BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover April 2017

English Part February 2017

English Part

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার প্রতিবেদন
মার্চ ২০১৭ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৩১ জন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে মার্চ ২০১৭ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৩১টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৪.২২ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৩১ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ১ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১৫, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪১ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ২ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ১ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৩৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন, অপহরণ হত্যা ১০ জন, এসিড হত্যা ১ জন, যৌন হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৪৭ জন এবং আত্মহত্যা ১৫ জন।
মার্চ ২০১৭ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ২৮ জন, যৌন নির্যাতন ১৮ জন, যৌতুক নির্যাতন ৯ জন, সাংবাদিক নির্যাতন ১ জন।

 

ভূ-খণ্ড নিরাপদ রাখতে সাবমেরিন
যুগে বাংলাদেশ ঃ প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ আমরা নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। যারা সমুদ্র, আকাশ এবং স্থলভাগে শত্রুমুক্ত করতে পারঙ্গম। আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে নৌবাহিনীতে অনেক আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ সংযুক্ত করেছি।’ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের দু’টি সাবমেরিনের কমিশনিং অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমির জেটি সংলগ্ন এলাকায় রোববার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীন থেকে কেনা দু’টি সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শত্রুবাহিনীকে বিতাড়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর নির্দেশে দেশকে শত্রুমুক্ত করলেন-স্বাধীন করলেন।’ তিনি বলেন, ‘সেই মার্চেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতিরক্ষানীতির আলোকে নৌবাহিনীতে যুক্ত হল সাবমেরিন, যা বিশ্বে মাত্র অল্প ক'টি দেশ যুক্ত হতে পেরেছে। আমরা সেই কাতারে যুক্ত হতে পারলাম, এজন্য গর্ববোধ করছি।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতে আশ্রয় নেয়াদের পুনর্বাসন করেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলছি, আধুনিকায়ন করছি।’

 

 

দোষারোপ না করে জাতীয়ভাবে জঙ্গি মোকাবেলা করুন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি না করে জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়া বলেন, “সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ধর্মীয় জঙ্গিবাদের নামে পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তারে দেশবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।”
“সিলেটে একটি আবাসিক ভবনে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গোপনে অবস্থানকৃত সন্ত্রাসীদের দমনের লক্ষ্যে সফল অভিযান পরিচালনার জন্য আমি আমাদের সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোসহ দেশরক্ষা বাহিনীর প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
“অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং যে-সব সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন, তাদের প্রতি জ্ঞাপন করছি শোক ও সহানুভূতি।”
খালেদা জিয়া বলেন, “সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশও এ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এ সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে অগ্রসর হতে হবে। সেই আহ্বান আমি বরাবর জানিয়ে আসছি। দুঃখের বিষয় আমাদের আহ্বান এখন পর্যন্ত চরমভাবে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।”
“আমাদের মনে রাখতে হবে, কেবলমাত্র দমন অভিযান চালিয়ে সমাজ থেকে জঙ্গিবাদের শেকড় পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। দু’-একটি দমন অভিযানের সাফল্যে আত্মপ্রসাদ লাভ করারও কোনো সুযোগ নেই। মুসলিমপ্রধান এই দেশটিতে গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহিতাহীন শাসন, দুর্নীতি, সুবিচারের অভাব এবং যুব সমাজের বেকারত্বই জঙ্গিবাদ বিস্তারের প্রধান কারণ। এ কারণগুলো দূর করতে হবে। জনগণকে আস্থায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা নিতে হবে।”

 

রাজশাহী বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র রাজশাহী বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ (রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী জেলা, বগুড়া জেলা, জয়পুরহাট জেলা, নওগাঁ জেলা, নাটোর জেলা, পাবনা জেলা এবং সিরাজগঞ্জ জেলা) আগামী ১৮ মার্চ ২০১৭ইং রোজ শনিবার, সকাল ৯টায় তালাইমারি (বালুরঘাট পদ্মা নদীর দ্বার সংলগ্ন) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মোঃ নূর-উর-রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC’র প্রতিষ্ঠাতা এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম. জার্জিস কাদির, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সভাপতি মোঃ আবু বাক্কার আলী, BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং সদর দপ্তর বিশেষ প্রতিনিধি এমএ সোহেল আহমেদ মৃধা, BHRC’র টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা কিসলু।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন BHRC রাজশাহী বিভাগীয় গভর্নর মানবতাবাদী মোঃ আবুল হোসেন। BHRC’র রাজশাহী বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি এবং রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এডভোকেট মোঃ আবু মোত্তালেব বাদল সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলনে ৭টি জেলা ও ১টি মহানগরসহ দেড় সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন
 

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, মন্ত্রিসভার ঘোষণা


মানবাধিকার রিপোর্ট’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকান্ডের জন্য ২৫ মার্চকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সচিবালয়ে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব উত্থাপন করে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের লক্ষ্যে দিবসটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবসের আর্থিক খরচ সর্বোচ্চ ও উচ্চ শ্রেণির হয়ে থাকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। জাতিসংঘেরও এ সংক্রান্ত একটি সংস্থা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সংস্থার সঙ্গে পরামর্শক্রমে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেবে।

 

রাগীব আলীর মামলায় রায়ের অপেক্ষা


মানবাধিকার রিপোর্ট’
সিলেটে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে পলাতক থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত বছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান।
সে সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে আবদুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী এখনও স্বপদে বহাল আছেন।
বানান ভুল লিখলেই কেঁপে উঠবে কলম!
লিখতে গেলে ভুল হতেই পারে। কিন্তু এবার বানান ভুল লিখলে কেঁপে উঠবে কলম। বানান ভুল ধরার জন্য আবিষ্কার হয়েছে এক বিশেষ কলম। মিউনিখের লার্নসটিফট নামের একটি প্রতিষ্ঠান এমন একটি কলম তৈরি করেছে, যেটি ভুল বানান লিখলেই ভাইব্রেট করে উঠবে। এতে আপনি জেনে যাবেন ভুল লিখছেন।
জানা গেছে, আবিষ্কৃত কলমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ কালি। দেখতেও ঠিক আর দশটা কলমের মতোই। তবে এতে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের মোশান সেন্সর, ছোট আকারের ব্যাটারি এবং ওয়াইফাই চিপ। এগুলো কলমের নির্দিষ্ট গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে। পাশাপাশি ভুল বানান ও খারাপ হাতের লেখা শনাক্ত করবে। প্রায় দেড় বছর গবেষণার পর বিশেষ প্রযুক্তির কলমটি আবিষ্কার করেছেন লার্নসটিফট গবেষকরা।
এ ব্যাপারে লার্নসটিফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, ‘কলমটিতে আছে ‘ক্যালিগ্রাফি’ ও ‘অর্থোগ্রাফি’ নামের দুটি অংশ। শব্দভাণ্ডারের সঙ্গে লেখার অমিল বা ভুল বানান লিখলেই কাঁপতে থাকবে কলমটি। তখন লেখক বুঝতে পারবেন তার লেখাটি ভুল। এতে লেখক তা অনায়াসে সংশোধন করতে পারবেন।’
 

খুলনা বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC’র খুলনা বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৭ (খুলনা মহানগর, খুলনা জেলা, সাতক্ষীরা জেলা, বাগেরহাট জেলা, যশোর জেলা, নড়াইল জেলা, মাগুড়া জেলা, ঝিনাইদহ জেলা, কুষ্টিয়া জেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং মেহেরপুর জেলা) ১১ মার্চ ২০১৭ইং সকাল ৯টায় খুলনা শহরের জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- ইঐজঈ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
ইঐজঈ খুলনা বিভাগীয় গভর্নর মানবতাবাদী মোঃ ফজলুল রহমান শরীফ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিএইচআরসি’র ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি কনক কান্তি দাস, খুলনা মহানগর পুলিশ-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এসএম ফজলুর রহমান, মোংলা পৌর মেয়র এবং বিএইচআরসি’র খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ জুলফিকার আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও বিদ্যোৎসাহী এসএম সাইফুল ইসলাম (গিয়াস)। খুলনা বিভাগীয় মানবাধিকার সম্মেলনে খুলনা বিভাগের ৯টি জেলা ও ১টি মহানগরসহ প্রায় পাঁচশতাধিক কর্মী যোগ দেন।

 

নারী দিবসে মানবাধিকার কমিশন সিলেট মহানগর মহিলা কমিটির র‌্যালী ও সভা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট মহানগর মহিলা কমিটির উদ্যোগী র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ মার্চ বিকেলে নগরীর দরগাহ গেইটস্থ সংগঠনের কার্যলয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় বামাকের সিলেট মহানগর মহিলা কমিটির সভাপতি নারী নেত্রী রতœা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় গর্ভনর ও সমন্বয়কারী ড. আর.কে ধর। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের জন্য নারীদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সমাজের টিকে থাকতে যোগ্যতার কোনো বিকল্প নেই।
মহানগর মহিলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কমিশনের কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদার, সিলেট মহানগর নির্বাহী সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিলেট জেলা বারের এডিশনাল পিপি এডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম, দৈনিক সিলেট বাণীর নির্বাহী সম্পাদক এম.এ হান্নান, সিলেট জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি আছাদুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলার সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মানিক, সহকারী অধ্যাপক ইসলাম উদ্দিন, এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান, শফিকুর রহমান শফিক, খালেদ মিয়া, ইউসুফ সেলু, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ ফাতেমা বেগম, হুমায়ুন রশিদ শাহীন, জুনেদ আহমদ, হালিমা বেগম টুম্পা, শিরিন চৌধুরী, সাহেদা বেগম, বাবুল মিয়া প্রমুখ।

