           
 
|
Cover September 2015
English Part
September 2015
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
মানবাধিকার রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ২০১৫
সেপ্টেম্বর’ ১৫ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৭৫ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপে
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড
সংঘটিত হয় ১৭৫টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা
পরিস্থিতির চরম অবনতি। এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে
বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন। সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৬ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও
সরকারের সংশিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের
অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে
শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র
ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার
সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড
হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর‘ ১৫ মাসে
হত্যাকান্ডের শিকার হয় ১৭৫ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৮ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৫ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৫ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৪ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে
নিহত ১২ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ২ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ৭ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৫৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৬ জন, অপহরণ হত্যা ৬
জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৯৫ জন, আত্মহত্যা ২১ জন, ধর্ষণের শিকার ৫৪ জন,
যৌন নির্যাতনের শিকার ৮ জন, এসিড নিক্ষেপ ২ জন, যৌতুক
নির্যাতন ৫ জন এবং সাংবাদিক নির্যাতন ২ জন।
Top
জাতিসংঘ পরিবেশ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক
সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার
পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের
বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী
পদক্ষেপ গ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ সম্মানে
ভূষিত করা হয়েছে। খবর বাসসের।
গতকাল সোমবার পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে ‘চ্যাম্পিয়নস
অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নাম ঘোষণা করে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দৃঢ় নেতৃত্বের
জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্যান্য শ্রেণিতে ‘চ্যাম্পিয়নস অব
দ্য আর্থ’ পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ব্রাজিলীয় কসমেটিক ফার্ম
নাচুরা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাক মামবা অ্যান্টি পোচিং
ইউনিট। ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রাবিষয়কক্ষশীর্ষ সম্মেলনের সমাপনীতে
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া
হবে এ পুরস্কার।
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক বার্ষিক সম্মাননা চ্যাম্পিয়নস
অব দ্য আর্থ পলিসি লিডারশিপ, বিজ্ঞান, ব্যবসা ও সুশীল
সমাজ-এ চার ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ৬৭
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছে।
ইউএনইপি বলেছে, প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ
বিশ্বে অন্যতম প্রধান ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু
পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে দেশটি বিশ্বের
সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা,
খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দীর্ঘকাল ধরে এর
ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সাম্প্রতিককালে এ
ধরনের দুর্যোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে।
ইউএনইপি আরও বলেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
অন্যতম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ
করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ সামাজিক ও
অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের সহায়ক। এই জলবায়ু পরিবর্তনের
কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শেখ হাসিনার
নেতৃত্বাধীন সরকারের সামগ্রিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি এ
পুরস্কার।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক অচিম স্টেইনার বলেন, ‘বেশ
কয়েকটি উদ্ভাবনমূলক নীতিগত পদক্ষেপ এবং বিনিয়োগের
মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে
বাংলাদেশ তার উন্নয়নের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রহণ
করেছে।’
স্টেইনার বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়নসহ নানা
কার্যক্রম গ্রহণ করায় বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের
প্রভাব মোকাবিলায় অনেক বেশি প্রস্তুত। জলবায়ু
পরিবর্তনকে দেশে জাতীয় অগ্রাধিকারের ইস্যু এবং সেই
সঙ্গে এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে জোরালো
ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্ব ও
দূরদৃষ্টি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
ইউএনইপি বলেছে, বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে নিজস্ব
তহবিল দিয়ে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে।
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এ তহবিলে ৩০ কোটি মার্কিন
ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, সংবিধানে জলাভূমি ও
বন্য প্রাণী রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শেখ হাসিনার
সরকার গৃহীত বন নীতিমালা আবহাওয়ার বেশ কিছু
চরমভাবাপন্ন অবস্থার প্রতিকার হিসেবে কাজ করছে।
পাশাপাশি দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি
পেয়েছে।
Top
দেশকে কারাগারে
পরিণত করেছে আ. লীগ সরকার

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ‘কারাগারে’
পরিণত করেছে। বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, ‘প্রত্যেকের
নামে’ মামলা দিয়েছে।” গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব
লন্ডনের ফেয়ারলপ ওয়াটারস কান্ট্রি পার্কে প্রবাসী
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই হলো বাংলাদেশ, যেখানে
মানুষ ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। কোথায় ঘুমাবে দেশে কোনো
মৌলিক অধিকার নাই, মানবাধিকার নাই, আইনের শাসন নাই,
গণতন্ত্র নাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা
জিয়া বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়বে না।
উনি গদি ছাড়বেন না। কেন গদি ছাড়বেন না বলেন তো’ এরপর
তিনি নিজেই এর জবাব দিয়ে বলেন, “এত ‘লুটপাট ও খুন’
সরকার করেছে যে ক্ষমতা ছাড়লে তারা ‘পার পাবে না’।”
আওয়ামী লীগের মধ্যেও ‘ভালো লোক’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আছে
মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং
তাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘তাদের’ সঙ্গে নিয়েই তিনি
দেশকে সামনের দিকে চালিয়ে নিতে চান।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে এখন
সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া
হচ্ছে না। পুলিশের মাধ্যমে এ সরকারকে ‘টিকিয়ে রাখা’
হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে
না। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, মানুষই একদিন রাজপথে
নেমে আসতে বাধ্য হবে।’
বাংলাদেশে শুক্রবার ঈদ হলেও যুক্তরাজ্যের মুসলমানরা ঈদ
পালন করেছে বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার
দিকে ওই পার্কে বড় একটি তাঁবুর মধ্যে খালেদা জিয়ার
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু দলীয়
কর্মীদের চরম হুড়োহুড়ি ও হাতাহাতির কারণে বারবার বন্ধ
করতে হয় শুভেচ্ছা বিনিময়। অতি গোপনীয়তায় বুধবার বিকেল
থেকে এসএমএসের মাধ্যমে লন্ডনের দলীয় নেতাকর্মীদের
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায়
অনুষ্ঠান মঞ্চে আসার কথা থাকলেও তারেক রহমান ও জোবাইদা
রহমানকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া আসেন সন্ধ্যা ৭টায়।
খালেদা জিয়া মঞ্চে ওঠার পরপরই ফুল হাতে নিয়ে
নেতাকর্মীরা নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করে।
কিন্তু কার আগে কে শুভেচ্ছা বিনিময় করবে, এমন
প্রতিযোগিতার কারণে শুরু হয় হট্টগোল। মূলত যুক্তরাজ্য
বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের কারণে এ হট্টগোল একপর্যায়ে
হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
হট্টগোল বন্ধে তারেক রহমান মাইকে বারবার অনুরোধ
জানালেও কেউই তাঁর কথা শুনছিল না। এমন অবস্থায়
কর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় কয়েকবারই বন্ধ করতে হয়।
Top
শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন অধ্যাপক ইউনূস

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ভারতের মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন। অধ্যাপক ইউনূসের শতবর্ষপূর্তি
বক্তৃতা দিয়ে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই
বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন ভারতের দ্বিতীয়
রাষ্ট্রপতি সর্বেপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। এই প্রথম এই
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নোবেল বিজয়ী বক্তৃতা দিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহীশুরের ঐতিহ্যবাহী ‘পেতা’
ও চন্দনকাঠের আবক্ষ মূর্তি দিয়ে অধ্যাপক ইউনূসকে বরণ
করেন। ঢাকায় ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ
তথ্য জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস ‘রিডিজাইনিং
ইকোনমিকস টু রিডিজাইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক বক্তৃতা
দেন। এ সময় প্রায় দেড় হাজার শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী,
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আট উপাচার্য, রাজনৈতিক নেতা,
ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, শিল্পপতি, এনজিও নেতা ও
গ্র্যাজুয়েট ছাত্ররা। বাংলাদেশের ৭০ জনসহ প্রায় দেড়
হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। অধ্যাপক
ইউনূস এই অনুষ্ঠানে যোগদান ছাড়াও মহীশুরের এসবি আরআর
মহাজন ফার্স্ট গ্রেড কলেজ পরিদর্শন করেন এবং সোশ্যাল
বিজনেস একাডেমিক নেটওয়ার্কের ইন্ডিয়ান চ্যাপ্টার চালু
করেন। তিনি ৭৫ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্যও দেন।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস মহীশুরে নারায়ণ হেলথ সিস্টেমের
নবনির্মিত ‘এনএইচ সুপার স্পেশালিটি ক্যানসার হসপিটাল’
উদ্বোধন করেন। নারায়ণ হেলথের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট
চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডা. দেবী শেঠী এই নতুন হাসপাতালের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক
ইউনূসকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ডা. দেবী শেঠী নিজেই অধ্যাপক ইউনূসকে হাসপাতালে চালু
করা নতুন সুবিধাগুলো ঘুরিয়ে দেখান। এরপর অধ্যাপক ইউনূস
হাসপাতালের মিলনায়তনে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের
উদ্দেশ্যে সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে বক্তৃতা করেন।
সফরের শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হেলথ
কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। সেখানে একটি সদ্য নির্মিত
ক্যানসার হাসপাতালসহ কমপ্লেক্সের সেবা-সুবিধাগুলো ঘুরে
দেখেন। অধ্যাপক ইউনূসের এই সফরে সঙ্গে ছিলেন ইউনূস
সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ।
Top
মশা তাড়াবে রসুন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ঢাকা শহরে মশার উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু
ধূপের গন্ধ বা মশার ওষুধে শ্বাসকষ্ট হয় অনেকের। দেখা
দেয় ত্বকের নানা সমস্যা। প্রাকৃতিক উপায়েও মশা তাড়ানো
