Cover August 2016
English Part
August 2016
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও
কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে
একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ
করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এ
সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রদানের
প্রস্তাবের পুনরুল্লেখ করেছে।
সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সোমবার দুপুরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য
সাক্ষাতকালে এ কথা জানান।
কেরি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরাও
লড়াই করতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ
রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেও আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারি।'
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম
সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রায় এক ঘণ্টাকাল দুই নেতার মধ্যে আন্তরিক
পরিবেশে অনুষ্ঠিত দ্বিপাকি বৈঠকে পারস্পরিক
স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় জন কেরি
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা
সংস্থাসমূহের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের
আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে
আমাদের তথ্য বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন,
বাংলাদেশ এেেত্র চমকপ্রদ অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের
এই উন্নয়ন এবং অন্যান্য বিষয়ে আমাদের ও অংশীদারিত্ব রয়েছে।'
এছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু,
স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও
বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান
প্রতিবেদন
আগষ্ট২০১৬
মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ২২৮ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে
আগষ্ট ২০১৬ মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়
২২৮টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃঙ্খলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আগষ্ট মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৭.৩৫ জন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যথাযথ পদপে গ্রহণ করতে
সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
রিপোর্ট প্রকাশনায় সহযোগিতা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল
হিউম্যান রাইটস কমিশন (ওঐজঈ)। বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৬
সালের আগষ্ট মাসে হত্যাকান্ডের শিকার হয় ২২৮ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৭ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ৩৪ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪০ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭ জন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ১৮ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৫ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৯৬ জন,
ধর্ষণের পর হত্যা ১ জন, অপহরণ হত্যা ৯ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৫৬ জন, আত্মহত্যা ১৭ জন।
আগষ্ট ২০১৬ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার
মধ্যে ধর্ষণ ৪৫ জন, যৌন নির্যাতন ১৩ জন, যৌতুক
নির্যাতন ১৭ জন।
শিশু
আইনের অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা তলব
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
শিশু আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং
ও লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব এবং সমাজকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের
সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে
এ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২৬ আগস্ট পরবর্তী আদেশের দিন
ধার্য করেছেন আদালত।
শিশু ধর্ষণের চারটি মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামির জামিন
আবেদন শিশু আদালতে শুনানি হওয়ায় গত মার্চ মাসে
হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও কক্সবাজারের শিশু আদালতের
বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যাও তলব করেছিলেন আদালত।
হাইকোর্টের ওই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকরা
তাদের ব্যাখ্যা দাখিল করেন। ওই ব্যাখ্যা দাখিলের পর
হাইকোর্টে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ২০১৩
সালে প্রণীত শিশু আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো
অপরাধের শিকার বা ভিকটিম এবং সাক্ষী শিশু হলে ওই
মামলার বিচার শিশু আদালতে হবে। কিন্তু, আসামি
প্রাপ্তবয়স্ক হলে এবং অপরাধ যদি গুরুতর বিশেষ করে হত্যা
হয়, তাহলে এর বিচার কোথায় হবে, সেটি আইনে বলা নেই।
যদিও প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনে হয়ে থাকে। কিন্তু, এটি আইনে স্পষ্ট করে দেয়ার
দরকার ছিল।
তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতন আইনে সর্বোচ্চ সাজা
মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু, শিশু আইনে তা নেই।
ফলে প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার কোথায় হবে, এটা এই আইনে
উল্লেখ করে দিলেই অস্পষ্টতা দূর হতো। এই অস্পষ্টতা
দূরীকরণের জন্য আইনটি সংশোধন হওয়া দরকার।
বাংলাদেশে
এই প্রথম এত সহজে পাসপোর্ট
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হঠাৎ বন্ধুরা মিলে
প্লান করলেন দেশের বাইরে ঘুরতে যাবেন। মুশকিল হল
পাসপোর্টটাই নেই। ঝক্কি-ঝামেলার ভয়ে পাসপোর্ট অফিসেই
হয়তো যেতে চান না। তবে এখন অনলাইনেই করে ফেলা যায়
পাসপোর্টের কর্ম। তবে এজন্য আপনাকে বাইরেও যেতে হবে।
প্রথমত টাকা জমা দিতে। অবশ্য চাইলে এটাও আপনি অনলাইনেই
জমা দিতে পারেন। সম্প্রতি কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাংকেও
অনলাইনে পাসপোর্টে টাকা জমা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা
হয়েছে। যা এ প্রক্রিয়াকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
আসুন জেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট করতে গেলে অনুসরণীয় কয়েকটি
ধাপ
১ম ধাপ : টাকা জমা
অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে টাকা জমা দিতে হবে।
কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার
তারিখ এবং জমা দানের রিসিটের নম্বর উল্লেখ করার
প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিতে হবে।
রেগুলার ফি ৩ হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে
তার ফি ৬ হাজার টাকা। রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট পেতে সময়
লাগবে এক মাস। জরুরিভিত্তিতে করতে চাইল ১৫ দিনের মত
সময় লাগবে।
২য় ধাপ : অনলাইনে ফরমপূরণ
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব মনোযোগ দিয়ে
অনলাইনের ফরম পূরণ করতে হবে। যেন কোনো ভুল ত্রুটি না
হয়। অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের এ
সাইটে যেতে হবে।
তারপর I have read the above information and the
relevant guidance notes টিক চিহ্ন দিয়ে continue to
online enrollment এ ক্লিক করতে হবে।
আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন : আপনার নাম,
পিতা-মাতার নাম। এই নামগুলো যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে
পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে। মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল
নম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি
দেয়া উচিত।
টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নম্বর দিতে হবে।
পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে ordinary যে অংশগুলো
লাল স্টার মার্ক দেয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে
হবে।
Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫
দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।
সম্পূর্ণ ফরমটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব
তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে
হবে।
সবশেষে পূরণ করা ফরমটি সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে
সাবমিট করা হলে পূরণ করা ফরমের একটি পিডিএফ কপি যে ই-মেইল
অ্যাড্রেস দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়েছে, সেখানে চলে আসবে।
৩য় ধাপ : ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন
এবার মেইলে আসা পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে
হবে। এতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থনে সই করতে হবে।
এবার নিজের চার কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং
পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোনো প্রথম শ্রেণির
কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত
কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভাল। কারণ ওই কর্মকর্তার নাম,
যোগাযোগ ও ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ফরমে
লিখতে হয?।
৪র্থ ধাপ : পুরো ফরম রিচেক
সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রশিদ আঠা দিয়ে ফরমের সঙ্গে
যুক্ত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটিও
প্রিন্ট করা ফরমটির সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে।
শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদন করলে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি
কার্ডের ফটোকপি সত্যয়িত করে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে
দিতে হবে। এসব ধাপ শেষ করলে ফর্মটি জমা দেয়ার জন্য
প্রস্তুত।
৫ম ধাপ : ফরম জমা এবং ছবি তোলা
অনলাইনে ফর্ম পূরণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ফর্মের
প্রিন্ট কপি, সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং
স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে পাসপোর্ট
অফিসে।
পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পরবেন
না। সকালের দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে ভালো হয়। তখন
লাইনে ভিড় কম থাকে। সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে
ঢুকতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস
করুণ কোন রুমে যেতে হবে। সাইন শেষে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি
তোলার জন্য কোন রুমে যেতে হবে।
এরপর নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে সিরিয়াল আসলে ছবি তোলার জন্য
ডাক পড়বে। ছবি তোলার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। এবার
পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেয়া হবে। পুলিশ
ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের
মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন।
নির্ধারিত দিনে রিসিভটি নিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
অবৈধ ৭০ হাজারের অধিক হজ
যাত্রীকে ফেরৎ দিল মক্কা
মানবাধিকার রিপোর্ট
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রীকে
ফেরত পাঠিয়েছে পবিত্র মক্কা নগরীর পুলিশ। এরা সবাই
হজের অনুমতিপত্র ছাড়াই মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।মক্কার
হজ সিকিউরিটি কমান্ড এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এক
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যেসব যানবাহন এবং এদের চালকরা
আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে। তাদের কোনো ভাবেই মক্কায় প্রবেশ করতে
দেয়া হবে না। এছাড়া হজের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না
থাকলে হজযাত্রীদেরও ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। তাই সবাইকে
এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, হজযাত্রীদের বহনকারী ২৮
হাজারের বেশি যানবাহন আইন ভঙ্গ করেছে। প্রতিটি গাড়িতে
২৫ জনের কম যাত্রী ছিল। হজযাত্রীদের বহনকারী এসব
গাড়িগুলোকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যেসব গাড়ির
বৈধ কাগজপত্র নেই সেগুলোকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পরিবহন মালিক, চালক এবং হজযাত্রীদের নিয়ম
কানুন মেনে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তা করার জন্য আহ্বান
জানানো হয়েছে। যারা আইন অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার ইন্দোনেশিয়ার ১৭৭ হজযাত্রীকে ম্যানিলা থেকে আটক
করেছে ফিলিপাইন। তারা জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে সৌদি আরবে
প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
আটককৃতদের কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে
নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। ইন্দোনেশিয়ার হজযাত্রীদের
ওই দলটিকে সহায়তা করায় ফিলিপাইনের পাঁচ নাগরিককেও আটক
করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের অভিবাসন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
ইন্দোনেশিয়ার ওই নাগরিকদের পরিচয় উদ্ধারে তদন্ত
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তারা কোত্থেকে এই জাল পাসপোর্ট
করেছেন সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ড.
ইউনুসের অনুদান
মানবাধিকার রিপোর্ট
হিলারি ক্লিনটন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার
সঙ্গে যারা ব্যক্তিগত কারণে দেখা করেছেন, তাদের অর্ধেক
ব্যক্তি নিজে বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লিনটন
ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে দেশটির
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েট প্রেস (এপি)।
এপি বলছে, এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের নোবেল জয়ী
মুহাম্মদ ইউনুসও।
নতুন এই তথ্যের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট
হিসাবে হিলারি ক্লিনটনের নীতিকথার বিষয়টি আবার
প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ
গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা কালে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে
তিনবার দেখা করেছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ
ইউনুস এবং টেলিফোনে কয়েকবার কথা বলেছেন।
এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে মুহাম্মদ ইউনুসকে
পদত্যাগে চাপ দিচ্ছিল বাংলাদেশ সরকার। সে কারণে হিলারি
ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চেয়েছিলেন ড. ইউনুস।
তাকে সাহায্য করার কোনো পন্থা খুঁজে বের করতে
সহকারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন।
এপি বলছে, এ সময় গ্রামীণ আমেরিকা নামে একটি সংস্থা
ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলার অনুদান
দিয়েছে। এসময় গ্রামীণ রিসার্চ নামের আরেকটি
প্রতিষ্ঠান থেকেও ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার অনুদান
দেয়া হয়েছে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে।
উল্লেখ, ওই দুই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে
রয়েছেন ড. ইউনুস।
তবে ব্যাংকের মুখপাত্র বেকি অ্যাশ বলছেন, ওই
ফাউন্ডেশনের ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ সম্মেলনে
অংশগ্রহণের ফি হিসাবে ওই ডলার দেয়া হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনকালে
ব্যক্তিগত কারণে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করা বা
ফোনে আলাপ করা ১৫৪ জন ব্যক্তির মধ্যে ৮৫ জনই তাদের
পারিবারিক ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন। তাদের মোট
অনুদানের পরিমাণ ১৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে এই ১৫৬ জনের তালিকায় মার্কিন ফেডারেল কর্মকর্তা বা
বিদেশী সরকারের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এপি জানতে পেরেছে যে, হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে যারা
সরাসরি বা ফোনে ব্যক্তিগত কারণে আলাপ করেছেন আর যারা
ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন, তাদের মধ্যে যেন
একটি যোগসূত্র রয়েছে।
যদিও এর ফলে মার্কিন কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি। কিন্তু পুরো
ব্যাপারটার মধ্যে একটি ইঙ্গিত রয়েছে, যেন তৎকালীন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাক্ষাতের বিনিময়েই
তারা ওই অনুদান দিয়েছেন।
১৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ
মানবাধিকার রিপোর্ট
দর্পণ ডেস্ক : ১৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি)
নিয়োগ করেছে সরকার।এর মধ্যে ১১ জেলায় নতুন ডিসি এবং
তিন ডিসির দফতর বদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ
সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে রাঙ্গামাটির ডিসি মো. শামসুল আরেফীনকে
চট্টগ্রাম, বাগেরহাটের ডিসি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে
কুমিল্লা এবং নাটোরের ডিসি মো. খলিলুর রহমানকে
ময়মনসিংহের ডিসি হিসেবে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. জহির রায়হানকে কুষ্টিয়া, ওএসডি
উপসচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানকে রাঙ্গামাটি এবং
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব রাব্বী মিয়াকে
নারায়ণগঞ্জের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেছুর
রহমান সরকার গোপালগঞ্জ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব উম্মে সালমা তানজিয়া ফরিদপুর এবং ঢাকা গভর্নেস
ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক কামরুন নাহার সিদ্দীকা
সিরাজগঞ্জের ডিসির দায়িত্ব পেয়েছেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সায়লা ফারজানাকে
মুন্সীগঞ্জ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের
স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন
খানকে লালমনিরহাট এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপসচিব
তপন কুমার বিশ্বাসকে বাগেরহাটের ডিসি করেছে সরকার।
এছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো. তোফায়েল
ইসলামকে মৌলভীবাজার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা খাতুনকে নাটোরের
ডিসি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ডিসি মো. আনিসুর রহমান মিয়াকে রাজধানী
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক এবং ময়মনসিংহের ডিসি
মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীকে ঢাকা ওয়াসার সচিব করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের ডিসি মো. খলিলুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের পরিচালক, চট্টগ্রামের ডিসি মেজবাহ উদ্দিনকে
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব, মৌলভীবাজারের ডিসি মো.
