে। কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারেনি, পারবেও না। সে দৃঢ় বিশ্বাসের একজন মানুষ।
তার এ আধ্যাত্মিক দুঃসাহসিক যাত্রায় তার সঙ্গে ছিল একটি ব্যাকপ্যাক, পবিত্র কোরআনের একটি কপি, কয়েকটি শার্ট, দুই জোড়া প্যান্ট এবং জুতা, এক ডজন মোজা, একটি স্লিপিং ব্যাগ, তাঁবু, একটি পোর্টেবল মশাল, একটি স্মার্ট ফোন, একটি ইন্দোনেশিয়ান মিনি পতাকা, একটি জিপিএস এবং ৩ মিলিয়ন ইন্দোনেশিয়ান রুপি (সৌদি রিয়ালে ৮৫০ রিয়াল) নগদ।
প্রথমে তার এ দুঃসাহসিক যাত্রার পরিকল্পনার কথা জেনে পরিবারের সদস্যরা তার সক্ষমতার ব্যাপারে সন্দিহান থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়নে তার দৃঢ় মনোবল দেখে তারা আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। তাকে এ দুঃসাহসিক ভ্রমণে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে গিয়ে রাত যাপন করতে হয়েছে বিভিন্ন দেশের মসজিদ, সরকারি ভবন, স্থানীয় লোকজনের বাড়ি কিংবা গহীন বন-জঙ্গলের মধ্যে। প্রতিদিন ৫০ কিলোমিটার হাঁটার ইচ্ছা থাকলেও হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার হাঁটতে পেরেছেন। যাত্রা পথে তিনি মালয়েশিয়া এবং ভারতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সুস্থতা এবং শক্তি সঞ্চারের জন্য পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতেন।
মোহাম্মদ খামিম সেতিয়াওয়ান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈরী আবহাওয়া, জাতিগত দাঙ্গা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়লেও মালয়েশিয়ার জঙ্গলে তিনবার বিষাক্ত সাপের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু অলৌকিকভাবে, এমনকি তারা আমাকে কামড়ানোর আগেই পড়ে গিয়ে মারা যায়। রাতে একা একা হাঁটতে গেলে তিনি কিছু অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
যেমন ভারতবর্ষে তিনি সৌদি আরবের রুট সম্পর্কে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু তারা তাকে ভুল পথ দেখিয়েছেন- যার কারণে তাকে আবার একটি দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।”
যাত্রা পথে প্রতিটি দেশে ইন্দোনেশিয়ান মিশনের সহযোগিতা নিয়ে ভিসা স্টাম্পিং করেছেন। হালাল খাবার খেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি হজ পালনে এতটাই দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলাম যে, কোনো বাধা-বিপত্তি আমাকে আটকাতে পারেনি।
হজ শুধু একটি ইবাদতই নয়, এটি একটি মুসলিম সংহতির নাম। যাত্রা পথে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ গোত্রের মানুষের সহযোগিতা, ভালোবাসা এবং ভ্রাতৃত্ব পেয়ে আমি ধন্য হয়ে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

 

Top


পৃথিবীর যে প্রান্তেই নির্বাচন করি না কেন আমি জিতবো: হিলারি ক্লিনটন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই নির্বাচন করা হোক না কেন সেখানেই জয়ী হবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই কথা জানান মার্কিন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী নেতা হিলারি ক্লিনটন।
সাক্ষাৎকারে হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য, অভিবাসন নীতি, লিঙ্গ বৈষম্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন নিজের পরিবারের বিষয়েও।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে ‘হোয়াট হ্যাপেন্ড’ নামে একটি বই লিখছেন। বইটির কেমন সাড়া পাবেন বলে মনে করছেন? এনডিটিভির এমন প্রশ্ন রাখেন হিলারির কাছে।
জবাবে হিলারি বলেন, আমি মনে করি বইটি অনেক মজার। কারণ বইটির বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশে খুবই ভালো হবে। বইটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত ও রাজনীতিক উভয় বিষয় তুলে ধরেছি। এই বইটির লেখনির সঙ্গে বিরোধিরা আমার সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। তবে বইটির মাধ্যমে গণতন্ত্র সম্পর্কে অনেক কিছু শিখার আছে। শুধু আমেরিকার গণতন্ত্র নয় অন্য দেশের গণতন্ত্রের জন্যেও শিক্ষা রয়েছে বইটিতে। আমি মনে করি ভারত এদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
 

নোয়াখালী জেলা শহরে মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে বার্মার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বে-আইনী ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও লুন্ঠনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নোয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এম.নজির উল্লাহ,যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হারুন, সাংবাদিক এ,বি,এম কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক জি,জি,এম মাহবুবুর রহমান, সুবর্ণ চর উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক,সদর উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বেগমগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌস, সোনাইমুড়ী উপজেলা সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি ও এসোগড়ি এনজিও এর নির্বাহী প্রধান মোঃ আবদুল আউয়াল, চাটখিল উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, কবিরহাট উপজেলা সভাপতি আবদুর রহিম (সাবেক চেয়ারম্যান),কোম্পানিগন্জ উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট সোলায়মান ও সকল পৌরসভা নেতৃবৃন্দ। উক্ত মাববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট মোঃ বেলায়েত হোসেন উক্ত মানববন্ধনে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে ফেরৎ নিয়ে
শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহববান জানায়। কবির চৌধুরী,বেগমগন্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌস,সোনাইমুড়ী উপজেলা সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন,সিনিয়র সহ সভাপতি ও এসোগড়ি এনজিও এর নির্বাহী প্রধান মোঃ আবদুল আউয়াল,চাটখিল উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, কবিরহাট উপজেলা সভাপতি আবদুর রহিম (সাবেক চেয়ারম্যান),কোম্পানিগন্জ উপজেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট সোলায় মান ও সকল পৌরসভা নেতৃবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধনে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে ফেরৎ নিয়ে
শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহববান জানায়।
 

জন্মলগ্নে মা-বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয় যে সব প্রাণি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। সত্যিই তো প্রকৃতির রাজ্যের সব সৃষ্টিরই রয়েছে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য, রয়েছে সৌন্দর্য বিকাশের আপন পরিবেশ। প্রকৃতির নিয়মেই এই পৃথিবীর সকল প্রাণী মাতৃগর্ভে জন্ম নেয়। হাঁস, মুরগি, সাপ, ব্যাঙ, কুমিরসহ নানা প্রজাতির সরীসৃপ মাতৃগর্ভে জন্ম না নিলেও মা ডিমে তা দিলেই তবেই পরে বাচ্চার জন্ম হয়। অথচ এই পৃথিবীতে এমন কিছু ভাগ্যহীন প্রাণী রয়েছে যারা জন্মের আগে মা-বাবার সেই স্নেহ-ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়। এদেরই একটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস টার্কি।
অ্যালেকটুরা লাথামি নামের এই বিশেষ প্রজাতির টার্কি মুরগি নিজেরা ডিমে তা দেয় না। মোরগ-মুরগিরা ডিম পাড়ার আগে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় শুকনো গাছপালা, খড়কুটো জড়ো করে রেখে তার মধ্যে ডিম পেড়ে রাখে। ডিমের মাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর জন্য তারা প্রয়োজনে এই খড়কুটোর পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করে। কিন্তু নিজেরা কখনোই ডিমে তা দেয় না। নির্দিষ্ট দিনে সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পরও মা মুরগির সান্নিধ্য পায় না। জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উড়তে শিখে যায় এই ব্রুস টার্কি ছানারা। এই রকমভাবে বাবা-মায়ের সহায়তা ছাড়াই জন্মাতে সক্ষম পাখিদের মেগাপডস বলা হয়। জন্মের পর কখনোই হয়তো বাবা-মায়ের দেখা পায় না এই পাখিরা। গিরগিটি প্রজাতির অধিকাংশই ডিম পাড়ার জন্য একটি গোপন জায়গা খুঁজে বের করে, তারপর সেই ডিমগুলোকে কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে রাখে। মজার বিষয় হলো, ডিমগুলোকে লুকিয়ে রাখার পর তারা নিজেরাই ভুলে যায় কোথায় রাখা হয়েছিল সেগুলো। কারণ এই গিরিগিটিদের সাধারণত একটি জায়গাই পায়ুপথ এবং যোনিপথ হিসেবে ব্যবহূত হয়। প্রাকৃতিক কারণেই তাই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ থেকে পেছনের কথা ভুলে যায় তারা। এ কারণেই জন্মের পর কখনোই বাবা-মায়ের সাথে সাক্ষাত্ হয় না বাচ্চা গিরিগিটিদের।
এদিক দিয়ে অনেক বেশি দুর্ভাগা দক্ষিণ মাদাগাস্কারের শুষ্ক বনাঞ্চলের ল্যাবোর্ডরা। মাত্র এক বছর জীবনকাল এই ল্যাবোর্ডদের। নভেম্বরে জন্মের পর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই এরা প্রজননক্ষম হয়ে হঠে। এরপর মা ল্যাবোর্ডরা শীতের আগে ডিম পেড়ে রেখে চলে যায়। অক্টোবর-নভেম্বরে গ্রীষ্মের আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই এই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় তাদের বাবা-মায়ের। প্রকৃতির নির্মম নিয়মের কাছে হার মেনে যায় মা-সন্তানের অমোঘ ভালোবাসা।

