           
 
|
Cover October 2015
English Part
October 2015
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
মানবাধিকার
রিপোর্ট অক্টোবর
২০১৫
অক্টোবর ’১৫ মাসে মোট হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১৫৯ জন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপ
অক্টোবর ২০১৫ সালের অক্টোবর ২০১৫‘ মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ১৫৯টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
অক্টোবর ২০১৫ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে ৫ জনের
অধিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক
দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল
কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুণ্যের কোঠায়
নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে
প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই
কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা
সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৫ সালের অক্টোবর‘১৫ মাসে হত্যাকান্ডের
শিকার হয় ১৫৯ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৮ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৭ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৩৬ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৩ জন, আইন শ"ংখলা বাহিনীর হাতে
হত্যা ৭ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৪ জন, চিকিৎসকের
অবহেলায় মৃত্যু ১৬ জন, গুপ্ত হত্যা ৯ জন, রহস্যজনক
মৃত্যু ৩৭ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৪ জন, অপহরণ হত্যা ৬
জন, সাংবাদিক হত্যা ১ জন, এসিড হত্যা ১ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ২১২ জন এবং আত্মহত্যার শিকার ২৭ জন।
অক্টোবর ২০১৫ মাসে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার
মধ্যে যৌতুক নির্যাতন ৫ জন, ধর্ষণ ৩৪ জন, যৌন নির্যাতন
৬ জন এবং এসিড নিপে ৫ জন।
বিশ্ব
মানবাধিকার দিবস, “মানবাধিকার মিশন” এবং মানবতাবাদী/Humanist
লেখার সিদ্ধান্ত
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম গতিশীল করার
লক্ষ্যে কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিুউল্লেখিত
বিষয়গুলো কমিশনের জাতীয় সদরসহ সকল শাখা পর্যায়ে
বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছেঃ
১। আগামী ১০ই ডিসেম্বর ২০১৫ইং জাতিসংঘ ঘোষিত ৬৭তম
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় সদর দপ্তর, মহানগর,
জেলা, উপজেলা, থানা এবং পৌরসভা শাখাসহ বহিবির্শ্বের
শাখাগুলোও একযোগে দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচী হিসেবে র্যালী,
মানববন্ধন, সেমিনার, আলোচনা সভা, নাট্যানুষ্ঠান,
রক্তদান কর্মসূচীসহ উল্লেখিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন
করে দিবসটি পালন করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
২। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিটি মহানগর এবং
জেলা নির্বাহী কমিটির প থেকে ‘মানবাধিকার মিশন’ নামে ৬
থেকে ১০ সদস্যের একটি মিশন সাব-কমিটি গঠন করতে অনুরোধ
করা যাচ্ছে। প্রতিটি মিশন কমিটিতে কমপক্ষে ২ জন মহিলা
সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মিশন কমিটি নিজ নিজ
জেলার উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলোর কার্যক্রম গতিশীল
করার লক্ষ্যে উপজেলা ও পৌরসভা এলাকাগুলো পরিদর্শন, সে
স্থলে আলোচনা সভার আয়োজন করার ল্েয কমপক্ষে ৩ দিন
উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় রাত্রিযাপন করবেন। যে সকল
উপজেলা ও পৌরসভায় কমিশনের শাখা নেই সেস্থলে নতুন কমিটি
গঠন, শাখাগুলোতে লিগ্যাল এইড/সালিশী কার্যক্রম চালু করা
এবং কমিশনের কার্যক্রম গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
মানবাধিকার মিশন কমিটি উপজেলা/ পৌরসভা শাখা পরিদর্শনের
পূর্বেই তাদের একটি কর্ম তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের
নিকট ভ্রমণের পূর্বে পাঠাতে হবে। মহানগর/ জেলা শাখার
নির্বাহী কমিটি মানবাধিকার মিশন পরিচালনার ব্যয় অনুদান
ও চাঁদার মাধ্যমে গ্রহণ করে খরচ বহন করবেন।
৩। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কর্মীদের নিজস্ব
পরিচিতির জন্য সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মীদের
নামের পূর্বে বাংলায় ‘মানবতাবাদী’ ইংরেজীতে 'Humanist'
লেখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কমিশনের জাতীয় সদর দপ্তর
বিশ্বাস করে এই পত্র পাওয়ার পর কমিশনের সর্বস্তরের
সদস্যগণ তাদের নামের পূর্বে মানবতাবাদী শব্দটি ব্যবহার
করবেন, যাতে করে বাংলাদেশ মানাবধিকার কমিশনের সদস্যদের
পরিচয় সহজেই বুঝা যায়।
৪। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সকল মহানগর, জেলা,
আঞ্চলিক, উপজেলা, থানা এবং পৌরসভা শাখার নির্বাহী কমিটি
প্রতি মাসে একবার করে সভা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া উক্ত সভায় শাখার লিগ্যাল এইড কার্যক্রম বিষয়ে
পর্যালোচনা এবং গতিশীল করার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা
গ্রহণ আবশ্যক। যে সকল শাখা পরপর তিন মাস মাসিক সভা
করবেন না তাদের কার্যক্রম নেই বলে বিবেচিত হবে।
নোয়াখালী আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫
মানবাধিকার রিপোর্টঃ আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ রোজ
শনিবার সকাল ৯:৩০টায় নোয়াখালী আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫ নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর
নোয়াখালী তথা ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলার সকল
উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার কর্মীরা
সম্মেলনে যোগ দিবেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন নোয়াখালী
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মানবতাবাদী অধ্যক্ষ কাজী রফিক
উল্লাহ। নোয়াখালী জেলা শাখা সম্মেলন বাস্তবায়নের
দায়িত্ব পালন করবেন।
কুমিল্লায় মানবাধিকার
কমিশনের সমন্বয় সভা
মানবাধিকার রিপোর্ট বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা
জেলা শাখা এবং মহানগর শাখার উদ্যোগে কুমিল্লায় আগামী
১১ ডিসেম্বর বিকেলে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা এবং মহানগর শাখার নির্বাহী কমিটির সদস্য
এবং সকল উপজেলা ও পৌরসভা শাখার সভাপতি এবং সাধারণ
সম্পাদকগণ এই সমন্বয় সভায় যোগ দিবেন। কুমিল্লা আঞ্চলিক
সমন্বয়কারী মানবতাবাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির
মোহন সভায় সভাপতিত্ব করবেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশনের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার সভায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
যশোর
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫
মানবাধিকার রিপোর্টঃ আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ রোজ
শুক্রবার সকাল ৯:৩০টায় যশোর আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫ যশোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর যশোর
তথা যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ এবং নড়াইল জেলার সকল উপজেলা,
পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার কর্মীরা সম্মেলনে যোগ
দিবেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন যশোর আঞ্চলিক
সমন্বয়কারী মানবতাবাদী লাইজু জামান। যশোর জেলা শাখা
সম্মেলন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
কুষ্টিয়া
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫
মানবাধিকার রিপোর্টঃ আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রোজ
শনিবার সকাল ৯:৩০টায় কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫ কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর
কুষ্টিয়া তথা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর জেলার
সকল উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার কর্মীরা
সম্মেলনে যোগ দিবেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন কুষ্টিয়া
আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মানবতাবাদী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল
মান্নান। কুষ্টিয়া জেলা শাখা সম্মেলন বাস্তবায়নের
দায়িত্ব পালন করবেন।
বগুড়া আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫
মানবাধিকার রিপোর্টঃ আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রোজ
শুক্রবার সকাল ৯:৩০টায় বগুড়া আঞ্চলিক মানবাধিকার
সম্মেলন-২০১৫ বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর
বগুড়া তথা বগুড়া, জয়পুরহাট এবং নওগাঁ জেলার সকল উপজেলা,
পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার কর্মীরা সম্মেলনে যোগ
দিবেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বগুড়া আঞ্চলিক
সমন্বয়কারী মানবতাবাদী রাজকুমার আগরওয়াল। বগুড়া জেলা
শাখা সম্মেলন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
রংপুর
আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫
মানবাধিকার রিপোর্টঃ আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রোজ
শনিবার সকাল ৯:৩০টায় রংপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫
রংপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহত্তর রংপুর তথা রংপুর
মহানগর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা এবং
লালমনিরহাট জেলার সকল উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড
শাখার কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিবেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব
করবেন রংপুর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মানবতাবাদী এডভোকেট
জিয়াউল হাসান জিয়া। রংপুর জেলা এবং রংপুর মহানগর শাখা
সম্মেলন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
Top
ঢিল ছুড়ে উন্নয়নের গতি রোধ করা
যাবে না:
প্রধানমন্ত্রী

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বার্থান্বেষী
মহল নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে দেশের অগ্রগতি ও
উন্নয়নের প্রয়াস নস্যাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু দেশে
অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারের উন্নয়নকাজ স্থবির করা যাবে
না।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে
পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্পের (প্রথম
পর্যায়) উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা
বোমা মেরে ও ঢিল ছুড়ে উন্নয়নের গতি রোধ করা যাবে না।’
ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ যাত্রীদের
স্বস্তির জন্য কেনা সরকারি-বেসরকারি বাস তারা জ্বালিয়ে
দিয়েছে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে তারা এখন
পরিকল্পিতভাবে বিদেশি নাগরিক হত্যায় নেমেছে এবং
স্থানীয় লোকজনকে খুন করে দেশকে পঙ্গু করার তৎপরতা
চালাচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর হোতাদের
সম্পর্কে মানুষ এখন সম্পূর্ণ অবগত।
স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ঢাকা ওয়াসার
ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ম্যা
মিংকিয়াং, প্রকল্পটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চীনের
সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান
লু ইয়ান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এ মালেক অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চীনের আর্থিক সহায়তায় ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে
মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় পদ্মা পানি
শোধন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) নির্মিত হবে। এখানে দৈনিক
৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা
গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্প শেষ হবে।
ওয়াসা সূত্র জানায়, ঢাকার মিটফোর্ড, নবাবপুর, লালবাগ,
হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও সংলগ্ন এলাকায়
পানির চাহিদা মেটাতে এই পানি সরবরাহ করা হবে। নগরের
পানি সংকট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা
উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও তিনটি ওয়াটার
ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। নগরের
ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ধলপুর (সায়েদাবাদ ৩য় পর্যায়),