কামরুল হাসানকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব
করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের ডিসি মো. সাইফুল হাসান বাদলকে স্থাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, লালমনিরহাটের ডিসি মো. হাবিবুর
রহমানকে বিমান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব করেছে সরকার।
আর কুষ্টিয়ার ডিসি সৈয়দ বিল্লাল হোসেনকে অর্থনৈতিক
সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব এবং কুমিল্লার ডিসি মো.
হাসানুজ্জামান কল্লোলকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব করা হয়েছে।
এছাড়া ফরিদুপরের ডিসি সরদার সরাফত আলীকে বিমান
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং সিরাজগঞ্জের ডিসি মো. বিল্লার
হোসেনকে কৃষি মন্ত্রণালয় উপসচিব করে আদেশ জারি করেছে
জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক সম্মেলন
বিভেদ নয়,
সবাইকে নিয়ে ঐক্যের ডাক আইভীর
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় কোনো ধরনের বিভেদ নয়, বরং ভেদাভেদ
ভুলে সবাইকে নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলেই এই বিপদ থেকেই
দেশ-সমাজকে রক্ষার করার পথ খুঁজতে হবে বলে মনে করেন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ সময় কোমলমতি শিশুরা কেন এই বিপথে পা রাখছে, তার উৎস
এবং নেপথ্যের মানুষদের খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন এ
আওয়ামী লীগ নেতা।
গত ৫ আগস্ট ২০১৬ সকালে নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা দক্ষিণ বিভাগীয়
সম্মেলন, ২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র
আইভী।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান
মাসুমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন
সংগঠনের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। এর আগে জাতীয়
পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন
সিটি মেয়র।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের
নারায়ণগঞ্জ মহানগর গভর্নর কুতুব উদ্দিন আকসির,
নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির
আহমেদ খান, মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড. মজিবুর
রহমান, নরসিংদী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এড. উম্মে
সালমা মায়া।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, শুধু ইসলাম ধর্মকে কলুষিত
করার জন্য, ইসলাম ধর্মকে জঙ্গিবাদী বানানোর জন্য আজকে
সারা দেশে হামলা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টা বহুদিনের।
সেখানে আমাদেরই প্রমাণ করতে হবে, ইসলামে জঙ্গিবাদের
স্থান নেই।
জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে যারা আমাদের সন্তানদের
বিপথগামী করছে, তাদের আগে ধরতে হবে। এখানে আওয়ামী
লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি বিভেদ সৃষ্টি করলে হবে না।
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের সন্তানরা কেন বিপথগামী হচ্ছে,
কী করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সিটি মেয়র আরো বলেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে
আমাদের সন্তানদের যে বিপথগামী করে দিচ্ছি, সেটা যে একটা
ভয়াবহ পরিণতি হবে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখা উচিত।
আমাদের যদি কাউকে মোকাবিলা করতে হয়, রাজনৈতিকভাবেই
মোকাবিলা করা উচিত। আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করা কোনো
অবস্থাতেই উচিত না। এ জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে
হবে।
মেয়র আরো বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য দরকার সাহস,
সততা, নৈতিকতা ও ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার। কিন্তু সেটিই
আমাদের নেই। আমাদের সাহস কমতে যায় তখনই, যখনই আমরা
অন্যায় কাজ করতে থাকি, টাকার কাছে লোভী হয়ে যাই, কোনো
রাজনীতিবিদের ক্ষমতার কাছে পরাজিত হই বা প্রশাসনের ভয়ে
তটস্থ থাকি। তখনই আমরা পিছপা হয়ে যাই। এসব কারণে এখানে
নানাভাবে গণতন্ত্রের অপব্যবহারও হচ্ছে।
সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের উল্লেখ করে মেয়র আইভী
আরো বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আজকে
বিদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকগণ যে
ফি নেন তা মানুষের ক্ষমতার বাইরে: রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকগণ যে পরিমাণ চার্জ আদায় করেন তা সাধারণ
মানুষের ক্ষমতার বাইরে। তাই আপনাদের চিকিৎসা ব্যয়
কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
১৪ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথ্যালমোলজিক্যাল সোসাইটির ষষ্ঠ
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে চিকিৎসা সেবা
গ্রহণকারীদের অনেকেরই সামর্থ্য কম এবং খরচের ভয়ে
অনেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে এগিয়ে আসে না। তাদের জন্য
প্রয়োজন বিশেষ সুবিধা ও কম খরচে চিকিৎসা।
রাষ্ট্রপতি চক্ষু চিকিৎসকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে
পরিচিত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আধুনিক চিকিৎসা
বিজ্ঞান চক্ষু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রে নতুন
নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি
আসছে। তাই আপনাদের সব সময় সর্বশেষ প্রযুক্তি ও চিকিৎসা
পদ্ধতির সাথে পরিচিতি থাকতে হবে।
চিকিৎসকদের তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে
আবদুল হামিদ বলেন, আপনারা আজকে যে অবস্থানে আছেন,
সেখানে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষের অবদানও কিন্তু কম নয়।
কারণ তাদের ট্যাক্সের টাকায়ই মেডিকেল কলেজের খরচ জোগানো
হয়। তাই তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া আপনাদের নৈতিক
দায়িত্ব ও কর্তব্য।
১৭ মাস ধরে গর্ভবতী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একজন নারী গর্ভবতী
হলে সাধারণত সন্তান জন্ম দিতে সময় লাগে ৩৭ থেকে ৪১
সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস ১০ দিন থেকে ১০ মাস ১০ দিন। এই
সময়ের মধ্যেই পরিপূর্ণ হয় শিশুর শারীরিক গঠন। এর পরেই
একটি ফুটফুটে শিশু পৃথিবীর আলো দেখে। তবে অনেক সময় এই
সময়ের ব্যতিক্রমও হতে পারে অর্থাৎ এর আগে পরেও শিশুর
জন্ম হতে পারে।
কিন্তু তাই বলে ১৭ মাস ধরে গর্ভধারণ? এও কি সম্ভব?
নিশ্চই অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে।
চীনের এক নারী ১৭ মাস ধরে গর্ভবতী। সন্তান জন্ম দেয়ার
সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেলেও এখনও নাকি তার ভ্রূণের গঠন
সম্পূর্ণ হয়নি!
ঐ নারীর দাবি, তিনি ১৭ মাস ধরে গর্ভবতী রয়েছেন। মধ্য
চীনের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা ওয়াং শি নামের ওই
গর্ভবতী নারীর দাবি, ২০১৫ সালের ফেব্রয়ারি মাস নাগাদ
তিনি গর্ভবতী হন। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, এখনও নাকি
তার ভ্রূণের গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। আর তাই সিজার করাও
তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন আর অপেক্ষা করতে চান
না তিনি। তিনি চান যে কোন মূল্যে পৃথিবীর আলো দেখুক
তার সন্তান।
কিন্তু ভ্রুণের গঠন সম্পূর্ণ না হওয়ায় তার সন্তানের
জন্মের বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তিনি। সন্তানকে
পৃথিবীর আলো দেখাতে আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে
খুব চিন্তিত ওয়াং শি।
পুলিশের পেট থেকে বেরোলো ৪০টি ছুরি!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে এক ব্যক্তির পেট থেকে
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪০টি ছুরি বের করা হয়েছে। জেলার
করপোরেট হাসপাতালে গত শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারটি হয়।
বিরল ওই অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণকারীদের একজন ডা.
জিতেন্দ্র মালহোত্রা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান,
স্থানীয় একটি থানার হেড কনস্টেবল জারনাইল সিং (ছদ্মনাম)
এক সপ্তাহ আগে পাকস্থলীতে ব্যথা এবং দুর্বলতা নিয়ে
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার পরও রোগীর পেটে
ব্যথা বাড়ছিল। এরপর তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা
হয়। এন্ডোস্কপি করার পর দেখা যায়, তাঁর পেটে ধাতব
কিছুর অস্তিত্ব আছে। এরপর রোগীর পেটের সিটি স্ক্যান
করার পর দেখা যায় রোগীর পেটে বেশ কিছু ছুরি আছে।
জারনাইল সিং এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসা করার পর
জানা যায়, সম্প্রতি রোগীর কিছুটা মানসিক সমস্যা দেখা
দিয়েছিল। এবং সবার অলক্ষে রোগী বেশকিছু বিভিন্ন মাপের
ছুরি খেয়ে ফেলেছেন।
এরপর জিতেন্দ্র মালহোত্রাসহ চিকিৎসক বি বি গয়াল,
রাজিন্দর রাজন, আরতি মালহোত্রা এবং অনিতা দেশাইয়ের
পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসকদল অস্ত্রোপচার করেন। এই
অস্ত্রোপচারে পুলিশ কনস্টেবল জারনাইল সিংয়ের পেট থেকে
একে একে ৪০টি ছুরি বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকরা জানান, এই
ছুরিগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ছিল বন্ধ করা, ফলে রোগীর
পাকস্থলী একেবারে কেটে যায়নি।
ডা. জিতেন্দ্র মালহোত্রা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান,
অপারেশনটি ভীতিকর ছিল। আমি আমার চিকিৎসক জীবনে এমন ঘটনা
আর দেখিনি। এ ছাড়া ওই রোগী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলেও
জানান জিতেন্দ্র।
কৃষির নোবেল পেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
খাদ্য এবং কৃষিখাতের নোবেল পুরস্কার বলে পরিচিত
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ২০১৫ গ্রহণ করেছেন ব্র্যাকের
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী দি মোয়াইন-এ
আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দরিদ্র্যদের মাঝে তা
ছড়িয়ে দেওয়া এবং এর মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে
অসামান্য অবদানের জন্য স্যার ফজলে হাসান আবেদকে ৪১তম
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ দেওয়া হয়। পুরস্কারের অংশ হিসেবে
২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন তিনি।
স্যার আবেদ বলেন, এ বছরের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজের জন্য
নির্বাচিত হওয়াটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। পুরস্কারটি
দিয়ে তাকে এবং ব্র্যাকের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার
জন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ
জানান।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের পুরস্কার বিজয়ী
রব ফ্রালে বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে জৈবপ্রযুক্তি
ব্যবহার করা বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ
অন্যতম। বাংলাদেশের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা
প্রদানে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন আবেদ।
গত ১ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র
বিভাগের এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারের বিজয়ী ঘোষণা করেন
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কেনেথ এম.