 

ইসলাম বিরোধী শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল চীন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সোশ্যাল মিডিয়া শব্দ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল চীনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ইসলাম বিরোধী কোনও শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, এমনই একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চীন ২১মিলিয়নেরও বেশি শুধু মুসলিম, সরকারি হিসাব অনুসারে।
সরকারি পক্ষে জানানো হয়েছে, ইসলাম বিরোধী কোনও শব্দ ব্যবহার করা যাবে না সোশ্যাল মিডিয়াতে। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ চীন সরকার এই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, জিনজিয়াং এবং নিনক্সিয়া এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সব থেকে বেশি। গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামোফোবিক এই সমস্ত শব্দগুলির জন্য অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা রুখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছিল কড়া নিয়ম। সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে চীনাদের আইএসে যোগ দেয়ার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সেই জন্যই জারি হয়েছে এই কড়া নিয়ম।
জিনজিয়াং প্রদেশে মূলত চীনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষরা বসবাস করে। অপরদিকে, নিনক্সিয়া এলাকায় হুই কমিউনিটির মানুষ বসবাস করে। মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে সম্প্রতি কয়েকশো সেনা পাঠিয়েছ সরকার।



 আমরা চুপ থাকতে পারি না


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের পক্ষে মুখ খোলার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল শুক্রবার বিবিসি এ খবর দেয়।
মানবাধিকারকর্মী মালালা বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চুপ থাকতে পারি না।’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন মালালা। সেখানকার নতুন জীবন নিয়ে খানিকটা নার্ভাস বলে জানালেন তিনি। সেই অক্সফোর্ডে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহ্বান জানান।
মামলা বলেন, ‘এটি মানবাধিকার ইস্যু। সরকারের উচিত প্রতিক্রিয়া দেখানো। জনগণ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে। শিশুরা শিক্ষা ছাড়াও সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

দুই দেশের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বলে দাবি করছেন এক নারী!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রহস্যময়ী এই নারীর পর্দার আড়ালে নাকি অনেক ক্ষমতা। দাবি করেছেন, ক্ষমতাধর দুটি দেশের প্রভাবশালী দুই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী তিনি। পয়সাকড়ির অভাব নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার দাবিও করেন তিনি। বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই নারীর মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। মঙ্গলবার সেই দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
মাদাম জিজেল ইয়াজ্জি বলে তিনি পরিচিত। তাঁর আরও অনেক নাম রয়েছে। এসব নাম তিনি বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ডেও আছে আলিশান বাড়ি। ৫০ বছর বয়সী এক নারীর দাবি করেছেন, তিনি দুটি দেশের দুই বিখ্যাত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী! কিন্তু তাঁদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে গোপনে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রেসিডেন্ট স্বামীদের ইচ্ছায় তিনি বিয়ের তথ্য চাপা রেখেছেন।
জিজেল ইয়াজ্জির দাবি, মিসরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তাঁর স্বামী! তবে এ খবর আর কেউ জানেন না। তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির ফোনালাপ করিয়ে দিয়েছেন তিনিই। ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির সুসম্পর্কের কারণও নাকি তিনি!
জিজেল দৃঢ় গলায় দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ তাঁর স্বামী ছিলেন! কিন্তু এর কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নাকি তাঁর হাত রয়েছে। ঘানার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন কুফুয়োরের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। এ নিয়ে ঘানার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্লগে লেখালেখি হয়েছিল।
তবে হুগো চাভেজ ও সিসির সঙ্গে কবে তাঁর বিয়ে হয়েছে, তা জিজেল জানাননি।
জিজেল দাবি করেন, তাঁর জন্ম লেবাননে। তিনি বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবায় তাঁর অবাধ চলাচল। কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিল হয়।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে চটকদার এক দাবি করেছেন জেজেল। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ইভানকার কাছে নাকি তাঁর মর্যাদা অনেকটা মায়ের মতোই। শুধু তা-ই নয়, হোয়াইট হাউসে তাঁর বসারও ব্যবস্থা আছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জিজেল নামে হোয়াইট হাউসে কেউ কাজ করেন না। জিজেলের অর্থ-সম্পদ নিয়ে তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জিজেলের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অ্যাটর্নির কার্যালয়। ব্যক্তিগত জেট বিমানে চলাচল করা এই নারীর তথ্যগুলো কতটা সঠিক, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।


 

হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত সিঁদুরে বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা রয়েছে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হিন্দু র্ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত সিঁদুরে বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা রয়েছে। রুটজার্স বিশ^বিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। স্কুল অব পাবলিক হেলথের রুটজার্স গবেষকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি থেকে সংগৃহীত নমুনার ৮৩ শতাংশ ভারত থেকে সংগৃহীত নমুনার ৭৮ শতাংশে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ১.০ মাইক্রোগ্রাম সীসা পাওয়া গেছে। এদিকে নিউজার্সি থেকে সংগৃহীত নমুনার ১৯ শতাংশে এবং ভারত থেকে সংগৃহীত নমুনার ৪৩ শতাংশে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে প্রতি গ্রামে ২০ মাইকোগ্রাম বেশী সীসা মিলেছে।
স্কুল অব পাবলিক হেলথে এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড অকুপেশনাল হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ লেখক ডেরেক শেনডেল বলেন, এ সীসার পরিমাণ শরীরের জন্য নিরাপদ মাত্রার নয়। তাই আমরা মনে করি যে সীসামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সিঁদুর যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করা বা আনা উচিত নয়।
সীসা অতি উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত বিষ। এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আই কিউ কমে যাওয়া, আচরণগত সমস্যা এবং শিশুদের বেড়ে ওঠা বিলম্বিত হয়। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর তথ্যানুযায়ী কমপক্ষে ৪০ লাখ বাড়ির শিশুরা উচ্চ মাত্রার সীসার ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার। এ তথ্যে বলা হয়, কারো রক্তেই সীসার নিরাপদ মাত্রা পাওয়া যায়নি।
আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথের অক্টোবর সংখ্যায় মন্থন পি. শাহর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, রুটজার্স গবেষকরা সিঁদুরের ১১৮টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষায় নিউজার্সির দক্ষিণ এশীয় দোকানগুলো থেকে নেয়া ৯৫টি এবং মুম্বাই ও নয়া দিল্লী থেকে নেয়া ২৩টি নমুনা ব্যহার করা হয়। এতে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ নমুনায় সীসার মাত্রা মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশী।
শেনডেল, মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষণাপত্রের সহ লেখক মন্থন পি. শাহ এবং স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগ বিস্তার বিদ্যার অধ্যাপক উইলিয়াম হ্যালপেরিন বলেন, আর কিছু না হলেও সিঁদুরে সীসার মাত্রা মনিটর করা এবং সম্ভাব্য ক্ষতির ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করা উচিত।
গবেষকরা বলছেন যে সরকারের উচিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিষয়টি দেখা এবং ভোক্তাদের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার ছেড়ে দেয়ার উপরর নির্ভর করা ঠিক হবে না। তারা বলেন, যে সব সিঁদুর এখানে পাওয়া যায় সেগুলোর সংখ্যা এত বেশী যে ঠিক কোনটিতে সীসা আছে কোনটিতে নেই তা নির্ধারণ করা কঠিন।
হ্যালপেরিন বলেন, কে কোন সিঁদুর ব্যবহার করবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভোক্তাদের উপর নির্ভর করা উচিত হবে না। এটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
 

