BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover June 2016

English Part June 2016

 

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশকারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

সৌদিতে নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে

 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি আরবে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে সেখানে স্বামী-সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যকে সঙ্গে নিতে পারবেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। সম্প্রতি সৌদি আরব, জাপান ও বুলগেরিয়া সফরের সার্বিক বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদিতে বর্তমানে ২০ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। এর পাশাপাশি নতুন করে ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও সৌদি আরবে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা খুব আগ্রহী। এবার আরেকটা বড় গুণগত পরিবর্তন—যে মহিলা শ্রমিকরা যাবে তারা সঙ্গে সন্তান, স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যকে নিতে পারবে। এ ব্যবস্থা করে এসেছি। এতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু লোক পাঠানোই না, আগে আমরা সৌদি আরব সম্পর্কে ভাবতাম শুধু লোকই পাঠাব। সেখানে বড় একটা পরিবর্তন এসেছে, সেটাতেই আপনাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেটা হলো—তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং আমি তাদের সেই আহ্বান জানিয়েছি যেন তারা এখানে বিনিয়োগ করে। ইতিমধ্যে তাদের আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যে আমরা জায়গা দিয়ে দেব, আপনারা ফ্যাক্টরি করুন। এরপর উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করুন বা নিজেদের দেশে নিয়ে যান।’ সৌদির একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ে আসবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন
জানুয়ারি’ থেকে জুন’ ২০১৬ পর্যন্ত ছয় মাসে ক্রসফায়ার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং বিভিন্ন কারণে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১১৮৫ জন

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ছয় মাসে সারা দেশে মোট ক্রসফায়ার, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং অন্যান্য হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১১৮৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ছয় মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬.৫১ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। সম্প্রতি শিশু নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ ও এ বিষয়ে যথাযথ পদপে গ্রহণ করতে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট প্রকাশনায় সহযোগিতা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (ওঐজঈ).
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, জানুয়ারি’ থেকে জুন’ ২০১৬ পর্যন্ত ছয় মাসে মোট হত্যাকান্ডের শিকার ১১৮৫ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪৮ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ১১৯ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ২৮৫ জন, রাজনৈতিক প্রতিপরে হাতে হত্যা ৮৬ জন, পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক ক্রসফায়ারের নামে হত্যা ৬৫ জন, বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় হত্যা ২১ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ১৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৫০ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪৪০ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ২০ জন, অপহরণ হত্যা ৩২ জন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হত্যা ৬ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১২৯১ জন, আত্মহত্যা ১২৬ জন।
জানুয়ারি থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ছয় মাসে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ১৮৬ জন, যৌন নির্যাতন ৭৪ জন এবং যৌতুক নির্যাতন ৪৬ জন।

 

 গুম-খুনে অভিজ্ঞদের সরকারে রাখায় দেশ অস্থিতিশীল

খালেদা জিয়া
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, গুম-খুনে অভিজ্ঞদের সরকারে রাখায় দেশ আজ অস্থিতিশীল। প্রকৃত খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বাণিজ্য করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেন, গুম-খুনে কারা জড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জানেনই তবে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় সরকার।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘তাদের দলে এমন সব লোক রয়েছে যারা অনেক অভিজ্ঞ, অনেক আগে থেকেই তারা এই খুন গুম করে এসেছে। আওয়ামী লীগ যখন এক সঙ্গে স্বাধীনতা লাভ করে ক্ষমতায় ছিল, এরাই কিন্তু তখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বিএনপির জন্মও তখন হয়নি, এই দলের লোকগুলোই তখন আওয়ামী লীগের লোকদের খুন করত, গুম করত এবং তাদের নেতা সম্পর্কে যে খারাপ ভাষায় বক্তব্য দিত, যে খারাপ ভাষা ব্যবহার করত, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করত সেগুলো আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সব ভুলে গিয়ে আজকে নিজের দলের লোকদের মূল্যায়ন না করে এই খুনি, এই অত্যাচারীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তার ফলেই কিন্তু দেশের এই অবস্থা হচ্ছে।’
গুম-খুন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের জোটসঙ্গী জাসদকেই দায়ী করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জাসদকে ইঙ্গিত করে খালেদা বলেন, “এই দলের লোকজন তখন আওয়ামী লীগের লোকজনকে খুন করত, গুম করত। তাদের নেতার সম্পর্কে কী খারাপ ভাষায় বক্তব্য দিত, যে খারাপ ভাষা ব্যবহার করত, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করত!
“সেগুলোকে এখন হাসিনা ভুলে গিয়ে নিজের দলের লোকজনকে মূল্যায়ন না করে এই খুনি-অত্যাচারীদের মূল্যায়ন করছে। তার ফলেই দেশের এই অবস্থা হচ্ছে।”
“তাদের (সরকার) মধ্যে আসল সব খুনিরা রয়েছে। তাদের দলে এমন সব লোক রয়েছে, তারা অনেক অভিজ্ঞ, অনেক আগে থেকেই তারা গুম-খুন করে এসেছে,” বলেন খালেদা।

 

 যৌতুকের সংজ্ঞার ব্যাখ্যা দিলেন হাইকোর্ট

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বিয়ের পর স্বামী কিংবা স্ত্রীপক্ষ অন্য পক্ষের কাছে অর্থ-সম্পদ দাবি করলেই তা যৌতুক বলে বিবেচিত হবে না। এ ধরনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করলে সে মামলাও চলবে না। সম্প্রতি হাইকোর্ট এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন একটি মামলার রায়ে। এ রায় অনুযায়ী, বিয়ের সময় কোনো পক্ষ শর্ত দিয়ে থাকলে এবং পরে সে অনুযায়ী অর্থ-সম্পদ দাবি করলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে এবং তখন যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
আইনজীবীরা বলছেন, ইদানীং পারিবারিক কলহ কিংবা দাম্পত্য-সংক্রান্ত অন্য কোনো জটিলতাকে যৌতুক দাবির ঘটনা সাজিয়ে যখন তখন মামলা দায়েরের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দেশের আদালতে যেসব নালিশি মামলা দায়ের হয় তার অন্তত ৫০ শতাংশ যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা। ফলে আদালতগুলোতে মামলা জট মারাত্মক আকার নিয়েছে। হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশ হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়েরের হার কমবে। পারিবারিক কলহের কারণে সাজানো ও মিথ্যা যৌতুক দাবির পরিমাণও কমবে।
আইনজীবীরা মনে করছেন, পারিবারিক কলহ ও পারিবারিক সহিংসতার মাধ্যমে নারী নির্যাতন বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বিচারের জন্য পৃথক আইনও রয়েছে। কোনো নারী স্বামীর হাতে নির্যাতিত হলে তিনি ওই আইনে মামলা করতে পারেন। তাতে অভিযোগ প্রমাণতি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তিরও বিধান রয়েছে। বরং নির্যাতনের ঘটনায় যৌতুক আইনে মামলা করলে তার ভিত্তি দুর্বল হবে।
যৌতুক নিরোধ আইনে করা একটি মামলা বাতিল চেয়ে আসামির করা আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। আদালত একই সঙ্গে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেন। এ বছরের শুরুর দিকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

 

 আইএসের হামলার তালিকায় বাংলাদেশ  জাতিসংঘ মহাসচিব 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বৈশ্বিক হুমকি, প্রভাব ও অনুপ্রেরণার উদাহরণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশেরও নাম নিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুুন। তিনি বলেছেন, গত ছয় মাসেই ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, লেবানন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বা হামলা চালাতে অনুপ্রাণিত করেছে কিংবা দায় স্বীকার করেছে। জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব আইএস নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব কথা বলেছেন। গত ছয় মাসে বিভিন্ন দেশে কথিত আইএসের হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘এসব হামলায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি নিহত এবং কয়েক শ আহত হয়েছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ওই দেশগুলোর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এসব হামলার তদন্ত করছে। তবে এটি ইতিমধ্যে স্পষ্ট যে সিরিয়ায় আইএসের দখলে থাকা এলাকা থেকে ইউরোপে ফেরা বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধারা এসব হামলা সমন্বয় করছে।
মহাসচিব বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জোটের হামলায় চাপে থাকা সত্ত্বেও আইএস নিয়ে বৈশ্বিক ঝুঁকি এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের দখলের বিস্তার থামলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রই বলেছে, আইএস কৌশলগতভাবে এখনো দুর্বল হয়নি এবং অপূরণীয় কোনো ক্ষতি আইএসের এখনো হয়নি। উদ্বেগের বিষয় হলো, আইএসের অস্ত্র কমছে এ কথা জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্রই বলছে না।
 

রোগী ঢাকায় বিরল গ্র“পের রক্ত দিলো মুম্বই


মানবাধিকার রিপোর্ট’
রোগী ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি। তার জন্য প্রয়োজন বিরল গ্রুপের রক্ত। আর সেই রক্ত দিলেন মুম্বইয়ের চার ব্যক্তি। শনিবারই বিশেষ আয়োজনে সেই রক্ত নিয়ে গেলেন রোগীর আত্মীয়। এবার ঢাকাতেই হবে অপারেশন। গত ২১শে মে ঢাকায় একটি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হন ২৫ বছরের তরুণ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। ঢাকারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখেন কামরুজ্জামানের রক্তের গ্রুপ একেবারে বিরল। এই বিরল ব্লাড গ্রুপের নাম ‘বম্বে’। বাংলাদেশের কোনো ব্লাড ব্যাংকেই খোঁজ মেলেনি ওই গ্রুপের রক্তের। ফলে অনলাইনের মাধ্যমে এ ধরনের ব্লাড গ্রুপের খোঁজ শুরু করেছিলেন কামরুজ্জামানের পরিজনরা। আর এভাবেই যোগাযোগ করা হয় মুম্বইয়ের চার ব্যক্তির সঙ্গে। নিজেদের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশি যুবককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মুম্বইয়ের স্বপ্না সবন্ত, কৃষ্ণানন্দ কোরি, মেহুল ভেলেকর এবং প্রবীণ শিন্ডে। কামরুজ্জামানের এক পরিজন শেখ তুহিনুর আলম মুম্বই উড়ে এসেছিলেন রক্ত সংগ্রহ করতে। বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক প্যাকেটে আইজেলের মাধ্যমে সেই রক্ত শনিবারই নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

ঢাবির সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞার মৃত্যুতে মানবাধিকার কমিশনের শোক


মানবাধিকার রিপোর্ট’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় উপদেষ্টা এবং খ্যাতনামা শিাবিদ প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না .... রাজিউন)। গত ১৩ জুন ২০১৬ দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তৃত্যুকারে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞার মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএস সাদেক এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মনিরুজ্জামান মিঞা বাংলাদেশের শিক্ষা ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে একজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যু জাতির জন্য একটি অপূরণীয় তি। ড. মনিরুজ্জামান মিঞা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাথে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থেকে দেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মানবাধিকার কমিশন এই মহান শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে সারাদেশে শোক সভা পালন করে।।
 

মানবাধিকার কমিশনের আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিভিশন এর উদ্যোগে গত ১৮ জুন ২০১৬ইং রোজ শনিবার বিকেল ৩টায় সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে “মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনা সভা, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গভর্নরের সংবর্ধনা এবং ইফতার মাহফিল” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গভর্নর আলহাজ সিকান্দার আলী জাহিদ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি'ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মো¯-ফা, কমিশনের ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি আক্তার"জ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর দণি এর নির্বাহী সভাপতি মোঃ হার"ন-অর-রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন শাখার প্রায় পাঁচশত মানবাধিকার কর্মী যোগ দেন। 
 

 বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্ট কোয়েনডার্স। বাংলাদেশের সরকার এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সত্যিকারের সংলাপে অংশ নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে (ইপি) বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কের সূচনা বক্তব্যে কোয়েন্ডার্স এসব কথা বলেন।
ডাচ এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাস্তব সংলাপ হওয়ার এখনই সময়।’
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যাকা গুলো সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডাচ এই রাজনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐকমত্য দরকার, যাতে করে দেশটিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সংরক্ষিত হবে।
কোয়েন্ডার্স বলেন, ‘নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হয়রানি এখনই বন্ধ করা প্রয়োজন। সহনশীলতার চর্চা ও রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিয়ে বিতর্কের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।’
বক্তব্যে ডেনমার্কের এই মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাে র তদন্ত করতে হবে এবং যারা এসব ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কোয়েন্ডার্স বলেন, ইইউ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সমুন্নত দেখতে চায়। বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে তাঁরা তাদের পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবেন।
 