কুইন।
ওই অনুষ্ঠানে কুইন বলেন, পৃথিবী যেখানে এর বিশাল
জনসংখ্যার সবার খাদ্য চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে,
সেখানে স্যার ফজলে আবেদ এবং তার ব্র্যাক নারী শিক্ষা,
নারীর ক্ষমতায়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের চেষ্টায়
অনুকরণীয় মডেল তৈরি করেছে। এই বিশেষ অর্জনের স্যার ফজলে
হাসান আবেদ সত্যিই ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ পাওয়ার দাবিদার।
সরকারি
চাকরি: মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বন্ধের
প্রস্তাব
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের
কোটা বন্ধের প্রস্তাব উঠেছে। এ নিয়ে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে।
দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলে
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের
নাতি-নাতনিদের কোটা বন্ধের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ওই বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই আইনটির পক্ষে মত দিয়ে বলেন,
মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু চাকরি কেন, সব ক্ষেত্রেই তাঁদের
সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বর্তমান সরকার এটি
করছেও। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা
সুবিধা দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। এতে দেশের চাকরিপ্রার্থী
তরুণ-তরুণীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আবার যোগ্য প্রার্থীর অভাবে
অনেক পদ বছরের পর বছর খালি থাকছে। তা ছাড়া এ সুযোগ নিয়ে
অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরিতে কোটা সুবিধা
নিচ্ছে। তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তাঁদের অনেকে অবশ্য
শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা নয়, জেলা
কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিলেরও দাবি তুলেছেন।
গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের
কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, এই প্রস্তাবের বিরোধিতাও
করেছেন একাধিক সদস্য। বৈঠকে কমিটির সদস্য র আ ম
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর
ব্যাপারে যে কোটা রয়েছে তাতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে যে কোটা মানা হচ্ছে এবং
জেলাভিত্তিক যে কোটা অনুসরণ করা হচ্ছে সেটি উঠিয়ে দেওয়া
উচিত।
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে মানবাধিকার
কমিশনের প্রতিবাদ সভা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিউ ইয়র্কে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইমামসহ ২ বাংলাদেশী
নিহতের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীর।
১৩ আগষ্ঠ ২০১৬ স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শহরের ওজন পার্ক
এলাকার গ্লেনমোর এভিনিউর আল ফুরকান জামে মসজিদে জোহরের
নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন
ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আখঞ্জী তার সহযোগী তারা উদ্দিন
মিয়া। এর কয়েক মিনিট আগেই আল ফুরকান জামে মসজিদে তারা
একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশিরা
নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে
জঘন্যতম এ হত্যাকাে র জন্য বিচার দাবি করেছে।
মসজিদের ইমাম সহ দুই বাংলাদেশীকে হত্যার প্রতিবাদে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC BHRC'র পক্ষ থেকে ১৪
আগষ্ঠ ২০১৬ সকালে এক প্রতিবাদ সভা নিউ ইয়র্কের জেকসন
হাইড ইত্যাদি গার্ডেন পার্টি হলে আয়োজন করে। BHRC নিউ
ইয়র্ক গভর্নর শরীফ আহামদ লস্কর,সাধারন সম্পাদক জামান
চৌধুরী,কায়সারুজ্জামান চৌধুরী,শ্রী জনারদন চৌধুরী,মিনা
ইসলাম, পার্না ইয়াসিন, এলিজা আওার মুওা সহ নেতৃবৃন্দ
সভায় বওব্য রাখেন।
৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলো আশ্চর্য এক কবুতর!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেখা মাত্রই চমকে উঠেছেন নিশ্চিয়ই, একটি কবুতরের দাম
৬০ লাখ টাকা! ভাবছেন, একটি কবুতরের এত দাম হয় কীভাবে?
এই দামে বিক্রি হয়েছে এই কবুতরকটি।
কুয়েতে একটি কবুতর বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লাখ ৮১
হাজার দিরহামে। বাংলাদেশী টাকায় ৫৯ লাখ ৮০ হাজার। এর
নাম দেয়া হয় গোলাবি। তবে সে যেন তেন নয়। তার বিশেষ গুণ
আছে। সে চমৎকার অ্যাক্রোব্যাটিক পারফর্ম করে। তাই
ডাক-ঢোল পিটিয়ে তাকে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে উঠানোর
পরেই একের পর এক হাক ছেড়েছেন ক্রেতারা। সেই নিলামের
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল।
অনেকে এ ঘটনার কড়া সমালোচনাও করেছেন। একজন বলেছেন, একটি
কবুতরের দাম এত কিভাবে হয়? যদি এই কবুতরের স্বর্ণের
পাখা হত, তাহলেও না হয় মানতাম। কিন্তু সালফ নিউজ দাবি
করছে এটিই হয়েছে বাস্তবে।
বন্দরে বাল্যবিবাহ
ঘটক, বর ও বরের বাবার জেল
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
বন্দরে ১২ বছল বয়সের এক স্কুল ছাত্রীকে বাল্য বিয়ের
অভিযোগে ঘটক, বর ও বরের পিতাকে সাজা প্রদান করেছে
ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ২৪ আগস্ট ২০১৬ রাতে বন্দর
লেদারার্স আবাসিক এলাকায় কনের বাড়িতে বিয়ের
প্রস্তুতিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মৌসুমী হাবিবা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বর রফিদুল (২০) তার পিতা জহির
(৫৭) ও ঘটক মমিনুল (২৫)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিলফামারী জেলার খানসামা
থানার উত্তরকিষাণ গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে রফিদুল
ইসলামের সঙ্গে বন্দর লেদারার্স আবাসিক এলাকার ৮ম শ্রেণি
পড়য়া ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের পাকা কথা হয় বরের গ্রামের
ঘটক মমিনুল ইসলামের মাধ্যমে। ২৪ আগস্ট ২০১৬ রাতে
নাবালিকা স্কুল ছাত্রী ও বরের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসময় খবর পেয়ে বন্দর ইউএনও মৌসুমী হাবিবা উপস্থিত হন
কনের বাড়িতে। নিমিষে থেমে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। কনের
পিতা-মাতা পালিয়ে গেলেও বর ও বরের পিতা ও ঘটক আটক করে
পুলিশ। এসময় ওই বিয়ে বাড়িতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে
ঘটক মমিনুলকে ৬ মাস, বর রফিদুলকে এক মাস ও বরের পিতা
জহিরকে ৫ মাসের সাজা প্রদান করেন।
Top
পুলিশ
চাইলেই আপনাকে আর গ্রেফতার করতে পারবে না
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হাইকোর্টের এক যুগান্তকারী রায় এর মাধ্যমে অনেক বৎসর
থেকেই ৫৪ ধারার অপব্যাবহার এর বিভিন্ন ঘটনা এবং নাগরিক
অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলায় রক্ষা
বাহিনীকে আরো জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের
আপিল বেঞ্চ এই রায় দেয়।
এর ফলে ৫৪ ধারা ও ১৬৭ ধারা নিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া
নির্দেশনা বহাল এবং তা মানায় সরকারের বাধ্যবাধকতা থাকছে
বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এখন থেকে যে কোন পুলিশি গ্রেফতারের আগে পুলিশের কাছ
থেকে পরিচয়পত্র এবং ওয়ারেন্ট দেখার অধিকার রাখেন
নাগরিকরা।
যে কোন বেআইনি কর্মকান্ডে হাতে নাতে ধরা পড়া ব্যাতিত
সম্পূর্ণ সন্ধেহর ভিত্তিতে পুলিশ চাইলেই কাউকে
গ্রেফতার করতে পারবে না ।
হাইকোর্টের নির্দেশনা ঃ
ক. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারবে না।
খ. কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র
দেখাতে বাধ্য থাকবে।
গ. গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে
কারণ জানাতে হবে।
ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নিকট আত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে
টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে
হবে।
ঙ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও
আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।
চ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের
প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের
ভেতরে কাচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে
হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকট আত্মীয় থাকতে
পারবেন।
ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি
পরীক্ষা করাতে হবে।
ট. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে
ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবে।
বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে
তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দ বিধির ৩৩০
ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন,
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য
যদি কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে, কিংবা ১৬৭
ধারায় রিমান্ডে নেয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে। এ কথা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার
দুপুরে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ
বহাল রেখেছেন। কাজেই উচ্চ আদালতের রায় আমাদের জন্য মানা
বাধ্যতামূলক। উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আমি শুনেছি।
এখনো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি
পেলে কী কী নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
Top
বাংলাদেশিরা ৫ বছরের ভারতীয় ভিসা পাবেন
ভারতীয় হাইকমিশনার
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
বলেছেন, ব্যবসার কাজে ভারত যাতায়াতকারী বাংলাদেশি
ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের জন্য ভিসা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে
বাংলাদেশিদের টুরিস্ট ভিসার মেয়াদও পাঁচ বছর করা হবে।
শুক্রবার বেনাপোল সফরে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় যোগদানের পর প্রথমবারের মতো বেনাপোল
সফরে গেলেন শ্রিংলা। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে যশোর থেকে
শুক্রবার বেলা ১১টার সময় বেনাপোল পৌঁছান তিনি।
বেনাপোলে কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ভবনে
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শ্রিংলা। সেখান থেকে
বেনাপোল রেল স্টেশন পরিদর্শনে যান। আগামী বছর
কলকাতা-বেনাপোল-খুলনার মধ্যে সরাসরি রেল চলাচলের
সম্ভাব্য স্থান হিসেবে তিনি এই রেলস্টেশন পরিদর্শন
করেন।
এরপর তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেন ও
সীমান্তের ওপারে পেট্রাপোল চলে যান।
প্রেসিডেন্ট
কন্যা কাজ করছে রেস্তোরাঁয়!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শুনতে একটু অন্য রকম মনে হলেও ব্যাপারটি সত্যি।
বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামার মেয়ে এখন রেস্তোরাঁর কর্মী! ওবামার ১৫
বছর বয়সী ছোট মেয়ে সাশা কাজ করছে ম্যাসাচুসেটসের মার্থা
ভিনিয়ার্ডের একটি রেস্তোরাঁর নাম ন্যান্সি। সামুদ্রিক
খাবার আর মিল্কশেকের জন্য বিখ্যাত ওই রেস্তোরাঁটিতে
কাজ করার কারণ হলো নিজেকে একটু স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে
তোলার অভ্যাস তৈরি করা।
মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি
অনলাইনের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।
দ্য বোস্টন হেরাল্ডের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,
সাশা সাধারণ একজন কর্মীর মতো ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করছে।
তার নিরাপত্তায় সেখানে সব সময় থাকছেন ছয়জন গোয়েন্দা
কর্মকর্তা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাশার সহকর্মীরা
প্রথমে তাকে চিনতে পারেনি। কারণ, সে তার নাম বলেছে
নাতাশা। তবে এই ছয়জন বহিরাগত ব্যক্তির ব্যাপারে নাখোশ
থাকলেও সাশার পরিচয় জানার পর সব সহকর্মী তো হতবাক।
অবশ্য তার এই চাকরি বেশি দীর্ঘ হচ্ছে না। দিনে চার
ঘণ্টা সেখানে কাজ করেছে সাশা।
দ্য বোস্টন হেরাল্ডের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,
সাশা সাধারণ একজন কর্মীর মতো ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করছে।
তার নিরাপত্তায় সেখানে সব সময় থাকছেন ছয়জন গোয়েন্দা
কর্মকর্তা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাশার সহকর্মীরা
প্রথমে তাকে চিনতে পারেনি। কারণ, সে তার নাম বলেছে
নাতাশা। তবে এই ছয়জন বহিরাগত ব্যক্তির ব্যাপারে নাখোশ
থাকলেও সাশার পরিচয় জানার পর সব সহকর্মী তো হতবাক।
অবশ্য তার এই চাকরি বেশি দীর্ঘ হচ্ছে না। দিনে চার
ঘণ্টা সেখানে কাজ করেছে সাশা।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টের ছোট মেয়ে ওই
রেস্তোরাঁর পোশাক নীল টি-শার্ট ও টুপি পরে কাজ করছে।
সাশার এক সহকর্মী মার্কিন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, তার
(সাশা) কাজে আমরা খুশি। আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমরা
প্রথমে অবাক হয়েছিলাম কেন তার জন্য ছয়জন গোয়েন্দা
কর্মকর্তা আছেন। পরে আমরা বুঝতে পারি যে সে কে।
কিছু সময় কাউন্টার সামলানোর পর ওই রেস্তোরাঁয় সাশার
কাজ হলো টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের অর্ডার নেওয়া
এবং মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতির জন্য অন্যদের সাহায্য করা।
তার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা দল
রেস্তোরাঁর বাইরে একটি বড় গাড়িতে অপেক্ষা করে অথবা যখন
পর্যটকদের খাবার সরবরাহ করে, তখন তার বেঞ্চের পাশেই
তাঁদের দেখা যায়।
তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মার্কিন গণমাধ্যমের ওই
প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অতীতে যেভাবে তাঁর
সন্তানদের ব্যাপারে কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে যা
দেখা গেছে, তাতে এ ব্যাপারটি অনেকটা স্বাভাবিকই মনে
হচ্ছে।
সাশার ১৫ বছরের জীবনের প্রায় আট বছর কেটেছে হোয়াইট
হাউসে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। বাবার প্রেসিডেন্টের
দুইবারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী জানুয়ারিতেই ছাড়তে হবে
হোয়াইট হাউস। তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে নিজের মতো সময়
কাটাতেই এ কাজ করছে প্রেসিডেন্টের কন্যা।
ম্যাসাচুসেটসের ওই রেস্তোরাঁটি বারাক ওবামার বন্ধুর।
প্রতিবছর গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে গিয়ে এখানেই
খাওয়াদাওয়ার কাজ সারে ওবামা পরিবার। এবারও আসবেন। তখনো
সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ছোট মেয়েকে।
বাংলাদেশ ছাড়া
পৃথিবীর কোথাও এভাবে গ্রেফতার করা হয় না :
অ্যাটর্নি জেনারেল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাদা পোশাকে নিজেদের পরিচয় না দিয়ে পৃথিবীর কোথাও এভাবে
গ্রেফতার করা হয় না। সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করতে
হলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেওয়া উচিত বলে
মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ৫৪ ও
১৬৭ ধারা নিয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পর এই মন্তব্য
করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলম
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সাদা