আপনার জীবন বদলে দিতে পারে মনিষী জালাল উদ্দিন রুমির এই ১০টি জ্ঞানগর্ভ উক্তি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা: এখানে ১০টি জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এগুলো ১৩ শতকের জনপ্রিয় ফার্সি কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি। এগুলো হতে পারে আপনার জীবনের অনেক বড় শিক্ষা।
১. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
শিক্ষাটা হলো- নিজের মূল্য বুঝতে হবে।
২. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে, তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে থাকুন।
৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
শিক্ষাটা হলো- পরিবর্তনটা আপনি আনুন।
৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
শিক্ষাটা হলো- ইতিবাচক থাকুন।
৫. প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকুন।
৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
শিক্ষাটা হলো- মনোযোগী থাকুন।
৭. আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।

শিক্ষাটা হলো- নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করুন।
৮. যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।
শিক্ষাটা হলো- আপনি যেমন তেমনই থাকুন।
৯. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।
শিক্ষাটা হলো- ভালোবাসা ও জ্ঞানের জন্য নিজের যাত্রাটাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখুন।
১০. আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি, কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।
শিক্ষাটা হলো- সবকিছুতে ভালোবাসা খুঁজতে থাকুন।-টাইম অব ইন্ডিয়া
 


নারীর ক্ষমতায়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে সরকার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই নারীর ক্ষমতায়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে বাংলাদেশ সরকার। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ দপ্তরে গত শুক্রবার‘এমপাওয়ারিং পার্লামেন্টস টু এমপাওয়ার উইমেন : মেকিং দি ইকোনমি ওয়ার্ক ফর উইমেন’ শীর্ষক এক ইভেন্টে পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এ কথা জানান।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘের‘কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডাব্লিউ)’ এর চলতি ৬১তম সেশনের অংশ হিসেবে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ওই ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য হচ্ছেন সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ ও সায়রা মহসিন।
ইভেন্টে ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারীর রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপকভাবে আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনেক বাধা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী আজ বাংলাদেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে এসেছে এবং সরকার নারীবান্ধব বাজেট প্রণয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল বিশ্বে প্রবেশ নিশ্চিতকরণ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ রেখে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।
ইভেন্টটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা লিঙ্গসমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং নিজ নিজ দেশে এ বিষয়ে সংসদের সর্বোচ্চ অনুশীলন বজায় রাখার ক্ষেত্রেও মতামত দেন। ইভেন্টটিতে মেক্সিকান সিনেটর তাঁর বক্তব্যে নারীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
 

সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে কোনো কোনো দিন যেন মহামারীর মতো মৃত্যু ঘটিতেছে পিচঢালা সড়কে। মার্চের ২৪ ও ২৫ তারিখে ময়মনসিংহের ভালুকা, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকার ফুটপাত মিলাইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হইয়াছেন অন্তত ২৩ জন। গত তিন মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাইয়াছেন প্রায় চার শত ব্যক্তি।
সড়ক দুর্ঘটনা কোনো কোনো অঞ্চলের মানুষের মনে এমনই আতঙ্কের কারণ হইয়া উঠিয়াছে যে, উপায়ান্তর না দেখিয়া তাহারা বিবিধ প্রার্থনার আয়োজন করিতেছে। দুর্ঘটনা হইতে রেহাই পাইতে গত ২৫ মার্চ ভালুকায় এমনই একটি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অথচ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হইবার ফলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিয়াছিল। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অচিরেই সেই নিঃশ্বাসে যেন বিষবাষ্প ঢুকিতে শুরু করিয়াছে। বিশেষ করিয়া মহাসড়কের ভালুকা অংশে দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়িয়াই চলিতেছে। স্থানীয়রা মনে করেন, অত্রাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হল রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, লাইসেন্সবিহীন চালক, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মহাসড়কের উপরে বাজার, অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা। জনসাধারণের অসচেতনতাও ইহার জন্য দায়ী বটে। অন্যদিকে গত ২৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের সহিত মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়াইয়া-মুচড়াইয়া যায় একটি ভটভটি। এই দুর্ঘটনায় নিহত হন ১২ জন। অথচ মহাসড়কে ভটভটি বা নসিমন-করিমনজাতীয় পরিবহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে। ২৬ মার্চ ফুটপাত দিয়া চলাচলের সময় প্রাণ হারান ক্যামব্রিয়ান কলেজের এক শিক্ষক। রাস্তায় পাল্লা দিয়া চলা দুইটি বাসের মধ্যে একটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারাইয়া বাস ফুটপাতে তুলিয়া দেয়। আর সেই বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান ওই শিক্ষক।
এই সকল মৃত্যুর ঘটনাই বলিয়া দিতেছে সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা ও নেপথ্য কারণ। পর্যবেক্ষকদের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফুটপাত দখল, ওভারটেকিং, ওভারস্পিড ও ওভারলোড, হেলপার দিয়া গাড়ি চালানো, রাস্তাঘাটের নির্মাণ ত্রুটি, গাড়ির ত্রুটি, যাত্রীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইন মান্য না করা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জেব্রা ক্রসিং না থাকা এবং জেব্রা ক্রসিং গাড়িচালক কর্তৃক না মানা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার করা, মহাসড়কে স্বল্পগতি ও দ্রুতগতির যান একই সাথে চলাচল প্রভৃতি কারণ দায়ী। জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির দেড় হইতে ২ শতাংশ। বিভিন্ন সময় ঘটা দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন ও দুর্ঘটনার ডাটা বিশ্লেষণ করিয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করিয়া সরকারের নিকট সুপারিশ করিয়াছে। ইহার মধ্যে শুধু চালকের জন্য দুর্ঘটনা ঘটিবার ২১টি কারণ চিহ্নিত করা হইয়াছে।


 

নিউইয়র্কে বরফে ঢাকা পড়ল বাড়ি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

তুষারপাতের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরী অনেক এলাকা বরফের নিচে ঢাকা পড়তে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত টানা তুষারপাতের সঙ্গে বইবে বাতাস। এরই মধ্য একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। সেই ছবি আলোকচিত্রী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও অনেকে ভাবছেন এটি বানানো ছবি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লেক অন্টারিওর তীরে একটি বাড়ি বরফে ঢাকা পড়েছে। বরফ ঢাকা বাড়ির সেই ছবি স্থানীয় এক আলোকচিত্রী তুলেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বরফে আচ্ছাদিত এ বাড়ির ছবি যে আসল তা কেউ বিশ্বাস করছেন না। আলোকচিত্রী জন কুক্কু বলেন, বিস্ময়কর ব্যাপার, লোকজন মনে করছে আমি ফেনা স্প্রে করে বাড়ির এ ছবি তুলেছি। এরপর প্রমাণ হিসেবে আমি ভিডিও ফুটেজ আপলোড করেছি।
এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি ইব্রাহীম চৌধুরী জানিয়েছেন, ধেয়ে আসা তুষারপাতে নিউইয়র্ক নগরী প্রায় ১৮ ইঞ্চি বরফের নিচে ঢাকা পড়তে পারে বলে আবহাওয়ার অফিস থেকে জানানো হয়েছে। নাগরিকদের সতর্ক থাকার আগাম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বছরের সবচেয়ে বাজে আবহাওয়ার জন্য সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিতেও নাগরিকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বরফে আচ্ছাদিত বাড়ির এই ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী জন কুক্কু।বরফে আচ্ছাদিত বাড়ির এই ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী জন কুক্কু। ভ্রমণ এবং যাতায়াত সতর্কতা জারি করে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ডি ব্লাজিও গত ১২ মার্চ বিকেলে বলেছেন, নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া ১৪ মার্চ বাইরে না যাওয়ার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়। এর সঙ্গে তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাবে। এর মধ্যেই গত তিন দিন থেকে নিউইয়র্কের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। তুষারপাতে সড়কপথ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শহরে যেন বরফ জমাট বাঁধতে না পারে এ জন্য নগরিতে ৬৮৯টি লবণ ছড়ানো গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগরে ১ হাজার ৬০০ ট্রাকে করে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সব সড়ক পরিচ্ছন্ন না করা পর্যন্ত কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গৃহহীনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নেহাত প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে ভারী পোশাক পরার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলাবার দিনভর তুষারপাত অব্যাহত থাকবে। ধেয়ে আসা এ তুষারপাতকে এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে মৌসুমের সবচেয়ে ভারী তুষারপাত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হচ্ছে।

 

 রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘের কমিশন

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পরিচালিত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেখানে একটি তদন্ত কমিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য সদস্য দেশগুলো। এতে পরিকল্পনাকারীদের দায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে চীন ও ভারত ভোটের সময় প্রস্তাব থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চীন বলেছে, ‘এ সমস্যা এক রাতে সমাধান করার মতো নয়।’ একই সঙ্গে মিয়ানমার একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে ২২০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও গণধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে, যা প্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সম্ভাব্য জাতিগত নির্মূল চেষ্টা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের বিপক্ষে তার দেশের অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, ‘যেহেতু বাস্তব ও আমাদের জাতীয় পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সাদৃশ্য নেই সেহেতু এ ধরণের উদ্যোগ মিয়ানমারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। মিয়ানমারের লোকজনকেই তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ও সর্বোত্তম পন্থা বেছে নেওয়ার সুযোগ দিন।’
তিনি বলেছেন, ‘ যা করার দরকার আমরা তা করছি এবং আমরা এটা দূরদর্শিতা ও সততার সঙ্গে করব।’
এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘মাইলফলক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা মিয়ানমার সরকারকে তদন্ত কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
 

