           
 
|
Cover February
2015
English Part
February 2015
Top
Bangla Part
নারী ও শিশু সংবাদ
পুলিশ ও কারাগার সংবাদ
স্বাস্থ্য সংবাদ
আইন কনিকা
বিবিধ সংবাদ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের
অনুসন্ধান রিপোর্ট
ফেব্র“য়ারি ‘১৫ মাসে মোট
হত্যাকান্ডের শিকার ৪৯৮ জন
বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার
শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের
ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপ
অনুযায়ী ২০১৫ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে সারা দেশে মোট
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ৪৯৮টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড
অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই
হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফেব্র“য়ারি মাসে গড়ে প্রতিদিন
হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ১৮ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও
সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের
কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে
হত্যাকান্ড কমিয়ে শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক
রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে
অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের
ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভগের জরিপে
দেখা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্র“য়ারি ‘১৫ মাসে
হত্যাকান্ডের শিকার ৪৯৮ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ০৯ জন, পারিবারিক
সহিংসতায় হত্যা ২৭ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ১৮ জন,
রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৭২ জন,
আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৪ জন, বিএসএফ কর্তৃক
হত্যা ৬ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৩৪ জন, গুপ্ত
হত্যা ৪ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ২৯ জন, ধর্ষণের পর হত্যা
০৫ জন।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায়
মৃত্যু ১৮৪ জন, আতœহত্যার শিকার ৩৮ জন।
ফেব্র“য়ারি ২০১৫ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য
ঘটনার মধ্যে ধর্ষণ শিকার ১২ জন এবং যৌতুক নির্যাতনের
শিকার ১ জন।
Top
‘পানি এলে ইলিশও
যাবে’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে
গতকাল শনিবার একান্ত বৈঠকের পর মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত
করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইলিশে আপ্যায়িত মমতা
ব্যানার্জি তার রাজ্যের মানুষের জন্য বাংলাদেশের ইলিশ
মাছ না পাওয়ার প্রসঙ্গ তুললে তাকে তিস্তা নদীতে পানি
সংকটের কথা জানিয়ে দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে বলেন, মমতা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন
পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশ খুব কম পাচ্ছি। জবাবে
প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, পানি আসলে ইলিশও যাবে।
প্রধানমন্ত্রী উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানান,
মমতার জন্য গণভবনে মধ্যাহ্ন ভোজে ইলিশের পাশাপাশি ছিলো
রসমালাই ও মিষ্টি দই। ভোজের শুরুতেই স্মোকড ইলিশ (ভাপা
ইলিশ), ওনিয়ন রিং, ক্যাপসিকাম এবং বন রুটি ও মাখন
পরিবেশন করা হয়। মূলপর্বে কালি জিরা চালের ভাত,
বিভিন্ন সবজি, চিংড়ির মালাইকারি, রূপচাঁদা ভাজা, ইলিশ
ভাজা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশের ডিম ভাজা, চিতল মাছের কোপ্তা,
রুই মাছ, খাসির রেজালা ও হাড়ছাড়া মুরগির মাংসের কারি
পরিবেশন করা হয়।
গণভবনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির
সম্মানে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যহ্ন
ভোজে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী
আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিমন্ত্রী বেগম
মতিয়া চৌধুুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান
নূর, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর
রিজভী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম
সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর
কবির নানক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
প্রমুখ।
‘সংকট নিরসনে বিদেশি সহায়তার
প্রয়োজন নেই’
বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এখন
মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি কোন
সাধারণ ঘটনা নয়। এই দুর্যোগ জাতির স্বাধীনতা, ভাষা ও
অস্তিত্বের ওপর আঘাত হানছে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্জন ধরে
রাখতে এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে ও জাতির মাথা উঁচু
রাখতে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
Top
মুষ্টিবদ্ধ গণতন্ত্র আর নয় অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ুন :
খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে বিরাজমান
শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটি উপায়, আবারো
৫২’র ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনাকে বুকে ধারণ করে
আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে
হবে। চারদিকে একই ধ্বনি হবে- এক হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে
রাখা বাকশালী গণতন্ত্র আর নয়, ভোটের অধিকার চাই,
বাক-স্বাধীনতা চাই, বেঁচে থাকার গ্যারান্টি চাই।
গতকাল এক বাণীতে বেগম জিয়া বলেন, স্বাধীনতার মূল
স্বপ্নই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্বপ্ন
আজ কেড়ে নিয়েছে জবরদখলকারী বর্তমান অবৈধ সরকার।
প্রতিনিয়ত এদেশের নিরপরাধ নাগরিকদের এখন হত্যার শিকার
হতে হচ্ছে। কথায় কথায় চালানো হচ্ছে গুলি। চোখের পানি
ঝরছে হাজারো মা-বাবা, স্ত্রী, বোন ও সন্তানের। মহান
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বায়ান্ন’র ২১
শে ফেব্রুয়ারির সকল শহীদের স্মরণে দেয়া বাণীতে তিনি এ
কথা বলেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে
তিনি বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক
তাৎপর্যময় দিন। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা
রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন
বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে আত্মদান করে।
তাদের এই মহিমান্বিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে
আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান।
তিনি বলেন, বায়ান্ন সালের ২১শে’র পথ ধরেই এদেশের সকল
গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়েছে,
অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের
জাতীয় স্বাধীনতা। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম
রাষ্ট্রভাষার সরকারী স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন
শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের ওপর নিজেদের
সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা
হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল-এদেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন
রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে
দিয়ে তা প্রতিরোধ করে।
খালেদা জিয়া ছাত্র-জনতার অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন,
ছাত্র-জনতার সেই আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে
মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীন এ দেশ পেয়েছি।
স্বাধীনতার মূল স্বপ্নই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ কেড়ে নিয়েছে জবরদখলকারী বর্তমান
অবৈধ সরকার। গণতন্ত্রকে পায়ে ঠেলে জনগণের ভোটের অধিকার,
কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, নিরাপদে বেঁচে থাকার গ্যারান্টিও আজ নেই।
প্রতিনিয়ত এদেশের নিরপরাধ নাগরিকদের এখন হত্যার শিকার
হতে হচ্ছে। কথায় কথায় গুলি চলছে। চোখের পানি ঝরছে
হাজারো মা-বাবা, স্ত্রী, বোন ও সন্তানের। এমন এক
শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটি উপায়, আবারো
৫২’র ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনাকে বুকে ধারণ করে
আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে
লড়াইয়ে। চারদিকে একই ধ্বনি হবে- এক হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে
রাখা বাকশালী গণতন্ত্র আর নয়। ভোটের অধিকার চাই, বাক
স্বাধীনতা চাই, বেঁচে থাকার গ্যারান্টি চাই।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি এখনো
বিজাতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়নি। নিজস্ব ভাষা ও দেশজ
সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন এবং সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধ
করাও তাই এবারের ভাষা দিবসের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায়
এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব
মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে।
মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক
সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ
কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। ভাষা শহীদদের রুহের
মাগফিরাত কামনা করে তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের
সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানিয়ে
তাদের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শহীদদের স্মরণে বিশেষ মুনাজাত
অবরোধের কারণে বেগম খালেদা জিয়া রাতে শহীদ মিনারে যেতে
পারেননি। তবে ভাষা শহীদদের স্মরণে দলের গুলশান
কার্যালয়ে বাদ আসর এক বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা
হয়েছে। দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন শরিক হবেন বলে
দলের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান নিশ্চিত
করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি থেকে বিএনপি
চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন।
Top
ওবামা-মোদির আলোচনায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবশ্যই উত্তেজনাকর। এ নিয়ে আলোচনা
হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে। তারা
গণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতার বিষয় ও নাগরিকদের ক্ষমতায়নে
কি করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করেন। সদ্য সমাপ্ত ভারত
সফরে ওবামা ও মোদির মধ্যে ওই আলোচনা হয়। এসব কথা
বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের
দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ফিল রেইনার। তিনি ওই
সফরে ওবামার সফরসঙ্গী ছিলেন। রেইনার বলেছেন, এ দুই
নেতার মধ্যে আলোচনা অব্যাহত আছে। আমরা এ বিষয়টিকে
অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। এ নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখবো।
গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। ওদিকে নিউ
ইয়র্ক থেকে এনা জানায়- বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের
অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আলোচনা হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে। ২৬শে জানুয়ারি
ওবামার ভারত সফরের সময় এ আলোচনা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এখনও আলোচনা অব্যাহত আছে। এমনটা
জানিয়েছেন ফিল রেইনার। ৩রা ফেব্র“য়ারি ওয়াশিংটনের ফরেন
প্রেস সেন্টারে ওবামার ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন ফিল রেইনার। নিউ ইয়র্কের ফরেন প্রেস
সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রেইনারের কাছে
বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান-
প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময়
আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব আরোপ
করেছেন। অথচ এ অঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশে একটি
অস্থির সময় এবং ক্রান্তিকাল পার করছে। মানুষ গণতন্ত্র,
ভোট ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছে- এমন একটি
বাস্তবতায় ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের
চলমান অস্থিরতা ও চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রেসিডেন্ট
ওবামার মূল্যায়ন কি এ প্রশ্নের জবাবে রেইনার বলেন,
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরের সময় সফরসঙ্গী
হিসেবে আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি। তা হলো
প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে। আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে
বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখেছি,
যেটি একটি উদাহরণ। আমরা সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কায়ও
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখেছি।
ওদিকে ২৭শে জানুয়ারি বারাক ওবামা বিদায়ী ভাষণ দেন
ভারতের সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। সেখানে তিনি ধর্মীয়
সহনশীলতার আহ্বান জানান। এ নিয়ে ভারতে সমালোচনা উঠেছে।
বলা হচ্ছে, ওবামা ক্ষমতাসীন বিজেপিকে লক্ষ্য করে এমন
মন্তব্য করেছেন। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে
যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ফিল রেইনার বলেন, প্রেসিডেন্ট
ওবামা বিজেপিকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করেন নি। কারণ,
এর আগের রাতে প্রধানমন্ত্রী মোদিও একই মূল্যবোধ নিয়ে
কথা বলেছেন।
Top
রাষ্ট্রপতির কাছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা
স্টিফেনস বুম বার্নিকাট গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এ সময়
রাষ্ট্রপতি নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং
তার সময়ে দুই দেশের বর্তমান সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে
আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে আবদুুল
হামিদ বলেন, সহিংসতা-সন্ত্রাস কোনো গণতান্ত্রিক ভাষা
নয় এবং এসব কর্মকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এ সময় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বলেন, সহিংসতা
কোনোভাবেই গণতন্ত্রের পথ হতে পারে না। পরিচয়পত্র পেশের
পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম বাসসকে
এ কথা জানান। আলোচনাকালে আবদুল হামিদ পোশাক খাত, বিশেষ
করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা
নিয়ে কথা বলেন।
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক
অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতিতে
মার্কিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট
দুই দেশ ও দেশের জনগণ এবং একই সঙ্গে আঞ্চলিক ও বিশ্ব
সম্প্র্রদায়ের স্বার্থে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের
শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার হিসেবে দেখে এবং আমরা জানি যে উভয় দেশের জনগণই
উপকৃত হয় যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, যা আমরা অনেক
বিষয়েই করে থাকি।
ভারতীয় হাইকমিশনারের
সঙ্গে বৈঠক
গতকাল সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সকাল
১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পঙ্কজ শরণের গুলশানের
বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বার্নিকাট এই প্রথম ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করলেন। তারা উভয়ে পরিচিত হন ও বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা
করেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়।
এক নজরে বার্নিকাট
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব
গ্রহণের আগে মার্শা স্টিফেনস বুম বার্নিকাট
মিনিস্টার-কাউন্সিলর পর্যায়ের পেশাদার ঊর্ধ্বতন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য হিসেবে ২০১২ সাল থেকে
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ ব্যুরোতে
উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক
মিশন প্রধান ও দুই বার মিশন উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব
পালনকালে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বিভিন্ন শাখায় তার দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার প্রমাণ
দিয়েছেন।
২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট
সেনেগাল এবং গিনি-বিসাউয়ের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন
করেছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র দপ্তরের
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা,
মালদ্বীপ ও ভুটানের অফিস পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব
পালন করেছেন। এছাড়া ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবসম্পদ ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন
পরিচালক এবং পেশাজীবী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ
করেছেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বার্বাডোসে ও
১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালে মালাবির যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের
মিশন উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মরক্কোর
কাসাবাঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের প্রধান কর্মকর্তা
হিসেবে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮, ভারতের নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্র
দূতাবাসের ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলর হিসেবে ১৯৯২
থেকে ১৯৯৫ সালে কাজ করেছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক দপ্তরে ভারত ও
নেপালের ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন বার্নিকাট।
Top
প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি বান কি মুনের
বিনম্র শ্রদ্ধা
জাতিসংঘ গতকাল সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন
আবদুল আজিজ আল-সউদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে গতকাল মহাসচিব বান
কি মুন বলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ একজন বিচক্ষণ ও
সহানুভূতিশীল নেতা ছিলেন, যিনি সৌদি আরবের উন্নয়নে
নেতৃত্ব দিয়েছেন, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত
চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধানে ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইস্যু আমলে
নিয়ে কাজ করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস।
‘বৈশ্বিক ক্ষুধার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবেও
আবদুল্লাহকে আখ্যায়িত করেছেন বান কি মুন। কারণ, বিশ্ব
খাদ্য কর্মসূচির (ডবিউএফও) জন্য এককভাবে সবচেয়ে বেশি
অর্থ দান করেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে ৫০ কোটি ডলার অর্থ
সহযোগিতা দিয়েছিল সৌদি আরব। খাদ্যের উচ্চ মূল্য খাদ্য
সঙ্কটের অন্যতম কারণ ছিল। বান কি মুন বলেন, একই সঙ্গে
সিরিয়া ও ইরাকের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে উদারভাবে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ। কট্টরপš’ার
বিরুদ্ধে ও বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতির
মানুষের মধ্যে পুনরায় মিত্রতা স্থাপনে বাদশাহ
আবদুল্লাহর ভূমিকাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন
জাতিসংঘ মহাসচিব। গত ২৩শে জানুয়ারি ৯০ বছর বয়সে বাদশাহ
আবদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। গত বছরের ডিসেম্বরে
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
Top
খুলেছে সৌদি শ্রমবাজার
অপেক্ষার পালা শেষ। ছয় বছর পর বাংলাদেশের জন্য খুলে
গেল সৌদি শ্রমবাজার। সৌদি আরব থেকে একটি প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে আসবে। সেখানে কিভাবে কর্মী পাঠানো হবে তা ওই
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার ছিল সৌদি আরব।
১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেখানে ২৫ লাখ ৫৮ হাজার
৪৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
শেষের দিকে সেখানে প্রতিবছর গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ কর্মী
গেছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়
বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে নতুন
করে ভিসার জন্য চেষ্টা শুরু হয়। সরকারের ঐকান্তিক
চেষ্টার ফলেই সৌদি শ্রমবাজার নতুন করে খুলে গেল। নতুন
করে এই শ্রমবাজার খুলে যাওয়া দেশের জনশক্তির জন্য এক
সুখবর। বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী এর আগে বলেছেন,
সরকারের ব্যবস্থাপনায় এবার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ
করে সেখানে কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। এটাও নতুন এক
দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য ভিটামাটি
বিক্রি-বন্ধকের অনেক গল্প শোনা যায়। দুই দেশের সরকারের
বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবে জনশক্তি
রপ্তানি করা গেলে দরিদ্র মানুষের জন্যও সেটা আশীর্বাদ
হয়ে দেখা দেবে। সরকার ইচ্ছা করলে যে কম খরচে বিদেশে
জনশক্তি রপ্তানি করতে পারে, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত
হয়েছে। মালয়েশিয়ায় অল্প খরচে লোক পাঠানো হয়েছে। এর আগে
মন্ত্রী বলেছেন, মালয়েশিয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা
কর্মীরাও সৌদি আরবে যেতে পারবে। এটাও আমাদের জনশক্তির
জন্য বড় সুখবর। এর আগে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের
বিভিন্ন দেশে যেতে আট থেকে ১০ লাখ টাকাও খরচ করতে হয়েছে।
আবার টাকা দিয়ে অনেকে প্রতারিতও হয়েছেন। অনেকে দেশের
বাইরে যেতেই পারেননি। জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায়ীদের
দেওয়া টাকাও উদ্ধার হয়নি। আবার সৌদি আরবে গিয়েও অনেকে
কাক্সিক্ষত চাকরি পাননি। মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে
অনেককে। এবার সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তির কারণে
প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে বলে মনে হয় না।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সৌদি আরবের ছয়টি মেগাসিটি ও
বাংলাদেশিদের পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ
কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানা গেছে। আমরা
আশা করছি, নতুন করে কেউ আর প্রতারিত হবে না। সৌদি
শ্রমবাজারে নতুন যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তা কাজে
লাগাতে হবে।
Top
আযান শুনলে ফোঁটে যে ফুল, আবার আযান শেষ হলেই বন্ধ হয়ে
যায়?
আযান ফুল। হ্যাঁ, আমি মুসলমানদের নামাজের জন্য যে আযান,
তার কথাই বলছি। বিস্মযয়কর হলেও সত্য যে, আজারবাইজানের
এক প্রজাতির ফুল আযান শুনলেই ফোঁটে। আবার আযান শেষ
হলেই বন্ধ হয়ে যায়।এই ফুল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে।
আযানের মতো সুর করে অন্য কোনো কিছু গাওয়া হলে ফুল
ফুঁটছে না। যতবার আযানের শব্দ ওখানে পৌঁছায়, ততবার
ফুঁটছে সে ফুল। বিজ্ঞানের সকল গবেষণার পর ফল একটাই
পাওয়া গেছে। আর তা হলো- ‘দু:খিত! আমরা এই রহস্যের
ব্যাখা করতে পারছি না। একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন’।
Top
প্রতিদিন ১৩টি ডিম পাড়ে মুরগিটি
একদিনে মুরগিটি ডিম পেড়েছে ১৩টি। এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য
মনে না হলে কিন্তু ঘটনা সত্যি। মুরগিটি দেখতে মোরগের
মত হলেও আসলে এটি মুরগি।
শারীরিক অবয়বে মুরগিটি সাধারণ হলেও একদিনে পর পর ১৩টি
ডিম পেড়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এমন অবাস্তব ঘটনা ঘটেছে
হবিগঞ্জে।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুরগিটির মালিক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার
পইল গ্রামের সৈয়দ মাইনুল হক আরিফ। তার বাবা উপজেলা
চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদুল হক।
মুরগি মালিক আরিফ জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামঝি
থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মুরগিটি প্রতিদিন তিনটি করে ডিম
দিতে থাকে। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছর ৫
জানুয়ারি থেকে পুনরায় একাধিক ডিম পাড়া শুরু করে।
বুধবার সর্বোচ্চ ১৩টি ডিম পেড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে
দিয়েছে।
এমবিএ করা আরিফ জানান, নেদারল্যান্ডের একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যায় পিএইচডি করছেন তার
নিকটাত্মীয় সৈয়দ সায়েম উদ্দিন। মুরগিটির ছবি ও
বৃত্তান্ত জানিয়ে তাকে ই-মেইল করেন তিনি।
জবাবে সায়েম উদ্দিন তাকে জানিয়েছেন, মুরগিটির জেনেটিক
কোনো সমস্যা থাকতে পারে। যে কারণে ডিম ধরে রাখতে পারছে
না। যেকোনো সময় মুরগিটি মারা যেতে পারেন বলে জানান তিনি।
আরিফ জানিয়েছেন, তার পোলট্রি ফার্মের জন্য গত বছরের
ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় অলিপুরের সিপি হ্যাচারি থেকে
একদিন বয়সী ব্রাউন লেয়ার প্রজাতির দুই হাজার মুরগির
বাচ্চা কেনা হয়। পাঁচ মাস বয়সে ডিম পাড়ার কথা থাকলেও
মুরগিগুলো ছয় মাস বয়সে ডিম দিতে শুরু করে।
তিনি জানান, একদিন তিনি লক্ষ্য করলেন, তার খামারে
অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠা একটি মুরগি ঠিক মোরগের মতো
আচরণ করছে। মাথার ঝুঁটিও মোরগের মতো। পরে মুরগিটি তিনি
অন্য খাঁচায় আলাদা করে রাখেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত
মুরগিটি প্রতিদিন তিনটি করে ডিম দিতে থাকে। প্রায় দেড়
মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে পুনরায়
একাধিক ডিম দিতে শুরু করে। মুরগিটি বুধবার সর্বোচ্চ
১৩টি ডিম পেড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মুরগিটির ওজন
৩ কেজি ৭শ’ গ্রাম বলে জানান তিনি।
আরিফ জানান, প্রথমে আমি নিজেও বিশ্বাস করেনি। একদিন
ভোরে নিজেই দূর থেকে লক্ষ্য করছিলাম, কিছুক্ষণ পর পর
মুরগিটির ডিম পাড়ার দৃশ্য। এ ঘটনা স্থানীয় মসজিদের
ইমামসহ কয়েকজনকে দেখিয়েছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল
আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাণীদেহে যে গ্র্যাল্ড থাকে
তা থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ হওয়ায় প্রজনন
ইন্দ্রিয়ের কার্যক্রমতা বেড়ে যায়। এ কারণেই হয়তো
মুরগিটি মাত্রাতিরিক্ত ডিম দিচ্ছে।
তিনি জানান, খামারি মালিক যদি মুরগিটি পরীক্ষার জন্য
দেন তাহলে গবেষণাগারে পাঠিয়ে এর কারণ জানা যাবে।
সরকারিভাবে বা কোনো প্রাণী গবেষক মুরগিটির ওপর গবেষণা
করতে চাইলে তাতে আপত্তি নেই আরিফের।
Top
এশিয়ার সেরা গভর্নর পদক নিলেন ড. আতিউর

বৃটেনের দ্য ব্যাংকার সাময়িকীর দেয়া এশিয়া প্যাসিফিক
অঞ্চলের সেরা গভর্নরের পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশ সময়
শুক্রবার রাতে লন্ডনের হাউজ অব লর্ডসে এক জমকালো
আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার হাতে পদক তুলে দেয়
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রধান সম্পাদক ব্রায়ান
ক্যাপলেন। রাতে তার সম্মানে ওই ভোজসভার আয়োজন করেন
এনআরবি ব্যাংক এবং সীমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইকবাল আহমদ। ভোজসভায় ড. আতিউর
রহমান বলেন, রাজনৈতিক নানা ডামাডোলের মধ্যেও গত
জানুয়ারি মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.৫%। তিনি বলেন,
বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক দিক হলো স্থিতিশীলতা।
বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত
হয়েছে, মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের
ওঠানামার তারতম্য (ভেরিয়েশন) অত্যন্ত কম। সরকারি
যন্ত্রগুলো সহায়ক হিসেবে কাজ করলেও অর্থনীতির সার্বিক
উন্নতির জন্য তিনি বেসরকারি খাতকে বাহবা দিয়েছেন।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে দ্রুত মুনাফার দিকে না ছুটে কম
লাভ করে স্থিতিশীলতার দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান
গভর্নর। এক প্রশ্নের জবাবে আতিউর রহমান বলেন, হলমার্ক
কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব
সরকারের। তবে ভবিষ্যতে যাতে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো
ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রযুক্তিগত
উন্নয়ন এবং নজরদারি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ
নিয়েছে। ভোজসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী
আবরাব ওমর, আইএফআইসি ব্যংকের প্রধান নির্বাহী শাহ
সারওয়ার, সীমার্ক গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক
কামাল আহমদ প্রমুখ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী
মুখপাত্র এ এফ এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এমিরেটসের একটি
নিয়মিত ফ্লাইটে গভর্নর পদক আনতে লন্ডন যান। সেখানে এক
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে পদক
তুলে দেয়া হয়। জানা গেছে, লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী
পত্রিকা দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংক ও
অর্থনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ গত ৫ই জানুয়ারি
সোমবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে আতিউরকে ২০১৫ সালের
‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দি ইয়ার’ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে
ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা অঞ্চলের সেরা
গভর্নরদের নামও জানানো হয় অর্থনীতিবিষয়ক সাময়িকীটির
ওয়েবসাইটে। এতে বলা হয়, প্রবৃদ্ধি বা সামষ্টিক
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে কোন আপস না করে
পরিবেশবান্ধব ও সমাজসচেতন উন্নয়নে পুঁজি সরবরাহ করে
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.
