           
 
|
Cover November 2017
English Part
November 2017
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন
অক্টোবর
২০১৭ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৫৪ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে
অক্টোবর ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়
১৫৪টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতর চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অক্টোবর ২০১৭ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায়
৫ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়
গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার
ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার
১৫৪ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৩ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৫ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৫ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৩ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ৫
জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৫৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ১ জন,
এসিড নিক্ষেপে হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২২২ জন, আত্মহত্যা ২১ জন।
অক্টোবর ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ৪১ জন, যৌন নির্যাতন ১১ জন,
যৌতুক নির্যাতন ৫ জন, এসিড নিপে ৪ জন, সাংবাদিক
নির্যাতন ৩ জন।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সমস্যার
স্থায়ী সমাধানের আহ্বান

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী
সমাধানে অবিলম্বে ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘসহ
বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন,
‘জাতিসঙ্ঘের ৭২ তম সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার
স্থায়ী সমাধানে যে ৫টি প্রস্তাবনা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে
তুলে ধরা হয়েছে, তার আলোকে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে
জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ
গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছর যখন বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ
দিবস পালন করা হচ্ছে, ঠিক তখন মিয়ানমারে জাতিগত
নির্মূল থেকে বাঁচতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
আশ্রয় নিয়েছে।
ইতোমধ্যেই দশ লক্ষ রোহিঙ্গা, যাদের বেশিরভাগই শিশু,
নারী ও অপ্রাপ্ত বয়স্করা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই
জনগোষ্ঠিকে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের
স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
শেখ হাসিনা জাতিসঙ্ঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি
বাংলাদেশের দৃঢ় ও অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত
করেন।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ দিবসের এই শুভ লগ্নে বাংলাদেশের
সরকার ও জনগণের পক্ষে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতি
সংঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি আমাদের দৃঢ়তা ও অবিচল
প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা
বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি বড়
অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।
রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধ করতে হবে : জাতিসংঘ মহাসচিব
মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন,
মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান বন্ধ করতে
হবে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী
ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, এদের
পরিচয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে অমিমাংসিত রয়েছে। এসময়
তিনি রাখাইনে অবাধে মানবিক ত্রান প্রবেশের সুযোগ করে
দেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে দেওয়া ভাষণে
গুতেরেস উত্তর কোরিয়া ও এর ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে
ঘনীভূত সংকট রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধানের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণের সময়। আমরা
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যুদ্ধের পথে হাঁটতে পারি না।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সাবেক প্রধান
গুতেরেস শরণার্থী প্রসঙ্গে বলেন, ‘শরণার্থী ও অভিবাসন
প্রত্যাশীদের যখন প্রতারিত ও বলির পাঠা হতে দেখি এবং
নির্বাচনে সুবিধা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের যখন
তাদের ব্যবহার করতে দেখি তখন বেদনা অনূভব করি।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেকের মতো আমি নিজে একজন শরণার্থী।
তবে কেউ আশা করে না যে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
ছিদ্রযুক্ত নৌকায় সাগর পাড়ি কিংবা ট্রাকের পেছনে করে
মরুভূমি পাড়ি দিয়ে জন্মভূমির বাইরে চাকরি খুঁজতে যাব।
বৈশ্বিক ধনীরা নিরাপদ অভিবাসনকে সীমিত করতে পারেন না।’
গুতেরেস তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতেও
সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তিনি কার্বন নির্গমন কমাতে
বিশ্ব নেতাদের সর্বোচ্চ আকাঙ্খা নিয়ে ২০১৫ সালের
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা
নির্যাতন শীর্ষক BHRC’র জাতীয় কনভেনশনে ৩ দফা
সুপারিশমালা পেশ
১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে
বাংলাদেশ ঠাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নোবেল পুরস্কার লাভের
অধিকার অর্জন করেছেন
---
মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী
মানবাধিকার রিপোর্ট’
কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ
চৌধুরী বলেছেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেদেশের
সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত ও গণহত্যার শিকার ১০ লক্ষ
মুসলিম রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠাই দিয়ে জননেত্রী শেখ
হাসিনা নোবেল পুরস্কার লাভের অধিকার অর্জন করেছেন। তিনি
বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
মানবাধিকারমূলক আচরণ এবং তাদের আবাসন ও ভরণপোষণের
দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে
বাংলাদেশের আপামর জনগণ সরাসরি রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার
হাত প্রশস্ত করেছেন এবং বহির্বিশ্ব থেকে রোহিঙ্গাদের
সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসছেন। মানবাধিকার
কর্মীদের অবশ্যই মানবিকতার কার্যক্রমের গুণাবলী থাকতে
হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ চট্টগ্রাম বিভাগ
আয়োজিত রোহিঙ্গাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং গণহত্যার
প্রতিবাদে এক জাতীয় কনভেনশন ‘কক্সবাজার মানবাধিকার
কনভেনশন-২০১৭’ ২৮ অক্টোবর ২০১৭ কক্সবাজার সাংস্কৃতিক
কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইঐজঈ’র
প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। ইঐজঈ’র
চট্টগ্রাম বিভাগের গভর্নর মিসেস সেতারা গাফফারের
সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঐজঈ
ঢাকা মহানগরের গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ, সিলেট
বিভাগীয় গভর্নর ড. আর.কে. ধর, সদর দপ্তরের বিশেষ
প্রতিনিধি এমএ সোহেল আহমেদ মৃধা, কক্সবাজার জেলা শাখার
সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিক
মাহমুদ, ঢাকা সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর
শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বৃহত্তর
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু,
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এড. নজরুল ইসলাম চুন্ন,
বগুড়া আঞ্চলিক সমন্বয়কার মোঃ রফিকুল ইসলাম, নাটোর জেলা
শাখার সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মোক্তার হোসেন, চট্টগ্রাম
দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার দাশ, চট্টগ্রাম
মহানগর শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাঈনুদ্দিন আহমেদ,
সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক, মানিকগঞ্জ জেলা
শাখার সভাপতি নূরুল ইসলাম ছত্তার, কক্সবাজার সদর উপজেলা
শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখসহ ৩০জন বক্তা
বক্তব্য রাখেন।
ইঐজঈ’র মহাসচিব তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপর
মায়ানমার সরকারের নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং গণহত্যার বিবরণ
ও ধারাবাহিকতার বর্ণনা দেন, তিনি বলেন রোহিঙ্গাদের উপর
যে ধরনের নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছে মানব সভ্যতার
সর্বনিকৃষ্ট একটি কর্মকান্ড বলে তা বিবেচিত হয়েছে। সারা
পৃথিবীতে গত তিনশত বছরের ইতিহাসে বহু যুদ্ধ, খন্ড
যুদ্ধ এবং বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে থাকলেও মানুষের উপর
যে ধরনের নির্যাতন হয়েছে, রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার
সরকারের নির্যাতন সকল নির্যাতনকে হার মানিয়েছে। নারী,
পুরুষ শিশুদের যেভাবে ধারালো ছোরা এবং বিভিন্ন অস্ত্র
দিয়ে পশুর ন্যায় টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছে এর কোন
বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই।
ইঐজঈ’র মহাসচিব আরও বলেন, “মানুষ মরণশীল।” আমাদের
সবাইকে একদিন না একদিন মরতে হবে। মৃত্যুর পর স্থান হবে
কবরস্থান অথবা শ্মশানে। ভাল কাজের মাধ্যমে মৃত্যুর
পরেও পৃথিবীতে অনেক মানুষ যুগযুগান্তর অমর হয়ে রয়েছেন।
আসুন আমরাও ভাল কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।
প্রত্যেকেই এমন কিছু করুন যেন মৃত্যুর পরেও মানুষ
আপনাকে স্মরণ করে।”
তিনি আরও বলেন, “একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমাদের
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কাজ করে যেতে হবে। যতক্ষণ
পর্যন্ত সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলস্থানে সাংগঠনিক কার্যক্রম
ছড়িয়ে দিয়ে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সম্মেলনে আগত সকল মানবাধিকার কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠন
করান ইঐজঈ’র মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
রোহিঙ্গাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং গণহত্যার
প্রতিবাদে আয়োজিত কনভেনশনে নিুউল্লেখিত সুপারিশমালা
সর্বসম্মতিক্রমে পেশ করেন ইঐজঈ’র মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। সুপারিশমালাগুলো হচ্ছে ঃ
১. অবিলম্বে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে
ফেরত নেয়া হোক এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে তাদের
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
২. নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট
মায়ানমার সরকারের প্রধান অং সান সুচী, মায়ানমার
রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান এবং নির্যাতনে সংশ্লিষ্ট
সেনাবাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক সদস্যদের গ্রেফতারপূর্বক
আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার শুরু করা হোক।
৩. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন এবং মায়ানমার
সরকারের গণহত্যায় সংশ্লিষ্টদের বিচারের পূর্বপর্যন্ত
রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী
বাহিনী মোতায়েন করা হোক।
মায়ানমারে
গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
মানববন্ধন
মানবাধিকার রিপোর্ট’
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরতম নির্যাতন, হত্যা এবং
ধর্ষণের ন্যায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন-BHRC ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর
আয়োজনে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ জাতীয় প্রেসক্লাসের সম্মুখে
এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে
নেতৃত্ব দেন BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঢাকা মহানগর উত্তর
শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ শাখার সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, নির্বাহী
সভাপতি ডাঃ মোক্তার হোসেন, উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক
শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন
আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নির্বাহী সভাপতি
হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক,
সহ-সভাপতি শাহ আলম শান্ত, বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাক
আহমেদ ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এম.এ. আবু নায়েম তালুকদার,
সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার সভাপতি কোহিনুর আক্তার রুমা,
পল্টন থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক চান শরীফ, আশুলিয়া
থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মন্টু সহ
সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী মানববন্ধন কর্মসূচীতে যোগ
দেন। মহাসচিব তাঁর বক্তব্যে অবিলম্বে মুসলিম
রোহিঙ্গাদের গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি
রোহিঙ্গা বিষয়টি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোকে নিয়ে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জোরালোভাবে উপস্থাপনের আহ্বান
জানান। মহাসচিব আরও বলেন ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে
স্থান দিয়ে বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করলেও
এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে
অবস্থান করলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংস্কৃতি বিরূপ
প্রভাব পরবে।
মিয়ানমার-বাংলাদেশে
প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক
ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রতিমন্ত্রী সিমন হেনশ
নেতৃত্বাধীন ওই প্রতিনিধি দল ২৯ অক্টোবর থেকে ৪
নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফর করবেন বলে
শনিবার পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি
অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও মধ্য
এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট
সেক্রেটারি টম ভাজদা এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডাইরেক্টর
প্যাট্রিসিয়া মাহোনি এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন।
রাখাইনে সহিংসতায় যে মানবিক সংকট ও মানবাধিকার নিয়ে
উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলা এবং মিয়ানমার, বাংলাদেশ
ও এই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর
বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন
মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে ফোন করে রাখাইনে সহিংসতা
বন্ধের পাশাপাশি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে সহযোগিতা
চাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের এই সফর হচ্ছে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট
শনিবার বলেন, এই সংকটের অবসানে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ
অব্যাহত রাখবেন তারা।
রাখাইনে সেনাবাহিনী নতুন করে অভিযান শুরুর পর গত ২৫
অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে
নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কথা
জানিয়েছেন তারা।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সেনাবাহিনীর এই
অভিযানকে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’ হিসেবে বর্ণনা
করলেও জাতিসংঘ একে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল
অভিযান’ হিসেবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আগে
মিয়ানমার সফর করে বাংলাদেশে আসবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলমান
এই সংকট মোকাবেলা এবং এর স্থায়ী সমাধানের উপায় খুঁজতে
প্রতিনিধি দল বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলবে।
মিয়ানমারে তারা কূটনীতিক সম্প্রদায়, জ্যেষ্ঠ সরকারি
কর্মকর্তা, জাতিসংঘ এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের
সঙ্গে আলোচনা করবেন।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের
পাশাপাশি দাতা ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন
রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নয়নে করণীয় নিয়ে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে
কক্সবাজার সফর করবেন তারা।
৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে ৩০ নভেম্বর
আসবেন। মঙ্গলবার ভ্যাটিকান সিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ
সফরের বিস্তারিত সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সূচি