পোশাকে যারা গ্রেফতার করে তাদের কাজ হলো আসামিকে
অনুসরণ করা, গতিবিধি লক্ষ্য করা। কাউকে গ্রেফতার করার
ব্যাপারে নিশ্চয় পরিচয় দেওয়া উচিত।
আমার মনে হয় না, নিজেদের পরিচয় না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করতে যায়। এভাবে যারা যাচ্ছে
তারা নিশ্চয়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক না। তিনি বলেন,
এখন আমাদের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য অপেক্ষা
করতে হবে। আপিল বিভাগ যে রায় দেবেন বা যে সমস্ত
নির্দেশনা দেবেন তার আলোকে আশা করি সরকার পদক্ষেপ নেবে।
মাহবুবে আলমের মতে, মতবাদের কারণে ডাক্তার ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খুন করা হয়েছে। এ সমস্ত
আসামিদের ধরবে পুলিশবাহিনী। এদিকে আসামি ধরার ব্যাপারে
আদালতের কিছু নির্দেশনা মেনেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও
সরকারকে সামনের দিকে এগুতে হবে।
তিনি বলেন, সব সময় আগের থেকে মামলা করে আসামিকে ধরা
সম্ভব হয় না। অপেক্ষা করে বসে থাকলে তো সে পালাবে।
যেমন যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার গ্রেফতারের নির্দেশ
শুনে পালিয়েছে। আগে যদি তাকে ধরে ফেলতো পরে আদালতের
সামনে নিয়ে আসতো তাহলে পালাতে পারতো না। এগুলো
জেনারালাইজ করা যাবে না। একেকটা ঘটনায় একেক রকম
পদক্ষেপ নিতে হয়। যাই নিতে হোক না কেন আদালতের
নির্দেশের আলোকে নিতে হবে। আদালতও আশা করি বাস্তব
অবস্থা বিবেচনা করবেন। আদালতের মূল উদ্বেগ হচ্ছে যেন
মানবাধিকার লংঘন করা না হয়।
Top
২৫ বছরে ১৮
সন্তানের জননী!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২৫ বছরে ১৮ সন্তানের জননী! কথাটি শুনে হয়তো অবাক লাগছে।
অবাক লাগারই কথা। কেননা ১ জনের গর্ভে এতোগুলো সন্তান
জন্মদানের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। অবিশ্বাস্যও বটে। কিন্তু
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ব্রিটেনের সিউ ও নোয়েল র্যাডফোর্ড
দম্পতি এ পর্যন্ত জন্ম দিয়েছেন ১৮টি সন্তান! সম্প্রতি
এমন খবর জানিয়েছে ডেইল মেইল অনলাইন।
এরইমধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের খাতায় নাম
লিখিয়েছেন এই দম্পতি। সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ওসামা
বিন লাদেনের পরিবারকেও হার মানিয়েছেন তারা। লাদেনের ৫
স্ত্রী মিলে যেখানে ২৩টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সেখানে
সিউ ও নোয়েল র্যাডফোর্ড দম্পতি এ পর্যন্ত জন্ম
দিয়েছেন ১৮টি সন্তান।
নতুন সদস্যের আগমনে পরিবারটিতে বইছে খুশির আমেজ। গত
বুধবার সিউ র্যাডফোর্ড এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
যার নাম রাখা হয় হ্যালি আলফিয়ান।
তাদের পারিবারিক ওয়েবসাইটে নবজাত কন্যা সন্তান হ্যালি
আলফিয়ানের ছবি পোস্ট করেন সিউ র্যাডফোর্ড (৩৯)। সেখানে
সিউ র্যাডফোর্ড জানান, হ্যালি আলফিয়ানের চেহারার গঠন
খুব সুন্দর হয়েছে।
তবে ১৮তম সন্তানের জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো
সুবিধা নিতে চান না বলে জানিয়েছেন সিউ র্যাডফোর্ড।
১৮তম সন্তান প্রসব করার সময় সিউ র্যাডফোর্ড খুব
চিন্তায় ছিলেন। কেননা গত বছর তাদের ১৭তম সন্তাকে
গর্ভাবস্থাতেই হারান। তাই সুস্থভাবে হ্যালির জন্ম
হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খুশির আমেজ। নতুন
অতিথিকে সব সময় ঘিরে রয়েছে তাদের ১৬ ভাই-বোন।
সিউ ১৪ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। তার প্রথম
সন্তান ক্রিস ২৫ পেরিয়ে ২৬- এ পা দিয়েছেন। ক্রিসের পরে
রয়েছে সোফি ২১, চোল ১৯, জ্যাক ১৭, ড্যানিয়েল ১৫, লিউক
১৪, মিলি ১৩, কেটি ১২, জেমস ১১, এলি ৯, অ্যামি ৮, জোস
৭, ম্যাক্স ৬, তিলি ৪, অস্কার ৩ এবং ২ বছরে ক্যাসপার।
বিশাল এই পরিবারের ভরণপোষেণের কোনো সমস্যা হয় না তাদের।
কেননা ল্যাঙ্কারশায়ারে রয়েছে তাদের বড় একটি বেকারি
কারখানা। তাই বড় এ সংসার চালাতে তাদের তেমন সমস্যা
হচ্ছে না। র্যাডফোর্ড দম্পতি জানিয়েছেন, তারা এখনো
কোনো সরকারি সুবিধা নেননি সন্তানদের জন্য।
ভবিষ্যতে আরও সন্তান নেবার পরিকল্পনা আছে কিনা- এ
প্রসঙ্গে সিউ জানান, আমরা প্রকৃতির ওপর ছেড?ে দিয়েছি।
যতদিন আমাদের সন্তান সৌভাগ্য থাকবে, আমরা গ্রহণ করব।
পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি: সন্তু
লারমা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি
জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলছেন,
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছে, কিন্তু
তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বাংলাদেশের
শাসকগোষ্ঠী এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাদের উপনিবেশ
হিসেবে দেখছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে
আদিবাসীরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সম্প্রতি সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের
নীতিনির্ধারণী সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব
অভিযোগ করেন।
আদিবাসী-বিষয়ক সংসদীয় ককাস-এর সমন্বয়ক মেসবাহ কামালের
সঞ্চালনায় এ সংলাপ আজ বিকেল পর্যন্ত চলবে। সংলাপের
শুরুতে আদিবাসীদের শিক্ষা, ভূমি ও জীবনের অধিকার-বিষয়ক
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। সংলাপে ককাসের সদস্য ও
সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক সন্তু লারমার অভিযোগ সত্য নয়
বলে তাঁর বক্তৃতায় মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী
লীগ প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি
করেছে, যার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন করা হয়েছে, কিছু বাকি।
এর পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলেই সেখানে আর সেনাবাহিনী
থাকার দরকার হবে না।
ককাসের অপর সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)
একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ নাজমুল হক প্রধান
আদিবাসীদের মূলধারায় এনে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির ওপর
গুরুত্ব দেন।
ককাসের সদস্য ও সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস আদিবাসীদের
অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ
চেষ্টা করা হবেএই মন্তব্য করে বলেন, এই পথ ধরেই
আদিবাসীরা তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে।
বৃদ্ধ শিশু
বায়েজিদের চিকিৎসা শুরু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মাগুরার সেই চার বছরের বৃদ্ধ শিশু বায়েজিদ শিকদারকে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে
ভর্তি করা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ৫০৬
নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা এই
রোগকে জেনেটিক ডিজঅর্ডার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যে
কারণে বয়স চার বছর হলেও বিরল রোগের জন্য বায়েজিদকে
বৃদ্ধ মানুষের মতো দেখা যায়। বায়েজিদের বাবা লাবলু
শিকদার বলেন, বায়েজিদের প্রস্রাবে সমস্যা আছে। সব দিক
দিয়ে অন্য বাচ্চাদের চেয়ে ওর জ্ঞান-বুদ্ধি একটু বেশি।
কথাবার্তা, চলাফেরাও ৫০-৬০ বছর বয়সী মানুষের মতো। মা
তৃপ্তি শিকদার বলেন, ওর গায়ে কোনো মাংস নেই। সব সময়
চামড়া ঝুলে থাকে। অন্য বাচ্চাদের চেয়ে আলাদা। প্রাথমিক
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকরা বায়েজিদের কোনো রোগ
শনাক্ত করতে পারেননি। এ নিয়ে গতকালই ছয় সদস্যবিশিষ্ট
একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং বিকালে তাদের বৈঠকও
হয়। আজ সকাল ১০টায় আবারও তারা বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে
চিকিৎসা শুরু করারও কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা.
সামন্ত লাল সেন জানান, এ ধরনের রোগ ও রোগী আমাদের কাছে
প্রথম। এটি কী রোগ, কী সমস্যা সে বিষয়ে আমরা কিছুই
বুঝিনি। আমরা চিকিৎসার শুরুতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে দেখব। তার মুখের বাড়তি মাংসগুলো কমানোর চেষ্টা করব।
এ চিকিৎসায় একটু সময় লাগবে। আর এ চিকিৎসার সম্পূর্ণ
ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করা হবে বলেও জানান তিনি। -
এবার বাংলাদেশী
প্রবাসীরাও সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদী আরবে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশী। সৌদী
পুরুষরা একাধিক বিয়ে করলেও অবিবাহিত থেকে যাচ্ছেন অনেক
নারী। এমন পরিস্থিতিতে সৌদী কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের জন্য
সৌদী নারীদের বিয়ে করার বিধি নিষেধ তুলে নিয়েছে।
অবশ্য এজন্য স্পেশাল এক্সপ্যাক্ট সিস্টেমে তাদেরকে
আগে থেকেই নিবন্ধন করতে হবে। প্রবাসীরা শুধু সৌদী
নারীদের বিয়ে করার সূযোগই পাচ্ছে না, এর সাথে তারা
পেনশনসহ বেতন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
বিদেশী অভিবাসীদের জন্য সম্প্রতি এমনই সুখবর জানিয়েছে
দেশটি। শনিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য
জানানো হয়েছে।
সৌদির ইনস্যুরেন্সভিত্তিক একটি সংস্থার বরাত দিয়ে ওই
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিতে কোনো বিদেশী অভিবাসী যদি
দেশটির কোনো নারীকে বিয়ে করেন তবে তিনি মাসিক বেতনসহ
পেনশন পাবেন। তবে তাদের বেতন সৌদি ৩ হাজার রিয়াল কিংবা
তার চেয়ে কম হতে হবে।
ছেলেমেয়েসহ রাগীব
আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাগীব আলীজালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় সিলেটে শিল্পপতি
রাগীব আলী, তাঁর পরিবারের চার সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার
দুপুরে তাঁদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় সিলেট মহানগর মুখ্য
বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা
হয়। পরে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো অভিযোগপত্র
গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন ভূমি
মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী
(৭৫) ও তাঁর একমাত্র ছেলে আবদুল হাই (৪৫), প্রতারণার
মামলায় রাগীব আলী, ছেলে আবদুল হাই, মেয়ের জামাই আবদুল
কাদির (৫৫), মেয়ে রুজিনা কাদির (৪৮), রাগীবের আত্মীয়
মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ
(৫৫) ও তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তকে
অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলার অপর আসামি রাগীবের স্ত্রী
রাবেয়া খাতুন ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায়
তাঁকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
যোগযোগ করলে সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)
মিসবাহউদ্দিন সিরাজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তথ্যের
সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত
অভিযোগপত্র গ্রহণ করার পর এক আদেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেন। এ সময় রাগীব আলীর পক্ষের একজন আইনজীবী
আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছেন। এতে তিনি অসুস্থ
উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগানের
জায়গায় বিধিবহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি
১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত
তৎকালীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তদন্ত করে। এতে তারা
সত্যতা পায়। পরবর্তী সময়ে সংসদীয় উপকমিটি চা-বাগানে
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়ার
সুপারিশ করে। এ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালের ২৭
সেপ্টেম্বর তৎকালীন সিলেট সদর ভূমি কমিশনার এস এম
আবদুল কাদের বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা
করেন। পরে এ মামলা উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত করা হয় এবং
পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম
কোর্টের আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ দেবোত্তর
সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারে রায় দেন। একই
সঙ্গে স্থগিত করা মামলা দুটি সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া
হয়। এরপর ১৬ মার্চ সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) এক আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের
বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে
তিন দফা সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ ১০ আগস্ট আদালত
পিবিআইকে সময় বেঁধে দেন। এর এক মাস আগেই ১০ জুলাই মামলা
দুটির অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।
৩৪ কোম্পানির ওষুধ
বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০টি ওষুধ কোম্পানির সব
ওষুধ এবং ১৪টি কোম্পানির এন্টিবায়োটিক বাজারে সরবরাহ ও
বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত
এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও
বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্টে বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য সচিব,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের
পরিচালকসহ বিবাদীদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা
হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস
ফর বাংলাদেশর দাখিলকৃত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
এর আগে একই মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা এক রিট
আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর
হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৭ই জুন ২০ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন এবং
১৪ কোম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন পরবর্তী সাতদিনের
মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে রুল জারি
করেন।
জন কেরির সঙ্গে আগামী
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে : বিএনপি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে
বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আশাবাদী,
আমরাও (বিএনপি) আশাবাদী যে মার্কিন সহযোগিতার মধ্য দিয়ে
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে, একই সঙ্গে এখানে
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
সোমবার আট ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসা কেরির সঙ্গে
বারিধারার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ভবনে গিয়ে দেখা করেন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা।
দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে এই বৈঠকে থাকা বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন,
বৈঠকে জন কেরির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, মানুষের
অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, আইনের শাসনকে
প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের
সঙ্গে বন্ধুত্ব সহকারে কাজ করতে চান, আগ্রহী।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ
নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বৈধতা নেই বলে বিএনপি দাবি
করে আসছে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের ওই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে
ওয়াশিংটনও অসন্তোষ জানিয়েছিল। তারা সব দলের অংশগ্রহণে
আগামী নির্বাচনের প্রত্যাশাও জানিয়েছিল।
তবে নির্বাচনের বিষয়ে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে
বিস্তারিত কিছু বলেননি বিএনপির মহাসচিব।
বন্ধ হোক ব্যাংক
জালিয়াতি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম-জালিয়াতি কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।
এটি যেন এ খাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুয়া ও
জাল দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ
নিয়ে আত্মসাৎ করছে সুসংবদ্ধ অপরাধীরা। সরকারের কঠোর
নির্দেশনার পরও ঋণ জালিয়াতির ইতি ঘটছে না। জালিয়াতির
সঙ্গে ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য, কর্মকর্তাদের যোগসাজশ
থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫টি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েও
তা থামাতে পারছে না। ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে গত কয়েক বছরে
ব্যাংক থেকে লোপাট হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হয় তা প্রকৃত অর্থে ব্যাংকে
অর্থ আমানতকারী সাধারণ মানুষের টাকা।
এ অর্থ যাতে লোপাট না হয় তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রায়ত্ত
ও বেসরকারি সব ব্যাংক বিশেষ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত
নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংকের
ঝুঁকিপূর্ণ শাখাগুলোকে নিবিড় তদারকির আওতায় আনা হয়েছে।
কিন্তু ব্যাংকের কর্তাব্যক্তিরাই যেখানে ঋণ লোপাটের
নেপথ্যে জড়িত সেখানে এসব তদারকি কতটা সুফল দেবে তা
প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবের
অপব্যবহার করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া
কাগজপত্র জমা দিয়ে ঋণ অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছে সুসংবদ্ধ
প্রতারক চক্রের সদস্যরা। অনেক সময় ব্যাংক পর্ষদের
অনুমতি নিয়ে ঋণ অনুমোদনের নিয়মও মানা হচ্ছে না। ঋণ
দেওয়ার পর পর্ষদ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়, ফলে
কারোর কিছু করারও থাকে না। পরবর্তী সময়ে ঋণ পরিশোধে
ঋণগ্রহীতা টালবাহানা করলে মর্টগেজে রাখা তার সম্পত্তি
নিলামে দেওয়ার ব্যবস্থা নিলে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
এরপর সে টাকা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না সংশ্লিষ্ট
ব্যাংকের পক্ষে। ফলে সেগুলোকে খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়।
জালিয়াতির ঘটনাকে খেলাপি ঋণ হিসেবে দেখিয়ে কার্যত সে
জঘন্য অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। প্রায় সব বেসরকারি
ব্যাংকে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা অহরহ ঘটছে। দেশের
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিদ্যমান এলোমেলো করে
দে মা লুটেপুটে খাই অধ্যায়ের অবসান ঘটাতে হবে।
ব্যাংকগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে হবে।
রাজনৈতিকভাবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রচলিত
পদ্ধতির অবসান ঘটাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কোনো দল
নয় জনগণের সম্পত্তি এই সহজ সত্যটি কর্তাব্যক্তিদের
উপলব্ধিতে আসাও জরুরি।
আইনজীবীরা
প্রথম শ্রেণীর নাগরিক: আপিল বিভাগ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আইনজীবীরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক এবং অফিসার্স অব দ্য
কোর্ট বলে জানিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে
সম্প্রতি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের আপিলের শুনানিকালে
আদালত এ কথা বলেন।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন
মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে আপিল বিভাগ বলেন, আপনারা
আইনজীবীরা তো বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আপনারা
মন্ত্রী, এ্যাম্বাসেডর, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক,
এ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারেন।
প্রবাসীদের জন্যে
সুখবর, বিনা শুল্কে আনা যাবে ৬৫ কেজি পণ্য
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে বিনাশুল্কে
সর্বোচ্চ ৬৫ কেজি পরিমান ব্যাগেজ আনতে আনা যাবে। তবে
একটি আইটেম ১৫ কেজির বেশি হতে পারবে না। আকাশ ও জলপথে
আসা ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে এই
সুবিধা রেখে নতুন যাত্রী ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা
জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০১২ সালের বিধিমালা বাতিল করে গত ২ জুন এনবিআর
চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এই নতুন বিধিমালা
প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
নতুন বিধিমালেতে যাত্রী বলতে পর্যটক নয় বিদেশ থেকে
আসা এমন যাত্রীকে বুঝানো হয়েছে। আর ব্যাগেজ বলতে কোনো
যাত্রীর আমদানিকৃত বৈধ খাদ্যদ্রব্য, পরিধেয়, গৃহস্থালি
বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রী বুঝানো হয়েছে। যার
প্রত্যেকটি আইটেম ১৫ কেজির বেশি হবে না।
ঝুঁকিপূর্ণ
মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনের গ্যাস সিলিন্ডার
বিস্ফোরণে হতাহতের খবর প্রায়শই আসিতেছে। পুলিশ ও
সংশ্লিষ্টদের মতে, যে সকল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত
হইয়াছে, পাঁচ বত্সরেরও বেশি সময় সেইগুলির মান পরীক্ষা
করা হয় নাই। বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সমপ্রতি
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল)
অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমগ্র দেশে বর্তমানে আড়াই
লক্ষাধিক সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) পরিচালিত
গাড়ি রহিয়াছে। এই সকল গাড়িতে সংযোজিত আছে প্রায় চার
লক্ষ সিলিন্ডার। কিন্তু এইগুলির মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশই
মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে সিএনজিচালিত এই সকল যানবাহনে চলাচল
ঝুঁকিপূর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। যখন-তখন ঘটিতেছে দুর্ঘটনা।
মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ হইয়া উঠিতে
পারে যে সেইগুলিকে শক্তিশালী বোমার সঙ্গে তুলনা
করিয়াছেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের
প্রধান পরিদর্শক।
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী জ্বালানি হিসাবে বাংলাদেশে
যানবাহনে সিএনজির ব্যবহার শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে।
সিএনজি-সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা এড়াইতে ২০০৫ সালে প্রণীত
সিএনজি বিধিমালায় প্রতি পাঁচ বত্সরে সিএনজি ফিলিং
স্টেশনের বার্ষিক নিরাপত্তা জরিপ ও ক্যাসকেড সিলিন্ডার
পরীক্ষণ কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করা হইয়াছে।
পুনঃপরীক্ষণের জন্য সাতটি সিএনজি সিলিন্ডার রিটেস্টিং
সেন্টারও আছে। অথচ সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা ও সিএনজি
সিস্টেম পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যানবাহন
মালিকদের নিকট হইতে লক্ষণীয় সাড়া পাওয়া যাইতেছে না।
প্রতিটি গাড়ির সিএনজি সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার জন্য
দুই-তিনদিন সময় লাগে, সেইসঙ্গে দুই চার হাজার টাকাও
খরচ হইয়া যায়। ফলত, অনেক গাড়ির মালিকই বাড়তি খরচ ও সময়
নষ্ট হয় বলিয়া পুনঃপরীক্ষা হইতে বিরত থাকেন। অথচ
ত্রুটিযুক্ত সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে প্রায়ই ঘটিতেছে
বিভিন্ন দুর্ঘটনা। যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামের একটি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে,
২০১১-১৫ সময়কালে সমগ্র দেশে ৩১৪টি সিলিন্ডার
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়াছে। ইহাতে দুই শতাধিক মানুষের
প্রাণহানি ঘটে।
সৌদি রাজকুমারী
আমিরাহর লাইফস্টাইল
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদি সমাজ ব্যবস্থা অনেক রক্ষণশীল। যার কারণে সেখানকার
নারীরা গাড়ি চালাতেও পারেন না এবং সেখানে নারীদের জন্য
রয়েছে পোশাকের বাধ্যবাধকতা। সৌদির রক্ষণশীল সরকার এটার
বিরুদ্ধে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। তবে সৌদি তথা
মধ্যপ্রাচ্যের এই অতি রক্ষণশীল দেশেই মাথা উঁচু করে
এসব নিয়মের কার্যত তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাচ্ছেন সৌদি
রাজকুমারী আমিরাহ আল তাবিল।
৩৩ বছর বয়সী রাজকুমারী আমিরাহ দেখতে রুপবতী,
আত্মনির্ভরশীল, সাহসী এবং প্রত্যয়ী একজন নারী। তিনি
মানবিক সমস্যা সমাধানে শুধুমাত্র সৌদি আরবে নয় কাজ
করছেন গোটা পৃথিবীতে। তিনি ৭০টিরও বেশী দেশ ভ্রমণ
করেছেন প্রধান সমস্যা সম্পর্কে জানতে এবং তার সমাধান
করতে।
রাজকুমারী আমিরাহ বিশ্বের দারিদ্রতা এবং দূর্যোগ
মোকাবেলায় যুদ্ধ করছেন। তিনি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান
গড়ে তুলেছেন এবং আশ্রয়স্থল নির্মাণ করেছেন পশ্চিম
আফ্রিকায়। তিনি সহযোগীতা প্রদান করেছেন পাকিস্তানের
বন্যা দূর্গতদের মাঝে এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইসালমিক শিক্ষা কেন্দ্র খুলেছেন। এছাড়াও সােমালিয়ায়
সহযোগীতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
তিনিই প্রথম সৌদি নারী এবং সৌদী রাজকুমারী, যিনি তার
দেশের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘ এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিত্যাগ
করেছেন এবং ইউরোপিয়ান স্টাইলে পোশাক পরিধান করেন।
পোশাকে বাধ্যবাধকতা তিনি কখনোই মান্য করেননি। তিনি
ব্যবসায় প্রশাষনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ
করেছেন। তিনি নিজে গাড়ি চালান। যদিও সৌদিতে নারীদের
গাড়ি চালানো নিষেধ। তিনি মনে করেন সৌদি প্রতিটি নারীরই
এ বিষয়ে নিজের পছন্দমত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে
এবং তিনি এটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সৌদিতে এমন কাজ তার জন্য মোটেই সহজ নয়। আর রাজকুমারীর
এমন কাজে বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সৌদি সরকারের। তবে
তার অনেক প্রশংসনীয় কাজের জন্য তিনি ছাড় পাচ্ছেন অনেক।
রাজকুমারী আমিরাহ হলেন একজন যোগ্য উদাহরণ, যিনি অসম্ভব
সুন্দরী এবং নরম মনের এবং দয়ালু হৃদয়ের অধিকারী। এমন
কিছু মানুষই পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলেন।
বাংলাদেশে
ফেসবুক ব্যবহারের নিয়ম-কানুন
ঘোষণা করল সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের
নিয়ম-কানুন ঘোষণা করলো সরকার। রোববার মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৬ জারি করা হয়। ৬
পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় ফেসবুক ছাড়া আরও ১০টি সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ
করেছে। একই সাথে বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর
ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা
স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রকাশ করা
এসব গাইডলাইন শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
জন্য করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি
পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ
করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি
করতে পারে এমন কনটেন্ট প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে এতে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা
সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক
কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান
বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য বা এ
সংক্রান্ত বিতর্কিত কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না
বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, দাপ্তরিক যোগাযোগ ও মতবিনিময়,
সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা,
নাগরিকসেবা সহজ করা ও উদ্ভাবন, সিদ্ধান্তগ্রহণ ও নীতি
নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জনবান্ধব
প্রশাসন ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সেবাগ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তিতে সরকারি অফিসগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ব্যবহার করতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের
অ্যাকাউন্ট পরিচালনার নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাকাউন্টে
কোন ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের
কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তিন থেকে পাঁচজনের একটি
মডারেটর দল থাকবে। সরকারের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত
অ্যাকাউন্টকে এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হলেও ব্যক্তিগত
অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় দায়িত্বশীল আচরণ ও অনুশাসন মেনে
চলতে নির্দেশনা এসেছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসে
একবার নিজ দপ্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের
অগ্রগতি ও কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে হবে। বছর শেষে
মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও
জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা স্বীকৃতির ব্যবস্থা রাখা
যেতে পারে।
সেরা পোস্ট, সেরা কমেন্ট, সেরা পেইজ, সেরা নাগরিক
সমস্য উপস্থাপক, সেরা সমাধান এবং সেরা প্রচারকে
বিবেচনায় নিয়ে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে বলে
নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
সৌদির নতুন ভিসা
নীতি: প্রথমবার হজ
ে ভিসা ফি লাগবে না
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখন থেকে প্রথমবারের মতো হজ বা ওমরাহ করতে গেলে কোনো
রকম ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব
কর্তৃপক্ষ। নতুন ভিসা নীতিতে এই বড় ধরনের পরিবর্তনটি
আনা হলো।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সৌদি কর্তৃপক্ষের
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, সৌদির এই
নীতি তাদের মহানুভবতার বহিঃপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা নতুন ভিসা
নীতিমালা অনুমোদন করে। নতুন অনুমোদিত ভিসানীতিতে বলা
হয়, কোনো দেশ থেকে প্রথমবারের মতো কেউ হজ বা ওমরাহ করতে
গেলে তাঁকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোশি
বলেন, এটি সৌদি রাজার আতিথেয়তা। একইসাথে তিনি
দুর্দশাগ্রস্ত বিদেশি শ্রমিকদের কষ্ট দূরীকরণে পদক্ষেপ
নিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত আজমি থাসিম বলেন, এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নতুন এই ভিসা নীতি হজযাত্রীদের
জন্য তথা মুসলিম জাহানের জন্য একটি সুখবর।
এছাড়া অন্যান্য মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরাও নতুন ভিসা
নীতির প্রশংসা করেন। তারা বলেন, হাজীদেরকে বিনামূল্যে
ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে সৌদিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ডিটার ডব্লিউ.