আতিউর রহমান। আতিউরের সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেলেন পেরুর
হুলিও ভেলারাদ, জর্জিয়ার জর্জি কাদাজিৎসে, ওমানের
হাম্মুদ বিন সাঙ্গুর আল জাদজালি ও মোজাম্বিকের
আর্নেস্তো গোভ। এর আগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দরিদ্র
জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য ফিলিপিন্সের গুসি
শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন গভর্নর আতিউর। গেল বছরের ২৬শে
নভেম্বর ম্যানিলায় তিনি ওই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ২০০৯
সালের ১লা মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে চার
বছরের জন্য দায়িত্ব নেন ড. আতিউর রহমান। এরপর তাকে আরও
এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে রাখার
সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। ২০১৬ সালের ২রা আগস্ট তার
দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
Top
সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত
ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এলো বাংলাদেশ পরিস্থিতি। ওই
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফ আবারও জানিয়ে দিলেন
বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতায় গভীরভাবে
উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তিনি শান্তিপূর্ণ
কর্মকা চালাতে অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ সময়ে কোন
সহায়তা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন মেরি হার্প।
এর আগে ৫ই ফেব্র“য়ারি তিনি একটি বিবৃতি দেন। তাতেও তিনি
বাংলাদেশে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সরকারের প্রতি
আহ্বান জানান রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিতে। এর
পরদিন ৬ই ফেব্র“য়ারি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে
অংশ নেন তিনি। এখানে তা প্রশ্ন-উত্তর আকারে তুলে ধরা
হলো:
প্রশ্ন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে একটি প্রশ্ন
আছে। দেশটিতে সহিংসতা ও অন্যান্য অনেক কিছু সহ বহু ঘটনা
ঘটছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরকার কি যুক্তরাষ্ট্রের
কাছে কোন রকম সহায়তা চেয়েছে
উত্তর: আমার জানামতে তারা তা চায়নি। বাংলাদেশে চলমান
অস্থিরতা ও সহিংসতায় অবশ্যই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র)
গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিবেকহীন হামলার ঘটনা ঘটছে সেখানে।
পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাস। লাইন থেকে বিচ্যুত করা হচ্ছে
ট্রেন। এতে অনেকে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এরা
নিরপরাধী, ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আমরা সব দলকে তাদের
সদস্যদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়ার
জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা সরকারের কাছে
আহ্বান জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকা
পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ দিতে হবে। সহায়তার
বিষয়টি নিয়ে আমাদের টিমের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারি।
কিন্তু আমার মনে হয় না যে, কোন রকম সহায়তা আমরা দিচ্ছি।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্য যেকোন রকম ঘটনাই হোক
সরকার বলছে, এগুলো হলো সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী
কর্মকা । এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন
উত্তর: ভাল কথা। আপনি এটাকে যে ভাবেই দেখেন না কেন
অবশ্যই এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
Top
নাইজেরীয় ছাত্রীদের মুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিন:
মালালা
নাইজেরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের হাতে আটক ২০০-র
বেশি স্কুলছাত্রীকে মুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার
দাবি জানিয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা
ইউসুফজাই। খবর ডনের।
স্কুলছাত্রীদের অপহৃত হওয়ার ৩০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এক
বিবৃতিতে পাকিস্তানের এ অকুতোভয় নারীশিক্ষা
আন্দোলনকর্মী বলে, ‘ওই স্কুলছাত্রীদের বন্দিত্বের
হৃদয়বিদারক ৩০০ দিন অতিক্রান্ত হতে যাচ্ছে। আমি সাহসী
ওই মেয়েদের মুক্তির ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
জানাতে বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষকে আমার সঙ্গে অংশ
নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত বছরের ১৪ এপ্রিল নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত শহর চিবকের
একটি স্কুল থেকে ২৭৬ জন কিশোরী শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে
বোকো হারাম। ৫৭ জন ছাত্রী পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
Top
পিতৃত্বকালীন ছুটি হচ্ছে ১৫ দিন
মা ও শিশুসন্তানের সুষ্ঠু পরিচর্যা করতে কর্মজীবী
বাবার জন্য ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করা
হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিধিগত খুঁটিনাটি
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
বুধবার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান।
গত বছর ৮ থেকে ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি)
সম্মেলনে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করার প্রস্তাব করেন
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন। তিনি তাঁর
প্রস্তাবে বলেন, ‘কর্মজীবী নারীদের জন্য ছয় মাসের
মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর করা হয়েছে। মা ও নবজাতকের
নিবিড় পরিচর্যার জন্য পিতার সময় দেওয়া জরুরি। এ জন্য
১৫ দিনের ছুটির বিধান করা যেতে পারে।’ সম্মেলনে
বিস্তারিত আলোচনার পর পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টিকে জেলা
প্রশাসক সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত
মধ্যমেয়াদি সিদ্ধান্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে
যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জেলা
প্রশাসক সম্মেলনে প্রস্তাব পাঠানোর আগে আমরা জেলার সব
কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করি। সেই বৈঠকে একজন তরুণ
কর্মকর্তা মাতৃত্বকালীন ছুটির আদলে পিতৃত্বকালীন ছুটির
প্রস্তাব ডিসি সম্মেলনে দেওয়ার সুপারিশ করেন। বৈঠকে
উপস্থিত সব কর্মকর্তা বিষয়টিতে সমর্থন দেন। পরে ডিসি
সম্মেলনেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নজর কাড়ে।’ এর
পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগের দিনে যৌথ পরিবার ছিল।
কেউ না কেউ নবজাতক ও তার মায়ের যতœ নিতে পারত। এখন ছোট
পরিবার। অনেকেরই দাদা-দাদি বা নানা-নানি থাকেন না। সেই
ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই জটিল হয়। এসব ক্ষেত্রে সব
কর্মজীবী বাবাই ছুটি নেন। বিষয়টি কার্যকর হলে কর্মজীবী
বাবা উপকৃত হবেন। তা ছাড়া সারা বিশ্বেই শিশুদের
গুরুত্ব দেওয়া হয়। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে শিশুদের
যথাযথ পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে ২০১০ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে
বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছিল
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবে পিতৃত্বকালীন
ছুটির বিষয়টিও ছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়
পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রস্তাব আলাদাভাবে উপস্থাপনের
নির্দেশ দেয়। এর এক বছর পর থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন
ছুটি কার্যকর করা হলেও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি চাপা
পড়ে যায়। প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানেও পিতৃত্বকালীন
ছুটির বিধান রয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন
কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন জনপ্রশাসনের
বিধিবিধান তৈরির পালা। অর্থাৎ একজন কর্মজীবী বাবা
চাকরিজীবনে কয়বার এ সুযোগ পাবেন তা বিধি দিয়ে
নির্ধারিত হতে হবে। তা ছাড়া অনেক কর্মজীবী বাবা একটানা
ছুটি না নিয়ে কয়েক দফায় এ ছুটি নিতে পারেন। এ সময় ভাতা
দেওয়ার বিষয়ে মত নিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে।
Top
সুন্দরদের জন্য খাবার ফ্রি
সুন্দর মুখের কদর সর্বত্র। কথাটা যে কতখানি সত্য, তা
চীনের এ রেস্টুরেন্টে গেলেই বুঝবেন। কারণ, শুধু চেহারা
সুন্দর হলেই তারা আপনার খাবারের পয়সা নেবে না। চীনের
জিজু দ্বীপের ঝিয়াংঝু শহরের এক কোরীয় খাবারের দোকান এ
সুযোগ দিচ্ছে ক্রেতাদের। রোজই তারা দিনের সবচেয়ে
সুন্দর পাঁচ খদ্দের নির্বাচন করে তাদের বিনা পয়সায়
খাওয়ায়। এজন্য গত ৭ ফেব্র“য়ারি দোকানের সামনে
বেশ ঘটা করে একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়েছেন রেস্টুরেন্টটির
মালিক। যাতে লেখা রয়েছেথ সুন্দরদের জন্য খাবার ফ্রি।
বিষয়টি কারও কারও কাছে দৃষ্টিকটু লাগতে পারে। কারণ
দৈহিক সৌন্দর্য তো কেউ নিজের যোগ্যতায় অর্জন করে না।
সেটি জন্মসূত্রে পাওয়া। তাহলে কেন চেহারার কারণে একজন
সুবিধা ভোগ করবে, আর কম সুন্দররা খেতে গিয়েও
হীনম্মন্যতায় ভুগবে! সেসব ঠিক আছে। কিš‘ এর পেছনের
উদ্দেশ্যটা জানলে আর কেউ নাক সিঁটকাতে পারবেন না।
রেস্টুরেন্টটির খদ্দেরদের চেহারা বাছাইয়ের কাজটি করেন
¯’ানীয় পাস্টিক সার্জনরা। কাজেই যারা বিনামূল্যে খেতে
ইচ্ছুক তাদের বসতে হয় এসব চিকিৎসকের সামনে। আর
চিকিৎসকরা তাদের বিউটি আইডেন্টিফিকেশন এরিয়ায় নিয়ে গিয়ে
যাচাই-বাছাই করেন। সেখানে তাদের ছবি তোলা হয়। আর সেসব
ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে তাদের মুখম ল, নাক, কান এবং
মুখ ঠিকঠাক আছে কি-না তা দেখা হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে
গুরুত্ব দেওয়া হয় কপালকে। আর আধঘণ্টার মধ্যে যে পাঁচজন
সর্বোচ্চ স্কোর করে তাদের খাবারের দাম নেয় না
কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলায়
অংশগ্রহণকারীদের যোগ্যতার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা
টানানো আছে।
রেস্টুরেন্টটির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনলাইনে এ নিয়ে বেশ
তোলপাড় চলছে। একজন মš-ব্য করেছেথ আমার চেহারা দিয়ে কি
এক শতাংশ স্কোরও করা সম্ভব আরেকজনের মš-ব্যথ চেহারা
কুৎসিত হলে কি তবে দ্বিগুণ মূল্য পরিশোধ করতে হয় ওখানে
এমনকি শহরের সম্মানহানির আশঙ্কায় নগর কর্তৃপক্ষও বিষয়টি
নিয়ে সš‘ষ্ট নয়। মঙ্গলবার নিরাপত্তারক্ষীরা
রেস্টুরেন্টটির সাইনবোর্ডও খুলে নিয়ে গেছে। তবে
রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জু হেজিন জানান, এতে তাদের
চেহারা দেখিয়ে খাওয়া ক্যাম্পেইন মোটেও বন্ধ হবে না।
সূত্র :অডিটি সেন্ট্রাল।
Top
কর আদায় করবে হিজড়ারা
চেন্নাইয়ের বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও হোটেলের কাছ থেকে বকেয়া
কর আদায়ে হিজড়াদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে সিটি
কর্পোরেশন। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলের বকেয়া কর
আদায়ে হিজড়াদের একটি দল পাঠিয়ে সফল হয়। এরপরই কর
আদায়ের কৌশলে হিজড়াদের লাগানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
তবে এতে শেষ পর্যন্ত হিজড়াদের লাভ হবে না ক্ষতি- তা
নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। চেন্নাইয়ের সবচেয়ে দামি ও
বিলাসবহুল হোটেলগুলোর একটি হিল্টন। সিটি কর্পোরেশনের
সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই।
বারবার তাগাদা দেয়ার পরও হিল্টন প্রায় ৩৪ লাখ রুপি
বকেয়া কর মেটায়নি। তাই চলতি সপ্তাহে চেন্নাই সিটি
কর্পোরেশন একদল হিজড়াকে ভাড়া করে ওই হোটেলের সামনে
হাঙ্গামা করতে পাঠায়। হিজড়ারা ঢাকঢোল নিয়ে গিয়ে
হোটেলের সামনে গানবাজনা আর চেঁচামেচি শুরু করার
মিনিটকয়েক পরেই বিব্রত হোটেল কর্তৃপক্ষ পুরো কর মিটিয়ে
দেয়। এরই মধ্যে চেন্নাই সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন
সংস্থার বকয়ো কর আদায়ে হিজড়াদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা
করছে।
Top
সিগারেটের ফিল্টারে ব্যবহার করা হয় শূকরের রক্ত!