এ কেমন পৈশাচিকতা!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অমানুষ হবে? আর কতো নির্মমতা দেখলে মানুষের অনুভূতি বিকল হয়ে যাবে? মানুষ কি আজ মানুষ ছাড়া আর সবকিছুই? এসব প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হচ্ছে একটি দৃশ্য দেখে। যা দেখলে যে কারোই বুক কেঁপে উঠবে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে একটি লঞ্চের কেবিনে দেখা গেছে এক তরুণীকে। দেখতে সুশ্রী। চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ। বয়স কতোই বা, ২২ বা ২৩। নিথর দেহ পড়ে আছে কেবিনের বেডে। কক্ষের ভেতরে সবকিছু কেমন এলোমেলো। রাতের কোনো এক সময় হত্যার শিকার হয়েছে। নির্মম আর পাশবিকভাবে। না, শুধু তরুণীকে একাই নয়, একই সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে তার অনাগত সন্তানকেও। না এখানেই শেষ হয়নি, মা আর তার গর্ভের সন্তানকে হত্যার আগে ধর্ষণও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে হয়তো প্রথম মা হওয়ার স্বর্গীয় আনন্দও!
কী পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল সেই তরুণী মাকে! ভাবা যায়? একদিকে গর্ভের সন্তানকে বাঁচানোর আকুতি। আরেকদিকে, নিজের সম্ভ্রম আর প্রাণ রক্ষা। না, শেষ অবধি কোনোটাই রক্ষা হয়নি। হতে দেয়নি পৈশাচিক ঘাতক।
আচ্ছা, কী এমন অপরাধ করেছিলেন ওই তরুণী মা? হয়তো ছিল প্রথম স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন? কারো ভালোবাসার পাতে ছাই দিয়েছিলেন? নাকি শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করেছিলেন?
হয়তো কেউ মনে মনে আওড়াতেও পারেন, ঘটনা হয়তো পরকীয়া, কিংবা অবৈধ গর্ভধারণ! হ্যাঁ, মুখে কিংবা প্রকাশ্যে না হোক মনে মনে তো এমন কথা কেউ বলতেই পারেন? কিন্তু তার জন্য কি এমন পাশবিক শাস্তি কেউ দিতে পারে? অন্তত সেই ঘাতক যতি হয় মানুষ। যদি এমনি কোনো মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করে থাকেন? পুলিশ গিয়ে এমভি আব-এ-জমজম-১ এর স্টাফ কেবিন থেকে তরুণীর মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লঞ্চের ম্যানেজার, কেরানি, কেবিনবয়সহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে এসেছে থানায়।
ম্যানেজর জানান, ৬ জুন রাত ৮ টায় একজন পুরুষসহ ওই তরুণী লঞ্চে উঠে ১১২নং কেবিন বুকিং করেছিলেন। ঢাকায় লঞ্চটি ভিড়ার পর কেবিন বয়দের অগোচরে পুরুষটি নেমে চলে যায়। তবে তরুণী থেকে গিয়েছিলেন কেবিনেই। ঢাকা থেকে লঞ্চটি আবারো চাঁদপুর চলে যায়। এরপর কেবিনে তরুণী লাশ দেখতে পায় কেবিন বয়রা।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উল্যাহ অলির ধারনা, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ওই অন্তঃস্বত্ত্বা ওই তরুণীকে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। একদিন হয়তো সব রহস্য উন্মোচিত হবে। ততোদিনে হয়তো আজকের এই অনুভূতি আমরা ভুলে যাবো। সেদিন আর কৌতুহল হবে না গর্ভের সন্তানসহ তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার কারণ জানতে। কারণ ততোদিনে হয়তো এমন ঘটনা আরো কয়েকটা ঘটে যাবে। অনুভূতিগুলোও এমন ঘটনায় আর সাড়া দেবে না।
না, আর তো কিছুই ভাবা যায় না। ভাবনাগুলোর সঙ্গে যে অনুভূতির দূরত্ব বেড়েই চলছে। আমরা বোধ হয় মানবিকতার সব দরজা বন্ধ করে দিচ্ছি। অনুভূতির হাজারো জানালা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর আমরাও দিন দিন মানুষ থেকে হয়ে পড়ছি অমানুষ।

 


বিচারপতি একেএম সাদেকের মৃত্যুতে মানবাধিকার কমিশনের শোক
 

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম সাদেক ১৫ জুন ২০১৬ সকালে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না .... রাজিউন)।
বিচারপতি একেএম সাদেক এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফা এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার নেতৃতৃন্দ উল্লেখ করেন, বিচারপতি একেএম সাদেক জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে গেছেন। বিচারপতি সাদেক দীর্ঘ সময়কাল যাবত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এই মহান বিচারপতির মৃত্যুতে সারাদেশে শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 

 বিশ্বে ১০০ কোটি মানুষ পানিসংকটে ভুগছে

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক বাস করছে শহরে আর গ্রিনহাউস গ্যাসের ৭০ শতাংশই নির্গত হচ্ছে এখান থেকে। অন্যদিকে পানির সংকট আছে এমন এলাকায় বাস করছে বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩৫০ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে।
এমন একটি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সবুজ পথে উন্নয়নকে পন্থা হিসেবে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো সবুজ উন্নয়নবিষয়ক পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলন। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের আসিয়াটিক্স পিয়াডস মিলনায়তনে এই সম্মেলনে বিশ্বের ৩৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সবুজ পথে টেকসই উন্নয়নের ঘোষণা দেন।
গতকাল মঙ্গলবার ডেনমার্কের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় সম্মেলনের তিন পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান জেনসান। তিনি পরবর্তী বছর থেকে এই সম্মেলনে এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার আরও দেশকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ এই ফোরামের সদস্য না হলেও শহরে সবুজ উন্নয়নবিষয়ক দুটি আলোচনা পর্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক অংশ নেন। তিনি সম্মেলনের আয়োজক দেশ ডেনমার্ক এবং উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে ঢাকা শহরের পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে বলা হয়, উন্নয়ন সহায়তা নয়, বাণিজ্যের পথেই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) পৌঁছাতে হবে। তবে এ জন্য সাধারণভাবে বাণিজ্য যেভাবে চলে, সেই পথের বাইরে নতুন করে ভাবতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উত্পাদনের দিকে যেতে হবে। পানি ও বনভূমি রক্ষায় সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নে ব্যবসাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান দ্য গ্লোবাল কমিশন অব বিজনেস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের কো-চেয়ারম্যান মার্ক মলচ ব্রাউন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন। সমাপনী দিনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইরিনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। তারা আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্পাদন খরচ বর্তমান সময়ের চেয়ে ৬৫ শতাংশ কমে যাবে। বিদ্যুতের অন্যান্য উৎসের চেয়ে এর খরচ কম হবে।
সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বন পর্যবেক্ষণ, খাদ্যের অপচয় কমানো, পানি খাতে সহযোগিতা ও শহরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে চারটি দল ঘোষণা করা হয়।


 বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী ইঐজঈ’র নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে অধিষ্ট হয়ে সুনাম সহকারে দায়িত্ব পালন করেন।
বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী ১৯৪০ সালের ২৩ জুন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার নোনাছড়ি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম গোলাম কবির চৌধুরী এবং মাতার নাম গোলনর বেগম চৌধুরী। বিচারপতি চৌধুরী কক্সবাজার জেলা থেকে আইন পেশা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তিনি হাই কোর্ট এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন। বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং ২০০৪ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে বিচারপতি চৌধুরী শ্রম ও আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের নবগঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হন।


 

জনদুর্ভোগ কমানোর ব্যবস্থা করুন


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কয়েক ঘণ্টায় মাত্র ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। তাতেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। এমনিতেই যানজটে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কর্মসময় নষ্ট হচ্ছে। যানজট মানুষের জন্য যেমন চরম দুর্ভোগের জন্ম দিচ্ছে, তেমনি দেশের আর্থিক ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কয়েক বছর আগে একটি জরিপে দেখানো হয়েছে, যানজটের কারণে প্রতিদিন শুধু রাজধানীতেই নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময়। প্রতিদিনের আর্থিক ক্ষতি ২০ হাজার কোটি টাকা। যানজটের সঙ্গে এবার আগাম বৃষ্টিপাতে যুক্ত হয়েছে জলজট। সামনে বর্ষা মৌসুম। ঢাকার রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? রাজধানীতে রাস্তার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার চলছে। খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে। চলছে উড়াল সড়ক নির্মাণের কাজও। তাই যানজট এখন ঢাকাবাসীর নিত্যসঙ্গী। সামান্য বৃষ্টি হলে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
বর্ষায় যানজট আর জলজট নগরবাসীর বিড়ম্বনার নতুন কারণ নয়। প্রতিবছরই বর্ষায় জলজটসৃষ্ট অসহনীয় যানজটে চরম যন্ত্রণা দেখা দেয়। কিন্তু প্রতিকারের কোনো উপায় বের করা যাচ্ছে না। ঢাকার পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। মহানগরীর আয়তন ও জনসংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নত হয়নি। লক্ষ করা যায়, প্রতিবছর বর্ষার ঠিক আগে রাজধানীর ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার কাজ হাতে নেওয়া হয়। এবারও ঢাকার বিভিন্ন রাস্তার পাশের ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। ময়লা তুলে রাখা হচ্ছে রাস্তার পাশে বা ফুটপাতে। বৃষ্টির পানিতে তা আবার আগের ড্রেনে ফিরে যাচ্ছে বা রাস্তায় জমে থেকে মানুষের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
মানতে হবে, রাজধানীতে যত্রতত্র পার্কিং করা হয়, ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে নাগরিকদের মধ্যে তেমনভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়নি। অনেকেই রাস্তার ওপর খোলা জায়গায় ময়লা ফেলেন, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে যায়। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ ডিসিসি কি এখনো পর্যন্ত ময়লা ফেলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দিতে পেরেছে? মেনে নিতে হবে রাজধানীতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক রাস্তা নেই। মূল কয়েকটি রাস্তার ওপর নির্ভর করতে হয় নগরবাসীকে। কিন্তু যে সড়ক রাজধানীতে আছে, সেখানে কি শৃঙ্খলা আছে? সড়ক ব্যবস্থাপনায় কি কোনো ত্রুটি নেই?
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের সমন্বয়হীনতা যে মহানগরীকে প্রায় স্থবির অবস্থায় এনে ফেলেছে, এ থেকে মুক্ত হতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। সমস্যা সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ ও দুর্গতি কী করে কমিয়ে আনা যায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা আশা করব, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনদুর্ভোগ দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও রাস্তার শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

এ্যাড. তোতনের পিতার মৃত্যুতে মানবাধিকার কমিশন গাইবান্ধা জেলা শাখার শোক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবি এ্যাড. আনিস মোস্তফা তোতনের পিতা গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবি আলহাজ্জ মোহাম্মদ আলী (৮৫) গত ১১ জুন ২০১৬ইং মধ্যরাতে বার্ধক্য জনিত কারনে ইন্তেকাল করিয়াছে। ইন্নালিল্লাহি.............রাজিউন)। তার মৃত্যুতে জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এ্যাড. সেকেন্দার আযম আনাম, এ্যাড. শামিম, কায়সার প্লাবন, ফুলছড়ি উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ধিরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী উজ্জ্বল, সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, পলাশবাড়ি উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি এস.এম. জহুর"ল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সর্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার ম্যাগাজিন প্রতিনিধি এ.কে.এম সালহ্ উদ্দিন কাশেম, অমল চন্দ্র দাস, আসাদুজ্জামান র"বেল, এস. এম বিপ্লব ইসলাম, সাঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি ফটো আপা প্রমূখ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
 

 

