           
 
|
Cover January 2016
English Part
January 2016
BHRC Branch activities
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০১৫
জানুয়ারি ’২০১৬ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৯ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে
জানুয়ারি ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত
হয় ১৭৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জানুয়ারি মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৫.৭৭
জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়
গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার
ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার ১৭৯ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৫ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩৩ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৫ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ১৬ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৭ জন, গুপ্ত হত্যা ০৫ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৫৭ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৬ জন, অপহরণ হত্যা ৫
জন, এসিড হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২০১ জন, আত্মহত্যা ১১ জন।
জানুয়ারি ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ২৯ জন, যৌন নির্যাতন ১০
জন এবং যৌতুক নির্যাতনের শিকার ৭ জন। ।
পুলিশকে আরও জনবান্ধব হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও জোরদার
করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি
বলেছেন, ‘ঔপনিবেশিক আমলের ধ্যানধারণার পরিবর্তে
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পুলিশের
সেবাকে আরও জনবান্ধব করতে হবে।’
গতকাল সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭’-এর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়
প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের প্রতি
অকুণ্ঠচিত্তে সেবার হাত প্রসারিত করতে হবে উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর
পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে তুলতে বহুমুখী পদক্ষেপ
নিয়েছি।’
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও
উন্নয়নের প্রধান বাধা হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা
বলেন, সম্প্রতি হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা
মোকাবিলায় চার পুলিশ সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন। এই
আত্মত্যাগের বিনিময়ে অসংখ্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পুলিশের সাফল্য
প্রসঙ্গে আরও বলেন, সম্প্রতি আশুলিয়ার আশকোনা ও
মিরপুরের কল্যাণপুরে পুলিশ জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান
সফলভাবে পরিচালনা করেছে। পুলিশ জঙ্গি হামলার
পরিকল্পনাকারী, অস্ত্রদাতা, প্রশিক্ষক ও আশ্রয়দাতাদের
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু দেশেই নয়, প্রায় দুই যুগের বেশি
সময় ধরে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে
অংশগ্রহণ করে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারির পরিচয়
দিয়ে বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চারটি ক্যাটাগরিতে ১৩২ পুলিশ
সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ ও ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’
দেন। ২০১৬ সালের মরণোত্তর পুলিশ পদক বিপিএম পান হলি
আর্টিজানে হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য রবিউল ইসলাম ও মো.
সালাউদ্দিন খান। তাঁদের স্ত্রীরা এ পদক গ্রহণ করেন।
সেই সঙ্গে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা প্রতিরোধের সময় নিহত
পুলিশ সদস্য জহীরুল ইসলামের পক্ষে তাঁর স্ত্রী ও
আনসারুল হকের পক্ষে তাঁর মা মরণোত্তর পুলিশ পদক গ্রহণ
করেন।
প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়ে
বলেন, ‘এত বিপুলসংখ্যক পদক আর কখনো দেওয়া হয়নি। এ পদক
কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি আপনাদের ভবিষ্যতে আরও
পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
পাশাপাশি আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ
নিজ দায়িত্ব পালনে ব্রতী হবেন।’
পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,
সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম
ইনভেস্টিগেশন সেন্টার ও ‘রাজারবাগ-৭১’ নামের আবক্ষ
মূর্তির নামফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও অতিরিক্ত
আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত
জানান। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের মনোজ্ঞ
কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং
প্যারেড কমান্ডার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে সঙ্গে করে
খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ওয়াশিংটনের
ক্যাপিটল ভবনে বাইবেলে হাত রেখে শপথ নিচ্ছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র্রের ৪৫তম
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত
১১টায়) মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে
প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ট্রাম্পকে শপথ বাক্য পাঠ
করান। শপথ অনুষ্ঠানের সময় ট্রাম্পের হাতে ছিল আব্রাহাম
লিংকনের স্মৃতিধন্য বাইবেল। এ সময় পাশে ছিলেন স্ত্রী
মেলানিয়া। শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের
সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন
৭০ বছর বয়সী ট্রাম্প। শপথের পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে
প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন তিনি। ভাষণে তিনি চরমপন্থী
ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অঙ্গীকার করেন। ট্রাম্প
ঘোষণা করেন, ‘আজ থেকে, জনগণই যুক্তরাষ্ট্রের শাসক।’
বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠান শুধু এক দলের কাছ থেকে অন্য
দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, বরং ওয়াশিংটনের কাছ
থেকে জনগণের কাছে অর্পণ।’ ট্রাম্পের ভাষণে ইতিবাচক
অনেক কথা থাকলেও তার দৃষ্টিভঙ্গি ও অঙ্গভঙ্গিতে কোনো
পরিবর্তন আসেনি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তিনি আগের
অবস্থানেই আছেন। শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়া
সত্ত্বেও বহু আইনপ্রণেতা ও বিশিষ্টজন ট্রাম্পের
অনুষ্ঠান বর্জন করেন। ট্রাম্পের শপথপর্ব নজীরবিহীন
বিক্ষোভের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক অনুষ্ঠান
নির্বিঘেœ করতে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। রাজধানী
ওয়াশিংটন ডিসি কার্যত একটি দুর্গে পরিণত হয়। খবর
সিএনএন, এএফপি ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্র্র্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামার ৮ বছরের শাসনকাল শেষে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের
স্বপ্ন দেখানো ট্রাম্পের যুগ শুরু হল। কোনো ধরনের
রাজনৈতিক ও সামরিক অভিজ্ঞতাবিহীন ব্যবসায়ী ট্রাম্প
আগামী ৪ বছর বিশ্বের একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র্র্রের
কমান্ডার ইন চিফ থাকবেন। এ ধনকুবেরের নীতি-পদ্ধতি নিয়ে
ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।
সব সমালোচনা-বিতর্ক-বিক্ষোভ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট
হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বরণ করতে ওয়াশিংটন ডিসিতে
আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকালে
হোয়াইট হাউসের কাছে সেইন্ট জন্স এপিসকোপাল চার্চে
সকালের প্রার্থনায় অংশ নিয়ে দিন শুরু করেন ট্রাম্প।
এরপর তিনি ও তার স্ত্রী মেলানিয়া যান হোয়াইট হাউসে,
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিদায়ী ফার্স্টলেডি
মিশেলের সঙ্গে কফি খান। এরপর মোটর শোভাযাত্রা করে নতুন
প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি ক্যাপিটলে আসেন। ওবামা ও
মিশেল তাদের সঙ্গ দেন।
মানবদেহে নতুন অঙ্গ!
মানবাধিকার রিপোর্ট’
মানুষের দেহে নতুন একটি অঙ্গ আবিষ্কার করেছেন আইরিশ
বিজ্ঞানীরা, যেটির অস্তিত্ব এত দিন জানাই ছিল না।
পরিপাকতন্ত্রে শত শত বছর ধরে বিরাজমান এ অঙ্গের নাম
মেসেনটারি।
অন্ত্র থেকে উদরের সঙ্গে সংযুক্ত অঙ্গ এই মেসেনটারি।
এত দিন এটিকে ভাবা হতো পরিপাকতন্ত্রের আলাদা
ক্ষুদ্রাংশ হিসেবে। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি
একটি গোটা অঙ্গ। যদিও এর কাজ কী সে ব্যাপারে এখনো
স্পষ্ট নন বিজ্ঞানীরা।
অঙ্গটির আবিষ্কারক আয়ারল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটাল
লিমারিকের বিশেষজ্ঞ জে ক্যালভিন কফির মতে, মেসেনটারি
অঙ্গ হিসেবে অবিষ্কার হওয়াটা গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে
দিয়েছে। পেটের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে মেসেনটারির কী
ভূমিকা আছে তা এখন আলাদাভাবে বোঝা সম্ভব হবে। ক্যালভিন
কফি বলেন, ‘মেসেনটারির গঠনতন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে।
কিন্তু এ অঙ্গের কাজ নিয়ে এখন গবেষণা করা দরকার।
বিয়ের বয়স নিয়ে
প্রস্তাবিত আইনে জাতিসংঘের উদ্বেগ
মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশে বিয়ের ন্যূনতম বয়স কমিয়ে আনার বিষয়ে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ
কমিটি (কমিটি অন দি এলিমিনেশন অব ডিসক্রিমিনেশন
অ্যাগেইনস্ট ওইমেন-সিইডিএডাব্লিউ)। তবে সংসদে সংরক্ষিত
আসন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে
বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছে
জাতিসংঘের এ কমিটি।
সিইডিএডাব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে
পরিবার ও সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যকার কাজ ও দায়িত্বে
কিছু বাঁধা ও বৈষম্য রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি
বাল্যবিয়ের হার এখানে। ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮
পেরোনোর আগেই। এ অবস্থায় আইন সংশোধন করে বিয়ের ন্যূনতম
বয়স ১৬ বছর করার সুপারিশ মূলত বাল্যবিয়েকেই ন্যায্যতা
প্রদান করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কমিটি এ
বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে পারিবারিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ২০১৩
সালে সরকারের গ্রহণ করা পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও
সুরক্ষা নীতিমালা এবং ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের জন্য
সাধুবাদ জানানো হয়। তবে এখনো দেশে ফতোয়া, যৌতুক
ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে পরিবারে ও জনসমক্ষে পারিবারিক
নারী নির্যাতনের ঘটনা অহরহ চোখে পড়ে। বৈবাহিক ধর্ষণকে
অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয়নি; যা উদ্বেগের কারণ বলে
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
কমিটি ওই প্রতিবেদনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের
শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করা
হয়েছে। তাতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির আগে ঝরে
যাওয়া ছাত্রীদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে এখনো
বাল্যবিয়ে, যৌন হয়রানি, অল্প বয়সে গর্ভধারণ ইত্যাদি
কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ
করা হয়।
শ্রম আইন সংশোধন করে মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করায়
সরকারের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের এই কমিটি। তবে
গৃহকর্মীদের মূল শ্রম খাতে নিয়ে আসা এবং তাদের
নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশে বিবাহিত নারীরা ঘরের সব কাজ করে থাকেন;
কিন্তু তাদের ওই কাজের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে বিয়ে, কাজ ও সম্পত্তিতে নারী-পুরুষকে সমান
স্বাধীনতা ভোগ করার মতো প্রেক্ষাপট বাস্তবায়নের জন্য
সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ কমিটি সংসদে নারীদের
জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে
অভিনন্দন জানিয়েছে। যদিও সাধারণ ক্ষেত্রে শুধু কয়েকজন
নারীই রাজনীতির শিখরে পৌঁছাতে পেরেছেন। একইভাবে বিচার
বিভাগ ও প্রশাসনে নারীদের সংখ্যা কম। সেই সঙ্গে
স্থানীয় সরকার, পররাষ্ট্র বিভাগ, শিক্ষা খাতের
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের সংখ্যা যৎসামান্য বলে
উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনেরও
প্রশংসা করা হয় প্রতিবেদনে। বর্তমান আইন অনুযায়ী নারী
বা পুরুষের পরিচয়ে তাদের সন্তান নাগরিকত্ব লাভ করতে
পারবে।
এক মাছের দাম
পাঁচ কোটি টাকা!