ক্লাস ও শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাবার পকেট কেটে শুরু
করেছিলেন বন্ধুদের নিয়ে সুখ টান দেওয়া। ধূমপানের জন্য
পকেট করে ফেলেছেন সদরঘাট। সরকার সিগারেটের দাম বাড়ালে
ইচ্ছামত গালিগালাজ করেছেন। এমনকি বাবা, মা, প্রেমিকার
নিষেদ সত্বেও ছাড়তে পারেননি সেই প্রথম টান প্রথম
ভালবাসা সিগারেটকে। সিগারেটের পিছনে মাসে কারো কারো
হাজার হাজার অর্থব্যয় হয়? জানেন কি এই সিগারেট কি থেকে
তৈরি হয়? হ্যাঁ, অবশ্যই তামাক পাতা সুন্দর করে কেটে
পরিশোধন করার পর তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক কয়েকটি উপাদান
মিশিয়ে কাগজে মোড়ানো সিলিন্ডারের ভেতর পুড়ে সিগারেট
তৈরি করা হয়? তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা
গিয়েছে। ভিতরের উপাদান গুলির মধ্যে মূল উপাদান হিসাবে
থাকে ইঁদুরের বিষ্ঠা? অবাক হওয়ার কিছুই নেই? কারণ
সম্প্রতি অপর একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, পৃথিবী
বিখ্যাত আইভরি কফি তৈরি নাকি তৈরি হয় হাতির বিষ্ঠা থেকে?
যাই হোক এসব তাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তী যে
তথ্যটি একেবারেই ঘৃন্যকর, সেটি হল সিগারেটের ফিল্টারে
ব্যবহার করা হয় শূকরের রক্ত। নেদারল্যান্ডসের এক
গবেষণাকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে-
১৮৫টি সিগারেট উৎপাদনকারী কারখানায় ব্যবহার করা হয়
শূকরের রক্ত। কারণ সিগারেটের ফিল্টারে রক্তের
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিমোগ্লোবিন ব্যবহার করা হয়। সিমন
চ্যাপম্যান আরো বলেছেন, সিগারেট উৎপাদনকারী
কোম্পানিগুলো কি কি উপাদান ব্যবহার করছে তা গোপন রাখায়
এই বক্তব্যের বিষয়টি নিয়ে বেশি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলেন, এটা তাদের ব্যবসা এবং তারা ব্যবসার গোপন
তথ্য ফাঁস করবেন না।
তিনি বলেছেন, নেদারল্যান্ডসের ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে,
শূকরের রক্ত থেকে হিমোগ্লোবিন নিয়ে তা সিগারেটের
ফিল্টারে ব্যবহার করা হয়? গ্রিসের একটি সিগারেট
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শূকরের হিমোগ্লোবিন ব্যবহারের
বিষয়টি স্বীকারও করেছে। তারও আগে জানা গিয়েছিল, সস্তা
সিগারেটের মধ্যে অ্যাসবেস্টস এবং মৃত মাছিও থাকে।
পৃথিবীতে এমন অনেক সম্প্রদায় আছে যারা প্রাণিভক্ষণ
ধর্মের বিরোধী বলে মনে করেন। গোড়া ধর্মাবলম্বীরা এই
খবর থেকে ধর্মচ্যূত হওয়ার সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন? তাই
এই বিষয়টি নিয়ে সমগ্র বিশ্বে তৈরি হয়েছে সংকট।সময়
উৎস: আস
Top
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মোদি ভয়ংকর নীরব
ভারতের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্বেগ প্রকাশের পর এবার
দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বিষয়টির
তীব্র সমালোচনা করে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি
ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভয়ংকর নীরবতার’ কঠোর
সমালোচনা করে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে গির্জার ওপর হামলা
এবং মুসলমানদের জোর করে হিন্দু বানানোর ঘটনা উল্লেখ করে
বলা হয়, মোদির অব্যাহত নীরবতা থেকে ধারণা তৈরি হয় যে
হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে হয় তিনি কিছু করতে
পারছেন না অথবা তিনি কিছু করতে চাইছেন না।
‘মোদির ভয়ংকর নীরবতা’ শিরোনামে সম্পাদকীয়টি ছাপা হয় গত
শুক্রবার। এতে বলা হয়, “সম্প্রতি ভারতে বেশ কয়েকটি
খ্রিস্টান গির্জায় আগুন দেওয়া বা ভাঙচুর করা হয়েছে। গত
ডিসেম্বরে পূর্ব দিল্লির সেন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জায়
আগুন দেওয়া হয়। গির্জার যাজক আগুন ধরার পর কেরোসিনের
গন্ধ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত সোমবার নয়াদিল্লির
সেন্ট আলফোনসা গির্জা ভাঙচুর করা হয়। তবে এর টাকাভর্তি
সংগ্রহ বাক্সে হাত পড়েনি। এই হামলায় উদ্বিগ্ন
‘ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া’ ভারত সরকারের
প্রতি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখার আহ্বান
জানায়। একই সঙ্গে খ্রিস্টানরা যেন নিজ দেশে সুরক্ষিত ও
নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করারও দাবি জানায়।”
ধর্মান্তর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এতে বলা হয়, আগ্রায় গত ডিসেম্বরে প্রায় ২০০ মুসলমান
হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গে জানুয়ারিতে হিন্দু
হয়েছে ১০০ খ্রিস্টান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বা
রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘের (আরএসএস) মতো কট্টরপন্থী
হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ‘ঘর বাপাপসি’ বা ঘরে ফেরা
কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনো লুকোচুরি করছে
না। অন্য ধর্মবিশ্বাসীদের হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করানোর
জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ভারতের ৮০ শতাংশ মানুষ
হিন্দু। এই দলগুলো এই হারকে ১০০-তে নিয়ে যেতে
বদ্ধপরিকর। আর তা অর্জনের একমাত্র পথ ধর্মীয়
সংখ্যালঘুদের ধর্মবিশ্বাসকে অস্বীকার করা।
ভিএইচপি এ মাসে অযোধ্যার তিন হাজার মুসলমানকে
ধর্মান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে। এই নগরীতেই ১৯৯২ সালে
বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় কট্টরপন্থী হিন্দুরা। এর পরবর্তী
দাঙ্গায় দুই হাজার লোক নিহত হয়, যার বেশির ভাগই
মুসলমান। ভিএইচপি জানে, সেই একই আগুন নিয়ে আবারও খেলছে
তারা।
মোদির নির্বাচিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে নিউ ইয়র্ক টাইমস
জানায়, ভারতের উন্নয়নের উচ্চাকাক্সক্ষী কর্মসূচির
প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন মোদি। তবে গত মাসে ভারত সফরে গিয়ে
ওবামা যেমনটি বলেছিলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বিভাজিত
না হলে ভারতের সাফল্য নিশ্চিত। কাজেই মোদিকে ধর্মীয়
সহনশীলতা নিয়ে তাঁর নীরবতা ভাঙতে হবে। ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ওবামা
গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ মন্তব্যে বলেন, ভারতের গত কয়েক
বছরের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দেখলে মহাত্মা গান্ধী দুঃখ
পেতেন। তাঁর এই মন্তব্যকে সময়োচিত বলে প্রশংসা করেছে
মার্কিন কংগ্রেসের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক
কমিটি। সূত্র : দ্য হিন্দু।
Top
সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইইউর আহ্বান
চলমান সহিংসতা অবসানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে
বসতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর
কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয়
ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু এ আহ্বান
জানান। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের
স্বার্থে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য বলে গুরুত্ব
দেন।
চলমান সহিংসতা বন্ধ করার ওপর কানাডাও জোর দিয়েছে। সকালে
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময়
কানাডার হাইকমিশনার শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার
ক্ষেত্র নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। একই দিনে বিকেলে
ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় সহিংসতার নিন্দা
জানান। তিনি সব ধরনের বৈধ রাজনৈতিক কর্মকা
শান্তিপূর্ণভাবে চালানোর ওপর জোর দেন।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের টানা অবরোধের ৩৭তম দিনে
তিনজন কূটনীতিক সহিংসতা ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক
অধিকারের চর্চা নিয়ে অভিন্ন সুরে কথা বললেন। এর আগে গত
শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সব
দলকে তাদের সদস্যদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সরকারকেও
শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকা চালানোর প্রয়োজনীয়
ক্ষেত্র করে দিতে অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শেখ
হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় পিয়েরে মায়াদু সহিংসতায় নিরপরাধ
লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নিন্দা জানান। তিনি যেকোনো
সহিংসতা প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি সংলাপের ব্যাপারে
ইইউর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও উন্নয়নের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তিনি এ
সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
পিয়েরে মায়াদু প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সামুদ্রিক
অর্থনীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো উদ্যোগগুলোতে ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞদের কাজে
লাগাতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতার ফলে দুই পক্ষের
সহযোগিতা আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করতে পারে।
কানাডার হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কানাডার
হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়ের লাঘামে গতকাল পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে পিয়ের লাঘামে বলেন, সুশাসন,
শান্তি ও গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক ও
সামাজিক উন্নয়ন হয়। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য
বাংলাদেশকে ও তার জনগণকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। কাজেই
অবশ্যই সহিংসতা বন্ধ হওয়া উচিত এবং শান্তিপূর্ণ
রাজনৈতিক অধিকার চর্চার জন্য অবশ্যই সুযোগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য
অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করবে কানাডা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বঙ্গবন্ধুর
আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর
জন্য হাইকমিশনারের কাছে অনুরোধ জানান।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্য এ দেশের
সরকার ও জনগণকে উন্নয়নের পরবর্তী স্তরে উত্তরণের
আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। এ পথ ধরেই বর্তমান
সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের
দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
Top
দাউদপুর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমিটি গঠন
রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমিটি গত
১৭ জানুয়ারি গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন
কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোঃ ফজলুল করিম মাষ্টারকে
আহবায়ক ও মাহবুবুল আলমকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৫ সদস্য
বিশিষ্ট এক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন-
ফকির মোঃ মোস্তফা কামাল, মোঃ সিরাজউদ্দিন, মোঃ কাজী
মনির হোসেন। কমিটি গঠনের সময় এক সংক্ষিপ্ত সভায়
উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ থানা কমান্ডার আল আমিন ভূইয়া
দুলাল, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া, দানেছ মিয়া, সোনা
মিয়া প্রমুখ।
Top
Top
নারী ও শিশু সংবাদ
বাল্যবিবাহ থেকে
রক্ষা পেলো তিন স্কুলছাত্রী
রংপুরের বদরগঞ্জে তিন স্কুলছাত্রীর
বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায়
চারদিনের ব্যবধানে ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন বেসরকারি
সংস্থা ব্র্যাকের কর্মকর্তারা। শনিবার উত্তর বাওচন্ডি
বালাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে চতুর্থ
শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকার (১০) সাথে এক যুবকের
বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। ব্র্যাকের কর্মকর্তারা
মেয়ের বাবা-মাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে
বিয়ে বন্ধ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ইসতিয়াক
আহমেদ বলেন, চারদিনে অপরিণত বয়সের তিন স্কুলছাত্রীর
বিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে বদরগঞ্জ
উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
বাল্যবিবাহ না দেওয়ার
অঙ্গীকার
দিনাজপুরের বিরামপুরের জোতবানী ইউনিয়নের অভিভাবকেরা
তাঁদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ না দেওয়ার অঙ্গীকার
করেছেন। গতকাল সোমবার শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে
আয়োজিত শিশু সুরক্ষায় মা-বাবার সচেতনতাবিষয়ক অভিভাবক
সমাবেশে তাঁরা ওই অঙ্গীকার করেছেন।
গতকাল দুপুরে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিরামপুর থানা,
বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ডেভেলপ দ্য
ভিলেজের (ডিভি) সহযোগিতায় এ সমাবেশ হয়। এতে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত)
সাকিলা পারভিন বলেন, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ে এবং ২১
বছরের নিচে কোনো ছেলের বিয়ে দেওয়া হলে সেটি বাল্যবিবাহ
হিসেবে গণ্য হবে।
আছির উদ্দিন ম লের সভাপতিত্বে সমাবেশ হয়। শিশুর ঝরে পড়া
রোধে মা-বাবার করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রধান
শিক্ষক সামসুল হুদা। শিশুর ঝরে পড়া রোধে এলাকার সচেতন
নাগরিকের ভূমিকা তুলে ধরেন সহকারী শিক্ষক আ. হাকিম
মোল্লা।
Top
সহিংসতার বলি হচ্ছে নারী ও শিশু
দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় একের পর
এক অবুঝ শিশু অগ্নিদগ্ধ হচ্ছে। এ থেকে বাদ যাচ্ছেন না
পেশাজীবী ও সাধারণ নারীরাও। দুর্বৃত্তদের ছোড়া
পেট্রলবোমায় একদিকে মারাত্মক আহত হচ্ছেন নারীরা,
অন্যদিকে অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা ছোট শিশুকেও আগুনে
পুড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা ককটেল ও
বোমায় ঝলসে যাচ্ছে বহু শিশু। সহিংসতায় দেশব্যাপী ঝরে
যাচ্ছে বহু শিশুর প্রাণ। এমনকি দরিদ্র শিশু-কিশোরদের
অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক সহিংস
কর্মকাে । এতে অনেকেই ককটেল বিস্ফোরণ বা গণপিটুনির
শিকার হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন। রাজনৈতিক কারণে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন জেলা হাসপাতালের
বার্ন ইউনিটে গত এক মাসের অধিক সময়ে বহু নারী ও শিশু
ভর্তি হয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা এবং আহত করার সব
ঘটনাই অমানবিক ও বেদনাদায়ক। অন্যদিকে বাসে পেট্রলবোমা
নিক্ষেপের ফলে মারাত্মক আহত হন ইডেন কলেজের দুই ছাত্রী