প্রধানমন্ত্রী অসহায়, নিপিড়ীত ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহনুভূতিশীল

 

শাহ মনসুর আলী নোমানঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় অন্যায় ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই তিনি অসহায়, নিপিড়ীত ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহনুভূতিশীল ও পাশে আছেন, তিনি মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার একটি সুখি-সমৃদ্ধ ও শান্তির বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যারা জঙ্গীবাদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের সম্মিলিত ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) সিলেট মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। সিলেট নগরীর দরগা গেইটস্থ ড. আর কে ধর হলে ২৬ জুন রোববার ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট (বামাক) জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান। বামাক সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক লিলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহসান হাবীবের যৌথ পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এপিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সংগঠক, বামাক কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি মনোরঞ্জন তালুকদার। উক্ত সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট বিভাগের নব নির্বাচিত গভর্নর ড. আর. কে ধর’কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মোতাহির আলী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর হাকিম দেলোয়ার হোসেন, জাদু শিল্পী মোঃ বেলাল উদ্দিন, নর্থ ইষ্ট ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর অফিসার, সংবাদিক ও প্রাবন্ধিক শাহ মনসুর আলী নোমান, মেহেদী কাবুল, হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের সাবেক ট্রাষ্টি নিহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, অধ্যাপক শামীম আরা বেগম, অধ্যাপক ইসলাম উদ্দিন, শফিকুর রহমান শফিক, ড. ওলিউর রহমান, এডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম, সাংবাদিক জাবেদ আহমদ, সাংবাদিক খালেদ মিয়া, এডভোকেট বাবুল মিয়া, এডভোকেট আবু লেইস, এডভোকেট আজিজুর রহমান, মাওলানা কুতুব উদ্দিন ফুয়াদ প্রমুখ। ইফতার পূর্বে মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক এম.এ হানড়বান। আলোচনা সভা শেষে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে একটি র‌্যালি বের করা হয়।



Top

লাকসামে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নাগরিক শোক সভা ও ইফতার মাহফিল

আহমেদ তমিজ উদ্দিন চুন্নু
লাকসামে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে গত ৩০ জুন স্থানীয় একটি চাইনীজ রেষ্টুরেন্টে এক নাগরিক শোক সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসান রোম্মানের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তমিজ উদ্দিন চুন্নুর সঞ্চালনায় নাগরিক শোক ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি'ত ছিলেন- বিশিষ্ট আইনজীবি মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান মজুমদার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর রহমান পাটোয়ারী, লাকসাম পৌরসভার সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, লাকসাম পৌরসভা যুগ্ম সম্পাদক এটিএম নুরুল হুদা রাজু, সাইফুল ইসলম টুটুল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, লাকসাম উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন মারুফ, মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির মানিক, ডা. মীর হোসেন, সাংবাদিক সাইফ খান, মোর্শেদুর রহমান সোহেলসহ সাংবাদিক, পেশাজীবি মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

Top

মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার সদর উপজেলার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বাধীনদেশে স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার পরিজনকে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড মানবাধিকার লংঘনের জগন্য ঘটনা। ৭১’এর মুক্তিযোদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আল বদরদের নারী শিশু হত্যা নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করে মানবাধিকার লংঘন করেছে। সামাজিক উন্নতি, ন্যায় বিচার গণতন্ত্রের অব্যাহত অগ্রযাত্রা মানবাধিকার উন্নত হবে বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার সদর উপজেলার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গত অভিজাত হোটেল সিলভার সাইন এর মিলনায়তনে সদর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম. রাসিব আহমদের সঞ্চালনায় ও সদর অর্থ সম্পাদক আবদুল মালেক নায়েম এর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক রফিক উদ্দিন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, শহিদুল্লাহ মেম্বার, দেলোয়ার হোসাইন, বীচ পাবলিক স্কুল এ কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপল আলী আকবর, সদর উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি শাহেনা আক্তার পাখি, মোঃ ইউনুছ, আসমাউল হুসনা, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, সাংবাদিক আবদুল আলীম নোবেল, হাফেজুর রহমান লাভলু, প্রচার ও প্রকাশনার সম্পাদক নাজমুস সাকিব, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহরিয়ার তুহিন, এড. ইউসুফ আরমান, দপ্তর সম্পাদক খোরশেদুল হক, মহিলা সম্পাদিকা মমতাজ শফিনা আজিম, শহর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইলিয়াছ, সভায় উপস্থিত ছিলেন-যুগ্ম-সম্পাদক সরওয়ার হোসেন, তাজমীর হোসেন চৌধুরী, সদর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, এম খোরশেদ আলম, আবু ফরহাদ বুখারী, সাদ্দাম হোসাইন, ইব্রাহিম রুবেল, সদর সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মোঃ সুজন, আসাদুজ্জামান সায়েম, ইনতিশার মোঃ রাব্বি, আরিফ উল্লাহ, ছৈয়দ হোসেন রাসেল, নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, নুরুল আমিন খান, মোঃ নাজিম উদ্দিন, ওসমান সরওয়ার, মোঃ শহিদুল্লাহ, মিজানুর রহমান, ছৈয়দ আলম প্রমুখ। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ড. নুরুল আবছার। সভায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় বঞ্চিত গরীব মানুষ, কারাগারে বন্দীদের পর্যাপ্ত থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধাসহ, সমাজে নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার প্রতিরোধের বিরুদ্ধে সকল মানবাধিকার কর্মীদেরকে সোচ্ছার হওয়ার অঙ্গীকার করেন।

 

 হেলমেট না পরায় প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইন সবার জন্য সমান। আইনের হাত থেকে তাই রেহাই পেলেন না কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী। নিয়ম ভাঙায় জরিমানা গুনলেন তিনি। হেলমেট ছাড়া স্কুটার চালানোয় ১৫ হাজার রিয়েল জরিমানা দিয়ে এ যাত্রায় বাঁচলেন তিনি। শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ১৮ জুন কোনহ কোং গ্রামে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। গ্রাম্য রাস্তায় হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালিয়েছিলেন। সেই ছবি দেশের সব সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিতর্ক উসকে ওঠে।
অবশেষে পুলিশের তলবে থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই সোজা চালান বই বের করে খসখস করে জরিমানার রশিদ কেটে হাতে ধরিয়ে দেয়া হল। জরিমানা দেয়ার পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন জানান, আইন মানতে সবাই বাধ্য। আমার ঘটনা একটি উদাহরণ হয়েই থাকবে।
তিন দশক ক্ষমতায় রয়েছে কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি। দলটির প্রধান নেতা হুন সেন। সেই ১৯৭৯ সাল থেকে দলটি দেশ শাসন করছে। বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী শাসক দলের মর্যাদাও পাচ্ছে। তীব্র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এক সময় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তৎকালীন কাম্পুচিয়ায় (বর্তমান কম্বোডিয়া) মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শ তুলে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।


 

এক নারীর গর্ভে ৬৯ সন্তান!


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্বজুড়ে রেকর্ডের শেষ নেই। কেউ সবচেয়ে বেশি বিয়ে করে রেকর্ড গড়েন। কেউ স্থুলকায় হয়ে রেকর্ড করেন। কেউ আবার শুক্রানু দানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শত শত সন্তানের বাবা হয়ে রেকর্ড করছেন। তবে এবার যে রেকর্ডটির কথা বলবো তা শুনলে অবিশ্বাস্যই মনে হবে। একজন স্ত্রীর থেকে সর্বাধিক সন্তান পাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড?েছেন এক বাবা। এ বাবার বাড়ি রাশিয়ার মস্কোয়। তার সন্তানের সংখ্যা ৬৯। এখানেই শেষ নয়। অনেকে ভাবতে পারেন প্রতিবছর একটা করে সন্তান জন্ম দিলেও তো ৬৯ বছর লেগে যাওয়ার কথা। সেটা সত্য। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ফিওডোর তাকে ১৬ জোড?া যমজ, সাত সেট ট্রিপলেট (একসঙ্গে তিনটি বাচ্চা হওয়া) ও চার সেট কোয়াড্রুপ্লেট (একসঙ্গে চারটি বাচ্চা হওয়া) সন্তান উপহার দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ওই নারী কখনো কোন একক সন্তান জন্ম দেননি।
 

Top

 

 সংকুচিত হয়ে মৃত্যুর মুখে ডেড সি!

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মধ্যপ্রাচ্যে জর্ডান এবং ইসরাইলের সীমান্তে অবস্থিত ডেড সি সম্পর্কিত একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো এর পানি এতটাই ঘন যে তাতে নাকি রীতিমত বসে থাকা যায় । কিন্তু সেই মৃত সাগর দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে এবং সত্যি সত্যিই মারা যাচ্ছে ডেড সি।
তিন দশক আগে যখন ইসরাইলের এনগেডি রিসোর্টটি তৈরি হয়েছিল তখন ডেড সির পানি ছিল তার দেয়ালের গা ঘেঁষে। কিন্তু এখন এই সমুদ্র এত দ্রুত সঙ্কুচিত হয়ে আসছে যে তার পানি দেখতে হলে পর্যটকদের জন্য তৈরি এক ট্রেনে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ২ কিলোমিটার। তবে ডেড সি-র প্রাচীন সব গুণাবলী অবশ্য এখনো অটুট রয়েছে। এখনো ঘন লবণাক্ত পানিতে নেমে তাতে ভেসে থাকা সম্ভব। ডেড সি-র পানিতে এভাবে ভেসে থাকার আগ্রহেই সেখানে যান অনেক পর্যটক। বেশ কয়েক বছর হলো ডেড সির আশেপাশের চেহারা খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। জানা গেছে, গতবছরও এখানে পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গা, দোকানপাট সহ আরো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু এখন তার কিছুই আর বলতে গেলে নেই। কারণ পুরো এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে সিংকহোল।
প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া মাটির গর্তে দেবে যাচ্ছে পুরো ভবনও। সিংকহোলের বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গিডিবেয়ার বলেন, এটি খুবই নাটকীয় ঘটনা এবং দুশ্চিন্তারও বিষয়। বিশেষ করে যারা এই সৈকতের ওপর নির্ভর করে জীবনধারণ করত তাদের জন্য।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে পুরো এলাকায় কয়েক হাজার চোরাবালির মত সিংকহোলে দেবে গেছে প্রচুর স্থাপনা। অতীতে ভূতত্ত্ববিদরা প্রাচীন চিহ্ন দেখে বোঝার চেষ্টা করতো যে এসব সিংকহোল কিভাবে তৈরি হয়। এখানে আমরা চোখের সামনে দেখছি যে সিংকহোল কিভাবে তৈরি হয়। একজন ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে এটি দেখতে পারা এবং এ নিয়ে গবেষণা করতে পারাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। ডেড সি-র সংকুচিত হওয়ার কারণটা হলো জর্ডানের যে নদী থেকে এখানে পানি আসে, সেই নদীর পানি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও এই সমস্যা সমাধানের একটি পরিকল্পনা আছে। লোহিত সাগর থেকে মরুভূমির ওপর দিয়ে একটি পাইপলাইন তৈরি করা। প্রকল্পটি হবে অনেক ব্যয়বহুল।
পরিবেশবাদী গোষ্ঠী ইকোপিসের সালাম আব্দুর রহমান বলছেন, এই অর্থ ব্যয় করাটা যুক্তিসঙ্গত। ডেড সি সুন্দর কি না সেটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা মনে করি ডেড সি হচ্ছে জীবনধারণের অবস্থার একটি নির্দেশক। এই অঞ্চলে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা যে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে, ডেড সি তারই নিদর্শন। যে কারণে ডেড সি রক্ষা করতে পারলে একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাবে যে আমরা আমাদের পরিবেশের রোগ সারিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলছি।

 

 সন্ত্রাস নির্মূলের উদ্যোগে মমতার সমর্থন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগের প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মতো সমর্থন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভারতে বাংলাদেশের হাই-কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি ওই সমর্থনের কথা জানান। উল্লেখ্য, মমতার দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর আগে গত রবিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
কলকাতা থেকে পাওয়া সংবাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, ‘সন্ত্রাসী কর্মকা নির্মূলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া উদ্যোগের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।’
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পৌঁছে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভায় বিশাল জয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষে মমতাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এ জয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
মোয়াজ্জেম আলী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ঢাকার পূর্ণ আস্থা থাকার কথাও জানান। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানিরও ইঙ্গিত দেন।