নারায়ণগঞ্জের চর গন্ধপপুর এবং সাভারের তেতুলঝরায় এই
প্ল্যান্টগুলো নির্মিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো শেষ হলে ঢাকা
মহানগরের ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা ৮০ ভাগ কমবে
এবং পরিবেশগত দিক থেকে ঢাকা শহর আরও নিরাপদ ও টেকসই হবে।
বর্তমানে ওয়াসার ৭২ শতাংশ সরবরাহ আসে ভূগর্ভস্থ উৎস
থেকে।
পরে প্রধানমন্ত্রী সোনারগাঁও হোটেল থেকে মোবাইল অ্যাপস
ব্যবহার করে মুন্সিগঞ্জে পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধন
প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর
উন্মোচন করেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় নেতা ও
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা
বলেন।
Top
মানুষের
নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ: খালেদা জিয়া

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, মানুষের
জানমালের নিরাপত্তা দিতে এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ
হয়েছে। আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সমগ্র জাতি আজ এক
শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিপতিত হয়ে পড়েছে। গত ৩১ অক্টোবর
রাত সোয়া ১০টায় বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনের
সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব
কথা বলেন।
জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিনকে কুপিয়ে হত্যা
এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির
কর্ণধার আহমেদুর রশীদসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায়
দেশের অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গভীর শঙ্কাও
প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। বিবৃতিতে খালেদা জিয়া দুটি
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেন, নিহত ফয়সাল
আরেফীন (দীপন) জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ছিলেন
এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত একজন নিবেদিত
সংগঠক ছিলেন। তিনি নিহত ফয়সালের বিদেহী আত্মার
মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের
প্রতি সমবেদনা জানান।
Top
যুক্তরাজ্য ছাড়ছে মালালা

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
রাজনীতিতে উ”চতর ডিগ্রি লাভের জন্য যুক্তরাজ্য ছেড়ে
ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবচেয়ে কম
বয়সী নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের সোয়াত
এলাকায় তালেবান জঙ্গিদের গুলিতে মাথায় আঘাত পাওয়া
মালালা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান।
বর্তমানে তিনি সপরিবারে সেখানেই অবস্থান করছেন। সানডে
টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সী মালালা
ইতোমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ার আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে
এসেছেন। তার পিতা জিয়াউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,
মালালার জন্য প্রধান সমস্যা হলো সেখানকার আবহাওয়া। তিনি
বলেন, ‘সেখানে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিনই গরম থাকে, যা
যুক্তরাজ্যে ভাবাই যায় না।’
মালালা বর্তমানে বার্মিংহামে ইতিহাস, অংক, ধর্ম ও
ভূগোল বিষয়ে এ-লেভেল করছেন। এ- লেভেল শেষ করেই তিনি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তবে পড়াশোনার জন্য
স্ট্যানফোর্ড তার প্রথম পছন্দ হলেও পছন্দের তালিকা থেকে
তিনি অক্সফোর্ডকেও বাদ দেননি। এর মধ্যেই তিনি
ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্লস স্কুলের একজন শিক্ষককে সঙ্গে
নিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয়ও ঘুরে এসেছেন। পড়াশোনা শেষ করার
পর পাকিস্তানে ফিরে আসতে চান মালালা এবং রাজনীতির সঙ্গে
সম্পৃক্ত হতে চান। তার এই আকাক্সক্ষা পূরনের জন্য
অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে ডিগ্রি
নেওয়াটাও মন্দ হবে না। তার পিতা সানডে টাইমসকে বলেছেন,
‘মেয়ে একদিন আমাকে স্কুলে ডেকে বললো আমি খেলতে যাচ্ছি।
আমি স্কার্ফ খুব পছন্দ করি। কিন্তু খেলার সময় এটা পরা
একটা সমস্যা। আমি তাকে বললাম এটা তোমার স্কার্ফ। তোমার
ভালো লাগলে পরবে, ভালো না লাগলে পরবে না।’
Top
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সমন্বয় সভা
অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কমিটি গঠনের
লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৭ অক্টোবর জ্যাকসন্স
হাইটস্থ ইত্যাদি পার্টি হলে। নিউ ইয়র্ক সফরে আসা
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি সিলেট জেলা ও
বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিনিধি ড.
আর কে ধর উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরীফ লস্কর, মোঃ কামাল
পাশা, মোঃ জসিম উদ্দিন, এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু, মীনা
ইসলাম, মোঃ আনিসুর রহমান, মনিকা রায়, অরূপ সায়াম চৌধুরী,
আমিনুল হক (আনাম), আজহারুল কবির চৌধুরী (সাজু), আবদুল
মালিক, সাঈদ সোহেল, মো: জামান, মোঃ লাইজুজ্জামান,
রাজশ্রী ধর শুভ্র, শাহেদ মিয়া, মোঃ সালাউদ্দিন,
জনার্ধন চৌধুরী, মেহের চৌধুরী, প্রমুখ।
ড. আর কে ধর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানবিক
কর্মকান্ড গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও বিষয়সমূহ সমন্ধে
বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও
দলমত নিবিশেষে একযোগে সকল অন্যায়, জুলুম নির্যাতনের
বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে ও প্রতিবাদ করতে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশনে নাম তালিকা ভুক্ত করে মানবাধিকার
রক্ষায় এগিয়ে আসুন। সভায় উপস্থিত সকলেই আগামি
কিছুদিনের মধ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন
করে নিউ ইয়র্কে মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম শুরু
করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
Top
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের
ফাঁসি স্থগিত করার আহ্বান ইইউ’র
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডের বিধান রহিত এবং
দন্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করার আহ্বান
জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন-ইইউ। ইউরোপ দিবস ও মৃত্যুদ
বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে
ঢাকায় ইইউভুক্ত মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা
এই আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে ইইউ নীতিগত
বিরোধিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করছে। ইইউ মনে করে
মৃত্যুদন্ড একটি অমানবিক ও অপ্রয়োজনীয় শান্তি।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এটি অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক নয়।
কোনো আইনি ব্যবস্থাই ত্রুটিমুক্ত নয়। মৃত্যুদন্ড
প্রদানের ক্ষেত্রে যেকোনো ভুল বিচার নিরপরাধ জীবনের
মর্মান্তিক ক্ষতি করতে পারে। সব মানুষের মানবাধিকারের
চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই বেঁচে
থাকার মৌলিক অধিকার থেকে রাষ্ট্র কাউকে বঞ্চিত করতে
পারে না। বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে
মৃত্যুদন্ড রোহিত করা বা এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করার
একটি ধারা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও বেশ কিছু সংখ্যক দেশ
তাদের আইনি ব্যবস্থায় মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছে, যা
আশঙ্কাজনক। বিশ্ব থেকে মৃত্যুদন্ডের বিধান বিলুপ্ত
করার জন্য ইইউ সম্ভব সব পস্থায় কাজ করে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, ইইউ আশা করে মানবাধিকার কাউন্সিলের
সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মৃত্যুদন্ড রোহিত ও
দন্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখার জাতিসঙ্ঘের
প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে এবং
বিশ্বে মৌলিক অধিকার ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় অবদান
রাখবে।
ফরিদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশে আইনের শাসন এবং সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে গত ১৭ অক্টোবর ২০১৫ ফরিদপুর আঞ্চলিক
মানবাধিকার সম্মেলন-২০১৫ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট
মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-রাজবাড়ী এলাকার সংরক্ষিত আসনের
সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী। বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার ইফতেখার
মোহাম্মদ ইকুর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন
কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব ড. সাইফুল
ইসলাম দিলদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন মোঃ আজম খান মহাপরিচালক, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট
ফরিদপুর, জেলা প্রশাসক সার্বিক আব্দুর রশিদ, কমিশনের
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ডাঃ আনোয়ার ফরাজী ইমন,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হক, কানাইপুর ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বিলায়েত হোসেন, কমিশনের
বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা মোঃ নাসির উদ্দিন।
ফরিদপুর আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলনে ফরিদপুর,
গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর জেলার
সহস্রাধিক মানবাধিকার কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও দেশের
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানবাধিকার কর্মীগণ এই সম্মেলনে
যোগ দেন।
জ্বিন-ভুত নামানোর নামে বৃটেনে বাড়ছে শিশু নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জ্বিন-ভূত তাড়ানোর নামে বৃটেনে শিশু নির্যাতন বাড়ছে।
বিবিসির এক অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এবছর এখন পর্যন্ত এমন
বিশ্বাস সম্পর্কিত ৬০ টি ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে
এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৩ ও ৪৬। তবে পুলিশের ধারণা
তাদের জানার বাইরেও এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটে। এ ধরনের
অপরাধ দমনে লন্ডনে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী কাজ করছে।
এ বাহিনীর নাম ‘প্রজেক্ট ভায়োলেট’। প্রতিবেদনে,
নাইজেরিয়া থেকে বৃটেনে আসা এক শিশুর ঘটনা তুলে ধরা হয়।
ওই শিশুকে ২০০৭ সালে বৃটেনে আনা হয়েছিল। এক আত্মীয়ের
বাড়িতে কাজ করতো সে। ওই বাড়ির কোন বাচ্চা অসুস্থ হলে
দায়ি করা হতো তাকে। পরে ওই পরিবারটি শিশুটিকে ডাইনি
আখ্যা দিয়ে তাকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাকে
শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে প্রতিবেশী এক নাইজেরিয়ান
মহিলার হাত ধরে মেয়েটি ওই বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয়।
সে জানায়, তথাকথিত সমস্যার চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয়
গির্জাতেও নিয়ে যাওয় হয়েছিলো। সেখানে তাকে ঝাড়– দিয়ে
পেটানো হয়। প্রজেক্ট ভায়োলেটের এক কর্মকর্তা টেরি
শার্প জানান, ৯ বছরের এক বালককে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা
হয়েছিল। তাকে তার পিতামাতা ‘শয়তান শিশু’ (ডেভিল চাইল্ড)
বলে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এ
ধরনের অপরাধের সংখ্যা এখনও খুব কম। তবে এটা
উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে যা আশঙ্কাজনক।
Top
টেকনাফে
মানবপাচার ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা
সমাধানের দাবিতে মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক সম্মেলন
অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা
টেকনাফের উপর দিয়ে ব্যাপক মানব পাচার, মাদকদ্রব্য
পাচার এবং রোহিঙ্গাদের অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশের
প্রতিবাদে গত ১০ অক্টোবর ২০১৫ সকাল থেকে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন জাতীয় সদর দপ্তর এবং টেকনাফ আঞ্চলিক
শাখার উদ্যোগে টেকনাফ গ্রীন গার্ডেন অডিটোরিয়ামে
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধকার সম্মেলন-২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহস্রাধিক
মানবাধিকার কর্মী এই সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য খোরশেদ
আরা হক। সম্মেলন উদ্বোধন করেন কমিশনের মহাসচিব ড.