যায়। রসুন থেকে শত হাত দূরে থাকে মশা। কয়েক কোয়া রসুন
পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তা যদি সারা ঘরে ছিটিয়ে দেয়া যায়,
তাহলে ঘরময় আর মশার উপদ্রব থাকবে না। মশা তাড়াতে তুলসী
পাতাও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শোয়ার ঘরের জানালার
বাইরে যদি তুলসী গাছ থাকে, তাহলে মশা ঘরে ঢুকবে না।
নিমের গন্ধে দূরে থাকে মশা। তাই নিম তেল ও নারিকেল
তেলের মিশ্রণ সারা শরীরে লাগিয়ে ঘুমালে কামড় তো দূরের
কথা, কাছেও ঘেঁষবে না মশা।
লেবু তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণ শরীরে লাগালে মশা
তো কামড়াবেই না, সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
মশা তাড়াতে বদ্ধ ঘরে কর্পূর জ্বালালে এ থেকে রেহাই
পাওয়া যায়।
Top
কমিশনের বরিশাল
আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন
করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা
মন্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন,
‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াও করে
সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করেছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন
করার অপরাধে তাকে আইনের কাঠগড়ায় এক দিন দাঁড়াতে হবে।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বরিশাল
আঞ্চলিক শাখার সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া টানা ৯৩ দিন
জ্বালাও-পোড়াও করে ঘুমান্ত শিশুসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা
করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে দেশের
১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর যেন আন্দোলনের
নামে কোন রাজনৈতিক দল এমন কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস না
পায়। এ জন্য আওয়াম লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে
শক্তিশালী করতে হবে। আ. লীগ সরকার উন্নয়নের দেশের
উন্নয়নের স্বার্থে সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে।’
বেলা ১১টায় নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের অস্থায়ী
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ সন্মেলনে বিশেষ অতিথি
ছিলেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ,
বামাকের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার এবং বরিশাল
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ গাউস।
মানবাধিকার কমিশনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদুল
হক খান মামুনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা
প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান, অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম
হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার সোয়েব আহম্মেদ, ডা. আনোয়ার
হোসেন এবং বামাকের বিভাগীয় সন্বয়ক ইমান আলী শরীফ বাবুল,
বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদার,
সাধারণ সম্পাদক ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না, বরগুনা জেলা
শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক
এডভোকেট মোস্তফা কাদের, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি
এডভোকেট সামসুদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ও বিশেষ
প্রতিনিধি মোল্লা নাসির উদ্দিন, ঝালকাঠি জেলা শাখার
সভাপতি এ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ
আবু সাঈদ খান, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন নান্না এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক
নজরুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আজকের বার্তা
পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক কাজী আল মামুন।
মানবাধিকার ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা
হবে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা প্রথমবারের মতো মানবাধিকার,
কিউবার ওপর দীর্ঘদিনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে
ক্ষতিপূরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আলোচনায়
সম্মত হয়েছে। দীর্ঘদিন বৈরী সম্পর্ক থাকা দুই দেশের
মধ্যে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন
কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্র বিভাগের
প্রধান জোসেফিনা ভিদাল। খবর এএফপির।
দীর্ঘ পাঁচ দশক পর দুই দেশ গত জুলাই মাসে কূটনৈতিক
সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার পর আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তবে এ পর্যন্ত স্পর্শকাতর মানবাধিকার ও ক্ষতিপূরণের মতো
বিষয় অনালোচ্য ছিল।
কিউবার কর্মকর্তা জোসেফিনা ভিদাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও
কিউবা প্রথমবারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয়ে
আলোচনায় সম্মত হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ়
করতেই এই চেষ্টা।
বৈঠকের পর কিউবার প্রতিনিধি দলের এক বিবৃতিতে আলোচিত
বিষয়গুলো সম্পর্কে বলা হয়, মানবাধিকার, পাঁচ দশক ধরে
কিউবার ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য
নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিপূরণ, ১৯৬০ সালে কিউবায় থাকা
যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক
রাষ্ট্রায়ত্তকরণ-এসব বিষয় নিয়ে আলোচনায় একমত হয় দুই
দেশ। মানব পাচার, অভিবাসন, মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে
অভিযান, টেলিযোগাযোগ নিয়েও আলোচনা হয়।
দুই পক্ষই আগামী নভেম্বর মাসে আবার বৈঠকে বসার জন্য
সম্মত হয়।
কিউবা দুই দেশের আলোচনায় গুয়ানতানামো বের বিষয়টিও রাখতে
চায়। কিউবার এ অঞ্চলটি ১৯০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের
নিয়ন্ত্রণে। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি আছে।
গুয়ানতানামোতেই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের বন্দীদের
বিতর্কিত কারাগার অবস্থিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে,
শুক্রবারের বৈঠক মুক্ত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির
ঐতিহাসিক কিউবা সফরের সময় শুক্রবারের বৈঠকের বিষয়ে
সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ৫৪ বছরের মধ্যে কিউবার মাটিতে সেটাই
ছিল কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
Top
খুলনা আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ খুলনা আঞ্চলিক সম্মেলন-২০১৫ মংলা
পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ
জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মানবাধিকার
কমিশনের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার
বাগেরহাট মোঃ নিজামুল হক মোল্লা, কমিশনের খুলনা
বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ ফজলুর রহমান শরীফ, মংলা উপজেলা
চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, কমিশনের আন্তর্জাতিক
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নূরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ)
শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মংলা পৌরসভা শাখার সভাপতি
ও মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে
অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় বিশেষ
প্রতিনিধি এড. অলিউল ইসলাম, খুলনা জেলা শাখার সভাপতি
শেখ আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ,
বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান এবং
সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মজনু। সম্মেলনে স্বাগত
বক্তব্য রাখেন মংলা পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ
অহিদুজ্জামান। সম্মেলনে খুলনা মহানগর, খুলনা জেলা,
বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা
শাখার প্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সহস্রাধিক
মানবাধিকার কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।
Top
দিনাজপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন
অনুষ্ঠিত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দিনাজপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫ দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে
অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দিনাজপুর জেলা
শাখার সভাপতি এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সৈয়দ মোসাদ্দেক
হোসেন লাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কমিশনের
জাতীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং সংসদ
সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের জেলা
প্রশাসক মীর খায়রুল আলম এবং পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল
আমিন।
মানবাধিকার সম্মেলনে দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও
জেলার পাঁচশতাধিক মানবাধিকার কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানবাধিকার কর্মীগণ এই
সম্মেলনে যোগ দেন।
Top
বেশি
টিভি দেখলে ফুসফুসে সমস্যা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
টিভি অবসরের সঙ্গী, মন খারাপেরও সঙ্গী। কিন্তু এ
সঙ্গীই বাড়াচ্ছে আপনার জীবনের ঝুঁকি। ব্রিটেনের এক দল
গবেষক জানান, ৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে টিভি দেখলে
ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে শরীরে
জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষক দল ১৮ বছর ধরে প্রায় ৮৬ হাজার মানুষের ওপর
পর্যবেক্ষণ করে এমন তথ্য দিয়েছেন। গবেষকদের দাবি, যারা
দিনে গড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিভি দেখেন তাদের
পালমোনারি এমবলিজমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সাধারণের
থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর থেকে
বাঁচার উপায় হল একটানা টিভি না দেখে মাঝে মাঝে বিরতি
দেয়া। কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
Top
একজনের দেহে
অন্যজনের মাথা!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
২০১৭-র মধ্যেই একজনের দেহে আরেকজনের মাথা বসিয়ে দেয়ার
মতো তেলেসমাতি দেখাতে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখন শরীরের
অনেক কিছুই প্রতিস্থাপন হচ্ছে। কিন্তু, যদি মাথা
প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়, তা হলে, সেটা হবে বিশ্বের
মেডিকেল সায়েন্সের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইতালি ও
চীনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এ অসাধ্যসাধনের দাবি
করেছেন।
সফলভাবে মাথা প্রতিস্থাপন করতে চীনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
রেন জিয়াওপিং এবং ইতালির শল্যচিকিৎসক সার্গিও কানাভেরো
যৌথভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদের দাবি, অস্ত্রোপচারের
জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রেন জানান,
প্রস্তুতি-গবেষণা যদি পরিকল্পনামাফিক এগোয়, তা হলে, আর
দুই বছরও সময় লাগবে না। কিন্তু সেটা আগে ঠিকঠাক হতে হবে।
অনেক আগে থেকেই মাথা প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা
কানাভেরোর মাথায় ঘুরছে। Turin Advanced
Neuromodulation Group-এ কাজ করার সময়, ২০১৩-য় প্রথম এ
প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন ইতালির এ শল্যচিকিৎসক।
তখন অবশ্য দাবি করেছিলেন, ২০১৩-র মধ্যেই মাথা
প্রতিস্থাপন করে ফেলবেন। কিন্তু, গবেষণা পর্যায়ের কিছু
ক্ষেত্রে বাধার কারণে হাতে আরও এক বছর সময় নিয়েছেন
কানাভেরো।
এখন পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে, বছর তিরিশের রাশিয়ান যুবক
ভালেরি স্পাইরিডোনোভের শরীরেই এ অস্ত্রোপচার হবে।
ডবৎফহরম-ঐড়ভভসধহহ নামে জটিল এক অসুখে আক্রান্ত এই
রাশিয়ান যুবক। জানা গেছে, চীনের হারবিন মেডিকেল
ইউনিভার্সিটিতে এ অস্ত্রোপচার হবে।
তবে, দান করা শরীর কোথা থেকে আসবে বা সেই ব্যক্তি
চাইনিজ হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি রেন।
Top
মানবাধিকার কর্মকর্তার মাতৃবিয়োগ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন পল্টন থানা শাখার সাধারণ
সম্পাদক চাঁন শরীফ এর মাতা মোসাম্মৎ অজুফা বেগম গত ২১
সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত আনুমানিক ১১:১৫ মিনিটে
বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না .....
রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মরহুমা
অজুফা বেগমকে তার গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর জেলার শিবচর
থানার দ্বিতীয় খন্ড গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন
করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র এবং ১ কন্যা সন্তানসহ
অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কমিশনের মহাসচিব ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার ও চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম
সাদেক অজুফা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Top
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায়
সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয়
সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দেয় এবং তাঁর সরকার ধর্মীয়
সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। রাজধানীর
তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল রোববার
ভ্যাটিকানের সিনিয়র কেবিনেট মিনিস্টার কার্ডিনাল
ফার্নান্দো ফিলোনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে
প্রধানমন্ত্রী তাঁকে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসীর মাঝে
সংলাপকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশ ভ্যাটিকানের সঙ্গে
সম্পর্ককে যথেষ্ট মূল্য দেয় এবং দুই দেশের মধ্যে
বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক
ভূমিকা পালনে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সমাজসেবা
কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। তিনি
ভ্যাটিকানের মন্ত্রীর মাধ্যমে পোপ ফ্রান্সিসকে
বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ভ্যাটিকানের মন্ত্রী বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের
অনুসারীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সম্প্রীতি
রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক
উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, ঢাকায় ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত
আর্চ বিশপ জর্জ কোসহিরি, বাংলাদেশে ক্যাথলিক বিশপ ডি
রোজারিও এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া
বেগম।
Top
ইউরোপের সব পথ বন্ধ
মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
একে একে বন্ধ হয়ে গেল ইউরোপের সব পথ।
কোনো দেশই আর শরণার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না। সীমান্ত
থেকে সীমান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে দেশান্তরী মানুষ। ঠাঁই
মিলছে না কোথাও।
ইতালি-গ্রিস-মেসিডোনিয়া-সার্বিয়া-হাঙ্গেরি-ক্রোয়েশিয়া-জার্মানি-ফ্রান্স-
কেউই আর শরণার্থী নিতে রাজি নয়। ফলে আশ্রয়ের আশায়
ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত হাজার হাজার দেশান্তরী মানুষ
এখন এক দেশের সীমান্ত থেকে অন্য দেশের সীমান্তে ছুটে
বেড়াচ্ছে। ক্রোয়েশিয়া এখন হাজার হাজার শরণার্থীকে ¯োভেনিয়া
আর হাঙ্গেরির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে হাঙ্গেরি
তাদের ঠেলে দিচ্ছে অস্ট্রিয়ার দিকে। ক্রোয়েশিয়া তাদের
দেশে প্রবেশ করা শরণার্থীদের বাস ও ট্রেনে করে
হাঙ্গেরির উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়া শুরু করেছে।
কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এসব শরণার্থীদের
পাঠাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। এ নিয়ে হাঙ্গেরি ব্যাপক ক্ষোভ
প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে হাঙ্গেরির পুলিশ ও সৈন্যরা
শরণার্থীদের নামিয়ে অন্য বাসে উঠিয়ে দিচ্ছে বলেও জানা
গেছে। ক্রোয়েশিয়া জানায়, বুধবার থেকে প্রায় ১৭
হাজারেরও বেশি শরণার্থী প্রবেশের কারণে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তারা এমনটা করতে বাধ্য
হচ্ছে। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজারতো
বলেছেন, ক্রোয়েশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করছে। তিনি
বলেছেন, ক্রোয়েশিয়া অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব মানুষের
উপকার করার বদলে তাদের দলে দলে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে,
যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এদের কোনো রেজিস্ট্রেশন
হচ্ছে না। এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তাদের তো
আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে মিল রেখে সীমান্ত প্রক্রিয়া
চালানো উচিত। বাসে করে শরণার্থীদের তারা আরেক জায়গায়
পাঠাচ্ছে এটা তো নীতিমালার বিরোধী। একই সময়
ক্রোয়েশিয়ার এক পুলিশ বলে যে হাঙ্গেরির
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তি রয়েছে।
যেটি সত্য নয় বলে জানাচ্ছে হাঙ্গেরি। ক্রোয়েশিয়া
সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ৪১ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার
বসিয়েছে হাঙ্গেরি।
ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে ঢোকার চেষ্টা শরণার্থীদের :
ক্রোয়েশিয়ায় আটকেপড়া শরণার্থীরা নতুন করে ইউরোপের
উত্তরাঞ্চলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ¯োভেনিয়া ও
হাঙ্গেরি তাদের ফিরিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও
তারা এ চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্রোয়েশিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি
দেয়ার চেষ্টাকারী একদল শরণার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে
শুক্রবার রাতে পেপার স্প্রে ব্যবহার করে ¯োভেনিয়া
পুলিশ। এদিকে নিবন্ধন ছাড়াই শরণার্থীদের সীমান্তের দিকে
ঠেলে দেয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন
লংঘনের অভিযোগ করেছে হাঙ্গেরি। শরণার্থী সংকট নিয়ে
বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে
জরুরি বৈঠক করবে। বলকান হয়ে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের
দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টাকারী হাজার হাজার
অভিবাসনপ্রত্যাশী রেলস্টেশন ও রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে রাত
কাটিয়েছে।
অন্যদিকে, কয়েকশ’ লোক তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের
এদিরনের কাছে একটি বড় সড়কে রাত কাটিয়েছে। শুক্রবার
সন্ধ্যায় তুরস্কের পুলিশ তাদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে
গ্রিসে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশি নিয়ন্ত্রণ কঠোর হওয়ার
কারণে অনেক শরণার্থী মূল সড়ক ছেড়ে শস্য ক্ষেতের মধ্য
দিয়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছাচ্ছে। শরণার্থী সংকটকে
কেন্দ্র করে ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে মতভেদ
ঘটেছে এবং শরণার্থীদের স্বেচ্ছা ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে
নেয়ার ইইউ’র প্রস্তাবে সাড়া দেয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক চার লাখ ৭৩ হাজার
৮৮৭ জন শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপে প্রবেশ
করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা।
নিরাপদ ও উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে আসা এসব
শরণার্থীদের অধিকাংশই গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ার নাগরিক।
পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপের ধনী দেশগুলো, বিশেষভাবে
জার্মানিতে পৌঁছানোর জন্য এসব শরণার্থী ইউরোপের বলকান
উপদ্বীপের ভেতর দিয়ে হেঁটে রওনা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম ইউরোপের পথে ধেয়ে আসা
শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় এ সে াতকে কীভাবে সামলানো হবে
তার কোনো একক নীতি নির্ধারণ করতে পারেনি ইউরোপীয়
ইউনিয়ন (ইইউ)।
সীমান্ত থেকে সীমান্তে ছুটছে দেশান্তরীরা :
শরণার্থীদের পাশের দেশে ঠেলছে ক্রোয়েশিয়া ১৩০০০,
সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তে দু’দিনে ১৩ হাজার শরণার্থী
ঢুকেছে ক্রোয়েশিয়ায় ১,০৬,০০০ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ১
লাখ ৬ হাজার শরণার্থী ইতালি পৌঁছেছে ১,৬০,০০০
১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কোটা
বণ্টন প্রস্তাব ২,১৩,২০০ চলতি বছরের এপ্রিল-জুন ইউরোপে
২ লাখ ১৩ হাজার জন আশ্রয় প্রার্থনা করেছে ৫,০০,০০০
অন্তত ৫ লাখ শরণার্থী চলতি বছর ইউরোপীয় সীমান্ত পাড়ি
দিয়েছে ১০,০০,০০০ জার্মানিতেই চলতি বছর ১০ লাখ শরণার্থী
প্রবেশ করবে। ঢুকেছে ৮ লাখ।
Top
শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার
মানুষকে গুম করা হয়েছিল : জাতিসংঘ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শ্রীলংকায় স্বাধীনতাকামী তামিলদের সঙ্গে সামরিক
বাহিনীর যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিশেষ
আদালত বসানোর জন্য শ্রীলংকার নতুন সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০০৯ সালে যুদ্ধের শেষ সময়ে
উভয়পক্ষ থেকেই যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছিল অভিযোগ করে
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এ আহ্বান জানায়। এ বিষয়ে
তারা একটি রিপোর্টও প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয় যে,
শ্রীলংকায় আন্তর্জাতিক বিচারক ও অনুসন্ধানকারীর সমন্বয়ে
একটি বিশেষ আদালত তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, শ্রীলংকায়
ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে
জানতে পেরেছি এ সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হাজার
হাজার মানুষকে গুম, অত্যাচার, যৌনসন্ত্রাসসহ অনেক
ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হয়।
তিনি শ্রীলংকার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন যে
কোনো মানবাধিকার লংঘনকারীকে অফিস থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
যুদ্ধের সময় সরকারি বাহিনী গণহত্যা চালানোর অভিযোগ
রয়েছে। অন্যদিকে তামিল টাইগাররা সাধারণ মানুষকে ঢাল
হিসেবে ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদনে বিদেশী বিচারক এবং গোয়েন্দাদের নিয়ে বিশেষ
এই আদালত গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে পূর্বে এমন
সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিল শ্রীলংকা। দেশটির
সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক চাপ
থাকা সত্ত্বেও এ রকম কোনো বিচারের বিপক্ষে ছিলেন।
কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই দেশটির নতুন সরকার
ঘোষণা দেয় যে তারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, ২৬ বছরের যুদ্ধে শেষে ২০০৯ সালের ১৮ মে
তারিখে প্রেসিডেন্ট মাহেন্দা রাজাপাকসে গৃহযুদ্ধের
সমাপ্তি ঘোষণা করেন, ওই ২৬ বছরে প্রাণ হারান ১ লাখ
মানুষ। শুধু যুদ্ধের শেষ কয়েক মাসেই প্রাণ হারিয়েছিলেন
৪০ হাজার মানুষ। তবে এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না করে
নতুন সরকার এই বিশেষ আদালত এর বিরোধিতা করছে বলে
জানিয়েছে বিবিসির শ্রীলংকা প্রতিনিধি।
মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এ বিষয়ে
প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও মাহেন্দা রাজাপাকসে
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর এটি স্থগিত করা হয়। বর্তমান
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা যুদ্ধের সময় একজন সরকারি
মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করছিলেন। আর জাতিসংঘের এ পদক্ষেপে
সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন তিনি।
Top
শিশুর দিকে সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে দিনে
শিশু অপরাধ প্রতিটি সমাজের জন্য একটি উদ্বেগজনক
সামাজিক সমস্যা। সামাজিক পরিবেশ, মৌলিক চাহিদা থেকে
বঞ্চিত হয়ে খারাপ সঙ্গ ও বিভিন্ন ধরনের
অপব্যবহারকারীদের সঙ্গী হয়ে আজকের শিশু অপরাধী হয়ে ওঠে।
এই শিশু আমাদের জাতির মূল্যবান সম্পদ। এদের উন্নয়নের
জন্য এবং সমসুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ
যেন তারা পায়, যাতে তারা শারীরিক, মানসিকভাবে সুস্থ ও
কর্মক্ষম, নৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং সমাজের প্রয়োজনে
উপযুক্ত দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে। বঞ্চিত এবং অবহেলিত শিশুরা সহজেই
অপরাধজনিত কাজে জড়িয়ে পড়ে। এর জন্য দায়ী পারিবারিক
অভাব-অনটন, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া, বাবা-মার
দায়িত্বহীন আচরণ ও নিজ সন্তানের উপর নিয়ন্ত্রণহীনতা।
আবার শিশুর একাকিত্ব, বাবা-মার কর্মব্যস্ততা, বিভিন্ন
অপসংস্কৃতি, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবসহ নানা কারণে
শিশু-কিশোররা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
সামপ্রতিক সময়ে নাটোরে ঘটে যাওয়া শিশু হত্যার ঘটনাটি
এরই বাস্তব একটি উদাহরণ। তিনজন কিশোর যারা সবাই
নাটোরের আলাইপুর আশরাফুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার
ছাত্র। তারা টাকার লোভে নিজ সহপাঠিকে অপহরণ করে খুন করে।
র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিতে বলেছে তারা টিভির
সিরিয়াল দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এসব ঘটনা যখন তারা ঘটায়
তারা নিজেরাও জানে না এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
অল্প বয়সেই তারা তাদের জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিলো।
তারা জানতে বা বুঝতে পারার আগেই সব ঘটে যায়। এই
নৃশংসতার বীজ কিসের বা কার প্ররোচণায় তারা নিজেদের
মধ্যে রোপণ করে। আর এর এখনই সংশোধন বা যতœ না নিলে তা