 

 বিশ্বে বর্তমানে রেকর্ড পরিমাণ শরণার্থী রয়েছে : জাতিসংঘ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিশ্ব ইতিহাসে বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংঘাতকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বিশ্বে ৬ কোটি ৫০ লাখ শরণার্থী রয়েছে বলে এক হিসেবে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। শুধু ২০১৫ সালেই নতুন করে যোগ হয়েছে ৫ লাখ শরণার্থী। এদের মধ্যে কেউ হয়ত যুদ্ধের কারণে পালিয়ে এসেছে, কেউ এসেছে জীবিকার তাগিদে আবার অন্য কোনভাবেও নিজ আবাসস্থল ছেড়েছেন অনেকে।
জাতিসংঘ তার পরিসংখ্যানে জানায়, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ১১৩ জন মানুষের মধ্যে একজন শরণার্থী। এদিকে ইউরোপের 'ভিনদেশি সম্পর্কে আতঙ্ক' শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলার অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে বলে জানান জাতিসংঘের রিফুজি প্রধান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বর্তমানে মানুষের স্থানান্তরকে অনেক অধিকার সংগঠন সমর্থন করলেও অভিবাসন বিমুখ কিছু নীতিরও জন্ম দিচ্ছে।
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে জাতিসংঘ জানায়, প্রথমবারের মত ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেল শরণার্থীর সংখ্যা। এর মধ্যে অর্ধেকই এসেছে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মত যুদ্ধরত দেশ থেকে।

  কলকাতায় কুমিরসদৃশ মাছ, বিস্ময়-উদ্বেগ
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পশ্চিবঙ্গের রাজধানী কলকাতার সুভাষ সরোবরে এলিগেটর বা কুমিরের মতো একটি মাছ পাওয়া গেছে। এর নাম এলিগেটর গার।
তীক্ষè ও ধারালো দাঁতওয়ালা মাছটি লম্বায় ৩ দশমিক ৫ ফুট। এটি ৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
ভারতের দৈনিক পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শিকারি এই মাছ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দুই মাস আগে স্থানীয় মাছ শিকারি শিবু ম ল তাঁর ছিপ দিয়ে এই মাছটি শিকার করেন।
পশ্চিবঙ্গ মৎস্যশিকারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শিবু ম ল জানান, তিনি যখন ছিপ দিয়ে মাছটি ধরছিলেন তখন এটি তাঁকে আক্রমণ করা চেষ্টা করছিল এবং তাঁর আঙ্গুলে কামড়ও দেয়। ম ল নিয়মিত কলকাতা বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে মাছ শিকার করে থাকেন।
পাঁচ কেজি ওজনের মাছটি ম লের এক বন্ধু এটি রান্না করেছেন। কিছুটা অংশ শুঁটকি করে রেখেছেন। এটির স্বাদ হালকা টক।
ম ল বলেন, ‘মাছটি এতই শক্ত ছিল যে আমরা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কাটতে পারিনি। এটিকে কুড়াল দিয়ে কাটতে হয়েছে।’
জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ ও মাছ শিকারিরা জানান, শিকারি এই মাছ লেকের সব মাছকে মেরে ফেলতে পারত।
জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্তৃপক্ষ ও তেলেঙ্গানা রাজ্য জীববৈচিত্র্য বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য রাজীব ম্যাথিউ বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মাংসাশী প্রাণী। এটি শুধু অন্য মাছ মেরে ফেলে না, মানুষের ওপর আক্রমণ করার খবরও পাওয়া গেছে। এই মাছের ডিম বিষাক্ত হয়। এদের আক্রমণাত্মক আচরণে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।’
বর্তমানে এই এলিগেটর গারের বসবাস শুধু নর্থ ও মধ্য আমেরিকায়। কিন্তু এই মাছ ভারতে কি করে এলো এখন এটিই প্রশ্ন। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে এরই মধ্যে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শিকারি মাছ। তামিলনাড়ুর জলাশয়ে দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করছে এলিগেটর গার।
 

মানবাধিকার কমিশনের রাজশাহী মহানগর শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রাজশাহী মহানগর শাখা গত ২৬ জুন স্থানীয় অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। কমিশনের সভাপতি জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ শামসুল হুদা (কিসলু) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু মোত্তালেব (বাদল) এর সার্বিক পরিচালনায় মাহফিলে কমিশনের ১৫০ এর অধিক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সদ্য প্রয়াত কমিশনের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ, কে,এম সাদেক ও কমিশনের জাতীয় উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য খ্যাতনামা শিাবিদ প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞার ইন্তেকালে বিশেষ দোয়া সহ ইতিমধ্যে কমিশনের যে সকল সদস্য ইন্তেকাল করেছেন তাদেরও আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ উপস্থিত সকলের ও দেশ এবং দশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচলনা করেন হাফেজ মোঃ আবুদল জাব্বার।

 

আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস পালিত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রাজশাহী মহানগর শাখা গত ২৬ জুন বিকেলে ‘‘নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস” উদযাপন উপলক্ষে কমিশনের সাহেব বাজারস্থ রাজশাহী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, কমিশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলম (টুলু)।
কমিশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু মোত্তলেব (বাদল) এর পরিচালনায় নির্যাতিতদের মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন এ্যাডভোকেট আখতারুল আলম (বাবু) এ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য, এ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দীন রুনু, এ্যাডভোকেট মাইনুর রহমান চৌধুরী (হালিম), ড. মোঃ আবুল কামাল, অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম (শেলু) জনাব মোঃ হেনা মোস্তফা কামাল, মোঃ হাফিজুর রহমান খান, মোঃ আফসার হোসেন, মোঃ আব্দুল জব্বার, মোঃ আতিকুর রহমান লাকী, মোঃ গোলাম রব খান সহ প্রমুখ।
 


  হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন হয় ১৭৭৬ সালে। আর সেই স্বাধীনতার ২৪০ বছর পর দেশটিতে কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হচ্ছেন। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গত রবিবার পুয়ের্তো রিকোয় অনুষ্ঠিত প্রাইমারির পর হিলারি তার মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ২ হাজার ৩৮৩ জন প্রতিনিধি বা ডেলিগেটের সমর্থন পেয়ে গেছেন। এর পরই তিনি বলেন, ‘সামনেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আর আমাদের এক একটি ভোটের জন্য লড়াই করতে হবে।’
অন্যদিকে, তার বিরোধী বার্নি স্যান্ডার্স হিলারির জয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার কথায়, ‘মিসেস ক্লিনটন কখনই জয়ী হতে পারবেন না। কারণ উনি সম্পূর্ণভাবে প্রতিনিধিদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে রয়েছেন।’ সংবাদ সংস্থা এপির ঘোষণায় এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারি নির্বাচনের ফলাফলে অর্জিত ডেলিগেট ছাড়াও ‘সুপার ডেলিগেটদের’ সংখ্যা যোগ করা হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে স্যান্ডার্সের নির্বাচনী দফতর থেকে জানানো হয়, সুপার ডেলিগেটরা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দলীয় সম্মেলনে ভোট দেবেন। এর আগে তাদের সংখ্যা হিসাবে আনা অযৌক্তিক। স্যান্ডার্স আশা করছেন, গতকালের প্রাইমারিতে চমৎকার ফল অর্জন করে তিনি সুপার ডেলিগেটদের মত পরিবর্তন করাতে সক্ষম হবেন।
ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও দলীয় কর্মকর্তারা ‘সুপার ডেলিগেট’ হিসেবে দলীয় সম্মেলনে ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন। তাদের প্রায় ৪০০ জন বাছাই পর্বের নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই হিলারির পক্ষে নিজেদের সমর্থন ঘোষণা করেন। এখন তাদের মোট সংখ্যা বেড়ে ৫৭১-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্যান্ডার্সের পক্ষে রয়েছেন মাত্র ৪৮ জন সুপার ডেলিগেট। এখনো ৯৩ জন সুপার ডেলিগেট তাদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেননি। স্যান্ডার্স যুক্তি দেখিয়েছেন, অধিকাংশ জনমত জরিপ অনুসারে, সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনায়াসে পরাজিত করতে পারবেন। সে কারণে দলের স্বার্থে সুপার ডেলিগেটদের উচিত তাদের সিদ্ধান্ত বদলে তাকে সমর্থন করা।
নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপার ডেলিগেটদের সমর্থন ছাড়া শুধু বাছাই পর্বের নির্বাচন থেকে হিলারি বা স্যান্ডার্স কেউই প্রয়োজনীয়সংখ্যক ডেলিগেট সংগ্রহ করতে পারবেন না। জনমত জরিপের মডেল অনুসারে, গতকালের প্রাইমারিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আনুপাতিক হারে ডেলিগেট ভাগাভাগির পরও হিলারির অন্তত ২০০ ডেলিগেটের কমতি পড়বে। আর স্যান্ডার্সের ঘাটতির পরিমাণ থাকবে ৫০০-এর বেশি। আজকের প্রাইমারি ভোটের পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই হিসাব মাথায় রেখে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ সপ্তাহেই হিলারির পক্ষে তার সমর্থন ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
তবে হোয়াইট হাউস সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে আগ্রহী বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অর্জন যাতে বৃথা না যায়, সেজন্য তিনি একজন ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান। আর সেই প্রার্থী যে হিলারি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


 



ইইউ পার্লামেন্টের উদ্বেগ
পরিস্থিতির উত্তরণে চাপে রাখবে ইইউ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদের উত্থান’, রাজনৈতিক ‘অচলাবস্থা’ এবং শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত বিতর্কে অংশ নেওয়া ইউরোপীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রায় সবাই একই সুরে এ উদ্বেগ জানান।
তাঁদের বক্তব্যে রাজনৈতিক ‘অচলাবস্থা’ নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বসা, নতুন নির্বাচন দেওয়া, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর ঝুঁকির কথা সরকারকে স্বীকার করা, বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের সঙ্গ ছাড়ার মতো আহ্বান স্থান পায়।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অবরোধ আরোপের প্রস্তাব দিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া বার্ট কোয়েন্ডার্স বলেন, তিনি অবরোধ বিষয়টি পছন্দ করেন না। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার ও রাজনৈতিক আলোচনা এবং বাণিজ্যবিষয়ক ‘কম্প্যাক্ট’ রয়েছে। সেগুলোকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিবাচক অনেক দিক যেমন আছে ঠিক তেমনি আছে নেতিবাচক দিক। প্রগতিশীল, বিরোধী ও ভিন্নমতাবলম্বী নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের জন্য সুযোগ কমছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তাঁরা বাংলাদেশের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরো সরব হওয়ার আহ্বান জানান। পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদ বাড়লে পুরো অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে।