অনুযায়ী নভেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ২ তারিখ
পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন তিনি।
৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় হজরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পোপ সাভারে জাতীয়
স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ও ধানমন্ডিতে
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর
প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করবেন পোপ ফ্রান্সিস। এদিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কূটনীতিকের সঙ্গেও দেখা করবেন
তিনি।
পহেলা ডিসেম্বর রমনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে
অংশ নেবেন পোপ। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন পোপ ফ্রান্সিস। একইদিনে বিশপসহ অন্যান্য
ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বিকালে
আর্চবিশপ হাউজের মাঠে শান্তির জন্য আন্তঃধর্মীয় ও
আন্তঃমাণ্ডলিক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
সফরের শেষদিন ২ ডিসেম্বর পোপ তেজগাঁওয়ে মাদার তেরেসা
ভবন পরিদর্শন করবেন। সেখানে পোপ ফ্রান্সিস পাদ্রি,
সন্যাসব্রতীদের সঙ্গে এক সমাবেশে মিলিত হবেন। অংশ
নেবেন সেমিনারে। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ ত্যাগের
আগে নটর ডেম কলেজে যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
জাতিসংঘ দিবস
উপলক্ষে সিলেটে মাবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর
শাখার র্যালী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ দিবস ২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে র্যালী ও সমাবেশ
অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) র্যালীটি
নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকে শুরু করে
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এক সমাবেশ অনুষ্টিত
হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা শাখার
নির্বাহী সভাপতি তপন মিত্র’র সভাপতিত্বে ও সিলেট
মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ’র
পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মহানগর শাখার নির্বাহী সভাপতি
আব্দুল মন্নান, জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি হোসেইন আহমদ,
মুহিতুর রহমান মুহিত, সহ সভাপতি খুররম আহমদ, সার্জেন্ট
(অব:) আবুল হোসেন, আব্দুল আজিজ, ডাক্তার নজরুল ইসলাম,
সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, মহানগরের সহ সভাপতি
গুলজার আহমদ, শাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
রেহান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুস্তম
মাসুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর শাকু, জুমেল আহমদ,
মির্জা এম কামরুল ইসলাম, দিলিপ দে, ইমতিয়াজ কামরান
তালুকদার, জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল
করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমদ, মনসুর আহমদ,
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বিজিত পাল, গণমাধ্যম
বিষয়ক সম্পাদক শংকর দাস, অর্থ সম্পাদক আজিজুর রহমান,
প্রচার সম্পাদক মিজানুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক কৌশিক
চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান খোকন, আশফাক আহমদ, বদরুল
ইসলাম, ইফতাদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিতাংশু
চক্রবর্তী, মাহবুব আহমদ, সাইদুল ইসলাম, আসাদ উদ্দিন,
একে চয়ন, নাজমা বেগম, শারমিন আক্তার, মো আজাদ আলী,
মহানগরের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেব দুলাল দে
পরাগ, দপ্তর সম্পাদক পরিমল পাল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা
সম্পাদক রাসেল মিয়া, সহ অর্থ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ সাগর,
ধর্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সদস্য সাইদ মাহমুদ ওয়াদুদ,
সৈয়দ হারুনুর রশিদ, আলী আকবর শিপন, আব্দুল মজিদ, মইনুল
ইসলাম, নাজিব আহমদ অপু, রবিউল ইসলাম সানি, মির্জা
ফুয়াদ হাসান আওলাদ, শিশির সরকার, অমিতাব চক্রবর্তী
প্রমুখ।
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার জেলার প্রস্তুতি সভা
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় কনভেনশন’১৭ সফল
করার লক্ষে কক্সবাজার জেলা শাখার এক প্রস্তুতি সভা জেলা
পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকাল ৪
টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলার নব নির্বাচিত
সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ।
সভায় বক্তব্য রাখেন,নির্বাহী সভাপতি এটিএম জিয়া উদ্দিন
চৌধুরী,সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান,সাইফুল ইসলাম
চৌধুরী,জাকারিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রফিক মাহমুদ,
যুগ্ম-সম্পাদক খলিল উল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কবির হেলালী,
সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মো.শাহাদত
হোছাইন,আর্ন্তজাতিক সম্পাদক রিদুয়ান আলী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন,যুগ্ম-সম্পাদক সালা উদ্দিন
সেতু,অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলাল,আবুল
কালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মিটন দাশ মিন্টু,প্রচার
সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক,মহিলা সম্পাদক
হিমাদ্রী দত্ত,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জিয়া উল্লাহ
চৌধুরী,দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,তাজ উদ্দিন
তাজু,এড়.নজিব উল্লাহ খাঁন,সাংস্কৃতিক সম্পাদক ওয়াহিদ
মুরাদ সুমন,বিপ্লব মল্লিক শুভ, নির্বাহী সদস্য ইউসুপ
নবী সিকদার,সায়মন আমিন,মনছুর আলম,আনছারুল
করিম,জাহাঙ্গীর আলম,খোরশেদ আলম রিপন,আজিমুল হক
আজিম,বেলাল উদ্দিন,মোহাম্মদ হামিদ,মোস্তাক আহমদ,ফারুক
হোসাইন প্রমুখ।
অতিথি সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো.সেলিম ওয়াজেদ,
আবুল কালাম,নুর আহমদ,মো.হোসেন সোহেল,আবদুল
মান্নান,বেলাল উদ্দিন কামরান,মো.ইসমাইল মিয়াজী, হাবিব
উল্লাহ,সালা উদ্দিন,জিয়াউল হক জিয়া, মোহাং কামাল
প্রমুখ।
এতে আগামী ২৮ অক্টোবর বিভাগীয় সম্মেলন কক্সবাজার
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সফল করার লক্ষে গুরুত্বর্পূণ
বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সকলের সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জেলার
নির্বাহী সদস্য মোঃ ইসমাইলের কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে
অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন জেলার যুগ্ম-সম্পাদক
দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
নোবেল বিজয়ীর
পদকে কতো ক্যারেটের স্বর্ণ ?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জীবদ্দশায় ৩৫৫টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থবিত্তের
মালিক হয়েছিলেন আলফ্রেড নোবেল। সুইডিশ এ বিজ্ঞানীর বড়
ভাই লুডভিগ ১৮৮৮ সালে ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়ে মারা যান।
কিন্তু ফরাসি এক দৈনিক ভুল করে আলফ্রেড নোবেল মারা
গেছেন ভেবে নিয়ে শিরোনাম করে, ‘মৃত্যুর সওদাগর মারা
গেছেন’। যেহেতু নোবেলের অধিকাংশ আবিষ্কারই ছিল
আগ্নেয়াস্ত্র, তাই এমন শিরোনাম। নোবেল তখনই বুঝতে
পেরেছিলেন, মৃত্যুর পর ইতিহাস তাঁকে কীভাবে মনে রাখবে।
আর তাই জীবদ্দশায় করে যাওয়া অনেকগুলো উইলের মধ্যে শেষ
উইলে নোবেল উল্লেখ করেন যে তাঁর সব সম্পদ পুরস্কার
হিসেবে দেওয়া হবে, যাঁরা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা,
শান্তি ও সাহিত্যে মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন। এ জন্য
নোবেল তাঁর মোট সম্পদের ৯৪ শতাংশ উইল করে যান, যা এখন
নোবেল পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০১ সালে পুরস্কারটি
চালু হওয়ার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠান ও
৮৮১ জন্য ব্যক্তি জিতেছেন ভীষণ সম্মানজনক এ পুরস্কার।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের বলা হয় ‘নোবেল লরিয়েট’। ১৯৮০
সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, সেটা
ছিল ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের।
এরপর থেকে ১৮ ক্যারেট ‘সবুজ স্বর্ণের ধাতবের ওপর ২৪
ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া পদক দেওয়া হচ্ছে নোবেল
বিজয়ীদের। এ ছাড়া একটি সনদ এবং মোটা অঙ্কের অর্থ
পুরস্কার দেওয়া হয় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় নানাভাবে অবদান
রাখা মহানায়কদের। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, নোবেলজয়ীরা
ঠিক কত টাকা পুরস্কার পান?
গত বছর নোবেল বিজয়ীদের নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩০
হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় আট কোটি
টাকা। নোবেল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বছর
নগদ অর্থের পরিমাণ হবে ১১ লাখ ডলার, মানে ৯ কোটি টাকার
কিছু বেশি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুইডেনের স্টকহোমে নগদ
অর্থপুরস্কার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নোবেল ফাউন্ডেশন।
টাকার চেয়ে সম্মান অবশ্যই বড়। কিন্তু নোবেল এমনই এক
পুরস্কার, যেখানে টাকার অঙ্কটাও হেলাফেলা করার সুযোগ
নেই। যদিও অনেক নোবেল বিজয়ী তাঁদের পুরস্কার জয়ের টাকা
দাতব্যকাজে দান করে দেন।
ইউনেসকোর প্রথম ইহুদি
প্রধান আদ্রে আজুলে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইউনেসকো ছাড়ার একদিন পর
জাতিসংঘের এ সংস্থার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেন এক
ইহুদি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের হুমকির মুখে থাকা
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে এবং শিক্ষা বিস্তারে কাজ করা
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকোর নির্বাহী বোর্ডে
শুক্রবার ভোটাভুটির মাধ্যমে ফ্রান্সের প্রাক্তন
সংস্কৃতিমন্ত্রী আদ্রে আজুলে এর মহাপরিচালক নির্বাচিত
হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কাতারের হামাদ
বিন আবদুল আজিজ আল-কাওয়ারি।
বৃহস্পতিবার প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র এবং পরে ইসরায়েল
ইউনেসকো ছাড়ার ঘোষণা দেয়। সংস্থাটির নতুন মহাপরিচালক
আদ্রে আজুলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ তাদের ফিরিয়ে আনা
অথবা তাদের বাদ রেখে কাজ এগিয়ে নেওয়া। তবে ফিলিস্তিনের
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, সে বিষয়ে আজুলের নিজস্ব কোনো
দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউনেসকোকে
‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করেন এবং সংস্থা থেকে নিজেদের
নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে ইউনেসকোর বিদায়ী
মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,
নতুন মহাপরিচালকের কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ইউনেসকোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের
ভোটাভুটিতে আদ্রে আজুলে পেয়েছেন ৩০ ভোট। তার প্রধান
প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারের প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী
আল-কাওয়ারি মাত্র দুই ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী উপসাগরীয় চার দেশ সৌদি
আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইনের ভোট পাননি
তিনি।
যে পাঁচটি সুন্নত না মানায় দাম্পত্য সুখ হচ্ছে
না!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আমরা আমাদের দৈনন্দিনের কাজ নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি
যে একে অপরকে (স্বামী-স্ত্রী) সময় দিতে পারি না।
সৌভাগ্যক্রমে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে একটি নিখুঁত প্রতিকৃতি মানব
জাতিকে উপহার দিয়েছেন। রাসুলের (সা.) সুন্নাত অনুসরণের
মাঝেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ককে
পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য, অথবা সুখকর করে তোলার জন্য
এখানে পাঁচটি কার্যকর-শক্তিশালী নববী দিক নিদের্শনা
তুলে ধরা হলো।
একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে হাস্যোজ্জ্বল থাকা :
আমাদের রাসুল (সা.) বেশিরভাগ সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন।
এমনকি রাসুলের (সা.) স্ত্রীরা বলতেন যে, আমরা তার থেকে
বেশি হাস্যোজ্জ্বল অবয়বময় আর কাউকে দেখিনি । এটা ভুলে
গেলে চলবে না যে- একটি হাসি কতটা পাওয়ারফুল হতে পারে।
স্বামী-স্ত্রী সুখে এবং দুঃখে সব সময়ই এক সাথে থাকে।
সুতরাং নিজেদের মুখ গোমরা না করে রেখে সদা
হাস্যোজ্জ্বল রাখাই হবে উভয়ের কর্তব্য। এছাড়াও আমাদের
নবী (সা.) বলেছেন, একটি হাসিও হতে পারে সদকা। (আল-হাদিস)
একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে ভালো কথা বলুন :
আমাদের নবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহকে এবং শেষ দিবসকে
বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (আল-হাদিস)
এটা স্বামীদের কর্তব্য, বিশেষত যখন স্বামী-স্ত্রী
কাছাকাছি থাকেন। সুতরাং প্রতিদিন আপনি আপনার স্ত্রীর
প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।
একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) ওপর রাগ করবেন না : যখন
হজরত আলী (রা.) হজরত ফাতেমাকে (রা) বিবাহ করেছেন, তখন
রাসূল (সা.) হজরত আলীকে (রা.) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ
দিয়েছেন। উপদেশটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যে, আমাদের
নবী সেটাকে তিনবার বলেছেন। উপদেশটি হলো- পারিবারিক কোনো
কারণে তুমি রাগ করবে না। স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুরতে
বের হন : আমাদের রাসূল (সা.) স্ত্রীদের সাথে অনেক সময়
কাটাতেন। তিনি এক ছাদের নিচে আলাদা আলাদা থাকতেন না।
নবী (সা.) স্ত্রীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হতেন। ঘুরতে
যেতেন। এমনকি বিভিন্ন কাজে তার পরামর্শও নিতেন।
স্ত্রীকে বলুন, আমি তোমাকে ভালোবাসি : আল্লাহর নবী
(সা.) কখনো এটা বলতে ভয় করেননি। আমাদের ধর্মের এমনটা
বলতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এই কথা পারিবারিক অনেক
সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
রোহিঙ্গা
বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
াতিসংঘ মহাসচিব ২১অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন বলে তার
প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
আন্তোনিও গুতেরেস ও শেখ হাসিনা টেলিফোনে প্রায় ২০
মিনিট রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে স্বভূমিতে পুনর্বাসনের
জন্য মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করতে জাতিসংঘ
মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকটের অবসানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুলে ধরা পাঁচ দফা প্রস্তাব
যাতে বাস্তবায়ন হয় সেজন্য মহাসচিব গুতেরেসের সমর্থন
চান তিনি। গুতেরেসকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সমস্যার
স্থায়ী সমাধানে আমি পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন
করেছিলাম’। ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ভাষণে মিয়ানমারে উত্পীড়নের হাত
থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় প্রস্তাব তুলে ধরে মানবিক এই
সংকট অবসানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ চান শেখ
হাসিনা।
Top
বোরকা দিয়ে
আগুন নিভিয়ে চালকের প্রাণ বাঁচালেন নারী
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
উপস্থিত বুদ্ধির জোরে জলন্ত
ট্রাকের মধ্যে থেকে বের করে এক ভারতীয় চালকের প্রাণ
বাঁচালেন সংযুক্ত আরব আমির শাহির এক মুসলিম মহিলা।
ঘটনায় প্রকাশ, হাসপাতালে বন্ধুকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন
জওয়াহের সেফ আল কুমায়িতি নামে এক বছর বাইশের মহিলা। পথে,
রাস আল-খাইমা শহরের কাছে তিনি দেখেন দুটি ট্রাকের মধ্যে
সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ট্রাকেই আগুন লেগে যায়।
কুমায়িতির কানে আসে, একটি ট্রাক থেকে কেউ একজন চিৎকার
করে বাঁচানোর আর্তি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গী বন্ধুর
পরনের জোব্বা নিয়ে তিনি ছুটে গিয়ে আগুন নিভিয়ে চালককে
বের করে আনেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চালকের নাম হরকিরিত
সিং। কুমায়িতি বলেন, আমি গিয়ে দেখি, ওই চালক পড়ে রয়েছে।
ওর গায়ে আগুন লেগে রয়েছে। ওর শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।
আমি জোব্বা দিয়ে তাঁকে ঢেকে দিই।
কুমায়িতি যোগ করেন, ওই চালক তাঁকে জানান, তিনি মরতে
চান না। মহিলা তাঁর সঙ্গে কথা বলে শান্ত হতে বলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও
প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই চালককেই
হাসপাতালে নিয়ে যান। কুমায়িতি জানান, ওই ব্যক্তির