সাথী আক্তার ও যুথী আক্তার। এদিকে চলমান সহিংসতায়
বেকায়দায় পড়েছেন কর্মজীবী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী।
বিশেষ করে আইনজীবী ও ব্যবসায়ী নারীদের মক্কেল ও পণ্যের
ক্রেতা সংখ্যা দিন দিন কমছে। একইভাবে নিরুপায় স্বল্প
আয়ের নারী শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজে
বের হচ্ছেন। কাজে যাওয়ার সময় তারা অগ্নিদগ্ধও হচ্ছেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে
যাওয়ায় কাজ হারাচ্ছেন বহু নারী। আর বার বার এসএসসি
পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় এবং সহিংসতার ভয়ে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে
কোমলমতি শিশু ও অভিভাবকদের। এ প্রসঙ্গে বার্ন ইউনিটের
সমন্বয়ক পরিচালক সামন্তলাল সেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে
বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সহিংসতার শিকার ভর্তি
রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু। তিনি
আরও বলেন, পেট্রলবোমা ও ককটেলে ঝলসে যাওয়া
নারী-শিশুদের ক্ষত ভয়াবহ। বিশেষ করে শিশুদের শারীরিক
ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার পরও মানসিক ক্ষত সেরে উঠতে
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তা ছাড়া এই
শিশুরা জীবনে আর স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে কি না
তার নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে পুরুষের আগুনে পোড়া ক্ষত
দ্রুত সেরে গেলেও নারীদের তা হয় না। আর আগুনে দগ্ধদের
অধিকাংশ নারী ও শিশুই নিুবিত্ত হওয়ায় তাদের সবার পক্ষে
চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ কারণে তিনি এই
রোগীদের সরকারি-বেসরকারিভাবে পুনর্বাসনের জন্য সবাইকে
এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের
জন্য ফাউন্ডেশন’-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়- ২০১৩ সালে
রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫৬ জন শিশু আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে
৪১ জন মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো এখন
শিশু-কিশোরদের পিকেটিং, রাস্তা অবরোধ, পেট্রলবোমা,
ককটেল ও ইট নিক্ষেপ, মিছিল ও মানববন্ধনে ব্যবহার করছে।
আর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সহিংসতায় শিশু-কিশোর
ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
মানবাধিকার কর্মীরা। তারা বলছেন, দারিদ্র্যের সুযোগ
নিয়ে অর্থের লোভ দেখিয়ে শিশুদের বিভিন্ন সহিংস কাজে
ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সহিংসতায় অংশ নিতে গিয়ে এই
শিশুরা মারাত্মক আঘাত পাচ্ছে। অন্যদিকে হরতাল-অবরোধে
দেশের গৃহিণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী নারী
বিপদে পড়েছেন। কথা হলে এক আইনজীবী নারী জানান, গত এক
মাসে রাজনৈতিক কারণে তার পেশায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এই
নারীর সঙ্গে সুর মেলান মিরপুরের বিউটিশিয়ান মিতা। তিনি
বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে বেশ কিছু দিন ধরে আমার বিউটি
পারলারে গ্রাহকসংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এখন
কর্মীদের বেতন, দোকান ভাড়া কীভাবে জোগাড় করব তা নিয়ে
দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’ এদিকে চলমান অবস্থায় পোশাকশিল্পের
সঙ্গে জড়িত ৪০ লাখ শ্রমিকের ৮০ ভাগ নারী শ্রমিক বিপদে
পড়েছেন। তারা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে যাচ্ছেন।
তা ছাড়া ক্রেতারা চলমান পরিস্থিতিতে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায়
বিভিন্ন কারখানায় চলছে কর্মী ছাঁটাই। বন্ধ হয়ে পড়ছে
ছোট-মাঝারি কারখানা। আর এর শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা
খান বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে নারীরা
বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কর্মজীবী নারীদের আয়
কমে যাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম যে পুরুষরা সহিংসতার
শিকার হচ্ছেন তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছেন। এজন্য এলিনা খান দেশের সব রাজনৈতিক দলকে
অনতিবিলম্বে ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনীতির নামে চলমান
সহিংসতা বন্ধ করে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।
Top
বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই বালিকা
নড়াইলের লোহগড়া এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দুই
মেয়েশিশু বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। লোহাগড়া
উপজেলার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির
ছাত্রী। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে প্রশাসন ও পুলিশের
হস্তক্ষেপে তার বিয়ে বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে বদরগঞ্জ
উপজেলার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
ছাত্রী। উন্নয়নকর্মী, প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে
মেয়েটি বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোকতার
হোসেন জানান, খুলনার একটি ছেলের (নাম-ঠিকানা প্রকাশে
অনিচ্ছুক) সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা পাকা করে রাতেই বিয়ে
পড়ানোর উদ্যোগ নেয় পরিবার। একটি বেসরকারি উন্নয়ন
সংস্থার মাধ্যমে ইউএনও এ খবর জানেন। ঢাকায় অবস্থান
করায় তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে লোহাগড়া থানা পুলিশকে
নির্দেশ দেন। উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুলের নেতৃত্বে এক
দল পুলিশ মেয়ের বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
অন্যদিকে বদরগঞ্জের ইউএনও খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান,
জন্ম সনদ জাল করে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে এ বিয়ের আয়োজন করেন তার মা।
বর উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের এক যুবক। রবিবার সকালে ওই
বিয়ের খবর জানাজানি হয়। বদরগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের কর্মকর্তারা বাল্যবিয়ে না
দিতে মেয়ের মাকে অনুরোধ করে একটি নোটিশ দেন। তিনি
নোটিশ উপেক্ষা করে আত্মীয়স্বজন ও বরযাত্রীদের জন্য
রান্নার আয়োজন করেন। এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় ইউএনওর
নির্দেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে সরকারি ও এনজিও
কর্মকর্তারা মেয়ের বাড়ি যান। ওই কর্মকর্তাদের দেখে মা
তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। কর্মকর্তারা
প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাদের হদিস না পেয়ে ফিরে
আসেন। পরে ইউএনও ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে
দেবেন না মর্মে মায়ের কাছ থেকে লিখিতভাবে একটি
অঙ্গীকারনামা নেন।
Top
বাল্যবিবাহ করতে এসে
শ্রীঘরে
বাল্যবিবাহ করতে আসায় বরকে এবং বরের সঙ্গে আসা বরের
বাবা, কনের বাবা ও মৌলভিকে কারাদ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ
আদালত। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার
আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মরিচবাড়ী গ্রামে এ
ঘটনা ঘটে।
কারাদ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বর খলিলুর রহমান, বরের বাবা
ইয়াছিন আলী, কনের বাবা শহীদ আলী ও বিয়ে পড়াতে আসা মৌলভি
রেজাউল করিম। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
জহুরুল ইসলাম তাঁদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ দিয়ে
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ সোমবার সকালে তাঁদের
কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন,
‘উপজেলার ভেলাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর
(১৫) সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ গোবধা গ্রামের ইয়াছিন
আলীর ছেলে খলিলুর রহমানের বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি শুনে
খোঁজখবর নিই। একপর্যায়ে রোববার রাতে বর খলিলুর রহমান
কনের বাড়িতে বিয়ে করতে গেলে সেখানেই তাঁকেসহ চারজনকে
আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাল্যবিবাহ নিরোধ
আইনে কারাদ দেওয়া হয়।’
Top
পুলিশ ও কারাগার
সংবাদ
বন্দী বাড়ছে
কারাগারে
বন্দীতে ঠাসাঠাসি কারাগার। বাড়ছে রাজনৈতিক মামলার বন্দী।
ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দী আছেন দেশের কারাগারগুলোতে।
কোনো কোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী আছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও
৫৫টি জেলা কারাগার মিলে ৬৮টি কারাগার। সরকারি হিসাব
অনুসারে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ধারণক্ষমতা ৪১
হাজার ৯শ’ ৭ জন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারাগার শাখা
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দীর
সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপি’র নেতৃত্বে ২০ দলীয়
জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের পর থেকে দলীয়
নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ দিনে
রাজধানীতে প্রায় সাড়ে ৯শ’ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। তবে বিএনপি’র দলীয় সূত্রে এ গ্রেফতারের সংখ্যা
আরো অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে
দাবি করা হয়েছে, এই গ্রেফতারে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়
১৫৯টি মামলা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসারুল আলম জানিয়েছেন,
কারাগারের বন্দী ধারণক্ষমতা ২৬১০ জন। এর বিপরীতে সব
সময় কারাগারে গড়ে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার বন্দী
থাকেন। প্রতিদিন কারাগারে গড়ে ১২০ জন বন্দী আসেন। চলতি
মাস থেকে কারাগারে গড়ে ৭ হাজার ৩শ’ থেকে ৭ হাজার ৫শ’
বন্দী থাকছেন।
কারা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০৩ সালের ৩০
এপ্রিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ট্রাম কার্ডকে
কেন্দ্র করে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের ঠাসাঠাসি
অবস্থা বিরাজ করেছিল। ঐ রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে এক
সপ্তাহে দেশের ৬৭টি কারাগারে (ঐ সময় ৬৭টি কারাগার ছিল)
বন্দীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৮৫ হাজার। এই বন্দীর সংখ্যা
এযাবৎকালের কারা অধিদপ্তরের নথিতে সর্বোচ্চ বন্দীর
রেকর্ড।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এর ধারণক্ষমতা ২০০০।
সেখানে বন্দী আছেন ২৫৪২ জন। কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি
কারাগারে ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২০ জনের বিপরীতে বন্দী
আছেন ১৯শ’ জন। ২২০ জন ধারণক্ষমতার নারায়ণগঞ্জ জেলা
কারাগারে এখন বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪ জন। রাজশাহী
কারাগারে বন্দী ধারণক্ষমতা ১৬শ’। সেখানে বর্তমানে বন্দী
আছেন ২ হাজার ৫১২ জন। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের
ধারণক্ষমতা ১২১০ জন। বর্তমানে সেখানে বন্দী আছেন ২
হাজার ৭শ’ জন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের
ধারণক্ষমতা ১৮৫৩ জন। শনিবার পর্যন্ত ঐ কারাগারে বন্দী
ছিলেন ৫ হাজার ৭৬৭ জন। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের
ধারণক্ষমতা ১২শ’৭৯ জন। গতকাল পর্যন্ত এই কারাগারের
বন্দী ছিলেন প্রায় ২২শ’ জন। নাটোর জেলা কারাগারে
ধারণক্ষমতা ২২০, বন্দী আছেন ৭২০ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ
কারাগারে ধারণক্ষমতা ১৫৩, বন্দী আছেন ৭৭২ জন। পাবনা
জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৫৭১, সেখানে বন্দী আছেন
১,১৮৬ জন। বগুড়া জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৭০৮, ঐ
কারাগারে বর্তমান বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৬২ জন।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৩৪৮, বন্দী আছেন
৬১২ জন। চাঁদপুর জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ২০০, বন্দী
আছেন ৪৮৭ জন।
সূত্র জানায়, প্রতিটি কারাগারের ধারণক্ষমতার চেয়ে গড়ে
দ্বিগুণ বন্দী রয়েছেন। তবে একমাত্র খাগড়াছড়ি কারাগারে
ধারণক্ষমতার চেয়ে কম সংখ্যক বন্দী অবস্থান করছেন। ঐ
কারাগারের ধারণক্ষমতা ১৭৫ জনের বিপরীতে বর্তমানে বন্দী
আছেন ১৫৬ জন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা অনির্দিষ্টকালের
অবরোধে রাজধানীতে গত ২৬ দিনে বিএনপি-জামায়াতের সাড়ে
৯শ’ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এছাড়া
রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি
মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬ জনকে নাশকতাকালীন হাতেনাতে
গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে বিএনপি’র নেতা-কর্মী ৬৭ জন,
আর জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ৩৯ জন। এর বাইরে গত ২৬
দিনে মোট ২৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন
মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি’র নেতা-কর্মী
২৬ জন ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ২ জন।
Top
চারজনের
মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ৩
নেত্রকোনা, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁওয়ে গতকাল তিনটি হত্যা
মামলার রায় হয়েছে। এসব মামলায় চারজনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ
দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এসিড নিক্ষেপ মামলায় সিরাজগঞ্জ
দুই এবং নেত্রকোনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা : জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আবদুল হামিদ দুটি
মামলার রায়ে দুজনকে মৃত্যুদ ও একজনকে যাবজ্জীবন কারদ
দিয়েছেন। মোহনগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কানু চন্দ
তালুকদার খুনের মামলায় বকুল মিয়া ও আনোয়ার হোসেনকে
মৃত্যুদ দেওয়া হয়। অপরদিকে কেন্দুয়া উপজেলার একটি এসিড
নিক্ষপ মামলায় যাবজ্জীবন কারদ প্রদান করা হয়েছে একই
উপজেলার ইসলাম উদ্দিনকে। নীলফামারী : সৈয়দপুরে স্ত্রীকে
হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদ দিয়েছেন
আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা
মো. আলমগীর হাসান এই রায় দেন। মৃত্যুদ প্রাপ্ত রবিউল
সৈয়দপুর উপজেলার শ্বাসকান্দ ডাঙ্গাপাড়ার রহিম উদ্দিনের
ছেলে। ঠাকুরগাঁও : জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড.
বদিউজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী উম্মে কুলসুম হত্যা মামলায়
একজনে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও দায়রা জর্জ
আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ
রায় ঘোষণা করেন। দ প্রাপ্ত ফয়সাল ইসলাম নিহত কুলসুমের
পালিত ছেলে। সিরাজগঞ্জ : সদর উপজেলার একটি এসিড
নিক্ষেপ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ (প্রথম)
আদালতের বিচারক শেখ মো. নাসিরুলল হক এ রায় দেন। দ
প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার ভেন্নাবাড়ী গ্রামের নজরুল
ইসলাম ও আবেদ আলীর ছেলে সোহরাব আলী।
Top
ঢাকায় পেট্রোল বোমায় নিহত কনষ্টবলের
দাফন সম্পন্ন
এ,কে,এম সালাহ উদ্দিন মন্ডল
রাজধানী ঢাকায় পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্য শামীমের দাফন গত ০৬
ফেব্র“য়ারী/১৫ শুক্রবার বাদ জুম্মা গাইবান্ধার পলাশবাড়ী
উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামে সম্পন্ন
হয়েছে।
কুমেদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে
পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। জানাযা
নামাজে এলাকার মানুষ ও স্বজনরা ছাড়াও গাইবান্ধার পুলিশ
সুপার মোঃ আশরাফুল ইসলাম, সিনিয়র এএসপি শরীফ উদ্দিন,
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল
ইসলাম, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান
উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা থেকে শামীমের লাশ শুক্রবার ভোরে কুমেদপুর গ্রামে
নিয়ে আসা হলে তার বাবা, মা, ভাই, বোন ও স্বজনরা
কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। গোটা গ্রামের মানুষের মধ্যে
শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই জানুয়ারী রাতে রাজধানী ঢাকায় মৎস্য
ভবনের সামনে ডিউটি শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ফেরার পথে
তাদের বহনকারী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে
শামীম সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য দগ্ধ ও আহত হন। দগ্ধ
ও আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। তারপর শামীমের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে স্কয়ার
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৫ ফেব্র“য়ারী/১৫ বৃহস্পতিবার
দুপুরের দিকে মারা জান তিনি।
শামীমের মা সাজেদা বেগম ও বাবা লাল মিয়া জানান শামীম
ছিলো তাদের সংসারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যাক্তি। সে
অনেক কষ্ট করে লেখা পাড়া শিখে পুলিশে চাকুরী নেয়।
তাদের তিন ছেলে বেকার। দুই মেয়ের বিয়ে দিলেও সংসারের
অভাব কাটেনি। চাকুরী পেয়ে অভাবের সংসারে হাল ধরে শামীম।
প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে করে সে। তার স্ত্রী বিলকিস বেগম
২ মাসের অন্তসত্বা।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার বলেন, নিহত শামীমের পরিবারকে
পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা দেওয়া হবে।
Top
কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত মো. আলমগীর বেপারী (৫৭) নামে এক কয়েদির
মৃত্যু হয়েছে। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাল সূত্র জানায়, শনিবার সকালে
আলমগীর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে প্রথমে কারা
হাসপাতালে এবং পরে গাজীপুরের আনা হয়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত
আসামি ছিলেন। আলমগীর ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার গজগাঁও
এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে।
Top
স্বাস্থ্য সংবাদ
ক্যান্সার
আসন্ন, বুঝবেন ১০টি লক্ষণ দেখে
ক্রমাগত কাশি কিংবা দেহে এমন কোনো কালশিটে যা যাচ্ছেই
না অথবা নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকা
ইত্যাদি আসন্ন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে বা এমনও হতে
পারে যে এর মধ্যেই মরণব্যাধিটি বাসা বেঁধেছে আপনার দেহে।
তাই আপাতদৃষ্টিতে বিরক্তিকর কিংবা গুরুত্ব দেয়ার কিছু
নেই, এমন বিষয়ও এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় যদি সুস্থ থাকতে
চান।
জেনে নিন এ ধরনেরই ১০টি লক্ষণ, যেগুলোকে এতদিন গুরুত্ব
না দিলেও এখন থেকে দিতে হবে বলে বলছেন খোদ
চিকিৎসাবিজ্ঞান।
১. ক্রমাগত কাশি বা কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া হতে পারে
ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ।
২. আঁচিলে পরিবর্তনের মানে হতে পারে চামড়ার ক্যান্সার।
৩. আন্ত্রিক নিয়মে ক্রমাগতি বিচ্যুতি অর্থাৎ সময়-অসময়
না মেনেই যখনতখন মল বা মূত্র ত্যাগ এবং দিনদিন এর
পরিবর্তন হতে থাকা।
৪. এমন কালশিটে বা ক্ষত যা সারছে না কিছুতেই। তবে
বিষয়টি নির্ভর করবে কোথায় ক্ষত, তার উপরেও। মুখের ঘা
হতে পারে মুখে ক্যান্সারের লক্ষণ।
৫. খাবার গিলতে পারা যদি দিন দিন কষ্টকর হতে থাকে, তবে
বুঝবেন তা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ।
৬. কোনো কারণ ছাড়াই ওজন ক্রমাগত কমতে থাকা বিভিন্ন
ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৭. মূত্র ত্যাগে ক্রমাগত অনিয়ম মূত্রথলির ক্যান্সারসহ
পুরুষদের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার বয়ে আনতে পারে।
৮. কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে কোনো মাংসপি গজানো বা বড় হতে
থাকাও হতে পারে অনেক ধরনের ক্যান্সারের কারণ।
৯. কোনো কারণ ছাড়া যদি কোনো ধরনের ব্যথায় ভোগেন, তবে
তাও হতে পারে ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। তবে এক্ষেত্রে
ক্যান্সারের ধরনটি কী, তা নির্ভর করবে ব্যথা কোথায়-
তার ওপর।
১০. অকারণ রক্তপাত হতে পারে অন্ত্রের ক্যান্সার বা
নারীদের জরায়ু কিংবা ঘাড়সহ অন্য যেকোনো ক্যান্সারের
অন্যতম লক্ষণ, নির্ভর করবে রক্তপাত কোথা থেকে হচ্ছে-
তার ওপর।
তাই এ ধরনের কোনো সমস্যায় ভুগে থাকলে তা অবহেলা না করে
অবিলম্বে চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হোন, সুস্থ থাকুন।
Top
ডায়াবেটিসের ম্যাজিক পিল
ডায়াবেটিসের একটি ম্যাজিক পিল আবিষ্কার করে ফেলেছেন
গবেষকরা। তারা বলছেন, প্রতিদিন নিয়মিত পিলটি সেবনে
শারীরিক গঠন পুনর্বিন্য¯- হয়ে টাইপ-১ ও টাইপ-২ উভয়
ধরনের ডায়াবেটিস রোগ সেরে যায়। সাধারণত মানুষের অন্ত্র
বা নাড়িভুঁড়িতে থাকা একটি উপাদান থেকে এ প্রোবায়োটিক
পিলটি আবিষ্কার করেছেন নিউইয়র্কের কর্নেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের দাবি, পিলটি ডায়াবেটিস
রোগীর অগ্ন্যাশয় থেকে বাড সুগার অন্ত্রে স্থানান্তর করে।
সাধারণত সুস্থ মানুষের অগ্ন্যাশয় ইনসুলিনকে পরিশোধন করে
গ্গ্নুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ডায়াবেটিস
রোগীদের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় হয় কোনো ইনসুলিন উৎপাদনই
করে না কিংবা যে পরিমাণ উৎপাদন করে, তা হরমোনের জন্য
যথেষ্ট নয়। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন,
প্রোবায়োটিক ম্যাজিক পিলের চিকিৎসা রক্তে গ্গ্নুকোজ
লেভেল ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাদের মতে, এই
পিলের উচ্চতর ডোজ উভয় ধরনের ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম।
মানুষের অন্ত্রের নির্যাস থেকে তৈরি এই নতুন ম্যাজিক
পিলে রয়েছে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। কর্নেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল আশা করছে, তাদের তৈরি করা
পিলটি মানুষের শারীরিক বিন্যাস পাল্টে দিয়ে টাইপ-১ ও
টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিরাময়ের পথ উন্মোচন করবে। গবেষক
দলের প্রধান অধ্যাপক জন মার্চ বলেন, তাদের আবিষ্কারটি
‘নীতিগতভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে। তিনি বলেন, এখন এটা
মানুষের মাঝে ভালোভাবে কাজ করলেই কেল্লা ফতে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে আর অন্য কোনো উপায়
অবলম্বন করতে হবে না।
ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। এ রোগে আক্রান্তদের রক্তে
থাকে প্রচুর পরিমাণ গ্গ্নুকোজ। কারণ, তাদের দেহ ওই
গ্গ্নুকোজ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম নয়। আর
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির অগ্ন্যাশয় হয় ইনসুলিন
উৎপাদনে একেবারেই অক্ষম কিংবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন
করতে পারে না। এমনকি উৎপাদিত ইনসুলিন যথাযথ কাজে
লাগাতেও অক্ষম তাদের দেহ। অথচ দেহের জন্য ইনসুলিন অতীব
গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এটা দেহকোষের তালা খুলে দেয়,
যাতে কোষে গ্গ্নুকোজ প্রবেশ করে শক্তি জোগাতে পারে। আর
ডায়াবেটিস রোগীদের দেহ গ্গ্নুকোজকে জ্বালানি হিসেবে
কাজে লাগাতে অক্ষম, যে কারণে তাদের দেহে গ্গ্নুকোজের
মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকে।
অধ্যাপক মার্চের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল হিউম্যান
প্রোবায়োটিক নামে একটি ল্যাকটোব্যাকিলাস ছাঁকনি তৈরি
করেছে, যা সাধারণত মানুষের অন্ত্র বা নাড়িভুঁড়িতে
বিদ্যমান। এ প্রোবায়োটিক পেপটাইড নামের একটি হরমোনকে
পরিশোধন করে। দেহে খাবার প্রবেশ করলে পেপটাইড হরমোন তা
থেকে ইনসুলিন তৈরি করে। গবেষক দল প্রথমে প্রোবায়োটিক
পিলটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর ৯০ দিন পর্যন্ত
প্রয়োগ করে। এ সময় তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অন্য
ইঁদুরের গ্গ্নুকোজ লেভেলের সঙ্গে পিল প্রয়োগ করা
ইঁদুরের গ্নুকোজের তুলনা করে দেখেন। এতে দেখা যায়, পিল
প্রয়োগ করা ইঁদুরগুলোর গ্গ্নুকোজের মাত্রা অন্য
ইঁদুরগুলোর চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
এর পর আরেকটি পরীক্ষার ফল আরও চমকপ্রদ। বিজ্ঞানীরা
দেখতে পান, ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের অন্ত্রের
উচ্চভাগ এমন একটি কোষে পরিণত হয়েছে, যা অগ্ন্যাশয়ের
কোষের মতো কাজ করছে। আর সুস্থ মানুষের অগ্ন্যাশয়ের কোষ
ইনসুলিন পরিশোধন করে গ্গ্নুকোজের মাত্রায় ভারসাম্য
রক্ষা করে।
সম্প্রতি ডায়াবেটিস জার্নালে এই গবেষণা নিবন্ধটি
প্রকাশ হয়েছে। অধ্যাপক মার্চ আরও বলেন, প্রোবায়োটিক
পিল প্রয়োগের পর ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে
গ্গ্নুকোজ সুস্থ ইঁদুরের দেহের গ্গ্নুকোজের সমপর্যায়ে
নেমে আসে। তিনি জানান, এখন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে
প্রোবায়োটিক পিলের উচ্চতর ডোজের পরীক্ষা চালানো। যেন
এটা প্রমাণ করা যায় যে, ওষুধটি উভয় ধরনের ডায়াবেটিস
নিরাময়ে সক্ষম। আর এ পরীক্ষা সফল হলে এটাকে পূর্ণাঙ্গ
পিল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবনের জন্য
বাজারজাত করা হবে। প্রতিদিন সকালে তারা ওষুধটি সেবন
করবেন। এর মাধ্যমে মুখে হাসি ফুটবে বিশ্বের কোটি কোটি
ডায়াবেটিস রোগীর। চিকিৎসাবিজ্ঞানে হবে নবদিগন্তের
উন্মোচন।
Top
জেনে নিন প্রস্রাবের রঙে আপনার
শরীরের খবর
চিকিৎসাবিজ্ঞানের শুরুর কাল থেকেই মানুষের রোগ নির্ণয?ে
প্রস্রাব পরীক্ষার চল রয?েছে। গবেষণাগারে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড?াই প্রস্রাবের রঙে, ঘনত্বে এবং
গন্ধে শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন মাত্রা অনুমান করতেন
আদিকালের চিকিৎসকেরা। এখন উচ্চপর্যায?ের বৈজ্ঞানিক
গবেষণায? আরও অনেক তথ্য-উপাত্ত জানা গেলেও মৌলিক
বিষয?গুলো অনেকটা একই আছে। মুম্বাই মিররের প্রতিবেদন
অবলম্বনে প্রস্রাবের রঙে শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক
খোঁজখবরের কিছু সূত্র এখানে তুলে ধরা হলো।
দ্য ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
প্রস্রাবের রঙেই বোঝা যাবে একজন মানুষ যথাযথ পরিমাণে
পানি পান করছেন কি না। পাশাপাশি প্রস্রাবের
সংক্রমণজনিত রোগসহ নানা অসুখ-বিসুখের উপসর্গও ধরা পড?তে
পারে প্রস্রাবের রঙে। এ ছাড?া আমরা কী ধরনের
খাবারদাবার খাচ্ছি তারও প্রভাব থাকে প্রস্রাবের রঙে।
বর্ণহীন হলে
আপনার প্রস্রাব যদি পরিষ্কার হয?, পানির মতো বর্ণহীন
হয? তাহলে ধরে নেওয?া যেতে পারে আপনি বেশি মাত্রায?