সাইফুল ইসলাম দিলদার। টেকনাফ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি
মনোয়ারা বেগম মুন্নীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় সমন্বয়কারী
সেতারা গাফফার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি এমএ
সোহেল আহমেদ মৃধা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আবু
হাসনাত চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি
মোহাম্মদ জোবায়ের, চট্টগ্রাম উত্তর শাখার সভাপতি মোঃ
নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর,
কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পদাক রফিক মাহমুদ প্রমুখ।
সম্মেলনের সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবনায় অবিলম্বে
টেকনাফে আরও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে
আরও অধিক পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েনের দাবি
জানানো হয়। এছাড়া টেকনাফে একটি সেনাবাহিনী ক্যাম্প
স্থাপনেরও দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে অমানবিকভাবে
মানবপাচার রোধ, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবাধে
মাদকদ্রব্য আসা বন্ধ করার বিষয়ে সেনা সদস্য মোতায়েনের
উপর জোর দেয়া হয়। প্রস্তবনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
জাতিসংঘ হাই কমিশন ফর রিফিউজি (টঘঐঈজ) এর নির্দিষ্ট
এলাকার বাহিরে যাওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে কঠোরতম
নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানানো হয়। যাতে কোন
রোহিঙ্গা সদস্য যেতে না পারে তা নিশ্চিত করার জোর দাবি
জানানো হয়। সম্মেলনে মানবপাচারের বিরুদ্ধে, মাদকদ্রব্য
পাচারের বিরুদ্ধে এবং রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে কক্সবাজার
এবং টেকনাফে ব্যাপক প্রচারণা করার বিষয়ে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
Top
যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের উপ-হাইকমিশনার এলিসন ব্লেককে
বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য
সরকার। যুক্তরাজ্যের ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস সোমবার
এক বার্তায় এই
Top
বিদেশী নাগরিক
হত্যার প্রতিবাদে মানবাধিকার কমিশনের মানববন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিদেশি নাগরিকদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের
দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা। ৬ অক্টোবর
২০১৫ সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্মুখে
শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কমিটির সমন্বয়কারী
নাছির উদ্দিন মন্টু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস
শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. মাহবুবুর
রহমান ইসমাইল, কল্যাণী সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক
ডা. জি.এম. জব্বার চিশতি, কমিশনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর
শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শিশু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক
মোঃ সানোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন,
সদস্য মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আব্দুল বাতেন, মোঃ আশরাফ
উদ্দিন আহমেদ, মোঃ সায়হাম, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ
আব্দুল কুদ্দুস মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা অনতি বিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও উপযক্ত
বিচারের দাবী করেন। জাকির আহমেদ খান বলেন, হত্যাকারীরা
দেশ ও জাতির শত্র“ এদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া উচিত হবে
না। আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
করতেই এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক
মহলে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখতে এই হত্যাকান্ডের
সাথে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক আইনী প্রক্রিয়া শাস্তি
নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের হত্যাকান্ড আর যাতে
দ্বিতীয়বার না ঘটে সে ব্যাপারে সরকারের গোয়েন্দা
সংস্থাসহ সকল সংস্থাকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে।
Top
ঐক্যের ডাক সু চির

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের রাখাইন
রাজ্যে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালেন বিরোধীদলীয়
নেত্রী অং সান সু চি। সু চির এই নির্বাচনী সফর রাখাইন
রাজ্যের সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু
মুসলিমদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
সুচি গত ৭ অক্টোবর সেখানকার থ্যানদোয়ে শহরে সমাবেশে
বক্তব্য দেন। এখানেই ২০১৩ সালে দাঙ্গায় অন্তত ছয়জন
মুসলিম প্রাণ হারান। তবে সেই দাঙ্গা নিয়ে গতকালের
সমাবেশে কোনো কথা বলেননি সু চি। তিনি বলেন, জাতিগত ও
ধর্মীয় বঞ্চনার হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা জরুরি।
এ দেশের সব মানুষকে এক হতে হবে। একে অপরের প্রতি ঘৃণা
ও ভীতি কোনো সুফল বয়ে আনে না।
২০১২ ও ২০১৩ সালে বিভিন্ন সময় রাখাইন রাজ্যে কট্টর
বৌদ্ধরা স্থানীয় মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা
চালায়। এখনো পর্যন্ত সেখানে নানা বৈষম্যের শিকার
মুসলিমরা। রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন
চললেও এ বিষয়ে হতাশাজনক নীরবতার জন্য আন্তর্জাতিক
মহলের সমালোচনার মুখে পড়েন সু চি। কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা
সু চিকে সংখ্যালঘুদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে করে।
নির্বাচনের আগে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের না চটানোর নীতিই
সু চির নীরবতার কারণ বলে মনে করা হয়।
সমাবেশে সু চি স্থানীয় মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের
লোকজনের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। সু চির দল ক্ষমতায়
এলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে কী করবে
এমন প্রশ্ন করেন এক মুসলিম ব্যক্তি। জবাবে সু চি বলেন,
তাঁর দল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। এক বৌদ্ধ ব্যক্তি
প্রশ্ন করেন, এমন গুজব রটেছে যে সু চির দল ক্ষমতায় এলে
মুসলিমরা দেশের ক্ষমতা পাবে। এর জবাবে সু চি বলেন, এ
ধরনের প্রশ্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতাকে উসকে দেবে। গত
৭ অক্টোবর থ্যানদোয়ে শহর এবং আশপাশের গ্রামগুলো থেকে
হাজার হাজার মুসলিম সমাবেশে যায়। সু চির দল ন্যাশনাল
লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবারের নির্বাচনে যে ১
হাজার ১০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে, এর মধ্যে একজন মুসলিমও
নেই। তবু সমাবেশে আসা মুসলিমদের অনেকেই সু চির প্রতি
তাদের সমর্থনের কথা জানায়। এদের একজন ওয়েন নাইং (৪১)
বলছিলেন, ‘আমাদের আশা ছোটই। আমাদের সমান অধিকার নেই।
আমি আশা করি মা সু চি নির্বাচনে জিতলে আমরা আমাদের
অধিকার ফিরে পাব।’
Top
হঠাৎ সফরে মধ্যপ্রাচ্যে বান কি মুন

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ইসরায়েল
ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করার
চেষ্টা হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা ছাড়াই ওই
অঞ্চল সফর করেন। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে
সহিংস বিরোধ চলছে।
ফিলিস্তিনি জনপদে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের জবাবে
স্থানীয় তরুণেরা পাল্টা লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সহিংসতা বর্জন
করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার আগে বান কি মুন
শান্তিপূর্ণ বক্তব্য দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আসুন সবাই বলি, যথেষ্ট হয়েছে।’
ইসরায়েলে ইহুদিদের ওপর সম্প্রতি ছুরিকাঘাতসহ কয়েকটি
হামলা হয়েছে। এ অবস্থায় জার্মানিতে চলতি সপ্তাহেই
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বৈঠকের কথা রয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল সহিংসতা দমনের নামে পশ্চিম তীরে
একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং
হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেনেভায় ভাষণ দেবেন আব্বাস: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট
মাহমুদ আব্বাস আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের শীর্ষ
মানবাধিকার পরিষদে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র
মিকেলে জাকেও গতকাল এ কথা জানিয়ে বলেন, এটা কোনো বিশেষ
অধিবেশন নয়, বরং এক ঘণ্টার একটি সভা মাত্র। এর আগে এ
ধরনের বিশেষ সভা হয়েছে মাত্র একবার।
Top
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খাগড়াছড়ি
পৌরসভা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ২৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ৪টায় পৌরসভা মিলনায়তনে
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খাগড়াছড়ি পৌরসভা শাখার
উদ্যোগে ‘পৌরসভা সম্মেলন’ ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. রফিকুল
আলম, মাননীয় মেয়র, খাগড়াছড়ি পৌরসভা। আরও বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবতাবাদী এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন
কবীর, সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি
জেলা শাখা, মানবতাবাদী নিগার সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা,
মানবতাবাদী ইলিয়াছ-উজ-জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা,
মানবতাবাদী সুলতান আহম্মদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা,
মানবতাবাদী ফিরোজ আহম্মদ, সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার
কমিশন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শাখা, মানবতাবাদী আরিফুল
ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শাখা, মানবতাবাদী মনছুর আলী লিডার,
সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, মাটিরাঙ্গা পৌর
শাখা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবতাবাদী মংসাউ মারমা,
আহ্বায়ক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি পৌর শাখা।
উক্ত সভায় সকল অতিথিদের উপস্থিতিতে ২১ (একুশ) সদস্য
বিশিষ্ট বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খাগড়াছড়ি পৌর শাখা
গঠন করা হয়খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় মানবাধিকার কর্মে অনন্য
অবদান রাখায় মো. রফিকুল আলম, মাননীয় মেয়র, খাগড়াছড়ি
পৌরসভা ও মানবতাবাদী এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন কবীর, সভাপতি,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা,
মানবতাবাদী নিগার সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা, মানবতাবাদী
ইলিয়াছ-উজ-জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ
মানবাধিকার কমিশন ব্যাক্তিদ্বয়কে খাগড়াছড়ি পৌরসভা
শাখার পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
সভায় মানবাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন বক্তা মানুষের মৌলিক
অধিকার সম্পর্কে আলোকপাত করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার
রক্ষায় সকল মানবাধিকার কর্মীকে সচেষ্ট থাকার জন্য
উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। নবগঠিত মানবাধিকার কর্মীদের
সঠিকভাবে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার জন্য সকলের
প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
Top
ড.