 ইতিহাসের নায়ক-খলনায়ক হিটলার
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে ইতিহাসে ঠাঁই নেয়া অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক অ্যাডলফ হিটলার পেশায় ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির। ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর। বহু বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। সংক্ষেপে তার জীবনকথা লিখেছেন সেলিম কামাল-
জন্ম ও পরিবার
১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন অ্যাডলফ হিটলার। তার বাবার নাম অ্যালয়েস হিটলার। মা ক্লারা পৌলজি। কথিত আছে হিটলারের বাবা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য সন্তান ছিলেন না। এ কারণে তিনি জীবনের অনেকটা সময় শেষ নাম হিসেবে মায়ের নাম ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৭৬ সালে অ্যালয়েস হিটলার নাম ধারণ করেন। ছেলে অ্যাডলফও কখনও হিটলার ছাড়া অন্য কোনো শেষ নাম ব্যবহার করেননি।
কৈশোর ও যৌবনে হিটলার
সরকারি কাস্টমস থেকে অবসর নেয়ার পর হিটলারের বাবা সপরিবারে আপার অস্ট্রিয়ার লিন্ৎস শহরে চলে আসেন। এখানেই কাটে হিটলারের বাল্যকাল। এ কারণে সারা জীবন তিনি লিন্ৎসকে ভালোবেসে গেছেন, কোনো শহরকে এর ওপরে স্থান দিতে পারেননি। বাবাকে তিনি খুব একটা পছন্দ করতেন না বরং ভয় পেতেন। কিন্তু মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না। ১৯০৩ সালে বাবা মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন ও সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনোমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে মা মারা যান। হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পড়াশোনাতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। একসময় চলে যান ভিয়েনায়। সামান্য যা ভাতা পেতেন তা দিয়ে ভিয়েনার মতো শহরে চলতে-ফিরতে তাকে বেশ বেগ পেতে হতো। শিল্পী হিসেবেই তার বেশ সম্ভাবনা ছিল। এ উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার একাডেমি অব ফাইন আর্টসে ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু সুযোগ পাননি।
হিটলারের ছন্নছাড়া জীবন
একটা সময় বেশ ক’বছর তাকে একাকী ও বিচ্ছিন্ন জীবন কাটাতে হয়। এসময় পোস্টকার্ড ও বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে সামান্য উপার্জন করতেন। এ অর্থ দিয়ে ভিয়েনার এক হোস্টেল থেকে আরেক হোস্টেলে বাস করতে থাকেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
১৯১৩ সালে হিটলার মিউনিখে চলে যান। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রীয় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে সৈনিক হওয়ার সুযোগ পাননি। তাকে সামরিক বাহিনীর জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ১৬তম বাভারিয়ান রিজার্ভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে। যুদ্ধের পুরোটা সময় জার্মানিকে সেবা দিয়ে গেছেন। ১৯১৬ সালের অক্টোবরে আহত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া যুদ্ধের বাকিটা সময় সক্রিয় থেকেছেন। অধিকাংশ সময়ই সম্মুখ সারিতে থেকে হেডকোয়ার্টার্স রানার হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে সেকেন্ড ক্লাস আয়রন ক্রস লাভ করেন। ১৯১৮ সালের আগস্টে তাকে ফার্স্ট ক্লাস আয়রন ক্রস দেয়া হয়। একজন করপোরালের পক্ষে এটা বেশ বড় প্রাপ্তি। হিটলার খুব উৎসাহের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।
নাগরিকত্ব
হিটলার ১৯২৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার নাগরিক ছিলেন। জার্মানির নাগরিকত্ব পান ১৯৩২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।
জার্মানিতে রাজনীতি
পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং তাকে জেলও খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সম্মোহনী বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই একসময় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সাম্রাজ্যবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার
হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সব সমৃদ্ধ অঞ্চল দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে। এর ফলে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের অক্ষশক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্রশক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লাখ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এ ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত।
বিয়ে এবং মৃত্যু
১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে তিনি ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন।


 মৃত মায়ের জীবিত সন্তান প্রসব


মনবাধিকার রিপোর্টঃ
ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষিত এক মা সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান গর্ভে আসার ৪র্থ সপ্তাহে তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন ডাক্তারার। ঘটনাটি ঘটেছে পর্তুগালে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গত ৭ জুন ২০১৬ শিশুটি লিবসন হাসপাতালে ৮ মাস বয়সে ভূমিষ্ট হয়। জন্মের সময় তার ওজন ছিল ২.৩ কেজি।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে চলতি বছরের ২০ ফেব্র“য়ারি শিশুটির মাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, কৃ্ত্িরমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রেখে গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব। শিশুটির বাবা এতে সম্মতি প্রদান করেন।
লিবসন হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছে, শিশুটি সুস্থ অবস্থায় জন্মেছে। তবে শিশুটির মা এখনো লাইফ সাপোর্টে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
পর্তুগালে মৃত মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠা এটাই প্রথম সন্তান।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পোল্যান্ডের রোক্লোতে মৃত্যুর ৫৫ দিন পর সুস্থ সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছিল এক নারীর। ব্রেন টিউমারের কারণে ওই নারী মারা গেলে তাকেও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সন্তান জন্ম দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার সেই লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
 

 প্রেম, বিয়ে ও সামাজিকতা


মনবাধিকার রিপোর্টঃ
জর্জ বার্নাডস তার ‘ইউ নেভার ক্যান
টেল’ নাটকে বলেছেন, Marriage is not a matter of sentiment, rather it is a matter of judgment and consideration. আসলেই বিয়ে কোনো আবেগের বিষয় নয়, বিয়ে বিচার-বিবেচনার বিষয়।’ বিয়ে দুটি অপরিচিত নর-নারীর মধ্যে আত্মিক, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন গড়ে তোলে। এ বন্ধনই ভবিষ্যৎ বংশধর সৃষ্টির উৎস। সমাজের ইউনিট হচ্ছে পরিবার। বিয়ে পরিবারের ভিত রচনা করে। বিয়ের গুরুত্ব সব সমাজে আদিকাল থেকেই বিদ্যমান।
ইদানীং অনেক ছেলেমেয়ে পরিবারের অজান্তে, অমতে, বাবা-মা, বড় ভাই ও বোনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করছে। কেউ কেউ প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের বিয়ে ভালো কিংবা মন্দ- তা চিন্তা করার ক্ষেত্রে তারা খুব একটা গুরুত্ব প্রদান করে না। তারা প্রেমে পড়েছে এবং এ প্রেম গড়াতে গড়াতে গিয়ে একসময় বিয়ের পরিণতি লাভ করে। কেউ কেউ অবশ্য বলে থাকেন, ‘বিয়ে! সে তো প্রেমের সমাপ্তি। প্রেম-ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে হলে একে অপরকে বিয়ে করা উচিত নয়।’ এটি অবশ্য বাস্তবের কথা নয়। বিয়ে হলে সংসার হবে; সংসার হলে টোকাটুকি, ছোটখাটো ঝগড়াঝাটি হবে। কিন্তু তাই বলে বিয়ে করা ঠিক হবে না- এটি বাস্তব কথা নয়, এটি আবেগের কথা। সমাজের বাইরের কথা।
একটি ছেলেমেয়ের মধ্যে যখন বিয়ে হয়- এর অর্থ দুটো পরিবারের মধ্যে নতুন এক ধরনের সম্পর্ক, বন্ধন ও আত্মীয়তার সৃষ্টি হয় আর এগুলোর মূলে রয়েছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে, যারা একে অপরকে আগে চিনত না। পূর্ব থেকে না চেনার ফলে হঠাৎ আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে হওয়ার ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা যে সৃষ্টি হবে না, তা নয়। সেটুকু মেনে নিতে হবে সবাইকে। তাই বলা হয়, মেরিজ ইজ এ ম্যাটার অব এডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড কম্প্রোমাইজ।
আধুনিক যুগে মেয়েরা স্বাবলম্বী হচ্ছে, এটি একটি ভালো দিক। কিন্তু স্বাবলম্বী হওয়ার কারণে একে অপরকে পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে সংসারে নেমে আসছে অশান্তি, ভেঙে যাচ্ছে পরিবার। এখানে প্রয়োজন ‘সেক্রিফেসিয়াল মনোভাব’, প্রয়োজন কম্প্রোমাইজ এবং দেয়া-নেয়ার মানসিকতা। শুধু নেব, কিছু দেব না; আমি যা বলব- তাই হতে হবে, আমার জীবনসঙ্গী যা বলবে, তা হবে না- এ ধরনের মনোভাব সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে সংসার ভাঙনের দিকে গড়াতে সহায়তা করে। সংসার যদি ভেঙে যায়, তাহলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, স্বাবলম্বী হওয়া দিয়ে কী হবে? সব দম্পতিকে এটি বুঝতে হবে। মানুষ শুধু ভাত খেয়ে বাঁচে না। বাঁচার জন্য দরকার মানসিক প্রশান্তি, ইমোশনাল সাপোর্ট, সঙ্গী। প্রকৃত ভালোবাসার উপহার হচ্ছে সংসারে সন্তানের আগমন। এ এক নতুন অনুভূতি, নতুন জগৎ, নতুন দায়িত্ব, অদ্ভুত এক আনন্দ। তবে শুধু সন্তান জন্ম দিতে পারবে বলেই যে বিয়ে করতে হয়, তা নয়। ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন, Wives are young men's mistress, companions for middle and old men's nurses. এর মানে হল, সব বয়সেই স্ত্রী প্রয়োজন, সব বয়সেই বিয়ে করা দরকার। আবার একইভাবে নারীদেরও যে কোনো বয়সে পুরুষ প্রয়োজন। কেউ কেউ মনে করেন, একমাত্র যুবক বয়সেই পুরুষের প্রয়োজন নারীর, আর নারীর প্রয়োজন পুরুষের। ব্যাপারটি আসলে তা নয়। সব বয়সেই সঙ্গী প্রয়োজন, বন্ধু প্রয়োজন। এদিক থেকে এশিয়ার দেশগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। এশিয়ার মানুষের হয়তো এত অর্থবিত্ত নেই, কিন্তু আছে কঠিন পারিবারিক বন্ধন, আছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর অনুভূতি ও মমতা।
নতুন দুই পরিবারের দুটো ভিন্নধর্মী লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখাও এক ধরনের স্কিল, এক ধরনের বিশেষ দক্ষতা। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্মান ও আলোচনার মাধ্যমে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা কম কথা নয়। ছোটখাটো সমস্যা মেনে নিয়েই সংসার করতে হয়। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক কিছু উৎসর্গ করতে হয়। উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরিও এক ধরনের দক্ষতা।
 

 প্রথম নারী মেয়রের পথে রোম


মনবাধিকার রিপোর্টঃ
ইতালির রাজধানী রোম প্রথমবারের মতো পেতে যাচ্ছে একজন নারী মেয়র। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তাতে নারী প্রার্থী ভার্জিনিয়া রাগগিই বিজয়ী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দফার ভোটেও তিনিই সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। রাগগি জয়ী হলে তার দল ফাইভ স্টারের জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থানের পথ সুগম হবে। বিবিসির খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে রোমে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম ধাপের নির্বাচন। তাতে ৩৫.২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেন বিশ্বায়নবিরোধী দল ফাইভ স্টারের প্রার্থী ভার্জিনিয়া রাগগি। এতে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রাজ্জির দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী রবার্তো গিয়াচেট্টি। কোনো প্রার্থীই প্রথম দফায় মেয়র হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। রোমের সংবাদকর্মীরা জানাচ্ছেন, প্রথম দফার ভোটের মতোই দ্বিতীয় দফার ভোটেও রাগগিই বিজয়ী হবেন বড় ব্যবধানে।
রোমের মতোই ইতালির বড় বড় শহরগুলোতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে মেয়র পদের ভোটগ্রহণ। তাতে ইতালির অর্থনৈতিক রাজধানী মিলানসহ তুরিন ও বোলোগনার মতো বড় বড় শহরে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি পরাজিত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে বর্তমান দুর্নীতি ও নাগরিক সেবার অপ্রতুলতাকে দায়ী করা হচ্ছে। কেবল রোমের মেয়রের জন্যই ঋণ রয়েছে দেড় হাজার কোটি ডলার, যা শহরটির দুটি বাৎসরিক বাজেটের সমান। শহরজুড়ে জঞ্জালের স্তূপ, গণপরিবহনের অপ্রতুলতা এবং আবাসনের করুণ দশার কারণেই রোমানরা নতুন মেয়রের সন্ধান করছেন বলে জানিয়েছেন বিবিসির জেমস রেনল্ডস।
 