পানি পান করছেন। পাশাপাশি এটাও হতে পারে যে, আপনার
শরীরে ‘ডাইউরেটিক’ উপাদানের মাত্রা বেড?েছে, যা কিনা
শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয?ার চেষ্টা করে।
কফিজাতীয? পানীয?ের মধ্যে এই উপাদান থাকে।
চাল ধোয?া থেকে হলদে
প্রস্রাব চাল ধোয?া পানির মতো অস্বচ্ছ থেকে শুরু করে
হলদে হতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি যত বাড?তে থাকবে
প্রস্রাব যত বেশি হলদে রঙের হতে থাকবে। এ অবস্থায? বেশি
বেশি পানি পান করতে হবে।
হলদে সোনালি বা মধু রঙের
আপনার প্রস্রাব যদি গাঢ? বাদামি থেকে শুরু করে হলদে
সোনালি হয?ে যায? তাহলে দ্রুত পানি পান করুন। আর
সাবধান থাকুন যাতে আবারও এমন না হয?। এটা রীতিমতো
সতর্কসংকেত।
সিরাপের রঙের মতো
প্রস্রাব গাঢ? বাদামি বা সিরাপের রঙের মতো হয?ে গেলে
বুঝতে হবে আপনার যকৃৎ বা কিডনির সমস্যা থাকতে পারে।
অবশ্য কদিন বেশি মাত্রায? ঘৃতকুমারী, মটরশুঁটি বা
শিমজাতীয? খাবার খেলেও হঠাৎ এমন হতে পারে। কিন্তু
নিয?মিত বেশি পানি পানের পরও এই রং না বদলালে
চিকিৎসকের কাছে যান।
গোলাপি থেকে লালচে
আপনার প্রস্রাব গোলাপি রঙের হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে
যাওয?া প্রয?োজন। প্রস্রাবে রক্ত গেলে এমন হতে পারে।
কিডনির রোগ, কিডনি বা মূত্রাশয?ে পাথর, প্রোস্টেট
গ্ল্যান্ডের সমস্যা এমনকি ক্যানসার থেকেও এমন হতে পারে।
আবার বিটরুট বা কালোজাম বেশি খেলেও সাময?িকভাবে এমন হতে
পারে।
কমলা রঙের
শরীরে মাত্রাতিরিক্ত পানিশূন্যতা থেকে প্রস্রাব অনেকটা
কমলা রঙের হয?ে যেতে পারে। এ ছাড?া কেমোথেরাপির ওষুধ
এবং রক্ত পাতলা করার ওষুধ থেকেও এমনটা হতে পারে।
খাবারের রং, বেশি বেশি গাজর খাওয?া এবং শরীরে ভিটামিন-সি
বেড?ে যাওয?া থেকেও এটা হতে পারে।
সন্তান নিতে চাইছেন? স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রোজ খান এই
৭টি খাবার
সন্তান নিতে চাইছেন কিন্তু হচ্ছে না? নারী-পুরুষ উভয়েই
নিজের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো। এই
৭টি খাবার উর্বরতা বৃদ্ধি করে, নারীকে গর্ভবতী হতে
সহায়তা করবে এবং পুরুষের জন্য সুস্থ বীর্য উৎপাদন করবে।
চিনে নিন সেই উপকারী খাবার।
কলা : সুপারফুড কলায় আছে ভিটামিন বি-৬ ছাড়াও আরও বেশ
কিছু চমৎকার উপাদান, যা নারীদের মিন্সট্রেশন নিয়মিত
রাখে। বাদাম : পুরুষের শুক্রানুর মান উন্নত করতে
অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে হরেক রকমের বাদাম। অলিভ
ওয়েল ; নিজেদের খাবারে তেল বা ঘি এর বদলে আজ থেকেই শুরু
করে দিন অলিভ ওয়েলের ব্যবহার। সূর্যমুখীর তেল ; এতে আছে
উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই, যা উর্বরতা বৃদ্ধি করতে
অত্যন্ত সহায়ক। রান্নায় ব্যবহার করুন।
অ্যাভোকাডো ; শত গুণে ভরপুর এই ফলটি কেবল মজাদারই নয়,
বরং উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। আদা ; আদা যে কোন
রূপেই পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। নারীরা
অধিক উপকারিতা পেতে রোজ দুই কাপ পর্যন্ত আদা চা পান
করুন মধু মিশিয়ে। ফ্লাক্স ওয়েল ; এটা আরেকটি উপকারী
তেল, যাতে আছে প্রচুর অমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। প্রতিদিন
খাবারে ১ টেবিল চামচ ব্যবহার করুন বা এমনিতেও খেতে
পারেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যুঝুঁকি পুরুষের চেয়ে
বেশি
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত নারীর অকালমৃত্যুর
ঝুঁকি ডায়াবেটিক পুরুষদের তুলনায় বেশি। হৃদ্রোগে নারীর
মৃত্যুঝুঁকিও একই রোগে আক্রান্ত পুরুষের তুলনায় প্রায়
দ্বিগুণ। অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী এ কথা বলছেন।
তাঁদের এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন ল্যানসেট
ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত
হয়েছে। খবর বিবিসির।
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ মানুষের
ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত নারীদের মারা যাওয়ার ঝুঁকি পুরুষের চেয়ে ৩৭
শতাংশ বেশি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ডায়াবেটিস রোগীর
ক্ষেত্রেও পুরুষদের তুলনায় মৃত্যুঝুঁকি নারীদের বেশি।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ
হওয়ার আশঙ্কা পুরুষের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। আর
ডায়াবেটিক নারীর কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর
ঝুঁকিও ৪৪ শতাংশ বেশি।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথের
অধ্যাপক র্যাচেল হাক্সলি বলেন, টাইপ টু ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত রোগীদের আয়ু সুস্থ মানুষের চেয়ে কিছু কম হয়।
কিন্তু তাদের মধ্যে নারী ও পুরুষের মারা যাওয়ার ঝুঁকি
সমান কি না, তা এত দিন স্পষ্ট ছিল না।
Top
কান্না স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
কান্নার রোগ নিরাময় শক্তি রয়েছে এবং তা স্বাস্থ্যের
জন্য ভাল। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে হাসি যেমন শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ কমাতে পারে
তেমনি কান্নারও অনুরূপ অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে।
তাছাড়া হাসি এবংকান্নার উদ্দীপন মস্তিষ্কের একই অঞ্চল
থেকে উৎসারিত হয়। ফ্লোরিডার অ্যারোনটিকাল
ইউনিভার্সিটির øায়ু মনোবিজ্ঞানীরা কান্না নিয়ে গবেষণা
কেেছন এবং দেখেছেন যে, জরিপে শতকরা ৮৫ ভাগ নারী এবং
শতকরা ৭৩ ভাগ পুরুষ কান্নার পর বেশ ভাল এবং উৎফুল্ল
বোধ করছেন। গবেষকদের মতে, কান্না মানসিক চাপ দূর করে
মনকে শুধু হালকাই করে না বরং ক্রন্দনকারী সহানুভূতি
লাভ করে স্বস্তিও খুঁজে পায়।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের øায়ু বিজ্ঞানী উইলিয়াম ফ্রে
কান্না বিষয়ক এক গ্রন্থে (ঈৎুরহম: ঞযব সুংঃবৎু ড়ভ ঃবধৎং)
উল্লেখ করেন যে, কান্নার ভেতর দিয়ে আমরা আমাদের আবেগকে
বুঝতে পারি এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারি। অন্যদিকে
অবদমিত কান্নার ফলে শোক, ক্ষোভ এবং রাগ মনের গভীরে দানা
বাঁধে। আবেগ অবদমনের পলে রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকি
ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকি প্রবণতা গবেষণা তথ্যে রয়েছে।
øায়ু মনোবিদ ডি লুকা’র মতে, আমাদের সবারই কান্নার
প্রবণতা রয়েছে এবং একই বিশেষ আবেগের অবদমন স্বাস্থ্যের
জন্য ভালো নয়। তাই কান্না পেলে- কাঁদুন।
Top
আইন কনিকা
Top
বর্গাদারদের
আইনগত অধিকার
জাহাঙ্গীর আলম সরকার সাগর
সমৃদ্ধ ভূমির জন্য বাংলাদেশের নাম বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
বর্তমানে এ ভূখন্ডে প্রায় ১৫ কোটি লোকের বসবাস যা
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশের মধ্যে অন্যতম। দেশের
৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ গ্রামে বসবাস করে এবং কৃষি তাদের
জীবিকার প্রধান উদ্দেশ্য। বলতে দ্বিধা নেই আমাদের
দেশের কৃষি ভূমির কোন কোন অংশে বছরে তিনবারও ফসল হয়
কিন্তু জনসংখ্যা সমস্যার কারণে আবাদি জমি হ্রাস পেতে
শুরু করেছে ফলে লোকজন জলাশয় ভর্তি করে কিংবা বনাঞ্চল
কেটে আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা পরিবেশের জন্য
হুমকিস্বরূপ। ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটারের বাংলাদেশে
শহরবাসীর সংখ্যা মাত্র ২০ ভাগ ও গ্রামবাসীর সংখ্যা
শতকরা ৮০ ভাগ। দেশের মোট ভূমির পরিমাণ ৩ কোটি ৫৭ লাখ
৬৩ হাজার একর যার মধ্যে মোট আবাদযোগ্য ভূমি ২ কোটি ৪০
লাখ একর এবং চাষের অধীনে ভূমির পরিমাণ ২ কোটি ২৩ লাখ
৫৩ হাজার একর। এখানে উল্লেখ করা উচিত, এক ফসলি জমি ১
কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার একর, দো-ফসলা জমি, ৮১ লাখ ৯৯
হাজার একর এবং তে-ফসলি জমি ১৪ লাখ ৭২ হাজার একর ভূমি
এবং সেচ ব্যবস্থায় জমির পরিমাণ ৪০ লাখ ৩০ হাজার একর।
কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যা শতকরা ৬২.৩০ জন এবং
মাথাপিছু চাষ উপযোগী জমির পরিমাণ মাত্র ০.২২ একর।
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই জাতীয় আর্থ-সামজিক বাস্তবতায়
বর্গা চাষে বাধ্য। দেশের প্রচলিত আইনে বর্গাদারদের
আইনগত অধিকার বিদ্যমান।
বাংলাদেশের ভূমি আইন সংস্কারের এবং যুগোপযোগী করে গড়ে
তোলার জন্য ১৯৮৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ভূমি সংস্কার
অর্ডিনেন্স (অর্ডিনেন্স নং ী, ১৯৮৪) জারি করা হয় যার
বিধান মতে কোন ব্যক্তি ৬০ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমি
নিজের দখলে রাখতে পারবে না এবং পাশাপাশি বেনামিতে জমির
মালিকানা অর্জনে যথেষ্ট বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কেস স্টাডি-১
মজির আলী ওরফে মজি মিয়া, নীলফামারী জেলায় ডিমলা থানার
অধীনে তিস্তা নদীর ওপারে বসবাস করে। চরাঞ্চলে জেগে ওঠা
নদীর পললভূমিতে ফসল আবাদের জন্য একই গ্রামের আবুল
বাশার মোলা ওরফে বাসু মিয়ার কাছ থেকে জমি বর্গা গ্রহণ
করে ১৯৮৭ সালে। মজির আলী ওরফে মজি মিয়া ফসল কাটার পর
তা ভাগাভাগি করার জন্য আবুল বাশার মোলা ওরফে বাসু
মিয়াকে সংবাদ দেয়ার উদ্দেশ্যে নৌকাযোগে আসার পথে নৌকা
ডুবিতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, তিন
কন্যা ও একজন নাবালক পুত্র সন্তান রেখে যায়। আবুল
বাশার মোল্লা ওরফে বাসু মিয়া সব ফসল তার বাসায় নিয়ে আসে
এই যুক্তিতে যে যার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল যে, তার কাছে
ফসলের ভাগের মূল্যবাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা গ্রহণ
করেছিল। কিন্তু বাস্তবে তার সপক্ষে কোন দলিল তার কাছে
নেই। যদিও মজির আলী ওরফে মজি মিয়ার পরিবার দরিদ্রতার
কারণে ন্যায়বিচারের জন্য আদালত তো দূরের কথা নদীর ওপার
থেকে এপারে আসতে পারেনি। তবে প্রশ্ন হল এক্ষেত্রে
আইনের বিধান কি?