ইউনূস বিশ্বের ৯ম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি

মানবাধিকার
রিপোর্টঃ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর জরিপ মতে নোবেলজয়ী ডঃ ইউনুস
বিশ্বের ৯ম শ্রদ্ধাভাজন বা আদরণীয় ব্যাক্তি হিসেবে
নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিশিষ্ট বাংলাদেশী আবারো বয়ে
আনলেন সম্মান দেশের জন্যে।
Top
গৃহকর্মী সুরক্ষা
নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে ডিসেম্বরে
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আগামী ডিসেম্বরে গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা চূড়ান্ত হবে
বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রইালয়ের
প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। মন্ত্রিসভায় এই
নীতিমালা অনুমোদিত হলেই এই বিষয়ে আইন তৈরি হবে। আর এই
নীতিমালা চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের ৩০ লাখ গৃহকর্মী
তাদের মজুরি, কল্যাণ ও অন্যান্য সুবিধা পাবে।
দুর্ঘটনায় গৃহকর্মীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, প্রতি মাসের
৭ তারিখের মধ্যে মজুরি পরিশোধ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও
অসুস্থ হলে নিয়োগকারীর খরচে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করা
হয়েছে। তবে নীতিমালায় তাদের মজুরি হার নির্ধারণের কথা
বলা হয়নি। লিখিত চুক্তি ও থানায় ছবি জমা দেয়া
বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়নি।
নীতি বাস্তবায়নে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র বা ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সুধীসমাজ ও স্থানীয়
অধিক্ষেত্রে কর্মরত সরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে
প্রয়োজনীয় সংখ্যক দল গঠন করে পরিদর্শন কার্যক্রম চালানো
যাবে। পরিদর্শনদল নির্যাতন, অশালীন বা অমানবিক আচরণের
খবর পেলে পরিদর্শন করবে। দৈবচয়নের ভিত্তিতেও পরিদর্শন
করতে পারবে তারা। মনিটরিং সেল থাকবে সিটি করপোরেশন ও
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে।
গৃহকর্মে নিয়োজিত সকল ব্যক্তির সুরক্ষা ও কল্যাণের
নিমিত্তে গৃহকর্মকে শ্রম হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা
প্রদান, গৃহকর্মীদের জন্য শোভন কাজ ও নিরাপদ
কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্রাম-বিনোদন-ছুটিসহ
নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারসমূহ
প্রতিষ্ঠার্থে তাদের স্থায়ী ঠিকানা ও কর্মস্থলের তথ্য
হালনাগাদকরণ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে
গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালায়।
বাংলাদেশের ব্যক্তিমালিকানাধীন গৃহ, মেস, ডরমিটরি
প্রভৃতি যে সব কর্মস্থলে গৃহকর্মীগণ পূর্ণকালীন বা খ
কালীন গৃহকর্মে নিয়োজিত থাকেন; এ নীতিমালা বিশেষভাবে
গৃহকর্মী, নিয়োগকারী ও তার পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট
সকল ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং আইন-শৃঙ্ঘলা
রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী
নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, এ
নীতির মাধ্যমে গৃহকর্মীরা স্বীকৃতি পাবে। তবে
গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে অবশ্যই আইন করতে হবে।
এই নীতি কার্যকর হলে গৃহকর্মী নির্যাতনের মাত্রা কমবে।
গৃহকর্মীদের অধিকারের ক্ষেত্রটিও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মজুরি ঠিক হবে নিয়োগকর্তা ও
গৃহকর্মীর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে। পূর্ণকালীন
গৃহকর্মীর মজুরি যাতে পরিবারসহ মর্যাদার সঙ্গে
জীবনযাপনের উপযোগী হয় তা নিয়োগকর্তাকে নিশ্চিত করতে হবে।
গৃহকর্মীর ভরণপোষণ, পোশাক-পরিচ্ছদ দেয়া হলে তা মজুরির
অতিরিক্ত গণ্য হবে। খ কালীন গৃহকর্মীর মজুরি কাজের ধরন
বা সময় অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। গৃহকর্মীর বয়সের
ক্ষেত্রে শ্রম আইন-২০০৬ কার্যকর হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর
বয়সী গৃহকর্মী নিয়োগ করতে হলে তার আইনগত অভিভাবকের
সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে। তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে
নিয়োগের ধরন, মজুরি, বিশ্রামের সময় ও ছুটি, কাজের ধরন
এসব বিষয় ঠিক করতে হবে। ১২ বছর বয়সী শিশুকে নিয়োগ করলে
তার পড়ালেখা যাতে বিঘ্নিত না হয় তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরো বলা হয়েছে, সন্তানসম্ভবা গৃহকর্মীর ছুটি হবে ১৬
সপ্তাহ এবং ওই সময় তাকে বেতন দিতে হবে। গৃহকর্মীকে
অব্যাহতি দিতে চাইলে বা গৃহকর্মী কাজ ছেড়ে দিতে চাইলে
এক মাস আগে জানাতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দিলে
এক মাসের মজুরি দিতে হবে।
নীতিমালায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন বা গৃহকর্মীর অপরাধ ও
অসদাচরণে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ
ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত আইন প্রযোজ্য হবে। গৃহকর্মীকে
যৌন নির্যাতন অথবা শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মামলা
সরকারি ব্যয়ে পরিচালিত হবে।
Top
জরুরী প্রয়োজনে পাওয়া যায়
হেলিকপ্টার

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বাংলাদেশেও এখন জরুরি প্রয়োজন, রোগী পরিবহন কিংবা শখের
ভ্রমণে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্তু কোথা
থেকে কিভাবে ভাড়া নেবেন হেলিকপ্টার? আর ভাড়াই বা কত?
এসব খোঁজখবর জানাচ্ছেন ইফতেখার শুভ
দেশে বেশ কয়েকটি কম্পানি রয়েছে, যারা বাণিজ্যিকভাবে
হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়। এসব হেলিকপ্টার সাধারণত তিন থেকে
সাতজন যাত্রী পরিবহন করে। কম্পানিভেদে হেলিকপ্টার
ভাড়ার তারতম্য রয়েছে।
বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস্ লিমিটেড
বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস্ লিমিটেডের ছয়জন যাত্রী
বহনে সক্ষম বেল-৪০৭ হেলিকপ্টারের জন্য ভাড়া গুনতে হবে
প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ টাকা। আর তিনজন যাত্রী বহনে সক্ষম
রবিনসন আর-৪৪-এর ভাড়া ঘণ্টাপ্রতি ৬০ হাজার টাকা। সব
ভাড়ার সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সংযুক্ত করতে হবে।
যোগাযোগ-বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস্ লিমিটেড ৬৮/১
গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১
ঢাকা। ফোন: ৯৮৮৫৭৭১-২, ৯৮৫৬৯৬৩-৪ স্কয়ার এয়ার লিমিটেড
স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের ছয়জন যাত্রী বহনে সক্ষম বেল-৪০৭
হেলিকপ্টারের ভাড়া প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।
আর চারজন যাত্রী বহনে সক্ষম রবিনসন আর-৬৬-র ভাড়া
ঘণ্টাপ্রতি ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি ঘণ্টায় ভূমিতে
অপেক্ষমাণ চার্জ ছয় হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রতি
ফ্লাইটে ইনস্যুরেন্স খরচ দুই হাজার টাকা।
যোগাযোগ- স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, স্কয়ার সেন্টার, ৪৮
মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৩১৮৫৩৫২
সিকদার গ্রুপের তিনটি হেলিকপ্টার আছে হল বেল-৪০৪, আর-৬৬
ও আর-৪৪ সাত সিটের হেলিকপ্টার ভাড়া ঘণ্টায় এক লাখ ১৫
হাজার টাকা। তিন সিটের ভাড়া ঘণ্টায় ৭২ হাজার টাকা।
সঙ্গে ভ্যাট ১৫ শতাংশ। প্রতি ঘণ্টায় ভূমিতে অপেক্ষমাণ
চার্জ দিতে হবে সাত হাজার টাকা। যোগাযোগ-সিকদার গ্রুপ
রাজ ভবন, দ্বিতীয় তলা, ২৯ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা,
ঢাকা। ফোন : ৯৫৫০২৭১ সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্
সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ সাধারণ কাজের জন্য হেলিকপ্টার
ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু সিনেমার শুটিং,
লিফলেট বিতরণসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য ভাড়া ৩০
শতাংশ বেশি। ভূমিতে অপেক্ষমাণ চার্জ প্রতি ঘণ্টার জন্য
পাঁচ হাজার টাকা। এ ছাড়া পুরো খরচের ওপর ১৫ শতাংশ হারে
ভ্যাট দিতে হয়। এই কম্পানি থেকে ন্যূনতম ৩০ মিনিটের
জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া যায়। জ্বালানি খরচ,
ইনস্যুরেন্সসহ বাকি সব কিছু কম্পানিই বহন করে থাকে।
যোগাযোগ-সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ লিমিটেড টাওয়ার হেমলেট
১৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ০২
৯৮৮০৪৯৬ ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড
ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড থেকে সর্বনিম্ন ১ ঘণ্টার
জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে ৬ আসনবিশিষ্ট ইসি ১৩০বি-৪
হেলিকপ্টার। প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে এক লাখ টাকা।
সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। ভূমিতে প্রতি ঘণ্টার জন্য
চার্জ ৫ হাজার টাকা। যোগাযোগ- ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন
লিমিটেড ৪০ শহীদ তাজউদ্দীন সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা। ফোন:
০১৭২৯২৫৪৯৯৬
আরো যাদের বাণিজ্যিক ব্যবহারের হেলিকপ্টার আছে
পিএইচপি গ্রুপ, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, বিআরবি কেব্ল্,
মেঘনা গ্রুপ, ইয়াং ইয়াং (আরিয়ান) গ্রুপ, এমএস বাংলাদেশ
প্রভৃতি।সাধারণ নীতিমালা
সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় হেলিকপ্টার
চার্জের ৫০ ভাগ পরিশোধ করে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হয়
হেলিকপ্টার উড্ডয়নের আগে। হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ৪৮ ঘণ্টা
আগে সিভিল এভিয়েশনকে জানাতে হয়। কারণ হেলিকপ্টারের
নির্দিষ্ট কোনো রুট নেই। এ কারণে কোনো হেলিকপ্টার আকাশে
উড্ডয়ন করলে টাওয়ারকে প্রস্তুত রাখতে হয়, যাতে সহজে
যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তবে জরুরি হলে ৫, ১০, ১৫
মিনিট এমনকি এক ঘণ্টার মধ্যেও অনুমতি দেওয়া হয়।
Top
কন্যাশিশুর জন্য চাই বৈষম্যহীন পরিবেশ
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোন রূপ বৈষম্য না করে; কন্যাশিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ
সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন,
কন্যাশিশুদের প্রতি গুরুত্ব না দিলে ভারসাম্য সমাজ
প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কন্যাশিশুরা বড় হয়ে শুধু দেশে
নয়; সারাবিশ্ব নেতৃত্ব দেবে। তাছাড়া কন্যাশিশুদের
কিশোরী বয়সে বেশি নজর দিতে হবে, কারণ তারা পরিনত বয়সে
গর্ভধারণ করবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও কন্যাশিশু
এডভোকেসি ফোরামের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু
একাডেমি ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৫ পালন করে। ‘কন্যাশিশু
নিরাপদ পরিবেশ, সমৃদ্ধ করবে বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্য
নিয়ে, বেলুন উড়িয়ে কন্যাশিশু দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা
করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
মেহের আফরোজ চুমকি। এরপর কন্যাশিশুদের শোভাযাত্রায় অংশ
নেন তিনি। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরি থেকে
শুরু হয়ে শিশু একাডেমিতে শেষ হয়। এরপর শিশু একাডেমি
মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও শিশুদের
অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিক্ষা, পুষ্টি, খাদ্য থেকে
যেন কন্যাশিশুদের বঞ্চিত করা না হয় এবং শিক্ষার
ক্ষেত্রে তারা যেন বৈষম্যের শিকার না হয়। কারণ এমডিজি
অর্জন করার জন্য সকলের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জনসংখ্যার ৪৫ভাগ শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের
নিচে। আমরা এমডিজি অর্জন করেছি। তবে এখনো ৩৫ লাখ শিশু
ঝুকিতে আছে। তাদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, কন্যাশিশুদের কিশোরী বয়সে বেশি নজর দিতে হবে,
কারণ তারা গর্ভধারণ করবে। তিনি কন্যাশিশুর প্রতি
সবধরনের সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের
সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, প্রত্যাশা, অর্জন ও