খুন-ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোররা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পড়া-লেখা, খেলাধুলা, দুষ্টুমি ছেড়ে চুরি-ছিনতাই, খুন-ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। অপসংস্কৃতির প্রভাব কিংবা তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার শিশুদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে উষ্কে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অপরাধ ও সমাজবিজ্ঞানীরা।
৬ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় কিশোরদের দু’দলের বিরোধের জেরে খুন হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবীর। এ ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ‘কে বড়, কে ছোট’ তা নিয়ে দ্বন্দে¦র জেরে তেজগাঁওয়ের তেজকুনী পাড়ায় খুন হয় আবদুল আজিজ নামে আরেক কিশোর।
এছাড়া গেলো বছরের ১৪ মে, রাজধানীর ভাষানটেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ।
বছর চারেক আগে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ও মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ঐশীর ঘটনা সবার জানা।
এ বিষয়ে গাজীপুরের টঙ্গী ও যশোরের পুলেরহাটের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গেলো বছরের ডিসেম্বরের তথ্য থেকে জানা যায়, ওই দিন কেন্দ্র দুটিতে ছিল ৫৯৭ জন কিশোর। এদের মধ্যে ১২০ জনই হত্যা মামলার আসামি। ১৪২ জন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায়, ৯ জন তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি।
এর বাইরে চুরির মামলায় ৮৯ জন, ডাকাতি মামলায় ১৬, ছিনতাইয়ে ৬, মাদকে ৬৬, অস্ত্র মামলায় ২০ ও বিস্ফোরক মামলায় আটক, পাঁচজন। অন্যরা, সাধারণ ডায়েরিসহ ছোটখাটো মামলার আসামি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল ইউ.এ. চৌধুরী বলেন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণহীনতা ও অপসংস্কৃতিই এজন্য দায়ী।
সন্তান যেনো একাকীত্ববোধ না করে সেজন্য পরিবারের সদস্যের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক খুবই জরুরি বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান।




Top

 

 

নামজারি বা মিউটেশন জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রেশন করা কঠোর দন্ডনীয় অপরাধ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার ২০০৪ এবং ২০০৬ইং সালের ভূমি হস্তান্তর আইনের আমূল পরিবর্তন করেছে। উক্ত আইন মোতাবেক নামজারি বা মিউটেশন ব্যতিরেকে রেজিস্ট্রেশন তথা জমি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জমির বিক্রেতা বা যে কোন ধরনের ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দাবিদার ব্যক্তি জমি বিক্রি করতে হলে অবশ্যই তার নামে জমির মালিকানাসত্ব যথাক্রমে নামজারি/খারিজ বা মিউটেশন সম্পন্ন করে বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের কিছু কিছু সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী ও ভূমি দস্যু/জালিয়াতচক্রের যোগসাজশে ভুয়া নামজারি/মিউটেশনের মাধ্যমে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন বা ক্রয়-বিক্রয় করে যাচ্ছে, যা আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা মতে এ ধরনের জালিয়াতির শাস্তি সর্বনিু ৭ বছর থেকে যাজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এই কঠিন বিধান থাকা সত্ত্বেও দেশের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় বড় শহরতলী এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক সেজে ভুয়া নামজারির মাধ্যমে জমি ক্রয়-বিক্রয় করে যাচ্ছে। নিজের নামে নামজারি করে নিজে জমির মালিক হয়ে কেবলমাত্র অপরের নিকট জমি বিক্রি করতে পারবেন। নামজারি/খারিজ বা মিউটেশন ছাড়া জমি ক্রয়-বিক্রয় আইন অনুযায়ী অবৈধ। ২০০৪ এবং ২০০৬ইং সালের ভূমি হস্তান্তর আইনে ওয়ারিশগণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা কেবলমাত্র নামজারি বা মিউটেশনের মাধ্যমে জমির মালিক হয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব।
 

Top

 দুর্ভিক্ষকে উপেক্ষা করছে দক্ষিণ সুদান : জাতিসংঘ মহাসচিব

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দক্ষিণ সুদানে চলমান দুর্ভিক্ষকে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিলভা কির উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। সরকারের এ উপেক্ষা দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতার মাত্রাকে আরো বাড়াবে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।
গুতেরেজ বলেন, ‘চলমান সংকটের ভয়াবহতার বিষয়ে দেশটির সরকার প্রধানের উপেক্ষা এবং সমাধানে অনাগ্রহ সংকটকে আরো বৃদ্ধি করবে। এজন্য বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এসব মানুষের কল্যাণে দেশটির সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এখন সময়ের দাবি।’ তিনি এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রেসিডেন্ট সিলভা কিরের প্রতি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংলাপ আয়োজনের আহবান জানান। দেশটির সব রাজনৈতিক পক্ষকে একযোগে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় কাজ করতে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে দুর্ভিক্ষপীড়িত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীর প্রতিও আহবান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সুদানের ইউনিটি স্টেটের দুইটি কাউন্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সরকার এবং জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা মিলিতভাবে এ ঘোষণা দেয়। গত ছয় বছরের মধ্যে এটাই বিশ্বের কোথাও দুর্ভিক্ষ ঘোষণার প্রথম ঘটনা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ, শরণার্থী সমস্যা ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করা দেশটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এক লাখের বেশি মানুষ অনাহারে আছে। আরো ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে সংকটাপন্ন দিন কাটাচ্ছেন। এরকম পরিস্থিতিতে দক্ষিণ সুদানের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় দেশটির জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ২৫ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
এদিকে, দুর্ভিক্ষের মুখে দলে দলে দেশ ছাড়ছেন দক্ষিণ সুদানের বাসিন্দারা। খাদ্য প্রাপ্তির আশায় সীমান্ত পেরিয়ে পাশের দেশ উগান্ডায় আশ্রয় নিচ্ছেন। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সে দেশের আশ্রয় শিবিরগুলোতে। অসহায় এসব মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানান, প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার শরণার্থী দক্ষিণ সুদান ছাড়ছেন। সীমান্ত পেরিয়ে তারা উগান্ডার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সমবেত হচ্ছেন। বিপুল পরিমাণ শরণার্থীর বোঝা সামলানো উগান্ডা সরকারের পক্ষেও সম্ভব নয়। ফলে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাপানে বাঙ্গীর দাম লাখ টাকা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আজকের প্রতিবেদনটির মূলবস্তু মেলন। মেলন কি জানেন না ? মেলন এক প্রকার ফল। নামাঙ্করণে ফলটিকে ইংলিশে মেলন, ভালো বাংলায় খরমুজ আর খাস বাংলায় বাঙ্গী বলা হয়।
সম্প্রতি জাপানে সাড়ে ২১ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে একজোড়া বাঙ্গী। হ্যা , জাপানে যে মূল্যে গাড়ি কেনা যায় সেই মূল্যেই কেনা- বেচা চলছে বাঙ্গী নামের এই বহুমূল্য ফল। জাপানে জন্ম নেওয়া দুই জাতের খরমুজের মধ্যে এই নির্দিষ্ট জাতের খরমুজ বা বাঙ্গীকে ইউবারি কিং নামে ডাকা হয়।
একজোড়া উৎকৃষ্টমানের বাঙ্গী ৩ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ২১ লাখেরও বেশিতে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি বাঙ্গীর দাম ছিল ১০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি।
সামান্য বাঙ্গীর এমন অবিশ্বাস্য দামের বিশেষ কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিক্রেতাদের অভিমতে জানা গেছে, মিষ্টতার জন্যে এইভাবে দাম বেড়েছে জাপানের এই বাঙ্গীর।
এর আগে সাধারণত ৪০ থেকে ৮০ পাউন্ডে এসব বাঙ্গীর ক্রয়-বিক্রয় করা হতো। যদিও একটি ফলের জন্যে এত পাউন্ড খরচ করা খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয় ,তবু অনেক ক্ষেত্রে তা মেনে নেওয়া যায়।
কারণ আরো বেশ কিছু ফল প্রয়োজনের অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে জাপানে। যেমন , স্ট্রবেরি ১৭ পাউন্ড এবং একথোকা আঙ্গুরের দাম ৮ হাজার পাউন্ড। এবার নিশ্চয়ই আপনি প্রতিটি আঙ্গুরের দাম জিজ্ঞেস করবেন!
 

কলার মূল্য কোটি ডলার


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্পেন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রপ্তানি হওয়া এক কন্টেইনার কাঁচা কলা স্থানীয় কাস্টমস অফিসাররা আটক করার পর পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন এসব কলার মূল্য কোটি কোটি ডলার! মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কলার এত দাম হয় কিভাবে। আসল ঘটনা হলো, এই কলাগুলোর মধ্যে বিপুল পরিমান নকল কলা ছিল যেগুলো দেখতে হুবহু আসল কলার মতো। তবে তফাত্ হলো কলার শাসের পরিবর্তে এই নকল কলাগুলোর ভেতরে ঠাসা ছিল কোকেন। এসব কলা আবার আসল কলার মতো ১ ডজনের ‘ছড়া’ তৈরী করে প্যাকেটবন্দি করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলাগুলো ভেঙে তার ভেতর থেকে যে পরিমান কোকেন বের করা হয়েছে তার মূল্য কয়েক কোটি ডলার হবে।

 