হলার বলেন, আমরা এটাকে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা
করছি। নতুন ভিসা নীতি সৌদি আরব এবং তার ব্যবসায়িক
অংশীদারদের মাঝে ব্যবসার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে বলে
আশা করছি।
সরকারি
চাকরিজীবীদের এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি: নতুন
পরিপত্র জারি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সরকারি কর্মচারীরা এক কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে
দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তিন বছর পার হলেই তাকে
অন্যত্র বদলি করতে হবে।
এতোদিন বিষয়টি রেওয়াজ আকারে চালু থাকলেও আদেশ আকারে
ছিল না। গত ৮ই জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত
সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী
স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো
ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, একই কর্মস্থলে তিন বছরের
অধিককাল ধরে নিয়োজিত কর্মচারীদের বাস্তব অবস্থাভেদে
অন্যত্র বদলি করতে হবে।
তবে দুর্গম বা প্রতিকূল যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পন্ন
এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মেয়াদ দুই বছর
হলেও তাকে অন্যত্র বদলি করা যেতে পারে।
সাধারণ প্রশাসন ও ভূমি অফিসে কর্মরত কর্মচারীদেরকে
পর্যায়ক্রমে সকল বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।
বদলির ক্ষেত্রে বৈষম্য পরিহারের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন,
উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের সাধারণ ও রাজস্ব
প্রশাসনে নিয়োজিত কর্মচারীদের একই পদে বা একই কর্মস্থলে
তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায়
সাধারণত অন্যত্র বদলি করার রেওয়াজ রয়েছে।
এসব দপ্তরে নিয়োজিত কোন কোন কর্মচারী একই পদে তিন
বছরের অধিককাল কর্মরত থাকায় তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধিক
অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
অন্যদিকে অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ থেকে
বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া একই পদে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায়
কোনও কোনও কর্মচারী বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন।
এজন্য মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে
দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং একই পদে বা কর্মস্থলে তিন বছরের
বেশি সময় ধরে কর্মরত কর্মচারীদের বাস্তব অবস্থাভেদে
অন্যত্র বদলি করার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নরসিংদীতে
সাত হাজার বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাত হাজার বাড়ির অবৈধ
গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস। আজ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার
হাজীপুর, বদুয়ারারচর, কান্দাপাড়া, দড়িপাড়া, কোনাপাড়া,
পুরানপাড়া, হোসেনপুর, খাসেরচরসহ আরও কয়েকটি এলাকায়
অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তিতাস
সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে এক লাখের মতো অবৈধ গ্যাস
সংযোগ রয়েছে। পর্যয়ক্রমে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে
প্রতিষ্ঠানটি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের শৈথিল্যের
সুযোগ নিয়ে গ্যাস চোরাই সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আর তাদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও
যুবলীগের কিছু নেতা। এর আগে বিভিন্ন সময় অভিযানে গিয়ে
চোরাই সিন্ডিকেটের হামলার শিকার হন অভিযানকারীরা।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের
বৈধকরণের তারিখ ঘোষণা করল মালয়েশিয়া
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দারুণ সুখবর।
তাদের বৈধকরণের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির
উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ
হামিদি। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বৈধকরণ
প্রক্রিয়া চলবে ৩ মাস পর্যন্ত। সরকারের পাশাপাশি
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও শ্রমিকদের
বৈধতার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের
সরকারি ওয়েবসাইটে মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় নিজ
মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে
থাকা অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। নতুন
এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেশটিতে অবৈধ থাকা ২০ লাখ বিদেশি
শ্রমিক বৈধতা পাবেন। এ ছাড়া অনলাইন পদ্ধতিতে দালালদের
ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাক
তার বাজেট বক্তব্যে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বৈধ
করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর কয়েক দিন পর সে দেশের
উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ হামিদি
নিবন্ধন শুরুর সময় ঘোষণা করলেন। মন্ত্রীর এ ঘোষণায়
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিরা
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ
শহীদুল ইসলামও বিষয়টিকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন।
হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়ে
দূতাবাস দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছিল। বৈধতা
শুরু হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক
সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, আগের মতো সুযোগ পেয়েও কেউ যাতে বৈধ
হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে বাদ না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে
সচেতন থাকতে হবে।
বাঙ্গালী বিদ্ধেষী
পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে রাঙামাটিতে
মানববন্ধন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমিকমিশন আইন বাতিল করার
দাবিতে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী মানববন্ধন
করেছে বাঙ্গালীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ,
পার্বত্য গণ পরিষদ বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও
পার্বত্য গণ শ্রমিক পরিষদের ব্যানারে কয়েক শতাধিক
বাঙ্গালী নারী-পুরুষ সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা
প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে এই কর্মসূচী পালন করে।
প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা
আজিজুল ইসলাম, বাঙ্গালী ছাত্র লংগদু উপজেলার সভাপতি
মোঃ কাইয়ুম, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার
সম্পাদক সোহেল রিগ্যান, বাঙালী ছাত্র ঐক্য পরিষদের
কাউখালী উপজেলার সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন, বাঙ্গালী ছাত্র
পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের
আহবায়ক বেগম নুর জাহান। এরআগে সোমবার সকালে রাঙামাটি
পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক
কার্যালয় সম্মুখে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঙ্গালীদের উচ্ছেদের
লক্ষ্যেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রাম
ভূমি কমিশন আইনের সংশোধনী মন্ত্রী সভায় অনুমোদন করা
হয়েছে। সন্তু লারমা গংরা সরকারের একটি মহলকে কাজে
লাগিয়ে বাঙ্গালী উচ্ছেদের হাতিয়ার তথাকথিত ভূমি কমিশন
আইন-২০১৬ কার্যকর করার পায়তারা চালাচ্ছে।
বাঙ্গালী বিদ্বেষী এই বিতর্কিত আইনটি বাস্তবায়িত হলে
পাহাড়ে বসবাসরত সকল বাঙ্গালী জনসাধারন মায়ানমারের
রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো অবস্থায় পরিণত হবে।
সরকার একটি পক্ষের হয়ে এই ধরনের আইন বাস্তবায়নের
উদ্যোগে নিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোনো বড় ধরনের
সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মতো ঘটনার উদ্ভব জানিয়ে অবিলম্বে
বহুল বিতর্কিত পার্বত্য ভূমি কমিশন (সংশোধিত) আইন-২০১৬
বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দ।
অন্যথায় পাহাড়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তার
দায়ভার সন্তু লারমাসহ সরকারকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ারী
দিয়েছে বাঙ্গালী সংগঠগুলো।
ভেজাল ইয়াবা
সেবনে পিত্তথলি ফেটে তিনজনের মৃত্যু !
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভেজাল ইয়াবা সেবন করে পিত্তথলি
ফেটে তিন বন্ধুর মৃত্যু ঘটেছে। মারা যাবার আগে তিন
যুবকই একসাথে ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
জানা যায়, মেটাএম্ফিটামিন নামক দামী মেডিসিনের বদলে
স্বল্পমূল্যের জন্মনিরোধক পিল দিয়ে বানানো ভেজাল ইয়াবা
সেবন করার কারণেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সম্প্রতি ঢাকা সহ দেশের আরো কয়েকটি জেলায় এই ভূয়া ইয়াবা
ট্যাবলেট ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখতে হুবহু আসল ইয়াবার মত।
তাই না জেনে অনেকেই এই ভেজাল ইয়াবা সেবন করে প্রাণ
হারাচ্ছেন। আবার কেউ বেঁচে ফিরলেও হারাতে হচ্ছে সন্তান
জন্ম দেয়ার ক্ষমতা !
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
--------------------------------------
নারীরাই বেশি
আত্মহত্যা করেন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
একুশ বছরেই থমকে গেছে মডেল সাবিরা হোসনেরে বয়স। আর কোনো
দিনও তাঁর বয়স বাড়বে না। উচ্ছল এই তরুণী অভিমানে সিলিং
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেেছ গত
২৪ মে। (সূত্র: ২৪ মে ২০১৬, প্রথম আলো অনলাইন)
বিয়ে নিয়ে রঙিন স্বপ্ন কার না থাকে! কিন্তু বিয়ে কী,
সেটা বোঝার বয়স হওয়ার আগেই শ্বশুরবাড়ি যেতে হয় রংপুররে
বদরগঞ্জরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা খাতুনকে। ১৩
বছররে এই কিশোরীর মতামতের তোয়াক্কা না করেই বিয়ে দেওয়া
হয় তাকে। বিয়ের দিন বিকেলেই বিষপানে আত্মহত্যা করে
রোকসানা। ঘটনাটি ২০১৪ সালের ১ জুনের। (সূত্র: ১৯ আগস্ট
২০১৪, প্রথম আলো)
রংপুরের বদরগঞ্জ থানা ও উপজলো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তথ্য
অনুসারে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই র্পযন্ত সাত
মাসে উপজেলায় ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের সবাই নারী
আটজন ছাত্রী আর চারজন গৃহিণী। তাঁদের প্রায় সবাই
কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এই সময়ে ওই উপজলোয়
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৯৮ জন। এ ছাড়া রংপুর জেলার
কোতোয়ালি থানার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এখানে ১০২ জন
আত্মহত্যা করেন, তাঁদের মধ্যে নারী ৫৮ জন।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে পুরুষের আত্মহত্যার হার বেশি
হলেও বাংলাদেেশ এই চিত্র সর্ম্পূণ উল্টো। বিশ্বের
অধিকাংশ দেশে নারীদের তুলনায় প্রায় তিন গুণ পুরুষ
আত্মহত্যা করেন। অথচ বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর
আত্মহত্যার হার বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লউিএইচও)
প্রিভেনটিং সুইসাইড: আ গ্লোবাল ইমপারেটিভ র্শীষক
প্রতিবেদেন এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে প্রতিবেদনটি
প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ১০
হাজার ১৬৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার
৭৭৩ জন নারী, আর পুরুষ ৪ হাজার ৩৯৪ জন।
আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে
কথা বলে জানা যায়, বখাটেদের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত হওয়া,
র্ধষণের শিকার হওয়া, প্রেমে প্রতারিত হওয়া, অভিভাবকদের
বকাঝকা, পরীক্ষায় ফলে কার কিংবা আশানুরূপ ফল না হওয়া
কিশোরীদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। আর গৃহবধূরা
পারিবারিক সমস্যা-সহিংসতা, দাম্পত্য কলহ, যৌতুক, একাধকি
কন্যাসন্তান প্রসব করা, বিবাহ-বহর্ভিূত সর্ম্পকের কারণে
বেশি আত্মহত্যা করেন। বেসরকারি সংস্থার এক গবষেণায় দেখা
গেছে, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে,
তার ৮৬ শতাংশ ঘটেছে পারিবারিক সহিংসতার কারণে।
নারীর প্রতি নানা ধরনের নির্যাতন, সহিংসতা,
নিরাপত্তাহীনতা, নারীকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন না করা
আত্মহত্যার প্রধান কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড.