মন্ত্রণালয়ের নজরদারিতেও বন্ধ হচ্ছে না টেস্ট বাণিজ্য
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর দশমিনা পল্লী থেকে আগত রোগী মেরাজ মিয়া বক্ষব্যাধির চিকিৎসা নিতে দালালের হাত ধরে হাজির হন ধানমন্ডির এক পাঁচ তারকা হাসপাতালে। সেখানে কেবিন নিয়ে টানা দুই দিনের ভাড়া বাবদ আট হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধের পরই কেবল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে সামনে পান।
তিনি মেরাজ মিয়ার মুখে অসুস্থতার বর্ণনা শুনেই প্রেসক্রিপশনের নামে ৯ ধরনের টেস্ট (শারীরিক পরীক্ষা) সংক্রান্ত স্লিপ দিয়ে জরুরিভাবে তা করানোর নির্দেশ দেন। শারীরিক পরীক্ষাগুলো পাঁচ তারকা হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করানোর ব্যাপারেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিশেষ তাগিদ ছিল। বাধ্য হয়েই মেরাজ মিয়া তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালেরই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাজির হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ৯ ধরনের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এ জন্য তার কাছ থেকে ৫২ হাজার টাকা আদায়করা হয়। পরদিন যথারীতি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টেস্ট রিপোর্টগুলো দেখে ‘বড় ধরনের কোনো অসুস্থতার আশঙ্কা নেই’ বলে মেরাজ মিয়াকে আশ্বস্ত করেন এবং সামান্য কিছু ওষুধ নিয়মিত সেবনের পরামর্শ দিয়ে বিদায় করে দেন। ওই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে মহাখালীর এক আত্মীয়ের বাসায় উঠতে না উঠতেই মেরাজ মিয়ার শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করে। রাতে তার অবস্থার চরম অবনতি ঘটায় আতঙ্কিত আত্মীয স্বজন দ্রুত তাকে গুলশানের অপর একটি অভিজাত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আরেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মেরাজ মিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুততার সঙ্গে আরও সাত ধরনের টেস্ট করার নির্দেশ দেন। এ সময়মেরাজ মিয়ার স্বজনরা এক দিন আগেই সম্পন্নকৃত স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজপত্রের ফাইল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের হাতে তুলে দিলে তিনি তা ছুড়ে ফেলে দেন। ওই ডাক্তার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ঢাকার অন্য কোনো ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট তিনি বিশ্বাসই করেন না। গুলশানের অভিজাত ওই হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া তার দ্বারা রোগী দেখা সম্ভব না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। উপায়ান্তরহীন মেরাজ মিয়াকে সেখানকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে নতুন করে একই ধরনের টেস্ট করানো হয । এবার তার খরচ হয় ৬৫ হাজার ২৫০ টাকা। পরদিন সেসব টেস্ট রিপোর্ট দেখে মেরাজ মিয়াকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে অন্তত ১০ দিন ভর্তি থেকে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত দেন। বর্তমানে সেখানেই দৈনিক তিন হাজার টাকা বেড ভাড়ায় অবস্থান নিয়ে জটিল রোগের জরুরি চিকিৎসা নিচ্ছেন মেরাজ মিয়া।
কথায়কথায়টেস্ট : সাধারণ রোগের জন্যও চিকিৎসকেরা বিভিন্ন টেস্ট দিয়ে রোগীদের পাঠাচ্ছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখান থেকে তারা পান কমিশনের কাঁড়িকাঁড়ি টাকা। রোগী আকর্ষণের জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয়বিশেষজ্ঞদের তালিকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হলেও তাদের অধিকাংশকেই পাওয়া যায়না। নাম ব্যবহার বাবদ মাসিক ফি দেওয়া হয় ওই সব ডাক্তারকে। ডাক্তাররা এখন সামান্য জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশির জন্যও ডজন ডজন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা লিখে দিচ্ছেন। প্রয়োজন না থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত করিয়ে ছাড়েন তারা। সুযোগ থাকলে অপারেশনের মুখোমুখি করিয়ে লাইফ সাপোর্টের পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রোগীকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডাক্তারের জন্য রয়েছে লোভনীয় কমিশন।
ভুঁইফোড এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল বিভাগটি বরাবরই চরম উদাসীন। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রও নেয়নি এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিনিয়ত রক্ত মিশ্রিত ব্যান্ডেজ, মাংসের টুকরা, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও অন্যান্য আবর্জনা ফেলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের আশপাশে, খোলা স্থানে। এ কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে র‌্যাব উদ্যোগী হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। দোষী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিলগালা করাসহ মালিক-কর্মকর্তাদের জরিমানা দণ্ডেরও রায় দেওয়া হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগটির কোনো রকম তৎপরতা দেখতে পাওয়া যায় না।
 

Top

  ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট হারালে করণীয়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ বা শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়তই আমাদের যেতে হয়। বিদেশে যাওয়ার পর আমার পরিচয় বহনের একমাত্র প্রমাণ হলো পাসপোর্ট।
কোনো কারণে পাসপোর্ট যদি হারিয়ে যায় তাহলে বিদেশের মাটিতে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সঠিক প্রমাণাদির অভাবে কারাগারেও যেতে হতে পারে আপনাকে। তাই বিদেশের মাটিতে পাসপোর্ট হারালে কী করবেন?
জেনে নিন বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়-
চাকরির সময় :
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যারা চাকরি নিয়ে যান তাদের অনেককে মালিকের কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। মালিক পক্ষ থেকে তাদের সরকারি বিভিন্ন অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয়। তবে নিজের প্রয়োজনে পাসপোর্টের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসা, ফ্রি ভিসায় চাকরি করতে যান তাদের উচিত পাসপোর্ট সব সময় সঙ্গে রাখা।
তারপরও দুর্ঘটনাবশত পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি ও রোডপাস বা রাস্তায় চলাচলের প্রত্যয়নপত্র (যদি সঙ্গে থাকে) নিয়ে যোগাযোগ করলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আপনাকে নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করা হবে।
ভ্রমণের সময় :
আপনার বিদেশ ভ্রমণের পুরো আনন্দটাই মাটি হতে পারে যদি আপনি পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন। কোনো কারণে যদি তা হারিয়েই ফেলেন তাহলে সবার আগে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে বাংলাদেশ হাই কমিশনে। কোনো ট্যুর অপারেটর বা ট্র্যাভেল এজেন্সি যদি আপনার ভ্রমণে সহায তা করে থাকে তবে তারাই আপনাকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায তা করবে।
এরপর আপনাকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ হাই কমিশন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস ও ইমিগ্রেশন আপনার সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে একটি পত্র বা দরখাস্ত পাঠাবে। এ পত্র বা দরখাস্তই আপনাকে সুন্দরভাবে দেশে ফিরে আসতে সহায তা করবে।
পাসপোর্ট নবায়ন:
বিদেশে অবস্থান করার সময় নিজের পাসপোটের্র মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা থেকে বাংলাদেশিরা তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগেই নবায়ন করা ভালো।
দেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়-
প্রথমেই পাসপোর্টটি যে থানা এলাকায় হারিয়ে গেছে সেই থানায় পাসপোর্ট হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের ভিসা লাগানো থাকে তবে সেই বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করতে হবে।
কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট হারানো বা চুরি হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা রুজুর পর পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করবে যাতে উক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশ গমন করতে না পারে।
তাই হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্ট পাওয়া গেলে একইভাবে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা হতে পাসপোর্টটি প্রত্যাহারের নিমিত্তে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে সাধারণ ডায়েরির কপিসহ পুনরায় আবেদন করলে পাসপোর্ট অফিস আপনাকে নতুন একটি পাসপোর্ট দিবে।