প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কন্যাশিশুর নিরাপত্তা
সুদৃঢ় করতে হবে, যেটা প্রত্যাশিত। কন্যাশিশুর জন্য
নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে
দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম
মজুমদার বলেন, সমাজের অর্ধেক নারী, সেই অর্ধেক অংশকে
বঞ্চিত রেখে কোন জাতি অগ্রসর হতে পারে না। পুষ্টির
দুষ্টচক্র ভেঙ্গে বাল্যবিয়ে বন্ধে দায়িত্বশীল হওয়ার
আহবান জানান তিনি। সভাপতির বক্তব্যে শিশু একাডেমির
পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, কন্যাশিশুরা বড় হয়ে
নেতৃত্ব দেবে। যেমন আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী,
স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী সবাই নারী তারা নেতৃত্ব
দিচ্ছেন। আজকের শিশুরা শুধু বাংলাদেশেই নেতৃত্ব দেবে
না তারা সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দেবে।
এভারেস্ট জয়ী এম এ মুহিত বলেন, প্রতিটি শিশু প্রতিভা
নিয়ে জন্মায়। তবে শিশুদের সেই প্রতিভা বিকাশের সুযোগ
দিতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে, সন্তাদের প্রতি
কোনকিছু চাপিয়ে না দেয়ার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে
কন্যাশিশুর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা বন্ধে
সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে
কন্যাশিশুকে রক্ষা, তাদের জন্য সম্মানজনক শিক্ষা এবং
তাদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার
করা হয়। অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিয়োগিতায় দুইটি বিভাগে মোট
ছয়জন শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে আজ
১৩ অক্টোবর ‘স্বল্প সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু
সমাবেশ। ১৪ অক্টোবর ‘স্বল্প সুবিধাভোগী, শ্রমজীবী শিশু,
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অধিকার বিষয়ক কার্যক্রম’।
১৫ অক্টোবর ‘প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ক কার্যক্রম’। ১৬
অক্টোবর ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের
সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
Top
প্রথম নারী
প্রেসিডেন্ট পেল হিমালয়কন্যা নেপাল

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নেপালের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন
বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। দেশটির পার্লামেন্টে গতকাল
বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইনপ্রণেতা ও সাবেক
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিদ্যা ৩২৭ ভোট পান। খবর এএফপির।
বিদ্যা দেবী ভান্ডারির প্রতিদ্বন্দ্বী কুল বাহাদুর গুরুং
২১৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। হিমালয় অঞ্চলের দেশটিতে
প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের আলংকারিক প্রধান মাত্র। নেপালের
রাজনীতিতে নারীর উপস্থিতি বিরল।
তরুণ বয়সেই বিদ্যা দেবী ভান্ডারির রাজনৈতিক জীবন শুরু
হয়। তাঁর স্বামী ও কমিউনিস্ট রাজনীতিক মদন ভান্ডারি
১৯৯৩ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
ক্ষমতাসীন দল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল)
উপপ্রধান বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট
রামবরণ যাদবের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
গত ১৬ অক্টোবর অনসারি ঘারতি মাগার নেপালের প্রথম নারী
স্পিকার নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্পিকার
নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় আক্রান্ত
নেপালে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত মাসে ঐতিহাসিক নতুন
সংবিধান গৃহীত হয়।
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
অভিভাবকসহ
শিশুদের শপথ ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার
১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়-এমন শপথ নিয়েছেন শিশু ও
অভিভাবকেরা। এ ছাড়া নড়াইল ও পিরোজপুরেও এ উপলক্ষে নানা
কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
মেহেরপুর: সকালে মেহেরপুরের গাংনী জোড়পুকুরিয়া
মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন স্কুলের
শিশুশিক্ষার্থীরা অভিভাবকসহ হাজির হয়। সেখানে ৬৫০ কন্যা
শিশু ও তাদের অভিভাবকেরা ১৮ বছরের আগে কন্যা শিশুদের
বিয়ে নয়-এই শপথ নেন। এ সময় উপস্থিত ৫০০ ছেলেশিশুও
বাল্যবিবাহ না করার অঙ্গীকার করে।
জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ওই
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি
ও সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি শুধু
বাল্যবিবাহমুক্ত নয়, মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অশিক্ষা,
কুশিক্ষা, যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন, অ্যাসিড
নিক্ষেপ, অপরাজনীতি ও সব পঙ্কিলতামুক্ত দেশ গড়তে
উপস্থিত সবাইকে শপথ পড়ান।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি
ফোরাম মেহেরপুরের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন
জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের কান্ট্রি
ডিরেক্টর মাবুদ হাসান, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
রাহাত মান্নান প্রমুখ।
বদিউল আলম মজুমদার দিবসটি প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর
প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০০ সালে এই দিবসটি সরকার
জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ৩০ অক্টোবর
দেশব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হতো। দু-তিন বছর আগে
জাতিসংঘ এ দিবসটি বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস হিসেবে পালনের
ঘোষণা দিলে এখন ১১ অক্টোবর এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন জানান, জেলায় ৭১
শতাংশ কন্যা শিশুর বাল্যবিবাহ হয়। তাই গাংনী উপজেলার
৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে চিহ্নিত করে সেসব বিদ্যালয়ের
কন্যা শিশুদের এই শপথের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যান্য
উপজেলাতেও এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নড়াইল: জেলা প্রশাসন ও মহিলা-বিষয়ক অধিদপ্তর এ উপলক্ষে
জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও স্বেচ্ছাসেবী
মহিলা সংগঠনের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ
শরীফ। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক সুবাস বোস,
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম নাজিম উদ্দিন,
জেলা মহিলা-বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, জাতীয়
মহিলা সংস্থার সভাপতি সৈয়দা জাহানারা ওয়াহিদ,
প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির প্রমুখ।
সভা শেষে ৩৫টি মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে
বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদ থেকে পাওয়া মোট ৬ লাখ ৯৫
হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহরের শহীদ
মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে
শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে
জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর
রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি
ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী।
বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ, সরকারি
মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,
জেলা শিশু-বিষয়ক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
যৌতুক না পেয়ে
গৃহবধূকে নির্যাতন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
রংপুরের বদরগঞ্জে যৌতুক দিতে না পারায় রেহেনা বানু
(৩০) নামের এক গৃহবধূকে সারা রাত লাঠি দিয়ে পেটানোর
অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে গতকাল
রোববার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা
হয়।
ওই ঘটনায় গৃহবধূ স্বামী হোসেন আলীসহ (৩৫) সাতজনের নােম
বদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার গোপীনাথপুর বাবুপাড়া
গ্রামের দিনমজুর নুর ইসলামের মেয়ে রেহেনার সঙ্গে ১১
বছর আগে একই উপজেলার রামনাথপুর পাঠানপাড়া গ্রামের
হোসেন আলীর বিয়ে হয়।
রেহেনা বানু অভিযোগ করেন, প্রায় রাতেই জুয়া খেলে বাড়িতে
আসেন তাঁর স্বামী। নেশাও করেন। শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে
যৌতুক হিসেবে আরও এক লাখ টাকা আনতে বলেন রেহেনাকে। রাজি
না হওয়ায় ঘরের দরজা বন্ধ করে সারা রাত পেটান। স্ত্রীকে
মারধরের কথা স্বীকার করলেও যৌতুকের দাবিতে তাঁকে
পেটাননি বলে জানান হোসেন আলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক
চিকিৎসক সাদিকুর রহমান বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরে গুরুতর
জখম রয়েছে।
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে
হত্যার চেষ্টা
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নওগাঁ জেলা সদরে যৌতুকের জন্য নাসিমা আক্তার (২৩)
নামের এক গৃহবধূকে গত শনিবার রাতে তাঁর স্বামী পুড়িয়ে
হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল
রোববার সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
নাসিমা আক্তারের ডাকনাম নাইস। হাসপাতালের খাতায় সেই
নামই লেখা হয়েছে। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ১০ নম্বর
শয্যায় তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সারা গা আগুনে
ঝলসে গেছে। মুখের চামড়া ঝলসে সাদা হয়ে গেছে। দুই হাত ও
দুই পায়ে ব্যান্ডেজ জড়ানো হয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিজভী জানিয়েছেন, আগুনে
নাসিমার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে নাসিমার বাবা আবদুল গাফফার বলেন, তাঁদের বাড়ি
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গাদোঘাট গ্রামে। তাঁদের
একমাত্র সন্তান নাসিমা। নাসিমার স্বামী রুবেল হোসেনের
(৩০) বাড়ি একই উপজেলার কু ুগ্রামে। প্রায় ১০ বছর আগে
নাসিমার সঙ্গে রুবেলের বিয়ে হয়। নাসিমা তখন সপ্তম
শ্রেণিতে পড়তেন। রুবেল হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক
ছিলেন। তা ছেড়ে দিয়ে মসজিদের ইমামতি শুরু করেছিলেন। সব
ছেড়ে চার-পাঁচ মাস আগে তিনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন।
নওগাঁয় রুবেলের বোনের বাড়ি রয়েছে। তিনি নওগাঁ জেলা সদরে
প্লাস্টিকসামগ্রীর দোকান করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তাঁর
মেয়ের কাছে যৌতুক দাবি করলে দোকান করার জন্য তিনি দুই
লাখ টাকা দেন। এর আগেও দুই দফায় রুবেলকে ৭০ হাজার টাকা
দিয়েছেন। নওগাঁয় দোকান করার পরে তাঁরা সেখানেই একটি
ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁদের ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
শনিবার রাত একটার দিকে নাসিমাদের ভাড়াবাড়ির মালিক তাঁকে
ফোন করে জানান, তাঁর মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন
ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর
স্ত্রী সকালে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান। সেখানে মেয়ে
তাঁদের বলেছেন, তাঁর স্বামী ব্যবসা বড় করার জন্য আরও
১০ লাখ টাকা চাইছিলেন। এ কথা নাসিমা তাঁদের জানাননি।
এই ক্ষোভে রুবেল নাসিমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে
দেন। ঘরের ভেতরে আগুন বুঝতে পেরে বাড়িওয়ালা স্থানীয়
লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করলে রুবেল দরজা খুলে
দেন। পরে রুবেল ও তাঁর বোনসহ স্থানীয় লোকজন নাসিমাকে
প্রথমে নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই
রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে তাঁরা থানায়
মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাসিমার মা মর্জিনা বেগম বলেন, তিনি এসে রুবেল এবং
তাঁর বোনকে হাসপাতালে পেয়েছেন। তাঁকে দেখার পর তাঁরা
পালিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে একাধিকবার রুবেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ
করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
হাইওয়ে পুলিশ অসহায়!