প্রাণ বাঁচাতে পেরে তাঁর ভালো লাগছে।
Top
মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার জেএসসি
পরীক্ষর্থীদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জাগরণ শাখা কুমিল্লা মহানগর
কর্তৃক জে.এস.সি/জে.ডি.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য মিলাদ
মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজী
আব্দুস শাকুর, মহানগর শাখার সভাপতি এ.এইচ.এম তারিকুল
ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: গোলজার হোসেন, যুগ্ম
সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো:
হাসানুল কবির সোহেল, নির্বাহী সদস্য মো: মাজহারুল মনির,
জাগরণ শাখার উপদেষ্টা মো: শরীফুল ইসলাম, জাগরণ শাখার
সভাপতি মো: আবুল হাসেম, সহসভাপতি মো: মিজানুর রহমান,
সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল
কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল হাসান সজিব,
সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক
কাজী সাকির আহম্মদ, অর্থ সম্পাদক নাদিম হায়দার,
নির্বাহী সদস্য মো: মনির হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী
উপস্থিত ছিল। অনুষ্টান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা
সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আপ্যায়ন ও মোনাজাতের মাধ্যমে
অনুষ্ঠান শেষ হয়।
২ লাখ রোহিঙ্গা
শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করছে ইউনিসেফ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে
আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি বড় অংশই শিশু। এসব
শিশুদের শিক্ষায় ২০৮টি লানিং সেন্টার চালু করেছে
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। যেখানে অন্তত ২ লাখ
শিশুকে শিক্ষা দেয়া সম্ভব হবে।
রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক এনজিও এবং দাতা সংস্থা তাদের সহযোগিতা
করেছে। এরই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষার ব্যবস্থা করার হচ্ছে।
সংস্থাটি এ পর্যন্ত ২০৮টি লার্নিং সেন্টার স্থাপন করেছে।
প্রতিটি লার্নিং সেন্টারে ৩৫ জন শিশুকে শিক্ষা দেয়া
হচ্ছে। যাদের বয়স ৪ থেকে ১৪ বছরে মধ্যে। প্রাথমিকভাবে
শুরু হওয়া ২০৮ টি লার্নিং সেন্টারে ১৭ হাজারের মতো শিশু
শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
রোহিঙ্গা শিশুদের কোন অক্ষর জ্ঞান না থাকায় তাদের
অক্ষর জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি
মিয়ানমারের ভাষাসহ অংক ও ইংরেজি শেখানো হচ্ছে।
ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই লার্নিং সেন্টার
ব্যবস্থা অব্যাহত রাখবে এবং আগামী ছয় মাসে লার্নিং
সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইউনিসেফ অন্তত ২ লাখ
রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষা প্রদান করার পরিকল্পনা হাতে
নিয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে
শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ বেড়েছে।
আয় বৈষম্য
বাড়ায় চাপে মধ্যবিত্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জাফর আহমেদ। বয়স
৪৪ বছর। রাজধানীর হাতিরপুলে মেসে থাকেন। প্রতি মাসে আয়
২০ হাজার টাকার ওপরে। তিনি জানান, এখান থেকে বাড়ি ভাড়া
বাবদ ব্যয় হচ্ছে বেতনের অর্ধেক টাকা। প্রতি মাসের
নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে যায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
এরপর দুই মেয়ে ইয়াসমিন এবং নিশির লেখা পড়া বাবদ খরচ ৩
হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিদিন কিছু টুকটাক খরচ থাকে। সব
মিলিয়ে এখন তার কোনো সঞ্চয় থাকে না। অথচ গত বছরের একই
সময়ে প্রতি মাসেই নিরাপত্তার জন্য তার কিছু টাকা জমা
থাকতো। তিনি বলেন, এসবের মাঝে বড় কোনো অসুখ হলে ঋণ করা
ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এছাড়া সহজে ডাক্তারের কাছে
যান না জাফর। অন্যদিকে বড় মেয়ের বিয়ে দেয়ার চিন্তা তো
আছেই।
রাজধানীর একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন মো. আরিফ হোসেন।
মাস শেষে বেতন-ভাতা সবকিছু মিলিয়ে যা পান এর বাইরে তার
বাড়তি আয়ের আর কোনো সুযোগ নেই। এ টাকা দিয়েই চার
সদস্যের পরিবারের সংসার খরচ চালাতে হয় আরিফকে। চাল,
সবজিসহ নিত্যপণ্যের যে দাম তাতে প্রতি মাসেই সংসার
চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। আর সাম্প্রতিক সময়ে চাল,
সবজির লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখিতায় অনেকটাই নুন আনতে পান্থা
ফুরায় অবস্থা আরিফের। তিনি জানান, উত্তরখানের একটি
টিনশেডের বাড়িতে দুই রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতি মাসে
বাসা ভাড়া দিতে হয় ৬ হাজার টাকা। চাল কিনতে লাগে ২
হাজার টাকার ওপরে। ছেলে ও মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে খরচ হয়
১ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়েই তাকে মেটাতে হয় সারা
মাসের বাজারসহ অন্য খরচ। ফলে সকাল-সন্ধ্যা অফিস করে যে
টাকা পান তা দিয়ে ভালো মতো সংসার চালানোই দুষ্কর। এ
পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়ে কোনো অবদার করলে অধিকাংশই তা
পূরণ করা সম্ভব হয় না। এই শিক্ষক বলেন, আমার ছেলে
ক্লাস থ্রিতে এবং মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। বাচ্চা
ছেলেমেয়েরা প্রায় বিভিন্ন বায়না ধরে। ভালো খাবার খেতে
চায়। ওরা তো আর বোঝে না আমার সামর্থ্য। কিছুদিন আগে
ছেলে-মেয়ে দু’জনই বায়না ধরলো শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার।
ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্যে না কুলানোর কারণে তাদের সেই
আবদার রাখতে পারিনি। অনেক বুঝিয়ে তাদের শান্ত করি।
ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুন্সিগঞ্জে BHRC'র ঢাকা
দক্ষিণ আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানী ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মধ্য ভাগে ধলেশ্বরী নদীর
তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জ জেলা শহর। দিবসটি ছিল পরিপূর্ণ
দুর্যোগময়, ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় তলিয়ে যায় গোটা জেলা
শহর, এমনকি সম্মেলনের অডিটোরিয়ামেও পানি ঢুকে পরে। শত
দুর্যোগকে উপেক্ষা করে বেশীর ভাগ মানবাধিকার কর্মী যথা
সময়ে পৌছে যায় সম্মেলন স্থলে। জাতীয় ও BHRC'র পতাকা
উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও BHRC'র সংগীত, বেলুন ও কবুতর
অবমুক্ত করন, কোরআন ও গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে মানবাধিকার
সম্মেলনের অধিবেশন শুরু হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭( নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ.
মহানগর, মুন্সিগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা) ২১ অক্টোবর ২০১৭
সকালে মুন্সিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন বাংলাদেশের
এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন
BHRC'র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা: আবু ইউসুফ
ফকিরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে
উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম বাবলী। বিশেষ
অতিথিরা হচ্ছেন মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
আসাদুজ্জামান,BHRC'র ঢাকা দক্ষিণের গভর্নর কুতুবউদ্দিন
আকসির, নারায়নগঞ্জ জেলা মহিলা শাখার সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার, নির্বাহী সভাপতি কহিনুর
ইসলাম রুমা, নারায়নগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক
জাকির আহমেদ খান, বৃহত্তর মিরপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ
সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, সোনারগাঁও উপজেলা শাখার
সভাপতি জাহানারা আক্তার, মাধবদী থানা শাখার সভাপতি হাজী
ছবির মিয়া। মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ
সাইদুর রহমান টুটুল সহ ৩১ জন কর্মকর্তা সম্মেলনে
বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শেষ ভাগে মানবাধিকার
কর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান BHRC'র মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। সম্মলনের শেষ অংশে বিশিষ্ট অতিথি এবং
শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে মানবাধিকার পদক
বিতরণ করা হয়।
BHRC সিলেট মহানগরের অভিষেক সম্পন্ন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সিলেট মহানগরের অভিষেক
অনুষ্ঠান গত ২০ অক্টোবর ২০১৭ সিলেট নগরীর হোটেল
নির্ভানা ইন এ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC সিলেট মহানগরের সভাপতি
তাহমিন আহমদ তাকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক
রাশেদুজ্জামান রাশেদের পরিচালনায় অভিষেক অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন
সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লালা, BHRC
সিলেট বিভাগীয় গভর্নর ড. আর কে ধর, BHRC সদর দপ্তরের
বিশেষ প্রতিনিধি ফারুক আহমদ শিমূল, সিলেট জেলা নির্বাহী
সভাপতি শ্রী তপন মিত্র, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক
ইসলাম উদ্দিন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন BHRC সিলেট মহানগরের
নির্বাহী সভাপতি মোঃ আব্দুল মন্নান।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির
ধর্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল ইসলাম। পরে উপস্থিত সবাই
জাতীয় সংগীত পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যকে
পরিচয়পর্ব শেষে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের প্রধান
অতিথি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করেন BHRC সিলেট
মহানগরের সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ শিমূল, সহ
সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহাব জোয়ারদার,
শাহাব উদ্দিন, গুলজার আহমদ, আকরার বখত মজুমদার, গিয়াস
উদ্দিন সরকার, ফখরুল আলম তালুকদার, এড. তাজ উদ্দিন
আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন, আব্দুছ
ছামাদ তুহেল, সাজন আহমদ সাজু, আব্দুল ওয়াহিদ, সাংগঠনিক
সম্পাদক মিয়া মো. রুস্তম মাসুদ, মির্জা এম কামরুল
ইসলাম, জুম্মান আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর
সাকু, মাহবুব খান, আখতার হোসেন, জুমেল আহমদ, দিলিপ দে,
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল মিয়া, শিপন আমদ, আইন বিষয়ক
সম্পাদক এডভোকেট টি.এম.মুহী উদ্দিন মাহিদ, এডভোকেট মো.
রব নেওয়াজ রানা, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মির্জা
ফুয়াদ হাসান আওলাদ, অর্থ সম্পাদক রায়হান আহমদ, দপ্তর
সম্পাদক পরিমল পাল, সহ দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন,
মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রিনা বেগম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক
সম্পাদক জিয়াউর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.
দেব দুলাল দে, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম
চুনু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ, সহ শিক্ষা
বিষয়ক সম্পাদক রাসেল কান্তি দাস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
মাওলানা নাজমুল ইসলাম, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রথীন্দ্র
মালাকার, কার্যনির্বাহী সদস্য মনসুর আহমদ, ইসমাইল আলী
টিপু, জাহিদ আহমদ, নাজিব আহমদ অপু, রায়হান আহমদ, গিয়াস
উদ্দিন, নওশাদ আহমদ, শেখ শামীম হাসান, আহমদ হোসেন খান,
তাহের আহমদ, মাসুম আহমদ, আহমেদ মাহবুব, আব্দুল মুনিম,
নাবিল বিন মোহাম্মদ মিজান চৌধুরী, মো. কবির আহমদ,
নুরুল ইসলাম রাসেল, নাজিম উদ্দিন, সালেহ আহমদ, আবুল
কালাম, আব্দুল মুকিত, মো. মঈনুল ইসলাম, মো. তরিকুল
ইসলাম প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
বলেন, সাম্প্রতিককালে বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই
মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি ওয়ান ইলেভের নিজের প্রতি
অবিচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, তৎকালীন সময় আমার
ক্ষেত্রেও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তিনি আশা
প্রকাশ করেন ইঐজঈ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দরা
মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন এবং তার
পক্ষ থেকে নবগঠিত কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস
প্রদান করে বলেন, তিনিও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিনিয়ত
কাজ করে যাচ্ছেন। তার সাথে এই কমিটিও একাত্ম হয়ে
মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করবে।
প্রতিবেশীদের
মধ্যে সবার আগে বাংলাদেশ : সুষমা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন,
প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়া ভারতের নীতি। এর মধ্যে
বাংলাদেশ সবার ওপরে।
কারণ প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশই ভারতের কাছে সবচেয়ে
বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের
চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও ভারত সরকারের ৭১ দশমিক ৬৪ কোটি
টাকা অর্থায়নে ১৫টি প্রকল্প উদ্বোধন শেষে সুষমা এসব কথা
বলেন। দুই দিনের সফর শেষে গতকাল দুপুরে ঢাকা ত্যাগ
করেন সুষমা স্বরাজ। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক
কমিশনের চতুর্থ সভায় অংশ নিতে দুই দিনের সফরে রবিবার
ঢাকা আসেন সুষমা স্বরাজ। বিকালে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয়
নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। গতকাল
সকালে বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি
কমপ্লেক্সের উদ্বোধন শেষে ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতে শুরু
করে একপর্যায়ে হিন্দিতে বলতে শুরু করেন সুষমা স্বরাজ।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমানে
অসাধারণ। দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত যে বিষয়গুলো রয়েছে,
তার সমাধানে দুই পক্ষই বন্ধুত্বের মেজাজে সঠিক পথে কাজ
করছে। দুই দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নয়,
পারিবারিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সম্পর্ক
প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, আমরা দুজন দাদা-দিদি সম্পর্ক
পাতিয়ে ফেলেছি। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আমরা দুই
দেশ মিলে সব বিষয় সততার সঙ্গে মিটিয়ে ফেলব। তিনি আরও
বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দ্রুত
এগিয়ে চলেছে। এই গতিতেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও
সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এ জন্য দুই দেশের পরবর্তী
নেতৃত্ব তৈরিতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর জোর
দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের ওপর বেশি করে বিনিয়োগ
করতে হবে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে। ভারতীয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ছিল দুই দেশের নাগরিকদের
মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো। ভারতীয় হাইকমিশনের নিজস্ব
চ্যান্সারি ভবনের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন
পেশার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ
এইচ মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম,
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ঢাকায়
নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে
বিশেষ বিমানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটি থেকে
নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সুষমা স্বরাজ।
রোহিঙ্গা
সংকটের জন্য সু চিকে শতভাগ দায়ী করলেন ড. মুহাম্মদ
ইউনূসে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বছরের পর বছর ধরে বিশ্বব্যাপী নিজের একটি আলাদা সত্ত্বা
দাঁড় করিয়েছেন অং সান সু চি। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে
তার সব অর্জন এখন ধুলায় মিশে যাচ্ছে। যে সু চিকে
বিশ্ববাসী চিনতো, সেই সু চির সাথে বর্তমান সু চিকে যেন
মেলাতে পারছে না কেউ। বর্তমান সু চিকে অচেনা লাগছে
নোবোল বিজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসেরও। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে
সৃষ্ট প্রেক্ষাপটে সু চির এতদিনের লালিত মূল্যবোধ কই
গেল, সে প্রশ্ন রেখেছেন ড. ইউনূস। আল জাজিরার ‘আপ
ফ্রন্ট’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে দেওয়া এক
সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা ইস্যু ও এটির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা
করেছেন তিনি। একই সাথে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সু চির তীব্র
সমালোচনাও করেছেন এ অর্থনীতিবিদ।
মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর যে দমন নীতি চালাচ্ছে