মানবপাচারের ভয়ঙ্কর চক্র


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চক্রটি ভয়ঙ্কর। দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক তাদের। দেশের বাইরেও সক্রিয় তারা। নিজেরাই তৈরি করে ভিসা। তৈরি করে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ম্যানেজ করে বিমান টিকিটও। চক্রটির টার্গেট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সহজ-সরল-অশিক্ষিত মানুষ। মোটা আয়-রোজগারের প্রলোভন দেখিয়ে সহজেই ফাঁদে ফেলে তাদের। তাদের সেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বুঝিয়ে-সুজিয়ে বিদেশে যেতে রাজি করিয়ে কোনোরকম দেশের গণ্ডি পার করতে পারলেই বদলে যায় তাদের চরিত্র। কখনো বিক্রি করে দেয় ‘দাস’ হিসেবে। আবার কখনো মুক্তিপণের জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তাদের। ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। মঙ্গলবার ভয়ঙ্কর এই চক্রের ২৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল ভিসা, দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট, জাল ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ নগদ ৬ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া প্রতারণার শিকার হয়ে গতকাল লিবিয়া ফেরত ২৭ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে তারা।
এর আগে গত ১লা মার্চ মালয়েশিয়া পাচারকালে ১০ জনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। আটককৃত ২৪ পাচারকারী হলো- শরিফুল ইসলাম ওরফে গুরু (৩৮), মো. আবুল বাশার (২৯), মো. ফরহাদ হোসেন (২৬), সোহাগ হোসেন (২১), তানজিল আহমেদ শোভন (২৪), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫), মো. জাবেদ আলী (৪৫), মো. আল তামজিদ (২৭), হেলাল উদ্দিন শেখ (৪৫), মো. আছীর উদ্দিন (৩৫), সমেশ শেখ (৩৩), মবিন মিয়া (১৮), নিজামুল ইসলাম পলাশ (৪৪), মো. ইমরান (২৯), মো. কপিল উদ্দিন (৫৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), রাজিব (২৫), আবদুর রশীদ (৫৮), মো. শওকত আলী (৪৫), মো. শাহাদৎ হোসেন (৫০), মো. রবিউল আলম (৩৮), মো. শফিউল্লাহ (৩৪), রফিকুল ইসলাম (৫০), মো. শরীফ হোসেন সোহান (৫০)।
র‌্যাব সূত্র জানায়, এ ধরনের চক্রের হাতে পাচারের শিকার সাধারণ জনগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বনে জঙ্গলে কিংবা কোথাও কোথাও জিম্মি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের অনেকেই নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে। এ চক্রটি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেক নারীদের বিদেশে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করছে। বাংলাদেশের অনেক নিরীহ লোকজন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।



পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ধ্বংসের মুখে পড়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সেখানে বোমা মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। গত এক মাসে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মারা গেছে সাত শ্রমিক। পাথরখেকোরা প্রকৃতির লীলাভূমি জাফলংকে ধ্বংসের মুখে এনে ফেললেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নির্লিপ্ত। নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রশ্রয়েরও অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের হাতে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক প্রাকৃতিক টিলা।
জাফলংয়ে বোমা মেশিন বন্ধের নির্দেশনা ছাড়াও ২০১২ সালে উচ্চ আদালত এলাকাটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরও অপতত্পরতা থেমে নেই। কোনো নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। পরিবেশ ধ্বংসের অপতত্পরতা সারা দেশেই কমবেশি চলে। তবে জাফলংয়ের নৈরাজ্য যেন নজিরবিহীন। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম স্পটটি ধ্বংস করার জন্য যেন সবাই উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ জাফলং আমাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবেই বিবেচিত। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে এর রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এখানে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, তার কিছুই করা হয়নি। পরিবেশবাদীরা তাদের মতো করে প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করছে বলে মনে হয় না। জাফলংয়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সুরক্ষায় অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সবার আগে পাথর ব্যবসায়ীদের প্রতি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নমনীয়তা ও সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে। প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় অবিলম্বে বোমা মেশিন অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে পাথর ব্যবসায়ীদের অবৈধ কাজ বন্ধ করা যাবে না। পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া গেলে তাদের নিরস্ত করা যেত। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন তা মানা হয়নি বা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণও অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

 

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে আর প্রশ্ন নয়
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর নারীকে নানা ধরনের বিতর্কিত পরিস্থিতি মধ্যে পড়তে হয়। বিচারে চাইতে গিয়েও তাকে বিপত্তিতে পড়তে হয় আইনজীবীদের প্রশ্ন শুনে। আইনজীবী এমন প্রশ্ন করে যা একজন ধর্ষণের শিকার নারীর পক্ষে দেওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। ভরা আদালতে ধর্ষণের পুরো বিবরণ দিতে হয় তাকে। তাও হয়তো একবার নয়, বহুবার। এবার হয়তো সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের নারীরা। ব্রিটিশ বিচারমন্ত্রী লিজ ট্রুস কারা ও আদালত সংক্রান্ত একটি বিল হাউস অব কমনসে উত্থাপন করেন। এতে বলা হয়, আদালতে শুনানির আগেই ধর্ষণের শিকার নারীরা আলাদা কক্ষে তাদের বয়ান রেকর্ডের সুযোগ পাবেন।
ফলে আদালতে ভরা মজলিসে দাঁড়িয়ে আর নির্যাতনের কথা বলতে হবে না ভুক্তভোগীকে। লিজ বলেছেন, নতুন আইনের ফলে নির্যানের শিকার নারীর ভয় অনেকটাই কমবে। এরই মধ্যে লিভারপুল, লিডস ও কিংকসটনের পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার অনেকটাই বেড়েছে। এতদিন এই বিশেষ সুযোগ দেওয়া হতো যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের।
লিজ চাইছেন, এ বার থেকে তা যেন নির্যাতনের শিকার সব নারীকেই এ সুযোগ দেওয়া হয়। তাতে আরও বেশি করে অপরাধের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাবেন তাঁরা।
প্লেইড সিমরুর এমপি লিজ স্যাভাইল রবার্টস একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন কেরছিলেন। ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রশ্ন করা বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরপর একই ধরনের বিল আনতে চলেছে ব্রিটিশ সরকারও।
লিজ বলেছেন, নকুন বিলে ধর্ষণের শিকার নারীরা জবাবন্দি নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে কতটুকু প্রশ্ন করা যাবে তার একটি সীমারেখাও টানা হয়েছে। কোনও প্রশ্ন আপত্তিকর মনে হলে বিচারক তা রেকর্ড থেকে বাদ দিতেও পারেন। নতুন এই আইন নিয়ে আশান্বিত হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার অনেক নারী ও তাদের পরিবার। এদেরই একজন সেরি লিন্ডন। ২০১৪ সালে তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছিল এক ট্যাক্সি চালক। সেই স্মৃতি ভুলতে ২০ বছর ধরে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন সেরি। তার মা বলেন, ‘সেরিকে বলা হয়েছিল, তাকে প্রমাণ দেখাতে হবে। আমি নিশ্চিত নতুন এই সংস্কার তাকে সাহায্য করবে।’
আইনজীবী সংগঠনের প্রধান জো গ্যাসকোয়ন বলেন, ‘ এ পদক্ষেপ একটু বেশিই বাড়াবাড়ি। শুনানি থেকে অব্যাহতির সুযোগ নিয়ে কাউকে ধর্ষণের দায়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’ বিল পাশ হলে সেপ্টেম্বর নাগাদ নতুন এই আইন কার্যকর হতে পারে।

 

২০৪০ সালে পানির কষ্টে ভুগবে ৬০ কোটি শিশু: ইউনিসেফ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০৪০ সাল নাগাদ সারাবিশ্বে প্রতি চারজনের একজন শিশু চরম পানিসঙ্কটের মধ্যে জীবন যাপন করবে। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘ভবিষ্যতের তৃষ্ণা: পরিবর্তিত জলবায়ুতে পানি ও শিশু’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি শিশু চরম পানিসংকটপূর্ণ এলাকায় বসবাস করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপদ পানিস্বল্পতার একটি কারণ হলেও ইউনিসেফ বলছে, পানির উৎসের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনিবার্য নয়। তবে পানির অপ্রাপ্তির কারণে মারাত্মক জীবনসংকটে পড়বে শিশুরা।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক বলেন, ‘পানি হলো প্রাথমিক প্রয়োজন, এটি ছাড়া কোনো কিছুই বাড়তে পারে না। অথচ বর্তমানে গোটা বিশ্বে লাখ লাখ শিশু নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; যা তাদের জীবনকে বিপন্ন করছে। এসব শিশুর স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে, যা পরবর্তী সময়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে। এই সঙ্কট বাড়তেই থাকবে যদি না আমরা এখনই সমষ্টিগত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বের ৩৬টি দেশে চরম পানিসঙ্কট রয়েছে। এর মূল কারণ চাহিদার বিপরীতে নবায়নযোগ্য জোগানের ব্যাপক স্বল্পতা। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রসীমার উচ্চতা বৃদ্ধি, ব্যাপক বন্যা, খরা ও মেরুঅঞ্চলে সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করায় পানির প্রাপ্যতা ও মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং সেই সঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানির ব্যবহার। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের কারণেও পানির চাহিদা ও ব্যবহারে পরিবর্তন আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলমান সংঘর্ষের কারণেও শিশুদের জন্য নিরাপদ পানি পাওয়ার বিষয়ে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। আর এসব কারণে শিশুরা নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া, কলেরাসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, খরাপীড়িত এলাকার অনেক শিশু পানির খোঁজে সারাদিন অতিবাহিত করে। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে মেয়েশিশুরা রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৬৬ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত পানি পায় না। প্রায় ৯৫ কোটি মানুষ শৌচাগার ব্যবহার করে না। পাঁচ বছরের নিচে ৮০০ শিশু প্রতিদিন ডায়রিয়া বা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে মারা যায়। পানি সংগ্রহ করতে দৈনিক ২০ কোটি ঘণ্টা ব্যয় করে নারী ও মেয়েশিশুরা।
সংস্থাটি মনে করে, বিভিন্ন দেশের সরকারকে পানির পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতেই হবে। সবকিছুর ওপরে রয়েছে শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি। তাই সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
অ্যান্থনি লেক বলেন, ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে যারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে, তাদের বিষয়ে কাজ করতে আমাদের পন্থা পাল্টাতে হবে। সবচেয়ে কার্যকর উপায়, আমরা যা করতে পারি, তা হলো তাদের জন্য নিরাপদ পানির সুবিধা সুরক্ষিত করা।’
 

২০১৬ সালে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীতে ২০১৬ সালে বাড়িভাড়া বেড়েছে গড়ে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছর নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ হারে বাড়িভাড়া বেড়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গতকাল রোববার প্রকাশ করা হয়।
ক্যাবের হিসাবে গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩৮৮ শতাংশ। অথচ একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিবারের মতো এবারও বছরের শুরুতে বাড়ির মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
ক্যাবের ২০১৬ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় বসবাস করে এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর মোট আয়ের একটা সিংহভাগ বাড়িভাড়ায় খরচ হয়। ২০১৬ সালে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পাকা টিনশেডে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফ্ল্যাটে বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মেস রুমে বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং বস্তিতে বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
 