একদিন বেড়ে বড় হতে হতে আমাদের সমাজে একটি স্থায়ী
সমস্যায় পরিণত হবে। এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়; এর আগেও
ঘটেছে।
শিশুরা যা দেখে তাই অনুকরণ করতে করতে শিখে ফেলে। এর
অনেক উদাহরণ আমরা আগেও দেখেছি। এই ঘটনাগুলো যত ঘটছে
আমাদের বলার বা উপলব্ধি করার বিষয়টি যেন ততই লোপ পাচ্ছে।
আর এসব ঘটনার জন্য কাকে দায়ী করা যেতে পারে আমাদের
সমাজ ব্যবস্থাকে, সেইসব দায়িত্বহীন উদাসীন বাবা-মাকে,
নাকি এইসব অবাধ্য শিশু-কিশোরকে। আসলেই কি এককভাবে কাউকে
দায়ী করা যায় আর এজন্য সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে
পরিবারের ভূমিকার দিকে গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। আপনার
সন্তানটি কার সাথে মিশছে তার বন্ধুটি কে টেলিভিশন যদি
বিনোদন মাধ্যম হয়ে থাকে তবে শিশু-কিশোররা কোন বিনোদনের
দিকে ঝুঁকছে অপহরণ, খুন, গুম এর মত নৃশংস ঘটনা তো
টেলিভিশনে শেখায় না। টারজান, ব্যাটম্যান,
স্পাইডারম্যান, ম্যাকগাইভারের মতো সিরিয়াল দেখে আগে
বাচ্চারা নকল করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু
নাটোরের মতো এমন নির্মম ও নৃশংস ঘটনা আগে বাংলাদেশে
ঘটেনি। তাই একজন শিশু বাসায় বসে টেলিভিশনে কোন চ্যানেলে
কী সিরিয়াল দেখছে তা অবগত থাকুন। তার মন মানসিকতা কি
রকম তা আপনি তার সাথে আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন।
সিরিয়াল দেখে সে শুধু মজাই পাচ্ছে নাকি তা থেকে
প্রভাবিত হচ্ছে। সে ভালোটুকু শিখছে নাকি খারাপটুকু
নিচ্ছে, বোঝার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। কিছু টিভি
চ্যানেলের কিছু সিরিয়াল আমাদের সন্তারদের
অন্তঃসারশূন্য করে ফেলছে। চিন্তা করার মানসিক ক্ষমতা
লোপ পাচ্ছে। আপনার সন্তানের কোনটা দেখা উচিত আর কোনটা
নয় তাকে বুঝিয়ে দিন। আপনি তার সামনে কী সিরিয়াল দেখবেন
সে ব্যাপারেও সচেতন হউন। আপাতদৃষ্টিতে এই ব্যাপারগুলো
ছোট মনে হলেও আপনার সচেতনতার অভাবে যে কোন সময় তা বড়
আকার ধারণ করতে পারে। আজকাল কোন বিষয়ই ছোট বলে এড়িয়ে
যাওয়ার উপায় নেই। যে কোন মুহূর্তে সামান্য ভুলের বা
সচেতনতার অভাবে আমার আপনার সন্তান বিপথে চলে যেতে পারে।
আপনি আপনার সন্তানের সাথে কথা বলুন, বন্ধু হোন। এই
পৃথিবীতে আপনি তার সবচেয়ে আপনজন। সন্তানের যেকোনো
উৎকণ্ঠা, আবেগ গুরুত্ব সহকারে দেখুন। তার সামনের দিকে
চলার পথে অন্য কোন অশুভ শক্তি আপনার শিশুটির দিকে হাত
বাড়ানোর আগেই, আপনি আপনার সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দিন
সবার আগে।
লেখক :মানবাধিকার কর্মী
Top
‘৭ বছরে বাংলাদেশে ২১২
জন গুম’
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩০ তম অধিবেশনের
শুনানিতে এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজাপেয়ারেন্সেস
বিষয়ে যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছে এশিয়ান লীগ্যাল রিসোর্স
সেন্টার (এএলআরসি), এফআইডিএইচ ও এএফএডি। বাংলাদেশের
জোরপূর্বক গুমের অব্যাহত ঘটনাগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার
বিষয়ে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
যৌথ ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড
অর ইনভলান্টারি ডিজাপেয়ারেন্সেস’র কর্মকা-ের জন্য
ধন্যবাদ জানাচ্ছে দ্য এশিয়ান লীগ্যাল রিসোর্স সেন্টার,
এফআইডিএইচ ও এশিয়ান ফেডারেশন আগেনস্ট ইনভলান্টারি
ডিজাপেয়ারেন্সেস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে চলমান বলপূর্বক
গুম, দায়মুক্তি এবং এ ধরনের অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গে
সম্পর্কিত দমননীতির ব্যাপারে ওয়ার্কিং গ্রুপের দৃষ্টি
আকর্ষণ করছে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি ও ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশে কমপক্ষে ২১২ জনের
জোরপূর্বক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
এ ঘটনাগুলোতে বহু প্রত্যক্ষদর্শী আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপহরণের
ধরন ও গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তির প্রোফাইল ইঙ্গিত
দিচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধ করতেই সরকার
গুমের পথ বেছে নিচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ বা ন্যায়বিচার
পাওয়ার জন্য গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গের
প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করছে পুলিশ ও আদালতসমূহ। সম্প্রতি
পরিবারের গুম হওয়া প্রিয়জনদের নিয়ে স্মরণসভা আয়োজন
করার প্রয়াসও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বাক স্বাধীনতা ও
সভা-সমাবেশের ওপর বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং গুম
হওয়া ব্যক্তিদের আপনজনদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
আমরা গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার
আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের
অপরাধ কর্মকা-সমূহের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ব্যাপারে
এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে
তাগিদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ
আদালতের (আইসিসি) রোম স্ট্যাচুর প্রতি দৃঢ় সমর্থন
ব্যক্ত করেছে। সে কারণে দেশটি বৈধভাবে বলপূর্বক গুমকে
আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এবং জবাবদিহিতা
নিশ্চিতে বাধ্য। অধিকন্তু, ১৯৯২ সালের প্রোটেকশন অব অল
পার্সন্স আগেনস্ট ইনভলান্টারি ডিজাপেয়ারেন্সেস-এর ঘোষণা
অনুযায়ী, প্রতিটি রাষ্ট্রকে তার এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চলের
আওতায় থাকা যে কোন স্থানে জোরপূর্বক গুমের কর্মকা-সমূহ
প্রতিরোধ করতে ও ইতি টানতে কার্যকর আইনগত, প্রশাসনিক,
বিচারিক বা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বলপূর্বক গুম অবসানের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ
সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খতদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া ও দোষীদের
শাস্তি প্রদানের বিষয়গুলো নিশ্চিতে দায়বদ্ধ। গুম হওয়া
ব্যক্তিদের পরিবারসমূহের অধিকার এবং মানবাধিকার
কর্মীদের কথা বলা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে
অবশ্যই শ্রদ্ধা ও সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা ওয়ার্কিং
গ্রুপকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে দেশটি সফরের অনুরোধ
জানাতে এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জরুরি ক্ষেত্রে এ
ধরনের সফর অনুমোদনের আহ্বান জানাচ্ছি।
Top
মানবিকতা হারিয়েছে পৃথিবী : মালালা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাখা বক্তব্যে
মেয়েদের জন্যও শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি করার আহ্বান
জানিয়েছেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষাকে অধিকার বলে বর্ণনা
করেন। সিরিয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মালালা বলেন,
বিশ্বের জননেতাদের উচিত সিরিয়া সম্পর্কে আরো বেশি
সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করা। ‘এই বিশ্ব বর্তমানে সব
রকম মানবিকতা হারিয়ে ফেলেছে।’
একজন সিরীয় ও একজন পাকিস্তানি মেয়েকে পাশে নিয়ে
শুক্রবার জাতিসংঘের গ্যালারি থেকে বক্তব্য দেন
নারীশিক্ষার জন্য এই আন্দোলনকারী।
মালালা বলেন, ছোট্ট আয়লান কুর্দির ছবি বারবার তাঁর
চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ওই একটা ঘটনাই প্রমাণ করে দেয়,
শরণার্থীদের অবস্থা কতটা শোচনীয়। মালালা এর আগে
জাতিসংঘের আরেকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের
উদ্দেশে বলেন, একটা নিষ্পাপ শিশুকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে
অক্ষম হয়েছে সারা পৃথিবী। তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে
মর্মান্তিকভাবে। যারা সর্বহারা তাদের জন্য মানুষকে আরো
বেশি সংবেদনশীল এবং উদার হতে হবে। মনের সঙ্গে দেশের
মাটিতেও তাদের স্থান দিতে হবে। মালালা জানান, তিনি নিজে
সিরিয়া থেকে আসা চার শরণার্থী মেয়েকে আশ্রয় দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় বসবাস করার সময় বিবিসি
উর্দু ওয়েবসাইটে মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে
লেখালেখি করার কারণে তালেবান জঙ্গিরা ২০১২ সালের
অক্টোবরে স্কুলবাসে উঠে মালালাকে গুলি করে। মাথায়
গুলিবিদ্ধ হয়ে মালালা শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান।
বর্তমানে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন তিনি।
Top
সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা
করলেন ইংলাক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
থাইল্যান্ডের জান্তা সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলের
বিরুদ্ধে পাল্টা ফৌজদারি মামলা করেছেন দেশটির
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। সরকারের
প্রধান এ কৌঁসলির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও তার
ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার
ব্যাংকক ফৌজদারি আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। খবর
এপির।
এক বছর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার ও চালে ভর্তুকি
সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করেন
আদালত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সামরিক বাহিনী-সমর্থিত
থাই পার্লামেন্ট চাল ক্রয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে
দোষী সাব্যস্ত করে ইংলাককে রাজনীতি থেকে পাঁচ বছরের
জন্য নিষিদ্ধ করে। চাল ক্রয় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক
বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল ক্রয় করেছিল ইংলাক
সরকার।
থাইল্যান্ডের এক সময়ের জনপ্রিয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রী
থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তাদের
রাজনৈতিক দল ২০০১ সাল থেকে দেশটির প্রত্যেকটি
নির্বাচনেই জয়লাভ করে আসছে। থাইল্যান্ডের দরিদ্র
গ্রামীণ জনগণের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা থাকলেও শহুরে
মধ্যবিত্তরা তাদের সমর্থন করেন না।
২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত
হওয়ার পর রাজনীতিতে আসেন ইংলাক। মূলত এসময় থেকেই
থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলে আসছে। এর এক পর্যায়ে
২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের ঠিক আগে ক্ষমতাচ্যুত
হন ইংলাক।
Top
বুদ্ধিমান মানুষের
মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের মগজ থেকে আলাদা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মানুষের বুদ্ধিমত্তা মস্তিষ্ক গঠনের ওপর নির্ভরশীল। আর
অধিক বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানুষের মস্তিষ্কের গঠন
সাধারণ মেধাসম্পন্ন মানুষের মগজ থেকে আলাদা। দেহের এ
গুরুত্বপূর্ণ অংশের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে প্রায়
২০০টি বিশেষ অঞ্চলের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ব্যবস্থার
ওপর। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে করা এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে
এসেছে। খবর দি ইন্ডিপেনডেন্টের। প্রায় তিন কোটি ডলার
ব্যয়ে পরিচালিত হয়েছে হিউম্যান কানেক্টম প্রজেক্ট
নামের এ গবেষণা। নমুনা হিসেবে ৪৬১ জন মানুষের কনোটম
তুলনা করে দেখা হয়েছে। মস্তিষ্কের কাজ নিরীক্ষা করতে
যে প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে তার নাম ফাংশনাল
ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমেজিং। গবেষণায় পাওয়া তথ্য
অনুযায়ী উন্নত মগজের অধিকারী মানুষের বুদ্ধিমত্তা
উত্তম শব্দ চয়ন, স্মৃতি আত্মতৃপ্তি আয় এবং শিক্ষার
ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
এসব মানুষের ব্রেইন উচ্চ জ্ঞান-গরিমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
অন্যদিকে যে সব মানুষের মগজ সাধারণ তারা মাদকাশক্তি,
ক্রোধ, আইন লংঘন, অসম্পন্ন ঘুমের মতো নেতিবাচক কর্মের
প্রতি আকৃষ্ট।
গবেষণার প্রধান অধ্যাপক স্টিফেন স্মিথ বলেন, আমরা
চেষ্টা করেছি বিভিন্ন মানুষের আচরণ দক্ষতায় মস্তিষ্ক
কী ভূমিকা রাখে। মগজের গঠন কতটা গুরুত্বপূর্ণ
Top
এই প্রথম মিয়ানমারের নির্বাচনে ইইউ
পর্যবেক্ষক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মিয়ানমারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর
ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এটিই হবে দেশটির
নির্বাচনে ইইউর পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রথম কোনো ঘটনা।
ইইউ ২৯ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণা দিয়েছে।
৮ নভেম্বরের নির্বাচনে নোবেলজয়ী অং সান সু চির
নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিপুল
ব্যবধানে জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইইউর পররাষ্ট্র সচিব প্রধান ফ্রেডরিক মোগেরিনি এক
বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের এই গণতান্ত্রিক রূপান্তরে
তার প্রতিশ্র“তি আবার নিশ্চিত করছে ইইউ।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন
সম্পন্ন হলে তা এই পালাবদলকে আরও মজবুত করবে। বিবৃতিতে
বলা হয়, মিয়ানমারের নির্বাচনে নয়জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ
এবং ৯২ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে ইইউ। তাদের মধ্যে ৩০
জন দীর্ঘমেয়াদি ও ৬২ জন স্বল্পমেয়াদি পর্যবেক্ষক
রয়েছেন।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
শিশুবান্ধব
বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার এমন
বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চায়, যেখানে প্রতিটি শিশু যোগ্য
নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তারা আধুনিক শিক্ষা পাবে;
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবে। গতকাল শনিবার
গণভবনে একটি চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসস ও ইউএনবির।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট জাতির
পিতার ৯২, ৯৩, ৯৪ ও ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই
প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও
ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী
হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন
মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্যসচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও
ট্রাস্টের নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুরা হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৫০ জনের মধ্যে
পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন। ট্রাস্টের সভাপতির পদে থাকা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে
চাই, যেখানে শিশুরা আধুনিক শিক্ষা পাবে। তারা দেশকে
এগিয়ে নিতে শিক্ষায় মেধাবী, নৈতিক গুণাবলিসমৃদ্ধ ও
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করবে।’
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর, উন্নত ও
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপহার দেওয়াই বর্তমান সরকারের
লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মাঝে একটি
স্বাধীন মর্যাদাসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে
তাঁর সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ
সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা
জীবন অত্যন্ত সরল জীবনযাপন করেছেন। এমনকি দেশের
প্রেসিডেন্ট হয়েও কড়া নিরাপত্তায় তাঁর সরকারি বাসভবনের
পরিবর্তে ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে বাস করেছেন। খুনিরা
তাঁর এই সরলতার সুযোগ নিয়েছে এবং নির্মমভাবে এই বাড়িতে
তাঁকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের
বিরোধিতা করেছিল, যারা পাকিস্তানি দখলদারি শক্তির সঙ্গে
হাত মিলিয়েছিল এবং যুদ্ধাপরাধীরা ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে
ভূমিকা রেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশে
থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপর দেশে ফিরে জাতির পিতার
স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করার জন্য তাঁর ধানমন্ডির
বাড়িটি জাদুঘরে পরিণত করেন এবং মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে
দান করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই ট্রাস্ট শিক্ষার্থীদের
বৃত্তি প্রদানসহ দেশের লোকজনকে বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে
আসছে। পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ট্রাস্ট
যৌথভাবে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনা
বলেন, ‘আমরা এই হাসপাতাল থেকে কিছুই নিচ্ছি না। আমরা
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বলেছি, তারা যেন
দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা-সুবিধা দেয়।’
Top
বাল্যবিয়ের দায়ে বর ও কনের বাবার দণ্ড
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকুন্দিয়া উপজেলায় বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে বর ও কনের
বাবাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা
নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ রায় দেন।
দণ্ডিতদের শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে ও
কোদালিয়া এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী
তাহমিনা আক্তারের (১৪) সঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার
বিন্নাটি ইউনিয়নের কালটিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে
মাজহারুল আলমের (২১) বিয়ে ঠিক হয়। ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী
অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বর ও কনের বাবাকে আটক করে
নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে
উভয়কে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
Top
শিশুর প্রতি
সহিংসতা বেড়েছে চার গুণ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই শিশু
মৃত্যুর হার বেড়েছে চার গুণ। গত বছর ৭৬০ শিশু হত্যা,
ধর্ষণসহ বিভিন্ন কারণে মারা যায়। চলতি বছরের প্রথম ছয়
মাসে একই কারণে এক হাজার ৪৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। এদের
মধ্যে ১৯৮ জন খুন ও ৯৬ জনকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৭৬ শিশুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও আটজনকে এসিডে
ঝলসে হত্যা করা হয়। এক হাজার ৮২ শিশু বিভিন্ন দুর্ঘটনা
শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নারী ও শিশু
নির্যাতন : সামাজিক অবক্ষয়ে প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক
আলোচনা সভায় গতকাল শনিবার এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বেসরকারি সংস্থা প্রোগ্রেসিভ ফোরাম আলোচনা সভার আয়োজন
করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রোগ্রেসিভ ফোরামের
সভাপতি মামুন-উর-রশিদ। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর নারী ও
শিশুর প্রতি সহিংসতার চরম অবনতির একটি বছর। চলতি বছর
নারী নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।
অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গেছে শিশু নির্যাতনের হার।’
মামুন-উর-রশিদ বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৩৩৬ জন
নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫০৯ জন
নারী। এসিড ও অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় ৪৬ জন এবং বিভিন্ন
দুর্ঘটনায় ৮১৫ জন নারীর মৃত্যু হয়। ১৫৬ জন নারী
বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করে।’ সংবেদনশীল আচরণ ও
দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে নারীর ওপর সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে বলে
জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রমোদ মানকিন বলেন, ‘আমাদের এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে,
যেখানে শিশুরা খোলা মনে বড় হতে পারে। শিশু ও নারীর
প্রতি সংবেদনশীল ও মনোযোগী হতে হবে। একই সঙ্গে বাড়ি
থেকে শিশুদের মধ্যে সংবেদনশীলতা তৈরি করতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমদ, পুলিশের অতিরিক্ত
মহাপরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের
সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
ে।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
হাইওয়ে পুলিশ অসহায়!
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের বিভিন্ন মহাসড়কের ২০৯টি স্থানকে
দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করে একটি বেসরকারি সংস্থার
সহায়তা নিয়ে তিন বছর আগে সড়ক নির্দেশনা বোর্ড
লাগিয়েছিল পুলিশ। এতে এক-চতুর্থাংশ দুর্ঘটনা কমে যায়
বলে দাবি করছে পুলিশ। কিন্তু রোদ-বৃষ্টিতে বোর্ডগুলো
নষ্ট হয়ে গেছে, এরপর কেউ সেসব আর মেরামত করেনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশের
পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে
দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো
দুর্ঘটনা ঘটলেই সব দায় পুলিশের ওপর চাপানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মল্লিক ফকরুল ইসলাম বলেন,
বেপরোয়া গাড়িচালনা এবং সড়ক নির্দেশনা ও বিভাজন না থাকা
দুর্ঘটনার মূল কারণ। এর মধ্যে প্রথম বিষয়টি পুলিশ দেখে।
অন্য দুটি বিষয় পুলিশের হাতে নেই। তা ছাড়া হাইওয়ে
পুলিশের লোকবলও কম। তাদের পক্ষে দেশের ২১ হাজার
কিলোমিটার হাইওয়ে পাহারা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না।
তিনি বলেন, অনেক চালক সাংকেতিক চিহ্নও (সাইন) ঠিকমতো
বোঝেন না।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গাড়িচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়।
চালকেরা বলছেন, সড়কের ওপর যত্রতত্র গড়ে ওঠা বাজার আর
চলাফেরায় অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। একজন
চালক বলেন, বড় কারণ হলো, পথচারীর অসতর্কতা। দ্বিতীয়
কারণ হলো রাস্তাঘাট ও দোকানপাট।
একজন যাত্রী বললেন, সাধারণত দিনে চলাচলকারী বাসগুলোর
চালকেরা একটু বেশি বেপরোয়া থাকেন। তবে দূরপাল্লার চেয়ে
আঞ্চলিক রুটের চালকেরা দুর্ঘটনার জন্য বেশি দায়ী। তিনি
বলেন, যখন ডে-কোচে যাই তখন ভয় লাগে। গাড়িগুলোর গতি দেখে
মনে হয়, কেউই আইন মানেন না।
হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, বেপরোয়া গাড়ি
চালানোর জন্য মোটর আইনের ১৪২ ও ১৪৩ ধারায় জরিমানা
মাত্র ৩০০ টাকা। অথচ সিঙ্গাপুরে জরিমানা পাঁচ হাজার
ডলার। জরিমানা কম হওয়ার কারণে কোনো চালক ভ্রুক্ষেপ
করেন না। বেশি জরিমানার বিধান থাকলে সড়কে নেমেই চালকেরা
আগে গাড়ির গতি নিয়ে ভাবতেন। পুলিশের পক্ষ থেকে
জরিমানার অঙ্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বেশির ভাগ
সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে সড়ক বা মহাসড়কের ওপর তৈরি হওয়া
বাসস্ট্যান্ডগুলোতেই। দুর্ঘটনার জন্য যেসব কারণকে
চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গাড়ি চালানো,
দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হওয়া, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ও
যানবাহন, ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্বলতা এবং চালকদের
যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা।
পুলিশের হিসাবে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত
সাত মাসে প্রধান প্রধান মহাসড়কে মোট ৮৩৫টি দুর্ঘটনা
ঘটেছে। এতে ৮৮৩ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ হাজার
৫২৯ জন। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২৩৯টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হাইওয়ে
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ২০১টি গাড়ির বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৮৫টি ঘটনার ক্ষেত্রে
বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল।
হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে
পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এসব
সুপারিশের মধ্যে চালকদের সচেতন করা, গতিনিয়ন্ত্রণ
যন্ত্র বসানো, যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স দেওয়া,
চালকের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা,
দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় সড়কে সিসি ক্যামেরা বসানো,
অতিরিক্ত ওজন বহন রোধ করা, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালক করা, ত্রুটিমুক্ত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা,
দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা, সড়কের দুই পাশ থেকে
বাজার উচ্ছেদ করা, ধীর গতির গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেওয়া
ছিল অন্যতম সুপারিশ। কিন্তু সব মহল থেকে এসব নিয়ে নানা
কথা বলা হলেও সুপারিশ আর বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে উপমহাপরিদর্শক প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন,
লোকবল কম থাকার কারণে তাঁরা সড়কে ঠিকমতো আইন প্রয়োগ
করতে পারছেন না। এ জন্য তিনি হাইওয়ে পুলিশের জনবল আরও
বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
Top
পুলিশে ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধি হচ্ছে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি বলেছেন,
দেশের জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশে জনবল সংকট রয়েছে। তাই
পুলিশ প্রশাসনে শীঘ্রই আরও ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধি করা
হচ্ছে। চট্টগ্রামেও পুলিশের জনবল বাড়ানো হবে খুব
শীঘ্রই। এছাড়াও পুলিশের গাড়ির সংকট দূর করে মানুষের
দৌরগোড়ায় পুলিশের কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছে দেয়ার কথাও
উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ
মাঠে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সুধী সমাবেশে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।চট্টগ্রামের
জেলা প্রশাসক মো. মেজবাহ্ উদ্দীনের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার
সাংসদ অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী,
চন্দনাইশের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম
রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার
পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির পশুরহাট ও
পশুবাহী যানবাহনে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে
না। চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। আমি এ
ব্যাপারে পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছি।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জান খাঁন বিকেল
৩টায় উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন চুনতি
এলাকায় বহুল প্রত্যাশিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
ষ্টেশনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
Top
স্ত্রী হত্যার দায়ে
যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ফরিদপুরে স্ত্রী ফরিদা বেগমকে (২৬) হত্যার দায়ে মো.