তাকে ভয়ঙ্কর ও লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন প্রফেসর
ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে অংশে এ সমস্যাটি এখন
প্রকট আকার ধারণ করেছে, আমিও সে অঞ্চলের মানুষ। এখনো
প্রতিদিন রোহিঙ্গা মানুষজন বাংলাদেশে আসছে।’
ড. ইউনূসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বাংলাদেশ কীভাবে এ
বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে বা কতদিন এভাবে
আশ্রয় দিতে পারবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু
অর্থনৈতিক বিষয় নয়। এটা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ও।
১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা
অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে। পুরো অঞ্চলটি খুব শীঘ্রই
সন্ত্রাসবাদের আখড়া হয়ে উঠবে। অন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী
গোষ্ঠিগুলোর নেটওয়ার্কও এখানে কাজ করা শুরু করবে। ফলে
এটা বাংলাদেশের জন্যতো বটেই, পুরো অঞ্চলের জন্যই হবে
ভয়াবহ। একসময় সবকিছু মিলয়ে একটা বিস্ফোরণ হবে। আমি বলতে
চাই, এসব ঘটার আগেই এ সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে
সমাধান করতে হবে।’
আল জাজিরার সাংবাদিক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন যে তিনিও
কি এ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধের আশঙ্কা
করছেন কিনা? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘যেকোন কিছুই হতে
পারে। আমরা কিছু বলতে পারছি না। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যুকে
কেন্দ্র করে, বা রোহিঙ্গাদের নাম ব্যবহার করেও কেউ কিছু
করতে পারে। এটি যেকোন দিকেই মোড় নিতে পারে। এটা শুধু
বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।
পুরো অঞ্চলই এতে জড়িয়ে পড়বে। ভারত ও পাকিস্তানও এতে
জড়াবে, সব জঙ্গিগোষ্ঠিগুলোও এতে জড়াবে। কত সংখ্যক দেশ
এতে জড়াবে, তা শুধু সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস সম্প্রতি লেখা তার বই ‘দ্য
ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’ নিয়েও কথা বলেন।
মিয়ানমার নিরাপত্তা
বাহিনীর বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে : কফি আনান
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেছেন, মিয়ানমার
নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
মধ্যে ব্যাপক ঐকমত্য রয়েছে।
কফি আনান জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের
উন্মুক্ত অধিবেশনেই এই মতৈক্য হয়। সব ধরনের সহিংসতা
বন্ধ, উপদ্রুত এলাকায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ত্রাণ
পৌঁছানোর ব্যবস্থা এবং সব উদ্বাস্তুর নিরাপদ ও
সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সবাই একমত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের অনুরোধে আয়োজিত এক বৈঠকে কফি
আনান রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন।
কফি আনান রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়ে মিয়ানমার
সরকারের ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন আন্তর্জাতিক
মান অনুযায়ী সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
রোহিঙ্গা উদ্বাত্তুদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে নিজ
ভূমিতে প্রত্যাবর্তন, মানবিক সহায়তা ও মৌলিক চাহিদা
নিশ্চিত করতে কফি আনান তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক
ক্ষেত্রে সহযোগিতা রক্ষা করার বিষয়ে জোর দিয়ে কফি আনান
বলেন, এই সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই
লাভবান হবে। কফি আনান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের
আন্ত:সম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার উপর বিশেষভাবে
গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, “এই ভয়াবহ রোহিঙ্গা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা
সম্ভব হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত রাখাইন প্রদেশের জনগণের
কল্যাণে মিয়ানমার সরকার রাখাইন জনগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায় ঐক্যমত্য হয়ে কাজ না করে”। নিরাপত্তা
পরিষদের সকল সদস্যই এ সংকট সমাধানের পক্ষে বক্তব্য
রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি এটিকে মানবিক বিপর্যয়
আখ্যা দিয়ে বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। আমরা এটি আর গ্রহণ
করতে পারছি না। আমরা মিয়ানমার সিকিউরিটি ফোর্সের এই
হীন কাজের নিন্দা জানাই”।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ
নিরাপত্তা পরিষদের একটি উন্মুক্ত সেশনে মিয়ানমার
কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক
পরিস্থিতির উপর বিবৃতি প্রদান করেন। এ সভায় মহাসচিব
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত তিনটি বার্তার
পুনরুল্লেখ করেন। বার্তা ৩টি – (১) সামরিক বাহিনীর
অপারেশন বন্ধ করা; (২) বাধাহীনভাবে মানবিক সাহায্যের
সুযোগ দেওয়া; (৩) রোহিঙ্গা শরানার্থীদের তাদের মূল
ভূখণ্ডে নিরাপদ, স্বপ্রণোদিত ও মর্যাদার সাথে
প্রত্যাবর্তনের টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আজ আরিয়া
ফর্মুলা মিটিং এ পুনরায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যগণ
একত্রিত হলো।
Top
গর্ভে
সন্তান রেখে সেলাই: কুমিল্লা সেই চিকিৎসকসহ তিন জনকে
হাইকোর্টে তলব
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জমজ সন্তানের একটি বের করার পর আরেকটিকে ভেতরে রেখেই
নারীর পেট সেলাই করে দেওয়ার ঘটনায় সেই চিকিৎসকসহ
তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২৯ অক্টোবর)
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম
জহিরুল হকের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
যে তিন জনকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- কুমিল্লার
দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার শেখ হোসনে আরা বেগম,
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক।
আগামী ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাদের ঘটনা ব্যাখ্যা
করতে বলা হয়েছে।
একটি জাতীয় পত্রিকার এ সংক্রান্ত খবর আদালতের নজরে
আনেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। পরে আদালত
স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল
হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২২) গত ১৮ সেপ্টেম্বর
দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন করা হয়। সেখানে খাদিজার
পেটে একটি সন্তান রেখেই অপারেশন শেষ করার অভিযোগ ওঠে
ডা. শেখ হোসনে আরার বিরুদ্ধে।
খাদিজার গর্ভে দুইটি সন্তান থাকলেও ডাক্তার শেখ হোসনে
আরা অপারেশন করে একটি সন্তান বের করে অপরটি টিউমার বলে
অপারেশন সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে খাদিজা বাড়িতে যাওয়ার
পর দীর্ঘ এক মাস তার পেটে ব্যথা ছিল। এ নিয়ে চিকিৎসার
জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যান। পেটের ব্যথা বাড়তে
থাকলে খাদিজা আক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫ অক্টোবর
বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
দ্বিতীয় অপারেশনের পর খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা
যায়।
‘ধর্ষণ’-এর নতুন সংজ্ঞা দিলো ভারতীয়
আদালত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘স্ত্রীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়, তার সঙ্গে যৌন মিলনও
হবে ‘ধর্ষণ’ এবং সেই হিসেবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে এমনটাই বলা হয়েছে।
ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের সাজার ক্ষেত্রে একটি ধারার
বৈধতা নিয়ে এক মামলায় বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই
রায় দেয় বলে এনডিটিভির খবর। ভারতের আইনে বাল্যবিয়ে
নিষিদ্ধ। মেয়েদের বয়স ১৮ ও ছেলেদের ২১ না হলে ভারতীয়
আইনে বিয়ে বৈধতা পায় না।
ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে
যে কোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা
করা হলেও সেই মেয়ে কারও স্ত্রী হয়ে থাকলে এবং তার বয়স
১৫ বছরের বেশি হলে স্বামীর ক্ষেত্রে আইনে ছাড় দেওয়া
হয়েছে।আইনে ছাড় দেওয়ার ওই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে
সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ভারতের মানবাধিকার সংগঠন
ইনডিপেনডেন্ট থট।
তাদের আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার সুপ্রিম
কোর্ট রায় ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, ধর্ষণের আইনে ওই
ছাড় দেওয়া বৈষম্যমূলক, মেয়ে শিশুদের জন্য শারীরিকভাবে
মর্যাদাহানীকর এবং অসাংবিধানিক। এ ধরনের ক্ষেত্রে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই স্ত্রী এক বছরের মধ্যে আদালতে অভিযোগ
জানাতে পারবে।
সরকার এ মামলার শুনানিতে যুক্তি দিয়েছিল, বিয়ের বয়স
নিয়ে আইন থাকলেও ভারতে বাল্যবিয়ে একটি বাস্তবতা এবং
যাদের বিয়ে হয়ে গেছে, সেটা রক্ষা করা রাষ্ট্রের
দায়িত্ব।
আদালত সরকারের ওই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বাল্যবিয়ে
বন্ধে আরও উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছে। টাইমস অব
ইন্ডিয়া লিখেছে, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ভারতের ২ কোটি ৩০
লাখ বালিকা বধূর অধিকারের প্রশ্নেই সায় দিল আদালত।
ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির
১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে যারা বিবাহিত,
তাদের ৪৬ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই। তবে
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে, তাদের এই রায়
কোনোভাবেই বৈবাহিক ধর্ষণের (স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক
যৌনমিলন) সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক
কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC চট্টগ্রাম মহানগর
শাখার উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর ২০১৭ তাজনিমার খোলা রোহিঙ্গা
ক্যাম্প, থাইনখালী, উখিয়া, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের
মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। BHRC প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব
ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ
কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ইঐজঈ চট্টগ্রাম বিভাগীয়
গভর্নর মানবতাবাদী সেতারা গাফফার, বিশেষ প্রতিনিধি
মানবতাবাদী এমএ সোহেল আহমেদ মৃধা, বিশেষ প্রতিনিধি
মানবতাবাদী মোঃ আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার
সাধারণ সম্পাদক মানবতাবাদী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মানবতাবাদী সৈয়দ
আজমুল হক, কক্সবাজার জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি
মানবতাবাদী এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা
আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মানবতাবাদী মাহমুদুল হাসান
রোম্মান, টেকনাফ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মানবতাবাদী
মনোয়ারা বেগম মুন্নী, কক্সবাজার সদর উপজেলা শাখার
সভাপতি মানবতাবাদী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ ।
এইডস আক্রান্ত ২ রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম
মেডিকেলে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এইডস আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা নারী চিকিৎসার জন্য
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন।
কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর
২০১৭ রাতে তাদের পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন চমেক পুলিশ
ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
তিনি বলেন, এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত নারীদের একজনের
বয়স ৫০ বছর, অন্যজনের ৬০ বছর।
সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১৪৩ জনের
মধে ্য এইচআইভি সংক্রমণের তথ ্য পাওয়ার কথা এই বছরই
জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এর মধ্যে
৬৫৮ জনের মৃ ত ্যু ঘটে।
এইডস আক্রান্ত দুই নারীর সঙ্গে সাপের কামড় খাওয়া এক
যুবককেও কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও
সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে
সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে।
শরণার্থীর সংখ্যা এরই মধ্যে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম দিকে যারা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, তাদের
বেশির ভাগের ছিল গুলি ও বোমার জখম। এখন নানা রোগে
আক্রান্তরাও আসছেন।
চিকিৎসা শেষে রোহিঙ্গাদের আবার কক্সবাজারে শরণার্থী
শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়।
ফতোয়া জারি করতে পারবেন সৌদি নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এবার থেকে সৌদি নারীরাও ফতোয়া জারি করতে পারবেন বলে
সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শুরা কাউন্সিল। নারীদের ফতোয়া
জারির ব্যাপারটি শুরা কাউন্সিলে বিপুল ভোটে পাশ হয়। এর
মাত্র, দুদিন আগেই নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর
নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয় সৌদি আরব।
বিশ্লেষকরা সৌদি আরবের এসব সিদ্ধান্তে সুদূরপ্রসারী
পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখছেন। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় সৌদি
আরব এখন বিরাট অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটের মুখে
পড়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এখন নানা
ধরণের সংস্কারের মাধ্যমে তার দেশকে পরিবর্তিত
পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
শুরা কাউন্সিলে নারীদের ফতোয়া জারির অধিকার প্রদানকে
সেই লক্ষ্যেই আরেকটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে
শুরা কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে সৌদি
বাদশাহকে একটি রাজকীয় ফরমান জারির মাধ্যমে মহিলা
মুফতির পদ তৈরি করতে হবে। সৌদি আরবের যে কট্টর
রক্ষণশীল ভাবমূর্তি, এসব সিদ্ধান্তের ফলে সেই ভাবমূর্তি
অনেকখানি কাটিয়ে তোলা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে
বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
ব্রিটিশ
হাইকমিশনার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক বলেছেন, সংকটময়
মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইতোমধ্যে চার লাখ রোহিঙ্গা
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এটা যেকোনো দেশের জন্য
একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল শনিবার হাইকমিশনার ব্লেইক
তার বারিধারার বাসভবনে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের
প্রতিবেদকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,
এই সংকটের জন্য দায়ী না হলেও বাংলাদেশকে বড় চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মিয়ানমারকেই এই সংকট নিরসনে
পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা ও সংকট নিরসনের বিষয়ে ব্রিটিশ
হাইকমিশনার বলেন, দীর্ঘদিনের এই সংকটের রাতারাতি
সমাধানের কোনো জাদুর কাঠি নেই। তবে বিশ্ব সম্প্রদায়
একটি মতৈক্যে পৌঁছেছে যে, এই সংকট আর চলতে দেওয়া যায়
না। যুক্তরাজ্যও এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে
বের করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যের জন্য
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন
অ্যাডভাইজরি কমিশনের করা সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে
রোহিঙ্গা সংকটের একটা স্থায়ী সমাধান আসতে পারে।
মিয়ানমার সরকার এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে
সম্মত হয়েছে।
হাইকমিশনার ব্লেইক বলেন, রাখাইন রাজ্যে একটি স্থায়ী
সমাধান খুঁজে বের করতে যুক্তরাজ্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
যুক্তরাজ্য সরকার ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায়
তিন কোটি পাউন্ড প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য
শুধু মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে না বরং
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র
হিসেবেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা বন্ধের আহ্বান
জানিয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্য ‘ফ্যাক্ট-ফাউন্ডিং’
মিশনের ব্যাপারে সহযোগিতা করছে। কারণ সমস্যার স্থায়ী
সমাধানের জন্য পরিস্থিতি বোঝা ও দায়ীদের জবাবদিহিতা
গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
ব্যক্তিরা যাতে নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে
যেতে পারে সেটাই এই পরিকল্পনার বড় দিক।
ইসলামি সন-তারিখের তাৎপর্য ও ইতিহাস
মোস্তফা কামাল গাজী
তারিখ শব্দটি আরবি। এর প্রচলিত অর্থ ইতিহাস, বছরের
নির্দিষ্ট দিনের হিসাব। আল্লামা ইবনে মানজুর (রহ.)