Top

ভারতে সরাসরি টুরিস্ট ভিসার নিয়ম শিথিল


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসার আবেদনকারীরা ভারতে যাওয়ার নিশ্চিত টিকিটসহ (বিমান, ট্রেন ও অনুমোদিত বাস সার্ভিস) সরাসরি সাক্ষাৎ করতে এবং ভারত ভ্রমণের তারিখের তিন মাস আগে ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
২৭ মার্চ ২০১৭ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি সহজতর ও সাধারণ করার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ, বরিশাল এবং ঢাকার মিরপুরের ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রসহ ৯টি আইভিএসিতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে আবেদনকারীরা সরাসরি সাক্ষাৎ করতে ও ভারত ভ্রমণের তারিখ থেকে এক মাস আগে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। সরাসরি টুরিস্ট ভিসা স্কিমটি ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকায় নারী ভ্রমণকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রথম চালু করা হয়, যা পরবর্তীকালে সব আবেদনকারীর জন্য ও ঢাকার বাইরের সব আইভিএসিতে সম্প্রসারিত করা হয়। এই স্কিমের আওতায় আবেদনকারী নিশ্চিত টিকিটসহ (বিমান, ট্রেন ও অনুমোদিত বাস সার্ভিস) সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন এবং তাদের নিজেদের জন্য ও পরিবারের সদস্যদের জন্য ৯টি আইভিএসিতে কোনো পূর্বনির্ধারিত অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ ছাড়াই টুরিস্ট ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
মিরপুরের আইভিএসিটি শনিবার শুধু নারী আবেদনকারীদের জন্য খোলা থাকে বলেও এতে জানানো হয়।

পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে জাতিসংঘের উদ্যোগ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে একশ’টির বেশি দেশের অংশগ্রহণে প্রথম জাতিসংঘ বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে। যদিও প্রধান পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এই বৈঠকের বিরোধিতা করছে।
জাতিসংঘের প্রায় ১২৩টি সদস্যরাষ্ট্র অক্টোবর মাসে আইনগতভাবে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার লক্ষে জাতিসংঘের এই সম্মেলন শুরুর ঘোষণা দেয়। এমনকি বিশ্বের অধিকাংশ ঘোষিত ও অঘোষিত পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এই বৈঠকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইসরাইল,রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকের ওপর না ভোট দিয়েছে। অপর পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তান ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এমনকি পরমাণু অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একমাত্র দেশ জাপানও বৈঠকটির বিরুদ্ধে মত দিয়েছে।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর পরমাণু অস্ত্র ফেলে মিত্র বাহিনী।
জাপান বৈঠকটির বিরোধীতা করে যুক্তি দেখিয়েছে, ঐক্যের অভাবে এ ধরনের আলোচনা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কার্যকর প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।
বৈঠকের পক্ষে যে রাষ্ট্রগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সুইডেন অন্যতম। এছাড়াও কয়েকশ’ এনজিও বৈঠকের পক্ষে মত দিয়েছে।
তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ওয়াশিংটনের নতুন হঠকারি প্রশাসনের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।


জার্মানিতে কৃত্রিম সূর্য!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কৃত্রিমতার হাত থেকে সূর্যও বাঁচতে পারেনি। এবার জ্বলে উঠল বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম সূর্য। এই সূর্য আলো ও তাপ ছড়াতে শুরু করেছে জার্মানিতে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিনলাইট’।
সৌরশক্তি ভবিষ্যতে এনার্জির উৎস, তা এখন স্বীকৃত। কিন্তু বিশ্বের অনেক স্থানে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তাই প্রয়োজন থাকলেও সৌরশক্তির সাহায্য সব জায়গায় পাওয়া সম্ভব নয়। সেসব এলাকার কথা মাথায় রেখেই এ কৃত্রিম সূর্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সিনলাইট থেকে হাইড্রোজেন প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। হাইড্রোজেন পুড়লে যেহেতু কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় না, তাই ভবিষ্যতে হাইড্রোজেনকেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘সিনলাইট’-এর উচ্চতা তিনতলা ভবনের সমান। সেখানে ১৪০ জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বলছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাল্টিপ্লেক্সের লার্জ সিনেমা স্ক্রিনে আলোর জন্য কেবল একটি জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বালানো হয়। ২০ বর্গসেন্টিমিটার এলাকাকে ৩০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করে তুলতে পারে সিনলাইট। এ প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গবেষকরা হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করছেন। সোলার রেডিয়েশন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন প্রস্তুতের পদ্ধতি কয়েক বছর আগেই বের হয়েছে। কিন্তু সিনলাইটের ফলে যে পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা সম্ভব, তা শিল্প খাতেও ব্যবহার করা যাবে।
 

সৌদিতে শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ!
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদিআরব, কয়েকজন শ্রমিককে তাদের কফিল বা নিয়োগকর্তারা তাদেরকে অমানবিক ভাবে মরুভূমির মাঝে রেখে এসেছে যাতে তারা যেন কোন প্রতিবাদ অথবা কাজে ফিরে আসতে না পারে ।
জানাযায়,প্রায় ২৯ জন পরিচ্ছন্ন শ্রমিক কে নিয়োগ-কর্তা কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নির্দেশে সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার একটি স্কুলে পরিষ্কার করার কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়। তাদের চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে দুই বছরের জন্য কাজ করে এবং তারা তাদের চুক্তি অনুযায়ী ঠিক সময়ে কাজ শেষ করেছিল এবং তারা কাজ শেষ করে নিজেদের পাওনা বুঝেনিয়ে নিজ দেশে চলে যেতে চেয়েছিল।
কিন্তু নিয়োগকর্তা তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করে।
তারা শ্রম বিভাগ কে জানায় যে , তারা যে এলাকায় কাজ করত এবং বসবাস করত সেখান থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তাদেরকে সাফানিয়া নামক একটি মরুভূমি এলাকায় রেখে আসা হয় । যা প্রায় বসবাসরত স্থান থেকে ২০০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
তারা জানায় ঐদিন থেকে তারা কোন খাদ্য,এমনকি পান করার মত পানি ছাড়াই দিন কাটিয়েছিল।
তারা অত্যন্ত দু:খের সাথে তাদের উপর এ রমক অমানবিক আঁচারনের কথা সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় কে ইন্ডিয়ান এম্বেসির সহযোগিতায় অভিযোগ করে।
এবং বিপদগ্রস্ত শ্রমিকগন বলেন,সৌদিআরব এসে এরকমভাবে অমানবিক আচরনের সন্মুখিন হতে হবে তা তারা কখনো ভাবেনি ।
সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়ান এম্বেসি ঘটনার সত্যতা পেয়ে উভয় ই এই বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে আর এ জন্য শ্রমিকরা তাদের পক্ষ থেকে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়ান এম্বেসি পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। এবং তারা তাদেরমত অন্য কোন বিদেশী শ্রমিকদের সাথে এরকম অমানবিক আচরন না হয় এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানায়।
উল্লেখ্য, বিপদগ্রস্ত শ্রমিকগণ ভারতীয় নাগরিক বলে জানাযায়।

 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 


 

 যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খুন, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৪

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর থানা এলাকার ন’পাড়ার আমবাগান এলাকায়। নিহতের নাম সোনিয়া পাল (১৭)। যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার স্বামী সোমনাথ পাল, শ্বশুর রতন পাল, শাশুড়ি লক্ষ্মী পাল এবং সোমনাথের ফুফা দিলীপ মিত্রকে। সোনিয়ার দেবর তন্ময় পাল পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-র মে মাসে প্রেম করে সোমনাথকে বিয়ে করেছিল সোনিয়া। সোনিয়ার বাবা রমেশ সামন্ত প্যান্ডেলের কাজ করেন। শ্বশুর রতন পাল ভ্যানচালক। আর সোমনাথের আমবাগান এলাকায় একটি মাংসের দোকান আছে। রমেশবাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হত। সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ির সাম্প্রতিক চাহিদা ছিল একটি খাট ও আংটি। রমেশবাবু আশ্বাস দিয়েছিলেন পুজার সময় কাজ বেশি হলে তা দেবেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিল না সোমনাথরা। রবিবার রাতেই ফোন করে সোনিয়া বাপের বাড়ি চলে আসতে চায়। মেয়েকে নিতে এসে তিনি শুনতে পান তাঁর মৃত্যুর খবর।
রমেশ বাবুর অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। এদিকে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা সোমনাথের মাংসের দোকান ভেঙে দেন। সোমনাথ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় অভিযুক্তদের। সোনিয়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
 