মানবাধিকার রিপোর্ট’
প্রায় পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে একটি মাছ কিনে হৈচৈ ফেলে
দিয়েছেন জাপানের স্বখ্যাত ‘টুনা রাজা’ কিয়োসি কিমুরা।
সেই সঙ্গে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড়
মাছের বাজারের বার্ষিক নিলামও জিতে নিয়েছেন।
সুশি চেইনশপের উদ্যোক্তা কিয়োসি কিমুরা ৫ জানুয়ারি
২০১৭ জাপানের সুকিজি মাছের বাজারে নতুন বছরের প্রথম
নিলামে ৭ কোটি ৪২ লাখ ইয়েনের (৬৩৬,০০০ ডলার) বিনিময়ে
একটি টুনা মাছ কিনেন। মাছটির ওজন ২১২ কেজি।
কিমুরা বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে এটি ব্যয়বহুল। কিন্তু
আমি খুব খুশি। কারণ আমি নিলামটি সফলভাবে জিততে পেরেছি।
এটি ছিল ভালো আকৃতির একটি টুনা মাছ।
মাছটি কাটার জন্য জাপানি তরবারির মতো বিশেষ এক ধরনের
ছুরির ব্যবস্থা করা হয়। পরের দিন মার্কেটের নিকটেই
সুশির প্রধান রেস্তোরাঁয় সেই ছুরি দিয়ে কাইমুরা এবং
তাঁর সহকর্মীরা দৈত্যাকার মাছটিকে কেটে টুকরো টুকরো
করেন।
শত শত সুশিপ্রেমী মাছটির স্বাদ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে
আছেন।
সরকার দিনবদলে
সক্ষম হবে
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গত ২২ জানুয়ারি ২০১৭ জাতীয়
সংসদের অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে
সুশাসন সুসংহত করা, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং
জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১
বাস্তবায়নে সরকার সক্ষম হবে। তিনি বলেন, গৃহীত বিভিন্ন
কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিনবদলের সনদ ও এসডিজি
বাস্তবায়ন সক্ষম হবে।
গতকাল রোববার খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে
দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি ১১৯ পৃষ্ঠার
ভাষণের সংক্ষিপ্তসার পড়ে শোনান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য থেকে
জাতির অগ্রযাত্রার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তব রূপ দিতে
বর্তমান সরকারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন,
বাংলাদেশ শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে
হাঁটছে, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং
বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসেবে উদ্ভাসিত হবে। সপ্তম
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২১
সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের
দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত
দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা।
ভাষণে রাষ্ট্রপতি অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ,
খাদ্য-কৃষি, পরিবেশ-জলবায়ু, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ
বিভিন্ন খাতে সরকারের কার্যক্রম ও সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে রাষ্ট্র ও সমাজের
সর্বস্তরে সুশাসন সুসংহতকরণ, গণতন্ত্রের
প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের
মাধ্যমে আমরা এসব লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।’
দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখা এবং সন্ত্রাস ও
জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন
রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কথা
তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, সংবিধান সমুন্নত এবং
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ ও
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং
বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব অর্পিত
হয়।দিয়েছে। এটি রাষ্ট্রপতিই দেখবে।
শিগগিরই ইভিএম
চালু হবে সিইসি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন,
পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকার কারণে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। রাজশাহীতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এই মেশিনে
ত্রুটি দেখা দেয়ায় এটি বাতিল করা হয়। তবে অচিরেই দেশে
তৈরি ইভিএম মেশিন চালু করা হবে। গতকাল রংপুরে আঞ্চলিক
সার্ভার স্টেশন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে
মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তবে প্রধান নির্বাচন
কমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে উন্নত ইভিএম
মেশিন চেয়ে ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা চলছে। এ লক্ষ্যে
নির্বাচন কমিশন দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করছে। দেশেই তৈরি হবে এই যন্ত্র।
যাতে ভোটাররা নির্বিঘেœ আস্থার সঙ্গে ভোট দিতে পারেন।
এই মেশিনে শুধু ভোটই দেয়া যাবে না। একজন ভোটারকে পরিচয়
করিয়ে দিবে এই মেশিন। আপনি প্রকৃত ভোটার কিনা এই
মেশিনই বলে দিবে। খুব দ্রুত এই যন্ত্র পরীক্ষা করে কাজে
লাগানো হবে। সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি
রাষ্ট্রপতির বিষয়। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমে
নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে
বলেন, অতীতে কোন সার্চ কমিটি ছিল না। সাংবিধানিক ভাবে
নির্বাচন কমিশন গঠন হতো। এখন সময় পাল্টেছে। তাই সার্চ
কমিটি গঠনের প্রয়োজনিতা দেখা প্রধান নির্বাচন কমিশন আরো
বলেন, দেশে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
যুদ্ধ করে দায়িত্ব পালন করতে হতো। অনেকে দায়িত্ব পালন
করতে গিয়ে জীবনও দিয়েছেন। তবে দেশ আগের চেয়ে অনেক
এগিয়েছে। আগামীতে আরো ভালো হবে। এমন দিন আসবে যেদিন
এদেশে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর দরকার হবে না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট
দিবে। কোথাও কোন গণ্ডগোল হবে না। অনেক রক্তের বিনিময়ে
এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা ওলি আউলিয়ার দেশ। এদেশের
মানুষ ভালো হবেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব
উদ্দীন আহমদ বলেন, আমার আমলে ৫ হাজারের ওপর নির্বাচন
হয়েছে। কোথাও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ সিটি
করপোরেশনসহ বেশক’টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ব্যাপক
প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে বিরোধিতা করা
হয়। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক বিষয়। এসব রাজনৈতিকভাবে
সমাধান করা উচিত। এজন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মন
মানসিকতার আরো পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ
রংপুর আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবন মিলনায়তনে নির্বাচন
কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় অন্যানের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ
আব্দুল্লাহ, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুল
ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাহাতাব উদ্দিন, জেলা
প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার প্রমুখ। প্রদান এর আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রংপুর কার্যালয়ের সামনে বকুল
ফুলের চারা রোপণ করেন।
আসছে
ডিজিটাল বাস ভাড়া!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
র্যাপিড পাসরাজধানী ঢাকায় যাত্রী ভাড়া নিয়ে হয়রানি
নতুন কিছু নয়। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সব গণপরিবহণের
জন্য ‘র্যাপিড পাস’ নামে একটি কার্ড চালুর উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ)
এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি
সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘র্যাপিড পাস’ চালু হলে ঢাকার
নাগরিকরা ঝামেলা মুক্তভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। এ
কার্ড জাল করা যাবে না।’
‘র্যাপিড পাস’ চালু হলে যাত্রীদের আর বাসে উঠে টিকিট
কিনতে হবে না। নির্দিষ্ট স্থান থেকে রিচার্জের মাধ্যমে
পাসটি ব্যবহার করে নগরীর যে কোনও দূরত্বে যাতায়াত করতে
পারবেন তারা।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার গণপরিবহণ ব্যবস্থা
সমন্বিত ই-টিকেটিং পদ্ধতির আওতায় আনার লক্ষ্যে জাপান
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার কারিগরি সহায়তায়
ডিটিসিএ ‘স্ট্যাবলিশমেন্ট অব ক্লিয়ারিং হাউজ ফর
ইন্টিগ্রেটিং ট্রান্সপোর্ট টিকেটিং সিস্টেম ইন ঢাকা
সিটি এরিয়া’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে
জাইকার প্রায় সাড়ে ২৮ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকারের সাড়ে
১০ কোটি টাকা রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুন
থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।
একাধিক পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাড়া
আদায় ব্যবস্থার সমন্বয় এবং ভাড়া বন্টন ও কার্ড
ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্পের আওতায় একটি ক্লিয়ারিং
হাউজ গঠন করা হবে। ক্লিয়ারিং হাউজ পরিচালনায় ক্লিয়ারিং
হাউজ ব্যাংক থাকবে, যা পরিবহন সেবা প্রদানকারী
সংশ্লিষ্টদের প্রাপ্য অর্থ স্ব-স্ব অ্যাকাউন্টে
পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে। র্যাপিড পাসের জন্য প্রদেয় ফি
এবং রিচার্জ কার্যক্রম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও
করবে এই ক্লিয়ারিং হাউজ।
ভবিষ্যতে মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বি আরটি,
রেলওয়ে, বি আরটিসি এবং বি আইডব্লিউটিসি সহ বিভিন্ন
গণপরিবহনে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে। বিভিন্ন জিনিস
কেনাকাটাতেও ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে র্যাপিড পাস।
সোনারগাঁও হোটেলে ডিটিসিএ’র পক্ষে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী
পরিচালক মো. জাকির হোসেন মজুমদার এবং ডাচ-বাংলা
ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন চুক্তিতে সই করেন।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো
ওয়াতানাবে, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাতোশি
নিশিকাতা, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক
উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গাদের
অবস্থা দেখতে আনান কমিশন ঢাকায়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের
সর্বশেষ অবস্থা জানতে কফি আনান কমিশনের এক প্রতিনিধিদল
গতকাল শনিবার ঢাকায় এসেছে। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলটি
কক্সবাজারে গিয়ে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি
সম্পর্কে খোঁজ নেবে। এরপর ঢাকায় ফিরে এ নিয়ে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা
বলবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার
প্রথম আলোকে জানান, রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশন
যা রাখাইন কমিশন নামেই ব্যাপকভাবে পরিচিত তার তিন
সদস্য উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে গতকাল বিকেলে
ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন সন্ধ্যায় এবং
অন্যজন দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান। সফরের শুরুতে আজ রোববার
তাঁদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে নতুন
আসা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের
সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়ার আগে
রাখাইন কমিশনের তিন সদস্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব
ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস)
আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর রাখাইনে
রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়ন শুরুর পর থেকে
এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর
অন্তত ৬৬ হাজার সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে
জানা গেছে, উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে বাংলাদেশ
ঘুরে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে যা দেখেছেন ও শুনেছেন, তার
ওপর ভিত্তি করে কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের দপ্তরে
একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবেন।
বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন। বদলে যাচ্ছে
দেশের মানচিত্র। এভাবে বাড়তে বাড়তে একদিন অনেক বড় হবে
বাংলাদেশ। তখন অতিরিক্ত জনসংখ্যা অভিশাপ না হয়ে হবে
আশীর্বাদ। খাদ্যাভাবও থাকবে না। কারণ জমি বাড়ছে, খাদ্য
উৎপাদনও হবে দ্বিগুণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে
বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল ভূ-ভাগ তলিয়ে যাবে। উদ্বাস্তু
হবে দেশের কোটি কোটি মানুষ, এমন প্রচারণা যারা
চালাচ্ছেন তারা ভুল প্রমাণিত হবেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশির তলদেশ হবে
‘প্রমিজড ট্রেজার অব দ্য ফিউচার’ বা ‘প্রতিশ্র“ত
ভবিষ্যৎ সম্পদভান্ডার’। বিজ্ঞানীদের এ ধারণার সত্যতা
মিলছে। কারণ নোয়াখালীর হাতিয়া ও চরসুবর্ণ উপজেলার একশ
বর্গকিলোমিটার জুড়ে আড়াই লাখ লোকের বসতি স্থাপনের
ব্যবস্থা করেছে সরকার। বসবাস শুরু করেই এখানকার লোকজন
সরকারের দেয়া জমিতে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদনে বিপ্লব
ঘটাচ্ছেন। বঙ্গোপসাগর প্রান্তে গত ৫০ বছরে যে এক হাজার
বর্গকিলোমিটার চর জেগেছে, তাতে ২৫ লাখ বাড়তি লোকের বসতি
স্থাপন সম্ভব হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের
দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন নদীর মোহনায় যে চর পড়েছে তা
সুপরিকল্পিতভাবে সুরক্ষা ও উদ্ধার করা হলে অন্তত ১৫
হাজার কিলোমিটার ভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। যেসব
এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে চর জেগে উঠছে সে এলাকায় ক্রসবাঁধ
দিয়ে ভূমি উদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে তা স্থায়ীকরণ
সম্ভব হবে। নেদারল্যান্ডস এ পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণ জমি
সাগরপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশকেও তারা এ
ব্যাপারে আর্থিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছে।
চর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্টের (সিডিএসপি-৪)
ল্যান্ড সেটেলমেন্ট উপদেষ্টা মো. রেজাউল করিমকে
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে
তিনি বলেন, নতুন উপকূলীয় চরাঞ্চলে বসবাসরত গরিব জনগণের
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য হ্রাস, উপকূলীয় চরাঞ্চল থেকে
দরিদ্র ভূমিহীন জনগোষ্ঠীকে খাসজমি বন্দোবস্ত ও উপকূলীয়
অধিবাসীদের নিরাপদ বসবাস স্থাপন এবং তাদের জীবনযাত্রার
মানোন্নয়ন করাই হচ্ছে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে।
তিনি বলেন, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-৪
বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দারিদ্র্য
বিমোচনমূলক ও সফল প্রকল্প।চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন
প্রকল্প-৪ (ভূমি অংশ) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে নেদারল্যান্ডস
সরকারের সহায়তায় ভূমি উদ্ধার প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র
থেকে ভূমি উদ্ধার ও চর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল, বিশেষত নোয়াখালী
জেলায় চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প ১, ২, ৩ ও ৪ এর
মাধ্যমে ১৯৯৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্যাপক চর উন্নয়ন
ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভূমি বন্দোবস্তের কার্যক্রম
হাতে নেয়া হয়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ১ম, ২য় ও ৩য়
পর্যায়ের আওতায় ১৯৯৪ থেকে ২০১০ মেয়াদে ১৬ বছরে সমুদ্র
থেকে জেগে ওঠা ৩০ হাজার একর ভূমির সার্বিক উন্নয়ন
সাধনপূর্বক ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২২ হাজার নদীভাঙা
ভূমিহীন পরিবারকে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত করে পুনর্বাসন
করা হয়েছে।
সমুদ্র থেকে জেগে ওঠা আরও ৪৫ হাজার একর খাসজমি ১৪
হাজার ভূমিহীন পরিবারকে বিতরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের
কার্যক্রম চলমান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে,
কক্সবাজার থেকে ৩০ কিলোমিটার সাগরের মধ্যে জেগে উঠেছে
শুধু চর আর চর। সেসব চরে বেড়ে উঠছে সুন্দরবনের আদলে
নতুন বন। বেড়ে উঠছে নতুন পর্যটন এলাকা। সাগরে কিছু অংশ
ভেঙে যাচ্ছে, আবার কিছু জমি জেগে উঠছে। ভাঙা-গড়ার মধ্যে
দিয়েই গড়ে উঠছে এ ‘প্যারাবন’। সুন্দরবনের মতোই এ বনের
ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট নদী। নদীর দুই পাশে জঙ্গল।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাইবাছাইয়ের জন্য
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের দেয়া নির্দেশিকা এবং এজন্য
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) কমিটি গঠন করা
কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি
করেছে হাইকোর্ট।
গত ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম
হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিব, জামুকার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের
এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত
কাইয়ুম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ ও
শরীফ হুমায়ুন কবীর।
পরে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম জানান, গত ১২ ডিসেম্বর একটি
জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
যাচাই বাছাই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। গত ৫
জানুয়ারি আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইয়ের তারিখ
পরিবর্তন করা হয়।
তিনি আরো জানান, গেজেট প্রকাশের সময় ওই গেজেটকে
চূড়ান্ত তালিকা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক সেই গেজেট
বাতিলের ক্ষমতা আইন অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কিন্তু তা না করে গেজেটভুক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে
পুনরায় যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা আইন অনুযায়ী জামুকার
নেই। সেজন্য জামুকার বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে কমিটি করার
বিধানও প্রণয়ন করা হয় নাই। এসব কারণ দেখিয়ে তালিকা
যাচাই বাছাইয়ের বিষয়ে জামুকার জারি করা নির্দেশনার
বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রফিকুল আলমসহ ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা
হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রাথমিক
শুনানি শেষে আদালত এই রুল জারি করেন।
ঢাকা মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১০ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ৯:০০টায় কাজী বশির আহমেদ
মিলনায়তন (মহানগর নাট্যমঞ্চ), গুলিস্তান, ঢাকায়
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ’র “ঢাকা মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৭” অনুষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম.
মোজাম্মেল হক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান
বিচারপতি আমীরুল কবির চৌধুরী। ঢাকা সম্মেলন উদ্বোধন
করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও
মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পারভেজ
আহমেদ, মেয়র, লন্ডন বুরু অব ব্রান্ট, বাংলাদেশ জাতীয়
সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে- ইঐজঈ’র
প্রেসিডেন্ট বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল
মোস্তফা, ইঐজঈ’র জাতীয় উপদেষ্টা ডাঃ এএসএম বদরুদ্দোজা,
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নির্বাহী সভাপতি মোঃ হারুন অর
রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন, ঢাকা
মহানগর উত্তরের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের
গভর্নর সিকান্দার আলী জাহিদ।
সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং ঢাকা জেলার
পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মীরা যোগ দেন।
কে দিলো ইংরেজি
মাসগুলোর নাম?
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রোমানদের তৈরি বর্ষ পঞ্জিকাতে ১০ মাসের উল্লেখ পাওয়া
যায়। সেগুলো হলো মার্টিয়াস (মার্চ), এপ্রিলিস (এপ্রিল),
মাইয়াস (মে), জুনিয়াস (জুন), কুইনটিলিয়াস (জুলাই),
সেক্সিটিলিস (আগস্ট), সেপ্টম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও
ডিসেম্বর।
সেই বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছর শুরু হতো মার্চের ১ তারিখে।
পরবর্তীতে ১০ মাসের সঙ্গে আরো দুটো (জানুয়ারি ও
ফেব্র“য়ারি) মাস যোগ করেন রোমান সম্রাট নুমা। তিনিই
জানুয়ারিকে বছরের প্রথম মাস হিসাবে যুক্ত করেন।
এক নজরে দেখা নেয়া যাক কোথা থেকে এসেছে এসব মাসের নাম
রোমান দেবতার নাম অনুসারে জানুয়ারি মাসের নামকরণ হয়েছে।
বিপরীতমুখী দুই মুখওয়ালা জানুস ছিলো দরজার দেবতা।
রোমানরা বিশ্বাস করতো জানুসের দুইটি মুখ। আর তার ওইসব
মুখের একটি দিয়ে তিনি অতীত দেখতে পারতেন এবং অন্য মুখ
দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখতে পারতেন।
জানুয়ারিস বা জানুয়ারি প্রথমে ২৯ দিনে মাস হিসেবে গণ্য
করা হতো। পরবর্তীতে জুলিয়াস এসে জানুয়ারিকে ৩১ দিনে
মাস হিসেবে ঘোষণা দেন।
রোমান দেবতা ‘ফেব্র“স’র নাম অনুসারে ফেব্র“য়ারি মাসের
নামকরণ করা হয়েছে। ফেব্র“স এর অর্থ হলো সংশোধক।
বিশ্বাস করা হয় দেবতা ফেব্র“স সংশোধকের দেবতা ছিলেন।
রোমান দেবতা ‘মরিস’ থেকে এসেছে মার্চ মাসের নাম।
বিশ্বাস করা হয় দেবতা মরিস যুদ্ধ-দেবতা ছিলেন।
ল্যাটিন শব্দ ‘এপিরিবি’ থেকে এসেছে এপ্রিল মাসের নাম।
এপিরিবি’র অর্থ বসন্তের দ্বার খুলে দেয়া। এছাড়া অনেকে
মনে করেন গ্রীকদের প্রেম এবং
সৌন্দর্যের দেবী অ্যাফরোদিতি থেকে এসেছে এপ্রিল মাসের
নাম।
রোমানদের আলোক দেবী ‘মেইয়ার’ বা ‘মাইয়া’র নামানুসারে
মাসটির নাম রাখা হয় মে।
রোমানদের নারী, চাঁদ ও শিকারের দেবী ছিলেন ‘জুনো’। তার
নামেই জুনের সৃষ্টি। বিশ্বাস করা হয় তিনি ছিলেন
জুপিটারের সহধর্মিনী। জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে
জুলাই মাসের নামকরণ। মজার ব্যাপার হচ্ছে বছরের প্রথমে
জানুয়ারি ও ফেব্র“য়ারিকে স্থান দিয়ে তিনি নিজেই নিজেকে
দূরে সরিয়ে দেন।
জুলিয়াস সিজার বছরকে ঢেলে সাজানোর পর আগস্ট মাসটি তার
নিজের নামে রাখার জন্য সিনেটকে নির্দেশ দেন। সেই থেকে
শুরু হয় আগস্ট মাসের পথচলা।
সেপ্টেম্বর শব্দের শাব্দিক অর্থ সপ্তম মাস। কিন্তু
সিজার বর্ষ পরিবর্তনের পর তা এসে দাঁড়ায় নবম মাসে।
তারপর এটা কেউ পরিবর্তন করেনি।
‘অক্টোবর’র শাব্দিক অর্থ বছরের অষ্টম মাস। সেই অষ্টম
মাস আমাদের ক্যালেন্ডারের এখন স্থান পেয়েছে দশম মাসে।
‘নভেম’ শব্দের অর্থ নয়। সেই অর্থানুযায়ী তখন নভেম্বর
ছিল নবম মাস। জুলিয়াস সিজারের কারণে আজ নভেম্বরের
স্থান এগারতে।
ল্যাটিন শব্দ ‘ডিসেম’ অর্থ দশম। সিজারের বর্ষ
পরিবর্তনের আগে অর্থানুযায়ী এটি ছিল দশম মাস। কিন্তু
আজ আমাদের কাছে এ মাসের অবস্থান ক্যালেন্ডারের শেষ
প্রান্তে।
Top
মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-ইঐজঈ ঢাকা মহানগর
মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে ২১ জানুয়ারি ২০১৭
রোজ শনিবার বিকাল ৫:০০টায় ঢাকার মোহাম্মদপুর নোভা ব্লু
বার্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে (মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড
সংলগ্ন) “মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন”
অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদপুর মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঐজঈ’র প্রতিষ্ঠাতা ও
মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে সভাপতিত্ব
করেন মোহাম্মদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার শাখার সভাপতি
জনাব মোঃ আকবর হোসেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয়
সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি। প্রধান
বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের
মাননীয় সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা বেগম এমপি।
ইঐজঈ’র ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান
বাবুল, সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি এমএ সোহেল আহমেদ
মৃধা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির
আহমেদ খান, উত্তরা আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়কারী শেখ মোঃ
শহীদুল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে মোহাম্মদপুর অঞ্চলসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও
দক্ষিণের দুই শতাধিক মানবাধিকার কর্মীগণ যোগ দেন।
Top
ঢাকায় এখন ১২ জন নারী
রাষ্ট্রদূতং
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি কূটনৈতিক কোরের ডিন
পদে একজন নারী রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালন করছেন।
কূটনৈতিক কোরের নতুন ওই ডিন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
ওয়ানজা কাম্পোস দ্য নবরেগা। সর্বশেষ ডিন ইন্দোনেশিয়ার
রাষ্ট্রদূত ইওয়ান উইরানাতা আতমাজদা বাংলাদেশে তাঁর
দায়িত্ব শেষ করায় এ দেশে দায়িত্ব পালনের দিক দিয়ে
সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ রাষ্ট্রদূত হিসেবে ওয়ানজা কাম্পোস দ্য
নবরেগা নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, কূটনৈতিক কোরের ডিনের দায়িত্ব অনেকটাই
আনুষ্ঠানিক। তিনি সাধারণত কূটনৈতিক কোরের নেতৃত্ব দেন
এবং তাদের সুবিধার বিষয়ে স্বাগতিক দেশের সরকারের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখেন।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি দূতাবাসগুলোতে অন্তত
১২টিতে নারী রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, এটিও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড।
বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলোর নেতৃত্বে থাকা নারীরা
হলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কাম্পোস দ্য নবরেগা,
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আবের, যুক্তরাষ্ট্রের
রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট,
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশার ইয়াসোজা গুনাসেকারা,
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিয়োনি মার্গারেথা
কুয়েলেনায়েরে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক,
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন মোহা. তাইব,
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুয়ান্নাপোনে,
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশার জুলিয়া নিবলেট, ব্র“নেইয়ের
হাইকমিশনার মাসুরাই মাসরি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল
ব্লেকেন ও মালদ্বীপের হাইকমিশনার শান শাকির।
বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার সদর উপজেলার
উদ্যোগে ১০ জানুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় আবু
সেন্টারস্থ জেলা মানবাধিকার কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
কেক কাটার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর উপজেলা সভাপতি দেলোয়ার
হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত
ছিলেন কক্সবাজার সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ খোরশেদ আরা
হক এমপি।
মূখ্য আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা
মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি এডভোকেট
দীপংকর বড়–য়া, উদয় শংকর পাল মিঠু, জেলা সদস্য রবিন্দ্র
বিজয় বড়–য়া, সদর উপজেলা সহ-সভাপতি শাহেনা আক্তার পাখি,
মম আহমেদ, আসমাউল হুসনা,যুন্ম-সম্পাদক আবদুল আলিম
নোবেল, রাশেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবছার, আবু
ফরহাদ বুখারী, হিমেল বিশ্বাস,মহিলা সম্পাদিকা সেলিনা
আক্তার, রেজাউল করিম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় ২০১৭ সালের বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন
কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত
গৃহীত হয়।
আলোচনা শেষে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের নব
নির্বাচিত সদস্য সদর উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের
সহ-সভাপতি আসমাউল হুসনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিন্দন
জানানো হয়।
ইয়াবা আসক্তির তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট,
মেডিক্যাল এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজ পড়ুয়া
কিশোর-তরুণ-তরুণীদের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। এমন কোন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ইয়াবা আসক্ত নেই। এদের
সংখ্যা বেশি হলেও মধ্যবিত্তদের সন্তানদেরও এ তালিকা
থেকে বাদ দেয়া যাবে না। অনেক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরাও
এই মরণ নেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এখন বস্তি থেকে শুরু করে
রিকশা চালক, শ্রমিক সবাই ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছড়িয়ে
যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও।
অল্প কথায় বলা যায় ইয়াবা খেলে মনে উত্তেজনা আসে। আবেগে
জোয়ার আসে। তৈরি হয় উৎফুল্ল ভাব। এ সময়ে দেহে নানা
ধরনের পুলকও বেড়ে যেতে পারে সাময়িকভাবে। প্রাথমিক
উদ্দীপনার প্রভাব কেটে গেলে অবসাদ জাগে দেহ-মনে,
কর্মক্ষমতা কমে যায়, দেহ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, শিথিল হয়ে
পড়ে যৌনচেতনা। ইয়াবা গ্রহণ করা যে কোনো তরুণ, নিজের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে, অসৎ যৌনাচারে ডুবে যেতে
পারে। আর তরুণী হারাতে পরে তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ,
যথেচ্ছভাবে ব্যবহূত হয়ে যেতে পারে।
ইয়াবা নিলে খিঁচুনি হতে পারে, শরীর বিবর্ণ হয়ে যেতে
পারে, ক্ষুধা কমে যেতে পারে, মুখ শুকিয়ে যেতে পারে,
অতিরিক্ত ঘাম বেরোতে পারে, চোখের দৃষ্টি অন্যরকম হয়ে
যেতে পারে, অন্যদের ভয় লাগতে পারে বিস্ফোরিত চোখ দেখে।
ঘুম চলে যেতে পারে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে
অনিন্দ্রায়। মাংসপেশী ক্ষয় হয়ে যেতে পারে, স্নায়ু
কোষের ক্ষতি হতে পারে, সংকোচিত হয়ে যেতে পারে মস্তিষ্ক।
চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এন হুদা বলেন,
ইয়াবা সেবনে প্রথমে যৌন ক্ষমতা বাড়ে। তবে পরে একেবারেই
যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এটার ফলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে। ইয়াবা
আসক্ত তরুণ-তরুণীরা বিয়েতে অনাগ্রহ দেখায়। তিনি বলেন,
একজন ইয়াবা আসক্ত কেবল নিজেই মরে না, শেষ করে দিয়ে যায়
পুরো পরিবারকে।
বাংলাদেশে
জঙ্গিবাদের হুমকি কমেছে: হোয়াইট হাউস
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এছাড়া
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের হুমকি আগের তুলনায় কমেছে। বাংলা
ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক
জ্যেষ্ঠ পরিচালক পিটার ল্যাভয় একথা বলেছেন। পিটার বলেন,
‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে আমরাও উদ্বেগে
ছিলাম। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ
করছি। এসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে
তাদেরকে উৎসাহিত করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের হুমকি কমেছে।
অন্তত সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এ ধরনের হামলা কমেছে এবং আশা
করি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।’ বাংলাদেশে ‘জঙ্গিবাদের
উত্থান’ প্রশ্নে পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে
যুক্তরাষ্ট্রে যে উদ্বেগ রয়েছে সে ব্যাপারে এক
প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ল্যাভয়। গত সপ্তাহে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে
মার্কিনিদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায়
রাখতে বলা হয়।
আগের ভ্রমণ সতর্কতাকে হালনাগাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র
দফতর জানায়, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের
দেওয়া সতর্কতাকে আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের
৫ জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে
জঙ্গি হামলার পর মার্কিন দূতাবাসে নিয়োজিত কর্মীদের
পরিবারের সদস্যদের ফেরত নিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৬ সালের অক্টোবরে আইএস-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের
সবচেয়ে ‘সুরক্ষিত অঞ্চলে’ ‘প্রবাসী, পর্যটক, কূটনীতিক,
গার্মেন্ট বায়ার, মিশনারি এবং খেলোয়ারদের’ লক্ষ্য করে
হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, বাংলাদেশে নিয়োজিত
মার্কিন সরকারি কর্মীরা যে ধরনের সম্ভাব্য হুমকিতে
রয়েছেন তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। সে বিবেচনা যথেষ্ট
গুরুতর যে জীবন-যাপন, কর্মক্ষেত্র এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে
তাদেরকে কড়া নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা মেনে চলতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএইচআরসির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)’র
৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম
দিলদারের জন্মদিন পালিত হয়েছে।
১০ জানুয়ারি ২০১৭ ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কেক
কেটে দিবসটি পালন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক
আব্দুল আওয়াল। পরে আলোচনা সভায় সংগঠনের ঠাকুরগাঁও জেলা
শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা অ্যাড্ঃ তোজাম্মেল হক
মঞ্জু, এ.আর খলিলুর রহমান, প্রফেসর সৈয়দ আলী,
বারেকাল্লা, মোদাচ্ছের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন
ফেরদৌস, প্রবীন সাংবাদিক মনসুর আলী, এ্যাড. শাহ আজিজার
রহমান, পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান মানু,
বালিয়াডাঙ্গীর সভাপতি আবু হায়াত নুরন্নবী, রানীশংকৈলের
সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল, প্রভাষক ফারহানা বেগম
লিভা, শিক্ষক আব্দুল মুবিন রতন, শাহ্ সুফী আফজাল হোসেন
বকুল, প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রংপুর-দিনাজপুর
অঞ্চলের বিশেষ প্রতিনিধি এ্যাড. জাহিদ ইকবাল প্রমুখ।
মানবাধিকারে অবদান রাখায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক
আব্দুল আওয়াল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড্ঃ
তোজাম্মেল হক মঞ্জু, ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের
পরিচালক এ.আর খলিলুর রহমান, বিএইচআরসির ঠাকুরগাঁও জেলা
শাখার সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু, নির্বাহী সদস্য শাহীন
ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান শামিম, অ্যাড্ঃ
আশরাফুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী এবং
স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠন বন্ধনকে শুভেচ্ছা স্মারক
প্রদান করা হয়।
প্রবাসী
কর্মীর কল্যাণ মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষিত হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন এক কোটির অধিক
বাংলাদেশী কর্মী। জীবিকার প্রয়োজনে এসব কর্মী দূর
প্রবাসে পড়ে রয়েছেন পরিবারে স্বচ্ছলতা আনয়নের জন্য।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশের
অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধ। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান
১৩ শতাংশ। অথচ তাদের কল্যাণে কোনো আইন নেই, নেই কোনো
কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সরকার প্রবাসী
কর্মীদের জন্য গঠন করতে যাচ্ছে প্রবাসীকল্যাণ বোর্ড।
ইংরেজি নতুন বছরেই এই বোর্ড গঠিত হচ্ছে।
জানা যায়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১৩ সালে
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের জন্য একটি যুগোপযোগী আইন
প্রণয়নের জন্য সুপারিশ করে। পরে বর্তমান প্রবাসী
কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ২০১৫ সালে
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ
বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই অতি দ্রুত কল্যাণ
বোর্ডের জন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মূলত
মন্ত্রীর নির্দেশনার পর মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব
মোহাম্মদ আজহারুল হককে প্রধান করে আইন প্রণয়ন
সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দীর্ঘ কয়েক মাস
বৈঠক করে আইনের খসড়া তৈরি করে। বছরের শেষ কর্মদিবস ২৯
ডিসেম্বর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থা,
আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত মতামতের
ওপর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দফতর,
সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে সচিব বেগম শামছুন নাহারের
সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও
স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনটি চূড়ান্ত করে
অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় প্রেরণ করা হবে।
নতুন বছরে আইনটি সংসদে পাস হলে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ
বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে প্রবাসীকল্যাণ বোর্ড নামে একটি
বোর্ড গঠিত হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির ৪৫ বছর
পর অভিভাবক পাবেন বিদেশে কর্মরত এক কোটি বাংলাদেশী
কর্মী ও তাদের পরিবার। এর ফলে প্রবাসী কর্মী ও তাদের
পরিবারের সদস্যদের মর্যাদা, অধিকার, কল্যাণ ও
জীবনমানের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে নতুন
বোর্ড।
বর্তমানে বিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রবাসীকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ১৯৯০
সাল থেকে দেশ-বিদেশে প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের
সদস্যদের কল্যাণে কাজ করছে। ৩ বছরে এ বোর্ড নানা
সীমাবদ্ধতা ও স্বল্প জনবল নিয়ে প্রবাসীদের কল্যাণে
রেকর্ড পরিমাণ কাজ করেছে, যা ২৩ বছরেও সম্ভব হয়নি। এ
সময়ে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদান এবং
প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট ছিল।
সরকার ইমিগ্রেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ বাতিল করে বৈদেশিক
কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ করা হলেও তাতে প্রবাসী
কর্মীর জন্য কিছু বলা হয়নি। এরই মধ্যে ওয়েজ আর্নার্স
কল্যাণ বোর্ড থেকে কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের
কল্যাণ, মর্যাদা রক্ষা এবং জীবনমানের উন্নয়নে নানা
ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল,
ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রবাসী পল্লী (আবাসন),
বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত বীমা কোম্পানি, প্রত্যাগত
কর্মীদের সামাজিক পুনর্বাসন, ডায়াসপোরা প্রবাসী
বাংলাদেশীদের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে
অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের সদস্যদের
কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
ড. ইউনূসকে স্বর্ণ পদকে ভূষিত করলেন মোদী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের তিরুপতিতে অনুষ্ঠিত ১০৪তম ভারতীয় বিজ্ঞান
কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর
মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বর্ণ পদকে ভূষিত করলেন ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসে মূল বক্তা
হিসেবে আমন্ত্রিত আরো ৫ জন নোবেল লরিয়েটের সাথে
প্রফেসর ইউনূসকে মঙ্গলবার ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের
উদ্বোধনী দিনে এই সম্মাননা প্রদান করেন মোদী। অনুষ্ঠানে
আরো বক্তব্য রাখেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী
চন্দ্র বাবু নাইডু, কয়েকজন ইউনিয়ন মন্ত্রী এবং ভারতের
প্রখ্যাত বিজ্ঞানীগণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও
অন্য বক্তারা ভারতের বিজ্ঞান নীতি এবং বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি গবেষণা ভারতীয় সমাজকে কীভাবে রূপান্তরিত করছে
ও ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে নিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে
তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
৫ দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে ভারতের শ্রেষ্ঠ
বিজ্ঞানীদের অনেকেই সমবেত হয়েছেন। তিরুমালা পাহাড়ের
পাদদেশে অবস্থিত নয়নাভিরাম এই মন্দির নগরীতে অনুষ্ঠিত
এই কংগ্রেসে আরো যোগ দিয়েছেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে
আগত কয়েকজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, ভারতের মুখ্য বিজ্ঞান
নীতি প্রণেতা ও প্রশাসকগণ এবং ভারতের সকল রাজ্য থেকে
আগত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২০ হাজার গবেষক, শিক্ষক ও
ছাত্র। বরাবরের মতোই ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস উপলক্ষে
পুরো শহরজুড়ে বিরাজ করছে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ এবং
শহরটি রূপ নিয়েছে একটি আকর্ষণীয় বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে।
কংগ্রেসের একটি প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেবেন প্রফেসর
ইউনূস। অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে অবস্থিত শ্রী
ভেংকটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিজ্ঞান কংগ্রেস
অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যানজটে নাকাল নগরবাসী
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এমনিতেই যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। ১০ মিনিটের পথ পাড়ি
দিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় লেগে যায়।
তার ওপর যখন কোনো উপলক্ষ আসে, মানুষের ভোগান্তির কোনো
সীমা-পরিসীমা থাকে না। তেমনই অবস্থা হয়েছিল গত ৪
জানুয়ারি ২০১৭। এদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার ৬৯তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। শহরের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে মিছিল এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার
দিকে। আর তাতেই থমকে গেছে পুরো ঢাকা। সকাল ১০টা থেকেই
বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিক যানজট। দুপুরে তা সর্বোচ্চ
পর্যায়ে পৌঁছে। বিকেল পর্যন্ত চলেছে এর জের। অফিসগামী
অনেককেই দেখা গেছে যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও ছিল একই অবস্থা। সদরঘাট,
কমলাপুর কিংবা বাস টার্মিনালমুখী যাত্রীদের মালামাল
মাথায় নিয়ে ও ছোট শিশুদের হাত ধরে টানতে টানতে
গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে। যারা গুরুতর রোগী নিয়ে
হাসপাতালে যাচ্ছিল তাদের অসহায়ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে
কাঁদতেও দেখা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে, এতে
আপত্তি করার কিছু নেই। আর ক্ষমতাসীন দল বা এর অঙ্গ ও
সহযোগী সংগঠন হলে তো কথাই নেই। মিছিল করা তাদের
সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বিনা
বাধায় চলাচল করবে—এটাও তাদের অধিকার। কিন্তু বুধবার
কিছু ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে। মিছিল যাওয়ার সুবিধার্থে
ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে কোথাও কোথাও যান চলাচল বন্ধ
করে দিতে। জনদুর্ভোগ হবে, এমন অজুহাতে যখন বিরোধী দলকে
রাস্তায় মিছিল বা সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না তখন এভাবে
যান চলাচল বন্ধ করে মিছিল করতে দেওয়ায় মানুষ অবাক হয়েছে।
তাদের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। কেউ কেউ এ নিয়ে
প্রকাশ্যেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছে।
২০১৬ সালে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীতে ২০১৬ সালে বাড়িভাড়া বেড়েছে গড়ে ৮ দশমিক ৫৪
শতাংশ। গত বছর নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮১
শতাংশ। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ হারে
বাড়িভাড়া বেড়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন কনজ্যুমারস
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বার্ষিক প্রতিবেদনে
এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গতকাল রোববার
প্রকাশ করা হয়।
ক্যাবের হিসাবে গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়িভাড়া বেড়েছে
প্রায় ৩৮৮ শতাংশ। অথচ একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে
২০০ শতাংশ। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়িভাড়া
বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিবারের মতো এবারও
বছরের শুরুতে বাড়ির মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া
বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
ক্যাবের ২০১৬ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর প্রায়
৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় বসবাস করে এবং
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর মোট আয়ের একটা সিংহভাগ
বাড়িভাড়ায় খরচ হয়। ২০১৬ সালে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া সবচেয়ে
বেশি বেড়েছে পাকা টিনশেডে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফ্ল্যাটে
বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মেস রুমে বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৫
শতাংশ এবং বস্তিতে বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
Top
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
ঝুঁকিপূর্ণ
কাজে শিশুরা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বরগুনার আমতলীতে বৈধ-অবৈধ ইটভাটায় প্রায় দেড় শতাধিক
শিশু শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত আছেন। এতে শিক্ষার অধিকার
থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া এবং
ধুলা ময়লার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য
ঝুঁকিতে পড়ছে এসব কোমলমতি শিশুরা। পরিবারের অসচেতনতা ও
দরিদ্রতার কারণেই এ পরিস্থিতির শিকার বলে সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। আমতলী, উপজেলার একাধিক
ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, এসব শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে
অথবা বাবা-মা ছাড়াই ৮ থেকে ১৬ বছরের কমপক্ষে দেড়
শতাধিক শিশু ভাটার কাজে নিয়োজিত আছে। এসব শিশু এবং
শিশুদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকটা
বাবা-মায়ের অসচেতনতা এবং দরিদ্রতার কারণেই তাদের এই
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নামানো হচ্ছে। অন্যদিকে ভাটার মালিকরা
কম বেতনে বেশি কাজ করানোর জন্যই এসব কোমলমতি শিশুদের
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা
গেছে, উপজেলায় ইটভাটা ও পাঁজা রয়েছে ১৯টি অনুমোদিত
ইটভাটা ৬টি। অনুমোদনহীন ইটভাটা ১৩টি। প্রায় প্রতিটি
ইটভাটাতেই শিশুরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। আমতলী
উপজেলার তালুকদার বাজারে এইচআরপি ব্রিক্স-এ গিয়ে দেখা
যায়, বেশকিছু শিশু ভাটার বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে। এ
সময় কথা হয় উপজেলার রাওগাঁর জয়নাল হাওলাদারের দুই ছেলে
মনু (১৩) ও রাসেল (১১) এর সঙ্গে। তারা জানায়, ৮ বছর
বয়স থেকেই তারা ইটভাটায় কাজ করে আসছে। বর্তমানে কাজ করে
সপ্তাহে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পায় তারা। এ টাকা নিয়ে
বাবার সংসারেই দেয় মনু ও রাসেল। লেখাপড়া করতে ইচ্ছা হয়
কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে মনু বলে, ‘ল্যাহা-পড়া করতে তো
মোনে চায়-ই, তাইলে মোরা কাজ না করলে খামু কি?’। একই
ভাটায় শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত রায়হান ও হৃদয় জানায়, তারা
দু’জনই এ বছর পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি
হয়েছে। বাই সাইকেল কেনার জন্য তারা ভাটায় শ্রমিকের কাজ
করতে আসছে। কথা হয় শাহীন নামের আরেক শিশুর সঙ্গে।
শাহীন বলে, মোরা পাঁচ ভাইবোন, সবাই শ্রমিকের কাজ করি।
ধুলা ময়লায় শরীরের ক্ষতি হয় না? শাহীনকে এমন প্রশ্ন করা
হলে বলেন, ‘রাইতে ঘুমাইতে গ্যালে মাঝে মাঝে কাশ (কাশি)
হয়।’ শুধু তালুকদার বাজারে এইচআরপি ব্রিক্স নয়,
উপজেলার মহিষডাঙ্গায় সোবাহান কাজীর এমসিকে ব্রিক্স,
তালতলা এইচবিএম, কিশোরখান ব্রিক্সসহ প্রায় ভাটায়ই এভাবে
শিশুরা শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমতলীর ৫০
শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসক ডা. এমএ মতিন বলেন,
ইটভাটায় কর্মরত শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইটভাটায় দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে
বিষাক্ত ধোঁয়া ও ধুলাবালিতে শিশুদের ত্বক ও নখ নষ্ট
হওয়ার পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা, অ্যাজমা, হাঁপানি,
ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
শ্রম আইন-২০০৬-এর ২৮৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি কোনো
শিশু বা কিশোরকে চাকরিতে নিযুক্ত করলে অথবা আইনের কোনো
বিধান লঙ্ঘন করে কোনো শিশুকে চাকরি করার অনুমতি দিলে,
তিনি ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডগত ব্যবস্থা নেয়া
হবে।
রূপগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে
হত্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে
বাবলী আক্তার (১৫) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী, শ্বশুর আর
শাশুড়ি মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের হাটাব
জেলেপাড়া এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের পিতা
বাবুল মিয়া জানায়, তিনি কাঞ্চন পৌরসভার হাটাব দক্ষিণ
বাড়ৈ এলাকার বাসিন্দা। ১১ মাস পূর্বে তার মেয়ে ও
স্থানীয় হাটাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির
শিক্ষার্থী বাবলী আক্তার (১৫)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে
তুলে নিয়ে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী হাটাব জেলেপাড়া
এলাকার আমির হোসেনের ছেলে রাশেদুল। বিয়ের পর থেকেই তার
মেয়ে বাবলীকে বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে নির্যাতন করতো
স্বামী রাশেদুল ও তার বাবা মা। দুইমাস আগে স্বামী
রাশেদুল এলাকায় ওয়ার্কশপ দেবার জন্য বাবলীর বাবার কাছে
৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে দিনমজুর বাবুল মিয়া
অপরাগতা প্রকাশ করলে বাবলীর উপর নির্যাতন শুরু করে
রাশেদুল। বৃহস্পতিবার বিকালে ফের যৌতুকের টাকার জন্য
বাবলীকে মারধর করে রাশেদুল ও তার পরিবারের লোকেরা।
এদিকে, রাত ২টার দিকে রাশেদুল ইসলাম লোক মারফত বাবলীর
পিতার কাছে সংবাদ পাঠায় যে, বাবলী গুরুতর অসুস্থ।
সংবাদ শুনে বাবলীর পিতা বাবুল মিয়া তার এক আত্মীয়কে
সঙ্গে নিয়ে রাশেদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে, বাবলীর
লাশ তার ঘরের ভেতর খাটের উপর পড়ে আছে। এ ঘটনা আশেপাশের
লোকজন জানতে পেরে ঘাতক স্বামী রাশেদুলকে আটক করে
পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় কৌশলে গা ঢাকা দেয়
রাশেদুলের পিতা আমির হোসেন ও মা রওশন আরা বেগম।
যৌতুকের জন্যই তার একমাত্র মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে
দাবি করেন নিহত বাবলীর পিতা বাবুল মিয়া। পুলিশ সকালে
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের
মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ
সম্পর্কে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে বাবলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা
করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত স্বামী মুখ খুলেননি। এ ঘটনায়
রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায়
স্বামী রাশেদুলকে আটক দেখিয়ে আমরা তার রিমান্ড আবেদন
করবো। পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যার
প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নারীরা যৌতুকের
শিকার হচ্ছেনই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যৌতুকের কারণে নির্যাতন, হত্যা, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছেই।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ ধরনের ঘটনায় মামলা কম হয়।
মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, পারিবারিক
সহিংসতার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যৌতুক। প্রতিরোধে দরকার
আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও সামাজিক আন্দোলন।
যৌতুককে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ১৭৩ জন নারী খুন হয়েছেন।
নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩৬২টি। আর গত ৫ বছরে এ সংখ্যা ২
হাজারের বেশি। হত্যার শিকার হয়েছেন ১ হাজার ১৫১ জন নারী।
মা-বাবা আদর করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন সুখী (২৪)। কিন্তু
সুখীর কপালে সুখ তো জোটেইনি; বরং শ্বশুরবাড়িতে বর্বর
নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিয়ের ১২ বছরের মাথায়
যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও তাঁর স্বজনেরা মিলে টেস্টার
দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সুখীর ডান চোখটি একেবারে উপড়ে
ফেলেন। বাঁ চোখেও ছিল মারাত্মক আঘাত। ঘটনাটি ২০১৫ সালে
সাভারের জিঞ্জিরায় ঘটেছে।
সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে যৌতুক নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে;
যা বিয়ের আগে থেকে শুরু হয়ে চলতে থাকে। যৌতুকের দাবি
মেটাতে গিয়ে কনের পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। আবার এ দাবি
মেটাতে না পারলেই নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক
নির্যাতনের খড়্গ।
যৌতুকের কারণে অনেক নারীকেই হত্যার শিকার হতে হচ্ছে।
আবার মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচলেও অনেকে বেছে নেন
আত্মহত্যার পথ। ২০১৬ সালে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের
শিকার ৯ জন নারী আত্মহত্যা করেন। ২০১৫ সালে
আত্মহত্যাকারী নারীর সংখ্যা ছিল ১৮।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো.