লাকসামে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

লাকসামে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে লাকসাম বাইপাসে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান রোম্মানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হারুনুর রশিদ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাসউদ আলম, লাকসাম পৌরসভা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম হেলাল, ডিবিসি কুমিল্লা প্রতিনিধি মোঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বিজয় টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি ও মনোহরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক, আজকের জীবন পত্রিকার লাকসাম প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম শাহীন, যুগান্তর প্রতিনিধি এম এ মান্নান, সাপ্তাহিক কুমিল্লা পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ জাফর আহম্মেদ, সাপ্তাহিক লাকসাম নির্বাহী সম্পাদক নুর উদ্দিন জালাল আজাদ, বৃহত্তর কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখা মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহমেদ মাসুদ, ডা: মো: মীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক তমিজ উদ্দিন আহম্মেদ চুন্নু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শিরিন আক্তার, মানবাধিকার কর্মী মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ সফিউল আলম (সুমন), মোঃ আফজালুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম ফিরোজ, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ আবদুল মোমিন কামাল, আবু জাফর মোঃ সালেহ, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মালেক, আলহাজ্ব অজি উল্ল্যাহ, আব্দুর রহিম, আশরাফুল আলম, আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।


৫৬ দিনে ১ লাখ ৯৭ হাজার অভিযোগ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা দুদকে অভিযোগের পাহাড়। প্রতিদিন জমা পড়ছে একের পর এক অভিযোগ।
গত ২৭ জুলাই দুদকে চালু করা হয় তিন ডিজিটের টেলিফোন হটলাইন-১০৬ সেবা। ৫৬ দিনে ফোন কলের মাধ্যমে ১ লাখ ৯৭ হাজার অভিযোগ জমা হয়েছে। মূলত লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতিসংক্রান্ত সংবাদ আমলে নিয়ে চলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান কার্যক্রম। অভিযোগ আমলে নিতেই যোগ হয়েছে দুদক হটলাইন-১০৬। এ হটলাইনে প্রতিদিন কয়েক হাজার কল আসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে। কিন্তু দুদকের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে পারছে না সংস্থাটি। তফসিলভুক্ত না হওয়ায় লিখিত কিংবা মৌখিক হটলাইনকেন্দ্রিক অন্তত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ অভিযোগ আমলে নেয় না দুদক। ফলে ওই অভিযোগের বিষয়ে দুদকের করণীয় কিছু থাকে না। অর্থাৎ শুধু তফসিলের বিষয়ে জনসাধারণের স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় অধিকাংশ অভিযোগে দুদককে নীরব ভূমিকা পালন করতে হয়। এ কারণে দুদক চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুদকের তফসিল বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক পরিচালক এ কে এম জায়েদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হটলাইন সেবা চালু হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৯৭ হাজার অভিযোগের ফোন কল এসেছে। এর মধ্যে আমলযোগ্য অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে চার শর কিছু বেশি হবে। এর মধ্য থেকে হাতে গোনা ২০-২২টি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অন্য অভিযোগগুলোর স্থান হয়েছে বন্ধ নথিতে। ’ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এত দিন দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ আসত দুদকে।
অভিযোগের ধরন ও যাচাই-বাছাই : দুদকের তফসিলভুক্ত ও তার শাস্তির বিধানসহ উল্লেখযোগ্য অপরাধগুলো হলো : সরকারি চাকরিজীবীদের দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বা উপঢৌকন গ্রহণ। এ ধরনের অপরাধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২ ও ১৬৩ ধারায় এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীসহ বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক যদি বেআইনিভাবে নিজ নামে কিংবা বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন, দুদক আইনের ১৬৫ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের আইন অমান্যের কারণে কোনো ব্যক্তির ক্ষতি হলে ও ইচ্ছাকৃত ভুল নথি উপস্থাপনে কারও ক্ষতি হলে আইনের ১৬৬ ও ১৬৭ ধারায় এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি অনুমতি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেন কিংবা অন্যায়ভাবে নিলামে কোনো সম্পত্তি কেনেন তাহলে দুদক আইনের ১৬৮ ও ১৬৯ ধারায় এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধার রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোনো অপরাধীকে শাস্তি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য সংরক্ষণে কারও কোনো ক্ষতি হলে তা দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধে আইনের ২১৭ ও ২১৮ ধারায় দুই থেকে তিন বছরের শাস্তি ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সরকারি কর্মচারী এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যদি সরকারি অর্থ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ কিংবা ক্ষতিসাধন করেন অথবা মিথ্যা হিসাব দাখিল করেন; জালিয়াতির কোনো দলিল বৈধ ব্যবহার করেন এবং অপরাধীর কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করেন তা দুদক আইনের ৪০৯, ৪৭৭, ৪২০, ৪৬২, ৪৬৬, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।


 

প্রবাসে খুব কষ্টে আছে বাংলাদেশিরা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রবাসে খুব কষ্টে আছে বাংলাদেশিরামধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা এখন আর ভালো নেই। বিদেশে তারা নানাবিধ সংকটে দিন কাটাচ্ছে। কয়েক বছর আগে থেকে চলা অর্থনৈতিক মন্দা, জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া, যুদ্ধবিগ্রহ, ইউরোপজুড়ে মারাত্মক অভিবাসন সংকট, অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত দেয়ার চাপ ও ব্যাপক ধরপাকড় এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে পদে পদে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন প্রবাসীরা। আবার দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নানা জটিলতা মোকাবিলা করে বাধ্য হয়ে বিদেশে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশিরা। শুধু তাই নয়, বিদেশে কর্মসংস্থান ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসা এবং আয় কমে যাওয়ায় প্রবাসীদের সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর সংখ্যা বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়েনি, বরং কমেছে। এছাড়া গত ৫ মাস ধরে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে জনশক্তি রফতানি। গত মার্চে এক লাখ ৬ হাজার কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থান হলেও পরের মাসগুলোকে কমতে শুরু করেছে। এতে দেখা যায়, গত এপ্রিলে বিদেশে গেছে ৯৫ হাজার কর্মী, মে’ মাসে গেছে ৮৩ হাজার কর্মী, জুন মাসে গেছে ৬৮ হাজার কর্মী এবং চলতি মাসে যাবে ৬৬ হাজার কর্মী। তবে সৌদি আরব, ওমান ও কাতারে যেসব কর্মী এখন যাচ্ছে তাদের একটি বড় অংশ সেখানে মাসের পর মাস কাজ পাচ্ছে না। তারা বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে। অনেকেই অভিবাসন ব্যয়ের সঙ্গে আয় নগণ্য দেখে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসছেন। আবার অনেকে কর্মরত কোম্পানিতে মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও হেইট ক্রাইমে হত্যা ও এসিড সন্ত্রাসে আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলায় লাখ লাখ অভিবাসী জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢুকে পড়ছেন। এসব অভিবাসীর চাপ সামলাতে টালমাটাল ইউরোপ ও তাদের রাজনৈতিক অঙ্গন। এ অবস্থায় ইউরোপে অবৈধভাবে থাকা ৯৩ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইইউ। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশকে মারাত্মক চাপে রেখেছে ইইউ। এসব অবৈধদের ফেরত না নিলে, বাংলাদেশিদের নতুন করে ইউরোপের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসার হুমকিও রয়েছে। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি বাণিজ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পড়বে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইউরোপ থেকে পর্যায়ক্রমে সব বাংলাদেশিকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিবাসন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অঙ্গীকার রয়েছে অবৈধ বাংলাদেশি যেখানেই থাকুক, ফেরত নেয়া হবে।
এদিকে সৌদি সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরে আসার আবেদন করেছেন বলে সোমবার এ খবর দিয়েছে সৌদি গেজেট। এর মধ্যে ৪৫ হাজার বাংলাদেশি স্বদেশে ফেরার প্রক্রিয়া সৌদি আরবেই সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন। আগামী সোমবার সৌদি সরকারের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সৌদি গেজেটের জানায়, সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলের আরার এবং দক্ষিণাঞ্চলের আসির অঞ্চলসহ সর্বত্র স্বদেশে ফেরত উচ্ছুক কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

 

“কুলাউড়ায় মানবাধিকার কমিশনের কর্মশালা সম্পন্ন”