রোহিঙ্গা' নয়, শুমারিতে তারা 'মিয়ানমারের নাগরিক'
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পার হয়ে এসে যারা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে বসবাস করছে - তাদের বোঝাতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ 'রোহিঙ্গা' শব্দটিকে আর ব্যবহার করতে চাইছে না, বরং বেশ সচেতনভাবেই তাদের 'মিয়ানমারের নাগরিক' বলে বর্ণনা করছে।
বাংলাদেশে 'অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের' সংখ্যা নিরুপণের জন্য সরকার যে শুমারী পরিচালনা করেছে - সে সম্পর্কে সোমবার ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকদের অবহিত করেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। মি. হক এবং বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের কথায় দেখা গেছে, তারা বার বার 'মিয়ানমারের নাগরিক' কথাটি ব্যবহার করছেন।
এই শুমারিতে বাংলাদেশ সচেতনভাবেই রোহিঙ্গা শব্দটিকে বাদ দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই প্রকল্পের নামকরণও হয়েছে ‘অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক শুমারি।’
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিয়ানমার যেহেতু রোহিঙ্গাদের স্বীকার করতে চায় না, সেজন্য এ শব্দটি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ভিন্নভাবে আলোচনা শুরু করতে চায়।
"রোহিঙ্গা শব্দটির বিভিন্নভাবে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে" - বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন অভিবাসন বিষয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারী সংস্থা রামরুর অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সরকার হয়তো চাইছেন 'এথনিক' বা জাতিগত পরিচয়সূচক শব্দটি ব্যবহার না করে তারা যে মিয়ানমারের নাগরিক - এই অধিকারটাই তারা তুলে ধরছেন।
অধ্যাপক সিদ্দিকী মনে করেন, 'রোহিঙ্গা' শব্দটি বাদ দিলে মিয়ানমারের সাথে হয়তো আলোচনা করা সহজ হবে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত অনুপ কুমার চাকমা এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলাকে বলেন, মিয়ানমার নিজেও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করতে চায় না। সেদেশের ১৩৫টি এথিনিক গ্রুপ আছে -তার মধ্যেও তারা রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করে নি।
মি. চাকমা বলেন, মিয়ানমার তাদেরকে বলতে চাচ্ছে 'বাঙালি' হিসেবে - যারা বেঙ্গল থেকে ওখানে গেছে।

 

 


Top


 

নারী ও শিশু সংবাদ

--------------------------------------

 


 নারীর উদ্বেগ বেশি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারীর চেয়ে পুরুষ বেশি উদ্বেগে থাকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাই বলে বেড়ায়। কিন্তু গবেষণা বলছে উল্টো কথা। ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, পুরুষের চেয়ে নারীর উদ্বেগ কেবল বেশি নয়, প্রায় দ্বিগুণ।
গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে ‘ব্রেইন অ্যান্ড বিহেভিয়ার’ সাময়িকীতে।
তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় চার শতাংশ মানুষ মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রতিবছর ছয় কোটি মানুষ এই রোগে (অ্যাঙজাইটি ডিসওর্ডার) আক্রান্ত হয়।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগে উত্তর আমেরিকার মানুষ। সেখানকার ৮ শতাংশ মানুষের এই সমস্যা আছে। সবচেয়ে কম পূর্ব এশিয়ায় (৩ শতাংশ)। গবেষকরা জানান, ১৯৯০ থেকে ২০১০—এই দুই দশকে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত একই রকম আছে। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয় না।
গবেষক ওলিভিয়া রেমেস বলেন, ‘মানসিক দুশ্চিন্তা এমন এক সমস্যা, যা মানুষের জীবনযাপনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।’ এর সঙ্গে সামাজিক নানা অনুষঙ্গ জড়িত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি।
 

ধর্ষণ প্রতিরোধে অন্যান্য দেশের উদ্যোগ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের পার্লামেন্টে বিবাহিত জীবনে ধর্ষণ সম্পর্কে এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির জাতীয় নারী কমিশনের (এনসিডব্লিউ) সদস্য রেখা শর্মা দাবি তুলেছেন, স্বামী বা অন্য কেউ—যে-ই করুক না কেন, ধর্ষণকে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ফ্রান্সে একটি বেতার অনুষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংস আচরণের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। বেতার অনুষ্ঠানটির আয়োজক ফেমিনিস্ট কালেকটিভ অ্যাগেইনস্ট রেপ নামের একটি সংগঠনের দাবি, যাঁরা লজ্জায় নিজের জীবনে ঘটা সহিংসতার কথা বলতে পারেন না, তাঁদের তা প্রকাশে উৎসাহ দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত মে মাসের খবর অনুযায়ী, ভারতে ধর্ষণ ঠেকাতে সব বাসে বসানো হচ্ছে ‘প্যানিক বাটন’। এ ছাড়া বাসে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও জিপিএস প্রযুক্তি। প্যানিক বাটনগুলো বসানো হবে বাসের সামনের দরজার ওপর। এই প্যানিক বাটনে চাপ দিলে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। আর সিসিটিভি ও জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা দেখতে ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের মধ্যে সব মুঠোফোন প্রস্তুতকারকদের তাঁদের ফোনে অবশ্যই বিল্ট–ইন প্যানিক বাটন স্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশের অবস্থান
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর বিভিন্ন ধারায় ধর্ষণের শাস্তির কথা বলা আছে।
একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলায় নারীদের চরিত্র হননের সুযোগ করে দেওয়া ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারাও বহাল আছে। এ ধারা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা সুলতানা ঘটনার শিকার ১৫ জন নারী, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন আইনজীবী ও ৩ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এক গবেষণা করেন। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, ঘটনার শিকার নারীকে কোনোভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’ প্রমাণ করতে পারলেই অভিযুক্ত ব্যক্তি বেঁচে যান। আর এ জন্য আদালতে তাঁকে ‘দুশ্চরিত্রা’ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগে যান আসামীপক্ষের আইনজীবী।
৫ জুন রাজধানীতে ফাতেমা সুলতানার গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’-এর চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী বিচার চাইতে গেলে পরবর্তী সময়ে আরও অন্তত দুবার ধর্ষণের শিকার হন। একবার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গিয়ে, আরেকবার আদালতে তাঁর ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আইনি পরিবর্তন আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিলেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি নয় বরং ধর্ষককেই প্রমাণ করতে হবে সে ধর্ষণ করেনি। কেননা, ধর্ষণ কেউ প্রমাণ রেখে করে না। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবার যাতে বিষয়টি চেপে না যায়, সেই আহ্বান জানান মিজানুর রহমান।
 

এবার সীমান্ত রক্ষায় নারী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করার স্বপ্ন দেখতেন বগুড়ার মেয়ে জাহানারা আক্তার। স্বপ্ন বাস্তবায়নে কলেজে ভর্তি হয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমে যুক্ত হন। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করতে থাকেন। জাহানারা এখন যোগ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিক পদে। তবে এ নিয়ে কোনো দুঃখ নেই তাঁর। দেশের অখ তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরে গৌরব বোধ করছেন তাঁর মতো ৯৭ নারী সদস্য। তাঁরাই বিজিবির প্রথম নারী সদস্য।
বিজিবির ৮৮তম ব্যাচের ১ হাজার ১৪৪ সদস্য প্রায় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ৫ জুন সকালে সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৯৭ জন নারী। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বায়তুল ইজ্জতের বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার ও স্কুলের প্যারেড মাঠে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় মূল কুচকাওয়াজ। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তৃতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং সদস্যদের শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় বেলা ১১টায়।
কুচকাওয়াজের পর কথা হয় জাহানারা আক্তারের সঙ্গে। তাঁর চোখেমুখে উপচে পড়ছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের ঢেউ। এই আনন্দ ছয় মাসের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। এই উচ্ছ্বাস নারী সৈনিকদের মধ্যে সেরাদের সেরা হওয়ার আনন্দে। প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন রুমা খাতুন ও শ্রাবন্তী সমাদ্দার নামের আরও দুই নারী সদস্য। বাহিনীর প্রথম নারী সদস্য হিসেবে তাঁদের মধ্যে গৌরব যেমন আছে, তেমনি দায়িত্ব পালনের সময় উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও স্থাপন করতে চান তাঁরা। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এ বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ হন।
বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জাহানারা আক্তার বলেন, ‘বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বিজিবিতে যোগ দিয়ে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে হচ্ছে। কেননা আমরাই এ বাহিনীর প্রথম নারী সদস্য।’
 


দেশে নারীর আত্মহত্যার হার বেশি


‘স্বামী ও দুই সন্তানসহ সেলিনা বেগম রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় বাস করতেন। কিন্তু আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে স্বামীর ইচ্ছায় তাঁকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যেতে হয়। বাধ্য হয়ে গ্রামে এই ফিরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি ২৭ বছরের এই গৃহবধূ। তাই বেছে নেন আত্মহননের পথ। এক সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে নিজে ঝুলে পড়েন ঘরের আড়ার সঙ্গে। ঘটনাটি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামে ঘটেছে।
প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো নারী আত্মহত্যা করছেন। শিশুকন্যা থেকে বাদ যাচ্ছে না ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাও। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘প্রিভেনটিং সুইসাইড: আ গ্লোবাল ইমপেরাটিভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি আত্মহত্যা করে থাকে। অথচ বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি আত্মহত্যা করে থাকে। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও নারীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পুরুষ আত্মহত্যা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ১০ হাজার ১৬৭ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছে, যার মধ্যে ৫ হাজার ৭৭৩ জন নারী। অন্যদিকে ৪ হাজার ৩৯৪ জন পুরুষ আত্মহত্যা করেছে। বিশ্বে আত্মহত্যায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম। ২০১৪ সালে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।


 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

কারাগারে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিনগুণ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

দেশের অধিকাংশ কারাগারে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিনগুণ বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার জাতীয় সংসদে মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের (খুলনা-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রচলিত জেলকোড অনুযায়ী, প্রতি বন্দির শোবার জায়গা ৩৬ বর্গফুট হিসেবে কারাগারে ধারণক্ষমতা নির্ধারিত করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কারাগারে অব্যবস্থাপনা দূর ও সেবার মান বৃদ্ধি করতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা হাতে নিয়েছে। বন্দি আবাসন সংকট নিরসনে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কারাগার পুনর্র্নিমাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ (মহিলা কারাগার), ফেনী, মাদারীপুর, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও খুলনায় কারাগার নির্মাণ কাজ চলছে।
ময়মনসিংহ কারাগার পুনর্র্নিমাণ কাজ সহসাই শুরু হবে। এ ছাড়া কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, ফরিদপুর, পাবনা কারাগারও পুনর্র্নিমাণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট-৩) এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের ৪৪২৭ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে ৪১৫৬ কি. মি. ভারতের সঙ্গে এবং ২৭১ কি. মি. মিয়ারমারের সঙ্গে। তবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা চিহ্ণিতকরণ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।
ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দল বা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশের প্রচলিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার চলতে পারে। তবে আপাতত বিশেষ কোনো আইন করার প্রয়োজন নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 

 পুলিশ সেভাবে মূল্যায়ন পায় না


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পুলিশের স্ত্রী খুনের ঘটনা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পুলিশ যেভাবে পরিশ্রম করে তাদের অনেক দাবি সরকারের বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃক্সখলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী কখনো কখনো ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে। তারা যেভাবে পরিশ্রম করে অনেক ক্ষেত্রে সেভাবে মূল্যায়ন পায় না। তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চয় সরকার বিবেচনা করবে। তবে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো উচিত হবে না। অতীতের সরকারগুলোও পুলিশকে দলীয়ভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। এখনো সেই ধারা অব্যাহত থাকুক, সেটা কাম্য নয়।
সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো প্রাণ ফ্রুটো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট স ম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক বলেন, দেশে একের পর এক হত্যাকা- ঘটছে। সর্বশেষ চট্টগ্রামে একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রীর খুনের ঘটনা ঘটল। এ জাতীয় ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে যেতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। আপনারা কিভাবে দেখছেন।
জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘না, এ ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভাঙবে না। তবে পুলিশকে আরো সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ জাতীয় হত্যাকা- নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে তেমন কোনো ইতিবাচক ফল আসছে না।
 