নেহাল করিম। নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি নারীকে
আত্মহননের পথে হাঁটতে বাধ্য করছে বলে অভিমত তাঁর। ২০১৪
সালের তুলনায় ২০১৫ সালে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
শতকরা ৫ ভাগ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী,
কেবল সহিংসতার শিকার হয়ে ২০১৫ সালে ৩০১ জন শিশু ও
নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নারীকে বিভিন্নভাবে অবদমিত করা হয় উল্লেখ করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, পরিবারের
যেকোন ঘটনাতেই নারীকে দায়ী করা হয়। তাঁদের কলঙ্কিত
আখ্যা দেওয়া হয়। নারীরা নানা ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতন
সহ্য করতে করতে এমন এক র্পযায়ে পৌঁছান, যখন তাঁদের
সামনে আর কোন পথ থাকে না। বেছে নিতে হয় আত্মহত্যার পথ।
তিনি আরও বলনে, নারীকে মনে রাখতে হবে, নিজের জীবনের
থেকে মূল্যবান কিছু নেই। যা-ই ঘটুক না কেন, আত্মহত্যা
কোন সমাধান নয়। দেশে আত্মহত্যার দিক থেকে সবচেয়ে
ঝুঁকিতে রয়েছে ঝিনাইদহ এলাকার মানুষ। এই এলাকায়ও
নারীদের আত্মহত্যার হার পুরুষের তুলনায় বেশি।
ঝিনাইদহের বেসরকারি সংস্থা শোভার তথ্যমতে, ২০১০ থেকে
২০১৫ র্পযন্ত এই ছয় বছরে এখানে ১ হাজার ৯৪৪ জন
আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে নারী ১ হাজার ২৩৮ জন,
পুরুষ ৭০৬ জন। আর এই সময়ে যাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা
করেছেন, তাঁদের মধ্যেও নারীর সংখ্যা বেশি। উল্লেখিত
সময়ে ওই এলাকায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ১৫ হাজার ৩৫৯
জন। তাঁদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৭৬ জন নারী, আর পুরুষ ৬
হাজার ৩৮৩ জন।
শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরাই আত্মহত্যা করেছন।
তাঁদের মধ্যে কেউ বিষপানে, কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে
আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে, রেললাইনে
ঝাঁপ দিয়ে, ছাদ থেকে লাফিয়েও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতিবছর গড়ে ১০
হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেন। এর মধ্যে নারীর সংখ্যাই
বেশি। (২৮ এপ্রিল ২০১২, ডেইলি স্টার) ছাত্রী, গৃহবধূ ও
কম শিক্ষিত নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
বয়স্ক নারীরাও আত্মহত্যা করেন। তবে তাঁদের সংখ্যা খুব
কম।
নারীর ঘরে-বাইরে কোথাও
নিরাপত্তা নেই
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত সপ্তাহে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর রংপুরের পীরগঞ্জে
প্রতিবেশীর বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া গেল সাত বছরের
তানজিলার মৃতদেহ। আম কুড়াতে গিয়েছিল সে। আর আম দেওয়ার
প্রলোভন দেখিয়েই প্রতিবেশী ১৮ বছরের এক ছেলে তাকে
ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে।
১২ জুন রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক নারী (৩৫) ও
তাঁর মেয়ে (১৭) ধর্ষণের শিকার হন। মা ও মেয়ে কোনো লোভে
পড়েননি। তাঁরা তেঁতুলিয়া নদীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে একটি চরে পৌঁছালে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক
লীগের ছয় যুবক তাঁদের ধর্ষণ করেন। পরে পুলিশ যাঁকে
গ্রেপ্তার করে তিনি হলেন বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের ১
নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের কর্মী।
১৩ জুন পিরোজপুর সদর উপজেলায় দুপুরে নিজের ঘরে
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক তরুণী (২২) ধর্ষণের শিকার হন।
অন্যদিকে চলতি মাসেই নাটোরে এক মানসিক প্রতিবন্ধী
কিশোরীকে ধর্ষণের পর ধর্ষক যুবকের চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদ সদস্যের বাড়িতে ৩০ হাজার টাকায় আপস করেন। ওই
মীমাংসা বৈঠকে ধর্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই চারটি ঘটনা নমুনামাত্র।
প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে ধর্ষণের খবর।
নারী ও মানবাধিকার নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা উদ্বেগ
প্রকাশ করে বলছেন, ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই নারী ও শিশুরা
ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
২৬৭টি এনজিওর মোর্চা বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের এক
প্রতিবেদন বলছে, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিশু
ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছে ১৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। গণধর্ষণ
বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ, ধর্ষণের পর হত্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর গত
বছরের চেয়ে চলতি বছরে (প্রথম চার মাসের হিসাব) শিশু
ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ
প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পত্রিকা থেকে সংগৃহীত তথ্য
দিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মাসিক যে প্রতিবেদন তৈরি করে,
তাতে দেখা যাচ্ছে, শুধু গত মে মাসে মোট ৯১টি ধর্ষণের
ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের
অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মনো ও
যৌনবিকৃতির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ধর্ষণ। এতে বয়স বা
স্থান-কালের কোনো বাছবিচার থাকে না। ধর্ষণের পেছনে
অন্যান্য কারণের পাশাপাশি ক্ষমতা দেখানোর একটি বিষয়
থাকে। অধ্যাপক তাজুল ইসলামের মতে, তথ্যপ্রযুক্তির
অপব্যবহার, সামাজিক ও আইনগত বিচারহীনতার সংস্কৃতি,
সন্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং সার্বিকভাবে
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। গত
বছর রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে
ধর্ষণ করেন তাঁর সাবেক স্বামী পুলিশের সহকারী
উপপরিদর্শক (এএসআই)।
একই বছরে খুলনায় উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক্সিম
ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা (২৬) ও তাঁর বাবা
ইলিয়াস চৌধুরীকে (৬০) হত্যা করেন লিটনসহ চারজন (লিটন
আদালতে জবানবন্দি দেন)। হত্যার আগে পারভীনকে ধর্ষণ
করেন তাঁরা। এরপর তাঁদের লাশ গুম করতে সেপটিক ট্যাংকে
ঢুকিয়ে রাখা হয়। অর্থাৎ যেকোনো নারী ও শিশুই বর্তমানে
ধর্ষণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাল্যবিবাহে অতিথি
হলেও কারাদন্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
এখন থেকে বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও হতে
পারে কারাদন্ড। বাল্যবিবাহ রোধে নতুন করে এমনই
সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর।
বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনের পরিবার ছাড়া নিমন্ত্রিত
অতিথিদেরও চাইল্ড ম্যারেজ প্রিভেনশন অ্যাক্টর আওতায়
আনা হবে।
আইন অনুসারে, দুই বছর পর্যন্ত কারাদ ভোগ এবং এক লক্ষ
টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে অতিথিদের।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুর জেলার নারী ও শিশু
কল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক কে রাধা জানিয়েছেন,
বাল্যবিবাহে আমন্ত্রিত অতিথিদের শিশুদের যৌন নিপীড়ন
বিরোধী আইন পকসোর আইনেও অভিযুক্ত করা হতে পারে।
যদি নির্দিষ্ট বয়সের আগে বিয়ের কারণে নাবালিক মেয়েটি
গর্ভবতী হয়ে পড়ে বা তাকে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক
সম্পর্কে বাধ্য করা হয় তাহলে দুই পরিবার ছাড়াও বিয়ের
অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদেরও ওই আইনের আওতায়
আনা হবে। এই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে সাত
বছরের জেল হবে অপরাধীদের।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
অভিশাপের টাকা জীবনে
উপকারে আসবে না
---------------
চট্টগ্রামের
রেঞ্জ ডিআইজি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফেনীতে কমর্রত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে চট্টগ্রাম
রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘুষ
ছাড়তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আজই। পুলিশের ওপর দেশের
মানুষের যে আস্থা তা রক্ষা করতে নীতি নৈতিকতার আলোকে
কাজ করতে হবে।
আজ বুধবার বিকালে ফেনী জেলা পুলিশ বিভাগের বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ
কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মানুষের অভিশাপের টাকা আপনার
জীবনে কোনই উপকারে আসবে না।
ডিআইজি বলেন, মানুষের সম্মানের কথা চিন্তা করে কাজ
করবেন। আপনার কোন কাজে এ ডিপার্টমেন্টের যেন মান
ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ফেনী
পুলিশের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ যদি মনে
করে তার নিরাপত্তার দরকার তাহলে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া
হবে। পুলিশ সুপার রেজাউল হক (পিপিএম) এর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার
শামছুল আলম সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর)
মোঃ শাহরিয়ার আলমসহ জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা ।
ভুয়া
মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সোহরাব হোসেন
(৪০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বরগুনা জেলা সদরের সাহেবের হাওলা গ্রামের সাইদুর
রহমানের ছেলে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেলসুপার
সুব্রত কুমার বালা জানান, রবিবার দুপুরে সোহরাব হোসেন
হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে প্রথমে কারা
হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে
দ্রুত গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, সোহরাব হোসেন ছিনতাই মামলার আসামি
হিসেবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয়
কারাগার-১ এ বন্দি ছিলেন।
গাজীপুরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর ফাঁসির আদেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী মোছা. হাবিবা
বেগমকে (৩৩) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে
আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার
দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
বিচারক এ কে এম এনামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা
করেন। দ প্রাপ্ত হাবিবা বেগম কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মো.
জাকির হোসেনের স্ত্রী। তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার
সামুরবাড়ি গ্রামের মেয়ে।
গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমেদ জানান,
প্রায় ১৫ বছর আগে জাকির হোসেনের সঙ্গে হাবিবার বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে নুসরাত জাহান সিনথিয়া (১১), হোমাইরা ওরফে
ছামিরা (৬) ও মরিয়ম ওরফে সুমাইয়া (৩) নামে তিন
কন্যাসন্তান রয়েছে। জাকির হোসেন জেলার কালিয়াকৈরের
সফিপুরে যমুনা স্পিনিং মিলে স্টোর ইনচার্জ হিসেবে চাকরি
করতেন এবং মিলের পাশে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে
স্বপরিবারে ভাড়া থাকতেন।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জন্ডিস হলে যা করবেন না
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
জন্ডিস হতে পারে নানা কারণে। প্রস্রাবের রং, চোখ ও
ত্বক হলদে দেখালে জন্ডিস হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। তখন
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জন্ডিসের কারণ, মাত্রা, জটিলতা
ইত্যাদি জেনে নেওয়া উচিত।
জীবাণুর সংক্রমণের কারণে জন্ডিস হয়ে থাকলে রোগীর
চিকিৎসার পাশাপাশি আপনজনদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও খেয়াল
রাখা দরকার। জীবাণু কিছু ছড়ায় খাবার ও দূষিত পানির
মাধ্যমে; কিছু জীবাণু আবার ছড়িয়ে পড়ে দূষিত রক্ত,
অনিরাপদ সুইয়ের মাধ্যমে।
কোনো রোগীর ক্ষেত্রে কী ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন, তা
নির্ভর করে জন্ডিসের কারণের ওপর। জন্ডিস রোগীর ব্যাপারে
কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো:
* অতিরিক্ত তেল-চর্বিসমৃদ্ধ এবং মসলাদার খাবার না
খাওয়াই ভালো। এতে যকৃতের বিশ্রাম হয়।
* জন্ডিস হলে অন্তত দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।
* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না।
জন্ডিস সারানোর জন্য কবিরাজি, হারবাল, টোটকা যেসব ওষুধ
বিক্রি করা হয়, কোনো অবস্থাতেই সেগুলো সেবন করা যাবে
না। এমনকি আপনার নিয়মিত সাধারণ ওষুধগুলোও খাওয়া যাবে
কি না তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
* সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার, রান্নার
উপকরণ কিংবা থালাবাটি ধরবেন না; টয়লেট ব্যবহারের পর
অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
* এ সময় রক্তদান করবেন না।
* অ্যালকোহল বা এ-জাতীয় কোনো পানীয় গ্রহণ করবেন না।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত নেইল কাটার,
ব্লেড, রেজার বা শেভিং কিট অন্য কেউ ব্যবহার করবে না।
* স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো একজন হেপাটাইটিস বি
কিংবা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অপরজনের সুরক্ষার বিষয়টি
ভুলে যাওয়া চলবে না; অন্যজনকে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা
নিতে হবে এবং বৈবাহিক জীবনে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে
হবে।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে
তা কখনোই উন্মুক্ত রাখা যাবে না, বরং ভালোভাবে
পরিষ্কার করে নিয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হবে।
রসুনের রয়েছে ওষধি
গুণ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে
অত্যন্ত উপকারি। রসুন শুধু মশলাদার রান্নার উপকরণ নয়,
রসুন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদিক
চিকিৎসকরাও খালি পেটে রসুন খেতে বলেন। দেখে নিন রসুন
খেলে কী কী উপকার হয়।
১) কোলেস্টেরল কমায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৩) বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৪) শ্বাস-প্রশ্বাসের
সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৫) খারাপ ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৬) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৭) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য-এর সমস্যা দূর করে।
৮) বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯) পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
১০) শরীরে থাকা কৃমি ধ্বংস করে।
১১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
১২) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৩) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
১৪) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
১৫) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
১৬) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা
করে।
১৭) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
১৮) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
সতর্কতা দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না।
রসুনে অ্যালার্জি থাকলে না খাওয়াই উচিত। অতিরিক্ত রসুন
খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং বমিভাব হতে পারে।
শসার ডায়েটে মাত্র
২ সপ্তাহে কমবে ১৫ পাউন্ড ওজন!