তাঁর বিখ্যাত আরবি অভিধান ‘লিসানুল আরবে’ লিখেছেন,
‘তারিখ হলো, ‘সময়কে নির্দিষ্ট করা, সময়ের চিত্র তুলে
ধরা, সময়ের ঘটনাপ্রবাহ শব্দবদ্ধ করা। দৈনন্দিন জীবনে
সন-তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। সন-তারিখ মানুষের জীবনের
অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংখ্যার গণনা, হিসেব রক্ষণ,
মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগির সময় নির্ধারণ ইত্যাদির জন্য
তারিখ ও সনের প্রচলন অতি গুরুত্বপূর্ণ। সন-তারিখের
প্রচলন সম্পর্কে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। আদিকাল থেকেই
মানুষ সন-তারিখের সমন্বয়ে নিজেদের জীবন পরিচালনা করে
আসছে। হজরত ইবনে কাসির (র.) এর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল
কামেল ফিত তারিখে’ লিখেন, ‘ইসলাম আসার আগে আরবের
সমষ্টিগত কোনো তারিখ ছিলো না। সে সময় তারা প্রসিদ্ধ
ঘটনা অবলম্বনে বছর ও মাস গণনা করতো। হজরত ইব্রাহিম
(আ.) এর সন্তানরা কাবা শরিফ নির্মিত হওয়ার আগে তাঁর
আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনা অবলম্বনে তারিখ নির্ধারণ
করতো। কাবা শরিফ নির্মাণের পর তারা বিক্ষিপ্ত হওয়া
পর্যন্ত এ অনুযায়ী সাল গণনা করতো। এরপর তাঁর বংশধর থেকে
যারা হেজাজের তেহামা অঞ্চল থেকে বেরিয়ে অন্য জায়গায় চলে
যায়, তখন সেই গোত্র বেরিয়ে যাওয়ার দিন থেকে তারিখ গণনা
শুরু করে। যারা তেহামাতে রয়ে যায়, তারা বনি জায়েদ
গোত্রের জুহাইনা, নাহদ ও সা’দের চলে যাওয়ার দিন থেকে
সাল গণনা করে। কাব বিন লুআইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত এ ধারা
চলমান ছিল। পরে তাঁর মৃত্যুর দিন থেকে নতুনভাবে সাল
গণনা শুরু হয়। এটা চলতে থাকে হস্তীবাহিনীর ঘটনা
পর্যন্ত। হিজরি বর্ষের গোড়াপত্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত আরবে
‘হস্তীবর্ষ’ই প্রচলিত ছিলো। (আল কামেল ফিত তারিখ লি
ইবনিল আছির : ১/৯)
বনু ইসমাইল ছাড়া আরবের অন্য গোত্রের লোকেরা নিজেদের
মধ্যে ঘটে যাওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে উপলক্ষ করে
বর্ষ গণনা করতো। এরপর ইসলাম আসে মুক্তির সুমহান বার্তা
নিয়ে। দিকে দিকে যখন ইসলামের জয়জয়কার, পৃথিবীজুড়ে
ছড়রিয়ে পড়ে ইসলামের সত্য বাণী তখন মুসলমানদের
কল্যাণার্থে ও সংখ্যা গণনার প্রয়োজনে হিজরি সনের
প্রবর্তন করা হয়। তখন ছিলো ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা
আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর (রা.) এর খিলাফতকাল। বিশিষ্ট
সাহাবি হজরত আবু মুসা আশয়ারি (রা.) তখন ছিলেন ইরাক ও
কুফার গভর্নর। তিনি একদিন খলিফার কাছে এ বলে আবেদন
পাঠালেন যে, আমিরুল মুমিনিনের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় যেসব
ফরমান এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়, তাতে
কোনো সন-তারিখ উল্লেখ না। তাই এটা কোন দিনের আদেশনামা
তা অবগত হওয়া যায় না। ফলে সেটা কার্যকর করতে জটিলতায়
পড়তে হয়।
খলিফার দরবারে পত্র পৌঁছুলে তিনি তা পড়ে অনুধাবন করলেন
যে, আবু মুসা আশয়ারি (রা.) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের
কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি দেরি না করে কয়েকজন সাহাবির
(রা.) সঙ্গে পরামর্শে বসে উল্লিখিত বিষয়টি উপস্থাপন
করলেন। তিনি বললেন, মুসলিম জাতির সুবিদার্থে একটি
ইসলামি সন-তারিখ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সবাই এতে সম্মতি
দিলেন এবং দিন, তারিখ ও সন নির্ধারণ কোন দিনকে কেন্দ্র
করে হবে সে ব্যাপারে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করলেন। কেউ
বললেন, প্রিয় নবিজীর (সা.) জন্মগ্রহণের মাস থেকে ইসলামি
সন গণনা শুরু হোক। কেউ বললেন, ইন্তেকালের মাস থেকে।
কারো কারো মত ছিল নবুওয়াত প্রাপ্তির মাস থেকে শুরু হোক।
বিভিন্ন মতামত শোনার পর হজরত ওমর (রা.) ভেবে দেখলেন,
নবজী (সা.) এর জন্মগ্রহণের মাস থেকে ইসলামি সন চালু করা
যায় না। কারণ খ্রিস্টানরা হজরত ইসা (আ.) এর
জন্মগ্রহণের মাস থেকে তাদের ইসায়ী সন শুরু করেছে।
এজন্য তাদের সাঙ্গে সাদৃশ্য আমাদের উচিত হবে না। আর
প্রিয় নবীজির (সা.) এর ওফাত যেহেতু আমাদের জন্য শোক ও
দুঃখের, এমন করুণ স্মৃতি সজীবতা লাভ করলে জাহেলি যুগের
অন্ধ প্রথা জীবিত হয়ে উঠবে এবং মৃত্যুদিবস পালিত হবে।
আর নবুওয়াতের মাস থেকে শুরু করলেও অসুবিধা দেখা দেবে।
কারণ, নবী-রাসুলগণের জীবন দুই প্রকার। এক. শারীরিক
জীবন, দুই. আত্মিক জীবন। দুনিয়ায় জন্মগ্রহণের পর থেকে
শুরু হয় শারীরিক জীবন, আর নবুওয়াত প্রাপ্তির পর শুরু
হয় আত্মিক বা রূহানি জীবন। নবুওয়াতের সময় থেকে সন
গণনার বিষয়টি যদিও খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত
নয়, তবু খ্রিষ্টানরা যেহেতু হজরত ইসা (আ) এর শারীরিক
জীবন থেকে ইসায়ী সন চালু করেছে, তাই রাসুলুল্লাহ (সা.)এর
নবুওয়াতি জীবন থেকে ইসলামি সন করাটা সমীচীন হবে না।
হজরত ওমর (রা.) এর ভাবনায় হিজরতের মাহাত্ম্য ও
গুরুত্বের কথা জাগ্রত হয়। এ বিষয়গুলো খুলে বললেন
সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর কাছে। হজরত ওমর (রা.) বলতেই
হজরত ওসমান ও হজরত আলি (রা.) তাঁর কথার প্রতি সমর্থন
করে বললেন, আমাদের হিজরি সন স্বতন্ত্র ও স্বয়ংসম্পূর্ণ
হওয়া জরুরি। তাই ইসলামের ঐতিহাসিক ঘটনা হিজরতের সময়
থেকে এর গণনা শুরু হোক। সবার কাছে প্রস্তাবটি
গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে এবং ব্যাপক সাড়া পেলে
মদিনায় হিজরতের সময় থেকেই গণনা শুরু হয় ইসলামি সন। আর
হিজরতকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়ায় এর নাম রাখা হয় হিজরি
সন। নবিজী (সা.) যখন হিজরত করেন তখন ছিলো রবিউল আউয়াল
মাস। কিন্তু মহররম মাসে বিভিন্ন ঘটনা ঘটার কারণে
মুসলমাদের মাঝে এর গুরুত্ব অনেক। ইসলামপূর্ব যুগেও এ
মাসের অনেক কদর ছিলো। তাই মাসের ধারাবাহিকতা ও সার্বিক
দিক চিন্তা করে মহররমকেই হিজরি সনের প্রথম মাস হিসেবে
ধরা হয়। মুসলিম উম্মাহর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে
আছে হিজরি সন। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, ঈদ উৎযাপন,
আশুরা ইত্যাদির দিনক্ষণ নির্ণয় হয় হিজরি মাস অনুযায়ী।
এ ছাড়াও বিভিন্ন চন্দ্রমাসে রয়েছে অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল।
তার সঠিক হিসাব না রেখে আমল করলে সকল কষ্ট ভেস্তে যাবে।
তাই হিজরি সনের সঠিক হিসাব রেখে পালন হবে প্রতিটি আমল।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
হাইহিল
পরতে নারীদের জোরজবরদস্তি নিষিদ্ধ ফিলিপাইনে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফিলিপাইনের শ্রম মন্ত্রণালয় নতুন এক আদেশে বলেছে সে
দেশের নারী কর্মীদের হাইহিল পরতে বাধ্য করা যাবে না।
রোববার থেকে কার্যকরী হওয়া ওই আদেশে হাইহিলের পরিবর্তে
‘বাস্তব ও আরামদায়ক পাদুকা’ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
নতুন ওই আদেশে বলা হয়েছে কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদের
নারী র্কমীদের এক ইঞ্চি উঁচু হিলের বেশি পরতে বাধ্য
করতে পারবে না। বিশেষ করে রিসেপশনিস্ট, সিকিউরিটি
গার্ড, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস‘র মত কর্মী যাদের ৮ থেকে
১০ ঘন্টার মত দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে এই
আদেশ বাধ্যতামূলক।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত নারীদের হাইহিল
পরতে বাধ্য করা হয়। উঁচু হিলে নারীদের লম্বা ও
আকর্ষণীয় দেখায়, এই ধারণা থেকেই মূলত কোম্পানিগুলো
নারীদের এমন জুতো পরতে বাধ্য করে।
ফিলিপাইনের অ্যাসোসিয়েটেড ল্যাবার ইউনিয়নের মুখপাত্র
অ্যালান তানজুসাই নতুন আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এএফপিকে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় হাইহিল পরতে নারী
কর্মীদের বাধ্য করাটা একধরণের নিপীড়ন ,এটি দাসত্বের
একটি ধরণ।
জুলাই মাসে স্কটল্যান্ডের এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষাবিদরা এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে উঁচু
পাদুকা পরে থাকা পায়ের পেশীর জন্য বড় ধরণের ক্ষতির
কারণ হতে পারে।
সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর অনুমতি
পাচ্ছেন নারীরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন সৌদি
আরবের নারীরা। আগামী গ্রীষ্মেই তাদেরকে এ অনুমতি দেয়া
হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এখন সময় হলো সঠিক
সময়ে সঠিক কাজ করা। সৌদি আরব সরকারের এমন পরিবর্তিত
নীতিতে পুরুষ আত্মীয়-স্বজনের অনুমতি ছাড়াই নারীরা গাড়ি
চালানোর লাইসেন্স পাবেন। এ ঘোষণা রাজকীয় ঘোষণা হিসেবে
দেখা হচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি
প্রেস এজেন্সি ও টেলিভিশনে তা প্রচার করা হয়। সরকারের
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাদশা সাউদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর আজিজা ইউসেফ। তিনি সৌদি
আরবে নারী অধিকারের সবচেয়ে উচ্চকিত কণ্ঠ। তিনি বলেন,
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নারীরা খুশি। কিন্তু আরো অনেক
অধিকার আছে। এটা তার প্রথম পদক্ষেপ।
ফুলপুরে সার্কেল
এএসপির হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে সার্কেল এএসপি শাখের আহাম্মদের
হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো লিজা আক্তার (১৪) নামের নবম
শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ।
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর
ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের নবম শ্রেণিতে
পডুয়া লিজা আক্তারকে (১৪) বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে
মর্মে সংবাদ পান ফুলপুর সার্কেলের এএসপি শাখের আহাম্মদ।
সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় বিয়ের
সাজে সাজানো হয়েছিল লিজাকে। এএসপি শাখের আহাম্মদ উভয়
পরে অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের তিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত
করেন। এতে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বিবাহ
কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। লিজার বাবা মেয়েকে এখই বিয়ে
না দিয়ে তাকে লেখাপড়া করার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি
দেন।
কোমলমতি শিশুদের
দিয়ে চলছে কারখানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গাজীপুরের শ্রীপুরে
অসংখ্য শিল্পকারখানায় শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
শিশু শ্রমের কারণে এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। উপজেলার
বিভিন্ন কারখানায় শিশুরা অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশে কাজ করছে। নামমাত্র বেতনে শিশু শ্রমিক পাওয়া
যায় বিধায় কারখানার মালিকেরা শিশুদের কাজে নিয়োগে
আগ্রহী হচ্ছে। শিশুদের মাসিক বেতনের টাকাও সঠিক সময়ে
পরিশোধ করছে না কারখানার মালিকরা। অপরিপক্ব বয়সে কাজের
অতিরিক্ত চাপ থাকায় ও দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করে তারা
অপুষ্টির শিকার হয়েই বেড়ে উঠছে। কারখানা মালিকরা
প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব
দেখেও না দেখার ভান করছে। যে বয়সে কোমলমতি শিশুদের
বিদ্যালয়ে থাকার কথা, সেই বয়সে ঘুরাতে হচ্ছে কারখানার
চাকা। যাদের বয়স ৮ বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এমন একটি
কারখানার সন্ধান মিললো গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি
ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকায় গোদারচালা গ্রামে। কম
বেতনে কাজ করানো যায় বিধায় এমন বয়সী শিশুদের দিয়ে চলছে
পুরো একটি কারখানা, অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমের
বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। গাজীপুর জেলার
শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকার
গোদারচালা গ্রামের এ.আর.আই কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামের
একটি প্যাকে কারখানা শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা
করা হচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কারখানার শ্রমিকদের
মধ্যে অধিকাংশই শিশু। কারখানায় ২৬ জনের মতো শিশু
শ্রমিক দৈনিক দুই শিফটে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের
ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে একারখানা।
নারী নির্যাতন বন্ধ করুন, ভালো থাকুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘নির্যাতক পুরুষেরা সুখে থাকেন
না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে
দেশে পরিচালিত একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়, যার
ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব পুরুষ নারী নির্যাতন করেন,
জীবন নিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টির মাত্রা যাঁরা নারী
নির্যাতন করেন না তাঁদের তুলনায় কম। নির্যাতন করার
বিষয়টি তাঁদের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অর্থাৎ নারী নির্যাতনকারী পুরুষেরা সুখী হন না। ওই
প্রতিবেদনে আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফলের কথা
উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, সমাজে নারী-পুরুষের
সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও
জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়।
গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, আমাদের দেশের বেশির ভাগ
পুরুষ অসুখী। কারণ, নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যাটা যে
অনেক বেশি। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয় নারীর ওপর
নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একটি
জরিপের ফলাফল। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিবাহিত
নারীদের শতকরা ৮০ জনই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের
শিকার হন। আর স্বামীরা তাঁদের ওপর এ নির্যাতন চালিয়ে
থাকেন। এ অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা আর
নির্যাতনকারী পুরুষের সংখ্যা সমান। কী ভয়াবহ ব্যাপার,
তাই নয় কি? পুরুষেরা নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে
তাঁদের বারোটা তো বাজিয়েই চলেছেন, তার ওপর নিজেরাও ভালো
থাকছেন না। কী লাভ হচ্ছে তাহলে?