নারীরাই বেশি করছেন তালাকের আবেদন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুই এলাকাতেই নারীরা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য পুরুষের চেয়ে বেশি আবেদন করছেন। এক জরিপে দেখা যায়, বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করছেন ৭০ দশমিক ৮৫ ভাগ নারী। অন্যদিকে পুরুষের এ হার ২৯ দশমিক ১৫ ভাগ। আর শিক্ষিত কর্মজীবী নারীরা এ ক্ষেত্রে বেশি আবেদন করছেন। তবে বিচ্ছেদের জন্য নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্ত উভয় শ্রেণির নারীরাই আবেদন করছেন। শালিসি পরিষদে সাধারণত বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বনিবনা না হওয়া এবং স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হলেও এগুলো যথাযথ কারণ বলে মনে করে না এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের মতে, আগে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা মেয়েকে নিরুৎসাহিত করলেও এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় তারা আর তাকে বোঝা বলে মনে করেন না। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় তালাকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫২ হাজার।
আর প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টির মতো বিচ্ছেদের আবেদন জমা হচ্ছে এই সেবা সংস্থায়। শুধু রাজধানীতে বর্তমানে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৪৯ হাজার বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন। আর বিচ্ছেদের ঘটনা বিগত বছরগুলোয় বৃদ্ধি পাওয়ায় শালিসি বোর্ডের কর্মকর্তাদেরও এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাজধানীর গত পাঁচ বছরের বিবাহবিচ্ছেদ-সংক্রান্ত শালিসি পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রায় ৩৪ হাজার তালাকের নোটিসের মধ্যে স্ত্রীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে ২৩ হাজার আর স্বামীর পক্ষ থেকে ১১ হাজার। দুই সিটি করপোরেশনের ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছরে রাজধানীতে তালাকের মোট আবেদনের ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ স্ত্রীর এবং ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ স্বামীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এ সময় বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ২৫ হাজার ৯৬৯টি। এ হিসাবে প্রতি বছর ৮ হাজার ৮২৮টি, মাসে ৭৩৬টি এবং দিনে ২৫টি সংসার ভাঙছে। এই সময়ে উত্তরে ১৮ হাজার ২২০টি তালাকের নোটিস জমা পড়েছে, যার মধ্যে পুরুষের পক্ষ থেকে ৬ হাজার ৯২৯টি এবং নারীর পক্ষ থেকে ১১ হাজার ৬৯২টি নোটিস জমা পড়ে। এর মধ্যে নোটিস কার্যকর হয়েছে ১৪ হাজার ৫৮টি। উত্তরের পাঁচটি অঞ্চলের গত পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিচ্ছেদের নোটিস পড়েছে ১৪ হাজার ১৭৫টি। এর মধ্যে পুরুষের পক্ষ থেকে জমা পড়েছে ৪ সহ¯্রাধিক আর নারীর পক্ষ থেকে ৯ হাজার ৬৮৩টি। নোটিস কার্যকর হয়েছে ১১ হাজার ৯১১টি।


নারীর সমমর্যাদা নিশ্চিতে মানসিকতার বদল জরুরি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রতিটি ঘরে কিংবা সমাজে নারীর সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে চাইলে সবার মনোজগতে পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন দেশের নারীনেত্রী ও মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁদের মতে, গৃহস্থালির কাজ শুধু নারীই নয়, করতে হবে পুরুষকেও। একই সঙ্গে গৃহস্থালির কাজের আর্থিক মূল্য আলাদাভাবে বের করে জনসমক্ষে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কনফারেন্স রুমে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও। গোলটেবিল বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ নারী নেত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তনু হত্যার বিচার শুরু হয়নি। এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। জাতির জন্য তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিয়ের বয়স নিয়ে সম্প্রতি সংসদে যে আইন পাস হয়েছে, সেটিরও কঠিন সমালোচনা করেন নারী নেত্রীরা।
‘মর্যাদায় গড়ি সমতা; পরিবর্তনে দৃপ্ত অঙ্গীকার’ শিরোনামের গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। অলোচনায় অংশ নেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন, ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশিষ কুমার চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয়া শাহ্রীন হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের কনসালট্যান্ট কামরুন্নেসা হাসান, সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শাহিদা পারভীন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, বাংলাদেশ নারী প্রগতির উপপরিচালক শাহনাজ সুমি, পর্বতারোহী এম এ মুহিত, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, পিকেএসএফের মহাব্যবস্থাপক হাসনাহেনা খান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদা খাঁসহ অন্যরা।
 


হঠাৎ বেড়ে গেছে শিশু ধর্ষণের ঘটনা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সামাজিক অস্থিরতা, অপসংস্কৃতি, আকাশ সংস্কৃতি, অশ্লীলতা, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা কারণে দিনে দিনে সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি অশ্লীলতার আগ্রাসনে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অভাব ও সামাজিক অবক্ষয়ে ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। ধর্ষণের শিকার যারা, তাদের অধিকাংশই শিশু। স্কুল, কোচিং এমনকি নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নয় শিশুরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চরম নৈতিক অবক্ষয়, আকাশ সংস্কৃতি, মাদকের বিস্তার, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শুধু মার্চ মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ জনের অধিক শিশু।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১২ সালে ৮৬ জন, ২০১৩ সালে ১৭৯ জন, ২০১৪ সালে ১৯৯ জন, ২০১৫ সালে ৫২১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ চিত্র থেকেই স্পষ্ট- প্রতিবছরই শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ৬৮৬টি শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ইভ টিজিং, যৌন হয়রানীসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ২০১৫ সালে সারা দেশে ৭২৭টি শিশু যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। তবে তাদের জরিপ অনুসারে ২০১৫ সাল থেকেই শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪তে সর্বমোট ২২৪টি শিশু যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।
২০১৬ সালে ৭২৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬ বছরের কম বয়সী শিশু ৬২ জন, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ১৭৮ জন এবং ১৩ থেকে আঠারো বছর বয়সীর সংখ্যা ২৫১ জন। অর্থাৎ ধর্ষণের শিকার হওয়া প্রায় সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক। আসক-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত মোট ২৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যাদের ২০ জনই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

২০ হাজার টাকার চাঁদা দাবি এবং ওই চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে দিয়ে লাশ গুম করার অভিযোগে আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন মোকলেছুর রহমান নামের এক ট্রলারচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক।
গত ১৬ মার্চ দুপুরে বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ওই অভিযোগ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসাইন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ারসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুনসুর আলী, উপজেলার মাধবরায় এলাকার জুয়েল মাতুব্বর ও চর খাজুরিয়া এলাকার মো. জাকির শিকদার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সাংসদের সমাবেশে লোক জমায়েত করার জন্য আসামিরা ১২ মার্চ পরস্পরের যোগসাজশে বাদীর কাছে চারটি ট্রলার দাবি করেন। বাদী তাঁর নিজের ট্রলারটি দিতে রাজি হন। অন্য তিনটি ট্রলার দেওয়া সম্ভব নয় বলে আসামিদের জানিয়ে দেন। এ সময় আসামিরা তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
১৫ মার্চ সকালে কাজীরহাট থানার এসআই মুনসুর আলী বাদীর বাড়ি গিয়ে ট্রলারসহ মোকলেছুর রহমানকে আটক করেন। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে দুপুর পর্যন্ত আটকে রাখেন। এ সময় আসামিরা তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁকে ক্রসফায়ারে দিয়ে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ওই দিন তাঁকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্যও হুঁশিয়ার করেন আসামিরা।
কাজীরহাট থানার ওসি শওকত আনোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
 

ঠিকানা না জানায় সিলেট কারাগারে বন্দি ষাটোর্ধ্ব দুই বৃদ্ধ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ থেকে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুই বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় পর দিন আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৭ ধারায় আটক হয়ে প্রায় তিন মাস সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দিন কাটাচ্ছে ষাটোর্ধ দুই বৃদ্ধ। বাড়ি ফিরতে নানা আকুতি জানালেও ঠিকানা নিশ্চিত বলতে না পারায় তাদের ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ।
সিলেট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, জকিগঞ্জ বাজারে দুই বৃদ্ধকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় জনগণ আটক করে। আটক করার পরদিনই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর থেকে কারাগারে দিন কাটছে দুই বৃদ্ধের। এদের একজন সত্তর বছর বয়সি রজব আলী। তার কাছে বাড়ির কথা জানতে চাইলে মানিক গঞ্জের কোনো এক এলাকার নাম বলতে পারে। ছেলে মেয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শামসুল, আফজাল, হোসেন আলী এর বেশি কিছু বলতে পারেন না ষাটোর্ধ রজব আলী।
আরেক জন নাম ঠিকানা বলতে না পারলেও তার পরিচয় উদ্ধার করা গেছে। আর রজব আলীর কথা মত তার ঠিকানা খুজে পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া বলেন, যখনই রজব আলীকে তার ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয় তিনি একবার বলে মানিকগঞ্জ আবার বলে বান্দরবান। এর বেশি কিছু সে বলতে পারে না। জেল সুপার আরো বলেন, দুই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই। স্বজনরা চাইলেই তারা মুক্তি পেতে পারে।
কারাগারের জীবন থেকে এই দুই বৃদ্ধকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে প্রথম দরকার আইনী পরামর্শ এবং সহায়তা।
বিষয়টি সম্পর্কে সিলেট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস বলেন, জুটিশিয়াল মেজিস্ট্রেটের আদেশের ভিত্তিতে দুই জন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেছে। আরেক জনের ব্যাপারে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়কে প্রস্তাব করা হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে সরকারের শিশু নিবাস বাগ বাড়ি বালক সিলেটে দশ আসন বিশিষ্ট যে প্রবীণ নিবাস আছে সেখানে প্রেরণ করার একটি প্রস্তাব রাখা হবে। ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় আদেশ করলেই তাকে এখানে নিয়ে আসা যাবে।
 

রোগী সেজে হাসপাতালে প্রভাবশালী বন্দিরা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কারাগারে বন্দি। তবে প্রভাবশালী বন্দিরা চিকিৎসার নামে বাইরের হাসপাতালে থাকছেন। এ তালিকায় আছে সন্ত্রাসী বন্দিরও নাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। হাসপাতালে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। হাসপাতালে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব বন্দির প্রকৃত রোগ এবং হাসপাতালে অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রভাবশালী বন্দিদের এ চিত্র সারা দেশের কারাগারেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৪ নম্বর বেডে ভর্তি আছেন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্র“টি মামলার আসামি প্রকৌশলী শাহ আলম। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ হলেও স্ত্রী সেবায় তিনি ভালই আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রিজন সেলে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেফতারকৃত এবং হত্যা মামলার আসামিসহ ৭ জন বন্দি অবস্থান করছেন। সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রায় ঘরোয়া পরিবেশেই তাদের সময় কাটছে।
কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অসুস্থ বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগায় সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী বন্দিরা। কোন কোন ভিআইপি বন্দি গ্রেফতার পরবর্তী বাইরের হাসপাতালে অবস্থানের পর সেখান থেকেই মুক্তি লাভ করেছেন। এমন খবরও শোনা যায়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২১ জন বন্দি চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন। এরমধ্যে বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রিজন সেলে (দোতলায়) রয়েছেন, ফাঁসির দন্ডাদেশ থেকে মওকুফ পেয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহম্মেদ যোশেফ। একই সেলে রয়েছেন, হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশ থেকে যাবজ্জীবন সাজার আসামি আলমগীর হোসেন। প্রিজন সেলে আরো আছেন, দুর্নীতির মামলার অন্যতম আসামি জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজাহান ও হাফিজুর রহমানসহ মোট ৭ বন্দি। এছাড়াও বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিনে রয়েছেন ভিআইপি আসামি ডেসটিনির এমডি মোহাম্মদ হোসেন। একই হাসপাতালের ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন। একই হাসপাতালে আরো রয়েছেন ২ জন বন্দি। এছাড়াও পঙ্গু হাসপাতালে ১জন, হৃদরোগ হাসপাতালে ১ এবং পঙ্গু হাসপাতালে ১ জন বন্দি রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৯ নম্বর কেবিনে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা। একই মেডিকেলের পুরান ভবনের তিন তলার ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন প্রতারণা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো ৪ জন বন্দি রয়েছে।
 

পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফেনীতে পুলিশ হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম নুরুল আমিন (৫২) গত ২৩ মার্চ রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাঁর বাড়ি ফেনী পাঁচগাছিয়ার দক্ষিণ কাশিমপুর। স্থানীয় একটি সংঘর্ষের মামলায় ৬ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, অসুস্থ হয়ে আসামি নুরুল মারা গেছেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নুরুল আমিন বাড়িতে কৃষিকাজ দেখাশোনা করতেন। স্থানীয় একটি সংঘর্ষের মামলায় নুরুল তাঁকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২৩ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে তাঁকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে মারা যান নুরুল আমিন।
 


 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


ডাবের পানির যাদুকরী ক্ষমতা

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ

রবিনসন ক্রুশোর কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? সেই যে নাবিক আটকা পড়লেন দ্বীপে, কোনো খাবার নেই! তখন তিনি শুধু ডাবের পানি খেয়েই বাঁচিয়েছিলেন জীবন। তার মানে যেসব উপাদানের জন্য আমাদের খাবার দরকার; তা সবই রয়েছে ডাবের পানিতে।
তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে বা তৃষ্ণা নিবারণে ডাবের পানির তুলনা নেই। এছাড়া ডাবের পানিতে রয়েছে জলীয় অংশ ৯৫ গ্রাম যা তাৎক্ষণিক শরীরকে পুষ্টি দিতে টনিকের মতো কাজ করে। এছাড়া ডাবে রয়েছে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ, শর্করা, চর্বিসহ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও কিডনির সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক ডাবের পানির আরো কিছু গুণ।
ডাবের পানির যাদুকরী ক্ষমতা
ওজন কমায়
এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়ার অনেকক্ষণ পরও মনে হবে, ক্ষুধা লাগছে না। তাই যাদের ঘন ঘন খেতে হয় এবং বেশি খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায় তারা নিয়ম করে ডাবের পানি খেতে পারেন। তাছাড়া ডাবের পানিতে ফ্যাট থাকে কম। ফলে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী।
এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে ভাল
কঠোর অনুশীলন কিংবা পরিশ্রমের কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক খনিজ-সমৃদ্ধ তরল বেরিয়ে যায়। সেটা পূরণে অনেকেই এনার্জি ড্রিংক পান করে থাকি। কিন্তু তা না করে এক গ্লাস ডাবের পানি বেশি উপকারী। কারণ এতে গ্লুকোজের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ও চিনি রয়েছে।
সাইক্লিস্ট?
আপনি যদি হন একজন সাইক্লিস্ট; তবে সাইকেল চালানোর পর শরীরে পানির চাহিদা পুরোপুরি মেটাবে ডাবের পানি। শরীরের মিনারেল ও ভিটামিনের অভাব তাৎক্ষণিক মেটায় ডাবের পানি।
ত্বক সুন্দর করে
ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন ইত্যাদি তৈরিতে ডাবের পানির ব্যবহার থেকেই বোঝা যায় ত্বক সুন্দর রাখতে এটি অনেক কার্যকরী। ব্রণ, মেছতা বা ত্বকের অন্য কোনো দাগ দূর করে মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করতে এটি সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডাবের পানিতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধের যাদুকরী ক্ষমতা। ডাবের পানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছড়া এটি আমাদেরকে ঠাণ্ডা, কাশি থেকেও দূরে রাখে। এমনকি শীতের মৌসুমেও ডাবের পানি আমাদেরকে সুস্থ রাখে।
কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়
ডাবের পানিতে আছে শরীরের জন্য উপকারী পাঁচটি উপাদান: ক্যালসিয়া, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। প্রতিদিন ডাবের পানি খান, তাহলে নিজের মধ্যে অসীম প্রাণশক্তি খুঁজে পাবেন, যা আগে অনুভব করেননি।
কিডনীতে পাথরের চিকিৎসায়
যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী। এর টক্সিন কিডনির পাথরকে গুড়ো করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তনালী পরিষ্কার রাখে।
হজম ক্রিয়া দ্রুততর করে
গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণে হজমে প্রায় ব্যাঘাত ঘটে। ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। সপ্তাহে অন্তত একদিন ডাবের পানি পান করলে আগের চেয়ে নিজেকে কর্মদক্ষ ও প্রাণবন্ত অনুভব করবেন।
হঠাৎ মাথাব্যথা
অনেক সময় ক্লান্তি বা অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। ডাবের পানি এ ধরনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়। হঠাৎ শুরু হওয়া মাথাব্যথা থেকে দেয় ঝটপট মুক্তি।
 

পাইলস রোগের লক্ষণ ও করণীয়
 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
পাইলস শব্দটির অর্থ পিলার। মেডিকেলের ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। সহজ বাংলায় মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলা হয়ে থাকে। তরুণ এবং বৃদ্ধরা সাধারণত পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে রোগটির বিস্তার দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বিশ্বে শতকরা চার থেকে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত।
মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদ অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত ভাবেও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত যাওয়া পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়। রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।
পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে। মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি) এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয া যেতে পারে। তিনদিন পর্যন্ত মল না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশ মত ব্যবহার করতে হবে।
এ রকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।
অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত ভাবেও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত যাওয়া পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়।
রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।
পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে। মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি) এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। তিনদিন পর্যন্ত মল না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশ মত ব্যবহার করতে হবে। এ রকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।
 

হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের সময়ে মেনে চলুন ১০ নিয়ম


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপরে অনেকেরই অগাধ আস্থা থাকে। অনেকে রীতিমতো উপকারও পান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়। কিন্তু এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, যা না মানলে রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে না। কী রকম নিয়ম? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাবেন না।
২. হোপিওপ্যাথিক ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করবেন না। সিগারেট বা মদের মতো নেশাকর দ্রব্যে যে তীব্র সাপ্লিমেন্ট থাকে, তা ওষুধের কার্যকারিতাকে খর্ব করে দেয়।
৩. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কখনওই হাতে নেবেন না। হাতে নিলে ওষুধের অভ্যন্তরীণ স্পিরিট উবে যায়। কাগজ কিংবা ওষুধের শিশির ঢাকনায় ঢেলে নিয়ে ওষুধ মুখে দিন।
৪. হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের আগে সাদা জলে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন।
৫. ওষুধ খাওয়ার পরে কোনও টক খাবার সেবন করবেন না। এতে ওষুধের প্রভাব খর্ব হয়ে যায়।
৬. অ্যালোপাথি কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখবেন না। এতে ওষুধের ক্ষমতা কমে যায়।
৭. চিকিৎসা চলাকালীন চা এবং কফিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৮. কোনও ভাবেই অন্য কোনও রোগীর ওষুধ নিজে খাবেন না। একই রকমের রোগ হলেও অন্য রোগীর ওষুধ খাওয়া কখনওই উচিত নয়। কারণ মনে রাখবেন, রোগীভেদে হোমিওপ্যাথি ওষুধও কিন্তু বদলে যায়।
৯. যে জায়গায় ওষুধটা রাখবেন, সেখানে যেন কোনও ভাবেই সরাসরি রোদ না আসে।
১০. ওষুধের শিশির ঢাকনা কখনওই খোলা রাখবেন না।
লিভার পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লিভার আমাদের শরীরের দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভার শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের সুস্থ রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। এই সাধারণ সমস্যাগুলো শুরুতেই আমলে না নিলে এ থেকে নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে। যেমন: লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি।
অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ। তাই আমাদের এই লিভার নামে দ্বাররক্ষীর যতœ নিতে হবে।
আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো খেলে লিভার সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে;
জাম্বুরা: জাম্বুরাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ন্যাচারাল ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে বৃদ্ধি করে। ছোট সাইজের এক গ্লাস জাম্বুরার জুস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা কার্সিনোজেন এবং অন্যান্য টক্সিনকে পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। রসুন: রসুনে সেলেনিয়াম ও এলিসিন নামক উপাদান থাকে এবং এরাও লিভার থেকে টক্সিন বাহির হতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া রসুনে লিভার পরিষ্কারক প্রচুর এনজাইম থাকে এবং এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।
বিট ও গাজর: গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। গাজর ও বিট উভয়ের মধ্যেই উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ ফ্লেভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটি হচ্ছে লিভার লাভিং বেভারেজ বা যকৃৎপ্রেমী পানীয়। গ্রিনটি উদ্ভিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, যা লিভারের কাজে সহযোগিতা করে।
সবুজ শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি শক্তিশালী লিভার পরিষ্কারক।
সবুজ শাক-সবজি কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রার ক্লোরোফিল থাকে এবং এরা রক্ত প্রবাহ থেকে পরিবেশগত বিষ শোষণ করে নেয়।
আরো যা খেতে পারেন- আপেল, অ্যাভোকাডো, ওলিভ অয়েল, লেবু, হলুদ, আখরোট, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, মিষ্টি আলু, ব্রোকলি, টমেটো ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খেলে লিভার পরিষ্কার থাকবে।
 

ডায়াবেটিকের মহৌষধ পান !