কেস স্টাডি (২)
মুহাম্মদ খায়ের মিয়া জমি বর্গা নিয়েছে আসাদুল হকের কাছ
থেকে, কিন্তু ফসল ভাগের সময় আসাদুল হক বর্গাদার
মুহাম্মদ খায়ের মিয়াকে মোট ফসলের চারভাগের একভাগ
প্রদান করেন এবং বাকিটা তার কাছে রাখেন। প্রতিবাদ করলে
জানান, এটাই নতুন আইন। কিন্তু আসলেই কি এটা নতুন আইন এ
বিষয়ে আইনের বিধান কি?
এখানে উল্লেখ্য যে, বিভিন্নমুখী আইনি সমস্যা ও
পক্ষগণের সমাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনায় এনে কেস
স্টাডিতে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
বর্গাদারদের সংরক্ষিত অধিকার : উল্লিখিত
অর্ডিন্যান্সের বর্ণিত শর্ত ছাড়া একজন ব্যক্তি অন্য
ব্যক্তিকে তার জমি চাষ করার অনুমতি দেবে না এবং কোন
ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির জমি চাষ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত
উভয়পক্ষ নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে ফসল ভাগ করার জন্য
চুক্তি সম্পাদিত না করবে। বর্গা চুক্তিতে বর্ণিত সময়
থেকে ৫ বছরের বর্গাচুক্তি বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি এখানে
উল্লেখ্য যে, জমির মালিক ও বর্গাদার এই অর্ডিন্যান্স
শুরু হওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে একটা চুক্তি
সম্পাদন করবে। যদি কোন পক্ষ নির্ধারিত সময়ে চুক্তি
সম্পাদন করতে ব্যর্থ হয় তবে অপর পক্ষ নির্ধারিত
কর্তৃপক্ষের কাছে চুক্তি সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে
পারবে। নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ আবেদন প্রাপ্তির ৬০ দিনের
মধ্যে যথাযথ অনুসন্ধান করে নির্ধারণ করবে আবেদনকারী
চুক্তি সম্পাদন করার অধিকারী কিনা।
বর্গাদারের মৃত্যুর পর বর্গা জমির চাষাবাদ : আমাদের
দেশে এ জাতীয় সমস্যা হরহামেশায় লক্ষ্য করা যায় জমির
বর্গা নেয়ার পর বর্গাদারের কোন কারণে মৃত্যু। প্রায়ই
লক্ষ্য করা যায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী মালিকদের কাছে থেকে
বিভিন্নমুখী সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে আইন না জানার কারণে।
আইনে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে বর্গাদারের মৃত্যু হলেও
তার পরিবারের জীবিত সদস্যরা এ অধিকার ভোগ করবে যথা (ক)
যদি সম্পাদিত বর্গা চুক্তি সমাপ্ত হওয়ার আগে
বর্গাদারের মৃত্যু ঘটে তাহলে বর্গাকৃত জমির চাষ মৃত
বর্গাদারের জীবিত সদস্য কর্তৃক তা চলতে থাকবে যতক্ষণ
পর্যন্ত বর্গা চুক্তির পরিসমাপ্তি না হয় অথবা যতক্ষণ
পর্যন্ত বর্গা চুক্তির এই অর্ডিনেন্স মতে পরিসমাপ্তি
না ঘটে। (খ) যদি বর্গাদার জমি চাষ করার জন্য কোন সদস্য
তার পরিবারে না রেখে মারা যায় তাহলে জমির মালিক তার জমি
ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে আনবে এবং অন্য একজন বর্গাদার
দ্বারা ওই জমি চাষ করিয়ে নিতে পারবে।
বর্গাকৃত জমির ফসলের ভাগ : আইন মতে, বর্গাকৃত জমির
ফসলের ভাগ নিুলিখিতভাবে বিভক্ত হতে হবে যথা-
১। তিন ভাগের এক ভাগ পাবে জমির মালিক জমির জন্য।
২। তিন ভাগের একভাগ পাবে বর্গাদার শ্রমের জন্য।
৩। তিন ভাগের এক ভাগ পাবে জমির মালিক অথবা বর্গাদার
অথবা উভয়েই আনুপাতিক হারে শ্রমের মজুুরি ছাড়া
চাষাবাদের খরচের জন্য। এ ব্যাপারে বিবাদ সৃষ্টি হলে
বিধি মোতাবেক ফয়সালা করা হবে।
বর্গাকৃত জমি থেকে উদ্ধৃত বিবাদের মীমাংসা : বর্গাকৃত
জমির ফসল ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোন প্রকার
বিবাদ সৃষ্টি হলে আইন মতে বর্গাকৃত জমি থেকে উদ্ভূত
বিবাদের মীমাংসা নিুলিখিত পদ্ধতিতে করতে হবে যথা : (ক)
নিুলিখিত কারণে জমির মালিক ও বর্গাদারের মধ্যে বিবাদ
দেখা দিতে পারে। ভাগ বা ফসলের সরবরাহ, বর্গাচুক্তির
পরিসমাপ্তি সম্পর্কে, ফসল গুদামজাত ও মাড়াই সম্পর্কে।
এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে নির্ধারিত
কর্তৃপক্ষ। কোন ব্যক্তি বর্গাদার কিনা অথবা উৎপন্ন
ফসলের ভাগ কার কাছে হস্তান্তর করা যায় এসব প্রশ্নের
মীমাংসা করবে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ। (খ) বিবাদ সৃষ্টির
তিন মাসের মধ্যে তা মীমাংসার জন্য নির্ধারিত
কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে নতুবা ওই আবেদন
অগ্রাহ্য হবে। (গ) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ পক্ষদের
শুনানির সুযোগ দিয়ে, সাক্ষ্য প্রমাণে সুযোগ দিয়ে এবং
প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান গ্রহণ করে ওই আবেদন প্রস্তাবিত
দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। (ঘ)
নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের আদেশ, সিদ্ধান্ত প্রতিকারের
বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত আপিল কর্তৃপক্ষের
কাছে আপিল করতে হবে।
উপরোল্লিখিত পদ্ধতি মোতাবেক বর্গাকৃত জমি থেকে উদ্ভূত
বিবাদের মীমাংসা করা সম্ভব। এছাড়াও বর্গা চুক্তির
পরিসমাপ্তির সম্পর্কে বিধান রয়েছে। যদি বর্গাদার যথাযথ
কারণ ব্যতিরেকে বর্গাজমি চাষ করতে অথবা একই প্রকৃতির
বর্গা জমির গড় অনুপাতে ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হয় ইত্যাদি
কারণে বর্গা চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে।
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ চাষবাদের সঙ্গে জড়িত। গরিব,
হতদরিদ্র মানুষ যাদের সহায়সম্বল নেই তারা মালিকের কাছ
থেকে জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে কিন্তু আইন না জানায়
তাদের বহুমুখী সমস্যায় পড়তে হয়। বাস্তবতার সঙ্গে
সংগ্রামরত এসব মানুষের সমস্যা মোকাবেলায় সচেতনতার
বিকল্প নেই। সব বর্গাদারকে তাদের আইনগত অধিকার জানতে
হবে তবেই প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে।
এখানে উল্লেখ্য, আইনের বিধান মতে কোন বর্গাদার
চাষাবাদের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা পর্যন্ত জমি গ্রহণের
অধিকারী। ১৫ বিঘার চেয়ে বেশি জমি বর্গা নিতে চাইলে
বর্গাদার হিসেবে বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত জমির ফসলের
ভাগ নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে সরকার সংগ্রহ করবে।
Top
মিথ্যা মামলা
দিয়ে হয়রানি
দেশে জরুরি অবস্থা বিরাজমান থাকতেও সংরক্ষিত আসনের এক
মহিলা কমিশনারের হয়রানি কমছে না। পৌরসভার
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ
এলাকার সাধারণ জনগণের অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন
তিনি। সাভারের স্থানীয় যৌথ বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগী
প্রায় ৩৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি থানা, পুলিশ,
প্রশাসনসহ এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। কথায়
কথায় নিরীহ শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের নামে সাজানো ও
মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন তিনি। তার ক্যাডার
বাহিনী দিয়ে এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারসহ শান্তিপ্রিয়
জনগণের বাড়িঘর ভাংচুরসহ ভূমি দখল করে নেন তিনি। তার
এসব নানা অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অনেকে এখন
এলাকাছাড়া। তার বিরুদ্ধে দুস্থ, অসহায় ও বয়স্ক ভাতার
টাকা আত্মসাৎসহ শতাধিক অনিয়মের অভিযোগে সাভারবাসী যৌথ
বাহিনী ও দুদকে গণস্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগ দাখিল
করেছে। এরপরও তার নানাবিধ অপকর্ম থামেনি। লিখিতভাবে
বিচার দাবি করে পৌর চেয়ারম্যানের কাছে। সাভারবাসী
দ্রুত ওই কমিশনারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সরেজমিনে
তদন্ত করে আইনানুগ শাস্তি দাবি করেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে সংশিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার পরী’র বক্তব্য
নেয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে মোবাইলে
যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্যও
পাওয়া যায়নি।
Top
Top
|
|