আমাদের দেশের অনেক পুরুষই হয়তো দেশে ও বিদেশে পরিচালিত
ওই গবেষণার ফলাফলকে মানতে চাইবেন না। আমাদের সমাজে এমন
অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন, মারধর না করলে মেয়ে
লোক মাথায় চড়ে বসে। আর নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করা বা সংসারে তাঁর কথাই যে শেষ কথা, সেটা বোঝানোর
জন্যও অনেকে মারধরকেই পথ হিসেবে মানেন।
নির্যাতনকারী সেই সব পুরুষকে বলতে চাই, নিজেদের
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এটা কোনো রাস্তা নয়। সংসার তো
নারী-পুরুষ দুজনের। সেখানে পুরুষকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা
করতেই হবে কেন? দুজনে মিলেমিশে দুজনের মতের ভিত্তিতে
কি সংসার চালানো যায় না? নিশ্চয়ই যায়। এ রকম উদাহরণও
তো সমাজে আছে। স্ত্রীকে মারধর করে আপনি যতটা না
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন, ভালোবাসলে, স্ত্রীর
দায়িত্ব নিলে দেখবেন আপনা-আপনি আপনার কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে স্ত্রীও ভালো থাকতেন এবং নিজেও
সুখী হতেন।
অনেক পুরুষ ভাবেন, গায়ে হাত তুললেই সেটা কেবল নির্যাতন
হয়, এ ছাড়া নির্যাতন হয় না। কিন্তু কাউকে যখন
মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়, সেটাও নির্যাতন। আমাদের
ভদ্র সমাজে মানসিক নির্যাতনের হার বেশি। আছে অর্থনৈতিক
নির্যাতনও।
১০৭ বাল্যবিবাহ রোধ করেছে সাজেদা আক্তার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাজেদা আক্তার এখন গ্রামের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও
কিশোর-কিশোরীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী কর্মী। যেখানে
বাল্যবিবাহ, সেখানেই এই কিশোরী প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে।
এগিয়ে আসছে নারীদের উত্ত্যক্তকারী বখাটে প্রতিরোধেও।
এরই মধ্যে তার চেষ্টায় এলাকার ১০৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ
হয়েছে।
বরগুনার এক দরিদ্র পরিবারের এই কিশোরী সাজেদা নীরবেই
এত সব বড় কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে
নিজের পড়াশোনাও।
এসব কারণে সাজেদা আক্তারকে এ বছর ‘ইন্টারন্যাশনাল
চিলড্রেনস পিস প্রাইজ’-এর জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন
দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার শিশুদের নোবেল পুরস্কার
হিসেবে খ্যাত। শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য যেসব শিশু
সাহসের সঙ্গে লড়াই করে, প্রতিবছর তাদের এই পুরস্কারে
ভূষিত করা হয়। ২০১৩ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিল
পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই।
প্রথম প্রত্যয়
বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সাজেদা আক্তার। এখন সে বরগুনা
সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা সানু
মিয়া রিকশাচালক। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালাইয়্যা সোংসার
চালানেই কষ্ট। এত কষ্টের পর লোকজনে যহন মাইয়্যার সাহসী
কাজের প্রশংসা করে, তহন মনটা খুশিতে ভইর ্যা যায়।’
এক শতক জমির ওপর তাদের দোচালা টিনের ছোট্ট ঘরে গত
মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় সাজেদার সঙ্গে। সাজেদা বলল,
‘আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছিল। তাঁর পরিবারে নানা
অশান্তি-দুর্ভোগ দেখে বুঝতে পারি, তাঁর এই পরিণতির
পেছনে দায়ী বাল্যবিবাহ। তা ছাড়া আমাদের গ্রামের
মেয়েদের অল্পবয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। সিদ্ধান্ত নিই
আমি বাল্যবিবাহ করব না আর কোনো কিশোরীরও বাল্যবিবাহ হতে
দেব না।’
বরিশালে যৌতুকের
দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যবসার জন্য দাবিকৃত যৌতুকের দুই লাখ টাকা পরিশোধ না
করায় স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছেন গৃহবধূ আসমা বেগম। এ ঘটনায় বিকেলে থানায়
লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া
উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের।
হাসপাতালে শষ্যাশয়ী বাগধা গ্রামের গোলাম মাওলার কন্যা
আসমা বেগম জানান, খাজুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক
ফকিরের সাথে বিগত দশ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে তার বিয়ে
হয়। বিয়ের সময় যৌতুকলোভী রাজ্জাকের দাবিকৃত সকল চাহিদা
পূরন করা হয়। বিয়ের পরও তার (রাজ্জাক) দাবি অনুযায়ী
সাধ্যমত টাকা দিয়ে সহযোগীতা করা হয়েছে।
অতিসম্প্রতি রাজ্জাক ব্যবসার জন্য আসমা বেগমের বাবার
কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ওই টাকা পরিশোধ না
করায় প্রায়ই তাকে (আসমা) শারিরীক নিযার্তন করা হতো।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুকলোভী রাজ্জাক
ফকির তার স্ত্রী আসমা বেগমকে অমানুষিক নির্যাতন করে।
স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় ওইদিন রাতেই আসমাকে উদ্ধার
করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী সাঃ
আজকের শিশু আগামী দিনের স্বপ্নিল সম্ভাবনা। শিশুর
সুষ্ঠু বিকাশের ওপর নির্ভর করে একটি সুস্থ জাতির গঠন।
সে কারণে শিশুর জীবনের অধিকার, নিরাপত্তা, সুস্থ বিকাশ
অপরিহার্য। মহানবী (সা.)- এর আবির্ভাবের পূর্বের
সময়টাকে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ বলা হয়। গোটা
সমাজ তখন সবধরণের পাপ ও অন্যায়ের অন্ধকারে আকণ্ঠ
নিমজ্জিত ছিলো। কোথাও কারো কোনো অধিকার, নিরাপত্তা
বিদ্যমান ছিলো না। ছিলো না জীবনের নিশ্চয়তা। জন্মের পর
শিশুরা যেহেতু অসহায়, তাই তাদের জীবন-মরণ নির্ভর করত
মা-বাবা বা সমাজপতিদের ওপর। কন্যা সন্তান হওয়া অশুভ
অকল্যাণ মনে করে জীবিত পুঁতে ফেলা হতো। অপরদিকে
পুত্র-সন্তান এবং বর্বরতার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া কন্যা
সন্তানেরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ পেতো
না। তারা বেড়ে ওঠতো অনাদারে, অবহেলায়, অশিক্ষায়,
কুশিক্ষায় ও অবাঞ্ছিত মানবরূপে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
শিশুরা তাদের মা-বাবার আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত হতো।
আরবের এহেন নাজুক অবস্থাতে মহানবী (সা.) শিশুদের পাশে
দাঁড়ান। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা
করেন। আরব সমাজ হতে শিশু হত্যা রোধ এবং তাদের জীবনের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তাদের সুস্থ ও পরিপূর্ণ
বিকাশের মাধ্যমে আদর্শ জাতি, সমাজ, রাষ্ট্রগঠনের ভিত
তৈরি করেন।
শিশুরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আরব সমাজে চরম অবহেলিত
ও নির্যাতিত শিশুদের তিনি সেরা সম্পদ বলে আখ্যায়িত
করেন। তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করেন। পবিত্র
কুরআন মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ধনৈশ্বর্য এবং
সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। ( সুরা কাহাফ:
৪৬)
শিশুর সুস্থ ও সুন্দর বিকাশ অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে
রাসুল (সা.) জোর তাগিদ দিয়েছেন। তাদের প্রতি যথাযথ আদর,
স্নেহ, মায়া মমতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী
(সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের
সম্মান করে না সে আমার দলভুক্ত নয়। অন্যত্র বলেন,
শিশুদের স্নেহ করো এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করো।
তোমরা তাদের সঙ্গে ওয়াদা করলে তা পূর্ণ করো। কেননা,
তাদের দৃষ্টিতে তোমরাই তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করছো।
অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসুল
(সা.) তাঁর নাতি হাসানকে চুমু খেলেন। সেখানে আকবা ইবনে
হাবিস নামে এক সাহাবী বসা ছিলেন। হাসানকে চুমু খাওয়া
দেখে তিনি বললেন, আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি তাদের
কাউকে চুমু খাইনি। নবীজী তার দিকে তাকিয়ে বললেন, যে দয়া
করে না, তার প্রতিও দয়া করা হবে না। (সহীহ বুখারী:
৫৬৫১) তাই শিশুদের আদর করা, তাদের চুমু খাওয়া নবীজির
শিক্ষা, নবীজির চাওয়া।
ইসলাম শিক্ষার ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে।
মহান আল্লাহ আমাদের শিক্ষার আলো স্বরূপ মহাগ্রন্থ আল
কুরআন নাযিল করেছেন। কুরআন নাযিলের প্রথম শব্দই ছিল
‘ইক্বরা’ অর্থ পড়। শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতির উন্নতি
কল্পনা করা যায় না। জাগতিক ও পারলৌকিক উভয় জগতের উন্নতি,
অগ্রগতি ও সফলতার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। তবে
অবশ্যই ইসলামী নৈতিকতা ও আদর্শভিত্তিক শিক্ষা হতে হবে।
শিক্ষা এমন এক আলো যা অজ্ঞতা ও অন্ধকারকে দূরীভূত করে,
মানুষকে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথ দেখায়। শৈশবকাল থেকেই
পিতা-মাতা ও অভিভাবককে শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে
সচেতন ও যতœবান হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা
নিজেদের সন্তানদের স্নেহ করো এবং তাদের শিষ্টাচার
শিক্ষাদান করো। তিনি আরও বলেন, তোমরা তোমাদের
সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি রাখো। শিশুদের উত্তম ও
যুগোপযোগী শিক্ষাদানের জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন,
তোমাদের সন্তানদের উত্তমরূপে জ্ঞানদান করো কেননা, তারা
তোমাদের পরবর্তী যুগের জন্য সৃষ্টি।’ সুতরাং বর্তমান
বিশ্বে নেতৃত্বের জন্য শিশুকে সময়ের চাহিদানুযায়ী
আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। রাসুল
(সা.) শিশুদের সীমাহীন ভালোবাসতেন। তাদের আগে সালাম
দিতেন। শিশুদের কান্না তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না।
একবার তিনি শিশু হুসাইনের কান্নার আওয়াজ পেলেন। এতে
তিনি ব্যথিত হলেন এবং হজরত ফাতেমা (রা.) কে বললেন, তুমি
কি জানো না, শিশুদের কান্নার আওয়াজ আমাকে কষ্ট দেয়?
মহানবী (সা.)- এর শিশুপ্রীতি, তাদের প্রতি দয়া ও মমতার
দিকটা ফুটে ওঠে এমন আরও অসংখ্য হাদিসে। মানবতার মুক্তি
দূত বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক শিশুদের অধিকারের
বিষয়টি পর্যালোচনা করলে এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান
হয় যে, শিশুর অধিকার, মর্যাদা, সুষ্ঠু বিকাশ ও সুশিক্ষা
সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। নিজের জীবদ্দশায়
তিনি শিশু অধিকার ও সামাজিক অবস্থান সুনিশ্চিত করেন।
সুতরাং তারই প্রদর্শিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থায় একটি
শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থ বিকাশ সম্ভব।
উচ্চশিক্ষিত মুসলিম কনেদের বিয়েতে
অভিনব উপহারের অঙ্গিকার করল মোদী সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
তিন তালাকের মতো প্রথার অবসানের প্রচেষ্টার পাশাপাশি
এবার মুসলিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষায উৎসাহ যোগাতে অভিনব
উদ্যোগ নিল মোদী সরকার স্নাতক মুসলিম মহিলাদের বিয়েতে
সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে
কেন্দ্র উচ্চশিক্ষায মুসলিম মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতে
স্নাতক অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট মুসলিম মেয়েদের বিয়েতে এবার
৫১ হাজার রুপি দেবে মোদী সরকার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া
হয়েছে ‘শাদি শগুন’ এই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য জানিয়ে শীঘ্রই একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে কেন্দ্র
এই প্রকল্পের ফলে মুসলিম মেয়েরা যেমন উচ্চশিক্ষায়
আগ্রহী হবেন, তেমনি তাদের পরিবারও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও পড়া সম্পূর্ণ করার
জন্য মেয়েদের উৎসাহ দেবে। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের
অন্তর্ভুক্ত মৌলানা আজাদ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সরকারি
ওয়েবসাইটে ‘শাদি শগুন’ স্কিমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে
ধরবে ওই ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই যেসব মুসলিম
মেয়েরা গঅঋ স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা এই সরকারি উপহার
পাবেন এছাড়াও কেন্দ্র মাধ্যমিক স্তরের মুসলিম
ছাত্রীদের জন্যও ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান
দেওয়ার কথা ভাবছে একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের
ছাত্রীদের জন্যেও ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়ার
পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের তিন তালাক সহ ঘৃণ্য কিছু
প্রথার কারণে মুসলিম সমাজে নারীরা চুড়ান্ত অবহেলিত
পরিসংখ্যান বলছে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষকের যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জে একটি ধর্ষণ মামলার রায়ে ধর্ষককে যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে
একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডিত ধর্ষকের নাম
সোহেল মিয়া (২৪)। সে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার
বরাব বাজার বড়িবাড়ী গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে। ১৬
অক্টোবর দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমজাদ হোসেন
এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, ধর্ষণের
ফলে জন্ম নেয়া শিশু তার মায়ের (ধর্ষিতার) তত্ত্বাবধানে
থাকবে। শিশুটি তার বাবা (ধর্ষণকারী) ও মায়ের (ধর্ষিতার)
পরিচয়ে পরিচিত হবে। ২১ বছর পর্যন্ত শিশুটির ভরণপোষণ
করবে রাষ্ট্র (সরকার)। ভরণপোষণের অর্থ সরকার ধর্ষকের
বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা এবং অবগতির জন্য নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের বিশেষ
পাবলিক প্রসিকিউটর রাকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত রায়ে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী-০৩) এর
৯(১) ধারায় অভিযুক্ত করে ধর্ষক সোহেল মিয়াকে যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে সোহেল মিয়াকে একলাখ
টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনের ২০০০ এর ১৩ ধারায় সোহেল মিয়াকে ধর্ষিতার
গর্ভজাত সন্তানের জন্মদাতা পিতা হিসেবে সাব্যস্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল মিয়া পাশের
বাড়ির ইয়াসমিন আক্তারকে ধর্ষণ করে। এতে ইয়াসমিন ৪
মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য সোহেল মিয়াকে
তাগিদ দেয়। কিন্তু সোহেল ইয়াসমিনের গর্ভের সন্তানকে
অস্বীকার করে এবং ২০১৫ সালের ১২ই জুন ইয়াসমিনকে মারধর
করে পেটে লাথি দিয়ে সন্তানটি নষ্টের চেষ্টা করে। ওই
ঘটনার দুইদিন পর ইয়াসমিন আদালতে সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে
মামলা করেন। পরে ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হয় ইয়াসমিনের
গর্ভের সন্তানের বাবা সোহেল মিয়া। বর্তমানে ওই
সন্তানের বয়স ১৭ মাস। মায়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে তার
নাম রাখা হয়েছে ইয়ামিন।
পুলিশ রাষ্ট্রের
সম্পদে পরিণত হয়েছে
ডিএমপি কমিশনার
মানবাধিকার রিপোর্ট
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
বলেছেন, পুলিশ রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়েছে। অতি
স্বল্পসংখ্যক লোক নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
ছুটে চলছে।
ইতিমধ্যে জাতীয় এন্টিটেররিজম ইউনিট অনুমোদন হয়েছে।
পুলিশ দেশ রক্ষায় যা করছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বোম্ব
ডিসপোজাল ইউনিটের প্রতিটি সদস্য পেশাকে শুধু চাকরি
হিসেবে না নিয়ে দেশাত্মবোধ ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ
করছেন। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
সদস্যদের ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা
বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কাউন্টার টেররিজম
ইউনিটের জঙ্গি দমনে অনেক সাফল্য রয়েছে। যা পুরো পুলিশ
বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ
বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন করেছে, যা প্রশংসনীয়। এসময়
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মনিরুল
ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আমিনুল ইসলাম ও যুগ্ম
পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অপরাধে জর্জড়িত
বরিশালের পুলিশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইয়াবা বিক্রি ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে
জর্জরিত বরিশাল পুলিশ। এসব অপরাধের প্রমাণও মিলেছে
তদন্তে। প্রমাণের ভিত্তিতে ছোট-বড় বিভিন্ন অপরাধে শুধু
গত বছরেই শাস্তি ভোগ করেছেন প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য।
এদিকে বাহিনীর সদস্যদের অপরাধে জড়ানো বন্ধ করতে
শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিলেও সুফল মিলছে না।
জনসাধারণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যে
পুলিশ সদস্যদের ব্যস্ত থাকার কথা তারাই জড়িত হয়ে পড়ছেন
মাদক ও নারী নির্যাতনের মত বড় ধরনের অপরাধে। বরিশাল
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর
সাগরদি এলাকা থেকে সাড়ে চারশ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েন
মহানগর পুলিশের কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তার কয়েকদিন
আগেই ইয়াবা বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরা পড়েন বরিশাল
বিমান বন্দর থানার কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
এদিকে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ আছে পুলিশ সদস্যদের
বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় বিব্রত পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকতারা।
বরিশাল মহানগর ও জেলা পুলিশের অভ্যন্তরীণ তথ্য
বিশ্লেষণ উঠে আসে, শুধু গত একবছরেই বিভিন্ন অপরাধে
দন্ড দেয়া হয়েছে ৪৭৩ জন পুলিশ সদস্যকে। এর মধ্যে জেলেই
আছে ৬ জন। এ সম্পর্কে প্রশাসন কর্মকর্তারা
বলেন,‘অপরাধের ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা পেলেও সর্বোচ্চ
ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। এদিকে বেশ কিছু অপরাধে জড়িত
থাকার অভিযোগ আছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও।
২০১৫ সালে ঘুষ কেলেঙ্কারীতে জড়িত থাকার অভিযোগে
প্রত্যাহার করা হয় বরিশাল পুলিশের এক কমিশনারসহ ১১
কর্মকর্তাকে।
পুলিশে বাড়ছে ইউনিট
কমছে সেবা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশ বাহিনীতে বেড়েই চলছে নতুন ইউনিট। বর্তমানে ৩৬টি
স্বতন্ত্র ইউনিট থাকলেও খুব শিগগিরই এই বহরে যুক্ত
হচ্ছে গাজীপুর মহানগর, রংপুর মহানগরসহ আরও চারটি
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অভিযোগ রয়েছে, যুগের সঙ্গে তাল
মেলাতে এবং অপরাধের বহুমাত্রিকতা মোকাবিলায় নতুন নতুন
ইউনিট যাত্রা শুরু করলেও ভোক্তারা কাক্সিক্ষত সেবা
পাচ্ছে না। ইউনিটগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে সেবার মান
বরং কমছে। একই ঘটনা নিয়ে দুটি ইউনিটের মধ্যে
টানাহেঁচড়ার ঘটনাও ঘটছে। আবার নতুন ইউনিট গঠন করায়
পুরানা ইউনিটের কার্যক্রমই শূন্যের কোটায় চলে গেছে।
নতুন বেশ কয়েকটি ইউনিটের কার্যক্রম শুধু কাগজে কলমেই
সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত আট বছরে পুলিশ বাহিনীতে নতুন ছয়টি
বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়। কিন্তু বেশিরভাই চলছে
খুঁড়িয়ে। অনেক ইউনিটে চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে
চলছে তাদের কার্যক্রম। আবার বেশিরভাগ ইউনিটেরই নেই
নিজস্ব ভবন।
আবাসিক এলাকার ভাড়া বাড়িতে চলছে তাদের কার্যক্রম।
পিআইবি গঠন করায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাজ নেই
বললেই চলে। আসামি গ্রেফতার বা মামলার তদন্ত নিয়ে পুলিশ
ও র্যাবের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ পায়। অপরাধ
বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী
অধ্যাপক ও হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, সেবা নিশ্চিত
করতে মনিটরিং ও জবাবদিহিতার খুব প্রয়োজন। এজন্য সাধারণ
মানুষের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে এর সমাধান বের করতে হবে।
একইসঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মটিভেশন এবং আধুনিক
প্রশিক্ষণের খুব প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশের সাবেক
মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, শুধু ইউনিট বাড়িয়ে লাভ
নেই। কোয়ালিটি নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য সুপারভিশন এবং
জবাবদিহিতা বাড়ানো খুব প্রয়োজন। আবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ
ও সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের যুগোপযোগী
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সূত্র জানায়, সেবা বাড়ানোর জন্য বর্তমান সরকারের দুই
মেয়াদে টানা আট বছরে পুলিশ বিভাগে ছয়টি বিশেষায়িত নতুন
ইউনিট গঠন করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ
মোকাবিলায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল
ক্রাইম ইউনিট এতদিন ঢাকা মহানগর পুলিশের অধীনে কাজ
করলেও সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরের স্বতন্ত্র ইউনিট
হিসেবে এন্টিটেররিজম ইউনিট হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
রোহিঙ্গাদের
নজরে রাখতে কুতুপালংয়ে ৫ পুলিশ ক্যাম্প
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোহিঙ্গাদের ওপর নজর রাখার জন্য কক্সবাজারের কুতুপালং
আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলে
জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
২৫ অক্টোবর সচিবালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা
জানান। ২৮ অক্টোবর রামুতে এক যুবক খুন, উখিয়ায় ৪
বাংলাদেশিকে প্রহার ও ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ডাকাতিকালে
সশস্ত্র রোহিঙ্গা আটকসহ গত এক মাসে অসংখ্য অপরাধমূলক
কর্মকান্ড ঘটিয়েছে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গারা।
বাঙালিদের ওপর রোহিঙ্গাদের আক্রমণ করার ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে কি না জানতে চাইলে
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘এসব জিনিস নজরে রেখেই আমরা আজকে এ
বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। সেই আলোকেই ছড়িয়ে ছিটিতে
থাকা রোহিঙ্গাদের একটি জায়গায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী
নির্দেশনা দিয়েছেন। সে জন্যই আমরা তাদের কুতুপালংয়ে
আনার ব্যবস্থা করছি। এদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর তীক্ষè নজর রাখার জন্য এখানে আমরা (কুতুপালংয়ে)
পুলিশকে পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছি।
একইসঙ্গে তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধির জন্য বলেছি।’
কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রের ২০টি ব্লকে মোট
পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হবে বলেও জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
ডায়াবেটিস দমনে
নতুন থেরাপি
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৩০ কোটির মতো।
জার্মানিতেই ৭০ লক্ষেরও বেশি ডায়াবেটিস রোগী আছেন। মোট
জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ। তাই রোগটিকে দমন করতে নানা
রকম থেরাপি ও ওষুধপত্র বের করার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর
সংখ্যা ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ কোটিতে দাঁড়াবে। বিশেষ করে
ভারত, চীন ও ব্রাজিলের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রোগীর
সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ সেখানকার মানুষদের
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। স্থূলতা, চলাফেরার অভাব, মন্দ
খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি রোগটিকে বিশেষ করে প্রভাবিত করে।
ওষুধ কোম্পানিগুলো এ ক্ষেত্রে নিবিড় গবেষণা চালিয়ে
যাচ্ছে। এটা একটা লাভজনক ব্যবসাও।
ইনসুলিনে নির্ভরশীলতা
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগটি দুই ধরনের হয়ে থাকে: টাইপ
১ ও টাইপ ২। সাধারণত অল্পবয়সীরা আক্রান্ত হয় টাইপ ১
ডায়াবেটিসে। যেমনটি দেখা যায় অলিভারের ক্ষেত্রে। হঠাৎ
করেই সে ক্লান্তি বোধ করতে শুরু করে। তার ওপর আবার ওজন
কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, বেড়ে যায় মূত্রত্যাগের
বেগও। তখন অলিভারের বয়স ছিল ১৮। ১০ বছর ধরে হানোফার
শহরের এই ছাত্র দৈনিক ইনসুলিন ইনজেকশন নিচ্ছে।
অলিভার জানায়, রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আমি ইনসুলিন
ইনজেকশন নেই। এটা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে।
অ্যান্টিবডির আশ্রয়
অল্পবয়সীদের যাতে সবসময় টাইপ ১ ডায়াবেটিস নিয়ে মাথা
ঘামাতে না হয়, সেজন্য গবেষকরা ইনসুলিনের বিকল্প কিছু
আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো,
দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে ইনসুলিন
উৎপাদনকারী বেটাসেলগুলোকে আক্রমণ করতে না পারে, সে
জন্যে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করা।
হানোফার শহরের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এল্মার ইয়েকেল
এই প্রসঙ্গে জানান ‘এটা রোগ নির্ণয়ের সময় দেয়া এককালীন
এক থেরাপি। এরপর রোগীকে আর চিকিৎসা দিতে হয় না। একবারই
দিতে হয় বলে এক আকর্ষণীয় পদ্ধতি এটি। এর মূল লক্ষ্য:
রোগ নির্ণয়ের সময় টিকে থাকা বেটাকোষগুলোকে রক্ষা করা ও
কাজে লাগানো।’
আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল গবেষণায় এই পদ্ধতি নিয়ে
মানুষের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে
হানোফার-এর মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিও অংশ নিয়েছে। তবে
ফলাফলটা পাওয়া গেছে বিভিন্ন রকমের। ইউরোপ ও
অ্যামেরিকার হালকা পাতলা দেহের তরুণ ডায়াবেটিস রোগীরা
অ্যান্টিবডির উপাদান থেকে উপকার পেয়েছে। কিন্তু এশিয়ান
অঞ্চলের রোগীরা আশাব্যঞ্জক তেমন কিছু দেখাতে পারেনি।
এল্মার ইয়েকেল জানান, ‘আমরা মনে করি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত হওয়ার পেছনে এশিয়ার দেশগুলোতে অন্য কারণ থাকতে
পারে।’
রক্তের স্টেমসেল
আরো কিছু গবেষণার মাধ্যমে বোঝা যাবে, কেন টাইপ ১
ডায়াবেটিস রোগীদের সবার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির উপাদান
কাজে লাগছে না। অন্য দিকে, ব্রাজিলের গবেষকরা স্টেমসেল
নিয়ে গবেষণা করছেন।
টিকা পদ্ধতি
তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস দমন করার ব্যাপারে আর একটি পদ্ধতি
বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। আর তা হলো টিকা দিয়ে এই
প্রকারের ডায়াবেটিস দমন করা। কয়েকটি ক্লিনিক্যাল
পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। হয়তো বছর তিনেকের
মধ্যে প্রথম টিকাটি বাজারে আসবে। অন্য দিকে, ডায়াবেটিস
টাইপ ২-এর ক্ষেত্রে একটি ভালো খবর রয়েছে। আর তা হলো,
একটি ওষুধ কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন পেতে যাচ্ছে, যার
নাম ‘ফরক্সিগা’। এর সাহায্যে কিডনিকে এমনভাবে উদ্দীপিত
করা হবে, যাতে রক্তের অতিরিক্ত শর্করা মূত্রের মাধ্যমে
বের হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীদের আর ইনসুলিন নেওয়ার
প্রয়োজন পড়বে না
সিজারিয়ান সম্পর্কে
ভুল ধারণা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজকের পৃথিবীতে মাতৃ মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে
গর্ভজনিত জটিলতা। বেশির ভাগ প্রসবকালীন জটিলতার সহজ
মীমাংসা হচ্ছে সিজারিয়ান সেকশন। মায়েদের মৃত্যুর হার
কমাতে মীমাংসা হচ্ছে সিজারিয়ান সেকশন। মায়েদের মৃত্যুর
হার কমাতে সিজারিয়ান অপারেশন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি
ও উৎসাহিত করার দিন এসেছে। সিজারিয়ান সেকশন একটি
অপারেশনের নাম।
স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু যেভাবে জন্মায় সেভাবে প্রসব
মা ও নবজাতকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন একটি
বিকল্প পথ দিয়ে শিশু প্রসব করানো হয়। অস্ত্রোপচারের
মাধ্যমে বাচ্চা উদরের বিকল্প পথ দিয়ে মায়ের গর্ভ বা
জরায়ু থেকে বের করে আনা হয়। এটিই হচ্ছে সিজারিয়ান
সেকশন। তবে এই সিজারিয়ান সেকশন সম্পর্কে অনেকের মনে
রয়েছে নানা রকম ভুল ধারণা।
অনেকেই বলে থাকেন, একজন সিজারিয়ান নারী পরবর্তী সব
প্রসবের সময়েই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে। কথাটি
পুরোপুরি ঠিক নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সবসময়ে
সিজারিয়ান করতে হয় না।
আবার অনেকেরই ধারণা, সিজারিয়ান অপারেশন করে দুই বারের
বেশি বাচ্চা নেওয়া যায় না। এই ধারণাটিও পুরোপুরি ঠিক
নয়। যত দূর জানা যায়, পৃথিবীতে একই নারীর সাত বার
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ইতিহাস রয়েছে।
বাংলাদেশেও অনেক নারী রয়েছে, যাদের অন্তত পাঁচ বার
সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে বার বার সিজারিয়ান
অস্ত্রোপচারের সফলতা আরো দু’একটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
যেমন, একবার সিজারিয়ান অপারেশনের হওয়ার পর পরবর্তী
সন্তানের জন্য কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করা