শহীদুল ইসলাম ফকির (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডের
আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা ও দায়রা জজ মো.
জাহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
মো. শহীদুল ইসলাম সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের
শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২২
ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে ফরিদা বেগমকে বাড়ির পাশে একটি
পেয়ারাগাছে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে
হত্যা করেন শহীদুল। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ
হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)
খসরুজ্জামান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শহীদুলের
উপস্থিতিতে গতকাল ওই রায় ঘোষণা করা হয়।
Top
পুলিশ কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মতলব দক্ষিণ থানার এক এসআইর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
করেছেন ডাকাতি মামলার বাদী মো.ফরহাদ সরকার আরিফ ও তাঁর
পরিবাববর্গ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনারস্থল দঃ
নলুয়া এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে মামলার
বাদী বলেন, গত ০৪/০৮/২০১৪ গভীর রাতে তাদের গ্রামের বাড়ি
মতলব পৌরসভার দক্ষিণ নলুয়ায় ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতের
দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে
দামি মোবাইল সেট, স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে
যায়। ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার সময় তার বড় ভাবী ডাকাত দলের
কয়েকজনকে চিনতে পারে বিধায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ওই থানার এসআই জহিরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত
করে এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ সন্দেহজনক আরো তিনজনকে
যুক্ত করে। কিন্তু তিনি গত ০৫/০৯/২০১৫ তারিখে
এজাহারভুক্ত ওই চার আসামিসহ সকল আসামিকে দায় থেকে
অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ
ব্যাপারে এসআই জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে
তিনি বলেন, ‘ডাকাতির কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি,
এই মামলার আমি ৪নং তদন্ত কর্মকর্তা। ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা সবই জানেন, আমি বাদীর কাছ থেকে এককাপ চা-ও
খাইনি।’
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
প্রতিদিন একটি
তুলসিপাতা খাওয়ার উপকারিতা
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
তুলফসপাতাকে ভেষজের রাণী বা মা বলা হয়। এই ছোট্ট পাতাটি
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শ্বাসযন্ত্রের
সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি মাথাব্যথা, মুখের
র্দুগন্ধ রোধ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সবগুলো গুণই আপনি পেতে পারেন কেবল প্রতিদনি তুলসিপাতা
খেলে।
মাথাব্যথা সারাতে
মাথাব্যথা সারাতে তুলসি পাতা খেেত পারনে। এর মধ্যে
রয়েছে শক্তিশালী নাসারন্ধ্রের বন্ধ নিবারক উপাদান। যেটা
মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দয়ে। মাইগ্রেন, সাইনাস, চাপের
কারণে মাথাব্যথা ইত্যাদি দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন
নিয়মিত তুলসিপাতা খেলে।
জ্বরের চিকিৎসায়
যদি আপনার জ্বর ওষুধে একেবারেই না কমতে চায়, তবে
প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যেতে পারেন। প্রতিদিন তিনবার
তুলসির পাতা খান এবং জ্বর কমা না র্পযন্ত এটা খেয়ে যান।
ইনফকেশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায়
এই শক্তিশালী পাতা দিয়ে ইনফেকশন দূর করা যায়। তুলসির
মধ্যে রয়েছে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটরেয়িাল
উপাদান। তাই এটি ইনফকেশন সহজে দূর হতে সাহায্য করে।
কিডনির পাথর
বিশষেজ্ঞরা বলেন, তুলসির পাতা কিডনির পাথর সারাতে
সাহায্য করে। যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসরি পাতা
খাওয়া হয় তবে এটা প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করতে
সাহায্য করবে।
কাশি রোধ করবে
আপনি যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে পানির সঙ্গে
তুলসিপাতা খেয়ে দেখতে পারেন। এর অ্যান্টিটুসিভ উপাদান
কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকেটারেন্ট উপাদান
বুকের শ্লেষ্মাকে বের করতে সাহায্য করে।
ফুসফুসের জন্য
একটি তুলসিপাতা প্রতিদিন খাওয়া ফুসফুসকে ভালো রাখে। এর
মধ্যে পলিফেনল উপাদান ফুসফুসের রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা
দূর করতে সাহায্য করে।
মুখরে স্বাস্থ্যে
দাঁত ব্রাশের পর মাড়িতে তুলসির পাতা ঘষতে পারেন। এটি
মাড়ির প্রদাহ দূর করবে এবং মুখের র্দুগন্ধ দূর করতে
সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
এর মধ্যে থাকা ইমিউনোমোডিও-লোটোরি উপাদান রোগ
প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সব
ধরনের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
Top
এসপিরিন
সেবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
এসপিরিন সেবনের জন্য অনেকে বলে থাকেন। কারণ লোডোজ
এসপিরিন সেবনের ফলে হূদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এই
প্রথমবারের মত বিশেষজ্ঞগণ এসপিরিনের মধ্যে নতুন গুণের
সন্ধান পেয়েছেন। আর তা হচ্ছে নিয়মিত লোডোজ এসপিরিন
সেবনে হার্ট এ্যাটাক ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি
হ্রাস পায়। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত
টাস্ক ফোর্স এই রিপোর্ট দিয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকান
মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন ক্যান্সার রোধে লোডোজ এসপিরিন
সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। আর বিশেষজ্ঞগণ ধারণা করছেন
লোডোজ এসপিরিন হতে পারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার রোধের
অন্যতম একটি অস্ত্র। তবে মার্কিন টাস্ক ফোর্সের এই
ড্রাফট রিপোর্টের সমালোচনাও কম হচ্ছে না।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, টাস্ক ফোর্সের এই রিপোর্টের পর
সুস্থ লোকেরাও এসপিরিন সেবন শুরু করবে এবং পাকস্থলীর
বিডিংসহ নানা সমস্যার জন্ম দেবে এসপিরিন। তবে টাস্ক
ফোর্সের বক্তব্য হচ্ছে, হূদরোগ প্রতিরোধে ৫০-এর অধিক
বয়সের অন্তত ৪০ শতাংশ আমেরিকান এসপিরিন সেবন করেন। তবে
যাদের বয়স ৫০-এর নিচে এবং ৭০ এর উপরে তাদের ক্ষেত্রে
এসপিরিন না সেবন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে নতুন
গাইডলাইনে। এদিকে ইতিপূর্বে কোন হেলথ অর্গানাইজেশন
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে লোডোজ এসপিরিন সেবনের
সুপারিশ করেনি। তবে টাস্ক ফোর্সের অভিমত হচ্ছে, লোডোজ
এসপিরিন হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক ও কোলোরেক্টাল
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক বলেই তারা এক্ষেত্রে
এসপিরিন সেবনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া রোগীদের তাদের
চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
৭০-এর ঊর্ধ্বে পুরুষ ও মহিলাদের
গ্যাস্ট্রো-ইনটোসটাইনাল বিডিং ও আলসারের ঝুঁকি অধিক
থাকায় এসপিরিন সেবন না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান
এবং ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিভিউ কমিটির
বিশেষজ্ঞ ড: স্টিভেন নিশেন উল্লেখ করেছেন কোন
অবস্থাতেই ফাস্ট হার্ট এ্যাটাক ও ফাস্ট স্ট্রোক
প্রতিরোধে এসপিরিন সেবন কাম্য হতে পারে না। এই
রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
লেখক: চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
Top
৬টি প্রধান কারণে
মানুষের কিডনিতে পাথর হয়া
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ইদানিং প্রায়ই দেখা যায় অনেক মানুষ কিডনিতে পাথর জনিত
সমস্য নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসছে। কিডনি হচ্ছে আমাদের
দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ। আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি
তার পুষ্টি সরাসরি আমাদের দেহে ছড়ায় না। বরং খাবার
গ্রহনের পর তার একটি অংশ কিডনি থেকে রক্তে যায়। এবং
রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে সঞ্চালিত হয়। এছাড়াও শরীরে
জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনিতে।
কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে
কিডনিতে পাথর হওয়া। কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা বেশ
মারাত্মক একটি সমস্যা। তাই এখনই জেনে নিন, ঠিক কোন কোন
কারণে মানুষের কিডনিতে পাথর হয়।
১) লেবু জাতীয় খাবার খুব কম খাওয়া
লেবু, কমলা, মালটা ইত্যাদি ধরণের পরঃৎঁং ফল কম খাওয়ার
কারণে কিডনিতে পাথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের
ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা
করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ধরণের ফল অবশ্যই
খাবেন। যদি তেমন কিছু নাও পান তাহলে পানিতে লেবু চিপে
পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা পরিমিত পর্যায়ে।
২) পালং শাক বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশী খাওয়া
পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট
দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় এবং মূত্রনালির
মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এতে করে দেহে অক্সালেটের মাত্রা
বেড়ে যায় যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। এছাড়া
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি
বৃদ্ধি করে। খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম না থাকা এবং
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর
জমার সম্ভাবনা প্রায় ২০% বৃদ্ধি পায়।
৩) অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া
অনেকেই খাবারে অনেক লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে
পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার
সম্ভাবনা বাড়ে।
৪) মাইগ্রেনের ঔষধ ও ব্যথা নাশক ঔষধ
যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন তারা অতিরিক্ত
মাথাব্যথার থেকে মুক্তি পেতে ঔষধ সেবন করেন। কিন্তু এই
ঔষধের সবচাইতে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিডনিতে
পাথর জমার সম্ভাবনা। কারণ এই ধরণের ঔষধ মূত্রনালির
পিএইচ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে যা কিডনিতে পাথর জমতে
সহায়তা করে।
৫) অতিরিক্ত সোডা অর্থাৎ কোমল পানীয় পান করা
অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল পানীয় পানের কারণেও কিডনিতে
পাথর জমে। এই ধরণের কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে
ফসফরাস থাকে যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে তোলে। এছাড়াও
এইধরনের অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
এই অস্বাস্থ্যকর চিনিও কিডনিতে পাথর জমার জন্য দায়ী।
৬) পরিমিত পানি পান না করা
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে
টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়।
যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে
দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে
পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।
হার্ট এ্যাটাক থেকে কীভাবে বাঁচবেন ?