কুমিল্লায় হত্যা
মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় তিনজনকে হত্যা করার অপরাধে
চার ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদ দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ
আদালতের বিচারক মো. নবাবুর রহমান গত ১১ অক্টোবর এ রায়
দেন।
দন্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন দেবীদ্বারের এলাহাবাদ
গ্রামের নোয়াব মিয়া, একই উপজেলার হারসার গ্রামের
খোরশেদ আলম, মোখলেছুর রহমান ও অহিদুর রহমান। তাঁদের
মধ্যে অহিদুর ও খোরশেদ পলাতক আছেন। আদালত দ প্রাপ্ত
ব্যক্তিদের সবাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ ও ১০ হাজার
টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাঁদের আরও ছয় মাসের সশ্রম
কারাদ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় নোয়াব ও মোখলেছুর আদালতে
উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৯
সেপ্টেম্বর রাতে একদল ডাকাত দেবীদ্বারের হারসার
গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাসের ঘরে হামলা চালায়। এ সময়
ডাকাতদের চিনে ফেলায় তারা দুলাল চন্দ্র দাস, তাঁর মেয়ে
আঁখি রানী দাস ও মা চারুবালা দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরদিন চারুবালার ভাইয়ের ছেলে সুনীল চন্দ্র পাল
অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে দেবীদ্বার থানায় একটি
হত্যা মামলা করেন।
রায় দেওয়ার সময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম
চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।
যশোরে কয়েদির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
বিজয়কুমার (৪২) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। তিনি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের ভজহরির
ছেলে। কারাগারের ডেপুটি জেলার তানিয়া সুলতানা জানান,
রোববার দুপুরের দিকে বিজয় বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায়
রোববার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত
ডাক্তার আবদুর রশিদ জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায়
বেলা সোয়া ১২টায় বিজয়কে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন
অবস্থায় সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সালের একটি হত্যা
মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ হয় বিজয়ের। ১৯৯৮ সালের ২৭শে
অক্টোবর থেকে তিনি জেল খাটছিলেন। বিজয়ের লাশ পরিবারের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার
তানিয়া সুলতানা।
কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ
সোমবার সকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু
হয়েছে। নিহতের নাম শাহজাহান মোল্লা (৪৫)। তিনি
গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার রাউনাট গ্রামের মো. মমতাজ
উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
ওই কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, সকাল
পৌনে ৭টার দিকে শাহজাহান মোল্লা কারা অভ্যন্তরে হঠাৎ
বুকে ব্যথ্যা অনুভব করেন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া
হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৭টার দিকে শাহজাহান
মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, কাপাসিয়া থানার
একটি খুনের মামলায় সশ্রম যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে
শাহজাহান ২০০৬ সালের ১৮ মার্চ থেকে এ কারাগারে বন্দী
ছিলেন।
প্রবাসীর স্ত্রী
হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার দায়ে
তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে
মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় ঘোষণা
করে। দ প্রাপ্তরা হলো, সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের
মিয়ারুল ইসলাম, কাবিদুল ইসলাম ও সেন্টু মিয়া। তিনজনকেই
কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আবুল বাসারের স্ত্রী
রাশেদা বেগম মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় ভাড়া বাসায়
বসবাস করতেন। ২০১০ সালে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে
লাশ গুম করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের নামে সদর থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে
উদ্ধার হওয়া মোবাইলের সিম কার্ডের সূত্র ধরে ওই তিনজনকে
গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই বছরের ১০ মে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলীর আদালতে হত্যাকাে র
স্বীকারোক্তি দেয় কাবিদুল ও সেন্টু। একই বছরের ২৮
আগষ্ট তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়
পুলিশ। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ওই রায়
প্রদান করে।
রূপগঞ্জে পথে পথে পুলিশের চাঁদাবাজি,
যাত্রী ভোগান্তি
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা
বাইপাস সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় ও রেকার লাগিয়ে
গাড়ি প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত টাকা আদায়সহ
বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে।
যানবাহন থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি,
মহাসড়কে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা, মহাসড়কে যানবাহন
বিকল হয়ে পড়া ও নিয়ম ভঙ্গ করে যানবাহন চলাচলসহ বিভিন্ন
কারণে যানজটের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে পাঁচরুখী ও ঢাকা
বাইপাস সড়কে মাঝিপাড়া থেকে বস্তল পর্যন্ত প্রায় ৩০
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। গভীর
রাতে কিছুটা কমে আসলেও সকালে বেলা বাড়ার সাথে সাথে
যানজটের পরিধি আরো বাড়তে থাকে। ফলে যানজটে আটকা পড়ে শত
শত নারী ও শিশু অশেষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ ধরনের চাঁদার বিষয় অস্বীকার করে ট্রাফিক পুলিশের
ইন্সপেক্টর বেনজির আহাম্মেদ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেব
কুমার, আব্দুল আজিজ বলেন, আইন ভঙ্গকারী, কাগজপত্র সঠিক
না পেলে ও বিকল হওয়া যানবাহনে রেকার লাগানো হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে অপরাধ বিবেচনা করে মামলা দেয়া হয়। এছাড়া ঈদকে
সামনে রেখে চোরাই ও অবৈধ মালামাল বহন রোধে যানবাহনের
কাগজপত্র দেখা ও তল্লাশি করা হচ্ছে।
কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যের
প্রতিবাদ পুলিশের
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গত ২৯ অক্টোবর একটি দৈনিকে প্রথম পৃষ্ঠায় ‘কাশিমপুর
কারাগারে নানা অনিয়ম’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে
কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যের কিছু অংশের প্রতিবাদ
করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
প্রতিবাদে বলা হয়, প্রতিবেদনের একটি অংশে কারা
মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার
উদ্দিনের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি
কারাগারের অনিয়মসংক্রান্ত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের
জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ও বিষোদ্গার
করেছেন; যা অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত।
প্রতিবাদে বলা হয়, পুলিশ ছাড়াও কয়েকটি সরকারি সংস্থা
নানা বিষয়ে সরকারের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করে
থাকে। আলোচ্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন সম্পর্কে পুলিশ অবহিত
নয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে
অনুমানভিত্তিক মন্তব্য করা দুঃখজনক। এতে আরও বলা হয়,
কারা মহাপরিদর্শক ‘কারা প্রশাসনে পুলিশ এসে দায়িত্ব
নিতে চাচ্ছে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অত্যন্ত
আপত্তিকর, ভিত্তিহীন ও অশোভনীয় মন্তব্য। দায়িত্বশীল পদে
আসীন ব্যক্তিরা দায়িত্বশীল বক্তব্য দেবেন, এটাই কাম্য।
কাশিমপুর
কারাগারে নানা অনিয়ম
মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎকোচ, অনিয়ম, অনৈতিক কার্যক্রম
ও কারাবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে কাশিমপুর কারাগারে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে ছয়টি গুরুতর অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসব অনিয়মের মধ্যে আছে উৎকোচের বিনিময়ে সাজাপ্রাপ্ত
আসামিদের প্রিজন ভ্যানের বদলে বেসরকারি বিলাসবহুল
মাইক্রোবাসে করে আনা-নেওয়া, আসামির স্বজনদের কাছ থেকে
অবৈধ সুবিধা নেওয়া, যাচাই-বাছাই না করে দুর্র্ধষ
আসামিদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করিয়ে দেওয়া, বন্দীদের
নির্যাতন এবং নির্যাতনের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে তা
স্বজনদের দেখিয়ে অর্থ আদায়।
Top
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
পুরুষত্বহীনতা,
উচ্চ রক্তচাপ, বাত ও গ্যাস্ট্রাইটিস একেবারে নির্মূল
করার মহৌষধ
মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লামাদের প্রাচীন ভেষজ ওষুধ নানা প্রকার তরুণ এবং
ক্রনিক বা জটিল রোগই সারিয়ে তুলতে পারে। বিশ্বের তাবৎ
বিজ্ঞানীরাই স্বীকার করেছেন। সে রকমই একটি ভেষজ রেসিপি-র
সন্ধান মিলেছে তিব্বতের একটি বৌদ্ধমঠে। রেসিপি-টি
প্রায় ৫ হাজার বছরের প্রাচীন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে,
এই মিশ্রণটি ৫ বছরে একবার করে খেলেই ফুসফুসের যে কোনও
রোগ, পুরুষত্বহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, বাত ও
গ্যাস্ট্রাইটিস একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে। ৫ হাজার বছর
আগের প্রাচীন এই মহৌষধের গুণাগুণ দেখে চোখ কপালে
বিজ্ঞানীদের। দাবি একটি ওয়েবসাইটের।।
প্রাচীন ভেষজ রেসিপি-টি সাড়া ফেলে দিয়েছে তামাম
দুনিয়ায়। কী দিয়ে তৈরি ওই প্রাচীন মিশ্রণ, যা ৫ বছরে
একবার খেলেই নিরোগ হয়ে যাবে শরীর? বাড়িতেও এই মিশ্রণটি
তৈরি করা যায় খুব সহজেই। কী ভাবে?