মানবাধিকার হলেথ ডেস্কঃ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে শুধু শসার একটি ডায়েটে আপনি
মাত্র ১৪ দিনে ১৫ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে
পারবেন। ঘড়ি ধরে খাবার ঝামেলা নেই। শসার সাথে খেতে
পারবেন অন্য খাবারও। আবার ব্যায়াম করার যন্ত্রণাও নেই।
কেবল একটা সহজ নিয়মে দারুণভাবে কমবে আপনার ওজন।
ডায়েটের পদ্ধতিটি জানার আগে আসুন জেনে নিই শসার কিছু
পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
শসার পুষ্টি উপাদান :
শসা ভিটামিন এবং মিনারেল পরিপূর্ণ একটি সবজি যার প্রায়
৯৬ শতাংশই পানি। শসা ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ,
ফলিক এসিড, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের উত্তম উৎস।
এ ছাড়া রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সালফার, সিলিকা এবং ভিটামিন
বি-৬ আছে বেশি পরিমাণে। ১০০ গ্রাম শসায় খাদ্যআঁশ আছে
প্রায় ০.৬ গ্রাম, শর্করা ৩.৬১ গ্রাম এবং চিনি ১.৬৮
গ্রাম। এতে আরো রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস,
কিউকারবিটাকিন্স, লিগনান্স এবং ফ্লাভনয়েডস।
শসার ডায়েট :
শসার সালাদ তৈরি করে আপনি ডায়েটটি শুরু করতে পারেন। এই
ডায়েটটি করার জন্য আপনি যখনই ক্ষুধা অনুভব করবেন তখনই
এই পুষ্টিকর সবজিটি খেয়ে ফেলবেন।
১০-১৪ দিনের এই ডায়েটে আপনার অতিরিক্ত মেদপূর্ণ শরীরটি
হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। তবে শুধু শসা খেয়ে তো আর ১৪ দিন
থাকা সম্ভব না। এ কারণে শরীরের অন্যান্য পুষ্টি পূরণে
শসার ডায়েটটির সাথে যে উপাদানগুলো খাবেন প্রতিদিন।
২ টি ডিমের সাদা অংশ বা ১৫০ গ্রাম বড় মাছ বা ১৫০ গ্রাম
মুরগির মাংস
২টি বড় সিদ্ধ আলু বা ৩ টুকরো পাউরুটি
পুষ্টিকর যেকোনো ফল ৫০০ গ্রাম
পানীয়র মধ্যে পানি, চা বা চিনি ছাড়া কফি খেতে পারেন।
তবে যেকোনো ধরনের সফট ড্রিংক বা অ্যালকোহল বা ক্যানডি
একেবারে নিষিদ্ধ।
এভাবে আপনি ১৪ দিনের একটি ডায়েট করলে ১৫ পাউন্ড মত ওজন
নিমেষেই কমিয়ে আনতে পারবেন। তবে যে কাজটি অবশ্যই করবেন
তা হল আপনার যখনই ক্ষুধা লাগবে তখনই অন্য কোনো খাবার
না পুষ্টিগুণে ভরা এই শসা খেয়ে ফেলবেন। মোটেও খালি পেটে
থাকবেন না। খালি পেটে থাকলে ওজন কমবে না। আর এই ডায়েট
দুইমাসে একবারের বেশী করা যাবে না মোটেও।
চুল গজাতে পেঁয়াজের রস
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস ঙহরড়হ ঔঁরপব নতুন চুল
গজাতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত
করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস
ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান
মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
১. পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর রস
বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট
অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে
ফেলুন।
২. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিন।
গোসলের পর এই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন
পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা যবধফ থেকে পেঁয়াজের
গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের জন্য এই পানি বেশ উপকারী।
৩. পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা
এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর
শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৪. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু
মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা
করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত
একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের
যতও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে
থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত
দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে।
কিন্তু অনেক মারাতক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার
খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার
সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া
উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে
রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
১। লবঙ্গের তেল
লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ করে মাড়ি থেকে রক্ত
পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে
মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি
আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল
প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান।
এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ
করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন
টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু
ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি
কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার
এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ
এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং
শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং
ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত
পড়া বন্ধ করে দেয়।
কিডনিতে পাথর জমে
কেন?
কিডনিতে পাথর জমে কেন? আসুন তাহলে জেনে
নেই!
যদি কোনো কারণে কিডনিতে খনিজ পদার্থ আটকে যায় বা
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে কিডনি দেহের বর্জ্য ঠিক মত
পরিশোধিত করতে না পারে তখন তা জমা হতে থাকে কিডনির
ভেতরে। আর একেই আমরা কিডনির পাথর হিসেবে জানি? জানুন
কেন কিডনিতে পাথর জমে-
১) লেবু জাতীয় খাবার কম খেলেঃ
লেবু, কমলা,মালটা ইত্যাদি ধরণের পরঃৎঁং ফল কম খাওয়ার
কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের
ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা
করে?
২) অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশী খেলেঃ
পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট
দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় যা কিডনিতে জমা হতে
থাকে পাথর হিসেবে।
৩) ক্যালসিয়ামের অভাব হলেঃ
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি
বৃদ্ধি করে।
৪) অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খেলেঃ
লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা
জমা হতে থাকে কিডনিতে।
৫) মাইগ্রেনের ঔষধ ও ব্যথা নাশক ঔষধ খেলেঃ ব্যাথানাশক
ঔষধ মূত্রনালির পিএইচ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে যা
কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
৬) অতিরিক্ত সোডা বা কোমলপানীয় পান করলেঃ কোমল পানীয়তে
প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে
তোলে। এছাড়াও এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে প্রচুর
পরিমাণে চিনি থাকে। এই অস্বাস্থ্যকর চিনিও কিডনিতে
পাথর জমার জন্য দায়ী।
৭) পরিমিত পানি পান না করলেঃ
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে
টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়।
যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে
দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে
পাথর হিসেবে?
এছাড়াও যাদের পরিবারের ইতিহাসে কিডনির সমস্যা রয়েছে
তারা আরও বেশী সতর্ক থাকুন। কারণ তাদের কিডনির সমস্যা
হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের তুলনায় আরও বেশী থাকে।
লবণ খাওয়ার বিপদ:
সমস্যা ও প্রতিকার
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম
সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি
উল্টো বিপদ ডেকে আনে। লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিন:
লবণের বিপদ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল
করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়।
যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের
পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড?তি লবণ কিডনি, লিভার ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড?ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত
লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে
বেরিয়ে যায়। হাড?ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস
রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
৭. পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক
রোগের সৃষ্টি করে।
কী করে বুঝবেন বেশি লবন খাচ্ছেন?
১. অতিরিক্ত পানির তেষ্টা পাবে।
২. হাত পায়ে পানি জমে ফোলা ফোলা ভাব দৃশ্যমান হবে।
৩. নোনতা খাওয়ার ইচ্ছে বাড়বে।
৪. ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা।
কীভাবে লবন খাওয়া কমাবেন?
১. ভাত বা ফলের সঙ্গে লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।
২. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য লেবুর রস, ভিনিগার,কাঁচা রসুন
ও মশলা ব্যবহার করুন।
৩. ফ্রোজেন ফুড এড়িয়ে চলুন।
৪. ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমানে লবন থাকে, ফাস্টফুড কম
খান।
৫. রান্নার ধরনের পরিবর্তন আনুন। যাতে লবন কম থাকে।
৬. সন্তানকে শৈশব থেকেই কম লবনযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত
করুন।
Top
আইন কনিকা
ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশি
গ্রেফতার বন্ধ, হাইকোর্টের রুল
অনেক বৎসর থেকেই ৫৪ ধারার অপ ব্যাবহার এর বিভিন্ন ঘটনা
এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় হাইকোর্টের এক যুগান্তকারী
রায় এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলায় রক্ষা বাহিনীকে
আরো জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আশা হয়েছে ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের
আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
এর ফলে ৫৪ ধারা ও ১৬৭ ধারা নিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া
নির্দেশনা বহাল এবং তা মানায় সরকারের বাধ্যবাধকতা থাকছে
বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এখন থেকে যে কোন পুলিশি গ্রেফতারের আগে পুলিশের কাছ
থেকে পরিচয়পত্র এবং ওয়ারেন্ট দেখার অধিকার রাখেন
নাগরিক রা।
যে কোন বেআইনি কর্মকাে হাতে নাতে ধরা পড়া ব্যাতিত
সম্পূর্ণ সন্ধেহর ভিত্তিতে পুলিশ চাইলেই কাউকে
গ্রেফতার করতে পাড়বে না ।
হাইকোর্টের নির্দেশনা ঃ
ক. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪
ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারবে না।
খ. কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র
দেখাতে বাধ্য থাকবে।
গ. গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে
কারণ জানাতে হবে।
ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নিকট আত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে
টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে
হবে।
ঙ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও
আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।
চ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের
প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের
ভেতরে কাচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে
হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকট আত্মীয় থাকতে
পারবেন।
ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি
পরীক্ষা করাতে হবে।
ট. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে
ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবে।
বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে
তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দন্ডবিধির ৩৩০
ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য
যদি কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে, কিংবা ১৬৭
ধারায় রিমান্ডে নেয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যব্স্থা নেওয়া
হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা
জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে
সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ
বহাল রেখেছেন। কাজেই উচ্চ আদালতের রায় আমাদের জন্য মানা
বাধ্যতামূলক। উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আমি শুনেছি।
এখনো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি
পেলে কী কী নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
আজ সকালে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা অনুযায়ী
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড বিষয়ে হাইকোর্টের
দেওয়া নির্দেশনা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, সব সময় আগে থেকে
মামলা করে ধরা সম্ভব হয় না। অপেক্ষা করে বসে থাকলে তো
সে পালাবে। যেমন যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার
গ্রেপ্তারের নির্দেশ শুনে পালিয়েছে।ৃ এগুলো জেনারালাইজ
করা যাবে না। একেকটা ঘটনায় একেক রকম পদক্ষেপ নিতে হয়।
তবে যাই হোক না কেন, আদালতের নির্দেশের আলোকেই নিতে হবে।
আশা করি আদালতও বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করবে।
মাহবুবে আলমের বিশ্বাস, নিজেদের পরিচয় না দিয়ে
আইন-শৃংখলা বাহিনী কাউকে কখনো গ্রেপ্তার করতে যায় না।
এখন দেখা যাচ্ছে এক জনকে শক্রুতা বশত গায়েব করে ফেলছে,
পরিচয় দিচ্ছে আইন শৃংখলা-বাহিনীর লোক। আশা করি এটা
বন্ধ হবে। সাদা পোশাকে যারা করবে তাদের কাজ হবে আসামিকে
অনুসরণ করা, গতিবিধি লক্ষ্য করা; তাকে গ্রেপ্তার করার
সময় নিশ্চই পরিচয় দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,
আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন- বাহাত্তরের সংবিধানপরবর্তী
সময়ে আমাদের পুরনো আইনগুলো কীভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
করা হবে সেটা আমরা এই রায়ের মাধ্যমে পেয়েছি।
বাহাত্তরের সংবিধানে আমাদের গ্রেপ্তার ও আটকাদেশের
বিষয়ে কিছু রক্ষাকবচের ব্যবস্থা ছিল। আইনজীবীর সহযোগিতা
পাবার অধিকার, আমরা যখন গ্রেপ্তার হই বা আমাদের যখন
আটকাদেশ দেওয়া হয় আমাদেরকে কোর্টের সামনে সোপর্দ করতে
হবে। ৩৬ ধারায় বলা হয়েছে হেফাজতে যে কোনো ধরনের
নির্যাতন একেবারে নিষিদ্ধ। যে কোনো ধরনের অমানবিক সাজা
নিষিদ্ধ। এই দুটি ধারার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা আমরা আশা
করছি রায়ের মাধ্যমে পাব।
এই যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে রাগরিক অধিকার রক্ষায়
আরেকটু এগিয়ে গেল বাংলাদেশ । প্রধান বিচারপতি এস কে
সিনহার নেতৃত্বের এই রুলের মাধ্যমে নাগরিকরা ফিরে পেল
তাদের সাংবিধানিক অধিকার ।
Top
|