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
মনে করুন, সন্ধ্যা ছয়টার সময় একা এটা বাড়িতে বসে আছেন।
বাসার মানুষেরা অন্য কামরাতে বসে টিভি দেখছে। হঠাৎ করে
আপনার বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হল এবং সেই ব্যথা যেন
আস্তে আস্তে করে আপনার নিচের চোয়ালের দিকে হেঁচড়ে আসা
শুরু করল। আপনার কাছাকাছি কেউ নেই। আপনি বুঝতে পারছেন,
আপনার হৃদপিন্ডে ক্রিয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। এখন
আপনি কী করবেন ? হার্ট এটাক হবার ফরে অধিকাংশ সময়
মানুষ মারা যান, কারণ তারা একা থাকেন। অন্য কারও
সাহায্য ছাড়া তাদের বুকের উপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে
রক্ত সঞ্চালন সম্ভব হয় না এবং ব্যথা শুরু হবার পরে
অজ্ঞান হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত সাধারণ তাদের হাতে ১০
সেকেন্ড সময় থাকে। এমতাবস্থায় বুকে ব্যথার শিকার
ব্যক্তি নিজেকে সাহায্য করতে পারেন বারংবার জোরে জোরে
উচ্চস্বরে কাশি দিয়ে। লম্বা করে শ্বাস নিন। এবার কাশুন।
লম্বা সময় নিয়ে দীর্ঘ কাশি দিন। এর ফলে আপনার ফুসুসে
স্পাটাম/মিউকাস উৎপন্ন হবে। শ্বাস-কাশি, শ্বাস-কাশি
... এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেন্ডে একবার করে করতে
থাকুন, যতক্ষণ না কেউ আপনার সাহায্যে এগিয়ে না আসে অথবা
যতক্ষণ আপনার হৃদযন্ত্র একা একাই স্বাভাবিকভাবে
স্পন্দিত হতে থাকে।
লম্বা করে শ্বাস নেবার ফলে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন
পাবেন। আর কাশির ফলে আপনার হৃদযন্ত্র সংকোচন প্রসারণ
হবে যার ফলে আপনার হৃদপিন্ডের ভিতর দিয়ে এবং কয়েকবার
কাশির ফলে উৎপন্ন সংকোচন-প্রসারণে হৃদযন্ত্রের
স্বাভাবিক, স্বয়ংক্রিয় স্পন্দনে ফিরে আসার কথা। এরপরে
অপর কোন ব্যক্তির সাহায্যে আপনি হাসপাতালে পৌঁছতে
পারেন।
মুখে ক্ষত বা ঘায়ের সমস্যায় ভুগছেন ? জেনে নিন কি
করবেন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
মুখের ভেতর নানাবিধ দন্ত্যরোগ ছাড়াও যে সমস্যাটি অহরহ
দেখা দেয় তা যায় সেটা হচ্ছে মুখের ঘা। যে কোন কারণে
ঠোঁট, গলা, জিভ বা তালুতে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাকে
মুখের ঘা বলা যেতে পারে। এই ঘা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
সাময়িক ও সাধারণ হলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে মারাত্মক
ক্যানসারেও রূপ নিতে পারে। নানা কারণেই মুখে ঘা হতে
পারে, যেমন-
জীবাণু জনিত ঘা :- আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস রোগে মাড়িতে
ক্ষত ও প্রদাহের সৃষ্টি হয়। দুই ধরণের জীবাণু এই রোগ
সৃষ্টি করে। এই রোগে মাড়িতে ঘা হয়ে ব্যথা ও দুর্গন্ধ
হয়। শরীরে জ্বর হয়। চোয়ালের নিচে লিমফগ্ল্যান্ড ফুলে
যেতে পারে।
ছত্রাকজনিত ঘা :- এক ধরণের ছত্রাক মুখের বিভিন্ন অংশে
যেমন- জিভে, গালে জমে থেকে সাদা আবরণের সৃষ্টি করে। এই
আবরণ উঠে গেলে ঘা দেখা যায়। মুখ অপরিষ্কার থাকলে, মুখে
পুরনো অপরিষ্কার ডেনচার থাকলে ও দীর্ঘদিন
অ্যান্টিবায়টিক গ্রহণের ফলেও মুখে ছত্রাক জমতে পারে।
শিশু ও বয়স্কদের এই ঘা বেশি হয়।
ভাইরাসজনিত ঘা :- ভাইরাস আক্রমণে মুখে ও ঠোঁটে ঘা হয়।
সাথে ব্যথা ও জ্বর হয়। আর এক প্রকার ভাইরাসের কারণে
ফোস্কা পড়ে ও ফেটে গিয়ে ঘা হয়।
আঘাতজনিত ঘা :- কোন কারণে ব্রাশ করার সময় , হাড় বা
মাছের কাঁটা থেকে ঠোঁট, গলা বা জিভ কেটে গিয়ে ক্ষতের
সৃষ্টি হতে পারে। এটা সহজেই সেরে যায়। আবার জীবাণু
আক্রান্ত হয়ে অথবা ভাঙা দাঁত, অবিন্যস্ত দাঁতের
ক্রমাগত কামড় ও ভাঙা ধারালো ডেনচার দ্বারা অব্যাহত
আঘাতে ঘা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ক্যানসারের রূপ নিতে পারে।
রাসায়নিক বা ওষুধজনিত ঘা :- অম্ল ক্ষার বা কোন বিষাক্ত
পদার্থ মুখে লাগালে মুখে ঘা হতে পারে। সাদা চুন খেলে ও
দাঁতে গুল ব্যবহার করলে, দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়টিক
ব্যবহার করলে, অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট দাঁতের
ব্যথার জন্য মুখের কোন অংশে রেখে দিলে মুখে ঘা হতে পারে।
অতি উত্তপ্ত পানীয় বা খাদ্য গ্রহনেও মুখে ঘা হতে পারে।
ভিটামিনের অভাব জনিত ঘা :- ভিটামিন বি এর অভাবে মুখে
নানা ধরণের ঘা হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে জিভের ত্বক
মসৃণ হয়ে যায়। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগে
মাড়িতে ঘা হয় ও রক্তক্ষরণ হয়।
অজানা কারণজনিত ঘা :- অ্যাথপস ঘা ঠোঁট, জিভ, মাড়ি ও
তালুতে ছোট বড় এক বা একাধিক ব্যথাযুক্ত এই ঘা হতে পারে।
এর সঠিক কোন কারণ জানা না থাকলেও কিছু কিছু বিষয় এটিকে
বাড়িয়ে তোলে যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, ধূমপান, দুশ্চিন্তা,
অনিদ্রা ইত্যাদি। ঘায়ের উপরিভাগ সাদা ও চারপাশে লাল
টকটকে হয়। সাধারণত এক সপ্তাহে এই ঘা সেরে যায়। অনেক
সময় ঘা দ্রুত বেড়ে গিয়ে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সারতে
দেরি হয়।
ক্যানসারজনিত ঘা :- মুখ ও জিভের ক্যানসার প্রথমে মুখের
ঘা রুপে দেখা দেয়। কোন কোন সাধারণ ঘা অবিরত দৈহিক ও
রাসায়নিক উত্তেজনা বা আঘাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ক্যানসারে
রূপ নিতে পারে। মুখের ক্যানসারের সঠিক কারণ অজানা হলেও,
কিছু কিছু বিষয় যেমন অত্যাধিক চুন, সাদা মিশ্রিত পান
খাওয়া, দাঁতে গুল ব্যবহার করা, অত্যাধিক ধূমপান বিশেষ
করে সিগার অ অত্যাদিক মদ্যপান সিফিলস রোগ, অপুষ্টি ও
সাধারণ দৌর্বল্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ক্যানসার
সৃষ্টিতে সাহায্য করে
চিকিৎসা :- মুখে ক্ষত বা ঘায়ের সমস্যায় নিশ্চিন্তে
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন। যেকোনো প্রকার আলসার বা ঘা
নিরাময়ের জন্য হোমিও চিকিৎসা দারুন কার্যকর। তাই মুখে
ক্ষত বা ঘায়ের সমস্যা হলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের
সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ট্রিটমেন্ট নিন।
Top
মাইগ্রেইন রোগীদের
জন্য খাদ্যাভ্যাস
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
মাইগ্রেইন যাদের আছে তাদের মাথাটা মনে হয় একটা টাইম
বম্ব। একটু বেচাল হলেই ভয়ঙ্কর মাথা ব্যথা শুরু হয়ে সব
কাজ পণ্ড হয়ে যেতে পারে। রাত জাগা, কাজের চাপ, বেশি বা
কম কফি খাওয়ার কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হতে পারে।
সত্যি বলতে কি, এর চেয়ে অনেক তুচ্ছ কারণেও মাইগ্রেইনের
ব্যথা শুরু হতে পারে।
যাদের এই ব্যথা আছে শুধু তারাই জানেন এটি কী পরিমাণে
যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। মাইগ্রেইনের ব্যথা উঠলে কেবল
মাথা ব্যথা হয় তাই নয়, অনেক সময় চোখ খুলে তাকানোও যায়
না। কারো কারো এসময় বমিও হতে পারে। সাধারণত:
মাইগ্রেইনের সময় মাথা দপ দপ করে এবং মাথার একপাশে ব্যথা
শুরু হয়ে তা সারা মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত আলো
এবং শব্দে এই ব্যথা বাড়তে পারে। অনেক সময় মাইগ্রেইনের
রোগীদের বিষন্নতা থাকে, এবং সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে
এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে তাদের সমস্যা হতে পারে।
মাইগ্রেইনের সমস্যার ওষুধ থাকলেও জীবন যাপনের ধরণ এবং
খ্যাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেও আপনি এই সমস্যা কমিয়ে আনতে
পারেন।
Top
কোন ধরণের খাবার
খেলে ব্যথা শুরু হয় তা বের করুন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
একেক জনের একেক ধরণের খাবারের কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা
শুরু হয়। আপনার যাতে ব্যথা শুরু হয় তাতে আরেকজন
মাইগ্রেইন রোগীর সমস্যা নাও হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ একটি
নোটবুকে কি কি খাবার খাচ্ছেন এবং কোন কোন দিন
ব্যথাহচ্ছে তা টুকে রাখুন। আপনি এভাবে কোন খাবারের
কারণে মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু হয় তা বিশ্লেষণ করে বের
করতে পারবেন। এটি একটি ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া মনে হলেও
অনেকে এতে উপকার পেয়েছেন। মাইগ্রেইনের ব্যথা শুরু করে
এমন খাবারগুলো এড়িয়ে চললে, সময়মত ঘুমালে এবং
ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করলে মাইগ্রেই থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব।
খাবার তালিকায় রোজ সবুজ শাক সবজি এবং বাদাম রাখুন
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লাবিন বা ভিটামিন-বি২ মাথা ব্যথা
কমানোর কাজ করে। এগুলো সবুজ শাক সবজি এবং বাদামে পাওয়া
যায়। তাই রোজ দুপুরে বা রাতে শাক খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন ৪-৬ টি বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। আলু এবং
লাল আটাতেও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ডিম এবং কম চর্বিযুক্ত
দুধে রিবোফ্লাবিন থাকে।
ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
ভিটামিন ডি মূলত: দাঁত এবং হাড়ের সুস্থতার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হলেও মাথা বথ্যার সাথেও এটির
সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। সাধারণত: প্রতিদিন ১০০০
আইইউ ভিটামিন ডি শরীরের জন্য প্রয়োজন হলেও মেয়েদের
ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই চাহিদা ১২০০ আইইউ-তে
গিয়ে পৌছায়। ভিটামিন ডি-এর বেশিরভাগই আসে সূর্যের আলোর
সংস্পর্শ থেকে তবে খাবার থেকেও অনেকটুকু শরীরে গ্রহণ
করতে হয়। যেসব খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
মাশরুম, ডিমের কুসুম, চিজ বা পনির, দৈ, দুধ, কড লিভার
অয়েল এবং গরুর কলিজা। আপনি একসাথে পাওয়া যায়
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খেয়েও দেখতে
পারেন। এটি বিশেষ করে ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং
ষাটোর্ধ যে কারোর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
Top
পরিমান মত নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করুন
প্রতিদিন তিনবার ভরপেট খাওয়ার চাইতে অল্প করে বেশ কয়েক
বার খান যাতে রক্তচাপ কখনো কমে না যায়। চর্বিযুক্ত
খাবার কম খান এবং জটিল ধরণের শর্করাজাতীয় খাবার বেশি
খান। যেসব খাবার থেকে আস্তে আস্তে চিনি শরীরে পৌছায়,
যেমন-বাদামি রুটি, লাল আটার রুটি, ওটমিল, লাল চাল, কম
জিআই যুক্ত চাল, শাক সবজি সেগুলোকে জটিল ধরণের শর্করা