উপকরণ :-
সাডে ৩০০ গ্রাম খোসা সমেত রসুন
২০০ মিলিগ্রাম অ্যালকোহল বা রাম
মিশ্রণ :- প্রথমে রসুন ভালো করে থেঁতো করে নিতে হবে।
তার সঙ্গে অ্যালকোহল বা রাম মিশিয়ে নিন। পুরো মিশ্রণটি
একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে রাখতে হবে। ১০ দিন ওই
মিশ্রণ রাখার পর তৈরি তরলটি একটি আলাদা পাত্রে ঢেলে
রাখুন। এরপর ওই তরল ফ্রিজে টানা ২ দিন রাখতে হবে। এই
মিশ্রণ ১২ দিনের ওষুধ।
কী ভাবে খেতে হবে :- প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও
ডিনারের আগে এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা ফেলে পানিটি
খেয়ে নিলেই কেল্লাফতে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভেষজ
মিশ্রণ ওয়েট লস করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি চোখের
দৃষ্টি ও শ্রবণ ক্ষমতাও বাড়ে।
সতর্কতা :- তবে ব্রেকফাস্টের আগে এক ফোঁটা, লাঞ্চের আগে
দু‘ফোঁটা ও ডিনারের আগে তিন ফোঁটা এই ভাবে খেলে কিন্তু
হিতে বিপরীত হবে।
নির্দেশনা :- অনেকেই প্রশ্ন করেন অ্যালকোহল বা রাম
কোথায় পাওয়া যায়। আপনি যেকোন পাইকারী হোমিও ঔষধ
বিক্রেতাদের কাছ থেকেই কিনে নিতে পারবেন। তবে
হোমিওপ্যাথিতে এটি জঝ নামে পরিচিত। তবে ইসলাম ধর্মে
অ্যালকোহল হারাম হওয়ায়, সেক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে কোন
আপনার সমস্যার কথা একজন আলেম ব্যক্তির সাথে আলোচনা করে
নিন।
ঘাড়ব্যথা
মানেই রক্তচাপ নয়
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
ঘাড়টা টন টন করছে কয়েক দিন ধরে। মাথার পেছন দিকটায়
ব্যথা। কেউ কেউ বলেন, রক্তচাপ বেড়ে গেলে এমন হয়।
ঘাড়ব্যথা বা ঘাড়ে অস্বস্তি হলে সবচেয়ে আগে এই কথাটাই
মনে হয়। কিন্তু বিষয়টা পুরোপুরি তা নয়। কেননা, বেশির
ভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে
না। আর থাকলেও সাধারণত ঘাড়ব্যথা হয় না। কখনো কখনো
মাথাব্যথা, চোখে ঝাঁপসা দেখা, বুকে চাপ অনুভব করা
ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ
রক্তচাপ ধরা পড়ে হঠাৎ করে। রক্তচাপ মাপতে গিয়ে কিংবা
অন্য কোনো জটিলতা বা সমস্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে।
ঘাড়ব্যথা তবে কেন অন্যতম কারণ হলো বেকায়দায় বা ভুল
ভঙ্গিমায় অনেকক্ষণ ঘাড় কাত করে বা বাঁকা করে রাখা।
যেমন দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজ করা, বাঁকা হয়ে শোয়া বা
শুয়ে টিভি দেখা বা বই পড়া ইত্যাদি। এসব অভ্যাস
পরিবর্তন করলেই ঘাড়ব্যথা অনেকটা কমবে। অনেক সময়
অতিরিক্ত মানসিক চাপের প্রভাবেও ঘাড়ের মাংসপেশিতে চাপ
পড়ে এবং ব্যথা হয়। এসব কারণ ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী বা
তীব্র ঘাড়ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা সরল যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা ধরা না পড়ে, তবে
সাধারণ কিছু ব্যথানাশক ও মাংসপেশি শিথিল করার ওষুধেই
কাজ হবে। সেই সঙ্গে ঘাড়ে গরম ও ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেত
পারে। তবে ঘাড়ে মালিশ বা ম্যাসাজ, আকুপাংচার, ঘাড়ে
বেল্ট পরিধান ইত্যাদিতে আদৌ কোনো সুফল হয় কি না-তা এখনো
নিশ্চিত নয়।
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
জেনে নিন রক্তের গ্র“প
সম্পর্কে
মানবাধিকার হেলথ ডেস্ক
রক্ত হচ্ছে মানবদেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি জলীয়
উপাদান। যদি মানবদেহে রক্ত না থাকে তাহলে মানুষের
বাঁচার কোন উপায় থাকে না। কারণ রক্তের মাধ্যমেই হার্ট
সারাদেহে নানা উপাদান সরবরাহ করে। মানবদেহের বোনম্যারো
বা অস্থিমজ্জাতেই তৈরি হয় রক্ত। আর মানবদেহের অতি
প্রয়োজনীয় রক্ত নামক জলীয় উপাদানকে বিজ্ঞানীরা ভাগ
করেছেন ৪টি ভাগে। তা হচ্ছে রক্তের গ্রুপ এ, বি, এবি এবং
ও। ‘ও’ গ্রুপ হচ্ছে সবচেয়ে কমন গ্রুপ এবং শতকরা ৪৭ ভাগ
মানুষের বাড গ্রুপ হচ্ছে ও।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ১৯০১ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ১১৫
বছর আগে বিজ্ঞানী ড. কার্ল ল্যান্ড স্টেইনর রক্তের বাড
গ্রুপের শ্রেণিভাগ করেন। এই ব্লাড গ্রুপের শ্রেণিভাগ
করা হয় রেড ব্লাড সেল বা লাল রক্ত কণিকার সারফেস বা
উপরিভাগে প্রাপ্ত এন্টিজেন নামক এক ধরনের প্রোটিনের
উপস্থিতি অনুসারে। যেমন: লাল রক্ত কণিকার সারফেসে
এন্টিজেন এ পাওয়া গেলে রক্তের গ্রুপ হবে এ, এন্টিজেন
বি পাওয়া গেলে রক্তের গ্রুপ হবে বি, এন্টিজেন এ ও বি
উভয় পাওয়া গেলে রক্তের গ্রুপ হবে এবি এবং লাল রক্ত
কণিকার আবরণে এন্টিজেন এ অথবা বি কোনটাই না পাওয়া গেলে
রক্তের গ্রুপ হবে ও। এছাড়াও রক্তের আরো দুইটি গ্রুপ
রয়েছে, যেমন- এবি পজিটিভ এবং ও নেগেটিভ।
আজ আমরা ব্লাড গ্রুপ এ নিয়ে আলোচনা করবো। কিভাবে ব্লাড
গ্রুপের শ্রেণিভাগ করা হয় তা বলেছি। মনে রাখতে হবে
আরএইচ ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে এআরএইচ পজিটিভ এবং
এআর এইচ নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপও রয়েছে। বাংলাদেশে কোন
গ্রুপের কত ব্লাড রয়েছে তার কোনো যথাযথ পরিসংখ্যান নেই।
তবে ইউকের জনসংখ্যার ওপর পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী ও
এআরএইচ পজিটিভ গ্রুপ শতকরা ৩৮ ভাগ এবং এআরএইচ নেগেটিভ
গ্রুপ হচ্ছে শতকরা ৬ ভাগ। আর মানব দেহে রক্তের প্রয়োজন
হলে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের জন্য ব্লাড গ্রুপ জানা জরুরি।
যদি সঠিক বাড গ্রুপ অনুযায়ী মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন না
করা হয় তাহলে রক্তনালীর মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে ক্লট
সৃষ্টি করতে পারে, যা রোগীর মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে
পারে। তাই অবশ্যই কারও শরীরে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হলে
অবশ্যই একই গ্রুপের রক্ত হতে হবে এবং রক্ত দেয়ার আগে
অবশ্যই ক্রসম্যাচিং করে নিতে হবে। যেমন- এ গ্রুপের বাড
শুধু এ গ্রুপের রিসিপিয়েন্টদের দেয়া যাবে।
রক্ত
পরীক্ষায় জানা যাবে মৃত্যুর সময়!
নিজের অজান্তে আপনার শরীর কোনো ক্ষতিকর উপাদান তৈরি
করছে না তো? তিল তিল করে আপনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে
যাচ্ছেন না তো! এই সব চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে
কাজ কী! শুধু শুধু সাত-পাঁচ ভেবে মনটাই বা ভারী করা
কেন! এর থেকে বরং এক ফোঁটা রক্ত দিলেই তো হয়। না, রক্ত
দান করা নয়। রক্তের নমুনায় ছোট্ট একটা পরীক্ষা করান আর
বিনিময়ে জেনে নিন আগামী ১৪ বছর আপনার জীবন কতটা
সুরক্ষিত।
সম্প্রতি জার্নাল সেল সিস্টেমে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ অ্যান্ড
ওয়েলফেয়ার এবং মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন
বিজ্ঞানী যৌথভাবে রক্তের নমুনা নিয়ে গবেষণা চালান।
তাতেই এমন তথ্য হাজির করেছেন তারা।
কীভাবে? ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়।
প্রত্যেকের থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বিজ্ঞানীরা দেখেন, অনেকের ক্ষেত্রেই রক্তে গ্লাইসিএ
নামে মলিকুলার বাইপ্রোডাক্ট বা উপজাত পদার্থ রয়েছে।
রক্তে উচ্চ মাত্রায় গ্লাইসিএ’র উপস্থিতি ক্ষতিকর। যা
অতি মাত্রায় সক্রিয় অনাক্রমতা বা দেহে দীর্ঘ কাল বাসা
বেঁধে থাকা সংক্রমণের দিকেই নির্দেশ করে। আর রক্তে
গ্লাইসিএ’র পরিমাণ দেখে সহজেই এক জনের বর্তমান অবস্থা
সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ধারণা মেলে মৃত্যু থেকে আপনি
কত দূরে। -আনন্দবাজার পত্রিকা
৬টি প্রধান কারণে
মানুষের কিডনিতে পাথর হয়
ইদানিং প্রায়ই দেখা যায় অনেক মানুষ কিডনিতে পাথর জনিত
সমস্য নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসছে। কিডনি হচ্ছে আমাদের
দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ। আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি
তার পুষ্টি সরাসরি আমাদের দেহে ছড়ায় না। বরং খাবার
গ্রহনের পর তার একটি অংশ কিডনি থেকে রক্তে যায়। এবং
রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে সঞ্চালিত হয়। এছাড়াও শরীরে
জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনিতে।
কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে
কিডনিতে পাথর হওয়া। কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা বেশ
মারাত্মক একটি সমস্যা। তাই এখনই জেনে নিন, ঠিক কোন কোন
কারণে মানুষের কিডনিতে পাথর হয়।
১) লেবু জাতীয় খাবার খুব কম খাওয়া
লেবু, কমলা, মালটা ইত্যাদি ধরণের পরঃৎঁং ফল কম খাওয়ার
কারণে কিডনিতে পাথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের
ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা
করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ধরণের ফল অবশ্যই
খাবেন। যদি তেমন কিছু নাও পান তাহলে পানিতে লেবু চিপে
পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা পরিমিত পর্যায়ে।
২) পালং শাক বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশী খাওয়া
পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট
দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় এবং মূত্রনালির
মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এতে করে দেহে অক্সালেটের মাত্রা
বেড়ে যায় যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। এছাড়া
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি
বৃদ্ধি করে। খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম না থাকা এবং
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর
জমার সম্ভাবনা প্রায় ২০% বৃদ্ধি পায়।
৩) অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া
অনেকেই খাবারে অনেক লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে
পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার
সম্ভাবনা বাড়ে।
৪) মাইগ্রেনের ঔষধ ও ব্যথা নাশক ঔষধ
যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন তারা অতিরিক্ত
মাথাব্যথার থেকে মুক্তি পেতে ঔষধ সেবন করেন। কিন্তু এই
ঔষধের সবচাইতে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিডনিতে
পাথর জমার সম্ভাবনা। কারণ এই ধরণের ঔষধ মূত্রনালির
পিএইচ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে যা কিডনিতে পাথর জমতে
সহায়তা করে।
৫) অতিরিক্ত সোডা অর্থাৎ কোমল পানীয় পান করা
অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল পানীয় পানের কারণেও কিডনিতে
পাথর জমে। এই ধরণের কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে
ফসফরাস থাকে যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে তোলে। এছাড়াও
এইধরনের অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
এই অস্বাস্থ্যকর চিনিও কিডনিতে পাথর জমার জন্য দায়ী।
৬) পরিমিত পানি পান না করা
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে
টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়।
যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে
দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে
পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।
ফলিক এসিড কোলন ক্যান্সার রোধে সহায়ক
ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি’। বর্তমানে
অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসাবে এটি
বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। দেহে অপর্যাপ্ত
মাত্রার ফলিক এসিডের কারণে সৃষ্ট ত্রুটিপূর্ণ কোষ
বিভাজন ক্যান্সার ডেকে আনে। এক সমীক্ষায় ৪০ থেকে ৫৯
বছর বয়সী ৫৬ হাজার কানাডিয়ান মহিলার খাদ্যাভ্যাস
মূল্যায়ন করা হয়। পরবর্তী ১০ বছর গবেষকরা তাদের অন্ত্র
অথবা মলাশয়িক ক্যান্সারের হার পর্যবেক্ষণ করেন। ১৯৯৩
সালের মধ্যে ৩৮৯ জন মহিলার মধ্যে অন্ত্রমলাশয়িক
ক্যান্সার ধরা পড়ে। যারা সর্বোচ্চ ২০% ক্যাটাগরিতে
ফলিক এসিড ব্যবহার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন
২০% ক্যাটাগরিতে ফলিক এসিড ব্যবহারকারীদের তুলনায় ৪০%
কম ঝুঁকিপূর্ণ অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার পরিলক্ষিত হয়।
যারা প্রতিদিন ৩৭৬ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড ব্যবহার