ভালো। এই সময়ের মধ্যে মায়ের শারীরিক গঠন পূর্ণতা পায়।
অস্ত্রোপচারের পর অন্তত তিন মাস পূর্ণ বিশ্রামে থাকা
উচিত, আর ছয় মাসে কোনো রকম ভারি কাজ করা উচিত নয়। এতে
কাটাস্থানে ফাঁক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং সেই
ফাঁক গলে দেহগহ্ববে অবস্থিত অঙ্গসমূহ বেরিয়ে আসার
সুযোগ পায় না। তবে সন্তান প্রসববের জন্য প্রত্যেকবারই
সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তিনটির বেশি সন্তান না নেওয়াই
ভালো। কারণ, তখন প্রসবজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতির
সৃষ্টি হয়ে জরায়ু ফেটে যেতে পারে এবং জরায়ুর এই ফেটে
যাওয়া মেরামত কোনো সহজসাধ্য ব্যাপার নয়।
সিজারিয়ান নিয়ে আরো ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন, কেউ কেউ মনে
করেন সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর শরীর স্থূল হয়ে যায়।
আবার সিজারিয়ান পর তলপেটের দাগ থেকে যাবে বলে
অস্ত্রোপচার করতে চান না অনেকে। তবে আজকাল চামড়া সিল্ক
দিয়ে সেলাই না করে ত্বকের নিচ দিয়ে বিশেষ ধরনের সুতোর
সাহায্যে সেলাই দেওয়া হয়, শুঁকাবার পর সুতাটি টেনে বের
করে আনা হয়। এ পদ্ধতিতে দাগ অনেকটা বোঝা যায় না।
থাইরয়েডের সমস্যায়
ভুগছেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। আর
তাঁদের বেশির ভাগই নারী। কেননা নারীদের থাইরয়েড
হরমোনজনিত সমস্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।
থাইরয়েড হরমোনের ওঠানামা নারীর সার্বিক ও প্রজনন
স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। মাসিকের জটিলতা,
বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত ও গর্ভকালীন নানা জটিলতার কারণ এই
থাইরয়েড সমস্যা। অনেক সময় সমস্যাগুলো আগে থেকে বোঝা
যায় না, কেবল প্রজননকালীন জটিলতার সময়ই ধরা পড়ে ।
নারীদের মধ্যে হাইপোথাইরয়েডজিম বা থাইরয়েড হরমোনের
ঘাটতিজনিত সমস্যার হার অনেক বেশি। ফলে মুটিয়ে যাওয়া,
অবসাদ ও ক্লান্তি, চুল পড়া, ত্বক খসখসে হয়ে পড়া, পা ও
মুখ ফোলা, মাসিকের জটিলতা, বন্ধ্যাত্ব বা গর্ভপাত,
কোষ্ঠকাঠিন্য, শীত শীত ভাব ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা
দেয়। গর্ভকালীন থাইরয়েড হরমোনের সামান্য ঘাটতিও
গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। মায়ের
উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা ছাড াও গর্ভস্থ শিশুর নানা
সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে বড কথা, পরবর্তী সময়ে এই শিশু
মেধা ও বুদ্ধিতে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে। তাই
গর্ভকালীন নারীদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখা
খুবই জরুরি।
আবার থাইরয়েড হরমোন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলেও বিপত্তি।
এতে অতিরিক্ত গরম লাগা, খুব ঘাম, হাত কাঁপা, বুক ধড ফড
, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া,
বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক চিকিৎসা না
করলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হওয়া থেকে হার্ট ফেইলিউর
পর্যন্ত হতে পারে।
হরমোনের ঘাটতি বা বাড তি মাত্রা ছাড াও শুধু থাইরয়েড
গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে যাকে বলে গলগণ্ড। এমনকি
থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যানসারও হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে থাইরয়েড সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচার চলছে।
মে মাসকে থাইরয়েড সচেতনতা মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আর ২৫ মে পালিত হয় থাইরয়েড দিবস। প্রতিটি প্রজননক্ষম
নারীর ওপরের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে থাইরয়েড সমস্যা
হয়েছে কি না, তা নিয়ে সচেতন হতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা
নারীদের থাইরয়েড পরীক্ষা করা অনেক দেশে এখন
বাধ্যতামূলক। সন্তান ধারণে অকারণ বিলম্ব বা বারবার
গর্ভপাত হলে অবশ্যই এটি পরীক্ষা করা উচিত। যাদের
থাইরয়েড সমস্যা আছে বা ছিল, তারা সন্তান ধারণের আগে
অবশ্যই আবার পরীক্ষা করে দেখে নেবেন। যদি সমস্যা থাকে,
তবে গর্ভকালে প্রতি এক মাস-দেড মাস অন্তর পরীক্ষা করে
ওষুধের মাত্রা বারবার ঠিক করে নিতে হবে। একটি সুস্থ,
নীরোগ ও মেধাবী বুদ্ধিমান সন্তান জন্ম দিতে চাইলে
মায়ের থাইরয়েড সচেতনতা অপরিহার্য।
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও
হাসপাতাল
ব্যথার ওষুধ কতটা ক্ষতিকর
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ঘাড়, কোমর, হাঁটুসহ শারীরিক ব্যথাক্রান্ত বেশিরভাগ
মানুষের ব্যথা কমানোর প্রধান অবলম্বন হয়ত ব্যথানাশক
ওষুধ। কিন্তু আমরা কখনও কি ভেবে দেখেছি, ব্যথার ওষুধ
কতটা ক্ষতিকর! ব্যথার ওষুধ গ্যাস্ট্রিক আলসার তৈরি করে
অথবা কিডনীর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব আছে এটা প্রায়
সবার জানা। কিন্তু অতি সম্প্রতি আমেরিকান কার্ডিয়াক
সোসাইটি জানাচ্ছে, সবচেয়ে সহনশীল ব্যথানাশক
আইবুপ্রোফেনও হার্টঅ্যাটাকের জন্য দায়ী হতে পারে।
ব্যথার ওষুধের বিকল্প আছে কি : পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে
মানুষ তত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছে।
সামান্য ব্যথা সারাতে কিডনী বা হৃদযন্ত্রকে আঘাত করতে
কেউই চাইবেন না। তাই সারা বিশ্বে ব্যথার ওষুধবিহীন
ব্যথার চিকিৎসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
পুংখানুপুংখভাবে কারণ নির্ণয় করে
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথার চিকিৎসা করা যায়। কিছু
সাধারণ শারীরিক ও কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার
মাধ্যমেই খুব সহজেই ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্নয় করা
সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে বেশিরভাগ শারীরিক
ব্যথার চিকিৎসা ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই করা সম্ভব। গত
কয়েক মাস আগে একজন ব্যথার রোগীর সঙ্গে পরিচিত হলাম যিনি
কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তিন মাস ব্যথানাশক সেবন
করেছেন। তার অভিযোগ ছিল, ওষুধ খেয়ে সাময়িক মুক্তি মিলছে
বটে কিন্তু ওষুধ বন্ধ করলে আবার ব্যথা ফিরে আসছে।
ইতিহাস নিয়ে জানা গেল উনি দিনে ৯/১০ ঘণ্টা বসে কাজ
করেন। তার বসার চেয়ার বদল, কিছু বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম
আর ইলেক্ট্রোথেরাপি তাকে ব্যথামুক্ত জীবন উপহার দিয়েছে।
শেষ কথা : শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার মূলমন্ত্র
হল ব্যথার কারণ নির্ণয়। ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন
চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য থাকুন।
এক দিনেই কাশি
সারাবে পেঁয়াজ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পেঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা
সম্ভব। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা
জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক
উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম
এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব
উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ
কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার পানি
তৈরির পদ্ধতিঃ পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার
করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি
পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায়
নিয়ে উত্তপ্ত করুন।
পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন
থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে
দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে
পারে।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান ঃ দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল
দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ, ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালিঃ পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি
পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয়
ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে
পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি
অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা
করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন।
ব্যবহারবিধিঃ দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
লবণ খাওয়ার বিপদ: সমস্যা ও
প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
Top
আইন কনিকা
বিয়ের জন্য ২৭০ দিন অপেক্ষার প্রয়োজন নেই
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
স্বামী অত্যাচারী হতে পারে, পরনারী আসক্ত হতে পারে,
মাতাল হতে পারে। বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে
যেতে পারে। খুন-ধর্ষণ ইত্যাদির মামলায় স্বামীর সঙ্গে
তালাক হয়ে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে স্ত্রী বৈবাহিক
সম্পর্ক থেকে মুক্তির প্রত্যাশা করতে পারে। স্বামী
অসুস্থ হতে পারে, স্থায়ী যৌন অক্ষমতা থাকতে পারে।
অপঘাতে স্বামীর মৃত্যু হতে পারে।
বিয়ে ভেঙ্গে গেলে কিংবা স্বামী মরে গেলে যখন ইচ্ছে তখন
বিয়ে করা যাবে না, পাত্রী যত সুযোগ্যই হোক। স্বামীর
মৃত্যুজনিত কিংবা স্বামীর সঙ্গে তালাকজনিত বিচ্ছেদের
সময় স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ তাতে কাজ
হবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে
না। ২৭০ দিন অপেক্ষার আইনটি কলম্বিয়ার। শত বছরের পুরনো
এই আইনটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে সেখানকার প্রগতিশীল
নারী সমাজ। এক পর্যায়ে পুরুষদের সমর্থনও মেলে। শেষ
পর্যন্ত পেগোটার সাংবাদিক আদালত ২৭০ দিন অপেক্ষার এই
আইনটি বাতিল করে দেন।
এখন সন্তানের পিতৃত্ব নিশ্চয়নের জন্য আর অপেক্ষার
প্রয়োজন নেই। গর্ভের সন্তান নিয়ে অবলীলায় বিয়ে করা যাবে।
পিতৃত্ব নিয়ে বেশি ঝামেলা হলে ডিএনএ টেস্ট তো আছেই।
অপহরণ যদি ভালবাসার কারণে হয়ঃ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই
অপহরণ একটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে
এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইতালির
দক্ষিণাঞ্চলে প্রাক বৈবাহিক সম্পর্ক খুব ভাল চোখে দেখা
হয় না। বরং মেয়েটিকে অপহরণ করে একরাত তার সঙ্গে কাটিয়ে
বিয়ের দাবিটা জোরদার করাটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক
সময় মেয়ের পরিবারও চায় মেয়েটির প্রেমিক তাকে অপহরণ
করুক। তারপর তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও যৌন সঙ্গমের অবিযোগ
এনে বিয়েতে বাধ্য করা যাবে। সিসিলির উচচ আদালতে এ
ধরনের একটি মামলায় উভয়পক্ষের জন্য স্বস্তিকর একটি রুলিং
জারি হয়েছে। অপহরণকারী যদি প্রেমিকাকে অপহরণ করে কিংবা
অপহৃত মেয়েটিকে যদি সত্যি সত্যি ভালবাসে এবং নাবালিকা
হলেও মেয়েটি যদি তার ভালবাসায় সাড়া দেয় তাহলে অপরাধটি
ভালবাসায় তলিয়ে যাবে। অপহরণকারীর কোন শাস্তি হবে না।
এই রুলিং সমালোচিতও হয়েছে- তাহলে উচ্চ আদালত কি
অপহরণের উস্কানি দিচ্ছে?
পোশাক অপশনাল সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞাঃ প্রভিন্সটাউন
বোস্টনের একটি ছোট্ট সৈকত শহর। সৈকতে একচিলতে বিশেষভাবে
চিহ্নিত বালুকাবেরা। এখানে পোশাক পরা অপশনাল। ইচ্ছে
করলে পুলওভার ওভারকোট সবই চাপাতে পারেন। ইচ্ছে করলে
দিগম্বও থাকতে পারেন। অবশ্যই পোশাকের বাহাদুরি দেখানোর
জন্য কেউ সেখানে যায় না, যায় দেহ সৌন্দর্য দেখানোর
জন্য এবং আদিম আনন্দের জন্য। চিহ্নিত এই বালুকাবেলার
নাম ‘স্পেগেটি স্ট্রিপ’। এভিন্সটাউন স্বশাসিত শহর।
রেজিস্টার্ড বাসিন্দারা ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাসন
বালূকাবেলা সৃষ্টি করেছে। এতে শহরের আয়ত্ব বেড়েছে। এই
সৈকতের জন্য মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। কিন্তু বাদ সেধেছেন
সুপিরিয়র কোর্ট জজ। তিনি রায় দিলেন নগ্ন সাঁতার এবং
শরীরের অসুন্দর প্রকাশ আইনের পরিপন্থী।
শহরের কর্মকর্তা বোঝাতে চেষ্টা করলেন নগ্নতা আসলে শরীর
সৌন্দর্যের প্রকাশ ও নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটা ব্যক্তিগত
অধিকার। সায় দিলেন না বিচারক। বন্ধ করে দিলেন পোশাক
অপশনাল সৈকত। প্রভিন্সটাউন মূলত একটি আর্টিস্ট কলোনি।
শহর কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে সুপিরিয়র জজের আদেশের
বিরুদ্ধে। তারা আশা করছে, আপিলের রায়ে রক্ষা হবে নগ্নতা
প্রকাশে কোন বাধা থাকা উচিত নয়।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার শাস্তি
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রায় সব কৃষি কাজে পশু ব্যবহার
হয়। পশুপালন ও কৃষি কাজে পশুর ব্যবহার হাজার বছর ধরে
চলে আসা বাঙালি সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি হিন্দু
সমাজে বিশেষ করে গরুকে মাতৃরূপ দেবতা জ্ঞান করে। এর
কারণই হলো কৃষিকার্যে পশুর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা।
এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে গৃহপালিত পশু কৃষি কাজ,
মালামাল টানা এবং যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে এখনো এই দেশে
বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু সভ্যতার এই যুগেও কিছু মানুষ তার
গৃহপালিত পশুকে ব্যবহার করে অমানবিক ব্যবহারকে
নিবারণের জন্য ১৯৮০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘পশুর প্রতি
নিষ্ঠুরতা নিবারণ’ আইন। এ আইনে পশুর প্রতি নিষ্ঠুর
ব্যবহার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখিত আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি-
ক) তার গৃহপালিত পশু দিয়ে অতিমাত্রায় গাড়ি টানা,
মারপিট বা অহেতুক কষ্ট বা ব্যথা দিতে পারবে না। খ)
পশুটিতে অহেতুক কষ্ট দিয়ে বাঁধা বা এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে চালান দিতে পারবে না। গ) ক্ষুধা-তৃষ্ণার দরুন
পশুটিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। ঘ) অহেতুক নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে
হত্যা করা যাবে না। ঙ) দুগ্ধবর্তী গাভী বা এ ধরনের
পশুর দোহনের জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার (কুফা বা
দুমদেব) করা যাবে না। চ) অসুস্থ, বার্ধক্য, জখম বা
ঘায়ের দরুন বা অন্য কোনো কারণে কাজে অযোগ্য হলে এ
ধরনের পশুকে খাটানো যাবে না।
উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে ৫০
থেকে ২০০ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে
কারাদণ্ড বা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।
Top
|
|