আনোয়ার হোসেন বলছেন, মানুষের মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে;
যৌতুক এখন সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। পুঁজিবাদ ও
সামাজিক কাঠামোর দুর্বলতা এর বড় কারণ। যৌতুকরোধে
সচেতনতা ও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ
ক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থা ও গণমাধ্যম বড় ভূমিকা রাখতে
পারে বলে মত দেন এই শিক্ষক।
অর্থনৈতিক কারণে যৌতুক বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন নারী
নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল কর্মসূচির
পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি মনে করেন, সমাজে এখনও
মেয়েপক্ষকে মনে করা হয় আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভের উৎস।
সমাজে যৌতুকপ্রথা বন্ধ করতে দরকার সবার সচেতনতা।
বিয়ের ৫ বছর পরে যৌতুক দিতে রাজি নন পাবনার শম্পা
খাতুন (২৫)। এ কারণে বেঁচে থাকার অধিকারই হারিয়ে ফেলেন
তিনি। যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও তাঁর স্বজনেরা শ্বাসরোধ
করে হত্যা করেন শম্পাকে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে
প্রায়ই তাঁকে মারধর করতেন স্বামী। ঘটনাটি ২০১৬ সালের
ফেব্র“য়ারির।
নারীরা যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হলেও সংসার
করার জন্য আইনের আশ্রয় নেন না। পাশাপাশি, আইনি পরিবেশ
নারীবান্ধব না হওয়ায় কম যাচ্ছেন। তা ছাড়া, অপরাধীরা সব
সময়ই প্রভাবশালী থাকে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার পাওয়ার
নজির কম। বিচার বিভাগে দীর্ঘসূত্রতা আর ভোগান্তির
কারণেও অনেকের অনীহা।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
টাকার জন্য পুলিশের
কেমন নির্যাতন!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুই লাখ টাকা ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় যশোর কোতোয়ালি
থানার ভেতর আবু সাঈদকে হাতকড়া পরিয়ে ঝুলিয়ে নির্যাতন
করা হয় যশোরে পুলিশ এক যুবককে ধরে নিয়ে থানার মধ্যে
ঝুলিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বজন অভিযোগ, চাহিদামতো দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে টাকা
না দেওয়াতেই এ নির্মমতা চালায় পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার যুবক হলেন আবু সাঈদ (৩০)। তিনি যশোর
সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। তাঁর
স্বজন জানান, সাঈদকে ছাড়াতে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি
করেছিল পুলিশ। শেষমেশ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে
আনা হয়েছে।
যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক
পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন,
সাঈদকে গত ৪ জানুয়ারি ২০১৭ রাতে আটক করেন থানার
উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল। পরে তাঁর কাছে তিনি ও সহকারী
উপপরিদর্শক (এএসআই) হাদিবুর রহমান দুই লাখ টাকা দাবি
করে। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় সাঈদকে হাতকড়া পরিয়ে
থানার মধ্যে দুই টেবিলের মাঝে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। খবর
পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই রাতেই
সাঈদকে ছাড়িয়ে আনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাঈদের এক স্বজন মুঠোফোনে প্রথম
আলোকে বলেন, সাঈদের নামে মামলা রয়েছে। তবে তিনি জামিনে
আছেন। ৪ জানুয়ারি ২০১৭ রাতে বিনা অপরাধেই তাঁকে আটক করে
নির্যাতন করে পুলিশ। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে
ছাড়িয়ে আনা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন প্রথম
আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি এসআই
নাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। যোগাযোগ করা হলে
নাহিয়ান বলেন, ‘আমি শুনেছি আবু সাঈদকে আটক করা হয়েছিল।
কিন্তু আমি আটক করিনি। আর আটকের পর কী হয়েছে তা আমি
জানি না।’
এদিকে চেষ্টা করেও এসআই নাজমুলের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব
হয়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এএসআই
হাদিবুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি
জড়িত নই।’
রাজশাহীতে পুলিশের
পিটুনিতে ট্রাকচালক আহত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজশাহীতে পুলিশের মারপিটে এক ট্রাকচালক আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর তালাইমারি এলাকায় এই ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ট্রাক চালকরা রাস্তা অবরোধ করে
রাখেন। ঘন্টাব্যাপী অবরোধে সড়কের দুইপাশে শতশত গাড়ি
আটকা পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব
যানবাহন। ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী,
শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্ভোগের শিকার হন।
নান্দাইলে পুলিশের
ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নান্দাইল উপজেলার পৌর এলাকার চারআনী পাড়া গ্রামে
পুলিশের ওপর হামলা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে
নিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে
৪ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে নান্দাইল মডেল
থানা পুলিশ ওই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়ি ঘেরাও
করে তার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পলাতক আসামি শাহাব
উদ্দিন ফকিরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন
নান্দাইল মডেল থানার এসআই আলিমুজ্জামান। এরপর বাড়ির
লোকজন চিৎকার দিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় শতাধিক
লোক পুলিশের ওপর হামলা করে শাহাব উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়।
জনতার হামলায় আহত হন এসআই আলিমুজ্জামান, কনস্টেবল
রুহুল আমিন, মঞ্জুরুল হক ও সুমন মিয়া। আহতদের মধ্যে
এসআই আলিমুজ্জামানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দেয়া
হয়েছে বলে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. আতাউর রহমান
নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলার খবর থানায় পৌঁছালে পুলিশ
সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে নান্দাইল হাসপাতালে পাঠায়।
পরে অভিযান চালিয়ে শাহাব উদ্দিনের বাবা আবু বক্কর
সিদ্দিক ও তার স্ত্রীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ওসি জানান, ইয়াবা ব্যবাসায়ী শাহাব উদ্দিনকে
গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশের ওপর
হামলা এবং গ্রেফতারের আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ২০
জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে।
ওই গ্রামে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারে
পদে পদে বাণিজ্য!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘কারাগারে ঢোকানোর পরই একজন আমার স্বামীকে বললেন, ভাই
আপনি জেলে থাকতে পারবেন না। অনেক নোংরা, বিছানা নাই,
বাথরুমের পাশে থাকতে হবে। হাসপাতালে থাকেন, মাত্র ১৫
হাজার টাকা দিলেই হবে। যখন আমার স্বামী রাজি হইল, তখনই
আমারে ফোন দিল এক দালাল। টাকা অ্যাডভান্স চাইল। আমি
তার হাতেই প্রতি মাসের ২৭ তারিখে টাকা দিতাম। পরে আমার
স্বামী বলল, দালাল পাঁচ হাজার টাকা খেয়ে ফেলে, এ জন্য
তারে ভালো বিছানা দেয় না। এখন আমিই কাঠি (তার) দিয়া
টাকা দিই। এইখানে হাজার টাকার ওষুধ পাঠাইলে কমিশন দিতে
হয়। খাবার পাঠাইলেও টেকা দিতে হয়, আবার কিনতেও হয়
দ্বিগুণ দামে। টাকা ছাড়া কোনো কথা নেই। কারাগারের
ভেতরে-বাইরে বাণিজ্য আর বাণিজ্য।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে
বন্দী স্বামীকে দেখতে আসা এক নারী প্রথম আলোর কাছে এমন
তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। শুধু ওই নারীই নন,
অন্তত ৩০ জন বন্দীকে দেখতে আসা স্বজনদের সঙ্গে সম্প্রতি
কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের প্রায় সবাই কমবেশি এমন
অভিযোগ করেন।
কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় তিন দিন ঘুরে ‘সাক্ষাৎ
বাণিজ্য’ ও নানা অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেল। কারাগারের
মূল ফটক থেকে শুরু করে ভেতরে, মাঠে, ঝোপঝাড়ের আড়ালে
লোকজনের সঙ্গে কারারক্ষীদের কথা বলতে দেখা গেছে। মাঠে
একটি বেঞ্চে বসে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের নাম-ঠিকানা লিখতে
হয়। মূলত সেখান থেকেই বাণিজ্য শুরু হয়। ধীর গতিতে নাম
লেখানো চলে, পাশাপাশি চলতে থাকে দালালদের দেনদরবার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন কারারক্ষী প্রথম আলোর
কাছে অভিযোগ করেন, কারাগারের মূল ফটক থেকে ভেতরে সব
মিলিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার বাণিজ্য হয়। বেশি হয়
সকাল আটটার আগে এবং বিকেল পাঁচটার পরে। তাঁদের মতে,
বন্দীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, হাসপাতালে থাকা, আসামির জামিন,
বন্দী রোগী বাইরের হাসপাতালে পাঠানো, পুনরায় গ্রেপ্তার,
খাবার বা টাকা পাঠানো, মালামাল তল্লাশি করাসহ
সবক্ষেত্রেই বাণিজ্য হয় কারাগারে। তাঁরা অভিযোগ করে
বলেন, সাক্ষাৎকার কক্ষটি পাঁচজন কারারক্ষীর কাছে এক
মাসের জন্য ৬০-৭০ হাজার টাকায় ‘বিক্রি’ করা হয়। এরপর
যা বাণিজ্য হয় তা ভাগ করে নেন কারারক্ষীরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রতিবেদনেও বলা
হয়েছে, বর্তমানে এ কারাগারটির প্রধান সমস্যা হলো সাক্ষাৎ
বাণিজ্য, অবৈধভাবে কারাগারে কয়েদিদের কাছে টাকা পাঠানো
এবং কয়েদিদের মুঠোফোনের ব্যবহার। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও
কারা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় রসিদের মাধ্যমে টাকা পাঠানো
হচ্ছে। কয়েদিদের মুঠোফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও
ভেতরে দায়িত্বরত কারারক্ষীদের সহায়তায় মুঠোফোনে কথা
বলেন বন্দীরা।
জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ
জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আগে ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারে এসব দুর্নীতি কিছুটা ছিল, ব্যবস্থাপনায় সমস্যা
ছিল। কিন্তু কেরানীগঞ্জে এ ধরনের কোনো অনিয়ম বা
বাণিজ্য নেই। বিশেষ করে মাদক বা সাক্ষাৎকার নিয়ে কোনো
বাণিজ্য হচ্ছে না। উচ্চপর্যায়ের নজরদারি রয়েছে। তবে
দু-একটি ঘটনা থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে আসামিরাও এসব
অবৈধ সুবিধা চায়।
গাজীপুরে হত্যা
মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরে হত্যা মামলায় তিন ভাইসহ চারজনকে যাবজ্জীবন
সাজা দিয়েছেন আদালত। গত ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ দুপুরে
গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক
মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
দপুর গ্রামের তিন ভাই মো. মাসুদ, মো. সানাউল্লাহ, নূরে
আলম ওরফে ময়না ও তাঁদের ভগ্নিপতি বরিশালের কোতোয়ালি
থানার আনোয়ার শিকদার। রায় ঘোষণার সময় নূরে আলম উপস্থিত
ছিলেন। অন্য তিন আসামি পলাতক।
গাজীপুর আদালতের আইনজীবী মো. হাফিজ উল্লা দরজি বলেন,
পূর্বশত্র“তার জের ধরে ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল
কালীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর এলাকার শামসুল হক দরজিকে বাড়ি
থেকে ডেকে নিয়ে যান মো. মাসুদ ও সানাউল্লাহ। পরে বাড়ির
পাশে নিয়ে শামসুল হককে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। এ সময়
নূরে আলম ও আনোয়ার শিকদারও শামসুলকে মারপিট করেন।
একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে শামসুলের বুকে আঘাত করা হয়।
চিৎকার শুনে শামসুলের স্ত্রী হাফেজা বেগম ছুটে যান।
তখন রক্তাক্ত অবস্থায় শামসুলকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান
হামলাকারীরা। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
সিজেরিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চার জন্ম হলে কী কী খেয়াল
রাখবেন?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও মহিলারা সাধারণ বা নর্মাল
পদ্ধতিতে শিশুর জন্ম দিতেন । কিন্তু গত তিন দশকে
চিত্রটা আগাগোড়া পালটেছে । শিশুর জন্ম দেওয়ার সময়
বেশিরভাগ মহিলাই এখন সিজার পদ্ধতিতে প্রসব করান । মানে
তলপেট কেটে বাচ্চাকে বের করে আনা হয় । কিন্তু কেন? হঠাৎ
এই ভোলবদলের কারণ কী?
ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড মহিলারা বেশি বয়েসে মা হওয়ার
পক্ষপাতি । বেশি বয়সের প্রেগনেন্সিতে ক্ষতির সম্ভাবনা
তৈরি হয় । মা আর সন্তান, দু’জনেরই প্রাণের সংশয় থাকে ।
সেই বিপদ থেকে বাঁচতেই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারি
করান বেশিরভাগ মহিলা । অ্যানাস্থেশিয়া করিয়ে পেট কেটে
বাচ্চা বেরিয়ে আসবে, কোনও যন্ত্রণা ছাড়াই, নো লেবার
পেইন । অনেক সময় হাইপ্রেসার বা ডায়াবেটিস থাকলেও
চিকিৎসকরা সিজার করতে বলেন ।
মা-দাদীদের আমলে নর্মাল ডেলিভারিতে বাচ্চার জন্ম হত ।
যোনি থেকে বেরিয়ে আসত বাচ্চা । সে এক কষ্টকর অনুভূতি ।
অথচ যুগযুগ ধরে সেভাবেই স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাচ্চার
জন্ম হয়েছে । তাই যোনিকে বলা হয় জন্মের উৎসস্থল। ১২
থেকে ১৮ ঘণ্টা লেবার পেইনের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে
তারপর বাচ্চার জন্ম হত । তা ছাড়াও, কষ্টকর নর্মাল
ডেলিভারিতে বাচ্চাদের প্রাণ সংশয় হত । অনেক মাও
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন । সেইসব কারণেই সিজারিয়ান
পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছেন আজকের আধুনিকরা। অনেক সময়
তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী দিনক্ষণ মিলিয়ে ডেলিভারির
ব্যবস্থা করা হয়।
বর্তমান চিকিৎসা শাস্ত্রে সিজারিয়ান ডেলিভারি অনেক
নিরাপদ। অ্যানাস্থেশিয়ার প্রক্রিয়া অনেক উন্নত । লেবার
পেইন সহ্য করতে হয় না । মা, বাচ্চার প্রাণের সংশয়ও কম
থাকে । এতশত বিচার করেই সিজারের দিকে ঝুঁকছেন আধুনিকরা
।
কিন্তু তা বলে কি সমস্যা একেবারেই নেই? আছে, এখানেও
সমস্যা আছে । ডেলিভারির পর মায়েদের তলপেটে বড়সড় ক্ষত
তৈরি হয় । ফলে সংক্রমণের ভয়ও থাকে । একবার সিজার
করানোর পর, বারবার প্রেগনেন্সি নেওয়ার ক্ষেত্রে
সীমাবদ্ধতা চলে আসে। খুব বেশি হলে দু’বার প্রেগনেন্সি
নেওয়া যায় ।
এ তো গেল মায়ের সমস্যা । সিজ?েরিয়ান বাচ্চাদেরও সমস্যা
প্রচুর । অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা
দেখা দেয় । বারবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় ।
সিজ?ারিয়ান ডেলিভারি যখন ট্রেন্ড, তখন উচিত ডাক্তারের
পরামর্শ মতো চলা । এই ডেলিভারি আদতেও শরীরে সুট করবে
কিনা, সেটা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা মাস্ট !
স্পন্ডাইলোসিস, ঘাড়
মাথা ও বুক ব্যথা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নারী-পুরুষের ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ
স্পন্ডাইলোসিস যাকে ঘাড়ের হাড়ের ক্ষয় বা হাড় বেড়ে যাওয়া
রোগ বলে। যদিও ঘাড় ব্যথাই সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের
প্রধান উপসর্গ তথাপি এই রোগে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা বা
বুক ব্যথার মতো উপসর্গও থাকতে পারে। সারভাইক্যাল
স্পন্ডাইলোসিসের কারণে অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথাই অনুভূত হয়
না। রোগী বলেন, মাথা ঘুরছে অথবা বুকে ব্যথা অনুভূত
হচ্ছে।
স্পন্ডাইলোসিসের লক্ষণ : ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়।
অনেকের হাতে ঝিঁ ঝিঁ ধরে। পিঠে-বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘাড় ডানে-বামে বা সামনে-পেছনে ঝোঁকাতে কষ্ট হয়। অনেকে
উপরের দিকে তাকাতে পারেন না। অনেক রোগীই বলে থাকেন,
তাদের কোনো কোনো আঙ্গুল অবশ লাগছে বা বোধ পাচ্ছেন না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুভব করেন তার একটি হাত ঝিঁ ঝিঁ
লেগে আছে অথবা ঝিঁ ঝিঁ লাগার কারণে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে
গেছে।
সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও অনেক রোগীই মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
বা বুকে ব্যথার কথা অভিযোগ করে থাকেন। এমনও রোগী আছে
যারা বুক ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে না পেরে নিজেকে
হƒদরোগী ভাবেন। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই সামান্য একটি এক্স-রে
করে দেখা যায় তিনি ঘাড়ের হাড় ক্ষয় রোগে ভুগছেন। একইভাবে
মাসের পর মাস মাথা ঘোরা রোগের ওষুধ খেয়ে উপকার না পেয়ে
পরে স্পন্ডাইলোসিস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম
নয়। তাই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি।
চিকিৎসা : স্পন্ডাইলোসিসের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা
আইপিএম। কারণ নির্ণয় হওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার আগ
পর্যন্ত আইপিএম চালিয়ে যেতে হবে। নিয়ম মেনে চলাও
চিকিৎসার সমান গুরুত্বপূর্ণ। সামনে ঝুঁকে কাজ না করা,
পাতলা বালিশে ঘুমানো, সমান বিছানা ব্যবহার
স্পন্ডাইলোসিস রোগীদের কষ্ট দ্রুত দূর করবে। ডায়াবেটিস,
গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং কিডনি রোগে আক্রান্তরা
ব্যথানাশক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।
জটিলতা : ফ্রোজেন সোল্ডার স্পন্ডাইলোসিসের অন্যতম
প্রধান জটিলতা। রোগ জটিল আকার ধারণ করলে হাত শুকিয়ে
যাওয়া বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই দ্রুত সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের চিকিৎসা নিন।
হাঁস না মুরগি, কার
ডিম বেশি পুষ্টিকর?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অনেকে আবার আঁশটে গন্ধের কারণে হাঁসের ডিম মুখে তুলতে
চান না। কারও আবার মুরগির ডিমে অরুচি। তবে, জনপ্রিয়তার
কথা বললে কেউ কারও থেকে কম যায় না। কিন্তু স্বাস্থ্য
সচেতনরা বুঝে উঠতে পারেন না কোন ডিম খাবেন। হাঁসের ডিম
খেলে বেশি পুষ্টি, নাকি মুরগির ডিম খেলে ঝরবে মেদ। জেনে
নিন কোন ডিম বেশি পুষ্টিকর।
আকার মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড় হয়। এ
ছাড়াও হাঁসের ডিমের খোলা মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি
শক্ত হয়। যে কারণে হাঁসের ডিম ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া
যেতে পারে। যদিও, টাটকা ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী।
আকারে বড় হওয়ার কারণে হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় হয়। তাই
যদি বেশি কুসুম খেতে চান বা আপনার শরীরে বেশি
প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তাহলে হাঁসের ডিম খান।
পুষ্টিগুণ ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি
এনার্জি পাওয়া যায়। যেখানে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম থেকে
পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালরি এনার্জি। কার্বহাইড্রেট ও
মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের
পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। উভয়ের ডিমেই সেলেনিয়াম,
ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস,
ক্যালসিয়াম, আয়রন থাকে। তবে হাঁসের ডিমে সব কিছুরই
পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে।
হাঁস, মুরগি উভয়ের ডিমেই থিয়ামিন, নিয়াসিন,
রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন
বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২
ও রেটিনল থাকলেও হাঁসের ডিমে সব ভিটামিনের পরিমাণই বেশি
থাকে।
এবার আসা যাক ফ্যাট প্রসঙ্গে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে
স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ ৩.৬৮ গ্রাম, ১০০ গ্রাম
চিকেনে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ ৩.১ গ্রাম। হাঁসের
ডিমে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ মুরগির ডিমের থেকে
৫০ শতাংশ বেশি। অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণও হাঁসের
ডিমে বেশি হলেও থ্রিওনিন, আইসোলিউসিন, ট্রিপটোফ্যান,
লিউসিন, মিথিওনিন, লাইসিন, কিস্টিন, টাইরোসিন,
ফেনিলালানিন, ভ্যালাইন, সেরিন, গ্লাইসিন, প্রোলিন,
অ্যাসপারটিক অ্যাসিড, হিস্টিডিন, অ্যালানিন ও আর্জিনিন
সব ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডই মজুত মুরগির ডিমেও।
তাই হাঁসের ডিম বেশি পুষ্টিকর হলেও এই ডিমে
কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে
যেখানে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ৮৮৪ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম
মুরগির ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ৪২৫ মিলিগ্রাম। তাই
হার্টের সমস্যা থাকলে অবশ্যই দূরে থাকুন হাঁসের ডিম
থেকে। যারা হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চলতে চান তারা
কুসুম ছাড়া হাঁসের ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
কিডনির রোগ বুঝবেন
এই পাঁচ লক্ষণে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনি শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য বের করে দেয়। সেটাই
যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে মুশকিল। কয়েকটি শারীরিক
অসুবিধা কিন্তু কিডনির গোলমালের জন্য হয়। যেমন গায়ে
ঘনঘন র্যাশ, সারাদিনে খুব প্রস্রাব হওয়া, গরমেও কম
ঘাম হওয়া। ছাকনির মতো কাজ করে কিডনি। শরীরের ভারসাম্য
বজায় রাখে। তাতে গোলামাল হলেই এসব হতে পারে। নিচের ৫
লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখুন, দেখলেই বুঝবেন আপনার কিডনিতে
সমস্যা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটাই
কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ।
১. মূত্রের সমস্যা : কিডনি বিকল হলে প্রস্রাব করতে
সমস্যা হয়। প্রস্রাবের সময় চাপও বোধ হয়। যদি অনেকক্ষণ
ছাড়া ছাড়া প্রস্রাব হয় এবং প্রসাবের রং গাঢ় হয় বা যদি
অস্বাভাবিক পরিমাণে প্রসাব হতে থাকে বা খুব ঘন ঘন
ফ্যাকাশে রঙের প্রস্রাব হয়, ধরে নেয়া যায় কিডনি ঠিকমতো
কাজ করছে না। রাতে ঘুমের সময় বারবার প্রস্রাব করতে
ওঠাও, কিডনির সমস্যার লক্ষণ।
২. ত্বকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ : শরীরে যখন অতিমাত্রায়
টক্সিন জমে, অথচ কিডনি কাজ করতে পারে না, ত্বকে তখন
ফুসকুড়ি বেরোয়। অন্যান্য চর্মরোগও দেখা যায়।
৩. ক্লান্তি চেপে বসবে : সুস্থ কিডনি থেকে ইপিও (এরিথ্রোপোয়েটিন)
হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন অক্সিজেন বহন করতে আরবিসি
বা লোহিত রক্তকণিকাকে সাহায্য করে। কিডনি ফেলিওরে এই
হরমোন নিঃসরণ কমে যাওয়ায় আরবিসিতে তার প্রভাব পড়ে।
অল্প পরিশ্রমই ক্লান্ত করে দেয়। মস্তিষ্ক ও পেশিকেও
প্রভাবিত করে। রক্তাল্পতারও একই লক্ষণ।
৪. শ্বাসকষ্ট : কিডনির সমস্যার একটা কমন লক্ষণ। আরবিসি
কমে যাওয়ার কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এর ফলে
শরীরে, বিশেষত ফুসফুসে টক্সিন জমতে থাকে।
৫. মাথা ঘোরা ও মনোনিবেশ করতে সমস্যা : শরীরে
অক্সিজেনের ঘাটতি দুটি কারণে হতে পারে। অ্যানিমিয়া বা
রক্তাল্পতা নয়তো কিডনি ফেলিওর। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের
জোগান কমে যাওয়ার কারণেই একাগ্রতা কমে যায়। স্মৃতিশক্তি
হ্রাস পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। মাঝে মধ্যে মাথাও ঘুরবে।
বুকের দুধে নতুন
অ্যান্টিবায়োটিক
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বুকের দুধের প্রোটিন থেকে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল
ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির একদল ব্রিটিশ গবেষক তাদের
উদ্ভাবিত এই অ্যান্টিবায়োটিকের উন্নয়নে কাজ করছেন। তারা