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বাঙ্গালীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানের আয়োজন না থাকলে যেন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না। আবার হিন্দু রীতিতে বিভিন্ন পুজা উৎসবে ও বিয়েতে পান যেন বাধ্যতামূলক। আবার ঘরে ঘরে অনেকে আছেন যাদের পান না খেলে চলেই না। তাদের জন্য রয়েছে সুখবর।
পান খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যা সম্পর্কে হয়ত আপনারা জানেন না। নিম্নে পানের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
১. ডায়াবেটিক দূর করে:- পানে যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় যেমন সুপারি চিবানোর ফলে আমাদের রক্তের শর্করা সঠিক থাকে। এতে ডায়াবেটিক হবার সম্ভাবন কমে যায়। যাদের ডায়াবেটিকের সমস্যা ইতিমধ্যে আছে তাদেরও দমন হবে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে:- যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক তারা পান খেতে পারেন। পান খেলে ওজন বাড়েনা, অপরদিকে আপনি অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে পারবেন। ডায়েট এর জন্য পানের চেয়ে ভাল কিছু আপনি পাবেন না।
৩. মাথা ব্যথা দূর করে:- আপনার যদি মাথায় অনেক ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে এক্ষেত্রেও পান আপনাকে সাহায্য করতে পারে। পান পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার মাথা ঠাণ্ডা হবে এবং ব্যথা দূর হবে।
 

দ্রুত হাঁটুন অকাল মৃত্যু এড়ান


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
‘দ্রুত হাঁটুন- অকাল মৃত্যু এড়ান’। একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, একদল গবেষক প্রায় দশ বছর অন্তত ৫শ’ লোকের হাঁটাচলার ওপর নজর রাখেন।
পরবর্তীতে দেখা গেছে, যারা দ্রুতবেগে হাঁটাচলা করেছেন তাদের মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত ধীরলয়ে হাঁটাচলায় অভ্যস্তদের তুলনায় অনেক কম। এ সংক্রান্ত গবেষণা রিপোর্ট জেরনটলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকার এক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা একমত হয়েছেন যে, সুস্থ-সবল শরীরে দ্রুতবেগে হাঁটাচলায় অভ্যস্ত হলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যেতে পারে। পরিচালিত গবেষণায় তেমন নজিরই মিলেছে।
এছাড়া অপর এক গবেষণা শেষে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা দি জার্নাল অব দি আমেরিকান জেরিয়্যাট্রিকস সোসাইটির নিবন্ধে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে যারা দ্রুতবেগে হাঁটাচলা করেন তারা মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনেন। ইউনিভার্সিটি অব পিটস্বুর্গ স্কুল অব মেডিসিনের অন্যতম বিশেষজ্ঞ লেখক ড. স্টিফানি বলেন, দ্রুতবেগে হাঁটাচলার ফলে কেন এমনটি হয় তা আমরা জানি না, তবে হতে পারে ব্যায়ামের কাজটি এতে হয়ে যায়। যাতে করে শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। ফলে মৃত্যুঝুঁকিও কমে আসে।
সম্মেলনে পেশকৃত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৫শ’ লোকের ওপর ৯ বছর নজরদারির পর দেখা গেছে, এদের মধ্যে ৭৭ ভাগ লোক মারা গেছে। যার মধ্যে ৫০ ভাগ ছিলেন ধীর ও মাঝারি গতিতে হাঁটাচলায় অভ্যস্ত। বাকি মাত্র ২৭ ভাগ ছিলেন দ্রুতগতির।
 

ওষুধ নয়, ভেজ ডায়েটই হূদরোগের সলিউশন


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল চিকিৎসায় ওষুধের ব্যবহার চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এখন হূদরোগ ও কোলেস্টেরলের চিকিৎসায় প্লান্ট বেজড ডায়েট (উদ্ভীজ্জ ডায়েট)-এর ওপর জোর দিচ্ছেন। সাধারণত কোলেস্টেরল কমাতে স্ট্যাটিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কানাডার একদল বিশেষজ্ঞ শুধুমাত্র ডায়েটের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের চিকিৎসার ওপর জোর দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কানাডার অন্টারিওর কমিউনিটি কার্ডিওলজিস্ট ড: শেন উইলিয়ামস হূদরোগীদের চিকিৎসায় ভেজ ডায়েট আহারের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আর ভেজ ডায়েট ভোজীরা মাছ, মাংস, পোল্ট্রি, ডিম, ডেয়ারি প্রডাক্টস ও মধু খাননা। ভেজ ডায়েট ভোজীগণ শুধু ফল, সবজি, হোল গ্রেইনস, নাটস, সিডস এবং লেগুমস আহার করেন। ড: উইলিয়ামস একজন কার্ডিওলজিস্ট হওয়া সত্ত্বেও তার বিশ্বাসকে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করেছেন যে, মানুষ খাবারের শক্তি সম্পর্কে জানে না। তিনি বিগত ৪ বছর ধরে রোগীদের প্লান্ট বেজড ডায়েট এবং কাউন্সিলিং-এর ওপর পরামর্শ দিচ্ছেন।
ভেজ ডায়েট সম্পর্কে আরো একধাপ এগিয়ে বলেছেন, আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজির এডিটর খ্যাতনামা কার্ডিওভাসকুলার প্যাথলজিস্ট ড: উইলিয়াম রবার্টস। তিনি মনে করেন ভেজ ডায়েটই হূদরোগীদের অন্যতম সলিউশন। এছাড়া সম্প্রতি এনালস অব ফ্যামিলি মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয় হূদরোগের ঝুঁকির ভয়ে অনেক আমেরিকান এখন স্ট্যাটিন সেবনের মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছেন। গবেষণার প্রধান অথার ড: মাইকেল জোহানসেন উল্লেখ করেছেন যারা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিন সেবনে উপকার পেয়েছেন তাদেরও অনেকে ওষুধটি সেবন ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে অপর একজন আমেরিকান চিকিৎসক ড: জন ম্যাকডগাল মনে করেন স্ট্যাটিন হওয়া উচিত শেষ চিকিৎসা, প্রাথমিক চিকিৎসা নয়। তিনি আরো মনে করেন কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তিদেরই স্ট্যাটিন খাওয়া উচিত। আর বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে হূদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পš’া হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি, ফলমূল আহার এবং ডিম-মাংস, স্যাসুরেটেড ফ্যাট আহার না করা।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

ড্রাইভিংয়ের সময় ফোনে কথা বললে শাস্তির বিধান আসছে


 

আনিসুর রহমান তপন
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাসের বাধ্যবাধকতা এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আগের অধ্যাদেশকে নতুন করে আইনে পরিণত করা হয়েছে। তবে আইনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরিবর্তন আনা হয়েছে শাস্তিতেও।”
* আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
* চালকের সহকারীরও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে।সহকারী হতে হলেও বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে হবে। আগের অধ্যাদেশে সহকারীদের লাইসেন্সের কথা থাকলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত ছিল না।
* গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।
>> নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওয়া হবে। আগের আইনে এই ধরনের অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
* চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখার কথা বলা হয়েছে নতুন আইনের খসড়ায়।
* নতুন আইন পাস হলে কেউ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
* ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে- এমন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলেন, সেজন্য পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হবে।
“মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে তার ড্রাইভিং লাইনেন্স বাতিল হয়ে যাবে।”

 


আসামির অধিকার


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি আমলযোগ্য কোন অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে কোন প্রকার তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে পারে। সাময়িক হয়রানির পর হয়তো অভিযুক্ত ব্যক্তিটি জামিন পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সংশিষ্ট ব্যক্তি বা যে কেউ যদি অধিকার এবং করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকেন তা তখন উপকারে আসবে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৩(১) অনুচ্ছেদ মতে, পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়ার পর যে অভিযোগে আপনাকে গ্রেফতার করেছে, তা জানানোর পাশাপাশি আপনার পছন্দমতো কোন একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে বাধ্য। গ্রেফতারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনয়নের সময় ব্যতিরেকে পুলিশ আপনাকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির করতে বাধ্য। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৩(২) অনুচ্ছেদ মতে, ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতিরেকে পুলিশ কোন ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় নিজের এখতিয়ারে আটক রাখতে পারবে না। উল্লেখ্য, এসব বিষয় একজন প্রকৃত অপরাধীরও মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৪(১) ও ১০২ অনুচ্ছেদ মতে, পুলিশ যদি গ্রেফতারের পর আপনাকে এই সুযোগগুলো না দেয়, তাহলে আপনি আপনার মৌলিক অধিকার লংঘনের দায়ে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন। কিন্তু যদি আপনাকে নিবর্তনমূলক কোন আইন যেমনÑ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) বা ৩(২) ধারায় গ্রেফতার করে, তাহলে আপনি এসব সুযোগ-সুবিধা পেতে বাধ্য নন।
আমাদের চারদিকে শত্র“র ফাঁদ। টাকার জোরে বা অন্য যে কোন প্রকার প্রভাব খাটিয়ে আপনার প্রতিপক্ষ মিথ্যা কোন মামলায় জড়িয়ে দিতে পারে। ধরা যাক, নিবর্তনমূলক নয় এমন কোন আইনে আপনি আটক হলেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট আপনার জামিনের আবেদন বাতিল করে তদন্তের স্বার্থে আপনাকে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন। প্রকৃতপক্ষে এ সময়টা আপনার জন্য খুব বেশি পরীক্ষার সময়। এ সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারা মোতাবেক তাদের কাছে বা ১৬৪ ধারা মোতাবেক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপনাকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানে বাধ্য করতে পারে এবং এ দেশে এমনটি অহরহই ঘটছে।

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.