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৯ জুলাই ২০১৭ কুলাউড়া রিক্রেশন ক্লবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুলাউড়া উপজেলা শাখা ও দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার যৌথ উদ্যোগে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড: কিশোরী পদ দেব শ্যামল। কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদের পরিচালনায় দিনব্যাপী উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামীম মুসা, কুলাউড়া বি.আর.ডি.বির সভাপতি ফজলুল হক ফজলু। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ইউ:পি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, শিক্ষক আব্দুল বাছিত, ফখরুল ইসলাম, রেজাউর রহমান কয়ছর, সুজিত দে, দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তপন দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ, মাহমুদুর রহমান মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন লাল দেব প্রমূখ। সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় কুলাউড়া উপজেলা শাখা ও দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালার প্রাক্কালে কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল জলিল ও গীতাপাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী নয়ন লাল দেব।


নরসিংদীর ডাংগা ইউনিয়নের ৫ মাসে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে হত্যা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নে যৌতুকের জন্য রুমানা আক্তার (২৩) নামে এক অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী । গত ২৩ জুলাই ২০১৭ দিবাগত রাতে ডাংগা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। পরদিন ২৪ জুলাই ২০১৭ পলাশ থানার পুলিশ রুমানা আক্তার এর লাশ তার স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত রুমানা আক্তারের একটি প্রায় দেড় বৎসরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী লাবন বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় ৩ বৎসর আগে ইসলাম পাড়ার নয়ন মিয়ার ছেলে লাবনের সঙ্গে রুমানার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রায় সময়ই তার স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতো। টাকার জন্য একাধিকবার তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার পিত্রালয় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবা পর্যায়ক্রমে লাবনকে সাত লক্ষ টাকা দেন। ২৪ জুলাই রাতে রাতে আবারও তার বাপের বাড়ী থেকে টাকা এনে দিতে বললে রুমানা টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় লাবন তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত রুমানার বাবা খোরশেদ আলম জানান মৃত্যুর এক ঘন্টা আগে মেয়ে তাকে ফোন দিয়ে সকাল সকাল তাদের বাড়ীতে যেতে বলেন। মেয়ে আরও বলেন তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রায় একঘন্টা পর লাবনের পাশের বাড়ীর একজন ফোন করে জানায় তার মেয়ে রুমানা মারা গেছে। তারা আমার মেয়েকে টাকার জন্য মেরে ফেলেছে বলে দাবী করেন রুমানার বাবা খোরশেদ আলম। ডাংগা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কৌশিক ইসলাম (নয়ন) জানান এর আগেও রুমানাকে তার স্বামী মারধর করতো। মৃত্যুর খবর পেয়ে সংবাদ পেয়ে ইউপি সদস্য সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশকে খবর দেন। পলাশ থানার সেকেন্ড অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের অভিযান চলছে।


 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অপরাধে যুবকের যাবজ্জীবন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ বছরের এক বুদ্বি প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে গোলাম কিবরিয়া (২১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকার অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত দায়রা জজ জিয়াউর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশে জরিমানার অর্থ ওই শিশু (ভিকটিম) পাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
দন্ডিত গোলাম কিবরিয়া জেলার ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি উত্তরপাড়ার সেনারুর মিস্ত্রীর ছেলে। মামলা সূত্রে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (আ্যাড.পিপি) আঞ্জুমান আরা জানান, গত ২০১৬ সালের ২৮ মে বিকেলে আসামীর বাড়িতে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয় মানসিক প্রতিবন্ধী ওই শিশু। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৩০ মে ভোলাহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভোলাহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সবুর খান ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানী শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত বুধবার একমাত্র অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। আসামী পক্ষে ছিলেন আ্যাড. আব্দুল ওদুদ।
 

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষদের ভূমিকাই মুখ্য


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষদের ভূমিকাই মুখ্য। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের ঘটনার জন্য মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দায়ী। এরপর দায়ী করা যাবে ইন্টারনেটের প্রভাব, নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা, সামাজিক মূল্যবোধের অভাব এবং এসব ঘটনা প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে না আসার কারণকে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘পৌরুষ:নতুন ভাবনা-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মতামত তুলে ধরেন। ব্র্যাক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ব্র্যাকের স্ট্রাটেজি, কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রূপার উপর যৌন নির্যাতন ও তাকে হত্যার ঘটনা আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এতে বোঝা যায় নারীর প্রতি সহিংসতা কতটা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এ ধরনের সহিংসতারোধে পুরুষদের ভূমিকা মুখ্য। এই প্রেক্ষাপটে নারী নির্যাতন রোধে কিভাবে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায় এবং এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি তা তুলে ধরতেই এ সভার আয়োজন।
একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ইশতিয়াক রেজা বলেন, গণমাধ্যমেও দেখা যায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পোশাক বা স্বভাব এমনভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, যেন ধর্ষকের পক্ষেই ওকালতি করা হচ্ছে। এই ঘরানার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


ফুলপুরে সার্কেল এএসপির হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে সার্কেল এএসপি শাখের আহাম্মদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো লিজা আক্তার (১৪) নামের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ।
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের নবম শ্রেণিতে পডুয়া লিজা আক্তারকে (১৪) বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে মর্মে সংবাদ পান ফুলপুর সার্কেলের এএসপি শাখের আহাম্মদ। সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় বিয়ের সাজে সাজানো হয়েছিল লিজাকে। এএসপি শাখের আহাম্মদ উভয় পরে অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের তিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করেন। এতে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বিবাহ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। লিজার বাবা মেয়েকে এখই বিয়ে না দিয়ে তাকে লেখাপড়া করার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন।


কোমলমতি শিশুদের দিয়ে চলছে কারখানা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গাজীপুরের শ্রীপুরে অসংখ্য শিল্পকারখানায় শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশু শ্রমের কারণে এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। উপজেলার বিভিন্ন কারখানায় শিশুরা অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে। নামমাত্র বেতনে শিশু শ্রমিক পাওয়া যায় বিধায় কারখানার মালিকেরা শিশুদের কাজে নিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। শিশুদের মাসিক বেতনের টাকাও সঠিক সময়ে পরিশোধ করছে না কারখানার মালিকরা। অপরিপক্ব বয়সে কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকায় ও দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করে তারা অপুষ্টির শিকার হয়েই বেড়ে উঠছে। কারখানা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। যে বয়সে কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে থাকার কথা, সেই বয়সে ঘুরাতে হচ্ছে কারখানার চাকা। যাদের বয়স ৮ বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এমন একটি কারখানার সন্ধান মিললো গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকায় গোদারচালা গ্রামে। কম বেতনে কাজ করানো যায় বিধায় এমন বয়সী শিশুদের দিয়ে চলছে পুরো একটি কারখানা, অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকার গোদারচালা গ্রামের এ.আর.আই কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্যাকে কারখানা শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। কারখানায় ২৬ জনের মতো শিশু শ্রমিক দৈনিক দুই শিফটে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করছে। স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে একারখানা।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন, ভালো থাকুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘নির্যাতক পুরুষেরা সুখে থাকেন না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেশে পরিচালিত একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়, যার ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পুরুষ নারী নির্যাতন করেন, জীবন নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টির মাত্রা যাঁরা নারী নির্যাতন করেন না তাঁদের তুলনায় কম। নির্যাতন করার বিষয়টি তাঁদের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ নারী নির্যাতনকারী পুরুষেরা সুখী হন না। ওই প্রতিবেদনে আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, সমাজে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়।
গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ অসুখী। কারণ, নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যাটা যে অনেক বেশি। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় নারীর ওপর নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি জরিপের ফলাফল। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। আর স্বামীরা তাঁদের ওপর এ নির্যাতন চালিয়ে থাকেন। এ অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা আর নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যা সমান। কী ভয়াবহ ব্যাপার, তাই নয় কি? পুরুষেরা নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের বারোটা তো বাজিয়েই চলেছেন, তার ওপর নিজেরাও ভালো থাকছেন না। কী লাভ হচ্ছে তাহলে?
আমাদের দেশের অনেক পুরুষই হয়তো দেশে ও বিদেশে পরিচালিত ওই গবেষণার ফলাফলকে মানতে চাইবেন না। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন, মারধর না করলে মেয়ে লোক মাথায় চড়ে বসে। আর নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা বা সংসারে তাঁর কথাই যে শেষ কথা, সেটা বোঝানোর জন্যও অনেকে মারধরকেই পথ হিসেবে মানেন।
নির্যাতনকারী সেই সব পুরুষকে বলতে চাই, নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এটা কোনো রাস্তা নয়। সংসার তো নারী-পুরুষ দুজনের। সেখানে পুরুষকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই হবে কেন? দুজনে মিলেমিশে দুজনের মতের ভিত্তিতে কি সংসার চালানো যায় না? নিশ্চয়ই যায়। এ রকম উদাহরণও তো সমাজে আছে। স্ত্রীকে মারধর করে আপনি যতটা না কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন, ভালোবাসলে, স্ত্রীর দায়িত্ব নিলে দেখবেন আপনা-আপনি আপনার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে স্ত্রীও ভালো থাকতেন এবং নিজেও সুখী হতেন।
অনেক পুরুষ ভাবেন, গায়ে হাত তুললেই সেটা কেবল নির্যাতন হয়, এ ছাড়া নির্যাতন হয় না। কিন্তু কাউকে যখন মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়, সেটাও নির্যাতন। আমাদের ভদ্র সমাজে মানসিক নির্যাতনের হার বেশি। আছে অর্থনৈতিক নির্যাতনও।