দাবি করেছেন, এটি ‘অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা
জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করবে। পাশাপাশি কোষীয় রূপান্তরের
কারণে সৃষ্ট রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়ও সহায়ক হবে। মায়ের
দুধে থাকা ল্যাকটোফেরিন নামক প্রোটিন নবজাতককে বিভিন্ন
জীবাণুর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, এমনকি ভাইরাসকেও ধ্বংস করতে পারে।
এ প্রোটিনের মাধ্যমে গবেষকরা একটি ক্যাপসুল তৈরি
করেছেন। এই ক্যাপসুল নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়াকে
চিহ্নিত করে সেগুলো ধ্বংস করতে পারে অন্য কোষের ক্ষতি
না করেই।
গবেষকরা দেখতে পান, এ প্রোটিন ক্যাপসুল ব্যাকটেরিয়ার
জৈব কাঠামোকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে সেটি আর
ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে না। প্রচলিত
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা এ ধরনের
ব্যাকটেরিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সুপার বাগ’। প্রতিবছর সুপার
বাগের সংক্রমণে পৃথিবীতে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যেই মৃত্যু হচ্ছে ১০ হাজার মানুষের।
যুক্তরাজ্য সরকারের গঠিত একটি গবেষক প্যানেলের হিসাবে
এখনই এসব সুপার বাগ প্রতিরোধের নতুন চিকিৎসা তৈরি না
হলে ২০৫০ সালে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে মৃত্যুর
সংখ্যা বছরে এক কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডেম স্যালি ডেভিস
টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রতি দশকে আমাদের এ
ধরনের ১০টি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। আমি কেবল
আমার বৃদ্ধ বয়সের কথা ভাবছি না; আমার সš-ানরাও যাতে
তাদের বৃদ্ধ বয়সে ব্যবহার করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ল্যাকটোফেরিন থেকে তৈরি নতুন এ
অ্যান্টিবায়োটিক সুপার বাগের পাশাপাশি উত্তরাধিকার
সূত্রে পাওয়া রক্তকণিকার রোগ নির্মূলেও ভালো কাজ করবে।
ওষুধ নয়, ভেজ
ডায়েটই হূদরোগের সলিউশন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল চিকিৎসায় ওষুধের ব্যবহার চলে আসছে
দীর্ঘদিন ধরে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এখন হূদরোগ ও
কোলেস্টেরলের চিকিৎসায় প্লান্ট বেজড ডায়েট (উদ্ভীজ্জ
ডায়েট)-এর ওপর জোর দিচ্ছেন। সাধারণত কোলেস্টেরল কমাতে
স্ট্যাটিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কানাডার
একদল বিশেষজ্ঞ শুধুমাত্র ডায়েটের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের
চিকিৎসার ওপর জোর দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কানাডার
অন্টারিওর কমিউনিটি কার্ডিওলজিস্ট ড: শেন উইলিয়ামস
হূদরোগীদের চিকিৎসায় ভেজ ডায়েট আহারের পরামর্শ দিয়ে
আসছেন। আর ভেজ ডায়েট ভোজীরা মাছ, মাংস, পোল্ট্রি, ডিম,
ডেয়ারি প্রডাক্টস ও মধু খাননা। ভেজ ডায়েট ভোজীগণ শুধু
ফল, সবজি, হোল গ্রেইনস, নাটস, সিডস এবং লেগুমস আহার
করেন। ড: উইলিয়ামস একজন কার্ডিওলজিস্ট হওয়া সত্ত্বেও
তার বিশ্বাসকে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এভাবে
প্রকাশ করেছেন যে, মানুষ খাবারের শক্তি সম্পর্কে জানে
না। তিনি বিগত ৪ বছর ধরে রোগীদের প্লান্ট বেজড ডায়েট
এবং কাউন্সিলিং-এর ওপর পরামর্শ দিচ্ছেন।
ভেজ ডায়েট সম্পর্কে আরো একধাপ এগিয়ে বলেছেন, আমেরিকান
জার্নাল অব কার্ডিওলজির এডিটর খ্যাতনামা
কার্ডিওভাসকুলার প্যাথলজিস্ট ড: উইলিয়াম রবার্টস। তিনি
মনে করেন ভেজ ডায়েটই হূদরোগীদের অন্যতম সলিউশন। এছাড়া
সম্প্রতি এনালস অব ফ্যামিলি মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত
এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয় হূদরোগের ঝুঁকির ভয়ে অনেক
আমেরিকান এখন স্ট্যাটিন সেবনের মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছেন।
গবেষণার প্রধান অথার ড: মাইকেল জোহানসেন উল্লেখ করেছেন
যারা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিন সেবনে উপকার
পেয়েছেন তাদেরও অনেকে ওষুধটি সেবন ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে
অপর একজন আমেরিকান চিকিৎসক ড: জন ম্যাকডগাল মনে করেন
স্ট্যাটিন হওয়া উচিত শেষ চিকিৎসা, প্রাথমিক চিকিৎসা নয়।
তিনি আরো মনে করেন কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তিদেরই
স্ট্যাটিন খাওয়া উচিত। আর বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে
হূদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পš’া হচ্ছে প্রচুর
পরিমাণ শাক-সবজি, ফলমূল আহার এবং ডিম-মাংস,
স্যাসুরেটেড ফ্যাট আহার না করা।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
Top
আইন কনিকা
আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড
যৌতুকের জন্য কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে দোষী
ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রাখা
হয়েছে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়ায়। মহিলা ও
শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ খসড়াটি অনুমোদনের
জন্য আজকের মন্ত্রিসভার নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা চলতি বছরের
জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিও রয়েছে মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচিতে।
এতে গত বছরের তুলনায় জনপ্রতি সাড়ে ১৪ হাজার থেকে
সর্বোচ্চ সাড়ে ২১ হাজার টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা
হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত ২০১৬ সালের ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর)
প্রতিবেদন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং শেখ হাসিনা
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে বৈঠকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
যৌতুক নিরোধ আইন প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮০
সালের যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের শাস্তি
নির্দিষ্ট করা থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের শাস্তির
বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বিষয়টি স্পষ্ট
করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী,
স্বামীর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে
অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে
আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন
কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য মৃত্যু
ঘটানোর চেষ্টা করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, মারাত্মক
জখমের জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা অন্যূন ১২ বছর
সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুকের
জন্য অঙ্গহানির শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদন্ড বা কমপক্ষে ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ডের প্রস্তাব
করা হয়েছে খসড়ায়। তবে স্ত্রীর জখমের ধরন অনুযায়ী
স্বামীকে অর্থদন্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ দেয়ারও বিধান রাখা
হয়েছে।
এ ছাড়া সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে
সাধারণ জখম করলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক
বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
খসড়ায় ‘যৌতুক’ বলতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত
যে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর বা মূল্যবান জামানতকে বোঝানো
হয়েছে। কোনো ব্যক্তি কনে বা বর পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি
বা যৌতুক নিলে বা দিলে অধরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
কেউ যৌতুক দাবি বা লেনদেন করলে সর্বনিু এক বছর ও
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা
জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি যৌতুক
নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তিনি ছয় মাসের
কারদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত
হবেন বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
আইনেও যৌতুকের জন্য কোনো নারীর মৃত্যু ঘটানোর দায়ে কোনো
ব্যক্তি মৃত্যুদন্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। যৌতুক নিরোধ আইনেও
একই ধরনের শাস্তির বিধান যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি
বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও অপরাধকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত
করা হয়েছে খসড়া আইনে। প্রস্তাবিত এই আইন কার্যকরের পর
১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন রহিত হলেও ওই আইনের আলোকে
প্রণীত বিধি ও প্রবিধি উপ-আইন হিসেবে গণ্য হবে বলে
খসড়ায় বলা হয়েছে।
রিমান্ড কি
মানবাধিকার পরিপন্থী?
মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোনও আসামিকে গ্রেফতার করার পর তথ্য উদঘাটনের জন্য
পুলিশ ওই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখতে
পারেন। তারপর আইন অনুযায়ী তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে
হাজির করতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলা সম্পর্কে তথ্য
উদঘাটন সম্ভব না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়ে
আসামিকে রিমান্ডে নেয়া যায়।
এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা না করা এবং করলে কয়দিনের
জন্য তা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ওপর
নির্ভর করে। একাধিকবারও পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিতে
পারেন। তবে সর্বসাকুল্যে একটি ঘটনার জন্য ১৫ দিনের বেশি
রিমান্ডে রাখা যায় না।
আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবশ্যই
পুলিশ ডায়েরি (সিডি) দেখতে হবে, যাতে আসামির বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ এবং প্রাপ্ত সাক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
যায়। এছাড়া রিমান্ডের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে
দায়ের করা হয়েছে কিনা, আসামি শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা
এসব বিষয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট
রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওই আদেশ উপরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট এবং
এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানোর নির্দেশ দেবেন। রিমান্ড
মঞ্জুর করলে অর্ডার শিটে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুরের সময় আসামিকে হাজির করা হয়েছে
কিনাÑ সে বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে হবে। চীফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম
শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকার কর্তৃক
বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটের এ রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমানে এ রিমান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত হচ্ছে।
মানুষ পেটানোর হাতিয়ার এই রিমান্ড। মানুষকে রিমান্ডে
নিয়ে পিটিয়ে তথ্য আদায় করা হয়। এর ফলে রিমান্ডকে
মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করেন মানবাধিকারকর্মীরা।
Top
|
|