শরীয়তপুরে ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের উপর ডিবি পুলিশের হামলার ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরা হলেন, এএসআই শাহিন সরদার, কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন (কং নং ৪৪৪), সোহেল (কং নং ৭৪৫), রাসেল (কং নং ৬১৮) এবং লিটন (কং নং ৩৫৫)।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের কয়েকজন ডিবি পুলিশ জাজিরার পশ্চিম সেনেরচর আজিজ মুন্সির কান্দি গ্রামের শাহজাহান ঢালীর ছেলে শাহেন শাহ ঢালীকে গ্রেফতার করার জন্য অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের চেম্বারে যায়। এ সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশ এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে অ্যাডভোকেট জামাল ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম পলাশ, এপিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর হাওলাদার, দুদকের পিপি এবং জেলা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, এপিপি অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আসাদ খান মিলন এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সিসহ চারজন পুলিশ আহত হয়।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, সঠিকভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।


কাশিমপুর কারাগারে মারামারি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে গত ১৩ জুন তিন বন্দির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো বস্তুর আঘাতে এক বন্দি আহত হয়েছেন।
আহত বন্দির নাম হাফিজুর রহমান ভুট্টু (২৩)। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের ভুট্টু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর হাজতি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, আজ বিকেল ৫টার দিকে কারাগারের ফুটবল খেলার মাঠের পাশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েদি রুবেল (৩০) ও অপর কয়েদি রুবেলের (২৮) সঙ্গে হাজতি হাফিজুর রহমান ভুট্টুর বাগবিত া ও হাতাহাতি হয়। এ সময় দুই রুবেল কুড়িয়ে পাওয়া ধারালো বস্তুর টুকরো (টিন/কাঁচ) দিয়ে ভুট্টুর গালে ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত ও মারধর করে। এতে ভুট্টু আহত হন। আহতাবস্থায় তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

‘রহস্যময়’ এক ব্যক্তিকে নিয়ে বিপাকে পুলিশ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
‘রহস্যময়’ এক ব্যক্তিকে নিয়ে বিপাকে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সবকটি জেলা, উপজেলা ও রেলওয়ে থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সর্বদা স্যুট-কোট আর টাই পরিহিত আনুমানিক ৪৬ বছর বয়সী এ লোকটির নাম-পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি কেউ। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আবদুস সাত্তার ও ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাইদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের প্রত্যেকটি থানায় রহস্যময় ওই লোকটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। লোকটি কথা বলার একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার পরিচয়-সুসম্পর্ক আছে এমন গল্প করতে থাকেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কে কোন দফতরে আছেন এবং তাদের নাম-ঠিকানা অনর্গল বলতে থাকেন। এতে তার প্রতি পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্বলতা চলে আসে। বিপাকে পড়েই পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে থাকা ও খাওয়ানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হয়।
গল্প করার একপর্যায়ে লোকটি তার কাছে থাকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ডায়েরি, মন্ত্রী ও সচিবদের ভিজিটিং কার্ড এবং বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে তোলা ছবি ওসিদের দেখান।
 

 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


 


কানে কটন বাড ব্যবহার করা কি ঠিক?

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ


কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক ভদ্রমহিলা প্রচ কানের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। ভদ্র মহিলার ব্যথা ছিল ভয়ানক এবং সেটা কিছুতেই যাচ্ছিল না। চিকিৎসক কান ভালোভাবে দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি কটন বাড ব্যবহার করেন?’ ভদ্রমহিলা উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলেন। চিকিৎসক জানান, ভদ্রমহিলার কানে সংক্রমণ হয়েছে। আর সেটা হওয়ার কারণ নিয়মিত কটন বাডের ব্যবহার।
কানের ময়লা বা ওয়াক্স পরিষ্কারের জন্য অনেকেই কটন বাড ব্যবহার করেন। তবে এতে সাময়িক স্বস্তিবোধ হলেও উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।
ইনডিপেনডেন্ট ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডট কম প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
ওয়াশিংটনের মাথা ও ঘাড় বিশেষজ্ঞ ফিটস জেরেল্ড বলেন, ‘কটন বাড ব্যবহারজনিত কানের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই প্রায় অনেক রোগী আমাদের কাছে আসে।’
জেরেল্ড আরো বলেন, ‘কানের ময়লা পরিষ্কার করতে হয় এটা ভেবে মানুষ কটন বাড ব্যবহার করে। তবে কানের ময়লা এমনিতেই পরিষ্কার হয়ে যায়। বিশেষ কারণ ছাড়া আলাদাভাবে পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে।’
কটনবাড ব্যবহারের কারণে বাইরের ময়লা পরিষ্কার হলেও ভেতরের ময়লা আরো বেশি ভেতরে প্রবেশ করে। আর এতে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে জানিয়ে জেরেল্ড বলেন, ‘এতে মধ্যকর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
ম্যানহেটনের নিউইয়র্ক ওটোলজির পরিচালক ও এমডি সুজানা চন্দ্রশেখর জানান, ‘কটন বাড ব্যবহারে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি কানের ক্ষতি করে। এটি ব্যবহারের কারণে কানে সংক্রমণসহ ব্রণ, অস্বত্বি হতে পারে। এ ছাড়া ফাঙ্গাস সংক্রমণও হয় দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে।’
তাই কান পরিষ্কারে কটন বাডের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে দ্রুত এটি ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


পাইলসের সমস্যার সমাধান করবে ঘড়োয়া এই ১০ টোটকা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
অর্শ বা পাইলসের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদী কাশির সমস্যা, প্রস্রাবে বাধা, গর্ভধারণ, মলদ্বারে ক্যানসার, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এসব থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে। পাইলসের সমস্যা বলতে মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া মূলত এই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। পাইলসের চিকিৎসার জন্য নানা ধরণের চিকিৎসা রয়েছে। সমস্যা কতটা গভীর তার উপরও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। কখনও শুধু ওষুধেই কাজ দেয়, কখনও আবার সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে পাইলসের সমস্যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও টোটকা আছে, যা অত্যন্ত উপকারী-
টচবি
র‌্যাডিশ জুস
র্যাডিশ হল মূলা ঘরানার একটি সবজি। এই সবজি পাইলসের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারি। এই সবজির রস খেলে উপকার পাবেন। প্রথমে ১/৪ কাপ দিয়ে শুরু করুন। তারপর পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ১/২ কাপে নিয়ে আসুন।
বেদানা
বেদানার দানা জলে ভাল করে ফোটান। যতক্ষণ না বেদানার দানা ও জলের রং বদলাচ্ছে ততক্ষণ ক্রমাগত ফুটিয়ে যান। এই জল ছেঁকে রেখে দিন। দিনের দুবার করে এই জল খান।
শুকনো ডুমুর বা ফিগ ১ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই অর্ধেক জল খেয়ে নিন। আবার বিকেলের দিকে বাকি অর্ধেক জল খেয়ে নিন।
আদা ও লেবুর রস
ডিহাইড্রেশনও পাইলসের অন্যতম কারণ। আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার করে এই মিশ্রণটি খান। এতে শরীর হাইড্রেট হবে এবং পাইলসের সমস্যাও কমবে।
কাঁচা পেঁয়াজ
পাইলসের কারণ যে মলদ্বার থেকে রক্ত পরার সমস্যা তৈরি হয়, কাঁচা পেঁয়াজে সে সমস্যা অনেকটাই কমে। অন্ত্রের যন্ত্রণা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
প্রাতঃকর্মের সময় বসার ধরণ
অনেকসময় ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে অতিরিক্ত চাপের প্রয়োজন হয়। পায়ের নিচে একটা ছোট টুল রাখুন। কমোডে বসার সময় একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে বৃহদন্ত্রের কম চাপ পড়বে।
ওয়ার্কআউট
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে ও শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা উচিত। তবে যদি খুব পরিশ্রম করেন বা ভার উত্তোলন করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো হাল্কা ওয়ার্কআউট করুন।
হলুদ
কাঁচা হলুদ জলে ফোটান ভাল করে। আর এই জল নিয়মিত খান। এতে পাইলসের সমস্যায় অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
কলা
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবচেয়ে উপকারি এবং অব্যর্থ ওষুধ হল কলা। বিনা কষ্টে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কলা। এর ফলে মলদ্বারে কোনও চাপ পড়ে না, ফলে পাইলসের সমস্যা বৃদ্ধি হয় না। কলা সোয়াবিনের দুধ দিয়ে খেলে আরও তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।
ডাল
মসুর ডাল, খেসারী ডাল, তিসী ডাল, এই ধরনের খাবার পাইলসের সমস্যা নিরাময়ে খুবই উপকারি।


ক্যান্সার-ডায়াবেটিস-গ্যাস্ট্রিকের মহৌষধ আলুর রস !


মানবাধিকার হলেথ ডেস্কঃ
আলুর রস। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ও নতুন নতুন সব ঔষধের চাইতে অনেক অনেক বেশি কাজের ও ঔষধি গুণসম্পন্ন এই উপাদানটির কার্যক্ষমতা শুনলে চমকে উঠবেন যে কেউ! ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিস, নিম্ন রক্তচাপ, উত্তেজনা, এমনকি ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগেও আলুর রসের রয়েছে চমৎকার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। কাঁচা আলুর রসের ঔষধি ক্ষমতা স্বীকৃতি পেয়ে আসছে কয়েকশ’ বছর ধরে। আর বিশ্বের পুরো একটি প্রজন্মের মানুষ অসংখ্য গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করেছেন কাঁচা আলুর রস।
তবে এখনো কাঁচা আলুর রস পানের উপযোগিতা নিয়ে খানিকটা সন্দেহ রয়েই গেছে, যাকে মানুষের ইতিহাসে অন্যতম বড় ভুল বললেও কম বলা হবে। কারণ কাঁচা আলুর রসে সত্যিই অসাধারণ সব স্বাস্থ্য গুনাগুন রয়েছে। আলু ব্যবহারের আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন, বিশেষ করে যদি আলুর কোনো অংশ সবুজ হয়ে থাকে কিংবা অঙ্কুর বেরিয়ে থাকে, তাহলে সেদিকটা ফেলে দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কারণ এই অংশটি বিপজ্জনক ও বিষাক্ত। এরপর রস বের করে নিন।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলছেন, আধুনিক যুগে খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্যসমস্যা গ্যাস্ট্রিটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হলো কাঁচা আলুর রস। বিশেষ করে এক টেবিলচামচ তাজা আলুর রসের সঙ্গে খানিকটা পানি মিশিয়ে পান করা গেলে এর প্রভাব হবে অসাধারণ। প্রতিবার মূল খাবারের আধা ঘণ্টা আগে একবার এ পানীয় পান করতে হবে। যদি পাকস্থলীর সমস্যা বা আলসারের মতো রোগে ভোগেন, তাহলে যেকোনোকিছু খাওয়ার বা পান করার আগেই এ পানীয় পান করুন।
জাপানের আকিতা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. কাগামাইন কাঁচা আলুর রসের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ওপর গবেষণার লেখক। আলুর রসের একটি এমন উপাদানের কথা তিনি জানতে পেরেছেন, যা গবেষণায় ব্যবহৃত ইঁদুরের ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলেছে। অর্থাৎ ক্যান্সার জাতীয় টিউমার ছোট করে আনতে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত কার্যকর এ উপাদানটি। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত করেছে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস।
বৃক্ক (কিডনি) ও যকৃতের (লিভার) সমস্যায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোমরের ব্যথা, বাতরোগের চিকিৎসায় কাঁচা আলুর রসের কার্যকারিতা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিশ্চিত হওয়ায় এই পানীয়টি দিন দিন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া আরো নানা রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি বিপাকক্রিয়া ভালো রাখতে চমৎকার কাজ করে আলুর রস। ওজন বেশি, কিংবা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? মাঝারি আকৃতির একটি আলু, কয়েকটি গাজর আর আপেলের রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার খান। দু’ সপ্তাহে নিজের তারুণ্যকে এক অন্য মাত্রায় দেখতে পাবেন।
এছাড়া শরীর থেকে নানারকম বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া, প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দেহে সরবরাহ করা, নানারকম চর্মরোগের চিকিৎসায়-ত্বক সুস্থ রাখতে-সৌন্দর্য্য বর্ধন-ব্রন ও ব্ল্যাকহেডসমুক্ত ত্বকের জন্য, তারুণ্য ধরে রাখতে, অকালবার্ধক্য রোধে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এবং কার্ডিওভাস্কুলার যেকোনো রোগে আলুর রস দারুণ কার্যকর। আলুর খোসা ভিটামিন সি ও বি-৬ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, প্রোটিন, কার্যোহাইড্রেটসহ অসংখ্য পুষ্টি গুনাগুন। নিয়মিত আলুর রস পানের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সবসময় তাজা আলুর রস বের করে নিয়ে তা সতেজ থাকতে থাকতেই পান করে নিতে হবে। এবং বাড়তি পুষ্টি উপাদান যোগ করতে অন্যান্য ফল বা কাঁচা সবজি বা লেবুর রস কিংবা মধুর সঙ্গেও আলুর রস যোগ করে নিতে পারেন। বৌদ্ধ ভিখু তোমিযাওয়া ‘দ্য রোড টু আ হেলদি লাইফস্টাইল: ক্যান্সার ইজ নাথিং টু ফিয়ার’ বইয়ে লিখেছেন, প্রতিদিন দু’ কাপ তাজা আলুর রস পান ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় মহৌষধের চেয়ে কম নয়।