জাতীয় খাবার বলে। আপনার মাইগ্রেইন হয়ত কখনই পুরোপুরি
ভাল হবে না, তবে কিছু বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে
জীবনের মান অনেক উন্নত হয়ে উঠতে পারে।
ডা: নাওমি মির্জা, মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ
Top
আইন কনিকা
চেক ডিজঅনার হলে
করণীয়
ব্যাংকে রাখা টাকা
তুলতে হলে গ্রাহককে চেক লিখতে হয়। সেই চেক গ্রাহক বা
অন্য কেউ ব্যাংকে দেবার পর ব্যাংক চেকে উল্লিখিত অংকের
নগদ টাকা দেয়। আধুনিককালের ক্রেডিট কার্ড এবং ক্যাশ
কার্ডকেও চেকের একটি বিশেষরূপ বলা যায়।
চেক বিভিন্নভাবে লেখা যায়:
বাহক চেক: এসব চেক যেকোন বাহক ভাঙাতে পারে।
ক্রস চেক বা একাউন্ট পেয়ী চেক: এসব চেকে প্রাপকের নাম
লিখে দেয়া হয় এবং সরাসরি তাকে টাকা না দিয়ে তার
একাউন্টে জমা করা হয়। পরে প্রাপক নিজের চেক বইয়ের
মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেন।
অগ্রিম চেক: এধরনের চেকে অগ্রিম তারিখ লিখে দেয়া হয় এবং
নির্ধারিত তারিখের আগে টাকা তোলা যায় না।
চেক ডিজঅনার হওয়া:
চেকে উল্লিখিত অংকের টাকা একাউন্টে না থাকলে ব্যাংকের
পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব হয় না এবং চেক প্রত্যাখ্যান করা
হয়, যা চেক ডিজঅনার হওয়া নামে পরিচিত।
চেক ডিজঅনার হওয়া একটি অপরাধ:
ডিজঅনার হওয়া চেকের বাহক একাউন্টধারী নিজে হলে সেটা
কোন অপরাধ নয়। কিন্তু যদি এমন হয় যে একাউন্টধারী অন্য
কাউকে চেক লিখে দিলেন এবং সেটি ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত
হল, তবে সেটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল অ্যাক্টের ১৩৮ এবং ১৩৯ নম্বর
ধারায় এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান করা হয়। পরে
২০০০ এবং ২০০৬ সালে সংশ্লিষ্ট ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা
হয়।
আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
চেক লেখার সময় থেকে ছয় মাস পর্যন্ত চেকটির মেয়াদ থাকে।
তবে মেয়াদ শেষে একাউন্টধারী তারিখ কেটে পুনরায় তারিখ
লিখে সাক্ষর করে মেয়াদ বাড়াতে পারেন।
চেক ডিজঅনার হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে একাউন্টধারীকে চেক
ডিজঅনার হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে চেকে উল্লিখিত অংকের টাকা
প্রদানের দাবি জানাতে হয়। আর ত্রিশ দিনের মধ্যে দাবি
না জানালে সেটি আইনের দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হয় না।
নোটিশ পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে একাউন্টধারীকে টাকা
পরিশোধ করতে হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।
নোটিশ জারি:
সরাসরি প্রাপক বরাবর অথবা তার সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা
কিংবা বাংলাদেশে তার ব্যবসায়িক ঠিকানা বরাবর প্রাপ্তি
স্বীকারপত্রের ব্যবস্থাসহ রেজিস্টার্ড ডাকে নোটিশ
পাঠাতে হয়।
এছাড়া অন্তত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে নোটিশটি বিজ্ঞপ্তি
আকারে প্রকাশ করতে হয়।
শাস্তি:
আইনানুসারে এক বছরের কারাদন্ড এবং চেকে বর্ণিত অংকের
তিন গুণ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অন্যান্য ফৌজদারী
মামলায় জরিমানার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়, কিন্তু
চেক ডিজঅনার মামলায় জরিমানার টাকা চেকের বাহক পান এবং
জরিমানার মাধ্যমে চেকের টাকা আদায় না হলে দেওয়ানী
মামলাও দায়ের করা যায়।
কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হলে
সংশ্লিষ্ট যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন তাকে শাস্তি ভোগ
করতে হবে।
মামলা করা:
এ ধরনের মামলা একজনের পক্ষে আরেকজন করতে পারেন না। যে
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চেক দেয়া হয়েছে কেবল তিনিই
মামলা করতে পারেন।
মামলা করার ক্ষেত্রে তারিখ খুব গুরুত্বপূর্ণ, চেক
ডিজঅনার হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠাতে হয়। নোটিশ
পাঠিয়ে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে
মামলা করতে হয়।
আপীল:
একাউন্টধারী চেকে উল্লিখিত অর্থের ৫০% পরিশোধ করতে
সক্ষম হলে আপীল করা যায় না।
যে আদালতে মামলা:
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হয় তবে বিচারের
ক্ষমতা দায়রা আদালতের।
এ ধরনের মামলা দায়ের করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন হয়:
চেক প্রদানকারীর নাম
চেক প্রদানের বা লেখার তারিখ
চেক ডিজঅনার হওয়ার তারিখ
ব্যাংক, ব্যাংকের শাখার নাম, হিসাব নম্বর, চেক নম্বর ও
টাকার পরিমাণ
কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চেক দেয়া হয়ে থাকলে
ইস্যুকারী কর্মকর্তার নাম, পদবী ও প্রতিষ্ঠানের নাম।
যে কারণে চেকটি ডিজঅনার করা হয়েছে।
চেক ডিজঅনার হওয়ার কথা জানিয়ে নোটিশ পাঠানোর প্রমাণ এবং
নোটিশ ফেরত এসে থাকলে ফেরত আসার তারিখসহ অন্যান্য তথ্য।
চেক-লেনদেনের তথ্য।
যথাসময়ে মামলা দায়ের করতে না পারলে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট
অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করতে না পারলে দন্ডবিধির
৪০৬ এবং ৪২০ ধারা অনুসারে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা যায়।
তবে এক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই। দোষী
সাব্যস্ত হলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানা হতে
পারে।
উচ্চ আদালতে মামলা কিভাবে করবেন?
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : শনিবার, ৮ আগস্ট ২০১৫
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় সুপ্রীম কোর্টই হচ্ছে
সর্বোচ্চ আদালত। অনেক দেশে সুপ্রীম কোর্টের পরও
বৃটেনের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করার সুযোগ রয়েছে। তবে
বাংলাদেশে এখন সেটা নেই।
স্প্রুীম কোর্টের দু’টি বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং
আপীল বিভাগ। পাশের দেশ ভারতে একাধিক হাইকোর্ট থাকলেও
বাংলাদেশে হাইকোর্ট একটি। এই হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপীল
বিভাগ দু’টো একই এলাকায় অবস্থিত। মানুষের মুখে মুখে যা
হাইকোর্ট নামে পরিচিত।
মামলা
উচ্চ আদালতে বিভিন্নভাবে মামলা হতে পারে। নিম্ন আদালতে
বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ
আদালতে আপীল হতে পারে, মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য
উচ্চ আদালতে আসতে পারে, আবার নিম্ন আদালতে চলমান বিচার
প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা
হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে হাইকোর্ট কোন নির্দিষ্ট মামলার ব্যাপারে
নিম্ন আদালতকে নির্দেশনা দেয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে
মামলাটিকে উচ্চ আদালতে নিয়ে আসে।
কিছু কিছু মামলা আছে যেগুলোতে সরাসরি হাইকোর্টে যেতে
হয়, যেমন: কোম্পানী সংক্রান্ত মামলা, খ্রিস্টান বিবাহ
সংক্রান্ত মামলা, এডমিরালটি বা সমুদ্রগামী জাহাজ
সংক্রান্ত মামলা।
রিট
সংবিধানের ১০২ ধারা অনুসারে যেকোন নাগরিক রিট আবেদন
করতে পারেন। রিটের বিষয়টি মামলার মত হলেও মৌলিক একটি
পার্থক্য আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন আইনের অধীনে
প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু কোন ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত
পক্ষ এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে।
বিষয়টি পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়।
আবার কেউ যদি মনে করে সরকারের প্রণীত কোন আইন প্রচলিত
অন্য আইনের পরিপন্থী বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সে
ক্ষেত্রেও আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা যায়।
অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ
মামলা দু’টিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও
সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
এডমিনিস্ট্রেটিভ আপিলেট ট্রাইব্যুনাল
সংবিধানের ১১৭ ধারা অনুসারে এডমিনিস্ট্রেটিভ
ট্রাইব্যুনাল বা প্রসাশনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
সরকারি এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও
কর্মচারীদের চাকুরি সংক্রান্ত জটিলতায় এডমিনিস্ট্রেটিভ
ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়, এরপর আপীল করতে হয়
এডমিনিস্ট্রেটিভ আপিলেট ট্রাইব্যুনালে। এই
এডমিনিস্ট্রেটিভ আপিলেট ট্রাইব্যুনালকে হাইকোর্টের
সমান মর্যাদা দেয়া হয়। কাজেই এর বিরুদ্ধে আপীল করতে হলে
হাইকোর্টে নয়, আপীল বিভাগে আপীল করতে হয়।
আপীল করা
সংবিধানের ১০৩ ধারা অনুসারে আপীল বিভাগে যাওয়ার সুযোগ
থাকে। হাইকোর্টে মামলা শেষ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে
আপীলের আবেদন করা যায়। আপীল বিভাগ মামলটিকে আপীল করার
যোগ্য মনে করলে আমলে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।
আবার কোন মামলা চলাকালে যদি হাইকোর্ট মনে করে মামলাটিতে
সংবিধানের ব্যাখ্যার বিষয়টি জড়িত, তবে হাইকোর্ট বিভাগও
মামলাটিকে আপীল বিভাগে পাঠাতে পারে।
লিভ টু আপীল
হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া রায়ে যদি আপীল করা না করা
প্রসঙ্গে কিছু উল্লেখ না থাকে, তবে প্রথমে আপীল বিভাগে
আপীলের আবেদন করতে হয়। এই আবেদনকেই লিভ টু আপিল বলে।
আবেদনকারী কি যুক্তিতে আপীল করতে চাইছে এসময় সেটা তুলে
ধরতে হয়। আপীল বিভাগ আপীলের যোগ্য মনে করলে নিয়মিত
মামলা হিসেবে সেটিকে গ্রহণ করে।
জামিন এবং আগাম জামিন
যদি কোন মামলায় নিম্ন আদালত জামিন দিতে অস্বীকৃতি
জানায়, তবে উচ্চ আদালত জামিন আবেদন বিবেচনা করে
জামিনের নির্দেশ দিতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট
মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে থাকে, যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি
জামিনে বেরিয়ে আসার সুযোগ পান।
সাধারণত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আগাম জামিনের সুবিধা পান।
যদি কেউ আশংকা করে যে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা
হতে পারে, তবে তিনি আগেভাগেই হাইকোর্টে আগাম জামিনের
আবেদন করতে পারেন।
হাইকোর্ট গুরুত্ব বুঝে আগাম জামিনের নির্দেশ দিতে
পারেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা
করা গেলেও ঐ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা যায় না।
Top
|
|