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

বরগুনায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় বাদিনীর জেল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরগুনায় ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদিনীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জুলফিকার আলী খান ১১ই জুলাই ২০১৭ বিকালে এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী পৌরসভার বাসিন্দা আবদুল মালেকের স্ত্রী মোসাঃ তাসলিমা বেগম। জানা যায়, মোসাঃ তাসলিমা বেগম ২০০৯ সালের ৩০শে এপ্রিল বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার প্রতিবেশী মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল মান্নান হাওলাদারকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ঐ মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ৬ই জুন মান্নান রাত ৮টার দিকে তার বসতঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায় মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৭শে জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল ২০০৮ সালের ৪ঠা আগস্ট আসামি মান্নানকে খালাস দেন। তাসলিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ এনে আসামি মান্নান ক্ষুব্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একই ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২১শে জুন তাসলিমাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ১১ জুলাই ২০১৭ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাসলিমাকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর মান্নান বলেন, আমার ৫৫ বছরের জীবনের সকল অর্জন তাসলিমা একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে শেষ করে দিয়েছে। আজ থেকে আমি কলঙ্কমুক্ত।
 

কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা নাজুক : আইজি প্রিজন্স


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানিয়েছেন, কারা বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা কিছুটা নাজুক। দেশের ৬৮ কারাগারে ডাক্তারের চাহিদা ১১৭ জন। সেখানে ডাক্তার আছেন মাত্র ৬ জন। যেসব নার্স আছেন তারাও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স আছে ৯টি। তবে চিকিৎসক না থাকলেও আমরা বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চিন্তিত নই। গত ১৪ মে রবিবার রাজধানীর কারা অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন্স বলেন, একজন অসুস্থ আসামি হাসপাতালে ক’দিন থাকবে তা সম্পূর্ণ চিকিত্সকের উপর নির্ভর করে। এতে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি আরো বলেন, যেসব বন্দীর নামে হাসপাতালে থাকার অভিযোগ শোনা গেছে তারা অনেকেই ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারসহ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত। তারা অসুস্থ বোধ করলেই তাদের হাসপাতালে নিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তাই তারা যখনই বলে অসুস্থ তখনই আমরা তাদের হাসপাতালে নিতে বাধ্য হই।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি দীর্ঘদিন রাখেন তাহলে এটা তাদের ব্যাপার। আমরা চাইলেই তাদের আনতে পারি না। চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাদের কারাগারে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের বন্ড সই করে আনতে হবে। রাজশাহীতে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বন্ড দিয়ে কারাগারে আনার পর এক বন্দির মুত্যু হয়েছে। একজন অসুস্থ কারাবন্দী হাসপাতালে যাওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব শুধু তার নিরাপত্তা বিধান করা।
 

মাগুরায় স্ত্রী-কন্যা হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাগুরায় গর্ভবতী স্ত্রী ও পাঁচ বছরের কন্যাকে হত্যার দায়ে আমিরুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ১২ জুলাই ২০১৭ মাগুরা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের সোবহান মোল্লার পুত্র।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাড কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১১ সালের ৫ই জুন সন্ধ্যায় আমিরুল তার গর্ভবতী স্ত্রী কবিতা খাতুনকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনা তার ৫ বছরের কন্যা জামিলা খাতুন দেখে ফেললে পাষণ্ড পিতা আমিরুল তাকেও গলা টিপে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ দুটি পাট ক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর দিন কবিতা খাতুনের বাবা শালিখার চিলেডাঙ্গ গ্রামের রকিব মোল্লা জামাই আমিরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে সদর থানায় মেয়ে ও নাতি হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনার ৪ দিন পর ৯ই জুন আসামি আমিরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আমিরুল আদালতে স্ত্রী ও কন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক আজ বুধবার বেলা ১২টায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

নাটোরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নাটোরের সিংড়ার একটি হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- আঙ্গুর মোল্লা, মো. মিঠু, সোহাগ হোসেন, মো. নয়ন ও ফারুক হোসেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দামকুড়ি গ্রামের কৃষক লোকমান আলী ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল পাশের কালীগঞ্জ বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল বিকালে কালীগঞ্জ বাজারের পাশের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সিংড়া থানায় মামলা করেছিলেন। তদন্ত শেষে সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক মন্তেজার রহমান সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

১২শ’ জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা


মানবাধিকার রিপোর্ট
রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জুলাই ২০১৭ এ মামলা করেন। মামলা নং ২৬।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার আসামি অজ্ঞাত পরিচয় ১২০০ জন। মামলার তদন্ত করবেন এসআই দেবরাজ। তবে ২০ জুলাই ২০১৭ ঘটনাস্থল থেকে আটক ১৩ শিক্ষার্থীকে কলেজ কর্তৃপক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান ওসি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া ঢাকার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়। তাদের অবস্থানের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ বাধা দেয়, একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই ১৩ জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষের সময় সিদ্দিকুর রহমান নামে সরকারি তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে তাকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসির দাবি, শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে ফুলের টব ছুড়ে মারার সময় সিদ্দিকুর চোখে আঘাত পায়। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেছি, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা পর তার চোখের অবস্থা তারা বলতে পারবেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করে নোটিশ দেয়া হয়। মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর, অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর এবং ডিগ্রি প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর শুরু হবে। এ ছাড়া ডিগ্রি প্রথম বর্ষ, মাস্টার্স প্রথম ও শেষ পর্বের প্রাইভেট (রেজি) পরীক্ষা ২৫ জুলাই থেকে ২৯ আগস্টের মধ্যে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ আজ : এদিকে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ২১ জুলাই ২০১৭ বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে তিতুমীর কলেজের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী রিয়াজ মাহমুদ পরবর্তী করণীয় ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহিন হোসেন, ইডেন মহিলা কলেজের হাজেরা খাতুন কেয়া, বাঙলা কলেজের সৈকত আমীন, কবি নজরুল কলেজের আসাদুজ্জামান নূর, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাকিব উদ্দিন প্রমুখ।
 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


কৃমির ওষুধ কখন খাব?

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কৃমি আকারে খুবই ছোট। প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, এ রকম একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে শূন্য দশমিক ২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়। অনেক কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। বড়রাও কম ভোগেন না।
এ ছাড়া কৃমির কারণে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়। কৃমি সংক্রমণ তাই বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা।
কৃমি দূর করতে হলে প্রথমেই জানা দরকার এটি কেন হয়? নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী।
কৃমি হলেও ওষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। কিন্তু অনেকে নানা ভুল ধারণার জন্য ভয়ে কৃমির ওষুধ খান না। শিশুদেরও খাওয়াতে চান না। কিন্তু ওষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর সহজ কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই কৃমি দূর করা যায়।
জেনে নেওয়া যাক সহজ কিছু উপায়:
১. প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি সেবন করতে পারেন। মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন। সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. চিনি খেলে বা মিষ্টি খেলে কৃমি হবে বলে যে ধারণা প্রচলিত, তা ঠিক নয়। মিষ্টি বা চিনি খাওয়ার সঙ্গে কৃমির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং নোংরা হাতে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কৃমি হবে।
৩. কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে শিশুরা সেখানে হাত দেয়। পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়। এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। যেমন: ওজন না বাড়া, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো, আমাশয়, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।
৪. গরমকালে কৃমিনাশক খাওয়া যাবে না এমন ধারণারও কোনো ভিত্তি নেই। গরম, শীত, বর্ষা যেকোনো সময়ই কৃমিনাশক খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে খাওয়া ভালো।
৫. কৃমিনাশক নিরাপদ ওষুধ। এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারও কারও পেট ফাঁপা বা বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় কৃমিনাশক খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার যে খবর পাওয়া যায়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারজনিত।
৬. পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধ করে পান করবেন। শাকসবজি ও মাংস খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে। শিশুদের খাওয়ার আগে ও শৌচাগার ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে কীভাবে ভালো করে হাত কচলে ধুতে হয়, তা শেখানো জরুরি।
৭. বাইরের খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়াই ভালো। মাঠঘাটে শিশুদের খালি পায়ে খেলতে দেবেন না।
৮. কেবল গ্রামে বা রাস্তায় থাকা শিশুদের কৃমি হয় এই ধারণাও ভুল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে-কারও কৃমি সংক্রমণ হতে পারে। তাই অপুষ্টি এড়াতে নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়াই ভালো।
 