 

নবজাতককে গোসল করাবেন কত দিন পর পর


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বজাতককে গোসল করানো নিয়ে অনেক অভিভাবকই বেশ দ্বিধাদ্বন্ধে থাকেন। কীভাবে গোসল করাবেন? কয় দিন পর পর গোসল করাবেন? গোসল করালে আবার ঠান্ডা লেগে যাবে না তো? এমন হাজারো প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাওয়াই স্বাভাবিক।
নবজাতককে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে গোসল করানো জরুরি। তবে এর জন্য যে শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করাতে হবে, সেটি নয়। নবজাতকের ত্বক খুব নরম ও স্পর্শকাতর হয়। তাই গোসলের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রেগন্যান্সি অ্যান্ড প্যারেন্টিং বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নবজাতককে প্রতিদিন গোসল করালে ত্বকের আর্দ্রতা কিছুটা কমে যায় এবং শরীর শুষ্ক, খসখসে হয়ে যায়। তাই শিশুকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন গোসল করানোর পরামর্শ দেন তাঁরা। আর যদি প্রতিদিন গোসল করাতেই হয়, তাহলে প্রতিদিন মাথা না ধোয়াই ভালো।
শিশুকে গোসল করাবেন কোন সময়ে, সে বিষয়েও কিন্তু মাকে খেয়াল রাখতে হবে। দিনের প্রথম ভাগে গোসল করিয়ে ফেলাই ভালো। আর শিশুকে গোসল করাতে খুব তাড়াহুড়ো করা যাবে না। সাধারণত হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করানো ভালো।
যেসব দিনে শিশুকে গোসল করাবেন না, সেসব দিনে মুখ-হাত-পা-শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে পারেন।
 

  গরমে কি কৃমির ওষুধ খাওয়া যায়


অনেকেরই ধারণা, কৃমির ওষুধ খেতে হয় ঠান্ডা পরিবেশে। অর্থাৎ গরমের সময় এ ওষুধ খাওয়া যাবে না। তাই সবাই বৃষ্টির দিন কিংবা একটি ঠান্ডা পরিবেশের অপেক্ষায় থাকেন।
কিন্তু আসলেই কী কৃমির ওষুধ ঠান্ডা পরিবেশে খেতে হবে? চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, সে রকম কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে কৃমির ওষুধ খেলে কারো কারো ক্ষেত্রে বমিভাব, মাথাঘোরা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যা কিনা আরো অনেক ওষুধের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে।
শুধু কৃমির ওষুধের ক্ষেত্রেই যে এই ব্যতিক্রম, তা কিন্তু নয়। এ ছাড়া কারোক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা আগেভাগে বলা মুশকিল। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার সময় কেউ কিন্তু ঠান্ডা-গরম পরিবেশের কথা ভাবেন না। আবার কেউ যদি ভাবেন, ঠান্ডার দিনে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে নিশ্চিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না, সেই ধারণাও কিন্তু ঠিক নয়। কৃমির ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে পরিবেশের ঠান্ডা-গরমের কোনো বাছবিচার নেই।
কাজেই কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে। ওষুধের মাত্রাও ঠিক হতে হবে। কৃমি হলেই কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর জন্য বর্ষণমুখর দিন কিংবা শীতের জন্য অপেক্ষার দরকার নেই।
 


পেটে গ্যাস কমাবেন কীভাবে?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
সময় সময় সবারই পেটে গ্যাস একটু-আধটু হয়। গ্যাস নিষ্ক্রমণও হয়। কিন্তু অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা এত তীব্র হয় যে বিব্রতকর হয়ে ওঠে ব্যাপার-স্যাপার।
গ্যাস হওয়ার দুটি কারণ
খাওয়ার সময় বা পানের সময় বাতাস গলাধঃকরণ করলে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে খাদ্যের আঁশ ভেঙে গেলে গ্যাস উৎপন্ন হয়। হাইড্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড—এ দুটো পরে মিথেন গ্যাস ও সালফারে পরিণত হয়। বৃহদান্ত্রের জীবাণুগুলো এ পরিবর্তনে সহায়তা করে।
কতটুকু গ্যাস হলে স্বাভাবিক
দিনে ১৫ থেকে ২০ বার গ্যাস নিয়ন্ত্রণ হলে তা স্বাভাবিক। এটি পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া। পেটের বিভিন্ন অসুখ, যেমন—সিলিয়াক ডিজিজ, ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোমের মতো ভারী শব্দের অসুখের সংকেত হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে।
প্রতিদিন যে গ্যাস হয়, তা কমাতে কিছু পরামর্শ
খাবেন ও পান করবেন ধীরে
খাবার চিবিয়ে খেতে হবে খুব ভালো করে। পানীয় বা স্যুপ দ্রুত গিলে ফেলা ঠিক নয়। খাবার চিবিয়ে খাওয়ার সময় কথা খুব কম বলা উচিত, মুখ বন্ধ করে চর্বণ করা ভালো। তাহলে বাতাস ভক্ষণ করা বন্ধ হবে।
স্ট্র দিয়ে তরল পান করা ঠিক নয়
স্ট্র দিয়ে পান করলে বায়ু ভক্ষণ হয় এবং এতে পেটে গ্যাস হয়।
চুইংগাম ও ক্যান্ডি পরিহার করা ভালো
গাম চিবুলে ও ক্যান্ডি চুষলে বাতাস ঢোকে পেটে।
কোমল পানীয় পরিহার করা উচিত
সোডা পানের বিপক্ষে অনেক কারণ রয়েছে। গ্যাসের সমস্যা রোধে এটি পরিহার করা উচিত।
ডেঞ্চার যে ঠিকমতো লেগেছে, তা নিশ্চিত হওয়া ভালো
মুখের নকল দাঁত বা ডেঞ্চার হালকাভাবে লাগানো থাকলে বাড়তি লালা গিলতে হয়। সে সঙ্গে বাড়তি বাতাস বুদবুদ যায় পেটে।
ধূমপান বর্জন
বিড়ি-সিগারেট পান করলে কেবল যে বাতাস ও ধোঁয়াই ফসুফুসে যায় তা নয়, পাকস্থলীতেও বাতাস যায়।
ব্যায়াম
মাঝারি ব্যায়াম, যেমন রাতে আহারের পর ১০ মিনিট হাঁটা পরিপাকতন্ত্রকে দ্রুত গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। রাতে খাবারের পর একটু হাঁটুন।
দুধ হজমে সমস্যা বা গ্যাস
অনেকের দুধ খেয়ে হজম হয় না। তাঁদের জন্য ল্যাকটেজ সাপ্লিমেন্ট। পুরোনো পরিন ও দই তাঁরা গ্রহণ করতে পারেন।
খাদ্য গ্রহণ ধীরে ধীরে বদলানো
বেশি করে ফল, শাকসবজি, শুঁটি, মোটা শস্য গ্রহণ শুরু করলে পরিবর্তনটি ধীরে ধীরে করা ভালো। কালক্রমে এসব খাদ্য গ্রহণ বাড়ানো গেলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়বে। দ্রবণীয় আঁশকে ভাঙতেও সক্ষম হবে।
পেটে বেল্ট না রাখা
আঁটসাঁট প্যান্ট ও বেল্ট পেটকে চাপে, হজমের নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। এ ছাড়া পেট গ্যাসে ফুলে যায়। গ্যাস নির্গমন বিব্রতকর। তবে পরিপাকতন্ত্রের সহজ স্বাভাবিক ক্রিয়া এটি। সামান্য কিছু পদক্ষেপ নিলে সমস্যা কিছু লঘু হয়। কিন্তু অনবরত বায়ু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 

  জেনে নিন জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জমি রেজিস্ট্রেশনের বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলোঃ
লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।
রেজিস্ট্রেশনের সময় যে সকল কাগজপত্র প্রদান করতে হয়:
দলিল রেজিস্ট্রারিং অফিসার এ আইনে নতুন সংযোজিত ৫২এ ধারার বিধান অনুসারে বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সাথে নিচের কাগজগুলো সংযুক্ত থাকে:
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন।
প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐ সম্পত্তি পেয়ে থাকেন।
সম্পত্তির প্রকৃতি।
সম্পত্তির মূল্য।
চতুর্সীমা সহ সম্পত্তির নকশা।
বিগত ২৫ বৎসরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা (অভভরফধারঃ) সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো নিকট বিক্রি করেননি এবং তিনিই দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক (ঐব যধং খধভিঁষ ঞরঃষব)।
বিক্রয় বা সাফ কবলা দলিলের রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় নিম্নরূপ:
২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে পৌর এলাকা ভুক্ত এলাকার জন্য:
ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ৩.০%
সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০%
স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %
উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ২.০%
গেইন ট্যাক্স ( পৌর/ সিটি কর্পোরেসনে জমা দিতে হয়) ১.০ %
মোট = ৯.০%
পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত/ ইউনিয়ন পরিষদভুক্ত এলাকার জন্য:
ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ২.০ %
সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০ %
স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %
উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ১.০ %
মোট = ৬.০%
এছাড়াও প্রতিটি দলিল রেজিষ্ট্রির সময় ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে হলফনামা ও একটি নোটিশ সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত নোটিশে ১/= টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযুক্ত হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করতে হয় এবং ষ্ট্যাম্পের বাদবাকী মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান করে, চালানের কপি সংযুক্ত করতে হয়।
দলিলের সার্টিফাইড কপি উত্তোলনের ক্ষেত্রে সরকারী ফি নিম্নরূপ:
ষ্ট্যাম্প বাবদ ২০ টাকা
কোর্ট ফি ৪ টাকা
মোট= ২৪ টাকা
লেখনী বাবদ দলিলের প্রতি ১০০ শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য বাংলার জন্য ৩ টাকা
প্রতি ১০০ ইংরেজী শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য ৫ টাকা
জরুরী নকলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা
উক্ত নকল চার পৃষ্ঠার বেশি হলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ৫ টাকা
দান দলিল রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম:
রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন ২০০৪ এ নতুন সংযোজিত ৭৮এ ধারা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হয়। দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ:
স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা-সন্তান, দাদা-দাদী ও নাতি-নাতনী, সহোদর ভাই-ভাই, সহোদর বো-বোন এবং সহোদর ভাই ও সহোদর বোনের মধ্যে যে কোনো স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা।
উল্লিখিত সম্পর্কের বাইরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সম্পাদিত দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রির ফি হবে কবলা দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রযোজ্য ফি’র অনুরূপ।
জীবন স্বত্ত্বে দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
স্প্যাম্প এ্যাক্ট ১৯০৮ এর ৫৮ নং আর্টিক্যাল অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান (মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) এর জন্য জীবন স্বত্ত্বে দানের বিধান হলো – যে প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পত্তি দান করা হবে সে প্রতিষ্ঠান ঐ সম্পত্তি শুধু ভোগ-দখল করতে পারবে, সম্পত্তি কোনরূপ হস্তান্তর করতে পারবে না। এরূপ জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে দানকারীর নামে। কোন কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর না থাকলে সম্পত্তি দানকারীর মালিকানায় চলে যাবে এবং দান দলিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
স্ট্যাম্প ফি ২%
রেজিস্ট্রেশন ফি ২.৫%

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.