করেছেন তাদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে ভাল। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১৩০,০০০ ব্যক্তি অন্ত্রমলাশয়িক
ক্যান্সারে মারা যান। এটি ক্যান্সারে মৃত্যুর দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ কারণ, ফুসফুসের ক্যান্সারের মৃত্যুর পরই এর
অবস্থান। অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার সংঘটনে ভূমিকা রাখে
উচ্চ চর্বিযুক্ত ও নিম্ন আঁশযুক্ত খাবার এবং ধূমপান।
তদুপরি, মলান্ত্রের ভুক্তভোগীদের ২৫% এমন অনেকের সঙ্গে
নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট যাদের একই রোগ আছে। ফলিক এসিডের
ভাল উৎস হলো শাক, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, বাঁধাকপি, বিট,
ময়দা, সয়াবিন পূর্ণ দানাদার শস্য, ডেয়ারিজাত খাদ্য,
সাইট্রাস জাতীয় ফল অধিকাংশ মাছ, লিভার ইত্যাদি।
ডা. মোড়ল নজরুল ইসলাম
লেখক: চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
এলার্জিকে আজীবনের জন্য
গুডবাই দিন
মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয?ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই
জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায?
বিনা পয?সায? এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। যা
করতে হবে আপনাকে –
১) ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয?ে নিন।
২) শুকনো নিম পাতা পাটায? পিষে গুড?ো করুন এবং সেই গুড?ো
ভালো একটি কৌটায? ভরে রাখুন।
৩) এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের
এক ভাগ নিম পাতার গুড?া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস
পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয?ে রাখুন।
৪) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয?ে ভালো করে নাড়ুন।
৫) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং
রাত্রে শোয?ার আগে খেয?ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।
৬) কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে।
ইনশাআল্লাহ ভালো হয?ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির
জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন,
গরু, চিংড?ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।
Top
আইন কনিকা
জেনে নিন: নামজারি, পর্চা, দাগ, খতিয়ান, মৌজা,
তফসিল, দাখিলা, DCR.....দলিল কাকে বলে?
“নামজারি” কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির
নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত
করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
“জমা খারিজ”কাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে
জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির
অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ
বলে।
“খতিয়ান” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ
প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা
হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে ঈঝ, জঝ, ঝঅ এবং সিটি
জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য
প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন ঈঝ খতিয়ান,
জঝ খতিয়ান।
“পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি
মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের
প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা
রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার
পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর
খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত
খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।
“মৌজা” কাকে বলে?
যখন ঈঝ জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক
গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে
ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর
বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।
“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে।
তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ
নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য
সন্নিবেশ থাকে।
“দাগ” নাম্বার কাকে বলে?
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির
সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি
খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে
দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ
ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি
মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে
সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।
“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা
সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া
হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ
বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে
নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায়
তাকেও ছুটা দাগ বলে।
“খানাপুরি” কাকে বলে?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান
প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ
কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।
“আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি
জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর
সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির
বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের
পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
“খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি
ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।
“দাখিলা” কাকে বলে?
ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম
নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ
দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।
উঈজ কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে
নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে উঈজ
বলে।
“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব
প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার
পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
“ফারায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন
করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
“ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী
কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যুবরণ করলেতার স্ত্রী,
সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া
সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা
ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
“সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে
সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে
পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি
মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগণ উক্ত জমির
মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
“পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে
পয়ন্তি বলে।
“দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য
তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান
মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর
করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন
সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।
স্ত্রী মানসিক নির্যাতন করলে
প্রতিকার কী
আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি দেশের সেরা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে খুব ভালো ফল
করি। সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রথম শ্রেণীর চাকরিও পাই। তার
কিছুদিন পর এক মেয়েকে পছন্দ হলে আমার এক সহকর্মী ওই
মেয়ের অভিভাবকের কাছে আমার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়ের
অভিভাবক আমার চাকরি ও সামাজিক মর্যাদা দেখে পছন্দ করেন।
তাঁদের মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। তাঁরা
আমার পরিবার ও বাড়িঘর দেখার দরকার মনে করেননি। আমি
আমার দু-তিনজন নিকটাত্মীয়সহ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে বিয়ে
করে ফেলি। বিয়ের পর আমাকে সে পছন্দ করে না বলে বৈবাহিক
সম্পর্কে আপত্তি করতে থাকে। তার অন্য এক ছেলের সঙ্গে
সম্পর্কের কথা জানতে পারি। আমি তার মা-বাবাকে বিষয়টি
জানালে তাঁরা তাকে প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং পরে
এক প্রকার জোর করে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি
করেন। মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে।
কিছুদিন ফোনে ও বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগও করে। আমি
ছেলেটিকে চিনে ফেলায় এবং তাদের যোগাযোগে বাধা দেওয়ায়
আমার ওপর সে ক্ষিপ্ত হয়। ধীরে ধীরে সে তার পরিবারের
সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনে। তার পরিবারকে বোঝাল সে সংসারে
খুব মনোযোগী। বাস্তবে আমার সঙ্গে সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য
আচরণ করতে থাকে। আমার বাবা, মা ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও
খারাপ আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মা-বাবাসহ সবাই
আমাদের বাসায় আসা বন্ধ করে দেন। এমনকি তাঁদের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখলেও আমাকে সে বিভিন্নভাবে মানসিক যন্ত্রণায়
রাখে। আমাদের একটি সন্তান হয়। আমার আয় সীমিত। সন্তানের
এই দরকার, সংসারের ওই দরকার এ রকম বিভিন্ন অজুহাত
দেখিয়ে সে আমার ওপর অর্থনৈতিক চাপ দিতে থাকে। সে
সন্দেহ করে, আমি নাকি আমার মা-বাবাকে টাকা দিয়ে থাকি।
সন্দেহ দূর করার জন্য আমার বেতন-ভাতা বাবদ সব আয়ের
হিসাব তাকে দেখাই। কিন্তু কিছুতেই সন্দেহ দূর করতে পারি
না। এদিকে তার মা-বাবাকে বিষয়গুলো জানালে তাঁরা বলেন,
তোমাদের সংসার, তোমরা আলোচনা করে নাও। এভাবে ছয় বছর
কেটে গেল।
সম্প্রতি আমাকে গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য প্রচ চাপ দিতে
থাকে। আমি তাকে বলি, আমার আয় দিয়ে সংসার চালিয়ে গাড়ি
কেনা সম্ভব নয়। সামাজিক দিক বিবেচনা করে ও সন্তানের
দিকে তাকিয়ে সবকিছু নিজের মধ্যে চেপে রাখি। কী করব
বুঝতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো মানসিক
রোগী হয়ে যাব। পত্রিকায় শুধু নারী নির্যাতন ও যৌতুকের
কথা লেখা হয়। সমাজে যে কত পুরুষ স্ত্রী দ্বারা
মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়, তা কোনো দিন লেখা হয় না।
পুরুষের আয় জেনেও সাধ্যের বাইরে বিভিন্ন জিনিসের জন্য
ঝগড়া ও মানসিক নির্যাতন করলে এটাকে কি যৌতুক বলা যায়
না একজন নারী দ্বারা যে পুরো একটা পরিবার বৃদ্ধ
পিতা-মাতা (ছেলের) নির্যাতিত ও অবহেলিত হয়, তা কখনো
কেউ লেখালেখি করে না। এ রকম ক্ষেত্রে একন পুরুষের কী
করা উচিত আইনে কি প্রতিকারের পথ আছে?
নাম-ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ: প্রথমত বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে
আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করুন।
স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। যদি এতে কাজ না হয় তাহলে
দুজনে বিচ্ছেদ চান কি না সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত আপনার কাছে যদি বিয়ে ভাঙার শর্তে কোনো অন্যায়
দাবি-দাওয়া করে তাহলে এটিও ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন
অনুযায়ী যৌতুক হিসেবে গণ্য হতে পারে। এ আইনে যৌতুক শুধু
স্বামীই দাবি করবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। যে কোনো পক্ষ
দাবি করার কথা বলা আছে। তাই স্বামীও তার স্ত্রীর
বিরুদ্ধে এই আইনে প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে আপনার
স্ত্রীর দাবি যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে কি না তা
পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
আইনীবী ও মানবাধিকারকর্মী
Top
|
|