কফি পানে আয়ু বাড়ে!
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আপনি যদি দিনে তিন কাপ কফি পান করেন, তাহলে আপনার আয়ু বাড়বে—নতুন এক গবেষণায় এ দাবি করেছেন গবেষকরা। ইউরোপের ১০টি দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের ওপর চালানো গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনটি অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন নামের জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক কাপ অতিরিক্ত কফি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে। এই কফি যদি ডিক্যাফিনেটেড বা ক্যাফিনবিহীনও হয়।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকরা বলেন, বেশি কফি পানের সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি কমার, বিশেষ করে হৃদরোগ এবং পাকস্থলীর রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যার ডেভিড স্পিগেলহালটার বলছেন, যদি এ গবেষণা সঠিক হয়, তাহলে প্রতিদিন এক কাপ অতিরিক্ত কফির কারণে একজন পুরুষের আয়ু তিন মাস এবং একজন নারীর আয়ু এক মাস বেড়ে যেতে পারে।
তবে এ গবেষণার ব্যাপারে অনেকের প্রশ্ন আছে। তারা বলছে, কফি মানুষের আয়ু বাড়াচ্ছে, নাকি কফি পানকারীদের জীবনপ্রণালির কারণে তারা বেশিদিন বাঁচছে সেটা পরিষ্কার নয়।
এর আগের গবেষণাগুলোতে অবশ্য মানবদেহের ওপর কফির প্রভাব সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী ফল পাওয়া গিয়েছিল। কফিতে যে ক্যাফিন থাকে, তা সাময়িক সময়ের জন্য মানুষকে অনেক বেশি সজাগ রাখতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন মানুষের ওপর ক্যাফিনের প্রভাব বিভিন্ন রকমের।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সন্তানসম্ভবা নারীদের দিনে ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফিন গ্রহণ করতে নিষেধ করে। কফি বেশি পান করলে নবজাতক শিশুর আকার খুব ছোট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।
 

চিকুনগুনিয়ায় ব্যথার ওষুধ সেবন করা যাবে কি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
চিকুনগুনিয়া দেশব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে। এটা একটা মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। কয়েকদিন জ্বর থাকে। পেশী ও জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। থাকে সর্দি-কাশি অন্যান্য উপসর্গ। তবে চিকুনগুনিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হচ্ছে মাংস পেশী ও জয়েন্টে তীব্র ব্যথা। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা এতটাই ভয়াবহ থাকে যে হাঁটা-চলা করা পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকুনগুনিয়ার আর একটি খারাপ দিক হচ্ছে যে মশার দংশনে চিকুনগুনিয়া হয় সেই এডিস মশার দংশনে ডেঙ্গু জ্বর হয়। ফলে চিকিৎসকদের প্রথম দিকে খুব সমস্যা হয়ে যায় এটা চিকুনগুনিয়া না ডেঙ্গু তা নির্ণয় করতে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং চিকুনগুনিয়া রোগের গাইডলাইন প্রণয়ন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. অনুপকুমার সাহার মতে, যদি কোন রোগীর প্রতীয়মান হয় তার ডেঙ্গু হয়নি তাহলে চিকুনগুনিয়াজনিত মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথার জন্য পেইন কিলার সেবন করতে পারে। এক্ষেত্রে মাসল রিল্যাক্সান্ট যেমন ট্যাবলেট মায়োল্যাক্স, বেলকোফেন দিনে ২টা করে ব্যথা না কমা পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া এনএসএআইডি, যেমন-রিউমাফেন, ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম (ক্লোফেনাক) দেওয়া যেতে পারে। তবে ব্যথা নাশক ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চেষ্টা করা উচিত ব্যথানাশক জাতীয় ওষুধ কম সেবন করা। জানা দরকার, এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই গ্যাসের ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে মাসল রিল্যাক্সান্ট, মায়োল্যাক্স সেবনের পূর্বে কোন ধরনের গ্যাসের ওষুধ যেমন র‌্যানিটিডিন, অমিপ্রাজল ইত্যাদি সেবন করার প্রয়োজন নেই।
এছাড়া চিকুনগুনিয়ার রোগীদের পর্যাপ্ত শরবত জাতীয় পানীয় পান করা উচিত। বাজারে অনেকে এখন ভিটামিন সি জাতীয় শরবত যেমন ক্যাভিক সি বাজারজাত করছে। একটা ট্যাবলেট এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় তাজা ফলের রস, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার আহার করা।


ফ্রিজে কাঁচা মাছ রেখেও স্বাদ অটুট রাখার পদ্ধতি জেনে নিন!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
যারা মাসের বাজার একবারে করেন তাদের অনেক সময়ই ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখতে হয়। যার ফলাফল কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।
খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়।
কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান।আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। জানতে চান কীভাবে?
মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন।
এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন।
দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারেই। দারুণ, তাই না?
 

ব্যায়ামের জন্য কতটুকু সময়?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ব্যস্ত জীবনে সময়ের বড অভাব। সকাল থেকে রাত অবধি তো নানা কাজে ছুটছেন। এর মধ্যে ব্যায়ামের জন্য একটু সময় বের করার ফুরসত কোথায়? তাই বলে নিজের জন্য খানিকটা সময় তো ব্যয় করতেই হবে। নইলে হিসাব মেলানোর সময় লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই দেখা যাবে বেশি।
সপ্তাহে সাত দিন, মানে ১০ হাজার ৮০ মিনিট। এর মাঝে মাত্র ১৫০ মিনিট সময় বের করা সত্যিকার অর্থে খুব কষ্টকর হওয়ার কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করাই যথেষ্ট। মাঝারি ব্যায়াম মানে জোরে হাঁটা, সাইকেল চালনা, সাঁতার কাটা, অ্যারোবিকস ইত্যাদি।
এই হিসাব মেলাতে প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা সময় বের করতে যদি না-ও পারেন, পাঁচ দিনে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন। তা-ও না পারলে তিন দিনে (মানে এক দিন পরপর) ৫০ মিনিট করে সময় বের করুন। একেবারেই সম্ভব না হলে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন ব্যায়াম করুন। যেভাবেই হোক, সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের এ হিসাব মেলানোর ব্যবস্থা করুন।
ভারী ব্যায়াম করতে পারলে সপ্তাহে ৭৫ মিনিট রাখলেও চলবে। জোরে দৌড ানো বা ব্যায়ামাগারে নির্দেশিত ব্যায়াম হলো ভারী ব্যায়াম।
অফিসে বা ঘরে হয়তো অনেক কাজই করা হয়, তবু ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে সময় বের করা জরুরি। অফিসের চেয়ারে বা বাড়ির কাজকর্মে যতটাই কর্মঠ হোন, সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই।
 

রসুনের আশ্চর্য্য গুণাবলি


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি। রসুন শুধু মশলাদার রান্নার উপকরণ নয়, রসুন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও খালি পেটে রসুন খেতে বলেন। দেখে নিন রসুন খেলে কী কী উপকার হয়।
১) কোলেস্টেরল কমায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৩) বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৪) শ্বাস-প্রশ্বাসের
সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৫) খারাপ ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৬) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৭) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য-এর সমস্যা দূর করে।
৮) বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯) পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
১০) শরীরে থাকা কৃমি ধ্বংস করে।
১১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
১২) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৩) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
১৪) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
১৫) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
১৬) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
১৭) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
১৮) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
সতর্কতা দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রসুনে অ্যালার্জি থাকলে না খাওয়াই উচিত। অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং বমিভাব হতে পারে।
কিডনির পাথর গলে যাবে যে পাতার রসে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
তুলসী সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় একটি উপকারী উদ্ভিদ। এ গাছের পাতায় বহু রোগ সারানোর উপকারী গুণ রয়েছে। তুলসীপাতার রস বা চা প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। আর যদি কিডনিতে পাথর জমে তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই তা গলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
এছাড়া সর্দি, কাশি, কৃমি, প্রস্রাবে জ্বালা কমায়, হজমকারক ও কফ গলাতে দারুণ কাজ করে তুলসীপাতা। এটি ক্ষত সারাতে এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে।
তুলসিপাতা দিয়ে চা ও মিশ্রণ তৈরির কয়েকটি প্রস্তুত প্রণালী পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো:
তুলসী পানি :
প্রস্তুত প্রণালী : একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিন। এর সঙ্গে কয়েকটি তুলসিপাতা সিদ্ধ করুন। ফুটে উঠলে নামিয়ে পান করতে পারেন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা ও খুসখুসে কাশি কমিয়ে আপনাকে আরাম দেবে।
তুলসী-চা:
উপকরণ : ১০-১৫টি তুলসীপাতা, গুড , পানি ও লেবুর রস।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে গুড় ও তুলসীপাতা বেটে নিন। এর মধ্যে দেড় কাপ পানি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলায় বসান। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। এই চা পান করলে আপনার শরীর উষ্ণ থাকবে।
ভেষজ তুলসী-চা:
উপকরণ : এক টুকরো আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসীপাতা, দারুচিনি, এলাচ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী : পরিমাণমতো পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে জ্বাল দিন। ১০ মিনিট পর নামিয়ে ছেকে পান করতে পারেন।
এই ভেষজ তুলসী-চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয া রোগ থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে।
হার্বাল জুস:
উপকরণ : আজওয়াইন, তুলসীপাতা, জিরা, আমচুর গুঁড া, লবণ এবং পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী : চার কাপ পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর পান করুন। এই জুস প্রতিদিন পান করলে হজমশক্তি বাড়বে এবং পানিশূন্যতা থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।

 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৮ ধারায় (১)এ বলা হয়েছে, স্ত্রী ও সন্তানাদির ভরণপোষণের আদেশ কার্যকরীকরণ সম্পর্কে। কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রী বা বৈধ কিংবা অবৈধ সন্তানকে পর্যাপ্ত সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও নিজের ভরণপোষণে অক্ষম হয় এবং তাকে ভরণপোষণ করতে অবহেলা বা অস্বীকার করে, তা হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটমহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এরূপ অবহেলা বা অস্বীকৃতি প্রমাণিত হওয়ার পর যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন, যে রূপ মাসিক সর্বমোট অনধিক চারশত টাকা ওই স্ত্রী বা ওই সন্তানকে মাসিক ভাতা দেয়ার এবং তিনি বিভিন্ন সময়ে যে ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে দেন সেই ব্যক্তির কাছে তা প্রদানের জন্য ওই ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারবেন।
(২) এই আদেশের তারিখ থেকে অথবা সেই রূপ আদেশ দেয়া হলে খোরপোষের জন্য কৃত আদেশপত্রের তারিখ থেকে এরূপ ভাতা প্রদানযোগ্য হবে (৩) সে কারণে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণ ছাড়াই আদেশ অনুসারে কাজ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট আদেশের প্রত্যেকটি লঙ্ঘনের জন্য আগের বর্ণিত জরিমানা আদায়ের পদ্ধতিতে প্রাপ্য অর্থ আদায়ের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন এবং পরোয়ানা কার্যকরী হওয়ার পর প্রত্যেক মাসের ভাতার সম্পূর্ণ বা কোন অংশ অপরিশোধিত থাকলে তার জন্য সে ব্যক্তিকে একমাস পর্যন্ত অথবা তৎপূর্বে পরিশোধ করা হলে পরিশোধ না করা পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারবেন। তবে ওই ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে বসবাস করার শর্তে তাকে ভরণপোষনের প্রস্তাব দেয় এবং স্ত্রী যদি তার সাথে বসবাস করতে অঙ্গীকার করে তাহলে মাজিস্ট্রেট তার অস্বীকৃতির বিবৃত কোন কারণ বিবেচনা করতে পারবে এবং তিনি যদি সন্তুষ্ট হন অস্বীকৃতির সঙ্গে কারণ রয়েছে তা হলে ওই প্রস্তাব সত্ত্বেও এ ধারা অনুসারে আাদেশ দিতে পারবে। তবে এ ধারা অনুসারে কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকলে এবং যে তারিখে উহা প্রাপ্য হয়েছে সেই তারিখ থেকে এক বছর সময়ের মধ্যে তা আদায়ের জন্য আদালতে আবেদন না করা হলে তা আদায়ের জন্য কোন পরোয়ানা জারি করা যাবে না। এর (৪) এ বলা হয়েছে, স্ত্রী যদি কোন ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকে অথবা যথেষ্ট কারণ ব্যতীত স্বামীর সাথে বসবাসে অস্বীকার করে অথবা উভয়ে যদি পারস্পরিক সম্মতিক্রমে স্বতন্ত্রভাবে বসবাস করছে বলে প্রমাণিত হলে ম্যাজিস্ট্রেট ওই আদেশ বাতিল করবেন (৬) এই অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সব সাক্ষ্য স্বামী বা পিতা যেখানে যেরূপে প্রযোজ্য উপস্থিতিতে অথবা তাকে ব্যক্তিগত উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে তার উকিলের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে এবং এমন মামলার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট যদি এতে সন্তুষ্ট হন ওই স্বামী বা পিতা ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হতে অবহেলা করছে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি একতরফা শ্রবণ করতে ও রায় দিতে পারবেন। এরূপ প্রদত্ত কোন আদেশ তার তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করে আবেদন করলে বাতিল করা যাবে। (৭) এ ধারা অনুসারে পেশকৃত আবেদনপত্র সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় মামলার ব্যয় সম্পর্কে ন্যায়সঙ্গত আদেশ দেয়ার ক্ষমতা আদালতের থাকবে। (৮) যে জেলার ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী বা তার অবৈধ সন্তানের মাতার সাথে বসবাস করে বা করছে বা সবশেষে বসবাস করছে সে জেলায় তার বিরুদ্ধে ৩ ধারা অনুসারে কার্যক্রম রুজু করা যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৯ ধারায় মাসোহারা পরিবর্তন সম্পর্কে (১) এ বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ৪৮৮ ধারা অনুসারে মাসিক ভাতা লাভ করছে অথবা একই ধারা অনুসারে যে ব্যক্তিকে তার স্ত্রী বা সন্তানকে মাসিক ভাতা দিতে আদেশ দেয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তির অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ পরিবর্তন করতে পারেন। তবে তিনি যদি ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করেন, তাহলে তা সর্বমোট মাসিক হার চারশত টাকা অপেক্ষা অধিক হবে না।
(২) যখন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, কোন যথাযথ এখতিয়ার বলে দেওয়ানি আদালতের রায়ের ফলে ৪৮৮ ধারা অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করা উচিত, তখন তিনি আদেশটি অনুরূপভাবে বাতিল বা পরিবর্তন করবেন। আইনের ৪৯০ ধারায় ভরণপোষণ দানের আদেশ কার্যকরীকরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, খোরপোষ দেয়ার আদেশের একটি নকল যে ব্যক্তির স্বপক্ষে আদেশ দেয়া হয়েছে তাকে অথবা তার অভিভাবক যদি থাকে, অথবা যার কাছে ভাতা প্রদান করতে হবে তাকে বিনামূল্যে দিতে হবে এবং যার বিরুদ্ধে আদেশ দেয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানে যে কোন ম্যাজিস্ট্রেট পক্ষসমূহের পরিচয় এবং দেয় ভাতা পরিশোধ করা হয়নি বলে সন্তুষ্ট হলে আদেশটি কার্যকরী করতে পারবেন।

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.